ল্রলীশত্দীন্বনলী

১২৬৮-১৩০৮ ১৮৬১-১৯৯১

সএ্ঠীর

0

ঠা প্র শে

কী সহিহ রত

ইনু তূর্তি ভিত

তি ১৩ তি কুকি পি পি ঢা

০৪

টস,

মে

৭,

টি

?্

২৮০

পি

রবীন্দ্রসাহিত্য-প্রবেশক

প্রভীভকুমার মুখোপাধ্যায়

প্রথম প্রকাশ অগ্রহায়ণ ১৩৪০ পলিবধিত সহক্কষরণ বৈশাখ ১৩৫৭ তৃতীস্ব সংস্করণ ০পৌষ ১৩৬৭ চতু সংস্করণ বৈশাখ ১৩৭৭ *ুলব্মুত্রণ অগ্রহায়ণ ১৩০২ : ১৯৯০৭ শক

ধরি

প্রকাশক আজ গদিজ্র ০ভীমিক বিশ্খভাকতী | আচাষ আপঙ্শিশ বন্ড নব 1 কলিকাতা ১"

সুস্রক শীপ্তাণকুমার সুখাঞজি এস. আশ্টুল আটা কোম্পানি এ্রাইন্ডেউ লিমিটে ৯১ আআছাধ প্রফুজলচজ্জ বাক লোড কলিকাতা »

বস্্র কর্ষতি পুরং পরমেক স্তদ্গতান্ুগতিকো মহাধ্যঃ 1” .

একজনই আগে পথ কেটে দেন। পরে সেই পথ দিয়ে যাতায়াত করার লোক তুর্ণভ হয় না।

যে-কেহ মোরে দিয়েছ সুখ, দিয়েছ তারি পরিচয়, সবারে আমি নমি। যে-কেহ মোরে দিয়েছ দুখ, দিয়েছ তারি পরিচয়, সবারে-আমি নমি যে-কেহ মোরে বেসেছ ভালো জ্েলেছ ঘরে তাহারি আলো, তাহারি মাঝে সবারি আজি পেয়েছি আমি পরিচয়, সবারে আমি নমি॥

দাদ! মহিতকুমার, ভ্রাতা সুন্ৃৎকুমার (স্থু ), ভগ্মী কাত্যায়নী কাতু )র স্মরণে

চতুর্থ সংস্করণের ভূমিকা

সববীন্ত্রজীবনী রবীন্দ্-সাহিত্য-প্রবেশক প্রথম খণ্ড (১৮৬১-১৯১২ ) প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৩৪* সালের অগ্রহায়ণ মানে (ডিসেম্বর ১৯৩৩ ) এবং দ্বিতীয় খণ্ড ( ১৯১২-১৯৩৬ ) ১৩৪৩ সালের আশ্বিন মাসে ( অক্টোবর ১৯৩৬) এই সংস্করণে ১৯৩৬ সালের অক্টোবর পর্যস্ত রবীন্দ্রনাথের জীবনকথা বিবৃত হইয়াছিল এবং রবীন্দ্রনাথ ইহ1 দেখিয়] গিয়াছিলেন। প্রথম সংস্করণের আমিই একাধারে লেখক, মূদ্রাকর প্রকাশক ছিলাম। বিশ্বভারতী পুস্তকালয় (২১* কর্ণওয়ালিস স্বীট ) এই গ্রন্থের একমাত্র বিক্রেতা ছিলেন কবির মৃত্যুর পরে দ্বিতীয় সংস্করণ হইতে বিশ্বভারতী গ্রস্থনবিভাগ এই গ্রন্থের মুদ্রণ প্রকীশনের ভার গ্রহণ করেন। এই নৃতন সংস্করণ বহুগুণিত হইয়া চারি খণ্ডে প্রকাশিত হয় ১৩৫৩ হুইতে ১৩৬৩ সালের মধ্যে অর্থাৎ প্রথম সংস্করণের বিশ বখসর পরে। ইহার পর তৃতীয় সংস্করণ পরিবধিত পরিমাজিত আকারে চারি খণ্ডে ১৩৬৭ হইতে ১৩৭১ সালের মধ্যে মুদ্রিত হইস্স প্রকাশিত হয়।

এইবার রবীন্দ্রজীবনীর প্রথম খণ্ডের চতুর্থ সংস্করণ পরিমাজিত পরিবধিত আকারে পুনরায় পাঠকদের সম্মুখে উপস্থাপিত করিলাম। আমার বয়স এখন সাতান্তর বৎসর; স্ৃতরাং পরবর্তী সংস্করণ সংশোধনের সযোগ পাইৰ কি ন! জানি না। অপর খগ্ুগুপি সংশোধন করিয়া বাঁখিতেছি-_ বিশ্বভারতী প্রয়োজনবোধে মুদ্রণের ব্যবস্থা করিবেন। (কারণ বিশ্বভারতীকে আমার গ্রস্থাদির স্থায়ী শ্বত্ববান করিয়া! যাইতেছি ) ভবিষ্যতে যদি কখনও সংস্করণের প্রয়োজন হয়, ভবে ববীন্দ্রভবনের তত্বাবধানে এঁ কার্ধ নিষ্পন্ন হইবে আশা! করি।

জানের রথ বহু গুণীর করম্পর্শে চলমান হয়। বহছজন-আহরিত তথ্যবাজি, যাহা! আমার জ্ঞানগত হইয়াছে, তাহার আলোকে রবীন্দ্রনাথের বহুমুখী জীবনের ঘটনাবলীর পুনধিচার করিতে গিয়া নানা স্থলে নৃতন তত্বে উপনীত হইরাছি__ পাঠক গ্রন্থপাঠকালে তাহা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করিবেন। |

এই খণ্ডের তৃতীয় সংস্করণ নিঃশেষিত হইয়া! গেলে বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ গ্রস্থখানির পুনমু'দ্রণের আয়োজন করেন। আমি ইতিমধ্যে গ্রন্থখণ্ডকে পুঝ্ধান্থপুত্খরূপে পরীক্ষা করিয়া নৃতন সংস্করণের জন্য প্রস্তুত হইতেছিলাষ। স্থতরাং উহ। পুনমূন্রিত হইল না, কার্যত নৃতন সংস্করণের মুদ্রণকার্ধ আরম্ভ হইল। ফলে এই গ্রস্থখণ্ড বৃকাল পাঠক- সমাজের অপ্রাপায ছিল।

গ্রস্থশেষে এবারও সংযোজন পরিশিষ্টরূপে দিতে হইয়াছে পাঠকদের নিকট অনুরোধ, তাহার] যেন গ্রন্থখানি পাঠ করিবার পূর্বেই সংযোজন শুদ্ধিপত্র অংশ দেখিয়া গ্রন্থমধো যথাযথ স্থান চিহ্নিত সংশোধিত করিয়া লন।

অন্যান্য বারের স্তায় এবারও এই খণ্ড সম্পাদন-কালে বহুজনের সহায়তা লাভ করিয়াছি। স্বর্গত তপনযোহন চট্টোপাধ্যায় দীর্ঘপত্র লিখিয়া নান! তথা সরবরাহ করিয়াছিলেন; আমার আপসোস গ্রন্থের নূতন সংস্করণ তিনি দেখিয়া] যাইতে পারিলেন না। অস্তান্ত ধাহাদের অযাচিত সাহাযা পাইয়াছি তাহাদের মধ্যে শ্ীপুলিনবিহাবী সেন, শ্বীকানাই সামস্ত, শ্রীশোভনলাল গঙ্গোপাধ্যায়, শ্রচিত্তরঞ্চন দেব শ্রীশুভেন্দুশেখর মুখোপাধ্যায়ের নাম বিশেষ উল্লেখযোগ্য শ্রপ্রবীরকূমার দেবনাথ এবং শ্রাদিলীপকুমার দত্তও আমাকে নানাভাবে সহায়তা করিয়াছেন। তাহা ছাড়া মুদ্রণকালে গ্রস্থনবিভাগের কর্মীদের যে অক্কুপণ সহায়তা। পাওয! গিয়াছে, তাহা না পাইলে গ্রস্থমধ্যে আরো অনেক ভুলত্রান্তি থাকিয়া যাইত। আমাকে একহাতে সংগ্রহের লম্পাদনের কাজ করিয়! প্রেসকপি প্রত্তত করিতে ইইয়াছিল। ফলে বহু ক্রটি থাকিয়া যায়-_ যাহা শুধুমাত্র প্রফ-পাঠকদের পক্ষে সংশোধন করা লম্ভব ছিল না।

পাঠক লক্ষ্য করিবেন, নৃতন তথ্য আবিষ্কারের ফলে গ্রন্থের পরিচ্ছেদাদির বিস্তাস পরিবন্তিত হইয়! গিয়াছে এবং

[ ৭)

গ্রন্থের কলেবরও বৃদ্ধি পাইয়াছে। সেইজন্ত এখানে তথ্য-সংগ্রহ বিশ্লেষণ-পদ্ধতির সংক্ষিত্ত আলোচনা করিতেছি।

রবীন্দ্রনাথের প্রথম বিদবেশ-মফর-কাঁলে কবিপুত্র রখীন্রনাথ ঠাকুর ফুয়োপের কয়েকটি আন্তর্জাতিক কতিকা 0:555-0001008 )-সংগ্রাহক সংস্থার সহিত নানা পত্র-পত্জিকাদিতে প্রকাশিত কবি-সম্বদ্ধীয় তথ্য সংগ্রছের ব্যবস্থা! করেন। মুরোপীয় নানা ভাষার পত্র-পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথ সম্বন্ধে যাহা-কিছু প্রকাশিত হইত, সে-সকল তথ্য সংগ্রহ করিয়া এই-সব সংস্থা রখীন্্রনাথের নিকট প্রতি সপ্তাহে পাঠাইত। বখীন্্রনাথের আন্গুকূল্যে শীহধী্রস্ুমার সেনের সহায়তায়, আমার তত্বাবধানে বিশ্বভারতী গ্রন্থাগারে এই “কন্তিকা” সংরক্ষণের বাবস্থা হয়। রবীন্ত্রতবনে এখন যে কেন্ঠিকা" সংগ্রহের বিরাট ব্যবস্থা হইয়াছে, এইভাবে তাহার স্ুত্রপাত করেন কবিপুত্র রঘীন্রনাথ। বগুকাল পরে বিশ্বভারতীর ইংরেজির অধ্যাপক ভষ্টর আলেক্স আরন্সন এই-সব 'কতিকা'র সাহাযো 72৮772141726 1170/87 7৫9) 895 গ্রন্থখানি লেখেন। শ্রীমৈত্রেয়ী দেবীর 776 0164: 0747ত6-এর তথ্যও সংগৃহীত হয় রবীন্দ্রসদনের কন্তিকা" হইতে। পূর্ব-জারমেনি হইতে জনৈক গবেষক আপিয়া, জারমেনিতে রবীন্দ্রনাথ -বিষয়ক তথ্য-কতিকার “ফোটো? লইয়। গিয়াছিলেন। প্রসঙ্গত বলি, অধ্যাপক স্থজিত মুখোপাধ্যায় রবীন্দ্রনাথের আমেরিকা-সফর সম্বদ্ধে যে গ্রন্থ লিখিয়াছেন (7255286 0০ 44716110৫ ) তাহার তথ্যাদি আমেরিকার গ্রন্থাগার হইতেই তিনি পাইয়াছেন। বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে তথ্যাদি সঞ্চিত গ্রথিত থাকিলে গবেষকদের পক্ষে কাজ করা কত সহজ হয় তাহা বইখানি দেখিলেই বুঝিতে পারা যায়।

ইতিপূর্বে আমি আমার অবসর সময়ে ববীন্দ্রনাথের সাময়িক পত্রে প্রকাশিত রচনাগুলির সুচী পৃথক কার্ডে লিখিতে আরম্ভ করি। এই কাজে বিশ্বভারতীর আদিপর্বের যে কয়েকজনের সহায়তা লাভ করিয়াছিলাম তাহাদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, আমার কনিষ্ঠ ভ্রাতা “হু” বা স্থহৎকুমার মুখোপাধ্যায়, সন্তৌষচন্ত্র মজুমদারের ভগ্মী ছটু বা রম! ( পরে শ্রহ্বরেন্্নাথ করের পত্তী ), বিশ্বভারতীর ছাত্রী_ স্বদেশী যুগের কবি-বন্ধু প্রেমতোধ বস্থর কন্ঠা_ ইভা বস্থ লংগীতভবনের ছাত্র শ্রীঅনাদিকুমার দক্তিদার। ইহাদের মধ্যে প্রথম তিনজন ্বর্গত। |

কার্ড গুলি লেখা সম্পূর্ণ হইলে প্রথমে সেগুলি আভিধানিক বিস্তাসে সাজাইলাম, তার পর সেগুলিকে কালা ক্রমে সাজাইবার দিকে মন দিলাম। কেননা, কালাহ্ুক্রমিক ন্ুচীর সাহায্যেই কবির রচনা-সমূহের, তথা কবিমানসের, বিবর্তন-ইতিহাস যথার্থভাবে জানা সম্ভব সেইজন্ত আক্ষরিক বিন্তাস ভাঙিয়া ফেলিবার পূর্বে সেগুলিকে কাগজে “কপি' করাইলাম। এই কার্ষে ভুবনভাঙা গ্রামের প্রসাদ-বিগ্ভালয়ের তত্কালীন শিক্ষক জনাব রোম্তম আলি আদিত্যপুর গ্রামের শ্রকফ্গোপাল হাজরার (বিশ্বভারতী গ্রন্থাগারের অন্যতম কর্মী) সহায়তা পাওয়া গিয়াছিল। এমন সময়ে একদিন বিশ্বভারতী গ্রস্থনবিভাগের তদানীস্তন অধাক্ষ অধাপক চারুচন্দ্র ভট্টাচারের দৃষ্টি পড়িল এই কাজের উপর। তাহার উৎসাহে গ্রস্থনবিভাগ এই কার্ধ-সম্পাদনের স্ববন্দোবন্ত করিয়া দিলেন |

রবীন্জ-ব্চনার কালাহুক্রমিক তালিক! প্রণয়নের কাজ অত্যন্ত শ্রমপাধ্য ; কারণ যে-সব রচনার তারিখ নাই, রচনার স্থান উল্লিখিত নাই-_ তাহাদের যখাযথ কাঙ্গ স্থান নির্দেশ করা যে কত কঠিন কাছগ* তাহা এই কর্মে নিযুক্ত ব্যক্তি মাত্রই বুঝিবেন। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, রবীন্ত্র-রচনার কাল-নির্ণয়ের কাজ এখনও বহুলাংশে অসম্পূর্ণ এবং এখনও আমি এই কাজে ব্যাপৃত আছি।

১৯৫৪ সালের জুলাই মাসে আমি বিশ্বভারতীরএকার্য হইতে অবসর গ্রহ করি। সেই সময়ে এই কালাঙ্থক্রয্িক 'কার্ড গুলি বর্পনাঙ্থক্রষিক তালিকার খাতাগুলি রবীন্্র্তবনে সমর্পণ করি। টি তারিখহীন পঞ্জের রচনাকাল নির্ণয়ের একটি দৃষ্টান্ত গ্রন্থের ৪০৪ পৃষ্ঠায় জষ্টবা-_ রবীন্রনাথ এলাহাবাদ বান বলেশ্রানাথের বিধা পর্থীকে

জনক

[৮]

সাত বৎসর পরে, ১৯৬১ সালে, ববীন্ত্রণাথের জন্মশতবর্ধপৃর্তি উপলক্ষে তৎকালীন উপাচার্য শ্রীন্ধীরঞন দাসের ব্যবস্থায় এই “কার্ড'গুলি পুনরায় পরীক্ষা করিয়া দেখিবার সুযোগ হয়। এক বৎসর এই কাজ চলে-__ এই কাজে সাহায্য করেন শ্রীনীল! চট্টোপাধ্যায়, শ্রীজয়ন্তী রায়চৌধুরী, শ্রীপূলিম! ঘোষ, ভীহবনম্দা ঘোষ, শ্রীঝর্ণ মুখোপাধ্যায়, প্রীছায়! বিশ্বাস, শ্রছৰি বিশ্বাস এবং এগ্রকৃতি ঠাকুর

প্রতোকটি কার্ডে রচনার শিরোনাম, অথবা গান হইঙ্গে তাহার প্রথম পংক্তি, রচনার স্থান কাল) প্রথম কোন্‌ পত্রিকায় প্রকাশিত, কোন্‌ গ্রন্থতুক্ত, তাহার উল্লেখ এবং কোন্‌ কোন্‌ গ্রস্থাবলীর কোথায় উহাদের স্থান, ববীন্র- রচনাবল্পী স্বয়বিতানের কোন্‌ কোন্‌ খণ্ডে মুদ্রিত-_ তাহার বিস্তারিত নির্দেশ দিবার চেষ্টা করিয়াছি পত্র হইলে কাহাকে লিখিত, কোথা হইতে লিখিত, কবে লিখিত, কোন্‌ পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত, চিঠিপত্র পর্যায়ের কোন্‌ খণ্ডের অন্তভু্তি ইত্যাদি তথ্য ছাড়াও পত্রের বিষয়বন্ত চুস্বকাকারে প্রদত্ত হইয়াছে। প্রসঙ্গত বলি, সন-তারিখ-বার সম্বন্ধে রবীন্ত্রনাথের দৃষ্টি খুব সঙ্গাগ ছিল নাঁ। কখনো! কখনো সে কথা পত্রমধ্যে স্বীকার করিয়া! লিখিতেন-- “তারিখ জানি ন1”, কখনো বা আন্দাজে তারিখ বসাইয়া দিতেন সেই-সব ক্ষেত্রে গবেষকদের যে কী পরিমাণ অস্থবিধায় পড়িতে হয় তাহ! সহজেই অনুমেয়

কিছুকাল পরে আমি আমার বাক্তিগত দায়িত্বে রবীন্দ্রভবন হইতে কার্ডগুলি আনাইয়া পুনরায় পরীক্ষা করিতে থাকি এবং কপি কবিয়! লই। তার পর অন্ুলেখক নিযুক্ত করিয়া বহু ব্যয়ে সেইগুলি কপি করাই ; ফুলস্কাপ আকারের বাইশখানি খাতায় ১৯১২ সাল, অর্থাৎ কবির বিদেশ-যাত্র! পর্বস্ত, তথা লিপিবদ্ধ হইয়াছে। প্রসঙ্গত বলি, এখনও নূতন নৃতন তথা পাইলে যথাধথ স্থানে সন্নিবেশিত করিয়া বাখিতেছি। ছুঃথের বিষন্ন, ১৯১২ সালের পর আর কাজ অগ্রপব হয় নাই আমার মনে হয়, রবীন্দ্রনাথের জীবনের ঘটনাবলীর তাহার রচনাবলীর কালাশ্ষক্রমিক স্চী প্রণয়নের জন্য রবীন্দ্রভবনে একটি স্থায়ী প্রশাখা গঠিত হইলে বৃবীন্দ্র্জীবনীর সার্থক রূপায়ণ হইবে আমি তাহার শুচনামাত্র করিয়াছি 1৮607090910£% দার্শনিক পরিভাষার শব! আমাদের মতে সাহিত্য বা সাহিত্যিকের জীবনী -আলোচনায় এই দার্শনিক তথ] বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির অন্থসরণ আবশ্তিক অপরিহার্য জীবনী-সংকলন-কালে ঘটনাবলী রচনাবলী যথাযথ স্থানে বিন্বন্ত না হইলে, তাহ! বিকৃত হইতে বাধা রবীন্দ্রনাথ বা কোনে সাহিত্যিকের নানা বয়সের নান! রসের বিচি রচনা মন্ন করিয়া সমালোচকগণ যে সিদ্ধান্তে উপনীত হন-_ তাহাকে এতিহাসিক বা বৈজ্ঞানিক সুবিচার বলিয়া অভিনন্দিত করিতে পারিব না। কবির আঠাঁরো বৎসরের রচনার সহিত, আটত্রিশ, আটান্ন, আটাত্তর বংসর বয়সের রচনার গুণগত, রূপগত, ভাবগত পার্থকা আছেই-_ ভাবনার ক্রমবিকাশ বুঝিবার পক্ষে তাহাদের আলোচনা সার্থক হইতে পারে, কিন্তু তাহার মন্থন হারা কবির কোনো সার্থক রূপ ফুটিয়া উঠিবে না। আমরা জানি, কবির কৈশোরের উচ্ছ্বীসপূর্ণ গীতাবলির পংক্কতি উদ্ধৃত করিয়া! বার্ধকো তাহাকে লজ্জিত করিবার অপ- প্রয়াস হইয়াছে আমাদের মতে যে-বয়সের যে-রচনা, যে-পৰিবেশের যে-রচনা, তাহাকে সেই সেই কালের পরিপ্রেক্ষিতে মাপস্চীমতে বিচার করিতে হইবে ১৮৮০-৮১ সালের উনিশ-বিশ বংসর বয়সের রচন। সন্ধ্যাসংগীত'কে সেই কালের পরিবেশের দৃষ্টিতে আলোচনা করিব। সেইজন্য আমরা এই জীবনীখণ্ডে 'সন্ধ্যাসংগীতে'র আলোচনাঁকালে “ভারতী, পত্রিকার প্রথম পাঠ অথবা! প্রথম-সংস্কবণের (১৮৮২) পাঠ গ্রহণ করিয়াছি; পরিপূর্ণ যৌবনে, প্রৌঢে বা বার্ধক্য এই কবিতাগুপ্লির যে-পরিমাজিত রূপান্তর ঘটাইয়াছিলেন তাহার আলোচন1 করি নাই। সে আলোচনার ধারা স্বতত্থ সে আলোচনায় কাবোর অভিবাক্তি সুচিত হইবে, অথবা বয়োবুদ্ধিয় সঙ্গে সঙ্ষে একটি বিশেষ রচনা বা বিষয়ের প্রতি লেখকের মনোভাব কিভাবে রূপান্তরিত হইতেছে সেই বিষয়ে তন্বমূপক গবেধণার তথা পাওয়া যাইবে, কিন্তু বিশ বৎসর বন্নসের তরুণ অশাস্ত কবিকে পাওয়া যাইবে না।

[৯]

মানুষ প্রত্যেক মূহূর্তে যাহা অনুভব করে বা উপভোগ করে-_ তাহাঁতেই তাহার পরিপূর্ণ অন্তিত্ববোধের সার্থকতা কাট্‌স্‌, চ্যাটার্টন, শেলী, বায়রণ, রুপার্ট ক্রক্‌, উইলফ্রেড আওয়েন, বাংলাদেশের সভীশচন্্র রায়, গোকুল নাগ, স্থকুমার সরকার, জীবনানন্দ দাশ প্রত্তৃতি কবি-সাহিত্যিকরা অকালে মৃত্যুমুখে পতিত হন। কিন্তু ভাই বলিয়। তাহাদের রচনা সার্থক রূপ গ্রহণ করে নাই এমন ধুষ্ট-উক্তি কেহ করেন নাই-_ হষ্িমুহূর্তে তাহাদের প্রকাশানন্দে রচন! সার্থক হইয়াছে সেই-সব রচনা ভালো কি মন্দ-_ কালজয়ী হি কি না__ প্রশ্ন অবান্তর কবিরা আপন জীবনের আনন্দ বা যন্ত্রণার মুহূর্তটি মাত্র ভাষায় ছন্দে স্থরে রূপ দিয়া সার্থক হইয়াছেন। সেই দুটিতে রবীন্দ্রনাথের বাল্য, কৈশোর যৌবনের রচনার বিচারই সত বা বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিগত বিচার গঙ্গার যে সৌন্দর্য তাহ! তাহার জলধাবার মধ্যেই নিহিত নাই, তটের ঘাঁটে ঘাঁটে, প্রতি মুহূর্তে সে সার্থক।

রবীন্দ্রনাথের রচনার সাহিত্যিক বিচার তখনই সম্ভব, যখন তাহার প্রত্যেকটি গ্রন্থের “বিচিত্র পাঠ'-সংস্করণ বা ₹2110:020, 2৫10107 সমীলোচকদের হস্তগত হইবে। যাহারা পাশ্চাত্য সাহিত্যিকদের “বিচিত্র পাঠ"যুক্ত গ্রস্থাবলী দেখিয়াছেন তাহার! অবশ্যই লক্ষা করিয়াছেন যে, গ্রন্থের সংস্কার-কালে কবি-সাহিত্যিকদের মনে কত প্রশ্নের উদয় হইতেছে-_ তাই রচনার মধো কত কাটা-ছাটা, কত অদল-ব্দল চলিতেছে এ-কথা সকলে জানেন যে কবিরা ভাবাবেগে রচন1 করিয়া] যান। কিন্তু শিক্ষিত কবিরা সেখানেই থাঁমেন না। তীহার। ক্রিটিকরূপে শান্তভাবে শব্ধ- প্রয়োগ, ছন্দ, স্টাইল প্রভৃতি লইয়! বিচাবে প্রবৃত্ত হন। তাই রচনার মধ্যে এত কাটা-ছাটা। কবির স্থজনশীল মনের, তাহার কচিবোধের পরিচয় পাওয়া যায় সেই-সব খসড়া বা পাুলিপি হইতে।

রবীন্দ্র গবেষকদের জন্যে তিন শ্রেণীর কাজ অপেক্ষা করিতেছে। প্রথমটি ০1:01)101৩ বা কালা ক্রমিক ঘটনা রচনা -সংগ্রহ-_ সম্বন্ধে পূর্বেই আলোচন করিয়াছি অপর ছইটির মধো প্রথম হইতেছে রচনার পাঠান্তর সংকলন। অনেকের ধারণা, প্রতি রচনার পাঁওুলিপি তো! একটি) কিন্ত তাহা সত্য নহে। প্রথম খনড়া, খসড়ার উপর কাটাকাটি হইতে নৃতন পাঠের উদ্ভব হয়। পত্রিকায় মুদ্রিত পাঠ পাওুলিপির মধ্যে পাঠাস্তর হয়; অনেক সমগ্ন এই পাঠাস্তর হয় প্রেসের প্রুফে ; সেই-সব প্রফের কাগজ প্রায়ই পাওয়া যায় না। কিন্তু এখানেই 'পাঠান্তরের' পালা শেষ হয় না, গ্রন্থ-প্রকাশকালেও রচনার মধ্যে পাঠভেদ পরিলক্ষিত হয়। এই কার্ধ দ্বিতীয় পর্যায়ভুক্ত__ অর্থাৎ [63:9৪] ০11001910 নামে যে-নৃতন বি্যার উদ্ভব হইয়াছে তাহার আলোকে গ্রন্থের পাঠান্তরের বিচার হয়। সাময়িক পত্র- পত্রিকায় প্রকাশিত মুদ্রিত গ্রস্থের নানা সংস্করণের পাঠান্তরের তুলনামূপক আলোচনা এই দ্বিতীয় পর্যায়ের অন্তর্গত। এই কাজ যে কী শ্রমসাধা, কী ধৈষের পরীক্ষা-_ তাহা যাহারা এই গবেষণায় নিযুক্ত আছেন তাহারাই জানেন।

রবীন্দ্রনাথের রচনাবলীব “বিচিত্র পাঠ” সংকলন-কার্ধ (০071১118007 ) বিশ্বভারতীর ববীন্ত্রভবনে ১৯৬৬ সালে আরস্ত হইয়াছে। কিন্তু যাবৎ রবীন্দ্রনাথের রচনাবলীর উনত্রিংশ খণ্ড গুকাশিত হইয়াছে এখন৪ অনেকগুলি প্রকাশিত গ্রন্থ রচনাবলীভুক্ত হয় নাই-_ গীতবিতান, চিঠিপত্র দশ খণ্ড, ছিন্নপত্রাবলী রচনাবলীতুক্ত হইবার অপেক্ষায় আছে। বহুশত চিঠিপত্র সাময়িক পত্রিকায় মুদ্রিত হইয়াছে, অথচ কোনো গ্রস্থভুক্ত হয় নাই, বহুশত পত্র আজ পর্স্ত প্রকাশিত হয় নাই-_ সেই-সব পত্রের কিছু অংশ আছে পত্র-প্রাপকদের বংশধরের নিকট, কিছু আসিয়াছে রবীন্দ্রভবনে-_ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় অন্থান্য প্রতিষ্ঠানে মূল পত্র আছে। এই বিপুল পত্র-সাহিতা পুস্তকাকারে মুদ্রিত হইবার অপেক্ষায় আছে। পর্র-সাহিত্য ব্যতীত এমন বহু প্রবন্ধ, সামঘ়িক-প্রসঙ্গ, পত্রিকাদিতে প্রকাশিত হইয়াছিল, যাহা গ্রন্থভুক্ত হয় নাই। এই বিপুল রচনাসভার 'রচনাবলী'তুক্ত হইলে আরও কয়েকটি খণ্ড হইবে। তাহার ফলে সমুদয় রবীন্দ্র-রচনাবলীর পত্রসংখ্যা বিশ সহত্রের নানাধিক হইবে বলিয়া অনুমান

বাংলা রচন! পত্রার্দি ছাড়া ইংরেজিতেও কবির বিপুল সাহিত্য আছে। মুদ্রিত গ্রস্থাদি ছাড় বহু প্রবন্ধ

[১]

চিঠিপত্র আছে, এগুলির সংগ্রহ সম্পাদন -কার্ধ এখনও আরম্ভ হয় নাই। রবীন্দ্র-গবেষণাঁর পক্ষে এই ধারায় কার্য করিবার বিরাট ক্ষেত্র রহিয়াছে। |

বলা বাহুল্য, এই বিরাট সাহিত্যের “বিচিন্্র'পাঠ পাওুলিপির পাঠাস্তরাদির সহিত পাঠ মিলাইয়া এই কার্য শেষ করিতে দীর্ঘকাল লাগিবে। কবির তিরোধানের পচিশ বৎসর পর বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য প্রকালিদাস ভট্টাচার্যের উৎসাহে এই পাঠাস্তর-নংকলন-সম্পাদনের জন্য একটি বিশেষ রবীন্ত্রচর্চা-প্রকর্প গঠিত হইয়াছে এবং শ্রপুলিনবিহারী সেন, শ্রীকানাই সামস্ত শ্রীশুভেন্নুশেখর মুখোপাধায় এই কর্মে নিযুক্ত হুইয়াছেন। তাহাদের কাঁজের ফলম্বরূপ ইতিমধো সন্ধাসংগীত ভাঙসিংহ ঠাকুরের পদাবলী এই দুইখানি গ্রন্থের পাঠান্তর-সংবপিত সংস্করণ প্রকাশিত হুইয়াছে। এই কার্ধ ত্বরাম্বিত করিবাঁর জন্ঠ রবীন্দ্রভবনে একটি বৃহৎ কর্মশালা স্থাপনের একান্ত প্রয়োজন রবীন্দ্রনাথের জীবনের সাহিত্যের এই ত্রিস্থত্রী কর্মধারা রবীন্দ্রভবনের প্রাসঙ্গিক ব্যাপার না রাখিয়া আঙ্গিকরূপে গ্রহণ করাই বিধেয়। বিশ্বভারতীর বাহিরে কোথাও এই কার্য রুষ্ঠটভাবে হইতে পারিবে না; তাহার কারণ, রূবীন্দ্রভবনে রবীন্দ্রনাথের রচনার পাওুলিপির প্রায় পনেরোঁআন। সংগৃহীত আছে, এমন সংগ্রহ আর কোথাও নাই তাহা ছাড়া রবীন্দ্রনাথের রচনার “কপিরাইট”, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকারভুক্ত | স্থতরাং শান্তিনিকেতনে রবীন্ত্র- ভবনের অন্গকুল পরিবেশেই রবীন্দ্রনাথের জীবন সাহিত্য লইয়া গবেষণা করা সম্ভব আমার বিশ্বাস, বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ এই কর্মের জন্ত সুব্যবস্থা করিবেন। বল! বাহুল্য, এই-সব “বিচিত্র পাঠ”-ফুক্ত গ্রন্থ মুত্রিত প্রকাশিত হইলে রবীন্দ্ররচনাবলীর ক্রেতাগণও পুনরায় এই সংস্করণ-সংগ্রহে অভিলাষী হইবেন

রবীন্দ্র-গবেষণা সন্বস্ধে মনের মধ্যে বহুকাল হইতে যে-সকল ভাবনা জমা হইয়াছিল, তাহ! আজ এইখানে ব্যক্ত কল্গিয়! তৃপ্তিলাভ করিলাম। ্‌

ডূবননগর

বোলপুর শান্তিনিকেতন প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়

1 ১১]

তৃতীয় সংগ্করণের বিজ্ঞপ্তি

বছ নৃতন তথ্য সংবলিত হইয় রবীন্দ্রজীবনী প্রথম খণ্ড পরিমাজিত, পরিবত্তিত পরিবধিত আকারে প্রকাশিত হইল। পূর্ববর্তী সংস্করণ প্রকাশিত হয় ১৩৫৩ সালে, অর্থাৎ ১৪ বসর পূর্বে। এই সময়ের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ সম্বন্ধে বু তথ্য আবিদ়্ৃত বু তত্ব গ্রকাশিত হইয়াছে সমস্ত উপাদান ব্যবহার করিতে পারিয়াছি বলিয়া দাবি করিতে পারি না। তবে এই সংস্করণে বহু তথ্য সংযোজিত পরিচ্ছেদের স্থানাস্তরণ বিষয়বস্তর অদলবদ্ূল হুইয়াছে, তাহ] রবীন্দ্রমাহিত্যের উৎস-সন্ধানী পাঠকেরা গ্রস্থখানি দেখিলেই বুকিবেন। ইহার আয়তন বৃদ্ধি পাইয়াছে। পাঠকদের স্থবিধাবু জন্য এইবারকার নির্দেশিক। বিস্তারিত করা হইয়াছে

এই সংস্করণ বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগের তত্বাবধানে মুদ্রিত প্রকাশিত হইল। ইতিপূর্বের সংক্করণ শান্তিনিকেতন প্রেলে শ্রীহ্ধীরচন্্র করের সহায়তায় মুদ্রিত হয়। এই গ্রন্থ সম্পাদনে সাহাযা করিয়াছেন শ্রহশীল রায় ্রীপার্থ বস্ু। তজ্জন্ত তাহাদের ধন্তবাদ জ্ঞাপন করিতেছি। মুদ্রণব্যাপারে শ্রস্থবিমল লাহিড়ীর সহযোগিতা লাভ করিয়া উপকৃত হইয়াছি।

বোলপুর। শান্তিনিকেতন প্রভাতকুমার মুখোপাধাায় পৌষ ১৩৬৭

[১২]

পরিবধিত সংস্করণের ভুমিকা

রবীন্দ্রজীবনী মুদ্রিত হইতেছে শুনিয়া একদিন শ্রদ্ধেয়] শরীযুক ইন্দিরা! দেবী আমাকে জিজ্ঞাস! করেন, 'বইখানি বুঝি ফিরে ছাপছেন?' তাহাকে আমি উত্তরে বলি, “রবীন্দ্রজীবনী” 'প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়” এই দুইটি কথ ছাড়া পুরাতন গ্রন্থের কিছুই বোধ হয় ছাপা হইতেছে না, কারণ বইথানি পনেরো-আনাই নৃতন করিয়া লেখা। তা ছাড়া দ্বিতীয় সংস্করণে বইখানি আকারেও: প্রায় দ্বিগুণ হইয়াছে। চৌদ্দ বৎসর পূর্বে যখন ববীন্দ্রজীবনী লিখিতে আরম্ভ করি তখন কবি সম্বন্ধে কিই-বা তথ্য জানা ছিল। সেই সামান্ত উপকরণ অবলম্বন করিয়! রবীন্ত্রজীবনী-রচনায় প্রবৃত্ত হই। তার পর গত কয়েক বৎসরের মধ্যে সাহিত্যিক, সাংবাদিক বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষীয়ের৷ কবির জীবনী সম্বস্ধে গ্রচুর তথ্য উপকরণ লোকচক্ষুর গোঁচর করিয়াছেন। এই-সকল উপাদানের মধ প্রধান তীহার পত্রাবগী। কবির জীবিতকালে যে সব পত্র প্রকাশিত হইয়াছিল তাহার অধিকাংশই কবিকর্তৃক সম্পাদিত মংশোধিত ; যে-সব পত্রের সাহিত্যিক মৃপ্য নাই অথচ তথ্যের বিচারে চরিতকারের নিকট মূল্যবান, সেগুলিকে কবি অনেক সময়েই নির্মমভাবে বর্জন করিয়াছিলেন। বিশ্বভারতীর কতৃপিক্ষ কবির “চিঠিপত্ত' ধারাবাহিকভাবে মুদ্রণ শুরু করায় কবিজীবনের বহু তথা এখন আমাদের হস্তগত হুইয়াছে। এতদ্ব্যতীত নানা সাময়িক পত্রিকায় অসংখ্য পত্র প্রকাশিত হইয়াছে; এঁতিহাসিক দিক হইতে জীবনীকারের নিকট সেগুলি অমৃপ্য।

পত্রাদি সম্বন্ধে বপিতে গিয়া শ্রযুক্তা ইন্দিরা দেবীর কথা বিশেষ ভাবে স্মরণ হয়। কারণ, তিনিই খুল্লপতাতের বন্থ পড্প সযত্রে রক্ষা করিয়াছিলেন। কবিযশ তখনো মধ্যাহ্ছগগনে আরোহণ করে নাই ; তিনি যেন বুঝিতে পারিয়াছিলেন যে তাহার তুচ্ছ ছিন্নপত্র্লি এককালে সাহিতোব ডালা পূর্ণ করিবে। তাহারই সঞ্চিত পত্রবাজি “ছিন্লপত্র' নামে মুদ্রিত হয় পরবর্তী কালে বিশ্বভারতী প্রিকায় আরও অনেকগুলি বাহির হইয়াছে।

রবীন্দ্রনাথের অচপিত রচনা সম্বন্ধে অধ্যাপক শ্রীপ্রশাস্তচন্্র মহলানবীশ সর্বপ্রথম বাঙাপি পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন; তজ্জন্থ তিনি ববীন্দ্রমাহিতোর পাঠকমাত্রের নিকট ধন্যবাদার্ঠ এই বিষয়ে শ্রীযুক্ত সজনীকাস্ত দাস শ্রীযুক্ত ব্রজেন্্নাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বহু গবেষণা করিয়াছেন; তাহাদের প্রবদ্ধাদি কবিজীবনের প্রতাষান্ষকাঁরে প্রচুর আলোকমম্পাত করিয়াছে এই স্তরে অধ্যাপক অীপ্রবোধচন্দ্র সেন, শ্রপুলিনবিহারী সেন, শ্রনি্ণলচন্ত্র চট্টোপাধ্যায় শুশাস্তিদেব ঘোষের নাম বিশেষভ।বে উল্লেখযোগা। কবির বাল্যজীবন সম্বন্ধে বহু তথ্য আমরা অধ্যাপক নির্মলচন্ত্র -কত়কি সম্পাদিত বিশ্বভারুনী-সংস্করণ 'জীবনস্তি' হইতে পাইয়াছি। বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ হইতে যে রবীন্র- রচনাবলী প্রকাশিত হইতেছে, তাহার সংযোজন-অংশ এবং গ্রস্থপরিচয়-অংশ বহু তথ্যসমন্থিত হওয়ায় জীবনীকারের পক্ষে বিশেষ মূল্যবান

রবীন্দ্রনাথ বনু গ্রন্থ পিখিয়াছেন, কোন্‌ গ্রন্থ কখন লিখিত তাহা জীবনীকারের পক্ষে জ্জানা! একান্ত প্রয়োজন; 'তজ্ঞন্য ববীন্দ্রনাথের জয়স্তী-উত্সবের প্রাককীলে আমি এক গ্রন্থপ্ষী' প্রস্থত করি। উহাই ধরণেন প্রথম গ্রয়াস। ভাহার প্রায় এগারে! বৎসর পরে শীুক্ত ব্রজেন্ত্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় ববীল্গ্রন্থের বিশুদ্ধ সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করিয়াছেন, ব্রজেন্্রবাবুর সত নিষ্ঠা সর্বজনবিদিত) তাহার “ববীন্-গরন্ব-পরিচয়” আমাদের বিশেষ কাজে লাগিয়াছে।

এই গ্রন্থ প্রণয়ন-কাঁলে নানা ভাবে বছু লোকের সহায়তা লাভ করিয়াছি অধ্যাপক নিত্যানন্দবিনোদ গোস্বামী, শ্রকান্থিচন্ত্র ঘোঁষ, শ্রীশান্তিদেব ঘোষ, অধ্য।পক প্রবোধচন্দ্র সেন, অধ্যাপক নির্মলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শ্রীপুলিনধিহারী সেন শ্রীকানাই সামস্তের নাম সবাগ্রে করা কর্তব্য যে-সব বন্ধু নানা সমালোচনার দ্বার সাহাযা করিয়াছেন,

[১৩]

তাহাদের মধ্যে অধ্যাপক হ্বনীলচন্দ্র সরকার, অধ্যাপক বিনোদবিহারী মুখোপাধ্যায়, অধ্যাপক হৃখময় ভট্টাচার্য, অধ্যাপক হ্থখময় চট্টোপাধায়, অধ্যাপক নগেক্জনাথ চক্রবর্তী, অধ্যাপক বিনয়গোপাল রায়, অধ্যাপক অনিলকুমার চলা, শ্রীক্ষিতীশ রায় শ্রীঅমিয়কুমার সেনকে বিশেষভাবে স্মরণ করিতেছি। তবে ধাহার সহায়তার কথা সম্পূর্ণ পৃথকভাবে বিশেষভাবে বল! উচিত তিনি হইতেছেন শ্রীস্ধীরচন্ত্র কর; বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগের কর্মীবূপে তিনি আমার গ্রস্থথানির কেবলমাত্র প্রুফ সংশোধন করেন নাই, স্বভাবসাহিত্যিকের দৃষ্টিতে তিনি রচনার দৌষওণ বিচার করিয়া! আমাকে সর্বদা যথাবিধ পরামর্শ দান করিয়াছেন; তাহার নিঃস্বার্থ সহযোগিতা না পাইলে এই গ্রন্থে ভুলক্রটি আরও থাকিত।

গতবার এই গ্রন্থের আমিই ছিলাম প্রকাশক, অবস্থা বিশ্বতারতী গ্রস্থনবিভাগের আহুকূলোই উহা মুদ্রিত হয়; তখন বিশ্বভারতীর কর্তৃপক্ষের মত ছিল যে, রবীন্দ্রনাথের জীবিতকালে তাহার সম্বন্ধে কোনো গ্রন্থ তাঁহারা প্রকাশ করিবেন না। যাহা হউক, বিশ্বতাঁরতীর কর্মসচিব শ্রাযুক্ত রধীন্্রনাথ ঠাকুর সহকারী সচিব শ্বর্গায় কিশোরীয়োহন স্ীতরার চেষ্টায় উহা প্রকাশিত হইয়াছিল। এইবার বিশ্বভারতী গ্রন্থনবিভাগ এই রবীন্দ্রজীবনী প্রকাশ করিতেছেন। কিন্তু বিশ্বভারতী ইহার প্রকীশভার গ্রহণ ঝরিলেও এই গ্রন্থে যে-সব মন্তবা করা হইয়াছে তাহা আমার ব্ক্কিগত মত, তাহার জন্ত একমাত্র আমিই দায়ী

এই জীবনচরিতের বহু তথা রবীন্ত্রতবন হইতে সংগৃহীত হইয়াছে তজ্জন্ত শ্রীযুক্ত রণীন্্রনাথ ঠাকুর মহাঁশয়কে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করিতেছি ; তবে এই ধন্যবাদ নিশ্রয়োজন, কারণ রবীন্দ্রনাথের অকৃত্রিম স্সাহ বাতীত কখনোই আমি এই বিরাট গ্রন্থ প্রণয়নে অগ্রসর হইতে পারিতাম না| ইহার প্রকাশনে বিশ্বভারতী গ্রস্থনবিভাগের সচিব শ্রীযুক্ত চারুচন্দ্র ভট্টাচার্য মহাশয়ের সহান্ভূতি না পাইলেও ইহা! প্রকাশিত হইত না।

শান্তিনিকেতন প্রেসের মাঁনেজার শ্রুযতীন্্রনাথ বিশ্বাস মহাশয়ের ধৈর্ধের পরীক্ষা হইয়াছে আমার প্রুফ লইয়া) তাহার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই ইহা যথাসময়ে প্রকাশিত হইতে পারিল। প্রেসের প্রধান কম্পোজিটর শ্রীবলরাম সাহা প্রধান প্রেলম্যান শ্রীদীতানাথ দের নাম এইখানে না করিলে অরুতজ্ঞতা হইবে। শ্রতভৃষণচন্দ্র মাইতি প্রফের কা যেভাবে দেখিয়াছেন, তক্জন্ত তাহাকে অন্তরের ধন্যবাদ জানাইতেছি।

আমার জে/ঠ পুত্র প্রমান স্থপ্রিয় কনিষ্ঠ পুত্র শ্রীমান বিশ্বপ্রিয়, ভ্রাতুষ্পুত্র শ্রমান শোভনকুমার মুখোপাধায় এবং লাইব্রেরির সহকারী কর্মী শ্রীমান দবিজপদ হাজরা শ্রীমান কষ্ণগোপাল হাজরা অতি অল্প সময়ের মধ্যে নির্ঘণ্ট প্রত্তত করিয় দিয়াছেন; তক্জন্ত তাহারা আমার আশীর্বাদ গ্রহণ করন। এই গ্রন্থের বিস্তৃত সুচী প্রণয়নে শ্রীঘুক্তা নলিনী ঘোষ বিশেষ সাহায্য করিয়াছেন, তজ্জন্ত তাহাকে এইখানে স্মরণ করিতেছি।

প্রথম সংস্করণ রবীন্দ্রজীবনী প্রথম খণ্ড মদীয় অগ্রজ রেঙ্গুন বেঙ্গল আাকাডেমির প্রধান শিক্ষক, শিক্ষা ব্রতী মহিতকুষার মুখোপাধ্যায়কে উৎ্সর্গাকৃত হইয়াছিল।

বিশ্বভারতীর বিশাল গ্রন্থাগারের অধ্যক্ষতা করিবার সৌভাগা লাভ করায় আমি রবীন্দ্রনাথের বিরাট সাহিত্য তৎসংক্রান্ গ্রন্থ সাময়িক পত্রিকাদি যদৃচ্ছাক্রমে ব্যবহার করিবার স্থযোগ পাইয়াছি। তজ্জন্ট আমি ঠাহারই নিকট খণী, যিনি আমাকে আমার বালক-বয়মে এই শান্তিনিকেতন আশ্রমে আশ্রয় দান করেন কালে গ্রস্থাগারিকের দাযিত্বপূর্ণ পদে বসাইয়া যান; আজ তাহার উদ্দেশে পুস্তক আমার সামান্য শ্রদ্ধাঞ্জলি মাত্র।

প্রস্থতবন। বিশ্বভারতী ভাত টড প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়

[১৪]

প্রথম সংস্করণের ভূমিকা

রবীন্ত্নাথ আমাদের মধ্যে বহিয়াছেন; তাহার লেখনী এখনো অজন্রধারে বাংলা-সাহিত্যকে গীতে গল্পে নাট্যে প্রহসনে প্রবন্ধে সমৃদ্ধ করিতেছে ) দেশের গুরুতর সমন্তার সময়ে তাহার বাণী জনগণের চিত্তকে কল্যাণময় সত্যের পথে চালাইতেছে।

জীবিত কোনো শষ্টার জীবনী লেখাই কঠিন, রবীন্দ্রনাথের স্তায় মনীষী 'ও কবির জীবনী কোনে! কালে যথাযথ লেখা অসম্ভব বিচিত্র ঘাত-প্রতিঘাঁতে তাহার জীবনবীণা বন্কত। তীহার প্রতিভ! নিত্য নবধারায় আপনাকে বন্ুধা প্রকাশ করিয়া চলিয়াছে। হুর্যরশ্রিকে বিশ্লেষণ করিলে সপ্তবর্ণ পাওয়! যায়; রবীন্ত্রসাহিত্যও সেই বিপুল বরণচ্ছটায় বিশেষ মনের আতসকাচে বিশ্লিষ্ট বর্ণে ধরা দেয়। আমাদের কাহারে! কাছে তিনি হয়তো কেবলমাত্র কবি বা নাট্যকার বা রাজনৈতিক ; কেহ ব1 তাহাকে শিক্ষক, ধর্মগুরু, বৈয়াকরণ, সংগীতকার বা নৃত্যকলাবিদ্‌ এই রকম কোনো! বিশেষ একটি পরিচয়ে নির্দিষ্ট করিয়া জানিতে চাই। তাহার প্রতিভায় এই সকল রূপেরই সম্বয়, সব মিলাইয়াই তাহার স্বভাবের অখণ্ড সত্তা বিশ্লেষণ করিয়া খণ্ড খণ্ড ভাবে তাহাকে জানিবার চেষ্টায় বিপদ আছে-_ তাহার নানান্‌ কর্ম এবং সৃষ্টির গভীর এঁকাস্থত্র ধরা না পড়িলে তাহার প্রতিতাকে স্ববিরোধী বলিয়া ভ্রম হইতে পারে। বিশেষ করিয়া ববীন্ত্রনাথ সম্বন্ধে এমনতরো ভুল করিবার সম্ভাবন] বেশি, কেননা তিনি কোনে! কিছুকেই বাদ দিতে চান নাই-_ জীবনের সকল বৃত্তি, সকল শক্তিকেই তিনি স্বাকার করিয়া স্বভাবের সম্পূর্ণতার মধ্য স্থান দিয়াছেন।

জ্ঞান ভাব, রূপ রম, সৌন্দর্ষের বিচিত্র নিবিড় অন্থ্ভূতি, জগৎকে জীবনকে নানা কল্পনায় চেতনায় শাশ্বতের পটে সত্য করিয়া জানিবার জানাইবার প্রয়াসই তাহার জীবনের মূলগত সাধনা এই সাধনার মধা দিয়াই বিশ্বস্টটির পূর্ণরূপ তাহার অধ্যাত্মজীবনকে গড়িয়া তুলিয়াছে; অন্তরে বাহিরে, ধ্যানে কামনায় কর্মকে সত্যের বিপুল মহিমা দান করিয়াছে এইজন্যই রবীন্দ্রনাথ কবি কর্মী, ধানী এবং শিল্পমষ্টা, আত্মসমাহিত সাধক এবং বিচক্ষণ সমাজসংস্কারক

সংসারের কোনে দায়িত্বকেই রবীন্দ্রনাথ অস্বীকার করেন নাই; বিষয়কর্মের কোনো দাবিকেই এড়াইতে চান নাই, কঠিন কর্তবাবোধের তাগিদে বারংবার তিনি দেশের দশের জন্য নান! দুরূহ প্রচেষ্টায় প্রবৃত্ত হইয়াছেন। জমিদারি বিদ্যালয় পরিচালনা, সাহিত্যসেবা, মাসিকপত্র-সম্পাদনা 'ও সংসার এবং আশ্রমের বিবিধ কর্মসাধন-_ কোনো কিছুকেই তিনি বাদ দেন নাই। ক্ষুত্র শিক্ষায়ত্ন হইতে আর্ত করিয়া আঙ্গ শান্তিনিকেতনে বিশ্বস্তারতীর ব্যাপক কর্মপ্রবর্তনার মধো9 তাহার স্বভাবে সত্যের অনিবার্ধ বিকাশ দেখিতে পাই; ধাহার! বাস্তব বিলাসের নেশায় জীবনের সমগ্র রূপ দেখিতে চান না, তাহারা রবীন্দ্রনাথের জীবনের, তাহার বিচিত্র স্থষ্টির এই বিপুল সাধনার তাৎপর্য উপলব্ধি করিতে অক্ষম। রবীন্দ্রনাথের ব্যক্তিগত এবং কাবাগত জীবনের এই বৃহৎ সম্মিলিত রূপ সংহত করিয়া দেখানোই এই পুস্তকের উদ্দেশ্া। |

রবীন্দ্রনাথের জীবনী বাংলায় এভাবে লিখিবার চেষ্টা পূর্বে হয় নাই; ইহার মধ্যে দোষক্রটি অনেক আছে, সে বিষয়ে গ্রন্থকার খুবই সচেতন। কিন্তু সাধ্যমত প্রয়াসের নিশ্চয়ই কিছু মূল্য আছে। সহদয় পাঠক এই পুস্তকের ভুলত্রাস্তি প্রদর্শন করিয়া তাহাদের মন্তব্য আমাকে লিখিয়া পাঠাইলে বিশেষ উপরূত হইব। সত্য প্রকাশিত হয়, ইহাই আমাদের কাম্য, এখানে বাক্তিগত মান-অভিমানের স্থান নাই।

গ্রন্থের প্রারস্তে ঠাকুরপরিবারের ইতিহাস দীর্ঘই হুইয়| পড়িয়াছে; অনেকেরই অজানা! থাকায় বিষয়

[ ১৫)

বিশদভাবে তথ্যসংগ্রহ করিবার লোভ সংবরণ করিতে পারি নাই, রবীন্দ্রনাথের জীবনীর সহিত সে অংশের হয়তো প্রত্যক্ষ সমন্ধ অল্প

এই গ্রন্থ গ্রণয়নে অনেকের কাছ হইতে সহায়ত! লাভ করিয়াছি, তবে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য সাহাষা পাইয়াছি শ্রঅমিয়চন্ত্র চক্রবর্তীর নিকট হইতে; তাহার খণ ভূমিকায় নামোল্পেখ দ্বারা নিঃশেবিত হইবে না। মতকৃত “রবীন্তর- বর্ষপঞ্ধী'র প্রীগ্রশান্তচন্দ্র বহলানবীশের সমালোচনা 'প্রবাশী'তে তাহার “ববীন্র-পরিচয়? সন্বদ্ধে প্রবন্ধগুলি আমার বিশেষ কাজে লাগিয়াছে। রবীন্দ্রনাথের ছুশ্রাপ্য পুরাতন পুস্তকগুলি দেখিবার স্থযোগ দিয়াছেন ্ীপূ্থীসিং নাহার সেজন্ত তাহাকে আস্তরিক ধন্ঠবাদ জাপন করিতেছি। ববীন্দ্রনাথের সৃযোগ্য পুজ্র বিশ্বভারতীর কর্মসচিব কর্মীশরেষ্ঠ শ্রীরঘীন্দ্রনাথ ঠাকুর সহকারী কর্মসচিব শ্রীকিশোরীমোহন সীতা মহাঁশয়ছয়ের নিকট বিশেষ খণী।

এই গ্রন্থ প্রণম্নকালে আমি রবীন্দ্রনাথের সহিত অনেক তথ্য তত্বের আলোচন] করিয়াছি; কিন্ত গ্রন্থের কোনো অংশ লিখিবার সময় ব! মুক্রণকালে আমি তাহাকে দেখাই নাই। গ্রন্থের মধ্যে যে-সব মতামত আছে, তাহার জন্ত আমি একমাত্র দায়ী। তিনি ছাড়া তাহার পরিবারের কাহারও কাহারও কাছ হইতে কিছু কিছু তথ্য পাইয়াছি, তাহার জন্ত তাহাদের ধন্যবাদ দিতেছি

এই খণ্ডে আমর] রবীন্দ্রনাথের জীবনের প্রথম পঞ্চাশ বংসর আলোচনা করিয়াছি। গীতাঞ্লি ইংরেজি অন্থবাদ বিলাতে প্রকাশের পর হইতে রবীন্দ্রনাথ কেবলমাত্্ বাঙালীর কবি থাকিলেন না; তিনি বিশ্বের কবিরূপে দেশে-বিদেশে গৃহীত হইলেন। আমরা সেই অংশ অর্থাৎ তাহার বিশ্বখ্যাতির ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ডে প্রকাশ করিব।

গ্রন্থভবন। শান্তিনিকেতন অগ্রহায়ণ ১৩৪, প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়

[১৬]

বিষযসূচী চনা

ংশপরিচয় প্‌ ১-৪ কিংবাস্তীযূলক ইতিহাস-_ 'দীরালি' নামের উৎপত্তি-_ জগক্লাথ কুশারী ঠাকুরগোঠীয় আদিপুরুষ। যশোহর হইতে কলিকাতা" গোবিন্দপুরে উপনিবেশ-_ পঞ্চানন ঠাকুর'-“টেগোর'--| জয়রাম ঠাকুর-_ নীলমণি, দর্পনারায়ণ ঠাকুর।

জোড়ার্সাকোর ঠাকুরপরিবার পৃ ৪-১৫ নীলমণি ঠাকুর-_ বামূলোচন। দ্বারকানাথ ঠাকুর ১৭৯৪-১৮৪৬। দেবেনজ্্নাথ ঠাকুর ১৮১৭-১৯০৫ | দেবেক্- নাথের বংশধর রবীন্দ্রনাথের পরিবার

আবির্ভাবকাল প্‌ ১৫-২৯ সংবাঙ-প্রতাকর-_ সোমগ্রকাশ-_ তত্ববোধিনী প্িকা। আবির্ভাবকাল সন্বদ্ধে রবীন্জনাথের উক্তি |

রবীজ্-শৈশব পৃ ২১-২৮ আত্মী়ঙ্বজন-_ তৃত্যবাজক তন্্র-_ আর্টের আবহাওয়া-_ সংগীতের পরিবেশ

শিক্ষাকাল প্‌ ২৮-৩৭

ছড়া কবিতার প্রভাব-_ বিদ্যারত্ত-_ ওরিয়েন্টাল সেমিনারি--- নর্যাল খ্ুল। কয়েকমাস পেনেটি বা পানিহাটিতে বাস__ ( গোবিদ্মমোহিনী ভবন )-_ গৃহশিক্ষার ব্যবস্থা__ বিজ্ঞানশিক্ষায় উৎস্থকা-_ সীতানাথ ঘোষ। “বিবিধার্থ সংগ্রহ” “অবোধবন্ধু” পত্রিক1-_ 'বঙ্গদর্শন | 'বেজল আযাকাডেমি'তে ভত্তি। কবিতা-বচনারত্ত |

বাহিরে যাত্রা পৃ ৩৭-৪৩ রবীন্দ্রনাথের উপনঘ্বন-_ (প্রথম ব্রান্ষধর্মমতে )-_ শান্তিনিকেতনে প্রথম আগমন ১৮৭৩-_ 'পূর্থীরাজ-পরাজয়' কাবা-রচন1। হিমীলয়ে। অমৃতসর-বক্রোটা-_ পিতার নিকট পাঠ গ্রহণ__ জ্যোতিষফ-চর্চ]।

প্রত্যাবর্তনের পরে | পৃ ৪৩-৪৭ বেঙ্গল আকাডেমিতে পুনরার-_ নিয়মিত পড়ায় অমনোযোগ-_ গৃছে শিক্ষার ব্যবস্থা জানচন্র ভটাচাধের নিকট 'কুমারসম্ভব', 'ম্যাকবেখ' পাঠ অন্থবাদ। তত্ববোধিনী পত্রিকায় 'অভিলাষ+, *গ্রন্কৃতির খেদ' কবিতা অনামে প্রকাশ। 'জল-জ্ল চিতা' গান রচনা

স্বাদেশিকতা। হিন্দুমেলা গ্‌ ৪৭-৫৬ 'হিন্দুমেলায় উপহার", “অমৃতবাজার পত্রিকা" প্রকাশিত। হিন্দুমেলার ইতিহাস-_ "জাতীয় সংগীত'। “একমত বাধিয়াছি' গান বন্বন্ধে আলোচনা সঙ্ধীবনী সভা-_ হামচুপামৃহাফ দিজীদরবার সম্বন্ধে কবিতাঁ_ প্ৰপ্রময়ণ? নাটকভুক্ত হইবার কারণ। -

জ্ঞানাস্কুর প্রতিবিস্ব। বনফুল বিরত 'জঞানাঙছুব' পত্রিকায় 'বনফুল' কাবা প্রকাশ। 'প্রলাপ” কবিতাগচ্ছ। 'ভুবনমোহিনী প্রতিতা' প্রভৃতি কাব্যের সমালোচন। ( প্রথম সমালোষন প্রবন্ধ )।

[ ১৭ |

“উদ্ধাসিনী? সম্বন্ধে পাদটীকা! ভষ্টব্য মরকত-কুঞ্জে ছিন্দু কলেজেদ্ব প্রাক্তন ছাত্র-সশ্মেলনে রবীঞ্জনাথের বঙ্িমচন্জ্রকে প্রথম দর্শন

মালতীপু খি পৃ ৬৩-৬৬ শৈশব-সংগীতের বু কবিতার আঘিক্বপ ষ্ালতীপু ধির মধ্যে পাওয়া যায় “বিষ স্থধা' ( সন্ধ্যানংগীত ১ম লং )-- কবিকাহিনীর মূল পাঠ__ পুঁথিতে উদ্ছার নাম ছিল “তগ্মহাদয়ের উপহার? | অন্তান্ত কবিত1।

ভারতী পত্রিক। (১৮৭৮) পৃ ৬৬-৭১ জ্যোতিরিন্্নাথ, অক্ষয় চৌধুরী, বিহারীলাল চক্তবর্তী__ “ভারতী” পত্ধিকা (শ্রাবণ ১২৮৪ )। রবীন্নাথের

.. রচনা গন্ধ প্রবন্ধ 'মেঘনাদবধকাব্য'__ গল্প “ভিখাবিণী কু উপন্তাল “করুণা?

ভান্ুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী প্‌ ৭১-৭৫ বৈষুবকবিতার প্রতি অহ্থরাগ-_ 'প্রাচীনকাব্য সংগ্রহ পদাবলী অন্থকরণে কবিতা রচনা-_ চ্যাটার্টনের

_ অন্থকরণে ভান্থসিংহ নামে কল্পিতলোকের রচনা বলিয়া ঘোষণা_ নিশিকান্ত চটোপাধ্যায় সম্বন্ধে কিন্বদস্তী

অমূলক। কবিকাহিনী পু ৭৫-৮০ বন্ধ প্রবোধচন্্র ঘোষ -কর্তৃক নিজ বায়ে প্রকাশিত। “বাদ্ধব' পত্রিকায় মুগ্ধ সমালোচনা-_ কাব্যকথা। আমেদাবাদে ( এপ্রিল-জুলাই ১৮৭৮) পৃ৮০-৮৭

সেণ্ট জেভিয়ার্স স্কুলে (১৮৭৫-১৮৭৭ ) অধ্যয়ন প্রেসিতেন্সি কলেজে 67062181 $05া১-রূপে একদিন মা গমন। বিলাতে ব্যারিস্টারি পড়িবার জন্ত পাঠাইবার প্রস্তাব। আমেদাবাদদে সত্যেন্রনাথের নিকট চারিমাল বাস__ ইংরেজি পড় কৰিতা, গান রচনাঁ_ নিজে হুরধান-করা প্রথম গান “নীরব রজনী দেখ ময় জোছনায় ( রবিচ্ছায়ার প্রথম গান )। নান! প্রবন্ধ রচনা! কবিতার অনুবাদ তুকারামের অতঙ্গ অনুবাদ 'বূপান্তর' গ্রস্থ হইতে উদ্ধৃতি

বোম্বাই ( অগস্ট-সেপ্টেম্বর ১৮৭৮) পৃ ৮৭-৯০ সত্োন্দ্রনাথের বন্ধু দাদোবা পাও্রঙ্গের গৃহে বাস__ কন্ঠা আন্না তরখড়-_ রবীন্দ্রনাথের প্রতি আকর্ষণ__ “কবি- কাহিনী? ইংরেজি করিয়া শোনানো ভাহার নামে গান রচন1। “তীর্ঘককর' হইতে উদ্ধূতি।

বিলাতে। “ফুরোপ-প্রবাসীর পত্র” (১৮৭৮-১৮৮০ ) পৃ ৯১-৯৬ ব্রাইটনে সত্যেন্্রনাথের পরিবারের সহিত বাস-_ লগ্নে মুনিভার্সিটি কলেজে চারিমান অধায়ন-__ অধ্যাপক হেনরি মলি। পার্লামেপ্টের অধিবেশন দর্শন-_ লঙ্ডনে স্কট পরিবারের মধ্যে বাস-_ "ছুদদিন' কবিতা অসময়ে প্রত্যাবর্তন। স্থুরোপ-প্রবামীর পত্র গ্রন্থাকারে প্রকাশ (১৮৮১ )।

দেশে প্রত্যাবর্তন (১৮৮০) পৃ ৯৭-১০* জ্যোতিরিজ্রনাথ প্রমুখের সহিত নৃতন নৃতন গান হ্থাই-_ 'মানমন্্ী' অভিনয়ে অংশ গ্রহণ “তপ্রহৃদয়' বিলাতে আবরভ-_ দেশে ফিরিয়া! শেষ ম্বাঘোৎ্সবের জন্ক ব্রন্ষসংগীত বচন! ( প্রথম )।

বান্ীকিপ্রতিভা ( ১৮৮১) পৃ ১০-১০৬ গীতিনাট্য রচনা অতিনয়। হরপ্রসাহ শাজীর 'বান্ধীকির জয়' গ্রন্থে “সংগীতের উৎপত্তি" প্রবন্ধ 'সংরীত ভাব' প্রবন্ধপাঠ “সংগীত কবিতা?

[১৮]

নাঁট্যকাব্য কাব্যনাট্য। রুদ্রচণ্ড (জুন ১৮৮১) প্‌ ১০৬-১১১

তগ্রন্থদয় (জুন ১৮৮১) পৃ ১১১-১১৬ সবার নি্িজাঙরি টিলি বনানী সন্ধ্যাসংগীতের পর্ব : পৃ ১১৬-১২*

'সন্ধ্যাসংগীত' “জীবনস্্তি'তে আলোচনা প্রথম পর্বের কবিতা! “তারকার আত্মহত্যা'। শেলীর কবিতা অনুবাদ 'হে তারকা ছুটিতেছে আলোকের পাখা ধোয়ে'__ কাদন্বরী দেবীর প্রথম আত্মহুত্যা চেষ্টার পর এই কবিতা বচিত হয়।

সন্ধযাসংগীতের পর্ব: পৃ ১২০-১৩, রবীজ্নাখের নিঃসঙ্গ জীবন-_ জ্যোতিরিজ্্রনাথ কাদস্বরী দেবীর কলিকাতা ত্যাগ-- জোড়ার্সীকোর তিনতলার শৃন্ত গৃছে বাঁস-_ সন্ধ্যাসংগীতের কবিতা রচনা জ্যোতিরিজনাথের '্বপ্রময়ী'র মধ্যে রবীন্দ্রনাথের রচিত গানের সংযোজন

চন্দননগরে বর্ধাধাপন (জুলাই ১৮৮১) পৃ ১৩১-১৩৬ মোরান সাহেবের বাড়িতে জ্যোতিরিজ্জনাথদের সহিত বাম-_ “বিবিধ প্রসঙ্গ', “প্রভা তসংগীতের' কবিতা রচনা

সন্ধ্যাসংগীত যুগের গন্ঠ।: পৃ ১৩৬-১৪* “যথার্থ দোলর", “গোলাম চোর" প্রভৃতি বছ গগ্ভপ্রবন্ধ রচনাভুক্ত হয় নাই।

সন্ধ্যাসংগীত যুগের গছ : প্‌ ১৪০-১৪৭

“নীরব কবি অশিক্ষিত কবি'। যার্বোর কবিতার অনুবাদ “অকারণ কষ্ট” “বস্তগত ভাবগত কবিতা'_ কাবোর অবস্থা পরিবর্তন”, “ডি প্রোফাণ্ডিস' প্রবন্ধ

সন্ধ্যাসংগীত যুগের গন্ধ : পৃ ১৪৭-১৫০ “প্রাচীন কাব্য সংগ্রহ বিষ্যাপতি, চণ্তীদাস প্রভৃতি সম্বন্ধে আলোঁচনা--“টমথিলী কবিতা সংগ্রহ? সমকালীন কয়েকটি ঘটনা পৃ ১৫০-১৫১ সাধারণ ব্রাহ্মদমাজ ১৫ মে ১৮৭৮। কৃষ্কুষার মিত্রের বিবাহ উপলক্ষে গ্রথম ব্রদ্ধসংগীত রচনা বউঠাকুরানীর হাট পূ ১৫১-১৫৮ গানের তালিকা | সাহিত্য-সমালোচনা পৃ ১৮-১৬৩

'মেঘনাদবধ কাব্য' ভারতী ১২৮৯ (তু. ১২৮৪ সালের রচনা )। “বাউলের গান? অক্ষয় চৌধুরীর “দেশজ প্রাচীন আধুনিক কবি' প্রবন্ধের প্রতুত্তর' 'সারম্বত সমাজ'। |

প্রভাতসংগীত পৃ ১৬৩-১৬৮ “নিঝ'রের স্বপ্রতঙ্ক'-__প্রভাত-উৎসব'। দাঙ্জিলিঙে জ্যোতিবিস্ত্রনীথদের সহিত শরৎখকালে। “প্রতিধ্বনি” অন্থান্ক কবিতা।

কালমৃগয়! (১৮৮২) পু ১৬৮-১৬৯ দশরথ-কর্তৃক জন্ধমূনির পুত্র সিদ্ধুবধের ঘটনা! লইয়া ্ীতিনাট্য-_ ডিসেম্বর ১৮৮২ অভিনয্ন-_ এই নাট্যে 'বনদেবী' নৃতন স্থটি।

[১৯]

কারোয়ার : প্রকৃতির প্রতিশোধ (১৮৮৩) পৃ ১৬৯-১৭৫ সত্যন্্রনাথ ছুটিতে কলিকাতায়। প্রিয়নাথ সেনের সহিত সখ্যতা ববীন্দ্রনাথ-কর্তৃক মাঘোৎসব-_ বর্ষশেষ, ন্ববর্ধের জন্ত ব্রক্ষসংগীত রচনা সত্যেন্ত্রনাথদের সহিত কারোয়ার গমন। “পূর্ণিমায়” কবিতা সম্বন্ধে বিচার। অন্তান্ত কবিতা 'প্রক্কতির প্রতিশোধ” নাট্য রচন!।

ছবি গান পর্ব পৃ ১৭৫-১৭৯ কারোয়ার হইতে প্রত্যাবর্তন-__ কলিকাতায় সাকুরলার রোডে জানদানদ্দিনীদেবী সন্তানদের সহিত বাম__ “ছবি গান'এর কবিতা রচনা প্রমথ চৌধুরীকে “ছবি গান” সম্বন্ধে পত্জ। 'রাহুর প্রেম?

ছবি গানের যুগের গন্ভ : প্‌ ১৭৯-১৮২ আলোচনার প্রবন্ধ বিবিধ গঞ্থ। রচনা লেখাকুমারী ছাপাহ্ুন্দরী-__ গৌফ এবং ডিম-_ তাফিক-_- অনাবশ্তক তৃতীয় পক্ষ

ছবি গানের যুগের গন্ভ : পৃ ১৮২-১৮৮ রাজনৈতিক অবস্থা (১৮৮৩-৮৪ )। ইলাবার্ট বিল-_ স্ুরেন্্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যানসের জেল মৃক্তি-_ জুলাই-_ সংবর্ধনা! সভায় রবীন্দ্রনাথের গান। 'ন্ঠাশনাল ফণ্ড স্থাপন প্রন্তাব_- রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধ 'চেচিয়ে বলা” “জিহবা আস্ফীলন' 'স্তাশনাল ফণ্ড” “টৌনহলের তামাশা", “অকাল কুম্মাণ্ড, 'হাতে-কলমে' প্রভৃতি

আলোচনা” গ্রন্থ (১৮৮৫) প্‌ ১৮৮-১৯৬

বিবাহ “হাসি অশ্রজল' (ডিসেম্বর ১৮৮৩) প্‌ ১৯*-১৯৩ রবীন্দ্রনাথের বিবাহ ২৪ অগ্রহায়ণ ১২৯* কলিকাতায়-_ শিলাইদহে ভগ্নীপতি সারদাপ্রসাদের মৃত্যু। মহষির আদেশে “ছোট বউয়ের শিক্ষাদানের ব্যবস্থা

“বিবাহ-উতসব পৃ ১৯৩-১৪৯৪ স্র্ণকূমারী দেবীর কন্যা হিরগ্য়ীর বিবাহ উপলক্ষে “বিবাহ-উত্সব” রচনা যৌথভাবে- রবীন্দ্রনাথের ১৮টি গান।

শোক সান্তনা: পৃ ১৯৪-১৯৭ কাদস্বরী দেবীর আত্মহত্যা রবীন্দ্রনাথের শোক-_ পুম্পাঞ্চলি' রচনা মৃত্যুর কারণ সম্বন্ধে নানা মত।

শোক সাম্ববনা : পৃ ১৯৮-২*২

মার “সরোজিনী প্রয়াণ, কবিতা! “কোথায়, শান্তি” “পাধাণী মা", “আকুল আহ্বান'। পুরাতন কবিতা “হেথা হতে যাও পুরাতন” পুরাতন”, 'নৃতন” | 'রদ্ধগৃহ' প্রবন্ধ সমকালীন দুইটি ব্রজ্ধপংগীতে ছুঃখবাদ।

ব্রাহ্মদমাজের সমর্থন (১৮৮৪) পৃ ২০২-২৯৮ কেশবচজ্র সেনের মৃত্যু : জানুয়ারি ১৮৮৪-_ হিন্তুসমাজের পুনরভুযদয়-_ 'নবজীবন'ও 'প্রচার” মাসিকপত্দের আঘিভাঁব। সাগ্াহিক 'বঙ্গবামী, হিন্দুপক্ষে 'সিঞীবনী ব্রাহ্মপক্ষে অবতীর্ণ ব্থিশ্চজ্জরের সহিত আদি ব্রাঙ্গ- সমাজের বিরোধ বিরোধের অবসান “রামমোহন রায়” সন্বন্ধে রবীন্দ্রনাথের প্রথম ভাষণ। 'সমন্তা? প্রবন্ধে সাধারণ ব্রাহ্ষদষাজের অতি-প্রগতিশীলতার সমালোচনা-। ১২৯১ আশ্বিন হইতে রবীন্দ্রনাথ আদি ব্রাক্ষসমাজের সম্পাদক |

নব্য হিন্ুসমাজ | পৃ ২০৮-২১৪ শশধর তর্কচূড়ামণি-_ রুষগ্রসন্ন সেন-_ কন্ধি-অবতার | ববীন্দরনাখের ব্ঙ্গ কবিতা-_ 'দামু চমু “আর্যামি' সম্বন্ধে বিদ্প হাস্তকৌতৃকে হিরো-ওয়ারশিপ-_ আচার্ধ পৃজা-_ গুরুপুজা-_ গুরুবাদের অভিব্যক্তি

[২*] .

সাহিত্যের সঙ্গী সমালোচক পৃ ২১৪-২১৯ বাল্যকালে, কৈশোরে সাহিত্যের সঙ্গী সমালোচক উৎসাহদাতা, প্রশ্রয্নদাতৃগণ | যৌবনে প্রিয়নাথ সেন, ভ্রশচন্ত্র মন্ুমদার, ঘোগেন্্নারায়ণ মিত্র, আগুতোধ চৌধুরী, লোকেন গলিত, নগেম্্নাথ গপ্ত। 'রবিচ্ছায়া' সম্পাদন-_ 'পদরদ্বাবলী' লংকলন। “পাক্ষিক লমালোচক' পত্রিকার সম্পাদক ঠাকুরদান মুখোপাধ্যায়।

“বালক: পত্রিকা (১৮৮৫) প্‌ ২১৯-২২৬ ১২৯২ সালের “বালক' পত্রিকা সম্পাদিক। জানদানন্দিনী দেবী-_ প্রধান লেখক রবীন্ত্রনাথ-- “মুকুট” গল্প- 'ঝাজধি' উপস্তাস_-“চিঠিপঞ্' 028:8 ব। ছাশ্তকৌতুক।

বিহার হইতে বোম্বাই পৃ ২২৬-২৩, ১৮৮৫ ইস্টারের ছুটিতে ইন্দিরা সুরেন্্রনাথকে লইয়া! হাজারিবাগ ভ্রমণ-_ "দশদিনের ছুটি'( বালক )__ পূজাবকাশে সত্যেন্দ্রনাথের নিকট সোলাপুরে-_-“কদ্ধগৃহ' প্রবন্ধ রচনা! | প্রিক্সনাথ, শ্রীশচন্দ্রকে পত্র-- কলিকাতায় প্রত্যাবর্তন মধাহান্তে বোস্বাই-এ মহুধির নিকট যাইতে হয়। ১৮৮৫ ডিসেম্বরে বোস্বাই-এ প্রথম কংগ্রেস-_ “আহ্বান গীত'__ “দবাই এসেছে লইয়! নিশান, কইরে বাঙালি কই?

কড়ি কোমল -পৰ : পৃ ২৩০-২৩৬ বোস্বাই হইতে ফিরিয়। গঙ্গাবক্ষে বীমার 'যাজহংসে' বাস। মাঘোৎসবে তিনটি শাখার উপাসনা-_ব্রাঙ্মসমিতি' স্থাপনের পরিকল্পনা

'বান্মীকিপ্রতিভা'র নৃতন সংস্করণ__ অতিনয় (১৮৮৬) “ৰউঠাকুরানীর হাঁটে'র নাটারূপ রাজ! বসম্ত রায়' কেদারনাথ চৌধুরী -কর্তৃক মকস্থ।

বর্ধাগমে সত্যেন্্রনাথের নিকট নাসিকে গমন-_ কৌতৃকপত্র হিন্দী-বাংলা মিশ্রিত। নালিক হুইতে প্রত্যাবর্তন _ ব্যারিস্টার আশুভোষ চৌধুরীর সছিত হেমেন্্রনাথের কণ্তা প্রতিভার (বান্মীকি প্রতিভার বালিকা-প্রতিভা ) বিবাহ

“কড়ি কোমলে'র কেন্্রীয় সনেট রচনা-_ আশুতোষ চৌধুরী -কতৃক কবির সঞ্চিত কবিতা গান শ্রেণী বিষ্ঠাস করিয়া! “কড়ি কোমল" সম্পাদন দীনেশচরণ বন্ুব পে ববীন্দ্রনাথের বর্ণনা অক্ষয়চন্দ্র সরকার -কর্তৃক কবির রূপবর্ণনা

কড়ি কোমল -পর্ব : পৃ ২৩৬-২৪৩ কড়ি কোমলের কেন্দ্রীয় কবিতাগুলির বিশ্লেষণ “যৌবন স্বপ্ন” কড়ি কোমল -পর্ব : পৃ ২৪৩-২৪৯

বিসষ্ভাপতি-পদ্দাবলী সম্পাদন। 'রাজধি' পুস্তকাকারে প্রকাশ-_ তথ্যাদি ত্রিপুরা রাজদরবার হইতে সংগৃহীত। - প্রবন্ধ-কাবা : স্পষ্ট অন্পষ্ট। “নাহিতোর উদ্দেশ্য” 'সাহিতা সভাতা”, 'আলন্ত সাহিত্য” ১৮৮৭ ইস্টারের ছুটিতে কলেজের ছাত্রসশ্মিলনে গান “আগে চল্‌ আগে চল্‌ “তবু পারি নে সঈঁপিতে প্রাণ'।

“মানসী”র যুগ ; ১। £হিন্দুবিবাহ' পৃ২৪৯-২৫৫ “মানসী? কাবাপাঠের তৃষ্িক! | “হিন্দুবিবাহ' প্রবন্ধ পাঠ। চত্রনাথ বন্থকে মনে করিয়া “পরিত্যক্ত' কবিতা রচনা। 'মানসী'র যুগ : ২। দাজিলিডে হি

সপরিবার, পরিজন ১৮৮৭ অক্টোবরে দার্জিলিঙে_ পথের বর্ণনা-পত্র .কাস্লটন হাউসে সন্ধ্যায় ব্রাউনিং পাঠ__ [২১]

মায়ার খেলা'র গান রচন। আরস্ত। কলিকাতায় প্রত্যাবর্ভন-- মানসীর কবিতা! রচনা মাঘোৎসবে ১৪টি ্হ্ষসংগীত রচনা-_ “তোমারই ইচ্ছা! হউক পূর্ণ' গ্রভৃতি।

“মানসীর' যুগ : ৩। গাজিপুরে (১৮৮৮) পূ ২৫৯-২৬৭ সপরিবারে গাজিপুরে গমন দেবেন্দ্রনাথ সেনের সহিত গাজিপুরে সাক্ষাৎ মানসীর কেন্দ্রীয় কবিতাগুলি এখানে রচিত-_“নিক্ষল কামনা'র ইংরেজি অন্থবাদ ( প্রথম অনুবাদ প্রচেষ্টা )।

পারিবারিক স্থৃতি' : “মায়ার খেলা সখীসমিতি পূ ২৬৭-২৭০ গাজিপুব হইতে কলিকাতায় বোলপুর শাস্তিনিকেতনে আশ্রম প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে তথায় গমন : অক্টোবর ১৮৮৮।

_ “পারিবাস্থিক স্থতি' পাঙুলিপি রবীন্দ্রনাথের রচনা “মায়ার খেলা" গীতিনাটা রচনা সধীসমিতির ষছিলামেলায় অভিনয় ( ১৮৮৮ )।

সোলাপুর £ পুপা (১৮৮৯) পু ২৭,২৭৪ জোড়ার্সাকোর বাড়িতে কন্গ্রেসের চতুর্থ বার্ধিক অধিবেশনের সভাপতি জর্জ ইঘুল ব্যারিস্টার নর্টন-এর সম্মানার্থে পার্টি প্রদান | বেলাকে লইয়] রবীন্দ্রনাথের সোলাপুর যাত্র! মানসীব কবিতা তথায় নাটক (বাছা

, রানী ) রচনা সতোল্জনাথ-কর্তৃক রবীন্দ্রনাথকে 'বোস্বাই চিত্র” উত্সর্গ। সোলাপুর হইতে পুণায় বাস-_ রমাবাঈ সম্বন্ধে। কলিকাতায় প্রত্যাবর্তন

রাজা রানী (১৮৮৯) পৃ ২৭৪-২৮১ রাজা রানীর গল্পাংশ নাটক সম্বন্ধে কবির মত। মানসীর কবিতা-_ রাজ রানী প্রকাশ। উত্তরবঙ্গের জমিদারিতে মানসীর যুগ : বিসর্জন পূ ২৮১-২৮৮

শিলাইদহে সপরিবারে প্রথম গমন। প্রত্যাবর্তনের পরে পুনরায় উত্তরবঙ্গে-__ সাহাজাদপুরে-_ “সুনীতি সঞ্চারিণী সভা+__ স্কুল ইনমস্পেক্টবকে 'রাঙ্জর্ধি' পাঠ্যপুস্তক হইবার আশায় উপহার- “বিসর্জন? নাটকের খলড়। (১৮৯৭)।

মন্ত্রি-অভিষেক (১৮৯০) প্‌ ২৮৮-২৯১ এমারেন্ড থিয়েটারে 'মন্ত্ি-অভিষেক” প্রবন্ধ পাঠ-_ পটভূমি

শান্তিনিকেতনে প্রথম গ্রীষ্মাবাস পৃ ২৯১-২৯৩ শান্টিনিকেতন দ্বিতল গৃহে বাঁস-_ প্রমথ চৌধুরীকে পারিপাস্থিকের বর্ণনা দিয়া পত্র-_ কালবৈশাধী-_- 'যেঘদূত কবিতা-_ অনঙ্গ-আশ্রম ( চিত্রাঙ্গদা ) নাটক-আকারে লিখিবার ইচ্ছা বোলপুর হইতে ফিরিয়া শিলাইদছে-_ জমিদারি কাজে অনিচ্ছা

বিলাতে দ্বিতীয়বার | মানসীর শেষপালা (১৮৯০) পৃ ২৯৩-২৯৬ অকম্মাং মোলাপুরে উপস্থিভ-_ সতোন্ত্রনাথ লোকেন পালিত ফার্লো লইয়া বিলাত যাইডেছেন-- রবীন্দ্রনাথ সঙ্গী হইলেন।

দণ্ডনে পৃ ২৯৬-২৯৯

লপ্তনে . একমমি-- সুরোপ-যাত্রীর ভায়ারির খসড়া 90174 ০1 91510 জনতার দারিদ্রযতুখ বিষয়ে আলোচনা-_ “ভবিষৎ কাফিরাই ঘুরোপ জনন করবে। আফ্রিকার ভবিষ্যৎ সম্থদ্ধে ইঙ্গিত লণ্ডনে চার্লস ভয়সি-র সহিত সাক্ষাৎ-_ প্রত্যাবর্তনের সময় ৮/8115-এর 08:540500 পাঠ অঙ্গবাদের ইচ্ছাঁ- যানসীন্ব কবিতা :

[২২]

প্রত্যাবর্তনের পর মানসীর শেষপাল। পৃ ২৯৯-৩*৩ শান্তিনিকেতনে বরন্ষমন্দিরের ভিত্তিস্থাপন (৭ ভিসেম্বর ১৮৯ ) উৎসবে ববীজ্নাথ উপস্থিত। কলিকাতায় ষ্ঠ কংগ্রেস-_ নেতাদের সহিত রবীন্দ্রনাথের ফোটো।

মানসীর শেষ কবিতা কাব্য সম্বন্ধে গ্রথ চৌধুরীকে কবির পত্র। ১৮৯১ সালে কবি আদমন্মারের অধিকর্তাকে সমাজের সম্পদ করূপে লেখেন, জাদি ব্রাহ্মসমাজীয়র] ' ৫7৩ £52115 11105008,|

জমিদারির ভার (১৮৯১) পৃ ৩০৩-৩০৬ ঠাকুর এস্টেটের ভার রবীন্দ্রনাথকে লইতে হইল-_তিনটি পরগনা-_ বিরাহিমপুর (শিলাইদহ ), কালিগ্রাম ( পতিসর ) সাহাজাদপুর। নদীপথে ভ্রমণের প্রথম অভিজ্ঞতা জমিদারের ১:৫508০ সম্বন্ধে মনে প্রশ্ন

মুরোপ-যাত্রীর ডায়ারি : প্রাচ্য প্রতীচ্য পৃ ৩*৬-৩*৮ 'ফুরোপ-যাত্রীর ভায়ারি'র ভূমিকা প্রাচ্য প্রতীচ্য' নামে চৈতন্য লাইব্রেরিতে পাঠ (২৮ এপ্রিল ১৮৯১ )। হিতবাদী (১৮৯১) পূ ৩০৮-৩১২

“হিতবাদী' নাঁষে সাপ্তাহিক প্রকাশ প্রস্তাব ছয় সপ্তাহে রবীন্দ্রনাথ ছয়টি ছোট গল্প লেখেন। প্রবন্ধ “অকাল বিবাহ চন্দ্রনাথ বন্থর রবীন্দ্রনাথ সম্বন্ধে মত 'সুবোপীয় ছীচের প্রকৃতি?

জমিদারি সফর : উত্তরবে পৃ ৩১২-৩১৩ হিতবাদীতে “ফরমাইশি' গল্প লিখিতে অস্বীকার সাগ্তাহিকের সহিত সম্বন্ধ ছিন্ন-__ ব্যঙ্গ রচনা-_ মেঘদৃত' প্রবন্ধ_ ছিন্পপত্্রের পঞ্রধারা লিখিতেছেন।

জমিদারি সফর : উড়িস্ায় পৃ ৩১৩-৩১৪ উড়িম্ার ঠাকুর এস্টেট রেলপথ তৈয়ারি হয় নাই জলপথে যাইতে হইত-_ কটক, বালিয়া, পাওুয়ার কুঠি__ “চিত্রাঙ্গদা' নাটাকাব্যের খসড়া ( ২৮ ভান্ত্র ১২৯৮ )। উড়িস্তা হইতে পুনরায় উত্তরবঙ্গে

সাধনা পত্রিকা ১২৯৮ পৃ ৩১৫-৩১৮ শান্তিনিকেতনের মন্দির প্রতিষ্টা (২২ ডিলেশ্বর ১৮৯১ পৌধ ১২৯৮)। “জাতি-ধর্ম-অবস্থা-নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর সকল সম্প্রদায়ের মন্স্তগণের ব্রন্ষোপাসনার জন্ত উন্মুক্ত হইল।” ববীন্দ্রনাথ সংগীতে যোগ দেন মাত্র। পুনরায় শিলাইদহে। সাধনার জন্ত প্রবন্ধ গল্প চন্দ্রনাথ বসুর 'আহারতত্বেওর কঠোর সমালোচনা |

সোনার তরী : | প্‌ ৩১৮-৩২৫ “সোনার তরী” কবিতার পটভৃমি-__- এই কবিতার সমালোচনা-_ ছিজেন্্রলাল রায়ের বাঙ্গ। “শৈশবসঙ্ধ্যা'য় স্বতিচারণ। শ্রীন্মকালে ( ১২৯৮-৯৯) সপরিবারের বোলপুরে। কবিতা রচনা-_ ছিন্নপত্রের পত্রধারা। হিং টিং ছট্‌ ব্যঙ্ষকবিতার লক্ষাস্থল কে।

বর্ধাকালে পল্মায় : ১২৯৯ পৃ ৩২৫-৩২৯ শিলাইদহে একাকী নৌকার-_ ছিন্নপত্রের পত্রধাঝা-_ স্ত্রীর পত্র না পাইয়! উদ্বিপ্র-_ কবিভা-_ “বৈষ্ণব কবিতা”, “ছুই পাখি”, "আকাশের টা? কোঠীর বিচার সম্বন্ধে কৌতুহছল।

সাধনার ছোট গল্প পৃ ৩৩০-৩৩৩ এক বৎসরে বারোটি গল্প। আলোচন]।

[ ২৬)

সাধনায় সমালোচনা পৃ ৩৩৩-৩৩৯ লোকেন পালিতের সহিত সাহিত্যবিষয়ক পত্রালাপ-- চন্দ্রনাথ বস্তুর 'লয়তত্ব'র সমালোচনা ভাবাতত্ব লইয়া আলোচনা সংস্কৃত হিন্দী সংগীত সম্বদ্ধে।

চিত্রাঙ্গদা নাট্যকাব্য (১৮৯২) পৃ ৩৩৯-৩৪৩ চিত্রাঙ্গদা গোড়ায় গলদ ১২৯৯ সালের ভাব্র মাসে প্রকাশিত। চিত্রাঙ্গদার জন্ত অবনীন্দ্রনাথের চিত্রান্কন-_ তাহাকে উৎসর্গ

. সংগীতসমাজ গোড়ায় গলদ পু ৩৪৩-৩৫১

ভারতীয় সংগীত সমাজ-_ বাংল রঙ্গমঞ্চের কথা ।. গোড়ায় গলদ অভিনয় রবীক্নীখের লীতিনাট্য নাটক অভিনয়ের কথা।

উত্তরবঙ্গে : রাজশাহী পৃ ৩৫২-৩৫৫ রবীন্দ্রনাথের উত্তরবঙ্গে যাত্রা__ স্ত্রী সন্তানদের সোলাপুরে প্রেরণ। রাজশাহীতে লোকেন পালিতের আতিখ্া গ্রহণ-_ শিক্ষার হেরফের' প্রবন্ধপাঠ

রাজশাহী : নাটোর ৩৫৬-৩৫৯ লোকেনের সঙ্গে নাটোবে। নান অতিথি পাবনায়-_ শিলাইদহে-- 'যানসন্ুন্দরী' কবিতা রচন!। উড়িস্া-ভ্রমণ ৩৫৯-৩৬৪

মাঘোখসবের ( ১২৯৯) জন্ত ব্রক্ষসংগীত রচনা উতৎসবাস্তে উড়িস্তার জমিদারি সফর-_ সঙ্গে বলেন্ত্রনাথ কটকে বিহারীলাল গুধ্ের অতিথি__ র্যাভেনশ কলেজের ইংরেজ অধ্যক্ষের সৌজন্তাভাবে বিরক্ত | কটক হইতে পুরী যাত্রা__ অশ্বশকটে পাক্কিপথে কোনারক মন্দির দর্শন | পুরীতে ইংরেজ ব্যাজিই্রেটের সহিত সাক্ষাতের অভিজ্ঞতা কটক ক্রাঙ্গমন্দিত্্রে কবির সংগীত কটক হইতে জমিদারি ত্দারকের জন্ক যাআ-_ বালিয়া, পাতুয়া। নদীপথে কটক প্রত্যাবর্তন

উড়িষ্যায় রচিত কবিতা গ্‌ ৩৬৪-৩৬৭

উত্তরবঙ্গে : পদ্মায় পু ৩৬৭-৩৭৩ কলিকাতায় প্রত্যাবর্তন-_ পুনরায় রাজশাহীতে পদ্মায় ভ্রমণ-_ ছিন্পপত্ধ মধ্যে অসম ধনবপ্টননীতি সন্বদ্ে__. পাদটীকায় অঙ্গদ্বাশঙ্কর রায়ের কবি-প্রকৃতি বিঙ্গেষণ।

সাধনার দ্বিতীয় পর্ব পু ৩৭৩-৩৮০ পঞ্চভৃতের ভায়ারি। কস্কাবতী'র সমালোচনা-_ বৈধব কবিতার মর্মকথা। কবির বিচির সাধ-_ চিত্রবিস্ত! | পুরস্কার কবিতা

সোনার তরীর শেষ পর্ব পৃ ৩৮০-৩৮৯ উত্তরবঙ্গে-_“বিদায় অভিশাপ” কলিকাতায়-- চৈতন্ত লাইব্রেরিতে ইংরেজ ভারতবাসী" প্রবন্ধ পাঠ__ বঙ্কিমচন্দ্র সভাপতি ! কর্মাটীরে কয়েকদিন-_ সতোন্ত্রনাথদের নিকট সিল! শৈলে দিনকতক বাস। কবিতা “সৃষ্ট প্রলয়ের তব'-_ সোনার তরীর অন্তান্ত কবিতা1। ব্যঙ্নকৌতুক রচনা। “বিনিপয়সার তোজ'।

চিত্রা কাব্য পৃ ৩৮৯-৩৯৪ ১৩** সালের সাতই পৌষ শাস্তিনিকেতনের তৃতীয় বার্ষিক উৎসবে রবীন্ত্রনাথ সংগীত করেন। ছোটগল্প

২৪)

“বিচি গল্প', 'কথাচতুষ়” “নর্দী' পুস্তকাকায়ে প্রকাশ “চিত্রা কবিতা-_ “প্রেমের অভিষেক'-_- 'এবার ফিরাও মোরে ঠ251615 1০981911

চিত্রাপর্ষের বিচিত্র প্রেরণ। পৃ ৩৯৪-৪১০ ১৩** লালের বৈশাখে রচিত কবিতা 'ম্ষেহস্থতি' “ছুসেষর়' “সত্য পরে বঙ্ধিমচন্ত্রের মৃত্যু-_ চৈতন্ত লাইব্রেরিতে স্বতিসতায় রবীন্জনাথের প্রবন্ধপাঠ। গ্রীষ্মকালে জিপুরার মহারাজার নিমন্ত্রণে কাপিয়ান্ডে কয়েকদিন। স্থইভিশ যুবক হ্যামারগ্রেন। চিত্তরঞ্চন দাশ ব্যারিস্টার হইয়া প্রত্যাবর্তন, গ্রষথ চৌধুরী ব্যারিস্টারি পড়িতে বিলাত যাআ। কবি শিলাইদছে__ নানা গ্রন্থপাঠ “মেধ নৌ” গল্প

জোড়া্সীকোর বাড়িতে 'খাষখেয়ালি সভ'। রানাঘাটে মহকুমা হাকিম নবীনচন্্র সেনের

আতিথা (২ সেপ্টেম্বর ১৮৯৪ ১৮ ভান্র ১৩০১)। গ্রাম্যছড়া সংগ্রহ--“ছেলেতুলানে! ছড়া চৈতন্য লাইব্রেত্বিতে “ছড়া” সম্বন্ধে প্রবন্ধপাঠ। শান্তিনিকেতনের নির্জনভায় বাস। সাধনার চতুর্থ বর্ষে রবীন্দ্রনাথ সম্পাদক

সাধনার যুগে রাজনৈতিক প্রবন্ধ প্‌ ৪১০-৪১৬ “মন্ত্রিঅতিষেক' পাঠের তিন বখসর পরে “ইংরেজ ভারতবালী' প্রবন্ধ পুণায় মহাবাসইীয়দের যধ্ে নবজাগরণ -_- গোরক্ষণীসভা' স্থাপন “ইংরেজের আতঙ্ক" “ত্রবিচারের অধিকার রাজনীতির দ্বিধা. 66-৫881106 দেখিয়া ইংরেজের জাতঙ্ক। |

সাধনার সম্পাদক পৃ ৪১৬-৪২৩ ছোটগল্প-- এক বৎসরে দশটি চির কক গল্প “ক্ষুধিত পাষাণ” ১২৯৮-১৩*২ সালে চার বৎসবে চুয়াজিশটি গল্প কবিতা ত্রাহ্ধণ | সাছিত্য-সমালোচন1। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদের সান্গৎসরিক উৎসবে (২৫ চেন্জ ১৩৯১) “বাংলা জাতীয় সাহিত্য প্রবন্ধপাঠ।

চিত্রার শেষ পর্ব প্‌ ৪২৪-৪৩৩ কুষ্টিয়ায় বলেজ্রনাথ স্ুরেজ্রনাথের কুঠি স্থাপন (8891 & ০০. )-- রবীন্দ্রনাথের যোগদান (১৩৭২ )। নগরসংগগীত' ছিন্পত্র মধ্যে কর্মের জয়গান-_ কবি শিলাইদছে-_ গানের স্থুরবন্া আসিল-_ কবৰিডা প্পৃণিমা” -_-চচিত্রা' উর্বশী, 'বৈধব কবিতা, “বিজয্কিনী” | ছিঙ্্পত্রাবলীক শেষ পঙ্জ (২৫২নং) ১৫ ডিসেম্বর ১৮৯৫ লিখিত। শান্তিনিকেতন মাতই পৌষ উৎসবে ববীজ্রনাথ 'ভোজ্য-উৎসর্গাদি করেন। কলিকাতায় মাঘোৎসবের পর বলেন্্রনাথের বিবাহ (২২ মাঘ ১৩*২)। “নদী” তাহাকে উৎসর্গ

জীবনদেবতা। পৃ ৪৩৩-৪৩৫ চিত্রাকীবোর কবিতা 'জীব্নদেবতা'-_ প্রথম মুক্রিত ব্যাখ্যা (কাবাগ্রন্থ ১৩১০)। 'বঙ্গভাষার লেখক: গ্রস্থের জন্ম কবির আত্মকখা লিখিত (দ্র, আত্মপরিচয় )। চিজ! কাব্য স্বদ্ধে কবির ভিত]

ছিন্নপত্র : ছিল্পপত্রাবলী প্‌ ৪৩৬-৪৩৯ ১৯১২ সালে ছিন্নপত্ গ্রন্থাকারে প্রকাশ। পত্রগুলি সাধন! যুগে প্রধানত ইন্দিরাদেবীকে লিখিত। ছিন্নপজের বঞ্জিত পা নামে মুত্রিত ( ১৯৬৯ )। এই সংস্করণে ২৫২টি পত্র।

চৈভালি পর্ব : পৃ ৪৩৯-৪৪৪

| চাঞনজনিি রিনার কারন

[২৫]

উড়িস্যায় পুনরায় পৃ ৪৪৪-৪৪৫ জমিদারি ভাগ উপলক্ষে গমন-_ এখানে “মালিনী' নাট্যকাব্য রচিত হয়।

চৈতালি পর্ব £ উড়িস্তা হইতে ফিরিয়া কলিকাতায় প্রথম “কাবপরস্থাবলী' সম্পাদন প্রকাশন -কর্ম বাত্ত_ পুনবায় উত্তরবঙ্গে সাহাজাদপুরে : শ্রাবণ ১৩*২। টৈতালির কবিত! রচন!।

চৈভালির পরে প্‌ ৪৪৮-৪৫১ কাব্যগ্রস্থাবলী-_ সত্যপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায় -কর্তৃক প্রকাশিত ( আশ্বিন ১৩০৩ )। কাত্তিক মাসে ব্রিপুর] মহারাজার

. আমন্ত্রণে কাগিয়াডে। প্রত্যাবর্তন কনিষ্ঠ পুত্রের জন্ম : ১২ ডিদেম্বর ১৮৯৬। কপিকাতায় কন্গ্রেন-_- সভায় কবি 'বন্দেমাতরম্‌” হুর দিয়া গান করেন-_ কন্গ্রেস-প্রতিনিধিদের জন্য ঠাকুরবাড়িতে পার্টি-_ “অয়ি ভুবনমনোমোহিনী পদ্ভ রচিত গীভ হয়। মাঘোৎসবের জন্ত নৃতন গান রচনা খামখেয়ালি সতা'র উদ্যোগে “বৈকুঠের খাতা অভিনয়।

কল্পনার সুত্রপাত পৃ ৪৫১-৪৬০ কল্পনা কাবোত্ব আরম্ভ বিলাতে জগদীশচন্দ্র বন্থুর উদ্দেশে কবিতা রচনা ( ১৯ জুলাই ১৮৯৭ )-_- ভান মাসে উত্তরবঙ্ধে নদীপথে-_ বহু গান রচন1। কলিকাতায় প্রত্যাবর্তন__ কবিতায় গল্প কাহিনী গাঁথা রচনা-_ নাট্যকাবা।

কাহিনী : নাট্যকাব্য প্‌ ৪৬০-৪৬৪ গান্ধারীর আবেদন, সতী, নরকবাস লক্ষ্মীর পরীক্ষা ছুই বৎসর পরে রচিত “কর্ণকুন্তীসংবাদ? |

১৩০৪ শান্তিনিকেতন পৌষ উৎসবে রবীন্দ্রনাথ উপস্থিত__ দীন দরিগ্জের জন্ত ভোজ উৎসর্গ করেন সংসার সমাজ (১৩০৫) পৃ ৪৬৫-৪৬৭ রবীন্্নাথ ১৩৫ সালে ভারতীর সম্পাদক শাস্তিনিকেতনে রখীজ্রনাথের উপনয়ন ( ১* বৈশাখ )-_ তথা হইতে শিলাইদহ এবং ঢাকায় প্রাদেশিক সশ্মিলনীতে উপস্থিত হন। স্ত্রীকে দীর্ঘ পত্র-_ জোড়ার্সাকোর পরিবেশ হইতে দূরে আনিবার সংকল্প ঠাকুর কোম্পানির কুপ্িয়ার কাজে কবি জড়াইয়৷ পড়িতেছেন। ভারতীর সম্পাদক : ১৩০৫ পৃ ৪৬৭-৪৮১ সমকালীন অবস্থা-_ বালগঙ্গাধর টিলক সার্বজনিক গণপতিপৃজা__ শিবাজী-উৎসব-_ প্লেগ মহামারী__ প্লেগ অফিসার হত্যা__ নাুত্রাতৃঘয়ের নির্বাসস। টিলকের কারাদণ্ড। টিলক লহবদ্ধে রবীন্দ্রনাথ 'কঠরোঁধ' প্রবন্ধ পাঠ (১৭ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৮ )। রাজবিদ্বোহ তথ প্রজাবিপ্রোহ-_- ঢাকায় প্রাঙ্গেশিক সম্মেলনে রবীন্দ্রনাথ চাকা হইতে প্রত্যাবর্তন নরদীপথে শ্রমণ-_ কবিতা লর্ড কর্জন বড়লাট-_ “ভাষাবিচ্ছেনগ'প্রবন্ধপাঠ অন্থান্ত প্রবন্ধ__“কোট চাপকান+ 'মৃখুজ্জে বনাম বাঁড়ষো'। “সাকার নিরাকারতব্' গ্রন্থের সমালোচনা 'গ্রামাপাহিত্য' | 'বঙ্গভাষা সাহিত্য, সিরাজদ্দৌলা' সমালোচনা ছোট গল্প__ “ছুরাশা'। 'পুত্রধজ' কাহার রচনা। “বিদায়? 'বর্ষশেষ' কবিতা-_ ভারতীর সম্পাদকত্ব ত্যাগের কৈফিয়ৎ শিলাইদহে সপরিবারে পৃ ৪৮১-৪৯৫ কলিকাতা হইতে পরিবার শিলাইদহে আনিবার ইচ্ছাঁ_ শাবণে (১৩৫) কলিকাতায় 'বিভভাসাগয়” সনবদ্ধে প্রবন্ধপাঠ। ( জোড়ার্সীকোর পৃহবিভালয়। জর. “পিতৃস্বতি' পৃ ২৯) শান্তিনিকেতনে লাতই পৌষ ১৩০৫ রবীন্রনাথের

[২৯]

প্‌ ৪৪৫-৪৪৮

প্রথম ধর্মদেশন! “নিয়াকার উপাশনা, | যাঘোৎনবের পর-শিলাইদহে সপরিবারে বাঁ গৃহবিভালয় স্থাঁপন। 'সংস্কৃত শিক্ষা" সন্বক্ধে যত। কলিকাতায় বলেশ্রনাধ অনুস্থ-- কবিকে সেখানে থাকিতে হয়। “বিলোদিলী' ( চোখের বালি )। শিলাইদেছে-_ কৃষি উন্নতির চেষ্টা-_ বেশম শিল্পে পৌধণ-_ শিক্ষক লবেক্স সাহেবের বেশমগ্ডটির চীষ-_- “সাহিত্য” পত্রিকায় কবিকে আক্রমণ পতিসরে 'পুণ্যাহ'-__ কুধিয়ার ব্যাবসার জন্য অর্থের সন্ধান__ প্রিক্ষনাথকে পত্রধারা বলেন্দ্রনাথের অসুস্থতা কুষ্টিয়ার বাবসায়ের ক্ষতি-_ বলেন্দের মৃত্যু তাত্র ১৩০৫। বৈষয়িক ব্যাপার শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে পরিবার-_ কুস্রিয়ার ব্যবসায় কবিকেই দেখিতে হয় অবসরকালে “কণিকা'র কবিতা- কণা রচনা শিলাইদছে “কথা'র কবিতা চনা। “কথা জগপদীশচন্দ্র বন্থকে উৎসর্গ “কথা'র পর কাহিনী" প্রকাশ। কলিকাতায় হাইকোর্টে জুরির জন্গ আগমন-_ প্রিয়নাথের নিকট হইতে নানা গ্রন্থ সংগ্রহ শান্তিনিকেতনে ১৩৬ সালের ৭ই পৌঁধ বঙ্েন্্র-পবিকল্লিত '্রহ্ধবিদ্ভালয়' প্রতিষঠা-উৎসব-_ সত্্রনাথ-কর্তৃক উদ্বোধন সায়ান্ছে ববীন্দ্রনাথের ভাষণ 'উপনিষদ ব্রদ্ব'--- 171১ 094 0০ [00811595 নামে ধারাবাহিক তত্ববোধিনী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। রবীন্ত্রনাথের রচনার প্রথম ইংরেজি অনুবাদ _মাঘোৎসবের পর-_ বলেন্দ্রের বিধবা পত্বীকে এলাহাবাদ হইতে আনয়ন 'কাহিনী'র শেষ নাট্যকাব্া 'কর্ণকুস্তীসংবাদ' ১৩০৬ সালের ১৫ই ফান্ঠন লিখিত হইল-- গ্রস্থখানি ত্রিপুরার মহারাঁজ রাধ।(কিশোর মাণিকাকে উৎসর্গ ক্ষণিকার পৰ পূ ৪৯৫-৪৯৮ ক্ষণিক1 কাব্যের সুত্রপাত-_ “বসন্তের দান'__ প্রিক্ননাথের কবিতা “চিরকুমার সভা “ক্ষপণিকা' | দাঞ্জিলিঙে কয়েকদিন যতীস্ত্রনাথ বন্ধ শিলাইদছে-_- আধাড়ের ( ১৩*৭ ) মাঝামাঝি কলিকাতায় কৃতীন্রনাথের বিবাহ উপলক্ষে ক্ষণিক1” কাবা প্রকাশ : ৩১ আষাঢ় পতিসবে পুণ্যাহে উপস্থিত-_ ক্ষপিক] সন্ধে লোকেন পালিতকে পত্র। ক্ষণিক কাব্য প্‌ ৪৯৮-৫০২ কাব্যগ্রন্থের লীলা খণ্ডে ক্ষণিকার কবিতা-_ মোহিতচন্ত্র জেনের ভূমিক1 হুইতে উদ্ধৃতি লোকেন পালিতকে উৎসর্গ-পত্র-_ চজ্নাথ বন্থর পত্র ক্ষণিকার পরে পু ৫*২-৫৯৫ চিরকুমার মতা ভারতীতে ধারাবাহিক প্রকাশ শিলাইধহে জগদীশচন্দ্র বন্ছ। তাহার চিত্তবিনোদনের জন্য ছোটগল্প রচনা-- ভারতী প্রদ্দীপ প্রভাত পন্রিকায়-_ নগেজ্জনাথ গুপ্ত -সম্পাদিত প্রভাতে কবির প্রবন্ধ গল্প। এই-নব গল্প সন্বদ্ধে 'সাহিত্য' সম্পাদকের তীব্র মস্তব্য। প্রভাত, সম্বন্ধে কবির পত্র" নগেন্রনাখ গুণের “তপদ্থিনী' উপন্তান সম্বন্ধে 'প্র্দীপ' পত্রিকায় প্রবন্ধ বিচি ঘটন! প্‌ ৫০৫-৫১২ গল্পগুচ্ছ ছুই খণ্ডে প্রকাশ | কুছ্িয়ার ব্যবসায়-_ বিলাতে জগরধীশচন্ের বিজ্ঞানবার্তী তোলম্তয়ের ড/17815 4১ সন্বন্ধে ফরাসী উপন্তাদ পাঠ। কলিকাতায় 'বিসর্জন” নাটক অভিনয়। নৈবেস্তর কবিতা-_ শান্তিনিকেতন পৌষ

[ৎ৭]

উৎসবে ভাঁষণ বরনমন্তর মাঘোৎসবের পর (১৩০৭ ) জিপুরার মহারাজ বাধাকিশোর মাঁণিকার সংবর্ধনা! উপলক্ষে “বিসর্জন*-এর পুনরভিনয় পুনরায় শিলাইদহে নৈবেষ্য রচনা-_ কুহিয়ার ব্যবসায়ে লোকসান চিরকুমার সভা | পৃ&১৩-৫১৫ কবি বিজ্ঞানী পূ ৫১৫-৫১৮ রবীন্দ্রনাথ জগদীশচন্ত্রের পরিচয়-ইতিহাস। জগদীশচন্দ্র বিজ্ঞানচর্চা গবেষণার জন্ত বিলাতে থাকার প্রয়োজন রবীন্রনাথের একান্ত ইচ্ছা_ জগর্ীশচজ্জের ইচ্ছা রবীন্নাথের গল্প ইংরেজিতে অনূদিত হয়। ব্রিপুরার মহারাজের নিকট হইতে জগদীশচন্দ্রের জন্ত অর্থসাহায্য লাভ বিজ্ঞানী গ্রশস্তি-_ খেয়া" উৎসর্গ কবি রাজা প্‌ ৫১৮-৫২১ ত্রিপুরা বাজপরিবারের সহিত ববীন্দ্রনাথের ঘনিষ্ঠতা আগরতলায় ববীন্দ্রনাথ-_ মহাবাজকে 'কাহিনী' উৎসর্গ (ফান্তন ১৩০৬ )। মহারাজ সকল বিষয়ে কবির পরামর্শ গ্রহণ-_ কুষারদের শিক্ষা রাজ্যশাসন বিষয়ে কবির মত। রষশীমোহন চট্টরোপাধ্যায়কে ত্রিপুরার দেওয়ান-পদ্ধে নিষুক্তি। ভারতের পূর্বপ্রাস্তবাী এই রাজপরিবারের মধ্যে ভারতীয়তা জাতীয়তা জাগ্রত করিবার প্রচেষ্টা

্ব্ীত্রতীম্বনী

বাছির হইতে দেখো! না! এমন করে, আমায় দেখো না বাহিরে

আমায় পাবে না আমার হখে সুখে,

আমার বেদনা খুজো না আমার বুকে,

আমায় দেখিতে পাবে না আমার মুখে, কবিরে খু'জিছ যেথায় সেখ! সে নাহি রে।

যে-আমি স্বপন-মুরতি গোপনচারী, যে-আমি আমারে বুঝিতে বুঝাতে নারি, আপন গানের কাছেতে আপনি হারি, সেই আমি কবি, কে পারে আমারে ধরিতে

মান্ুষ-আকারে বন্ধ যে জন ঘরে, ভূমিতে লুটায় প্রতিনিমেষের তরে, যাহারে কাপায় স্ত্রতিনিন্দার জ্বরে, কবিরে পাবে না তাহার জীবনচরিতে।

সচনা

বর্তমান লেখকের “রবীন্দ্রীবনী' প্রথম সংস্করণ প্রকাশিত হইলে বাংলার কোনো! তরুণ সাহিত্যিক গ্রন্থ ক্রয় করিবেন কি না তৎসম্বন্ধে আর কাহারও পরামর্শ গ্রহণ না করিয়া স্বয়ং কবিরই বায় সংগ্রহ করিতে তাহার জোড়ার্সাকোব বাসভবনে উপস্থিত হন। প্রশ্ন শুনিয়া কবি নাকি অত্যন্ত বিব্রত হইয়া বলিয়াছিলেন যে, গ্রন্থ রবীন্দ্রনাথের জীবনী নহে, উহ! ঘ্বারকানাথ ঠাকুরের পৌত্রের কাহিনী নবীন লেখকটিকে কবি কি ভাব হইতে একপ মন্তব্য করিয়াছিলেন তাহা আমর] জানি না তবে গ্রন্থ-মধো ঠাকুবপরিবাবের বিস্বাত আলোচনাংশ পাঠ করিয়া কবি জীবনী-লেখককে অংশ পরিশিষ্টে সংযোজিত করিবার নির্দেশ দেন আমাদের অনুমান, কবি মনে করিতেন যে, পূর্বপুরুষদের সহিত তাহার বাবধানটা কেবল কালের দূরত্বের দিক দিয়া নহে, গুপের গুরুত্বের দিক হইতেও ছুর্লজ্য্য কিন্তু বস্তবিচারী তিহাপিকদদের নিকট কবির বহুমুখী গ্রতিভার অভিব্যক্কির জন্ত তাহার পূর্বপুরুষদের দোব গুণ সমভাবে দায়ী। প্রতিভার সহিত প্রাকৃতের পার্থক্য যতই গভীর বলিয়! গ্রতিভাত হউক গঙ্গোত্রীর সহিত গঙ্গাসাগরের সম্বন্ধ অচ্ছেছ্যভাবেই যুক্ত। সেইজন্থই আমর! রবীন্দ্রনাথের পূর্বপুরুষগণের কাহিনী-পর্বটি অবান্তর জ্ঞানে পরিত্যাগ বা পরিশিষ্টে সংযোজন করিতে পারিলাম না, গঙ্গোত্রী হইতেই আমরা যাত্র। শুক করিলাম

রবীন্দ্রনাথ যে-পরিবারে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন সেই ঠাকুরপরিবারের সহিত গত এক শত বৎসরের বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাস এমনি ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত যে রবীন্দ্রনাথের সর্বতোমুখী প্রতিভার যথার্থ উৎস আবিফার করিতে হইলে সেই বংশের উৎপত্তি ব্যাপ্ধি বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে অনুসন্ধান করা প্রয়োজন। বাংলার ব্রাহ্মণসমাজের ছারা পরিত্যক্ত এই বংশ এমন কতকগুলি বৈশিষ্ট্য শক্তি অর্জন করিয়াছিল, যাহার বলে তাহা এককালে বাংলার বিচিত্র সামাজিক জীবনের শীর্বস্থানে নিজ অস্ছুপ্প অধিকার প্রতিষ্ঠিত করিতে সক্ষম হয়। স্থৃতরাং এই পরিবারের ইতিহাস আলোচনা নিরর্থক অপ্রাসঙ্গিক হইবে না।

বংশপরিচ়

ইতিহাসের আস্ত কোথায় কথার জবাব দেওয়া যায় না; তবুও মানুষ লৌকিক ব্যবহারের জন্ত একটা সীমানা টানিয়া লয়। সেই সুত্র-অহ্ুসারে বাংলাদেশের কিংব্দস্তিমূলক যে সামাজিক ইতিহাস চলিয়া আমিতেছে তাহাকে অনুবর্তন করিতে হয়; অর্থাৎ বঙ্গদেশে পঞ্চব্রাক্ষণের আগমন-কথ। হইতেই এই অচ্সন্ধানটি আরন্ত করা যাইতে পারে। বঙ্গদেশে পঞ্চব্রা্ষণের আগমনের এঁতিহ সম্বন্ধে আমরা কোনো অভিমত প্রকাশ করিব না, কেবল কিংবান্তি আশ্রয় করিয়া এই বংশের যে ইতিহাস চলিয়া আসিতেছে তাহাই এখানে লিপিবদ্ধ করিলাম

কিংবাস্তিয্লক ইতিহাস-অন্ুসারে, গ্রীষ্টীয় অষ্টম-একাদশ শতকেন্ মধ্যে কোনো! সময়ে, আদিশূরের রাজত্বকালে পঞ্চব্রাহ্মণ কান্কুজ হইতে বঙ্গদেশে আসেন। মহাযান বৌদ্ধধর্মের বিচিত্র মতবাদ -প্রাবিত বঙ্গদেশে ব্রাহ্মপ্যধর্ম সুপ্রতিষ্ঠিত করিবার উদ্দেশে এই পঞ্চবেদজ ব্রাহ্মণের আগমন এই পঞ্চ সাত্বিক ব্রাহ্মণের নাম শাণ্ডিল্যগোত্রীয় ক্ষিতীশ, বাতস্তগোত্রীয় স্থধানিধি, সাবর্ণগোত্রীয় সৌভরি, ভরদ্বাজগোত্রীয় মেধাতিথি, কাশ্থপগোত্রীয় বীতরাগ। ইহার! নামে মাত্র দেশে আসেন, বন্ততঃ সাক্ষাৎসন্বন্ধে যজ্ঞাদি করেন নাই; ইহাদের পঞ্চপুত্র ভষ্টনারায়ণ ছান্দড় বেদগর্ড হর্ষ দক্ষ হইতে বহ্দেশে ত্রাহ্মণকুলের তথাক থিত উত্তৃব।

| ববীন্দ্রজীবনী স্রীটাষ ১*-১৮ শতক

কাশ্ঠপগোত্রীয় বীতরাগের চারি পুত্র রাঢ় বা পশ্চিমবঙ্গে বাম করিয়া “রাটীয়' বলিয়া বিদিত। দক্ষের চৌদ্দ সন্তানের মধ্যে ধীর নামক এক ব্যক্তি আদিশূর-পুত্র ভূশৃরের নিকট বাসার্থ গুড় নামক গ্রাম প্রাপ্ত হন। বর্তমানে এই গ্রা্ মুপিদাবাদ জেলার অন্তর্গত। গুড়-গ্রামের অধিবাপী বলিয়া 'ধীরগুড়ি' বা “ধীরগুড়' নামে পরিচিত হন। ইহার সপ্তম অধস্তন পুরুষ বঘুপতি আচার্য পরিণত বয়সে সঙ্স্যাস গ্রহণ করিয়া “দণ্ডী' হন) জনক্রুতি, কাশীবাস-কালে দণ্তীসমাজ ইহাকে কনকদণ্ড উপহার প্রদান করে। কেহ কেহ বলেন “কনকদাড়” গ্রামে গিয়া বাস করেন বলিয়া উত্তর- কালে রঘুপতির বংশধরেরা “কনকদণ্ডী গুড়' নামে পরিচিত হন। এই কনকদণ্ডী গুড়ের একটি শাখা যবন সম্পর্কে পীরালি দোষে দুষ্ট হইয়া ব্রাহ্ষণসমাজে পতিত হন।

রঘুপতি আচার্ধের অধস্তন চতুর্থ পুরুষ জয়কুফণ ব্রহ্মচারী বোধ হয় 'রায়' উপাধি প্রাপ্ত হন। এই জয়রুফের দুই পুত্র নাগর দক্ষিণানাথ। দক্ষিণানাথের চারি পুত্র-_ কামদেব জয়দেব রতিদেব শুকদেব। মুসলমান সম্পর্কে কামদেবাদি প্রথম যবনছু্ হইয়া পীরালি হন। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ তুকীঁ-মুসলিম দ্বারা বিজিত হইয়াছিল এবং দক্ষিণানাথ রাজছারে প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়া “রায়চৌধুরী” উপাধি দ্বারা ভূষিত হন। কাম়দেবাদি চারি ভ্রাতা বর্তমান যশোহর জেলার চেঙ্ুটিয়া পরগনার জমিদার ছিলেন। তুকাঁ-বিজয়ের পর সকল হিন্দুই যে মুসলমানদের “যবন" আখ্যা দিয়া দুরে রাখিয়াছিলেন তাহা নহে। বিজেতাকে অন্থকরণ, তাহার অনুগ্রহভাজন হইয়া অর্থ প্রতিপত্তি লাভের লোভ চিরকাল একই ভাবে দেখা দিয়া আসিয়াছে। তুকী-বিজয়ের ফলে হিন্দুদের মধ্যে কেহ ধর্মের আকর্ষণে, কেহ তুকখী-রমণী লাভের মোহে, কেহ বা এহিক স্বাচ্ছন্দ্যে জন্য, কেহ বা উৎপীড়নের দায় হইতে মুক্তিলাভের জন্ত ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। এইরূপে যবনদোষে ছুষ্ট হইয়া নান! পরিবার হিন্দুসমাজ-দেহ হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া পড়ে। সেরখানী পীরালি শ্রমস্তখানী প্রভৃতি থাকের উদ্ভব এইভাবেই হয়।১

বাংলাদেশে মেল-উৎ্পত্তি সন্বন্ধে বিচিত্র কাহিনী কুলাচার্ধগণ স্য্টি করিয়াছেন ; তবে আচাধগণের সততা কাহিনী- সমূহের সত্যতা সম্বদ্ধে সন্দেহের বছ কারণ আছে। নানা অজ্ঞাত কারণে কুলাচার্গণ যবনদু্ই পরিবারসমূহের কাহাকে মর্যাদা দান করিয়া সমাজে চালাইয় দিয়াছিলেন, কাহাকে বা পতিত করিয়া সমাজে অচল করিয়া রাখিয়াছিলেন। যেসব পরিবার কুলাচার্ধগণের অনুগ্রহ হইতে বঞ্চিত হইয়া সমাজে 'পতিত' থাকিয়া গেল, তাহাদ্দেরই অন্যতম হইতেছে পীরালি" ত্রাঙ্মণগণ। পীরালি ব্রাক্ষণদের উৎপত্তি সম্বন্ধে কুলাচার্ধগণ কর্তৃক সৃষ্ট যে-কিংবদস্তি চলিত আছে, তাহাই আমরা নিয়ে প্রদান করিলাম |

দক্ষিণ-বাংলার জলাজমিতে উপনিবেশের চেষ্টা শুরু হয় তুর্কা-রাজত্বকালে। খান জাহান আলি নামক এক ব্যক্ি বাংলার দক্ষিণে ব-হবীপের হু'দরি বনে ( বর্তমান খুলনার স্থন্দরবনে ) উপনিবেশ স্থাপন করিবার সনন্দ লইয়া যশোহরে উপস্থিত হন চেস্গুটিয় পরগনার কর্তৃত্ব লাভ করেন খাঁন জাহানের মহিত তাহের নামে এক ব্যক্তি আসেন ; এই ব্যকি পূর্বে ব্রাহ্মণ ছিলেন, এক মুললমানীর প্রেমে পড়িয়া ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ইহার নিবাস ছিল নবধধী৮পর নিকটস্থ পিরলিয়! বা পিরল্যা গ্রাম ইসলাম ধর্মে গোড়ামি দেখিয়া অথবা পিরলিয়া গ্রামে বাস থাকাম় লোকে তাহাকে পিরল্যা খা বলিয়া ভাকিত। তাহের কর্মপটু লোক ছিলেন বলিয়া! খান জাহান ঠাহাকে দেওয়ান পদে নিযুক্ত করিয়া যশোহরে আনেন।

পূর্বোন্লিখিত দক্ষিপানাথের ছুই পুত্র কামদেব জয়দেব তাহের-এর প্রধান কর্মচারী নিযুক্ত হন।

কথিত আছে, একদিন রোজার সময় তাহের বা পীরমালি একটি নেবুর জ্াণ লইতেছিলেন। এমন সময়ে

উনবিংশ শতকে ইংরেজ আমলে ব্ীটীয় ধর্ম মুরোপীয়তা, ইংরেজী ভাব! সভ্ভাত! দেশের মধ্যে সেই একই কারণে প্রবেশ লাঁত কয়ে।

ধীষ্টাখ ১-১৮ শতক . বংশপরিচয়

কামদেব ঠাট্টা স্থবে বলেন, "আমাদের শান্ত্রানুসারে আণে অর্ধেক ভোজন হয়। স্বতরাং রোজা নষ্ট হইল।” তাহের মূনলমান হইলেও ত্রাহ্মণসস্তান ; তিনি কামদেবের বিদ্জপ সহজেই বুঝিতে পারিলেন; কিন্তু তখন কিছু বলিলেন না। তৎপর একদিন এক জলসায় ব্রাহ্মণাদি সকল জাতিকেই নিমন্ত্রণ করিলেন , এমন সময়ে মজলিসের চারি দিকে মুসলমানী খানার স্থগদ্ধ বছিঙ্; হিন্দুর পক্ষে তাহা সহ করা কঠিন। অনেকেই নাকে কাপড় দিয়া চলিয়া গেলেন) ধূর্ত পীরআলি কামদেব জয্নদেবকে ধরিয়া কহিলেন যে, “ছ্রাণে যখন অর্ধেক ভোজন হয়, তখন নিশ্চয়ই গোমাংসের ত্রাণ পাইয়৷ তোমাদের জাতি গিয়াছে” ভ্রাতৃদয় পলাইবার চেষ্টা করিলে পীরআলির লোকেরা তাহাদিগকে জোর করিয়া নিষিদ্ধ মাংস মুখে ভরিয়া! দিল। এইভাবে তাহারা উভয়ে জাতি হারাইলেন। তখৎপরে কামদেব কামাল খা জয়দেব জামাল খা নামে প্রসিদ্ধ হইলেন। পীরআলি তাহার প্রভু খান জাহান সাহেবকে অনুরোধ করিয়া উভয়কে সিংগির জায়গীর পাওয়াইয়া দিলেন। পীরআলির মজলিসে কামদেবের অন্যান্ত আত্মীয়গণের মধো যাহারা উপস্থিত ছিলেন তাহাদের শক্রপক্ষ তাহারদিগের "পীরালি” অপবাদ রটাইলেন, এমনকি অনেককে সমাজচ্যুত করিলেন অর্থের মহিমায় ঘটকের কপায় তাহাদের মধ্যে অনেকেই "জাতে" উঠিলেন, কেবল ধাহাদের অবস্থা মন্দ বা ধন থাক সত্বেও যাহারা ঘটকের মর্ধাদ দান করিতে নারাজ ছিলেন, তাহারাই কেবল 'প্বীবালি' বলিয়া! সমাজে অচল রহিলেন |

কামদেবের অপর ছুই ভ্রাতা রতিদেব শুকদেব রায়চৌধুরী দক্ষিণভিহির বাটীতে থাকিতেন সমাজের অত্যাচারে রতিদেব ক্ষুপ্ন মনে গ্রাম তাগ করিয়া চলিয়া গেলেন। শুকদ্দেবকে ভদ্নীর কন্যার বিবাহ লইয়া খুবই কষ্টভোগ করিতে হুইল এব" বনু ছলচাতুরী অর্থবায় করিয়া ফুলিয়ার এক মুখুটির সহিত ভঙ্মীর বিবাহ দিতে সমর্থ হইলেন শুকদেবের কন্তারও বিবাহ হইল একজন শ্রেষ্ঠ শ্রোতিয়ের সহিত; জামাতার নাম জগন্নাথ কুশারী, পিঠাভোগের জমিদার পতিত ব্রাহ্মণের ঘরে বিবাহ করার অপরাধে জগন্লাথকে তাহার জাতি-কুটুঙ্গের! পতিত? করিলেন এবং সেইজন্য তিনি পিঠাভোগ ত্যাগ করিয়া দক্ষিণডিহিতে শ্বশুরালয়ে বাস করিতে আসিলেন। শুকদেব জামাতাকে যথোচিত সম্মান প্রদর্শন করিলেন? খুলনা জেলার বর্তমান বারোপাড়! নরেন্দ্পুব গ্রামের উত্তরে উত্তরপাড়া নামে গ্রামখানি তাহাকে দান করেন। এইরূপে শুকদেবের ভগ্বী কন্যার বিবাহের ফলে 'পীরালি' শাখা পল্পবিত হইল

জগন্নাথ কুশারীই ঠাকুরগোীর আদিপুরুষ ; বিবাহের ছারা তিনি পীরালি-সমাজ ভ্রুক্ত হইলেন কুশারীরা ভট্টনারায়ণের পুত্র দীন কুশারীর বংশজাত ) দীন মহারাজ ক্ষিতিশূরের নিকট 'কুশ' নামক গ্রাম (বর্ধমান জিলা) পাইয়া গ্রামীণ হন এবং কুশারী নায়ে খ্যাত হন। দীন কুশারীর অষ্টম কি দশম পুরুষ পরে জগন্নাথ জগন্নাথের দ্বিতীয় পুত্র পুরুষোত্তম হইতে ঠাকুরবংশের ধারা চলিতেছে; অপর তিন পুত্রের ধারা লুপ্ত বা প্রায়লুপ্ত। পুরুষোন্তমের প্রপৌত্র রামানন্দের ছুই পুত্র মহেশ্বর শুকদেব হইতে ঠাকুরগোষ্ঠীর কলিকাতা-বাম আরম্ত |

কথিত আছে, জ্ঞাতিকলহে বিরক্ত হইয়া! মহেশ্বর শুকদেব নিজ গ্রাম বারোপাড়া হইতে কলিকাতা গ্রামের দক্ষিণে গোবিন্দপুরে আসিয়া বাস করেন। সে-সময়ে কলিকাতা সুতানুটিতে শেঠ বসাকর] বিখ্যাত বণিক | এই সময়ে ইংবেজদের বাণিজ্যতরণী গোবিন্দপুরের গঙ্গায় আসিয়া দাড়াইত। পঞ্চানন কুশারী ইংরেজ “কাঞ্চেন'দের এইসব জাহাজে মালপত্র উঠানো নামানো খাগ্যপানীয় সংগ্রহাদি কর্মে প্রবৃত্ত হন। এইসকল শ্রযসাধ্য কর্মে স্থানীয় হিন্দুমমাজের তথাকথিত নিয়শ্রেণীর লোকেরা তাহার সহায় ছিল। সেই সকল লোকে ভদ্রলোক ব্রাঙ্মণকে তো নাম ধরিয়া ডাকিতে পারে না: তাই তাহার] পঞ্চাননকে ঠাকুর মশায়” বলিয়! সম্বোধন করিত। কালে জাহাজের কাঞ্চেনদের কাছে ইনি পঞ্চানন ঠাকুর” নামেই চলিত হইলেন; তাহাদের কাগজপত্রে তাহারা 78805, প:৪8০:০ লিখিতে আর্ত করিল। এই ভাবে “কুশারী” পদবীর পরিবর্তে “ঠাকুর” পদবী প্রচলিত হইল।

রবীন্দ্রজীবনী ত্রী্টাৰ ১০-১৮ শতক

পঞ্চানন ঠাকুরের জয়রাম রামসস্তোষ নামে ছুই পুত্র শুকদেবের কৃষ্ণচন্দ্র নামে এক পুত্র হয়। তিনজনেই ইংরেজ বণিকদের নিকট হইতে কিছু ইংরেজি শিক্ষা করেন; তাহা ব্যতীত পারমি ভাষা তো তখনকার দিনে ভদ্রলোক মাত্রকেই জানিতে হইত। ১৭৪২ অন্ধ কলিকাতার জবিপকার্য আরস্ত হইলে জয়বাম রামসস্তোষ আমিন-পদ্দে নিযুক্ত হন। সেইজন্ত খুলনায় ইহাদের পৈতৃক ভিটা “আমিনের ভিটা” নামে খ্যাত। ইহারা কোম্পানির কাজ করিয়া বিলক্ষণ ধন উপার্জন করিয়া ধনসায়রে (বর্তমান ধর্মতলা গড়ের মাঠ) বাড়ি, জমিজমা যেখানে বর্তমানে ফোর্ট উইলিয়াম আছে, সেইখানে গঙ্গাতীরে বাগানবাটি নির্যাণ করিয়াছিলেন ১৭৫৬ অন্দে জয়রাম ঠাকুরের মৃত্যু হয়। তখন তাহার স্ত্রী গঙ্গাদেবী, তিন পুত্র (নীলমণি, দর্পনারায়ণ, গোবিন্দরাম), ছুই পৌত্র (জোষ্ঠ পুত্র আনন্দীরামের ছুই পুত্র) এক কন্তা বিগ্কমান ছিলেন ; আনন্দীরাম়কে জয়রাম ত্যাজ্যপুত্র করিয়া গিয়াছিলেন।

সিরাজদ্দৌলা কলিকাতা! আক্রমণ করিলে জয়রাম তাহার অস্থাবর সম্পত্তি-_ প্রধানত স্বর্অলংকারাদি__ নগরের অন্যান্তদের মতোই-_ ফোর্ট উইলিয়ামে আনিয়া জমা করেন ধনসায়রের গৃহাদি বাঁ স্থাবর সম্পত্তির কোনো ক্ষতি হয় নাই।

জয়রামের মৃত্যুর (১৭৫৬) অল্পকাল পরেই নীলমণি প্রমূখ তাহার ওয়ারিশগণ ধনসায়রের সম্পত্তি বিক্রয় করিয়া নগদে পাচহাজার টাকা পান। পলাশীযুদ্ধের (১৭৫৭) পর মীরজাফর আলি খা বাংলা স্ববার নবাব হইলে, “নগর ধ্বংসের ক্ষতিপূরণ” বাবদ মোটা টাকা! ইংরেজ কোম্পানির হস্তে সমর্পণ করিতে হয়। সেই তহবিল হইতে ড্রেক সাহেব জয়রাম আমিনের পুত্রদদের হাজার ছয় টাকা পাওয়াইয়া দেন। জয়রামের নিজন্ব দুই হাজার টাকা ছিল : সর্বসাকুলো তেরো (১৩,১*) হাজার টাকা জয়রামের পুত্রর্দের হস্তগত হয়

১৭৬৪ অকে জয়রামের পুত্রগণ কলিকাতা গ্রামে পাথুরিয়াঘাটা অঞ্চলে জমি ক্রয় করিয়া গৃহাদি নির্মাণ করেন এবং পিতৃনির্দেশে তেরে! হাজার টাকা কোম্পানির কাগঙ্জ কিনিয় গৃহদেবতা শ্রশ্রীরাধাকান্ত জীউ-এর নামে “দেবন্' করিয়া দেন ; টাকার সুদে দেবপূজাদির ব্যবস্থা হয়।

পাখুরিয়াঘাটায় বাস করিবার পূর্ব হইতেই নীলমণি দর্পনারায়ণ সাহেবদের “দেওয়ানী” বা আজকালকার ভাষায় সেক্রেটারির কাঞ্জ করিয়া বিত্তবান হন। সেকালে ধন হইলেই মান হইত না, ধনীদের কলিকাতার লোকে বলিত “বাবু, জমিদারী ক্রয় করিয়া “জমিদার হইলেই লোকের আভিজাত্য প্রতিষ্ঠিত হইত। নীলমণি তাহার নত্রপাত করিয়া যান: অতঃপর তাহার বংশধরদের মধ্যে রামমণি ওড়িস্যায় সামান্য রকম জমিদারী ক্রয় করেন : পরে তাহার ভ্রাতা রামবললত তাহাতে আরও কিছু সম্পত্তি যোগ করেন। আসলে ছারকানাথই সত্যকারের জমিদার হন।

পাখুরিয়াঘাটার একান্নবর্তীপরিবারে একদিন ভাঙন ধরিল; অর্থ অনর্থের মূল। নীলমণি দর্পনারায়ণের মধো মনোমালিন্য দেখা দিল। পরে উভয়ে আপোষে বিরোধ যিটাইয়া লইলেন; নীলমণি নগদ এক লক্ষ টাকা লইয়া পাথুরিয়াঘাটার বাড়ি দেবত্র সম্পত্তি কনিষ্ঠ ভ্রাতাকে ছাড়িয়া দিলেন। জোড়ার্সাকোর ঠাকুরপরিবারের নিজন্ব ধারার আরম্ভ হইল।

জোড়ার্সাকোর ঠাকুরপরিবার

জয়রাম ঠাকুরের দ্বিতীয় পুত্র নীলমণি ঠাকুর হইতে জোড়ার্মীকোর ঠাকুরপরিবারের উদ্ভব। নীলমণি জোড়াবাগানের বৈষ্কবচরণ শেঠের নিকট হুইতে বর্তমান জোড়ার্সাকোর বাড়ির এক বিঘা জমি ত্রন্ধত্র প্রাপ্ত হন। ১৭৮৪ অব্ের জুন

ধষ্টাব ১*-১৮ শতক জোড়ার্সাকোর ঠাকুবপরিবার

মাসে জোড়ার্সাকোয় ঠাকুরগোষ্ঠীর বাসের হুত্রপাত। তখন এই পল্লীর নাম জোড়ার্সাকো। ছিল না; মেছুয়াবাজার পল্লীর নিকটবর্তী বলিয়! স্থানটিও নামে অভিহিত হইত

নীলমণি পরিবার লইয়া! থাকিবার মতে! সামান্ত কাচা-পাঁকা ঘর গলির মধো নির্মাণ করিলেন ; সে সবের কোনে! অন্তিত্ব এখন নাই।

নীলমণির তিন পুত্র এক কন্তা__ রামলোচন (১৭৫৭ ?), রামমণি (১৭৫৯ ), রামবল্লভ (১৭৬৭) কমলমণ্ণি (১৭৭৩ )। স্থতরাং জোড়ার্সাকোর বাস যখন আরম্ভ হয় তখন (১৭৮৪ ) নীলমণির সকল পুত্রই বয়স্ক নীলমণি তাহার কন্তার বিবাহ পীরালি-সমাজে দেন নাই; তাহার সদাচারখ্যাতি ততোধিক অর্থখ্যাতি নিষ্ঠাবান হিম্ছুপরিবার হইতেও জামাতা! লাভের সহায়তা করিয়াছিল। কিন্ত পুত্রদের বিবাহ পীরালি-সমাজেই করিতে হইত

নীলমণির মৃত্যুর (১৭৯১) পর পরিবারের অভিভাবক হইলেন রামলোচন তাহার চেষ্টায় পরিবারের বিষয়সম্পত্তি বৃদ্ধি পায়। রামলোচনের কোনো পুত্র ছিল না, তাই তিনি ভ্রাতা রামমণির পুত্র দ্বারকানাথকে দত্তক গ্রহণ কেন রামমণির ছুই বিবাহ; মেনক1 দেবীর গর্ভে রাধানাথ জাহুবী দেবী রাসবিলাসী ছারকানাথের, এবং ছুর্গামপির গর্ভে রমানাথ সরন্বতী দেবীর জন্ম হয়।

রামলোচন ঠাকুর ছিলেন তৎকালীন আদর্শে বিশিষ্ট বা সন্তান্ত ভদ্রলোক বেশতৃযার পারিপাট্য, সান্ধযব্রমণ, সংগীতাদির প্রতি অনুরাগ প্রভৃতি তৎকালীন আভিজাত্যের লক্ষণ তাহার জীবনে দেখা! যায়

দ্বারকানাথ ঠাকুর : ১৭৯৪-১৮৪৬

১৮০৭ অবে রামলোচনের যখন মৃত্যু হয় তখন ছ্ারকানাথের বয়স বারো-তেরে! বখসর। এই সময়ে তাহার জনক রামমণি পিতৃব্য রামবল্লভ উভয়ে জীবিত, তথাপি বৈষয়িক ব্যাপারেব তদারকের ভার অপিত হইল জোচ্টভ্রাতা রাধানাথের উপর রাধানাথ ইংরেজী শিক্ষায় একজন কৃতবিগ্ভ লোক ছিলেন বলিয়াই বোধ হয় বিষয়াদির ভার তাহার উপরন্যন্ত হয়। রামলোচনের বিধবা স্ত্রী অলক] দেবী বিষয়ের তত্বাবধান করিতেন ; মহধি দেবেন্্নাথের আত্মজীবনীতে যে-পিতামহীর মৃত্যুর কথা উল্লেখ আছে তিনি হইতেছেন এই অলকা দেবী__ দ্বারকানাথের মাতা অলক! দেবীর মৃত্যু হয় ১৮৩৮ সালে (১২৪৪ ফান্ধন )।১

দ্বারকানাথ বাল্যকালে পারসি ইংরেজী ভাষা! ভালোভাবেই শিক্ষা! করিয়াছিলেন। ইংরেজী ভালোরুপে ছুরম্ত হওয়ায় বৈষয়িক জীবনের উন্নতিতে উহা! তাহার বিশেষ সহায়তা করিয়াছিল। এই সময়ে কলিকাতায় ম্যাকিন্টস কোম্পানি স্দাগরী কাজের জন্য খুবই খ্যাত; এই কোম্পানির কর্চারিগণের ঘনিষ্ঠতায় আসিয়া ছ্বারকানাথ যে-ব্যবসায়- বুদ্ধি পাভ করেন তাহার ফলে তিনি যৌবনের আবস্তেই ব্যবসা করিতে শুরু করেন। প্রথম প্রথম তিনি ম্যাকিন্টসদের গোমন্তারূপে রেশম নীল ক্রয়ে সাহায্য করিতেন ; কিন্তু কয়েক বৎসরের অভিজ্ঞতার ফলে তিনি স্বয়ং বিলাতী অর্ডার সরবরাহ শুরু করিলেন। এই ব্যবসায় শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে তিনি জমিদারির কার্ধও বিশেষ মনোনিবেশ সহকারে আয়ত্ত করেন। ১৭৯৩ সালে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত প্রবর্তিত হওয়ায় জমিদারের স্বত্ব অধিকার রাজস্ব প্রভৃতি ব্যাপারে বিচিত্র জটিল সমস্যাসমূহ দেখা দিয়াছিল। দ্বাবকানাথ বাজন্ব স্বত্ববিষযনক সমন্তাওলিকে উত্তমরূপে পর্যালোচনা করিয়া প্রভৃত জ্ঞান অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। পৈতৃক জমিদারি বিরাহিমপুর পরগনাই এই সময়ে তাহার প্রধান ভূ-সম্পত্তি ছিল। ন্প্রীম কোর্টের ব্যারিস্টার মি. ফাগুনের সাহায্যে তিনি আইন-বিশেষজ্ঞ হন এবং অল্প কয়েক বৎসরের মধ্যে

নির্মলচঞ্জ চট্টোপাধ্যায়, 'মহুধি-জীবনীর কয়েকটি তথা' : তথকৌমুদী, মহধির দীক্ষ/-শতবাধিকী সংখ্যা, ১৯৪৩

রবীন্দ্রজীবনী এরষ্টাব ১০-১৮ শতক

বাংলা এমনকি বিহারের বহু জমিদারের আইন-পরামশদাতা বা মোক্তার হইয়া উঠেন। আদালতের সংম্রবে আসিয়া দ্বারকানাথ অনেক সরকারী পাস্থ কর্মচারীর সহিত পরিচিত হন। ইহার ফলে উনত্রিশ বসর বয়সে তিনি চব্বিশ- পরগনার কলেক্টার 'নিম্কি” অধ্যক্ষের (95916 £4£5200) দেওয়ান পদ্দে নিযুক্ত হন। এইথান হইতে ছয় বৎসর পরে তিনি শুক্ক আব্গারী বিভাগের দেওয়ান-পদে উন্নীত হন। দিকে জমিদারদের পরামর্শদাতারূপেও তাহার বিশেষ অর্থনাভ হইতেছিল। ইতিপুবে ম্াকিন্টম কোম্পানির কিছু অংশ ক্রয় করিয়া তাহাদের অংশীদার হইয়াছিলেন। এই সময়ে কলিকাতায় সাহেবদের পরিচালিত ব্যাঙ্ক ছিল, কিন্তু বাঙালির ব্যাঙ্ক ছিল না। দ্বারকানাথ ১৮২৯ সালে কয়েকজন সাহেবকে লইয়া মুনিয়ন বাঙ্ক স্থাপন করেন। ১৮৩৪ সালে ক্যালকাটা ব্যাঙ্ক ফেল হইলে বড় অংশীদার বলিয়া তাহার উপর অনেক দায়িত্ব আসিয়া পড়ে

ইতিমধো ইস্ট, ইঙ্ডিয়া কোম্পানি পার্লামেন্টের নির্দেশ-অনুসারে (১৮৩৩) বাণিজ্য-ব্যবসায় হইতে অবসর লইতে বাধা হইল। দছ্বাবকানাথ কোম্পানির চাকুরি ছাড়িয়া কার-ঠাকুর কোম্পানি নামে এক কুঠি স্থাপন করিলেন। এই কৃতির কাজের সঙ্গে সঙ্গে তিনি শিলাইদহে অন্ান্থা স্থানে নীলকুঠি ক্রয় করিয়া লইলেন ; শিলাইদহের বাড়ি এখন পযন্ত তদঞ্চলে “কুঠিবাড়ি নামে খ্যাত। এই সময়ে তিনি রানীগঞ্জের কযলাখনির ইজার! লইয়া দক্ষতার সহিত কাজ শুরু করেন। বামনগবের চিনির কারখানা তাহার প্রতিভার আর-একটি উদাহরণ ছাড়া তিনি বিস্তর জমিদারি ক্রয় করেন। ইহার মধ্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হইতেছে উত্তরবঙ্গ অঞ্চলের জমিদারি নাটোরের ধষিকল্প জমিদার রাজ) রামকুঞ্চ রায়ের সংসার-এদাসীন্যের ফলে তাহার বহু সম্পত্তি নীলামে বিক্রয় হয়, দ্বারকানাথ এসব সম্পত্তি কয়েকজন ট্রান্টির নামে ক্রয় করিয়া লন।

ছারকানাথের সহায়তায় তত্কালীন বহু জনহিতকর কাধ অনুষ্ঠিত হয়। হিন্দু কলেজ, মেডিক্যাল কলেজ জমিদার- সভা স্বাপন, ইংলগু ভারতের মধো ক্রুত ডাক-বিনিময়ের ব্যবস্থা, সতীদাহ-নিবারণ, মুদ্ধাযস্থের স্বাধীনতা প্রন্থীতি ব্যাপারে ছারকানাথ অগ্রণী হইয়া সাহায্য করিয়াছিলেন সর্গ্রকার লোকহিতকর সমাললংস্কার কাধে তিনি রামমোহন রায়ের প্রধান সহায় ছিলেন | যদিও তিনি রাজার ধর্মমত গ্রহণ করেন নাই, তথাপি ঠাহার “আত্মীয়লভা' স্থাপন, ব্রাহ্মনমাজমন্দির প্রতিষ্ঠা প্রভৃতির সহিত তাহার আন্তরিক যোগ ছিল। দ্বারকানাথের পরিবার ঘোর বৈষ্ণব ছিল; তিনিও তাহার প্রথমজীবনে নিষ্ঠাবান ছিলেন কিস্কু এ্বর্ববুদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তাহার প্রবল নিষ্ঠার লোপ হয় ক্রমে হিন্দুদের সাধারণ সংস্কারসমূহ ত্যাগ করেন। শতাবীপূর্বে হিন্দুর পক্ষে বিলাতঘাত্রা কত বড় সাহসের কথা ছিপ তাহা বঙমানে আমাদের কল্পনাতীত ১৮৪২ অবে ছারকানাথ প্রথম বার বিলাত যান। সেই বৎসরেই ফিবিয়া আসেন। বিলাত হইতে ফিরিয়া আসিবার পর তিনি তীহার বৈঠকখানা-বাড়িতে থাকিতেন; কারণ একান্বর্তী পরিবারের বহু আত্মীয়কুটুন্বকুটু্দিনীদের ধর্মবিশ্বাল পাছে আহত হয় এই আশঙ্কায় তিনি বহিবাটাতে বাস করিতে থাকেন ।*

১৮৪৪ সালে দ্বারকানাথ দ্বিতীয় বার বিলাত যান। এইবার সঙ্গে ছিল তাহার ভাগিনেয় নবীন মুখোপাধ্যায় কনিষ্ঠ পুত্র নগেন্দ্রনাথ ; ছাড়া অন্ত লোকও ছিল। এই বতমর তাহার চেষ্টায় অর্থাহকুল্যে চারিজন বাঙালি ছাত্র

বৈঠকথানা-বাড়ি বলিতে বুঝায় €নং দ্বারকানাথ ঠাকুরের গলির বাড়ি পরে গিরীন্রনাথের বিধবা! পত্থী ইহ! বাসের জন্ত পান এককালে অবনীন্রনাপের শিল্পসংগ্রতের জন্ক ইহার খ্যাতি ছিল! ১৯৪১ সালে ইহা বিক্রয় হইয়া যায়। ইহার শিল্পসংগ্রহ আষেদাবাদে চলিয় গিয়াছে। «নং বাড়ির সামান্ত অংশ এখনো বিগ্ভমান আছে- সেখানে বিশ্ভারতীর প্রকাশনীর দপ্তর অবস্থিত। মূল বাড়ি নিশ্চিন্ত হইয়াছে। সেখানে রবীকভারতীর হলঘরে উৎসব অভিনয়াদি হয়।

স্থারকানাণের আদি বাড়ি *নং। সেটি এখন রবীন্রভারতী বিশ্ববিগ্ালয়ের অন্তর্গত হইয়াছে।

খ্ী্টা ১৯ শতক | দবেবেজ্রনাথ ঠাকুর

ভাক্তারি শিক্ষার জন্ত বিলাত যান ছুইঙ্জনের বায় দ্বারকানাথ শ্বয়ং বহন করেন, অপর দুইজনের ব্যয় বহন করেন গভর্নমেন্ট বিলাতে দ্বারকানাথ যেরূপ বিলাস বৈভবের মধ্যে থাকিতেন তাহাতে লোকে তাহাকে “প্রিন্স ঘবারকানাথ, বলিত। ইংলগ্ডে তাহার মৃত্যু হয় ( অগস্ট ১৮৪৬); তখন তাহার বয়স মাত্র একান্ন বৎসর

দ্বারকানাথের বদদান্তত৷ সৌন্দর্যপ্রিয়ত৷ বিলাসিতা সম্বন্ধে অনেক গল্প প্রচলিত আছে। একটি জিনিস বিশেষভাবে লক্ষ্য করিবার, সেটি হইতেছে তাহার সৌন্দর্যভোগের অসীম ক্ষমতা যে বিলাসিতা সৌন্দর্যপ্রিয়তা তাহার বেলগাছিয়া-বাগানে দেখিতে পাওয়। গিয়াছিল, তাহাই উত্তরকালে বংশধরদের মধ্যে নানাভাবে আত্মগ্রকাশ করে।

দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর : ১৮১৭-১৯*৫

রবীন্দ্রনাথের পিতা দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলাদেশে “মহর্ষি নামে পরিচিত; ব্রাঙ্ষপযাজের লোকেরা প্রথম ইহাকে এই সম্মানস্থচক উপাধি দিয়াছিলেন। ইনি দ্বারকানাথের জোষ্ঠ পুত্র ইহার মাতা দিগন্বরী দেবী স্বধর্মনিষ্ঠা তেজস্থিতার জন্য খাত ছিলেন। দ্বারকানাথ সাহেবদিগের সহিত একত্রে পান-আহার করিতে আরম্ত করিলে দিগন্বরী দেবী “ম্বামীর সহিত সকল সম্বন্ধ বিচ্ছিন্ন করিয়া ব্রহ্ষচর্ধ অবলম্বনে জীবননির্বাহের ব্রত ধারণ করিয়া মৃত্যুর ছারা তাহা! উদ্যাপন করিয়াছিলেন ।'১ দেবেন্দ্রনাথ তাহার ন্বধর্মনিষ্ঠা হয়তে। জননীর চরিত্র হইতেই লাভ করিয়াছিলেন

ত্বারকানাথের সম্ভানগণের মধ্যে কেবল দেবেজ্রনাথই দীর্ঘজীবন লাভ করিয়াছিলেন। দ্বিতীয় চতুর্থ পুত্র অপ্রাপ্ধ- বয়সে মৃত্তামুখে পতিত হন তৃতীয় পুত্র গিরীন্দ্রনাথ চৌত্রিশ বৎসর (মৃত ১৮৫৪) কনিষ্ঠ পুত্র নগেন্দ্রনাথ (মৃত্যু ১৮৫৮) উনত্রিশ বৎসর মাত্র জীবিত ছিলেন।

দেবেন্দ্রনাথের জন্মের সময়ে (১৮১৭)২ দ্বারকানাথের বয়স তেইশ বৎসর মাত্র) তখন ছারকানাথের অবস্থা অতি সামান্। সাত বৎসর পরে দ্বারকানাথ চব্বিশপরগনার কলেক্টবের দেওয়ান-পদদে নিযুক্ত হন সেই হইতেই তাহার ভাগ্যোদয় স্তরাং দেবেন্দ্রনাথের কৈশোর যৌবন পিতার বৈভব আড়ম্বরের মধ্যে কাটে দেবেজ্দজরনাথের বিবাহ হয় ১৮২৯ সালের ফান্ঠন মাসে, তখন তাহার বয়স বারো বৎসর মাত্র | পত্বী সারদা দেবীর বয়স ছয় কি সাত বৎসরের বেশি নয় ; ইনি খুলনা দক্ষিণডিহির রায়চৌধুরী রামনারায়ণের কন্তা ইহার গর্ভে পনেরোটি সন্তান জন্মগ্রহণ করেন। ইনিই রবীন্দ্রনাথের গর্ভধারিণী। সারদা দেবী পঞ্চাশ বতসর মাত্র জীবিত ছিলেন

ত্বারকানাথ প্রাচীন মত পথ সম্পূর্ণদূপে ত্যাগ না করিলেও তিনিই ছিলেন রামমোহন রায়ের প্রধান পৃষ্ঠপোষক কিন্ত তাহার অন্দরমহল ছিল বৈষ্ণব; বাড়ির ত্রিসীমানায় মাংসাদি আসিতে পারিত না, মগ্ঘের তো! কথাই ছিল না। পিতামহী অলক। দেবীর গ্রভাবে দেবেন্দ্রনাথ বাল্যকালাবধি নিরামিষ আহারেই অভ্যস্ত হইয়াছিলেন। কিন্ত যৌবনকালে তাহার পিতার ধনগৌরবশালী অবস্থার সেই প্রাচীন অবস্থার পরিবর্তন ঘটিল। দেবেন্দ্রনাথ হিন্দু কলেজে কয়েক বৎসর ( ১৮৩১-৩৪) পাঠ করেন, কিন্তু তথাকার উচ্ছৃঙ্খল আবহাওয়! আদর্শ তাহাকে স্পর্শ না করিলেও পিতার ধনৈশ্বর্ষের আবিলতা! তাহাকে সম্পূর্ণ অমলিন রাখিতে পারে নাই। কার-ঠাকুর কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত ( ১৮৩৪ জুলাই ) হইলে বহু দেশীয় ইংরেজ ধনীর সহিত দ্বারকানাথের ব্যবসায়িক সামাজিক সম্বন্ধ স্থাপিত হয়। এইসমস্ত আমোদপ্রমোদ-সভায় সামাজিক খাতিরে ঘ্বারকানাথ পুত্রগণের সহিত উপস্থিত হুইতেন; ইছার কুফল দেবেজ্রনাথের জীবনে ক্ষপকালের জন্য দেখা দিয়াছিল। দেবেন্ত্রনাথ গৃহসংসারের কর্তৃত্ব পাইয়া! যদৃচ্ছভাবে জীবন যাপন করিতে থাকেন; আঠারো! হইতে একুশ বৎসর বয়স পর্বস্ত কয় বৎসর দেবেন্্রনাথের পক্ষে বিলাসিতার জীবন। ছারকানাথ

মহধির আত্মজীযনী, বিশ্বভারতী সংস্ঠরণ, পরিশিষ্ট, পৃষ্ঠা ২৯৮ দেবেজানাখের জন্ম ; ১৬ মে ১৮১৭1 জোষ্ঠ ১২২৪।

রবীন্দ্রজীবনী ষ্টাফ ১৮৩৮৪

পুত্রকে এই ুর্নীতিপূর্ণ পারিপার্থিক হইতে মুক্ত করিবার জন্য তাহাকে যুনিয়ন ব্যাঙ্কের কোষাধ্যক্ষ নিযুক্ত করিয়া দিলেন। এমন সময়ে তাহার পিতামহী অলকা দেবীর মৃত্যুতে (১৮৩৮) ত্বাহার জীবনের আমূল পরিবর্তন হয়। শ্শশানে পিতামহীর শবপার্থে বসিয়! তাহার চিত্তে এমন একটি আনন্দময় উদাসভাবের উদয় হইয়াছিল যাহার ম্পর্শচিন্ন মন হইতে আর মুছিল না। মহধির আত্মচরিতের পাঠকমাত্রেই জানেন, কিতাবে এই মৃত্যু তাহার জীবনকে নৃতন পথে পরিচালিত করিল। তখন তাহার বম্মস একুশ বংসর।

ইহার পর সংস্কৃত শিখিয়া শাস্ত্রের মধ্যে কি আছে জানিবার জন্য তাহার প্রবল ইচ্ছা! হইল। সঙ্গে সঙ্গে তিনি মুরোপীয় দাশনিকদের গ্রন্থ অধ্যয়নেও মন দিলেন যুব-বাংলার জ্ঞানপিপাস্থ চিত্তকে সেদিন অষ্টাদশ শতাব্দীর ফরাসী দার্শনিক বিপ্রববাদী লেখকগণ এবং হিউম প্রভৃতি নিরীশ্বরবাদীরা কিভাবে মুগ্ধ করিয়াছিল তাহা পাঠকমাত্রেই অবগত আছেন। ফুরোপীয় মনীষীদের বিপ্রববাদ হিন্দু কলেজের ছাত্রদের মধ্যে প্রচারলাভ করিয়া শিক্ষিত বঙ্গঘমাজের মধ্যে কী আলোড়ন স্থই করিয়াছিল তাহা] শিবনাথ শাস্ত্রী -কৃত 'রামতন্ লাহিড়ী তৎকালীন বঙ্গসমাজ' গ্রন্থে বিশদভাবে বিবৃত আছে। এইসব মতের সহিত পরিচয় থাকিলেও দেবেন্ত্রনাথের মন ইহাতে সাড়া দেয় নাই। ঈশ্বরতন্ব জানিবার জন্য তিনি মূল সংস্কত মহাভারত পাঠ করিতে আবরস্ত করিলেন। সৌভাগাক্রমে এই সময়ে সংস্কত মহাভারত বঙ্গীয় এশিয়াটিক সোসাইটি হইতে সবপ্রথম মুদ্রিত হইয়! প্রকাশিত হয়। পণ্ডিতদের সাহায্যে তিনি মহাভারত পাঠে রত হইলেন। বাংলাভাষায় মহাভারতের অস্থবাদ তখনো হয় নাই। ছাড়া হিন্দুকলেজের প্রাক্তন ছাত্রগণ কর্তৃক স্থাপিত 'সাধারণ জ্ঞানোন্নতি সভা'র সদস্য হইয়া নানারূপ আলাপ-আলোচনায় যোগদান করিবার ফলে ধর্ম সম্বন্ধে তাহার মত ক্রমশই প্রচলিত মত বিশ্বাম হইতে বিপ্রবমুখী হইতে লাগিল; কিন্তু তাহার এই ধর্মজিজ্ঞাসা অবিশ্বাস নাস্তিকতার মরুভূমির মধ্য গিয়া আত্মঘাতী না হইয়া ঈশ্বরের যথার্থ স্বরূপ নির্ণয় করিতে অগ্রসর হইল। তাহার এই দুঢ ধারণ] জন্মিল যে, প্রতিমা ঈশ্বর নহে রামমোহন রায়কে তিনি বাণককাপে দেখিয়াছিলেন; তাহার কথা ন্মরণ হইল। ভাইদের লইয়া একজে প্রতিজ্ঞ! করিলেন প্রতিমাকে প্রণাম করিবেন না। অতঃপর “সবতত্বদীপিকা'; নামে সভার সান্ত হইলেন; ধর্মবিষয়ের আলোচনা” ছিল এই সভার বিশেষত্ব এই সভার অন্যতম উদ্দেস্য ছিল গৌড়ীয় ভাষা স্বদেশী বিদ্যার আলোচন1 ; ছাড়া স্থির হয় 'বঙ্গভাষা ভিন্ন এ-সভাতে কোনো ভাষায় কথোপকথন হইবেক না" ।১ মোট কথা তাহার যন পরা অপরা উভয়বিধ জ্ঞান আহরণ করিবার জন্য ব্যাকুল হইয়া! উঠে। এমন সময়ে হঠাৎ একদিন রামমোহন রায় -কর্তৃক প্রকাশিত ঈশোপনিষদের একখানি ছিন্নপত্র আসিয়া তাহার হাতে পড়িল, তাহাতে লেখ! ছিল “ঈশাবাস্কমিদং সর্বং যকিঞ্ক জগত্যাং জগৎ্। তেন ত্যকেন তুব্ীথা মা গৃধঃ কন্তন্থিদ্ধনম্‌”। ইহার অর্থ বুঝিতে না পারিয়া তিনি ব্রাঙ্গমসমাজ্জের আচার্য রামচন্দ্র বিষ্তাবাগীশের ( ১৭৮৬-১৮৪৫ ) নিকট গমন করেন উহার মর্মার্থ অবগত হইয়া পরম তৃপ্ত চমৎ্কৃত হন; অতঃপর গভীর অভিনিবেশ সহকারে উপনিষদ অধ্যয়ন আরস্তক করিলেন।

১৮৩৯ অকে দেবেন্ত্রনাথের বয়স বাইশ বৎসর ; ব্সর অক্টোবর (২১ আশ্বিন ১৭৬১ শকাক) 'তবরঞ্িনী- সভা” স্থাপন করিলেন; সভার দ্বিতীয় অধিবেশনে ইহার নাম হয় 'তববোধিনী' | হার উদ্দেশ্ট আমাদিগের সমূদয় শাস্ত্রের নিগুঢচ তব এবং বেদাস্থ প্রতিপাদ্য ব্রক্ষবিগ্ভার প্রচার ।” দেবেন্দ্রনাথ নিজ পরিবারের এবং আত্মীয়স্বনের মধ্য হইতে দশজনকে লইয়া! এই সভা আরম্ত করেন। এই সময়ে অক্ষয়কুমার দত্ত আসিগা তাহার সহিত যু হইলেন। ইহারই ভরলায় দেবেগ্রনাথ ১৮৪০ সালের জুন মাসে 'তববোধিনী পাঠশালা? স্থাপন করিলেন। ইছা

প্রতাতচজ্র গঙ্গোপাধ্যায়, 'মহুধি দেবেভ্রনাথ সর্বতন্বদীপিক! সন্কা' : বিশ্বভারতী পর্জিক। ২য় বর্ষ ওয় সংখ্যা পূ ২৮৮-৯৫।

খীষ্টাব ১৮৪ *-৪৭ দেবেজনাখ ঠাকুর

স্থাপনের উদ্দেশ্য ছিল গ্রীহীয় ধর্মের শ্রোত নিবারণ এবং বঙ্গভাষায় বিজ্ঞান ধর্মশাস্্র সম্বন্ধে উপদেশ প্রদান। বিনা বেতনে এই বিগ্ভালয়ে বিদ্যাদান করা হইত এই বৎসন্ তিনি কঠোপনিধদের বাংলা অন্রবাদ প্রকাশ করিয়! রাজা! রামমোহন রায়ের কার্ধের অঙ্ুক্রমণ করিলেন। তেইশ বৎসর বয়সে তাহার জোস্টপুত্র ছিজেন্দ্রনাথের জন্ম হয় (৮ এপ্রিল ১৮৪০ )।

১৮৪২ সালে দেবেন্দ্রনাথের প্রেরণায় তত্ববোধিনী-সভা' ব্রাঙ্মমমাজের ভার গ্রহণ করিল। পর বৎসর তাহারই অর্থাহুকুলো 'তত্ববোধিনী পত্রিকা” প্রকাশিত হইল (১ ভাত্র ১৭৬৫ শক ১৬ অগস্ট ১৮৪৩), অক্ষয়কুমার দত্ত হইলেন প্রথম সম্পাদক | হেছুয়ার নিকটবর্তী রামমোহন রায়ের পরিত্যক্ত স্থুলবাটীতে পত্রিকার যস্ত্রালয় ছিল; দ্বারকানাথ তখন জীবিত, তাহার বিরাগভাজন হইবার ভয়ে দেবেন্দ্রনাথ বাড়িতে না বসিয়া তথায় গিয়া রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশের নিকট বেদান্ত পাঠ করিতেন। এই সময় হইতে তাহারই চেষ্টায় মৃতবৎ ব্রাহ্মসমাজের মধ্যে কিছু কিছু পরিবর্তন সাধিত হইতে লাগিল রামমোহনের বিলাত যাত্রার পরে ব্রাহ্মদমাজ-মন্দিরে প্রকাশ্থে বেদপাঠ হইত না, পাছে অব্রাক্ষণ কেহ শ্রবণ করিয়া ফেলে। “ঈশ্বরচন্দ্র স্ায়রত্্ রামচন্দজ্রের অবতার হওয়া বর্ণন করিতেছেন” অর্থাৎ বামমোহনের আদরশচ্যত হইয়া ব্রাহ্মণগণ -কর্তৃক সমাজবেদী হইতে পৌত্তলিকতা অবতারবার্দের উপদেশ প্রদত্ত হইতেছে দেবেন্রনাথ সমাজের ভার গ্রহণ করিয়া প্রকান্টে বেদ পঠিত হইবে বলিয়া! ঘোষণা করিলেন অবশেষে হয়ং ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করিয়া (১৭৬৫ শক। পৌষ ১২৫০ সাল ২১ ডিসেম্বর ১৮৪৩) সম্পূর্ণভাবে সমাজের আদর্শ কর্মের সহিত যুক্ত হইয়া পড়িলেন। দ্েবেন্দ্রনাথের সমগ্র পরবর্তী জীবন যেন সেই দিনের গৃহীত সংকল্পেরই বিকাশ। তখন তাহার বয়স ২৬ বৎসর অতঃপর সারাজীবন এই দিনটিকে তিনি পবিজ্র চক্ষে দেখিতেন। রবীন্ত্নাথের নিকটও পিতার দীক্ষাদিন ছিল তেমনি পৃত$ তাহার বিরাট গগ্যসাহিত্যে এইদিনের ম্মরণে বহু রচনা আছে। ছুই ব্সর পরে (১৮৪৫) পৌষ গেরেটির বাগানে ব্রাহ্ধদের লইয়া দেবেন্দ্রনাথ এক উৎসব" করেন, ত্রাক্মদের মধ্যে ইহাই প্রথম সামাজিক উৎমব।

দীক্ষাগ্রহণের পর হইতে দেবেন্দ্রনাথ ব্রান্ধধর্ম প্রচারে মন দিলেন। সেই সময়ে একদিকে গ্রষ্টান পাদ্দরীরা হিন্দুধর্ম সমাজকে নিষ্ুরভাবে আক্রমণ করিতেছেন; অন্যদিকে দেশীয় পণ্ডিতগণ প্রাচীন শাস্্রকে অভ্রান্ত জ্ঞানে আকড়িয়া ধরিবার জন্য বদ্ধপরিকর হইয়াছেন ; আর ইহারই পাশাপাশি হিন্দু কলেজের যুক্তিবাদী ছাত্রের দল ধর্মমাত্রকেই বিদ্ঞপ করিয়া চলিতেছিল। এই ত্রিবিধ আক্রমণ "হইতে হিন্দুধর্ম সংস্কৃতিকে রক্ষা করিবার জন্ত দেবেন্দ্রনাথ সচেষ্ট হইলেন। কিন্তু ব্রাঙ্মদমাজের কাজে যতই মনোযোগী হইতে লাগিলেন বৈষয়িক ব্যাপারে ওঁদাসীন্ত ততই বাড়িয়া চলিল। এমন সময়ে বিলাতে দ্বারকানাথের মৃত্যু হইল (১ অগস্ট ১৮৪৬)। পিতার মৃত্যুর পর দেবেন্দ্রনাথ কিভাবে বিষয়সম্পত্তির ব্যবস্থা করিলেন, কিভাবে পিতৃধণ শোধ শ্রাদ্ধাদি নিষ্পন্ন করিলেন তাহ! তাহার আত্মজীবনীতে বিস্ৃতভাবেই বিবৃত হইয়াছে। অপৌত্তপিকভাবে পিতার শ্রাদ্ধাহুষ্ঠান যে হিন্দুসমাজের চক্ষে কত বড় বিদ্রোহ তাহা বর্তমান যুগে হদয়ংগম কর] কঠিন। ইহা ব্যক্তিগত বিদ্রোহ নহে, ইহ! সামাজিক বিপ্রব।

ইতিমধো অক্ষয়কুমার দত্ব প্রভৃতির তীক্ষ বিশ্লেষণী মনীষার প্রভাবে দেবেন্্রনাথের নিজের ব্রাহ্মসমাজের মত বিশ্বাসে পরিবর্তন সাধিত হইতেছিল। রামমোহন রায় ষে-একেশ্বরবাদী মণ্ডলী স্থাপন করেন, উহার মতবাদের নাম দেন “বেদান্ত প্রতিপান্ভধর্' (২০ অগস্ট ১৮২৬ | ভাত্র ১৭৫* শক)। ১৮৩০ অব্ধে (২৩ জাহুয়ারি। ১১ মাঘ বুধবার ) চিৎপুর রোডে মণ্ডলীর 'ব্রাক্ষদমাজ' প্রতিষ্ঠিত হয়। দেবেন্দ্রনাথ ব্রাহ্মদমাজের ভার লইবার পরে তত্ববোধিনী সভার এক অধিবেশনে স্থির হইল যে, অতঃপর «ব্দাস্তপ্রতিপান্তধর্ম' নামের পরিবর্তে '্রাঙ্গধর্' নাম অবলম্বন করা হইবে (২৮ মে ১৮৪৭)। “এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যে কি দুরধ্ধ মানসিক বলের পরিচয়, তাহা আমরা! এখন

১০ ববীন্দ্রজীবনী গ্াষ্টাব ১৮৪৮-৫৭

কল্পনাতেও আনিতে পারি না।” বেদ অন্রাস্ত ধর্মের উৎসরূপে এতকাল স্বীকৃত হইয়া আসিতেছিল, সেই মতে ভাঙন ধরিল; “শতসহত্র যুগষুগান্তরের অজিত মানসিক শৃঙ্ঘখল নিবিবাদে সহজে খসিয়া গেল।”

এদিকে ১৮৪৮ অবে'র প্রথম ভাগে ফুনিয়ন ব্যাঙ্ক ফেল হইল এবং অল্পকাল পরেই কার-ঠাকুর কোম্পানির দ্বারে তালা পড়িল। দেবেন্দ্রনাথ কঠোরভাদ্ব ব্যয়সংকোচ করিয়া দিনাতিপাত করিতে লাগিলেন ; কিন্তু অভাবের মধ্যেও তাহার নিয়মিত শাস্ত্রাহশীলন বন্ধ রহিল না।

বেদাস্তপ্রতিপাগ্যধর্ম যদি সত্য ধর্ম না হয় তবে সত্য ধর্ম কি-- এই প্রশ্ের সমাধান করিতে গিয়। 'ব্রাহ্মধর্ম” গ্রন্থের সুষ্টি। উপনিষদাদি বহু গ্রন্থ হইতে বিশেষ বিশেষ অংশ গ্রহণ করিয়া দেবেন্দ্রনাথ ওই গ্রন্থ সম্পাদন করেন; কিন্ত কোথাও এসব অংশের মূল নির্দেশ করেন নাই। ইহার কারণ বোধ হয় প্রাচীন গ্রন্থসমূহে যুক্তি সহজ জ্ঞানের পরিপন্থী বন্থ মতবাদ আছে, তিনি তাহা স্বীকার করিয়া লইতে প্রস্তত ছিলেন না। -দেবেন্দ্রনাথের মন পাশ্চাত্য দর্শন যুক্তিবাদের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল বলিয়া তিনি কোনো প্রাচীন গ্রস্থকে "শাস্ত্রের স্থান দিতে পারিলেন না। এইজন্য উপনিষদাদি নানা গ্রন্থ হইতে অংশবিশেষ গৃহীত হইলেও 'ব্রাক্ষধর্্ গ্রন্থের বক্তবা বিষয় তাহার শৃঙ্ধল। সম্পাদনের দায়িত্ব সম্পূর্ণকপে স্বয়ং গ্রহণ করিলেন

অতঃপর ব্রাহ্গধর্ম প্রচারকাধে দেবেন্দ্রনাথ প্রায় দশ বৎসর নিরন্তর ব্যাপৃত ছিলেন তাহার চরিত্রমাধুষ আধ্যাত্মিক প্রেরণার জন্য বহু বন্ধু লাভ হয়) ইহাদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগা হইতেছেন বর্ধমান-অধিপতি মহাতাপ চাদ: কুষ্চনগরের মহারাজা শ্রুশচন্্র। উভয়েই ব্রাঙ্গধর্ষের প্রতি আকৃষ্ট হন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেহই তাহার সহিত যুক্ত হন নাই ; একমাত্র রাজনারায়ণ বস্থুর সহিত দেবেন্ত্রনাথের যোগ আজীবন সবতোভাবে অটুট ছিল।

১৮৫৩ অবে দেবেন্দ্রনাথ তববোধিনী সভার সম্পাদক হইলেন কিন্ত এখন পর্যস্ত ব্রা্মপমাজ-মন্দিরের বেদিতে বসিয়া উপাসনা করেন নাই। এদিকে গৃহের মধ্যে পৌত্তলিক অন্ষ্টানাদির সমর্থন করা ক্রমেই আধাত্মিক দিক হইতে ছুঃসাপা হইরা উঠিতেছে। অথচ ভ্রাতা ভ্রাতৃবধূ অন্থান্ত আত্মীয়েরা তাহার মতবিরোধী। ইতিমধ্যে ভ্রাতা গিরীন্দ্রনাথের মৃত্যু হইলে (১৮৫৪ ) সংসারে নানাপ্রকার বিশৃঙ্ঘলা অশান্তি দেখা দিল। গিরীন্দ্রনাথই বিষয়সম্পত্তি প্রভৃতি দেখাশুনা করিতেন। তাহার অভাবে যাবতীয় সাংসারিক কাজকর্ম দেবেন্দ্রনাথের উপর আসিয়া পড়িল। তিনি ভ্রাতাদের বিষয়াদি যখোপঘুক্তভাবে পৃথক করিয়া দিলেন, কিন্ত জমিদাবি দেখাশুনা এজমালিতে থাকিয়া গেল। এইসব কারণে অনেকটা সংসারে বিরক্ত হইয়া দেবেন্দ্রনাথ নৌকাযোগে কাশী যাত্রা করিলেন (৩ অক্টোবর ১৮৫৬ )। এক বৎসর পরে পিপাহী-বিদ্োহের হচন] হইলে তিনি কলিকাতায় ফ্রিলেন ( নভেম্বর ১৮৫৭ )।

এইবার পাহাড় হইতে ফিরিবার পর বিশ ব্সরের যুবক কেশবচন্ত্র সেন আসিয়া মিলিত হইলেন। এই অসাধারণ প্রতিভাসম্পন্ন যুবককে শিষ্যব্ূপে পাইয়া দেবেন্ত্রনাথের কর্মজীবনে চতুগ্ুপি বল আসিল। ধর্মমত পৌধণ ধর্মজীবন পালনের মধো যে-সংগ্রাম চলিতেছিল এতদিন পরে তাহার সমাধান হইল। হিন্দুসমাজের পৌত্তলিক অন্ঠানাদির সহিত কোনোপ্রকার সম্বন্ধ রক্ষা করা কঠিন হওয়ায় তিনি গৃহদেবতী। লক্ষমী-জনার্দনের সেবা রহিত করিয়া! দিলেন। অবশেষে বিগ্রহকে স্থানান্তরিত করিতে উদ্যত হইলে গিবীন্দ্রনাথের বিধবা পত্বী ( গণেন্দ্রনাথ গুণেন্দনাথের জননী ) উহার সেবার তার গ্রহণ করিলেন। তিনি ভদ্রাসন তাগ করিঘা ছ্বারকানাণের বৈঠকখানাবাটাতে ছুই পুত্র পুত্রবধূদ্ধয ছুই কন্ঠা জামাতাদের লইয়। উঠিয়া গেলেন।*

অহাতাপ ঠাদের প্রভাবে বর্ধমানে তাঙ্গনমাজ শ্বাপিত হয় এবং স্খোন হইতে এই প্রন্থপানি প্রকাশিত হয়: £ তংসং সতাসন্ধগণের অরঙ্গোপাসনা পদ্ধতি সত-সন্ধায়িশী সভ। হইতে প্রকাশিত। 'দতাসন্ধদিগের প্রতিষ্ঠা | বর্ধমান সত্প্রকাণ যর ১৮৮৭ শকানে অগ্রহায়ণে মুজিতা (নভেম্বর ১৮৬৫ | ১২৭২ সাল)। পূ ১২৫+%*।

সংেশ্বনাধ ঠাকুর : আমার বালাকথা (১৯১৫) পূ ৩৭-৩৮।

ষ্টাৰ ১৮৬০-৬৬ দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর ১১

এদিকে কেশবচন্দ্রের সহায়তা লাভ করিম দেবেন্দ্রনাথ ত্রাঙ্গধর্মের নানা কর্মে জড়িত হইয়া পড়িলেন। ১৮৫৯ অবের ২৪ এপ্রিল 'ব্রক্ষবিদ্ভালয়' স্থাপিত হইল ; তথায় দেবেন্দ্রনাথ বাংলায় এবং কেশবচন্দ্র ইংরেজিতে বক্তৃতা দিতেন। সেই বখসর আশ্বিন মাসে দেবেন্দ্রনাথ তাহার দ্বিতীম্প পুত্র সত্যেন্দ্রনাথ কেশবচন্দ্রকে লইয়া সিংহল ভ্রমণ করিয়! আসেন; এখন হইতে কেশবচন্দ্র সকল সময়ে সকল কার্ধে দেবেন্দ্রনাথের দক্ষিণহস্তস্বরূপ | নৃতন প্রাণশক্তির প্রেরণায় এইবার দেবেন্দ্রনাথ স্বয়ং বেদিতে বসিলেন (২৫ জুলাই ১৮৬০।১১ শ্রাবণ ১২৬৭)। ইহারই পরদিন দ্বিতীয়া কন্। সকুমারীর বিবাহ হইল ব্রাঙ্মধর্মমতে দেবেন্দ্রনাথের ইহাই প্রথম অপৌত্তলিক বিবাহ-অনুষ্ঠান। হৃকুমারী দেবীর বিবাহে দেবেন্দ্রনাথ যে গতান্ুগতিকের পথ ত্যাগ করিয়া সত্যধর্ষের পথে অগ্রসর হইলেন, মনে হয়, ইহার মূলে ছিলেন কেশবচন্দ্র। কারণ, এই সময়ে কেশব তাহার স্ত্রীকে লইয়৷ জোড়ার্লীকোর বাটীতে বাম করিতেছিলেন। দেবেন্দ্রনাথের উপর তখন কেশবের প্রভাব অতি প্রবল। স্থকুমারীর বিবাহে দেবেন্দ্রনাথ প্রাচীন ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করিলেন; পৌকুলিকতা রহিত করিবার উদ্দেশে তিনি তৃলসীপত্র বিদ্বপত্র কুশ শালগ্রামশিলা গক্ষাজল হোমাগ্নি বর্জন করিয়া এক নৃতন অনুষ্ঠানপদ্ধতি সংকলন করিলেন ত্শ্ুযায়ী কন্যার বিবাহ দিলেন ।১

নৃতন পদ্ধতিমতে কন্তার বিবাহদানের ফলে দেবেন্দ্রনাথের পরিবারের সামাজিক পরিধি আরো সংকীর্ণ হইয়া! আসিল। নবা ব্রাহ্মদলের সংযোগে দেবেন্দ্রনাথের সামাজিক গণ্ডি একটু একটু প্রমার লাভ করিতেছিল বটে, কিন্ত তাহা সম্পূর্ণ পৃথক ধরনের নিজগুহে পূজাপাবণ বন্ধ হওয়ায় অন্যের গৃহে পৃজাদিতে নিমস্থণ অগ্রাহা করায় সাধারণ হিন্দুসমাজের সহিত ঠাকুরপরিবাবের বিচ্ছেধটা আবো স্পষ্ট হইয়া উঠিল।

গহদেবতার পুজা বন্ধ করিয়৷ দেবেন্দ্রনাথ বাটীতে সমবেত ব্রদ্ধোপাসনা বিষয়ে মনোষোগী হইলেন। চত্তীমণ্ডপে দৈনিক ব্রন্মোপাসন প্রবতিত হইল, প্রতিমার পীঠস্থানে উপাসনার বেদি নিমিত হইল; ব্রাঙ্মধর্মের বীজমন্ত্র শ্বেতপ্রস্তবে উত্বীর্ণ করিয়া ভিল্লিগান্রে প্রোথিত হইল পৃজাপাবণ লুপ্ত হইল বটে, কিন্তু তিনি কতকগুলি নৃতন উৎসবের প্রচল্ন করিপেন ; জামাইষটি ভ্রাভৃদ্বিতীয়া প্রভৃতি সামাজিক নির্দোষ পাবণগুলি তাহার পরিবারে চলিত রহিল। নৃতন উত্সবের মধো মাঘধোৎসব (১১ মাঘ) তীাহারই প্রবর্তন; ছাড়া নববর্ষ (১ বৈশাখ ) ভাদ্রোৎ্সব (৬ ভাদ্র) দীক্ষা-দিন (৭ পৌধ) প্রভৃতি উৎসবের স্থচনা করিয়] প্রাচীন পালপার্বণের অভাৰ দূরীকরণের চেষ্টা করেন।

অল্পকাল মধ্যে দেবেন্দ্রনাথের আভিজাতিক জীবনাদর্শের সহিত তাহার ধর্মবন্ধুদের আধ্যাত্মিক সামাজিক দশের বিরোধ বাধিল। ব্যঞ্চিম্বাতষ্বা, সমাজের গঠনতস্থ)। উপবীতবর্জন, ব্রাহ্মণেতরের বেদি-গ্রহণাধিকার, স্ত্রী-স্বাধীনতা, জাতিভেদ দুরীকরণ প্রভৃতি নানা বিষয় লইয়া নবীন ব্রাহ্মদের সহিত দেবেন্্রনাথের মতভেদ দেখা দিল। এই বিরোধী আন্দোলনের নেতা হইলেন কেশ্বচন্দ্র। “কেশবচন্দ্রের নেতৃত্বাধীনে যে-যুবক ত্রাঙ্গদল ত্রাঙ্গসমাজে প্রবিষ্ট হইলেন, তাহারা অনুভব করিতে লাগিলেন যে মানবের সামাজিক জীবনের নংস্কার ব্রাঙ্মলমাজের কার্ধের অন্ততূতি। এই বিষয় লইয়া মহষিও সহিভ মতদ্বৈধ উপস্থিত হইল মহহির প্রকৃতিতে গ্রগতিম্পৃহার সহিত স্থিতিশীলতা আশ্চ্যরূপে সংমিশ্রিত ছিল।--'ঠাহার প্রকৃতির সেই স্বাভাবিক গুণ অনুসারে ঘুবক্লের এই নৃতন ভাবের দিকে সমাজকে লইয়া যাওয়া তাহার পক্ষে কঠিন বোধ হইতে লাগিল। আবার, কেশবচন্জ্রের প্রতি তাহার প্রগাঢ় আম্থা সম্ভানবাৎসল্য থাকাতে তিনি প্রথমে এই পথে কিয়দদুর অগ্রসর হুইয়াছিলেন। কিন্তু পরে যখন মনে হুইল যে যুবকদল ব্রাহ্মদমাজকে নৃতন বিপদের মধ্যে লইয়া যাইতেছে তখন দৃঢ়তার সহিত পশ্চাৎপদ হইলেন” অবশেষে কেশব দেবেন্দ্রনাথকে ত্যাগ

খগেজ্নাধ চটোপাধ্যায় -কৃত 'রবীন্্র-কথা ষ্টবা। শিবনাধ শাস্ত্রী : 'মহবি দেবেন্্রনাথের জীবন, দৃষ্টান্ত উপদেশ'।

১২ ববীন্দ্রজীবনী খ্রষ্টা ১৮৬৬-১৯ শতক

করিয়া নৃতন সমাজ গঠন করিলেন (১১ নভেম্বর ১৮৬৬ )। ছুই বত্সর পরে ( ১৮৬৮ মাঘোৎ্সব ) মেছুয়াবাজার স্ীটে তিনি ভারতবর্ধীয় ব্রান্মসমাজ মন্দির স্থাপন কবিলেন। তদবধি দেবেন্দ্রনাথের সমাজ আদিত্রাক্মমমাজ নামে অভিহিত হইল। দেবেন্্রনাথের বড় আশা ছিল যে, কেশবই পুত্রের ন্যায় শিষ্বের স্তায় তাহার কার্য চালনা করিবেন, তাহার সে-আশা! পূর্ণ হইল না। দেবেন্দ্রনাথ মর্ধাহত হইয়া বাহিরের সকল কাজ হইতে একপ্রকার অবসর গ্রহণ করিয়! পরিব্রাজক-জীবন যাপন করিতে লাগিলেন। তাহার জীবনের শেষ চল্লিশ বৎসর ভ্রমণে, শান্তিনিকেতন-বাসে, ধ্যানে, মননে কাটিয়া যায়। অষ্টআশি বৎসর বয়সে তিনি দেহত্যাগ করেন (১৯ জানুয়ারি ১৯০৫ | মাঘ ১৩১১)

সারদা] দেবী বিছুষী না হইলেও মহীয়সী, রত্বগর্ভা কিন্ত দেবেন্দ্রনাথের শ্যায় মহাপুরুষের পত্রী এবং দ্বিজেন্্রনাথ প্রমূখ সম্তানদের জননী হইলেও সাহিত্যে তাহাকে ম্মরণ করিয়া কোনে! অমর সৌধ নিমিত হয় নাই। তাহার কৃতকর্ম। পুত্র অথবা বিছুষী কন্তাগণের কেহই তাহাদের মাতৃদেবী সম্বন্ধে তেমন কিছু লেখেন নাই, কেহ কোনো! গ্রস্থ মাতৃনাষে উৎসর্গও করেন নাই।

রবীন্দ্রনাথ তাহার বিরাট সাহিত্যে জননী সম্বন্ধে কয়েকটি স্থানে মাত্র সামান্ উল্লেখ করিয়াছেন। মাতৃবিয়োগের সময়ে রবীন্দ্রনাথ শিশু ছিলেন না, তখন তাহার বয়স প্রায় চৌদ্দ বৎসর, স্থতরাং মাতৃত্বতি ম্লান হইয়া যাইবার কোনো কারণ ছিল না। আমাদের মনে হয় সারদা দেবী শেষজীবনে অস্থস্থ থাকায়, মাতাপুত্রের মধো যে-ম্বাভাবিক মধুর সম্্ধ গড়িয়া উঠে তাহা ইহাদের ক্ষেত্রে বাহত হইয়াছিল ; মাতার স্বৃতি বোধ হয় সেইজন্য এমন ক্ষীণ। তবে ১৩২৩৬ সালে স্থরেশচন্্র সমাজপতি “আগমনী” নামে বাধিকের জন্য রবীন্দ্রনাথের নিকট হইতে রচনা চাহিলে তিনি মাতৃবন্দনা নামে ষে-কয়টি কবিতা লিখিয়া দেন, তাহাতে মাতৃম্থ্তি আছে ।; :

সারদা দেবী ছিলেন নিষ্ঠাবান সাধারণ হিন্দুঘবের মেয়ে ঠাকুরপরিবারের প্রাচীন লৌকিক হিন্দুধর্ম 'ও আচার- অনুষ্ঠানের মধো তাহার বালা যৌবনের প্রথম কয়েক বংসর কাটিয়া যায়। ১৮৪৩ হইতে ১৮৬১ সাল পর্বস্থ এই দীর্ঘ আঠারো বসব দেবেন্্রনাথের আধ্যাত্মিক সংগ্রামের পর্ব। স্বামীর এই সংগ্রামের সহিত পত্রী সম্পূর্ণ সহাহভূতিসম্পন্ন হইতে পারিয় ছিলেন কি না সন্দেহ, কারণ নানা আচার-অনুষ্ঠানে তাহাকে প্রাচীন লোকাচারই অন্ুবতন করিতে দেখা যায়। যাহাই হউক, ধর্ম সম্বন্ধে তিনি কি মত পোষণ করিতেন, তাহার আলোচনা আমাদের পক্ষে নিষ্প্য়োজন ; "বে চারিত্রিক দিক হইতে তাহার মধ্যে যে-একটি কত্রীত্বশক্তি ছিল, তাহার প্রমাণ আমরা যথেই পাই দেবেহ্ছনাথ নানাপ্রকার কর্ম উপলক্ষে বা ভ্রমণ উদ্দেশ্টে প্রায়ই বাহিরে থাকিতেন, এই সময়ে সারদা দেবী গুহে আর-কোনো কর্রীর অভাবে নিজ শান্ত সংযত শক্তিবলে এই বুহৎ পরিবারকে চালনা করিয়াছিলেন।* আমাদের মনে হয় সারদা দেবীর মধো এমন কতকগুলি স্থকুমারবুত্তি ছিল, যাহা বাল্যকালে অন্ুকূলতার অভাবে যৌবনে সংসারের কর্মপীড়নে বিকশিত হইবার সথযোগ পায় নাই। রবীন্দ্রনাথের মাতার গুণাগুণ সম্বন্ধে এত কম তথ্য জানা যায় যে, আমাদের পক্ষে অনুমানের

সাহায্য লওয়া ছাড়া উপায় নাই

দেবেন্দ্রনাথের বংশধর

দেবেন্দ্রনাথের পনেরোটি সন্তান জন্মিয়াছিল। প্রথমে একটি কন্তা (১৮৩৮) 'অকাপলেই মারা যায়, তাহার নামকরণাদিও হয় নাই তক্ষন্ত সাধারণত দেবেন্দ্রনাথের চৌদ্দটি পুত্রকন্যা বলা হইত। তম্মধো পু নয়জন।

জীবনশ্থুতি, বিশ্বভা ব্রতী সাস্তরণ, পরিশিষ্টে কবিতাগুলি মুদ্রিত আছে 1 আরো! ঘর্টবা : 'গিঠলবর হালদার [ অপুলিনব্হিরী সেন], মাতৃবঙদদনা, রবীন্ত্রনাথ ঠাকুর, দেশ আবাড় ১১৫৪1 রবীন্রজীবনী ৪, সংলগু।

খগেক্রনাথ চটোপাধ্যায় : রবীন্র-কপা।

গ্ষ্টাব ১৮৪ *-১৯০৫ দেবেজনাথের বংশধর ১৩

জোষ্ঠ পুত্র ছিজেন্ত্রনাথ (১৮৪০-১৯২৬)১। কাব্যে দর্শনে সংগীতে গণিতে তাহার অসামান্য প্রতিভা ছিল। ছাব্বিশ বসব বয়সে (১২৬৬) তিনি মেঘদুতের পদ্যানুবাদ করেন। তাহার স্বপ্রপগ্রয়াণৎ কাব্য বাংলা সাহিত্যে নানাদ্দিক হইতে উল্লেখযোগ্য শোনা যায়, সাহিত্যিক মহলে কথা উঠে যে, পৌরাণিক আখ্যান ছাড়া কাব্যরচনার উপাদান স্থদুর্লভ $ আর মধুস্দন যে-সংস্কতবহুল ভাষায় মেঘনাদবধ-কাব্য লিখিয়াছেন, সে ভাষা অমিত্রাক্ষর ছন্দ ছাড়া মহাকাব্য রচন1 করা ছুঃসাধ্য দ্বিজেন্থনাথ এই ছুই ধারপা দূর করিবার জন্যই স্ববপ্রপ্রয়াণ লিখিতে প্রবৃত্ত হন। “তত্ববোধিনী পত্রিকা"য় দ্বিজেন্দ্রনাথের অসংখ্য সারগর্ভ রচনা প্রকাশিত হয়।* “ভারতী” পত্রিকার তিনি প্রথম সম্পাদক (১২৮৪-৯০)। তাহার দীর্ঘজীবন প্রধানত প্রাচ্য পাশ্চাত্য দর্শনশাস্ত্ের আলোচনায় অতিবাহিত হয়। ছ্বিজেন্্নাথের পাচ পুত্র দুই কন্ত? পুত্র িপেন্দ্র (১৮৬২-১৯২২), অকণেক্জ, নীতীন্ত্র, স্থধীন্দ্র কৃতীন্দ্র। নীতীন্দ্র যৌবনেই মার! যান, ইনি রবীন্দ্রনাথ তাহার পত্বীর বিশেষ স্মেহের পাত্র ছিলেন) রবীন্দ্রনাথের “চিঠিপত্র' প্রথম খণ্ডের যধ্যে বহুবার নীতীন্ত্র উল্লেখ আছে। ছিজেন্ত্রনাথের চতুর্থ পুত্র স্থধীন্্রনাথ (১৮৬৯-১৯২৯) “দাধনা' পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। বাংলা সাহিত্যে তাহার দান নিশ্চিহ্ন হইবে না। ইহার পুত্র সৌম্যেন্জনাথ বর্তমানে রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে স্থপরিচিত। দ্বিজেন্্রনাথের জো্ঠা কন্তা সরোজা দেবী কনিষ্ঠ! কন্তা উষা দেবীর সহিত ললিতমোহন চট্টোপাধ্যায্সের পুত্র যথাক্রমে মোহিনীমোহন রমণীমোহনের বিবাহ হয়। ললিতমোহন ছিলেন রাজা রামমোহন বায়ের পুত্র রাধাপ্রসাদের দৌহিজ্ব। মোহিনীমোহন রমণীমোহন বিশ্ববিষ্ঠালয়ের কৃতী ছাত্র। মোহিনীমোহনের কনিষ্ঠ পুজ্র তপনমোহন শাস্তিনিকে তন রহ্ষচ্ধাশ্রমের ছাত্র, এক সময়ে বিশ্বভারতীর সহিত ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন, বর্তমানে হুলেখক বলিয়া সমাদর লাভ করিয়াছেন। রবীন্দ্রনাথের সহিত উভয় ভ্রাতারই যথেষ্ট সৌহার্দ্য ছিল; তাহার শাস্তিনিকেতনস্থ বিষ্ভালয় পরি্ালন৷ বিষয়ে আদিযুগে উভয়েরই যোগ ছিল। দ্বিপেন্ত্রনাথের পুত্র দিনেন্্রনাথ ( ১৮৮২-১৯৩৫ ) বহু বৎসর রবীন্দ্রনাথের বিদ্যালয়ের সহিত ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন ; রবীন্দ্রসংগীতে তাহার অপূর্ব প্রতিভা সর্বজনবিদিত; রবীন্দ্রনাথ “ফান্তনী' নাটক ত্তাহাকে উৎসর্গ করিয়া! তাহার সম্বন্ধে যে লিখিয়াছিলেন “আমার সকল গানের ভাগ্ডারী” এই উক্তিটি অতি সত্য

দ্বিতীয় পুত্র মত্যজ্রনাথ (১৮৪২-১৯২৩)। তিনিই ভারতের প্রথম আই. সি. এস্‌. | আঠারো! বৎসর বয়সে তিনি বিলাত যান ১৮৬৪ অবে সিভিল সাবিসে প্রবেশ করেন।* তাহার চাকুরিকাল বোশ্বাই প্রদেশে কাটে; রবীন্দ্রনাথের রচনার মধ্যে পত্রাবলীতে বোস্বাই-প্রবাসের কথা বহুবার উল্লিখিত আলোচিত দেখিতে পাই। তাহার পত্ী জঞানদানন্দিনী দেবী অসাধারণ রমণী ছিলেন; সামান্ত বালিকাবধূ রূপে জোড়াসাকোর বাটাতে প্রবেশ করেন, কিন্ত প্রতিভাবলে নিজেকে ন্শিক্ষিত করিয়া তোলেন। বাংলাদেশে মেয়েদের পর্দা অবরোধ-প্রথা ভাঙিবার আন্দোলনে সত্যেম্্রনাথ জানদানদ্দিনী ছিলেন অগ্রণী। এই মেজো-বৌঠানের নিকট কবি নানা বিষয়ে খণী ছিলেন। সংস্কৃত সাহিত্যে সত্যেন্্রনাথের অসাধারণ অধিকার ছিল। বাংলা সাহিত্যেও তাহার দান কম নয়। মহাবাস্ীয় সাধকদের কথা তিনিই সর্বপ্রথম বাঙালি পাঠকদের গোচর করেন; তাহার "গীতা" “মেঘদূতের' পত্যাস্থবাদ (১৯০৫), 'আমার

দ্বিজেন্্রনাথ জন্মকাল ২৯ ফান্তুন ১৭৬১ শকাবা, ২৯ ফাল্তুন ১২৪৬ সাল, ১১ মার্চ ১৮৪* মৃত্যু মাঘ ১৩৩২, ২৮ জানুয়ারি ১৯২৬

বদপ্যয়াণ ১ম সর্গ' বঙ্গদর্শন ২য় বর্ষ, আঙ্বিন ১২৮*। প্রকাশিত ১৭৯৭ শক অক্টোবর ১৮৭৫ পৃ২৪৩। নব্তম সংস্করণ ইতিয়ান প্রেস, এলাহাবাদ ১৯১৪1 পৃ২২৮।

দ্র ১৩২৭ সালে প্রকাশিত-_ নানা চিন্তা (পৃ ৩৩৩)। প্রবন্ধমাল! (পৃ ১৬৭)। কাবামাল! (পৃ ১৬৭)। সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা ৬গনং।

8 সিধিল সাধিসের জন্ত ধিলাত যাক্জা ২৩ মার্চ ১৮৬২; প্রবেশ ৩* জুলাই ১৮৬৪; ভারতে প্রভাবর্তনেয পর কর্ষে যোগদান ১২ ডিসেম্বর ১৮৬৪ অবমরগ্রহণ জানুয়ারি ১৮৯৭

১৪ রবীন্দ্রজীবনী গ্ীষ্টাব ১৮৯২-১৯৩২

বাপাকথা আমার বোম্বাই প্রবাস” এবং বৌদ্ধধর্ম” স্ববিদিত। ইহার পুত্র স্থরেন্্নাথ১ কন্তা প্রীমতী ইন্দিরা দেবীৎ রবীন্দ্রনাথের বিশেষ প্রিয় ছিলেন। সত্যেন্দ্রনাথ পিতার প্রাচীনপন্থী মতের সহিত সর্বদা একমত হইতে পাবিতেন না, পুত্রকন্তার শিক্ষা বিষয়ে স্বাধীনভাবেই চলিতেন। ইন্দিরা দেবীকে সাহেবী স্কুলে দিয়া ফরামি ভাষায় (বি. এ. ১৮৯২ ) ঘুরোপীয় সংগীত-1বগ্যায় পারদর্শী করেন। ইন্দিরা দেবীর বিবাহ হয় প্রমথনাথ চৌধুরীর সহিত (১৮৯৯); প্রমথনাথ বাংলা সাহিত্যে 'বীরবল" নামে খ্যাত। স্থুরেক্্রনাথ বাংলাদেশের সমবায় জীবনবীমা ব্যাঙ্কিং আন্দোলনের যে অন্যতম গুরু তাহা আজ বাঙালি ভুলিয়াছে সতা, কিন্তু ইতিহাস তাহাকে চিরকাল স্মরণ রাখিবে। স্থরেন্রনাথ ইন্দিরা দ্বেবী প্রমথনাথ রবীন্দ্রসাহিত্যের সহিত অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত

তৃতীয় পুত্র হেমেন্্রনাথ (১৮৪৪-৮৪ )। ইনি কেশবচন্দ্র সেনের বিশেষ অন্ুরক্ত ছিলেন কিন্ত প্রকাশ্টে তাহার মত গ্রহণ করিতে পারেন নাই। ইহারই সম্বন্ধে জীবনস্থতিতে রবীন্দ্রনাথ লিখিয়াছেন, “যখন চারিদিকে খুব কবিয়া ইংরেজি পড়াইবার ধুম পড়িয়া গিয়াছে, তখন যিনি সাহস করিয়া আমাদিগকে দীর্ঘকাল বাংলা শিখাইবার ব্যবস্থা করিয়াছিলেন, সেই আমার স্বর্গগত সেজদাদার উদ্দেশে সরুতজ্ঞ প্রণাম নিবেদন করিতেছি ।” হেমেন্দ্রনাথের তিন পুত্র আট কন্তা। জোষ্ঠা কন্যা প্রতিভা দেবী (১৮৬৫-১৯২২) রবীন্দ্রনাথের গীতিনাট্য “বান্মীকি প্রতিভা 'র প্রথম অভিনয়ে "বালিকার ভূমিকা"য় অবতীর্ণ হন। ইহার বিবাহ হয় আশুতোষ চৌধুরীর সহিত। হেমেন্্রনাথের মৃত্যার পর তাহার সম্পত্তির অংশ দেবেন নাথ পৃথক করিয়া দিয়াছিলেন। দ্বিজেন্দ্রনাথ সতোন্দ্রনাথ বৃবীন্দ্রনাথ যে-সম্পত্তির মালিক হন তাহা বহু দায় দায়িত্বের বোঝায় ভারাক্রান্ত ছিল ; কিন্ত সেসব দায় হইতে তিনি হেমেন্দ্রনাথের ওয়ারিশগণকে মুক্তি দিয়া যান।

চতুর্থ পুত্র বীরেন্্রনাথ (১৮৪৫-১৯১৫)। ইনি উন্নাদরোগগ্রস্ত হইয়া বহু বংসর জীবিত ছিলেন। ইহার একমাত্র পুত্র বলেন্দ্রনাথ (১৮৭০-৯৯) বাংলা সাহিতো্ো স্থপরিচিত। ইনি রবীন্দ্রনাথের বিশেষ ভক্ত ছিলেন

পঞ্চম পুত্র জ্যোতিরিন্দ্রনাথ (১৮৪৯-১৯২৫)। সাহিত্যে সংগীতে চিত্রকলায় হার বিশেষ কৃতিত্ব ছিল। ইনি ইহার পত্তী কাদস্বরী দেবী রবীন্দ্রসাহিত্যে “নতুনদা" 'ঝৌঁঠান'। জোতিরিন্রনাথ নিঃসম্তান ছিলেন।

ষ্ট পুত্র পূর্ণেন্দনাথ (? ১৮৫১-৫৭ )। বাল্যকাল পুকুরে ডুবিয়া ইনি মার] যান।

সপ্তম পুত্র সোমেন্দ্রনাথ* ( ১৮৫৯-১৯২৩ ), অল্প বয়সে বাদুরোগগ্রন্ত হন বলিয়া ইনি বিবাহাদি করেন নাই।

অষ্টম পুত্র রবীন্দ্রনাথ ; জন্ম ২৫ বৈশাখ ১২৬৮ (৭ মে ১৮৬১)। মৃতু ১৩৪৮ সালের ২২ শ্রাবণ (৭ অগস্ট ১৯৪১) রাখিপৃরিমার অন্তে-_ তখন তাহার বয়ল আশি বৎসর তিন মাস। তাহারও পরে বুধেজখনাথ (১৮৬৩-৬৪) নামে এক পুত্র জনে, শিশুকালেই তাহার মৃত্যু হয়।

দেবেন্্রনাথের পাচ কন্তা। জোয্ঠা সৌদামিনীর (১৮৪৭-১৯২০) সহিত সারদা প্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিবাহ হয়। ইহাদের পুত্র সত্যপ্রসাদ (১৮৫৯-১৯৩৩) কন্তা ইন্দ্ুমতী ইরাবতী (১৮৬১-১৯১৮)। সারদা প্রসাদ দেবেন্দনাথের জমিদারির কাজকর্ম দেখিতেন, রবীন্দ্রনাথের বিবাহের দিন শিলাইদহে তাহার মৃত্যু হয়। দ্বিতীয়া কন্যা সকুমাবীর (? ১৮৫৭-৬৭) বিবাহ হয় হেমে্্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের সহিত। তৃতীয়া কল্া শরৎকুমারীর (১৮৫৪-১৯২০) সহিত যছুনাথ মুখোপাধ্যায়ের বিবাহ হয়। চতুর্থা কন্যা স্বর্ণকূমারী (1 ১৮৫৬-১৯৩২) বাংলা সাহিত্যের প্রথম মহিলা গুপন্তাসিক প্রনিদ্ধ লেখিক1) ইনি রবীন্দ্রনাথের 'ন দিদি'। ইহার বিবাহ হয় জানকীনাথ ঘোষালের হিত। ইহাদের দুই কনা

হুরেক্রনাধ : জন্ম ২৬ জুলাই ১৮৭২ মৃতু মে ১৯৪০। ইবির] দেবী £ জন্ম ২৯ ভিসেম্বর ১৮৭৩ মৃত ১২ অগন্ট ১৯৬৭ | সোদেক্রনাখ : কৈশোরে রবীন্রনাখের কাব্যচর্চার একজন প্রধান উৎসাহদাত1 ছিলেন। ই্রষ্টব্য : তীবনস্মৃতি, অগ্রহায়ণ ১৩৫৯, “কবিভাঁ-

রচনারত্ত" পাদটীকা ২, পৃ ৮৪।

ঞই্াব ১৮৬৮-১৯*৭ আবির্ভাবকাল ১৫

এক পুত্র; কন্তা হিরগয়ী দেবী (৫ ডিসেম্বর ১৮৬৮-১৯২৫) লমাজসেবায় সরল] দেবী (৯ সেপ্টেম্বর ১৮৭২-১৯৪৫) সাহিত্যক্ষেত্রে দেশসেবায় সুপরিচিতা। পুত্র জ্যোতন্গানাথ ঘোষাল (১৩ জুন ১৮৭১ মার্চ ১৯৬২) সিবিল সাভিসের খ্যাতিমান কর্মী। পঞ্চম কন্া ব্ণকুমারী (১৮৫৭-১৯৪৮); তাহার বিবাহ হয় সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের সহিত। ইনি জীবনস্থতিতে “ছোড়দি” বলিয়া! পরিচিত ববীন্দ্রনাথের মৃত্যুকালে ইনি জীবিত ছিলেন।

রবীন্দ্রনাথের পরিবার

বাইশ বৎসর বয়সে রবীন্দ্রনাথের বিবাহ হয় খুলনা জেলার শুকদ্দেব রায়চৌধুরী গোষ্ঠীর বেণীমাধবের কন্তা ভবতারিণী দেবীর সহিত (২৪ অগ্রহায়ণ ১২৯০ ডিসেম্বর ১৮৮৩)। ঠাকুর্ুবাড়িতে তাহার নৃতন নামকরণ হয় মৃণালিনী সেই নামেই তিনি পরিচিতা ছিলেন। বিবাহের সময়ে বধূর বয়স ছিল দশ-এগারো বৎসর, ত্রিশের পূর্বেই তাহার মৃত্যু হয় (৭ অগ্রহায়ণ ১৩০৮)। ইহার গর্ভে তিন কন্া দুই পুত্র জন্মগ্রহণ করে।

প্রথম সন্তান মাধুরীলতা৷ বা বেলা (৯ কাতিক ১২৯৩। ২৫ অক্টোবর ১৮৮৬)। পনেরো বৎসর বয়সে মাধুরীলতার বিবাহ হয় কবি বিহারীলাল চক্রবর্তীর পুত্র শরচ্চন্দের সহিত (২৮ জ্যেষ্ঠ ১৩০৮ ১১ জুন ১৯০১)। ১৯১৮ অব একব্রিশ বংসর বয়সে মাধুরীলতার মৃত্যু হয়; শরচ্চন্দ্রের মৃত্যু হয় ১৯৪২-এর জুলাই মাসে। ইহাদের কোনো সন্তান নাই।

দ্বিতীয় সন্তান বা জ্যে্ পুত্র রথীন্্রনাথ (১৩ অগ্রহায়ণ ১২৯৫ | ২৭ নভেম্বর ১৮৮৮)। ইহার বিবাহ হয় (১৪ মাঘ ১৩১৬) অবনীন্দ্রনাথের ভগ্মী বিনয়নী দেবীর বিধবা কণ্ঠা শ্রীপ্রতিম! দেবীর সহিত। ইহারা নিঃসন্তান; একটি গুজবাটি শিশুকে কন্যাবূপে গ্রহণ করেন, রবীন্দ্রনাথ তাহার নাম দেন 'নন্দিনী' ; ববীন্দত্রসাহিত্যের সায়াহ্নে এই “নাতনী” নানাভাবে বহুবার দ্বেখা দিয়াছে রখীন্দরনাথের মৃত্যু হয় দেরাছুনে জুন ১৯৬১।

তৃতীয় সন্তান রেণুকা (১১ মাঘ ১২৯৭। ২৩ জানুয়ারি ১৮৯১)। ম্রাত্মর ১১ বৎসর বয়সে ডাক্তার সত্যেন্ত্রনাথ ভট্টাচার্যের সহিত ইহার বিবাহ হয় (শ্রাবণ ১৩০৮)। ১৩১০-এর আশ্বিন মাসে রেণুকার মৃত্যু হয়। ১৩১৫-এর কান্তিক মাসে জামাতা সতোন্দ্রনাথের মৃত্যু ঘটে

চতুর্থ সন্তান শ্রীমতী মীরা দেবী (২৯ পৌষ ১৩০০। ১২ জানুয়ারি ১৮৯৪)। ইহার বিবাহ হয় নগেজ্জনাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের সহিত (১৩১৪)। ইহাদের ছুইটি সন্তান নীতীন্ত্রনাথ শ্রীমতী নন্দিতা নীতীব্রনাথ বিশ বৎসর বয়সে (শ্রাবণ ১৩৩৯) জার্মানিতে মারা যান। নন্দিতার বিবাহ হয় শ্রীকৃষ্ণ কূপালনি নামে সিন্ধুদেশীয় এক কৃতী যুবকের সহিত। ১৯৫৪ স্্রীষ্ঠাবে নগেন্্রনাথ লগ্নে মারা যান।

রবীন্জনাথের কনিষ্ঠ পুত্র শমীন্দ্রনাথের জন্ম হয় ২৮ অগ্রহায়ণ ১৩০৩ (১২ ডিসেম্বর ১৮৯৬), মৃত্যু হয় ১৩১৪ সালের অগ্রহায়ণ (নভেম্বর ১৯০৭)।

আবিরভাবকাল

বংশান্কূলতা৷ যেমন ব্যক্তির চরিন্তরগঠনের আদিম সম্বল, স্থানান্ুকূলতা তেমনি চরিজ্রবিকাশের প্রধানতম সহায়। স্থান- মাহাত্যের অর্থ এই নয় যে, বিশেষ স্থানে বাস কবিলেই কতকগুলি গুণধর্ষের অধিকারী হওয়া যায়; পারিপাস্থিকের প্রভাবে মাছষের জীবন কতখানি নিষব্তিত হয় তাহাই হইতেছে স্থানমাহাত্ব্য বা দেশপ্রভাবের যখাষখ অর্থ ঠাকুর- পরিবারের মধ্যে যে- বৈষয়িক মানলিক আত্তিক গুণাবলীব লক্ষণ দেখ! যায়; তাহার জন্য পাশ্চাত্য গ্রভা বযুক্ত

১৬ বববীজ্জীবনী টাক ১৯শ শতক

কলিকাতা কতখানি দায়ী তাহার সম্পূর্ণ বিশ্লেষণ অদ্যাবধি হয় নাই? রবীন্দ্রনাথের জন্মের পূর্বে সার্ধশতার্ধীকাল পাশ্চাত্য __ বিশেষভাবে ইংবেজি__ সত্যতার অ-সভ্যতার বিচিত্র তরঙ্ক কলিকাতার পন্লীজীবনকে নাগরিক জীবনে রূপান্তরিত করিয়াছিল। ইংরেজ বণিক কর্মচারী মিশনারী শিক্ষক সাংবাদিক সাহিত্যিকদের বহুমুখীন কর্মপ্রচেষ্ট বাঙালী নাগরিকের জীবনযাত্রা টিস্তাধারার মধ্যে যে-বিপ্লব আনিয়াছিল, এই পরিবারের মধ্যে তাহার প্রতিক্রিয়া বেশ সষ্ঠুভাবেই পরিব্যক্ত হয়। বিদেশের সহিত বাণিজ্যবিষয়ে সহযোগিতা করিয়া যেসব সাধারণ লোক ধনবান হয়, ঠাকুর- পরিবারের পূর্বপুরুষ তাহাদের অন্ততম ক্রাহ্মণ্যবুদ্ধির তীক্ষতার সহিত বৈশ্ঠবৃদ্ধির চতুরতার যোগ হওয়ায় ইহারা অচিরে ধনী অভিজাত হইয়া উঠিলেন।

ইংরেজের সঙ্গে মেলামেশা করিয়া! আচারে-ব্যবহারে আহাবে-বিহারে পোশাকে-পরিচ্ছদে কলিকাতাবাসী বাঙালির এমন কতকগুলি বৈশিষ্ট্য ফুটিয়! উঠিয়াছিল, ইংরেজের মুদ্রাযন্্ থিয়েটর বিদ্যালয় আপিস ফ্যাক্টরি প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান বাঙালির আর্থিক নৈতিক জীবনে এমন-সব পরিবর্তন সংঘটন করিয়া তৃলিয়াছিল, এক কথায় ইংরেজের সহিত মিশিয়া কলিকাতার বাঙালি তাহার জীবনে এমন-সব প্রেরণা লাভ অভিজ্ঞত! অর্জন করিয়াছিল, যাহা নাগরিক জীবনের বাহিরে আহরণ করা অসস্তব |

রবীন্দ্রনাথের জন্মের প্রায় অর্ধশতাবী পূর্ব হইতে কলিকাতা বসুলপরিমাণে আধুনিক নগরীতে পরিণত হইয়াছিল। মানব-ইতিহাসে নাগরিক জীবনের শ্রেষ্ঠত্ব বরাবর স্বীকৃত নাগরিকের বৈশিষ্ট গ্রামিকদের দ্বারা চিরদিন অহ্কৃত হইয়াছে কলিকাতা মফন্বলের মধ্য ষে-পার্থক্য তাহাকে কেবল স্থানের বাবধান দিয়া পরিমাপ করিলে চলিবে নাঃ পটের চিত্রিত দিক অচিত্রিত দিকের মধ্যে ব্যবধান না৷ থাকিলেও চিত্রের গুণগত পার্থক্য হেতু লোকদৃষ্টি চিত্রের উপরই নিবদ্ধ হয়; নগর গ্রাম সম্বন্ধে সেই কথ! বিশেষভাবে প্রযোজ্য

উনবিংশ শতাবীর শুরু হইতে কলিকাতা বঙ্গদেশের তথা ভারতের সকলপ্রকার কর্ম প্রচেষ্ট। সাহি ত্যসাধন। ধর্মান্দোলন রাজনৈতিক আশা-উদ্দীপনার কেন্দ্র। ঠাকুরপরিবারের বৈষয়িক উন্নতি মনের বিকাশ কলিকাতা ছাড়া আর কোথাও হইতে পারিত না! ; কারণ চিরদিনই দেখা! যায় রাজধানী বা মহানগরী মধ্যস্থিত বিচিত্র শক্তিসমাবেশ প্রতিভার সর্বতোমূখী অভিব্যক্তির সহায়তা করিয়াছে কলিকাত! রবীন্দ্রনাথের প্রতিভা ব্যক্তিত্ব বিকাশের সেই অন্কূলতা করিয়াছিল

বংশান্কূলতা বা স্থানানুকুলতাই যে প্রতিভার জন্মের বিকাশের প্রধান কারণ তাহা জোর করিয়! বল! যায় না। প্রতিভার আবির্ভাব কি ভাবে হয়, তাহার উত্তর দান করিতে আজ পর্যন্ত কেহ পাবে নাই, এবং স্থানান্গকূলতায় সকল ব্যক্তির মধ্যে সমফল দর্শায় না কেন, তাহারও জবাব এখন পর্যন্ত মিলে নাই।

বংশ স্থানের প্রভাব আমরা যেমন সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করিতে পারি না, কালের প্রভাবকেও তেমনি না মানিয়! লইলে চলে না। রবীন্দ্রনাথের জন্মক্ষণে কালধর্মের যেসব বিচিত্র ঘাতপ্রতিঘাত চপিতেছিল সে সম্বদ্ধেও স্থ্পই ধারণা থাকা! প্রয়োজন নানাদিক হইতে ববীন্দ্রনাথের জন্মাফ বাংলার তথা ভারতের ইতিহাসের সন্ধিক্ষণ বলিয়া গ্রহণ করিতে পারি। রাজনৈতিক দিক হইতে সিপাহী-বিদ্রোহ একটা যুগের অন্ত। ইংরেজ কোম্পানির শাসনের অবসানে পার্লামেণ্টের শাসনের অন্থাদয় হইল ; একটি কোম্পানি শাসক ছিল, এখন হইল সমগ্র বুটিশ জাতি। এতদ্দিদ কোম্পানিকে ভারত-শানন বিষয়ে কৈফিয়ত দিতে হইত পার্লাষেন্টের কাছে; এখন পার্লামেন্ট স্বয়ং মালিক হওয়ায় জবাবদিহির দায় হইতে শাসকশ্রেণী মুক্ত হইলেন। দেশের অভ্যন্তরে সুশাসনের অজুহাতে ভাবতীয়দিগকে দুঢতর শাসনজালে বাধিবার জন্ক বিচিন্র বিধিবিধানের নিগড় প্রস্তুত হইল। রাজস্ব আয়বায়ের স্থব্যবস্থা, নৃতন হাইকোর্চ স্থাপন, ভারত-শাসনসম্পকীঁয় নৃতন আইন-প্রণয়ন, বড়লাটের ব্যবস্থাপরিষদ গঠন প্রভৃতি এই শাসনশৃঙ্খলার

ধীষ্টাব ১৮৫৬-৬১ আবির্াবকাল ১৭

প্রয়োগবাপদেশে অন্ষষ্ঠিত হইল রেলপথের ক্রত প্রসার স্ুয়েখাপ খনন বিদেশী বাণিজ্যের পথ স্থগম করিল। শিক্ষা-বিভাগ পুনর্গঠন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ফলে ভারতীয়দের সাংস্কৃতিক আথিক জীবনে যে-যুগাস্তর সাধিত হইল পৃথিবীর ইতিহাসে বোধ করি তাহার তুলনা আর নাই। প্রাচীন শিক্ষণ বিশ্বাসের সহিত এই নবীন শিক্ষা জ্ঞানের যে-পার্থক্য তাহ! পরিমাণগত ভেদ নহে, তাহা গুণগত প্রতেদ ; ইহ প্রাচীনের বিকাশ নহে, ইহা প্রাচীনের বিরুদ্ধে বিদ্বোহ বা বিপ্লব

ভারতীয় বিচিত্র রাজনৈতিক অর্থ নৈতিক ঘটনার পাশাপাশি বাংলাদেশে বিবিধ সামাজিক ধর্মীয় আন্দোলন বাঙালির চিন্তকে গভীরভাবে অভিভূত করিতেছিল। পণ্ডিত শিবনাথ শাস্ত্রী বলিয়াছেন যে, ১৮৫৬ হইতে ১৮৬১ সাল পর্যস্ত কালটি বঙ্গসমাজের পক্ষে মাহেন্ুক্ষণ এই স্মরণীয় কালের মধ দেবেন্দ্রনাথের ব্রাহ্ধর্মপ্রচাব, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্ভাসাগরের স্্রীশিক্ষা বিধবাবিবাহ -বিষয়ক আন্দোলন, নীলকরের হাঙ্গামা হরিশ মুখুজ্জের “হিন্দু-পেট্রিয়টে' তাহার প্রতিবাদ, বাংলা সাহিত্যে ঈশ্বর গুপ্তের তিরঝোভাব (১৮১২-৫৯), মাইকেল মধুহদূন দত্ত (১৮২৪-৭৩) দীনবন্ধু মিত্রের (১৮৩*-৭৩) আবির্ভাব, “সোমপ্রকাশে'র অভ্যুদয়, দেশীয় নাট্যশালা স্থাপন নাট্য-সাহিত্যের মধ্য দিয়া জাতির আত্মপ্রকাশের প্রয়াস প্রভৃতি সংঘটিত হয়।১ এইসব ঘটনা বঙ্গমাজকে এমনভাবে আলোড়িত করিয়াছিল ঘে ইহার প্রতোকটি বিষয়ই পৃথকভাবে আলোচনার যোগা।

বাংলাদেশের জাতীয় জীবনের অভিব্যক্তির ইতিহাস -পাঠকমাত্রই জানেন ষে, রাজা রামমোহন বায়ের সময় হইতে ধর্মবিষয়ক বিচিত্র আলোচনা! বাদপ্রতিবাদ হইতে বাংলা ভাষ1! কিভাবে ্বচ্ছন্দগতি বাংল সাহিত্য কিভাবে উন্নতি লাভ করে। পূর্বোক্ত আন্দোলনগুলিও বাংলা ভাষা সাহিত্যের পুষ্টিসাধনে প্রত্যক্ষতাবে সবিশেষ সহায়তা করিয়াছিল। উনবিংশ শতকে প্রথম ত্রিশ বৎসরের সাময়িক সাহিত্য এই ধর্ম সমাজ সম্বন্ধে আলোচনায় বিশেষ রত ছিল। সাহিত্যের দিকে বাঙালির চিন্তকে আকর্ণ করিবার প্রথম প্রয়াস করেন মধাযুগীয় বাংলার শেষ কবি ঈশ্বর গুপ্ত; “সংবাদ প্রভাকব' হইতে তাহার স্থচন1। ছারকানাথ বিদ্যাভূষণের “সোমপ্রকাশ' নবাবঙ্গে সংবাদপত্রের আদর্শ স্থাপন করে। ফুরোপীয় সাহিত্য-দর্শনের ভাবধারা ইংরেজি-শিক্ষিত মুষ্টিমেয় বাঙালির মনের মধ্যে ষে বিপ্নবাগ্রি প্রজ্জলিত করিয়াছিল, ঘটনাচক্রে বাংলা ভাষার প্রতি তাহাদের অবজ্ঞাহেতু তাহা প্রচারলাভের সুযোগ পায় নাই; সেইজন্য মুরোপীয় চিন্তাধারা মুষ্টিমেয়ের মধ্যেই আবদ্ধ থাকিয়া যায়। সংবাদ প্রভাকরের প্রভাব যখন মধ্যাহ্ৃস্্যের ন্যায় দীপ্চিমান, তখন “তন্ববোধিনী পত্র্িকা'র আবির্ভাব হয় (১৮৪৩ )।

তত্ববোধিনী পত্রিক। বাঙালির নব-উজ্জীবনের প্রথম স্পন্দন বহন করিয়া আবিভূতি হয়। নিজের অতীত- কালের এস্বর্ সম্বপ্ধে অজ্ঞতা অদ্ধ গর্ব বহনই হইতেছে জাতীয় জীবনের চরম ছুর্গতির অবস্থা এতিহাসিকের ভাষায় তাহাকে বলা হয় অন্ধকার যুগ। বাঙালি ছিল সেই আত্মবিস্ত জাতি ততব্ববোধিনী পত্রিকাই সর্বপ্রথম প্রাচীন তারতের আধ্যাত্মিক এশ্বরধসস্তার মাতৃভাষার মাধ্যমে লোকসমাজে প্রচারের ব্যবস্থা করে। বেদের উপনিষদের ধারাবাহিক অন্ববাদ সবপ্রথম এই পত্রিকায় বাহির হয়; বাংলা ভাষার ভিতর দিয়৷ বাঙালি বেদের পরিচয় লাভ করিল। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সংস্কৃত মহাভারতের অনুবাদ শুরু করিলেন এই পত্রিকার পৃষ্ঠায়। “লোকহিতকর বহুবিধ আন্দোলনের মূ আমরা ইহার আলোচনার মধো প্রাপ্ত হই। শিক্ষায় স্বাবলম্বন, মিশনারিদের বড়যন্ত্র হইতে স্বধর্ম স্বধর্মীদের রক্ষা, স্্রীশিক্ষার আবশ্বকতা, স্থরাপান-নিবারণ, শারীরিক শক্তির উন্মেষ, নীলকরের অত্যাচার-প্রতিবরোধ, রাজা-প্রজার সম্বন্ধ নির্ণয়, সমাজ-সংস্কার প্রভৃতি বহু বিষয়ে তত্ববোধিনী পত্রিক1 বঙ্গবাসীদের প্রেরণা দিয়াছিল ।”২ রামতমু লাহিড়ী তংকালীন বঙ্গসমাজ : নিউ এজ লং ১৩৬২, পৃ ২০২। ২১৫ | বিশ্ভারতী পত্রিকা, ২য় বর্ষ, ১৩৫০, পৃ ২৮৭।

১৬.

১৮ যবীন্র্জীবনী গ্ী্টাব ১৮৫৬-৬১

এই যেমন এক দ্দিকে প্রাচীন ভারতের এশ্বর্ সম্বন্ধে আত্মচেতনা জাগিল, অপর দিকে তেমনি মুরোপীয় জানবিজ্ঞানের আলোকে বাঙালির স্বপ্ত মনে সচেতনতা আসিল এই কার্ধে দেবেন্্রনাথের দক্ষিণ হস্ত স্বরূপ ছিলেন অক্ষয়কুমার দত্ত দেবেন্্রনাথ আত্মজীবনীতে লিখিয়াছেন, "আমি তাহার ন্যায় লৌককে পাইয়া ততববোধিনী পত্রিকার আশাহুদ্প উন্নতি করি। অমন রচনার সৌষ্টব তৎকালে অতি অল্প লোকেরই দেখিতাম। তখন কেবল কয়েকখানা সংবাদপত্জই ছিল; তাহাতে লোকহিতকর জ্ঞানগর্ভ কোন প্রবন্ধই প্রকাশ হইত না। বঙ্গদেশে তত্ববোধিনী পত্রিকা সর্ধপ্রথমে সেই অভাব পূরণ করে। বেদ বেদান্ত পরব্রদ্ধের উপাসন! প্রচার করা আমার যে মুখ্য সংকল্প ছিল, তাহা এই পত্রিকা হওয়াতে সুসিদ্ধ হইল ।”১

দ্বেবেন্্রনাথের তত্ববোধিনী-পাঠশালা-স্থাপনের উদ্দেশ্য ছিল বাংলা ভাষার সাহায্যে “বৈষয়িক জ্ঞান ধর্ম প্রচার”। '্বঙ্গভাষার বিস্তার দ্বারা স্বজাতির ধর্মরক্ষার নিমিত্ত” পাঠশালা-স্থাপনের একান্ত প্রয়োজন সেদিন দেবেন্দ্রনাথ প্রমূখ চিন্তাশীল বাঙালিরা বুঝিয়াছিলেন। “আমাদিগের স্ব স্ব সাধ্যান্ুসারে আপন ভাষায় শিক্ষা! প্রদান করা এবং এদেশীয় যথার্থ ধর্মের উপদেশ প্রদান করা অতি আবশ্যক হইয়াছে নতুবা... হিন্দু নাম ঘুচিয়া আমারদিগকে পরের নাষে বিখ্যাত হইবার সম্ভাবনা দেখিতেছি। এই সকল সাংঘাতিক ঘটনার নিরাকরণ করিতে এবং বঙ্গভাষায় বিজ্ঞানশাস্ত্র ধর্মশান্ত্রের উপদেশ প্রদান করিতে তত্ববৌধিনী সভা” -কর্তৃক তত্ববোধিনী-পাঠশালা স্থাপিত হয়।

কিন্তু প্রাচীন ভারতের সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবশত অক্ষয়কুমার ঈশ্বরচন্দ্র বাংলা ভাষাকে সংস্কতবহুল করিয়া তুলিলেন। ভাষা ক্রমেই সংস্কৃত ব্যাকরণমার্গা সমাসাদদির বাহুল্যে জটিল ভারাক্রান্ত হইয়া উঠিল, উহা শ্বভাবের পথে না গিয়া কৃত্রিমতার পথে গেল বাংল! গগ্ঠের আদর্শ হইল ইংরেজ লেখক যিল্টন জনসন মেকলে প্রভৃতির রচনা) এইসব লেখক লাতিন শব্দদ্বারা ইংরেজিকে যুগপৎ সমৃদ্ধ ছুবোধ্য করিয়াছিলেন, বাংলা ভাষাও সেরূপ সংস্কৃতভাষাশ্রয়ী হইতে চলিল।

ইহারই সমকালে বিপরীত আন্দোলন চলিতেছে প্যারীচাদ মিত্রের 'আলালের ঘরের ছুলাল' কালীপগ্রসঙ্ন সিংহের “হুতোম পাচার নকশা এই গ্রস্থদ্বয়ের রচনারীতির প্রতিক্রিয়া আন্দৌলনের শ্রেষ্ট উদাহরণ। তত্কালীন অভিজাত লেখক-সম্প্রদায় এই 'আলালী'-ভাষাকে উচ্চ ভাবধার] বহনের উপযুক্ত মাধাম বলিয়া স্বীকার করিলেন না। এমন সময়ে মধুহ্দন দত্ত দীনবন্ধু মিত্রের অভুাদয়ে সাহিত্যক্ষেত্রে নৃতন শক্তি আমিল 1 রচনাবীতিতে গতাহুগতিকের পথ পরিত্যাগ করিয়া ইহারা আতিশয্যের পথকে অনুসরণ করিলেন, অর্থাৎ অক্ষয়কুমার ঈশ্বরচন্তরের প্রদশিত সংস্কৃতবহুল বাংলাকে আশ্রয় করিলেন মধুস্দন “আলালী”-ভাষার চরম রূপ গ্রাম্য বাংলাকে সাহিত্যে স্থান দিলেন দীনবন্ধু। বাংলা কবিতা পয়ারাদি ছন্দের বন্ধনে বন্দী ছিল, খাটি বাংলা ভাষার বাহনে ছিল তার মন্থর গতি মাধুর্য; মধুহদন সেই চিরাচবিতকে বিসর্জন দিয়া ছন্দে আনিলেন প্রবহুমানতা, অমিত্রাক্ষরের মারফত ভাষায় আনিলেন সংস্কৃতের বাহুল্য, এমন-কি অক্ষয়কুমার বিদ্যাসাগরের বাংলা মধুস্দনের আতিশয্যের নিকট ম্লান প্রতিভাত হইল। কিন্ত কথা স্বীকার করিতে হুইবে যে, মধুস্থদন বাংলাভাষায় আনিলেন শক্তি মুক্তি স্বচ্ছন্দগতি। গগ নাটক রচনায় দ্বীনবন্ধু যে ভাষাকে বাহন করিলেন তাহা! খাঁটি গ্রাম্য বাংলা, এখানে৪ আতিশয্য দীনবন্ধুর ভাষার গ্রাম্যতার কাছে “আলালী'র-ভাষা একেবারে নিপ্রভ। আসল কথা, বাংলা পদ্যে গণ্চে মধুস্থদন দীনবন্ধু উভয়েই আতিশযোর পথাশ্রয়ী হইয়াছিলেন। সংস্কৃত শব অথবা গ্রাম্য শের বাহল্য ব্যতীত বাংল! র্চনারীতির মধ্যে প্রকাঁশপটুতার আব কোনো পন্থা নাই, এই ছিল সে যুগের লেখকদের ধারণা।

মহর্ষি দেবেজনাথের আক্মজীবনী, বিশ্বভারতী সংস্যরণ, পৃ ৭৬-৭৭।

গ্রষ্টাৰ ১৮৫৬-৬১ আঁবিরাবকলি ১৪

এই সন্ধিক্ষণে বঙ্কিমের আবির্ভাব হইল; তিনি দত্ত-বিগ্যাসাগরী ভাষায় বা আলালী-ভাষায় লিখিলেন না; তিনি লিখিলেন সেই ভাষায়, যাহ] কালে “বঙ্কিমী বাংলা” নামে চলিত এবং বহুকাল বাংল! গদ্যের আদর্শরূপে অন্ুকৃত হইয়াছিল। কিন্তু এখানে বলা উচিত যে, বক্ধিমচন্ত্র প্রথম যুগে বহুকাল বিছ্যাসাগরী ভাষা হইতে নিজেকে মুক্ত রাখিতে পাবেন নাই। যাহাই হউক, বস্কিমের গগ্যরচনা রীতি বাংলা ভাষাকে ওজস্িনী সাবলীল করিল। এই ভাষার সাহায্যে নানারূপের ভাবসমাবেশে সাহিত্োর মধ্যে বঙ্কিম যে গতিবেগ ঘটনা-বৈচিত্রয আনিয়াছিলেন তাহাই বাংলাকে সর্বতোভাবে আধুনিকত দ্বান করে।

গত শতাবীর মধ্যভাগে সাহিত্যের যে-দুইটি পরষ্পরবিরোধী ভাবধারা বাঙালির চিত্তকে অভিভূত করে, মধুস্থদন বঙ্ধিমকে তাহাদের প্রতীক বলা যাইতে পারে। বাহিরের কাঠামোকে সর্বপ্রকারে ভারতীয় রাখিয়া সাহিত্যের অন্তরে মুরোপীয় মনোধর্মকে প্রতিষ্ঠিত করেন মধুস্দূন তাহার কাব্যে; আর মুরোপীয় আদর্শের ছাচে প্রস্তুত করিয়া ভারতীয় সনাতনী হিন্দু ভাবসমৃহকে মুতিদান করেন বঙ্কিম তাহার উপন্যাসে মধুস্থদনের কাব্যরচনায় বঙ্কিমের গছ্যরচনায় যুরোপীয় ভারতীয় এই দুই বিপরীতধর্মী মনোভাবের যে সৃত্রপাত হইয়াছিল, তাহারই আংশিক সমন্বয়ের হুচনা হয় বিহারীলালের কাব্যে পৃর্ণপরিণতি হয় রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ যখন সাহিত্যক্ষেত্রে প্রবেশ করিলেন, তখন মধাযুগীয় বাংলার সমস্ত চিহ্ন প্রায় অবলুপ্ত, স্থতিও তাহার শ্লান। মধুস্দন দীনবন্ধু বঙ্কিম প্রভৃতি লেখকগণ পাশ্চাত্য সাহিত্য-দর্শনারদির আদর্শে যে-সাহিত্য স্টি করিয়াছিলেন, তাহারই মধ্যে রবীন্দ্রনাথের প্রথম সাহিত্য-চেতনা উদ্বুদ্ধ হয়।

সাহিতাক্ষেত্রে তাহার বিচরণভূমি প্রত্তত হইয়াই ছিল, সাংসারিক জীবনের বিচিত্রক্ষেত্রেও গতাহগতিকের বাধা ভাঙিয়া জোট্ঠেরা তাহার জন্য পথ রচনা করিয়া রাখিয়াছিলেন। কেশবচন্দ্র ধর্মসাধনায় যে সমধয়মন্ত্, সমাজব্যবস্থায় যে বিপ্লববাণী প্রচার করিয়াছিলেন, দেবেন্দ্রনাথ -কর্তৃক স্বীকৃত বা অনুমোদিত না হইলেও কালধর্মের প্রভাবে তাহার পুত্রদের জীবনে তাহা ব্যর্থ হয় নাই। রবীন্দ্রনাথের জন্মকালে প্রাচীন সংস্কারের বহু আবর্জনা তাহাদের পরিবার হইতে লুপ্ত হইয়াছিল, এবং তাহার বয়োবুদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আরো অনেকগুলি একে একে লুপ্ত হয়। এই মুক্ত জীবনের মধ্যে, ব্ুলপরিমাণে সংস্কারহীন এই পারিপাশ্বিকের মধো, রবীন্দ্রনাথের আবির্ভাব হইল

কৰি সত্তর বৎসর বয়মে এই বিষয়ে যাহ বলিয়াছিলেন তাহার কিয়দংশ এখানে উদ্ধৃত করি: “যে সংসারে প্রথম চোখ মেলেছিলুম সে ছিল অতি নিভৃত।-. আমাদের পরিবার আমার জন্মের পূর্বেই সমাজের নোঙর তুকে দূরে বাধা-ঘাটের বাইবে এসে ভিড়েছিল। আচার অনুশাসন ক্রিয়াকর্ধ সেখানে সমস্তই বিবল।

“আমাদের ছিল মন্ত একটা সাবেক কালের বাড়ি," পৃবযুগের নানা পালপার্বণের পর্যায় নানা কলরুবে সাজেসজ্জায় তার মধ্য দিয়ে এতদিন চলাচল করেছিল, আমি তার স্বৃতির বাইবেও পড়ে গেছি আমি এসেছি যখন, বানায় তখন পুরাতন কাল সস্ভ বিদায় নিয়েছে, নৃতন কাল সবে এসে নামল, তার আসবাবপত্র তখনো এসে পৌঁছয় নি।... আমি ধনের মধ্যে জন্মাই নি, ধনের স্বৃতির মধ্যেও না।

“এই নিরালায় এই পরিবারে যে স্বাতস্্য জেগে উঠেছিল সে স্বাভাবিক, মহাদেশ থেকে দুরবিচ্ছিন্ন স্বীপের গাছপালা জীবজস্তরই স্বাতস্ত্যের মতো 1”১ এই স্বাস্থ্য ছিল সর্ববিষয়ে। তাহাদের পরিবারের মেয়েপুরুষের কথা বলিবার ভাষায় ছিল একটা বিশেষ ভঙ্গি,

সম্তর বংসর বয়সে রবীন্রজযন্ত্রী উপলক্ষে ছাত্রীদের অভিনগানের প্রতিভাষণ, ১৫ পৌষ ১৩৩৮, প্রবাসী, সাথ ১৩৩৮, পৃ ৫*৯। আয্মপরিচয়, পৃ ৮৫-১০৯।

২০ রবীন্ত্রজীবনী খ্ীষ্টা ১৮৫৬-১৮৬১

বেশভৃষায় চালচলনের মধ্যে ছিল আভিজাত্যের গর্ব। পুরুষদের পোশাক ছিল পায়জামা আচকান চোগ! চাপকান তাজ পাগড়ি ; গৃহসজ্জা ছিল জাজিম ফরাশ মছলন্দ তাকিয়া আলবোলা ফরসী ; আদবকায়দায় ইহারা ছিলেন মোগলাই। এইসমস্ত ষধ্যযুগীয়তার মধ্যে যুরোপীয় আধুনিকতা! নানাভাবে প্রবেশ করিতে আরস্ত করিয়াছিল। দ্বারকানাথের সমস্ব হইতেই বিলাতি ছবি মর্মরমূত্তি টেবিল চেয়ার সোফা প্রভৃতি গৃহসজ্জা জোড়ার্সাকোরি বৈঠকখানায় বেলগাছিয়ার বাগানবাটাতে আমদানি হইয়াছিল। দেবেন্্নাথের পুজেরা জামাতারা ইংরেজিয়ানায় যে সম্পূর্ণ উদালীন ছিলেন তাহা নহে ।১ রবীন্দ্রনাথের জন্মকালের পর বাড়িতে বিলাতি অর্গান ফুট প্রভৃতির চলন বেশ দেখা যায়; এমন-কি আদি ব্রা্মপমাজ-মন্দিরের জন্য প্রকাণ্ড বিলাতি পাইপ-অরগগান২ কেনা হইয়াছিল। এই দেশী বিদেশী সংস্কৃতির মধ্যে রবীন্দ্রনাথের শিশুকাল কাটে

রবীন্দ্রনাথের জন্মের পর হইতেই তাহাদের অন্তঃপুবের মধ্যে ক্রুত পরিবর্তন চলিতেছিল; স্ত্রীন্বাধীনতার নব- আন্দোলনের অগ্রণী ছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ জ্ঞোতিবিক্রনাথ সতোন্দ্রনাথ যেদিন খোলা ফিটন গাড়িতে স্ত্রীকে লইয়া জোড়ার্সীকোর বাড়ি হইতে বাহির হইলেন, আর যেদিন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ তাহার ত্ী ঘোড়ায় চড়িয়া গড়ের মাঠে বেড়াইতে গেলেন, সেদিন ঘরে বাহিরে যে ছি ছি রব উঠিয়াছিল, তাহার রেশ মিটিতে বহুকাল লাগে

জ্যোতিরিন্দ্রনাথ বলিতেছেন, “মেজদাদা [ সত্যেন্দ্রনাথ ) বিলাত হইতে ফিরিয়খ আমাদের পরিবারে যখন আমূল পরিবর্তনের বন্া বহাইয়া দিলেন, তখন আমারও মতের পরিবর্তন ঘটিয়াছিল। তখন হইতে আর আমি অবরোধ- প্রথার বিরোধী নহি, বরং ক্রমে ক্রমে একজন সেরা নব্যপস্থী হইয়া! উঠিলাম।.. গঙ্গার ধারে কোনো বাগানবাড়িতে সত্সীক অবস্থানকালে আমার স্ত্রীকে আমি নিজেই অশ্বাবোহণ পর্যন্ত শিখাইতাম | তাহার পর জোড়াক্সাকো বাড়িতে আসিয়া, দুইটি আরব ঘোড়াম্ম দুইজনে পাশাপাশি চড়িয়], কাড়ি হইতে গড়ের মাঠ পর্যস্ত প্রত্যহ বেড়াইতে যাইতাম। ময়দানে পৌছিয়া ছুইজনে সবেগে ঘোড়া ছুটাইতাম। প্রতিবাসীরা স্তষ্িত হইয়া গালে হাত দি রাস্তার লোকেরা কৌতুহলে বিশ্য়ে-.. হতভম্ব হইয়া থাকিত। দারোয়ানের! আমাদের পানে অবাক হইয়া চাহিয়া থাকিত। সেসব দিকে আমার ভ্রক্ষেপও ছিল ন11”-_ (জীবনস্থতি, পৃ ১৩৮)

দেবেহ্ছনাথের মাজিত রক্ষণশীল মতামতের সহিত সতোন্দ্রনাথের প্রগতিশীল বহুল পরিমাণে পাশ্চাত্য মতামতের মিল ছিল কম; তাই তিনি নিজ পরিবারকে প্রায়ই জোড়াসাকো হইতে দুরে দুরে রাখিতেন ; রবীন্দুনাথ বড় বয়সে তাহার “মেজদাদা'র সঙ্গে বাস করিতে অধিক পছন্দ করিতেন বলিয়া মনে হয়। সতোন্দ্রনাথ পিতানম্বন্ধে বলিয়াছেন যে, “বয়সের সঙ্গে সঙ্গে তিনি কতকট] ০০75675801৬ হয়ে পড়েছিলেন ) বহুদর্শনের অভিজ্ঞতায় সাবধানে পা ফেলে মাটি পরীক্ষা করে চলতে চাইতেন ; তখন নবীন বয়স-_ আমি ছিলুম ঘোর £201০৭1” ( আমার বাল্যকথা। পূ ৩)।

রবীন্দ্রনাথের জন্মকালে বাঙালির অন্তরে বাহিরে সমাজে সংসারে নানাভাবে মুক্তির আহ্বান আসিয়াছিল। নকল আন্দোলনের মূলে ছিল যুরোপীয় সভ্যতা সংস্কৃতির সহিত আমাদের প্রথমপরিচয়ের আনন্দ প্রতিক্রিয়া। সাহিতো সমাজে অরুণোদয়ের শ্রাধার-আলোয় রবির আবির্ভাব হইল।

ভর. জ্যোতিরিস্রনাথের জীবনন্ুতি, পৃ ১২৩।

আদি ব্রাহ্মদমাজের দশসদশায় রবীক্মনাথের সম্পাদকত্ব-পর্বেই সমাজের মুদ্াসস্থ বিরীত হইয়া যায়। মন্দিরগৃহের জীর্ণত] সন্ধে ঠাকুরপরিবারের সকলেই উদাসীন : অবশেষে মন্দিরের হবৃহৎ পাইপ-অর্গানটি মৃতক্প অবস্থায় শান্তিনিকেতনে আনিয়। মন্দিরে রক্ষা করা হয়। মনে আছে উহার মেরামতিয জন্ত আটশত টাকা বায়িত হয়। অশ্বের চর্মদ্বারা হাপর তৈয়ারী হইয়াছিল কালে অবাবহার্য আসবাবের মধো বিগ্বভারতীর গুদামে

আশ্রয় লাভ করে।

গ্রীষ্টা্দ ১৮৬১ ২১ রবীন্দ্র-শৈশব আত্মীয়স্বজন

রবীন্দ্রনাথের জন্ম হয় কলিকাতার জোড়ার্সাকোর বাড়িতে ১৭৮৩ শক, ১২৬৮ সালের ২৫শে বৈশাখ ১, কৃষ্ণা জয়োদশী, সোমবার মধ্যরাত্রির পর। ইংবেজি পঞ্জিকা-অনুসারে ইনি ভূমিষ্ঠ হন ১৮৬১ অকের ৭ই মে, মঙ্গলবার মধ্ারাত্রির পর জন্ম বলিয়া উহা! ইংরেজী মতে মঙ্গলবার এবং বাংলা মতে শেষরাত্রি পূর্ব দিবাভাগের অন্তর্গত বলিয়া উহা সোমবার পচিশে বৈশাখ ইংরেজী মতে ৬, ৭১৮, মে হইয়া থাকে

রবীন্দ্রনাথ তাহার জন্মদিনকে জীবনের একটি বিশেষ দিন বলিয়া অন্থভব করিতেন। তাহার জীবনের পঞ্চাশ বসর হইতে শেষ জন্মদিন পর্যন্ত প্রায় প্রতি বংদরেই 'পচিশে বৈশাখ সম্বন্ধে কিছু-না-কিছু বলিয়াছেন বা লিখিয়াছেন। পৃথিবীতে নিজ আবির্ভাবকে এমন বিচিত্ররসে অভিষিক্ত কৰিয়া আর-কোনে। কৰি বা লেখক এত রচনা প্রকাশ করিয়াছেন বলিয়া জানি না।

দেবেন্দ্নাথের পঞ্চদশ সন্তানের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ চতুর্দশ কোনো কোনো! বিদেশী লেখক২ উদাহরণ দ্বার! প্রমাণ করিতে চেষ্টা করিয়াছেন যে, বনুসন্তানসমূদ্ধ পরিবার মহাপুরুষের মহত্ব বিকাশের পক্ষে অন্কূল নহে তাহার! আরো! বলেন যে মহাপুকুষদের মধ্যে দীর্ঘকায় ব্যক্তি কম। মহাপুরুষের আবিভাব সম্বন্ধে দৈব জৈব বহু প্রকারের গবেষণা হইয়াছে ; কিন্তু উপরিউক্ত উভয় সিদ্ধান্তই অন্তত রবীন্দ্রনাথের ক্ষেত্রে বার্থ।

রবীন্দ্রনাথের জন্মের সময়ে তাহার পিতার বয়স ছিল চুয়াল্লিশ বংসর। তখন তিনি ত্রাহ্মমমাজের বিচিত্র কর্মে লিপ; স্বাস্থ্য অনিন্দনীয় স্ন্দর | তাহার জননী সারদা দেবীর বয়স প্রায় সাইত্রিশ বৎসর ; বহুসন্তানবতী জননী হওয়া সত্বেও তাহার স্বাস্থ্য তখনো অটুট ছিল; কনিষ্ঠ পুত্র বুধেন্দের জন্মের পর তাহায় শরীর ভািতে থাকে স্বামীর দীর্ঘ- জীবনের তুলনায় অপেক্ষারুত অল্পবয়সে তাহার মৃত্যু হয়।

রবীন্দ্রনাথের জন্মক্ষণে তাহার ভ্রাতা ভগ্রী প্রভৃতির কাহার কত বয়দ ছিল তাহা জানিলে সাংসারিক আবহাওয়াটার একটা চিত্র পাওয়া যাইতে পারে। “বড়দাদা” দ্বিজেন্্রনাথের বয়স তখন একুশ বৎসর, তিনি তখন বিবাহিত, রবীন্দ্রনাথের জন্মের এক বৎমর পরে দ্থিজেন্দ্রনাথের পুত্র ছিপেন্দরনাথ ভূমিষ্ঠ হন। “মেজদাদা” সতোন্দ্রনাথ তখন উনিশ বৎসবের যুবক, সিবিল সার্ধিস পরীক্ষা দিতে বিলাত যাইবার জন্য প্রস্তুত হইতেছেন ; ১৮৬২ অবের ২৩ মার্চ তিনি বিলাত যাত্রা করেন; তিনি যখন আই, সি. এস. হইয়া ফিবিলেন (১২ ডিসেম্বর ১৮৬৪ ) তখন রবীন্দ্রনাথ তিন বৎসরের শিশু সত্ন্্রনাথের বালিকাবধু জ্ঞানদানন্দিশী ঠাকুরবাড়িতেই আছেন। জ্ঞানদানন্দিনীর জন্মস্থান যশোহর জেলার নবেন্দ্রপুর গ্রাম; জন্ম ১৮৫২, বিবাহ ১৮৫৯। বিবাহের সময় সতোন্দরনাথের বয়স ছিল সতেরো বংসর | “সেজদাদা, হেমেন্দ্রনাথ রবীন্দ্রনাথ হইতে সতেরো বৎসরের বড়। ইনি সত্যেন্দ্রনাথ কেশবচন্দ্র সেনের বিশেষ অন্থগত ছিলেন; রবীন্দ্রনাথের জন্মকালে কেশব সস্ত্রীক মহর্ধির আশ্রয়ে ঠাকুরপরিবাবরের মধ্যে বাস করিতেছিলেন।* চতুর্থ ভ্রাতা বীরেন্দ্রনাথের বয়ম পনেরো ;

বিশ্বারতীর ভূতপূর্ব সহকারী সচিব হবর্গীঘ্ন কিশোরীমোহন সীতরাকে লিখিত রবীন্দ্রনাথের পত্র, ২৬ বৈশাখ ১৩৪৫ প্র প্রবাসী, জো ১৩৪৬, পৃ ১৯৬ ২০, ৬৬1,1৮5 : 2৭01615 ০] পু0া, 056509 ০1 ুলাগতাচ 171025৩, 1910.

[1১6 1156 09612108০06 235 8768 6০ 00০ 1185 0৫ 0156 0195615 ০০17১০14060 ৬361 25 €1156 10660104 আআ 8:51)058181008 86512 00950015561 1060 055 08006 60 ০৪ 0০01858000 1১05555 ৪120 20906 10 1018 110236 0 50006 21706 036 68017 060104 0৫ 815 1166 ০017056008060 00 00৫ 56106 0০৫. 1 ৮93 101001380€ €13০8410 £০ 16০৫15৩

1 846০6607866 08:5886$ ৪ট 006 150000170 1367 16 ৪৪ 06115105778 8108 00৩০7 ০01 & 6656 06555 01 ৪9120৩1

২২ রবীন্ত্রজীবনী ধা ১৮৬১-৬৮

যৌবনাবস্থায় তিনি উন্মাদরোগে আক্রান্ত হন, ব্যাধির লক্ষণ তখনো! দেখা দেয় নাই। “বড়দিদি' সৌদামিনী দেবীর বয়স তখন প্রায় চৌদ্দ; তাহার বিবাহ হইয়া গিয়াছে; পুত্র মত্যপ্রসাদ রবীন্দ্রনাথ হইতে কিছু বড় এবং কন্তা ইরাবতী এক বংসরের ছোট। ইহারা উভয়ে ছিলেন রবীন্দ্রনাথের বাল্যকালের খেলার সাথী। সাহিত্যে সত্যপ্রসাদ্দের কথা নানাভাবে স্থান পাইয়াছে ; 'ইফ” দেখা দিয়াছে কবির জীবনসায়াহ্ছের কয়েকটি রচনায়। 'নৃতনদাদা' জ্যোতিরিন্দ্রনাথের বয়স তেরো বৎসর, তখন তিনি সকলের ছাত্র “মেজদিদি" স্থকুমারীর বয়স মাত্র বারো বত্মর 7 ববীন্দ্রনাথের জন্মের তিন মাস পরে ইহার বিবাহ হয় মৃত্যু হয় অল্পকাল পরেই “সেজদিদি' শরৎকুমারীর বয়স সাত বৎসর ) 'নদিদি, ্বর্ণকুমারীর বয়স পাচ 'ছোটদিদি” বর্ণকুমাবীর বয়স চার বখসর | সহ জোষ্ঠ 'দাদা' সোমেন্দ্রনাথের বয়স ছুই বৎসরের কম। রবীন্দ্রনাথের বয়স যখন ছুই বৎসর, তখন তাহার আর-একটি ভ্রাতা জন্মে, শিশুকালেই তাহার মৃত্যু হয়।

দেবেন্দ্রনাথের বসতবাটীর পাশেই তাহার ভ্রাতা গিরীন্ত্রনাথের বাড়ি। এই বাড়ি ছিল দ্বারকানাথ ঠাকুরের বাহিরের বাড়ি বা “বৈঠকখানা বাড়ি”) প্রথমবার বিলাত হইতে ফিরিয়া ছারকানাথ এই বাড়িতেই উঠেন। রবীন্দ্রনাথের জন্মের কিছুকাল পূর্বে গিরীন্দ্রনাথের বিধবা পত্বী কেন কী ভাবে এই বাড়িতে উঠিয়া আসেন তাহা পূর্বেই ব্িত হইয়াছে ঝবীন্দ্রনাথের জন্মক্ষণে তাহাদের নিজপরিবাবের সম্তানসম্ভতি তৎসংশ্লি্ট আত্মীয়স্বজনের সংখ্যা নিতান্ত কম ছিল না উভয় বাড়ির মেয়েদের মধ্যে দেখাশুনা খুব কমই হইত ) তবে গিবীন্ত্রনাথের পুত্র গণেন্দ্রনাথ গুণেন্দ্রনাথ এবাড়ির যুবকদের সহিত ঘনিষ্ঠ ছিলেন; মহষি কোনোদিনই ভ্রাতৃদ্পুত্রদিগকে নিজ পুত্র হইতে পৃথক করিয়া দেখিতেন না।১

জোড়ার্মীকোর বসতবাড়ি প্রয়োজনের তাগিদে প্রায় শতাব্বীকাল ধরিয়! ধীরে ধীরে গড়িয়া বাড়িয়া উঠিয়াছিল, বিশেষ কোনো পরিকল্পনার দ্বারা উহাকে সুন্দর করিবার চেষ্টা হয় নাই। এই বুহৎ অট্টালিকা বহু আঙিনায় বহু তলায় বনু ছাদে খণ্ডিত বিভক্ত, গোলকর্ধাধার ন্যায় বিচিত্র; আজকালকার কোনো অট্রালিকার সহিত তুলনা হয় না। শিশুর নিকট এই স্থবুহৎ অট্রালিকার জানা-অজানা আঙিনা কুঃঠরি ছাদ ছিল বিরাট রহস্তে পূর্ণ) সাহিত্যের মধ্যে নানা হরে এই বুহস্াবৃত সৌধের কথা প্রকাশ পাইয়াছে।

বাড়ি যেমন বিশাল, লোকসংখ্যা 9 তেমনি বিপুল বিচিত্র একান্নবর্তী পরিবারের পাকশালা ছিল যেন একটি বিরাট যজ্ঞশালা ; এই সাধারণ রন্ধনশাল! হইতে প্রত্যেক পরিবারের ঘরে ঘরে অন্নব্যঞ্জন যাইত এতদ্ব্যতীত বধুরা নিজ নিজ স্বামী-পুত্রাদির জন্য সামান্য থাগ্যাদি তোলা-উহ্নে বান্না করিয়া লইতেন | দেশের প্রাচীন বীতি নীতি- অহ্সারে বনিয়াদি ধনীঘর প্রায়ই আত্ীয়-অনাস্মীয় কুটুম্ব-কুটুত্িণী আশ্রিত-আশ্রিতাতে পূর্ণ থাকিত, এ-পরিবারে তাহার ব্যতিক্রম না হইলেও ব্রাঙ্গপীরালি ঘরে বহু দূরসম্পকীয় আত্মীয়র! “জাতি যাইবার ভয়ে কলিকাতায় কমই আসিত। ুত্র-ুত্রবধূ পৌত্র-পৌত্রী কন্তা-জামাতা দৌহিত্র-দৌহিত্রী প্রভৃতিতে গৃহ পরিপূর্ণ। ছাড়া ছিল দাস-দাসী বাবুর্ি- খানসাম! পাইক-হরকরা নায়েব-গোমস্ত| ওভ্তাদ-বাঞিয়ে প্রভৃতি ঠাকুরবাড়ির জামাতাদের প্রায় সকলেই ঘরজামাই। তার বিশেষ কারণ ছিল; পীবালি ব্রাহ্মপরিবারে ব্রাহ্মণ সন্তানগণ বিবাহ করিয়া পৈত্রিক সংসার হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া পড়িতেন, তখন জাত হাঁরাইয়া ধনী শ্বশুরের আশ্রয় গ্রহণ ছাড়া তাহাদের গত্যন্তর থাকিত না। এইজন্য দেখা যায় ঠাকুরবাড়িতে পুত্র-পৌত্রাদির সহিত দৌহিত্র-দৌহিত্রিগণ সমভাবে লাপিত হইতেছে এই বহু সন্তানসমস্বিত আতীয়- কুটুম্ববেষ্টিত সংসারে রবীন্দ্রনাথ আবিভূতি হন।

11100012980100--1756660 170 ০55 19377 965 224514182 (7056 নিত 01856788007), ৮68৮5৮ 0০0817088 (০6176617815 তত 800060 ৬০1, 1, 0. 2. সত্স্রনাথ ঠাকুর : আমার বাল্যকথ! আমার বোস্বাই প্রবাস, প্‌ ৩৭।

ধা ১৮৬১-৬৮ ২৩

ভৃত্যরাজক তন্ত

রবীন্দ্রনাথ 'জীবনস্মতিণতে তাহার শিশুজীবনের এক পর্বকে 'ভৃত্যরাজক তঙ্্' আখ্যা দিয়াছেন। ধনীর গৃহে শিশুদের তত্বাবধানের ভার ন্যস্ত থাকে দাসদাসীদের উপর ভূত্যদের হেপাজতে তাহাদের মহলে বালকদের অধিকাংশ সময় কাটে। বাড়ির বাহির হওয়া নিষেধ, কর্তাদের আভিজাত্যে আঘাত লাগে; বাড়ির ভিতরেও যখন-তখন যাওয়ার অনুমতি মিলে না মেয়েদের আরামে ব্যাঘাত জন্মে। বাড়িতে নৃতন বধু আমিলে তাহার সহিত পরিচয় লাভের ইচ্ছা বালকদের পক্ষে নিতান্ত স্বাভাবিক, অথচ সেই সহজ আনন্দ-আবেগ প্রকাশের স্থযোগ হইতে তাহারা বঞ্চিত; কল্পনা- প্রিয় বালকের মন কেবলই সেই নবাগতার পরিচয় লাভের জন্য লালায়িত হইয়া! ঘুরিয়! বেড়াইত 1১

শিশুদের দিন কাটিত বাহিরবাড়িতে দোতলার দক্ষিণপূর্ব কোণের একখানি ঘরে, চাকরদের মহলে। ভূত্যদের হৃদয়হীন ব্যবহার বালককে কিরূপ পীড়িত করিত, তাহা “জীবনস্থতি'র পাঠক অবগত আছেন। বৃদ্ধবয়সে রচিত “ছেলেবেলায় উহা বিস্তৃতভাবেই বণিত হইয়াছে ; শেষবয়সে লেখা 'গল্পসল্প'-এ এ-সব স্বতি উকিঝু"কি দিয়াছে শেষ- দিককার কাব্যেব মধ্যেও পুরাতন কথ! প্রায়ই পাওয়া যায়। ভৃত্যেরা নিজেদের কর্তব্যকে সরল করিবার জন্ত যেসব অদ্ভুত পন্থা অবলম্বন করিত তাহা শিশুর দেহগঠন বা মনোবিকাশের আদৌ অনুকূল ছিল না; ফলে একপ্রকার অনাদরের মধ্যে তাহাদের দিন কাটিত। খাওয়ানো-পরানো সাজানো-গোজানোর প্রতি অতিরিক্ত মনোসংযোগের ফলে আজকালকার শিশুদের দেহয়নকে যেমন ঠাসিয়া ধরা হয়, ঠাকুরবাড়ির এই শিশুদের ভাগ্যে সেটা পুরামাত্রায় জোটে নাই; খানিকট! অনাদবে অবহেলায় মানুষ হইবার স্থযোগ লাভ করাতেই কোধ হয় রবীন্দ্রনাথের মধ্যে ব্যক্িস্বাতস্থ্য উদবৃদ্ধ হইবার অবকাশ মিপিয়াছিল। আজকাল শিশুদের “মাহৃয' কর! সম্বন্ধে যেসব কৃত্রিম বৈজ্ঞানিক শিক্ষাপন্ধতি ধনীগৃহে অন্শ্ৃত মধ্যবিত্ত ঘরে অনুকৃত হয়, তাহ] সেঘুগে অজ্ঞাত ছিল। সেইজগ্য ঠাকুরবাড়ির শিশুজীবনের যে-চিত্ত কবি বর্ণনা করিয়াছেন, তাহ! বর্তমানে দীনতম মধ্যবিত্ত পরিবারের শিশুদেরও কামা নছে। “বয়স দশের কোঠা পার হইবার পূর্বে কোনোদিন কোনে! কারণেই মোজ পরি নাই শীতের দ্বিনে একট] সাদা জামার উপরে আর-একটা সাদা জামাই যথেই ছিল” | বর্ণনা দিতে আজকাল সাধারণ গৃহস্থঘরের ছেলেও লজ্জা বোধ করিবে।

যাহাই হউক, ঘটনাসমূহকে কেবল ঘটনা বলিয়া দেখিলে তাহাদের বাস্তবতা সম্বন্ধে উদাসীন হওয়া যায়। কিন্ত ঘটনাকে তাহার স্বাভাবিক পরিপ্রেক্ষণা হইতে বিচ্ছিন্ন করিয়া দূরকালের মধ্যে ফেলিয়! দেখিলে উহ্নাকে অনাবশ্তক বৃহৎ তীব্র করিয়] দেখা হয় | কবিচিত্তের এই বিশেষ ধর্ম হইতেই তিনি সামান্ত ঘটনাকে বারংবার বলিতে বলিতে এমন একটি কাবাময় লোকে উত্তীর্ণ করিয়া দিতেন, যেখানে বাস্তব কল্পনা অঙ্গাঙ্গীতাবে যুক্ত হইয়া! নৃতন ব্ধূপ বসের সৃষ্টি করে এবং অবশেষে সাহিতাধর্সী হইয়] উজ্জল হুন্দর হইয়া! উঠে। রুবীন্দ্রপাহিত্যে তাহার শিশুজীবনের বর্ণনা অপন্কপ সৌন্দ্ষে প্রকাশিত হইয়াছে; বাস্তবতার রূঢলোক হুইতে কল্পনার অসীম সৌন্দ্ষমধ্যে তাহার পরিপূর্ণতা ।২

বাহিরের ঘরে ভৃত্যদের হেপাজতে বন্দী অবস্থায় বামকালে এই শিশুর একমাত্র সঙ্গী ছিল সম্মুখের মুক্ত বাতায়নের মধ্য দিয়া দৃশ্ঠমান জগতের শোভা ঘরের “জানালার নীচেই একটি ঘাট-বীধানো পুকুর ছিল। তাহার পূর্বধারের প্রাচীরের গায়ে প্রকাণ্ড একট] চীনা বট-_ দক্ষিণধারে নারিকেলশ্রেণী |... গণ্ডিবদ্ধনের বন্দী” হইয়া “জানলার খড়খড়ি

জ্যোতিরিক্্রনাথের বিবাহ হয় কাদন্বরী দেবীর সহিত (২৩ আঘাঢ় ১২৭৫ | জুলাই ১৮৬৮ ) বিশ বৎসর বয়স্ক যুবকের সহিত নয় বৎসরের বালিকার বিষাহ হইল। রবীন্্রনাথের বয়স তখন নাত বংসর। তু. 'বধূ' কবিতা রচিত (২৫ অক্টোবর ১৯৩৮), আকাশপ্রদীপ রবীন্র-রচনাবলী ২৩, পৃ ৮৪। তু, ধ্বদি (২১1১*১৯৩৮ ) আকাশপ্রদীপ রবীন্রর-রচনাবলী ২৩, পৃ ৮২, সাধী (১৬ জুলাই ১৯৩২ )॥ পরিশেষ। রবীন্্-রচনাবলী ১৫) পৃ২৫৭। পথে পথের প্রান্তে, ৩২ নং পত্র, ১৪ মার্চ ১৯২৯।

২৪ রবীন্জজীবনী ধ্ষ্টাব ১৮৬১-৬৮

খুলিয়া প্রায় সমস্তদিন সেই পুকুরটাকে একখানা ছবির বছির মতো! দেখিয়া! দেখিয়া কাটাইয়া” দিতেন। বনুকাল পরে কৰি গাহিয়াছিলেন “আমার এই পথ-চলাতেই আনন্দ, ; সেই শিশুকালেও সেই পথ চাওয়াতে ছিল বালকের পরিপূর্ণ আনন্দ মন ভরিয়া উঠিত রূপকল্পনায় ছন্দরচনায় স্বরযোজনায় ; কিন্তু তখনো তাহা মুকুলের ন্যায় মুদিত, শোভায় সৌরভে সার্থক হয় নাই। এই পুকুরের ছবিখানি যৌবনের দিনে লেখনীর বেখায় ছন্দে গাথিয়াছিলেন 'প্রভাত-সংগীত' কাব্যের পুনখ়িলন” কবিতায় 'পুকুর গলির ধারে, বীধাঘাট একপারে' ইত্যাদি পংক্তিতে। পুকুরপারের চীনা বটকে উদ্দেশ করিয়া বলিয়াছেন__ ্‌ নিশিদিশি দীড়িয়ে আছ মাথায় লয়ে জট, ছোটে] ছেলেটি মনে কি পড়ে, ওগো প্রাচীন বট।১ জীবন-সায়াহ্ছে এই পুকুরের স্থৃতি লইয়া লেখেন জল” কবিতা পুলকিত সাবধানে নামিতাম স্নানে, গোপন তরল কোন্‌ অদ্বষ্টের স্পর্শ সর্ব গায়ে ধরিত জড়ায়ে। হর্ষ-সাথে মিলি ভয় দেহময় রহস্য ফেলিত ব্যাপ্ত করি।

পুকুরুটির আর-একটি আকর্ষণ ছিল; রাস্তার ধারে বাধানে নালা দিয়া জোয়ারের সময় গঙ্গার জল আসিয়া পুকুরে পড়িত। সেই জলপড়ার কলধ্বনি ফেনরাশি শিশুকবির চিত্তকে নানা ছন্দে ছবিতে ভরিয়া তুলিত | ছেলেবেলায় কৰি লিখিয়াছেন, “ঠাকুরদার আমল থেকে সেই নালার জলের বরাদ্দ ছিল আমাদের পুকুরে যখন কপাট টেনে দেওয়া হত, ঝর্ঝর্‌ কল্কল্‌ করে ঝরনার মতো জল ফেনিয়ে পড়ত। মাছগুলো উদ্টো৷ দিকে ঈ্লাতার কাটবার করত দেখাতে চাইত। দক্ষিণের বারান্দার রেলিঙ ধরে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকতুম ।”*

বালকের আর-একটি আকর্ষণের স্থান ছিল “বাড়ির ভিতরেরু বাগান' ; স্থানটিকে বাগান বলিবার কোনো সংগত কারণ ছিল না) ছুই-চারিটা অযত্ররক্ষিত গাছ ছাড়া সেখানে কিছু ছিল না। অথচ শ্রিশু “শরৎকালের ভোরবেলায় ঘুম ভাঙিলেই এই বাগানে আসিয়া উপস্থিত" হইত, যেন কি অসম্ভব তাহার অপেক্ষায় আছে-। “সে তখন ছেলেবেলা রজনী প্রভাত হলে, তাড়াতাড়ি শয্যা ছাড়ি ছুটিয়া যেতেম চলে-_ সারি সারি নারিকেল বাগানের এক পাশে, বাতাস আকুল করে আত্রমুকুলের বাসে ।”৪ ইত্যাদি পংক্তির মধ্যে সেই-বাগানের স্থৃতি প্রচ্ছপ্ন।

কর্পনাকুশল বালকের বিশ্বাস করিবার শক্তি ছিল অপরিসীম ; কেহ মিথ্যা বলিতেছে বা ঠকাইতেছে এধারণ] করা তাহার পক্ষে অনস্ভব ছিল। সঙ্গীদের মধ্যে ভাগিনেয় সতাপ্রসাদ ছিলেন দুরন্ত ; যত-কিছু অদ্ভূত কথা সৃষ্টি করিয়া ক্ষুদ মাতুলটিকে অভিভূত করিতে তাহার অতুল আনন্দ ছিল। '“পুলিসম্যান? 'পুলিসম্যান' হাকিয়া তিনি মাতুলকে কি ভাবে

পুরান! বট বালক, ভাত্র ১২৯২1 (শিশু) রবীজ-রচনাবলী », পৃ ১*।

জল (২৬ অক্ট বর ১৯৩৮ ), আকাশগ্রদীপ | রবীন্্র-রচনাধলী ২৩, পৃ২৬।

কলিকাতায় তখনো কলের জল হয় নাই। ঠাকুরবাড়ির পানীয় জল অমিত লালদিখি হইতে ছাড়! মাথ মাসে গঙ্গ। হইতে জল আনাইয়! বড় বড় জালা ভরিয়া রাখা হইত; তাহাতেই সম্বংসর কাজ চলিয়! যাইত। ভ্্. জ্যোতিরিক্রনাণের জীবনস্থৃতি, পৃ ৬১।

পুনমিলন, ভারতী, চৈত্র ১২৮৯, পৃ ৫৭৫-৭৮। প্রভাত'সংগীত, রবীন্ত্র-রচনাবলী ১, পৃ ৭*।

গ্্টাব ১৮৬১৬৮ আর্টের আবহাওয়া ২৫

ভয় দেখাইয়াছিলেন শাস্তিনিকেতন-যাত্রার পূর্বে কি-সব অদ্ভূত কথা বলিয়া দিয়াছিলেন তাহা জীবনস্থতি-পাঠকের অজ্ঞাত নহে। সত্যগ্রসাদের ভগ্লী ইবাবতী ছিল রবীন্দ্রনাথের খেলার সঙ্গিনী এই বালিক1 “রাজার বাড়ি” সম্বন্ধে প্রহেলিকাপূর্ণ ইঙ্গিত করিয়া বালককে কি ভাবে উতলা করিয়া তৃলিত, মে কথা কৰি নানাস্থানে বর্ণনা করিয়াছেন। এই কয়টি পংক্তি যে-কবিত1 হইতে উদ্ধৃত হইল, সেটি “শিশু” কাব্যের স্থপরিচিত “রাজার বাড়ি কবিতা আমার রাজার বাড়ি কোথায় কেউ জানে না সে তো! সে বাড়ি কি থাকত যদি লোকে জানতে পেতো বৃদ্ধবয়সে রচিত “গল্পসল্পে' এই শিশুকালের স্মতি দিয়ে গড়া রাদবাড়ির কথ! পুনরায় বলিয়াছেন সেখানে কবি একটা কথা কবুঙ্গ করিয়াছেন, “সকলেরই মধ্যে একটা বাসা করে থাকে বোকা, সেইখানে ভালো! করে বোকামি চালাতে পারলে মানুষকে বশ করা সহজ হয়।” সামান্ত লোকের কথা বিশ্বাস করিয়া অসস্তবকে সম্ভব মনে করিবার অপরিসীম ক্ষমতা ছিল তাহার; ক্ষুদ্র ব্যক্তিকে কল্পনার রঙে আদর্শবাদী গড়িয়াছেন; অযোগাপাত্রে বিশ্বাস স্থাপন করিয়া বারে বারে হতাশ হইয়াছেন; তবুও মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা কোনোদিন হারান নাই। যাহাই হউক, "রাজার বাড়ির মধ্যে যে কোনো অলীকতা থাকিতে পারে, তাহা বালকের কল্পনার অতীত ছিল। কিন্ত মনশ্চক্ষে তিনি যে রাজার বাড়ি দেঁখিতেন, তাহা চতুব! বর্ণনাকাবিণী কখনো দেখিতে পায় নাই। এই বাল্কালেই আর-কোনো-একটি সঙ্গিনীর কথা ম্মরণ করিয়াই কি কবি “মানসন্থন্দরী” (৪ পৌষ ১২৯৯ ) কবিতায় লিখিয়াছিলেন-_ মনে আছে কৰে কোন্‌ ফুল্পুখীবনে, বছুবাল্যকালে, দেখা হত ছুই জনে আধো-চেনাশোনা? তুমি এই পৃথিবীর প্রতিবেশিনীর মেয়ে, ধরার অস্থির এক বালকের সাথে কী খেল! খেলাতে সতী, আসিতে হাপিয়া, তরুণ প্রভাতে... তাহার যৌবনে লেখা একখানি পত্র -মধো এই শৈশবের কথা লিখিয়াছিলেন, “মনে আছে এক-একদিন সকালবেলায় অকারণে অকম্মাৎ খুব একটা জীবনানন্দ মনে জেগে উঠত তখন পৃথিবীর চারি দিক রহন্তে আচ্ছন্ন ছিল।... গোলাবাড়িতে একটা বাখারি দিয়ে রোজ রোজ মাটি খু'ড়তুম, মনে করতেম কি একটা! বহস্ত আবিষ্কার হবে। দক্ষিণের বারান্দার কোণে খানিকটা ধুলো জড় করে তার ভিতর কতকগুলো আতার বিচি পুঁতে রোজ যখন-তখন জল দিতেম-_ ভাবতেম এই বিচি অস্কুরিত হয়ে উঠলে সে কি একটা আশ্চর্য ব্যাপার হবে। পৃথিবীর সমস্ত রূপ-রস-গন্ধ, সমস্ত নড়াচড়া আন্দোলন-_ বাড়ির ভিতরের বাগানের নাবিকেল গাছ, পুকুরের ধারের বট, জলের উপরকার ছায়ালোক, বাস্তার শব্দ,

চিলের ডাক, ভোরের বেলাকার বাগানের গন্ধ, ঝড়বাদলা__ সমস্ত জড়িয়ে একটা বৃহৎ অর্ধপরিচিত প্রাণী নানা মৃতিতে আমায় সঙ্গ দান করত ।”১

আর্টের আবহাওয়া বাল্যকালের যেসব স্মৃতি রবীন্দ্রনাথের খুবই স্পষ্ট, তাহাদের অন্ততম হইতেছে তাহাদের বাড়ির সাহিত্যিক সাংস্কৃতিক আবহাওয়ার কথা। গণেক্রনাথ প্রমুখ যুবকগণের মধ্যে সাহিত্য সংগীত নাট্যকলার প্রতি যে অকৃত্রিম অনুরাগ ছিল,

পত্র ১৮৯২ জর. জীব্নস্মতির খসড়া, বিশ্বস্কারতী পত্ধিকা, ২য় বর্ষ। ২য় সংখা ১৩৫*, পৃ ১১২। তু. আতার বিচি, ছড়ার ছবি। রবীজ্-রচনাধলী ২১। পৃ |

২৬ ঝববীক্জীবনী টা ১৮৬১-৬৮

তাহার কথ! জীবনস্থতিতে কৰি বিস্তৃতভাবেই বলিয়াছেন গণেন্্রনাথের বৈঠকথানা৷ প্রান্নই গীতে নাট্যে হামি-উদ্্বাসে মুখরিত থাকিত। ছুঃখের বিষয় তথায় যেসব আমোদপ্রমোদ চলিত তাহা সর্বতোভাবে শ্রেষ্ঠ আর্ট-আশ্রয়ী ছিল না। এতদ্সন্বেও বহু সদ্‌গুণে তাহারা ভূষিত ছিলেন রবীন্দ্রনাথ জীবনম্থতিতে লিখিয়াছেন, “বাংলার আধুনিক যুগকে যেন তাহারা সকল দিক দিয়াই উদ্*বাধিত করিবার চেষ্টা করিতেছিলেন। বেশে-ভূষায় কাব্যে-গানে চিত্রে-নাট্যে ধর্মে- স্বাদেশিকতায় সকল বিষয়ে তাহাদের মনে একটা সর্বাঙ্ষসম্পূর্ণ জাতীয়তার আদর্শ জাগিয়া উঠিয়াছিল।”,

গণেন্ত্রনাথের ভ্রাতা গুণেন্্রনাথ রবীন্দ্রনাথের জ্যেষ্ঠ সহোদর জ্যোতিরিজ্ত্রনাথ-_ উভয়েরই নাট্যাভিনয়ের _ দ্দিকে প্রবল আকর্ষণ ছিল; তাহাদের চেষ্টায় জোড়ার্সাকোর বাড়িতে একটি নাটকীয় দলের গঠন হয়। কিছুকাল হইতে প্রবামী ইংরেজদের থিয়েটরের অন্নকরণে কলিকাতার ধনী গুণী লোকেরা নিজ নিজ বাড়িতে নাট্যাভিনয়ের আয়োজনে রত হন। প্রথম প্রথম ইংরেজি নাটকের ছায়াবলম্বনে নাটক লিখিয়! অথবা সংস্কৃত নাটকের অনুবাদ করাইয়া অভিনয় হইত। কলিকাতার অন্যান্ত ধনীদের ন্তায় ঠাকুরবাড়ির যুবকেরাও এই প্রচেষ্টায় সম্পূর্ণভাবে যোগদান করিয়াছিলেন। অভিনয়ের আয়োজন, নাটকনির্বাচন প্রভৃতি কার্ধের জন্য এক পঞ্চায়েত-সভা (কমিটি অব্‌ ফাইভ) গঠিত হয়। কেশবচন্দ্রের ভ্রাতা কষ্কবিহারী সেন২ জ্যোতিরিন্দ্রনাথ গুণেন্্রনাথ যছুনাথ মুখোপাধ্যায় অক্ষয় চৌধুরী__ ইহার পঞ্চ সমস্ত ; বলা প্রয়োজন এই যুবকদের বয়স তখন উনিশ হইতে পচিশের মধ্যে এই কমিটির ঘোষণাক্রমে (১৮৬৫) রামনারায়ণ তর্করত্ব (১৮২৩-৮৫ ) নিবনাটক? রচনা করেন এই নাটকের প্রথম অভিনম্ম যখন হয় (৫ জানুয়ারি ১৮৬৭) তখন রবীন্দ্রনাথের বয়স ছয় বখসর মাত্র উপযু্পরি নয় বার এই নাটকখানি ঠাকুরবাড়িতে অভিনীত হয়। ইহার স্বৃতি রবীন্দ্রনাথের মন হইতে একেবারে কান হইয়া যায় নাই ।* স্বতরাং কথা আমরা নি:সন্দেহে বলিতে পাবি যে, রবীন্দ্রনাথ তীহার বাল্যকালে নাটক অভিনয়ের ষে দৃষ্টান্ত আদর্শ স্পষ্ট বোধের অগোচরে উপলব্ধি করিয়াছিলেন, তাহা বাংলাদেশের যাত্রাগান কৃষ্ণলীলা নিমাইসন্গাস নহে, তাহা সম্পূর্ণ ফুরোপীয়-আদর্শে গড়া থিয়েটরের অন্থকরণে রচিত নাটকেব অভিনয় এইসব অভিনয়ের ক্ষীণ স্বৃতিকণিকাগুলি বালকের অবচেতন মনের স্তরে সঞ্চিত ছিল এবং উত্তরকালে তাহারাই পূর্ণাঙ্গ আর্ট রূপে কবির জীবনে প্রকাশ পায়

রবীন্দ্রনাথের বাল্যবয়সে বাড়িতে কাব্য-সাহিত্যের আলোচনার একটা শ্লোত বহিয়া! চলিতেছিল। ছিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর 'মবপ্নপ্রয়াণ' কাব্যরচনায় মগ্্ন।* রবীন্দ্রনাথ এ-সম্বন্ধে লিখিতেছেন, “বড়দাদা লিখিতেছেন আর শুনাইতেছেন, আর তাহার ঘন ঘন উচ্চহাস্টতে বারান্দ। কাপিয়া উঠিতেছে বসন্তে আমের বোল যেমন অকালে অজন্র ঝরিয় পড়িয়া গাছের তল! ছাইয়। ফেলে, তেমনি স্বপ্রপ্রয়াণের কত পরিত্যক্ত প্র বাড়িময় ছড়াছড়ি যাইত তাহার ঠিকানা নাই ।” তিনি অন্তত্র লিখিয়াছেন, “আমি ঘরের একটি কোণে বসিয়! বা দরজার আড়ালে দাড়াইয়া তাহা (স্বপ্নপ্রয়াণ ) শুনিবার চেষ্টা করিতাম।."' শুনিয়া তাহার বহুতর স্থান আমার মুখস্থ হইয়া গিয়াছিল।”* সাহিত্যের রসগ্রাহিতা যেমন ঠাকুর- পরিবারের ছেলেমেয়েদের পক্ষে অত্যন্ত স্বাভাবিক ছিল, গীতকুশলতা৷ ছিল তেমনি তাহাদের প্রকৃতিগত। শিশ্তকাল হইতে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন স্থক : তিনি লিখিয়াছেন, “কবে যে গান গাহিতে পারিতাম না তাহা! মনে পড়ে না।”

গণেত্রনাথ ২৮ বৎসর বয়সে ওলাউঠ। রোগে মারা যান (১৬ মে ১৮৬৯ )। ইনি বিক্রমোর্বশী সংস্কৃত নাটকটি বাংলা গছা পদ্যে অনুবাদ ( জাগুয়ারি ১৮৬৯ ) 'ভ্ঞান ধর্মের সামগ্রন্ত' পুত্তকাকারে লিখিয়াছিলেন। বিখ্যাত ব্রহ্ষসংগীত “গাও হে ঠাহার নাম রচিত ধার বিশ্বধাম' ইহারই রচন|।

কৃষ্বিহারী সেন এম. এ. (১৮৪৭-৯৫ ) জোষ্ঠ ভ্রাতার প্রভাবে ত্রাক্ষধর্ম গ্রহণ করেন হুবক্তা সুলেখক | 'অশোকচরিত'-এর গ্রন্থকার

ড্র" অবনীঙ্গীনাথ রানী চলা: ঘরোয়া, পৃ »৮-১*৩। বজেনতরনাথ বন্দোপাধ্যায় : বঙ্গীয় নাট্যশালার ইতিহাস।

স্বপ্রপ্রয়াশের সমালোচনা : সতীশচজ রায়, বঙ্গদর্শন ১৩*৯। প্রীকানাই সামন্ত, বিথভ।রতী প্বিকা ১৩৫২।

& জীবনম্বৃতির খলড়া, বিশ্বভারতী পত্রিকা হয় বর্ষ, ২য় সংখ্যা, ১৩৫৭

ধা ১৮৬১-৬৮ আর্টের আবহাওয়। ২৭

বালকের এই ন্ৃকণ্ঠের জন্ত তাহার আদর ছিল সর্বজ্র। তাহার এই শিশুকালের গানের প্রধান সমঝদার ছিলেন প্রীকঃ সিংহ১_ দেবেন্দ্রনাথের বন্ধু তক্ত। শ্রীক£ ছিলেন বিশ্ববন্ধু, আবালবৃদ্ধবনিতা সকলেই ছিল তাহার সমবয়সী, অন্তরঙ্গ আত্মীয়সদূশ। 'ছেলেবেলা"য় কবি তাহার সম্বন্ধে লিখিয়াছেন, “আমাদের বাড়ির বন্ধু শ্রুকষ্ঠবাবু দিনরাত গানের মধ্যে তলিয়ে থাকতেন। বারান্দায় বসে বসে চামেলির তেল মেথে ন্গান করতেন ; হাতে থাকত গুড়গুড়ি, অন্ুরি তামাকের গন্ধ উঠত আকাশে, গুন্‌ গুন্‌ গান চলত, ছেলেদের টেনে রাখতেন চার দিকে তিনি তো গান শেখাতেন না) গান তিনি দিতেন, কখন তুলে নিতুম জানতে পারতুম না। ফুত্তি যখন রাখতে পারতেন না, দাড়িয়ে উঠতেন, নেচে নেচে বাজাতে থাকতেন সেতার, হাসিতে বড়ে। বড়ে। চোখ জল জল্‌ করত, গান ধরতেন-_ “য় ছোড়ে? ব্রজকী বাসরী?। সঙ্গে সঙ্গে আমিও না গাইলে ছাড়তেন না।”

আদি ব্রাঙ্মসমাজের গায়ক বিষুচন্দ্র চক্রবর্তী২ (১৮*৪-১৯০* ) ছিলেন ইহাদের বাড়ির গীতশিক্ষক ; ঞ্রপদী বলিয়া তাহার খ্যাতি ছিল। ইনিই রবীন্দ্রনাথের প্রথম সংগীতগুরু। “ছেলেবেলা"য় কৰি লিখিয়াছেন, “যে কয়দিন আমাদের শিক্ষা দেবার কর্তা ছিলেন সেজদাদা, ততদ্দিন বিষুর কাছে আন্মনাভাবে ব্রহ্ষলংগীত আউড়েছি।” ইহার সম্বন্ধে কবি অন্তত্্ বলিয়াছেন, “প্রত্যহ শুনেছি সকাল-সন্ধ্যায় উৎ্সবে-আমোদে উপাসনামন্দিরে তার গাঁন। ঘরে আমার আত্মীয়ের! তন্থুর] কাধে নিয়ে তার কাছে গান চর্চা করেছেন। আমার দাদার] তানসেন প্রভৃতি শুশীর রচিত গানগুলিকে আমন্ত্রণ করেছেন বাংলা ভাষাম্ম। এর মধ্যে বিস্ময়ের ব্যাপার এই, চিবাভ্যন্ত মেইমব প্রাচীন গানের নিবিড় আবহাওয়ার ভিতর থেকেও তারা আপন মনে যেসব গান রচনা প্রবৃত্ত হয়েছেন তার রূপ তার ধারা সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র ।”০

আর-একটু বড় বয়সে যদুভট্রের নিকট তিনি গানে যে-শিক্ষা গ্রহণ করেন, তাহার প্রভাবই জীবনে স্থায়ী হয়।ঃ সে-যুগে ধনীদের গৃহে গানের জন্য বাধা ওস্তাদ থাকিত। ধনীর পৃষ্ঠপোষকতা ব্যতীত তাহাদের আর কোনে। গতি ছিল না, দেবেজ্্রনাথের গৃহে সংগীত নৃতন রূপ নূতন প্রাণ পাইয়াছিল। রাজা রামমোহন রায় ধর্মমন্দিরে সংঘ- উপাসনার প্রবর্তক ; মন্দিরে উচ্চাঙ্গে তাল-মান-লয়-সংযোগ গানের প্রবর্তন তিনিই করেন। রাজার আরক্ধকার্ধ

আ্রীক্ সিংহ রায়পুরের ভুবনমোহন সিংহের পৌত্র ইহার কনিষ্ঠ ভ্রাতার পুত্র ( লর্ড ) সতোন্ত্রপ্রসন্ন নরে্রপ্রসন্ন সিংহ। বিঞ্লচন্ত্র চক্রবতী (১৮*৪-১৯**) পনি বার্ধকাশিবন্ধন ১৮*৪ শকের মাদ মাসে (ইং ১৮৮৩) আদি ত্রাক্মদমাজের গায়কপদ হইতে অবসর হণ করেন মে ১৯** (২২ বৈশাখ ১৮২২ শক) তারিখে ৯৬ বংসর বয়সে তাহার মৃতু! হয়__'তন্ববোধিনী পত্রিকা" ফাস্ভন ১৮৪ জো ১৮২২ শক ।"- শু. ব্রজেব্রনাথ বন্দোপাধ্যায়, রামমোহন রায় (জ্োষ্ঠ ১৩৬৭), সাহিত্য-সাধক-চরিতমাল। ১৬। শাস্তিদেব ঘোষ প্রণীত 'রবীন্ত্র সংগীত' হইতে উদ্ধৃত। বছুভট বা যছুনাধ ভটাচাধকে (১৮৪*-৮৩) দেবেজনাথ আহ্বান করিয়া আনিয়া ১৮৭* অব্ধে প্রথম তাহার গান শোনেন; তার কয়েক বংসর পর ঘহুনাথ ঠাকুয়বাড়িতে গানের জন্ত গৃহশিক্ষক নিযুক্ত হন। এই সময়ে তিনি কয়েকটি ত্রহ্মদংগীত রচনা করিয়াছিলেন। ঠাকুরপরিবারের সুত্রে ত্রিপুরার মহারাজ বীরচন্্র মাণিকোর সহিত তিনি পরিচিত হন; মহারাজ তাহাকে 'রঙ্গনাথ উপাধি দান করেন। তাহার করেকটি হিন্দি গানে রঙ্গনাথ নাম পাওয়া যায়। ত্রিপুরায় তিনি বাস করিতে যান নাই, তাহার বেশির ভাগ সময় কাটে ঠাকুরবাড়িতে। মাত্র ৪৩ বৎসর বয়সে এই অসামান্ত প্রতিভার মৃত্যু হয়। রবীন্দ্রনাথ জ্োতিরিক্্নাথ যদুভট্র-রচিত হিন্দি গান হুর লইয়! কয়েকটি বাংলা গান রচনা করেন।

সর রদেশচন্ত্র বন্দোপাধ্যায়, যছুভট, মাসিক বহুমতী, আষাঢ় ১৩৬১। শাস্তিদেব ঘোষ 'রবীন্-সংগীত গ্রন্থে বদুভট সম্বন্ধে আলোচন] করিয়াছেন। কবি লিখিয়াছেন “ছেলেবেলায় আমি একজন বাঙালি গুণীকে দেখেছিলাম, গান ধায় অন্তরের সিংহাসনে রাজমর্যাদায় ছিল ।-"* তিনি বিখাত বছুভট ।*"* আমাদের জোড়াসীকোর বাড়িতে থাকতেন, নানাবিধ লোক আসত তীর কাছে শিখতে; বাংলাদেশে এরকম ওস্তাদ জন্মায় নি। তার প্রত্যেক গানে একট] 0:141791155 ছিল, ধাকে আমি বলি স্বকীয়তা |” « রাজ রামমোহন রায় শ্বয়ং বহু ব্রদ্গসংগীতের রচয়িতা সাধারণ ব্বাহ্মনমাজ অন্ততুক্তি ত্রাহ্ধ যুবসমিতি কতৃক প্রকাশিত 'ত্রহ্মসগীত' গ্রন্থে রাজা স্বাযমোহন রায়, তাহার অনুবর্তী বন্তুগণ কতক রচিত কলিকাতা ত্রাহ্মদমাজে সাপ্তাহিক আরাধনাকালীন গীতের সংখ্যা ১*৪টি।

২৮ ববীজ্জীবনী খীষ্টাষ্ষ ১৮৬১-৬৮

দেবেজ্্রনাথের দ্বার! উজ্জীবিত হয়; তিনি আদি ব্রাহ্মসমাজ মন্দিরে উৎকৃষ্ট সংগীতের ব্যবস্থা করেন। ব্রহ্ষসংগীত তিনি স্বয়ং রচনা কবেন। ছিজেন্দ্রনাথ সতোন্দ্রনাথ জ্যোতিবিন্দ্রনাথ গুণেজ্জনাথ নানারকম হিন্দি গান হইতে স্থর আহরণ করিয়! বা হিন্দি গান ভাঙিয়া ব্রন্ষসংগীত রচনায় প্রবৃত্ত হন। রবীন্দ্রনাথের সম্মুখে ভগবৎবিষয়ক সংগীতরচনার আদর্শ তাছারা স্থাপন করিয়া গিয়াছিলেন।

ষছুভট্টের শিক্ষাধীন অবস্থায় সবিশেষ চেষ্টা ্বার| রবীন্দ্রনাথকে মার্গ-সংগীত আয়ত্ত করিতে হইয়াছিল; কিন্তু তিনি নিয়মিতভাবে গান কখনো শেখেন নাই কথা অন্ত পাঁচট। বিষয় সম্বদ্ধেও যেমন সত্য, গান সম্বন্ধেও তেমনি সত্য। তিনি লিখিয়াছেন, “ইচ্ছেমতো কুড়িয়ে-বাড়িয়ে যা পেয়েছি ঝুলি ভন্তি করেছি তাই দিয়েই। মন দিয়ে শেখ! যদি আমার ধাতে থাকত তা হলে এখনকার দিনের ওন্তাদব1! আমাকে তাচ্ছিল্য করতে পারত না” “কুড়িয়ে-বাড়িয়ে' যাহা! পাইয়াছিলেন তাহা হইতেছে দেশী গান, নানা লোকের মুখ হইতে শোনা__ দাসদাসী কর্মচারী ভিখারী-বাউল মাঝি- মালার গান। এইসব বিচিত্র স্থরতরঙ্ক বালককে প্রবলভাবে আকর্ষণ করিত এইসব গানের ভাষা! ভাব ম্পর্শচেতন ভাবপ্রবণ বালকের চিন্তীকাশে যে সধবর্ণের হোলিখেলা! খেলিত, উত্তরকালে স্থরস্থতিতে সেসব কিভাবে কাজে লাগিয়াছিল, তাহা বিশ্লেষণ করা কঠিন; কিন্তু ইহাদের প্রভাব স্থনিশ্চিত |

শিক্ষাকাল

অক্ষর-পরিচয়ের পূর্বে শিশুর শিক্ষা! শুরু হয় ছড়া রূপকথার অরূপরাজ্যে রবীন্দ্রনাথ ছড়ার রসকে বালারস আখা দান করিয়্াছেন। ছড়ার অসমছনোর অর্থহীন শবঝংকার শিশুর চিত্রে যে-দোল] দেয়, ব্ূপকথার তেপান্তরের মাঠের মোহন ছবি শিশুর শিক্ষ|-অপটু মনকে যে-্বপ্ররাজ্যে লইয়া যায়, তাহার সহিত পর যুগে আহত জ্ঞানবিজ্ঞানের আদৌ তুলনা হয় না। রবীন্দ্রনাথের ন্যায় কল্পনাপ্রিয় ভাবপ্রবণ শিশুর মনে ছড়ার ছন্দ রূপকথার কাহিনী যে-তরঙ্গ সরি করিত তাহার ধ্বনিপ্রতিধ্বনি রবীন্দ্রসাহিত্যে বারে বারে দেখা দিয়াছে শিশুকবি শিশুশিক্ষার প্রথম পাঠ লইয়াছিলেন একটি ছড়ার ছন্দ হইতে গুরুমহাশয়ের নিকট ঘণ্ট1 ধৰিয়া! বই লইয়া শিক্ষা পাওয়া যায় নাই। এই ছন্দের শিক্ষা কবিজীবনে কি ভাবে সার্থক হইয়াছিল তাহার হিসাব দেওয়া] জীবনীকারের সাধোর অতীত

বহুকাল পরে রূপকথার তত্ব সম্বন্ধে কবি স্বয়ং যাহা! লিখিয়াছিলেন তাহা! বোধ হয় বিষয়ের শেষ কথা | “রূপকথার সুন্দর মিথ্যাটুকু শিশুর মতো] উলঙ্গ, সত্যের মতো! সরল, সছ্য উৎসারিত উৎসের মতো স্বচ্ছ; আর এখনকার দিনের স্থচতুর মিথ্যা মুখোশপরা মিথ্যা ।-." শিশুকালে আমরা যথার্থ রসজ্ঞ ছিলাম, এইজন্য ঘখন গল্প শুনিতে বসিয়াছি, তখন জঞানলাভ করিবার জন্ত আমাদের তিলমাত্র আগ্রহ উপস্থিত হইত না এবং অশিক্ষিত সরল হৃদয়টি ঠিক বুঝিত আসল কথাটা কোন্টুকু।”,

শিশুকালের যেসব কথা তাহার স্মরণে ছিল, তাহাদের অন্যতম হইতেছে এই ছড়ার রাজ্যে বিচরণের স্বতি-- বাড়ির খাজাঞ্চি কিশোরী চাটুজ্জের কথা। অতি ভ্রতবেগে মস্ত একট! ছড়ার মতো বলিয়া বলিয়া বালকচিত্তে তিনি কি-যে একটা! চঞ্চলতা স্থষ্টি করিতেন সে কথা জীবনস্থৃতিতে ব্যক্ত হুইয়াছে। সেই ভ্রুত উচ্চারিত অনর্গল শব্দচ্ছটা! এবং ছন্দের দোলাই ছিল আকর্ষণের প্রধান বিষয় | কবি লিখিয়াছেন, “শিশুকালের মাহিত্যরস ভোগের এই ছুটো মস্তি এখনো জাগিয়া আছে; আর মনে পড়ে, “বৃষ্টি পড়ে টাপুর-টুপুর, নদেয় এলে! বান, ওই ছড়াটা যেন শৈশবের মেঘদূত |”

অসম্ভব গল্প, রবীশ্্র-রচনাবলী ১৮, পৃ ২৭।

খ্রীষ্টাব্দ ১৮৬১-৬৮ শিক্ষাকাল ২৯

এই স্থতিটার ছবি আকেন “ছড়ার ছবি'তে “বালক” কবিতায়; “ছেলেবেলা'র মুখবন্ধেও ওই কবিতাটি মুদ্রিত হয়। তার এক জায়গায় আছে-_ কিশোরী চাটুজ্ছে হঠাৎ জুটত সন্ধ্যা হলে-__ বা হাতে তার থেলো। ছুকো, চাদর কাধে ঝোলে। দ্রুত লয়ে আউড়ে যেত লবকুশের ছড়া থাকত আমার খাতা লেখা, পড়ে থাকত পড়া মনে মনে ইচ্ছে হত, যদিই কোনো ছলে ভরতি হওয়া সহজ হ'ত এই পাচালীর দলে, ভাবনা মাথায় চাপত নাকে ক্লাসে ওঠার দায়ে, গান শুনিয়ে চলে যেতুম নতুন নতুন গায়ে বাঙালির ঘরে খুব কম বয়সেই ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা আরস্ত হয়। সেকালে শিশুদের জন্য বিশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল অজ্ঞাত, বিশেষ শিক্ষাপদ্ধতি ছিল 'অনাবিক্কত, বাড়িতেই অভিভাবকগণ পড়াশুনার তদারক করিতেন, গুরুমহাশয়' ঠাকুর-দালানে পড়াইতেন, বাড়ির পাড়ার শিশুরা মকলেই একত্রে পড়িত। আজকালকার শিশুদের চিত্তবিনোদনের জন্য অসংখা শিশুপাঠ্য গ্রন্থ, বহুবর্ণে চিত্রিত বই, শিক্ষণীয় খেলার সরঞ্জাম, নানা তথ্যপূর্ণ সচিত্র মাসিকপত্র বাধিকী পাওয়া যায়। সে-যুগে এসব ছিল সম্পূর্ণ অজান1) বাড়িতে শিশুদের অশ্ুকুল আবহাওয়া ছিল না, পাঠ্যগ্রস্থাদির অভাব ছিল বিস্তার, অভিযোগ ছিল কম। শিশুদের শিক্ষার জন্য নিত্যবরাদ্দ অন্নবাঞ্ুনের স্যায় পৃথক ভোজ্োর আয়োজন ছিল শনা! ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের 'ব্ণপরিচয়' ছিল সে-যুগের সর্জনবিদিত পাঠাপুস্তক ১, উহারই সাহাযো বঙ্গভাষা সাহিত্োের সহিত ভাবী কবির প্রথম পরিচয় ঘটে। প্রথম ভাগের “কর খল' প্রভৃতি বানানের তুফান কাটাইয়া সবেমাত্র যে দিন 'জল পড়ে পাতা নড়ে' পড়িতেছেন, সে-সম্থন্ধে লিখিয়াছেন “আমার জীবনে এইটেই আদি কবির প্রথম কবিতা” রবীন্্নাথ, তাহার অনতিজ্যেষ্ঠ “দাদা, সোমেন্দ্রনাথ ভাগিনেয় সত্যপ্রসাদ পড়াশুনা শুক করেন এক সঙ্গে, যদিও রবীন্গনাথ উভয় অপেক্ষা বয়সে ছোট বহুকাল পরে পদ্মাবক্ষে ফাল্গুনের (১২৯৮ ) এক উতল! দিনে-_ "মনে পড়ে সেই সন্ধ্যাবেলা শৈশবের ; কত গল্প কত বালাখেলা, এক বিছানায় শুয়ে মোরা সঙ্গী তিন -_ শৈশব সন্ধ্যা, সোনার তরী প্রায় সময়ে রচিত “কন্কাল' গল্পে “ভিন বাল্যসঙ্গী যে-ঘরে শয়ন? করিতেন তাহার উল্লেখ আছে। তাহারা তিনজনে যে-গুরুর নিকট প্রথম বিছ্যারস্ত করেন, ত্বাহার নাম ছিল মাধবচন্ত্র মুখোপাধ্যায়, বাকুড়া জিলার লোক জীবনস্থৃতিতে আছে যে, একদা বড়দের সহিত স্কুলে যাইবার জন্য তিনি কান্না জুড়িয়া দিলে গুরুমহাশয় প্রবল চপেটাঘাত করিয়া বলিয়াছিলেন, “এখন ইন্কুলে যাবার জন্য যেমন কাদিতেছ, না যাবার জন্য ইহার চেয়ে অনেক বেশি কাদিতে হুইবে।” রবীন্দ্রনাথের দ্বুলজীবনের কাহিনী পাঠের পর সকলেই স্বীকার করিবেন যে “এতবড়ো অব্যর্থ ভবিষ্বদ্বাণী [তাহার ] জীবনে আর কোনোদিন কর্ণ গোচর হয় নাই ।” কান্নার জোরে খুব অল্প বয়সে ওরিয়েপ্টাল সেমিনারিতে তি হইলেন। স্কুলের সময় ছাড়া বাপকদের অন্য সময়ের অনেকখানি কাটিত ভূত্য-অভিভাবক মহলে সেখানে যেসকল বই চলতি ছিল, তাহাদের মধ্যে চাণক্যঙ্লোক কৃত্তিবাসের রামায়ণ ছিল বালকদের বোধগম্য ভৃত্যদের মধ্যে ঈশ্বর ছিল ভূতপূর্ব

ঈত্বরচল্জ বিগ্াসাগয়ের বর্পপরিচয় ১ম ভাগ, এল ১৮৫, বৈশাখ ১২৬২ , ছ্বিতীয় ভাগ আষাঢ় ১২৬২ মাসে প্রকাশিত হইয়াছিল।

৩৪ রবীন্দর্জীবনী গ্রষ্টাব ১৮৬১-৬৮

গ্রামা গুরুমহাশয়। ঈশ্বর প্রায়ই সন্ধ্যার পর বালকদিগকে রামায়ণ-মহাভারত পড়িয়। শুনাইত। সে-যুগের মন্ধ্যাটা শিশুদের কাছে বিশেষ সুখের ছিল না; কারণ ভালো রোশনাই-এর বন্দোবস্ত সলভ হয় নাই, তখনো ঘরে ঘরে রেড়ির তেলের প্রদীপ বা সেজ জলে। কেবরোসিনের আলোর চল তেমন হয় নাই; গ্যাসের আলো শুরু হইয়াছে মাত্র, বিজলি বাতি তো অজ্জাতই ছিল। সেই নিরুজ্ঘল আলোর চাবি পাশে বসিয়া বালকেরা ঈশ্বরের নিকট রামায়ণ- মহাভারতের কাহিনী শুনিত।

শিশুকালে রবীন্দ্রনাথকে যেসব পাঠ্যপুস্তক পড়িতে হইয়াছিল, তাহার মধ্যে ঈশ্বরচন্দ্র বিগ্ভাসাগরের “বোধোদয়-এর কথা বৃদ্ধবয়সেও তাহার মনে ছিল। আকাশের যে-নীলটা দেখা যায় সেটা ষে কোনো! বাধা নহে-_ এই তথাটি এই গ্রন্থে পাইয়া বালকের মনের মধ্যে যে একটি অনির্বচনীয় উত্তেজনা সৃষ্টি করিয়াছিল, তাহার কথা তিনি কখনো ভূলেন নাই।

কান্নার জোরে বালক যে-বিষ্যালয়ে ভতি হইলেন, সেটি ছিল সে-যুগের নামকরা স্কুল-- গৌরমোহন আচঢ্যের ওরিয়েপ্টাল সেযিনারি২ | তথায় রবীন্দ্রনাথ দীর্ঘকাল পড়েন নাই এবং সেখানকার স্থতি তাহার মন হইতে প্রায় নিশ্চিন্ হইয়াছিল। তথা হইতে নর্যাল স্কুলে* বালকর্দিগকে তি করিয়। দেওয়া হয়। এই বিগ্ালয় ছিল আজকালকার গুক- ট্রেনিং স্থলের মতো! | গুরুদের হাতে-কলমে শিক্ষকতা শিখাইবার জন্য একটি মডেল স্কুল সংলগ্ন ছিল, রবীন্তরনাথ ছিলেন সেই স্কুলের ছাত্র। তখন তীহার বয়স সাত.আট বৎসরের বেশি নয়, নর্মাল স্কুলের গুরু-বিগ্ভাথীরা তাহার অপেক্ষা বয়সে অনেক বড়।

এই বিদ্যালয়ের পঠনপাঠন বিলাতি শিক্ষাপ্তণালীর ছাচে চলিত; সেটি দেশের শিক্ষার্থীদের চিত্ত চরিত্র বিকাশের অনুকূল কি না, এসব প্রশ্ন তুলিয়া শিক্ষাবিভাগের ইংরেঙজ্গ কর্মকর্তারা মনকে কখনো পীড়িত করেন নাই। শিশু- ছাত্রদের শিক্ষার সঙ্গে আনন দিবার জন্য সংগীত একটা উপারদান__ এই থিয়োরি অনুসরণ করিয়! বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ একটা ইংরেজি গানকে বোজ ক্লান বসিবার পূর্বে ছাত্রদের দিয়া গাওয়াইতেন। প্রত্যহ সেই একটা অর্থহীন একঘেয়ে ব্যাপারে যোগ দেওয়া বালকদের পক্ষে সুখকর ছিল না। সেই ইংরেজি গানের ভাষা বাঙালি ছাত্রদের সমবেত কণে আসিয়! কী অদ্তুত রূপ লইয়াছিল তাহা জীবনম্থৃতিতে কবি নিজেই বর্ণনা করিয়াছেন

সে যুগে বালকদের পাঠাপুস্তক রচয়িতা হিসাবে খ্যাতি ছিল ঈশ্বরচক্্র বিদ্যাসাগরের | 'বর্ণপরিচয়' হইতে আরস্ত করিয়। 'সীভীর বনবাস' পর্বন্ত বহু গ্রন্থ নানা বন্নের শিক্ষার্থীর জন্ট পর্যায়ক্রমে ( £:৪5 ) তিনি লিখিয়াছিলেন। ইংরেজি সংস্কৃত হইডে অনুবাদ করিয়াই অধিকাংশ বই লেখ! ইংরেজি হইতে তিনি যেসব প্রস্থ অনুবাদ করেন 'বোধোঙগয়' তাহার অন্যতম ; উহ 05178009615 7417076০1 7৩7,০০1£৫-এর অনুবাদ (১২৫৭ )। হৃতরাং রবীন্্নাধের বংলাভাযা-শিক্ষার বুনিয়াদ গড়িল যুরোপীয় পাঠ পুস্তকের তর্জম! হইতে, যাহার বিষয়বন্ত সবই পাশ্চাত্য |

গোৌরমোহন আচঢা (১৮*৫-৪৬) নিতান্ত জীবিক! অর্জনের জন্ঠ আঠারে! বংসর বয়সে একটি ইংরেজি পাঠশালা খোলেন অচিরেই উহ! কলিকাতায় বিশিষ্ট ত-বাগালিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তখনকার দিনে ইংরেজি শিখিতে হইলে ব্ীষ্টানদের দ্বারা পরিচ।লিত বিদ্যালয়ে যাওয়1 ছাড়! গত্যন্তর ছিল নাঁ। হিন্দু স্কুল নামেই হিন্দু স্কুল ছিল, টহার শিক্ষা-দীক্ষা দৃষ্টান্ত আদর্শ কোনোটিই হিন্দুর কাম্য ছিল না। তাহারই প্রতিজিয়ায় গৌরমোহনের বিভালয়টি হিন্দুসমা্জের পৃ্পোবকত| লাভ করিয়াছিল। তৎকালীন হিন্দুবঙ্গের বহু কৃতী পুরুষ এই বিগ্ভালয়ে শিক্ষালাত করিয়াছিলেন দেবেত্রুনাখের পুর্রগণ এই বিভালয়ের ছাত্র ছিলেন।

নর্মাল স্কুল ১৮৪৭ সালে প্রথম স্থাপিত হয়, ছুই বর পর উহা উঠিয়া যায়। ইংরচন্ত্র বিন্তসাগর শিক্ষাবিতাগে প্রবেশ করিধায় পর াহারই চেষ্টায় সস্কৃত কলেজের বাটিতে এই নর্মাল স্কুল পুরঃপ্রতিষ্ঠিত হয় (১৭ দলাই ১৮৫৫ )। রবীক্্রনাথ বখন এই বিশ্যালয়ে প্রধেশ করেন, তখন উহ!1 বিদ্যাসাগরের আদর্ণ হইতে অনেক দূরে গিয়! পড়িয়াছে | কারণ বহুপূর্েই তিনি সরক্কারী চাকুরি তাগ করিয়া শিক্ষাবিভাগের সহিত সম্পর্বশূ্ঠ হইয়াছিলেন | জর, উপেশ্রনাধ মুখোপাধ্যায় £ হিন্দুজাতি শিক্ষা, ২য় ভাগ, পূ ৪৮৫-৮৬। সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা ১৮, ঈথয়চল্র বিগ্তাসাঁগর,

পৃ ৫৪।

এটা ১৮৭১ শিক্ষাকাল ৩১

নর্মাল স্থুলের স্বতি নানা কারণে তাহার নিকট স্থুমধুর নহে ক্লাসের মধ্যে শিক্ষক হুরনাথ পর্ডিতের১ কুৎসিত ভাষা প্রয়োগের অভ্যাস বালকের মনকে এমনি বিদ্রোহী করিয়! তুলিয়াছিল যে, তিনি কোনে! দিন ক্লাসে তাহার প্রশ্নের কোনো জবাব দেন নাই। পরধুগে “গিক্ি”২ ( হিতবাদদী, ১২৯৮) গল্পে তিনি ষে শিবনাথ পণ্ডিতের কথা বলিয়াছেন, তাহা হরনাথের নামাস্তরমাত্র। ভবিষ্যতের বনু রচনার মধ্যে রবীন্দ্রনাথ স্কুল স্থুল-মাস্টারদের প্রতি ষে তীত্র মনোভাব প্রয়োজনে-অগ্রয়োজনে বাক্ত করিয়াছেন, তাহার মূল কারণ রহিয়! গিয়াছে জীবনপ্রত্যুষে নর্মাল স্কুলের অভিজ্ঞতার মধ্যে। আবার, ইছাও আশ্চর্য লাগে যে তাহার গল্প উপস্তামের মধ্যে যে কয়েকটি দেঁবচরিত্র স্থষ্টি করিয়াছেন, তাহারা অনেকেই শিক্ষক বা অধ্যাপক ।৩

নর্মাল স্কুলের ছাত্রদের সন্বন্ধেও রবীন্দ্রনাথের অভিজ্ঞত1 বড় মধুর নহে তাহার স্ায় স্বভাবকোমল সুদর্শন বালকের প্রতি বয়স্ক ছাত্ররা যেরূপ ব্যবহার করিতে প্রয়াস পাইত, তাহাকে তিনি অসুচি মাত্র বলিয়া ক্ষান্ত হইয়াছেন। তাহার উপর স্কুলের ছাত্রদের অন্যায় আক্রোশের কারণ ছিল অনেক তখনকার দিনের ঠাকুরপরিবারের ছেলেদের মধ্যে এমন কতক গুলি বৈশিষ্ট ছিল, যাহা শহুরে সাধারণ ছেলের দলের পক্ষে সহ বা স্বীকার করা ছিল কঠিন। ইহারা আমিতেন ঘোড়ার গাড়িতে চাকর বা দ্বারবানের সঙ্গে, সাধারণের কাছে সেটা ঠেকিত বড়লোকের দেমাকি চাল। তার পরই চোখে পড়িত তাহাদের বেশভৃষার পারিপাটা আভিজাত্য পায়জামা তৎ্সংশ্লিষ্ট পরিচ্ছদ চিরদিনই সাধারণ বাঙালি হিন্দুর কাছে “মুসলমানি? বলিয়া অবজ্ঞাত; অথচ প্রতিদিন সে যে-পোশাক পরিয়া থাকে,তাহার বিশ্লেষণ করিলে সে দেখিতে পাইত ষে, ধুতি উড়নি চটি ছাড়া মে আর যাহা-কিছু ব্যবহার করে, তা সমস্তই পরদেশী ব! বিদেশী। ঠাকুরবাড়ির বালকদের কথ্য ভাষার মধ্যে প্রকাশ পাইত একটি মাঞ্জিত রুচি, যাহা কেবল অভিঙ্গাত শিক্ষার দ্বারা অর্জন করা সম্ভব। কলিকাতার খাসবাসিন্দাদের বিকৃত উচ্চারণাদি হইতে ইহাদের ভাষায় বৈশিষ্ট্য ছিল খুব স্পষ্ট। এইসব কারণেই, আমাদের মনে হয়, বালকদের উপর বিচিত্র ধরনের উপদ্রব চলিত।

ছোটবেলায় রবীন্দ্রনাথের চলাফেরার ভৌগোলিক পরিধি ছিল খুবই মীমায়িত; কলিকাতার মধ্যে আত্ীয়স্বজনের বাড়ি ছাড়া শহরের বাহিরে কখনো যান নাই তাই জোড়ার্সাকোর অবকুদ্ধ গতানুগতিক জীবনের অভ্যান্ত ধারা হইতে মুক্তি পাইয়া যেদিন পেনেটিতেঃ ছাতুবাবুর* বাগানটিতে ডেঙ্গুজরের তাড়ায় তাহাদিগকে আশ্রয় গ্রহণ করিতে হুইল, সেটি তাহার জীবনের স্মরণীয় দিন; তখন বালকের বয়স দশ বংসর হইবে। কলিকাতার বাহিরে ইহাই তাহার প্রথম যাত্রা। পরে বিশ্বত্রমণে রবীন্দ্রনাথ বহুবার বাহির হইয়াছিলেন, কিন্তু বাহিরের জগতের সহিত এই প্রথমপরিচয়ের তীব্র

সখা সাণী (১৩৩ ).তে রবীন্রনাথ তাহার লীবনীর যে উপকরণ দিয়াছিলেন, তাহাতেও হরনাধের নাম আছে।

জং লীবনশ্বৃতি। নর্মাল সুল। ২য় পা$ুলিপি। গিক্সি। হিতবাদী ১২৯৮। গগুচ্ছ। রবীজ্-রচনাবলী ১৫, পৃ ৪১৭। কবিশেখর কালিদাস রায় : গল্পগুচ্ছে শিক্ষকের কথ, শিক্ষা সাহিতা, ২৩ বর্ষ, ১ম সংখ্যা, মাঘ ১৩৫৭ পেনেটি ব! পানিহাটি। কলকাতার উত্তরে সোদপুর স্টেশন হইতে এক মাইল পশ্চিমে গঙ্গাতীরে অবস্থিত। প্রাচীন গওগ্রাম। দ্র" বাংল! অ্রষণ ১ম পৃ ৬৬-৬৭।

সরল। দেবী তাহার 'জীবনের ঝরাপাতা' গ্রন্থে পানিহাটির কখ। লিখিয়াছেন ; এইপানে তাহার অন্্প্রাশন হয় শুনিয়াছিলেন। প্সে-বাড়ির বর্তমান ্বত্বাথিকারী মৈমনসিং-সেয়পুরের জমিদার গোপালদাস চৌধুরী মহাশয় তিনি.-" নিজের মাতার নামে 'গোবিন্দমমোহিনী ভবন' বলে একটি অনাধাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেছেন। কয়েক বংসর পূর্যে তাঁর দ্বার উদ্ঘাটন উপলক্ষো নিমস্ত্রিত হয়ে মাতুল রবীন্্রনাথের সঙ্গে আমি এখানে আমি।"''আজ তার [ রবীন্দ্রনাথের ] হাত দিয়ে উদ্কোক্তীর! যে বাড়ির একপ্রান্তে একটি আত্বৃক্ব রোপণ কয়ালেন সেই মনোরম গঙ্গাধারের বাড়িতে তার একাদশবাঁয নিজের জীবনের বহু স্মৃতি উদ্বেল হয়ে উঠতে লাগল ।*** (পৃ৩)। ছাতুবাবু (সাতু )-_ আশুতোধ দেব (১৮*-*৫ )। ধনী, বণিক রামূলাল দেবের পুত্র দানের জন্ত বিখ্যাত।

৩২ রবীঞজ্জীবনী গাব ১৮৭১-৭২

আনন্দান্তভূতি তিনি কখনো বিস্বত হন নাই। জীবনস্বতিতে লিখিয়াছেন, “গঙ্গার তীরভূমি যেন কোন্‌ পূর্বজন্মের পরিচয়ে আমাকে কোলে করিয়া লইল। সেখানে চাকরদের ঘরটির সামনে গোটাকয়েক পেয়ারাগাছ। সেই ছায়াতলে বারান্দায় বসিয়া সেই পেয়ারাবনের অন্তরাল দিয়া গঙ্গার ধারার দিকে চাহিয়া আমার দিন কাটিত।”-_ ঘৌবনে ( পুনর্মিলন, প্রভাত-সংশীত কবিতায় ) লিখিয়াছিলেন-_ আরেকটি ছোট ঘর মনে পড়ে নদীকুলে, সম্মুখে পেয়ারাগাছ ভরে আছে ফলে ফুলে। বসিয়া ছায়াতে তারি ভুলিয়া শৈশবখেলা, জাহ্কবীপ্রবাহ পানে চেয়ে আছি সারা বেঙ্গা। পেনেটির বাগানে আসিয়াও চলাফেরার নিষেধ শিখিল হইল না। নিকটে বাংলার পল্ীগ্রাম, সেখানেও প্রবেশের অনুমতি নাই। “আমরা! বাহিরে আসিয়াছি কিন্তু স্বাধীনতা পাই নাই।*...“কিন্তু গঙ্গা সম্মুখ হইতে আমার সমস্ত বন্ধন হরণ করিয়া লইলেন। পাল-তোলা নৌকায় যখন-তখন আমার মন বিনা ভাড়ায় সওয়ারি হইয়া] বসিভ এবং যেসব দেশে যাত্রা করিয়া বাহির হইত, ভূগোলে আজ পর্ধন্ত তাহাদের কোনো পরিচয় পাওয়া যায় নাই ।” তাই লিখিয়াছিলেন-_ সাধ যেত যাই ভেসে কত রাজ্য কত দেশে, ছুলায়ে ছুলায়ে ঢেউ নিয়ে যাবে কতদূর অবশেষে একদিন জোড়ার্সীকোর বাড়িতে ফিরিতে হইল ; “দিনগুলি নর্মাল স্কুলের হাঁ-করা মুখবিবরের মধ্যে তাহার প্রাত্যহিক বরাদ্দ গ্রাসপিণ্ডের মতো! প্রবেশ করিতে লাগিল ।” নর্ষাল স্কুলে বালকদের যাহা পড়িতে হইত তাহার চেয়ে অনেক বেশি শিখাইবার ব্যবস্থা ছিল বাড়িতে বালকদের শিক্ষাদান-বিষয়ে উৎসাহী ছিলেন ছেমেন্দ্রনাথ তাহারই নির্দেশ সময়হ্থচী মতে ছেলেদের বিচিত্র বিষয়ের গৃহশিক্ষা চলিত। ভোরের অন্ধকার থাকিতে উঠিয়া তাহাদিগকে লংটি পরিগ্া প্রথমেই হীর] সিং নামে এক কানা শিখ পালোয়ানের সহিত কুস্তি করিতে হছুইত। তার পবে সেই মাটিমাখা শরীরের উপরে জামা পরিয়া! লেখাপড়া আরন্ত নর্মাল স্কুলের শিক্ষক নীলকমল ঘোষাল স্তাহাদের পড়াইতেন। সকাল ছয়ট] হইতে সাড়ে নয়টা! পর্যস্ত বালকদের শিক্ষার ভার ছিল তাহার উপর। পাঠ্য ছিল অক্ষয়কুমার দত্তের চারপাঠ (১৮৫২-৫৬), রামগতি স্থাক্সরত্বের বন্তবিচার (১৮৫৯) সাতকড়ি দত্তের» প্রাপিবৃত্তান্ত (১৮৫৯), মধুহদন দত্তের মেঘনাদবধ কাব্য ( ১৮৬১ )) ছাড়া জ্যামিতি গণিত ইতিহাস ভূগোল তে ছিলই। স্কুল হইতে ফিরিয়া আসিলেই ড্রয়িং এবং জিমনাস্টিক -শিক্ষক তাহাদের লইয়া পড়িতেন। সন্ধ্যার পর ইংরেজী পড়াইবার জন্য আসিতেন অঘোরবাবু। মোটকথা প্রত্যুষ হইতে রাত্রি নয়টা পর্যন্ত কঠিন শারীরিক মানসিক ব্যায়ামের মধ্যে তাহাদের নর্মাল স্কুলের যুগ কাটে। রবিবার সকালে গায়ক বিষুচন্ত্র চক্রবর্তীর নিকট গান শিখিতে হইত এবং তা ছাড়া মাঝে মাঝে সীতানাথ ঘোষং

সাতকড়ি দত্ত : ত্র. খগেক্রনাখ মিত্র, শতাবীয শিশুসাহিত্য, ১৯৫৮, পূ ১৫৫।

সীতানাধ ঘোষ (১২৪৮-৯* ): ভুলক্রমে রবীন্রনাথ জীবনম্তিতে সীতানাধ দত্ত লিখিয়াছেন। ইনি একসময়ে তঙ্বোধিৰী পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। জর. জ্যোতিরিশ্রনাথ : পিতৃদেব সম্বন্ধে জীবনশ্থৃতি, প্রবামী, মাঘ ১৩১৮, পৃ ৩৮৮। সীতানাথ “একজন বৈজ্ঞোনিক ছিলেন। তিনি তড়িং চিকিংসার জন্ক একপ্রকার নূতন যন্ত্র উদ্তাবন করিয়াছিলেন তন্ববোধিনী পঞ্সিকায় আর্ধধিদের তড়িৎ বিষয়ক প্রভাব সম্বন্ধে এক দীর্ঘ প্রবন্ধ প্রকাশিত হুইয়ািল। যোগীন্রনাথ সমাদ্দার : বৈজ্ঞানিক সীতানাধ, প্রবাসী, জোষ্ঠ ১৩১৯ পৃ ২১৩১৪ |

এটাক ১৮৭১-৭২ শিক্ষাকাল ৩৩

আসিয়া সামান্য যস্থযোগে প্রাকতবিজ্ঞান শিক্ষা দিতেন। যন্ত্রাহায্যে বিজ্ঞানশিক্ষা দেওয়া সে-যুগে শিক্ষাব্যবস্থায় নৃতন জিনিস, দেবেন্্রনাথের হ্যায় ধনীর পক্ষেই পুজাদির জন্য এইরূপ ব্যবস্থা কর! সম্ভব ছিল। রবীন্দ্রনাথ লিখিয়াছেন যে, এই শিক্ষাটি তাহার কাছে বিশেষ ধস্থক্যজনক ছিল এবং যে রবিবারে সকালে বিজ্ঞানশিক্ষক না আমিতেন সে ববিবাৰ বালকের কাছে ববিবার বলিয়া বোধ হইত না।

অদোরবাবু নামে ষে-শিক্ষক সন্ধ্যার পর বালকদিগকে ইংরেজী পড়াইতেন, তিনি ছিলেন মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র শিক্ষাকে সরম করিবার ছাত্রগণকে আনন্দ দিবার জন্য তাহার অপরিসীম চেষ্টা ছিল। তাহার সাহায্যে বালকর৷ একদিন মবরায়াহষের কণ্নলীর সাহায্য স্বরযন্্ের সমস্ত ক্রিয়াকৌশল অবগত হন। ইহাতে বালকের “মনটাতে কেমন একটা ধাক্কা লাগিল।” আর-একদিন শিক্ষকমহাশয় তাহাদিগকে মেডিক্যাল কলেজের শবব্যবচ্ছেদ-গৃহে লইয়া যান; সেখানে মেঝের উপর একথণু পা পড়িয়া ছিল। “টেবিলের উপর একটি বৃদ্ধার মৃতদেহ শয়ান ছিল; সেটা দেখিয়া আমার মন তেমন চঞ্চল হয় নাই $ কিন্তু মেঝের উপরে একখণ্ড কাটা পা পড়িয়া ছিল,'." সেই মেঝের উপর পড়িয়া থাকা একটা কষ্ণবর্ণ অর্থহীন পায়ের কথা আমি অনেকদিন পর্যন্ত ভুলিতে পারি নাই ।” বিচিত্র অভিজ্ঞতা এই বাল্যবয়মেই হইয়াছিল

বাল্যকালের এইসব বি্ভায়োজনকে রবীন্দ্রনাথ অকিঞ্চিৎকর বলিয়া! তাচ্ছিল্য করিয়াছেন ; আমাদের মতে বিজ্ঞানের প্রতি কবির আজীবন অনুরাগে বুনিয়াদ গড়িয়া ওঠে এই বাল্যদিনে, এই সামান্য শিক্ষার ভিতর দিয়া। পরযুগে তাহার সম্পাদিত বা পরিচালিত সাময়িক পক্জিকায় তাহার নংকলিত বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ বা প্রসঙ্গকথা এই বাল্যবয়সে বিজ্ঞানাহ্থ- রাগের অভিপ্রকাশ মাত্র বুদ্ধবয়সে “বিশ্বপরিচয় (১৩৪৪ ) রচনা আমাদের মতবাদেরই সমর্থক | বালাকালে আমের আটি আতার বীচির পরীক্ষার কথ! লইয়া তিনি নিঞ্জেকে ঠাট্টা করিয়াছেন ; কিন্তু পর্যুগে কৃষি লইয়া তিনি যে কতবূপ পরীক্ষা করিয়াছিলেন তাহার বিস্তাত আলোচনা কেহ এখনো করেন নাই! বুদ্ধবয়সে আমের চারাকে লতানে গাছ করিবার জন্য যে-উগ্যম দেখিয়াছি, তাহা কেবল বিজ্ঞানীর পক্ষেই সম্ভব। তাহারই সেই পথ ধরিয়া তাহার পুত্র রধীন্দ্রনাথ তাহার শান্তিনিকেতনের বাগানে বিচিত্র ফলের গাছকে কিভাবে লতানে গাছে পরিণত করিয়াছেন, তাহা ন! দেখিলে বিশ্বাস করা কঠিন; আম লিচু পেয়ার! লেবু কুল লপেতার লতানে গাছে প্রচুর ফল হইতেছে

যাহাই হউক, বালকদ্দিগকে সর্বশাস্্বিশারদ করিবার জন্য মঙ্গলাকাজ্ষী অভিভাবকগণের সাধু উদ্যম যে-হতভাগ্যদের কল্যাণার্থে অন্তশ্থত হইতেছিল, তাহাদের উপর কিন্প প্রতিক্রিয়া হইতেছে তাহা কেহই লক্ষ্য করেন নাই। ভাষা ব্যাকরণ শিক্ষার জন্য বাবহৃত “মঘনাদবধ কাব্যের প্রতি যে বীতশ্রদ্ধা জন্মিল এবং শিক্ষকদের সম্বন্ধে যে বিভীষিকা অশ্রদ্ধার বীজ উপ্ত হইল, তাহা কবির সাহিত্যজীবনে নিরর্থক হয় নাই। শৈশবের এই বোনাকে বু বধ্সর পরে “অসম্ভব গল্পে'র১ ভূমিকায় যে ভাবে প্রকাশ করিয়াছেন, তাহা প্রত্যেক প্রাইভেট-টিউটর-উপজ্রত হতভাগ্য মানবকের অবাক্ত মনের কথা “বেশ মনে আছে সেদিন সন্ধ্যাবেলা ঝড়বৃষ্টি হইতেছিল। কলিকাতা শহর একেবারে ভাসিয়। গিয়াছিল। গলির মধ্যে একহাটু জল। মনে একান্ত আশ] ছিল, আজ আর মাস্টার আসিবে না।""" তখন মনে হইত পৃথিবীতে বুষ্টর আর কোনে! আবশ্থাক নাই, কেবল একটি মাত্র সন্ধ্যায় নগরপ্রান্তের একটিমাত্র ব্যাকুল বালককে

_ অযোধ্যানাথ পাকড়াশীর মৃত্যুর (২৮ অগস্ট ১৮৭৩) অবাবহিত পূর্বে ১৮৭২ (১৭৯৪ শক ১২৭৯ সন) অন্দে সীতানাথ ঘোষের উপর 'তন্ববোধিনী পঞ্জিকার সম্পাদনভার অপিত হয়।

১. অসস্তব গল্প, সাধনা, আবাঢ় ১৩০০, পৃ ১০৩-১৫ গল্পগুচ্ছ রবীন্দ্র-রচনাবলী ১৮। 'বিচিত্র গল্পে'র €১৩*১) মধো 'একটি কুদ্র পুরাতন গল্প নামে ইহা মুকিত হয়। ১৩১৪ সালের বিচিত্র প্রবন্ধে 'অসস্তব কথা' নামে সন্তরিষেশিত হয় অতপর আর কোনো গল্পসংকলনের মধ্যে ইহার স্থান হয় নাই। পরে গল্পগুচ্ছ বিশ্বভারতী সংস্করণে (১৩৩৩ ) স্থানলাভ করে।

রি

৩৪ রবীন্দ্র্জীবনী ধীষ্টা ১৮৭১-৭২

ষাস্টারের করাল হন্ত হইতে রক্ষ1 করা ছাঁড়া |... বিশেষ কোনো নিয়মাহসারে বৃষি ছাড়িপ না। কিন্তু হায়, মাস্টারও ছাড়িল না। গলির মোড়ে ঠিক সময়ে একটি পরিচিত ছাতা দেখা দিল, সমস্ত আশাবাম্প একমুহূর্তে ফাটিয়া বাহির হইয়া আমার বৃকটি যেন পঞ্জরের মধ্যে মিলাইয়া গেল।”

বীধাবরাদ্দ খাদ্য দ্বারা শরীর রক্ষা! পায় বটে, কিন্তু মানুষের মন তৃপ্তি মানে না। তাই দেখা যায়, খাস্যের চেয়ে অখাগ্যের দিকে তার লোলুপতা৷ বেশি। স্থুলের ধরাবাধা পাঠ্যতালিকার মধ্যে হতভাগা ছাত্রকে আষ্টেপৃষ্ঠে বাধিবার চেষ্টা হয় বলিয়াই অপাঠ্য বই-এর প্রতি তাহার টান এত প্রবল উনবিংশ শতকের সপ্চম দশকে বাংলার শিশুদের মনের . খোরাক মিটাইতে পাবে এমন গ্রন্থের সংখ্যা ছিল নগণা। সেইজন্ত ছেলেবেলায় হাতের কাছে বাংলায় লেখ যাহ! আসিত, তাহাই ছিল রবীন্দ্রনাথের পাঠা যে-কয়খানি বই বালকের মনে গভীর বেখাপাত করিয়াছিল তাহাদের কথা তাহার স্মরণে ছিল, যেমন মত্শ্কনারীর কথা, স্থশীলার উপাখ্যান* রবিদ্সন্‌ ক্রুসোর২ কথা। শেষোক্ত বইখানি সম্বন্ধে তিনি জীবনস্থতির খসড়ায় উচ্চপ্রশংসা! করিয়াছেন। ছিন্নপত্রাবলীতেও (১২১) উল্লেখ আছে।

সৌভাগ্যক্রমে রবীন্দ্রনাথের বাল্যবয়মে এমন ছুই-চারিখানি পত্রিকা গ্রন্থ হাতে পড়িয়াছিল, যাহা তাহার মনে যথার্থ আনন্দদীন করিতে পারিয়াছিল ; ইহাদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগা হইতেছে বিবিধার্থ-সঙ্গ হ* অবোধবন্ধু- পত্রিকা রাজেন্দ্লাল মিত্র (১৮২২-৯১) তাহার যৌবনে “বিবিধার্থ-সঙ্গ হু" বলিয়া একখানা সচিত্র মাসিকপত্র বাহির করিয়াছিলেন অনিয়মিতভাবে ছয় বসর ( ১২৫৮-৬৪ ) প্রকাশিত হয় 1” তাহারই বাধানো একভাগ হেমেম্্রনাথের আলমাবিতে ছিল, সেটি রবীন্দ্রনাথ সংগ্রহ করেন। জীবনস্থতিতে কবি লিখিয়াছেন, "বার বার করিয়া সেই বইখানা পড়িবার খুশি আজও আমার মনে পড়ে। সেই বড় চৌকা বইটাকে বুকে লইয়া আমাদের শোবার ঘরের তক্তাপোশের উপর চিৎ হইয়া পড়িয়া নাল তিমিমতন্যের বিবরণ, কাজির বিচারের কৌতুকজনক গল্প, কষ্ণকুমারীর উপন্যাস পড়িতে পড়িতে কত ছুটির দিনের মধ্যাহ্ন কাটিয়াছে।”

তাহার বড়দাদার আলমারিতে বহু মূল্যবান গ্রন্থের মধ্যে ছিল “অবোধবন্ধু'ৎ পত্তরিকা। আলমারিতে বালকদের হাত দেওয়। ছিল নিষেধ কিন্ত “অবোধবন্ধু'র বন্ধুত্ব-গ্রলোভনে মুগ্ধ হইয়া বালক সে নিষেধ লঙ্ঘন করিয়াছিলেন।

সথপীলার উপাখ্যান, মধুহদন মুখোপাধ্যায় প্রণীত, ১ম ভাগ। ১৮৫৯ পৃ ৭81 ২য় ভাগ, ১৮৫৭ পৃ ১৮ ওয় ভাগ ১৮৬, র্‌ ১৩৪

রকিলসন্‌ ক্রস 10. 060০৬, (1659-1731) 2২০517807. ০1255০€ 1719) 1 জন্‌ রবিল্সন্‌ কর্তৃক অনুদিত, জীয়ামপুর ১৮৫২, ৩য় সংস্করণ | ১৮৬০, পৃঠা ১২

প্কৃত্তিবাস, কাশীরাম দাস, একত্রে বাধানে| বিবিধার্থ-সঙ্গহ, আরব্য-উপস্টাস, পারন্ত-উপন্যাস, বাংলা রবিক্গন্‌ কুমো, শৃপীলার উপাখান, রাজ! প্রতাপাদিত্য রায়ের জীবন-চরিত, বেতালপঞ্চবিংশতি প্রভৃতি তখনকার কালের গ্রন্থগুলি বিস্তর পাঠ করিয়াছিলাম 1” __ বঙ্কিমচ্গা, সাধনা, বৈশাখ ১৩১ পৃ- ৫৪০ | “ছেলেবেলায় বদি আরব্য উপস্তান রবিঙ্গন্‌ কুনো না পড়তুম, না গুনতুম, তা হলে--* নদদীতীর এবং মাঠের প্রান্তরের দুরদৃগ্ত দেখে ঠিক এমনভাব মনে উদয় হত না"**।” ছিরপত্রাবলী ৫৮, ২১ জুন ১৮৯২।

“ছেলেবেলায় রকিন্গন্‌ কুসো! পৌলভর্জিনী প্রভৃতি বইয়ে গাছপাল! সমুদ্রের ছবি দেখে মন ভারী উদ্দানীন হয়ে যেত...” ছিন্নপত্রাফলী ৭০, অগস্ট ১৮৯২।

রাজেন্সলাল মিত্র সাহ্তা-সাধকশ্চরিতমালা 8* | বিবিধার্থ সঙ্গ-হ। ৭ম পর্ব, ১৭৮৩ শক, বৈশাখ-অগ্রহায়ণ, ১৩৯৮ কালীগ্রসন্ন সিংহ সম্পাদন করেন। তাহার পর বন্ধ হইয়! যায়।

« অবোধবন্ধু পত্রিক1। ১৮৬৩ (বৈশাখ ১২৭*) মে মাসে প্রথম প্রকাশিত হখ। কিছুকাল চলিয়। বন্ধ হইয়! যায়। ফাল্তন ১২৭৩ সালে পুনর প্রকাশিত হইতে আরম করে। বি্বারীলাল চক্রবর্তী এই পত্রিকার সহিত বিশিষ্টতাবে সংকি্ট ছিলেন-_ অজেন্রনাধ বন্দোপাধ্যায় : বাংলা সাময়িক পত্র [ ১ম খও 1 পৃ ১৮৪-৮৬।

ষ্ঠ ১৮৭১-৭২ শিক্ষাকাল 2

দুল ফাকি দিয়া মধ্যান্ছে অবোধবন্ধু হইতে “পৌলবঞ্জিনী”র* বাংল! অঙ্বাদ পাঠ করিতে করিতে বালকের হায় বেদনায় কি ভাবে অভিভূত হইয়! যাইত, তাহার কথা জীবনস্বতিতে তিনি লিপিবদ্ধ করিয়াছেন। বাহিরের প্রতি তখনো বালকের নিকট অপরিচিত, তাই পৌপবঙ্জিনীতে সম্দ্রতীরস্থ অরণ্যদৃশ্ঠাবলী তাহার নিকট অনির্বচনীয় হ্থখস্বপ্রের ন্যায় প্রতিভাত হছইত। পৌলবঞ্জিনীর কথা এ-যুগের পাঠকশ্রেণীর নিকট অজ্ঞাত। সত্তর বৎসর পূর্বে বাংলার শিশুপাঠ্য গ্রন্থ ছিল কম। তাই এই করুণ উপাখ্যানটি তরুণ অধ্যাপক কৃষ্ণকমল ভষ্টাচার্যৎ ফরাপি ভাষা হইতে বাংলায় অন্বাদ করিয়! অবোধবন্ধুতে প্রকাশ করেন অবোধবস্ধুর গছারচনার বৈশিষ্ট্য ছিল; ইহার ভাষ! “স্থুলের পড়ার অঙ্থবৃত্তি বলিয়া মনে হইত না। বাংল! ভাষায় বোধ করি সেই প্রথম মাসিকপত্র বাহির হইয়াছিল, যাহার রচনার মধ্যে একটা স্বাদবৈচিত্র্য পাওয়া যাইত |". বঙ্গদর্শনকে যদি আধুনিক বঙ্গসাহিত্যের প্রভাতহুর্য বলা যায় তবে ক্ষুদ্রায়তন অবোধবন্ধুকে প্রতযুষের শুকতার! বল] যাইতে পারে।”* অবোধবন্ধুতে প্রকাশিত পৌলবঞ্জিনীর প্রাকৃতিক দৃশ্ঠের বর্ণনার প্রভাব রবীন্দ্রনাথের বাপ্যরচনার মধ্যে অম্প& নহে, বনফুল কাব্য পাঠ করিলে সে-মন্বন্ধে নিঃসন্দেহ হওয়া যায়।

এই পত্রিকায় বালককবি বাংলার তৎকালীন অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি বিহারীলাল চক্রবর্তীর কাব্যের প্রথম পরিচয় লাত করেন। পৌলবজিনীতে ষেমন যাস্ুষের এবং প্ররুতির নিকট-পরিচয় লাভ করিয়াছিলেন, “বিহারীলালের কাব্যের - সেইরূপ একটি ঘনিষ্ঠ সঙ্গ প্রাপ্ত” হইয়া তাহার কবিতাকেই কাব্যাদর্শ করিয়া লইলেন। অবোধবন্ধুতে বিহারীলালের নিস্গসন্দর্শন বঙ্গন্ুন্দরী সুরবালা কাব্য প্রকাশিত হইয়াছিল। এইসব রচনার মধ্যে যেসব গ্লোকের বর্না। এবং সংগীত মনশ্চক্ষেব সন্ুখে স্বন্দর চিত্রপট উদ্ঘাটিত করিয়া হৃদয়কে চঞ্চল করিয়া তোলে সেগুলির কথ! বড় হইয়াও তাহার মনে ছিল। বিহারীলালের কবিতা! পাঠ করিয়া বাল্যকালে তাহারও মন হু করিয়! উঠিত। “ঝরনার ধারে জলশীক রসিক নিগ্কপ্যামল দীর্ঘকোমল ঘনঘাসের মধ্যে দেহ নিমগ্ন করিয়া নিস্তন্ধভাবে জলকলধবনি শুনিতে পাওয়ার কল্পনাও বালককে মুখ করিত। আবার পল্লীগ্রামের স্থখময় চিত্রে কলিকাতার ধনীগৃহের নিয়মনিষ্ঠার মধ্যে আবহ্ৃজীবন বালকের মন যে ব্যাকুল হইয়া! উঠিবে, তাহাতে বিচিত্র কিছু ছিল না। অষ্টালিকার অপেক্ষা বিহারীলালের বপ্পিত “নড়বোড়ে পাতার কুটরে, শ্বচ্ছন্দে রাজার মতো ভূমে আছি নিদ্রাগত” ইত্যাদি পঙক্তি যে অধিক স্থখের মায়া বালকের মনে কে স্থষটি করিল। বিহারীলালের এই শ্রেণীর প্রকৃতিবর্ণনা কল্পনাকুশল বালককে বিভোর করিয়া তুলিয়াছিল।

আর-একটু বড় বয়সে “বঙ্গদর্শন” (১৮৭২ ) হাতে পড়ে, তখন রবীন্দ্রনাথের বয়ম এগারো! বখসর। বহু বৎসর পরে বঙ্গদর্শন সম্বন্ধে যাহা লিখিয়াছিলেন, তাহা তাহার সমসাময়িক মনোভাব না হইলেও প্রণিধানযোগ্য : “পূর্বে কী ছিল এবং পরে কী পাইলাম তাহা ছুই কালের সন্ধিস্থলে দাড়াইয়া আমরা এক মুহূর্তেই অনুভব করিতে পারিলাম। কোথায় গেল সেই অন্ধকার, সেই একাকার, সেই স্থপ্রি, কোথায় গেল সেই বিজয়বসস্ত, সেই গোলেবকাওলি, সেইসব বালক- ভুলানো কথা-_- কোথ! হইতে আদিল এত আলোক, এত আশা, এত সংগীত, এত বৈচিত্র্য ।”* বঙ্গদর্শনে যে কেবল বন্ধিমের উপস্যান প্রকাশিত হইত তাহা নহে সে-যুগের শ্রেষ্ঠ লেখকদের বিবিধ বিষয়ের বচনাসস্তারে উহা! পূর্ণ থাকিত।

১:716001065 17761711 2611081417) 06 981190৮1606 (1237-1815 ) 25০] 6 ৬1181216 (1787 01

কৃষণকমল ভট্টাচার্য, পৌলভঞ্িনী, অবোধবন্ধু পত্রিকা, পৌষ-চৈত্র ১১৭৫। প্রীমৌমিজ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত 'এক্ষণ' পত্রিকার পুনর্ুজিত। ওয় বর্ষ, ওয় ৪র্ধ সংখ্যা ১৩৭১ ৪র্থ বর্ষ, ওয় সংখা! ১৩৭২।

দর. সাহিতা-সাধক-চরিতমালা ২, কৃককল ভট্টাচার্য, পৃ. ৩*-৩১। জর, জীঅসিততুমার বদ্যোপাধ্যা়। উনবিংশ শতাব্ধীর বাংল! সাহিত্য (১৯৫৯ ) পু ৪৩৮-৩৯ |

ব্হবারীলাল, সাধনা, আষাঢ় ১৩*১ “আধুনিক সাহিত্য রবীন্র-রচনাবলী ৯, পৃ ৪১১।

বঙ্িমচঙ্র, 'আধুনিক সাহিতা', রবীর্জ-রচনাধলী », পৃ ৩৯৯।

৩৬ | সবীজ্্জীবনী ধীষ্টা্ধ ১৭৭১-৭২

রবীন্দ্রনাথের বয়স অন্থপাতে তাহার কল্পনা বোধশক্তি অত্যন্ত প্রথয় ছিল, ইংরেজিতে যাকে বলে 016০০০$048 ০1110 তিনি ছিলেন তাই; স্বতরাং তাহার পক্ষে বঙগদর্শনের উপন্তাস গল্প ছাড়া অন্তান্ত রচনাসমূহ পাঠ করা অসম্ভব ছিল না। বঙ্ধিমের গদ্য বচনা হইতে যে রবীন্দ্রনাথ বিশেষ প্রেরণা লাভ করিয়াছিলেন সে বিষয়ে আমরা যথাস্থানে আলোচনা করিব। এইসব সমসাময়িক সাহিত্য ছাড়া যে-সাহিত্য রবীন্দ্রনাথের ভাব ভাষাকে বিশেষভাবে প্রতাবাদ্বিত করিয়াছিল, তাহা হইতেছে বৈধব-পদাবলী-সাহিত্য আমরা অন্থঞ্জ সে-সন্বন্ধে আলোচনা করিব।

নর্যাল স্থুলে ( ১৮৬৮-১৮৭২ ? ) ছাত্রবৃত্তির নীচের ক্লাস পর্যন্ত তাহাদের পড়া চলে। কিভাবে নর্মাল স্কুলের পড়া হঠাৎ শেষ হয় বাল্যশিক্ষার অবসান ঘটে, জীবনস্বতিতে সে কথা বিস্তৃতভাবে আলোচিত আছে, স্থতরাং পুনকল্পেখ নিপ্রয়োজন। নর্মাল স্কুলে পড়িবার ফলে বাংল! ভাষাটা বালকদের বেশ ভালো ভাবেই আয়ত্ত হইয়াছিল; তখন চাবি দিকে খুব করিয়া ইংরেজি পড়াইবার ধুম চলিতেছে, হেমেন্ত্রনাথ-__ ধাহার উপর বালকদের পড়াশুনা দেখিবার ভার ছিল, তিনি-_ সকল প্রতিকূলতা অগ্রাহ্থ করিয়া বাংল! ভাষার মধ্য দিয়া তাহাদের জ্ঞানবিজ্ঞানের পঠনপাঠন ব্যবস্থ করেন ফলে বালকদের বাংলা ভাষার বুনিয়াদ হয় পাকা, বিষয়জ্ঞানও একেবারে কাচা হয় নাই। বাংলার সঙ্গে সঙ্গে সংস্কত ব্যাকরণেরও শক্ত তিত্তি গড়িয়া ওঠে। মাতৃভাষা উত্তমরূপে আয়ত্ত ছিল বলিয়াই উত্তরকালে ইংরেজি ভাষা আয়ত্ত করা রবীন্দ্রনাথের পক্ষে সহজ হুয় বলিয়া আমানের বিশ্বাস। পরযুগে রবীন্দ্রনাথ যখন নিজ বিষ্যায়তনে শিক্ষাসন্বন্ধে নূতন পরীক্ষা করিবার স্থযোগ লাভ করিয়াছিলেন, তখন ছাত্রদের একটা বয়স পর্বস্ত ইংরেজি শিক্ষা মূলতবী রাখিয়া বাংলার মধা দিয়া সমস্ত শিক্ষণীয় বিষয়ের বুনিয়াদ পত্তন করিবেন, এই ইচ্ছা মাঝে মাঝে প্রকাশ কবিতেন। কিন্তু ইচ্ছা কখনো সংকল্লে পরিণত হয় নাই বলিয়া! গতাহুগতিকের পথ ত্যাগ করিতে পারেন নাই। দ্ববীন্্নাথের শিক্ষাজীবনে বাংলা ভাষার বুনিয়াদ পত্তন হইবার জন্য তিনি তাছার সেজদাদা হেমেম্রনাথের নিকট ধনী ছিলেন কথ! তিনি জীবনে কোনো! দিন বিশ্বাত হন নাই।

কিন্তু বাঙান্পির ঘরে যে জন্মিয়াছে তাহাকে ইংরেজি শিখিতেই হইবে। স্থতরাঁং ডি ক্রুজ (106 0192) সাহেবের বেঙ্গল আযাকাডেমি নামে ফিরিঙ্গি বিষ্তালয়ে বালকর্দের ভি করিয়া দেওয়া হইল।;

ইংরেজি ভালে করিয়া! বলিতে কহিতে শিখিতে হইলে সাহেবের কাছেই শেখা ভালো, ধারণা তখনো ছিল এখনে আছে স্থয়ং রবীন্দ্রনাথও এই ধারণা পোষণ করিতেন, নিজ সন্তানদের শিক্ষার জন্য লরেপ্ম নামে ইংনেজকে নিযুক্ত করেন ; শান্তিনিকেতন বিষ্ভালয়েও সে বার্থ চেষ্টা ষে মাঝে মাঝে করেন নাই তাহা নছে।

বেঙ্গল আযকাডেমিতে পড়ার থেকে পলায়নটা হইত বেশি ; বিদ্যালয়ের অভাবগ্রন্ত কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে ধনী ছাজদের নিকট হইতে মাসিক দক্ষিপাটা নিয়মিত পাইতেন বলিয়া তাহাদের উপস্থিতি পাঠোন্নতি সম্বন্ধে বেশি কড়াকড়ি করিতেন না। ফিরিঙ্গি ছেলেদের সন্বস্কে রবীন্দ্রনাথ বলিয়াছেন যে, তাহার নর্মাল স্কুলের ছাত্রদের স্তায় গ্রাম্য ছিল না, ইহারা ছিল “দুরু |

বেঙ্গল আ্যাকাডেমিতে বালকদের শিক্ষা দীর্ঘকাল স্থায়ী হয় নাই। ইতিমধ্যে অকন্মাৎ এক অভাবনীয় ঘটনায় বালক রবীন্দ্রনাথের জীবনে অনেকখানি পরিবর্তন হইল, সেটি হইতেছে হিমালয়যাত্র!।

এই বিস্তালয়ের একটি বাঙালি ছাত্র সম্বন্ধে কবি জীবনম্মতিতে বিস্তৃতভাবে লিখিয়াছেন ) সে ম্যাজিক দেখাইতে পারিত বলিয়া ছাত্রমহলে তাহার অশেষ প্রতিপত্তি ছিল। বৃবীন্দ্রনাথের সহিত তাহার বেশ ঘনিষ্ঠতা হয় এবং তাহাকে

“ভান্রযৃত্তির নীচের ফ্লাস থেকে এক সময়ে জামাদের চালান কর! হয়েছিল ডিচুজ সাহেবের বেঙ্গল এফাডেছিতে ।*-_ ছেলেহেলা, রবীল্-রচনাবলী ২৬, পৃ ৮২। জীবনসন্ধ্যায় 'গজ্সসযে' মুনসি গলে ডিকুজ সাহেবের কথা! আছে। রবীজ-রচনাবলী ২৬, পৃ ৬২৪।

ধী্টাব ১৮৭১-৭২ বাছিয়ে ঘান্রা উপনক্ষন ৩৭

বৃদ্ধবয়নে শ্ায়ণ করিয়। “গল্পসঙ্লে' ম্যাজিশিয়ানের* গল্প সি করেন। লাহিত্যে কবি তাহার অনাম] বন্ধুকে অমর করিয়া গিয়াছেন। অবনীঙ্্রনাথ তাহার “ঘরোয়া” বই-এ এই লোকটির কথ! লিখিয়়াছেন, নাম তাহার হরিশ্চজ্ হালদার-__ বন্ধুমহলে তিনি হু. চ. হ, নামে খ্যাত ছিলেন। বহুকাল পরে বঙ্গদর্শনে ( ১৩*৯ ) “দর্পহবণ' গল্পের নায়কের নাম দেখি হরিশ্চজ্জ হালদার ।৭

ববীন্দ্রনাথ কবি, তাহার কাব্যখ্যাতি তাহাকে অমরত্ব দান করিয়াছে, ্তরাং তাহার কাব্যরচনার যে সামান্য ইতিহাস জানা যায় তৎসম্বদ্ধে আলোচন। অপ্রাসঙ্গিক হইবে না। ববীন্্রনাথের কাব্যশক্তি কখন কিভাবে বিকশিত হইয়াছিল, তাহার নন-ভারিখ-দেওয়া-ইতিহাস কখনো! পাওয়া যাইবে না। শিশু কবে কখন অস্ফুট কাকলি ত্যাগ করিয়া অর্থযুক্ত শব কহিল, এই প্রশ্নের উত্তরদাঁন যেমন কঠিন, কবি প্রথম কবিতা কবে রচনা করিয়াছিলেন সেই প্ররশ্থের উত্তর দেওয়া তাপেক্ষা কম কঠিন নছে। ববীন্ত্রনাথ জীবনস্থতিতে তাঁহার বাল্যরচনার যে-সব নমুনা উদ্ধৃত করিয়াছেন, তাহাও স্বৃতিমাত্র, ইতিহাস নহে; স্থৃতরাং তাহাকেই আদিরচনার নিদর্শন বলিয় গ্রহণ করিবার কোনো কারণ নাই। রবীন্দ্র নাথ জীবনস্্তিতে “কবিতা-রচনারস্ত” পরিচ্ছেদ্দে জিখিয়াছেন, “আমার বয়স তখন *,.ত-আট বছরের বেশি হইবে না। আমার এক ভাগিনেয় শ্রীযুক্ত জ্যোতিঃপ্রকাশ৩ আমার চেয়ে বয়সে বেশ একটু বড়। একদিন ছুপুরবেলা তাহার ঘরে ডাকিয়া লইয়া বলিলেন, “তোমাকে পদ্ত লিখিতে হইবে ।” বলিয়া, পয়ারছন্দে চৌদ্দ অক্ষর যোগাযোগের বীতি- পদ্ধতি আমাকে বুঝাইয়া দিলেন ।”

তাহার এই আত্মীয়টি বালকের মধো এমন-কিছু লক্ষণ দেখিম়াছিলেন, যাহা ছারা অন্প্রেরিত হইয়া তিনি ইহাকে পদ্যরচনার রহস্ত ধৈর্যের সঙ্গে বুঝাইয়া দিয়াছিপেন। অতঃপর বালকের পদ্চ লিখিবার ভয় ভাঙিয় গেল। তার পর কোনো-এক কর্মচারীর কৃপায় একখানি নীল কাগজের খাতা যোগাড় করিয়া তাহাতে স্বহস্তে পেন্সিল দিয়া কতকগুলি অলমান রেখা টানিয়া বড় বড় কাচা অক্ষরে পদ্য লিখিতে শুরু করিলেন। বিশ্বকবির কাব্যরচনার হ্ত্রপাত হুইল এমনি দীনভাবে

নর্মাল স্কুলে তাহার কবিখ্যাতি রাষ্ট্র হয়; হেডমাস্টার সাতকড়ি দত্ত মহাশয় বালককবিকে কিভাবে পদ্ঘরচনায় উৎসাহিত করেন এবং স্থপারিন্টেণ্ডপ্টে, গোবিন্দবাবুর আদেশে উচ্চাঙ্গের 'হথনীতি'-মূলক কবিতা লিখিবার পর যেসব ঘটন] ঘটে, তাহা কবি স্বয়ং বহুবিস্তারে বর্ণন! করিয়াছেন।

বাহিরে যাত্রা উপনয়ন

১২৭৯ সালে শীতকালের গ্রারস্তে (১৮৭২ শেধতাগে ) দেবেজ্্রনাথ হিমালয়-ব্রমণাস্তে কলিকাতায় ফিরিয়াছেন-_ কনিষ্ পুত্রত্য় জোষ্ঠ দৌহিহের উপনয়ন-সংস্কারের ব্যবস্থা করিতে হইবে। ঠাকুরপরিবারে এতাবৎকাল হিন্দুসয়াজের ব্রাহ্মণদের লোকাচার ধর্মসংস্কারসমূহ নিষ্ঠার সহিত অনুষ্ঠিত হইত।* এখন পর্যন্ত দেবে্্রনাথের পুত্রদের উপনয়ন-

জীবনশ্বতি। হরিশ্ন্ত্র হালদার ম্যাজিকের প্রোফেসর পৃ ৩৫-৩৮।

মাজিশিয়ান গল্পসল্ল। রবীক্র-রচনাবলী ২৬, পৃ ৩২৯। দর্পহরণ। গলগুচ্ছ রবীন্-রচনাবলী ২২, পৃ ২৬৩। 'বালক' পত্রিকার (১২৯২ ) কতকগুলি লিখো ছবির তলায় আছে চন, 0. চ2510:1 ১৮৮১ সালে ইনিই কি কালাপাহাড় নামে এক এঁতিহাসিক নাটক রচনা করেন? দ্র. জীনকুমার সেন, বাঙ্গালা সাহিতোর ইতিহাস, ২য় খণ্ড, পূ ৩১৪। জ্যোতিঃপ্রকাশ গঙ্গোপাধায় (১৮৫৫-১৯১৯ ), গুণেস্্রনাথের জ্যোষ্টা ভগ্্ী কাদখিনী দেবীয় পুত্র। শিল্পী যামিনীপ্রকাশের পিত!। দেবেস্্রনাথের যৌবনে উপবীত-ত্যাগ কয়ার প্রপ্ণ আসিয়াছিল €১৮৫৪)। ই. আত্মজীবনী, পৃ ২১৬ এবং পরিশিষ্ট ৫৩ 'পলতা'র বাগানে ত্রাঙ্গদের মেল| উপবীত পরিতযাগের প্রস্তাব, পূ ৪৫২-৫৪।

৩৮ রবীন্দ্রজীবনী এটা ১৮৭১-৭২

সংস্কার প্রাচীন হিন্দুমতেই সম্পাদিত হইয়াছিল। সোমেত্্রনাথ প্রমুখ বালকদের (সোমেন ববীন্্র এবং দৌহিত্র সত্যপ্রসাদ ) উপনয়ন যাহাতে অ-পৌন্তলিকভাবে বৈদিকমতে অনুষ্ঠিত হয়, দেবেন্দ্রনাথ তাহারই আয়োজনে প্রবৃত্ত হইলেন। আচার্য আনন্দচন্দ্র বেদাস্তবাগীশের সহিত দিনের পর দিন বিয়া বৈদিক মন্ত্র চয়ন করিয়া উপনয়ন-অঙুষ্ঠান- পদ্ধতি সংকলন করিলেন। লৌকিক হিন্দু-আচার-অনুসারে উপনয়নাদ্ির সময়ে শালগ্রাম-শিলার প্রয়োজন অনিবার্ধ ) আবার উহ! বৈদিক দীক্ষাবিধি বলিয়া নানা যাজক অনুষ্ঠান ইনার সহিত অচ্ছেগ্ভাবে জড়িত। উপনয়নের সহিত একান্তভাবে সংঙ্িই পৌরাণিক প্রতীকাদির পৃজ। বৈদিক হোমধজ্ঞাদি ক্রিয়ার অনুষ্ঠান বর্জন করিয়া দেবেন্্রনাথ বিশুদ্ধ উপনয়নবিধি প্রণয়ন করিলেন। তান্ুযায়ী বালকদের উপনয়ন হইল; তৎপূর্বে বিন ধরিয়া সেইসব মন্ত্র বিশুদ্ধ রীতিতে বারংবার আবৃত্তি করাইয়! বালকগপকে শেখানে! হইয়াছিল।

১৮৭৩ মাঘোৎ্সবের* পক্ষকাল পরে রবীন্দ্রনাথের উপনয়নং হয়, তখন তাহার বয়স এগুরো৷ বৎসর নয় মাস। এই অনুষ্ঠানে বেদাস্তবাগীশ মহাশয় পুরোহিতের দেবেন্ত্রনাথ আচার্ষের কার্ধ করেন। হি বেদি হইতে যে-উপদেশ প্রদান করেন তাহাতে উপনয়নের একটি আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা বেশ স্পষ্টভাবে পাওয়া যায়। কিন্ত এই সংস্কত সংশোধিত উপনয়নবিধি প্রাচীন বা নবীন দলের কাহারো! মনংপৃত হুইল না। নৃতন উপনয়ন-পদ্ধতি গতানুগতিক আচার প্রচলিত মস্ত্রাদির উপর প্রতিষ্ঠিত নহে বলিয়া প্রাচীনপন্থীদের পক্ষে মানিয়া লওয়। কঠিন হইল; আবার বিশুদ্ধ যুক্তি- বাদের দ্বিক হইতে উপনয়নের স্তায় প্রাগৈতিহাসিক সংস্কারকে নবীন ত্রাহ্মদের পক্ষে সমর্থন করাও অসস্ভব। মহধির একান্ত অনুগত ধর্মবন্ধু বাজনাবায়ণ বস্থ মহাশয়ের যনে এই অনুষ্ঠান সম্বন্ধে দ্বিধা একবার জন্মিয়াছিল, কিন্ত তিনি বিরাট হিন্মু জাতীয়তার স্বপ্র দেখিতেছিলেন বলিয়া ইতিপূর্বে যেমন অনেক অযৌক্তিকতার মহিত আপস করিয়া লইয়াছিলেন, এবারও তাহাই করিলেন। সেইজন্ত তিনি তাহার আত্মজীবনীতে এই উপনয়ন সম্বন্ধে যাহ! লিখিয়াছিলেন তাহা এখানে উদ্ধৃত হইল, “্রীমং প্রধান আচার্য প্রাচীন উপনয়ন-পদ্ধতি যতদূর ব্রাঙ্গসমাজে প্রবতিত করা যায় তাহা করিলেন পূর্বে যে-অনুষ্ঠান-পদ্ধত প্রকাশিত হয় তাহাতে উপনয়ন বলিয়া একটি ক্রিয়া আছে বটে, কিন্তু তাহ] কেবল ব্রাহ্ম উপদেষ্টার নিকটে কোনো! বালককে আনিয়া তাহার উপর তাহার ধর্ম শিক্ষার ভার অর্পন কর]।-- কিন্তু নৃতন প্রবতিত উপনয়ন- পদ্ধতিতে গায়ন্রীমন্ত্ দীক্ষাপূর্বক উপবীত গ্রহণ করার নিয়ম প্রবতিত হইল। পৌন্তলিকতা ছাড়া ব্রাহ্মণা সকল নিয়ম পালন করিয়া উপনয়নক্রিয়া সম্পাদিত হয়।.." প্রথমে আমি নৃতন উপনয়ন-প্রথার বিপক্ষে ছিলাম, কিন্তু এরূপ উপনয়ন ব্যতীত আদি ব্রাঙ্মনমাজের হিন্দু অন্থষ্ঠান-পদ্ধতি সর্বাবয়ৰ সম্পন্ন হয় না, ইহা বিন্চন। করিয়া তাহাতে যোগ দিয়াছিলাম ।”*

্রাদ্ণমাত্রেই জানেন যে উপনয়নের পর নৃতন ত্রম্ধচারীকে গায়ত্রীমন্্ জপ করিতে হয়। রবীন্দ্রনাথ লিখিয়াছেন, “নৃতন ব্রাহ্ষণ হওয়ার পরে গায়ত্রীমন্ত্টা1 জপ করার দিকে খুব-একটা ঝৌঁক পড়িল।” মন্ত্রজপের সময় তিনি গ্রহম গুল- সমেত আকাশের বিরাট র্ূপকে মনে আনিতে চেষ্টা করিতেন বিশ্বানুভূতির চেষ্টা এই প্রথম) তাহার বয়সের বালকের পক্ষে যেটুকু সম্ভব উহা! তাহাই মাত্র, তদতিরিক্ত কিছু কল্পনা করিবার কারণ নাই।

১. ৪৩ত৭ মাঘোৎসবের সময়ে 'কুখা-ববী বালকধালিক মধুর স্বরে নুতন চুইটি সংগীত করিলেন।' গান ছুইটি জ্যোতিরিজনাখ-রচিত 'শঙয় শিব সন্কটহারি' বিষুরাম চট্টোপাধ্যায-কৃত “জয় জগজীবন জীবনপাতা। হে' | তন্ববোধিনী পত্রিকা, ৮ম কল্প, ১য় ভাগ, ১৭৯৪ শকাষ (১২৭৯) ফাল্গুন, পৃ ১৮১। রবীত্রানাধ বালকবালিকাদের মধো ছিলেন বলিয়া মনে হয়। বৃদ্ধবর়সে এই গানের নুর তাহার মনে ছিল।

রবীভ্রনপ্পর উপনয়ন ২৫ মাথ ১২৭৯। ফেব্রুয়ারি ১৮৭৩। ক্রাক্মধর্ষের অনুষ্ঠান, উপনয়ন, সমাহ্ঠন। ভথবোধিনী পত্রিকা, চৈত্র, ১৭৯৪ শক, পৃ২*৩-৬। জীবনস্মতি। গ্রস্থপরিচয় পৃ ১৬৫-৬৯।

জান্মচয়িত : রাজনারায়ণ বছ | পৃ ১৯৮-৯৯। জীবনস্থতি পূ ১৬৯-এর উদ্ধৃতি

এটাক ১৮৭১-৭২ শান্তিনিকেতনে ৩৯

ববীন্দ্রনাথের উপর ক্রাহ্গধর্মগ্রস্থোন্তুত উপনিব্দাদি মন্ত্রের বিশেষভাবে গায়ত্রীমন্তের প্রভাব অতীব গভীর রাজা রামমোহন রায়ের মহধধির জীবনে এই মন্ত্রের কী প্রভাব ছিল তাহা তাহাদের জীবনচরিত-পাঠকের নিকট অবিদ্দিত নাই। দেবেন্দ্রনাথ প্রতিদিন প্রাতে, অভুক্ত অবস্থায় দশবার গায়ত্রীমন্ত্র জপের ছার! ব্রন্ষোপাসনা* করিতেন। শিষ্য পুত্রাদির মধ্যে এই পদ্ধতি প্রচলিত করিবার চেষ্টায় কোনোদিন তিনি শৈথিল্য প্রকাশ করেন নাই। রবীন্দ্রনাথের ধির্য? 'শাস্তিনিকেতন' উপদেশমাল! পাঠে জানা যায় যে সংস্কৃত মস্্ ভারতীয় সংস্কৃতির প্রতি তাহার অনুরাগ যেষন অরুত্রিম তেমনি গভীর | রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং একসময় পর্যন্ত উপনয়নাদি হিন্দুসংস্কারে বিশ্বাসবান ছিলেন; কারণ আমরা দেখিতে পাই তিনি যথাবিধি দোট্ঠ পুত্রের উপনয়ন সম্পন্ন করেন। শান্তিনিকেতন ব্রঙ্গমন্দির মধ্যে কনিষ্ঠা কন্যার বিবাহ-সময্নে সাধারণ ব্রাহ্মদমাজভুক্ক জামাতাকে উপবীত ধারণের জন্য বৃথাই জিদ করা হইয়াছিল বলিয়া আমর জানি | রবীন্দ্রনাথ বহুকাল এইসব সামাজিক আচারকে স্বয়ং মানিয়! চলিয়াছিলেন। প্রাচীন মস্্বের প্রতি তাহার গভীর শ্রদ্ধা জীবনের শেষ পর্বস্ত অক্ষুণ্ন ছিল। তবে এ-কথা স্বীকার করিতেই হইবে যে রবীন্দ্রনাথ ধীরে ধীরে তাহার মক্জাগত সামাজিক সংস্কারসমূহ হইতে মুক্িলাভ করিয়াছিলেন। তাহার সেই মনের মুক্তির ইতিহাস আমরা উন্মোচন করিয়া দেখাইবার চেষ্টা করিব।

উপনয়নের পর মুণ্ডিত মন্তকে কেমন করিয়া ফিরিঙ্গি বিদ্যালয়ে যাইবেন এই ভাবনায় যখন বালক অত্যন্ত ঘিয়মাণ, এমন দুশ্চিন্তার সময়ে তিনি খবর পাইলেন পিতা এবার তাহাকে লইয়া হিমালয়ে যাত্রা করিবেন বিদেশে যাত্রা এই প্রথম ; মনে কী ঘে আনন্দ হইয়াছিল তাহা প্রোকালেও তিনি ভুলিয়া যান নাই ; তবে যে-সামান্য ঘটনাটি খুব স্পষ্ট করিয়া মনে ছিল সেটি হইতেছে যে,তীহার জন্য এই প্রথম নৃতন পোশাক প্রস্তত হইল, এমন-কি মাথার জন্য জরি-দেওয়া টুপিও আমিল।

শাস্তিনিকেতনে

হিমালয়ে যাইবার পূর্বে কয়েকদিন বোলপুরে থাকিবার কথা হইল। কলিকাতা হইতে প্রায় একশত মাইল দুরে অবস্থিত বীরভূম জেলার এই ক্ষুদ্র গ্রামের সহিত দেবেন্ত্রনাথের কি সম্বন্ধ তাহ এইখানে বিবৃত করা প্রয়োজন দেবেন্দ্রনাথ ্রাহ্মধর্ম প্রচারবাপদেশে বাংলার নানা স্থানে ভ্রমণকালে বনু ধনী মানী বাক্তির সহিত পরিচিত প্রীতিবন্ধ হন। সেই সময়ে বীরভূম জেলার অন্তর্গত গণুগ্রাম রায়পুর ধনে-জনে পূর্ণ ছিল) তথাকার সিংহপরিবার ছিলেন সর্ব বিষয়ে নেতৃস্থানীয় দেবেন্রনাথ একদা রায়পুর যাইতেছিলেন ; পাল্‌্কি হইতে তাহার চোখে পড়ে উত্তরদিকে সীমাশৃন্ত প্রান্তর ; সেই প্রান্তরে ছুটি মাত্র ছাতিম বা সপ্তপর্ণী গাছ বন্য খর্জর ছাড়া আব কিছুই চোখে পড়িত না; সেই সীমাহীন প্রান্তর তাহার মন ভুলাইল। |

সেই প্রাস্তরের মধ্যে ছিল একটি দিঘি বা বাধ ( ভুবনভাঙীর বাধ বা! ভুবন-সাগন্ধ ) এবং তাহার নিকটে ছিল কয়েক ঘর দরিদ্রের বাম। এই প্রান্তরে ছাতিমগাছের নিকট বিশ বিঘা জমি তিনি রায়পুরের জমিদারের নিকট হইতে বন্দোবস্ত করিয়া লন ( ১৮ ফাল্কন ১২৬৯ )। তখন রবীন্দ্রনাথের বয়স দুই বৎসরও পূর্ণ হয় নাই কালে দেবেন্দ্রনাথ তথায় একখানি ক্ষুদ্র একতল অট্টালিক] নির্মাণ করেন, উত্তরকালে উহা দ্বিতল শান্তিনিকেতন অতিথিশালায় পরিণত

মহুধির আত্মজীবনীর দশম পরিচ্ছেদে আছে : "আমি প্রথমে মনে করিয়া ছলাম, রামমোহন রায়ের উপদেশমত কেবলমাত্র গায়ন্রীমন্ত দ্বারাই ক্রান্গের। ব্রন্মের উপসন! ধরিবেন; সে কল্পনা পরিভ্ঞাগ করিতে হইল দেখিলাম যে, সাধারণের পক্ষে মন্ত্র বড় কঠিন হইয়া উঠে।” পূ ৪৮ »৭ পরিশিষ্ট জ্টুবা।

৪৬ ববীজ্রজীবনী ষ্টাব ১৮৭১-৭২

হয়। সময় সময় মহর্ধির পুত্রদের বা কন্তাজামাতাদদের কেহ কেহ গিম্াা কয়েকদিন করিয়া বাস করিয়া আসিতেন, শান্তিনিকেতন নাম তখনো হয় নাই।

দেবেন্রনাথ কোন্‌ সময়ে কোন্‌ পথে বোলপুর আমেন তাহা এক সমস্তা হইয়া আছে। লুপলাইনের রেলচপাচল ১৮৬* সালের পূর্বে হয় নাই মনে হয়। কারণ অজয় সেতু হইতে ফীইথিয়া পর্যন্ত রেলপথ ১৮৫৯ সালের ৩রা অক্টোবর খোল! হয়। কিন্তু রায়পুরের সিংহপরিবারের সহিত তাহার ঘনিষ্ঠতা হুইয়াছিল ইতিপূর্বেই ২৭ জুলাই ১৮৫৯ তারিখে দেবেন্দ্রনাথ সিমলা পাহাড় হইতে রাজনারায়ণ বহুকে লিখিতেছেন : “তুষি শুনিয়া অবশ্ট আহলাদিত হইবে যে বীরভূম 'নিবাসী শ্রীধুক্ত প্রতাপনারায়ণ মিংহ ব্রহ্মরসের আস্বাদন পাইয়া তাহাতে অত্যন্ত অহরক্ত হইয়াছেন।”

হিমালয় হইতে নামিয়া আসিবার পর দেবেন্দ্রনাথ রায়পুর আসেন ; আমাদের মনে হয় নৌকাষোগে ভাগীরথী দিয়া কাটোয়। হইয়া গুহুটিয়ার ঘাটে নামেন সেখান হইতে পালকি-পথে রায়পুর আসেন। চীপ, সাহেব নিমিত ম্রুল- গুনুটিয়া বাস্তার পাশেই বর্তমান শান্তিনিকেতন ছাতিম গাছ ছুটি পড়ে। বোলপুর স্টেশন হইতে রায়পুর যাইতে শান্তিনিকেতন পথে পড়ে না।

পরবর্তী যুগে যে-শাস্তিনিকেতন রবীন্দ্রনাথের জীবনের কর্মকেন্দ্র সাধনপীঠ হয়, বাল্যকালে সেই স্থানকে তিনি কী চক্ষে দেখিয়াছিলেন, তাহার বিস্তৃত বর্ণনা! জীবনস্থতিতে লিখিয়া গিয়াছেন। এই বোলপুরে পিতার সহিত পুত্রের, প্রবীণ সাধকের সহিত কিশোর শিল্পীর যেন প্রথম ঘনিষ্ঠ পরিচয় হইল। এই নির্জন প্রান্তরের মধ্যে বাসকালে বালক পিতার বিবিধকার্ধে সহায়তা করিয়া আত্মগৌরব বোধ করিয়াছিলেন। পিতাও পুত্রের উপর প্রচুর দায়িত্ব অগাধ বিশ্বাস স্থাপন করিয়া তাহাকে সম্মানিত করিলেন। উন্তরকালে এই শান্তিনিকেতন আশ্রমের ভার পিতার নিকট হইতে গ্রহণ করিয়! ববীন্দ্রনাথ পিতার আরন্ধ কার্য সার্থক করেন মহষির ব্রাঙ্গধর্মাদর্শ রবীন্দ্রনাথের মধ্য দিয়া উজ্জীবিত হইয়! নবকলেবরে বিশ্বধর্ম-বূপে বিশ্বভারতীর মধ্যে মৃতি গ্রহণ করে।

শান্তিনিকেতনে বাসকালে পিতার কাছে পাঠগ্রহণ ব্যতীত বালক-কৰির কাব্যরচন৷ চলিতেছে : “শুধু কবিতা লেখা নহে, নিজের কল্পনার সম্মুখে নিজেকে কবি বলিয়া খাড়া করিবার জন্র একটা! চেষ্টা” জন্মিয়াছিল। শিশু-নারিকেলগাছের তলায় কাকরের উপর পা ছড়াইয়া বমিয়া বালকের কবিতা লিখিয়া খাতা ভরাইতে ভালো লাগে “তৃণহীন কঙ্করশয্যায় বলিয়া বৌদ্রের উত্তাপে 'পৃর্থীরাজের পরাজয়” বলিয়া একটা বীররসাত্মক কাব্য” পিখিয়া ফেলিলেন। কবি লিখিয়াছেন, “তাহার প্রচুর বীররসও উক্ত কাবাটাকে বিনাশের হাত হইতে রক্ষা করিতে পারে নাই” তবে আমাদের মনে হয় এই কাহিনীর ক্ষীণ প্রতিধ্বনি বোধ হয় কুদ্রচণ্ড নামক নাটকের মধ্যে শোন] যায়, কুদ্রচণ্ড পৃর্থীরাজের এক প্রতিৎন্্বীর নাম।

শান্তিনিকেতনে এই আগমন জীবনের একটি বিশেষ ঘটনা তিনি লিখিয়াছেন, “শাস্কিনিকেতনে এসেই আমার জীবনে প্রথম ছাড়া পেয়েছি বিশ্বপ্রকৃতির মধ্যে উপনয়নের পরেই আমি এখানে এসেছি |." আমার জীবন নিতাস্তই অসম্পূর্ণ থাকত প্রথমবয়সে এই স্থযোগ যদি আমার না ঘটত ।... সেই বালকবয়সে এখানকার প্রকৃতির কাছ থেকে যে আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম__ এখানকার অনবরুদ্ধ আকাশ মাঠ, দূর হতে প্রতিভাত নীলাভ শাল তাল-শ্রেণীর সমূচ্চ শাখাপুঞ্রের হামলা শাস্তি শ্বতির সম্পদ্রূপে চিরকাল আমার স্বভাবের অন্তভূ্ষ হয়ে গেছে। তার পরে এই আকাশে এই আলোকে দেখেছি সকালে-বিকালে পিতৃদেবের পূজার 2.£শৰ নিবেদন, তার গভীর গান্তীর্ঘ ।”১ শান্তিনিকেতনে বাঁসকালে একদিন বালক বাগানের ম।লি হরিশে: সঙ্গে চীপ্‌ 1হেবের কুঠি দেখিতে বান। সেখানে হরিণ খরগোন পিকার করে। সেই রক্তাক্ত প্রাণীর নিজাঁব দেহের ছবি বালকের মনে গভীর রেখাপাত করে বৃদ্ধ বয়সেও তার সেই স্মৃতি স্পষ্ট ছিল।_ প্রকাত্র গণ, রবীন এস, নাসিক বনগুমতী, বৈশাখ ১৩৬১, পৃ ১৫-১%।

এটা ১৮৭২-৭৪ হিমালয়ে ৪১

১২৭৯ ফাল্ঠনের শেষদিকে মহুষি পুত্রকে লইয়া অন্ুচরাদিসহ হিমালয়-অভিমুখে যাত্রা করিলেন। রবীন্দ্রনাথের জীবন-প্রতাষের যে কয়টি ঘটনা তাহার মনের উপর গভীর রেখাপাত করিয়াছিল, তাহার অন্যতম হইতেছে এই হিমালয়যাত্রা ) জীবনম্থতিতে বিস্তৃতভাবেই উহ] ব্িত হইয়াছে ; এমন-কি সামান্ত একখানি পত্রে যখন একবার তাহাকে নিজ জীবনকাহিনী সংক্ষেপে বাক্ত করিতে হয়, তখন তিনি হিমালয়বাসের কথাটাকে খুবই উদ্জ্রল করিয়া স্বল্নকথায় প্রকাশ করেন।১

হিমালয়ে

বোলপুর হইতে বাহির হুইয়! সাহেবগঞ্জ, দানাপুর, এলাহাবাদ, কানপুর প্রভৃতি স্থানে মাঝে মাঝে বিশ্রাম করিতে করিতে অবশেষে পিতাপুত্র অনুচরগণসহ অমৃতসরে পৌছিলেন।* অযুতসরে শিখদের বিখ্যাত গুরুদ্ধার বা ধর্মন্দির তথাকার প্রধান দর্শনীয় স্থান; মন্দিরে গ্রস্থসাহেব হইতে অথণ্ড পাঠ ভজন চলে, নামকীর্তন মুহূর্তমাত্র ক্ষান্ত হয় না। মহধি আবিষ্ট হইয়া! সেইলব ভক্তিপূর্ন গান শুনিতেন, সে-কথা রবীন্দ্রনাথের মনে খুবই স্পষ্ট ছিল। আমাদের মনে হয় শান্তিনিকে হনে ব্রহ্মমন্দির প্রতিষ্ঠা করিয়া মহষি তথায় প্রতিদিন প্রাতে সায়াহ্ছে ব্রাঙ্ষধর্ম-গ্রন্থ হইতে ম্বাধ্যায়পাঠ ্রহ্মদংগীতের যে ব্যবস্থা করিয়াছিলেন তাহার আদর্শ অমৃতসর গুরুদ্বারের অখণ্ড পাঠ হইতে গৃহীত

অমুতসরে তাহার] মাসখানেক ছিলেন; সেখান হইতে চৈত্র মাসের শেষে (১২৭৯) ডালহোসি পাহাড়ে যাত্রা করেন; হিমালয়ের আহ্বান বালককে অস্থির করিয়া তুলিয়াছিল, অযুতসরে দিন আর কাটিতেছিল না।* ডালহৌসি চম্বারাজ্যের মধো বক্রোটা তেহরা পোত্রেন পবতত্রয়ের উপর অবস্থিত ক্ষু্র জনপদ; সর্বোচ্চ পরত বক্রোটা (৭৮১৯ ফিট) শিখবে ছিল তাহাদের বাসা। বৈশাখ মাল (১২৮০), কিন্তু শীত এত প্রবল যে ছায়ানীতল স্থানে বরফ তখনো! জমিয়াছিল।

বক্রোটা1 শৈলে বানকালে বালক রবীন্দ্রনাথ ভ্রমণারদি বাপারে সম্পূর্ন স্বাধীনতা লাভ করিলেন। “কোনে! বিপদ আশঙ্কা করিয়া আগন ইচ্ছায় পাহাড় ভ্রমণ করিতে” মহধি তাহাকে কোনোদিন বাধা দেন নাই। বাসার নিম্বর্তী অধিতাকায় বিস্তীর্ণ কেলুবনে বালক একাকী একাকী দীর্ঘ লৌহুফলকবিশিষ্ট লাঠি লইয়া প্রায়ই বেড়াইতেন। এই ভ্রমণের মধ্য দিরা তিনি কী আহরণ করিতেন তাহ] বলা স্ৃকঠিন কিন্তু অল্পকাল পরে তিনি যে-শব কাব্যোপন্তাস বা কাব্ানাটক রচনা করেন, তাহার মধ্যে এই হিমালয়ভ্রযণের এই নির্জন বনের প্রভাব পরিস্ফুট হইয়াছে ।*

হিমালয়ব্রমণে আসিয়াছেন বলিয়া বালকের পড়াশুনা যাহাতে নিয়মিত রূপে হয়, তদ্বিষয়ে মহধির তীক্ষ দৃষ্টি ছিল।

আশ্রমবিগ্ভালয়ের সুচনা, প্রবানী, আশ্বিন ১৩৪* | দ্র, পম্মিনীমোহন নিয়োগীকে লিখিত পত্র, ২৮ ভাদ্র ১৩১৭। প্রবাসী, কাতিক ১৩৪৮। ড্র. আন্মপরিচয় (১৩৫* )। ছিম্্পঞাবলী : ১৮৮, ১৬ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৫ “মনে আছে ছেলেবেলায় বাবামশায়ের সঙ্গে যখন অমৃতসরে গিয়েছিলুম-. 1” ইহার পনেরো বংসর পরে চ্টীবনশ্বতি লিখিত হয়| শান্তিনিকেতনে ব্রঙ্গমন্দিরে পরাতে সায়াহছে স্রাঙ্গধর্ম গ্রন্থের মন্ত্র পাঠ ব্রন্ধনঙ্গীত গীত হইবার বাবস্থা বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হইবার বহু পূর্বেই বন্ধ হইয়া যায়। শোন। গিয়াছিল ট্রস্টের টাকার অভাবে নাকি এটি বন্ধ হয়। অন্তমত এই অনুষ্ঠান প্রাণহীন হ10এ৪| হইয়া উঠিয়াছিল বলিয়া ইন্ছার সার্থকতা ছিল ন1। রবীন্রপাথের জীবনকালেই ইহ! ঘটে। মহুষির পত্রাবলী, পূ ১*৫। বক্বোটা ২৪ বৈশাখ ১৭৯৫ শক [২৫ এপ্রিল ১৮৭৩ (১২৮*)], “আমি অম্বতদর হইতে আবার (লই আমার বক্রোটাশিথরে আসিয়া পৌছিয়াছি।” & তু. হাসির পাথেয় (১ বৈশাখ ১৩৩৪ )। বনবাণী। রবীশ্-রচনাবলী ১৫, পৃ ১৪৮-৫০।

১৬

৪২ ববীন্্রজীবনী খ্রী্টাব ১৮৭১-৭২

মহ্র্ধি পুত্রকে কিভাবে পড়াইতেন তাছার বিস্তৃত সংবাদ আমরা জীবনম্থতি হইতে পাই। প্রত্যুষে শষ্য! হইতে উঠাইয়া সংস্কৃত ব্যাকরণ 'উপক্রমণিকা? মুখস্থ করিতে দিতেন। ইতিপূর্বে বালককে মুগ্ধবোধ ব্যাকরণ পড়াইবার চেষ্টা ব্যর্থ হুইয়াছিল। বনু শতাব্দী ধরিয়া এদেশে সংস্কৃত পড়াইবার পদ্ধতি ছিল আবৃত্তি অর্থাৎ বিষ্ভার্থীকে সমগ্র একখানি সংস্কৃত ব্যাকরণ তৎসঙ্গে অমরকোধ অভিধানখানি মুখস্থ করিতে হইত। যখন সংস্কৃতই বিদ্যার্থীদের একমাত্র পঠনীয় বিষয় ছিল, তখন 'আবুত্তিঃ সর্বশাস্্রাণাং বোধাদপি গরীয়সী” -পদ্ধতি সম্বন্ধে মন্তব্য করিবার কিছুই ছিল না; কিন্তু উনবিংশ শতকের নৃতন রাজনীতিক পরিস্থিতিহেতু বিস্তার্থীর পক্ষে বিচিত্র বিষয় বিদেশী ভাষা আয়ত্ত করা আবশ্তিক হইয়া উঠে। সংস্কতের প্রতি অনুরাগ অল্লান রাখিবার উদ্দেশ্টে সংস্কৃত ব্যাকরণের ছুরূহতাকে শিথিল করিয়া ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সর্বপ্রথম বাঙালি ছাত্রের জন্য বাংল! ভাষার মধ্য দিয়! সংস্কৃত শিখাইবার বাবস্থা করেন; তঙ্জন্ত উপক্রমণিকা ব্যাকরণ- কৌমুদী খন্ুপাঠ প্রভৃতি প্রণীত হয় ( ১৮৫১-৫৩)। হিমালয়ে রবীন্দ্রনাথ পিতার কাছে উপক্রমণিকা৷ খজুপাঠ দিয়া সংস্কতে পাঠগ্রহণ আরম্ভ করেন।১ তবে মহধি খভ্ুপাঠের প্রথম তাগ ন! পড়াইয়া একেবারে দ্বিতীয় ভাগ শুক করিয়া দেন। বাংলার বুনিয়াদ খুব ভালো ছিল বলিয়া “সংস্কৃত শিক্ষার কাজ অনেকটা অগ্রসর হুইয়া যাইত ।” এছাড়া গোড়া হইতেই যথাসাধ্য রচনাকার্ধে তিনি বালককে উৎসাহিত করিতেন।

ইংরেজি পড়াইবার জন্ত মহধি ০66 70901655815 পর্যায়ের অনেকগুলি বই২ সঙ্গে লইয়া গিয়াছিলেন। পিটার পারপ্লি হইতেছে 987006] 005৬010 3০০০ (1793-1860 ) নামে আমেরিকান শিশুলাহিতা-লেখকের ছদ্সনাম। এই গ্রস্থমাল! হইতে বেন্জামিন ফ্রাংকলিনের জীবনবৃত্তাস্ত তিনি পাঠ্যবূপে বাছিয়া লইয়াছিলেন; কিন্ত ফ্রাংকলিনের 'হিসাবকরা কেজো ধর্মনীতি' তাহার নিকট অত্যন্ত সংকীর্ণ মনে হইত; পড়াইতে পড়াইতে বিরক্ত হইয়া উঠিতেন, প্রতিবাদ না করিয়! থাকিতে পারিতেন না।

এই হিমালয়ন্রমণ-পর্বে পিতার সাহচর্ষে বালকের আর-একটি বিষয়ের প্রতি অন্বাগ উদ্দীপ্ত হইল। সেটি হইতেছে জ্যোতিক্কশাস্্র। মহর্ষি পুত্রকে প্রক্টরেরও রচিত সরলপাঠ্য ইংরেজি জ্যোতিষের বই হইতে অনেক বিষয় মুখে মুখে বুঝাইয়া দিতেন, বালক তাহা বাংলায় লিখিতেন।* অমৃতসর হইতে বক্রোায় ষাইবার পথে ডাকবাংলায় বিশ্রামকালে সন্ধ্যার পর প্রায়ই পিতাপুত্রে জ্যোতিষ স্বন্ধে আলোচনা চলিত। জ্যোতিষ্ক সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথের যে-কৌতুছুল বৃদ্ধবয়স পর্যন্ত অম্লান ছিল, তাহার পত্বন হয় এই সময়ে ) এবং পিতার নিকট হইতে ইহার দীক্ষা হইয্ভাছিল।*

প্ডালহৌসি পাহাড়ে থাকিতে আমার পিতা অর্ধরাত্রে উঠিয়! বারান্দায় বসিয়! উপাসনা করিতেন; আমাকে তিনি সাস্কৃত বাকরণ অত্যাস করিবার জন্ত রাত্রি চারিটার সময় উঠাইয়া দিতেন ।”-- সবা সাধধী, ভাত ১৩*২। ভর সজনীকান্ত দাস : রবীন্ত্রবাথ : জীবন সাহিতা। পৃ"

পিটার পালির বহগুলি বিশ্বভারতী প্রস্থাগারে আছে।

৩. [. 4৯০ 09০002 €(1837-58) রচিত 122111105 %9%7 06 201০০ (7868 ) অথবা 776 0165 2০7 [7$ 1872) গ্রন্থ হইতে এই পাঠ দেওয়] হইত।

জ্যোতি সম্বন্ধে এই বালকোচিত রচন! বোধ হয় কোনে! পণ্ডিত ছাটিয়। 'তকবোধিনী' পত্রিকার প্রকাশ করেন। জর. শনিবারের চিঠি, কাতিক ১৩৪৮ | তারভবধাঁয় জ্যোতিষশান্ত্র ১৭৯৭ শক জেট হইতে নাধ মাস পরস্ত ধারাবাহিক ৬টি প্রবন্ধ তক্বোধিনী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

শান্তিনিকেতনে একবার মহধি দেবেল্পনাথের টেবিলে ভূতন্ব-বিষয়ক একখানি সদা প্রকাশিত প্রস্থ দেখিয়া! শিবনাথ শাস্ত্রী আননামোহন বনু ফিস্ প্রকাশ করেন মহাধ বলেন, 'জামি পাহাড়ে পর্বতে থাকিয়া বহু বংসর ভৃতববিগ্কার অনুসীলন করিয়াছি, এমন কি, বিষয়ে আমাকে একটা ৪.20000665 বলিলে হয়, তুমি কি তাহা জান না।' এই বলিয়া তিনি ছামিতে লাগিলেন স্বরণকুষারী দেবী নিজের রচিত 'পৃথিবী' ( সে্েম্বর ১৮৮২ ) নাষক গ্রন্থের উৎনর্গপত্রে লিখিয়াছিলেন যে, মহরির ক্রোড়ে বদিয়াই তিনি ভূততবিগ্তার অনুরাগিধী ইইয়াঞ্ছেন।

জ. শিবনাখ শাস্রী : যহবি দেবেক্্রনাথের জীবনের দৃষ্টান্ত উপদেশ পৃ২৩।

ঞ্টা ১৮৭২-৭৪ প্রত্যাবর্তনের পরে ৪৩৬

এমনি করিয্পা চারি মাস পিতার সঙ্গে ভ্রমণ বাম করিয়া কাটিলে পর ববীন্দ্রনাথ পিতৃ-অন্থচর কিশোরী চাটুজ্জের সহিত কলিকাতায় ফিরিয়া আসিলেন।*

প্রত্যাবর্তনের পরে

হিমালয়ত্রমণ-পর্বট1 রবীন্দ্রনাথের বাল্যজীবনে নানাদিক হইতে স্মরণীয় তিনি লিখিয়াছেন, গৃহে “পূর্বে যে-শাসনের মধো সংকুচিত হইয়া ছিলাম হিমালয়ে যাইবার সময়ে তাহা! একেবারে ভাঙিয়া গেল। যখন ফিরিলাম তখন আমার অধিকার প্রশস্ত হইয়া! গেছে ।. ' বাড়িতে যখন আমিলাম তখন কেবল যে প্রবাদ হইতে ফিরিঙগাম তাহা নহে-__ এতকাল বাড়িতে থাকিম্াই যে-নিরবাসনে ছিলাম সেই নির্বাসন হইতে বাড়ির ভিতরে আসিয়া! পৌছিলাম। অন্তঃপুরের বাধা ঘুচিয়া গেল, চাকরদের ঘরে আর আমাকে কুলাইল নাঁ। মায়ের ঘরের সভায় খুব একটা বড় আমন দখল করিলাম। তখন আমাদের বাড়ির যিনি কনিষ্ঠ বধূ ( কাদস্বরী দেবী ) ছিলেন তাহার কাছ হইতে প্রচুর স্রেহ আদর পাইলাম ।” এখন বালকের বয়ন বারো বৎসর |

কিন্ত গ্রীশ্মাবকাশের ছুটির (মে-জুন ১৮৭৩) পর বেঙ্গল আকাডেমি স্থলে যথারীতি যাইতে হুইল। বাহিরের উন্ধুক্ত জীবনের মধ্যে চারি মান কাটাইয়া আসিয়া পিতার নিকট প্রচুর স্বাধীনতা পাইয়! পুনরায় কিরিঙ্গি বিদ্যালয়ের চারি প্রাচীর-বেষ্টিত কক্ষ তাহার কাছে পাধাণকারার ন্তায় কঠিন হইয়া উঠিল।

বি্ভালয়ের গঙ্ডির মধ্যে মন টেকে না, মনে জাগে নান! আশা বু আকাঙ্ষা বিচিত্র সাধ বোধ হয় এই সময়ে অভিলাষ নামে এক দীর্ঘ কবিতা। লেখেন এই কবিতা সম্বন্ধে আমরা পরে আলোচনা করিতেছি।

বিগ্ালয়ের নিয়ম-করা! পড়াশুনার মধ্যে বালককে বাধ] ক্রমশই অভিভাবকগণের পক্ষে সমস্তাপূর্ণ হইয়া উঠিতেছে। দ্বিজেন্দ্রনাথ এক পত্রে* লিখিতেছেন যে বালকেরা স্কুলে টিকিতে না পারায় তিনি স্বয়ং তাহাদিগকে পড়াইতেছেন, প্রাতে রামসর্বস্ব পণ্ডিত সংস্কৃত শিখাইতেছেন। তিনি বালকদ্দিগকে শকুস্তল! অর্থ করিয়া পড়াইতেন। মাঝে কিছুকাল মহধির অন্থুবোধে রাজনারায়ণ বস্থ মহাশয় রবীন্দ্রনাথকে পড়াইবার চেষ্টা করেন; কিন্তু অমন ক্ষণজন্মা শিক্ষকের শিক্ষারী তিকেও তিনি পরাভূত করিলেন। অতঃপর আনন্দচন্্র বেদাস্তবাগীশের যুবকপুত্র জ্ঞানচচ্দ্র তট্টাচার্য* ইহাদের গৃহশিক্ষক হইলেন।

তিনি যখন বালককে স্কুলের পড়ায় কিছুতেই বাধিতে পারিলেন না, তখন তাহার রুচিমত সাহিত্যরম পরিবেএনে মন দিলেন। জ্ঞানচন্ত্র আসিয়া সংস্তে কাপিদাসেব কুমারসম্থব মহাকাব্য ইংরেজিতে শেক্সপীয়ব্রের ম্যাকবেখ নাটক পড়ানো শুরু করিলেন। বলা বাহুলা এই ছুই গ্রন্থ বালকের সম্মুখে ছুইটি নৃতন জগৎ উদ্ঘাটিত করিল-_ একটি প্রকৃতির সৌন্দর্য, অপরটি মানব-চরিত্রের বৈচিত্রা। কুমারসম্তব পড়িতে পড়িতে তিন সর্গ তাহার মুখস্থ হইয়! শিয়াছিল। কিন্তু জ্ঞানচন্দ্র কেবল পড়াইয়া ক্ষান্ত হইতেন না যাহা পড়াইতেন তাহা বালককে দিয়া লিখাইয়া

যর পত্রাবলী, পৃ ১*৭। বক্কোটাশিখর ১৪ আষাঢ় ১৭৯৫ শক (২৭ জুন ১৮৭৩), প্রবীশ্রকে একটি জীবন্ত পত্রন্বরূপ করিয়া তোমাদের নিকট পাঠাইয়াছি 1”

১৭৯৫ শক। ২৫ মাঘ ১২৮৯ ফেব্রুয়ারি ১৮৭৪। দ্র. জীবনস্থৃতি, ১৩৫৪, পৃ ৭৪1৯

জ্ঞানচঞ্জ ভটাচার্য-_ আনলাচন্ত্র বেদান্তযাগীশের পুগ্রে। ১৮৭১ সালে প্রেমিডেছি কলেজ হইতে বি. এ. পাস করেন। ১৮৭৩ সালে রবীস্্রনাখের গৃহশিক্ষক নিযুক্ত হন। জীবনম্বতিতে আছে যে ইমি ওকালতি পড়িতে গেলে এই কাজ ছাড়িয়া দেন। তিনি ওকালতি পাস করেন নাই বা শেষ পর্যন্ত পড়েন নাই; কারণ বিশ্ববিগ্ঠাগয়ের 9. 1.. পাসের তালিকার ভাহার নাম পাই নাই | ১৯১* কি ১৯১১ সালে তিনি কয়েক মাসের জন্ত শান্তিনিকেতনে শিক্ষকতা! করিতে আমেন। তখন তিনি জর়াগ্রত্ত

৪৪ ববীন্দ্রণীবনী গ্ষ্টাব ১৮৭২-৭৪

লইতেন।১ মাকবেথ নাটকখানিও এইভাবে সম্পূর্ণক্ূপে তর্জমা হইয়া] যায়। কবি লিখিয়াছেন, “যতক্ষণ তাহা বাংলা ছন্দে আমি তর্জমা না করিতাম ততক্ষণ ঘরে বন্ধ করিয়া রাখিতেন। সমস্ত বইটার অনুবাদ শেষ হুইয়! গিয়াছিল।”

তাহার গৃহশিক্ষক জ্ঞানবাবুর শাসনে তাহাকে ম্যাকবেথের যে-অনুবাদদ করিতে হইয়াছিল, তাহার কথা প্রচার করেন তাহাদের সংস্কৃতির অধ্যাপক রামপর্বস্ব ভট্টাচার্য। ইনি ছিলেন বিদ্যাসাগর মহাশয় -প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটান ইন্স্টিটিউশনের হেড পণ্ডিত। ইনিই একদিন ঈশ্বরচন্দ্র বিছ্যাসাগর মহাশয়কে অনুবাদ শুনাইবার জন্য পাওুলিপিসহছ লেখককে নিয়া তাহার সমক্ষে হাজির করিলেন রাজকৃষণ মুখোপাধ্যায়খ ( ১৮৪৬-৮৬) সেই সময়ে তাহার কাছে বসিয়া ছিলেন। বালকের অন্থবাদ শুনিয়৷ উভয়েই গ্রীত হইলেন। রাজকুষ্ণবাবু উপদেশ দিয়াছিলেন নাটকের অন্তান্ঠ অংশ অপেক্ষা ডাকিনীর উক্তিগুলির ভাষা ছন্দের কিছু অদ্ভুত বিশেষত্ব থাকা উচিত। বোধ হয় এই উপদেশ অহ্সারে তিনি সেই অংশ নৃতন করিয়া লেখেন। “সেই অনুবাদের (ম্যাকবেখের ) আর সকল অংশই হারাইয়া গিয়াছিল কেবল ডাকিনীদের অংশটা অনেক দিন পরে ভারতীতে বাহির হইয়াছিল ।”*

জ্ঞানচন্দ্র শিক্ষকতা হইতে অবসর গ্রহণ কৰিলে মেট্রোপলিটান স্কুলের শিক্ষক ব্রজনাথ দে মহাশয় আপিয় গোল্ডন্মিথের ভিকার অব ওয়েকফীন্ড-এর তরজমা করিতে দিলেন? কিন্তু তাহার পরীক্ষা সফল হইল না। ১৮৭৩ সালটা ঘরে-পড়ার পরীক্ষায় কাটিয়া গেল। অবশেষে ১৮৭৪-এ বালকর্দিগকে সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে ভি করিয়া দেওয়া হইল। সোমেন্দ্র ববীন্দ্র একই শ্রেণীতে পড়িতেন। ছুই বৎসর স্কুলে গিয়াছিলেন, তবে স্কুলের রিপোর্টে ইিরবেগুলর' মন্তব্য লিখিত দেখা যায় শেষ পর্যস্ত রবীন্দ্রনাথ প্রমোশনই পাইলেন না ( সজনীকান্ত দাস : রবীন্দ্রনাথ : জীবন সাহিতা, পৃ ৭৮)। মোট কথা সেখানেও পাঠোন্নতি হইল না। ইতিমধ্যে জননীর মৃত্যু হইল, তখন রবীন্দ্রনাথের বয়স চৌদ্দ ব্সর। মাতৃবিয়োগের পর* “মাতৃহীন বালক বলিয়া অন্তঃপুবে বিশেষ প্রশ্রয় পাওয়াতে স্থুগে যাওয়া প্রায় একপ্রকার ছাড়িয়াই” দিলেন। বিদ্যালয়ে গিয়া! বাধাধরা পড়াশুনা না করিলেও সাহিত্যসাধনা সাধ্যমত চলিতেছে; লেখনীও

কুমারসম্তব নন্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ জীবনস্থৃতির পাঙুলিপিতে লিখিয়াছিলেন, প্তিন মর্গ ত্টা। পড়াইয়ান্ছিলেন তাহার আগাগোড়া সমপ্ত আমার মুখস্থ হইয়াছিল” মুজিত জীবনশ্থুতিতে আছে, “আমাক বাংলায় অর্থ করিয়া কুষারসম্ব পড়াইতে লাগিলেন তাহা ছাড় খানিকট। করিয়া মাকবযেখ আমাকে বাংলায় মানে করিয়। বলিতেন এবং যতক্ষণ তাহা বাংলা ছন্দে আমি তমা না করিতাম ভতক্ষণ ঘবে বন্ধ করিয়া রাখিতেন।” ইতাাদি।

এখন প্রশ্ন রবীশ্রনাণ কি 'কুমারনস্তব' বাংলায় ভর্জমা করিরু[ছিলেন ; শরীবনম্মৃতিতে তাহার কোনো ইঙিত নাই যদি উহার অনুবাদ তিনি করিয় থা.কন তবে ঈথ্বরচন্ত্র বিগ্ভাদাগর রাজকুকণ মুখোপাধ্যায়কে কেবলমাত্র মাকবেখ অনুবাদ শুনাইলেন__ বুমারঃস্তঃবর কোনে কণা নাই। সেইড ইহার যে-অন্ববাদ ১২৮৪ সালে ভারতীতে প্রকাশিত হয় তাহার অনুবাদক দ্বিজেলনাথ 2াকৃব। ম্যাকবেখ অন্থবদের পর বোধ হয় কুষারসম্তবের কিঃদংশ মদনভন্প নামে বাংল| ছন্দে বালক-রবি ভাষাস্তরিত করেন। ম্যাকবেখের পূর্বে অনুদিত হইলে নিশ্চয়ই সেটি বিগ্া।সাগরকে দেখাইবার লোত রামসর্বন্ সংবরণ করিতেন না বালক তিনটি সর্গ মুখস্থ করেন বালক 'মদনভন্ম অনুবাদ করিলে পর দ্বিজেম্্রনাণের গুদ্ধিকরণ চল; অতঃপর গবয়ং অনুশাদ করিয়া আদশ স্থাপন করেন। রবীক্রনাপ কৃত দ্থিজেন্রনাথ কৃত দুইটি অনুবাদ মালতীপু'ধিতে ( রবীশ্ত্র-জি্ঞোস1) আছে। তারতী, মাখ ১২৮৪ সংখ্যায় মে 'মদনভশ্র' প্রকাশিত হয়, তাহ] রবীন্নাথ কৃত নহে; উহার রচযিত| দিজেম্রনাথ |

-- প্রীকানাই সামস্ক : রবীন্্-প্রতিত।। পৃ ২৪১-৫৫। প্র. হীপ্রবোধচন্্র সেন -সম্পাদিত মালতী পু'শি-_ রবীন জিজগান। (১৯৬৫) পৃ ৬৯-৭৬। রাজরুঞ্চ মুখোপাধ্যায় কটকের আইন কলেজের অধাপক ছিলেন। ২৪ ভ্রানুয়ারি ১৮৭২, কাধ ভাগ করিয়া কলিকাতা! আঙদেন। জীবনশ্মৃতির পাঙলিপি। জর. ভারতী, ৪র্থ বর্ষ, আহিল ১২৮৭1 রবীক্-গ্রন্থ-পরিচয়ে ম্যাকবেখের এই অংশটি পুনর্দ জিত হইয়াছে রবীজনাখ- কৃত মাকবেপের অঙ্গবা দর তেরে! বংসর পরে গিরিশচজ্রা ঘোষ বাংলায় অঙ্ুবাদ করেন। সারদা দেবীর মৃত্যু ২৭ ফাল্গুন ১২৮১।১৭ মার্চ ১৮৭৫ | তত্বাধিনী পত্রিকা, বৈশাখ ১৭৯৭ শক (১২৮২) ১৭1 যাতার চতুর্থী শ্রান্ধক্রিয়াতে ঞমতী সৌদামিনী দেবীর প্রার্থনা ফাল্গুন ১২৮১, শনিবার চৈত্র, শনিবার, মাতার খ্আগ্যশ্রান্ধে প্ীধুকত ছিক্সেম্্রনাথ ঠাকুরের প্রার্থন|। আর. সৌদামিনী দেবী, পিতৃস্থৃতি, প্রবাসী, ফাল্গুন ১৩১৮[ রবীন্ত্রনাখ কক পুরলিখিত ) |

- সত কির সতীশ সেই ইল ইিলি

ধী্াৰ ১৮৭২-৭৪ প্রত্যাবর্তনের পরে ৪৫

শান্ত নহে। বনফুল কাবা এই সময়ে রচিত, ঘদ্দিও মুদ্রিত হয় আরে! কিছুকাল পরে। এই কাব্য সম্বন্ধে আমরা পরে আলোচনা করিব $ এইখানে যে-সব কবিতা তাহার রচিত বলিয়া দাবি করা হয়, অথচ যাহাতে রচয়িতার নাম নাই সেইসব কবিতা সম্বন্ধে আলোচনাটা শেষ করিব। |

'শৈশব-সংগীত” কাব্যখণ্ড রবীন্দ্রনাথের তেরো হইতে আঠারো বৎসর বয়সের মধ্যে রচিত কবিতার সংগ্রহ এই গ্রশ্থের কোন্‌ কবিতা কোন্‌ বয়সে রচিত, তাহা নির্দেশ করা কঠিন; তদুপরি ইহা নির্বাচিত কবিতাগ্রন্থ বলির! দুই-চারিটি কবিতা নিশ্চয়ই কবি বাদ দিয়াছিলেন। সেইবূপ দুইটি কবিতা হইতেছে “অভিলাষ” “প্রকৃতির খেদ'। মালতী পুথির মধ্যে আবে অপ্রকাশিত কবিতা ছিল। হিমালয় হইতে প্রত্যাবর্তনের পর বিদ্যালয়ের গণ্ডির মধ্যে মন যখন কিছুতেই টি'কিতেছে না, মনে যখন নানা আশা নানা স্বপ্র জাগিতেছে বোধ হয় সেই সময়ে অভিলাষ; নামে দীর্ঘ কবিতাটি তত্ববোধিনী পত্রিকায় (অগ্রহায়ণ ১২৮১) "দ্বাদশ ব্ধীয় বালকের রচনা, -রূপে প্রকাশিত হইয়াছিল ইহাতে কি বালক-কবির মনের অভিলাধই বালকোচিত ভাষায় ছন্দে প্রকাশ পাইয়াছিল? মনে হয় কবিতাটি ম্যাকবেথ পড়িবার সময়ে লিখিত-_ এই দীর্ঘ কবিতার ২৪-৩১ স্তবক মধ্যে য্যাকবেথের হত্যার আভাস হত্যাকারীর অচ্ুতাপার্দির কথা আছে।

জনমনোমুগ্ধকর উচ্চ অভিলাষ!

তোমার বন্ধুর পথ অনস্ত অপার। অতিক্রম করা যায় যত পাস্থশালা

তত যেন অগ্রসর হতে ইচ্ছা হয় 1১1... উচ্চ অভিলাষ! তুমি যদ্দি নাহি কতু বিস্তাবিতে নিজ পথ পৃথিবীমগ্ডলে

তাহ] হলে উন্নতি কি আপনার জ্যোতি বিস্তার করিত এই ধরাতল মাঝে ? ৩৮|

অ-নামে বা 'বালকের রচিত" বলিয়া আর-একটি কবিতা তত্ববোধিনী পত্রিকায় প্রকাশিত হয় সাত মাস পরে। ইহার নাম “প্রকৃতির খেদ'২ কবিতাটি বাপক-কবি পাঠ করেন বিছজ্জনসমাগম-সভায়। এই সভার অধিবেশন হইয়াছিল গুণেন্দ্রনাথের বাড়িতে (২৭ বৈশাখ ১২৮২ )১ সভায় রাজনারায়ণ বস প্রমুখ প্রায় এক শত গ্রন্থকার বিদ্বান ব্যক্ত উপস্থিত ছিলেন। 'সাধারণী” নামে সাপ্তাহিকের সম্পাদক অক্ষয়চন্দ্র সরকার উপস্থিত ছিলেন; তিনি লিখিয়াছিলেন, “এ

অভিলাষ, তথ্ববোধিনী পত্রিকা ১৭৯৬ শক, অগ্রহায়ণ ১২৮১, নভেম্বর ১৭৭৪ পূ ১৪৮-৫০। ৩মগ্তবক। তন রধীঙ্ত্রের বয়স ১৩ বংসর। তবে খুব সন্তব উহা ১২৮* শীতকালে রচিত হয়। শনিবারের চিঠি, অগ্রহায়ণ ১৩৪৬ জর ইউপ্রবোধচন্্র সেন লিখিত রনীন্্রনাথের বালারচনা, বিশ্বভারতী পত্রকা, ১ম বর্ষ, ১*ম সংখ্যা, বৈশাখ ১৩৫* পৃ ৬৩৭-৬৩ |

প্রকৃতির থেদ : বালকের রচিত, তত্ববোধিনী পত্রিকা ১৭৯৭ শফ, আষাঢ় ১২৮২। জুন ১৮৭৫ পৃ ৫২-৫৪। রামসর্বন্থ ( ভট্টাচার্য ) বিষ্তাহুষণ সম্পাদিত নূতন পত্রিকা 'প্রতিবিস্ব' বৈশাখ ১২৮২ (১৮৭৫ ) সংখ্যায় প্রথম প্রকাশিত হয়; পরে তন্ববোধিনী পঙ্জিকায় পুণরায় সামান্ত সংশোধনের পর মুদ্রিত হয়। জর পশ্চিমবঙ্গ মরকার প্রকাশিত রবীন্ত্র রচনাবলী ৪, পৃ ৮২৮-৩৫ ২৭ স্তবক। জ্োতিরিন্ত্রনাধ শিলাইদহ হইতে গুণেজুনাপকে এক পত্রে লিখিতেছেন (২ জোষ্ট ১২৮২) প্বিদ্বজ্জনের ০৪২] রবির কবিত! পাঁঠ।চ্ছি_ কর্তা মহাশয় [ দেবেন্্রলাথ ] কবিতাটি পাঠ করিয়া ভাল বলিলেন ”--সজনীকান্ত দান: রষীল্নাথ : জীবন সাহিতা পূ ২*৭।

ঞীপ্রবোধচল্ সেন : ভোরের পাখি [ প্রবন্ধ ] বিংজ্্) পত্রিকা, কার্তিক-পৌঁষ ১৩৬৮ পৃ ১২৪-২৫।

৪৬ রবীন্দ্র্জীবনী ধী্টা্ষ ১৮৭৫

পদ্য অতি মনোহর পাঠকালে সকলের মনে ভাবতভূষিয় বর্তমান হীনাবস্থা স্মরণ হওয়াতে নেত্র হইতে স্পা হইয়াছিল ।১ এই দীর্ঘ কবিতা হইতে কয়েকটি পংক্তি উদ্ধৃত হইল-_

বিস্তাৰিয়া উঠ্রিমালা, স্থকুমারী শৈলবালা

অম্ল সলিল! গঙ্গা অই বহি যায় বে।

প্রদীপ্ত তুষাররাশি, শুভ্র বিভা পরকাশি

ঘুাইছে স্তন্ধভাবে গোমুখীর শিখরে

ফুটিয়াছে কমলিনী অরুণের কিরণে

নির্ববের একধারে ছুলিছে তরঙ্গ ভরে

ঢুলে চুলে পড়ে জল প্রভাত পবনে। ভারতের দিকে তাকাইয়! “প্রকৃতির খেদ' হইতেছে-_

অভাগী ভারত হায়, জানিতাম যদি-_ বিধবা হইবি শেষে, তাহলে কি এত ক্লেশে তোর তরে অলঙ্কার করি নিরমাণ।

তাহলে কি হিমালয়, গর্ষেভর! হিমালয়, দাড়াইয়া তোর পাশে পৃথিবীর উপহ্থাসে তুষার মুকুট শিরে করি পরিধান ॥:""

আবার গাহিল ধীরে প্রকৃতি হুন্দরী কাদ কাদ কাদ অভাগী ভারত।

হায় দুখনিশা তোর, হল না হল না ভোর হাসিবার দিন তোর হুল না আগত।

“ছাদশবর্ষীয় বালকের রচিত” "বালকের রচিত" অ-নামে লিখিত কবিতা দুইটি ছাড়া বালক রবীন্দ্রনাথের আরো দুইটি কবিতা জ্যোতিরিন্্রনাথের ছুইখানি নাটকের মধ্যে প্রায় লুপ্তভাবে আছে বলিয়া জানা গিয়াছে কি ভাবে কবিতা ছুইচি জ্যোতিরিজ্্রনাথের নাটকের মধ্যে আশ্রয় পাইল, তাহার ইতিহাস সংক্ষেপে এই :

জ্যোতিরিজ্রনাথের সরোজিনীং নাটক ছাপা হইতেছে। তিনি বামসর্বস্ব পণ্ডিতের সাহায্যে প্রুফ দেখেন; রামসর্বন্বের অভ্যাস ছিল খুব জোরে জোরে পড়া পাশের ঘর রবীন্দ্রনাথের পড়ার ঘর; রবীন্দ্রনাথ তখন সেপ্ট চেভিস্নার্ম গ্থলের ছাত্র প্রুফের পাঠ কানে যাওয়াতে মাঝে মাঝে তিনি পণ্ডিত মহ্থাশয়ের উদ্দেশে কোন্‌ স্থলে কি করিলে আরো ভালো হয়, তৎসম্বন্ধে মন্তব্য প্রকাশ করিতেন। রাজপুত মহিলাদের চিতাপ্রবেশ উপলক্ষ্যে একটা গগ্ভ বন্তৃতা ছিল। ্যোতিরিস্রনাথ তাহার আত্মচরিতে বলিয়াছিল্লেন, “গণ্ত রনাটি এখানে একেবারেই খাপ খায় নাই বুঝিয়া কিশোর-রবি

সাধারপী, রবিবার জোট, ১২৮২ সাল | ১৬ মে ১৮৭৫1 প্র. জীষনপ্মতি, গ্রন্থপরিচয় | সাধারলী ( সাপ্তাহিক ) ১১ কাতিক ১২৮ ২৬ অক্টোবর ১৮৭৩। চুঢুড়া হইতে অক্ষরচন্ত্র নরকার -ক্ৃক প্রকাশিত হইত। বৈশাখ ১২৯৩ সালে নববিভাকরের সহিত মিলিত হয়। অজেল্রনাথ বল্যোপাধ্যায় : সামরিক পত্র ২য় খণ্ড! পৃ ১২

আলেননাখ বন্দ্যোপাধ্যায় : রবীন্র-্রন্থ-পরিচয় সরোজিনীর প্রকাশকাল ১৫ অগ্রহায়ণ ১২৮২1 ৩* নভেম্বর ১৮৭৫।

ব্বীাব ১৮৭৫-৭৭ ্বাদেশিকতা। হিদ্দুমেলা ৪৭

একেবারে আমাদের ঘরে আলিয়া হাজির তিনি বলিলেন, এখানে পন্ত রচনা ছাড়া কিছুতেই জোর বীধিতে পারে না। প্রস্তাবটা আমি উপেক্ষা করিতে পারিলাম না। ** রবীন্দ্রনাথ খুব অল্প সময়ের মধ্যেই “জল্‌ জল্‌ চিতা ছিপ্ণ দিগুণ-_ এই গানটি রচনা করিয়া আনিয়া আমাদিগকে চমতকত করিয়া দিলেন।”৮

অপরটি স্বপ্রময়ীং নাটকের মধ্যে লুকানো রহিয়াছে; ১৮৭৭ সালের হিন্দুমেলার জগ্ক রচিত কবিতাটির অঙ্গহানি শবপরিবর্তন করিয়া উহাকে নাটকের অন্তর্ভুক্ত কর! হয়। আমরা এ-সম্বন্ধে অন্তত্র আলোচনা! করিব।

আমরা এতক্ষণ বালক-কবির যে-কয়টি কবিতা লইয়া আলোচনা করিলাম, সেগুলির রচয়িতা হিমাবে রবীন্দ্রনাথের নাম পাওয়া যায় না। বাহিরের প্রাণের উপর নির্ভর করিয়া সেগুলিকে তাহার রচনা বলিয়া! মানিয়া লইতে হইয়াছে

স্াদেশিকতা!। হিন্দুমেলা

ছাপার অক্ষরে 'শ্রীরবীন্ত্রনাথ ঠাকুর এই নাম-যুক্ত যে-কবিতা সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয়, সেটি হইতেছে "হিন্দুমেলায় উপহার”* | কবিতাটি হিন্দুমেলায় (৩* মাঘ ১২৮১) পঠিত হয়, তখন রবীন্দ্রনাথের বয়স তেরো বংসর আট মাপ মাত্র) রবীন্দ্রনাথ জীবনস্তি বা অন্ত কোনো! রচনার মধো এই কবিতা সম্বন্ধে কিছুই উল্লেখ করেন নাই। ইহার ছুই বৎসর পরে যে-কবিত৷ হিন্দুমেলায় আবৃত্তি করেন, তাহার কথ জীবনস্তিতে বিস্তভাবেই বলিয়াছেন।

সত্তর বৎসর পূর্বে কী স্থত্রে উহা রচিত হইয়াছিল, তৎসম্বদ্ধে যথাযথ ধারণ! করা এ-ফুগের পাঠকদের পক্ষে সহজ নহে; সেইজন্য আমর] দেই অতীতযুগের বিস্বৃত কাহিনী সংক্ষেপে এখানে বিবৃত করিব। রবীন্দ্রনাথের অস্তরে এই বালকবয়মে দেশাত্ুবোধ স্বদেশগ্রীতির বুনিয়াদ কিভাবে পুন হইয়াছিল, তাহা বুঝিতে হইলে বাংলাদেশের হিন্দুমেল! বা এই প্রথম হ্বদেশী-আন্দোলনের ইতিহাসটা জানা প্রয়োজন

হ্বাদেশিকতা৷ বা জাতীয়তা বা স্কাশনালিঙম্‌ পদার্থটা ফুরোপীয় শিক্ষার ফল এ-কথা লইয়া আশা করি বাদপ্রতিবাদ হইবে না। হিন্দুকলেজ স্থাপনের ফলে যে-ইংরেজি শিক্ষা দেশের মধ্যে প্রচারিত হইয়াছিল, তাহার ফল সর্বতোভাবে দেশের পক্ষে সর্বাঙ্গীণ কল্যাণকর হয় নাই; তবে দেশের জন্য দরদ বা জাতীয়তাবোধ জাগ্রত করিবার জন্য এই বিদেশী শিক্ষাই যে দায়ী তদবিষয়ে সন্দেহের অবসর নাই | যাহাই হউক, নৃতন শিক্ষা-বিস্তারের ফলে পাশ্চাত্য দর্শন বিজ্ঞান অধায়নের প্রতিক্রিয়ায় দেশের ধর্মশান্ত্র ধর্মসাধনা সকল প্রকার হিন্দু অহুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠানের প্রতি শ্রদ্ধাহীন বিরূপতা শিক্ষিতদের পক্ষে শ্লাঘার বিষয় হইয়া দীড়াইয়াছিল। গ্রীস্টীয় মিশনারীদের প্রেচারকার্ধ এই অশ্রদ্ধার অগ্রিতে ইন্ধন যোগায় হিন্দুসংস্কৃতি-গ্রামোগ্ভত যুরোগীয়তাকে প্রাচীনপন্থী হিন্দুসমাজ ত্রাক্মপমাজ যুগপৎ বাধাদান করিতে উদ্যত হইল; তবে ব্রাহ্মদমাজের বাধাদান-পদ্ধতির সহিত সনাতনীদদের পদ্ধতির যৃঙ্গগত পার্থকা ছিল। মুরোপীয় শিক্ষার ফলে একটি সুটু দেশাত্মবোধ বা স্তাশনালিজমের আদর্শে নবীনদের মন উজ্জল কবিয়! তোলে এবং যুগপৎ বৃহত্তর আন্তর্জাতিক

ঘল্‌ বল্‌ চিত। গানটি যে রবীন্দ্রনাথের রচনা, তাহ! কবি হয়ং দাবি কয়েন নাই, অর্থাং তাহার কোনো গীতগ্রন্থে মুদ্রিত হইতে দেখা যায় না। দাস লাহিড়ী সম্পাদিত 'বাঙ্গালীর গান' (বঙ্গবাসী ১৩১২) গ্রন্থে গানটি জ্যোতিরিঙ্রনাথের নামে আছে। অবঠ্য বইখানিকে খুব প্রামাণ্য সংকলন গ্রন্থ বল! ধায় না।

জ্যোতিরিক্রনাধের জীবনস্থতি। বসস্তকুমার চট্োপীধায় -কর্তৃক চিক ধত। ফাল্ধন ১৩০৬1১৯২৭। পৃ ১৪৭)

: গ্বপ্নময়ীর প্রকাশকাল ১৮৮২ 1 ১২৮৯ আবাঢ। পৃ৬*। রবীন গ্রন্থ-পরিচয়, পৃ ৬৫-৬৭ | | ) ১৪ ক্কান্তন ১২৮১। ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৮৭৭ তারিখের দ্বিভাবিক অমৃতবাজার পত্তিকা প্রকাশিত হয়। ব্রজেঙ্্নাধ বন্দোপাধ্যায়, প্রবানী, মাথ ৩৩৮ সংখায় উহা! পুনঃপ্রকাশ করেন। ভর. রবীপ্র-গ্স্থ পরিচয়, পূ "৫৭৭1 জীবনম্ৃতি, পরিশিষ্ট পশ্চিমব্ সরকার -কর্তৃক প্রকাশিত রবীন্রা- চনাবলী ৪, পূ »২৪-২৭।

৪৮ ববীন্্রজীবনী শ্ীষ্টা্ধ ১৮৭৫-৭৭

জগতের মধ্যে নিজ দেশকে দেখিবার আকাক্ষ! তীব্র হইয়া উঠে। কিন্তু সনাতনীরা মুঝোপীয়তার বিকদ্ধে যে- অভিযান পরিচালনা করিতে প্রবৃত্ত হইলেন, তাহা পশ্চাত-ধাবনতা বাঁ £০-08015151)- ত্রহ্ষণ্যধর্মের পরাভব বা বর্ণা- শমেব বিলোপভয়ে আতঙ্কজনিত কর্মপ্রচেষ্টা ; বাজা রামমোহন বায়ের সময় হইতে আজ পর্যস্ত এই দুইটি বিপরীত শ্রোতের গতিবেগের দ্বন্দ বাঙালির চিত্ত উদ্ভ্রান্ত; তাহার প্রগতি কখনে। বাধাগ্রস্ত, কখনো নকপনবীশীপর্যায়ভুক্ত দেবেন্দ্রনাথ প্রমুখ ব্রাহ্ম নেতারা হিন্দুজাতীয়ভাবোধকে উদ্বুদ্ধ যুরোপীয় তথা শ্রীষ্টায় আোতকে প্রতিরোধ করিতে বন্ধ- পরিকর এবং যুগপৎ পাশ্চাত্য জ্ঞান-বিজ্ঞান দেশমধো চালু করিবার জন্ত সচেষ্ট। বাহির হইতে দেখিতে ঠাকুর- পরিবারের মধ্যে অনেক-কিছু বিদেশী প্রথার প্রচ্সন ছিল; কিন্ধ ইহাদের মধো একটি প্রবল 'ম্বদেশাভিমান স্থির দীপ্চিতে জাগিতেছিল" স্বদেশের প্রতি দেবেন্দ্রনাথের১ যে একটা আন্তরিক শচ্ছা তাহার জীবনের সকলপ্রকার বিপ্লবের মধ্যে অক্ষুপ্ন ছিল, তাহাই ঠাকুরপরিবারের মধ্যে একটি প্রবল স্বদেশপ্রেম সঞ্চার করিয়াছিল।

রবীন্দ্রনাথ জীবনস্ৃতির খসড়ায় লিখিয়াছেন, “আমাদের পিভৃদেব যখন স্বদেশের প্রচলিত পৃজাবিধি পরিত্যাগ করিয়া- ছিলেন তখনো তিনি স্বদেশী শান্্রকে ত্যাগ করেন নাই, স্বদেশী সমাজকে দুঁটভাবে আশ্রয় করিয়াছিলেন। আমার পিতামহ ছোটকাকা মহাশয় ( নগেম্ত্রনাথ ঠাকুর ) বিলাতের সমাজে ব্্যাপন করিয়া ইংবাজের বেশ পরিয়া আসেন নাই, এই দৃষ্টান্ত আমাদের পরিবারের মধ্যে সজীব হইয়া আছে। আমাদের পিতামহ ইংরাজ বাজপুরুষদিগকে বেলগাছিয়ার বাগানে নিমন্ত্রণ করিয়া সর্বদা ভোজ দিতেন, কিন্ধু শুনিয়াছি, তিনি পিতাকে নিষেধ করিয়া গিয়াছিলেন যে, ইংরাজকে যেন খানা দেওয়া না হয়। তাহার পর হইতে ইংবাজের সহিত সংশ্রব আর আমাদের নাই; এবং পিতামহের আমল হইতে আজ পর্যস্থ সরকারের নিকট খেতাব-লোলুপতার উপনর্গ আমাদের পরিবারে দেখা দেয় নাই 1”

রাজনারায়ণ বন্থকে বাংলাদেশের এই নৃঙ্ন স্বাদেশিকতার গুরু বলিলে বোধ হয় শের অপগ্রয়োগ হইবে না। রাজনানায়ণ বন মেধিনীপুরে বাদকালে ১৮৬১ সালে "জাতীয় গৌরবেচ্ছা সঞ্চাবিণী সভা” নামে এক সভা স্থাপন করেন।* কয়েক বৎস্ব পরে কলিকাতায় আসিলে ছিজেন্দ্রনাথ, জ্যোতিবিক্্রনাথ গ্রভৃতিদের সহিত মিলিত হইয়া "শ্বাদেশিকের সভা" গঠন করেন। ১৮৬৬ সালে তল্লিখিত 71093780005 01 50901609007 0176 [10050901017 0 9101079] 05611778 23004 0136. £:05০805 90৮55 8617891 নামক পুস্তিকা প্রকাশিত হয়। বাজনারায়ণ বলিয়াছেন এই পুন্তিকার দ্বারা উদ্বুদ্ধ হইয়া নবগোপাল মিত্র হিন্দুমেল! জাতীয় মতা সংস্থাপন করেন। এই পুন্তিকার বঙ্গানগবাদ করেন ব্রাঙ্মমমাজের সম্পাদক উম়্েশচন্দ্র দর্ত।ৎ প্রধানত জোড়াাকোর ঠাকুরবাড়ির দেবেঙ্নাথ গণেন্ত্রনাথের আধিক সাহায্যে এবং রাজনারায়ণের প্রেরণায় নবগোপালের আস্তরিক উৎসাহে হিন্দুমেলা জনপ্রিয় হইয়া উঠে। ইহার প্রথম অধিবেশন ১২৭৩ সালের চৈত্র-সংক্রান্তির দিন (১২ এপ্রিল ১৮৬৭ ); মেলার সম্পাদক গণেজ্্রনাথ, সহকারী সম্পাদক নবগোপাল। মেলার অধ্যক্ষগণ শ্বদেশীয় শিল্পের উন্নতি, সাহিত্যের বিকাশ, সংগীতের চর্চা, কুস্তি ব্যায়ামাদির পুনবিকাশে উৎসাহদান করিবার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হইপেন। দ্বিতীয় বার্ধিক সভায় সম্পাদক গণেজনাথ* বপিয়াছিলেন, “ভারতবর্ষের এই একটি প্রধান অভাব ষে, আমাদের সকল কারধেই আমরা রাজপুরুষের

দেবেল্সনাধ ব্রিটিশ-ভারত-সভার (8:1018 [70150 555০0180107) সহকারী সম্পাদক ছিলেন (১৮৫১)। জ্যোতিরিস্ানাথ হলেন, িবোধিনী পত্রিকার আমল হইতেই প্রকৃতপক্ষে শ্বদেশীতাবের প্রচার আর হয়! অক্ষয়কুমার দত্ত মহাশয় উক্ত পত্রিকাতে ভারতের অতীত গৌরবের কাহিনী লিখিয়! লোকের মনে সর্বপ্রথস দেশানু়াগ উদ্দীপিত করিয়াছিলেন ।” জীবনস্মুতি |

প্রভাতচচ্গ গঙ্গোপাধাদ : ভারতের রাষ্টীয় ইতিহাসের খসভা (১য় সং। মে ১৯৬৫) পৃ ৫৫।

রাজনারায়ণ বনু : বিবিধর্রত্ধ। প্রথম ধও। ১৮৮২1 এ. ভূমিক1।

6 অজেতনাধ বঙ্গ্যোপাধ্যায় ? সাহিত্য-সাধক-চরিতমাল! ৭১, গণেশ্ত্রনাথ ঠাকুর (১৮৪১-৬৯ কাতিক ১৩৫২) পৃ ৫২-৫৩।

ধীষ্টাব ১৮৭৫-৭৭ _.. শ্বাদেশিকত! £ হিন্দুমেলা 93

সাহায্য যাচঞা করি, ইহা সাধারণের লজ্জার বিষয় |: অতএব যাহাতে আবুনির্ভরত1 ভারতবর্ষে স্থাপিত হয়, ভারতবর্ষে বন্ধমূপ হয় তাহা এই মেঙ্গার উদ্দেশ্য” সংক্ষেপে আত্মনির্ভরশীলতা আঝ্সসম্মান জাগরণ জাতীয়-চরিত্রে স্বাবলম্বন প্রবৃত্তিকে উদ্দীপ্ত করাই ছিল হিন্দুমেলপার উদ্দেশ্য ।১

“হিন্তুমেলা” নামকরণের মধ্যে সে যুগের ভাবুকদের দেশ সম্বন্ধে মনোভাবটি প্রকাশ পাইয়াছিল। “সেকালে এই ভারতবধটা কেবল হিন্দুরই দেশ, মুঙগমান খ্রীষ্টান প্রভৃতির দেশের উপর দাবী-দা ওয়া আছে ইহা শিক্ষিত সমাজের মনে উদয় হয় নাই। এই সংকীর্ণ স্বাদেশিকতার প্রেরণায় মহধি দেবেন্দ্রনাথ ব্রাহ্মলমাকে হিন্দুত্বের গণির মধ্যে আবদ্ধ রাখিতে চেষ্টা করিয়াছিপেন, এবং তাহারই দ্গন্ত কেশবচস্্রের ব্রাক্ষবিবাহ বিধির ( ১৮৭২) প্রতিবাদ করেন ; আর সেই স্বার্দেশিকতার প্রেরণাতেই নবগোপাল হিন্দুমেলার প্রতিষ্ঠ) করেন 1৮২

হিন্দুমেপা স্থাপনের সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল মাত্র পাচ ব২সর; স্থতরাং বালাকাল হইতে হিন্দুমেলার উচ্ছ্বাস উত্সাহের সহিত বালকের নিবিড় পরিচয় খটে ক্রমে কিশোর বয়সে তাহারও একদিন আহ্বান আমিল মেলার সাহিত্য- ক্ষেত্রে মেলার নবম অধিবেশনে বালক-কবি, “হিন্দুমেলায় উপহার" লইয়া উপস্থিত হইলেন ।« সভা বসে পাশীবাগানে; শোভাবাজারের রাজা কমলকুষ দেব সভার দ্বার উদ্ঘাটন করেন, সভাপতি হন রাঞ্জনারায়ণ বস্থ। বালক রবীন্দ্রনাথ ঘে কবিতাটি* আবুন্তি করেন, তাহা কবিতা হিলাবে তুচ্ছ__ হেমচন্ত্র বন্দ্যোপাধ্যায় ঝচিভ “ভারতসঙ্গীত'* কবিতান্র ক্ষীণ অস্থুকরণ মাত্র। হেমচন্ত্রের "বাজ্‌্রে শিক্পা বাজ এই রবে, সবাই স্বাধীন বিপুল ভবে" এই পদগুপি সেদিন বাঙালির মুখে মুখে শোনা যাইত। রবীন্দ্রনাথের এই প্রথম স্বনামে মুদ্রিত কবিতা হেমচন্দ্রের স্বরে বাধা বিহারীলালের রঙে রঞ্িত। আমরা নিয়ে “হিন্দুমেলায় উপহার? হইতে কয়েকটি ভ্তবক উদ্ধৃত

করিতেছি ;

হিমাত্রি শিখরে শলাসনপরি, ঝংকারিয়া বীণা কবিবর গায়, গান ব্যাস-ঝধি বীণা হাতে করি কেন রে ভারত কেন তুই, হায়, কাপায়ে পর্তশিখর কানন, আবার হাসিস! হাপসিবার দিন কাপায়ে নীহার-শীতল বায়! আছে কি এখনো ঘোর ছুঃখে

শিষনাথ শান্ী : রামতমু লাহ্ছিড়ী তৎকালীন বঙ্গসমাজ | প্রীযোগেশচক্্র বাগল : মুক্তির দন্ধানে ভারত, পৃ ১**-১*২ জাতীয়তার নবমস্ত্র ব। হিন্নুমেলার ইতিবৃত্ত ( আঙ্বিন ১৩৫২ )।

বিপিনচস্ত্র পাল : হিন্দুমলা নবগে পাল মিত্র, বজবাবী, অগ্রহায়ণ ১৩২৯ ভ্্. প্রবাসী, পৌষ ১৩২৯। কষ্টিপাথও, পৃ ৩৬*-৬১।

হিন্গুমলার অধিবেশন ৩. মাথ ১২৮১ ১১ ফেব্রুয়ারি ১৮৭৫ | এই মেল! উপলক্ষ. বরোদাবাসী হবিধাত গাদক মৌলাবন্পের গান হয় এবং যশোহরের নড়াল-নিাসী জমিদার রায়চরণ রায় বাওশিকারের নৈপুণোর জন্তু এক স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হয়েন। -_ রাজনারায়ণ বন্ুর আস্্চরিত, পৃ ২১৪। ৪. [1001811 [08115 136৪: 15 5৮. 1875, * 771677774০9 60০51 বত 07152950610 [20700 2612 8৪ ০0061760৪04 ৮, 1৮ 017. 7015385, 00০ 11017588170 ৪6 006 আ০11-1670আ 2৪136 50588910,5 078 0106 0০100182 ঢ০০৫, ৮৮ 78381) 70000] 76085097085 981)80001, 006 2651961760৫ 06 186101781 ০০1০. 38৮০০ চ২০012018 18100 [8£076, 0১ 0০178850৪০0 ০৫ 858৮০০ [06৮7০ 758015, 00812050929 180. 5916 15, 1590 ০0107056৫ ৪. 13678651? 00০06108 017 0158106 (117018) 13101) 15৩ 4611৬6760 (5010. 19609915 5 60০ 559৬০ ০৫ 0815 0076৯ 03701 016886৫ 15 81301৫206*""

& তারতসঙ্গীত: ছ্মচঙ্ত্রের 'কবিভাঁবলী'তে (নভেম্বর ১৮৭) আছে। হয় সংস্করণে উহা! বঞ্জিত হয়। এই কবিতা! এডুকেশন গেজেটে, (২২ জুলাই ১৮৭৭ ) প্রকাশিত হয়। দ্র. লাহিতা-সাধক-চরিতমালা ৩৩, হেম$চ্জ বন্দ্যোপাধ্যায়, পূ ২৯।

ণঁ

৫৩ ববীম্্রজীবনী গ্ষ্টাব ১৮৭৫-৭৭

১৮ ২২ ভারত কঙ্কাল আর কি এখন মুছে যাক মোর স্বতির অক্ষর, পাইবে হায় রে নৃতন জীবন শূন্যে হোক লয় শূন্য অন্তর, ভারতের ভস্মে আগুন জ্ঞালিয়া, ডুবুক আমার অমর জীবন, আর কি কখন দিবে রে জ্যোতি। অনন্ত গভীর কালের জলে ।১

জাতীয়তাবোধ বা জাতীয় গৌরুবসঞ্চাবিণী কবিতা বাংল! ভাষায় এই যুগের নূতন হ্ৃ্ি ) তেমনি নৃতন স্থষ্ট 'জাতীয় ংগীত"। স্বদেশপ্রেমোদ্যোতক সংগীত রচনায় ঠাকুরপরিবারের যুবকদের দান ম্মণীয়। হিন্দুমেলার জন্য সতোন্ত্রনাথ রচনা করেন-_“মিলে সবে ভারতসন্তান, একতান মনপ্রাণ',২ গণেন্ত্রনাথ লিখিলেন, “লজ্জায় ভারত যশ গাহিব কি করে?, দ্বিজেন্দ্রনাথ লিখিলেন, “মলিন মুখচন্দ্রমা ভারত তোমারি'। রবীন্দ্রনাথের ভাষায় বলি, এইসব রচনার মধ্যে “দেশমুক্তি কামনার স্থর ভোরের পাখির কাকলির মতো! শোনা যায়”। বালক রবীন্দ্রনাথের কাকলিও এই প্রতুযুষে শোনা গিয়াছিল, তবে তাহা অতি ক্ষীণ অস্ফুট রবীন্দ্রনাথের প্রাচীনতম জাতীয় সংগীত কোন্টি তাহা সঠিক নির্দেশ করা কঠিন। 'জাতীয় সংগীত'* নামে একখানি সংগীতসং গ্রহে “জল্‌ জল্‌ চিতা” কবিতাটিকে গান বলা হইয়াছে; পাদ্দটাকায় আছে যে গানটি ইংরেজি স্বরে গেমস এই কবিতাটি জ্যোতিরিন্দ্রনাথের 'সরোজিনী' নাটকের জন্য বালক-রবীন্দ্র কিভাবে রচনা করিয়া দেন তাহার কথ পূর্বেই আলোচিত হইয়াছে কিন্তু এই গানটিকে রবীন্দ্রনাথের প্রথম “জাতীয় সংগীশ আখা! দেওয়া যায় না) আমরা জাতীয় সংগীত অর্থে এখন যাহা বুঝি সেই দেশমাতৃকাবোধ হইতে রচিত সংগীত ইহা নহে। এই জাতীয় সংগীতের প্রথম পংক্তি ছিল, “ভারত রে তোর কলঙ্কিত পরমাণুরাশি'। গানটির ভাবধারা!

নিম্বোদ্ধত পঙ্ক্তিকয়টি হইতে স্পষ্ট হইবে-_ এই হিমগিরি ম্পশিয়া আকাশ, যেদিন তোমার গিয়াছে চলিয়া প্রাচীন হিন্দুর কীতি-ইতিহাস সে দিন তো আর আঙিবে না। যত দিন তোর শিল্পে দাড়ায় যে রৰি পশ্চিমে পড়েছে ঢলিয়া অশ্রলে তোর বক্ষ ভাসাইবে সে আর পুবে উঠিবে না।

তত দিন তুই কাদ্‌ বে। এই যুগের আব-একটি গান যার সম্বন্ধে মতভেদ আছে, সেটি হইতেছে-_ এক স্তরে বাধিয়াছি সহস্টি মন, এক কার্ধে সপিয়াছি সহল্র জীবন।

এহিন্লুমেলায় উপহার' কবিতাটি ব্রঃজন্রনাথ বন্দোপাব্যার 'অমৃতবাজার পত্রিকার পুরাতন ফাইল হইচে উদ্ধার করিয়া প্রবাসীততি (মাঘ ১৩৩৮, প৫৮*-৮১) প্রকাশ করেন। রবীল্রর-প্রস্থ পরিচয় ২য় সং পৃ ধ€। এই কবিতাটি পশ্চিনবঙ্গ সরকার কহ্‌ক প্রকাশিত রবীন রচনাবলী ৪, (পৃ ৮২৪-২৭) ভুক্ত হইয়াছে মুর কবিত! 'অমৃতবাজার পত্রিকা-এ যধন দ্বিাঘিক ছল তপন মুজিত হয়। ১৪ ফাণ্তন ১২৮১। ২৫ ফেব্রুয়ারি ০৮৭৫ | অদ্বতবাজার পত্রিক1 ২* ফেব্রুয়ারি ১৮৬৮ তারিখে যোহর জিলার অনৃতবাজার গ্রান হইতে প্রকাশিত হয়। মালেরিয়ার উপজ্রণে খোম-ভাহুরা আরাম ত্যাগ করিয়।৷ কলিকাতার আসেন ইতিপূর্বে ১৮৬৯ হইতে পত্রিকা দ্বিাষিক হয় অর্থাং বাংলার সহিত ইংরেভিতেও একাংশ মুজিত হহতেছিল। ১৮ই মার্চ ১৮৭৮ লর্ড লীটনের ভারনাকুালার প্রেন আ্যকুট জারি হইলে, ২১ মার্চ হইতে অনৃতবাল্পার পত্রিকা হংরেজী নাপ্রাহিক কলেবরে বাহের হইল। ১৯ ফেব্রুয়!রি ১৮৯১ হইতে ইহা দৈশিকপত্র হয়| ব্রলেল্রনাধ বলেযাপাবাায়, ব|ংল। নামায়কপত্র, মাথ ১৩৫৪, ২য় ৭, পৃ২১৮।

জ্যোতিরিজনাণের 'পুর।বক্রম' নাটকের (১৮৭৪ ) প্রথম অঙ্কে গানটি আছে

জাতীর সঙ্গীত (প্রথম ভাগ) প্রধন সংস্করণ ফাল্গুন ১২৮২ [ মার্চ ১০৭৬], দ্বিতীয় সংস্করণে 'তে।মারি তর ম। সপিশু দেহ, (ভারতী ১ম খণ্ড ২হ সংখা আঙ্গিন ১২৮৪) আছে।

্রীষ্টাবৰ ১৮৭৫-৭৭ গ্বাদেশিকতা৷ : হিন্দুমেলা $১

গানটি, জ্োতিরিজ্্নাথের 'পুকুবিক্রম নাটক”-এর দ্বিতীয় সংস্করণে (১৮৭৯) প্রথম পাওয়। যায়| রবীন্দ্রনাথ “বান্সীকি- প্রতিভা" রচনাকালে বোধ হয় ইহারই প্রথম পও্ক্কি ভাঙিয় দস্থাদের গান 'একভোরে বাধা আছি মোরা! সকলে' লিখিয়াছিলেন (১৮৮১ )। ভারতী বাপক' পত্রিকার কাতিক ১২৯৬ (১৮৮৯) সংখ্যার ৩৬৫ পৃষ্ঠায় লেহলতা” গল্পে 'সূঙ্পীবনী সভা'র অনুরূপ একটি সভার বর্ণনায় এই গানটি আছে-__

এক স্যত্রে গাধিলাম সহস্র জীবন

জীবন মরণে রব শপথ বন্ধন

ভারত মাতার তরে সপিশ্ প্রাণ

সাক্ষী পুণ্য তরবারি সাক্ষী ভগবান

প্রাণ খুলে মআনন্দেতে গাও জয়গান

সহায় আছেন ধর্ম কারে আর ভয়। চারু নামে ষোড়শবধধীয় বালক এই গুপ্ত সতার সদশ্য, সেখানকার মে 2০০ [.30£5865 বা রাজকবি ) সকলে একসঙ্গে ইহা গাহিয়া উঠিলে চাক আপনাকে শেক্সপীয়বের সমকক্ষ মনে করিত। এই উপন্তান-লেখিকা স্বর্ণকুমারী দেবী গল্পচ্ছলে ভ্রাতা সম্বন্ধে প্রায় কল কথাই বলিয়া একটি বাস্তব ছবি আকিয়াছেন ।৩

নির্ধলচন্ত্র চট্টোপাবায় : রবীন পীত-জিঞ্জান।, গীতবিতান বাধিকী, পু ১৫৫-৬৭1 আমাদের আলোচাপর্বে 'জাতীয় সংগীত' ব! স্টাশনাল সঙ. রচন। সম্পাদনে একশ্রেণীর যুবকদের উৎসাহ দেখা দিয়াছিল : দ্বারকানাধ গঙ্গোপাবার ১৮৭৬ দালের প্রারস্তে "জাতীয় সঙ্গীত' নামে একটি ক্ষুত্র গীতসংগ্রহ প্রকাশ করেন। এই গ্রন্থে রনীল্রনাথের (১৫) কোনো গান নাহ | 'জাতীয় সঙ্গীতের দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয় অগস্ট ১৮৭৮ (ভাঙ্তর ১২৮৫) ইছাতে রবীন্বনাপের (১৭) চারিটি গান সংযোজিত দেখিতে পাইতেছি।

১. ভোমারি তরে মা ঈপিছু দেহ। ভারতী ১ম বধ, ওয় সংখা! আমিন ১২৮৪

২. অয়ি বিষার্দিনী বীণা। রবিদ্ছায়া। গীতবিতান পূ ৮১৪।

৩, ঢাকোরে মুখচলপমা | রবিজ্ছায়ায় নাই গীতবিতান পৃ ৮১৬।

৪. ভারতরে তোর কলঙ্ষিত পরমাণুরাশি | রবিজ্ছায়ায় নাই। গীতবিতান পৃ ৮১৩) জর, গীতবিতান : গ্রস্থপরিচয় পৃ ৯৮৫।

শেষ গানটি যে রবীন্দ্রনাপের রচনা তাহা জানা গিয়াছে নবকান্ধ চট্টোপাধায়্ -সম্পাদিত 'ভারতীয় সংগীত মুক্তাবলী' হইতে; সেখানে উহা রবীন্্রনাথের রচন! বঙ্গিয় উক্ত হষ্টয়াছে। জ্ঞোতিরিক্সনাপের পুরুবি্ম' নাটকের ১ম সংশ্রেণে (৯ জুলাই ১৮৭৪ ) 'এক হৃত্রে বাধিয়াছি' গানটি নাই। ব্রজেজ্নাপ বঙ্দোপাধায়ের রবক্র- ্রন্থ-পর্িচয় ১ম সংক্করণে বলা ছিল গানটি পুরুবিক্রম নাটকে আছে বিশ্বভারতী গ্রস্থাগারে নাটকের প্রথম সংস্করণ আছে তাহাতে গান্টি না পাইনা ব্রজেলীনাধকে তপাটি জানাই রবীন্র-গ্রন্থ-পরচয়ের হয় সংস্করণে উহ] শুদ্ধ করা হয়। অর্থাং পুরুবিক্রমের ১ম লং (১৮৭৪ )-এ গানটি নাই এবং ২য় সং (১৮৭৯)-এ আছে দ্বারকা নাথ গাঙ্গোপাধায়-কৃত 'জাতীয় সঙ্গীত' (২য় সং ১৮৭৮) গ্রন্থে রবীঞ্লের ৪টি গান আছে__ এই গানের উল্লেখ নাই রবীস্তরনাথ ১৮৭৮ সালের গোড়ার দিকে বোদ্বাই অঞ্চলে যান সোপ্টম্বর মাসে বিলাত ধাত্র! করেন। ব্রজেম্্রনাথ লিখিয়াছেন, গানটি যে রবীল্সনাধেরই রচন! ইহা! আমর কবির নিজের মুখেই গুনিয়াছি।' রবীন্-গ্রন্থ-পরিচয়, পূ »১। শাস্তিদেব ঘোষ এই মত পোবণ করেন। 'রবীন্রানাথের একটি গান' দেশ, ২৬ চৈত্র ১৩৬*। পৃ২৫৭। আমাদের বন্তবা যে রধীশ্রানাখের কোনো! গীতগরঞ্থে এই গানটি নাই এবং তিনি ইতিপূর্বে কোনে পত্র বা প্রবন্ধে এই গানটি তাহার রচন। বলিয়। ন্বয়ং দাবী করেন নাই

এই গানটি ১৩১২ সালে (১৯১৫ ) 'সঙ্গীত প্রকাশিকা'র অগ্রহায়ণ সংখ্যায় খ্বরলিপিনহ রবীন্তরনাথের রচন! বলিয়। প্রকাশিত হয়; গানটির ধুয়ায় 'বলেমাতরম্‌' প্রদত্ত কিন্তু যোগীম্রনাথ সরকার -সম্পাদিত 'গান' (১৯৮), অথবা ইও্য়ান প্রেস হইতে প্রকাশিত গান (১৯৯৯) গ্রন্থে এই গানটি পাওয়। যায় না। হুতরাং এই গানের রচয়িতা রবীশ্্রনাথ কি না তদ্বিষয়ে সঙ্গেছের অবকাশ আছে। দ্র. গীতবিভান, গ্রন্থপরিচয় পৃ ৯৮১। হ্বর্ণকুমারী দেবীর 'স্রেহদতা' উপস্তাস গ্রস্থাকারে যুদ্রিত হয় অনেক পরে-- ১ম খণ্ড, ১১ মাঘ ১২৯৬ [ ১৮৭, ] ২য় থ, ফাল্সুন ১২৯৯ [১৮৯৩]।

৫২ ববীজ্্রজজীবনী খ্রীষ্টা ১৮৭৫-৭৭

আমরা এতক্ষণ যেসব গান রবীন্দ্রনাথের রচনা বলিয়া আলোচনা! করিলাম তাহার কোনোটিতেই রচয়িতা হিসাবে তাহার নাম না পাওয়ায় সন্দেহের বা প্রশ্রের অতীত তাহারা নহে রবীন্ত্রনাথের প্রথম জাতীয় সংগীত বঙ্গা যাইতে পাবে-_ “তোমারি তরে মা ঈপিত দেহ”১__ যাহার মধ্যে "সপ্রীবনী সভা'র সুর প্রতি শবে ধ্বনিত হইতেছে উভয়

গানের রচনাকালের যধো ব্াবধাণ কমই মনে হয়।

সঞ্জীবনী সভ।

১৮৭৫ সালে আনন্দমোহন বস প্রথম ভারতীয় র্যাংগল্পার ব্যারিস্টার হইয়া দেশে ফিরিলেন। সেই বৎসরেই স্বরেন্্নাথ অভি-তৃচ্ছ কারণে গবনমেন্ট কর্তৃক সিবিল সাধিস হইতে বরখাস্ত হইয়াছিলেন। হথরেন্দ্নাথ বাংলাদেশে নিয়োঙ্জিত প্রথম তিনজন পিভিলিয়ানের অন্ততম | অপর দুইজন রমেশচন্্ দত্ত বিহারীলাল গপ্ত।

আমরা যে সময়ের কথা বলিতেছি তখন রাজনীতিক্ষেত্রে যুবক স্থরেন্নাথ বন্দোপাধায় ( পরে সারু সরেন্্রনাথ ) ভারতীয় সরকারী চাকুরি হইতে মুক্তি লাভ করিয়া রাজনৈতিক আন্দোলন স্ত্ীকল্পে দেশময় বক্তৃতা করিয়া বেড়াইতেছেন। সরেন্ত্রনাথ ছিলেন ইতালির স্বাধীনতা-মগ্ের উক মহাবিল্লবী মাঙ্সিনির (১৮*৫-৭২) শিল্ত আমাদের আলোচা-পর্বে ইংরেঞ্জি ভাষায় মাংপিনির বুচনাবলী জীবনকাহিনী প্রকাশিত (১৮৬৪-৭০ ) হওয়ায় এতছেসীয় শিক্ষিত যুবকদের পক্ষে উহ! পাঠ করা সহজলাধ্য হইয়াছিল স্থরেন্্রনাথের অনুরোধে উদীম্মমান সাহিত্যিক যোগেন্দ্রনাথ বিদ্যাতৃষণ তাহার নবপ্রকাশিত 'আর্ধদর্শন'২ পত্রিকায় মাংসিনির জীবনীত ধারাবাহিক প্রকাশ করিলেন। মাংপিনির অতুলনীয় দেশাম্মবোধ আত্মত্যাগ পরার্থখসরতা মানবহিতৈধণা-_ যাহা তিনি তাহার 10,16৩ ০1 101৮8 নামক পুস্তকে লিপিবদ্ধ করিয়াছিলেন তাহারই প্রতি বাঙালি যুবকদের দৃ্টি নিবদ্ধ করিবার জন্য হরেন্ুনাথের আহ্বান আসিয়াছিল। হ্রেন্ত্রনাথ মধা-তিক্টোরীয় যুগের পাশ্চাত্য শিক্ষায় অনুপ্রেরিত, অন্তরে অন্তরে সংস্কারপন্থী, বিধিসংগত আন্দোলনে চরম বিশ্বানী; অথচ মাংসিনি হিলেন বিপ্রবপন্থী | স্থরেজ্নাথ মাংসিশির বিপ্লবাদর্শ গ্রহণ করিতে পারেন নাই, কিন্ধ দেশমধ্ো মা২পিনির জীবনের মৃলহত্র অনাবিষ্কত অননুঙ্ত থাকিল না। বিপিনচন্তু পাল তাহার ইরেজি আম্মজীবনীতে লিখিয়াছেন, স্থরেন্দনাথের মাটসিনি-সম্পকণয় বক্তৃতা থেকে প্রেরণা পাইয়া আমরাও ভারতের স্বাধীনতার উদ্দেশ্য গুপ্ত সমিতি প্রতিষ্ঠায় যোগ দিলাম .. আমি একটি সমিতির কথা জানি-_ যার সভাগণ তরবারির অগ্রভাগ দ্বারা বক্ষ:স্থল ছিন্ন করিয়া রক্ত বাহির করিতেন মেই রকে অঙ্গীকার-পত্রে নিজ নিজ নাম স্বাক্ষর করিতেন এইটি সত্রীবনী সভাই বোধ হয়।

মাংসিনির বিপ্লবাত্মক গুপ্ত সভার ক্ষীণ অনুকরণে জ্যোতিরিন্দ্রনাথ-প্রমুখ যুবকগণ ঠনঠনিয়ার [ কর্নওয়াপিস তথা বিধান সরণী ] এক পোড়ে বাড়িতে সপ্ীবনী সভা নায়ে এক গুপ্ত সভা স্থাপন কবিয়াছিলেন।* তৎকালীন নর্বপ্রকার

গারভী, ১২৮৪ আঙিন। রবিস্ছায়ায় সংকলিত গীতবিতান ৮১৭1 গ্বয়বিতান ২৫।

জার্ধকশন, বৈশাখ ১২৮১ (এপ্রিল ১৮৭৪) প্রথম প্রকাশিত হয়। 'জোনেফ যাটনিনি নবা ইতালী" নাষে আ্ধদর্শনে প্রকাশিত হন ভাত্র $ কাতিক অগ্রহায়ণ ১২৮২; জোষ্ট জাবাড়ং আ্ছিন চৈত্র ১২৮৩; বৈশাখ-ঠ্ান্ঠ, কাতিক-অগ্রহায়ণ, ফান্গুন ১২৮৪।

ম্যাটাসনির ইতিবৃত্ত, পূ ২৩৯, চৈত্র ১২৬৮ ( এপ্রিল ১৮৮০ ) প্রন্থাকাযে মুজিত হয়।

৪. 7030165 ০৫ 1/87 গ্রন্থধালি বিশপস্‌ কলেজের অধ্যাপক পিয়াম'ন কলিকাতা হইতে সম্পা্ন করিয়! প্রকাশ করেন (১৯১*)। এই পিয়ার্মন পরে শান্তিনিকে তন-জ্রপ্চচধা শ্রমে যোগদান করেন।

& মহালাতি গঠন পপে : হুরেজ্মাগের ভীববস্থৃতি (4. 2০6৫০ 0৮ 1150478 ) পৃ ৫০1

মাংসিনি যৌবনে ইতালির স্বাধীনতাকামী 'কার্ষোনারি” (0৮:১০7821) নামে গুণ্তসভার সন্ত হন। 'কার্যোনাক্ষি'য় অর্থ 'কাঠপোড়াণি'

শীষ্টা ১৮৭৫-৭৭ ্বাদেশিকতা : সম্ত্ীবনী সভা &৩

্বাদেশিকত] জাতীয়তা প্রভৃতি আন্দোলনের প্রধান পুরোছিত ছিলেন চিরতকণ বুদ্ধ বাজনারায়ণ বন্থু। সঞ্জীবনী সভার অধ্যক্ষ ছিশ্পেন তিনি “জাতীয় ছিতকর উন্লতিকর সমন্ত কার্ধই এই সভায় অনুষ্ঠিত হইবে, ইহাই সভার উদ্দেশ্য ছিল। যেদিন নৃতন কোনো সভ্য এই সভান্প দীক্ষিত হইতেন সেদিন 'অধাক্ষ মহাশয় লাল পট্বস্ত্র পরিয়া সভায় আলিতেন। সভার নিয়মাবলী অনেকই ছিল, তাহার মধ্যে প্রধান ছিল মন্ত্রগুপ্তি; অর্থাৎ এ-সভায় যাহা! কথিত হইবে যাহা কত হইবে এবং যাহা শ্রুত হইবে তাহা অ-সভ্যদের নিকট কখনও প্রকাশ করিবার কাহারও অধিকার ছিল ন1।"

আদিত্রাঙ্মলমাজ-পুন্তকাগার হইতে লাগ রেশমে জড়'নে! বেদমস্ত্রের একখান পুথি এই সভায় আনিয়া বাখা হইয়াছিল টেবিলের দুই পাশে ছুইটি মড়ার মাথ! থাকিত, তাহার ছুইটি চক্ষুকোটবে ছুইটি মোমবাতি বসানো ছিল। মড়ার মাথাটি মৃত-ভারতের সাংকেতিক চিহ্ন; বাতি ছুইটি জাপাইবার অর্থ এই যে, ফ্ৃত-ভারতে প্রাণপঞ্চার করিতে হইবে তাহার জ্ঞানচক্ষু ফুটাইয়! তৃপিতে হইবে। ব্যাপারে ইহাই মূল কল্পনা সভার প্রারস্থে বেদমন্ত্র গীত হইত : সংগচ্ছধ্বম্‌ সংবদধ্বমূ। সকলে সমম্ববে এই বেদমন্থ গান করার পর তবে সভার কার্ধ (অর্থাং কিনা গল্পগুজব ) আরন্ত হইত। কার্যবিবরদী জ্যোতিবাবুর উদ্ভাবিত এক গুপ্ত ভাষায় পিখিত হইত। এই গুপ্ত ভাষায় 'সগ্বীবনী সভা'কে 'হামচুপামৃহাফণ বলা হইত। রবীন্দ্রনাথ জীবনস্থতিতে লিখিয়াছেন, “আমার মতো! অর্বাচীনও এই সভার সভ্য ছিল। সেই সভায় আমর! এমন একটি খাপামির তপ্ত হাওয়ার মধ্যে ছিলাম যে অহরহ উৎদাহে যেন আমর! উড়িয়া চলিতাম। লঙ্জ! ভয় সংকোচ আমাদের কিছুই ছিল না; এই সভায় আমাদের প্রধান কাছ উত্তেজনার আগুন পোহানো |”

সগ্ভতীবনী সভা! স্থাপন করিয়া! জ্যোতিরিন্দ্রনাথ নিশ্চিন্ত ছিলেন না) বাঙালির মুৃতকল্প প্রাণে জীবনীশক্তি দান করিবার জন্ত তিনি যেসব চেষ্টা করিয়াছিলেন তাহা পোকে ভুলিয়া গিয়াছে তাহার সার্বজনীন পোশাক, তাহার শিকারবিগ্তা শিকাববিগ্ঞা-শিখানোর উদ্যম, তাহার তাত দেশলাই-এর কল+ করিবার প্রয়াস সবশেষে স্বদেশী সীমার কোম্পানি খুলিয়া দেউলিয়৷ হইয়া যাইবার কাহিনী আজ অজ্জাত। বাঙালির সকল প্রকার স্বার্দেশিকতা বিশ্লবাত্মক কর্মের মূলে এই মহাপ্রাণ ব্যক্তির বার্থ জীবনের অবিস্মরণীয় কথ! জাতীয় আন্দোলনের ইতিহাসে স্থান পাইবার উপযোগী তথা-রূপে স্বীরুত হওয়া উচিত। ইহার প্রভাবে রবীন্দ্রনাথের কৈশোর কাল কাটিয়াছিল।

এই সপ্ধীবনী সভার উত্তেজনায় বালক-রবীন্দ্রনাথ দিল্লীর দরবার সংক্রান্ত এক কবিতা লেখেন হিন্দু মেলার দশ অধিবেশনে উচ্া পঠিত ছয়। রবীন্দ্রনাথ জীবনম্থতিতে লিখিয়াছিলেন, “লর্ড কর্জনের সময় দিললী-দরবার সম্বন্ধে একটা গন্প্রবন্ধ লিখিয্মাছি, লর্ড লিটনের সময় লিখিয়াছিলাম পছ্যে, তখনকার ইংরেজ গবর্ষেন্ট কুমিয়াকেই ভয় করিত, কিন্ত চোদ্দ-পনেরো বছর বয়মের বালক-কবিন্ধ লেখনীকে ভয় করিত না।”

কবিতাটি পঠিত হয়, কিন্ত প্রকাশিত হয় নাই; কেন প্রকাশিত হয় নাই তাহার কারণ সমসাময়িক রাজনীতির ঘটনাবলীর মধ্যে নিছিত ; সেই তথাটি বিশ্লেষণ করিবার পর কবিতাটির সম্বন্ধে আলোচনা কর! যাইবে।

(8:0০8] 0507065 )$ ইাদের মধ্যে কথাবার্তা চলিত সাংকেতিক ভাষায় (2955010 761181055 181769858৩ ); অনুষ্ঠানাদি কাঠপোড়ানিদের ভাষ। হইতে গৃহীত; সেইজন অনীক্ষিতদের পক্ষে তাাদের কাজকর্ম ভাষা বুঝা শক্ত ছিল। ইতালির গুপ্ত সঙ! কার্ষোনারিদের অনুকরণে কলিকাতায় এই গুপ্তসভ। গঠিত হয়।

১. “খবর পাওয়া গেল একটি কোনো! জল্পধয়গ্ক ছাত্র কাপড়ের কল ডৈরি করিবার চেষ্টায় প্রবৃত্ত জীবনস্থৃতি, পূ ৮১। ছাত্রটি দেণ্ডিকাল কলেজে পড়িতেন। নাম মহেল্নাথ নন্দী, বাড়ি_ত্রিপুর!, কালীকচ্ছ। সাধারণ ব্রাঙ্ষমাঞ্জের পাশের গলিতে দেবীপ্রসন্জ রায়চৌধুরীর় যাসার কাছে খাকিতেন। সেইখানে ছাআটি ভাত তৈজ়্ারি ফরেন পরে ইনি দেশলাইয়ের কল প্রস্তুত করিয়াছিলেন ভর রবীন্রজীবদী : সংঘোজন।

৫৪ স্ববীন্দ্রজীবনী ঘীষ্টাৰ ১৮৭৫-৭৭

লর্ড লিটন ১৮৭৬ এপ্রিল মাসে ভারতের বড়লাট-ভাইসরয় হইয়া এদেশে আসেন; তিনি ছিলেন পরম ইমপিরিয়ালিস্ট | ইংলগ্ডের বানী ভিক্টোরিয়া! তখন ভারতেশ্বরী ; তিনি ১৮৩৭ অবে ব্রিটিশ সিংহাসন প্রাঞ্ধ হন। চল্লিশ বৎসর পরে লর্ড লিটন দিল্লীতে দরবার করিয়৷ মহারানী ভিক্টোরিয়াকে 'ভারতসম্রাজ্ঞী” ঘোষণা করিলেন (১ জানুয়ারি ১৮৭৭ )। ইংলগ্ডের রাজার! ১৯৪৭ সাল পর্ধবস্ত এই নৃতন উপাধিতে অভিহিত হইয়াছিলেন। লর্ড লিটন খন দিল্লীতে দরবার আহ্বান করেন তখন দিল্লী নগণা নগর? কিন্তু মৃুঘলযুগের বাদশাহদের কুৎসিত অন্থকরণে দিলীতে উৎসব অনুষ্টিত হইল।. এই সময়ে ভারতের নানাস্থানে দাকণ ছুভিঙ্চ; সেই মহাশ্বশানের কোলে উত্সব-আয়োজনট1 অনেকের কাছেই বিসদৃশ ঠেকিয়াছিল। কিন্তু কঠোর সামাজ্যবাদী লিটন সাধারণের কথায় কর্ণপাত করিতেন না। দেশীয় কাগঞজগুলি সরকারী কাজের সমালোচনা নিন্দাবাদ করিত বলিয়া তাহাদের কঠরোধ করিবার জন্য আইন গ্রত্বত করিলেন, অস্ত্র-আইন প্রবর্তন কিয়া দেশকে নিরস্ত্র করিলেন | এই পরিস্থিতিতে রবীন্দ্রনাথের দিলী-দরবার কবিতাটি লিখিত।

সমসাময়িক 'সাধারণী”১ সাপ্তাহিক লিখিতেছেন (৪ মার্চ ১৮৭৭, “রবীন্ছ্বাবু দিল্রী-দরবার সম্পর্কে একটি কবিতা এবং একটি গীত রচনা করিয়াছিলেন। আমরা একটি প্রকাণ্ড বুক্ষছায়ায় দ্ূধাসনে উপবিষ্ট হইয়া তাহার কবিতা এবং গীতটি শ্রবণ করি। রবীন্দ্র এখনও বালক, তাহার বয়স যোলো কি সতরু বংসরের অধিক হয় নাই। তথাপিতাহার কবিত্বে আমরা বিশ্মিত এবং আদ্দিত হইয়াছিলাম | তাহার স্থকুমার কের আবৃত্তির মাবুর্ষে আমরা বিমোহিত হইয়াছিলাম 1... একজন স্থপরিচিত কবিও সেখানে উপস্থিত ছিলেন, তিনি দ্রবিত হৃদয়ে বলিলেন, যখন এই কৰি প্রন্ফুটিত কুস্থমে পরিণত হইবে, তখন দুঃখিনী বঙ্গের একটি অমৃলা রত্ব লাভ হইবে।”২

এই সভায় কবি নবীনচন্দ্র মেন উপস্থিত ছিলেন; তিনি তাহার আহুজীবপীতে "তরুণ কবির সহিত ঠাহার গুথম সাক্ষাৎকারের বিস্তারিত বিবরণ পিপিবন্ধ করিয়া গিয়াছেন। নবীনচন্দ্র লিখিতেছেন, “স্মরণ হয় ১৮৭৬ শ্রাষ্টাকে আমি কলিকাতায় ছুটিতে থাকিবার সময়ে কলিকাতার উপনগরস্থ কোনও উদ্যানে €“নশনাল মেপা" দেখিতে গিয়াছিলাম। তাহার বংসরেক পূর্বে আমার পলাশির যুদ্ধ প্রকাশিত হইয়া কলিকাতার বঙ্গমঞ্জে অভিনীত হইতে আরস্ত হইয়াছিল। একজন সগ্ঘপরিচিত বদ্ধু মেলার ভিড়ে আমাকে পাকড়াও করিয়া বলিলেন যে একটি লোক আমার সঙ্গে পরিচিত হইতে চাহিতেছেন। তিনি আমার হাত ধরিয়া] উদ্যানের এক কোণার এক প্রকাণ্ড বুক্ষতলায় লইয়া গেলেন দেখিলাম সেখানে সাদ] ঢিলা ইজার চাপকান পরিহিত একটি হ্ন্দর নবযুবক দাড়াইয়া আছেন | বয়স ১৮1১৯ [১৬7, শান্ত স্থির বুক্ষতলায় যেন একটি স্বর্ণযূতি স্থাপিত হইয়াছে। বন্ধু বলিলেন ইনি মহষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাবু'রের কনিষ্ঠ পুত্র রবীন্দ্রনাথ তাহার জ্যেষ্ঠ জোতিপিন্দ্রনাথ প্রেসিডেন্সি কলেজে আমার সহপাঠী ছিলেন দেখিলাম সেই রূপ, সেই পোশাক। সহালিমুখে করমর্দন-কার্ধটি শেষ হইলে তিনি পকেট হইতে একটি 'নোটবুক' বাহির করিয়া কয়েকটি গীত গাহিলেন কয়েকট কবিতা গীতকণ্ে পাঠ করিলেন। মধুর কামিণীপাক্নকঠে এবং কবিতার মাবূর্ধে স্ফুটনোন্মুখ প্রতিভায় আমি মুগ্ধ হইলাম। তাহার ছুই-একদিন পরে বাবু অক্ষরচন্্র সরকার মহাশয় আমাকে নিমঞ্থণ করিয়া ঠাহার চু'চুড়ার বাড়িতে লইয়া গেলে আমি তাহাকে বলিলাম ষে, আমি নেশনাল মেলার গিয়া একটি অপৃব নবধুবকে গীত কবিতা শুনিয়াছি; এবং আমার বিশ্বাস হইয়াছে যে, তিনি একদিন একজন প্রতিভাসম্পর্ন কবি গায়ক হইবেন। অক্ষয়বাবু বলিলেন-__

সাধারণী (নাপ্তাছিক )১১ কাতিক ১২৮*। ২৬ অক্টোবর ১৮৭৩। অক্ষযচ্্র সরকার চু'চুড়া হইতে প্রকাশ করেন। ১৩ বংসর পয়ে বৈশাখ ১২৯৩ হইতে নববিভাকর পত্রিকার সহিত মিলিত হইয়। ভান ১২৯৬ পর্যন্ত প্রকাশিত হইয়। তিরোহিত হয়। ভরলেঙ্নাথ বন্দ্োপাধায়, বাংলা সাময়িক পত্র, হয় খণ্ড, পু ১১.

প্রীযোগেশচন্্র বাগল, 'জাতীয় মেলা', মাতৃভূমি, তত্র ১৩৫২ জাতীয়তার নবমন্ত্, আহ্িন (১৩৫২) পৃ. ৮৭। জীবনস্্তি, গ্রস্থপরিচয় অংশ, প্‌ ২$১।

খ্রষ্টা্ ১৮৭৫-৭৭ স্বাদেশিকতা : সব্লীবনী সভা ৫৫

কে? রবিঠাকুর বুঝি? ঠাকুরবাড়ির কাচামিঠা আব। তার পর ষোল বৎসর কাটিয়। গিয়াছে আঙ ১৮৯৩ ীষ্টাৰ। আমার ভবিহ্াদবাণী পত্য হইয়াছে ।”১ রবীন্দ্রনাথের দিক্লী-দরবার কবিতাটি সমসাময়িক কোনে! পত্রিকায় প্রকাশিত হয় নাই : ইহার কারণ লও লিটনের ভানাকুলার প্রেস আক ; কিছুকাল হইতে দেশীয় কাগজগুলি ইংরেজ সরকারের সমালোচনা করিতেছিল; তাহাদের সেই ক্ষীণকঠের আর্ভন্বরও রোধ করিবার জন্য এই আইন পাস হইল এই আইনের কবলে পড়িয়া ভারতের বহু দেশীয় ভাষায় লিখিত পত্রিকা লোপ পায়; বাংলাদেশের সোমপ্রকাশ সাধারণী নববিভাকর স্বাধীনতা-লোপের প্রতিবাদে কাগজ প্রকাশ বন্ধ করিয়া দিল; আর্ধদর্শন এক বৎসর বন্ধ থাকিল; দ্বিভাষী অমুতবাজার পত্তিক1 বাংল! কলেবর সম্পূর্ণ তাগ করিয়া ই'রেছি সাপ্াহিক-রূপে রাতারাতি পরিবতিত হইল-_ কেবল পূবের বাংলা নামট! তাহার গায়ে বিয়া গেল। নৃতন আইনের আওতায় দেশিয় ভাষার কাগজশ্ডলি পড়িবে__ ইংরেজি পত্রিক। পড়িবে না। রাজদ্রোহ আইন ইতিপূর্বেই ছিল, সেই আইন এড়াইবার জন্ত কবি হেমচন্দ্র “ভারতসংগীত' কবিতাটি মধাযুগীয় মহারাস্ত্ীয় যুবকের জবাণী প্রকাশ করিয়াছিলেন ।২ কবি নবীনচন্দ্র সরকারী কাজ করিতেন-- আইনজ্ঞজ ছিলেন; তিনি আইন বাচাইয়া মোহনসাল, মীরমদন, বানী ভবানীর মুখে দীর্ঘ উচ্ছাসপূর্ণ স্বদেশ প্রীতিপূর্ণ বাণী বিঘোষিত করিয়াছিলেন (১৮৭৫ )।1 নৃতন প্রেস আইন প্রবতিত হইবার আয়োজনে সকলেই আতঙ্কিত, রবীন্দ্রনাথের দিরী-দরবার বিষয়ক কবিতা কোথাও মুছিত হইল না। অত:পর জ্যোতিপিন্দ্রনাথের ম্বপ্ুময়ী (১৮৮২) নাটকের মধ্যে কবিতাটিকে সামান্ত অদ্দলব্দল করিয়া “ব্রিটিশের বদলে “মোগল? বাইয়া সন্নিবেশিত করা হইল। কবিতার অস্তিত্বই লোকে বিশ্বৃত হয়; রবীন্দ্রনাথের স্মরণে বুচনাটির ভাবধারা মাত্র ছিল; প্রাচীনকালে ভারতের সম্রাটগণ রাজস্‌য়াদি যজ্স সম্পন্জ করিতেন; সেসব উত্সবের দিনে ভারতের অবস্থা ছিল, আর আজ সেই দিল্লীতে কিসের উত্সব দেখিতে বাজন্তবা সমবেত হইয়াছিলেন ।* বন বংসর পরে শ্বপ্রময়ী* নাটকের মধো উহ] আবিষ্কৃত হইয়াছে; সেখানে এই কবিতা শুভসিংহের স্বগত উক্তি কবিতাটির ভাষা ভাবের উদাহরণ স্বরূপ আমরা কয়েকটি পংক্তি উদ্ধৃত করিতেছি কিমের তরে গো ভারতের আজি সহম্র হদয় উঠেছে বাজি? যত দিন বিষ করিয়াছে পান, কিছুতে জাগে নি মহাশ্মশান, বন্ধন-শৃঙ্ঘলে করিতে সম্মান ভারত জাগিয়া উঠেছে আজি। কুমারিক] হতে হিমালয়-গিরি এক তারে কু ছিল না! গাথা, আঙ্গিকে একটি চরণ-আঘাতে, সমস্ত ভারত তুলেছে মাথা !

নবীনচস্ত্র সেন : আমার জীবন, চতুর্থ ভাগ, পৃ ২৬৫। ভীবনস্থতি : গ্রন্থপরিচন়।

ভারতসংগীত : ২২ জুলাই ১৮৭৯ শ্রাবণ ১২৭৭ এডুকেশন গ্রেজেট হেমচক্র বঙ্যোপাধ্যায়ের 'কবিতাবলী'র (নভেম্বর ১৮৭4) প্রথম সংস্করণে কবিতাটি ছিল। দ্বিতীয় নংন্করণে বছিত হয়| দ্র" সাহিতা-সাধক-চরিতষালা ৩৩। হেষচন্ বন্দ্যোপাধ্যায় ২২।

১৩১৭ স[লে একবার অধ্যাপক প্রিতেন্রসাল বন্দোপাধায় শান্তিনিকেতনে বেড়াইতে আমেন; সেই সময়ে কবি ঠাহাদের কাছে এই কবিতাটির কথ! বলেন। “লেটি দিল্লীর দয়বার উপলক্ষ্য লিখিত হয় | বন্ধ উংকট রকমের অনেক কখ| জাছে বলিয়া উদ্থ! কখনও ছাপা হয় নাই ।”-__ হুপ্রশ্তাত, ওয় বর্ষ, ১৩১৭ আঁ. রবীন্া-প্রন্থ-পরিচয়, পরল

৯. বপ্রময়ী নাটক। ১২৮৮ সাল। ২৪ মার্চ ১৮৮২। চতুর্থ অন, চতুর্থ গর্ভাঙ্ক। ড্র. রবীন্জ-গ্ন্থ-পরিচয়, পৃ ৭৯৮*। ব্রজেম্রবাবু বলিয়াছেন এই তথাটি ্রঘতিনাপ ঘোষ তাহার গোচয় করেন। পৃ্প।

«৫ পশ্চিমবঙ্গ সরক1র-কতৃক প্রকাশিত রবীন্র-রচলাধলী ৪, পৃ ৮৪৯ | পাঠে 'যোগল' স্থলে 'ব্রিটিশ' শক ব্যবহৃত হইয়াছে ভবে মধো একন্লে 'মোগল শব রহিয় পিয়াছে পৃ ৮৫

৫৬ বৰীজ্রজীবনী থীষ্টাৰ ১৮৭৫-৭৭

সম

হা রে হতভাগ্য ভারতভূমি, কণ্ঠে এই ঘোর কলঙ্কের হার পরিবারে আজি করি অলংকার গৌরবে মাতিয়! উঠেছে সবে? তাই কাপিতেছে তোর বক্ষ আঙগি মোগল রাজের বিজয় রবে? মোগল বিজয় করিয়া ঘোষণা যে গায় গাক আমরা গাব না আমর! গাব না হরষগান, এস গো আমরা যে ক-জন আছি, আমরা ধরিব আর্ক তান। বলা বাহুলা, ভাবত সম্বন্ধে এসব কল্পনা মোগলযুগে শুতসিংহের স্বপ্রাতীত। সাধারণীতে “দিল্লী-দরবার' কবিতা ছাড়া একটি গানের উল্লেখ আছে,সে গানটি হইতেছে-__ ভারত রে, তোর কলক্কিত পরমাণু রাশি যতদিন সিন্ধু না ফেলিবে গ্রাণি ততদিন তুই কাদ রে।'*"

এই গানটির কথা পূর্বেই আলোচিত হইয়াছে

জ্ঞানাঙ্কুর প্রতিবিস্ব বনফুল

তেরো বৎসর বঃস্সর পূর্বে রবীন্দ্রনাথ যাহা কিছু লিখিগ়্াছিলেন, তাহার মধ্যে ছাপার অক্ষরে নিজ নামে কোনো রচনা প্রকাশিত হইয়াছিল বলিয়া এখন পর্যস্ত জানা যায় নাই। ববীন্দ্নাথের তেরো হইতে আঠারো বত্পর বয়সের মধো রচিত গ্রন্থ হইতেছে__ বনফুল, কবিকাহিনী, ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী, শৈশব-সংগীত এবং বোধহয় কদ্রচণ্ড। ভানুদিংহের পদাবলী বাতীত আর গ্রন্থগুপি একবারযাত্র শ্লোকসমক্ষে প্রকাশিত হইয়াছিল, রবীন্দ্রনাথ কোনোটিকে সাহিত্য-দরবারে প্রবেশ করিতে দেন নাই। অবশ্য রবীন্দ্র-রচনাবশীর অচঙ্সিত থণ্তয়ে এগুলি সন্গিবেশিত হইয়াছে!

এই কাব্য কাবানাট্যগুলি কবির তৎ্কালোচিত বয়মের এবং তৎকালীন বঙ্গদাহিত্যের মানমচীর উপযুক্ত বলিয়া আমরা বিবেচনা করি, তাহার অধিক স্থান দিই না! সেগুলিকে সাহিত্যক্ষেত্রে স্থায়ীভাবে বাচাইয়া রাখিবার চেষ্টা করা বুথা, কথ] কবি স্বয়ং ভালো করিয়াই জানিতেন এবং সেইজন্য বারে বারে নানাবয়সে নিজ কাব্য সম্পাদনকালে নির্মমভাবে পরিবর্তন পরিবর্জন করিয়াছেন। ফাহার তেরো হইতে আঠারো বংসর বয়মের মধ্যে রচিত কবিতা 'শেশব-দংগীত' গ্রন্থে (১৮৮৪ ) সংগৃহীত হয়, কিন্ত তাহাও সম্পূর্ণ নহে তিনি সেখানেও কঠোরভাবে নির্বাচন-শীতি অহ্ৃলরণ করিয়া ভূমিকায় লিখিয়াছিলেন যে, যাহার বিশেষ কিছু-না-কিছু গুণ না দেখিতে পাইয়াছিলেন, তাহা! কাব্যমধ্যে সংগৃহীত হয় নাই ; তখন কবির বয়স বাইশ-তেইশ বৎসর |

কিন্ত কবির সাহিতাবিচারের মানম্থচীতে সে-সংগ্রহও টিকিল না। ১৩০৩ সালে প্রকাশিত প্রথম কাবাগ্রন্থাবঙ্গীতে কৈশোরক-অংশে বনফুল কবি-কাহিনী কুদ্রচণ্ড ভগ্রহৃদয় শৈশব-সংগীত হইতে নির্বাচিত অংশসমূহ সন্গিবেশিত হইল, সম্পূর্ণ গ্রন্থ হিসাবে কোনোটিই স্থান পাইপ না। ১৩১* সা"ল মোহিতচন্ত্র সেন -সম্পারদিত কাব্যগ্রন্থে কৈশোরকের আতি সামান্ত অংশ 'যাত্রা-থণ্ডে স্থান লাভ করে। অতঃপর ১৩২১ সালে তাহার কাব্যগ্রন্থের শোভন সংস্করণ

ধা ১৮৭৫-১৭ জানার : বনফুল

প্রকাশকালে দন্ধ্যাসংগীত'কে তাহার আদি গ্রন্থরূপে স্বীকার করিলেন; কিন্ত মনের দ্বিধা তখনো ঘুচিল না, তাহা সংস্করণের ভূমিক1 পাঠ করিলেই জানা যায়। ১৩৩৮ সালে খন কবি স্বয়ং তাহার নিজ কাব্যের “সঞ্চয়িতা” নামে একটি চয়নিকা প্রকাশ কব্ধিলেন, তখন ম্পষ্টভাবেই তাহার পুরাতন কাব্যগুলিকে সাহিত্যক্ষেত্র হইতে বহিষ্কত করিয়! দিবেন বলিয়া তিনি কৃতসংকল্প হইয়াছিলেন ; সন্ধ্যাসংগীত প্রভাতসংগীত ছবি গান -কে তিনি অত্যন্ত অপরিণত সাহিত্য বলিয়া সঞ্চয়িতা হইতে বাদ দিতে পারিলে খুশি হইতেন-_ কেবল সঞ্চয়নের অসম্পূর্ণতার অভিযোগ হইতে মুক্তিলাভের জন্ত কয়েকটি কবিতার অংশমাত্র উদ্ধৃত করিয়া পার্খ্চরদের ক্ষুব্ধচিত্তকে শান্ত করেন। এই কাবাগুলি এখনো যে গ্রস্থাকারে চলিতেছে, তাহা কবির ভাষায় 'কালাতিক্রমণ দোষ ।-_-( ভূমিক1) বালা কৈশোর অপরিণত যৌবনের রচনাসমূহ মুদ্রণ-যঙ্গের কৃপায় চিরস্থায়ী হইয়া থাকে ইহা! সাহিত্যিকদের দুর্ভাগ্য কবির অপরিণত বয়সের কবিত! গান লইয়া তাহাকে প্রৌঢিবয়সে লব্জিত করিবার চেষ্টা আধুনিকষুগের সমালোচনা-সাছিত্য খু'জিলে পাওয়া যায়। ববীন্ত্রনাথ লিখিয়াছেন, “মনে আছে, কোনো-এক প্রবন্ধে আমার গানের সমালোচনায় এমন-সকল গানকে আমার কবিত্বের পঙ্গুতার দৃষ্ান্তস্ব্ূপে লেখক উদ্ধৃত করেছিলেন যেগুলি ছাপার বইয়ে প্রশ্রয় পেয়ে আমাকে অনেক দিন থেকে লক্ষ] দিয়ে এসেছে সেগুলি অপরিণত ষনের প্রকাশ অপরিণত ভাষায়”) বিশ্বভারতী হইতে কবির এইসব অচলিত গ্রন্থ গ্রকাশের ব্যবস্থা হইলে কবি একখানি পত্রে লিখিয়াছিলেন, “সমগ্র ্রন্থাবলী বলতে বোঝায় অনেকখানি অংশ, যা প্রাগৈতিহাসিক | যার সঙ্গে আমার সাহিত্য-ইতিহাসের দূরবর্তী যোগ আছে কিন্তু চলতি কারবার বন্ধ হয়ে গেছে ।”ৎ এটি সাহিত্যিকের সতা দৃষ্টিভঙ্গি; কিন্ত সাহিত্যের ইতিহাসলেখকগণ তাহাতে তৃপ্ত নহেন। সেইজন্ট কবি তীহাদের উদ্দেশে যাহা লিখিয়াছিলেন তাহ! উদ্ধৃত করিলাম : “ইতিহাসের সম্বল আর কাব্যের সম্পত্তি এক জাতের নয়।.." ইতিহাস সবই মনে রাখতে চায় কিন্তু সাহিত্য অনেক ভোলে ছাপাখানা এতিহামিকের সহায় সাহিত্যের মধ্যে আছে বাছাই করার ধর্ম, ছাপাখানা তার প্রবল বাধ ।” যেসবকাব্যের মধ্যে পরিণতি ঘটে নাই সে-সনম্বদ্ধে লিখিতেছেন, “তারা কোনো-এক সময়ে দেখা দিয়েছিল বদেই যে ইতিহাসের খাতিরে তাদের অধিকার স্বীকার করতে হবে কথা শ্রদ্ধের নয়; সেগুলোকে চোখের আড়াল করে রাখতে পারলেই সমস্ত গুলোর সম্মান থাকে ।”* এই কথাটাই কবি জীবনসায়াহে বহশ্চ্ছলে বলিয়াছিলেন “অবজিত” নামে কবিতায় লিখিতে লিখিতে কেবপি গিয়েছি ছেপে, সময় রাখি নি ওজন দেখিতে মেপে, কীতি এবং কুকীতি গেছে মিশে ছাপার কালিতে অস্থায়ী হয় স্থায়ী, অপরাধের জন্তে যে-জন দায়ী তার বোঝা! আজ লঘু করা যায় কিনে ।"'. যাহা কিছু লেখে সের! নাহি হয় লবি, তা নিয়ে লজ্জা না করুক কোনো কৰি-_ প্রকৃতির কাজে কত হয় ভুলচুক।

ভূমিক! : সঞ্চর়িতা ( পৌষ ১৩৩৮ )। নিবেদন : রবীজ-রচনাবলী, অচলিত সংগ্রহ ১, পূ [১১]। ভূমিক। : রবীন্ত্র-রচনাবলী। অচলিত সংগ্রহ ১, পৃ [১৬]

৫৮ রবীন্দ্রজীবনী শ্ী্াৰ ১৮৭৫-৭৭

কিন্ত, হেয় যা শরেয়ের কোঠায় ফেলে তারেও রক্ষা করিবার ভূতে পেলে কালের সভায় কেমনে দেখাবে মুখ ।১

কিন্তু জীবনীলেখক হিসাবে আমাদের মত অন্তরূপ ; সাহিতাস্থট্টির এই অরুণ যুগকে ববীন্দ্র-কাব্যজিজ্ঞানা হইতে বর্জন করিবার অধিকার আমাদের নাই ববীন্দ্রপ্রতিভা উন্মেষের স্চনা হয় এই যুগেই; প্রতিভার দীপ্চি এই বালক-বয়সে কি উজ্জল, তাহা কাবালোচনাকালে পরিস্ফুট হইবে এখানে এইমাত্র বলিতে পারি যে, সে-সময়ে এমন কোনো লন্বপ্রতিষ্ঠ সাহিত্যিক ছিলেন না, যিনি রবীন্দ্রনাথের প্রতিভাকে তাচ্ছিলা করিতে পারিতেন-_ অবশ্য অরমিকের দল চিরদিনই ব্যঙ্গজীবী |

রবীন্দ্রনাথের সাহিতাসাধন] চিরদিনই সাময়িক পত্রিকা আশ্রয় করিয়া সার্থক হইয়াছে অন্তরের ভাবনাকে ভাষায় মৃত্তিদান করিবার প্রয়াস মাহষের অন্যতম ধর্ম। বহির্জগতের কাছে আত্মপ্রকাশের প্রবল আকাঙ্ষাই সাহিতা- স্যর মূলহুত্র বালক-কবির আত্মপ্রকাশের স্থযোগ মিলিল 'জ্ঞানাঙ্কুর প্রতিবিস্ব'২ নামে এক ক্ষুদ্র মামিকপত্রের আন্ুকুলো | কৰি জীবনস্থতিতে লিখিয়াছেন, “কাগজের নামের উপযুক্ত একটি অস্কুবোদগত কবিও কাগজের কর্তৃপক্ষের সংগ্রহ করিলেন। আমার সমস্ত পদ্/প্রলাপ নিবিচারে তাহার! বাহির করিতে শুরু করিয়াছিলেন |” 'জ্ঞানাহ্বুর' সমন্ধে রবীন্দ্রনাথ যেভাবে মন্তব্য করিয়াছেন, পত্রিকাখানি সেবূপ অকিঞ্চিংকর ছিল না বলিয়া আমাদের ধারণা রুবীশ্রনাথের বিনফুল” কাবা যে মাসে প্রথম বাহির হইল, সে মাসের লেখকশ্রেণা+ যধ্যে ধাহার] ছিলেন তাহারা সকলেই বাংলার লব্ধপ্রতিষ্ঠ সাহিত্যিক-_ ছ্িজেন্্রনাথ ঠাকুর, বাজনারায়ণ বস্তু, কালীবর বেদাস্তবাগীশ, রজনীকান্ত গুপু, হরিমোহন মুখোপাধ্যায়, রামদাস সেন, দেওয়ান কাতিকেয়চন্দ্র রায়। স্থতরাং বালক-কবি বাংলার শ্রেষ্ট মনীষীদের সহিত এই পত্রিকা-মধ্যে একাসন লাভ করিয়াছিলেন

জ্ঞানাঙ্কুরে যখন “বনফুল? প্রকাশিত হইল তখন রবীন্দ্রনাথের বয়স চৌদ্দ বৎসর সাত মাস। অধ্যাপক প্রশান্তচন্্ মহলানবিশ কবিকে এই কাব্যখানির রচনাকাল সম্বন্ধে প্রশ্ন করায় তিনি নাকি বলিয়্াছিলেন, “বেশ কিছুদিন আগে ।”*

অনঙ্জি5, জুন ১৯১৫ চন্দননগর | নবক্গাতক। রবীন্দ্র-রচনাবলী ২৪, পৃ৪৯। জ্ঞানাঙ্কুর, সাভিতা-দশন-ইতিহাসাদি সম্বন্ধীয় মাসিকপত্র সমালোচনা রাজশাহী, বোয়ালিয়া [১২৭৯ (১৮৭৩) ] জখকৃ্ক দাস, সম্পাদক 11081751182 01 105 ১০০4 ০06 (7091666), 2 1001015 &10810৬607408181100682176 210 ৪৬1০৬ 01 [,/061800165 চ0)1195001)5,১০1670৬,51150015, 13104180105, 41109070065 900 1২65৮8101)655 2?0110108, 4১105, 0০০016756৪৩, বাজশাহ হঠতে প্রকাশিত 'জানাঙ্কুর' ঠিন বংলর পরে কলিকাতায় শ্বানাগ্তরিত হইল! ০২৮২ অগ্রহায়ণ মাস হইতে ৪র্থ বংসর শুরু হয়। এই লংখ্যা হহতে জ্ঞানাঙ্থুরে সহিত প্রতিবিদ্ব মিলিত হঠল। উহার কার্ষভার হস্তাপ্তগিত তল ।-- জানাগুর প্রতিবিদ্ব (মাসিক সন্দভ নমালোচন1 ) ১২৮২ এর্থ খণ্ড কলিকাতা ৫৫নং কলে্গ ম্্ীট .. কানিং লাইরেরী শযোগেশচন্র বন্দোপাধ্যায় দ্বারা প্রকাশিত। নৃতন সন্ত য়ে মুখরিত

জ্ঞানাস্ুর এতিবিন্ব, ৪র্থ খণ্ড শগ্রহায়ণ ১২৮২, ১ম সংগ্যা। পৃ ১৫-১৬। বনফুল প্রথম সগ। মাথ ১১৮২, য় সংখা! পৃ ১৩৫-৩৮, বনফুল ছ্িতীয় সর্গ ফাল্গুন ১২৮২, চতুর্থ সংগা! প্রলাপ ( কবিতা )। চৈত্র ১২৮২, পঞ্চম সংখা, পু ২২৮-৩৪। বনফুল তৃতীয় সর্গ। বৈশাখ ১২৮৩, ষষ্ঠ সংগা, পূ ২৭৮-৮০ | প্রলাপ | জৈষ্ঠ ১২৮৪, নপুম সংগা, পু ৩১৬১৯ | বনফুল কাবা চতুর্থ স্গ পঞ্চম সর্গ | আবণ ১৯৮৩, নবম স'গা, পু ৪০১২৫ | বনফুল ধষ্ঠ লগ) ভাজ ১২৮৩, দশম সাথ, পু ৪৫৭-৬১। বনফুল সপ্গুম সর্গ আশ্বিন'কাতিক ১২৮৩, একা দশ-ছাদণ সংা, পু ৫৬৭-৭৩। বনফুল, আম সঙ্গ প্রশান্তচন্্ মহলানবীশ : রবীন্পবিচয়, প্রবাসী ২য় থণ্ড, ১৩২৮ পু ৫৯৪1

্ীষ্টা্ব ১৮৭৫-৭ জ্ঞানান্কুর : বনফুল ৫2

জীবনস্থতির প্রথম খসড়ায় আছে যে পাহাড় হইতে কিবিয়া আপিয়া বনফুল রচনা করেন।১ বৎসর তিন-চাবি পরে “দাদা সোমেন্দ্রনাথের অন্ধ পক্ষপাতিত্বের উৎসাহে” উহ্‌ গ্রস্থাকারে মুদ্রিত হয় ।২

'বনফুল" আখ্যায়িকাকাব্য। বাংলাসাহিত্যে অক্ষয়চন্দ্র চৌধুরীকে রোমান্টিক আখ্যাফ্রিকা-কাব্য গাথা-কবিতার অন্ততম প্রবর্তক বলা যাইতে পারে কাহারও কাহারও মতে অক্ষয়চন্দ্রের অনুসরণে রবীন্দ্রনাথ স্বর্কুমারী প্রকৃতি গাথা-কবিতা বা আখ্যায়িকা-কাবা রচনা করেন। রবীন্দ্রনাথের “বনফুল' প্রভৃতি কাব্যের বচনানীতিতে বিহারীলালের প্রভাব স্পষ্ট নহে, অক্ষয়চন্দ্রেরই প্রভাব আখ্যানবস্তর পরিকল্পনায় জাজল্যমান জীবনস্থতির পাওুলিপিতে আছে, “ইহার সগ্ঠ রচনাগুলি সর্বদাই পড়িয়া শুনিয়া আলোচনা করিয়! আমার তখনকার বচনারীতি লক্ষ্যে অলক্ষো ইহার লেখার অন্ুমরণ করিয়াছিল |” অঙ্য়চন্দ্রের উদা্িনী” কাবা এককালে বালক-রবীন্দ্নাথ যুবক-নবীনচন্ত্র প্রভৃতি কবিকে যে নৃতন প্রেরণ! দিয়াছিল সে কথা আঙ্জ বিস্থৃত হইলে চলিবে না ভিদাসিনী'র পওক্তি পর্যস্ত বনফুলের মধ্যে উদ্ধৃত দেখা যায়; তা ছাড়া 1788615-র মধো বহুল পরিমাণে সাদশ্য আছে যে উদাসিনী" কাব্য সে যুগের আখ্যায়িকা- কাবোর আদর্শ স্থাপন করিয়াছিল, তাহা ইংরেজ কবি গোল্ডস্মিথের “হারুমিট” কাবোর ছায়াবলম্বনে বুচিত। সে যুগের বু কবির কাবাপ্রেরণার উৎস ছিল ইংবেজি কাবা, ইংরেজি আদর্শ। “বনফুল' সেই আদর্শে রচিত, উহার নায়ক- নায়িক্চাদের প্রেমকাহিনীর পটভূমি পাশ্চাতা সমাজ |

'বনফুল? কাব্য আট সগে বিভক্ত ; প্রথম দ্বিতীয় সপুম অষ্টম সর্গের বিশেষ নাম আছে, অবশিষ্টের নাম নাই ববীন্দর-বচনাবলী 'অচলিত-স"গ্রহে পুনমূর্রিত হইবার পূবে ইহার আর-কোনো সংস্করণ ছাপা হয় নাই; ইহার কোনো অংশ কাব্যগ্রন্থের কোনো অংশে স্থান পায় নাই

চৌদ্দ বৎসরের বাপক-কবি যে এই আখ্যাফিকাটি নিবাচন করিয়াছিলেন, ইহা আমর! একটি আকস্মিক বাপার বলিয়া মনে কি না। বিশ্বপ্র্কতির সঙ্গে মাহুষের স্থগভীর সম্বন্ধ রখীন্ত্রসাহিতো নানাস্থানে ঘটিয়া উঠিয়াছে। তপোব্নকে আশ্রয় করিয়া মাধ গ্রকতির সম্মিলন এই যে ভাগতবধেই একদিন চরম সাথকতা লাভ করিয়াছিল কথা কবির মনকে চিরদিন নাড়া দিয়াছে বাল্যকালেও কাবোর বিষয় নিধাচন করিবার সময়ে তিনি প্রকৃতিকে উপেক্ষা করিতে পাবেন নাই

জ্ঞাপাঙ্চুরে* প্রকাশিত কবিতা, যাহাকে কৰি তাহার জীবনম্বতিতে পছ্যপ্রলাপ আখা! দান করিয়াছেন, সত্যই

জীবনস্থৃতি। ১০৬১ সাঙ্করণ | তধাপরী পৃ২৪৭।

বনফুল (কাবোপন্তান ), 'অনানাতং পুষ্পং কিসলয়মলুণং করকাহৈ গুপ্রপ্রেদ। ২২১ কর্ণওয়ালিম ম্ট্রাট, কলিকাতা! ১২৮৩ সাল, (পৃ ৯৮) জর. রবান-রচলাবলী, অভলিত সংগ্রহ ১, পু ৪৭-১১৬। পশ্চিমবঙ্গ সরকার-কতৃক প্রকাশিত রবীন্্র-রচনাবসী ৫, পৃ ১-৫৩।

জীবনশ্ত্রতি, ১৩৬৬ সংস্করণ | তদাপগ্রী পূ ২৮৭।

মরা £যকজকাল 'উদালিনী প্রেরণাউৎস পাঁদেল লিখিত হারমিট জানিতীম। সম্প্রতি ড্র আদিতাকুমার ওহদেদার এই অ্রম নিরাকৃত করিয়াছেন উপ[সিনীর উৎস 01৮৮৮ 00145110(1724-1778 ) লিখিত চনস)8 813 601125 বা চিত): নামক ব্যালাড। রাদকুফ। রায় ঠাার 'বীণা পত্িকায় [ এপ্রিল ১৮৭৮ ] বলেন," -“উদাসিনীর গল্পটি চোরাই মাল। গ্রন্থকার কবিবর গোল্ডশ্রিথের সন্গণাসী ( চাতচাা10) পছ্টি সাতাই়ছ্েন। পাঠকগণ উদাপিনীর সহিত ইংরাজ কাঁবর সন্্যামী মিলাইয়। দেখিষেন। তব কিনা সে গল্পটি অতি ক্ষুত্র, আর উদ।মিনীর গলটি দীর্ঘ ।” অ্রজজেন্রনাণ বন্দোপাধায় : সাহিতাসাধক চরিতমালা ৫* | আমর! পার্নেল গোল্ডশ্মিথের কবিতাদ্ধয় পড়িয্াছ্ি পানেলের কবিভ ধর্মমূলক | এই বিশ্রাপ্তি সি করিয়াছে জীনুকুমার সেংনর বাঙ্গাল! সাহিভোর ইতিহাস ২, পু ৪*৬।

জ্ঠানাঙ্কুর গ্রাতিবিদ্ব অগ্রন্থায়ণ ১২৮২ : প্রলাপ ১। ক্কান্তন ১২৮২: প্রলাপ ১। বৈশাখ ১২৮৩: প্রলাপ ৩। প্রলাপ ১, ২,৩। পশ্চিমবঙ্গ সরকার-কর্তৃক প্রকাশিত রবীঙ্স-রচনাবলী ৪. পৃ ৮৩৯-৪৯।

রবীন্দ্রজীবনী গ্রীষ্টা ১৮৭৫-৭৭

& নামে *প্রলাপ” কবিতাগুজ্ছ আছে। বালক-কবির কল্পনাশক্তি রচনাভঙ্গির নিদর্শনস্বরূপ নিয়ে প্রলাপের পডক্তি

উদ্ধৃত করা হইতেছে-_-

বোধ হয় আরো! কিছুদিন পরে লিখিত

ঢাল্‌ ঢাল্‌ চাদ

আয় কল্পন! মিলিয়া দুজন! ভূধরে কাননে বেড়ার ছুটি।

সরসী হইতে তুলিয়! কমল

লতিকা হইতে কুম্থম লুটি।

দেখিব উষার পৃরব গগনে

মেঘের কোলেতে সোনার ছটা।

তুধারদর্পণে দেখিছে আনন

সাঝের লোহিত জলদ-ঘটা )...

ঝর ঝর ঝর নদী যায় চলে,

ঝুরু ঝুকু ঝুক বছিছে বায়।

চপল নিঝর ঠেলিয়া পাথর ছুটিয়া__নাচিয়া_বহিয়া যায়।

বমিব দ্ুজনে-_ গাইব দুজনে,

হৃদয় খুলিয়া, হৃদয় ব্যথা)

তটিনী শুনিবে, ভূধর শুনিবে

জগৎ শুনিবে সেলব কথা

আরো আরো ঢাল্‌। স্বনীল আকাশে রজতধার]।

হৃদয় আজকে উঠেছে মাতিয়া

পরাণ হয়েছে পাগলপারা।

গাইব রে আজ হৃদয় খুলিয়।

জাগিয়া উদ্ভিবে নীরব রাছি।

দেখাব জগতে হাদয় খুলিয়া

পরাণ আজিকে উঠেছে মাহি।

বালক-কবির অগ্থরের জালার কথা? এই প্রলাপগুচ্ছে প্রকাশ পাইয়াছেন

আয় লো গ্রমদা। নিঠুর ললনে

বার বার বলি কি আর বলি

মরমের তিগে পেগেছে আঘাত

হৃদয় পরাণ উঠেছে জলি!

ই“পেভিচত যাহাকে বপে 015০০০10945 ০1110 তাহা! না হইতে, তেরো চৌদ্দ বৎসরের বালকের পক্ষে এই স্তবকটি লেখা

গ্রা্টাব ১৮৭৫-৭৭ জানাকুর : বনফুল ৬১

সম্ভব নছে। বালকহদয় হইলেও বালকোচিত হৃদয়াবেগ প্রকাশের ক্ষেত্রের অভাব ছিল না, এবং সেইসব 181০5-কে ঘিরিয়া বিচিত্র অন্নভূতি বা অন্স্থৃতিব ভান করিয়া কবিতা লেখা এই অসাধারণ বাকের পক্ষে আশ্চর্য নহে

'বনফুল' 'প্রপাপ' কবিতাগুচ্ছের সযকালে রচিত কতকগুলি কবিতা আছে “শশব-সংগীত'-এর (১২৯১) মধ্যে কিন্ত কোন্টি এই সময়ের রচনা তাহার কোনো নির্দেশ নাই চারিটি ছাড়া শৈশব-সংগীতের কবিতাগুলি সবই ভারতীতে (১২৮৪ হুইতে ১২৮৭ সাপে) প্রকাশিত হয়; সেগুলি পুরাতন রচনা না সমসাময়িক রচনা, তাহা জানিবার উপায় না থাকায় আমরা কবিতাসঞয়নের মধো কবির বনফুলের সমকালীন রচণ! সন্ধানে নিব হইলাম

রবীন্দ্রনাথ প্রথম যে গগ্যপ্রবন্ধ লেখেন তাহাও জ্ানাঙ্কুরে বাহির হয়; সেটি গ্রস্থসমালোচনা বা ক্রিটিঙিজম (কার্তিক ১২৮১)। প্রবন্ধটির নাম 'ভুবনমোহিনী প্রতিভা, অবলর সরোজিনী ছুঃখসঙ্গিনী” ।১ তিনখানিই কবিতা- ্ন্থ_ প্রথমখানির রচয়িতা নবীনচন্্র মুখোপাধ্যায়, “অবসর সরোজ্জিনী'র কবি রাজকুষ্ রায়” “ছুঃখসঙ্গিনীর লেখক হরিশ্চন্দ নিয়োগীঃ | 'ভুবনমোহিলী প্রতিভা" কাব্যের লেখককে রবীন্দ্রনাথ জীবনস্থতিতে অমর করিয়া গিয়াছেন। জীবনস্তির পাঠকরা অবগত আছেন “ভুবনমোহিনী প্রতিভার লেখিকাকে (? ) লইয়া যখন থুবই গবেমণা চলিতেছে, তখন বালক-কবিবর সন্দেহ হয় যে কাবোর রচয়িতা রমণী নহে তাহার এক বন্ধু, বোধ হয় প্রবোধচন্দ্র ঘোষ, (যিনি পরে কবিকাহিনী প্রকাশ করেন ) লেখিকার (?) নিজ হস্তে সহি করা পত্র আনিয়া বালক-কবিকে দেখাইডেন। কিন্ত ইহাতে বালকের সন্দেহ নিরাকৃত হয় নাই। অতঃপর বালক ভুবনমোহিনী প্রতিভা প্রমুখ কাবাররষের সমালোচন! লিখিয়] জ্ঞানাঙ্কুরে প্রকাশ করিলেন।

এই প্রবন্ধে খুব ঘটা করিয়া খণ্ডকাবোরই বাঁ লক্ষণ কী, গীতিকাব্োরই বা লক্ষণ কী তাহা! অপূধ বিচক্ষণতার সহিত বালক আলোচনা করিয়া মত দেন যে, আলোচা কাবাগুলির মধ্যে গীতিকাবোর ধর্ম নাই। বালা গদ্যের নমুনান্বর্ূপ আমর! কয়েকটি পঙ্ক্তি উদ্ধৃত করিলাম__ “মহাকাব্য আমরা পবের জন্ত রচনা করি এব" গাতিক'বা আমবা

জ্যানানুর, 6র্ঘ ধ্ড, ১২৮২-৮৩] আবশ্বিন-কাতিক ১২৮৩ সংগা $৪৩-৫৭।

তুবনমোছিনী গ্রতিভ। ( ১ষ ভাগ ১৮৭৪ , ২৪ ভাগ ১৮৭৭) কাবোর লেখকের কিঞ্চিং পরিচয় দেওয়া দরকার, কারণ রধীক্রনাথ জীবনস্টতিতে এই কাবাখানিকে অমর করিয়া গিয়াছেন। নবীনচন্ত্র মুখোপাধ্যায় (১৮৫৩ ১৯২২) ছিলেন বীরভূম জিলার কীর্ণাহারের অধিবালী ; পেটেপ্ট ওঁষধ প্রস্তুত করিয়! অর্থ খ্যাতি অর্জন করেন। একগঞ্চলে নবীনবাবুর লৌহ্‌সার ছিল “ডি গু:প্রর'ই সমতুলা খা ম্যালেরিয়ানাশক উধধ | সাহিতাট দত্রেও ভিনি একদা! ধশোলাত করেন নবীনচন্ত্রের অপর গ্রন্থ হইতেছে 'জার্ধসঙ্ীত' ( ছ্রৌপনী-নিগ্রহ কাবা ১৮৮৯), 'আর্ধনঙ্গীত (জাতিনিগ্রহ বাবা ১৯০২), সিন্কুদূত (১৮৮৩) এই শেষোক্ক কাবোর ছলা সম্বন্ধে আলোচন। রবীশ্রুনাখ বোধ হয় 'ভারতী'তে (১২৮৩) করেন। ক'বতাগু'লকে তুবন

মোহিনী নামধারিপী কোনে। মহিলার রচনা বলয়! সাধারণের ধারণা জল্মাইয়া নবীনচজ্ বোধ হয় কৌতুক দেখিতেছিলেন | কালীপ্রনন্ন ঘোষ 'বান্ধব' পত্রিকায় (ফান্তুন ১২৮২) ভঁদেষ হুখোপাধায় এডুকেশন গেজেটে (২৬ চৈজ্ ১২৮২) অক্ষয়চ্্র সরকার 'সাধারণী' কাগজে এই মনছ্লা+1) কবির অন্ুযুদয়কে প্রবল জত্সবান্ধের সহিত খোষণ! করেন) আসল কথা 'খিনোদিনী' নামে এক মামিকপত্রিকার সম্পাদিকী ছিলেন ভুবনমোহিনী দেবী, রাধিকা প্রসাদ মূধোপাধায়ের পত্ধী নবীনচঙ্গই বখার্থ পত্িক। পরিচালনা করিতেন , এবং ভাহায়ই রচিত কবিতা 'ভুবনমোহিনী প্রতিভা নামে প্রচারিত হওয়ায় সাহিতিফ মহলে এই বারণ1 জক্মে থে লেখক রমনী দ্র. ভ্রজেশ্রনাধ হন্দেোপাধায় : সাহিতা-সাঁধক-চরিভমালা ৪৪ : নবীনচন্্র মুখোপাধায়।

যাজক রায় (১৮৪৯-১৮৯৪ ) বাংলা সাঞিতোর নানা ক্ষেঞ্জে মমসামকরিকভাছে ধশ জর্জন করেল। তাহার চিত বহু গ্রন্থের মধো উপক্ঞাস ছিরগ্য়ী, কিরপ্ুহী এক কালে পাঠকদের মনো যগ্রন করিয়াছিল। তাহার বীণা খিরেটার একসহয়ে কলিকাতা হুখ্যাত ছিল ।-_সাহিত্য-সাধক-চরিতমাল! ৫* : রাজকৃফ যায়৷

হরিচ্চন্জা নিয়োগী (১৮৫৪-১৯৩* ) ছুঃখসজিনী (১২৭৫), ভারতের নখ (১২৭৭, শ্রিন্স জব ওছেলসের ভার়ত-আগমন উপলক্ষে যনচিত কাবা), 'ফিমোদযালা' (১৮৭৮, ), 'ষালতী-মালা' (১৮৯৯), 'ভ্ীতি উপহ্থার' ইভাদি রচগ্জসিডা। 'ছুঃখসঙ্জিনী' বঙজদর্শনে প্রশংসিত হইয়াছিল। ব্রজেস্রনাথ বঙ্যোপাধ্যায : সাহিতা-সাধক-চর্রিতষালা ' ই» নিয়োদী। আর. প্ীতৃকুমায় সেন, বাঙ্গাল! সাহিতোর ইতিহাস, ২, পৃ ৪৬২।

৬২ ্‌ রবীন্জীবনী গ্রীষ্টাৰ ১৮৭৫-৭৭

নিজের জন্য রচনা করি। যখন প্রেম করুণা ভক্তি প্রভৃতি বৃত্তি সকল হৃদয়ের গৃঢ় উৎম হইতে উৎসারিত হয়, তখন আমর] হৃদয়ের তার লাঘব করিয়া তাহা গীতিকাবাৰপ স্বোতে ঢালিয়া দিই এবং আমার্দের হৃদয়ের পবিত্র প্রত্রবণজাত সেই স্রোত হয়তো শত শত মনোভূমি উর্ববা করিয়া পৃথিবীতে চিরকাল বর্তমান থাকিবে ইহা মরুভূমির দগ্ধ বালুকাও আর্দ্র করিতে পারে, ইহা শৈলক্ষেত্রের শিলারাশিও উর্ববা করিতে পারে |... এই গীতিকাব্যই ফরাশী-বিদ্রোহের উত্তেজনা করিয়াছে, এই গীতিকাব্যই ঠৈতন্যের ধর্ম বঙ্গদেশে বদ্ধমূল করিয়া দিয়াছে, এবং গীতিকাব্যই বাঙালির নিজীব হদয়ে আজকাল অল্পসল্প জীবন সঞ্চার করিয়াছে ।”১

বালক-সমালোচকের মতে মহাকাব্য রচনার কাল অবসান হইয়াছে কিন্তু “গীতিকাবা... সভাতার সঙ্গে উন্নতি লাভ করিবে, কেন না সভাতার সঙ্গে সঙ্গে যেমন হৃদয় উন্নত হইবে, তেমনি হাদয়ের চিত্রও উন্নতি লাভ করিবে।”

এই প্রবন্ধে বালক-সমালোচককে মেঘদূত, কতৃসংহার, [9119 [২09011), [01517 2161০165 প্রভৃতির উল্লেখ করিতে দেখি। এইসব মতামত স্বল্প ইংরেজি জ্ঞানসম্পন্ন চৌদ্দ বখ্সরের বালকের লেখনী-নিগত হওয়া সহজ্জ নহে আমাদের মনে হয় এই রচনায় অক্ষয়চন্দ্র চৌধুরীর হাত লা থাকিলেও তাহার উপদেশ উদ্দাহরণমাপা সরবরাহ বিষয়ে অকৃপণতা যে ছিল, তাহা প্রবন্ধটি পাঠ করিলে স্পষ্ট হইবে ।২

জ্ঞানাঙ্করে এই প্রবন্ধ প্রকাশিত হইলে কবির এক বন্ধু ( প্রবোধচন্দ ঘোষ?) উত্তেজিত হইয়া আসিয়া তাহাকে

ংবাদ দেন যে, একজন বি. এ. তাহার সমালোচনার জবাব লিখিতেছেন এই হুঃসংবাদে রবীন্দ্রনাথ কীবূপ অভিভূত

হইয়াছিলেন তাহা জীবনম্বতির পাঠকদের নিকট অবিদিত নাই সখের বিষয়, কোনো বি. এ. তাহার সমালোচনায় প্রবৃত্ত হন নাই।

বালক-কবির প্রথম মুদ্রিত কবিতা হিন্দুমেলায় উপহার" ছ্বিভাষিক সাপ্তাহিক অমৃতবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হইলে উহা! সাহিত্যিকদের দৃষ্টি তেমনভাবে আকর্ধণ হতো করে নাই | কিন্ত 'জ্ঞানা্কুর' পত্রিকায় মাসে মাসে বনফুল কাবা অন্তান্ত র-নাবলী প্রকাশের প্রতিক্রিয়া যে অভিজাত সাহিত্যিক সমাজে কিছুই হয় নাই-__ একথা তো আমাদের মনে হয় না। দ্বিজেন্দ্রনাথ-জ্যোতিবিন্দনাথের কাছে অনেকেই আসিতেন, তাহারা এই বালক-কবির প্রতিভার কথা নিশ্চয়ই শুনিয়াছিলেন। এ্ঁতিহামিক রজনীকান্ত গুপ্ত, দার্শনিক পণ্ডিত কালীবর বেদান্তবাগীশ প্রভৃতি জ্ঞানাঙ্কুরের লেখকরা নিশ্চয়ই জানিয়াছিলেন যে বনফুল" কাব্য-রচয়িতা ভীহাদের সহ-ল্লেখক বাশকটি কে। মুবক সাহিত্যিকরা এই সম্বান্ত হ্থদর্শন সক কবির সহিত পরিচিত হইবার জন্য নিশ্য়ই আকাল্রফা করিতেন। চন্দ্রনাথ বন্থ (১৮৪৪-১৯১০ ) ছিলেন সে যুগের ছাত্র তরুণ সাহিত্যিক মহলের নেতৃস্থানীয় সে সময়ে হিন্দু কলেজের প্রান নৃতন ছাত্রদের একটি বার্ধিক সভা বলিত। দ্বিতীয় বারধধিক অধিবেশনে (জাহঘারি ১৮৭৬) তিনিই সম্মিলনীর সম্পাদকরূপে বালক-ববীহ্ছুনাথকে সভায় লইয়া যান। চন্দ্রনাথের বয়দ তখন একত্রিশ বৎসর, রবীন্দ্রনাথের বয়স প্রায় পনেরো, তখন তিনি সেণ্ট জেভিয়ার্স স্কুলের নামে-মাত্র ছাত্র কলেঞ্জ বি-ইউনিয়ন-সভা। হয় রাজা যভীন্দরমোহন ঠাকুরের মরকত-কুক্ে (8006910 9০৬০ )1৩ রাজনারায়ণ বন্ধ প্রধান উদ্যোক্তাদের অগ্যতম ) ববীন্দ্রনাথের উপর কি একটা কবিত। পড়িবার ভার অপিত হইয়াছিল, নিশ্চয়ই অন্তের রচনা, নিজের কোনো রচনা হইলে স্মরণ

জ্ঞানাস্কর প্রতিবিদ্ব, কাঠিক ১২৮৩, পু ৫৪৩। জর, শনিবারের চিঠি, কাতিক ১৩৪৬, পৃ ১৫১। পশ্চিমবঙ্গ সরকার-কর্তৃক প্রকাশিত পবীর্্র রচনাবলী ১৫, পৃ ১০৬-১২। আদিত্য গহদেদার, সমালোচক রবীঙ্গানাথ (১5৬৮), পৃ ৪-৮।

ভর. সঙ্গনীকান্ত দাস, রবীন্দ্রনাথ : জীগন সাহিতা গ্রন্থে জানানুর প্রতিবিশ্বের প্রবন্ধটি উদধৃত আছে | পৃ২১২-১৫।

উত্তর কলিকাতার বারাকপুর ট্রাংক রোডের পার্থ বিশাল ভূখণ্ডের উপর প্রাসাদোপম 'মরকত কুঞ্জ' সবস্থিত ছিল। বরমানে এইখানে পশ্চিমধ্প সরকারের স্টেট লাইব্রেরি ছাড়া বহু শিক্ষানিকেতন স্থানে স্থাপিত হইয়াছে

গ্রীষ্টাৰ ১৮৭৫-৭৭ মালতীপু'থি ৬৩

থাকিত। এই সভাতে তিনি সবপ্রথম বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে ( বয়স ৩৮ ) দ্রেখেন | বঙ্কিমের সেই শ্বতি তাহার মনে চিরকাল অল্লনান ছিল। এই অধিবেশনে তৎকালীন খ্যাতনাম। কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ( বয়স ৩৮ ) “মুহৃদ-সমাগম, নামে কবিতা পাঠ করেন

মালতীপু'থি

জ্ঞানাঙ্কুর প্রতিবিষ্বে বালক-কবির “বনফু' প্রকাশিত হইতে আরন্ত করে ১২৮২ সালের অগ্রহায়ণ মাসে) ভারতীতে কিশোর-কবির 'কবিকাহিনী' প্রকাশিত হয় ১২৮৪ সালের পৌষ হইতে চৈত্র মাসের মধ্যে

ছুই কাব্যের ব্যবধান ছুই বৎসরের অর্থাৎ চৌদ্দ হইতে ফোলো বৎসর বয়সের মধ্যে রবদু্রনাথ কী রচন1 করিয়াছিলেন, তাহার ইতিবুন্ত সন্ধানে প্রবৃত্ত হয়! যাউক। বল! বাহুলা কবির লেখনী স্তব্ধ ছিল না; এই ছুই বৎসরের মধ্যে যেসব কবিতা, গান কিছু কিছু গণ্ভপ্রবন্ধাদি পিখিয়াছিলেন, তাহা মাপতীপু'খির ভগ্নস্ূপ হইতে উদ্ধার করিতে হইয়াছে তবে এই পরবে একটা! স্বল্নকালের মধ্যে রচিত “ভাম্ুসিংহের কবিতা? ( ভান্ছসিংহ ঠাকুরের পদাবলী নামে যাহা এখন পরিচিত ) লিখিতে দোখ। এসম্বন্ধে আমর! পরে আলোচনা করিব।

এই সময়ে বহু কবিতা রচিত হয়, সেগুপি শৈশব-সংগীত কাব্যে সংগৃহীত হয় অনেককাল পরে (১২৯১ ১৮৮৪ )। চ|পিটি ছাড়া শৈশব-সংগীতের কবিহাগুলি ভারতীতে প্রকাশিত হয়। এগুলির কয়েকটির মূল পাঠ মালতীপুঁখির মধো পাওয়া যাইতেছে শৈশব-সংগাত শিরোনামাধুক্ত একটি কবিতার পাণুলিপি মালতীপু থির মধ্যে আছে সেইটি বূপাস্তরিত হইয়া 'অভীত ভবিষ্যৎ নামে শৈশব-সংগীত কাব্যখগুভুক হইয়াছে__ উহা! ভারতীতে প্রকাশিত হয় নাই। মালতী- পুথিতে আছে এবং শৈশব-সংগীতে মুদ্রিত হইয়াছে এমন কয়েকটি কবিতার সন্ধান মিলিল-_ যেমন 'অপ্গরা-প্রেম', 'প্রতিশোধ” 'লীলা” (গাথা) প্রভৃতি এই ছুই বৎসরের মধ্যে রচিত বিচিত্তর-রচনার ভগ্রাবশেষ এই মালতীপুখির মধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে পড়িয়া রহিয়াছে

'বাপাকালের রচনা” বলিয়া “বিষ স্থুধা' নামে যে দীর্ঘ গাথা সন্ধ্যাসংসীত প্রথম সংস্করণের ( ১৮৮২ ) শেষাংশে সংযোন্গিত করেন তাহা মালতীপু খির মধ্যেও রহিয়াছে

“বিষ হধা'র ভাষা ছন্দ বনফুল কবিকাহিনীব কিয়দংশের সহিত মেলে অর্থাৎ মিলহী'ন অমিজ্রাক্ষরে রচিত। কাবতায় বর্ণনারই প্রাধান্ত, কাহিনী ক্ষীণধারায় প্রবাহিত। লপিত কবি, তাহার ভগিনী মালতী-_

দুইজনে আছিলাম কল্পনার শিশু বনে ভ্রমিতাম যবে, সুন্দর নির্ঝবে বনগ্রর পদধ্বনি পেতাম শুনিতে !

বিজনে তাহার] বাস করিত; কবির রচনার শ্রোতা মালতী-_ ছেলেবেলাকাব যত কবিতা আমার সে-হাসিব কিরণেতে উঠেছিল ফুটি। মালতী ছঁইত মোর হৃদয়ের তার, আইতে শৈশব-গান উঠিত বাজিয়া।

৬৪ রবীন্তসীবনী আষ্টাৰ ১৮৭৫-৭৭

ভাইবোনের বয়স বাড়িল। নীরদ্ব নাষে এক যুবক মালভীকে বিবাহ করিয়া লইয়া গেল। সঙ্গীহারা ললিত অশান্ত হৃদয়ে ঘুরিয়া বেড়ায়। এমন সময়ে বালিকা দামিনীর সাথে ললিতের প্রণয় হইল। বিবাহ হইল কি না তাহা ম্প্ই করা নাই। বৎলরাধিক কাল পরে ললিতকে বিদেশে যাইতে হইল বৎসরকাল পরে প্রত্যাবর্তন করিয়া দ্ামিনীকে আর দেখিতে পাইল না, এবং আরও দেখিল মালতী বিধবা হইয়াছে ললিত আপনার হৃদয়ের বাথা বিরহকে অতিরঞ্চিত করিয়া! দেখে ভাবে; মালতী নিজের ছুঃখ চাপিয়া! ভাইকে সেবা করে, সান্বনা দেয়। মালতীর শুশ্রযায় হৃদয়বেদনা দূর হইয়া! গেলে ললিত বুঝিতে পারিল যে মালতী নি্গে মৃত্যুবরণ করিয়া তাহাকে নবজীবন দান করিয়াছে ।৯ রবীন্দ্রনাথকে বাঙ্যকালে কতকগুলি প্রিয় নাম ব্যবহার করিতে দেখা যায়; যেমন নলিনী, মালতী, ললিত, নীরদ, দামিনী, অমিয়া। নলিনী দামিনীর নামে অনেক কবিতা আছে অমিয়া নামে কবিতায় রুদ্রচণ্ডের অমিয় বলিয়া মনে হয়। এই মালতীপুথির মধ্যে কবিকাহিনী'র পাঠও পাওয়া গিয়াছে ।* মালতীপুধি হইতে জানিতে পারি যে কবিকাহিনীর খসড়া লিখিত হয় জোড়ার্াকোর বাড়িতে কাতিক ১২৮৪ (১৬ অক্টোবর ১৮৭৭) আরস্ত হয় এবং ১২ কাতিক লেখা শেষ হয়; মাঝে চারিদিন লেখেন নাই, তাহাও পু'ধিতে টুকিয়া রাখেন কাব্যথানি কার্তিকের মাঝামাঝি শেষ করিয়া ভারতীতে পৌষ মাস হইতে মুদ্রিত হইবার জন্য দেন এবং চৈত্র (১২৮৪) পর্যন্ত ধারাবাহিক প্রকাশিত হয় কাব্খানি আরম্ভ হইবার পূর্বে সেইদিনই (বাড়িতে কাতিক [১২৮৪ ] মঙ্গলবার ) 'উপহারগীতি' নামে কবিতা লিখিত হয় আমরা ইহার প্রথম কয়েকটি শেষ চারিটি চরণ উদ্ধৃত কৰিলাম-_ ছেলেবেলা হোতে বালা, যত গাথিয়াছি মাপা যত বনফুল আমি তুলেছি যতনে ছুটিয়া তোমারি কোলে, ধরিয়া! তোমাবি গলে পরায়ে দিয়েছি সথি তোমারি চরণে |... তবুও__ তবুও সখি তোমারেই শুনাইব তোমারেই দিব সথি যা আছে আমার দিম্ত যা" মনের সাথে, তৃলিয়া ল৪ তা হাতে ভগ্ন জদয়ের এই প্রীতি উপহার ( রশীন্দ্-জিজ্ঞাসা ১, পৃ ৮৬৮৭)

পাওুলিপিতে শিরোনামার পাশেই লেখা আছে “ভগ্রহদয়ের উপরে? [রবীন্দ্র-দিজ্ঞাসা ১, পৃ ১৫২]। 'মামরা মনে করি কবিকাহিনীবর খসড়া প্রস্ততের সময়ে এইটি লিখিত হয়, এবং কবিকাহিনীকে 'ভগ্রহদয়' আখ্যান দিবেন ভাবিয়াছিঙেন। এই কাবধোর নামকরণ করা! হয় ভাবতীতে প্রকাশকালে।

আমরা পূর্বোল্লিখিত 'উপহারগীতি'র শেষ পঙ্‌ক্তিতে পাইত্ডেছি “ভগ্রহৃদয়ের এষ্ট প্রীতি উপহার" এই ভগ্রহদয়

জর প্ীপুলিনবিহ্বারী সেন ঞঁগুতেনুশেখর মুখোপাধ্যায় : রবীন্রকাবোর পাঠতেদ-সন্ধা'-মঙ্গীত | সাহিত্য-পরিহৎ-পরিক! ৬৪ বর্ষ ৬.৪ সংখ্যা (১৩৭১ শ্রাবণ )। এই প্রবন্ধে 'বি হুধা" মন্পৃণ পাঠটি উদ্ধৃত আছে, পূ ৪*৩-৬৬। ্্তকুমার লেন, বাঙ্গাল] সাঠিত্োয় ইতিহাস, ৩, পৃ ৩৫-৩৬।

কল্পনা কাবোর মধ প্রকাশ' নামে কবিতার তলদেশে ১৩*৪ লেখা আছে। কবিতাটি বারবার পড়িয়াও মনে করিতে পারিতেছি না থে এইটি একালের রচন] 1

প্ীষ্টা ১৮৭৬ মালভীপু খি ৬৫

স্থপরিচিত কাব্যখণ্ড নহে। কারণ তথাকথিত কবিকাহিনীর খসড়ার পরে মালতীপুিতে তিনটি তুচ্ছ কবিতা আছে ( রবীন্দ্র-জিজ্ঞাস1! ১, প্‌ ৯৬-৯৭)। সেখানে ভগ্রহদয়ের কথা নানাভাবে ব্যক্ত হই্য়াছে। ১. পাষাণ হদয়ে কেন ঈঁপিহু হৃদয় কবিতায় আছে--- “ভগ্নবুকে কেন আর, বজ্প হানে বার বার মনখানা নিয়ে ষেন করে ছেলে খেলা ।” ২. “ভেবেছি কাহারো! সাথে মিশিব না আর” কবিতায় আছে__ “যন্ত্রণায় ফেটে যায় হৃদয় আমার” ৩. “হারে বিধি কি দাক্ুণ অনৃষ্ঠট আমার" কবিতায় আছে-_ “সেই হৃঘয় করিয়াছে চুরমার” ইত্যাদি “হান বিধি হান বজ্র, আমার ভগ্রহদে” শুপ্রবোধচন্ত্র সেন লিখিয়াছেন 'শিরোনামার পাশেই আছে “ভপ্রহদয়ের উপরে" ।' আমাদের মতে তরুণ “কবি'র ভগ্মহদয়- 'কাহিনী” 'কবিকাহিনী'রূপে ভারতীতে প্রকাশিত হইল রচনাকালে ইহার নামকরণ হয় নাই এবং প্রথমে ভাবিয়া- ছিলেন 'ভগহদয়' লামকরণ করিবেন; কিন্ত এই শব্ষের দ্বারা বিষয়বস্ত বা যনোভাব এতই স্পষ্টভাবে প্রকট হয় যে, তাহা করিতে সাহপ পান নাই। কিন্ধু বিলাত প্রবাসকালে যে প্রগলভতা যুরোপপ্রবাসী পত্রধারায় প্রকাশ করিতে ছ্িধাবোধ করেন নাই, সেই উদ্ধত মনোভাব হইতে নৃতন কাব্যের নামকরণ করেন “ভগ্নহদয়? | সাহিত্যে আর যাহাই স্ষ্টি ককন, মাঝে মাঝে গল্প বা কাহিনী সৃষ্টি না করিতে পারিলে কল্পনাবিলাসী১ কবির সম্পূর্ণ তৃপ্তি হয় না। এইবার আরম্ভ করিলেন কবিতায় গল্প, যাহাকে গাথা নাম দিম্লা শৈশব-সংসীতের মধ্যে পরে সংগৃহীত হয়। কিন্তু এই গাথা-সাহিত্যের মকলগুলিই ঠিক এই সময়ে বচিত বলিয়া! মনে হয় না। কয়েক বৎসর পূৰে রচিভ কবিতাগুলিকে যথার্থ গাথা বলাও ভুল। 'ফুলবালা”২ প্রকৃতির খেদ' প্রভৃতি কবিতার যুগে রচিত বলিয়া ধরা যাইতে পারে। ইহাতে বনের বর্ণনা, ফুলের কথা আছে; অশোক মালতী মাধবী প্রভৃতি ফুলের কাননে খেলা করিতেছে রবীন্দ্রনাথের বৃদ্ধবয়সে রচিত প্ররুতি-গাথা বা খতু-উৎসবেহ গানে অশোক মালতী মাধবী বারে বারে আবিভূতি হইয়াছে এই ফুলবাল! গাথার মধ্যে একটি গান আছে, সেটি আমরা উদ্ধৃত করিলাম-_ গোলাপ ফুল ফুচিয়ে আছে, মধুপ, হোথা যাস নে__ ফুলের মধু লুটিতে গিয়ে কাটার ঘা খাস নে॥ হেথায় বেলা, হোথায় ঠাপা শেফালি হোথা ফুটিয়ে-_ ওদের কাছে মনের ব্যথা বল্‌ রে মুখ ফুচিয়ে॥ ভ্রযর কহে, 'ছোথায় বেলা হোথায় আছে নলিনী- ওদেব কাছে বলিব নাকো আজিও যাহা বলি নি।

কল্পনা এবং কাজনিকতা ছইছ়ের মধো একট মন্ত প্রতেদ আছে। বধাথ কঞ্পন। যুক্তি সংযম এবং সতোর ছ্বার1 হুনিদিই্ আকারবদ্ধ-__ কালনিকতার মধ নডের ভান আছে মাত্র কন্ত তাহা অন্ভুত আভিশযো অসংবতরণপে স্ষীতাকার ।*.* এক শ্রেনীর পাঠকেরা এইরূপ ভুরি পরিমাণ কৃত্রিম কাল্পনিকতার নৈপুণো যুদ্ধ এবং অভিভূত হইয়া পড়েন এবং ছুতাগাক্রমে সেই শ্রেসীর পাঠক বিরল নছে।” (সাধনা, ১৩১*, বন্ধিমচন্র )। ড্র, আধুনিক সাহিতা, রবীঙ্ব-রচনাধলী পৃ ৩৯৯-৪১০ | ফুপবালা, ভারতী, কাতিক ১২৮৫ পৃ ২৯৮-৩*৬। শৈশব-সংগীত, রবীন রচনাবলী, অচলিত সংগ্রহ ১, পৃ ৪২৯-৪১ পতবিতান, ওয়, পৃ ৮৭১।

৮)

৬৬ রবীন্দ্রজীবনী গ্রীষ্ঠাৰ ১৮৭৭

মরমে যাহা গোপন আছে গোলাপে তাহ! বলিব-_

বলিতে যদি জলিতে হয় কাটারই ঘায়ে জলিব।” এই গাথার আর-একটি গান হইতেছে “দেখে যা, দেখে যা, দেখে যা লো তোরা সাধের কাননে মোর। আমার সাধের কুহ্ছম উঠেছে ফুটিয়া”।» ফুলবালা-গাথাটির ভাষার মধ্যে ছিজেন্ত্রনাথ ঠাকুরের 'শ্বপ্প্রয়াণে*র এবং অক্ষয়চন্্র চৌধুরীর 'উদাসিনী'র ছায়া প্রভাব যথেষ্ট আছে তাহা সামান্য প্রণিধানেই বুঝা যাইবে। 'ছুলবালা” হইতে কয়েকটি পডক্তি তাহার সাক্ষ-_

একি একি ওগো কল্পনা সখি ! কোথায় আনিলে মোরে !২

ফুলের পৃথিবী-_ ফুলের জগৎ্-_ স্বপন কি ঘুম ঘোবে?

হাসি কল্পনা কহিল শোভনা, “মোর সাথে এস কবি'

দেখিবে কত কি অভূত ঘটনা কত কি অভূত ছবি।”

কহিল হাসিয়া কল্পনাবাল! দেখায়ে কত কি ছবি;

“ফুলবালাদের প্রেমের কাহিনী শুনিবে এখন কবি ?”

“এস কল্পনে 1 মধুর বেতে ছু-জনে বীণায় পুরিব তান

সকল ভুলিয়া হৃদয় খুলিয়া আকাশে তুলিফা করিব গান।

হাসি কহে বালা, ফুলের জগতে যাইবে আজিকে কবি?

দেখিবে কত কি অভূত ঘটনা, কত কি অভূত্ত ছবি।” গাথা-সাহিত্োর অস্তভুক্তি হইতে পারে প্রতিশোধ"ত লীলা?ঃ অগ্পরা-প্রেমাথ এবং পর বৎসর বিপাত বাসকালে রচিত 'ভগ্নতরী'* | পাঠক লক্ষ্য করিয়া! থাকিবেন তেরো হইতে আঠাবো বংসর ব্যসের মধো যে-কয়টি কাবা গাথা রচিত হয় তাহার সবগুলি ট্রাঙ্গেডি) ইহারই অন্তে 'দন্ধ্যাসংগীতের হচনা। তাহার৪ মধ্যে বিষার্দবিজড়িত হৃদয়ের বেদলা তীত্র।

ভারতী পত্রিকা

জীবনের প্রপম প্রতাষে রবীন্দ্রনাথ, জ্োতিরিন্ত্রনাথ তাহার পরী কাদদ্রী দেবীর নিকট হইতে যে অযাচিত প্রেম প্রশ্রয় পাইস্নাভিলেন তাহা তাহার কাবাজীবন-গঠনের কতখানি সঠায় তাহার মরোপমুক বিচার এখনো হয় নাই। জোভিরিন্্নাথ ছিলেন ঠাকুর-পরিবারের জোতিংম্বক্ধপ, সর্ব কর্ম সর্ব শান্দোসনের কেক | বিচির বিষয়ের আলোচনা « চর্চায় ইহার আনন্দ ছিল অপরিসীম, উৎসাহ ছিল অদমা, লাহস ছিল দুর্ঘয়। কিন্ত কখনো কোনো বিষয় শ্রমসহ কারে

গীতবিত।ন হয়, পু 9১৮1

তু.স্বপ্রহায়াণ হর সগ পৃ৮৯ 1 কচ্ছে কবিবর, কোণায় আনিলে তুমি আমায়”

প্রতিশোধ, ভারতী, ২য় বর্ষ, শরণ ১০৮৫, পু ১৬৫২০ জু শৈশকসাপীহ : রনীন্দ রচনাবলী, অচলিত সংগ্রহ ১, পৃ ৪৫৫-৬৪। রবীশ্র- জিঞ্জানা, ১, পূ ১*১-১৫।

লীলা, ভারতী, আব্গিন ১১৮৪৫ পু ২৮৫ ৮৮ | জু শৈশব-দাগীত রবীন্দ্র রউনাবলী, আচলিত সংগ্রহ, ১, পু 65৭1 শব হহ ৫৭।

«৫ অপ্নরা-প্রেম। ভারতী, ফান ১২৮৫, পূ ৫১৩-১৮ জং শৈশব-সংগীত : রবীল-রচনাবলী, অলিক সংগ্রথ ১, পৃ ৪৭১| পৃ ১১৫-১৭,

ভগ্রতরী, ভারতী, আষাঢ় ১২৮৬, পূ ১২৩-১১। দ্র, শৈশব-সংগীত : রবীন্দ্র-রচনাবলী, অচলি% মাএ ১, পৃ ৪৯৮।

্ীষীৰ ১৮৭৭ ভারতী পত্রিকা! ৬৭

অন্থশীলনের দ্বারা আয়ত্ত করেন নাই, কেবল সহজ প্রতিভার দীপ্রিতে সকপ বিবয় দেখিতেন বলিয়া কোনোটিই স্থায়ী ফলপ্রদ হয় নাই। চিত্রে সংগীতে নাট্যে ভাষাশিক্ষায় বাবসারে ম্বাদেশিকতার জ্যোতিবিন্দনাথের সর্বতোনুখী প্রতিভা বাথ ছিল। জ্যোতিরিন্দনাথের বহুমুখীনতা ববীন্রনাথের জীবনে গভীরভাবে প্রতিকলিত স্বন্দরকূপে সাথক হইয়াছিল। এই জোট্ঠ সম্বন্ধে রবীন্দুনাথ তাহার জীবনসন্ধ্যায় যাহা বপিম্াছিলেন, তাহাই বোধ হয় কৃতজ্ঞ তার চরম স্বীকৃতি “পিতৃদেব ছিলেন হিমালয়ে, বাড়িতে দাদাবরা ছিলেন কর্তৃপক্ষ জ্যোতিদাদা, যাকে আমি সকলের চেঘ়ে মানতুম, বাইরে থেকে তিনি আমাকে কোনো বাধন পরান নি। তীর সঙ্গে তক করেছি, নানা বিষয়ে আলোচনা করেছি বয়সের মতো তিনি বাপককেও শ্রদ্ধা করতে জানতেন। আমার আপন মনের স্থাধীনতার দ্বারাই তিনি আমার চিন্তবিকাশের সহায়তা করেছেন | তিনি আমার 'পরে কর্তৃহ করবার ইউতসুকো যদি দোরাম্মা করতেন তা হলে ভেঙ্চেবে তেড়েবেকে ষাহয় একটা কিছু ততুম, সেটা হম়চতা ভদসমাজের সন্ঘোষজনক ১৪, কিন্ত আমার মতো একেবারেই হত না।”১ জ্োতিরিন্নাথ রবীন্দনাথের ঈপু শক্তির সন্ধান আবিদ্ধার করিস্াহিলেন বলিলে বেশি বলা হইবে না। তিনি বুঝিয়াছিলেন এই ভাবপ্পুবণ বালককে সেন্ট জেভিয়ার্ধ সকলের পাঠা বইয়ের খোটায় কাধিয়া পীড়ন করা নিরর্থক | তাই তাহার সাহিতাশিক্ষায় ভাবচচায় তিনিই হইলেন প্রধান সহায় | ভাতার সাম্বে রবীন্ুনাথের ভিতরকার স'কোচ খুশিয়া গেল! নূতন কৌঠানহ স্েহের দ্বারা দেবরেব কারাজীবনের ভাবধারা উন্মোচনে সোনার কাঠির স্পশ দিলেন

জ্োঠিরিক্নাদের সাহি ভামঙ্জলিসের মধামণি ছিলেন অক্ষয়চন্ছ চেবুবী 1২. ইনি ছিলেন জোতিরিন্দনের সহপাঠী প্রায়ুপমবদসী বন্ধু, শতিরা রবীঙ্গলান হইতে এগাবো-বাতরা বসের প্রেসিডেন্সি কলেজে ইতুব্জ অধাপকের শিকট ইবেজি সাহিভা অধায়ন করিয়াল বালা মাহির এগাহতল দহ ্রনআলেো বালা ছিল না হাহার অসামান্ত

১. রধীল্রলাধের মঙ্ুর বংসর পবিপ্তি উপলক্ষ য়ে ভয়ুন্বী হক, ঠহাতন ঢা রহাতীপেষ জভিনন্দ,শর প্রতিতাজণ | প্রাবানী, মাঘ ১৩৩৮, পু ৫১১। জর আফ্গুপরিচয, পম ২. জক্ষযন্হ চৌধুরী (১৮৫১ ৯৮) হম, তত বিংশ হা্াকাটির দন) উদাদিনী (৮৭ঘ) মাধবমালতী (জনাব, পেস ১২৮২) শি ভারত গাপা (কাবার ভারত হহকাস ১৮৯৫) রচয়িতা | উদালিনী গোগউন্হিপর 176 চিতা নামে কাবার হাবানুবাদ 1 (নমালোচনা, বঙ্গদশন। জো ২৮২) ১২৮২ পালের কাাকাহি সময় হইত ববীলনাপ এই সাঙ্িভিকের সংস্পশে আনেন বাআীকিউিতিছার দুইটি গান অক্ষয়উন্দের নচনা। শির আপ্জঙ্গ প্দশয়।! [হলি আিমানিশী নিসরলী (ভারতী, ধগুহায়ণ ১২৭ গাঙায ছুরি কিবিতী ভাক্টাতিত হয়) করিত) লেগেন। 'পচভাতদশীচা প্রথম সান্ষরণে (বৈশাধ ১২৯০) অঙক্ষযতা্জর করিল মুলত হয়| ১১৮৩ (১৯৪৭) সনি কাবোযায় বালকালি নজিন্দনাধ পক ক্োয়ারটজ পপর রবীন ধক দেন! রবীক্জনাপ নেত পাসপিরাত এসবি পাক্কা কা টিহা কাটি পি গইী োছাতি লীিহা অক্ষহচ্তক উপহার দেন -- পাপ টিতে দোবিনু (লিমব হাতে আব কি বাতির তেখা অশ্বারিধল পাতে উ. (০916900৭ ৯1৭7710178] (55৮৫ 2 পরত তানিন] সিং তব] টিনা 712 উদ দা 2911 শর্পিতৃষণ বর কলা! শরংকুমারির সি উর বিবাহ ভর মা ১৮১১) শাংহমাহীপ উপন্াস িছিনিবাহ (বশ্ততশন ১১) রবীজনাথ সমালোচনা করেন (দ্র আধুনিক মাহি, রবীন রচনাবলী »প ৪৯১ )। উনি বাললালে লাহোরে পক তন বলিয়া রবম্জনংপ উহাক শাহারানী বণিতল। (প. স্রজেলীনাপ বলোপাধায়, সাডিতা-মাধক-চারি৬মালা ৭৯: অক্ষয় চৌলুবী )। অক্ষঃচ্দ্ের বঙ্গ উমা দেবীর সাহত যহা্রনাথ বহর শিবাহ হয়। লি রহমানের গ্ণত্রীধী কিলেন | বতীক্ছনাংখর জামাতা শিতী অতুল ব2 |

৬৮ ববীজজীবনী খষ্টাঝ ১৮৭৭

রসানৃভূতির শক্তিবলে তিনি রবীন্দ্রনাথের সম্মুখে কাব্যবিচারের একটি সু মানস্থচী ধরিয়াছিলেন। সে-যুগের ইংরেজি সাহিত্য-শিক্ষার তীব্র উত্তেজনাকে তিনিই ববীন্দ্রনাথের কাছে মৃতিমান করিয়া তোলেন, এবং বোধ হয় তীহারই প্রেরণায় তিনি সে-ঘুগের পক্ষে আধুনিক ইংরেজ কবিদের বাংলা ছন্দে ভাষায় অনুবাদ করিতে সমর্থ হন। ইছারই কাছে রবীন্দ্রনাথ কবি মূরের [0151১ ?41619165 বালক-কবি চ্যাটার্টন সম্বন্ধে তথ্য অবগত হন।

ইতিমধ্যে অক্ষয়চন্দ্র রবীন্দ্রনাথের সহিত পরামর্শ করিয়া জ্যোতিবিজ্্রনাথ ঠাকুরবাড়ি হইতে একখানি মাসিকপত্ত প্রকাশনের প্রস্তাব উখ্বাপন করিলেন। দ্বিজেন্দ্রনাথের ইচ্ছা তত্ববোধিনী পত্িকাকে ভালো করিয়৷ জাকাইয়]! তোল]। কিন্ত জ্যোতিরিজ্্নাথের ইচ্ছা সাহিত্য সেবা চর্চা এবং তছৃপযুক্ত মাসিকপত্র প্রকাশ | ছ্বিজেন্দ্রনাথ ইহার নাম গন প্রভাত? ; সে-নাম সকলের পছন্দ না হওয়ায় 'ভারতী' নাম রাখা স্থির হইল। জ্যোতিরিজ্দ্রের নাম কখনো! ভারতীব সম্পাদকীয় তালিকায় স্থান না পাইলেও প্রকৃতপক্ষে ভারতী ছিল তাহার মানসকন্যা।১ ছিজেন্দ্রনাথ হইলেন সম্পাদক ১২৮৪ সালের শ্রাবণ মাসে ( জুলাই ১৮৭৭ ) ভারতী প্রথম সংখ্যা বাহির হইল।

১২৮৪ সালে বাংলাদেশে কয়খানিই বা মামিকপন্ত্র ছিল। তখন 'জ্ঞানা্কৃরে'র চিহ্মাত্র ছিল না। বস্কিমচঙ্জ্রের বঙ্গদর্শন চারি বংসর ( ১২৭৯-৮২) চলিয়া বন্ধ হইয়া! গিয়াছিল $ এক বৎসর বন্ধ থাকিয়া ১২৮৪ সালের বৈশাখ মাস হইতে সন্তীবচজ্দজ্রের সম্পাদনায় পুনরায় প্রকাশিত হইতেছে বটে, কিন্তু তাহার সে দীধি আর নাই যোগেম্ত্রনাথ বন্দোপাধ্যায় সম্পাদিত 'আর্ধদর্শন' ধূমকেতুর ম্যায় বহু মাল অস্থর কদাচিৎ দেখা দিত। ঢাকা হইতে-কালী প্রসঙ্গ ঘোষের 'বাদ্ধব ১২৮১ সাল হইতে প্রকাশিত হইতেছে ; আর নামকরা মাসিকপত্র না থাকিবারই মতো

তখনকার দিনে পত্রিকার্দি চিত্রসম্বলিত করিবার স্থলতরীতি আবিষ্কৃত হয় নাই, বচনাগৌবরবই ছিল পঞ্জিকার আভিজাত্য নৃতন পত্রিকার জন্য রচনাসংগ্রহের উদ্দেশ্বে রবীন্দ্রনাথকেই সাহিতাক মহলে ঘোবাথুরি করিতে হইত; কারণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে তিনি ছিলেন বয়োকনিষ্ঠ এ₹* এক হিসাবে বেকার এহ রচনাসংগ্রহ-অভিযানের ফলে কলিকাতাব বুধমণ্ুলীর সহিত তাহার পরিচয় ঘটে নব-পরিচিতদের মধ্যে কৰি বিহাবীলাল চক্রবতীর সহিত পরিচয়ই বালকের জীবনের একটি বিশেষ ঘটনা অবোধবন্ধু পত্রিকায় ইহারই কাবাহ্থধা তিনি কী আবেগে প্রাণ ভরিয়া পান কবিয়াছিলেন তাহার কথা পূর্বেই আলোচিত হইয়াছে; এতদিন কবির কাব্যের সহিত পরিচয় ছিল, এখন কাব্যের কবির সহিত পরিচয় ঘটিল ; এটি একটি নৃতন অন্ভূতি। বিহারীলালের গৃহমধো তাহাকে কাবারচনায় তন্ময় দেখিলেন। রবীন্দ্রনাথ দেখেন তাহাদের বাড়িতে বিহারীলাল সকলের শ্রদ্ধার পাত্র, দ্বিজেন্দনাথের কাছে তাহার দ্বার অবারিত, জেযাতিরিন্্নাথ তাহাকে বন্ধুর স্তায় দেখেন ; এমন-কি অন্তঃপুবে নৃতন বৌঠান কবিকে নিমঙ্ুণ কবিয়া খাওয়ান, তাহার জন্য আসন বুনেন, তাহার কবিতা সশ্রন্ধভাবে আবৃত্তি করেন কবি সম্মান সমাদর সবর | কাদম্বরী দেবী ছিলেন বিহারীলালের বিদুগ্ধ ভক ; তিনি আশা করিতেন যে কাব্যবচনায় তাহার আদরের দেবরটির যেরূপ প্রতিভা, কালে তিনি বিহারীলালের মমকক্ষ কবি হইতে পারিবেন! ববীন্দ্রনাথের তখন আম্মবিশ্বাস জাগে নাই, তাই এইসব আশা উক্তিকে ভয়ে যবে বিশ্বাম করিতেন এবং বিহারীলালের কাব্যকেই কাব্যস্থটির শ্রেষ্ঠ আদর্শ জ্ঞানে অন্তর দিয়! ঠাহারই অনুকরণে প্রবৃত্ত হইলেন

ভারতীর জন্ধ রচনাসংগ্রহ উপলক্ষে যেমন বিচিত্র লোকের সহিত পরিচয় হল, তেমনি নিজেদের পারিবারিক পত্রিক। বলিয়া রবীশ্রনাথের পক্ষে বিচিত্র রচনা নিবিচারে প্রকাশ করিবার বাধ] দূর হইল। ছুই বৎসর পূর্বে 'জ্ঞানাস্কুর প্রতিবি্ব'-এর পৃষ্ঠায় তাহার গদ্য পদ্য প্রলাপ যেন নিধিচারে প্রকাশিত হইয়াছিল, ভারতীতে সেই হ্বযোগ দেখা প্বড়দাদাকে সম্পাদক করিয়া জ্োতিদাদা ভারতী পত্রিক1 বাহির করিলেন” জীবনপ্নুতি | সর, শরংকুমারী চৌধুরানী ,ভাঁরতীর ভিটা! | বিশ্ষভারতী পত্রিকা, কাতিক-পৌদ ১৩৫১

গ্রষ্টাব ১৮৭৭ ভারতী পত্রিকা ৬৯

দিল শতগুণে। বালকের লিখিবার শক্তি ছিল অসাধারণ, প্রকাশের বাধ! ছিল সামান্, সাহিত্যবিচারের মানস্চী ছিল অম্পই অনির্দিষ্ট ।১

জ্ঞানাস্কুরে তাহার গগ্ঠরচনা শুরু হয় সাহিত্য-সমালোচন! দিয়া; ভারতীতে মণুসথদনের “মেঘনাদবধ২ কাব্য'-এর সমালোচনা দিয়া গছ্যরচনা আবরস্ত করিলেন। চিরদিনই দেখা যায়, সাহিত্যক্ষেত্রে নবীন লেখকগণ তীহাদের আবিভাবকে প্রবীণের সমালোচনা! সনাতনীদের নিন্দার ছারা বিঘোষিত করেন; প্রতিভার এদ্ধত্যে বিচারবুদ্ধি তখন আৰিষ্ট থাকে রবীন্দ্রনাথ পরযুগে স্বীকার করিয়াছিলেন যে, তিনিও মধুহ্দনের অমর কাব্যের উপর নখরাঘাত করিয়া নিজেকে অমর কবিয়! তুলিবার সবাপেক্ষা সুলভ পন্থা অবলম্বন করিয়াছিলেন ।৩

ম্বোলো বৎসর বয়সের এই গছ্যরচনা কৰি তীহার গ্রস্থমধে কখনো! পুনমূ্রিত করেন নাই কিন্ত প্রবন্ধটির সমস্তটাই যে অযৌক্কিক বাকাচ্ছট! তাহ1 ভাবিবার কারণ নাই, অনেক কথা এখনো বিচার্ধ। আমরা একটিমাত্র উদ্দাহনুণ উদ্ধৃত করিব কাবোর প্রথমে রাবণের মভায় বীরবাহুবধের সংবাদে ষে ক্রদদনের বর্ণনা আছে, তাহা নবীন সমালোচকের মতে অতাস্থ অশোভন বীরের পক্ষে এইভাবে ক্রন্দন, সভাম্থদ্ধ সকলের এইরূপ আন্সবিহ্বলতা ব্যক্তিগত জীবনেও যেমন অশোভন, কাবো৪ তেমনি অঙ্থন্দর। 'ম্যাকবেথ' নাটকে সিউয়ার্ড কাহার পুত্রের মুড়্াতে যে স'যম দেখাইয়াছিলেন, আডিসন লিখিত “কেটে? নাটকে পুহশোকাতুর কেটো যে গাম্ীধ প্রকাশ করিয়াছেন, জ্যোতিবিজ্দ্রনাথের “সরোজি নী? নাটকে লক্ষণ দিংহের ছাদশ পুজ নিধনের পরেও তাহার যে বীরত্ব স্বথর্য বণিত হইয়াছে, তাহা সাহিত্যে একটা আদর্শ স্থাপন কবিয়াছে ; কিছ্ছু তাহার তুলনায় মাইকেল-বণিত রাবণ অত্যন্ত দুবল চিত্র সমালোচক “সাহিত্াদর্পণ' হইতে কাপ্যের দোষ কি তাহ। এই প্রসঙ্গে উত্থাপন করিয়া এই মহাকাবাকে সেই মানশচী হইতে বিচার করেন পদে পদে দোষকুটি দেখান লেখক ভাহার ঘুক্তির সমর্থনে হেমচন্ছ্র বিদ্যার অনদিত বাল্ীকি বামায়ণ, গ্রামা শ্বভাব-কবিদের গান কবিতা, এমনকি করি ওয়ালা হরুল়াকুবের রচনা হইতে অংশবিশেষ উদ্ধৃত করেন মোট কথা, সমস্ত গ্বন্ধচি মেঘনাদবধ মহাকাবোর একটি কঠোর সমালোচনা

মপুশ্দনের মহাকাবোর প্রতি ববীন্ছনাণের এই কছোর বিবূপতার কারণ অন্ঠসন্ধান করিলে জানিতে পারা যায়, নয়াপ স্কুলে পড়ার সময়ে ঠাহাকে যেসব গন্থ পাগাপুস্তক' হিসাবে অধায়ন করিতে হইত, তাহার মধো ছিল মেঘনাদবধ কাবা। কাবাহিসাবে কল্পনাপ্রিয় বাপককে এই গ্রন্থ কখনো আকধণ করে নাই; অনিচ্ছার বশে, শাসনের দায়ে, ভামশিক্ষার অঙ্জুহাতে কাবাপান করার মতো এত বড় বিড়ম্বনা আর নাই। জীবনম্ৃতিতে মেঘনাদবধ কাব্য সঙ্ষদ্ধে ঘাহ। পিখিমাছিলেন, তাহা অভি সতা। “এম-দিনিশট] পাতে পড়িলে উপাদেয় সেইটাই মাথায় পড়িলে গুরুতর হইয়া

'ঝসার বশী, তারঠী, অঙাঠাযণ ১২৮৪ সালে রটশাটি ( অর্থাৎ ভামুসিংহ ) স্বাক্ষরে প্রকাশিত ইইয়াছিন উর. রবীন্্াজজ্ঞাসা ১, পু ১৫২ ববন্ুনাপের গেবিচকালেহ হ5) হর রচনা বলিয়া হ্বীরত হয, ডর" জেল্সনাধ বন্দাপ।ধায় সঙ্পীকাস্ত ছাস-কতৃক সংকলিত 'রবীন্থ রটনাপ্রী, শলনারের চিঠি, কাতিক ১৩৪৬ রবীক্ধনাপের শ্বইন্ড লিশিত রচন!টির প্রাথমিক খসডা শান্তিনিকেতন রবীজুনদনে বন্দি আছে হিজ্ঞাস (পোকশিক্াএরশ্থমল, বিগ্বভারতী ১৩৬৯) শ্রন্থে মুদিত হইয়াছে, পৃ ১১৩১৩ ১৯৫৭ সালে সিপাহী বিাতের শতহাধিকী শরণ পুক্তিকাকারে প্রবন্ধটি কবির শ্বহগুলিখিত পালিপির শ্রতি6তণসহ প্রকাশিত হইয়াছে প. জোতিরিজ্রনাথের স্বাক্ষবিত ফোটা, বিশ্বভার 5 পত্রিকা, কাতিক- পে1দ ১১২১,প ১০৮ | এই প্রবন্ধশেদে আন "আমরা নিজে কাহার যেজল উিহাস সংগ্রহ করিয়াছি €1হ1 তবিয়তে একাশ কারবার বাসনা রছিল।” ০5711 »বিশানাপ ১৩১* সাপে (১৯০০) নাশ্ির বাণী জীবনী মারাঠা হইতে (প ৭৩) প্রকাশ কারন! মেখনাপবধ কাবা ভারতী প্রপম বধ পম মংখা| আাবণ ১২৮৪, পূ ১৭ ভাছ প৬২-৬৯। আহিশ পু ১৩১১১। কতক পূ ১৬১ ৩৪। পৌম পু ২৬৯-৭৪। ফাঁধুন পূ ৩৮১৭০ প্রায় ৩৬ পৃ বন্ধ | প্রবঞ্ধে লেখকের নাম ছিল না, ছিল ভ: 1 ভামুসিংহের আছ মার মাকে মধুগদল ৪৫, হস ১৫ আ্ামুয়ার ১৮২৬: মৃতু। ২৯ জুন ১৮৭৩ মৃতুকাল ব্যস মাত ৪৯ বংসর | মেখলাদবং কাধা ১৮১১ অক (বয়স ৩৭) প্রকাশিত হয় মধুদদনের মৃত্যুর চার বংনর পর মেখনধবধ কাবা প্রকাশিত হইবার যোলো! স্ংসর পর এই সমালোচন। (5০5 হইয়াছিল

রবীন্দ্রজীবনী .. আষ্টাব ১৮৭৭

উঠিতে পারে ভাষা শিখাইবার জন্য ভালো কাব্য পড়াইলে” কাব্যের অমর্ধাদা হয়। “কাব্য-জিনিমটাকে বসের দিক হইতে পুরাপুরি কাব্য হিসাবেই পড়ানো! উচিত, তাহার দ্বারা ফ্লাকি দিয়া অভিধান-ব্যাকরণের কাজ চালাইয়া লওয়া কখনোই সরম্বতীএ তুষ্টিকর নহে।” “মেঘনাদবধ কাবোর সমালোচনা'র সাহিত্যিক মূল্য সামান্যই, তবে কথা স্বীকার করিতেই হইবে যে ইতিপূর্বে এমন নিতীক বিস্তাবিত সমালোচনা বাংলাপাহিতো কোনো গ্রন্থ সম্বদ্ধেই হয়নাই।১

ভারতীর পায় যেমন বালক-কবির কবিতা, তাহার গগ্ প্রবন্ধ প্রকাশিত হইল, তেমনি প্রথম সংখা হইতে ছোট গল্পও বাহির হইল গল্প দুইটির নাম-_ ভিখারিনী ককুণা। এই গল্প ছুইটির নাম রবীন্দ্রনাথ জীবনস্থতিতে উল্লেখ

পর্ন্ত করেন নাই বুধ বয়সে “ছেলেবেলা? গ্রঞ্থে পিখিয়াঞ্ছেন, “ষোলো বছর বয়সের-.. মুখেই দেখা দিয়েছে

ভাবতী ,... তারই মধ আমি লিখে বসলুম এক গল ।" এই গন্সহ 'ভিখারিনী" |২ এই গল্প সম্বন্ধে কবির নিজন্ব মতি মত্ান্থ তীব্র "সট! যে কী বকুনির বিন্ননি নিছে তার যাচাই করবার বয়স ছিল না। বুঝে দেখবার চোখ যেন

অন্যদের তেন করে খোলে নি।” অধ্যাপক সুকুমার সেন তাহার "বাঙ্গালা লাহিতোর ইতিহাস? গ্রন্থে লিখিয়াছেন, “বাঙ্গালা টিসি প্রকৃত ছোটগল্প গুবৃতিত হয় রবীন্দ্রনাথের দ্বারা 1”... পরবীন্দ্রনাথের পৃবে যে-মকল গল্প লেখা

ছিল শাহাব মধ্যে 'দামিনী" সর্লীবচন্ত্র চট্টোপাধ্যায় ১২৮১] গল্পটিতেই ছোটউগঞ্পের লক্ষণ পৃণমাত্রায় বিদ্যধান। টনি বালার্চনা 'ভিখাবিনী' গল্পেপ ছোটগল্পের ঠাট বজায় আছে ।”৩ ছোটগল্প লিখিয়া বোধ হয় একটু সাহস হর, তাহ কিকণাত নামে উপন্যাস শুক করিলেন এই উপন্তাসখানি

বেছে পক মি] - ্্ ১45 কি

তাহার এই সময়ের উচ্্রাস্পূম কাবোরই অনুপ ব্বীন্ত্রনাথ ভাহার এইসব রচনা সম্বন্ধে পিখিয়াছেন, “ভারতী পর আমার বাললীলাবু অনেক লঙ্জা হাপার কালির কালিনায় অস্থিত হইয়া আছে | কেব্পমান্ত কাচা লেখার ডন্য লঙ্ভ নহে _ উদিত অবিনয়। অন্ভুত আতিয়া সাডগ্থর কর্িরিমভার জন্য লজ্জা | 2তকুল বাংলা সাহিহোর এমন এক্সটা বিস্তার প্রতাপ হয় নাহ যাহাতে দেহ সাহিতোব অস্থনিহিত রচনাবিধি লেখকদিগাকে শানে রাখিতে

ববীনুনাথ আহার 'করুণা উপন্যাস সম্বন্ধে জীবনঙ্্তিতে কোনো কথাই বলেন নাই, গ্ন্ত-আকারে উহ কখনো প্রকাশি হক হয়ু নাত, কিন্তু ভঠরি গতি লাগা এক সময় পধন্থ হাহার ছিল বলিয়া মনে হয়। উন * উঠ]

প্রকাশিত হইবার সাত বখসর প্র তিনি চক্রলাথ বকে ভারতীর প্রথয ভুত বহসরের পরিকা প্াগাইয়া দিয় একিকণী।

মেখনাদবুণ কাবা সন্থঙ্ধে বহকাল পরে 'লাতিভানাই (১:১৮) প্রবন্ধে মানা বলিয়াছেন তাহাই হাহার পরিপক মঃ বলিয়া! গ্রহণ করা ঘাঠতে পারে। ল. লাকতা, প্রধান রচনাসনী ৮, পু ৯৯ ৮১৪ | প্রবোরচন্্র সেন সম্পাদিত রবীন্্নাপের ইলা প্রুথ্থে মাইকেল গু মেধনাববধ কাবা সম্পকে বহু চাঃনোতিনী আগ্ে।

ভ্িধাবিশট | ভারতী, ১ম ব্য ১ম লাগা হাপণ ১৯৮৪ হয় মাখা ভা। পুনম রণ দেশ পদক! ২২ বেশাধ ১৩৬১। পল্পগুস্ক ৪র্থ পে, ৯১১-০১। রবান্ধ রচনাবলী গুষ্থ, পু ১০৩ পশ্চিমবঙ্গ সরকার -কঠক প্রকাশিত রবীন রচনাবলী ৭, পু ৭৬৩ ৭৩

পু) পু, “রংকুনার? চৌধুব্রান? “তার ঠার ভিটা ভবন্ধে লিখিচিছিল, কোটগজ প্রপম যেটি একাশিত হয় হাতা রবিবাধুর, পি/র প্ঠ৮1 1 একটি গল্প

ধানালাতিকবা,প বাকিণ হত খাতক 1৮7 বিশ্বহারতী পতিকত কাঠিক গেম ১৩৫১

॥. “ঞণম রংপুর ভারতীতে প্রকাশিত আমার বাল বলা কিকন! শামক পর্ন তাহার নমুনং জীবনন্ৃতির গড়া জীবনশ্থুতিতে (চলিত

বস্করণে ) ককতার পায় নাই ভারতী, আহ্দিন ২২৮৮ পৃ 25 গমিক। শত পথম পরিচ্ছেদ, কাঠিক, পু ১৭০ ৮৮ ছিতীয়, তৃতীয় রথ পরিঞচেদ 7 2 আগ্রহারণ পু ২৯ 5৪, পঞ্চম পারচ্ছের | পৌষ, পু ২৮৪৮৮ বত, সপূম পরি্থেদ | মাধ মালে নাই ফাল্গুন, পু চাহ হম সবম। পশম গর্িক্েদ চেরা পু পি কি দনচতুলশ পরিচ্ছেদ বৈশাপ ১২০৫, পু ও» পকদশনবাড়শ পরিচ্ছেদ,

চৈ, পু ২৮ ১7 সপুদশ পারচ্ছেপ আমা আঠাদশ পরিস্থেদ। শান, পু ১৫৩ ৬৪. উপবিংশ স্বাবিশ পরিচ্ছেদ | ভাই পূ ২২৬৩৪ 7২৬২৭

পরিশ্েদ | | ইহার পর আর পাই |

খ্টাবষ ১৮৭৭ ভাঙ্গসিংহ ঠাকুরের পদাবলী ৭১

সম্বন্ধে বোধ হয় তাহার মতামত জানিতে চাহিয়্াছিলেন $ চন্দ্রনাথবাবু করুণার অতি বিস্বাত সমালোচনাপূর্ণ যে পত্র লেখেন তাহা বছুকাপ পরে আবিষ্কৃত হইয়াছে ।১ তাহাতে তিনি লেখেন (১৭ আশ্বিন ১২৯১) “গল্পটি পুস্তকাকারে ছাপানে! আবশ্যক” পৃথক পুস্তকাকারে প্রকাশিত না হইলেও গল্পপরচ্ছ চতুর্থ খণ্ডের (১৯৬২ ) পরিশিষ্টর্ূপে মুদ্বিত হইয়াছে ।২

ভানুসিংহ ঠাকুরের পদ্দাবলী

আমরা পূরৰে একস্থানে বলিয়াছি যে, রবীন্দ্রনাপের তেরো হইতে আঠারো ব্সর বয়সের মধো রচিত প্রায় সকল কাবাই তিনি কাবাগ্রস্থাবলী হইতে বর্জন করিয়াছিলেন, কেবল রাখিয়াছেন “ভান্রপলিংহ ঠাকুরের পদাবলী” তথাকথিত পদাবলী ভারতীর আদি যুগের রচনা, অর্থাৎ কবির স্বোলো৷ বৎসর বয়সের লেখা | ১২৮৪ সালের বর্ধাকাল। কৰি পিখিয়াছেন, একদিন মধাক্চে খুব মেঘ করিয়াছে £সই মেঘলা দিনের ছায়াথন অবকাশের আনন্দে বাড়ির ভিতরে এক ঘরে খাটের উপর উপুড হইয়া পড়িয়া একটা ল্পেট লইয়া পিখিলাম 'গহুন কুন্থমকুঞ-মাঝে | ইহা লিখিয়া নিজের উপর বিশ্বাস জন্মিল তৎপরে একটির পর একটি কবিতা লিখিয়া চলিলেন | এইভাবে পদদাবলীর স্থট্টি। ভারতীতে পরম যে-কবিভাটি বাহির হইল, ভাহার নাম ছিল 'ভানসিহের কৰিতা”, প্রথম পণক্তি ছিল 'সজনী গো- আধার রজনী খোর ঘনঘটা চমক দামিনী বে | গানের সুর মল্লাবু লেখা ছিল 18 এখন প্রশ্থ ওঠে বৈষ্ণব-পদাবলী অন্যক বূণে কাবারচনার প্রেরণ ববীন্রনাধ কেমন করিয়া কোখা হইতে পাইলেন বৈষ্ণব-পছাবলী রচনার ম্বোত বালা, সাহিত্ো বতকাল হইতে তেমন প্রচলিত ছিল না] আধুনিক যুগে মাইকেল মধুঙ্দন ব্রিজাঙ্গনী কাবো (১৮৬১) বৈপ৭ ভাবের কবিতা রচনা করেন সমতা, কিন্তু ব্র্ভাষা,ভিনি প্রয়োগ কবেন নাই | আমাদের মনে হয় আধুনিক কবিতায় সপপ্রথয ব্রজভাষা বাহার কবেন বঙ্থিমচন্্র | মুণালিনী উপন্তাসে যে-তিনটি গান আছে তাহ। এই মিশ্র ভাষায় রচিত ( ১৮৬৯) বঙ্গদর্শনের ভাতীয় বধে। (১২৮১/১৮৭৪ ) রিজ' স্বাক্ষরে 'পৃববাগ* নামে যে আটটি কবিতা আছে 'ভাহা9 এই কৃজিম ব্র্বুলিতে লেখা সমসাময়িক পত্রিকা সন্ধান করিলে আর হয়তো ছুই-চাবিটি কবিতা পাএয়া যাইতে পারে। কিন্তু প্রাচীন পদকতাদের এমন নকল-করা “পদাবলী? রবীন্দ্রনাথের পৃবে কেহ লিখিতে পাবেন নাল। সেইজন্বাই ভাম্ুসিংহ ঠাকুরের পদাবপী সাহিত্যক্ষেত্ড হইতে একেবারে বহিক্ুত হয় নাই

বৈষ্ণব কবিতার প্রতি তাহার অগ্রবাগ স্দ্ধে এক পন্েৎ লিখিয়াছিলেন, “আমার বয়স যখন তেরো-চৌদ্দ তখন থেকে মামি অত্যস্থ আানন্দ আগ্রহের সঙ্গে বৈষঃব-পদাবলী পাঠ করেছি, তার ছন্দ রস ভাষা তাব সমস্তই আমাকে

বিশ্বভারতী পত্রিকা দ্বিতীয় বর্ধ, চতুর্খ সংখ্যা বৈশাধ-আধাঢ় ১৩৫১, পৃ ৪২*-২৩।

চাবনশ্মতির খমডায় 'করশ। উল্লেখ পাউ। +.*৮ বাংল! সাহিতো যে কোনো বই বাছির হইত আমার এক হল এজাইতে পারিত না 1... নব বই পড়িয়া জানের দিক হইতে আমার যে অকাল পরিণতি হইকাছিল বাংলা শ্রামাভাষায় তাহাকে বলে জাাঠাম প্রথম বংসরের ভারতী প্রকাশিত আমার বাংল! রচনা 'করুপা' নামক গল্প তাহার নমুনা ।” গঞ্পগুচ্ছ 8, পৃ ১*১*। রবীন্্র-রচনাবলী ২৭, পু ১১৭ পশ্চিমবঙ্গ সরকার- বক প্রকাশিত রবীন্ম-রচনাবলী ৮, পৃ ৭*১-৪২।

মহাজন পদাহলী। ১৮৭২ (১২৭৯ সাল )।

ভ|রতী, ১ম বধ আঙ্গিন ১২৮৪ পৃ ১৩৫। ভামুসিংহ ঠাকুয়ের পদাবলী, ১৩ সংখক কবিতা 'অভিসার'। মুক্রিত প্রস্থে পাঠের কি পরিবঙ্ন আছে।

«৭ পত্র: ২* আষাঢ় ১৩১৭। প্রষাসী, পৌষ ১৩৩৪, পৃ ৩৯৭ |

৭২ রবীন্দজীবনী ধীাৰ ১৮৭৭

মুগ্ধ করত। যদিও আমার বয়স অল্প ছিল তবু অন্পষ্ট অক্ফুট রকমেও বৈবধর্মতত্বের মধো আমি প্রবেশলাত করেছিলুম।” কিন্তু রবীন্দ্রনাথ বৈষ্ণবসাহিত্য পাঠ করিয়াছিলেন সাহিত্যরসের জন্য, তত্র জন্য নহে? তিনি পিখিয়াছেন, “বৈষ্বপদ-সমূদের অপরিচিত ভাগ্ার হইতে একটি-আধটি কাবারত্ব চোখে পড়িতে পারে এই আশাতেই" তিনি উৎসাহিত হন

বাংলা সাহিত্যের এমন-একটা যুগ ছিল যখন বাংলার অেষ্ট সম্পদ শিক্ষিত সমাজের নিকট প্রায় অজ্ঞাত ছিল। নগেন্দ্রনাথ গওুপু যথার্থ লিখিয়াচ্ছেন, “যে বয়সে রবীন্দ্রনাথ কবিতা লিখিতে আরম্ভ করেন সেকালে বটতল! ছাড়া বৈষ্ণব কবিতা আর কোথাও পাওয়া ধাইত না ।-.. বৈষ্ণব কবিতার যে শুধু সমাদর ছিল না এমন নহে তাচ্ছিলা ভাবও লক্ষিত হইত |... বটতলার নিকৃষ্ট পুস্তকালয়ে বৈষ্ণব ভিক্ষুকের কণ্ঠে আশ্রয়লাভ করিয়াছিল ।”১

বাংলার শিক্ষিত সমাজ বলিতে আধুনিক যুগে বুঝায় ইংরেজি-জান! সম্প্রদায়; বৈষ্ণব পদ্দাবলীর প্রতি শিক্ষাভিমানী সমাজের দৃষ্টি সর্বপ্রথম আকর্ষণ করেন বাংলা সাপ্তাহিক “অমৃতবাজার পত্রিকা" ( ২৮ মার্চ ১৮৭০ )। কিন্তু গ্রন্থ হিসাবে প্রথম বৈষ্ব-পদাবলী সম্পাদন করেন জগঘন্ধু ভদ্র “মহাজন পদাবলী'তে চণ্ডীদাস বিদ্যাপতি সম্বন্ধে সমালোচনা বি্ভাপতির পদাবলী টীকা প্রকাশিত হয়। আমরা জানি রবীন্দ্রনাথ এই গ্রন্থ পাঠ করিয়াছিলেন ।৩

অত:পর অক্ষয়চন্দ্র সরকার ( ১৮৪৬-১৯১৮) সারদাচরণ মিত্র (১৮৪৮-১৯১৭ ) -সম্পাদিত প্রাচীন কাব্য সংগ্রহ ( ১-৩ খণ্ড চু'চুড়া ১৮৭৪-৭৬ ) বালকের হাতে পড়ে; তৎসন্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ লিখিয়াছেন, “গুরুজনেরা ইহার গ্রাহক ছিলেন কিন্তু নিয়মিত পাঠক ছিলেন না। স্থতরাং এগুলি জড়ো কবিয়া আনিতে আমাকে বেশি কষ্ট পাইতে হইত না। বিদ্াপতির ছুর্বোধ বিকৃত মৈথিলী পদগুলি অস্পষ্ট বলিয়াই বেশি করিয়া আমার মনোযোগ টানিত |”

জগদ্বন্ধু ভদ্র, অক্ষয়চন্দ্র সরকার, সারদাচরণ মিত্র, বঙ্িমচন্দ্রৎ বাজকষ। মুখোপাধ্যায়ং বৈষ্ণবসাছিত্যের কাবা- সৌন্দর্য বাঙালি শিক্ষিতসমাজে প্রচার করেন। যে সাহিত্য এতদিন তক্ত বৈষবদের সাধনার ধন ছিল, তাহা এখন সাহিত্য-বিলাসীদের ভোগের বস্ত হইল তরুণ কবি রবীন্দ্রনাথের নিকট এই পদসমূদ্র সেই কাব্যবস-সন্তোগের সামগ্রী, সাধনার সম্পদ নহে। তাই এই অপরিচিত ভাগার হইতে কাব্যরত্ব সংগ্রহের জন্ত তাহার এত অৎম্থকায।*

বৈষ্ঞব-পদ্দাবলী অধায়নের পদ্ধতি ছিল বালকের নিজন্ব ; তিনি লিখিয়াছেন, “আমি চীকার উপর নির্ভর না করিয়া নিজে বৃকিবার চেষ্টা করিতাম। বিশেষ কোনো! দুব্হ শব যেখানে যতবার ব্যবহৃত হইয়াছে সমস্ত আমি একটি ছোটো বাধানো খাতায় নোট করিয়া রাখিতাম। ব্যাকরণের বিশেষত্বগুলিও আমার বুদ্ধি অশ্রসারে যথাসাধ্য টুকিয়া রাখিয়াছিলাম |” রবীন্রনাথ বৈষৰ কবিতা, প্রবাসী, বেশাখ ১৩৩৯ পৃ ৬৭। বৈফৰ চূড়ামশি পণ্ডিতপ্রবর বিমানবিহারী মজুমদার 'গহন কুলুমকুঞ্জের' পাশাপাশি গোবিন্দপাস কৃত 'শরদ বদ পবন ষদ' পদটি রাখিয়া! কবিতা! দুইটির খিল দেখাইয়! বলিতেছেন : “বিশুদ্ধ কাব)রসের দিক দিয়! হয়তে! ভানুসিংহের পদাবলীর শেষ দুইটি পদই সর্বশ্রেষ্ঠ *-_রবীন্ত্রসাহিতো পঞগাবলীর স্বান (১৩৬৮ , পৃ ২৩। রবীন্রনাথেয শ্বাক্ষরিত এই গ্রন্থধানি পুরাতন বইয়ের দোকান হইতে রীযুক্ত পৃর্থীসিংহ নাহার সংগ্রহ করেন ইহ! দেখিয়া ছিলাম বন্ধিমচজ্জ চট্টোপাধ্যায় : বিভ্ভাপতি জয়দেব ( দীনেশচরণ বন্য 'মানস-বিকাশ' গ্রন্থের সমালোচনা, বঙ্গদর্শন, পৌধ ১২৮*)-- দ্র. 'বছধিষ-রচনাবলী', শতবাধিকী সংস্করণ বিবিধ প্রবন্ধ, বঙ্গীয়-সাহিতা-পরিষৎ। ১৩৪৮ প্‌ ৫৩-৫৭। « রাজকৃফণ মুখোপাধ্যায় : বঙ্গদর্শন, বিভ্াপতি, ( লোষ্ট ১২৮* ), জানদাস (মাঘ ১২৮* ), বলরাম দাস (চৈত্র ১২৮*)। * মালতীপু-খি। ববীন্র-জিজান। ১, পূ ৪*৪১। এখানে ছুটি ব্রজভাষায় রচিত পদাবলী আঙ্কে। একটিকে ১২ সংখাক ভানুসিংহ ঠাকুরের পঙাধলী

দুর প্রতিষ্বনির মতে! পোনায় | 'পরটি পদাবলীর মধ্যে আদৌ গৃহীত হয় নাই ভামগুসিংহ ঠাকুরের পদাবলীর বেশির তাগই খুব অজ সময়ের মধো রচিত |

খীষ্টাব্ষ ১৮৭৭ ভাচুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী শ৩

এই পদ্দাবলী তিনি এমন গভীরভাবে আয়ত্ত করিয়াছিলেন ঘে, ইহার অনুকরণ করা তাহার পক্ষে সহজ হইয়াছিল। এই বয়সটা ছিল অহ্থকরণের যুগ অবোধবন্থুতে বিহারীলালের কবিতা পড়িয়া তাছারই মতো কবি হইবার যেমন সাধ হইয়াছিল, বৈষবপদ-সমূদ্র মস্থন কবিয়া পদকর্তাদের পদাক্ক অনুসরণ করিবার আকাজ্ষা তেমনি জাগ্রত হয়।

কিন্তু এই কবিতাগুলি১ সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথের কোনো মোহ ছিল না) জীবনস্থ্তি রচনাকালে তিনি স্পষ্টই বলিয়াছিলেন, “ভাঙুসিংহছের কবিতা একটু বাজাইয়া বা কষিয়! দেখিলেই তাহার মেকি বাহির হইয়া পড়ে ।” প্রাচীন পদ্দকর্তাগণ একটি কৃত্রিম ভাষায় কবিতা রচনা! করেন সে-ভাষার নকল করা যায় কিন্তু প্রাচীনদের ভাবের মধ্যে কত্রিমতা ছিল না) ভাবের ঘরে চুরি করা কঠিন। রবীন্দ্রনাথের রচনা সেই ভাবের ঘরে দুর্বল বলিয়া জহুরীর হাতে নকল ধরা পড়ে। কিন্তু সেযুগে তাহা হয় নাই।২

জীবনস্থতির পাঠকগণ অবগত আছেন বালক-কবি কিভাবে তাহার এক বয়ন্ক বন্ধুকে বুঝাইয়াছিলেন যে পদাবলী ভাহ্ুসিংহ নামে এক প্রাচীন পদকর্তা -রচিত পুধিখানি আদিব্রাক্মসমাজ-গ্রস্থশালায় আবিষ্কৃত

রবীন্দ্রনাথের এই আয্মগোপনের একটু ইতিহাস আছে তিনি অক্ষয়চন্দ্র চৌধুবীর নিকট ইংরেজ বালক-কবি চ্যাটার্টনের বিবরণ শুনিয়াছিলেন। চ্যার্টার্টন পঞ্চদশ শতকের টমাস রাউলি নামে এক কল্পিত কবির কাব্য আবিষ্কার করিয়াছেন বলিয়া দাবি করেন এবং নিজের কবিতাগুলি প্রাচীন কবির রচনা বলিয়া প্রকাশ করেন। ববীন্দ্রনাথও সেহ ভাব হইতে ছদ্মনাম গ্রহণ করেন।

বৎমর দুই পরে চ্যাটার্টন” সম্বন্ধে একটি প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ যাহা লেখেন ভাহা কবির নিজেরই মনের কথা যুক্তি এব" এক হিসাবে ভান্রসিংহের পদাবলী রচনার কৈফিয়ত রবীন্দ্রনাথ লিখিভেছেন, “একটি প্রাচীন ভাষায় রচিত ভালো কবিতা শুনিলে তাহারা [লোকে] বিশ্বাস করিতে চায় না যে, তাহা কোনো প্রাচীন কবির রচিত। যদ্দি তাহারা জানিতে পাদ যে, সে-সকল কবিতা একটি আধুনিক বালকের লেখা, যে বালক তাহাদেরি ভাষায় কথা কয় তাহাদেরি মতো কাপড় পরে-_ বাছিবের অনেক বিষয়েই তাহাদের সহিত সমান, তাহা! হইলে তাহারা কি নিরাশ হয়ঠ তাহা হইলে হয়তো তাহারা চটিয়া যায়, তাহারা সে-কবিতাগুলির মধ্যে কোনো পদার্থ দেখিতে পায় না, নানা প্রকার খু'টিনাটি ধর্রিতে আরস্ত কবে, যদি-বা কেহ সে-সকল কবিতার প্রশংসা করিতে চায়, তবে সে নিজে একটি উচ্চতর আসনে বসিয়া বালকের মাথায় হাত বুলাইভে বুলাইতে অতি গন্ধীর স্নেহের স্বরে বলিতে থাকে ষে, হা, কবিতাগুলি মন্দ হয় নাই, এবং বালককে আশা দিতে থাকে যে, বড় হইপে চেষ্টা করিলে সে একজন কবি হইতে পাবিবে বটে! তাহার্দের যদি বলো,

ভারতী ১২৮৪ সালে প্রকাশিত তামুসিংহের কবিতা আশ্বিন পৃ ১৩৫। সজনী গো আধার রজনী ঘোর হনঘটা (প্রথম সংস্করণ ভামুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী গ্রস্থের ১৩ সংখাক ), অগ্রহায়ণ | গন্ধন কৃহথমকুপ্তীয়াকে (৮ সংখাক), পৌহ। বজাও রে মোহন বাশি (১* সংখ্যক) মাঘ। হম, সাথ, দারিদ নারী (১৬ সংখাক), ফাল্ধন। সখি রে, পিরীত বুঝাবে কে (১৫ সংখ্যক), সতিষির রজনী সচকিত সঙ্গনী সংখ্যক); চৈজআ্। বাদরবরখন নীরদগরজন (১৪ সংখাক ). ভ্তারডী, বৈশাখ ১২৮৫! বারবার সখি, বারণ করনু (১ সংখাক) মাইকেল মধূৃগনেয় ব্রঙ্ধাঙ্গন! কাবোর কবিতাগুলি ব্রজন্তাবায় লিখিত হয় নাই সত্য, কিছু ঠাহার মধে কৃত্রিম বৈধ পরিবেশ সূদষ্ট করিবার প্রয়াস ছিল। রবীন্দ্রনাথ মাইকেলের স্তায় বৈফধ কবিতাকে লিরিকাল আকুতি প্রকাশের বাহৃদকূপে বাবার করিলেন। ত্র মোহিতলাল মজুমদার, 'কৰি জমধূলৃদন, ১৩৪৪ সাল, পূ ৩১। ৩.]1)00788 00800610001 (20 ০৬, 1752--24 ৮১5৪. 1770 ) 716 85৪৩ 70687005786 0 £781800, ৬৬7০০১০0161 চ০৬1৩1৫, 1469 101 18506 081737)6€ (01815 1769 )1 চাটাটন বালক হবি, ভারতী তৃতীয় খও আঘধাড় ১২৮৬ পৃ ১৩৯-৪৪। ওয়ার্ডস্ওয়ার্থ, কোলরীজ, শেলী, রসেটি, সামী, কীটস্‌ প্রতি ইংরেজ কধির! চাটার্টনের যথেষ্ট প্রশংস। করিয়াছিলেন রবার্ট সাদী চ্যাটাটনের ্রস্থাধলী প্রকাশ করেন (১৮*৩), কীটস চাটটার্টনের শ্বৃতিক় উদ্দেতে তাছার 13:,49 2১800 উৎস করেন (১৮১৮ )।

১৩

৭৪ রবীন্দরজীবনী গ্রাষ্টাব ১৮৭৭

এ-সকল একটি প্রাচীন কবির লেখা, তাহারা অমনি লাফাইয়া উঠিবে, ভাবে গদগদ হুইয্লা বলিবে, এমন লেখা কখনো হয় নাই হইবে না) এব্ূপ অবস্থায় একজন যশোলোলুপ কবি-বালক কি করিবে?” কৰি জীবনস্থতিতে লিখিয়াছেন যে, চ্যাটার্টনের “আত্মহত্যার অনাবশ্যক অংশটুকু হাতে রাখিয়! কোমর বা ধিয়া

দ্বিতীয় চ্যাটাটন হইবার চেষ্টায় প্রবৃত্ত হইলাম ।”

ভাম্গুসিংহ সম্বন্ধে কৌতুককাহিনী এইখানেই শেষ হয় নাই, আরও একটু আছে। রবীন্দ্রনাথ জীবনম্মতিতে লিখিয়াছেন যে, জার্মানীতে নিশিকান্ত চট্টোপাধ্যায়১ ঘুরোপীয় সাহিত্যের সহিত তুলনা করিয়া দেশের গাতিকাৰা সম্্থে একখানি চটি বই লেখেন; তাহাতে তিনি ভাম্সিংহকে প্রীচীন পদকতারূপে প্রচুর সম্মান দান করিতে কাপপণা করেন নাই। তিনি আরও বলেন যে, এই গ্রস্থখানি লিখিয়়া নিশিকান্থ 'ভ্টপ উপাধি লাভ করেন। এই উক্তিটি সম্বন্ধে সামান্ত বিচার প্রয়োজন নিশিকান্ত একুশ বৎসর বয়সে ( ১৮৭৩ ) বিপাত যান। এডিনবর] লাইপন্জিগ সেপ্টপিটার্সবু প্রভৃতি নানাস্থানে অধ্যয়ন করিয়! অবশেষে ৎস্থরিক বিশ্ববিদ্যালয় হইতে 12 45২ নামে একখাশি ছোট বই লিখিয়া “ডক্টর উপাধি পান (১৮৮২) সে-গ্রঙ্থ আমরা দেখিয়াছি, তাহাতে 'ভাগুসিংহের কোনো কথা নাই। তবে জার্মান ভাষায় 'ভারতীয় প্রবন্ধাবলী' নামে যে ব্ইখানি লেখেন, তাহাতে যদি কিছু খাকে তো আমরা বলিতে পারি না। তবে সে বই লিখিয়া নিশিকান্ত 'ডক্টর' উপাধির মান পান নাই সুতরাং রবীন্দ্রনাথের এই উক্তি ভ্রমশুন্ নহে ।*

ভান্থসিংহ ঠাকুরের পদাবলী ১২৯১ সালে মুদ্বিত হয়)* প্রথম বর্ধ ভারতীতে প্রকাশিত কবিহা বাতীত এই শ্রেণার আরও কয়েকটি রচন? গ্রস্থমধ্যে সংধোজিত হয়। এই হ্ুদ্র কাব্যের সকল কবিতাকে এই শ্রেণত ফেপা যাহবে লা, কারণ সবগুলি এক সময়ে রচিত নহে “মরণ রে, তুঁহ মম শ্যাম সমান? কবিতাটি প্রকাশিত হয় ভাকুতীর ১২৮৮ সালে

নিশিকান্ত চট্টোপাধ্যায় (১৮৭২-১৯১* ) জন্মস্থান ঢাকা বিক্রমপুর | ১৮*৩এ পৈতৃক সম্পত্তি ব্রাঠাদের দিয়া কয়েক হাজার টাকা লা যুখোপে যান। এডিনবরা, লাইপজিগ তৎপরে সেণ্টপিটাসবুগ ( আধুনিক লেলিনগ্রাদ ) বিশ্ববিগ্ঠালয়ে অধায়ন করেন। শিিলিস্ট সন্দেহে হপা হঠতে বাহুত হইয়া হুহস দেশে আসেন ত্হরিক বিশ্ববিদ্যালয় ইইতে ১৮৮২ লালে "জর্টরা উপাধি লাভ কর্পিয়া ০৮৮৩ সালে দেশে কেবেন। সাহার জীবনের অধিকাংশ সময় হায়দ্রাবাদে কাটে | শেষজীবনে হসলাম ধম গ্রহণ করেন জশেদ ছুঠাখর মবে) উীবনের অবসান হয়! বসিহোকনাথ ঠাকুর, "আমার বোম্বাই প্রবাস' পূ ১৪১-৪২। ইহার ভ্রাতা নবকাণ্ত শীতলাকান্ ব্রাহ্মলমা টব হন! নবকাগ্ুর কঙ্সার সহিত দ্িজেসপাপের পুর হাধীজনানদের বিবাহ হয়। নবকাস্থ ভ্রাতাদের এক ভরীবনী লেখেন শীভলাকান্থর কতকগু'ল রচনা ংকালীন ভারতীর মাধ দেখ: যায় ।- আঁ. কীবশীকোহ : নবকান্ত, নিশিকান | দেবেন্্রনাথ ঠাকুরের পত্রাবলীতে [০৮ ফাঙ্গুন ১২০১, (১১ মার্চ ১৮৭৩ ))] আছে নিশিকারুকে জামলীতে ১০০, টাকা হরণ করা হুইতেন্টে। মহুবির জীবনচণ্রতকার অজিতকুষার চত্রবতী জীবশশ্মতির উত্ভিগ উপর নিগর করিয়া কলপন! করিয়াফিলেন গে টাকা ড্র উপাধি গ্রহণের জন্য প্রেরিত হয়। আমর! পূর্বে বলিয়্াছি নিশিকান্ু ১৮৮২-এর পূর্বে ড্র হন লাই | হুতরা সে টাকা অস্ত বায়ে জগ্ক গ্রদ্র হয়। ২716 22025 0. 0৮61 60086101191027755 01 01721,7110017৮, [01710181552 006)080101) 280150), 08195191852, এক বইখানিকে 419561090100. বলা হইয়াছে | উতর উপাধির জহ 16515 কে 41556119007 বলে। ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী নাধে গ্রস্থাক্চারে কবিঠাগুলি ্রকাশিত হয় ১০৮৪ লালের জুলাই মদের কাছাকাছি কোনো সময়ে '“ভানুসিংহের কবিতা গুলি -ভারতীর প্রথম বর্ধ হইতে (১১৮৪) প্রায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়| ১২৯১ সালের বধায় ভাশুসিংহ ঠাবুরের পদাবলী নামে কবির কৈশোরের এই কবিতাগুলি প্রথম এস্বাকাবে মুঠ হয়| দেখান রবীন্ত্রনাধ নিকেকে প্রকাশক রুপে বিজ্ঞাপিত করিয়া জানান, 'ভাম্ুসিংহের পদাবলী শৈশব-সংগীতের আনুমক্সিক স্বরূপে প্রকাশিত হ্টল। ইছার অধিকাশই পুরা চন কারের পাত] হইতে সন্ধান করিয়। বাঞছির করিয়াছি -_ প্রকাশক। ১২৯১ সালের শ্রাবণ সংব্যা 'নবজীবন' মাসিকপতর 'ভামুসিত ঠাকুরের জীবনী নামক একট শাক্ষরঠীন বাঙ্গ রচন। প্রকাশ করিয়া রবীন্মনাথ রহন্টছলে ইঙ্গিত করেন যে ভানু পিং$ ঠাকুর রবীজনাপ ঠাকুর হইলেও হইতে পারেন 1- জী বনস্ুতি, প্রস্থপরিচয়, প২ঃ২

“ভানু নামের আগক্ষর “তাঁঃ 'মেঘনাদবধ কাব্য সমালোচনায় লিপি ছিল, প্রাবণ ১১৮৪ |

্রষ্টাৰ ১৮৭৭ কবিকাহিনী ৭৫

আবণ মামে। সেই সময়ে কৰি বিদষ্তাপতি লইয়া আলোচনা] করিতেছেন এই গানটির ভাষা কতিম হইলেও উহার ভাবের মধ্যে নিছক অনুকরণ দেখা যায় না; ভাবটি কবির স্বকীয়। কারণ বৈষুব পর্দাবলীতে “মরণ? শ্যামের সহিত উপমিত হয় নাই, শ্াম “সুন্দর বলা হইয়াছে।

কবিকাহিনী

১২৮৪ সালের আশ্বিন মাসের শেষদিকে কয়েকদিন ববীন্দ্রনাথ জ্যোতিরিজুনাথদের সহিত নৌকায় গঙ্গার উপর বাস করেন। বোটে বসিয়া শৈশব-সঙ্গীত নামে একটি কবিতার খসড়া করেন (২১ আশ্বিন ১২৮৪ অক্টোবর ১৮৭৭) যেটি পরে সংস্কার করিয়! 'অতীত ভবিষ্যৎ নামে শৈশবসঙ্গীত কাব্যখগুভুক্ত করা হয়।

জোড়ার্সীকোর বাড়িতে ফিরিয়া ১ল! কাতিক হইতে ভগ্রহদয় নামে কাব্যের পল্জুন করেন এবং ১২ কাতিক ১২৮৪-এর মধ্যে [ মাঝে বারোদিন লিখেন নাই ) উহা শেধ করেন। এই কাব্যের স্ববে আরও কবিতা গাথা রচিত হয় যাহার কথা আমর ইতঙঃপূর্বে ইঙ্গিত করিয়াছি এই ভগ্রহথদয় নামে কাব্যখানির উপহার লিখিয়া। মূল কাব্যবচনায় প্রবৃধ হন। অতঃপর ভারতীর জন্য 'কবিকাহিপী" নাম দিয়া ধারাবাহিক প্রকাশের জন্ত দিলেন ভারতীর প্রথম বর্ষের ষ্ল সংখ্যা হইতে চারি সংখায় ( পৌধ-চৈত্র ১২৮৪ ) ধারাবাহিক গাবে প্রকাশিত হয়।

'কবিকাঠিনী? রবীন্দ্রনাথের বচনাবলীর মধো প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ 1১ ব্বীন্ত্রনাথ যখন আমেদাবাদে সতোন্দ্রনাথের পিকট ছিলেন, ভখন তাশ্াব উৎসাহী বন্ধু প্রবোধচন্ত্র ঘোষ এই বইথানি ছাপাইয়। তাহার নিকট (ফাইল কপি) পাগাইয়া দেন। জীবনস্বতিহে কবি-বন্ধু সম্থন্ধে লিখিয়াছেন-_ “তিনি যে কাজট1 ভালো করিয়াছিলেন তাহা আমি মনে করি না, কিন্তু তখন আমার মনে যে-ভাবোদয় হইয়াছিল, শাস্তি দিবার প্রবল ইচ্ছা তাহাকে কোনো মতেই বলা যায় না। “ও তিশি পাহয়াছিপেন, কিন্কু সে বই-লেখকের কাছে শহে, বই কিনিবার মালেক যাহারা তাহাদের কাছ হইতে। পা যায়, সেই বইয়ের বোঝা স্থদীর্ঘকাল দোকানের শেল্ফ এবং ভাহার চিত্বকে ভারাতুবর করিয়া অক্ষয় হইয়া বিরাজ করিতেটিল |”

যাহা হউক সাহিভাক-মহলে এই কাবাখানি একেবারেই উপেক্ষিত হয় নাই জীবপস্থৃতির প্রথম খসড়ায় তিনি পিখিয়াছিলেন, "বঙ্গমাহিত্যে হুপ্রধিহনামা শ্যুক কালীপ্রসঙ্ন ঘোষ মহাশয় তাহার “বান্ধব পত্রে এই কাবা-সমালোচন উপপক্ষো পেখককে উদয়োম্বখ কবি বলিয়া অভাথনা করিয়াছিলেন খাত বাক্তির লেখনী হইতে এই আমি প্রথম খাতি পাত করিয়াছিলপাম।” কাশীপ্রসন্ন লিখিয়াছিলেন, “ধাহাবা শব ছন্দ অপেক্ষা কাবাগত তাবেরই সমধিক আদর করেন, ভাছারা এই ক্ষণ গ্রন্থখানিকে বাঙ্গালা ভাষার নৃতন একখানি আভবণ বলিয়া গ্রহণ করিবেন ইহাতে যথার্থই কবিতা আছে। বাঙ্গাল কবিতার পদ্ধিপ জলে এইব্প নির্মল পুষ্প কি প্রীতিপদ। ইহাতে সৌন্দধ আছে,

কবিকাহিনী | আীরবীন্রনাখ ঠাকুর প্রণীত প্রযোবচন্ত্র ঘোষ কতৃক প্রকাশিত। কলিকাতা মেচুয়াবাজ্ছার রোডের ৪» সংখাক ভবনে সরন্বতী যয শক্ষধামাহন মুগোলধায় কতৃক মুর্রিত। সংবং ১৯৩২ [২* কাতিক ১২৮৭ নভেম্বর ১৮৭৮] পূ ৫৩ আঁ. ভারতী প্রথম বধ পৌষ ১২৮৪ “ম পগ পু ২৬৪-৬৮, মাথ ক্স সা পু ৩১৮-২৪, ফ্াড্ঠন ৩য় সগ ৩১০-৬৩, চৈত্র সগ পৃ ৩৯৩৯৯ আরজেক্সনাথ বন্দোপাধায় দেখাহয়াছেন যে 'কাঁবকাহিনী' গ্রস্থাকাযে প্রকাশিত হয় রবীন্রনাথের বিলাতবাত্রার পর। বিলাত যাইবার পূ তিনি উহার মুদ্রিত ফাইল পাইয়া থাকবেন। গ্রন্থ প্রকাশিত হইলে জাতি ক্স নাথ আন! তুরখুড়কে ১১ নফেম্বর ১৮৭৮ তারিখে 'কবিকাহিনী পাঠাইয়া দেন। জর রবীন স্থ-পরিচয়।

ইছাতে কোনো উৎসর্গপঞ্জ নাই, কিন্তু খলড়াতেও আছে, ভাহা মুদ্রিত প্রকাশিত ছিল না। 'উপহারপতি মালতীপুধির মহো আছে সে বিষয়ে আমরা পুধে আলোচন! করিয়াছি

৭৬ রবীন্ত্রজীবনী খ্রীষ্টান ১৮৭৭

অথচ সে সৌন্দর্যে কোনো অংশেও রুচির বিকার সস্তাবনা নাই ।... কবিকাহিনী-রচয়িতা অমিজ্রাক্ষর পদ্য রচনায় মাইকেলের ন্যায় সর্বত্র মিলটনের অনুসরণ এবং হেমবাবুর ম্যায় সংস্কৃত কবিদিগের ছন্দান্ববর্তন না করিয়া, কোনো কোনো! স্থানে কিয়ংপরিমাণে এক নৃতন পথ অবলম্বন করিয়াছেন। যদি তাহার কবিতা স্থন্দর না হইত তাহা হইলে এইরূপ পদ্য কাহারও নিকট ভাল লাগিত না।”১

কবিকাহিনীর কবিতাগুলির ছন্দ বিশেষভাবে লক্ষণীয়। বনফুলের ন্যায় ইহাও অমিজ্রাক্ষর ছন্দে রচিত, ইহাতে পয়ারের মিল নাই, যাহা পরবর্তী যুগের নাট্যকাব্য বিসর্জন -আদি নাটকের মধ্যে দেখা যায়। সেযুগে কোনো কৰি কাবা বচনাকালে মাইকেল মধুস্থদনের প্রবতিত নৃতন ছন্দকে উপেক্ষা করিতে পাবিতেন না; রবীম্ধনাথ মেঘনাদ বধ কাব্যের যতই তীব্র সমালোচনা] করুন, কাব্য রচনাকালে তাহাকে মাইকেলেরই তেজোময় অমিত্রাক্ষর ছন্দকেই আদশব্ূপে গ্রহণ করিতে হইয়াছিল। বৃহৎ কাবা বচন! করিতে গেলে বাংলার চিবস্তন পয়ারাদি ছন্দ অচল; মুবোপীয় আদর্শের নৃতন ছন্দ, যাহা মধুস্দন বাংলা ভাষায় আনিয়াছিলেন, তাহাই পরবর্তী যুগের কবিদের আদর্শ হয়।

বিলাতযাত্রা রবীন্দ্রনাথের জীবনে একটা নৃতন পথের স্ত্রপাত করিল। যাত্রার পৃধ পবটায় তাহার মানমিক অবস্থার যে অস্থির চঞ্চলতার চিত্র কবিকাহিনীর মধো প্রকাশ পাইয়াছে, তাহাকে নৈব্যক্তিক কবিকল্পনা বলিয়া উড়াইয়! দেওয়া যায় না। ঘুগের বহু কবিতা পাওয়া গিয়াছে, যাহা রচনাহিসাবে কাচা কিন্তু অন্তরের বেদনা প্রকাশের উদাহরণ হিসাবে মূল্যবান। সেগুলি প্রকাশের যোগা নহে বলিয়া রবীন্দ্রনাথ তাহাদের অপাংকের করিয়া দ্বেন; তাই তাহাদের আদিম অবিকৃত রূপটি পাই-_ ভাষা ভাবের পরিমার্জনার অবসর প্রয়োজন হয় পাই। মালতীপুথির কবিতাগুলি হইতে বালক-কবির চিত্তের মধো যে আগ্রেয়গিরি গুমরাইতেছে 'তাহারই তপ্ধ শ্বাশ অগ্চভব করা যায়।

'ভার শী"র প্রথম বর্ধে রবীন্দ্রনাথের কবিত! গান গল্প উপন্ধাস প্রবন্ধ ছাড়া একটি পাতিপীর্ঘ কাব্য প্রকাশিত হয় “কবিকাহিনী'২ | এই গ্রন্থ-রচনার প্রায় ত্রিশ বংসর পর কবি এই কাব্যের সমালোচনা যেভাবে ক্বিয়াহিশেন তাহা সাহিত্যচার দিক হইতে বিচার্ধ। তিনি জীবনম্বতিতে লিখিতেছেন, “যে-বয়সে লেখক জগতের আর-সমস্তকে তেমন করিয়া দেখে নাই, কেবল নিজের অপরিস্ফুটতার ছায়ামৃতিটাকেই খুব বড় করিয়া দেখিতেছে, ইহা সেই বয়সের প্রেখা। সেইজন্য ইহার নায়ক কবি। সে কবি ষে লেখকের সন্ত তাহা নঠে__ পেখক আপনাকে যাহা বপিয়া মনে করিতে ঘোষণা করিতে ইচ্ছা করে, ইহা তাহাই ঠিক ইচ্ছা! করে বলিলে যাহা বুঝায় তাহা& নহে__ যাহা ইচ্ছা করা উচিত, অর্থাৎ যেবূপটি হইলে অন্ধ দশজনে মাথা নাড়িয়া বলিবে, হা কবি বটে, ইহা সেই জিনিসটি! ইহা মধ্যে বিশ্বপ্রেমের ঘটা খুব আছে-_ তরুণ কবির পক্ষে এইটি বড় উপাদেয়, কারণ ইহ] শুনিতে খুব বড় এবং বলিতে খুব সহজ ।” জীবন-মধ্যাহ্ন অতিক্রম করিয়া কৰি তাহার বাল্যরচনা লম্বষ্ধে যে রহস্তই ককন-না কেন, একথা মন্বীকার করিবার উপায় নাই যে এই কাবোর মধ্যে কৃত্রিমতা যথেষ্ট থাকিলেও ইহাতে লিজ শৈশবের রুদ্ধ আকাজ্ষা নি:সংকোচে প্রকাশ পাইয়াছে; জীবনস্বতির পাঠকমাজ্েই জানেন রবীন্দ্রনাথের শিশুকাল কী বুট রুদ্ধতার মধ্ো, যুক্তিহীন নিষেধের মধ্যে

ংকুচিত ভাবে কাটিয়াছিল। বহির্জগত ছিপ তাহার কাছে অজান] রাজ্য, রূপ রস শষ গন্ধ স্পর্শনয়ী প্রকৃতি কদ্ধ ছার

১. বান্ধব, মাহ ১২৮৫ পৃ ২৬৪৬৭! দ্র জীবনশ্বতি, গ্রস্থপরিচয়, পূ ২৫৮-৫৭ | জ. বিশু মুখোপাধ্যায়-সম্পাদিত রবীন্রসাগর সংগষে। পৃ ১:৬। বাঙ্গৰ (মাসিক ) জআবাড় ১৮১। ঢাকা হইতে বঙ্গদর্শনের আদরে সুলভ মূল্য প্রচারিত অনিয়মিতভাষে ১২৯৫ লাল পর্যন্ত ৯লে। বঙ্গদর্শন

নবপর্যায় ) প্রবাসী পর্রিক ১৩০৮ সালে প্রকাশিত হইলে 'ৰাক্ষব' পুনঃ প্রকাশিত হয়। ড্র. ব্রলেম্রনাধ বন্দোপাধায় : বাংলা সাময়িক পজ ২য় খণ্ড,

পৃ ১৫।

ভারতী, মাধ ১২৮৪ কবিকাহিনী, পৃ২। রবৰীন্রচনাবলী, অচলিত সংগ্রন্ধ ১, পঙ্।

্রীষ্টা্য ১৮৭৭ কবিকাহিনী

গবাক্ষের অস্তরাল হইতে তাহাকে ইঙ্গিত করিত, কিন্তু স্পর্শ করিতে পারিত নাঁ। “সে যেন গরাদের ব্যবধান দিয়া নানা ইশারায় আমার সঙ্গে খেলা করিবার নানা চেষ্টা করিত। সে ছিল মুক্ত, আমি ছিলাম বন্ধ_- মিলনের উপায় ছিল না, সেইজন্য প্রণয়ের আকর্ষণ ছিল প্রবল ।” সেই রুদ্ধ জীবনের মনের কথা অবচেতন স্তরে নিমজ্জিত ছিল, এই কাব্য রচনাকালে তাহা আত্মপ্রকাশ করে। এইভাবে বালকের অনেক অতৃপ্ত আকাঙ্ ছন্দের মধ্য দিয়া মৃতি পাইয়াছে। তাই দেখি “কবিকাহিনী'র কবি সাধ মিটাইয়। প্রকৃতির সঙ্গে খেল! করিয়া বেড়াইতেছেন। কবিকাহিনীর নায়ক “ছিল কোনো কৰি বিজন কুটীর-তলে 1 প্রকৃতির কোলে শুধু খেলা নহে, শিশুকবি গাছপাল! পশুপক্ষীর সমস্ত খুঁটিনাটি বিষয়েও খোজ বাখিতেন ক্রমে শৈশব অতিক্রম করিয়া কবি যৌবনে প্রবেশ করিলেন ; প্রকৃতির সহিত যোগ এখন আরও ঘনিষ্ট হইল প্রকৃতিকে সম্বোধন করিয়া কবি গাহিতেছেন-_ শত শত গ্রহ তারা তোমার কটাক্ষে কাপি উঠে থরথরি, তোমার নিশ্বাসে ঝটিক] বহিয়] যায় বিশ্ব চবাচরে। কালের মহান পক্ষ করিয়া বিস্তার, অনস্ত আকাশে থাকি, হে আদি জননি, শাবকের মত এই অসংখা জগৎ তোম্বার পাখার ছায়ে করছি পালন £হাবু পর শীহারিকাপুক্ হইতে ক্রমে ক্রমে জগতের স্যি পরিণতি বর্ণনা করিয়া প্রকৃতির অলঙ্ষঘা নিয়মের কথা বপিয়াছেন। এই নিয়মবদ্ধন যদি একবার কোথাও ছিন্্র হয়, তবে কী ভয়ংকরু প্রলয়কাণ্ড হয় তাহা কবি বর্ণনা করিয়াছেন-- দুঢ বন্ধন ধদি ছিড়ে একবার, সেকি ভম্মানক কাও বাধে জগতে কক্ষচ্ছিন্ন কোটি কেটি সর্ব চন্দ্র তার অনম্থ আকাশময় বেড়ায় মাতিয়া, মগুলে মগুলে ঠেকি লক্ষ শূর্ধ গ্রহ চরণ চুর্ণ হয়ে পড়ে হেথায় হোথায়। মহান্‌ জগতেব ভগ্ন অবশেষ চূর্ণ নক্ষত্রের জ্ূপ, খণ্ড খণ্ড গ্রহ বিশৃঙ্খল হয়ে রছে অনস্ত আকাশে। প্রকৃতির ক্জ্মৃতি রবীন্দ্রনাথকে চিরদিনই আকর্ণ করিয়াছে এই কাব তাহার আভান পাই। প্রকৃতির কোলে এইভাবে কবির জীবন কাটিতে লাগিল, কিন্তু কবির হৃদয় শৃন্ট থাকিয়া গেল__ এখনে! বুকেব মাঝে, রয়েছে দারুণ শন, সে শুন্ত কি জনমে পূরিবে না আর? মনের মন্দির মাঝে, প্রতিমা! নাহিক ঘেন শুধু আধার গৃহ বছেছে পড়িয়া ..

৭৮ রবীন্দ্রজীবনী এটা ১৮৭৭

পনেরো-ষোলো বৎসর বয়সের কবি বুঝিতে পারিয়াছেন-_“মাহুষের মন চায় মাহুষেরি মন” যেন “মানবের মাকে আমি বীচিবারে চাই” সবের পূবাভাস। কবিকাহিনীর নায়ক কবি শূন্য হৃদয়ে বনে বনে ঘুরিয়া বেড়ান একদিন অপরাহে শ্রান্ত হৃদয়ে এক স্ক্ষতলে শুইয়া আছেন, এমন সময়ে একটি বালিক1 সেখানে আসিয়া উপস্থিত হইল। বালিকার নিকট কবি আপনার হৃদয়ের কত কথা বলিয়া গেলেন, এতদিন পরে তাহার মনে হইল হৃদয় যেন একটু জুড়াইল। বালিকার নাম নলিনী, রবীন্দ্রনাথের এক অতি প্রিয় নাম। নলিনীর।সহিত কবি কুটীরে চলিয়া গেলেন; ক্রমে উভয়ে উভয়ের ভালোবাসায় আকৃষ্ট হইলেন কিন্তু এত সুখেও কবির মন তৃপ্ত হইল না, বালিকা তাহার অন্তরের সমস্ত ভালোবাসা দিয়াও কবির মন পাইল না। মনের ভিতরের অশান্তি যখন কিছুতেই মিটিল না তখন কবি দেশভ্রমণে বাহির হইলেন

নলিনি ! চলিস্ আমি ভ্রমিতে পৃথিবী

আর একবার বালা, কাশ্মীরের বনে বনে

যাই গো শুনিতে আমি পাখীর কবিতা

রুশিয়ার িযক্ষেবরে। আফ্রিকার মরুভূমে

আর একবার আমি করি গো ভ্রমণ |

এখানে থাক তুমি, ফিরিয়া আসিয়া পুনঃ

ওই মধুমুখখানি করিব চুম্বন

কিন্তু নলিনীর কথা সর্দাই মনে জাগে, শান্তি খুজিয়া খুজিয়া কোথা শান্তি পাইলেন না।

এদিকে বনে নলিনী মরণদশায় উপস্থিত বহুকাল পরে কবি নলিনীর কাছে যখন আসিলেন সে তখন চিরনিদ্রায় প্র। কাছে থাকিতে কবি বুঝেন নাই যে তিনি নলিনীকেই ভালোবাসিয়াছিলেন, দূরে গিয়া ঠ্াহার কাছে বালিকার প্রেম প্রকাশিত হয় নাই ভগ্রদর কাবো আছে মুরলা নামে মেয়েটিকে কবি ত্যাগ করিয়া চলিয়া যান, মেখানেও কবি জানেন নাই মুরলা তাহাকেই ভালোবাসিয়াছে। সেখানেও কবি যখন ফিবিলেন, মুরলা তখন মৃত্াশযায়। “মায়ার খেলা'র অমর শান্তির প্রেম উপেক্ষা করিয়া একদিন চলিয়া গিয়াছিল; কিন্তু রবীন্দ্রনাথের লেখনী তখন সংযত হইয়াছে তাই মৃত্যুশয্যার করুণ দুশ্ঠের অবতারণ] করিয়া কাব্যকে লথু করেন নাই।

নলিনীর মৃত্যুর পর কবির মনে এই প্রশ্নই উঠিপ যে সত্যই কি সব ফুরাইল। শোকাচ্ছন্ন কবি তখন জগতের দিকে চাহিয়া দেখিলেন কালম্সোতে সমস্তই ভামিয়া চলিয়াছে, কিছুই স্থির নাই ক্রমে কবির বার্ধকা আসিল। শ্বেত জটাসমাকীর্ণ গস্ঠীর মুখশ্র_ বুদ্ধ কবি হিমালয়ে আশ্রয় লইলেন। কবির মনে পড়িল এই হিমালয় যুগের পর যুগ মানবসভাতার দিকে চাহিয়! আছে) কত পাপ, কত রক্তপাত, কত অত্যাচার তাহার চোখে পড়িয়াছে, স্বাধীনতা হারাইয়া মানুষ কিন্ধপ হীনতায় নিমজ্জিত হয় তাহা দেখিয়াছে-_

দাসত্বের পদধূলি অহংকার কবে মাথায় বহন করে পরপ্রত্যাশীবা যে পদ মাথায় করে ঘ্বণার আগ্বাত সেই পদ ভক্কিভরে করে গে] চুম্বন! যে হস্ত ভ্রাতারে তার পরায় শৃঙ্খল, সেই হম্ত পরশিলে স্বর্গ পায় করে।

এটা ১৮৭৭ কবিকাহিনী শ৯

স্বাধীন, সে অধীনেরে দলিবার তরে,

অধীন, সে শ্বাধীনেরে পুজিবারে শুধু!

সবল, সে ছুবলেরে পীড়িতে কেবল,

দুর্বল, বলের পদে আত্ম বিসজিতে ।১ এইসব কথা ম্মরণ করিয়া কবির মন অত্যন্ত পীড়িত হইয়া উঠিল, কিন্তু তথাপি তিনি বিশ্বাস হারাইলেন না। মরণসন্ধ্যায় কবি ভবিষ্যতের দিকে তাকাইয়া শাস্তিলাত করিলেন-_

অশান্তি কবে, দেব, হবে দূরীভূত

অত্যাচার-গুরুভাবে হয়ে নিপীড়িত,

সমস্ত পৃথিবী, দেব, করিছে ক্রন্দন

সুখ শান্তি সেথা হতে লয়েছে বিদায়

কবে, দেব, বজনী হবে অবসান ?

ল্লান করি প্রভাতের শিশিরসলিলে

তরুণ ববির কবে হাপিবে পৃথিবী !

অযুত মানবগণ এককঠে, দেব,

এক গান গাইবেক স্বর্গ পূর্ণ করি'

নাইক দরিদ্র, ধনী, অধিপতি, প্রজা,

কেহ কারো কুটিবেতে করিলে গমন

মর্যাদার অপমান করিবে না মনে,

সকলেই সকলের করিতেছে সেবা,

কেহ কারো প্রভু নয়, নহে কারো দাস 1"

সেদিন আসিবে গিরি, এখনিই যেন

দ্বর ভবিষ্বুৎ সেই পেতেছি দেখিতে

যেই দিন এক প্রেষে হইয়া নিবন্ধ

মিলিবেক কোচি কোটি মানবহৃদয় পালক-কবির লেখায় বিশ্বপ্লেমের যে আদর্শ ফুটিয়াছে, তাহা! গভীর না হইতে পাবে, কিন্তু লক্ষ্য করিবার বিষয় এই যে তাহা! বিশ্বপ্রেমেরই আদর্শ কাব্যের পক্ষে অনাবশ্যক হইলেও এই চতুর্থ সর্গটিকে একটি আকম্মিক ঘটনা বলিয়া মনে হয় লা। 'বনফুলে'র ম্যায় 'কবিকাহিনী'র বিষমনিধাচনের মধো ববীন্্রনাথের জীবনের অন্তনিহিত মতা আপনাকে প্রকাশ করিয়াছে বালক রবীন্দ্রনাথ যখন “কবিকাহিনী” লিখিয়াছিলেন, তখন হয়তো নিজেই জানিতেন না যে এই লেখার মধো তাহার নিজের পরবর্তী জীবনের আদর্শ প্রতিফলিত হুইয়াছে।

রবীন্দ্রনাথ তাহার বালক বয়মের বিশ্বপ্রেম লইয়া প্রৌঢবয়সে ষে বাঙ্ক করিয়াছেন তাহা না করিলেও চলিত। তিনি

জীপনস্মতিতে লিখিয়াছেন, “ইছার মধো বিশ্বপ্রেমের ঘটা খুব আছে-_ তক্কণ কবির পক্ষে এটি বড় উপাদেয়, কারণ ইহা শুনিতে খুব বড় এবং বলিতে খুব সহজ নিজের মনের মধ্যে সত্য যখন জাগ্রত হয় নাই, পরের মুখের কথাই

কষিকাহিনী, রবীন্ত-রচনাহলী, অচলিত পএ *, পৃ ৪১, ৪৩, ৪৪।

৮* ববীন্দ্রজীবনী খষ্টা ১৮৭৮

যখন প্রধান সম্বল, তখন রচনার মধ্যে সরলতা সংযম রক্ষা করা সম্ভব নহে। তখন, যাহা স্বতই বৃহৎ তাহাকে বাহিরের দিক হইতে বৃহৎ করিয়! তুলিবার্‌ ছুশ্টেষ্টায়, তাহাকে বিরত হান্তকর করিয়া তোলা অনিবার্ধ।”

আমেদাবাদে

কবিকাহিনী রচনাকালে রবীন্দ্রনাথের বয়স এখন সতেবো! | সেই-যে হিমালয় হইতে ফিরিয়াছেন, তার পর দীর্ঘ পাচ বৎসর কাটিয়া গিয়াছে এই সময়ের মধ্যে কোনে বিদ্যালয়ের বন্ধনে, কোনো ধারাবাহিক বিদ্যাচর্চার নিয়ম-শৃঙ্ঘলে তীহাকে বীধ। যায় নাই এই স্কুল-পলায়ন ব্যাপারটা কৰি তাহার অজ রচনায় বহুভাবে বর্ণনা বাখ্যা করিয়াছেন, এবং বলিবার সময়ে বেশ একটু আনন্দ-গৌরব অন্থভব করিতেন ১৮৭৫ সালে বোধ হয় রবীন্দ্রনাথকে সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে ভর্তি করিয়া দেওয়া হইয়াছিল, কিন্তু সেখানে পাঠ কিরূপ অগ্রসর হইয়াছিল তাহা নিজেই জীবনস্থতিতে কবুল করিয়াছেন এমন-কি বাধষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইতে পারেন নাই বলিয়াও জানা গিয়াছে আসল কথা অভিভাবকগণ পড়াইবার জন্য পর্ধস্ত বনু প্রকার ব্যবস্থা করিয়াছিলেন__ বাঙালির স্কুল, সরকারী স্কুল, কিরিঙ্গি স্কুল, সাহেবি স্থল, একের পর একে পড়াইবার চেষ্টা হয়, কিন্ত সকল চেষ্টাই বার্থ হইয়াছিল? স্বেহশীল অভিভাবকগণ চঞ্চল হইয়া উঠিলেন। অভিজাত বংশের সবগুণসম্পন্ন হদর্শন বুদ্ধিমান বালক সমাজে সংসারে রুতিত্ব দেখাইতে পরাঘুখ, ইহা হইতে উদ্বেগের কারণ আর কি হইতে পারে। অভিভাবকরা] ভাবিলেন কিছুকাল কৰিকে প্রেসিডেন্সি কলেজের 6য061158] 50846171 হিসাবে পাঠাইলে কেমন হয়। কলেজের প্রথম দিন শেষ দিনের অভিজ্ঞতা সম্বষ্ধে কবি স্বয়ং কলিকাতা বিশ্ববিছ্ালয়ের সম্নাবর্তন উত্সবে (১৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৭ ) যাহা বলিয়াছিলেন, তাহা উদ্ধৃত করিতেছি : “কিশোর বয়সে অভিভাবকদের নির্দেশমতো একদিন সসংকোচে আমি প্রবেশ করেছিলুম বহিরঙ্গ ছাপে... | সেই একদিন আর দ্বিতীয় দিনে পৌছল না। আকারে প্রকারে সমস্ত ক্লাসের সঙ্গে আমার এমন কিছু ছন্দের ব্যত্যয় ছিল যাতে আমাকে দেখামাত্র পরিহাস উঠল উচ্ছৃসিত হয়ে। বুঝলুম, মগুলীর বাহির থেকে অদামক্রস্ক নিয়ে এসেছি পরের দিন থেকেই অনধিকার প্রবেশের ছুঃসাহসিকতা থেকে বিরত হয়েছিলুম।”* অবশেষে নতোন্দ্রনাথ প্রস্তাব করিলেন রবীন্দ্রনাথকে বিলাতে পাঠাইয়! ব্যারিষ্টার করিয়া আনা হউক তখনকার দিনে ধনীঘরের ছেলেদের লেখাপড়া ন। €ুইলে বিলাতে পাঠাইয়া ব্যারিস্টার করিয়া আনা হইত বিলাতে গিয়া কোনো! বকে লগ্ুন য্যাটি কুলেশন পরীক্ষা] পাস করিতে পারিলেই ব্যারিস্টারি পড়িবার যোগ্যতা অর্জন করা যাইত সহজ বৃদ্ধি স্বল্প বিদ্যা প্রচুর বিত্ত থাকিলে ব্যারিস্টারি পাস প্রায় সকলেই করিতে পারিত। এই বেওয়াজ বন্কাল

রবীক্রনাথের সেন্ট জেভিয়ান স্কুলে অধ্যয়ন সম্বন্ধে 'পনিবারের চিঠি' (জ্বঙ্বিন ১৩৪৮ পৃ »*৩) লিখিতেছেন, *-"১৮৭৪ হ্রীষ্টাবের খাতাপত্র কলেজ হুইতে খোয়া শিয়াছে, তবে ১৮৭৫ বানের খাতায় নূতন ততি হওয়ার সংবাদ না থাকাতে মনে হয় তিনি [ রবীল্রনাথ ] ১৮৭৪ বীষ্টাকেই ভতি হইয়াছিলেন। ১৮৭৫-৭৬ এই ছুই বৎসরের রেকর্ডে সোষেজ নাথ রবীল্নাথ ঠাকুর (ভ্রমক্রমে “নবীন্রনা্ধ লেখা আছে ) এই উতর আাতার নাম পাইতেছি। ছুইজন ১৮৭৫ শ্রীষ্ঠাবকে একই শ্রেনীতে অধ্যয়ন করিতেন। তখনকার নাষ ছিল ফিক ইয়ার বা প্রিপ্যারেটরি এন্ট নস ক্লাস রবীননাখ অত্ন্ত 'ইর্রেগুলার ছিলেন, প্রায়ণই কামাই করিতেন ১৮৭৬ ব্রীকটাজের খাতায় দেখা ঘার, রবীআনাখ প্রোমোশন পান নাই, সোমেজা নাথ পাইয়াছেন | সম্ভবত ইহার পরই তিনি ক্ষান্ত দিয়ান্ছেন।” আমাদের মনে হয় ১৮৭৪ ১৮৭৫ সালে তিনি সেপ্ট জেভিরাল' স্লে কোনো! প্রকারে চিকিয়! খাকেন।

£06551461967 ০০11686 10001) 85500501015 05806 057660815 টি 00৮60, 19611 সধাবর্তন উৎসব প্রেসিযেছি কজেজের প্রাঙ্গণে অনুতিত হয়। এই সংবাদের প্রতি জামার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্ীরাধার$ন ধর। চু'চুড়া ২* নতেম্বয় ১৮৬৭ |

গ্রষ্টাবক ১৮৭৮ আমেদাবাদে ৮১

চলিয়াছিল; তার পর গ্রাজুয়েট ছাড়া অন্ক কেহ ব্যারিস্টারদের ইন্‌ (117 )-এর সভ্য হইতে পারিবে না এই নিয় প্রবর্তিত হইলে সেই ব্যারিস্টারি পাসের ঢেউ কমিয়! যায়।

বিলাতে যাইবার পূর্বে সত্যেক্জনাথ রবীন্দ্রনাথকে কয়েক মাস নিজের কাছে আমেদাবাদে বাখা স্থির করিলেন ইংরেজি বলা-কহায় লেখাপড়ায় রবীন্দ্রনাথ খুবই কাচা ছিলেন__ সেইসব শুধরাইয়! লইবার জন্ত এই আয়োজন। সত্যেন্্রনাথ তখন আমেদাবাদের সেলন জজ, বোশ্বাই প্রদেশে প্রায় চৌদ্দ বৎসর চাকুরি হই্য়াছে__ পারসি মাবাঠা গুজবাটি সিন্বী বোরাহ -সমাজে স্থপরিচিত। সে-সময়ে সত্যেন্্রনাথের পত্বী আানদানন্দিনী দেবী সস্তানদের লইয়! বিলাতে ; সত্যেঙ্্রনাথের ফার্পো-ছুটি সরকারি নিয়মাহুসারে সেপ্টেম্বর মাসের পূর্বে পাওয়া যাইবে না; শীতের মুখে বিলাতে পৌঁছাইলে শিশুরা অনভ্যন্ত শীতে কষ্ট পাইতে পারে ভাবিয়া তিনি পত্রী শিশুদের গ্রীন্মের মুখেই বিলাতে পাঠাইয়] দিয়াছিলেন। জ্ানদানন্দিনী দেবী শিশুদের লইয়া বিলাত যান এবং লগ্ন হইতে পঞ্চাশ মাইল দূরে সাসেক্স জেলার ব্রাইটন নামে সমূদ্রতীরম্ব শহরে বাস৷ ভাড়া করিয়া বাম করিতে থাকেন রবীন্দ্রনাথ যখন আমেদাবাদে পৌছিলেন তখন জজমাহেবের বাদশাহী ঘুগের প্রাসাদোপম অট্টালিক1 শূন্য বাড়ির পাদযূল দিয়া সাবরমতী নদী প্রবাহিত ; এই প্রাসাদের স্বতি উত্তরকালে 'ক্ষধিত পাষাণ' গল্পে দেখ! দিয়াছিল।

দ্বিপ্রহরে সত্যেন্্রনাথ আদালতে, রবীন্দ্রনাথ বাসায় একা আপন মনে মেজদাদার বিরাট লাইব্রেরি হইতে ইচ্ছামত গ্রন্থ বাছিষ়া বাছিয়া পড়েন, প্রবন্ধ লেখেন, কবিতা রচনা করেন, গানে স্বর দেন। ইংরেজি বইয়ের যেখানে বুঝেন না, অভিপানের লাহাযো তাহার অর্থোদ্ধার করিতে চেষ্টা করেন; যাচ্ছ? পড়েন তাহার প্রত্যেকটি বাকোর অর্থ বুঝিতে হয়তো পারেন না, যেটা না বুঝিতেন-_ সেক নিজ কল্পনাবলে পূরণ করিয়া লইতেন__ সমগ্রের অর্থ বুঝিতে কোনো কষ্ট হইত না। সতোন্দনাথের লাইব্রেরিতে টেনিসনের কাবাসমৃছের উপর 1[0০:৪১-এব ছবি আকা বিরাট সংস্করণের বই ছিল, বালক 'কেবল তাহার ছবিগুলির মধ্যে বার বার করিয়া ঘুরিয়া ঘুরিয়' বেড়াইভেন।

এইভাবে তিনি সংন্কৃতের ছন্দোবদ্ধ কাবাণ পাঠ করিয়া যাইতেন ; হেবরলিন সম্পাদিত শ্ীরামপুরের ছাপা কাবাসংগ্রহং ছিল ভাহার সক্ষী। পসংস্কত বাকোর ধ্বনি এবং ছন্দের গতি আমাকে কতছিন মধ্যাহেৎ অমকু-শতকের মুদগগঘা'তগন্থীর গ্লোকগুলির অধ্োে খঘবাষ্টয়া ফিরিয়াছে 1” সংস্কত ছন্দ তাহাকে ছোটবেলা হইতেই আনন্দ দিত। জয়দেব-ুত গীতগোবিন্দের মধুব ছন্দোহিলোল ঠাহার বালক-হৃদয়কে কি ভাবে চঞ্চল করিয়াছিল, সে সম্বন্ধে জীবনস্মতিতে কবি বিশ্বৃতভাবেই লিখিয়াছেন। গীতগোবিন্দের যে-বইখানি ভাহার হাতে পড়ে, সেটিতে শ্্লোকগুলি ছিল টানা-ছাপা, ছেদাধি দেখিয়া পড্ক্তি ছন্দ ঠিক করা ছিল কঠিন ষেদিন ভাহারই একটা শ্রোক যথার্থ ভাবে হতি রাখিয়]! আবৃত্তি করিতে পাপ্সিখাছিলেন, সেদিনের আনন্দের কথা তাহার মনে ছিল। এই ছন্দের জন্ত আগাগোড়া শীতগোবিন্দখানি নকল করিয়া লইয়াছিপেন আরও একটু বড় হুট্য়া কুমারসন্ত্রব পাঠকালে কালিদাসের ছন্দ ঠাহাকে এমনই মুগ্ধ করে যে কাবোর প্রথম তিন সর্গ সম্পূর্ণ মুখস্থ করিম! ফেপিয়াছিলেন। মোট কথা, সংস্কৃতের শব্লালিতা কূপকল্পনা ছন্দমাধূর্ধয বালাবন্স হইতেই তাহাকে এই সাহিতোব প্রতি আকৃষ্ট করে। সংস্কৃতের জটিল শব্ার্থ ভালো করিয়া বুঝ তাহার পক্ষে একান্ত প্রয়োজনীয় ছিল না; শব রূপ ছন্দ তাহার কাছে বিচিত্র রসম্দ্বীর পক্ষে যথেষ্ট ছিল।

জীবনস্থতিতে পিখিয়াছেন যে, শাহীবাগের প্রালাদোপম অট্টালিকার “ছাদের উপর নিশাচর্য করিবার সময়ই আমার

১.:09৪0৯৮৫ [901৩ (১৮৩৩ ৮৪) ফরাসী জাস্ট 21515, 991580, 06175319165, (০৩, [67125501178 0301708176, 0826 111007 প্রস্ৃতির গ্রন্থ চিত্রিত করিয়া ইন বশী হন কাহাসংগ্রহ। অর্থাং কালিদাসাদি হাক বিগণ বিরলচিত ভ্রিপঞ্চাশং উত্তম সম্পূর্ণ কাব্যানি। ডাক্তার যোহ্‌ন হেবরলিন -কতৃক সমান্ধত মুক্রাক্ষিতানি প্ীরামপূরীয চক্রোগয় হতে ১৮৪৭

৯১

৮২ রবীন্ত্রজীবনী খ্ী্টাক ১৮৭৮

নিজের হুর দেওয়া সর্বপ্রথম গানগুলি রচন! করিয়াছিলাম।” জীবনস্বৃতির পাওুলিপিতে কবির সেই প্রথম গানের চারিটি চরণ উদ্ধৃত হইয়াছিল সমগ্র গানটি ভগ্হদয়ে আছে, পরে ববিচ্ছায়া প্রকাশের সময় বা পূর্বে গানটি বদলাইয়া দেন এবং সেই সামান্ত পরিবন্তিত রূপটি গীতবিতানে আছে আমরা রবীন্দ্রনাথের প্রথম গানটি ভগ্মহদয় হইতে উদ্ধৃত করিলাম-_

নীরব রজনী দেখ মগ্ন জোছনায়।

ধীরে ধীরে অতিধীরে-_ অতি ধীরে গাও গো!

ঘুমঘোরময় গান বিভাবরী গায়,

বজনীর ক$-সাথে সবক মিলাও গো !

নিশীথের সুনীবরব শিশিরের সম,

নিশীথের স্থনীরব সমীরের সম,

নিশীথের সবনীরব জোছনা সমান

অতি-_- অতি-- অতিধীরে কর সখি গান'

নিশার কুৃহক-বলে নীরবতা-সি্কুতলে

মগ্ন হয়ে ঘুযাইছে বিশ্ব চরাচর

প্রশান্ত সাগরে হেন তরঙ্গ না তুলে যেন

অধীর-উচ্ছ্বাসময় সংগীতের স্বর!

তটিনী কি শাস্ত আছে! ঘুমাইয়! পড়িয়াছে

বাতাসের মুৃহস্ত-পরশে এমনি,

ভুলে যদি ঘুমে ঘুমে তটের চরণ চুমে

সে চুস্বনধবনি শুনে চমকে আপনি!

তাই বলি অতি ধীরে- অতি ধীরে গাও গো,

রজনীর ক£-সাথে স্বক্ঠ মিলাএ গো 1১

আমেদাবাদ বোষ্বাই বাসকালে আরো কতকগুলি গান রচনা করেন, যেমন, শুন নলিনী, খোলো গো শাখি', “আধাব শাখা উজ্জল করি? ইত্যাদি “তোমারেই করিয়াছি জীবনের ফ্রবভারা? গানটির একটি খসড়া এই সময়ে লেখেন বলিয়া জানা গিয়াছে ।* পরে সেই গানটিকে সংস্কার করিয়া ভগ্রহ্গদয়ের উত্সর্গে যোজনা করেন এবং আরো কিছুকাল পরে অদল-বদল করিয়া ব্রঙ্গসংগীতে রূপান্তরিত করেন এখন সেট ত্রঙ্গলংগীত বপিয়াই সকলে জানে রবীন্দ্রনাথের আমেদাবাদ বাসকালে ভারতীর দ্বিতীয় বর্ধ (১২৮৫) শুরু হয় বৈশাখ মাস হইতে ; প্রথম বর্ষে নয় মালে

'বছবু' হয়, কারণ প্রথম সংখ্যা বাহির হইয়াছিল শ্রাবণ মাসে বঙ্সরেগ ববীন্দ্রনাথের লেখনীর বিরাম নাই) প্রথম বর্ষে আরন্ধ 'ককণা? উপন্তাল বৎসর ভাদ্র মাস পর্বন্ চপ্গিয়া বন্ধ হইয়া যায়। "আশ্বিন মাসে বিপাত যাত্রা! করায় বইটি সম্পূর্ণ হয় নাই বলিয়া আমাদের বিশ্বাস উপন্যাস-রচনা বিষয়ে কবির পরবর্তী জীবনের অভ্যাস দেখিয়া মনে হয়

কৰি লিখিতেছ্ছেন। “ইঙ্থার বাকি অংশ পরে তডছনে বাধিয়! পরিবঠিত করিরা তখনকার পানের বহিতে [ রবিদ্ছায়ার প্রথম গান ] ছাপাইয়া ছিলাম-_ কিন্তু সেই পরিবর্তনের মধ, সেই সাবরমতীনদীতীরের, সেই ক্ষিণ্ বালকের নিপ্রাহারা গ্রীন্ঘরঙ্গনীর কিছুই ছিল না। 'বলিও আমার গোলাপবালা' পনট। এমশি আর-এক রাত্রে লিখিয়া বেহাগ হরে বঙাইয়া গুন গুন ক'রয়! গাহিয়! বেড়াইতেছিলাম শন নলিনী খোলো গে জাখি,' 'ঝাধার শাখা উজল করি' প্রইতি আমার ছেলেবেলাকার অনেকগুলি গান এইপানেই [আমেদাবাদে ] লেখা ।”__জীবনপ্মতি | প্রস্থপরিচয় পৃ২৪।

মালতীপু পি, রবীন্রসদনে রক্ষিত | রবীন্ত্র জিজ্ঞাস! ১, পূ ৪৪, ১৫১।

এীছাষ ১৮৭৮ আমেদাবার্দে ৮৩

তিনি 'ককণা" মাসে মাসে পিখিয়! পত্রিকায় দিতেছিলেন সমগ্র বইখানি একসঙ্গে লেখেন নাই এই উপচ্তান ছাড়া বছ গণ্ঠ-পদ্ত রচনা যুগপৎ চলিতেছে ।১ এই সময়ে রচিত একটি কবিতার কিনদংশ আমর এখানে উদ্ধৃত করিলাম কবিতাটি আমেদাবাদে জুলাই ১৮৭৮ তারিখে লিখিত ।২

ছে কবিতা-_ হে কল্পনা

জাগাও__ জাগাও দেবি উঠাও আমারে দীনহীন-__

ঢাল হৃদয়মাঝে জলম্ত-অনলময় বল!

দিনে দিনে অবসাদে হইতেছি অবশ মলিন

নিজাব হদয়ের দাড়াবার নাই যেন বল।""'

দাও দেবি সে ক্ষমতা, ওগে| দেবি, শিখাও মে মায়া,

যাহাতে জলন্ত দ্ধ নিরানন্দ মকমাঝে থাকি

হৃদয় উপরে পড়ে শ্বরগের নন্দনের ছায়া,

হইতেছি অবসন্র__ বলহীন-- চেতনা রহিত-_

অজ্ঞাত পৃথিবীতলে-_ অকর্মণয অনাথ অজ্ঞান

উঠা উঠা মোরে, করহ নৃতন প্রাণদান।

পৃথিবীর কর্মক্ষেত্রে যুঝিব যুঝিব দিনবা ত-__

কালের প্রস্তরপটে লিখিব অক্ষয় নিজ নাম

অবশ নিদ্রায় পড়ি কবিব না শরীর পাত

মাছ জন্মেছি ঘবে করিব কর্মেবি অনুষ্ঠান

অগমা উন্নতিপথে পৃষ্থী তরে গঠিব সোপান ।*

বিলাত যাইবার জন্ রবীন্দ্রনাথ বিচিজ্ঞ বিষয় অধ্যয়নে রত; অনেকগুলি বচন] এই অধায়নের প্রতাক্ষ ফল। বিলাত

যাইডেছেন-_ সেখানকার শিষ্টাচার সম্বন্ধে কোনো ইংরেজি বই পড়িয়াছেন, তাহারই উপর লিখিলেন “ইংরেজদিগের আদর- কায়দা? শীর্ধক প্রবন্ধ ।* ইংরেজি সাহিতা ইতিহাস পড়িতে হইতেছে কবি প্রিখিয়াছেন,« “মেজদাদাকে বলিলাম আমি ্টংরেজি সাহিতোর ইতিহাস বাংলায় পিখিব, আমাকে বই আনিয়া দিন। তিনি আমার সম্মুখে টেন্‌ [7 8106) *

নবরত্তমালার থিকা স্বাঞ্ে বে, উহ্থার সংস্কৃত কয়েকটি প্লোকের অনুবাদ রবীজ্নাখ-কৃত। কিন্তু রবীক্রসদনের মালতীপু'খির ঘধো কয়েকটি পাতায় ত্ঝারামের অতঙ্গের অনুবাদ আষ্ে। নবরত্বমালায় ভাবার সন্িত সামান্ত পার্ক কোনো কোনে! স্বানে দেখা” যায়। জীসং [ সতে্তরনাধ ঠাকুর ] লিখিড তুকায়াম প্রবন্ধে (ভারতী, বৈশাখ ১২৮৫ ) যে কটি অতঙ্গের অনুবাদ জাছে, তাহার, মধ্যে কয়েকটির সহিত পুখিয় মিল আছে। দ্র" রাপান্য়। মালতীপু-খি, রবীঙ্গ-ভিজজাসা ১, পৃ৮ও।

আমার মনে হয় ইহাও ইংরেজ হইতে অনুবাদ জীপ্রবোধচজ্জ সেন হলেন 'এই অন্যান টিক-নয়।' রবীন্র-জিজ্ঞাস! ১, পৃ ১৫৪ | এই কবিতাটির তারিখ প্রদত্ত থাকা সন্তেও (দ্র. রবীন্র-জিজ্ঞাসা ১, পৃ ৮৩৮৪ : ফোটো আছে), সঙ্গনীকান্ত দাস হলিডেছেন (রবীন্রনাথ : জীবন সাহিভা, পৃ ১০৯) "প্রাতবাবু কতৃক তারিণে কিছু ভুল আছে” ভারিখটি প্রভাতবাধূর নয়, পালিপির তারিখ

উংরে্জদিগের আদব-কায়দা। ভারতী, ২য় ব্য, জো ১২৮৫, পৃ ৭৮-৮২।

«€ জীবনপ্বৃতির খসডা, বিশ্বারতী পত্রিকা, ২র বর্ষ, কাতিক-পৌয ১৩৫, প্‌ ১২১।

৬. 78176, 111020151৮ 40191)6 (1829-99 ) £16170৮, 00501661780 01810 7 6160160০016 চা) 2১05 06005 87) 1678. ইছার লিখিড ইংরেজি সাঞিতের ইতিহাস (১৮৯৪-৬৫ ) এক সমহে প্রসিদ্ধ ছিল। 72813818664 ৮5 [ব, 515 0500 আঃ 2০৩ 05 €06 50110 ৬০11, 1821 ৮০17, 187,

৮৪ ববীন্দ্রজীবনী টা ১৮৭৮

প্রভৃতি গ্রস্থকার-রচিত ইংরেজি ভাষা সাহিতোর ইতিহাস-সংক্রান্ত রাশি রাশি গ্রন্থ উপস্থিত করিলেন আষি তাহার ছুরূহতা বিচারমাত্র না করিয়া অভিধান খুলিয়! পড়িতে বসিয়া গেলাম | সেই সঙ্গে আমার লেখাও চলিতে লাগিল। এমনকি আ্যাংলো-স্কাব্সন১ আংলো-নর্মান সাহিত্া* সম্বন্ধীয় আমার সেই প্রবন্ধগুলাও ভারতীতে বাহির হইয়াছিল।” প্রথম প্রবন্ধের মধ্যে তিনি ইংরেজদের আদিকবি কিডমনের পদ্য-বাইবেল হইতে কয়েকটি অংশ বাংলায় অনুবাদ করিয়াছিলেন। তাহার সামান্য নমুনা উদ্ধৃত করিলাম__

গুহা-অদ্ধকার ছাড়া ছিল না কিছুই! মহা] অতলম্পর্শ আধার গভীর-_ আছিল দাড়ায়ে শুধু শূন্য নিক্ষল

উন্নত ঈশ্বর তবে দেখিল চাহিয়া

এই নিরানন্দ স্থান ! দেখিলা হেথায় অন্ধকার বিষণ্ণ শন্ত মেঘরাশি রহিয়াছে চিবস্থির নিশীথিনী লয়ে উত্িত হইল সৃষ্টি ঈশ্বর আজ্জায় | মহান্‌ ক্ষমতা! বলে অনন্ত ঈশ্বর

প্রথম স্বর্গ পৃর্থী করিলা স্থজন। নির্মলা আকাশ-__ আর বিস্তৃত ভূমি সর্বশক্তিমান গ্রভু করিলা স্বাপন ! পৃথিবী তরুণ তৃণে ছিল না হবিৎ-_ সমুদ্র চিরাম্ধকারে আছিল আবৃত-_ পথ ছিল স্থন্দর-_ বিস্তৃত অন্ধকার! আদেশিলা মহাদেব জ্যোতিরা আসিতে মহা! আধার স্থানে। মুছর্তে- অমনি ইচ্ছাপূর্ণ হোল ক্টার। পবিত্র আলোক এই মকুময় স্থানে পাইল প্রকাশ ।*

ইংরেজি সাহিত্য সাহিত্য-ইতিহাস ছাড়া ইংরেজির মারফত যুরোপীয় সেরা সাহিত্যিকদের অল্পস্বল্প রচনা তাহাদের জীবনের বৈশিষ্ট্য বৈচিত্র্য সম্বন্ধে তথ্য অবগত হইবার স্থযোগ ববীন্দ্রনাথ এই সময়ে লাভ করেন। দবান্তে পিত্রার্ক গ্যেটে তাহার চিত্তকে আকর্ষণ করে। বিষয়াত্রীচের প্রতি দাস্তেরঃ অমর প্রেমকাহিনী, লরার

স্টাক্ন জাতি জ্যাংলো-্ঠাঙ্জন সাহিতা, ভারতী, শ্রাবণ ১২৮৫, পৃ ১৭১-৮৪ |

নর্দান জাতি আংলে'-নর্ধান সাহিত্য, ভারতী, ফাল্গুন ১২৮৫, পৃ ৫৩১২ এ- ভারতী, দোষ ১২৮৬, পৃ ৪৯-৬। ব্ববীন্-জিজঞাস1 ১, পৃ ১২২-২ও।

বিদ্বাত্রীচে, দানে ঠাহার কাবা, ভারতী, ভাজ, ১২৮৫, পূ ২*১-১২। দাষে (109766 481187160 ১২৬২-১৩২১) ইতালিয়ান ভাষার আছি কবি। তিটাঁনুতা বা! নূতন জীবন, ভিভাইন! কমেডিয়! তাহার বিখ্যাত কাব্য পুলমূ'রণ। বিশ্বভারতী পত্রিক, ঘাখ-চৈত্র ১৩৭২।

এটাক ১৮৭৮ আমেদাবাদে ৮৫

প্রতি পিত্রার্কের* স্বার্থশূন্ত অন্থরাগ, বালক-ঝবিকে যেমন মুগ্ধ করিয়াছিল, তেমনি আশ্চর্য করিয়াছিল গ্যেটেরং চরিত্র। দাস্তে পিত্রার্ক তাহাদের আরাধা প্রেমাম্পর্দকে দূর হইতে দেখিয়াছেন, কাব্যের মধ্যে প্রেমাঞ্লি নিবেদন করিয়াছেন, তাসো৷ লিওনারার প্রেমে আত্মহারা হইয়া জীবনের শেষ দিন পর্যস্ত কেবল যাতনা উৎপীড়নের ভাগী হইয়া পৃথিবী হইতে বিদায় লইয়াছিলেন। মধাযুগীয় যুরোপের এইসব কবিকাহিনী তরুণ বাঙালি কবির মনে কী রস সঞ্চার করিত তাহার রহস্য ভেদ কর1 অসস্ভব। গোটের জীবনকাহিনীও তাহার কাছে আশ্চর্য ঠেকিল। জর্মান মহাকবি তাহার বালাকাল হইতে মৃত্যুকাল পর্বস্ত একজনের পর আর একজন নারীকে ভালোবাসিয়াছিলেন, বহু নারীও তাহাকে ভালোবামিয়াছিল। বাল্যকালে গোটে ফুলের পাপড়ি পাখির পাখন! ছি'ড়িয়া দেখিতেন যে উহ্বারা কি ভাবে গ্রথিত, তেমনি আজীবন তিনি রমণীদের হৃদয় লইয়া বিশ্লেষণ স্বয়ং কিয়দপরিমাণে হৃদয়াবেগ অস্থভব করিতেন; কিন্তু সে প্রেম ছিল তাহার ইচ্ছাধীন, প্রয়োজন অতীত হইলেই সে প্রেম দূর করিতে তাহার বড়- একট] কষ্ট হইত না। গোটের রচন! হইতে এই অংশটি রবীন্দ্রনাথ অনুবাদ করিয়া দেন। এইসব কবিদের প্রভাব রবীন্দ্রনাথের জীবনে গভীর না হইলেও এই বাপ্যবয়সে তাহাদের সাহিত্য আলোচনা কাব্যজীবনে একেবারে বার্থ হয় নাই, কারণ প্রত্যেকের কবিতা হইতে কিছু কিছু তর্জমা করিয়াছিলেন দ্বাস্তের একটি সনেটের অন্বাদ নিজ্জে উদ্ধৃত কবিলাম-__ প্রেম-বন্দী-হৃদি ধারা, কোমল মন, দেখে মনে হল যেন প্রফুল্ল আনন ) ধারা পড়িবেন এই সংগীত আমার, মোর হৃদপিণ্ড বহে করতলে তাব; তারা মোর অনুনয় ককুন শ্রবণ, বাহ "পরে শাস্তভাবে করিয়া শয়ন বৃঝায়ে দিউন মোরে অর্থ কি ইহার? ঘুমাইয়া রয়েছেন মহিলা আমার-__ যে কালে উজ্জ্রপ-তার! উজলে আকাশ, অবশেষে জাগি উঠি, প্রেমের আদেশে নিশার চতুর্থ ভাগ হয়ে গেছে শেষ, সভয়ে জলম্ত-হর্দি করিলা আহার! প্রেম মোর নেজে আসি হলেন প্রকাশ, তার পরে চলি গেল! প্রেম অন্য দেশে স্মবরিলে এখনো কাপে হদয়-প্রদেশ ! কাদিতে কাদিতে অতি বিষঞ্ধ আকার 1 দান্তের “ভিটামুভা" 'ডিভাইনা কমেডিয়া হইতেও কিছু কিছু অন্রবাদ এই প্রবন্ধের মধ্যে আছে। বাহুল্যভয়ে অধিক দষ্টান্ত উদ্ধৃত করিলাম না। পিত্রার্কার কবিতার অনুবাদের একটি নমুনা! আমরা উদ্ধার করিলাম-__ হা রে হতভাগ্য বিহঙ্ষম সঙ্গীহীন। নুখ-খতু অবসানে গাহিছিস গীত ফুরাইছে গ্রীক্ম খতু ফুরাইছে দিন আমিছে রজনী ঘোর আমিতেছে ঈত' ওরে বিহঙ্গম, তৃই ছু:খ-গান গাস্‌ যদি জানিতিস কি যে দছিছে প্রাণ

পিত্রার্ক লরা, ভারতী, আহ্বিন ১৩৮৫, পৃ ২৭২৭৯। পিস্রার্ক (2৫08:8, চাও0০65৫9 ১৩*৪-৭৪) ইতালীয় কবি। ১৩৪* রোম মহীনগরীতে ইহাকে জনসাধারণের পক্ষ হইতে সম্মান প্রদর্শন কর] হয়। ইমি সনেট ঝা চতুর্দশপদী কবিডার প্রব্ক।

গোটে ষ্ঠাহার প্রণরলিনীগণ, ভারতী, কাতিক ১২৮৫, পৃ ২৮৯-৯৮। গেটে (0০৫০৮১৫, 0০787 ৬/০168518 ৬০7 ১৭৪৯-১৮৩১) জর্ান কবি লেখক, ফাউন্ট নামে নাটকের জন্ত অময়ত| লাঙ করিয়াছেন

ভ্ঞারভী, ভাঙ্র ১২৮৫, পূ ২*৪।

৮৬ যবীন্্রজীবর্ী খষ্টা ১৮৭৮

তা হলে বক্ষে আসি কবিতিস্‌ বাস, এব সাথে মিশাতিস্‌ বিষাদের গান ! কিন্তু হাঁ_ জানি না তোর কিসের বিষাদ, ভ্রমিম রে যার লাগি গাহিয়! গাহিয়া, হয়তো! সে বেচে আছে বিহঙ্গিনী প্রিয়া, কিন্তু মৃত্যু কপালে সাধিয়াছে বাদ! স্থথ দুঃখ চিন্তা আশ যা কিছু অতীত; তাই নিয়ে আমি শুধু গাহিতেছি গীত!, আমেদাবাদে বাসকালে ইংরেজি হইতে অনুবাদ করা ছাড়া সত্যেন্্রনাথের সহায়তায় মারাঠি হইতে তৃকারামের “অভঙ্গ'২ কয়টি অনুবাদ করিতে দেখিতেছি। তুকারামের পত্বী স্বামীর দানধ্যানাদি কর্ম সহা করিতে পারিতেন না, দারিদ্র্যই তাহার প্রধান কারণ। তৃকারামের অভঙ্গে স্ত্রীর তিরস্কারের ভাষার উত্তরে নিজের কথা বলা হইয়াছে। “দ্ূপাস্তর”* গ্রন্থের সছিত মালতীপু থির অনুবাদের একটি তুলনামূলক তালিকা নিম়্ে দিলাম-__

'বূপান্তর' গ্রন্থের তালিকা মালভীপুখির ক্রম। পৃ ২২-২৮। শুন, দেব, মনের বাসনা নিচয় রঃ নামদ্দেব পাও্রঙ্গে লয়ে সঙ্গে করে *** ৮০, যদি মোরে স্থান দাও তব পাছায় ১" আমারই বেলায় উনি যোগী রী রং বোধ হয় পাষণ্ড, পূর্বজন্সে ছিল মোর অনি .- টি ১৩ ঘরে ছুটো অক্প এলে ছেলেদের দেবো কোথা খেতে :" টা ১৪ থাবার কোথায় পাবি বাছা 7 গেছে সে আপদ গেছে *** ৮" ১৩ ঘরেআরআপসেনাসে * * ৭" ১১ ১৭ হেথা কেন আসে লোকগুলা ১১ দেও গো বিদায় এবে যাই নিজধামে "** 1 ১২ বাহিরে ঘরে মোর আছ যারা যাবা র্‌ ১৩ ধরায় পাণ্ডবী আছে লোকেদের তরে & রি ১৪ বন্ধুগণ, শুন, বামনাম করো! সবে রঃ রর রঃ ১৫ তুকার পরীক্ষা শেষ হয় রর রর রী

ভারতী, আন্বিন ১২৮৫, প্‌ ২৭৭। মালতীপু'ণি। রবীআ-জিজ্াসা ১, পৃ ১৮১৯1 মীলতীরপুুখিতে পিত্ার্কার ৭টি কবিতার অনুবাদ আন্ে।

সেগুলি ভারতীতে (আশ্বিন ১২৮৫) প্রকাশিত হয়। তুকারাম ( ১৬*৮-৫৯) মহারাষত্রীয় সাধক পুপার নিকটস্থ দেগুগ্রামের বণিকপুত্র, অন্যমতে শৃত্রবংশজাত | জ. যোগেত্রনাধ বহু, তুকারাম চরিত

রাপান্তর, ১৩৭২

গ্াষ্টা্ ১৮৭৮ বোস্বাই ৮৭

তৃকারামের অভঙ্গের অনুবাদ দুইটি নিয়ে উদ্ধূত করিলাম__ শুন, দেব, মনের বাসনা নিচয়__ জীবনও প্পিতে আমি নাহি করি ভয়। সকলই করেছি ত্যাগ, তোমাবেই চাই-_ সংশয় আশঙ্কা ভয় আর কিছু নাই। হে অনম্তদেব, মোর আছিল সন্বন্ধভোর তব সাথে বহুপূর্ে যাহা, মিলি যত সাধুগণ আমাদের সে বাধন দ্ুটাতর করিলেন আহা! আর কিছু নাই, শুধু ভক্তি জীবন যা আছে তোমারই পর্দে করেছি অর্পণ সাুগণ ঈপিয়াছে আমারে তোমারই কাছে, আমি কু ছাড়িব না তব চবরণ। তুমিই করো গে! মোর লঙ্জা নিবারণ

“আমারই বেলায় উনি যোগী! নিজের তো বাকি নাই হুখ__

সব সখ ঘবে আসে, শুধু আমারই তো ঘুচিল না ছুখ।

ঘরে মোর অন্ন নেই বলে বলো দেখি যাই কার দ্বার?

এই পোড়া সংসারের তরে আপদ সহিব কত আর?

অন্ন অঙ্গ করে রাত দিন ছেলেন্ডলো৷ খেলে যে আমায় '

মরণ তাদের হয়যধদি সকল বালাই ঘুচে ষায়।

সকলই ঝেটিয়ে নিয়েযান, ভিলমাত্র ঘরে থাক ভার।,

তুকা বলে, “দূর, পোড়ামুখী, আপনি মাথায় নিলি ভার।

এখন তাহার তরে মিছে কার্দিলে কী হবে বল্‌আর।' (বৃপান্তর। পৃ; ১১৫)।

বোম্বাই

কয়েক মাল আমেদাবাদে রাখিয়া সতোন্দ্রনাথ রবীন্দ্রনাথকে বোস্বাইয়ে তাহার এক বন্ধুর নিকট পাঠাইয়া দিলেন। বিলাত যাইবার পৃবে রবীন্দ্রনাথকে ইংরেজি চালচলনে কথাবার্তায় পাকা কর! দরকার। বোম্বাইয়ের পাও্রঙ্গ* পরিবার ইংরেছি শিক্ষায় ইংরেজিয়ানার জন্য তখন প্রসিদ্ধ সত্যেন্ত্রনাথের বন্ধু দাঘোবা পাতুরঙ্গের বিলাত-ফের্তা কন্য। আন্না তরখড় (4১005 )-এর ছিল ইংবেজিতে অসাধারণ দখল; বয়সে তিনি রবীন্দ্রনাথ হইতে কিছু বড় রাপাডে, পা€ুরও, তোলানাধ সরাতাই [ডক্টর বিক্রম সরাভাই-এর প্রপিতাযহ ] গোষিশ্ব কাপে, তাগারকার প্রস্ঠৃতি প্রার্থনাসমাজীয় ত্রা্গগণ

১৮*২ শক, চৈত্র মাসে (মাচ ১৮৮১) দেবেস্রনাথ ঠাকুরকে এক পত্রে লেখেন হে ভিন সমাজ একত্র হইয়া ০1660 [13615036 0950) ০$ 10919 গড়িয়। তোলা জন্ত প্রবৃণ্ত হন। তন্ববোখিনী প্জিক।, চৈ ১৮*২ শক, পৃ ২৩৭-৩৮ |

৮৮ রবীন্্জীবনী খ্ী্টাব ১৮৭৮

হইবেন। এই অনাধারণ স্বন্দরী যুবতীর নিকট তিনি ইংরেজি বলা-কওয়ার পাঠ লইতেন। রবীন্দ্রনাথ ইহার শিক্ষকতায় কতখানি ইংরেজি শিখিয়াছিলেন, তাহা আমরা জানি না, তবে তাহার “কবিকাহিনী" কাবাখানি তর্জম। করিয়া! করিয়! নৃতন বান্ধবীকে শুনাইয়া মুগ্ধ করিতেন। ভারতীব্ব যে-খণ্ডগুলিতে “কবিকাহিনী” প্রকাশিত হইয়াছিল আন্নাকে সেগুলি উপহার দিয়া যান। গ্রন্থাকারে উহা! প্রকাশিত হইলে বোধ হয় জ্যোতিবিন্রনাথ কলিকাতা হইতে আন্লাকে একখণ্ড “কবিকাহিনী" পাঠাইয়া! দেন; তছুত্তরে আন্না তাহাকে লিখিয়াছিলেন যে রবীন্দ্রনাথ ভারতী হইতে উহ] পড়িয়া তর্জমা করিয়া] তাহাকে শোনাইতেন ; শুনিতে শুনিতে কাবাখানি তাহার কস্থ হইয়া যায়-_ 128 ৪250 08175186000 296 01111] 000৬ 00০ 0০610 05 1)০810১

এই তরুণী রবীন্দ্রনাথের চিত্বকে বহুদিন অধিকার করিয়াছিলেন ইহার সম্বন্ধেকবি তাহার 'ছেপেবেলা'য় লিখিয়াছেন “আমার বিদ্ভে সামান্যই, আমাকে হেলা করলে দোষ দেওয়া যেতে পারত না। তা করেন নি। পুঁথিগত বিদ্ধ ফলাবার মতো পুঁজি ছিল না, তাই সুবিধে পেলেই জানিয়ে দিতুম যে কবিতা লেখবার হাত আমার আছে। আদর আদায় করবার ছিল আমার সবচেয়ে বড় মূলধন ধার কাছে নিজের এই কবিআনার জানান দিয়েছিলেম তিনি সেটাকে মেপেজুখে নেন নি, মেনে নিয়েছিলেন ।”

কৰির কাছ থেকে তিনি একটি ডাক-নাম চাইলেন, কবি নাম দেন “নলিনী'; শুধু তাই নয় নামটাকে কাবোর গাথুনিতে বাধিয়া দিলেন, তৈরখী স্থবে স্থর দিয়া তাহাকে শুনাইলেন। কৰির গান প্রায়ই শুনিতেন; একদিন তরুণী বলিয়াছিলেন, “তোমার গান শুনলে আমি বোধ হয় আমার মরণদিনের থেকেও প্রাণ পেয়ে জেগে উঠতে পাবি ।”

এই তক্ুণী কবিকে যে ভালোবাসিয়াছিলেন সে বিষয়ে সন্দেছের কারণ নাই “ভীর্ঘস্করে'* এই তঞ্চণার প্রেমলীলার যে সামান্য চিত্র ব্ক্ত হইয়াছে তাহাই যথেষ্ট কৰি দিলীপকুমারকে বলিয়াছিলেন, “মে মেয়েটিকে আমি ভুলিনি বা তার সে-আকর্ণকে কোনো লঘু লেবেল মেরে খাটো করে দেখি নি কোনোরিন। আমার জীবনে তার পরে নানান অভিজ্ঞতার আলোছায়া খেলে গেছে-_ বিধাতা ঘটিয়েছেন কত ষে অঘটন-_ কিন্তু আমি একটা কথা বলতে পারি গৌরব ক'রে যে, কোনো মেয়ের ভালোবাসাকে আমি কখনো ভুলেও অবজ্ঞার চোখে দেখি নি__ তা মে-ভালোবাসা যে-রকমই হোক-না কেন।” এই তরুণী সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ ছেলেবেলায় যে-কথাটি প্রচ্ছন্থভাবে বলিয়াছেন তাহা অতি স্পষ্ট “জীবনযাত্রার মাঝে মাঝে জগতের অচেনা মহল থেকে আসে আপন-মাহুষের দৃতী, হৃদয়ের দখলের সীমাণা বড়ো করে দিয়ে যার না ভাকতেই আসে, শেষ কালে একদিন ডেকে আর পাওয়া যায় না।"

আমাদের সন্দেহ হয় শৈশব-সংগীতের কয়েকটি কৰিতা গানের মধ্যে এই তরুণার মর্ধবেদনা কবির ভাষায় রূপ পাইয়াছে। “ফুলের ধ্যান" “অপ্পরা-প্রেম' কবিতা দুইটি এই বেদনাভারে নত। রবীন্দ্রনাথের শুন নলিলী, খোল গে! আখি" গানটি ইহারই উদ্দেশে রচিত, তাহা কবি তো স্বয়ং ইঙ্গিত করিয়া গিয়াছেন। আর-একটি গান এই তকুণীম্মরণে রচিত বলিয়া অমাদের মনে হয়: “আমি স্বপনে রয়েছি ভোর, নঙী, আমারে জাগায়ো না'। আল্লার দন্তান] চুরি সগ্বন্ধে ঘে কৌতুক-কাহিনী শ্রদিলীপকুমার রায়ের “ভীর্ঘস্করে' বধিত আছে, ইহা তাহারই স্মরণে রচিত বলিয়া অনুমান করা যাইতে পারে। আহ্বার ধারণা ছিল ষে, ঘুমাইয়া পড়িলে যদি কেহ কোনো! মেয়ের দস্তানা চুরি করে, তবে

আগা তুরখড়ের পত্র : শনিবারের চিঠি, পৌষ ১৩৪৬, পৃ 88৫ | ব্রজেলনাপ বন্দ্যোপাধ্যায় : রবীন্-প্রন্বপরিচয়। জর সঙ্জনীকান্ধ দাস: রবীকরনাধ . জীবন সাহিত্য পৃ ২৪৬। দিলীপকৃমার রায়, তীর্ঘস্কর | ১৩৬৪, পূ ২০৫।

ধষ্টা ১৮৭৮ বোত্বাই ৮৯

অপহ্থারকের অধিকার জল্সায় মেয়েটিকে চুমে! খাওয়ার যাহাই হউক নলিনী নাম দিয়! আরও কয়েকটি কবিতা আছে-_ তবে সেগুলি অন্থবাদ ।১

দামিনীর আখি কিবা ধরে জল জল বিভা

কার তরে জলিতেছে কেবা তাহ! জানিবে। -

চারি দিকে তীক্ষধার-_ বাণ ছুটিতেছে তার

কার পরে লক্ষ্য তার কেব! অন্ষানিবে।

তার চেয়ে নলিনীর আখি-পানে চাহিতে

কত ভালে! লাগে তাহা! কে পারিবে কহিতে

সদ1 তার আখি ছুটি, নিচু পানে আছে ফুটি

সে আখি দেখে নি কেহ উচু পানে তুলিতে

যদি বা সে ভুগে কভু চায় কারো আননে-__

সহসা লাগিয়া জ্যোতি-_ সে জন বিস্য়ে অতি

চষ্বকিয়া উঠে যেন স্থরগের কিরণে !

আমার নলিনী লো৷-_- লাজমাখ! নলিনী-_-

অনেকের আখি 'পরে সৌন্দর্য বিরাজ করে

তোর আখি 'পরে প্রেম_ নলিনী লো নলিনী।

দামিনীর দেহে রয়-_ বসনকনকষয়

সে বসন অক্ষরী হজিয়াছে যতনে

যে গঠন যেই স্থান, প্রকৃতি করেছে দান সে-সকল ফেলিয়াছে ঢাকিয়া সে বসনে। নলিনী বসন পানে দেখ দেখি চাহিয়া

তার চেয়ে কত ভালো! কে পাবিবে কহিয়া শিথিল বসন তার-_- ওই দেখ চারিধার স্বাধীন বায়ুর মতে! উড়িতেছে বিমানে-__ যেথা যে গঠন আছে, পূর্ণভাবে বিকাশিছে যেখানে যা উচু নিচু প্রক্কতির বিধানে!

ভারতী, আধাড় ১২৮৮, সম্পাদকের বৈঠক, পু ১৪৬-৪৮1 ইহা! 1০01€-এর কধিতার জনুবাদ বল! হইয়াছে। ১1০০:৫-এর 0৫6৪ 4080100704৩ 8৬ 1[-এর সঙ্গে তুলনা করিয়া দেখিতে দোষ কি! মালতীপুখি। রবীন্রু জিঞ্জাস! ১, পূ ৮১-৮৬তে আরও ১২ পও.ক্ি আছে। শেষ চার পঞ্ক্তি_ আমার নলিনী লো বিনকিনী নলিনী-- রসিকতা তীব্র অতি-_ মাছি তার এত জ্যোতি ডোষার় নয়দে ঘত-- নলিনী লে! বলিনী। ২২

রবীন্দ্রজীবনী খ্রীষ্টান ১৮৭৮

আমার নলিনী গো, স্থকোমলা নলিনী।

মধুর রূপের ভাস-_ তাই প্রকৃতির বাস

সেই বাস তোর দেহে, নপলিনী লো৷ নলিনী।

এই পরিচ্ছেদ শেষ করিবার পূর্বে রবীন্দ্রাহিত্য-পাঠকদের প্রতি রবীন্দ্রনাথ-কৃত অন্ুবাদ-সাহিত্যের প্রতি দৃষ্টি

আকর্ষণ করিতেছি তেরো-চৌদ্দ বংসর হইতে তিনি অনুবাদকার্ধ শুরু করেন; ইংরেজি হিন্দী মারাঠি সংস্কৃত পালি হইতে তিনি কত টুকরা কবিতা যে তর্জম! করিয়াছেন, তাহার সঠিক সংবাদ দেওয়া কঠিন। মূলের সহিত মিলাইয়া অন্ুবাদগুলি বিচার কব্বিবার একটি বড় রকম ক্ষেত্র রহিয়াছে হিন্দী হইতে গৃহীত গানগুলিই এই আলোচনার মধ আসিতে পারে। বিশ্বভারতী প্রকাশিত রূপান্তর” গ্রন্থ এই অভাব আংশিক পূর্ণ করিয়াছে এক্ষণে ইংরেজি হইতে অনুবাদ গুলির মূলের জন্য অপেক্ষা করিতেছি

বিলাতে। 'মুরোপপ্রবাসীর পত্র”

রবীন্দ্রনাথের বয়দ এখন সতেরো বখসর পাচ মাস, আমেদাবাদে মাস চার বোম্বাইয়ে মাস ছুই কাটাইয়া তিনি বিলাত চলিলেন, সঙ্গে মেজদাদা সত্যেন্দ্রনাথ সত্যেন্দ্রনাথ ফার্লো১ লইয়া ইংলগ্ডে যাইতেছেন, তাহার স্ত্রীপুত্রকন্ত। ইতিপূর্বে বিলাতে গিয়াছিলেন

বোশ্বাই হইতে 'পুণা” গ্ীমারে তাহাবা যাত্রা করিলেন।২ ছয়দিন পরে জাহাজ এডেন বন্দরে পৌঁছাইল; ইতিমধ্যে রবীন্দ্রনাথ সনুদ্রপীড়াদি উপসর্গ হইতে মুক্তিলাভ করিয়া পথের প্রবাসের বর্ণনা দিয়া পত্রধারা লিখিতে শুরু করিলেন। তাহার এই প্রবাসকাহিনীর স্বিস্তৃত বিবরণ 'ফুরোপযাত্রী কোনো! বঙ্গীয় যুবকের পত্র'* নামে ভারতী পত্রিকায় ধারাবাহিক প্রকাশিত হয়। বিলাত হইতে ফিরিবার কয়েক মাস পরে (১২৮৮) এই পত্রগুলি 'যুবোপপ্রবাসীর পত্র' এই সংক্ষিণ্ধ নামে গ্রন্থাকারে মুদ্রিত হয়। এই সময়ের অনেক কথা তিনি জীবনম্থতিতে বলিয়াছেন, যাহা পত্রধারার মধ্যে পাই না। ছাড়া এখানে সেখানে পুরাতন কথার মধোও ইংলগুবাসের চিত্র পাওয়া যায় এইসব রচনা হইতেছে এ-যুগের কবিজীবনীর প্রধানতম উপাদান

মুদ্র্যাত্রার অভিজ্ঞতা এই তাহার প্রথম, এই নৃতনের অভিজ্ঞতা কবিচিত্তে যে-প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে তাহা তাহার প্রথম পত্রেই প্রকাশ পায়। তিনি লিখিতেছেন, “কল্পনায় লমুগ্রকে যা মনে করতেম সমুদ্রে এসে দেখি তার সঙ্গে অনেক বিষয় মেলে না। তীর থেকে সমুদ্রকে মহান্‌ বলে মনে হয়, কিন্তু সমুদ্রের মধো এলে আর ততটাহয় না। তার কারণ আছে; আমি যখন বন্ধের উপকূলে দাড়িয়ে সমুদ্র দেখতেম তখন দেখতে দুরদিগন্তে গিয়ে নীল জল নীল আকাশে মিশিয়ে গিয়েছে, কল্পনায় মনে করতেম যে, একবার যদি ওই দিগন্তের আবরণ ভেদ করতে পারি-_ দিগন্তের যবনিক। ওঠাতে পারি, অমনি আমার স্থমুখে এক অকুল অনস্ত সমুদ্র একেবারে উথলে উঠবে। ওই দিগন্তের পর যে কী আছে তা আমার কল্পনাতেই থাকত, তখন মনে হত না যে ওই দিগন্তের পরে আর-এক দিগন্ত আসবে কিন্ত যখন সমুদ্রের

১.:5১950870156 ৪0201006170 00986 81056851978 754৫০, 4১1১00৫0808. 59005101819 168৮৫ 1100) 141) 09 1901 ১6006700561 18278, ০71০8 0920 206 56196629561 1878 0০ 100 ১1৪ 1880,

যাত্রার তারিখ ২* সেপ্টেম্বর ১৮৭৮ €(আহ্িন ১২৮৫ )।

রুরোপযাত্রী কোনো বঙ্গীয় যুবকের পত্র, ভারতী, বৈশাখ ১২৮৬ হইতে শ্রাবণ ১২৮৭ সংখ্য! পর্ন (মাঝে ছুই মাস বাদ) বাহির হয়। শেষ পত্রের পর 'ত্রমশঃ ছিল কিন্তু প্রকাশিত হয় নাই মোট চৌদ্দ দক্কায় বাহির হয়।

পষ্টাষ ১৮৭৯ বিলাতে। সুরোপপ্রবাসীর পত্র ৯১

মধ্য এনে পড়ি, তখন যনে হয় যে, জাহাজ যেন চলছে না, কেবল একটি দিগন্তের গপ্তীর মধ্যে বাধা আছে আমাদের কল্পনার পক্ষে সে দিগন্তের সীমা এত সংকীর্ণ ষে কেমন তৃপ্থি হয় না।”

“এডেন থেকে হয়েজে যেতে দিন পাঁচেক লেগেছিল ।” রবীন্দ্রনাথরা' ০561131)0 বা ডাঙীপেরোনো যাত্রী; তাই লোছিত সাগরের বন্দর সুয়েজে নামিয়! রেলপথে মিশরের মধ্য দিয়া গিয়া ভূমধ্যপাগবের বন্দর আযলেকজান্দ্িয়ায় পৌছান। এই পথ সম্বন্ধে লিখিয়াছেন, “সমস্ত রাত্রিই গাড়ি চলেছে, দিনের বেলা যখন জেগে উঠলেম তখন দেখলেম ধুলোয় আমাদের কেবল গোর হয় নি, আর সব হয়েছে ।*.. এই রকম ধুলোমাখা সন্ধ্যাসীর বেশে আমরা আলেকজান্দ্িয়াতে গিয়ে পৌছলেম 1... আযালেকজান্দরিয়ার বন্দর খুব প্রকাণ্ড। বিস্তর জাহাজ এখানে আশ্রয় পায়। মুরোপীয়, মুসলমান সকল প্রকার জাতিরই জাহাজ বন্দবে আছে, কেবল হিন্দুদের জাহাজ নেই ।”

'মঙ্ষোপিয়া” ্বীমারে করিয়া চার-পাচ দিন পরে ইহারা ইতালির বন্দর ব্রিন্দিসি পৌছাইলেন 7 তখনকার দিনে বিলাত যাইবার এই ছিল ভাঙা-পেরোনে! পথ শবল্পক্ষণের পরিচয় এই বন্দরের সঙ্গে ; তবুও সেখানকার একটি বাগানের শোভা তাহার মনকে বিশেষভাবেই স্পর্শ করিয়াছিল; এই ঘটনার আটচল্লিশ বৎসর পরে ১৯২৬ সালে যখন তিনি মুসোলিনির আমন্ত্রণে বাজসমাবরোহে ইতাপিতে প্রবেশ করেন, তখন ইতালির দ্বারে যুরোপের সহিত তাহার এই প্রথম পরিচয়ের কথা উল্লেখ করিয়া ইতালিকে অভিনন্দিত কবেন।

বিন্দিসি হইতে বেলপথ ইতাপিব মধ্য দিয়া! গিয়া আল্পস পর্বতমালার অন্যতঙ্ন সুড়ঙ্গ মাউণ্ট-সেনিস তেদ কবিয়া ফ্রান্সে প্রবেশ করিয়াছে “ইটালী থেকে ফ্রান্স পর্যন্ত সমন্থ বাস্তাঁ_ নির্ঝর নদী পর্বত গ্রাম হদ দেখতে দেখতে পথের কষ্ট ভুলে” গেলেন। তার পরদিন সকালবেলায় পারিসে গিয়া পৌছিপেন। তখন সেখানে ১৮৭৮ সালের বিখ্যাত আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী চলিতেছে একবার সেখানটা ঘুরিয়া আসিলেন বটে কিন্তু লিখিতেছেন, “এক মাস থাকলে তবে তা বর্ণনা করবার ছুরাশা করতেম।” তবে প্যারিসের 'টাক্কিস বাথে'র বিস্তৃত বর্ন! করিয়াছেন। প্যারিসে একদিনের বেশি থাকা হয় নাই এবং লগুনে পৌছাইয়াও ছুই-এক ঘণ্টার বেশি থাকিলেন না; সোজা ব্রাইটনে চলিয়া গেলেন; মেজবৌঠান শিশুরা ছিল সেখানে।

ব্রাইটন লগ্ন হইতে মাইল পঞ্চাশ দুরে সাসেক্স জেলার সমুদ্রতীরস্থ শহর মেজবৌঠাকুরানীর যত্ধে এবং শিশু স্বরেন্্রনাথ (৩ বৎসর ) ইন্দিবশর (৫ বৎসর ) বিচিত্র উৎপাত-উপদ্রবের আননে' দিন বেশ কাটিয়া যাইতে লাগিল। জীবনস্বতিতে লিখিয়াছেন, “শিশুদের কাছে হৃদয়কে দান করিবার অবকাশ সেই আমার জীবনে প্রথম ঘটিয়াছিল।” সেইজন স্থরেন্দ্রনাথ ইন্দিরা দেবীর প্রতি কবির ন্লেহছ অতান্ত প্রগাঢ় অকৃত্রিম

অল্লকালের মধোই রবীন্দ্রনাথকে তথাকার একটি পাবলিক স্কুলে ভতি করিয়া দেওয়া হইল ব্রাইটন ক্ষু্র শহর ) তথাকার ইংরেজসমাজে ঘনিষ্ঠভাবে যিশিবার স্থযোগ স্থদর্শন রবীন্দ্রনাথের সহজেই মিলিল। শহবের নাচসতায় বিলাতী- নাচে দীক্ষা হয় এবং এইখানে ইংরেজি-গানেরও শিক্ষা শুরু হয়। “ভাবতী'র ফুরোপপ্রবাসীর পত্রে নাচ-পার্টি প্রভৃতির কথা বেশ ফলাও করিয়া বলিতে কোনো লংকোচ তো বোধ করেনই নাই, বরং লিখিতে যেন বেশ একটু উল্লাস বোধ করিতেন। “অপরিচিত মেয়ের সঙ্গে পাগলের যতো! ঘুরে ঘুরে বেড়াতে" তাহার “ভাল লাগে না” সত্য, কিন্তু “যাদের

'গুয়োপধাত্রী'র ১১শ পঞ্জ পাঠ করিয1 রাজনারারণ ধন দেবগৃছে ( দেও ) দৈমক্ছিন লিপিতে লিখিতেছেন, ২* জোষ্ঠ ১৮*২ শক [১২৮৭]: "১৫ সোষ্টের ভারতী পাঠ করি ইউরোপহাত্রী শিরস্ক প্রস্তাবটি হুরসিকতা! মনোরম উটুলতায় উপছিক্া। পড়িতেছে। লগুনের কশাই-এয় দোকান, দর্জির দোকান, নাপিতের দোকান, আমোদকাল সকল বিহয়ের হর্ণন! অতি হুম্থর প্রতিভাগুচক ।*--তত্বন্টোধিনী পঞ্জিকা, শক ১৮*৫ [ ১২৯* ] চৈত্র পৃ২৩৪।

৯২ ববীন্্জীবনী &ষটাব ১৮৭৯

সঙ্গে বিশেষ আলাপ আছে, তাদের সঙ্গে নাচতে... মন্দ লাগে না।”১ কোনে কুষাবীর সঙ্গে "বেশ আলাপ ছিল" আর তাকে বেশ দেখতে, তাই তার সঙ্গে £৪11০ নৃতা করিয়াছিলেন, তাহাতে কিছু ভুল হয় নাই। অপরিচিতদ্দের সহিত নাচিতে গিয়া বারে বারে ভুল হইয়াছিল বলিয়া কী আপসোস প্রকাশ করিয়াছেন। কিন্তু এমন স্থখে বেশি দিন থাকা হইল না। সত্োন্ত্রনাথের বন্ধু কলিকাতা হাইকোর্টের উদীয়মান ব্যারিস্টার

তারকনাথ পালিত তখন বিলাতে ।২ তিনি তাহার বালকপুত্র লোকেনকে লইয়া এবার বিলাতে আসিয়াছেন ; তাহাকে ইতিপৃবে কলেজে ভতি করিয়া দিয়াছিলেন। তিনি দেখিলেন “রবি” এমন করিয়া ব্রাইটনে বৌঠাকুরানীর কাছে বগিয়া থাকিলে না-শিখিবে লেখাপড়া, না-চিনিবে বিলাত। তাই ত্বাহাবই ব্যবস্থায় রবীন্দ্রনাথকে লগ্নে আনিয়া একটা বাসায় একলা ছাড়িয়া দেওয়া হইল। সে-বাসাট ছিল বিজেপ্ট উদ্যানের সম্মুখেই | সেই বাসায় থাকিবার সময়ে তিনি যে এক ভদ্রলোকের কাছে লাতিন ভাষা শিখিতেন তাহার কথা জীবনস্বতিতে বিশেষভাবে বলিয়াছেন। পালিত মহাশয় রবীন্দ্রনাথকে লগুন যুনিভাসিটি কলেজে ভতি করিয়া দিলেন লোকেনের সহিত এইখানে ববীন্্রনাথেহ প্রথম পরিচয়, সে-কাহিনী তিনি জীবনস্ৃতিতে অতিবিস্তারে লিপিবন্ধ করিয়াছেন। লোকেন তাহার চেয়ে বয়সে বমর চার ছোট, কিন্তু ইংরেজি ভাষাটা এই অক্পবয্সে সে ভালোই জানিত। কবি নিখিয়াছেন, “ফুনিভাসিটি কলেজের লাইব্রেরিতে". আমাদের.. হাস্তালাপ চলিত... সাহিত্য-আলোচনাও করিতাম। সে-আলোচনায় বালক বন্ধুকে অবাচীন বলিয়া মনে করিতে পারিতাম না। যদিও বাংলা বই সে আমার চেয়ে অনেক কম পড়িয়াছিল কিন্ত চিন্তাশক্তিতে সেই কষিট্ুকু সে অনায়াসেই পোষাইয়া লইতে পারিত।” লোকেনের সঙ্গে বাল্যকালে যে-সৌহার্দ্যবন্ধন স্থাপিত হয়, তাহা লোকেনের লোকান্তরকাল পর্যন্ত ত্তাহার জীবনের নান! পরিবর্তন হওয়া সত্বেও অঙ্গন ছিল। রবীন্দ্রকাব্য-সাহিক্টের এমন নৈঠিক তক্ত বসজ্ঞ সমঝদার সে-যুগে খুব কমই ছিপ ।*

লগ্ন যুনিলাসিটিতে তখন হেনরি মপি (১৮২২-৯৪ ) ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক | মলির অধ্যাপনা-প্রণালী রবীন্দ্রনাথকে সর্বপ্রথম ইংরেজি মাহিতোর মধ্যে যথার্থভাবে প্রবেশাধিকার দান করিয়াছিল। সাহিতা যে ভাষাশিক্ষার যন্থমাত্র নহে, তাহা যে মুখাত 'অন্তর দিয়া রসসষ্োগের বিষয়, তাহা তিনি ইহার অধ্যাপনা হইতে অস্তভব করিলেন বন্থবার মলির নায় অত্যন্ত কৃতজ্ঞতার সহিত তীহাকে বলিতে শুনিয়াছি। তবে লগ্ডন বিশ্ববিষ্ঠালয়ে তিন মাসের অধিক পড়া হয় নাই।

বিলাত বাসকালে তাহার বিচিত্র অভিজ্ঞতার কথা আছে জীবনস্থৃতিতে কিন্তু পার্লামেপ্টে গিয়া যে গ্ন্যাভস্টোনের বন্তা শুনিয়াছিলেন সে কথা বিস্তৃতভাবে পত্রধারার মধো লিখিয়াছিলেন। তখন জন ব্রাইট ( ১৮১১-৮৯) গ্যাডস্টোনের (১৮০৯-৯৮ ) যুগ- যদিও তাহারা বিরোধীদলের নেতা বেনজামেন ভিসরেলি সনাতনীদদের নেতা প্রধানমন্ত্রী ব্রাইট সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ পত্রধারায় লিখিতেছেন, “বৃদ্ধ ব্রাইটকে দেখলে অত্যন্ত ভক্তি হয়, ঠার মুখে গদার্য দয়া যেন মাখানো; ব্রাইটকে আমি যখন প্রথম দেখি, যখন আমি তাকে ব্রাইট বলে চিনতেম না, তখন অনেকক্ষণ পর্বস্ত তার মুখ থেকে আমি চোখ ফেরাতে পারি নি।”*

গ্লাডস্টোন সম্বন্ধে তিনি লিখিতেছেন, “এমন সময়ে গ্্যাভস্টোন উঠলেন ; গ্ল্যাভস্টোন ওঠবামাঞ্র সমস্ত ঘর একেবারে নিস্তব্ধ হয়ে গেল, গ্যাভস্টোনের ম্বর শুনতে পেয়ে আস্তে আস্তে বাইরে থেকে দলে দলে মেম্বর আসতে লাগলেন,

ভারতী, শ্রাবণ ১২৮৬ |

তায়কনাথ পালিত ১৮৬৭ সালে ব্যারিস্টারি পড়িতে বিলাত যান। দ্র সত্যেন্্নাথ ঠাকুর “আমার বাল/কখ] আমার বোঝাই প্রযাস', পূ ৫*-৫৪। লোকেন পালিত ১৩ ডিসেম্বর ১৮৮৬ সালে আই. সি. এস. পান করিয়া! বাংলাদেশে কাজে যোগ দেন।

ভারতী, তাত্র ১২৮৬, পূ ২১৪1 মুরোপপ্রবানীর পত্র চতুর্থ পত্র পৃ&*।

ধীষ্টাব ১৮৭৯ বিলাতে। '্ুরোপপ্রবাসীর পত্র' ৯৩

ছুই দ্বিকের বেঞি ভরে গেল তখন পূর্ণ উৎসের মতো গ্ল্যাভস্টোনের বক্তৃতা উৎসারিত হতে লাগল সে এমন চমৎকার যে কি বলব। কিছুমাত্র চীৎকার, তর্জনগর্জন ছিল না, অথচ তার প্রতি কথা, ঘরের যেখানে যে-কোনো লোক বসেছিল, সকলেই একেবারে স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছিল। গ্ন্যাডস্টোনের কি একরকম দৃঢ়ম্বরে বলবার ধরণ আছে, তার প্রতি কথা মনের তিতরে গিয়ে যেন জোর করে বিশ্বাস জন্মিয়ে দেয়।* পার্লামেপ্টে আইরিশ সত্যদের নির্যাতন অপমান দেখিয়া রবীন্দ্রনাথ অত্যান্ত বাখিত হুইয়াছিলেন; আয়ার্ন্যান্ভে হোমরুল-আন্দোলন শুরু হইয়াছে__ ভারতের রাজনৈতিক নির্যাতিত অবস্থার সহিত আয়ার্ল্যান্ডের তৃলনা করিয়া স্বভাবতই তাহার সহাহ্ুভূতি আইরিশদের প্রতি ধাবিত হইয়াছিল।

এই সময়ে তাহার মেজবৌঠাকুরানী ব্রাইটন ত্যাগ করিয়া ভেভনশিয়রে টক্ি নামে সমুদ্রতীরস্থ শহরে বাস করিতেছিলেন। তিনি সেখান হইতে ডাক দিলে রবীন্দ্রনাথ মহা আনন্দে লণ্ডন হইতে উপস্থিত হইলেন “সেখানে পাহাড়ে, সমুদ্রে, ফুলবিছানো! প্রাস্তরে, পাইনবনের ছায়ায় দুইটি লীলাচঞ্চল শিশুদঙ্গীকে লইয়া” দিনগুলি সথখেই কাটিতে লাগিল।২ তথাকার সমূত্রতীরে “একটি সনুচ্চ শিলাতট চিন্রবাগ্রতার মতো সমুদ্রের অভিমুখে শূন্যে নকিয়া রহিয়াছে,” তাহারই উপরে বলিয়া “ভগ্রতরী? নামে একটি গাথা রচনা! করেন। কবিতাটি ভারতীতে ( আষাঢ় ১২৮৬) প্রকাশিত হয়;৩ সেটি সম্বন্ধে জীবনস্বথতিতে লিখিতেছেন, “সেইখানেই সমুদ্রের জলে সেটাকে মগ্র করিয়া দিয়! আসিলে আজ হয়তো বসি! বসিয়। ভাবিতে পারিতাম যে, জিনিষটা বেশ ভালোই হুইয়াছিল। কিন্তু সে রাস্তা বন্ধ হইয়া গেছে। ছুর্ভাগাক্রমে এখনো মে সশরীরে সাক্ষা দিবার জন্ত বর্তমান 1” কথাটা বিনয় নয়।

কিন্ত কর্তবোর খাতিরে লগ্ডনে ফিরিয়া পুনরায় পড়াশুনা আরম্ত করিতে হইল। এবার ভাক্তার স্কট নামে এক তত্র গৃহস্থের ঘরে তাহার আপ্রয় জ্ুটিল। অল্পদিনের মধো্ট তিনি তাহাদের ঘরের লোকের সত হইয়া গেলেন, মিসেস স্কট তাহাকে আপন ছেলের মতোই শ্রেহ করিতেন! ইহাদের দুইটি কন্ঠা কবির বিশেষ অগুরক্ত হয়। রবীন্দ্রনাথ এই পরিবার বিশেষভাবে কন্তা দুইটি সম্বন্ধে জীবনস্থমতিতেও অনেক কণা লিখিয্লাছেন। বারো বংসর পরে যখন এক মাসের জন্ত লন্ডনে বেড়াইতে মান, তখন এই পরিবারের সন্ধানে গৃহদ্ধারে উপস্থিত হুইয়াছিলেন। তখন “নেই গৃহটি... আর নাই এই ভাক্তার-পরিবারের কেহ-বা পরলোকে কেহ-বা ইহলোকে কে-কোথায় চলিয়া গিয়াছেন, তাহার কোনো সংবাদই জানি না, কিন্তু সেই গৃহটি আমার মনের মধো চিরপ্রতিষ্টিত হইয়া আছে ।”

কবির প্রতি মেয়ে দুইটি যে আরুষ্ট হইয়াছিল তাহা! পত্রধারায় আভাস পাওয়া যায় না। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ তাহাদের প্রতি অন্থরক্ত হইয়াছিলেন কি না তাহা কবুল করেন নাই। তবে “ছুদিন'* নামক কবিতাটির মধো এই ভাবটি অব্ন্ত নাই। *“আরদ্থিছে শীতকাল, পড়িছে নীহারজাল, শীর্ণ বৃক্ষশাখা যত ফুলপত্রহীন” প্রভৃতি পড্্‌ক্তি বোদ্বাই বা বাংলা দেশের চিত্র নছে, ইছ। শীতের বিলাতের ছবি আরো! স্পষ্ট রহিয়াছে__

ভারতী, ভাত্র ১২৮৬, পু ২১৫। কয়োপ-প্রবাসীয় পত্র চতুর্থ পত্র পৃঃ৬।

মুরোপপ্রবাসীর পত্র পত্র ১২। পৃ ১৯১।

জগ্রতরী। শৈশব-সজীত। য়বীন্্র-য়চনাবলী, জচলিত সংগ্রহ, ১, পূ ৪৯৮-৫১৪।

দুদিন। ভারতী, জোষ্ট -২৮৭। সন্ধাসংগীত। দ্র. জীপুলিনবিষবারী সেন -কৃত 'রবীজ্কাযো পাঠতেদ : সন্ধাসঙ্গীত।' সাহিত-পরিষং-পত্রিক!। ৬৬ বর্ধ। পৃ ৪১৯-২৩। ভারতীতে লেখকের নাম শ্রীদিকশূন্ত তট্টাচা্। কহি নাম কেন গ্রহণ করিয়াছিলেন জানি না। মালতীপু'থিতে, রবীক্- জিজঞানা ১, (পু ৯৮-১*১) 'ফুরালে। ছুদিন নাষে একটি কবিভার নান! পাঠ আছে আমাদের মনে হয়, কবিতাটির খসড়া বোম্বাই বাসকালে প্রথম কয়েন। হিলাত হইতে ফিরিবায় মাস ভিন পরে দ্যটকুষায়ীদের শ্যণ করিয়া! 'কুয়ালে। ছুদিন' মালভীপু'থির পাঠ পরে মার্জন করিয়া গারভীতে 'ছুইদিন' ( পরে 'ছুদিন' ছয় ) নামে প্রকাশ করেন-_ আ্যঞ্ যে-মামে।

৯৪ ববীজ্জীবনী ্রীষ্টাৰ ১৮৭৯

বিদেশে আসিম্ শ্রাস্ত পথিক একেলা -"" এক দিন ছুই দিন ফুরাইল শেষে, আবার উঠিতে হল, চলি বিদেশে এই-যে ফিরানু মুখ, চলিঙু পৃরবে, আর কি-রে জীবনে ফিরে আসা হবে." সহমা মেঘাচ্ছন্ন স্বৃতি উজলিয়া একটি অন্ফুট রেখা সহসা দিবে যে দেখা একটি মুখের ছবি উঠিবে জাগিয়া, একটি গানের ছত্র পড়িবেক মনে, ছু-একটি স্বর তাব উদ্দিবে স্মরণে, সেদিনের কথাগুলি বন্মার মতন একেবারে বিপ্রাবিয়া ফেলিবে মন। পাধাণ মানব-মনে সহিবে সকলি। ভঁলিব যতই যাবে বর্ষ বর্ষ চলি, কিন্ধ আহা, দুদিনের তবে হেথা এম, একটি কোমল প্রাণ ভেঙে রেখে গেনু। বলা বাহুল্য, উদ্ধুহ কনিতাস্তনক এই মেয়েদের একটিকে স্মরণ করিয়াই রচিত বন বংসর পরে (১৯২৬) বুদ্ধ বয়সে একদা যৌবনের প্রেমকাহিনী আলোচনা কালে দিলীপকুমাপ রায়কে স্কট কুমারীদ্দয়ের সন্বন্ধে বলিয়াছিলেন, “ছুটি মেয়েই থে আমাকে ভালোবাসত কথা আজ আমার কাছে একটু ঝাপসা নেই-_- কিন্ধ তখন যদি ছাই মে কথা বিশ্বাস করবার এতটুকু 9 মরাল কাবেজ থাকত 1” কবি এই কথা যখন বলেন তখন বোধ হয় “ছুদিন' কবিতাটির কথা ভলিয়া গিয়াছিলেন ইতিমধ্যে 'ভারতী'তে যুরোপ থাকাকালীন তিনি যে মুরোপপ্রবামীর পত্র প্রকাশ করিতেছিলেন, তাহা নানাক্ষেত্রে নানারপ প্রতিক্রিয়া সট্টি করিল। ইঙ্গবঙ্গদের সম্বন্ধে তিনি যে বিস্তৃত বর্ণন! দিয়াছিলেন, তাহা অবশ্যই সমসাময়িক বিলাতপ্রত্যাগত ঘুবকদের পছন্দ হয় নাই; প্রায় ষাট ব্সর পরে “পাশ্চাত্য ভ্রমণ" গ্রন্থে এই পত্র পুনমু্িত করিবার সময় গ্রন্থের ভূমিকায় লেখেন-_ “কয়েকটি চিঠিতে তখনকার দিনের ইঙ্গবঙ্গের বিবরণ কিছু বিস্তারিত করেই দিয়েছি। আজ এরা লৃপ্ণ জীব।-." সেকালের ইঙ্গবঙ্গদের অনেককে আমি প্রতাক্ষ জানতুম। তাদের অনেকখানি পরিচয় পেয়েছি তাদের নিজেরই মুখ থেকে যদি এর মধ্যে কোনো অত্বাক্তি থাকে সে তাদেরই স্বক্ৃত।” একখানি পত্রে (*ম ) পিখিতেছেন “আমি তোমাদের বিশেষ করে বলছি, বিলেতে এমে কারুর যদি মাথা না-ঘুরে থাকে তো সে তোমাদের এই বিনীত দাসের 1” (পৃ ১৫৭) কিন্ত পত্রধারায় যে বিষয় লইয়া তাহার দেশস্থ শ্রদ্ধেয় অভিভাবক শ্রেণীর কর্তৃপক্ষের সহিত বিরোধ বাধিল, সে হইতেছে যুরোপীয় স্্রী-স্বাধীনতার আদর্শ লইয়া। পত্রমধ্যে বিলাতী সমাজের নিন্দা তিনি যথেষ্ট করিয়াছিলেন, কিন্ত পাশ্চাত্য জগতের গতিশীল জীবনের প্রচণ্ডতা মুক্তজীবনের সহজ স্বাধীনতা তাহার অনভিজ্ঞ তরুণ জীবনের বনু সংস্কারের মূলে টান দিয়াছিল। কপ্পিকাতার সংকীর্ণ সমাজজীবনের বৈচিত্র্যহীন পৌন:পুনিকতা তাহার সবগ্রাহী মনের কাছে আজ অত্যন্ত নিম্্রভ বলিয়। প্রতিভাত হইল বিলাতে স্বাধীনভাবে চলাফেরার জন্ত কাহারও কাছে কৈফিয়ত

্রষ্টাৰ ১৮৭৯ বিলাতে। 'ঘুরোপপ্রবানীর পঞ্জ ৯৫

দিতে হয় না? স্বাধীনভাবে মুক্তহন্তে অর্থব্যয় বা অপবায় করিলে বাধ! দিবার কেহ থাকে নাঁ_ এসব বাঙালি যুবকের পক্ষে একটা অভাবনীয় মুক্তি। ছাড়া বিলাতে সব থেকে বড় আকর্ষণের বিষয় ছিল নারীসমাজে স্বাধীনভাবে মেলামেশা তিনি এক পত্রে লিখিতেছেন, “মেয়েপুরুষে একত্রে মিলে আমোদ-প্রমোদ করাই তো স্বাভাবিক মেয়েরা তো! মহ্ুযুজাতির অন্তর্গত; ঈশ্বর তে! তাদের সমাজের এক অংশ করে স্ট্টি করেছেন। মাহুষে মানুষে আমোদ-গ্রমোদ মেশায়েশি করাকে একটা মহাপাতক, সমাজবিকদ্ধ, রোমাঞ্জনক ব্যাপার করে তোলা স্দ্ধ অস্বাভাবিক নয়, তা অসামাজিক স্থতরাং এক হিসাবে অসভ্য ।” অতঃপর স্ত্বীজাতির স্বাধীনতা সম্বন্ধে দীর্ঘ বক্তৃতা লিখিয়া তিনি বলিলেন, “সমাজের অর্ধেক মাজবকে পচ্জ করে ফেলা যদি ঈশ্বরের অভিপ্রেত বলে প্রচার কর, তা হলে তার নামের অপমান করা হয়। মেয়েদের সমাজ থেকে নির্বাসিত করে দিয়ে আমরা কতটা স্থখ উন্নতি থেকে বঞ্চিত হই, তা বিলেতের দমাজে এলে বোঝা যায়|” বিলাতের স্বাধীন স্ত্রী-সমাজ সত্যই তাহাকে মুগ্ধ করিয়াছিল, নতুবা তিনি লিখিতেন না, “এখানে যতগুলি ভারতবর্ধীয় এসেছেন, সর্বপ্রথমেই তাদের চোখে কি ঠেকেছে? এখানকার সমাজের সুখ উন্নতি সাধনে মহিলাদের নিতান্ত প্রয়োজনীয় সহায়তা ধারা স্ত্রী-স্বাধীনতার বিরোধী ছিলেন, এখানে এসে নিশ্চয়ই তাদের মতের সম্পূর্ণ পরিবর্তন হয়েছে ।”১

এই প্রবন্ধ ভারতীতে প্রকাশিত হইলে পত্তিকার সম্পাদকরূপে জোট্ঠ ভ্রাতা দ্বিজেন্্নাথ বিলাত-প্রবাসী কনিষ্টের এইসব মতের প্রতিবাদ করিয়া পত্রধারার পাদটীকায় দীর্ঘ মন্তব্য লিখিলেন। ইহার পর কয়েক মাস জ্যেষ্ঠ কনিষ্টের মধো নানা বিচার চলে-_ এক দিকে প্রাচীনপন্থী দার্শনিক অন্য দিকে নবীনপন্থী কবি।

এমন সময়ে দেশে ফিরিবার জন্ত পিতার আদেশ আসিল “ভারতী'র পত্রধারা তাহার এই আকনম্মিক প্রত্যাবর্তন- আদেশের কারণ কি না তাহার সঠিক প্রমাণ দিতে পারিব না) তবে আমাদের সন্দেহ হয় তরুণ কবির প্রগলভতায় অভিভাবকগণ অসন্ধষ্ঠ হইয়াই তাহাকে ফিরিয়া আমিবার জন্য পত্র দেন। ববীন্দ্রনাথের কাছে তাহা! শাপে বর হইল; বিদ্যালয়ের বন্ধন হইতে মুক্তিলাভের জন্য রুদ্ধ আকাঙ্ষা অন্তর হইতে নীরব আর্তনাদ করিতেছিল, “দেশের আলোক দেশের আকাশ-.. ভিতরে ভিতরে ডাক দিতেছিল।” সত্যেন্্রনাথের ফার্লো-ছুটি ফুরাইতে তখনে! কয়েক মাস বাকি, তিনি ছুটি শেষ হইবার পূর্বেই সপরিবারে দেশে ফিরিলেন-_ রবীজ্্নাথকে সঙ্গে লইয়া! ( ফেব্রুয়ারি ১৮৮০ )।

বিলাত-প্রবাসের এই দেড়টা বৎসর রবীন্দ্রনাথের জীবনের একটা বিশেষ পর জীবনের এমন একটা সন্ধিক্ষণে তিনি বিলাত গিয়েছিলেন, যেটা না-বাল্য না-যৌবন। তিনি গিয্লাছিলেন বালকের মতো, ফিরিলেন যুবকের ন্তায়। বিলাত- বাসকালে ইংরেজসমাজের সহিত মেলামেশা বিষয়ে তিনি যে খুব দূরত্ব রক্ষা করিয়া চলিতেন তাহার প্রমাণ তো পত্রধারা হইতে পাওয়া যায় না। ঘুরোপীয় সংগীত শুনিবার বা শিখিবার স্থযোগ তিনি যথেষ্ট গ্রহণ করেন ; নাচের পার্টি ভোজের পার্টি পিকনিক পার্টি প্রভৃতিতে যোগদান বিষয়ে তার কোনে! উদ্দামীনতা প্রকাশ পায় নাই। মেয়েদের সঙ্গে গল্প আলাপ-পরিচয় করিতে সংকোচভাব ক্রমে ক্রমে ঘুচিয়াই যায়। তাহার হুদ্দর কান্তি স্থমিষ্ট কঠ সকলকেই আকর্ধণ করিত।

বিলাত হইতে ফিরিবার প্রায় দেড় বৎসর পরে ভারতীতে প্রকাশিত পত্রাবলী 'যুবোপপ্রবাসীর পত্র” নামে প্রকাশিত হয় (অক্টোবর ১৮৮১ )। গ্রস্থখানি প্রকাশ করেন তাহার জ্োষ্ঠ ভগ্লিপতি সাবদাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায় উপহাবর- পৃষ্ঠায় লেখা ছিল, “ভাই জ্যোতিদাদা, ইংলণ্ডে ধাহাকে সর্বাপেক্ষা অধিক মনে পড়িত তাহারই হুত্তে এই পুস্তক সমর্পণ করিলাম ।” কাহাকে অধিক মনে পড়িত এবং গ্রন্থখানি কাহার হস্তে সমপিত হইল, তাহা উৎসর্গপত্র হইতে স্পষ্ট না হইলেও অনুমান করা কঠিন নছে। কারণ, এই প্রগল্ভ পত্রধারা তিনি নিশ্চয়ই কাহার জ্যেষ্ঠ গুরুজনদের উদ্দেশ্টে ঝুরোপধাত্রী কোন বঙ্গীয় যুবকের গজ কস, অগ্রহায়ণ ১২৮৬ | মুয়োপপ্রবাসীর পত্র ফট পত্র। পৃ ১,।

৯৬ রবীন্ত্রজীবনী খ্রীটাব ১৮৭৯

লেখেন নাই আমাদের মনে হয় যে, পত্রগুলি বৌঠাকুরানী কাদস্বরী দেবীর উদ্গেশ্েই রচিত এবং তাহারই নিকট প্রেরিত হইত। তাহার উদ্দেশেই পত্রমধ্যে একস্থান বলিতেছেন 'তুমি ঘোমটা বিনে বসে থাকবে (পৃ ১১৬), এবং অন্তর লিখিতেছেন “তোমরা আবার দশ জনের কাছে গল্প করে বেড়াবে তোমাদের পেটে যর্দি একটি কথা থাকে ।” (পৃ ১৯৯) এই ভাষা কখনো বহস্কের সম্বন্ধ খুব আত্মীয় ছাড়া অপরকে লেখা যায় না।১ শ্রন্থ-প্রকাশকালে এই পত্রধারার রচনার দোষগুণ সম্বন্ধে রবীন্তনাথকে বেশ সচেতন দেখি; তিনি গ্রন্থের ভূমিকায়

লিখিতেছেন-_ “বন্ধুদের দ্বারা অস্ুরুদ্ধ হইয়া এই পত্রগুলি প্রকাশ করিলাম। প্রকাশ করিতে আপত্তি ছিল; কারণ কয়েকটি ছাড়া বাকি পত্রগুলি ভারতীর উদ্দেশে লিখিত হয়নাই, স্থৃতরাং সে সমুদ্বয়ে যথেষ্ট সাবধানের সহিত মত প্রকাশ করা যায় নাই, বিদেশীয় সমাজ প্রথম দেখিয়াই যাহা মনে হইয়াছে তাহাই ব্যক্ত করা গিয়াছে কিন্তু ইহাতে, আর কোনো উপকার হউক বা না হউক, একজন বাঙালী ইংলগ্ডে গেলে কিরূপে তাহার মত গঠিত পরিবতিত হয় তাহার একটা ইতিহাস পাওয়া যায় ।”

এই গ্রন্থের ভাষার বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে উনিশ বৎসর বয়সের লেখক ঘে বেশ সচেতন তাহাও ভূমিকা-পাঠে বুঝা যায়; তিনি লিখিতেছেন, “আমার মতে যে ভাষায় চিঠি লেখা উচিত সেই ভাষাতেই লেখা হুইয়াছে। আত্মীয়- স্বজনদের সহিত মুখামুখি একপ্রকার ভাষায় কথ! কহা তাহার চোখের আড়াশ হইবামাক্স আর-এক প্রকার ভাষাম়্ কথা কহা কেমন অসংগত বলিয়া বোধ হয়।” বন্ধ বখনর পর ১৯৩৬ সালে 'পাশ্চা তাভ্রমণে" এই গ্রস্থ সন্বদ্ধে কবি লিখিয়া ছিলেন : “নিশ্চিত বলতে পারি নে কিন্তু আমার বিশ্বাস, বাংলা সাহিত্যে চলতি ভাষায় লেখা বই এই প্রথম |..." বাংলা চলতি ভাষার সহজ প্রকাশপটুতার প্রমাণ এই চিঠিণুলির মধ্যে আছে।”

এই গ্রস্থের বিষয়বস্ত সম্বন্ধে কবির মনোভাব অতাস্ত তীব্র; সেইজন্য স্থায়ী গ্রন্থা বঙ্পীতে উহাকে তিনি স্থান দেন নাই। ১৩১১ সালে হিতবাদী কার্যালয় হইতে 'ববীন্্র-গ্রস্থাবলী'র যে-সংস্করণ প্রকাশিত হয় তাহাতে একবাবমাত্র সন্নিবেশিত হইয়াছিল। বহু বংসর পর কাটিয়া-ছাটিয়া 'পাশ্চাত্যব্রমণে'র অন্তর্গত করিবার সময়েও এই গ্রন্থ সম্বন্ধে তাহার অপ্রসন্ন মনোভাব প্রকাশ করিতে কার্পণ্য করেন নাই। তিনি লেখেন, “সাহিত্যে সাবালক হওয়ার পর থেকেই ওই বইটার 'পরে ধিক্কার জন্মেছিল। বুঝেছি, যে-দেশে গিয়েছিলুম সেখানকারই যে সম্মানহানি করা হয়েছে তা লয়, টাতে নিজেরই সম্মানহানি। বিস্তর লোকের বার বার অহরোধ সত্বেও বইটা প্রকাশ কবি নি। কিন্ধু আমি প্রকাশে বাধা দিলেই ওটা যে অপ্রকাশিত থাকবে এই কৌতুহলমুখর যুগে তা আশ। কর! যায় না।” তৰে গ্রন্থের সাহিত্যিক মূল্য লেখক স্বীকার করিয়াছেন, “এ বইটাকে সাহিত্যের পওক্িতে আহি বসাতে চাই, ইতিহাসের পডক্তিতে নয়। পাঠ্য জিনিসেরই যুলা সাহিতো, অপাঠ্য জিনিসের মূলা ইতিহাসে এতিহ্াসিককে যদি সম্পর্ণ বঞ্চিত করতে পারতুম তবে আমার পক্ষে সেটা পুণাকর্ম, সৃতরাং মুক্তির পথ হত।” রবীন্দনাথের মতে “ফুরোপ- প্রবান্মীর পত্তশ্রেণী আগা গোড়া অরক্ষণীয়া নয়।”*

কয়েক মাস পরে রবীশ্রনাথের বিলাত ফাইবার ইচ্ছ। হয়, তখন মহধষি তাহাকে এক পত্রে লেখেন বে 'প্রতিমাসে ন্যুনকঞ্জে একখানা করিয় জামাকে পত্র লিখিবে 1-"* যেখানে” যেমন যেমন ব্যবস্থা করিবে তাহার বিবরণ ন্সাযাকে লিখবে জীবনশ্মতি, গ্রস্থপরিচয় পৃ ২১১।

রবীজ-গ্রন্থাকসী (১৩১১), পৃ ১১৭৩-১২৯*।

পাশ্চাতাত্রমণ' নৃতনশ্রাবে প্রকাশিত হুইলে উহা উৎসর্গ করেন চারুচন্জ দন্তকে ; চারুচজ বিলাত-ফেরত আই. সি. এস. , অবসর গ্রহণ করার পর বিশ্বভারতীর উপাচার্য পদ গ্রহণ করিয়া! শান্তিনিকেতনে প্রায়ই পাকিতেন। সেই ঘনিষ্ঠতার গ্লোতক হিসাবে গ্রস্থখানি ঠাঙ্কাকে উৎসর্গ করেন (২৯ আগস্ট ১৯৩১) | ইছাতে 'মুরোপপ্রবাসীর পত্র পরিবতিত আকারে পূ ১-৮* 'ফুয়োপধাত্রীর ডাক্ারি' খিতীয় খণ্ড পূ ৮১-১৩৭ ঈনমুজিত হ়। কিন পৃথক গ্সথের মূলানুপত ধখাক্রষে "লাই জোতিগা' এবং 'লোকেজানাথ পালিও'কে উৎসর্গ করা ছটযাছে।

গ্ীা্ ১৮৮৩ চপ দেশে প্রত্যাবর্তন

বিপাত হইতে রবীন্দ্রনাথ ফিরিলেন ১২৮৬ সালের মাঘ মাসের শেষাশেষি। ভারতের বাহিরে এক বৎসর পাচ মাস কাটে (২* সেপ্টেম্বর ১৮৭৮-_ ফেব্রুয়ারি ১৮৮০ )$ ফিবিবার সময় তাহার বয়স আঠারে বসব নয় মাস। প্রত্যাবর্তনটা হুইল অসময়ে এই আকম্মিক কিরিয়া আসাটা আত্মীয়স্বজন-বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে নিশ্চয় বিচিন্ত প্রতিক্রিয়া স্থটি করিয়াছিল ধাহার] আশা করিয়াছিলেন যে রবীন্দনাথ বিলাত হইতে ব্যারিস্টার হইয়া আসিবেন কাল কলিকাত। হাইকোর্টের যশন্বী আইনজীবী হইয়া ধন মান অর্জন করিবেন, তাহারা হতাশ হইলেন মহধি অগ্রজেরা মনে মনে খুশি হইয়াছিলেন বলিয়াই আমাদের অন্তমান | ভারতীতে প্রকাশিত যুরোপসংক্রাস্ত পত্রধাবায় রবীন্দ্রনাথ যেসব মতামত অকুঞ লেখনীতে প্রচার করিয়াছিলেন, 'তাহ? অভিজাত রক্ষণশীল অভিভাবকশ্রেণীর অগ্রজাদির হভাবে গ্রহণ করা সন্ভব ছিল না। 'রবি' যে বিলাতের এই নবাপ্রভাব হইতে মৃত হইয়া দেশে কিরিয়াছেন উহাতেই ভাহারা আনন্দিভ। অভি প্রিজন ধাহাবা 'রিবিকে কেবলই শ্বেত করিতেন, তাহারা বালকের স্থন্দর কান্তি টি স্বাস্থারর মাবহাএরায় সন্দরুতবু হইগাছে দেখিয়াই খুশি বংসরাধিককাল বিলাতের সমাজে নান] ভাবে মিশিবার স্বযোগ পাইয়া পূর্ব আভাবস্বলভ অপ্রতিড-মপ্রস্ত 5 ভাব দূর হইয়াছে তিনি গিয়াছিলেন লাজুক বালক, নিপিশেন কগল্ড যুপক | বিলাতে যেসব গান শেখেন শ্বজনসমাজে সেগুপি গাহিয়া শুনাইতে বেশ একটু গৰ অভভবৰ কারে | বিলশাতে বাসকালে কগন্বরের বেশ বদল হয়, ্নেকেই বলিলেন কেমন যেন বিদেশ রকমের হইয়াছে ; এই মঞ্ছপা শশিতে খারাপ লাগে না। এমনকি কথা কহিনার ঢের বদল স্কাহারা মাবিষ্কার করিলেন-_ এসব কথা কবি অল্পস্য তত হয় কবুল করিগাছেন আহাবো বহপবের যুবকের পক্ষে এইবূপ পরিবঙন হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক দেশে ফিন্রিবাধ পর সব থেকে আদর-মাপায়ন পাইলেন আহার নতুন বৌঠাকুবানীর কাছ হইতে কাদস্থরী দেবীর বস এখন প্রায় একুশ বহসর ভিনি শিংসম্কান ভটাহার নিনুদ্ধ নাবীজদয়ের সমস্ত প্রেম প্রীতি ছিল রবিকে ঘিবিয়া। নম পংসবর বয়সে বালিকাবর-কাপে তিনি যখন এই গৃহে প্রবেশ করেন, তখন সা বহসরের বালক ববি ছিল তীহার খেলার সান, গজের সঙ্গী, চৌদ্দ বখসর ঠাহাকে শিবস্কর পাইয়াছিলেন | স্বভাব কোমল নাবীদঘের সকল আকাঙ্ষা “পাক থিবিয়া সাক হহয়াছিল। তিনি তাহার নিঃলঙ্গ ম্েহাতবর জীবানু মধো বুবিকে পুনরায় পাইয়া ষে পির *শয় আনন্দিত হইয়াছিল, ভাঙা আমরা কলনা করিছে পাতি ববীন্্রনাথ যে সুখী হইলেন হাহা বলা শিস্পাোজন , লিলাত থাকিতে কতা কথা লব থেকে বেশি করিখ্া মনে পড়িত হাহাুই স্েহময় আখি ভ্রবকতাবুকার যা সগলং জাহার সন্তথে বিবাড করিভ এনা াহাব জীবনসা়াহে সেই 'অবূপ মুভি ভাস্বর হইয়া উঠিষাছিল | পিলাত হইতে দেশে যখন কিরিলেন। বাড়িতে তখন জ্বোতিবিজ্ঞনাথ অক্ষয়চন্দ্র চৌধুরী দেশী বিলাতি সবের সাহাযো সালীতের সানাকপ পরীক্ষায় রত) বাংলা গানে ঘৃতন নাতন প্র সাধনায় উভয়েই তন্ময় 1২ এই ঘটনাটি সানাগা হইলে বালার সযাতচঠার বিশেষ করিয়া ববীঙ্ছনাথের সংগীতকচনার ইতিহাসে শ্মবলীয়। দেশ বিলাতি টবের সাকরমিশ্রণ এমনকি দেশহবের রাগহ্াগিণীর মিশ্রণে প্রাচীনপন্থীদের ঘোর আপত্তি কিন্তু হ্াহারা গানের পিস ত। নী হইল বলিয়া বিলাপ করেন, হাহারা ভুলিয়া যান যে চিরদিনই দেশী বিদেশী হুবের মিশ্রণে নবতর স্থবের +2 ₹ঠ়াছে আজ আমরা যাহাকে মার্গসংগীত বপি তাহা বৈজ্ঞানিকভাবে বিশি্ হইলে দেখা যাইবে যে তাহার গনকথাশিই সংকর বিশুদ্ধ সংগীত আছিম জাতির মধ্য ছাড়া আর কোথাও থাকিতে পারে না। জোতিবিজ্রনাথ

শাতিক ১৩০১ ২৪ আট্টোবর ১৮৯৪ ] বোলপুর হইতে ইন্দিরা দেবীকে লিধতেছেন, "ভাপি' আমি হারিস্টর হউনি।"-বিশ্বতানতী পত্রিকা পণ আদা ১১২২, ২৪১ ৮. কোতিরিক্রনাপের তীবদশুতি। আক্জদাপ বঙ্যোপাধ্যায় : সাহিতা-সাধক-চরিতমালা ৬৮, জ্োতিবজুনাগ ঠাকুর পৃ১*।

১৩

ববীন্্রজীবনী গীতা ১৮৮৩

প্রমুখ তরুণের দল যে ছুঃসাহসিকতার পথ উন্মোচন করিলেন, রবীন্দ্রনাথ সেই পথ বিস্তারিত করিয়া দিলেন; বিচিত্র সুরের সঙ্গে অনির্বচনীয় ভাবরাজি অনিন্দনীয় ভাষার উদ্বাহ সম্পন্ন করিয়া বাংলাসাহিত্যে বাঙালির সাংস্কৃতিক জীবনে যুগান্তর সাধন করিলেন।

বিলাত হইতে ফিরিয়া ববীন্ত্রনাথ জ্যোতিরিন্্রনাথের এই সংগীতগোষ্ঠীভুক্ত হইলেন। এতদিন জ্যোতিবিন্দ্রনাথের সরস্থিতে ভাষা দান করিতেন অক্ষয়চন্ত্র চৌধুরী, এবার তাহাতে যোগদান করিলেন রবীন্দ্রনাথ ইতিপূর্বে এই দেশী বিদেশী স্থরের ঘাত-প্রতিঘাতে স্থষ্ট হইয়াছিল জ্যোতিবিন্রনাথের 'মানময়ী” নামে গীতনাট্য। ববীন্দ্রনাথ বিলাত হইতে আসিয়৷ দেখিলেন যে নাটকখানি প্রায় সম্পূর্ণ হইয়াছে, তিনি শেষ দিকে একটি গান যোজনা করিয়া দিলেন_-“আয় তবে সহচরী, হাতে হাতে ধরি ধরি” ইত্যাদি।» নাটক রচনা করিয়া তাহার অতিনয়মূৃত্ি না দেখিতে পাইলে যথার্থ আর্টিস্ট-লেখকরা সখী হইতে পাবেন না; মানময়ীর অভিনয় হইল। ইহাতে রবীন্দ্রনাথ মদনের, জ্যোতিরিজ্নাথ ইন্দ্রের তাহার পত্বী কাদস্বরী দেবী উর্বশীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন বলিয়া শুনিয়াছি। এই মানময়ীকে বাংলাসাহিতোর গীতনাটা রচনার প্রথম প্রচেষ্টা বলা যাইতে পারে_ কারণ ইহাতে গান ছাড়া গগ্যে কথাবার্তা ছিল। ইহার এক বৎসর পরে রবীন্দ্রনাথের “বাল্মীকিপ্রতিভা" রচিত অভিনীত হয় , সেটি খাটি গীতনাটা, কারণ তাহাতে সকল কথাবার্তাই গানের ছারা সম্পন্ন হয়।

বিলাত হইতে ফিরিবার পর কালটা সম্বন্ধে রবীঙ্্রনাথ একখানি পঙ্ধে যাহা পিখিয়াছিলেন, সেটি যথাখ চিত্র বটে। “যৌবনের আরম্-সময়ে বাংলাদেশে ফিরে এলেম সেই ছাদ, সেই চাদ, সেই দক্ষিণে বাতাস, সেই নিজের মনের বিজন স্বপ্ন, মেই ধীবে ধীরে ক্রমে ক্রমে চারি দিক থেকে প্রারিত সহস্র বন্ধন, সেই স্থদীর্দ অবসর, কর্মহীন কল্পনা, আপন মনে সৌন্দর্যের মরীচিকা রচনা, নিষ্ষল ছুরাশা, অন্তরের নিগুঢ বেদনা, আত্মপীড়ক অলস কবিত্ব-- এই সমস্ত নাগপাশের ছারা জড়িত বেষ্টিত হয়ে চুপ করে পড়ে আছি ।”৯ অল্লীকথায় এত স্থক্ম এত আম্মুবিস্লেষণ কেবল রবীন্দ্রনাথের ন্তার মণীষীর পঙ্গেই সম্ভব

বিলাতে থাকিতে রবীন্দনাথ সাহিশ্যা্থট্টি-বিষয়ে তেমন মন দিতে পারিতেন না) তিনি লিখিয়াছেন, “একটা আশ্চর্য এই ছেখিয়াছি, যতকাল বিলাতে ছিলাম আমার কবিতা লিখিবার উত্সাহ যেন একেবারে শুষ্ক হইয়া ছিল।.. কেবল ডেতনশিয়রের পুষ্পবিকীর্ণ বসন্ত বিরাজিত টকি নগরীর সমুদ্রতটে মিগ্রতরী”* বলিয়া একটা কবিতা লিখিয়াছিলাম,

১. গীতবিতান, পৃ ৪১৩ | স্বরবিতান ২*1 আরও দুটি গান গীতবিতান তৃতীয় পঞ্চে আছে ছিলে কোথা বলো, চলে! চলো, চলো চলো: কবির রচনা কিনা, সেবিষয়ে সন্দেহ আছে। গীতবিতান, গ্রস্থপরিচয় পৃ ৯৫১ মানময়ী/গীতিনাটিকা। কলিকাতা। বার্সীকিযন্ত্রে। শ্রীকালীকিস্কর চক্তবতী দ্বারা মুদি প্রকাশিত ১৮২ শকাদ। (১৮৮০) পৃ. ১২। পূর্বাতাম “উর্বধা ইন্জের প্রঠি মান করিয়াছে, অনেক সাধ্যসাধনাতেও সে-মান ভাঙিল না। মান ভাঢাইবার জন্তু মদনাকে রতি জম্বরোধ করেন | অদন উর্বজীর নিকট উপস্থিত হইয়া ফলবান মারে তাহাতে উ্শীর মান ভাভিয়া যায় সে ইলোর জনা অধীর হয়। এগ্গিকে বসম্থ মদনকে মদ খাওয়াইয়া তাহ।র ফুলবান চুরি করিয়া তাহাকেই মারে মদন তাহাতে উর্বলীর প্রেমে মত্ত হইয়া তাহার সহিত প্রেমালাপ করিতেছে, এমন সময় রুমি করিয়। উর্বশীর পদানত মদনের কাছে রতিকে ডাকিয়! আনে রতি মদনকে তিরস্কার করিতে করিতে চলিয়া বার মদনও তাহাকে শান্ত করিষার জন্ক তাছায় পশ্চাৎ পশ্চাং ঘায়। পরে উর্বপীর মানভঙ্গের জন্ট তাহাকে উপস্থাসপূর্বক সকলে উল্লাস করিতে করিতে ইল্সের সহিত মিলন করাইতে লইয়! গেল ।” এই গীতিনাটিকাটির শেষ গানটি রবীশ্রনাথের “আয় তবে সহচরি' দ্র জীবনস্বতি ১৩৫৪ সংস্করণ, প্রন্থপরিচ়। পূ ২৭১ মগ্রতরী, জীবনস্মতি »* 1 'তগ্রতরী' নামে ভারতীতে প্রকাশিত হয় জাধাড় ১২৮৬। শৈশব-সঙ্গীত | রবীন্ত্র-রচনাবলী, অচলিত সংগ্রহ, ১, পৃ$৯৮। জীবনস্মৃতি লিখিবার সময় কবি তুল করিয়! মগ্নতরী লিখিয়াছেন মনে হয়।

গ্রাঞ্ঠাজ ১৮৮০ দেশে প্রত্যাবর্তন ৯৯

সেও জোর করিয়া লেখা ।” বিপাতে থাকিতে থাকিতে আর-এক খানি কাব্যের পন্তন করেন; কতকটা ফিরিবার পথে এবং মধিকা'শট] দেশে আসিয়া পেখেন। “ভগ্রজদয়?১ নামে উহা ভারতীতে প্রকাশিত হয়। এই কাব্য সম্বন্ধে শামরা পরে আলোচনা করিব। ভগ্নহর্দর ছাড়া অন্ত রচনা চোখে পড়ে কম, কারণ এই সময়টা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ অক্ষয়চন্্র চৌধুরীর সহিত গানের স্থরের বিচিত্র পরীক্ষা চলিতেছে, যাহাই হউক, যে-ছুইচারিটা কবিতা লিখিয়াছিলেন, তাহাদের মধ্যে একটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য কবিতাটির নাম “হরন্দদে কাপিকা”ৎ ইহার মধ্যে পর বৎসরে প্রকাশিত 'মহান্বপ্র প্রভাতসংগীতের “হই স্থিতি প্রলয়'-এর সুরের আভাস পাওয়া যায়; ভগ্রহদয়ের কোনো কোনো অংশের সহিতও স্থুর মেলে যথাস্থানে সেআলোচনা কর! যাইবে এইখানে “হরহদে কালিকা' হুইতে কয়েক পও্ক্তি উদ্ধৃত করিতেছি-_

একদা! প্রলয়শিকঙ্গ বাজিয়া রে উঠিবে ! অমনি নিভিবে ববি, অমনি মিশাবে তারা, অমনি জগতের রাশ নজ্জু ট্ুটিবে। আলোক-সবস্বহাপা অন্ধ যত গ্রহতাবা। দারুণ উন্মাদ হয়ে মহাশন্তে ছুটিবে !

খুম হতে জাগি উঠি বক্ত খখি মেলিয়া প্রলয় জগং লয়ে বেড়াইবে খেলিয়া। -. জগত হাহাকার যবে স্তব্ধ হইবে ঘোর স্তব্ধ, মহান্তব্ধ, মহাশন্ রঠিবে আঁধারের সি্ধুরবে অনস্তেবে গ্রাসিয়া_ সে মহান জলধির নাট উত্ি, নাই তীর সেই স্তন্ধ সিন্ধু বাপি রব আমি ভাসিয়া তখনো ববি কি তুই এই বুকে দাড়ায়ে, ভাবনাবাসনাহীন এই বুক মাড়ায়ে?

রখীন্দনাথের গীতিকাবোর মধো ভীষণ মধুরের বিপরীত হুরলহরী বারে বারে ধ্বনিত হইয়াছে বৈষ্ঞবের মধুর বশার্ধনি নটরাজ-কুছের পিনাক্টংকার ব্রবীন্দ্রকাবাসাহিভাকে লালিতো শক্তিতে অপরুপ করিয়াছে এই কবি৬া।ট৭ মধো কজের আবাহন-আভাম অন্পইউভাবে আছে বলিয়া এইখানে বিশেষভাবে ইহার উল্লেখ কধিলাম

বণীন্্রলাধের সাহিতার্জীবনের অভিবাক্তি আলোচনা করিতে কবিতে দেখা যায়, তিনি কখনো কোনো এক মনোভাবে অধিককাপ আবিষ্ট থাকিতে পারতেন না, নব নব অনুভূতি জীবনকে নব চেতনায় নব কমে উদ্বুদ্ধ করিত। তাহার প্তোক কাবোর শেষ দিকে সেহ যুগ হইতে নিক্ষমণের আকুতি দেখিতে পাই শৈশব-সংগীতের শেষ কবিতা 'পপিক'-এব মধো এই যাজার হুরই প্রচ্ছল্প ।৩ মোহিতচন্্রু সেন সম্পাদিত 'কাবাগ্রন্থে (১৩১৯) শৈশবসংগীতের এই

ভগ্্দদয়, ছারতী ১২৮৭ সালের কাতিক হইতে ফাল্গুন প্রপম ছয় লর্গ প্রকাশিত হয়। কাঁব্যখানিতে মোট ৩৪ সগ আছে। রূবীজ্-রচনাবলী, অচলিত মঠ পূ ১১৭-২৭১।

ভারতী, আশ্বিন ১২৮৭1 শৈশব সংগীত পু ১*৬। রবীন্-রচনাবলী, অচলিঙ সংগ্রহ ১, পু ৪৫৯৭।

পিক, ভালুতী, শোধ ১২৮৭1 শৈশব-সংগীত, রবীন রচনাবলী, অচলিত সংগ্রহ ১, প্‌ ৫১৪-২৩৬।

১০৩ ববীজ্ুজীবনী খরী্টাব ১৮৮*

পথিক কবিতা হইতে কিয়দংশ সংক্গন করিয়া “যাত্রা” নামে অভিহিত করেন। এই যাত্রা খণ্ডের ভূমিকায় রবীন্দ্রনাথ লিখিয়াছিলেন__

“কেবল তব মুখের পানে চাহিয়া বাহির হন্ছ তিমিররাতে তরণীখানি বাহিয়]।'

জীবনের পথে পথিক "যাত্রা" করিয়া “হৃদয়-অরণো"র মধ্যে আসিয়া পড়িল এবং পরবে তথা হইতে নিক্ষমণ করিয়া “বিশ্বের মধো প্রবেশ করে। ইহা হইতেছে ববীন্দ্র-কাব্যের আদি যুগের অভিবাক্তি__ শৈশব-সংগীত, সন্ধ্যালংগীত প্রভাতসংগীত।

গীতিকাবা কবিজীবনের আংশিক প্রকাশমাত্র ; কাব্যের মধ্য দিয়া হদয়ের কামনারাজি প্রকাশ পায় বটে, কিন্তু মানবজীবনের বিচিত্র সংস্কার অভিজ্ঞতা অনুভূতি সবতোভাবে বাক্ত হয় পা। ভগবংবিশ্বাম ভগব২চিন্তা মান্মের সেইন্ূপ একটি সংস্কার। রবীন্দ্রনাথের জন্ম হয় ব্রাদ্ষপরিবারে, ত্রাঙ্মমমাজের নেতৃস্থানীয় মহাপুরষের গৃহে) স্তরাং ভগবতবিশ্বাস তাহার জন্মগত সংস্কার। এই সংস্কার বিশ্বাস -বশে তিনি এই সময়ে ব্রঙ্গলংগীত রচনায় প্রবুত্ত হইলেন এবং মাঘোৎসবের জন্য সাতটি গান রচনা করিয়া দিলেন ; তখন তাহার বয়স বিশ বখ্সর পর্ণ হয় নাই। এই সাতটি গানের দুইটি মাত্র গীতবিতানের প্রথম সংস্করণে কবি-কর্তৃক সন্নিবেশিত হইয়াছিল। গীতবিতানের বহমান সংস্করণে সকলগুলিই আছে ।১

বাল্সীকি প্রতিভা

সাহিতোর শিক্ষায় ভাবের চর্চায় সংগীতের অন্তশীলনে বাল্যকাল হইতে জ্যোতিপিদ্দনাথ ছিলেন রবীন্দ্রনাথের প্রধান সহায়। পিয়াছে এবং বেহাল! বাজানো এবং বিলাতী সবরের গানের চর্চ। ছিল জ্যোতিবিন্দের যৌবনের অন্থতম বিলাস বাসন। পিয়ানো বাঙ্গাইয়] নৃতন নৃতন স্থর স্ষ্টি করিতে তাহার অপার আনশ ছিল। এই সচ্যোজাত ম্থ৫গুণিকে কথা দিয়া বাধিরা ফেলিতে তিনি পারিতেন না, স্থরে ভাষা দান করিবার জন্য অক্ষরচন্দ্র চৌুরী রবীন্দনাথকে নিমুক করিতেন ; এইটি রপীন্দ্রনাথের বিলাত যাইবার পূর্বেই ঘটে জ্যোতিবিজ্দ্রনাথ জীবনম্্রতিতে বলিয়াছেন, “'সরোজিনী?

তস্ববোধিনী পত্রিকা, ফাঙ্গুন ১২৮৭ | মাঘোৎসবের সময় এই গানগুলি গীত হয় - শেষ গানটি ছিজেলনাপ ঠাঠুর রচি ._

রবিচ্ছায়া (১২৯২) গাঁনের বহি (১৩১) পীতবিচান তুমি কি গো পিতা আমাদের ২০৬ ২৭৯ ৮২৯ মহা সিংহালনে বসি শুনিছ হে বিশ্বপিত ২০ ২৮২ ৮২৬ আমবা যে শিষ্প অতি ২১১ ২৭ ৮২৫ তোমারই করিয়াছি জীবনের ফ্রুবতারা ২১১ ২৮০ ৩১৮ কী হন্দর শোভা ২১২ ২৭৭ ২১৪ দিবানিশি করিয়া যতন ২১২ ২৮০ ৮২৬ কোথা আছ, প্রভু, এসেছি দীনহীন ২১৫ 2৭৭ ৮২৭ আজি কি হরমদমীর বছে+ ২১৫ নাই না

+থিজেলনাধ ঠাকুর রচিত | ত্র- গীতবিতান ১ম সংস্করণ (১৩৩৮ ) পৃ »৫৮ * রবিদ্ছায্লা একমাত্র গ্রস্থ যেখানে ইহা রীশ্্রনাথের রচনা বলিয়! সংগৃহীত হয়। পরে বর্তমানে প্রচলিত 'গীতবিতানে'র ১ম ২য় খণ্ডের গান কবি-কতৃক নির্বাচিত হুইয়াছিল। কবির মৃত্যুর পর ৩য় খণ্ডের মধ্যে অবশিষ্ট গান সংগৃহীত হয়।

ষ্টাফ ১৮৮০ বান্মীকি প্রতিভা ১০১

প্রকাশের ( নভেম্বর ১৮৭৫ ) পর হইতেই আমরা রবিকে প্রমোশন দিয়া আমাদের সমখ্রেণীতে উঠাইয়। লইলাম। এখন হইতে সংগীত সাহিত্য -চর্চাতে আমরা হইলাম তিনজন-_ অক্ষয় চৌধুরী, রবি, আমি |”

বিলাত যাইবার পুধেই গানরচনায় তাহার হাতে-খড়ি হুইয়াছিল। বুদ্ধবয়সে লিখিত “ছেলেবেলা? গ্রন্থে তিনি লিখিয়াছেন, “এইবার ছুটল আমার গানের ফোয়ারা জ্যোতিপাদ] পিরানোর উপর হাত চালিয়ে নতুন নতুন ভঙ্গিতে ঝমাঝম সর তৈরি করে যেতেন, আমাকে রাখতেন পাশে তখনি খনি ছুটে-চলা স্থরে কথা বসিয়ে বেঁধে রাখবার কাজ ছিল আমার |” ওই কাজে অক্ষয়চন্দ্র ন্বর্ণকুমারী সহায়তা করিতেন জ্যোতিরিকন্দ্রনাথ বলিয়াছেন, “সচরাচর গান বাধিয়া তাহাতে স্বর সংযোগ করাই প্রচলিত রীতি, কিন্থ আমাদের পদ্ধতি ছিল উলটো সুরের অশন্গবূপ গান তৈরি হইত।” এইভাবে আমেধাবাদ যাইবার পূর্বে ববীন্দ্রনাথের গানরচনার স্থত্রপাত হয়। গুন্গুন্‌ করিয়া থর করিতে করিতে ভাষা আপনি আনিয়া গানে রূপ লয়, ইহাই ছিল কবির গানরচনার রীতি এই সবরের অভিঘাতে যেসব গান উতৎ্সরিত হয়, তাহার কয়েকটি বোধ হয় জ্যোতিরিক্দ্রনাথের স্বপ্রময়ী নাটক মধ্যে ভুক্ত করা হয়। যথাস্থানে সে আলোচনা হইবে।

এই সময়ে সংগীত সম্থদ্ধে স্পেনসবের এক প্রবন্ধ) রবীন্দ্রনাথের হাতে পড়ায়, তাহার মনে সংগীত অভিনয় সন্ধে নবতবর ভাবনার উদয় হইপ। মস্পেনসর ছিলেন সে-যুগের শ্রেষ্ঠ চিন্তাশীল লেখকদের অগ্ততন্ত। মান্ষের চিরাচরিত মোহাচ্ছন্্ন মতকে জীবতব নৃতত্ব মনোবিজ্ঞান সমাজবিজ্ঞানের সাহায্যে বিশ্লেষণ করিয়া উচ্াকে দৈব অপোকুষেএতার আসন হইতে বেদিচ্যুত করিতে চেষ্টান্থিত ছিলেন; তিনি সে-যুগের ভাঙনপন্থী যুবকদের গুরুত্বরূপ এই প্রবন্ধ পড়িয়া রবীন্দ্রনাথের সংগীত সন্বন্ধে যেন নৃতন দৃষ্টি খুলিয়া গেল।

জীবনস্থতিতে কবি এই বিষয়ে ধাহ। লিখিয়াছেন, তাহা সমকালীন মনোভাব না হইলেও উদ্ধৃতিযোগ্য : “সচরাচর কখার মধ্যে যেখানে একটু হৃদয়াবেগের সঞ্চার হয় সেখানে আপনিই কিছু-না-কিছু স্ব লাগিয়া যায়। বস্তত রাগ দুঃখ আনন্দ বিশ্বময় আমরা কেবলমাত্র কথা দিয়া প্রকাশ করি না, কথার সঙ্গে হুর থাকে এই কথাবার্তার আনুষঙ্গিক স্থরটা৭ই উতৎ্কর্ধমাধন করিয়া মানুষ সংগীত পাইয়াছে স্পেনসরের এই কথাটা মনে লাগিয়াছিল। ভাবিয়াছিলাম এই মত অনুসারে আগাগোড়া স্বর করিয়া নানা ভান্কে গানের ভিতর দিয়া প্রকাশ করিয়া অভিনয় করিয়া গেলে চলিবে না কেন।”

এই ভাবনা হইতে বাল্মীকিপ্রতিভা গীতনাটোর জন্ম এই সময়ে তাহার ভাবনাকে ন্ধপদানের স্থযোগও ফিলিল।

পাঠকের স্মরণ আছে, বিছজ্ছন-স্মাগম সতা* নামে একটি প্রতিষ্ঠান ঠাকুরবাড়ির সহিত সংঙ্লি্ই ছিল। সেই সভার বাধিক অধিবেশন উপলক্ষে একটা-কিছু অভিনয়ের প্রস্তাব হইতে বাল্মীকি প্রতিভার আবির্ভাব হইল ১২৮১ সাপের বৈশাখ ঠাকুরবাড়িতে যখন এই সভা স্থাপিত হয়, তখন রবীন্দ্রনাথের বয়ন তেরো বৎসর ।* সভা স্থাপনের

১::155095-50170100, 70110600104 ০1১৬০100156. ৬০1. [18682 10006 0518687/ 5] 05001017০06 1১15)510 এই প্রবন্ধাটি 7195605 1৩148850176 1857-এ প্রথম প্রকাশিত হয়

"বাবু দেবেঙ্নাধ ঠাকুরের বাটীতে একটি সাহিতা সন্থিৎ স্থাপিত হইল। গত বৈশাখ | ১২৮১] শনিবার কলিকাতায় অনেকগুলি গ্রন্থকার এবং অগ্ঠ স্থান হইডে আর কয়েকজন উপস্থিত হইচাছিলন। সেখানে গতবাদ্তাদি আমোগ হইয়! ছিল।”-_ এডুকেশন গেজেট সাপ্তাহিক বাঙাবহ্‌', ২৬ বেশাধ ১২৮১। প্র. পবিদ্বজ্জন সমাগম, প্রসনতৎকুমার গুপ্ত, দৈনিক বন্ুমতী, ২* মার্চ ১৯৬৬।

ঠাকুর পরিবারের ছোট ছোট কয়েকটি বাঁলকবালিকা। চৌতাল গুভতি তালে তানলয়ধিশুদ্ধ সঙ্গীত করিয়া! সভান্থধর্গকে চমংকৃত করেন |." স্োতিরিঙ্বাবু এক অন্ত নাটক [ পুরুবিস্রম ৩য় অন্ধ গর্ভান্ক ] পাঠ করিলেন ...। তদনস্তর ছিজেজ্রবাবু রচিত '্বপ্র' বিষয়ক একটি হজ্দর কতা | হপ্রপ্রয়াণ ১ম মগ বদন শ্রাবণ ১২৮* সংখ্যায় ঘাহ। প্রকাশিত হইয়াছিল] পাঠ করিলে শিশুরা সংগীত করিতে লাগিল /” এই শিশুদের ষধ্যে

১০২ রবীন্দ্রজীবনী ্ষ্টাব্ ১৮৮

ছয় ব্সর পরে ১২৮৭ সালে রবীন্দ্রনাথের উনিশ বৎসর বসে তাহারই উপর বিছজ্জন-সমাগম সভার বাধিক অধিবেশন উপলক্ষে অভিনয়ের উপযোগী নাটক রচনার ভার অপিত হইল তখন “কোন্‌ বিষয় অবলম্বন করিয়া নাটক লিখিলে এই মভার উপযুক্ত হইবে তাহারই আলোচনাকালে দস্থারত্বাকরের কবি হইবার কাহিনীই সকলের চেয়ে সংগত বলিয়া বোধ হইল।” বিহারীলাল চক্রবতীর 'সারদামঙ্গল' হইতে মূল প্রেরণা পাইলেন। বিহারীলালের এই 'মঙ্গল'কাবা (১২৮৭) এই বৎসরে পুস্তকাকারে প্রকাশিত হইয়াছে প্রায় ছয় বৎসর পূর্বে (১২৮১) আর্ধদর্শন পত্রিকায় উহা! যখন প্রথম বাহির হইতেছিল, তখনই উহ] সাহিত্যরসিকদের মাতাইয়! তুলিয়াছিল; এখন সমগ্র 'মঙ্গল'কাব্যখানি পাঠকদের হস্তগত হইল।

রবীন্দ্রনাথ তাহার গীতনাট্যের ক্রৌঞ্ধের চিত্রখানি গ্রহণ করিলেন “সারদামঙ্গল” হইতে 'ক্রৌঞ্চকধিবে আপুত পাখা ধরণী লুটায়”।১ বালিকার বেশে সরম্বতীর আবিঙ্জব তিবোধান রবীন্দ্রনাথের নিজন্ব কল্পনা হইলেও বিহারীলালের কাবা হইতে তাহা বহুলপত্রিমাণে গৃহীত সরম্বতীর অন্তর্ধানের পর বাল্ীকির শোক “সারদামঙ্গলোর দ্বিতীয় সগে আনন্দলক্ষ্মীর উদ্দেশে কবিচিত্তের অভিসার কাতরতার সহিত তুপনীয়। সারদামঙ্গলের শেষে কবিচিন্লে যে-আনন্র উপলব্ধ হইয়াছে, বাল্লীকিপ্রতিভাতে সরন্বতীর 'আাবিভাবে তাহ] পবিপূর্ণতা লাত করিয়াছে

নাট্যের শেষ দৃশ্ঠে সরম্বতী বাম্মীকির হস্তে বীণা সমর্পণ করিতেছেন__ এই চিত্রখালি মূরের আইপিশ মেপোডিজ কাবোর চিত্রিত গ্রন্থের শ্বতি হইতে কন্পিত। জীবনম্থতিতে কৰি লিখিয়াছেন, “ছবিতে বীণা আকা ছিল, সেই বীণার স্থর আমার মনের মধ্যে বাজিত |”

এইভাবে নাটকের গল্পটা! একরূপে ঠিক হইলে, জ্যোতিরিন্দ্রনাথ স্থরস্্টিতে রবীন্দ্রনাথ তাহাতে ভাষা দান করিতে আরম্ভ করিলেন। এই সংগীতরচনায় অক্ষয়চন্দ্র চৌধূরী মাঝে মাঝে যোগ দিতেন ।* এইভাবে বিহারীলালের নিকট হইতে নাটিকাব বিষয়বস্ত' সংগ্রহ করিয়াও জ্যোতিরিক্দ্রনাথের নিকট হইতে সুরযোজনা সম্বন্ধে সহায়তা লাভ করিয়া রবীন্দ্রনাথের প্রথম গীতনাট্য রচিত হইল

অতঃপর বিছ্জ্জন-সমাগম সভার বাষিক অধিবেশন উপলক্ষে ইহার অভিনয় হইল-_- ১৬ ফাল্গুন ১২৮৭ সাপের (২৬ ফেব্রুয়ারি ১৮৮১ )* জোড়ার্সাকোর বাড়ির তেতলার ছাদে পাল খাটাইয়া, স্টেজ বাধিয়া। এই অভিনয়ে

রবীন্দ্রনাথ নিশ্চয়ই ছিলেন জ্র. উমেশচন্দ্র দত্ত সম্পািত ভারত সংস্কারক, ২৪ এপ্রিল ১৮৭৪ [ ১১ বৈশাখ ১২৮১ ]-জেস্ত্রনাণ বন্দোপাধায়, “সেকালের কথা”, প্রবাসী, ন্ট ১৩৪ তু. কবিকহিনী চতুর্থ সঙ্গ রবীন্্র-রচনালী, অচলিত সংগ্রহ ১, পূ ৪১

বাধশরে নিপতিত পাখীর মরণে

বাশ্ীকির সাথে যিনি করেন ক্রন্দন মালতীপু'খিতে এই অংশ আছ্ছে। আত্ুকুমার সেশ, বাঙ্গালা সাহিত্যের হতিহাল, ২। জীবনস্তির দ্বিতীয় পাগুলিপি, পৃ. ২৩৩ জ্রীন্বকুমার মেন লিখিতেছেন, 'জোড়াঙ্গাঁকো। ঠাকুরবাড়িতে যে বাল্ীকিপ্রতিষ্ার প্রথম অভিনয় হয় সেদিন দর্শকমণ্ডলীর মধে। কবি রাজবৃ্চ রায় (২৫) ছিলেন অভিনয়দর্শনে মুগ্ধ হইয়া ইনি একটি কবিতা লেখেন 'বালিকাপ্রতিভা' নামে | ইহা রাজকুকণ রায়ের গ্রস্থাবলীর ( ১ম খণ্ড ) মধ্যে “অবসর-সরোজিনী'[১ম]তে সম্বলিত আছে কবিতাটিতে যে-পাদটাক। আছে তাহা হইতে জানা যাইতেছে যে, ১৯ ফাক্সন ২৮৭ শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি ১৮৮১) দিবসে বাশ্ীকিপ্রতিা প্রথম অভিনীত হইয়াছিল ।'-বিশ্বভারতী পত্রিকা, ২য় বর্ষ, কাতিক-পৌধ ১৩৫*, পূ ১৩৩। স্্. প্ীগোপালচন্তর রায় : “বাল্থীকি প্রতিভ। প্রসঙ্গে রবিবাসরীয় পূগাস্তর, « চৈত্র ১৩৬৭, [১৯ মার্চ ১৯৬১] এই প্রবন্ধে ছবিজেক্রনাধ ঠাকুরের নামে যে নিষগ্্রণ কার্ড মুক্রিত হয়, তাহার ফোটোছবিটি দিয়াছিলেন “১৬ই ফাল্থুন শনিবার সন্ধ্যা ++ ঘটিকার সময় আমাদিগের জোড়া্াকোন্থ গধনে ভারতী উৎসব

খষ্টাৰ ১৮৮০ বান্মীকিপ্রতিতা ১৯৩

রবীন্দ্রনাথ (১৯) বান্মীকি তাহার ভ্রাতুদ্পুত্রী হেমেন্দ্রনাথের কন্তা গ্রতিত! 0১৫) সরস্বতী সাজিয়াছিলেন-__ “বান্মীকি প্রতিভা নামের মধো সেই ইতিহাসটুকু রহিয়! গিয়াছে ।” বিছ্জ্জন-সমাগম সভা উপলক্ষে ঠাকুরবাড়িতে কলিকাতার বহু গণ্যমান্য সন্ত্রান্ত সাহিত্যিক নিমস্ত্িত হইয়া! আসিয়া- ছিলেন, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (৪৩), গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় (৩৭), হরপ্রসাদ শান্ত্ী (২৮), রাজরুষ্: বায় (২৫), কষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলাম্বর মুখোপাধায়, তারকনাথ পালিত, বিহারীলাল গপ্ত, সৌরীন্রমোহন ঠাকুর, মহেশচন্্র হায়রত্ব, কৃষ্ণবিহারী সেন প্রভৃতির নাম বিশেষভাবে স্মরণীয় নাটায়ঞ্চে সাধারণের সমক্ষে রবীন্দ্রনাথের এই প্রথম অভিনয়।১ পরযুগে নাট্যাভিনয়কলায় রবীন্দ্রনাথ যে যশ অর্জন করেন বাংলাদেশের অভিনেতাদের সম্মুখে যে আদর্শ প্রতিষ্ঠিত করেন, তাহার স্চনা হয় এই দিনে ।২ সাহিত্যে সংগীতে এই ক্ষৃত্র গীতনাট্যের প্রভাব সেদিন বিশেষভাবেই অুভূত হইয়াছিল উহার একটি দৃষ্টান্ত উল্লেখযোগা তরুণ সাহিত্যিক হরপ্রসাঙ শান্্রীর 'বাল্পীকির জয়? বঙ্গদর্শনে (পৌষ, মাঘ চৈত্র ১২৮৭) ধারাবাহিক- ভাবে প্রকাশিত হয়। তখনও রবীন্দ্রনাথের বাল্মীকিপ্রতিভা বাহির হয় নাই। বিদ্বজ্জঞন-সমাগম সভা উপলক্ষে ইহা! মুদিত হয় (ফাল্গুন ১২৮৭ )। অতঃপর হর প্রসাদ তাহার 'বাল্মীকির জয়" গ্রস্থখানি সংশোধিত পরিবর্ধিত করিয়া ভাদ্র ১২৮৮ মাসে প্রকাশ করেন। এই গ্রন্থের শেষাংশ যে কিশোরকবির বাল্দীকিপ্রতিভার দ্বারা অন্ুপ্রেরিত হইয়াছিল, তাহা বঙ্গদরশনের বিচক্ষণ সমালোচকের শ্রেনদৃত্টি এড়ায় নাই) তিনি লিখিয়াছিলেন, “ধাহার বাবু ববীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'বাল্পীকি প্রতিভা" পড়িয়াছেন বা তাহার অভিনয় দেখিয়াছেন, তাহারা কবিহাব জন্মবৃত্তান্ত কখনো ভুলিতে পারিবেন না হরপ্রসাদ শান্ধী এই পরিচ্ছেদে ববীন্দ্রনাথবাবুর অন্গমন করিয়াছেন ।”* "আমাদের মনে হয় এই সমালোচন! বক্ষিমের লেখনী নিংস্ত। কারণ তিনি নাটাভিনয়ে দর্শকরূপে উপস্থিত ছিলেন গুরুদাস বন্দোপাধায় তখন কলিকাতা হাইকোটের উদীয়মান উকিল তিনি এই অভিনয় দেখিয়ী এমনই মধ হইগলাছিলেন যে, একটি গান রচনা করিয়া! ফেলেন ববীন্দ্রনাথের পঞ্চাশদ্বধের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে তিনি তাহা জনসমাজে প্রকাশ করেন গানটি এই-- উঠ বঙ্গভূমি, মাতঃ, ঘুমায়ে পেকো না আর, অজ্ঞালতিমিবে তব স্গ্রভাত হ'ল ভেবো 1৪ উঠেছে নবীন ববি, নব***জগতেবর ছবি, নব 'বালীকি-প্রতিভা' দেখাইতে পুনবার হেবো তাছে প্রাণ ভ'রে, স্থখতৃষণ যাবে দুবে, ঘুচিবে মনের ভ্রান্তি, পাবে শাস্তি অনিবার। হইবে; এবং সেই কপলক্ষে বালীকিপ্রতিভ। নামক অভিনব নীতি-নাটা অভিনীত হঙবে।-.. এই পত্র প্রবেশপত্র ত্বরূপে দ্বারদেশে গৃহীত হইবে ।” উীগোপালচঞ্জ রায়ের এই প্রবন্ধ আমার বিশেষ কাজে লাগিবা.ছ বিলাত যাইলার পুর্বে ১৬ বংসব বয়সে রবীপ্রনাথ জ্যোভিরিক্রলাপের 'এমন কর্ধ আর করব লা প্রহথসনে অলীকবাবৃব ভূমিকায় এবং বিলগাত হইতে আমিয়] 'মানময়ী'তে ই্রের ভূমিকায় অবতীর্ হইয়াক্িলেন, এসব অভিনয় প্রায়ই বাঁড়ির লোফ বজুবান্ধবদের মধ্যে সীমাবদ্ধ পাঁকিত। আজ. শীপ্রণয়কুমার কুছ, রবীক্রণাথর গীতিনাট। মৃতানাটা, ১৯৬৪ ! এই গ্রন্থে লীতিমাটের টেকনিক প্রভৃতি তব সবিল্বার আলা চিত হইয়াছে বঙ্গদর্শন, আব্িন, ১২৮৮ পৃ ২৮। বালীকির জয়, পৌধ, মাঘ চৈত্র ১২৮৭ বঙজ্গদরশজে প্রকাশিত হয়। পুস্তকাকারে প্রকাশকাল পোৌঁন ১২৮৮ ( ডিসেম্বর ১৮৮১)। & এই গানটর প্রথম দুই পর্ক্তি গুরুদাস বঙ্ধোপাধায়ের বহয়মপুর বাসকাঁলে 'অধরত্ব সভভাব জন্ত রচিত গানে ছিল। 7২৫7717715567665, ১৫৫০১৫5 01 ড71110785 ০1 317 0০0০০ 1995 876166, 1৫. 0০০71) ৮৪ 07015 015817015 98105)66, 1927) 7767.

১০৪ ববীন্দ্রজীবনী খ্ী্টান্। ১৮৮০

মণিময় ধূপিরাশি' খোজ যাহা দিবানিশি, ভাবে মজিলে মন খু'জিতে চাবে না আর।

বঙ্কিমচন্দ্র গুরুদাসের যে এই গীতনাটাখানি ভালে! লাগিয়াছিল তাহার মূল কারণ হইতেছে নাটকটির আখ্যান- অংশের উচ্চ আদর্শ তবে বঙ্কিম দেখিয়াছিলেন সাহিত্যের দিক হইতে, গুরুদাস দেখিয়াছিলেন তত্বের দিক হইতে। বিশুদ্ধ সংগীত নাটোর দিক হইতে ইহাকে দেখিবার মতো রসশিক্ষা তখনো সার্বজনীন হয় নাই বলিয়া সে সম্বন্ধে সমসাময়িক স্ততিনিন্দাী কিছুই জানা যায় না। মৃহযি দেবেন্দ্রনাথ অভিনয়ার্দির সংবাদ পাইয়। রবীন্দ্রনাথকে একখানি পত্র লেখেন ; ববীন্নাথ পত্রখানি তাহার বন্ধু প্রিয়নাথ সেনকে দেখান) প্রিয়নাথ রবীন্দ্রনাথকে লেখেন, “তুমি সেদিন তোমাদের বান্মীকি প্রতিভার অভিনয় সম্বন্ধে তার যে পত্রখানি দেখাইয়াছিলে সেখানি আমার বড় ভাশ লাগিয়াছিল-__ তাহার স্থন্দর অকপট সম্সেহময় ভাষায় আমি মু্ধ হইয়াছি।” ছুতাগাবশ ত£ এই পত্রখানি আমাদের হন্তগত হয় নাই ।১

রবীন্দ্রনাথ জীবনম্থততিতে 'বাল্সীকিপ্রতিভা'র বন্ধ বিচার করিয়াছেন; তিনি বলিগাছেন, “বাল্সিকী প্রতিভা পাঠযোগ্য কাবাগ্রস্থ নহে, উহ্ন৷ স"গীতের একটি নৃতন পরীক্ষা ; অভিনয়ের লঙ্গে কানে না শুনিলে ইহার কোনো স্বাদগ্রহণ সম্ভবপর নহে। যুরোপীয় ভাষায় যাহাকে অপেরা বলে, বান্ীকি প্রতিভা ভাহা নহে, ইহা স্বরে নাটিকা অর্থাৎ সংগীতই ইহার মধ প্রাধান্ত লাভ করে নাই, ইহার নাটাবিষয়টাকে স্থর করিয়া অভিণয় করা হয় মা, দহ সংগীতের মাধুর্য ইহার অতি অল্পস্থলেই আছে।”

এই গ্তনাটোর মধো বৈঠকী গানভাঙ1 অনেকগুলি স্থর জ্যোতিরিন্দ্রনাথের ) ইহা এক হিসাবে সগীতজগতের একটা বিপ্রব, কারণ ওস্তাদদের মতে মাগনংগীতের বিশ্তুদ্ধ ঠাট ভঙ্গ করায় গানের আভিজাতাই নষ্ট হইদ্রাছিল। ইহার উপর ইহারা নিজেদের যদজ্ছাক্রমরচিত স্বরে গান বসাইলেন ; বিলাতি স্থবেরও প্রয়োগ করেন বালা গানে এইসব অভিনবস্থ যে কত বড় সংগাতদ্রোহিতা তাহা আজ আমাদের কাছে সহজে হায়ঙ্গম হইবে পা; কাবণ গান এখন বু স্থরগ্রাহী হইগাছে।

বান্মীকিপ্রতিভায় গান লইয়া যে-পরীন্ষী করিলেন, তাহারই সমর্গনে তাহাকে ইহার পর ভিনটি প্রবন্ধ পিখিতে দেখি--সংগীত ভাব”, “সংগীতের উৎপত্তি উপযোগিতী' এবং সংগীত কবিতা?

সংগীত ভাব'২ প্রবন্ধটি কবি পাঠ করেন মেডিক্যাল কলেজ হলে (৮ বৈশাখ ১২৮৮) ছ্িতীয় বাব বিলাহ। যাত্রার পূর্বদিন। এই সভায় সভাপতিত্ব করেন রেভারেগু কুষ্ধমোহন বন্টোপাধায় (১৮১৩-৮৫)। কণ কবির প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল যে গানের কথাকেই গানের স্থরের ছাবা পরিস্কুট করিয়া তোল] ক$সংগীতের দুল উদ্দেশ | প্রবন্ধের লিখিত অংশ দীর্ঘ নহে, দৃষ্টান্তের ছারা বন্তব্যটিকে সমর্থনের চেষ্টায় নানাপ্রকার স্থরসংযোগে নানাভাব প্রকাশ করেন। তিনি বলেন যে, আমরা যখন কথা বলি তখনও স্থরের উচ্চনীচতা কগম্ছরের বিচিত্র তরঙ্ষপীল। পাকে। স্থরের উচ্চনীচতা! তরঙ্গলীল] স্গীতের উতৎকর্ধতা প্রাপ হয়।

সংগীতের উৎপত্তি সন্ধে রবীন্দ্রনাথ হাবার্ট স্পেনসরের মতের অনুগামী; এবং াহারই প্রবন্ধ পাঠ করিয়া

প্রির-পুষ্পাঞ্জলি, পৃ ২৯৯। এই পরিচ্ছেদ রচনাকাঁলে নির্শলচজ্জ চটোপাধায় লিখিত 'বান্ীকি প্রতিতা ভারতীয় সংশীতের মুক্তির প্রেরণা-দেশ ১১শ বর্ষ, ২৭ ফাল্গুন ১৩৫* সাল পৃ ১৩৭-৪* 'রবীন্রগীতঞিজ্াসা', গীতবিতান বার্ষিকী পৃ. ১৫৭-৬৭ হইতে সাহা পাইয়াছি।

সংগীত ভাব, ভারতী, জোট ১২৮৮, পু ৬২-৬৯। পশ্চিমবঙ্গ সরকার-কতক প্রকাশিত রবীন্ব-রচনাবলী ১৪। ৮৭৫-৮০। জু, সংগীত চিগ্ত। (বিশ্বভারতী ১৯৬৬) পৃ ১-১*। বেখুন সোসাইটির উদ্ভোগে এই সভা আহত হয়। মেডিকাল কলেজের সম্পাদক [ঢ. 7. 1710৭ ১১ ডিসেম্বর ১৮৫১ বেখুন-সোসাইটি স্থাপন করেন; বেখুনের মৃত্যু হয় ১২ অগস্ট ১৮৫১

খষ্টাব ১৮৮০ বাশ্মীকি প্রতিভা ১০৫

রবীন্দ্রনাথ কিভাবে গ্লীতনাট্য-রচনায় উদ্বোধিত হইয়াছিলেন, সে কথা আমর! পূর্বে বলিয়াছি। বেখুন-সোসাইটিতে পঠিত প্রবন্ধে পরিবাক্ত মতের সমর্থনে এবার তিনি স্পেনসরের [56 02181152154. ৫1556012067 431০ প্রবন্ধটি অবলম্বন করিয়া “সংগীতের উৎপত্তি উপযোগিতা'১ শীর্ষক রচনাটি লিখিলেন তাহাতে কৰি বলেন যে, মনোভাব প্রকাশের শ্রেষ্ঠ উপায় হইতেছে সংগীত, আর বাগবাগিণীর উদ্দেশ্ট ভাব প্রকাশ করা মান্র। কিন্ক এখন সংগীতের উদ্দেশ্য ঈাড়াইয়াছে ভাবটিকে রাগরাগিণীর হস্তে সমর্পণ করা “আমাদের দেশে সংগীত এমনি শান্ত্রগত, ব্যাকরণগত, অন্ুষ্ঠানগত হইয়া পড়িয়াছে, শ্বাভাবিকতা হইতে এত দূরে চলিয়। গিয়াছে যে, অশ্রভাবের [ £5611£ ] সহিত সংগীতের বিচ্ছেদ হইয়াছে, কেবল কতকগুলা স্থরসমষ্টির কর্দম এবং বাগরাগিণীর ছাচ কাঠামো অবশিষ্ট রহিয়াছে; সংগাত একটি মৃত্তিকাময়ী প্রতিম। হইব] পড়িয়াছে, তাহাতে হৃদয় নাই, প্রাণ নাই |” (পৃ ১৭)

বিশ বৎসর বয়সের ববীন্দ্রনাথের মতো রাগ-রাগিণীর অত্যাচার সহ করিতে তিনি নারাজ “সংগীত ভাব প্রবন্ধে বপিলেন যে, ণ্যদি মধ্যমের স্থানে পঞ্চম দিলে ভালো শুনায়, আর তাহাতে বর্ণনীয় ভাবের সহায়তা করে, তবে জয়দয়ন্তী বাচুন বা মকুন, আমি পঞ্চমকেই বাহাল রাখিব না কেন?” বৈয়াকরণ সাহিত্যিকের যে প্রভেদ, গানের ওস্তাদের সহিত একজন ভাবুক গায়কের? সেই প্রভেদ। তাই বলিতেছেন, “সংগীতের উদ্দেশ্যই ভাব প্রকাশ কর! যেমন কেবলমাত্র ছন্দ, কানে মি নাক তথাপি অনাবশ্বক, ভাবের সহিত ছন্দই কবিদের ভাবুকদের আলোচনীয়, তেমনি কেবলমাত্র হুরসমষ্্রি ভাব না থাকিলে জীবনহীন দেহ মাত্র, সে দেহের গঠন স্থন্দর হইতে পাবে, কিন্ত তাহাতে জীবন নাই কেহ কেহ বপিবেন, তবে কি রাগরাগিণী-আলাপ নিষিদ্ধ? আমি বলি, তাহা কেন হইবে? রাগরাগিণী- আলাপ ভাষাহীন স"গীত। অভিনয়ে 08170177176 যেরূপ, ভামাহীন অঙ্গভঙ্গি-ঘারা ভাব প্রকাশ করা, সংগীতে আলাপ সেইরূপ কিন্তু ১1১00101)0-এ যেমন কেবলমাত্র অঙ্গভঙ্গি হইলেই হয় না, যে-সকল অঙ্গভক্ষি-হারা ভাব প্রকাশ হয় তাহাই আবশ্তক; আলাপে সেইরূপ কেবল কতকগুলি স্বর হইতে বিক্ষেপ করিলেই হইবে ন', যে-সকল সৃববিস্তাস-দ্বারা ভাব প্রকাশ হয় তাহাই আব্শ্বক | গায়কেরা সংগীতকে যে আসন দেন, 'আমি সংগীতকে তদপেক্ষা উচ্চ আসন দিই; তাহারা স'গীতকে কতকগ্ডলা চেতনাহীন জড় সবের উপর স্থাপন করেন, আমি তাহাকে জীবস্ত অমর ভাবের উপর স্থাপন করি তাহার! গানের কথার উপরে স্থরকে দাড় করাইতে চান, আমি গানের কথাগুলিকে সবের উপবে দাড় করাইতে চাই তাহারা কথা বসাইয়া যান স্থর বাহির করিবার জন্ব, আমি সর বসাইয়! যাই কথ! বাহির করিবার জন্য)”

রবীন্দ্রনাথ এইভাবেই স্বর হইতে গানের সৃষ্টি করিতেছেন বলিয়া তাহাবই সমর্থনে এই কৈফিয়ত দিতেছেন। কিন্ধ যে মশ্ুটিকে এই বিশ বৎসর বয়মে এত জোবের সহিত ব্যক্ত করিয়াছিলেন, তাছাই সংগীত সম্বন্ধে তাহার চরম কণা নহে প্রায় ত্রিশ বংসর পরবে জীবনম্বতিতে লিখিলেন, “যে মতটিকে তখন এত ম্পর্ধার সঙ্গে ব্ক্ত করিয়াছিলাষ, সে মতটি যে সত নয়, সে কথা আজ স্বীকার করিব। গীতিকলার নিজেরই একটি বিশেষ প্রকৃতি বিশেষ কাজ আছে... গান নিজের এঙ্র্েই বড়; বাকোর দালত্ব সে কেন কবিতে যাইবে বাঁকা যেখানে শেষ হইয়াছে সেইখানে গানের আরম্ত। যেখানে অনিবচনীয় সেইখানেই গানের প্রভাব। বাকা যাহা বলিতে পারে না গান তাহাই বলে। এইজন্ত গানের কথাগুলিতে কথার উপদ্রব যতই কম থাকে ততই ভালো ।” ইহাকেই কি কবির চরম মৃত বলিয়া! গ্রহণ করিব? সে আলোচনার ক্ষেত্র এখন নছে।

সাগীতেক় উৎপত্তি উপযোগিত। (ছাধার্ট স্পেন্মরের মত ), ভারতী, আবা/ ১২৮৮, পৃ ১১৫-১২২। পশ্চিমবঙ্গ সরকার কতৃক প্রকাশিত রবীন্তর-রচনাবলী ১৪, পূ ৮৮১-৮৬। সংগীত-চিন্তা ( বিশ্বভারতী ১৯৬৬ ), পূ ১,-১৯। ১৪

১০৬ রবীন্দ্রজীবনী গ্রীষ্টাফ ১৮৮০

সংগীত কবিতা" গান সম্বন্ধে তাহার তৃতীয় প্রবন্ধ।১ এই রচনায় রবীন্দ্রনাথ তাহার পূর্বকবাকে আরো বিস্তৃতরূপে বাখা! করিয়া বলেন যে সংগীত কবিতায় আমরা আর-কিছু প্রভেদ দেখি না, কেবল উন্নতির তারতম্া। মাথু আন্লডের চিত্র সংগীত কবিতা সঙ্ধন্ধে মনোজ্ঞ বিশ্লেষণের মর্ষ উদ্ধৃত করিয়া কবি দেখাইলেন যে, যে-মুকর্ত শিল্পীর শিল্পের সবাপেক্ষা শুভ মুহৃত সেইটি বাছিয়া চিত্রে গাথিয়া ফেলা হইতেছে তাহার চরম সার্থকতা; ইহার পরের মুহতের ভাব চিত্রে নাই তেমনি মনের একটিমাত্র ভাব বাছিয়া লইয়া! সর দান হইতে সংগীতের কার্য, কিন্ধ কবিতার কাজ আবে বিস্তৃত; ভাব হইতে ভাবাস্তরে, অবস্থা হইতে অবস্থান্তরে তাহাকে গমন করিতে হয়। ম্যাথু আর্নলডের মতে সংগীত একটি স্থিরভাবের বাখা। মাত্র | কিন্ত রবীন্দ্রনাথের বিশ্বাস, গতিশীল ভাব যে সংগীতের পক্ষে এককবাবে অননুসরণীর় তাহা নহে; তবে এখনো সংগীতের মে বয়স হয় নাই বহু বসব পরে বুদ্ধবয়সে ববীন্মনাথ নাত্যর সহিত সংগীতের বিবাহ দিয়া সংগীতকে গতিশীল ভাবের বাহন করিতে সমথ হইয়াছিলেন। ববীন্দরনাথের মতে সংগীত হইতে কবিনার কাজ আগো বিস্তৃত | চিহকরের ল্বায় মুহতের বাহাশ্র তাহার বণনীয়, গাফকের ন্যায়

ক্ণকাঁলের ভাুবাক্্াসপ ভাতার গেয় | তীহা ছাড়া জীবনের গতিশোত ঠাহার বর্ণনার বিষয় ।” বিষষে শশান্িদেব ঘোষেব মত আমরা নিয়ে উদ্ধৃত করিলাম তিনি বলিতেছেন, পুরে আমাদের দেশে উরিপ্ী কিন্ত পাশ্ানা সভাভাব স্পর্শে এস আমাদের ল্বিরা ল্ঙ্গা করলেন গার্িকবিশায়

৯] এ) ৯৭ স্পষ্ট পথ */ হি -*& স্খ

স্ব প্য়ৌজন থাকে না,যদি ছন্দে 2 ভাবে কপিহাউ নিখাত হয়ে ভে আতা গীতটিকাবারচনা করিদের পক্ষে অহুনক সহজ হুম উঠল | শোনা যাঘ, আগেকাপ কিবা প্রায়ই স্ব গাথক হতেন | কারণ) তখনকার সমাজে গান টি রে শি 7 সত 282 জি 23 রী নর রি রি টু 7

ছিল অভাবশ্ক | ম্ততাং অবজান কিছনা আপনা হতেই হত পাশ্চাহা প্রভাবে খুগে হ্রবের প্রভার মানব

ভবনে যদিও কমে গেল। কিদ্ক আমাদের দেশে রক্ফে যেন্যাবেগ কনিপিন পাপে বান 2চছু হাতকে দর পরা সহৰ

রশ ৯০৯ কু র্‌ বৈ সি অন ২5 চি % এও হল তা তাহ কা লাশ এক শা অর পাশ্ছাতা শিক্ষার বশিতি হয়ে শি িহিম্ধাতিরাত িবতা ভাত ধল [লি কেলল 6:3১ , সু লে ৪.০ ০? -- 2 এন 3 পু কাবিহা লেখেন নি গান বগলা কাবেছেন 2 গ্ীতকাবিশাকেত হাতণ করণোচ্ছেন গানবুচনার আরলঙগতকুতপ 1 0 পাশ্তাতা

প্রভ'ব আমাদের অগারক কবিদের অনেক আ্বিধা করে থাকলে, সমগ্রভাবে কবিদের অনুশিহি হচ্ছাটি কোনগিকে

ধাবিত হচ্ছে তা ভালো করে বুকতে পাগি রবীন্দ্রনাথ 5 বুগের অন্যান্থ খ্যাতনামা গাহিরচদি দের পঙ্গা কবে )াও

নাট্যকাব্য কাব্যনাট্য বিলাত হইতে কিরিবার কয়েক মাসের মধোই (ফেব্রুয়ারি ১৮৮০) বপীন্মনাথ পুনরায় বিলাত যাওয়া স্থির করেন। এবার তিনি নিজেই পিতাকে পত্র লিখিয়া জানাইলেন মে ভিনি ব্যারিস্টার হইলেন | মতদি এই পর পাইয়া হাহাকে লিখিলেন, “মাগামা সেপ্টেম্বর মাসে ইংলগ্রেযাপ্য়া স্থির করিয়া এবং লিখিয়াছ যে মামি ব্যাঞ্িস্মার হছবা | তোমার এই কথার উপনে তোমার শুভবুদ্ধির উপরে নিহর কিয়! তোথাকে উল যাইতে অন্মতি দিলাম 1 গহবারে সত্ন্দ তোমার সঙ্গে ছিলেন, এবারে মনে কবিবে আমি হোযার সঙ্গে আছি 15

সংগীত কবিতা, ভারতী, মাঘ ১২৮৮, পূ ৪৫৮৬৪ | পশ্চিমবঙ্গ সরকার-কহু প্রকাশিত রবীক্ত্ররচলাবলী ১৪, পু ৮৮৬-৯১। সংশীতচিদু! পৃ. ১৯-২৭এ |

প্রীশাগ্থিদের ঘোষ, রবীন্দ্রসংগীত | ইন্দিরা দেলী চৌধুরানী রবীন্্রসংগীত সন্বন্ধে যে গ্রন্থ লিশিয়াছেন তাত প্রনিধনযোগা-: “রবীন্রসীতের ভ্রিবেশীসংগম'

ভাদ্র ৫১ ব্রাঙ্গান্দ বা ২৩ অগস্ট ১৮৮ ৫১২৮৭ নঙ্গাঙ্গ ), মছধির পত্রাবলী, পৃ২*্৮।

গ্রীষ্টা্ষ ১৮৮* কদ্রচওওড ১০৭

কিন্ত এই প্রস্তাবমত বিলাত-যাত্র! হয় নাই; কি কারণে হয় নাই জানি না। এই সংকল্প গ্রহণের প্রা আট মাস পরে আর-একবার বিলাত-যাত্রার চেষ্টা হইয়াছিল বটে, তবে সেবার৪ মাদ্রাজ হইতে ফিরিয়া আসেন। ব্যারিস্টার হই্বার আশ! তিনি ত্যাগ করিলেও তাহার ছিতাকাজ্ক্ষী গুরুজনেরা সে আশা ত্যাগ করিতে পারেন নাই | এইবার তিনি তাহার ভাগিনেয় সতাপ্রসাদ বিলাত চলিলেন; কলিকাতা হইতে জাহাজে করিয়া মাদ্রাজ গিয়া সেখান হইতে বিলাতযাত্্রী জাহাজ ধরিবার কথা। মাদ্রাজে পৌছিয়া নববিবাহিত সত্যপ্রসাদ আর অগ্রসর হইতে নারাজ; অথচ একা ফিরিতে সাহল নাই, পাছে মহধষি বিরক্ত হন। অবশেষে রবীন্দ্রনাথকে লইয়া কলিকাতায় ফিরিয়া আমিলেন; মাদ্রাঙ্গের পথে স্টীমারে আশুতোষ চৌধুরী নামে যে যুবকের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠতা হয়, তিনি বিপাত চশিয়া গেলেন সত্যপ্রলা ববীন্দ্রনাথ ফিরতি জাহাজে কলিকাতায় ফিরিয়া অন্থরিতে মহধির সহিত দেখা করিতে গেলেন মহ কাহাকেও ভত্মনা করিলেন না, “কারণ তিনি সমস্ত কর্ণকেই ঈশ্বরের মঙ্গল ইচ্ছা! বলিয়া মনে করিতেন? | দ্বিতীয়বার বিলাত যাইবার পূর্বদিন সায়াহ্কে (৮ বৈশাখ ১২৮৮) বেখুন মোসাইটির আমগ্রণে মেডিক্যাল কলেজ-হলে

রণীন্দ্রণাথ ম'গীত সম্বন্ধে যে এক প্রবন্ধ পাঠ করিলেন, সে বিষয়ে আমর! পূর্বে আলোচনা করিয়াছি এইবার বিলাত যাইবার কথা উঠিলে রবীন্দ্রনাথ ভীহার সগ্কপ্রকাশিত “ভগ্রহদয় 'কুজচগ গ্রস্থয়১ যথাক্রমে “শ্রযতী হে কে? 'ভাই জ্োোতিদাদা'কে উৎসর্গ করেন। উভয় গ্রস্থই যে বিলাভ-যাত্রার পুরে রচিত তাহা উপহারের মধ্যে স্পষ্ট ভগ্রহ্দয়ের উপহারে আছে__

আজ সাগরের তীরে দাডায়ে তোমার কাছে)

পরুপাবে মেঘাচ্ছন্ন অন্ধকার দেশ আছে। রুদ্চণ্ের উপহারে আছেন

সে শ্রেহ-আপ্রয় ভাজি যোত হবে পরবাসে

তাই বিদায়ের আগে এসেছি তোমার পাশে | মোট কথ।, উভয় গ্রন্থের উপহারের মধো বিদেশযাত্রীজনিত-বিজ্ছেদবেদনার আভাস ম্পষ্টভাবেই বাক্ত ভগ্রহদয় কখন রঠিত হয় সে কথা আমরা পূর্ব পরিচ্ছেদ্দে আলোচনা কবিয়াছি। কুদ্চণ্ডের মুদ্রণকাল জানি, কিন্ত তাহার রচনাকাল সন্বন্ধে আমর সম্পূর্ণ অক্ঞ| রবীন্দ্রনাথ জীবনশ্বতি বা তাহার অন্য কোনো রচনার মধো এই গ্রন্থের নামমাত্র করেন নাই। ইহার দুটিমাত্র গান।ং

কুদ্রচ্ড রূদ্চণ্ড অমিপ্লাক্ষর ছন্দে লেখা একখানি ক্ষু্র নাটক বা নাটাকাবা। রবীন্দ্রনাথের নাটক-বরচনার গরথম গুয়াস হিসাবে ইহার যাহা-কিছু মুলা; সাহিত্যিক মূল্য যত্সামান্ত। আমাদের মনে হয়, ববীন্দ্রনাথ বাল্যকালে বোলপুর

বৈশাধ ১২৮৮ তারিখ বিলাত-যাত্ার দিন। গ্রস্থঙথয় তংপূর্বেই মুজ্রিত হয়, যদিও বেঙ্গল লাইব্রেরি তালিকাভুক্ত হয় বাত্রমে ১* ১২ আষাঢ় ১২৮৮ (২৩ জুন ১৮৮১)। [76৮40 0৪0০৫ [২৩ মে ১৮৮১ (১১ জোষ্ট )] দৈনিকে রু্রচণ্ডের সমালোচনা বাহির হয়। বালীকি প্রতিত! অভিনয় প্রকাশের (২৬ ফেব্রুয়ারি ১৮৮১) ভিন মাস মধো এই দুইখানি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়। বসন্তপ্রভাতে এক মালতীর ফুল প্রথম মেলিল জাখি তার। -_গীতধিভান, পৃ ৭৭৩। দ্বরবিতান ৩৫

তরুতলে ছিননবৃন্ত মালতীর ফুল মুদিয়া আসিছে জাখি তার গীতবিতান, পূ ৭৭৩। ম্বরবিভান ২*।

১০৮ রবীন্দ্রজীবনী ষ্টার ১৮৮০

আসিয়া 'পৃর্থীরাজের পরাজয়” নামে যে কাবা রচনা করেন ( মার্চ ১৮৭৩ ) এই রুদ্রচণ্ড তাহারই নাটারূপ। নাটকের ভাষা অপরিণত আমাদের মনে হয় বিলাত যাইবার পূর্বে তাড়াতাড়িতে নৃতন কিছু স্ত্টি-প্রেরণার অভাবে পুরাতন কোনো রচনাটা নৃতন কলেবরে সাজাইয়! 'জ্যোতিদাদা'কে উপহার দিলেন।; এই গ্রন্থ প্রকাশিত হইলে বঙ্গমাহিত্যে স্থপ্রথিতনামা কালীপ্রসন্ন ঘোষ মহাশয় তাহার “বান্ধব পত্রে এই কাবা- সমাপোচন উপলক্ষে লেখককে উদীয়মান কবি বলিয়া অভ্যর্থনা করিয়াছিলেন। “বান্ধব-সম্পার্দকের মতে রবীন্দ্রনাথের “জ্যোতির নৃতন আভা অচিরেই সমস্ত বঙ্গে ছাইয়া পড়িবে, তাহার সমগ্র কবিতাতেই একটুকু অপৃব অনন্যসাধারণ নৃতনত্ব আছে। রুদ্রচণ্ডের রচনাতেও সেই নৃতনত্ব স্প্টত পণ্লক্ষিত হইতেছে। কবিতাগুলি যেন আধ আধ ভাঙা গলায় নিরবচ্ছিন্ন মধু ঢালিতেছে কিন্তু নাটকাংশে ইহা অসম্পূর্ণ ।”২ নিম্পে নাটকটির উপাখ্যান সংক্ষেপে প্রদত্ত হইল : কদ্র5গ হস্তিনাপুর-অধিপতি পৃথীরাদেরত প্রতিছন্বী। যুদ্ধে পরাজিত পাজান্র্ হইয়া অধুনা অরণ্যবাসী | প্রতিশোধ-স্পৃহাই তাহাকে বাচাইয়া রাখিয়াছে। নাটিকা আরম হইয়াছে রাত্রির অদ্ধকারে কালভৈরব প্রতিমার সম্মুখে নিঙ্জ সংকল্পসিদ্ধির উদ্দেশে রুদ্রচওড ভৈরব-পূজায় আসীন। কুদ্রচণ্ডের কন্তা অযিয়ার মনে হিংসা-প্রতিহিংসার কথা জাগে না; তাহার বন্ধু টাদকবি পূর্থীরাজের সভাসদ্‌; চাকবি অনেক সময়ে অরণ্য আসিয়া অমিয়ার সহিত গল্প করেন, তাহাকে গান শেখান। পূর্থীবাজ সম্পকিত কোনো ব্যক্তি অমিয়ার সহিত আপাপ করিবে এবধুষ্টতা %দ5ের নিকট অসহা। অমিয়াকে কঠোরভাবে বলিয়া দিপ অতঃপর টাদকবি অরণো আসিলে তাহার আর নিস্তার নাই চাদকবির অপশনে অমিয়ার মন ভাঠিয়া গেল, সে ভাবিতেছে- বড় সাধ মায় এই নক্ষ্মালিনী স্তব্ধ যামিনীর সাথে মিশে যাই যদি মুল সমীর এই, চাদের জোছনা, শিশার ঘুমস্থ শাস্তি, এর সাথে যি অমিয়ার জীবন যায় মিলাইয়া উভয় সংগীত প্রথনব(র বিলাত বাইবার পূৰে রচিত বলিয়া মনে হয়। দ্র মাপতীপুধি | 'রিবিচ্ছারা (১২৯২) পরে কাবাগ্রস্থাবলীতে (১১০১) সন্নিবেশিত হয়, কিন্তু তংপরে প্রকাশিত কোনো গাতনাগ্রহে বা খ্রস্থাবলীতে তাহাদের আর দেখা যায় নাই আব গভবিতানভুঁজ হইয়াছে ।-রখীন্্-ল্লচনাবলী, অচলিত সংগ্রহ ১, পু ৮৫ রুদ্রগ্ডের মধো অনিয়! চাদকবির কাহিনী বিশেষভাবে লক্ষ্য) মাণতীপুখিতে প্রথম সগ' বলিয়া একটি কাবার কিয়দংশ আছে। সেখানে অধিয়! নামে কোনো বালিকা কবির ভগিনী, জনশী সপ্শ | পরিবেশ আড কোমল আপ্রবোধচন্স দেশ মনে করেন, 'বালক কবি বোলপুরে পৃর্থীরান্দের পরাজয় নামে যে একট! বীররনাম্নক কাব্য লিখিয়াছিলেন, প্রপম মর্গ সম্ভবত দেই কাবের দ্বিতীয় সংস্করণের অসমাপ্ত আশ।' (রবীন্দ্র জিজ্ঞান। ১, পৃ ১৫৯)) আর একটি তপ্য লক্ষোর বিষয় কদচগে'র অন্তগত দুইটি গান, মাল হীপু' পির মধো আছে। বান্ধব, ১২৮৮, ৩য় নংখা, পৃ. ১৪২৪১ | জর জীবণম্থৃতি। খ্রস্থপরিচয় তু হিন্দুমেলায় উপহার ফেব্রুয়ারি ১৮৭৭ দেখেছি সেদিন যাব পৃথ্থীরাজ সমরে সাধিয়1 ক্ষত্রিয়ের কাজ, সমরে সাধিয়! পুকধের কাজ, আহায় নিলেন কৃতাওকেলে। দিনী দরবার উপলক্ষে পঠিত (১৮৭৭) কবিচাও শ্মরণীয় |

খ্রীষ্টাবক ১৮৮, কতরচণ্ড ১০৯

আধার জ্কুটিময় এই কানন, সন্কীর্ণহৃদয় অতি ক্ষুদ্র কুটীর, কুটির সমুখেতে দিনবাত্রি বাস, শাসন-শকুনি এক দিনরাজ্ি ষেন মাথার উপরে আছে পাখা বিছাইয়া_ এমন কর্দিন আর কাটিবে জীবন! পরদিন চাদদকবি আসিলেন; সকল কথা শুনিয়া বলিলেন, “আমি গেলে বল্‌ দেখি, বোনটি আমার, কার কাছে চুটে যাবি মনে বাথা পেলে?” অতঃপর টাদকবি অমিযাকে ছুইটি গান শিখাইয়া দিলেন__ তাহার কথা পূর্বেই বলিয়াছি। গানদুইটি পরস্পরের পরিপূরক | াদকবি অমিয়াকে বলিয়াছিলেন-_ তুই হ্থকুমার ফুল যখনি ফুটিলি, যখনি মেলিলি আখি, দেখিলি চাহিয়া_ শুদ্ধ জীর্ণ পত্রহীন অতি স্থকঠোর বন্্রাহত শাখা-পরে তোর বৃস্ত বাঁধা ! অমিয়া যখন গান শিখিতেছে, অকন্মাৎ তাহার পিতা আমিয়! উপস্থিত। সে ভাবিয়া আকুল-_-কি করিয়া টাদকবিকে রক্ষা করিবে। নমস্ত দোষ মে নিজ মন্তক পাতিয়া লইল, কিন্তু রুদ্রচণ্ড দিকবিদিক জানশ্ৃন্ত হইয়া টাদকবিকে আক্রমণ কিল, কিন্তু পরাভূত হইয়া প্রাণভিক্ষা চাহিতে বাধ্য হুইল। ঠার্দকবির সহিত পিতাকে হস্বযুদ্ধে প্রবৃত্ত দেখিয়া অমিয় মৃছিত হইয়া পড়িয়াছিল। রুদ্রচণ্ড যখন চাদের কাছে প্রাণভিক্ষা করিলেন অমিয়ার মৃছ্? তখন ভাঙে নাই এমন সময় রাজধানী হইতে দূত আসিয়া টাদকবিকে জানাইল যে, বাজোর সমৃহবিপদ, রাজসভায় তাহার উপস্থিতি অবিলদ্বেই আবশ্যক চাদ্দকবিকে তখনই চলিয়া যাইতে হইল, অমিয়ার সহিড কথা! বলিবার অবসর ঘটিল না। যাহাই হউক, অনুগ্রহক্ষৃন্ধ কদ্রচণ্ড রোষে অপমানে জলিতে লাগিল, অমিম্মার গ্যই তাহার এই লাস্ছনা, অমিয়! তাহার ছুই চক্ষের বিষ হইয়! উঠিল। অবশেষে একদিন অমিয়া ঠাদকবির সন্ধানে হস্ভিনাপুর যাত্রা করিল। তখন চাদ মহম্মদ ঘোরীর সহিত যুদ্ধায়োজনের জন্তু শিবিবে চলিয়া গিয়াছেন, তাহার সাক্ষাৎ মিলিল ন1। রাজির অন্ধকারে ঝড় উঠিয়াছে ; এই ছুর্ধোগে অমিয়া হতাশ- হদয়ে পথের ধারে বসিয়া পড়িল; সৌভাগ্যক্রষে বনের এক কাঠুবিয়া তাহাকে আশ্রয়দান কবিল। চাদকবিও শিবিরে 'অমিয়ার আদ্ঘ ব্যাকুল। এমন সময়ে শক্র-আক্রমণের সংবাদ আমিল। এদিকে মহম্মদ ঘোরী পৃর্থীরাজের বাজা আক্রমণ করিয়া কপ্রচণ্ডের নিকট সাহায্যের জন্য দূত প্রেরণ করিলেন। রুদ্চণ্ড বনমধ্যে কোনো! মানুষকেই সহ করিতে পারে না, দূতকে দেখিয়াই ভুদ্ধ হইয়া উঠিল।__ আমি কুচ, এই অবণ্োর বাজা। নগরনিবাসী তোরা হেথা কেন এলি? এশ্বর্যমাঝাবে ভোবা প্রালান্ধে থাকিস, ননীর পুতুল যত ললনারে লয়ে আবেশে মুদদিত আখি, গদ গ্ ভাষা, .." স্খবফুলের কীট হেথা তোবা কেন 1...

১১০ রবীন্দরজীবনী খষ্টা্ষ ১৮৮০

বিশাল বাজসভার ব্যাধি তোরা যত আমার অরণ্যে কেন করিলি প্রবেশ ?

দূত বুঝাইয়া বলিল যে, সে তাহার কোনো উপকার করিতে আসিয়াছে; উপকারের কথা শুনিয়া রুদ্রচণ্ড আরো জুলিয়া উঠিল। দূত জানাইল যে, সে মহন্মদ ঘোরীর লোক, পৃথীরাজকে পরাভূত করিতে হইলে তাহার সাহাযা প্রয়োজন কুদ্রচণ্ড এতদিন ধরিয়া সংকল্ল পোষণ করিয়া আমিতেছিপ যে পূর্থীবাজকে সে স্বয়ং হত্যা করিবে আজ রাগধানীতে আসিয়া কুদ্রচণ্ের প্রাণ অস্থির হইয়া উঠ্রিয়াছে। সে পর্থীরাঁজকে নিজহস্তে হতা। করিতে চায়।

এদিকে চাদকবি সৈন্যদল লইয়া যুদ্ধে চলিয়াছে। নেপথো অমিয় গান গায়, “তরুতলে হিন্নবৃস্ত মালতীর ফুল। কগন্থর শুনিয়া চাদকৰি ক্ষণযাত্র দাড়াইলেন, ভাবিলেন, রাজপথে মধযাহ্নে অমিয়া কেমন করিয়া আমিবে। এমন সময়ে দ্রুত আগাইয়! যাইবার জনা আদেশ আসিল। অমিয়া একবার চাদ্দকে ডাকিয়াছিস, কিন্তু ুদ্ধযাত্রার কোলাহলে তাহার সে ক্ষীণ স্বর কেহ শুনিতে পাইল না। অবপন্ন হৃদয়ে পথপ্রাস্থে বসিয়া সে বপিল-_

9

চ'লে গেল 7 সকলেই চলে গেল গো দিন রাত্রি পথে পথে করিয়া ভ্রমণ এক মুহতের তরে দেখা হল যদি, চলে গেল? একবার কথা কহিল না? একবার ডাকিল না 'অযিয়া" বলিয়া? স্বপ্রের মতন সব চলে গেল গো?) অস্রিয়া যখন দেখিল পৃথিবীতে কোথাও আশ্রয় নাই, তখন সে পিহার নিকটে ফিবিবার জন্ম অরণাভিমুখে চপিল। দিকে পূথীরাজ যুদ্ধে নিহত হইলেন কুদ্রচণ্ড সেই সংবাদ পাইয়া অরণো কিবিল। পুর্থীরাজের মুতাতে কুদ্রচণ্ডের জীবনের একমাত্র অবলম্বন ভাঙিয়া পড়িল। মুহুর্তে জগৎ মোর ধ্বংস হ'য়ে গেল। শৃহ্য হয়ে গেল মোর সমস্ত জীবন! পৃর্থীরাজ মরে নাই, মরেছে যে জন মে কেবল রুদ্চণ্ড, আর কেহ নয়। কুছচণ্ডের পক্ষে জীবনধারণ এখন নিরর্থক | তাই সে নিজের বক্ষে ছুরিকা বিদ্ধ করিল। অরণ্যে ফিরিয়া আমিয়া অমিয়া এই দৃশ্ঠ দেখিল। এতদিন পরে আজ মৃত্যুকালে কুদ্রচণ্ডের যেন মনে পড়িল অমিয়া তাহার কন্যা প্রতিহিংসা- বৃত্তির কঠিন আবরণ ভেদ করিয়া পিতৃন্রেহ উদ্দেল হইয়া উঠিল-_ আয় মা অমিয়] যোর, কাছে আয় বাছ1। এত দিন পিতা তোর ছিল না দেহে, আজ সে সহসা হেথা এসেছে ফিবিয়া |

এপিকে চাদকবি পূর্থীরাজের মুড্্যুর পর হন্তিনাপুর ছাড়িয়া চাপয়াছেন, অবশেষে সেই অরণ্ো উপস্থিত হইঙেন। অমিয়ার কুটিরে আসিয়া দেখেন রু্রচণ্ড মৃত অমিয় মুমূর্্ু। অমিদ্নার মৃতু হইলে &1দকবি স্বগত কহিলেন--

তু. সন্ধ্যাসংগীতের পরিত্যক্ত কবিতা

খাব ১৮৮ তগ্রহদয় ১১১

ভালো বোন, দেখা হবে আর-এক দিন, সে দিন দুজনে মিলি করিব রে শেষ দুজনের হৃদয়ের অসম্পূর্ণ কথা ।১

ভগ্নহদয়

'ভগ্নহৃদয়”' গীতিকাবা, অথচ লিখিত নাটকাকারে ; তাই বোধ হয় ভারতীতে প্রকাশকালে ভূমিকায় কবি কৈফিয়তরূপে বলিয়াছিলেন যে, “কাব্যাটকে কাহারও যেন নাটক বপিয়৷ ভ্রম না হয়। দৃশ্যকাবা ফুলের গাছের মত, তাহাতে ফুল ফুটে কিন্তু সে-ফুলের সঙ্গে শিকড় কাণ্ড শাখা পত্র কাটাটি পর্বস্ত থাকা অনাবশ্যক |... কাবাটি ফুলের তোড়া গাছের আব সমস্ত বাদ দিয়া কেবল ফুলগুলি সংগ্রহ করা হইয়াছে নাটকাকারে কাবা লিখিত হইয়াছে ।”২

বনফুল কবিকাহিনীর তুলনায় ভগ্রহৃদয়ের আয়তন অনেক বড়। চৌত্রিশটি সর্গে ইহা সমাপ্ত ইহাতে কাহিনীর অ.শ অত্ান্ত শীণ, দীর্ঘ আয়তনের জন্য পাঠককে কষ্ট পাইতে হয়। অধ্যাপক শ্রপ্রমথনাথ বিশী লিখিয়াছেন, “এই শিথিলবদ্ধ কাবো ঘটনার কুটি ভাবনা দিয়া পুরাইয়া লইবার চেষ্টা কবিকাহিনী বনফ্ুলের চেয়ে অনেক বেশি। ইহাছে ম্মনেকপ্ডলি সর্গ আছে যাহাতে কোনো ঘটনা! নাই, কেবল পাত্রপাক্রীর গানের হ্বারাই সে-সর্গগুলি গঠিত। আবার ঘটনামূক সর্গেও গানের সংখা বিরল নয়; গানগুলি যখন তখন আসিয়া পড়িয়া ঘটনার ক্ষীণ শোভাষাত্রাকে ধীর মন্থর করিয়া দিয়াছে 1৮৩

এত বেশি গান থাকিবার কারণ আছে; বিলাত হইতে ফিরিবার পর যে-গানের আবহাওয়ার মধ্যে তিনি আসিয়া পডিয়াছিলেন, ভগ্রহদয় সেই সময়ে বচিত কাবানাটা

ভগ্নহদয় কাবোর পাত্র হইাতেছেন এক কবি, কিশোরী মুরলা ইহার নায়িকাঁ। মুরলা কবির বাল্য-সহচরী কাবোর অনাত্ম পার অনিলের ভগ্মী। অনিল ললিতা নামে বালিকার প্রণয়ী। কবির সহিত মুবলার বন্ধুত্ব আছে, কৰি তাহাকে মধী বলয় জানে, প্রণয়িনী বলিয়া নয়। কিন্ধ মুরলা তাহাকে সবান্তঃকরণ দিয়া ভালোবাসে, পূজা করে; কবিনু নিকট সে ভালোবাসা কোনোদিন বাক্ত করে নাই। সী চপল! তাহাকে যখন খুবই পীড়াপীড়ি করে তখন সে বলে

ক্ষমা কর মোরে, সখি, শুধায়ো না আর মরমে লুকানো থাক্‌ মরমের ভার !

কবি তাহাকে জিজ্ঞাসা করে তাহার কিসের ছুংখ; সে হতভাগা জানে না মুবল! তাহারই জন্য অন্তরে উম্মাদিনী |

মুলা প্রকাশ করিল না তাহার প্রেমাম্পদ কে। কবির মন অশাস্ত। তাহারও সংগ্রাম চলিতেছে; তাহার মধো “যেন ছুটি সত্তা! বাল করিতেছে তাহার কবিসত্তা, যাহা আর-দশজন হইতে হ্বতস্্ব; আবার তাহার মানবসত্তা,

জু. প্রশান্তচন্্র মইলানবিশ লিখিত *রধীঙ্-পরিচয়' ( রুদ্চ্ড ), প্রধাসী, শ্রাবণ ১৩২৯।

ভারতী, কাতিক ১২৮৭, পৃ ৩৩৩। এই ভূমিকা মুদ্রিত গ্রন্থে সাদান্ত পরিষতিত হুইয়্াছে।

ভগনদয় রবীন্্-রচনাবলী অচলিত সংগ্রহ ১, পৃ ১১৭-২৭১। পশ্চিমবঙ্গ সয়কার-কড়ৃ'ক প্রকাশিত রবীজ্-রচনাহলী ৫, পৃ »১-২০৫। জীপ্রমখনাখ বিশী, বিশ্বভারতী পত্রিকা [ঞ/দ বর্ষ, বৈশাখ-জাধাড় ১৩৫১, পৃ ৪**।

১১২ রবীন্দ্রজীবনী এরা ১৮৮০

যাহা আর দশজনের অনুরূপ এই ছই পরম্পরবিবোধী সন্তার মধ্যে কবি কিছুতেই মিলন ঘটাইতে পারিতেছেন নাঁ_ ইহাই তাহার ট্রাজেডি।”১ কবি মুরলাকেই বলিতেছে__ বছদিন হতে সখি, আমার হৃদয় হয়েছে কেমন ষেন অশাস্তি-আলয়। চরাচরব্যাপী এই ব্যোম-পাঁরাবার সহসা হারায় যদি আলোক তাহার, আলোকের পিপাসায় আকুল হইয়া কি দ্বারুণ বিশৃঙ্খল হয় তার হিয়া তেমনি বিপ্রব ঘোর হদয়-ভিতরে হতেছে দিনস নিশা, জানি নাকি তবে 17 সখি, আর কত দিন স্থখহীন শান্তিহীন, হা] হা] কবে বেড়াইব নিরাশ্য় মন লয়ে :২ ইহা শুনিয়া মূরল! স্বগত বলিতেছে, “হা কবি, হৃদয়ের শূন্য পুরাইতে, অভাগিনী মুবলা গো কি না পারে দিতে” কিন্তু কবি মুরলার হৃদয়ের সংবাদ রাখেন না। নলিনী এক চপলম্বভাব! কুমারী বিনোদ, প্রমোদ, অশোক, বিজয়, স্বেশ তাহার প্রণগাকাজ্ী | সে কিন্ত কাহাকে চায় না, হদয় কাহাকে দান করে না, সকলের হৃদয় লইয়া খেলা করে। হইতেছে মায়ার খেলার প্রমদার পূর্বাভাস কবি সেই নর্ণমুগী নলিনীর পশ্চান্েই ফিরিতে লাগিল মুল! তাহার পেদন। সা করিছে না পাবিয়া তাহার ভ্রাতা অনিলকে প্রাণের কথা বপিল | অনিল তাহাকে তিরঙ্কার করিয়া পশিতেছে - যে জন রেখেছে মন শন্যের উপরে, আপনারি ভাব নিয়! উলটিয়!-পালটিয়। দিনরাত যেই জন শুনো খেলা কবে, শূন্য নাতাসের পটে শত শত ছবি মুছিতেছে শ্বাকিতেছে- শতবার দেখিতেছে-- সেই এক মোহময় মপ্পময় করি সদ1 যে বিচবল প্রাণে চাহিয়া আকাশ-পানে ক্জাণি যার অনিমিস আকাশের প্রায়, মাটিতে চরণ তবু মাটিতে না চায়- ভাবের আলোকে অন্ধ ভাবি পদতলে অভাগিনী, লুটাইয়া পড়িলি কি সলে ?* এদিকে অনিল ললিতার বিলাহ হইল নলিনী তাহার সখিগণ প্রণস্সিগণ উপস্থিত নপিনী "মায়ার খেলার প্রমদার ন্কায় একজন প্রেমাকাজ্ষীকে বলিতেছে, “মিছে বোলো নাকে। মোরে ভালোবাস, ভালোবাস নয়নেতে ঝরে

জীপ্রমধনাথ বিপী, বিশ্বভারতী পত্রিক।, যৈশাগ-লাধা় ১১৫১, পূ £*২। রবীক্্-রচনাবলী, অচলিত সংগ্রহ ১, পৃ ১৩৫-৩৭ | রৰীন্-রচনাবলী, অচলিত সংগ্রহ ১, পৃ ১৪৭।

খ্ীষ্টাব ১৮৮০ তগ্রহৃদয় ১১৩

বারি হাদয়ে হদয়ে হাস 1”১ লে প্রত্যেক যুবককে একবার করিয়া বিরক্ষ করিতেছে, কিন্তু কাহাকে গ্রহণ করিতেছে না, ইংলগ্ডে রবীন্দ্রনাথ কতকগুলি কুমারী মেয়ের জীবনযাত্রা যে ভাবের দেখিয়াছিলেন, যেন তাহারই রূপ

একদা কবি মুরলার সাক্ষাৎ হইল। কবি নলিনীর ক্ূপবর্ণনা আরস্ত করিলে মুরুলা যথাসাধ্য তাহাতে যোগদান করিল; মোহাচ্ছন্ন কবি মুরলার অন্তর্দাহ অনুভব মাত্ম করিতে পারিল না। এদিকে নলিনীর বাবহারে কবি বুঝিয়াছেন ঘে, নারী প্রেম কাহাকে বলে জানে না। বন্থৃকাল পরে কৰি নিজ ভ্রম বুঝিয়া যখন ফিরিলেন, তখন মুবলা অস্ঠিম শখ্যায় | কবির ভুল ভাঙিল; মুরলার মৃত্যুশয্যায় কবির সঙ্গে তাহার মিলন হুইয়া বিবাহ হইল) একই শয্যায় বাসর মুবলার চিতা প্রস্তুত হইল! এদিকে অনিলের প্রেমপিপানা লাঙ্গময়ী ললিতা মিটাইতে না পারায় অনিল নলিনীর গ্রণয়ীয় দলে যোগ দিয়াছিল। লপিতার শেষ অবস্থায় অনিলের সঙ্গে তাহার মিলন ঘটিল বটে, তখন ললিতা উন্মাদিনী। আর নপ্িনী প্রেমের লীলার বার্থতা বুঝিতে পারিয়া আত্মজীবনকে ধিক্কার দিতে দিতে ঘুরিয়া বেড়াইতে লাগিল। অধ্যাপক প্রপ্রমধনাথ বিলী ষথার্থ বলিয়াছেন, “নলিনী, তাহার প্রণয়িগণ, ললিতা, মুবলী, কবি, অনিল মকলেই ভগ্রহদয়, প্রেমের চোরা-পাঁহাড়ের আঘাতে বানচাল হইয়! সকলেব-হদয় ভগ্রহদয় |”

কবিকাহিনীর সহিত ভগ্রহদয়ের গল্লাংশের কিছু সাদৃশ্ঠ আছে, নলিনী নাটকেরও যোগ আছে আসল কথা,বনফুল কবিকাহিনী ভগ্রহদয় কুদ্রচণ্-_ সবই 'এক ছাচে ঢালা; সবগুলি তপ্ত উচ্ছ্বাসে ভারাক্রান্ত প্রায় মকলুলির নায়ক এক কবি। সে কবি কে, যদ্দি বলা হয় রবীন্দ্রনাথ কাবাস্ডলির মধ্য দিয়া আঙ্মকথা প্রকাশ করিয়াছেন তবে ভুল করা হইবে; কবি সম্বন্ধে যে-আদরশ বালাকালে হীহার মনে জাগিতেছিল লে আদর্শাতসারে কবি কিভাবে চিস্থা করিবেন তাহাই এই কাবাগুলির মধো প্রকাশ করিবার চেষ্টা জাগিভেছে কিন্ধ তরুণ কবির রুদ্ধ মূনর বাসনা সংগ্রাম তাহার 'অক্ঞাতসারেই ষে প্রকাশ পায় নাই এমন কথা জোর করিয়া বল! যায় না।

শ্রপ্রমথনাথ বিশী ভগ্রহদয় -ন২পর্বব হী কাবাগুলি সম্বদ্ধে ষে মন্তবা করিয়াছেন, তাহ প্রণিধানযোগা জ্ঞানে উদ্ধত করিলাম। 'রবীন্্-রচনাবলী অচলিত সংগ্রহ প্রথম খণ্ডের ভূমিকায় রবীন্দ্রনাথ লিখিহেছেন : স্বাভাবিক হবার শক্তি পরিণত বয়সের, সে বয়সে ভলচুক পাকতচ পাবে নানা রকমের, কিন্তু অক্ষম অন্ুকরণের ছারা নিজেকে পরের মুখোসে হাস্থকর করে তোলা তার ধর্ম নয় -- অস্থত আমি তাই অভভব করি এই অক্ষম অনুকরণ বিশেষ ভাবের বা কোনো! কবিবিশেষের অন্ুকরণমার নয়-ইহ এমন-একটা শিল্পধারার অগ্করণ যাহা কবির প্রকৃতি-জাত নয এই শ্পধাবাটি কাহিশী-কাবা | ততৎকালে দীর্ঘকারা। কাহিনী-কাহা বা মেঘনাদবদের মঙ্ো এপিক-কাবা রচনা বালাসাহিহোর পথ! ছিল তিনিল বৃবীন্দন রী পথ কাহিনী-কাবরা দিয়াই কবিজীবন আব্ুস্ করিয়াছিলেন, কিন্দ অভ্াল্লকালের

সতিষ্কহাততই হাহা কবিপ্রকৃতি বুনি পারিয়াছিল। ওউলি তাহার পথ নয় হার প্ররূই প্র শীতিকবিতা বা

পিলিক | ঘন তত হিলি উই লিবিকে আসিয়া চড়াস্থভাবে আশ্রয় গ্ুহণ করিলেন তখন হইতেই হাহাবু কাবা (নি প্রকাশযোগা মনে করেন মেকাবা 'লক্ধ্যাসাগীত | অচলিত সংগ্রহ প্রকাশের পূব পান্থ সন্ধাসাগীত হইতেই ঠাধাপ কাবোবর প্রকাশধারা ধরা হই

আমপা পধ বশিয়াছি 'কবি-কাহিনীবা খসড়া তৈয়ারির সময়ে কানোর নাম ভগ্রহদয় দিবার ইচ্ছা হইয়াছিল, কিন মুপণকালে ভয়ে ভয়ে সে নাম বাবার করিতে পাবেন নাউ | কিচ্ছু বিপাতে গিয়া যে প্রগল্ভ তা লেখনীলানামে গছের মুপা কুটিয়া উঠিল, সেই ছুঃসাহশিক নো ভার হইছে ভিগ্রচদঘা লিখিতে ভারলীতে গ্রহাশ করিতে আবম করেন এব" সেট ছুঃলাহপিক অতিানুনিক মনোভাব হইতে কাবাখানি উৎসগ করিলেন প্রমতী হে 1 অথচ শ্রমতী হে-কে তাহা বাহিরে লোকে না জানিলে৪ জোডাধাকোর ঠাকুরপবিবাবের অস্থরঙ্গদের মধো অজানা হিল না। রবীজ-রচন।বলী, চলিত সংগ্রহ ১, ১৬১।

১৫

১১৪ রবীজ্র্জীবনী খ্রীষ্টান ১৮৮৭

ভারতী, কাততিক ১২৮৭ ( অক্টোবর ১৮৮* ) সংখ্যায় “ভগ্রহৃদয়'-এর প্রথম সর্গ কাব্যারস্থে উপহার" লামে উৎসর্গ- গীতিটি প্রকাশিত হইয়াছিল। জীবনস্থৃতিতে কবি বলিয়াছেন যে এই কাব্যটি বিলাতে আরস্ত করেন এবং কিছুটা ্বীমারে বসিয়া লেখেন দেশে ফিবিবার প্রায় আটমাম পরে “ভগ্রহদয়' কাবোর উিপহার"-প্রযোজক-রূপে ভারতীতে প্রকা!শত হয়। এই উপহার কবিতাটির নান! পা আমরা সংযোজিত করিতেছি মালতীপু থির পাঠ দেখিয়া মনে হয় কবিতা- গানটির খসড়া বোম্বাই-এ করিয়া থাকিবেন। সেই গানটিই ভগ্মদয়ের উপহার-বূপে প্রয়োজনকালে শেষ ছুইটি পও্ক্তি লিখিয়া দেন। ( মীলতীপুথি। রবীন্দ্র-জিজ্ঞাসা ১, পু ৪৪১৪১) এই উৎসগ গীত্টিকে সামান্য বদল করিয়া সেই বৎসরে মাঘোৎসবের সময় প্রথম যে সাতটি ব্রহ্মলঙ্গীত লেখেন তাহার অন্তভূক্ত করিয়া দেন! আমরা সেই গানটি উদ্ধৃত করিতেছি ।১ কিন্তু ভিগ্রহৃদয়' গ্রস্থাকাবে মুদ্রণকালে ( বৈশাখ ১২৮৮ ) কবিকে নৃতন উপহার লিখিয়া দিতে হয়। তারতীতে প্রকাশিত উপহারটি আমরা প্রথমে উদ্ধৃত করিলাম রাগিণী ছায়ানট তোমাবেই করিয়াছি জীবনের ধবতাবা। সমুছে আর কভু হব নাকো পগহারা। যেথা আমি যাই নাকো, তুমি প্রক্কাশিত থাকো আকুল আখি 'পরে ঢাল গো আলোকধাবা। মু'খানি সদা মনে জাগতেছে সঙ্গোপনে আধার হাদরমাঝে দেপীর প্রতিমা-পারা। কখনো বিপথে যদি ভ্রমিতে চায় জর্দি অমনি মুখ হেরি সরমে যে হয় সারা চরণে দিন গে! আনি- ভগ্রজগয়খাণি চরণ রঞ্িবে তব হরি-শোশিত-ধারা ।২ ১২৮৭ মাখোত্সবের জন্ত যে সা্টি গান রচন! করেন এই গানটি সানান্ধ কপান্থরিত-ভাঁবে হাহাদের অন্যতম | ত্রন্ধলংুতের বপটি গীতবিতানে আছে। জর. তত্ববোধিনী পত্রিকা, কাঁজুন ১৮০২ শক (১২৮৭) | রবিচ্ছায়া ১২৯২। আলাইয়া, বাপতাল। ত্রঙ্গসংগীত স্বরলিপি ৩1১৩। গীতবিতান পু ৩১প। তোষারেই করিয়াছি দীবনের ফ্রবতার|। সমুদ্রে মার কছু হন নাক পথহারা। যেথা আমি যাই নাক, তুমি প্রকাশিত থাক আবুল নয়নজলে ঢাল শো কিরণধার] তব মুখ পদ মলে জাগিতেছে সঙ্গ পনে, তিলেক অন্তর হলে না হেরি কৃল-কিনারা। কথনে! বিপপে যাদি ভ্রমিতে চাহে হি অমনি মুখ হেরি সরমে সে হয় সার1।

এই গানের শেষ ছুই পর্ক্তি মালতীগুধিতে (প্‌ ৪৪) নাই। এছাড়া প্রথম পড্ক্িতে 'জীবনের' স্থলে সংসারের, সপ্তম পওক্কিতে 'বিপথে' স্লে কূপথে' ছিল। শেষ দুই পঙ্ক্রি এই কাবানাটা উতসর্গকালে রচিত হয় বলিয়া অনুমান |

এষ্টাষ ১৮৮০ তহায় ১১৫

ভগ্রহদয় গ্রস্থাকারে প্রকাশিত হইবার সময়ে উপহার নৃতনভাবে রচিত হইল বটে, কিন্তু উপহারের পাত্রী শ্রীমতী হে-- থাকিয়া গেলেন। এবার যেটি লেখা হইল, সেটি গান নয়, দীর্ঘ কবিতা (৩০ পঙ্ক্তি )। এই কবিতায় একস্থানে আছে--- হয়তে! জান ন! দেবি, অদৃশ্ঠ বাধন দিয়া শিল্পমিত পথে এক ফিরাইছ মোর হিয়]। গেছি দূরে, গেছি কাছে, সেই আকর্ধণ আছে, পথত্রষ্ট হই নাকো তাহারি অটল বলে। নছিলে হৃদয় মম ছিন্নধূমকেতৃ-সম দিশাহার! হইত সে অনস্ত আকাশতলে। আজ সাগরের তীবে দাড়ায়ে তোমার কাছে; পরপারে মেঘাচ্ছন্ন অন্ধকার দেশ আছে। দিবস ফুরাবে যবে সে-দেশে যাইতে হবে পারে ফেলিয়া যাব আমার তপ্‌্ন শশী-_- ফুরাইবে গীত গান, অবলাদে ঘ্রিঘ্মাণ। সুখ শান্তি অবনান-_ কারিব আধারে বসি! এখন স্বভাবতই প্রশ্ন উঠিবে 'ভ্রীমতী হে' কে! প্রথম দ্বিতীয় উপহারের ভাষা দেখিয়া মনে হয় তাহার বউ- ঠাকুরানী কাদস্বরী দেবীকে স্মরণ করিয়া এগুলি লিখিত; এত ভক্তি, এত নির্ভর আরু কাহাবো উপর রবীন্দ্রনাথের ছিল না। কিন্ত 'ছে'-- কেন! প্রশ্নের উত্তব নিশ্চিতভাবে দেওয়া কঠিন আমর! ইন্দির| দেবীর নিকট শুনিয্াছি, হে" কাদরী দ্বেবীর কোনো ছল্মনামের আস্ঘক্ষর | তাহার ডাকনাম ছিল “হেকেটি ।১_- ইনি প্রাচীন গ্রীকদের ্রিমুণ্তী দেবী। অস্তরক্ষের! রহস্যচ্ছলে এই নামটিতে ভাকিতেন। কাদস্বরী দেবীর নারীহদয় ত্রিবেণীসংগম্জ ক্ষেত্র ছিল। কবি বিহাবীলালকে শ্রদ্ধা, স্বামী জ্যোতিরিন্দ্রকে প্রীতি দেবর রবীন্দ্রনাথকে ম্ষেহদ্বারা তিনি আপনার করিয়া রাখিয়াছিলেন। সেইজন্ত অন্তরঙ্গ আত্মীন্বরা বলিতেনং ভিমুণ্তী 'হেকেটি'। এই নারীর শ্রেহ শাসন রবীন্দ্রনাথের যৌবনকে সুন্দরের পথে চালিত করিয়াছিল এবং পরবর্তীকালে তাহারই পবিজ্ স্থতি ছিল তাহার জীবনের গ্রবতারা। ভগ্রহদন়্ কাবাখানি একবার মান্র প্রকাশিত হয়। কবির এই আঠারো বৎসব বয়সের কাব্য ষন্বদ্ধে তাহার জিশ বৎসর বয়সে লিখিত একখানি পঙ্জে তিনি ষে মন্তব্য লিপিবদ্ধ করিয়াছিলেন, তাহা! আমব! জীবনস্থতি হইতে নিয়ে উদ্ধৃত কনিতেছি-_- “তহদয় যখন লিখতে আরম্ত করেছিলেম তখন আমার বগল আঠারো বাল্াও নয়, যৌবনও নয়। বয়সটা ১.৮6০86৫, 00356615008 41%1016, 201০৮819 & 1০০০77-৪০3০৪৪.., 910৩ 88 ০০6 ০৫ 056 01511580001 ০০15

9796 0 0015 1806 ভা১০ 260881360 0৩7 0০৬৫1 80060 006 1016 ০1 2698. 91006 58 46৪০৮ ফা 10:৩৩ ৮০৫1৫৪ ০0016606808... $146 5005605 018851081 10150107815,

তু একদিনে নিজে তার ডাক নাম ভাকে ভাকিপাষ। একছিন ঘুচে গেল তর পরিষ্থাসে পরিহাসে হল দোঁছে কখা-বিনিময় | ভাষা (৩১ অক্টোবর ১৯৩৮ )। আকাশপরধীপ। হবীজ-রচনাবলী ২৩, পূ ৮৯।

১১৬ র্বীঞ্জজীবনী গ্রী্াৰ ১৮৮০-৮২

এমন একটা সন্ধিস্থলে যেখান থেকে সত্যের আলোক শ্পষ্ট পাবার স্থবিধা নেই। একটু-একটু আভাস পাওয়া যা এবং খামিকটা-খানিকটা ছায়া এই সময়ে সন্ধাঁবেলাকার ছায়ার মতো! কল্পনা! অত্যন্ত দীর্ঘ এবং অপরিস্ফুট হয়ে থাকে সত্যকার পৃথিবী একটা আজগবি পৃথিবী হয়ে উঠে। মজা এই, তখন আমারই বয়ম আঠারো ছিল তা নর__ আমার আশেপাশের সকলের বয়স যেন আঠাবেো ছিল।১ আমরা সকলে মিলেই একটা বন্তহীন ভিত্তিহীন কঞ্পনালোচক বাস করতেম। সেই কল্পনালোকে খুব তীর হুথছুঃখও স্বপ্রের স্থখছুঃখের মতো! অর্থাৎ, তার পরিমাণ ওজন করবার কোনো সতা পদার্থ ছিল না, কেৰল নিজের মনটাই ছিল; তাই আপন মনে তিল তাল হয়ে উঠত।”

ভগ্রহ্দয় গীতিকাবা রবীন্দ্রনাথকে সে যুগের যুবমহলে যশস্বী করিয়াছিল; অনেকে এই কাব্যের অংশবিশেষ কঠস্থ করিয়া ফে্পিয়াছিলেন ; এইরূপ একজন সমসাময়িক যুবককে তাহার বৃদ্ধবয়সে দেখিয়াছি, তিনি কাবোর বনু অংশ আবুৰি করিয়া গেলেন। ভগ্নহৃদয় সন্ধ্যাস'গীতের সমতুলা কাবা সে যুগে বাংলা ভাষায় ছিল না স্থতরাং সাহিত্যিক মান্রেরই মনোযোগ প্রবলভাবেই এই কাবাছয়ের গ্রতি আকৃষ্ট হইয়াছিল

ভগ্লজদয় প্রকাশিত হইলে ত্রিপুরার মহারাজা; বীরচন্দ্র মাণিকা বাহাদুর কিশোর রবীন্্রণাথকে কি ভাবে সম্মানিত করিয়াছিলেন, হাহা 'জীবনস্তৃতি'তে বমিত আছে প্রধানা মহিষীর অকালমৃত্রাতে মহারাজ বিরহীর মর বেদনা প্রকাশ করিয়। কবিতা লিখিতেছিলেন। কবি বীরচন্দ্রের তখনকার মানসিক ভাবের সহিত 'ভগ্রহদয়ে'র কবিতাগুপি সায় দিয়াছিল। তিনি বকীন্দ্রনাপের ধচনার মধো প্রতিভার প্রথম সুচনা দেখিতে পাইয়া ঠাহার খাস-মুন্পী রাধারমণ ঘোষকে কলিকাতায় ববীন্গনাথের নিকট প্রেরণ করেন; ভগ্নহদয় কাবাখানি মহারাজুক পীত করিয়াছে, তজ্জন্ত তাহাকে অভিননান জ্ঞাপন করিতে তিনি জোড়ার্মাকোয় আদিম তরুণ কবির সহিত সাক্ষাৎ করেন 15 ইতিপর্লে ববীন্নাথ বা তাহার পরিকাবের কাহার 9 সহিত হিপুরারাজের সাক্ষাংপরিচয় ছিল ন' | অতঃপর “বীবচন্দ্র মাণিকা কলিকাতায় যখন যাইতেন, হখনই বুবিবাবুকক ডাকাইয়া আনিতেন | বয়সে এই ছুই কবির বিশেষ পার্থকা থাকিলে9 বীরচন্ছ বাংসলা- তাঁবে কিশোর লৌমাদর্শন কবি রবীন্দ্রনাথের মুখে কবিতা পাঠ এবং সংগীত শুনিতে বড়ই ভালোবাপিতেন |"

সন্ধাসংগীতের পর :

বিলাত হইতে প্রত্যাবহন (ফালুন ১২৮৩?) কালে রবীহ্বনাথের বয়স উনিশ বৎসর পর্ন হয় নাই, ঠিনমাস বাকি। এই সময় হইতে ১২৮৮ সালের শেষ পধন্য কিঞ্িদধিক ছুই বসব কালকে আমরা সক্ধাম'গীতের পর বলিব প্রবহমান কালকে ব্যব্হারিকতার জন্য মানুষ তাহার মন-গড়া পর্বে বা ঘুগে চিহ্ছিত করিয়া লয়, না হহলে কাজ চলে না। কিন্ক কোনো মুগকেই কাল-শীমানার নিগড়ে কাধা যায় না। দিবস যেমন উধাও গোধুলিকে তাহার বলিয়া দাবী করে, রাত্রি তেমলি 'হাহার অরিকার ছাড়িতে চাহে না। কবির কাবাধারা সাহার শ্গজন-মানসের অণু-পরমাণুর সহিত এমন অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক, যে রেখা টানিয়া বলা যাইতে পারে না। এইখান হইতে সন্ধাসংগীতের যুগের আরম এইখানে ভাহার সমাপ্রি। তবু আলোচনার স্থবিধার জন্য সাহিত্যকে এই কৃত্রিম পব-দুগপরিচ্ছেদাদির মধো সীযিত করিয়া দেখিতে আমরা বাধা

গ্যেটে স্টাহার বন্ধু একেরম্ানকে বলিয়াছিলেন। '৬/17617) 1 9৪5 61817666721] 209 ০০4০5 ৪8 ৫18100661. 6০০. 00006 146৮1150175 1716 ০/ 8০667৮6. 0৮61.

রাধারমণ ঘোষের নহিত রবীন্রনাপের সাক্ষাং হয় কাসিয়া্ডে। ইনি পণ্ডিত রসঙ্জ ছিলেন প্র. রবীশ্্রনাপ আরিপুরা। ১৩৬৮ পর ১৩-৩৪।

ভগ্হদয় প্রকাশিত হর বৈশাৰ ১২৮৮ সালে; মহারাজ বীরচক্্র মাশিকোর পন্থী ভাঙুমতী দেবীর সূতা হয় ১২৮৯ সালে। ইহার মৃতযার পয় কাবাধানি মহারাজ পাঠ করিয়| তৃপ্তিবোধ করেন

প্রষ্টাব্দ ১৮৮০-৮২ সন্ধ্যাসংগীতেব পর্ব : ১১৭

সন্ধ্যাসংগীতের যুগট! কবির পরবর্তীকালের সাধনা, বঙ্গদর্শনের পর্বের ন্যায় ধিচিত্র রচনাসস্তারে সমৃদ্ধ ববীন্্রনাথ যে আপনাকে একদিন “বিচিত্রের দূত" বলিয়া অভিহিত করিয়াছিলেন, তাহার অস্কুরাভাম এই সময়েই পাই-_ কবিতা রচনা তাহার আংশিক প্রকাশ মান্্র। সন্ধ্যাসংগীতের কয়েকটি কবিতার মধ্যে কবিচিন্তের বৈচিত্ত্রা কতটুকু বিকশিত হইয়াছিল? এই যুগে কবিতা ব্যতীত প্রথম ব্রদ্ষসংগীত, প্রথম বিবাহলংগীত, প্রথম গীতিনাট্য, প্রথম উপন্তাস বা নভেল রচিত হয়। এতদ্ব্যতীত বনু গস্প্রবন্ধ লঘু-গুরু, দার্শনিক সামাজিক এবং যৌবন-জীবনের নানা প্রশ্ন সমস্যার আলোচন৷ করিতে দেখি

বিপাত হইতে দেশে থিরিবার এক বৎসর পরে বাল্মীকি প্রত্ভিভা গীতিনাট্যর অভিনয় হয (১৬ ফান্ধন ১২৮৭; এই গীতিনাট্য সম্বন্ধে আমরা পৃবে সবিস্তার আলোচনা করিয়াছি এই এক বখ্সবের মধো রবীন্দ্রনাথ কবিতা ছাড়া 'ভগুহদয়' কাব্যনা্টটির রচনা শেষ করেন। পাঠকের স্মরণে আছে বিলানে বাসকালে “ভগ্মহদয়' আরম্ভ « প্রতাব্তন- কালে স্টামারে অনেকটা লিখিত হয়| দেশে ফিনিয়া কাব্যনাট। শেষ করিয়া ১২৮৭ সালের কাতিক মাসে আমতী হে-র নামে উত্সর্গলীতি রচিয়। কান্যথানি ভাবতীতে প্রকাশ করিতে আরম্ত করেন। ছয়টি সগ কান্তিক হইতে ফাক্ছন মাস পর্যন্ত মুদ্রিত হইল। অপর বা অবশিষ্টাংশসহ ভগ্রঞ্দয় পুস্থকাকারে দুইমানের মধোহ মুত্রিত হইল) ১২৮০ লালের বৈশাখ মাসে বিশাভ যাহার পৃবে | আমাদের মতে এই পরে অর্থাৎ জাষ্ঠ ১২৮৭-_আফাঢ ১২৮৮ সালের মধো সন্ধা গাহতির অধিকাংশ কবিতাই রি হয়। গুথম সস্করণের পচিশটি কবিভার [পুরাতন কবিতা বিষ আধ সম) মধ্যে বারোটি ভা? তীতে মুত্রিত হইয়াছিল 1১

স্ধসংগাতের কেন্্ীয় কবিতাগুপির রচনার ইতিহাস সঙদ্ধে ববীন্ছুনাখ বছবিক্তারে জীবলস্তিতে বন! করিয়াছেন সে কথায় আমরা যথাসময়ে আসিব | দেশে প্রতাবহলেক পরু যে কবিতা ভারতীতে ১২৮৭ সালের কোঠমাসে প্রকাশিত ইপু সেষ্ঠ ছিদিন কবিতাটির উদ্মম বিষয়ে আমরা পরে আলোচনা করিয়াছি ইহাবু মূলপাগের, (আল তাপুখি ) পটভূমি ছিল বোশ্বাই-এর স্বতি কবিতাটির খসড়া বোঙ্গাইতেই করিয়াছিলেন বলিয। আমাদের অচমান। তারপর বিপাত হইতে ফিরিয়া যেভাবে কবিতাটি সংশোধন করিয়া প্রকাশ কবিলেন তাহা পা? করিয়। পনঙনের চিত্র-কথা স্মরণ করাইয়া গ্েয়।

দুর্ধিন' কবি মুদণের ঠিক এক বংসর পরে জো ১২৮৮ সখা ভারতীতে "তারকার আন্হঠতাট নামে যে একটি

বতা প্রকাশিত হহতে দেখি) তাহার সর « কপ কেন্দ্রীয় কবিতাগুলি হইতে বেশ স্পষ্টভাবে পূথক | মাসেই

১. দুপিন, জৈষঠ ১২৮৭ ভাউ ১২৬০৭ বারিস্টাল হইবার জগত পুনরায় বিলাত যাত্রার সংকজ। দুঃণ আবাইন।াযুন ১২৮৭ বা্াকিপ্রা 51 অভিনয় 1 ভগুলদয় সগ। তাসক? আগুহতা। জে ১5৮৮1 বৈশাবর ১২৮৮ বিলাত যাত্রা মা্রাজ হঠাত পতাব$ন। পাথর বিসাপ, আমা ১২৮৮1 চন্দননগরে বাস। আশার নৈরাগ্ঠ,। হাবণ ১২৮৮ বিব!ছলংবীত রচনা শিশির, ভাগ ১২৮৮ পরাচয় সঙ্গীত, কাতিক ১২৮৮ [বউঠাকুরাপীর হাট ভারতীতে প্রকাশিত ]1 গ1ন-সমাপন, অগ্রহ্থা়ণ ১২৮৮ পান আরম, পৌষ ১২৮৮। অন্ুগ্রন্থ, মাথ ১২৮৮ [ সাতটি বঙ্ধদংশীত রচন|]। সংগ্রামসং্ীত, ফান্ুন ১২৮৮ অ[ধি হারা, বৈশাখ ১২৮৯।

১১৮ ববীন্্রজীবনী খর্টাৰ ১৮৮*-৮২

ভারতীতে প্রকাশিত যথার্থ দোসর শীর্ষক একটি প্রবন্ধ পাঠ করিলে মনে হয় যেন উক্ত কবিতাটির এইটি গগ্যভাঙ্য কিন্তু এই কবিতা প্রবন্ধের মধ্যে কবিচি্তের যে রূপটি আমরা পাই, তাহার সম্পূর্ণ অন্ত চিত্র পাই সেই মাসের অন্য প্রবন্ধ হইতে ।-__ "জুতা বাবস্থা, “চীনে মরণের ব্যবসায় !' “তারকার আত্মহত্যা কবিতা এবং উহার ভান্ প্রবন্ধের “ঘথার্থ দোসর”-এর সহিত লেখকের নৈরাক্তিক সম্বন্ধ স্পষ্টতর করিবার জন্য যেন এই দুইটি প্রবন্ধ রচিত হইয়াছিল। “তাবকার আত্মহত্যা, কবিতাটি কি রূপক না কোনো তথ্য-উদ্‌্ভূত কবি-প্রলাপ? সেই আলোচনায় প্রবৃত্ত হইবার পূর্বে পাঠককে ভারতীতে প্রকাশিত কবিতাটির মূল পাঠ, এবং যথার্থ দোসর" প্রবন্ধের প্রবেশক-বূপে শেলির যে কবিতার অনুবাদ আছে সেইটি পাঠ করিবার জন্য অবোধ করিতেছি শেলির কবিতাটি ভারতী ছাড়া আর কোথাও মুদ্রিত হয় নাই বলিয়া আমরা তাহ] উদ্ধূভ কবিলাম--

হে তারকা ছুটিতেছ আলোকের পাখা ধোরে,

তোমারে শুধাই আমি, বলগো বলগো মোরে,

তুমি তীবরা, রজনীর কোন্‌ গুহা মাঝে যাবে?

আলোকের ডানাগুপি মুদদিয়া রাখিতে পাবে?

মান মুখ হে শশাঙ্ক, ভ্রমিছ সমস্ত রাজি,

আশ্রয় আলয়-হীন আকাশ-পথের যাত্রী,

দিবসের, নিশীথের কোন্‌ ছায়াময় দেশে

বিশ্রাম লভিবে তুমি পাইবে গো অবশেষে?

পরিশ্রান্ত সমীরণ, বল গো খ্রিছ কারে?

আতিগা না পেয়ে ভয় জগতের ছারে দ্বারে,

গোপন সালয় তৰ আছে কি মলম বায়,

তপঙ্গ-শয়নে কিন্বা নিভৃত পিঞুৰ-ছায় ? এই তারকা কে? কাতিক ১২৮৭ সালের ভাগতীতে 'ভগ্রজদয় কাবানাটার প্রথম সর্গ প্রকাশিত হইল উহার প্রারস্তে শঁমতী হে-কে উত্সগিককত গানের প্রথম পঙক্তি-

তোমাবেই করিয়াছি জীবনের ফবতাব। আমর পূর্বে বলিয়াছি যে গানটি যালতীপু থিতে পাওয়া যায়__ ভাষার সামান্য তফাত ছিল। তবে ভারতীতে ছুইটি পঙকি এই সময়ে সংযোজিত হয়--

চরণে দিন গে! আনি, ভগ্ন হদয়খানি

চর রঞ্চিবে তব হদি-শোণিত-ধারা এই অতি-্পষ্ঠৃতা সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন করিয়া গানটিকে যাঘোৎসাবের জন্ বরঙ্গস'গ্ীতে রূপাস্তরিত করিয়া ছিলেন মোট কথা, রবীন্দ্রনাথ যাহাকে জীবনের ধ্রুবতারা বলিলেন, কাতাকে নানা সময়ে 'তারা”কূপে আবাহন করিয়াছিলেন। 'পৃরবীদতে আছে-_

খোলো খোলে! হে আকাশ স্তব্ধ তব নীল যঝনিকা।,

খুজে নিতে দাও সেই আনন্দের হারানো কণিকা

খুজিব তাপার মাঝে চঞ্চলের মালার মণিক1। ( ক্ষণিক1)

খীঙ্টাৰ ১৮৮০-৮২ সম্ধ্যাসংগীতের পর্ব : ১১৯

অন্যত্র “আকাশভর! তারার মাঝে আমার তারা কই 1” এইবপ আরো! পঙ্ক্তি তাহার কাব্য হইতে সংগৃহীত হঈতে পারে। কবির ষ&ই তারা, ফ্লবতারা। তারকা হইতেছেন কাদশ্বরী দেবী এই কাদগ্বরী দেবী তাহার শেষ জীবলাভতি- দানের পূর্বে আর একবার আন্মহত্যার চেষ্টা করিয়াছিলেন তারকার আত্মহত্যা কবিতার উৎস সেইখানে অহ্নসন্ধনীয়। এই অসামান্ত নারী ছিলেন যেমন অভিমানিনী, তেমনি সেন্টিমেন্টাল এবং আরো! বলিব ইন্ট্রোভার্ট, স্কিজোফরেনিক অপর দিকে জ্যোতিরিন্্রনাথও দোষক্রটির উধ্র্বে ছিলেন না; পক্ধীর প্রতি যতটা মনোযোগী থাকিলে সাহার নিঃসন্কান জীবনের সঙ্গীহীন শুন্যতা কিছুটা পূরণ হইতে পারিত, তদ্িষয়ে উদাপীনতাই দেখ! দেয়। জেযোতিবিন্দরনাথ যৌবনে নাট্যকার অভিনেতার খ্যাতি অর্জন করিয়া রঙ্গমঞ্চের নটনটাদের সহিত ঘনি হইয়াছিলেন বলিদ্া অপবাদ শোনা যায়। জানি না, এইরূপ কোনো! সন্দেহের বশবতী হইয়া এই অভিমানিনী রম্নণা আম্মহত্যার চেষ্টা করিয়াছিলেন কি না। ইতিমধ্যে রবীন্দ্রনাথ বিলাত গিয়া ব্যারিস্টার হইবেন বলিয়া পন দিয়াছেন পিতাকে | দেনেন্ুনাথ সেই পত্র পাইয়া প্রীত হইয়া তাহাকে (সেপ্টেম্বরে ১৮৮* | ভাদ্র ১২৮৭) বিলাত-যাহ্ার জন্য অন্থমতি দিলেন। কিন্ত বিলাত যাওয়া হইল না। মনে হয় এই সময়ে কাদম্বরী দেবী আম্মঘাতী হুইবার চেষ্টা করায় পারিবারিক বিশৃঙ্খলার প্রতিঘাতে রবীন্দ্রনাথের বিলাত যাওয়া স্থগিত হইল। ভারতীতে ভগ্রহ্ছদয় প্রকাশকালে কাঙিক মাসে (১২৮৭) তাহাকে তারকা বলিয়া 'আবাহন করিলেন এবং যুগপৎ বাড়ির অস্থরঙ্গদের মদো প্রচলিত ডাকনামের 'আস্তক্ষর লিখিয়া কাব্যটি উৎসর্গ করিলেন তারকার আত্মহত্যা কবিতাটি লিখিত হয়, আমাদের মতে ঘটনার 'অবাবহিত পরেই-- বোধ হয় সেপ্টেম্বর মাসে) এবং ভগ্রহদয়ের উতসর্গগীতি সমন্থিত প্রথম সর্গ অক্টোবর মাসের ভারতীতে প্রকাশিত হইকার পূর্বে। তারকার আশ্মহতা| কবিতাটির মধো লেখকের অস'বৃত উচ্ছাস প্রকাশ পাইঘ্াছিল। সেইজহ্া বুমান পরে ভারতীতে সামান্ত রূপক কবিতা-ন্ধপে প্রকাশিত হয়, ( জ্যেষ্ঠ ১২৮৮) তখন ভিনি বিলাত-শাতার পথে মাদ্রাজ হইতে প্রবর্তন করিতেছেন। কাদশ্বরী দেবীর মৃত্যুবরপের চেষ্টা ব্যর্থ হইলে জ্যোতিরিজ্্রনাথ পত়ীকে সুস্থ করিবার জন্ত এবং কলিকাতার জোড়ার্সাকোর পরিবেশ হইতে সবিয়া থাকিবার জন্ত দূরে কোথা বেড়াইতে যান। সেই অবস্থায় রবীন্দ্রনাথ তাহাদের ত্রিতল গৃহে একাকী কয়দিন বামকালে ষে কয়টি কবিতা লেখেন তাহাই সন্ধাসংগীতের কেন্দ্রীয় কবিতাগ্ুচ্ছ, যাহার কথা আমরা পরে আলোচনা করিব। “তারকার আত্মহত্যা" এই কবিতা গুচ্ছের পূর্বের বচন! আমরা নিয়ে এই কবিতার-_ভারভীর মূল পাঠ কয়েক পঞ্ক্কি উদ্ধৃত করিতেছি উহা পাঠ করিলে পাঠক বুঝিতে পারিবেন ষে জ্যোতিবিজ্্রনাথের গুদাসীল্তের প্রতি অন্তযোগ অনম্পষ্ট নহে। জ্যোতির্ময় তীর হতে আধার সাগরে ঝাপায়ে পড়িপ এক তারা, একেবারে উদ্মাদের পারা ।..' যদি কেহ শুধাইত আমি জানি কীষেসে কছিত যতদিন বেচে ছিল আমি জানি কী তারে দহিত। জ্যোতির্ময় তারাপৃণণ বিন তেয়াগি তাই আজ ছুটেছে সে নিতাস্ত হনে ক্লেশে আধারের তারাহীন বিজনের লাগি।

১২০ রবীত্রঙগীবনী শরীষ্টা্ ১৮৮০-৮২

নিজের প্রাণের জালা আধারে সে ডুবাতে গিয়েছে। নিজের মুখের জ্যোতি আধারে সে নিভাতে শিয়েছে। হয় তাহার চাহে না হইতে €জ্যাতি চাহে শুধু হইতে আধার যেথায় সে ছিল, সেখ চিহ্নমাত্র রাখে নাই ভম্মশেষ মাত্র থাকে নাই ওই কাবা-গ্রস্থ হতে নিঙ্ছের অক্ষর মুছিয়া ফেলেছে একেবারে উপহাস করিও না তাবে (তভারতীর পাঠ)

সন্ধ্যাসংগীতের পর: রবীন্দ্রনাথের আকৈশোর সাহিতাচর্চার প্রধান সহায় উৎসাহদাতা ছিলেন জ্যোতিরিখলাথ কাদক্বটি হবো মুগ্ধ কবির সকল কাব্যপ্রলাপের প্রথম শ্রোতা তাহারা হঠাৎ কলিকাতা হইতে "দৃরদেশে শ্রথণ করিতে ঈনিদ্া গেলে নিজেকে অত্যন্ত অসহায় বোধ করিতে লাগিলেন। কিন্ক যুগপৎ মু্চির আনল অহুভব করিশেন। বিলাত হই.ত কিছুই-না-করিয়া কিছুই-না-হইয়] ফিরিয়া আসায় যে আম্মঘ্রাশি অন্রভব করিনি, তাহার সাহনাস্থল ছিল জ্যোতিদাদা বউঠাকুরানী পরমাস্মীয়দের মধ্ধো পিতা কলিকাতা হইতে দুরে-দুরে থাকেন জো সহোদর দিজেন্দ্রনাথ আপনার কাব্য, দর্শন, গণিত, আলোচনায় মগ্ন; সতোন্দ্রনাথ দুরে বোস্বাহ প্রদেশে হেমেম্দ্রনাথ বাড়িতে থাকিলে তাহার প্রতি রবীন্্রনাথের আকদণ তেমন দেখা যায় নাও তাহার পরী এগারোটি ছেপেমেরে লইয়া শিজ সংসান- গ্ডির মধ্যে এমনি আবিষ্ট থাকিতেন যে দেবরাদধির প্রতি মনোযোগ দিবার অবসর হইত কম। তা ছাড়া তাহারা অন্য সকলের হইতে একটু পৃথক থাকিতেই ভালোবাদিতেন। আঙসল কথা বাড়িতে রবীন্দ্রনাথকে ন্বেহ করিতে পারে এমন কেহ ছিল না। জ্যোতিদাদা বউঠাকুবানীর কাছে ন্বেহ পাওয়াট। এমনি অভ্যাসগভ হহয়া গয়াছিল ষে, তাহাদের অতাবটা কবির ম্বভাবকোমল চিনে নানাভাবে প্রতিক্রিয়া হি করিয়াছিল। কাদহ্বরী দেবী তাহার এই অদ্ুতম্বভাঁব দেবরটিকে বাল্যকাল হইতেই একটু অধিক স্েহ করিতেন, তাহার আবদার সহা করিতেন বিস্তর রবীন্দ্রনাথের “লেখাপড়া” না হত্যায় বাড়ির সকলেই যখন তাহার উপর বিরূপ তখন বউঠাকুরাশীর অহেতুকী শ্নেহ কবির জীবনে দেবতার আশীধাদের ন্যায় মঙ্গলপ্রদ হইয়াছিল। বয়সে তিনি রবীন্দ্রনাথ হইতে মাত্র ছুই বৎসরের বড়; কিন্তু মেয়ের] এই সামান্ত বয়স্কতার জন্যই ছোটদের উপর অভি সুস্্ প্রভাব প্রতিপত্তি সহজেই স্থাপন করেন। এই ঘনিষ্ঠতা রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যজীবন-বিকাশের জন্ত বিপুলভাবে দায়ী, তাহা রবীন্দুসাহিত্য আলোচন। করিলে ম্পষ্টতর হইবে জীবনস্থৃতিতে কবি লিখিয়াছেন, “তেতালার ছাদের ঘরগুলি শূন্য ছিল। সেই সময় আমি সেই ছাদ ঘর অধিকার করিয়া নির্জন দিনগুলি যাপন করিতাম। এইক্ধপে যখন আপন মনে একা ছিলাম তখন জানি না কেমন করিয়া কাব্য-রচনার যে সংস্কারের মধ্যে বেছিত ছিলাম সেট] খসিয়া গেল।” এই বাধন-ছাড়া অবস্থা মনে যুক্তি কাব্যে বিপ্লব আনিবার পক্ষে যথার্থ অন্কুল। এখন হইতে কাব্যজীবনের নৃতন ধারা শুরু

খষ্টাব ১৮৮৯-৮২ সন্বামংগীতের পর: ১২১

হইল অন্যকে খুশি কর! অপেক্ষা শিচ্গে খুশি হওসাটাই কাবাসাধলার বন়্ কথা-_ এই তত্বটা এইবারকার নিরালা- কামের বড় আবিষ্কার এতদিন জোতিদাদ! বউঠাকুরানী ছিলেন ভাহার সাহিতা ভাব -জীবনের প্রেরণা এবং বসগ্রাহিভার উত্স | “তাহাদের নিকট খাতি পাইবার ষ্টচ্ছায় মন স্বভাবতই ঘেসব কবিভার ছাচে লিখিবার চেষ্টা করিত, বোর্ধ করি তাহারা দূরে যাইতেই আপনাআপনি সেই-সকল কবিভার শাসন হইতে আমার চিত্ত মুক্তিপাভ কৰিল।” এতদিন পরে বিহারীলালের অশুকুতি হইতে রবীন্দ্রনাথের মুক্তি হইল | কাদস্বরী দেবী বিহারীলালের একজন বড় রকম শুক ছিলেন এবং মনে মনে আশা করিতেন যে ঠাহার দেববটির মেরুপ প্রতিভা, কালে তিনি হয়তে। বিহাবীপাপের সমকক্ষ কবি হইতে পারিবেন সামান্ত বিদ্যা স্বল্প বোধশক্তি লইয়া তাহার কাব্য-আদর্শের ধারণ? বিহ্বারীলালের উপ্রে উঠিতে পাবিত না; তক্ষণ কবি নিজের প্রতি বিশ্বাসের অভাবে বডঠাকুরানীর প্রতি নকল বিষয়ে অতিরিক্ত নির্তব্ভার ফলে, সেই আদর্শকে চবম বলিয়া এমাবৎ্কাল মনে করিয়া আদিতেছিলেন সন্ধ্যাসংগীতে সেই মুদির আহ্বান আসিল বলিয়া ববীন্্রনীথ বিশদভাবে জীবনস্থতিতে এই কাবোর ইবশিষ্টা ব্যাখ্যা করিয়াছেন

ববনাথের প্রথম কবিতাপুস্থকগুপির নামকরণের মধ্যে বৈশিষ্ট আছে এব হাহা! অথপূর্ণও বটে সন্ধ্যাসংগীত, প্রভাতসংয়াত, শৈশব-সংগীত, ছবি গান, এবং কড়ি কোমল- সকল কাবোব নাষ ল'গীত বা সংগীত-সম্পকীয়। জাবনস্বতিতে তিনি এই পরধস্থই আলোচন। করিজ্াছেন-- এইটি মেল ভ্রীবু প্রস্থতিপব | 'মানপী' কাব্যে কবির সহিত শি্পীমলের মিলনে মতন কবিতার জন্ম হইল!

সব শন হারেছি তথা খ্ীক লিরিকাতর প্রনিশজদ বলিব কিন্কু এইসব কবিতাপুস্তকে লিরিক ব্যতীত (94৩, [381194. ১০77৩ আছে সে করিভাগুলি পিবিক নহে, লিরকিকধমী |

বালা ভাঙ্গায় যথার্থ পিপ্রিকের হর বাজে পিহারীপাল্ের কারো 1 বুবীম্থনাণের মতে “সেই প্রথম বাংলা কবিতা” যাহার মাধা “কবির নিজের সর" শোনা গিয়াছিল। মনুচধনেলু চতদশপর্দী কবিতায় কবির আত্মনিবেদন কখনো কখনো প্রকাশ পাইয়া থাকিবে ; কিন্ত চতুর্দশপদীর সংক্ষিপ্ত পরিসরের মদো আত্মকথা এমন কঠিন সংহত হইয়া আসে যে, তাহাতে বেদনার শ্ীতোচ্ছাস তেমল ক্ষতি পায় না।১

রবীন্্নাথের এই যুক্কি নিজ লিরিক রচনার সমর্থনে লিখিত, কারণ তিনি তাহার যথার্থ পিরিকধর্মী কবিভাগুলিকে চতুদশ পদের মধো সীমায়িত করিয়া সংহত করিতে পাবেন নাই | বাংলা লিবিকে রবীন্দ্রনাথ যুগগ্রুবর্তক ) ইতিপূর্ব- যুগেব কোনো কবির সহিত ভাতার লিবিকের ভুপনা করা যায় না কিন্তু নতন লিবিক বুচনায় রবীন্দ্রনাথ যে একমার কবি ছিলেন, কথা বাশণে বাঙালি কথিগণের প্রতি অজঙ্গা জ্ঞাপন করা হইবে। আধুনিক যুগে মধুসথদন বাংলা ভাষায় লিরিকের হর সপপ্রথম বাঙালিকে শুনাইয়াছিলেন; সেই হইতে নৃতন কবিতার জন্ম। ইংরেজি সাহিত্য অধ্ায়ন করিয়া যূগপৎ বাংলা ভাষা ছন্দ সামান্নাভাবে আয়ত্র কবিম়া একদল তরুণ সাহিত্যিক ইংরেজি কবিতার নকলে পিবিক রচণায় প্রবৃন্ত হইয়াভিলেন। কিছু বাডালির জীবনে অগ্ভূতির ক্ষেত্র এতই সংকীণ গত্তান্থগতিক, কবিতাপ মধ্োে লিরিকের আপ্ুরিক স্থর আন] কবিদের পক্ষে কঠিন এই নবীন লেখকদের নিজন্থ সম্পদ ছিল ভাষার দেন্যা একান্তিক অন্ভূতির অভাব সাহিতোর সবই ছিল ইংরেজির অন্ঠকরণ | ইংরেজি ৰলিতেছি-_'তাহার কারণ, আমরা যে-শিক্ষা পাইয়া আলিতেছি, তাহা সম্পূর্ণকূপে ইংরেজের দান; ইংরেজি সভ্যতা, ইংরেজি সাহিত্য-_ যাহাকে বলে ছ্বেপ £954101-- তাহাই আয়াদের প্রধানতম মানসিক উপজীব্য। বৃহত্তর মুরোপীয় সংস্কৃডি সাহিত্যের বিশাপ খবপ্রবাহের অতি ক্গীণ ধারা বন্থ পণ ঘুরিয়া আমাদের কাছে পৌছায়। সেই ইংরেজি সাহিত্য-অন্কপ্রাণিত, বাঙালি লেখকমণ্ডলী কালে বাংলা সাহিত্যকে পুষ্ট করিতে যঙ়বান হইয়াছিলেন। কথা অস্বীকার করিবার চেষ্টা বিহ।রীল।ল, আধুনিক স।হিতা, রণীল্র-রচনাবলী ৯, পৃ ৪১৯।

১৬

১২২ ববীআজীবনী খাব ১৮৮*-৮২

করা বুথা যে, উনবিংশ শতাব্দীর প্রায় শুরু হইতে যে সাহিত্য বাংলাদেশে রূপ গ্রহণ করিতে আবস্ত করিয়াছিল তাহার প্রেরণা বহুলপরিমাণে পাশ্চাতা। বিলাতি ফুলের বীজ গ্রীন্মমণ্ডলের মৃত্তিকায় জন্মিলে মাতৃভূমি হইতে ভাহার যেটুকু পার্থক্য মধ্য-উনবিংশ শতকোত্তর ভারতীয় সাহিত্য সংস্কৃতির পার্থকা সেইটুকু মাত্র

রবীন্দ্রনাথ তাহার কোনো সাময়িক প্রবন্ধে তৎকালীন বাঙালি কবিদের ইংরেজি অন্থকরণ-প্রিয়তার জন্য তীব্র বক্ষ করিয়াছিলেন। কিন্তু তখন তিনি নিজেই ভুলিয়া গিয়্াছিলেন যে, তাহারও শিক্ষা-দীক্ষা বহুলপরিম।ণে পাশ্চাত্য ; আত্মবিগ্লেষণ করিষ! তখনও তিনি আবিষ্কার করিতে পাবেন নাই যে, তাহার মনের গঠন গভীরভাবে যুরোপীয় ভাবাপন্ন। তাহার বিরাট সাহিত্য পাশ্চাত্য রীতি অহ্থসরণ করিয়া মহান্‌। তীহার কবিতার সহিত যধ্যযুগীয় বাংল] কবিতার স্থর রূপ গুণের পার্থক্য এত বেশি যে, একমাজ্র ভাষা ছাড়া উভয়ের মধো মিল খুঁজিতে হইলে কষ্টকল্পনা করিতে হয়। সোক্রাতিস্‌ তাহার সমসাময়িক সোফিস্ট ব! পণ্ডিতগণের সহিত নিত্য কলহ করিয়া তাহাদের চিন্তাধারায় ভ্রম প্রদর্শন করাইতেন, কিন্তু তাহাকেই বলা হয় [07706 90017150 $ শঙ্করাচার্য বৌদ্ধমত খণ্ডন করিয়াছিলেন, অথচ তাহার গ্রন্থ পাঠ করিয়া পিতের! তাহাকে প্রচ্ছন্ন বৌদ্ধ আখা! দান করিয়াছিলেন রবীন্দ্রনাথ সম্বন্ধে সেই কথা প্রযোজ্য তিনি পাশ্চাতা তথা ইংরেজি সাহিতোর ভাব রীতি এমন নিপুণভাবে আয়ত্ত করিয়াছিলেন যে, তাহার কাবোর মধ্যে বৈদেশিক তাটা উতৎ্কটরূপে দেখা দেয় নাই, সেটাকে যতদূর সম্তব প্রচ্ছন্ন রাখিবার চেষ্টায় তিনি অধিক কৃতকার্য হইতে পারিয়াছিলেন। তিনি পশ্চিমকে আয়ত্ত করেন, অন্করণ করেন নাই ; সেইখানেই কাহার মনীষা সেইক্ষন্না তাহার কাব্য যুরোপীয় প্রভাব প্রচুর থাকিলে তাহ অলক্ষিত। সে-যুগে “আধুনিক? লেখকদের কদর হইত ই*রেজ লেখকদের মানস্চী দ্বারা, সেইজন্য বাঙালি লেখকদের মধ্যে বঙ্ষিমচন্দ্রকে বল! হইত স্কট, নবীনচন্দ্রকে বায়রন, মধুস্থদনকে মিলটন, আর ববীন্দ্রনাথকে বলা হইত শেলী। এই নামকরণের দ্বারাই বুঝা যায় তখনও বাংলা সাহিতো নিজন্ব কোনো মানসচী নিদিষ্ট হয় নাই বলিয়া! ইংরেজি মানস্থচী দ্বারা বাঙালি সাহির্তিকদের যান নাম হইত।

বহু বখসর পরে কবি নিজ রচনাকে সম্পূর্ণরূপ নৈ্যক্তিক পরিপ্রেক্ষণীতে দেখিয়া একখানি পত্রে লিখিয়াছিলেন, “দেশ- বিদেশ থেকে নানারকম ভাবের প্রেরণা এসে পৌচেছে আমার মনে এধং ব্রচনায় তাকে ম্বীকার করে নিয়েছি, তা আমার কাবাদেহকে হয়তো! বল দিয়েছে পুষ্টি দিয়েছে কিন্তু কোনে] বাইরের আদর্শ তার স্বাভাবিক বূপকে বদল করে দেয় নি।:." আগাগোড়া রূপ বদল দেখলেই বুঝি সেটা আদর্শকে গ্রহণ কর! নয় সেটা আদর্শকে নকল করা এই জিনিসটাকে আমি বিশ্বাস করতে পারি নে।-- আমাদের দেশের হাঁল-মামলের কাবা, যাকে আমরা আধুনিক বলছি, যদি দেখি তার দেহরূপটাই অন্ত দেহরূপের প্রতিকৃতি তা না ছলে তাকে দাহিতাক জীবসমাজে নেব কি করে? যে কবিদের কাবারূপ অভিব্যক্রির প্রাণিক নিয়মপথে চলেছে তাদের রচনার স্বভাব আধুনিকও হুতে পারে সনাতনী হতে পারে অথব! উতয়ই হতে পারে, কিন্তু তার চেহারাটা হবে তাদেরই, সে কখনোই এলিয়টের বা অডেনের বা এজবা পাউগ্ডের ছাচে ঢালাই করা হতেই পারে না।..* যে কবির কবিতব পরের চেহারা ধার করে বেড়ায় নত্যকার আধুনিক হওয়া কি তার কর্ম ।”১ রবীন্দ্রনাথের তরুণ বরসের কাব্য সন্বক্ষে এই কথাই বলা যায় যে তাহা অনকরণের স্তরে নিমজ্জিত থাকে নাই।

গোধুলিতে আলো -শ্বাধার পরস্পরকে এরূপভাবে অবলেপন করিয়া থাকে যে, উভম্নকে অস্পষ্ট ভাবে দেখা যায়, কিন্ত বুঝ! যায় না। ভগ্রহৃদয় সন্ধাসংগীতের কবিতাকে ঠিক সেই পর্যায়ে ফেলা যায়-_ যেখানে ভাবের অস্পষ্টতায় ভাষা বিকৃত, ছন্দ পঙ্গু ভগ্রন্থদয়ের বিষগ্ন স্থুরে সন্ধ্যাসংগীতের বীণাতন্ী বাধা ভগ্মহদয়ের মনোবেদনা গল্পের নায়ক- নায়িকার মৃখ দিয় অথবা কডরচণ্ডে অমিয় চাদকবির কলগুঞ্জন মাধামে প্রকাশিত হইয়াছিল। সন্ধ্যাসংগীতের & বেদনাই অন্যের জবানিতে না বলিয়া, নিজের ভাষায় প্রকাশ করিবার চেষ্টা করা মান্তরেইে কবির লেখনীতে অসাঙ্গান্

শ্রীজমিয় চক্রবতাঁকে লিখিত পত্গুচ্ছ (২৮), ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৯, কবিতা, পৌষ ১৩৫০, পৃ ১৬৮।

ধষ্টান্ ১৮৮০-৮২ সন্ধ্যাসংগীতের পর্ব : ১২৩

নবীনতা আসিয়। গেল তাহাই সন্ধ্যাসংগীতে কূপ পরিগ্রহ করিল। বিহারীলালের ছন্দোবন্ধন ছিন্ন হইয়া গেল। জীবনস্থতিতে কবি লিখিয়াছেন যে, সন্ধ্যাসংগীত-রচনাকালে তিনি কোনো! বন্ধনের দিকে তাকান নাই মনে কোনো ভম্মভর যেন ছিল না। কবিতা লিখিয়া গিয়াছেন, কাহারও কাছে কোনে! জবাবদিহির কথা ভাবেন নাই এতদিন কেবল নিজের উপর ভরসা করিতে পারেন নাই বলিয়। নিজের জিনিসকে পান নাই তিনি লিখিয়াছেন, “কাব্যহিসাবে সন্ধ্যাসংগীতের মূল্য বেশি ন! হইতে পারে উহার কবিতাগুলি যথেষ্ট কাচা। উহার ছন্দ ভাষা ভাব, মৃতি ধরা, পরিস্ুট হুইয়া উঠিতে পারে নাই। উহার গুণের মধ্যে এই যে, আমি হঠাৎ একধিন আপনার ভরসায় যা-খুশি তাই লিখিয়া গিয়াছি। ন্থৃতরাং সে-লেখাটার মূল্য না থাকিতে পারে কিন্তু খুশিটার মূল্য আছে।” এইটাই হইতেছে লিরিকধর্মী কবিতার মর্যকথা। সন্ধ্যাসংগীতের কবিতাগুলি প্রধানত ভারতীতে প্রকাশিত হয় ১২৮৮ সালে, কয়েকটি ১২৮৭ সালে একটি ১২৮৯ সালে প্রকাশিত হয়। শৈশব-সংগীতের কবিতা তেরো হইতে আঠারো বৎসর বয্সসের মধ্যে রচিত; ভগ্রহদয় উনিশ বয়সের লেখা, বসব আর বিশ বলর বয়সের লেখা হইতেছে সন্ধ্যাসংগীতের কবিতাগুলি। রবীন্দ্রনাথ জীবনস্থৃতিতে লিখিয়াছেন ঘষে তাহার পনেরো-যোলে! হইতে আবন্ত করিয়] বাইশ-তেইশ বছর পর্বস্ত এই ঘে একট! সময় গিয়াছে, সেট! অত্যন্ত অব্যবস্থার কাল। “অপরিণত মনের প্রদোষালোকে আবেগগুল! সেইব্ধপ পরিমাণবহির্ভূত অন্ভুতমৃত্তি ধারণ করিয়া একটা নামহীন পথহীন অন্তহীন অরণ্যের ছাকায় ঘৃর্িয়। বেড়াইত।” সন্ধাসংগীতের কবিতাগুলি মন£সংযোগ সহকারে পাঠ করিলে বুঝা যাইবে যে, বিচিত্র মান-অভিমান রাগ-অনুরাগের ্ঘ হইতে যে বিষাদ সৃষ্ট হয় তাহাই এই লিরিক বা সংগীতে মৃতি লইয়াছে। কবিতাগুলি যে সম্পূর্ণকপে নৈর্ব্যক্তিক কথা মনে করিবার কোনো সংগত কারণ আমরা পাই না। আঘাত-অভিঘাত ব্যতীত মানুষের অসাড় মন জাগে না, এবং আমাদের মনে হয় রবীন্দ্রনাথের এই কাব্ারচনার যধ্যেও সেই তত্ব নিহিত রহিগ়্াছে। জোড়া্সাকোর বাড়ি হইতে জ্যোতিবিন্্রনাথ তাহার পত্ঠী হঠাৎ বেড়াইতে চলিয়া গেলে কবির হনে যে আঘাত লাগিয়াছিল তাহাই কি পরিত্যক্ত”, কবিতায় বাক্ত হইয়াছে? চলে গেল, আর কিছু নাই কহিবার। চলে গেল, আর কিছু নাই গাছিবার। শুধু গাহিতেছে আর শুধু কাদিতেছে দীনহীন হৃদয় আমার, শুধু বলিতেছে, চলে গেল সকলেই চলে গেল গো, বুক শুধু ভেঙে গেল, দ'লে গেল গো ।""" পুরানো মলিন ছিন্ন বসনের মতো মোরে ফেলে গেল, কাতর নয্বনে চেয়ে বহিলাম কত-_ সাথে না লইল। তাই প্রাণ গাছে শুধু, কাদে শুধু, কহে শুধু, 'ষোবে ফেলে গেল, সকলেই মোরে ফেলে গেল,

পরিনত, নন্াসংগীত, রবীন্র-রচনাবলী ১, পৃ »-১১। তু. কত্রচণ্ড। দশম দৃণ্ত।

১২৪ বুবীন্দ্রজীবনী খরাষ্টাবঝ ১৮৮০-৮২

মকলেই চলে গেল গো 1, একবার ফিরে তারা চেয়েছিল কি? বুঝি চেয়েছিল একবার ভুলে তার! কেঁদেছিল কি? বুঝি কেঁদেছিল বুঝি তেবেছিল-_- লয়ে যাই--নিতাস্ত কি একেলা কীাদিবে? না-না কী হইবে লয়ে, কী কাজে লাগিবে।১ তাই বুঝি ভেবেছিল তাই চেয়েছিল।

পাধিব দিক হইতে বাথতার গ্লানিহে রবীন্দ্রনাথের মন তখন ভারাক্রান্ত; কারণ বিপাত হইতে কিছু না হইয়া ফিরিয়া

আসাতে সকলেই তাহাকে রুপার চক্ষে দেখেন ; তাই 'গান-সমাপন'২ কবিতাটির মধ্যে পিখিতেছেন এমন মহান্‌ সংসারে. জ্ঞানরত্ররাশির মাঝারে 'আমি দীন শুধু গান গাই, তোমাদের মুখপানে চাই! ভালো যদি নালাগে সেগান ভালো সখা, তা গাহিব ন'। বড়ে! ভয় হয়, পাছে কেহই না দেখে তারে যে জন কিছুই শেখে নাই। গগো সখা, ভয়ে ভয়ে তাই যাহ] জানি সেই গান গাই, তোমাদের মুখপানে চাই

'ভগ্রজদয়ের মধো যে অবকদ্ধ মনের ছ্ন্থ চলিতেছিল সন্ধ্যাসংগীতে' তাহারই রূপান্তর দেখ। যাইতেছে বিশ বখসর বয়স না-কৈশোর নাযৌবন। যৌবনের মদিবা শিরার মধ্যে মাদকতা মানে, কিস্ক উপভোগের আনন্দ হইতে বঞ্চিত বলিয়া কখনো অতুপূ ক্ষুব্ধ, কখনো-বা মুহামান, ছুখোতুর 1 অসম ভালোবাসা,” কবিনভাটি পাঠ করিলে আমাদের বক্তব্যের যাথাথ্য প্রমাণিত হইবে

এইরূপে দেহের দুয়ারে মন যবে থাকে ফুঝিবারে,

তুমি চেয়ে দেখ মুখ-বাগে এত বুঝি ভালে। নাহি লাগে

নাহি চাও আহুহারা প্রেম. আছে যেথা অনন্ত পিয়াস,

বহে যেথা চোখের সলিল, উঠে যেথা ছুখের নিশ্বাস স্থখের বিলাপ নামে কবিতার মধ এই অভিমান হাহুতাশ |

বশ নয়ন শিমীলিয়া স্বখ কহে নিশ্বাস ফেলিয়া,

নিতান্ত একেলা আমি, কেহ-কেহ-কেহ নাই হেথা,

সঙ্ষাসংগীতের প্রথম পরব অন্থান্ত সংস্করণে এই ছত্রটি ছিল, রবীঙ্ছ-রচনাবলীঠে ছডেটি বজিত | দ্র খপুপিনবিহাবী সেন ঈএভেনুণেখর মুখোপাধ্যায়, রবীন্্রকাবো পাঠজেদ : সন্ধ্যাসগীত, সাহিতা-পরিবং-পত্রিকা, বধ ৬৬, সংখা] ৩.৪, রবীন সংখা, আবণ ১৩১১

গান-সমাপন, ভারতী, অগ্র্কায়ণ ১১৮৮, পু ৬৬৬, সন্ধাসংগীত, রবীন্্র-রচনাবলী ১, পৃ৩।

অসহা ভালোবানা, সন্ধ্যাসংদত, রনীন্্র-৫উনাবলী ১, পৃ ১৯।

খ্রীষ্টাষ ১৮৮*-৮২ সন্ধ্যাসংগীতের পর্ব :

কেহ--কেহ--কেহ নাই মোর 1". জ্দয়ে একেলা শুয়ে শুয়ে স্থথ শুধু এই গান গায়, “নিতান্ত একেল! আমি যে, কেহ, কেহ, কেহ নাই ছায়।”.." নিতান্তই একেলা ফেলিয়া ভালোবাসা, গেল কি চলিয়া? আবার কি দেখা হবে রে ?:- অভিমান ক'রে মোব পরে দুখেরে কি করিলি বরণ? তারি বুকে মাথা রেখে কৰিলি শয়ন? তারি গলে দিলে মালা? তারি হাতে দিলি হাত? সতত ছায়ার মত রহিলি কি তারি সাথ ?-.- ঘুমায়ে ছিলাম, ভাল ছিচ্চ, জাগিয়। একি নিরখিস্ দেখিস, নিতান্ত একা আমি, কেহ মোর নাই একেবারে তাই সাধ গেছে কাদিবারে !,

“অন্ুগ্রহ'ৎ কবিতাটির মধ্যে কবির মনে প্রশ্ব উঠিয়াছে-_

এই-যে জগৎ হেরি আমি, যহাশক্ি জগতের স্বামী,

কি হে তোমার অনুগ্রহ? হে বিধাতা কহ মোরে কহ।... ক্ষুদ হতে ক্ষুদঘ একজন আমারে ষে করেছ স্থজন,

কি শুধু অনুগ্রহ করে ফণপাশে বাধিবারে মোরে ?-.. মহা অনুগ্রহ হতে তব মুছে তুমি ফেলহ আমারে-__

চাহি না থাকিতে সংসারে। কবির আকাঙ্ষ! কি, এই কবিতায় তাহাও ব্যক্ত-_ কবি হয়ে জন্মেছি ধায়,» ভালোবালি আপনা তুলিয়া,

এই উদধৃতি প্রথম দ্বিতীয় সংন্কর়ণের পাঠ হইতে গৃহীত প্র, রবীন্রকাষো পাঠভেদ : সন্ধাসংগ্গীত [ পূ ৩১-৩২ ] ্ীপুলিনবিহারী সেন

ইীতুতেন্দুশেখর মুখোপাধায়, সাহিতা পরিষৎ-পত্ত্িকা, বর্ষ ৬৬, সংখ্যা ৪, রবীন্্সংখা, শ্রাণ ১৩৭১ অনুগ্র, ভারতী, মাঘ ১২৮৮, পৃ ৪৪*-৪৩। সন্কাসংগীত, রবীন্-রচদাবলী ১, পৃ২২। সন্ধ্যাসংগীতের প্রথম পরবতখ সংস্করণে এই ছত্রটি ছিল, রবীন্র-রচনাধলীতে ছজ/টি বজিত।

১২৩ বুবীন্দ্রজজীবনী খীষ্টাহ ১৮৮০-৮২

গান গাহি হৃদয় খুলিয়া, ভক্তি করি পৃথিবীর মতো, স্েহ করি আকাশের প্রায় আপনারে দিয়েছি ফেলিয়া, আপনারে গিয়েছি ভুলিয়া, যারে ভালোবাসি তার কাছে প্রাণ শুধু ভালোবাসা চায়। মান অভিমান ক্রোধ যুগপঞ্ মনকে ক্লান্ত ক্ষুক্ধ করিতেছে যবে আমি যাই তার কাছে মেকি মনে ভানে গো তখন অনুগ্রহ ভিক্ষা মাগিবারে এসেছে ভিক্ষুক একজন? কবিতাটির শেষ দিকে উত্তেজিত ভাবে কৰি বলিতেছেন_- কেহ যেন মনে নাহি করে যোর কারো কপার প্রয়াসী নাহয় শুনো না মোর গান, ভালোবাসা ঢাকা ববে মনে। অনুগ্রহ ক'রে এই কোরো অনুগ্রহ কোরো না এজনে। সক্বাসংগীতেহ কবিতাগ্ডলি আগাগোড়া একটা নিরাশা, একটা অশান্ত হদঘেব অকারণ ক্র'দনপরায়ণতায় পূর্ণ দুংখ-আবাহন'১ বোধ হয় এই কবিতাগুচ্ছের আদি রচনা “ভারতী'তে এই কবিত! যে মাসে প্রকাশিত হইল সেই মাসে তগ্রহ্ৃদয়ের ধষ্ঠ সর্গ মুত্রিত হয়; বাল্সীকিপ্রতিভার অভিনয় হয় সেই মাসেই এই কবিতায় কবি ছুঃথকে প্রাণপণে আহ্বান করিতেছেন আয় দুঃখ, আয় তুই, তোর তরে পেতেছি আমন,-. নিরালয় হৃদয় শুধু এক সহচর চায়। তুই দুঃখ, তুই কাছে মায়। 'শাস্তি-গীত'ৎ কবিতায় সেই ছুঃখের জ্তব_ ঘুম] দুঃখ হাদয়ের ধন, ঘুমা তুই, ঘুমা রে এখন | স্থখে সারা দিনমান শোণিভ করিয়া পান এখন তো মিটেছে তিয়াষ? ছুঃখ, তুই সুখেতে ঘুমান

ছুঃখ-আবাহন, ভারতী, ফান্ভুন ১২৮৭, পূ ৫8২ সঙ্ধানংগীত, রবীন্ত্-রচনাবলী ১, পৃ ১৫। শান্তিসীত, সন্ধাসংগীত, রবীন্দ্র-রচনাবঙী ১, পৃ ১৭।

গ্ীষ্টাব ১৮৮*-৮২ সঙ্ধ্যানংগীতের পর্ব : ১২৭

ছুঃংখভোগ করিতে যেন ভালো লাগিতেছে ; তাই 'আশার নৈরান্তে লিখিতেছেন-__ বলে, আশা, বলি মোর চিতে।, “আবে! ছুঃথ হইবে বহিতে 1.7, এইব্প বিষাদের সর সমস্ত কবিভার মধো কিন্ত এই বিষাদপূর্ণ মনোভাবকেই তিনি চরম বলিয়া স্বীকার করিয়া লইলেন না, বারে বারে নিজের হ্িকে কবি আঘাতে আঘাতে চুর্শ করিয়াছেন__“নিজে হাতে জালা! পৃজার্দীপের থালা” তাহার হাতে খান্‌ খান্‌ হইগাছে। স্বতরাং হলাহলময় মোহ হইতে বাহির হইবার জন্য আকুলভাবে বলিয়া উঠিতেছেন২-__ দূর করো, দুর করো, বিকৃত ভালোবাসা, জীবনদায়িনী নহে, যে গো হদয়নাশা। কোথায় প্রণয়ে মন যৌবনে ভরিয়] উঠে, জগতের অধরেতে হাসির জোছনা ফুটে,... তা নয়, কি হল, একি জর্জর মন' হাসিহীন ছু অধর, জ্যোতিহীন ছু নয়ন দুরে যাও, দূরে যাও, হদয় বে, দূরে যা ভুলে যাও, ভূলে যাও, ছেলেখেলা ভুলে যাও দূ করো, দুর করো, বিকৃত ভালোবালা__ জীবনদায়িনী নহে, যে গো জদয়নাশা। রবীন্দ্রনাথের কাবোর মধো বরাবর দেখা গিয়াছে যে, যে পরিবেশের মধ্যে কবিতাগ্তলি লিখিত হইতেছে তাহা হইতে মুক্তি পাইবার জন্য স্বর শেষ দিকে ধ্বনিয়া উতিতেছে, তা সে-পরিবেশ সুখেরই হউক বা ছুঃখেরই হউক। তাই 'হলাহল' কবিতার মধো অস্বাভাবিক জীবনধারা হইতে বাহিবে আসিবার জন্ত তীত্র আকৃতি প্রকাশ পাইয়াছে। প্রভাতসংগীত মুখবিত হইবার পূধেই যেন প্রথম কাকলি “হলাহল' কবিতায় জোবরের সহিত ছুঃখবাদকে অস্বীকার করিলেন,-'সংগ্রাম সংগীত" কবিতায় বলিতেছেন-- হদয়ের সাথে আজি করিব রে করিব সংগ্রাম এতদিন কিছু না করিম, এতদিন বসে রহিলাম, আজি এই হাদয়ের সাথে একবার করিব সংগ্রাম |". 'বাজাহারা ভিখারির সাজে, দগ্ধ ধ্বংস-ভম্ম-'পরি ব্রমিব কি হাহা করি জগতের মরুভূমি-মাঝে ? আশার নৈরাহ, ভারতী, শ্রাবণ ১২৮৮, পৃ ১৭৩। সন্ধাসংগীত, রযীআর-রচনাবলী ১, পৃ হুলাহল, সন্ধযাসংগীত, রবীন্-রচনাবলী ১, পৃৎ*। প্রথম দ্বিতীয় সংস্করণের পাঠে কয়েক ছত্র বেশি ছিল।

১২৮ রবীক্র্জীবনী এটা ১৮৮০-৮২

সাধারণত বই-এর উপহার থাকে প্রথম দিকে, সন্গাম্ংশীতের উপহার হইতেছে শেষভাগে | কাহাঁকে উপহার আহা কবি বলেন নাই, আমরাও কোনোকপ অশ্মানের উপর সিদ্ধান্ত গড়িতে চাহি না। মোহিতচন্দ্র সেন সম্পাদিত “কাঁবাগ্রন্থে (১৩১৩) সঙ্কাাসংগীতের কবিতাগলি লইয়া একটি খণ্ড হয়, নাম 'হৃদয়- অরণা।” প্রভাতসংগীতে 'পুনমিলন? কবিতাগ্বয় এই যুগের কথ! স্মরণ কৰিয়া কবি লিখিয়াছেন, “্হদয় নামেতভে এক বিশাল অরণ্য আছে-.. ভাবি মাঝে হনু পথ হার! 7” এই পওক্কি হইতে কাঁবাখগ্রের নাম সগৃহীত হয়। কবি তাহার নবনামান্ষিত কাবাগুলির জন্না ভয়িকারূপে যে কবিতা লিখিয়া দেন সেইগুলি কবিতাগুচ্ছের যথার্থ প্রকাশক 'হদয়-অরণা' খণ্ডের জন্য লেখেন “কুঁড়িব ভিতর কাদিছে গন্ধ অন্ধ হয়ে, কীদিছে আপন মনে 1” কিন্ত এই আকৃতির অস্তরালে রহিয়াছে চির আশ্বীল, অনন্ত নিব -- | কিছু নাই চোর ভাবনা! ! ঘে শ্ুচ প্রভাতে সকলের সাথে মিলিবি, পরাবি কামন' আপন অর্থ সেদিন বুঝিবি; জনম বার্থ যাবে না। তাই একদিন এই হৃদয়ারণ্য হইতে প্রভাতসংগীতের সবরের টানে নিক্ষমণ? তইঙ “বিশ্বোব মাঝে সন্ধ্যাসংগীত সে যুগের অন্য সমস্ত কবিতা হইতে আপন ছন্দের বিশেষ সাজ পণিয়া সাহিচাক্ষেজে উপস্থিত হইয়াছিল; সে সাঙ্গ বাজারে চলিত নয়। স্ভরাং কাবোর যথার্থ সমজদাল্ন! প্রচ পরিমাণ উচার সমাদর করিয়াছিলেন। রচনাকালে “সেই উচ্চক্খল কবিতা শোনাইবার একক্তন মাত্র লোক তখন ছিলেন - অক্ষবাবু। তাহার এই কবিতাগুলি হঠাৎ অতান্ত ভালো লাগিয়া গেল; ভীহার অন্ঠযোদনে কবির পথ আরো পুশস্পহরু হইল এই কাবা প্রকাশিত হইলে প্রিয়নাথ সেনকে কবি একজন অকপট বন্ধুূপে লাভ করিলেন! তিনি জগদয় পাঠ করিয়া তকণ কবি সম্বন্ধে অতাস্ত হতাশ্বাস হইয়া পড়িয়'ছিলেন, কিন্ধ সঙ্ধাসং'গীত প্রুকাশিহ হুটালে ঠাতার নিকট প্রচুর সমাদর লাভ করিলেন। প্রিয়নাথ ছিলেন সেই শ্রেণীর সাহির্তিক যিনি টত্মাহবাণী অভুকূল সমালোচনা দ্বারা সাহিত্যঅষ্টাদের রচনাকে অভিনন্দিত করিতেন সন্ধাসংগীত প্রকাশিত হইলে বঙ্কিমচন্দ্র কবিকে কিভাবে অভিনন্দিত করিয়াচিলেল দে পা বনশ্মতাত সবিস্বাধে বধিত হইয়াছে রমেশচন্দ্র দত মহাশয়ের কন্বা কমলার সেদিন বিবাহ ২৪ জুলাই ১৮৮২ গ্ুরথনাথি বসত তত সহিত | জীবশস্থৃতিতে কবি লিখিতেছেন, “বিবাহসভার ছ্বারের কাছে বঙ্গিমবারু দাডাইসাছিলেশ রামশণাপু বহিজলাবুর গলায় মালা পরাইতে উদ্যত হইয়াছেন এমন সময়ে আমি সেথানে উপস্থিত হইলাম | বঙ্গিমকাবু ভাডানাছি চমমাল। শামা গলায় দিয়া বলিলেন, মালা ইহারই প্রাপ্য | লুমেশ, তুমি সন্ধ্যাসগীত পর়িয়াছ চা তিনি করিতেন, না তখন সন্ধাসংগীতের কোনো কবিতা মন্থদ্ধে যেমত ব্যক্ত করিলেন তাহাতে আমি পুরদ্থত হইউদাছিলাম )? ১. লক্গযাললীতের প্রথম নাক্ষরণে যুলপ্রন্থের ভূমিকা কাপ ্স্থ মাপ হইবার পর। উপহার শীক দুটি করি মুদ্গেত অঠছ। প্রথম “উপহার' কবিতাটি বমান রচনাবলীতে “সন্ধ্যা নামে, বং দ্বিভীঙটি 'উপহ্থার' নগমই অজিত আছে ছিশীয়টিকট এই প্রন্থেণ উপকার ধ। উংসর্শ বলিয়া গণ্য করা যাইতে পারে ৮. রবীন্-রচলাবলী (প্রস্থপরিচয় ) ১, পু ৯২৫। সঙ্ধগাসাগীত ২২ আবাঢ় ১২৮৯ লালে (৫ জুলাই ১৮৮৯) প্রকাশিত হয় ল্যি। অনম!ন করা যাইতে পানে জ. রনীশ্র-বাশ্থ পরিচয়, প্‌ | প্রমথনাথ বহৃ- ইনি জামসেদপুরে টাটাদের কারখানা স্থাপনের মুলে ছিলেন মধু বনু উতর পুত্র কষ্টা লেডি পতিসা ময় (সার হাছজলাল মিত্রের পরী ) অপর কমা জীহুষমা সেন পত্ুযোগে জননীর বিবাহ-তাকিপটি লেপবকে পাঠাইয়া দেন ২৪ নশ্বর ১২৮৪ |

ধীষ্টান্ঘ ১৮৮-৮২ সন্ধ্যাদংগীতের পর্ব : ১২৯

সন্ধ্যাসংগীত-যুগের পূর্বরচিত কবিতাগুলিকে রবীন্দ্রনাথ তাহার নিজস্ব কাব্যসম্পদ বলিয়া স্বীকার করির] যান নাই। “বনফুল? হইতে “ভগ্রহদয়' পর্যস্ত কাবা-কয়খানি তাহার তেরো হইতে উনিশ বৎসর বয়সের মধো রচিত। এই ধয়সে কাব্য আরস্ত করিয়াছিলেন অনুকরণে, বিহারীলালকে অক্ষয়চন্দ্র চৌধুরীকে বাখিয়াছিলেন সম্মুখে 1১ এই কাব্যজীবনের অহুকরণ-পর্বের অবসানে ষথার্থ লিরিকধর্মী কবিতার স্থরে সন্ধ্যাসংগীতের নৃতন স্থর ধ্বনিত হইল। ইতিপূর্বে তরুণ কৰি অস্পষ্ট হৃদয়াবেগ কাব্যের বা গাথার নায়ক-নায়িকার জবানিতে ব্যক্ত করিয়াছিলেন তৎকালীন বাংলার শ্রেষ্ঠ কবিদের প্রদশিত পথ অনুসরণ করিয়া এতদিন যাহা-কিছু শিখিয়াছিলেন তাহা আখ্যানমূলক কাবা, অশ্ুভূতিষূলক গীতিকাব্য নহে বোধ হয় বালা যৌবনের মধাস্থিত অবস্থায় চিন্তের ভাবনারাজি অশরীরী অন্পষ্টতার মধো বিচরণ করে; তাহারা লিরিকমৃতি ধারণ করিবার মতো! আবেগময়ী হয় না, অবরুদ্ধ মনের ব্যাকুল উচ্ছ্বাম নিজের ছন্দোময় ভাষায় প্রকাশ করিবার শক্তি অর্জন করে না। মন্ধাসংগীতে কবি অতীতের বগ্ধন ছিন্ করিয়া নৃতন আত্মশক্তি অনুভব করেন বলিয়াই এই কাব্যের এত সমাদর সন্ধযাসংগীতকে রবীন্দ্রনাথ তাহার কাব্যগ্রস্থাবলীর প্রথম মুদ্রিত গ্রন্থ বলিয়া স্বীকার করিম়াছেন২, “ভাভিসিহের পদাবলী" পূরে রচিত হইলেও গ্রস্থাকারে পরে মুদ্িত হয়| সন্ধযাপংগীত সঙ্গদ্ধে কলি কাহার জীব্নস্তিতে বহুবিস্তারেই শিখিয়াছেন। কবিতাগুলিকে তুচ্ছ বলিয়! উপেক্ষা করিয়াও রচনার প্রেরণাচক আচ্ছিলা কিতে পাবেন রর | তবে এক-এক সময় মনে হয় যে-কাব্যকে তিনি 'কালাতিকরমণদোষ-মুত্তু” বলিয়া সাহিতা-দরবার হইতে বহিডুতিৎ করিবার জন্তা এতই বান্ঠ, সে সম্বন্ধে এত কৈফিয়ত না দিলেও তো ক্ষতি ছিল না। কিন্তু সেকথা ঠিক নহে; রবীন্দ্রনাথের 'অন্ুকরণ-নিবপেক্ষ নিজন্ব কাবান্হির শ্ুত্রপাত এই কারোর মধ্য দিয়) হইয়াছিল, সেইজন্য এই কাবোর শুতি দরদ স্তপক্ষে তাহা বু পঞ্কাশ বৎসর বয়স পর্বন্ত ছিল। তাহার পূব মতের হরতো পর্রিবর্তন হইয়াছিল কিন্তু তাহার বাধহারিক প্রমোগ সষ্থব হয় নাই। সাধারণত বই-এর উপহার থাকে প্রথম দিকে, সন্ধাসংগীতের উপহার হইতেছে গ্রন্থশেষে 1 কিন্তু প্রথম সংস্করণে প্রথমে উপহার? এবং শেষে 'উপহার' নামে কবিতা হিল। পরে প্রথম উপহারাটির নামকরণ হর সিন্ধা। এখন আমরা সেই নামেই তাহাকে পাই। এই ছুই উপহার বাদ দিলে, কাবোর গুম করিত গান আরস্া শেষ কবিতা গান-সমাপন'- বেশ অর্থপূণ সম্পাদন রা অল্প সময়ের মধো লিখিত কলয়া এহাকপ নম্থৰ হইয়াছে সন্ধ্যাস'গীত প্রথম সংহবণে তেইশটি কবিতা ছিল তক্মধো বারটি ভারতীতে প্রকাশিত হয় (১২৮৭-৮৯)। কয়েকটি উল্ত কবিতা জোড়ামাকোর বাড়ির তেতলাব ঘবে লিখিত ; আর চন্দননগরে আসিবার পরেছি সঞ্কামভীতের গালা চলিতেছে |” (জীবনম্বৃতি পু ১১৭) স্ব্যাসংগাত' যেভাবে আমরা আজ রবীন্দ্রবচলাবশীর মধ্ধো পাইতেছি, ১৮৮২ স্মলে অথাঙ এখন হইতে গায় ৮৫ বংসর পুরে প্রথম সংঙ্কহণে উহ] শ্বীততর ছিল। প্রত্যেকটি কবিতা দীর্ঘতর ছিল। ৩] ছাড়া কয়েকটি

স্. পত্রগুচ্ছ। ২৩ ফেব্রুরি ১৯৩৯1 কবিতা, পৌষ ১৩২৯, পৃ ১৩৭। ২. "সগ্কামংখতের পূরধবতী আমার সমন্ত করিও] আমার কাবাণস্থাবদী হইডে বাদ দিয়াছি।-. অভএব সন্ধাসপীতিকে দিয়া কাবগর্থালী আরম্ত করা গেলি" ১৯১২ সালের ইত্ডিসান প্রেস হইতে প্রকাশিভ কাবশ্রস্াবলীর ভুমিকা) স্চরিতা সম্পাদনকালে এই মনেতাতই একাশিত হয়। রশীক্-রচনাবলীর প্রথম পণ্ডের ভূমিক। এই কধারই পুশরুঝি মা “বদ হ্যোগ পাইভাষ তবে সন্ধাসংগীতকেও বাদ দিতাম |... দুাগান্রমে স।হিততীগ্ডারে আবর্জনা... যাহ! একবার প্রকাপ হইয়াছে তাহাকে বিপায় কর1 কঠিন 1" -- ১৯১৫ সালের ইত্ডিয়ান প্রেস হইতে প্রকাশিত কাব খস্থাধলীর ভূমিক1।

১৭

১৩৭ ববীন্দরজীবনী গ্ীষ্টাবষ ১৮৮০-৮২

কবিতা ছিল, যাহা পরবর্তী সংস্করণে বজিত হইয়াছিল। “বিষ স্থুধা নামে অতি-দীর্ঘ গাথা-জাতীয় কবিতার কথা পূর্বেই বলিয়াছি। সন্ধাসংগীতের সবের সহিত তাহার স্থর মেলে না। দ্বিতীয় সংস্করণে উহা বজিত হয়। “কেন গান গাই" «কন গান শুনাই'__ কবিতা ছুইটি দ্বিতীয় সংস্করণ পর্স্ত আসিয়া পরে আশ্রয়চ্যুত হয়৷ রবীন্- রচনাবলী সম্পাদনকালে "সন্ধা নামে কবিতাটি (“ব্যথা বড় বাজিয়াছে প্রাণে" ) কবি প্রথম সংশোধনের চেষ্টা করিয়াছিলেন; কিন্ধ বিরক্ত হইয়া কৰি প্রুফের গায়ে লিখিয়া দিলেন, 'এ কবিতাটি অসহা পুনরাবৃত্তি সংশোধনের অতীত এটা পরিত্যাজ্য" )। শ্রীপুলিনবিহারী সেন শ্রীশুভেন্দুশেখর মুখোপাধ্যায় 'সন্ধাংগীতে'র পাঠতেদ দিয়া যে প্রবন্ধ সাহিত্যা-পরিষ২-পত্তিকাষ (১৩৬৮) প্রকাশ করিয়াছেন, তাহা দেখিলেই পাঠক বুঝিতে পারিবেন, ক্রিটিক রবীন্দ্রনাথ কী নির্মমভাবে নিজ রচনার উচ্ছ্ালকে শাপিত করিয়াছেন, প্রায় প্রত্যেকটি সংস্করণে কবিতাগুলি সংক্ষেপিত, ংশোধিত হইয়াছে

সন্ধাসংগীত প্রকাশিত হইবার চারি মাস পুবে জ্োতিরিন্্রনাথের “ন্বপ্রময়ী' নাটক বাহির হইয়াছিল (মার্চ ১৮৮২। চৈত্র ১২৮৮ )। এই স্বপ্রযনয়ী নাটকের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ রচিত কয়েকটি গান আছে --গানগুপি রচনার ইতিহাস পূর্বেই আলোচিত হইয়াছে “এক সময়ে পিয়ানো বাজাইয়া জোতিদাদা নুতন নৃতন সুর তৈরি করায় মাতিয়া- ছিলেন। প্রত্যহ তাহার অঙ্গুলি নৃত্যের সঙ্গে সঙ্গে সুরবধণ হইতে থাকিত। মামি এবং অঙ্ষয়বাবু ইহার সেই সগ্যোজাত স্থুর্গুলিকে কথ দিয়া বাধিয়া রাখিবার চেষ্টায় নিযুক্ত ছিলাম ।”

আমাদের মনে হয় সেই পারবেশে-রচিভ গানগুলি স্বপ্রময়ী নাটকে অন্ভক্তি করিয়া জোোতিরিক্ষনাথ গান গুলিকে রক্ষা করিয়াছেন। গানগুলি__

গাঁতবি তান” বল্‌, গোলাপ, মোরে বল্‌ ৪২৯ আমি স্বপনে রয়েছি ভোর ৮৭৫ : আধার শাখা উজল করি ণ৬৯ হদয় মোর কোমল অতি ৮৭৪ হাসি কেন নাই নয়নে ৮৭৬ ক্ষমা করো মোরে, সথী ৮৮৩ দেশে দেশে ভ্রমি তব দ্ুখগান গাভিয়ে ৮১৬ বুঝেছি, বুঝেছি, সখা ভেঙেছে প্রণয় ৭৭১ বলি গো সজনী, যেয়ো না, যেয়ো না ৮৮৭ দেখে যা, দেখে যা, দেখে যা লো চোর! 9১৮ আয় বে সহচরী, হাতে হাতে ধরি ধরি ৪১৪ কে যেহেছিস, আয় নে হেথা ৮৯৪ অনস্থ সাগর-মাকে দাদ তরী ভাসাইয়া ৮৮৮

'দে লো সখী, দে পাইয়ে চলে' গানটির সহিত খায়ার খেলার সুপরিচিত গান তুলশীয়। উভয় গানের লাদুশ্ব মাত্র হুই পড্ক্িতে। এমো! গো এসো বনছেবতা (দীর্ঘ কবিতা ) ৯৪১

দ্র. সন্ধাসংগীত, পাঠাস্তর-স'বলিত সংপ্যরণ (১৩৭৬) | ৭২ গীতবিতান গ্রঞ্পরিচয়। পূ ১,,৫-৬।

ঞষ্টাৰ ১৮৮১ ১৩১ চন্দননগরে বর্ধাধাপন

মস্থরি হইতে ফিরিয়া আসিয়! ১৮৮১ সালের বর্ধাকালে (১২৮৮) ববীন্দত্রনাথ জ্যোতিরিজ্্নাথের নিকট চন্দননগরের গঙ্গার ধারের বাগানবাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করিলেন কবি জীবনস্থৃতিতে লিখিতেছেন, “আমার পক্ষে বাংলাদেশের এই আকাশভরা আলো, এই দক্ষিণের বাতাস, এই গঙ্গার প্রবাহ, এই রাজকীয় আলম্ত, এই আকাশের নীল পৃথিবীর সবুজের মাঝখানকার দিগন্তপ্রসারিত উদার অবকাশের মধ্যে সমস্ত শরীর মন ছাড়িয়া দিয়া আত্মসমর্পণ-_ তৃষ্ণার জল ক্ষধার খাছের মতোই অত্যাবশ্ুক ছিল ।-. আমার গঙ্গাতীরের সেই হ্বন্দর দিনগুলি গঙ্গার জলে উৎসর্গ-করা পূর্ণ বিকশিত পদ্মফুলের মতো একটি একটি করিয়া ভাসিয়া যাইতে লাগিল।” বহছবমর পরে কবি বলিয়াছিলেন,, “সেই সময়ে আমি প্রথম অন্ভভব করেছিলুম যে, বাংলাদেশের ন্দীই বাংলাদেশের ভিতরকার প্রাণের বাণী বহন করে।” জোতিরিন্্নাথেরা যে বাগানে ছিলেন তাহা! মোরানং সাহেবের বাগান নামে খ্যাত ছিল বিশ বৎসর বয়সের যুবক রবীন্দ্রনাথের জীবন কিভাবে আলস্তে আনন্দে বিষাদে ব্যাকুলতায় অতিবাহিত হইতেছিল তাহারও চিত্র জীবন- শ্বতি হইডেই পাই তিনি বঙ্িতেছেন, “কখনো-বা ঘনঘোর বর্ধার দিনে হারমোনিয়মধস্থ-যোগে বিদ্যাপতির “ভরা বাদর মাহ ভাদর' পদটিতে মনের মতো সুর বসাইয়া বর্ধার রাগিণী গাহিতে গাহিতে বৃষ্টিপাতমুখরিত জলধারাচ্ছন্ন মধ্যাহ্ন খ্যাপার মঙো কাটাইয়া দিতাম; কখনো-বা স্র্ধান্তের সময় আমরা নৌকা লইয়া বাহির হইয়া পড়িতাম, জোতিদাদা বেহালা বাঙ্গাইতেন, আমি গান গাহিভাম; পূরবী বাগিণী হইতে আরস্থ কবিঘ্া যখন বেহাগে গিয়া! পৌছিতাম ভখন পশ্চিম তটের আকাশে সোনার খেলনার কারখানা একেবারে নিংশেষে দেউলে হইয়া গিয়া পৃববনাস্ত হইতে চাদ উঠিয়া আপিত। আমরা যখন বাগানের ঘাটে ফিরিয়া আপিয়া নীতীরের ছাদ্টার উপরে বিছানা করিয়া বমিতাম তখন ছলে স্থলে শুত্র শান্তি, নদীতে নৌকা প্রাক্ম নাই, তীরের বনরেখা অন্ধকারে নিবিড়, নদীর তরঙ্গহীন প্রবাহের উপর আলো ঝিকৃ্ঝিক করিতেছে আমর] যে বাগানে ছিলাম তাহা মোরান মাহেবের বাগান নামে খ্যাত ছিল।” এই বাড়ির সধোচ্চ দ্বিতলে চারি দিক খোলা একটা গোল ঘর ছিল। “সেইখানে আমার কবিতা লিখিবার জায়গা করিয়া লইয়াছিলাম 1... তখনো সন্ধ্যাসংগীতের পালা চলিতেছে এই ঘ্বরের প্রতি লক্ষ কিয়! লিখিয়াছিলাম-- অনস্ত আকাশের কোলে টলমল মেঘের মাঝার, এইখানে বাধিয়াছি ঘর তোর তবে কবিতা আমার! যবে আমি আমিব হেথায় মস্থ পড়ি ডাকিব তোমায় ।”৩ এই কবিতাটির স্থুর সন্ধ্যাসংগীতের অগ্কান্ত কবিতার মতো! ছুংখের ভারে অরিয়মাণ নহে কবিতাহুন্দরী বাঁ মানস- হন্দরীকে ভাষার মধো মূর্ত করিয়া তুলিবার প্রথম আভাস যেন এই কবিতার মধো পাই। সমকালীন সন্ধ্যাসংগীতের

বিংশ বঙ্গীয় সাহিতা সপ্দেলন, চঙ্মননগর, ১৩৪৬ |

হরিছর শেঠ, রবীন্দ্রনাথের কবিজীবনে চন্মননগয়ের স্বান, সচিত্র, আদ্বিন ১৩৪৮1

কবিতা সাধনা, ভ্তারতী, পৌর ১২৮৮, পৃ ৪৭৭ সন্ধাসংগীতে গান-আযর়ম্ত রহীশ্র-রচনাবলী ১, পূ ও। প্রিয়নাধ সেন কবিভা! সাধন! নামে এক দীর্ঘ কবিতা লেখন। ভারতী, ফান্তুন ১২৮৯। জ. সাহিতা-পরিধং-পত্রিকা। ৬৬ বর্ষ, ৩-৪ সংখ্যা, রবীজ্ঞ-সংখ্যা, পূ ৩৭৪-৭৯।

১৩২ ববীন্দ্রজীবনী এটা ১৮৮১

এইথানে বাসকীলে বিবিধ প্রসঙ্গ নামে গগ্ভবচনাগুলি লেখেন “সে কোনো বাধা লেখা নহে; সেও একরকম যা খুশি হাই লেখা | মনের রাজো যখন বসন্ত আসে তখন ছোট-ছোট হ্বল্লাধু রঙিন ভাবনা উড়িয়া বেড়ায়, তাহা দগচক কহ লক্ষ্য করে নাঃ অবকাশের দিনে সেইগুলাকে ধরিয়া রাখিবার খেয়াল আপিয়াছিল। আসল কথা, খন সেই একটা ঝোকের্‌ মুখে চলিরাহিপাম ; মন বুক ফুলাইয়া বলিতে ছিল, আমার যাহা ইচ্ছা তাহাই পিখিব-- কী [সাদব সেখেছাল হিল না, কিন্ত আমিই লিখিব, এইমান্ত্ ভাহার একটা উত্তেজনা ।” ১২৮৮ সালের শ্রাবণ মাস হইতে আরস্থ করিয়া ১২৮৯ সালের বৈশাখ মাস পধস্্ প্রায় প্রতোক মাশেই ঢুহ-চা কারস! এই ট্রকর। লেখা প্রকাশিত হয় গ্রন্থাকাতর প্রকাশিত হয় পরে।

বি ণখ প্রসঙ্গ নাম হইছেই বুকা যায় যে বুচনাশ্তুপি১ সমধমী নহে 5 ইহাতে যেমন এক দিকে বিসু 2 বরা, এতকাল সক্ধাকালাএএট তন ভাবের প্রবন্ধ আছে, যাহা তাহার পরধুগের গগ্ভর্চনার অন্থুঠীত কবিয়া চালাহথা দয়া মায়, অন্য দিকে তেমনি "শুশ্ধা স্ৈণা িমা খরচ হর» মতন হালকাভাবের প্রবন্ধ আছে; আবার দয়ালু মংসাশার। মতন রাজনীতিগন্ধী প্রবদ্ধ৪ পারা যায়। এই প্রবন্ধে পাম্রাঙছাবাদী ইংরেজকে উপণঙ্গা করিয়া লেখক বেশ থানিকচা রসিকতা করিয়া লইয়াছেন, কিন্ত প্রবন্ধপাঠের পর জবু সাম্াজাবাদকে আমরা মনে রাখি না, মনে

কিয়) যায় মধু হাল্ুবরেশ | হই প্রসঙ্গটির কিয়পংশ নিক্গে উদ্ধৃতি চি

টিলা ইল্রাজ কবি বলিয়াছেন মে, আমরী বেক] জানোয়ারের মাংস খাই, যেমন ছাগল, ভেড়া গরু 0 দেখা বাক, পোকা শালোয়ারের। কিখায়। তাহারা উদ্চিচ্ছে খায় | অতএব উচ্িজ্ঞ যাহার। খা চাহাগা বোকা এমন এরব্য খাইবার মাবশ্বাক 7 শিরোপদের আমরা গাধা গক্ু ডা হসঙ্তিম্থ কহিয়! থাকি কখনো বিড়াল ভলুক মিংহ বা ব্যান্বনৃথ বাল 7 উদ্ছি্ভোজীদের এমন নাম খানাপ হইয়! গিদাছে যে, বুদ্ধির যথেষ্ট পণ প্রকাশ কঙগিপেও তাহাদের ছুনাম ঘচে শা) নহি শাদরা বলিক্কা মন্ঘাধণ করিলে লোকে বেন মনে কবে, তাহাকে নিকোধ বলা হইল? উদ্ভিরভোজী ভাব তর্কে ইতরাজ-শ্বাপদেরা দিবা হজম করিছে পাগিরাছেন 7 কিছ পাকফন্তের প্রঠি অন্ধ বিশ্বাস কাছে মাপাশ কান্টাহার গ্রাম করিলেন, ভালো হজন হইল না, পেটের মধো বিছম গোলযোগ বাধাইয়া দিল। নাংলাণ ছুলুভুমি উান্সবাল পেতে মুলেহ লৃহিল না, অতরব মাংসাশী প্রাথার লোড এডাহতে যি ইচ্ছা থাকে, তবে মানা হস আাবশ্ক | নহিলে আহ্বান বিসদন করিয়। পনের পেহের রুক্তু শির্ঘাণ করাই আমাদের চরম সিগ্ছি

“সাদশ 5 শীঘক আর একটি প্রপঙ্গ হইতে কিয়পতশ উদ্ধত করিতেছি সংসাগের। কাঈিচালীলে, মগবন্ধঘরকলার ভালোবাসা যেমনই হউক, আমি শুক্ত আদর্শ ভালোবাসার কথা বণিতেছি। ফেহউক একদরনের স্থিত খেধাঘেধি করি! থাকা) এক বাঞ্ধির অভিরিক্ক একটি অঙ্গের ন্যায় হ্হয়া

জীরে্রকুমর গুহ: রবীন প্রবঙ্গে। আধিপর্ক বিশ্বভারহী পিক ১ম বর্ষ, বৈশাপ ১5০, ৬৩২ প্রাতকাল একার, ভারহী, ফন ১২৮৮, রবী রচনাবলী, অচলিত সংগ্রহ ১, পৃ ১৫৮।

শৃশ্ঠ। প্্রেণ জনাধরচ। ভারতী, তাই ১২০৮, রবীন রচনাবলী, অগলিত সংগ্রহ ১, পূ ৩৬৮৬৮

৪. দয নু মাংলাশী, ভারহী, শ্রাবণ ১২৮৮, রবীন রচনাবলী, অচলিত সংগ্রহ ১, পূ ৩৪৯।

আদ প্রেম, ভারত, ফাগুন ১২৮৮, রণীশ্র-রচনাবলী, অচলিত সংখ্রহ ১, পু ৩৫১।

খী্টাব ১৮৮১ চন্দননগৰে বর্ধাধাপন ১৩৩

থাকা, ভাহার পাচটা অঙ্গুলির মধ্যে বষ্ঠ অঙ্গুলির ভ্যায় লগ্ন হইয়া থাকাকেই ভালোবাস! বলে না। দুইটা আঠাবিশিষ্ পদার্থকে একজে বাখিলে যে জুড়িয়া যায়, সেই জুড়িয়া যাওয়াকেই ভালোবাসা বলে না। অনেক সময়ে আমরা নেশাকে ভালোবানা বলি।... প্রণয়ের পাত্র নীচই হউক, নিষ্ঠরই হউক, আর কুচরিজ্রই হউক, তাহাকে আকড়িয়া ধরিয়া থাকাকে অনেকে প্রণয়ের পরাকাষ্ঠা মনে করিয়া! থাকে 1... প্ররুত ভালোবাস! দাস নহে, সে ভক্ত ; সে ভিশ্ষুক নহে, সে ক্রেতা আদর্শ প্রণয়ী প্ররূত সান্দর্যকে ভালোবাসেন, মহুত্বকে ভালোবাসেন ; তাহার হৃদয়ের মধো যে আদর্শ ভাব জাগিতেছে তাহারই প্রতিমাকে ভালোবাসেন 1...ভালোবাসিবার জন্যই ভালোবাসা নহে, ভালে! ভালোবাসিবার জন্যই ভালোবাসা তা যদি না হয়, যদি ভালোবাসা হীনের কাছে হীন হইতে শিক্ষা দেয়, যদি অসৌন্দর্ঘের কাছে কুচিকে বন্ধ কৰিয়! রাখে, তবে ভালোবাসা নিপাত যাক 1” ্‌

'বসস্ত বর্ধা'১ এবং 'প্রাতঃকাল সন্ধ্যাকাল' প্রসঙ্গ দুটি মানবের মনের জীবনের, খতুর কালের প্রকারভেদকে প্রায় দার্শনিক বিচার-বিপ্লেষণের অন্তর্গত করিয়া আলোচনা করা হইয়াছে প্রথম প্রসঙ্গে কবি বলিয়াছেন “বসস্থ উদাসীন, গৃহত্যাগী। বর্ধা সংসারী, গৃহী। বসম্ত আমাদের মনকে চারি দিকে বিক্ষিপ্ন করিয়া দেয়, বর্ধা তাহাকে এক স্থানে ঘনীভূত করিয়া রাখে বসস্তে আমাদের মন অন্যংপুর হইতে বাহির হইয়া যায়, বাতাসের উপর হাসিতে থাকে,... বর্ধায় আমাদের মনের চারি দিকে বুট্টিজলের যবনিকা টানিয়া দেয়, মাথার উপরে মেঘের চাদোয়া খাটাইয়া দেয়।”

গ্রন্থের শেষ বচন] “সমাপন, গ্রন্থ-মুদ্রণের সময়ে বোধ হয় রচিত। এই রচনাটির মধ্যে “বিবিধ প্রসঙ্গে '্ লেখা গুলি সম্বদ্ধে কৈফিয়ত অতাস্ত কোমলভাবে লিখিত আমরা উহ] হইতে কিছুট1 উদ্ধৃত করিয়া! দিতেছি-__ “আমার ভঙ হইজেছে, পাছে লেখাগুলি লইয়া কেহ তর্ক করিতে বসেন। পাছে কেহ গুমাণ জিজ্ঞাসা করিতে আসেন ।- বইখানি সে ভাবে লেখাই হয় নাই। ইহা একটি মনের কিছুদিনকার ইতিহাস মাজ্্র। ইহাতে যেসকল যত ব্যক্ত হইথাছে,... সেগুপি আমার চিরগঠনশীল মনে উদ্দিত হইয়াছিল এইমাত্র 1. জীবনের প্রতি মুহুর্তে মনের গঠনকার্ষ চলিতেছে 1..- এই গ্রন্থে সেই অবিশ্রান্ত কার্শীল পরিবর্তামান মনের কতকটা ছায়া পড়িয়াছে। কাজেই ইহাতে বিস্তর অসম্পূর্ণ মত, বিরোধী কথা, ক্ষণস্থায়ী ভাবের নিবেশ থাকিতেও পাবে জীবনের লক্ষণই এইরূপ। একেবারে স্্্ষ মমতা ছাচে-ঢাপা ভাব মুতের লক্ষণ ।-.

“আমার পাঠকদিগের মধ্যে একজন লোককে বিশেষ করিদ্বা আমার এই ভাবগুলি উৎসর্গ করিতেছি ভাবগুলির সহিত তোমাকে আরও কিছু দিলাম, মে তুমিই দেখিতে পাইবে! সেই গঙ্গার ধার মনে পড়ে? রঃ নিন্তবধ নিশাখ? সেই ঞ্যোত্ম্ালাক? সেই ছুইজনে মিলিয়া কল্পনার রাজো বিচরণ? সেই মৃছ্গন্তীর স্বরে গভীর আলোচনা? সেই ছুইছনে স্তন হুইয়া নীরবে বলিয়া থাক? সেই প্রভাতের বাতাস, সন্ধার ছায়া? একদিন সেই ঘনঘোর বধার মেঘ, শ্রাবণের বর্ষণ, বিষ্তাপতির গান? তাহারা সব চলিয়া গিঘ্াছে। কিন্ধু আমার এই ভাবগুলির মধো তাহার্দের ইতিহাল লেখ! বহিল। সেই লেখাগুলির মধ্যে এই লেখাগুলির মধ্যে কিছু দিনের গোটাকতক হুখছুঃখ লুকাইয়! বাখিঙ্পাম, এক-এক দিন খুলিয়া, তুমি তাহাদের নেহের চক্ষে দেখিও, তুমি ছাড়া আর কেহ তাহাদিগকে দেখিতে পাইবে না। আমার এই লেখার মধো লেখা রছিল, এক লেখা তুমি আমি পড়িব, আর- এক ধেখা আর-সকলে পড়িবে”

বসন্ত বর্ষা, ভারতী, ভ। ১২৮৮, রবীন্্র-যচনাবলী, অচলিত সংগ্রছ ১, পৃ ৩৫৬।

১৩৪ ববীন্দ্রজীবনী খ্রীষ্টান ১৮৮১

১৮*৫ শক (১২৯০ ) ভাদ্র মাসে “বিবিধ প্রসঙ্গ গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়। এই সমাপন অংশ সেই সময়ে লিখিত। এই অংশ তাহার বউঠাকুরানী কাদগ্রী দেবীর উদ্দেশে রচিত বলিয়া! আমাদের মনে হয়। বিবিধ প্রসঙ্গের অন্তর্গত না করিলে "শ্যষ্টি স্থিতি প্রলয়” নামে ক্ষত্র প্রবন্ধটি» এবং 'মহাম্বপ্রৎ “ম্ষ্টি স্থিতি- প্রলয়” শীধক কবিতান্য়ের ভাবরাজি গ্রন্থের বিভিন্ন রচনার অন্ততম স্থরে বাধা, অর্থাৎ দার্শনিক ভাবে স্ু্টিকে দেখা হ্ট্ি স্থিতি প্রলয় লেখকের মতে অতীত বর্তমান ভবিষ্যতের সমগ্র ব্যাপারটা নিরবচ্ছিন্ন কালের মধো প্রতিভাত হইতেছে কবির মতে হ্্ি স্থিতি প্রলয়-_ তিনকে এক করিয়া দেখিবার একটি পদ্ধতি আছে এবং তিনটিকে পৃথক পৃথক করিয়া দেখিবার৪ একটি পদ্ধতি আছে; প্রথমটিকে লেখক “সংক্ষেপ ভ্বিতীয়টিকে বিক্ষেপ আখা। দান করিয়াছেন; প্রথম পদ্ধতিতে তিন বাপার একই কালের ব্যাপার, উহা চিরন্তন; কিন্তু স্যর স্থিতি প্রলয়ের বিক্ষেপ-পন্ধতি বর্ণনে লেখক কবিতার আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছেন। ইহার বিক্ষিপ্ত ভাব অসীম ব্রহ্মাণ্ডে নব নব ভাবে নব নব যুতিতে প্রকাশমান ; ব্রহ্ধা বিষুঃ কদ্ধের প্রকাশ সে যৃত্তিতে; কিন্ত মঙ্গলই একমাত্র উদ্দেশ্ঠ-_ যেহেতু জ্ঞান এবং প্রেম সকলের যূলে বর্তমান “হি স্থিতি প্রলয়? 'মহাম্বপ্ন' কবিতাছয়ে এই ত্রিমৃঠির সৌন্দর্য প্রকাশিত হইয়াছে “হৃষ্টি স্থিতি প্রলয়” প্রথমেই ক্রন্জার পরিকল্পনা, ঘিনি স্ষ্টি করিয়া নিশ্চিন্ত মনে আছেন-_ দেশশৃন্য কালশূন্য জ্যোতিঃশূন্য মহাশূন্য-পরি চতুণুখি করিছেন ধ্যান, মহা অদ্ধ অন্ধকার সভয়ে রয়েছে দাড়াইয়া কবে দেব খুলিবে নয়ান 1... ভাবের আনন্দে ভোর, গীতিকবি চারি মুখে করিতে লাগিলা বেদগান |: অনস্থ ভাবের দল, হদয়-মাঝারে তার হতেহিল আকুল বাকুল-_- মুক্ত হয়ে ছুটিল তাহারা, জগতের গঙ্গোত্রীশিখর হতে শত শত শোতে উচ্্ুসিল অগ্রিময় বিশ্বের নিবি বাহিরিল অগ্নিময়ী বাণী উচ্্বৃসিল বাম্পময় ভাব। উত্তরে দক্ষিণে গেল, পুরবে পশ্চিমে গেল, চারি দিকে ছুটিল তাহারা,"

শ্ৃষ্ট স্থিতি প্রলয় (গপ্ভ ), ভারতী, মাধ ১২৮৮, পৃ ৪৭৮-৭৯ | মহান্বপ্র, ভারতী, পূ 8৮৩-৮৪ 1 প্রভাতসংশীত, রবীন্্-রচনাবলী ১, পু ৮০-৮২। সৃষ্টি স্থিতি প্রলয়, ভারতী, ১২৮৮, পৃ ৫৪০৪৪ | প্রতাতসংগীত, রবীন্ত্র-রচনাবলী ১, পৃ ৮২-৯১।

খ্রীষ্ভাৰঝ ১৮৮১

চন্দননগষে ব্ধাধাপন ১৩৫

ইহার পর বিষ্ণুর আবির্ভাব সম্বন্ধে কবি লিখিতেছেন__

নৃতন সে প্রাণের উল্লাসে নৃতন সে প্রাণের উচ্ছ্বাসে বিশ্ব যবে হয়েছে উন্মাদ, চারি দিকে উঠিছে নিনাদ, অনম্ত আকাশে দাড়াইয়। চারি দিকে চাবি হাত দিয়া বিষু। আসি মন্ত্র পড়ি দিলা বিষ্ণু আমি কৈলা আশীর্বাদ

বিষুর নিয়মচক্রে বিশ্ব বাধা পড়িয়া চলিতে লাগিল ; অবশেষে “মহাছন্দে বাধা হয়ে-. অসীম জগত চরাচর।

শান্ত হয়ে এল কলেবর।'

তখন তাহার) মহাদেবের শরণ লইয়া কহিল-_-

নিয়মের পাঠ সমাপিয়া

সাধ গেছে খেলা করিবারে,

একবার ছেড়ে দাও, দেব

অনন্ত আকাশ মাঝারে 177

গাও দেব মরণ-সংগীত

পাব মোরা নৃতন জীবন

প্রলয় বিষাণ তুলি করে ধরিলেন শূলী পদতলে জগৎ চাপিয়া,.

ছি'ড়িয়। পড়িয়া! গেল

জগতের সমস্ত বাধন!

উঠিল রে মহাশৃন্তে গরজিয়া তরঙ্গিয়া ছন্দোমুক্ত জগত্তের উন্মত্ত আনন্দ কোলাহল ছিড়ে গেল বৰি শশী গ্রহ ভারা ধূমকেতু, কে কোথায় ছুটে গেল

ভেঙে গেল, টুটে গেল).

সজনের আরস্ত-সময়ে

আছিল অনাদি অন্ধকার,

হজনের ধ্বংস-যুগান্তবে

রছিল অসীম ছতাশন।

অনস্ত আকাশ-গ্রামী অনলসমুদ্রমাঝে মহাদেব মুদি জ্িনয়ল

করিতে লাগিল! মহাধ্যান।

১৩৬ ববীন্দ্জীবনী খ্ীষ্টা ১৮৮১

'মহাম্বপ্ন' কবিতার মধ্যে জগংহ্থষ্টির অখণ্তত! পুনরাবুন্বি মন্বদ্ধে অনেকগুলি পঙন্কি আছে।-- স্বপনের রাজা এই, স্বপন-বাজোর জীবগণ, দেহ ধরিতেছে কত মুহমুহ নৃতন নৃতন। ফুল হয়ে যায় ফল, ফুল ফল বীজ হয় শেষে, নৰ নৰ বৃক্ষ হয়ে বেচে খাকে কানন প্রদেশে | বাস্প হয়, মেঘ হয়, বিল্দু বিন্দু বুষ্রিবান্ধি-ধাবা, নির্বব তটিনী হয়, ভাঙি ফেলে শিলাঙয় কারা নিদাখ মরিয়া যায়, বরষা শ্মশানে আসি তার নিবায় জলস্ত চি! বরষিয়া অশ্রবারিধার | বর্ষ] হইয়। বৃদ্ধ খ্বেতকেশ শীত হয়ে যায়, যযাতির মনো পুন বসস্যৌবন ফিরে পায়। এক শুধু পুরাতন, আর সব নৃতন নৃতন, এক পুরাতন হৃদে উত্ঠিতেছে নৃতন স্বপন | কবি প্রশ্ন কবিতেছেন-ল পূর্ণ আহ্মা জাগ্বেন, কভু কি আঙিবে হেন দিন? অপূর্ণ জগং-স্বপ্ন ধীরে ধীবে হইবে বিলীন? কত কি আসিবে, দেব সেই মহান্বপ্র-ভাড! দিন সভোর সমুদ্র-মাঝে আধো সতা হয়ে যাবে লীন ? আধেক প্রলয়জলে ডুবে আছে তোমার হদয়, বলো দেব, কবে হেন প্রপয়ের হইবে প্রলয় ?

'মহাস্বপ্পোর সহিত হিরহদে কালিকা১ পাঠ করিলে করিচিন্তের একটি পর্ণকপ পাওয়া যাইবে | মহান্থবের মদে বৃধীক্ষনাথ জগতেগ উদ্ব স্থিতি প্বংস, প্রকৃতির মধ্যে পুনরাবৃত্তি মানবের মনের মধো এক প্ুবতন জদে উঠিতেছে নুতন হপল? তাহারই কথা বলিয়াছেন ! এই সময়ে হাহার অন্তরের মধো লোকোত্ুর সৌন্দর্য সমস্গার প্রশ্থ যে 'আসিয়াছিল তাহা স্তাহার জীবনস্বতি হইতে জানিতে পাবি “একদিন জোডাঙ্জীকোর বান্ডির ছাদের উপর অপন্বান্ের শেষে বেড়াইছেছিলাম | দিবাবপানের শ্ানিমার উপরে স্থ্ীস্তের আভাটি জড়িত হহয়া সেদিনকার আসন্ন সন্ধা! আমার কাছে বিশ্বেভাবে মনোহর হইয়া প্রকাশ পাইয়াছিল।” নিজের স্বক্ধপ স্গন্ধে জটিল প্রশ্ন উদয় হইয়াছিল; “জগতকে তাহার নিছের স্বরূপে দেখিতেছি। সে-্বরপ কখনোই হুচ্ছ নহে-- তাহা আনন্দময় স্থন্দর ।” মনের এইকপ অবস্থায় এই শ্রেণীর কবিতা লিখিত হয় বলিয়! আমাদের ধারণ]।

সন্ধ্যাসংগীত-যুগের গন্ভ : জীবনে যথার্থ দোসর* পাওয়া যায় না, এই হইতেছে নরনারীর চিরন্তন অভিযোগ উনবিংশ শতকের মধ্যভাঁগ হইতে মুৰোপের সবত্র যে রোমান্টিক কাব্যের স্থষ্টি সস্তোগের সৃত্রপাত হইয়াছিল ইংরেজিশিক্ষিত বাঙালি কবিদেরও রচনার

“হরহাদে কালিক', ভারতী, আব্বিন ১২৮৭, পৃ২৯১। শৈশব-সংযত। রবীশ্র-রচনাবনী, অচলিত সংগ্রহ ১, পু ৪৯৭-৯৮। তু “দোসর | ২৮ অক্টোবর ১৯২৪, আগেন জাহাম ।-_পূরবী রবীনর-রচনাবলী ১৪, পৃ ৮+।

জীষ্টা ১০৮১ সন্ধ্যাসংগীত-ঘুগের গদ্য : ১৩৭

মধো দেই সবরের ধ্বনি-প্রতিধ্বনি ম্পষ্টভাবেই শোনা গেল। তৎকাপীন আধুনিক কাবোর মধ্যে যে ছুঃখবাদ দেখা দিয়াছিল, যাহাকে কবি 'অকারণ কষ্ট' বলিয়া ব্যঙ্গ করিয়াছিলেন, তাহা তাহারই কাব্য-সাহিত্যে স্পষ্ট ব্যাপকভাবেই প্রকাশ পাইল। নৃতন ইংবেজি কাবা সাহিত্যসমালোচনা পাঠ করিয়] রবীন্দ্রনাথ লিখিতেছেন, “আধুনিক ইংরাজি কবিতার মধ্যে আশ্রয়প্রয়াসী হদয়ের বিলাপ-সংগীত প্রায় শুন! ঘায়। আধুনিক ইংবাজি কবিরা অসম্তোষ অতৃপ্থির রাগিলীতেই অধিকাংশ গান গাহিয়! থাকেন” এই তত প্রাণ করিবার জন্ক রবীন্দ্রনাথ শেলী আর্নলড রসেটি, ও” শগ্নেসি প্রতৃতির কবিতা তর্জম! করিয়া দেখাইলেন যে ইংক্েজ কবিদের মধ্যে এই বিলাপ-সংগীত কী ব্ধপ লইয়াছে।

কবিদের মনম্তত্ব বিশ্লেষণ করিয়া রবীন্দ্রনাথ লিখিতেছেন, “যাহা ছিল হারাইয়। গিয্লাছে তাহার জন্য যে কেহ বিলাপ করিবেন তাহাতে আশ্চর্য নাই, কিন্তু যাহা ছিল না, ঘাহা পাইতেছি না, অথচ যাহ] জানি না, তাহার জন্ত সম্প্রতি একটা বিলাপ-ধবনি উঠিয়াছে |... এখনকার কবিবা দেখিতেছেন প্রেমে তৃপ্ি নাই, সে অতৃপ্তি নিরাশার অতৃপ্তি নহে, অভাবের অতৃপ্তি তাহারা কাহাকে ভালোবামিবেন খুঁজিয়া পান না, অথচ হৃদয়ে ভালোবাসার অভাব নাই |" ভালোবাসিবার জন্য তাহাদিগকে কাল্পনিক প্রতিম! প্রতিষ্ঠা করিতে হয়।-. ক্রষে প্রেমের অতীন্দছিয় ভাব কবিদিগের হৃদয়ে পরিস্ফুট হইতে লাগিল 1”..* সাহিত্যবিচার এই পর্ধস্তই | ইহার পর এই প্রবন্ধে যাহা বলা হইয়াছে তাহার সহিত মূল প্রবন্ধের সম্বন্ধ একটু দূব। কিন্ত লেখকের অন্তরের যূলে যে-বেদন রহিয়াছে তাহাই প্রকাশিত হইয়। গড়িতেছে। তিনি বলিতেছেন, মানুষ এই হৃদয়ের দোসর খু'ন্িয়া বেড়াইতেছে তীহার বিশ্বাস প্রতি লোকের দোসর আছেই, এককালে না! এককালে পরস্পরের সহিত মিলন হইবেই তিনি মাশা করেন, মনের যানুষ যিলিবে অথচ এত কাদিতে হইবে না। হৃদয়ের প্রতিমার নিকট হৃদয়কে বলিদান দিতে হইবে নাঁ; ভালোবাসা স্থখ, ভালোবাসা শাস্তি একপরিবারতুক্ত হইয়া বাস করিবে। এ-সংসারে লোকে ভালোবাসে অথচ ভালোবাসার সমগ্র প্রতিদান পায় না, ইহা বিকৃত অসম্পূর্ণ অবস্থাঁ। তরুণ কবির বিশ্বাস এই অসম্পূর্ণ অবস্থা একদিন-না-একদিন দূর হইবে ।২ প্রবন্ধ-মধ্যে বিবাহ প্রেমের চিরন্তন প্রশ্ন উত্থাপিত করিয়া লেখক বলিতেছেন, “সামাজিক বিবাহ অনন্তকাল স্থায়ী বিবাহ নহে। সচরাচর বিবাহে হয় এক'তর পক্ষে নয় উভয় পক্ষে প্রেমের অভাব দেখ! যায়, এমনকি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আমরণস্থায়ী ঘ্বপার সম্পর্ক 1-"" হয়তো! এমন ছুই জনে বিবাহ হইল, শুভপৃহির পূর্বে যাহাদের মধ্যে দেখাশুনা হম নাই ।... বিসদৃশ প্রকৃতি সামাজিক দম্পতির বিবাহ কি কখনও অনস্তকালম্থা়ী বিবাহ বলিয়া! গণ্য হইতে পারে? কিন্তু দুই- দুইটি করিয়া ঘবদয় আছে, প্রকৃতি নিজে পৌরোহিতাণ করিয়া যাহাদের বিবাহ দিয়াছেন তাহাদের বিবাহবন্ধন বিচ্ছিন্ন হইবার নছে।” লেখকের মতে জীবনের যথার্থ দোসর সন্ধানকালে প্রথমেই যথার্থ ব্যক্তিকে নাও পাওয়া যাইতে পাবে) “প্রথমে তাহার সহিত আমার প্রকৃত দোসবের মাদৃশ্ট দেখিয়া তাহার প্রতি অগরক হইলাম, কিন্ত কিছু দিন নিরীক্ষণ করিয়া করিয়া তাহার বৈসাদৃশ্গুলি একে একে চক্ষে পড়িতে লাগিল, অবশেষে তাহার অপেক্ষা সৃশতর লোককে দেখিতে পাইলাম, আমার ভালোবাসা স্থান পরিবর্তন করিল ।”ঃ

যথার্থ দোসরের প্রতিধ্বনি হইতেছে “গোলাম-চোর”* পূর্বোক্ত প্রবন্ধে যে কথা অস্তরের বিশ্বাস অম্ভূতি

১59: 5৫%/17 £৯17014 (1832-1904 ), 410561 ৬, 5857 05150 80116885 (1844-81 05 105826৩ 0897161 5০536 0৫1 (1826-82 ) বধার্থ দোসর, ভারতী, জৈষ্ট ১২৮৮, পৃ ৮৪ [ মে-জুন ১৮৮১ ] রচনাহলীতুক হয় নাই তু. কৃষ্কুমার মিত্রের বিবাহের জন্ড রচিত গান (জুলাই ১৮৮১ )১_-“জগতের পুরোহিত তুমি 1 বণার্থ দোলয়, ভারতী, জৈোষ্ঠ ১২৮৮, পৃ ৮২। « গোলাম-চোর, ভারতী, আষাঢ় ১২৮৮, পৃ ১১২-১৫ [ জুন জুজাই ১৮৮১ ] রনাবলীতুক হয় নাই? ১৮৮

১৩৮ রবীন্দ্রজীবনী খ্ীষ্টাষ্ধ ১৮৮১

হইতে গম্ভীরভাবে বিবৃত, এখানে সেই কথাটাই ব্যঙ্গচ্ছলে লিখিত হুইল, বেদনাটাকে বাকোর দ্বারা তাচ্ছিল্য করিবার প্রয়াস বিবাহাদির ব্যাপারে আমাদের সামাজিক বিধি এমন-যে মানুষ জানে না তাহার ভাগ্যে কিন্ূপ দোসর জুটিবে। এই বিষয়টাকে লেখক পরিহাসচ্ছলে তাসের খেলায় “গোলাম-চোর” নাম দিয়াছেন। “আদৃষ্টের হাত হইতে যখন তাস টানি তখন হয়তো আমার হাতের সকল তাসগুলিই প্রায় মিলিয়া গেল, কেবল একটা বা দুইটা এমন গোলাম টানিয়া বমি যে, চিরকালের মতো গোলাম-চোর হইয়া থাকি ।... আমাদের দেশের বিবাহ-প্রণালীর মতো গোলাম-চোর খেলা আর নাই। প্রজাপতি তাস বিলি করিয়া দিয়াছেন আন্দাজ করিয়া টানিতে হয়, আগে থাকিতে জানিবার উপায় নাই।..' যেই মিলিল অমনি মিল-দম্পতি বিশ্রাম পাইল। অন্বান্থা অবিবাহিত তাসেরা হাতে হাতে খিল অনুসন্ধান করিয়া ফিরিতে লাগিল, তাহাদের আর বিরাম-বিশ্রাম নাই এইখানে সাধারণকে বিদিত করিতেছি, আমি একটি অবিবাহিত তাস আছি, আমার মিল কাহার হাতে আছে জানিতে চাই। আমার বন্ধুবান্ধবরা আমাকে বলেন, গোলাম। বলেন, আমার মিল জিিজগতে নাই যেকন্তাকর্তা টানিবেন তিনি গোলাম-চোরু হইবেন। কিন্ত, বোধ করি, তাহারা রহম্ত করিয়া থাকেন কথাটা সততা নহে প্রতোক লোকই জীবনে এমন-কিছু জিনিস টানিয়া বসেন বা অন্তের কৌশলে টানিয়া পান যাহা নীরবে হজম করা ছাড়া উপায় নাই সকলেই জীবনে গোলাম-চোর হইয়া থাকেন, সেইজন্য প্রতিবেশী গোলাম-চোর হইতে দেখিলে কেহ যেন হান্ট না করেন_ ইহাই হইতেছে লেখকের শেষ উপদেশ প্রজাপতি বোধ হয় সে দিন হাসিয়া বলিরাছিলেন, তুমিও গোলাম-চোর হইবে। রবীন্দ্রনাথের বাহ এখনো হয় নাই

মান্তষ যথার্থ দোসর খু'জিয়া ব্যর্থকাম হয় প্রাস়ই গোলাম-চোর হইয়] বেয়াকুব বনে সংসার্জীবনের এইখানেই ট্রাজেডি স্থতরাং তরুণ কবির মতে সমাজে সংস্কার প্রয়োজন কিন্ধ এই সংস্কার কিভাবে কপ পহতত পাবে সে সম্বন্ধে ধারণা এখন স্পষ্ট হয় নাই ; তবে যে তিনি চিন্তা করিতেছেন, তাহার প্রমাণ পাই সমসাময়িক রচনা হইতে সমাজজীবনে পরিবর্তন ঘটিবেই, কিন্ কিভাবে ঘটিলে সংস্কারের উদ্দেশ ব্যর্থ না হয়, 'তাহা লেখক “এক চোখো সংস্কার”১ শীর্ষক এক প্রবন্ধে আলোচনা করেন তিনি বপিলেন যে, একদল লোক কোনো প্রকার পরিব্তন বা সংস্কার হইলেই তীতের সহিত অধুনার তুলনা করিয়া! বিলাপ করিতে থাকেন। সেহ সবসংস্কাব-বিবোধী মনোভাবের সমর্থন তিনি করিতে পারেন না আবার, ধাহার। আমৃলসংস্কারের পক্ষপাতী লেখক হাহাদের মভিতএ একমত নহেন। ধাহার] অর্ধপন্থী তিনি ভাহাদের৪ যুক্তির অস'খা ক্রটি ধরিলেন ; হাহার মতে পোকাচারের ঘে-প্রাচীর এককালে সমাজকে আশ্রম দিয়াছিল সেই প্রাচীর ভাঙিলেই সমাজ আপনা হইতেই রক্ষা পাইবে না। তাহার মতে সমাজ- প্রাচীরের একটি-একটি করিয়! খিড়কি খুলিয়া বাহিরের আলোবাতাস প্রবেশের পথ কবিয়া দিতে হষ্টবে ) এই শ্রেণীর সংস্কারকগণ রক্ষণশীল দলভুক্ত হইয়া উন্নতিশীলদিগকে সাহাযা করিতে পারেন সংক্ষেপে বপিতে গেলে আদিত্রাঙ্গ- সমাজের ধীর মম্বর গতিতে সমাজস*স্কাবের আদর্শ তরুণ লেখকের নিকট বরণায়। নবীনদের চোখে আদিসমাজের মত প্রগতিমূলক নহে, বর" বলা যাইতে পারে প্রয়োজনানুসারে [শ5০0109] বা স্থবুদ্ধিনূলক |

কিন্ত সাহিত্যবিচারে বা কাব্যস্থটিতে রবীন্দ্রনাথ আদেং সবুকির পথাশ্রয়ী লহেন। সাহিহোর মধো প্রয়োজনাতিরিক রস স্ষ্টি দ্বারা সাহিত্য স্বন্দর উপভোগ্য হয়; এই কথাটাই বাঙ্গচ্ছলে প্রকাশ পায় “র্দা, চোস্, লেহা, পেয়”ং প্রবন্ধে। রচনাটি "সাধুনিক শিক্ষা সাহিত্যের একটি রস-সমালোডনা ! লেখক বপিতে চান থে, বয়োভেদে যেমন মানুষের খাগ্যের পরিবর্তন হয়, জ্ঞানবিতরণের বেলাতেও সে দিকে দি হাখা প্রয়োজন চা, চোষ, লেহা পেয় এই

একচোখে সংস্কার, ভারতী, পৌষ ১২৮৮, পৃ ৪৭১-০৭, সমালোচনা (১২৯৪ ) পৃ ৪১১-১৭। রবী রচনাবলী, অচলিত সংগ্রহ ২, পূ ১৪৫-৪৮। চর্যা, চোস্ত, লেহ, পেয়, ভারতী, শ্রাবণ ১২৮৮, পৃ ১৮৪-৮৯ | রচনাষলীভুক হয় নাই।

গষ্টা্। ১৮৮১ সন্ধ্যাসংগীত-যুগের গণ্ £ ১৩৯

চারিবিধ খাদ্য গ্রহণের পন্থা ছিল সনাতন; অধুনা পঞ্চম পন্থা আবিষ্কৃত হইয়াছে__ তাহাকে বলা হইয়াছে ধোঁম্য বা ধুমায়ন বা তামাকু-সেবন। ধুমপান জীবনের বা স্থাস্থোর প্রয়োজনে লাগে না, কেবলমাত্র আনন্দের জন্যই ইহার অভ্যাস, চব্য চোত্য লেহা পেয়ের ন্যায় জীবধর্ম-রক্ষার জন্য অপরিহাধ নহে। তেমনি সাহিত্যক্ষেত্রে নভেল পড়া জ্ঞানালোচনার অন্তরঙ্গ বিষয় নহে, কেবলমাত্র সাময়িক আনন্দের জন্থই এই অভ্যাসের জন্ম। আসল কথা, প্রবন্ধটিতে যথেষ্ট কৌতুকোচ্ছান আছে। এই প্রবন্ধেই বোধ হয় বঙ্কিমচন্ছের গ্রন্থ সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথের মত সর্বপ্রথম প্রকাশিত হয় __ “কমলাকান্তের দপ্তরে'র১ মধ যে-প্রীতিপ্রদ অল্পরসের আমেজ আছে তাহাই লেখক সুষ্ঠভাবে বিচার কবিয়াছেন।

তরুণ লেখকের মনে বিচিজ্ঞ প্রশ্ন উঠে, তাহারই অন্যতম হইতেছে জীবনে যুক্তি বা 75৪30 প্রবল, না আবেগ বা 67901 প্রবল মানবের চিরন্তন প্রশ্ন রবীন্দ্রনাথ অর্ধব্যঙ্ষ ভরে প্রশ্নটি উত্থাপন করিয়া বপিলেন যে, পৃথিবীতে মাশষের সঙ্গে সর্বদা বিচরণ করিবার জন্য যুক্তি বা বুদ্ধি নামে একটি “দারোয়ান” নিযুক্ত আছে। মানুষের এই প্রবলতম় সম্বল তাহাকে সর্বদা চালন| করিতে চায়। কিন্তু লেখকের প্রশ্ন : এই বু বা যুক্তি দারোয়ান যদি মানুষকে সবদাই আষ্টেপৃষ্টে বাধিয়া চালায় তবে তাহার মনের পরিপূর্ণ বিকাশ হয় কি না সন্দেহ। নিতান্তই যুকির নির্দিষ্ট চারিটি দেওয়ালের মধ্য ঘুরিয়া ফিরিয়া বেড়ানো মনের স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো নহে, আবার সর্বতোভাবে যুক্তিকে অমান্য করিয়া যথেচ্ছাচার করিয়া বেড়ানো ভালো নয়।” মুক্রিণাজোর বাহিরে কল্পনার যে একটি বিস্তৃত ক্ষেত্র আছে, তাহাকে জীবনে উপেক্ষা] করা যায় লা। যাহাই হউক, 'গোলাম-চোর” চব্য, চোষ, লেহা, পেয়” 'প্ারোয়ান' 'নিমঙ্থণমভ প্রভৃতি রচনা গুলির মধ্যে লেখকের বয়সোচিত ধর্মই চোখে পড়ে রচনাগ্ুলির মধ্যে কোনো আস্তরিকতা নাই, মতামতের মধো দটতা বা উগ্রত! নাই ; তবে জীবনের বিচিত্র সমস্যার প্রশ্ন প্রত্যেকটির মধ্যেই অল্পবিস্তর আলোচিত হইয়াছে।

রবীন্দনাথ সমাজসংস্কারক বা ধর্মসংস্কারক নহেন; তিনি কবি সাহিত্যিক। স্ৃতবাং হঠাহার বচনার মধ্যে সামাচিক মতামত সম্থদ্ধে বরাবর একই ভাবের মতবাদ পোষণ করিতে জীবনে পালন করিতে না দেখিলে বিস্মিত হইবার কিছুই নাই। সাহিত্যক্ষেত্রে তিনি বিচিত্র ভাবে গতাম্ছগৃতিকের বাধা ভাঙিয়াছেন বছল পরিমাণে কাব্ঙ্গগঙে তিনি যে-মুক্তি আনিয়াছেন তাহাকে বিপ্রব বলা যাইতে পাবে।

সম্ধ্যাসংগীতের যুগের বিচিত্র গঘ্ঘর্চনার কথা অসম্পূর্ণ থাকিয়া যায়, যদি আমর! রবীন্দ্রনাথের কতকগুলি অর্ধরাজনৈতিক রচনার উল্লেখ নাকরি। আমরা যে-সময়ের কথা লইম্া আলোচন] করিতেছি তখন কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হয় নাই, লঙ্ড লীটনের দাস্তিক শাসনের অবসান হয় নাই; ইংরেজি খবরের কাগজওয়ালাদের ওদ্ধতা নীচাশয়তা ছিল অসীম | ইঙিয়ান মিরর পন্রিকা একদিন লিখিল, [1১15 ৫৬1717755 [21081191)27017 10554150956: (1)৩ 5601৮0 0016005 0690178 006 06০9০016০06 8617651. [05855 01070 01061000150 074 00612 5১০01 (0 1176]7.৮ এই উক্তিটি পাদ্দটাকায় উদ্ধৃত করিয়া 'জুতাবাবস্থা* শীর্ধক প্রবন্ধে লেখক লিখিলেন, “গবশমেপ্ট একটি নিয়ম জারি করিয়াছেন যে, “যেহেতুক বাঙালীদের শরীর অত্যন্ত বে-যুৎ হইয়া গিয়াছে, গবর্নমেণ্টের অধীনে যে যে বাঙালী কর্মচারী আছে, তাহাদের প্রতাহ কারধাবস্তের পুবে জুতাইয়া লওয়া হইবে" ।” সম্পাদক পাদটীকায় পিখিলেন, “যে সমগ্র জাতিকে কোনো বিজাতীয় কাগজ ছাটের মধ্যে এরূপ জুতা মারিতে সাহস করে, সে-জাতি উপবি-প্রকাশিত প্রবদ্ধ পড়িয়া বিস্মিত হইবে না।... আজ অন্ত কোনো দেশে যি কোনো কাগজ এক্সপ

কমলাকান্ের দপ্তর প্রথম সংস্করণ ১৮৭৫ মালে মুকিত হয়। ছিতীয় সংস্করণ প্রকাশিশত হয় ৮২৯২ (১৮৮৪1 সালে)। হৃতরাং রবীন্্রনাথ এখম সংস্করণের কথাই বলিতেছেন

দারোয়ান, ভারতী, ভাস ১২০৮, পৃ ২১৫-১৯। রবীন্-রচনাবলীভূক্ক ছয় নাই।

জুতাব্যবন্থা, ভারতী, জোট ১২৮৮, পু ৮৬২1 রচযিতার নাম নাই, তবে আমর! জানি উহ! রবীশ্রনাখেয় রচন।

১৪৪ ববীন্্রজীবনী খীষ্টান্ষ ১৮৮১

অপযানের আতাসমাত্র দিত, তাহা! হইলে দেশবাসীরা তৎক্ষণাৎ নানা উপায়ে তাহার অন্তো্টক্রিয়ার আয়োজন করিত। কিন্তু এতদিন হইতে আমরা জুতা হজম করিয়া আসিতেছি যে আজ উহা? আমাদের নিকট গুরুপাক বলিয়া ঠেকিতেছে ন11” সমগ্র প্রবন্ধটি তীব্র ক্লেষপূর্ণ, রচয়িতার নাম না থাকিলেও উহা যে রবীন্দ্রনাথের লেখনী-প্রস্থত সে-বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ কমই

এই সময়ে ভারতীতে জাতীয়তা তৎসম্পকীয় নানা প্রশ্ন তুলিয়া এককিস্তি আলোচনা শুকু হয়) মনে হয় রবীন্দ্রনাথও তাহাতে যোগদান করেন, কিন্তু কোন্টি তাহার রচনা! তদবিষয়ে আমরা নি:সন্দেহ হইতে পারি নাই বপিয়] আলোচনা স্থগিত থাকিল।

কেবল দেশ নহে, দেশ অতিক্রম করিয়া জগতের সমস্তার প্রতি রবীন্দ্রনাথের অন্তরের সহাহুভূতি চিরদিনের | এই তকুণ বয়সেও তাহার একটি বচনার মধো নিপীড়িত জাতির প্রতি অকৃত্রিম দরদ প্রকাশ পাইয়াছে। চীনে অহিফেন-বাবসায় লইয়। যুরো'পীয় বণিকসংঘ বিশেষভাবে ইংরেজদের ছুর্বাবহার জগতবিশ্রত। ডক্টর ক্রিস্টলীৰ নামে একজন জার্ান পারি-লিখিত গ্রন্থের ইংরেজি তর্জমা২ পড়িয়া রবীন্দ্রনাথ একটি প্রবন্ধ ভারতীতে লেখেন। অর্থের লোভে মানুষ এক সমগ্র জাতিকে কিভাবে পৃথিবীর সমক্ষে চওখোন জাতিতে পরিণত করিতে পারে তাহারই আলোচনা এই গ্রন্থযমধো ছিল। ইংরেজ অহিকেনের হীন বাবসায়কে কুটনীতি ষড়যন্ত্রের সাহায়ো চীলদেশে কায়েমি করে। অহিফেনের ব্যবসায় যে কেবল চীনদেশের সর্বনাশ করিয়াছিল তাহা নহে, ভারতের” প্রত্যক্ষ পরোক্ষ বিস্তর ক্ষতি করে। মালবদেশে অহিফেনের চাষ প্রবতিত হওয়ায় সে দেশের কৃষির অধিবাসী রাজপুত জাতির যে সর্বনাশ হইয়াছে, সেদিকে লেখক দেশবাসীর দৃষ্টি আকধণ করিলেন

আবাঢ় যাসে “নিমন্ত্রণসভা" নাযে একটি প্রবন্ধ ভারতীতে প্রকাশিত হয়। ইহাতে লেখক আক্ষেপ করিছা বলিয়াছেন যে, আমাদের দেশে নিমস্বণসভায় আহাবের আয়োজনই প্রাধান্ত লাভ করে। আহার ব্যতীড সেখানে আর কোনো অনুষ্ঠান হয় না। কেবল আলাপ-আলোচন। করিবার জন্য মানুষ একত্র হয় না। লেখক মমালের এই ছুটি সংশোধনের প্রস্তাব করেন।

রবীন্দ্রনাথের ভগ্রহথদয় '৪ সন্ধাসংগীত কাব্দ্ধয়ের আলোচনা করিয়া পাসকদের মলে এই ধারণাই হয় খে, কবি ফেন সর্বদাই দুঃখে ভিয়মাণ, অস্তর তাহার বেদনায় জর্রর। এই ধারণান্থির জন্য অবশ্য কবি স্থঘু দাদী কিন্ত কাবোর বিষাদ হুর হইতে গগ্যের রচনারীতির পার্থক্য কত বাপক। সেইক্নাই আমরা ব্লিয়াছিলাম ষে, কেধল কাব্োর ছাব] লেখকের সমগ্র মনটিকে পাওয়া যায় নাঃ রবীন্দ্রনাথ শিক্ষেও নিজের প্রতি অবিচার করিয়াছিলেন বলিয়া আমরা গণ্ভ- রচনাগুপির বিশ্তাত আলোচনা করিলাম |

সন্ধ্যাসংগীত-যুগের গগ্ভ : ভগ্রহথদয় সন্কা'প'গীত রচনাকালে ভাহার মনোভাবের যে চির রবীন্্রনাথ জীবলন্থৃতিতে অন্যাগ্ত রচনার মধো লিপিবন্ধ করিয়াছেন এবং ভাত!কে আন্ভপুতন করিয়া আলা -লেখকের। কবির মুনিমলোকের যে বর্ণনা দিয়াছেন তাহ! আমাদের মতে শসম্পূর্ণ। দার্শনিক সদালোচকের পুিকোণ হইতে নিজ জীবনের বিশেষ পর্ব কষ্টিকে কঠোর জাতীয়ত! বিজাতীয়তার উপদ্রব, ভারতী, ভোষ্ঠ ১২০৮, পৃ ৮৬৯৩1 জাতীয়তার নিবেদন, ভারতী, আালাড় ১১৮৮) পু ১৩২-৩৯। জাতীয়ঙার নিবেদনে অনতিজাতীয়তার বক্তুবা, ভারতী, পরাবণ ১১৮৮, পূ ১৬৩ ৭৩

চীনে মরণের বাবসায়, ভারতী, ল্গোষ্ট ১২৮৮, পূ ৯১১০০117172 ল097 01017771442 1১৮706০4015 01011501166, 050, ৮০৮.0 005177815060 00000 006 তাতো 5% 08510 2. (০100120, 18,,

খ্রীষ্টাব্ধ ১৮৮১ সন্ধ্যাসংগীত-যুগের গঞ্ঠ : ১৪১

বিশ্লেষণ দ্বারা যেভাবে রবীন্দ্রনাথ দেখাইভে চেষ্টা করিয়াছেন, তাহ! সমসাময়িক গছ্যর্চনার দ্বারা সমধিত হয় না। সন্ধ্যাসংগীতের যুগকে যদি আমরা বলি যে কবি কেবলই আপনার হৃদয়াগ্রিতে হাপর টানিতেছেন, তাহা হইলে তাহার প্রতি অবিচার কর! হইবে একই কাপে বিচিত্র বসের সষ্টোগ বিচিত্র স্থবদাধন। মহত্বের পরিচায়ক ; বুবীন্দ্রনাথ লিখিয়াছেন ষে, যখন সন্ধ্যাসংগীত লিখিতেছিলেন তখন খণ্ড খণ্ড গণ্ “বিবিধ প্রসঙ্গ' নামে বাহিত্ব হইতেছিল। সন্ধ্যা- সংগীতের কয়েকটি কবিতা 'ও বিবিধ প্রসঙ্গের রচনাগুলি একই কালে বচিত। রবীন্ছনাথকে খণ্ডভাবে কেবল সন্ধ্যা- সংগীতের ছুংখবাদদী কবি বলিয়া দেখিলে সত্যদৃষ্টির অভাব হইবে ? শ্রষ্টাকে সমগ্রভাবে দেখিলেই তাহার সত্য ক্ধপটি দেখ! যাইবে তাই তাহার বিচিজ্ঞ লাহিত্যন্থষ্টির আলোচন1 একান্ত প্রয়োজন আমর] যে যুগের কথ! আলোচন! করিতেছি তখন বাংলা সমালোচনা-সাহিত্যেব একট! স্থষ্ঠ মাননথচী সর্ববাদী স্বীকৃতি লাভ করে নাই। প্রাচীন কবিতা কী, নৃতন কবিতা কী, যথার্থ কবিতার স্বরূপ কী, কবি কে, কাব্য বস্তুগত না ভাবগত প্রভৃতি বিচিত্র প্রশ্ন বাংলার সমসাময়িক লেখক পাঠকের চিত্কে উত্তেজিত বাখিয়াছিল। বঙ্গদর্শন বাংলা সাময়িক সাহিত্যের একটি আদর্শ স্থাপন করিয়াছিল। বঙ্ষিমের প্রেরণাদধ ইহাতে আলোচনা হয় নাই এমন বিষয় ছিল না। এমনকি কবি কাব্যের আদশ স্ন্ধেও পাত্রকায় বিস্তর আপো্না প্রকাশিত হয়। বঙ্গদর্শনের ১২৮২ সালের পৌধ মাসে "বাঙ্গালি কধি কেন'১ -শধক প্রবন্ধের প্রত্যুত্তবে ববীজ্জনাথ এডকাল পে শিম্পে আলোচনায় প্রবৃত্ত হন বলিয়া আমাদের বিশ্বাস।

উক্ক প্রবন্ধে লেখক যে তত্বটি প্রতিষ্ঠিত করিতে চাহিরাহিপেন তাহা বাডালির চযব্স দেহের কুঞ্চিত মনের সমালোচনা, লেখকের নাম নাই, কিন্কু প্রবন্ধটির মর্ধো অনেক কঠিন কথা বলা হইয়াছে আমাদের মনে হয় ববীন্তরনাথ সেহ গুবদ্ধটর সমগ্র অর্থ গ্রহণ না করিয়া সমালোচনায় প্রবুৰ্ধ হইয়াছিলেন। সমগ্র রটনা হইতে কষেকটি বাক্য পুথক করিয়া লইলে সমালোচনার খোরাক মিলিতে পাবে। সেইরূপ বাকা হুইতেছে-_ “কবিত্বের প্রধান উপকরণ অন্ুশাবকত্তা এবং কল্পনা অঞুভাবকতা। স্বদ্ধে ইহা বপা যাইতে পারে যে, যেকেহ কোনো ভাবের বেগ ভাবের তরঙ্গ হদয-মধো অঙগভব করিয়াছেন তিনিই কবি যে-কেহ ভালোবাসিয়াছেন অথবা ঘ্বণা করিয়াছেন তিনিই কবি ।”-*" "আবার অশিক্ষিতের উপর কল্পনার একাধিপত্য। বাঙালি অশিক্ষিত, অপরিমার্জিত-বুদ্ধি, কুসংস্কাবান্ষ, সতরাং বাডাপির কল্পনাও প্রবল, সথতরাং বাঙালি কবি।"

রবীন্্রনাথের মনে হইপ ইহা বাক্চাতুরী বা সবিস্বি। হুতরাং মমালোচনাযোগা | "বাঙ্গালি কবি নয় বাঙ্গাল কবি নয় কেন প্রবন্ধছয়ে রণীন্রনাথ এই বিষয়ে হদার্ঘ আলোচনায় প্রবৃত্ত হন! 'বাঙ্গাপি কবি নয়" প্রবন্ধের ভূমিকায় পিখিলেন, “একট। কথা উঠিয়াছে, মানুষ মানেই কবি! যাহার মনে ভাব আছে, যে ছুঃখে কাদে, থে হাসে, সেই কবি।-'" কবি শের এক্দপ অতিবিষ্তত অর্থ এখন একটা ফ্যাসান হইয়াছে বপিলে অধিক বলা হয় না। এমনকি নারব কবি বপিয়া একটা কথ! বাহির হইয়া গিয়াছে ।” “অনেকে বলেন, সমস্ত মনয্াজাতি সাধারণতঃ কবি বালকেরা অশিক্ষিত লোকেবা বিশেধরূপে কবি।” রবীন্দ্রনাথ বঙ্গার্শনের লেখকের মত খণ্ডন করিয়া এই মত প্রতিষ্ঠিত করিতে চেষ্ঠা করিপেন যে বাডাপি করবি নয়। “কেহ কেহ যর্দি এমন করিয়া প্রমাণ কঙিতে বসেন যে, সমুদয় মঠযাই কবি, বাঙালি যশুধা, অতএব বাঙাপি কবি অশিক্ষিত লোকেরা বিশেধকূপে কবি, বাঙাপি অশিক্ষিত, অঠএব বাঙালি বিশেষরূপে কবি-- তবে তাহাদের যুক্িগুলি নিতান্ত অগ্রামাণা |”

রবীজ্্নাথের মতে বাংলাভাষায় খুব কম কবিতা আছে যাহ প্রথম শ্রেণীর কবিতা বলিয়া গণ্য হইতে পাবরে।

বাঙ্গালি কবি কেন, বঙ্জদশন, শৌষ ১২৬৮২

বাঙ্গালি কাঁব নয়, ভারতী, তাস ১২৮৭, পূ ২১৯-২৭। বাঙ্গালিকাধ নয় কেন, আন ১২৮৭, পৃ ২৫৭ ৭৫1 ভু. সমালোচনা (১২৯৪) শীরব কবি অশিক্ষিত কবি। ববীন্-রচনাবলী, অচলিত সংগ্রহ ২, পৃ ৭৯-৮৬।

১৪২ রবীন্দ্রজীবনী খ্রীষান্ষ ১৮৮১

“কয়টি বাওলা কাবো এমন কল্পনা প্রকাশিত হইয়াছে, সমস্ত জগৎ যেন কল্পনার ক্রীড়াস্থল ?.. কোনো বাঙলা কাব্যে কি মনতয্-চরিত্রের আদর্শ চিত্রিত দ্েখিয়াছ?” অতংপর কবিকস্কণ মুকুন্দরামের চণ্ীমঙ্গল রায়গুণাকর ভারত- চন্দ্রের বিছ্যান্ছন্দর কাব্যছয়ের তুলনা! করিয়া বলিলেন, “কবিকঙ্কণ মহাকাব্য নহে”, “ভারতচন্দ্রের বিদ্যান্ন্দর পড়িয়া কাহারে। মনে কখনো মহান্‌ ভাব বা যথা স্থন্দর ভাবের উদয় হয় নাই।”

তৎকালীন আধুনিক কবিতা সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ বেশি আলোচন! না করিয়া সংক্ষেপে লিখিলেন, “আধুনিক বঙ্গ- কবিতায় মান্ষষের নানাবিধ মনোবুক্তির ক্রীড়া দেখা যায় নী। বিরোধী মনোবৃত্তির সংগ্রাম দেখা যায় না। মহান্‌ ভাৰ তো নাইই। হৃদয়ের কতকগুলি ভালা ভাসা ভাব লইয়া কবিতী।” এইসব যুক্তি দেখাইয়া তরুণ লেখক বলিলেন, “কি করিয়া বলি বাঙালি কবি।” এই প্রবন্ধে তিনি আর-একটি যে কথা বলিয়াছিলেন তাহা রূঢ় সত্য “উন্মাদগ্রন্ত ব্যক্তির অপেক্ষা কল্পনা কাহার আছে? কল্পনা প্রবল হইলেই কবি হয় না। হ্থমাঞ্জিত সুশিক্ষিত 'ও উচ্চশ্রেণীর কল্পনা থাকা আবশ্যক | কল্পনাকে যথাপথে নিয়োগ করিবার নিমিত্ত বুদ্ধি রুচি থাকা আবশ্বক করে।” মার্লোর১ 007৩, 11৮6 ৬10) 006 2104 1)6 109 19৬০ কবিতাটির তঞ্জমা তৎপরে বিশ্লেষণ করিয়া দেখাইয়াছিলেন যে কবিতাটির ক্রটি কোনখানে। “বাঙ্গালি কবি নয়" প্রবন্ধটি পরিব্তন পরিমার্জন করিয়া “সমালোচনা গ্রস্থে (১২৯৪ ) 'নীরব কবি অশিক্ষিত কবি" নামে প্রকাশ করেন। সেইখানে খুব স্পষ্ট করিয়া বলেন যে কল্পনা অন্তরে থাকিলেই কবি হয় না, গ্রকাশধর্মে কবিত্ব সার্থকতা লাভ করে; স্থৃতরাং শীরব কবি কথাটি নিবর্থক।

বহু বৎসর পরে একটি পত্রে এই নীরব কবি স্ষদ্ধে আলোচনা করিয়া শিখিয়াছিলেন, “নীরব কৰি সম্বন্ধে যে প্রশ্ন উঠেছে সে সম্থদ্ধে আমার বক্তবা এই যে, সরব এবং নীরবের মধ্যে অনুভূতির পরিমাণ সমান থাকতে পারে, কিন্ত আসল কবিত্ব জিনিসটি স্বতস্থ। কেবল ভাষার ক্ষমতা বলে নন, গগন করবার শক্তি একটা অলক্ষিত অচেতন নৈপুণ্য বলে ভাবগুলি কৰির হাতে বিচিত্র আকার ধারণ করে। সেই স্জনক্ষম তাই কবিত্ের মূল। ভাষা ভাব এবং অন্ুভাব তার সরঞ্লাম মাত্র। কারও বা ভাষা আছে, কার বা অশ্রভাব আছে, কারও বা ভাষা এবং অন্তভাৰ দুই আছে, কিন্কু আবর-একটি ব্যক্তি আছে যার ভাষা অন্থভাব এবং স্জনীশক্ষি আছে-- এই শেষোক্ত লোকটিকে কবি নাম দেওয়া যেতে পারে প্রথমোক তিনটি লোক নীরব9 হতে পাবেন, সরব৪ হতে পারেন, কিন্তু তারা কবি নন। তাদের মধো কাউকে কাউকে ভাবুক বললেই ঠিক বিশ্ধেণটা প্রয়োগ করা হয়। তারাও জগতে অত্যন্ত হুর্লত এবং কবির তষিত চিন্ত সর্বদাই তাদের জন্যে ব্যাকুপ হয়ে আছে ।”২

“বাঙ্গালি কবি নয় কেন? প্রশ্নও তাহার মনে উদয় হয়; কাহার মতে কাবা মাচবের সমস্ত জীবনের সাধনা। বাঙালির জীবন পঙ্গু বলিয়া সে কাব্যসাধনায় দুধল; পৃথিবীর ঘত বড় বড় কাজ হইয়াছে সকলই কর্নার গ্রসাদে। বৈজ্ঞানিক সাধনার মধ্যে কল্পনা আছে, কাল্লনিকতা নাই ; মনের সেই প্রসারভা আছে বলিয়া যুরোপীয়রা বৈজ্ঞানিক দার্শনিক কবি। “যে দেশে শেক্সপীয়র জন্মিয়াছে, সেই দেশেই নিউটন জন্মিয়াছে, যে দেশে 'অতাস্ বিজ্ঞান দর্শনের চর্চা সেই দেশেই অত্যন্ত কাবোর প্রাদুর্ভাব) ইহা হইতে প্রমাণ হইতেছে কল্পনার কাজ কেবলমার কবিতাশ্ছজন করা নয়। যে দেশে কাল্পনিক লোক বিস্তুর আছে সে দেশের পোকেরা যি কবি হয়, দার্শনক হয়, বৈজ্ঞানিক হয়-- সকপি হয়। বাঙালি বৈজ্ঞানিক নয়, বাঙালি দার্শনিক নয়, বাঙালি কবিও নয়।”

রবীন্দ্রনাথ যখন এই অংশ লিখিয়াছিপেন তখন ইহা সম্পূর্ণরূপে সত্য ছিল বাঙালির মনস্বী জীবনের ১. &18110 ৯৭ ০170050900765 0(156593 9 07804101015 01005 01995 176 5190 50006510000 00608 0 ৮1005 0136 ৯৫৪০

10700) 15100281056 101) 106 000. 06 চড 19৮৬+৮7710560০া79 ০1 6721857100466, চ৬৫:%1001. ঢ.259. ছিন্লপত্রাবলী : ১*৭। সাঙজাদপুর, ১* আযাঢ় ১৩**[ ১৩ জুলাই ১৮৯৩ ]।

ধষ্টা ১৮৮১ সন্ধ্যাসংগীত-যুগের গ্য : ১৪৩

ইতিহাসে দেখ! যায় যে বাঙালি একদিন দার্শনিকও ছিল, কবিও ছিল। বাংলার পণ্ডিতের! ফেমন স্তায় মীমাংসা স্বতি প্রভৃতির চর্চা করিয়া! ভারতের বুধমণ্ডলী হইতে প্রশংসা অর্জন করিয়াছিলেন, তেমনি তথাকার রসের সাধকগণ অমর কাব্াসাহিত্য স্ট্টি করিয়! অক্ষয় যশ লাভ করিয়াছেন। কালে বাঙালি-জীবনের সেই সজনী শক্তির অবসান হই্য়াছিল। বঙ্গদর্শনের “বাঙ্গালি কবি কেন' প্রবন্ধের লেখক এই কথাটি বলিয়াছিলেন। পুনরায় উনবিংশ শতাব্দীতে মনীষার বিচিত্র শক্তি দেখ! দিলে কাব্য প্রতিভাও উজ্দ্ললতাবে প্রকাশ পাইল। বাঙালি ঘে কেন দর্শনশাস্ত্রে নিজ প্রতিভার ক্ষরণ করিতে পারিতেছে না, কাবাহটিতেও তাহার সুস্থ মৌলিকতা দেখাইতে অক্ষম-_ তাহার বিঙ্গেষণ করিয়া রবীন্দ্রনাথ বলিতেছেন, “শ্বাভাবিক আলম্ত, স্বাভাবিক নিব ভাব, সকল বিষয়ে বৈরাগ্য, ইহারাইস্বাঙ্গালিকে মানুষ হইতে দিতেছে না। আমরা সকল দ্রবাই অর্ধেক চক্ষু মুদিয়া দেখি আমাদের কৌতুহল অত্যন্ত অল্প।”... “বাহ প্ররুতির প্রতি উদাসীন্ত আমাদের কবিতাতে স্পষ্টই লক্ষিত হয়।” পশ্চিমের মানবসমাজে নিরন্তর যে-সংগ্রাম চলিতেছে তাহারই “অনবরত সমুদ্রমন্থনে মহা মহা! ব্যক্তিদের উৎপত্তি হয়” আর আমাদের দেশে বাঙালির বৈচিত্রাহীন জীবনে শ্বচ্ছ আনন্দ নাই, সংগ্রাম নাই, তাই এখানে সব জিনিস সংকুচিত, কুজ। “এমন দেশের কবিতায় চরিত্র-বৈচিত্রাই কা কোথায় থাকিবে, মহান্‌ চরিত্র-চি্রই বা কোথায় থাকিবে। আর বিবিধ মনোবুত্তির খেলাই বা কিবূপে বণিত হইবে ।” বাঙালির হুযজ দেহের মধ্যে যে প্রাণবন্ত আছে তাহা কুঞ্চিত, সংকুচিত। নবীন কবিরা যেসব কবিতা লেখেন তাহা প্রাণহীন; তাহাদের মধ্যে অকারণ কষ্ট নামে একট! রোগ দেখা দিয়াছে “বাহিরের কোনো হুর্ঘটনা হইতে ইহার জন্ম নহে।” কাব্যের মধ্য দিয়া দু:খ ভোগ করিতে তাহাদের ভালো লাগে এই তাহাদের সাস্বনা। রবীন্দ্রনাথ এই অহেতুকী ছুঃখভোগীদের মর্মকথা বিশ্লেষণ করিয়া অকারণ কষ্ট”, নামে প্রবন্ধ লেখেন; কয়েক মাস পরে প্রকাশিত “যথার্থ দোসরে'র২ সহিত একত্র এইটি পাঠ করিলে এই ছুঃখবাদের প্রতি কবির মনোভাবের (কিঞ্চিৎ আভাস পাওয়া যাইবে তবে 'অকারণ কষ্টের মধ্যে যে-শ্শেষ আছে তাহ! দ্বিতীয় প্রবন্ধে নাই এই অকারণ হুঃখভোগীদের মনের কথ! বায়রনের এক কবিতা হইতে অনুবাদ করিয়া বলিতেছেন-_ যদিও ব। ত্যজি বিরামের আশা যখন গভীর রাঁতি, হাসি-আলাপেতে থাকি নিমগন আমোদে-গ্রমোদে মাতি। তবু সে ভগ্ন প্রাসাদের মতো লতায়-পাতায় পোরা, বাছিবেতে তার হরিৎ নবীন ভিতবেতে ভাঙাচোরা ।* তরুণ কবির মতে এইসব লেখক নিজে জানিতে চায় যে তাহারা ছুংধী। রবীন্দ্রনাথ যখন এই প্রবন্ধ লেখেন-- অর্থাৎ বাল্পীকিপ্রতিভ1 রচনার আনন্দে উত্তেজনায় নিমগ্র-- তখন নিজে জানিতেন না ষে তিনি অচিবে সন্ধযাসংসীতে সেই 'ছুঃখের আবাহন' করিবেন। ইহাকেই বলে অনৃষ্টের পরিহাস।

অকারণ কষ্ট ভারতী, আহ্বিন ১২৮৭, পৃ. ২৮৭-৯১ [ অক্টোবর ১৮৮৭ ] রবীন রচনাবলীতুদ্ক হয় নাই। ধথার্থ দোনর, ভারতী, জোষ্ট ১২৮৮, পৃ. ৭৮-৮৫। [মে ১৮৮১ ] রধীজ-রচনাবলীভুক্ত হয় নাই। অকারণ কষ্ট, ভারতী, আশ্বিন ১২৮৭, পৃ.২৮৯। রবীজ-রচনাষলীভুক্ত হয় দাই। এই “অকারণ কষ্টের আধুনিক নংজা। 'হসত্রণা' |

১৪৪ রবীন্রজীবনী খ্রীক্টাব ১৮৮১

1 ইতিপৃবে সন্ধ্যাসংগীতের কবিতা রচনার ইতিহাস বিবৃতি করিয়াছি; রবীন্দ্রনাথের নিজস্ব কবিতার সত্রপাত এইখান হইতে কিছুকাল হইতেই কবি হিসাবে কাবাজিজ্ঞাস! মনে জাগিতেছে। নিজের কাব্যরীতিতে নতনের ফে-প্রেরণা পাইতেছেন তাহার সহিত প্রাচীনের পার্থকা নিতাপ্ত স্ব নহে কবিতার মধো কতকগুলি বস্ত্রগত বা ৪০150015 বা! [৪11১0০, আনু কতকগুলি 371111021 বা ৮1719110011 বা ভাবগত তকণ কবির সমস্তাঁ কবিতা বস্তগত না ভাবগত | নিজের সঙ্গে নিজের বোঝাপডার প্রয়োজন ববীন্দনাথের ভাধাম্ব

ব্যতীত অন্য সমুদয় কবিতা ইন্দ্রিয়িগত কবিতা ”. এই কথাটিকে আরে। স্পষ্ট করিয়! বলিলেন, শশাবগ কবিতায় হৃদয়ের স্বাস্থ্য সম্পাদন করে। ইন্দরিরজ্গৎ হইতে মনকে আর-এক জগতে লইনা হার্ধা। দশামান জগতের সহিত সে জগতের সাদৃশা থাকুক বাঁ না থাকুক সে জগৎ সা জগং, অলীক নহে | আমাদের ডইটি জগৎ আছে এক জগতে আমরা বাস করি, আর-এক অদশ্তা জগৎ আমাদের সঙ্গে সঙ্গেই আছে সে জনচল পান দশ গজ

সেই আদর্শ জগতের জরা ভাবের জগতের জন্বাই কবিতাকে নিধুছ্ধ করা হক (0 যমন করিহার ভাষা হালতি ভাষা নক, তেমনি কবিহার বিষয়ও চলিত বিষয় নহে! কবিতার স্মস্থই দার দিত আমতা তাত আভামসান পাই, কিয়দশ মাত দেখিতে পারি ।”

লেখকের মনের বাপি গভীরতা দেখাইবার জনক আমর এইট প্ুবজের আস হইছে এক স্থীন উদর করিতেছি | ণ্চারি লোক জন, চাবি দিকেই হাট বায়ার, সদ সর্বদাই কাজকর্ম বিপু আংশয়ের মিল্বা। সম্মুখে দেনাদাব, পশ্চাতে দর্সিণে ব্ষিযকর্ণ, বাদে লোকলৌকিকতী, পদতলে গত কালার খরঠ। মাখার উপরে 'আগামীকলোর জন্য জমা। যে দিকে ছট্টি টিন করি-- পৃথিবীর মুত্রিকা দাস, প্রস্থ, বেদ) সাদ, শ্রাণ স্পর্শ, আরম, স্থিত অবসান | মান্তমের মন কোথায় গিয়া বিশ্রাম করিবে? এমন ঠাই কোবিদ মিলিবে,। ঘেখানে জড়াদেহ- পোষণের জনা প্রাণপণ চেষ্টা নাই, একমূগা আহারের জন্বা লক্ষ লক্ষ আকুিপ্বারীপ কোলাহল লাই, মেখানকানু

ভুমি অধিবালী মাটি মানসে নিত্রিত নয় ; অর্থাং চব্বিশ ঘন্টা আমজা যে অনস্থার সপ শিম পাকি, সে অবস্থা হতে আমরা বিরাম চাই কোথায় যাইব ।শও

এখন, যুবক-সাহিতাকের মনে এই প্শ্ব উদে কবিতার বিয়বন্্ ন্চি এব চল পৃপ্ধ কি শাশ্ব তাহার কি পরিবন্ঘন হয় না। ববীন্দুনাথ কাব্য সম্বন্ধে নুতন অগ্ুভৃতি অভিজ্ঞতা লাস করিতেন সে সিগগতির সহিত পারিপাশ্িকের যোগ কোথায় £ তাই বিচারে প্রনুক্ধ হইব প্রধধ করিলেন, করাছটিতত আদিশের পরিবহন হয় কিনা।

গত কয়েক বত্লর যুরোগীয় সাহঠিহা গভীর ভর অপ্া়ন করিবার স্রযোগ লাভ কণার, সাহিহোর সৌধ ৮. রসবোধ পরিমাজিত এবং বিশ্লেষণ শক্তি হতহীতর হঠয়াছে ভাহাত এই মনের সুক্ির জঙ্গ একমাহ ইবেজি

কাব্যনাহি হাই দায়ী লতে, গছাসাহিন্ও দার কাহার বন্দু প্রিয়নাগ সেন পান্নানা সাভিতার আন! গ্রন্থের সন্ধান দিয়া সরবরাহ করিষ্বা মুবক-কবির মনকে পু করিতিছেন | ইতবেজ সাহিনিক সমালোচক « উহ্হাদিক

সা. কি

+

ছাড়া সে ঘুগে রবীন্দ্রনাপের জনন ঞ& সাঠিত্যি এছ দেরি ধচনার চির প্রভাব বিব্ষেভাবে পরিলক্ষিত হয় তাহারা হইতেছেন হাবার্ট স্পেননার & টমাস হকাদ্লি। বিলাতত বাসকালে স্পেনসারের সছয প্রকাশিত 7024 রি 1:671০5 (70106 1879 ) ঘে তিনি পড়িযাছিচলন ভাহা আমরা জানি ভবনশ্বরি হষ্টতে | দেশে ফিরিয়া নানা

গগ্ঠ প্রবন্ধের মধ স্পেনসারের মতামত প্রকাশ করিতে দেখিয়াছি | হালি গঠিভা গীতনাটা বচলার ফ্েরণা পাল

বস্বগত ভবগত কবিতা, ভারতী, বৈশাখ ১২৮৮, পু ১৮২৭1 সমালোচনা ১২৯৪ রবীন রচনাবলী, আচদিত সংগ্রন্থ ২, পূ২।

শীষ ১৮৮১ সন্ধযাসংগীত-যুগের গন্য : ১৪৫

তাহারই প্রবন্ধ পাঠ করিয়1। এমনকি ম্পেনসারের যে মত জাগতিক সর্ব ব্যাপারের মধ্যে অভিব্যক্তিবাদ সংজ্ঞায় প্রকাশ পাইয়াছে, তাহা ববীন্দ্রনাথ 'কাব্যের অবস্থা পরিবর্তন”, শীর্ষক আলোচনার মধ্যে ব্যাখ্যা করিলেন। তাহার আনল প্রতিপাদ্চ বিষয় ছিল যে “সভ্যতার সমস্ত অঙ্গে যেরূপ পরিবর্তন আরস্ত হইয়াছে, কবিতার অঙ্গেও মেই পরিবর্তন হুইবে।” সভ্যতার সহিত রুচির পরিবর্তন হয়, বসবোধের মানস্থচীর স্থানচ্যুতি হয়, কবিতার স্থুর রূপ রীতিতে বিপ্লবের বন্তা আসে সেই কথা যে কত সত্য তাহা সাম্প্রতিক কবিতার ব্ূপ দেখিলেই বুঝ! যায়।

পূর্বের একটি প্রবন্ধে লেখক বলিয়াছিলেন যে, মহাকাব্য-বচনার কাল চলিয়া গিয়াছে; প্রবন্ধটি সেই কথা দিয়াই শুক করেন। এই প্রবন্ধে মহাকাব্যের সহিত গীতিকাব্য খণ্ডকাব্যের ভেদ লইয়া আলোচন! উত্থাপিত হইয়াছে; “মহাকাব্যে নানা ঘটনার নান1 চরিত্রের নানা বিভিন্ন অঙ্ভাবের সমাবেশ হয়। কিন্ত গীতিকাব্যে খগ্ডকাব্যে একটি কি ছুইটি চরিত্র, একটি কি দুইটি ঘটনা, একটি কি দুইটি অন্গতাব মাত্র ঘনীভূত হুইতে থাকে। তাহার মধ্যে অনেকগুলি আবার কবির নিজের ভাব নিজের কথা মাত্ব। ইহা] প্রায় দেখা যায়, ষে লময় মহাকাব্যের সময় সে সময় খগ্ডকাবোর সময় নহে। বাল্গীকি-ব্যাসের সময়ে কালিদাস জন্মগ্রহণ করেন নাই." যখন জটিল, লীলাময়, গাড়, বিচিত্র, বেগবান মনোবৃত্তিষকল সভ্যতাবৃদ্ধির সহিত, ঘটনা-বৈচিত্রের সহিত, অবস্থার জটিলতার সহিত হৃদয়ে জন্মিতে থাকে, তখন আর মহাকাবো পোষায় না1.-' তখন খণ্ডকাব্য গীতিকাব্য আবশ্ঠক হয়।” সাহিত্যের ক্রমধিকাশে দেখা যায় ষে আদিমুগে “ছাড়া ছাড়া বিশৃঙ্খল অস্ফুট গীতোচ্ছাস, পরে পুজীভৃত মহাকাবা, তাহার পরে বিচ্ছিন্ন পরিস্ফুট গীতসমৃহ |” বববীন্দ্রনাথ এই সময়ে স্বয্রং সন্ধ্যাসংগীতের গীতিকাব্য বূচনান্ক মগ্ন; শিজের মধো গীতোচ্ছাসের প্রেরণা আছ পরিস্ফুট সংগীত বা লিবিকে মৃতিলাভ কবিতেছে, এই প্রবন্ধ তাহাবই সমর্থনে যেন পিখিত। গীতিকবিতা মাহ্ষের হৃদয়ের ভাষার স্থায় সর্বজনীন অর্থাৎ জাতিগত বা যুখগত কতকগুলি বৈশিষ্ট্য বাদ দিলে সধদেশের সধকালের সর্বভাষার গীতিকাব্যের ব্ূপ চিত্রকলাব ন্যায় শাশ্বত। সেইজন্ত জগতের শ্রে্ গীতিকবিত৷ সাম্প্রদায়িক ধর্ম তথা পৌরাণিকতা নিরপেক্ষ স্তি ) সেইজন্য ধর্মতত্ব বা! দেবতত্বের প্রভাব ঘে কবিতার উপর প্রবল, তাহা কখনোই শ্রেষ্ঠ কবিতা হইতে পারে নাই সেইজন্ত ওয়ার্ডস্ওয়ার্থের ধর্মীয় কবিতাগুলির (791981581 0০৪৩ ) সাহিত্যে সমাদর লাভ করে নাই। পরম্পরাগত ধর্মমতের বিরুদ্ধে ধাহারা বিপ্রবের বাণী ঘোষণা করিস্বাছিলেন, তাহাদের এখনও শোন] যায়। স্বতরাং বিজোহেই স্বাস্থ্যের লক্ষণ প্রকাশ পায় বিদ্রোছেই নৃতন ন্্টির উদ্বোধন হুয়। তাহা না হইলে কবিতা যুগযুগাস্তরের পুনরাবৃত্তি হইত।

রবীন্দ্রনাথের গীতিকনিতা সকল দিক হইতে প্রাচীন বা গতাগ্চগতিকের বিকৃঞ্ছে বিদ্রোহ, সে বিদ্রোহ কেবল ছন্দে নহে ভাষায় নহে, মানুষের যূলগত ধর্মবিশ্বান ভগবৎ-কল্পনার বিকুদ্ধে বিড্োহ। কিন্তু আমরা যে-লময়ের কথা আলোচন] করিতেছি, তখনও তাহা তেমন স্পষ্ট হয় নাই। জীবনস্থৃতিতে একস্বানে লিখিয়াছেন, “যদিও এই ধর্মবিদ্রোহ আমাকে পীড়া দিত, তথাপি ইহা যে আমাকে একেবারে অধিকার কবে নাই তাহা নহে। যৌবনের প্রান্তে বুদ্ধির ওদ্ধতোর সঙ্গে এই বিদ্রোছিতা আমার মনেও যোগ দিয়াছিল। আমাদের পরিবারে যে ধর্মসাধনা ছিল আমার সঙ্গে তাছাব কোনো সংশরব ছিল নাঁ_ আমি তাহাকে গ্রছণ কবি নাই ।”

কিন্ত সমসাময়িক রচনা হইতে তাহার এই উক্তি সম্পূর্ণ সাব পান না। ধর্মসাধনা বলিতে যাহ বুঝায়, তাহা পালন করিবার বদ্ষস কবির হয় নাই; কিন্ধ আম্নি ক্রাক্ষপমাজেব মত বিশ্বাসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা তিনি কিভাবে কবিলেন, তাহা জীবনের ঘটনাবপী সাহিত্যের বচনাবলীর মধ্য ছইতে আবিষ্কার করা কঠিন। তবে কথা সত্য কবি রবীশ্্রনাথের ঈশ্বর সম্বন্ধে ধারণা ত্রাঙ্ষসমাজের ০:৫৫-এর ছারা সীমাগ্িত ঈশ্বরজান হইতে

কাব্যের অবস্থ! পরিধর্তন। ভারতী, শ্রা্ণ ১২৮৮, পৃ ১৪৮৫৭ | দ্র" সমালোচন। পু ৮১; ববীন্র-রচনাবলী। অচলিত সংগ্রহ ১*৫-১০। ১৯

১৪৬ রবীন্দ্রজীবনী শ্ী্টা্ষ ১৮৮১

অন্যরূপ, কারণ তিনি বিশ্বস্থষ্টকে দেখিতেন আর্টের দৃষ্টিতে, কবির চোখে ; বোধ হয় সেই অর্থে তিনি ধর্মসাধনা শব ব্যবহার করিয়াছিলেন কিন্তু ত্রাহ্ম-রবীন্দ্রনাথের ধর্ম সম্বন্ধে আদর্শ ছিল সম্পূর্ণ আদি ব্রাক্মঘমাজের ০:০০৫-এর অনুরূপ | “অন্বৈতবাদ আধুনিক ইংবাজ কবি'১ শীধক প্রবন্ধে তিনি আদি সমাজের মতকেই সমর্থন প্রকারাস্তরে ভারতবীয় ব্রাহ্মদমাজের ঈশ্বর সন্বদ্ধে ধাবুণাকে খ্রিস্টীয় ঈশ্বরের উপাসনা বলিয়া নিন্দা প্রকাশ করিয়াছেন। আদি ব্রাঙ্মমদাজে স্পষ্টত না হউক প্রচ্ছন্রভাবে যে অছৈতবাদ ছিল তাহা তিনি স্বীকার করেন__ “জগৎ পরমাত্মা একই কিন] ইহা লইয়া আমাদের ভারতব্ষীয় কবি দাশনিকদের মধো অনেক আলোচনা হইয়া গিয়াছে পরিশেষে আমাদের দেশে অই্ধতবাদ মতেরই জয়লাত হইয়াছে ।” “সম্প্রতি ইংলগ্ডে কবিগণ অদ্বৈতবাদের প্রচার আরস্ করিয়াছেন এবং এতদিনে খ্রীষ্টধর্মের যথার্থ আশঙ্কার কারণ উপস্থিত হইয়াছে কারণ প্রচার করিবার ভার দার্শনিকদের নহে, কবিদের কতমান কবিবা শ্রীষ্টীয় পৌন্তুলিকতা পরিহার পূৰক যথার্থ নিরাকারবাদ প্রচলিত করিতে উদ্যোগ করিয়াছেন ।” আধুনিক ই*রেজ কবিদের মধ্যে শেলী অগ্র্টীর অদ্বৈতমতকে তাহার কাবো প্রকাশ করিবার চেষ্টা কবেন।

ইংরেজের পরম্পরাগত মতধারার বিরুদ্ধে শেলীর বিছোহঘোষণা ইংরেজি সাহিতোর একটি সথপরিচিত ঘটনা ।*

রাজকবি টেনিসন (৭২) নতন মতবাদকে স্পষ্টভাবেই ব্যক্ত করেন) ম্যাথু আর্নলড* (৫৯) সমর্থন করেন। এমনকি উত্তম খ্রীষ্টান বলিয়া যাহার সুনাম ছিল সেই রবাট বুকাননের (৪০) কবিতায় ঈশ্বর সম্বন্ধে পুরাতন ধারণা সম্পূর্ণ পরিবতিত দেখ! যায়! ববীন্দ্রনাথের মতে ইংলগ্ডের শ্তায় দেশে “এরূপ বর্বর পৌকুলিকণতা কতদিন তিষ্টিকে? ঈশ্বরের এপ অপূর্ণ হীন আদরশ মানবের নীতিগত প্ুরুতিকে যে নিতান্ত অবনত করিয়া রাখে কবিরা ভবিষৎ শতাবীর কাজ অগ্র হইতে আরহু করিয়াছেন ।"

বিশ বৎসর বয়সে লিখিত রবীন্দ্রনাথের এই উক্তি ভন্ষাদ্বাণীর ন্যায় সত্য হইয়াছে গত সাত-আট দশকের মধো ঈশ্বর সব্ষদ্ধে ধারণ! কবিদের হাতে নূন কূপ লইয়াছে এব* তীহারই মহিমা নানাভাবে, এমনকি অস্থীক্াতির মধ্য দিয়া, প্রচারিত হইয়াছে রবীন্দ্রনাথের কাব্য এই নতুন ধাতুতে গঠিত বলিয়া তাহার সহিত প্রাচীনের ছেদটা খুবই স্পষ্ট রবীন্দ্রনাথ হইতে নৃতন চিন্তাধারার সুচনা, নৃতন কবিতার জন্ম

আমাদের আলোচ্য পে ঘুবক বাঙালি কবিকে ইংরেজি মাহিতা সন্বন্ধে নিভীক সমালোচনা করিতে দেখিতেছি। কবি টেনিসন রচিত 196 10/%7 নামে দীর্ঘ কবিতার একটি মনোজ্ঞ সমালোচনা ভারতীতে (আশ্বিন ১১৮৮। অক্টোবর ১৮৮১) প্রকাশিত হয়। টেনিসন সে-ঘুগের শ্রেষ্ঠ কবি) ১৮৫০ সালে ওয়ার্ডল ওয়ার্থের মৃত্যুর পর তিনি রাজকবি পদে অর্ধিরূট হন। ১৮৮০ সালে টেনিসনের 79০ 0:০9692015 কবিতাটি প্রকাশিত হয়, যদিও উহা রচিত হইয়াছিল

অদ্থেতবাদ আধুনিক ঈংরাজ কবি, ভারতী, অগ্রঙ্গায়ণ ১২৮৮, পৃ ৩৫৫ ৬৪। রবীন্ত্-রচনাবলীভুক্ষ হয় নাই রবীন্দ্রনাপ বে-তিনজন কবির নান করিতেছেন সাহারা সকলেই সমসাময়িক জীবিত কবি: টেনিসন (১৮০৯-৯২); মাধু আরনলড €১৮২২-৮৮ ); বুকানন (১৮১১-১৯*১)। রব বুকানন আজ বিশ্মৃত।

460 0006৬5৮1285 0056 066 01৩ 1105105610730£106177550)78 10100 10 55 9107 07008100080 006 ৮৪০৪6 1701598511761% ০১০৪০16., 870 10 1 উুতাঃ0া তো €(1850)5 569551815 0৮৩ 170080 610০00156 01 1715 1017661 0006178, 156 £9৬০ 2 09181080170 69105510100 0180 00০০০ ০01 17067120769 87 1098015 ৮/110 1560 66 21500/860 50 01161) ৫7706 0৮৫ ০০7৫০111১00165. ইউ[লিক লেখকের 17017071805 7715690101:26016.. চ0018115) [.16050016, ৬০1, ৬, 9. 336.

মাঁপু আর্নলড সঙ্ঙ্ধে এভিহাপিকদের মত ::15106 50 10809 0063 2 056 190 ০670 0৩ ৩৪516501658 ০0৮6 ৪1] 086665 06 01161, 070 05001 1018 03050 501716৮60 & 19657 851500,6516 %171017 ৪90156160 0018 10661160005 0০665 81908 0080 1756

5495 5011) 2001807৮281) 4১০01: 01৮575075 20901046375. চ5761151) 11060680016) ৬০], ৬, 0. 337.

খীষ্টাৰ ১৮৮১ সন্ধযাসংগীত-যুগের গণ্য : ১৪৭

১৮৫২ সালে, তাহার প্রথম পুত্র হ্যালাম্‌-এর জন্ম উপলক্ষে। অত্যন্ত ব্যক্তিগত অশ্নভূতি হইতে রচিত বলিয়া কবিতাটি প্রকাশ করিতে সংকোচ ছিল। 19৫ 7:068019 লাতিন বাইবেলের ১৩*-সংখ্যক সামগীত (51985 )-এর প্রথম শব যার অর্থ ০৮০ 016 15 1১86 1 0016 8000 01166, 01,010. টেনিসনের এই কবিতাটি প্রকাশিত হইলে উছছা সমালোচকগণ কর্তৃক সমাদৃত হয় নাই, এমনকি 74701 নামে ব্যঙ্গ-পত্র এই কবিতাটি [9 [২০515 নামে 72:০5 করে। সেই কবিতার মধো তরুণ কবি যে সৌন্দর্য আবিদ্ধার করেন, তাহাই প্রবন্ধীকারে লিখিয়াছিলেন।

ইংরেজ পাঠক সমালোচকদের নিকট এই কবিতাটি সমাদত নাহওয়ার কারণ বিশ্লেষণ করিঘা তিনি লিখিলেন : “বিষয়টি অত্যন্ত গভীর, গুরুতর আর একটি কারণ ইহাতে এমন কতকগুপি ভাব আছে যাহা সাধারণ ইংরেজরা বুঝিতে পারেন না, আমরাই সে-নকল ভাব যথার্থ বুঝিবার উপবুক্ত |” রবীন্দ্রনাথ সাহসতরে লিখিলেন : “ইংরাজী- বাগীশ শিক্ষিত বাঙালীদের অনেকে ইংরাজী কাবা দিশিভাবে সমালোচনা করিতে ভয় পান।... ইত্াজ মালোচকের কথ! ইংরাজী হিলাবে যেরূপ সতা? আমাদের দেশীয় সমালোচকদের কথা আমাদের দেশী হিসাবে তেমনি সত্য উভয়ই বিভিন্ন অথচ উভয়ই সতা হইতে পারে।”

রবীন্দ্রনাথের এই সাহিক উক্তির সমতুল্য বাণী সমকালীন লেখকদের কচিৎ দুষ্ট হয়। আমরা নিজন্ব সমালোচনার মান ভাষা বা ব্যাকরণ আবিষ্কার করিয়াছি কি না প্রশ্ন পাঠকদের নিকট বহিয়া গেল। ,

ভি প্রোফাগ্ডিস প্রবন্ধটি 'সমালোচনা" (১৮৮৮) গ্রন্থহুক্ত হয়। 'সমাপোচনা” গ্রস্থ অচলিত হইয়া গেলে প্রবন্ধটি কাটিয়া-ছাটিয়। কবি “আধুনিক সাহিত্যে? (১৯০৭) অন্তঙুক্ত করেন।১

সন্ধাসংগীত-যুগের গদ্ : আমরা এতক্ষণ যে-কমটি প্রবন্ধ সম্বদ্ধে আলোচনা করিলাম, সেগুলি সাহিত্যজিজ্ঞাসার প্রথম প্রয়াস মাত্র, মোটামুটি ভাবে সাহিত্যের লক্ষণ গুণাগুণ বিষয়ে আলোচনা কিন্তু বাংলা কাব্যসন্বন্ধে আলোচনায় তিনি যে মনীষার পরিচয় দিয়াছিলেন তাহা পাঠ করিয়া আমবা আরো বিস্মিত হই বৈষ্ণবপদাবলী পদকতাদের সন্বদ্ধে এমন হৃস্্ম সমালোচনা ইতিপূর্বে বাংলায় প্রকাশিত হইয়াছিল কি না সন্দেহ। প্রাচীন কাবাসংগ্রহের নামে গ্রন্থমালার অস্তর্পত শবগ্যাপতির পদাবলী'র সম্পাদক ছিলেন অক্ষয়চন্ত্র সরকার ; বালককালে রবীন্দ্রনাথ সেই গ্রদ্থ অবলম্বন করিয়া বৈধবপদাবলী অধায়ন করিয়াছিলেন। ভারতীর পৃষ্ঠায় রবীন্দ্রনাথ উক্ত গ্রন্থের বিস্তৃত সমালোচনায় প্রবৃন্ত হইলে কয়েক মাস পত্রিকার পাতায় উত্তর"প্রতবাত্তরের বেশ একটু ঝড় বহি যায়। রবীন্দ্রনাথের সমালোচনায় বীতশ্রদ্ধ দাস্ডিকতা ছিল না। এই রচনায় সম্পাদকের ভুল দর্শাইয়া সমালোচকের কর্তবা তিনি শেষ করেন নাই, প্রাচীন কাবা সম্পাদন করিতে হইলে কোন্‌ কোন্‌ বিষয়ে সম্পাদকের অবহিত হওয়া উচিত ততৎসম্বন্ধে তরুণ লেখক যে নির্দেশ দিয্লাছিলেন তাহা আমরা

রবীক্র-রচনাবলী অচলিত সংগ্রহ ২, পূ ৯৭ 'সসালোচনা। গ্রস্থভুক্ত হওয়ায় আধুনিক সাহিতা রবীন্-রচনাবলী নবম থণ্ড হইতে বজিত হইয়াছে সেখানে বল! হইয়াছে প্রবন্ধটি 'অচলিত' খণ্ডে মুদ্রিত হইয়াছে কিন্তু উভয়ের পাঠজেদ রহিয়।ছে। সৌভাগাবশত পশ্চিমবঙ্গ সরকার-কতৃক প্রকাশিত রবীন্র-রচনাবলী জয়োদশ খণ্ডে ছুইধার প্রবন্ধটি আছে ১৬৭ ৯৭৪ পৃঠায়। আদিত্য ওইদেদার 'লমালোচক রবীন্্রনাথ' গ্রন্থ পৃ ১২৩-২৪) তারতী তথা 'দমালোচনা'র পাঠ লইয়। আলোচন। করিয়।ছেল। বিশ্বভারতী প্রকাশিত রবীন্্-রচনাবলীর নবম খণ্ড পুনমু ্ণকালে আশ! করি আধুনিক সাহছিত্োর পাঠটি পুনপ্র-িষ করিবেন।

প্রাহীন কাবাসংগ্রহ (বিদ্বাপতি ), ভারতী, শ্রাংণ ১২৮৮, পূ ১৭৪-৮৪। উত্তর-প্রতত্তর ভারতী, ভা ২৮৮, পৃ ২২১-২৯১ বি্ভাপতির পরিশিষ্ট, তারতী। কাতিক ১২৮৮, পৃ ৩৪*।

১৪৮ বীজ্র্জীবনী . শ্ীষ্টাব ১৮৮১

উদ্ধৃত করিতেছি সম্পাদনকার্ধে যে-কয়টি দোষ পরিহার্য তাহা! এই : ১. ব্যাকরপ-বিরুত্ক অর্থ ব্যাখ্যা ২, ম্বভাব- বিকদ্ধ ব্যাখা! ৩. সহজ শোকে প্যাচালো অর্থ ব্যাখ্যা ৪. দুরূহ শ্লোক দেখিয়া মৌন থাকা ৫. সংশয়ের স্থলে নিঃসংশয় ভাব দেখানো আমবা যে-যুগের কথা আলোচনা করিতেছি, তখনও বাংলাভাধার প্রাচীন শকসমস্িত অভিধান সংকলিত হয় নাই। বাংলাভাষার এমন উল্লেখযোগ্য একমাজ্ব অভিধান ছিল 'প্রকৃতিবাদ অভিধান; রবীন্দ্রনাথের অসামান্য শ্রমসাধনার ফলে বহু দুরূহ শব্জের অর্থোদঘাটন সম্ভব হইয়াছিল।

কিন্তু রবীন্দ্রনাথ জন্মকবি, তিনি জানেন ভাষা শব্ষগভ বিচারের দ্বার! বৈষ্ণব কবিতার সৌন্দর্য রস গ্রহণ কৰা! যায় না]! তাই ত্তীদাপ বি্ভাপতি' কাবাসমালোচনায় বিশুদ্ধ সাহিত্যতত্বের মানস্থচী গুুয়োগ কবিলেন। কবিত্বের সংজ্ঞা দান করিতে গিয়া তিনি লিখিলেন, “নিজের প্রাণের মধ্যে, পরের প্রাণের হধো প্রকৃতির প্রাণের মধ্যে প্রবেশ করিবার ক্ষমতাকেই বলি কবিত্ব।” এই সংজ্ঞা নিভুলি হইল কি না, সে বিচারভার আমাদের উপর নহে; তবে নবীন লেখক স্পষ্ট করিয়া! বলিলেন যে সহজ কথায় সহজ ভাবের উদ্বোধনে হইতেছে সত্যসাধক কবির সার্থকতা চণ্ডীদামের কবিতা উদ্ধৃত করিয়! সেই ততবের ব্যাখ্যা করা হইয়াছে। প্রাচীন বাংলার ছুই শ্রেষ্ঠ মহাকবির তুলনামূলক স-ক্ষিপ্ত সমালোচনাও এই প্রবন্ধের মধ্ো পাওয়া যায়। তিনি লিখিতেছেন, “বিগ্ভাপতির অনেক স্থলে ভাষার মাধুর্য, বর্ণনার সৌন্দঘ আছে কিন্ত চণ্তীদাসের নৃতনত্ব আছে, ভাবের মহব আছে, আবেগের গভীরতা 'আছে। যে-বিষয়ে তিনি লিখিয়াছেন তাহাতে যিনি একেবারে মগ্র হইয়া লিখিয়াছেন।” “বিগ্ভাপতি হ্থখের কবি, চণ্তীদাস দুঃখের কবি। বিষ্াপতি বিরহে কাতর হইয়া পড়েন, চত্রীদাসের মিলনেও স্থখ নাই। বিগ্ভাপতি জগতের মধ্যে প্রেমকে সার বলিয়া জানিয়াছেন, চণ্রীদাস প্রেমকেই জগৎ বলিয়। জানিয়াছেন। বিগ্যাপতি ভোগ করিবার কবি, চণ্ডীদাস সহা করিবার কবি। চত্তীদান স্থখের মধ্যে দুংখ ছুঃখের মধ্যে স্থখ দেখিতে পাইয়াছেন। তাহার সখের মধ্যেও ভয় এবং ছুঃখের প্রতিও অন্তরাগ। তিনি হখের চোখেও অশ্রজল দেখিতে পান। তাহার প্রেম, “কিছু কিছু সুধা বিষগুণা আধা, কাহার কাছে শ্যাম যে মুরুলী বাজান তাহাও “বিষাম্বতে একত্র করিয়া” ।”+

এই তুলনামূলক প্রবন্ধের উপসংহারে তরুণ কবি যাহ! লিখিয়াছিলেন তাহ] সন্ধ্যাসংগীতের কবিতারই একপ্রকার মর্ম-ব্যাখ্যা ; সন্ধ্যাস'গীতে কবির চিত্ত যে-প্রেমের জন্ত লালায়িত, যাহার জন্য ছুঃখকে বরণ করিতে প্রস্তত, সেই প্রেমই ভবিষ্যৎ জগতে স্বীকৃতি লাভ করিবে-_ ইহাই ছিল কবির প্রতিপান্য বিষয়। প্রসঙ্গত বলিয়া রাখি, আরো দশ বৎসর পরে “সাধনা” পত্রিকায় “বিগ্ভাপতির রাধিকা”* শীর্ষক প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ পুনরায় বিদ্যাপতি চণ্তীদাদের তুলনামূলক সমালোচনায় প্রবৃত্ত হন। রবীন্দ্রনাথ ধখন এই প্রবন্ধটি লেখেন, তখন তাহার বয়স ত্রিশ বৎসর তিনি বলিতেছেন, “গতি এবং উত্তাপ যেমন একই শক্তির ভিন্ন অবস্থা, বিদ্যাপতি এবং চণ্তীদানের কবিতায় প্রেমশক্তির সেই প্রকার ছুই ভিন্ন রূপ দেখা যায়। বিদ্যাপতির কবিতায় প্রেমের ভঙ্গি, প্রেমের নৃতা, প্রেমের চাঞ্চল্য ; চণ্তীদাসের কবিতায় গ্রেষের তীব্রতা, প্রেমের দাহ, প্রেমের আলোক এইজন্য ছন্দ সংগ্লীত এবং বিচিন্ত রঙে বিষ্ভাপতির পদ এমন পরিপূর্ণ, এইজন্ তাহাতে সৌন্র্মন্থখসস্তোগের এমন তরঙ্গলীলা 1... চণ্তীদাসের মতো স্থখে ছুঃখে বিরহে মিলনে জড়িত হইয়া যায় নাই। সেইজন্য বিদ্যাপতির প্রেমে যৌবনের নবীনতা৷ এবং চত্তীদানের প্রেমে অধিক বয়সের গ্রগাঢ়তা জাছে।”

বৈষব কবিদের রচনা লইয়1 তুলনামূলক আলোচন! বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ পূবাচার্ধগণের পথ অঙ্চুসরণ করেন। বহুকাল পূর্বে জগছন্ধু ভদ্র 'মহাজন পদাখলী'র ভূমিকায় বিদ্ভাপতি চণ্ীদাসের তুলনামূলক সমালোচনা করেন; বাংলায় বোধ হয় ইহাই এতদ্জাতীয় প্রথম আলোচনা) ভত্রমহাশয়ের যচনা হইতে নিয়ে কয়েক পঙ্ক্ি উদ্ধৃত হইল :

চ্তীদাস বিজ্যাপতি, তারতী, ফান্খন ১২৮৮, পৃ৫১৬। সমালোচনা (১২৯৪ )পৃ»*। রবীকা- রচনাবলী, অঙ্লিত সংগ্রহ ২, পূ ১১*-২১। বিস্কাপতির রাধিকা, সাধন, ১২৯৮ চৈত্র! প্র- আধুনিক সাহিত্য রবীজ-রচনাবলী », পূ ৪৪১-৪৫।

* শ্ীষ্টাষ ১৮৮১ ন্ধ্যাসংগীত-যুগের গণ্ঠ : ১৪৯

“অন্যের আনন্দ উৎপাদন কর] বিস্তাপতির অভিপ্রায় ছিল। চণ্তীদাস স্বপ্ং আনন্দে মাতিয়া জগৎ মবাতাইয়াছেন। বিদ্তাপতির কবিতা সমৃদ্রগর্তনিছিত অমূল্য রত্ব, চণ্ীদাসের কবিতা সরসীর উরসে তাপমান! মৌরভময়ী সরোজিনী- সদৃশ”১। বন্ধিমচন্ত্রও এই শ্রেণীর তুলনামূলক আলোচন]1 করেন জয়দেব বিদ্ভাপতির মধ্যে বক্কিমচন্দ্রের তুলনাপন্ধতি বিশেষভাবে লক্ষণীয়; কারণ রবীন্দ্রনাথ ক্ষেত্রে বঙ্কিমচন্দ্রকেই অন্থগমন কবেন বলিক্পা মনে হয়। বস্ষিমচন্দ্র লিখিতেছেন : ্জয়দেবাদিতে বহিঃপ্রক্কৃতির প্রাধান্ত, বিগ্যাপতি প্রভৃতিতে অস্তঃগ্রকৃতির রাজা জন্নদেব বিদ্যাপতি উভয়েই বাধাকুষ্ণের প্রণয়কথা গীত করেন কিন্ত জয়দেব যে-প্রণয় গীত করিয়াছেন, তাহা বহিরিক্জিয়ের অনুগামী | বিদ্যাপতির কবিতা বহিরিন্িয়ের অতীত |." বিষ্যাপতি মনুষ্য্ধদয়কে বহিঃপ্রকৃতি ছাড়া করিয়া কেবল তগ্প্রতি দুটি করেন, সুতরাং তাহার কবিতা ইন্ছ্রিয়ের সংন্রবশৃন্ত বিলাসশূন্ধ পবিত্র হইয়া উঠে। জয়দেবের গীত রাধারৃষের বিলাসপূর্ণ ; বিগ্াপতির গীত রাধাকৃষের প্রণয়পূর্ণ। জয়দেব ভোগ ; বিষ্যাপতি আকাঙ্ষা শ্বভি। জয়দেব স্থথ, বিস্তাপতি ছুঃখ জয়দেব বসন্ত, বিষ্যাপতি বর্ধা ।”*

বস্কিমচন্দ্র যেমন জয়দেব বিস্যাপতির তুলনামূলক আলোচনায় প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন, রবীন্দ্রনাথ তেমনি বিদ্যাপতি চত্তীদাসের পদাবলী তুলনা করিলেন। বদ্কিমচন্দ্র রবীন্দ্রনাথের বচনার মধ্যে ব্যবধান প্রান্ম আঠারো বৎসরের | ছুইজনের দৃষি ভঙ্গি সম্পূর্ণ পৃথক ; বঙ্কিমচন্দ্র বিস্তাপতিকে বর্ধার সহিত তুলনা করিয়াছিলেন, আবু রবীজ্রনাথ করিতেছেন বসন্তের সহিত। বিদ্যাপতি সম্বন্ধে উভয় সাহিত্যিকের দৃহিভঙ্ষির মধ্যে ষে-পার্থকা রহিয়াছে, তৎসন্বদ্ধে একজন আধুনিক লেখক বলিতেছেন, “বস্কিমের মাননিক কাঠামো যুক্তিপ্রধান, রবীন্দ্রনাথের আবেগপ্রধান ; বঙ্ষিমচন্দ্র বিদ্যাপতিকে যুক্তির কপ্টিপাথরে যাচাই করেছেন ববীন্দ্রনাথ তাকে দেখেছেন আবেগের আয়নায় 1” বঙ্কিমচন্দ্রের দৃষ্টিভঙ্গির সহিত বরীন্দ্নাথের মিল কখনই হইফ্তে পারে না। রবীন্দ্রনাথ জন্মকবি ; কাহার কাব্যবিচারের আদশ পদ্ধতি, ষে-মাজিত বমবোধের উপর প্রতিষ্ঠিত, তাহা বস্কিমী-রীতি হইতে সম্পূর্ণ পূথক তবে কথা স্বীকার করিতেই হইবে, রবীন্দ্রনাথ এখন পর্বস্ত বক্ষিমচন্জ্রের ভাষা ভাবধার। প্রকাশভঙ্কিকে অজ্ঞাতসাবে অন্থনরণ কবিয্া আসিতেছেন, কারণ সেষুগে বঙ্কিমচন্দ্র অপেক্ষা মহুত্তর মনীষী বাংলাদেশে ছিলেন ন1, যাহাকে ববীজ্ঞনাথ অনুকরণ করিতে পারিতেন। কাব্যস্থছির সায় গঞ্ভরচনায় এখনও রবীন্দ্রনাথ নিজন্ব রীতি আবিফার করিতে পারেন নাই; বক্তব্য বিষয়ে সাবলীল'তা, ভাষায় গ্রবহমানতা ধীর্রে ধীরে রূপ লইতেছে। রবীন্জ্নাথের বগল এখন বিশের কোঠায়

এই বৈষ্ণব-সাহিত্য বিচারের ধারা সম্পূর্ণ হইল বসন্ত বাস প্রবন্ধে। পূর্বোলিখিত 'প্রাচীন কাব্যসংগ্রছে' বসন্ত রায়ের পদাবলী ছিল। রবীন্দ্রনাথ বিষ্ভাপতির সহিত বসন্ত বাছের তুলন! করিব! অতি সু বিস্তৃত সমালোচনা লিখিলেন। তকণ কবির চোখে ব্লস্ত রায় বিভ্তাপতি হইতে সহজ ম্বাভাবিক এবং নেইজন্র শ্রেষ্ঠ “বিগ্ভাপতি-বচিত রূপবর্ণনার সহিত বসন্ত বায়-রচিত রূপবর্ণনার একটি বিশেষ প্রভেদ আছে ।:." বিষ্যাপতি কহিতেছেন, 'দ্প উপভোগ -.. বলিয়! স্ন্ঘর ; আর বসন্ত রায় বলিতেছেন, ক্ষপ হন্দর বলিয়া উপতোগ্য। ইহা সত্য বটে, সৌন্দর্য ভোগ একক্রে থাকে, কিন্ত ইহাও সত্য উভয়ে এক নহে ।... সৌন্দর্যম্পৃহ। হইতে ভোগ করা যাদব এবং ভোগন্পৃহ! হইতেও ভোগ করা

্রীগৌর়পদতরজিনী, (২৪ সাস্তরণ ), ১৩৪১, পু ২১৪।

মানস বিকাশ (সমালোচন1), বঙ্গগণন, পৌষ ১২৮*, পৃ ৪০২-৭।

ইীবেন্রকুষার গুহ : বিশ্বভারতী পঞ্জিকা, জাহাড় ১৩৫*, পূ ৭৫১।

যসগ্ত য়ায়, দ্বারতী, প্রাণ ১২৮৯। সমালোচন! ( ১২৯৪), পৃ ১০৭। ম্ববীন্-সচনাবলী, অচলিত সংগ্র্থ পূ ১২১।

বসন্ব রায়ের উনচলিশটি পদ ীহয়েকৃক হুখোপাধ্ায় সাহিতাযছ সম্পাহিত “বৈফধ কবিতা জন্থে আছে। পৃ ৬৮৯-৯*। রবীন্রদাথ সংকলিত প. রাবী তে ছয়টি পদ্য নির্বাচিত হছ।

রা রবীন্দরজীবনী আটা ১০৮২

যায়। যাহার যেমন মনের গঠন। বসন্ত রায় তাহার রূপবর্ণনায় যাহা-কিছু স্থন্দর তাহাই দেখাইয়াছেন। আর বিষ্ভাপতি তাহার বপবর্ণনায় যাহা-কিছু ভোগ্য তাহাই দেখাইয়াছেন।” আমাদের মনে হয় রবীন্দ্রনাথের এই রসবিঙ্সেষণ ঘুরোপীয় সাহিতা-বিচারের মানস্থচী দ্বারা উদ্বুদ্ধ বৈষ্বপদাবলী আলোচনাকালেই কি তিনি পুনরায় ভামুসিংহের কবিতা “মণ বে, তৃছু মম শ্যাম সমান” লিখিয়াছিলেন ?১

সতীশচন্দ্র রায় “প্রপ্রপদকল্পতক'র ভূমিকায় লিখিতেছেন, "পদ কর্তা বসন্ত রায়ের একান্নটি পদ পদকল্পতরুতে সংগৃহীত হুইয়াছে। বসন্ত রায় একজন উচ্চশ্রেণীর কৰি। আমাদের যতদুর জানা আছে, তাহাতে কবীন্ত্র রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মশাই." প্রথমে বসন্ত রায়ের সম্বন্ধে লিখিয়া তাহার রচনার অপূর্ব ব্যঞুনা নির্দেশ করেন ।."" “ভক্তিবতাকরে, বসন্ত রায় নরোত্বম ঠাকুরের শিষ্য এবং তিনি শেষবয়সে বুন্দাবনবামী হইয়াছিলেন। ইনি জাতিতে ত্রাক্মণ ছিলেন।”

“কৌতুকের বিষয় যে যশোহরের রাজা প্রতাপাদিত্যের খুড়া, কায়স্থকুলজাত বসন্ত রায়কে কেহ কেছ পদকর্ত! স্থির করিয়া! রাজমভায় গোবিন্দদাস বসম্ভ রায়ের মধ্যে কবিতার প্রতিছ্বন্বিতা ঘটাইয়া গ্রতাপাদিতা-চরিত্্র অবলম্বনে উপন্তাস-নাটকাদি রচনা করিয়াছেন। ইহা যে ভ্রান্ত নামসাদৃশ্যমূলক কবিকল্পনা, তাহাতে কোন সন্দেহ নাই ।”২

বৈষ্বপদাবলী আলোচনা-প্রসঙ্গে এখানে একটি কথার অবতারণা করিতেছি সাধারণত বিদ্াপতিকে “বাঙালী: কবি বলিয়া! ধরা হইত কিন্ত বিদ্ভাপতি মৈথিলী এবং তীহার পদাবলী 'ব্রজবুলি'তে রচিত ব্রজবুলিতে বহু পদাবলী রচয়িতার অন্ততম বিদ্াপতি। ১৮৮২ সালে কলিকাতার এশিয়াটিক সোসাইটি হইতে প্ডিতপ্রবর গ্রীয়ারসন সাছেব- সম্পাদিত “মৈথিপী কবিতাদংগ্রহ” (19101]1 00650905905 ) প্রকাশিত হইলে বাংলাভাষা মৈথিলীভাষার পার্থক্য সম্বন্ধে কাহারো দ্বন্ব করিবার অবকাশ থাকিল না। বিগ্যাপতির মৈথিলত্ব প্রতিষ্ঠিত হইল।

আমর! জানি রবীন্দ্রনাথ ১৮৮৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি (১ ফালক্ন ১২৯০) গ্রীয়ারসনের গ্রন্থ ক্রয় করিয়া গভীর অভিনিবেশ সহক্কারে পদাবলীগুলি পাঠ করেন? শুধু পাঠ নয় গ্রস্থমধ্যে মৈথিলী হইতে বাংলাভাষাস্তরণ করিয়া রাখেন মৈথিলী কবিতাসংগ্রহে বিদ্যাপতির বিরাশিটি পদ আছে, তন্মধো রবীন্দ্রনাথ বাহান্নটির “রূপান্তর” করেন। তবে অনুবাদগ্ুলি অধিকাংশই গছ্যে করা ।*

সমকালীন কয়েকটি ঘটনা

সন্ধ্যাসংগীত-মুগের বিশেষ সাহিত্যিক স্ষ্টি বউঠাকুরানীর হাট উপন্তাস-চনা। সে সন্ধে আলোচনার পূর্বে আমর এই যুগের কষেকটি ঘটনার উল্লেখ করিব। পাঠকর! বিদিত আছেন ত্রাঙ্মলমাজ ১৮৬৬ সালে বিভক্ত হইয়া! যায়। কেশবচন্্ু সেন দ্রেবেজনাথ পরিচাপিত ব্রাঙ্মমমাজ

ভারতী, শ্রাবণ ১২৮৮, পৃ ১৯৬। ভাম্ুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী, উনিশ সংবাক পদ |

স্রীতীপদকলতর «, পু ১৫৮। রবীন্দ্রনাথ বউঠাকুরানীর হাট প্রারশ্চিনত গ্রন্থে বসম্ রায়কে ধৈধব করিয়াছেন; কিন্তু যৈধষপদকগায় সহিত অভিম্ন করেন নাই

অধ্যাপক হরিচরণ বন্যোপাধ্যায় লিখিতেছেন, "বঙ্গীয় শব্দকোযের নিমিত্ত মৈধিল শঙ-সংকলনের সময়ে আমি 01161501 সাহেবের সংগৃহীত বিগ্কাপতির মৈথিল উংকুষ্ট-পদাবলী সংগ্রহ (11011 (01/06580100805 ) পদাবলী খাবঙ্ধাত মৈথিল শব্মাল| (1৮. 0. ০০৪০৩1৪ ) পড়িয়াছিলাম। রবীল্নাথ পূর্বে পদাবলী পড়িয়া পদাবলীর পাশে পাশে বাংলায় গদ্যে পদ্যে অনেকগুলি পদের অনুবাদ করিয়াছিলেদ। এই অনুবাদ সকল স্থলে সম্পূর্ন পদের নাই, কোনো কোনো পদের সম্পূর্ণ, কোনে! কোনো পদের আংশিক অনুবাদ আছে।” যোট বাহায়ট পদের অনুষার আছে।

. প্রধাসী, অগ্রহায়ণ, পৌষ, দাথ ফান্তন ১৩৪৮। নর রবীআনাখ, রূপান্তর ( বিশ্বভারতী ১৯৬৭ ) পৃ ১৩৭-৯০

খষ্টান্দ ১৮৮৩ ৰউঠাকুরানীর হাট ১৫১

হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া ভারতবর্ধায় ত্রাঙ্ষসমাজ নামে লব প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। অতঃপর কয়েক বসব পরে নবীনতর ব্রাঙ্মদের মতভেদ হইলে, তাহারাও পৃথক হইয়! গিয়া (১৫ মে ১৮৭৮। জ্যেষ্ঠ ১২৮৫) [রবীন্দ্রনাথ তখন আহমদাবাদে ) “সাধারণ ব্রাক্মসমাজ” নামে নৃতন সংঘ গড়েন। কেশবচন্দ্র সেন তাহার সম্প্রদায়ের নাম “ভারতব্ষাঁয় ব্রাহ্মসমাজে”র পরিবর্তে 'নববিধান' বাখিলেন (২৪ মার্চ ১৮৭৮)। কলিকাতা ঢাক। বরিশাল প্রভৃতি মফম্থল শহরে ব্রাহ্মদের মধ্যে যখন ষতামতের মাতামাতি চপ্সিতেছে সে সময়ে রবীন্দ্রনাথ কলিকাতার বাছিবে ছিলেন দুই বৎ্সরকাঁল ( ১৮৭৮-৮০ )।

রবীন্দ্রনাথ দেশে ফিরিবার প্রায় দেড় বৎসর পরে আদি ত্রাক্মলমাজে একটি সমস্যা দেখা দিল যাহার সহিত বিংশতি বৎসরের তরুণ কবিও আংশিকভাবে যুক্ত হইয়া] পড়েন। বিষয়টি সংক্ষেপে বলা যায়! আদি ব্রাঙ্গসমাজের সভাপতি বাজনারায়ণ বন্থর কন্তা লীলাবতী (২*) সাধারণ ব্রাঙ্মদমাজের অন্যতম উৎ্সাহীযুবক, কৃষ্ণকুমার মিজ্রকে (২৭) বিবাহ করিতে প্রস্তত হইতেছেন, এই সংবাদে তরুণ ত্রাহ্মদের দাকণ উৎসাহ রাজনারায়ণের জো্টপুত্র যোগীন্দ্রনাথের উৎসাহ সমধিক বিবাহ সাধারণ ব্রাঙ্ষমমাজমতে অনুষ্ঠিত হইবে বলিয়া আদিসমালীয়দের আপত্তি সাধারণ সমাজীয় ব্রাক্মর] ১৮৭২ সালের ৩-সংখ্যক বিধি (4১০৮ ]]] 96187201৮11 18019£6 4১০০) মতে বিবাহ সিদ্ধ করিতেন। সেই আইনমতে পান্র-পাত্রীকে ঘোষণ! করিতে হইত যে তাহার1 বিশেষ কোনো! ধর্মে বিশ্বাধী নহে, তাহার! ব্রিটিশ সাম্রাজোর নাগরিক মাত্র (0৮0) এইক্প ঘোষণায় ছিল ] ৪প) 1706 & 17150 ইত্যাদি ইহাতে আদি ক্রাক্মলমাজীয়দের ঘোর আপত্তি; ১৮৯১ সালে আদমন্থমারী গ্রহণকালে রবীন্দ্রনাথ আদিত্রাঙ্গপমাজের সম্পাদদকরূপে সেনসাস অধ্যক্ষকে পত্র লিখিয়! জানাইয়। দেন যে, “110৩ 00617006915 06 076 401 91810009208] 21০ 1০211 [7177005,৭

রাজনারায়ণের কন্যা! লীলাঁবতী দেবীর বিবাহ হইল ১৫ শ্রাবণ ১২৮৮ [২৯ জুলাই ১৮৮১ ]| সমকালীন তত্ববোধিনী পত্রিকা ( ১৮*৩ শক [১২৮৮] ভাদ্র পু ৯৮) লিখিতেছেন : এই বিবাহপ্রসঙ্গে কোন ব্রাঙ্মস্বকবি কয়েকটি সংগীত বচন! করেন।” লীলাবতী দেবী তাহার দিনপঞ্ধীতে লিখিয়াছেন, “নগেন্্নাথ চট্টোপাধ্যায়, স্থন্দরীমোহন দাস, অন্ধ চুনীলাল নরেন্্রনাথ দত্ত মহাশয়গণ সংগীত করিয়াছিলেন ।-.'শুরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়-.-সংগ্টত বচন! করিয়া গায়কদিগকে শিখাইয়] দিয়াছিলেন।”১

গান কয়টি : ছুই হৃদয়ের লদী রবিচ্ছায্া। গীতবিতান ৩০৯ জগতের পুরোহিত তুমি ৮. ৮৫৩ শুভদিনে এসেছে দৌহে হত. ৬১০

প্রথম ত্রন্ধসংগীত রচনার ছয় মাস পরে এই দ্বিতীয় কিন্তি ধর্মসংগীত কবি রচনা করিলেন। রবীন্দ্রনাথের বয়স তখন বিশ বৎসর | ধাহাদের গান শিখাইয়াছিলেন তাহারাও তরুণ-উৎসাহী ব্রাহ্ম_- নরেনত্রনাথ দত পরে শ্বামী বিবেকানন্দ নামে জগংবিখ্যাত হন।

বউঠাকুরানীর হাট

সন্ধ্যাসগীত যুগে অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথের বিশ বৎসর বয়সের সময়ে, তাহাকে সন্ধ্যাসংগীতের কবিতা, মাঘোৎসবে ব্রদ্ষসংগীত, বিবাছের ধর্মসংগীত, বিবিধ প্রসঙ্গ বিচিত্র প্রবন্ধ লিখিতে দেখিতেছি। চন্দননগরে মোরান সাহেবের কুঠিতে জ্যোতিরিন্্রনাথ বউঠাকুরানীর সহিত বাসকালে 'বউঠাকুকানীর হাট নামে একটা বড় নতেল' লিখিতে শুরু করিয়াছিলেন। চন্দননগর হইতে সকলে কলিকাতায় সদর দ্রীটের বাসায় ফিরিয়া আসিবার পরেও উপন্তান লেখ! কালিঙান নাগ, ভাগুসিংহের পদাবলী, মাসিক বনুমতী, ভাঙ্জ ১৩৫৭

১৫২ ঝনীন্ত্রজীবনী গান ১৮৮৩

চলিতে থাকে এই সদর গ্ীট বাসকাপে মুবক-কৰির মধ্যে যে আকশ্মিক একটা দিব্য অনুভূতি হইয়াছিল, সে বিষয়ে আমরা পরে আলোচনা করিব। আমরা আপাততঃ এই পরিচ্ছেদে চন্দননগবে আরন্ধ উপন্তামের আলোচনায় সীমিত থাকিব।

বউঠাকুরানীর হাটকে সাধারণত রবীন্দ্রনাথের প্রথম উপন্কাস বল হয়, কিন্ত এই নভেল" রচনার চারি বৎসর পূর্বে, বিলাত যাইবার পূর্বে, করুণা ভারতীতে ( আশ্বিন ১২৮৪_-ভাঙ ১২৮৫ ) প্রকাশিত হয়, তাহাকে আমরা উপস্তাসেরই হাতে-খড়ি বপিব। আধুনিক উপন্যাস-রচনার আদর্শে করুণা" অকিক্ষুদ্র সট্টি। কিন্তু বক্ষিমচন্দ্রের ইন্দিরা, রাধাবাণী, যৃগলাঙ্গুরীরকে যদি উপন্তাস-পর্ধায়ভুন্ত করা যায়, তবে “ককণা'কেও আমরা ক্ষুদ্র উপন্তামই বলিব। “করুণা'় সমসাময়িক সমাজ-জীবনের চিত্র, আর বউঠাকুরানীর হাটে মধাযুগের বাংলার কাহিনী চিত্রিত হইল

'বউঠাকুরানীর হাটের, গল্পাংশ আমরা সংক্ষেপে বিবুভ করিয়া গ্রন্থ সম্বন্ধে অন্য আলোচনায় প্রবৃত্থ হইব।

যশোহবের রাজা প্রতাপাদদিত্য মুঘপদের বশ্ঠতা স্বীকার করিতে অসম্মত হইয়া ম্বাধীনভাবে রাজাশাসন শুক করেন। কিন্তু তদীয় খুল্লতাত রাজা বসস্ত রায় মুঘলদের সহিত মিত্রা রক্ষার পক্ষপাতী ইহাতে প্রতাপ পিতৃব্যের উপর অত্যন্ত ক্রুদ্ধ হন। প্রতাপের পুত্র উদয়াদিত্য কন্যা বিভ। উউয়েই বসন্থ ঝায়ের অত্যন্ত অশ্গগত ; তজ্চ্যাও প্রতাপ তীহার উপর বিরক্ত | জাগাতে 'অভান্ত ধীর প্রকৃতির যুবক , যৌবনে কৰা নামে একটি বুমণাকে ভালো- বাসিবার ফলে এই উপন্যাসে অনেক কিছু ছুঃথের ঘটনা ঘটে করুকিণাই উদয়াদিততার পরী হ্রধাকে গোপনে বিষপ্রদ্োগে হত্যা করে বিভার বিবাহ হয় চক্্ীপের রাজা রামচঙ্ের সহিত রামচন্দপ হকদা জাহার বিদূষক রুযাই ভাড়কে স্ত্রীলোক সাজাইয়! শ্বশুরবাড়ির অস্থংপুরে লইয়া যান প্রতাপ সেই বাদ পাইয়া জামাতাকে হাজা। করিবার আদেশ দেন। উদয়াদিত্যের কৌশলে বামচন্্র বাম পলাদন করিতে সঙ্গর হণ এই অপরাধে প্রতাপ পুত্রকে কারার করেন। কিন্তু বসন্ত বায়ের চেষ্টায় কারাগার মপ্রিদদ্ধ হয় উদয় গুক্রি পাভয়া দাদামহাশয়ের নিকট আশ্রয় গ্রহণ করেন তখন প্রতাপ সৈহ পাগাইয়। উদয়কে বন্দী করেন; বসস্থ বায় প্রভাপ-প্রেবিত ঘাতকের হস্তে নিহত হন পরে উয়াদিতা পিতার নিকট পাজাতাগের শপথ করিয়া কাশী যাহা করেন) বিভাকে পথিমধ্যে

বউঠাকুরানীর হাউ, ভারতী, কাঙিক ১২৮৮-আহিন ১২৮৯1 শ্রন্থাকারে প্রকাশ, পৌদ ১৮০৪ পক [১২৮৯1 ১১ জানুয়ারি ১৮৮০1

বউঠাকুরানীর হাটের ততিহান এখানে সংক্ষেপে বিবুভ হইতেছে | পর্পাকিস্ানের বাপরগঞ্জ জেল! যুঘলগুগে নহকার বাবলার মন ছিল, তৎপুর্বে এই অর্চলের নাম ছিল চন্দ্র্গীপ এখনো সরকারী কাগজপত্রে £হ পরগণার নাষ বাকল চন্থান্বীপ | চি শেবের %? চননাণ চরুবঠার নামানুমারে এই স্থানের নাম হয় চ্সদ্বীপ। দনুজমদ্ণ দেবেন বংশের পুকরশাপা পুপ্ত হইলে কালে কজাবাশয় সতশাপায হাদণপিকার ধরায় এই বংশের কন্দর্পনারায়ণ মগদ্র দৌরাম্থো উপক্রত হঠয়া কচুয়! আপ করিয়া মাধবপাপায় রাজধানী স্থাপন করেন! 1 মাধবপাশ! বরিশাল হইতে লাত মাইল উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত প্রপিস্ধ গ্রাম

কন্দপনারারণ প্রতাপাদিতোর সমনানয়িক | হাহার মৃতুব পর নাবালক রাষচন্ত্ু রাজা হন। জেহহট পাদরী দনাদও প্রচাগাদিনের রাজধানী ঘশোহর যাইবার পথে বাকলায় বালক রাঁক। রামচন্দ্রের মহিত সাক্ষাত কলেন, ফন্সেল উহাকে অমাদিক বুদ্ধিমান বলিয। বর্ন করিয়াছিলেন, এই রামচন্্রের সহিত প্রঠাপাদিতোর কল্সা বেষলার শিবা হয়, বিবাহের পারে প্র জাবাত এব হধো মনোমালিক্ক হইলে রানচস্ছু বধূকে শি গ্রামে লইয়। যান নাঠ। বহুকাল পরে প্রতপাপিভোর অনুমতি লঠ% বিমলা অনেকগুলি নৌকায় পিরালয়ের বহুবিধ উপহার লইয়া স্বামীর রাজধানী ঘা করেন; মারবপ!শার নি ঘাটে তিনি নৌক। বাধিলেন। আপ! বীর নংনাদ পায়! রামচঙ্গ ঠাতাকে 2 আমিবেন। কিন্ত রামচন্ আিলেন না, এদিকে রাশীকে দেখিবার জন্ট রাজেপ নানাস্থান হইতে প্রজার দল আসিতে লাগিল দরি ভিগ্ুকগণ বিমলার নিকট বছ অর্থ পাইল, রুমে সেইস্বানে সপ্তাহে দুইদিন করিয়া হাট বসিতে লাগিল পর: ইহা বিউঠাকুবানীর হাটা নাষে পরবখিত হল | এইরাপ বদি অতিবাহিত হইলে রামচন্ত্র আসিয়। পরীকে পাসাদে লইয়া গেলেন। এই আংশিকভাবে ভিভি করিয়া রবীন্ুনাপের 'বইঠাকুরানীর হাট" উপন্তাম লিপিত। জর বাংলায় মণ, ২৪১।

বীটা ১৮৮৩ বউঠাকুরানীর ছাট ১৫৩

তাহার স্বামীর নিকট পৌঁছাইয়! দিবেন স্থির করিলেন তাহারা চন্তরতীপের ঘাটে পৌছাইয়া জানিতে পারিলেন যে নির্বোধ রামচন্দ্র গ্রতাপাদিত্যের উপর বাগ করিয়া পুনরায় বিবাহ করিয়াছেন বিভাকে রামচচ্জর গ্রহণ করিলেন না) তখন উদয় ভত্্রীকে লইক্া কাশী চলিয়া গেলেন। চন্্রদ্বীপের যে-বাঞজাবের নিকট বিভার নৌক] লাগিয়াছিল, সেই বাজার সেই সময় হইতে বউঠাকুরানীর হাট নাষে পরিচিত

বিশ বৎসর বয়সে রচিত “বউঠাকুবানীর হাট'কে রবীন্দ্রনাথ জীবনস্থতিতে “নবেল' বলিয়াছেন। উহা! নবেল না রোমান্স সে-নুক্বিচারে আমাদের প্রয়োজন নাই। বাংলা উপন্যাল বা নবেলের ইতিহাস খুব প্রাচীন নহে বাংলার অন্তান্ সাহিতোর মায় ইছাও ঘুরোপীয় সাহিত্যার্চার ফলপ্রহ্াত, অনুকরণ অনুবাদে ইহার জন্ম। সামাজিক ক্দীবনের সমস্যা হইতে আধুনিক উপন্তাসের উদ্ভব। কিন্ত উনবিংশ শতকের মধ্যভাগে বক্ষিম প্রমুখ লেখকগণ যখন উপগ্াস-রচনায় প্রবৃত্ত হন তখনও সমাজ-জীবন তাহাদের সমক্ষে তেমন কোনো সমস্যা লইয়া উপস্থিভ হয় নাই ; তাই. সে-যুগের অধিকাংশ লেখকই তাহাদের উপন্যাসের জন্ত এতিহাসিক-অতীত হইতে নায়ক- নায়িকাদের সংগ্রহ করেন। *আলালের ঘরের ছুলাল** প্রভৃতি গ্রস্থকে নবেল বলা যায় না, কারণ সেখানে সমস্যা নাই, সমক্তা-সমাধানের চেষ্টাও নাই, সমাজচিত্র চরিত্র -অঙ্কনই উদ্দেশ ইংবেজি উপন্যাসের গোড়ার ইতিহাসও অন্রন্ূপ। মাগুষের মন কিন্তু ইহাতে তৃপ্চ থাকিতে পাবিল না; কাবা যেষন লিবিকধমী হইয়া বিবাহেতর বিধাহোস্তর প্রেমের জন্ত ব্যাকুল হইয়া উঠিল, উপন্যাপও প্রেমের সাহসিকতা -বর্ণনে অগ্রসর হহপ। কিন্তু 'আধুনিক সমাজজীবনে নবনারীর অবাধ প্রেম -বিশিময়ের স্থান অতান্ত সংকুচিত; পরম্পরাগত নীতিবোধ ধর্মবোধ শ্রেণবোধ প্রভৃতি জন্মগত সংস্কার লেখকগণের লেখনীকে সংঘত বাখিত। সেইজন্ত তাহারা আধুনিক সমাঙজজীবন হইতে ঘটনা পান্ত্রপাত্ী সংগ্রহ না কবিষা অতীত যুগের মধো কাহিনীর সন্ধানে যাত্র! করিলেন। স্কট ভাহার সধোত্কষ্ট উদাহরণ আমাদের বাংলা সাহিত্যে বন্ধিমচন্দ্রই এই ধারার পথপ্রদর্শক ছুর্গেশনন্দিনী এই নৃতন রীতির প্রথম উপন্থাস, বঙ্ষিমচজ্জ৪ তাহার সাহিতাব্জীবনের প্রথম দিকে এই অতীত যুগের নবনারীব হদয়ে প্রেমের সংঘাত তুলিয়া উপন্ধাস-রচনায় প্রবৃত্ত হন। ইংরেজিতে যাহাকে রোমাম্দ বলে ছুর্গেশনন্দিনী প্রভৃতি সেই জাতীয় উপন্যাস, বাংলায় ইহাকে বলা যাইতে পাবে এঁভিহাসিক উপন্লাস। বউঠাকুবানীর হাট রুচিত হইবার মাত্র পনেরো বৎসর পূর্নে আধুনিক বাংলা উপন্তাসের জন্ম; হৃতবাং রবীন্দ্রনাথের পূর্বে দ্ীর্ঘকালের ধারাবাহিক আদর্শ বা 0:301000) জমাট বাধে নাই ১৮৬৫ হইতে ১৮৮* সালের মধো বঙ্কিমচন্ছু, রমেশচন্দ্র বাতীত অনেকে এতিহামিক উপস্াষ' পিখিক্াছিপেন, তাহার একখানিও আমাদের যুগে পাঠারূপে আমিয়! পৌছায় নাইফ

ববীন্্রনাথের 'বউগঠাকুবানীর হাট' এঁতিছ্াসিক উপন্তাস বা রোমাম্স। তবে ববীন্্রনাথের পক্ষে তাহার বিশ বং্সর বয়সে উহাকে যতদুর পর্যস্ত 'নবেলি' করা সম্ভবপর তাহা করিতে চেষ্টার ক্রটি করেন নাই। এখানে

পাগীঠাদ মে (টেকঠাদ ঠাকুর) লিখিত আলালের খরের ছুলাল ( ১৮৫৮ ) প্রকাশিত হইবার ছয় বংসর পূর্বে ১৮৫২ সালে হানা ক্যাথেরীন মূলেছ নায়ী কোন বীষ্টান পাপী রমনী লিশিত 'ফুলমণি করশার বিবরণ' প্রকাশিত হইয়াছিল! ইহাকে বাংলো ভাষ!র আছি উপগ্ঠাস বল! যাইতে পায়ে, কাহিনীর মৌলিকঠা়, ভাবায় প্রাপ্রলতায এব চঞিত্রচিত্রণের কুশলভায় ইংরেজ মহ্ইিল। বিরচিত এই উপন্থাস বাংল! সাহিতোর এক বিশ্বয়কর শা জ্ুকুমার খজ্ো।পাধায় বলেন, “ঘটনা প্রধাছের কোন হুনিকিষ্ট কেজাবিদ্তত্ত পরিণতিরও বিশেষ চিহ ইছাতে পাওয়া যায না। লেখিকার একমাত্র উদ্দেস্টী দীষ্টধর্ষের প্রেঠন প্রতিষ্ঠা" | বঙ্গনাহিভে উপস্ভালের ধারা) পৃ ২৫ পুনশ্চ ভর. আরহ্কৃমার মেন। বাঙ্গালা সাহিতোর ইতিহাস ২, ৩৪. ১৮৬৪

ফুলমণি করার বিবরণ | হান! ক্যাখেরীন হালে ।__ ছহনীতিকূমার চটোপাখার লিখিত পরিচিডি সহ জীতিত্তরপ্রদ বন্দোপাধ্যায় সম্পাদিত। ১৩৬৪ | আঙ্কুমার বঙ্ছ্।পাধ্যার, বঙ্গদাছিতোে উপস্ভাসের থায়া। পু ৩৮-:৯

১৫৪ ববীজ্্জীবনী খ্ীষ্টা ১৮৮৩

আমর! 'নবেলি" অর্থে বাস্তব-খেষা বুঝিতেছি, যদিও সেই বাস্তব সমসাময়িকের উপর প্রতিষ্ঠিত নছে। আমব! একটিমাত্র উদাহরণ নিয়ে উদধূত করিতেছি যাহা অতান্ত বাস্তব বা নবেলি। উদয়াদিত্য “ভুলিয়া গেলেন যৌবনের প্রমত্ত অবস্থায় কুক্সিণী কি করিয়া পদে পদে তাহাকে প্রলোভন দেখাইয়াছে, প্রতিদিন তাহার পথের সম্মুখে জাল পাতিয়া বসিয়াছিল, আবর্তের মত তাহাকে তাহার ছুই মোহময় বাহু দিয়া বেষ্টন করিয়া ঘুবাইয়া ঘুরাইয়। মুহূর্তের মধ্যে পাতালের অন্ধকারে নিক্ষেপ করিয়াছিল, সে সমস্তই ভুলিয়া গেলেন” (২১ পরিচ্ছেদ )। এই বর্ণনাকে কেবল 81539045 বলিয়া নিবৃত্ত হওয়া যায় না। ইহা অতাস্ত ০11501০ বা বাস্তব; লেখকের দর্শন শ্রবণ অন্ুভূতি- শক্তি অত্যন্ত হৃক্ম না হইলে এই শ্রেণীর বর্ণনা করা কঠিন সেই দিক হইতে বিচার করিলে “বউঠাকুবালীর হাটের মধ্যে এমন সব উপাদান আছে, যাহা নবেল-ধর্মী, এবং সেইজন্যই বোধ হয় রবীন্দ্রনাথ ইহাকে নবেল বলিয়াছিলেন।

এইবার এই উপন্যাসের ঘটনাপুঞ্ের উৎস কোথায় তদদবিষয়ে অনুসন্ধান করা যাক। প্রতাপাদিত্যের কাহিনী উনবিংশ শতকের প্রারস্ত হইতেই সমাদত হইয়াছিল; ১৮০১ সালে রামরাম বস্থর “রাজ প্রতাপাদিত্য চবিত্ প্রকাশিত হয়।১ ইতঃপূর্বে ভারতচন্্র প্রতাপাদিত্যের কাহিনী আশ্রয় করিয়া কবিতায় মানসিংহের উপাখ্যান লেখেন। কিন্ত রবীন্দ্রনাথ যে-গ্রনস্থ হইতে তাহার প্রেরণা পান সেটি হইতেছে প্রতাপচন্্র ঘোষ -কৃত 'বঙ্গাধিপ-পরাজয়' (১৮৬৯ )) এই গ্রন্থে প্রতাপাদিত্য-কর্তৃক বসন্ত রায় হত্যার পর হইতে তীহার ধ্বংস পযন্ত ঘটনা বিবৃত হইয়াছে রবীন্দ্রনাথ পপ্রতাপচন্দকে অন্রবর্তন করিয়াছিলেন বলিলে ভুল হইবে না। সমসাময়িক পত্রিকাতে আছে 7016 09160060200 3800)81012010 750 00110590000 411651606 100105175 01 006 58106 50001 বঙ্গাধিপের কতকগুলি চরিত্র রবীন্দ্রনাথের উপন্যাসের মধ্যে নৃতন রূপ লইয়াছে; বঙ্গাধিপে বমাই যদিও বিদূষক, তথাপি নে বীর প্রভুভক্ত, 'বউঠাকুরানীর হাটে"র রামমোহন মালের কতকগুলি গুণ ইহাতে দেখা যায়। বঙ্গাধিপের সরমা এখানে স্থরম' হইয়াছে বঙ্গাধিপে প্রতাপার্দিত্য কুচরিত্র দুরাচার দস্থ্যক্ূপে বণিত, রবীন্দ্রনাথ তাহাকে কেবলমান্ ছুরাচার মৃতিতে দেখাইয়াছেন। উনবিংশ শতকে প্রতাপাদিতাৎ সম্বন্ধে কোনে! মোহ বাঙালিকে পাইয়া! বসে নাই, কোনো এতিহাসিক গবেষণাপূর্ণ গ্রন্থ তখনো! প্রকাশিত হয় নাই আকবরের এতিহাসিক আবুল ফজলের “আইন-ই- আকবরী'তে বা মুঘল যুগের শেষ এতিহাসিক গ্রন্থ “সায়র-উল-মৃতাক্ষরীণ"-এ বঙ্গের এই বীরের উল্লেখ মাত্র নাই দেখিয়া মনে হয় সমসাময়িকরা বা পরবর্তী যুগের মুসলিম এতিহাসিকেরা যশোহবেশ্বরের বিদ্রোহকে লিপিবন্ধ করিবার মতো গুরুতর ঘটন! বলিয়া! বিবেচনা করেন নাই

রবীন্দ্রনাথ রচনাবলীর ভূমিকায় লিখিয়াছেন, “স্বদেশী উদ্দীপনার আবেগে প্রতাপাদিত্যকে এক সময়ে বাংলাদেশের আদর্শ বীরচরিত্রর্ূপে খাড়া করবার চেষ্টা চলেছিল এখনও তার নিবৃত্তি হয় নি! আমি সে সময়ে তার সম্বন্ধে ইতিহাস

রাজা প্রতাপাদিতা চরিঞ্র মিনি বাস করিলেন বশহরের ধুমঘাটে একববর বাদসাতের আমলে | রাম রাষ বহর রতিত ।-_জীরাগপুরে ছাপ! হইল ।--১৮*১। 70761715095 ০? 8899 ৮8689980108, 85 8217 ঠা 99515০00260 06 68170151707 0910685 ০৫ চ০:৮-৬০)111৪ 5, ১5121200016, চ1117069 ০601601155800 71658, 1802, জর. রামরাষ বসু, সাহিতা-সাধক-চরিতমাল!

জর বঙ্গাধিপ পরাজর, পরিশিষ্ট, পৃ ৫৩২। প্রতাপচন্্র ঘোষ : বঙ্গাধিপ-পরাজয়। প্রথম থণ্ড ১৮৬৯; দ্বিতীয় খণ্ড ১৮৮৪ এ. প্রীনুকূমার লেন, বাঙ্গাল! সাহিতোর ইঠিহাস ২, পৃ ২৩৫-৩৬।

প্রতাপাদিতার পূর্বনা গোপীনাধ, পিতার নাম প্রহরি। পাঠান শাসনক্ঠ! নুলেমানেয় নিকট হইতে জধিদারী লা করির। ভ্রীহরির উন্নতির আরক্ত। টোডরমলের সহায়তার বআকবরশাহ ঈ্ছাকে মহারাজ উপাধি দান করেন। তখন প্রীহরি বিএরমাদিতা নাম গ্রহণ কনিকা মোগলের সামন্তমধো পরিগণিত হন (১৫৭৭ ব্রী্ঠাদ)। তিনি শ্বীর পুত্র গোবীনাথকে ধুবরাজ করিয়া প্রতাপাঙগিতা নাম প্রদান করেন। কৌতুহলী পাঠক সতীশচন্্র মিত্রের যশোহর খুলনার ইতিহাস পাঠ করিতে পারেন। রাজমালা গ্রন্থের তৃতীয় লয়ে বারে! ভূঞাদের সম্বন্ধে আলোচনাকালে সম্পাদক প্রতাপাদিত্য সন্বন্ধে অনেক তথা লিপিবদ্ধ করিয়াছেন জ. প্রীরাজমালা, তৃতীঙক লহ্‌র, গ্রীকালীপ্রসম্প সেন -সম্পাদিত।

ধীষ্টা্ষ ১৮৮৩ বউঠাকুবানীর ছাট ১৫৫

থেকে যা-কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছিলুম তার থেকে প্রমাণ পেয়েছি তিনি অন্তায়কারী অত্যাচারী নিষ্ঠুর লোক, দিশ্লীশ্বরকে উপেক্ষা করবার মতো৷ অনভিজ্ঞ উদ্বত্য তার ছিল কিন্তু ক্ষমত1 ছিল না। সে-সময়কার ইতিহাস-লেখকদের উপৰে পরবর্তীকালের দেশাভিমানের প্রভাব ছিল না। আমি যে-সময়ে এই বই অসংকোচে লিখেছিলুম তখনও তার পৃজা প্রচলিত হয় নি।”১

আধুনিক উপন্যাস রচনায় বঙ্কিমচন্দ্রই তখন বাঙালির আদর্শ, বাংলাসাহিত্যে অপ্রতিদবন্্ী একচ্ছত্র সম্রাট ছুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫ ), কপালকুগ্ুলা ( ১৮৬৬ ), মুণালিনী ( ১৮৬৯ ) যখন রচিত হয় তখন ববীন্দ্রনাথ নিতান্ত বাপক ; বঙ্গদর্শন প্রকাশিত উপন্যাসের সহিত তাহার ষে প্রগাঢ় পরিচয় হয়, তাহার কথা স্বয়ং তিনি ব্যক্ত করিয়াছেন। বিষবুক্ষ ইন্দির] যুগপাঙ্গুরীয় চন্দ্রশেখর রাধাবানী বজনী কষ্ণকান্তের উইল রাজসিংহ বঙ্গদর্শনে ( ১২৭৯-৮২। ১২৮৪-৮৫ ) প্রকাশিত হয়। কমলাকান্ত মুচিবাম গুড় বাহির হয় ১২৮৭ সালের মধ্যে বলা বাহুলা, রবীন্দ্রনাথ বস্কিমচন্দ্রের রমেশচন্দ্র দত্ত প্রভাতি লেখকের উপস্াসের সহিত ঘনিষ্ভাবেই পরিচিত ছিলেন। বিলাত যাইবার পূর্ব পর্ধস্ত ইংরেজি ভাষায় তাহার এত দখল হয় নাই যে, তিনি সহজে ইংবেজি নভেল পড়িম্া তাহার বস গ্রহণ করিতে পাবেন, স্থতবাং বাংল! বইই ছিল তাহার মনের প্রধধানভম উপজীবা তাই লিখিয়াছেন, “বোধ করি তখন পাঠ্য অপাঠা বাংলা বই যে-কট। ছিল সমস্তই আমি শেষ করিয়াছিলাম।”

১২৮৭ সাল পর্ষস্থ বস্কিমচন্ত্র যেসব উপন্তাস রচনা! করিয়াছিলেন তাহার মধ্যে দুর্গেশনন্দিনী অর্ধ-এভিহামিক রোমান্স, রাজশিংহই যথার্থ এতিহাসিক উপন্যাস কোনো গ্রন্থেরই পটভূমি বাংলাদেশে নয়, ছুর্গেশনন্দিনীতে প্রসঙ্গক্রমে বাংলাদেশ আসিয়াছে বটে, কিন্ধু বাঙালি আসে নাই | “বউঠাকুরানীর হাটে'র সমসামঘ্রিক বচন! আননামঠের বিষয়বস্ত বাংলাদেশের অস্থগত হইলেও কৃত্রিম পটভূমিতে উহ? চিত্রিত বলিয়া বাংলার যথার্থ রূপ উহ্বাতে ফুটে নাই। রবীন্দ্রনাথের মনে বাংলাদেশের কোনো আখ্যায়িকা অবলম্বনে উপন্তাস লিখিবার সংকল্প হয় এবং “বঙ্গাধিপ-পরাজয়ে'র প্রতাপাদিত্ের ইতিহাসকে কেন্দ্র করিয়া তিনি উপন্তাস বচনায় প্রবৃত্ত হন। প্রতাপচন্দ্র ঘোষ তাহার “বঙ্গাধিপে' বাংলার মধ্যযুগের চিত্ত পুদ্ধানুপুষ্ঘরূপে দিতে চেষ্টা করিয়াছেন সভা, কিন্ত রচনাদোষে তাহা বহুবিস্তারে জটিল নীরম হইয়াছে, সমগ্রের ছবি তাহাতে ফুটে নাই কিন্তু ববীন্ত্রনাথের নবীন লেখনী বাংলাদেশের গ্রামের গ্রামবাসী নরনারীর যে-চিত্র আকিয্বাছে তাহা মড্যই আশ্চয় বলিতে হইবে।

অল্প বসের রচনা হইলেও এই উপন্তাসে রবীন্দ্রনাথ কয়েকটি হ্ুন্দর চবিজ্র স্থদি করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন : ইহাদের মধো শ্রেট হইতেছে বসন্ত রায়। বাক্গা বসন্থ রায়কে পদ্দকর্তা বস্স্ত রায়ের সহিত অভিন্ন করিয়া তিনি এক আদর্শ বৈধঃব বাজধি সট্টি করিলেন ।৭ বিউঠাকুবানীর হাটে” বসন্ত রায় সেই বৈষ্কব-চবিত্রে আবিভূতি হইয়াছেন। এছাড়া শ্+5% লিংহের চবি চিজ্জ যে এই স্ত্রীর মধ্যে রূপ লইয়াছে ভাহা কবি স্বয়ং বলিয়াছেন। পেখকেবর অপর আদর্শ- চরিত্র উদয়াদিত্য ) এই ছুধল রাজপুঙের প্রতি কবির সহানুভূতি সমধিক উদম্বাদিতোর ভবিষ্বৎ সম্বন্ধে তাহার পিতা, তদীয় পাবিষদ্গণ, মাত1 পুবনারীগণ কেহই কোনো আশা পোষণ করিতেন না; পিতার উপমুক্ত পুত্র তিনি নহেন, বংশের মধাদা তিনি অঙ্গুঞ রাখিতে অপারগ, এই কথাই তাহাকে নিত্য শুনিতে হইত অথচ উদয়ার্দিতা লোক প্রিয়,

রবীন রচনাধলী ১, পৃ ৬৭৪। “কবিবর জীধুক বাবু রবীন্রনাথ ঠাকুর মহাশয় একদা আমাদিগকে বলিয্কাছিলেন ছে মঙ্থারাজ প্রভাপ।দিতোর পিতৃব্য রা! বসন্ত রা কৰি বসন রায় ঘলিয়া তিনি কোনে! কোনে! বাক্তির নিকট শ্রবণ করিয়াছ্েদ।” -_-কৈলানচন্জর সিংহ, চতীদাস, বসন্ত রায় বিভাপতি , ভারতী, শান্ছিন

১৮৮৯, পৃ ত৯।

১৫৬ | ববীন্র্থীবনী খরষ্টা্ ১৮৮৩

দরিদ্রের বন্ধু, আদর্শবাদী, প্রজার হিতাকাজ্জী। উদয়াদিত্যের প্রতি লেখকের সহানুভূতির কারণ ছিল; লেখক সম্বন্ধে তাহার পিতা ভ্রাতা আত্মীয়বন্ধুর দল অহ্রূপ ধারণা পোষণ করিতেন। বববীন্ত্রনাথ যে-সংসাবের মধ্যে কাজে-কর্ে, জ্ঞানে-ধর্মে কোনো দিন বড় হইথেন এ-আশা ত্যাগ করিয়া সকলে তাহাকে কপার চক্ষে দেখিতে আবরস্ত করিয়াছিলেন পরাজিত হইয়া উদয়াদিত্য যেন পৃথিবী হইতে বিদায় লইয়াছিলেন। সন্ধ্যাসংগীতের কবির মধ্যে এই বিষাদঘন ছায়]। সমগ্র উপন্যাসের মধ্যেও এই ছুঃখবাদ প্রবল। উদ্নয়াদিত্য বলিয়াছিলেন, “আমি তো আর কোনো স্থখ চাই না। আমি চাই, আমি রাজপ্রাসাদে ন। যদি জন্মাইতাম, যুবরাজ না যদি হইতাম, যশোহব অধিপতির ক্ষুদ্রতম তুচ্ছতম প্রজার প্রজা হইতাম, তাহার জ্যোষ্টপুজ, তাহার সিংহাসনের, তাহার সমস্ত ধনমান ষশ প্রভাব গৌরবের একমাত্র উত্তরাধিকারী না! হইতাম! কী তপশ্ত করিলে সমস্ত উল্টাইয়া যাইতে পারে !”১ অন্ধযাসংগীত-যুগের অন্তঃসলিল1 ছুংখবাদ উদয়ার্দিত্যের মধ্যে অনম্পষ্ট নহে। অর্ধশতাব্দী পরে রবীন্দ্রনাথ তাহার এই তরুণ বয়সের রচনা সন্বদ্ধে যাহা৷ বলিয়াছিলেন, সাহিত্য-সমালোচনার দিক

হইতে তাহা অতুলনীয়, কারণ নিজের কুটি সম্বন্ধে এত ম্পষ্টবধোধ খুব কম লেখকেরই দেখা যায়। তিনি পিখিয়াছেন, “অন্তবিষয়ী ভাবের কবিত্ব থেকে বহিধিষয়ী কল্পনালোকে এক সময়ে মন যে প্রবেশ করলে, ইতস্তত ঘুরে বেড়াতে লাগল, বোধ হয় কৌতুহল থেকে ।.-" প্রাচীর-ঘের! যন বেরিয়ে পড়ল বাইরে, তখন সংসারের বিচিত্র পথে তার যাতায়াত আরস্ত হয়েছে এই সময়টাতে তার লেখনী গগ্ভরাজ্ নৃতন ছবি নৃতন নৃতন অভিজ্ঞতা খুজতে চাইলে তারি প্রথম প্রয়াস দেখ দিল 'বউঠাকুবানীর হাট? গল্পে-- একটা রোমান্টিক ভূমিকায় মানবচবিত্র শিয়ে খেলার ব্যাপারে, সেও অল্পবরসেরই খেলা। চরিত্রুলির মধ্যে যেটুকু জীবনের লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে সেটা পুতুলের ধর্ম ছাড়িয়ে উঠতে পারে নি। তারা আপন চরিত্রবলে অনিবার্ধ পরিপামে চালিত নয়, তারা সাজানো জিনিস একটা নিদিষ্ই কাঠামোর মধ | আছও হয়তে! এই গল্পটার দিকে ফিরে চাওয়া যেতে পারে। যেন অশিক্ষিত আঙ্লের আকা ছবি; স্থনিশ্চিত মনের পাকাহাতের চিহ্ন পড়ে নি তাতে কিন্তু আর্টের খেলাঘরে ছেপেমান্নুধির একটা! মৃপ্য আছে ।".. সঙ্গীবতার স্বতশ্চাঞ্ল্য মাঝে মাঝে এই লেখার মধ্যে দেখা দিয়ে থাকবে তার একটা প্রমাণ এই যে, এই গল্প বেরোবার পরে বস্কিমের কাছ থেকে একটি অযাচিত প্রশংসাপত্র পেয়েছিলুম, সেটি ইংরেজি ভাষায় লেখা। সে পত্রটি হারিয়েছে কোনে! বন্ধুর অযদ্বকরক্ষেপে বঙ্কিম এই মত প্রকাশ করেছিলেন যে, বইটি যদিও কাচা বয়সের প্রথম লেখা তবু এর মধ্যে ক্ষমতার প্রভাব, দেখা দিয়েছে__ এই বইকে তিনি নিন্দা করেন নি। ছেলেমানুধির ভিতর থেকে আনন্দ পাবার এমন-কিছু দেখেছিলেন, যাতে অপরিচিত বালককে হঠাৎ একটা চিঠি লিখতে গাকে প্রবৃত্ত করলে ।."" তার কাছ থেকে এই উত্মাহ-বাণী আমার পক্ষে ছিল বহুমূপ্য ।”২ প্রীপ্তণময় মানা, রবীন্রনাধ, পৃ ৩৫1 ফালভীপু*থির প্রথম সর্গাতে এইরূপ কথাই আছে__ | 'তবে হে ঈশ্বর! তুষি কেশ গো আমারে

এশব্যের আড়দরে করিলে নিক্ষেপ,

যেখানে সবারি হাদি ষগ্ত্রের মতন,

শ্রেহ প্রেম ছদয়ের কৃতি সম্মদয়

কঠোর নিয়মে যেখা হয় নিয়ষিত।' রবীল-জিজঞাসা ১, পৃ ১। লুচনা : বউঠাকুরানীর ছাট, রবীকর-রচনাবলী ১। গ্রীশচন্্র মজুমদার : 'ব্ধিম প্রসঙ্গে লিখিয়াছেন (পৃ ১৯৬), “রবীনরধাধুর কথ! উঠিল। আমি জিজ্ঞান! করিলাম তার [ রবীন্্রবাবুর ] উপন্যাস [ বউঠাকুরানীর ছাট ] কি আপনি পড়িচাছেস, উত্তর-- পড়েছি। স্থানে স্থানে অতি হুত্ধর উদ্চবর়ের লেখ! জানে কিন্তু উপন্তাসের হিসাবে সেট! নিশ্কল হয়েছে। কবিকে সে কখা আমি বলেছি উমীয়মান লেখকদের মধ্যে আমায় যোধ হয়,

খ্রীষ্টাব্দ ১৮৮৩ | বউঠাকৃরানীর ছাট ১৫৭

এই উপন্তাস-রচনার প্রায় ত্রিশ বৎসর পরে ববীন্দ্রনাথ ইহার গল্লাংশ আশ্রয় করিয়! “প্রায়শ্চিত্ত (১৯*৯ ) নাটক বচনা করেন; আরো! বিশ বংসর পর নাটককে সংশোধন পরিবর্তন করিয়। পরিত্রাণ (১৯২৯ ) লেখেন। মধ্যে প্রায়শ্চিত্ত ভাঙিয়া “মুক্তধারা” (১৯২২) নামে একখানি নাটক লেখেন কিন্ত সে যুগে বউঠাকুরানীর হাটের গল্লাংশ লইয়া “রাজা বসন্ত বায় নামে নাটক বঙ্গমঞ্চে অভিনীত হইয়াছিল। ইহার রচয়িতা কেদারনাথ চৌধুরী, ইনি গিরিশচন্্ ঘোষের সহযোগী ছিলেন গিরিশ-চরিতকার পিখিতেছেন, “এই সময়ে যে-কয়খানি নাটক অভিনীত হয় তন্মধ্যে কেদারনাথ কর্তৃক নাটকাকারে পরিবর্তিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'বউঠাকুরানীর হাট" খুব জমিয়াছিল। প্রাচীন অভিনেতা স্বীয় রাধামাধব কর বসন্ত ঝায়ের ভূমিকা গ্রহণ করিয়া দর্শকগণকে মুগ্ধ করিয়াছিলেন।”১ হেমেন্্রনাথ

হরপ্রসাদ, তুমি [ জীশচন্জ মজুমদার ] রবির আমার বোধ হয় রবি বেশ গিফটেড কিস্তু পৃকোসাস।' এখনি তার বয়স ২২. ২৩, সেকথা সেদিন রাবকে বলেছি ।” আীঙলতোধ দত্ত. বহিমচচ্্র রবীন্্রনাথ | বিশ্বভারতী পত্রিকা ১৩৬৭ 1 পৃ ২৭২ পাদটাক। নবীনচজ। সেনকে বস্কিমচঙ্ রবান্নাথ সম্বন্ধে বলেন, "176 05 91617060 ৯০২37627577 1 ন্বানচন্ত্র তখন ভাঁগলপুরে কাজ করেন ১৮৮৩ সালের গোড়ায় বঞ্ধিমের সহিত তিনি সাক্ষাং করিতে আসির়!ছিলেন। সর ঞাগোপালচ্ঞ রায়, বন্ধিমচজজ রবীক্রাথ পৃ ২১-২২ | ভারতীতে বউঠাকুরানীর হাটের চলিশটি পরিচ্ছেদ | বর্ভমান মুস্রিভ গ্রন্থে সাইন্রিশটি পরিচ্ছদ ভারতীতে এই উপক্কামমধো এগারোটি গান ছিল, কিন্ত মুদ্রিত গ্রন্থে আছে নয়টি আমরা গানের তাঁলিক। দিলাম-” ১. ভারচী, কাতিক ১২৮৮ ৫ম পরিচ্ছেদ-[ রবীন্-রচনাবলী ৬, ৪র্থ পরিচ্ছেদ ]। বসন্ত রায়ের গান-_ 'বধুয়া অলষয়ে কেন হে প্রকাশ।' জজ, প্রাযশ্চিত। ভারতী, অগ্রহার়ণ ১২৮৮। এম পরিচ্ছদ [ রবীন্থ-রচদাধলী ৬] বদ৭ রায়ের গান-- আল তোমারে দেখতে এলেম সর. প্রায়শ্চিত্ত পরিস্রাণ। 'মলিন মুখে দুটুকহাসি। জ. প্রায়শ্চিত্ত ভারতী, পৌষ ১২৮৮। ১*ম পরিচ্ছেদ [ রবীক্র-রচনাবলী ] রামমোজণ মালের গান-- 'সার। বরষ দেখিনে মা' জ. প্রায়শ্চিত। & ভারতী, মাধ ১২৮৮। ১১শ পরিচ্ছেদ [ রবীন্-রচনাবলী ১* ] বসন রায়ের গান-- 'কবরীতে ফুল শুকাইল' ভারতী, ফাল্গুন ১২৮৮। ১৪ পরিচ্ছদ [ রবীঙ্জ রচনাবলী ১৩] বসন রায়ের গান-- 'ওরে যেতে হবে আর দেরী নাই [ রবীক্-রচনাবলী ১৩ ] বনম্ত রায়ের গান-_- আমার বাবার দমন হল। [ রবীল্-রচনাবলী ১৩]। ভারতী, বৈশাখ ১২৮৯। (২৮ পারিশ্ছেদ | রষীজ্-রচনাবলী ] বসস্ধ রায়েয় গাদ-- 'আমিই শুধু রইনু পড়ি) ভারতী, আবাড় ১২৮৯। [২৬ পরিচ্ছেদ ] উদয় দতোর গ।ন-- "মা! আমি তোর কি করেছি' ও!রচী, আশ্বিন ১২৮৯। ৩৬ পরিচ্ছেদ ]। ৯» বহদন্ত রায়ের গান-- 'আর কি আমি ছাড়ব তোরে' 'আজ আমার আনন দেখে কে '*" ১৭ [৯ ১১.সাখাক গান বউঠাকুয়ানীর ছাট গ্রস্থধখো দাই ] অধিনাশচজ্জ গঙ্গোপাধ্যায়, গিরিশ, পূ ৩৬৭) জীগ্রবোধচজ্ সেন "কৃত “ছল্দোগুর রবীন্নাথ' হইতে উদ্তৃত।

সি

১৫৮ ববীন্রজীবনী গ্রীষ্টান্ষ ১৮৮২-৮৩

দীশগুপ্ত 'ভারতীয় নাটামঞ্চ গ্রন্থে (পূ ৩৯) বলিয়াছেন যে, ১৮৮৬ সালের জুলাই তারিখে উহ! অভিনীত হয়। ১৯০১ সালের এপ্রিল তারিখে মিনার্ভা থিরেটারে ইহার পুনরভিনয় হয় (পৃ ৫৭)। শ্রীহ্ৃকুমার সেন বলেন যে, “বসন্ত বায়” নাটকের গানগুলি রবীন্দ্রনাথের রচনা।

রবীন্দ্রনাথ তাহার প্রথম উপন্যাস তাহার সর্বজোষ্ঠা ভগিনী সৌদামিনী দেবীকে উপহার” দেন একটি ক্ষুপ্র কবিতা লিখিয়া। বইটি প্রকীশিত হয় ১৮৮৩ সালের জানুয়ারি মাসে।

সাহিতা-সমালোচনা

সাহিতা্ষ্টা (০758:০7 ) যুগপৎ সাহিত্য-সমালোচক (০7010 ) হইলে নিজ রচনার সপক্ষে সমর্থনে কৈফিয়ত লেখা তাহার পক্ষে খুবই স্বাভাবিক ববীন্দ্রনাথ শ্রষ্টা সমালোচক স্বষ্ট্ি-সৌন্দর্ষের একটা স্ুষ্ মানস্ুচী তাহার ছিল, সেই মানদণ্ডে তাহার উপন্যাসের কল্পিত পাত্রপাত্রীদিগকে সাহিত্যের আসবে মর্যাদা দান করিতে পারেন কি না তাহাই তাহার বিচারের বিষয়। মাইকেলের 'মেঘনাদবধ কাব্য'কে কেন্দ্র করিয়া এই আলোচনা শুক করিলেন পাঠকের স্মরণ আছে “ভারতী"র প্রথম বর্ষে (১২৮৪) মাইকেলের এই মহাকাকোর সমালোচনা দিয় তাহার গণ্য রচনার স্ুত্রপাত হয়, এবারেও তিনি মেঘনাদবধ কাবোর ক্রটিবিচ্যুতি প্রকাশ করিবার জন্য দীর্ঘ প্রবন্ধ লিখিলেন।১ যে আঘাত সহা করিয়া আহত হয় না, আঘাত তাহারই ভূষণ; স্থতরাং সাহিত্যের মালন্থচী প্রতি্ঠাকল্লে মধুস্ছদনের রচনাকে আত্রমণস্থলরূপে নিধাচন করিদ্পা রবীন্দ্রনাথ ভালোই করিয়াছিলেন ; কারণ ক্ষীণপ্রাণ সাহিত্যিকদের উপর রবীন্দ্রনাথের তীব্র সমালোচনাশায়কগুপি নিক্ষিপ্ত হইলে তাহাদের পক্ষে মারাত্মকই হইত। কিন্তু মধুস্থদনেরু পরিণত প্রাণ রবিকর-পড়নে মান হইবে না।

“মেঘনা; বধ কাব্োর সমালোচনায় রবীন্দ্রনাথ লিখিলেন যে, মহাকাব্যের মধো একটি মহৎ ভাব আদশ থাক] চাই, উহা কোনো মহৎ ব্যক্তিকে আশ্রয় করিয়া গড়িয়া! উঠে কিন্ধ মেঘনাদবধ কাব্যে সেরূপ কোনো মহত্ব পরিলক্ষিত হয় নাঁ। সমালোচক বলিলেন যে বাম লক্ষ্মণ নিরস্ত্র ইন্দ্রিংকে হীন ক্ষুত্র তঙ্করের ন্তায় বধ করিলেন, ইহা মহাকাব্যের বিষয়বন্ত হইতে পারে না। লক্ষণের শক্তিশেলের মধ্যে না আছে গৌরব, না আছে বীরত্ব, না আছে মত্ব। তিনি বলিলেন, হেমচন্ত্র বন্দ্যোপাধ্যায় কৃত 'বু্রসংহারের মবো বরং মহাকাবোর উপাদান আছে, সেখানে মহব্বের সন্ধান পাওয়া যায় দর্ধাচির জীবনে, শ্বর্গোঙ্ধারের জন্য দরধীচির অস্থিদান, অধর্মের ফলে বুধের সর্বনাশ, প্রভৃতি মহাকাব্যের উপযোগা বিষয় বটে। কিন্তু “মেঘনাদবধ কাব্যে ঘটনার মহত্ব নাই, একট] যহৎ অনুষ্ঠানের বর্ণনা নাই। তন মহত চরিব্রও নাই |” 'তছুপরি ইহা পাশ্চাত্য কবিদের অস্থকরণে লিখিত; পাশ্চাত্য কোনো কবি তাহার মহাকাব্যে নরক-বর্ণনা করিয়াছেন বলিয়া মধুস্দন অত্যন্ত অপ্রাসঙ্গিকভাবে নরকের বর্ণনা জুড়িয়া দিয়াছেন, ইহার সহিত মূল কাব্যের কোনো মঙ্গন্ধ নাই। গ্রীক মহাকবি তোমারের মহাকাবোর সচল] গ্রীক সরম্বতীর বন্দনা দিয়া, কিন্তু মধুস্দনের পক্ষে হিন্দুদের দেবত| সবম্বতী-বন্দনা অত্যন্ত কৃত্রিম কারণ সরহ্বতীর সহিত তাহার ধর্মজীবনের কোনোই লগন্ক ছিল না। গ্রবজ্ধশেষে কবি বলেন মেঘনাদবধ মহাকাবাই নছে। মোট কথা, এবারকার সমালোঢন! গতবারের স্তায় তীব্র না হইলেও যুক্তির দিক হইতে বিশেষভাবে বিচার্ধ ; সে যুগের সমালোচনা মানস্চীর দৃষ্টিতে এই রচনা সাহিত্যে অপাংকেয় হইতে পারে না।

এই প্রবন্ধের গোড়ার দিকে লেখক ট্রাজেডি সঙ্থন্ধে অতি বিস্বাতভাবে আলোচন। করিয়াছেন ; আমাদের মনে হয়, সাহার উপন্যাস 'বউঠাকুরানীর হাট” ট্রাজেডিধর্মী কি না সে-বিষয়ে মনের মধ্যে আন্দোলন চলিতেছে ; তাই মেধনাদবধ কাবা, ভারতী, তান ১২৮৯ পৃ ২১৪-৪*। সথালোচন। (১২৯৪ ), রবীঞ্র-রচনাধলী, অচলিত সংগ্রথ ২, প্‌ ৭৩-৭৯।

খ্ীষ্টাৰ ১৮৮২-৮৩ : সাহিতা-সমাশ্লোচনা ১৫৯

পরোক্ষভাবে তাহার সমর্থন খুঁজিতেছেন। মহাভারতের আখ্যাদ্ধিক1 আলোচন। করিয়া তিনি বলিলেন, “কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে পাগুবদিগের জয় হইল, তখনই মহাভারতের যথার্থ ট্রাজেডি আরস্ত হইল। তাহারা দেখিলেন জয়ের মধ্যেই পরাজয়... কয়েক হস্ত জি মিলিল্ল বটে, কিন্ত হৃদয়ের দাড়াইবার স্থান তাহার পদভল হইতে ধসিয়া গেল, বিশাল জগতে এমন স্থান মে দেখিতে পাইল না যেখানে সে তাহার উপার্জিত উদ্যম নিক্ষেপ করিয়া সুস্থ হইতে পারে; ইহাকেই বলি ট্রাজেডি” “বিষবুক্ষ' সঙ্গদ্ধে আলোচনা উত্থাপন করিয়া বলিলেন, “সর্ধমুখীর সহিত নগেন্দের শেষকালে মিলন হইয়া গেল বলিয়াই কি বিষবুক্ষ ট্রাজেডি নহে ?-." কুন্দনন্দিনীর সমস্ত শেষ হইয়া গেল বলিয়া বিষবৃক্ষ ট্রাজেডি নহে__ কুন্দনন্দিনী তো ট্রাজেডির উপলক্ষ মাত্র। নগেন্্র স্ুর্দমুখীর খিলনের বুকের মধ্যে কুন্দনন্দিনীর মৃত্তা চিরকাল বাচিয়া রহিল। ইহাই ট্রাজেডি।”

বউঠাকুরানীর হাটে স্থুরমার মৃত্ভা বসম্থ রায়ের হত্যাকাণ্ডের দ্বারা ট্রাজেডি হয় নাই; ইহা ট্রাজেডি তখনই, যখন উদয়াদিত্য পিতৃসি'হামন ত্যাগ করিয়া চলিয়! গেলেন। মহারাজ প্রতাপাদিত্যের বিজয়দন্ডের মধ্ো যে অসীষ্ন শূন্যতা সষ্ট হইল ট্রাজেডি সেইখানে আর নিবোধ রামচন্দ্র রায়ের দ্বিতীয় বার দাবপরিগ্রহের মহোৎসব ক্ষেত্র হইতে সার্বী বিভা ফিরিয়া গেলে বামচন্দ্র বায়েরু অস্থরের মধ্যে যে গভীর বেখাপাত হইল্‌, সেখানে উপন্যাসের যথার্থ ট্রাজেডিত্ব মেঘনাদবধ্ধ কাব্য উপলক্ষ করিয়া রবীন্দ্রনাথ ট্রাজেডি সম্বন্ধে যে আলোচনা করিলেন ভাহার অন্যতম উদ্দেশ ছিল বউঠাকুধানীর হাট মে ট্রাজেডি ভাহারই প্রমাণ সমর্থন |

বঙ্ষিমের উপন্যাসই ছিল এই সময়ে গল্পরচনার আদর্শ, শিক্ষিত সমীজের পাঠা রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং উপন্নাস লিখিয়াছেন, সেইজন্য বঙ্সিমের উপন্যাপকে ক্রিটিকের চক্ষে বিচার কলা হাহার পক্ষে স্বাভাবিক 3 গায় সহসাময়িক একটি রচনায়» তিনি লিখিতেছেন, “বঙ্গিমবানু যখন ছুর্গেশনন্দিনী লেখেন তখন তিনি যথার্থ নিজেকে আবিৰার করিতে পারেন নাই কেহ যদি প্রমাণ করে যে, কোনো একটি ক্ষমতাশালী লেখক অন্য একটি উপন্ধাস অনুবাদ বা রূপান্তরিত করিয়া ছুর্গেশনন্দিনী রচন] করিয়াছেন, তবে তাহ] শুনিয়া আমরা নিতান্ত আশ্চর্য হই না। কিন্ধ কেহ যদি বলে, বিষবুক্ষ চন্দ্রশেখর বা বঙ্কিমবাবুর শেষবেলাকার লেখাগুলি অহ্করণ, তবে সে কথা আমরা কানেই আনি না।” ববীন্দ্রনাথ ইতিপূবে মেঘনাদবধ কাবা প্রবন্ধে বস্ষিমের বিষবুক্ষ সঙ্থদ্ধে সামান্য আলোচনা করিয়াছিলেন

আমাদের আলোচা পর্বে বঙ্কিমের “আনন্দমঠ'১ বাহির হয়; এই উপগ্যাম সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথের বাক্তিগত মত তিনি চন্দ্রনাথ বন্থৃকে পত্রযোগে জাপন করেন, তাহা তখনো! প্রকাশিত হয় নাই। “আনন্দমঠ' সাহিত্য হিলাবে কবির ভালো লাগে নাই; তাহার মতে বঙ্কিমচন্দ্র যেখানে 11701514491-এর চরিত্র ফুটাইয়া তুলিবার চেষ্টা করিয়াছেন, সেইখানে তিনি চমত্কার সফপ হইয়াছেন; তাহার শক্তির যথেষ্ট পরিচয় দিয়াছেন কিন্ধ যেখানে মানুষের সমষ্টি লইয়া নাড়াচাড়া করিয়াছেন সেইখানে সমস্তটা একটা পিগুবৎ তাল পাকাইফা! গিয়াছে, কোনে! বাক্তিব' শ্বাতছ্থায বক্ষ করিবার চেষ্টা আদে দেখিতে পাওয়া যায় না। আনন্দমঠের সমস্ত “আনন্দ'গুলিই যেন এক রকমেরই। একটা প্রকাণ্ড 106৪ যে বিচিত্র মানবপ্রককতিকে 16৬০1০০০-এর মধো নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রীভূত করিয়াছে, তাহাদের প্রকৃতিগত পার্থকা, তাহাঙ্গের বিচিত্র কর্মপ্রবাছ, বিচিত্র ভাবপ্রবাহ, নানা শক্তির উন্মেষ যে একটা প্রকাণ্ড আবতে পড়িয়া একট! দিকে চলিয়াছে, বক্ধিমবাবু তাহ! দেখাইলেন কই কেন তিনি তাহার আনন্দগুলিকে বৈশিষ্ট্য দিলেন না।*

আননাদঠ, বঙ্গদর্শন চৈত্র ১২৮৭-জোষ্ট ১২৮৯। বউঠাকুয়ানীর হাট, ভারতী, কাত্তিক ১২৮৮-আস্থিন ১২৮৯

বিপিনবিহ্ারী গুপ্ত, পুয়াতম প্রসঙ্গ স্তাকতী, চৈত্র ১৩২৩। জর, সাছিতা, বৈশাখ ১৩২৪, পৃ ৭৪1 মোহিতলাল মজুমদার বন্ধিম সম্বন্ধে রবীন নাখের এই মতের তীর প্রতিবাদ করিয়াছেন জ. শনিবারের চিটি, আস্ষিন ১৩৩৮ | পুনশ্চ, বস্ছিমবরণ। পৌধ ১৩৪৩। ড্র. প্রীগোপালচ্জ রাজ, ব্ধিমচন্্র যবীন্নাথ পৃ ৪৭-৪৯।

১৬৬ ববীজ্জীবনী ধীষ্টাৰ ১৮৬২-৮৩

পাশ্চাত্য শিক্ষা সংস্কৃতির প্রভাবে যে মাছিত্যের উদ্ভব তাহারও যেমন বিচার প্রয়োজন, খাটি বাংল! হৃদয়ের কাবো যে-অনাবিল গীতরসধারা ঘুগষুগাস্ত হইতে উচ্ছ্বসিত হইতেছে সাহিত্যিকের হস্তে তাহারও সুবিচার প্রয়োজন পাশ্চাত্য কাব্যপাহিত্যবসতপ্ত বাঙালি শিক্ষিত-সমাজের সম্মুখে রবীন্্রনাথই বোধ হয় স্প্রথম দেশীয় কাব্যের সৌন্দর্য তাহার অনবচ্ধ ভাষা অনম্ুকরণীয় রীতিতে প্রকাশ করেন। তথাকথিত ভদ্রেতর গীত কাব্যের প্রতি তিনিই বাঙালির মনোযোগ আকর্ষণ করেন। “বাউলের গান: নামে সামান্ত একখানি গীতসংগ্রহের সমালোচনাস্থত্রে তিনি তাহার বক্তব্য লিখিলেন।

রবীন্দ্রনাথের অভিযোগ ষে আধুনিক বাংলা ভাষায় সচরাচর যাহা-কিছু লিখিত হইতেছে তাহার মধো যেন খাটি বিশেষত্ব খুঁজিয়া পাওয়া যায় না; বাঙালি-হৃদয়ের যথার্থ ভাব ভাষা আয়ত্ত করাই যদি আমাদের অভিপ্রায় হয়, তবে বাঙালি যেখানে হৃদয়ের কথা বলিয়াছে সেইখানে তাহার সন্ধান করিতে হইবে। সেইজন্য ঠিনি লিখিলেন, “গ্রামাগাথা প্রচলিত গীতসমূহ সকলে মিলিয়া যদি স'গ্রহ করেন, 'তবে বঙ্গভাষা সাহিত্যের বিস্তর উপকার হয়। আমরা আমার্দের দেশের লোকদের ভালো করিয়া চিনিতে পারি, তাহাদেপ স্থথ-ছুঃখ আশা- ভরসা আমাদের নিকট বিশেষ অপরিচিত থাকে না1” বঙ্গীয় সাহিতা পরিষৎ স্থাপিত হইলে তিনি গ্রাম গীত ছড়া ব্রতকণা প্রভৃতি সংগ্রহের জন্ত কী চেষ্টা করিয়াছিলেন, তাহ] সম্সামন্রিক 'সাহিত্য-পরিষৎ্-পত্রিকা' 'সাধন।' ধেখিলেই জানা যায়। শুধু সংগ্রহ করিয়াছিলেন বলিলে ভুল হইবে, এই ভদ্রসমাজ-অজ্ঞাত শিক্ষিত সমাজ-অবজ্ঞাত বিরাট লোকপাহিত্যের সাহিত্যিক রলবিচার দ্বারা তিনি সাহিত্যভাগডারে উহার স্থান নির্দেশ করিয়া দিয়াছিলেন। এহ গ্রস্থ সমালোচনাকালে কবি আরো! যেসব কথ! বলিয়াছিলেন, তাহা আমর! পরে আলোচনা করিব।

রবীন্দ্রনাথ স্পষ্টই বুঝিতে পারিতেছেন যে শিক্ষিত সমাজ ক্রমশই দেশের অস্থস্তল হইতে দূরে সরিয়া যাইতেছেন, দেবেশ ক্রমশই অপরিচিত হুইয়। পড়িতেছে। বুটিশ শাসন পাশ্চাত্য শিক্ষার ফলে দেশের মধ্যে শ্রেণীগত (০1855) বৈষম্য নৃতন ভাবে দেখা দিয়াছে। পূর্বকালে দেশের ধনী দরিদ্র, উচ্চ নীচের জ্ঞান বিশ্বাসের মধ্যে কমবেশির মাত্রাগত পার্ধকা ছিল, অর্থাৎ একই বিষয়ে একজন বেশি আর্-একজন কম জানিত। এক শ্রেণী একরূপ জানিত, অন্ত শ্রেণী অন্তরূপ জানিত-_ ধরনের ব্যবধান ছিল না, যাহাকে বলে ০0706110006 14693 | ইংরেজি-জানা ইংরেজি-নাজানা! লোকের মধ্যে জ্ঞানসমুদ্রের যে-দুস্তর ব্যবধান দেখা দিয়াছে তাহা পর্িমাণগত নছে, তাহা গুণগত পার্থক্য এই পার্থক্য বুলপরিমাণে ধনবৈবম্য-স্থত্টির জন্য দায়ী, শ্রেণাগত বৈরীবিষের কারণও এইখানে সন্ধান করিলে পাওয়া যাইবে এই জ্ঞানবৈষম্য হইতে দেশমধ্যে যে শামাজিক অর্থ পৈতিক অবশেষে রাজনৈতিক জটিল পরিস্থিতির উদ্ভব হইয়াছে, তদ্বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ বহুকাল হুইতে দ্লেশখাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়। আসিতেছেন। তিনি বার বার বলিয়াছেন দেশের লোকের অন্তবের সহিত পরিচিত হইতে না পারিলে, তাহাদের সুখ-দুঃখ 'আশী- আকাজ্ষ! উৎসব-বিনোদন প্রভৃতি সহজভাবে স্বীকার না করিলে দেশের সবাঙ্গীণ মঙ্গল-প্রচেষ্টা নিল হইবে। দেশকে জানা বলিতে যে কোনে! ৪8150806101,এর উদ্দেশে সাময়িক হদয়াবেগ প্রকাশ করা নহে এই কথাটি রবীন্দ্রনাথ “চেঁচিয়ে-বলা' “জিহ্বা-আক্ফষালন' 'স্টাশনাল ফাণ্ড প্রভৃতি সাময়িক রচনার মধ্যে অত্যন্ত তীত্রভাবেই বলিয়াছিলেন। এইসব সামগ্রিক উত্তেজনার উত্তরে রচিত প্রবন্ধের কথা ছাড়িয়। দিলে, তিনি যাহা তখনো বলিয়াছিলেন এবং পরেও বলিয়াছিলেন তাহার সারমর্ম হইতেছে এই যে, দেশের সাহিত্য যাহার মধ্য দিয়! মানুষ তাহার অন্তরের বাদী বলিবার চেষ্টা করিস়্াছে, সেই ভাষা ভাবকে বুঝিতে মার করিতে পারিলেই দেশকে জানা হয়; দেশ কোনোপ্রকার বাউলের গান। সংগীতসংগ্রহ। তারতী, বৈশাখ ১২৯ সমালোচন! (১২৯৪) পৃ ১২২। রবীন্তর-রচনাবলী, অচলিত সংগ্রহ ২, পৃ ১০১। পশ্চিমবঙ্গ সরকার-কর্তৃক প্রকাশিত রবীক্স-রচনাবলী ১৩) পূ ৬৪৩। সংগীতচিন্ত। ( বিবভারতী ১৯৬৯ ), পরিশিষ্ট পূ ২৬৫ |

খ্রষ্টাৰ ১৮৮২-৮৩ সাহিত্য-সমালোচনা ১৬১

80901800107, নহে। ইংরেজি শিক্ষার ফলে দেশের আর-যাহাই মঙ্গল হউক-ন! কেন, প্রধানতম অমঙ্গল হইয়াছে দ্নেশের নাড়ীর সঙ্গে দেশের মাটির সঙ্গে শিক্ষিত সমাজ বা £0611186208-র অন্তরের যোগ ছিন্ন হইয়া শ্রেণীগত সমাজ সি করিয়াছে। এই সময়ের কয়েকটি প্রবন্ধের মূলগত তত্ব ছিল এই কথাটি।

ববীন্্রনাথ বাংলার দেশজ প্রাচীন গ্রাম্য কবিদের প্রতিভ! বৈশিষ্ট্য ক্বীকার করিলেন, তেমনি বাংলার তৎকালীন নবীন উদীয়মান কবি-প্রতিভাদের কাব্যপ্রচেষ্টাকে যখাধখ সম্মান দান করিলেন। আধুনিক কবিদের আক্রমণ করিক্ন! ভারতীতে “অ+ স্বাক্ষরিত দুইটি প্রবন্ধ; প্রকাশিত হয়; রবীন্দ্রনাথ তাহার 'প্রত্যুত্তরে' নবীন লেখকদের প্রগতিপরায়ণ মনের মতের প্রশংসাবাদ করিলেন। রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং এখন নব্য কবিদের অন্কতম, সুতরাং সমশ্রেণী কবিদের পক্ষ সমর্থন করা কর্তব্য জান করেন। এই প্রবন্ধে তিনি বলিলেন যে প্রাচীনকালের তুলনায় আধুনিক ষুগের কবিদের প্রতি নিন্দা বর্ণের কারণ কিছুই নাই। উদ্দাহরণস্বক্ধপ উভয় যুগের প্রেমবর্ণনার তুলনামূলক সমালোচন| করিয়া বলিলেন, প্রেমের যে বীভৎস ব্ণনি। বিষ্ানুম্দরে খাটি বাঙালি কবির নিদর্শনক্ধপে উদ্ধৃত হয়, তাহা অপেক্ষা “আজকালকার এই প্রকাশ্ত যুক্ত নির্ভীক অলংকারবাহুল্যবিরহিত কালাপাহাড়ীভাব” বিদেশ ভাবাপন্ন হইলেও সম্থ করা যায়। এই নৃতনকে সাহিত্যক্ষেত্র হইতে অপসারিত করা যাইবে না। ইংবেজি শিক্ষার প্রভাৰে সমাজজীবনে যে বিপ্লব সাধিত হইতেছে, সাহিত্যক্ষেতঅ্রে অবশ্ন্তাবীব্ূপে তাহান্র ফল দেখা দিবেই সমাজের রীতি নীতি কালধর্মে পরিবতিত হয়, সাহিত্য সেই পরিবর্তনকে মানিয়া লয় যখন যুগধর্মপ্রভাবে সব-কিছুরই পরিবর্তন হুইল আর একমাত্র সাহিত্যের মধ্যে মানুষের মন থাকিক্তা গেল প্রাচীনের নিগড়ে বাধা, ইহ] কখনও ম্বাভাবিক নহে, সম্ভবও নহে এই মতবাদ প্রকাশ করিবার জন্ম সে যুগের তকণ সাহিত্যিকগণ নিশ্চয়ই রবীন্দ্রনাথের নিকট কৃতজ্ঞ ছিলেন, কারণ তকণদের মনের কথা এমন হুযুক্তিপূ্ণ স্পষ্টতার সহিত বলিবার ক্ষমতা আর কাহারে ছিল না।

দেশজ গ্রাম্য কবিদের প্রশংসা করিলেন, নবীন লেখকদের সমর্থন করিলেন ; ইহার হ্বারা কেহ ঘেন মলে না করবেন, রবীন্দ্রনাথ উভয় পক্ষকে তুষ্ট করিয়! স্বয়ং স্ততিবাদ অর্জন করিতেছেন। কাহাকেও তু করিবার অভিপ্রান়্ হইতে ববীন্্রনাথ খুব কম বচনাই লিখিয়াছেন; তিনি সাহিত্যকে রসের দিক হুইতে, শৌন্দুমর্ধব দিক হইতে বিচার কবিয়াছেন; রাষ্ট সমাজকে মঙ্গলের দিক হইতে দেখিয়াছেন। কী সাহিত্য, কী সম , কী ধর্মে আতিশযাকে রবীন্দ্রনাথ চিরদিনই নিন্দা করিয়াছেন ; কারণ আতিশধ্য সমগ্র সত্যকে কেন্ত্রচ্যত করিয়! অস্থন্দবকে প্রতিষ্ঠিত করে। রবীন্দ্রনাথের আর্টিস্ট মন আতিশযা অতুযক্তিকে কোনোদিন হ্বীকার করিতে পাবে নাই।

কিন্তু তাহার সাহিত্যজীবনের এই গঠনশীল যুগে লেখনী বর্যদা এই উচ্চনীতি মানিয্া চলে নাই। বিকুদ্ধ মত খগ্ডনম্থখের মত্ততায় নিজ মত স্থাপনের বাগ্রতায় তিনি যুক্তির মাত্রা সর্বদা রক্ষা করিতে পাবেন নাই। এই সময়ে প্রত্যেকটি বিষকে অত্যন্ত সুক্্ভাবে বিশ্গেষণপূর্ক আলোচনা! করিবার জন্য সমস্ত চিত্ত উদগ্রীব অপেক্ষায় উদ্ধুখ হইয়া থাকিত। বলিবার বৌকে সামান্ত বিষয় বৃহৎ হইয়া উঠিত। এইসব রচনা সত্যকে বথাধখভাৰে প্রকাশ করিতে পাবে নাই বলিয়া! ব্বীশ্্রনাথ সেগুলিকে তাহার সাহিত্যসংগ্রহ হুইতে সম্পূর্ণরূপে নির্বাদিত করিয়াছিলেন। যথাস্থানে আমর] সেই শ্রেণীর কতকগুলি প্রবন্ধের আলোচন! করিব।

অধায়ন রচনা এবং রচনা অধায্ন ঘুগপৎ্ চলে। বিচিত্র বিষয়ের গ্রস্থপাঠে ববীন্ত্নাথের অমীম আনন্দ) ইংবেজি বাংলায় নাটক-উপগ্তাস সাহিত্য-সমালোচনা তো৷ পড়েনই, ইছার সঙ্গে আছে বিজ্ঞানের গ্রন্থপাঠ সদ প্র অঃ অক্ষযচন্্র চৌধুরী ), দেশজ প্রাচীন আধুনিক কবি। ভারতী, আবা-শ্রাবণ ১২৮৯ ২. র:- রবীশ্রামাথ ঠাকুর). প্রতুান্তর, ভারতী। ভাগ ১২৮৯ পৃ ২২৭-৬২। বুবীজ-রচনাবলীডুক হয় দাই।

২১

১৬২ ববীন্রজীবনী ষ্টার ১৮৮২-৮৩

স্বীটের বাসায় থাকিবার সময় বিজ্ঞানের বই পড়িবার জন্য যুবক কবির তখন অত্যন্ত আগ্রহ সে সময়ে হক্স্‌্লি হইতে জীবতত্ব লক্ইয়ার নিউকোস্ব প্রভৃতির গ্রস্থ হইতে জ্যোতিবিষ্ঠ! নিবিষ্টচিত্তে পাঠ করিতেন জীবতত্ব জ্যোতিকতত্ব রবীন্দ্রনাথের কাছে চিরদিনই আনন্দের উত্স ছিল।১ ইংরেজিতে যাহা পড়েন বাংলায় তাহ! লিখিতে চান, কিন্ত পরিভাষার অভাবে বক্তব্য-বিষয় পরিফার করিয়া প্রকাশ করিতে পদে পদে বাধা পান। এই বিষয় জ্যোতিবিজ্্রনাথের সহিত আলোচন! হয় উভয়ে দেখেন ষে কোনো-এক ব্যক্তির দ্বার] বিজ্ঞানের পরিভাষা! গঠন কর! সম্ভব নহে) যদিই বা কেহ করেন, তবে তাহা সর্ববাদিসম্মত হইবে কেন। সুতরাং কোনো সাহিত্যিকপ্রতিষ্ঠান মারফত এই কার্ধ সংকলিত সম্পাদিত প্রচারিত হওয়া! উচিত; অথচ বাংলাদেশে তখন সেবপ প্রতিষ্ঠান ছিল না। যাহা নাই তাহাকে সষ্টি করিয়া তৃপিবার দিকে জ্োতিরিঞ্জনাথের প্রবল ঝেশকক। তিনি তৎক্ষণাৎ একটি প্রতিষ্ঠান গঠনের প্রস্তাব খুব বিস্তৃতভাবে লিখিয়া৷ ভারতীতে প্রকাশ করিলেন এই প্রস্তাবিত সভার নাম দেওয়া হইয়াছিল “কলিকাতা সারম্বত সম্মিলন” ।২ ১২৮৯ সাল আবণ মাসের তারিখে [১৭ জুলাই ১৮৮২ রবিবার ] জোড়ার্সাকোর বাড়িতে এই সভার প্রথম অধিবেশন হইয়াছিল। ডাক্তার বাঁজেন্দ্রলাল মিত্র সভাপতি হন; সহকারী সভাপতিগণের মধ্যে নায় পাই বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শৌবীন্্রমোহন ঠাকুর ছ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সম্পাদক নিযুক্ত হইলেন রুষ্ণবিহারী সেন রবীন্দ্রনাথ এই অধিবেশনে সভার নাম হয় “সাবস্বত সমাজ ।* “বাংলার সাহিত্যিকগণকে একত্র করিয়া একটি পরিষদ্‌ স্থাপন করিবার কল্পনা" তাহাদের মনে উদ্দিত হইয়াছিল। জীবনস্থৃতিতে কৰি লিখিতেছেন, “বাংলার পরিভাষা] বাধিয়া দেওয়া সাধারণত সর্বপ্রকার উপায়ে বাংলা ভাষা সাহিত্যের পুষটিসাধন এই সতার উদ্দেশ ছিল। বর্তমান বঙ্গীয়-সাহিতা-পরিষৎ্ড যে-উদ্দেশ্য লইয়া আবিভূ্ত হইয়াছে তাহার সঙ্গে সেই সংকলিত সভার প্রায় কোনে! অনৈক্য ছিল না।” মারম্বত-সম্মিলনের পরিকল্পনা লইয়া বোধ হয় উভয় ভ্রাতা কলিকাতার বুধমগ্ডলীর্‌ সহিত ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করিয়া নানারূপ আলোচনা করিয়াছিলেন; ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নিকট উপস্থিত হইলে তিনি নাকি বলিয়াছিলেন, হোমরা-চোমরা লোকদের লইও না, তাহা হইলে সব মাটি হইয়া যাইবে। ছোমরা-চোমরা| অর্থ বিদ্যাসাগর বোধ হয় বঙ্কিম-প্রমুখ ব্যক্তিদের সধন্ধেই প্রয়োগ করিয়াছিলেন ইতিপূর্বে বক্ষিম- চন্দ্র বঙ্গদর্শনে ( আষাঢ় ১২৭৯) বঙ্গীয় সাহিতা-সমাছের এক পরিকল্পনা প্রকাশিত হইয়াছিল; পরিকল্পনাটির উদ্ভাবক ছিলেন বিখ্যাত ভাষাতত্ববিদ্‌ বীম্‌স্‌ সাহেব, কিন্ তাহা কার্ধকর হয় নাই। বঙ্কিমচন্দ্র উৎসাহ দান কষেন বটে কিন্ত কল্পনার কোনে! রূপ দিতে পারেন নাই। পাচজনকে লইয়া কাজ করিবার শক্তি সময় বক্ধিমের ছিল না জানিয়াই বিদ্যাসাগর মহাশয় পূর্বাহে ছ্োতিরিজ্রনাথদের সতর্ক করিয়া দেন। তিনি ঘুবকদিগকেই উহা] গড়িয়া তুলিবার জন্য উৎসাহিত করেন। কিন্তু তাহা হইল না-_ হোমরা-চোমবারা নাম দিলেন, কাজে ভিডিলেন না; সভার, একমাত্র কর্মী থাকিলেন সভাপতি রাজেন্দ্রলাল মিরর তাহার সন্ধে রবীন্দ্রনাথ লিখিয়াছেন : “বাঁজেন্দলাল মিত্র সবাসাচী ছিলেন। তিনি একাই একটি মতা। এই উপলক্ষে তাহার সহিত পরিচিত হইয়া আমি ধন্য হইংয়াছিলাম। প্রাজেন্্রলালের শ্বতি মামার মনে যেমন উজ্জল হইয়া বিরাজ করিতেছে এমন আর- কাহারও নহে ।”

জীবনস্বতি পাঁুলিপি হইতে লীবনশ্থৃতি ১৩৭ নংস্করণ, পু ১৫৪, পাদটাকা ১৪ 1

জোতিরিজ্রনাথ ঠাকুর : কলিকাত।! সারস্থত সম্মিলন, ভারতী, জোষ্ঠ ১২৮৯।

নির্মলচন্ত্র চট্টোপাধায় : রবীন্দ্রনাথ সারশ্বত সমান, বিশভারতী পত্রিক কাতিকপৌধ ১৩৪০, পৃ ২১৬-২৪। জীবদস্থৃতি ১৬৬৪ সংস্যরণ, পৃ২৭৮৮১। আআ. মালতীপুখি রবীন্্র-জিজ্ঞাসা ১, পৃ ৪৮-৪৭ ববীনুনাণের হয।ক্ষরে এই সমাজের প্রতিবেদন লিপিবদ্ধ দেখা যায়

আষ্টাৰ ১৮৮২-৮৩ প্রভাতসংগীত ১৬৩

বোধ হয় বৈশাখ মাসটা (১২৮৯) এই ঘোরাঘুরি ব্যাপারেই কাটে; কিন্ত এই অল্পকালের মধ্যে মনস্থচরিতর সম্বন্ধে যথে্ অভিজ্ঞতা তাহারা অর্জন করিয়াছিলেন এবং সেই অভিজ্ঞতা হইতে লিখিলেন “বিজ্ঞতা”ং নামে প্রবন্ধ মৃহমধুর কশাধাতে সমাজের বিজ্ঞ জনগণকে তিনি এই প্রবন্ধে সমাদৃত করিলেন বিজ্ঞেরা সিধা জিনিসকে বাকা করিয়া দেখেন দেখান, সরল উক্তিকে অভিসন্ধি মতলবের ধাপ্সাবাজি বলিয়া সন্দেহ করেন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ মানুষের শাশ্বত ধর্মপ্রয়াসকে শ্রদ্ধা করেন, তাই তিনি বলিলেন, “ষে বিজ্ঞ সদহুষ্ঠানকে উপহাস করে তাহা অপেক্ষা যে সরল ব্যক্তি সদহষ্ঠানে চেষ্টা করিয়া অকৃতকার্য হইয়াছে, সে মহৎ? সংশয় করিয়া], বিদ্ধপ করিয়া, অসৎ অভিসন্ধি আবিষ্কার ককিয়া! অনেক বিজ্ঞ অনেক সৎকার্ধকে অস্কুরে দলিত করিয়া দিয়াছেন, অনেক তরুণ হৃদয়ের নবীন আশাকে তাহাদের হাশ্তের বিছ্যতাঘাতে চিরকালের জন্ত দঞ্জ করিয়াছেন ।”

যাহাই হউক ইহাদের পরিকল্লিত 'সারম্থত সমাজ" অস্কুরেই বিন হইল, কিন্তু বাঙালির জাতীয় জীবনে এই স্পন্দন সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয় নাই; অল্প কয়েক ব্খসর পরে বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষৎ (৮ শ্রাবণ ১৩০১) প্রতিষ্ঠিত হইল

গ্রভাতসংগীত

'বউঠাকুরানীর হাট'-এর শেষ কিস্তি ভারতীতে প্রকাশিত হইল ১২৮৯ আশ্বিন মাসে। ববীন্দ্রনাথ তখন জ্যোতিরিন্দ্রনাথের মহিত জাদুঘরের নিকট দশ নম্বর সদর শ্রীটের এক বাসায় থাকেন। সেইখানে একদিন এক অন্ুতপূর্ব আনন্দ-আবেগ কবির জীবনে নূতন স্থুর আনিয্লাছিল; সেই অদ্ভুত অনুভূতি সম্বন্ধে ত্রিশ বৎসর পরে জীবন- স্বতিতে লিখিয়াছেন, “সদর গ্রীটের রাস্তাট। যেখানে গিয়া! শেষ হইয়াছে সেইখানে বোধ করি ড্রী-স্ুলের বাগানের গাছ দেখা যায়। একদিন সকালে বারান্দায় দাড়াইয়! আমি সেইদিকে চাহিলাম। তখন সেই গাছগুলির পল্পবান্তরাল হইতে সৃধোদয় হইতেছিল। চাহিয়া থাকিতে থাকিতে হঠাৎ এক মুফ্কতের মধ্যে আমার চোখের উপর হইতে যেন একটা পর্দা সরিয়া গেল দেখিলাম, একটি অপন্দপ মহিমায় বিশ্বসংসার সমাচ্ছন্্, আনন্দে এবং সৌন্দর্যে সর্ত্রই তবঙ্ষিত। আমার হৃদয়ে স্তরে স্তরে যে-একটা বিষার্দের আচ্ছাদন ছিল তাহা এক নিযিষেই ভেদ করিয়া আমার সমস্ত ভিতরটাতে বিশ্বের আলোক একেবারে বিচ্ছুবিত হইয়া পড়িল। সেইদিনই “নির্ঝরের স্বপ্রভঙ্গ' কবিতাটি নির্ববের মতোই যেন উত্লারিত হইয়া] বহিয়া চলিল। লেখা শেষ হইয়া গেল, কিন্তু জগতের সেই আনন্দরূপের উপর তখনো যবনিক! পড়িয়া গেল না। এমনি হইল আমার কাছে তখন কেহই এবং কিছুই অপ্রিয় রহিল না” *শিশুকাল হইতে কেবল চোখ দিয় দেখাই 'অভান্ত হইয়া গিয়াছিল, আজ ষেন একেবারে সমস্ত চৈতন্ত দিয়া দেখিতে আরম্ভ করিলাম ।” এইটিই হইতেছে যেন নেই অন্ভূতির মর্মকখা। এই মনোভাব হইতেই 'প্রভাত উৎসব" রচিত।* “মাহযের ধর্মে'

প্রিয়নাখ সেনকে লিখিতেছেন, "আহি কিছুগিন থেকে 'সারন্ধত সমাজের হাঙ্গামা নিয়ে ভারি বান হয়ে পড়েছিলুম-_ এখনে। অল্প অল্প চলচে হাই আর আপনাদের সঙ্গে দেখা সাঙ্গাং প্রভৃতি হয়ে ওঠে শি” জীবনস্থ্রতি ১৩৫৪ সংস্করণ, গ্রন্থপরিচয়, পৃ ২৮*, পঞ্জথানি বোধ হয় কাড়িক ১২৮৯ সাপে লিখিত চিঠিপত্র ৮। পত্র২।পৃ২।

ভারতী, দোষ ১২৮৯, পৃ ৮৪৮৯1 সমালোচনা (১২৯৪ )পৃ২* রবীন্র- নী অচালিত সংগ্রহ ২, ৬৮-৭২।

নিধরের ্বপ্নগঙ্গ, প্রথম প্রকাশ, ভারতী, অগ্রহ্থাকণ, ১২৮৯ পৃ ৩৬১-৬৪। এই মাসেই ভার তীতে অক্ষরচক্্র চৌধুরী রচিত 'অভিষানিনী নির্ঝরিগী' কবিতাটি প্রকাশিত হয়। রবীশ্রুনাথের কবিঙাটি শুপিয়। অন্ময়চন্রেয় মনে যে-ভাধোর হয়, এই কবিতাটি তাহারই প্রকাশ। মেইজন্ত অঙ্গ চলর কবিতাটি 'প্রতা তসংগীত'-এর মধো মুজরিত হইয়াছিল পরবতী সংস্করণে পরিবজিত হয়|

& প্রতাড উৎসব, ভায়তী, পৌষ ১২৮৯, পূ ৪২১.২৩। রবীন্-রচলাবলী ১, পূ ৬২।

১৬৪ ঝবীন্রজীবনী রঃ খ্রীষ্টান ১৮৮২-৮৩

কবি লিখিয়াছেন যে “এই অবস্থায় চার দিন ছিলুম। চার দিন জগৎকে নত্যভাবে দেখেছি ।” প্রভাত উৎসব" কবিতাটি “নিঝ'রের স্বপ্রভঙ্গে'রে পরিপূরক বলা যাইতে পাবে; এই সুইটি কবিতাই যথার্থ গ্রভাতসংগীতের মূল কবিতা। জীবনম্থৃতির পাও্লিপিতে লিখিয়াছিলেন, "একটি অভূতপূর্ব অদ্ভূত হৃদয়স্ফৃতির দিনে নিধরের শ্বপ্নতঙ্গ লিখিয়াছিলাম কিন্ত সেদিন কে জানিত এই কবিতায় আমার মমস্ত কাব্যের ভূমিকা লেখা হইতেছে ।”

দশ বৎসর পরে ১৮৯২ সালে বোলপুর হইতে লিখিত একখানি পত্রে বলিতেছেন, «জগতে কেহ নাই, সবাই প্রাণে মোর'__ একটা বয়সের একটা বিশেষ অবস্থা যখন হৃদয়টা সবপ্রথম জাগ্রত হয়ে ছুই বাহু বাড়িয়ে দেয় তখন মনে করে দে যেন সমস্ত জগত্টাকে চায়। যেমন নবদন্তোদগত। রেণুকা [ কন্তা ] মনে করচেন সমস্ত বিশ্বসংসার তিনি গালে দিতে পারেন-- ক্রমে ক্রমে বুঝতে পারা যায় মনট] যথার্থ কি চায় এবং কি চায় না। তখন সেই পৰিব্যাপ্ত হৃদয়বাম্প সংকীর্ণ সীম। অবলম্বন করে, জগতে এবং জ্বালাতে আরস্ত করে। একেবারে সমস্ত জগৎটা দাবি কবে বসলে কিছুই পাওয়া যায় না-__ অবশেষে একটা কোনো-কিছুর ভিতরে সমস্ত প্রাণমন দিয়ে নিবিষ্ট হতে পারলে তবেই অসীমের মধো প্রবেশলাভ করা যায়। প্রভাতসংগীত আমার অন্তরপ্রকতির প্রথম বহিমুর্ধী উচ্ছ্বাস, সেইজন্তে ওটাতে আর কিছুমাত্র বাচবিচার বাধাব্যবধান নেই। এখনো আমি সমস্ত পৃথিবীকে একরকম ভালোবাসি-_- কিন্তু সে এরকম উদ্দামভাবে নয়-_ আমার ভালোবামার জ্যোতিষ্কলোক থেকে একটা দীপ্তি প্রতিফলিত হয়ে সমস্ত মানবের উপর পড়ে সেই দীপ্তিতে এক এক সময় পৃথিবীট] ভারি সুন্দর এবং ভাবি আপনার বোধ হয়।”

ইন্দিরা দেবীকে (১৯) লিখিত এই পত্রে নিরবের স্বপ্রভঙ্গের যে বিশ্লেষণ পাইলাম তাহার মধ্যে কোনো অলৌকিক অশুভূতিতত্বের কথ! নাই এই পত্র লিখিবার প্রায় বিশ বৎসর পরে জীবনস্থতি মন্থনকাগে এই ঘটনার মধ্যে অনির্বচনীয়তা আবিষ্কার করিয়াছিলেন; এবং আরো! বিশ বৎসর পরে 'মানবসত্য'* প্রবন্ধে প্রভাতসংগ্ীতের ব্যাখান করেন আরো গভীর এবং ব্যাপক পরিপ্রেক্ষিত হইতে এইসব উক্তি কবির নিজ জীবণদর্শন সম্বন্ধে মতবাধ ; কবিতার জন্ুমুহূর্তে কী প্রেরণা ছিল তাহ] কি পরবর্তীকালের ব্যাখ্যান হইতে জানিতে পারা যায়?

প্রভাতসংগ্ীতের এই ছুই কবিতার মধ্যে ধর্মের যে-নৃতন সংজ্ঞা পাই, তাহাকেই উত্তরকালে তিনি “মানুষের ধর্ম'ঃ আখ্যা দান করেন। পৃথিবীর মধ্যে মাহঘই জীবশ্রে্ট, মানুষই বিশ্বের কেন্দ্রে অধিষ্টিত। তাই সেদিনকার অশ্ভূতি মাচ্ষকে আশ্রয় করিয়া সার্থক হইয়াছিল; সে মানুষ নাম-বর্ঁণগোআাদির দ্বারা, ব্ছবিচিত্র সংস্কার দ্বারা আবুত-_- সহজ মানুষটিকে খু'ঁজিয়া পাওয়া যায় না।

শরৎকালে জ্যোতিরিন্্রনাথ তাহার পত্বী দাঞজিপিং-ভ্রমণে যান 5) শহর হইতে দূরে “রোজভিলা' নামে একটি নিতৃত বাসায় তাহারা আশ্রম্স নেন। রবীন্দ্রনাথ ভাবিলেন কলিকাতার ভিড়ের মধ্যে বিশ্বপ্রকৃতির যে-সৌন্দধ দেখিয়াছেন, হিমালয়ের উদ্দার শৈলশিখরে তাহা আরো ভালো করিয়া দেখিতে পাইবেন দাদা-বউদ্দিদির সহিত তিনিও দার্গিলিং গেলেন। দেবদারুবনে ঘুরলেন, ঝরনার ধারে বলিলেন, তাহার জলে স্নান করিলেন, কাঞ্চনশৃঙ্গের মেঘমুক্ত মহিমার দিকে তাকাইয়। রহিলেন-_ কিন্তু যেখানে পাওয়া হুসাধ্য মনে করিয়াছিলেন সেইখানেই কিছু খু'ঁজিয়া পাইলেন না। প্রভাতসংগীতের গান থামিয়া গেল, শুধু তার দুর প্রতিধ্বনি্বদূপ 'প্রতিধ্বনি' নামে একটি কবিত| তথায় লিখিলেন।

জীবনশ্মতি ১৩৪* সংস্যরণ, পৃ ২৭৮।

ছিয্পজাবলী গঞ্জ 8৫1 যোলপুয়, মঙ্গলবায়, « লো (১২৯৯)। জীবনস্বতিতে পত্রধানি উদ্ধৃত আছে। তাযায় কিয় পরিবর্তন দেখ! যায়।

মানবসজ। প্রবানী। বৈশাখ জোঠ ১৩৪, | জর. মানুনের ধর্ম, পরিশিষ্ট

মানুষের ধর্ম (85100919 1600965 ), কলিকাতা বিশ্ববিস্তালয় ১৯৩০

ষ্টাফ ১৮৮২-৮৩ প্রভাতগংগীত ১৬৫

রবীন্দ্রনাথ মনে করেন তাহার যেসব কবিতার অর্থ লইয়া! সমালোচকদের মধ্যে মতভেদ বিরোধ হয়, এই কবিতাটি তাহাদের অন্কতম | সেইজগ্য জীবনস্থতিতে তিনি ইহার অর্থ বহুবিষ্তাবে ব্যাখ্যা করিয়া বলিলেন, “আমল কথা হাদয়ের . মধ্যে ষে-একট। ব্যাকুলতা! জন্গিয়াছিল সে নিঙ্গেকে প্রকাশ করিতে চাহিয়াছে। যাহার জন্য ব্যাকুঙ্গতা তাহার আর কোনে! নাম খু'জিয়। না পাইয়া তাহাকে বলিয়াছে প্রতিধ্বনি ।”

কতবার 'মার্ভম্বরে শুধায়েছি প্রাণপণে অয়ি তৃমি কোথায় কোথায়

অমনি সুদুর হতে কেন তুমি বলিয়াছ “কে জানে কোথাম্ব।'

আশাময়ী, কী কথা, তুমি কি আপনহারা আপনি জান না আপনায়?

ইহাকেই কি কৰি পরধুগে মানসন্থন্দরী জীবনদেবতা বলিয়া অন্বেষণ করিয়াছেন ইহার উদ্দেশেই কি বলিয়াছিলেন, “আর কতদুরে নিয়ে যাবে মোরে, হে স্ন্দরী” অথবা “সিন্কৃতীরে' ইহাকেই দেখেন স্বপন-ঘোরে ?

প্রভাতমংগীতের কবিতায় তাহার কাবাজীবন ষেন প্রথম সমে আসিয়া! দাড়াইল। তকুণ কবি নিজের কাবোর মধ নিজ কবিজীবনের জিজ্ঞাসা তাহার যে-উত্তর পাইলেন তাহ 'পুনমিলন' কবিতার মধ্যে ব্ক্ত হইতে দেখি। এই কবিতায় কৰি তাহা স্বল্পকালের কাব্যজীবনের একটি সু বিশ্লেষণ করিয়াছেন-_- শৈশবে প্রকৃতির সহিত সহজ মিলন, যৌবনাগমে প্রকৃতির সহিত বিচ্ছেদ এবং পূর্ণযৌবনে তাহার সহিত পুনস্িলন। “শৈশবসংগীত' বাল্যকাল হইতে আঠারো বৎসর বয়স পর্যন্ত রচিত কাব্যসমূছের মধ্যে প্রকৃতির সহিত এই সহজ মিলনের অবস্থা হইতেছে কাব্যহথতির আদি যুগ। দ্বিতীয় অবস্থা হইতেছে 'ভগ্রহদয়' “সন্ধাসংগীতে'র যুগ, যখন “রুণ্র হদয়টার আবদারে অস্তরের সঙ্গে বাহিরের... সামঞ্বস্ত ভাঙিয়া গেল”, ইহা হইতেছে কাব্যপ্রীর সহিত বিচ্ছেদের যুগ ; অবশেষে একদিন রুদ্ধ বাব কোন্‌ ধাক্কায় হঠাৎ খুলিয়া গেল, তখন যাহাকে হারাইয়াছিলেন সেই মানসম্ন্দরীকে পাইলেন; শুধু পাইলেন তাহা নহে, বিচ্ছেদের ব্যবধানের ভিতর ' দিয়া তাহার পূর্ণতর পরিচয় লাভ করিলেন। তাহাই হুইল 'প্রভাতসংগীত'। পুনমিলন' কবিতাটিতে এই স্বরত্রয়ের বিশ্লেষণ পাই-_

সেই, সেই ছেলেবেলা আনন্দে করিছে খেলা প্রকৃতি গো, জননী গো, কেবলি তোষারি কোলে তাব পরে কী ধে হল-_- কোথা যে গেলেম চলে |... হৃদয় নামেতে এক বিশাল অবপ্য আছে, দিশে দিশে নাছিকে। কিনাৰা, তারি মাঝে হ'সু পথহারা! সে বন আধারে ঢাকা, গাছের জটিল শাখ! সত জেছের বাহ দিয়ে আধার পালিছে বুকে নিয়ে ।"..

১৬৬ ববীন্ত্রজীবনী গ্ীটাব ১৮৮২-৮৩

কাটালেম কত শত দিন , ভিয়মাণ সুখশাস্তিহীন। ইহার পর হদয়-অরণ্য হইতে হইল নিক্ষমণ-_ আজিকে একটি পাখি পথ দেখাইয়া মোরে আনিল অরণা-বাহিরে আনন্দের সমুজ্ের তীবরে। জীবনস্বতিতে লিখিতেছেন, “যাহাকে হারাইয়াছিলাম তাহাকে পাইলাম 1... আমার শিশুকালের বিশ্বকে প্রভা তসংগীতে যখন আবার পাইলাম তখন তাহাকে অনেক বেশি পাওয়া গেল। এমনি করিয়া প্রকৃতির সঙ্গে সহজ মিলন বিচ্ছেদ পুনমিলনে জীবনের প্রথম অধ্যায়ের একটা পালা শেষ হইয়া গেল।” মোহিতচন্দ্র সেন -সম্পাদিত কাব্যগ্রন্থে (১৩১০ ) প্রভাতসংগীতের স্থবটির নামকরণ হইয়াছে “নিগ্ষমণ' : সবীন্্রনাথ কাব্যথণ্ডের ভূমিকার জন্য যে-কবিতাটি ( নৈবেগ্ ১৫ )২ লিখিয়া দেন তাহার তাহার মধোও ইহারই মর্মকথা আছে__ আধার আসিতে রজনীর দীপ জেলেছিস্ু যতগুলি নিবা৪ রে মন, আজি সে নিবাও সকল ছুয়ার খুলি। আজি মোর ঘরে জানি না কখন প্রভাত করেছে রবির কিরণ, মাটির প্রদ্দীপে নাই প্রয়োজন-_ ধুলায় হোক সে খুলি $." শুন আজি প্রাতে সকল আকাশ সকল আলোক সকল বাতা তোমার হইয়া গাহে সংগীত বিরাট তুলি। নিবাও নিবাও রজনীর দীপ সকল ছুম্ার খুলি। রবীন্দ্রনাথ প্রভাতসংগীত সম্বন্ধে নানাভাবে নিমত প্রকাশ করিয়াছেন, সে আলোচনা আমরা ইতিপূর্বে করিয়াছি রবীন্্র-বুচনাবলীর প্রথম খণ্ডে প্রভাতসংগীতের “কবির ভণিতা" নামে যে 'নচনা” আছে তাহাতে বিশেষভাবে অনস্তজীবন, অনন্ভমরণ প্রতিধ্বনি কবিতা অরয়েরই ব্যাথান দেখা যায় একুশ বৎসরের কবিতাকে তিনি আটাত্তর বৎসরে কিভাবে দেখিতেছেন এই “ুচনা' সেই সাক্ষাই বহন করিতেছে যত সুন্দর, যত মহানই হউক, রবীন্দ্রনাথ কোনো ভাবনাকে মনের কোণে স্থায়ীভাবে বাসা বাধিতে দেন না। তাহার বিরাট বাক্িত্ব বিচিত্র রসধারায় পুষ্ট ক্ষীণ অন্পষ্ট শিশু ভাবনাগুপি ধীরে ধারে রূপ গ্রহণ করে, গতি

ফু

“শিক্ঞমণ' কাবাধণ্ডে নিক্ললিখিত কবিতাগুলি আছে: নিঝরের শ্বপ্নতঙ্গ প্রভাত-উৎসব। অনন্ক জীবন। পুনরিলন। ল্লোত। গ্রতিষ্যনি। অধিকাংশই সম্পাগিত সংক্ষেপিত। ২. জাধার আসিতে রজনীর দীপ নৈবেছ, রবীন্র-রচনাবলী ৮, পৃ ১৮।

খষ্টান্ষ ১৮৮২-৮৩ | প্রভাতসংগসীত ১৬৭

শক্তি অর্জন করে, মনোরাজ্যে বৃহৎ প্রবাহ স্থষ্টি করে-_ সাহিত্যে নৃতন পথ বাহিয়া সেই স্থ্টিধার! চলিতে থাকে তাই প্রভাতসংগীতের আনন্দময় ভাবলোক হইতেও মুক্তির আকৃতি শোনা গেল কারণ সন্ক্যাসংগীতই বলো, আর প্রভাতসংগীতই বলো-_ উভয়ের মূল উৎস হইতেছে হৃদয়, সে-হদয় কখনে| ছুঃখে ভিয়মাণ, কখনো-ব! আনন্দস্থথে মত্তর। উভয় আন্দোলনেই হৃদয়ের চরম আতিশয্য প্রকাশ পাইয়াছে ; তাই প্রভাতসংগীতের শেষে বাহিরে চলিবার জন্ত এত উদ্বেগ-_

জগত-নোতে ভেসে চলো, যে যেথা! আছ ভাই !

চলেছে যেথ! রবিশশী চলো রে সেথা যাই ।১ কিন্ত কবির চলিবার ইচ্ছা নাই-_ ;

মনেতে সাধ যে দিকে চাই কেবলি চেয়ে রব।

দ্বখিব শুধু, দেখিব শুধু, কথাটি নাহি কব।২ প্রভাতপংগীত 'সমাপন”* কবিলেন-_

আজ আমি কথা কহিব না। আর আমি গান গাহিব ন!

বলিয়া। এবার তিনি দেখিবেন, কেবল দেখিয়া চাহিয়া! আনন্দে নিমগ্র থাকিবেন। সেই আনন্দ-আবেগে 'সাধ?ঃ হইতেছে__

আধার কোণে থাকিস তোরা, জানিস কি রে কত সেস্ুখ

আকাশপানে চাহিলে পরে আকাশপানে তুলিলে মুখ নিজ হৃদয়ের ছুঃখ-নুখের উদ্দেগ-উচ্ছবাস হইতে মুক্তি পাইয়া বাহিরে মুখ তুলিতেই পৃথিবীর বিচিত্র ছবি তাহার মু নেত্রে উদ্তাসিয়া উঠিল, তখনই খাহার সাহিতাক্ষেত্রে নৃতন রূপ নৃতন স্থরের উৎস দেখা দিল "ছবি গানের মধ্যে।

'প্রভাতসংসীত' পুস্তকাকাবে প্রকাশিত হইল ১২৯* সালের বৈশাখ মামে (মে ১৮৮৩)। গ্রন্থখানি উপহার দেন 'শ্রমতী ইন্দিরা দেবী প্রাণাধিকান্থ'কে। তখন ইন্দিরার বয়স দশ বৎসর মাত্র। ভুদেৰ মুখোপাধ্যায় সে-যুগের খ্যাতিমান চিন্তাশীল সাহিত্যিক তিনি তাহার “এডুকেশন গেজেট সাধ্াহিক বারাবহ পত্রিকায় (২ আধা ১২৯০ ) যে দীর্ঘ সমালোচনা প্রকাশ করেন তাহ! ব্বীন্দ্রনাথের অন্ততম প্রধান কাব্যের আদি-সমালোচন। হিসাবে এখনো! কৌতুহলোদ্ষীপক মূল্যবান তিনি কৰিকে প্ররূত 'আর্ধ কবি' বলিয়া অভিনন্দিত করেন।* আমবা এযাবৎ কাপ রবীন্দ্রনাথের তিনটি কবিতার বই সন্বদ্ধে আলোচনা করিয়াছি-_- শৈশব-সংগীত সন্ক্যাসংগীত

প্রভাতসংগীত। সবগুলিকেই 'সংগীত' আখ্যা দেওয়ার বিশেষ কোনো তাৎপধ আছে কি না সন্ধান করা প্রয়োজন সংগীত অর্থে সাধারণত গানই বুঝায়; কিন্তু আলোচা কাব্যগুলির মধ্যে কণগেয় গীত নাই। অথচ তাহাদিগকে সংগীত বলা হষ্টয়াছে। ইংরেজিতে ঘাহাকে লিরিক (1510 বলে, তাহার অনুবাদ করা হয় গীতিকাব্য। লিরিক শষ্টির মূল হইতেছে গ্রীক; 19: বা এক শ্রেণীর বীণামস্্র সাহাঘো গ্রীকৃরা হুর কিয়া

শ্রোত, তত্বোধিনী পত্রিকা, ১৮*৫ শক বৈশাখ (১২৯*)। প্রভাতসংগীত। রবীঞ্জ-রচমাধলী ১, পৃ»৩। চেয়ে থাক প্রভাঙসংশীত, রবীঞজ্জ-রচনাবলী ১, পু ৯৩।

সমাপন, প্রভাভনংগীত, রবীজ-য়চনাধলী ১, পূ ১*১।

সাধ, ভারভী, দৈশাখ ১২৯*। প্রভাতসংগইত, রধীন্-রচনাবলী ১, পৃ ৯৮

দ. জীবনস্থতি, গ্ন্থপরিচয়, পূ ২৫৭-৬* | জ. বিশু মুখোপাধায় -সম্পাদিত রবীন্াসাগয়্ সগষে পূ ১২-৯৮।

১৬৬ ববীন্ত্রজীবনী শ্রীাক ১৮৮৩

ছন্দোময় পদ আবৃত্তি করিত বলিয্! ক্রমে অন্তর্বিষস্ী কবিতামাত্রকে লিরিক নামে অভিহিত কর হয়; সেইজন্ই বোধ হয় রবীন্দ্রনাথ লিব্িকের অনুবাদ “সংগীত করিলেন

কালম্বগয়া

স্করগ্ীন সংগীত বা লিব্বিক কবিতা! লিখিলেও যধখার্থ স্বরসংগীতের সাধনা যুগপৎ চলিতেছে জ্যোতিরিজ্্রনাথের সরক্িব সাধনায় ভাব! দান করিয়া সংগীতের স্যট্টিকার্ধ কিভাবে শুক হইয়াছিল, বাল্মীকিপ্রতিভার জন্ম-ইতিহাস আলোচনায় তাহার কথা বলিয়াছি। গত ছুই রৎসর বাল্মীকি প্রতিভা কয়েকবারই বাড়ির ছেলেমেয়েদের দ্বারা অভিনীত হইয়াছিল। এবারপও বিছুজ্জন-সমাগম সভার বার্ষিক অধিবেশনে শ্রেণীর একট] গীতনাট্য অভিনয়ের কথা উঠ্তিল। রবীন্দ্রনাথ বান্মীকিপ্রতিভার নৃতন পন্থায় উৎসাহ বোধ করিয়া “কালমৃগয়া'১ নামে নাটিকা রচনা করিলেন। রামায়ণে বধিত দশরধ কর্তৃক অস্ধমুনির পুত্র সিন্ধুবধের আখ্যান হইতেছে নাট্যের বিষয়। জোড়ার্সাকোর বাড়িতে তেতলার ছাদে স্টেজ বাঁধিয়া অভিনয় হইল।* রবীন্দ্রনাথ অন্মুনির, জ্যোতিরিন্্রনাথ দশরথের, হেমেন্দ্রনাথের পুত্র খতেন্্রনাথ কনা অভিজ্ঞা দেবী যথাক্রমে অন্ধমুনির পুত্র-কন্তার এবং পরিবারস্থ বালিকাগণ বনদেবীর ভূমিকা গ্রহণ করিয়াছিলেন

কালমৃগয়! এখন অচলিত গ্রন্থ) ১২৯২ সালে বালীকিপ্রতিভার নৃতন সংস্করণ তৈয়ারি করিবার সময়ে কবি কালমৃগয়ার বহু গান দৃশ্য স্থনিপুণভাবে বান্নীকিপ্রতিভার সহিত মিশাইয়! দিয়া উহাকে পূর্ব হইতে বহুগুণে স্ন্দর করিয়াছিলেন। ক্রিটিক রবীন্দ্রনাথেরই জয় হুইয়াছিল, কিন্তু আর্টিস্ট রবীন্দ্রনাথেরও পরাজয় হয় নাই ছুইটি অসম্পূর্ণ নাটক মিলাইয়া একটি অপরূপ সৌন্দর্যমণ্তিত নাটক তিনি রচনা করিলেন।

বান্মীকি প্রতিভার স্কায় কালমৃগয়ারও কয়েকটি গানের স্থর সম্পূর্ণ বিলাতী স্থরে ঢালা, বিলাতে থাকিতে তিনি ঘে কেবল বিলাতী সংগীত নৃত্যকলা শিখিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন তাহা নহে; দেশে সর্বোত্তম পাশ্চাত্য সংগীত শ্রবণের জন্য তাহার উৎসাহ ম্লান হয় নাই। কলিকাতায় কোনো যুরোপীয় বিখ্যাত সংগীতাচার্য বা বাদক আসিলে ববীন্দ্রনাথ প্রায়ই তাহাদের গানবাজন! শুনিতে যাইতেন।

সাধারণ গান ছাড়া ব্রক্ষসংগীত-রচনারও প্রয়োজন হইল; সম্মুখে মাঘোৎসব। কালম্গগয়ার “যাও রে অনস্তধামে মোহ-মায়৷ পাসরি' গানটি উৎসবে ব্রদ্ষসংগীতরূপে গীত হইল, ছাড়াও কয়েকটি নৃতন গান রচিত করিয়া দেন। প্রিরনাথকে পিখিতেছেন “এগারই মাঘের গান লইয়1 নিতান্ত বাস্ত আছি।”

“কালমৃগয়া” গীতিনাট্যর মধ্যে 'বনদেবী” নামে ষে অশরীবীদের (?) আবির্ভাব করাইয়াছেন, তাহা ইতিপূর্বে বাংলা

কালমৃগয়। (গীতিনাট্য ), অগ্রহায়ণ ১২৮৯ পৃ ৩৮ কালমৃগয়ার স্বরলিপি বালক, ভাঙ্র ১২৯২। আশ্বিন, কাঠিক, পৌধ সংখ্যা। প্রথম তিনটি দৃগ্ঠের স্বরলিপি প্রতিভা! দেবী -কৃত। কলমৃগয়া পৃথকভাবে যুদ্রিত পাওয়া যায় না; রবীন্র-রচনাবলী অচলিত সংগ্রহের প্রথম থণ্ডে পৃ ৩১৮-৩৮) পুনমুজিত হইয়াছে স্বরবিতান ২৯ খণ্ডে কালমৃগয্বার দ্বরলিপি প্রকাশিত হইয়াছে

৯» পৌষ ১২৮৯। ডিসেম্বর ১৮৮২ শনিবার | 4 0০97%618921076 1361785]1 961015015 85 15610 ৪৫ 00০ 11905৫ ০€738০০ [0০৮৪০019179 001758016৪০ ০. 65 10587817905 10£0165 91166 30195817100) 011 98091085 ৩৬০7108 18551177616 9৪৪ 2 18085 €90160176 01 06178811 29000159 41000 8170 00161 66101610617 4 80016 00610078778 61870110958 0৮116 হও] হাতে 985 55110061100 006 00০88101805 3800০ ৫৪017018780 788016, ত611-870জ7 6০ 00৩ 11815 %0101- 0006 018008 স৪৪ 08560 00017) 8 ৪605 100 006 [50069815820 41810808650 9616 26016550664 ৮5 00610610065 0119615801৩ 09038159 ০০81) 20816 81500605816, 4801 055 চ5৫5 আত 9৫1] 555051064.- 16 9সাঞজ 27 0৩6 1982, 08০66৫ 6০755161665 5585 89০? 0027 06০. 1932,

গা ১৮৮৩ কারোয়ার : প্রকৃতির গ্রতিশোধ ১৬৯

দ্বেশের নাটকে বা! বঙ্গমঞ্চে অজ্ঞাত ছিল, কালমুগয়ায় বনদেবীগণ নাটকের পাঁ্ভূমি রচিতেছে ) সংখ্যায় তাহারা চাবিজন-_ গান কখনো একক, কখনো! মিলিত বনদেবীগণ নাচে, “নাচিৰ সখিসনে, নৰ ঘন উৎসবে ।” নাটকে ঘটন! ট্রাজেডির দিকে যাইতে দেখিয়া উতকণ্ঠিত বনদেেবীগণ সাবধান বাণী উচ্চাবিছে। মুগন্সা-উন্মত্ত শিকাবীগণপের উপদ্রবে সকল বনভূমি উদ্বেজিত। বনদেবীগণ অমঙ্গল আশঙ্কা করিয়া বলিতেছে__ তিমির দিগতরি ঘোর যামিনী, বিপদ ঘন-ছায়া ছাইয়!। কি জানি কি হবে, আজি নিশীথে, তরাসে প্রাণ ওঠে কাপিয়া। অন্ধমুনির পুজ্বের বিপদ আশঙ্কা করিয়া তাহারা আধার রজনীতে নদীতে জল আনিবার জন্ত নিষেধ করিতেছে সিন্ধু দশরথের শব্ষভেদী বাণে নিহত হইলে বনদেবীগণ আর্তনাদ করিয়া গাহিয়া উঠিল-_ “হায় কি হল, হায় কি হল।” পীতিনাটোর শেষে খধিকুষারের মৃতদেহ ঘেরিয়া তাহাদের বিলাপ কৰিতে দেখ! গেল; তখন তাহার দেহধারণ করিয়াছে সংস্কত সাহিত্যে বনদেবীদের দেখ! যায় তাহারা অনেকটা গ্রীক 17501) বা অক্সরার ন্তায়। কিন্ত কালমৃগয়ায় বনদেবীগণ নাটকের গতি, পরিণতি সম্বন্ধে অত্যন্ত সজাগ আমাদের মনে হয় বনদ্বেবীগণ গ্রীক নাটকের কোরাসের দূর প্রতিধ্বনি এবং লৌকিক যাত্রা অভিনয়ের সখীদের সংস্কৃত রূপ আমরা প্রচলিত বাম্মীকিপ্রতিভায় বনদেবীদের দেখিতে পাই; বিশেষভাবে জান! দরকার ঘে প্রথম সংস্করণে বনদেবীরা ছিল না। কালমুগয়ার অনেকগুলি গান দৃশ্ঠ সামান্ত বদবদল করিয়া বাক্মীকিপ্রতিভার ছিতীয় পবিবর্ধিত সংস্করণ-ভুকত করিয়া দিলে নাটকচি অচলিত হইয়া যায় ; বু দশক উহা! প্রায় অজ্ঞাতই ছিল। তার পর ইন্দিরা দেবীর চেষ্টায় কালমগয়া পুনরায় তাহার যোগ্য স্থান প্রাঞ্ত হয়।

কারোয়ার : প্রকৃতির প্রতিশোধ

কালমুগয়া অভিনয় (২৩ ডিসেম্বর ১৮৮২ ) হইবার পক্ষকাল পরে সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর ছুই মাসের ছুটি লইয়া কলিকাতায় আমিলেন (৮ জানুক্ারি-৪ মার্চ, ১৮৮৩ )। সত্যেন্দ্রনাথ কখনে। জোড়ার্সীকোর বাটীতে থাকিতেন না, সাহেবী-পাড়ার কাছাকাছি দক্ষিণ কলিকাতায় সাধারণত বাসা ভাড়! করিয়া থাকিতেন। তাহার সন্তানদের পড়াইবার জন্ত জ্ঞানদানন্দিনী দেবী কলিকাতায় থাকিতেন প্রায় স্থায়ীভাবে মস্তানর] সেপ্ট জেভিয়ার লরেটোতে পড়িত। স্কুল-কলেজের ছুটি হইলে তিনি সন্তানদের লইয়। হ্বামীর কাছে যাইতেন। সতোন্্রনাথদের সহিত অনেক সময়েই জ্যোতিরিজ্্নাথ সম্ত্রীক রবীন্দ্রনাথ বাস করিতেন। জ্যোতিরিজ্জনাথ নিঃসস্তান, ববীজ্রনাথের তখনো বিবাহ হয় নাই।

রবীন্দ্রনাথের বয়স এখন ( ১৮৮৩) বাইশ বৎসর-_ কোনো! নির্ধিষ্ট স্থান নাই খাকিবার, কোনো নির্দিষ্ট কাজ নাই কবিবার। সত্যেন্জনাথ আসিয়াছেন সেইজন্ত তাহাকে দক্ষিণ কলিকাতায় গিয়া মাঝে যাঝে থাকিতে হয়। কিন্তু সেখানে বান করা তীহার কাছে নির্বাসনের মতো] মনে হয়, কারণ “জায়গাটা জোড়ার্াকোর দ্দিক থেকে এত দূরে !”

এই কথাটি তিনি লেখেন তাহার বন্ধু প্রিক্লনাথ লেনকে, উত্তপ্ব কলিকাতায় গলির ষধ্যে তাহার বাস। প্রিষ্কনাথ সেনের সহিত তরুণ কবির পরিচয় লাহিত্যচর্চার মাধ্যমে “তগ্নহৃদ' পড়িয়। এই স্বতাব-ক্রিটিক সাহিত্যিক রবীজ্রনাথ

২২

১৭, রবীজদ্রজীবনী খ্রীষ্টান ১৮৮৩

সম্বন্ধে নিরাশ হন; কিন্তু সন্ধ্যাসংগীত পাঠ করিয়া কবির প্রতি আস্থা ফিরিয়া পান। প্রিয়নাথ ছিলেন সে-যুগের “আধুনিক সাহিতো'র পেল! নম্বর পড়ুয়্-_ বিলাতী নৃতন বই কেন! ছিল নেশার মতো পাশ্গাতা আধুনিক সাহিত্যের বহু সংবাদ রবীন্দ্রনাথ পাইতেন প্রিয়নাথের নিকট হইতে আমাদের আলোচ্য পর্বে ( জানুয়ারি ১৮৮৩ ) ফরাসী লেখক গোতিয়ের লিখিত 18401770156115 ৫০ 74501১10 নামে বইটি প্রিয়নাথ রবীন্দ্রনাথকে পড়িতে দেন। এই লেখকের আর্টের খাতিরে আর্ট ( &10 101 9165 58106 ) তত্বের কথা তাহার এত ভালো লাগে যে তিনি মেজদাদাকে বইটি পড়িতে দেন। রবীন্দ্রনাথ কিভাবে এই আর্ট সর্বস্ব মনোভাব হইতে কড়ি কোমলের কবিতাগুচ্ছ লেখেন, সে-কথা যথাস্থানে আসিবে সত্যেন্্রনাথ কলিকাতীয় যে কয়দিন থাকিতেন, বাড়িতে পার্টি, গ্লসার উৎসব পড়িয়। যাইত। বলা বাহুলা, রবীন্দ্রনাথকে এসব অনুষ্ঠানে থাকিতেই হইত। এই সময়ে সাহিতাচর্চার জন্ত এক 'সমালোচনী সভা" গঠিত হয়। সেটি পরবর্তী যুগের রবিবাসরীয় সভার অগ্রদূত-_ সদশ্রদের বাড়িতে বাড়িতে সভার অধিবেশন হইত। প্রথম সভা বসে অক্রুর দত্তের গলিতে “সাবিত্রী লাইব্রেরী আহ্বানে নগেন্্নাথ গুপ্ত, প্রিয়নাথ সেন প্রভৃতি অনেকেই উপস্থিত হন।১ এই “সমালোচনী সভায়” রবীন্দ্রনাথ ষে কয়টি প্রবন্ধ পাঠ করেন, তাহার কথা পরে আলোচনা করিব। যাহা হউক শৌখীন সাহিতাচ্গ ছাড়া কর্তব্য হিসাবে মাঘোৎসবের জন্ত বর্ধশেষ নববর্ধের জন্ঠ ব্রক্ষসঙ্গীত রচনা করিতে হয়। ১৮৮৩ সালের মাঘোৎসবের জন্ত কয়েকটি নৃতন গান রচিতে দেখি | কালমুগয়ার জন্ক রচিত “যাও রে অনস্ত ধাষে" (গীতবিতান, পূ ৬৩৩ ) ব্রহ্ষসঙ্গীত রূপে ব্যবহৃত হইল তাহা ছাড়া লিখিলেন-__ দেখ চেয়ে দেখ তোরা জগতের উৎসব (গীতবিতান, পৃ ৮২৮) কী করিলি মোহের ছলনে (গীতবিতান, পূ ৮২৭) বড়ো! আশা করে এসেছি গো ( গীতবিতান, পৃ ৮২৯) আজি শুভ দিনে পিতার চরণে ( গীতবিতান, পু ৮২৮) এইসব গান রচনা ওস্তাদের সহায়তায় সুরসংযোজনা, তার পর শেখানো সবই করিতে হয়। প্রিয়নাথ মেনকে এক পত্রে লিখিতেছেন, “এখন এগারই মাঘের গান লইয়া নিতান্ত ব্যস্ত আছি ।” ( চিঠিপত্জ ৮: পন্ধ ৫) কয়েক যান পরে বর্ষশেষ নববর্ধ (১২৯০ ) উপলক্ষে কয়েকটি গান বচিম্লাছেন। বর্ষ ওই গেল চলে (গীতবিতান, পৃ ৮২৯) প্রত, এলেম কোথায় (গতবিহান, পু ৮৩৭) সখা, তুমি আছ কোথা (গীতবিতান, পু ৯৪৭) এই প্রাণহীন গানগুলি রবীন্দ্রনাথ গীতবিতান সম্পাদনকালে বর্জন করিয়াছিলেন। বশর পৰে সেগুলি গ্রতবিতানের তৃতীয় খণ্ডে সংযোজিত হয সত্যেন্্নাথের ছুটি ফুরাইলে তিনি কারোয়ারে ফিরিয়া যান, সেখানে তিনি আছেন ২৯ মে ১৮৮১ সাল হইতে। ১৮৮৩ সালের মার্চ মাসে ফিরিয়া যাইবার পর, জ্যোতিবিন্দ্রনাথ কাদদ্বরী দেবী এবং রবীন্দ্রনাথ কারোয়ার যাত্রা করেন। জ্ঞানদানন্দিনী দেবীও সন্তানদের গ্রীক্মাবকাশের জন্য বিদ্যালয় বন্ধ হইয়া গেলে তাহাদের লইয়া চলিলেন। কাবোয়ার বোশ্বাই প্রেসিডেন্সির দক্ষিণাংশে স্থিত কর্ণাটের প্রধান শহর, এখন মহীশৃর রাছোর মধ্যে জীবনস্থতিতে

চিঠিপত্র ৮: পত্র ৩, পৃ ও। পুনশ্চ ব58570:87967 04062, 90706 02165260125 ) [80754151505 00৫০৮০2৫৬১6) 118 1927. 5431 তথাটির প্রতি পপুলিনবিহারী সেন দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

শ্রষ্টান্ঘ ১৮৮৩ কারোয়ার : প্রকৃতির প্রতিশোধ ১৭১

স্থানটি সম্বন্ধে আছে-_ “এই ক্ষুদ্র শৈলমালাবেষ্টিত সমুদ্রের বন্দরটি এমন নিভৃত, এমন প্রচ্ছন্্ ষে, নগর এখানে নাগরীমৃতি প্রকাশ করিতে পারে নাই। অর্ধচন্ত্রাকার বেলাভূমি অকুল নীলাগ্থুবাশির অভিমুখে ছুই বাহ প্রসারিত করিয়া! দিয়াছে-_ সে যেন অনস্তকে আলিঙ্গন করিয়! ধরিবার একটি মুতিমতী ব্যাকুলতা ! প্রশস্ত বালুতটের প্রান্তে বড় বড় ঝাউগাছের অরণ্য; এই অরণ্যের এক সীমায় কালানদী নামে এক ক্ষুপ্র নদী তাহার ছুই গিবিবন্ধুর উপকূলরেখার মাঝখান দিয়া সমুত্রে আসিয়া! মিশিয়াছে |” জজসাহেবের বাড়ি ব্রক্ষদেশের কাষ্ঠ দিয়া নিমিত, স্থুবৃহৎ না হইলেও স্বন্দর ; সমুদ্রতীরে তাহার ভিত্তিভূমি, এত কাছে যে বধার সময় সমুদ্রের ঢেউ বাংলোর সীমানায় আসিয়া তর্জন-গর্জন করিত 1১

“কারওয়ার কর্নাটকের প্রধান নগর ।.-" ইহা! সমূদ্রতীরবর্তী একটি স্বন্দর বন্দর, গিরিনদী উপৰনে স্থশোভিত |... প্রশস্ত বালুতটের প্রান্তে." জজের বাওলা-." সমৃত্রতীরে তাহার ভিত্তিভূমি, এত কাছে যে বর্ধার সময় সমুদ্রের ঢেউ বাওলার সীমানায় আসিয়! তর্জনগর্জন করিতে থাকে | জায়গাটার কেবল এক দোষ যে যাতায়াতের অস্থবিধ]। সপ্তাহে সপ্তাহে একট! মেল-গ্রীয়ার আমাদের ডাক বহন করিয়া আনিত। কিছুকাল পরে তার আসা বন্ধ হইল, তখন বর্যাকাপে কারওয়ান যেন বন্দীশালার মত বোধ হইত ।”২

কারোয়ারের প্রাক তিক দৃশ্ব রবীন্দ্রনাথের মনকে যেমন নান! দিক হইতে স্পর্শ করিতেছিল, পারিবারিক মিলনোৎসবও মনকে তেমনি আনন্দে পূর্ণ করিয়াছিল।

একদিন শুক্ুপক্ষের গোধুলিতে একটি ছোট নৌকায় করিয়া তাহারা কালানদী 'বাহিয়া উজাইয়া কিয়ন্দ গিয়াছিলেন ; সেখানে শিবাজিব একটি প্রাচীন গিবিছুর্গ দেখিয়া তাহারা নৌকা ভালাইয়! দিলেন। তীরে নামিয়া একজন চাষীর কুটিরে বেড়া-দেওয়া পরিষ্কার নিকানো আঙিনায় গিয়া তাহার] উঠিলেন। তার পর সমুদ্রের মোহনার কাছে আসিয়া পৌছিতে অনেক বিলগ্ব হইল। সেখানকার প্রারুৃতিক সৌন্দর্ঘ পরিবেশ কবির মনে গভীর রেখাপাত করে। ফিরিয়া! আলিবার পর তিনি 'পুপিমায়' নামে কবিতাটি লিখিয়াছিলেন।” কবিতাটি “ছবি গানের অস্তভুক্তি ছিল, কিন্তু মোহিতচন্্র সেন -সম্পাদিত কাবাগ্রন্থে উহা পরিত্যক্ত হয়। কবি সেটি বাদ দিয়াছিলেন তাহার কারণ কবির মনে হয় রচনাটি সার্থক হয় নাই। তিনি লিখিতেছেন, “কোনো সঙ আবেগে মন যখন কানায় কানায় ভরিয়া উঠে তখন সে লেখা ভালো হইতে হইবে এমন কথা নাই তখন গদ্গদ বাকোব পালা। ভাবের সঙ্গে ভাবুকের সম্পূর্ণ বাবধান ঘটিলেও যেমন চলে না তেষ্নি একেবারে অবাবধান ঘটিলেও কাবারচনার পক্ষে তাহ! অনুকূল হয় না। স্মরণে তৃূপিতেই কবিস্বের র$ ফোটে ভালো প্রতাক্ষের একটা জবরদস্তি আছে__ কিছু পরিমাণে তাহার শামন কাটাইতে না পাবিলে কল্পনা আপনার জায়গাটি পায় না। শুধু কবিত্বে নয়, সকলপ্রকার কাককলাতেও কাককরের চিত্তের একটি নিলিপ্রতা থাকা চাই-- মান্ষের অন্তরের মধো যে সৃষ্টিকর্তা আছে কর্তৃত্ব তাহাবই হাতে না থাকিলে চলে ন!। রচনার বিষয়টাই যদি তাহাকে ছাপাইয়া কর্তৃত্ব করিতে যায় তবে তাহা গ্রতিবিষ্ব হয়, প্রতিমূতি হয় না।”£

কালোয়ার্‌ বাস -পধটা কবির জীবনে সার্থক হুইয়াছিঙ্গ-_ কবিতা নাটক গানে পূর্ণ। গগ্ভরচনাও নিতান্ত কম নহে; তবে সেগুলি ব্যঙ্গ, শ্লেধে কণ্টকিত। কারোয়ার বান -কালে নিষ্ঈখচেতনা'« “নিশীথজগৎ”* 'যোগী*' কবিতাগুলি

লৃচনা : প্রকৃতির প্রতিশোধ, রবীন 'রচনাষলী ১, পৃ ১৬৩-২০৪।

আযষার বাল! কথ! আমার বোস্বাই প্রধান ১৯১৫, পু ১১৫-১৭।

পূর্ণিমাঞ্স, ভারতী, পৌধ ১২৯৯1 ছযিও গান। যবীশ্র-রচনাষলী ১, প্‌ ১৪৮। জীবনস্মতি (১৩৩৬ সংস্করণ ) পৃ ১৩১। « নিপীথচেতনা, ভারতী, আঘাঢ় ১২৯*। ছবি গান। রবীন্র-রচনাষলী ১, পৃ ১৫৮।

নিশখজগৎ, ভারতী, ফ্রাবণ ১২৯*। ছধিও গাঁন। রবীজ্র-য়চনাবলী ১, পৃ ১২।

যোগী, ভারতী, আশ্বিন ১২৯*। ছুছি গান। রবীজ-রচনাবলী ১, পৃ ১২৩।

১৭২ রবীজ্্জীবনী খ্রাটাব ১৮৮৩

লিখিত হয় বলিয়া আমাদের মনে হয়; 'পূর্ণিমায় কবিতার সহিত এই বচনাকয়টির ঘনিষ্ঠ সংযোগ আছে; “ছবি গানে'র অন্ত কবিতার সহিত ইহাদের সম্বন্ধ ক্ষীণ। কিন্তু কারোয়ার বান -কালে তাহার শ্রেষ্ঠ বচন! হইতেছে প্রকৃতির প্রতিশোধ? 1১ প্রকৃতির প্রতিশোধ “আমার হাতের প্রথম নাটক ষা গানের ছাচে ঢালা নয়। এই বইটি কাবো এবং নাটকে মিলিত।” এই কাবানাটা সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ বহুবিস্তারে আলোচন! করিয়াছেন ; সে-সব কথা বিচার করিবার পূর্বে নাটিকাটির গল্পাংশ সংক্ষেপে বিবুত করা প্রয়োজন প্রকৃতির প্রতিশোধের গল্পাংশ অতি সামান্ত। সন্ন্যাসী অন্ধকার গুহাবাসী। সর্ব ইন্দ্রিয়বিজয়ী মহাজ্ঞানী, সর্ব ভেদ্দাতেদ চুর্ণ করিয়া নিফাম। সমস্ত ম্রেহবন্ধন ছিন্ন কৰিয়! প্রকৃতির উপরে জয়ী হইয়। একান্ত বিশুদ্বভাবে অনম্তকে উপলব্ধি করিতে প্রম্নামী। বসে বসে চন্দ্র হুর্ধ দিয়েছি নিবায়ে, একে একে ভাঙিয়াছি বিশ্বের সীমানা, দৃশ্ঠ শব্ধ স্বাদ গন্ধ গিয়েছে ছুটিয়া, গেছে ভেঙে আশা ভয় মায়ার কুহক ।-.. ছায়াহীন নিফলঙ্ক অনস্ত পুরিয়। যে আনন্দে মহাদেব করেন বিরাজ, পেয়েছি পেয়েছি সেই আনন্দ-আভাস। তপন্ঠার বহুকাল পরে মন্যাসী গুহ! আগ করিয়া লোকালয়ে প্রবেশ করিয়া অত্যন্ত অস্বস্তি বোধ করিতেছে আলোক তো কারাগার, নিষ্ঠুর কঠিন | বস্ত দিয়ে ঘিরে রাখে দৃষ্টির প্রসর। সম্গ্যাসী অন্ধকার গুহায় বহুবর্ধ কাটাইয়াছে, সেই অন্ধপ্ুহাই ছিল তাহার কাছে সত্য। অন্ধকার স্বাধীনতা, শাস্তি অন্ধকার, অন্ধকার মানসের বিচরণভূমি, অনস্তের প্রতিরূপ, বিশ্রামের ঠাই। এক মুষ্টি অন্ধকারে সহি ঢেকে ফেলে, জগতের আদি অন্ত লুপ্ত হয়ে যায়। স্বাধীন অনস্তপ্রাণ নিষেষের মাঝে বিশ্বের বাহিরে গিয়ে ফেলে রে নিশ্বাস। জনপথ দিয়া নানা লৌক নানা! কথা নানা সমন্তার আলোচনা করিক্বা চলিয়াছে; ষঙ্্যাসী দেখে “বলে বসে সংসারের খেলা” তাহার কাছে এসব অত্যন্ত অদ্ভূত চঞ্চলতা বলিয়া মনে হয়। অপরাহ্ণ রাজপথে অস্পৃশ্ঠ রঘুর কল্মাকে দেখা গেলে চারি দিক হইতে “ছুয়ো না ছুয়ো না ওরে-- অনাচারী রঘু, তাহারি ছৃহিতা যে! -রব উঠিল। সকলের দ্বার! লাঙ্ছিত! হইয়া বালিক] সঙ্গ্যাসীয় আশ্রয় লইল। পথপার্থে ভগ্নকুচিরে বালিক! থাকে সন্গ্যাসী সেখানে গেল। বালিকাকে গভীর তন্বকথা বুঝায়। দুখ দুঃখ সে তো, বাছা, জগতের গীড়া। জগৎ জীবন্ত মৃত্যু-_ অনন্ত যন্ত্রণা !

'ীশান্তিকূদার দাশগুণ্ড : রবী নাটাপরিচয় ( ১৯৬৩) ১, পৃ ১-১৭।

গষ্টাষ ১৮৮৩ কাবোয়ার : প্রকৃতির প্রতিশোধ ১৭৩

মরণ মরিতে চান্স, মরিছে না তবু-_

চিরদিন মৃত্যুন্ধপে রয়েছে বাচিয়া। বালিকা তত্বকথ! শুনিয়া বলে, “কী কথা বলিছ পিতা, ভয় হয় শুনে”। নসন্যাসী সংসারী লোকেদের চপলতা লঘূতা দেখিয়া বিরক্ত; সে পিজগুহায় ফিরিয়া গেল। বালিক! সন্্যানীকে পিতা বলিয়া সম্বোধন করে, অনাথিনী তাহার লেহের প্রার্থা। সঙ্গ্যাসী হাসিয়া শ্গত বলে-_-“নিষ্কলঙ্ক হৃদয় স্েহরেখাহীন।” এই ক্ষুদ্র বালিকার স্সেহ তাহাকে স্পর্শ করিবামাত্র সে চঞ্চল হইয়া উঠে। বাপিকা তাহাকে যে-হ্ন্দর লতাগাছটি দেখাইতেছিল হঠাৎ ক্রোধভবে তাহাকে দলিয়া নষ্ট করিয়া! দেয়। কিন্তু তত্বজানী তখনই বুঝিল সে অন্ায় করিয়াছে

ক্ষুদররোষ, অগ্রিজিহব নরকের কীট ।.."

এতদিন অনাহারে এখনো মরে নি 1-*

হায়শ্মশান-সাঝে মৃতপ্রাণী বত

প্রাণ পেয়ে নাচিতেছে কঙ্কালের নাচ,

কেমনে নিশ্চিন্ত হয়ে বহি আমি আর! সন্রাসী গুহ ছাড়িয়া পর্তশিখরে চলিল ; পথে দুইজন শ্রীলোক গান করিতেছে ; সন্ন্যামী শুনিয়! বলে, “জগতেব্েে কেন আজ মনোহর হেরি।” গ্হাছারে ফিরিগা সন্গ্যামী দেখে বালিকা তাহারই অপেক্ষায় দাড়াইয়া। বালিকা গান গায়, সন্ত্যাসী ভাবে-_ *এ কী রে চলেছি কোথা, এসেছি কোথায় ।... সহসা চরণে কোথা লাগিবে আঘাত ওরে কোন্‌ অতলেতে যেতেছি তলাক়্ে বিনাশের মাঝখানে উঠিবি জাগিয়া” এইরূপে বালিকার ন্বেহপাশ তাহাকে জড়াইতে থাকিলে একদিন সবলে সে পাশ ছিন্ন করিয়া বাছির হইয়া পড়িল-__

চারিদিকে জড়াইছে অশ্রর বাধন,

প্রতিদিন কমিভেছে চরণের বল।

ছিড়ে ফেল্‌ ভেঙে ফেল্‌ চরণের বাধা

হেথা হতে চল্‌ ছটে আর দেরি নয়। স্্যাসী দূরে চলিয়! গেল। চষ্ষ্‌ মুদিয়া বলিতেছে-_

হয় বে শান্ত হও, াক সব দূরে-_

যাক দূরে, ধাক চলে মায়া-ম্ীচিকা।

এস এস অন্ধকার, প্রলয়সমূে

তথ দীপ্ত দগ্ধ প্রাণ দাও ভূবাইয় | ইতিমধ্যে বালিকা গুহ হইতে বাহির হুইয়া খু'জিতে খু'জিতে সঙ্গ্যানী সমীপে উপস্থিত হইল রা নিভিল

আয় বাছ। বুকে আয়, ঢাল অশ্রধারা-..

যেথ! ছিছ ফিরে যাই সেই গুহামাষে। সন্গযাসীর হৃদয় দেছার্ড হইয়াছে ; বালিকাকে লইয়। গুহার দ্বারে পুনরায় ফিরিল। কিন্তু মনে শাস্তি নাই-_

যে ধ্যানে অনস্তকাল মগ্ন ছব বলে

আমন পাতিয়াছিহ্ছ বিশ্বের বাছিরে,

আরম্ব না ছতে হতে ভেঙে গেল বুঝি

তার মুখ জাগে মনে সমাধিতে বসে

১৭৪ রবীন্রজীবনী খরীষ্টাঙ্খ ১৮৮৩

ক্রমে ক্রমে অন্ধকার মিলাইয়া যায়, জগতের দৃশ্ত ধীরে ফুটে ফুটে উঠে গাছপালা, হুর্যালোক, গৃহ, লোকজন কোথা হতে জেগে ওঠে গুহার মাঝারে। সন্ন্যাসী নিজের পরিবর্তন লক্ষ্য করিয়! উত্তেজিত হইয়া ওঠে বাপিকাকে ত্যাগ করিয়! সবেগে গুহা হইতে বাছির হইয়া গেল, বালিকা! মৃছিত হইয়া পড়িয়া থাকে অরণ্যে ঝড় বৃষ্টির মধ্যে রাজি কাটে কিন্ত বালিকার কথা লক্ন্যাসীর মনে পড়ে একটি কুটিরে মোরা বহিব দুজনে, বামায়ণ হাতে তারে শুনাব কাহিনী অল্পকাল পরে বাপিকার সন্ধানে ফিরিয়া যায় গুহাভিমুখে, পথে পথিককে বালিকার কথা শুধায়। গুহামুখে আলিয়া দেখে ধুলাত্র পতিত বালিকা, "হিম দেহ! নাঁ পড়ে নিশ্বাস_-।” সঙ্গ্যাসী চিৎকার করিয়া বলিয়া নয়ন-আনন্দ মোর, হাদয়ের ধন, স্বেহের প্রতিম। ওগো, যা, আমি এসেছি-__ বাছা, বাছা, কোথ! গেপি ! কী কৰিলি বে-_ হা হায়, কী নিদাকিণ প্রতিশোধ সন্ন্যালী মনে মনে ভাবিয়াছিল অনস্ত ষেন সব কিছুর বাহিরে কিন্ত সামান্ত অস্পৃশ্য বাপিক1 স্বেহপাশে বন্ধ করিয়! অনন্তের ধ্যান হইতে যখন তাহাকে সংসারের মধো ফিরাইয়া আনিল, সঙ্গ্যালী তখন দেখিপ ক্ষু্রকে লইয়াই বুহুৎ, সীমাকে লইয়াই অসীম, প্রেমকে লইম্াই নুক্তি। “প্রকৃতির প্রতিশোধের মধো এক দিকে যতমব পথের লোক, যতসব গ্রামের নবনারী-__ তাহারা আপনাদের ঘর-গড়া প্রাত্যাহক তৃচ্ছতার মধ্যে অচেতনভাবে দিন কাটাইয়া দিতেছে ; আর-এক দিকে সন্র্যাসী, সে আপনার ঘর-গড়া এক অসীমের মধ্যে কোনোমতে আপনাকে 5 সমস্ত-কিছুকে বিলুপ্ত করিয়া দিবার চেষ্টা করিতেছে ।”১ বুবীন্ত্রনাথের জীবনজিজ্ঞাসার সার কথা হইতেছে “বৈরাগালাধনে মুক্তি সে আমার নয়”_- এই নাটকে তাহার আভান দেল প্রথম | পরযুগে গানের স্থরে বলিয়াছেন, “সীমার মাঝে অসীম তুমি বাজাও আপন স্থর"__ সে-তত্বটি৪ এই নাটকের মধ্যে নিহিত আছে তত্বের কথা ছাড়ি! দিলে, সাহিত্যের দিক হইতেও কাব্যখানি বিচার্ষ ববীন্দ্রনাথ লিখিয়াছেন, “এই আমার হাতের প্রথম নাটক যা গানের ছাচে ঢালা নয়। এই বইটি কাব্যে এবং নাটো মিলিত সঙ্গ্যাসীর ধা অন্তরের কথা তা প্রকাশ হয়েছে কবিতায় সে তার একলার কথা। এই আত্মকেন্টিত বেরাগীকে ঘিরে প্রাত্যহিক সংসার নান! রূপে নানা কোলাহলে মুখরিত হয়ে উঠেছে এই কলবের বিশেধত্বই হচ্ছে তার অকিঞ্চিংকরতা এই বৈপরীত্যকে নাট্যিক বল যেতে পারে এরই মাঝে মাঝে গানের রসং

জীবনস্বৃতি।

প্রকৃতির প্রতিশোধ'-এর মধো কয়েকটি প্রধ্যাত গান আছে, ধেনন : ১. হাদে গে! নদ্দরানী ২. বুলি বেল! বহে যার ৩. বনে এমন ফূল ফুটেছে &. মরি লে! মরি ৫. যোগী হে, কে তুমি হাদি-আসনে ৬. মেখের! চলে চলে যায়। ছাড়াও কয়েকটি গান আ।ছে। অগ্গর়চন্ত্র চৌধুরী -রচিত 'জাজ তোমারে ধরব চাদ খচল পেতে প্রথম সংস্করণে (১৮৮৪) ভু কর! হয়।' পরে বঙ্জিত। প্রথম সংস্করণে 'জায় রে জায় রে মাঝের বা' গানটি ছিল রবীন্র-রচনাবলীতে বজিত। জ. গীতবিতান পৃ ৭৭৫1

প্ীষ্টান্ষ ১৮৮৩ ছবি গান পর্ব ১৭৫

এসে অনির্বচনীয়তার আভাস দিয়েছে শেষ কথাটা এই দীড়ালে! শূন্ততার মধ্যে নিবিশেষের সন্ধান ব্যর্থ, বিশেষের মধ্যেই সেই অসীম প্রতিক্ষণে হয়েছে রূপ নিয়ে সার্থক, সেইখানেই যে তাকে পার সেই যথার্থ পাক্স।”১

প্রক্কতির প্রতিশোধ" রচনাব পূর্বে কবি পুিমায়, ঘোগী, নিশীখচেতনা, নিশীখঙ্গৎ কবিতাগুলি লিখিয়াছিলেন বলিয়া আমাদের ধারণা। প্রকৃতির প্রতিশোধ' আলোচনাকালে জীবনস্বতিতে লিখিয়াছেন, “আমার অন্তরের একট! অনির্দেশ্টতাময়, অন্ধকার গুহার মধ্যে প্রবেশ করিয়া বাছিরের হজ অধিকারটি হারাইয়া বসিয়াছিলাম”__ সে-কথার আতান পাই 'নিশথজজগতে'র মধ্যে ; পাঠকগণ কবিতাটি পাঠ করিলে দেখিবেন এই নাটিকার একটা দিক ইহার মধ্যে নিতান্ত অম্পষ্টভাবে ব্যক্ত হয় নাই। কয়েকটি পঙ্‌ক্তি উদ্ধৃত করিতেছি-_

আধারে অরণ্যতূমি নয়ন মুদিয়া করিতেছে ধ্যান,

অসীম জাধার নিশা! আপনার পানে চেয়ে হারায়েছে জ্ঞান

মাথার উপর দিয়! উড়িছে বাছুড়, কাদিছে পেচক-_

একেলা রয়েছি বসি, চেয়ে শৃম্যপানে না পড়ে পলক

“নিশথচেতনা'র স্থর অন্তরূপ হইলেও ইহার মধ্যেও “নিশ্ঈথজগতে'ব দূরতর প্রতিধ্বনি শোন! যায়। “যোগী কবিতার যোগী যেন 'প্ররুতির প্রতিশোধ'-এর সন্ধ্যাসীর পুবাভাস। “পৃলিমায়” কবিতাটির পরিপ্রেক্ষপ৷ সম্পূর্ণ বিভিন্ন হইলেও ইহার স্থরের সহিত সন্ক্যাসীর অনন্তের ধ্যানের মূল খু'জিয়! পাওয়া যায়। আমাদের মূল প্রতিপাস্ত হইতেছে যে কবির মন 'প্রক্কৃতির প্রতিশোধ' লিখিবার জন্ত ধীরে ধীরে প্রস্তত হইতেছিল, এবং তাহার চিহ্ন তিনি কবিতাগুলির মধ্যে বাখিম্। গিয়াছেন।

প্রকৃতির প্রতিশোধ নাট্য সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ প্রমুখ সকলেই তত্বের দিক হইতে আলোচন। করি্াছেন। কিন্তু এই নাটকের মধ্যে লেখকের অজ্জাতে একটি বৃহৎ সামাজিক প্রপ্রের অবতারণা! করা হইয়াছিল। সেটি হইতেছে 'অচ্ছুৎ, সমস্কা। পশ্চিমভারত প্রবানকালে অস্পৃশ্ততা সম্বন্ধে কোনে কাহিনী শুনিয়া ব! পড়িয়া! থাকিবেন। তাহারই অভিঘাতে এই কাহিনী রচিত হয়। এই সামান্ধিক ব্যাধি আত্মকেন্দ্রিক অধ্যাত্বসংগ্রাম হইতে কম জটিল নহে। প্রন্কৃতির প্রতিশোধ নাটকের অধিকাংশই কবিতা, তবে গন্ত সংলাপও। তা ছাড়া নাটকটি সংগীতমুখর যধোলোটি দৃশ্যে ইহা বিভক্ত ; 'পঞ্চাঞ্ধ' নাটকও নহে। জ্ুতনাং ইহাকে বড় গল্প বা ছোট উপন্যাসের ন্যায় ক্ষুত্র-নাটক বলা যাইতে পাবে।

ছবি গান পর্ব

“কাত্োয়ার হইতে ফিরিবার সময় জাহাজে প্রকৃতির প্রতিশোধের কয়েকটি গান লিখিয়াছিলাম। বড় একটা আনন্দের সঙ্গে প্রথম গানটি জাহাজের ভেকে বলিয়া স্থর দিয়া-দিয়। গাহিতে-গাহিতে রচনা কবিয়াছিলাম-_

চি

দুচনা: প্রকৃতির প্রতিশোধ, রধীতা রচনাবলী ১, পু ১৬৩৬-২৪।

১৭৬ ববীন্দ্রজীবনী গরষ্টাৰ ১৮৮৩

হাাদে গে! নন্দবানী আমাদের শ্টামকে ছেড়ে দাও-..” ( জীবনম্তি )

১৮৮৩ সালের জুন মাসের শেষ দিকে কারোয়ার-অভিযাত্রীদল কলিকাতায় ফিরিয়! আসিলেন। জ্ঞানদানন্দিনীকে আমিতে হইল, সন্তানদের স্কুল গ্রীক্মাবকাশের পর খুলিয়াছে।

চৌরঙ্ষির নিকটবর্তী সাকুলার রোডের একটি বাগানবাড়ি ভাড়া লওয়া হইল। এই বাসার দক্ষিণ দিকে মস্ত একটা বস্তি ছিল। রবীন্দ্রনাথ অনেক সময়েই দোতলার জানালার কাছে বসিয়া সেই লোকালয়ের দৃশ্য দেখিতেন। তিনি লিখিয়াছেন, “তাহাদের সমস্ত দিনের নানাপ্রকার কাজ, বিশ্রাম, খেল! আনাগোনা দেখিতে আমার ভারি ভালো লাগিত-_ মে যেন আমার কাছে বিচিত্র গল্পের মতো হইত ।” এই সময়ে লিখিডেছেন “ছবি গান'-এর কবিতাগুলি এবং ভারতীর তাগিদে লিখিতেছেন গ্প্রবন্ধ। ভালো করিয়া বিচার করিলে দেখা যাইবে যে গ্চ- রচনাগুলি যেন কবিতাগুলির 21)01056515 ; কবিতাগুলি অত্যন্ত গস্ীর, গগ্যগুলি অত্যন্ত লঘু জগতকে ছবির স্তায় দেখিতেছেন, শিল্পীর ন্যায় আকিতেছেন-_ রেখা কোথাও গভীর নয়, কিন্ত লঘূতা কোথাও নাই। কিন্তু গণ্প্রবন্ধগুলির কোনোটিই গভীর নহে, সবই হালকা স্থরে বলা, সেইজন্য বলিতেছিলাম-_ গগ্যরচনাগুলি কবিতার 01700765131 কিন্ত ইহাকে অন্তভাবেও দেখা যাইতে পারে। কবি লিখিয়াছেন, “নানা জিনিসকে দেখিবার যে দৃষ্টি সেই দৃহি যেন আমাকে পাইপ! বসিয়াছিল।” সে দৃষ্টি কেবল “ছবি গান'-এব কবিতার মধ্যে সীমায়িত থাকে নাই, বিচিত্র বিষয়ের প্রুতি সে দৃষ্ট নিবদ্ধ এবং তাহার ফলে প্রবন্ধগুলি লিখিত হয়

নিজের রচনাকে রবীন্দ্রনাথ চিরদিনই শ্্ম বিশ্লেষণ করিয়াছেন “ছবি গান' প্রকাশের সাত বংসর পর জীবনের এই পর্ব সম্বন্ধে হুন্দর বিশ্লেষণ করিয়া যে-পত্র তরুণ প্রমথনাথ চৌধুরীকে লেখেন» তাহা সম্পূ্ণক্কপে উদ্ধৃতব্য-_

“আমার “ছবি গান' আমি যে কি মাতাল হয়ে লিখেছিলুম তোমার চিঠি পড়ে বোঝ1 গেল তুমি সেটি সম্পূর্ণ বুঝতে পেরেছ এবং মনের মধ্যে হয়তো অন্ততবও করচ। আমি তখন দিনরাত পাগল হয়ে ছিলুম। আমার সমস্ত বাহলক্ষণে এমন-সকল মনোবিকার প্রকাশ পেত যে তখন যদ্দি তোমরা আমাকে প্রথম দেখতে তো মনে করতে ব্যক্তি কবিত্বের ক্ষ্যাপামি দেখিয়ে বেড়াচ্চে। আমার সমস্ত শরীরে মনে নবযৌবন যেন একেবারে হঠাৎ বন্তার মতো এসে পড়েছিল। আমি জানতৃম না আমি কোথায় যাচ্চি আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্চে। একটা বাতাসের হিলোলে একরাহ্রির মধ্যে কতকগুলো ফুল মায়ামগ্রবলে ফুটে উঠেছিল, তার মধো ফলের লক্ষণ কিছু ছিল না। কেবলি একট। সোন্দধের পুলক, তার মধ্যে পরিণাম কিছুই ছিল না। তোমাদেরও বোধ হয় রকম অবস্থা হয়।

উড়িতেছে কেশ উডিতেছে বেশ, উদাস পরান কোথা নিরুদ্দেশ, হাতে লয়ে বাশি মুখে লয়ে হাসি ভ্রমিতেছি আনষনে-_ চারিদিকে মোর ব্সস্ত হাসিত, যৌবনমুকুল প্রাণে বিকশিত, সৌবভ তাহার বাহিরে আলিয়া রটিতেছে বনে বনে। “সত্যি কথা বলতে কি, সেই নৰযৌবনের নেশা এখনো! আমার হৃদয়ের যধ্যে লেগে রয়েছে “ছবি গান' পড়তে

সবৃজপত্র, শ্রাবণ ১৩২৪ | চিঠিপত্র ৫, পূ ১৩২৩৪ | শাগ্িনিকেতন, বোলপুর ২১ মে ১৮৯*। সো ১২৯৭।

্রষ্টাব্ষ ১৮৮৩ ছবি গান পর্ব ১৭৭

পড়তে আমার মন যেমন চঞ্চল হয়ে ওঠে এমন আমার কোনে! পুরোনো লেখায় হয় না। তার থেকে বুঝতে পারি সে নেশ! এখনে! এক জায়গায় আছে-_- তবে কি না, সে নেশা

[73900 ০5217 ০০০1০ 10138 ৪8০

[17 01১6 0660 061৬০ 1)6910.

"আমি সত্যি সত্যি বুঝতে পারি নে আমার মনে সথথছুঃখ-বিরহমিলনপূর্ণ ভালোবাস প্রবল, না সৌন্দর্যের নিকদ্দেশ আকাক্ষা প্রবল আমার বোধ হয় সৌন্দর্যের আকাক্া আধ্যাত্মিক জাতীয়, উদ্দাসীন গৃহত্যাগী; নিরাকারের অভিমুখী আর ভালোবাসাট! লৌকিক জাতীয় সাকারে জড়িত। একট! হচ্ছে 91১6115-র 9%51811:১, আর-একট! হচ্ছে ড/০915০910-এব 515181%1 একজন অনস্তহ্থধ] প্রার্থনা করছে, আর-একজন অনস্তস্থধা দান করছে স্থতরাং স্বভাবতই একজন সম্পূর্ণতার এবং আর-একজন অনশ্ূর্ণতার অভিমুখী যে ভালোবাসে সে অভাবছুংখপীড়িত অসম্পূর্ণ মানুষকে ভালোবাসে, স্থতরাং তার অগাধ ক্ষমা সহিষ্ণতা প্রেমের আবশ্তক__ আর যে সৌন্দর্যব্যাকুল, সে পরিপূর্ণতার প্রয়াশী, তার অনস্ত তৃষ্কা। মানুষের মধ্যে ছুই অংশই আছে, অপূর্ণ এবং পৃর্ণ_- যে যেটা অধিক করে অনুভব করে। আমার বোধ হয় মেয়েরা আপনার পূর্ণতা অধিক অনুতব করে ( এইজন্তে তারা যাকে তাকে ভালোবেসে সন্ষ্ঠ থাকতে পারে )। পুরুষরা আপনার অপূর্ণতা অধিক অনুভব করে এইজন্যে জ্ঞান বল, প্রেম বল কিছুতেই তাদের আর অসন্তোষ ঘোচে না কবিত্বের মধো মানুষের এই উভয় অংশ পাশাপাশি সংলগ্ন হয়ে থাকলেই ভালো! হয়, কিন্থ তেমন সামন্ত ছুর্লভ | না, ঠিক ছূর্লভ বলা যায না-_ তালো কবি মাত্রেরই মধ্যে সেই সামপ্রশ্ত আছে__ নইলে ঠিক কবিতাই হয় না। অসম্পূর্ণ 26৪1 এবং পরিপূর্ণ [1631 -এব মিলনই কবিতার সৌন্দর্য। কল্পনার 06150169651] 60106 ]14৩91-এর দিকে 7২০৪1-কে নিয়ে ষায় এবং অনুবাগের 06170006081 601০6 [০৪1-এর দিকে [3691-কে আকর্ষণ করে-_ কাব্যস্থফি নিতান্ত বিক্ষিপ্ত হয়ে বাম্প হয়ে যায় না এবং নিতান্ত সংক্ষিপ্ত হয়ে কঠিন সংকীর্ণতা প্রা হয় না। তুমি ঠিক বলেছ-_ 'আর্ম্বর' এবং 'রাহুর প্রেম” “ছবি গানে'র মধ্যে অপঙ্গত হয়েছে, এদের মধ্যে যে একটা তীব্রতা আছে অন্তান্ত গানের মধুরতার সঙ্গে তার অনৈক্য হয়েছে আরেকটা কবিতা আছে সেটা আর-এক রকমে অসঙ্গত-_ যথা 'পোড়ো বাড়ি? ।”

জগতের নানা বন্ধ বিষয়কে দেখিবার দৃ'তঙ্গি এই সময়ে যেন রবীন্দ্রনাথ লাভ করিয়াছিলেন “চোথ দিয়া মনের জিনিসকে মন দিয়া চোখের দেখাকে দেখিতে পাইবার ইচ্ছা” ছিল প্রবল। তার মূপে ছিল এক-একটি পরিষ্ফুট চিত্র আকিয়া তুলিবার আকাজ্ষা। ছুঃখ করিয়া জীবনম্থৃতিতে লিখিয়াছেন, “তুলি দিয়া ছবি আকিতে ষদি পারিতাম তবে পটের উপর রেখা রঙ দিয়া উতলা মনের দৃরি স্থটটিকে বাধিয়া রাখিবার চেষ্টা করিতাম কিন্তু সে উপাস আমান হাতে ছিলনা ছিল কেবল কথা ওছন্দ। কিন্তু, কথার তুলিতে তখন স্পষ্ট রেখার টান দিতে শিখি নাই, তাই কেবলই রঙ ছড়াইয়৷ পড়িত।”

“বি গানের সক্ধল কবিতা যে একই ধরনের নহে, তাহা স্বয্ং লেখকই আবিষ্কার করিয়া গিয়াছেন। তবে বিশেষভাবে উল্লেখযোগা হইতেছে “বাহুর প্রেম কবিতাটি-_ অন্ত সব কবিতা হইতে উহার হুর ভিন্ন, বূপ পৃথক বাছুর তো প্রেম নহে, ষেন গ্রেমের অভিশাপ প্রেমের এমন নির্দয় কল্পনা! কবির অন্য কোনে! কবিতার মধো পাই না। নিক্ষল প্রেমের নিষ্্র বন্ধন হইতে মুক্তি পাইবার যে ইচ্ছা মানুষের খুবই স্বাভাবিক, তাহার সকল প্রয়াস বার্থ

একটি ইংয়েজী কাবাসংগ্রহের মধ 5851918-এর তর্জম। পেন্সিলে লেখ! দেখিয়াছিলাম মলে হইতোছে। রবীশ্র-র়চনাবলী ১, পৃ ১৪৭

১৭. বুবীন্্রীবনী ধ্রীটা ১৮৮৩

করিয়া ভালোবাসা প্রণয়ীকে অনুসরণ করিতেছে অভিশাপের নায়, বাছুর স্তায়, উপচ্ছাশ্রার ম্যায় সে সঙ্গে সঙ্গে ফিরিতেছে, মুক্তি পাইবার সকল পথ রুদ্ধ। শুনেছি আমারে ভালোই লাগে না নাই-বা লাগিল তোর কঠিন বাধনে চরণ বেড়িয়।! চিরকাগপ তোরে রব শা কড়িয়া লৌহশৃঙ্খলের ডোর। তুই তো আমার বন্দী অভাগিনী বাধিয়াছি কারাগারে, প্রাণের শৃঙ্খল দিয়েছি প্রাণেতে দেখি কে খুলিতে পারে। জগংমাঝাবে যেথায় বেড়াবি, যেথায় বসিবি, যেথায় দ্াড়াবি, কি বসস্ত শীতে দিবসে নিশীথে সাথে সাথে তোর থাকিবে বাজিতে পাষাণ প্রাণ অনস্ত শৃঙ্খল চরণ জড়ায়ে ধরে। এক বার তোরে দেখেছি যখন কেমনে এড়াবি মোরে। চাও নাই চাও, ডাক নাই ডাক, কাছেতে আমার থাক নাই থাক, যাব সাথে সাথে, রব পায় পায় বব গায় গায় মিশি-_ বিষাদ ঘোর, আধার মুখ, হতাশ নিশ্বাস, এই ভাঙা বুক, ভাঙা বাগ্ঘ-সম বাজিবে কেবল সাথে সাথে দিবানিশি 'অনস্তকালের সঙ্গী আমি তোর আমি যে রে তোর ছায়া কিবা সে রোদনে কিবা সে হাসিতে দেখিতে পাইবি কখনো পাশেতে, কখনো সমুখে কখনো পশ্চাতে, আমার আধার কায়া। যেন আপনার রচিত কারাগার হইতে মুক্তি পাইবার ক্রন্দন আশা করি, ইহা বাস্তবতাশৃন্ক উচ্দাসমাত্র কাব্যগ্রপাপ। 'রাহুর প্রেম' ছাড়া ছবি গান'-এর সুর যাহাতে ফুটে নাই সেরূপ কবিতা “আর্ভন্বর' 'পোড়ো বাড়ি ছাড়াও আছে “পৃিমায়” “নিশীথজগৎ। “লিশীখচেতনা' এগুলির মধ্যে বহিবিষয়ী জাগতিক চিজ অপেক্ষা অস্তবিষয়ী

খরা ১৮৮৩ ছবি গানের যুগের গগ্ঠ : ১৯৯

সংগ্রামচিত্র ফুটিয়াছে বেশি বোধ হয় সেই অস্তধিষয্নতার জন্য সেগুলি সংগীত বা লিরিক-ধর্মী এবং সেইজন্তই "ছবি গানে'র গান অংশ ইহার! পূর্ণ করিয়াছে, ঘর অংশ অসম্পূর্ণ। “ছবি গান' কবির বয়ঃসদ্ধিকালের লেখা, কৈশোর- যৌবন যখন সবে মিলিতেছে। ইহাদের সম্বন্ধে কবির মন্তব্য হইতেছে__ “ভাষায় আছে ছেলেমানুধি, ভাবে এসেছে কৈশোর তায় পৃধেকার অবস্থায় একটা বেদনা ছিল অঙন্দিষ্ট সে ঘেন প্রলাপ বকে আপনাকে শান্ত করতে চেয়েছে এখন সেই বয্নদ যখন কামনা কেবল স্থর খুঁজছে না, রূপ খুজতে বেরিয়েছে কিন্ত আলোত্মাধারে রূপের আভাম পায়, ্প্ট করে কিছু পায় না।'.. “ছবি গান' কড়ি কোমলের ভূমিকা করে দিলে ।”;

সাহিত্যের যে-ছুটি দিক আছে-_ রূপ বূস, তাহ ছবি গান শব্দের দ্বারা সথচিত হইয়াছে | ববীন্দ্রনাথ গীতিকবি, গানই তাহার শ্রেষ্ঠ হৃষ্টি। গীতিকবির। ঠাহাদের রচনায় বিশেষভাবে রসের অনির্চনীয়তা লইম্বা কারবার করিয়া থাকেন। ববীন্দ্রনাথ একস্থানে বলিয়াছেন যে, রপের স্বাদ বুগে যুগে লোকের মুখে সমান থাকে না; আর বসের অবতারণা সাহিতোর একমাত্র অবলম্বন নয়। “তার আর-একটা দিক আছে, ঘেটা কপের স্টি। যেটাতে আনে প্রত্যক্ষ অনুভূতি, কেবপমাত্র অনুমান নয়, আভাস নয়, ধ্বনির ঝংকার নয়। বালাকালে একদিন আমার কোনো ব্য়ের নাম দিয়েছিলেম “ছবি গান? ) ভেবে দেখলে দেখ! যাবে, এই ছুটি নামের দ্বারাই সমস্ত সাহিত্যের সীমা নির্ণয় করাযায়। ছবি জিনিসটা অতিমাত্রায় গৃঢ নয়-_ তা স্পই দৃশ্যমান তার সঙ্গে রস মিশ্রিত থাকলেও তার রেখা বণবিল্কাম সেই রসের প্রলেপে ঝাপসা হয়ে যায় না। এইজন্য তার প্রতিষ্টা দঢতর |." ভাবের আকৃতি অনেক পেকে থাকি এবং তা ভুলতেও বেশি সময় লাগে না! কিন্তু সাহিত্যের মধ্যে মান্তষের মৃত্তি যেখানে উজ্জ্বল রেখায় ফুটে ওঠে সেখানে ভোলবার পথ থাকে না।”২

সেইজহা বুবীন্দনাথ বারে বারে রলহ্ইির সহিত কৃপহ্ছ করিয়াছেন, গীতিকবিতা রচিয়া তৃপ্ত হন নাই- কাহিনী পিখিয়াছেন, গল্প লিখিয়াছেন, তাহার মধো মানুষ শট করিয়াছেন

'ছৰি গান' মুছিভ হয় ১২৯* সালের কান্ধন মাসে_ হাহার বিবাহের তিন মাল পরে কাবাখানি উত্পগ কবেন কাদগরী দেবী বউঠাকুরানীক্। উপহাবে নাম বা কোনো নির্দেশ না থাকিলেও উহা] যে ভাহার প্রতি ভক্তি ভালোবাসার নিদর্শন), তাহা স্পষ্ট) “গত বংসরকার বসস্থের ফুল লইয়া বংলবকার বসন্তে মালা গাথিলাম় | যাহার নয়ন-কিরণে প্রতিদিন প্রভাতে এই ফুলগুলি একটি একটি করিয় ফুটিয়া উঠিত, ত্াহারি চরণে ইহাদিগকে উৎস করিলাম |”

ছবি গানের-যুগের গণ্ভ :

জীবনশ্বতিতে কবি লিখিয়াছেন, “নিতাস্থ সামান্য জিনিসকে বিশেষ করিয়া দেখিবার একটা পাল! এই ছবি গানে আবস্থ হইয়াছে ।* এই উল্কি যে কেবগ তাহার কাব্য সম্বন্ধে প্রযোদা তাহা নহে, এই যুগের তাহার সকল শ্রেণীর রচনার মধোই উহা অতাস্থ স্পষ্ট। যে-কোনো-একটা সামান্য উপলক্ষ লইদ্া সেইটিকে হ'য়ের রসে রপাইয়া প্রকাশের চেষ্টা হইতেছে এই যুগের গঘ্ঘরচনারও বৈশিষ্ট্য) বশর তুচ্ছতা মোচন করিয়া তাহাকে মহৎ করিবার প্রয়াস ষেমন দেখা যায় কবিতায়, তেমনি দেখা যায় লমসামগ্িক গগ্যরচনায়-_ বিশেষভাবে “'আলোচনা' নামক গ্রন্থে প্রকাশিত ক্ষ প্রবন্ধগুলির মধ্যে কিন্তু হৃদয়ের রূসে সামান্ত বিষয় বা বস্ত যেমন তুচ্ছত্তা হইতে মুক্ত হুইয়া মহান শৃচনা : ছবি গান, রবীশ্-রচন।বলী ১, পূ ১৫-৩২।

সাঠিডার দুলা (শাঞ্িনিকেতন, ২৫ এপ্রিল ১৯৪১), নাহিতের ব্বরূপ, বিধিভানগ্রহথ। রবীশ্রর-রচনাবণী ২৭, পৃ ২৪৯।

১৮৩ ববীন্ত্র্জীবনী ষ্টাফ ১৮৮৩

হইতে পারে, তেমনি মহৎ গম্ভীর বিষয় হৃদয়ের অন্ততম রসের দ্বারা অভিষিক্ত হইয়া তুচ্ছতা প্রাপ্ত হইতে পাবে। কারণ, বিষয় বস্ত -বিচারের মানস্থচী যখন হৃদয়ের মধ্যে, তখন সে উহাকে 50011796 বা 101501005-এর যেকোনো লোকে পরিচালনা করিতে পারে এই যুগের গদ্যরচনাগুলি 9011006 হইতে পারে নাই

তাই দেখি যুগের গগ্ভরচনার মধ্যে অতিসামান্ত জিনিসকে অতান্ত ফলাও করিয়া প্রকাশের চেষ্টা। এই যুগের কাব্যরচন! সম্বন্ধে লিখিয়াছিলেন, "তখন স্পষ্ট রেখার টান দিতে শিখি নাই, তাই কেবলই রঙ ছড়াইয়া৷ পড়িত।” 'গছরচনার সন্বন্ধেও ঠিক সেই কথা খাটে-_ স্পষ্ট করিয়া বলিবার লার্থতায় কেবলই বাকাচ্ছটা ছড়াইয়া পড়িতেছে। বৎসরের প্রবন্ধগুলি সামান্ত বিষয় বস্ত অবলম্বনে বচিত, অবাস্তর বাকাজালে পল্লবিত, তীব্র বাঙ্গে শ্লেষে কণ্টকিত ) যে-সামান্ত সতোর আলোক আছে তাহা শবচ্ছটায় অস্পষ্ট রবীন্দ্রনাথ সমালোচক, তাই এই যুগের প্রায় সমস্ত গত্- প্রবন্ধই অকিঞ্ধিংকর জ্ঞানে তাহার স্থায়ী গগ্সংগ্রহ হইতে নির্বামিত করিয়াছিলেন

তকণ লেখকের সবব্যাপী চিত্তে বিচিত্র সাহিত্া-জিজাসা, সমাজ বরাট্সমস্তা জাগিতেছে; কিন্তু সবগুলিই লঘুভাবে আলোচিত বালক প্রথম বঙের বাক্স উপহার পাইয়া ষেমন-তেমন করিয়া নানা প্রকার ছবি আকিবার চেষ্টায় যেমন অস্থির হইয়া উঠে, ব্ুবীন্দ্রনাথও তাহার ভাষায় শক্তি পাইয়া আপনমনে রকম-বেরকম রচনা লিখিতে চেষ্টা করিতেছেন। সামান্ত বিষয়কে বড় গন্ীর বিষয়কে লঘু করিয়া কেবল লেখার জন্ই যেন লিখিতেছেন। সামান্ বিষয়কে বড় করিয়া দেখানোর চেষ্টাই যদি যুগের বৈশিষ্ট্য হয় তবে “বাউলের গান'১ শীর্ষক প্রবন্ধটাকে তাহারই অন্তর্গত করিতে হয়; কারণ অনেক কথা আলোচনার পর আসল প্রসঙ্গ উত্ধাপিত হইয়াছে সমনাময়িক বাংলা- দেশের আকাশ তখন রাজনৈতিক উত্তেজনায় ধুমাচ্ছন্ন, সাহিত্যক্ষেত্র অস্থকরণে অনুবাদে কণ্টকাকীর্প। এই প্রবন্ধের আরস্তেই রবীন্দ্রনাথ কাব্যরচনা সম্বন্ধে যে মন্তবাটুকু করিয়াছেন, তাহা তাহারই কাব্যজীবনের কথা। তিনি লিখিয়াছেন, “এমন কোনো কোনো কবির কথা শুন! গিয়াছে, যাহারা জীবনের প্রারস্তকালে পরের অন্করণ কবিয়!] লিখিতে আরস্ত করিয়াছেন; কিন্তু সেগুলি শুনিলে মনে হয় যেন, তাহা কোনো একটি বাধ রাগিণীর গান-_- মিষ্ট লাগিতেছে, কিন্তু নৃতন ঠেকিতেছে না)” অবশেষে সে একদিন নিজের মর্মস্থানে পৌছিয়া নিজেকে আবিষ্কাব করিল। “ষে ব্যক্তি নিজের ভাষা! আবিষ্কার করিতে পারিয়াছে, যে ব্যক্তি নিজের ভাষায় নিলে কথা কহিতে শিখিয়াছে, তাহার আনন্দের সীমা নাই |” ব্যক্তিবিশেষের জীবনে ইহা যেমন সত্য, জাতির জীবনেও তাহা তেমনি সতা। রবীন্দ্রনাথের অভিযোগ যে, “বাঙালি জাতির প্রাণের মধ্যে ভাবগুলি কিব্ূপ আকারে অবস্থান করে তাহা আমরা ভালো জানি না। আধুনিক বাংলা ভাষায় সচরাচর ধাহা কিছু লিখিত হইয়া থাকে, তাহার মধ্যে যেন একটি খাটি বিশেষত্ব দেখিতে পাই না।... এখনে! আমরা বাঙালির ঠিক ভাবটি ঠিক ভাষাটি ধরিতে পারি নাই |... সংস্কৃত ব্যাকরণেও বাংল! নাই, আর ইংরাদ্ি বাকরণেও বাংল! নাই, বাংল! ভাষা বাঙালিদের হৃদয়ের মধ্যে আছে ।” “ভাবের ভাষায় অন্গবাদ চলে না। ছাচে ঢালিয়! শু জ্ঞানের ভাষায় প্রতিক্ষপ নির্মাণ করা যায়। কিন্ত ভাবের ভাষা হৃদয়ের শ্যন্তপান করিয়া, হৃদয়ের সুখ ছ:খের দোলায় ভুলিয়া মান্য হইতে থাকে স্থতরাং তাহার জীবন আছে। ছাচে ঢালিয়া তাহার একটা নির্জীব প্রতিমা নির্মাণ করা যাইতে পারে, কিন্তু তাহ! চলিয়া ফিরিয়া বেড়াইতে পারে না, হ্বাঘের মধ্য পাষাণ ভারের মত চাপিয়া পড়িয়া থাকে ।”

বাউলের সংগীত-সংগ্রহকে কেন্দ্র করিয়া! ভিনি খুবই বড় কথ! আনিয়া ফেলিলেন। আধুনিক কবিরা প্রেমের

বাউলের গান, ভারতী, বৈশাখ ১২৯০, পৃ ৩৪-৪১। দ্র- সমালোচনা, রবীক্-রচনাবলী, অচঙিত সংগ্রহ ২, পৃ ১৩*-৩৭। ভারতীতে কয়েকটি গাঁন ছিল, যাহ! 'সমালোচনা' গ্রন্থ হইতে বঙিত হয়। 'নংগীতচিন্তা (১৯৬৯) গ্রন্থের পরিশিষ্ট অংশে ভারতীয় পা$ উদ্ধৃত হওয়! গানগুলিকে পাওর! যাইতেছে সেই রূপ একটি বাউল সংগীত-_ “দেখেছি রূপ সাগয়ে ননের মানুষ কাচা সোনা” ইত্যাদি

গরীষ্টাব্ ১৮৮৩ ছবি গানের-যুগের গদ্য £ ১৮১

কবিতা, বিরহের কবিতা লেখেন, কিস্তু তাহাদের মধ্যে সে-আস্তরিকতা নাই, যাহা এই লোকসাহিত্য-সংগ্রহের কবিতায় দেখা যায়। ইহার কারণ তখনো স্পষ্টভাবে আবিাব করিতে পারেন নাই, কিন্ধ যাহা বলিতে চাহিয়াছিলেন তাহার সারার্থ হইতেছে, লোকসাহিত্য মেই সাধারণ লোকেই স্য্টি করে যাহার ভাবধাবার সহিত দেশের নাড়ীর বন্ধনযোগ ছিন্ন হয় নাই, যাহার ভাষা ইংরেজির অন্থকরণে বিকৃত হয় নাই “ইহাকে দেখিলেই এযনি আত্মীয় বলিয়া] মনে সয় যে, কিছুমাত্র চিন্তা না করিয়! ইহাকে প্রাণের অস্তঃপুরের মধ্যে প্রবেশ করিতে দিই |” এই প্রবন্ধে তিনি সবপ্রথম বাঙালিকে এই দেশীয় গান কবিতা প্রভৃতি সংগ্রহের জন্ত অনবোধ জ্ঞাপন করেন প্রবন্ধশেষে নিজ সংগৃহীত তিনটি লোকসংগীত উদ্ধৃত করিয়া দেন। প্রবস্কটির মধ্যে যথার্থত বাউলের গান সম্বন্ধে সামান্ত তথাই আছে। এই বৎসরের প্রায়-রচনাই সামান্য বিষয় লইয়াই লেখা, এইটি তাহারই অন্ততম উদাহরণ

সাছিত্যের প্রশ্ন ওঠে, পিখিলেই যদি আনন্দ সমাঞ্ধ হইত তো কাব্য ছাপিবার কী প্রয়োজন। 'প্রভাতসংগ্ীত, মুদ্রণের পর “লেখাকুমারী ছাপাহ্ুন্দরী'১ নামে এক প্রবন্ধে এই তুচ্ছ সমশ্তার বিচার হইয়াছে এই প্রবন্ধ হইতে কয়েকটি অংশ উদ্ধৃত করিয়া দিলাম “গুটিকতক কবিতা লেখা ছিল, অনেক দিন ধরিয়া! খাতায় পড়িয়াছিল,--. সম্প্রতি সেগুপি ছাপা হুইয়। গেছে। ধারণা ছিপ, নিজের লেখা ছাপার অক্ষরে পড়িতে বুঝি বড়ই আনন্দ হইবে ।”-.. কিন্ধ যে মনোভাবশ্থপি কেবল নিজের ছিল যাহার যাচাই বা বিচারের অধিকার বা স্থষোগ বাহিরের কাহারও ছিল না, 'তাহাবা যখন পুস্বকাকারে প্রকাশিত হইয়া সকলের সমক্ষে উপস্থিত হইল তখন কবির আর ভালো লাগিতেছে না। “কবিতাগুপি যখন খাতায় ছিল তখন আমার শ্থখের কি অভাব ছিল! এখন." কেহ বলিবে ভালো, কেহ বণিবে অন্দ, কেহ সম্মান করিবে, কেহ অপমান করিবে, কিন্ত ইহার ক্রটি তো কেহই মার্জনা করিবে না, ইহাকে আপনার লোক বলিয়া কেহ তো কোলে তৃপিয়া লইবে না! আপনার ধন পরের সম্পত্তি হইয়1 গেল,... যে যাহা বলে চুপ করিয়া সহিতেই হইবে ।”

“গৌোকফ এবং ভিম'২ প্রবন্ধটি সমালোচকদের উদ্দেশেই লিখিত যাহার! নিজে কোনো উচ্চ ভাব বা কাব্য স্থষ্টি করিতে পারে না, কেবল অন্বকে আঘাত করিয়াই পরিতপ্র রচনাটি অত্যন্ত এলোমেলো, বাঙ্গ গ্লেষ উচ্চন্তবের নহে। “তাকিক'* রচনাটিরও বিষয় এই সমালোচকদের মমালোচনা-স্পৃহার সমালোচনা লেখকের অভিযোগ তাকিক বা নৈয়ায়িকরা বূমিকতার কৈফিয়ত চাহেন, উপমার সহিত উপমেয়ের তুলনা করিতে বস্তকে হাজির করেন। আসল কথা সংসারের আবশ্বকবাদী তাকিকদের নিন্দায় প্রবন্ধটি পূর্ণ। “তাকিক বন্ধুদিগের সহবাসে থাকিলে প্রাণের উদ্দারত] সন্কীণ হইতে থাকে ।” “যে পাড়ায় ক্রোশ তিনকের মধ্যে তাকিক লোকের গন্ধ আছে, সেখানে বোধ করি কোন ভাবুক তিছিতে পারে না। বোধ করি, তাকিক লোকের মুখ দেখিলেই ভাবের বিকাশ বন্ধ হইয়া যায়।” লমালোচকগণের বাবহার সম্বন্ধে তাহার ঘোর আপত্তি; লেখকের ক্ষমতার অভাবে বা বুদ্ধির দোষে যেসব গ্রন্থ সম্পূর্ণতা লাভ করিতে পাবে না, কঠোরভাবে সমালোচনা করিলে তাহাদের কি ভালো হয় তাহা তিনি বুঝিতে অক্ষম এই পর্ধায়ে রচিত “তৃতীয় পক্ষ" “অনাবশ্তক' নামে প্রবন্ধ দুইটি বুঝিতে হইলে সমসাময়িক ছুই-চারিটা সংবাদ রাখ প্রয়োজন, তাই সংক্ষেপে একটু ভূমিকা কবিতেছি।

মুরোপীয় শিক্ষা সংস্কৃতির প্রভাবে দেশমধ্যে সমাজ সম্বন্ধে চিস্তাধার1 নানা পথ বাহিয়া চলিয়াছে। ব্রাঙ্মসমাজের

লেখাকুমারী ছাপা নুঙ্ছরী, ভারতী, জোষ্ঠ ১২৯৭, পৃ ৭১-৭৪। গৌফ এবং ডিম, ভারতী, আধা ১২৯৫, পৃ ১১৩-১৯। তাকিক, ভারতী, আর্বিন ১২৯*, পৃ ২৪১-৪৬। প্র, সমালোচনা (১২৯৪ ), রবীন্্-রনটনাবলী, অচলিত সংগ্রহ ২, পৃ ৬১৬৭

১৮২ ববীন্দর্জীবনী খ্ীষ্টা্ৰ ১৮৮৩

প্রীগ্রসর সম্প্রদায় সাধারণ ব্রাহ্মদমাজ ১৮৭৮ সালে ভারতবষীয় ব্রাহ্মসমাজ হইতে পৃথক হইয়া যান ১৮৮১ সালের মে মাসে নিজ সম্প্রদায়ের জন্ত মন্দির নির্যাণ করেন। আমাদের আলোচ্য পর্বে এই সমাজ শ্রীষ্টায় মিশনাবীদের অন্কবণে অনুপ্রেরণায় বহুবিধ সমাজসংস্কারকর্ষে ব্রতী ছিলেন। সমাজসংস্কার বিষয়ে আদি ব্রান্ষপমাজ কখনো কোনোপ্রকানগ প্রচারকার্ধ করেন নাই এবং এঁ ধরনের কার্কে দেশের পক্ষে স্থুফলগ্রম্থ বলিয়। বিশ্বাসও করিতেন না। তবে মাঝে মাঝে আর্তব্রাণ ছুভিক্ষের সময় অন্নদানাদির ব্যবস্থা করিতেন। নৃতন সমাজের উৎসাহী যুবকেরা ছিলেন ভাঙনপন্থী যেসব অর্থহীন সংস্কার হিন্দুসমাজকে অতীতের সহিত নিগড়বদ্ধ করিয়া! ভবিষ্যতের পথে অগ্রসর হইবার বাধা ন্ট করিতেছে, এবং যে বর্ণতেদ প্রথা সমাজদেহকে ছিন্ন ভিন্ন করিয়া মানুষে মানুষে ছুরপনেয় বাবধান গড়িতেছে, তাহারই বিরুদ্ধে সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের মুখপত্র “সনীবনী” সাপ্তাহিক যেন জেহাদ ঘোষণা করিয়া চলিয়াছিল আদি ব্রাঙ্ষমমাজের ভরফ হইতে এইসব যুক্তিজালেব প্রতিবাদ করিবার কোনো কারণ ঘটে নাই। নব্য ত্রাঙ্গের দল মহধিকে তাহার ধর্জজীবনের পবিস্রতার জন শ্রন্ধা করিতেন, কিন্ত সযাজসংস্কার সন্বদ্ধে তাহার মতকে অচপ জানিয়া কোনোদিন প্রত্াক্ষ- ভাবে আঘাতও কবেন নাই। রবীজ্জনাথ “অনাবশ্থাক** 'সমাজসংক্দার কুসংস্কার”* “তৃতীয় পক্ষণ* প্রবন্ধ কয়টিতে এইসব প্রগতিশীল মতামতের মৃছব সমালোচনা অতীতকালের জয়গান করেন। তবে এইসব সমালোচনার মধ্যে না আছে আস্তরিকতা, না আছে গাস্তীধ, না আছে কঠোর যুক্তি, নিতাস্তই বঠের বাক্স লইয়া বালকের খেলার মতন, এই রচনাগুলিও লেখনীর রেখা দিয়া অস্পষ্ট বাক্য লঘু চিন্তার খেলামান্।

ছবি গানের-যুগের গন্য :

সাহিতা সমাজবিষয়ক রচনা ছাড়া কয়েকটি অর্ধ-রাজনৈতিক প্রবন্ধ এই পবের রচনা সেগুপিও এই লঘুভাবেই লেখা 5১ এইসব রচনার জন্ সমসাময়িক ঘটনান উত্তেজনা দায়ী। সযসাময়িক ঘটনার সহিত রবীন্দ্রনাথের জীবনের কোনো! যোগই ছিল না; কেবল ঘটনার সহিত রচনার যোগ হষ্ট সমালোভনার জন্থ। এইসকল প্রবন্ধ যথার্থভানে বুঝিতে হইলে তৎকালীন ঘটনাবলীর সহিত পাঠকদের সামান্ত পরিচয় থাকা প্রয়োজনবোদেই "আমরা নিয়ে তদ্বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা উপস্থিত করিতেছি

বাংলাদেশে তথা ভারতবর্ষে যেসব ঘটনা রাজনৈতিক আন্দোলন শহর জন্য মুখাত দায়ী তাহাদের অন্যতম হইতেছে ভারতীয়দের পক্ষে সিবিল সাবিসে প্রবেশের জন্য নির্দিষ্ট নি্তম বয়সকে আরো কমাইয়া দেওয়ার প্রস্তাবের বিরুদ্ধে আন্দোলন হরেক্্নাথ বন্দ্যোপাধ্যায় গত কয়েক বৎসর ধরিয়া এই ব্যবস্থা বদ করিবার জন আান্দোলন চালাইতেছিলেন। ভারতীয়রা সিবিল সারি পাস করিয়া জেলার ম্যাজিষ্রেট বা জঙগ হইয়াও ইংরেজ সিবিলিয়ানের সমতুলা অধিকারসকল পাইতে না: গহিত অপরাধে অপরাধী ইংরেজ আসামীর বিচারের অধিকার দেশীয় সিভিলিয়ানদের ছিল ন!। এই অস্তুত নিয়ম পরিবর্তন করিবার জন্য তৎকালীন বড়লাট লর্ভ রিপনেন অনুরোধে আইনলদস্ত স্তর কুর্টনি ইলবার্ট এক বিলৎ আইনসভায় উপস্থিত করেন। বিল কিভাবে ব্যর্থ হয় তাহ। ভারত-ইতিহালের

মহধি দেবেশ্রানাখ সাধারণ ব্রাঙ্মসমাজকে এই সময়ে ৭***, টাকা দান করেন।

অনাবগ্যক, ভারতী, শ্রাবণ ১২৯০, প্‌ ১৪:-৪৯। সমালোচনা (১২৯৪) ১1 রবীন্ত্র-র5নাবলা, অচলিত সংগ্রন্থ ২, ৫৭ ৬১|

সমাজসংস্কার কুসংস্কার (প্রতিবাদ ) ভারতী, তাত ১২৯০, পৃ হ্৮।

তৃতীয় পক্ষ, ভারতী, আশ্বিন ১২৯*, পূ ২৬-৭৫ 1

& [1৮০ 9111 সম্বন্ধে বিভ্ারিত আলোচনা বর. 99081800, 0.5. 89785] 0461171656677506 005628500৬০] [, 0 769-91.

খান ১৮৮৩ ছবি গানেব-যুগের গন্ঠ : ১৮৩

পাঠকমাত্রেই অবগত আছেন। ইলবার্ট বিলের খসড়া! যেভাবে কর] হইয়াছিল এবং যেভাবে উহা! আইনে পরিণত হুইল, উভয়ের মধ্যে অনেক পার্থক্য ; সংক্ষেপে এইটুকু বল! যাইতে পারে যে আইন সংস্কারের উদ্দেশ্তই সংশোধিত প্রস্তাবরাশির দ্বার! নষ্ট হইয়াছিল: | ২৮ জাহুয়ারি ( ১৮৮৪ ) তারিখে বিল পাস হইয়া! আইন হইল।

ইলবার্ট বিল রদ করিতে গিয়া! বাঙালি সর্বপ্রথম বুঝিল, মুষ্টিমেয় ইংরেজ বণিক কর্মচারী সঙ্ঘবদ্ধভাবে বড়লাট তথা ইংলগেশ্বরীর মহামহিম প্রতিনিধির ইচ্ছা! বা অভিগ্রায়কে কিভাবে বিপর্যস্ত করিতে সক্ষম হয়। “আযজিটেশন' বা সঙ্ঘবন্ধভাবে আন্দোলন যে রাজনীতির ক্ষেত্রে একটি মহা! অস্ত্র তাহা বাঙালির! এইবার বুঝিল। এই আন্দোলন যখন দ্নেশব্যাপী তখন একটি অবান্তর ব্যাপার উপলক্ষ্য করিয়া সরেন্্নাথ কারাকুদ্ধ হইয়াছিলেন (৫ মে হইতে জুলাই ১৮৮৩ )। কলিকাতা হাইকোর্টের কোনে! বিচারকের হুকুমে আদালতগৃছে হিন্দুদের শালগ্রাম শিলাকে তাহার প্রাচীনত্ব পরীক্ষা করিবার জন্ত হাজির করানে! হয়। “ব্রাহ্ম পাবলিক ওপিনিয়নে" এই সংবাদ প্রকাশিত হইলে স্থরেন্দ্রনাথ বেঙ্গলি, পত্রিকায় তাহার সমালোচনা করেন বিচারাধীন কালে কোনো মকদ্ছমার সমালোচন1 আইনের চোখে আদালতের অপমানলগচক এই অ্ুহাতে হথরেজ্্নাথের জেল হয়। রাজনীতি সম্বন্ধে ববীন্দ্রনাথ যাহাই লিখুন না কেন, সবেজ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ে্র কারাৰবণ সম্বন্ধে তাহাকে একটি ছত্র কোথায়ও লিখিতে না দেখিয়া নে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে ঘষে এতবড় একট] ঘটনা তাহার মনোযোগ আকর্ষণ কেন করিল লা। রাজনৈতিক অপরাধের জন্য তখন পর্ধস্ত কাহাকেও কারাবরণ করিতে হয় নাই; সেইজন্ত স্রেন্দ্রনাথের ব্যাপার লইয়া দেশমধ্যে যে উত্তেজনার হ্হি হইয়াছিল তাহা! অভূতপূর্ব ববীন্্রনাথের এই উপেক্ষার কারণ কি। আমাদের মনে হয় তখন তিনি কাবোয়ারে সত্যেন্্রনাথের কাছে ছিলেন, কলিকাতার ছাত্রজনতার উত্তেজনা! তিনি দেখেন নাই, দেখিলে কবির ম্পর্শচেতন মন নিশ্চয়ই সাড়া দ্িত।

ভুলাই*__ যেদিন স্থবেজ্জনাথের মুক্তি হয়, সেদিনটি আমেরিকার স্বাধীনতা ঘোষণার দিন। এই দিনে 170101. 14100: কাগজে বাজনৈতিক আন্দোলনাদি দেঁশমাতৃকার সেবার জন্ত একটি ধনভাগ্ডার-_ ন্তাশনাল ফও্ড”__ স্থাপনের প্রস্তাব প্রকাশিত হুইল। বাঙালি দেখিল যে মুষ্টিষেয় প্রবাসী ইংরেজ নিজেদের অধিকার বানর রাখিবার জন্তু আত্মরক্ষাসমিতি গঠন করিয়। অল্পকালের মধ্যে প্রায় দেড় লক্ষ টাকা তুলিয়া একটি ধনভাণ্ডার স্থাপন করিয়া ফেলিয়াছে 3 বাঙালিদ্বেরও রাজনৈতিক কাধ পরিচালনার জস্ত ধনভাগ্ডার স্থাপন করিতে হুইবে।

১516 09157 5080১65 তাহার 10319 (1894 ) গ্রন্থে লিখিয়াছিলেন--.

[13 ০000৬৩56150 6010 01১6 ৬1100081 00153010066 01 0০ 128685016 ঠ1০০০৪৩৫ 09 1175 0০0৩7718600, 4১01 1] 91 1884 6061786 800৫1 0092 10016015060 0156 010561666০1 £01০০৩৪০ 870150) 5৩৮)5০5 0081864 ৬100 016010068 810 1616 00617 0১০05161017 8৪ 63060010181 8৪ ৮৫০৩. 06 8606181 01803815608 05078 01 0961৬ 0098658৪120 21881505065 16008178-৮-790081500) 0, 2১১ ৮০1১ 1, 290.

হুয়েশ্রানাথ 8১1 জুলাই ১৮৮৩ জেল হইতে খুদ্িলাত করিলেন_ সেই দিনটি মাফিনযুক্রাষ্ট্রের ব্যাধীনত দিবস ( জুলাই ১৭৭৬ ): সেই অপরাহে নিমতল! খাট স্ট্রীট ফ্রীচার্চ কলেজ প্রাঙ্গণে রুরে্রনাথের যুক্িলাভের অন্ত সন্তর্ধনা সন্ত! আহত হয়। বক্তার মধো ছিলেন প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র আন্ততোহ হুখোপাধ্যায্স (১৯); পরধুগে তিনি হাইকোর্টের জজ হন রবীভরনাখ এই সভায় উপস্থিত ছিলেন; এবং সতাশেবে জনতার অনুরোধে তাছাকে গান করিতে হইয়াছিল ।-_100060 চি৩চ?6জা, 11193 1957 : 1২566007580) 04958 : 5০206 0616৮5৪৫16৪, জং চিঠিপজ্জ ৮। প্‌ ২৯১।

স্তাশনাল কাও ব! জাতীয় ধনতাখার স্বাপনের প্রস্তাব করেন 'গ্রাক্ষ পাহলিক ওপিনিয়ন' নাষে ইংয়েজি সাপ্তাহিকে ২১ জুন ১৮৮৩ অতঃপর 891 জুলাই কৃকণগয়ের উফিল তারাপদ বল্োপাধ্যায় 14181) 211.9এ এই পরিকঞ্জন। প্রকাশ করেন। ১৮৮৩ সালের ৩* ডিসেম্বর তারিখে জ্যালবার্ট হলে ভাশনাল কন্কারেপ্ের তৃতীয় দিবসে “ভাশনাল ফাও স্থাপনে প্রস্তাব গৃহীত হয়। জ. প্রভাতচজ গঙ্গোপাধ্যায়, ভারতে রানীর ইতিহাসের খসড়। দ্বিতীয় সংস্করণ। পৃ ৮৭-৮৮। ১৮১০৯ |

১৮৪ ববীজ্্জীবনী খ্ীষ্টা ১৮৮৩

এইম্‌ব সভাসম্বিতি স্থাপন ধনভাগ্ডার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্ট ছিল দেশে বিদেশে আযাজিটেশন বা আন্দোলন স্থটি অর্থাৎ ভারতের অভাব-অভিযোগ বিদেশী রাজপুরুষগণের নিকট গোচর করা, অথবা ইংবেজের অন্যায়ের বিকুদ্ধে ইংরেজেরই নিকট হইতে প্রতিঝারের জন্ত আন্দোলন আবেদন আম্ষালন করা এইসকল সভাসমিতিতে প্রায়ই কথার বাহুলা, হদয়াবেগের আতিশযা, ভাষার অসংযম প্রকাশ পাইত। দেশের ভাষায় দেশের লোকের কাছে কোনো বাণী পৌঁছাইয়া দিবার ইচ্ছা তখনো! নেতাদের মধ্যে দেখা দেয় নাই

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরবাড়ির যুবকেরা! এই নৃতন রাজনৈতিক আন্দোলন হইতে দূরে দূরেই থাকিতেন। তাহাদের আদর্শ ছিল অন্তরূপ ; দেশের সবাঙ্সীণ কলাণের জন্ত দেশবাশীর স্থপ্রচিত্তকে উদ্বুদ্ধ করাটাকেই তাহারা মনে করিতেন আসল কাজ; সে কাজ ইংরেজি ভাষার মারফতে হইবে না এবং ইংরেজ রাজকর্ষচারীর কাছে আবেদন করিয়াও সফল হইবে না। রবীন্দ্রনাথ এইসব আন্দোলন হইতে দূরে রহিয়া নীরব থাকিলেন না, সমালোচনা করিতে লাগিলেন। ব্যঙ্গ বিদ্প শ্লেষে সে সমালোচনার ভাষা পূর্ণ; অধিকাংশ ক্ষেত্রে অতুক্তিকে আঘাত করিতে গিয়া নিজেই সেই দোষে দুষ্ট হইয়াছেন। স্থতরাং সাহিত্য হিসাবে তাহাদের স্থান নগণা ; একটি নমুনা উদ্ধৃত করিতেছি--

“দ্দেশহিতৈধিতা, আলো জালিবার গ্যাসের মত যতক্ষণ গুপুভাবে চোঙের মধা দিয়া সঞ্চারিত হইতে থাকে, ততক্ষণ তাহা বিস্তর কাজে লাগে-_ কিন্ত যখন চোঁঙ ফুট] হইয়। ছাড়া পায় বাহির হইতে থাকে, তখন দেশছাড়া হইতে হয়|... এখন ভ্রাতাগণ' “ভগ্রিগণ” ভারতমাতা" নামক কতকগুলা শব্ধ হু হইয়াছে, তাহারা অনবরত হাওয়া খাইয়! খাইয়া ফুলিয়া উঠিতেছে__ তারাবাজির মত উত্তরোত্তর আসমানের দিকেই উড়িতেছে। অনেক দূর আকাশে

তারাবাজি উড়িলেও বিশেষ কোনো স্থববিধা হয় না, আর ঘরের কোণে মিট মিট করিয়া একটি মাটির প্রদীপ জলিলেও অনেক কাজে দেখে |;

দেশের উন্নতি করিতে হইলে যে কেবল রাজনৈতিক আন্দোলন পরিচালনা করিতে হয়, মত রবীন্দ্রনাথ কোনোদিনই পোষণ করেন নাই! এবং বাঞ্জনৈতিক “নেতা” হইবার ইচ্ছা বা শক্তি তাহার ছিল না। সঙ্গ্র জীবনের সহিত যে আন্দোলনের যোগ নাই, যাহা মাহষের সমগ্র সত্তাকে উদবোধিত করিতে পাবে না, সেবধপ এক-ঝৌকা সংস্কার-আন্দোলনকে তিনি চিরদিনই অগ্রাহা করিয়াছেন। “জিহবাআম্ফাপন?২ নামে সামান্য একটি প্রবন্ধের মধ্যে তিনি লিখিলেন যে এইসব আন্দোলনকারীরা চাশ সকলে “বঙ্গসাহিহ্যে কেবলমাহ দাত নখের চর্চা করিতে থাকুক, আর কিছু নয় ।” ইহার] “বঙ্গদাহিত্যের সবাঙ্গীণ বিকাশকে অত্যন্ত য় করেন।-.. সমাজের অন্তর্নিহিত বিচিত্র শক্তি চারিদিক হইতে বিকশিত হইয়া উঠিবে তাহা তাহাদের অভিপ্রেত নহে ।”

“আমাদের সমাজের পদে পদে এত শত প্রকার কর্তবা রহিয়াছে যে, কতকগুলা অস্প্ নাধিবোপ বলিয়া সময় উদ্চম নষ্ট করা উচিত হয় না।.. এত সামাজিক শরু চারি দিকে রহিয়াছে তাহাদিগকে কে নাশ করিবে ।” তিনি পরিদ্ধার করিয়া কর্মপন্থা নির্দেশ করিয়া বলিলেন, “আগে দেশের অবস্থা সগ্থন্ধে উদাহরণ সংগ্রহ কর, ভাবিতে আরস্ত কর বলিতে শেখ, তাহা হইলে আর-সকলে শুনিতে আরম্ভ করিবে বেশি কনিয়! বলিলে কিছুই হয় না, ভালো করিয়া বলিলে কি না হয়! আতিশযোর দিকে যাই লা, কারণ যেখানেই যুক্তিহীন আঠিশযাপ্রিয় প্রজা, সেইখানেই স্বেচ্ছাচারী প্রস্থুতস্থ শাসনপ্রণালী 1” কথা কবি পরেও বারে বারে বলিয়া দেশবাসীকে সতর্ক করিয়! দিয়াছিলেন।

বিদেশীর শাসনের সহিত বিদেশী শব্দ, বিাতীয় ভাবধারা কমে ক্রমে বিজিতের জীবনের অন্তণঙ্গ বন্ধ হইয়া উঠে)

১. েচিয়ে বলা, ভারতী, চৈত্র ১২৮৯, পৃ ৫১১-১৬। নিহ্বা-আল্কালন, ভারতী, শ্রাবণ, পৃ ৭৯৮৪

শ্ীষ্টাব ১৮৮৩ ছবি গানের-যুগের গদ্য : ১৮৫

প্রথম প্রথম সেগুলি নূতন ঠেকে, কিন্তু কালে সেগুলি কেবল সহিয়া যায় তাহা নহে, সেগুলি জাতীয় জীবনের একাস্ত অন্তরঙ্গ হইয়া পড়ে, এবং কোনে! কালে যে তাহারা বিজাতীয় শব বা ভাব ছিল, সেই বোধ পর্ধস্ত লুপ্ত হইয়া! যায়। নেশন, স্তাশানলিজম্‌, কন্গ্রেস,লীগ প্রভৃতি অসংখ্য শব ভারতীয়দের রাষ্ত্রিক জীবনের মধ্যে প্রচলিত হইয়াছে, সেসব শব; প্রতিষ্ঠান যে বিদেশীয় তাহা! আমর! তুলিয়া গিয়াছি। আমাদের আলোচ্য পর্বে দেশের মধ্যে "গ্তাশনল' শব্দটির প্রচলন বিশেষভাবে লক্ষণীয়

রবীন্দ্রনাথের চোখে এই শবটির বহুলগ্রয়োগ অত্যন্ত খাপছাড়1! ঠেকে “ম্ভাশনল শব্টার ব্যবহার অত্যান্ত প্রচলিত হইয়াছে ম্যাশনল থিক্পেটর, ন্তাশনল মেলা, স্কাশনল পেপর ইত্যাদি ।... সম্প্রতি স্বাশনল ফণ্ড আর-একটা। কথা শুনা যাইতেছে |... একমাজ ১০011003] 88168 001,-ই এই অনুষ্ঠানের উদ্দেখ্ট 1১ বুবীন্দ্রনাথ বলিতে চাহেন যে ১০116109] 88106 007 পদার্থ টাই ম্তাশনল নহে তার পর এই আন্দোলন চালাইবার ভার ধাহারা গ্রহণ ককিিষযাছেন তাহারা জাতির বা নেশনের ভাষা! অবহেল! করেন, ইংরেজি ভাষায় বাগ্সিত1 প্রদর্শনই তাহাদের জীবনের অন্ততম চরম উদ্দেশ্য সেইজন্ত জাতীয় ধনভাগারের নামটি পর্ধস্ত হইয়াছে ন্তাশনল ফণ্ড, ইহার কাগুকারখানা সবই চলে ইংরেজিতে। রবীঞ্জরনাথের মতে এই ধরনের কার্য দেশের মধ্যে ফলপ্রস্থ হয় না। তিনি বলিলেন, “আমাদের দেশে 70০01101081 881080601 করার নাম ভিক্ষাবৃত্তি কর11..- ভিক্ষুক মাহষেরও মঙ্গল নাই, ভিক্ষুক জাতিরও মঙ্গল নাই 1'-. ইংরেজদের কাছে ভিক্ষা কারয়া আমরা! আর-সব পাইতে পারি, কিন্তু আত্মনির্ভর পাইতে পাবি না।.." ভিক্ষার ফল অস্থায়ী, আত্মনিভরের ফল শায়ী |: যাহা আমরা নিজেই করিতে পারি, এবং যাহা-কিছু আমর নিজে করিব তাহা সফল না হইলেও তাহার “কছু-না-কিছু শুভ ফল স্থায়ী হইয়। থাকিবে ।.-. গভবমেন্টকে চেতন করাইতে তাহার। যে পরিশ্রম করিতেছেন, নিজের দেশের লোককে চেতন করাইতে সেই পরিশ্রম করিলে যে বিস্তর শুভফল হইত |” ববীন্জনাথের রাজনৈতিক মতবাদের ইহাই হইতেছে যুলমৃত্র এবং দ্বেশসেবার এই আদর্শের কথাই তিনি বারে বারে নানা ভাবে বলিয়াছেন, “দেশকে জানো” (000৬ 05 06181,995 ) তিনি বলিলেন যে, যাহার কোনো! বিষয়ে দাবি বা অধিকার নাই, সেই ভিক্ষা চায়। গভনমেপ্টের নিকট হইতে আজ আমাদের তিক্ষা চাহিতে হইতেছে কেন, এই প্রশ্নই তাহার মনে উঠিতেছে। ভারতব্ধ বহু যাচ্ঞার পর স্থায়ত্তশাসন পাইয়াছে ; সে-স্বায়ত্তশাসনের শ্বরূপ কি তাহ! আমাদের অজানা নাই কিন্তু গভর্নমেন্ট দিয়াছেন তিক্ষার মতো, অনুগ্রহের মতো, পরীক্ষা করিয়া! দেখিবার জগ্ বিহয়ে যেন নানা সন্দেহ আছে, কাল যদি দেখা যায় প্রণালীতে ভারতবাপীরা ভালো করিয়া কাজ করিতে পারিতেছে না, তবে কালই হয়তো উহ্বাকে বন্ধ করিতে হইবে।

ধাট বসব পরে ভারতশাসন-সন্বন্ধে ভ্রিটিশ গভনষেণ্টের যে কোনে! চিত্ত-বিকার হইয়াছিল তাহার প্রমাণ র্বীন্রনাথ দেখিয়া যান নি। দেশের মধো রাজনৈতিক আন্দোলন সফল কবিতে হইলে রবীন্দ্রনাথের মতে শিক্ষারই প্রচার সবাগ্রে প্রয়োজন; শিক্ষিতেরা ইংরেজিতে যেসব উচ্চভাব জানেন, দেশের মধ্যে বাংলাভাষার মাধ্যমে তাহা প্রচার করিতে হইবে। তিনি বলিলেন “বঙ্গবিদ্যালয়ে দেশ ছাইয়। সেই সমুদ্ধয় শিক্ষা! বাংলায় ব্যাপ্ত হইয়া! পড়,.ক। ইংরেজিতে শিক্ষা কখনোই দেশের সর্বত্র ছড়াইতে পারিবে না।”২ এই মত ববীন্ত্রনাথ বরাবরই প্রকাশ কবিয়া আসিতেছিলেন, এবং এই উদ্দেস্তে একদিন গতরমেন্টের কোনোন্ধপ সহায়তা বা সহযোগিতা নিরপেক্ষ 'লোকশিক্ষা সংসদ' স্থাপন কিয় বাংলা- ভাষার মাধ্যমে জানবিজ্ঞান চর্চার পরিবেশ রচনা কবেন।

এই সময়ের আর-একটি অকিক্িৎকর প্রবন্ধ আছে, 'টোন্হলের তামাশা” যাহা বিষয়েব গুরুত্থের জন্ত আমাদের

ভ্তাশনল কও, ভারতী, কাতিক ১২৯০, পৃ ২৮৭-৯৫। সববীশ্র-রচনাবলীভুক্ত হয় নাই। ভাশনল ক, ভারতী, কাডিক ১২৯*, পূ ২৯৩। রবীশ্র-রচনাধলীতূক্ত হয় নাই। ২৪

১৮৬ ববীন্দ্রজীবনী খষ্টা্ধ ১৮৮৩

দৃষ্টিভূত হয়। বাংলাদেশের ইতিহাস যাহার! সামান্ও জানেন, তাহারাই অবগত আছেন যে, বঙ্গ-বিহার-উড়িস্ার জমিদার-রায়তের মধো সম্বন্ধ এবং খাজনাপত্র আদায়বিষয়ক বিধিধিধানের বহুকাল কোনো সংস্কার হয় নাই। স্তর রিভার্স টম্সন ছোটলাট হইয়া এই বিধয়ে মনোযোগী হন। জমিদার রায়তদের মধ্যে তিক্ত সম্বন্ধে শাণিত করিবার জন্য গভর্নমেন্ট কমিট কমিশন একেব পর এক বসান জমিদারগণ প্রজার ন্তাযা দাবী মানিতে অনিচ্ছুক; এই লইয়া] দীর্ঘকাল বাদান্রবাদ চলে ; সেই অবস্থা ১৮৮৩ সালের ২৯ ডিষেঙ্বর টৌনহলে বাংলাদেশের জমিদারদের এক সভা হয়। ইতিপূর্বে আইনের খসড়া পুঙ্ধানসপুঙ্থরূপে পরীক্ষা করিবার জন্য যে দিলেক্ট কমিটি বসে তাহাতে দশজন সদস্য ছিলেন সবাই ইংরেজ-- দুইজন ভারতীয়-__ উত্তরপাড়ার প্যারীমোহন মুখোপাধায় দ্বারভাঙ্ষার মহারাজা টোৌনহলের সভায় জমিদার্র সঙবেত হইয়া যে সভ1 করেন রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধ তাহারই ব্যঞ্চ সমালোচনা।

রাজপুকুষদিগকে কেন্দ্র করিয়া স্বদেশের উন্নতি-সাধনের জন্য সভা-সমিতি করার ব্যর্থতা সম্বন্ধে ববীন্দ্রনাথের কোনো মোহমুগ্ধ ধারণা ছিল না। এই স্বাদেশিকতার শিক্ষা তাহাদের পরিবারগত ধারা হইতে প্রাপ। এই স্বাদেশিক আব্মসম্মান মাঝে মাঝে কী ভীব্র আকার ধারণ করিত, তাহা আমরা 'টোৌনহলের তামাশী,১ প্রবন্ধে দেখিতে পাই উহার ভাষার শ্লেষ ব্যঙ্গ তীব্রতার চরমে উঠিয়াছিল বলিলে অত্যান্রি হইবে না। ইহার আরম্থ এইনপ, “সেদিন টোন হলে একটা মস্ত তামাশা হইয়া গিয়াছে ছুই-চারিজন ই'রাজে হিলিয়! "আশ্বাসের ডুগড়গি বাজাইতেছিলেন দেশের কতকগুলি বড়লোক বড় বড় পাগড়ি পরিয়া নাচন আবন্ত কাঁরয়া দিয়াছিপেন।” অভান্থ তিল্ভাবে এই শ্রেণীর লোকদের সঙ্গদ্ধে তিনি বলিতেছেন, “যাহারা দেশকে অপমান করে দেশের কোনো স্থপুর তাহাদের [ ইংরেজদের ] সহিত সম্পর্ক রাখিতে পারে না। একটুখানি স্থযোগের প্রাশায় যাহারা দাতের পাটি সমস্থটা বাহির করিয়া তাহাদের সহিত আম্বীয়তা করিতে যাইতে পারে তাহাদিগকে দেখিলে শিতাম্থই স্বণাবোর হয়? বলা বাহুলা কবি" এ-মনোভাব কখনো স্থায়ী হইতে পারে নাও মনের উন্ধেজিত অবস্থায় ইত লিখিত |

সাবিত্রী, লাইব্রেরির এক সভার অধিবেশনে “অকাল কুক্মা ওত নামে যেপ্রবন্ধ পান করবেন (১২৯০), হাঁহার ভাৰ ভাষা কোনোটিই সুন্দর নহে লেখাটির অধিকা'শই রাজনীতি-আন্দোলনাদিরু সমালোচনা, অন্যান্য রচনার ন্যায় বিদ্রপে শ্পেষে কণ্টকিত। এই অভাবাম্মক দিক বাদ দিলে ছুই-চারিট। সভা কণ। বচনাটির মপধো পাঞয়া যায়) ভবে তার জন্য পনেরো-ষোলো রা প্রবন্ধ নিষ্ছয়োজন ইহা5 বের বাক্স লইয়া বালকের যেমন-তহেমন খেলার মতই প্রচেষ্টা কাজের কথার মধ্যে ছিল রাগ্ুনীতি সাহিতাযাঠশীলনে আন্মনিউরশীলতার প্রয়োজনের তাগিদ অশকরণের দ্বারা রাষ্ট সমাজ বা সাহিত্য গড়ে না বা টেকে না। “যাহারা খাটি জদয়ের কথা বলিয়াছেন, ঠাহাদের কথা মবিবে না।”

টৌন্হলের ভামাশ।, ভারী, পৌষ ১২৯০, পৃ ৪১৮-২১ | 11156 00177017051 181047019618 016 0617181 2১6০ ৪০ 0670৬ 5] ০01) 0০ 29017 10606100061 4883 0০ 6২ 06555 0610 01554 05080012786 0156 01000564158/515 01017 007 0156 15100 006501০0৮10) 10418177 195)15 বৈএচত, 31130603833. 1 বি০০ 500011659৮9 006 নৈ50100981 1715215, 08108668, 011 10876 1956. ] ৮616 818০ : 98101619710) 0. 8.১ ৬০]. 1]. 9, 808-09, ববীন্দ্র-রচনানলীভুন্ত হয় নাই

কলিকাতার ওয়েলিংটন ম্্াটের শিকট অজ্রুর দত্তের গুলি আছ্ছে। এই অনুর দন্ত কোস্পানির আমলে কমিশেরিয়েট বিভাগে কাধ করিয়া ধনবান হন এই দত্তপরিবারের বংশধরগণ সাবিত্রী লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা সাবিত্রী লাঃব্রেরি আলোচনা নামে পত্রিকার সম্পাদক লেপিক! শিরীজঙোক্ছিনণী দাসীর দেবর গোবিশলাল দন্ত 'সাবিত্রী' অর্থাং সাবিত্রী লাইগ্রেরির গত ছয় বংসরের অধিবেশনে পঠিত প্রবন্ধাবনী এব সাধিত্রী লাইবক্রোর হইতে পুরন্থারপ্রাপ্ত নারীরচনা। আশ্বিন ১২৯৩।--পিপেলস্‌ লাইব্রেরী, ৭৮ কলেজ স্ট্রাট রবীন্মনাধ সাকিত্্রী লাইব্রেরিতে ১২০* সালের ১১ চৈত্র 'অকাল কু্বাা ১২৯১ সালের ১১ ভার 'হাতে কলমে' পাঠ করেন ।__ সাবিত্রী : সংক্ষিপ্ত সমালোচনা আন্ত চৌধুরী, ভারতী ব!লক, ফাল্গুন ১২৯৩, প্‌ ৬৮৪-৮৬।

অকাল কুম্মাণ ভারতী, চৈ ১২৯০, পৃ ৫১৯-৪৪। রবীন্দর-রচন(বণী 2৪. হয় শই |

খ্রীষ্টা ১৮৮৩ ছবি গানের-যুগের গণ্ঠ : ১৮৭

মুক্তজীবনের সহজ প্রবাহ পদে পদে ক্ষন হইয়া অন্তরকে পীড়িত করিতেছে; নিশ্চেষ্টতার অবসাদ-জড়িমা হইতে বাহিরে আমিবার জন্ক বেদনা মানুষের চিরস্তন, কবিচিত্তও তাহারই জন্য ব্যাকুল। অথচ তখনকার “যে-সমস্ত আত্মশক্তিহীন বাষ্টনৈতিক সভা খবরের কাগজের আন্দোলন প্রচলিত হইয়াছিল, দেশের পরিচম্মহীন সেবাবিমুখ যে-দেশাহুরাগেন্ব মুছু মাদকতা তখন শিক্ষিতষণ্ডলীর্‌ মধ্যে” দেখ! দিয়াছিল, তাহার পতি ববীন্দ্রনাথের চিত্ত কোনোদিন আকৃষ্ট হয় নাই। দেশ সম্বন্ধে সমস্ত! তথোর উপর প্রতিষ্ঠিত নহে, দেশবাপী সম্বন্ধে কোনো প্রত্যক্ষানের উপর রাষ্টরতত্ব স্থাপিত নহে “হাতে কলমে”১ নামক যে-প্রবন্ধটি কয়েকমাস পরে সাবিক্রী লাইব্রেৰির অধিবেশনে পাঠ কেন, তাহাতে দেশসেবা সম্বন্ধে খুব মোট] কথা শক্ত ভাষায় দেশবাসীদের কর্ণগোচব করাইবার চেষ্টা কবেন |

রবীন্দ্রনাথের মতে দেশের কাজ বলিতে যে-একটা বাজনৈতিক ধুয়া উঠিয়াছে তাহা শৃগ্যগর্ভ কথাযাত্র ; কারণ দেশবাসীর প্রতি কর্তব্য ন| করিলে দেশে উন্নতি হয় না, অথচ দেশবাসী যখন অত্যাচারে উত্পীড়িত, অপমানে লাঞ্চিত, মারীভয়ে পীড়িত জঙ্গবস্ত্রাভাবে ক্ষীণ, তখন রাজনৈতিক নেতার এলব ছৃঃখ আধিব্যাধি নিবাকরণের জন্য ইংবেজের দরবারে উপস্থিত হন। দেশবাসীদের প্রতি যে দেশবামীর কোনে! কর্তব্য আছে, তাহা উদ্বুদ্ধ করিবার কোনো! প্রয়াম তাহাদের মধো দেখা যায় না। ই্হাকেই তিনি দেশের পরিচয়হীীন, সেবাবিমুখ আন্দোলন বলিয়া নিন্দা কবেন। হাতে কলমে? কাছের একটি উদ্বাহরণ তিনি দেশবাসীর সম্মুখে পেশ করিলেন। তিনি বপিলেন, “আদ্রকাল প্রতিদিন প্রাতে উঠিয়াই ইংরাজ কর্তৃক দেশীয়দের প্রতি অত্যাচাবের কাহিনী একটা-না-একটা শুনিতেই হয়।” এই ছত্যাচাকের বিকৃদ্ধে দাড়াইবার যে-শক্কি তাহাকেই তিনি যথার্থ দেশের জন্গ 'হাঁতে কলমে" কাজ বলিলেন _ সভা বা ৪£109001) নহে।

আমরা যে-সময়ের কথা 'মালোচনা করিতেছি তখন প্রায়ই ইংরেজ কর্মচারী বণিক গোরারা ভারতবাসীর উপর কারণে-অকারণে উপদ্রব করিত, নিষ্ঠুর হত্যার কথা 9 সময়ে-সময়ে শোনা! যাইত; কিন্ত তাহার প্রতিকার প্রায়ই হইত না। রধীক্জনাথের মনে এই প্রশ্নটাই সেদিন বড় করিয়া দেখা দিয়াছিল। তাই স্বদেশী কাজ বলিতে কি বুঝায় তাহারই দৃষ্টান্ত দিয়া বলিলেন, “যতবার মফম্বলে একজন ইংরেজ একজন দেশীয়ের প্রতি অত্যাচার কবে, যতবার সেই দেশীয়ের পরাভব হয়, যঙবার সে অদৃষ্টের মুখ চাহিয়া সেই অত্যাচার পরাভব নীরবে সম্থ করিয়া যায়, যতবার সে নিজেকে সবতোভাবে অসহায় বলিয়। অনুভব করে ততবারই যে আমাদের দেশ দাসত্বের গহ্বরে এক-পা এক-পা করিয়া আরও নাবিতে থাকে। কেব্ল কতক গুলো মুখের কথায় তুমি তাহাকে আত্মমর্ধাদ। শিক্ষা দিবে কি করিয়া ।-.. শিক্ষা দিতে চাও তো এক কাজ কর একবার একজন ইংরাজের হাত হইতে একজন দ্বেশীয়কে ত্রাণ কর, একবার সে বুঝিতে পারুক ইংরেজ অরৃষ্ঠ একই ব্যক্তি নহে |." তখন আমাদের দেশের লোকের আত্মমর্ধাদাজান বাস্তবিক হৃদয়ের মধ অস্কুরিত হইতে থাকিবে |" ইংবাজের প্রতিদিনকাব ব্াযবহাবগত যথেচ্ছাচাবিতা দমন করিয়া যখন দেশেব লোকেরা আপনাদিগকে কতকটা তাহাদের সমকক্ষ জ্ঞান করিবে, তখনই আমাদের যথার্থ উন্নতি আর্ত হইবে, দাসত্বের থরথর-ভীতি দূর হইবে আমবা নতশিব আকাশের দিকে তুলিতে পারিব। সে কখন হইবে, যখন আমাদেয দেশের সাধারণ লোকেরাও ইংবাজের গ্রতিকূলে দণ্ডায়মান হইয়া! কথবিৎ আত্মরক্ষার প্রভ্যাশ। করিতে পারিবে সে শুভদিনট বা কখন আসিবে? যখন স্বদেশের লোক স্বদেশের লোকের সাহাষ্য করিবে যে শিক্ষা, এই যথার্থ শিক্ষা, জিছ্বার ব্যায়াম শিক্ষা নহে, ইছাই শ্বদেশহিতৈহিতার প্রত চর্চ1 1”

হাতে কলছে, ভায়্তী, জাখিম ১২৯১, পূ ২৬৮-৭১। সাধিত্রী লাইস্েরিয যষ্ট অধিষেশনে ১২৯১ সালের ১১ ভাগ (২৬ অগস্ট ১৮৮৪ ) ভারিখে পঠিত ছয়। ববীম“রচলাহলীতুত ছু লাই। হাতে কলমে, ভারতী, আস্ছিন ১২৯১, পূ ২৬৬৩৪

১৮৮ রবীন্দ্রজীবনী গ্ীষ্টান্ঘ ১৮৮৩

রবীন্্নাথ বলিলেন যে, সমাজের প্রথম অবস্থায় মহাপুরুষ কার্জ করেন, তাহার পরিণত অবস্থায় মহামগ্ডলী (০9770001105 ) সেই কার্য সম্পন্ন করে এই মহামগুলীই হইতেছে মহামানব ; মহাপ্রয়াণের পূর্বে তিনি এই মহামানবের আবির্ভাবকে অভিনন্দিত করিয়1 গাহিয়াছিলেন “এ মহামানব আসে” দেশের কাজ বলিতে রবীন্দ্রনাথের মতে একটা দেশব্যাপী ভীষণাকার কাজের প্রোগ্রাম নহে তিনি বলিলেন, “ছোটো কাজই বাস্তবিক দুর, প্রকাগুমৃততি কাজের ভান ফাকি যাজ্! আমাদের চারি দিকে আমাদের আশে-পাশে আমাদের গৃহের মধো আমাদের কার্ধক্ষে।” পরধুগে লিখিত "্বদেশী সমাজে'র ইহাই পূর্বাভান এবং গঠনমূলক কার্ধের ইহাই প্রথম খসড়া

আলোচণা” গ্রন্থ

আমরা রবীন্দ্রনাথের রাজনৈতিক মতবাদ আলোচনা করিতে গিয়া! সমকালীন অন্ান্ত রচনার কথা বাদ দিতে বাধ্য হইয়াছি। এই সময়ের মধো তাহার কাবো অন্তজীবনে অনেক পরিবর্তন হইয়া গিয়াছে সমরেখায় কবির জটিল চিত্তের সকল আন্দোলন অনুভূতিকে দেখানো অসম্ভব 'প্রভাতসংগীত' 'ছবি গানে'র যুগে লিখিত গণ্রচন! সম্বন্ধে আমাদের আলোচনা অসম্পূর্ণ থাকিয়া যাইবে, যর্দি আলোচনা" নামে গ্রন্থের কথা এখানে না বলি। 'সন্ধাসংগীতে"র যুগে লেখা “বিবিধ প্রসঙ্গ" এই যুগে লেখ! “আলোচনা' “এই ছুই গপ্থগ্রন্থে ষে-প্রভেদ ঘটিয়াছে তাহা পড়িয়া দেখিলেই লেখকের চিত্রের গতি নিয় করা কঠিন হয় না।” বাহিরের জগতের ছবি মনের দর্পণে পড়িয়া যে-স্ুরের প্রতিচ্ছবি আনে, ছন্দে তাহা রূপ পায় ছবি গানে রবীন্দ্রনাথ তাহার এই কাব্াযরচনাকে বালকের রঙের বাক্স লইয়া খেলার সঙ্গে তুলনা! করিয়াছেন। আমরা তাহার গছ্যরচনাকেও সেইরকম রঙিন বাকা লইয়া খেলার কথা বলিয়াছি। কিন্ত চিন্তাশীল মাহষের মন কেবল বহিবিষয়ী জগতের রঙিন খেলায় তৃপ্ত থাকে না দে মনোক্গগতের অনন্ত লীলারাশিকে পর্যবেক্ষণ করিতে বিশ্লেষণ করিতে ভালোবাসে, নিজের সঙ্গে নিজের বোঝাপড়া হয়, লিখিতে লিখিতে তত উদ্ভাসিত হয়, তর্ক করিতে করিতে সত্য প্রকাশ পায়। সেইজন্য এক শ্রেণীর মনীষীর! নিরম্তর লেখেন, কথা বলেন, লিখিতে পিখিতে ভাবেন ভাবিতে ভাবিতে লেখেন-__ এটা পরের জন্য নহে নিজের জন্যই মুখ্যত ইহার গুয়োজন।

যৌবনের রচনা বলিয়া উপেক্ষা করিয়া রবীন্দ্রনাথ “মালোচনা” গ্রন্থখানিকে তাহার গগ্ভগ্রন্থসংগ্রহ হইতে নির্বাঙ্িত করিয়াছেন।ৎ কিন্ধ তরুণ কবি মনীষীর এই রচনার মধ্যে ষে-গভীর মননশক্তির আভাল পাই, তাহাকে আমরা তাচ্ছিপ্য করিতে পারি না। জীবনস্বতিতে লিখিয়াছেন, “আলোচন] নাম দিয়া ষে ছোট ছোট গগ্প্রবন্ধ বাহির করিয়াছিলাম তাহার গোড়ার দিকেই প্রকৃতির পরিশোধের ভিতরকার ভাবটির একটি তববাযাখা লিখিতে চেষ্টা করিয়াছিলাম। সীষা ঘে সীমাবদ্ধ নহে, তাহ! যে অতলম্পর্শ গভীরতাকে 'এককপার মধো সংহত করিয়া দেখাইতেছে।

আলোচনা ১৮৩৫ সালে [ বৈশীধ ১২৯২5] প্রকাশিত হয়। রবীন্্-রচনাবলী, অচলিত সংগ্রহ ২। কালানুঞ্জমিক রচনা গুলি প্রদত্ত হইল : 'র্ন। ভাবৃতী, চৈত্র ১২৯০, পৃ হ৬৭-৭৩। 'ডুধ দেওয়া, ভারঠী, বৈশাখ ১২৯১, পৃ ১৮১৯ [ছেটবড়। ডুবিবার স্বান, পুরাণের পৃতনত্ব, সামা, বদ, কেন একক জমি, জগং মিথ্যা, তুলনায় অরুচি, জগং সতা, প্রেমের শিক্ষা ]1 সোন্দর্য প্রেম, ভারতী, জাবাঢ ১২৯১, পু »৬ [ সৌনার্ধের কারণ, সৌন্দর্ধ বিশ্বপ্রেমী প্রহৃতি ] কথাবাঠা, ভারতী, শ্রাবণ ১২৯১, পৃ ১৩৭-৪* 1 আত্মা, তক্সোধিনী পত্রিকা, শ্রাধণ ১৮*৯ শক (১২৯১ )। বৈষ্কব কবির গান, নবজীবন, কাঠিক ১২৯১। |

আদিতা ওছদেদার : সমালোচক রবীন্ত্রনাথ ১৩৮৮ | পূ ৯-১৭1 “এই রচনাগুলি কোন মতেই উপেক্ষার ধোগা নয়-- এগুলির বিশ আলোচনার অবক।শ জাছে। একপ1 আমাদের মনে রাখিতে হইবে যে রবীন প্রতিন্তার শৈশবে পণ অপেক্ষা গপ্ত অনেক বেলী পরিণত ছিল”

খ্ীষ্টাৰ ১৮৮৩ আলোচনা? গ্রন্থ ১৮৯

ইহা লইয়া আলোচন! করা হইয়াছে ।” আলোচনার অন্তর্গত “ডুব দেওয়া” প্রবন্ধটির মধ্যে যে ক্ষুদ্র ক্ষত্র পরিচ্ছেদ আছে তাহাদের কয়েকটির মধ্যে প্রকৃতির পরিশোধের বহুবিস্তারিত ব্যাখ্যান পাই। “আলোচনায় সবন্দ্ধ ছয়টি প্রবন্ধ আছে। যথা-_ ডুব দেওয়া, ধর্ম, সৌন্দর্ঘ প্রেম, কথাবার্তা, আত্ম! বৈষ্ণব কবির গান। এই প্রবন্ধগুলি আবার ছোট ছোট উপপ্রবন্ধে বিভক্ত এই বইয়ের লিখনভঙ্গি 'বিবিধ প্রসঙ্গে 'র ম্যায় হইলেও স্থরের পার্থকা ইহাতে খুবই বিগ্ভমান। 'আলোচনা"র রচনাগুলি “বিবিধ প্রসঙ্গে'র লেখার মত হালকাভাবে লিখিত নয়, বয়স্ক চিন্তাশীল প্রায়- দার্শনিকের মত গস্তীর জটিল আমরা একটি উপপ্রবন্ধ হইতে কিয়দংশ উদ্দাছরণরূপে উদ্ধৃত করিতেছি

"এ জগতের সকল বস্তরই দৈর্ঘ্য প্রস্থ বেধ এই তিন প্রকারের আয়তন দেখা যায়। কিন্তু এইসকঙ্গ আয়তনের অতীত আর-এক প্রকার আয়তন তাহার্দের আছে, তাহাকে -." বলিব-.- অসীমায়তনতা, বা আয়তনের অসীম অভাব। একটি বালুকণাকে জড়ভাবে দ্বেখিলে তাহাকে কতকগুলি পরমাণুর সমষ্টিৰপে জানা হয় ; কিন্তু তাহাকে অনন্তজ্ঞানের অনস্তকালের মধ্যে দেখিতে চেষ্টা করিলে বালুকণার আকাব আয়তন কোথায় অদৃশ্ঠ হইয়। যায়, জানা যায় উহা! অসীম |... আমরা যাহাকে সচরাচর ক্ষৃত্রতা ব! বৃহত্ব বলি, তাহ! কোনো কাজের কথা নহে আমাদের চক্ষু ঘর্দি অণুবীক্ষণের মতো হইত তাহা হইলেই এখন যাহাকে ক্ষুদ্র দেখিতেছি, তখন তাহাকেই অতিশয় বৃহৎ দেখিতাম। এই অপুবীক্ষণতা- শক্তি কল্পনায় যতই বাড়াইতে ইচ্ছা কর ততই বাড়িতে পারে। অত গোলে কাজ কি, পরমাণুর বিভাজ্যতার তো আর কোথাও শেষ নাই; অতএব একটি বালুকণার মধো অনন্ত পরমাণু আছে, একটি পর্বতের মধ্যেও অনন্ত পরমাণু আছে, ছোট বড় আর কোথায় রহিল! একটি পর্বত৪ যা, পবতের প্রতোক ক্ষুদ্রতম অংশও তাই; কেহই ছোট নহে, কেহই বড় নহে, কেহই অংশ নহে সকলেই সমান বালুকণ! কেবল যে জেঞ়তায় অনীম, দেশে অসীম তাহ] নহে, তাহ] কালেও অসীম, তাহারই মধ্যে তাহার অনস্ত ভূত তবিষ্ুৎ বর্তমান একজে বিরাজ করিতেছে তাহাকে বিস্তার করিলে দেশেও তাহার শেষ পাওয়া! যায় না, তাহাকে বিস্তার করিলে কালেও তাহার শেষ পাওয়া যায় না। অতএব একটি বালুক1 অসীম দেশ অসীম কাল অসীম শক্তি, স্বতরাং অনীম জ্ঞেয়তার সংহত কণিকামাত্র চোখে ছোট দেখিতেছি বলিয়া একটা জিনিস সীমাবন্ধ নাও হইতে পারে হয়তো ছোট বড়র উপর অনীমতা কিছুমাত্ত নির্ভর করে না। হয়তো ছোটও যেমন অসীম হইতে পারে বড়ও তেমনি অলীম হইতে পারে। হয়তো অসীমকে ছোটই বলো! আর বড়ই বলো! সে কিছুই গায়ে পাতিয়া! লয় ন!।

বাহা কিছু, ক্ষুদ্র ক্ষত অনন্ত মকলি,

বালুকার কণা, সেও অসীম অপার,

তারি মধ্যে বাধা আছে অনস্ত আকাশ-_ কে আছে, কে পারে তাবে আয়ত্ত করিতে! বড় ছোট কিছু নাই সনকলি মহৎ ।১

ডুব দেওয়ার উপপ্রবন্ধগুলিতে আমাদের প্রতোক জেয় জিনিসের পিছনে যে অদৃশ্ট অপীমতা আছে, লেখক তাহার মধো মাষকে ডুবিবার জন্য দবার্শনিকের মতো পরামর্শ দিয়াছেন। কিস্ক কিভাবে সেই ডুব দেওয়া সার্থক হইতে পারে তাহার উত্তর দিয়াছেন প্রেমিকের মতো। তিনি বলিলেন, আমাদিগকে অহ্থরাগের সেই স্তরে পৌছাইতে হইবে, যেখান হুইতে বিস্তাপতির ভাষায় বলা যাইতে পারে 'জনম অবধি হুম রূপ নেহারিন্, নয়ন ন! তিরপিত ভেল' ষ্টিতঙ্গিই বদলাইয়া গেল। 'ম্বদেশ' “কেন, প্রতি প্রবন্ধে স্বদেশপ্রেমকে একটা নৃতন আলোয় দেখার চেষ্টা হইয়াছে

ভারতী, বৈশাখ ১২৯১। জালোচনা, পূ ২-৬। রবীন-রচনাদলী, অচলিত মংগ্রহ ২, পৃ ৬-৭।

১৯৬ ববীন্ত্র্দীবনী ষ্টাফ ১৮৮৩

ধর্মে'র প্রবন্ধগুলিতে তিনি মাহুষের অপূর্ণতাকে এমন একটি বিশ্বজনীন সহানুভূতির স্তর হইতে দেখিয়াছেন যে উহা পাঠ করিলে আমাদের অপূর্ণ তাকে দোষের বলিয়া মনে হয় না, মনে হয় যেন উহা পূর্ণতারই উল্টা পিঠ, অর্থাৎ পর্ণাপৃর্ণ অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। পরব কয়েকটি প্রবন্ধে লেখক সেই মনোভাবকেই ধর্ষ বলিয়াছেন যাহার দ্বারা আমর গ্রকৃতির অন্তনিহিত সত্যকে মানিয়া চলি।

সৌন্দর্য প্রেম প্রবন্ধে তিনি হন্দবের অর্থ বুঝাইবার চেষ্টা করিয়াছেন ; আপনার মধ্যে যাহার পরিপূর্ণ সামঞ্জন্তবোধ আছে, তাহাই হুমন্দর। সমস্তটাই ছন্দোবদ্ধ, বি-সম কিছুই নাই “যথার্থ যে হন্দর সে প্রেষের আদ, তাহার কোনোখানে বিরোধ বিছেষ নাই |." যাহাতে মিল নাই, তাহা হ্ৃন্দর নহে। যাহা সুন্দর তাহার জগতের সাধারণের সহিত আশ্র্য যিল আছে আমাদের মনই সৌন্দর্যপিপান্থ। এইজন্য হন্দরকে আমরা অবজ্ঞা করিতে পারি না। এখন ফাহাদের মধো এই সৌন্দ্যবোধ নাই, তাহাদের জণ্ু কে চেষ্টা করিবে-_ কবি। তাহার কাজই হইতেছে আমাদের মনে সৌন্দর্য উদ্রেক করিয়া ছেওয়া।” 'ম্বাধীনতার পথপ্রদর্শক” নামে উপপ্রবন্ধে তিনি কবিদের কাজ সম্বন্ধে বলিয়াছেন, “কবিরা! অমর, কেননা তাহাদের বিষয় অমর, অমরতাকে আশ্রয় করিয়াই তাহাবা গান গাতিয়াছেন। ফুপ চিরকাল ফুটিবে, সমীরণ চিরকা'ল্‌ বহিবে, পাখি চিরকাল ডাকিবে, এবং এই ফুলের মধো কবির স্ৃতি প্রবাহিত, এই পাখির গানে কবির গান বাজিয়া উঠে।” এই সৌন্দর্দ প্রেমের প্রতীকলম্্রী সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ যে ক্ষুদ্র রচনাটি এই প্রবন্ধের শেষে যোজনা করেন, তাহাকে গগ্যকবিতা বলিলে ভুল হইবে না।

“কথাবাডী? প্রবন্ধে লেখক “বিবিধ প্রসঙ্গ গ্রন্থের একটু জের টানিয়াছেন। আলোচনার 'সক্ধ্যাবেলায় “বিবিধ প্রসঙ্গে'র 'প্রাতকাল সন্ধযাকাল' দুইটি সমধর্মী প্রবন্ধ হইলে ইহাদের মধো মূলগত পার্থকা রহিয়াছে 'প্রাতঃকাল সন্ধ্যাকাল' গভীর দর্শনস্থলত প্রবন্ধ কিন্ছ 'সন্ধ্যাবেলায়'-এর ছষ্টিভঙ্গি জ্যোতিষিগ্যার পটতূয়িকায় দার্শনিকতা, অর্থাৎ যে-বীধানি,মে প্রকৃতি চলিতেছে সেই নিয়মের উপলব্ধি ইহাতে আছে 'আঝ্মা' প্রধন্ধনমঠিতে কবি আম্মার অসীমতার বিষয় আলোচনা কবিয়াছেন। আত্মবিলর্জনের মধোই আত্মার অমরভার লক্ষণ দেখা যায়, এই আত্ুবিসঙ্গন দিয়া আমরা অসীমতায় পৌছাইতে পারি “বৈষ্ণব কবির গান পূরোজিখি 'সৌন্দয ক্রেম' গবন্ধটিব মুল বঞ্ুবোর পুনরুক্তি মাত্র ।১

“আলোচনা? গ্রশ্থখানি লেখক তাহার পিতৃদেবকে উৎনর্গ করেন

বিবাহ হাসি অশ্রজল' কারোবার হইতে করিবার কয়েক মাসের মধ্যে ব্ববীন্্রনাথের বিবাহ হইল 1 জীবনস্বতিতে অতি সংক্ষেপে সংবাদটি দেওয়া আছে, “১২৯০ সালে ২৪শে অগ্রহারণে আমার বিবাহ তম, তখন আমার বয়স বাইশ বংসর |” বিবাহের দিনে প্রিয়নাথ সেনকে নিমন্তথণ করিয়া! ঘে-কৌড়ুকপূর্ণ পবরখানি লিখিম্বাছিলেন তাহ উপভোগা ।২ বিবাহের বাবস্থা হইল 'এর' সঙ্গে সঙ্গে মহধি তাহাকে সংসারের কর্ষরজ্জুতে বাধিবারএ ব্যবস্থা করিলেন। বিবাহের

শ্ীজীবেজকুমার গুঠ, রবীন প্রবন্ধের আপিপন, বিশ্বভারতী পথিক বৈশাখ ১৩৫০, পৃ ৬০৮৩৯

বিশ্বভারতী পত্রিকা, বৈশাখ ১৩৫ (রক করা পত্র) জীবনগ্মতি, গ্রন্থপরিচয় | বিবাহ হয: ডিসেম্বর ১৮৮৩। ২৪ আগ্রহথাণ ১২৯*। প্শাপামী রবিবার ২৪ অগ্রহায়ণ তারিখ গুভদিনে গুভলগে আমার প্রমায়ীয় জীমান রবীল্রনাথ ঠাকুয়ের পভতবিবাহ হইবেক | আপনি তদ্পলক্ষে বৈকালে উক্ত দিবসে ৬নং যোডামীকোন্থ দেবেশ্রনাথ ঠাকুরের ভবনে উপস্থিত থাকিয়া বিবাছাদি সঙ্দর্শন করিয়। আমাকে এবং আতীয়বর্গকে বাধিত করিবেন। ইতি। অনুগত রবীশ্রনাথ ঠাকুর 1” পত্রের কোণ চি্তলে সুদ্রিত জাছে_ “আশার ছলনে ভুলি কি ফল লঘিলু হায়'! পাশেই রবীন্রনাথের শ্বহস্তে লিখিত 'আমার 21০6০ নহে

এরা ১৮৮৩ বিবাছ : হাসি অশ্রজল' ১৯১

দুই দিন পূর্বে রবীন্দ্রনাথ পিতার নিকট হইতে যে পত্র পাইলেন তাহাতে তিনি খুশি হুইয়াছিলেন কি না বলা কঠিন, পিতার পত্রথানি নিয়ে উদ্ধৃত করিলাম, “এইক্ষণে তৃমি জমিদাগির কাধ্য পর্যবেক্ষণ করিবার জন্য প্রস্তত হও; প্রথমে সদর কাছারিতে [ কলিকাতায় ] নিয়মষিতরূপে বলিয়া মর আমিনের নিকট হইতে জমাওয়াশীল বাকী জমাখরচ দেখিতে থাক এবং প্রতিদিনের আমদানি রপ্তানি পত্র সকল দিয়া তার ারমর্ম নোট করিম রাখ প্রতি সপ্তাহে আমাকে তাহার বিপোর্ট দিলে উপযুক্তমতে তোমাকে আমি উপদেশ দিব এবং তোমার কার্ধে তৎপরতা! বিচক্ষণতা আমার প্রতীতি হইলে আমি তোমাকে মফষঃম্বলে থাকিয়া! কার্ধ কবিবার ভার অর্পন করিব ।”১ এইভাবে জমিদারি কার্ষে রবীন্দ্রনাথের ছাতে-খড়ির স্থত্রপাত হইতেছে রবীন্দ্রনাথের বিবাছে মহুষি উপস্থিত হইতে পারেন নাই; তিনি তখন নদ্দীপথে ভ্রমণ করিতে করিতে বাকিপুব পৌছাইয়াছিলেন। সেখানে সংবাদ পাইলেন যে ২৪ অগ্রহায়ণ তারিখে শিলাইদহের জমিদারিতে তাহার জ্যেষ্ঠ জামাতা সারদাপ্রসাদের মৃত্যু হুইয়াছে। দিনই কলিকাতায় রবীন্দ্রনাথের বিবাহ সারদাপ্রসাদ মহধির কাছে পুত্র অপেক্ষা কম প্রিয় ছিলেন না; যাবতীয় বৈষয়িক কর্মে তিনি ছিলেন তাহার দক্ষিণহত্তস্বূপ। জমিদারি কাজের অনেক হলাহল নিশকে পান কৰিয়া তিনি নীলক হইয়াছিলেন ; দেহমন দিয়া সকল কর্মের সকল গ্লানি বহন করিয়া প্রত্ুর কার্ধ যথাসাধা সম্পন্ন করিতেন স্ত্রী-বিয়োগের পর মহধির এই প্রথম শোক তিনি নৌকা ছাড়িয়া দিয়া পাটনা হইতে রেলপথে বোলপুর আসিলেন। সেখান হইতে কলিকাতায় ফিবিয়! মাত্র তিন দিন জোড়ার্সীকোর বাড়িতে থাকেন তার পর সেই ষে বাড়ি ত্যাগ করিয়া বাহির হইলেন, মৃত্যুর অত্যল্পকাল পূর্ব ব্যতীত জার সেখানে আসিদ্বা কখনো বাম করেন নাই রবীন্দ্রনাথের ক্কায় স্থুপুরুষের উপধুক বধু সংগ্রহের জন্য বহু চেষ্টা হয়; কিন্তু সংকীর্ণ পিবালী ব্রাহ্মণ সমাজে সেক্ধপ “কন্যা? স্থছুলভ। কারণ সেযুগে ছেলেদের বিবাহ হইত বিশ বংলসবের মধ্যে এবং বধূদের বয়স হইত নয়-দশের ভিতরে ববীন্ত্রনাথের বয়স তেইশ পর্ণ, স্থৃতরাং তাহার জন্য অপেক্ষাকৃত অধিক-বয়স্কী বালিকার সন্ধানে সবাই প্রবৃত্ত হইল। একবার এক অ-বাঙালী ধনী পরিবার হইতে বিবাহের প্রস্তাব আমে | কন্যা দেখিতে গিয়া তাহার] কী দেখিলেন এবং কেন সেখানে বিবাহে বাজি হইলেন না-- ইত্যাদি কাহিনী রবীন্দ্রনাথ বুদ্ধবয়সে খুব বসাইয়! মংপুতে মৈতেী দেবীর কাছে বলেন; আমাদেরও সে-কাহিনী ভাহার নিকট হইতেই শোনা এই বিবাহ প্রস্তাবে জোটভ্রাতা হ্বিজে্জনাথ (৪৩) খুবই কৌতুক বোধ করিয়া একটি কাব্য লেখেন-__ যৌতুক না কৌতুক'। যৌতুকের অস্কটা ছিল কয়েক লক্ষ টাকা। যৌতুকের অঙ্কটার কথা তুলি বলিতেন, “সেই সাত লক্ষ টাকাটা পেলে বিশ্বভারতী ছুর্দশা থাকত না" বিশ্বভারতীর তখন চব্ম অর্থভুর্গতির পব। বিবাহ সেখানে না হইয়াও হইল ফুলতলি গ্রামের এগারে| বৎসবের এক কৃশ, কুগ্ণ, অশিক্ষিত, অতান্ত সাধারণ পাড়াগেয়ে বালিকার সঙ্গে ছিজেন্দরনাথ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলিয়া লিখিলেন-_ বহু সন্ধানেও যখন সববার্দিসম্মতিক্রমে কোনো বধু মিলিল না তখন স্বিব হইল ঠাকুব-এস্টেটের সামান্ত কর্মচারী বেণীমাধব বা্সচৌধুরীর একাদশ বধীয়া কন্যার সহিত রবির বিবাহ হইবে এক পিরালীত্ব ছাড় আর কোনে! মিল ছিল না এই ছুই পরিবারের মধ্যে শর্বরী গিয়াছে চলি'! ছিজ-বাজ শৃন্তে একা পড়ি গ্রতীক্ষিছে ববির পৃণ উদয়। গন্ধহীন ছু-চারি বজনীগন্ধ। লয়ে তড়িঘড় মাল! এক গা ধিক! মে অসময় মহি দেবেস্নাপের পত্র, ২২ অগরসথায়ণ, ৫৩ [ আাঙ্জ জ্। ] হফ্সার হইতে লিখিত) দ্র. বিশ্বপারতী পঞ্জিকা, মাধ চৈত্র ১৩৫১, পৃ ২৯৯।

১৯২ ববীন্দ্রজীবনী খ্রীষ্টাব্দ ১৮৮৩

পিছে রবির শিরে বলি এই “আশিষি তোমারে অনিন্দিতা স্বণ-মুণালিনী হোক্‌ স্থবণ তুলির তব পুরস্কার! মছ্রাজার করে যে পড়ে সে পড়ুক খাইয়া চোক।+

খুলনা জিলার দক্ষিণডিহির শুকর্দেব রায়চৌধুরীর বংশের বেণীমাধব ছিলেন মহধির এস্টেটের সাধারণ কর্মচারী-_ সামাজিক আর্থিক আধ্যাত্মিক কোনো দিক হইতেই অভিজাত ঠাকুর-পরিবারের সহিত ইহাদের তুলনা হইতে পাবে না। তবুও বিবাহ সেইখানেই হইলি। মহধি যথারীতি কুল-গোত্রাদি দেখিয়াই বিবাহ দিতেন, ক্ষেত্রেও তাহার ব্যত্যয় হয় নাই।২ অভিভাবকদের মতানসারে গতাঞছুগতিকের বাধাপথ ধবিগ্াই সমস্ত নিষ্পপ্ন হইয়াছিল। বিবাহ হইল কলিকাতায়, মহষির ব্যবস্থায় তাহাদেরই বাড়িতে ।* বিবাহের সময়ে বধূর বয়স এগারো ব্সর মাত্র। কুলপন্ী অনুসারে কন্যার নাম ছিল ভবতারিণী। ঠাকুরবাড়িতে নৃতন বধূর পুরোনো ধরনের নাম একেবারে অচল, স্থৃতরাং নৃতন নামকবণ হইল মুণালিনী এবং সেই নামেই তিনি পরিচিত ছিলেন। মনে হয় এই মণালিনী নাম রুবীন্দ্রনাথেরই দেওয়া, তাহার অতিপ্রিয় নলিনী' নামেবই প্রতিশব।

রবীন্দ্রনাথের মনে জীবনসঙ্গিনী সম্বন্ধে যেসব কল্পনা বা স্বপ্ন ছিল, এই বিবাহের দ্বারা সেগুলি কতদূর মফপ হইয়াছিল তাহ] বল। কঠিন তাহাকে বাংলাদেশের পল্লীগ্রামের দরিদ্র গৃহস্থেব অন্নশিক্ষিত এগারো বৎসরের বালিকাকে পঞ্ীকপে গ্রহণ করিতে হইল। ব্বীন্দ্রনাগ ফুবোপপ্রবাসীর পত্রধ(পায়, 'যথাথ দোসর", 'গোলামচোর প্রভৃতি রচনায় জীবনসগগিনী সন্ঘদ্ধে যেসব মনোরম মতামত ব্যক করিয়াছিলেন, তাহ] যে বাস্তব জগতে সম্ভব নহে তাহা প্রাীনপন্থী পিতার শাসন- ব্যবস্থার প্রমাণিত হইল। রবীন্দ্রনাথের ন্যা্ প্রতিভাবান যুবকের উপবুক্ক নারী জগতে অলভা না হইলে বাংলার কুদ্গগী পিরালীসমাজের ব্রাঙ্মণশাখার মধ্যে যে ছুলত, তাহ। বলাই বাহুল্য ইহা জানিযাহ তাহার অভিভাবকগণ তাহাদের মনোনীত বালিকাকে জীবনসঙ্গিনীরূপে গ্রহণ করিতে কবিকে বাধ্য করিপেন, কবি ভবিতবোর অমোঘ বিধান- জ্ঞানে তাহ মানিয়া লইলেন এবং অতান্ত ম্বেহের সহিত নববধূকে গ্রহণ করিলেন কবির মৃত্যুর পর জকাশিত তাহার গ্ঁকে পিখিত “চিঠিপত্র হইতে আমরা জানিতে পারিয়াছি সংসার শিসয়ে কবি কী সেহশশ, কী কতব্যপরায়ণ ছিলেন।

ঠাকুর-পরিবারে আনন্দ-উচ্ছ্বাস যেন কানার কানায় উছলিরা পড়িতেছে » পরিবার কনিষ্ঠ পুতের বিবাহ হইয়া গেল। পুত্রকন্টাগণের বিষয়ে মহবির এই শেধ সামাজিক কতব্য অহষ্ঠান। ছোটবউাকে তিনি শিক্ষায়-দীক্ষায় ঠাকুর-প্িবাবের অন্যান্য বধূ কন্তাদের সমতুলা করিবার জগ্ বাধস্থ। কবিয়। দিশেন চুচুড়া হইতে ঘান্ষন [১২৭৭] দেবেনা পিখিপেন, “ইংরাঙ্জি শিক্ষার জন্য ছোটপৌকে পরেটো হোসে পাঠাহমা দিবে। ক্লাসে অন্থান্য ছাত্রীর্দিগের

কাবামালা, পূ ৫*। অধ্যাপক আনগদীশ ভটাচয মনে করেন (দজেক্রণাপ নববধূ পামকরণ করেন 'মুপালিনী।

২. ১৮৮৩ পুচার টুটির সয়ে জানদানন্দিনী দেবী উংপাহী হয়! বাঞ্ঠুতিটা দেখিবার অন্গুহাতে যশোহর জেলার নরেম্পুর গ্রামে যান, উদ্দেশ কাছাকাছি পিরালী পরিবারের মবা হইতে বধু সংগ্রহ জ্ঞান্পানন্দিনী দেবীর সঙ্গে কাদরী পেবা, ধাণিক। হশ্দির।, বালক হরেক্রনাপ রবীআানাথ চলিলেন পুরাতন ভিটা দেখিবেন। নেউসময়ে ফুলঠতি গ্রামে বোৌমাধব রায়চৌধ্রীর কন্ঠ ভবস্ারিনীকে ঠাহারা দেখেন, রবাল্রনাথ দেধয়]ছিলেন কি না জনি ন]। বধৃসন্ধানীর। এই শ্রগারে। বংমরের বালেকাটিকে ঠাহাদের অসামা্ঠ দেবরটির 'যধাথ দোসর'-রপে মনোনকন করিয়া বোধ হয় গ্বশুর মই[শয়কে জানাইয়| ভিলেন রনীজনাধ কলিকাতায় ফিরিয়। প্রিয়নাপ সেনকে পিখিতেছেন-_ “আমর মাঝে বশোরে বেড়াতে গিয়েছিলাম সম্প্রতি শোর থেকে এসেছি...” চিঠিপত্র ৮1 পত্র ১০। পৃ ১০)

অবনীল্রনাপের 'ধরোয়া'য় (পূ ৮১) রবীজানাধের 'আইবুড়ো ভাতের বিস্তারিত বর্ণনা আছে। তাহাকে আন্ীয়রা প্রপ্ সরেন, 'কিরে বউকে দেখেছিস, পছন্দ হয়েছে?” তাই মনে হয় ফুল তুলিতে ভাবী বধূকে পুক্ষরিণী-ঘাটে দেখিয়াছিলেন।

গর্ব ১৮৮৪ “বিবাহ-উৎনব' ১৯৩

সহিত একত্র না পড়িয়া! তাহার হবতন্্ শিক্ষা দিবার বন্দোবস্ত উত্তম হইয়াছে তাহার স্কুলে যাইবার কাপড় সুলের মাসিক বেতন ১৫ টাকা সরকারী হইতে খরচ পড়িবে |”,

“বিবাহ-উৎসব'

রবীন্দ্রনাথের বিবাহের তিন মাস পরে ঠাকুর পরিবারে আব-একটি উৎসব মুখরিত বিবাহ নিষ্পর হইল স্বর্ণকুষারী দেবীর জ্যেষ্ঠ! কণ্ঠা হিরগ্ময়ীর (১৬) সহিত সন্ত বিলাত-প্রত্যাগত কুতিছাত্র ফণীভূষণ মুখোপাধ্যায়ের বিবাহ (মাঘ-ফান্কুন ১২৯*)।*

ছিরগ্ময়ীর বিবাহ ঠাকুববাড়িতে হয় ;) তখনে| বিবাহ-সভান্প মেয়ের! উপস্থিত হইতে পারিতেন না) তৰে বানরের আমোদ-উৎসবন্বক্ধপ রবীন্দ্রনাথ 'বিবাহ-উতৎ্সব” নামে একটি গীতি-নাটিকা রচনা! করিয়া অভিনয় করান দ্বিজেন্জনাথের কন্তা সরোজ! ছিলেন নায্িক1, বাড়ির অন্ত মেয়ের! তাহার সী। এই নাটিকায় ছইজন পুরুষ ছিল, একজন নায়ক একজন তাহার আমুদে সখা দ্বিপেন্্রনাথের স্ত্রী হুশীলা দেবী ( দিনেন্দ্রনাথের জননী ), শরৎকুমারীর কন্ঠা স্থপ্রভা (অসিতকুমার হালদাবের জননী )। ইহারা পুরুষের ভূমিকা গ্রহণ করেন ।--( দ্র. জীবনের ঝরাপাতা, পৃ ৫৭)

বিবাহ উৎসব" গীতি-নাটিক। সাতটি দৃশ্ঠে পরতাল্লিশটি গান। গানের রচয্মিতা রবীন্দ্রনাথ, জোতিরিজ্দরনাথ, স্বর্ণ, কুমারী অক্ষমুচন্দ্র চৌধুরী রবীন্দ্রনাথের রচিত আঠাশটি গান; ইহার মধ্যে দশটি পুরাতন এই উৎসবের জন্য পিখিত হয় আঠারোটি ।০

পরিবারের সকলেই কলিকাতায় কেহ জোড়ার্সীকোর ভদ্রাসনে, কেহ সাকুর্লার রোডের ভাড়াটে বাঁড়িতে। আনন্দ-উল্লানকে সম্পূর্ণভাবে সম্তোগ করিবার জন্য একটি অভিনয় করিবার প্রন্তাব হইল। যৌথ-রচনা বিবাহ-উৎসবের সাফল্যে উৎসাহিত হইয়া! তরুণ-তরুণীর! স্থির করিলেন যে নাটকের রচয়িতা হইবেন অভিনেতার স্বয়ং সেইজন্য মোট'মুটিভাবে একটা প্রট খাড়া করিয়া অভিনয়ের অংশ নিজেদের মধ্যে বণ্টন করিয়া দেওয়া হইল। একজন নিজ অংশ লিখিয়া দিলে অপরজন তাহার অংশ লিখিবেন, এইকূপে অভিনেতা-লেখকরদের হাতে-হাতে ঘুরিয়া একটা জিনিস খাড়া হইল বটে, তবে তাহাকে সাহিতা নাম দেওয়া যায় না। নাটক রচনা এভাবে বারোয়াবী সমবায়-পদ্ধতিতে নিশ্পব্র হয় না। শেষকালে রবীন্দ্রনাথকেই সেই খসড়াকে ছাটিয়া কাটিয়া একটা চঙসনসই নাটক খাড়া করিতে হইল। নাটকখানির নাম রাখ1 হইল 'নলিনী', রবীন্দ্রনাথের প্রিয় নাম। ইহাই তাহার প্রথম গদ্ধ-নাটক। ইহার মধ্যে ভগ্নহদয়ে'র ছাপ এবং “মায়ার খেলা'র পৃবাভাম আছে। “মায়ার খেলার ভূমিকায় কৰি বলিয়াছিলেন তাহার “পূর্ব-

১. লরেটেো হাউস রোমান কাখলিক ধ্রীষ্ঠান সন্সানিনীদের দ্বার! পরিচালিত কন্বিস্তালয় ষহৃধির পত্র, বিশ্বভারতী পত্রিক1, মাথ-চৈত্র ১৩৪৫*, পৃ২৯৭। লরে. টো. ইতালির শহন। ১৩ শতকে পালিস্তানের নাজেরেখ শ্রাম হইডে যী গুধীষ্টের জন্মভিট!টি ইতালির এই গ্রামে চলিয়া আসে বলিয়া অনৈক! সাধবী ঘোষণা করেন। সেই হইতে কাখলিক শ্রীষ্ঠানদের তীর্থস্থান; এই সম্প্রদার নানাস্থানে হিশন বিদ্যালয় স্থাপন করিয়াছেন দেবেজনাথ একসময়ে কেশবচন্র সেনের স্্ীষ্ট্লীতি দেখিয়া 'স্ষ্টতীতি' নাষে এক ভাষণ দান ককেন। আজ পুত্রধধূকে শিক্ষিত করিবার জঙ্থ হিন্দু বা ত্রাঙ্গদের স্বাপিত শ্রেণীর কোনে! বিদ্যাক্নতনের অভাবে, পৌত্তলিক ক্যাখলিকদের 'লরেটে। হাউসে পাঠাইতে হইল। “দিদির বিয়ে হয় যোল বংসর বয়সে আমাদের পিসেষশায়ের ত্রাতুল্পুত্্ কশীতৃধণ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সিমলার [ কলিকাতা ] বাড়িতে থাকতেই ফণিদাদ! পিসেমহাশয়েয় সঙ্গে প্রায়ই আমাদের বাড়িতে আসতেন তখন থেকেই ভার দিদিকে বিগ্লে করযার ইচ্ছ1 হয়। সেই অভিলাধ পূর্ণ করার মস্টে গিলক্রিস্ট স্কলারশিপের প্রচেষ্টায় কৃতকার্য হয়ে বিলেত যান [ ১৮৭৮ ]1 সেখান থেকে গভনমেন্টের এডুকেশন লাডিস শিয়ে [ ১৮৮৩ ] এসে প্রথমে প্রেসিডেন্সী কলেজে বোটানির অধ্যাপক হুন। তার পয়ে রাজসাহী হুগলী কলেজে বদলি হন। শেষ জীবনে প্রেসিডেন্সী ₹খমান ডিতিগনে ইন্সপেক্টর | অফ স্ুলস ]ছন। যতদিন কলিকাতান্স ছিলেন দিদিয়! কাশিয়াবাগানেই [ জানকীনাধ ঘোষালের বাড়িতে ] খাকতেন।" সরলা দেবী, জীবনের ধরাপাত1। ১৩৬২) পৃ ২৬। আর. পৃ. ২১১: ফশীভূষণ মুখোপাধায়ের সংক্ষিপ্ত জীবনী আঁ. গীতবিতান ৩। পৃ ৭৭৫-৮০। গ্রদ্থপরিচয়, পৃ ৯৭৬-৭৭।

২৫

১৯৪ বৃবীন্জ্জীবনী ধীটা ১৮৮৪

রচিত একটি অকিঞ্চিৎকর গণ্ঘ-নাটিকার সহিত এই গ্রন্থের সাদৃশ্য আছে ।” সেই অকিঞ্চিংকর গ্ঘ-নাটিক] হইতেছে “নলিনী”, যাহার নাম পর্বস্ত তিনি জীবনস্থৃতিতে উল্লেখ কবেন নাই কাহিনী-অংশে ভগ্রহদয়ে ক্ষীণ প্রতিধ্বনি 'মায়ার খেলা” এই “নলিনী'র গীতি-নাট্য দপ। নাটক রচিত হুইল) অভিনয়ের আয়োজন সম্পূর্ণ__ রবীন্দ্রনাথ গ্রন্থশেষে কিছু-কিছু সংযোজন করিয়া! দিলেন 3 এই অভ্যাস কবির শেষ পর্বস্ত ছিল-_- নাটকের পরিবর্তন, পরিমার্জন করিতে ক্লান্তি ছিল না। নলিনীতে স্বহস্তে যেটুকু লিখিয়। দেন তাহা] আমরা উদ্ধৃত করিতেছি--১ “নীরজা। আজ আমার কি দুখের দিন! আজ আমি নিজ হাতে তোমান্দের মিলন করে দিলুম-_ পৃথিবীর মধ্যে দুজনকে আমি সখী করতে পারলুম | নবীন। আর তোমার নিজের স্থুখ দেখলে না! নীরজা!। সেই আমার স্থখ-_ প্রদীপ দগ্ধ হয়ে আলো দেয় তা না হলে তার আর কি আবশ্কক আছে ! নবীন। তা বটে! কেন এলিরে, ভালো বাসি নি, ভালোবাসা পেলি নে। কেন সংসারেতে উকি মেরে চলে গেলি নে। নীরদ। তুমি আমাকে নলিনীর হাতে সমর্পণ করলে, কিন্ত আম্বার সমস্ত দয় কি তাকে দিতে পারব? তোমাকে যা দিয়েছি ত| তুমি ফেরাতে পারবে না। আমাদের ষিলনের মধ্যে তুমিই চিরদিন অধিষ্ঠাত্রী দেবী হয়ে জেগে থাকবে 1 আমাদের দুজনের এই মিলিত হদয়ের সমুদয় স্থখ দুঃখ হাসি অসশ্রজল তোমারি উদ্দেশে উৎনর্গ করে রেখে দিলুম চিরকাল তোমারি পূজার জন্যে আজ আমাদের এই দুজনের জীবনের মিলন-মন্দির প্রতিষ্ঠিত হল।”

শোক সান্তনা :

নলিনী রচিত হইল, কিন্তু অভিনীত হুইল না। তাহাদের পরিবারের উপর দিয়া মৃতার প্রবল ঝড় চলিয়া গেল। প্রথমেই জ্যোতিরিন্দ্রনাথের স্ত্রী কাদম্বরী দেবী অকম্মাৎ আত্মহত্যা করিলেন, এবং মেজদাদ! হেমেন্্নাথ৭* অল্লবমসে কয়েকদিন পরে মার! গেলেন। এই দুইটি ঘটনা মাসাধিককালেব মধ্যেই ঘটিয়াছিল, কিন্ত জীবনস্থতিতে রবীন্দ্রনাথ তাহার জ্োষ্টের মৃত্যুর কথ] উল্লেখ করেন নাই, তাহার নৃতন বউঠাকুরানীর মৃত্যুই তাহার কাছে মর্মান্তিক হইয়াছিল বলিয়া ঘটন] সম্বন্ধে বহু বিস্তারে বলিয়াছেন। রবীন্দ্রনাথ তাহার এই বউঠাকুরানীর প্রতি কী পরিমাণে অহরক ছিলেন তাহা বরবীন্ত্-সাহিত্যের পাঠকের নিকট অবিদিত নাই।

রবীজ্রনাথের বয়ম যখন সাত বসব, তখন নয় বৎসরের কাদম্বরী দেবী বালিকাবধুকপে এই গৃছে প্রবেশ করেন। তার পর মাত' সারদা দেবীর মৃত্যুর পর তিনিই মাতৃহীন শিশুদের মাতৃস্থান, বন্ধুস্থান গ্রহণ করিয়াছিলেন। ববীন্দত্রনাথের বয়োবৃদ্ধির সহিত তাহার সাহিত্যঙ্জীবনের পূর্ণাঙ্গ বিকাশে জেযোভিরিজ্নাথ যেমন সহায়ত] করিয়াছিলেন, তেমনি

আীসুকুমার সেন, বাঙ্গালা সাছিতোর ইতিহাল ( রবীক্্রনাণ ), পূ ২৩৩ সংলগ্ রবীন্রনাপের লিখিত প্রতিলিপি। কাদদ্বরী দেবীর মৃতু (৮ বৈশাখ ১২৯১। ১৯ এপ্রিল ১৯৮৪ )। প্রীহেদলত ঠাকুরের নিকট এই তারিখ পাইয়াছিলাম। তিন বংসর পূর্বে বোধ হয়, ১৯ এপ্রিল ১৮৮১ [৮ বৈশাখ ১২৮৮ ] রবীন্নাখ মুজিত ভগ্রহদয় গ্রন্থ।কারে উৎসর্গ করিয়াছিলেন এবং পরদিন বিলাতযাত্রার জন্ত যাত্রা রগন! হন। হেসেল্নাথের মৃতু : ২৪ জো ১২৯১।

গ্ষ্টাৰ ১৮৮৪ শোক সাম্বন1] : ১৪৫

তাহার পত্বী কাদ্থরী দেবী কনিষ্ঠ দেবরের স্থকুমার চিত্ববৃত্তির সুক্্ম অন্থভাবগুলিকে স্ষেহের ছ্বাবা প্রেমের হবার! উদ্বোধিত করিয়াছিলেন। ইনি ছিলেন তরুণ কবির নবীন সাহিত্যজীবনের নিত্যসহচর শ্রোতা সমালোচক বন্ধু ।১ ইহাকে ঘিবিয়াই প্রথম যৌবনের সাহিত্যন্থট্টির অভিযান চলিয়াছিল। তাই এই মৃত্যুর আঘাত ত্তাহাকে কিয়ুৎকালের জন্য বিচলিত করিয়াছিল) এবং এই মৃত্যুবিচ্ছেদ তাহার অন্তরের মধ্যে যে-প্রতিক্রিয়! সহি করিয়াছিল, তাহারই বেদনায় প্রকাশ পায় বিচিত্র রচনা) তাহাদের অন্যতম হইতেছে পপুপ্পাক্পি'* নামে গগ্কবিতাগুচ্ছ। আমরা 'পুষ্পাঞ্জলি, হইতে নিয়ে কয়েকটি অংশ উদ্ধৃত করিয়া দিতেছি-_

পহে জগতের বিশ্বত, আমার চিরশ্বত, আগে তোমাকে যেমন গান শুনাইভাম, এখন তোমাকে তেমন শুনাইতে পারি না কেন। এ-সব লেখা যে আমি তোমার জন্য লিখিতেছি। পাছে তুমি আমার কঠম্থর ভুলিয়া যাও, অনন্তের পথে চলিতে চলিতে যখন দেবা তোমাতে আমাতে দেখ! হইবে তখন পাছে তুখি আমাকে চিনিতে না পার, তাই প্রতিদিন তোমাকে স্মরণ করিয়া আমার এই কথাগুলি তোমাকে বলিতেছি, তৃমি কি শুনিতেছ না। এমন একদিন আসিবে ষখন এই পৃথিবীতে আমার কথার একটিও কাহাতেো মনে থাকিবে না কিন্ত ইহার একটি-ছুটি কথা ভালোবাসিয়া তুমিও কি মনে রাখিবে না! যে-সব লেখা তুমি এত ভালোবাসিয়া শুনিতে, তোমার সঙ্গেই ঘাহাদের বিশেষ যোগ, একটু আড়াল হইয়াছ বলিয়াই তোমার সঙ্গে আনু কি তাহাদের কোনো সম্বন্ধ নাই! এত পরিচিত লেখার একটি অক্ষরও মনে থাকিবে না? তুমি কি আর-এক দেশে আব্‌-এক নৃতন কবির কবিতা শুনিতেছ?

“আমাকে যাহারা চেনে মকলেই তো আমার নাম ধরিয়া ডাকে, কিন্তু সকলেই কিছু একই ব্যক্তিকে ডাকে না, এবং সকলাকেহ কিছু একঠ বাক্তি সাড়া দেয় না। এক-একজনন আমার এক-একট! অংশকে ডাকে মাত্র, আমাকে তাহারা! ততটুকু বপিয়াই জানে এইজন্য আমরা যাহাকে ভালোবাসি তাহার একটা নুতন নামকরণ করিতে চাই ; কারণ, সকলের-সে আমার-সে বিস্তর প্রভেদ আমার যে গেছে সে আমাকে কতদিন হইতে জানিভ ;- আমাকে কত প্রভাতে, কত দ্বিপ্রহরে, কত সন্ধ্যাবেলায় সে দেখি্াছে। কত বসম্তে, কত ব্ধায়, কত শরতে আমি তাহার কাছে ছিলাম মে আমাকে কত ন্বেহ করিয়াছে, আমার সঙ্গে কত খেলা করিয়াছে, আমাকে কত শতসহম্র বিশেষ ঘটনার মধ্য খুব কাছে থাকিয়া দেখিয়াছে ! যে-আমাকে সে জানিত সে সেই সতেরো বখসবের খেলাধুলা, সতেরো বৎসরের সুখ দুঃখ, সতেরো বৎসরের বসন্ত বর্জা। সে আমাকে ধখন ডাকিত তখন আমার এই ক্ষ জীবনের অধিকা-শই, আমার এই সতেবো বংসঝ তাহার সমস্ত খেলাধুলা লইয়া তাহাকে সাড়া,দিত। ইহাকে সেছাড়া আর-কেহ জাশিত না,জানে না।

“আমি কেবপ ভাবিতেছি, এমন তো! আরো সতেবো বসব যাইতে পাবে 1. কত শত দিনবাত্রি একে একে আমিবে কিন্তু তাহারা একেবারেই ভিনি-হীন হইয়া আসিবে 1... যদি অনেক দিন পরে সহসা গ্রেখা হয়, তখন তাহার নিকটে আমার অনেকটা অজানা, আমার নিকট তাহার অনেকটা অপরিচিত; অথচ আমরা উভয়েই নিতান্ত আপনার পোক 1?

'পুষ্পাঞপি'র মধো কাদরী দেবীর প্রতি রবীন্দ্রনাথের স্নেহ ভক্তি ভালোবালা সমস্তুই স্থন্দরৃভাবে একাশ পাইয়াছে। রচনার মধ্যে উচ্ছাস আছে নিশ্চয়ই, কারণ তাহা! আমন্কবিক শোকাশ্রতে পৃর্ন। শোকের অবস্থায় রচিত বলিয়া

“আমার যেপরমান্ধী জান্তা! করে ময়েন শিশকাল খেকে আমর জীবনের পূর্ণ নিওর ছিলেন তিনি 1”--পত্র, আঘাচ় ১৩২৪ (২৫ অক্টোবর ১৯১৭ )1 আঅমিয়ওন্র চক্তবতীর জোষ্ঠ জ্রাতার আগ্মহতার পর রবীক্ষনাথ বালক অমিয়চজ্সক যে-সাধনাপত্র দেশ তাহা হইতে উদ্হৃত। জর. কবিতা, কাতিক, ১৩৪৮, পৃ

রবীক্র-রচনাবলী ১৭, গ্রস্থপরিচয়, পূ ৪৮৫-৯৫। রবীশ্রবনে রক্ষিত পাঠুণিপি হইতে ইহ! সম্পাধিত। জ- পুষ্পাঞজলি : ভারতী, বৈশাখ ১২৯২, পৃ ৪8 ১৩।

১৯৬ ববীন্্র্জীবনী এ্টান্য ১৮৮৪

তাহা যথার্থ সাহিতাধর্ষী হইতে পারে নাই ; সেইজন্যই বোধ হয় রবীন্দ্রনাথ বচনাকে কোনো গ্রন্থের মধ্যে স্থান দেন নাই।

এই ঘটনার প্রায় পচিশ বৎসর পরে জীবনম্থৃতি লিখিবার সময়েও তিনি এই বিচ্ছেদ-বেদনার কথা খুবই বিস্তৃত করিয়া লিখিয়াছিলেন। “জীবনের মধো কোথাও ষে কিছুমাত্র ফাক আছে, তাহা তখন জানিতাম না ১" এমন সমস কোথা হইতে মৃত্যু আপিয়! এই অত্যন্ত প্রত্যক্ষ জীবনটার একটা প্রান্ত যখন এক মুহূর্তের মধ্যে ফাক করিয়া দিল, তখন মনটার মধ্যে সে কী ধাধাই লাগিয়া গেল। চারি দিকে গাছপালা মাটিজল চন্সথর্য গ্রহ্তার! তেমনি নিশ্চিত সত্যেরই মতো বিরাজ করিতেছে, অথচ ভাহাদেরই মাঝখানে তাহাদেরই মতো যাহা নিশ্চিত সতা ছিল, এমন-কি দেহ প্রাণ হৃদয় মনের সহত্রবিধ স্পর্শের ছারা যাহাকে তাহাদের সকলের চেয়েই বেশি সত্য করিয়াই অনুভব কবিতাম সেই নিকটের মানুষ যখন এত সহজে এক নিষিষে স্বপ্নের মতো! মিলাইয়া গেল, তখন সমস্ত জগতের দিকে চাহিয়া মনে হইতে লাগিল, কী অস্ভূত আত্মখগ্ডন! যাহা রছিল এবং যাহ! রহিল না, এই উভয়ের মধ্যে কোনোমতে মিল করিব কেমন করিয়া 1” সেই সময়ে কিছুকালের জন্ত তাহার "একট! স্থট্টিছাড়া রকমের মনের ভাব বাহিরের আচরণ দেখা দিয়াছিল।” কে তাহাকে কী মনে করিতেছে, কিছুদিন এ-দায় তাহার মনে একেবারেই ছিল না। “আহাবের বাবস্থাটাও অনেক অংশে খাপছাড়া ছিল।* পিতা চু'চুড়া হইতে উদ্বিগ্র হইদ্লা! পত্রযোগে তাহাকে লিখিলেন, “তোমার শরীর অসুস্থ দুর্বল হইয়! পড়িয়াছে, মাথার মধ্যে একপ্রকার কষ্ট বুক ধড়ধড় করে। তুমি একেবারে পুষ্টিকর আহার ছাড়িয়া ধিয়াছ। তাহার জন্তই তোমার এই দুর্বলতা পীড়া মস্ত মাংস আহার না করিলে তোমার শরীর পুষ্ট হইবে না।”,

পুস্পাকলি'র রচনার প্রায় চল্লিশ বসর পরে লিখিত 'লিপিকা"র কয়েকটি রচনার ভাষায় ভাবের স্থিত আশ্চর্য মিল দেখ! পায়) আমাদের মনে হয় পুষ্পালির পুরাতন পাগুলিপি হাতে পাইয়। কবি নৃতন ভঙ্গিতে পুরাতন ভাবকে ব্যক্ত করিলেন গলিপিকা'র এই বচন! কয়টি হইতেছে সতেরো বছর, প্রথম শোক, সন্ধ্যা প্রভাত

পুষ্পাঞলির প্রথম পরিচ্ছেদ 'প্রভাতে'। তাহাতে আছে, “হুর্যদেব, তৃমি কোন্‌ দেশ অন্ধকার করিয়া এখানে উদ্দিত হইলে? কোন্থানে সন্ধা হইল? এদিকে তৃষি জুইফুলগুপি ফুটাইলে, কোন্থানে রজনীগন্ধা! ফুটিতেছে? প্রতাতের কোন্‌ পরপারে সন্ধ্যার মেঘের ছায়া অতি কোমল লাবণ্যে গাছগুলির উপর পড়িয়াছে! এখানে আমাদিগকে জাগাইতে আসিয়াছ, সেখানে কাহার্দিগকে ঘুম পাড়াইয়! আসিলে ?" লিপিকার “সন্ধ্যা গ্রভাতে'তে আছে “এখানে নামল সন্ধযা। সুর্ধদেব, কোন্‌ দেশে কোন্‌ সমূদ্রপারে, তোমার প্রভাত হল ।” পাঠক যর্দি লিপিকার কথিকাজয় পুনহ্ায় এখন একবার পাঠ করেন তো দেখিবেন এই মহীয়সী নারীর প্রতি কবির কী গভীর প্রীতি ভক্তি ছিল, তাহার তিরোধানে মনে কী গভীর বেখাপাত করিয়াছিল! কবি জীবনে ইহাকে কোনোদিন বিশ্বৃত ছন নাই; জীবনের গোধ্লিতে তিনি তাহার কাবাজীবনের প্রথম আরাধা| দেবীকে নানাভাবে বারে বারে স্মরণ করিয়াছেন। 'আকাশগ্রদীপে'র শামা, কাচা আম, 'নবজাতকে'র বধূ প্রভৃতি কবিতার মধ্যে তাহারই কথা নান স্থরে ধ্বনিত হইয়াছে

এই বউঠাকুরানীর উদ্দে্যে রবীন্দ্রনাথ বন গ্রন্থ উৎসর্গ করেন, কতকগুলি ঠাহার জীবিতকালে, কতকগুলি তাহা মৃত্যুর পর। 'ঘুরোপপ্রবাপীর পঞঙজে'র মধ্যে তাহারই কথা সব থেকে মনে হইত বলিয়া লেখ! আছে। “ভগ্রহদয়ে'র উৎসর্গ গীত তাহাকে স্মরণ করিয়া লেখা সন্ধাসংগীতের “গান সমাপন' বিবিধ প্রসঙ্গের 'সমাপনে' তাহারই ইঙ্গিত। প্রক্কতির প্রতিশোধে আছে “তোমাকে দিলাম” “ছবি গান” তাহার উদ্দেশে উৎলরগঁকৃত হয়। গত বৎ্সরকার

বিশ্বভারতী পত্রিকা, সাধ-চৈ্জ ১৩৫০ পৃ২৯৮। তু, পধগ্রান্তে বালক, অগ্রহায়ণ ১২৯২ | বিচিঅ প্রবন্ধ (নূতন সম্েরণ )। “কিন্তু তুমি অশ্রজলে ঘন্ক-.' তুমি তখন মরিতে চাও সংসারের কাজ করিতে পায় না, পৃঃ,

ধীষ্টান্থ ১৮৮৪ শোক সাস্বনা : ১৯৭

বসন্তের ফুল লইয়া বৎসরকার বসন্তে মালা গাখিলাম | ধাহায় নয়ন-কিরণে প্রতিদিন প্রভাতে এই ফুলগুলি একটি একটি করিয়। ফুটিয়৷ উঠিত, তাছাবি চরণে ইছাদিগকে উৎসর্গ করিলাম ।” তাহার স্বৃত্যুর পর তিনি উৎসর্গ করেন “শৈশব-সংগীত' 'ভাহুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী” ভান্ুসিংছের পদদাবলীর উৎসর্গে আছে-_ “ভাঙ্ছসিংহের কবিতাগুলি ছাপাইতে তুমি আমাকে অনেকবার অনুরোধ করিয়াছিলে। তখন লে অন্থয়োধ পালন করি নাই। আজ ছাপাইয়াছি, আজ তুমি আত্র দেখিতে পাইলে না।” শৈশব-সংগীতের উৎসর্গপজে আছে, “এ কবিতাগুলিও তোমাকে দিলাম বহুকাল হইল, তোমার কাছে বসিয়াই লিখিতাম, তোষাকেই শুনাইতাম। সেইসমন্ত স্মেহের স্থতি ইহাদের মধ্যে বিরাজ করিতেছে। তাই মনে হইতেছে তুমি যেখানেই থাক-না কেন, লেখাগুলি তোমার চোখে পড়িবেই ।--”

কাদস্বরী দেবীর মৃত্যুর (৮ বৈশাখ ১২৯১) অভিঘাতে ঠাকুবপরিবারের মধ্যে বেশ একটু চাঞ্চলা সি হইয়াছিল। দ্বিজেন্দ্রনাথ ভারতী পত্রিকার সম্পাদক পদ ত্যাগ করিলেন। তত্ববোধিনী পত্রিকায় [ জ্যেষ্ঠ ১২৯১, পৃ ২৮) লিখিত হইল “ভারতী বিশেষ কারণে আর প্রকাশ হইবে না।” বিশেষ কারণ কি তাহা অলিখিত থাকিলেও আমরা অনুমান করিতে পারি-_ সাংসারিক অশাস্তি। এই মৃত্যুর কারণ কি এবং কে ইহার জন্ত দায়ী, তাহা লইয়া গবেষণা! সেদিন,ও হইয়াছিল, আঙগও হইতেছে। রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর পর এই “জিজ্ঞাসা” বাঙালী বিদগ্ধ সাহিত্যিক সাধারণ পাঠকদের একাংশকে বিশেষভাবে সন্দিপ্চ ব্যাকুল করিয়া তুলিয়াছে, ইহার তরঙ্গ আমেরিকায় গিয়া পৌছিয়াছে ; এই আত্মাহুতির জন্ত রবীন্দ্রনাথ পরোক্ষভাবে দাদী এমন আভাস-ইঙ্ষিত করিতেও কচিতে বাধে না।

কাদস্বরী দেবীর আত্মাহুতির সম্বন্ধে জোড়াঞ্সাকোর অন্তরঙ্গদের নিকট হইতে নানা কথা শোনা আছে। সমকালীনদের মধ্যে এই মতই প্রবল ছিল যে জ্যোতিরিম্্রনাথের ওদাসীন্ত ইহার মূল কারণ ববীন্ত্রনাথের বিবাহের পূধে তিনি যে একবার আত্মহুত্যার চেষ্টা কবেন, তাহা আমরা “তারকার আন্মহত্যা" কবিতা আলোচনাকালে বলিয়াছি। জ্যোতিরিজ্রনাথের স্ত্রীর প্রতি অমনোযধোগের কারণ হয়তো! তাহার নিঃসস্তানতা; এবং সেইজন্য জানদানন্দিনী দেবী তাহার সম্ভানদেব প্রতি স্বভাবতই তাহার আকর্ষণ ছিল বেশি

অন্ত গল্প৪ শোনা যায়। জ্যোতিরিজ্রনাথ স্টিমার কোম্পানি খুলিয়াছিলেন ; একদিন জ্ঞানদানন্দিনী তাহার সম্ভানদের লইয়া! স্টীমার ভ্রমণে যান। সন্ধ্যার মধ্যে ফিরিবার কথা ছিল। খ্বীমার় চড়ায় আটকাইয়া যায় বলিয়া যথাসময়ে প্রত্যাবর্তন সম্ভব হয় নাই) এই অভিমানেই তিনি জীবন ত্যাগ কষেন।

“এ-সম্বদ্ধে আর-একটু স্পষ্ট বিবরণ আমবা জীষুক্ত অমল হোমের কাছ থেকে পেয়েছি তিনি পেয়েছিলেন যবীন্র- নাথের ছোট দিদি বর্ণকুমারী দেবীর কাছ থেকে, বোধ হয় ১৯৪৬ সালে। বিবরণটি এই : জ্যোতিরিজ্্রনাথের ধোপার বাড়িতে দেওয়া জোব্বার পকেটে সেই দিনের একজন বিখ্যাত অভিনেত্রীর সঙ্গে তার অস্তরঙ্গতার পরিচায়ক কতকগুলো চিঠি পাওয়া যায়। সেই চিঠিগুলো পেয়ে কাদত্বরী দেবী ক'দিন বিমন! হনে কাটান। সেই চিঠিগলোই তার আত্মহত্যার কারণ এই কথ! নাকি কাহন্বী দেবী লিখে গিয়েছিলেন তার দেই লেখাটি চিঠিগুলো সবই মহুবির আদেশে নষ্ট করে ফেলা হয়।” পাদটাকার় ওছু্ লিখিতেছেন, “ঠাকুরবাড়ির একজন খ্যাতনাম! ব্যক্তির মৃথে শুনেছি যে-মহিলার সঙ্গে জ্যোতিরিজ্্রনাথের অস্তরঙ্গতা জন্মেছিল তিনি অভিনেত্রী ছিলেন না এবং

তার সঙ্গে এই অন্তরঙ্গতাধ জন্ত কাদছ্বরী দ্বেবী আরও একবার ( ববীজ্ঞনাথের বিবাহের পূর্বে) আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।”,

কাধী আহহুল ওছদ, কবিগুরু রবীজরনাখ (১৯৬২), পৃ ৭৩।

১৯৮ ভ্রীষ্টান্ধ ১৮৮৪

শোক সাস্তৃনা

সখ বা শোক কোনোটাকেই মানুষ দীর্ঘকাল বহন করিয়া চলে না সম্ভবও নহে, স্বাভাবিকও নহে কাদস্বরী দেবীর মৃত্যুর একমাস পরে ১১ জৈষ্ঠ (১২৯১) জ্বোতিরিক্রনাথ ববীন্দরনাথ গ্টিমার-বিহারে বাহির হন, সঙ্গে জ্ঞানদানদ্দিনী তাহার সন্তানেরা 'জ্ঞানদানন্দিনী জোতিরিক্দ্রাথ শুধু দেবর ভ্রাতৃবধূুই ছিলেন না, তাহারা ছিলেন একে অন্যের অস্তরঙ্গ বন্ধু ( কবিমানসী, পৃ ২৮৬) বালিকা বয়সে বধুকূপে আসিবার পর হইতে জ্ঞানদানন্দিনী প্রায় সমবয়নী দেবরের নিত্য ক্রীড়া-কৌতুকের সঙ্গীরূপেপাইয়াছিলেন। কাদম্বরী দেবীর মুত্র পর জ্োতিরিত্র- নাথের যানসিক অবস্থায় জ্ঞানদানন্দিনী তাহাকে সঙ্গদান করা নিশ্চয় ভীর কর্তবা বলিয়া বিবেচন। কবিয়াছিলেন। ( কবিমানসী, পৃ ২৮৭)

এই নল্লীৰিহারে বাংল! সাহিতা পাইল রবীন্দ্রনাথ-রচিত “সরোজিনী প্রয়াণ'১ প্রবন্ধ। এই বুচনার মধো যে লঘুভাব, যে সৌন্দর্বপ্রিয্বতা, যে হাস্টোজ্জল আনন্দ-উচ্ছাস প্রকাশ পাইয়াছে তাহার সহিত সেই যুগের “কোথায়? পুরাতন 'নৃতন? প্রশ্ৃতি কবিতার হুর বা জীবনস্থৃতিতে বণিত মনোভাবের বা পুপ্পাক্চলির উচ্ছ্বাসের সঙ্বদ্ধ আবিদ্ধার করা কঠিন আসল কথা, তীহার শোক বা স্খ কোনোটিই মনে স্থা্ী রেখাপাত করিত না। ভাহার ভাবাবেগের পূর্ণ প্রকাশের জন্য__ তাহা শোকই হউক বা স্বখই হউক-_ তাহাকে উদ্তবাধিত করিবার জন্য যতটুকু আঘাত (5010011 ) প্রয়োজন হইত, ততটুকু মাত্র তিনি সহ্য করিতেন, তদতিরিক্ষকে আমল দিতেন না। এই নিবাসক্তি তাহার চরিত্রে যে-নৈবাক্তিকতা দান করিয়াছিল, তাহার জন তিনি অন্যকে দুঃখ দিয়াছেন। আর শিজের দুঃখ 50117786064 হইয়া কাবা শ্ত্ি করিয়াছে কাহার দুঃখ 271611506521156 617701197-এর একটি ভ্ধপ মাত্র, তাহার কাবাশ্থস্টির পক্ষে যেট্রকু প্রয়োজন সেইটুকুমাত্র | তোর পর দঠিহথ সস্তোগ হইয়া গেলে বিশ্বৃতির চির-পাখারে স্বতি ডুবিয়া যমরিত |

কিন্ত ইহ! রবীন্ছনাথের সমগ্র পরিচয় নহে। তাহার কর্মহীন কদ্ধজগীব্ন আঙ্মুপ্রকাশের জঙ্গ উদ্‌গ্রাব, কিন্ত পথ গায় নাই তাই সমগ্র স্থজনীশক্তিকে শন্বের সমালোচনায় ভ€সনায় ক্ষয়িত করিতে বাপূত হন, সমসাময়িক গছ্ভরচনা তাহারই সাক্ষ্য। কিন্ধু কল্পন! কাব্য, ছবি গান ফেখানে বহুমূখী শোভায় মৃতি লইয়াছে_ সেইখানেই তিনি সার্থক

যে-মৃত্যুর আঘাত এক মুহর্তে রবীন্দ্রনাথের জীবনের সমস্ত সজীব! সরসহভাকে সাময়িকভাবে শুফ শীর্ণ

সরোছিনী প্রয়াণ | রচ্তি ১১ জোঠ ১২৯১ [২৩ ষে ১৮৮৪] ভারতী, আবরণ, ভাই, অগ্রহায়ণ ১২৯১। জর. বিচিত্র প্রবন্ধ, ১৩১৪ | সংক্ষিপ্ীকৃত রবীন্্র-রচনাবলী «, পূ ৪৮৬

? সরোিনী প্রয়াণ “আবার কেমন জনয়ের মরধো মেব করিছা আলে লেখার পার গন্ীর ছায়া গত? মানের কখাঙঠলি শ্রাবণের বারিধারা মহ অশ্রু আকারে হারবঝর করিয়া কধেরা পড়িতে চায়? কিন্তু লেপার নাদপা কাহারে! শ্তাল লাশিবে না। আমার ননের ফধ্োে ঘাহাই হউক, আমি নিজের মেঘে পাঠকের হৃধকিরণ রোধ করিয়া রাথিতে চাই না গু ভব শিশ্ন ফেলিয়া আমি রিয়া পড়িলাম, আর সম প্রকাশ হউক। এই জন্তই বলি, লেগ! বাপারটা বড় সামান্ নয়. “এই ষে সব গঙ্গার ভবি আমার মনে উঠিতেছে। একি সহস্তই এইবারকার ম্টীদার যাত্রার ফল? তাত] নঙ্কে। এসব কঙধিনকাঁয কত ছবি মনের মধো বকা রহিয়াছে | ইহার! সব বড খের ছবি, আজ ইহাদের চারিনিকে অঞলের প্ষটিক পিয়া বীধাইয়া রাখিয়াছি এখমতর শোভ1 আর এজন্রে দেখিতে পাইব না। এখন যাহা কিছু দেখের সেইগুলি কেবল মনে করাইয়] দিবে- এপনকার সৌনর্দ পেট সকল শ্যতির ছায়ায় হন্দর হইয়া উঠিবে। কিন্তু লিখিতে পিখিতে মনের মধ্যে এক একবার সাশয় উপৰিত হঠতেছে পাছে ছবিওলি আর কাহারো শাল না লাগে এই ভয়ে এইখানেই আম্মসন্বরণ করিলাম ।”-- ভারতী, শ্রাবণ ১২৯১, পৃ ১৮৫-৯১

গীতা ১৮৮৪ শোক লান্বনা! : ১৯৭

করিয় দিয়াছিল, তাহা সাহিত্যস্থাকল্লে সার্থক হইয়াছিল। কবিতাগুলি শোকের মুহূর্তে যে রচিত নহে তাহা বুঝা যায় কবিতার উৎকর্ষ হইতে এই বিষাদঘন মনোভাবকে তিনি ব্যক্ত করেন “কোথায়'১ কবিতাটিতে। অজানা সৃতপথধাত্রীর উদ্দেশেই যে উহা রচিত, তাহা কবিতাটি একবার মাত্র পাঠ করিলেই বুঝা যাইবে। পুম্পাঞ্চলির পাুলিপির মধো ইহার প্রথম খসড়া ছিল।-_- হায়, কোথা যাবে! অনন্ত অজান। দেশ, নিতান্ত যে একা তুমি, পথ কোথা পাবে! হায়, কোথা যাবে 1--. কঠিন বিপুল জগত, খুঁজে নেয় যেযাহার পথ স্নেহের পুতলি তুমি সহসা অমীমে গিয়ে কার মুখে চাবে। হায়, কোথা ঘাবে 1." মোরা বসে কাদিব হেথায়, শৃন্ে চেয়ে ভাকিব তোমায় মহা! সে বিজন মাঝে হয়তো বিলাপধ্বশি মাঝে মাঝে শুনিবাতে পাবে, হায়, কোথা যাবে! ইহার সহিত "শান্তি' পাধাণী মা 'আকুল আহ্বান'২ কবিতাত্রয় পাঠ করিলে এই বিষাদমগ্র ভাবেরই সন্ধান পাওয়া যাইবে। “শাস্তি' কবিতা থেকে কয়েকটি পঙ্ক্তি উদ্ধৃত হইজেছে__ থাক্‌ থাক চুপ কর্‌ তোরা, আমার ঘুমিয়ে পড়েছে ।-.. হেসে কেদে আঙ ঘুমাল, ওরে তোরা কাদদাস্‌ নে আর. হেসে হেসে গলাগপি করে খেলেছিল যাহাদের নিয়ে, আজো তারা ওই খেলা করে, ওর খেলা গিয়েছে ফুবিয়ে |. শ্রাস্ত দেহ, লিম্পন্দ নয়ন, ভুলে গেছে হঘদস্ব-বেদনা | চুপ করে চেয়ে দেখো! ওরে, থামে! থাষে। হেসো। না কেদে] না। কিন্তু জীবনে কখনো কোনো ভাব-_ সে ছুঃখই হউক আর হুখই হউক-_ দীর্ঘকাল স্থায়ী হয় না। ৮৩০ 810 ০97201666 50:1০ 15 ৪5 10079955151 25 1715. 5120 ০9927100 )০0১-- টলস্টয়ের এই উক্তি অতি সত্য। রবীন্দ্রনাথের জীবনেও তাহার ব্যতিক্রম হয় নাই। কাল-ব্যবধানে হ্থখ-দুঃখের সকল অনুভূতি লোপ পায়, তাহারা শান্ত হইয়া মনের অবচেঙনন্তবে তলাইফ়! যায়; তার পর কোনো অনুকূল বাছুহিল্লোলে তাহারা পল্পবিত কুমহ্থমিত কণ্টকিত হইয়া উঠে এবং নব নব সাহিত্যন্থিতে সার্থক হয়। ববীন্দ্রনাথ তাহার জীবনের কোনো অবস্থাকেই চরম বলিয়া গ্রহণ করিতে পাবেন নাই, তাই ম্ৃতাশোক তাহাকে কর্মবিমুখ জড়তার মধ্যে নিমজ্ছিত করিতে পারে নাই।

কোথায়, ভারতী, পৌৰ ১২৯১, পর ৪,৮। জ. কড়ি কোমল, রবী্র-রচনাবলী ২, পৃ ৪৬৪৭ বালক, আত্বিন ১২৯৩। বর্তমানে 'শিশু'র় অন্বগত। রবীনা-রচনাবলী », পৃ৮»।

২০৯ রবীন্দ্রজীবনী খাব ১৮৮৪

াহার বিবাহের মাত্র চারি মাস পরে নবীন জীবনের প্রথমে এই শোক রবীন্দ্রনাথ ঠিকই লিখিয়াছেন, "ভুলিবার শক্তি প্রাণশক্তির একটা প্রধান অঙ্গ; এইজন্ত জীবনে প্রথম যেব-মৃত্যু কালো ছায়া ফেলিয়া প্রবেশ করিল, তাহা আপনার কালিমাকে চিরন্তন না করিয়া ছায়ার মতোই একদিন নিঃশকপদে চলিয়া গেল।” “যোগিয়া"ঃ “ভবিষ্যাতের বঙ্গভূমির”* মধ্যে এই মৃক্তিপ্রয়াসের ধ্বনি জাগিয়াছে। শেষোক্তটিতে বলিতেছেন-_ মিছে শোক, মিছে এই বিলাপ কাতর, সম্মুখে রয়েছে পড়ে যুগ-যুগাস্তর | অতীতের 'পুরাতন”* বিষাদকে বিদায় দিবার জন্ত বলিলেন__ হেথ] হতে যাও পুরাতন! হেথায় নূতন খেলা আরম্ত হয়েছে। আবার বাজিছে বাশি, আবার উঠিছে হাসি, বসস্তের বাতাস বয়েছে |: কী দেখিতে আসিয়াছ! যাহা কিছু ফেলে গেছ কে তাদের করিবে যতন ! স্মরণের চিহ্ন যত ছিল পড়ে দিন-কত ঝড়ে-পড়া পাতার মতন," চাঁকো! তবে চাকো। মুখ নিয়ে যাও দুঃখ সখ চেয়ো না চেয়ে! না ফিরে ফিরে। হেথায় আলয় নাহি, অনন্তের পানে চাহি আধারে মিলাও ধীরে ধীবে। মনের মধ্যে পুরাতন স্বতি বারবার আসিয়া উকি মাবিতেছে, তাই যেন কৰি বলিতেছেন-_ "তুমি কেন ঢাল আসি তারি মাঝে বিলাপ-উচ্ছ্বান।'* কবি পুরাতনকে বিদায় দিয়া “নৃতন'কে*ৎ আহ্বান করিয়া ঘরে লইলেন__ সত্যই তো তাহার ঘরে আজ নৃতন লোক আসিয়াছে__ এই যে রে মকস্থল, দাবদগ্ধ ধরাতল, এইখানে ছিল 'পুরাতন"__ একদিন ছিল তার শামল যৌবনভার, ছিল তার দক্ষিণ-পবন। যাঁদ রে সে চলে গেল, সঙ্গে হদি নিয়ে গেল গত গান হানি ফুল ফল-_

যোগিয়া, ভারতী, কাঠিক ১২৯১, পৃ ৩২১। কড়ি কোমল, রবীজ-রচনাবলী ২, পু ৩৭। তবিয্তের রঙ্গভূ'ম, কড়ি কোমল, রবীন্্র-রচনাবলী », ৪২।

পুরাতন, ভারতী, চৈত্র ১২৯২1 কড়ি কোহল, রবীন্র-রচনাবলী ২, পূ ৩১-৩৩।

তু. মৃত্যুর পরে, বৈশাখ ১৩০১, চিত্রা রবীন্র-রচনাবলী *, পৃ ৪৪।

নুতন, ভারতী, বৈশাখ ১২৯২, পৃ৭8। কড়ি কোমল, রবী্প-রচনাবলী ২, পূ ৩৩ ৩৪1

প্রষ্ঠা ১৮৮৪ শোক সাস্বনা £: ২৪১

তষ্ক স্বতি ফেন মিছে রেখে তবে গেল পিছে, শু শাখা শু ফুলদল।...

নহে নছে, সে কি হয়! সার জীবনষন়, নাহি হেথা যরণের স্থান।

আয় রে, নূতন, আয়, লঙ্গে কবে নিয়ে জায় তোর স্থখ, তোর হাসি গান।...

কি ঢেউ-খেল। হায়, এক আসে, আর বায়,

কাদিতে কাদিতে আসে হাসি,

বিলাপের শেষ তান না হইতে অবসান

কোথা হতে বেজে ওঠে বাশি ।-.. না রে, করিব না শোক, এসেছে নূতন লোক, তারে কে করিবে অবহেলা সেও চলে যাবে কবে গীত গান সাঙ্গ হবে, ফুরাইবে ছু-দিনের খেল! রবীন্দ্রনাথের সদাপ্রবহমান মনের যে-চিত্র তাহার কাবোর মধ্য দিয়া পাইলাম ভাহার প্রান সমকালীন একটি গদ্চরচনার মধো মনের এই নিরাসক্ত ভাবের ব্যাখ্যা পাই “কক্ধগৃহ' শীর্ষক প্রবন্ধটি মধ্যে কবির এই কদ্ধ মনের সংগ্রামের চিত্র পাই। তিনি এই অস্বাভাবিক কদ্ধতাকে জীবনে অতি স্বাভাবিক অবস্থা বলিয়া স্বীকার করিলেন না। তিনি বলিলেন-_ “পৃথিবী মৃতাকেও কোলে করিঘা লয় জীবনকেও কোলে করিয়া বাখে, পৃথিবীর কোলে উভয়েই ভাইবোনের যতো খেলা করে ।-.. পৃথিবীতে যাহা আসে, 'াহাই যায়” এই অতি সত্য কথা তাহার কাছে সেদিন নৃতনভাবে মহাসত্যরূপেই দেখা দিয়েছিল; তাই বলিলেন, “এই প্রবাহেই জগতের স্বান্থা রক্ষা হয়। করুণামাজ্রের যাতায়াত বদ্ধ হইলে জগতের সামঞ্জশ্ত ভঙ্গ হয়। জীবন যেমন আসে, জীবন তেমনি ষায়। মৃতাও যেষন আসে মৃত্যুও তেমনি যায়। তাঙ্থাকে ধরিয়া রাখিবার চেষ্টা কর কেন? হৃদয়টাকে পাষাণ করিয়া সেই পাধাণের মধ্যে তাহাকে সমাহিত করিয়া রাখ কেন?... ছাড়িয়া দাও, তাহাকে যাইতে দ1ও-_ জীবনমুত্ার প্রবাহ বোধ করিয়ো না। হৃদয়ের দুই ছ্বারই সম্গান খুলিয়া রাখো প্রবেশের ছার দিয়া সকলে প্রবেশ করুক, প্রস্থানের দ্বার দিয়া সকলে প্রস্থান করিবে।” এই দার্শনিকন্থলভ নিধিকাব মনোভাব অচিবেই ফিরিয়া আলিয়াছিল বলিয়া তাহার সাহিত্যধারা যথাবীতি প্যাপক হইতে ব্যাপক তর, বিচিত্র হইতে বিচিত্রতর হইয়া] সম্পদশালী হইতে লাগিল।, ১২৯১ আশ্বিন মাসে রবীন্দ্রনাথকে আদি ব্রাহ্মপমাজের সম্পাদক পদেরং গুকদাযরিত্ব গ্রহণ করিতে হইল। ১. এই সময়ে রচিত দুইটি 'জক্ষসংসীতে'র ঘধো ছনের বিধান ভাব অন্ত ম্পট্রকপে বাক্ত হইয়াছে: “ছুখ দিয়েছ. দিয়েছ ক্ষতি নাই' এবং 'চলিয়াছি গৃহপানে, খেলাধূলা! অবসান' | গান ছুইটি তক্বহোধিনী পত্রিকায় ১৮০৬ শক ভাত (১২৯১)মাসে প্রকাশিত হুজধ। প্রথম গানটিই কবি 'গীতবিতানে জন্ক নির্বাচণ করেন (পু ১২)। ছ্িতীছ গানটি পরে 'লীতবিতান' তৃতীয় খণ্ড ( পৃ ৮৩*) ভুস্ত হইয়াছে। রবীজনাথ জানিতে পারলেন আখিন ১২৯১ [১৫ সেপ্টেম্বয় ১৮৮৪ ] হইতে তাহাকে আদি ত্রাক্ষলমাজের সম্পাদক-পদ এহণ করিতে হইবে। রবীক্রনাখের তেয়ো! খানি বই পর্যন্ত আদি স্্াঙ্ষসযাজ সুস্তরাহস্তরালয় হইতে মুজিত প্রকাশিত হইয়াছিল। আমাদের মনে হয় ক্তাহার আসন সম্পাদক-পদ গ্রহণ সম্ভাবনায় াহার পুস্তক মুদ্রণ ব্যাপায়ে আহি সমাজ-প্রেসের প্রাপা টাকা পরিশোধ অনিবার্য হইয়া! পড়ে মেইজন্ত ১২ জুলাই ১৮০৪ সাহার মুভ্রিত পুস্তকপ্তলির সমস্ত কপি গুরুদাস চট্টোপাখার পুত্তক-বিক্রেতাকে ২৩*১ টাকায় বিদ্র্ করিতে দেখি জ. রবীন্রজীবণী ৪। সংযোরন-সংশোধন পৃ ৬২৪-২৫ |

২২ ববীজ্জীবনী গা ১৮৮৪

“হেথা হ'তে যাও পুরাতন" গাহিয়া! একদিন বলিষ্ঠ পদক্ষেপে পিতৃ-আজায় ত্রাক্ষসমাজের সমর্থনে অবতীর্ণ হইতে হইল।১ যুগপৎ মনকে আরও বলিলেন-__

“সংসার জীবনময়, নাহি হেথা! মরণের স্থান তা ছাড়া “এসেছে নূতন লোক' নৃতন বালিকা বধূ তাহার জীবন- সঙ্গিনীরূপে-_ “তারে কে করিবে অবহেলা ।” কবিতা-_ তাহার জীবনের প্রথম প্রেয়সী তাহাকে দূরে রাখা ঘায় না, “কড়ি কোষলে'র বিচ্ছিন্ন কবিতা ছুই একটি করিয়া লিখিতেছেন। ছবি গানের পালা শেষ হইয়া গিয়াছে; তবুও ছবি ফুটিয়া উঠিল “কাালিনী"ং কবিতায়; আর ছুইটি গণ্য কথিকায়__ “ঘাটের কথা'* “রাজপথের কথা'* |

এই ছুইটি গল্পাভাসের মধ্যে কলিকাত। হইতে স্টিমারে ভ্রমণের চিত্র ফুটিয়া আছে। “গল্পকন্ত বিশেষ পুষ্ট না হইলেও রচনাতে ছোট গল্পের প্রায় সকল লক্ষণ পরিশ্ফুট ছুইটি গল্পই জনসমাগম স্থান-রূপ অচেতন মৃক সাক্ষীর ত্বগতোক্তি রূপে উপস্থাপিত এবং ছুইটিতেই বিরহিণী নারীর মৌন অস্তবেদনা মুখরিত। সম্-প্রিয়জন-বিরহী কবি এই ছুই কাহিনীর মধ্যে নিজেরই অন্তগূণ্চ বেদনার প্রতিধ্বনি তুলিয়াছেন। গল্প ছুইটি রবীন্দ্রনাথের জীবন ভাবনার ছুই প্রধান সিম্বল বহন করিতেছে ঘাট অচল, পথ সচল কিন্তু ছুইই বহমান জীবনম্োতের সাক্ষী ।”*

ব্রাহ্মদমাজের সমর্থন

১২৯১ সালট' নান! কারণে বাংলার সামাজিক ইতিহাসে স্মরণীয় জাহুয়ারি ১৮৮৪ (২৫ পৌধ ১২৯*) কেশবচন্তর সেনের মৃত্যু হয় , তখন তার বয়স মাত্র ৪৬ বৎসর এই ঘটনাটি স্মরণীয় কারণ, তাহার তিরোধানের পর হইতে ছিন্দুনমাজের মধো নৃতন প্রাণের সঞ্চার দেখা দিল; আদি ব্রাঙ্ষদমাজও কর্মতৎপর হইবার জন্য সচেষ্ট হুইল। রক্ষণশীল [হন্দুসমাজ এত কাল ব্রাম্মপমাদ খ্রীষ্টীয় মিশনারীদের যুগপৎ আক্রমণ হইতে কোনোরকমে আত্মরক্ষা করিয়া নিজ সত্তা সত্যকে বজায় রাখিয়া আসিয়াছিল। কিন্ত সংস্কারের প্রতিক্রিয়ায় সংরক্ষণের স্পৃহা মানুষের মধ্যে হ্বভাবতই জাগে প্রাচীন সমাজের প্রতিষ্ঠানসমূহকে সংরক্ষণ তাহার মতবাদ সমর্থন করিয়া শিক্ষিত হিন্দুসমাজ নব জাতীয়তাকে হুদূঢ় করিতে উদ্ভত হুইল। এই নব আন্দোপনের যাজিক হইলেন বক্ষিমচন্্র। তাহার স্কায় তেজন্বী চিন্তাশীপ লেখক এই নৃতন ভাবধারার কর্ণধার হওয়ায় সত্যই নব্য হিন্দুসমাজের জড়দেছে নবীন প্রাণ সঞ্চার হইল।

ব্রা্মঘমাজে গত দশ বৎসরের মধ্যে বহু পরিবর্তন হইয়] গিয়াছে যে-শাখা দেবেন্দ্রনাথের সমাজসংস্কারবিরোধী মনোভাবের জন্ত তাহাকে ত্যাগ করিয়াছিল, তাহাদের মধ্যে কেশবচন্্রকে কেন্দ্র করিয়া তথাকথিত গুরুবাদের আশঙ্ক। দেখা দিল। তখন তরুণ সাম্যবাদীর দল কেশবচন্জ্রকে ত্যাগ করিয়া নূতন ঘে 'সমাজ' গঠন করিলেন (১৮৭৮), তাহার

তক্কবোধিনী পত্রিক। ১৮৬ শক কাতিক (১২৯১), পূ ১২১-২২। গ্রান: 'ঠাহারে আরতি করে চ্াতপন'_ গীতবিতান, পৃ ১প৭। 'ঠাছার আনন্ধার। জগতে -সিতবিতান ও, পু ৮৩৭1 আমাদের মনে হয় গান দুইটি রবীন্তরনাখের আদি ব্রাঙ্মলমাজ-সম্পাদক পদ গ্রহণের পর প্রথম রবিবাবে আব্বিন ১২৯১ সালে মন্িরে ঘে উপাসন! হয় এবং যেধানে 'আদিসমাজ' প্রভৃতি ভাষণ প্রদত্ত হয়, সেই সময়ে গান-ছুউটি ঈীত হইয়াছিল অবশ্থ ইহ অনুম'ন যাক কাগাপিনী। প্রচার আম্বিন ১২৯১। কড়ি কোমল, রবীন্ত্র-রচনাবনী ২. পৃ ৩৯। খ্বা্টের কথ! ভারতী কাঠিক ১২৯১। ছোট গল্প ১৩*)। গল্পগুদ্ছ ১। রনীক্-রচনাবণী ১৪, পৃ২5৫। & রাজপখের কথা নবজীবন অগ্রহায়ণ ১২৯১। ঞ্েোট গল্প (১৩০১ )। গঞ্পগুঞ্ণচ ১। রবীজ-রচলাবলী ১৪, ২৭৪। & শ্রীনৃকূমার সেন, বাঙ্গালা সাহিততোর 25হাস », পৃ ৩*৭।

গ্ষ্টা ১৮৮৪ ব্রাহ্মমমাজের সমর্থন ২৯৩

ভিত্তি স্থাপিত হইল যুক্তিবাদ বা নিয়ম্তাস্ত্রিকতার উপর-_ শাস্্ব নয়, মহাপুকষ নয়, সংঘ হইল নিয়ামক | এই সমাজের অন্যতম নেতা কঞ্চকুমার মিত্র “স্বীবনী” নামে সাপ্তাহিক প্রকাশ করিলেন (১৮৮১) তাহার “টো? বা মন্্ব ছিল, 'সাম্য, মৈত্রী, স্বাধীনতা'__ ফরাসীবিপ্লবের বুলি। ইছান্না ছিলেন উগ্র সমাজসংস্কারক, সংস্কারকের সকল দোষ এবং গুণ সমভাবে ইহাদের মধ্যে ছিল। প্রাচীনের কুসংস্কারকে ভাঙিবার উৎসাহ-আতিশয্যে ইহার! সংরক্ষণ পরম্পরাগত এঁতিহকে অবহেলা করিয়া এমনি ভাবে আগাইয়া চলিলেন যে, যাহাদের জন্য সংস্কার প্রয়োজন তাহারাই ক্রমে দূর হইতে দরাস্তবে পিছাইয়৷ পড়িতে লাগিল, কেবল সংস্কারকের দলে আগাইয়! চলিবার নেশায় চলিতে চলিতে সকল কিছু হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া! পড়িলেন। ইহাই হইল ব্রাঙ্মসমাজের অবস্থা সাধারণ ত্রাঙ্মলমাজ প্রতিষ্ঠিত হইবার তিন বৎসরের মধ্যে ত্রাক্ষদমাজ উদাবনীতির মুখপত্সরক্ূপে সঙ্গীবনী (১৮৮১) হিন্দুসমাজ সনাতনী নীতির মুখপত্রকূপে বঙ্গবাসী (১৭ ডিসেম্বর ১৮৮১) আবিভূতি হইগ়াছিল।

কেশবচন্দ্র মেনের তিরোধানের (৮জানয়ারি ১৮৮৪) পর হইতে হিন্দুসমাজের পক্ষ হইতে এই সংরক্ষণ 9 সমর্থন নীতি প্রতিষ্ঠিত করিবার জন্য 'নবজীবন' প্রচার নামে দুইটি সাহিত্যিক পত্তিক! প্রায় যুগপৎ দেখা দিল (১২৯১ )। এই পরিকাদ্য় হিন্দুসমার্জের কল্যাণার্ধে সনাতন পথ হইতে ভ্র্ই না হইয়া! নৃতলের পথে চলিবার জন্য অগ্রসর হইলেন। রাঙ্ষমমাজের সংস্কারপন্থীরা সংস্কার হইতে ভাঙনের পথেই আকৃষ্ট হইলে চলার পথই বন্ধুর করিয়! তুলিলেন। হিন্ু- সমাজের নৃতন সংস্কাবকের দল সংরক্ষণ অলীক -সমস্থয়পন্থী হইয়! প্রগতির পথকে সংকীর্ণ করিয়া চলিলেন। ভাঙন- পশ্বীবা যেমন হিন্দু সবকিছুকেই মন্দ বলিয়া বিসর্জন দিলেন, সংবক্ষণপন্থীবা তেমনি সবকিছুকেই দার্শনিক আধ্যাত্মিক, এমনকি তথাকথিত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার হ্বারা সমর্থন করিতে লাগিলেন “সবীবনী? বেঙ্গবাসী'১ এই ছুই সাপ্তাহিক উল্টা পথের পথিক; এবার সেখানে আবিস্্তি হইল নবহিন্দুত্বের প্রতীকরূপে নিবজীবন' প্রচার' এবং সাধারণ ব্রাঙ্ষমমাজ হইতে প্রকাশিত হইল “ওবকৌমুদী? |

আদি ব্রাঙ্ধদমাজ সংস্কার সন্বপ্ধে কোনোপ্রকার কালাপাহাড়ী বা £81০81 মত পোষণ করিতেন না; তাহারা হিন্দুশান্স বা জববিষ্ভাদির আলোচনায় রত থাকিয়া মনে করিতেন তাহাদের ধর্মমতই হইতেছে মূল হিন্দুধধ্মসম্মত, আদর্শ হিন্দুর অস্ুকরধীয়। স্থৃতরাং হিন্দুর ঘাহা-কিছু গৌরবের তাহার বক্ষী তাহাবাই, নৃতন সংস্কারপন্থী নৃতন সংবক্ষণপন্থী উভয়ে ভ্রাস্থ। সেইজন্য হিন্টুসমাজবিরোধী কোনে অনুষ্ঠান তাহাদের সমর্থন বা পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করিত না। কেশবচন্দের অমবর্ম বিবাহ-আন্দোলন (১৮৭২) কাহাদের সমর্থন পায় নাই, বিষ্তান'্গরের বিধবাবিবাহও তাহারা অনুমোদন করিতে পারেন নাই এত্দ্‌ সত্ধেও ব্ছিসরগ্রমুখ নবা হিন্দু নেতার] আদি ত্রাঙ্ষলমাজের এই দাবি শ্বীকার করিতে প্রস্তত হইপেন না; রাজলারায়ণ বহর “হিন্দুধর্ের শ্রেষ্ঠত্ব পুস্তিকা বঙ্গদর্শনে অভিনন্দিত হইলেও উহার বক্তব্য বিষয় হিন্দুদের হাব সম্পূর্ণভাবে স্বীকৃত হইতে পাবে না একথা লেখেন বন্কিম5ন্জ। আদি ব্রাঙ্মদমাজের বিশ্বাসের মূলতব্ব ণিরাকার পরমেশ্বরের আবাধনা নব্য হিন্দুরা এই তত্বকেও পরম মত্য বলিয়া হানিতে একেবারে নারাজ তাই অচিবেই নব্য হিন্ুসমাজের সহিত আদি ব্রাদ্ছপমাজের বিরোধ বাধিল। এই ইতিহাসটুকু বলা প্রয়োজন, কারণ অবশেষে এই বিবাদ বন্ধিম ববীন্দত্রনাথের মধ্যে মসীধুদ্ধে পরিণত হুইয়াছিল।

বন্ধিমের মন ব্রাপ্ষপমাজ সন্থদ্ধে কোনোদিনই প্রসন্ন ছিল না, এমনকি বিগ্বাসাগরের বিধবাবিবাহ-আন্দোলনের তিনি ছিলেন পরম বিরোধী | শ্বরচিত প্রবন্ধে উপন্তাসে তিনি তাহার ত্রাঙ্মবিদ্ধেষ বিস্তাসাগবের প্রাগমর মতের প্রতি কারণে-অকারণে অশ্রন্ধা প্রকাশ করিয়াছিপেন। কালে সাহিত্যিক বন্ধিমচন্ত্র নিজ প্রতিতার রাজ নিজ শক্িকে

বঙ্গবাসী সাপ্তাহিক ২৯ অগ্র্থাণ ১২৮৮ ১* ডিসেম্বর ১৮৮১ প্রথম প্রকাশিত হয়। জর, বঙ্গদশন, জো ১২৭৯, বিষবৃক্ষ, ৬& পরিস্ছেদ। তারাচয়ণ সন্বন্ধে বলিতে গিয়া ত্রাক্মসমাহকে নালাতাধে হেয় প্রতিপন্ন করিবার চেষ্টা

৩৪ ববীন্ত্রজীবনী খা ১৮৮৪

সংকুচিত করিয়া আর রাখিতে পারেন নাই সমাজসংস্কার বিষয়ে সংরক্ষণ সমর্থন নীতি প্রচার করিয়! তিনি নিশ্চেষ থাকিলেন না, ধর্মব্যাখ্যাতার ভূষিকায় বঙ্গমাহিতো অবতীর্ণ হইলেন; হিন্দুধর্মের বিশেষ ব্যাখ্যা আস্ত হইল। আদি ্রা্মপমাজের সহিত বিরোধ বাধিল এইখানে ; এতদিন আদি ব্রাক্মষমমাজ মনে করিতেন যে হিন্দুধর্মতত্বের একমাত্র যোদ্ধা, বোদ্ধা বাখ্যাভা ভাহারাই ; এমন সময়ে বঙ্কিম কোম্ত-গ্রমুখ পাশ্চাত্য দ্ার্শনিকদের মতের সহিত গীতার মতের একটা! সমন্বয় খাড়া করিয়া বিশেষ একটি মতকে হিন্দুধর্ম বলিয়া! প্রচার করিলেন। '“নবজীবনে'র (শ্রাবণ ১২৯১) প্রচারের (শ্রাবণ ১২৯১ ) প্রথম সংখ্যাতে 'ধর্মজিজ্ঞাসা” “হিন্দুধর্ম” শীর্ষক প্রবন্ধঘয়ে বস্ষিমের নিজন্ ধর্মমত ব্যাখ্যাত হইল ।;

বন্ধিমের সহিত আদি ব্রাঙ্মসমাজের মতের পার্থক্য কোথায় এবং কিসের জন্য দ্িজেন্্নাথ ঠাকুর 'তত্ববোধিনী পত্রিকার (ভা ১২৯১) বন্ধুর অমন উতকষ্ট প্রবন্ধের প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেন, তাহা নিম্মপিখিত উদ্ধৃতি হইতে স্পট হইবে

“সম্প্রতি কোনো কোনো লব্ধ প্রতিষ্ঠ ব্যক্তি একটি নৃতন ধর্মমত উদ্ভাবিত করিয়াছেন। দে-মত এই যে কোম্তের মতই প্রকৃত হিন্দুধর্ম “নবজীবন' নামক অভিনব সাময়িক পত্রিকায় এই মত মমধিত হইতে দেখিয়া অতিশয় ছুঃখিত হইলাম 1... লেখক এই মত সমর্থন করিয়াছেন যে চিরচমতকতি স্থখই ধর্ম এবং হিন্দুশাস্ত্রসকল এই মত প্রতিপাগন করিতেছেন। এই মত একটি অদ্ভুত মত বলিতে হইবে আমরা যদি উত্ত প্রস্তাবের লেখক বক্ষিমবাবুকে দিনরাজি চমৎকার ভাবে দেখি তাহা কি ধর্ম বলা যাইতে পারে ?”২

নৃতন ধর্মমত বলিতে কী বুঝাইতেছিল, তাহার আলোচনা অপ্রাসঙ্গিক বিবেচিত হইবে না। অগস্ত কোত (0০0 2219) পজিটিভিজম্‌ নায়ে মতবাদের প্রবর্তক সমকালীন ইংরেজি-শিক্ষিত বঙ্গীয় যুবনগুপী এই ধর্মমতে বিশেষভাবে আকৃষ্ট হন। বঙ্কিমচন্্প্রমখ বু কৃতিমান পুকষ কোত-এর মতবাদ 'ধর্ম'রূপে প্রচারে প্রবৃত্ত হন। 'বঙ্গভাষার লেখক'-গ্রন্ছে অক্ষয়চন্্র সরকার পিতা-পুত্র শিবস্ক যে দীর্ঘ জীবন-কথা লিখিয়াছিলেন, তাহার মধো এই সময়কার পজিটিতিজম্‌ প্রতীতির কথ! বণিত আছে যথা

দেখা ধায়। এমনকি তষবোধিনী পত্রিকাকেও উপল্তাদ মধো আক্রমণ করিতে ছাড়েন নাউ বিগ্যাসাগর সম্বন্ধে বঞ্জিষের মনোভাব শুপরিচিত। তকতোষ দত্ত এবিষয়ে অন্মত পোষণ করেন। জর চিন্তানায়ক বক্কিমচন্জর, পূ ৪, পাদটীকা ২। এই গ্রস্থের 'বন্িষচশা রবীজনাখ অধ্যার়টি অবগ্ৃপাঠা বলিয়া মনে করি।

১:07 01506001878 9681, 16902554050 070066157, 1903, 0588. 59, 92 : বিরিলাশস্কর রাচৌধুনী লিখিত 'ঞ্রজয়বিঙ্দ বাঙ্গলায় স্বদেশী ধুগ' পৃ ১১১ পাদটাক1 হইতে উদ্ধৃত: 70736 01 016 09৮০ 01210019650 0106 11100 6৮158] 11) 06178911755 364 ১% 80410 98580170107 51190101505 10901 8114 ৮0100819066 (৫1151705075 54021059605 0056 00056101005 00606 154 55 85১৪ 38778) 06927018 0050161066 55 165 09601081912 274 9508] (01917015080 9956 ৪5 10565585180 9174 00106 ৪174 19011) €-1)80018 567 85 155 5010 0০96০১১ টি 55৪)1৮৭17 (7006 6৯ 116ি) 19501281 9৪৪ 50570064988 07৩ 018817 0৫ ০০-11124 75, 0৮566705606 ৮1657 0 22 &10 0৮০ [0171560561614 05 01511706065 1576 80111, 9060 06 190 10081051175 108562 51058115816 0660 38108102 0081741715 8106101605000720£0711740161185022 574 077110500% ০৫০ 606 91019877650 17711051506 01 11 0৪5 ১৪০০ 0800? 988806 001506) 50561205810 0911৮ 874 86118100 ৪100050$08515 90968 01) 811005 ০৮610178 0090 00508101005 ৮7555 02001068010, 500181 8170 [9116010জ1

12815 এ) 10501300015 94 06006980017 8100 09158605501017 01080101751 1106 80601511910) 10151705615 0৩%1 ০1590017018 874 /৯781702- 2 008,

মহষি দেবেকসনাধ ঠাকুরের জীবনী হইতে জাশিতে পারি ঘে ৩. জুলাই ১৮০৪ (১৬ শ্রাবণ) রবীজানাথ ঘুদ্ধ জীকঠসংহ মহ্র্ধির সহিত টু চড়ার দেখা করিতে ধান। আর জানা যায় যে অগস্ট তারিখে নূতন ধর্ষমত' শীর্ঘক প্রন্থাৰ লাশোধন করেন। এফং ছুই দিন পরে প্রবন্ধটি তস্তবোখিনী পত্রিকায় প্রেরণ করেন। ইহা বঙ্গিমচন্স অক্ষয়চন্্ সরকারের বিপক্ষে লিপিত। এই ভধাগুলি রাজনারায়ণ বহর ডায়ারি হইতে অন্িতকুমার কর্তৃক উদ্ধৃত | "নুতন ধর্ষমত' লীর্ষক প্রবন্কটির রচয়িতা কে ভাই! স্পই মে, যোট কণা এই প্রবগ্ধ প্রকাশে পর আদি ব্রাক্ষদষাজ নব) হিনুসমাঙ্ের বিরোধের লুত্রপাত হয়।

খ্রষ্টাৰঝ ১৮৮৪ স্রান্মসমাজেক্ সমর্থন ২০৫

“ত্রাহ্মণ এখনও হিন্দুসমাজের শীর্ষস্থানীক়্ |... এই বিষয়ে অগন্ত কোম্তের মত অতিবিচিজ্জ। তিনি বলেন, ব্রাহ্মণ হইতে ভারতের পুনকন্ধার হইবে? তবে তজ্জন্ত বিষয় বাসনা, এবং এঁছিক প্রভুত্ব-লালসা পরিত্যাগ করা ব্রাহ্মণের পক্ষে একান্ত আবশ্াক 1” অতঃপর অক্ষয়চন্দ্র কোম্তে 7০58056 2০115 (৬০1. [৬, ০,447) হইতে উদ্ধৃতির বাংল! অনুবাদ করিয়াছেন। পজিটিভিজম্-এর বাংলা পরিভাষা হুইল “বৈজ্ঞানিক ধর্ম ।১ এই “বৈজ্ঞানিক ধর্ম” ব্যাখ্যা ছাড়াও নবা হিন্দু আদি ব্রাপ্ষসমাজ্দের মধ্যে বিবাদ আরও ঘোরালো হইয়া উঠিল অস্ত দিক দিয়া “নবজীবনে"র প্রথম সংখ্যায় “তত্ববোধিনী পত্রিকা'র সামান্ত সমালোচন! ছিল প্রবন্ধের উত্তর “নবজীবন'কে আক্রমণ করিয়া এক পঞ্জ 'সঙ্গীবনী'তে (শ্রাবণ ১২৯১) বাহির হয়; লেখক বোধ হয় ছিলেন কৈলাসচজ্জ সিংহ | এই পত্রের উত্তর দেন 'বঙ্ষবাসী' লাধ্াহিকে চন্দ্রনাথ বহু এবং “গালাগালির রকমটা দেখিয়া ইতর শব্খট1 লইয়া একটু নাড়াচাড়া করিয়াছিলেন ।” তছৃত্তরে সজীবনীতে আর একথানি বেনামী পত্র প্রকাশিত হইয়াছিল, পত্র শেষে ছিল “র'। অনেকেই মনে কবেন পত্রের লেখক রবীন্দ্রনাথ লেখক “ইতর' শব্টাকে পাণ্টাইয়া চন্্রনাথের উপর চতুরভাবে জারোপ করিলেন। মোট কথা কোনে! পক্ষই হার মানিবার বা দষিবার পান্জ ছিলেন না।

আদি ক্রাঙ্মলমাজ সম্বন্ধে ববীন্্নাথের এই আগ্রহ দেখিদ্বা মহুধি বোধ হয় মনে মনে খুশি হইলেন; মৃতকষ্প আদি বাহ্ষসমাজের মধো পুনরাহু প্রাণলঞ্চার করা যায্স ভাবিয়া তিনি দ্বিজেশ্রনাথকে “তন্ববোধিনী পঙ্জিকা*র সম্পাদক রবীন্দ্রনাথকে আদি ব্রাহ্মদমাজের সম্পাদক-পদে নির্বাচিত করাইপেন ( আশ্বিন ১২৯১ )। যুবক রবীন্দ্রনাথ সম্পাদক পদে অধিরূঢ হুইয়া নি্গ কর্তবা অতান্ত আগ্রহ নিষ্ঠার সহিত সম্পাদনে প্রবৃত্ত হইলেন, সেই উৎলাহ আগ্রহাতিশয্যের ফলেই বঙ্কিমের সহিত তাহার অসীযুদ্ধ হয়।

আমবা পূবেই বলিয়াছি 'প্রচার' “নবর্জীবনে' বঙ্কিমচন্দ্র হিন্দুধর্ম, যে হিন্দুধর্ম তিনি খাড়! করিয়্াছিলেন__ তাহার পক্ষ সমর্থন করিয়া নিয়ক্রমে লিখিতেছেন বঙ্কিমচন্দ্র প্রচাঝের প্রথম সংখ্যায় হিন্দুধর্ম নামক প্রবন্ধে ছুইটি হিন্দুর তুলন! করেন। একজন আচারত্রষ্ট কিন্ত যথার্থ ধর্ম বাস্ৃনীতিপরায়ণ, আর-একজন আচারশালী হইয়াও যথার্থ ধর্মভরষ্ট। প্রথমটির উদাহরণে বঙ্কিমচন্ত্র পিখিলেন, বাক্তি কখনে! মিথ্যা বলে না, তবে যেখানে লোক হিতার্থে মিথ্যা প্রয়োজনীয় অর্থাৎ যেখানে বিথাই সত্য ছয়, সেইখানে কৃষ্কোক্তি শ্মরণপূর্বক মিখা কছেন। প্রবন্ধটি স্থিরভাবে পড়িলে তাহার মধ্য অন্যায় কিছু আবিচ্কার করা বায় না! এই প্রবন্ধটি যখন প্রকাশিত হয়, তখন ববীন্দ্রনাথ 'প্রচার' 'নবজীবন' সম্বন্ধে কোনো বিরুদ্ধ মত পোষণ করিতেন বলিয়া মনে হয় না, কারণ উভয় পত্রিকাতেই তাহার রচনা প্রকাশিত হইয়াছিল। আশ্বিন মাসে আদি ত্রাদ্ধলমাজের সম্পাদক পদ গ্রহণ করার কিছুকাল পরে তিনি বঙ্কিমচন্দ্ের “হিন্দুধধ্ম'২ শীর্ষক প্রবন্ধের সমগ্র অর্থ গ্রহণ না করিয়াই এক দীর্ঘ সমালোচনা লিখিয়া ফেলিলেন। বঙ্ষিমচন্ত্র এমন কিছুই লেখেন নাই, যাহাতে ধর্ম শিন্দিত হইতে পারে ।* ববীন্দ্রনাথ প্রবন্ধটির নাম দেন 'একটি পুরাতন কথা”* ; সিটি কলেজের হলে উহা! পঠিত হয়।

বঙ্গভায়ার লেখক ৪৫৮-৬৩।

“হিন্ৃধর্ঘ, প্রচার, শ্রাবণ ১২৯১, পৃ ১২-২৩। বঙ্িম-রচনাবলী, শতবাধিক সংপ্ঠরণ, বিবিষ, পৃ ১৮৭-৯২।

সরল! দেবী, রবীন্্র-বহিম বিতর্ক জীবনের ঝরাপাত1। উদ্খ্বৃতি বিশু হুখোপাধাক -সম্পাদিত রবীআলাগর-সাংগমে | পৃ ৪৬৯ “বড় হয়ে যখন বিচার-বিবেচন। শক্তি খানিকট। উদ্বৃদ্ধ হল, তখন বঙধিমকে পড়ে ছেখে অনুভব করলুষ, বিষের প্রতি হুবিচার করিনি জামরা, লেদিন দাতুলভতিতে অবপা বন্ধম-মতদ্দেষী হয়ে পড়েছিপুষ ।”

একটি পুরাতন কথা, ভারতী, অগ্রহায়ণ ১২৯১, পূ ৩৪০-৩৫* | লমালোচন! (১২৪৪ ), রবীক্-রটনাবলী, অচলিত সংগ্রহ ২, পু ১৫*-৫৭।

সিটি কলে মিটি কলেজিয়েট কুল তখন গোলবীতবির ধারে ১৪ নয মিরপুর জীটে ছিল। ১৯১৯ সালে কলে আমহান্ট ্রটের নূতন বাড়িতে টেটিআ আগা

২০৬ রবীজ্জীবনী খ্রষ্টা ১৮৮৪

এই প্রবন্ধ লইয়া রবীন্দ্রনাথ বঙ্কিমচন্দ্রের মধ্যে যে-লেখনী-ঘন্ব হয় তাহা লোকে বিশ্বৃত হইয়াছে সতা, কিস্ত সামগ্নিক সাহিতা অনুস্ধান করিলে এখনে! তাহাদের প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে ছুই মহৎ বাক্তি-- একজন সাহিত্য সাআাজ্যর পীঠস্থানে অধিরূঢ প্রবীণ লেখক, অপরজন সাহিতাক্ষেত্রের দ্বারে উপনীত নবীন লেখক-_ ইহাদের মধ্যে ষে-ছদ্থ হইয়াছিল, তাহা বর্তমান যুগের বাঙালি পাঠকদের নিকট কৌতুকপ্রদ লাগিবে। রবীন্দ্রনাথ বক্ষিমচন্দ্রের প্রবন্ধের উত্তরে লিখিয়াছিলেন, “স্থবিধার অনুরোধে সমাজের তিত্তিভূমিতে ধাহারা ছিদ্র খনন করেন," তাহারা এমন ভাব প্রকাশ করেন যে, মিথা! কথা বলা খারাপ, কিন্তু 9011008] উদ্দেশ্টে মিথা] কথা বলিতে দোষ নাই ।-.. উদ্দেশ্য যতই বুহৎ হউক না কেন, তাহা অপেক্ষা বুহত্তর উদ্দেশ্য আছে ।.*'আমরা যদি সমস্ত জাতিকে কোনো উপকার সাধনের জন্য মিথ্যাচরণ শিখাই তবে সেই মিথ্যাচরণ যে তোমার ইচ্ছার অন্তলরণ করিয়া কেবলমাজ্ম উপকারট্ুকু করিয়াই অস্তহিত হইবে তাহা নহে, তাহার বংশ সে স্থাপনা করিয়া যাইবে |... বুহৰ একটিমাত্র উদ্দেশ্থোর মধ্য বদ্ধ থাকে না, তাহার দ্বারা সহন্র উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয়।” ববীন্দ্রনাথের মতে বঙ্কিমচন্দ্র ধর্মের যুলে কুঠারাখাত করিতে উদ্যত * তিনি বঙ্ছিমচন্দ্রের উদ্দেশ্যে লিখিলেন, "“কোনোখানেই মিথ্যা সত্য হয় না) অন্ধাম্পদ বঙ্কিমবাবু বলিলেও হয় না, শয়ং শর! বলিলেও হয় না।”

বঙ্কিমচন্দ্র এই প্রবন্ধের উত্তর দেন, আদি ব্রাহ্মঘমাজ নব্য হিন্দুসম্প্রধায়'১ শীধক প্রবন্ধে। বন্ধিমচন্জ তাহার প্রতি কোনো আক্রমণ হইলে গ্রায়ই তাহার কোনে। জবাব দিতেন না। রবীম্ধখনাথকে স্বেহ শ্রন্কা করিতেন বলিয়াই জবাবে লিখিলেন, “রবীন্দ্রবাবু প্রতিভাশালী সুশিক্ষিত স্থলেখক মহত্স্থভাব এবং বিশ্ষে প্রীতি ঘন এবং প্রশংলার পাঙ্জ | বিশেষতঃ তিনি তরুণ বয়স্ক | মি তিনি ছুই- একটি কথা বেশি বলিয়া থাকেন, তাহা নীরবে শুনাই আমার কর্তব্য, তবে যে কয় পাতা লিখিলাম, তাহার কারণ ববির পিছনে একট! বড় ছায়] দেখিতেহি 1” ছায়া অর্থে আদি ব্রাঞ্ষসমাজ। বঙ্কিমচন্দ্র লিখিলেন যে আদি ত্রাঙ্মসমাজ ইতিপৃবে তাহাকে ঠিনবার আক্রমণ করিয়াছে, রবীন্দ্রনাথের আক্রমণ চতুর্থ। “গড়পড়তায় মাসে একটি এইসকল আক্রমণের তীব্রতা পরদায় পরদায় উঠিতেছে | বঙ্কিমের অভিযোগ ষে, প্রচারে" প্রবন্ধ প্রকাশিত হইবার পর রবীন্দুনাথ কয়েকবারই হাহার কলুচো!লার বাসায় সাক্ষাৎ করিতে গিয়াছিলেন কিন্ত এই প্রবন্ধ সম্বন্ধে কিছুই আলোচনা করেন নাই |২ তার পর চারি মাল বাদে সহস। পরোক্ষে বক্তৃতার উৎস খুলিয়া তাহাকে আক্রমণ করাতে তিনি একটু আশ্চর্য হইঘাছিলেন | তিনি লিখিলেন। “তাই মনে কৰি উৎস তিনি নিজে খুলেন নাই, আবু কেহ খুলিগ়াছে ।” রবীন্দ্রনাথ এই প্রবন্ধের জবাবে 'কৈফিয়ৎ-এ লেখেনখ “আমি বঙ্কিমবাবুবু সহিত দুখামুশী উ্র-প্রতান্তর করিবার যোগ নহি, তিনিই স্পর্বা বাড়াইয়াছেন। তবে, বঙ্ষিমবাবুর হস্ত হইতে বঙ্থাথাত পাইবার সুখ গর্ব অগ্লুভব করিবার জন্যই আমি শিখি নাই, বিষয়টি অতান্থ গুরুতর বপিয়া আমার জান হুইয়াছিল তাই আমার কর্ঠব্যকার্ধ সাধন করিয়াছি নহিলে সাধ কারয়া বঙ্কিমবাবুর বিরুদ্ধে দাড়াইতে আমার প্রবুত্তিও হণ না ভরসা হয় না” বঙ্কিমচন্দ্র লিখিাছিলেন যে রবীন্দরণাথ আদি ব্রান্মপমাদ্ধের সম্পাদক হিসাবে শি কর্তব্য পালন করিয়াছেন, তাহার উন্রে রবীন্দ্রনাথ লেখেন, মামি যে পেখা পিখিয়াছি তাহা সমস্ত বঙ্গলমাজের হুইয়া পিখিয়াছি বিশেষরূপে আদি ব্রাহ্মসমাছের হষ্টয়া পিখি নাই 1? জ্ঞানত তিনি তাহা না করিলেও অস্রে অস্থুরে

আদি ব্রাহ্মদমাজ নবা হিলুসম্প্রনায়, প্রচার, অগ্রায়ণ ১২৯১, পু ১৬১৬৭) বষ্তিম-রচনাবলী, শতবাদিক সাংগ্করণ। বিবিধ, পু ৩৯৪ ৪১৪ |

”১৫ই শ্রারগ [১২৯১] আমার এই প্রবগ্ধ [ প্রচার] প্রকাশিত হয়। তার পর অনেকবার রসীবাবানুর গঙ্গে সাক্ষাৎ গইযাছে। প্রতিবার অনেকক্ষণ ধরিয়। কখাবাঠ] হইয়াঞ্ছে। কধাবাঠ| প্রা নাঠিঠা বিষয়েই হইয়াছে | একদিন কপাটা গ্িঙ্জাস। করিল আমি দেশাইয়া দিতে পারিতাম, কোথায় নে কৃফ্কোকি রবীশ্রধাবুর অন্সন্ধ।নের ইচ্ছা! থাকিলে, অনঙ্থু জিজ্ঞাস! করিতেন বন্ধিম-রচনাধলী, শতবাধিক সংপ্রপ, নিবিধ, ৪**।

কৈকিয়ং, তার হী, পৌহ ১২৯১, পৃ ৪**-*৮। রবীন রচনাবলীনুক্ত হয় নাই

ষ্টা ১৮৮৪ ব্রাঙ্মসমাজের সমর্থন ২০৭

তিনি বিশেষভাবেই আদি সমাজভুক ব্রাহ্ম এবং আদি ত্রাঙ্গসমাজের সম্পাদক হইবার পরই তিনি এই দ্বৈরথ যুদ্ধে অবতীর্ণ হন; তৎপূর্বে তিনি বঙ্ধিমের প্রবন্ধের মধ্যে বিচার্য বিষয় যে কিছু আছে তাহা আবিষ্কার করেন নাই বা করিলেও তাহা ছন্বনীয় মনে করেন নাই সমাজের সম্পাদক হইয়া কর্তব্জ্ঞানবোধেই তিনি ত্রাঙ্মলমাজের মত বিশ্বাস সমর্থনে প্রবন্ধাদি রচনায় প্রবৃত্ত হন। তিনি নিজেকে ব্রাহ্ম বলিয়! ঘোবণ1 করিতে কোনে! সংকোচ করিতেন না। বঙ্কিম-রবীন্জের এই তর্কযুদ্ধ এইখানে সমাপ্ু হয়, কারণ বঙ্ষিমচন্দ্র আর কোনো জবাব দেন নাই এবং বোধ হয় রবীজুনাথও তাহার ভুল বুঝিতে পাবিয়া নিবুধ হইয়াছিলেন। বহু বৎসর পরে জীবনস্বতিতে এই ঘটনা উল্লেখ করিয়া লিখিয়াছিলেন, “এই বিরোধের অরসানে বস্কিমবাবু আমাকে যে একখানি পত্র লিখিয়াছিলেন আমার দুর্ভাগ্যক্রমে তাহা হারাইয়া গিয়াছে__ যদি থাকিত তবে পাঠকের! দেখিতে পাইতেন, বঙ্কিমবাবু কেমন সম্পূর্ণ ক্ষমার সহিত এই বিরোধের কাটাটুকু উৎপাটন করিয়া ফেলিয়াছিলেন।” এই বিবোধের শেষ কণ্টোৎপাটনে বঙ্কিমের বিপুল মহত্ব তো আছেই, ববীন্দ্রনাথও উহা যেভাবে হ্বীকার করিয়াছেন, তাহাতে তাহারও মহত্ব কম হ্চিত হয় নাই। কিন্তু দুঃখের বিষয় বস্কিমচন্দ রবীন্দ্রনাথকে ক্ষমা করিয়! গেলেও বাংলার সমালোচকবুন্দ তাহাকে এই মসীযুদ্ধের জন্ তিরস্ৃত করিতে কুষ্ঠাবোধ কবেন নাই। অথচ বঙ্কিম তাহার মন হইতে এই হালকা ব্যাপারটাকে একেবারেই মুছিয়া ফেলিয়াছিলেন ; তাহার প্রমাণ অনতিকাপ পরে “ভারতী"র লেখকশ্রেণীর মধ্যে বঙ্কিমচন্দ্রের নাম বিজ্ঞাপিত দেখিতে পাই | মনের মধ্যে কোনে! কণ্টক থাকিলে ভারতী পত্রিকায় তাহার নাম প্রকাশিত হইবার সম্মতি দান কখনো! করিতেন না_ভারতী ঠাকুরবাড়ির কাগজ। রবীন্দ্রনাথ আদি ত্রান্ষসমাঞ্জের সম্পাদক হইয়া নিঙ্জ কর্তব্য নিষ্ঠার লহিত পালনে ব্রতী হুইলেন। প্রথমেই রাক্জরা রামমোহন বাম্ন১ সম্বন্ধে দীর্ঘ গ্রবন্ধ লিখিলেন তরুণ কবি ব্রাহ্ষধর্মের মত বিশ্বাসকে সমর্থন প্রচার করিবার জন্তু সেদিন ভাহার কথ! পিখিতে কোনো! সংকোচ হয় নাই এক্রান্ধধ্ পৃথিবীর ধর্ম” | ব্রাক্ষধর্ম সম্বন্ধে তিনি লিখিলেন, “প্রত্যেক জাতি বিশেষ সাধনা -অনুসারে বিশেষ ফল প্রাপ্ত হয়, সেই ফল তাহারা অন্ত জাতিকে দান করে। এইরূপে সমস্ত পৃথিবীর উপকার হয়। আমাদের এত সাধনার ফল কি আমবা ইচ্ছাপূর্বক অবহেল করিয়া ফেলিয়া দিব? এইজন্যই বণ ব্রাঙ্ধধর্ম পৃথিবীর ধর্ম বটে, পৃথিবীকে আমরা ধর্ম হইতে বঞ্চিত করিতে পারিও না চাহিও না,""' ্রাঙ্মধমের জন্ত পৃথিবী ভারতবর্ষেরই নিকটে খ্চণী।”২ মাঘ সিটি কলেজ হলে উহ] পঠিত হয় (১৭ জানুয়ারি ১৮৮৫ )1 লেখক পরবতীধুগে চারিআ পৃঙ্গা'র মধ্যে (১৯৯৭) রামমোহন বায় সম্বন্ধে এই দীর্ঘ প্রবন্ধের অনেকখানি বাদ দিয়াছিলেন; তিনি ষে এককালে বিশেষভাবে ব্রাহ্ম ছিলেন একথা সাহিত্যের বন্ধ নহে বলিয়াই বোধ হয় এইসব অংশ বাদ দিয়াছিলেন। কিন্ত জীবনচবিতকার ছিসাৰে আমরা তেইশ বৎসর বয়সের রবীজ্জনাথের চিন্তাপ্রবাহ কর্মধারা জানিতে চাহি; পরবর্তীযুগে কিনব কারণে তিনি তাহার যৌবনের মতামতকে খণ্ডিত বা লুপ্ত করিয়াছিলেন, তাহার আলোচন। যথাস্থানে হইবে। ত্রাঙ্ধলমাজ শক্তিশালী লংস্থাক্ষপে গঠন করিবার উদ্দেশ্টে এইবার মাঘোৎসবের সময় (৯ই মাঘ) আদি, নববিধান, সাধারণ__ তিনটি সমাজের এক সম্মেলনের ব্যবস্থা মহধির নির্দেশে আহ্ৃত হয়। এই সম্মেলনে রবীন্দ্রনাথকে সভার

রামমোহন রায়ের জীবনচরিত সাধারণ ভ্রাক্ধসমাজের সন্ত নগেজনাখ চট্োপাধ্যায় কতক লিখিত ১২৮৮ (১৮৮২)। ইতিপুবে নন্দযেহন চট্টোপাধায় আর্ধদশন পত্রিকা রাষমৌহনের সংক্ষিপ্ত জীবনী লেখেন। বঙ্গদর্শন জোট ১২৮৮ সংখ্যার জন্ত নগেত্রনাথের গ্রন্থের উপর পূর্ণচজ বহ দীর্ঘ সমালোচনা প্রবন্ধ লিখিয্লান্ছিলেন। রবীশ্রণাথের প্রবন্ধ এই গ্রন্থ প্রকাশের প্রায় তিন ধসর পরে লিখিত

রামমোহন রার, ভারতী, মাঘ ১২৯১। পৃ. ৪৫৮-৪৭*। তত্ববোধিদী পত্রিকা চৈজ্জ ১৮*৬ শক (১২৯১) রামমোহণ রা (প্রবন্ধ) পূ ৩৪ পুস্তিকাকারে মুজিত হয়। রবীন্জ-রচনাবলীতে উক্ত পুদ্ধিক। হইতে সম্পূর্ণ প্রবন্ধটি সংকলিত হইয়াছে। জর. রবীজ্-রচনাবলী ৪, পূ ৎ২*-২৩।

২৯৮ সবীজজীবনী খ্ীষ্টান্খ ১৮৮৪

গ্রারস্তে শেষে গান কর! ছাড়! আর কোনে! অংশ গ্রহণ করিতে দেখি না। সমাজের সম্পাদক পদ গ্রহণের পর হইতে মাঘোৎসবের মধ্যে চারি মাসে বত্রিশটি ব্রহ্ষসংগীত রচনা করিয়াছিলেন এটা খানিকটা সামাজিক কর্তব্য হিসাবেই কবেন। এই ন্রময়ে কয়েকটি গান অতীব জনপ্রিয়-_ যেমন “মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, ডেকেছেন প্রিয়তম কে রহিবে ঘরে, 'সংশয় তিমির মাঝে না হেবি গতি ছে' ইত্যাদি ।,

“রামমোহন রায়ের পরিপূরক প্রবন্ধ “সমস্যা” এই সময়ে লিখিত। প্রথম প্রবন্ধে ব্রাহ্মধর্ষের শ্রেষ্ঠত্ব দেখাইলেন সত্য; কিন্তু ববীন্দ্রনাথ বিশেষভাবে ব্রাহ্ম হইলেও কতকগুলি সংস্কারের দিক দিয়া তিনি বিশেষভাবেই হিন্দু রবীজ্রনাথের অভিযোগ যে নবীন ব্রাক্ষেরা (সাধারণ ত্রাহ্জসমাজ ) উদারনীতির নামে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানসমূহর নির্দোষ অপৌত্তলিক অনুষ্ঠানাদি নিরিচারে পরিত্যাগ করিতে উদ্যত; ধর্মসাধন হইতে ধর্মসংস্কারের উপর ত্তাহাদের আকর্ষণ অধিক প্রাচীন সংস্কারগুলি ভারতীয়দের সমগ্র সামাজিক জীবনের মধ্যে কী স্থান অধিকার করিয়া! আছে, ভাহা তাহার! উৎসাহের আতিশয্যে অনুসন্ধান করিতে পরাহ্মুখ রবীন্দ্রনাথের লেখনী চিরদিনই অতিবাদ বা অতিব্যবহারের বিকুদ্ধে পরিচালিত হইয়াছে ; এই প্রবন্ধে সংস্কারকদের মধ্যে অন্ধ গৌঁড়ামির অভিযোগ করিয়া সামাজিক সমস্কাগুলিকে সকল দিক হইতে বিচারের জন্য পেশ করিলেন। আসলে তিনি আদি ব্রাক্মসয়াজের মতবাদকে আদশ হিন্দুত্ব মনে করিয়া তাহারই সমর্থন করিলেন

আমল কথা, বুবীন্ত্রনাথ যখনই কিছু লিখিয়া কোনো বিষয়ের সমর্থন করিয়াছেন, তখনই তাহার সন্দেহ হইয়াছে যে, যে-পক্ষকে তিনি সমর্থন করিলেন তাহার সহিত বুঝি-বা তিনি অঙ্গাঙ্গিতাবে যুক্ত বাঁ দলভুক্ত এই সন্দেহ হুইবামাত্র তিনি তাহার তথাকথিত মমধিত দলকে আঘাত করিয়াছেন। ইহাঁযে কেবল সাহিত্যঞ্জীবনে হইয়াছে তাহা নহে, বাস্তবজীবনেও বারে বারে ঘটিঘ্াছে। যখনই কোনো বিষয়, বস্ত, এমন-কি ব্ক্কি, ভাহার চিত্তের মধ্যে নিজের বাসা বাধিবার চেষ্টা করিয়াছে তখনই কঠোর বৈবাগ্য উপেক্ষা গুদামীন্যের ছ্বারা তাহাকে মন হইতে নিবাপিত করিবার চেষ্ট! কবিয়াছেন। তাই ব্রাক্গধর্ম ব্রাঙ্গসমাজ স্বন্ধে প্রশংসাবাদ করিয়াই উহার সমশ্তাগুলি কবির মনশ্চক্ষে তীব্র হইয়া উঠিয়াছিল এবং সেইজন্যই “সমস্কা, প্রবন্ধ লিখিত হয়।

নব্য হিন্দুসমাজ

বঙ্কিমের সহিত রবীন্দ্রনাথের মসীযুদ্ধ অল্পতেই শেষ হইয়া যায়। কিন্তু চন্দ্রনাথ বস্থুর সহিত ঘষে ছন্ৰ শুকু হয়, তাহা বুকাল বাংলার সাময়িক সাহিত্য -আকাশকে কখনো ধুমে অন্ধকার, কখনে। আলোকে উজ্জল কবিয়া রাখিয়াছিল। চন্দ্রনাথ 'নবজীবন" পত্রিকায় জাতিতেদের জয়গান করিয়। যে-প্রবন্ধ লেখেন এবং রবীন্দ্রনাথের সহিত যে সংঘর্ধ চলে, তাহার কথা পূর্বেই আলোচিত হুইয়াছে। কিন্তু এবার বিরোধের কারণ আরও গভীরকে স্পর্শ করিল।

আমাদের আলোচ্য পর্বে বাংলার ধর্ম-আকাশে শশধর তর্কচুড়ামণির আবির্ভাব হইয়াছে; তর্কচূড়ামণি দিগ বিজয়ীর স্তায় কলিকাতায় আসিয়া শিক্ষিত বাঙালি হিন্দুসমাজে আসর জমাইয়া বসিলেন। বাংলার তরুণদের উপর চুড়ামণির স্থায় পণ্ডিতের প্রভাব কিরূপে সম্ভব হইল, তাহা! ভাবিবার বিষয়) যে-লোকের না ছিল পাণ্ডিত্য, না ছিল আধ্যাত্মিক বল, সে লোক কি জাছুবলে চন্দ্রনাথ প্রমুখ মনীষীদের মন হরণ করিল।

ইহার একটি কারণ ব্রা্গধর্মের মত বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ছিল চূড়ামণির অভিযান-- তাহাতেই বোধ হয় অনেকে

তস্ববোধিনী পত্রিকা, মাঘ ১২৯১, পৃ২১১। গানগুলি রবীন্রজীবনী ৪, সংযোদ্ধন অংশে প্রদত্ত হইয়াছে। সমস, ভারতী। ফাল্গুন ১২৯১৭ পৃ ৪৯৩-৫** | সমালোচনা, পূ ১৩৩। রবীন্তর-রচনাবলী। অচলিত সংগ্রহ ২, পূ ১৩৭-৪৪।

খীট্টান্ঘ ১৮৮৫ নব্য হিন্দুসমাজ ২০৯

আকৃষ্ট হছন। তাহার মতে ঈশ্বর ছুর্জেয়) সেই ছুজ্জেয় ঈশ্বরের কাছে ব্রাঙ্গরা যে-ধরনের প্রার্থনাদি করে তাহা অর্থহীন। তাহার দ্বিতীয় পিদ্ধাস্ত-_ “ঈশ্বর যখন দুক্ঞেয় তখন হিন্দুসমাজে সেই দুঙ্গেয় ঈশ্বরকে স্মরণ করিবার যেসব প্রচলিত পদ্ধতি আছে অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের প্রতীক-উপাসনা, সেই সবই ভালো, কেননা লোকেবা সেসব সহজেই অবলম্বন করিতে পারে।... ধর্ম তাহার স্তে এক লৌকিক ব্যাপার ।”১ ইহার উপর হিন্দুদের আচারধর্মের বৈজ্ঞানিক ব্যাখা দান করিয়া সকলকে তিনি ভ্তস্তিত করিয়া দিপেন ; হাচি, টিকটিকি, শিখাধাবণ প্রভৃতি অসংখা লোকাচার বৈজ্ঞানিক সতা। তর্কচূড়ামণির শ্রোতাদের মধ্যে অধিকাংশের হিন্দুধর্ম সন্বদ্ধে জ্ঞান পাশ্চাতা বিজ্ঞান সম্বন্ধে বোধেরই সমহুলা ছিল, অর্থাৎ তাহার! শাস্ব বিজ্ঞান ছুইই সমান বা কিছুই বুঝিতেন না; সেইজন্য নিধিচারে সবই বিশ্বাস করিতে কোনো বাধা ছিল না। বিশ্বাস করিবার জন্য মানসিক মেহনত করিতে হয় না। সে যুগে আমাদের বিশ্ববিগ্ভালয়ে যে-শিক্ষা প্রদত্ত হইত, সেখানে ভারতীয় দর্শন সাহিত্য ধর্ম ইতিহাস সম্বন্ধে বাপক বাগভীর কোনো জ্ঞান লাভ হইত লা; পাশ্চাত্য দর্শন সাহিতা ইতিহাস ছিঙ্স তাহাদের মানসিক উপজীব্য ; তখন বিজ্ঞান সম্বন্ধে শিক্ষা প্রবত্িত হয় নাই | এই অবস্থায় তর্কচুড়ামণির অদ্ভুত কথাবার্তা বিজ্ঞানের নামে প্রচারিত হইতে থাকিলে সকলেই সেগুলিকে অকাট্য প্রমাণরূপে গ্রহণ করিল চন্দ্রনাথ বস্থ তাহাকে লইয়া সব চেয়ে বেশি মাভামাতি করেন। চন্দ্রনাথ এককালে বাংলাদেশের শোখীন নাস্তিকতায় গা ভাসাইঘ্াছিলেন। এখন যখন পাল্টা হাওয়ায় ফিরিলেন, তখন তাহার যুক্তিবাদের অবসান হইয়াছে এই মানসিক প্রতিক্রিয়ার অবস্থায় তিনি বলিলেন, “চুড়ামনি যেমন বলিলেন ধু ধাতু হইতে ধর্ম, অর্থাৎ যাহা ধারণ করে তাহাই ধরন, অমনি আমার সংশয় দুর হইল, বিশ্বের যাহা-কিছু আছে সকলই ধর্মের অন্তর্গত দেখিলাম ।-.. যাহা! এত অন্বেষণে পাই নাই তাহা পাইলাম ।”২

বঙ্কিমচন্্রের মন ব্রাঙ্মদের অনুকূলে ছিল না, কিন্ধ তিনি তর্কচুড়ামণির আজগুবি ধর্ম-ব্যাখ্যানের বিরোধী ছিলেন তিনি হিন্দুধর্ম" গ্রবন্ধে স্পষ্টই লিখিলেন) “প্রথম জিজ্ঞাশ্ব হিন্দুধর্ম কি? হিন্দুয়ানিতে অনেক রকম দেখিতে পাই। হিন্দু হাচি পাইল্লে পা বাড়ায় না, টিকটিকি ডাকিলে “সত্য সত্য' বলে, হাই উঠিলে তুড়ি দেয়, সকল কি হিন্দুধর্ম ?-.- মুর্খের আচার মাত্র ষদি ইহা হিন্দুধর্ম হয়, তবে আমরা মুক্ত কে বলিতে পারি যে, আমরা হিন্দুধর্মের পুনজীবন চাহি না।”* পাদটীকায় বলিতেছেন, “পণ্ডিত শশধর তর্কচুড়ামণি মহাশয় যে-হিন্দুধর্ম প্রচার করিতে শিষুক্ত তাহা আমাদের মতে কখনে! টিকিবে না, এবং ত্বাহার ঘতু সফল হইবে না ।”৪

রবীন্দ্রনাথ তখন প্রায়ই কলুটোলায় বঙ্কিমের গৃহে যাইতেন এই সময়ে একদিন বঙ্ষিমচন্দ্র রবীন্দ্রনাথকে বলিয়াছিলেন, *রবীন্্বাবু, আপনি শশধর তর্কচুড়ামণির বক্তৃতা শুনিয়াছেন?” রবীন্দ্রনাথ শোনেন নাই জানাইলে বঙ্কিম বলিলেন, “শুনিবেন ; তাহাতে জিনিস আছে আপনি আমার বাড়িতে আসিবেন, এইখানেই তীহার কথাবার্তা শুনিবাবু স্থবিধ আপনার হইতে পারিবে |”

ইহার মধ্যে রবীজ্জনাথ বঙ্ষিমের অনুরোধে একদিন আ্যালবার্ট হলে তর্কচুড়ামণির বকৃতা শুনিতে গিয়াছিলেন।

কালী আবুল ওছুদ, বাংলার জাগরন, পৃ ১৩৯। বঙ্গত।যার লেখক, পৃ৬৯১। তু. হিং টিং ছটু। প্রচার, পাবণ ১২৯১ বদ্ধিম-রচনাবলী, শতবাধিক সংস্করণ, বিষিধ, প্‌ ১৮৭। প্রচার, শ্রাধণ ১২৯১, ছ্. বন্ধিম-রচনাবলী, শতবাধিক সংস্করণ, বিবিধ, পৃ3১৮৩।

বঞ্ধিমচ্ত্র বলিয়াছেন, "তর্কচুড়াদপি মহাশয় ব্রাঙ্গাণ পণ্ডিত তিনি এখনও বুঝিতে পারেন নাই বে, নান! সূত্রে প্রাপ্ত নৃঙন শিক্ষার ফলে দেশ এখন উহ! অপেক্ষা ; ধর্ম চার়। কি হইলে দেশের সমাজধর্ধ এখন সধাঙ্গহজ্জয় হুর, সে জ্ঞানই এদের নাই, তাই ব। খুশি বলিয়া! লোকের মনোরঞ্জমে ব্ত্ত 1” বক্ষিম প্রসঙ্গ, পৃ»২। উদ্ধৃতি : প্রভষতোষ দ্ধ, চিন্তানায়ক বক্ধিমচন্র, পূ ৪৮।

২১০ ববীন্দ্রজীবনী ্রীাষ ১৮৮৫

এই সময়ের ঘটন1 স্মরণ, করিয়! রবীন্দ্রনাথ বলিলেন, “কিন্ত শীত্রই এইখানে দেখিতে পাইলাম যে, বস্কিমবাবুর 84107103600 বড় বেশিদিন স্থায়ী হইল না। কৃষ্টচরিত্র-রচয়িতার সহিত তর্কচূড়ামণির মিলন স্থায়ী হইতে পারে না|” নবা হিন্দুসমাজ আত্মপ্রতিষ্ঠার জন্য উদগ্রীব; কিন্তু কিমের উপর সে আত্মপ্রতিষ্ঠ হইবে, তাহাই সে জানে না। এই সময় হইতে শিক্ষিত প্রতিক্রিয়াশীল হিন্ুসমাজ নিখিল হিন্দুর প্রাণবন্ত আবিষ্কারের প্রচেষ্টায় প্রবৃত্ত হন, এখন পর্যন্ত সেই ' মায়াকেন্দরের বাথ অনুসন্ধান চলিতেছে-_ অসংখ্য গুরু অবতার আসিয়াও সেই প্রাণকেন্দ্রে কেহ হিন্দুকে আশ্রয় দিতে পারিলেন না হিন্দু একটি অখণ্ড 'নেশন? বাজাতি হইবার ছুম্তর বাধা দূর করিতে আজ পর্ষস্ত সক্ষম হইল না। প্রগতিপৃন্থী হিন্দু বা আদি ত্রাক্গসমাজ উপনিষদের নিরাকার ব্রহ্ষসাধনাকে সববর্ণ সবসম্প্রদায়ের মিলনকেন্দ্র বলিয়া প্রচার করিলেন) ধিন্দুসমাজ তাহা গ্রহণ না করিয়া নব্তর সত্যের সন্ধানে প্রবৃত্ত হইল। তাহারা কখনো কোম্তের পজিটিভিজমের চিরচমতকারিতাতে হিন্দুধর্মের শ্রেষ্ঠ আদর্শ বলিয়া ব্যাখা করিতেছেন ; কখনো হিন্দুসমাজের যুগযুগান্তরের পুর্জীভূত অন্ধ সংস্কারকে আজগুবি বৈজ্ছানিক ব্যাখ্যার দ্বার! যুক্তিসিদ্ধ করিবার প্রয়াস পাইতেছেন; কখনো! «আধামি'র অভিনব অতান্ত ধৌয়াটে উপসর্গ আনিয়া বাঙ।লির সহজউদ্দীপা ভাবোচ্্বাসব্হ্ছিতে ইন্ধন দিতেছেন; কখনো বা সকল প্রকার মত বিশ্বাসের মধো তথাকথিত “সংশ্লেষণ' বা সিন্থিসিস কল্পনা করিয়া সমন্থয়'-এর কথা বলিয়। গুরুবাদ তথা অবতীপবাদ গ্রচার করিয়া মনে করিতেছেন হিন্দুদের সকল সামাজিক আধাত্সিক বাধি নিরাকত হইল। কালে এক গুকর সাফল্যে বহু গুকর আবিভাব হইল। বাংলা সমাজের এই অবস্থায় রবীন্দ্রনাথ তাহার লেখনী চালনা দ্বারা এই সময়ে কিভাবে সকল শ্রেণীর প্রতিম্থীর সহিত লডিতেছেন_ আমরা এখন তাহাবরই আলোচনায় প্রবুনু হইব। আমরা পর্বে বলিয়াছি, শশধরু তর্কচডামণি নব্য হিন্দুদল ব্রাঙ্গলমাজের যুল্ভিনি নিরাকার উপাসনাতবেক বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করিয়াছিলেন রামরুঞ্চ পরমহংসের নানা দেবদেবীর মৃতিপুঙ্জার মধা দিয়া গভীর আধ্যাম্মিক শক্তি- লাভহেতু নিরাকারতব্বের অসারহ যেন প্রমাণিত হইল | শিক্ষিত সমাজের মধা হইতে রব উঠিল নিরাকার উপাসনা হিন্দুধর্ষের বিরোধী" এবং সাকার উপাপনাই হিন্দুত্বের লক্ষণ এই মতবাদ লয়] ব্রাঙ্গ হিন্দুদের মধো তীব্র সমালোচনা চলিতেছিল ; রবীন্দ্রনাথ এই আলোচনার যোগদান করিলেন তিনি সাকার নিরাকার উপাসনা" নামে এক প্রবন্ধ লিখিয়া উহ] ভারতী তত্ববোধিনী পত্রিকায় প্রায় যুগপহ প্রকাশ করিলেন (আাবণ ভাজ ১২৯২ )। রবীন্দ্রনাথ বলিলেন যে, আধুনিক পুগে শিরাকার উপাসনাবিবোধীদের পক্ষে “প্রাঈীন ত্র্ধজ্ঞানী ঝধি উপনিষদের প্রতি অনম্রম প্রকাশ করিতে পরম হিন্দুত্বের অভিমানে” আঘাত লাগে না। “হিন্দুধর্মের শিরোভূষণ ধাহারা, আমর! তাহাদের নিকট হইতে ধর্মাশক্ষা লাভ করি। অতএব ব্রাঙ্গ হিন্দু বলিয়া ছুই কাল্পনিক বিরুদ্ধ পক্ষ খাড়া করিয়া যুদ্ধ বাধাইয়৷ দিলে গোলা গুলির বৃথা অপন্যয় করা হয় মাত্র ।” এই মুখবন্ধ করিয়! রবীন্দ্রনাথ খুবই ব্যাপকভাবে দেখাইলেন ষে মান্তষের পক্ষে অসীম অনম্থকে পূজা করা স্বাভাবিক | “ঈশ্বরকে আমরা হৃদয়ের সংকীর্ণতাবশত সীমাবদ্ধ করিয়া ভাবিতে পারি, কিন্ত পৌন্ুলিকতায় ঠাহাকে বিশেষ একরূপ সীমার মধ্যে বদ্ধ করিয়া! ভাবিতেই হইবে। অন্ত কোনো গতি নাই 1." কল্পনা উদ্রেক করিবার উদ্দেশে যদি মৃত্তি গড়া যায় সেই মৃতির মধ্যেই যদি মনকে বদ্ধ করিয়া রাখি তবে কিছুদিন পরে সে-মুতি আর কল্পনা উদ্রেক করিতে পারে না। ক্রমে মৃতিটাই সর্বেসবা হইয়! উঠে।... ক্রমে উপায়টাই উদ্দেশ্য হইয়] দাড়ায় ।” নব্য হিন্দুধর্মবিশ্বাসীদের মধ্যে নানা স্তর শ্রেণী। ইহাদের যুক্তিহীন ধর্মবিশ্বাসের প্রতি যে-তীত্র বিদ্ধপ বিপিনরিহীরী গুপ্ত, 'ছিন্লপত্র' সমালোচনা মানসী, ফান্তন ১৩১৯। দ্র. দেশ, ২৬, বৈশাখ ১৩৬০, পুনসূজিত।

প্রা ১৮৮৫ নব্য হিন্দুসমাজ ২১১

গুরুবাদের প্রতি যে-কঠোর কশাঘাত তিনি করিতে লাগিলেন তাহা তাহার স্থায়ী সাহিত্যের গৌরব বৃদ্ধি করে না নিশ্চয়ই ; তবুও জীবনীকার হিসাবে সে-সবের যাথা্থ্য প্রদর্শন করাই কর্তব্য কবির বয়স এখন পচিশ ব্সর-_ সমস্ত বিষয়কেই অত্যন্ত একাস্ত করিয়া! দেখেন; তাই তাহার পক্ষে অবাস্তব অঙগীক কথা সহ করা কঠিন-__ সবিধা পাইলেই নব্য মতাবলম্বীদ্দের আঘাত করেন।

বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম আর্ধামির উপর নৃতন উপসর্গ দেখা দিল ক্কি অবতার শ্ররুষ্প্রসন্ন সেন ১২৯* সালে কুঙ্কানন্দ, নাম লইয়া নৃতন তন্থসাধনা শুরু করিয়াছিলেন ; তিনি ঘোষণা করিলেন যে, তিনি কন্ধি অবতার। “অবতার' আঙিলে চেপার অভাব হয় না, তাহা গত পঞ্চাশ বৎসরের বাংলার সামাজিক ইতিহাস আলোচনা করিলে খুবই স্পষ্ট হয়। কুষ্কানন্দের চেলারা শিক্ষিত (1) বাঙালি কিছুকাল পূর্বে এই কন্ধি অবতারকেই বিদ্ঞপ করিয়া প্রিয়নাথ সেনকে কবি এক পত্রে লিখিয়াছিলেন-__

খুদে খুদে “আর্ধ' গুলো ঘাসের মতো গজিয়ে ওঠে, ছঁচোলো সব জিবের ডগ! কাটার মতো পায়ে ফোটে তারা বলেন “আমিই কি”, গাজার কন্কি হবে বুঝি ! অবতারে ভরে গেল যত রাজ্যের গলিঘৃজি।

9806-এ রবীন্দ্রনাথ যে কী ভয়ানক তীব্র হইয়া উঠিতে পারেন, তাহা এই কবিতা-পত্রথানি পাঠ করিলেই বুঝা যায়। কিন্ত 'শ্রীমান্‌ দামু বন্থ এবং চামু বহ্থ সম্পাদক সমীপেষু, কবিতাটির তীব্র বাঙ্গ রূঢতায় অতুলনীয়। কালে জীবনের উগ্রতা হাস পাইলে, সৌন্দর্ঘসাধক কবি বুঝিতে পারিয়াছিলেন যে, কবিতাটি সাহিত্যে স্থান পাইবার উপযুক নহে এবং তজ্জন্য উহা! “কড়ি কোমলে'র দ্বিতীয় ম'স্করণ প্রকাশের সময় হইতে বাদ দিয়া দেন। এই দাম চামু কে, তদ্বিষয়ে সমসাময়িক সাহিত্যে বহু গবেষণা হইয়াছে আমাদের সন্দেহ হয় চন্দ্রনাথ বস্থ যোগেশচন্দছ্র বস্থু ( ১২৬১-১৩১২ ) ছিলেন এই কবিভার আক্রমণস্থল। চন্দ্রনাথের পরিচয় ববীন্দছনাথের সহিত তাহার সম্বদ্ধের কথা এই গ্রন্থমধো বহুবার আলোচিত হইয়াছে যোগেম্্রচন্ছ বস্থ 'বঙ্গবালী” সাঞপ্ধাহিক (২৬ অগ্রহায়ণ ১২৮৮। ১৩ ডিসেম্বর ১৮৮১ ) প্রতিষ্ঠাতা-মম্পাদকরূপে বাংলাদেশের সামগ্িক সাহিতোর ইতিহাসে হুপরিচিত। সকল প্রকার প্রগতির বিবোধীরূপে বিঙ্গবামী'র খ্যাতি বা অখ্যাতি ছিল। যোগেন্দ্রচন্দ্রের ত্রাঙ্মবিদ্বেষ 'মডেল ভগিনী €১৮৮৬-৮৮) নাষে উপন্তামে অতাস্ত নগ্রভাবেই প্রকাশ পাইয়াছিল। এই গ্রন্থের কয়েকটি সংস্করূণ-হওয়া তৎকালীন সাধারণ বাঙালি পাঠকের মতের রুচির পরিচায়ক প্রগতিশীল ব্রার্ধ বিশেষভাবে শিক্ষিত নারীসমাজ এই কুৎসিত আক্রমণের লক্ষ্য। চন্দ্রনাথ বন্থর প্রগতি-পরিপন্থী রচনা কিছু কিছু বঙ্গবাসীতে প্রকাশিত হয়। তবে চন্ত্রনাথের বরচনার মধ্য কোথাও হীনতা প্রকাশ পাইত না; তিনি কখনো যুক্তি, কখনো উচ্ছ্বাস, কখনো নবহিন্দুত্ের দোহাই পাড়িয়া প্রবন্ধ লিখিতেন। এই দুই 'বস্থ'ই উল্লিখিত কবিতার দ্বামু বস্থ চামু বন্থ বলিয়া আমাদের বিশ্বাস। রবীন্দ্রনাথের পরিত্যক্ত কবিতাটি হইতে কয়েকটি পঙ্ক্তি উদ্ধৃত হইল-_-

শ্রীকৃষ্প্রসঙ্প দেন (১২৫৮-১৩*৯ ), জন্মস্থান ; গুপ্তিপাড়া, হুগলী ১২৭১ সালে জামালপুরে (বিহীয় ) সামান্ত চাকুরি করিতেন। ১২৭৯ সালে আরধধর্ম প্রচ।রিণী সভা স্থাপন ১২৮২ সালে 'ধর্মপ্রচার পত্র' প্রকাশ করেন। ১২৮৭ সালে পিতা ঈশ্বরচঞ্জের মৃত্ার পর কাশীতে 'ভারতবযীয় আর্যধম প্রচারিণী সা স্থাপন করেন। ১২৯* সালে মাতৃবিয়োগের পয মন্্যাসী হন (বয়স ৩২)। 'ীতীর্থ সমদিপনী, 'ক্তি ভক্ত" প্রভৃতি গ্রন্থের প্রণেতা শেষ জীবন কালিমাদয়। ইনি আপনাকে কক্ষি অবতার কল্পন1 করিতেন। প্রো বলে একটি বালিকার প্রতি অত্যাচারের অভিযোগে আড়াই বংসর কারাভোগ করেন (১৩৫ )। ১৩০৯ সালে কাশীধামে মৃত্যু হয়।

পত্র। কড়িও কফোমল। রবীঙ্র-রচনাবলী ২, পৃ &*। চিঠিপত্র৮ | পদ্র২৯। জোড়ালীকো : ১৮৮৫

২১২ ববীক্ত্রজীবনী বাটা ১৮৮৫

রব উঠেছে ভারতভৃমে হি'ছু মেলা ভার,

দামু চামু দেখা দিয়েচেন ভয় নেইক আব। ( ওরে দামু, €রে চামু!)

নাই বটে গোতম অত্রি যে যার গেছে সবে,

হিছু দামু চামু এলেন কাগজ হাতে করে। (আহা দামু আহা চামু!)

লিখচে দৌহে হি ছুশান্দ এডিটোরিয়াল,

দামু বলছে মিথো কথা, চামু দিচ্চে গাল (হায় দামুহায়চামু' )

এমন হি"ছু মিলবে না রে সকল হি'ছুর সেরা,

বোস্‌ বশ আধ বশ সেই কশের এবা। (বোস দামু বোস্‌ চামু?)

কলির শেষে প্রজাপতি তুলেছিলেন হাই,

সথড়স্ন্ডিয়ে বেরিয়ে এলেন আর্য ছুটি ভাই, / আধ দান আর চামু।?)

দন্ত দিয়ে খুড়ে তুলচে ঠিছুশাস্থের মূল,

মেলাই কচুর আমদানিতে বাজার হুলুস্থুল | | দ্টগু চাদ অবতার!)

মেড়ারু মতো লড়াই করে লেজের দিকটা মোটা,

দাপে কাপে থরথর হি'দুয়ানির খোটা। ' আমার হিদুদাযুচামু।)

দামু চামু কেঁদে আকুল কোথায় হি'দুয়াশি

টশাকে আছে, গৌজ যেথায় সিকি ছুয়ানি। ( খোল ধো হিছুঘ্লানি।

দামু চামু ফুলে উঠল হি ছুয়ানি বেচে,

হামাগুড়ি ছেড়ে এখন বেড়ায় নেচে নেচে! (ষেটের বাছা দামুচামু' )

পড়াশুনো কর, ছাড় শানু আষাটে,

মেজে-ঘষে তোল রে বাপুস্বভাব চাষাড়ে। (ও দান চামু!)

ভদ্রলোকের মান বেখে চল্‌ ভঙ্র বলবে তোকে,

মুখ ছুটোলে কুলশীলট1 জেনে ফেলবে লোকে (হায় দামুহায় চামু! )

পয়সা চাও তো পয়সা দেব থাক মাধুপথে,

তাবচ্চ শোভতে কেউ, কেউ যারৎ ভাষতে! (হে দামুছে চামু।)

সঞ্লীবনী সাপ্তাহিকে এই কবিতা প্রকাশিত হইলে কলিকাতার সাহিও্যিকমহুলে বেশ একটু নাড়াচাডা পড়ে। যুবকমহলে এই কবিতা যুগপৎ কৌতুক উদ্মা স্ট্টি করে) বন্থ তরুণ ঘুবক কবিতাটি ক্স্থ করিয়া! ফেলিয়া! প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে প্রতিপক্ষের বিরক্কি উত্পাদনের জন্য প্রয়োগ করিতেন১। কবিতাটি পাঠ করিবার পর উচহ্বা যে কেন রবীন্দ্-কাব্যগ্রস্থ হইতে পরিত্যক্ত হইয়াছে, তদ্বিসয়ে প্রশ্ন উঠিবে না। কেবল কবিতার নহে, ক্ষুদ্র ক্ষার নাটিকায় এই "অবাস্তব হিন্দুয়ানিকে রবীন্দ্রনাথ কঠোরভাবে উপঙহ্থাসাম্পদ করিলেন;

“আর্য অনার? নাটিকায় নৃতন “আর্ধামি'কে বিদ্রপ করিয়া লিখিতেছেন__ ১ম। তৃমি কে? ২য়। আমি আধ, আমি হিনুু। ১ম। নামকি? ব২য়। চিস্তামণিকুত। ১ম। কি অভিপ্রায়? ২য়। মহাশয়ের কাগজে আমি লিখব। ১ম। কি লিখবেন? ২য়। আমি আর্ব- আর্ধধর্ম সম্বদ্ধে লিখব। ১ম | আর্য জিনিসটা কি মহাশয়?

দামু চাদু প্রভৃতি রচনার প্রেরণায় কোনে! লেখক একটি হেঁয়ালি-নাটয ভারতীতে (মাধ ১২৯৩) লেখেন; তাহাতে দামু বোস, চিগ্তামণি কু প্রভৃতি নাম পাওয়! বায়। রবীল্ানাথের 'ছান্তকৌতুকে' চিন্তামণি কুটুর নাম আছে।

ষ্টাৰ ১০৮৫ নব্য হিন্দুসমাজ ২১৩

২য়। (বিশ্মিত হইয়া ) আজে, আর্ধ কাকে বলে জানেন না? আমি আর্ধ, আমার বাবা নকুড় কু আর্ধ, তার বাবা ৬এনফর কুত্তু আর্য, তার বাবা... | ২য়। মুবোপীয়েরা অতি নিরষ্ট জাতি এবং বিজ্ঞান সঙগন্ধে আমাদের পূর্বপুরুষ আর্যদের তুলনায় তার! নিতান্ত মূর্খ আমি প্রমাণ করে দেব। এখনো আর্ধ-বংশীয়েরা তেল মাখবার পূর্বে অশ্বখামাকে শরণ করে ভূমিতে তিনবার তৈল নিক্ষেপ করেন। কেন করেন আপনি জানেন ?-. ২য়। ম্যাগ্রেটিজম। আর কিছু নয়। ইংরাজিতে যাকে বলে মাধ্নেটিজম্। ১ম। আপনি ম্যাগ্রেটিজম্‌ সম্বন্ধে ইংরাজি বিজ্ঞানশাস্্র কিছু পড়েছেন? ২য়। কিছুনা! দরকার নেই বিজ্ঞানশিক্ষা1! কিম্বা কোনো শিক্ষার জন্ত ইংরাজি পড়বার কিনু প্রয়োজন নেই আমাদের আর্ষেরা কি বলেন? প্রাণশক্কি, কারণশক্তি এবং ধারণশক্ি এই তিন শক্তি আছে। তার উপরে তৈলের সাধারণ শক্তি যোগ হয়ে ঠিক ম্ানের অব্যবহিত পূবেই আমাদের শরীরের মধো ভৌতিক কারণশক্কির উন্তেজনা হয়__ এই ম্যাগ্রেটিজমূ।

এইভাবে নাটিকায় শশধর তর্কচূড়ামণির আজগুবি বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্মকে১ আর্ধামিকে আক্রমণ করা হয়। নব্য হিন্দুদের সহিত এই বিরোধ বেশ কয়েক বংসরই চলিতে থাকে; রবীন্দ্রনাথ গছ্যে পদ্যে নাটিকায় নিরস্থবুই তাহাদের আক্রমণ করিতেন | এএকান্রবত] পরিবার" শ্িষ্থ বিচার আশ্রম পীড়া, িকবাকট। ( হাশ্তকৌতুক ) এবং 'নৃুতন অবতার? ( ব্যঙ্গকৌডতক ) প্রভৃতি এই শ্রেণীর রূচনা।

রবীন্দ্রনাথ ভাহার কাব্যে নাটো আযধামিকে যে বিজ্ঞপ করিয়াছিলেন) ভাহার ইতিহাস আধুনিক বাঙালি পাঠকেনু নিকট অস্পষ্ট , কারণ এখনকার শিক্ষিত যুবকরা ইতিহাস সম্বন্ধে যেলব গ্রন্থ পাঠ করেন তাহ হইতে ভাহাবরা জানেন যে, ভাষাতবের হারা জাতিতত্বের সমস্তার সমাধান হয় না অপরের ভাষা গ্রহণ করাটা নানা রাজনৈতিক অর্থ নৈতিক ধর্মনৈতিক কারণের উপর নিউর করিতে পারে। কিন্ধ উনবিংশ শতকের ফুরোপীয় ভাষাবিদগণ সংস্কৃত ভাষার সহিত পারমিক যুরোপীয় ভাষাসমূহের কতকগুলি শকের মধো ধাডুগত একা আবিষ্কার করিয়া এসকল ভাষাভাষী লোকদের মধ্যে জাতিগত (19012]) একোর মিঙ্কান্তে উপনীত হন। সেই কল্পিত জাতির নাম দেওয়া হয়

উন্লতিলক্ষণ কল্পনা রবীন রচনাবলী ৭. পৃ ১৭২। 'উন্নতিলক্ষণ' কবিতাটির শেষাংশ হইতে উদ্ধৃত :

পণ্ডিত ধীর মুণ্ডতশির / প্রাচীন শে শিক্ষা নবীন মভায় নব উপায়ে | দিবেন ধর্মদীক্ষা | কহেন বোঝায়ে, কখাটি সোজা! এ, | হিলপর্জ সতা _ মুলে আছ্ধে তার কেমিস্ট্রি আর | শুধু পদার্থতন্ব, টিকিটা যে রাখা ওতে আছে ঢাঁক1 | মাগ্রেটিভম্‌ শক্তি -_ তিলকরেখার বৈষাত ধায় তাই ক্রেগে ওঠে ভক্তি সন্ধ্যাটি হলে প্রাণপণবলে / বাজালে শক্ধঘণ্ট! মধিত বাতাসে তাড়িত প্রকাশে | সচতন হা মনটা] এম.-এ. কাকে বাক শুনিছে অবাক | অপরূপ বৃত্তান্ত বিদ্তাতৃবণ এমন ভীষণ | বিজ্ঞানে হুদদান্ত ! তবে ঠাকুরের পা আছে ঢের / অন্তত পানো-খণ্ড, হেল্য্হংল অতি বীতংস / করেছে লণ্ডতও্ড 1, কিছু না, কিছু লা, নাই জানাগুনা | বিওান কানাকৌড়ি-- লয়ে কজ্পন। লব্বা রসনা | করিছে দৌড়াদোড়ি

২১৪ ববীন্দ্রজীবনী এীষ্টান্ ১৮৮৫

আর্ধ বা 45811 ইংরেজ জার্ধান কশ ভারতীয় এমনকি বাঙালিরা সংস্কতজ ভাষা বলে) অতএব সকলেই 'আধ' মহাজাতির শাখা এই তন্বকে গভীরভাবে বিশ্লেষণ করিবার উপাদান তখনো যুরোপে আবিষ্কৃত হয় নাই, তাই মুরোগীয় পণ্ডিতগণের মতামতকে আমরা স্বল্প বিদ্যা প্রচুর কল্পনার বঙে রাঙাইয়া গ্রহণ করিলাম এবং আমরা যে “আধ? এই মত প্রচারে প্রবৃত্ত হইলাম-_ ইহাকেই বলে “আর্ধামি' এই আর্ধামিকে লক্ষ্য করিয়! কৰি পরে লিখিয়াছিলেন_- মোক্ষমূলর বলেছে “আধ সেই শুনে সব ছেড়েছি কাধ, মোরা বড় বলে করেছি ধার্য, আরামে পড়েছি শুয়ে। ধধর্মপ্রচার" মানসী ) কবিতায় আছে-__ ওই শোনো ভাই বিশু, পথে শুনি “জয় যিশু?! কেমনে নাম করিব সহা আমরা আর্ধশিশু। ভারতে এই আর্ধ-আন্দোলনের অেষ্ট নিদর্শন হইতেছে আর্ধসমাজ আর্ধদর্শন আর্দমিশন প্রভৃতি শবের উৎপত্তি এই ধরনের মসীমুদ্ধের দৃষ্টান্ত কোনো সাহিত্যেই বিরল নহে; স্থখের বিষয় রবীন্দ্রনাথ তাহার স্থজলীশক্তিকে এই ব্যর্থ সংস্কার প্রচেষ্টায় অধিক দ্রিন নিয়োগ করেন নাই রবীন্দ্রনাথ ধর্মসংস্কারক বা সমাজসংস্কারুক নহেন-_ তিনি কবি, তাই কবি হিসাবে যেখানে তিনি সত্য সার্থক সেই সাধনার ক্ষেত্রে ফিরিয়া আসিলেন। আমাদের আলোচ্য পবে ( ১৮৮৪-৮৫) বাংলার সমাজে সাহিত্যে 'আধা' শব্দ যেমন নৃতন অর্থে যদৃচ্ছ ক্রমে বাবহ্ৃত হইতে আরস্ত করে, “গুরু” অবতার" শব্দ9 তেমনি লঘুভাবে প্রমুকত হইতে শুক করে। বাংলাদেশে আধুনিক যুগে যে গুরু তথা অবতারবাদের প্রাহৃভাব দেখা যাইতেছে সে-ব্ষিয়ে কেহ গবেদণা করিয়াছেন বলিয়া জানা নাই; যদি কেহ এই আলোচনায় প্রবৃত্ত হন, তবে তিনি বহু কৌতুককর তথা তন্বের সম্মুখীন হইবেন যেব্রাঙ্ষ আন্দোলনের মূল তত ছিল সর্বপ্রকার প্রতীক-প্রতিমা মন্্ধাপজার বিরোধিতা, কালে সেই ব্রাঙ্ষপযাজের একটি শাখার মধ্যে কেশবচন্দ্র সেনকে কেন্দ্র করিয়া নবগুরুবাদের জন্ম হইল ১৮৭৯ সালের ২১ জানুয়ারি 'তাবিখে কেশবচন্ত কলিকাতা টাউন হলে যে ভাষণ দেন, তাহার নাম ছিল-- &7)[ 21175101160 [১0007601 যঙ্দিও তিনি জোরের সহিত বলিয়াছিলেন ট্ব০) তবে বলেন 51080181092] নববিধান সমাজে বিশিষ্ট মানব বা আচার্য -বাদ গুরুবাদের্ই সমতৃল্য | ইতিমধে] বঙ্কিমচন্দ্র শ্রকৃফকে আদর্শর্মানবরূপে শ্টি করিয়া নুতন অবতারবাদের সুচনা করিলেন। কিন্তু কেশবতন্র বঙ্কিমচন্দ্রের ন্যায় মনীষী যেখানে থামিতে পারিতেন, তাহাদের তক বা শিষ্বদে নিকট হইতে সে-সংঘম আশা করিতে পারা যায় না। তাহারা গুরুভক্তি হইতে গুরুবাদ গুরুবাদ হইতে অবতারবাদ-_ ধাপে-ধাপে উঠিয়া চপিলেন। কার্লাল যখন তাহার [751০ 01510 (1840) বক্তৃতামাল! দান করেন, তখন স্প্রে ভাবেন নাই যে বাঙালি পাঠকরা 'হিরোগকে গিক'তে পরিণত করিবেন এবং কালে অবভাবের মুন্সয় মৃ্তি বা চিত্রকে পৃর্ণবিক্ষজানে আরাধন। করিবেন

সাহিত্যের সঙ্গী সমালোচক

স্টির সঙ্গে সপ্ভোগের যোগ অচ্ছেগ্ক। সাধনা হয় নির্জনে $ কিন্ত ুন্দর ভুবনে" 'মানবের মাঝে" ব্যতীত সন্তোগ সার্থক হয় না। ধর্মসাধনায় ধর্মবন্ধু সংঘ চাই. সাহিতাসাধনায় রসিক সমঝদার সুহৎচক্র চাই সেইজনুা ধর্মক্ষেত্রে সম্প্রদায় সাহিত্যক্ষেত্রে আকাডেমি পা ক্লাব সভা-সমিতির হট্টি। ক্রিটিক বা সমঝদারের স্কতি-নিন্দা কবিজীবনের স্বাস্থোর

খষ্টাষ ১৮৮৫ | সাহিত্যের সঙ্গী সমালোচক ২১৫

পক্ষে একান্তভাবেই বাঞ্ছনীয় জীবনে সেই সৌভাগ্য হইতে ববীন্ত্রনাথ বঞ্চিত হন নাই। জীবন-প্রত্যুষে জ্যোতিরিক্দ্- নাথ, কাদন্বরী দেবী অক্ষয়চন্দ্র চৌধুরীর সহৃদয় উৎসাহবাণী তাহার কাব্য-প্রতিভা বিকাশে যে কতখানি সহায়তা কৰিয়াছিল, তাহার আভাস আমরা পূবেই দিয়াছি। প্রবোধচন্দ্র ঘোষ, যোগেন্দ্রনারায়ণ মিত্র প্রভৃতি তক্রবৃন্দ নিজের পয়সায় কবির বই ছাপাইয়াছিলেন। “কবিকাহিনী' প্রকাশিত হইলে কালীপ্রসন্ন ঘোষ তাহাকে অভিনন্দিত করেন; “ভগ্রহ্বায় বাহির হইলে ত্রিপুরার মহারাজ! তাহাকে কিভাবে সম্মানিত কবিয়াছিলেন, সেকথা কৰি বহুস্থানে বলিয়াছেন! 'সন্ধ্যাসংগীত' প্রকাশিত হইলে বঙ্কিমচন্দ্র তাহাকে রমেশচন্দ্রের গৃহে সমাদৃত করেন; “প্রভাতসংগীত' মুদ্রিত হইলে ভূদেব উচ্চৃসিত প্রশংসা করেন। “বউঠাকুরানীর হাট” বাহির হইলেও বক্ষিমের নিকট হইতে অপ্রত্যাশিত উৎসাহ" বাণীপূর্ণ পত্র পাইয়াছিলেন। চন্দ্রনাথ বস্থ রবীন্দ্রনাথের একজন বিশেষ সাহিত্যবন্থু সমঝদার ছিলেন। উভয়ের মধ্যে সাহিত্যবিষয়ক বহু পত্রালাপ হইত; কয়েকখানি পত্র আবিষ্কৃত প্রকাশিত হইয়াছে “ককুণা”র ন্যায় সামান্ত একটা অমম্পূর্ণ উপন্যাস সম্বন্ধে চন্দ্রনাথ যে-বিস্বৃত সমালোচনা-পত্র তাহাকে লেখেন তাহ! দেখিয়! মনে হয় চন্দ্রনাথ সত্যই রবীন্দ্রনাথকে ম্রেহ শ্রদ্ধা করিতেন।

এইকপ দৃষ্টান্ত খুঁজিলে আরও পাওয়া যাইতে পারে। মোট কথা, জীবনের আরন্ত হইতেই সাহিত্যন্থট্টির ষে অন্ুকূলতা তিনি ঘরে বাইরে পাইয়াছিলেন, তাহা খুব কম সাহিত্যিকেরই ভাগো জোটে নির্দয় সমালোচনা যে তাহাকে ভোগ করিতে হয় নাই, তাহা নহে, তবে তাহ] বালো কৈশোরে নহে-_ যৌবন হইতেই উহার স্ুত্রপাত হয়। স্পর্শকাতর কবিচিত্তে এইসব আঘাতের প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত শোচনীয় হইতে পারিত; কিন্ত আঘাতজাত বেদনা তাহার জীবনে নিক্ষল হয় নাই। কারণ, বেদনা প্রকাশেও একটি তৃপ্ি আছে? উহা! অত্যন্ত সু্্ম জটিল মনন্তত্বপূর্ণ প্রহেলিকা। সমবেদনা পাইলে মন খুশি হয় এবং সেই সমবেদন! দর্শাইবার মতো! বন্ধু স্তাবকের অভাব তাহার দীর্ঘজীবনে কোনোদিন ঘটে নাই। ক্রিটিকদের শায়কগুলির ছারা বিদ্ধ হইয়া কাতর হইতেন; পরবর্তী যুগে ইহাদের কথা বারে বারে প্রয়োঞ্জনে-অপ্রয়োজনে তক্তসমাজে বলিয়া! একদল লোকের মনে যে হ্ুন্ধ বিকৃদ্ধতা হি করিয়াছিলেন তাহার নিদর্শন সাময়িক সাহিত্যে প্রচুর

কবির যৌবনে কয়েকজন ধথার্থ সাহিত্যিক সাহিত্যরসিকের সহৃদয়তা লাভের যে-সৌভাগ্য হয়, তাহা তাহার সাহিত্যজীবনের ইতিহাস হইতে বাদ দেওয়া যায় না। বিলাত হইতে ফিবিবার পর গত কয়েক বৎসরের মধ্যে, তাহার কাবাপ্রতিভা, সংগী তকুশলতা, মনন্থিতা প্রভৃতিতে আকৃষ্ট হইয়া কয়েকজন সাহিত্যিক তাহার মিত্রগো্ঠী চক্রে ধরা দেন। ইহাদের মধ্যে বিশেষ উল্লেখযোগ্য হইতেছেন-_ প্রিয়নাথ সেন, প্ররশচজ্্র মজুমদার, যোগেম্দ্রনারায়ণ মি, আশ্ততোষ চৌধুরী লোকেন পালিত। প্রিয়নাথ সম্থন্ধে কৰি লিখিয়াছেন, 'স্ধ্যাসংগীত বচনার ছারাই আমি এমন একজন বন্ধু পাইয়াছিলাম ধাহার উত্সাহ অনুকূল আলোকের মতে! আমার কাব্যরচনার বিকাশচেষ্টায় প্রাণসঞ্চার করিয়! দিয়াছিল।..' ভগ্রহদয় পড়িয়া! তিনি আমার আশা ত্যাগ করিয়াছিলেন, “সন্ধ্যাসংগীতে তাহার মন জিতিয়া লইলাম। তাহার সঙ্গে ধাহাদের পরিচয় আছে তাহার! জানেন, সাহিত্যের সাত সমুদ্রের নাবিক তিনি দেশী বিদেশী প্রায় সকল ভাষার সকল সাহিত্যের বড় রাস্তায় গলিতে তাহার সদাসব্দা আনাগোনা তাহার কাছে বসিলে ভাববাজ্যের অনেক দূর দিগন্তের দৃশ্য একেবারে দেখিতে পাওয়া ঘায়। সেটা আমার পক্ষে ভারি কাজে লাগিয়াছিল। সাহিত্য সম্বন্ধে পুরা সাহসের সঙ্গে তিনি আলোচনা করিতে পারিতেন; তাহার ভালোলাগা! মন্দলাগা কেবলমাত্র ব্যক্তিগত কচির কথা নহে। এক দিকে বিশ্বসাহিতোর বুসভাগ্ারে প্রবেশ অন্ত দিকে নিজের শক্কিব প্রতি নির্ভর বিশ্বাম__ এই ছুই বিষয়েই তাহার বন্ধুত্ব আমার যৌবনের আবস্তকালেই যে কত উপকার করিয়াছে তাহা বলিয়া শেষ করা যায় না। তখনকার দিনে যত কবিতাই লিখিয়াছি সমস্তই তাহাকে শুনাইয়াছি এবং তাহার আনন্দের দ্বারাই

২১৬ ববীক্্রজীবনী গ্রষ্টাৰ ১৮৮৫

আমার কবিতাগুলির অভিষেক হইয়াছে এই সথযোগটি যদি না! পাইতাম তবে সেই প্রথম বয়সের চাষ-আবাদে বর্ষা নামিত না এবং তাহার পরে কাবোর ফসলে ফলন কতটা হইত তাহা বলা শক্ত ।” আর-একটু কম বয়সে এই শ্রেণীরই সহায়তা লাভ করিয়াছিলেন অক্ষযচন্ত্র চৌধুরীর নিকট হইতে ।;

শ্রশচন্দ্র ম্মদাবের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় 'এই সময়ে; তিনি ছিলেন বৈষ্ণব কৰি সাধক বলরামদাস ঠাকুরের বংশধর ।* বৈষ্ণবকাবো তাহার প্রবেশ ছিল গভীর, তাহার নিকট হইতে কবি বৈষ্বসাহিতোর রূসবোধশিক্ষ বহুল পরিমাণে লাভ করেন ; এরই সাহাযো 'পদরত্বাবলী? সম্পাদিত হয় ( বৈশাখ ১২৯২ )।৭ কবি লিখিতেছেন, “সন্ধ্যার সময় প্রায় আমার সেই ঘরের কোণে তিনি এবং প্রিয়বাবু আসিয়া জুটিতেন। গানে এবং সাহিত্যসমালোচনায় রাত হইয়া যাইত। কোনো কোনোদিন দিনও এমনি করিয়া কাটিত।”

আর আসেন যোগেন্্নারায়ণ মিত্র (১৮৬১-১৯৩২ ) নামে উৎসাহী যুবক। তখন তিনি সিটি স্থুলের সামান্ত শিক্ষক পরে নিজ প্রতিতাবলে বেঙ্গল গভর্নমেন্টের উচ্চপদস্থ কর্মচারী হইয়াছিলেন। ইনি দীক্ষিত ব্রাহ্ম না হইলেও সাধারণ ত্রাদ্ঘদমাজের সহিত ইহার আজীবন যোগ ছিল। যৌবন হইতে তিনি সাহিত্যামোদী | তিনি তরুণ কবির গানগ্ুলি সংগ্রহ করিয়া 'রবিচ্ছায়া'* নামে গ্রন্থ প্রকাশ করিলেন! যোগেন্্নারায়ণ প্রকাশকের বক্তব্যতে যাহা লিখিয়াছিলেন, তাহা হইতে রবীন্দ্রনাথ সম্বন্ধে সমসাময়িক বাংলা সাহি ত্যসেবীদের একাংশের মত কিরূপ ছিল তাহার কিঞ্চিত আভা পাওয়া বায়। তিনি লিখিতেছেন, “বিধাতা উহাকে ক্ষমতা দিয়াছেন, অবকাশ দিয়াছেন, তিনি বিধাতার দানের সমুচিত সদ্বাবহার করিতেছেন |; তাহার কবিতাগুলি সরল স্মিষ্ট প্রাণন্পশী |: ঠাহারু ধর্ম- সঙ্গীতগুলি "তান লয় স্বরযোগে যখন গীত হয় হখন মনে হয় বুঝি সী হইতে সে-সকল সঙ্গীত আকাশ ভাসিয়া ধীরে ধীরে পৃথিবীতলে সংসারদাব-দাহে দগ্ধ মানবমণ্ডুলীকে শাস্ছি দিবার জন্বই নামিয়া আদিতেছে। ঘোরু সংসার কাননে “তমন-সন-ঘোরা-গহন রজনার নাম শুনিয়া কোন্‌ পান্থ-হদয় না ক্ষণকালের নিমিক সহিত হয়? বা সেই জীবনের ধুবতারা'র উদ্দেশ পাইয়াই বা কোন্‌ অন্তপ্ত হদয় না আশ্বাস লাভ করে? বাস্তবিক সে সঙ্গীত শ্রবণে প্রাণ ইহলোকের অতীত হইয়া যায়, পাঠ করিলে অসাড় প্রাণে ধর্মভাব জাগিয়া উঠে, ঘোর মংসাবনুদ্ধ প্রাণও ক্ষণকালের

১. প্রিয়নাধ সেন রবীন্নাধ হইতে পাচ ছয় বংসর বয়ছদ বড. উভয়ের মন্যো মৌবনের আরম্তকাল হঠতেই বিশেষ ঘনিষ্ঠচা, প্রগাঢ় ভালোবাসা এবং সহোদরপ্রীতি দেগা গিয়াছিল। এহ নঙ্বন্ধ প্রায় বিশ বংসর অফুধ ছিল রবীন্্রপাপের দারুণ অর্থ কের সময় তিনি কিতাবে প্রয়নাথের উপর শির্ভরশীল, তাহা! কবির পত্রগুল পাঠ করিলে জানা যায় প্রিয়নাপের মহা হয় কাতিক ১৩২৩ ২৫ অক্টোবর ১১১৬। প্র. প্রিরপুষ্পান্রলি। চিঠিপত্র ৮1

২. শ্পচল্স মজুমদার (১৮৬*-১৯০৮) : বর্ধনানের ন-পাড়া গ্রামে কলস! পিঠ! প্রসন্নকুমার বাসা জেলার পুটিয়ার ফমিদারি এস্টেটে কাজ করিতেন , শ্রীশচজ্ছের বালাকাল দেখানে কাটে ১৮৮৫ সালে মাবছেপুটি পদ পান এব" ঠেগা বংসর গয়া, নী চামডী, কাধি, বয়ডুম, লোহারডাগা, পালামে, গিরিধি দুমকায় কাজ করেন। দ্ষকায় (২১ কাতিক ১১১৫1» নভেম্বর ১৯৮ ) মার বাান বংলর বয়সে মতা হয়। উহার পুক্ত সপ্যোষচন্্র মজুনদার, শা স্ানিকেতনের প্রথন চাগবগের অন্যতম | জ. পরশচল মকুমদার, আজেনসনাখ বন্দে।পাধ্ায়: সাহভ-সাধক চরি তমালা--৮৭। চিঠিপত্র : বিশ্বভারতী পত্রিক, শ্রারণ-আশ্ন ১৭৩ পৃ১ ৮1

বন্গিমচন্্র পদরত্রাবলী পাঠয়া প্রশচন্ত্রাক লিনিয়াছিলেন, “তুমি এবং রবীন্নাপ মপন সাকার, তথন সাগর যে উংকৃ্ হইয়াষ্ঠে তাহা কেছই সঙ্গেই করিবে না গব' আমার সাটফিকেট নিপ্রয়োরন 1” ২৫ আঙিন | ১২৯১ ]। নঙ্ষিম রচনাবলী, শভবাধিক সংস্করণ, বিবিধ, পু ৪১৩।

যোগেন্সনারায়ণ মিত্র গান সংগ্রহ করিয়। রবীন্্নাপকে পরস্থের নামকরণ করিয়! দিবার জন্য পর দেন রবীকানাথ সেঠ পত্রের উপরেই লিধিয়া্ছিলেন (২* ডিসেম্বর ১৮৮৪1 পৌঁন ১২৯১). “আলোচছায়া বললে কেমন হয়? আর 'রবিদ্ছীক্া' যদি বলেন দে আপনাদের অনুগ্র্। নাগকরণের ভার

আপনার উপরে খন আপনি পোষ়্পুর্র গ্রহণ করিয়াছেন তখন হার গোত্র নান আপনারি দাতব্য! আমার সঙ্গে এর আর কোন সম্পর্ক নাই কালিদাস নাগ, “রণিচ্ছয়া' | মাসিক বশুমতী, মবাফাড ১৩৫৭, পৃ +২৫।

এটা ১৮৮৫ সাহিত্যের জঙ্গী সমালোচক ২১৭

জন্ত উদ্দাসভাব ধারণ করে। তাহার ম্বভাব-সঙ্গীত প্রকৃতিকে নবভাবে সাজাইয়া হৃদয়ের সম্মুখে উপস্থিত কবে, প্রকৃতি যেন কোমল জ্যোত্সায় শ্াত হইয়া দিব্যমূতি পরিগ্রহ করিয্লা চক্ষের সম্মুখে আগমন করে, তীহার প্রণয়- সঙ্গীতগুলি স্থমধুর ভাবে হৃদয়-তস্ী আঘাত করে, প্রাণে বিশ্তুদ্ধ প্রেমের সঞ্চার করে।”

'পদরত্বাবলী” আজ অখ্যাত গ্রন্থ: কারণ গত পাচ দশকের মধ্যে বৈষ্বপদাবলীর বন্ধ সংগ্রহ গ্রস্ত প্রকাশিত হইয়াছে “পদাবলী” বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সাহিত্য-হিসাবে পাঠ্য নির্দিষ্ট হওয়ায় নানা সংস্করণে নির্বাচিত পদাবলী গ্রন্থ সম্পাদিত মুদ্রিত হইয়াছে আমাদের আলোচ্য পর্বে ( ১২৯১-৯২। ১৮৮৫ ) সাধারণ শিক্ষিতদের জন্য কোনে! বৈষধব পদসংগ্রহ ছিল না। সভীশচন্দ্র রায়ের সম্পাদিত 'শ্রাশুপদ কল্পতক' তখনো প্রকাশিত হয় নাই ; অক্ষয়চন্ সরকার সারদাচরণ মিত্র সম্পাদিত “প্রাচীন কাব্যসংগ্রহ* একমাত্র পদ্দাবলী-গ্রস্থ, ধাহ! আধুনিক ভাবে সম্পাদিত হইয়াছিল সে গ্রন্থও ছুষ্প্রাপা | বৈষ্ণবদের বাবহার-উপযোগী পদাবলী ছিল পদকল্পলতিকা' (১২৫৬ ) “পদাত সমূদ্র' (১২৮৫) রৃবীন্রনাথ 'পদরত্বাবলী? সম্পাদনকালে এগুলি তো ব্যবহার করিয়াছিলেন, তা ছাড়া পুঁথিও নাড়াচাড়া করেন , লোকমুখে শ্রুত কয়েকটি পদও গ্রন্থিত হয়।

পদবয়াবলীতে ১১০টি পদ আছে; তন্মধ্যে ৯৫টি পদ গ্রন্থ হইতে সংগৃহীত | অধ্যাপক প্রবিমানবিহারী মজুষদার 'পদরত্্রাবলী'র পদগুলি বিঙ্গেষণ করিয়া বলিয়াছেন যে বৈষ্ণব আল'কারিকদের পরম্পরাগত শ্রীকুঞ্-কথার পর্যায় রক্ষা এই স্থল্পপরিসর গ্রন্থে স্তর নহে, তবে “অল্প কয়েকটি পদের মধো তিনি [ রবীন্দ্রনাথ ] পদাবলী সাহিত্যের রত্বগুলির সক্ষে কাবা পিপাহদের পরিচয় করাইয়া" দিয়াছেন অধ্যাপক মন্ত্ুমদ্াব মনে করেন ষে, পদাবলীগুলি রবীন্দ্রনাথ কর্তৃক নিধাচিত হইয়াছিল, যর্দিও ভূমিকা লেখেন প্রীশচন্দ্র।,

কন্ডি কোমলের যুগে কাহার সাহিতাক বন্কুচক্রে প্রবেশ করিলেন আস্উভোষ চৌধুরী কিভাবে তাহার সহিত পরিচয় হয়, এবং পরিচয় বন্ধুত্থে আত্মীয়ভায় পরিণত হয়, সে-আলোচলা জীবনস্থতিতে আছে তিনি লিখিয়াছেন, “সাহিহোর ভাবুকতী একেবারে তাহার প্রকূতির মধো পরিব্যাপ্ধ হইয়া গিয়াছিল। তাহার মনের ভিতবে যে-সাহিত্যের হাকয়া বহিত তাহার মধ্য - সমুদ্রপারের অপরিচিত নিকুঞ্জের নানা ফুলের নিশ্বাস একত্র হইয়া যিপিত, তাহার সঙ্গে আলাপের যোগে আমরা যেন কোন্-একটি দূর বনের প্রান্তে বসম্থের দিনে চড়িভাতি করিতে ঘাইতাম।* আৰ পোকেন পালিত ছিলেন কবিব আবাল্য বন্ধু প্রথমবার বিলাতে তাহার সহিত যে-পক্রিচয় হয় তাহা লোকেনের অকাপল-মত্যুকাপ পর্ধপ্ক অবিচ্ছিন্ন ছিল। তিনি ছিলেন ববীন্থ-সাহিত্যের ভক্ত সমঝদার ১৮৮৬ সালে তিনি সিবিল সাবিস পাস করিয়া দেশে ফিরিয়াছিলেন।

সমসাময়িক সাহিতাকদের সকলেই যে রবীন্দ্রনাথের সৌহার্দ্য সান্নিধা লাভ করিয়াছিলেন, তাহা নছে। কিন্ত কেহই হার প্রতিভাকে তাচ্ছিপা করিতে পাবেন নাই অত্যান্ত বাক্তিগতভাবে অচেনা জনৈক সাহিত্যিক ববীজ্ছনাথকে কিহাবে দেখিতেন তাহার একটি উদাহরণ আমরা এইখানে দিব। “পাক্ষিক সমালোচকে 'র (ফান্ধন ১২৯০ ) সম্পাদক হিলেন ঠাকুরদাস মুখোপাধায়।২ তিনি বলিয়াছেন যে, এই পত্তিকার কোনো দামান্ধ ক্রটির জন্ত সাংবাদিক

লবিমানবিহারী মনতুমদার : রবীন্রাসাহিতো পদাবণীর স্থান। (১৯৩১)। পৃ 8৪-৫৪।

ঠাপুর়দাম মুপোপাধ্যায়ের নিবাস খুলন! জিলার সাহক্ষীর! মঙছকূমায়। বিশ্ববিভালয়ের শিক্ষা না পাইলেশ, অধাবসায়গুণে তিনি সাহিতাসমাজ্জে শিক্গ নাম হুপ্রুতিষ্ত করিতে সক্ষম হইয়া ছিলেন 'বঙ্গবাসী', 'বঙ্গনিধাসী' প্রত্ঠৃতি পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগে কিছুকাল কার্ধ করেন। নবজ্লীবন, সাধাবণী, সহিত, দাধনা, নবাতারত, প্রদীপ প্রভৃতি পজিকার় তাহার বহু রচনা প্রকাশিত হয়। তিনি মালঞ, সাহিভামঙ্গল, সাভনরী, বিজনবালা,

উদ্তটকালা, শারণীয় সাহিতা গভূতি এস্থ প্রণয়ন করেন। ফান ১২৯, সালে তিনি 'পাক্ষিক সমালোচক' প্রকাশ করেন। ১৯৩ ( কাতিক খা

২১৮ ববীন্দ্রজীবনী খ্রীষ্টান ১৮৮৫

সমালোচকগণকে রবীন্দ্রনাথের তীব্র সমালোচনার পাত্র হইতে হুইয়াছিল। সেই যুগের কথা ম্মরণ করিয় ঠাকুরদাস বহু বংসর পরে লিখিয়াছিলেন, “প্রায় বঙ্কিমবাবুর লেখার মতো রবীন্দ্রবাবুর রচনা পড়িতে ভালবাসিতাম। কেবল তাহার কবিতা বলিয়া নয়, তাহার গ্যপ্রবন্ধ সমালোচনা আমাকে সবিশেষ আমোদিত করিত এজন্য তিনি তখন যেখানে যাহা কিছু লিখিতেন, তাহা! দেখিবার জন্য ব্যন্ত হইতাম তাহার লেখায় আমার এত আমোদ ব্যগ্রতার কয়েকটি কারণ ছিল, এখনে অবশ্ত আছে প্রথমত তাহাতে আমার কেমন একটু অনিবচনীয় আরামের উদ্রেক হইত) দ্বিতীয়ত তাহাতে ভাবিবার বস্ত থাকিত।) এবং মবোপরি তাহাতে ছু'কথা বলিবার বিষয় পাইতাম মানসিক ব্যায়ামের একটা জীবস্ত বন্ত পাওয়া নিজেই এক অনির্বচনীয় আমোদ ।”১

রবীন্দ্রনাথ তাহার বালা যৌবনের স্থহদদের সম্বন্ধে জীবনস্ৃতির বাহিরে খুব কম স্থানেই বলিয়াছেন। প্রিয়নাথ শ্রশচন্ছের মৃত্যুর পর কোনে পত্র বা প্রবন্ধ সাময়িক পত্তিকায় প্রকাশিত হয় নাই কিন্তু যোগেন্দ্রনারায়ণ মিত্র, যিনি তাহার প্রথম সংগীতগ্রস্থ প্রকাশ করেন, তাহার নাম পর্যন্ত কখনো তাহার কাছে শুনি পাই। তাহার প্রথম কাব্য “কবিকাহিনী? যিনি প্রকাশিত করিয়াছিলেন সেই প্রবোধচন্দ্র ঘোষের নাম জীবনস্থৃতিতে উল্লেখমাত্র করেন নাই ) কেবল সেই অজ্ঞাতনামা বন্ধুটি মুছু পরিহাসভাগী হইয়! বিশ্বৃতিসাগরে ডুবিয়া মখিয়াছে। এইরূপে সাহিত্যের বহু জ্যোতিকণা কেন্দ্রান্ছগ শক্তিবলে রবিকক্ষে প্রবেশ করিয়াছিল, কিন্ত কালে সকলকেই কেন্দ্রাতিগ প্রবপতর শক্তিধর্মে কক্ষচাত হইয়া অদৃশ্য জগতে প্রয়াণ করিতে হয়।২

মিত্রভাগা রবীন্দ্রনাথের ছিল, কিন্ত মিত্রত্ব স্থায়ী হইবার সৌভাগা ছিল না। বভ লোক তাহার প্রতিভা সৌন্দর্য স্বকঠ বাকচাতুর্ধ মনস্থিতা গ্রভূতি দ্বারা আরুষ্ট হইয়া তাহাকে নানা ভাবে নানা সময়ে পাইয়াছিল ; কিন্তু কেহই তাহার জাীবনকাবো চিরদিনের স্থান লাভ করিতে পারেন নাই | মুডার পর আদশীযিত (14০115) হইয়া কেহ কেহ কবির মনে বাদ করিঘ়াছিলেন সত্য, কিন্কু সেখানে তাহার! আইডিঘ়া মাত, রক্কমা সের মহা নহে বাচিয়া থাকিলে তাহারা বরাবর এই স্মরণের সৌভাগা-অধিকারী হইতেন কি না সন্দেহ। অনেকেই কবিন কাছে মরিয়া অমর হইয়াছেন; তাহারাই ষথার্থ ভাগ্যবান কেন তাহার যৌবনের মিত্রা পরঘুগে ঘনি্তার উক্ত হইতে বাহিরে ছিটকাইয়া পড়িয়াছিলেন, তাহার কারণ কবির একটি বাকা হইতেই পরিষ্কার হয় ) “মাঘের 'আমি' বলিয়া পদাথ টা যখন নানা দিক হইতে প্রবল পরিপুষ্ট হইয়া না ওঠে তখন যেমন তাহার জীবনটা! বিনা ব্যাধাতে শরতের যেঘের মতো ভাসিয়া চলিয়া যার, আমার তখন সেইরূপ অবস্থা ।”» অর্থাৎ ইংরাজ্িতে যাহাকে বলে $০166017501985--- সেই তাবটা জাগিবার পর হইতেই ব্যক্তিত্ববোধসম্পন্ন সহদ্গণ ধীরে ধীরে সরিয়া গিয়াহিপেন, তাহার মন হইতেও ভাহাদের স্বৃতি মুছিয়া গিয়াছিল।

ববীন্দ্রনাপের তেজন্বী মনের অসাধারণ প্রগতির সহিত পদক্ষেপ রক্ষা করিয়া চল! সাধাবুণ লোকের পক্ষে অসম্ভব তাই ধাহারা বাপ্যে কৈশোরে বা যৌবনে রবিচক্রে প্রবেশ করিগ়াছিলেন, ঠাহাদের কাহারো এমন অসামান্য প্রতি

১৩১*) সালে মতা হয়। দ্র; জীবনীকোষ। পৃ ৭৩৭ ঠাকুরদান সুগোপাবায (১৮৫১-১৯০5)। ব্রজেলানাপ বন্দ পাধায়। সাহিভাসারক, চরিতমাল। ৮৪ দ্র. কবপ্রণাম ১৩৪৮

'পাক্ষিক সমালোচক ।' সাহিত ১৩২৩ রাবণ পূ ২৩৪ !

২. প্রিয়নাথ শচন্ত্রের মৃত্যুর পর কোনে পত্র বা প্রবন্ধ সাময়িক পত্রিকায় প্রকাশিত হয় নাই মশচশ্রের মা হয় গোবার শ্ুকাশকালে (১৩১৫), প্রিয়নাথের মৃত্যু সবুডগ্জের যুগে (১৩২৩) ১৩৪* সালে কবির বাহার বণর বযঃসকালে 'পিয়পৃ্পা্লি [ প্রিয়নাগ সেনের কয়েকটি রচনা পত্রের সংগ্রহ] গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথ একটি সামান্ঠ তৃমিকা লিখিয়া দেন, কিন্তু সে লেগায় কোনো দীপ নাই, পাক] সম্ভব নহে

জীবনশ্থৃতি।

গষ্টান্ধ ১৮৮৫ বালক; পন্ত্রিকা ২১৪

ছিল না যাহাতে রবীন্দ্রনাথের সদাচলমান চিত্তের সহিত চলিতে সক্ষম হইতে পারেন। স্থতরাং কালধর্মাহসারে তাহারা ঝরিয়। পড়িয়া যান। আমাদেরই ব্যক্তিগত জীবনে বালোর কয়জন স্হৃদকে এখন ম্মরণ করি। কৰি সম্বন্কেও সেই কথা প্রযোজা | ছুঃখের বিষয়, অযোগা শিল্ক, নিক্ঠ অন্ুকারক অলস স্তাবকদল সকল রচনাকে সমপর্যায়ে ফেলিয়া সমস্তকেই অপরূপ জ্ঞান করিত। কিন্তু কবির সকল রচনাই যে সমালোচনার উধ্র্ধ এমন মত বুদ্ধিমান কবি স্বয়ং পোষণ করিতেন না। এই আতিশযোব প্রতিক্রিয়ায় নিছক নিন্দাবাদের জন্ম হইল; ইহারই নাম নিরপেক্ষ সমালোচনা! রবীন্দ্রনাথের প্রতিকূল সমালোচনা অনেক সময়েই রবীন্দ্রনাথকে দেখিয়া হইত না হইত তাহার আতাবক অনুকারী শিহ্যবুদ্কে লক্ষ্য করিয়া কালে এই সমালোচকের দল সাহিত্যক্ষেত্রে ববীন্দ্র-বিদ্বেষী হইয়] উঠিয়্াছিলেন। তবে কথা স্বীকার করিতেই হইবে, এই সমালো'চকপ্রেণীর যধ্যে বাংলাসাহিতোর অনেক মনীষী ছিলেন এবং তাহাদের মকল মতামতই বিদ্বেষ প্রস্থত বলিয়া! উপেক্ষা করা নুস্থ দৃষ্টির চিহু নহে

কিন্ত এইখানে একটি কথা বিশেষভাবে স্মরণ রাখা দরকার যে নিন্দাপ্রশংস1 মাত্রই আপেক্ষিক ; অর্থাৎ আর্টের বিষয়টিকে কে কিভাবে গ্রেখিতে পারেন তাহারই উপর স্ততিপিন্দা নির্ভর করে। আর্টের গুণাগুণ বিচারের অধিকার অর্জন করিতে যে মাজিত শিক্ষার প্রয়োজন, তাহা সকল শ্রেণীর মযালোচকের নিকট আশা করা যায় না। বিচারের একটি বড় অংশ দৃষ্টিভঙ্গি পরিপ্রেক্ষণায় দৈর্ঘ্য প্রস্থ বেধ বুঝিতে অক্ষম ব্যক্তির পক্ষে চিত্রসৌন্দর্য বুঝা যেমন কঠিন, ভাষা রস স্থর অন্নভাব বুঝিতে অপারক বাক্কিরু পক্ষে সাহিত্যবিচার করাও তেমনি কঠিন। বিশেষভাবে কাব্যা্ি সমালোচনার জন্য মাজিত কচি স্থশিক্ষা রসবোধাদি একান্ত প্রয়োজন 1১

'বালক' পত্রিক। ১২৯১ সালের আশ্বিন মাসে আদি ব্রাক্মপমাজের সম্পা্কপদ গ্রহণ করিবার পর গত ছয়-সাত মাস রবীন্দ্রনাথ কী নিষ্ঠার সহিত সেই কাজ নানাভাবে নিষ্পন্ন করেন, তাহার আলোচনা আমর! করিয়াছি। ১২৯১ সালের শেষ দিকটায় আমাদের মনে হয়, 'রবিচ্ছায়া' গানের বহি লইয়া বাস্ত ছিলেন; যোগেন্দ্রনারায়ণের উপর সম্পূর্ণ ভার অপিত হইলেও, কবির সহধোগিতা ব্যতিযেকে তিনি নিশ্চয়ই এক! দায়িত্ব গ্রহণ করেন নাই। পূরেই বলিয়াছি যে ১২৯১ সালের শেষদিন পর্যস্ত রচিত গানের সংগ্রহ ববিচ্ছায়াতুক্ত হয়। ১২৯২ সালের নববর্ষের জন্ত বচিত গান এই গানেব-বহি ভুক্ত হয় নাই; সেই গান কয়টি__

দীর্ঘ জীবন পথ, কত দুঃখ তাপ শতবিতান, পৃ ১*৯ ছুখের কথা তোমায় বলিব না শ..) পৃ ৮৩৭ গাও বীণা, বীণা, গাও বে শ.. পৃ ১৮১

এখনো এক বৎসর পূর্ণ হয় নাই, কবি-যে নিদাকুণ মৃত্যুশোক-আঘাত পাইয়াছিলেন-_ তাহার রেশ গুধম গান ছইটির মধো ধ্বনিত হইলে, “আনন্দময়ের আনন্দ' অচিযেই মনোবীপায় ঝংক্কত হইয়া উঠিল এবং সাহিতোর বিচিত্র সর মুক্তি লাভ করিল নৃতন পত্রিকার আবির্তাবে।

» লী কবিরা'ও রবীন্নাণের কাছে তাহাদের কহিতা পাঠাইভেস শুদ্ধ করিবার জনক ড্র. নক ভটাচারধ। সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা-৮১। পূ ৩৫। অপরের লেধ।র সংশোধন রবীন্ীনাশ চিরকাণ করিয়াঞ্ছিলেন। তু বধুলা। দ্বেশ, ১৩৭৩ সাহিভ সংখ্যা। ও. ীঅরদাশস্কর রায়, রবীজনাথ গ্রন্থের “কবির পরিচ্ছেধ।

২২০ রবীন্দ্রজীবনী এটা ১৮৮৫

১২৯২ সালের টাশাখ মাসে ঠাকুরবাড়ি হইতে বালক" নামে একখানি মাসিক পত্রিকা প্রকাশিত রে 1১ সম্পাদক হইলেন জ্ঞানদানন্দিনী তবী, সতোন্দ্রনাথের পরী ছেলেমেদের শিক্ষার জন্তা তিনি থাকেন কপিকাভায় ; তাহার ইচ্ছা বাড়ির বালকবালিকাদের বচন! এই পত্রিকায় গ্রকাশিত হয় কিন্ধু কেবল তাহাদের বচনার ছারা রে চলিতে পারে না বুঝিমা রবীন্দ্রনাথের উপর ইহার পরিচালণাভার অশিত হইস। নতন পরিকার আবিভাব বণীন্নাধের লেখনীতে নৃতন প্রেরণা আনে ।২ বিচিত্র রচনালস্তারে উহাকে অপরূপ করিয়া তোলেন সবাসাগী সাহিত্যিক বালকে'র জন্য গর উপন্যাস নাটিকা কবিতা ভ্রমণকাহিনী প্রভৃতি বিচিত্র বিষয়ে লিখিতে লাগিলেন কিন্ত বাপকদের

জন্য পিখিতেছেন বলিয়া কোনো রচনার মধ্যে তরলতা লথুতা নাই, তিনি সাহিতোর সৌনগহট্টিতে মন দিলেন | রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাস করতেন যে বালক এককালে মাহুষ হইয়া! সরতরাং তাহার মানিক খাছা মনুষ্বোগিত হয়

উচিত। মানুষের বিঞুতি শিশু নহে, শিশুর পরিণতি মাভিধ- তবুটি তিনি মানিতেন। তাই সাহিতা-স্টির নৃতন প্রেরণায় শিশুদের জন্য যেসব কবিতা লিখিলেন, সেগুলি উপদেশমূলক কির নতে, সেসব কবি তা শিশু চিত্র কল্পনার উদ্বোধক, শিশুর বাক্ষিত্ববোধ উন্মেষের সহায়ক | তাহার প্রথম শিচ্ছা কবিতা কালার ব্দামুখব দিনের আছি

ছড়া “বিষ্টি পড়ে টাপুর ট্রপুব নদী এল বান" ।৩ ইহার পরেও আব-একট করিত ছড়া দিয়া শিক - সাত ভাই চম্পা? |” অতঃপর হামিরাশি, পুরানো বট, মা লক্ষ্মী, আকুল আহবান «এ কাডালিশীৎ লেহন স্€গ্ডপহ শিল্প মনের উপমুক্ত কবিতা এই কবিতাগুলির মধ্যে ভাবের একটি আঙ্মীয়তা আছে প্রভা হসগাতের পুলমিলনা করি হার সর শোনা যার পুরানো বটে? 175

নিশিদিশি টাডিয়ে আছ মাথায় সয়ে জট,

ছোটে? ছেলেটি মনে কি পড়ে গো প্রাটীন বট 12

মনে কি নেই সারাটা দিন বসিয়ে বাতায়নে,

তোমার পানে ইত চেয়ে অবক ছুনয়নে ?

ঠকদের কাঁতে মাদিকপত্ের প্রধান আকরধণ হইতেছে গল 5 উপন্যাল। প্রবীন্ছনাথকে মালিকের সেহ চাহিদা

পূরণ করিতে হইল | প্রথমেই পিখিলেন নাতিদশর্ণ গল্প “মুকুট 5 বা শুন করিলেন ছাবাধাঠিক উপন্যাস রাজধ্বি। উভয়েরই বিষয়ব্ধ সংগৃহীত হইপ তরিপুরাবাজবশেরু প্রাচীন কাহিনী হাতে | ছিপুতার ইতিহাস মি ছুইটি গল্পের আখ্যানভাগ গ্রহণের কোনো কারণ মাছে কি না, সে সম্থদ্ধে অজসন্ধান শিরক নহে | স্বাধীন হিপুরার ইতিহাল “বাজমাল।৬ গ্রন্থের সম্পাদক কৈলাসচন্দ সিংহ (১৯৫৮-১৩২১) রষ্ট সনদে ততুপোধিশী পরিকারু উন

হই

সম্পাদক; [তিনি আদি ত্রাঙ্গমমাজের সহিত গভীরভাবে সাঙ্সিষ্ঠ। বগ্ধিম্ঙ্্ প্রচাঙ্ধ পদিকার ভ্রবন্ধে ঠহাকে 'রবীন্দ্রবাবুর নায়েব? বৃপিয়া উপেক্ষা করিয়াছিলেন | আমাদের মনে হয়, প্রণীপ্রনাথ কৈলাস্চন্খ্ের নিকট হতে গিপুরার আখ্যানগুলি সংগ্রহ করবেন; কৈণাসচন্ত্র 'রাজমাপার মালমপলা পোদ হয় তখনতা কিছু কিছু সংগত করিয়াছিলেন |

শ্রীপুলিনবি্ারী সেন, রবীন্্নাধ সম্পাদিত সাময়িক পর দেশ : রবীস্শতরদপু তি সাদ ১৪০০ বালক পু 5৬ ৩2

তু. স্ারতী, সাধশ!, বঙ্গদপন, ভাণ্ডার, প্রবামী, নবুঙগপত্র। বিচি? পরিচয় পতি পারিকার রচনা

বিষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর", বালক, বৈশাখ ১২৯২, পৃ ১! এপ্রিত ১৮৮৫], কতি কোমল পরে শিশুর মাধা সুজিত হয় রবীন রচনাবলী ৯, রা ৫৮ |

'সাত ভাই চম্প। বাণক, আধাঢ় ১২৯২, শিশ্ট। রবীল-র5নাবলী »। পু ১১।

কাঙালিনী, প্রচার, আঙিন ১২৯১। কড়ি কোমল, রণীজ-রচনাবলী ২, প১৯।

কৈলাসচন্্র সিংহ, রাজমালা, ১৩৩ ( ১৮প৭ ), পূ ১৩+৪১+৫৯৬।

ধষ্টান্ঘ ১৮৮৫ 'বালক' পত্রিক! ২২১

কবি গল্প ছুটির এঁতিহাসিক কাঠামো সংগ্রহ করেন এইভাবে | তবে বাজধির প্রথমাংশের কাহিনীটুকু তাহার স্বপ্রলন্ধ, তাহা জীবনস্বতিতে কবি বিবৃত করিয়াছেন। রাজনারায়ণ বস্থর সহিত দেওঘবে দেখ] করিয়া ফিবিবার পথে-__ ট্রেনে ভীড়, একটু তন্ত্রা আসিয়াছে, এমন সময় দেখিলেন কোনো-এক অন্দিবের শিড়ির উপর রক্তচি্ ; এই দেখিয়া একটি বালিকা অত্ান্ত করুণ ব্যাকুলতার সক্ষে তাহার পিতাকে প্রশ্ন করিতেছে, “এ কি, যে রক্ত |” এই স্বপ্রের সঙ্গে জিপুররাজ গোবিন্পমাণিক্যের কাহিনী জুড়িয়া রাজধি গল্পের শুরু হয়। “বালকে” আঘাঢ় মাস হইতে ফাল্তন মাস (১২৯২) পর্যন্ত ধারাবাহিক ছাব্বিশটি অধ্যায় মুদ্রিত হয়) কিন্তু শেষ হয় নাই, পর বংসর শেষ পরিচ্ছেদগুলি লিখিয়া গ্রন্থাকারে মুদ্রিত করেন শেষাংশ লিখিবার জন্য উপাদান-সংগ্রহার্থ রবীন্দ্রনাথ ভিপুরার মহারাজকে এক পত্র দেন (২৩ বৈশাখ )। ত্রিপুবাধিপতি ইতিপূর্বে ভগ্নহদয় কাব্য প্রকাশিত হইলে তরুণ কবিকে অভিনন্দিত করিয়াছিলেন, আজও তাহার পত্রের উত্তরে জিপুরার ইতিহাস সম্বন্ধে বছ তথ্য সরবরাহ করিয়া পত্র দিলেন (১২৯৬ জিপুরাক। ১৮ জ্যষ্ট ১২৯৩)।১

যে-বৈশাখ মাসে (১২৯২) “বালক' পন্ধিকায় বাঙগকদের উপযোগী “মুকুট গল্প 9 শিশুদের উপমোগী কবিতা বাহির হই, সেই মাসেই ভারতী পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হইল 'পুষ্পাঞ্তলি' 'রসিকতার ফলাকল'। পুষ্পাঞুলি লিখিত হয় কাদস্বরী দেবীর মৃতাম্মরণে | “রসিকতার ফলাফল? একটি বিদ্রপাত্মক রচনা যাহাদের রলবোধ নাই তাহারা রসিকতার চেষ্টা করিলে পাঠকশ্রেণীর উপর কী ফল হইতে পাবে, হাহারই রলাপ্পোচনা। পুষ্পান্লি র্সিকভার ফলাফল সম্পূর্ণ পৃথক পথক ধরনের বচন! মে কথা বলাই বালা

মুকুটের গল্পাংশ সামান্য ; ত্রিপুরার ডিন রাজকুমারদের মধো বিরোধের সংক্ষিপ্ত কাহিনী জোষ্ট রাজকুমার বা যুবরাজ ল্বলহ!, শ্বেহশীল ) কনিষ্ঠ ভ্রাতার চক্রান্তের ফলেই কাহার মৃত্া হয়। গল্পের মধো ইহারই চবির আদর্শবাদী- কপে ফুটিয়াছে আর ফুটিয়াছে কর্তবাপবায়ণ সেনাপতি ইশা খার চরিত্র, খাটি মুসলমান চরিত্র-_ জান্‌ জবান যাহার এক ।২

আমর! পূর্বেই বলিয়াছি, বাজধির গল্লাশ ত্রিপুবাইতিকাহিনী হইতে সংগৃহীত বাজধির গল্পের কিযুদংশ লইয়া কায়েক বংসর পরে “বিলঞ্জন' নাটক রচিত হয়। ত্রিপুরার বাজ গোবিক্মাণিকা একটি ক্ষ বালিকার কথায় মর্মাহত হইয়া জ্িপুরেশ্বরীর মন্দিরে জীববলি নিষেধ করেন। মন্দিরের পুরোহিত বা চোল্তাই রঘুপতি পৃজাদি ব্যাপারে হাদহস্তক্ষেপকে অনধিকার চর্চা মনে করিয়া বাজার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। রঘুপতি রাজভ্রাতা নক্ষত্ররায়কে জিপুরার হাজা করিবেন স্থির করিলেন তাহাকে রাজহুত্যায় প্ররোচিত করিলেন কিন্তু নক্ষত্র ভীরুত্বভাব; সে রাজছুতা করিত পারিল না। অবশেষে সে রঘুপতির গুরোচনায় রাজার পাপিত পুত্র গ্রবকে দেবীর সমক্ষে বলি দিবার জন্ম

“রধি পঞ্জিকা। জাগবতলা চৈআ। ১৩৩৪ ত্রিপুরা, পু ৩৭৭-৭৯ | রাজহি পুষ্তকাকারে প্রকাশিত হয় মাঘ ১২৯৩ | ১১ ফেব্রুয়ারি ১৮৮৭ ] জ. জীবনস্থতি। প্রন্থপরিচয়, প্‌ ২৮২-৮৪। রবীন্শাখ ত্রিপুরা, পৃ ৩৯৮ ৪*৩।

এ8 গঞ্জের অমরমাণিকা ইতিহাসিফ বাক্তি , কিছববস্তীমূলক ইতিহাস জনুলারে ত্র হইতে ইনি ১৯তম রাজা, রাজধি উপক্যামের গোবিলদাণিকোর (১৬৩) চারিপুরুষ পূর্বে রাজত্ব করিতেন। জআমরমাণিকোর চারি পু রাজভুর্পত, রাজধর়, অমরহূর্গচ ঘুঝার পিংহা জোষ্ঠ গভাযু হল তিন হাতার মধো রাজবর যুবরাজ ছল | অবীন্রনাখ কনিষ্ঠ মুঝার সিংহের নাম দিয়েছেন রাজধয়। ইনি অতিশয় কোধী দাস্তিক ছিলেন এবং ইছায বতাবদোদে রাজোর অনেক অনর্থ ঘটে আরাকানরাংজর ভিপুয়া-আক্রমণ উতিহাসিক ঘটনা; উক্ত রাত! কক প্রদত্ত যহামূলাবান এক "মুকুট হইতে হাড়ের মধো বিরোধের গৃই হয়। এই বিরোধের হযোগ লইয়1 জারাকানয়াজ হরিপুর] আক্রহণ করেন; এই যুদ্ধে কনিষ্ঠ বুঝার সিংহ নিহত যুবরাজ বাঙ্গধর আহত হওয়ায় তিপুরায় পরাতধ হয়। রাজধরমাপিকা ১৫৮ শকে (১৫৮৬ খ্রীষ্টাক ) রাজ্যাতিবিক্ত হন | রাজধানী ছিল উদকপুর়। বিস্তান্বিত ধার জন্ত জর. কালীপ্রলগ্ধ লেন -সম্পাদিত 'জীয়াজমালা, গঙ্গাধয় সিদ্ধান্তবাগীশ বিরচিত। সটীক সচিজ্র। আগরতলা-জিপুরা রাজ্য দামালা কারধালয় হইজে প্রকাশিত তৃতীয় লহ ১৩৪১ ত্রিপুরা পৃ ১৪৯।

২২২ রবীন্দ্রজীবনী খ্রীষ্টাব্দ ১৮৮৫

অপহরণ করিলে, গোবিন্দমাণিক্য উভয়কে মন্দিরে গিয়া গভীর রাত্রে ধরিয়া ফেলেন। উভয়েই রাজ্য হইতে নির্বাসিত হইলেন। ইতিমধ্যে রঘুপতি মন্দিরের সেবক জয়মিংহকে রাজহত্যায় প্ররোচিত করিয়াছিলেন। রঘুপতির নিবাসনের পর্বরাত্রে জয়সিংহ দেবী সমক্ষে আত্মহত্যা করিল। অতঃপর নিধাসিত রঘুপতি প্রতিহিংসা চখ্তার্থ করিবার জন্য মুঘল স্ববেদার শাহ সুজার সহিত রাজমহলে গিয়] সাক্ষাৎ করিলেন ত্রিপুরা আক্রমণে তাহাকে পরামশ ধিলেন। লিবাসিত নক্ষত্ররায়কে দলভুক্ত করিয়া মুঘল-বাহিনীর সঙ্গে রঘূপতি ত্রিপুরা আক্রমণ করিলেন গোবিন্দমাণিকা এই সংবাদ . পাইয়া রাজ্য ছাড়িয়া স্থদূর চট্টগ্রামে গিয়া বাম করিতে লাগিলেন ।১ তিনি বলিলেন যে, হিপুরার রাজকুমার পিতৃ- সিংহাসন লইতে আসিতেছে, তাহাকে বাধা দিয় নররক্তপাত নিম্রয়োজন। নক্ষত্ররায় ক্রিপুরার রাজা হইয়া অনতিকালের মধোই শাসনব্যাপারে রঘুপতির হিতোপদেশ উপেক্ষা করিতে লাগিলেন অবশেষে একদিন অপমানিত হইয়া অশ্তত্রপ্ন রঘুপতি গোবিন্দমাণিকার নিকট ফিরিয়া গিয়া আত্ম-অপরাধের জন্য ক্ষমা ভিক্ষা করিলেন। এবং তাহার নিকটেই রহিয়া গেলেন 1২

রাজধি উপন্যাসের মধো গোবিন্দমাণিক্য বঘূপতি দুই বিপরীত শক্তি বা ধমের প্রতীক রাজা হইয়া এঙ্বের মধ্যে বাস কবিয়া, লোকহিতার্থ ধন জন মান মুহুর্তে বিম্জন করিবার শক্তি রাজা গোবিন্দমাণিকার ছিল বপিয়া তিনি যথার্থই রাজি! কিন্ রঘুপতি সবত্যাগী হইয়াও সংস্কারাবন্ধ ; সস্কারকেই সে ধর্ম বলিয়া জানিত। ছাগহতা! বন্ধ হওয়াতে সে নরহত্য করিতে প্রস্তত | ধমীয়তা বা আচারকে সে ধর্ম বলিগা জানে বিশ্তদ্ধ প্রেমের ধর্ম হইতে এই বুদ্ধিহীন হিংসাধর্জকে রবীন্দ্রনাথ পৃথক করিয়া দেখাইতে চেষ্টা কারযাছেন | রবীন্ত্রসাহিতো গোবিনদমানিকোর চবি বারে বারে নানা নামে নানা সাজে প্রকাশ পাইয়াছে ; ইনি রবীন্ছুনাথের অন্যতম আদর্শ চিত্র, যিনি ভোগের মধ্যেও ত্যাগকে বরণ করিয়াছেন, যিনি “তেন ত্যকেন ভুজীথাঃ? এই ঝষিবাক্কাকে জীবনে সার্থক করিয়াছেন

আমাদের মনে হয়, “রাজধি' উপন্যাসের প্রতি সাহিত্যিকদের যতট্রক মনোযোগ দেওয়া উচিত ছিশ ভাহা তাহারা দেন নাই। তাহার কারণ “বিসর্জন' নাটক তাহাদের সকল মন হরণ করিয়া লয়। সেটি খুবই স্বাভাবিক কিন্ত গাজধির মধ্যে যে-জটিল মনস্তব, ঘটনার সমাবেশ আছে তাহাকে তুচ্ছ করা যায় লা। বিসর্জনের বুনিয়াদ তো এইখানেই ; বিচিত্র বিরুদ্ধ চবিত্রগুলি ইহারই মধ্যে প্রথম আবিভূতি হয়। 'রাজধি'র প্রথমাংশ হইতে বিসর্জনের আখ্যান অংশ

সংগৃহীত হইয়াছে বলিয়া পাঠকদের সমস্ত চিত্ত সেখানেই কেন্্রীভৃত হইয়া থাকে কিন্ত গ্রন্থের অবশিষ্ঠ অধিকাংশকে আমরা তুচ্ছ করিতে পারি না।

গোবিন্দমাণিকা ভ্রাতরন্তপাতরূপ পাপ হইতে রক্ষ। পাইব!র জন্য শ্বেস্ছায় রাজাভার তাগ করিয়া রসাঙ্গের রাড আয়ে সন্গাসার স্থায় বাদ করিতেছিলেন, সেই সময়ে শাহঙ্গাহান বাদশাহের পুর হজ তধায় উপস্থিত হন। রনাঙ্গের রাঙ্গা পলা হক রাছবুমারকে আসন দেন নাই, গোবিন্দনাণিকা 'াহাকে সম্মান দেখান। তঙ্জন্ক সুজা গোবিন্দমা(ণকাকে মূলাবান হীরকাঙ্গরী দান করেন। অতঃপর গোবিনামাণিকার ত্রাত। ছব্রমাণিকোর ( রবীন্নাপের নক্ষত্রমা পিক ) মৃতু।(র পর ঠিপুরায় অরাছিকতা আ[পস্ঠ হয়, তন প্রগাগণ গোবিশ্টমাণিক্াকে আহ্বান করিয়া পুনঃপ্রতিষ্া করে। ইতিমধো গুজার ছুরশাপূর্ণ মৃত্ুুর কথ! জানিতে পারিয়া গোবিন্দমাণিকা হীরকাঙ্গুরী বিক্রয় করিয়া! সেই অর্থ হ্বার। গোমতী নদীতীরে কুমিলায় জিদ পির্মাণ করিয়া দেন।-_ মহ্মিচন্ত্র ঠাকুর, কুমিলার সুজ যসজিদ', প্রবানী, ফান্ধন ১৩২৯, পৃ ৬৫৯। রবীঙ্রনাথের 'দালিয়া গলে হুঙ্জার কাহশী আছে। গোবিনম[ণিক্য 'রাজম।লা'র প্রবাদগত ইতিহাস মতে ১৩তম বংশধর | ১৫৮২ শকে (১১৭, ত্রিপুরা মর ১৬১৭ খাষ্টঝা ) কলাণমাপিকোর রাজনের অবনান মহারাজ গোবিঙ্গনাণিকোর রাজত্ব আরম হয়। এক বংসররাজন্থের পর মহারাজ গোবিন্দ তদীয় বৈমাত্রেয আতা নঙ্গররায় (ছত্রমাপিক্য ) কর্তৃক বিতাড়িত হইয়! কি্ংকাল চট্টগ্রাম, জারাকান প্রভৃতি দেশে ভ্রমণ করেন। ছত্রমাণিকার মৃত্ার' পর পুনর্ধার রালো আসির সিংহাসন গ্রহণ করেন। 'রাজমালা' চতুর্থ লহরে ইছার বিবরণ পাওয়া যায়, ইহার আদেশানুসারে রাজম।লায় তৃতীয় লহর রচিত হইয়াছিল। জ. রাজম।লা, তৃতীয় লহর, পূ ৩৪৭।

গ্রষ্টা্ৰ ১৮৮৫ 'বালক' পত্রিকা ২২৩

রাজধি উপন্যাসের শেষ কয়েক পরিচ্ছেদ্দে তরুণ লেখক বিষন নামে এক মহাপুরুষের অবতারণা! করিয়াছেন। “বিন কোন্‌ দেশী লোক কেহ জানে না। ব্রাক্ষণ, কিন্তু উপবীত ত্যাগ করিয়াছেন। বলিদান প্রভৃতি বন্ধ করিয়া একপ্রকার নৃতন অহষ্ঠানে দেবীর পুজা করিয়া থাকেন-__ প্রথম প্রথম তাহাতে লোকেরা সন্দেহ আপত্তি প্রকাশ করিয়াছিল, কিন্ত এখন সমস্ত সহিয়া গিয়াছে বিশেষত বিষনের কথায় সকলে বশ। বিন্বন সকলের বাড়ি বাড়ি গিয়া সকলের সঙ্গে আলাপ করেন, সকলের সংবাদ লন, এবং রোগীকে যাহা উধধ দেন তাহ আশ্চর্য খাটিয়! যায়। বিপদ্দে আপদ সকলেই তাহার পরামর্শমতে কাজ করে-_ তিনি মধ্যবর্তী হইয়া কাহারও বিবাদ মিটাইয়! দিলে বা কিছুর মীমাংসা! করিয়া দিলে তাহার উপর আর কেহ কথা কছে না।”১ এই চরিত্রের আর-একটি দিক হইতেছে তিনি শিশুদের মনোরঞ্জন করিতে পারিতেন। প্বিহ্বন ঠাকুর এক-একদিন অপরাহে রাজ্যের ছেলে জড়ে! করিয়! তাহাদিগকে সহজ ভাষায় রামায়ণ মহাভারত পৌরাণিক গল্প শুনাইতেন। মাঝে মাঝে দুই-একটি নীরস কথাও যথাসাধ্য রসসিক্ত করিয়! বলিবার চেষ্টা করিতেন, কিন্তু খন দেখিতেন ছেলেদের মধ্যে হাই তোল সংক্রামক হইয়া উঠিতেছে তখন তাহাদের মন্দিরের বাগানের মধ্যে ছাড়িয়া দিতেন ।”২

বিনের এই যেমন একটি দিক, আর-একটি দিক হইতেছে রাজ্যসেবা__ রাজসেবা নহে কোনো! অযৌক্তিকতা৷ ভীরুতা তাহাকে স্পর্শ করে না। নক্ষত্ররায় ত্রিপুরা আক্রমণ করিলে তিনিই বাজাময় ঘুরিয়া ঘুরিয়া সৈম্ত সংগ্রহ করেন। গোবিন্গমাণিকোর যুদ্ধ-না করিবার প্রবৃত্তিকে তিনি সমর্থন করিলেন না, তাহার যতে ধর্মযুদ্ধে পাপ নাই। সৈল্গ সংগৃহীত হইল এবং কিভাবে দেশকে মোগল সৈগ্গের হাত হইতে রক্ষা করা যাইতে পারে, তাহার যে-ব্যবস্থা করিলেন, তাহা বিচক্ষণ সেনাপতিরই যোগা কর্ম। যুদ্ধ-বিরতির প্রস্তাব লইয়া তিনিই গেলেন নক্ষত্রের নিকট রাজা যখন কিছুতেই যুদ্ধের প্রস্তাবে সম্মত হইলেন না, তখন বিষ্বন বলিলেন, “অসহায় প্রজাদিগকে পরহন্তে ফেলিয়া দিয়া তুমি পলায়ন করিবে, ইহ] ম্মরণ করিয়া আমি কোনোমতেই প্রসন্ন মনে বিদায় দিতে পাবি না।”৩ রাজা প্ুবকে লইয়া বনে গিয়া বান করিবেন শুনিয়া বিন বলিলেন, “বনে কি কখনো মানুষ গড়া যায়। বনে কেবল একটা উত্তিদ পালন করিয়া তোল! যাইতে পারে। মানুষ মন্তুযাসমাজেই গঠিত হয়।”* ইহার পর ত্রিপুরা ত্যাগ করিয়া বিন নোয়াখালির নিজামৎপুরে গিয়া বাস করিতে লাগিলেন। সেখানে ভয়ংকর মড়কের প্রাদুভাব হইলে তিনি হিন্দু-মুসলমান নিবিশেষে যেরূপ সেবা করিয়াছিলেন তাহাতে উভয় সম্প্রদায়ের লোক তাহার বশ হইয়াছিল। পাঠক ৪১শ পরিচ্ছেদটি পাঠ করিলে দেখিবেন রবীন্দ্রনাথ এই উপন্তাসের মধ্য দিয়া দেশসেবার কী আদর্শ স্থাপন করিয়াছিলেন। বিষনের কর্মযোগী চবিত্রটি রবীন্দ্রনাথের একটি বিশেষ স্থ্টি। ববীন্ত্রনাথের মধ্যে যে-আদর্শ মানুষের স্বপ্ন ছিল তিনি তাহার বহু নাটক-উপন্তাসের মধ্য দিয়া তাহা প্রকাশের চেষ্টা করিয়াছিলেন গোবিন্দমাণিক্যর শান্ত সর্বসহা চরিত্র 'গোরা”র পরেশবাবু, “ঘরে বাইরে'র নিখিলেশ প্রভৃতির মধ্যে নানা ভাবে দ্বেখা দিয়াছে বঘুপতিও নানা ভাবে প্রকাশ পাইয়াছে প্রতিরোধের চরিত্রগুলিতে। বিষ্বন হইতেছেন কর্মসাধকের মুতি); তিনি পৃথিবীর মধ্যে থাকিয়াও তাহার উধ্বে বাম করেন। সব কিছু তিনি স্পর্শ করেন, কিন্ত কোনো কিছুই তাহাকে স্পর্শ করিতে পারে না। 'শারদোৎসবে'র রাজা, 'রাজা'র ঠাকুরদা, 'অচলায়তনে'র গুরু, এমন-কি “চতুরঙ্গে'র জ্যাঠামশায় প্রভৃতি চরিত্র রবীন্দ্রনাথের এই তেইশ বৎসর বয়সের সি বিষনেরই ব্ধপাস্তর বলিলে ছুঃসাহসিকতা হইবে না। রাজধি: ২৯শ পরিচ্ছেদ রাজধি : ২৯শ পরিচ্ছেদ রাজধি : ৩৬শ পরিচ্ছেদ রাজধি: ৩৬শ পরিচ্ছেদ।

২২৪ ববীন্দ্রজীবনী গষ্টা ১৮৮৫

বিদ্বনের চরিত্র বাংলাসাহিত্যে নৃতন হইলেও সম্পুর্ণ নূতন নহে, কারণ বস্কিমচন্্র তাহার প্রায়-উপন্থাসেই একটি করিয়া আদর্শ স্বামীজী” স্থষ্টি করিয়াছিলেন “ছুগেশনন্দিনী'তে অভিরাম স্বামী, চন্ত্রশেখবে" রমানন। স্বামী প্রভৃতি কর্মযোগী বীরগণ সাধারণত সন্গ্যামী- বলিলে যাহা বুঝায় মে-শ্রেণীর মানব ছিলেন না তবে সনাতন হিন্ুধর্মমতের গ্রতি বঙ্কিমের অতিরিক্ত অন্ধ ভক্তি থাকার জন্য তিনি তাহার সন্ত্যাসীদিগকে দৈবশক্তিসম্পন্ন করিয়া স্টি করিয়াছিলেন) কোম্তৎ-এর মতবাদ প্রচার করা সত্বেও বন্কিম সন্ত্যাসীদিগকে বিশুদ্ধ ঘুক্তি-আশ্রয়ী কর্থযোগীব্ূপে স্ত্তি করেন নাই, বরং রহশ্বাশয্ী করিয়াই গড়িয়াছিলেন। আমাদের মনে হয়, ববীন্ত্রনাথের শিক্ষা ব্রাহ্ষধর্-ও-সমাছসম্মত হওয়ায় তিনি তাহার কোনো চরিত্রকে অলৌকিক শক্তিসম্পন্ন করিয়া সষ্টি কবিতে পাবেন নাই | রবীপ্রনাথ এই চরিক্র- স্ষ্টিব প্রেরণা কোথা হইতে পাইয়াছিলেন বলা কঠিন; তবে তাহার গছ্াপ্রবন্ধের মধ্যে যখনই ভিপি কোনো আদর্শ প্রতিষ্ঠায় প্রয়াসী হইয়াছেন, তখনই মতের সঙ্গে কমের একটি সবাগগহন্দধ হুট সমন্থয়ের কথা প্রচার করিয়াছেন বিন তাহারই রক্তমাংসে গঠিত মানবমৃতি ! বঙ্কিমের 'কৃষ্ণচরত্র' হইতে কবি তাহার আদশ মাপবের চপ্ররণা পাম হলেন কি না বলা কঠিন। কারণ, ইতিপূবে “প্রগারে-প্রকাশিত €১২৯১-৯২ ) ককচরিত ১২৯৩ সালে গ্রন্থাকারে প্রথমা মুদ্রিত হয়। 'কৃষ্চবিরে' বঙ্কিম রুষ্ণকে যেবূপভাবে আদশ মানব সঙ্গী করিয়াছিলেন, উপন্কাসের মঙ্গো সেইক্ধণ আদর্শে রবীন্দ্রনাথ বিক্বনের চবিত্রও স্থ্ট করিয়া থাকিতে পারেন। কথ। হুলিলে চলিবে না তখন রবীন্দনাথের বয়স চবিবশ বৎসর মাত্র বঙ্কিম তখন সাহিত্য-সমাট। যাহাই হউক, 'রাজধি'র বিন মহৎ চরিত্র হইলেও, অতিশয় আহৎ বূপে চিত্রিত হইয়াছেন; লেখক তাহাকে আদশ মহাপুরুষ করিতে গিয়া সাধারণ মাহুষক্ধণে গড়িবার কথ শলিয়া গিয়াছিলেন স্থতরাং আদশট! কৃত্রিম হইয়া গিয়াছে আমাদের মনে হয়) রপীঙ্ুনাথ তাহার এই ভুষলতাকে আবিঙ্কার করিয়া বিনকে আর আপরে নামান নাই | রাজধির মধোই তাহার গুথম শেষ কতা সম্পন্ন করিয়া পেন

মুকুট ব। রাজধি হইতে সম্পূর্ণ ভিন্ত্র ধরনের রচনা হইতেছে চিঠিপত্র 'রিপিকতার ফপাফপা সহাহ নিগ্ষণই হইয়াছিল, কিন্তু ষীচরণ নবীনকিশোরের 'চিরঘীবেধু শ্রচরণেক নামে পন্বধারা বাংলাসাহিতে রচনার নৃতন আদর্শ স্থাপন করিল। পত্রগুলি কলিত ঠাকুদা নাতির মধো সনাতন লৃহনের সম্পকক লয় [ব্চাক। বষ্িচরণ প্রাসীন অনুষ্ঠান প্রতিষ্ঠানের পক্ষ লইয়া নবীনকিশোরের সহিত তর্কযুগ করিতেছেন | নবীনকিশোর স্ব-কালের ধর্ম কী তাহাই বুদ্ধ পিতামহকে বুঝাইতে চেষ্টা করিততছেন। যেখানে লেখক প্রানের পক্ষ অবলগ্ধণ করিয়া বলিতেছেন তাহা পাঠ করিলে মনে হয় যে সেগুপি চিরন্থণ মতা, তাহার বিকচ্ছে ঘুক্তি নাই; আবার নবীনকিশোরের পক্ষ লইয়া! বর্তমান কালকে সমর্থন, বর্তমান প্রগতিকে অশ্রমোদন করিতে দেখিলে মলে হয় লেখক ইহাদেরই অন্কতম। প্রাচীনেরা রবীন্দ্রনাথকে উগ্রপন্থী বলিয়া অবজ্ঞা করিতেন, এব” নবীনেরা হাহাকে সংস্কারপন্থী বলিয়া তাচ্ছিলা করিত। রবীন্দনাথ যে-মধ্যপথ বা সামাপথ অন্রসরণ করিতেন, তাহ! সুন্দরের পথ, তাহা উগ্রতা পথ নহে, তাহা ভীরুতার পথ নহে, ভাহা সকলকে লইয়া চগিবার পথ | যাহাই হউক, রবীন্দ্রনাগের এই পত্রধারার মধ্যে কোনো পক্ষের মতামতকে পরাহৃত করিবার জন্য পুর্বাহে কোনোপ্রকার ভাস্কর ছুধল যুগ্টিজাল বিশ্মার করা নাই? প্রতিপক্ষের বুক্তির হু ঘমালোচনার ছারা নিজপক্ষের নত সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। এই পত্র করখানি তাহারই শ্রেষ্ঠ নিদর্শন |

বালক: জোষ্ঠ ১২৯২, পূ ৭৭৮১, চিরল্লীবেধু। আধাড় পু ১৩৬-৪*, প্ীচবণেদ। শ্রাবণ পু ১৮৯০১, চিরনিবেপু। ভাগ পু ২৪৮৫১, জীচরণেধু। আহ্বিন-কািক পৃ ৩৯৭ ১২, চিরগ্রীবেতু। পৌষ পূ ৪৩৮৪০, লীচরণেদু। মাত পু ৪৯৬৯৮, তিরভ্রীবেসু। চৈত্র ৭৬৭-৬৯, ঈীচরণেদু। ড. চিঠিপত্র ১৮৮৭ (১২৯৪) প্রীশরৎকুষার লাহিড়ী এও কোং কতৃক প্রকাশিত। পৃ *১। সমাজ, গণ্নগ্রস্থাবলী অয়োদিশ খগ (১৯*৮)। চিঠিপত্র | রৃবীন্্র-রচনাবলী পূ ৫*৫-৩৭।

খ্র্টা ১৮৮৫ 'বালক' পন্তিক! ২২৫

কোনো বিষয় আলোচনাকালে বা কোনে! মত প্রচারকল্পে রবীন্দ্রনাথ ভাহার মতই চরম এবং সেই মত অঙ্গসরণ, অহ্থবর্তনাদি ব্যতীত গতান্তর নাই-_- এই শ্রেণীর দৃঢ় মত ব্যক্ত করিতে সদাই সংকোচবোধ করিতেন। সেইজন্ত অন্ত কাহাকেও আপনার মত বিশ্বামমতে জীবন নিয়ন্ত্রণের জন্ অন্তের প্রতি জিদ বা জবরদস্তি করিতে পারিতেন না। তিনি দি কবি না হইয় ধর্মসংস্কারক বা গুকুজাতীয় নেতা হইতেন তবে তাহার বিপক্ষের কথা শুনিবার বা মানিবার কোনে প্রশ্থই উঠিত না। পরমত-অসহিফুতার মধ্যে গ্থুচি আভিজাত্যের দৈস্ক প্রকাশ পায়। এই মনোভাবের ফলে, তাহার কর্মক্ষেঞ্রে কখনো কঠোরের পথ অবলম্বন, বা নান! মত পরু্দস্ত করিয়া একটি মাত্র পথ পবিক্রমণ-প্রয়াসী হইতে দেখি নাই। জীবনের অভিজ্ঞতা, জ্ঞানের ব্যাপকতা, ধ্যানের গভীরতা, রসের ব্যাকুলতা কবির সত্বাকে ক্রিয়াশীল বিবর্তনের মধ্য দিয়া লইয়া গিয়াছিল, কোনো! বিশেষ মত বা মনেন্ব বিশেষ অবস্থাকে চরমজানে তন্মধো সমাহিত থাকিতে পারেন নাই। সেই চলমান, অবিচ্ছিন্ন গতিপথে একটি বাণী শোনা যাইত-_ “সবার সাথে চলতে হবে”, সবের মধ্যে আপনাকে আপনার মধ্যে সবাইকে অচুভব করিতে হইবে সেইজন্ক চিঠিপত্র মধ্যে যীচরণ নবীনকিশোর-- অতীত বর্তমান, প্রবীণ নবীনের মধ্যে আপাত-বিরুজ্ধ মতের সামঞজন্ত স্থাপন্র প্রয়াস ফুটিয়! উঠিয়াছে।

কৰি বালকদের উপযোগী গল্ন-উপন্তাসও যেমন লিখিতেছেন, তেমনি তাহাদের চিত্ববিনোদনের জন্য ক্ষুজ নাটিকা রচনায় প্রবৃত্ত হইলেন। ইতিপূর্বে বঙ্কিমচন্দ্র 'লোকরহস্তে (১৮৭৪ ) বাঙালিকে নির্দোষ হাশ্তরস উপভোগে দীক্ষিত কৰিয়াছিলেন। তবে রবীন্দ্রনাথ-প্রবতিত হাক্তকৌতুক* বা হেয়ালি-নাট্য সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রকারের হাস্তরসে রূচিত। 'বাপকো"র পৃষ্টায় এই নৃতন ধরনের হান্তকৌতৃকময় নাট্যগুলি প্রকাশিত হইল।

ইংরেজিতে শারাড্২ (01181:56 ) নামে একপ্রকার লেখা আছে-__ সান্ধ্য সভায় বিনোদনের জন্ত তার অনুষ্ঠান

হাস্তফৌতুক পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয় ১৩১৪ সালে (১৯*৭) গদ্যপরস্থাবলীর প্রথম খণ্ড রূপে হাস্তকৌতুকের বেশির ভাগ হেঁয়ালি-নাটা বা শারাড, তথে নিছক হান্তরসপূর্ণ রচনা ছাড়া সমসাময়িক গ্রাচীনপন্থীদের লইয়া বিজ্পান্বক কৌতুকনাটাও ইহাতে আছে। হ্বে়ালি-নাটাগুলি প্রকাশিত হয় বালক ( ১২৯২ ), ভারভী বালক (১২৯৩ ১২৯৪ )পত্রিকায়। এছাড়া দুইটি ব্ঙ্গকৌতুক প্রকাশিত হয়।

কালানুত্রমিক রচনা প্রকাশের তালিকা-_

ভারতী, বৈশাখ ১২৯২ রসিকতার ফলাফল, (্য্সকৌতুক ) ভারতী বালক বৈশাখ ১২৯৩ গুল্ম বিচার

বাগক জো ১২৯২ রোগের চিকিৎস। ভাত-আম্বন অন্থোটিক্রিয়া » আধা ৬» পেটে পিঠে রর কাতিক আশ্রমপীড়! * শ্রাবণ » ছাত্রের পরীক্ষ। কানন রূসিক এ. ভাক্র « আভার্থন। চৈত্র গুরু বাক » আকাতিক » চিন্তাণীল বৈশাখ ১২২৪ একারবতী “এ. অগ্রহায়ণ ভাব অভাব প্র আহাঢ় হেয়ালি-নাটা ».. পৌষ » রোগীর বন্ধু "৮ মাখ ». খ্যাতির বিড়ম্বনা ফাক্ন রর আর্য অনার্য রঃ চৈত্র রর ডেঞ্জে পিপড়ের বক্তব্য (জ্ত. হান্টুকৌ তক ১৯৬৪ সং্করশ | পৃ ১৭)

রসিকতার ফলাফল আমাদের দমে হয় অঙ্গগচত্রে সয়কায়েয "তাই হাততালি” নামে রলিকতাপূর্ণ প্রবন্ধের (নবজীবন, মাঘ ১২৯১) বাক্স। ২. 81806 18 ৪7 80201861006170 8100 0078855 10. 015101176 ৪. %01৫ 17960 1606 ০০077017617 ৪5119165 0: 16160615, ঢ1608080176 50256607078 06 56) 79:০4 656 0০016, 8170. 51778 8136 ০6৮ 0 1150255698৩ 6৫ আগত, **

ছুরি

২২৬ ববীন্দরজীবনী খ্রীষ্টান ১৮৮৫

করা হয়। সাধারণ নাটা হইতে ইহার পার্থকা হইতেছে এই যে, ইহার দৃশ্টের মধ্যে এমন কয়েকটি শব্দ লুঙ্কায়িত থাকে যাহা যোজ্রিত করিয়া তৃতীয় একটি শব্ধ গঠিত হয়। সেই পূরা শব্দটি অবলম্বন করিয়া নাটকটি রচিত।

এই হেয়াপি-নাটা প্রবর্তনকালে তিনি লিখিয়াছিলেন, পস্থের আলে নহিলে গাছ ভালো করিয়া! বাড়ে না, আমোদ- প্রমোদ না থাকিলে মাগুষের মনও ভালো করিয়। বাড়িতে পারে না... বিশুদ্ধ আমোদ প্রমোদ মাজ্রকেই আমরা ছেলেমানুষী জ্ঞান করি--- বিজ্ঞলোকের কাজের শোকের পক্ষে সেগুলে! নিতান্ত অযোগা বলিয়া বোধ হয়। কিন্তু আমরা বুঝি না যে যাহারা বাস্থবিক কাজ করিতে জানে তাহাধাই আমোদ করিতে জানে ।*

বিহার হইতে বোম্বাই

'বালক" পরিকা তখনো বাহিব হয় নাই, আাহাবর আয়োজন চলিতেছে ঈন্টারের ছুটিতে (৫ এপ্রিল ১৮৮৫ ২৫ টৈল ১২৯১) হাজাবিধাগ যাইবার জন্য ইন্দিরা! দেবী (১২) খুল্সাতাতকে ধরিয়া পাঁড়লেন।১ ভ্রমণ করিতে ববীপ্দনাঘের ভালোই লাগে তাই রাছি হইলেন! দিনদশেকের জন্য হাজাবিবাগ বেড়াইতে চলিলেন। সঙ্গে রেছনাথ, ইন্দিরা, আব-একজন ভদ্রলোক বয়সে কবির থেকে বড়, হাস্তোজ্জল, গোলগাল মানুষটি এই চারিজনে যাত্রা করেন। মধুপুরে গাড়ি বগল করিয়। গিরিধি যান সেখান হইতে মাগুহ-ঠেলা পুশপুশ, গাড়ি করিয়া হাজারিবাগ গিয়াছিলেন 1২ এহ ছিপ সে-যুগের পথ তখনো গ্যাগকঙড লাইনের হাজাবিরাগ বোজড-স্টেশলের প্রেল-পথ হয় নাই! হাজারিকাগ ছাকবাংলোয দশদিন কাটে) আনি বৎসর পুবের হাজারিপাগকে আজ চেনা যাইবে না। কবি লিখিতেছেন, "প্রশান্থ প্রাস্তরের আমা. শহবটি অভি পরিষ্কার দ্রেখা যাহতেছে | শাহুরিক ভাব বড় নাই |". মাঠ পাহাড় গাছপালার মধ্যে শহবুটি তকুতিক করিতেছে 0

আশ্বিন ১২৯১ সালে আর ব্রাহ্মদযাজের সম্পাদক-পদ গ্রহণের পর রবীন্দনাথের দিনগুলি কিভাবে যাইতেছে, ভাহর আভাম দিয়াছি। এমাছের পঞ্চ লইয়া মশীবুদ্ধ, উত্সবের জন্য বঙ্ধসঙ্গাত রচনা, আদি বক্ষসমাজের উন্নতির জন্ব নানাব্প কর্ম প্রবর্তণা প্রন্থাতি নিত্যনৈমিত্তিক কর্ষান্তগত হইয়াছে! 'বাপক' পহিকার আবিভাবে একট! বড় রকম মুকি পাইয়াছিলেন। *

41695740207 00 5906 006 00107977 160105 94 5815006৪ হট চা 16095 5900056 10৮70170006 365 00176 ৫০015 13 00 0858 016 11150 951181৩000৩ 5 0774 97081776% 5110616 556756 ৪1047510805) 601) 056101)৩] (81716 ০৪0৪7 03007100515 057788500235)1551755 0৮: ও70008৭700015 16100 7374 0৩81 0061 0611,)1000417065 010761৮5691 00804177% 0015070180116 006 80500910153. 08161507167 00 1776,1010)1) ০0০91১891014010315, 8174 9৭101 0৮670351৮61, £) 1126 054৩৩ 06 01০01819846 006 970. 068 12151) 15 0654০16৩৮06 076 ৪5015650715 09204158101) (1১৮9 6০6০০ 01১০ 100১0658600 665 8১৯1140165 00615 01000055106 00076 51)015 0014 000612061000, 21৬ 01201009178 ৪16 01761295860 0৫) 8658৬ 0106 ৬014. 2১ ৮21018010215 10 01058 810 0154 ৪: [81605 110 00120 ৪০0৬৮ 00 111850285 ৮৮01. (51547715055 12501915456 111, 0১279.

ইন্দির| দেবীচৌধুগানী লেখককে এহ তথাটি পষন্ধে যাহা লিখিয়াঞ্ছেন, তাহা উদ্ধৃত হঠল। “কেবল ভ্রমণল্পৃহ। চরিতার্থ করবার জন্য কবি হাজারিবাগ যান নি। লোরেটো কশছেন্টের কোনো সাদিকার প্রতি হার ভরা তুপ্পুএী হঙন্গিরা দেবীর বিশেষ পক্ষপাত ছিল, এবং সেই প্রির ভঙগিনীটি তপন হাঞ্জারিবাগ কন্ভেন্টে অবস্থান করছিলেন ব'লে বালিকা শুদা ঠ1 খুড়াকে সেখানে নিযে পিয় দেখীদৃশন করাবার জনক ধয়ে পড়েছিলেন, তিণিও তাদের দুই ভাইবোনকে সঙ্গে নিয়ে সেহ আবদার রক্ষা করেছিলেন”

এই ভ্রমণ কথা 'দশদিনের ছুটি", নামে বালক পত্রিকায় আমা ১২৯২ সালে প্রকাশিত হয়। পরে ১০১৪ সালে গগ্যপ্রন্থাধলীয় 'বিচিত প্রবন্ধ হু হয়। আআ. ছোটলাগপুর। রবীস্রী রচনাবলী ৫, পৃ ৪০৩।

খষ্টাৰ ১৮৮৫ বিহার হইতে বোস্বাই [২২৭

১২৯২ সালের পৃজ্জাবকাশে এবার রবীন্দ্রনাথ সত্য্তরনাথের কাছে সোলাপুর চলিলেন। সোলাপুর বোশ্বাই রাজ্যের জেল! শহর, বোস্বাই-মাদ্রাজ রেলপথের উপর অবস্থিত (২৮৩ মাইল )।

সত্যেন্ত্রলাথ তখন সেখানকার জেলা জজ | এই শরৎকালে ( ১২৯২ মাল ) সোলাপুরে বাম পবটিকে তিনি অন্তরের সহিত উপভোগ করিয়াছিলেন। “বাড়ির প্রান্তে একটি ছোট্ট ঘরে একটি ছোট্ট ডেস্কের সম্মুখে বাস করিতাম আরো দু-একটি ছোট্ট আনন্দ আমার আশেপাশে আনাগোনা করিত। সে বংসর যেন আমার সমস্ত জীবন ছুটি লইয়াছিল। আমি সেই ঘরটুকৃর মধ্যে থাকিয়াই জগতে ভ্রমণ করিতাম, এবং বহির্জগতের মধ্যে থাকিয়াও ঘরের ভিতরটুকুর মধ্যে ষে-্সেছপ্রেমেব বিন্দুটুকু ছিল তাহা একান্ত আগ্রহের সহিত উপতোগ করিতাম। আমি যেন একপ্রকার আত্মবিস্বত হইয়াছিলাম। মনের উপর হইতে সমস্ত ভার চলিয়া গিয়া, আমি -একপ্রকার লঘুভাবে জগতের সমস্ত মধুরতার মধ্য দিয় অতি সহজে সঞচরণ করিতাম। বোধ হয় সেই বখ্সরই শরতকালের সহিত আমার প্রথম বদ্ধুভাবে পরিচয় হইয়াছিল।”১ সোলাপুব হইতে 'বালক' পত্রিকার প্রবন্ধাদি লিখিয়া পাঠাইতে হইতেছে এই সকল রচনার মধ্যে একটি প্রবন্ধ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য সেটি হইতেছে 'কুদ্ধ গৃহ" ।* বংসবাধিককাল পূর্বের মৃতাুশোকেরই ব্যাখ্যা। ই£ার মধ্যে রবীন্দুজীবনদর্শনের একটি বড় কথা ধরা পড়িয়াছে। সেটি হইতেছে ভুলিয়া যাইবার অসীম ক্ষমতা ব! বিদ্বীতি মানবের পক্ষে একটা পরম নিষ্কৃতি অতীতের অনাবশ্তক আবর্জন! ভুলিয়া গিয়া নৃতন সত্য গ্রহণ, নৃতন তথ্য আবিষ্কার, নৃতন প্রেমকে অভিনন্দনের জন্য উন্মুখীনতাই হইতেছে মানবের স্বাভাবিক ধর্ম।

তিনি পিখিতেছেন। "মুত্াকে আমরা যেমন ভয় কৰি বিশ্বতিকেও আমরা তেমনি ভয় করি |." বিস্বৃতি মাঝে মাঝে মিয়া স্বাতির শৃঙ্খল কাটিয়া দিয়া যায়। আমাদিগকে কিছুক্ষণের মতো স্বাধীন করিয়া দেয়।... প্রতি মুহূর্তের দুদ ক্ষুদ্র শ্বতি জমিয়া জিয়া অবশেষে আমাদের বাতাম আটক করিতে চাহে... বিশ্বতি আসিয়া এই-সকল বেড়া ভাঠিয়া দেয়। বিশ্বৃতি আমাদের জীবনগ্রস্থের ছেদ, দাড়ি) মাঝে মাঝে আসিয়া উত্তরোন্রর আমাদের জীবনবিকাশের সহায়তা করে ।-.. একটি জীবনের মধোও শতসহশ্র বিস্থৃতি চাই, তবেই জীবন সম্পূর্ণ হইতে পারে” ।* এই বিস্কৃতিতত্ত হইতেছে রবীন্দ্রনাথের দার্শনিকতার একটি বড় কথা |

কয়েক বৎসর পরে (১৮৮৯ ) এই তৰটির ব্যাখ্যা করিয়া লেখেন, “শরতের প্রভাতে যেন আমার বহুকালের শ্বতি হৃদয়ের মধো জাগিয়া উঠে তাহাকে বিশ্বৃতি বলিলেই ঠিক হয়। কিন্তু যে-বিস্থৃতি বলিলে একটি অভাবাত্মক অবস্থা বোঝায় তাহা নয়, এক্কপ্রকার ভাবাত্মক বিশ্বৃতি, নহিলে 'বিশ্বৃতি জাগিয়া উঠা” কথাটা বাবহাবর হইতেই পাবে না। একপ অবস্থায় স্পষ্ট যে কিছু মনে পড়ে তাহ! নয়, কিন্তু ধীরে ধীরে পুরাতন কথা মনে পড়িলে যেমনতবে মনের ভাবটি হয়, অনেকট। সেইক্প ভাবমাত্র অগ্ুভব করা যায়। যেসকল স্বৃতি স্বাতস্থা পরিহার করিয়া একাকার হইয়াছে, যাহাদিগকে পৃথক কবিষ্স] চিনিবার জে! নাই, আমানের হদয়ের চেতনায়াজ্যের বহির্ভতাগে যাহার! বিশ্বতি মহাসাগররূপে স্ন্ধ হইয়] শয়ান আছে, তাহারা যেন এক সময়ে চঞ্চল তরঙ্গায়িত হইয়া উঠে; তখন আমাদের চেতনহদয় সেই বিস্তিতরগ্গের আঘাত অন্ভব করিতে থাকে, তাহাদের রহম্তময় অগাধ বিপুলতার ক্রন্দনধবনি শুনিতে পাওয়া যায়।”

আঙ্বিন সপ্তমী, (১৯ আশ্বিন ১২৯৬। অক্টোবর ১৮৮৯। পূজা ১৮৮৯) জর মানসী, আঙিন ১৩২৩, প্‌ ৬৯৮। এই পঙরটি আর কোথাও পাই মাই।

রুদ্ধ গৃহ, বালক, আখ্ন-কাতিক ১২৯২, পর ৩৩৬-৩৯। বিচিত্র প্রবন্ধ (১৩১৪ )। ব্ববীজ্র-রচনাবলী ৫, পৃ ৪৭৭-৭৮। বালক, পৌষ ১২৯২ সালে জজ: স্বাক্ষরিত [ জক্ষযচন্্র চৌধুরী ] একটি পঞ্র প্রকাশিত হয়। যবীন্রনাধ সোৌলাপুর হইতে ২৬ আত্বিন তারিখে উহার প্রত্যুত্তর লেখেন, পৃ.৪২৭-৩ৎ |

উত্তর -প্রতুাত্বর, বালক, পৌধ ১২৯২ রবীন্জর-রচনাষলী ৫, গ্রন্থপরিচয়, পৃ ৫৬+-৬৪।

২২৮ ববীন্দতরীবনী খ্ীষ্টাবঝ ১৮৮৫

সোলাপুর বাসকালে 'পথগ্রান্তে' নামে আর-একটি প্রবন্ধ পাইতেছি বাপক পত্তিকায় ( অগ্রহায়ণ ১২৯২ ) রচনাটি প্রকাশিত হয়, তাহার পর উহার অস্তিত্বের কথা লোকে বোধ হয় ভুলিয়াই যাঁয়। ১৩৪২ সালে “বিচিত্র প্রবন্ধের নৃতন সংস্করণ প্রকাশকালে লেখাটিকে উদ্ধার করিয়া রবীন্দ্রনাথ গ্রন্থভুক্ত করেন।

এই রচনাটির মধ্যে পূর্বো্লিখিত 'কদ্ধ গৃছে"র দীর্ঘশ্বাম নাই পথপ্রান্তে আসিয়া বিচিত্র জগতের জীবন কোলাহল মনকে অন্তভাবে নাড়া দিতেছে “পথিকের যখন চলে আমি বাতায়ন হইতে তাহাদের হাসি দ্নেখি, কান্না শুনি। ষে প্রেম কাদায় সেই প্রেমই আবার চোখের জল মুছাইয়া দেয়, হাসির আলো ফুটাইয়! তোলে ।''" প্রেম কাহাকেও চিরদিন কাদিতে দেয় না।-.. অবশেষে প্রেমের জয় হয়, প্রেম তোমাকে টানিয়া লইয়] যায়, তুমি মৃত্যুর উপবে মুখ গু'জিয়া চিরদিন পড়িয়া থাকিতে পার না।” শোক হইতে পাস্বনা নাযিয়া আসিতেছে। বিশ্বৃতি ব্যবধান দুরকে করে মধুর, অতীতকে করে গৌরবমণ্ডিত: “কাছে আছে দেখিতে না পা'__ পঙ্ক্তি ববীন্্রনাথেরই রচিত। তাই আজ বাংলাদেশ হইতে দূরে গিয়া বাংলাদেশের সমস্তকেই হুন্দর করিয়া দেখিতেছেন। তথাকার যে-রাজনৈতিক আন্দোলন তাহার নিকট উপহাসের তীত্র সমালোচনার বিষয় ছিল, আজ তাহা মহীয়ান হইয়া! উঠিল। তাই আজ নবীনকিশোর ষীচ্ণকে লিখিতেছেন, “আজি এই সহম্র ক্রোশ বাবধান হইতে বঙ্গভূমির মুখের চতুর্দিকে এক অপূর্ব জ্যোতির্যগুল দেখিতে পাইতেছি। বঙ্গদেশ আজ মা হইয়! বসিয়াছেন, * আজ ভারতবর্ষের পূর্বপ্রান্তে যে নবজাতির জন্মসংগীত গান হইতেছে, ভারতবধের দক্ষিণ প্রাস্থ পশ্চিমঘাটগিরির সীমান্তদেশে বসিয়া আমি তাহা শুনিতে পাইতেছি। বঙ্গদেশের মধ থাকিয়া যাহ] কেবলমাত্র অর্থহীন কোলাহল মনে হইত এখানে তাহার এক বৃহৎ অর্থ দেখিতে পাইতেছি। এই দুর হইতে বঙ্গদেশের কেবল বর্তমান নহে ভবিষ্যুৎ__ প্রত্যক্ষ ঘটনাগুলিমাত্র নহে, সুদূর সম্তাবনাগুলি পর্যস্ত__ দেখিতে পাইতেছি।”২

এই সময়ে কলিকাতায় বাঙ্জনৈতিক কর্মতৎপরতা হুম্পষ্ট আকার গ্রহণ করিতেছিল, ম্তাশনল কন্ফারেন্সের দ্বিতীয় অধিবেশনের আয়োজন চলিতেছে। প্রথমবারের সভায় বাংলার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান যোগদান করে নাই, এবার বৃটিশ ইত্ডিয়ান আসোসিয়েশন, ইণ্ডিয়ান ইউনিয়ন, শ্লাশনল মহামেডান আযাসোসিয়েশন প্রভৃতি সভার কার্ধে যোগদান করিতেছেন ? নানা স্থান হইতে প্রতিনিধিও আসিবেন স্থির হইয়াছে ববীন্দ্রনাথ এইসব সংবাদ পাইয়! বাংলার ভবিষ্যৎ সম্বদ্ধে কবি্নোচিত আদর্শবাদের রঙে উজ্জ্বল করিয়া বাংলার রাজনীতিকে দেখিতেছেন।

মনের ছবিটি পাই প্রিয়নাথ সেনকে লিখিত পত্র মধ্য : “এখানে এই মাঠের মধো এসে আমার মনের মধো একরকম অস্থিরতা জন্মেছে একট কি আমার কাজ বাকী আছে মনে হচ্ছে! একটা মহত্বের জন্যে আকাঙ্া জাগছে। মনে হচ্ছে আমি নিক্ষল |... কিন্ত বাঙালীর হয়ে একটা কিছু করবই এইটে আমার মনে হচ্ছে 1... অপমানিত হয়ে জগৎ থেকে বিদায় নিতে ভারি কষ্ট হয়. 1” ( চিঠিপত্র ৮। পত্র ২৬)।

এই দিনই বন্ধু শ্রিশচন্্র মনুবদারকে এক পত্র লিখিতেছেন-_ সেখানে মনের সম্পূর্ণ অন্য চিন্র। *... সাব ডেপুটি সাহেব__ বন্যার মুখে বাংলা মুলুকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আপনি কি এখন ইহ জন্মের মতো সাবডেপুটিপুরে প্রয়াণ করলেন ?'.. আমরা কলকাতায় যাচ্ছি সে খবর রাখেন কি? এই চিঠি এবং আমরা শুক্রবারের সকালের ভাকে কলিকাতায় বিলি হব।” (ছিন্নপত্র ২) এই সংবাদ সেইদিন প্রিয়নাথের পত্রেও দ্েন। “বোধ করি আগামী শুক্রবারের [ ১৬ অক্টোবর ১৮৮৫ ] ডাকে (136 461156-তেই আমর! কলকাতায় গিয়ে পৌঁছৰ।" ( চিঠিপত্র ৮, পৃ ২৬) পথপ্রান্তে, বিচিত্র প্রবন্ধ রবীন্সা-রচনাধলী ৫, পূ ৪৭৯। চিঠিপত্র, ীচরপেহু। বালক, পৌষ ১২৯২ রবীক্র-রচনাবলী ₹, পৃ হ২৬।

এটা ১৮৮৫ .. বিহার হইতে বোশাই ২২৯

অক্টোবর (১৮৮৫ সালের ) মাঝামাবি “প্রবাসের পাল! সাঙ্গ করিয়া, সোলাপুরের “অগাধ আকাশ, অবাধ জবকাশ, উদার মাঠ, বিমল শাস্তি পশ্চাণ্ডে' ফেলিয়! রবীন্জনাথ সপরিবারে কলিকাতায় ফিরিলেন (১ কাণ্িক ১২৯২ )।

কলিকাতায় আমিয়াই সংবাদ পাইলেন যে মহর্ষি বোস্বাই-এর নিকটবর্তী বন্দোরায় থাকিতে থাকিতে অত্যন্ত অনুস্থ হইয়] পড়িয়াছেন__ কলিকাতা। হইতে লোক যাওয়া প্রয়োজন বোধ হয় সপ্তাহখানেকের মধ্যেই রবীন্দ্রনাথ, জামাতা জানকীনাথ ঘোষাল কন্তা সৌদামিনী বন্দোরা বওন। হইয়া গেলেন। দেবেজ্রনাথের জীবনী হইতে আমর] জানিতে পারি-- তিনি ১৮৮৫ সালের গোড়ার দিকে বোশ্বাই-এব নিকটবর্তী সমুদ্রতীরস্থ বন্দোবায় আশ্রয় লন; তাহার ইচ্ছা ছিল ঘে সমুদ্রের তীরেই তাহার জীবনের শেষ দিনগুলি কাটাইয়া দ্বেন। কিন্তু ছয় মাস যাইতে না যাইতে তাহার সাথা- ঘোরার ব্যারাম দেখা দিল; তখনই ববীন্দ্রনাথগ্রমুখের সেখানে যাইতে হয়। বন্দোরায় বোধ হয় রবীজনা ছুই যাসের বেশি পিতার কাছে থাকিলেন ; মাঘোৎ্মবের পূর্বে কলিকাতায় প্রত্যাবর্তন করেন।

সাহিত্যস্থতির ধিক হইতে বন্দোরাবাস পর্বটি ব্যর্থ হয় নাই বালিকা ইন্দিরাকে [ ১১] লিখিত তিনটি কবিতার পত্র 'কড়ি কোমলে'র অন্তভূক্ত ছিল। “আহ্বানগীত'ও বোধ হয় এইখানে রচিত। পঞ্জ কবিতাত্রয়ের সহিত এই কবিতাটির ভাবসামব্তন্ত হুম্পই নবীনকিশোর শেষপত্রেও লিখিয়াছিলেন “সম্মুথে আমাকে আহ্বান কবিতেছে। আমি তোমার দিকে ফিরিয়া চাছিব না।' এই “চবৈবতি'-ভাব “আহ্বানগীতে'র মধ্য নিছিত। কয়েক মাস পূর্বে লোলাপুর বাসকালে সুদুর বাংলাদেশে বাঙালির কর্মপ্রচেষ্টা তাহাকে মুগ্ধ করিয়াছিল: কিন্তু আজ বোস্বাই-এব নিকটবর্তী বন্দোরায় আসিয়া জীবনের বৃহত্তর কর্মবহ্ছল পটভূমিতে বাঙালির জীবনপ্রবাহকে ক্ষীণ ক্ষুদ্র মনে হইতেছে। বোস্বাই-এর শিল্পন্থছিতে গুজরাটি, পারি, বোবাহ-মুনলমানদের কর্মতৎপরতার সহিত বাঙালির শিল্পঞ্রহীনতা তৃলনা করিতেছেন। রাজনীতিক্ষেত্রেও নিখিল ভারতীয় আন্দোলনে বাঙালির স্থান নগণ্য ; তিনি লিখিতেছেন-__

পৃথিবী জুড়িয়া বেজেছে বিষাণ, শুনিতে পেয়েছি ওই-__ সবাই এসেছে লইয়া নিশান, কই রে বাঙালি কই !১ কৰির মনে কেন এই আশা-নিরাশার কথা জাগিতেছে-_ তাহার পটভূমি জানা দরকার

১৮৮৫ সালে কন্গ্রেলের জন্ম হয়; বোস্বাই-এ কন্গ্রেসের প্রথম অধিবেশনে কর্মকর্তাদের মধ্যে গুজরাটি, পারসি আছে-_ নাই বাঙালি। সভাপতি উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধায় (৬/. 0. 892/06101 ) ছাড়া কোনে! নাম-কর! বাঙালি রাজনীতিক সভায় আহ্ৃত হন নাই। ছুই বৎসর পূর্বে কলিকাতায় যে-জাতীয় সম্মেলন (ন্তাশনল কন্ফাবেন্স ) ছইয়! গিয়াছিল, তাহাতে সভাপতি আনন্দমোহন বন্থু বলিয়াছেন, 7015 15 006 06812101086 ০৫ ৪. 78111879620 1 রেজ্্নাথ বন্দোপাধ্যায় তখন বাংলাদেশের উদীয়মান নেতা। ইহারা সকলেই গবর্নমেন্টের নীতির তীব্র সমালোচনায় রত। এইজন্যই হৃবেন্্নাথ আনন্দমোহন প্রভৃতিদের এই বোম্বাই কনগ্রেসে নিমন্ত্রণ করা হয় নাই। ববীন্দ্রনাথের মনে এই ঘটনাটি তীব্রভাবে আঘাত কবে, তাহারই অভিথাতে লেখেন-_-“কই বে বাঙালি কই'।

এই কবিতাটি পাঠক পুনরায় আস্তন্ত পাঠ করিলে কবির তৎকালীন মনোভাবের নিখুঁত চি্টুকু পাইবেন। রাজনীতির ক্ষেে বাঙালির অসম্মান হইয়াছে বটে, কিন্তু কবির ভরস| বাঙালি তাহার শ্রেষ্ঠ আসন পাইবে গানের মধ্য দিয়া, বাতৃভাবার মধ্য দিয়া

উঠ বঙ্গকবি, মায়ের ভাষায় মুম্যুবে হাও প্রাণ জগতের লোক ত্থধার আশায় সে ভাষা করিবে পান। আহ্বানলীত। কড়ি কোষল। ববীজ্-রচনাধলী ২, পৃ ১১*। কন্ঞ্রেসের জন্মকখ। বাঙালিকে ঢুরে রাখিবায় কারপাদি আদার “ভারতে জাতীয় আন্দোলন' গ্রন্থে বিশ্ান্ধিত করিয়াছি ।_ লেখক

২৩৩ রবীন্দর্জীবনী ধা ১৮৯৬

চাহিবে মোদের মায়ের বদনে, ভামিবে নয়নজলে--

বাধিবে জগছ্ গানের বীধনে মায়ের চরণতলে।

বিশ্বের মাঝারে ঠাই নাই বলে কাদিতেছে বঙ্গভূমি,

গান গেয়ে কবি জগতের তলে স্থান কিনে দাও তুমি

একবার কবি মায়ের ভাষায় গাও জগতের গান-_

সকল জগ ভাই হয়ে যায়, ঘুচে যায় অপমান 'আহ্বানগীত' কবিতাটির মধ্যে মনের তীব্র বেদন। প্রতিটি ছত্ব বহন করিতেছে

এই 'আহ্বানগীতে'র তাবের অনুষঙ্গ রূপ দেখিতে পাইতেছি 'লাইত্রেরি' নামে গগ্ভ-প্রবন্ধে

“এই বঙ্গের প্রান্ত হইতে আমাদের কি কিছুই করিবার নাই” মানবজাতিকে আমাদের কি কিছুই সংবাদ দিবার নাই ?... জগতের একতান সঙ্গীতের মধো বঙ্গদেশই কেবল নিস্তন্ধ থাকিবে ?.." বাঙ্গলাদেশের মাঝখানে দাঁড়াইয়া একবার কাদিয়ী সকলকে ডাকিতে ইচ্ছা করে-_ বলিতে ইচ্ছা! করে__ ভাই সকল, আপনার ভাষায় একবাৰ সকলে মিলিয়া গান কব বহু বৎসর নীরব থাকিয়া বঙ্গদেশের প্রাণ কাদিয়া উঠ্িয়াছে। তাহাকে আপনার ভাষায় একবার আপনার কথা বলিতে দাও ।-.. মাতৃভাষায় জগতের বিচিত্র সঙ্গীতে যোগ দাও বাঙ্গালীর কণ্ঠের সহিত মিলিয়! বিশ্বঙ্গীত মধুরতর হইয়া উঠ্তিবে ।”১ এই রচনাটির এই অংশ পূর্বোদ্ধৃত কবিতার গগ্যভাষ্য

এবার বন্দোরায় বাসকালে রবীন্দ্রনাথের পিড। সম্বদ্ধে নূতন অভিজ্ঞতা হইল; এত দীর্ঘকাল বোধ হয় পিতার সাপ্সিধো বাম করেন নাই। কয়েক মাস পরে এক পত্রে লিখিতেছেন যে বন্দোরায় বাসকালে তিনি হৃদয়ে অতান্ত শান্তিলাভ করিয়াছিলেন। “আমর] সমুদ্রতীরে থাঁকতুম এবং তাঁকে [ পিতাকে ] সেই সমুদ্রতীরের অন্তোন্দুখ স্র্ধের মতে] বোধ আমি কিছুদিন তার বৃহৎ জীবনের তীর থেকে কতকটা যেন মহত সঞ্চয় করতে পেরেছি ।”

এইখানে তিনি মহুধির আত্মজীবনীর পাুলিপিটি আগ্যস্ত পাঠ করিয়া লিখিতেছেন, “মে বইখানি একটি পরিণত মহৎ জীবনে পরিপূর্ণ হয়ে আছে ।..- বাঙ্গালা! ভাষায় এই একটি রীতিমত বই লেখা হল ।”*

কড়ি কোমল-পর্ব :

বোম্বাই বন্দোরায় মহষির সহিত মাস ছুই কাল বাস করিবার পর, তাহাকে কথকিৎ সুস্থ করিয়া রবীন্দ্রনাথ কলিকাতায় ফিরিলেন-_ দেবেন্দ্রনাথ চুঁচুড়ায় গিয়া বাসা করিলেন__ বোধ হয় দূরদুরাস্তে বাস করা সমীচীন মনে করিতেছেন না।

পাঠকদের স্বরণ আছে জ্যোতিরিক্ত্রনাথের গ্বীমার কোম্পানির কথা বোম্বাই হইতে আসিয়া রবীন্দ্রনাথ কয়দিন 'রাজহংস' নামে গ্বীমাবরে পিয়া বাম করিলেন প্রিক্রনাথ সেনকে লিখিলেন যে তাহাদের গ্বীমার তেলকল ঘাটের কাছে নোউরে আছে। বন্ধুকে তাহাদের দলভুক্ত হইবার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্ প্রিয়নাথকে তাহার গলির বাড়ি হইতে নড়ানে! খুবই শক্ত | যাহাই হোক, শ্ীমার-ভ্রমণ হইতে ফিরিয়া বন্ধুকে লিখিলেন-_ লাইব্রেরি, বালক, পৌষ ১২৯২। আমরা বালকের পাঠ উদ্ধৃত করিলাম বালকের পাঠ সংক্ষেপত সম্পাদিত করিয়া ১৩১৪ সালে 'বিচিত্র প্রবন্ধে মুদ্রিত হয় রবীন্-রচনাবলী ৫, পূ ৪৩৯।

পত্রথানি নাসিক হইতে [১৩ জুলাই ১৮৮৯ | ৩* আবাঢ় ১২৯৩ ] প্রিয়নাথ সেনকে কলিকাতায় লিখিত | মহধির আত্লীষনী পুদ্তকাকার়ে ১০৯৮ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। চিঠিপন্ধ ৮। পত্র ৬১।

ধীটাব ১৮৮৬ কড়ি কৌোমল-পর্ব : ২৩১

জলে বাসা! বেঁধেছিলাম, ভাঙীয় বড় কিচিমিচি, সবাই গল! জাহির করে, চেঁচায় কেবল মিছিমিছি।

কবিতাটির বিষয়বস্ত সমকালীন নব্যহিন্দুসমাছ্ের প্রতি তীত্র ব্যঙ্গ বর্ণন। নব্যহিন্দুসমাঙ্জের সহিত রবীন্দ্রনাথের মসীযুদ্ধের কথা আমরা অন্য পরিচ্ছেদ্দে আলোচনা করিয়াছি তবে এইখানে একটি কথা যুগপৎ বলিব যে, এই শ্রেণীর শ্নেষপূর্ণ বঙ্গরচনাদির দ্বারা! রবীন্দ্রনাথের কবিচিত্ত তৃপ্ত হয় না। সেই কবিচিত্তের আনন্দময় প্রকাশ অচিরেই “কড়ি কোমলে"র কেন্দ্রীয় কবিতা, বা সনেট-মধ্যে রূপাক্সিত হইবে এততঘ্যাতীত আদি ব্রাঙ্গদমাজের সম্পাদকরূপে মাখোৎসবের জন্য ত্রদ্ঘসঙ্গীত রচনা! করিতে হইল ( জাহুয়ারি ১৮৮৬ )। এবার উৎসবে রবীন্দ্রনাথ রচিত একুশটি গান গীত হয়, তবে সবগুলি সগ্য রচিত, না! হইলেও অধিকাংশই উৎসবের জন্ত লিখিত বলিয়া মনে হয়।

রবীন্দ্রনাথের সম্মুখে এখন ছুইটি কর্তবা-_ একটি নব্য হিন্দুধর্মধ্বীদিগকে আক্রমণ অপরটি আদি ত্রাহ্মসমাজের সম্পাদকর্পপে উক্ত সমাজের মত বিশ্বাস স্থাপন আদি ত্রাক্মলমাজের সম্পাদকের কর্তব্য নিষ্ঠার সহিত পালন করিলেও কথা যেন কেহ মনে না করেন যে, তাহার আর্টিস্ট বা কবি-সত্তা সম্পূর্ণক্ূপে এই ধর্মীয়তার ছারা আচ্ছন্গ। সময়টা “কড়ি কোমলে'র যুগ মাধ প্রিয়নাথ মেনকে লিখিতেছেন, “আজ ৩1 বেলায় রেমিনির বেহাপা-বাদন হবে। ধারা রেমিনির বেহালা শুনেচেন তারা বলেন একবার এই বেহাল! শুনলে চিরজীবন সার্থক হয়।” আর জানাইতেছেন, “»ই মাঘ অর্থাৎ কাল প্রাতে অত্র ভবনে তিননমাজের মহারথীরা একত্র হবেন।”১ স্থততরাং যুবক রবীন্দ্রনাথের জীবনে আর্টের শোথীনতা ধর্মের সামাজিকতা ছুইই সমতাবে যুক্ত

বঙ্িমচন্দ্র প্রমূখ শক্তিমান লেখকদের ত্রাঙ্গধর্ম ত্রাহ্মলমাজের আদর্শ-পরিপন্থী মতবাদ প্রচারের ফলে দেশের শিক্ষিত সমাজের মধো ঈশ্বরের নিবাকার চৈতন্তময় স্বক্ূপের সাধনার বিরুদ্ধে একটি কঠিন মত গড়িয়া উঠিতেছিল। এই মতকে প্রতিকদ্ধ করিবার জন্ত গত বৎসর হইতে ব্রাক্ষমমাজের তিনটি শাখা মাঘোত্মব-পর্বে মিলিত হইতেছে এই বৎসরের (৯ মাঘ ১২৯২) অনুষ্ঠানে আদি ত্রাক্ষসমাজের পক্ষ হইতে ছিজেন্দ্রনাথ সত্যেন্দ্রনাথ রবীন্দ্রনাথ, নববিধান সমাজ হইতে প্রতাপচন্্র মভূমদ্ার প্রেলোকানাথ সাক্ত্যাল এবং সাধারণ ব্রাক্গসমাজ হইতে শিবনাথ শাস্্ী উমেশচন্দ্র দত্ত বেদি গ্রহণ করেন।, ইতিপূর্বে আমরা রবীন্দ্রনাথকে বেদিতে বসিতে দেখি নাই ; তবে এবারও ভাষণাদি দেন লাই, স্বাধ্যায় পাঠাদিতে অংশ গ্রহণ করিয়াছিলেন। উৎসবের জন্য বহু গান রচনা করেন__ সে কথা পৃবেই বলিয়াছি।

রবীন্দ্রনাথ এই সময় হইতে দীর্ঘকাল পর্যস্ত ব্রান্ষধর্ম সমাজের জন্ত নানা কথা ভাবিতেন, তাহার আর-একটি প্রমাণ পাই ১২৯৪ সালে! এই বৎসরের গোড়ায় তিনি সম্পাদ্দকরধপে তত্ববোধিনী পত্রিকায় একটি বিজ্ঞাপনে বলেন যে ধাহাবা আহ্্ঠানিক ব্রা্ম নহেন, তাহাদের লইয়া তিনি একটি 'ব্রাদ্ষসমিতি' স্থাপনের ইচ্ছুক ; আমাদের মনে হয়, রাজনাবায়ণ বন্থর “মহাহিন্দ্ুসমিতি'র পরিকল্পনা হইতে ইহা গৃহীত।

আদি ব্রাম্মলমাজের জন্য প্রবন্ধ রচনা, সাকার নিরাকার তত্বের আলোচনা নবাহিন্দুত্বকে বাঙ্গ বিদ্ধণ সমালোচনা প্রভৃতি কার্ধ রবীন্দ্রনাথের আমদরবারের কাজ ; খাশদববারে তিনি কবি, স্থরক্রষ্টী ; কাব্যরচনায় তাহার অস্তরবিষয়ক জীবনধর্মের যূল প্রকাশ নাটারচনা অতিনয় এই জীবন-আনন্দ প্রকাশের অন্ততম মাধাম। কাব্যরচনায় স্থুর- স্ফিতে যে-আনন্দ তাহার ভোক্তা কবি স্বয়ং; কিন্তু নাট্য-অভিনয়ে যে-আনন্দ তাহা বহুজনকে লইয়া বসসম্তোগের আনন্দ। অন্তরের মধ্যে উপলন্ধ স্রকে বাহিরে রূপের আলোকে দেখা শিল্পীর ধর্ম। রবীন্দ্রনাথ কবি শিল্পী; তাই নাটক লিখিয়া ববীন্ত্রনাথ কখনো তৃপ্ত ছন নাই, তাহাকে অভিনয় করিয়া নৃতনতাবে পাইতে চাহেন।

ঠাকুরবাড়িতে এখন অনেকগুলি বালক যুবক ১২৯২ লালের মাঘোত্মবের পর একটা-কিছু নাটক অভিনয় চিটিপজ ৮1 পজ

২৩২ রবীন্দ্রজীবনী টা ১৮৮৬

করিবার জন্ত সকলেই উদগ্রীব ; “রবিকা" 'ঝবিমামা” ছাড়া সকলকে আনন্দদান আর কে করিতে পারে। উৎসবের পরই নৃতন নাটক-অভিনয়ের কথা, কিন্তু সময় অল্প, নৃতন নাটক রচনা করিবার সময় কোথায়। তাই “বান্মীকিপ্রতিভা”১ “কালমৃগয্না' গীতিনাটিকাঘ্বয়কে ভাঙিয়া “বান্মীকিপ্রতিভা"র নৃতন রূপ দান করিলেন। কালমৃগয়া* হইতে নয়টি গান-_কোনোটি বিশুদ্ধ আকারে, কোনোটি কিছু পরিবর্তন করিয়া গৃহীত হইল 'কালম্বগয়া*র প্রতি দশরথের আদেশ 'গহনে গহনে যা বে তোরা” গানটিকে বান্মীকিপ্রতিভায় দস্থ্য সর্দার রত্বাকরের মুখে বসাইয়া দিলেন কালমৃগয়ার বাজবিদৃষক রূপাস্তরিত হইল প্রথম দন্থ্যতে। বনদেবীর অংশগুলি কালমৃগয়! হইতে গ্রহণ করিলেন। তাহাদের মুখেও একটি নৃতন গান যোজন! করিয়! দিলেন, “মরি কাহার বাছা”; আইবিশ স্বরে গানটি বসানো হইল। এইক্প পরিবর্তন ব্যতীত কুড়িটি নৃতন গান রচিত হইয়াছিল অভিনয় হয় ২৭ ফাল্ধুন ১২৯২ সালে।

অভিনয়ে রবীন্দ্রনাথ বাল্মীকির ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। অবনীন্ত্রনাথ “ঘরোয়া*য় বলিয়াছেন যে, এই অভিনয় করিয়া আদি ব্রাহ্মসমাজের জন্ত বহুশত টাকা ওঠে যাহাই হউক, বান্মীকি প্রতিভা নৃতন ভূষণে সঙ্জিত হইয়! বাহির হইল। আমর] যে বাল্মীকিপ্রতিভার সহিত পরিচিত তাহা এই সংশোধিত পরিবধিত সংস্করণ ( ফাল্গুন ১২৯২ )।

দিকে কবির পক্ষে “বালক' পত্রিকা চালনা কষ্টকর হইয়া উঠিতেছে ; চৈত্র সংখ্যা বাহির করিয়া পত্রিকার প্রকাশ বন্ধ করিয়া দেওয়া হইল। উহা ভারতীর সহিত বৈশাখ ১২৯৩ সাল হইতে মিলিত হইয়া! 'ভারতী বালক' নামে প্রকাশিত হইতে থাকিল। বালক" যে উদ্দেশ্বে প্রকাশিত হইয়াছিল তাহা মফল হয় নাই, কারণ “বালক নামেমাত্র বালক-_ প্রকৃতপক্ষে উহ! বয়স্ক পাঠকদিগেরই উপযোগী হইয়া উঠিম্বাছিল।” পত্রিকা বন্ধ হইয়া গেলে রবীন্দ্রনাথ যেন স্বস্তির নিশ্বাস ফেলিয়া বাঁচিলেন। বন্ধু শ্রীশচন্্র মজুমদারকে পিখিতেছেন, “এতদিন মাথার উপরে “বালক” কাগজের বোঝাটা থাকাতেই মাথা যেন রুদ্ধ হয়ে ছিল, নেশা একেবারে ছুটে গিয়েছিল-_- এখন সমস্ত খোলসা__ দক্ষিণে বাতাসের সঙ্গে সঙ্গে মাথাটা! যেন চারি দিকে উড়ে বেড়াচ্ছে ।”৪

দায় নাই, দায়িত্ব নাই সত্য, কিন্তু 'বাজধি' উপস্থাস বালক পত্রিকায় অসমাপ্ত রহিয়া গিয়াছে যে। মাত্র ছাব্বিশটি পরিচ্ছেদ সেখানে প্রকাশিত হইয়াছে। কাহিনীটিকে একটি সমে আনিয়া শেষ করিতে হইবে তো! তাই '“রাজফি' সম্বন্ধে তথ্যাদি জানিবার জন্য রবীন্দ্রনাথ ত্রিপুরার মহারাজ বীরচন্দ্রমাণিকাকে পত্র (২৩ বৈশাখ ১২৯৩) দিলেন; পত্রে নিজ নামের সহি করিলেন '্রীরবীন্্রনাথ দেবশর্মণ' | এই ক্রাঙ্গণত্ব-লাক্িত পদবী কবি'আর কোথাও সহি করিয়াছেন কি নাজানি না।

মহারাজ বীরচন্দ্রমাণিক্য আগরতলা হইতে রবীন্দ্রনাথের পত্রের দীর্ঘ উত্তর দান করেন রাজ রত্বীকর' নামক

বান্থীকিপ্রতিত। [ প্রথম সংস্যরণ ] রবীন্্-রচনাবলী, অচলিত সংগ্রহ ১, পৃ ৫২৯ বাল্বীকিপ্রতিভ| [ দ্বিতীয় সংস্করণ ] রবীজ্ রচনাবলী ১, পু ২*৭। ্বরবিতান ৪৯, গীতবিতান ও।

কালম্বগয়!। রবীন্র-রচ্নাবলী, অচলিত সংগ্রহ ১, পূ ৩১৫। শ্বরবিতান ২৯, গীতবিতান ৩।

কালমৃগয়া হইতে গৃহীত গান : ১. আ: বেচেছি এখন ২. এনেছি মোর1 ৩, রিমঝিম ঘন খন রে ৪. *এই বেলা সবে মিলে চলো হো! ৫. গছনে গহনে ঘা রে তোর! ৬. চল্‌ চল্‌ ভাই ত্বরা করে মোর! আগে যাই ৭. কে এল আজি খোর নিশীগে ৮. প্রাণ নিয়ে তো সটুকেছি রে। ৯. ঠাকুরমশায় দেরি ন! সয়

ছিরপত্র। (১৭ এপ্রিল ১৮৮৬। বৈশাখ ১২৯৩) ঈস্টরের ছুটিতে (২৪ এপ্রিল ১৮৯৯) হেমেক্রনাথের কন্ত। গ্রতিতার সহিত সন্ত বিলাত প্রআাগত আশুতোষ চৌধুরীর ফিবানের কথাবার্ত। বলিবার জন্ক রবীক্রনাথ কৃ্ষনগর বান। আগুতোযের পিতা হর্গাদান (চীধুরী তখন তখাকার ভেপুটি ন্যাজিস্ট্রেট কিশোর প্রমথ চৌধুরী কবিকে এখানে প্রথম দেখেন '

ধা ১৮৮৬ কড়ি কোষল-পর্ব : ২৩৩

ত্রিপুর-রাজবংশের ধারাবাছিক সংস্কৃত-রচিত ইতিহাস হইতে গোবিন্মমাণিক্য তাহার ভ্রাতা ছত্রমাণিকোর চরিত আগরতল] হইতে মুদ্রিত করিয়া পাঠাইয়৷ দেন।; রাজধি সম্পূর্ণ উপন্যাসের আকার এখনো গ্রহণ কৰে নাই। ইতিমধ্যে 'বউঠাকুরানীর হাটের আখ্যানবস্ত লইয়] “বসন্ত বায়" নামে নাটক মঞ্চিত করিবার আয়োজন করিতেছেন কেদারনাথ চৌধুরী গিরিশচন্দ্র ঘোষের অভিনয় জীবনের প্রথম দিকের সহযোগীরূপে তাহার খাতি হয়। “বসন্ত রায় নাটকে কয়েকটি গান রবীন্দ্রনাথের রচনা) নৃতন ছুইটি গান অভিনয়ের জন্ত লিখিয়া দেন বলিয়া মনে ছয়-_ | ওর মানের বাধ টুটবে নাকি (গীতবিতান পৃ ৭৯৬) মুখের হাসি চাপলে কি হয় (গীতবিতান পৃ ৭৯১) বউঠাকুরানীর হাট গ্রন্থে তো নয়টি গান, এবং ভারতীর পাঠে আরো ছুইটি অতিরিক্ত গান ছিল; এ-সকল গান অভিনয়কালে বাবন্ধত হইয়াছিল কি না জানা যায় না, কারণ “বসন্ত রায় মুদ্রিত হয় নাই। তবে “বউঠাকুরানীর হাটে'র দ্বিতীয় সংস্করণে এই উপস্ভাসের মূল নামের নীচে বন্ধনীর মধ্যে (রাজা বসম্তরায়) মুদ্রিত হয়। ধসম্তরায়'ৎ অভিনীত হয় (২ জুলাই ১৮৮৬ ) ১২৯৩ সালের ১৯ আধাঢ় তারিখে এমাবেজ্ড থিয়েটারে আমাদের মনে হয়, রবীন্দ্রনাথ এই নাটক অভিনয় দেখিয়। আধাড়ের শেষ দিকে কোনে! সময়ে নাসিক গিঘাছিলেন। পূর্বের কথার পুনরুক্তি করিয়া বলিতেছি, দায় নাই, দায়িত্ব নাই, পত্রিকার চাপ নাই, নিজ সংসারের ভাবনা ভাবিতে হয় না, যেখানে-সেখানে যাওয়া-আসার বাধা কম। সুতরাং ১২৯৩ সালের বর্ধাগমষে বেড়াইতে গেলেন নাসিকে__ সতোন্দ্রনাথ তখন সেখানকার অস্থায়ী জেলা জজ ( ২৯ মার্চ-৭ অক্টোবর, ১৮৮৬ ), নাসিকে বালিকা ইন্দিরা আছেন; স্বরেন্্নাথ মাতার সঙ্গে কলিকাতায়। সেখান হইতে কলিকাতায় স্থরেন্্রনাথকে কবি একখানি অতি কৌতুকপূর্ণ পঞ্জ লিখিয়া পাঠান, পত্রধানি আধা-বাংলা আধা-ছিন্দিতে লেখা স্থবেজ্্নাথের বয়স তখন তেরে! বৎসর কবিতাটি রবীন্দ্রনাথের কোনো গ্রন্থে বন্ৃকাল স্থানপাত করে নাই, পাঠকের জন্তু সেটি উদ্ধত করিলাম-__ কলকত্তামে চলা গঞো রে স্থবেনবাবু মেরা, হৃরেনবাবু, আসল বাবু, সকল বাবুকো সের] খুড়া সাবকো কায়কো নহি পতিয়া ভেজে! বাচ্ছা মছিনা-তব কৃছ খবর মিলে না ইয়েতো৷ নহি আচ্ছা। টপাল্‌, [চিঠির ডাক ] টপাল্‌, কহা টপাল্কে, কপাল হমার! মন্দ, সকাল রেলাতে নাহি হিলতা টপাল্কো নাষ গন্ধ! ঘরকো যাকে কায়কো। বাবা, তৃম্সে হম্সে ফব্খৎ। দোঁচার কলম লীখ, দেওক্ে ইস্যে কাযা হয় হরকৎ। প্রবামকো এক সীম! পর হুম বৈঠকে আছি একঙ্সা-_ হরিবাবাকো বান্তে আখ্সে বছতৎ পানি নেক্লা।

রবীন্রনাথ ত্রিপুরা পৃ ৩৯৬-৯৭। রবীন্মাথের পত্র জাগরতদ! হইতে গুকাশিত অধুদালুণ্ত 'রবি' পত্রিকার ২য় বর্ষ, [ ১৩৩২] সংখ্ার মুজিত হয়।

বসন্তরায় অভিনন সম্বন্ধে তথ্যাদি অতান্ব বিরল হিচ্ছিয় তথ্য জুড়িয়া আমর! উপয়ের সিন্কান্ে উপনীত হইয়াছি। প্রথম শ্রেণীর (৮1:56 1381) তথ্য প্রকাশিত হইলে আমাদের সিদ্ধান্তের পরিবর্তন ছইতে পায়ে।

সর, গীতবিতান ও। গ্রস্থপরিচ পু ৯৮*-৮১। জীহকুছার দেন, বাজালা সাহিতোর ইতিহাস ২, পৃ ৩৬১।

৩৬

২৩৪ ববীজ্জীবনী খ্রীটা ১৮৮৬

সর্ঘদ1] মন কেমন কর্তা, কেঁদে উঠ্তা হির্দয়-_ ভাত খাতা, ইন্ছুল যাতা, স্থুরেন বাবু নির্দয় ! ষন্কে হুঃখে হু কর্‌কে নিকৃলে হিন্দস্থানী-_ অসম্পূর্ণ ঠেকৃতা কানে বাঙ্গলাকে। জবানী

মের! উপর জুলুম করতা! তেরি বহিন বাই,

কী করেঙ্গা কোথায় যাঙ্গা ভেবে নাহি পাই!

বহু জোরসে গাল টিপ্তা দোনো আঙ্গ লি দেকে, বিলাতী এক পৈনি বাজনা বাজাতা থেকে থেকে, কী কভী নিকট আকে ঠোটমে চিমটি কাটতা, কাচি লে কর কোকড়া কোকড়া চুলগুলে! সব ছাটতী, জ্গসাহেব কুছ বোল্তা নহি রক্ষা করবে কেটা, কহ! গয়োরে কহা গয়োরে জজসাহেবকি বেটা গাড়ি চড়কে লাঠিন পড়কে তৃম্ত যাতা ইন্তিল্‌! ঠোটে নাকে চিমটি খাকে হমারা বনৃৎ মুস্কিল! এদিকে আবার 0৫:ৈ হোতা! খেল্নেকোৰি যাতা, জিম্খানামে হিম্বিম্‌ এবং খোঁড়া বিস্কুট খাতা তৃষ ছাড়া কোই সম্জে না তো হম্রা দুবাবস্থা, বহিন তেরি বছুৎ 126 খিল্‌ খিল্‌ কর্কে হান্তা চিঠি লিখিও যাকে দিও বহুৎ বন্ুৎ সেলাম আজকের মত তবে বাৰ! বিধায় হোকে গেলাম ।১

নাসিক হইতে কলিকাতায় প্রিয়নাথ সেনকে লিখিতেছেন :

“নাসিকে এই মাঠের মধ্যে আমি আছি ভাল মাঝে মাঝে বৃষ্টি হচ্ছে, মাঝে মাঝে রৌদ্র হচ্ছে আমি আমাদের একট] দীর্ঘ ঢাকা বারান্দায় বাসা বেধেছি__ সেখেন থেকে মাঠের পরপারবতী দৃবের নীল পাহাড়গুলপো এবং তার উপরকার শাদ1 মেঘগুলো! স্প্ দেখা ঘায়-_- আমাদের এই বাড়ির পাশের ক্ষেত্রে সমস্ত নিস্তব্ধ দুপুর বেলা চাষীরা চাষ করতে করতে এদেশের একপ্রকার আস্ত মেঠো হ্থরে গান করচে 1”

মাসেক কাল নাসিকে থাকিয়া (১৮৮৬ ) আগস্টের গোড়ায় বা শ্রাবণের (১২৯৩) মাঝামাঝি সময়ে কলিকাতায় ফিরিলেন ; কারণ হেসেন্্নাথেব কন্তা প্রতিভার বিবাহ শ্রাবণ (১৪ অগস্ট )। প্রতিভা কবির বিশেষ ন্েহের পাত্রী বান্মীকিপ্রতিভার প্রতিভা”, আর বিবাহ হইতেছে আশুতোষ চৌধুরীর” সহিত (২৩) তিনিও কবির বন্ধুগোষ্ঠির অন্ততম জ্যোতি্ক।

নাসিক হইতে খুঢার পত্র। ভারতী বালক, আঙ্গিন ১২৯৩। জে. প্রঙ্াাসিনী ( সংঘোজন ) রবীন রচনাবলী ২৩, পৃ৪১।

চিঠিপত্র ৮। পত্র ৬১। পত্রগানি অনুমান ১৮৮৬ সালের জুলাই তারিখে লিপিত |

৩. ৬7, £১500051) ০200%01205 3.4. [7178 (05155) 87741127008], 0 %85 67109164958 ৪17 80500866০1৫ ০81০9651218) 00420 07 29 45101 1886. 26 আও এ10610560 01 006 ওত 00775 0011686) 08250518615 55816650087) 30 422] 1961 275 26৪15 28০1 আগুতোধ চৌধুরী, জন ১৩ জুন ১৮৬০- মৃতু ২৩ মে ১৯২৪।

বী্টা্দ ১৮৮৬ কড়ি কোমল-পৰ : ২৩৫

আল্ততোধ ১৮৮১ লালের ২* এপ্রিল বিলাত ধাত্রা করেন প্রবীন্ত্রনাথ জীবনন্থৃতিতে লিখিক্সাছেন : “দ্বিতীয়বার বিলাত যাইবার জন্য যখন ঘাজা কবি তখন আশুর সঙ্গে জাহাজে আমার প্রথম পরিচয় হয়।-.. পরিচয়ের গভীবতা দিনসংখ্যার উপর নির্ভর করে না। একটি সহজ সহদয়তার দ্বারা অতি অল্পক্ষণের মধোই তিনি এন করিয়া আমার চিত্ত অধিকার করিয়া লইলেন যে, পূর্বে তাহার সঙ্ষে যে চেনাশোনা ছিল ন! সেই ধাকটা এই কয়দিনের মধ্যেই যেন আগাগোড়া ভরিয়া গেল।”

বিবাহাদি নিম্পন্ন হুইমা গেলে রবীন্দ্রনাথ “কড়ি কোমলে'র কেন্দ্রীয় কবিতাগ্তলি লিখিতে আরুস্স করেন বলিয়া আমাদের অনুমান কেন্দ্রীয় কবিতা বলিতে আমরা কি বুঝাইতেছি, তাহার ব্যাখ্যান একটু পরেই করিব। 'ছৰি গান" ববীজ্নাথের শেষ কাব্যগ্রন্থ কবিতাগুলি লিখিত হয় তাহার বিবাহের পূর্বে। তার পর গত তিন বৎসরের মধ্যে যেসব কবিতা! গান বচিত হয়, সেগুলির পরস্পরের মধ্যে ভাবের এঁক্য অস্পষ্ট, তাহারা কবি-মনের বিচিত্র সাধের পরিচায়ক | এইবার যে কবিতাগুলি লেখেন তাহার অধিকাংশই ছিল সনেট সেগুলিই কড়ি কোমলের কেন্দ্রীয় কবিতা মনে করি; এবং সেগুলি অতি অল্প কয়েক দিনের মধ্যে রচিত।. এই সন্ভোগের আনন্দ উদ্বেলিত কবিতাগুলির উত্স কোথায় ?

কবির রচিত এই সময়ের কবিতা সম্পাদন করিতে গিয়া আশ্ততোষ এগুলির মধ্যে কোনে! কোনো ফরাসী কবির ভাবের মিল১ দেখিতে পাইয়াছিলেন। তাহার মনে হইয়াছিল, মানবজীবনের বিচিত্র বসলীলা কবির মনকে একাস্ত করিয়া টানিতেছে, এই কথাটাই এই কবিতাগুচ্ছের ভিতর দিয়া নানাপ্রকারে প্রকাশ পাইয়াছিল।

“ছবি গানের পরে রচিত কবিতা! গানগুলি 'কড়ি কোমল? নাষে কাবাখণ্ডে প্রকাশিত হয় (কার্তিক ১২৯৩)। কয়েক বৎসরের বচিত কবিতা এই গ্রস্থ-মধ্যে সংগৃহীত হওয়ায় ইহা! হইতে বিচিত্র স্বরঝংকার শ্রুত হয়। অনেকগুলি কবিতার মধ্যে তাহার জীবনের প্রথম শোকাঘাতের ছায়া সুম্পষ্ট। কতকগুলি কবিতা যে স্বর্গতা কাদঘ্রী দেবীর উদ্দেশ্টেই রচিত, তাহা সেগুলি পাঠ করিলেই বুঝা যায়। আমরা সে-কবিতা কয়টি সম্বন্ধে ইতিপূর্বে আলোচন' করিয়াছি; ষধার্থতাবে তাহারা গ্রন্থের অন্তর্গত হইবার মতো কবিতা নহে। এই কাব্যের অবশিষ্ট গান কবিতা! প্রথম কবিভাগুচ্ছের সর ভাৰ হুইতে সম্পূর্ণ পৃথক, এমনকি বিপবীতও বলা যাইতে পারে। মৃত্াশোক-পর্যে জীবনের প্রতি ষে-বৈবাগাভাব কবিতাগুলির মধ্যে প্রকাশ পাইয়াছিল, তাহা যে অত্যন্ত ক্ষণস্থায়ী হৃদয়াবেগপ্রস্তে, তাহা আমরা ইতিপূর্বে আলোচন1 করিয়] দেখাইয়াছি। আললে কড়ি কোমলের যুগ বলিয়া যদি কোনো যুগকে কল্পনা করা ধায়, সে-সময়ট] জীবনস্থতির মৃত্যুশোক-পরিচ্ছেদে বণিত বৈরাগোর কৃচ্ছুতার সহিত সম্পূর্ণরূপে সম্বস্থছি্ন। কবি স্বন়্ং এই পর্বটি সম্বন্ধে লিখিয়াছিলেন, "গায়ে থাকত ধুতির সঙ্গে কেবল একটা পাতল! চাদর, তার খুটে বাধা ভোরবেলার তোলা একমূঠো বেলছ্ছুল, পান্ধে একজোড়া চটি।” শ্রীশচন্দ্রকে লিখিতেছেন, “এ সময়ে আমাকে যদি একটা বাগান দিতে পারতেন নদীর তীর, গাছের ছায়া, মাঠের বাতাস, আমের বোল, কোকিলের কুহু, বসস্তী রঙের চাদর, বকুল ফুলের মালা, এবং সেই সঙ্কে আপনাকেও চাচ্ছি ।”২ ইহা কবিকল্পনা নছে। সৌন্দ্ধ- সাধনাকে রবীন্দ্রনাথ একটি চাককলায় পরিণত করিয়াছিলেন; ত্রাহার বিলাদশোভা, কেশবিন্তাস কলিকাতা যুবসমাছ্ধের আকাক্কষার অনুকরণের বিষয় ছিল।

এই ফরামী ফধির ভাবের মিল সন্দ্ধে আমাদের মনে হয় রবীজরনাথ তয় দত ( ১৮৫৬-৭৭ ) অনুদিত £ 915651 01682060117 006 চিত008 61615 (১৮৭৬ ) নাষে গ্রন্থখানি দেখিয়াছিংলন সত্ো্জনাথেষ গ্রস্থাগায়ে সেই বই ছিল। এই কাব্যস্চ্ন বোধ হয় এবার নাসিক হইতে সংগ্রহ করিয়! জানিয়াছিলেন। এই কাব্যসঞচদের কবিতাগুলি বিশদতাষে আলোচনার প্রয়োজন আছে। বইথানি শান্তিনিকেতন রবীজ্রবনে আছে।

ছিয়পত্র, পত্রসংখ্য!

২৩৬. ববীন্দ্র্ীবনী এষ্টাৰ ১৮৮৬

সমসাময়িক এক উদীয়মান কবির লেখনী হইতে ব্বীন্ত্রনাথের একখানি চিত্র পাওয়া যায়, তাহ! আমরা উদ্ধৃত করিতেছি কবি দীনেশচরণ বস্থু১ বৈশাখ ১২৯৩ সালে রবীন্দ্রনাথের সহিত সাক্ষাৎ করেন। তিনি তাহার তককণ বন্ধু দীনেশচন্দ্র সেনকে লিখিয়াছিলেন, “.*'বঙ্গমাহিত্যজগতের উঠস্ত ববি রবিঠাকুরের সহিত সাক্ষাৎ করিতে... বিগতকল্য.." গিয়াছিলাম। ঠাকুববাড়ির প্রকাণ্ড পুরীতে প্রবেশ করিয়া পদৌোতালার সিঁড়ির মুখেই রবিঠাকুরের সহিত সাক্ষাৎ হইল। নয়ন মুগ্ধ, মন আনন্দসাগরে ডূবিপ। কোনো ইংবাজি পুস্তকে অমর কবি অিপ্টনের 'দেবমুতি দেখিয়াছ ফি? দেখিয়া থাকিলেই সেই মৃতিতে রবিচ্ছায়া দেখিতে পাইবে। দেহ-ছন্দ সুদীর্ঘ, বর্ণ বিশুদ্ধ গোর, মুখাকৃতি দীর্ঘ, নাসা চক্ষু জর সমস্তই স্থন্দর, যেন তুলিতে আক!। গুচ্ছে গুচ্ছে কয়েকটি কেশতরঙ্গ (০0:15) স্কন্ধের উপূর আসিয়া পড়িয়াছে। পরিধানে ধুতি। কেন বলিতে পারি না, রবিঠাকুরের অপূর্ব মৃতি দেখিয়া বোধ হইল যেন এই অঙ্গে গৈরিক বসন অধিক শোত। ধারণ করিত। উনবিংশ শতাব্দীর 41৩: ইত্যাদির কেশরক্ষার* ফ্যাশনের মধ্যে দীর্ঘ কেশ দেখিবার জিনিম বটে এবং ষে তাহা রক্ষা করে তাহাকেও সাহসী পুরুষ বলিতে হইবে। সাহিত্য সম্বন্ধে বহুক্ষণ আলাপ হইল। রুবিঠাকুরের বয়স অতি অল্প, তেইশের অধিক হইবে না।* কিন্তু স্বভাব স্থির। কলেজে থাকিতে মিল্টনকে তাহার সহপাঠিগণ '[,৪9? আখ্যা প্রদান করিয়াছিলেন, রবিঠাকুরকেও সেই আখ্যা প্রদান কর] যাইতে পারে স্বর অতি কোমল শ্মিষ্ট রমণীজনোচিত | রবিঠাকুরের গানের কণা শুনিয়াছিলাম কিন্ত গান শুনি নাই তাহাকে একটি গান গাইতে অন্থরোধ করা হইল। সাধাসাধি নাই, বনবিহঙ্গের ম্যায় স্বাধীন উন্মুক্ত কণ্ঠে অমনি গান ধরিলেন। গানটি এই : “আমায় বোলো না গাহিতে বোলো না? 1”...

সমসাময়িক আর-একজন লক্কপ্রতিষ্ঠ লেখক অক্ষয়চন্দ্র সরকার যুবক কৰি সম্বদ্ধে যাহা লিখিয়াছিলেন, তাহা আমরা উদ্ধৃত করিতেছি |

“ববীন্দ্রনাৎ প্রতিভার দীপশিখা ; ধীরে ধীরে জলিলে এই শ্শিখা স্বীয় বর্ধমান আলোকে চারিদিক আঙ্গোকিত করিবে ; -" সেই অমল, কোমল, কমল শোভালমন্থিত মুখস্রী সেই উজ্জল, সলজ্জ্র ভাসা-ভাসা, ভ্রমর-ভর-স্পনিত পদ্- পলাশ লোচন-__ সেই কঝামর-চামর-নিন্দিত, গুচ্ছে গুচ্ছে স্বভাব-বেণা-বিনাফ্িত চিকুর ঝলমল মুখম গুল-_- সেই রহস্টে আনন্দে মাখান, হাসি-খুসীভরা অধর-প্রান্ত-_ সেই সংচিন্তার প্রসবক্ষেত্র, স্ুপ্দর শুভ্র, পরিষ্কা৭ দর্পণোপম পলাট-_ ভগবানের এরূপ অতুল সি কখন বৃথা হইবার নহে। না, এখনও রবীন্দ্রনাথ আমাদের আশার স্থল, ভরসার সম্বল... 1”

কড়ি কোমল-পর্ব :

আমরা কবিজীবনের সেই সন্ধিক্ষণে উপস্থিত যখন যৌবন তাহার প্রথম উচ্জ্বাসের বিচিত্র আবেদন নিজন্ব ভাষায় প্রকাশ করিতে প্রয়াসী। কড়ি কোমলের কেন্দ্রগত কবিতাগুলি ভাহারই প্রকাশ গত বখসরটি ছিল প্রধানত

১. দীনেশচরণ বছ (জন্ম ২৩ কেব্রুয়ারী ১৮৫১ ১২ কান্তন, ১২৫৭ মৃহা ১২ অক্টোবর ১৮৯৮1 ২৭ আঙিন ১৩৯৫ )1 জর. সাহিত-সাধক- চরিতমাল| ৪২, পৃ ৩১-৫২। ত্র ১৩*৪ সালের 'জন্মকুমি' মাসিক পত্রের কাতিক সংখায় ইহার জীবনী প্রকাশিত হয়।

'আ্যালবার্ট কাট' কথ! চলিত ছিল সে-যুগে মহারানী তিকটোরিয়।র স্বামী প্রিক্প কনসট জ্যালবার্টের কেশ শবত্ররক্ষ রীতি ছিল অনুকরণীয় যেষন আর-এক সময়ে ছিল ফ্রেঞ্চ কাট দাড়ি।

কবির বয়স এই সময়ে পঁচিশ বংসর |

যোগেক্রনাখ গুপ্ত £ যৌবনে রবীন্ররনাথ, প্রবাসী, আবাঢ ১৩৪৯, পৃ ২৪৩। জ্্; দীনেশচন্ সেন। প্রদীপ, ফান্তন ১৩,৫ দীদেশচরণ হু

« “তাই হাততালি' নবজীবন, মাঘ ১২৯১ | উদ্ধৃতি : সাহ্তা-সাধক চরিতমাল। ৩৯ পৃ ২৭-২৮| “ভাই হাততালি' রচনাটিতে লেখক রসিকঠার বার্থ চেষ্টা করিয়াছেন; জামাদের সনে হয়, রবীজনাখ সেইটি পড়িয়! 'রসিকতার ফলাফল' [ ভারতী, বৈশাখ ১২৯২। ধ্ঙকৌতুক ] লিখিয়া খাকিবেদ।

গ্রীষ্টাৰ ১৮৮৬ কড়ি কোষল-পর্ব : ২৩৭

গন্ভরচনার যুগ, শেষদিকে সংগীত আলিয়া জীবনকে মধুযর় করে বটে ) তবে সে সংগীতে অন্তরের থর ধ্বনিত হয় নাই। কতকগুলি মাঘোখসবের জন্ত বচিত ব্রন্ষসংগ্ীত, আর কতকগুলি বান্ধীকিগ্রতিভার নাট্যসংগীত, অস্তরের অস্তস্থলেষ সহিত ইহাদের যোগ সামান্তই | মানবজীবনের বিচিত্র রসলীল! তরুণ কবির মনকে একাম্ত করিয়া টানিতেছিল। “এই জীবনের মধ্ো প্রবেশ করিবার তাহাকে সকল দিক দিয়া গ্রহণ করিবার জন্ একটি অপরিতৃপ্ণ আকাঙ্ষা এই কবিতাগুলির মূলকথা |” .( জীবনস্মতি ) |

কাব্য হিসাবে কড়ি কোমলকে রবীন্দ্রনাথ তেমন আমল দেন নাই। কবির নিজের মতে "মানসী" (১৮৯০) তাহার প্রথম যথার্থ কাব্য, 'মানলীতেই ছন্দের নানা খেয়াল দেখা দিতে আর্ত করেছে? কিন্তু জীবনস্বতিতে স্বীকার করিয়াছেন যে কড়ি কোমলে ছন্দ ভাষার নানাপ্রকার ব্ধপ ধরিয়া উঠিবাব চেষ্টা দেখা দিয়াছে ।১ এই কাবাখানির মধ্যে শিশুকবিতা, প্রেমসংগীত, নারীসৌন্দর্য, ব্রচ্গসংগীত, স্বদেশী সংগীত সবই আছে; সমস্তগুলিকে খগডভাবে গ্রথিত করিয়া! একটি সমষ্টিগত রূপ দিবার চেষ্টা হইয়াছে, পচিশ বৎসর বয়সের পক্ষে যথেষ্ট বলিতে হইবে সমগ্র মানবতার বিচিত্র সারধনরূপ কাব্যখানির মধ্যে দেখাইবার প্রয়াম হইয়াছে__ সংসার, শ্বদেশ ঈশ্বর; এই তিনের মধ্যে সামগ্রন্তকরণই হইতেছে মানবঙ্গীবনের পরিপূর্ণ আদর্শ__ এই কাব্যে সেই সমন্বয়ের অপূর্ণ আভাস পাই রবীন্ত্রসাহিত্যে তথা ববীন্দ্র-জীবনে এই তিনটি হইতেছে মূল কথা-_ সংসার, স্বদেশ ঈশ্বর ; অর্থাৎ নিকটের যা, দূরের মানুষ, এবং নিকট দূরকে ধিনি মিলাইয়াছেন সেই পরমাত্মাকে বাদ দিয়া জীবনের সকল কুছ নিরর্থক। কিন্ত এই কাব্যে নিকটের মাগ্ুষের সহিত আমাদের যে-বিচিত্র সম্বন্ধ, তাহাকেই কবি নানাকধপে বেবখীইতে চেষ্টা করিয়াছেন, স্বদেশ ঈশ্বর গৌণ

কড়ি কোমলের কেন্ত্রগত মূল কবিতাগুলি হইতেছে প্রায়ই সনেট-জাতীয় কবিতা ছোট ফুল” হইতে আরম্ত করিয়া “চির্দিন' পর্যন্ত এই কবিতাগুলি কাবোর অন্তরের বাণী বহন করিতেছে এই গুচ্ছের বাহিরে আছে গ্রন্থের প্রথম কবিতা “প্রাণ, শেষ কবিতা 'শেষ কথা? খুব অল্প সময়ের মধ্যে কড়ি কোমলের এই কবিভাগুলি বচিত-_ যেমন রচিত চৈতালি নৈবেদ্ধের কবিতা সেই্জন্ত এই বিশেষ কবিভাগুলির একটি মিলিত অখণ্ড রূপ হইয়াছে, সমগ্র গ্রন্থে তাহ হয় নাই ইহাকেই আমরা কড়ি কোমলের কেন্ত্রগত কবিতা বলিতেছি।

রবীন্দ্রনাথ এই কেন্দ্রীয় কবিতা রচনায় নৃতন টেকনিক অন্সরণ করিলেন-__ সেটি 'সনেট'-এর টেক্নিক। মাইকেল মণুহদন ইহার প্রবর্তক অধ্যাপক শ্ীজগদীশ ভট্টাচার্ধ তাহার “সনেটের আলোকে মধুস্থদন ববীন্্রনাথ' (১৩৬৪) গ্রন্থে অতিবিস্তারে সনেটের জন্মকথা এবং ছুই বাঙালী কবির সনেট রচনার বৈশিষ্ট্য সম্বন্ধে আলোচনা করিয়াছেন স্ুতয়াং মে-বিষয়ে আমার আলোচনা নিষ্পয়োজন।

কবির পূর্ণযৌবনে এই কাবাখণ্ড রচিত, তাই তিনি “যৌবনন্বপ্র* দেখিতে তক্সয়__ “আমার যৌবনম্বপ্রে ছেয়ে আছে বিশ্বের আকাশ' কে তাহাবে 'করেছে পাগল? ? কিন্তু উহা স্বপ্পই তো) কেননা প্রেমের সহিত মিলন হইয়াছে ক্ষণিকের তরে-_ ছুইখানি মেঘের মত বাম্পময়, '্টোহার পরশ লয়ে দৌোছে ভেসে গেল, কহিল না কথা? সৌন্র্ধের পৃজারী কবি নারীকে তাহার শ্রেষ্ঠ অর্থ নিবেষন করিলেন, নানাভাবে নানা রূপে__ 'গীতোচ্ছাস'-এ যেখানে 'শীরব বাশবিখানি বেজেছে আবার? কিন্তু এখনো ব্যবধান ঘুচিল না

দুটি ভার ফিবে এল-- কোথা সে নয়ন? চুম্বন এসেছে তাব-- কোথা নে অধর।

নারীর বিকশিত যৌবনই তাহাকে প্রথম মর্ধাদা দান করে। তাহার দেহের লাবণ্য সৌন্দর্য ছইটি মৃতিতে

্রযোধচজ সেন, কড়ি ফো দলের ছন্মপরিচন, বিশ্বভারতী পঙ্জিকা, কাতিক-পৌষ ১৬২৪ পৃ ১১৭-২১।

২৩৮ যবীন্দ্রজীবনী গ্রীটাৰ ১৮৮৬

প্রকাশিত-_ এক প্ররেক্নসীব্ূপে আর-এক মাতৃরূপে তাহার মাতৃত্ব তাহাকে পরিপূর্ণ অধিকার দান করে। এই যুগ্মন্ূপের একটি হইতেছে প্রেয়সী নারী__

নারীর প্রাণের প্রেম মধুর কোমল,

বিকশিত যৌবনের বসস্ত-সমীরে

কুহ্ুমিত হয়ে ওই ফুটেছে বাহিরে,

সৌরত স্থধায় করে পরান পাগল ।১ যুগ্মরূপের অন্যটি হইতেছে মাতৃরপী নারী__

চিরম্ষেহ-উতৎসধারে অমতনিক্কবে

সিক্ত কৰি তৃলিতেছে বিশ্বের অধর।

জাগে সদা হথস্প্র ধরণীর "পরবে,

অসহায় জগতের অসীম নির্তর ।২

নারীর সৌন্দর্কে লানা রমে কৰি বর্ণন! করিয়াছেন, কিন্ত কোখাল তাহাকে কুৎসিত ব্থতাগ্িক করিতে পারেন নাই। “বিবসনা'র "শরঞসৌন্দর্যের নগ্র আবরপ'কে 'লাজহীনা পাবহতী বলিয়। আখাতি করিলেন; সেই ডেজোময় জীবনের যৌবনের লাবচ্ছট নিকট “অত ঢাকুক মুখ বসনের কোণে তহ্থর বিকাশ হেরি লাজ্জে শির নত' এই প্রেম- সন্তোগের সম্পূর্ণ কথাটি খ্লিলেন "দেহের মিলনে প্রতি অঙ্গ কাছে তব প্রতি অঙ্গ তরে।*

প্রাণের ঘিলন মাগে দেহের মিলন |",

সবাঙ্গ ঢালিয়া আজি আকুল অন্তরে

দেহের রহস্য মাঝে হইব ম্গণ।

প্রেম সার্থক হইল “পূর্ণ মিলনে", যেখানে_- বিজন বিশ্বের মাঝে মিলনশ্মশানে নিরাপিত স্র্যালোক লুপ্ত চাচর, লাজমুক্ত বাসমুক্ত ছুটি নগ্ন প্রাণে তোমাতে আমাতে হই অসীম হুন্দর।

গন, কড়ি কোল, রবীন্্র-রচনাবলী ২, পূ ৭৭। স্তন, কড়ি কোমল, রবীন্্র-রচনাবলী ২, পৃ ৭৭-৭৮| তু" পদরক্াবলী ৮৭ [ জনদাস ] বিমানবিহারী মজুমদার : রইংশদাহিত্যে পদাবলীর সান, পৃঃ&। গ্রহরেকৃক যুখোপাধ্যায় সাহিত/রয়, বৈফব পদাবলী, পৃ ৪৮০ রূপ লাগি আখি কুরে গুণে হন তোর। গ্রতি অঙ্গ লাগি কান্দে প্রতি অঙ্গ মোর। হিয়ার পরশ লাগি হিয়া মোর কান্ছে। পরাণ পিরীত লাগি থির নাহি বান্ধে

্রী্টাৰ ১৮৮৬ কড়ি কোষল-পর্ব : ২৩৪

কিন্ত বিজন বিশ্বের মিলনশ্মশানে স্থখ আছে তৃপ্তি নাই, সন্তোগ আছে জানন্জ নাই সেই অনাদি প্রপ্ন জাগে তার পরে কী, তাহাতে আনন্দ হইল কী, ততঃ কিম্‌। কবির চিরবিরহ্থী হন পূর্ণ ষিলনেও বলে “হুখশ্রমে আমি, সঞ্, শ্রাস্ত অতিশয়” ) কল্পনার অবাস্তব জগতের ছ্যায়ই এই সৌন্দর্যস্থখলি লংসার ।--_

ডুবিতে ডুবিতে ষেন সুখের সাগরে কোথাও না৷ পাই ঠাই, শ্বাস কদ্ধ হয়-_ পরান কার্দিতে থাকে মৃত্তিকার তরে। যে সৌবভের বেড়া, পাধাণের নয়-__ কেমনে ভাঙিতে হবে ভাবিয়া! না পাই, অসীম নিদ্রার ভারে পড়ে আছি তাই।,

হ্তরাং এই “বন্দী'জীবন হইতে মুক্তির জন্য ব্যাকুল প্রার্থনা উঠিভেছে__- দাও খুলে দাও, সধী, ওই বাহুপাশ-_ চুন্বন-মদিরা আর করায়ো না পান। কুনছমের কারাগারে কদ্ধ বাতাস, ছেড়ে দাও ছেড়ে দাও বন্ধ পরান 1... স্বাধীন করিয়া দাও, বেধো না আমায়-_ স্বাধীন হদয়খানি দিব তার পায় ৪২

নারীর জহ্ক 'কেন এই মোহ" এই প্রশ্রই কবির মনে বারে বারে আঘাত করে-_

আজ হাতে তুলে নিয়ে ফেলে দিবে কাল-_ এরি তরে এত তষ্কা, কাহার মায়া ।ৎ

আর, “এ মোহ ক-দিন থাকে, মায়া মিলায় 1১8

তাই সত্য জগতকে, বাস্তব সত্যকে, পাইবার জন্ত আকাক্্রা__ এসো, ছেড়ে এলো, সখী, কুস্থুম-শয়ন বাজ্জুক কঠিন মাটি চরণের তলে। কত আর করিবে গো বসিয়া বিরলে আকাশ-কুহুমবনে স্বপন চস্বন ।--" চলো গিয়ে থাকি দৌহছে মানবের সাথে, সুখদুঃখ লয়ে সবে গাখিছে আলয়-- হাসি-কাম্না ভাগ কবি ধরি ছাতে ছাতে সংসার-সংশয়বাতি রছিব নির্ভয় 1...

১. শান্তি, কড়ি কোমল, রবীজ-রচন!বলী ২, পু ৮৭।

২" বঙ্গী। কড়ি কোমল, রবীন্র-রচনাধলী হ, পৃ ৮৭-৮৮।

কেন, কড়ি কোমল, রবীল্র-রচনাবলী ২, পৃ ৮৮

8 মোহ, কড়ি ফোমল, রবী্রা-রচনাবলী ২, পৃ

মরীচিকা, কড়ি কোমল, রবীন্র-রচনাধলী ২, পৃ »* ৯১।

২৪৯ ববীন্দ্রজীবনী ্‌ ষ্টাফ ১৮৮৬

যৌবনের স্বপ্ন দেখিয়া কৰি যাত্তা করিয়াছিলেন, সৌন্দ্ধমদদিরা নিঃশেষে পান করিয়া দেখিলেন 'কুহছমের কারাগারে, যেখানে জীবন রুদ্ধ সেখানে তণ্চি নাই, আনন্দ নাই। তাই কবির অন্তরের এস্তর হইতে এই আকৃতি উঠিল-_ মরিতে চাহি না আমি হুচ্দর ভুবনে, মানবের মাঝে আমি বাচিবারে চাই। এই হূর্ধকরে এই পুশ্পিত কাননে জীবস্ত হদয় মাঝে যদি স্থান পাই।১ কড়ি কোমলের এই কেন্দ্রীয় কধিতাগুচ্ছের মধ্যে কবির সর্বগ্রাসী মনের সকল অতৃধ আকাক্ষার কথা বল! হইলেও মনে হইতেছে যেন সব কথা নিঃশেষে বলা হয় নাই, কী যেন অবাক্ত কথা, অনির্বচনীম্ম ভাবনা এখনো অন্তরের মধ্যে রুদ্ধব_ ভাষা খুঁজিয়া পাইতেছে না। জটিল মানবমনের অতৃপ্ত আবেগ অসীম অনুভূতিকে প্রকাশ করিতে পারে এমন ভাষা আজও মানুষের আয়ত্তাধীন হয় নাই, তাই কবি বলসিতেছেন__ মনে হয় কী একটি শেষ কথা আছে, সে কথা হইলে বল! সব বলা হয়।:"" সে কথা হইলে বল! নীরব বীশরি, আর বাজাব না বীণা চিরদিন তবে। সে কথা! শুনিতে সবে আছে আশা করি, মানব এখনো! তাই ফিরিছে না ঘরে। সে কথায় আপনাবে পাইব জানিতে, আপনি কুতার্থ হব আপন বাণীতে | কবির বিশ্বাস ছিল যে, “মানুষের কোলাহলময় হাটে যেখানে কেনা-বেচার বিচিত্র লীলা চলে, এবি মধ্যে, এই মুখর কোলাহলের মধ্যেই তার পূজার গীত উঠেচে__ এর থেকে দূরে সরে গিয়ে কখনই তার উৎসব নয়।' একখানি পঙ্্ে তাহার কাব্যের মানবপ্রীতি সম্বন্ধে লিখিয়াছেন, “আমার সব অঙ্কভূতি রচনার ধারা এসে এেকেছে মানবের মধো। বারবার ডেকেছি দেবতাকে, বারবার সাড়া দিয়েছেন মান্ষ কূপে এবং অক্ধপে, তোগে বং আগে সেই মান্য বাক্তিতে এবং সেই মানুষ অব্যক্তে 1"- মানব যেখানে অমর সেইখানেই বাচতে চাই। সেইজন্েই মোটা-মোটা নামওয়ালা ছোট ছোট গন্তীগুলোর মধো আমি মাহষের সাধনা করতে পারি নে। ম্বাজাতোর খুটি গাড়ি কারে নিখিলমানবকে ঠেকিয়ে রাখা আমার দ্বারা হয়ে উঠল না কেননা অযরতা তারই মধো যে-মালব সবপোকে আমরা রান্গ্রস্ত হয়ে মরি যেখানে নিজের দিকে তাকিয়ে তার দিকে পিছন ফিরে দাড়াই ।” শ্রশচীন সেন ঠিক বলিয়াছেন, "তাই “কড়ি কোমলে' মানবের মাঝে আমি বাচিবারে চাই? হইতে 'চৈতালি' কাব্যের মধ্য দিয়া কবি 'নৈবেস্ে? “অসংখ্য ব্ধন-মাঝে মহানন্দময় লভিব মুক্তির শ্বাদ'__ এই সুরে পৌছিলেন। কড়ি কোমলের কবিতাগুচ্ছ একটি কাব্য-যুগের অবসান নূতন ধুগের আবির্ভাব ঘোষণা! করিতেছে এই নৃতন যুগে কবি যাহাকে খু'জিতেছেন সে হইতেছে ঠাহার মানসী, মানসন্গন্দরী-_ বাকোর অতীতে তাহার বাণী, সৌন্দর্যের অতীতে তাহার রূপ; সে কাদা নয়, সে ছায়াও নয়__ সে মায়া। যৌবনের 'কুস্থমের কারাগার" ভাঙিয়া 'মান্ষেরু বৃহৎ জীবনকে বিচিন্তরভাবে নিজের জীবনে উপলক্ষি করিবার ব্যথিত আকাক্্া' কবির চিত্তকে পীড়ন করে; “মানুষের প্রাণ, কড়ি কোমল, রবীন্-রচনাবলী ২, পৃ ৩১। শেষ কথা, কড়ি কোধল, রবীজ-রচনাকলী ২, পৃ ১১৬।

গীঙাব ১৮৮৬ কড়ি কোষল-পর্ব : ২৪১

মুক্তদীবনের প্রবাহ যেখানে পাথর কাটিয়া জয়ধ্বনি করিয়৷ তরঙ্গে তরঙ্গে উঠিয়। পড়িয়া সাগরযাত্রায় চলিয়াছে, তাহারই জলোচ্ছাসের শব্ধ' কবিকে চঞ্চল করে। রবীন্দ্রনাথ তাহার যৌবনের নৃতন অভিজ্ঞতা প্রেরণা হইতে যে-সত্যকে উপলব্ধি করিয়াছিলেন, জীবনস্থৃতিতে তাহারই কথ] 'বর্ধা শরৎ, প্রভৃতি পরিচ্ছেদে বর্ণনা করিয়াছেন। তার পর বহু বর্ধ পরে জীবনসন্ধ্যায় আপিয়! সেই যুগকে পুনরায় বিশ্সেষণ করিবার হুযোগ মেলে; ববীন্ত্র-রচনাবলীতে কড়ি কোমলের ভূমিকা লিখিবার জন্য অহুরুদ্ধ হুইম্বা কবি লিখিঘ্াছিলেন, “যৌবন হচ্ছে জীবনে সেই খতুপরিবর্তনের সময় যখন ফুল ফসলের প্রচ্ছন্ন প্রেরণা নানা বর্ণে রূপে অকস্মাৎ বাহিরে প্রত্যক্ষ হয়ে ওঠে কড়ি কোমল আমার সেই নবযৌবনের রচনা আত্মপ্রকাশের একটা প্রবল আবেগ তখন ষেন প্রথম উপলব্ধি করেছিলুম।... আপনার মধ্যে থেকে যা প্রকাশ পাচ্ছিল, সে আমার কাছেও ছিল নৃতন এবং আন্তরিক। তখন হেম বীডুজ্জে এবং নবীন সেন ছাড়া এমন কোনো দেশপ্রমিদ্ধ কবি ছিলেন ন| ধারা নৃতন কবিদের কোনো-একটা কাব্য-রীতির বাধা পথে চালনা করতে পারতেন। কিন্তু আমি তাদের সম্পূর্ণই ভুলে ছিলুম 1 কবি বিহারীলাপকে ছেলেবেলা থেকে জানতুম--. তার প্রবর্তিত কবিতার রীতি ইতিপূবেই আমার রচনা থেকে সম্পূর্ণ স্থপিত হয়ে গিয়েছিল বড়দাদার [ ছিঙ্গেন্্রনাথ ঠাকুর ] স্বপ্রপ্রয়াণের আমি ছিলুষ অত্যন্ত ভক্ত, কিন্তু তার বিশেষ কবিপ্রকৃতির সঙ্গে আমার বোধ হয় মিল ছিল না, সেইজন্তে ভালো লাগা সত্বেও তার প্রভাব আমার কবিতা গ্রহণ করতে পারে নি। তাই কড়ি কোমলের কবিতা মনের অন্ত:স্তরের উৎসের থেকে উছলে উঠেছিল। তার সঙ্গে বাহিবের কোনো মিশ্রণ যদি ঘটে থাকে তো সে গৌণভাবে ।”১ কড়ি কোমল গ্রস্থাকারে প্রকাশিত হয় ১২৯৩ সালের কাতিক মাসে-_ ছবি গান প্রকাশের প্রায় তিন বৎসর পরে। ছবি গানের সময় হইতে এই কবিতাগুলি অনেকটা সংহত আকাব ধারণ করিলেও বাস্তব বলিতে যাহা বুঝায্ব তাহা এখনো হয় নাই। এই ছুই কাব্যের মধো প্রভেদ এই যে, ছৰি গানে কল্পনার ভাগটি প্রবল, কড়ি কোমলে হৃদয়াবেগের প্রাচূর্য। ছবি গানের পর রচিভ কবিতাগুলি সমস্তই কড়ি কোমলে সংগৃহীত আশ্ুতোব চৌধুরী এই কবিতাগুলি যথোচিত পর্যায়ে সাজাইয়। প্রকাশ করেন। “মবিতে চাহি লা আমি হ্বন্দর ভুবনে" এই চতুর্দশপদ কবিতাটি তিনিই গ্রন্থের প্রথমে বলাইয়া দেন) তাহার মতে এই কবিতাটির মধ্যেই সমস্ত গ্রন্থের মর্কথাটি আছে। * সতেরো বৎসর পরে মোহিতচন্ত্র সেনের সম্পাদনায় ববীন্্রনাথের কাব্যগ্রন্থ নৃতনভাবে প্রকাশিত হইল ( ১৩১০ )। এই সময়কার কবিতাগুলিকে 'যৌবনম্বপ্র' নাম দেওয়া হয়। এই কাবাথণ্ডের ভূমিকায় রবীন্দ্রনাথ লিখিয়া দেন যৌবনের মর্মকথাটি-_ পাগল হুইয়! বনে বলে ফিরি আপন গন্ধে মম কন্তবীমুগলম। ফাল্গুন রাতে দক্ষিণ বায়ে কোথ। দিশা খুঁজে পাই না। যাহা চাই তাহা ভুল করে চাই, ঘাহা পাই তাহা চাই না।২ আশুতোষ চৌধুরী কড়ি কোমল পাঠ করিয়া বলিয্লাছিলেন ঘে উহার কবিতার মধ্যে কোনো কোনো! ফরাসী লেখকের প্রভাব দেখা যায়, সে কথাটি মুহু্তমাত্র দাড়াইয়! চিন্তা করা প্রয়োজন। কড়ি কোমলের কেন্্রগত কবিতাগুলি পাঠ করিলে বেশ বুঝা যায় তাহার মধ্যে সুরোপীয় সাহিত্যের প্রভাব প্রবল, তবে প্রচ্ছন্ন কিছুকাল হইতে ফরালী একদল লেখক তাহাদের অস্থকারকগণ সাহিত্যে কলায় এক নৃতন বচন প্রবর্তন করিয়াছিলেন।

১. কবিয় মন্তধা, রবীন্র-রচদাবলী ২, কড়ি কোলের ভূমিক। জর, উৎস, রবীজা-রচনাবলী ১৭, ১৯। ৬১

২৪২ ববীজ্জীবনী খ্রীষ্টান ১৯৮৬

সেটি ৪: £07 2105 591০" অর্থাৎ আর্টেই আর্টের চরম সার্থকতা বা আর্টের খাতিরেই আর্ট | এই নৃতন সম্প্রদায়েন্ মতে আর্টের প্রয়োজন অহেতৃক অর্থাৎ কোনো উদ্দেশ্ট কোনো নীতি ইহার দ্বারা সফল বা! সার্থক হয় না।

আর্টের খাতিরে আর্ট-_ এই কথার আষ্টা ফরাসী উপন্তাসিক গোতিয়ে (11580010116 0806661 : ১৮১১-৭২)$ তাহার উপন্তাস মাদ্‌মোয়াজল্‌ মপ্যা (11116. 0৩ 2901210 ) লিখিত হয় ১৮৩৫ সালে এতকাল পরে সুরোপে তাহার উপন্যাসের এই বুলিটি সাহিত্যিক শিল্পীদের মধ্যে সংক্রামিত হয়। বাংলাদেশেও তার তরঙ্গ আলে বৎসর ছুই পূর্বে বইখানির তর্জমা রবীন্দ্রনাথ পড়েন, প্রিয্ননাথ সেনের নিকট হইতে সেটি পাইয়াছিলেন।১ স্থৃতন্বাং কড়ি কোমলের কবিতার মধ্যে ফরাসীপ্রভাব বা বিশেষভাবে এই আর্টসর্বস্বতার ভাব যে থাকিবে তাহাতে জাম্চর্য হইবার কিছুই নাই। রবীন্দ্রনাথ কড়ি কোমলের ছুর্বলতা সন্বদ্ধে পরে সঙ্গাগ হন বলিয়াই বোধ হয় লেখেন মানসী" হইতে তাহার স্বকীয় কাবাধারার শ্ত্রপাত। রবীন্দ্রনাথের যৌবনারস্তে দেহচর্চা ছিল একটি হুট কলা বা আর্ট, সৌন্দর্ষচর্চা কাবাজীবনের একটি বিশেষ অঙ্গ | এই অবস্থায় আর্টসর্বস্থ মতবাদ পোষণ করা কবির পক্ষে স্বাভাবিক তাই দেখি কাবান্তির আদিপর্বে আর্টের প্রতি কবির অহেতৃকী আকর্ষণ, আবার দেখিব কাব্যস্থির শেষপর্বেও আর্টের প্রতি অহেতুকী অশ্ররাগ

মানুষের মন অনাদিকাল হইতে শব রূপের মধ্য দিয়া লাহিত্য শিল্প সি করিয়া আসিতেছে কেনে প্রতিকূল তপ্ত বিষবাম্পের বিরুদ্ধেও নৃতন-কিছু স্থষ্টি করিবার জন্ক মন এত ব্যাকুল, শব্ধ রূপের নিগড়ে অসীমকে বাধিবার জন্ত কেন তাহার এত প্রয়াস, সির জন্ত কেন এত আকৃতি, কেন এত বেদনা এই প্রশ্ন রবীন্দ্রনাথের মনে বারে বাবে উঠিয়্াছে তিনি নানাভাবে তাহার সমাধান করিতে চেষ্রী করিয়াছেন। বসছবারই তিনি বলিয়াছেন “নিজের ভাল লাগে বলিয়াই লিখি, স্থির আর-কোনো প্রেরণা নাই, উদ্দেশ্য নাই ।” অন্যকে স্থধী করা অপেক্ষা আখ্মা- প্রকাশের ছাশ নিজের আনন্দ হয় বলিয়াই মানুষ হ্টিকর্মে লিপ্ত হয়। সেই শ্যতির আনন্দ বা প্রেরণা (0186) কোনোপ্রকার নীতি বা! দর্শনের দ্বারা অথবা প্রচলিত ধর্মাধর্মবোধ দ্বারা প্রভাবান্বিত বা সংকুচিত হয় না, দে আপন রসে স্বয়ং প্রকাশিত। রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যজীবনের প্রথমপর্বে আর্টের এই নৈব্যক্তিক রূপটি স্বীকৃত হইয়াছিল

কিন্ত আদর্শ পবিভত্রতাবোধের সঙ্গে স্ুস'গত সৌনদর্বোধ অন্তরের মধ্যে ফন্তু নদীর ম্তায় অন্ত:সলিল! ছিল বলিয়া ঠাহার লেখনী আর্টকে কখনো মসীলিপ্ত করে নাই। অত্যন্ত স্কুল বিষয় বস্ত বর্ণনাকালে কবির ভাষা কখনো! অহনায়ের পথাশ্রয়ী হয় নাই। আর্টকে বা হথন্দরকে কাব্যে কলার উচ্চ স্থান দ্বিয়াও লতা ষক্ষলকে জীবন হইতে বেদ্দিচ্যুত হইতে দেল নাই উপনিষদের শিক্ষা তাহার মজ্জাগত সংস্কার, তাই তিনি বলিয়াছেন আনন্দ হইতে বসের উত্তব।

আর্টের নামে বাস্তবতাকে নগ্নরূপে প্রকাশ করিতে রবীন্দ্রনাথের যে-ম্বাভাবিক সংকোচ দেখা ষায় তাহ] সৌন্দর্ঘগত সংকোচ, নীতিগত বা পরম্পরাগত শিক্ষা বা বিশ্বাস-প্রন্ছত নছে। কবির এই আতাস্ শ্বাভাবিক 25506001577-কে আর্টসর্বন্থ বে-শ্বাক্রবাদীরা ভীরুতা বলিয়া আখাত করিতে পারেন; কিস্ক রবীন্দ্রনাথের কাছে সতা স্বন্দর মঙ্গল পরম্পর অঙ্গাঙ্চিভাবে অচ্ছেছ্ক্ূপে যুক্ত বলিয়া বাস্তবকে আর্টের নাষে অঙ্গন্দর করিতে সতাই ঠাহার সংকোচ ছিল।

এই কবিতাগ্রচ্ছের নাকরণ কবি কেন “কড়ি কোমল" করিলেন। কড়ি কোমপ সাগীতশান্্ের শব যাবৎ তিনি যে-কাবা প্রকাশ করিয়াছেন, সবগুপিরই নামের সহিত গান যুক্ত : শৈশবসংগীত, সন্ধ্যাসংগীত, প্রভাত- সংগীত, ছবি গান। “কড়ি কোমল” সেই গানসংক্রান্ত শষ ।* প্রিরপুষ্পাগ্রলি, পৃ. ২৭২। ১২৯২ সালে কৃখন কল্যোপাধ্যায় তাহার গীতসৃত্রসার গ্রন্থে “কোমল কড়ি' হের বিবরণ দিয়াঞিলেন। আমরা জানি রবীশ্রদাথ এই গ্রন্থখানি পাঠ করেন। গ্রন্থ হইতে কি কবি ঠাহার নৃতন গ্রন্থের নাম সংগ্র্ করেন 'কড়ি কোমল' ?

ধষ্টা্ ১৮৮৬ . কড়ি কোষল-পর্ব : ২৪৩

“কড়ি কোমলে'র তীত্র সমালোচনা বা বিদ্ধপ কাব্য লেখেন কালীপ্রসন্ন কাব্যবিশারদ ; তাহার কথায় আমরা পরে আসিব

নবাভারত' মাসিকের সম্পাদক দেবীপ্রসন্ন রায় চৌধুরী ( নব্যভারত, অগ্রহায়ণ ১২৯৪ ) এই কাব্যের কাম প্রেম -বিষস্বক কবিতা অভিনন্দিত করেন তিনি যে কয়টি কবিতা এই গ্রন্থদুক্ত করিবার জন্ত আপত্তি করিয়াছিলেন, তাহার একটি হইতেছে 'জদামু বহু চামূ বস্থু।' সমস্ত কাবাখণ্ডের সহিত কোনো সঙ্গতি নাই ইহার। তিনি আরে! বলেন বালিক] ইন্সিরাকে লিখিত কবিতাগুলি “অন্ত পুস্তকে ছাপাইলে ভাল হইত।' সমালোচনাও অতি সত্য ক্রিটিক, বা সমালোচক রবীন্দ্রনাথ এই ক্রটি সংশোধন করিয়া লন-_ দ্বিতীয় সংস্করণে বছ পরিবর্তন সাধিত ছয়

কড়ি কোমল-পর্ব : কানু ছাড়া গীত নাই' এই বাকাটি ধিনি রচনা করিয়াছিলেন ফ্রাহাঁর অন্তরের কথা আমরা জানি না, তৰে কথা সত্য যে বাংলাভাষায় গীতসাছিত্যের অনেকখানি প্রেরণা কৃষঠেমলীলাসস্তৃত। রবীন্দ্রনাথ বৈষব-সাহিত্য কেন কিভাবে অধ্যয়ন করিয়াছিল্লেন তাহার আলোচনা ইতিপূর্বে আমর! করিয়াছি কাব্যরত্ের সন্ধানে তিনি পদামৃতসাগরে অবতরণ কবিয়্াছিলেন পদকর্তাদের পদাস্ক অনুসরণ করিয়া ভাসিংহ গাকুবুর পদাবলী রচনা করেন। আলোচ্া পর্বে বৎসরাধিক কাল পূর্বে প্রশচন্্ মন্তুযদার রবীন্দ্রনাথের সাহচর্ষে 'পদরত্রাবলী? ( বৈশাখ ১২৯২ ) নামে যে-চয়নগ্রস্থ প্রকাশ কবেন তাহাঁও কবির বৈষ্ণব-সাহিত্যপ্রীতির পরিচায়ক বালাকাল হইতে রবীন্দ্রনাথ এই বিরাট পদ-সাগরের তীরে তীবে কেবল উপলখণ্ড সংগ্রহ করিয়াছিলেন বলিলে ভুল হইবে না, তিনি রসাম্ৃতসাগরে অবগাহন করিয়া কাবাবদ্ব পাইয়াছিলেন। তাই রবীন্দ্রনাথের কাব্যে প্রেমবিরহাদির সংগীতের ভাষা বূপকল্পনা এমন আশ্চর্যদূপে বৈষবীয় কড়ি কোমলের কতকগুলি গান বৈষ্ণবীয় বিরহ-বেদনাকে নৃতন ভাবে নুতন ভাষায় প্রকাশ করিয়াছে। রবীঞ্জ-কাবাপাঠকদের নিকট সেগুলি খুবই পরিচিত জানিয়াও উল্লেখ করিতেছি “মখুরায়' কবিতাটিতে আছে 'ধাশরি বাজাতে চাছি বাশবি বাজিল কই ?' কবিতার ছজে ছত্রে পদাবলীর ভাব

নছে কি ঝন্দাবন? কোথা সেই চন্দ্ানন,

কি নৃপুরধ্বনি বনপথে শুনা যায়?

এক] আছি বনে বলি, পীতধড়া পড়ে খসি,

সোঙবি সে মৃখশশী পরান মজিল সই

'বাশি'তে আছে 'ওগেো! শোনো কে বাজায়... যমূনারি কলতান কানে আমে, কাদে প্রাণ।' 'বিরহ' কবিতাটি

এই স্ুরেই বাধা “ওগো আছে শীতল যমুনার জল দেখে তারে আমি মরিব' ভাব বৈষবপদকর্তাদেরই উপযুক্ত

ভর" প্ীবিগড মুখোপাধ্যায়, হবীজ্রসাগয় সংগষে, পু ৪১-৪৭।

১৭ নভেম্বর ১৮৮৬ [২ অগ্রহায়ণ ১২৯৩ ] কড়ি কোলের প্রথম সংগ্যরণ জন্ততোষ চৌধুরী "সবার! সম্পাদিত হইয়া প্রকাশিত হইল। কাবাথানি উৎসর্গাঁত হয় 'ই্রধুক সত্যে্রপাথ ঠাকুর দাধ। হাশর করকমলেবু' | এই সংস্করণে কবিতার সংখা! ১*২। ১৮৯৪ সালে দ্বিতীয় সংস্করণে ৭১টি কবিতা গৃহীত হয় মাঙ। রবীন্-য়দাবলী খিতীগ খণ্ডে কড়ি কোমলের একাশিটি কবিতা মুক্জিত হইয়াছে কয়েকটি কবিতা 'শিু' খণ্ডের অন্তত হয় অনেক পয়ে ১৯০৩ সালে।

২৪৪ রবীন্র্জীবনী খীষ্টাব ১৮৮৬

বিলাপ" রাধার অস্তরের__ 'আর নিয়ে ঘা রাধার বিরহের ভার কত আর ঢেকে বাখি বল্‌।” “ওগো! কে যায় বাশরি বাজায়ে" গানে বৈষণবীয় ভাব পরিপূর্ণ

বৈষ্ণব গান কবিতার প্রতি ববীন্ত্রনাথের প্রীতি নানাভাবে প্রকাশ পায়। এই সময়ে তিনি “বিষ্যাপতির পদাবলী" প্রকাশ করিতে যনস্থ করেন।১ 'সাবিত্রী'র বিজ্ঞাপনে বাছির হইয়াছিল, ১২৯৩ সালের আশ্বিন মাসে__ কিন্তু 'বিষ্ভাপতির পদাবলী' বিজ্ঞাপিত হইয়াও প্রকাশিত হুইল ন1। প্রকাশ না হইবার কারণ অনুসন্ধান অলস গবেষণা বলিয়া বিবেচিত হইবে না।

এই সময়ে কালীপ্রস্ন কাবাবিশারদ ( ১৮৬১-১৯*৭ ) নামে উদীয়মান সাহিত্যিক 1০ 0০6৩ 8617881 নামে একটি গ্রন্থমালা সম্পাদন করিবার সংকল্প করেন। ১২৯১ সালে তিনি তাহার সংকল্প বড়লাট লর্ড রিপনকে জানাইয়া তাহার করকমলে উক্ত গ্রন্থমালা উৎসর্গ করিবার অন্মতি ভিক্ষা করেন। কিন্তু বোধ হয় অহ্কৃল অর্থ- সাহায্য পান নাই বলিয়া সে গ্রস্থ আর ছাপা হয় নাই। রবীন্দ্রনাথকে তাহার ইচ্ছা! জাপন করিলে রবীন্দ্রনাথ নিজন্ব সম্পাদিত বিদ্াপতির খাতাখানি তাহাকে দিয়া দেন। কবে দেন জানি না। তবে তিনি বহুবার কথ আমাদিগকে বলিয়াছেন। কালীপ্রসন্ন তাহার সংকল্লিত “বিগ্যাপতি' ১৩*১ সালের পূর্বে প্রকাশ করিতে পারেন নাই। দ্বিতীয় সংস্করণে (১৩*৫ ) কাব্যবিশারদ লিখিয়াছিলেন, “শ্রমতিলাল চক্রবতী প্রযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া! আমাকে কয়েকটি পরামর্শ দিয়া অস্গৃহীত করিয়াছেন। রবীন্দ্রবাবু তাহার একখানি পুরাতন খাতা দিয়াও আমাকে বাধিত করিয়াছেন ।”_হুমিকা আশ্বিন ১৩*৫। রবীন্দ্রনাথের নিকট হুইতে খাতা তিনি কখন পান তাহা তিনি বলেন নাই। তবে বোধ হয় কালীপ্রসন্্রের সংকল্পিত গ্রস্থমালা প্রকাশের কথা জানিতে পারিয়া তিনি বিগ্ভাপতির পদাবলী” সম্পাদন করিয়া এবং প্রকাশের কথা বিজ্ঞাপিত করিয়াও প্রকাশ করিলেন না। কালীপ্রলন্ন রবীন্দ্রনাথের নিকট হইতে যে খাতাখানি পাইয়াছিলেন, তাহা তিনি কখনো ফেরত দেন নাই। সেটি পাওয়] গেলে রবীন্দ্র-প্রতিভার আর-একটি দিক আমাদের নিকট উদ্ভাসিত হইত।*

এই শীতকালে কলিকাতায় খুবই উত্তেঙ্জনা। ভারত-সাআজাজোর রাজধানী কপিকাতা মহানগরীতে কনগ্রেসের দ্বিতীয় অধিবেশন (ডিসেম্বর ১৮৮৬) হইতেছে; এবার বিভিন্ন প্রদেশের রাষ্্ীয় প্রতিষ্ঠান জনসভাসমূহ নিজ নিজ প্রতিনিধি নিবাচন করিয়া পাঠাইয়াছেন। বোষ্বাই-এর প্রথম অধিবেশনে সেরূপ সম্ভব হয় নাই। ত্রিচিশ ই্ডিয়ান জ্যাসোসিয়েশনের অন্ততম পরিচালক রাজেন্দ্রলাল মিত্র অভ্যর্থনা-সভার সভাপতি ; কন্গ্রেসের সভাপতি দাদাভাই নৌরজী। কলিকাতার মধ্যে এই শ্রেণীর জনসমাগমাদ্ি কর্মোপলক্ষে রবীন্দ্রনাথের আমন্ত্রণ হইত গানের জন্তু; তাহার স্থক্, তাহার নয়নমনোমুগ্ধকর বক্ূপ সকলের আকর্ষণের বিষয়। তিনি সভার উদ্বোধন-সংগীত গাছিলেন “আমরা মিলেছি আজ মায়ের ভাকে”। শুনিয়াছি গানটি এই সভ1 উপলক্ষে রচিত হয়। তখনকার কন্গ্রেস অধিবেশনে আজিকার জনতা ছিল না) এবার মাত্র ৪** প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন

“কিভাপতির প্রাবলী” | শ্রীধুক্ত রবীন্রনাথ ঠাকুর -কর্তৃক সম্পাদিত গোবিন্দলাল দত্ত -কর্তৃক প্রকাশিত! “প্রায় ঘশ বংসর কাল রবীজ্রধাধু বৈফৰ কবিগণের পদাবলী অধ্যয়ন করিয়া! এই সম্পাদকীয় কার্ধে প্রবৃত্ত হইয়াছেন হৃঙরাং বিগ্যাপতির পদাবলী হখাসস্তব নির্দোষ নিভুল হইয়া প্রকাশিত হইতেছে ইতিপূর্বে মুজ্রিত কয়েকটি সংপ্ঠরণে পদের বা টাকার হত ভুল আছে, এই গ্রন্থে প্রায় সে সহস্ত সংশোধিত হইল। ফল কথা, সেই প্রাচীন প্রেঠ কবির কৰিব বুকিতে হইলে-_ এব যাবতীয় বৈফব কবিগণের পদাধলীর ভাষা বুঝিতে ₹ইলে-_ রবীক্রবাবু কতৃক সম্পাদিত এই হুল্দয়, যনোহর পদাবলী সকলেরই ভ্রয় কর উচিত।*"* ১৫* পৃষ্ঠায় উককৃষ্ট কাগজে যুজ্িত। মুল্য আট আন] মা অগ্রহায়ণ মাসের ১৫ই তারিখের [ ১২৯৩ ] মধ্যে প্রকাশিত হইবে পিপল্স্‌ লাইব্রেরীতে প্রাপ্তব্য ৷”

রবীন্র-রচনাকলী ২। তানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী, পৌধ ১৩৪৬ লুনার এই কাহিনীটি লিখিত হইয়াঞ্ে।

বা ১৮৮৬ কড়ি কোষল-পর্ব : ২৪৫

সাহিত্যিক পাবলিক সংবাদাদি ছাড়াও ব্যক্তিগত পারিবারিক সামাজিক সংবাদও দিবার মতো আছে। ২৫ অক্টোবর ১৮৮৬ রবীন্দ্রনাথ একটি কল্তার পিতা হইয়াছেন (৯ কার্তিক ১২৯৩ )। আমাদের মনে হয় সেই নবজাত কন্যার উদ্দেশে এই গানটি লিখিয়াছিলেন, ওছে নবীন অতিথি, তৃমি নৃতন কি ভুমি চিরস্তন। (গীতবিতান, পৃ ৬১১)

সামাদিক সংবাদ হইতেছে আদি ব্রাহ্ধপমাজ সন্দির-গৃহ জীর্ণ হওয়ায় মাঘোতসবের উপাসনা অন্যত্র করিবার প্রয়োজন হয়। ববীন্তরনাথ আদি ক্রাক্ষসমাজের সম্পাদক-রূপে প্রধান আচার্য অর্থাৎ দেবেন্দ্রনাথের নিকট অনুমতি লইয়া (২৫ অগ্রহায়ণ ১২৯৩ ) জোড়া্সীকোর বাড়ির বহিঃপ্রাঙ্গণে মাঘোৎসবের অনুষ্ঠান করিলেন ।১

১৮৮৭ লালের জানুয়ারি মাসের মাধোৎসব আদি ত্রাঙ্মদমাজ মন্দিরে না হইয়া জোড়াস্ীকো। ভবনে আহৃত হইল। সেই হইতে মাঘোৎ্লব ঠাকুরপরিবারের বিশেষ অহ্ষ্ঠান-রূপে বিবেচিত হইতে আরম্ভ করিল আমাদের মনে হয়, আদি ্রাঙ্মদমাজ ঠাকুর-পরিবারের মধ্োই প্রায় নিবন্ধ ছিল, এখন তাহাকে সম্পূর্ণভাবে আপনাদের গৃহে আবদ্ধ করিলেন

যাহা হউক, রবীন্দ্রনাথ মাঘোৎসবের সময়ে নৃতন ছাব্বিশটি গান রচনা! করিলেন। সেগুপির মধ্যে কয়েকটি খুবই পরিচিত, যেমন “অনেক দিয়েছ নাথ' “নয়ন তোমায় পায় না দেখিতে? “বসে আছি হে কবি শুনিব' “সত্য মঙ্গল প্রেমময়” “আমায় ছ-জনায় মিলে পথ দ্বেখায় বলে" ইত্যাদি। এই গানগুলি শুনিলে আশ্চর্ধ হইয়া! ভাবি, কি কড়ি কোমলে'র রচয়িতা যুবক কবির বচনা, না, কোনো ধর্মমাধকের অন্তরের আকৃতিভরা প্রার্থনা ঈশ্বরের প্রতি অক্ত্রিম বিশ্বামপরায়ণত1 আত্মনির্ভরঈীলতা ববীন্রনাথের জীবনেতিহামেব একটি বিশেষ কথা, সেটি তাহার জীবন- আলোচনার কোনো অবস্থায় যেন আমরা বিস্বত না হই।

সমসাময়িক একটি ঘটন! উল্লেখধোগ্য মাঘোৎসবের জন্য কবি যে-সব গান রচনা করিয়াছিলেন, তাহা মহর্ষি শুনিতে চাছিলেন ; তখন মহধি থাকেন চু'চুড়ায়। জ্যোতিরিজ্্রনাথ হারমোনিয়াম বাজাইলেন, রবীন্দ্রনাথ গান গাহিলেন। 'কোনো কোনো! গান ছুবার৪ গাহিতে হইল।'২ গান গাওয়া শেষ হইলে মহধি বলিলেন, “দেশের রাজা! যদি দেশের ভাষা জানিত সাছিত্যের আদর বুঝিত, তবে কবিকে তো তাহারা পুরস্কার দিত। রাজার দিক হইতে ধখন তাহার কোনো সন্তাবনা নাই তখন আমাকেই সে-কাজ কব্িতে হইবে ।' এই বলিয়া তিনি একখানি পাচ-শে! টাকার চেক কবির ছাতে দিলেন। দেশের রাজার কাছ হইতে “অর্থহীন উপাধি পাইবার পূর্বে বিদেশে গুণীসমাজ তাহাকে পার্থক সম্মান দান করে মহুবি এসব দেখিয়া] যান নাই।

পত্রিকাপরিচালনার দায়িত্ব না থাকিলেও তারতীতে লেখা দেওয়ার দায় হইতে ষে একেবারে মুক্ত হইয়াছেন, তাহা নছে। গত বৎসরের মতো অফুরন্ত রচনার প্রেরণা নাই, কিন্তু লেখনী বন্ধ নহে। ১২৯৩ সালের অন্যান্ত রচনার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখষোগা হইতেছে “৫ইয়ালিনাট্য' ; ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রচনা হইলেও তাহাদের ধার ছিল ক্কুবেরই মতো। নবা হিন্দুদের সহিত বিরোধের অবসান এখনো হয় নাই, সময় সুযোগ পাইলেই রবীক্নাথ আঘাত করেন, প্রতিপক্ষও তাহার জবাব দেন; উভয়পক্ষেই মসীবর্ধণ চলে। তবে এখন রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যের সুম্ পথ ধবিয়াছেন। হেয়ালি- নাট্যগুলির মধা দিয়া বাঙ্গ বিদ্ঞপ গ্লেব কৰিয়া প্রতিপক্ষকে আঘাত করিতেছেন। গত বৎসরের 'বালক* প্রকাশিত নাটক হইতে এবারকার রচনাগুলি অন্ত ধরনের এবারকার রচনার ব্যঙ্গাদি অত্যন্ত স্পষ্ট, উদ্দেশ প্রকট, কাহাকে আঘাত করিতেছেন তাহা বুঝ! ঘায় সহজে; সেইজন্ত সাহিত্যের দিক হইতে রচনাগুলি দূর্বল। এই লময়ের নাটক হইতেছে-_ অস্ত্যেন্টিলংকার, আশ্রমপীড়া, রসিক, গুরুবাকা, একান্নবর্তী পরিবার, সুক্মবিচাৰ প্রতৃতি।* তত্বহোহিনী পঞ্জিকা, জগ্রহথাণ ১২৯৩।

নয়ন তোমায় পায় ন। দেখিতে ( তন্ববোধিনী পত্রিকা, ফান্তুদ ১৮*৮ শক (১২৯৩) ) গানটি গুনিয়! মহবি হিশেহভাবে প্রীত হল ১. হস্োষ্টিনংকার, ভারতী বালক, ভাত্র-আতিন ১২৯৩, পু ৩১৬-২৯। হ. আশ্রমপীড়া, ভারতী বালক কাতিক পৃ ৪২১-৩১।

২৪৬ যবীন্জ্জীবনী খাব ১৯৮৭

যাহা হউক, সাহিত্যন্থ্ীর দিক হইতে কবি একটি বড় কাজ এই বৎসর সমাধা করিলেন; গত বৎসর বালকে 'রাজধি"* উপন্যাসটির প্রকাশ অসম্পূর্ণ থাকিয়া যায়-_ মাত্র ২৬টি অধ্যায় বাহির হয়। অবশিষ্ট ২৭শ হইতে ৪৪শ পরিচ্ছেদ লিখিয়া এবার গ্রস্থখানি শেষ করিলেন ১২৯৩ সালের আশ্বিন (?) মাসে উহা প্রকাশিত হয়।

রবীন্দ্রনাথের মতে “উপন্তাসটা সমাপ্ত হয়েছে পঞ্চদশ পরিচ্ছেদে।” অর্থাৎ জয়সিংহের আত্মহত্যায়-_ যেখানে বিসর্জন নাটকের সমাধ্চি। পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ শেষ করিলে উপন্তাস হইত নাঁ_ হইত মুকুটের ন্যায় একটি “বড়' ছোটগল্প কবির মতে রাজধির অপরাংশে “ফসল-খেতের যেখানে কিনার! সেদ্দিকটাতে চাষ পড়ে নি, আগাছায় জঙ্গল হয়ে উঠেছে। সাময়িক পত্রিকার অবিবেচনায় প্রায়ই লেখনীর জাত নষ্ট হয়।" কিন্তু মুশকিল হইয়াছে রবীন্দ্রনাথ কেন-_- অনেক প্রতিষ্ঠাবান লেখকের উপন্যাস প্রথমে পত্রিকার মাধ্যমেই প্রচারিত হয়। কিন্তু 'রাজধি'র তো মাত্র ছাব্বিশ পরিচ্ছেদ “বালক” পত্রিকায় বাহির হয়, রবীন্দ্রনাথ হ্বেচ্ছায় উহাকে দীর্ঘ করিয়াছিলেন, তখন সাময়িক পঙ্জরের দায় হইতে তো মুক্ত

রাজধি উপন্যাস মধ্যে যুবক রবীন্দ্রনাথের উত্তরকালের আদর্শ জীবন-যাপনের বহু ভাবনার আলোচনা দ্বেখিতে পাই। শিক্ষা-পদ্ধতি, সঙ্ঘজীবন, ধর্মজীবনের যেসব আলোচন! বয়োবৃদ্ধিকালে কবি নানা সময়ে আলোচনা করিয়াছিলেন, সে-সবের ভূমিকা যেন পাই এই গ্রন্থে। অহিংস যুদ্ধ না-করিয়! শত্রুকে জয় করিবার আদর্শ ইতিপূর্বে কোনো উপন্তাসে প্রচারিত হইয়াছিল বলিয়া জানা নাই বাজধি উপন্তাসকে এই দিক হইতে গতীরভাবে বিচার আলোচনার স্থপ্রশস্ত ক্ষেত্র গবেষকদের জন্তু অপেক্ষা করিতেছে

রাজি প্রকাশিত হইবার জন্য প্রস্তুত হইতেছে; ইতিমধ্যে ১২৯৩ সালের কাতিক মাসের মধ্যে 'কড়ি কোষল' মু্রিত হইয়া গেল ( নভেম্বর ১৮৮৬ )।

কাবো মধ্যে আত্মপ্রকাশের নৃতন রীতি দেখা দিলে সাহিত্য-জগতের সনাতনী স্বাস্থারক্ষীর দূল আগন্ধকদের আবিভাবকে চিরকালই অবজ্ঞার ছারা, রূঢ় সমালোচনার দ্বারা বিলোপ করিতে প্রয়াসী হন। “কড়ি কোমলো'র আবির্ভাব বাংলাপাহিত্যে বেশ চাঞ্চল্য স্ষ্টি করিয়াছিল। ইহার কবিতাগুলি বাংলাদেশের চিরাচরিত সৌন্দধবোধেন্র ৃষ্টান্তকে অনুসরণ করে নাই) নরনারীর প্রেমের গতাহ্ছগগতিক বর্ণনা-পাঠে-অভ্যন্ত পাঠকদের কাছে ইহা কাব বিপ্রবের স্যায় প্রতিভাত হুইল। অতভ্যামগত পরিচিত রীতি রুচি রস হইতে এই কবিতা সম্পূর্ণ পূথক। তঙ্জন্য নিবজীবনে'র বিজ্ঞ সম্পাদক এই কাব্যকে “কাব্যি' বলিয়া ব্যঙ্গ করিলেন দেড় বনর পরে কালীপ্রসঙ্ন কাব্যবিশারদ “রাহ রচিত” কম্পিত নাম দিদা “কড়ি কোমলে'র একটি বঙ্গ অহকৃতি “ইহা কড়িও নহে, কোমলও নহে, পুরো হবে মিঠে কড়া” নামে প্রকাশ করেন।

আমাদের মনে হয়, রবীন্দ্রনাথ নবজীবনের সমালোচনা পাঠ করিয়া কড়ি কোমলের নৃতন কাবারীতির সমর্থনে পরোক্ষভাবে জবাব দেন “কাব্য : স্প&ই অন্প্"* শীর্ধক প্রবন্ধে। নিজের রচনার সমর্থনে কৈফিয়ত বা সাফাই

৩. রসিক, ভারতী বালক, ফান্তুন পৃ ৬৮*-৮৩। ৪. গুরুবাকা, ভারতী বালক, চৈত্র পৃ ৭১৮-২২। ৫. দৌলতচন্ত্র কানাই, একাবরতী পরিবার, ভারতী ধালক, বৈশাখ ১২৯৪ পৃ ৪৯.৫৬। রবীজ্র-রচনাবলী ৬।

রাজধি, বালক, আবাড় ১২৯২ (১-৩ পরিচ্ছেদ )। শ্রাবণ (৪ ৬)। তাক (৭-১)। আঙিব-কাতিক (১*-১৮)। অগ্রহায়ণ (১৯-২২)। পৌষ (২৩২৪)। মা (২৫-২৬)। ১২৯৩ আঙ্বিন মাসে ৪৪শ পরিচ্ছে, ২৪২ পৃষ্ঠায় সম্পূর্ণ আকায়ে 'রাজধি' প্রকাশিত হছ। খেল লাইব্রেরিতে লিপিবদ্ধ হয় ১১ ফেব্রুয়ারি ১৮৮৭ [ ৩* মাঘ ১২৯০ ]। ত্র. রবীন-প্ন্থ-পরিচয়। রাজধি। বিশ্বভারতী | প্রপ্রপান্তচন্্র মলানবিশ “কর্তৃক তৃতীয় সংস্করণের পাঠপরিচয়। ১৩ মাঘ ১৩৩১ রবীন্্-রচনাধলী ২, পু ৬৭৩। রস্থপরিচয় পৃ ৬৪৯.৫*।

সাহিত্যের উদ্দেঞ্ড। ভারতী, বৈশাখ ১২৯৪ সাহিত্য ( ১৩৬১ সংস্করণ ) পূ ১৭৬৭৬ রবীজর-রচদাবলীতুক হয় নাই।

ধীষ্টান্ধ ১৮৮৭ কড়ি কফোষল-পর্ব : ২৪৭

তিনি পয়ে কয়েকবার করিয়াছেন এই প্রবন্ধে বিশ্বদ্ধ বস ব্বীতির মাপকাঠিতে তিনি সাহিত্যকে বিচার করিতে চেষ্টা করিলেন, ধর্মনীতি ব! প্রাচীন রীতির দিক দিয়া নছে। কবি লিখিলেন ষে সাধারণত দেখা যায় একদল লোক অত্যন্ত স্পষ্ট কবিতা না পাইলে কবির কবিত্ব স্বীকার করেন না। ম্পষ্টকাব্যের অন্ততম পৃষ্ঠপোষক এক লমালোচক কবিকন্কণ মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর চণ্তীমঙ্গল কাব্য হইতে নিয়পঙ্ক্তিয় ছুঃখবর্ণনার চরম প্রকাশজ্ঞানে উদ্ধৃত করিয়া! রবীন্দ্রনাথ-প্রমুখ কাব্যের অস্পষ্টতাবাদীদের সম্মুখে কাব্যসৌন্দর্ধের আদর্শ স্থাপন করিলেন। দুঃখ কর অবধান, ছুঃখ কর অবধান। আমানি খাবার গর্ত দেখ বিদ্যমান

এই পঙ্ক্তিত্বয় সম্বন্ধে উক্ত লেখক বলিয়াছিলেন, “সার্থক কবিত্ব; সার্থক কল্পনা ; সার্থক প্রতিভা | রবীন্দ্রনাথ স্পষ্টকাব্যবাদীর এই উচ্ছাস উদ্ধৃত করিয়া বলিলেন-- “কোনো দুঃখ অতিশয় স্পষ্ট হইলেই কবিত] হয় না, তাহ] হইলে তুমি খাও ভাড়ে জল আমি খাই ঘাটে' ইত্যার্দিও কবিতা হইত। প্রকৃতির নিয়ম-অনুসারে কবিতা কোথাও স্পষ্ট কোথাও অন্পষ্ট, সম্পাদক এবং সমালোচকেরা তাহার বিরুদ্ধে দরখাস্ত এবং আন্দোলন করিলে তাহার ব্যতিক্রম হইবার যো লাই ।-.. ধাহাবা যনোবুত্তির সম্যক অনুশীলন করিয়াছেন তাহারাই জানেন, যেমন জগৎ আছে তেমনি অতিজগৎ আছে। সেই অতিজগৎ জানা এবং না-জানার মধ্যে, আলোক এবং অদ্ধকারের মাঝখানে, বিরাজ করিতেছে মানব এই জগৎ এবং জগদ্তীত রাজ্যে বাস করে। তাই তাহার সকল কথ! জগতের সঙ্গে মেলে না এইজন্ত মানবের মুখ হইতে এমন অনেক কথা বাহির হয় যাহা আলোকে অন্ধকারে মিশ্রিত) যাহা বুঝ! যায় না, অথচ বুঝা যায়। যাহাকে ছায়ার মত অহ্ভব করি, অথচ প্রত্যক্ষের অপেক্ষা অধিক সত্য বলিয়া বিশ্বাস করি। সেই সর্বতব্যাপী অলীম অভিজগতের রহস্ত কাব্যে ধখন কোনো কৰি প্রকাশ করিতে চেষ্টা করেন তখন তাহার ভাষা সহজে বহন্রময় হইয়া] উঠে ।” বলা বাহুল্য, যুক্তি কবির নিজের বচনার সমর্থনে রচিত বৈষ্ণব-কবিতা কেক পড়্ক্তি উদ্ধৃত করিয়া বলিলেন ঘে অনেক সষালোচকের কর্ণে হয়তো এগুলি ধুয়া এবং ছায়া এবং “কাব্য বলিয়া ঠেকিবে। নবজীবনের লেখক কড়ি কোমলকে “কাব্যি' বলিয়াছিলেন, এইটি তাহার জবাব।

সাহিত্যের মধ্যে “কাব্য : স্পষ্ট অন্পষ্ট' লইয়া আলোচনার সুত্র ধরিয়া ব্যাপকতর অনেকগুলি প্রশ্ন উঠিল-__ লাছিত্যের উদ্দেশ্ট কী, সাহিত্যের সহিত মানব-সভ্যতার সম্বন্ধ কী, সাহিত্য-হ্্টির প্রেরণা কোথায়? এই সমস্ত আগোচনার গৌণ উদ্দেন্ট অপরকে বুঝানো-_ নিজের সঙ্গে নিজের বুঝাপড়াই রচনার মুখা উদ্দেশ্া।

আবেগের জোয়ারে সুন্দর আসিয়াছিল, আবেগের অস্তে ভাটার দিনে তাহার নগ্ন কঙ্কাল-মৃতি যেন প্রকাশ না পাস়। তাই নিজে স্থটকে কবি নিজেই বিচার করেন, লৌন্দর্ধের কষ্টিপাথবে ঘবিয়া দেখেন যে তাহার সৃষ্টি বশিষ্টের জগৎ- হরির সায় জলীক কি না। লাহছিত্যের উদ্গেশ্ট কী-_ এই হইতেছে শাশ্বত প্রশ্ন রবীন্রনাথ বলিতে চান সাহিত্য- স্যতির কোনোই উদ্গেশ্ট নাই আষ্টার আনন্দই সাহিত্াস্ইির কারণ উদ্ছেশ্ট-_ অনেকটা ৪৫ 600 82:05 5৪16 মতবাদের সমর্থন বলিয়া মনে হয়। “লিখিতে হইলে যে বিষয় চাইই এমন কোনো! কথা নাই ।-. বিষয় বিশুদ্ধ সাহিত্যের প্রাখ নছে।..' বিশুদ্ধ সাহিত্যের মধ্যে উদ্দেশ্ট বলিয়া যাহা! হাতে ঠেকে তাহা আহ্ষঙ্ষিক এবং তাহাই ক্ষণস্থা্বী।”১ কবি এই প্রবন্ধেই লিখিতেছেন, “স্তির উদ্দেন্ত পাওয়া! যায় না, নির্যাণের উদ্দেশ্য পাওয়া! যায়। ফুল কেন ফোটে তাহ! কাহার লাধ্য অছ্ষান করে) কিন্তু ইটের পাজা কেন পোড়ে, স্থরকির কল কেন চলে, তাহা সকলেই জানে। সাহিত্য সেইকপ স্থজনধর্মী ১... স্হর সভায়, সাহিত্যই সাহিত্যের উদ্দেশ্ট ।” সাহিত্য সম্বন্ধে এই মত যে তিনি

সাহিতোর উদ্দেস্তী। ভারতী, বৈশাখ ১২৯৪। সাহিত্য ( ১৩৬১ সংস্করণ ) পু ১৭৩-৭৯। রবীন্র-রচনাবলীভুক্ত হয় নাই

২৪৮ ববীজর্জীবনী গষ্টান্ধ ১৯৯৭

বরাবর পোষণ করিয়াছিলেন তাহা নহে, এবং উহ! যে অভ্রান্ত তাহাও বলা আমাদের উদ্দেশ্ট নহে কবি এই সময়ে কিভাবে নিজ মতকে সমর্থন করিতেছেন তাহাই দেখানো আমাদের কর্তবা।

সাহিত্যন্থির অন্তরায় কোথায় এবং কোন্‌ অশ্কৃলতার মধ্যে উহা! পূর্ণ বিকশিত হইতে পারে, প্রশ্ন প্রসঙ্গত উঠাই স্বাভাবিক। সভ্যতার সহিত সাহিতোোর সম্বন্ধ অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ রবীন্দ্রনাথের অভিযোগ এই যে, বর্তমান মাস্থষের জীবন মন বহিমু্খীন উত্তেজনা অনবসরের মধ্যে আকণ্ঠ নিমজ্জিত, তাহার জীবন কেবল রাজনীতি সমাজনীতির সমশ্া। সমাধান চেষ্টায় বিপধস্ত ; তাহার না আছে অবসর, ন। আছে শান্তি ইংরেজি সাহিতোর মধ্যে ক্রমেই যে-বিশুদ্ধ সাহিত্যরসের অভাব দেখা দিতেছে, তাহার কারণ ইংবেজের এই অন্বাভাবিক জীবন-যাপন তাই সেখানে সাহিত্যরসধারা পদে পদে বাধাগ্রস্ত “অসীম স্থত্টিকাধ অসীম অবসরের মধো নিমগ্র” এই সহজ কথাটি ইংরেজ ভুপিয়া আছে; তাহার জীবনে অবমর তো! নাইই, অবসরের প্রয়োজনীয়তা সে অনুভব করে না।,

অবসবৃহীন জীবন সাহিত্যস্থছির অস্তরায়-_- এই তত্রটি বহু বৎসর পরে কানাডায় (এপ্রিল ১৯২৯) 706 01)110- ৪০০1) 0 1.০15406 নামে বক্তৃতায় ব্যাখ্যা করেন আলোচাযুগের প্রবন্ধে মেহ কথাটিই অস্পষভাবে বলিলেন। সাধারণ লোকে অবসর আলম্তকে প্রায় প্রতিশক মনে করে। কৰি এই দুইটির মধো পাথক্য কোথায় তাহা খুব স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করিলেন, “সাহিত্য মানবসমাজের জীবন স্বাস্থা উদ্যমেরই পরিচয় দেঁয়।... সুশৃঙ্খল অবসর মে তো প্রাণপণ পরিশ্রমের ফল, আর উচ্চ্ঙ্খল জড়ত্ব অলসের অনায়ামলন্ক অধিকার উন্নত সাহিত্য... উদ্ভমপৃণণ সজীব সভ্যতার সহিত পংলগ্ন স্বাস্থাময়, সৌন্দ্ধময়, আনন্দময় অবসর 17২

বন্কাল পরে শিলাইদহেব পদ্মাতীবে বাসকালে এই তবটি সম্বন্ধে কবি একখানি পত্রমধো লেখেন, “কোনো জিনিন যথার্থ উপভোগ করতে গেলে তার চতুর্দিকে অবসরের বেড়া দিয়ে ঘিরে নিতে হয় তাকে বেশ অনেকখানি মিলিয়ে দিয়ে ছড়িয়ে দিয়ে চতুর্দিকে বিছিয়ে দিয়ে তবে তাকে ফোলো আনা আয়ত্ব করা যায়।”

এই উক্চি রবীন্দ্রনাথের পক্ষেই মত্য উক্তি, কারণ তাহার ন্যায় নিরলস জীবন খুব কম ধনীর পুত্র যাপন করিয়াছেন। সুশৃঙ্খল অবসর সে তো প্রাণপণ পরিশ্রমের ফল'__-এ কথা তাহারই লেখনী হইতে বাহির হইতে পারে কিন্ত তাই লিন উদ্নগ্র কর্ধপ্রচেপ্রীকেও জীবনের চরম লক্ষ্য বলিয়া কখনো! স্বীকার করেন নাই। কর্ম অবসর দিবা বাতির স্তায় পরম্পরের পরি-পৃরকরূপে তাহার জীবনকে একটি সুষ্ঠ সমগ্রতা দান করিয়াছিল স্থলংগত জীবনযাপন ছিল তাহার আর্টিস্ট জীবনের কাম্য।

১২৯৪ সালে (২৬ মার্চ ১৮৮৮) ব্ুবীন্দ্রনাথের প্রথম “সমালোচনা? গ্রন্থ প্রকাশিত হইল। “সতোর অংশ, ছাড়া নকল প্রবন্ধ ভারতীতে ১২৮৭ সাল হুইতে ১২৯১ পালের মধ্যে প্রকাশিত হইয়াছিল, অর্থাৎ বচনাগুলি কবি ১৯ হইতে ২৩ বৎসর বয়সের মধ্যে লিখিত সকল প্রবন্ধই সাহিত্যবিষয়ক সমালোচনা গ্রন্থথানি প্পূজনীয়! প্রীমতী জানদানন্দিণী দেবীর করকমলে সেছের সামান্ধ প্রতিদান স্বরূপ সমমদিত হইল ।”

সাময়িক একটি সামাজিক আহ্বানের কথা বলিব ১৮৮৭ ইন্টারের সময় (১+ এপ্রিল ) অধ্যাপক প্রসন্ধকৃমায় বায় (105. 0. ঘু. 2০9 ) -কর্ঠুক আন্ত কলেজের ছাত্র-সশ্দেলন উপলক্ষে দুইটি গান রচন! করিয়া কবিকে গাছিতে হয়। গান দুইটি-_- 'আগে চল্‌ আগে চল্‌ ভাই' “তবু পারি নে সঁপিতে প্রাণ'

সাহিত্য সভ্যতা, ভারভী, বৈশাখ ১২৯৪। সাহিতা (১৩৬১ সংস্করণ )। পৃ ১৭৮ ৮২। রবীন্-রচনাবলীতুক্ত হয় নাই

আলম সাহিতা, ভারতী, শ্রাবণ ১২৯৫ পৃ২*৫। সাহিত্য, (সংস্করণ) ১৩৯১। পৃ ১৮৬৯৩) রবীন রচনাবলীতুক হয় নাই।

জার্গে চল, ভারতী, বৈশাখ ১২৯৪ গীতবিতান ৩, পৃ ৮১৭। ইহার প্রথম সংস্করণে কবি-কর্তৃক বঙঞ্গিত হইয়াছিল। প্রাণ সমর্পণ *তষু পারি নে'-_ ভারতী, বৈশাখ ১২৯৪ | গীতবিতান, ১, পৃ ২৫৩।

এটাক ১৮৮৭ “মানলী'র যুগ £ ১। “ছিন্দুবিবাহ" ২৪৯

বিশ বৎসর পরে স্বদেশী আন্দোলনের যুগে 'দেশনায়ক'১ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ দ্বিতীয় গানটির কিয়দংশ উদ্ধৃত করিয়!

দেশবাসীকে আবেদন ককিমাছিলেন যে যদি আমরা সতাই আবেদন নিবেদনের থালা নামাইয়া হাত খোলল! করিয়া থাকি, তবে পরের 'পরে অভিমানটুকু কেন রাখি অভিমানের মধ্যে প্রচ্ছন্ন দাবি থাকে এবং সে-দাবি বলিষ্টের দাবি নহে। এই গীতদ্বয় রচনাকালেও যুবক-কবির মনে সেই ধিক্কারই জাগিয়াছিল। শেষোক্ত গানটির কয়েকটি পর্ক্তি-_

কথার বাধুনি কাছুনির পালা, চোখে নাই কারো নীর-_

আবেদন আর নিবেদনের খালা বহে বহে নত শির।

কাদিয়ে সোহাগ, ছি ছি একি লাজ, জগতের মাঝে তিখারির সাজ,

আপনি করি নে আপনার কাজ, পরের "পরে অভিমান

মানসী" যুগ : ১। “হিন্দুবিবাহ'

“জীবন আছিল লঘু প্রথমবয়সে'__ কবি আছেন পার্ক গ্রীটের বাসায় ছুই-চাবিটা কবিতা, বন্ধুবাদ্ধবকে ছুই-একখানি পত্র, সাহিত্া সগ্ন্ধে ছুটো-একটা প্রবন্ধ ব্যতীত বিশেষ কিছু রচনা! চোখে প্রড়ে না যেসব কবিতা পরে “মানমী' কাবাখণ্ডে সংগৃহীত হয়, তার কয়েকটি ১২৯৪ সালের গোড়ায় রচিত হয়, যেমন "ভুলে" “ভুল-ভাঙা” শ্রীশচন্দ্রকে লিখিত 'পত্'__ সবগুপিই বৈশাখ মাসে লেখা জোষ্ট মাসে “বিবহানন্দ' ছাড়া কবিতা নাই আবাঢে লেখেন 'শৃন্ত হৃদয়ের আকাঙ্ক্ষা “সি্ধৃতরঙ্ষ' | শেষ কবিতাটি পৃথক ধবুনের রচনা, সম্পূর্ণ বিভিন্ন অভিঘাতে রচিত। অল্পকালের ব্যবধানে কবিতাগুলি রচিত বলিয়া এগুপিকে একই ভূমিকায় দেখিতে চেষ্টা করা ম্বাভাবিক। রবীন্দ্রনাথের ন্যায় বিচিত্রক্কপী কবির সকল জীবনকথা বাহিরের দিক হইতে বিচার করিতে গেলে ভুলের সম্ভাবনা থাকিয়া ঘায় সত্য, আবার অন্তর্জগতের অন্ুভূতিলোকে যে-নুক্ষ ঘাতপ্রতিঘ্বাত চলে তাহার সন্ধান দেওয়াও স্থকঠিন। কিন্তু মানসক্ষেত্রে বাহিরের অভিঘাত বা প্রেরণা যে লিরিক লৃষ্টিব অন্কতম কারণ তাহা! আমরা অঙ্থীকার করিতে পারি না রবীন্দ্রনাথের কাৰা- স্ট্টিব অন্তরালে সেইরূপ কারণ ছিল কি না তাহ! আবিষ্কার করা কঠিন হইতে পারে, কিন্ত কারণের অস্তিত্বকে অস্বীকার করা ঘাইতে পারে না।

রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং বু বংসর পরে '্বানসী' কাষোর আলোচনা উপলক্ষে শ্বীকার করিয়াছিলেন, মানসীর প্রথম পাচ-ছয়টি কবিতা বেদনার কবিতা এই কাব্য দুঃখের কথায় শুক হইল কেন, কবি বহুবিস্তারে তার বিচার করিদ্থাছেন বটে, তবে সে-বিচার হইয়াছে কাবাপ্রেরণার মুহূর্ত হইতে অর্ধশতাব্ষীর পরে ; সুতরাং র্টা রবীন্দ্রনাথ হইতে ক্রিটিক রবীন্দ্রনাথের বাবধান সত্যকার বলিয়া আমরা তাহার ব্যাখানকেই চরম বলিয়া মানিতে পারি না। যাহা হউক, রবীন্দ্রনাথের মতে “কবির চিত্তের ছুটি পর্ব বা অধ্যায় থাকে এক অধ্যায়ে সে তার জীবনের গভীর বেদনাকে প্রকাশ করে বলতে চায়, সেই বলার জন্তে তার মন অস্থির হয়ে পড়ে এই-যে তার বেদনা-গ্রকাশের ব্যাকুলতা, এটা তাকে অতিমাত্রায় চঞ্চল করে তোলে। তার জীবনের আর-একটা দ্বিকও আছে; সে-অধ্যায়ে সে বেদনার উৎস হইতে প্রাপ্ত ভাবকে জীবনের সুখছু:খের সঙ্গে মিশিয়ে প্রাণমন্ধ রলের শির জন্ত ব্যস্ত হয়ে ওঠে। এই-ষে স্তর আবেগ এটা তাকে এমন-একট1 রসোপলব্ধির মধ্যে নিয়ে যায় ঘেটা প্রকৃতপক্ষে ছুঃখ নয়, বেদনাও নয়, তা হচ্ছে দুঃখবেদনার দেশমার়ক | সমুহ রবীন্-রচনাহলী ১০, প্র ৪৮৮। সঙ্গিযাবন্দ চত্রত্তী, বাংল! সধালোচনা-সাহিজোর ধারা, যেখ। ২৫ বৈশাখ ১৩৬১, প্‌ ৯৭-১০৮।

৩২

২৫৩ ববীন্দ্রজীৰনী খ্রী্টান্ধ ১৮৮৭

অতীত এমন-একটা বস্ত যা বর্তমানের সীমাকে অতিক্রম করে, চিরস্তনের মধ্য নিজের প্রতিষ্ঠা চায়। কবি তার কাবো, রচনায়, জীবনের দৈনন্দিন হৃখছুঃখের মধ্যে ঘা পান মেইটেকেই দৈনন্দিন গপ্ডির থেকে পার করে নিয়ে চিরস্তনের স্থরে তাকে দেন বেধে এই চিবস্তনের মধ্যে নিজের জীবনের অনুভূতিকে প্রকাশ করাই কবির ধর্ম”,

“মানসী'র কবিতাগুলির মধ্যে যে-স্তরতেদদ আছে, ত। কৰি স্বীকার করিয়াছেন। প্রথম পবের সহিত দ্বিতীয় পর্বের তফাতটা কৰি বিঙ্লেষণ করিয়া দেখাইয়াছেন। তিনি বলেন, প্প্রথম পর্বে কবি নিজেকে ঘোষণ! করেন অর্থাৎ কারও কাছে দরদ আদায় করবার ইচ্ছেটাই তার তখন প্রবল। ছ্িতীয্ন পরে কবি বেদনাকে অবিকল ব্যক্ত করেন না, তখন তিনি স্থটি করবার জন্য স্থুখছুঃখের মীমাকে অতিক্রম করে যান। প্রথম পর্বের মতন অন্যের কাছে নিজেব বেদনার জন্ত দরদ প্রার্থনা করেন না।”১

মানসীর প্রথম দিকের কৰিতাগুলিতে “কবির হৃদয়ের আবেগ রয়েছে কিন্তু কবিতার শেষ কথা তো তা নয়। হদয়ের আবেগ কবিতার উপকরণ বা মসলার মতন, সেইসব উপকরণ থেকে সৃষ্টি হয় সৌন্দযের, সেই সৌন্দর্ঘস্থ্ি স্থচারুরূপে সম্পন্ন করলে কবি তখন ভুলে যান তুচ্ছ দিকের কথা তখন সেই আবেগকে উপলক্ষ করে মনের বেদনার ভিত্তিভূমিতে সৃষ্টি করতে চান শিল্পকুশলতায় হ্ুন্দবকে | অর্থাৎ তিনি শিল্পরচনা করেন যাতে ভার সথখছুংখ সাময়িক আবিলতামুক্ত হয়ে চিরস্তনের বুকে গেঁথে যায় নির্যাল্যে। এই শিল্প্থপ্টকে গৌণভাবে বলতে পারা যায় অটোবায়গ্রাফি, কিন্তু মুখাভাবে হচ্ছে আপনার রচনাকে আপনার সুষ্টিকে চিরস্থায়ী করবার আগ্রহ ।”১

মানসীর প্রথমন্তরের কবিতাগুলির মধ্যে যে-একটি বিষাদমাথা ভাবন। চাপা রহিয়াছে, তাহ! অস্পষ্ট নহে “কড়ি কোমলে' কবি বলিয়াছিলেন “কাহারে জড়াতে চাহে ছুটি বাহুলতা' কিন্তু আজ প্রেমের ভুল কি ভাঙিঘ়্াছে। তাই কি কৰি “ভুল-ভাঙা” কবিতায় লিখিলেন__

বাহুলতা শুধু বন্ধনপাশ বাহুতে যোর।... বা স্বর শুনে আর উতলা ভ্বদয় উলি উঠে না সার! দেহ্ময়,... কিংবা বসস্ত নাহি ধরায় আর আগের মতো,

জ্যোত্ম্বাযায়িনী যৌবনহারা জীবনহত।২ কবির কাছে প্রেমের বিরহটাই আজ বড় হইয়] উঠিয়াছে, যেন বৈষ্ণব কাব্যও বিরহের বর্ণনায় পূর্ণ “বিবানন্দে' কবি লিখিতেছেন-_ বিরহ হুমধুর ছল দূর কেন রে? মিলনদাবানলে গেল জলে যেন রে ।* কিন্ত ইহাও কবিচিত্তের* সত্যর্কূপ নহে কবির বায় শূন্য থাকিতে পারে না? শৃন্ব হদয়ে আকাঙ্ষ! জাগে, তাই তিনি বলিলেন-_ আবার মোরে পাগল করে দিবে কে 1?" এবং তাহার বাণী দিবে গো আনি সকল বাণী বাহিয়া। পাগল করে দিবে সে মোরে চাহিয়া ।* “মানসী' কাব্যপাঠের তৃষিকা : শান্তিঝিকেতনে মানদী-অধাপনাকালে কথিত 'দেশ' পত্রিকা হইতে প্রধাসী, ব্বাস্দিন ১৩৩৭ সংখ্যায় পুরমু জিভ। ভূল-ভাঙা, মানসী, রবীজ-রচনাষলী ২, পৃ ১২১। বিরহানন্দ, মানসী, রবীন্র-রচনাবলী ২, পূ ১২৪। “মাবসী" কাব্যপাঠের ভূমিকা : শান্তিনিকেতনে যানসী-জধ্া।পনাকালে কখিত। 'দেশ' পত্রিক| হইতে প্রবাসী, আন্বিন ১৩৬৪৭ সংখ্যায় পুনমূ-ক্িত। পুত হদয়ের আকাঙ্জা, মানসী, রবীজ-রউনাবলী *, পৃ ১২৭।

ফি গু শক চর

ধীষ্টাব ১৮৮৭ “মানসী'র যুগ : ১। “হিন্দুবিবাছ' ২৫১

লঘুভাবে রচিত 'পত্র'মধ্যেও কবির অজ্ঞাতে, অকারণে এই বিরহের কথাটাই ঘনাইয়া উঠিয়াছে। 'মানসী'র কবিতাগুচ্ছ যেন 'কড়ি কোমলে'র সম্ভোগ শাস্তির বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া, ছন্দের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ “কড়ি কোমলে'র কেন্দ্রীয় কবিতাগুলি প্রায়ই চতুর্দশপনদী চোচ্গটি পড়্কির মধ্যে শেষ এক ছন্দে ভাবরাশিকে যত সংহত এমনকি খর্ব করিয়া প্রকাশ করিতে হুইয়াছিল। “মানসী'র নূতন কবিতা কবির সেই বন্ধনমুক্ত আনন্দের স্থত্ি। প্রথমতঃ, কবিতাগুলি পরিমিত স্থানের মধ্যে আবদ্ধ নছে?; দ্বিতীয়তঃ, ছন্দে শ্বাধীনতা আনাতে রচনারীতিতে নৃতন শক্তি আসিল। এ-বৎসবের গোড়ার দিকে কবিতা! খুবই কম। আধাঢ়-শ্রাবণে মাত্র তিনটি কৰিতা-_ "শূন্ত হৃদয়ের আকাঙ্ছা' 'সিন্কৃতরঙ্গ' শ্রীশচন্দ্রকে লিখিত শ্রাবণের পত্ত্র' (১২ শ্রাবণ ১২৯৪ )। “সিন্কুতরক্গ” পুরী-তীর্ঘযাত্রী তরণীর নিমজ্জবন উপলক্ষে রচিত।; কবি তখন ৪৭ পার্ক স্ত্রীটের বাড়িতে থাকেন এই নিদারুণ সংবাদ পাইয়া! মনে নানা প্রশ্ন জাগিতেছে__ প্রাণহীন মন্তরতা. না! জানে পরের বাথা, | নাজানে আপন ।'- এমন জড়ের কোলে কেমনে নির্ভয়ে দোলে নিখিল মানব 1২ কবিতা লিখিবার সময় কবিরা ঘে-তীবর আবেগ অন্গতব করেন তাহা! যদি স্থায়ী হইত, তবে তাহারা কখনোই জীবনের শেষ পর্যন্ত সহজ প্ররুতিস্থ মান্ধষ থাকিতে পারিতেন না! “অগ্রতরী' লিখিবার কালে যে-তীব্র বোনা অনুভব করিয়া আবেগ প্রকাশ করিয়াছিলেন, তাহা কবিতা রচনার সঙ্গেমঙগেই শেষ হইয়া যায়। তার পর অত্যন্ত হালকা মনে আছেন। হঠাৎ শ্রাবণ মাসে মনে পড়িল জন্মদিনের কথা-_ দু-বছর আগে ছিলেন পচিশ, এইবার হইয়াছেন সাতাশ ঘটনাটি যেন অতাস্ত অভাবনীয় বলিয়া তাহাকে হঠাৎ আঘাত করিতেছে। শ্রীশচন্দ্রকে একখানি পদ্ধে লিখিতেছেন, “কিন্ধু সাতাশ হওয়াই কি কম কথা। কুড়ির কোঠার মধ্যা্ছ পেরিয়ে ত্রিশের অভিমুখে অগ্রসর হওয়া। জিশ অর্থাৎ ঝুনেো অবস্থা অর্থাৎ যে-অবস্থায় লোকে সহজেই রসের অপেক্ষা! শ্কের প্রতাশা কবে_ দিষ্ক শশ্তের সম্ভাবনা! কই |" পাকা কথা কিছুতেই বেরোয় না শ্রশবাবু। যাতে পাচ জনের কিছু লভা হয় এমন বন্দোবস্ত করতে পারছি নে। ছুটে! গান বা গুজোব, হালি বা তামাশা, এব চেয়ে বেশি আর কিছু হয়ে উঠল না1.' পচিশ বংসর পর্প্ব কোনো লোককে সম্পূর্ণ জানা যায় না... কিন্তু সাতাশ-বৎসরে মানৃষকে এক রকম ঠাহর করা যায় বোঝা যায় তার যা হবার তা একরকম হয়েছে... লোকের জীবনে হঠাৎ আশ্চর্য হবার আর-কোনো কারণ রইল না।... নৃতন প্রেমের আশাও রইল না, নৃতন বিরহের আশঙ্কাও গেল। অতএব একরকম মন্দ নয়। জীবনের আরামজনক স্থায়িত্ব লাভ করা গেল।”* 'জীবন আছিল লঘু'__ তাই এঁ দীর্ঘ পত্র বন্ধুকে লিখিয়া, আবার উহারই কিয়দংশ কবিতায় রচনা করিলেন-_ এত অবসব কয়জনের থাকে অবশ্য বৃদ্ধবয়সে পরীক্ষা) অনেকে করেন। কিন্ত হঠাৎ একদিন বড়রকম এক কাঙ্জের আহ্বান আসিয়া হাজির। পার্ক দ্ীটের বাসায় আছেন; বাংলার

1০616৮৩৫৩91: 1087 [7৪ আ০০০ নামে ছুইথানি ল্টীধার বঙ্গোপসাগরে এবল খড়ে পড়িয়া "ডুবিয়া বায় (২৫ যে ১৮৮৭। ১২ জোট ১২৯৪)। ৭৩৫ জন লোকের প্রাণনাশ হয়। 0.2. 9908157, 08801 এল 06 [নলতোঞোম। 3০০লাচঢা5) 5০115 6 639440, হপ্পুতরী, ভারতী বালক, ফাল্ধুন ১২৭৪, পূ ২৩*-৩২। সিদ্ভুতরঙ্গ, যানসী, রবীশ্ রচনাবলী ২, পৃ ১৪৭-৬১।

সিদ্ভুতরঙ। মানসী, রবীশ্র-রচনাধলী ২, পূ ১৫৭

ছিপ, পত্র ৮। ২৭ জুলাই ১৮৮৭। ১২ জাবণ ১২৯৪।

২৫২ রবীন্দ্জীবনী খীষ্টাব ১৮৮৭

উদীয়মান লেখক বাখী, সাধারণ ত্রান্ষমমাজের অন্যতম যুবক কর্মী নেতা বিপিনচন্্র পাল ববীন্দ্রনাথের সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিলেন। তিনি বলিলেন, প্রতিক্রিয়াপস্থী নব্যহিন্দুদের সামাছিক মতামত যে-ভাবে প্রচার প্রসার- লাভ করিতেছে, তাহার ষথোপযুক্ত প্রতিরোধ করা হইতেছে না। এইসব সামাজিক মতবাদ কেবল সাধারণ হিন্দুদের যধো আবন্ধ না পাকিয়া ক্রমে বিশিষ্ট ্ীষ্টান, হাইকোর্টের লক্বপ্রতিষ্ঠ উকিল জয়গোবিদ সোষের১ স্তায় ব্যক্তিকেও চঞ্চল করিয়া তুলিয়াছে ; সুতরাং প্রতিবাদ হওয়া একান্ত প্রয়োজন এই সময়ে চন্দ্রনাথ বস্তু হিন্দুপত্বীর আদর্শ, হিন্দু- বিবাহের বয়স উদ্দেশ্তা প্রভৃতি আলোচনা করিয়া ছুইটি প্রবন্ধ লিখিয়াছিলেন (সাবিত্রী, ১২৯৩)। এইসব প্রবন্ধের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথকে লেখনী ধারণ করিবার জন্য বিপিনচন্দ্র অ্রোধ আনিয়াছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ “হিন্দুবিবাহ”* নামে এক দীর্ঘ প্রবন্ধ লিখিলেন সায়েম্স আযমোসিয়েশন হলে ভাক্তার মহেজুলাল সরকারের* সভাপতিত্বে উহা পাঠ করেন। প্রবন্ধ পাঠান্তে সভাস্থ অনেকেই রচনার গুণাগুণ লইয়া আলোচনা কবেন; পণ্ডিত মহেশচন্দ্র স্তায়রতু (১৮৩৬-১৯০৬ ) উঠিয়া বলিলেন, “আমি মহেশ, আমি চারি হন্তে লেখককে আশীর্বাদ করিতেছি ।”

রবীন্দ্রনাথ অধ্যাপক সীলি*-র ( 5০616% ) 19561 7২61101 ( ১৮৮২ ) নামক গ্রন্থ হইতে একটি অংশ তাহার অনুবাদ ভূমিকারূপে উদ্ধৃত করিয়া “হিন্দুবিবাহ প্রবন্ধটি শুরু করেন। সীলির মত এই যে, ধাহারা কারে! পুরাতন ধর্মপ্রণালী অথবা সমাজব্যবস্থার জীর্ণ দশায় জন্মগ্রহণ করেন, তাহাদের মধো অনেকেই প্রাচীন সংস্কানের সহিত নৃতন শিক্ষার বিরোধবশত বিশ্বাস বল হারাইয়া নৈতিক পঙ্গু অবস্থা প্রাপ্ত হন যুরোপের হৃতন শিক্ষার প্রভাবে বাংলার অনেকগুলি নৃতন কর্তবা আসিয়াছে সতা, কিন্তু আলশ্তের দায়ে, সংস্কারের মোহে, সমাের তয়ে সেগুলি পালন করিতে না! পাৰিয়া এই নৃতনের উপর তীহাদ্দের অবজ্ঞা আসিয়াছে।

চন্দরনাধ বন্থু সংস্কৃত সাহিতা হইতে বচন উদ্ধৃত করিয়া হিন্দুবিবাহের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিপন্ন করিবার চেষ্টা কঝিয়াছিলেন। রবীন্দ্রনাথ এই পদ্ধতির খুবই নিন্দা করিয়া বলেন ষে, প্রয়োজন হইলে সংস্কৃত সাহিতা হইতে অতান্ত কৃতৎসিত কথা নারীদের সম্বন্ধে চয়ন করা অসম্ভব নহে। স্থাতরাং বচন উদ্ধৃত করিলেই হিন্দুবিবাহ বা পত্রীর শ্রেষ্ঠ আদর্শ সপ্রহাণ করা যায় না। চন্দ্রনাথ লিখিয়াছিলেন যে, হিন্দুবিবাছের প্রধান লক্ষ দম্পতির একীভবন। ইছার উত্তরে বুবীজ্নাথ বলিয়াছিলেন যে, ইহাই যদি মুখ্য উদ্দেশ্য হয় তাহা হইলে পুকধদের পক্ষে বহুদাবপরিগ্রহ সম্ভব হইতে পাবে নাঃ কোৌলিন্ত-বিবাহও সমাজে কোনোমতে স্থান পায় না *বিবাছ্থের ত-কিছু আদর্শের উচ্চত! মে কেবলমাত্র পত্বীর বেলায়, পতিকে সে আদর্শ স্পর্শ করিতেছে না।" হিন্দুবিবাহের আধ্যাত্মিকতা সম্বন্ধে চ্রনাথ বন্থ অক্ষয়চজ্জ

জরগোবিন্ধ সোম জীহট্রের লোক ; পাঠযাকন্থাতেই হীইধর্ষ গ্রহণ করেন ১৮৬৫ সালে এম. এ.। ১৮৬৬ সালে ধি. এজ. পাস করেন। কলিকাতা হাইকোটের উকিল দেশীয় স্রীষঠানদের মধ্যে তিনিই রেভারেও কালীচরণ বন্যোপাধ্যান্নের সহিত একযোগে 'আর্ধদর্শন (বৈশাখ ১২৮১) নাছে মাসিক পত্রিক1 প্রকাশ করেন। মৃত্য ১৯** প্রীষ্টা্দ।

হিন্দুবিবা, ভারতী, আশ্বিন :২৯৪, পৃ ৩১৪-৪৮। ড্র সমাজ, বিশ্বতারতী সংস্করণ | রবীঞ্জ-রচনাবলী ১২, পূ ৪১৬-১৯।

সায়েন্স আনোসিয়েশনের বাটি তখন ছিল বৌবাার ক্াটে ( বিশিনবিহারী গাঙ্গুলী প্রীট ), কলেজ প্্াটের মোড়ের পূর্বে বাম দিকে

& মহ্ক্রলাল সরকার €২ নভেম্বর ১৮৩৬--২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯*৪) কলিকাতা মেডিকেল কলেজ হইতে লগৌয়ষে 1..11.5. (১৮৫৯-৬০) পরে 2.0. (১৮৬৩) পাস করেন। ইনার পরে রাজেজচজ ঘ্ত ঈশ্বরচন্ বিগ্তাসাগরের উৎসাহে উপদেশে জ্যালোপ্যাথি টিফিংস। ত্যাগ করিয়া (১৮৬৭ ) হোমিওপ্যাথি পদ্ধতি গুরু করেন এবং চিকিৎসা-বিস্তা় অতুল বশ ধিপুল ধন লাঙ কয়েন। বাংলাছেশে তিনি সর্বপ্রথম হাতে-কলমে বিজ্ঞান-চর্চার জন্য সায়েন্স আসোসিয়েশন (17192 455961881012 £07 5৩ 09101580107 04 90161706 ) স্বপন কয়েন (১৮৭৬)। সফাজ-সংক্কারাদি ব্যাপারে ইনি আধুনিক মতামত পোষণ করিতেন; বালাবিবান্থের ইনি বিরোধী ছিলেন

& 51৫98) %০৮৩০৮ 36615 ( 1934-95)1 8৮056০০8715) (১৮৮৩ ) গ্রন্থ এককালে খ্যাডিঙাত করে

ধী্টাব ১৮৮৭ '্বানসী'র যুগ £১। “ছিন্ুবিবাছ ২৫৩

সরকার খুবই উচ্ৃসিত। চন্্রনাথবাবু লিখিয়াছিলেন, “ইংরেজ আত্মপ্রিয় বলিয়া তাহার বিবাহের প্ররুতপক্ষে মহৎ উদ্দেস্ট নাই মহৎ উদ্দেশ নাই বলিয়াই তাহার বিবাহ বিবাহুই নছে।” রবীন্দ্রনাথ লেখকের এই দাস্তিক উক্তির ততীক্র প্রতিবাদ কবেন। তিনি এই সম্পর্কে লিখিলেন, “শ্বশুর শাশুড়ি ননদ দেবর গ্রত্ভৃতির যাবিহিত সেবা, এবং পুরপ্রচলিত দেবকার্ধের যথাবিধি সহায়তা করিয়া! স্ত্রী মহৎ উদ্দেন্ট সাধন করিলেই যে সকল স্বামীর সম্পূর্ণ পবিতৃপ্তি ঘটে তাহা নছে। স্বামী চায় মনের মতো... তাহারই বিশেষ প্রীতিকর বূপগুণসম্পন্ন স্ত্রী |... এইজন্য কচি- অহথসাবে ক্বতাবতই মাগ্ছষ সৌন্দর্য সংগীত প্রভৃতি কলাবিস্ভা এবং.' কতকগুলি মানসিক নৈতিক গুণ শ্বীর নিকট হইতে অন্সন্ধান করিয়া থাকে |”

বাল্যবিবাহ* সন্বন্ধে প্রাচীনপন্থীদ্দের মধ্যে ছুইটি মত ছিল, চন্দ্রনাথ বন্থ বোধ হয় মন্থর স্থবৃতি মনে রাখি যুবক শিশু-বালিক। বিবাহের পোষক ছিলেন। বালিকার পক্ষে পরিবারের সহিত সম্পূর্ণভাবে একীভূত হইয়া যাইবার পক্ষে এই বয়সই অনুকৃঙ্গ। ভূদেব মুখোপাধ্যায় বালাবিবাহের পক্ষপাতী; তবে তিনি ছিলেন বালক-বালিকার বিবাছের পক্ষে। সেইজন্ত বাল্যবিবাহের সহিত একান্নবর্তী সংলাত্র অচ্ছেস্ভভাবে যুক্ত একাঙ্গবর্তী পরিবারেই বাল্যবিবাহ সম্ভব। ববীঙ্নাথ বলিলেন, নানা অনিবার্ধ কারণে এই প্রাচীন প্রথা ভাঙিতেছে। প্রথমে ভাঙিতেছে আর্থিক সমস্যার জন্, বৃহৎ পরিবার পালন করা আথিক কারণে অসম্ভব; ছ্িতীক্নত ভাঙিতেছে আদর্শের পার্থক্য হেতু ছুইটি কারণই প্রবল বেগে সমাজে ভাঙন ধবাইয়াছে।

স্বাধীন চিন্তা ইংরেজি শিক্ষার ফল। “ম্বাধীন চিন্তা যেখানে আছে সেখানে বৃদ্ধির ভিন্লতা-অহুসারে উদ্দেশ্টের ভিন্বতা জক্মিয়াই থাকে ।” একান্নবর্তী পরিবারের মূল হইতেছে এক-কর্তৃত্ব। কিন্ত বর্তমানে সে কর্তৃত্ব নাই, সে তক্তি নিষ্ঠা নাই। ইহার কারণ শিক্ষার বৈষমা। পৃবে বিত্বান মূর্থের মধ্যে একজন বেশি জানিত, আর একজন কম জানিত এইমাজ্্ গ্রভেদ ছিল। এখন একজন একক্প জানে, আব্‌-একজন অন্তরূপ জানে ইহা ইংবেজি শিক্ষার ফল। শিক্ষার বৈষম্যহেতু মতের অমিল হুয়। স্থৃতরাং একান্নবতী পরিবারে ষে পূর্বের স্ুখশান্তি থাকিতে পারে না, তাহা সহজেই অন্থমান করা হায়। এই প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হইয়াছে বলিয়া বাল্যবিবাহও টি'কিতে পারে না। যেখানে স্বতন্ত্র গৃহ করিতে হইবে সেখানে স্বামী-স্ত্রীর বয়স অল্প হইলে চলিবে না!

রবীন্দ্রনাথ আরও দেখাইলেন যে, কল্ঠার বিবাহের বয়ল ধীরে বাড়িস্জা যাইডেছে; আধিক অবস্থার অসচ্ছলতা ইহার প্রধান কারণ। এ-ছাড়া অনেক যুবক বিবাহুকার্ধ চটপট সারিয়া ফেলিতে চান না। বাঙালি যে কোনো কাজে সাহস করিয়া হাত দিতে পারে না, বহশ্রমসাপেক্ষ পরীক্ষা্দির মধ্যে যাইবার অবকাশ পায় না, তাহার কারণ অল্প বয়সে তাহার স্কন্ধে বৃহৎ পরিবারের দুঃসহ বোঝা চাপানে হয়। এই কথাটি রবীন্দ্রনাথ অন্ত কোনো কোনো প্রবদ্ধেও জোর দিয়। বলিয়াছেন।

রবীন্দ্রনাথ বালাবিবাহ উচ্ছেদের পক্ষপাতী; কিন্ধক তিনি ইহাকে আইন দ্বারা উঠাইবার পক্ষে মত দিলেন না। তিনি লিখিয়াছেন, “বালাবিবাহকে বলপূর্বক উৎপাটন করিলে সমাজে সমূহ দুর্নীতি বিশুষখলার প্রাছুরভাব হইবে। অল্পে অল্পে নৃতন অবস্থার প্রভাবে সমাজেয় সমস্ত নিয়ম নৃতন আকার ধারণ করিয়া সমাজের বর্তমান অবস্থার লহিত

ভান ১৭৭২ শকে (অগস্ট ১৮৫*) 'সর্বশ্ততকরী পত্রিকা'র় হালাবিবাহের দোষ নাষে উশ্বয়চঞ্জ বিভাসাগরের একটি নামহীন লেখায় জাছে : “অইমবধার কল্তাান কক্িলে পিত! মাতার গৌরীদানজন্ড পুণ্োগয় হয়, নধমবর্ষীরাকে দাদ করিলে পৃথী ছানের ফললাভ হয়, আয দশমবর্যারাকে পান্রসাং করিলে পরগ্র পথিভ্রলোকগ্রাপ্তি হর, ইডি শ্রৃতিশান্ত্র প্রতিপািত কমিত ফলসৃগতৃণায় যুদ্ধ হইয়া! পরিণাম বিষেচন। পরিশৃন্ত চিত্ে অন্মদ্দেশীয় দনুষ্ক মাতেই থাল্যকালে পাশিপীড়নের প্রথ। চলিত বরিষ্াছেন... জু. কাজী আবুল ওছুদ, বাংলার জাগরণ, পৃ ৬৭।

২৫৪ ববীন্রজীবনী এটাক ১৮৮৭

আপন উপযোগিতাশ্থত্র বন্ধন করিতেছে অতএব ধাহার] বাল্যবিবাহের বিরোধী তাহার্দিগকে অকারণ ব্যন্ত হইতে হইবে না।”১ রবীন্দ্রনাথের এই অন্তব্য যে কত সত্য তাহা গত শতাবীর সামাজিক ইতিহাস আলোচনা করিলেই বুঝা যায়। বিধবাবিবাহ আইন দ্বার! সিদ্ধ হইলেও দেশমধ্যে গ্রচার লাভ করে নাই সারদা-আইন দ্বারা বাল্যবিবাহ বদের চেষ্টা ষে সম্পূর্ণভাবে বার্থ হইয়াছে, তাহা! আজ কাহারও অবিদিত নাই অথচ আইন-নিব্রপেক্ষভাবেই দেশ ধীরে ধীরে এইসব পুরাতন সংস্কার ভাঙিতেছে ; রবীন্দ্রনাথের বিচার ঘষে কী সত্দৃহ্বির উপর প্রতিষ্ঠিত, তাহা আদ জা প্রমাণসাপেক্ষ নহে ; আজ কোনো অভিভাবক 'গৌবীদানে'র কথা কল্পনা করিতে পাবে না। চন্দ্রনাথ বস্থকে মে যুগের প্রতিক্রিয়াপস্বীদের একমাত্র প্রতীক বঙলগিলে ভুল করা হইবে না। বঙ্ধিমচন্দ্রে মনীবা* প্রতিভার প্রতি কিছুমাত্র অশ্রদ্ধাপ্রদর্শন না করিয়া কথা বলিতে বাধ্য হইতেছি যে, বঙ্ষের বহু সামাজিক সংস্কার বঙ্ধিমপ্রমুখ মনীষীদের দ্বারা প্রতিরুদ্ধ হুইয়াছিল। বঙ্ষিমচন্ত্র চন্দ্রনাথ বন্থর ন্যায় প্রতিভাবান পুরুষদিগকে ধর্ম সমাজ সম্বন্ধে প্রতিক্রিয়াপন্থী হইতে দেখিয়া রবীন্দ্রনাথের মনে বিশেষ আঘাত লাগে, কারণ উভয়কেই তিনি গভীর শ্রদ্ধা করিতেন এবং তাহাদের স্েহ হইতেও তিনি কোনোদিন বঞ্চিত হন নাই এক্ষেত্রে ইহাদের বিকদ্ধে লেখনী ধারণ তাহার পক্ষে পীড়াদায়ক। নিতাস্ত কর্তবোর খাতিবেই চন্্রনাথের অযৌক্তিক তর্কজালকে বারে বারে আঘাত করিয়৷ ছিন্নবিচ্ছিন্ন করিতে হইয়াছিল। ইহারা এককালে বাংলার যুবমনকে প্রগতির পথে পরিচালনা করিয়াছিলেন, বিপ্লবের বাণী ভাহারাই শুনিয়াছিলেন; কিন্তু কালে তাহারাই প্রতিক্রিয়াপন্থী হইয়া প্রগতির খরলোতধারাস়্ শাস্ত্রের আবর্জনা পু্ীভূত করিয়া বাঙালির সহজ গতিবেগকে প্রতিহত করিলেন, তাহাদের জীবনে আদর্শের এমন জীবন্ত সমাধি দেখিয়া রবীন্রনাথ বড় দুঃখে লিখিয়াছিলেন 'পরিতাক্ক' কবিতা ।৩ মনে আছে সেই প্রথম বয়স, নৃতন বঙ্গভাষা তোমাদের মুখে জীবন লভিছে বহিয়া নূতন আশা |. কোথা গেল সেই গুভাতের গান, কোথা গেল সেই আশা! আজিকে, বন্ধু, তোমাদের মূখে কেমনতরো ভাষা 1...

হিন্দুবিবাহ সপ্পীবনী সাপ্তাহিকে প্রকাশিত হয় (১৮৮৭) সমাজ (পরিশিষ্ট ) রবীন্-রচনাবলী ১২, প্‌ ৪১৩।

১৮৯৪ সালের ২৭ লগষ্টু ভাবিণে বরোদায় অরবিদ্দ দোষ 11:0/500541) মামে পত্জিকায় 01 71019611006 50091৩ নাষে খে-প্রবন্থা লেখেন গিরিজাশস্কর রার়চৌধুরী তাহার ভাবটুকু লিপিবদ্ধ করিয়াছেন : “অরবিন। বলেন, বন্ধিম-সাহিতা একটা যিজ্লোছের বুগ জানয়ন করিয়াছে। এই বিশ্লোহের চি সব দিকেই দেখা যাইতেছে | যেষন সাধারণ ব্রাঙ্গদমাজের প্রভাব কষিয়৷ আসিতেছে, লোকের মন আবার হিল্ুধর্জের দিফে কিরিয় যাইতেছে, বাংল! ভাষা সংস্কৃতের নাগপাশ হইতে মুক্তিলাত করিতেছে এবং তয়ণদের মধ্যে অতি উগ্র রকমের জাতীয়তাভাবের উদ্মেষ দেখা দিয়াছে কেশবচল্্র সেন কৃকদান পাল ধর্ম রাজনীতিতে বাংলার বে-তরুণ সম্প্রদায়কে মাহাইয়াছিলেন, দাসহৃলত ইংরাজের অগুকয়ণকারী সেষ্ট তরুণের দল আ|র নাই। তাহাদের স্থানে যে-তরপের দল আবসিয়াছেন, তাহারা সম্পূর্ণভাবে বন্ধিমের দ্বারা অনুপ্রাণিত ।”-- প্রীঅয়ধিদ বালা দেশী যুগ, পৃ »৮।

পরিতাত। ২৮ জো ১৮৮৮ [১২১৫ ]1 (গাজিপুর) মানসী রবীন্্র-রচনাবলী ২, পূ ২২৬।

বান ১৮৮৭ 'যানসী'র যুগ £ ২। দাঞ্জিলিঙে ২৫৫

তোমরা আনিয়! প্রাণের প্রবাহ ভেঙেছ মাটির জাল, তোমরা আবান্ব আনিছ বঙ্গে উজান শ্রোতের কাল। নিজের জীবন হিশাকে যাহারে আপনি তুলেছ গড়ি হাসির] হাসিয়া! আজিকে তাহারে তাডিছ কেমন করি!

মানসী'র যুগ : ২। দাজিলিতে

১২৯৪ সালের শরৎকালে ( অক্টোবর ১৮৮৭ ) ববীন্দ্রলাথ সপরিবারে দাজিলিউ গেলেন। সপরিবার বলিতে তখন বুঝায় স্্রী__ বয়স চৌদ্দ বৎসর এক বৎসরের শিশু একমাত্র কন্তা বেলা তবে সঙ্গে ছিলেন সৌদামিনী দেবী, স্বর্ণকুমারী দেবী হ্বর্ণকুমারীর দুই কন্তা হিরণ্য়ী (১৯) সবল! (১৫ )। তখনকার দিনে দাজিলিও যাইতে হইলে দামূকদিয়া নামে একটি স্টেশনে নাষিয়া গ্রীমারযোগে পদ্মা পার হইতে হইত। পরপারে সাবাঘাট ; সেখান হইতে মিটার গেজের ছোটলাইন শিলিগুড়ি তথা হইতে আরো ছোট এবং প্রান্-খোলা বেলগাড়ি চড়িয়া হিমালয়ের চড়াইপথে যাত্রা। | দার্জিলিঙ পৌঁছাইয়া রবীন্ত্রনাথ বালিকা ইন্দির়াকে (১৪) কলিকাতায় এক পত্রে লিখিতেছেন-_ “সারাঘাটে শ্রীমারে শুঠবার সময় মহা হাঙক্গাম। বাতি দশটা_ জিনিসপত্র সহম্ম, কুলি গোটাকতক, মেয়়েমাষ পাচটা এবং পুরুষমাহষ একটিমাত্র 1... ডাকাডাকি ঠাকাহাকি ছুটোছুটি নিতান্ত অল্প হয় নি, তবু [ দিদি) বলেন আমি কিছুই করি নি,*"' অর্থাৎ, একখান আন্ত মাহ্গষ একেবারে আস্ত রকম খেপলে যে-রকমটা হয় সেইপ্রকার মৃঠি ধারণ করলে ঠিক পুরুষমান্থুষের উপযুক্ত হত। কিন্ধ এই ছুদিনে আমি এত বাক্স খুলেছি এবং বেঞির নীচে ঠেলে গঁজেছি, এবং উক্ত স্থান থেকে টেনে বের করেছি, এত বাক্স এবং পুটুলির পিছনে আমি ফিরেছি এবং এত বাক্স এবং পু ট্রলি আমার পিছনে অভিশাপের মতো! ফিরেছে, এত হাবিয়েছে এবং এত ফের পাওয়া গেছে এবং এত পাওয়। যায় নি এবং পাবার জন্য এত চেষ্টা করা! গেছে এবং বাচ্ছে যে, কোনে! ছাব্িশ বৎসর বয়সের ভদ্রসস্তানের অদৃষ্টে এমনটা ঘটে নি। আমার ঠিক বাক্স-21০৮18 হয়েছে; বাস দেখলে আমার দাতে দাত লাগে ।... গাড়ি চলতে লাগল। ক্রমে ঠাণ্ডা, তার পরে মেঘ, তার পরে সর্দি, তার পরে ছ্াচি, তার পরে শাল কল্বল বালাপোধ, মোট মোজা, পা কন্‌ কন্‌, হাত ঠাণ্ডা মুখ নীল, গল] ভার-ভার এবং ঠিক তার পরেই দ্াঞ্িলিঙ। আবার সেই বাক্স, সেই ব্যাগ, সেই বিছানা, সেই পুটুলি, মোটের উপর মোট, মুটের উপ মূটে। ব্রেক থেকে জিনিসপত্র দেখে নেওয়া, চিনে নেওয়া, মুটের মাথায় চাপানো, সাহেবকে বলিদ দেখানে1, লাছেবের সঙ্গে তর্কবিতর্ব, জিনিস খু'জে না পাওয়া এবং সেই হারানো! জিনিম পুনরুদ্ধারের জন্য বিবিধ বন্দোবস্ত করা, এতে আমার ঘণ্টা ছুয়েক লেগেছিল ।”১

পর বৎসর ভারতীতে ( ১২৯৫) স্বর্ণকৃষারী দেবী এই ছা্জিলিঙ-দ্রমণের একটি বিস্তৃত বর্ণনা প্রকাশ করেন, তাহাতে তিনি তাহাদের পুরুষ অভিভাবক অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথের আনাড়িপন! সম্বন্ধে অনেক কথা সরসভাবে বলিয়াছিলেন। » ছিয়পত্রাবলী। পত্র ১। দার্জিলিও, ১৮৮৭ [১৪ সেপ্টেম্বর ?]।

২৫৬ বষীজজীবনী খীষ্টান্ধ ১৮৮৭

দ্াজজিলিঙে তাহারা! যে-বাড়ি ভাড়া করেন তার নাম ছিল কাসলটন্‌ হাউম। হ্বর্ণকুমারী লিখিয়াছেন, “লেফটেনেণ্ট গবর্নরের বাড়ি ছাড়া দাজিলিডে শুনতে পাই এত বড় বাড়ি আর নেই।” এই প্রবাসে তাহাদের এই স্থখী পরিবারের সন্ধ্যাগুলি কিভাবে কাটিত -াহার একটি চিজ্রও লেখিক1 রাখিয়া গিয়াছেন। তিনি লিখিতেছেন, “বাড়ির... হলটা বড়। সেই মস্ত হলে... সন্ধ্যাবেলা সমস্ত চৌকি একখান! কৌচের কাছে জড় হয়, আর মধো একটা ছোটো টিপয়ে আলো জলে তার চারদিকে কেহ চৌকিতে কেহ কৌচে সুবিধামত বসে শুয়ে নিলে আমাদের সঙ্গী অভিভাবকটি [ রবীন্দ্রনাথ ] টেনিসন থেকে ত্রাউনিং থেকে... কবিতা পড়ে শোনান। বাস্তবিক তিনি কি স্বন্দর করে পড়েন." ব্রাউনিঙের লেখা কি জোরালো *- ব্রাউনিং পড়তে পড়তে যে কান্না পায় সে যেন জমাট বরফ গলতে আরস্ত হয়, সে কান্না হঠাৎ থামানো যায় না।১ তার '&১ 8106 10 00০ '৩০০০৮০০০২ একবার পড়ে দেখ এমন স্থন্দর কাব্যনাট্য আর পড়েছি মনে হয় না।”* তবে এই সান্ধা পাঠচর্চা খুব বেশি স্থায়ী হয় নাই? স্বর্ণকুমারী দ্বিতীয় পত্রে লিখিতেছেন, *আমাদের সে পড়াশুনার মজলিস অনেকদিন বন্ধ হইয়াছে”

প্রায় একমাস কাল দার্দিলিঙে কাটাইয়া রবীন্দ্রনাথ একাই কলিকাতায় ফিরিলেন। উশচন্দ্রকে লিখিতেছেন, *ছ্ী কন্যা দাজিলিঙে, আমি কলকাতায় ঘরে বসে বিরহ ভোগ করছি-- কিন্ত বিরহের চেয়ে কোমরের বাতটা বেশি গুরুতর বোধ হচ্ছে” পত্রখানি কবিতা বাত লইয়া কৌতৃকে পূর্ণ পহশেদে লিখিনেছেন, “বালাবিবাহ সম্বন্ধে আপনি প্রশ্ন করেছেন সে-বিষয় পরে উত্থাপন করা যাবে ; আপাতত এই বলে রাখছি, বাল্যবিবাহ যে ইচ্ছে করুক-_ কিন্ত কোমরে বাত ষেন কারো না হয়।”£

দাজিলিওবাস-পর্বটা সাহিত্যসট্টির দিক হইতে সম্পূর্ণ বার্থ হয় নাই। সখিসমিতির তরফ হইতে সরলা বায় রবীন্দ্রনাথকে কেবল মেয়েদের অভিনয়োপযোগী একটি গীতি-নাট্য রচনা করিয়া দিবার জন্বা অনুরোধ করিয়াছিলেন। সরলা রায হইতেছেন ভক্টর পি. কে, রায়ের ( প্রসন্নকৃমার ) স্ত্রী- সে-যুগের বাঙালি আধুনিকাদের অন্ততম অগ্রণী | সেই উপলক্ষেই দাজিলিউবাসকালে "মায়ার খেলা'ব গান রচনা শ্রক করেন; কিন্ত নাটিকাটি লিখিয়াছিলেন কি না সন্দেহ ঠাণ্ডা লাগিয়া কোমরে বাথা, উঠিতে পারেন না, শুইয়া গান লেখেন সরল! দেবীকে শেখান

কাততিকের শেষ দিকে কলিকাতায় ফিরিয়াছেন। পার্ক গ্রীটের বাসায় আছেন। অগ্রহায়ণের মাঝামাঝি হইতে কবিকে নৃতন কবিতার মধ্যে নৃতনরূপে পাই এই মাসে রচিত কবিতাপুপিন্র তাপিকা পাদটাকায় দিলাম |

ভারতী, বৈশাখ ১২৯৫ পৃ২৪।

২8০০: 6:0572107£ (0.7 10905 1612, ৫. 12 1060, 1689), 4 8196 177 0৩ 50060176077 (2816৬ ০0611 1৮৫ 1970716- াঞযারতে। 2343). &৯১ 05865. এই নাটক সন্বদ্ধে চার্লস টিকেন্দ লিপিয়াছেন, "1015 101] 01 86710529001 810 81680 00০8৮) 0 [00517000508 0050 15 50 8116001076- 17001077810 8179 ৮990৮] 00856 ৫56 16900286100, 21 91057078 0১০1০/৪৩৭$এ, 1992) ঢ62-85.

ভারতী, জো ১২৯৫, পৃ »৬। দ্র- সরল! দেবী, র্বিমাম। ল| রবীল্নাধ, ভারতবর্দ, কাতিক ১৩৪৮, পৃ ৫৬৯-৭৪ |

হিন্লপত্র, অক্টোবর ১৮৮৭।

৫. ১৩ অগ্রহায়ণ ১২৯৪ নিশ্কল কামনা! রবীনত্র-রচনাবলী ২, পৃ ১৩২ ১৮ অগ্রহায়ণ ১২৯৪ শিখ্কল প্রয়াস রবীন্র-রচনাহলী ২, পূ ১৩৪

১৪ » "” বিচ্ছেদের শান্তি ১৩৭ ১৮5" ছদয়ের ধন রঃ ১৬৪ ১৫ * *. সশেয়ের আবেগ ১৩৫ ১৮ 5 * শিতৃত আগ্রষ রর ১৬৫ ১৫ *. তবু ১৬৮ ২১ *। * নারীর উদ্ভি ১৬৬

২৩ * পুরুষের উদ্ভি টা ১৬৯

টা ১৮৮৭ 'মানসী"র যুগ £২। দার্জিলিঙে ২৫৭

মুদ্রিত 'মানসী'র মধ্যে কবিতাগুলি এলোমেলোভাবে সাজানে! এবং সেরূপভাবে সাজানোর কোনো সংগত কারণ খু'জিয়া পাই নাই। এই কবিতাগুলি মানসী কাবাগুচ্ছের অন্তর্গত দ্বিতীয় স্তর। ইহাদের মধ্যে একটি গভীর বিষাদের সর ধ্বনিত হইয়াছে, ক্রমিক পাঠ করিলেই তাহা বোঝ] যায়। কিন্তু তৎসঙ্গে নৃতন স্থরও যে ধ্বনিতেছে একটু মনঃসংযোগ করিলেই ধর! পড়িবে প্রেমের মধ্যে কী একটি গভীর 'নিক্ষল কামনা" কবিকে যেন পীড়িত করিতেছে ; প্রেমকে বাস্তবের মধো খু'জিয়া তিনি ব্যর্থথনোরথ হইয়াছেন “জীবন্ত মানব-মাঝে নিছেকে পাইবার ছুরাশা তাহার চিত্তকে একদা দোলাইয়াছিল; কিন্ত এখন দেখিতেছেন “বৃথ! ক্রন্দন? | “যে জন আপনি ভীত, কাতর দুর্বল," সে কাহারে পেতে চায় চিরদিনতরে ? ক্ষুধা মিটাইবার খাস্চ নহে যে মানব, কেহ নহে তোমার আমার 1” কবি ক্রমশই বুঝিতে পারিতেছেন বাসনা দগ্ধ না হইলে যথার্থ প্রেমের স্বরূপ উপলব্ধি করা যায় না, তাই বলিতেছেন-__ বিশ্বজগতের তরে ঈশ্বরের তরে শতদদল উঠিতেছে ফুটি ) স্থৃতীক্ষ বাসনা-ছুবি দিয়ে তুমি তাহা চাও ছিড়ে নিতে ?. ভালোবাসো, প্রেমে হগ বলী, চেয়ো না ভাহাবে। আকাঙ্কষার ধন নহে আত্মা মানবের ।--. নিবাও বাসনাবন্ছি নম্সনের নীরে, চলো! ধীরে ঘরে ফিরে যাই কবি প্রেমকে যেন ধরিয়া ছুইয়) পাইতেছেন না। তাই এবচ্ছেদের শাস্তি কামনা করিতেছেন-_ দেখেছি অনেক দিন বন্ধন হয়েছে ক্ষীণ, গেড় নাই ককুণার বশে। গানে লাগিত না সুর, কাছে থেকে ছিলে দুর, যাও নাই কেবল আলসে। পরান ধরিয়া তবু পারিতাম না তে! কভু তোম। ছেড়ে করিতে গমন প্রাগপণে কাছে থাকি কদ্েখিতাম মেলি আখি পলে পলে প্রেষের মরণ তুমি তো আপন! হতে এসেছ বিদায় ল'তে-_ সেই ভালো, তবে তুমি যাও। ষে প্রেমেতে এত ভয় এত ছুঃখ লেগে রয় সে বন্ধন তুমি ছিড়ে দাও ।..' মিছে কেন কাটে কাল, ছিড়ে দাও স্বপ্রাল, চেতনার বেদনা! জাগা ৩-- নৃতন আশ্রযঠাই, দবখি পাই কি না পাই-_

লেই ভালে! তবে তুমি যাও! ৩৩

২৫৮ রবীন্দ্রজীবনী এ্রীষ্টাৰঝ ১৮৮৭

কিন্তু প্রেমকে জোর করিয়া! বিদায় করিয়া অস্তরে বেদনা পাইতেছেন; তাই অতি করুণ স্থরে বলিতেছেন__ তবু মনে রেখো, যদি দূরে যাই চলি" নৃতন প্রেম ষদি হয় পুরাতন। --তবু মনে বাখিবার জন্ত আকৃতি নিবেদন করিয়াও “সংশয়ের আবেগে' চিত্ত আকুলিত-_- ভালোবাস কি না বাস বুঝিতে পারি নে, তাই কাছে থাকি তাই তব মুখপানে রাখিয়াছি মেলি সর্বগ্রাপী আখি। প্রেমকে লইয়া অনেক কল্পনা হইতেছে ; প্রেমের অনেক মধুর চিত্র লেখনীর তুলিতে আকিতেছেন, কিন্তু সংশয় যায় না কেড়ে লও বাহু তব, ফিরে লও আখি, প্রেম দাও দ'লে। কেন সংশয়-ডোরে বাধিয়া রেখেছ মোরে, বহেষায় বেলা। জীবনের কাজ আছে-_ প্রেম নহে ফাকি, প্রাণ নহে খেলা সৌন্দর্য বা হন্দরকে দেহের মধো ধরিবার প্রয়াস বার্থ-_“নিক্ষল প্রয়াস? মাত্র, কপ নাহি ধরা দেয়__ বুথা সে প্রয়াস' সৌন্দর্যকে “হৃদয়ের ধন"-বূপে পাইবার চেষ্টা সফল হয় না নাই, নাই, কিছু নাই, শুধু অন্থেষণ। নীলিমা লইতে চাই আকাশ ছাকিয়া। কাছে গেলে কূপ কোথ! করে পলায়ন, দেহ শুধু হাতে আসে-_ শ্রান্ত করে হিয়া। প্রভাতে মলিনমুখে ফিরে যাই গেহে-_ হৃদয়ের ধন কভু ধরা যায় দেহে! কবিচিন্ত সংযত হইয়া আসিতেছে দেছের যধ্যে ক্ূপকে অনুসন্ধান করিবার জন্য ব্যাকুলতা ম্লান হইয়া আসিতেছে; এখন কবি “নিভৃত আশ্রম' রচিবার স্বপ্র দেখিতেছেন। তাহ] অন্রপম জ্যোতির্য়ী মাধুরীমূরতি স্বাপনা করিব ঘত্বে হদয়-আসনে |: লোকালয়-মাঝে থাকি রব তপোবনে, একেলা থেকেও তবু রব সাথি-সনে। নিক্ষল প্রয়াস” হৃদয়ের ধন? 'নিভৃত আশ্রয় এই তিনটি কবিতা চতুর্দশপদী, একই দিনে রচিত। এই কবিতাগুলির সহিত “কড়ি কোমলে'র চতুর্দশপদী কবিতার তুলনা করিলে দেখা যাইবে যে, একবৎসবের মধ্যে কবির কাব্যের রূপে কতখানি নৃতনত্ব এবং সুরেও কতখানি অভিনবত্ব আসিয়াছে মানসীর দ্বিতীয় স্তরের শেষ ছুইটি কবিতা-_নারীর উক্তি” 'পুরুষের উক্তি' পরস্পরের পরিপূরক প্রথম কবিতাটি পড়িলে ইহাই জাশ্চর্ লাগে যে নানী-হদয়ের সুস্ষ্ম বিশ্লেষণ পুরুষের লেখনীতে কেমন করিয্বা আলিল।

শীষ্টান্ষ ১৮৮৭ “মানসীর' যুগ : ৩। গাজিপুরে ২৫৯

নারী শ্ঘভাবতঃ একনি ; সে চায় একনিষ্ঠ প্রেম তাই সে বলিতেছে-_ অপবিভ্র করপরশ সঙ্গে ওর হৃদয় নহিলে। মনে কি করেছ বধু, হাসি এতই মধু প্রেম না দিলেও চলে, শুধু হাসি দিলে? -_নারীর উক্তি পুরুষ নারীকে তাহার পুরানে! প্রেমের কথ! শুনায়, কী নেশায় রডিন হইয়া সে প্রেমকে দ্েখিয়াছিল, সেই কথা স্মরণ করে। কিন্তু নারীর চক্ষে কেন অশ্রু তাহা সে বুঝিতে পারে না এই অহেতুকী অশ্রু পুরুষকে উদ্ভ্রাস্ত করে, সে তাহার উদ্ঘাটন করিতে অসমর্থ সে বলে__ কাছে যাই তেমনি হাসিয়া নবীন যৌবনময় প্রাণে কেন হেরি অশ্রুদল হদয়ের হলাহল, কূপ কেন রাহ্গ্রস্ত মানে অভিমানে - পুরুষের উক্তি কাবাজীবনের পরে এইখানে একটি ছেদ পড়িল। মনের সম্পূর্ণ নূতন অবস্থায় কবিকে পাই মাসখানেক পরে-_ লিরিক্যাল মনোভাবের ভারকেন্দ্র পরিবর্তিত হইয়াছে মানসী বা মানবী-প্রেমকে দেখি সামগিক ভাবে ঈশ্বর-প্রেমে রূপান্তরিত মাঘোত্সবের জন্ত এবার চৌদ্দটি নূতন গান রচনা করেন, তাহার মধ্যে কয়েকটি খুবই পরিচিত-__'তোমারি ইচ্ছা হউক পূর্ণ” “নাথ হে, প্রেমপথে সব বাধা ভাতিয়া দা ইত্যাদি।১ এইসব ব্রন্ষসংগীত পাঠ কবিলে মনে ম্বভাবতই প্রশ্ন জাগে যে, এই সংগীতের মধ্য সত্যই কি কোনো আধ্যাত্মিক আকুলতা প্রকাশ পাইতেছে, না, সামগ্িক প্রয়োজনের প্রেরণায় রচিত। অথবা অন্তরের মধ্যে এই-যে বিষাদপূর্ণ বেদনার সংগ্রাম চলিতেছে-__ এইসব সংগীত তাহারই 51011008660 রূপ ?

'মানসী'র যুগ : ৩। গাজিপুরে কাব্যময় জীবনকে সম্পূর্ণভাবে সম্ভোগ করিবার পক্ষে রবীন্দ্রনাথের বাহিরের কোনো বাধা ছিল না। মহবি পুজদের মতামত চলাফের! সম্বন্ধে বিশেষ বাধাদান করিতেন না। জীবনের কোনে বৃহৎ দ্বায়িত্ব ব! কর্তব্যভার গ্রহণ না করিয়া রবীন্দ্রনাথ বেশ সুখেই দিনাতিপাত করিতেছেন এইবার ইচ্ছা হইল 'পশ্চিমের কোনো বমণীয় স্থানে তিনি একটি নিস্ভৃত কবিকুঞ্ধ রচনা করিয়া জীবনটিকে সৌনার্ষের শ্রোতে ভব কবিত্বের হাওয়ার মধ্যে তালাইয়া দেন।'ং এই উদ্দেস্ট্ে ১২৯৪ সালের শেষ দিকে তিনি সপরিবারে গিয়া! বাস করিতে মনন্থ করিলেন।* এত জায়গা

তন্ববোধিনী পত্রিক1 ১৮*৯ শক (ফাল্তুন ১২৯৪ )। রবীন্রজীবনী ৪, সংযোজন।

শান্তিনিকেতনে জাশ্রম খ্বাপিত হইয়াছে এতদিন পয়ে মাঘ ১৮৮৮ [২৬ ফাল্গুন ১২৯৪ ] শান্তিনিকেতন ট্রাম্টডিড নিষ্পন্ন হয়। প্রথম ট্া্টি হন-__ দবিপেক্রনাথ ঠাকুর [মছধির পৌত্র দ্িজেজনাথের পুতে রমলীমোছন চট্টোপাধ্যায়-_ ছিলেন্রনাথের জামাতা, এবং প্রিয়নাথ শান্ী। ঠাহাকে মহ্র্ষিয় একান্ত-সচিব বল! ধাইতে পায়ে ।_- তন্বযোধিনী পত্রিকা, বৈশাখ ১৮১* শফ। রধীক্রনাথ : অজিতকুমায় চক্রবতী। গাজিপুর যাইবার পূর্যে জো কত! বেলায় জরপ্রাশন হুয়। প্রিষ্ননাথ সেনকে নিষস্্রণ করেন চিঠিপজ | পজজ ৬২।

২৬৪ ববীন্রজীবনী এটা ১৮৮৮

থাকিতে গাজিপুর কেন তাহার পছন্দ হইল, সে-সম্বদ্ধে কবি শ্বয়ং কৈফিয়ত দিয়েছেন “বাল্যকাল থেকে পশ্চিম- ভারত আমার কাছে রোম্যান্টিক কল্পনার বিষয় ছিল।... অনেক দিন ইচ্ছা করেছি এই পশ্চিম-ভারতের কোনো এক জায়গায় আশ্রয় নিয়ে ভারতবর্ষের বিরাট বিক্ষুন্ধ অতীত যুগের স্পর্শলাভ করব মনের মধো |... শুনেছিলুম গাজিপুবে আছে গোলাপের খেত 1. তারি মোহ আমাকে প্রবলতাবে টেনেছিল।”১

রবীন্দ্রনাথের পরিবার বলিতে এখনো বুঝায় পত্তী মৃণালিনী দেবী শিশুকন্বা বেলা। এই “নংসার' লইয়া কবি চলিলেন উত্তরপ্রদেশের রোমান্টিক শহরে কবি-জীবনযাপন অভিলাষে ইস্ট ইত্ডিয়ান রেলপথের দিলপারনগরে বেলা প্রায় দেড়টার সময় নামিতে হয়; খর রোদে ভাজা ভাঁজ হইয়া তপন বালি পার হইয়া অল্পবয়ন্থা স্্ী শিশ্ঠকে লইয়া তাড়িঘাটের ট্রেনে উঠিলেন। তাড়িঘাটে গঙ্গা পার হইতে হইল গ্রীমারযোগে | গাজিপুরঘাট শহুবের ধারে। ঘোড়ার গাড়ি বিহারের প্রাচীন শহবের গলিখু'জি ছা'ড়াইয়! সাহেবপাড়ায় একটি ভাড়া-করা বাংলা-বাড়িতে পৌছাইয়া দিল। রোম্যার্টিক পশ্চিমভারতের শহরে আসিলেন এইভাবে

গাজিপুবে আসিয়া রবীন্দ্রনাথের বিশেষ এক মিত্র লাভ হইল, কবি দেবেজ্রনাথ মেন। দেবেজ্নাথ তাহার "স্থতি। প্রবন্ধে লিখিতেছেন-__ "একদিন শুনিলাম কবিবর বুবীন্দ্রনাথ গাজিপুরে আমিয়াছেন। রবিবাবু আমার “ফুলবালা [গাজিপুর ১৮৮* ] উর্জিলা কাবোর [১৮৮১] পক্ষপাতী ছিলেন আমার নিঝ্রিণী [ ১৮৮১) কাব্যের আখির মিল্লন' কবিতা ডাহার বড়ই ভাল লাগিয়াছিল। ভীহার সহিত সাক্ষাৎ সন্থন্ধে মালাপ না থাকিলেও, পদ্ধের ছারায় পরিচয় ছিল। তিনি আমার উত্বিলা কাবোর সম্বন্ধে আমায় লিখিয়াছিলেন, ইহাতে স্বানে স্থানে কল্পনার খাটি রহ বসানো হইয়াছে |”... ইত্যাদি গাজিপুর অবস্থানকালে রবিবাবুবু সহিত আমার ঘনিষ্ঠতা হয়।.. আমার অপ্রকাশিত কবিতাগুলি ববিবাবুকে শুনাইতাম-- তিনি আনন্দিত হইয়া শুনিতেন | তিনিও আপনার অপ্রকাশিত নৃঙন কবিতাগুলি শুনাইতেন। আমি হর্ষ-বিহ্বল হইয়া শুনিতাম ।”৭

গাঞ্জিপুর পৌছিয়া কলিকাতায় প্রিয়নাথ সেনকে (২ বৈশাখ ১২৯৫) লিখিতেছেন- “নববর্ষের কোলাকুলি গ্রহণ কর। যদি কোন সুযোগে একবার এদিকে আস্তে পার তা হলে দিনকতক সম্মিলন বুল সম্ভোগ করা যায়|, এখানে বই, বিজনতা এবং বন্ধু আছে এর মধ্যে কোনটা যদি লোভনীয় জ্ঞান কর 2 বিলম্ব করবার আবশ্বাক নেই |” (চিঠিপত্র ৮। পত্র ৬১)। কিন্তু প্রিঘনাথকে কবি কোনোদিন মথুর সেনের সংবীর্ণ গপির পুরাতন ঝাড়ি হইতে বাহির করিয়া কোথা আনিতে পারেন নাই

পশ্চিম-ভারতের প্রাচীন শহরে যে-্বপ্র লইয়া বাস করিজে গিয়াছিলেন, সে-স্বপ্র ভাঠিতে বেশিক্ষণ লাগে নাই। "সেখানে গিয়ে দেখলুম বাবসাদারের গোলাপের খেত, এখানে বুলবুলের আমস্থণ নেই, কবির নেই। হারিয়ে গেল সেই ছবি |." তবু গাজিপুরেই রয়ে গেলুম, তার একটা কারণ এখানে ছিগেন আমাদের দুরূসম্পর্বের আম্মীয় গগনচন্ছু বায়, আকিম-বিভাগের একজন বড় কর্মচারী | এখানে আমার সমস্ত বাবস্থা সহজ হল ঠারই সাহাযো। একখান! বড় বাংলা পাওয়া গেল, গঙ্গার ধারেও বটে, কিন্ত গঙ্গার ধাবে৪ নয়। প্রায় মাইলখানেক চর পড়ে গেছে, সেখানে যবের ছোলার শর্ষের খেত; দূর থেকে দেখা যায় গঙ্গার জলধারা, গ্রণ-টানা নৌকো চলেছে মন্থর গতিতে বাড়ির সংলগ্ন অনেকখানি জমি অনাঢৃত, বাংলাদেশের মাটি হলে জঙ্গল হয়ে উঠত | ইদারা পেকে পৃর চলছে নিস্তক মধ্াঙ্ছে কলকল শবে! গোলকটাপার ঘনপল্লপৰ থেকে কোকিলের ডাক আমসত বৌদতপ্র গ্রহরের ক্লান্ত হাওয়ায় পশ্চিম কোণে প্রাচীন একট! মহানিম গাছ, তার বিস্তীর্ণ ছায়াতলে বসবার জায়গা সাদা ধুলোর রাস্ত] চপেছে বাড়ির গা ঘেঁষে, দুরে সুচনা, মানসী, রবীজ-রচনাবলী ২! প্ীপুলিনধিহ্ারী সেন, কবি-ভ্রাতা। দেশ, সাহিতাসংখা বৈশাখ ১৩৭২, পৃ২*। জর. সাহিতা-সাধক-চরিতমাল ৬১।

্রষ্টাব ১৮৮৮ 'মানসী'র যুগ : ৩। গাজিপুবরে ২৬১

দেখ! যায় খোলার-চাল-ওয়ালা পল্লী ।”১ মানলীর কতকগুলি কবিতার মধ্যে এই স্থানিক শোভার বর্ণনা বেশ পরিষ্ফুট হইয়াছে।

সপরিবারে এই গাজিপুরে বাসটা রবীন্দ্রনাদের জীবনে একটি বিশেষ পর্ব ঘটনা বলিয়া আমর! মনে করি। এতকাল জোড়ার্গীকোর বিশাল পুবীতে সী কন্ত। লইয়া বৃহৎ ঠাকুরপরিবারের ক্ষুদ্র অংশরূপে বাস করিয়াছেন, অথবা জ্ঞানদানন্দিনী দেবীর শাসনাধীন স্ুব্যবস্থিত গৃহশৃঙ্খলার মধ্যে আদরে যত্বে লালিত হইয়াছেন। কিন্তু স্বামীকে আপনার সংসারে, নিজের মত করিয়া, কেবল নিজের করিয়া পাইবার যে-আকাকঙ্ষ! নারীর পক্ষে অত্যন্ত স্বাভাবিক, তাহা পত্রী ষ্ণালিনী দেবীর সংসারঙীবনে এই প্রথম ঘটিল; রবীন্দ্রনাথ যৌবনের পরিপূর্ণতার মধ্য স্ত্রীকে পাইলেন সঙ্গিনীরূপে প্রেয়পীরূপে- “আশা দিয়ে ভাষা দিয়ে তাহে ভালোবাস! দিয়ে গড়ে তুলি ম্বানস-প্রতিমা*

গাজিপুরের অক্ষুপ্র অবসরের মধ্য কবির মন নিমগ্ন হইল। তিনি লাঁখয়াছেন, “আমার গানে আমি বলেছি, আমি সদুরের পিয়াসী | পর্সিচিত সংসার থেকে এখানে আমি সেই দৃরত্থের দ্বারা বোষ্টত হলুম, অভ্যাসের স্কুলহস্তাবলেপ দূর হবামার মুক্তি এল মনোরাজো। এই আবহাওয়ায় আমার কাব্যরচনার একটা নতুন পর্ব আপনি প্রকাশ পেল।""' নতন আবেষ্টনে এই কবিভাগুলি সহসা যেন নবদ্দেহ ধারণ করল। পূর্ববর্তী “কড়ি কোমল'-এর সঙ্ষে এর বিশেষ মিল পাওয়া যাবে না। আমার রচনার এই পর্বেই যুক্ত অক্ষরকে পূর্ণ যূল্য দিয়ে ছন্দকে নৃতন শক্তি লিতে পেবেছি। 'যানসী'তেই ছন্দের নানা খেয়াল দেখ। দিতে আরম্ত করেছে কবির সঙ্গে ষেন একজন শিল্পী এসে যোগ দিল।”২

জীবনের এই নব অভিজ্ঞতায় তিন বিচিত্র বহশ্ত.ক সন্তোগ করিবার স্থযোগ অবসর মিলিল। নৈর্ধ্যক্তিক এসের সাধনা প্রেমের লীপা বাস্তব জগতে সম্পূর্ণ হয় না। দৈনন্দিন জীবনের প্রেম দৈনন্দিন সাংসারিক ঘাত-প্রতিঘাতে মান হয়। শারীহ্দয়ে কত বিচিত্রসাধ, কত ইন্দ্রধন্র লীলাখেলা উঠে, অন্ত যায়। কবি দার্শনিকের ম্যায় অন্ুভৰ করেন, শিমীর চোখে দেখেন, প্রকাশ করেন কবির ভাষায়।

গাদিপুবে বাসকালে কবি আটাশটি কবিতা লেখেন ১২৯৫ সালের ১১ বৈশাখ হইতে ২৩ আষাচের মধো। এইগুলিকেই আমরা মানসীর কেন্দগত কবিতা বপিব, কারণ রবীন্দ্রনাথ যখনই মানসীর কথা বলিয়াছেন তখনই গাজিপুব বাসকালে রচিত কবিতার কথাই টল্লেথ করিয়াছেন এইশুলির মধো কবির মানসলোকের যথার্থ সন্ধান পাওয়া যায়-_ ইহাতে কাল্পশিকতা কম, বৃহতের নিকট মোঘের কাছে আত্মসমর্পণের একটি ভাব স্ুম্পষ্ট। মাঘোৎসবের সময়ে যে রচনা! নাথ হে, প্রেমপথে সব বাধা ভাতিয়া দাও'__ সেই সুর দেখা যায় কয়েকটি কবিভায়-_ আত্মনিব্দন আম্মনিভনের ভাব সেখানে খুব স্পষ্ট; তাহার ছারা কাবোর রসধারা ব্যাহত হইয়াছে কি না তাহ গভীরভাবে বিচার্ধ। দুঃসাহইলিক কল্পনা ভীত্র আবেগের অভাবে কবিভাকে ছুবল করিয়া দেয়। “জীবন-মধ্যাঙ্ছের 'তাই আজ বার বার ধাই তব পানে? “ওহে তুমি নিখিপনিভঙ প্রভৃতি কথা বিশুদ্ধ কাবোর বিষয় নচে। "শূন্য গৃহে" “নিব সৃষ্টি” কবিতাতেও এই অসহায় আত্মশিবেদনের ভাব বেশ স্পট বিশ বংসরের যুবক প্রমথ চৌধুরী ঠিকই ধরিয়াছিলেন যে, ৫65৪1 [63181180101 কবিতাগুপির একটি বৈশিষ্ট

মানসীর কবিতাগ্চলি এমন এলোমেলো ভাবে সাজানো কেন তাহা জানি না। গাজিপুরে রচিত কবিভাগুলিকেও আমরা তিনটি স্তরে ভাগ করিতে পান্জি। প্রথমগুলি তথায় পৌছিক্লা বৈশাখ মাসের মধ্যে রচিত; সেগুলি হইতেছে শৃগ্ত গৃহে (১১ বৈশাখ) নিষ্র স্থত্ী (১৩ বৈশাখ ), জীবনমধ্যান্ছ (১৪ বৈশাখ ), প্রকৃতির প্রতি (১৫ বৈশাখ )। হুচলা: মানসী, রবীন্-র়চনাষলী ২। লুচনা : মানসী, রবীন্্-রচনাবলী ২।

২৬২ ববীজ্জীবনী খ্রী্টাব ১৮৮৮

শান্তি (১৬ বৈশাখ ), মরণন্প্ন (১৭ বৈশাখ ), বিচ্ছেদ (১৯ বৈশাখ ), মানসিক অভিপার ( ২১ বৈশাখ ), কুহুধ্বনি (২২ বৈশাখ ), পত্রের প্রত্যাশ]! (২৩ বৈশাখ )। এই কবিতাগুলির মধ্যে পুরাতন স্বতি-বেদনা অম্পষ্ট নে চারি বতমর পূর্বে এই বৈশাখ মাসে বউঠাকুরাশী কাদস্বরী দেবীর মৃত্যু ঘটে আজ নূতন পরিবেশে অকম্মাৎ পুরাতন দিনের কথা জাগিয়া উঠিল? এই কবিতাগুপির প্রথম কবিতা শূন্য গৃহে রচনা ১১ বৈশাখ ১২৯৫-_ [ কাদস্বরী দেবীর মৃত হয় চারি বংসর পূবে বৈশাখ ১২৯১] -- কাল ছিল প্রাণ জুড়ে, আজ কাছে নাই-_ নিতাস্ত সামান্ত একি নাথ? তোমার বিচিত্র ভবে কত আছে কত হবে-- কোথাও কি আছে, প্রভু, হেন বজ্রপাত? আছে সেই স্ুরধালোক, নাই সেই হাসি__ আছে চাদ, নাই চাদনুখ। শূন্য পড়ে আছে গেহ, নাই কেহ, নাই কেহ-_ রয়েছে জীবন, নেই জীবনের স্থখ। “মানসিক অভিসার" কবিতায় প্রতিছত্রে বিদেহীর কথা স্মরণ করায়-_- হয়তে] বা এখনি সে এসেছে হেথায়, মুদুপর্দে পশিতেছে এই বাতায়নে, মানসমুরতিখানি আকুল আমায় বাধিতেছে দেহহীন ্বপ্র-আলিঙ্গনে ॥১ এই কবিতা-গুচ্ছের পর পনেরো দিন কোনো কবিতা নাই তার পর যে-কবিতাগুপি জ্যেষ্ঠের প্রায় মাঝামাঝি সময়ে পুনরায় শুরু হইল, তাহাদের স্থুর রূপ বৈশাী-গুচ্ছ হইতে বেশ তফাত। বধু (১১ জোষ্ঠ) এই কবিতাগুচ্ছের প্রথম যেন কোনো বালিকা-বধূুর জীবনের 'প্রথম অভিজ্ঞতাকে নিখিল গ্রামা-বালিকার অস্থরের বেদনারূপে প্রকাশ। ব্যক্ত প্রেম (১২ জাষ্ঠ ), "গুপ্ত প্রেম (১৩ জোষ্ঠট ) “অপেক্ষা” (১৪ জোষ্ঠ ) কবিতাত্রয়ে নারী প্রেমের নৃতন বূপ কবির লেখনীতে মৃতি লইয়াছে। নারী কুলত্যাগিনী নহে_- চিরন্তন নারী, যাহার কাছে প্রেমহীন ভালোবাসা “আলোতে দেখায় কালো কলঙ্কের মতো” | পুরুষ তাহার বিদ্যা বিস্তু বাধ লই দৃুতেজে নারীর নিকট আসে, তাহার স্থপ্ত যৌবনের যৌন আকাঙ্ষাকে উতলা করে। কিন্তু পুরুষের অচ্রাগ নানাপথচারী-__- তাই চিরম্তন নারী হয় অপমানিত, লজ্জিত, ক্ষুব। পুরুষের একনিষ্ট প্রেমের অস্ত হইলেই নারীর কলঙ্ক, তাহাতেই তাহার পরাভবের গ্লানি “গুপ্ত প্রেমে কবি বলিতে চাহিরাছেন যে প্রেমই নারীর ধর্ম। সে-নারী হুরূপাই হউক আর কুরূপাই হউক অস্তর তাহার প্রেমের জন্য লালায়িত ; “আমি রূপসী নহি, তবু আমারো মনে প্রেমের রূপ সে তো স্থমপুর” বা “আমি আমার অপমান সহিতে পারি, প্রেমের সহে না তো অপমান ।” এই হইতেছে য্থার্থ প্রেমিকার সর্বো্তম আদর্শ। “চিত্রাঙ্গদা কাব্যনাট্যে কবি কুরূপা চিত্রাঙ্গদার প্রেমনিবেদনের ব্যর্থতা দেখান সেই পর্স্ত “গুপ্ত প্রেমের সহিত তাহার মিল আছে, কিন্ত নাট্যখানিতে কবি আরো আগাইয়া গিরাছেন ; সেখানে নারী কথা বলে নাই

জর: প্প্রমথনাথ বিশী, রবীন্্রসরণী (১৩৬৯ ) ষষ্ঠ অধ্যায়। প্রশুত্রাংশু মুখোপাধ্যায়, রবীল্রকাধোর পুনধিচার। মানসী প্রবন্ধ

খ্রীষ্টা্ষ ১৮৮৮ “মানসী'র যুগ : ৩। গাজিপুরে ২৬৩

তাই যদি সেকাছে আসে পালাই দূরে, আপন মনো-আশা দলে যাই, পাছে সে মোরে দেখে থমকি বলে “একে!” ছু হাতে মুখ ঢেকে চলে যাই। পাছে নয়নে বচনে সে বুঝিতে পারে আমার জীবনের কাহিনী-_ পাছে সে মনে ভানে “এও কি প্রেম জানে! আমি তো! এর পানে চাহি নি! চিন্রাঙ্গমার চরিত্রে এই পরাহত মনোভাব নাই | সেখানে নারী বিজয়িনী “অপেক্ষা” কবিতা এই কবিতাত্রয়ের পরিপূরক $ সমাপ্তি হইল পরিপূর্ণ মিলনে “দোহার মাঝে ঘুচিয়া যাবে আলোর ব্যবধান: আধারে যেন দুজনে আর ছুজন নাহি থাকে 1". এবং হৃদয় দেহ আধারে যেন হয়েছে একাকার 1. মৌন এক মিলনরাশি তিমিরে সব ফেলিল গ্রাসি, প্রলয়তলে দোহার মাঝে দোহার অবসান। বাস্তবতার এমন অপরূপ কাবা-আবরণ রবীন্দ্রনাথের ন্যায় সুদক্ষ আর্টিস্টের লেখনীরই উপযুক্ত এই পায়ের প্রেমের শেষ কবিতা “হথরদাসের প্রার্থনা” প্রথম কাব্যগ্রস্থাবলীতে (১৩০৩) ইহার নামকরণ করেন আখির অপরাধ" ইহাকে 'গুরুগোবিন্দ' 'নিশ্ষল উপহার প্রভৃতির সহিত কাহিনী-কবিতাগুচ্ছের অন্তর্গত করা যাইতে পাবে; কিন্তু কাহিনী ইহার প্রধান বিষয়বস্ত নহে। সৌন্দর্ধের প্রতি আখির যে-ম্বাভাবিক আকর্ষণ, তাহারই সমর্থন বা তাহারই জয়গান ছিল কবিতার অন্তভম উদ্দেশ্ট “ফান্ঠনী'তে অন্ধ বাউল বলিতেছে-__ “আমি কেন ভয় করি নে বলি। একদিন আমার দৃষ্টি ছিল। যখন অন্ধ হলুম, তয় হুল দৃষ্টি বুঝি হারালুম। কিন্তু চোখওয়ালার দৃষ্টি অন্ত যেতেই অন্ধের উদয় হল। ্থ্ধ যখন অস্ত গেল তখন দেখি অন্ধকারের বুকের মধ্যে আলো।” স্থরদাসও অদ্ধ হইবার পর বলিতেছে-_ তোমাতে হেবিব আমার দেবতা, হেরিব আমার হবি-- তোমার আলোকে জাগিয়া রহিব অনস্ত বিভাববী সমস্ত কবিতাটিতে নূতন স্থর রূপ সংযোজিত হইল, যাহ ছিল 511580955 লালসার সাষগ্রী, তাহ। হইয়া! গেল দেহোত্তর আধ্যাত্মিক ধ্যানের ধন। প্রকৃতির প্রতিশোধে" সঙ্ক্যাসী জগতের রূপ-রসকে দুরে নিধাসিত করিয়াছিল, প্রকৃতির পীড়নের কথা সে জানিত না; আর, হুরদাস হ্ুন্দরকে রূপের মধ্যে দেখিয়াছে, এই তাহার আখির অপরাধ। তাই আঞ্জ তাহার প্রার্থনা

২৬৪ ববীজ্জজীবনী গ্রীাক ১৮৮৮

যাক, তাই যাক। পারি নে ভাসিতে কেবলি মুবতিশ্রোতে। লহ! মোরে তুলে আলোকমগন মুরতিতুবন হতে।

আখি গেলে মোর সীমা চলে যাবে একাকী অসীম ভরা, আমারি আধারে মিলাবে গগন মিলাবে সকল ধরা। আলোহীন সেই বিশাল-হদয়ে আমার বিজন বাস, প্রলয়-আমন জুড়িয়া বসিয়া রব আমি বারো মাস।

রবীন্দ্রনাথ সৌন্দর্যের পূজারী বটে, কিন্তু সৌন্দধোত্তরের সাধক | অ[্যাপক শ্রশুত্রাংশ মুখোপাধ্যায় 'হৃবদাসের প্রার্থনা" কবিতাটি লইয়া অতি-দীর্ঘ আলোচনা করিয়া বলিতেছেন “স্থরদাস একদিন রাণীকে দেখেছিলেন বালনা- মলিন চক্ষু মেলে। দুদিধ্ই পরিতাপে উৎপাটিত করেছিল সে-ছুটি চক্ষু। কবির অন্তগূর্চ ইতিহাসও সমজাতীয়।” (পৃ ৬৬-৬৭)। কবির জীবনের সহিত ইহাকে রূপকভাবে ব্যাখা] না করিলেও কবিতাটির সৌন্দর্য অটুটই থাকে

'বধূ" প্রভৃতি চারিটি কবিভার মধো কবি প্রেমের যে-বেদনা প্রকাশ করিয়াছেন, তাহা হইতেছে নারীর অস্তরের বেদনা_উাহার লেখনীতে ভাষা পাইয়াছে। ইহা একপ্রকার 'কাবাক” স্থখলস্তোগ, বীর্ঘবান যৌবনের পরিপূর্ণ আনন্দ-উপলব্ধির প্রয়াস | 'তাই দেখি অপেক্ষা রচিত (১৪ জোট) হইবার চারিদিন বাবধানে লিখিত 'ছুরস্ত আশ, প্রমুখ কবিতাত্রয়ের পরিপ্রেক্ষণা সম্পূর্ণ সবতস্থ।

গাজিপুর বাসকালে রচিত তৃতীয় স্তরের কবিতার কথায় আসা যাউক। "দুর আশা" (১৮ জাষ্ঠ) “দেশের উন্নতি" (১৯ জাষ্ট ) বঙ্গবীর" (২১ জোষ্ট ) কবিতাত্রয় পৃথক অভিঘাতে কষ্ট, ইহারা লিরিক-ধমী নহে। এই নৃতন অভিঘাতে সাময়িকভাবে নিজের বিরদ্ধে বিদ্রোহ যেন সর্পসম ফোমো। তাই অত্যান্ত উচ্ছ্বাসভরে লিখিপেন, ইহার চেসে হতেম যদি আরব বেদুয়িন' | "দেশের উন্নতি" বঙ্গবীর বাঙ্গ শ্লেষে কন্টকিত হইলেও দেশের জন্য কবির মে-স্ুগভীর প্রেম তাহা কবিতাগ্চশিতে প্রকাশ পাইয়াছে। এই বাঙ্গের মধ্য দিয়া 'উপ্টা করে বি আমি সহজ কথাটাই! বার্থ তুমি কর পাছে বার্থ করি তাই-__ আপন বাথাটাই”। ক্ষণিকার তীকুতা কবিতাটাই স্মরণ করায়।

রাজনীতির 'পলিটিকাপ আঙ্িটেশন”, নবা হিন্দুদের আধামি? গ্রহতির বিরুদ্ধে তীব্রভাবে লিখিলেন বটে, কিন্তু নিজের নিন্দা! শুনিয়া যাহ] লিখিলেন, তাহার মধ্ধো বণং দেহি ভাব তো নাইই, বরং অভান্ত দুর্বল পরাজিত মনের কাতরতার তাহা পূণ “নিন্দুকের প্রতি নিবেদন বোধ হয় লেখেন 'কডি কোমলো'র প্রতি কালী প্রসন্ন কাব্াযবিশারদের আক্রমণের উরে ইহার পরু দিন লেখেন 'কবিবু প্রতি নিবেদন" এইটিতে নিজের কাছে নিজের সান্থনা খুঁজিতেছেন; এই কবিতাটি প্রথমটির পরিপূরক হিসাবে পঠনীয় | রবীন্গনাথের 'কডি কোমল? ১২৯৩ সালের অগ্রহায়ণ ( নভেম্বর ১৮৮১৩) মাসে প্রকাশিত হইয়াছিল কালীপ্রপন্ন কাবাবিশারদ এই কাব্যের বাঙ্গ করিয়। রাহু১-রচিত মিঠে-কড়। বা ইহ। কড়ি নহে কোমল নহে, পুরো স্থরে মিদেকড়া' এই নামে স্ষু্ব একখানি কাবা লেখেন (পূ ২৪)) উহা প্রকাশিত হনব বৈশাখ ১২৯৫ (১৭ এপ্রিল ১৮৮৮ )1২ আনে হয়, গাজিপুরে সেই বাঙ্গ কবিতাটি কবির হস্তগত হর; তাহার পরেই এই কবিতাটি লিখিত হয় বপিয়া অমান |

[ দেবেন্্রনাণ সেন ] 'ভীকাকাতুয়া দেবশর্মা' রবির!হ | সাত, মা ১২৯৮। ড্র. &, বিশু যুদোপাধায়, রধীন্্রসাগয় সংগমে পৃ ২৪-৪৫। “মি কডা' এইপানে উদধৃত আছে। কালীপ্রসন্ন কাবাবিশারদ, সাহিতা সাঘক-চটি তমালা ৬৮ |

খা ১৮৮৮ মানলীর যুগ : ৩। গাজিপুরে ২৬৫

দুর্বল মোরা, কত ভুল করি, অপূর্ণ সব কাঙ্গ।

নেহারি আপন ক্ষুদ্র ক্ষমতা আপনি যে পাই লাজ।

তা বলে যা পারি তাও করিব না? নিক্ষল হব ভবে? প্রেমফুল ফোটে, ছোটো ছল বলে দিব নাকি তাহা সবে?" যদি ভুল হয়, ক'দিনের ভুল! ছু দিনে ভাডিবে তবে। তোমার এমন শাণিত বচন সেই কি অমর হবে ?১

“গুরগোবিন্দ' “নিক্ষল উপহার? উপাখ্যানমূলক কবিতা হইলেও তত্বই সেখানে আসল উভয় কবিতা শিখগ্ুরুর কাহিনী গুকর নির্জন সাধনার কাল উদযাপিত হয় নাই-_

এখনো কেবল নীরব ভাবনা, কর্ধবিহীন বিজন সাধনা, দিবানিশি শুধু বসে বসে শোনা আপন মর্ষবাণী.।

তাই এখনো ভাহার বিজনবাপ চলিবে গুরুগোবিন্দ নিক্ষল উপহার একই দিনে লেখা (২৭ দাষ্ঠ ১২৯৫) প্রায় পাচ বসর পরে লিখিত 'ইংরাজ ভারতবানী' প্রবন্ধের উপসংহারে গুরগোবিন্দের নির্জন সাধনার উল্লেখ করিয়াছিলেন

সম্পূর্ণ ভিন্ন পটভূমিতে পর ছিনে রচিত 'পরিত্াক্ত' কবিতাটি বাংলাদেশের মধো সকল প্রকার প্রগতি সংস্কারের বিকদ্ধে যে-প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়াছে, এই কবিতাটি তাহারই ভৎপনায় বচিত-_ কিন্তু ভংদনাও বেদনায় কাতর। আজ বক্কিমচন্্র প্রমুখ লেখকগণ, বাংলাভাষার অকুণযুগে ধাহারা! ছিলেন পূর্গগনের শুকতারা, তাহাবা হইয়াছেন গ্রতিক্রিয়াপন্থী, তাহাদেবুই উদ্দেশ্টে কবি যাহা লিখিলেন, তাহা পূর্বে আমরা উদ্ধৃত করিয়াছি

রবীন্ছুনাথের চিরপ্রাগ্রমর মন সমসামমিকদের আগে চলিত। তাই শিক্ষিত সমাজের এই চিত্রবিকূতি, এই প্রতিক্রিয়ামুলক মনোবৃত্তি হাহাকে আঘাত দেয়) কিন্ধ তাহার আদরশ ঞবতারকার ন্যায় চিত্তমাকে বিবাজিত, তাই তিনি নিভীক-_-

তয় নাই যার কী করিবে তার এই প্রতিকূল স্োতে। তোমারি শিক্ষা করিবে রক্ষা তোমারি বাকা হতে।

“তৈববী গান' 'পবিভাক' কবিতার পরিপ্তিবূপে৭ দেখা যাইতে পারে প্রাচীনেরা হাহাকে পরিভাগ করিয়াছেন বাত্যাগ করিতে উদ্যত, কারণ ঠাহাদের মতে রবীন্দ্রনাথের প্রগতিশীলতার সহিত প্রাচীন ভারতের যোগ সামান্তই | রপীন্রনাথের মন্ডে এই ভৈববী গান গাওয়া বৃথা; মন উদাস করিবার চেষ্টা হয়, কিন্থ তপু করিবার উপাদান উহাতে কম-_

গো কে তুমি বসিয়া উদাসমূরতি বিষাদশাস্ত শোভাতে ' ওই ভৈরবী আর গেয়ো নাকো এই প্রভাতে-- -., ওগে! থামো। যাবে তুমি বিঙ্গায় দিয়েছে তারে আর ফিতরে চেয়ো না।." আজি প্রথম প্রভাতে চলিবার পথ নয়নবাশ্পে ছেয়ো না... তারা অলস বেদন করিবে যাপন অলস রাগিণী গাহিয়া, ববে দূব আলো-পানে আৰিষ্ট প্রাণে চাহিয়! ওই মধূব রোদনে ডেসে যাবে তারা দিবনরছনী বাহিয়া। নিশ্বুকর প্রতি শিষেগন, হানমী, রধীজ-রচনাধলী ২, পৃ২১৯। গুরগানিম্দ, কথা, রবীন্-রচনাধলী ৭, পৃ ৯৩।

৬ম

২৬৬ ববীন্রজীবনী গ্রষ্টাৰ ১৮৮৯

সেই আপনার গানে আপনি গলিয়া আপনারে তারা ভুলাবে, স্সেহে আপনার দেহে সকরুণ কর বুলাবে। স্থখে কোমল শয়নে রাখিয়া জীবন ঘুমের দোলায় ছুলাবে। ওগো, এর চেয়ে ভালো প্রখর দহন, নিঠর আঘাত চরণে যাব আজীবন কাল পাষাণকঠিন সরণে। যদি মৃত্যুর মাঝে নিয়ে যায় পথ, স্থুখ আছে সেই মরণে। পরিত্ক্ত কবিতায় কৰি যে-অভিযোগ করিয়াছিলেন তাহাই এই কবিতাটিতে বলিলেন অন্থভাবে। দেশবাসী অতীতের মোহে, অথব! ভবিষ্যতে স্বপ্পে অর্ধজাগ্রত অবস্থায় থাকিতে চায়, বাস্তবের সহিত মুখোমুখি হইতে তাহাদের তয়। বর্তমানের দৈনন্দিন সংগ্রাম কঠিন-ভিত্তি আদশবাদের অভাবে সুনির্দিষ্ট পথে পরিচালিত হইতেছে না। কৰি এই পরাভবকে জাতির নৈতিক পরাজয় বলিয়া মনে করিতেন, তাই কবির যাহা করণীয় তাহাই তিনি করিলেন__ ভাষার স্থরে আশাহীন জীবনে প্রাণের স্পন্দন আনিবার চেষ্টা এই কবিতার অন্য আধ্যাত্মিক ব্যাখ্যা হইতে পারে। গাজিপুর বাপকালে মানসীর তৃতীয় কবিতাগুচ্ছের শেষ কবিতা 'ধর্মপ্রচার' (৩২ জোষ্ঠ ১২৯৬)। সম্পূর্ণ পৃথক আদর্শে রচিত হইলেও পুবৌোক্ত কবিতারাজির মধো যে-ভাব প্রকাশ পাইয়াছে__ এখানে তাহার অন্তপ্রকার আবেদন | সাময়িক সংবাদপত্রে কবিতার ঘটনাটি বণিত হয়। এই কবিতায় 5011776 ৪1 10010:0১ সমভাবে প্রকাশ পাইয়াছে। মুক্ি-ফৌজের গেকুয়াপরা সাহেব সন্্যামীদের উপর নব্য হিন্দুয়ানির শ্বেচ্ছাব্রতীর দল হিন্দুধর্ম রক্ষার উৎসাহে যে-কাণুট! করিয়াছিলেন, তাহা আদে স্থন্দর নহে €ই শোনো ভাই বিশ্ব, পথে শুনি “জয় যিশু? কেমনে নাম করিব সহা আমরা আর্ধশিশু 1... আগে দেব ছুয়ো তালি, তার পরে দেব গালি। কিছু না বলিলে পড়িব তখন বিশ-পচিশ বাঙালি তুমি আগে যেয়ো তেড়ে, আমি নেব ট্রপি কেড়ে। গোলেমালে শেষে পাচজনে পাড়ে মাটিতে ফেলিয়ো পেড়ে। এই 18৭107085 চিত্রের পর যখন মুক্তি-ফৌজ১ আর্ধ বীরদের ছারা প্রহ্ত হইয়া রুধিরাক দেছে যিশুর জয়গান করিতেছে, তখন কবিতাটি কেবল ১৪৮]1০)৪ হয় নাই, নাটকীয় সৌন্দধে উদ্ভাসিত হষইয়াছে। এই কবিতা রচনার তেইশ দিন পরে লেখা নিববঙ্গদম্পতির প্রেমালাপ? (২৩ আফষাট )1 কবিতাটির মধ্যে যে বাঙ্গ শ্লেষ প্রকাশ পাইয়াছে, তাহ] নব্য হিন্দুদের বাল্যবিবাহ সমর্থনের জবাব, 'হিন্ুুবিবাহ' প্রবন্ধে সে-আলোচন] হইয়। গিয়াছে। আমরা এতক্ষণ কৰি রবীন্দ্রনাথের মাননপোকের বিচিত্র অন্তভূতির সন্ধানে তাহার কাবা-বঙ্গাকার ছায়াহীন পথ বাহিয়া চলিয়াছিলাম। কিন্ত মাগ্ুষ রবীন্দ্রনাথকে দেখা দরকার, যাহার ভিতর দিয়া কাব্য-ব্লাকার অশ্রত কাঁকপি

মুক্তিফৌজ 581৮40100 £৯১ ্রীষ্টীয় প্রতিটান | উইলিয়াম পুপ ( ৬. 7০90) 1829 1912) ইংলতে ১৮৬৫ সালে শ্বাপন করেন। ইনি লগ্ুনের অন্থাজপল্লীতে (5150 ) জনসেবা ধর্মপ্রচার প্রবর্ঠন করেন। এই প্রতিঠানের কমীর সৈনিক-বিছাগের ছ্যায় সঘযত নিয়মনি্। সেবা. আঃত্রাপ বিশেষভাবে দরিদ্র দুঃস্থ দুরধর্বদের মধো কাজের ভা উহাদের গতি ভারে ১৮৮২ সালে হা।লনেশন আমির কাজ গরু হয়। কমীরা গেরুয়াখারী | উহারা ঠিক মধাযুগের ্ীষটান সাধু সম্যানাদের মতে নে | আমার মনে হয় স্বামী বিবেকানন। সন্গযাপী-সপ্রদায় স্বপনের 1069. এই মুক্ি-ফৌজদের নিকট পাইয়াছিলেন।

খা ১৮৮৯ পারিবারিক স্বতি? : মায়ার খেলা? | সখীমমিতি ২৬৭

অরূপের বাণীরূপে প্রকাশ পাইতেছে। আমরা পূর্বেই বলিয়াছি রবীন্দ্রনাথের জীবনে গাজিপুর-বাস পর্বটা একটি বিশেষ ঘটন1; তাহার কারণও বলিক্বাছি গাঙ্গিপুরে যে বরাবর ছিলেন তাহা নছে, বোধ হয় বার-দুই কলকাতায় যান। একবার গিয়া স্থরেন্্রনাথ ইন্দিরা দেবীকে আনেন; আধাড়ের শেষাশেষি (৭ জুলাই ১৮৮৮ ) তাহাদের পুনরায় রাখিয়া] আসেন শ্রাবণ মাসে ন-দিদি ত্বর্ণকুমারীকে লইয়া পুনরায় ফিরিয়া আসেন। স্বর্ণকৃমারীর 'গাজিপুর পত্র' ভারতীতে প্রকাশিত হয় (শ্রাবণ ১২৯৬ )। উহাতে ববীন্দ্রনাথ সম্বন্ধে অনেক কথা ন্েহ কৌতুকের সহিতও লিখিত এখান হইতে ইহারা কয়েকদিনের জন্ত কাশী বেড়াইতে যান, তাহার বর্ণনাও উক্ত প্রবন্ধে আছে। উক্ত প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ রচিত গাজিপুবের এক উদ্ভট ইতিহান লিপিবন্ধ আছে। বলা বাহুলা ইতিহালটি রবীন্দ্রনাথের স্বকপোলক ল্লিত, হাস্যরসন্থষ্টি তাহার উদ্দেশ্য ।১ “নৌকাডুবি? উপন্যাসের মধ্যে গাজিপুর কাশীর যে বর্ণনা আছে, তাহা কবির এই অভিজ্ঞতা-জাত।

গাজিপুরে কবির বাসার নিকটে বাস করিতেন সেখানকার সিভিল সার্জেন; তিনি ছিলেন মিলিটারি বিভাগের লোক। কবির সঙ্গে তাহার পরিচয় হয় এবং কবি কী লেখেন তাহা জানিতে তাহার কৌতুহল হয়। কবি আমাদের বলিয়াছিলেন যে, তিনি তাহার কবিতা তর্জমা করিয়া তাহাকে শুনাইতেন। অধুনা-আবিষ্কৃত “নিক্ষল কামনার অন্থবাদ বোধ হয় এই সময়েই প্রথম করেন। সম্ভবত ইহাই কবির ইংরেজি অনুবাদের প্রথম প্রয়াস 1২

পারিবারিক স্মৃতি? : মায়ার খেলা” সধীসমিতি

গাজিপুর হইতে বোধ হয় বর্যার শেষ দিকে ববীন্রনাথ সপরিবারে কলিকাতায় ফিবিলেন। কখনো থাকেন জোড়ার্সাকোর বাটিতে, কখনো জ্ঞানদানন্দিনী দেবীর মহিত উড গ্রীট বা পার্ক স্্রীটের বাসায়। সতোব্রনাথের বাড়িতে জমে আম্মীয় বন্ধুবান্ধব সাহিভাকদের মজলিস। 'পাবিবারিক স্বৃতি' নামে এক খাতায় সাহিতািকরা লেখেন নানা বিষয় সম্বন্ধে নিজ নিজ মত মন্তব্য একই বিষয়ে বহুজনের বহু মত হইতে পারে-_ পক্ষে বিপক্ষে ; বিপন্বীত মত পোষণেও আপত্তি নাই, অস্ভূত ঘটনাও লিপিবন্ধ হয়। রবীন্দ্রনাথ এই লেখকদের মধ্যে প্রধান_ তাহার হাতে কোনো সাময়িক পত্তিকা নাই। নানা কথা নানা ভাবে মলে জাগে, এই খাতায় লিখিয়া যান আপন মনে; কেহ বা তার মধো খুত ধরে, টিপ্ননী করে-_ তাহাতে বাদ-প্রতিবাদ হয়, লেখার এজ্প্য বাড়ে। ববীন্দ্রনাথ বাতীত তিজেন্দ্রনাথ জ্যোতিরিক্্রনাথ আছেন জোর্টদের মধো। তা ছাড়া আছেন আশুতোষ চৌধুরী, তাহার ভ্রাতা যোগেশচন্দ্র, কবি অক্ষয়চন্দ্র চৌধুরী, সিভিলিয়ান লোকেন পালিত) ছোটদের মধ্যে আছেন স্বরেন্্রনাথ, বলেন্দ্রনাথ। এই পাওপ্িপিখানি ভালো করিয়া পড়িলে বেশ বুঝা যায় ষে উত্তরকালে ববীন্দ্রনাথ 'পঞ্চভূত' নামে যে-গ্রন্থ রচনা করেন, তাহা মুখ্যত এই পাওুলিপির উপাদান আইডিয়া ১. তারভী বালক, শ্রাবণ ১২৯৬, পৃ ১৯৮-৯৯।

আমর] এই ইংয়েজি কবিতাটির কয়েকটি পঙ পি উদ্ধৃত করিয়া দিলাম | 1০5: 81701817500) 8806, ত5০৬-01জ1501, 79,

4৯1] (19101655158 0)6 05)

4৯1] ৮৪11 015 0011178001৬ 01 465110,

15৫ 5০7 8965 009৬1) 00 1015 1650.

06605810010 017 016 (01650 8170 81907001120 006 5109.

৬৬11) 00170056199] 800 117807118 50605

0৩6৬৪181008 5001 000065 1) 017৩ ৬১৪০৫ 01 06087018095

4১04 006 00680৮06006 0111806 15 0661) ৬100 006 19177655015 [58165৩]1 16611718,

২৬৮ রূবীন্দ্রীবনী | গরীষ্টাষা ১৮৮৯

হইতে গৃহীত। ১২৯৫ সালের ২২ কান্তিক হুইতে পৌষের তারিখ পর্যন্ত প্রায় দিনই রবীন্দ্রনাথের লেখা» চোখে পড়ে ইতিমধ্যে কাতিক মাসের গোড়ার দিকে রবীন্দ্রনাথকে বোলপুরে যাইতে হয়। কয়েক মাস পূর্বে মহর্ষি দেবেদ্রনাথ বোলপুরে ট্রাস্ট ভীড সম্পন্ন করিয়া নিকটের এক প্রান্তরে আশ্রম-প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা গ্রহণ করিয়াছিলেন (৮ মার্চ ১৮৮৮), এইবার কাঠিক (১২৯৫ অক্টোবর ১৮৮৮ ) আশ্রম প্রতিষ্ঠিত হইল।*

আশ্রম-প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে উপাসনা সভা৷ হয়। ববীন্দ্রনাথ মোহিনীমোহন চট্টোপাধ্যায় উপাসনায় আচার্ষের কার্ধ করিয়াছিলেন, মোহিনীয়োহনের বক্তৃতা ব্যাখ্যান পাঠে এবং রবীন্দ্রনাথের প্রাণম্পশী সংগীতে সকলেই মুগ্ধ হইয়াছিল ।০

পারিবারিক স্বতি-পুস্তকের রচনাগুলি শখের লেখা, পত্রিকার তাগিদে লেখা নয়। তবে কিছুকাল পূর্বে সথী- সমিতির তরফ হইতে প্রেমিডেন্সি কলেজের দর্শনাধাপক ডক্টর প্রসন্নকুমার রায়ের পত্বী সরলা রায়ের (15, 5.0 ঢ০০ ) অনুরোধে রবীন্দ্রনাথ যে একটি গতিনাটিক! লিখিয়া দিবেন বলিয়া প্রতিশ্রুতি দিয়াছিলেন, তাহা এবার পূরণ করিতে হইতেছে পাঠকের স্মরণ আছে, গত বৎসর পূজার সময়ে দাজিলিঙ বামকালে “মায়ার খেলা'র গান রচনা শুরু করিয়াছিলেন, এবার সেটিকে শেষ করিলেন অগ্রহায়ণ মাসের মধ্যে ছাপা শেষ করিতে হুইল, কারণ পৌষের মাঝামাঝি মহিল] শিল্প-মেলায় উহার অভিনয় হয়। এই গীতিনাটিকাটির অভিনয়ের বাবস্থা করেন সখীসমিতি। কিন্ত গান শেখানো প্রভৃতি কাজে রবীন্ত্রনাথকেই প্রধান অংশ গ্রহণ করিতে হয়, যদিও প্রতিভা দ্রেবী যথেষ্ট সাহাযা করেন।

'জীবনস্থতি'তে বাল্লীকিপ্রতিভা গ্রীতিনাটোর সহিত তুলনা করিয়া এই নাটিক] স্থন্ধে ব্রবীন্্নাথ লিখিয়াছিলেন যে “মায়ার খেলা” গীতিনাটা হইলেও “ভিন্ন জাতের জিনিস তাহাতে নাট্য মুখ্য নহে, গীতই মুখ্য বাল্মীকি প্রতিভা

আমর] এই লেখাগুলির নাম তারিখ এইখানে দিতেছি »। বাঙ্গালাভাষ| বাঙ্গালী চরিত্র [২২ কাতিক ১২৯৫ ] দ্র ভারতী, বৈশাখ ১৩১২ পু »*-৯৩। ২৩। হিন্দূদিগের জাতীয় চরিঞ শ্বাধীনতা (দীর্ঘ প্রবন্ধ) [৩ অগ্রহায়ণ ১২৯৫]। ২৯ শ্রী পুরুষের প্রেমে বিশেষত্ব [ অগ্রহারণ ১৯৯৫ ]। ২৮। আমাদের সভাতায় বাহিক মানসিক অসামন্রন্ত | অগ্রহায়ণ ১২৯৫ ]। ২৯»। কবিতার উপাদান রহ্‌ন্ত (21550615 ) [৬ অগ্রহায়ণ ]। সৌন্দর্য বল [ অগ্রস্থায়ণ ১২৯৫ ]।

শ্

সপ

৩৩

৩১। আবগ্কের মধ্য অধীনতার ভাব [৭ অগ্রহায়ণ ১২৯৫ ]1 ৩৫ 1 ধর্ম ধর্মশীতির অভিব্যন্তু [৮ অগ্রহায়ণ ১২৯৫ ]। ৩৯ | সমাজে স্ত্রীপুরুষের প্রেমের প্রভাব [ ১* অগ্রহ্থায়ণ ১২৯৫ ]। ৪১ আমাদের প্রাচীন কাবো সমাজে স্্ীপুরুষ প্রেমের অভাব [ অগ্রহায়ণ ১২৯৪ ]। ৪২। ০01৮4115 [ অগ্রহায়ণ ১২৯৫ ]1 রবীন্দ্রনাথের দ্বিতীয় সগ্ভান বাজ্যে্ঠ পুত রপীজনাঁপের জন্ম হয় ১৩ অগ্রহায়ণ ১২৯৫ [২৭ নষ্তেম্বর ১৮৮৮ ]1 ৫২। [সংগীত সম্বন্ধে ক্রিদংশ ছিন্ন ) জোডাঈগীকো অগ্রহায়ণ ১২৭৫ ৫৫। নৌনার্ধ[ পৌষ )। অনোরনাথ জ্ঞানেন্রসাথ চট্টোপাধায়, শান্তিনিকেতন আশ্রম, পূ€৮। তন্থবোধিনী পত্রিকায় প্রজক্ষদর্শী অধোরনাণ চট্টোপাধায়ের একটি বিস্বৃত বর্ণনা প্রকাশিত হয় (১২৯৫ সাল, অগ্রহায়ণ ১৮১* শক )। ১২৯৫ ১২৯৬ নালে তববোধিনী পত্রিকায় রবীন্রনাথের কোনে! গান প্রকাশিত হয় নাই।

&ষ্টাৰ ১৮৮৯ পারিবারিক স্থতি' £ “মায়ার খেলা? সখীসমিতি ২৬৯

কালমুগয়! ষেমন গানের সথত্রে নাট্যের মালা, মায়ার খেলা তেমনি নাট্যের সুত্রে গানের মালা ঘটনান্্োতের 'পরে তাহার নির্ভর নহে, হাদয়াবেগই তাহার প্রধান উপকরণ বস্তত “মায়ার খেলা, যখন লিখিয়াছিলাম, তখন গানের রসেই সমস্ত মন অভিষিক্ত হইপ্লাছিল।”

এই নাটিকার সমন্তই গান, পাঠোপযোগ্নী কবিতা অতি অল্প। ইহার তিনটি গান কবির অন্ত কাব্যে ইতিপূর্বে প্রকাশিত হইয়াছিল। গ্রন্থের প্রথম সংস্করণের বিজ্ঞাপনে লিখিয়্াছিলেন, “ইহার আখ্যানভাগ কোনে সমাজবিশেষে দেঁশবিশেষে বন্ধ নহে। সংগীতের কল্পরাজো সমাজনিয়মের প্রাচীর তৃলিবার আবশ্তক বিবেচনা করি নাই ।” লেখকের ভরসা ইহাতে “সাধারণ মানবপ্রকৃতিবিকক্ধ কিছু নাই ।”১ গল্লাংশের মধোও নৃতনত্থ কিছু নাই, পূর্ব-প্রকাশিত গগ্য-নাটক 'নলিনী'র ছায়াবলম্বনে ইহা রচিত।

মায়ার খেলা গ্ীতিনাট্যে কবি এই কথাই প্রকাশ করিতে চাহিয়াছিলেন যে, আত্মন্থখ প্রেম প্রতিশব্ববাচক নহে। ছুবাশার বশবতী হইয়া মানুষ প্রেমের শ্বরূপ বুঝিতে পাবে না।

এরা হুখের লাগি চাহে প্রেম, প্রেম মেলে না

কিন্ধ নাগ্িক] শান্তা অপেক্ষ! করিয়। ছিল প্রেষের প্রতীক্ষায় সে জয়ী হইল।

“মায়াকুমারীগণ কৃহকশকি প্রভাবে মানব-হৃদয়ে নানাবিধ মায়া জন করে। হাসি, কান্না, মিলন, বিরহ, বাধনা, লজ্জা, প্রেমের মোহ এ-সমস্ত মায়াকুমারীদের ঘটনা একদিন নববসস্তের রাতে তাহারা স্থির করিল, প্রমোদপুকুষের যুবক-যুবতীদের নবীন হৃদয়ে নবীন প্রেম রচনা করিস তাহারা মায়ার খেলা খেলিবে ।”

নলিনী নাটকের ইহ! গীতিময় কপ। এখানে অমর শান্তার মিলন হুইল, প্রমদ শৃন্হদয় লইয়া কাদিয়া চলিয়া গেল। মায়াকুমারীগণ শেষ কথা গাহিল__

এরা স্থখের লাগি চাছে প্রেম, প্রেম মেলে না, শুধু হুখ চলে ঘায়-_ এমনি মায়ার ছলনা।

প্রেমের ছন্ঘ এই গীতনাট্যের প্রতিপান্থ প্রেমের সংগ্রামকে স্পষ্টতর করা হইয়াছে বাজা রানীতে ; বিসর্জনে পূর্ণ প্রেম 'ঝানসী'র একটি কবিতায় আছে-_ নিবাও বাসলাবন্ধি নয়নের নীবে।

রবীন্দ্রনাথের নিজন্থ নাটক প্রকৃতির প্রতিশোধ দ্বিতীয় বচন! মায়ার খেলা এই ছুইটি নাটক কোনে পৌরাণিক- কাহিনী অবলম্বনে রচিত নছে। "মায়ার খেলা” “মানসী কাবাধুগের রচনা “কড়ি কোমল" পবের যৌবন- সৌনধপ্রতি কাফিক কামনা "মানসী" পবের মানস-হুন্দরীর 'অ্ূপমৃতি'-অদর্শনজনিত বেদনা__ এই ছুই-এব মাঝে কবির মন যখন ফোলায়িত-_ সেই সময়ে মায়ার খেলা? জীবনে অন্থভব করেন।

সরলা রায়ের অহুরোধক্রমে নাটিকাটি রচনা করেন বলিয়া গ্রন্থখানি তাহাকে উপহার দেন; আব উহার উপসত্বও সধীসমিতিকে দ্বান করা হয়। কেবল মেয়েরাই শিল্পমেলায় অভিনয় কবিবে বলিয়া বোধ হয় ইহার অধিকাংশ ভূমিকা মেয়েদেরই আর যে-কয়েকটি পুরুষচবিজ আছে, তাহার! এমনি নিরীহ যে মেয়েরা সে-অংশ গ্রহণ করিলেও বেমানান হয় না।

সধীসমিভিয়* উদ্যোগে “মহিলা শিল্পমেলা' খোলা হয়; ১৫ পৌষ ১২৯৫ সালে কলিকাতা বেখুন স্কুল বাটিতে

মানার খেলার' প্রথম সংস্করণে কি দ্বয়ং টতিনাটাথানির গল্পাংশ সংক্ষেপে বিযৃত করিয়াছিলেন পরবতী সংস্করণে সেটি পরিভান্ব হয়। রবীন রচনাবলী প্রথম খণ্ডে গল্াংশ পুনধোজিত হইয়াছে মারার খেলা স্বরলিপি ইঙ্দির়া দেবী -কৃত, আধাড় ১৩৩২।

মানার খেলা প্রথম সংস্করণের বিজ্ঞাপন | রবীন্-রচনাবলী ১।

১২৯৩ লালে হ্বর্ককুম|রী দেবী 'সধীসমিতি' দাষে একটি মছিলালত। স্বাপদ করেন। ইছার় উদ্দে্বী ছিল সন্ত্রস্ত মহিলাগণের একজ সশ্মিলনে

২৭০ ধবীন্দ্রজীবনী খ্রীষ্টান্ষ ১৮৮৯

ত্দানীস্তন ছোটলাট বেলীর (88111০5 ) পত্বী লেডি বেলী মেলার দ্বার-উন্মোচন করিবার পর তৎকালীন বড়লাট লঙ ল্যান্সডাউনের পত্রী তথায় আগমন করেন। “মেলার পর বাবু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রণীত মায়ার খেলা নামে একখানি গীতিনাট্য বালিকাগণ-কর্তৃক অভিনীত হইয়াছিল, দর্শক মহিলাগণ অনেকেই অভিনয়দর্শনে বিশেষ সন্তোষ প্রকাশ করিয়াছিলেন ৮১

বাংলাদেশের নাট্যাভিনয়ের ইতিহাসে মায়ার খেলার অভিনয় বিশেষ ঘটনারূপেই ম্মরণীয়। সগ্তরান্ত পরিবারের কন্তারা বোধ হয় এই সর্বপ্রথম সংঘবন্ধভাবে অভিনয়ে নামেন, অবশ্ব তখন দর্শকের! সবই ছিলেন মহিলা সমসাময়িকেব চোখে এই ঘটনাটি বিপ্লবেরই সমতুলা বহু বৎসর পরে কবি গিরীক্রমোহিনী দাসী এই দিনের কথা স্মরণ করিয়া লিখিয়াছিলেন, “বেখুন কলেজে প্রথম উদ্ঘাটিত শিল্পষেলায় যেদিন মহিলাগণ কর্তৃক “মায়ার খেলা” অভিনয় হয়। এবং মেয়েরা পুরুষদের মতো সম্মুথে গ্যালারিতে বসিয়া সে-অভিনয় দর্শন করে, সে কি এক নৃতন আমোদ সকলে

অনুভব করিয়াছিলেন 1২

সোলাপুর : পুণা

১০ ডিসেম্বর ১৮৮৮ তারিখে কলিকাতায় বঙ্গীয় প্রাদেশিক সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন আহত হইল পক্ষকাল পরে খ্রষ্টমাসের সময়ে এলাহাবাদে কন্গ্রেসের চতুর্থ বাংসরিক অধিবেশনে সভাপতি হন জর্জ ইযুল (1০ )। এই বৎসর হইতে কন্গ্রেসের প্রতি ইংরেজ সরকারের বিরূপতা স্পষ্ট ূপ গ্রহণ করিতে আবস্ত করে। কপিকাতার ব্যারিস্টার 10100 সে-সময়ে কন্গ্রেসের উৎসাহী পৃষ্ঠপোষক |

জানুয়ারি ১৮৮৯ সালে কোনো সময়ে ঠাকুরপরিবারের যুবকরা এই ছুই ভারত বন্ধুদের 110704:-এ জোড়ানীকো ভবনে ট৫গে দেন। ইহারা সাহেব? হইয়াও ভারতের প্রতি ব্রিটিশ সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করিয়া আসিতেছেন : সেইজন্তই তাহাদিগকে সম্মানিত করা হয়। প্রিয়নাথ সেনকে লিখিতেছেন ( চিঠিপত্র ৮। পন্ত্র ৬৫ )-- “আগামী শুক্রবারে রাতে 060186 41৪ [০:007-এর 19008: আমাদের এখানে একটা ঢ8াগে হবে তারই বন্দোবস্ত করতে কদিন বাস্ত ছিলুম এবং আছি। আস্ছে শনিবারে তুমি যদি আস্তে পার 'তা হলে মদালাপে দিনযাপন করা! যাবে 1”

কিন্ত রবীন্দ্রনাথের জীবনের সবটাই তো আর সাহিত্য-স্ষ্ট মামাদিক কর্তবাপালন মধ্যে সীমিত নছে-__ ব্ক্তিগত জীবনকথা, জীবনলমস্ত|! আছে আমাদের আলোচ্যপবে (১৮৮৮) মুণাপিনী দেবীর ক্রোড়ে দ্বিতীয় সম্ভান__ রখীশ্নাথের জন্ম হইয়াছে ২৭ নভেম্বর ১৮৮৮। দুইটি শিশু লইয়া ফোড়শ-বধীরা মুণালিনী দেবী অত্যন্ত বিব্রত। তাহার পক্ষে

পরস্পর সন্তাব বর্ধন এন: সঙ্গে সঙ্গে দেশহিতকর কার্ধের অনুষ্ঠান। ইহা ছাড়া অঙ্গম পিঠার কল্পাদর শিক্ষা অস্ায় বিধযাদিগকে অর্থ সাছাধা 19 আশ্রয়দান প্রন্থৃতি কাধও উহ্থাদের কর্মপদন্ধতির অন্তত ছিল) মহলা পিজ্পসেলা' এই সখীসমিতির অন্তর অনুষ্ঠান এই মেলা হতে যে-অর্থ লাত হইত, তাহা 'সধীনমিততা হারে যঠত | ভারতী, পৌন ১২৯৮ সংখ্যায় এই সমিতির উদ্দেত্য নিয়মাবলী প্রকাশিত হয় সখী, সমিতি শিল্পমেলার স্ত্ী-দভার সখীগণের মধ্যে রবীন্ুনাথের পত্ী হৃশালিনী দেবীর লাম ঠ5, ও. বি. 188515 দেখিতে পাই। বর্ণকুমারী দেবী ছিলেন সম্পদিকা।

ভারতী, পৌষ ১৭,৫, পূ ৫০২-৩১| জা মহিলা শিমলা, ভারতী, গৈঠ ১৩২৩, পূ ৪৯-৪১ | ভারতী, ১২০৮ সমীসধিতির উদ্দেগ্ত নৃতন নিয়মাবলী মুত হইয়াছে ভারতী, জোত ১৩*। 'সাত বংসরের সশীনমিতি, ভারতী, আশ্বিন ১৩১৪, সরল; দেবী, -ছিরগরয়ী দেবী' ছারতী, ফান্ভুন ১৩২২।

ভারতী, স্গোষ্ঠ ১৩২৩।

খ্রীষ্টাব্দ ১৮৮৯ মোলাপুর : পুণ! ২৭১

হুইটি শিশু মামলানো। অসম্ভব তাই রবীন্দ্রনাথ জ্যেষ্ঠা কন্তা বেলাকে (৩) লইয়া বোম্বাই প্রদেশ রওনা হইলেন। গেজদাদ1 সত্যেন্দ্রনাথ এখন সোলাপুবের সেসম্স জজ__ অক্টোবর ১৮৮৩ হুইতে সেখানে আছেন। জ্ঞানদানন্দিনী দেবী তাহার সন্তানদের গ্রীশ্নাবকাশের জন্য বিষ্যালয় বন্ধ হইবার পর, স্বামীর নিকট লোলাপুর চলিলেন।-__ জ্ঞানদানন্দিনী না-থাকিলে বেলাকে দেখিবে কে? অবশ্য কলিকাতা হইতে এক “আয়া? বেলার জন্য লইয়া! গিয়াছিলেন ( বৈশাখ ১২৮৯ )।

মেকালের, অর্থাৎ প্রায় আশি বৎসর পূর্বের সোলাপুর আঙজকার বিশাল শিল্পনগরী সোলাপুরের পার্থক্য অনেক কলিকাতায় বন্ধু প্রিয়নাথ সেনকে লিখিতেছেন-_

“এ জায়গাটা] যে খুব মনোরম তা নয়-_ জমিতে ঘাস নেই__ গাছে পাত] নেই-__ জলাশয়ে জল নেই-_ লোকালয়ে অধিক লোক নেই-_ চারিদিক মরুভূমির মত ধু ধু করচে |... দেখতে দেখতে দোয়াতের কালী শুকিয়ে জমে আসে-__ শরীরের ঘর্ম সজলাবস্থা প্রাপ্ঠির পৃবেই শুকিয়ে যায়__ বোধ করি শোকের সময় অশ্রজল একাস্থ দুর্লভ হয়ে ওঠে।” ( চিঠিপত্র ৮। পত্র ৬৬)।

আটাশ বৎসরের রবীন্দ্রনাথ বয়সের ধর্মপালন করিয়া জজ সাহেবের সমগোত্রীয় ইংবেজমগ্ডলীর সঙ্গে টেনিস খেলিতেন, এবং “খেলবার সময় পড়ে গিয়ে পা ভেঙ্গে বসে আছেন__ সংবাদটি বন্ধকে পররমধো পরিবেশন করেন। কিন্ক সব থেকে বড় খবর হইতেছে যে ইতিমধ্যে" একখানা নাটক শেষ হয়ে গেছে ।” এইটি হইতেছে বাজা রানী'র প্রথম খসড়া. এখনো নামক রণ হয় নাই |

নাটকটি লিখিবার পর কয়েকটি ছোট কবিতা গান সোলাপুব বামকালে লিখিতে দেখি বৈশাখ ১২৯৩ সালে 'প্রকাশ-বেদনা এই কবিতাটির মধ্যে যে-অন্ফুট হৃদয়-বেদনার কথা প্রকাশ পাইয়াছে ভাহা! যেন 'বাজা রানী'র অন্তর্গত লিরিকধর্মী বূপটিরই কথা, যেন বিক্রমদেবের অন্তরের অনন্ত প্রেমতৃষ্ণর ভাষা! |

আমি চেয়ে থাকি শুধু মুখে ক্রন্দনহারা দুখে-_

শিরায় শিরায় হাহাকার কেন ধর্বনিয়া উঠে না বুকে 7...

ভীবের মতন পিপাসিত বেগে ক্রন্দনধবনি ছুটিয়া

হাদয় হইতে হয়ে পশিত), মর্মে রহিত ফুটিয়া।

আজ মিছে কথার মালা মিছে অশ্র ঢালা

কিছু নেই পোড়া ধরণী মাঝারে বোঝাতে মর্ঘজালা। এই তীর আকাক্ষারই একটি রূপ বিক্রমেব মধো ফুটিয়াছে।

সোল্লাপুর বাসকালে বিবাহের একটি ফরমায়সি গান লিখিতে হয়। রবীন্দ্রনাথের আন্ধেয়ও বন্ধু বিহারীলাল গুপ্রের কন্যা শ্রীমতী শ্েছলতার বিবাহের (২ মে ১৮৮৯। ২০ বৈশাখ ১২৯৬) জন্ত গানটি লিখিয়া পাঠান. মুখে থাকো আর সুখী করো সবে' (গীতবিতান ৬০৮ )।

এইবার সোঙ্সাপুর বাসকালে সত্যোন্্রনাথের 'বোঙ্বাই চিন্ত' প্রকাশিত হয় ( বৈশাখ ১২৯৬) : গ্রন্থখানি তিনি তাহার কনিষ্ঠ ভ্রাতাকে উৎসর্গ করিয়া লিখিয়াছিলেন-_

জীমতী স্বেছলতার বিবাহ হয় পাটনা প্রবাসী গুরুপ্রসাদ লেনের পুত্র কুমুদপ্রসাদের সহিত কুমুদপ্রসাদের অকাল মৃত্যুর পর তিনি ত্বার পুজদের শান্তনেকেতনে পাঠান। সুকুমার দেন, জীপ্রস্তোত মায়, উীকুলপ্রসাদ কন্তা প্রীমভী মালতী নুঙ্ধংকুমার মাঘোংসবের সময় কলিকাতায় যাইবার পথে ধর্ষষানে ট্রেনে কাটা পড়েন, তাহার নামে 'হুজং কাশ খেলা হয়। ছপ্রচ্ভোতকুমার মপুরানাখ নদীর কন্তাকে। সিনঅপ্রসাদ হযেশরনাথ ঠাকুরের কল্তাকে মত মালতী ওড়িস্ার জনব$ফ চৌধুরীকে বিবাহ ফরেন?

২৭২ ববীন্দ্রজীবনী গাব ১৮৮৯

ভাই রবি, “তুমি এই গ্রন্থ প্রকাশ বিষয়ে বিস্তর সাহায্য করিয়াছ__- তোমার প্ররোচনায় ইহার জগ্মলাভ, ইহার স্থানে স্থানে তোমার হস্তচিহ্ন বি্যমান এই গ্রস্থখানি তোমার হস্তে সাদবে সমর্পন করিতেছি, তুমি আমার এই বেহের উপহার গ্রহণ কর।”১ | মোলাপুরে মাসেককাল থাকিয়! রবীন্রনাথ জ্োষ্ট মাসের গোড়াতেই পুণার নিকট খিড়কি শহয়তলিতে গিয়া কিছুকাল বাস করেন। বাড়িটি ছিল সতোন্্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের বন্ধু অধ্যাপক গোবিন্দ বিঠ্ঠল কড়কড়ের এই _কড়কড়ে সম্বন্ধে সতোন্দ্রনাথ ভীহার 'আমার বালাকথা! আমার বোম্বাই প্রবাস” গ্রন্থে আলোচন1] করিয়াছেন ( পৃ ১৮৮-৯২)। এখিড়কি স্টেশনের কাছাকাছি আমাদের সেই আকের খেত, গাছের সার, টেনিস-খেত, কাচের জানালা-মোড়] বাড়ির কথা ছিন্্পত্রে উল্লিখিত হইয়াছে। পুণা বাস্কালে রবীন্দ্রনাথকে কয়েকটি কবিতা লিখিতে দেখি_ মায়! (১ জা ১২৯৬), বধার দিনে (৩ জোষ্ট ), মেঘের খেলা ( * জাষ্ঠ )। রাজা রানীর দুঃখবাদ কবির অজ্ঞাতেই যেন এই কবিতাত্রয়ের মধ্যে প্রকাশিত হইয়া পড়িয়াছে। যে অকারণ বেদনা বিক্রুমদেব্কে, যে দুর্জয় অভিমান স্থমিরাতে। যে বার্থ প্রেম কুমার ইঙ্সাকে শান্তি দান করিতে পারে নাই, সেই মায়ামরীচিকা ছুঃখের কপ মায়া কবিতায় ভাষা পাইয়াছে__ বুথা বিডম্বন। কিসের লাগিয়া এতই তিয়াষ, কেন এত ফঙ্কুণা। ছায়ার মুন ভেসে চলে যায় দরশন পরশন-_- এই যদি পাই এই ভুলে যাই, তপ্চি না মানে মল 177 এই ছায়া লাগি কত নিশি জাগি কাদায়েছে কাগিয়াছে মহাস্থখ মানি প্রিয়তনুথানি বাছপাশে কাধিয়াছে 117. এত হুথ দুখ তীব্র কামনা জাগরণ হাহু তাশ যে ক্ধপজ্যোতিবে সদা ছিল ঘিরে কোথা তার ইতিহাল? মায়ার বিষাদস্থর বিক্রমের উক্কিতে রাজা রানী'র মধো ধ্বনিত হইয়াছে-- হায় পরিয়ে, আজ কেন মনে হয় সে স্থখের দিন অপর ছুটি কবিতার মধোও এই হতাশভাবের প্রতিধ্বনি বধার দিনের বিরহীচঞ্চল মনের বাথায় নিবিড়। মানসী কাবোর স্ককুতে যে বিষাদ-স্বর মারস্ত হয়, তাহা এখানে সমে আলিয়া সক হযু। কবিদের এই স্থকপোলকল্িত বিরুহানন্দ বিচ্ছেদ-বেদনা লাহিতশ্টির আদিযুগ হহতে শোনা যাইতেছে কবিদের এই “অকারণ কঞ্ঠের আণুনিক নাম 'যস্থণা" | পুণা-বাসকালে ( জ্যেষ্ঠ ১২৯৬) কবির জীবনে একটি শৃতন অভিজ্ঞত হইয়াছিল ঠিনি একদিন বিখ্যাত বিদুষী বুমাবাইয়ের* বক্তা শ্রনিতে যান। একদিন পন্ধে পিখিততছেন, "অনেক খুলি মহাবাষ্টু ললনার মধ গৌবী নিরাভরণা শ্বেতান্বরী ক্সীণত্র উজ্জ্রলমূতি রমাবাইয়ের প্রতি দষ্টি আপনি আকষ্ট হল |?

১.৫ অগস্ট ১৯১৫ রাচী। সঙোন্গনাপ 'বোদাই চির নৃতন লাস্করণ করিয়া আমার বালকশ। আমার বোহ্বাঠ প্রবান' (সচিন) উৎংসগ করেন র্ণকূমারী দেবীকে | তুষিকায় এই গ্রন্থের প্রথম নংস্করণ রবীন্দনাপকে উতচগীত ভইয়াহিল হাহার উত্লেধ নাই।

মায়া মানসী, রবীন্্-রচনাবলী ২, পৃ ১৪৭

রমাবাই, ই. বামাবোধিনী পত্রিকা ১২৯৬) ভারতী বালক, শ্রাবণ ১২৭৬ পু ২৪৩-৪৬। রবীঙ্নাথ, রমাবাইয়ের বড় তা-উপলক্ষে পত্র, জো ১১৯৬, পুপা। ভারতী বালক, আলাঢ় ১২৯৬1 রবীন্র-রচনাবলী ১২, পু৪৫*-৫৫ 1 সমাজ: পরিশি%, পৃ ৪৫০-৫৫।

& রমাবাহয়ের বন়তা উপলক্ষে, রবী-রচনাবলে ১২, পৃ ৪৫* ৫৫1

এটা ১৮৮৯ লোলাপুর : পুণা ২৭৩

রমাবাই কে এবং কেনই বা রবীজ্নাথ তাহার বক্তৃতা শুনিতে গিয়াছিলেন সে বিষয়ে আলোচন! অপ্রাসঙ্গিক হইবে না, কারণ এই পজ্ে তিনি এই মহিলার মতামত সম্বন্ধে দীর্ঘ আলোচন! করিয়াছিলেন পণ্ডিতা রমাবাইকে ভারতীয় নাবীপ্রগতির একটি উদ্তা বলিলে ভুল হইবে না। কোক্ষনস্থ মঙ্গলুর জিলার ক্ষৃত্র এক গ্রামে ১৮৫৮ সালে ইহার জন্ম হয়। বাল্যে মরাঠি সংস্কৃত ভাবাম্বয় উত্তমরূপে শিক্ষা করেন | পিতৃমাতৃহীন হইয়। মাত্র সতেরো বসব বয়সে একমাত্র ভাইকে সঙ্গে লইয়া ভারতভ্রমণে বাহির হন। কলিকাতায় তাহার সংস্কত-বাগ্সিতা দেখিয়া পণ্ডিতগণ তাহাকে “সরম্বতী' উপাধি দেন। শ্রহ্ট ভ্রমণকালে তথাকার এক তরুণ বাঙালি উকিলের সহিত প্রণয় পরিণয় হয়। কিন্তু ১৮৮২ সালে বিবাহের ফোলোমাম পরে বিধব! হই্য্বা দেশে ফিরিয়া যান এবং 'আধ্যমহিলা সমিতি" স্থাপন করেন। পর বৎসর ইংলগ্ডে গিয়া খ্রীষ্ধর্ম গ্রহণ করেন যুরোপ-আমেরিকার নানা স্থান ঘুরিয়া দেশে ফিবিয়া হিন্দু বিধবাদের জন্ত ১২৯৫ সালের ২৬ ফাল্ঠন 'সারদা সদন' স্থাপন করেন (১১ মার্চ ১৮৮৯)। ইহার কয়েক মাস পরেই এই ঘটনাটি ঘটিল।

মহারাষ্্রদেশীয় ত্রাঙ্গণশ্রেণী এই প্রগতিপরায়ণা তেজস্থিনী নারীর কার্যাবলী আদৌ পছন্দ করিতে পারিলেন না। তাই তাহারা দলবদ্ধভাবে আমেন-_ উদ্দেশ্য সভা] পণ্ড কর1। রবীন্দ্রনাথ যে-বক্কৃতাসভায় উপস্থিত ছিলেন সে-সভাও শেষ পর্যন্ত ভাঠিয়া যায়। তিনি লিখিতেছেন, “বমাবাইয়ের বন্তৃতাও খুব দীর্ঘ হতে পারত, কিন্তু এখানকার বগির উৎপাতে তা আর হয়ে উঠল না। রমাবাই বলতে আরস্ত করতেই তারা! ভারি গোল করতে লাগল শেষকালে বন্তৃতা অসম্পূর্ণ রেখে রমাবাইকে বসে পড়তে হল।

প্ত্ীলোকের পরাক্রম সম্বন্ধে রমণীকে বন্কৃতা করতে শুনে বীরপুরুষের! আর থাকতে পারলেন না, তারা পুরুষের পরাক্রম প্রকাশ করতে আরস্ত করলেন; তর্জনগর্জনে অবলার ক্ষীণ কঠন্বরকে অভিভূত করে জয়গর্ধে বাড়ি ফিরে গেলেন। আমি মনে মনে আশা করতে লাগলুম, আমাদের বঙ্গভূমিতে হদিও সম্প্রতি অনেক বীরপুরুষের অভ্যুদয় হয়েছে কিন্তু ভদ্ররমণীর প্রতি বূঢ় বাবহার করে, এতটা প্রতাপ এখনও কাবও জন্মায় নি।”

রবীন্দ্রনাথ সভার শ্রোতাদের সম্বন্ধে সালোচনা করিয়া যেমন লিখিলেন, তেমনি বমাবাইয়ের অসম্পূর্ণ বক্তৃতার অংশবিশেষ লইয়া! দীর্ঘ সমালোচনায় প্রবৃত্ত হইলেন; তিনি বক্ত1 বা শ্রোতা কাহাকেও ছাড়িলেন না। রুমাবাই বক্তৃতায় বলেন যে মেয়েরা সকল বিষয়ে পুরুষের সমকক্ষ, কেবল ম্দ্তপানে নয় রবীন্দ্রনাথের দীর্ঘ পত্রপ্রবন্ধ নরনাবীর সমকক্ষতার বিচার তাহার মতে পুকষ বল বুদ্ধিতে নারী অপেক্ষা যেমন শ্রেষ্ট, নারী তেমনি সৌন্দর্ধে হৃদয়াবেগে পুকষ হইতে শ্রেষ্ঠ স্থতরাং কে কাহার অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ সে প্রশ্ন উঠে না। জাগতিক বিধানে [8৬ 06০9021১018 580107 আছে-_ যাহা একেন নাই, তাহা অন্যের আছে। সেইজন্তই “স্ত্রী পুকষ ছুই জাতি পরম্পর পরস্পরকে অবলম্বন করতে পারছে ।” ব্ুববীন্দ্রনাথের মতে নাবীপ্দের মধো বড় কৰি সংগীতাচাষ পর্যন্ত জন্মায় নাই। বিশুদ্ধ আরটেও তাহাদের শক্তি প্রকাশ পায় নাই। হ্ষ্টিব্যাপাবে তাহাদের শক্তি অত্যান্ত সীমাবন্ধ। ত্বাহার মতে মেয়ের! সংসারের বাহিয়ে কাজের দন্ত হুষ্ হয় লাই | তাহারা মাতৃজাতি। “যতদ্দিন মানবক্ধাতি থাকবে... ততদিন স্রীলোকদের সন্তান গর্ডে ধারণ এবং সস্তান পাপন করতেই ছবে। এ-কাজটা এমন কাজ যে, এতে অনেক দিন অনেক ক্ষণ গৃচে রুদ্ধ থাকতে হয়, নিতান্ত বলসাধা কাজ প্রায় অসস্ভব হয়ে পড়ে ।” লেখকের মতে "এইরকম সন্তানকে উপলক্ষ করে ঘরের মধো থেকে পরিবার-সেবা মেয়েদের ম্বাভাবিক হয়ে পড়ে; পুরুষদের অতাচাব নয়, প্রকৃতির বিধান ।” এইজন্যই পুরুষদের উপর তাহাদের নির্তবশীগ হইতে হয়। মেই নি্তহশীগতাকে "যদ্দি অধীনতা হীনতা বলে আমবা ক্রমাগত অন্থভব করি তা হলেই আমবা বাস্তবিক হীন হয়ে যাই এবং সংসারের সহ অন্থখের হরি হয়।

তাকে যদি ধর্ম মনে করি তা ছলে অধীনতার মধ্যেই আমরা ম্বাধীনতা লীভ করি ।” ব্বীন্দ্রনাথের যুক্তির সছুবর ৩৫

২৭৪ ববীজ্রজীবনী খ্রীষ্াষ ১৮৮৯

এখনো পাওয়া যায় নাই। তবে পরযুগে রবীন্দ্রনাথকে এই মত প্রকাশ করিতে দেখি যে নারীদের আথিক স্বাধীনতা প্রয়োজন

পুণা হইতে সকলে মোলাপুর ফিরিয়া গিয়া কয়েকদিন থাকেন; জোর্ট (১২৯৬ ) মাসের শেষদিকে বেলাকে লইয়া রবীন্দ্রনাথ কলিকাতা যাত্রা কবেন। ছিন্নপত্রাবঙ্গীতে ( পত্র ৪) ইন্দিরা দেবীকে (১৬) লিখিত পত্রখানি উপভোগা। ট্রেনে &705 ঢিড160108 (ইংরেজি অনুবাদ ১৮৭৫-৭৭ ) পড়িতেছেন। কিন্ক “এমনি বিশ্রী লাগল যে পড়তে পারলুম না রকম সব 51০5 বই পড়ে কী স্থখ বুঝতে পাবি নে" এই মত্ত প্রকাশ করলেন তোলল্তয়ের এই বিখ্যাত উপন্যাস সম্বন্ধে আনা কার্সিনা সঙ্থন্ধে যুবক রবীন্দ্রনাথের এই মত পাঠ করিয়া আজকালকার যুবকরা নিশ্চয়ই বিশ্মিত হইবেন

সোলাপুর-পুণায় মাস ছুই কাটাইয়া কলিকাতায় ফিরিয়া রবীন্দ্রনাথ তাহার নৃতন নাটকটি মুদ্ণের বাবস্থা করিলেন ২৫ শ্রাবণ ১২৯৬ নাটকটি তার জোষ্ট সহোদর ছ্বিজেজ্দনাথকে উৎসগীত হইল। প্রথম সংস্করণ এখন ছুষ্পাপা | দ্বিতীয় সংস্করণের সময় নাটকের বহু পরিবর্তন, সংশোধন হয় : আমরা সেই সংস্করণের সহিত পরিচিত |

রাজা রানী

জাঁলন্ধরের রাজ বিক্রমদেব তীহার নদশ্য বন্ধু দেবদত্তের সহিত নারীর প্রেমরুহম্বা লইয়া অলোচনায় রাত | রানী স্থমিত্রা কা্টীর-রাজছুহিতাঁ। রাজা রূপসী যুবতী রানীর প্রেমসঙ্োগ-মানসে উন্মন্তপ্রায়) বাজকাধ পখন্ত অবহেলিত | মন্ত্রীকে আমিতে দেখিয়া বলিতেছেন-__ “হেরো €ই আসিতেছেন মন্ত্রী, পাকার রাজাভার স্বচ্ছে নিয়ে পলায়ন কৰি” মন্ত্রী আসিয়া দেবদত্তকে ছুঃখ করিয়া বলিতেছেন-_

রানীর কুটুম্ব যত বিদেশী কাশ্মীরী

দেশ জুডে বসিয়াছে। রাজার প্রতাপ

ভাগ করে লইয়াছে খণ্ড খণ্ড করি,

বিুচক্রে ছিন্ন মুত সতীদেহ-সম।

বিদেশী অন্তাচাবে জর্জব কাতর

কাদে রাজা অরাজক রাজস্ভামাঝে

মিলায় ক্রন্দন | বিদেশী অযাা যত

বসে বসে হাসে।

ইহাই আখানবস্তরু জটিলতা-হ্গ্রীর কারণ | রাজকর্মচারী-শোষকদের অত্যাচারে চাবি দিকে প্রজাবিজোষের লক্ষণ

দেখা দিয়াছে, রাজা সেসবে কর্ণপাত করেন না। তিনি চান অগ্থংপুবের প্ুয়োদ-কাননে বানীর সহিত প্রেমলীলা। তিনি রানীকে বলেন “থাক গৃহ, গৃহকাজ। সংসারের কেহ নহ, অস্থরের হুমি। অন্থবে তোমার গৃহ, আর গৃহ নাই-_ বাহিরে কাদক পড়ে বাতিবেব কাজ”! কিন্ধু নারী এই লিববচ্ছিন্ন প্রেমপীপাকে যথাথ প্রেমের গ্যোতক বলিয়া স্বীকার করিতে পাবে না। “জীর্ণ রাজকাধরাশি চর্হয়েমায়। তোমা চরণতলে ধুলির মাঝারে |” বিক্রমের একট কথা শুনিয়া রানীর নারীত্ব অপমানিত হয়, সে বে “নিয়া লক্ষায় মরি |... কি ভালোবাসা ?... আমারে বেদো না ভালো রাজশ্রীর চেয়ে।” যথার্থ রানীর উল্কি, নারীর উক্কি। বাজ] সৌন্দধলাগরে আকণ্ঠ ডূবিয়া প্রেমন্ছধা পান করিতে চান-_ এমন সময়ে বাজমন্্রী দর্শন প্রার্থী, রাজ] বপিলেন “ধিক বাজকারধ। রাজ্য বসাতলে যাক মন্ত্রী লয়ে সাথে ।” কিন্ত হুমিত্রা কেবপ রাজার প্রেপী নহেন, তিনি রাজমছিষী; এই তাহার গর্ব, এই তাছার

খাব ১৮৮৯ বাজ! রানী ২৭৫

পরিচয়। তিনি দেবদত্তকে ডাকাইয়া পাঠাইলেন রাজের অরাজক অবস্থার কথা সমন্তই অবগত হুইলেন। বানী রাজাকে উতপীড়কদের হাত হইতে প্রজাদের রক্ষা করিবার জন্ত অনুরোধ করিলেন__ “আমার গ্রজারে যারা করিছে পীড়ন | রাজা হতে দুর করে দাও তাহাদের ।” কিন্তু এই উৎপীড়কের দল বানীরই আত্মীমব-- সকলেই শক্তিশালী সামস্ত-_ বিনাযুদ্ধে তাহাদের কবল হইতে জালন্ধর উদ্ধার কর! যাইবে না। বানী মন্ত্রীকে বলিলেন, “বিদেশী নায়ক রাজ্যে যতেক আছে করহ আহ্বান." কালউভৈরবের পুজোৎ্সবে করে। নিমন্ত্রণ সেদিন বিচার হবে।” কিন্তু রাজা মে কথাশুনিবেন না, কোনো বিবোধ অশান্তি তিনি চান না। রাজা যাক প্রজা! যাক তাহার চিরতৃষিত অন্তর চায় প্রেয়পীর প্রেম নিরবচ্ছিম্ন-প্রেমরস- লীল1। স্ুমিত্র। বাজার প্রেমবাহছুর বন্ধন ছিন্ন করিলেন রাক্গাশ্রীর সম্মানের জন্ত-_ তিনি ষে বানী তাই ছদ্মবেশে চলিঙ্লেন কাশ্মীরে পিত্রালয়ে ; সেখান হুইতে সাহাঘা আনিয়া ছুষ্ঠ তকারীদ্দিগকে দূর করিবেন। বিক্রমদেব এই সংবাদে স্তক্তিত। তিনি বলিতেছেন, “পলায়ন! রাজ্য ছেড়ে পলায়ন! রাজ্যেতে সব দিয়ে পাবে না কি বাধিয়া রাখিতে দ্যবলে ক্ষুদ্র এক নারীর হৃদয়?” এই আঘাতে রাজার মোহ ছিন্ন হইল, হ্বপ্র ভািল, অন্ধ প্রেমের প্রতিক্রিগ্কাপস প্রতিহিংসার বিষবহ্থি জলিয়! উঠিল। তবে দাও, ফিরে দাও ক্ষাত্রধন্ম মোর-_ বাজধর্ম ফিরে দাও, পুকুষহৃদয়'.' কোথা কর্মক্ষেত্র কোথা জনশ্োত ! কোথা জীবনমবণ 1... স্বপ্ু ছুটে গেছে," সৈম্থদল করহ গ্রস্তত। যুদ্ধে যাব, নাশিব বিদ্রোহ স্মিত্রা কাশ্মীরে পৌছিয়া ভ্রাতা কুমারসোনের সহিত সাক্ষাৎ করিল। কুমারসেনের পিতৃবা চন্ত্রুসেন অভিভাবককূপে বাজাশাসন করিতেছেন। ঠাহার পত়্ী বেবতী অতান্থ কিংন্রপ্রকৃতির নারী কুমারসেন জালক্কবের কথা পিত্তবাকে জানাইলে রেবতী তাহাকে সৈন্য লইয়া যুদ্ধযাত্ঞায় প্রবোচিভ কবিলেন। রেবতীব অভিপ্রায় ছিল অন্যন্ধপ। প্রথম ত্রিচুড়ের রাজকন্যা ইলার সহিত কুমাবসেনের বিবাহ পণ্ড করা; ইছা ব্যতীত কুমারকে সিংহাসন হইতে বঞ্চিত করিবার জন্ট নানা প্রকার কৃট অভিসন্ধি তাহার অস্থরে চলিতেছে ভ্চুড়ে গিয়া কুমার ইলার নিকট বিদায় লইল-_ ঈপার মন যেন বলিল-_“আমাবর জীবনের স্থখ আজি দিবসের সাথে ডুবিল পশ্চিমে 1” এদ্দিকে বিক্রমদদেব রণোম্মন্ত ; বিজ্রোহী বিদেশীরা বন্দীকৃত; কিন্তু যুদ্ধের নিধৃত্তি নাই। আজ ক্ষাত্রতেজেরও সেই বাভিচার, প্রেমে যাহ? দেখা পিয়াছিল একদিন বিক্রমদেব বলিতেছেন-_ একি মুক্তি! একি পরিত্রাণ! কী আনন্দ হদয়মাঝারে! অবলার ক্ষীণ বা কী প্রচণ্ড সুখ হতে বেখেছিল মোরে বাধিয়। বিবব মাঝে 1... আমি ছি অন্তঃপুরে পড়ে,... কোথা ছিল লোকলাজ, কোথা ছিল বীরপবাক্রম !-.. কে বলিবে অন্ঃ:পুধচাবী 1... | প্রবল হিংসা ভালো! কৃ প্রেম চেয়ে

২৭৬ ববীন্দ্রজীবনী খ্রীষ্টাব ১৮৮৯

প্রলয় তে বিধাতার চরম আনন্দ হিংসা এই হৃদয়ের বদ্ধনমুক্তির হ্থথখ। হিংসা জাগরণ হিংসা শ্বাধীনতা প্রেম যেমন মোহাচ্ছন্ন হইয়া বিকৃত ছিল, আজ রাজধর্ম ক্ষাত্রধর্মও তেমনি হিংসায় কুৎসিত হইয়াছে, অসত্য জীবন হইতে অনতা জীবনেরই জন্ম হয়। এমন সময়ে সংবাদ আসিল রানী স্ুমিত্রা বিদ্রোহী যুধাজিৎকে বন্দী করিয়া রাজশিবিরে উপস্থিত। বিক্রমদেব হঠাৎ রানীর আগমনের কথা শুনিয়া সহসা জাগিয়া আজ দেখিব কি সেই ফুলবন, সেই মহারানী, সেই পুম্পশযা1, সেই সুদীর্ঘ অলস দিন, দীর্ঘনিশি বিজড়িত ঘুমে জাগরণে ? বিদ্রোহী হইয়া উঠিল ক্ষত্রিয়ের নন। নারী শত্রুকে পরাজিত বন্দী করিয়া আনিয়াছে! অসহা নারীর দক্ত। রাজা ঘোষণা করিলেন, “রমণীর সনে সাক্ষাতের নহে সময় ।:.. শিবিরে শিবিকার প্রবেশ নিষেধ |” রাজা বিক্রযের সমস্ত ক্রোধ গিয়া পড়িল স্থমিত্রা কুমারের উপর স্ুমিন্ত্রা কুমারসেন অপমানিত হইয়া কাশ্মীরে ফিবিয়া গেল। কিক্রমদেব প্রতিহিংসা চরিতার্থ করিবার জন্য কাশ্টীর আক্রমণ করিবেন মনস্থ করিলেন। কুমারসেন পিতৃব্যের নিকট হইতে সৈন্ত পরিচালনার ভার গ্রহণ করিতে চাহিলে রেবতী আপত্ি জানাইলেন। বলিলেন-_ তোমারে করিয়া বন্দী অপরাধীভাবে জালন্ধর-রাজকরে করিব অর্পণ মার্জনা করেন ভালো, নতুবা যেমন বিধান করেন শান্তি নিয়ো নতশিরে কুমার বুঝিতে পারিল কাশ্মীররাজ্য বিক্রমদ্দেবের হিংস্র প্রতিহিংসা হইতে রক্ষা পাইবে না। ত্রিচড় গিয়া কমার ইলার সহিত সাক্ষাৎ করিতে চাহিলে বিক্রমদেবের ভয়ে অমরুবাজ বলিয়া উঠিলেন-_- পালাও, পালাও। এসো না আমার রাজো। আপনি মজিবে তুমি আমারে মজাবে। কুমার তথায় আশ্রয়প্রার্থী হইয়া যায় নাই, মে কেবল অনির্দিষ্ট জগতে বাহির হুইবার পূর্বে ইলার সহিত দেখা করিতে চায় তাহার সেপ্রার্থন! পূরণ হইল না। এদিকে কাশ্মীরে শিবিরে বিক্রমদেব জয়দেন যুধাঙ্জিৎ প্রভৃতি যোদ্ধারা কুমারকে ধরিয়া আনিবার সড়যন্রে রত। “ধরিবারে তারে পুরস্কার করেছি ঘোষণ1।” বিক্রমদেব বলিতেছেন-__"এ কী দুপাশে আমারে করেছে বন্দী শক্র পলাতক |" শীপ্ধ আনো! তারে জীবিত কি মুত” এমন সময়ে চন্্রসেন রেবতী বিক্রম সমীপে উপস্থিত হইলেন। হিংস্র সপ্সিনীর মৃত্ি বেবতী ; মে বলিল, “প্রগাগণ লুকায়ে রেখেছে তারে আগুন জাপাও ঘরে ঘরে তাহাদের শত্তক্ষেত্র করো ছারখার। ক্ষধা-রাক্ষপীর হাতে পি দাও দেশ, তবে তারে করিবে বাহির” বিক্রমদেবের অকস্মাৎ চমক তাঠিল এই নারীর কথা শুনিয়া__ ওরে হিংশ্র নারী! ওরে নরকাগ্রিশিখা 1 বনু আমার সনে! এতদিন পরে

গ্রাফ ১৮৮৯

বাজ! বানী ২৭৭

আপনার হৃদয়ের প্রতিমৃতিখানা দেখিতে পেলেম ওই রমণীর মুখে |. একদিন দিব বুঝাইয়া, নহি আমি তোমাদের কেহ। নিরাশ করিব এই গুপ্ত লোভ, বক্র রোব, দীধ ছিংসাতৃযা দেখিব কেমন করে আপনার বিষে আপনি জালিয়! মরে নর-বিষধর

কুমারসেন অরণ্যে অবণ্যে খুরিতেছে, সঙ্গে হ্থমিত্রা। অরপ্যবাসীরা ইহাদের সহায়। কুমার ইলার ধ্যানে মগ্র। কিন্তু দিকে ত্রিচুড়ে বিক্রমদেবের করে ইলাকে সমপপ্ণ করিবার জন্য অমরুরাজ প্রস্তত | বিক্রম কুমারসেনের ছূর্তাগ্যের কথা ইলাকে শুনাইয়া বলিলেন, “তাহার সৌভাগ্যরবি গেছে অন্তাচলে, ছাড়ো তার আশা 1... বিজ্রোহী সে, রাজসৈন্ ফিরিতেছে সদ সন্ধানে তাহার |” ইলার উৎ্কঠা, তাহার কাতরতা বিক্রষদেবের অন্তরে নৃতন হর ধ্বনিয়! তৃলিল।

কী প্রবল প্রেম! ভালোবাসে ভালোবাসো এমনি সবেগে চিবধিন যে তোমার হদয়ের রাজা, শুধু তাবে ভালোবাসো প্রেমন্বর্চাত আমি, তোমাদের দেখে ধন্য হই। দেবী, চাহি নে তোমারু প্রেম 1." চলো মোর সাথে, আমি তারে এনে দেব, সিংহাসনে বসায়ে কুমাবে, তার হাতে সঁপি দিব তোমারে কুমারী |...

ুদ্ধ নাহি ভালো লাগে শান্তি আরো অসহৃ দ্বিগুণ গৃহহীন পর্লাতক, তৃমি স্বখী মোব চেয়ে। সংসারে যেথা যাও, সাথে থাকে রমণীর অনিমেষ প্রেম, দেবতান ফ্রবদৃষ্টি-সম 7... আমি কোন্‌ সুখে ফিরি দেশ-দেশাস্তরে, স্দ্ধে বছে জয়ধ্বজা, অন্তরেতে অভিশধ হিংসাতপ্র প্রাণ কোথা আছে কোন্‌ ক্রি হৃদয়ের যাবে প্রস্ফুটিত শুভ্র প্রেম শিশিরশীতল। ধুয়ে দাও, প্রেমময়ী পুণা অশ্রজলে মলিন হস্ত যোর রক্তকলুধিত।

এদিকে বনমধো কুমারসেন হুমিত্রার পক্ষে ভাবে জীবনধারণ করা ক্রমেই অসহা হইয়! উঠিতেছে ; তাহাদের জন্ত কত পল্লী ছারেখার়ে গেল, কত লোক প্রাণ দিল! অবশেষে কুমার স্থির করিল, স্ুমিত্রা তাহার ছিন্নমুণ্ড লইয়া এাজাকে উপচৌকন দিবে। ' তাহাই হইল। কাশ্মীর-রাজনভায় বিক্রমন্থে চন্ত্রসেন প্রভৃতি নকলে সমবেত; সংবাদ

২৭৮ ববীন্দ্রজীবন্দী . আষ্টাব ১৮৮৯

আসিল 'শিবিকার দ্বার রুদ্ধ করি প্রাসাদে আসিছে যুবরাজ'। সকলে বিশ্মিত হইয়া গেল। এখন সময়ে শিবিকা হইতে স্বণ্থালে কুমারের ছিন্নমুণ্ড লইয়া স্ুমিত্রা বাহিরে আসিলে, সহসা রাজসভার সমস্ত বাছ্য নীরব হইয়া গেল। সুমিত্রা বলিল, “আতিথত্যের উপহার আপনি ভেটিলা যুবরাজ পূর্ণ তব মনম্কাম এবে শান্তি হোক, শান্তি হোক। জগতে, নিবে যাক নরকাগ্রিরাশি, সখী হও তুমি” স্থমিত্রার প্রাণবাঘু নির্গত হইল ছুটিয়া আসিয়া ইলা এই দৃশ্য দেখিয়া মৃছিতা হইয়! পড়িল। বিক্রমদেব নতজানু হইয়া কহিলেন, “দেবী, যোগা নহি আমি তোমার (প্রেমের, তাই বলে মার্জনাও করিলে না? রেখে গেলে চির অপরাধী করে? ইহুজন্ম নিতা অশ্রজলে লইতাম ভিক্ষা মাগি ক্ষমা তব; তাহারও দিলে না অবকাশ? দেবতার মতে! তুমি নিশ্চল নিষ্টুর, অমোঘ তোমার দণ্ড, কঠিন বিধান 1”

“রাজা বানী” রবীন্দ্রনাথের প্রথম নাটক বলা যাইতে পারে; ইতিপূর্বে যাহা! নাটকাকারে লিখিয়াছিলেন, তাহাকে যথার্থ নাটক আখা! দান করা যায় না। বালক প্রতিভা, কালমুগয়া, মায়ার খেলা গীতিনাটা, নঙলিনী অকিঞ্চিংকর গছ্যনাটক। 'প্ররুতির প্রতিশোধ'কে নাটক বলা চলে না, উহা নাটাকাব্যের প্রথম পরীক্ষা, উহাতে তব আছে, নাটক বিষয় কমই | “রাজা রানী'তে হ্বদয়াবেগ প্রবল হইলেও কল্পনার ক্ষেত্র বেশ প্রশস্তই, আখানা:শে বিষয়বস্ত প্রচুর ঘটনাবৈচিত্র্য যথেষ্ট, বরং একখানি নাটকের পক্ষে বিষয়বন্্ব বেশি বলিয়া মনে হয়। ইহাতে স্্ি-স্থাপত্য দঢতর হইয়াছে ; সংসারের সহিত কবির ঘনিষ্ট পরিচয়ের আভাম পাই

রবীন্দ্রনাথ বৃদ্ধবয়মে এই নাটক সম্বন্ধে বলিয়াঁছলেন যে, ইহার “নাটাভূমিতে রয়েছে লিবিকের প্রাবন, তাতে নাটককে করেছে ছুর্বল। হয়েছে কাব্যের জলাভূমি ওই লিরিকের টানে এর মধো প্রবেশ করেছে ইলা এবং কুমারের উপমর্ণ। সেট! অত্যন্ত শোচনীয়দপে অসংগত। এই নাটকে যথার্থ নাট্যপর্ণতি দেখা দিয়েছে যেখানে বিক্রমের ছুদান্ত প্রেম প্রতিহত হয়ে পরিণত হয়েছে দুর্দাস্ত হিংশতায়, আহ্মধাতী প্রেম হয়ে উঠেছে বিশ্বঘাতী।”

প্রকৃতির প্রতিশোধের সঙ্গে রাজা রানী'র এক জায়গায় মিল কবি স্বয়ং দেখাইয়া দিয়াছেন “অসীমের সন্ধানে সন্ন্যাসী বাস্তব হতে ভষ্ট হয়ে সতা হতে ভ্রষ্ট হয়েছে, বিক্রম তেমনি প্রেমে বাস্তবের সীমাকে লঙ্ঘন করতে গিয়ে মতাকে হারিয়েছে এই তবকে যে সঙ্জানে লক্ষা করে লেখা হয়েছে তা নয়। এর মধো এই কথাটাই প্রকাশ পাবার জন্য স্বত উদ্যত হয়েছে ঘে, সংসারের জমি থেকে প্রেমকে উত্পাটিত করে আনলে সে আপনার বস আপনি জোগাতে পারে না তার মধ্যে বিকৃতি ঘটতে থাকে এরা সখের লাগি চাহে প্রেম, প্রেম মেলে না, শুধু স্থখ চলে যায় এমনি মায়ার হলন]।”

রবীন্দ্র-সাহিত্োে প্রেমের মূল কথা হইতেছে সম | প্রেমে সংযমের অভাব হইলে উহা কী নিষ্ঠর কী কুৎসিত হয় তাহা এই লাটো বিক্রমের মুগ্ধ ভালোবাসাক্ প্রকাশ পাইয়াছে। মোহবশে বাজ বিক্রম ভাছার মানসপ্রেমকে গেহের মধ্যে খু'জিয়া ফিরিতেছেন স্থতরাং তাহ] পদে পদে পরাভূত হইতেছে, এব যতই সে প্রতিহত হইতেছে ততই শ্থাহাকে পাইবার জন্য ভাহার জিদ বাড়িয়া চলিয়াছে। ইহারই পাশাপাশি কৰি ফুটাইয়াছেন হ্থুমিত্রাকে। যথার্থ প্রেমের মধাদা রক্ষার জন্য নারী কতদূর আম্মসংঘম আত্মত্যাগ করিতে পারে, তাহাষ্ট দেখি এই মহীয়সী নারীর চরিরে। প্রেমকে কেবল আপপার ভোগের সামগ্রী করিব বপিয়া চাপিয়া ধরিলে সে-প্রেম নিবিয়া যায়। “কূপ নাঠি ধরা দেয় বুথা সে প্রয়াম'- বাণী মানসী ফুগেরষ্ট | কডি & কোমলে'ও সেই হুর শুনিয়াছিপাম 'পবিজ্্ প্রেম “পবিত্র জীবন" কবিভাদ্ধয়ে যানসীর মধো 5 সেই স্ুরটি বারে বারে নান ছন্দে ব'কৃত হইতেছে ।১ সমনাময়িক সাঙ্গিতিকদের চোগে 'রাভ। রানী' পিরীল্্ামোতিনী দানী, সাহিতা, বৈশাগ ১২৯৮ | নিতাকঙ্ষ বন (১৮৬২-১৯** ), 'সাহিতা

দেবকের ডায়েরী | সাহিত্য, ১৩১০-১৩১১, ১৫১৪-১৫)। জ, ডায়ারীতে রনীক্রনাপ, ছসনংকুমার গুপ্ু, শনিবারের চিঠি, বৈশাগ ১৩৬৮। দ্র, গ্রাবিশ্ত যুখাপাধায়, রবীন্্র সাগর সগমে পৃ 9৮৭৫7 ৫৬-৫৮।

ধা ১৮৮৯ বাজ! রানী ২৭৯

চল্লিশ বৎসর পরে ববীন্ত্রনাথ “বাজা রানী” ভাঙিয়া গচ্যনাটক “তপতী" রচনা করেন। সেই গ্রন্থের ভূমিকায় কবি স্বয়ং “রাজ| রানী" সম্বন্ধে যে-সমালোচনা করিয়াছিলেন (১৯ ভাদ্র ১৩৩৬) তাহ] নিষ্কে উদ্ধৃত হইল :

“স্থমিত্রা এবং বিক্রমের সম্বন্ধের মধ্যে একটি বিরোধ আছে-_ স্থমিত্রার মৃত্যুতে সেই বিরোধের সমাধা হয়। বিক্রমের যে প্রচণ্ড আসক্তি পূর্ণভাবে হুমিজ্রাকে গ্রহণ করবার অস্তরায় ছিল, স্থমিত্রার মৃত্যুতে সেই আসক্তির অবসান হওয়াতে সেই শাস্তির মধোই স্বমিজার সতা উপলব্ধি বিক্রমের পক্ষে সম্ভব হল, এইটেই রাজা রানীর মূলকথ]।

“রচনার দোষে এই ভাবটি পরিশ্ফুট হয় নি। কুমার ইলার প্রেমের বৃত্তান্ত অপ্রাসঙ্গিকতার দ্বারা নাটককে বাধা দিয়েছে এবং নাটকের শেষ অংশে কুমার যে-অসংগত প্রাধান্ত লাভ করেছে তাতে নাট্যের বিষয়টি হয়েছে ভার গ্রস্ত দ্বিধা-বিভক্ত | এই নাটকের অন্তিমে কুমারের মৃত্যু-ন্বারা চমৎকার-উৎপাদনের চেষ্টা প্রকাশ পেয়েছে__ এই মৃত্যু আখ্যানধারার অনিবাধ পরিণাম নয় ।”

১২৯৬ সালের শ্রাবণ মাসের শেষদিকে ভাঙ্রের গোড়ায় রচিত কবিতা কয়টি “মানসী” কবিতাগুচ্ছের পৃথক একটি স্তরে, বিশেষ পরিপ্রেক্ষণায় বিচার্ধ-_ ধ্যান (২৬ শ্রাবণ পূর্বকালে (২ ভাদ্র), অনস্ত প্রেম (২ ভাদ্র), ক্ষণিক মিলন (৯ ভাদ্দ), আত্মসমর্পণ (১১ ভাদ্র) আশঙ্কা (১৪ ভাদ্র)। কবি জোড়ার্সাকোয় আছেন-_ মন যেন বেশ তপু, এমন শান্ত যন বহুদিন দেখা! যায় নাই; মানসীর পূর্বেকার কবিতাগুচ্ছ হইতে ইহাদের স্থর কত পৃথক!

নিতা তোমায় চিত্ত ভবিয়! ক্ধুবণ করি, বিশ্বহীন বিজনে বসিয়া বরণ করি তুমি আছ মোব জীবন-মরণ হরণ করি। ধ্যান

মনোভাব পূর্বের অস্থির আক্ষেপ হতাশ্বান হইতে সম্পূর্ণ অন্ত ক্ূপের-_ “ঘতদ্বর হেরি দিগ্দিগন্তে তুমি আমি একাকার কাব্যের মধ্যে কৰি যাহাকে খুঁজিতেছেন সেকে। সেকি তাহাব মানসী, মানসম্থন্দ রী, জীবনদেবতা অথব' জীবনের ফধ্ুবতার]-_ অন্ধকারে অদৃশ্বা, ভাবলোকে দেখা দেয় ক্ষণিক? অথব] ছুই মাসের বিরহের পর স্ত্রীকে পাইয়া সন্টরোগজাত আনন্দমথিত কিন্ধু পর মুতে বাস্তব-জীবন স্পর্শে মন অকারণ কল্ললোক-বিলামী হইয়া উঠিল কি?

তোমারেই ঘেন ভালোবাসিয়াছি শত রূপে শত বার জনমে জনমে, যুগে যুগে অনিবার। চিরকাল ধরে মুগ্ধ হৃদয় গাথিয়াছে গীতহার, কত রূপ ধবে পরেছ গলায়, নিয়েছ সে উপহার জনমে জনমে যুগে যুগে অনিবার 1. অসীম অতীতে চাহিতে চাছিতে দেখ দেয় অবশেষে কালের তিষিররজনী ভেদিয়া

২৮০ ববীন্দ্রজীবনী শ্ীষ্টান্ষ ১৮৮৯

তোমারি মুর্তি এসে, চিরস্থতিময়ী গ্রবতারকার বেশে আমর! দুজনে ভাসিয়া এসেছি যুগল প্রেমের শ্রোতে অনাদিকালের হদয়-উৎস হতে। _অনস্ত প্রেম এই শাস্ত মনোভাব, এই তৃপ্তি সম্বন্ধে 'আশঙ্কা” জাগে প্রশ্ন উঠে কে জানে একি ভালো ?.. আছিল মোর তপন-তাবা, আজিকে শুধু একেলা তুমি আমার আখি-আলো-_ কে জানে কি ভালো? বিচিত্র প্রেম, বিচিত্র স্থখ সৰ আজ নিশ্চিহ__ কোথায় তারা, সকলে আজি তোমাতেই লুকালো। কে জানে কি ভালো? “মানসী'র গোড়ার দিকের মনোভাব হইতে ইহার কত পার্থকা- সকল গান, সকল প্রাণ তোমারে আমি করেছি দান-_ তোমারে ছেড়ে বিশ্বে মোর তিলেক নাহি ঠাই ।১ রাজা রানী”র পর যে কয়টি কবিতা লিখিত হয়, সেখুলি 'মানসী'র অস্গত বিশেষ স্বরে কাধা প্রেমের কবিতা, অথচ সে প্রেমের সহিত পরিপাশ্থিক বাস্তব জীবন সন্বন্ধহীন কৰিপত্বী মালিনী দেবীর বয়স এখন (১৮৮৯) সতেরো-আঠারো বংসর মাত্র ছুই শিশুর জননী-_ তাহাদের লইয়া বিব্রত, উদত্রান্ত ! সাংসারিক ব্যবহারিক দিক হইতে স্ত্রীর যে সার্থকতা, তাহ! মুণালিনীদেবীর ছারা আংশিকভাবে পৃরিত হইত; সংসার-অনভিজ্ঞ, অশিক্ষিত অল্পবয়স্কা বপিয়া সংসারে তিনি আপনার ধোগ্যান্থানে প্রতিষ্ঠিত হইতে পারেন নাই তা ছাড়া রবীন্দ্রনাথের স্তায় চিন্তাঈীল লেখক ভাবুক কবির আন্তর জীবনের পোষণ সরবরাহ করিবার মতো শক্তি স্ত্রীর ছিল না। এক বৎসর পূর্বে ( জুলাই ১৮৮৮) 'নববঙ্গদম্পন্তির প্রেমালাপ, নামে যে কবিতাটি লিখিয়াছিলেন, তাহা তাহার সংসারেই প্রযোজা হইতে পারিত। আঠারো বৎসরের ছুই সম্ভানের জননীর কাছ হুইতে মনের খোরাক তিনি কী আশা করিতে পারিতেন? তাই দেখি, রবীন্দ্রনাথকে ছুই জগতে ভ্রমণ করিতে : একটি অতীভলোকে প্রেমের আপেয়াকে ফ্বতারক। প্রভাবে অনুধাবন কবিতারচনার দ্বারা আত্মন্থখ সন্ধান; অপরটি হইতেছে জীবন্তপ্রাণের সঙ্গে পত্র লিখিয়া মনের কথ] বলিবার পরিবেশ রচনা : কবির ধ্যান, মানসী, রবীক্-রচনাবলী ২, পূ ২৫১। পূর্ণকালে. মানসী রবীন্্-রচনাবলী ২, পৃ ২৫২। অন্ধ প্রেম, রবীক্ম-রচনাবলী ২, পূ ২৫৩।

ক্ষণিক মিলন, রবীন্-রচনাবলী ৯, পৃ ১২৬। আন্মলমর্পণ, রবীশ্্র-রচনাধলী ১, পৃ ১৩। আশশ্বা রবীন্-রচনাবলী ২, পৃ২*৫। মানসী, রবীশ্র- রচনাবপীর কবিতাগুলি তারিথ অনুযায়ী পাই

খীষ্টাব ১৮৮৯ উত্তরবঙ্গের জমিদারিতে | মানসীর যুগ : বিসর্জপ ২৮১

ভ্রাতৃম্পুত্রী ইন্দিরা এখন যোলো-বৎসরের কিশোরী উদ্দীপ্ত বুদ্ধি; তাহাকে উদ্দেশ করিয়া কবি আপন মনে কথা বলিয়। যাইতেছেন পত্র-ধারায়-_ইহাও আত্মন্থখ-সন্তোগের একটি উপায়-_ সবার দৃষ্টির অন্তরালে তাহার চলার পথ অতীত স্থতিচারণ করিয়া মৃতার উদ্দেশে কবিতা রচনার স্তান়্, জীবিতার উদ্দেশে পন্ তর প্রেরণও অর্থহীন-_ উভয়ের সার্থকত| বিরহের আনন্দ-সন্তোগ।

রাজা রানী" প্রকাশের পর্বে গন্ভরচনা খুব কম, একটিমাত্র প্রবন্ধ 'নব্যবঙ্গের আন্দোলন'১ চোখে পড়ে। প্রবন্ধ হিসাবে ইহাতে নৃতন কিছু নাই। রাজনীতি সমাননীতি সম্বন্ধে মামূলি সমালোচনা যাহা এতদিন অম্পষ্টভাবে বঙ্িয়াছিলেন তাহ্াকেই আর-একটু স্পষ্ট করিবার চেষ্টানাত্র দেখা যায় তখনকার বাজনীতিতে [২০19765561207 056 0০৬৫1100067 ছিল আলোচনার প্রধান বিষয়। রাজনীতিকদের এইসব বিষয় লইয়া আন্দোলনকে লক্ষা করিয়া রবীন্দ্রনাথ যাহা! বলিয়াছিলেন, তাহা সাহিত্যরচন! হিসাবে সুন্দর নহে সভা, কিন্তু তত্ব তথা হিসাবে তাহাদের মৃল্য না.দিয়। পারা যাইবে না। ১৮৮৯ সালে লিখিত এই প্রবন্ধের পটভূমি আজ আমাদের কল্পনার মধো আনা কঠিন। কংগ্রেস যাত্র ছয় বংসর রাজনীতি লইয়া আলোচনায় অবতীর্ণ হইয়াছে, আন্দোলন এখনো অনেক দূরে ১৯৬৭ সাল হইতে সে কাল অনেক দূরে, তথাচ ভারতের বাষ্্ীয় আন্দোলনের লৃচনাকালে লিখিত এই প্রবন্ধের মূল বক্তবা-_ সর্ববিষয্ধে সরকারের মুখাপেক্ষী না হইয়া দেশবাসীর আত্মশক্তি পরষ্পরেব উপর নির্ভরশ্ীতার চর্চার দ্বারা দেশকে গড়িবার কাছ শেষ হয় নাই। বারে বারে দেখা গিয়াছে প্রবপ উত্তেজনার মধো কবির দৃষ্টি আবিল হয় নাই; তিক মন্তবা লমালোচনার দ্বার! তাহার শক্তি নিঃশেধিত হয় নাই

উত্তরবঙ্গের জমিদ্ারিতে মানসীর যুগ : বিসজ'ন

আমরা যে সময়ের কথা বলিতেছি, তখনো রবীন্দ্রনাথের “নদীবনদ আছিল লঘু”, ঘদিও প্রথমবয়স কাটিয়া গিয়াছে। সংসারের কোনো দায়ে বা দায়িত্বে তেমনভাবে বীধা পড়েন নাই অকারণ ঘুরি] বেড়ানো সহজ ছিল। মহুষি জমিদাবিব “কাজের ভোরে' কবিকে বাধিবার চেষ্টা অল্পস্বল্পল করেন, কিন্তু তেমনভাবে ধরা তিনি দেন না; দুই-এক মাস জযিদাবিতে গিয়া বাম করেন। প্রথম স্থবিধা-্বযোগে কলিকাতায় প্রত্যাবর্তন করেন__ পদ্মার সহিত পরিচয় প্রগাঢ় প্রণয়ে পরিণত হুইতে সময় লাগিয়াছিল। তা ছাড় বববীন্ত্রনাথ নিজ্জ পরিবার স্ত্রী পুত্র কল্তার প্রতি অতীব স্লেহশীল-_ তাহাদের দূরে রাখিয়া তৃপ্তি পাইতেন না। যাহা হউক প্রথমবার শিলাইদহে বাড়ির মেয়েদের লইয়া গিয়াছিপেন ; নূতন স্থানের অভিজ্ঞতা একটি পঙ্ে ইন্দিরা দেবীকে কলিকাতায় লেখেন ( ডিসেম্বর ১৮৮৯ )। ছিন্ন- পত্রাবপী | পত্র ৩)।৭ সমলামগ্িক একখানি পত্রে লিখিতেছেন, “শিলাইদছের অপর পারে একট] চবের সামনে আমাদের শবাবঙ্গের আঙচ্ছোলন, ভারতী, জাঙ্ছিন ১২৯৬ অক্টোবর ১৮৮৯ ইহা একমাদ্ প্রবন্ধ ১২৯৫ ১২৯৬ সালের অধ রচিত, ঘা পরে ভারভীতে প্রকাশিত হয়। দেশ, ২৭ বৈশাপ ১৩৫৯ পৃ. ৭১-৭৮।

২. 2৮701 1408%57) হিপ ম্টিজম্‌ ব। সম্মোন-বিস্ঞা সম্থক্ষে গ্রন্থ গ্রস্থকায় ৬. 01640751 প্রকাশক চু. ৬০. 21157 1 এই শ্রন্থের তৃতীয় সংস্করণ ১৮৯৬ সালে হু্ত হয়। ১৮৮৯ সালের পূর্বের সংশ্যরণ রবীন্্রনাথ পাঠ করিয়াছিলেন 4১710010581 150 সাধারণভাবে 0363701050 নামে চলিত চ1160:10 11652567 (1733-1815 ) জর্জান চিকিৎসক এই সম্মোহনবি্াঁর উদ্ভাবক | রবীঙ্ছদাপ এই ঝাপসা বইটি কেন পড়িতে গেলেন ।..* এই সময়ে কলিকাতায় জল্কট প্রমূখ খিওজ্রফিস্ট আসিয়ান্ধেন। জানকীনাথ ঘোধাল বর্ণকূমারী দেবীর বাড়িতে তাহার অথও প্রতাপ তখন; জোড়াসীকোর বাড়িতে ছিপেজ্দাখের পন্থী হল! দেবী এই বধিভিয় সদস্ক হন। এই হষ্কুগে তখন সবাই 'মেসমেব্জিন্‌

কি জানিযার জন্ত কৌতূহলী | রবীন্্সাথের অনুসন্ধিংহ যদ। সেইজন্ত এই কাপল! ৪/১১০০০-এর বই পড়িভেছিলেন।__ (জ্র- জীবনের বরাপাতা সরল! দেবী চৌধুয়াদী, প্‌. খ-গ$ )

২৮২ ববীন্্রজীবলী গ্রীষ্টাৰ ১৮৯০

কোট লাগানো আছে। প্রকাণ্ড চর-- ধু ধু করছে-_ কোথাও শেষ দেখা যায় না... গ্রাম নেই, লোক নেই, তরু নেই, তৃণ নেই-__ বৈচিত্রোর মধো জায়গায় জায়গায় ফাটল-ধর। ভিজে কালো মাটি, জায়গায় জায়গায় শুকনো সাদা বালি... এমনতরো 465০0180097 কোথাও দেখা যায় ন1।.'" পৃথিবী যে বাস্তবিক কী আশ্ধ স্ন্দরবী তা কলকাতায় থাকলে তুলে যেতে হয়।”

“সন্ধেবেলা এই বুহৎ চবের মধ্যে ছাড়া পেয়ে-..অনুচরসমেত ছেলেরা! এক দিকে যায়, বলু এক দিকে যায়, আমি ' এক দিকে যাই, ছুটি রমণী [তাহার মধো একজন মুণালিনী দেবী ] আর-এক দিকে যায়|." গতকলা এই মায়া-উপকূলে অনেকক্ষণ ধরে বিচরণ করে বোটে ফিরে গিয়ে দেখি-_ ছেলেরা ছাড়া আমাদের দলের কেউ ফেরেন নি।.. আমি একখানি 5৪5% ০1017 স্থির হয়ে বসলুম-_- £&717101 210£7601517১-নামক একখানা অতান্ত ঝাপসা 53910০0-এর বই একখানি বাতির ঝাপনা আলোতে বসে পড়তে আরম্ক করলুম,” কিন্তু মেয়েরা সময়মত ফেরেন না) কবি উদ্বিগ্ন হইয়া খোজ শুরু করিলেন; সেই খোজাখু'জির সময়ে রবীন্দ্রনাথের অস্তবের মানুষটি আত্মপ্রকাশ করিয়াছে

শিলাইদহ হইতে পরিবার-পরিজন লইয়া রবীন্দ্রনাথ কলিকাতায় ফিরিলেন ডিসেম্বরের (১৮৮৯ ) কোনো মময়ে ) কিন্ধ পিতার বাবস্থায় পুনরায় উত্তরবঙ্গে যাত্রট করিতে হইল-_ এবার একাকী এবার গমান্থল সাহাজাদপুর জমিদারি-_ সেখানকার সেবরেস্তার কাজ বুঝিয়া লইতে হইবে

এবার শিলাইদহ হুইতে ফিরিয়া কবি দেখেন গাকুরপরিবারের বালকরা একটা-কিছু নাটক অভিনয়ের জন্য আয়োজন করিতেছে | তাহারা বউঠাকুরানীর হাটের নাটাকপ দানের কথা ভাবিতেছিল 1 রবীন্দ্রনাথকে শিলাইদহ হইতে ফিবিয়া আসিতে দেখিয়া ভ্রাতুষ্পুত্র স্থরেন্ত্রনাথ (১৮) ভাহার নিজের হাতের হাতে-বাধানো একখানি খাতা রনিকাকার হাতে দিয়া যেন কায়না দিলেন মতন নাটকের জন্ত।

সাহাজাদ ধুর যাইবার সময় 'রাজধি' একথখপণ্ু সঙ্গে লইলেন, কোধ হয় তখনই মনে মনে গোবিন্দমাণিকোর কাহিনী লইয়া নাটক বুচনার সংকল্প গ্রহণ করেন সাহাজাদপুরের কাছারিবাপ্ডিতে একা] আছেন-_ ত্ীর নিয়মিত পত্র গেখাত অভ্যাস নাই | সম্ভানদের জন্য কবির মন উত্তলা হয়, কিন্ক উপায় নাই | গন্থীর মুখে জযিদারির কাজ জযিদার- পদাধিকার-বলে পাচ রকমের জনহিতকর কাজের মধ্যে লিপ্ত হইতেই হয়। স্থানীয় বিদ্যাপয়ের “স্থনীতি সঞ্চারিণী সভা" য় উপস্থিত হইরা ছাত্র শক্ষকদের বক্তা শ্রবণ, ভাষণ দান প্রড়ৃতি কার্স ক্ঠব্াবোধে নিপ্পন্ন করিতে হয়|

প্রায় এই সময়েই সাহাজাদপুর থেকে স্ত্রীকে একদিন লিখিতেছেন, “একদল উকীল আর স্কুলের মাস্টার এসেছিল আমার বই স্কুলে চাপাবার জন্য কথাবার্তা করে রেখেছি কেবল বই আর পাচ্চি নে. বাজমি যেখান আমার কাছে ছিল মেইটেই ইন্স্পেক্টরের হাতে দিয়েছি নদিদির গল্পসল্ল৪ দিয়েছি গআবাব ইন্স্পেক্টরের গলা ভেঙ্গে গেছে বলে তাকে হোমিয়োপাথিক এযুধ দিয়েছি_ এতে অনেক ফল হতে পারে? গেখ্চ, বসে বসে কত উপার্জনের উপায় করচি। সকালে উঠেই বই লিখতে বসেছি তাতে কত টাকা হবে একবার ভেবে দেখ ছাপাবার সমস্ত খরচ না উঠিক নিদেন পশ-পতিশ টাকাও উঠবে। এইরকম উঠে পড়ে লাগলে, হবে টাকা হয়! তোমরা কেবল খরচ কতে জান এক পয়লা ঘরে আনতে পার গা গিন্পপত্রাবলীর ভারিদটি ভুল উঠ! হবে ১৮৮৯ পারিবারিক শ্ৃতি পুস্ঠকে বলেনানাধের বর্ন! হইতে জানিতে পারি ১৩ অগ্রহায়ণ ১২৯৯ (২৭ নভেম্বর ১৮০৯) ঘটনাটি ঘটে 1 ২৭ নভেম্বর ১৮৮৮ রপশ্রানাপের জন্মের তারিপ। ছ্রিম্পত্রাপলী, পর ৎ। পত্রণানে কলিকাতায় ইন্দিরা দেবী ১১ মাঘ ১১৯১ [২৩ ক্সানুছারি ১৮৭৭] ভারিগে পান। হুতরাং দেখা ঘাইতেছে আপি বা্গসমাজে সম্পাদক রূপ কতযপালনের জন্য মাগোংসবের সময়ে কলিকাচায় পাকেন নাই। চা ছাড়া বংসরের উৎসবের জন্ত নুতন গানও রচিত দেখ! যায় না। চিঠিপত্র ১। পত্র১।

এটাক ১৮৯, উত্তরবঙ্গের জমিদারিতে | মানসীর যুগ : বিসর্জন ২৮৩

এই ছাপপকা স্থরের পত্র মধ্য থেকে আমরা কয়েকটি তথ্য জানিতে পাৰিলাম-_ প্রথমত “রাজবি' পাঠ্যপুস্তক ব্ূপে চালাইবার চেষ্টা ; দ্বিতীয়ত 'রাজর্ধি” সঙ্গে লইয়াছিলেন “বিসর্জন” নাটক লিখিবার জন্য; সেই নাটকটি লিখিতেছেন। নাটক রচন! হইয্া গেলে হবেন্রনাথকে উহা! উৎসর্গ করিস! যে-কবিতা লেখেন তাহা “বিসর্জন” নাটিকার পুরোভাগে মুদ্রিত আছে তাহাতে আছে-__

তোরি হাতে বাধা খাতা তারি শ-খানেক পাতা! অক্ষরেতে ফেলিয়াছি ঢেকে, মন্তিফকোটরবাসী চিন্তাকীট রাশি বাশি পর্দচিহ্ন গেছে যেন রেখে প্রবাসে প্রত্যহ তোরে হদয়ে স্মরণ করে লিখিয়াছি নির্জন প্রভাতে, মনে করি অবশেষে শেষ হলে ফিরে দেশে জন্মদিনে দিব তোর হাতে ।.-- সম্মুখে দাড়াব যবে “কী এনেছ' বলি সবে যগ্ঘপি শুধাস হাসিমুখ, খাতাখানি বের করে বলিব “এ পাতা ভরে আনিয়াছি প্রবাসের সুখ? |--, তার পরে দিন-কত কেটে যায় এইমত তার পরে ছাপাবার পালা। মুদ্রাযস্থ হতে শেষে বাহিরায় ভ্রবেশে তার পরে মহ! ঝালাপালা বক্তমাংস-গন্ধ পেয়ে ক্রিটিকেরা আসে ধেয়ে, চারি দ্রিকে করে কাড়াকাড়ি কেহ বলে, 'ড্রামাটিক বল] নাহি যায় ঠিক লিরিকের বড়ে] বাড়াবাড়ি ।৮.., হাসিমুখে স্সেহভরে সপিলাম তোর করে, বুঝিয়া পড়িবি অনুরাগে কে বোঝে কে নাই বোঝে তাবুক তা নাহি খোজে, ভালো যাব লাগে তার লাগে

'বালকে' প্রকাশিত রাজধ্ধি উপন্যাসের প্রথম আঠারোটি পরিচ্ছেদ পর্যন্ত গল্পাংশ 'বিলর্জনে'র বিষয়বস্ত | নক্ষত্ররায়ের বিদ্রোহ-কাছিনী সংযোজিত অংশের ( ৩২) ৩৩, ৩৬, ৩৭ পরিচ্ছেদ ) অন্তরগত। বঘুপতি-কর্তৃক কালী-প্রতিমার বিসর্জন ঘটিয়াছে ৪* পরিচ্ছেদ | বাজধির অন্যান্য অংশের সহিত ইহার কোনো সম্পর্ক নাই। উহার অন্তগত হাসি, হাসির কাকা কেদারেশ্বর, ভিখাবিনী অআপর্ণার অন্ধ পিতা! গ্রড়ৃতি বিসর্জনের গ্রথম লংস্করণে ছিল। নাট্যোপ্লিখিত বাক্কিগণের মধো গুণবতী অপর্ণা নয়নরায় চারপাল প্রভৃতি বিসর্জনের নৃতন স্যতী, রাজধিতে ইহারা নাই বিসর্জনের পাঠে বু পরিবর্তন হইয়াছে; ১৩০৩ সালের কাব্যগ্রস্থাবপী সম্পাদনকালেই উহার ঘথার্থ পরিবর্তন সাধিত হয়। অনেকগুলি

২৮৪ রবীন্্রজীবনী এটা ১৮৮৯

ষ্ঠ সংক্ষিপ্ত হয়, নৃতন লিখিত কোনো কোনো অংশ যোজিত হয়, কোনো কোনো অংশ পরিবতিত হয় কয়েকটি দৃশ্য সম্পূর্ণ বজিত হয় 1১

“রাজধি” সম্মথে রাখিয়া যে বিসর্জন রচিত তাহার প্রমাণ রঘুপতি-কর্তৃক হত্যাসন্বদ্ধে বক্কৃতা ) রাজধির পাঠটি কবিতায় রূপান্তরিত হইয়াছিল।

বিসঙ্জন

ত্রিপুবার রাজ! গোবিন্দমাণিকোর মহিষী গুণবততী নিঃসন্তান কালীর মন্দিরে দেবীসমক্ষে পুত্রকামনা করিয়া অন্তর্বেদনা জানাইতেছেন, “বসে আছি তপ্ত বক্ষে শুধু এক শিশুর পরশ লালসিয়া”। মন্দিরের পুরোহিত রঘুপতিকে ডাকিয়া বলিলেন, “এ বঙসর পৃজার বলির পশ্থ আমি নিজে দিব |” মহাদেবীসমক্ষে পশুবলিকে কেন্দ্র করিয়া “বিসর্জন” নাটকের আখ্যানটি জটিল হইয়াছে।

অপর্ণা ভিখারিনী বালিকা, সে রাজার কাছে একদিন আসিয়া সাশ্রনয়নে অভিযোগ করিল যে, তাহার পালিত ছাগশিশ্ু রাজ-অন্চব্গণ কাড়িয়া আনিয়া দেবীর কাছে বলি দিয়াছে রাজা মন্দিরের সেবক রঘুপতির পুক্রস্থানীয় অন্চর জয়মিংহকে ডাকাইয়া এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করিলেন বালিকার মাতৃহৃদয় আচ্ছন্ন করিয়া ছিল এই ছাগশিশ্জ। মহাকালীর মাতৃশ্রেহ সম্বন্ধে এই অশিক্ষিত বালিকার মরল হৃদয়ে প্রথম সন্দেহ প্রবেশ করিল। সে প্রশ্ন করিল, “কে তোমাৰ বিশ্বমাতা! মোর শিশু চিনিবে না হারে 1, আমি তার মাতা 1৮ এক দিকে চিববন্ধাা নাবীর ক্রন্দন) অজাত শিশুকে পাইবার জন্য ব্যাকুলতা। আর, অস্থ দিকে মূঢ বালিকার হদয়ে মাড়ন্সেহ উদ্বেপিত হইতেছে মৃক ছাগশেশ্ুর জন্য। একজন একটি মানবশিশ্ুর লোভে দেবীসমক্ষে শত শত মহিষ ছাগশিশু বলি দিবার জঙ্কা প্রস্তত, পরজন একটিমাত্র ছাগশিশ্ত হত্যার জন্ম দেবীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী সে বলে, “মা তাহারে নিয়েছেন? মিছে কথ! রাক্ষপী নিয়েছে তারে 1” এইখানে দুইটি নারীহ্দয়ের বিপরীত আবেদন আকাক্ষা। আখায়িকার শেষ পর্বস্ত এই বিপরীত সংগ্রাম চলিয়াছে ছুই নারীর মধ্যে। এই মন্দিরপ্রাঙ্গণে জয়সিংহ অপর্ণার প্রথম পরিচয় হইল; প্রথম অস্পষ্ট প্রেম উভয়ের হৃদয়ে দেখা দিল। অপর্ণা বলে, “তুমি চলে এনমো জয়লি'হ, মন্দির ছেড়ে, দুইজনে চলে যাই ।” জয়মিংহ বলে, “কোথা যাক মন্দির ছেড়ে এসো ডুষি আমার কুটীরে 1? এধেন খাচার পাখি বনের পাখির মিলন | কেহই নিজ সংস্কার ছাড়িতে পািতেছে না।

ছাগশিশ হত্যার এই সামান্য বিষয়টি রাজার মনে যেবিপ্রব স্ষ্টি করিল, তাহাতেই আখানটি নাটকীয় কূপ লইয়াছে রাজ রাজসভায় ঘোষণ1 করিলেন, “মন্দিরেছে জীববলি বংসর হতে হইল নিষেধ 1. বাপিকার মৃতি ধরে স্ব, জননী যোবে বলে গিয়েছেন, জীবরক্ক সে না সাহার 1” সামাহ্া ঘটন! মানতধের চিরস্তন ধর্মবিশ্বাসে কী বিপ্লব সাধন করিতে পারে এইটি তাহারই নিদর্শন বিসঙ্জনের প্রথম সংস্করণে কারণটি আরও বস্ততা্রিক ছিল। রাদধি'তে বণিত হাপি তাতা উহাতে ছিল এব হাসির মুত্ুযুকাপে বারে বারে "এত রক্ত কেন? এই কথাটি রাজার অস্তরে শেলের মতো বিধিয়া যায়। হাসির মৃতার পর তাতাকে তিনি রাজস'লারে গ্রহণ করেন পুত্রের ন্যায় পালন করেন, বিসর্ষনে তাত হইডেছে ফ্রব। রবীন্নাথ বিস্জনের পিতীয় সংস্করণ প্রণয়নকালে হাসি তাতার আখ্যানটি বর্জন করেন, এবং হাসির মৃত্যুর ছারা রাজার অস্থবের পরিব্নটাকে না ঘটাইয়। আরও লুশ্ম কারণ দেখাইলেন; রাজার মণের পরিবর্তনটা বহিবিষয়ী ঘটনার উপর না রাখিয়া অন্বিষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়া পরিষ্ফুট

রবীল্র রচনাবলী ৯, গন্থপরিচয় | নিঙগভারতী গ্রন্থনবিভাগ হইতে একবার প্রপম সংস্করণের অংশ চরিতগুলি দিয় একটি সংস্করণ প্রকাশিত হয় পর উহ] পুনমু্রিত হয় নাই 1

গ্রষ্টাৰ ১০৮৯ বিনর্জন ২৮৫

করিলেন। বলিবদ্ধের প্রেরণাটা তাতার মৃত্যুর স্তাক্স নাটকীয় অতিথাতে উদ্বুদ্ধ না হইয়া, আরও লুম্্ঘ মনম্তত্বমূলক করিলেন।১

দেবপৃজাঙ্গি ব্যাপারে রাজশক্তির হস্তক্ষেপ রঘুপতির বিবেচনায় অনধিকার চর্চা। তাহার যুক্তি-_ “বাহুবল রাহুসম ক্রক্ষতেজ গ্রাসিবারে চায়-_ শিংহাসন তোলে শির হজ্ঞবেদী-পয়ে |” 01010) 50৪৮-এর বিবাদ-_ ব্রাঙ্মণ ক্ষত্রিয়ের চিরস্তন কলহ

জয়সিংহ অপর্ণা মন্দিরপ্রাঙ্গণে অস্পষ্ট প্রেমবিনিময়ে মগ্ন, এমন সময়ে জ্রুন্ধ অপমানিত ব্রাক্ষণ ফিরিয়া আলিল। জয়সিংহ সমস্ত বৃত্তান্ত শুনিল; গোবিন্দমাণিকাকে সে আদর্শ মানব বলিয়া অন্তর দিয়া শ্রদ্ধা করে, গুরুকে সে সমন্ত বিশ্বাস দিয়া ভক্তি করে। সতা সংস্কার-_ এই ছুই-এব ছন্য চলে জয়সিংহছের অন্তরে) তাই সে বলে, “এ প্রাণ থাকিতে অসম্পূর্ণ নাহি রবে জননীর পৃজা।” এবং তাহার এই বাকাই সে বর্ণে বর্ণে পালন করিয়াছিল।

গোবিন্মমাপিকোর আদেশে মন্দিরে বলি নিষেধ, “অন্দিত্ের ছুয়ার হইতে রানীর পৃজার বলি” ফিরিয়া আসিল। রাজার যে লংগ্রাম এতক্ষণ রঘুপতি সভাসদ্দের সছিত বাহিরে চলিতেছিল, এখন তাহা দেখা দিল অন্দরে বানীর সহিত মতানৈকো অন্বসংস্কারমোহাচ্ছন্্ নারীর দৃষ্টি স্বতাবভই ক্ষীণ; তাই সে বলে, “অন্দিবের বাহিযে তোমার রাঙ্গা যেথা তব আজ্ঞা নাহি চলে, ছেখ। আজ্ঞা নাহি দিয়ো” সভাসদাদি প্রাকুতজনেবই চিন্তার প্রতিধ্বনি ঘেন রানীর মুখে শোনা গেল। রাজা রানীর মধো সংগ্রাম আরম হইল। বঘুপতির অভিশাপের ভয়, দ্বেবীকে প্রতিশ্রুত বলি উত্স করিতে না পারাম্ পাপসঞ্চয়ের ভয়-__ বাপীকে সত্য ধর্ম হইতে ক্রমেই বিচাত করিতেছে ব্বাননীর সকল লাধা-সাধন] বার্থ হইল-__ বাজ] যাহ] সত্য বলিম্া জানিয়াছেন ভাহাই পালন করিবেন। তিনি দেবীর আজ্ঞা শুনিষ্বাছেন। “দেবী-আজা নিত্য কাল ধ্বনিছে জগতে। সেই তো বধিরতম যে জন সে বাণী শুনেও শুনে না” গুণবতীর নানীত্বের,

এককালে এদেশেও ধর্মের নাসে মনুয্ক বলি হইত; সংস্কৃতি 'পণ্ড' শঙের পর্ধায়ে "মনুপ্ব' আছে। প্দীনেশচন্্র সেন বলিয়াছেন যে. হুসেন শাছের সেন'পঠিদের পরাস্ত করিয়া ত্িপুয়ার মন্থায়াক্! ধন্ঠমাশিকা ( ১৪৬১-১১৫ ) ছুট] করিয়া 'চতুর্দশ দবেধতা'য পূজা! করিয়াছি'লেন। - পূর্বে পার্যত) [৫পুরায় অসংখ্য নয়বলি হইত, ধন্তমাণিকা সেই বলি বন্ধ করেন__ রাজার আদেশে বলির এই বাবস্থা হইল চতুশ দেবতার তিন বংসয় পরে একটি নরবলি, কাদীমন্দিরে একটি নরঘলি, 'দৌত1 পাথর' নামক দেবতার স্থানে ছুইটি নয়বলি কিন্তু তাহাও শত্রপক্ষীয় লোক পাইলে হইযে। ইহার অধিক ব'ল মানা করে রাজা ।”-_শান্তিকুমার দাশগুপ্ত : রবী দাটাপাঁরচয়, পূ ১৪-৯২। জীরাজমালা। দ্বিতীপ় লঙ্র হইতে উদধৃত। প২৯।

জীধত্ুষাপিকা রাজ যুদ্ধে জয় পাইয়া।

চতুর্দশ দেব পুজে ধিধি বলি গিয়া

পূর্বেতে ত্রিপুরা ঘাজা নরবলি দিত।

সহল্ে সংশে বঙ্গ [ বাগ্ালি ) বর্ধে কাটাযাইত।

ভীধস্তমা পিকা যান! তাহাকে করিল।

তদবধি নয়বলি নিষেধ হইল

তিন হংসর়ে এক নর চতুর্দশ জেষে।

কালফাতে এক নয় পাইবেক ধবে।

দৌভ। পাখয়ে ছুই নর শর পাইলে হু

গোমভীতে ছুই বলি ঘটে যে সময়।

ইহাতে অধিক যলি মানা করে রাজা।

তধধি নিশ্চিন্তে রহিল রাজ! প্রজা

২৮৬ ববীন্দ্রজীবনী ধ্বীাৰ ১৮৮৪৯

মহিষীত্তবের অভিমান ক্ষুগ্ন হইল; এইবার নারীর হিংশরমৃত্তি প্রকাশ পাইল-_ “আর নহে প্রেমখেলা, সোহাগক্রন্দন। বুঝিয়াছি আপনার | স্থান_- হয় ধূলিতলে নতশির, নয় / উ্্বকণা ভুজঙ্গিনী আপনার তেজে ।”

সংসারের জটিলতা বাড়িয়া চলিল। রঘৃপতি প্রজাদের মধো, সৈনিকদের মধো বিপ্রোহারি প্রজ্লিত করিবার চেষ্টা শুরু করিলেন মহাঁরানীও রাজার আদেশ অমান্য করিয়! মান্দরে বলি পাঠাইবার চেষ্টা করিলেন, কিন্ক রাজা স্বয়ং উপস্থিত থাকিয়া উহ] ফিরাইয়া গিলেন। বঘুপতি রাজার বিরুদ্ধে প্রজাদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করিবার জন্য দেবী-প্রতিমার মুখ ফিরাইয়া দিলেন-_ ঘোষণা করিলেন, দেবী বিমুখ জয়সিংহের মনে সন্দেহ হইল; সে প্রশ্ন করিল, “সমস্তই কি বিশ্বা করব? বঘুপতি বলিলেন, “হী” অপর্ণা আসিয়া দূর হইতে বলিল, “শীপ্ত এসো মন্দির ছেড়ে ।” নারীর সবল হৃদয় বুঝিতেছে বঘুপন্তি অসতোর পথে অধর্ষের পথে জয়সি'হকে টানিতেছেন। তাই যেন সে আতঙ্কিত হইয়] জয়সিংহকে মন্দির ত্যাগ করিবার জন্য আবেগভরে অনুরোধ জানায় |

অপর্ণা আনিয়া দেবী-প্রতিমার মুখ ফিরাইয়া গ্ুজাদের দেখাইল যে সতাই দেবী বিমুখ হইতে পারে না। সংস্কারহীন ভিখাৰিনীর পক্ষে সতা সহজবোধ্য গুরুর এই শঠতায় জয়সি'হের মন বিদ্রোহী হইয়া উঠিল। কিন্ত তাহার দুর্বল অন্তঃকরণ সংস্কারে আবদ্ধ বলিয়া শৃঙ্খল তাঙিতে পাবিল না।

দিকে রঘুপতি নক্ষত্ররায়কে রাজহতার জন্য প্ররোচিত করিতেছে দেবতার নামে বাদহন্ডা ভ্রাতহত্যার প্ররোচনা জয়সিংহের নিকট অন্যান্ত বীভৎস বলিয়া যনে হয়| ধর্ষের নামে এই হীন ষড়যঙ্গের সে প্রতিবাদ করিল। রঘুপতি বুদ্ধিমান, পণ্ডিত) তাহার পক্ষে হত্যার সমর্থনে যুক্তি প্রদর্শন করা কঠিন নহে | হতা সম্বন্ধে এই দার্শনিক বাখা। বাংল! কাবা-সাহিতো একটি অপরূপ সম্পদ ; কিন্তু রঘুপতির এই কুট ব্যবহারে, ধর্মের এই অসৎ আখা-প্রদানে জয়সি'হের চিন্ত গুরুর নিকট হইতে আরো সরিয়া গেল

বাজা অল্পকালেব মধ্যে জানিতে পািলেন নক্ষত্ররায় ভীহাকে হত্যার সচযন্থে লিপু রাজা লে-সংবাদ পাইয়া স্বয়ং নক্ষত্রের শিকট উপস্থিত হইয়া বলিলেন, “আমারে মারিবে। বুকে ছুরি দেবে ?.-. এই বন্ধ করে দিশ্ন দ্বার--, এই নে 'আমার তরবারি, মার্‌ অবারিত বক্ষে, পর্ণ হোক মনঙ্গাম ৮” নক্ষত্র ভাডিয়! পড়িল, রাজা ক্ষমা করিলেন। কিন্ধ পুনরায় গুণবতী নক্ষত্ররায়কে ধরিয়া বুঝাইলেন যে প্রবকেই রাজা ভবিষ্যতে হিপুবার রাঙ্গা করিবেন, তাহার রাজা হইবার আশা নাই; অতএব ধবকে ধস করাই তাহার স্থার্থ। বানী পবামর্শ দিলেন যে “অর্ধরাত্ত্রে আজি গোপনে লইয়া তারে দেবীর চরণে | যোর লাষে কোরে! নিবেদন | তার বক্ষে লিবে যাবে দেববোযানল 1”.*" নির্ষোধ নক্ষব্ররার় রঘূপতি শিশুকে হরণ করিয়া দেবীর সমক্ষে বলির বাবস্থা করিল। কিন্তু রাজ] সংবাদ পাইয়া মন্দিরে উপস্থিত হইয়া উভয়কে বন্দী করিলেন। বিচারে উভয়ে নিধাপিত হইল। এইবার রঘুপতির চাতরী চরমে আত্মপ্রকাশ করিল। “জোড়করে নতজান আজ আমি প্রার্থনা করিব তোমা কাছে__ দুই দিন দাগ অবসর শ্রাবণের শেষ দুই দিন ।” এই তুই দিন ভিক্ষা চাহিবার কারণ ছিল; জয়লিংহ দেবীর চরণ ধরিয়া প্রতিজ্ঞা করিয়াছিল মে, সে রাজরক্ত শ্রাবণের শেষ্রাত্রে দেবীর চরণে" আনিয়া দিবে। রঘুপতি জানিত, ক্ষত্রিয়কুমার জয়সিংহ প্রতিজ্ঞা পালন করিবেই, সে রাজরক্ত আনিবেই, গোবিন্দমাণিকাকে সে হত্যা করিবে তাই তাহার এই কপট বিনয়!

দিকে মোগলটিন্ত আসাম আক্রমণ করিতে যাইতেছে। পথিমধ্যে তাহারা নিবামিত নক্ষত্রের সহিত যুক্ত হইল এবং ত্রিপুরা অধিকারমানসে গোবিন্দমাণিকাকে পত্র পাঠাইল। পত্র পিখিয়াছিলেন নক্ষত্র; তিনিই গোবিন্দ- মাণিকাকে নিবাসন-আাদেশ দিয়াছেন, নিতুবা ভাসাবে রক্কশ্োতে সোনার জিপুরা-- দগ্ধ করে দিবে দেশ, বন্দী হবে মোগপের অশ্থ:পুরতরে জ্রিপুররমণী ?”" গোবিন্দমাপিক্য স্থির করিলেন, “ত্রিপুরার রাজপুত্র রাজা হতে করিয়াছে সাঁধ, তার তনে যুদ্ধ কেন?” রাজা যুদ্ধ করিবেন না ঘোষণ] করিলেন, নিজেই নির্বাসনে চলিলেন।

খ্রীষ্টাৰ ১৮৮৯ বিসর্জন ২৮৭

নাটকের শেষ পরিণতি হইল জয়সিংহের আত্মবিসর্জনে দেবমন্দিরে রঘুপতি অপেক্ষা করিতেছেন, আজ শ্রাবণের শেষবাত্রি, জয়সিংহ রাজ্হত্য! করিয়া রক্ত আনিবে। জয়সিংহ ঝড়ের মতো গৃহে প্রবেশ করিয়া বলিয়া উঠিল, “রাজবক্ত চাই তোর, দয়াময়ী, জগৎপাপিনী মাতা? নহিলে কিছুতে তোর মিটিবে না তৃষা? আমি রাজপুত, রাজরক্ক আছে দেছে। এই রক দিব।” এই কথা বলিয়া জয়সিংহ আত্মঘাতী হুইল, তাহার শেষ দিবেদন “এই যেন শেষ বক্ত হয় মাতা, এই রক্তে শেষ মিটে যেন অনন্ত পিপাসা তোব বক্রতৃষাতুবর! |”

এতদিনে রঘুপতির চৈতন্যোদয় হইল-__ যে-হত্যাকে সে এতদিন নানাভাবে সমর্থন 'করিয়া আসিতেছিল, আজ তাহার বিকটমৃত্তি প্রকাশ পাইল, যে-দেবীকে সে অন্ধভাবে এতকাল সেবা করিয়াছিল, আজ তাহা-যে কী মিথ্যা, তাহা প্রতিভাত হইল। দেবীকে গোমতী নদীতে বিসর্জন দিয়া বলিল-__ “দেবী নাই |... কোথা সেনাই। উধ্বে” নাই, নিয়ে নাই, কোথাও সে নাই, কোথাও সে ছিঙ্গ না কখনো |... সংসারে কোথাও থাকিত দেবী, তবে সেই পিশাচীরে দেবী বলা কনু সহকি করিত দেবী? মহব কি তবে ফেলিত নিষ্ফল রক্ত হৃদয় বিদারি মুঢ় পাষাণের পদে? দেবী বল তারে পুণারক্ত পান ক'রে সে মহারাক্ষসী ফেটে মরে গেছে।”

গোবিন্দঘমাণিকা দেবীর নিকট হইতে বিদায় লইতে আসিয়া দেখিলেন, “জয়সিংহ নিবায়েছে নিজবক্ত দিয়ে হিসারক্রশিখা |” তিনি তাহার উদ্দেশে পু্পাঞ্ছলি অর্পণ করিলেন গুণবতী বলিলেন, *আজ দেবী নাই-তৃমি মোর একমাজ্স রয়েছ দেবতা1” উভয়ে নির্বাসনে চলিয়া গেলেন অর্পণা আসিয়! রঘৃপতিকে ডাকিল, “পিতা, চলে এসো 1” রঘুপতি বলিল, “পাষাণ ভাঙিয়া গেল-__ জননী আমার এবার দিয়েছে দেখা প্রভাক্ষ প্রতিমা জননী অম্তমন্্ী |”

ডক্টর নীহাররঞুন রায় বলিতেছেন, "বিসর্জন আমাদের ধর্মের একটা অর্থবিহ্বীন নিষ্ঠুর সংস্কার আচাবের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ, আর এই প্রতিবাদ প্রথম দেখা দিয়াছে একটি বালিকার ক্ষীণ কণ্ঠ হইতে এবং সেই প্রত্ষাদকে ভাষা দিয়াছেন গোবিন্দমাণিকা। নাটকটির প্রথম হইতে শেষ পর্যন্ত চিরাচরিত প্রথার সঙ্গে এই সংগ্রাম সবত্র মুখর হইয়া আছে, জয়-পরাজয়ের মীমাংসা না হওয়া পর্ধন্ত তাহার বিরাম নাই 1১ বিসর্জনের অধো বিচিত্র চরিত্রের হন্ছবচিত্র এমনভাবে ফুটিয়াছে যাহা ইতিপূর্বে রবীন্দ্রনাথের কোনো গ্রশ্থে প্রকাশ পায় নাই। গোবিন্দমাণিক্য আদর্শবাদী ; আদর্শ রক্ষার জন্য সে সর্বস্ব তাগ করিল। তাহার সংগ্রাম অস্থবে বাহিবে, গৃহে বাজসভায়। বাহির হইতে দেখিলে রাজার জীবন একটা প্রকাণ্ড ট্রাজেডি কিন্তু নির্মল সতোর জোতি কাহার অস্যরকে এমন শ্বগীয় আভায় উজ্জ্বল, এমনি শক্তিশালী করিয়াছে যে, বাহিরের ছন্দ কঠিন বেদনাময় হইলেও তিনি তাহার উপর জম্বী হইয়াছেন রাজার সধাপেক্ষা বড় সংগ্রাম রানীর সহিত এইখানে রাজা রাণী'র সহিত মেলে এবং মেলে নাও বটে। স্বযিজ্রা গুণবতী ছুইটি পৃথক আইডিয়ার বাহুন। স্মিত রানীর মধাদ] রক্ষার জন্য, রাজাশ্রীর সম্মানের জন্ম আত্মত্যাগ করিল; গুণবর্তী নারীর অন্ধ 11500700-কে চপ্রিতাথ করিবার জন্য প্রলয়ংকরী মৃতি ধারণ করিতে পরাষুখ হইল না। গোবিন্দ- মাণিক্য গুণবতীর প্রেম গভীর | অথচ যে-অহিংসাকে রাজ] সত্যধর্ম বলিয়া বুঝিতে পারিয়াছেন, তাহার জন্ রানীর প্রেম তাহাকে বিচপিত করিতে পারে নাই, সেখানে মে অচল অটল, ধা অত্যের সহিত কোনোপ্রকার আপোস দর-কধাকধি করিতে নারাজ। রানীর সংস্কারমূলক ধর্মবোধ প্রেমের মর্ধাদা রাখে নাই, কারণ মিথ্যা ধর্বোধ মানুষকে অসত্যের পথে, অন্যায়ের মধো টানে। সেইজন্রই রানী শিশুগ্রবকে দ্বেবীর সম্মূথে বলিদান দিবার জঙ্চ পাঠাইয় দিগেন। ধর্মান্ধতা সত্যের আলোক দেখিতে পায় না। সংসার-জীবনে রানী গুণবতীর প্রেমের কোনো পরীক্ষা হয় নাই; সত্যের সঙ্গে মতেব, ধর্মের সঙ্গে সংস্কারের যখন তম্্ উপস্থিত হইল, তখনই বানীর প্রেমের মধ্যে ষে-স্বার্থান্বতা জ্রীনীহাররঞ্জন রায়, রবীন্-সাহিতোর ভুমিকা, পূ ৩১৫।

২৮৮ ববীন্দর্জীবনী শরীষ্টাৰ ১৮৯০

ছিল, তাহ! আত্মপ্রকাশ কবিল। কিন্তু রানীর এত বিরুদ্ধতার মধো রাজার মনে তিলমাত্র ক্ষোভ জাগে নাই, কারণ যথার্থ প্রেম সর্বসহ1, তাহা ব্যথা পায়, ব্যথা দেয় না__দেহের অতীতে তাহার ধ্যানযোগ, সংস্কারের বাহিরে তাহার সক্কোগ।

জয়সিংহ অপর্ণার প্রেমের যধোও বিরোধ জয়সিংহ সংস্কার-আবন্ধ, ধর্মান্ধ; আচারসবস্থ গুরুর নিকট হইতে আনুষ্ঠানিক ধর্মে অভ্যস্ত আর অপর্ণা ভিখারিনী ; কোনোপ্রকার সংস্কার তাহার চিরবহমান জীবন্ডক বাধিতে পাবে নাই। সে তাহার বালিকা-হদয় দিয়া, তাহার নারীম্থলভ স্বাভাবিক প্রেরণা হইতে জয়সিংহকে ভালোবাসে জয়সিংহ কঠোর কর্তব্বোধ আনুষ্ঠানিক ধর্মভাব হইতে সেই প্রেমকে কিছুতে নিজস্ব করিতে পারিতেছে না; যাহা নিত্য প্রেম তাহাকে সে অন্তরে পাইয়াছে। কিন্তু পিতৃক্সেহেব ধণশোধের জন্ত সে সেই প্রেমকে দলিত করিল, নিজেকে সেই সঙ্গে বিসর্জন দিল। জয়সিংহের প্রেম এত গভীর, এমনি নিষ্টর সংযমের দ্বারা তাহা অবরুদ্ধ যে উহা! পাঠককে পীড়িত করে। এই নিষ্টর সংঘয--ঘাহা প্রায় অশ্বাভাবিকত্ের কোঠায় গিয়া পড়ে, তাহা কবির বহু গল্প- উপন্তামের মধ্যে বারে বাবে দেখা দিয়াছে একদল আপুনিকদের মতে এটা কবির বাস্তবের সঙ্গে অপরিচয়ের অবশ্বাস্তাবী পরিণাম; ঠাহাব ব্রাক্ষচিতা। যেন অশ্রচি ঘটনার বর্ণনা সাহিত্োর অপরিহার্দ অঙ্গ ইহা স্বীকার করিতেই হইবে ববীন্দ্রনাধ ইহাতে কৃতকাধ হন নাই।

বিসর্জনের মধো ববীন্জুনাথের বিপুল স্থষ্টিশক্ির পরিচয় পাই যথার্থ প্রতিভাবান লেখক ম্বরচিত নাটো বা উপন্তাসে কাহার নায়ককে যেমন বড করেন নানা দিক হইতে, তেমপি নায়কের প্রতিপক্ষকে বড় করিয়া সি করেন। প্যারাডাইস লস্টের শয়তান বিয়ালজিবার ঈশ্বরের উপদুক্ত প্রতিপক্ষ | প্রতিপক্ষকে ছুবল করিয়া সথটি করিয়া লেখকরা নিজেদেরই ছুবলতা প্রকাশ করেন; প্রতিপক্ষ যুক্তিতে শক্ষিতে যত বড়, সংগ্রাম যত তীত্র তীক্ষু, নায়ক ততই মহান হন। ব্বীন্দ্নাথ গোবিন্দমাণিকোর প্রেমের ধৈধের সতোর প্রতি অচলা নিষ্ঠার মাহাস্মা স্বীকার করেন, তাহার মতকে বিশ্বাস করেন ; অথবা বলিতে পারি তাহার অস্থবের আদর্শে বাজাকে শি করিয়াছিলেন। কিন্ধ তাই বলিয়া বিসর্জনের অগ্ততম নায়ক রঘুপতিকে ছুবল করিয়া গড়েন নাই বঘুপতি জটিশ মানবমনের একটি অপরূপ সহি

মন্ত্র-অভিষেক

বিলর্জনের প্রকাশ মুদ্রণ লইয়া মন বেশ মশগুল, হঠাৎ কোথা হইতে বাষ্রনীতির কালবৈশাখী আসিয়া তাহার কাব্য গান রসরচনাকে ফুৎকারে উড়াইয়া দিল। আবার দযক1 চলিয়া গেলে আকাশ তেমনি শুত্র, তেষনি শাস্। এই উত্তেজনার মৃষ্ঠর্তে লেখেন 'মগ্রি অভিষেক"১ | সেটি পাঠ করেল কপিকাতার এমারেন্ড পিয়েটারে (১৪ বৈশাখ ১২৯৭। ২৬ এপ্রিল ১৮৯০ )।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ছিজেন্্রনাথ ঠাকুর (£০)--ইলি তখন জমিদারি পঞ্চায়েত বা লাগ হোল্ডার্স আযসোসিয়েশনের সম্পাদক | সতায় বহু বক্তাদের অন্যতম ছিলেন রবীন্দ্রনাথ | বক্াদিগের অনেকেই ইংরেজিতে বক্তৃতা করেন, এমন-কি সভাপতি দ্বিজেন্্নাথও তাহার ভাষণ ইংরেজিতে পাঠ করেন। রবীন্দ্রনাথের বক্তৃতা বাংলায় পঠিত হয়-_ 'মন্ত্ি-অভিষেক' নামে। সমসাময়িক এক লেখক বলেন, "ইহা বাঙাশীর বাংপা! ভাষার অহংকার এবং

প্রকাশিত: লোষ্ট ১২৯৭। ১৫ মে ১৮৯*। দ্র, ভারতী, বৈশাখ ১২৯৭ রবীজ-রচনাবলী, অচলিত নংগ্রহ ২, পু ১৫৯।

গ্রী্টাৰ ১৮৯০ মন্ত্রিঅভিষেক ২৮৯

রবীন্দ্রনাথের বিশিষ্ট গৌরব ।”১ কি রাষ্ট্রনৈতিক কারণসমূহ রবীন্দ্রনাথকে এই বক্তৃতা পাঠ করিবার জন্ত উত্তেজিত করিয়াছিল, তাহ! সংক্ষেপে আলোচনা করা প্রয়োজন

ভারতীয় বাবস্থাপক সভা ১৮৬১ সালে গঠিত হুইয়াছিল। তার পর ত্রিশ বৎসর কাটিয়! গিয়াছে, বাষ্ট্রকাঠামোতে কোনো পরিবর্তন হয় নাই। এতকাল পরে বুটিশ কর্তৃপক্ষ উক্ত ব্যবস্থাপক সভাকে বৃহত্তর কথক্চিৎ প্রতিনিধিমূলক করিবার শুভসংকল্প প্রকাশ করিলেন। সে যুগে সাস্টুরা সরকার-কর্তৃক মনোনীত হইতেন, প্রতিনিধিমৃলনক নিবাচনের কথা কেহ কল্পনাতে আনিতেন না। ছাড়া ভারতীয়দিগকে রালকার্ধে অধিকতর নিযুক্ত কর] যান কি না, তদ্বিষয়ে তদন্ত করিবার জন্ত কয়েক বৎসর পূর্বে পাবলিক সাধিস কমিশন ( অক্টোবর ১৮৮৬ ) বসিয়াছিল। পাবলিক সাবিস কমিশনের সভাপতি হন সারু চার্লদ আটকিনসন্‌। তাবতীয়দিগকে অধিকতর দায়িত্বপূর্ণ উচ্চতর বাঞ্জকর্ধে নিয়োগ করা যায় কিন! তাহা৪ ছিল কমিশনের অন্যতম উদ্দেশ্ট ১৮৮৮ সালের জানুয়ারি মাসে উক্ত তদস্তকমিটির প্রতিবেদন অক্টোবর মাসে তছুপবি ভারত গবনমেন্টের মন্তব্যলিপি প্রকাশিত হইল পর-বৎসবে (সেপ্টেম্বর ১৮৮৯ ) এইসব প্রতিবেদন মন্তব্যের উপর ভারতদচিবের মহাযৃল্য মতামত বাছির হইল। আমর] যে-সময়ের কথা আলোচনা কবিতেছি, তখন ভারতসচিব ছিলেন লর্ভ ক্রস (১৮৮৬-৯১)। লর্ড ক্রস ছিলেন বিলাতের প্রতিক্রিয়াপন্থী দলের লোক; ভারতীয়দের পক্ষে রাজপদে প্রবেশের উচ্চতর পদে উন্নীত হইবার পরিপন্থী বহু নিয়ম নিষেধ অত্যন্ত চাতুরীর সহিত তিনি স্থষ্টি করেন। তখন বাংসা-বিহ্ার-উড়িষ্যাকে একত্রে বলা হইত বঙ্গদেশ , এই দেশের ছয়টি জেলার জজের পদ চাবিটি জেলার ম্যাজিস্ট্রেটের পদ প্রভিদ্সিয়াল সাবিসের যোগাতম দেশীয় বাক্তিদের জন্ত খোলা ছিল। উচ্চপাস্থ ভাবতীয় রাজ কর্ম- চারীদের হস্তে যথার্থ দায়িত্বপূর্ণ রাজকার্ধ সমর্পণ করা বৃটিশ রাদনীতির যে অভিপ্রেত নহে, তাহা এই তাস্ত বৈঠকের প্রতিবেদনে ঢাকিয়া বাখা যায় নাই

মত্ত্রিঅভিষেক' লর্ড ক্রসের মন্তব্যলিপির প্রতিবাদে রচিত প্রবন্ধ ছাড়াও এই লময়ে (১৮৯ ) কথা ওঠে যে, বড়ললাটের “মস্ত্ীলভায় [175000%০ 00961] ] আরো গুটিকতক ভারতবধীয় লোক নিষুক্ করা যাইতে পারে। এখন কথাটা কেবল এই দাড়াইতেছে, নিরাচন কে করিবে? গবনমেপ্ট করিবেন, না, আমরা করিব 1” বুবীন্রনাথ এই প্রবন্ধে বগিতে চাহিয়াছিপেন পগবনমেন্টের দ্বারা মঙ্ত্িনিয়োগ অপেক্ষা সাধারণ লোকের দ্বারা মস্ত্রি-অভিষেক অনেক কারণে আমাদের নিকটে প্রার্থনীয় মনে হয়... মীমাংসা কৰিবার পূর্বে সহজ-বুদ্ধিতে এই প্রশ্ন উদয় হয়, কাহাত্ব স্থবিধার জন্য এই নিবাচনের আবশ্টক হইয়াছে? আমাদেরই সুবিধার জন্য |... অতএব সকলেই বলিবেন ভাবত-শাসনের মূখ্য উদ্গেশ্ট ভারতবর্ধেরই উন্নতি আমাদেরই সুবিধা, আমাদেরই কাজ। সেই আমাদের কাজের জন্য আমাদের লোকের সাহাষা ভ্ধনীয় হইয়াছে সহঙ্গেই মনে হয় আমরা বাছিয়া দিলে কাজটাও ভাল হইবে, আমাদের যনেরও সন্তোষ হইবে।” কিন্ধ আজও যেমন তখনও তেমন অবস্থা বদল হইয়াছে নামকরণে ইংরেজ পত্রিকা ওয়ালার “অতিরিক্ত বুদ্ধিপ্রভাবে বলিতেছেন ষে. ভারতবধীযেরা প্রাচাঞ্জাতীয়, অতএব তাহাদের হস্তে ম্ি-অভিযেকের ভার দিলে তাহারা নিজেরাই অনন্ষ্ট হইবে ।” তাহারা আরও বলেন, "যুদ্ধপ্রিয় জাতির এই মঙ্ি-অভিষেক -প্রথায় ক্ষু্ধ ছইবেন।” ইংরেজ সম্পাদকের এই অদ্ভুত উক্তির দীর্ঘ সমালোচনা এই প্রবন্ধে আছে। রবীজ্রনাথ বপেন, পপ এবং পশ্চিম

ঠানুরদাস মুখোপাঁধাক়, মস্তি অভিথেক | নবাভারত, পৌধ ১২৯৭ | অজ. রবীন্-সাঁগর-সংগজে, পু ২৯-২। ভনেপালচগ্ যনুমদার, রইংনাপের মন্ত্রী-অভিযেক | স্বাধীনতা) শারদীয়া সংখা। ১৩৯৮ পৃ. ৬+-৬৮। ভায়তের জাতীয়ত। আস্তর্জাতীয়তা এবং রবীন্ত্রনাথ ১, পৃ ৫৭ ৫৮

51২ হি10914 43815660017 01085 (1823-1914 ) পার্সাহেন্টের নির্ধাচনে ১৮৬৮ সালে পলাডস্টোনকে পয়্াজিত করেম। ১৮৭৪ সালে চিসর়েলিয় মন্ত্ীদ্গুলে ছোদ্‌ সেক্রেটারি ছন। ১৮৮৬-১৯৯১ নাল পন্ত ভায়তসচিব ছিলেদ। তখন প্রধান স্ত্রী ছিলেন লর্ড সলস্যেরি (১৮৮৬-১৬৯২)।

চি,

২৯৪ বুবীন্দ্রজীবনী প্ীষ্টাব ১৮৯০

যদিও বিপরীত দ্বিক তথাপি প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য মানবপ্রকৃতি সম্পূর্ণ বিরোধীধর্মাবলম্বী নহে।"' আমাদের ম্ানবপ্রক্কৃতির এতদূর পর্ধস্ত বিকার হয় নাই যে, তোমরা যখন মহৎ অধিকার আমাদের হস্তে তুলিয়া দিবে তখন আমবা অসন্ধষ্ট হইব !...

“আর-কিছু না হউক, তোমাদের নিকটে আমাদের বেদনা, আমাদের অভাব জানাইবার অধিকার আমাদের হস্তে সমর্পণ করিলে অধিকতর স্ুখ-সন্তোষের কারণ হইবে এটুকু আমরা পূর্বদিকে বাস করিয়াও এক রকম বুঝিতে পাবি। অপেক্ষাকৃত পশ্চিমবালী যোস্বজাতীয়দের মানসিক প্রকৃতি যে বিষয়ে আমাদের হইতে কিছুমাত্র পৃথক তাহা যনে করিতে পারি না অতএব দুঃখনিবেদনের স্বাধীন অধিকার পাইলে ভারতবর্ধ যে অসন্ধষ্ঠ হইবে ইংলপুবাসী ভারত-হিতৈষীগণকে এক্সপ গুরুতর দুশ্চিন্তা হইতে ক্ষান্ত থাকিতে অনুরোধ করিতে পারি।”

রুবীন্দ্রনাথ এই বক্তৃতায় ইংরেজদিগেব শাসনব্যবস্থায় ভারতীয়দ্দের বু উপকারের কথা বলিয়া কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বাজকার্ষে আমাদের যোগ্াতা প্রদর্শনের অবসর ইংরেজ দিয়াছে, রাজশক্তির নিকট প্রার্থনা করিবার উপায়মাত্র খন জানিতাম না তখনও ইংরেজ স্বেচ্ছায় আমাদের উন্নত-অধিকারের ঘোষণাপত্র গ্চার করিয়াছিলেন তাহারা ইচ্ছাপূর্বক আমাদিগকে বুহৎ অধিকার দিতে স্বীকার করিয়াছে এবং কিছু কিছু দিয়াছে “কিন্ত তোমাদের গ্রতিজ্ঞাপত্রের আশ্বাস-অনুসারিণী অধিকার প্রার্থনাকে তোমরা রাজভক্তির অভাব বলিয়া! অত্যন্ত উষ্ণতা প্রকাশ কর।” রবীন্দ্রনাথ বলিলেন ষে, যখনই ভারতীয়রা ইংরেজদের নিকট হইতে অধিকার প্রত্যাশা করে, তখনই ইংরেজের মহৎ মনুত্বত্ের প্রতি আমাদের গতীর আন্তরিক ভক্তি প্রকাশ হইয়া পড়ে। আসল কথা সমন্ত বক্ৃতাটি ইংরেছকে সম্মুখে বাখিয়াই কথ] বলা; অর্থাৎ কন্গ্রেসের প্রথম যুগের রাজনীতিক আদর্শ-অন্যায়ী মত এই বক্তৃতায় বাক্ত হইয়াছিল। ভারতের অভাব-অভিযোগ ইংরেজকে বুঝাইবার দিকেই রাষ্টরনীতির সমস্ত শক্কি নিয়োজিত হইত। “ইংরাজেরই মহৎ উজ্ছ? অপূর্ব নিংস্বার্থ প্রীতি কন্গ্রেসের মর্ষের মধো প্রতিষ্ঠা স্থাপন করিয়া তাহাকে অলৌকিক বলে বঙীয়ান করিতেছে ।” এই ছিল তখনকার রাজনীতিকদের বিশ্বাস রবীন্দ্রনাথ পুনরায় বলিতেছেন, “তোমাদের প্রতি ভক্তি আছে বলিয়াই কথা কহি, নহিলে নীরব হইয়। থাকিতাম |” এই বত্তৃ'ভায় কন্গ্রেসের তৎ্কালোচিত মনোভাব রবীন্দ্রনাথের কন্গ্রেস-প্রীতির কথাই স্পষ্ট হইয়াছে; তিনি বলিলেন, “কন্গ্রেসের বিরোধী পক্ষে যোগ দিতে পাৰিব না।”১ কন্গ্রেমের তখন পঞ্চম বর্ধ চলিতেছে।

এই প্রবন্ধ লিখিবার প্রায় অর্ধশতাবী পরে রবীন্দ্রনাথ লিখিয়াছিলেন, “যখন 'মগ্ত্রিঅভিষেক' প্রবন্ধটি পিখেছিলুম তার পরে এখন কালের প্রক্কৃতি বদলে গেছে, তাই লেখাটি এখনকার মনের মাপে মিলবে না। ছুই কালের মধো প্রধান পার্থক্য এই যে, তখন রাজদ্ধারে আমাদের তিক্ষার দাবি ছিল অত্যন্ত সংকুচিত। আমর ছিলুম দাড়ের কাকাতুয়া, পাখা ঝাপটিয়ে চেঁচাতুম পায়ের শিকল আরো ইঞ্চি কয়েক লম্বা করে দেবার জন্যে | শ্লাজ বপচি দাড়ও নয় শিকলও নয় পাখা! মেলব অবাধ স্বারাজ্যে তখন সেই ইঞ্চি-ছুয়েকের মাপের দাবি নিয়েও রাজপুকষের মাথা গরম হয়ে উঠত। আমি মেই চোখ রাঙানির জবাব দিয়েছিলুম গরম ভাবায় | কিন্তু মনে বাখতে হবে ছিল আমার ওকালতি মেকালের পরিমিত ভিক্ষার প্রার্থীদের হয়ে |*২

মগ্রি'অভিষেক ভাষপদানের (১৪ বৈশাখ ১১৯৭ ) উত্তেজনা, উচ্দ্ান কোথায় মিলিয়া গেল। বিসর্জন নাটক

পৌষ ১২৯৭ (ডিসেম্বর ১৮৯ ) কলিকাতা কন্ত্রেসের যে অথিষেশন হয়, তাহাতে সভাপতি ফিরোজ শাহ মেহতা. রবীন্রনাথ, হুযোধচন্রা মলিক, উমেশচজা বন্দোপাধ্যায় প্রভৃতিদের যু্ক ফোটে। আছে। পত্র। জানুয়ারি ১৯৪* | শনিবারের চিঠি, দাঘ ১৩৪৬, পূ 8৭৫1

ধী্টাক ১৮৯, শান্তিনিকেতনে প্রথম গ্রীশ্মাবাস ২৯১

প্রেসে, তাহার খবরদারি করিতে হইতেছে ; “মানসী” নামে কাব্যখও্ও প্রস্বত-_ সে-কাব্যও প্রেসে গিয়াছে মনে হয়; কারণ গ্রন্থের জন্য “উপহার” কবিতাটি লিখিলেন ৩* বৈশাখ ; তখন কবি জোড়ার্সাকোতে আছেন আপনার সংসারের জালে 'আবদ্ধ। সরকারী পুস্তক-তালিক! দেখিয়া! মনে হয় মত্ত্র-অতিবেক বিসর্জন একই দিনে পেশ করা হইয়াছিল (২ দোষ )।

শান্তিনিকেতনে প্রথম গ্রীঘ্বাবাস

মস্ত্রিঅভিষেক পুস্তিকা বিসর্জন নাটক পুস্তাকাকারে মুদিত প্রকাশিত হইয়া গেলে রবীন্নাথ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলিয়! কয়দিনের জন্ত একাকী শাস্তিনিকেতনে চলিলেন। "শান্তিনিকেতন" শব্টি একটু পরিষ্কার করিয়া বল! দরকার। পাঠকদের ম্মরণ আছে ১৮৮৮ সালের অক্টোবরে শাস্মিনিকেতন "আশ্রম" স্থাপিত হয়। তখন একটি দ্বিতল গৃহ ছাড়া নিকটে বা দূরে কোনো গৃহাদি নিমিত হয় নাই, মন্দিরও হয় নাই।

রবীন্দ্রনাথ ৰোলপুর আসিয়া এই প্রান্তর মধ্াস্থিত "শান্তিনিকেতন নামে বাটাতে উঠিলেন ; তবে ইহাই প্রথম আগমন তাহা নছে।

বোলপুরে আসিবার কয়দিন পরে জাষ্ঠ (১২৯৭) তাহার তরুণ বন্ধু প্রযথ চৌধুরীকে চুয়াডাঙায়, শাস্তিনিকেতনের প্রাকৃতিক ভূগোল? সম্বন্ধে এক দীর্ঘ পত্র লেখেন। ১৮৯* সালের গ্রীম্বকালের চিত্র এইটি-__ সে-চিন্র এখন অবলুপ্ত। তাই আমরা কিয়দংশ উদ্ধৃত করিতেছি-_

“চারদিকে মাঠ ধুধু করচে__ মাঝে মাঝে এক-একটা বাধ, এবং তার উচু পাড়ের উপর শ্রেণীবদ্ধ তালবন [ এখন নিশ্চিহ্ন ]_ মাঠের পর্বপ্রান্তে আকাশ একেবারে অনাবৃত দু মিতলকে স্পর্শ করে রয়েছে__ মাঠের পশ্শিম প্রান্তে ঘনবনের বেখা দেখা যায়। মধ্যেকার এই মকক্ষেজ অনশনশীর্ণ পা্ুবর্ণ তৃণে আচ্ছন্ন, মাঝে মাঝে এক একটা নিতাস্ত খবাকার খেজুরের ঝোপ-_ মাঝে মাঝে মাটি দগ্ধ হয়ে কালো হয়ে কঠিন হয়ে পৃথিবীর কঙ্কালের মতো বেরিয়ে রয়েছে উন্তরদিকের মাঠ বধার জলম্ত্রোতে নানা ভাগে বিভক্ত হয়ে লিলিপট্‌্দেশীয় ক্ষুদ্রকায় গিরিশ্রেণীর আকার [ খোয়াই ] ধারণ করেছে__ সেই ছোট ছোট বরক্রবর্ণ কঠিন মব্তিকার স্তুপ নানা রকম পাথরের টুকরো কাকরে আবৃত-- তাতে ছোট ছোট বুনো জাম ; বেটে খেজুর এবং অখ্যাতনাম! দুই এক রকমের গুল্ম অত্যন্ত বিরলভাবে শোভা পাচ্ছে তারই মধ্যে মধো ঝরন] এবং জলম্রোতের শুদ্ধ রেখা দেখা যায়__ শবৎকালে সেইগুলো পূর্ণ হয়ে ওঠে এবং ছোট ছোট মাছ ভাতে খেলা করে। এই মরুভূমির মাঝখানে আমাদের বাগানটি গাছে ছায়ায় ফলে ফুলে আচ্ছন্ন হয়ে, পাখীর গানে মুখরিত হয়ে, তরুপল্লবের অন্তবাল হতে দৃশ্তাগ্রশিখর প্রাসাদের দ্বার! মৃকুটিত হয়ে নিসৃঙমহিমায় বিরাজ করছে। এই বোলপুরের বাগান আমাদের ভারি ভালো লাগে ।**

পত্রথানি লিখিবার দিন তিন-চার পরে শাস্তিনিকেতনে “কালবৈশাখী কররখেলার বর্ণনা দিয়া আর-একখানি পঙ্ প্রমথ চৌধুরীকে প্রিখিতে দেখিতেছি। কবি জীবনে কালবৈশাখীর ঝৌড়ে। খেলার নৃতন অভিজ্ঞতা তিনি প্রমথ চৌধুরীকে চুয়াভাঙাতে লিখিতেছেন, “এখানে আজকাল খুব ঝড়বৃষ্টি বাদলের গ্রাছুর্ভাব হয়েছে জাব্ুগাটা ঠিক ঝড়বৃষ্টিরই উপযুক্ত সমস্ত আকাশময় মেঘ করে, অর্থাৎ সমন্ত আকাশটা দেখতে পাওয়া যায়, ঝড় লমন্ত মাঠটাকে আপনার হাতে পায়-_ বৃটি মাঠের উপব দিয়ে চলে চলে আসে, দূরে থেকে বারান্দায় ঈাড়িতে

চিঠিপআ «, পৃ ১৩১।

২৯২ ববীন্দ্রজীবনী এীষ্টাব ১৮৯৯

দেখা যায়।... মাঠের মাঝখানে আমাদের বাড়ি-_ স্ৃতরাং চতুর্দিকের ঝড় এরই উপরে এসে পড়ে ঘুরপাক থেতে থাকে,... বহুকাল এরকম রীতিমত ঝড় দেখিনি। এখানকার লাইব্রেরিতে একখানা মেঘদূত আছে, ঝড়বুটি দুর্যোগে, রুদ্ধদ্বার গৃহপ্রান্তে তাকিয়! আশ্রয় করে দীর্ঘ অপরাহ্রে সেইটি সর করে করে পড়া গেছে__ কেবল পড়া নয়-_ সেটার উপরে ইনিয়ে বিনিয়ে বর্ধার উপষোগী একটা কবিতা লিখেও ফেলেছি ।”২ আজি অন্ধকার দিবা, বু্টি ঝরঝার, ছুরস্ত পবন অতি, আক্রমণে তার অবণ্য উগ্যতবাহু করে হাহাকার বিদ্যুৎ দিতেছে উকি ছি'ড়ি মেঘভার খরতর বক্র হানি শূন্যে বরষিয়া অন্ধকার রদ্ধগুহে একেলা বসিয়া পড়িতেছি মেঘদূত $--. “মেঘদূত" কবিতাটি লিখিবার পর তরুণ প্রমথ চৌধুরীকে কবি যে পত্র লেখেন, তাহাকে মেঘদূত সম্বদ্ধে একটি প্রবন্ধই বলা যাইতে পারে এবং প্রাচীন সাহিত্য গ্রন্থের পরিশিষ্টরপে সংযোজিত হইবার যোগ্য রচনা 1৩ শান্তিনিকেতন বাসকালে রবীন্দ্রনাথ কয়েকটি কবিতা লেখেন-__ “ভালো করে বলে যাও? (৭ জৈষ্ঠ ১২৯৭), “মেঘদূত' (৭৮ জোট ২৯৭ ) 'অহলার প্রতি' (১১-১২ জাষ্ঠ ১২৯৭ )। অহলা! সম্বন্ধে পৌরাণিক কাহিনী সম্পূর্ণ অবলুপ্ত করিয়া পৃথিবীর চিররহল্ত এই কবিতায় নৃঙ্ন রূপ পরিগ্রহ করিয়াছে যে-কষ্টিলীল পৃথিবীর অন্তরে বাহিরে নিত ধবনিত হইতেছে, তাহ কবি যেন সর্ব দেহ মন দিয়া অন্থভব করিয়া! এই কবিতাটি পিখিলেন-_ তুষি বিশ্বপানে চেয়ে মানিছ বিস্ময়, বিশ্ব তোমা-পানে চেয়ে কথা নাহি কয়) (হে মুখোমুখি অপাররহুস্ততীরে চিরপরিচয়-মাঝে নব পরিচয় বোলপুর হইতে ল্যেষ্ঠ মাসের ( ১২৯৭ ) মাঝামাঝি সময়ে কবি কলিকাতায় ফিবিলেন। সম্ভবত এই সময়ে রাজা বানী'র কোনো অভিনয় দেখিতে গিয়াছিলেন (১৮ জোষ্ঠ )। বোলপুব যাইবার পূর্বে কলিকাতায় “সাহিত্য সমিতির এক অধিবেশনে নবীনচন্দ্র সেনের “বৈবতক" (১৮৮৭) কাব্যের সমালোচনা শুনিতে যান। রবীন্দ্রনাথ খুশি হন নাই; প্রমথ চৌধুরীকে শান্তিনিকেতন হইতে লিখিয়াছিলেন-_- “যে রকম মনে করেছিলুম সেরকম লোক তোমাদের সমিতিতে নেই-_ অথচ বিশ্ববিদ্ঠালয়ের দস্ঘটুকু আছে ।.. [ লেখক ] তব হতে পারেন কিন্ধ রসঙ্ঞ কিছুমাত্র নন।”* আমাদের মনে হয় 'রৈবতকে'র স্থতপ্রাকে আদর্শায়িত নারী গড়িবার প্রথম প্রয়াস মনংপৃত হয় নাই।

লাইব্রেরি __ মহর্ষি শান্তিনিকেতনে আশ্রম প্রতিষ্ঠা করিয়া অতিথিশালায় একটি ক্ষ গ্রন্থাগার পত্তন করেন। এখানে সেই লাইস্রেরিয কপ বল! হইতেছে সেই আঁশ্রম-লাইক্রেরির ছাপ দেওয়া বই এখনে বিশভারতীর গ্রন্থাগারে আছে।

পত্র। প্রমথ চৌধুবীকে লিখিত। ২৪ মে ১৮৯* (১১ জোট ১২৯৭ )। সবুজপত্র, শ্রাবণ ১৩২৪ | চিঠিপত্র «, পৃ ১৩৮-৩৯ প্র. মানসী, মেতদুত। চিঠিপত্র ৫, পু ১৩৯-৪৪।

চিঠিপত্র ৫, পৃ ১৪৭।

গষ্টাব ১৮৯৭ বিলাতে ছিতীয় বার ষানমীর শেষপালা ২৯৩

বোলপুর হইতে ফিরিবার পথে মনের মধ নারীর শ্বরূপ তাহার যথার্থ স্থান কোথায় লইয়া চিন্তা হয়তো! জাগিয়াছিল। তিনি লিখিয়াছেন-__

"রেললাইনের ধারে ধারে আগাছার জঙ্গল হলদে বেগনি সাদ] রঙের ফুল ফুটেছে অজশ্র। দেখতে দেখতে এই ভাবনা এল মনে যে আর কিছুকাল পরেই রৌদ্র হবে প্রথর, ফুলগুলি ভার রঙের মরীচিক1 নিয়ে যাবে মিলিয়ে তখন প্ী গ্রাঙ্গণে-. তরুপ্রকতি তার অন্তরের নিগৃঢ় রলসঞয়ের স্থায়ী পরিচয় দেবে আপন অপ্রগল্ভ ফলসন্তায়ে। সেই সঙ্গে কেন জানি হঠাৎ আমার মনে হল হুন্দরী যুবতী যদি অস্থভব করে যে সে তার যৌবনের মায়া দিয়ে প্রেমিকের হায় ভুলিয়েছে তা হলে সে তার স্ুক্ূপকেই আপন সৌভাগ্যের মুখ্য অংশে ভাগ বসাবার অভিযোগে সতিন বলে ধিক্কার দিতে পাবরে। যে তার বাইনের জিনিস, যেন খতৃরাজ বসন্তের কাছ থেকে পাওয়া! বর, ক্ষণিক মোহ-বিস্তারের দ্বারা জৈব উদ্দেশ্ট সিদ্ধ করবার জন্তে যদি তাব অন্তরের মধ্যে যথার্থ চারিজ্রশক্তি থাকে তবে সেই মোহমুক্ত শক্তির দানই তার প্রেষিকের পক্ষে মহৎ লাভ, যুগল জীবনের জয়ঘাজ্ার সহায়। সেই দানেই আত্মার স্থায়ী পরিচয়." |

“এই ভাবটাকে নাটা-আকারে প্রকাশ-ইচ্ছা তখনি মনে এল, সেই সঙ্গেই মনে পড়ল মহাভারতের চিত্রাঙ্গদার কাহিনী”... এই কাহিনী “মনের মধ্যে প্রচ্ছন্ন ছিল”, সেটা “অনঙ্গ আশ্রম' নামে খলড়া কম্েন কয়দিন পরে

বোলপুর হইতে কলিকাতায় ফিরিবার ছুই-এক দিনের মধোই ব্বীন্দ্রনাথকে শিলাইদহে যাইতে হইল-_ সঙ্গে চলিলেন ভ্রাতুষ্পুত্র অকুণেন্দ্রনাথ, দ্বিজেন্ত্রনাধের পুত্র। প্রমথ চৌধুরীকে এক পত্রে লিখিভেছেন-__-( জুন ১৮৯*) "আমি বোধ হচ্ছে এখেনে কিছু কাল থেকে ধাব। একটা কিছু লিখ্‌তে চেষ্টা কবা যাবে ।”

এই পত্রে তিনি জানাইতেছেন যে, তিনি জর্মান ভাষায় মূল ফাউস্ট (145 ) পড়িতে চেষ্টা করিতেছেন। কিন্তু হুঃখ করিয়া লিখিতেছেন, "পড়ার মাঝে মাঝে মৌলবীর বক্তৃতা! নায়েবের কৈফিন্ুত প্রজাদের দরখান্ত এসে পড়লে জর্মান্‌ ভাবা বুঝে ওঠা কি রকম ব্যাপার হয় তা তুমি সহজেই অনুমান করতে পারবে।”১ জযিদারিতে বাসকালে সাছিত্যলাধনা করিবার জন্য তাহাকে ফ্রসতের জন্তু কি পরিমাণ সংগ্রাম করিতে হয়, তাহার একটু আভাস পাই আর-একখানি পত্রে *ক্ষণিক অবসরে একরকম শ্রাস্ত মুহ্মান মস্তিষ্কে বিছানায় পড়ে পড়ে নিতান্ত অলসভাবে দ্দিখে যাই ।”ৎ পূর্বপত্রে লিখিয়্াছিলেন “একটা-কিছু' লিখিবেন। মেই একটাঁ-কিছু কূপ পরিগ্রহ কব্িতে চলিয়াছে : তিনি লিখিতেছেন (২১ জুন ), “ষেট! পিখছি আগে থাকতেই তার নাম দিয়ে রেখেছি অনঙ্গ আশ্রম নামটা অনেকের মনোবরঞগ্ক হবে বোধ হয়-_ কারণ... সমস্ত দেবতাই দৌড় দিয়েছেন “কেবল অনক্গদেব রয়েছেন বাকি? ।” এই পত্রমধ্যে সাধারণ ব্রাহ্ধদের প্রতি ভীত্র কটাক্ষ আছে। তাহাদের অপরাধ তাহারা সমাজে সংসায়ে “পবিভ্রতা” প্রচার করে! “সে কথা মনে করলে আমাদের মত কবিদের হ্বংকম্প উপস্থিত হয়।”

বিলাতে দ্বিতীয় বার। মানসীর শেষপাল!

১৮৯* লালের অগস্ট মাসের গোড়ার দ্বিকে রবীন্ত্রনাথকে অকল্মাৎ সোলাপুরে আবিভূর্ত হইতে দেখি। সত্্্রনাথ বিশেষ ছুটি লইয়া বিলাত যাইতেছেন, লোকেন পালিত লঙ্গী রবীন্ত্রনাথও যাইবেন স্থির করিলেন। সোলাপুরে

চিঠিপত্র ৫, পত্র ২, পৃ ১৩৫। (৩ জুম ১৮৯*)। চিঠিপত্র ৫, পত্র ও, পৃ ১৩৬। শিলাইদ। ২১ কুন ১৮৯* (আহা ১২৯৭ )।

২৯৪ রবীন্্জীবনী গ্র্টাৰ ১৮৯,

যে-কয়দিন ছিলেন, তিনটি কবিতা লেখেন-- গোধুলি,১ উচ্ছুঙ্খল২ আগম্কক*। শেষ দুইটি কবিতা লিখিবার (২০ অগস্ট ১৮৯৯) ছুই দিন পরে বিল'ত যাত্রা করেন (২২ অগস্ট ১৮৯৯ )।

রবীন্দ্রনাথের সমসাময়িক কবিতারাজির মধ্যে যে বিষাদস্থবের কথা আমরা পূর্বে আলোচন| করিয়াছি তাহার বেশ এখনে! মিটে নাই; তাহার চঞ্চল মন কোথাও যেন তৃপ্তি পাইতেছে না। কিসের শ্রাস্তি, কিসের ক্লান্তি, কিসের বিষাদ-_ তাহ! বাহির হইতে আবিষ্কার কর] যায় না। 'গোধুলি'তে কৰি চাহিতেছেন 'আয়, নিদ্রা, আয় খনাইয়ে শ্রান্ত এই আখির পাতায় |”...

হৃদয়ের হত আশা যত অন্ধকারে কাদিয়! বেড়ায়।

আয় শ্রান্তি, আয় রে নিবাণ, আয় নিডা, শ্রান্ত প্রাণে আয়! এত হতাশ্বাম কেন। 'উচ্চৃজ্ঘখল' কবিতায় আকুলভাবে বলিতেছেন-__

মুখের পানে চাহিয়া রয়েছ কেন গো অযন করে?

তুমি চিনিতে নারিবে, বুঝিতে নারিবে মোরে ":

কোথ। হতে এত বেদনা বহিয়া এসেছে পরান মম

বিধাতার এক অর্থাবহীন প্রলাপবচন সম-..

জগৎ বেড়িয় নিয়মের পাশ, অনিয়ম শুধু আমি

বাস বেধে আছে কাছে কাছে সবে, কত কাঙ্জ করে কত কলরবে,

চিরকাল ধরে দিবম চলিছে দিবসের অন্ুগামী-

শুধু আমি নিজবেগ সাষালিতে নারি ছুটেছি দিবসষামী।

এই কথা যে বর্ণে বর্ণে সত্য, ইহা যে কেবল কাব্য নহে, ইহা যে কবির অন্তরের কথ! তাহ? তাহার চঞ্চল জীবন-

প্রবাহের দিকে তাকাইলেই বুঝা যায় কোথাকার এই শৃঙ্খল-ছেঁড়া স্ষ্টিছাড়া বাথা কাদিয়া কাদিয়া, গাহিয়া গাহিয়া, অজান] আধার-সাগর বাহিয়া, মিশায়ে যাইবে কোথা! এক রজনীর প্রহরের মাঝে ফুরাবে সকল কথা

“আগন্ধক' কবিত। যদিও সেইদিলই লিখিত, কিন্ধ সম্পূর্ণ ভিন্ন পরিপ্রেক্ষিতে এইটি বিচারণীয়। প্রথমবার বিলাত- ফাত্রাকালে কৈশোবের মুগ্ধ দৃষ্টিতে যে এ্রব্ারকাকে দ্েখিয়াছিলেন, আজ সেই পথে সাগবপারে যাইবার সময়ে সেই মহীয়সী রমণীর কথাই কি মনে হইতেছিল? সে যেন 'আগস্থক” অতিথির ন্্ায় আসিয়া চপিয়া গিয়াছিল-_

“ক্ষণেকের তরে বিম্ময়ভরে চেয়েছিল চারি দিকে" তার পর-

তোমাদের হালি তোমাদের গান থেমে গেল ভাবে দেখে শুধালে না কেহ পরিচয় তার, বসালে না কাছে ডেকে কী বলিতে গিয়ে বলিল না আর, দাড়িয়ে রহিল দ্বারে-_ দীপালোক হতে বাহিরিয়া গেপ বাহির-অদ্ধকারে।

গোধূলি। সোলাপুর। চান্স ১২৯৭ ] ১৮৯* [১৬ অগস্ট ]: মানসী, রবীক্র-রচনাবলী ২, পৃ ২৬৬1

উদ্চক্ধল। সোলাপুর | « ভাত্র [১২৯৭] ১৮৯* [২* অগস্ট ] মানসী, রবীন-রচদাবলা ২, পৃ ২৪৭। আগনক। সোলাপুর। £ ভাঙ্র ১২৯৭। ২* অগস্ট ১৮৯* | মানসী, রবীজ-রচনাধলী ২, পু ৩৭1

ধী্টাৰ ১৮৯০ বিলাতে দ্বিতীয় বাব যানসীর শেষপাল! ২৯৫

তার পরে কেহ জান কি তোমরা! কী হইল তার শেষে? কোন্‌ দেশ হতে এসে চলে গেল কোন্‌ গৃহহীন দেশে?

এই ক্ষুদ্র কবিতার সহিত “চিত্রা' কাবোর 'মৃতার পরে' কবিতাটি তুলনীয়

ছুই দিন পরে তরণী “অকৃল 'সাগর-মাঝে চলেছে ভাসিয়া” তিনজনে-_ সত্যেন্দ্রনাথ, ববীন্দ্রনাথ লোকেন পালিত।১ লোকেন পালিত রবীন্দ্রনাথের বাল্যবন্ধু, যৌবনের হত, সাহিত্যের রগজ সমালোচক ; কিন্তু চরিত্রজীবনে রনীজ্্রনাথের বিপরীত লোকে ছিল তাহার বাস। বোস্বাই হইতে পাম (51810) জাহাজে রওনা হইলেন ব্পপরিসর জলযানের যধ্যে যাহুষের সর্ববিধ সুখ-স্বাচ্ছন্দাদানের জন্ত কী অপরিসীম চেষ্টা চলিতেছে, কী নিয়ম-নিষ্ঠার সহিত সমন্ত কাঙ্গকর্ণ হুচারুতাবে নিপ্পন্ন হুইতেছে__ এই ঘটনাগুলি জাহাজে উঠিলেই কবির মনে হয়। এবারও একটা কথা মনে হইতেছে, "অভাব যত অধিক, জীবিকাসংগ্রাম যত ছুরূহ, সভ্যতা যত জটিল, মানবমনের বিচিত্র বৃত্তির আলোড়ন ততই বেশি ।* এর পরে তিনি লিখিতেছেন, “ছুর্বলের জন্য সুখ নয়__ সখ বলসাধা, সখ ছুংখসাধ্য |: মানসিক জীবনে সখ... আমাদের দাহ করে” কথাগুলি সংক্ষেপে লিখিত হইফাছে সতা, কিন্তু ইহার পশ্চাতে একটি বিরাট ধতিহাসিক তথ রহিয়াছে বনৃকাল হইতে মানুষ জানিয়। আসিয়াছে যে নদীমাতৃক দেশই আদিমানবসভ্যতার উৎসকেন্দ্র; কিন্তু এখন পণ্ডিতেরা বলিতেছেন 0১6 65৪3016এ] 15 410০010 সুন্দরের সাধনা কঠিন ; 1১181) 0481115 117৬9165 19: ৯০:৮-- কঠিন শ্রমদান না করিলে সর্যোন্তম ফল পাওয়া যায় না।

জাহাজে সী-সিকনেস প্রড়ৃতিতে যেভাবে কষ্ট পান, তাহার ঘে-বসবর্ণনা “ঘুরোপ-ঘাত্রীর ভায়ারি'তে লিখিয়াছেন, তাহা উপভোগ্য সাহছিতাক রবীন্দ্রনাথ ভায়ারিতে যাহাই লিখুন, মানুষ ববীন্দ্রনাথ স্ত্রীকে যেটি লিখিতেছেন, সেইটি মনের কথা। সমূদ-পীড়ার সময়ে বাড়ির কথা খুবই মনে হইতেছিল। স্ত্রীকে লিখিতেছেন, “রবিবার দিন রাত্রে জ্বামার ঠিক মনে হল আমার জাত্মাটা শরীর ছেড়ে বেরিয়ে োড়াসাকোয় গেছে ।'." যখন বামে নিয়ে পড়ে ছিলুষ তোমর! আমাকে মনে করতে কি? তোমাদের কাছে ফের্বার জন্তে ভারি মন ছটফট করত। আজকাল কেবল মনে হয় বাড়ির মতো এমন জায়গা আর নেই-_ এবারে বাড়ি ফিরে গিয়ে আর কোথাও নড়ব ন1।"* দেশ হইতে বাহির হইবার জন্ত যেমন ব্যস্ততা, বাহির হইয়াই ঘরে ফিরিবার জন্ক তেষনি ব্যাফুলত1।

এডেনে পৌছাইলেন। “জ্যোৎন্তা বাজি |... নিজ্তরক্ষ সমূত্র এবং জ্যোতন্রাবিমুগ্ধ পর্বতবেষ্টিত তটচিন্র আমাদের আলশ্ত-বিজড়িত অর্থনিষীলিত নেজ্তে স্বপ্র-ষবীচিকার মতো! লাগছে এমন সময় শোনা গেল এখনই নৃতন জাহাজে চড়তে হবে। সেজাহাজ আজ রাত্রেই ছাড়বে ক্যাবিনের মধো স্তপাকার বিক্ষি জিনিসপত্জ ঘেমন-তেমন কৰে চর্মপেটকের মধো প্রবিষ্ট কবিযে দিয়ে তার উপরে তিন-চারজনে দাড়িয়ে নির্দয়ভাবে নৃতা করে বহুকষ্ট্রে চাবি বন্ধ করা গেল।”* কল্পনায় দৃষ্টি উপভোগা ! অস্ট্রেলিয়ান যাআী-জাহাজ 'ম্যাসীলিয়া'তে সকলে গিয়া উঠিলেন। জাহাজখানি খুবই বড় এবং ভিড়ও বেশি জাহাঞ্জের জনতা! তাহাকে বিব্রত কৰরে। তিনি একখানি পত্রে লিখিতেছেন-__ “শীচেকার ডেকে বিছাতের প্রথর আলোক, আমোদগ্রমোদের উদ্বাস, মেলামেশার ধুষ, গান-বাজনা! এবং কখনো! কখনো ঘূর্ণাবৃতোর উ“কট উন্নত্ততা। এদিকে আকাশের পৃরপ্রান্তে ধীরে ধীরে চক্জ উঠছে, তাবাগুলি ক্রমে ্ান

লোকেন পালিত ত্রিপুয়ার (কুষিলা) আসিস্টেন্ট ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন, ২৩ জুলাই ১৮৯* ছ্ার্লে। গ্রহণ করেন। ফেব্রুয়ারি ১৮৯১ প্রত্যাবর্তন করিয়। পুনরায় জিপুরায় ঘান।

রুরেপ-াত্রীর ডায়ারিয় খসড়া, বিশ্বভারতী পত্রিকা, পাধণ-আত্বিন ১৩৫৬, পৃ ১১।

চিঠিপত্র ১। পত্র ২, [২৯ অগস্ট ১৮৯৭ ]।

8 ুয়োপ-যাত্রীর ডার়।রি, রবীজ্র-রচদাবলী ১, পূ ৫৮৭1

২৯৬ ববীন্্রজীবনী গ্রীাষ ১৮৯৭

হয়ে আসছে, সমূদ্র প্রশান্ত বাতাস মৃদু হয়ে এসেছে; অপার লমুদ্তল থেকে অসীম নক্ষত্রলোক পর্যস্ত এক অখণ্ড নিস্তব্ধতা, এক অনির্বচনীয় শাস্তি নীগৰ উপামনার মতো ব্যাপ্ত হয়ে রয়েছে আমার মনে হতে লাগল, যথার্থ স্থখ কাকে বলে এরা ঠিক জানে না। স্থখকে চাবকে চাবকে যতক্ষণ মন্তরতার সীমায় না নিয়ে ঘেতে পারে ততক্ষণ এদের যথেষ্ট হয় না। প্রচণ্ড জীবন ওদের যেন অভিশাপের মতো নিশিদিন তাড়া করছে; ওরা একটা মন্ত লোহার রেলগাড়িব মতো চোখ রাঙিয়ে, পৃথিবী কাপিয়ে, হাপিয়ে, ধূইয়ে, জলে, ছুটে প্রক্কৃতির ছুইধারের সৌন্দর্যের মাঝখান দিয়ে হুস্‌ করে বেরিয়ে চলে যায়। কর্ম বলে একটা জিনিস আছে বটে কিন্তু তারই কাছে আমাদের মানবজীবনের সমস্ত স্বাধীনত! বিকিয়ে দেবার জন্তেই আমর! জন্মগ্রহণ করি নি__ সৌন্দর্য আছে, আমাদের অস্তঃকরণ আছে, সে ছুটো খুব উচু জিনিস ।”,

জাহাজখানি যুরোপের মধাধরণী-সাগরে প্রবেশ করিয়া আইওনিয়া দ্বীপাবলির ভিতর দিয়া গেল। ত্রিন্দিমিতে নামিয়া পূর্ববারের ন্যায়ই ইতালির মধ্য দিয়] চলিয়াছেন। বিচিত্র দশা দেখিতে দেখিতে বিবিধ অভিজ্ঞতা অর্জন করিতে করিতে অবশেষে প্যারিসে পৌছাইলেন। প্যারিসে একদিন থাকা হয়,ইহারই মধ্যে সগ্যনিষিত (১৮৮৯) বিখ্যাত ইফেল তোরণের উপর উঠিয়া ( ৯৮৪ ফুট ) মহানগরীর উপর চোখ বুলাইয়া লইবার অবকাশ করিয়া লইলেন।

লগুনে

লগ্নে পৌছাইয়া (১০ সেপ্টেম্বর ) রবীন্দ্রনাথ তাহার কৈশোরের পরিচিত লগ্ডনকে খুঁজিতে গেলেন যেন খুঁজিতে গেছিম্থ কবে." মোর পূর্বজনমের প্রথম প্রিয়ারে'। পূর্বে যে-বাড়িতে স্কট-পরিবার থাকিত, বোধ হয় সেই বাড়িতে যান বিস্ধ সে-বাড়িতে তখন অন্ত তাড়াটিয়া থাকে “মনে কল্পনা উদয় হল, মৃত্যুর বহুকাল পরে আবার যেন পৃথিবীতে ফিরে এসেছি ।--* আমি মনে করেছিলুম কেবল আমিই চলে গিয়েছিলুম, পৃথিবী-স্দ্ধ আর-সবাই আছে। আমি চলেযাওয়ার পরেও সকলেই আপন আপন সময়-অগ্ুসারে চলে গেছে তবে তো সেই-মমন্ত জান] লোকেরা আর-কেহ কারো! ঠিকানা খুঁজে পাবে না। জগতের কোথাও তাদের আর নিদিষ্ট মিলনের জায়গা রইল না... একবার ইচ্ছে হল, অন্তঃপুরের সেই বাগানটা দেখে আসি-- আমার সেই গাছগুলো কত ৰড় হয়েছে। আর সেই ছাতের উপরকার দক্ষিণমুখো। কুঠরি, আর সেই ঘর এবং সেই ঘর এব সেই 'আর-একট] ঘর |... পুরাতনের স্বতি কল্পনার বুঙে বঙিন হইয়া তাহার অন্তরে বাস করিতেছিল। কিন্ক বাহিরের জগতে আন্র যেমন পরিবর্তন অন্তরের জগতে পরিবর্তন কম হয় নাই; কবি সেই দীর্ঘ বারে। বখসরের ব্যবধানকে বিশ্বৃত হইয়া তাহার প্রথম" জীবনের রঙিন জীবনকে খুঁজিতেছিলেন!

কিন্ত রবীন্দ্রনাথ কৰি, আর্টিন্ট; তিনি জীবনকে দেখেন সৌন্দর্দের চোখে, নীতির শুষ্কতার মধ্যে নছে তাই তাহাকে একদিন ভায়ারিতে লিখিতে দেখি, “এখানে রাস্তায় বেরিয়ে সুখ আছে। সুন্গর মুখ চোখে পড়বেই |... শুভাম্ুধ্যায়ীরা শঙ্কিত এবং চিন্তিত হবেন, প্রিয় বয়শ্যেরা পরিহাস করবেন কিন্ত একথা আমাকে স্বীকার করতেই হবে সুন্দর মুখ আমার হুন্দর লাগে। সুন্দর হওয়া এবং মিষ্ট করে হাসা মাহ্রষের যেন একটি পরমাশ্চর্য ক্ষমতা। কিন্তু দুঃখের বিষয় আমার ভাগাক্রমে ওই হাসিটা দেশে কিছু বাহুলা পরিষাণে পেয়ে পাকে ।”* ইহার কারণ ছিল।

মুরোপ-যাত্রীর ডায়ারি, পৃ ৮৭-৮৫। সেপ্টেম্বর ডা. জীবনশ্ৃতি, গঙ্গাতীর, প্রস্থপরিচয়, প্‌২।২। মুপালিনী দেবীকে ইফেল ভোরণ-চিত্র মুদ্রিত পোস্টকার্ডে পত্র লেখেন। ভর. চিঠিপত্র ১।

রুরেপ-যাত্রীর ডায়ারি, পৃ ৯৮।

কুরোপ-বাত্রীর ভায়ারি, রবীক্র-রচনাবলী ১।

খ্ী্টাষ ১৮৯ লগ্নে ২৯৭

রবীন্দ্রনাথ এবার যখন বিঙ্লাতে যান ইংরেজি-পৌশাক পরেন নাই, অর্থাৎ কলার নেকটাই টুপি ব্যবহার করেন নাই, ' গলাবন্ধ কোট মাথায় পিরালি টুপি ইহার উপর ছিল সামান্য লঙ্কা চুল অল্প অল্প দাড়ি! সমস্তটা মিলিয়া লগ্ডনবাপী আধুনিকদ্দের কাছে একটা অদ্ভুত মনে হইত; কিন্তু রবীন্দ্রনাথ কোনোদিন তাহার নিজন্ব পোশাক ত্যাগ করিয়া বিলাতী পোশাক পরেন নাই। ইংলগ্ডের এশ্বর্ধ বিলাস দেখিয়া রবীন্দ্রনাথের অভিজাত মন যেমন মুগ্ধ, তেমনই সকল রাজজসিকতার পশ্চাতে যে-গভীর ছুঃখ লোকচক্ষুর আপাত-অস্তরালে অনৃশ্ব, তাহা তাহার তীক্ষ দৃহি এড়াইভে পারিতেছে না। তিনি একদিনের ভায়ারিতে লিখিতেছেন (১৯ সেপ্টেম্বর ১৮৯* ), “ভেবে দেখলে এর একট] অন্ধকার দিক আছে-_ 9078 ০৫ 91১8১ পড়লে তা টের পাওয়া! যায়__ এই স্থুখ- সমৃদ্ধির অন্তরালে কি অসহ দারিত্রা আপনার জীবনপাত করছে-_ সেটা আমাদের চোখে পড়ে না__ কিন্ত প্রকৃতির খাতায় উত্তবোত্তর তার হিসেব জম] হচ্ছে। প্রকৃতিতে উপেক্ষিত ক্রমে আপনার প্রতিশোধ নেবেই |." আমাদের ভারতবর্ষে অনাদূৃত ছূর্ধল অজ্ঞান বহুষতুলন্ধ জ্ঞানকে বিনাশ করেছে। যদি সভ্যতা আপনাকে রক্ষা করতে চায় তো প্রতিবেশীকে আপনার সমান করে তুলুক। ছুটে শক্তি যত একসঙ্গে সাম্যরক্ষা করে কাজ করে ততই মঙ্গল-_ যেমন আকর্ষণ বিপ্রকর্ষণ_- স্বার্থ এবং পরার্থ-₹_ আপনার উন্নতি চতুপ্পার্থ্ের উন্নতি-_ নইলে চতৃষ্পার্খ তার প্রতিশোধ তোলে-_ ব্রত! স্ভাতাকে ধ্বংস করে আমার তো! সেইজন্টে মনে হয়-_ আশ্চর্য নেই ষে ভবিষ্কতে কাফ্রিবাই ফুরোপ জয় করবে -_ কৃষ্ণ অমাবস্যা দিনের আলোক গ্রাস করবে-_- আফ্রিকা থেকে রাত্রি এসে ফুরোপের শুত্র দিনকে আচ্ছন্্ করবে ।... আলোকের মধ্যে ভয় নেই, কেননা তার উপরে সহম্র চক্ষু পড়ে আছে-_ কিন্তু যেখানে অন্ধকার জমা হচ্ছে, বিপদ সেইখানেই গোপনে বল সঞ্চয় করছে__ সেইখানেই প্রলয়ের গুপ্ত জ্গতৃমি।”* রবীন্দ্রনাথ কথাগুলি যখন লেখেন তখন নমাজতন্্থ সাম্যতন্তের বুলি পথে-ঘাটে শোন! যাইত না। আর কালো আফ্রিকাও যে একদিন জাগিবে সে-কথা তখন কেহ কল্পন। করে নাই; তিনি উচ্থার আভাস স্পষ্ট ভাবেই দিয়াছিলেন। সেই কালে! আফ্রিকার ভয়ে আজ দক্ষিণ-আফ্রিকায় শ্বেতকায় বুয়রদের এত আইন-_ লারা ভুরোপ আতঙ্কিত-_ চীন, সোভিয়েত আমেরিক] সবাই তাদের তোষণ করিবার জন্ত উদ্গ্রীব। |

লণ্ডন তাগের কয়দিন পূর্বে (২৯ সেপ্টেম্বর ১৮৯* ) [50078] [4৮151 010৮-এর নৈশভোজে চার্লস ভয়সির (0891163 ৬০5৪০৮ ) সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। ভয়সি মহর্ষিকে জানিতেন ব্রাক্ধসষাজের নেতারূপে, তাহার প্রতি বিশেষ পরন্ধাও ছিল। রবীন্দ্রনাথকে দেখিয় বৃদ্ধ বলিলেন, “তোমার বোধহয় কথাটা খুব নতুন বোধ হবে, কিন্ত তোমাকে দেখবামাত্র আমার মনে হয়েছিল ধিশুধৃষ্টকে যেরকম গাকে তোমাকে ঠিক সেইরকম দেখতে |” রবীন্দ্রনাথ উত্তরে বলেন, একথা আমার পক্ষে নতৃন নয় ।'* অক্টোবর রবীন্দ্রনাথ ভয়মির চার্চেও গিয়েছিলেন ; ভায়ারিতে লেখেন 'বেশ লাগল। মনটা অনেকটা ভালে! বোধ হল।"* চার্লস ভয়মি ( ১৮২৮-১৯১২ ) বিলাতের একেশ্বরবাদীদের ধর্মলজ্ছের স্থাপদ্মিতা ১. 5০018 0 91811: লেখক ইংয়েজ কি টস ছড় (11001881700, ১৭৯৯-১৮৪৫)। 701) পত্িকার এই কবিতাটি ১৮৪৩ সালের ধীটমাস সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। এই কবিতা দরিগ্রের কমান যেন আওনাদে ফাটিয়া] পড়িতেছে। দুরোপ-বাত্রীর ডারার়ির খসড়া, বিখভারতী পত্রিকা, মাত-চৈজ ১৩৫৬, প্‌ ১৪৮। রুয়োপ-বাতীয় ডা্গারিয় খসড়া, &, পু ১৬২ মুরোপ ঘাত্রীর ডায়ারিয় খসড়া, ই, পূ ১৬৪

০1১50168 ৬০১৪৩: 5 1০8/7061 10৩ 10618000000 01 চ:061803 : 0০০৮ চ0া9 010৩1 17) 006 0800108) ০1 £0761570 915 ৬1৯৪ ০7) 017050 7001078001085 ৮608006 80068817815 07021000805 2 21863 56 0০000951160 8০ 1686 8১ £17111057 08181008,

17 1879 (68105 009517418 96178 876৫0 17015 9810 : 71018 0019068 81)150360 ৬০956, ১০ 05০0080 1658১ 8 02806 609 1006. 01081056526 80010010044 16045 বলাও, 1936 ) ৮. 354 414

৩৮

২৯৮ রবীন্দ্রজীবনী গ্রীষ্টাৰ ১৮৯

প্রবাসের সময় উত্তীর্ণ হইবার পূর্বেই রবীন্দ্রনাথ ভায়ারিতে পিখিতেছেন (৬ অক্টোবর ১৮৯* ), “আমি আর এখানে পেরে উঠছি নে... আমার এখানে ভালো লাগছে না। অতএব স্থির করেছি এখন বাড়ি ফিরব ।:.. এখন আমি বাড়ি যেতে পালে বাচি। সেখানে আমি সকলকে চিনি, সকলকে বুঝি ; সেখানে সমস্ত বাহাবরণ ভেদ করে মন্ুযত্থের আম্বাদ সহজে পাই 1” অক্টোবর ইন্দিরা দেবীকে (১৭) শিখিতেছেন “এখানকার আকর্ষণ চাকচিক্য আমাকে কখনোই ভোলাতে পারবে না__ আমি তার কাছে [ স্বদেশে ] যেতে পারলে বাচি।”

অক্টোবর “টেমস্, জাহাজে ফিরিবার জন্য ক্যাবিন ঠিক করিয়া ৯» বওনা হইলেন। এই দিনই একখানি পত্রে ইন্দিরা দেবীকে যাহা লিখিতেছেন, তাহ] নিজের এই খামখেয়ালির সমর্থন মাত্র “মানুষ কি লোহার কল, ষে, ঠিক নিয়ম-অন্থুসারে চলবে? মানুষের মনের এত বিচিত্র এবং বিস্তৃত কাগু-কারখানা, তার এত দিকে গতি এবং এত রকমের অধিকার যে দিকে দিকে হেলতেই হবে। সেই তার জীবনের লক্ষণ, তার মন্তুষাত্বের চিহ্ন, তার জড়ত্বের প্রতিবাদ এই দ্বিধা, এই দুর্বলতা যার নেই তার মন নিতাস্ত সংকীর্ণ এবং কঠিন এবং জীবনবিহীন যাকে আমরা প্রবৃত্তি বলি এবং যার প্রতি আমরা সর্দাই কটুভাষা প্ররোগ করি সেই আমাদের জীবনের গতিশক্তি-_ সেই আমাদের নানা সখছুঃখ পাপগুণোর মধ দিয়ে অনন্তের দিকে বিকশিত করে তুলছে ।”১

অকম্মাৎ বিলাত যাইবার কারণও যেয়ন নিছক খাযখেয়াল, অকন্দাৎ ফিরিয়া আমিবার কারণও তেমনই অহেতুক) সে সমস্তই নিজ মনের অস্থিরতার বাহা প্রকাশয়াত্র দেশ হইতে বাহির হইবার সময় মনে হইয়াছিল দূরে-কদ্ুরে-_ বহুদূরে যাইতে পারিলেই বুঝি মননে শান্তি আসিবে। কিন্তু বহুদূরুও নিকটে আসে, ভবিব্যৎও বর্তমানে উপনীত হয়; বাস্তবের রূঢ আঘাতে স্বপ্রলোক ভাঙিয়া যায় বিলাতযা্া! সেই উদ্দেশ্যহীন কর্মহীন জীবনের একটি উপসর্গমাত্র

ফিরিবার সময় মলটাদীপ তথাকার বিখ্যাত ০৪6০০0177৮-গুলি দেখিলেন লগুনে জাহাজে চড়িবার এক মাস পরে বোস্বাই “পীছাইয়া দুই দিন পরে কলিকাতায় ফিরিলেন। রবীন্দ্রনাথ ২২ অগস্ট বোশ্বাই হইতে যাত্রা করেন; ১* সেপ্টেম্বর লগুন পৌছান ;) অক্টোবর লগ্ডন ছাড়েন নভেম্বর রাতে বোম্বাই-এ জাহাজ পৌছায়।

বিলাত বাসকালে “বিদায়” নামে একটি মাত্র কবিতা লেখেন; তবে ফিরিবার সময় রেড সীতে চারিটি কবিতা রচনা করেন-- সন্ধ্যায় (৭ কার্তিক ১২৯৭) শেষে উপহার (৯ কাতিক ) মৌনভাষা (১* কাত্তিক ) আমার সুখ (১১ কাতিক )। ইহার মধ্যে “শেষ উপহার" কবিতাটি লোকেন পালিতের কোনো ইংরেজি কবিতার ভাবানুবাদ।

মানসী কাব্যগুচ্ছের এই কয়টিই শেষ কবিতা সকল কবিতার মধ্ো সেই একই বেদনা, সেই একই অভিযোগ যে তিনি নিঃসঙ্গ, তিনি ভরা মনে দিতে চান, নিতে কেহ নাই। কবি কাহার উদ্দেশে আমার সুখ কবিতায় বলিতেছেন-_

দেখিতে পাও নি যদি দেখিতে পাবে না আর, মিছে মরি বকে।

আমি যা পেয়েছি তাই সাথে নিয়ে ভেসে যাই,

কোনোখানে সীমা নাই মধু মুখের | শুধু স্বপ্ন, শুধু স্মৃতি, তাই লিয়ে থাকি নিতি__ আর আশা নাহি রাখি সুখের দুখের

আমি যাহ] দেখিয়াছি আমি যাহ! পাইয়াছি

জনয-সই-_ ছিন্নপত্রাবলী, পত্র ৮1 লগ্তন| ১* জক্টোবর ১৮৯ |

খ্ষ্টান্য ১৮৯৫ প্রত্যাবর্তনের পর | মানসীর শেষপাল৷ ২৯৯

জীবনের সব শূন্ত আমি ষাহে ভরিয়াছি তোমার তা কই!

হীমারে যে বাইশ দিন ছিলেন, তার বিস্তারিত বর্ণনা যুরোপযাত্রীর ভায়ারির খসড়ায় পাওয়া যায়। কত নরনারীর কথা, কত জটিল সমস্তার আলোচনা! পাই এই কয়টি দিনের ভায়ারিতে ১* অক্টোবর লিখিতেছেন-_-

৬/911806-এর 1081/1115. পড়ছি বেশ-_ লাগছে-_ ইচ্ছে করছে বাংলায় তর্জমা করতে কিন্তু আমার ছারা হয়ে উঠবে না। (পূ ১৮৮)। 10815101500 শেষ করা গেল। (পৃ ১১)। আরো-একটা বই পড়েন 1৬০৫৫) 1719818507৫ 24০৫7 5০1606 1 বিশেষ লক্ষ্য করিবার বিষয় যে কবি যে কয়টি বই-এরু কথ] লিখিতেছেন-_ সেগুলি বিজ্ঞানের বই বা বৈজ্ঞানিক তত্বকথার আলোচনা পূর্ণ গ্রন্থ “মানসী'র ছুখেবাদের সঙ্গে কবির এই জ্ঞানময় জীবনবাদের সম্বন্ধ কোথায়? কবিতা ধখন লেখেন, তখনই সেই কল্পলোকের মধ্যে বাস করেন, আপনার রচিত সুখছুঃখ সস্তোগ করেন। সেই সন্তোগের ঘোর কাটিয়া গেল-- আবার কোলাহলময় বিশ্বসংসারের সহম্র প্রকারে কর্মের টানাটানির মধো জীবনধারা চলিতে থাকে

প্রত্যাবর্তনের পর মানসীর শেষপালা

বিলাত হইতে প্রত্যাবর্তনের এক মাসের মধো রবীন্দ্রনাথকে শান্তিনিকেতনে ক্রক্ষষন্দিরের ভিত্তিস্থাপন-উতৎসব উপলক্ষে উপস্থিত হইতে দেখি (৭ ডিসেম্বর ১৮৯০ | ২২ অগ্রহাক্ণ ১২৯৭)। পাঠকের স্মরণ আছে দুই বৎসর পূরে (১৯ অক্টোবর ১৮৮৮) শাস্তিনিকে তন 'আশ্রম"-প্রতিষ্ঠা উপলক্ষেও রবীন্দ্রনাথকে সংগীত করিতে হয় এবাবও মন্দির-ভিস্তি গ্রতিষ্ঠা'উত্সবে দ্বিজেন্দ্রনাথ উপালনা সত্ন্দ্রনাথ উপদেশ ববীন্দ্রনাথ সংগীত করেন মহুধির নির্দেশ মতো সব চলে তিনি মন্দির কখনো চর্মচক্ষুতে দেখেন নাই ) অথচ পুশ্থান্ুপুঙ্ধ বর্ণনা শুনিয়া মনশ্চক্ষে সমস্তই যেন দেখিতে পাইতেন ; মন্দিকের ভিত্তিতলে তামফপকটি ঈশান কোণে প্রোথিত হইল।১

শাস্তিনিকেতনের ক্রঙ্ছমন্দির ভিত্তিস্থাপন উৎসবের পর সকলেই কলিকাতাক্ম ফিবিয়া আসিলেন। সত্যেন্্রনাথ সোলাপুর ফিরিয়া গেলেন-_ ২৭ ডিসেম্বর তাহাকে “কর্মে যোগ দিতে হইবে ববীন্দ্রনাথ “মানসী? কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের আয়োজনে মনোযোগী হইলেন। সম্প্রতি কলিকাতায় সধাপেক্ষা উত্তেজক ঘটন হইতেছে কন্গ্রেমের ষষ্ঠ অধিবেশন-__ কলিকাতায় দ্বিতীয়বার বমিতেছে | 1৬911 391001,5-এ বিরাট পাণ্ডেল__ আট হাজার দশকের বসিবার মতো স্থান করা হইয়াছে সভাপতি বোষ্থাই-এব ফিরোজশাহ মেহতা; ব্যারিস্টার মনোমোহন ঘোষ অভ্যর্থনা! সমিতির সভাপতি এই উত্তেজনায় ইন্ধন দান করিলেন তৎকালীন ব্রিটিশ সবকারের কর্মচারীরা তৎকালীন বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার একেশ্বর লেফটনেণ্ট গব্নরের দণ্তর হইতে কন্গ্রেষ অধিবেশনের প্রাক্কালে এক সাকুলার বাহির করিয়া! জানাইয়া দেওয়া হইল যে, কোনো সরকারী চাকুরিয়! কন্গ্রেস অধিবেশনে 'দর্শক'-বূপেও উপস্থিত হইতে পাইবেন না। কন্গ্রেসের শেষধিনের অধিবেশনে মনৌমোহন ঘোষ এই ইস্তাহাধের বিকুদ্ধে প্রস্তাব উত্থাপন করেন কন্গ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি জর্জ ইফুল (0691£০ 4]০ ) তাহ] সমর্থন করেন। প্রেমিডেণ্ট মেহতা বলিলেন যে যদি এই আদেশ কোনে। নিম্সশ্রেণীর কর্মচারীর মস্তিষ্ক হইতে বাহির হইয়া! থাকে, তবে গবন্নমেন্টের পক্ষে ইহ। খুব আহাম্মকির কাজ হ্ইস্থাছে। বড়লাট লর্ড ল্যান্সডাউন এই আদেশের কৈফিয়তে বলেন যে এই আদেশ কন্গ্রেসের উপর প্রযুক্ত হইবার জন্ত জারি হয় নাই; কারণ 001004653 05 & 70616০০05 16810100986 0900061: আর সরকারী কর্মচারীর রাজনৈতিক আন্দোলনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করিতে পারেন না) তবে তাহারা কোনোভাবে কোনে। পক্ষই গ্রহণ করিবেন না। তন্ববোধিনী পত্ধিকঠ পৌষ ১৮১২ শক। (১২৯৭) পৃ ১৬৮।

৩০৩ ববীন্দ্রজীবনী গ্রীষ্টাৰ ১৮৯

কলিকাতার কন্গ্রেসের সহিত রবীন্দ্রনাথের প্রত্যক্ষ যোগ না থাকিলেও তাহার সহানুভূতি যে এই প্রতিষ্ঠানের সহিত ছিল তাহা একাধিকবার নানাতাবে তিনি প্রকাশ করিয়াছিলেন। মন্ত্রিঅভিষেক প্রবন্ধে তিনি কন্গ্রেসের পক্ষভুক্ত বলিম্কা ঘোষণা করিয়াছিলেন। কিন্তু সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করিতে কোনোদিনই দেখা যায় নাই। তবে এই সময়ে একটি গ্রপ্‌ ফোটোর মধ্যে রবীন্দ্রনাথকে দেখিতে পাই তাহাতে আছেন কন্গ্রেসের প্রথম সভাপতি ব্যারিস্টার উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, কন্গ্রেসের প্রেসিডেপ্ট ফিবোজশাহ মেহতা, হেমচন্দ্র বস্থমল্লিক, নলিনবিহারী সরকার, মনোমোহন ঘোষ, শেলী বনাজি ববীন্ত্রনাথ সকলেই বিদেশীর সাজে সজ্ভিত একমাত্র রবীন্দ্রনাথ নেক্টাই-হীন গলাবন্ধ কোট পরিহিত, মাথায় “পিবালী' পাগড়ি

বিলাত হইতে ফিরিবার অল্লকালের মধ্যেই 'মানসী* কাবাগ্রন্থ প্রকাশিত হইল (১* পৌষ ১২৯৭)। ১২৯৭ সালের গোড়ার দিকে বোধ হয় কবিভাগুলি ছাপিবার উদ্দেশ্তে উপহার” কবিতাটি লিখিয়াছেন (৩০ বৈশাখ ১২৯৭ )। উপহারটি কাহার উদ্দেশে লিখিত তাহা জানা যায় না; অনুমানের আশ্রয় লইয়া বলিতে ইচ্ছা! হয় এই "মানসী, কাব্যগ্রন্থের “উপহার” কবিতাটি তাহার পত্ীর উদ্দেশে রচিত। তবে অন্তক্ধপ অনুমান করিবার পরিবেশ কবি ন্বয়ং প্রশস্তভাবে রচনা করিয়া দিয়াছেন রবীন্দ্রনাথের পারিবারিক জীবন যথার্থ মুতি লইতে আরম্ভ করে এই সময়ে। মানবী মানসীর মধ্যে প্রতেদ সামান্তই | বাহিরের দৈনন্দিন জীবনে যে-নারীকে পাওয়া যায়, তাহাকে দেখা যায় চক্ষুরাদি ইন্দ্রিয় দিয়া; সংসারজীবনের ঘাতপ্রতিঘাতে, তুচ্ছতায় এই প্রেমের জীবন স্নান হইয়া যায় ; প্রতিদিনের মানবী ক্রমে সাধারণ মানুষের কাছে হয় দানবী, না-হয় দেবী হয়। কিন্তু কবির কাছে সে হয় মানসী, নৈর্যক্তিক নারীর পরিশ্তদ্ধ প্রেম অভিসারে সার্থক হয়। 'মানসী' কবিতাগুচ্ছ মানবী প্রেমকে $45117816 করিয়া প্রেমের নৃতন কূপ গ্রহণ করিয়াছে মানবীর ভালোবাসা মানসীর প্রেমে রূপান্তরিত হইয়াছে ;

স্থখ দুংখ গতম্বর ফুটিতেছে নিরস্তর-__ ধ্বনি শুধু, সাথে নাই ভাষা বিচিত্র সে কলরোলে ব্যাকুল করিয়া! তোলে জাগাইয়] বিচিত্র ছরাশা। চিরুজীবন তাই আবর-কিছু কাজ নাই, রচি শুধু অসীমের সীমা__ আশা দিয়ে, ভাষা দিয়ে, তাহে ভালোবাসা দিয়ে

গড়ে তুলি মানসী-প্রতিমা |

'মানমী? কাবাগ্রস্থের কবিতাগুপিকে আমরা বিশেষ কোনো! যুগের বিশেষ মনোভাবাঙ্কিত রূপে পাই না; মোটামুটি ভাবে বলা হয় ইহাদের মধ্যে একট] বিযাদমাথা নৈরাশ্ট আধুনিক ভাষায় “যদ্ণা” ফুটিয়াছে। গ্রন্থের আরস্থ হয় ১২৯৪ সালের বৈশাখে ১২৯৭ সালের বৈশাখে উপহার" পিখিয়া বইখানি ছাপাইবার ব্যবস্থ! হয়, কিন্ধ তখন ছাপানো শেষ হয় নাই। বিলাত হইতে ফিরিবার পর ১২৯৭ সালের মধ্যে বচিত এগারোটি কবিতা সংযোজন করিয়া প্রকাশের ব্যবস্থা হইল। এই দীর্ঘ সাড়ে তিন বৎসরের মধ্যে কবির জীবনের মনের ইতিহাস প্রভৃত পরিবতিত হুইয়াছিল। মনে হয় তজ্জন্যই এই কাব্যের মধ্যে বিচিত্র ছন্দ বিবিধ রসের সমাবেশ ঘটিয়াছে। সেইজন্ মোহিতচন্্র সেন “কাবাগ্রস্থে (১৩১০) মানসীর কবিতাগুলিকে নানা ভাবানুসারে বিচ্ছিন্ন করিয়! অবশ্য কবির অনুমোদনেই মাঙজাইয়াছিলেন। মানসীর যুগের মধ্যে মায়ার খেলা, রাজা রানী এবং বিসর্জন রচিত হয়।

মানসী পুস্তকাকারে প্রকাশিত হইলে উহ? যে বাংল! সাহিত্যে একখানি শ্রেষ্ঠ কাব্য কথ! সর্ববাদিসম্মতরূপে

খীষ্টা ১৮৯, প্রত্যাবর্তনের পর। মানসীর শেষপালা ৩১১

স্বীকৃত হইয়াছিল। এই কাবাখানি যে কেবল ববীন্দ্রনাথের কাব্যজীবনে নৃতন পন্থার প্রবর্তক তাহা নহে উহা সমসামগ্সিক বাংলা কাব্যের পক্ষেও রীতির দিক দিয়া নূতন আদর্শ স্থাপন করিল।১ কথা নিশ্চিত যে বাংল! ছন্দের নৃতন মুক্তির পথ মানসীই সর্বপ্রথম বাঙালি কবিদের কাছে ধরিয়াছিল। তাহার বচনার এই পবেই যুক্ত অক্ষরকে পূর্ণ মুলা দিয়া ছন্দকে নৃতন শক্তি দিতে তিনি সক্ষম হইয়াছিলেন। মানমীতে কবির ছন্দেরও নান! খেয়াল দেখা দিতে আরস্ত করে।২

সে যুগের কবিদের মধ্যে নামডাক ছিল অনেকেরই, যেমন দেবেন্্রনাথ সেন, নগেন্দ্রনাথ গুপ্, গিবীন্দ্রমোহিনী দাসী, সরোজকুমারী দেবী, বনোয়ারিলাল গোন্বাষী, গোবিন্দচন্দ্র দাস, অক্ষয়কুমার বড়াল প্রভৃতি হেমচন্দ্র নবীনচন্দরের নাম করিলাম না, কারণ তাহাদের স্থান সাহিত্যে হুনিরিষ্ট হইয়! গিয়াছিল। আজ বাঙালি এইসব কবিদের সম্বদ্ধে প্রায় উদ্দাসীন হইয়াছে কিন্তু সেদিন হইতে আজ পর্ধস্ত রবীন্দ্রনাথের প্রতি ওদাসীন্ত দেখাইতে কেহই সাহসী হন নাই। সমসাময়িকের চোখে রবীন্জনাথের এই কাব্যগুচ্ছ কী প্রতিক্রিয়া স্ট্টি করিয়াছিল তাহ! গিবীজ্রমোহিনীব মানসী এবং রাজা রানী”-প্রবন্ধ পাঠেই বুঝা যায়। লেখিকা মানসী সম্বন্ধে লিখিয়াছেন, “মানসী পাঠ করিতে করিতে চোখের অন্মখে ষে একখানি স্বপ্রবাজ্গ্য ভাসিয়া আসে... ইহাতে যেন আধ-আলো! আধ-ছায়া, আধ-স্বর্গ আধ-মর্ত্য দেখিতেছি।” মানপী পুস্তকাকারে প্রকাশিত হইলে সমস্ত কবিতাগুলিকে একত্র দেখিতে পাইয়া উহাদের ঘথার্থ একটা রূপ স্থুব যেন কবি দেখিতে পাইলেন; তাই এখন কবিতাগুলিকে সমালোচকের চোখে দেখিতেছেন।

এই সময়ে তাহার তরুণ বন্ধু প্রমথ চৌধুরী” তাহাকে এক পত্রে জানান যে মানসী কবিতাগুচ্ছের মধ্যে 065751£ [65181)8001-এর ভাবটাই প্রবল হইয়া ফুটিয়াছে। সেই পত্রের উত্তরে ববীন্দ্রনাথ যাহ1 লেখেন তাহা মানসীর একটি উত্কৃষ্ট সমালোচনা হিসাবে পঠনীয়। “মানসী সম্বন্ধে যে লিখেছ যে, তার মধো একটা 65281£ এবং £851803- €101-এর ভাব প্রবল, সেই কথাটা আামি ভাবছিলুম। প্রতিদিনই আমি দেখতে পাচ্ছি নিজের রচনা এবং নিজের মন সম্বন্ধে সমালোচনা করা ভারি কঠিন। আমি বের করতে চেষ্টা করছিলুম এই 363817 এবং 1851808007-এর মূলটা কোন্খানে। আমার চরিত্রের কোন্থানে সেই কেন্দ্রস্থল আছে যেখানে গিয়ে আমার সমস্তটার একটা পরিষ্কার মানে পাওয়া যায়। কড়ি কোমলের সমালোচনায় আশ্ত যখন বলেছিলেন জীবনের প্রতি দৃঢ় আসক্তিই আমার কবিত্বের মূলমন্ত্র, তখন হঠাৎ একবার মনে হয়েছিল__ হতেও পারে, আমার অনেকগুলো লেখা তাতে করে পরিস্ফুট হয় বটে। কিন্ত এখন আর মনে হয় না এখন এক-একবার মনে হয় আমার মধ্যে ছুটো বিপরীত শক্তির ছম্থ চলছে। একটা আমাকে সর্বদা বিশ্রাম এবং পরিসমাপ্থির দিকে আহ্বান করছে, আর-একটা আমাকে কিছুতে বিশ্রাম করতে দিচ্ছে না। আমার ভারতবর্ধীয় শান্ত প্রকৃতিকে যুরোপের চাঞ্চল্য সর্ধ্দা আঘাত করছে-__ সেইজন্ভে এক দিকে প্রিয়নাথ সেন, মানসী, সাহিভা, পৌধ ১৩**। জর. শ্রিযপুষ্পাগ্তলি (১৩৪, ), পৃ ১৮-৪৭। জ. কবি-লিখিত মানসীর ভূমিকা। ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, রবীন্্রসংগীত সম্বন্ধে ভু-চারটি কথা, পরিচয়, শ্রাবণ ১৩৪২। আবুল কাদের, বাংল! ছন্দ ভারতচগ্ত, দেশ, ২৮ চৈত্র ১৩৪৮, পৃ ৪১৭-১৯। প্রমথ চৌধুরী হইতেছেল আশু;তাব চৌধুরীর ভ্রাতা আগুতোষের সহিত যখন ঠাকুরবাড়ির বৈবাহিক সন্ধন্ধ স্থাপিত হস্ত (১৮৮৬ ) তখন প্রমখনাখ কলেজের ছাত্র রবীন্রানাথের সহিত বাক্যালাপের সাহস শক্তি স্বাহার তখন হয় নাই। ১৮৯* মালে তিনি এম. এ. পাস করেন, ভাহায় পূর্ধ হইতে রবীন্্রনাপের স্থিত পত্রবাবহার আরম হয়; কলিকাতায় আনিলেই উত্য়ের দেখানাক্ষাৎ হইত। আদল কথা, রবীশ্রনাথ এই তরুশ যুবকের মধো সাহিতোর প্রতিভা দেখিয়! যুদ্ধ হইয়াছিলেন এবং প্রমখবাবুর সমালোচনাশস্তিকে তখন শ্রস্ধ! করিতে আরঞ করেদ। হুতয়াং স্ভ প্রকাশিত 'মানসী' কাবাখ্ড সম্বন্ধে আলোচনা-পত্র পাইয়া! কবি তাহার বখাধধ উত্তয় দান করিলেন। এই পঙ্জে রবীন্রানাখেয় অসাধারণ বিষ্লেষণশক্তির পরিচয় পাওর়। বায়। সবুজপত্র, জোষ্ট ১৩২৫ চিঠিপত্র €। গত্রও। পৃ ১৪৯-৪১। ২৯ জানুয়ারি ১৮৯১। ১৭ মাঘ ১২৯৭।

৩০২ ববীন্দ্রজীবনী ষ্টাৰ ১৮৯,

বেদনা আর-এক দিকে বৈরবাগা এক দ্দিকে কবিতা আর এক দিকে ফিলজফি। এক দিকে দেশের প্রতি ভালোবাস। আর-এক দিকে দেশহিতৈধিতার প্রতি ভার উপহাস। এক দিকে কর্মের প্রতি আসক্তি আব-এক দিকে চিন্তার প্রতি আকর্ষণ। এইজন্যে সবহ্থদ্ধ জড়িয়ে একটা নিক্ষলতা এবং ওদাস্ত এটা তোমার কিরকম মনে হয়? তুমি কিভাবে দেখ সেটা আমাকে একটু পরিফার করে লিখে-- তোমাদের দ্বারা আমার নিজেকে দেখতে চেষ্টা করা ছুরাশা_ কারণ আমার প্রতি মুুর্তই আমার নিজের কাছে এমনি জীবস্ত এবং বলবান যে, মোটের উপরে আমি যে কী তা দেখতে পাই নে, আমি যখন আমার কাব্য সমালোচনা করতে চেষ্টা করি তখন বর্তমান মুহূর্তটাই ক্রিটিক হয়ে বসেন, কিন্ত তার কথা কিছুমাত্র বিশ্বাসযোগ্য নয় » তোমরা যখন সমালোচনা কর তখন আমার পূর্বের সঙ্গে পর এবং একটার সঙ্কে আরেকটা মিলিয়ে দেখতে পার।” আবর-একখানি পত্রে লিখিলেন, "ভালো করে ভেবে দেখতে গেলে মানসীর ভালোবাসার অংশট্রকুই কাবা-কথা-_ বড় রকমের সুন্দর রকমের খেলা মাত্র-_ ওর মাসল সত্যিকথাটুকু হচ্ছে এই যে, মানুধ কি চায় তাজানে না।... মাঈষের মনে ঈশ্বরের মত অধীম আকাঁজ্ষা আছে, কিন্তু ঈশ্বরের মতো অসীম ক্ষমতা নেই |... তাই আকাঙ্ষারাজ্ বসেই অধ-নিরাশ্বামভাবেই কল্পনাপুতলী গড়িয়ে তাকে পুজো কবছে। একেই বল ভালোবাস! ? আমার ভাপোবালার লোক কই 'আমি ভালোবাসি অনেককে-_ কিন্্ মানসীকে যাকে খাড়া করেছি সে মানসেই আছে__ সে ৪:0১0এর হাতে রাচিত ঈশ্বরের প্রথম অসম্পূর্ণ প্রতিমা ক্রমে সম্পূর্ণ হবে কি?” এই পত্রে 19015 729050817017058 738517110050৬8 (1890-১1) নামী এক বিদুষী মহিলার ]901781-এর কথা আছে। এই মহিলা রুশদেশের ধনী ঘরে জন্মগ্রহণ করেন; জীবনে উচ্চশিক্ষালাভ ফুরোপের মনীধী-মহলেরু মনের স্পর্শ লাভের জন্য প্যারিসে আসেন; ইনি চিত্রশিল্লীপে খাতি অর্জন করেন; তাহার 'জনাল? ফরালী ভাষায় লিখিত ১৮৮৭ সালে প্রকাশিত হয়; ইংরেজি অনুবাদ ১৮৯০ সালে মাত্র প্রকাশিত হইয়াছিল ।১

এই বৎসর গগ্যরচনা খুব কমই চোখে পড়ে যা-কিছু লেখেন তা সব ছাপাও হয় নাই ফুরোপ-মাক্রীর ভায়াবি ১২৯৮ সালে সাধনায় প্রকাশিত হয়। পারিবারিক স্থৃতিপুস্তকে যে-গুটিচার লেখা চোখে পড়ে, মেখুলি ভাতিয়া-চুপিয়া পরে “পঞ্চভূত” গ্রন্থের অস্ততুক্তি করেন

আমরা যে-সময়ের কথা আলোচনায় প্রবৃত্ত, সেট। দশবাধিকা আদমন্ঈমারের উদ্যোগপর (১৮৯০) সকল বর্ণ বা 'জাত'ই জাতি-হুমারের ফর্দে নিজ বর্ণের বৈশিষ্ট্য শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ প্রচার প্রতিচাকল্পে আন্দোলনে বন্ধপরিকর। হিন্দুসমাজের মধ্যে আত্মশক্তি আত্মসম্মান অর্জনের ক্ষীণ মাকাক্ষা এই শ্রেণাচেঙনায় আস্মপ্রকাশ করিল। এই শ্রেণীচেতনার প্রেরণায় ব্রাঙ্ষনমাজ৭ সেফিন হিন্দুঙজাতির নানা বর্ণ-সম্প্রদায়ের মধ্য হইতে আপনাকে পৃথকভাবে নির্দীত হইবার জন্য অভিপ্রায় প্রকাশ করে।

্রাঙ্মধর্ম পৃথক ধর্ম, না হিন্দুধর্মের একটি শাখা বা. সন্প্রদায় মার, তর্কের মীমাংসা এখনো হয় নাই; কারণ হিন্দু কে এবং “হিন্দুধর্ম কী? তাহার সংজ্ঞা এখনে| পর্বস্থ সদবাদীভাবে স্বীকৃত হয় নাই এই সংজ্ঞা বা পরিচয়ের অভাবে একদপ লোক ত্রাক্ষধর্মকে হিন্দুধর্মের অন্যতম সম্প্রদায় এবং উক্ত সমাজকে হিন্দুজাতির অসংখ্য বর্ণের অন্যতম 'জাত' হিনাবে দেখিতে চান | কিন্ধু নববিধান সাধারণ ব্রাঙ্গসমাজকুক লোকেদের মধ কেহ কেহ ব্রাদ্ধধর্মকে বিশ্বজনীন ধর্ম হিন্দুধর্ম হইতে পৃথক ধর্ম-দূপে দেখিতে গ্েখাইতে উত্হক | যে-সং্ঞাগ্রমারে লোককে সাধারণভাবে “হিন্দু” বল! হয়, তাহার দ্বারা বিচার করিলে ব্রাঙ্গগণকে হিন্দু বলা মায় না। কারণ, যদি বিরাট লংস্কৃত সাহিত্যের মধ্য হইতে কেবল বেদের অপৌরুষেয়তা স্বীকার করা, মন্্যুজাতির মধ্যে একমাস ব্রাক্ষণের শ্রেষ্ঠত্ব দেবত্ব মানা, এবং অসংখ্য জীবজন্তর মধ্য হইতে গো-জাতির প্রতি বিশেষ ভক্তিগ্রার্শন তাহার পবিভ্রত] শ্বীকার কথাই হিন্দুত্বের চিঠিপত্র | পত্র ৬। শাহাজাদপুর | পৃ ১৫*-৫১। (১৭ মাধ ১২৯৭। ২৯ জানুয়ারি ১৮৯১ )।

প্রীষ্টাব্ষ ১৮৯১ জধিদারির ভার ৩০৩

পরখ হয়_ যদি বর্ণভেদ, ভোঙ্যাভোজ্য উদ্ছিষ্ট-অগ্ুচ্ছিষ্ট, স্পৃশ্য-অস্পৃশ্য প্রভৃতি আচার রক্ষাই হিন্দুত্বের আবস্থিক শর্ত হয়, তবে ত্রাক্ষদের মধ্যে অনেকেই হিন্দু, আখ্যা গ্রহণ করিতে পরাহ্ুখ হইবেন। কিন্তু আদি ব্রাক্ষসমাজ বিবাহাদি বিষয়ে বর্ণবিচার করিতেন, উপনয়নাদি বিষয়ে কুঙ্সাচার পালন করিতেন; এতদ্ব্যতীত অপৌত্তলিক, নির্দোষ আচার-বিচার সম্বন্ধে নবীনসমাজীদের ন্যায় কোনে! গৌড়ামি পোষণ করিতেন না। এইসব কারণে তাহারা আপনাদিগকে “হিন্দু বলিতে কুষ্ঠিত তো হইতেনই না, বরং মনে করিতেন হিন্দুর শ্রেষ্ঠ আদর্শ তাহারাই প্রচার করিতেছেন।

ইহার গ্রায় বিশ বৎসর পূর্বে ১৮৭১ সালে কলিকাতায় দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সভাপতিত্বে রা্গনারায়ণ বন্থ “হিন্দুধর্মের শ্রেষ্ঠতা” সম্বন্ধে ব্ৃতা দেন। কেশবচন্দ্র-প্রমুখ নবীন ব্রাঙ্গরা এই মতের ঘোর বিরোধিতা করিয়া বক্তৃতা করিয়াছিলেন শিবনাথ শাস্ত্রী 'রামতনু লাহিড়ী তৎকালীন বঙ্গনমাজ, গ্রন্থে লিখিতেছেন, “নবগোপাল মিজ্রের জাতীয় সভা বক্তৃতা দেওয়াইবার জন্য প্রধান উদ্যোগী ছিলেন। ত্রাঙ্ষদমাজের মধ্যে ব্রাঙ্মবিবাহ-আইনের আন্দোলন উপস্থিত হওয়াতে এবং কেশববাবুর দলস্থ ব্রা্মগণ__ তছুপলক্ষে তাহার! নিজে হিন্দুধর্মে বিশ্বাসী নহেন বলিয়! পরিচয় দেওয়াতে আদি ব্রাক্ষলমাজের সহিত তাহাদের বিবাদ উপস্থিত হয়। বাজনারায়ণবাবুর বক্তৃতা সেই বিবাদের প্রতিধ্বনি মাত্র ।-". রাজনারায়ণবাবু বঙ্গবাসীর চিত্তে অতি উচ্চস্থান অধিকার করিলেন... কেশববাবুর দলস্থ ব্রাহ্মগণ অহিন্দু বিয়া হিন্দুষাজের অবজ্ঞার তলে পড়িলেন 1”

বিশ বৎসরে এই মত উভয় পক্ষ হইতেই তীব্র হইয়াছে ; দেবেন্দ্রনাথ, রাজনারায়ণ, বঙ্কিমচন্জ্রের ধারায় হিন্দু-সমাজে যেমন আত্মচেতনা আসিয়াছে, দেবেজুনাথ কেশবচন্দ্র শিবনাথ প্রভৃতির ধারায় ব্রাহ্মগণও নিজ মত স্থপ্রতিষ্তিত করিবার জন্য উদ্গীব। আদি ত্রাক্ষদমাজ দোটানায় পড়িয়া আগাইপ না, পিছাইল না-- সে মরিয়া গেল।

১৮৯১ সালের আদমস্্মার-গ্রহণের সময়ে ব্রাহ্ষবা সেন্সাসে পৃথকভাবে সংজাপ্রার্থ গণিত হইবার দাবি জ্ঞাপন করেন। রবীন্দ্রনাথ সেন্সাসের সধাধ্যক্ষকে জানাইয়া দেন যে, আদি ক্রাঙ্মসমাজের লোকদ্দিগকে 'হিন্দু-ত্রাঙ্জ' বলিয়া! যেন অভিহিত করা হয়, এবং সাধারণভাবেই লকল ত্রাঙ্গেব উদ্দেশেই এই অহরোধ পত্রিকাদিতে বিজ্ঞাপিত করিলেন ।২

বিশ বংসব পরে পুনরায় খন আর-একবার ব্রাহ্ম হিন্দু কি না প্রশ্ন উঠে, তখনো রবীন্্রনাথ দুঢতার সঙ্গে প্রচার করেন যে ত্রাঙ্গরা হিন্দুজাতির অন্তর্গত শাখা। কিন্তু তিনি নিজেকে “হিন্দু বলিডেন বলিয়া কেহ যেন তাহাকে সামান্মভাবে হিন্দু মনে না করেন) ব্বীজ্নাথ তাহার ধর্ম 'শাস্তিনিকেতনে' “আমার ধর্' প্রভৃতি গ্রন্থে তাহার ধর্মমত অতি ম্পষ্টভাবেই ব্যাখ্যা করিয়াছেন। তাহা পাঠ করিলে তিনি যে নৈষ্টিক ব্রাচ্ধ ছিলেন তদ্বিষয়ে কোনো সন্দেহ থাকে না; নিজের ধর্মমত বিষয়ে অন্তের সহিত সহজে কখনো! তিনি আপস করিতে পাবিতেন ন1। তো! গেল মতামতের বা তর্কবিতর্কের ব্যাপান্ধ।

বিলাত হইতে ফিনিবার ছুই মাসের মধ্যে বধীন্দ্রনাথকে জমিদাবির কাধভার গ্রহণ কবিয়! উত্তরবঙ্গে যাত্রা করিতে হইল। গত করেক বৎসর হইতে মাঝে মাঝে জমিঘাত্ি পরিদর্শনের ছন্য স্থানে স্থানে যাইতে হইতেছিল বটে, কিন্ত

গিয়িজাশঙয় রায়চৌধুরী, ্জরবিদ্দ বাজলার কদেশীবুগ, পূ ১৪ প। উদ্ধৃতি--শিষনাথ শাস্ত্রী, রামতগু লাহিড়ী তৎকালীন বঙসযাজ, পূ ৩২২। 087595 3976011657,36176) 0]. 01 10০70৫11-কে প্রগত্ধ জানুয়ারি ১৮৯১ ) পত্রে স্ধীজতজাখ জানান-৮1006 00৫20৮৩250৫ 00৩ 2৫1 85008 95051 526 18115 £10055 1 তন্ববোধিনী পত্জিকা, ১৮১২ শক মাখ মাসের প্রচ্ছদপটে ১০8/০৩টি ছিল। আদষহষায় গৃহীত হয় ২৬ ফেজ্জন্াকি ১৮৯১।

৩০৪ রবীক্জীবনী গ্ীষ্টাব্ষ ১৮৯১

পরিচালনার তার তখনো ত্বাহার উপর স্থান্ত হয় নাই। মহধির জ্যেষ্ঠ জামাতা সারগাপ্রসাদের মৃত্যুর পর জমিদারি তত্বাবধানের ভার তাহার জ্যেষ্ঠপুত্র ছ্বিজেন্্রনাথ পৌত্র দ্বিপেন্্রনাথের হস্তে সমপিত হয়। সতোক্রনাথ বিদেশে রাজ- কার্যোপলক্ষে ব্যাপৃত, জ্যোতিরিশ্রনাথ স্ত্ী-বিয়োগের পর সাংসারিক কাজকর্মে বীতস্প্রহ : হেমেন্দত্রনাথ মৃত ; বীরেন্দ্রনাথ সোমেন্দ্রনাথ বারুবোগগ্রন্ত স্থতরাং জমিদাবির কাজকর্ষ হয় জোষ্ঠ ছিজেন্ত্রনাথ, ন1 হয় কনিষ্ঠ রবীন্দ্রনাথের উপর বর্তাইতে বাধা দ্বিজেন্্রনাথ দার্শনিক কবি; তাহার পক্ষে বৈষয়িক কাজকর্ম দেখাষ্টীনা কর! অসম্ভব স্থতরাং ' পরিচালনাভার তীয় জোষ্ঠপুত্রের উপর গিয়া পড়ে। কিন্তু তাহার হাতে এস্টেটের কাজকর্ম অত্যন্ত শিথিল হইয়া যায়। জমিদারির তদারক রক্ষণাবেক্ষণের ভার অবশেষে ববীন্দ্রনাথের উপর আসিয়া পড়িল; তখন ঠাকুর-এস্টেট সমস্তই এজমালিতে ছিল, স্তরাং খুবই বড় জমিদারি

ইতিপূর্বে রবীন্দ্রনাথকে জীবনের কোনো কঠিন দায় বা দায়িত্ব গ্রহণ করিতে হয় নাই। সাহিতাজীবনের বিচিত্র মাধূর্যের মধ্যে হঠাৎ আসিয়। পড়িল বিপুল জমিদারি তদারকের কাজ। কিন্তু কবি হইলেও তাহার সহজবুদ্ধি এত প্রখর ছিল যে তিনি আশ্চর্য দক্ষতার সহিত নূতন কর্তবাকে মানাইয়৷ লইলেন ; শুধু এই কাঙ্গকে মানাইয়! লইলেন না, যেমন নিজের পারিবারিক জীবনের প্রত্যেকটি ছোটখাট খুটিনাটি কাঙ্গকর্ম পালন করিতেছিলেন তেমনি নিপুণভাবেই ইহা হুলম্পন্ন করিতে লাগিলেন দেবেন্দ্রনাথের বিষয় ছিল, কিন্তু বৈষয়িকতা ছিল না তাই বলিয়া! বিষয়- বুদ্ধির অভাবও ছিল না। বিষয়বুদ্ধি না থাকিলে-_ বিদেশে পিতা দ্বারকানাথের অকাল আকম্মিক মৃত্ভার পর যুবক দেবেন্রনাথ যে-ভাবে উত্তমর্ণদের দ্বারা আক্রান্ত হইয়] প্রায় হতপর্বস্ব হইয়াছিলেন, তাহা উদ্ধার করিয়া পুনরায় সুপ্রতিষ্ঠিত হইতে পারিতেন নাঁ। পিতার সমস্ত খণ, এমনকি পিতার প্রতিশ্রুত দানের টাকা সুদ-সমেত পরিশোধ করিয়া দেন; তার পর ধীরে ধীবে আবার সম্পত্তি গড়িয়া তোলেন। দেবেন্দ্রনাথের আদেশে ববীঙ্জনাণকে বাইশ বৎসর বয়স হইতে কলিকাতার সেরেন্তায় বসিয়া জমিদারির কাজকর্ম শিখিতে হইয়াছিল; সামান্ভ কেরানী হইতে উচ্চতম নায়েবদের কাজ-_সমস্তই তাহাকে শিখিতে হয়। বুদ্ধিমান যুবক কবি হইলে জানিতেন যে প্রজার অল্পে তাহারা লালিত-পাপিত হইতেছেন, স্থতরাং সেখানে অনবধানতা আমিলে জীবিকায় টান পড়িবে; তাই অতি নিষ্ঠার সহিত সমস্ত কাজ শিক্ষা করিয়া লন। পূর্ববঙ্গের কোনে জমিদারের মুখে শুনিয়াছিলাম যে, জমিদারি বিদ্যায় বিষয়বুদ্দিতে রবীন্দ্রনাথের লমতুলা জমিদার সে-যুগে ছিল না।

জীবনের দিক হইতে এই ঘটনাটি খুবই বড়। বাস্তবকে প্রকৃতির সহিত জীবনে মিশাইয়া এমন নিবিড়ভাবে পাইবার স্থযোগ ইতিপূর্বে হয় নাই। প্রকৃতি মান্গষের মিলিনে বিশ্বের স্থট্টিসৌন্দ্য সম্পূর্ণ হয়। ববীন্দ্রনাথ বাল্যকাল হইতে প্রকৃতিকে অন্তরঙ্গভাবে জানিয়াছিলেন, মানুষকে তেমন নিবিড়ভাবে পাইবার সুযোগ লাত কবেন নাই মহানগবীতে যে মানুষদের দ্নেখিয়াই আসিতেছেন, তাহারা আপনার পরিবেশচ্যুত কৃত্রিম নাগরিক জীবনের দাস মাত্র জমিদারি পরিদর্শন পরিচালনা করিতে আনিয়া তিনি হাসিকান্না স্থখছুঃখ -ভরা মানুষকে তাহার যথার্থস্থানে দেখিতে পাইলেন উত্তরবঙ্গে বাস করিতে আসিয়া বাংলার অন্তরের সঙ্গে ঠাহার যোগ হইল-- মান্ঠঘকে তিনি পূর্দৃতিতে দেখিলেন। তাহার কাবোর মধ্যে হুদয়াবেগের আতিশধা যুগে বহুল পরিমাণে সহ হইমা আসিল; পল্পা তাহার পদ্য গদ্য -রচনায় নৃতন রঙ, নৃততন শক্তি, নৃতন সৌন্দর্য দান করিগ।

উত্তরবঙ্গে ঠাকুরপরিবারের তিনটি পরগণা-_- বিরাহিমপুর, ইহার ফাছাবি শিলাইদহে ; কাপিগ্রাম, ইহার কাছারি পতিসরে 7 সাহাঙগাপুর গ্রামের নামেই পরগণা। এবার শীতকালেই ঠাহাকে কালিগ্রামে যাইতে হয়। পতিসর কাছারি চলনবিলের অনতিদুরে নাগর নদীর উপর এই জায়গার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের এই প্রথম পরিচয় তাই নৃতন পারিপার্থিকের সহিত মনের থাপ খাওয়াইতেই কষ্ট হইতেছে। স্বীকে লিখিত একখানি পত্রে মনের

এষ্টান্ষ ১৮৯১ জমিদাবির ভার ৩০৫

এই ভাব গোপন করিতে পারিতেছেন না। চলনবিলট] তাহার মোটেই ভালে! লাগে নাই পতিসরে পৌঁছাইডে নদীপথে তিন দিন কাটে , আবার লেই পথে বিরাহিমপুর পরগণায় যাইতে হইবে। সেটা তাহার মনঃপৃত হইতেছে না। «“এখানকারই নদীতে একেবারে ম্োত নেই। শেওলা ভাস্ছে, মাঝে মাঝে জঙ্গল হয়েছে-_ পাড়াগেয়ে পুকুরের যে একরকম গন্ধ পাওয়া যায়, সেইরকম গন্ধ-_ তা ছাড়া রাত্তিরে বোধ হয় যথেষ্ট মশা পাওয়া যাবে। নিতান্ত অসহা হলে এইখান থেকেই কলকাতায় পালাব।”১ কলিকাতায় যাবার জন্ত মন কেমন করে “মিঠি বেলুরাণু'র জন্য ; খোকাকে হ্বপ্রে দ্বেখিয়া মন আবও ব্যাকুল হইয়াছে রবীন্দ্রনাথ অত্যান্ত সেহশীল পিতা ছিলেন, তাই সস্তানদের জন্য এত উৎকণ্ঠা বক্তমাংসের সাধারণ মানুষের সকল আশা-আকাক্ষাই তাহার ছিল, সন্তানদের সম্বন্ধে দুর্বলতাও ছিল প্রাকুতজনের চায়।

পতিসরের বর্ণনা পাই “ছিন্নপঞ্জে"। সে-বর্ণনায় প্রৃতির কথ! যেমন আছে, তেমনি আছে কবির অন্তরের কথা। জমিদারি কাজের দত্বরে এখনো! তেমন অভিজ্ঞতা হয় নাই বলিয়া বাহিরের আদর আপ্যায়ন সম্মান অসংকোচে গ্রহণ করিতে বাধো-বাধো ঠেকে মানুষ রবীন্দ্রনাথের দরদী মন সাধারণ মানুষের নিকট হইতে কাতর কৃত্রিম স্কতিবাঘ শুনিতে তথনো তেমন অভান্ত হয় নাই, তাই ইন্দিরা দেবীকে (১৮) একখানি পন্ত্রে লিখিতেছেন, “সকালে উঠে-"' লিখছিলুম... এমৎকালে ... রাজকার্য উপস্থিত হল-_ প্রধানমন্ত্রী এসে মৃছ্স্বরে বললেন, একবার বাজসভায় আসতে হচ্ছে কী করা যায়-_ লক্ষ্মীর তলব শুনে নরম্বতীকে ছেড়ে তাড়াতাড়ি উঠতে হল। সেখানে ঘণ্টাখানেক ছুরহ রাজকার্য সম্পল্ন করে এইমাত্র আসছি আমার মনে মনে হাসি পায়__ আমার নিজের অপার গাস্তীর্য এবং অতলম্পর্শ বুদ্ধিমানের চেহারা কল্পনা করে সমস্তটা একটা প্রহসন বলে মনে হয়। প্রজারা যখন সসন্ত্রম কাতরভাবে দরবার করে, এবং আমলাবা বিনীত করুযোড়ে দাড়িয়ে থাকে, তখন আমার মনে হয় এদের চেয়ে এমনি আমি কি মস্ত লোক ষে আমি একটু ইঙ্গিত করলেই এদের জীবনরক্ষা এবং আমি একটু বিমুখ হলেই এদের সর্বনাশ হয়ে ঘেতে পারে আমি যে এই চৌকিটার উপর বসে বসে ভান করছি যেন এই-সমস্ত মানুষের থেকে আমি একট! স্বতন্ত্র হষ্টি, আষি এদের হর্ভাক্তাবিধাতা, এর চেয়ে অদ্ভুত আর কী হতে পারে! অন্তরের মধ্যে আমিও যে এদেরই মতো দরিত্র সথখছৃঃখকাতর মানুষ, পৃথিবীতে আমারও কত ছোট ছোট বিষয়ে দরবার, কত সামান্ত কারণে মর্মান্তিক কান্না) কত লোকের প্রসন্নতার উপরে জীবনের নির্ভর ! এইসমস্ত ছেলেপিলে-গরুলাঙল-ঘরকল্না-ওয়ালা সরলহৃদয় চাষীভুযোরা আমাকে কী ভুলই জানে! আমাকে এদের সমজাতি মানুষ বলেই জানে না। সেই ভুলটি বক্ষে করাবার জন্তে কত সরঞ্জাম রাখতে এবং কত আড়ন্বর করতে হয়|... কী জানি যদি ভুলে জাঘাত লাগে! 76508 মানে হচ্ছে মানুষ সম্বন্ধে মানুষের ভুল বিশ্বাস! আমাকে এখানকার প্রজারা ধদি ঠিক জানত, তা হলে আপনাদের একজন বলে চিনতে পারত, সেই ভয়ে সর্বদা মূখোধ পরে থাকতে হয়।”*

এই পত্রখানি মানুষ ববীহ্্নাধের লেখা, জমিদার ববীন্নাথের নয় | এষন-কি কবি ববীন্দ্রনাথেরও নয় কয়েকদিন পূর্বে যখন তাহার নৌকা দেখিয়া কোনো গ্রামবৃদ্ধা প্রশ্ন করিয়াছিল ঘে, জষিদ্বারবাবুর নৌক1 এখানে বাধা কেন, মাল্লাবা উত্তর দেয় “হাওয়া খাওয়ার জগ্ু' | এই ঘটনাটি উল্লেখ কবিয়া লিখিয়াছিলেন, “এসেছি ছাওয়াব চেয়ে আরো চে বেশি কঠিন জিনিসের জগ্গে ।”* উতক্তিটির মধ্যে নিজের প্রতি গ্লেষ আছে। ষোট কথা ছিন্বপত্রাবলীর লেখাগুলিকে পত্র না বলে বলা উচিত ভায়ারি, নিজ জীবনের অভিজ্ঞতা ভাবনার সুক্ষ বিশ্লেষণ চিঠিপত্র ১। পত্র ঃ$। [ কালিগ্রাম, জাদুযারি ১৮৯১ ]। ছিনপঞ্াফলী পত্র ১৫। সাহাজাদপুর, রধিবার, ২* মাত ১২৯৭ ছিরপত্রাবলী। পঙ্জ ১১। ?801887 10860501 ৮68 2051 ফাখ দোমধার [ ১২৯৭। ১৯ জানুয়ারি ১৮৯১ ]।

৩৪

৩০৬ ববীন্দ্রজীবনী গ্ীষ্টাক ১৮৯১

উত্তরবঙ্ধে মাঘ ফাল্গুন মাসের অর্ধেকটা কাটিয়া গেল কাপিগ্রাম, সাহজাদপুর, শিলাইদহে ইন্দিরা দেবীকে লিখিত ছিন্নপত্রাবলী, মৃণালিনী দেবীকে লিখিভ চিঠিপত্র প্রমথ চৌধুরীকে লিখিত পর্রধারায় নদীর যে বর্ণনা পাই, তাহা আজ নানা দিক হইতে কল্পলোকের বিষয় হইয়াছে বিশুদ্ধ সাহিত্যের মধো “ডায়ারি' লিখিতেছেন-_ তবে সে-ডায়ারি রোজনামচা নহে-__ তাহা পঞ্চভৃতের ভায়াৰি, সে+ সম্বদ্ধে পরে আলোচনা কৰিব।

মুরোপ-যাত্রীর ডায়ারি: প্রাচ্য প্রতীচ্য

বিলাত হইতে ফিরিয়া আসিবার পর হইতে রবীন্দ্রনাথের মনে দেশের সমস্যা সম্বন্ধে নান! প্রশ্ন জাগিতেছে। যুরোপ ভ্রমণকালে ষে-ভায়ারি লিখিয়াছিলেন তাহারই এক বিরাট ভূমিকায় এইসব আলোচনা করেন; বোধ হয় উত্তরবঙ্গ ভ্রমণকালে উহা রচিত হয়। 'মুরোপ-যাত্রীর ভায়াবি? গ্রস্থের প্রথম ভাগ বা ভূমিকা-অংশ ছাপা হয়, আমল ভায়ারি ্রস্থাকারে প্রকাশের আড়াই বৎসর পূর্বে। রবীন্দ্রনাথের গগ্ভগ্রস্থাবলী প্রকাশকালে মুরোপ-যাত্রীর ভায়ারি-অংশ “বিচিত্র প্রবন্ধের অন্তর্গত করা হয়, এবং ভূয়িকাটাকে ছুটি অংশে ভাগ করিয়া একাংশ 'নৃতন পুরাতন' নামে ন্বদেশ'* খণ্ডে, এবং অপরাংশ “প্রাচা প্রতীচ্য' নামে 'সমাজ?ৎ খণ্ডে প্রকাশিত হয়। 'যুবোপ-যাত্রীর ডায়াবি'র প্রথম খণ্ড প্রথম সংস্করণ অগ্রচলিত হওয়ায় গদ্ঘগ্রস্থাবলীর পাঠকগণের নিকট এই প্রবন্ধদ্ধয়ের পটভূমি নিশ্চিহ্ন হইয়াছিল। অথচ প্রবন্ধ দুইটি স্থিরভাবে পড়িলে বেশ বুঝা যায় যে, যুবোপ হইতে সন্য প্রত্যাবৃন্ত রবীন্দ্রনাথের মনে এই প্রাচা প্র প্রতীচা সভ্যতার সম্বন্ধে জটিল প্রশ্ন উঠিয়াছে। মুরোপের অন্ধ গতি ভারতের অন্ধ স্থিতির মধো সত্য কোথায়। রবীন্দ্রনাথ ত্রিশ বৎসর বয়সে যে-প্রশ্থ উত্থাপন করিয়াছিলেন, পরবতী) যুগে 'অর্ধশতাব্ী ধরিয়া! বারে বারে তাহা আলোচনার জন্য তুলিয়াছেন এবং থাসাধ্য সমাধানের চেষ্টা করিতে ক্রটি করেন নাই। কপিকাতায় আসিয়া চৈতন্য লাইব্রেরির এক বিশেষ অধিবেশনে প্রবন্ধটি পাঠ করেন ।* গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় সভাপতিত্ব করেন (২৮ এপ্রিল ১৮৯১ )।

'নৃতন পুরাতন” এই রচনাটি নৃতনপন্থী পুরাতনপন্থী, গতিপন্থী স্থিতিপন্থী সমাজসংস্থানের একটি সু সমালোচনা কোনো পক্ষের আতিশযা নীতি বা গৌড়ামিকেই লেখক এই প্রবন্ধে সমর্থন করিতে পাবেন নাই ভারতবর্ষের প্রাচীন সমাজব্যবস্থা শান্ত জীবনযাত্রার মধ্যে নৃতনের আবির্ভাব হওয়াতে হঠাৎ ভারতীয়গণকে বিশাল কর্মক্ষেত্রের মধ্যে কে বা কিসে ঠেলিয়া ফেলিয়া দিয়াছে ভারতের সমাজ কালম্ত্রোত বন্ধ করিয়া যেন স্ত্ধ হয়া একটা জায়গায় দাড়াইয়! গিয়াছিল। এমন সময়ে কে যেন “পুরাতনের মধ্যে নৃতন মিশিয়ে, বিশ্বাসের মধ্যে সংশয় এনে, সন্তোষের মধ্যে দুরাশার আক্ষেপ উতৎক্ষিপ্ত করে দিয়ে সমস্ত বিপর্যস্ত করে দিলে ।” কালশ্রোতকে বোধ করিতে আমরা পারি নাই, পরিবর্তনকে মানিয়া লইতেই হইতেছে স্বীকার করি আর না-কবি ষানবস্ত্রোত চলিয়।ছে, সেই সঙ্গে “বিচিত্র কল্লোল, উদ্দাম বেগ, প্রবল গতি, অবিশ্বাম কর্ণ আমাদের মনকে মাতাইয়া তৃপিতেছে। ইচ্ছা করে বহ্ুযুগের সংস্কারবন্ধন ছিন্ন করিয়া আমরা 9 বাহির হইয়া পড়ি “কিন্ধ তার পরেই রিক্হন্যের দিকে চেয়ে চেয়ে ভাবি পাথেয় কোথায়' নৃতনের সহিত সন্ধি কবিতে গিয়া নৃতনকে অহ্করণ করাই কি উদ্দেশ্য মুরোপীয়তাকে গ্র্ণ করাই কি কাম্য। এই প্রশ্নের উত্তরে লেখক বলিতেছেন, “ভারতবর্ধ স্থখ চায় নি, সন্তোষ চেয়েছিল, তা পেয়েছে এবং ছিন্্পঞ্জাবলী | পত্র ১*। সাহাঙ্গাদপুর ১* মানস ১২৯৭।

নূতন পুরাতন, গ্ধদেশ, রবীর্-রচনাবলী ১১, পৃ ৪৬৯। প্রাচা প্রতীচ্য, সমাজ, রধীক্ষ-রচনাবলী ১২, পৃ ২৩৬। মুয়োপ-যাত্রীর ডায়রি, তৃমিকা, প্রপম থও। ১৬ বৈশাধ ১২৯৮ পৃৰ্প।

এটা ১৮৯১ ঘুবোপ-যাত্রীর ভায়ারি : প্রাচ্য প্রতীচ্য ৩০৭

সর্বতোভাবে তার প্রতিষ্ঠা স্থাপন কষেছে।” কিস্তু সুরোপের ভিন্মাদ জীবন-উপপ্রব* দেখিয়া তাহাদ্দের সভ্যতার চরম সফলতা সম্বন্ধে ভারতীয়দের মনে সংশয় জাগে যুরোপের সভ্যতা! কি কোনে! দিন একটি শাস্তি মাধূর্ধের মধ্যে সমাপ্তিলাভ করিবে এই প্রশ্ন কবির মনে উঠিয়াছে। অথবা, “কল যে-রকম হঠাৎ বিগড়ে যায় উত্তরোত্তর অতিরিক্ত বাম্প তাপ সঞ্চয় করে এঞ্জিন যেরকম সহসা ফেটে যায়, একপথবর্তা ছুই বিপরীতমুখী রেলগাড়ি পরস্পরের সংঘাতে ফেমন অকন্মাৎ বিপর্যস্ত হয়, সেই রকম প্রবল বেগে একট! নিদারুণ অপথাত সমাপ্তি প্রাপ্ত হবে?” মুবোপের সভ্যতা যে আজ কোথায় আসিয়! নিজেকে দাড় করাইয়াছে, তাহা আজ এত প্রকট স্পষ্ট যে রবীন্দ্রনাথের এই খষিবাক্য সম্বন্ধে প্রশ্নণকরিবার কিছুই নাই।

কিন্তু যুরোপীয় সভাতা। যতই মন্দ হউক, উহা স্ুনিশ্চিতভাবে আমাদের উপর আসিয়া পড়িয়াছে। স্তরাং আমাদের পক্ষ হইতে প্রাচীনকে কিয়ৎ্পরিমাণে ত্যাগ করিতেই হুইবে। কিন্তু ব্যাপারট। হইয়াছে এই যে, আমরা! প্রাচীনকে দৈনন্দিন জীবনের মধ্য হইতে বিদায় দিয়াছি, কিন্ত মনের ভাবের পরিবর্তন করিতে পারি নাই, মন বাধা আছে প্রাচীনের নিগড়ে আমর মহোৎসাহে প্রাচা প্রাচীনের জয়গান করিব, তাহাকে অনুসরণ করিব না; পাশ্চাত্য নবীনের নিন্দা কৰিব, কিন্ত তাহাকে অনুকরণ করিব রবীন্দ্রনাথের ভাষায় বলি, “তোমার আমার মতো লোক যারা তপন্ঠাও করি নে, হবিষা৪ খাই নে, জুতো মোজ! পরে ট্র্যামে চড়ে পান চিবোতে চিবোতে নিঘ্মমিত আপিসে ইস্কুলে যাই, যাদের আগ্ঘোপাস্ত তন্্তন্ন করে দেখে কিছুতেই প্রতীতি হয় না এরা দ্বিতীয় যাজ্জবন্ধ্য বশিষ্ঠ গৌতম জবুৎকারু বৈশম্পায়ন কিংবা! ভগবান কুষইৈপায়ন ; ছাজ্বুন্দ, যাদের বালখিঙ্গ্য তপন্থী বলে এ-পর্বস্ত কারে ভ্রম হয় নি; এক দিন তিন সন্ধা স্বান করে একটা হরিতকী দুখে দিলে যাদের তার পরে একা দিক্রমে কিছুকাল আপিস কিংবা কলেঞ্জ কামাই কর] অত্যাবশ্যক হয়ে পড়ে, তাদের পক্ষে রকম ক্রদ্ধচর্ধের বাহাড়ম্বর করা, পৃথিবীর অধিকাংশ উদ্যোগপরাক্ণণ মান্তজাতীয়ের প্রতি খর্ব নাসিকা সীটকার করা, কেবলমাত্র যে অদ্ভুত অসংগত হাশ্টকর তা নয়, কিন্ত সম্পূর্ণ ক্ষতিজনক |” লেখকের মতে প্রাণ মান -বক্ষার জগত নবীনের সহিত যোগ দিতেই হইবে, ক্ষুদ্র স্কৃত্র অবিচার লইয়া খু'তখুঁত করা নিরর্থক আধ্যযত্মিক পবিস্রভার জন্য আমাদের এই ব্যবহারকে, কৰি নাম দিয়াছেন, 'আধাব্মিক বাবুয়ানী__ ০০১৫-৬/০0110117655-এব অনুবাদ “অতিরিক বাহ্স্থখপ্রিছ্তাকেই বিলাসিতা বলে, আর অতিরিক্ত বাহপবিভ্রতা-প্রিয্তাকে আধ্যাত্মিক বিলাসিতা বলে।” লেখকের মতে 'সমাজদ্রীবনে সংকীর্ণতা এবং নিঞ্ীবতা অনেকটা পরিমাণে নিরাপদ? ; কারণ, “যে-সমাছে মানবপ্রক্কাতির সম্যক স্ফুতি এবং জীবনের প্রবাহ আছে, সে সমাজকে বিস্তর উপদ্রব সইতে হয় ।-.. যেখানে জীবন অধিক সেখানে স্বাধীনতা অধিক এবং সেখানে বৈচিত্রা অধিক। সেখানে ভালো মন্দ ছুই প্রবল |... সমাজ যতই উন্নতি লাভ করে ততই ভার দায়িত্ব এবং কর্তব্যের জটিলত1 বেড়ে উঠতে থাকে |... সবাঙ্গীণ মনুয্ুত্তের প্রতি ঘদি আমাদের শ্রস্কা বিশ্বাস থাকে তা হলে... কৌশলসাধ্য ব্যাখ্যা ছারা আপনাকে ভুলিয়ে কতকগুলো সংকীর্ণ বাহা সংস্কারের মধ্যে আপনাকে বন্ধ করার প্রবুত্তিই হয় না।” লেখকের আসল কথা এই যে প্রগতিধর্মে বাধা বিস্তর, মেহন্নতও হুস্তর; তাই বলিয়া পুরাতনকে আকড়াইয়া থাকিলে নৃতনকে পাওয়া যাইবে না। নৃতনকে নবীনভাবে গ্রহণ করিবার ময় আমিয়াছে। প্রাচীনের প্রতি যদি সত্যই শ্রদ্ধা বিশ্বাস অচলা থাকে, তবে তাহাকে যথানাধ্য অন্থলরণ করাই উচিত; কিন্তু দেখ। যায় লোকের সে শ্রস্ধ৷ নিষ্ঠার একান্ত অভাব-_ অথচ তাহাদের ভানের ভশিতার অন্ত নাই। ফলে লমাজজীবন দুর্বল, তাহার আদর্শ নিশ্রভ, এবং মানবচরিজ্ঞ চাতুনীপূর্থ হইতেছে। রবীক্জুনাথ স্পষ্টই বলিলেন, নিজীবতাকে সাধুতা অক্ষমতাকে সবশ্রেষ্ঠতার ভান করা নিরর্থক ; সময় আসিয়াছে যখন নবীনকে হ্বচ্ছন্দচিত্ে গ্রহণ করিয়া সবল সুস্থ মনোভাব পোষণ করাই প্রয়োজন।

কিন্ত নবীন বলিতে বুঝায় পাশ্চাত্য যুঝোপীয় জগৎ। এবার বিলাত হইতে পণ নৃতন অভিজ্ঞতা

৩০৮ রবীন্রজীবনী গ্ষ্টাৰ ১৮৯১

লইয়া! আপিয়াছিলেন। বিলাতকে মুগ্ধ নেত্রে দেখিবার বয়স এখন নাই; বারো বৎসর পূর্বে বিললাত-বাসকালে লিখিত পত্রধারার মধ্যে সমীজকে যে-দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখিয়া ছিলেন, তাহার সবিশেষ পরিবর্তন হইয়াছে বিলাতী সমাজের উপরিতলের মুষ্টিমেয় নরনারীর সুখের স্বাচ্ছন্দোর জন্য চরম চেষ্টাচালিত সভ্যতা-যন্ত্র কী নিদাকণভাবে বহকে পেষণ করিতেছে, এই কথাটি কবির মনে এবার বিশেষভাবে লাগিয়াছে। কিন্তু প্রকৃতির আইন অনুসারে, উপেক্ষিত ক্রমে আপনার প্রতিশোধ নেবেইশ (প্রাচ্য প্রতীচা, সমাজ ) বলিয়৷ যে ভবিযাদ্বাণী করিয়াছিলেন, তাহা কালের ইতিহাসে পূর্ণ হইয়াছে। ভায়ারির ভূমিকার শেষাংশে (প্রাচ্য প্রতীচ্য ) প্রধানত যুরোপীয়ও ভারতীয় নরনারীর সম্বন্ধ বিপ্লিষ্ট হইয়াছে তিনি লক্ষা করিয়াছেন বিলাতে নারীদের জীবনে পুক্ষের সহধমিতা সহযোগিতা হইতে সমকক্ষতা প্রতিযো গিতা-স্পৃহা উত্তরোত্তর বুদ্ধি পাইতেছে। উহা যে সমগ্র সমাজের কলাণকর হইতে পারে না, ইহ? এই প্রবন্ধাংশে বহুবিস্তারে আলোচিত হইয়াছে ভারতের নারীদের জীবনাদর্শের সহিত তুলনা মনে স্বভাবতই জাগিতেছে যুরোপীয় আদর্শে এতদ্দেশীয় নারীদের জীবন সংসারপিঞজবে আবদ্ধ, নিরানন্দমর | ববীন্দবনাথের প্রশ্ন পাশ্চাত্য দেশের “যে-সকল মেয়ে প্রমোদের আবর্তে অহনিশি ঘূর্ণামান কিংবা পুরুষের সক্ষে প্রতিযোগিতায় প্রবৃত্ত, কিংবা ছুটো-একট। কুকুরশাবক এবং চারটে পাচটা সভা কোলে করে একাকিনী কৌমাধ কিক বৈধব্য যাপনে নিরত, তাদের চেয়ে যে আমাদের অশ্থঃপুরচারিণীর। অস্রখী কথা আমার মনে হয় না। ভালোবাসাহীন বন্ধনহীন শূন্য স্থাধীনতা নারীর পক্ষে অতি ভয়ানক | কপি কথাটি নীতির দিক হইতে আলোচনা করেন নাই, তিনি জীবনের আদর্শ অভিপ্রায়ের দিক হইতেই কাট! তৃলিয়াছিলেন।

তবে পরিবর্তনটা যে কেবল প্রতীচা জগতে ঘটিতেছে তাহা নহে $ প্রাচা সমাজে ঘটিতেছে | “দেশের আথিক অবস্থার এমন পৰিবর্তন হয়েছে যে, জীবনযারার প্রণালী স্বতই ভিন্ন আকার ধারণ করছে 'এব” সেই স্বত্রে আমাদের একান্নবতী পরিবারু কালক্রমে কথঞ্চিং বিশ্লিষ্ট হবার মতো কোধ হচ্ছে সেই সঙ্গে ক্রমশ আমাদের স্্রীলোকদের অবস্থা- পরিবর্তন আবশ্বক এবং অবশ্ন্ঠাবী হয়ে পড়বে কেবলমাত্র গৃহলুষ্ঠিত কোমপ হৃদয়রাশি হয়ে থাকলে চলবে না, মেকদণ্ডের উপর ভর করে উন্নত উৎসাহী ভাবে স্বামীর পাগগারিণী হতে হবে। অতএব স্ত্রীশিক্ষা প্রচলিত না হলে বর্তমান শিক্ষিত সমাজে স্বামী স্ত্রীর মধ্ো সামঞ্র্থা নষ্ট হয়। আমাদের দেশে বিদেশী শিক্ষা গ্রচলিত হওয়াতে, ইংরেজি যে জানে এবং ইংবেজি যে জানে না তাদের মধো একটা জাতিভেদের মতো দাঁড়াচ্ছে, অত.এব 'অধিকাংশ স্থলেই আমাদের বরকন্তার মধ্যে যথার্থ অসবর্য বিবাহ হচ্ছে একজনের চিস্থা, চিন্তার ভাষা, বিশ্বাম এবং কাজ আর-এক জনের সঙ্গে বিস্তর বিভিন্ন ।” এইসব ঘুক্তি বার! রবীন্দ্রনাথ দেখাইলেন যে ভারতীয় সংস্কতি আমরা তাগ করিতে পারিব না এবং ইংরেজি শিক্ষা শিরোধার্ধ কবিরা লইতে হইবে আমরা ছুই বিপরীত শকির মধো দোদুলামান, উভয় শক্তিকেই স্বীকার করিয়া তাহাদের যপাযথ স্থান নির্দেশ করিতে হইবে ।১

হিতবাদী

উত্রবঙ্গে মাস দুই কাল অতিবাহিত করিয়া রবীন্দ্রনাথ কপিকাতায় ফিরিয়। আসেন বিজিতলার বাস!-বাটিতে জানদা- নন্দিনী দেবার কাছে। এই সময়ে পারিবারিক স্থৃতি' নামে যে-খাতাটিতে আত্মীয় বন্ধুরা মাপন মনের কথা, বিতর্কের বিষয়ে প্রবন্ধ লিখিতেন, তাহাতে রবীন্দ্রনাথের তিনটি প্রবন্ধ পাইতেছি- প্রথমটি ৪18] 9615০001)-এব লিয়ম (১৪ ফান্তুন ১২৯৭ ) আবা৭ একমাস পরবে (১৪ চৈত্র ১২৯৭ ) একই দিনে লিখিত--“ঘানির বলদ ষদি মনে করে' ঝুরোপ-যাত্রীর ডায়ারি চলিত বাংলায় গিখিত।

এটা ১৮৯১ হিতবার্দী ৩০৯

“মাচষকে দেখলে আমার অনেক সময় মনে হয়”১ বিলাত প্রত্যাগমনকালে ৬/৪118-6-109155175151) সম্বন্ধে গ্রন্থখানি পড়িয়া যেসব প্রশ্ন উঠে, এই রচনায় তাহারই আলোচন]।

আমাদের আলোচ্যপর্বে (১৮৯১) সাহিত্যিক মহলে “হিতবাদী' নামে এক সাপ্তাহিক প্রকাশের জল্পনাকল্পনা চলিতেছে আমরা যে-যুগের কথা বলিতেছি, তখন উল্লেখযোগ্য সাপ্তাহিক ছিল 'বঙ্গবাসী' (১২৮৮) “সরীবনী” (১২৮৮)। প্রথমথানি যোগেন্দ্রচন্দ্র বন্ধ -কর্তৃক-সম্পাদিত সনাতনীদের কাগজ-_ বাংলার হিন্দু গৌড়ামির প্রশ্রয়দাতা প্রচারক, দ্বিতীয়খানি সাধারণ ব্রাক্মদমাজের অন্ততম নেতা রুষ্ণকুমার মিভ্রের কাগজ-_ যাহা-কিছু পুরাতন তাহাকেই উহা! ভাঙিবার জন্ত উদ্যত মোট কথা, উভয় কাগজেই সর্ববিষয়ে আতিশয্য প্রকাশ পাইত। বাংলাদেশে যথার্থ সাহিত্যিক সাপ্তাহিক ছিল না) সেই অভাব মোচন করিবার জন্য 'হিতবাদী' প্রকাশিত হয়; উদ্‌যোগীরা কেবল সংবাদসাহিতা প্রকাশ করিবেন না, তাহারা সংবাদ সাহিত্য সরবরাহ করিবেন

১৮৯১ সালের গোড়ার দিকে 'হিতবাদী? প্রচারের জন্ত একটি যৌথ কারবার গঠিত হয়। নবীনচন্দ্র বড়াল, প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায় ৫**২ টাকা করিয়া দেন; ভূপেন্ত্রনাথ বহু, স্থরেন্ত্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডাঃ রাজেন্দ্রলাল দ্র, বৈকুগ্ঠনাথ সেন, সতোম্দ্রনাথ ঠাকুর, রবীন্দ্রনাথ, গগনেন্দ্রনাথ, জানকীনাথ ঘোষাল প্রভৃতি পনেরো! জন ২৫০২ টাকা করিয়া দিলেন; কয়জন ১০২ টাকা দেন। দ্বিজেজ্দ্রনাথ ঠাকুর নামকরণ করেন 29০০ দেন “হিতং মনোহারি ছুর্লভং বচং”। রবীন্দ্রনাথ তাহার বন্ধু শ্রীশচন্্রকে লিখিতেছেন “আমাদের হিতবাদ্দী বলে একখানি সাপ্তাহিক সংবাদপত্র বেকোচ্ছে। একটি বড় রকমের কম্পানি খুলে কাজে প্রবৃত্ত হওয়া যাচ্ছে ২৫,০*০২ টাকা মূলধন ২৫০ টাকা করে প্রত্যেক অংশ এবং একশ অংশ আবশ্যক | প্রায় অর্ধেক অংশের গ্রাহক ইতিমধ্যেই পাওয়া গেছে কুষ্ণকমল- বাবুকে (ভট্টাচার্ধ) প্রধান সম্পাদক, আমাকে সাহিত্যবিভাগের সম্পাদক এবং মোহিনীকে ( চট্টোপাধ্যায় ) রাজনৈতিক সম্পাদক নিধুক কর! হয়েছে বন্কিম, রমেশ দত্ত প্রভৃতি অনেক ভাল ভাল লোক লেখায় যোগ দিতে রাজি হয়েছেন ।”২

কর্তবা ঘাড়ে পড়িলে রবীন্দ্রনাথ সে-কার্ধ অতান্ত নিষ্ঠার সহিত করেন। হিতবাদীর সাহিত্য-সম্পাদক হইয়া তিনি প্রতি সপ্তাহে একটি করিয়া ছোটগল্প লিখিয়! দিতে লাগিলেন ; বোধ হয় ছয় সপ্তাহে ছয়টি লেখেন।* ছোটগল্প রচনায় যথার্থভাবে হিতবাদীতেই রবীন্দ্রনাথের হাতে-খড়ি ; ইহাব পূর্বে ষে-ছুইটি ছোটগল্প লেখেন__ ঘাটের কথা” 'রাজপথের কথা, তাহাদিগকে গল্প বল! যায় না, গল্পের আভাস মাত্র বলা যাইতে পারে।* জমিদারি দেখা উপলক্ষে নানা রকমের লোকের সঙ্গে মেশার সুযোগ হয় এবং সেই থেকেই... গল্প লেখা সুরু হয় ।”* 'মুক্থট”, “বৌঠাকুরানীর হাট', “বাজধি'র মানুষগ্ুলি কবিকল্পনার মানুষ অথব| ইতিহাসের মানুষ, তাহার চোখে-দেখা মানুষ তাহারা নয়,

পারিবারিক শ্বৃতি। প্রীপুলিনধিহ্ারী সেন, শারদীয়া আনন্দ বাজার পত্রিকা ১৩৫২, পৃ ৯-১৬।

বিশ্বভারতী পত্ধিকা, প্রাণ ১৩৪৯, পু ৩*।

রবীন্রনাথের প্রথম গল্পসংগ্রহ, 'ছোট গল্প' প্রকাশিত হয ১৩০* সালে। এই গ্রন্থে রাজপথের কথা' ঘাটের কথা' ছোট গজ বলিয়া! স্বীকৃতি লা কয়ে। ১৩১১ সালে ছিতযাদী সংস্যয়ণ রবীন গ্রস্থাবলীতে “বিচিত্র চিত্র' অংশে ইহার! স্থান লাভ করে। কিন্তু ১৩১৩ সালে 'রাজপথের কথা' ছোটগজ হইতে স্থানচাত হইয়! "বিচিত্র প্রবন্ধ '-এর মধ্য স্থান প্রাপ্ত হয়। 'ঘাটের কখা' সকলে ভুলিয়া! গেল। বহুকাল অজ্ঞাতবাসের পর বিশ্বভারতী সংস্করণ 'গ্গুচ্ছ' (১৩৩৩) প্রথম খণ্ডে উতয় গঞ্জই সর্ধাগ্র অধিকার লাভ করিয়া ুজ্রিত হইল। এই গল্প ছইটি সন্ধদ্ধে পূর্বে ধখাস্থানে আলোচিত ইইয়াছে।

রিপগ কলেজের অধ্যাপক জিতেজলাল হচ্দোপাধ্যায়ের সহিত শাত্তিনিফেতনে সাক্ষাৎ সন্ধে তাহাকে রবীন্দ্রনাথ বলিয়াছিলেন-- ১৯ বৈশাখ ১৩১৬ (২ মে ১৯*৯ ]-- জিতেজরলাল বন্দ্যোপাধ্যায়, শান্তিনিকেতনে রবীন্নাথ, হুপ্রভাত, বণ ১৩১৯

৩১৪ রবীন্দ্রজীবনী খ্রীষ্টাব্দ ১৮৯১

তাহার! কল্পনার স্ই জীব। বাস্তবের সহিত কবির পরিচয় হইয়াছে এতদিনে পদ্মাতীরে বাসকালে মানুষের সহিত তাহার ঘনিষ্ঠ পরিচয় ঘটে। জমিদারি পরিচালনা করিতে আসিয়া তিনি বাস্তব জগতকে স্বচক্ষে দেখিলেন।, অমীম কল্পনাশ্রয়ী মনে বাস্তবের যেটুকু ছায়াপাত হুইয়াছিল তাহারই প্রতিক্রিয়ায় ছোটগল্পের সুষ্টি। হিতবার্দীতে ছয়টি গল্প বাহির হয়-_ দ্েনাপাওনা, গিন্গি, পোস্টমাস্টার, তারাপ্রসন্নের কীতি, ব্যবধান এবং রামকানায়ের নিরুদ্ধিতা। প্রতোকটি গল্পের উপাদান পরিচিত জগৎ হইতে সংগৃহীত। “পোস্টমাস্টারে'র কথা ছিন্নপত্রে আছে ( ফেব্রুয়ারি ১৮৯১ ২৯ জুন ১৮৯২)। “শিন্রি? গল্পের কথা তিনি জীবনস্থৃতিব প্রথম খসড়ায় বিকৃত করিয়াছিলেন; নর্ষাল স্থলে যে-শিক্ষকের প্রশ্থের উত্তর রবীন্দ্রনাথ দিতেন না, সেই হরনাথ পণ্ডিত ক্লাসের ছেলেদের অদ্ভূত নামকরণ করেন। 'গিক্সি' নামক গল্পে তাহাই লিপিবদ্ধ করেন। কালে পারিপার্থিকের পরিবর্তনে, তাহার ছোটগল্পের প্রকুতিরই বদল হইয্বা। ঘায়, তাহ] তাহার গল্প-সমালোচকগণ অবশ্যই লক্ষ্য করিয়া! থাকিবেন। শেষজীবনেই তিনসঙ্গী গল্প লেখা সম্ভব হয়। তখন “ছুটি” 'কাবুলিওয়ালা'-যুগের পট পরিবর্তন হইয়া গিয়াছিল।

হিতবাদীর সহিত রবীন্দ্রনাথের সম্বন্ধ মাস দেড়েকের বেশি ছিল না; কর্মকরতাগণের ফব্রমাশ হইয়াছিল যে গল্পগুলি আরোও লঘুভাবে লিখিলে ভালো হয়। তাহারা সাপ্তাহিকের জন্য বোধ হয় হাপকা গল্প চাহিয়াছিলেন। রবীন্দ্রনাথের ন্যায় আর্টিস্টের পক্ষে করুমাইশি গল্প লেখা অসস্থব ; অল্পদিনের মধ্যে হিতবাদীর সহিত সধন্ধ ছিন্ন হইল।

হিতবাদীর জন্ত গল্প রচনা ছাড়া প্রবন্ধাদ্িও লেখেন একটি প্রবন্ধের নাম হিল 'অকালবিবাহ' | মুরোপ যাত্রীর ভায়ারির ভূমিকাব্দপে যাহা তিনি চৈতন্থা লাইব্রেরিতে পান করেন তাহাতে বহু সামার্গিক পপ বিশেষভাবে প্রাচ্য প্রভীচা নারীসমাজ্ের তুলনামূলক আলোচনা ছিল। নারীসমাজের আলোচনার অন্যতম প্রধান বিষয় হইতেছে বিবাহ হিতবাদীতে “'অকালবিবাহ+ প্রবন্ধে তাহারই আলোচনা ছিল। মেয়েদের অল্পবয়মে বিবাহের বিকুদ্ধে বহু আলোচনা ইতিপূরবে “হিন্দুবিবাহ' প্রবন্ধে হইয়] গিয়াছিল। অকালখিধাহ বলিতে যে কেবল মেয়েদের অসমস্ধে বিবাহ বুঝায় তাহা নহে, পুরুষদের পক্ষেও অকালবিবাহ সম্ভব) সেটা কেবপ বাশকবঘসে বিবাই নহে আথিক স্বাধীনতা লাভ না করিয়া বা উপার্জনক্ষম না হইয়া বিবাহ্ছত্রে আবদ্ধ ইওয়াকে অকালবিবাহ বলা যাইতে পারে। একান্নবতী পরিবারে উপার্জন-অক্ষম কোনো-কোনো ব্যক্তির বিবাহ কর] দৃষণীয় সহে। কিন্তু যেখানে নানা আখিক মানদিক কারণে একান্নবতী পরিবার প্রথা প্রায় উচ্ছেদ হইয়া! আসিয়াছে, সেখানে বুত্তিহীন যুবকের পক্ষে বিবাহ যুক্তিমংগত নহে, কারণ পরিবার-পোষণের সামর্থা তাহার তথনো হয় নাই! এই অকালবিবাহের ফলে যুবকদের ২৮ তাক ১১১৭ তারিখে পন্মিনীমোহন নিয়েগীকে লেখেন-_ পহিতবানী কাধজে প্রতি সপ্তাঙ্থে আমি ছেটগল্প, দমালোচনা প্রবন্ধ লিখিতাষ আমার ছোটগল্প লেখার শুক্রপাত এখানেই | ছয় দপ্তাহকাল লিখিয়াছিলাম 1” ব্রকেম্্রনাথ বন্দোপাধ্যায়, রবীন গ্রন্থ পরিচয় (২য় সং)পৃ১৩। ছিতবা্দী প্রকাপিত হয় ১১ স্কোষ্ট ১২৯৮ €৩* মে ১৮৯১)। প্রথম গর-_ তারিখে, দেশা পাওনা ১য় গল্প-- পোস্টমাস্টার ২৪ ছোঠ (৬ জুন )। ওয় গলপ-_ গ্িশ্রি ৩১ "ষ্ঠ (১৩ জুন )। ৪র্থ গল্প__ রামকানলাইয়ের নিবুদ্ধিতা আমাঢ় (২ জুন) ৫ষ গল্প ঝাবধান-- ১৪ আধাড় (২৭ জুন)। *ঠ গঞজস-_ তারাপ্রসন্্রের কীতি, ২১ আধাড় (৪ জুলাই ১৮৯১)। জর গরপুপিনবিষ্কারী সেন -কুভ তথাপত্রী : প্রীপ্রষখন।ধ বিশী, রধীজানাধের ছোটগজ (পরিশি্ )। ডে. গল্পগচ্ছ ৪। গ্রন্থপরিচয় অংশ". সজনীকাশ্ দান অনুমান করেন, “থ।তা গ্পটিও বেদ হয় হিতবাদীতে সপ্তম সপ্তাহে বাহির হয়” আমাদের মতে হিতবাদীর জনয গল্পটি লিগিত হইয়াছিল হয়তো, কিন্তু প্রকাশিত হয় নাট ১৩** সালের ফাল্গুন মাসে এগুলি 'ছোটগঞ্জ' [ প্রথম গলসংপ্রহ ]ভুকত গ্রন্থে প্রকাশিত হয়। চৈতন্ঠ লাইব্রেরী গৌরহরি সেন ফেব্রুয়ারি ১৮০৯, ৮৩ বীচন ম্টী'টর বান্ডিতে গ্রন্থাগার আর্ত করেন এখন ৪1১ বীডন ক্রাটে অবস্থিত। ১৯৪৮ সালে ইহার হীরক জয়ী অনুষ্ঠিত হয়। এই লাঠরেরীতে ১৮৯ সালে খিজেন্্রন।ণ ঠাকুর "আর্য ধর্ম সাহেবিআনা' পীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ করেন। ১৮৯১ সালে রবীন্দ্রনাথ রুরোপবাত্রীর ডায়ারি নঙ্বন্ধে প্রবন্ধ পড়েন। সেদিনের সভায় গুরুদাস বল্যোপাধ্যাঘ় সভাপতি ছিলেন। স্৭ 09105755 17101015, 01512500100 7051011666৪, 161016 101 1889-19481

ধ্ীষ্টাৰ ১৮৯১ হিতবাঙ্গী ৩১১

পক্ষে সকলপ্রকার নৃতন দাত্রিত্বপূর্ণ কার্ধভার গ্রহণ করা অসস্তব হইয়া! দাড়ায়; এক কথায় তাহাদের সকলপ্রকার উদ্যোগ নষ্ট হইয়া যায়। বিবাছের ষে নানা দিক আছে, তাহা! ববীন্ত্রনাথ সম্যক প্রকাবে এই প্রবন্ধে আলোচন! করিতে পারেন নাই বহু বৎসর পরে “ভারতবর্ধীয় বিবাহ শীধক প্রবন্ধে এই কঠিন বিষয়টির সম্যক আলোচনা করেন।

আমাদের মনে হয়, রবীন্দ্রনাথ কয়েকদিন পূর্বে চন্দ্রনাথ বনস্থকে বিবাহ সম্বন্ধে কোনে পত্র দেন; তাহারই উরে চন্দ্রনাথ তাহাকে লেখেন, “হিতবাদীতে এই বিষয়টার আলোচনা কর-না কেন? তোমার সমালোচনাগুলির পারিপাটা দেখিয়া বড়ই আনন্দলাভ করিতেছি তোমার সকল কথ! আমি অনুমোদন করি না সত্য ।”১ ইহার পরই বোধ হয় শ্রাবণের গোড়ার দ্দিকে 'অকালবিবাহ” প্রবন্ধ হিতবাদীতে প্রকাশিত হয়। চন্দ্রনাথ আলোচন। পড়িয়া সন্তষ্ট হইতে পারেন নাই উভয়ের মধ্যে এই লইয়া পত্রবিনিময় হয়।২ একখানি পত্রে চন্দ্রনাথ বলিয়াছিলেন যে, রবীন্দ্রনাথের লেখায় “মুরোপীয় ছাচের প্রক্কৃতি' দেখ! যায়। রবীন্দ্রনাথ পত্রোত্তরে বলেন ঘষে, বিষয়ে “নিরপেক্ষ সিদ্ধান্তের সময় এখনো! উপস্থিত হয় নাই। কারণ, আজকাল আমরা যেন একটি যুগপরিবর্তনের সন্ধিস্থলে দণ্ডায়মান আছি। প্রত্যেককেই স্বতন্ত্র বল্লাল সেন হুইয়] উঠিয়া নিজ নিজ ঘরগড়া! আদর্শ অনুসারে হিন্দু-অহিন্দু শ্রেণী নির্ণয়-পূর্বক তাহাই কেবল গলার জোরে দেশের লোকের উপর জারি করিবার চেষ্টা করিতেছি আশ্চর্য নাই কালক্রমে পরিবর্তনবিপ্রব শান্ত হইয়া! বৃদ্ধি স্থির হইলে দেখা যাইবে হিন্দুপ্রকৃতির সহিত ফুরোপীয় প্রকৃতির তেমন বিরোধ নাই, কেবগ বর্তমানকালের -হীনদশাগ্রন্ত ভারতের নির্গাব গৌড়ামি কিন্ভুতকিমাকার বিকৃত হিন্দুয়ানীই যথার্থ অহিন্দু |”

নিরপেক্ষভাবে বিচার করিলে দেখা যাইবে যে চন্দ্রনাথের বিশ্লেষণ আংশিকভাবে সত্য | ববীন্রনাথ স্বয়ং কিছুদিন পূর্বে প্রমথ চৌধুরীকে এক পত্রে লিখিয়াছেন, “আমার ভারতবর্ষীয় শান্ত প্রকৃতিকে স্কুরোপের চাঞ্চল্য সর্বদা আঘাত করছে-_ সেইজন্তে এক দিকে বেদনা আর-এক দিকে বৈরাগ্য এক দিকে কবিতা আর-এক দিকে ফিলজাফি। এক দিকে দেশের প্রতি ভালবাসা আর এক দ্বিকে দেশছিতৈযিতার প্রতি উপহাস” কবির এই ছৈতভাব মানুষের সহজাত সম্পদ, ইহারা বিপরীত বা বিরুদ্ধ নহে; ইহারা যেন কাপড়ের কল্কাপাড়, পটের ছবি, হাতের এ-পিঠ ও-পিঠ-_ অচ্ছেস্ভভাবে ইহাদের অস্তিত্ব ইহ কাল্পনিক সমন্বয় নহে; ইহা জীবনের সাবিক সার্থক বূপ।

১২৯৮ সালের গ্রীশ্মের কযসটা মাস কলিকাতায় কাটাইয়! বর্ধারস্তে কৰি পুনরায় উত্তরবঙ্গের জমিদারিতে আসেন) আধাঢ় মাসট! নদীতে নদীতে সাহাজাদপুরের কুঠিব সামনে নৌকায় কাচিত। নৌকায় থাকেন সেখান হইতে কাজকর্ম করিতে কুঠিতে যান। জমিদারির কাজ-দেখা বলিতে বুঝায় নানা ব্যাপার-_ কখনে! অত্যাচারী কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রজাদের অভিযোগ, কখনো-বা উদ্ধত প্রজার বিরুদ্ধে কর্মচারীদের অভিযোগ এইসব শোনা মীমাংসা করা ছিল প্রধান কাজ; এ-ছাড়া সেবেস্তার কাজকর্ষও দস্ভরমতো! দেখিতে হয়; ববীন্্নাথের কোনোটাতেই ক্লান্তি নাই। নৃতন অভিজ্ঞতা অর্জনে তাহার আনন্দ

জমিদার, লেখক, কবিসত্তা ছাড়া রবীন্দ্রনাথের আর-একটি সন্ত! আছে-- সংসারী ববীন্ত্রনাথের | সাহাজাদপুব বাস- কালে মৃণালিনী দ্বেবীকে লিখিত এই সময়ের তিনখানি প্র পাই ; স্ত্রীর জন্ত কী ছুশ্চিন্তা। লিখিতেছেন-__ “আজ আমার প্রবাসের ঠিক একমাস হল। আমি দেখেছি যদ্দি কাজের ভীড় থাকে তা হলে আমি কোনমতে একমাস কাল বিদেশে কাটিয়ে দিতে পারি। তার পর থেকে বাড়ির দিকে মন টানতে থাকে |” এই পত্রেই স্ত্রীর হ্বাস্থ্যের জন্ত পত্র ১৭ আধাড় ১২৯৮। বিখভারতী পত্রিকা, বৈশাখ-জাধাড় ১৩৫১, পূ ৪২৯।

চিঠিপত্র ২১ জাবণ ১২৯৮। পারিবানজিক স্ৃতি-পৃণ্তকে পত্রখানির অনুলিপি ছিল। বিশ্বভারতী পত্রিকা, কাতিক-পৌধ ১৩২১, পৃ ১৬৭-৮। চিঠিপত্র ৫1 পত্র৬ | ১৭ মাঘ ১২৯৭ [২৯ জানুয়ারি ১৮৯১ ]।

৩১২ ববীজ্জীবনী গ্রষ্টাৰঝ ১৮৯১

উদ্বেগ প্রকাশ করিয়া লিখিতেছেন, “ছুবেল! খানিকটা করে ছাতে পায়চারি করে বেড়াচ্ছ কি না আমাকে বঙ্গ দেখি এবং অন্তান্ সমস্ত নিয়ম পালন হচ্ছে কি না, তাও জানাবে আমার সন্দেহ হচ্ছে তুমি সেই কেদারাটার উপর পা ছড়িয়ে বসে একটু একটু করে পা দোলাতে দোলাতে দিব্যি আরামে নভেল পড়ছ। তোমার যে মাথা ধরত এখন কি

রকম আছে?

জমিদারি সফর : উত্তরবঙ্গে

হিতবাদীতে গল্প লেখার পালা কিভাবে শেষ হইয়াছিল, তাহার কারণ আমর ইতিপূর্বেই বলিয়াছি ; ফরমাইশি গল্প বা উদ্দেশ্ট উপদেশমূলক কাহিনী বচনাকে কবি সাহিত্যস্থ্টি বলিয়া স্বীকার করিতেন না। তাই তরুণ সাহিত্যিক হুরেশচন্দ্র সমাজপতি তাহার নৃতন মানিকপত্ত্র 'সাহিতা'-এর জন্য রচনা চাহিলে রবীন্দ্রনাথ যে-ছৃইটি বাঙ্গ-কৌতুক লিখিয়া পাঠাইয়া দিলেন, তাহা হিতবাদদীর পরিচালকগণের মনোভাবের প্রতুযুন্তর বলিয়া মনে হয়। লেখার নমুনা? প্রত্বতত্ব 'সারবান সাহিত্য" মীমাংসা" প্রভৃতি পাঠ করিলে পাঠকগণ দেখিবেন এই ব্যঙ্গ শ্লেষ কাহাদের উপর প্রযুক্ত হইয়াছিল 'প্রত্বতত্ব' রচনাটি বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম বাদীদের বাঙ্গ সমালোচনা

আমাদের মনে হয় এইবার নৌকাবাসকালে ছিন্নপত্রাৰলী"র মধ্যে মনের বিচিত্র ভাবনা যেমন বার করিতেছিলেন, তেমনই বর্ষারস্সে মেঘদৃত'২ সম্বন্ধে একটি প্রবন্ধে মনের কথা! লিপিবদ্ধ করিলেন। এই প্রবন্ধ লিখিবার প্রতাক্ষ কারণ “সাহিত্য' পত্তিকায় তকণ সম্পাদক স্থরেশচন্দ্ের 'মেঘদূত'ৎ কাবোর যে-এক দীর্ঘ সমালোচনা প্রকাশিত হইয়াছিল তাহা পাঠ করিয়া রবীন্দ্রনাথের মনে যে কথাগুলি আসে, তাহ প্রবন্ধাকারে লিখিয়াছিলেন ; একটি বিষয় লক্ষণীয় সুরেশচন্দ্রের প্রবন্ধশেষে বৈষ্ণব কবিদের কথা উদ্ধৃতি আছে-_ ববীন্দ্রনাথ৪ সেইভাবে উপস'হার করিয়াছেন তাই বলিতেছিলাম “মেঘদূত' ক্ষুদ্র প্রবন্ধ লিখিবার প্রেরণা পাইয়াছিলেন স্থরেশচন্দ্রের দীর্ঘ সমালোচনা প্রবন্ধ হইতে

সাহিত্যন্থষ্টি নাই বলিলেই চলে-_ কোনো পত্রিকার চাহিদা নাই, সম্পাদকের ভাগিদ নাই-- হিতবাদীর সহিত সম্বন্ধ নাই জমিদারির কাজকর্ম করিয়া যে স্ময় পান, পড়ান্খজনা করেন, আর তার পর পত্র লেখেন। যাহ দেখেন, যাহা ভাবেন, তাহাই লেখেন অনেকটা ডায়ারির মতে পন্র লেখাটা উপলক্ষ মার নির্জনে চবের মধো নৌকাবানকালে প্রকৃতিকে অস্তর দিয়া দেখিবার দেনন্দিন কাজের ভিতর দিয়া মাহধকে গভীরভাবে বুঝিবার যে-অবসর লাভ করেন তাহা জীবনে বা সাহিত্যে বার্থ হয় নাই | দৃশ্বমান জগতের ক্ষ ঘটনারাজি একজন ম্পর্শচেতন কবির চিত্তমাঝে কতভাবে ছায়া মায়া সৃষ্টি করিতে পারে তাহ] 'ছিন্নপরাবলী” পড়িপেই জান! যায়;

১. চিঠিপত্র ১। পত্র ৮।

মেধদূত। সাহতা, অগ্রহায়ণ ১২৯৮ পৃ ৩১৪-৬৮। প্রাচীন সাহি ঠা রবীঞ্জ রচনাবলী «, পু৫*৮ | এখানে মূল প্রবন্ধ সংক্ষেপিত। সাহিতো-".

( পৃ ৩৬৪ ) আছে “আমি হতিপূর্বে মেঘদুত সম্বন্ধে একটি প্রবন্ধ লিখিয়াছি” সেটি কোন্‌ প্রবন্ধ? 'প্রাচীন সাহিত্যে এই পঞ্ঠ কিটি বজিত। শান্তিনিকেতন হইতে ১১ জৈোষ্ঠ ১২৯৭ [২৪ মে ১৮৯* ] প্রশ্ণণ চৌধুরীকে যে-পত্র লেখেন হাতে “মেঘদূত' সম্বন্ধে দীর্ঘ আলোচনা! আছে

সেইটি কি কোগাও গ্রস্থাকারে প্রকাশিত হইয়াছিল? মেধদুত বর্ধার কবিতা, গান প্রবন্ধাদি লইয়। একটি গবেষণাপূণ প্রবন্ধ লিখিত হইবার

অপেক্ষার আছে।

নাহিত্া, তাত্র ১২৯৮ পৃ ২*৫-২১।

ছিন্লপত্রাবলী পত্র ১৯-২৬। চুহালি জলপধে, ১৬ হুন ১৮৯১। ঢুহালি__ ১৯ জুন জলপণে_ সাহাজাদপুর-- ২* জুন। সাহাজাদপুর--

২২ জুন। সাহাজাদপুর-- ২৩ জুন। সাহাজাদপূর-- [২£) জুন দুটি গল্পের পটছুমি। সাহাজ্াদপুর -. [২৮] জুম-_ একটি হপ্সের কথ! আছে।

সাহাজাদপুর-_ শনিবার, জুলাই ১৮৯৩ [২১ আমাঢ় ১২৯৮ ]।

শ্রীষ্টান্ষ ১৮৯১ জমিদারি সফর : উড়িস্যায় ৩১৩

কিন্তু চলত্ত দৃশ্টের অনেকখানিই অবচেতনের গভীরে তলাইয়া যায়; বাছিবের আঘাতে-অভিঘাতে তাহারা কবির চিকপটে উদ্ভাসিত হইয়া সাহিত্যের ব্বপরেখায় প্রাণ পায়। এই নদ্দীপথের গ্রাম্য সংসারের বহু দৃশ্ট ঘটনা 'সাধনা'র যুগে গল্পমধ্যে রূপ লইয়াছিল।

জমিদারি সফর : উড়িস্যায়

উত্তরবঙ্গ হইতে কলিকাতায় ফিরিবার অনতিকাল মধ্যে ববীন্্রনাথকে অকম্থাৎ উড়িস্যার জমিদারি তদারক করিবার জন্ত যাত্রা করিতে হইল উড়িস্তায় ঠাকুরপরিবারের জমিদারি পত্তন করেন স্বারকানাথ। তাহার মৃত্যুর পর তাহার তিন পুত্র দেবেন্দ্রনাথ, গিরীন্দ্রনাথ নগেম্ত্রনাথ সমস্ত সম্পত্তির মালিক হুল। নিঃসন্তান নগেন্্নাথের মৃত্যুর পর তাহার বিধবা পত্বী ত্রিপুরাহ্থন্দরী দেবীর সঙ্গে দেবেস্রনাথের এক স্থলেনাম। হয়, যাহার ফলে তরিপুরানুন্দরী মহহির নিকট হইতে জীবনভর এক হাজার টাকা মানিক মাসহারা1 এবং এন্টালি অঞ্চলে একখানি বাড়ি লইয়! ঠাকুরবাবুদের পৈতৃক সম্পন্তিতে নগেন্্রনাথের এক-তৃতীয়াংশের দকণ সমস্ত দাবিদাওয়া মহর্ষি বরাবর দিয়া দেন। পরে গিরীন্দ্রনাথের মৃত্যু ঘটিলে তাহার উত্তরাধিকারীরা অর্থাৎ গগনেম্দ্রনাথ-প্রমুখ ভ্রাতৃত্রয় আপসে জমিদারি ভাগ করিয়া লন। কিন্তু সমস্তই এজমালিতে ছিল; মেই এজমালি সম্পত্তির কিয়দংশ ছিল পাওুয়ায়, উড়িস্কা প্রদেশে কটকেন্ন কাছে। প্রসঙ্গত জানাইতেছি, উড়িয্বা তখন বঙ্গদেশের অন্তর্গত বিভাগ

সে-যুগে উড়িস্যা যাইবার রেলপথ নিমিত হয় নাই; কলিকাতা হইতে খালে খালে নর্দীতে নদীতে যাইবার পথ। অগস্টের শেষ দিকে বা ভাদ্রমাসের মাঝামাঝি (১২৯৮) সময়ে কটক চলিয়াছেন; হ্রিমারে ভাহাকে যেব্ধূপ কষ্ট সহ করিতে হইয়াছিল, তাহার একটি হন্দর বর্ণনা ছিন্্পত্রের মধ্যে আছে। কিন্তু কেন তাহাকে এত কষ্ট শ্বীকার করিতে হইয়াছিল, তাহার কারণ কিছুই বলেন নাই কটকে হঠাৎ এইভাবে উপস্থিত হওয়ার জন্য বীবেন্ত্রনাথের সহপাঠী 'মোটামোটা বধিষু। চেহারার” উকিল হবিবল্লভবাবুর নিকট কবি তিরস্কত হন। “কারও পরামর্শের অপেক্ষা না রেখে অকম্মাৎ অসময়ে এখানে আসা সম্বন্ধে আমার বালকোচিত বিবেচনার উল্লেখ করলেন ।** যাহা হউক, পরদিনই নৌকাষোগে তিরন রওনা হইয়া গেলেন “বালিয়ার ঘাটটি বেশ দেখতে ছুই ধারে বেশ বড় বড় গাছ; সবস্থস্ধ খালটা দেখে সেই পুনার ছোট নদীটি মনে পড়ে ।--. এই খালটাকে যদি নদী ব'লে জানতুম তা হলে ঢের বেশি ভালো লাগত।” বেলা চারটের সময় তারপুরে পৌছাইয়া পালকি চড়িঙা অর্ধরাত্রে পাওুয়ার কুঠিতে আসিয়া উত্তীর্ণ হইলেন। ছিবনপত্রে অতি বিস্তৃতভাবেই এই যাত্রাপথের বর্ণনা আছে ।*

এই পাতুয়াৰ কুঠিতে কবি সপ্তাহথানেক ছিলেন। পৌছবার ছুই দ্বিন পরে লিখিতেছেন, "অনেকদিন পরে কাল মেঘবুষ্টি কেটে গিয়ে শরতের সোনার রোদ্ছুর উঠেছিল। পৃর্থিবীতে থে বোদ্ছুর আছে সে কথা ফেন একেবারে ভুলে গিযেছিলুম ; হঠাৎ যখন কাল-.. বোদ্ছুর ভেঙে পড়ল তখন যেন একটা নতুন জিনিস দেখে মনে অপূর্ব বিশ্বের উদয় হল। দিনটি বড় চমৎকার হয়েছিল ।... খুব একটা নিঃঝুম নিম্তন্ধ নিরালা ভাব ।& এই নিরালায় বসিয়! কবি তাহার অমর নাটাকাব্য “চিত্রাঙ্গদা'রন প্রথম খসড়া গ্রত্তত করিলেন (২৮ ভাদ্র ১২৯৮)। "এই কাহিনীটি কিছু বপাস্তর নিয়ে অনেক দিন আমার মনের মধ্য প্রচ্ছন্ন ছিল। অবশেষে লেখবার আনন্দিত অবকাশ পাওয়া গেল

ছিরপত্রাবলী পত্র ২৭। কটকাভিমুখে জলপথে অগস্ট ১৮৯১ ছিন্গপঞ্জাধলী | পত্র ২৮1 সেপ্টেম্বর ১৮৯১। ছ্বি্পত্রাবলী পঞ্জ ২৯। সেপ্টেম্বর ১৮৯১। ছিরপঞ্রাবলী পত্র ৩1 » সেপ্টেম্বর ১৮৯১। |.

৩১৪ ববীন্দ্রজীবনী খরীষ্টাব্জ ১৮৯১

উড়িগ্তায় পাওুয়! বলে একট] নিভৃত পল্লীতে গিয়ে ।”১ পূর্বব্সর “অনঙ্গ আশ্রমে”র পরিকল্পনা আসে (৮ আঘাঢ় ১২৯৭ )। বাহিরে চলাফেরাতে সাধারণ লোককে যে-পরিমাণে চঞ্চল করে, রবীন্দ্রনাথের মন সে-পরিমাণ উদ্বেলিত হয় না। তাহার মন স্বন্দরের পিয়াপী__ লিত্যনব শোভা, নিতানৃতন পরিচয় তাহাকে নব নব স্ষ্টিতে উদ্বেলিত করে। ঝড়ে ঝঞ্ায় নদীবক্ষে রেলপথের কর্মকোলাহলের মধ্যে তাহার চিত্ত একটি শাস্তপদকে আশ্রয় করিয়া থাকে, সেই শাস্তির “মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন সৃষ্টকার্ধ সকলের অগোচরে চলিতে থাকে ; বরং নূতন পারিপাহ্থিকের বুঢ অভিঘাতে অন্তরের শতদলকোরক প্রশ্দুটিত হইবার অবকাশ পায়। ছিন্নপত্র পাঠ করিলে দেখা যায় যে, একটি গম্ভীর সৌন্দর্যছ্যতি তাহার মনকে স্তব্ধ মুর শাস্ত আনন্দে পূর্ণ করিয়া রাখিয়াছিল। উড়িস্যা হইতে ফিরিয়া আবার উত্তরবঙ্গে আসিয়াছেন-_ এবার নো'কায় শিলাইদহের ঘাটে বিচিত্র চিন্তাধারা পল্মার জলধারার স্বায় মনের উপর প্রবহমান। অস্তরে-বাহিরে বিচিত্রের পুলকিত অনুভূতি তিনি লিখিতেছেন, “পৃথিবী যে কী আশ্চর্য স্বন্দরী এবং কী প্রশস্ত প্রাণ এবং গভীর ভাবে পরিপূর্ণ তা এইখানে না এলে মনে পড়ে না। যখন সন্ধ্যেবেলা বোটের উপর চুপ করে বসে থাকি, জল স্তব্ধ থাকে, তীর আবছায়া হয়ে আসে, এবং আকাশের প্রান্তে স্র্যান্তের 'দীপ্বি ক্রমে ক্রমে জান হয়ে যায়, তখন আমার সবাঙ্গে এব" সমস্ত মনের উপর নিম্তক্ধ নতনেত্র প্রকৃতির কী- একটা বু উদার বাক্যহীন স্পর্শ অনুভব করি কী শাস্ি, কী স্ত্েহ, কী মহত্ব, কী অসীম করুণাপূর্ণ বিষাদ !.. কেবল মৌলবীটা পাশে প্রাড়িয়ে অবিশ্রাম বক্‌ বক্‌ করে আমাকে বাধিত করে তোলে ।”* ক্মার-এক দিন লিখিতেছেন,* “পৃথিবীতে জানলার ধারে একলা বলে চোখ মেলে দেখলেই মনে নতুন নতুন সাধ জন্ায় _ নতুন সাধ ঠিক নয়, পুরোনো সাধ নান] নতুন মৃতি ধারণ করতে আবস্ত করে” একটি মাঝিকে একখানি জেলেডিডিতে একলা দা বাহিয়া গান করিয়া যাইতে দেখিয়া ছেলেবেলায় পদ্মার একটি স্বতি মনে পড়িল, সেহ প্রসঙ্গে নিখিতেছেন, “হঠাৎ মনে হল, আবার যদি জীবনট! ঠিক সেইদিন থেকে ফিরে পাই! আর-একবার পরীক্ষা করে দেখা যায়-_- এবার তাকে আর তৃষিত শুষ্ক অপরিভৃপ্ত করে ফেলে রেখে দিই নে__ কবির গান গলায় নিযে একটি ছিপ্ছিপে ডিডিতে জোয়ারের বেলায় পৃথিবীতে ভেসে পড়ি, গান গাই এবং বশ করি এবং দেখে আসি পুথিবীতে কোথায় কী আছে; আপনাকে একবার জানান দিই, অন্যকেও একবার জানি; জীবনে যৌবনে উচ্ছ্বসিত হয়ে বাতাসের মতো একবার হু হু করে বেড়িয়ে আসি, তার পরে ঘরে ফিরে এসে পরিপূর্ণ প্রকুল্ল বার্কা কবির মতো কাটাই 1... উপবাস করে, আকাশের দিকে তাকিয়ে, অনিদ্র থেকে, সর্বদা মনে মনে বিতর্ক করে পৃধিবীকে এবং মন্ুযনদয়কে কথায় কথায় বঞ্চিত করে, শ্রেচ্ছারচিত ছুভিক্ষে এই ছুলভ জীবন "ত্যাগ করতে চাই নে। পথিবী যে শিকর্তার একট] ফাকি এবং শয়তানের একটা ফাদ, তা না মনে ক'রে একে বিশ্বাস করে, ভালোবেসে এবং যদি অদষ্টে পাকে তো ভালোবাসা পেয়ে, মান্থষের মতে বেঁচে এবং মানুষের মতো মবে গেলেই যথেই_ দেবতার মতো হাওয়া হয়ে যাবার চেষ্টা করা আমার কাজ নয়।” রবীন্দ্রনাথের এই আকাঙ্কা পূর্ণ হইয়াছিল; তিনি 'মানলের যাঝেই পরিপূর্ণভাবে বাচিয়াছিলেন। কাতিক মাসের গোড়ার দিকে বুবীন্নাথ কপিকাতায় ফিবিলেন ; বাড়িতে নৃহন পঙ্জিকা প্রকাশের আয়োজন হইতেছে, স্থতরাং ঠাহাকে চাই |

লুচনা, চিত্রাঙ্গদা, রবীন্-রচনাবলী ৩।

ছ্রিপত্রাবলী পত্র ৩১। শিলাইদহ, অক্টোবর ১০৯১ [১৫ আঙ্বিন ১২৯৮ ]1 ক্ষেক্ুয়ারি ১৮৯১ সালে প্রমথ চৌধুরীকে লিখিত পঞ্জে এই মৌলবী সম্বন্ধে লেখেন__ “কমাগত বক্চে-_ আমাকে পাগল করে তুলে 1" চিঠিপত্র ৫, পৃ ১৫৪।

ছিন্পপত্রবলী | পত্র ৩২। শিলাইদহ | * অক্টোবর ১৮৯১ [ ২* আঙ্গিন ১২৯৮ ]।

গ্রষ্টান্দ ১৮৯১ ৬১৫

সাধন! পত্রিক! ১২৯৮ ১২৯৮ সালের অগ্রহায়ণ মাস হইতে স্বধীন্জনাথ ঠাকুরের সম্পাদনায় “সাধনা” নামে মাসিকপত্র ঠাকুরবাড়ি হইতে প্রকাশিত হইল। ন্থধীন্দ্রনাথ রবীন্দ্রনাথের জ্যেষ্ঠ সহোদর ছিজেজ্্নাথের তৃতীয় পুত্র ১৮৯* সালে ইনি বি. এ. পাস করিয়াছেন; সাহিত্যিক প্রতিভা বসগ্রাহিত৷ অসামান্ত ন! থাকিলেও, যথেষ্ট ছিল। এখন তাহার বয়স বাইশ বৎসর, নবীন উৎসাহে পত্তিকা-সম্পাদনে প্রবৃত্ত হইলেন। কিন্তু সম্পাদক উৎসাহদাতারা মকলেই জানিতেন যে রবীন্দ্রনাথের সহায়তা ব্যতীত মাসিকপত্র চলিতে পাবে না। রবীন্দ্রনাথের একান্ত ইচ্ছা কাগজখানিকে সর্বতোভাবে যাসিকপত্রের আদরশস্বানীয় করিয়া তুলিবেন। একখানি পঞ্ত্রে শিলাইদহ হইতে তাহার বন্ধু শীশচন্ত্র মজুমদারকে লিখিয়াছিলেন, “অনেকগুলো কথা বলা আবশ্তক, অথচ বড় বড় লোক সবাই নীরব এবং তাদের মধ্যেও ছুই-একজন নতুন নতুন বুলি বের করচেন। একে তো বাঙ্গালির বুদ্ধি খুব যে পবিফ্কার তা নয় তার পরে সম্প্রতি হঠাৎ একটা আধ্যাত্মিক কুয়াশা উঠে চারি দিক আচ্ছন্ন করে দিয়েছে-_ সাহিত্য থেকে সৌন্দর্য এবং বৈচিত্র্য এবং সত্য একেবারে লোপ পেয়েচে। দিনকতক খুব কঠিন কথ! পরিষ্কার করে বলা দরকার হয়েছে 1১ নৃতন পত্রিকা নৃতন প্রেমের ক্কায়ই তাহাকে টানে, এবং তাহার সাহিত্যিক প্রতিভা এই নৃতন আকর্ষণে শতদল পদ্মের ভ্তায় ফুটিয়া ওঠে। সাধনার প্রথম সংখ্যা হইতে ছোটগল্প, প্রবন্ধ, সাময়িক সারসংগ্রহ, বৈজ্ঞানিক সংবাদ সাময়িক সাহিত্য-আলোচনা প্রভৃতি বিচিত্র বচনাসম্ভাবে উহা পুর্ণ হইল! সাধনার প্রথম সংখ্যা হইতে 'ফুরোপ-ঘাত্রীর ভায়ারি' ধারাবাহিক প্রকাশিত হইতে থাকিল। সেই-ষে আড়াই মাসের জন্ত বিদেশে গিয়াছিলেন, তাহারই বিস্তৃত কাহিনী দিনপঞ্ী বা রোজনামচা হিসাবে লেখ! প্রথমবারের বিলাতের পত্রধারা হইতে এ-রচনা সম্পূর্ণ পৃথক ধরনের | কবি যাহা দেখিতেছেন, যাহ] ভাবিতেছেন এই দিনপন্বীতে তাহা লেখনীর বেখায় আকিয়া যাইতেছেন, ইহার মধো কৃত্রিমতা নাই, অন্কে তাক্‌ লাগাইবার কোনোই প্রচেষ্টা নাই, কেবল কথার বঙে ছবি আকাই যেন একমাত্র উদ্দেশ্ত। এই ভায়ারির ভূমিকা পুরোপ-যাত্রীর ভাদ্বারি' ভূমিকা! নামে এই বৎসরের (১২৯৮ ) বৈশাখ ষাসে প্রকাশিত হয়, সে বিষয়ে আমরা পূর্বেই আলোচনা করিয়াছি পত্রিক1 পরিচালনা তে জীবনের অন্ততম কাজ; লেখক-সত্ত ছাড়াও কবির অন্ত সত্তা আছে, প্রত্যেকটিরই চাহিদা তাহাকে পূরণ করিতে হয়। জমিদারির কথা তো বলিয়াছি। ছাড়া তিনি আদি ব্রাহ্ষপমাছের সম্পাদক, সে-সন্তারও কাজ বা কর্তব্য পালন করিতে হয়। এই বৎসরের একটি ঘটনা তাহার পরবর্তী জীবনেতিহাসেব সছিত অচ্ছেদ্যভাবে যুক্ত বলিয়া এইখানে উল্লেখ করিতেছি ৭ই পৌষ ১২৯৮ (২২ ডিলেম্বর ১৮৯১) শাস্তিনিকেতনের মন্দির বা মঠের প্রতিষ্ঠা হয়! পাঠকেক স্মরণ আছে পূর্য বসব বিলাত হইতে প্রত্যাবর্তনের এক মাস পরে ববীজ্জনাথকে শান্তিনিকেতন মন্দিরের ভিত্তিস্থাণন উৎসবে যোগদান করিতে দেখিয়াছিলাম (৭ ডিমেম্বর ১৮৯৯)। এক বৎনবের মধ্যে কাচের মন্দির নির্মাণকার্য শেষ হুয়া গেলে মহর্হিব ক্রাহ্মধর্মের দীক্ষা-দিনে-_- পৌধ__ এই মন্দির উদ্মোচন-অনুষ্ঠান নিষ্পন্ধ হছইল। কলিকাতা হইতে বু জনসমাগম হয়, বোলপুরেব তত্রদেয় মধোও জনেকে উপস্থিত ছিলেন। ছিজেজ্জনাথ প্রতিষঠা-পজ পাঠ করিয়া মন্দিরের ছার উন্মুক্ত করিলেন। প্রতিষ্ঠা-পত্রে ছিল-_ “অস্ত

পঞ্জাবলী [ শিলাইদহ, জগ্রহারণ ১২৯৮ ], বিশ্বভারতী পত্রিকা, আীবণ, ১৩৪৯ পৃ ৩১। শিলাইদহ হইতে অগ্রহায়ণ ১২৯৮ তারিখের একখানি পহ্রে তগহদয় রুত্রচগ্ডের কখ। জছে। ছিরপঞাবলী পত্র ৩৬।

৩১৬ ববীন্দ্রজীবনী গ্ীষ্টান্ষ ১৮৯১

সর্বসাক্ষী পরম মঙ্গলালয় পরমেশ্বরের রুপা স্মবণপূর্বক এই শান্তিনিকেতন আশ্রমন্থ নৃতন বরক্ষমমন্দিরের দ্বার জাতি- ধর্ম-অবস্থা-নিবিশেষে সকল শ্রেণীর সকল অন্প্রদায়ের মনুষ্যগণের ত্রন্দোপাসনার জন্য উদ্ুক্ত হইল। এই শান্তিনিকেতনে অপর সাধারণের একজন অথবা অনেকে এককব্র হইয়া নিরাকার একক্রক্ষের উপামনা করিতে পারিবেন নিরাকার একক্রপ্ধের উপাসনা ব্যতীত কোন সম্প্রদায়-বিশেষের অভীষ্ট দেবতা বা পশু, পক্ষী, মনুহ্োর বা মৃক্তির বা চিত্রের বা কোন চিহ্কের পূজা বা হোম যজ্ঞাদি এই শান্তিনিকেতনে হইতে পারিবে না। কোন ধর্ম বা মনুষ্তের উপাস্য দেবতার কোন প্রকার নিন্দা বা অবমাননা এইস্থানে হইবে নাঁ। এরপ উপদেশাদি হইবে যাহ! বিশ্বের অষ্টা পাতা ঈশ্বরের পৃজা বন্দনা ধ্যান-ধারণাদির উপযোগী হয় এবং যন্্রারা নীতি ধর্থ উপচিকীর্ধা এবং সর্বজনীন ভ্রাতৃভাব বর্ধিত হয়|”... প্রসঙ্গত বলি এই প্রতিষ্ঠা-পত্র, আশ্রমের ট্রান্টডীভ্‌ এবং রামমোহন রায়ের ব্রাহ্মদমাজের ট্রাস্টডীডের অন্তরূপ |১

মন্দির দ্বার উন্মুক্ত হইবার পর উপামনার বেদী গ্রহণ করেন দ্বিজেন্দ্রনাথ, চিন্তামণি চট্টোপাধ্যায় আশ্রমধারী অচাতানন্দ স্বামী বক্তৃতা করেন শিবনাথ শাস্তী, প্রিয়নাথ শাস্ত্রী প্রভৃতি শিবনাথকে মহদি বিশেষভাবে আমিবার জন্য অনুরোধ করিয়াছিলেন বুবীন্গুনাথ সঙ্গীতকার্ষে যোগদান করিয়া উপাসকমগ্ুণীকে পপ্রিতৃপ্তি দান কৰেন।২ এই মন্দির প্রতিষ্ঠার দিনে রবীন্দ্রনাথ কল্পনাও করেন নাই যে এই শান্িনিকেতনে তাহার ধর্মসাধনার কর্মজীবনের কেন্দ্র হইবে অর্ধশতাব্দী মধ্যে একটি আস্তর্জাতিক বিশ্ববিভ্ভালয়ের স্থচন' হইবে এই প্রাস্থরের মধো 1৩

শান্তিনিকেতনের সাতই পৌষের প্রথম উৎসবে উপস্থিত হইবার অনতিকাপ পরেই বৃবীন্দ্রনাথ শিলাইদছে নিজ কর্মক্ষেত্রে ফিরিয়াছিলেন-__ সম্পূর্ণ পৃথক জগতে সেখান হইতে শ্রশচন্দ্কে লিখিতেছেন, “আমাদের এই বিরাহিমপুবের সেরেস্তা আভ সবচেয়ে বিশৃষ্খল-- আমি মাস দুয়ের অধিককাল এটাকে আয়ু করবার চেষ্টায় আছি এখনো পেরে উঠলুম না। এককালে এই পরগণা। নীলকরদের ইজারাদীন ছিপ, সেই সমছে তাপ অনাদরে কাগজপত্র সমস্ত নষ্ট করে বসে আছে। সেই অবধি পর্ষস্ত এখানে গোলমাল চলেই আদছে 1৪ এই পরেই তিনি সাধনা মামিকের উদ্দেশ্ট সম্বন্ধে লিখিয়াছিলেন যে, “দিনক তক খুব কঠিন কথা পর্চিকার করে বপা দরকার হয়েছে কারণ, আধাম্মিক কুয়াশা উঠে চারিদিক আচ্ছন্ন করে দিয়েছে ।” এই আধ্যাম্মিক কুয়াশার স্রষ্টা চন্দ্রনাথ বস্থ গুমুখ নবাহিন্তুর দল। এই সময়ে সাহিত্য? পত্তিকায় চন্দ্রনাথ বহ্থ “আহারতব? সম্বন্ধে এক প্রবন্ধ লেখেন সেই প্রবন্ধ উপলক্ষ করিয়া রবীন্দ্রনাথ “সাধনার প্রথম বর্ষের ছিতীয় সখ্যায় (পৌধ ১২৯৮) “আহার সঙ্ধন্ধে চন্দ্রনাথ বস্থর মঠ? শীর্ঘক প্রবন্ধে এক দীর্ঘ সমালোচনা প্রকাশ করেন। প্রনঙ্গত এইখানে বলিষ্বা রাখি) চন্্রনাথকে ববীন্নাথ বহবার পত্রিকার মাধ্যমে আক্রমণ করিলেও উভয়ের মধো পত্র প্রীতির বিনিময় চিরদিন সমভাবেই ছিল সাধনার অগ্রহায়ণ সংখ্যায় 'খোকাবাবুর পুঁতাবর্তন? গল্প পড়িয়া চন্দ্রনাথ রণীন্নাথকে যে পত্র লেখেন (২৫ পৌষ ১২৯৮) তাহাতে এই প্রবন্ধের কোনা উল্লেখ নাই

“আহারতত্ব' প্রবন্ধে চন্দ্রনাথ বন পিখিয়াছিলেন যে, আহারের দুই উদ্দেখা, দেহের পুটিসাধন আহ্মার শক্তিবর্ধন।

জর অথোরনাপ চট্টোপাধ্যায় জানেন্্রনাপি চট্টোপাধাঘ়, শাস্িশিকেতল আশম পু ৯১-৯৩।

২. তন্ববোধিনী পত্রিকা মাঘ ১৮১৩ শক (১০৯৮), পৃ ১৯২।

৭ই পৌব ১০৯১ মন্দির-প্রতিঠা | *ই পোল ১৯০১ ভ্রঙ্গচগা শম প্রতিট। | ৭৯ পেংফ ১৯১১ বিশ্ষ্ারতী প্রতিষ্ঠা

পত্রাবলী | পশচক্র মছুনদারকে লিিত | বিএভারতী পততিকা, শ্রাবণ, ১৩৪৯, পু ৩১।

& এই 'সাভিহা' পত্রিকার সম্পাদক ভিলেন অতি হুরুণ দাহিতাক হুয়েশচন্্ লদাজপতি (জন ১২৭৯--মৃত্া ১৩২৭ )1 ঈখর়চতা বি্ঞাসাগরের দৌহিত্র হার়েশচন্্র কর্তৃক সাহিত্য পত্রিকা খৈশাখ ১২৯৭ হইতে প্রকাশিত হয়, তখন ঠাহার বয়স মাত্র একুশ বংলয়।

হ্রীটা ১৮৯১ সাধন! পন্তিকা ১২৯৮ ৩১৭

তিনি বলেন, আহারে দেছের পুি হয় কথা সকল দেশের লোকই জানে, কিন্ত আত্মার শক্তিবর্ধনও যে উহার একটা কার্ধের মধ্যে-_ রহশ্য কেবল ভারতবর্ষেই বিদ্দিত; কেবগ ইংরাজি শিখিয়! এই নিগৃঢ তথ্য ভুলিয়া ইংরাজি- শিক্ষিতগণ লোতের তাড়নায় পাশব আহারে প্রবৃত্ত হইয়াছেন এবং ধর্মশীলতা, শ্রমশীলতা, ব্যাধিহীনতা, দীর্ঘজীবিতা, হৃদয়ের কষনীয়তা, চরিত্র নির্মলতা, সান্বিকতা, আধ্যাত্মিকতা সমস্ত হারাইতে বসিয়াছেন। তিনি আরও বলেন নিরামিষ .আছাছে দেছমন উভয়েরই যেরূপ পুইি হয়, আহিষযুক্ত আহারে সেন্ধপ হয় না।'

চন্্রনাথবাবুর মত ববীন্দ্রনাথের মত উভয়ের মধ্যে কোন্টি সত্য-_ সে আলোচনা আমাদের কর্তব্য নহে; কিন্তু এই লইয়া! একদিন সাহিত্যের কুঞ্জবনে যে মাতামাতি হইয়াছিল এবং এইসব বিষয় লইয়া ষে একদিন সাহিত্যিকরা মসীযুন্ধ করিতেন, তাহাই দেখাইবার জন্ত আমরা এই ঘটনাটির উল্লেখ করিলাম রবীন্দ্রনাথ চন্দ্রনাথ বন্থর জবাবে লিখিলেন, “এক সময়ে ব্রাহ্মণের আমিষ ত্যাগ করিয়াছিলেন ; কিন্তু একমাত্র ব্রাহ্মণের ছার কোন সমাজ রচিত হইতে পারে না|... প্রাচীন ভারতবর্ষে ধ্যানশীল ব্রাক্মণও ছিল এবং কর্মঈীল ক্ষত্রিয় বৈশ্য শূও ছিল, মগজও ছিল, মাংশপেশীও ছিল; স্থতরাং স্বাভাবিক আবশ্যক অনুসারে আমিষও ছিল, নিরামিষও ছিল; আচারের সংযমও ছিল, আচারের অপেক্ষাকৃত শ্বাধীনতাও ছিল। যখন সমাজে ক্ষত্রিয়তেজ ছিল তখনই ব্রাঙ্ষণের সাত্বিকতা উজ্দ্লভাবে শোভা পাইত।..* অবশেষে সমাজ যখন আপনার যৌবনতেজ হাবাইয়া আগাগোড়া সকলে মিলিয়া সাত্বিক লাজিতে বসিল, কর্ষনিষ্ঠ সকল বর্ণ ব্রাহ্মণের সহিত লিগ হইয়! লুপ্ত হইয়া গেল, এই বৃহৎ ভূভাগে কেবল ব্রাহ্মণ এবং ব্রাহ্মণের প্দানুবর্তী একটা ছাত্ামাত্র অবশিষ্ট রহিল, তখনি প্রাচীন ভারতবধের বিনাশ হইল তখন নিম্তেজতাই আধ্যাত্মিকতার অন্গকরণ করিয়া অতি সহজে যস্্রাচারী এবং কর্মক্ষেত্রের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হইয়া উঠিল। ভীরুর ধৈর্ধ আপনাকে মতের ধৈর্য বলিয়া পরিচয় দিল, নিশ্চেষ্টতা বৈরাগোর ভেক ধারণ করিল... 1”

খাগ্যরসের সহিত আত্মার যোগ কোথায়, এই প্রশ্ন তুলিয়া ববীন্দ্নাথ লিখিয়াছিলেন, "আহাবের অস্তর্গত কোন্‌ কোন্‌ উপাদ্দান বিশেষরূপে আধ্যাত্মিক, বিজ্ঞানে তাহা পর্ধস্ত নির্দিষ্ট হয় নাই |... কথা সত্য বটে স্বল্লাহার এবং অনাহার প্রবৃত্িনাশের একটি উপায় সকল প্রকার নিবৃত্বির এমন সরল পথ আর নাই। কিন্তু প্রবৃত্তিকে বিনাশ করার নামই যে আধ্যাত্মিক শক্কির বুদ্ধিসাধন তাহা নহে ।... প্রবৃত্তিকে যি বিপু জ্ঞান কিয়া থাক তবে শক্রহীন হইতে গেলে আত্মহত্যা করা আবশ্বক, কিন্তু তন্বারা শক্তি বাড়ে কি না তাহার প্রমাণ ছুক্্রাপা |... কর্মেই মহুষ্বোর কর্তৃশক্তি বা আধ্যাত্মিকতার বলবুদ্ধি ছয়। কর্ষেই মন্তক্কের সমুদয় প্রবৃত্তি পরিচালনা করিতে হয় এবং সংযত করিতেও ইয়। কর্ষ যতই বিচিত্র বৃহৎ এবং প্রবল, আত্মনিয়োগ এবং আত্মসংঘমের চর্চা ততই অধিক 1... প্রবৃত্তির সাহায্যে কর্মের সাধন এবং কর্মের দ্বার] প্রবৃত্তির দমনই সধোৎকষ্ট।১ প্রবন্ধের মধ্যে যেসব অবান্তর রুথা-কাটাকাটি ছিল সেসব অংশ উদ্ধত করিয়া কোন লাভ নাই।

চজ্জনাথ বন্থর আহারতগ্থের জবাবে রবীন্দ্রনাথ কর্ধ সম্বন্ধে যে কথাগুলি প্রদঙ্গত উদ্ধাপন করেন তাহাই বোধ হয় কর্মের লেদার" নামক একটি প্রবন্ধে বিশদ করিবার চেষ্টা কবেন। মুবোপীয় সংসারষাত্রার স্তৃপীকৃত বন্তভার ক্রমশই কিভাবে ছুঃলহ জয়া উঠিতেছে ইহা লইয়া আলোচন! শুরু হুয়। সেখানে *শোওয়া-বসা চলাফেরা, অশন বসন ভূষণ, সকল দিকেই তাছাদের এত সহশ্র সরক্কামের স্যঠি হইয়াছে যে ভালো! করিয়া! ভাবিয়া! দেখিতে গেলে অবাক হইতে হয়।” রবীন্্রনাথের মতে বন্তভারের চাপে মাহুষের হৃদয় এবং বুদ্ধিবৃত্তি অপেক্ষান্তৃত অকর্ষণা হইবার উপক্রম হুইডেছে। 'মতাতার অলংখা আসবাব যোগাইয়া ওঠা দিন দিন অসাহান্ত চেষ্টালাধ্য হইয়া! উঠ্ঠিতেছে কল বাড়িতেছে এবং

আহার সম্বন্ধে চত্রনাথ বহর যত, সাধনা, পৌধ ১২৯৮, পৃ ১৭১। সমাজ: পরিশিষ্ট রধীশ্র-রচনাফলী ১২, পৃ ৪৯১-৬৭। কর্ধের উম্বেঘার, াধনা, মাঘ ১২৯৮ ২১১-১৮। লহাজ: পরিশিষ্ট রবীন্-রচনাবলী ১২, পৃ ৪৯৭-৭১। স্্ী মুর। সাধনা, মাঘ ১২৯৮, পৃ ২৩৭-৪৬।

৩১৮ রবীন্্রজীবনী খীটাৰ ১৮৯১

মানুষ কলের মতো খাটিতেছে ।.." লোহার কলের সঙ্গে সঙ্গে বক্তমাংসের মানযকে সমান খাটিতে হইতেছে কেবল বণিকসম্প্রদায় লাভ করিভেছেন ধনীসম্প্রদায় আরামে আছেন।” লেখক বলিলেন যে যুরোপের মান্যকে এক্পভাবে বেশীদিন পিষিয়া মারা যাইবে না। “যুঝরোপের মন্ুধাত্ব এইকূপ জীবন্ত এবং প্রবল থাকাতেই সহজে কোনো বিকারের আশঙ্কা হয় ন!'। কোনোরূপ বাড়াবাড়ি ঘটিলেই আপনিই তাহার সংশোধনের চেষ্টা জাগিয়! উঠে ।.." মানুষ যেখানে স্বাধীন এবং স্বাধীনতাপ্রিয়, সেখানে মত্বরই হউক, বিলম্বেই হউক, সংশোধনের পথ মুক্ত আছে ।” _. ইহারই সহিত তুলনা করিলেন তারতবধের স্থিতিশীল জড়তামৃতি দেশে লোক সঙ্ষন্ধে লিখিলেন, “ষাহারা আপনার ধর্মবৃদ্ধি এবং সংসারবুদ্ধি, দেহ এবং মনের প্রত্যেক স্বাধীনতাই বহুদিন হইতে পরের হাতে সমর্পণ করিয়া জড়বৎ বসিয়া আছে, গ্রপ্থবং আচার পালন করিতেছে, তাহাদের মধ্যে কোনো-একটা নৃতন বিপৎপাত হইলে স্বাধীন প্রতিকারচেষ্টা প্রবল হইয়া উঠে না, উত্তবোন্তর তাহার চরম ফল ফলিতে থাকে" আমাদের মানসিক রাজ্য আমবা যঙ্থের রাজত্বই বহন করিয়া আমিতেছি 1” আমাদের ধর্মকাধ দৈনন্দিন জীবনযাত্রা এমনি বাধা নিয়মে চলিয়। আসিতেছে যেমন হইতে স্বাধীনতার অঙ্কুর পর্যন্ত লোপ পাইয়াছে-_ স্বাধীনভাবে চিস্তাও করিতে পারে না, স্বাধীনভাবে কারও করিতে পাবে না। নবা হিন্দুমাজকে সর্বপ্রকার গতিশীলতার বিমুখ -জ্ঞানে রবীন্দ্রনাথ এই প্রবন্ধে তাহাদিগকে মৃদু তিরস্কার শ্লেষ প্রকাশ করিয়াছিলেন 1১

সাধনার যাঘ-স'খায় 'স্্রী-মজুর' নামে সংকলন-গুবন্ধ 'দালিয়া? নামে ছোটগল্প বাহির হয়| রুবীন্দ্রনাথ চিরদিনই দেশী বিদেশী সাময়িকপত্র প্রচুর পাঠ করিতেন; বিলাতী বহু শ্রেষ্ঠ পত্রিকার তিনি গ্রাহক এবং নিয়মিত পাঠক ছিলেন এই সময়কার কোনো বিলাতী কাগজে যুরোপের কল মঙ্জুরদের সম্বন্ধে আলোচনা পাঠ করিয়া তিনি শ্ী- মজুর'দের সমস্যা লইরা প্রসঙ্গ উদ্যাপন করেন; ইতিপূর্বে বাংলায় শ্্রীমঙুবের সমস্যা সন্দ্ধে আর কেহ আলোচনা করিয়াছিলেন না আমরা জানি না। প্রসঙ্গত এখানে বপিতেছি যে সাধনার প্রথম সংখা! হইতেই সামফ্রিক বাংলা পত্রিকার সমালোচনার জন্য একটি বিভাগে রবীন্দ্রনাথ নিয়মিত লিখিতে আরুস্ত করেন; এবং বিলাতী পত্রিকা! হইতে বহুলংকল্ন প্রতিমাসে সরবরাহ করিয়াছিলেন

সোনার তরী

বসন্তের অকালবোধন শরতে; ক্ষাপা শ্রাবণ ছুটে এল আশ্বিনের আঙিনায়” | আর ফাল্ধনদিনে 'গগনে গরজে মেঘ ঘন বরষ?? হইতেই বাধা কিসের? “সোনার তরী" কবিভাটি ববীন্দুনাথের কাবাজীবনের প্রবাহপথে একটা বড় রকমের বাকে তাহাকে উত্তীর্ণ করিল। কাব্যলক্ষ্মীর নূতন বীথি যানসপোকে প্রকাশিত হইল। মানসী কাব্যগুচ্ছের শেষ কবিতা রচনার প্রায় পনেরে। মান পরে শিলাইদহ বামকালে পিথিলেন মোনার তরী (ফাল্গুন ১২৯৮ )-- যদিও ইহা লোকচক্ষুর গোচর হয় প্রায় গেড় বংসর পরে সাধনা পত্রিকায় ( আষাঢ় ১৩** )।

প্রায় ছুই বংসর পূর্বে ২৪ মে ১৮৯০ ] কালিদাসের “মেঘদু ৯? কাব্য পড়িয়া তাহার উপয় কবিতা লিখিবার পর প্রমথ চৌধুরীকে যে পত্র* তাহাতে মেঘদুতকে 'সোনার তরী" বশিয়াছিলেন। এক বংঙ্গর পরে ২৩ জুন ১৮৯১ ইন্দিরা দেবীকে সাহাঙ্গাদপুর হইতে পিখিত পঞ্জ মধ্যে সোনার তরী কবিতাটির নিহিত অর্থ কিছু ব্যক্ত করেন। “মান্য সেখানে আপনার সকল ইচ্ছা সকল চেষ্টাকে চিরস্থায়ী মনে করে, আপনার মকল কাজকে চিহ্নিত করে রেখে দেয়-_ পল্টানিটির

সাধনা, মাধ ১২৯৮। চিঠিপত্র | পত্র ৪1 মেতদুত সম্বন্ধে আলোচনা পৃ ১৩৯-৪৪।

ধী্টাৰ ১৮৯১ সোনার তরী ৩১৯

দিকে তাকায়, কীতিস্তপ্ত তৈরি কয়ে, জীবনচরিত লেখে, এবং মৃতদেহের উপরেও পাধাণের চিরন্মরণগৃহ নির্মাণ করে -- তার পরে অনেক চিন্ছ ভেঙে যায় এবং অনেক নাম বিস্বত হয়, কিন্তু সময়াভাবে সেটা কারও খেয়ালে আসে না।”১

এই ভাবনাই কি অবচেতনের তলে ফন্ত প্রবাহের ন্যায় অম্পষ্ট ছিল? হঠাৎ বর্ধার সমারোহ নদীবক্ষে ভাসমান সোনার তরী'র কল্পনা আমিল?

কী কুক্ষণে রবীন্নাথ ঘে এই কবিতাটি লিখিয়াছিঙ্পেন, তাহা তাহার ভাগ্যবিধাতাই জানেন। নহিলে এই কবিতা প্রকাশিত হইবার চৌদ্দ বৎসর পবে (১৩১৪ সালে) ইহাকে কেন্দ্র করিয়া বাংলার সামগ্িক সাহিতো যে পরিমাণ অমৃত গরল যুগপত মধিত হুইয়া! উঠিয়াছিল-_ তাহা কবির কোনো একটি কবিতা সম্বদ্ধে পূর্বে বা পরে কখনো ঘটে নাই। সেকি কবিতার দোষ, না কবিতা-লেখকের ভাগ্য !

'সোনার তরী" কবিতাটিকে যদি আমরা কেবল একখানি চিত্রহিসাবে দেখিতাম, তবে তাহাতে কোনো ক্ষতি ছিল না। কিন্ত লোকে শুধু রসে তৃপ্ধ হয় না__ ভোজনের পহিত দক্ষিপার দাবি করে-_ অর্থাৎ কবিতার রসের সঙ্গে অর্থ চায়। তরী কখনো মোনার হয় না এবং সোনার নৌকায় চড়িয়া কোনো চাষী ধান কাটিতে যায় না। ্ুুতরাং কবিতার চিন্র নামকরণ ছুইই অবান্তৰ পরীকল্পনা সদৃশ ; স্থতরাং চিত্রহিসাবে দেখিলে কোনোই দোষ ছিল না। কিন্তু বাংলা সাছিতোর এমন একদিন আসিল, যখন এই কবিতার অর্থ আবিষ্কারের জন্ত সাহিত্যিক, সাংবাদিক ইতিহাপিক প্রত্বতাত্বিক মকলেই লেখনী লইয়া মসীসিঞনে মত্ব হইয়া! উঠিলেন অবশেষে রবীন্দ্রনাথ স্বত্নং নিজ কাব্যের মক্লিনাথ হইর] ব্যাখ্যাঙ্গনে অবতীর্ণ হইলেন তবে তাহা কবিতা রচনার সতেরো! বসব পরে।

“মোনার তরী" কবিতার বিরুদ্ধে প্রথম জেহাদ ঘোষণা করেন ছিজেজ্লাল রায় (প্রবাসী, কাতিক ১৩১৩ )। তিনি লেখেন, প্রবিবাবুব ভক্তগণ রবিবাবুর 'সোনার তরী'কে তাহার সকল কবিতার প্রায় শর্ধ স্থান দ্বেন। সভায় সভায় ইহার আবৃত্তি হইয়াছে একজন সমালোচক এইটি পড়িয়া! পিখিয়াছিলেন ষে, “তাহার লেখনী অক্ষয় হউক |” দ্বিজেন্দ্রলাল এই প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথকে অত্যন্ত কুৎসিতভাবে আক্রমণ করেন, ইছাব পর হইতে বাংলা সাময়িক সাহিতো “সোনার তরী'ন্ব উপর প্রবন্ধ রচনা শুরু হয়।

“সোনার তরী" লিখিবার সময়ে রবীন্দ্রনাথের যনে কবিতার মাধাষে কোনো দারশনিক অথবা আধাত্মিক তত্ব প্রকাশের উদ্দেস্ত ছিল বলিয়া আমবা বিশ্বাস করি না। পরিপূর্ণ যৌবনে যে কবিতা রচিত, প্রোচত্বের অস্তে উপনীত হইয়া! উহাকে কবি কিভাবে দেখিতেছেন, তাহা আমরা পাঠকদের সম্মুখে পেশ করিতে পারি মাত্র, কিন্ত ফাশুন দিনে কবির মনে একটি বরিষণ মুখন্বিত শ্রাবণ দিনের স্থুর কেমন করিয়! ধ্বনিল, তাহার সমকালীন ইতিহাস অব্যক্তই রহিয়া যাইবে।

ছিজেন্্রলাল রায় লোনার তরীর লমালোচনায় বলিয়াছিলেন, “একখানি ছোটো ক্ষেত" হইতে 'রাশি রাশি ভারা ভাব ধান' হইয়াছে। ক্ষেত্রধানি বড়ই উর্বর! ক্ষেতের “চারিদিকে বাক! জল করিছে খেলা, ক্ষেতখানি তবে একটি হ্বীপ। তবে চরজমি এরূপ জমিতে ধান করে না।” ইত্যাদি এইটি ববীজ্মনাথ অবশ্তই পড়িয়াছিলেন এবং সোনার তরী লইয়া যখন সাহিত্যিকদের মধ্যে ছন্থ চলিতেছে, সেই পর্বে 'তরী বোঝাই” নামে ভাষণ দেন শান্তিনিকেতনে (৪ চৈত্র ১৩১৫ )। ম্পষ্ঠত এই ভাষণে কবি 'সোনার তরী? ব্যাখ্যানে প্রবৃত্ত ছন। “মানুষ সমস্ত জীবন ধরে ফসল চাষ করছে। তান জীবনের খেতটুকু ্বীপের মতো, চারিদিকেই জবাক্তের বাবা সে বোই্ত-_ ওই একটুখানিই ভার কাছে ব্যক্ত ছিন্পত্রাবলী | প্র ২৩।

জ্. জীজাগিতা ওহদেঘার, যবীন্্র-সাহিতো সমালোচনার ধার ( ১৩৬৬ ), পৃ ৬১-৬৬। তরী যোষাই, শান্তিনিকেতন উপযেশমাল। ৭। রধীভর-রচনাবলী ১৪, পৃ ৬৭৫

৩২৯ ববীন্্রজীবনী প্রষ্টা্খ ১৮৯১

হয়ে আছে 1... যখন কাল ঘনিয়ে আসছে, পন চারি দিকের জল বেড়ে উঠছে, যখন আবার অবাক্তের মধো তার ওই চবটুকু তলিয়ে যাবার সময় হল_-তথন তার সমস্ত জীবনের কর্মের যা-কিছু নিত্য ফল তা সে ওই সংসারের তরণীতে বোঝাই করে দিতে পাবে সংসার সমস্তই নেবে, একটি কণাও ফেলে দেবে না। কিন্তু যখন মানুষ বলে ওই সঙ্গে আমাকে নাও আমাকে রাখো, তখন সংসার বলে 'তোমার জন্যে জায়গা কোথায়? তোমাকে নিয়ে আমার হবে কী? তোমার জীবনের ফসল যা কিছু রাখবার তা সমজ্তই রাখব কিন্তু তুমি তো রাখবার যোগ্য নও ।'

প্প্রতোক মানুষ জীবনের কর্মের দ্বারা সংলারকে কিছু-না-কিছু দান করছে, সংসার তার সমস্তই গ্রহণ করছে, রক্ষা করছে, কিছুই নষ্ট হতে দিচ্ছে না_ কিন্তু মানুষ যখন দেই সঙ্গে অহংকেই চিরস্থন করে রাখতে চাচ্ছে তখন তার চেষ্টা বৃথ! হচ্ছে। এই যে জীবনটি ভোগ করা গেল অহংটিকেই তার খাজনাস্বরূপ মৃত্নার হাতে দিয়ে হিসাব চুকিয়ে যেতে হবে। ওটা কোনোমতেই জ্মাবার জিনিস নয় ।”

সোনার তরীর এই সমাক বাখ্যালোচনার কয়েকমাস পূর্বে 'পৃৰ পশ্চিম» (ভাদ্র ১৩১৫) প্রবন্ধে কবি মহা- কালকেই সোনার তরীর “নেয়ে বলিয়াছিলেন। “গ্রীস বোম মহাকালের সোনার তরীতে নিজের পাকা ফসল সমস্ত কোঝাই করিয়া দিয়াছে ; কিন্তু তাহার! নিজেও সেই তরণাব স্থান মাশ্রয় করিয়া মাজ পর্ষস্ত ঘে বসিয়া নাই তাহাতে কালের অনাবশ্বাক ভার লাঘব হইয়াছে মাহ, কোনো ক্ষতি করে নাই |” ইহাই বোধ হয় ববীন্দনাথের সোনার তরী সম্বন্ধে ব্যাখ্যানের প্রথম প্রয়াস।২

তবে এখানে একটা কথা আামণা বলিতে চাই যে, রবীন্দ্রনাথের বাখ্যাই যে এই কবিতার একমাত্র সংগত অর্থ, তাহা মানিবার কোনোই কারণ নাই | পঞ্চভৃত গ্রন্থে কাবোর তাখপধ অধ্যায়ে “বিদায় অভিশাপ' আলোচনা উপলক্ষে কবি এই "তত্র বিশ্দভাবেই আলোচনা করিয়া বলেন যে, কাবোর অর্থ বত বিচি হইতে কোনো বাধা নাই আমর আজও দেখিতে পাইতেছি যে, প্রাচীন মহাকবিদের কাবোরু বাখা! ভাষা এখনো পধস্থ নিঃশেধিত হয় নাই স্ুতবাং যুগের কবির কাব্যের বিচিত্র বাখ্যা হইতে বাধা থাকিতে পাবে না। ভিন্ন কালের ভিন্ন পরিবেশে বিতিন্ন পান্রমধ্যে একই কাব্যের বিবিধ ব্যাখ্যা হইত পারে | যে-কাবা সেই বিচিতে দষ্টিসম্পাতে নানাকণে নানাভাবে সাড়। না দেয়, সে-কাবা সাময়িক, সে-কাবা স্কানিক, সে-কাবা সাম্্দায়িক গ্রামা। তাই বলিয়াছিলাম 'সোনার তবীর বহু ব্যাখা! হুইয়াছে এবং ভবিষ্যতেও হইবে-_ রবীন্দ্রনাথ সেই ব্যাখাহাদের অন্তিম |

অধ্যাপক চাকুচন্ত্র বন্দ্যোপাধ্যায় 'রবি-রশ্রি' রচনাকালে কবির নিকট মোনার তরী সম্বন্ধে বনু প্রশ্ন কিয়! পত্র পাঠান। তার মধ্য রচনার সময় সম্বন্ধে প্রশ্ব ছিল; কারণ রচনার সময় দেওয়া আছে, 'ফান্ধন_ রচনার বিষয় শ্রাবণের | কবি লিখিতেছেন (১৩৩৯ ) “মেদিন বধার আঅপবাহে খরলোত পণ্মার উপর দিয়ে কাচ! ধানে ডিডিনৌকা বোঝাই করে মগ্রপ্রায় চর থেকে চাষীরা এপারে চলে আসছে সে দিনটা সন তারিখ মাস পার হয়ে আজও আমার মলে আছে। সেই দিনেই সোনার তরী কাবোর সঞ্চার হয়েছিল মনে, তার প্রকাশ হয়েছিল কবে তা আমার মনেও নেই ।-*" আমার দলিলের তারিগ কবিতার অভ্যন্থরেই আছে, আবণ গগন থিবে ঘনমেঘ ঘুরে ফিরে।।।

অবচেতন মনে এই চিত্রখাপি ছিল, ঠার পর একদিন ফাল্নের উতল। হাওয়ার মুদু স্পর্শে শ্বতিপটের পর্দা অপসারিত হইলে 'সোনার তরী” লেখনীমুখে উদ্সারিত ইইল।”

কর্মসন্বদ্ধে কবির এমন শিবিকারভাব হইখার কি কোনো কারণ আছে! “কর্মের উমেদার' প্রবন্ধে শ্্রী-মজুর' পূর্ব পশ্চিম, প্রবাসী, ভান্র ১৩১৫, পু ২৮৮-৯৬ ড্র. সমাজ রবীন রচনাবলী ১১, পৃ ২৬১।

জীপ্তত্রাংশু মুখোপাধ্যায়, রবীন্ত্রকাব্যের পুনবিচার, পৃ ১২১২৯ “সোনার তরী' লিখিত হয় ফান্তন ১২৯৮ সালে। প্রকাশিত হর আধাড় ১৩* সালে। সন্ধে পরে আলোচনা আছে।

খ্রীষ্টা্ষ ১৮৯১ সোনার তরী ৩২১

সম্বন্ধে গ্রসঙ্গকথায় কবি কর্ম সম্বপ্ধে বু তথ্য তত্ব আলোচনা করিরাছিলেন ; কর্ষশীলতার পরিণাম কোথায় সেই প্রশ্নই কি মনে জাগিতেছিল, যাহার উত্তরে এই “সোনার তরী কবিতা লিখিলেন? ইহার উত্তর পাওয়া যাইবে না। কবির যনে জাগিতেছে কোনো 'শ্রাবণগগনের' স্বতি। কিন্ত আজ এই আত্মীয়শূন্ত আবেষ্টনীতে আরও স্থদূর অতীতের ছবিও মনে হইতেছে, “শৈশবসন্ধ্যা'র কথা। দেখে শুনে মনে পড়ে সেই সন্ধ্যাবেলা শৈশবের কত গল্প, কত বাল্যখেলা, এক বিছানায় শুয়ে মোরা সঙ্গী তিন; সেকি আজিকার কথা, হল কত দিন --শৈশবসদ্ধা শৈশবসন্ধ্যার কথা মনে পড়ে, 'এক বিছানায় শুয়ে মোরা সঙ্গী তিন' | এই সময়ে লিখিতেছেন, “আমরা তিন বালাসঙ্গী যে-ঘরে শয়ন করিতাম, তাহার পাশের ঘরের দেওয়ালে একটি আন্ত নরকস্কাল ঝুলানো থাকিত। রাত্রে বাতাসে তাহার হাড়গুলা খটু খট শব করিয়া নড়িত।” এই স্বতি১ অবলম্বন করিয়া কঙ্কাপ গল্পের কাহিনীটিব স্থত্রপাত হয়__ বাস্তবে- অবান্তবে মিশিয়া অপরূপ পিরিসিজিমের রসে রচিত ছোটগল্প সেখানেও অপূর্ব কল্পনা, অমূলক আশা, অশৈষ কামনা ব্যর্থ পরিণতি 'কন্কাল? গল্পটি ফাল্ঠুন মাসের (১২৯৮) সাধনায় বাহির হয়__ “শৈশবসন্ধা” কবিতাটি রচিত এই মাসেই এই কবিতাটির একটি ভাবব্যাখা। কবি স্বয়ং পত্রধারায় প্রকাশ করেন “আমার 'টৈশবসন্ধা। কবিতাটায় বোধ হয় কতকটা এই ভাব প্রকাশ করতে চেষ্টা করেছিলুম কথাটা সংক্ষেপে বোধ হয় এই ষে, মান্ষ ক্ষুদ্র এবং ক্ষণস্থায়ী; অথচ ভালোমন্দ এবং স্থখছুঃখ -পরিপূর্ণ জীবনের প্রবাহ সেই পুরাতন স্থগতীর কলম্বরে চিরদিন চলছে চলবে__ নগরের প্রান্তে সন্ধার অন্ধকারে সেই চিরস্তুন কলধ্বনি শুনতে পাওয়া যায়। তখন মানুষের দৈনিক জীবনের ক্ষণিকতা এবং স্বাতস্্র এই অবিচ্ছিন্ন সুরের সঙ্গে মিলিয়ে যায়-_, সবন্থদ্ধ খুব একটা বৃহৎ বিস্তৃত বিষাদপূর্ণ রৃহস্তময় আদি-অস্ত-শৃহ্ প্রশ্নোত্তরহীন নিরুদ্দেশ মহাসমুজ্রের একতান শষের মতো অন্তরের নিস্তন্ধতার মধ্ো গিয়ে প্রবেশ করতে থাকে 1... এক- এক সময়ে কোথাকার কোন্‌ ছিঙ্জ দিয়ে জগতের বড় বড় প্রবাহ আমাদের হৃদয়ের মধো প্রবেশ করে, তার যে-একটা! ধ্বনি হতে থাকে সেটাকে কথায় তর্জমা! করা অসাধ্য ।”* বৎসর প্রায় শেষ হইয়া আসিয়াছে, দাকণ গ্রীক্ম। শিলাইদহের সম্মূথে বোটে আছেন সেখান হইতে ইন্দিরা দেবীকে লিখিতেছেন, “এখানে এসে আমি এত এলিমেনট্‌স্‌ অফ পলিটিক* এবং প্রব্েমূস্‌ অফ দি ফুাচার* পড়ছি শুনে বোধ হয় তোর খুব আশ্চর্ঘ ঠেকতে পারে ।” আমাদের আশ্চর্ধ লাগে না, কারণ রবীন্দ্রনাথকে ত্রিশ বৎসরের উপর লক্ষ্য করিবার সৌভাগা হইয়াছিল এবং তিনি যে কতবড় পড়া ছিলেন, দীর্ঘকাল শান্তিনিকেতনের গ্রন্থাগারের সহিত যুক্ত থাকায় তাহা ভালো করিয়! জানিবার স্থযোগও মিলিয়াছিল। পত্রমধো কবি লিখিতেছেন, "ঠিক এখানকার উপযুক্ত কোনো কাবা নভেল খুঁজে পাই নে।” ইংরেজি নভেলেব উগ্রতা পল্মাচবের শ্সিপ্ধ শোভাকে চারি দিকের নিস্তন্কতাকে নষ্ট করে। “এখানে পড়বার উপযোগী রচনা... এক বৈষ্ণব কবিদের ছোট ছোট পদ... |" ইহারই সঙ্গে মনে হইতেছে “বাংলার যদি জর. সীতা দেবী, পুণাস্বতি, পূ ৪**-৪*১। ছিন্নপত্ডাবলী। গঞ্জ ১২৮। সাজাদপুর পথে, [৬ ] জুলাই ১৮৯৪ (২৩ আষাঢ় ১৩*১ )। ছিরপত্রাবলী | পত্র ৪২1 এপ্রিল ১৮৯২ [ ২৭ চৈত্র ১২৯৮]।

৪716 21076:5 ০17০110105 (1851): [গাযত 5108ত108 (1838-1900), 79811) 9০9০881 11950011৩, &. 99126] [108 (1912-97), » 8110151 ১00)০০ চ011610150 00. ৪11 802)10511505 05007, [62015015]00271516 0 15365, 1860. 210৮16115০0) 016৫ বিএটলাত,। 008 যোওেজাও (507490,

৪১

৩২২ ববীন্রজীবনী খ্রীষ্টাৰঝ ১৮৯১

কতকগুলি ভালো ভালো! মেয়েলি রূপকথা জানতুম এবং সরল ছন্দে সুন্দর করে ছেলেবেপ্লাকার ঘোরো স্মৃতি দিয়ে রস করে লিখতে পারভুম তা হলে ঠিক এখানকার উপযুক্ত হত।” এই সময়েই বোধ হয় লেখেন মেয়েলি দপকথা 'বিশ্ববতী? (ফাল্গন ১২৯৮) "রাজার ছেলে বাজার মেয়ে ( চৈত্র ১২৯৮ )। “বিশ্ববতী সম্বন্ধে কবি লিখিয়াছেন যে, তাহার ভাইঝি অভিজ্ঞার নিকট হইতে গল্পটি সংগৃহীত হেমেন্জনাথের কন্তা অভিজ্ঞা কবির খুব প্রিয় ছিল? যখন- তখন সে ছোটকাকার ঘরে ঢুকিয়া অনেক উপদ্বব করিত; তাহার ক$৪ ছিল খুব মিষ্ট। কৈশোরেই তাহার মৃত্য হয়; তাহার শ্বৃতিবহন করিয়া চৈতালিতে কয়েকটি কবিতা আছে

দাকণ গ্রীচ্ষে রবীন্দ্রনাথ সপরিবারে বোলপুর আসিলেন | সময় কবির বয়স একতবিশ; মুণালিনী দেবী (২*) এখন তিনটি সন্তানের জননী-__মাধুরীলতা (৬) বখীন্্র (9) বেণুকা (২) তাহারা থাকেন 'শান্তিনিকেতন নামে দ্বিতল বাটাতে__ আর কোনো গৃহ তখনো এই তেপান্তবের মাঠে নিহিত হয় নাই__ চারি দিকে সীমাশৃন্য প্রান্তর এই সময়কার কতক গুলি পত্রে যুবক রবীন্দ্রনাথের গাহস্থাজীবনের সম্তানাদি সন্বদ্ধে তাহার বাৎসল্য স্সেহ অক্কত্রিমভাবে প্রকাশ পাইয়াছে।১ শাস্থিনিকেতনের বৈশাখী ঝড়ের মাঝে পড়িয়া কবির একদিন কী দুগতি হইয়াছিল তাহার অতি সরস বর্ণনা আছে যাহা আজও উপভোগা পত্রে লিখিতেছেন, “বাড়িতে ফিরে: ভাবলুম - বৈষাব কবিরা গভীর রাতে ঝড়ের সময় রাধিকার অকাতর অভিসার সম্বন্ধে অনেক ভালো ভালো মিষ্ট কবিতা লিখেছেন, কিন্ধ একটা কথা ক্তাবেন নি, এরকম ঝড়ে কৃষ্ণের কাছে তিনি কী মৃ্ি নিজে উপস্থিত হতেন | চুলগুপোর অবস্থা যে কিরকম হত সে তো তোর] বেশ বুঝতে পারবি | বেশবিন্যাসেরই বা কিরকম দশ! দুলোতে লিপ হয়ে? তার উপনু বু্টর জলে কাদা জমিয়ে, কুঞ্কবনে কিরকম অপরূপ মৃঠি করে গিয়েই দাড়াতেন "২

সাধনার নিত্যনৈমিত্তিক গছ্য লেখা প্রচুর শিখিতে হয় সতা, ত্সবেও এবার শান্তিনিকেতনে বাসকালে যে-কয়েকটি কবিতা লিখিলেন, তাহার মদো কয়েকটি ূপকথারই অন্রক্রমণ। 'নিদ্রিতা' (১৪ জোষ্ঠ ১২৯৯) 'স্প্তোখিতা (১৫ জ্যেষ্ঠ ) কবিতাদ্বয় পরস্পরের পরিপূরক এবং 'রাঙ্জান ছেলে রাঙ্জার মেয়ে' কবিতার সহিত একত্র পঠনীয়। রাজার ছেলে রাজার যেয়ে রাজার ঘরে জন্মাইলেও তাহারা চিরন্তন পুকষ চিরম্তন নারী-__ পুরুষের ভাষায় “আমরা তোমরা? | কিছুকাল হইতে কবির নানা লেখার আধো নরনাবীবু চারিব্রগত বৈশিষ্টা-বিগ্লেষণের সমাজে নরনারীর যথাযথ স্থান-নির্দেশের চেষ্টা চলিতেছে | সেববিঙ্লেষণ কখনো জীবতর, কখনো অর্থতব্, কখনে। সৌন্দ্ধতন্ব'কে মাশ্রয় করিয়া হইয়াছে) “হোয়রা আমরা" (১৩ ক্যষ্ট ১২৯৯ | কবিতায় আছে__

তোমরা হাসিয়া বহিয়া চলিয়া যা

কুলুকুলুকল নদীর শ্রোতের মতে] আমরা তীরেতে দাড়াশে চাহিয়া! থাকি,

মরমে গ্রথরি মরিছে কামনা কত।

বিশ্লেষণ পূর্বোগ্লিখিত কোনো তবের অন্তত নহে ইহার নামকরন করা যাক স্ুখভব। কিছুদিন পথে শিলাইদহে নোকাবালকালে কবি নদীতীরে নরনাধার দৈনন্দিন বনের ছপলীপামাধুরী লক্ষা করিবার স্থযোগ পান। সেইসঙ্গে তাহাপের প্রকৃতিগত বৈশিষ্টাও তাহার চোখে পড়ে "মেয়েদের ঘেন জলের সঙ্গে বেশি ভাব-_ পরস্পবের যেন একটা সাদৃশ্ এবং সখিত্ব আছে জল এবং মেঘে উভয়েই বেশ সহগে ছল্ছল্‌ জল্জল্‌ করতে থাকে, একটা বেশ ছিন্রপরাবগী | পর ৪২-৫২। বোলপুর হ£তত পিপিত, এপ্রিল ১৮০২-৩১ যে ১৮৯২ পূ »৪-১১৪ ছিন্নপত্রাবলী। পত্র €*। বোপপুর, ১২ জো ১১৯৯ [২৫ মে ১৮৯১ ]।

তোর! আমরা! বোলপুর, ১১ জোছ -২০৯) সোনার তরী | রবীন্-পচনাবলা হপৃহ্জ।

গ্াষ্টান্ষ ১৮৯১ সোনার তরী ৩২৩

সহজ গতি ছন্দ তরঙ্গ... আমি দেখেছি, মেয়েরা জল ভালোবাসে, কেননা উভয়ে স্বজাত। অবিশ্রাম সহজ প্রবাহ এবং কলধ্বনি জল এবং মেয়ে ছাড়া আর-কারও নেই ।১

স্থতরাং “তোমরা আমরা কবিতা লিখিবার পূর্ব হইতেই পুরুষ নারীর মধ্যে স্বভাবগত পার্থক্য সম্বন্ধে তুলনা মনে জাগিয়াছিল। কিন্তু তোমরা হাসিয়া বহিয়া! চলিয়া” যাবে__ বলিলে নারীকে ক্ষুপ্ন করা হয়; কারণ লে শুধু চলে না, সে বাধে বাধনে ধর] দেয়। যে-নারী ভালোবাসে সেই তো 'লোনার ধাধন' পরে। তাই আমাদের মনে হয় “সোনার বাধন” কবিতাটি যেন পূর্বোক্ত কবিতাটির উত্তর বা সমাধান।

তুমি বন্ধ নেহ-প্রেম-করুণার মাঝে

শুধু শুভকর্ম, শুধু সেবা নিশিদিন। দুইটি কবিতা পরস্পরের পরিপূরক, “তোমরা আমরা আছে নারীচরিজ্রের নেতির দিক, “সোনার বাধন'-এ আছে তাহার পরিণতি সার্থকতার দিক

“তোমরা আমরা কবিতাটি লিখিবার পর একখানি পরে ইন্দির! দ্বেবীকে লিখিতেছেন, “একটি কবিতা লিখে ফেললে যেষন আনন্দ হয়, হাজার গঘ্ধ লিখলেও তেমন হয় না কেন তাই ভাবছি কবিতায় ষনের ভাব বেশ একটি সম্পূর্ণতা লাভ করে, বেশ যেন হাতে করে তুলে নেবার মতে11-.. রোজ বোজ যদ্দি একটি করে কবিতা লিখে শেষ করতে পারি তা হলে জীবনটা বেশ একরকম আমন্দে কেটে যায়। কিন্তু এতদিন ধরে সাধনা করে আম্নছি, জিনিসটা এখনও তেমন পোষ মানে নি: 1২

'বর্যাধাপনে”* লিখিতেছেন-_

ইচ্ছা করে অবিরত্ত আপনার মনোষত গল্প লিখি একেকটি করে। ছোট প্রাণ, ছোট ব্যথা, ছোট ছোট ছু:খকথা শিতাস্তই সহজ সরল, সহশ্র বিশ্বৃতিরাশি প্রতাহ ষেডেছে ভামি তারি ছু-চারিচি অশ্রল।

কবিভা লিখিলে আনন্দ পান সতা, নাটকে রও প্লট স্বাথায় ঘুবিতেছে বোধ হয় এই নাটক হুইতেছে-_'গোড়ায় গলছ'। এই নাটকের কল্পনা হ্টতেই কি রসিকত। সন্বপ্ধে প্রশ্ন মনে জাগিতেছে? বোলপুর থাকিতেই আটদিন-পৃরে-লিখিত পন্নমধো রসিকতা সম্বন্ধে যে কথা-কমটি বলেন তাহা নিজের সহিত নিজের বুঝাপড়ায় মতো। তিনি লিখিয়াছিলেন, “রসিকতা জিনিসটা বড় বিপদের জিনিস-_ যদি প্রসন্ন সহান্তমুখে আপনি ধর! দিলে তো অতি উত্তম... মেয়েরা রমিকতা করতে গিয়ে যদি মুখরা হয়ে পড়ে তবে সেটা ভারী অশোভন দেখতে হয় ।-.. “কমিক' হতে চেষ্টা করে সফল হলেও মেয়েদের সাজে না-_ নিক্ষল হলেও মেদের সাজে না|... সৌন্দর্ের সঙ্গে বরঞ্চ প্রথরতা! শোভা! পায়, যেমন স্কুলের সঙ্গে কাটা তেমনি শাণিত কথা মেয়েদের মুখে বড্ড বাঞ্জে বটে, তেমনি সাজেও বটে। কিন্তু যে-সকল বিজ্ঞপে কোনোরকম সথলত্থের আভাসমাআ দেয়, তার দিক দিয়েও মেয়েদের যাওয়া উচিত হয় না) সে হচ্ছে আমাদের সাব্রাইম স্বজাতীয়ের

ছিকপত্রালী | পত্র ৪১। শিলাইদহ, এপ্রিল ১৮৯২। ছিনপজাবলী | পনর ৫১। ১৬ জোর্ট [ ১৯৯২]। বর্ধাধাপন, ১৭ জৈষ্ঠ ১২৯৯ শান্তিনিকেতন সোলার তরী রবীন্র-রচনাবলী ৩, পৃ ২৭।

৩২৪ রবীন্দ্রজীবনী খ্রীষ্টাবব ১৮৯১

জন্যে | পুরুষ ফল্স্টাফ আমাদের হাসিয়ে নাড়ী ছিড়ে দিতে পারে, কিন্তু মেয়ে ফল্স্টাফ আমাদের গা জালিয়ে দিত১।” কবির বিচিত্রসাধ শিশুমনের ম্বায়ই নৃতনের জন্ত আবেগময় লালায়িত। পরদিন পিখিলেন, “হিং টিং ছট্‌”২ তৎ্পরদিবসে 'পরশপাথর'*-_ সম্পূর্ণ বিপরীত রসের দুইটি কবিতা “হিং টিং ছট্‌' রসাত্মুক কবিতা বটে, তবে তাহা তীব্র ন্যঙ্গরস, পাঠকের উপভোগ্য হইলেও যাহাকে বা যাহাদের লক্ষ্য করিয়া উহ রচিত হইয়াছিল, তাহাদের পক্ষে আদৌ শ্রতিম্থথকর হয় নাই। কবির মনে অকন্মাৎ এই তীব্র ব্যঙ্গের উদ্ভব কেন হইল, তাহ1 আমরা বপিতে পারি না। এই ব্যঙ্গকবিতাটির লক্ষ্যস্থল কে. তাহা লইয়া সমসাময়িক পত্রে এককালে বহু গবেষণা হইয়াছিল। তৎকালীন লেখকদের ধারণ] হইয়াছিল যে কবিতাটি চন্দ্রনাথ বস্থুকে লক্ষা করিয়া রচিত; কারণ যে-মাসের সাধনায় “হিং টিং ছট্‌' বাহির হয়, মেই সংখ্যায় চন্দ্রনাথ বন্থুর স্বরচিত লয়তব" নামে এক প্রবন্ধে রবীন্দনাথ চন্্নাথকে তীব্রভাবে আক্রমণ করেন আমাদের মনে হয় এই গ্রবন্ধট “সাধনার নিতানৈমিত্তিক' লেখার অন্যতম | চন্দ্রনাথ বস্থর লিয়তত্' প্রবন্ধ যে ঠাহার অবচেতন মনে কাজ করিতেছিল না, তাহা বলা স্থকঠিন। কিন্তু ইহা! যে চক্ছনাথ বস্ুকে লক্ষাত করিয়া লিখিত তাহ একখানি পত্রযোগে কৰি অস্বীকার করেন। কিন পরে আমরা কয়েকবার দেখিয়াছি যে একটা বেফাস উক্তি বা মন্তব্য করিয়া কবি পরে প্রবলপক্ষের দ্বারা উত্পীড়িত হইয়া পতাখানি করিয়াছেন 1 ক্ষেত্রে তাহ যে হয় নাই তাহা বলা যায় না। এই সময়ে রূপকথার কবিতা লিখিতেছেন “হি” টিং ছটোর মধো সেই কপকপাব পদজুমি আছে কিন্ত অবচেতন মনে শশধর তর্কছুডামণি চন্দনাথ বস্তুর আজগুবি ধর্মঘতের কথাটি ছিল, কবিতার ভাতা স্পর্ঠ হইয়া পড়িল আসলে চন্দ্রনাথই কবির মনে ছিলেন; কারণ চন্দনা বলিক্কাছিলেন যে শশবর তকটুডামশি যেমন বলিছসন পু ধাতু হইতে ধা অর্থাষ্চ যাহা ধারণ করে তাহাই ধর্ম তেমলি আনার সংশয় দর হইল, শিশ্বের যাহ] কিছু আছে সকপহ ধের অশ্কুগত দেখিলাম | যাহা এত অদ্বেষণে পাই নাই ভাহা পাইলাম ।”৫ এই শ্রেণীর ধুক্তিবই উপধ্ক্ধী উদ্ভব হিং টিং টার ম্বপ্পকথা - স্বপ্নকথা শুনি মুথ গম্ভীর করিয়া কহিল গৌড়ীয় সাধু প্রহর ধপ্রিয়া, “নিতান্ত সরল অর্থ, এটি পাবদ্দার, পুরাতন ভাব, নব আবিদ্কার 1... সাধু সানু সাধু এবে কাপে চারিধার, সবে বলে পরিক্কার) অতি পিক্কার। দুর্বোধ যা-কিছু ছিল হয়ে গেল জল, শূন্য আকাশের মতে! অতা্গু নির্দল “হিং টিং ছ' পিখিবার পরদিন লিখিলেন পিরুশপাখর? 5 ইহা য়ে কবির শে করিতারাজির অন্যতম, তাহা প্রায় সর্ববাদিসম্মত। শান্ঠিনিকেতনে বাসকালে ইহাই এবারকার মতো শেষ কবিতা বগা ইহার পরে প্রায় একমাস তীহার ছিশ্্রপত্রাঝলী ! পত্র ৪৭1 কষ্ট ১২৯৯) হিং টিং ছট, ১৮ জ্যৈঠ ১২৯৯ শান্িশিকেতল। সাধনা, শ্রাবণ ১২৯৯ সোনার তরী, রবীন্-র€নাঝলী ৩, পৃ ৩১। পরশপাপর, ১৯ জ্যেঠ ১২৯৯ সাধনা, ভাদ্র আাখিন ১১৯৯] মোনার তরী, রবীন্-্চনাৰণী ৩, পু ১৭) নগেক্সনাথ গুপ্ত, তর্কবৈচিা, সাহিতা, ফান ১৯৯৯ কবিঠার লক্ষাস্থল চন্রনাখ ব5। হিনি রবীলনাথকেট এই বিরোধের জন্ত দায়ী করেন। নবীনচন্ত্র সেন, “জামার ভীবন' পুস্তকে চক্রনাণ বন্নুর কথা যেখানেই উল্লেধ করিয়াছেন, পেইপানেই স্ঠাহাকে হিং টিং ছটা বলিয়া বিচ্ধুপ করিয়াছেন ত্র. চারুচন্ত্র বন্দ্যোপাধ্যায়, রবিরশ্মি, পূর্বভাগ & হরিমোহন সুগোপাধ্যায়, বঙ্গভাষার লেখক, পৃ ৯৯১

গ্রষ্টাৰ ১৮৯২ বর্ধাকালে পগ্মায় : ১২৯৯ ৩২৫

সহিত কাব্যলম্ীর আর দ্েখাশুন। হয় নাই। শান্তিনিকেতন-বাসের 'ছেলেবেলাকার ঘোরো স্থতি' ঘিরিয়া 'পরশপাথর, কবিতাটির কল্পনা উদয় হয় বলিয়া আমাদের মনে হয়। তাহাদের আশ্রিত এক প্রাক্তন ফরাসি সৈনিক “একট ছোট হাতুড়ি নিয়ে আর-একটা থলি কোমরে ঝুলিয়ে... খোয়াইয়ে দুর্লভ পাথর সন্ধান করে বেড়াত। একদিন একটা বড়গোছের স্টিক মে পেয়েছিল .. আমিও সমস্ত ছুপুরবেলা খোয়াইয়ে প্রবেশ করে নানারকম পাথর সংগ্রহ করেছি, ধন উপার্জনের লোভে নম পাথর উপার্জন করতেই ।”১ পরশপাথরে"'র মধো উপমাচ্ছলে যে লিখিয়াছিলেন__

বিরহী বিহঙ্গ ডাকে সার] নিশি তরুশাখে, যাবে ডাকে তাব দেখা পায় না অভাগা তবু ডাকে লারাদিন আশাহীন শ্রাস্তিহীন,

একমাত্র কাজ তার ডেকে ডেকে জাগ।

এই চিত্রটি সেদিনের পত্রধারার মধ্যে প্রকাশ পাইয়াছে | পরশপাথর সন্ধানের মধ্যে যে-ব্যর্থতা পরিবাক্ত হইয়াছে, তাহ] যেন পাখির ভাকের অন্তহীন পুনরাবুত্তির মধো দূপ লইয়াছে।

মানুষ খ্যাপার মতো জীবনের দুর্লভ ক্ষণের অনুসন্ধানে ছুটিয়! চলিয়াছে; সে সর্বদা ভাবিতেছে স্পর্শমণি পাইলে জীবন সার্থক হইবে। অর্থাৎ জীবনকে পাইতে হইলে বিশেষ কোনো পদার্থের স্পর্শ প্রয়োজন ; কিন্তু কর্মপ্রবাহের মধোই থে তাহার জীবন পরিপূর্ণ হইয়া চলিয়াছে, তাহা সে জানে না। দৈনন্দিন কর্ম-অভাযাসের ফলে জীবনের পরম স্ন্দর মুহুর্তগুলিকে মে উপেক্ষা করিয়া চলে, তাহাদের দিকে ফিরিয়া! তাকায় না। অকনম্মাৎ সে আবিষ্কার করে তাহার অন্তহীন কর্মশঙ্ধলের মধা দিয়া জীবনের বম সার্ধকতাকে সে কোনো দুর্পভ ক্ষণে লাভ করিয়া গিয়াছে সে জানে না কেমনভাবে তাহ] সাধিত হইল। সে জানিতে পারে নাই, কখন তাহার লৌহকঠিন জীবন স্বণ্ময় হইয়াছে জীবন- প্রবাহে কিমের আঘাতে কখন সে জীবন সার্থক হয় তাহ] বলা বড় কঠিন। প্রতিদিনের অভ্ন্ত কর্মের বাস্ততায় তাহা সে লক্ষ্য করে নাই যেস্পর্শমণির সন্ধানে মে জীবন ব্যাপিয়া কর্মসাগরকে মন্থন করিয়। বেড়াইয়াছিল, মেই পরশপাথরকে সে পাইয়াছে বটে, কিন্ত জানতঃ নহে তাই সে এক সময়ে জানিতে চায় কোন্‌ মুহুর্তে কিসের স্পর্শে জীবন তাহার ্ব্ণময় সুন্দর সার্থক হইয়াছে খাপা বুঝে ন1 ষে, সেযাহার সন্ধানে ফিরিতেছে তাহা কোনো বিশেষ বন্ত নহে-_ সেট জীবনধারার সমগ্র সাধনা, বিশেষের মধো তাহার অনুসন্ধান নিরর্থক |

বধাকালে পল্সায় : ১২৯৯

বোলপুর হইতে জোষ্ঠটমাসের শেষভাগে (১২৯৯) চলিলেন উত্তরবঙ্গে সী পরিবার কলিকাতায় বৃহিযা গেলেন নৌকায় আছেন শিলাইদহের ঘাটে, আষাঢ়ের প্রথম সপ্তাহট কাটিয়া গেল মেখানে আধাঢেব প্রথম দিবসে মেঘদূতের কথা মনে পড়ে; নানা চিন্তার উদয় হয় বর্ধণমুখর দিনে; আপনার সহিত আপনি কথা কহিয়া যান দীর্ঘপত্র মধ্যে। মনে পড়িতেছে, হাজার বৎসর পূর্ধের কালিদাসের কথা, “মেই যে আধাটের প্রথম দিনকে অভার্থনা করেছিলেন।” কবি ইন্দিরা দেবীকে (১৯) লিখিতেছেন, “আমার জীবনে প্রতি বংসরে সেই আধাটের প্রথম দিন তার সমস্ত আকাশজোড়া এশ্বর্য নিয়ে উদয় হয়... যারা সৌন্দর্ষের মধো সত সত্যি নিমগ্ন হতে অক্ষম তারাই সৌন্দর্ধকে কেবলমাত্র ইন্জরিয়ের

আশ্রমের রূপ [নকাশ, ন্দাশ্রম শিপ্যালযেব সূচনা পৃ. ৭১। ছিয্লপত্রাবলী। পঞ্জ৫২। যোলপুর, ৩১ মে ১৮৯২ [ ১৯ জোট ১২৯৯ ]।

৩২৬ ববীন্দ্রজীবনী আষ্টা ১৮৯২

ধন বলে অবজ্ঞা করে| কিন্ত এর মধ্যে যে অনির্বচনীয় গভীরতা আছে, তার আম্বাদ যারা পেয়েছে তারা জানে শৌন্দয ইন্ছিয়ের চূড়ান্ত শক্তির৪ অতীত 1৮১

কিন্ত মনের মধ্যে কিমের একটা ছন্দ চলিতেছে কলিকাতার বোধ হয় একটা-কিছু আঘাত পাইয়াছিলেন; তাহ! না হইলে শিলাইদহে আসিয়া! কথা কেন পিখিবেন, “এসৰ শিষ্টাচার আর ভালো লাগে না।-- "ইহার চেয়ে হতেম যদি আরব বেছুয়িন'। বেশ একটা সুস্থ সবল উন্মুক্ত অসভ্যতা! দিনরাত্রি বিচার আচার বিবেক বুদ্ধি পিয়ে কতকগুলো বহুকেলে জীর্ণভার মধ্যে শরীর মনকে অকালে জরাগ্রস্ত না! করে, একট] ছ্বিধাহীন চিন্তাহীন প্রাণ শিয়ে খুব একটা প্রবল জীবনের আনন্দ লাভ করি।-.. একবার যদি এই রুদ্ধ জীবনকে খুব উদ্দাম উচ্চুজ্খল ভাবে ছাড়া দিতে পারুতুম-** একটা বলিষ্ঠ বুনো ঘোড়ার মতো কেবল আপনার লঘুত্বের আনন্দ-আবেগে ছুটে যেতৃম ! কিন্ত আমি বেছুইন নই, বাঙালি ।২ আধাঢ়ের প্রথম দিবস লইয়৷ কবিত্ব উচ্ছ্বাস-আবেগ প্রকাশের পূর্বগিনে পত্রে পিখিলেন “আমি আন্তরিক অসভা, অভদ্র-- আমার জন্বে কোথাও কি একটা ভারী স্বন্দর অরাজকতা নেই।” ইত্যাদি প্রথার সঙ্গে বৃদ্ধির, খুঁদ্ধর সঙ্গে ইচ্ছার, ইচ্ছার সঙ্গে কর্ষের যে-দন্, তাহ] হইতে মুক্তি খুঁজিতেছেন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ কবি, তাহার অন্তরের গভীর সৌন্দধবোধ হইতে তাহার পক্ষে অরাজক অনিয়স্থিত অন্ুন্দর জীবন-যাপন করা অসম্ভব। বলা বাহুলা, এগুলি সামরিক উচ্ছ্বাম মাত্র__ কন্ভেন্শনালিটির বিরদ্ধে স্বগতোক্তি। সত্য বাণী বাহির হইল এই পর্ধারায়: “সহজ ভাবে আপনার জীবনের প্রাতাহিক কাজ করে যাওয়ার চেয়ে সুন্দর এব" মহৎ আর-কিছু হতে পারে না।”৩ "বড বড় ছবাশার মোহে জীবনের ছোটে আনন্দগুলিকে উপেক্ষা করে আমাদের জীবনকে কা উপবাধী করেই রাখি 1৮8

কয়েকদিন পূর্বে বোলপুর হইতে ইন্দিরা দেবাকে লিখিয়াছিলেন, “ছুটো-তিনটে ভাবী নাটকের উম্লেদার মাঝে মাঝে দরজা ঠেলাঠেলি করছে শতকাল ছাড়া বোধ হয় সেগুলোতে হাত দেওয়া হয়ে উবে না|” (১৬ জোট ১২৯৯ )। কিন্তু প্েখা গেল অতরদিন তাহারা অপেক্ষ। করিল না। বোলপুর হইতে শিলাইদহে আলিবার কয়পিনের মধো “গোড়ায় গলদ প্রহসনট। লিখিয়া ফেলিলেন। ইন্দির। দেবীকে শিলাইদহ হইতে লিখিত্ছেন, “কাল [৮ আধাঢ ১২৯৯] আমার নাটকটাকে শেষ পে দেওয়া সমাপ্ করেছি একট্ু-আধট বদপ-সদপ হয়েছে_ নাটকে আবার খুব বেশি হাত ছেড়ে দে ওয়া যায় না-_ কাজটা অনেকটা চৌথুড়ি হাকানোর মতো. অনেক গুলো ঘোড়াকে এক গাড়িতে জুতে, এক রাস্তা দিয়ে, এক উদ্দেশ্যের দিকে লিয়ে যাওয়া। স্থতরাং ওর মধো কোনো-একটা ঘোড়াকে বেশি লাগাম ছেড়ে দেওয়া যায় না, সবকটাকে মান গতিতে ছ্োটানো চাই |” নাউক-রচনার শৈলীব শ্রেষ্ঠ কথা কূপকন্থলে বলা হইয়াছে

শিলাইদহ হইতে কবি পাহাজাদপুর আসিফ়াছেন) সেখান হইতে স্বীকে লিখিতেছেন, "ঢুপতে ঢুলতে গড়াতে গড়াতে সাধলার কাজ” করিতে হইতেছে। সঙ্গে আছে জমিদারির কাঙ্গ, গ্রামা-ঞুলের ছারসতায় মভাপতিহ, পুণ্যাহ প্রভৃতি লেংকিক অনুষ্ঠান উদ্যাপন ।* পুণযাহ গিনিসটা আজকালকার লোকের জানার কথা নয়) পু্যাহ অরে জমিদারি ব্সরের আারম্তপিন। 'পঞ্চছঁতে কবি লিখিতেছেন, “আজ প্রজারা যাহার খেমন ইচ্ছা কিছু কিছু খাজনা লইয়া

্চিন্নপরাবলী ! পত্র হ৫| আমাঢ ১২৯৯। ছিন্রপত্রাবলী প্র 291 ৩১ হো ১১৯৯। ছিন্রপত্রাবপী। পর ৫১। ১৬ ভুন ১৮৯১ ৪. [ছন্পত্রাবলী | পর্র ১১। ২প জুন ১৮৯২ | « ছিন্পপত্রালী পত্র ৫*।

ছিন্পপত্রাবলী পত্র ৬৫-৬১।

গ্ী্াৰ ১৮৯২ বর্ধাকালে পল্মায় : ১২৯৯ ৩২৭

কাছারি-ঘরে টোপর-পর! বরবেশধারী নায়েবের সন্মুথে আনিয়া! উপস্থিত করিবে সে টাকা সেদিন গণনা করিবার নিয়ম নাই | অর্থাৎ খাজনার দেনাপাণ্না যেন কেবলমাত্র স্বেচ্ছাকৃত একট1 আনন্দের কাজ ইহার মধ্যে একদিকে নীচ লোভ, অপরদিকে হীন ভয় নাই।” পূর্বরাত্রে কোথা হইতে লোকে একটা ব্র্যাস ব্যাণ্ড আনিয়াছে। বাজনা- বাছ্যের মধো কবির ভাষায় “থাজনা-দেবীর নিকটে বলিদানের বাদ্য বাজিতেছে ।” স্ত্রীকে লিখিত সমসাময়িক এক পত্রে জমিদারি পরিচালনা করিতে হুইলে যেসব উপদ্রব করিতে হয়) তাহার সহিত কবিত্বের ঘে কোনো যোগ নাই, তাহা প্রায় স্পষ্ট করিয়াই কবুল করিতেছেন।১৯ “কবিত্ব এবং সংসার এই দুটোর মধ্যে বনিবনাও আর কিছুতে হয়ে উঠল না দেখছি ।” জমিরারী-উপসত্বভোগ সম্বন্ধে কবির অন্তরে [ঘধ। বরাবরই নান! স্থানে রচনার মধ্যে, প্ধারায় প্রকাশ পাইয়াছে সত্য, কিন্তু আদর্শে-বাস্তবে সম্পূর্ণ যোগ স্থাপন করিতে পাবেন নাই বলিয়া শেষ পর্ধস্ত ছুঃখও রহিয়! গিয়াছিল। ইহার মধো মানুষ গৃহী রবীন্দ্রনাথের বূপটি প্রকাশ পায়, যখন কলিকাতা হইতে স্ত্রীর পত্র পান লা; মুণালিনী দেবীকে লিখিতেছেন, “তোমাদের মতো এত অকৃতজ্ঞ আমি দেখিনি ।... চিঠি লিখে লিখে কেবল তোমাদের অভ্যাস খারাপ করে দেওয়া হয়।... তুমি যদি হপ্তায় নিয়মিত ছুখান1! করে চিঠিও লিখতে তা হলেও আমি যথেষ্ট পুরস্কার জ্ঞান করতৃম।... আমি মূর্খ কেন যে মনে করি তোমাকে রোজ চিঠি লিখলে তুমি হয়তো একটুখানি খুশি হবে এবং না লিখলে হয়ত চিন্তিত হতে পার, তা ভগবান জানেন।” পন্রখানি পড়িলে রবীন্দ্রনাথের ভিতরের মানুষটিকে দেখা যায়। এইবার উত্তরবঙ্গ-ভ্রমণকালে ঝচিত তিনটি কবিতা সোনার তরীর মধো স্থান পাইয়াছে-_ বৈষ্ণব কবিতা (১৮ আধাঢ ১২৯৯ ), ছুই পাখি (১৯) আকাশের চাদঃ (২২)। ধর্মশাস্ত্রে বলে দেবতার ছাচে মানুষ তৈয়ারী হইয়াছে__ মানুষকে বলা হয় “ইমেজ অব গড'। কবি দেখিতেছেন সম্পূর্ণ বিপরীত ভঙ্গিতে ; তিনি বলিতে চান মান্ষের রূপে দেবতারা স্। অন্তরের মধ্যে যে-প্রেমলীল! চলিতেছে তাহার আধার মৃখ্যত মাহুষ_ সত্য করে কহ মোরে হে বৈষ্ণবক বি, কোথা তৃয়ি পেয়েছিলে এই প্রেমচ্ছবি, কোথা তুমি শিখেছিলে এই প্রেমগান বিরহ-তাপিত। হেরি কাহার নয়ান, রাধিকার অশ্র-আখি পড়েছিল মনে। এই প্রেমগীতি-হার গাথা হয় নরনারী-মিলনমেলায়, কেহ দেয় তারে কেহ বধুর গলায়। দেবতারে যাহা দিতে পাবি, দিই তাই প্রিয়জনে-_- প্রিয়জনে যাহা দিতে পাই ১. চিঠিপত্র ১। পত্র *৯। পৃ২৩। বৈষবকবিত1। সাধনা, ফান্তুন ১২৯৯। লোনার় তরী, রখীজ্র-রচনাধলী ৩, পৃ৪*। ছুই পাখি। মোনার তরী, রবীন্র-রচনাবলী ৩, পূ ৪৩। গানের বছি (১৮৯৩) পৃ ১২। ১৯** শতগান এরস্থে গান-রূপে গৃহীত। নীতবিতান ৩, পৃ ৭৭৭ | স্বয়বিতান ৩৩।

আকাশের চাদ। বমুনাঘ। বিয্াহিমপুয়ের-পণে। আবাঢ ১২৯৯ [৫ জুলাই ১৯৯২] সাধনা! জোট ১৩*। সোনার তরী, রবীজ-রচনাবলী পৃ ৪৫।

৩২৮ বৃবীন্দ্রজীবনী খ্রষ্টাৰ ১৯৯২

তাই দিই দেবতারে ; আর পাব কোথা!

দেবতারে প্রিয় করি, প্রিয়েরে দেবতা এই কথাই “চৈতালি'র 'পুণ্যের হিসাব কবিতায় বলেন, “যারে বলে ভালোবানা তারে বলে পৃজা”। পঞ্চভূৃতের মধ্যে 'ন্ুপ্ট' প্রবন্ধে (সাধনা, বৈশাখ ১৩০০ ) রবীন্দ্রনাথ এই প্রেমতন্ব অন্গাভাবে আলোচনা করিয়াছেন, “যাহাকে আমরা ভালোবাসি কেবল তাহারই মধো আমরা অনস্তের পরিচয় পাই। জীবের মধো অনগ্তকে অশ্নভব করারই অন্য নাম ভালোবানা। প্রকৃতির মধ্যে অনুভব করার নাম সৌন্দধসভোগ ।-"" সমস্ত বৈষ্বধর্ষের মধো এই গভীর তব্টি নিহিত রহিয়াছে 1”

“দেবতারে প্রিয় করি, প্রিয়েরে দেবতা" -বাকোর মধো বেশ একটু ছৈতবোধ, এমনকি ছন্দও আছে বলিয়া মনে হয়। এক দিকে দেবতা অপর দিকে মানব, এক দিকে বিশ্ব, অপর দিকে পরিবার এই অসীম সীমা এই বানি সমষ্টি, এই শ্বাশ্বত সতা লৌকিক আচার, এই বিশ্বমানবতা সাংসারিক বাস্তবতা সবের মধো এই ছম্ছ) একদিক্টা অন্যদিকের বিকৃতি বা! 80000515 মনে হইলেও তাহারা অচ্ছেগ্ বন্ধনে গ্ররথিত।

এই ছন্দ বনের পাখি খাগার পাখির মধ্যেও

ছু জনে একা! একা ঝাপটি মরে পাখা কাতরে কহে কাছে জায় বনের পাখি বলেন "না, কবে খীচায় রধি দিবে ছার ।? থাচার পাখি বলেন হায়, মোর শকতি নাহি উডিবার |”, ন্শিত্ন্ষাণ্ডে চিরকালের এই ছন্দ, এই ক্রন্দন, এই আহুখ গুন-_ ইহাকে নিরাকত করিতে গিয়া যত বিপ্লবের জন্ম

“আমাদের প্রকৃতির মধ্যে একটি বঙ্গন-অসহিষুঃ শগেচ্ছাবিহাবপ্রিয় পুরুষ এবং একটি গৃহ্বাসিলী অবরুদ্ধ রমণী দুঁড অধিচ্ছেগ্য বন্ধনে আবদ্ধ হইয়! আছে। একজন জগতের সমস্ত নৃতন নৃতন দেশ ঘটনা এব অবস্থার মধো নব নব রলান্থাদ করিয়া আপন অমরশক্তিকে বিচিত্র বিপুল ভাবে পরিপুষ্ঠ করিয়া তুলিবার জন্য সদা বাকুল, আর-একজ্গন শতসহশ্র অভ্যাসে বন্ধনে প্রথায় প্রচ্ছন্ন এবং পরিবেষ্টিত | একজন বাহিরের দিকে লইয়া যায়, আর-এক জন গৃহের দিকে টানে একজন বনের পাখি, আর-একজন খাচারু পাথি। এই বনের পাথ্টাই বেশি গান গাহিয়া খাকে। কিন্তু ইহার গানের যধো অসাম স্বাধীনতার জন্য একটি বাকুলতা একটি অভ্রভেদী ক্রন্দন বিবিধ ভাবে বিচিত্র রাগিণীতে প্রকাশ পাইয়া থাকে 1৮২

মাতষের চিরম্থন দ্বন্দের সমাধান £ নয় মে প্রকৃতি বা বাস্তবকে নিশ্চি্গ করিয়] অনচ্ছিন্ন সমাপির মধ্ো আহ্মুবিসর্জন- যদিও সাধারণত ধর্প্রচারকগণ এই প্রকৃতির সাসর্গত্যাগের জন্ত মানুষকে বুথাই উপদেশ দিয়া আপিতেছেন। মুমুক্ষু ক্রন্দন করিয়া বলে

তোমাদের আমি চাহি নাকারে ও, শশা চাই করতলে 177.

হাতে হলে দাগ আকাশের চাদ-_ এই হল হার বুলি। দুই পাখি ! সাহাঙ্গাদপুর | ১» আদাঢ় ১২৯৯ নোনার তরী, রবীন রচনাবলী + পু £১। ভারহী, চৈত্র ১২৯৯ সাংখা।য় কবিতাটির শ্বরলিপি মুদ্রিত হয় এই কৰিভাট ভারতী, অন্র্ায়ণ ১২৯৯, পৃ 9৭৯, 'নরনাহী' নামে প্রকাশিত হয়। বিহারীলাল, সাধনা, আধাড় ১৩০১: ্দাধুনিক সাহিত্য, রবীন্্র-রচনাবলী », পু ৪১৪।

এ্াষ্টান্দ ১৮৯২ বর্ধাকালে পঞ্মায় : ১২৯৯ ৩২৯

দিবস রজনী যেতেছে বহিয়া, কাদে সে দু-হাত তৃলি।... অবশেষে যবে জীবনের দিন আবু বেশি বাকি নাই, এমন সময়ে সহসা কী ভাবি চাহিল সে নুখ ফিরে, দেখিল ধরণী শ্যামল মধুর সুনীল সিন্ধৃতীবে ।-.. দেখিল চাহিয়া জীবনপূর্ণ সুন্দর লোকালয় প্রতিদিবসের হরষে বিষাদে চির-কলোপময় 1... যাহাদের পানে নয়ন তুলিয়া চাহে নি কখনো ফিবে, নবীন আভায় দেখা দেয় তারা স্বতি-লাগরের তীরে 1... ছু-বাহু বাড়ায়ে ফিরে যেতে চায় ওই জীবনের মাঝে 1-." যাহা পেয়েছিল তাই পেতে চায় তার বেশি কিছু নহে ।*--১ কয়েকদিন পূর্বে কবি ইন্দিরা দেবীকে লিখিয়াছিলেন, তাহারই প্রতিধ্বনি পাইলাম এই কবিতায়। পত্রের মধ্যে লেখেন, “বড় বড় ছুরাশার মোহে জীবনের ছোট ছোট আনন্দ গুলিকে উপেক্ষা করে আমাদের জীবনকে কী উপবাসী করেই বাখি 1." এইসমস্ত স্থলভ আনন্দের অপরিতৃপ্তি জীবনের হিসাবে প্রতিদিন বেড়ে উঠছে, এর পরে এমন-একটা দিন 'আসতেও পারে যখন মনে হবে যদি আবার জীবনটা সমস্তটা ফিরে পাই তা হলে আর কিছু অসাধাসাধন করতে চাই নে, কেবল জীবনের এই প্রতিদিনের অযাচিত ছোট ছোট আনন্াগুলি প্রতিদিন উপভোগ করে নিই 1৮২ পদ্মার জীবন কেবল কবিতার ছন্দবচন। জমিদারি যস্থচালনা নহে | জমিদারি যঙ্ছের মধো হাজার বুকমের কগ্কাট আছে-__ ফটিক মজুমদারের মকদ্দমায় প্রতিবাদীর পক্ষের উকিল বক্তৃতায় তাহাদের বিরুদ্ধে কি কি কথা বলিয়াছে, তাহাও মন দিয়া শুনিতে তার পর যথাযোগা ব্যবস্থা দিতে হয়। “সাবেক ইজারাদারদের নামে বাকি-খাজনার ডিক্রি করা হয়েছে-- তার সদ মাপ নিয়ে কিস্তিবন্দপী করে টাকা দিতে চায় এবং তাদের দেনার মপ্দো যেসমস্ত ওজর আছে তারও একট! সদবিচার” করিতে হয়। এই শ্রেণীর কাঙ্জ অগণিত। জমিদারি উপসত্বভোগী হিসাবে সবঠাই মধু নয়, হুল আছে। বর্ধার পদ্মায় এবার দুইবার কবির জীবন সংকট হয়, ২৭ জুলাই স্ত্রীকে ইন্দিরা দেবীকে যে পত্র দেন, ভাহাতে একটি ছুর্ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা আছে। স্ত্রীকে লিখিতেছেন, “আজ আর-একটু হলেই আমার দরদী নিকেশ হয়েছিল। তরীর সঙ্গে দেহতরী আব-একটু হলেই ডবেছিল |” রবীন্দ্রনাথ যৌবনে খুবই শক্তিমান ছিলেন। পঞ্মায় সাতার দিতে বা দীর্ঘ সময় নৌকা বাহিতে তাহার সমপধায়ের কোনো ব্যঞ্জি ছিলেন না। এইসব দুর্ঘটনা! ঘটিবার পর মনে হইল তাহার কোষ্ঠী দেখাইবেন। প্রিয্ননাথ সেন ফলিত জ্যোতিষ সগ্ষদ্ধে ভালোরকম পড়াশ্ডনা করিতেন ; প্রশ্ন উঠে কবি কি হাত দেখা, কোগ্ী করা প্রভৃতিতে বিশ্বামবান ছিলেন? হয়তো ছিলেন হয়তো! ছিলেন না; কারণ তিনি বলিতেন বিশ্বাস করা যেমন গোড়ামি, বিশ্বাস করিব না তাহাও আর-এক শ্রেণীর গৌড়ামি ; মনকে খুলিয়া রাখো-_ পরীক্ষা করো সত্াসত্য নিণীত হইবে। তবে কবির বয়োবুদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তাহার মন নানাভাবে সংস্কারমুক্ত হয়-_ এই তথা আমরা তাহার জীবন-কথা আলোচনা কৰিতে করিতে আবিষ্কার কবিব। আকাশের চাদ, সোনার তরী, রবীজ-রচনাবলী ৩, পু ৪*।

গ্রিব্রপত্রাৰলী। পত্র ৬১। সাহাজাদপুর। ২৮ জুন ১৮৯২ [১৫ আঘাড় ১২৯৯] ৪২

৩৩০ খ্রীষ্টান ১৮৯২

সাধনার ছোটশল্ল

সাধন! যুগের শ্রেষ্ঠ দাহিত্যস্থ্ি হইতেছে ছোটগল্প। “হিতবাদী'তে ( বৈশাখ ১২৯৮) ছোটগল্পের যে নৃতন ধার! রবীন্দ্রনাথ প্রবর্তন করিয়াছিলেন কী কারণে তাহা কয়েক মাসের মধোই বন্ধ হইয়া যায়, সেকথা আমর] পূর্বেই বলিয়াছি। মাধনার টানে ছোটগল্প পুনরায় দেখা দিল ১১ প্রথম বৎসরে প্রতি মাসে একটি করিয়া গল্প লেখেন।

এই-সব গল্পের নায়ক-নায়িকা যদি তাহাদের সে আখ্যা দেওয়া যায়-_ কবির চোখে-দেখা মানুষ, কানে- শোনা তাহাদের কাহিনী উত্তরবঙ্গের জমিদারিতে বাসকালে নদীপথে বেড়াইবার সময়ে বিভিন্ন লোকের সংস্পশে তাহাকে আসিতে হয়; যে-সব সমস্যা লইয়া গল্পের স্থষ্টি, তাহার অনেকখানিই সেইসব মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সংগ্রাম কাহিনী, দুঃখের ইতিহাস। কিছুট! দেখিয়া! কিছুট! শুনিয়া-_ অবশিষ্টটা অসাধারণ অন্তর্ূষ্টিব সাহায্যে বুঝিয়া অপরূপ কল্পনার রঙে রাঙাইয়া, অতুলনীয় ভাষার সাহায্যে যাহা প্রকাশ করিলেন, তাহাই হইতেছে ছোটগল্প এখানে বলা আবশ্বক গল্প ছোট হইলেই ছোটগল্প হয় না; ছোটগঞ্পের একটি বিশেষ রীতি আছে। ছোটগল্প উপন্যাসের মধো যে-প্রভেদ, তাহা কেবল আকারগত নহে, অনেকটা প্রকৃতিগত তা ছাড়া আমাদের দেশে উপন্াম হইতে ছোটগল্লেরই উপাদান পাওয়া যায় বেশি। ববীন্দ্রনাথের স্বাভাবিক প্রতিভা আবিষ্কার করিয়াছিল যে, আমাদের সমাজের “জীবনযাত্রা যেরূপ সংকীর্পরিসর বৈচিত্রাহীন, তাহাতে ছোটগল্পের সহিতই ইহার একটা! স্বাভাবিক সংগতি সামগ্রশ্ত আছে ।” শশ্রকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলিয়াছেন, “আমাদের জীবন যেসমন্ত ক্ষ বিক্ষোভের দ্বারা আন্দোলিত হয়, তাহ] ছোটগল্পের সংকীণ গির মধ্যে মহজেই সীমাবদ্ধ হইতে পাবে; যতটুকু মাধুষ ভাবগভীরতা আমাদের সাধারণ প্রাতাহিক কাধের মধ্যে সঞ্চারিত হয়, তাহা ছোটগল্পের গ্ুদ্র পেয়ালার মধো সহজেই ধরিয়া বাখা যায় তাহার জন্য উপন্তাসের বাপ্তি বিস্তারের প্রয়োজন নাই ।”২

এই যুগের প্রথম গল্প হইতেছে 'খোকাবাবুর প্রতাবতন' | পন্ার রাক্ষুসে ছবি দিয়া গল্পের আরস্ত মানুষের বার্থ জীবনের হাহাকারে পরিসমাপ্তি। বিশ্বপ্রক্তির অতুলনীয় শোভা জড়ের নিবিকার নিষ্টুরতার সঙ্গে মানব- প্রকৃতির নেহ প্রেম বাৎসল্য এবং তাহার মৃঢ হৃদয়হীনতার এমন অদ্ভুত সমাবেশ খুব কম গল্পেই দেখা যায়। পর মাসে

সাধনা প্রকাশিত প্রথম বর্ষের গল্পের তালিকা__ পোকাবাবুর প্রত্যাবঠন, অগ্রহায়ণ ১২৯০ বিচিত্র গল্প (১৩০১) ১, রবীন বচনাধলী; ১৬, পু ১৯৫ সম্পন্তি-সমর্পণ, পৌঁষ ১২৯৮ বিচিত্র গলপ ১, রবীন্দ্র-রচনাবণী ১৬, পু 2*৩।

শি

শপ

৩। দালিয়া, মাঘ ১২৯৮। বিচিত্র গল ২, রসীন্-রচনাবলী ১৬, পৃ ৩১২। কঙ্কাল, ফান্ঠুন ১২৯৮। বিচিত্র গল্প ১, রবীন্ত্র-রচনাবল' ১৬, পু 5৯ ৫1 মুকিত উপায়, চৈত্র ১১৯৮ বিচির গর ২, রবীন্র5নাবলী ১৬, পৃ ৩২৯। ৬1 ভাগ, বৈশাপ ১২৯৯1 বিচিত্র গল ১, রবীঙ্্-রচনাবলী ১৭, পু ১৫৭1 ৭। এক রাত্রি, লোগ ১১৯৯ | ছোটগল্প (১৩** ), রবীজ-রচনাবলী ১৭, পূ ১৮৪ ৮1 একটি আব গল, আনা ১২৯৯1 বিচিত্র গল্প ২, এবাল-রওনাবলী ১৭, পু ১৭২ »। জীবিত মৃত, শ্রাবণ ভাদ্র ১২৯৯ বিচিত্র পপ ২, রবীন্্-রচপকলী ১৭, পৃ ১৮১। ১০1 রীতিমত নছেল, আছেন ১২৯৯ ছোটগল্প, রবীঙ্্র রচনানলী ১৭,প২,৫। ১১। হর্ণবুগ, আহিন ১২৯৯ বিচিত্র গল্প ১, রবীন্দ্-রচনাঝলী ১৭, ১৯৪ ১১। জয়-পরাজয়, কাঠিক ১২৯৯ বিচি গল ১. রবীশ্রী রচনাবলী ১৭, পু ১১*। রবীন্রনাপের ছোটগঞ্প, ঈীবুদার বন্দ্যোপ।খ]য কবিপরিচিত্তি, পু ৮৯

খ্ীষ্টা্খ ১৮৯২ সাধনার ছোটগল্প ৩৩১

লিখিত 'সম্পত্তি-সমর্পণ'ও নিষুর ট্রাজেডি, সেখানে কাহারো বিন্দুযাক্জ সখ বা আনন্দ নাই। উভয় গল্পের মধ্যে ঘটনা-সমাবেশের বৈপরীত্যে যেন মিল আছে। রাইচরণ নিজ কর্তব্যপালনের অনবধানতার প্রায়শ্চিত্ুন্বূপ জানিয়া শুনিয়৷ শান্তচিত্তে ছুঃখকে বরণ করিয়া লইল নিজ পুত্রকে অনুকূলের হস্তে সমর্পণ করিয়া সংসার হইতে বিদায় গ্রহণ করিল। অপর দিকে অনুকূল পরের ছেপেকে নিজের আত্মজ বলিয়া গ্রহণ করিয়া পরম পরিতৃপ্তির সহিত ঘরসংসার করিতে লাগিলেন__ এইখানে নিদারুণ ট্রাজেডির মধ্যে একটু বিজ্রপ চাপা থাকিয়া গেল। ছিতীয় গল্পে যজ্ঞনাথ নিজ পৌত্রকে না চিনিতে পারিয়া ক্ষিপ্ত অবস্থায় তাহাকে অদ্ধকৃপে নিক্ষেপ করিয়া ফিরিয়া আসিল; উন্মন্ডের সান্বনার প্রয়োজন নাই, কিন্তু বুন্দাবন গরফে দামোদর পালের জন্য লেখক কোনো! সাস্বনা, এমন-কি মিথ্যা সাহ্থনারও ব্যবস্থা ন] করিয়া হাহাকাবের মধ্যে গল্পটিকে সমাপ্ত করিলেন

“থোকাবাবুব প্রত্যাবততন' গল্পটি প্রকাশিত হইলে চন্দ্রনাথ বস্থ রবীন্দ্রনাথকে লিখিয়াছিলেন, “গল্পটি আমাকে বড় হ্ন্দর বোধ হইয়াছে ।... পরিমাণে যত্কিঞ্কিৎ, গুণে অপূর্ব 1: ছবিটা মনে এমনি বসিয়া গিয়াছে, .- যে কখনই মুছিয়া যাইবে না। এটা প্রতিভার তুলিতে আকা। তোমার তুপিতেও বোধ হয় আর এমন ছবি উঠে নাই ।”, সমসাময়িকদের মত হিসাবে যে এইটি কেবল উদ্ধৃত হইল তাহা নহে, চন্দ্রনাথ বস রবীন্দ্রনাথকে কী ন্বেহ করিতেন, ইহা তাহার নিদর্শন

সাধনার গল্পগুলি অধিকাংশই ট্রাজেডি কতকগুলির পরিসমাপ্তি অতাস্ত নিট ব-_ যেমন সম্পবি-সমর্পণ, কঙ্কাল, জীবিত মৃত, স্বর্ণমগ জয়পরাজয়। বিধবা যুবতীর প্রেমের শেষ পরিণতি যাহ। সংসারে প্রায়ই ঘটে, সাহিত্যনষ্টার হাতে পড়িয়া কী অপন্প সৌন্দর্যে তাহ! প্রকাশ পাইতে পাবে, তাহারই নিদর্শন হইতেছে 'কন্কাল' গল্পটি ছোটবেলাকার পড়ার ঘরে টাঙানো নরকস্কালের স্থৃতি হইতে কঙ্কাল? গল্পের উত্তব।*

“জীবিত মৃত' গল্পটি কিভাবে তাহার মনে উদয় হইয়াছিল সে সম্বন্ধে কবি নিজেই বপিয়াছেন; একদা বাড়িতে বহু কুটুর্গিণীর ভিড় হওয়ায় তাহাকে গভীর বাত্রে বাহিরের ঘরে শুইতে যাইতে হয়। অন্ধকারে অন্দর হইতে বাহির মহলে 'আমিতে আসিতে তাহার মনের মধো এই অধ্ুত কল্পনা জাগে, তিনি ষেন ফিরিয়া গিয়া বলিতেছেন, “ছোটবউ, আমি যাই নাই ।১৩ এই কল্পনার স্থত্র ধরিয়া গল্পটির হ্টি। “কন্কাল' এবং 'জীবিত মৃত” গল্পছয়ই মৃড়াুযবনিকাতে শেষ হইয়াছে।

ছুইটি গল্লেই নারীহদন্ের নিদারুণ ছুঃখের কাহিনী প্রকাশ পাইয়াছে ; কঙ্কালের নারী দলিত ফণিনীর স্তায় নিচু, সে নারী সহজে মরে নাই, যাহাকে ভালোবাসিয়াছিল তাহাকে মারিয়া সে মরিল। "মুক্তির উপায়” 'ধর্ণমূগ' গল্পছ্চয়েও নারী-চবিজ্ঞগুপি বড় যনোহাবিণী নহে তাহারা মুতাপাত্রে গোপনে বিষ গুয়োগ করে নাই সতা কিছ প্রতিদিনের বাক্যরসে হতভাগ্য পুরুষদের জাবনকে এমনি জর্জরিত করিয়া তুলিয়াছিল যে উভয়েই গৃহছাড়া হইয়া তবে শান্তি পাইয়াছিল।

'দাপিয়া'ঃ গল্পটি ইতিহাসের ক্ষীণধার] অবলন্থনে আধস্ত ; ভীষণ ট্রাঙ্জেডিতে পরিসমাপ্থির মুখেই তাহাকে অনিবচনীয়

চিঠিপত্র বিখভারতী পত্রিকা, বৈশাখ-আবাঢ় ১৩৫১, পৃ ৯২৭)

+ “ক্যাস্থেল মেডিকাণ পুলের একটি ছাত্রের কাছে কোনো এক সময়ে অস্থিবিগ্ঠা শিথিতে আরস্ত করিলাম দিয়া ভোড়া একটি সরকন্কাল কিশিয়। আনিয়া আমাদের ইশ্বুলঘরে লটকাইয়া দেওয়া হইল ।”-. নানাবধিগ্ঞার আয়োগন : জীবনপ্থৃতি।

সীতা দেবী, পুপাস্মতি, পূ ৪.১-৪০২ , মৈঙেছী দেবী, মংপুতে রবাশ্রনাথ, পূ ১৮২। জ-গল্পগপ্ছ ৪1 গ্রন্থগরিচয়। পৃ ৯৯৯-১৭৪১

উনিশ বংসর পরে এই গল্পটি অবলঙ্বন করিয়া [৫ 140রাণা। 94 441 নামে একধানি নিক ইংলগ্ডে প্রকাশিত হয় (১৯১২), ০41460০7 তাহার রচয়িতা, কেদারনাধ দাশগুপ্ডের উদ্যেগে তা অনুপিত, প্রকাশিত অভিনীত হয়। রবীপ্রনাপ তখন বিলাতে; এই

৩৩২ রবীন্দ্রজীবনী খ্ীষ্টাৰ ১৮৯২

মিলনোত্সবের প্রারস্তে শেষ করিলেন। কোনো চরিজ্রই আতিশষাদোষে দুষ্ট হয় নাই, কোনো চরিত্র ফোটেও নাই। 'ত্যাগ' গল্পেও বহু ছুঃখবেদনাপর্ণ ঘটনা আছে? হিংসা প্রতিহিংসা” স্বল্লপরিসর গল্পে অত্যন্ত ঠাসা গল্পের ধারা যেভাবে শুরু ঘটনাপরম্পরা যেভাবে চলিয়াছিল, তাহাতে শেষ পর্ন্ত আশঙ্কা ছিল বুঝি প্রেমেরই পরাজয় হইবে; কিন্তু লেখক অতান্ত সাহসের সঙ্গে হেমস্তের মুখ দিয়া বলাইলেন, “আমি স্ত্রীকে তাগ করিব না... আমি জাত মানি না।” “সাহসের সঙ্গে' ইচ্ছা করিয়া বাবহার করিয়াছি কারণ রবীন্দ্রনাথের উপন্তাসে বড়গন্পে যেসব প্রণয়ীবা পরস্পরের প্রেমে আবদ্ধ হইয়াছিল তাহারা সকলেই স্বজাতীয়। অর্থাৎ জাত ভাঙিয়া কাহাকে বিবাহ করিতে হয় নাই ; জাত বাচাইয়া কলে প্রেম করিয়া চলিয়াছিল, তাই হেমন্তের মুখে “আমি জাত মানি না, কথাটায় খুবই সংসাহসের সমর্থন হষ্য়াছে। তা ছাড়া ট্রাজেডি বা মেলোড্রামাটিক করিবার লোভ যে সংবরণ করিয়াছিলেন, তাহাঁও তীহার সুক্ষ সৌন্দর্বোধের পরিচায়ক 'মুক্তির উপায়" গল্পটি পড়িলে ফটিকাদের উপরে করুণা হয়। রবীন্দ্রনাথ এই গল্পটিকে পরে অভিনয়োপযোগী নাটকে (মুক্তির উপায়” শ্রাবণ ১৩৪৫) পরিবর্তন করেন

সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের গল্প হইতেছে “একটি আধাটে গন্র'। আমাদের মনে হম ববীজ্জনাথ যে সময়ে সপোখিতা, 'নিত্রিতা” “হিং টিং ছট্‌?, "রাজার ছেলে রাজার মেয়ে? প্রভৃতি বূপকথা-ঘেঁধ! কৰিতা। পিখিতেছিলেন, এই গল্পটি সেই সময়ের রচনা (সাধন!) আফা ১২৯৮ )1 এই গল্পের মধ এক দিকে আছে বূপকথার আমেজ, আব-এক দিকে আছে দপকের আভাম। সমাজভীবনের গতান্ুগতিকের বিদ্রপটাই বূপক-কূপ গ্রহণ করিয়াছে এই কপক কথায় রূপান্তরিত হইয়া গেল। রবীন্দ্রনাথ পরযুগে লিখিত 'অচলায়তনে" প্রাচীন নবীনের ছন্দ সুন্দর নাঈক"য় ঘটনারাজির মধ্য দিয়? প্রকাশ করেন) এই আফাঢে গল্পের মদ্যে তাসের দেশের মামদের যে বিছ্প রহিয়াছে, তাহা যথার্ধভাবে গতিহীন সমাজের নিয়মদেবতার প্রজারই সমালোচনা | বশ বংসর পরে (ভা ১৩৪০ ) রণীঙ্দনাথ এই গলটিকে অবলম্বন করিয়া “তাসের দেশ? নাটিকা রচনা করেন গল্পটির মধ্যে রচনার উদ্দেশখ্টা এতই প্রকট যে উহা সমসাময়িক সাহিত্যিক বা সমালোচকের দৃষ্টিই আকর্ষণ করে নাই | কিন্তু “তাসের দেশ' একটা নতন হি যথাস্থানে সে বিষয়ে আলোচন। হইবে

“এক বাজি গল্পটিও ট্রাজেডি এক হিসাবে “গল্পের নায়ক স্রবালাকে একদিন ইচ্ছা কবিলেই পাই) কিন্ধ না, সে গ্যারিবল্ডি হইবে, কাজেই স্থরবালাকে বিবাহ করিল না) শপ্রমধনাথ বিশ এই কাহিনীর ট্রাজেডির মধো আকাশের চাদ? পরশ-পাথর? কবিতাহুয়ের নিহিতাথ দেখিঘ্রাছেন। তিনি 'জমপরাজম গন্পটির সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের এই-সময়ে রচিত “মানস-স্ন্দরী” কবিতার তুলনা করিয়াছেন | “শেখর-কবিরও 'একজন মানস-ন্ন্দরী আছে) সে অদরশা, অনা ন।" কিন্ত, তাহারই জন্য শেখর-কবিব বার্থজীবনের ট্রাজেডি ।১

সাধনার প্রথম বং্সরের শেষ গর জয়পরাজয়! জিয়ুপরাজর় (সাধন, কাতিক ১২৯৯) গল্পে তিনি 01০70১ 06 7096ট9 করিলেন | বৈয়কিরণরা শক কষ্টি করেন) কিন্তু দাভষ যে ভাষা অস্থর দিখ] অভ করে তাহ! কেবল শব নহে, সেই বাকো প্রাণসঞক্কার করবেন কবিরা? শব্দের কোপাহলে মাহৰ বসত তয়) ব্লাক বাকা ভাহাকে ভি দাশ করে। তাই দিঙ্নাগদের দল চিএদিনই কালিদাসদের লাঞ্চনা করিঘাছে। পুণরীক পঙিতের হাতে শেখব-কবির পরাদর হইল) সেইজন্েই পাজাও তাহাকে কোনে আশ্রয়দান করিলেন ন। | রাজনভায় পাণ্তিঙ্োর বিচার হইতে পাৰে কিছ কাবাবিচারের মানদণ্ড তো বাহিরে নাই, কারণ কাব্য বিচার্ধবস্্ নহে, উহা বোধের সম্তোগের বিষয়। তাই দেখি নাটকটির জন্ত উ“রেজি একটি দুল গান রচন! করিয়া দেন- বোধ হয় তাত স্ঠাছার একমাত্র 0:9)64 ইংরেজি কবিতঠ1। শাহ হৃজায় কল্সার। কিভাবে তাহাদের পিঠার সহিত আরাকানে পৌছায় সে-কাছিনী রবীন্্রনাণ 'রাছদি' ৬পন্থাসে ইতিপূর্বে বলিয়াছিলেন।

জ্. প্রগ্রমধনাথ বিশী, রবীন্রনাপের ছোট গল্প | পৃ ৩৮:৪০, ৪১৪২

খ্রীষ্টাৰ ১৮৯২ সাধনায় সমালোচন! ৩৩৩

শেখর-কবি পুণুরীকের পাণ্ডিত্যের দ্বারা অভিভূত হইয়া পরদিন রাজসভায় প্রবেশ করিয়া “গান আরস্ক করিয়া দিলেন__ বুন্দাবনে প্রথম লীশি বাজিয়াছে, তখনো গোপিনীনা! জানে না কে বাজাইল, জানে না কোথায় বাজিতেছে।-.. বাশি কী বলিতেছে তাহ] কেহ বুঝিতে পারিল না এবং কাশির উত্তরে হূদয় কী বলিতে চাছে তাহাও কেহ স্থির করিতে পারিল না; কেবল ছুটি চক্ষু ভরিয়া অশ্রজল জাগিয়া উঠিল এবং একটি অলোকন্ুন্দর শ্বামন্সি্ধ মরণের আকাঙ্কায় সমস্ত প্রাণ যেন উৎকন্ঠিত হইয়া উঠিল।

“মতা ভুলিয়া, রাজা ভুলিয়া, আত্মপক্ষ-প্রতিপক্ষ ভুলিয়া, যশ-অপযশ জয়পরাজয় উত্তর প্রত্ত্যন্তর সমস্ত ভুলিয়া, শেখর আপনার নির্জন হদয়কুঞ্জের মধো যেন একলা দাড়াইয়! এই বাশির গান গাহিয়া গেলেন ।” লোকে ক্ষণিকের জন্য সব ভুলিয়া ছিল; কিন্ত পুণুরীক বাধা শবের ব্যাখ্যায় সকলকে মুগ্ধ করিয়া দিলেন ? তাহার অদ্ভুত শব্চাতুরী বাগাড়স্বর দেখিয়া সভাস্থ লোক বিশ্ময় রাখিতে স্থান পাইল না রাজা নিজের হইতে মুকার মালা খুলিয়া পুগুরীকের কণ্ঠে পরাইয়া দিলেন, কবির পরাজয় হইগ। কুটিরে ফিরিয়া শেখর ঠাহার সমস্ত পুথিগুলি পড়িলেন। নিশ্বাস ফেলিয়া বলিলেন, “সমস্ত জীবনের এই কি সঞ্চয়। কতকগুলো! কথা এবং ছন্দ এবং মিল ।” অতঃপর গ্রন্থগুলি অগ্রিতে সমর্পণ করিয়! অপুর সহিত একটা উদ্ছিদের বিষবস মিশাইয়া পিশ্চিন্ত মুখে পান করিলেন | এমন সময়ে রাজকন্যা অপরাঙ্জিতা আসি] মৃত্যুপখযাত্রীর উদ্দেশে বলিলেন, তোমারই জয় হইয়াছে, কবি, ভাই আমি আজ তোমাকে জয়মালা দিতে আসিয়াছি' বলিয়া অপরাজিতা নিজের কণ্ঠ হইতে স্বহস্তরচিত পুষ্পমাল। খুলিয়া কবিব গলায় পরাইয়া দিলেন।। রবীন্দ্রনাথ পাবাদশকে কাবামরন্বনীর হক্তে জয়ুটাক! পরাইয়া লইলেন | কিন্য যথার্থ এই রোমারটিক গল্পটির মধ্য বিশ্বদ্ধ আহের উচ্ষেশে যে জয়মালা উতৎ্সগ করিলেন তাহা! কিছুকাল পরে পুরস্কার? কবিতার মধ্যে আরো পরিশ্ফুটভাবে প্রকাশ, পায়; সেখানে কবিই জিতিয়াছিল রাজকগের পুষ্পমালা পাইয়া যথাস্তানের জন্ত সে আলোচনা স্থগিত থাকিল।১

সাধনায় সমালোচনা

'সাদনা' প্রকাশিত হইবার সঙ্গে সঙ্গে ববীন্দনাথ বিচি বিষয় সম্বন্ধে গছারচন! লিখিতে প্রবুস্ত হইয়াছিলেন, সে কথা পাই ইঙ্গিত করিয়াছি সাহিতোর ধর্ম বা লক্ষণ কি) বিশুদ্ধ সাহিত্য-বিচাকবের মানঙ্চী কি প্রভৃতি বিষয় পূব পূব ধারের ল্লায় এবার তাহার মনোযোগ আকধণ করিয়াছিল। ববীন্দুনাথ যখন সাহিতো নৃতন কোনো বূপস্থষ্টীতে রে থাকেন তখন সেই রীতি বা পঞ্ছতিকে কেবল শিল্পীর চোখে দেখেন না, দাশনিক বা ক্রিটিকের দুগীতে কে যাচাই করিতে ভালোবামেন, নিজের হগিকেই নৈধাক্তিক দাষ্টভঙ্গিতে দেখিতে চেষ্টা করেন সাধনা? প্রকাশের মাস ট্নেকের অধ তিনি তাহার বন্ধু পোকেন পাপিত২ এই শ্রেণীর সাহিতোর ব্বিচারে প্রবৃন্ধ হইলেন। সারনার পর ষ্টার বসজ্জের যুগ সাহিত্যবিচার এখনো উপভোগা | রবীন্দ্রনাথ লোকেনকে এক পত্রে লিখিতেছেন, "পেখা সম্বদ্ধে তূমি যে-প্রস্তাব করেছ সে অভি উত্ধম। মাসিকপত্রে লেখা! অপেক্ষা বন্ধুকে পত্র লেখা অনেক সহজ 1...

এবীজন[দের ছো গজ লই] বহু গবেষণা! আলোচন। হইয়াছে কবি স্বয়ং উহার গঞ্পগুলির উৎস বা প্রেরণ! সন্ত লনা স্থানে, নানা লোককে ঘেসব কথ! বলিয়াছিলেন। সেওলি গপুলিনবিহারী সেন হুনিপুণছাবে সংকলন করিয়া উপ্রমধনাথ বিশর 'রবীজুনাদের ছোটগঞ্জ' গুদ্থের পরিশিষ্টে “যোভিত করেন। পরে গল্পগুচ্ছ চতুর্থ ভাগের (১৩৬১) গ্রন্থপরিচয় অশে পূ ৯৯৯-১৭১১ সেই তধাগুলি আরও সমস্ধ করিয়া শ্রীকানাই সাস্ত সম্পাদন করেন। কৌতুহলী পাঠক (গঞ্জগুগ্ছ ৪) হইডে বহু তপ। সংগ্রহ করিতে পারিবেন, আর বহার তখা হইতে তত্ব অনুসন্ধানী তাহাদের পস্থাও বছ পরাস্থ আছ্ছে। লোকেন পালিত এট সময়ে অগস্ট ১৮৯১০৫ সেপ্টেম্বর ১৮৯২) ঢাকা মানিকগঞ্জ মহকুমার জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রট ছিলেন।

৬৩৪ ববীন্্রজীবন" খ্রীষ্টান ১৮৯২

কাজটা ছু রকমে নিষ্পন্ন হতে পাবে। এক কোনো-একটা বিশেষ বিষয় স্থির করে ছু জনে বাদপ্রতিবাদ করা।""" আর-এক, কেবল চিঠি লেখা অর্থাৎ কোনো উদ্দেশ) না রেখে লেখা, কেবল লেখার জন্বেই লেখা |." দশ্বরমতো রাস্তায় চপতে গেলে অগপ্রাসঙ্িক কথা বলবার জো থাকে না। কিন্তু প্রাপা জিনিসের চেয়ে ফাউ যেমন বেশি ভালো লাগে তেমনি অধিকাংশ সময়েই অপ্রাসঙ্গিক কথাটায় বেশি আমোদ পাওয়া যায়।-.. অবশ্থ, সম্পৃণ অপ্রাসঙ্গিক কথা বললে একেবারে পাগলামি করা হয় কিন্ধ তাই বলে নিজেব নাসাগ্রভাগের সমস্থ ধরে ভূমিকা থেকে উপসংহার পর্বস্ত একেবাবে সোজা লাইনে চলশে নিতান্থ কলে তৈরি প্রবন্ধের স্ট্টি হয়, মানুষের হাতের কাজের মতো হয় না।'ঃ এই ধনের আটাকআ্াটির রচনায় লেখকের উদ্দেশ্ট সিদ্ধ হয় সতা, কিন্তু তাহা সাধারণ পাঠকের মনে স্থায়ী ফলপ্রদ হয় কি না সন্দেহ এইজন্য সতাকে মানবের জীবনাংশের সঙ্গে হিশিত করিয়া দিপে সেটা লোকের ভালো লাগে গল্প, উপন্যাস, মহাকাবোর মধ দিয়া মানবের জীবনাংশরূপে যে সত্য পকাশিত হয়, তাহাই মানুষ মনে রাখে। প্বীন্গনাথ এখন গন্প লিখিতেছেন, তাই আমাদের মনে হয় এইসব গরের মধা দিয়া যে বিচিত্র সত্য আম্মপ্রকাশ করিতেছিল, তাহার সমর্থনে এই ঘুক্তি প্রযুক্ত হয়।

এই পত্রের একস্থানে তিনি বলিতেছেন যে ইরেছি কাগজ এবং বইগুলোর অধো বক্তবা-বিষয়কে বাড়াইয়া তলিয়া কোনো-একটা কথাকে একটা প্রবন্ধে এবং একটা প্রবন্ধের বিষয়কে একটা গ্রন্থে পরিণত করিবার চেষ্টা দেখা যায়। সহজ কথাকে মতাস্ত ঘোরালো-প্যাচালো করিয়। ভোপা হয়। ফলে সতাটুকৃকে খুজিয়া পাওয়া যায় না। ছোটগন্ের মধ অনেক কথা গল্পের মধো বলা যাইতে পারে, ইহা মেন তাহারই সমর্থনে লেখা | ইংবেজি নভেল সম্বন্ধে লেখকের এই মতি সহিত সমসাময়িক একখানি পহ তুলনীয়। এই পত্রে আছে, “যেটা খুলে দেখি মেই ইংরিজি নাম, ইংরিজি সমাজ, লঞ্কনের রাস্তা এবং ডরয্ি'রুম) এবং যত রকম হিজিবিজি হাঙ্গাম |: কেধল পাঁচের উপর প্যাচ, আনালিসিসের উপর আনালিসিস $ তেবল মানবচপ্রিহ্রকে মুচডে-নিংডে-কুঁচকে-মুচকে। তাকে সজোরে পাক দিয়ে দিয়ে তার থেকে নতুন নতুন থিয়োরি এবং নীতিজ্ঞান বের করবার চেষ্টা |”

লোকেন পালিতকে যে পত্র লেখেন তাহাটে রবীন্দ্রনাপ বলেন, “আমার তো মনে হয়, বঙ্কিমবাবুর নডেশগুপি ঠিক নভেল যত বড হওয়া উচিত তার আদর্শ। ভাগো তিনি ইংরেজি নভেলিস্টের অঙজকরণে বা'লায় বৃহদায়তনের দস্তর বেধে দেন নি, তা হলে বড় অদহা হয়ে উঠত... এক-একট| ইতবেজি নভেপ এত অতিরিক্ত বেশি কথা, বেশি ঘটনা, বেশি পোক যে, আমার মনে হয় টা একটা সাহিতোর বর্বরতা |... এমন-কি জর্জ এলিয়টের নভেল যদিও আমার খুব ভালো লাগে তবু এটা আমার বরাবর মনে হয়, জিনিলগুলো বড় বেশি বড এত লোক, এত খটনা, এত কথায় হিছিবিক্ষি না থাকলে বইগতপো আরো ভালো হত।... ক্ষমতা দেখে মানু আশ্চর্য হয় বটে, কিন্তু সৌন্দ? দেখে মানুষ খুশি হয়| স্থাদিত্তের পক্ষে সহজতা, সরলতা সৌন্দর্য যে প্রধান উপকরণ তাপ আর সন্দেহ নেই 1৩

এই পত্ধ মধো কবি লেখেন থে সাহিতো বাজে বকুনির প্রাহুঙাব অতান্থ হইয়াছে-- সতাটুকু খুঁজিয়া পাওয়া দুলাধা | তিন ভলাম না-হলে নভেল হর ন)' বলিছা মে মন্তব্য করিপেন, তাহা আঙগ বা'পা-সাহিতো দেখা দিয়েছে

এই পদ্দধে সাহিতোর আদর্শ সঙ্বদ্ধে ঠিনি গে কথা বলিলেন, তাহা লষ্য়। অনেক সমালোচনা সাহিত্যক্ষেত্রে হইয়াছে__ “সত্যকে এমনভাবে প্রকাশ করা যাক যাতে লোকে অবিপন্ে জানতে পারে যে সেটা আমারই পত্রালাপ, সাহিতা, রবীন্্র-রচনাবলী ৮, পৃ ৪৬৩ ৮। ছিন্পপত্জাঝলী | পত্র ৪২1 শিলাইদহ, এপ্রিল ১৮৯২ পত্রালাপ। সাহিতা। রবীঙ্গ-রচনাবলী ৮. পৃ ৪৬৫-৬৩।

গ্ষ্টাৰ ১৮৯২ সাধনায় সমালোচন। ৩৩৫

বিশেষ মন থেকে বিশেষভাবে দেখা দিচ্ছে। আমার ভালো! লাগা, মন্দ লাগা, আমার সন্দেহ এবং বিশ্বাস, আমার অতীত এবং বর্তমান তাব সঙ্গে জড়িত হয়ে থাক; তা! হলেই সত্যকে নিতাস্ত জড়পিগ্ডের মতো দেখাবে না।” রবীন্দ্রনাথের মূল কথা ছিল সাহিত্য হইতেছে লেখকের আত্মপ্রকাশ ।১ কিন্তু কথাটা তিনি যেভাবে বলিলেন, তাহ! পরিষ্কার হয় নাই-_ লেখকের খামখেয়ালী বা তাহার ভালো-লাগা মন্দ-লাগাই সত্যের একমাত্র মাপকাঠি তত্ব সকলে মানিতে নাও পাবে। স্থতরাং তাহার গ্ততিপাগ্য তবটি আরো! পরিষ্কার করিয়া লিখিবার জন্য অন্ুুদ্ধ হইয়া তিনি “সাহিত্য” নামে এক পত্র-প্রবন্ধ লেখেন (সাধনা, বৈশাখ ১২৯৯ )। এই প্রবন্ধে তিনি লিখিলেন, “সাহিত্যের কার্কে... ছুই অংশে ভাগ করা যেতে পারে। আত্মপ্রকাশ এবং বংশপ্রকাশ। গীতিকাব্যকে আত্মপ্রকাশ এবং নাটাকাবাকে বংশপ্রকাশ নাম দেওয়া যাক |." লেখকের নিজের অন্তরে একটি মানবপ্রকৃতি আছে এবং লেখকের বাহিবে সমাজে একটি মানবপ্রকৃতি আছে, অভিজ্ঞতাকুত্বে প্রীতিস্থত্ধে এবং নিগৃঢ ক্ষমতা- বলে এই উভগ্নের সম্মিলন হয়; এই লশ্মিলনের ফলেই সাহিত্যে নূতন নৃতন প্রজা জন্মগ্রহণ করে। সেইসকল প্রজার মধ্যে লেখকের আহ্মপ্রকৃতি এবং বাহিরের মানবপ্রককৃতি ছুইই সন্বদ্ধ হয়ে আছে, নইলে কখনোই জীবন্ত সি হতে পারে না।” তিনি বলিলেন যে কালিদাসের শকুম্তল। মহাভারতের শকুস্তল] এক নহে, “তার প্রধান কারণ কালিদাস এবং বেদব্যাম এক লোক নন, উভয়ের অন্তর প্রকৃতি ঠিক এক ছাচের গঠিত নয়।” সেইজন্য তাহারা বাহিরের মানবপ্রকৃতি হইতে যে ছুম্মস্ত-শকুস্তল! গঠিত করিয়াছেন তাহাদের আকার-প্রকার ভিন্ন রকমের হইয়াছে তাই বলিয়া রবীন্দ্রনাথ কথা স্বীকার করিতে রাজি নহেন যে “কাপিদাসের দুন্মস্থ অবিকল কালিদাসের প্রতিকৃতি”, কিন্ধ এটুকু তাহাকে মানিতে হইল, “তার মধো কালিদাসের অংশ আছে নইলে সে অন্যরূপ হত ।* তিনি লিখিলেন, “ভালো নাটাকাবো লেখকের আত্মপ্রকূৃতি এবং বাহিরের মানবপ্রক্কতি এমনি অবিচ্ছিন্ন একা রক্ষা করে মিলিত হয় যে উভয়কে স্বতন্ত্র কর] দুঃসাধ্য ।” বুবীন্দ্রনাথের মতে যেখানে বুদ্ধি প্রবৃত্তি এবং কুচি সম্মিলিতভাবে কাজ কৰে বা এক কথায় যেখানে আদত মানুষ মাপনাকে প্রকাশ করে সেখানেই সাহিতোব জন্মলাভ হয়। “পধবেক্ষণকারী মানুষ বিজ্ঞান রচনা করে, চিস্তাশীল মানুষ দর্শন রচন। করে, এবং সমগ্র মানুষটি সাহিতা রচনা করে ।”

মানুষ সাহিত্য হৃষ্টি করিল; কিন্ত সে সাছিতোর স্বরূপ কি, সাহিতো সতাপদার্থ কি, ইহাঁও বিচাধ। ববীন্দ্রন:ণ তাহা স্পাই করিবার চেপ্া করিলেন। তিনি লিখিয়াছেন, "লেখাপড়া দেখাশোনা কথাবার্তা ভাবাচিস্তা সবস্থ্ জড়িয়ে আমবা প্রত্যেকেই আমাদের লমগ্র জীবন দিয়ে নিজের মন্বদ্ধে--. একট] মোট সত পাই সেইটেই আমাদের জীবনের মূল স্থর। সমস্ত জগতের বিচিত্র স্থরকে আমরা সেই স্থরের সঙ্গে মিলিয়ে নিই,... সেই মূলতব্ব অন্সারে, আমরা সংসারে বিরক্ত অথবা অন্থরক্র, স্বদেশবন্ধ অথবা সাবভৌমিক, পাধিব অথবা আধ্যাত্মিক, কর্মপ্রিয় অথবা চিন্কাপ্রিয় |... আমার জীবনের মধ্যে সেই-যে একটি জীবন্ত বাক্তিগত পরিণতি লাভ করেছে, সেইটি আমার রচনার মধো প্রকাশে অথবা অলক্ষিতভাবে আত্মা ম্বক্ধূপে বিবাজ করবেই আমি গীতিকাবাই লিখি আর যাই লিখি কেবগ হাতে যে আমার ক্ষণিক মনোভাবের প্রকাশ হয় 1 নয়, আমার মর্রসতাটি তাঁব মধো আপনার ছাপ দেয়। মাহষের জীবনকেন্্রগত এই মূলসতা সাহিত্যের মধ্যে আপনাকে নানা আকারে প্রতিষ্ঠিত করে) এইজগ্যে একেই সাহিত্যের সতা বলা যেতে পারে, জামিতির সত্য কখনো সাহিত্যের সতা হতে পানে না। এই সতাচি বৃহৎ হলে পাঠকের স্থায়ী এবং গভীর তৃপ্রি হয়, এই সতাটি সংকীর্ণ হলে পাঠকের বিব্বক্তি জনে ।"*

"মার্টের একটা প্রধান আনন হচ্ছে, ক্াধীনতার আনল ।* ডিন্্পঞজজবলী। পত্র €১। যোলপুর, ১৯ জৈষ্ ১২১৯। পত্ঞাল।প, সাছিভা, রীতা রচনাবলী ৮, ৪৯৮।

৩৩৬ ববীক্রজীবনী খ্রীষ্টাৰ ১৮৯২

লোকেন্দ্রনাথ "দাহিতোর উপাদান” কি বিষয়ে এক পত্র-প্রবন্ধ লেখেন তাহারই জবাবে রবীন্দ্রনাথ 'সাহিত্োর প্রাণ, কি বিষয়ে আলোচন। করিলেন তিনি এক স্থানে লিখিপেন, “যতই আলোচনা করছি ততই অধিক অন্ুতব করছি যে মমগ্র মানবকে প্রকাশের চেষ্টাই সাতিতোর প্রাণ: মানুষের প্রবাহ তু হু করে চলে যাচ্ছে তার সমস্ত জীবনের সমষ্টি আর-কোথাও থাকবে নাল কেবল সাহিতো থাকবে সংগীতে চিত্রে বিজ্ঞানে দর্শনে সমস্ত মান্ষ নেই | এইজনাই সাহিভোল এত আাদর ! এইজনযই সাহিত্য সবদেশের মচয়াতের অক্ষয় ভাঙার ১. আবে! কিছুদ্দিন পরে তিনি এই প্রসঙ্গঃ লিখিনেন, গশিজের সখদুহখের দারাই চোক, আব অনোব স্থথ্দুংথের ছারাই হোক, প্রকৃতির বর্ন" করেই হোক, আর ময্চণ্বত গঙ্গিত কলে হোক মাটঘকে প্রকাশ করত ইবে। আর-মমল উপলক্ষ

“প্রকৃতি-বর্নাৎ উপলক্ষ, কারণ , প্রকৃতি ঠিকটি কিকপ শো লিয়ে মাহিতেোর কোনো মাথাবাখাই নেই, কি প্রকৃতি মানুষের জদয়ে, মাহষের সুখছৃহখের চাবি লি, কিরকম ভাবে প্রাশিত হয় সাহিতা হাই দেখা সৌন্দর্ষপ্রকাশ সাহিহোর উদ্দেশ নয, উপক্ষ মাড়) পার শেযে আাছে। পাবিক্কার কাপিয়। সলিলেন,। “আমার বলা উচিত ছিল, লেখকেল নিজ নয়, মনুষ্য প্রকাশহই সাহিতত্যির উদ্দেশ্না] কখনো শিজাহুদ লা কখনো! পবতুদ্ধা৭। কখনো স্কনামে কখনে। বেনাম়ে | কিছু একটা মন্ুষু-আক্গারে | লহ উপলক্ষ মার, সীিমই উচ্ছেশ্বা 0

দূ নু শনির টির রর চরকে! ১১২ স্ টা রে ৯০ লোকেন্দনাথের সাহত রুবীন্্রনাগের সাহতহার বেস লব শ্যালোচলার ফস ভাহারি শিজের কাছেই

চি র্‌

সাহিত্যের নিতালক্ষণ সম্বন্ধে অনেক তথা আবিদ তষ্টলিত করা নিশি বসা ঘাঠিতত বে পাঠকের

চা + 5542552 28 1470778 আছে, কিশোবুবয়সে তিনি £ভারশীতিত সাঠিতি সন্থঙ্গে আতলাচল। করবেন, হার হউল লানাবি পর্টাঘ পরতে

(পিন

জাতীর শ্িলাপবিষদে বৃক্ুহাকালে যে আলোগন! কপেদ হি সিভি ইত গ্রহ্থে সাগ্িইসত হইয়াছে | বাধাকো বিষয়ে

বট

বিচার কলিকাতা বিশ্ববিভ্যালয়ে প্রন বক তারাজিতে পুনলার় পাকা যাইতেছে |

সাহিতা সন্বদ্ধে রবীন্দ্রনাথের হ্বালোচনাটি আমরা একস্বানেই লিচানু কপিল 75 কালাগক্মিক ইতিহাস বলিতে গেলে আমাদিগকে পুনবায় একট পিচ্ছাইসা যাহতেত হইবে

টিন আল্লোগন' বাতীতি দাবনা অস্ত গছ্াপ্চলাক অর্ধো বিশেষভাবে লেখগোগা হহানেছে চঙ্গনাথ বন্থুর 'লিমুতকার সমালোচনা ইতিপিবে হইয়া গিয়াছে আহারতিতা লা সাহিনা পহিকাম (মাঘ ১২৯৮) চ্নাথের প্রবন্ধ প্রকাশিত হয় বর্বান্দরনাঘের জবাব 5ল্গনাথবারর লুবচিত লগত সারনায় পাচ মাস পরবে বাহিত

পর পুনরুয লেখেন সাচিতো নবা ল্যুহরা | বরগুনার শাশ্থিনিকেতনে বাসকালে

হয় আমাট ১২৯৯), 9 তাহ এই 'নিতানৈমিন্তিক? লেখাটি পচনা কুবেশ এল ভাহালু আঙ্তােত চি 9. ছতের আদা লমমততের পাঞ্চ গ্কাশ হু

পড়ে; সে কপা পরেই বলা হইয়াছে চন্দ্রনাথ বহু বলিয়াছিলেন, হিন্দুর লয়ততির সাদ সগ্বন অবস্থা পরিত্যাগ করিয়। লিশুণি আবন্থ! প্রাঞ্ধু হওয়া।

কিন্তু এই নিগ্ুণ অপস্থা টি গেলে মে হকেবারেহ সলাকে বিমুখ হহাতত হইবে হাতা নভে) বরঞ্ধ সংসারধর্য পালন সেই অবস্থা প্রাপির একটি মূখ) দোপান | কারণ, হাপারা দনে করেন শিল্প অপন্থা লাভের অর্ণ আত্মনাশ “তাহা

পত্রালাপ, সাহিত।, রবীল-রচনাননৌ ৮, পু ৪৭21

রবীলনাপ লোকেশ পালি তর পরবিনিসয়- রবীন্রনাপ _ আলোচন।, লাধন1, ফান ১১৯৮1 লাহিতা, বৈশাপ ১২৯৯ লোকেশ্রনাধ_ সাহিতোর উপাদান, ক্গো্ট ১২৯৯। রবীঙ্্রনাধ- মাহিতের প্রাণ, আসা ১২৯৯। লোকেম্রনাধ _ সাঠিতোর নিতা লক্ষণ শ্রাবণ ১২৯৯ | রবীন্ত্রনাপ- মানবপ্রকাশ। শাদ আশ্বিন ১২৯৯ সাভিতা, ১৩৬১ বিষ্ারতী সাপ্করণে সাধনার প্রবন্ধথলি আছে আলোচনা সাঠিতা, লাহিতের প্রাণ মানবপ্রকাশ | ববীজ-বচনাবলী ৮। সাভিত্ের পরিশি?

খ্রীষ্টাৰ ১৮৯২ সাধনায় সমালোচনা ৩৩৭

বড় ভুল বুঝেন-_ তাহারা বোধ হয় তাহাদের মানসিক আধ্যাত্মিক প্ররুতির সংকীর্ণতা বা! বিকতিবশত আমাদের লয়তত্বে প্রবেশ. করিতে একেবারেই অসমর্থ।” তাহার মতে নিগুপতা-প্রাপ্তির অর্থ 'আত্মসম্প্রসারণ' | স্বার্থপরতা হইতে পরার্থপরভা এবং পবার্থপরতা হইতে ব্রক্ষজ্ঞানাচুশীলনের সাহাযো ক্রমশ নিগুণতারূপ আত্মস্প্রসারণ, ভিন্ন ভিন্ন পর্যায় মাত্র অতএব পবার্থপরতার সম্যক অভ্যাসের জন্য সংসারধর্ম পালন অত্যাবশ্টক আবার ধাহার|। বলেন লয়ত্ব মানিয়া চলিতে গেলে বিজ্ঞান শিক্ষা সৌন্দর্যচর্চা দূর করিতে হুয় তাহারাও ভ্রান্ত কারণ, “পদার্থবিষ্তা প্রাণীবিষ্যা প্রতৃতি যাহাতে স্ষ্টিকৌশল ব্যাখ্যাত হয়, বিশ্বনাথের বিপুল বিচিত্র লীলা বণিত হয়, সে সকলই লয়প্রার্থীর অনুশীলনের জিনিস। বিশ্বের সৌন্দর্য... ব্রক্মভক্ত... যেমন অনুভব করিবেন আর কেহুই তেমন করিবেন ন1। প্রকৃত সৌন্দর্ষে মাহষকে ত্রদ্দেই মজাইয়া দেয়।”১

রবীন্রনাথ ইহার জবাবে প্রথমেই লিখিলেন যে চন্দ্রনাথবাবু “সগুণে নিগুণে এমন একটা খিচুড়ি পাকাইয়া' তুলিয়াছেন যাহা অভ্ভৃতপূর্ব। “প্রথম কথা। ক্ষুদ্র অনুরাগ হইতে বৃহৎ অনুরাগ বুঝিতে পারি, কিন্তু বৃহৎ অন্গরাগ হইতে নিরচ্ুবাগের মধ্যে ক্রমবাহী যোগ কোথায় বুঝিতে পারি ন11-.. দ্বিতীয় কথা 'হথক্টিকৌশলে'র মধ্ো “বিশ্বনাথের বিপুল বিচিত্র লীলা” দেখিয়া! লয্বপ্রার্থা কি করিয়! যে ক্রন্ষের নিগুপশ্বকূপ হৃদয়ঙ্ষম করিতে সমর্থ হন তাহা আমর] বুঝিতে পারিলাম না। 'লীলা' কি নিগুপতা প্রকাশ করে? 'লীলা' কি ইচ্ছাময়ের ইচ্ছাশক্তির বিচিত্র বিকাশ নহে? 'ক্টিকৌশল' জিনিসটা কি নিপুণ ত্রদ্বের সহিত কোনো যুক্তিস্থত্রে যুক্ত হইতে পারে? সৌন্দর্ষের একমাজ কার্ধ চিন্হরণ কর]! অর্থাৎ হৃদয়ের মধ্যে প্রেমের সঞ্চার করিয়া দেওয়া ধাহারা প্রেমস্ব্ধপ সগ্ডণ ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন গর সৌন্দর্ধে তাহাদিগকে ঈশ্বরের প্রেম শ্মরণ করাইয়া দেয়। ঈশ্বর যে আমাদিগকে ভালোবাসেন এই সৌোন্দর্ বিকাশ করিয়াই যেন তাহার পরিচয় দিয়াছেন। তিনি যে কেবল আমাদিগকে অমোঘ নিয়মপাশে বাধিয্বা আমাদিগকে বলপূননক কাজ করাইয়া] লইতে চান তাহা নহে, আমাদের মনোহরণের প্রতিও তাহার প্রয়াস আছে। এই বিশ্বের সৌন্দর্ধে তিনি আমাদিগকে বংশিস্বরে আহ্বান করিতেছেন-_ তিনি জানাইতেছেন তিনিও আমাদের প্রীতি চান। বৈষাবদের কক্কবাধার কূপক এই বিশ্বসৌন্দর্ধে প্রেমের উপরেই প্রতিষ্ঠিত।... সৌন্দর্য বিরাট লয়প্রার্থাদিগকে ঘে কি করিয়। নিগুপ ব্রদ্ষে মজাইতে' পাবে তাহ! বুঝিতে পারিলাম না।...

“ধাহার] যথার্থ লয়তত্ববাদী তাহার! লয়কে লয়ই বলেন, ইংরাজি শিখিয়া তাহাকে আবঝসন্প্রসারণ বলেন না। তাহাদের কাছে সৌন্দর্য কদর্ধ কিছুই নাই, এইজদ্ত তাহার! অতি কুৎসিত বন্ধ চন্দনকে সমান জান করেন। জগৎ তাহাদের কাছে হথার্থ অসৎ, মায়া, বিশ্বনাথের সস্টিকৌশল লীল! নহে ।”

নব্য সম্প্রদায়ের নিকট অস্বৈতবাদ বৈষ্ণব আরাধনা, ত্রদ্ধের নিগুণত্ব প্রতিমাপূঙ্ প্রভৃতি বিরুদ্ধ মতবাদের মধো যে কোনো পার্থকা আছে ডাহা গভীরভাবে চিন্তার বিষয় ছিল না। সমস্তকে সমভাবে গ্রহণ করার নাম ছিল সমন্থয় বা 59100116515 | ববীন্দ্রনাথ এই শ্রেণীর একীকবণতাকে কখনো! শ্রদ্ধ। করিতে পারেন নাই।

এই সময়ে নবা আন্দোলনের ভিতরে গুকবাদ, শাস্ত্রের অভ্রান্ততা, বেদের অভ্রান্তবাদ প্রভৃতি এমন কতকগুলি মত প্রচারিত হইতেছিল, যেগুলি কোনো বুদ্ধিমান স্বাধীন চিন্তাপ্রিয় ব্যক্তির পক্ষে বিনা প্রতিবাদে গ্রহণ করা কঠিন, চন্দ্রনাথ বন্থ প্রমুখ শিক্ষিত সাহিতাকগণ বক্ষবাসীর লেখকগণ বাংলাদেশে স্বাধীন চিন্তা কর্মের প্রবর্তক না ছইয়! তাহার বিরোধী হইয়া! উঠিতেছিলেন, এই বাপাবটি ববীন্্রনাথকে তীত্রভাবেই বি'ধিতেছিল। দেশের এই মনোভাবের বিরুদ্ধে তিনি যুদ্ধ গ্বোষণা করিয়াছিলেন, চক্জনাথ বনু উপলক্ষ মাত।

চষ্নাখবাবুৰ দ্বতিত ল়তন্ত : সাধন, আযাঢ় ১২৯৯। পূ ১২২-৩৮। ববীন্র-র১নাবলীড়ক হয় নাই। ৪৩

৩৩৮ ববীন্রজীবনী খরীষ্টা্ৰ ১৮৯২

তিনি একটি প্রবন্ধেঃ বলিলেন, “ষে-জাতি নৃতন জীবন আরম্ভ করিতেছে, তাহার বিশ্বাসের বল থাক চাই। বিশ্বাম বলিতে কতকগুলা তমূলক বিশ্বান কিম্বা গৌড়ামির কথা বলি না। কিন্ধ কতকগুলি ধ্রুব সতা আছে, যাহ! সকল জাতিরই জীবনের মূলধন, যাহা চিরদিনের পৈতৃক সম্পত্তি।” গুরুই হউন আর অবতারই হউন-__ কেহ জোর করিয়া কিছু করাইতেছেন, এই ভাবনাই রবীন্দ্রনাথের পক্ষে অসহা। ত্বাহার মতে “আর-একজনের কর্তৃত্ব যে সহা করিতে পারে সে আদিম মনুষ্যত্ব হারাইয়াছে।” এই প্রবন্ধে তিনি বলিলেন-_ মানুষের যুক্তির পথ রুদ্ধ করিয়] তাহাকে কলের মত চালাইয়া নিবিরোধে কাজ আদায় করা যাইতে পারে, কিন্তু মানুষের চগ্ম সম্পদ ম্ষ্বাত্ব সেখানে লুপ্ত হইয়াছে “সেখানে চিন্তা, যুক্তি, আত্মকর্তৃত্ব এবং সেই সঙ্গে ভ্রম, বিরোধ, সংশয় প্রভৃতি মানবের ধর্ম লোপ পাইয়া যাইবে, কেবল কলের ধর্ম কাজ করা তাহাই চলিতে থাকিবে। কিন্তু নিল কল এবং ভ্রান্ত মাচষের মধ্যে যদি পছন্দ করিয়া লইতে হয় তবে মানুষকেই বাছিতে হয়। ভ্রম হইতে অনেক সময় সত্যের জন্ম হয় কিন্তু কল হইতে কিছুতেই মানুষ বাহির হয় নী।” তবে কিতিনি কোনো কাজেই করৃত্বকে বিশ্বাস করেন না? তাহা নহে। তিনি মানুষকে অপরিসীম স্বাধীনতা দানে বিশ্বাস করিয়া তাহার ভিতরের যথার্থ মানুষকে জাগ্রত করিয়া সেই মানষের কাছ হইতে কাজ চান-_ দাসের কাছ হইতে নয়; সেইজন্য তিনি যুক্তির উপর জোর দিয়াছেন গুকুবাদের উপর নহে রবীন্দ্রনাথের এই মতের চরম দৃষ্টান্ত হইতেছে ক্রাহার শাস্টিনিকেতনের বিশ্বভারতী উহা নিল কলের সাহাঘে। গঠিত নহে, ভ্রমন্বভাবী মানুষকে লইয়া গঠিত। সেইজন্য শান্তিনিকেতনে আসিয়া লোকে নিমের কুটি ধরিতে পারেন বটে কিন্ধু সঙ্গে সঙ্গে ইহাঁও অনুভব করেন যে উহা! দোষগুণসম্পন্ন মানবহাধয়ের জীবস্থ লামগ্রী, ছাচে ঢালা জিনিস নহে। [681710090101১-এর দ্বারা আশু ফললাভ করা যায়, সঙ্গে সঙ্গে শান্কম্‌ শিবম্‌ সুন্পরম্কে হারাইতে হয়।

সাধনাব বিচিত্র বচনাসস্থারের ছারা রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিতাকে যে কেবল সমৃদ্ধ করিতেছেন তাহা নহে, ভাবের বাহন ভাষা, ভাষার এর শব্দ, সেই শব্সাগর মন্থন করিয়া যথাযথ অর্থনিণয়, নৃতন নুতন শব স্য্টি প্রয়োগ প্রভৃতি বাপারেও তিনি সর্ধদা নিবদ্ধ দৃ্টি। “সাধনায় এক বংসরের মধ্যে তিনি শবতব সম্বন্ধে আটটি আলোচনা করেন ।২

রামেক্রস্থন্দর ভ্িরিবেদী ঠাহার 'শন্দকথা' (১৩২৪) গ্রন্থের মুখবন্ধে রবীন্দ্রনাথের নিকট ধ্বগ্তাত্বক শঙ্গ আলোচনার জন্থা তিনি কি পরিমাণে ধণী তাহা স্বীকার করিয়াছেন। কর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ লিখিরাছেন, “রবীনুনাপই সবগ্রথম বালা উচ্চারণ-তত্বের কয়েকটি বিশেষ নিয়ম আবিদ্ধার করেন ।” তিনি আরো বলেন যে ম্বরসামোর নিয়ম তাহার আবিষ্কার |

বাংলা ছন্দ সম্বস্কেও রবীন্দ্রনাথকে এই যুগে আলোচনা করিতে দেখি “বাংলা শব ছন্দ" প্রেবদ্ধটি সাধনায় (শ্রাবণ ১২৯৯) প্রকাশিত হয়। ভিনি পরঘুগে বহু প্রবন্ধে পত্রে ছন্দের আলোচনা করিয়াছেন, কিন্ত ইহাই বোধ হয় ছন্দ সম্বন্ধে তাহার প্রপম প্রবন্ধ। ১২৯০ মালের ভারতীতে নবীনচন্ত্র দুখোপাধ্যায় লিখিত “সিদ্ধুদুতে'র সমালোচনায় প্রসঙ্গত বা'লা ছন্দের আলোচনা ছিল; এই বচনাটি রবীন্দ্রনাথের বলিয়া কাহারো কাহারো বিশ্বা।* আমাদের আলোচ্য গ্রবন্ধে কবি লিখিলেন, “বালা শব্ধ উচ্চারণের মধ্ো কোথা ঝৌক নাই, অথবা যদি থাকে মে এত সামান্য ষে

আদিম সম্থল, সাধনা, আদা ১১৭৯, পু ১৭৮-১২। সমাজ, পরিশিষ্ট | রবীন্্-র5ন[বলী ১২, পূ ৪৭৫।

সাধনা, চৈত্র ১১৯৮, শনিছনি” (১) বৈশাখ ১২৯৯, 'নিষ্ধনি' ২)। জোষ্ঠ 'পঠ' | আবার, শ্বরবর্ণ 'অ'। প্াবণ, [ প6] প্রস্তর (১)। কাঠিক, শ্বরবর্ণ 'এ | অগ্রহায়ণ, টাটে টো। চৈর[প্] প্রভার ২) জ. রবীশ্র-রচনাবলী ১২। শঙ্গতন্বর পরিশিষ্ঠ।

বা'লার বারী, ১৩১৮। ভাষা সাহিত, রী বন

শ্রীপ্রযোধচন্ সেন, ছন্দো গুরু রনীক্নাণ পৃ২*। রবীকুনাধ লৌকিক ছল বিশ্বারতী পত্রিক, শ্রাবণ-গাস্বিন ১৩৫১। উপ্রবোধচন্্র দেন -সম্পা্িত রবীক্নাণের ছন্দ (১৯৬২), পু ১৭

খরীষ্টাব ১৮৯২ | চিত্রাঙ্গদা! নাটাকাব্য ৩৩৯

তাহাকে নাই বলিলেও ক্ষতি হয় না। এইজন্ই আমাদের ছন্দে অক্ষর গণিয়া মাত্রা নিরূপিত হুইয়াছে। কথার প্রত্যেক অক্ষরের মাত্রা সমান কারণ, কোনো স্থানে বিশেষ ঝৌক না থাকাতে অক্ষরের বড় ছোট প্রায় নাই সংস্কৃত উচ্চারণে যে দীর্ঘ-হশ্বের নিয়ম আছে তাহাও বাংলায় লোপ পাইয়াছে। এই কারণে উচ্চারণ হিসাবে বাংলা ভাষা বঙ্গদেশের সমতল-প্রসারিত প্রাস্তরভূমির মতো সর্বত্র সমান।-"' শবের সহিত শব্দের সংঘর্ষণে যে বিচিত্র সংগীত উৎপন্ন হয় তাহ! সাধারণত বাংলা ভাষায় অসম্ভব... বাংলা শব্ধের মধ্যে এই ধ্বনির অভাববশত বাংলায় পদ্যের অপেক্ষা গীতের প্রচলনই অধিক। কারণ, গীত স্থরেব সাহায্যে প্রত্যেক কথাটিকে মনের সম্পূর্ণ নিৰিষ্ করিয়া দেয়। কথার যে-অভাব আছে স্থুরে তাহা পূর্ণ হয়।-.. যতক্ষণ চিত্ত না লাগিয়া উঠ, ততক্ষণ সংগীত ছাড়ে না। এইজন্ প্রাচীন বঙ্গসাহিত্য গান ছাড়া আর কবিতা নাই বলিলে হয়।”

সংস্কৃত সম্বন্ধে ঠিক বিপরীত কথা খাটে; সংস্কৃতে সংগীত নাই, কারণ, “সংস্কৃত শব এবং ছন্দ ধ্বনিগৌরবে পরিপূর্ণ, স্থতরাং সংস্কৃত কাব্যে রচনার সাধ গানে মিটাইতে হয় নাই, বরং গানের সাধ কাব্যে মিটিয়াছে। মেঘদুত নুরে বসানো বাহুলা।”

হিন্দী সম্বন্ধে বলিলেন, “কথাকে সামান্ত উপলক্ষ মাত্র করিয়। সুর শুনানই হিন্দি গানের প্রধান উদ্দেশ্য কিন্ত বাংলায় স্থরের সাহায্য লইয়া কথার ভাবে শ্রোতাদিগকে মুগ্ধ করাই কবির উদ্দেশ্ব। কবির গান, কীর্তন, রামপ্রসা্দী গান, বাউলের গান প্রভৃতি দেখিলেই ইহার প্রমাণ হইবে। অতএব কাব্যরচনাই বাংলা গানের মুখ্য উদ্দেস্থা হবরসংযোগ গৌণ। এইমকপ কারণে বাংল! সাহিত্যভাগাবে রত্ব যাহা কিছু পাওয়া যায় তাহা গান।”

সংস্কৃত হিন্দী বাংলা ভাষা কাব্যের বৈশিষ্ট্য এমন হ্ন্দরভাবে তিনি আর কোথা বলিয়াছেন বলিয়া জানি ন|। ছুংখের বিষয়, তাহার গ্য-গ্রস্থাবলীতে এই প্রবন্ধটি নাই।

চিত্রাঙ্গদ! নাট্যকাব্য

সাধনার বিচিত্র বচনাসস্তার সরববাছের মধ্যে শীর্ণ অবসরের ফ্লাকে ছুইথানি বিপরীত প্রকৃতির নাটক যুগ্রপৎ ভাদ্র মাসে (১২৯৯) প্রকাশিত হইল-__ “চিত্রাঙ্গদা” নাটাকাব্য “গোড়ায় গলদ” প্রহসন চিত্রাঙ্গদা রচিত হয় এক বত্লর পৃবে ( ২৮ ভাদ্র ১২৯৮ )। উড়িক্যার জমিদারি তদারককাধে নিধুক্তিকালে পাওুয়ার কুঠিতে। বংসরকাল গ্রন্থখানি লা ছাপাইয়া ফেপিয়া রাখা হুয় কেন তাহা আমর! জানি না; বোধ হয় খসড়ার পরে অনেকখানি মাজাঘস! করেন। তা ছাড়া তরুণ শিল্পী অবনীন্দ্রনাথ কাব্যখানির জন্য ছবি আকিতেছিলেন বলিয্বাও এই বিলম্ব হইতে পাবে। অবশীন্্রনাথের বয়স তখন কুড়ি কি একুশ বংর মান্ত্রঃ পড়া ছাড়িয়া কলিকাতা গবর্মমেন্ট আট স্কুলের ভাইস-প্রিন্সিপাল গিল্হাডির কাছে বিপ্লাতী-বীতিতে ছবি আকা শিখিতেছেন।১ স্থতরাং “চিত্রাঙ্গদা'র ছবির মধ্যে অবশীন্দ্রনাথেব কোনো বৈশিষ্টা আশা করা যায় না। ববীন্দ্রনাথের উৎসাহে উপদেশে তিনি এই কাবোর জন্য ছবি আাকেন। তজ্জন্য তিনি এই গ্রস্থ ত্াহাকেই উৎসর্গ করেন। উৎসর্গপঞ্জে তিনি লেখেন, “বৎস, তুমি আমাকে তোমার যত্তরচিত চিন্্রগুলি উপহার দিয়াছ, আমি তোমাকে আমার কাব্য এবং প্েহ-আশীবাদ দিলাম ১৫ শ্রাবণ ১২৯৯।” মহাভারতে চি্রাঙ্গদা অঞ্জুনের ঘে সামান্ত কাছিনী আছে, তাহাকে কেন্দ্র করিয়া এই অপরূপ কাবানাটা লিখিত ১. [11890 /১৮58101070181786) আজ 50৫670011৬7 0, 9311811) 05৩ উ1০6-1070109], 0০৬৩2006110 500০1 01 তে,

০৪1০90৫8 ; 8085৩0 15061 10110 101 5815 05900)5ত [11950506015 01 00106508595 01176 05176532172 09062

000151)60 10. 056 0115057০018] 64$6501) 91 001605178809,- 715৮০-8707411 0/4011671) , 8৯ 0871175 ি৪11901 1942, ?2123-241

৩৪, রবীন্দ্রজীবনী শর্ট ১৮৯২

হয়। নবনারীর যৌন-অহরাঁগে পরম্পরকে পাইবার শাশ্বত আকাঙ্ষা এই কাব্যে ভাষ| পাইয়াছে। মানব-বুতুক্ষা আদিম প্রেরণীকে কবি স্থূল হস্তে স্পর্শ করেন নাই-_ যদিও তাহার অবসর ছিল যথেষ্ট; উহাকে লইয়া সৌন্দর্ঘলোকের একটি নৃতন স্বর্গ, নারীচিত্বের একটি অপরূপ মহিমা স্থ্টি করিলেন। ভাষার মধা দিয়া শবের 'কুহকজাল' প্রধানত নিন্দার্থক দীপ্ষিতে কী অমীম সৌন্দর্য সষ্টি করা যাইতে পাবে, তাহার অন্যতম শ্রেষ্ঠ উদাহরণ হইতেছে “চিত্রাঙ্গদা? নাট্যকাব্য। রবীন্দ্রনাথ চিত্রাঙ্গদার কাহিনীটি যেভাবে বর্ণনা করিয়াছেন, আমরা তাহাই অস্থসরণ করিব অনঙ্গ-আশ্রমে মদন বসন্ত আছেন ; চিত্রাঙ্গদা উপস্থিত হইয়া তাহার ইতিহাস বলিতেছেন চিত্রাঙ্গদা উপযাচিকার্ধপে অঞ্জন সমক্ষে উপস্থিত হইয়। প্রেম নিবেদন করিলে শুনিলাম।-..শেষ কথা তাবু কর্ণে মোর বাজিতে লাগিল তঞ্ত শুল-_ ব্রদ্ষচাবিব্রতধারী আমি পতিযোগ্য নহি ববাঙ্গনে ) নারীর আত্মাভিমানে আঘাত লাগিল, 'পুরুষের ব্রদ্বচর্ধ ! তাই চিত্রাঙ্গদা মদনের নিকট প্রার্থনা জানাইতেছে-- শুধু এক দিবসের তরে ঘুচাইয়া দাও, জন্মদাত বিধাতার বিনাদোষে অভিশাপ, নারীর কুব্ূপ করো] মোরে অপূর্ব সুন্দরী | চিত্রাঙ্গদার পুকষ-কঠিন রূপ অঙ্জুনকে মুখ করে নাই; তাই সে আজ মদন বসস্থের আঙবাদে বর্কাপবাাপি নারীর অপরূপ সৌন্দর্যের অধিকারী হইল। কুরূপ পরিবতিত হইয়া গেল। চিন্রাঙ্গদ! বলিতেছে, “হায়, আমারে করিল অতিক্রম আমার তুচ্ছ দেহখানা, মৃত্যুহীন অস্তবের এই ছাম্বেশ ক্ষণস্থায়ী 1 অঞ্জুন একদ1 তাহাকে দেখিলেন “সরোবর-সোপানের শ্বেত শিলাপটে ।' অন্ন অরণপোর শিবালছে আছেন, সহসা চিত্রাঙ্গদা সেখানে উপস্থিত হইল। চিত্রাঙ্গদ] অঞ্জনের পরিচয় গ্রহণ করিল, কিন্ধ নিজের পরিচয় দিবার প্রয়োজন হইল না, অর্জুন তাহার বূপে মুগ্ধ হইয়া কহিলেন__ “তোমার হদয়ছ্াবে প্রেমার্ত অতিবি' | চিত্রাঙ্গদ] বিস্মিত, কী পরিবর্তন! সেদিন যে-পুরুষ তাহার নারীত্বকে তাচ্ছিল্য করিয়াছিল আজ রূপের কাছে আত্মাহুতি দিঠে সে-ই প্রস্তত। তাই মে কহিল, ধিক্‌, পার্থ ধিক! কে আমি, কী আছে মোর, কী দেখেছ ঠমি, কীক্জান আমারে | কার লাগি আপনারে হতেছ বিশ্বৃত। পুরুষের ব্রদ্ধচর্ণ ! ক্ষতের বঙ্গচর্য ! সত্যই আজ রূপের মোহে অদ্ভুন সমস্থ জপাজপি দিতে প্রপ্তত | চিস্রাঙ্গঈধা অজজুণকে তালোবাসিয়াছে বলিরাই সে চাহে না যে অঞ্জন কামনার বন্ছিতে সমস্ত সাধন! দগ্ধ করেন ; তাই সে বপিতেছে_ মিথ্যারে করো না উপাসনা শো বীর্য মধ তোমার দিযে! লা মিপাসু পদে যা ফিরে যাও।

খাষ্ঠটান্ষ ১৮৯২ চিাঙ্গদ। নাট্যকাব্য ৩৪১

চিত্রাদা জানে তাহা এই রূপ ক্ষণকালের। কিন্তু অনতিকাল পরেই মদন বসস্তের কৃপায় চিজঞাঙগদ। অঙ্জুনকে স্বামীরূপে শাভ করিল। কিন্ত ইহাতে তাহার অস্তরের বেদনা ঘুচিল না। সে জানে অর্জুন যাহাকে গ্রহণ করিয়াছেন, সে তাহার সৌন্দর্যকে, তাহার বহিরাবরণকে একটি রূপসী নারীকে, তাহার ছ্মরূপকে সে যখন কেবল সাধারণ নারীবূপে অঞ্জুনকে পতিত্বে বরণ করিতে চাহিয়াছিল তখন তিনি ত্রন্ষচর্ষের অছিলায় প্রত্যাখ্যান করিয়াছিলেন, আজ তাহাকেই গ্রহণ করিলেন; কিন্ত তিনি জানেন না যে এই সেই উপেক্ষিত কুরূপ! নারী আজ চিত্রাঙ্গদা বসম্তের সহায়তায় অপরূপ সৌন্দ্ষমণ্ডিত হইয়াছে বলিয়া তাহাকে তিনি গ্রহণ করিয়াছেন। কিন্তু সৌন্দর্য চিরস্থায়ী নছে। তাই সে মনকে বলিতেছে__ “এই ছস্মক্কপিনীর চেয়ে শ্রেষ্ঠ আমি শতগুণে' | মান্ষ প্রেমকে বহু বন্ধনে বাধিতে চায়, মানব লোকালয়ে প্রেয়সীকে পাইতে চায়। তাই চিত্রাঙ্গদা বলিতেছে__ যা দ্বেখিছ তাই আমি, আর কিছু নাই পরিচয় প্রভাতে এই যে দুলিতেছে কিংশুকের একটি পল্পবপ্রান্তভাগে একটি শিশির, এর কোনে! নামধাম আছে? এর কি শুধায় কেছ পরিচয়। তুমি যারে ভালোবামিয়াছ, সে এষনি শিশিরের কণা, নামধামহীন |... “যারে বাধিবারে চাও কখনো সে বন্ধন জানে নি। সে কেবল মেঘের স্ুবর্ণছটা, গন্ধ কুহমের, তরঙ্গের গতি। সত্যই তে সৌন্দধের কোনো নাম নাই-_ বস্তনিরপেক্ষ সৌন্দধ তো নাই। অঙ্ুন সাধাবণ নারী চিত্রাঙ্গমাকে একট! পত্বীব্ষপে গ্রহণ করিতে অস্বীকাত হইয়ানিলেন, কিন্ত আজ তাহার কৃত্রিম হুন্দর ্ধপকে সন্ভোগের জন্য বীরের হৃদয় তাহার আজন্সের অজিত পুণ্যকে বিসর্জন দিতে কুষ্ঠিভ হুইল না। অজ্জুন তো চাছেন নাই সামান্ত নারীকে, তিনি চাহিয়াছিলেন নারীর বিশ্বমোহন রূপকে-_ অনঙ্গ বসন্তের কৃপায় ক্ষণকালের জন্ত যাহার উদ্ভব। কিন্তু 'ক্ধপ নাহি ধর। দেয়, নথ প্রয়াম। এমন সময়ে বনচরগণের নিকট হইতে চিত্রাঙ্গদার নাম তাহার যথার্থ পরিচয় লাভ করিয়া অঞ্জনের বীর হৃদয় সেই বীরাসনাকে জানিবার উৎস্থক হুইয়া উঠিল। ছগ্সক্ধপী চিত্রাঙ্গদা! বলিতেছে__ কুৎসিত, কুরূপ এমন বন্ধিম ভুক নাই তার-_ এমন নিবিড় কফ্কতার। কঠিন সবল বাহু বিধিতে শিখেছে পক্ষা, বাধিতে পাবে না বীর, ছেল সুকোমল নাগপাশে |" .*যাযিনীর নর্ম সহচনী, হি হয় দিবসের কর্মসহচবী সতশ প্রস্তত থাকে বাম হম্তনম

৩৪২ রবীন্জীবনী গ্রীষ্টা্ধ ১৮৯২

দক্ষিণ হস্তের অন্থুচব, সে কি ভালো লাগিবে বীরের প্রাণে? পুরুষের হৃদয় নারীকে চায় নারীব্ূপে, দেবীবূপে নহে, মায়ারূপে নহে। অতৃপ্ত থাকে তাহার অন্তর, অসম্পূর্ণ হয় তাহার জীবন বর্ষশেষে চিত্রাঙ্গদা নিজ মানবী কূপ ফিরাইয়া পাইল। সৌন্দর্যের অবশ্থষ্ঠন আজ তাহার নাই, আজ সে চিত্রাঙ্গদা, রাজকুমারী, মণিপুররাজছৃহিতা | অর্জুনকে বিদায়ের ক্ষণে বলিতেছে__ আমি চিত্রাঙ্গদা রাজেন্দ্রনন্দিনী | হয়তো! পড়িবে মনে, সেই একদিন সেই সবোবরতীবে, শিবালয়ে, দেখা দিয়েছিল এক নারী, বহু আভরণে ভারাক্রান্ত করি তার বূপহীন তচ্ছ। কী জানি কী বলেছিল নির্লজ্জ মুখর, পুরুষেরে করেছিল পুরুষ-প্রথায় আরাধনা ; প্রত্যাখ্যান করেছিলে তারে ভালোই করেছ। সামান্য সে নারীরূপে গ্রহণ করিতে যদি তাবে, অন্কতাপ বিধিত তাহার বুকে আমরণ কাল। প্রভু, আমি সেই নারী। তবু আমি সেই নারী নহি; সে আমার হীন ছদ্লুবেশ। তার পরে পেয়েছিস্ত বসন্তের বরে বর্ষকাল অপরূপ রূপ দিয়েছি আন্ত করি বীরের হদয় ছলনার ভারে সেও আমি নহি। আমি চিত্রাঙ্গদা | দেবী নহি, আমি সামান্তা রমণী পূজ] করি পাখিবে মাথায়, সেও আমি শহ) অবহেলপ] কবি পুবিয়া রাখিবে পিছে, সেও আমি নহি। যদি পার্ে রাখ মোরে সংকটের পথে, ছুন্হ চিন্তার যদি অংশ দাও, যদি অনুমতি কর কঠিন ব্রতের তব লা হইতে, ঘি সুখে ছুংখে মোরে কর সহচরী, আমার পাইবে তবে পরিচয় |... নারাতের শ্রেষ্ট আদশ, সংসার-জীবনের চরম সার্থকতা প্রকাশ পাইয়াছে এই কমটি পড়্ক্তির মধো। “চিত্রাঙ্গদা'

এটা ১৮৯২ | মংগীতসমাজ গোড়ায় গলদ ৩৪৩

প্রকাশিত১ হইবার প্রায় সতেবরে। বৎসর পরে ( ১৩১৬ ), এই নাট্যকাব্যের মধ্যে কতথানি অঙ্গীলতা আছে, নায়িকার মধ্যে উপযাচিকার প্রেম-নিব্দেন কতখানি আছে, তাহ! লইয়া সাময়িক সাহিত্যে গভীর আলোচনা উত্থাপিত হয়। কিন্ত এই কাব্যখানি পাঠ করিবার পর কোনে! সাহিত্যরপিক লোকের মনে কোনে! কুৎসিত কল্পনা কী করিয়া আসে তাহা সহজবুদ্ধিতে আবিষ্কার করা কঠিন। যৌন আকাঙ্া প্রকাশ যদি সাহিত্যধর্মের রুচি-অসঙ্গত হয়, তবে অভিজ্ঞান শকুস্তলাকে ছুর্নীতিযূলক গ্রন্থ বলিয়া অপাঙ্ক্রেয় করা প্রয়োজন; সে ছিসাবে দুনিয়ার অনেক সেরা কাব্য উপন্যাস আবর্জনাতৃপে নিক্ষিপ্ত হওয়া উচিত ছিল। রসজ্ঞ সমালোচক পাঠক দেখে নারীর সমগ্র রূপ কী ভাবে ফুটিয়েছে। সে দিক হইতে বিচার করিয়া দেখিলে এই কাব্যনাট্যখানি সৌন্দর্যে অতুলনীক্প। নারী যথার্থভাবে পুরুষের সহধমিণী, প্রয়োজনবোধে সহধর্মিণী, 'ল্েছে নারী, বীর্ষে সে পুরুষ" | অর্ধনারীশ্বরের আদর্শ এই ভারতের

সমসাময়িক সাহিত্যিকদের নিকট “চিত্রাঙ্গদা শ্রেষ্ঠ কাব্যকূপেই প্রতিভাত হইয়াছিল।

নিতাকৃষ বসু তাহার 'ডায়েরী'তে চিত্রাঙ্গদার যে আলোচনা লিখিয়াছিলেন, বহু বৎসর পরে সাহিত্য পত্রিকায় প্রকাশিত হইলেও, আমর] তাহা সমসাময়িকের মত বলিয়া গণা করিব।

“মহাভারতের মহাকবির অমর চরিত্র ছুইটিকে কোনও অংশে হীন না করিয়া, কবি ইহাদের উপর আপনার কবি গুণপনার বিশিষ্ট পরিচয় প্রদান করিয়াছেন ।... কবি ইহাতে আদর্শ দাম্পত্য প্রেমের একটি ইতিহাস বণিত করিয়াছেন। (প্রেমের মূলে যে সৌন্দর্ধান্ুতূতি আসঙ্গলিপ্সাই প্রবল, ইহাতে ভাহা স্ন্দররূপে প্রদ্বশিত হইয়াছে ।:.. কর্মহীন বিলাস-লীলা প্রেমের আদশ নহে; কর্তব্য পালনের পথে সাহচর্ধই ইহার চরম উদ্দেস্ 1... সৌন্দধের যোহ, যৌবনের ত্রাস্থি, উপভোগের অকুচি, তৎপরে 'ভূষণবিহীন' সত্যের অভুদয়, ইহাই প্রেমের প্রকৃত ইতিহাস যে কবি এই মহান ইতিহাস এমন স্বন্দর মধুর করিয়া আমাদের সমক্ষে ধৰিয্বাছেন, তিনি সহ সাধুবাদের পাত্র সন্দেহ নাই ।”২

সংগীতসমাজ গোড়ায় গলদ

পাঠকের ম্মরণ আছে ববীন্দুনাথ শিলাইদহ বাসকালে আবাঢ ১২৯৯ [২১ জুন ১৮৯২] ইন্দিরা দেবীকে এক পত্রে জানান যে, তিনি একটি নাটক লেখা শেষ করিয়াছেন। সেই নাটকটি “গোড়ায় গলদ' কবি কলিকাতায় আসেন ভাত্র মাসের গোড়ায়, তাহার বনু প্রিয়নাথ সেনকে আহ্বান করিয়া প্রহসনটি পড়িয়া শোনান ; এবং বইটি ৩১ ভাত্র প্রকাশিত হইলে দেখা গেল গ্রন্থটি প্রিক্ননাথ সেনকে উৎসর্গ করিয়াছেন। বোধ হয় গ্রন্থ পুস্তকাকারে প্রকাশিত হুইবায় পূর্বে ভাত্র মাসের কোনো সময়ে উহ্থার অভিনয় হয় সংগীতসমাজ গৃছে। আমরা যে সময়ের (১২৯৯) কথ! আলোচনা করিতেছি, তখন কলিকাতায় “ভারতীয় সংগীত-সমাজ' লইয়! খুবই মাতামাতি চলিতেছে এতকাল

চিত্র/ঙ্গদ| ( নাটা ) সচিত্র আদি স্বাপ্ষসমাজ যন্ত্রে মুদ্রিত। ২৮ তাঙ্জ ১২৯৯ [২ সেপ্টেম্বর ১৮৯২ ]। রবীজ-রচনাবলী ৩। এখারেও থিয়েটারে (১৭ ডিসেম্বর ১৮৯২ ) কৃষ্ককান্তের উইল অভিনয়ের পয় 'চিত্রাঙ্গদা' অভিনীত হয়। ছেযেম্্রনাধ দাশগুপ্ত, ভারতীর নাটামঞ্চ ১৯১৩ সালে চত্রাঙ্গদার ইংয়েজী জনগুবাদ 0104 নামে ধিলাতে প্রকাশিত হয়। ১৯৩৬ সালে (ফাল্ন ১৩৪২) কবি এই নাটিকাটিকে নৃত্যনাটো পরিশত করেন। বথাস্থানে এইসব গ্রন্থের আলোচন। হইযে।

সাহ্ছিতা, জৈষ্ঠ ১৩১১, পু ৭২৭৪ উদ্ধৃতি জীতআাদিতা ওহদেদার, রবীন সাছিত্য-সফালোচনার ধারা পৃ ৩১৩২1 এই সাহিতা পত্জিকাছ নিতাকৃফের 'ভায়েরী' প্রফাশের পাচ বংসর পরে [ চি্রাক্গদ। প্রকাশের সতেয়ে! বসর পরে )জ্যে্ট ১৩১৬ সালে ছিজেক্জলাল রাজ 'কাঁযো নীতি' লিখি ববীন্রনাথকে অঙ্লীল সাহিতাশরাট। ধলিয! নিঙ্দ! কয়েন

৩৪৪ ববীন্দ্রজীবনী খ্রী্াক ১৮৯২

বাংলাদেশে উচ্চাঙ্গ সংগীতের কদর আদর ছিল ধনীর বৈঠকথানায়; আর লৌকিক সংগীত আশ্রয় পাইগাছিল বাউল-বৈষবের আখড়ায় তঃহারও নীচের স্তরে ছিল “কৰি” তরজা, খেউড়, লেটো, খেমটা, ঝুমুর গান আসল কথা পাশ্চাতা নব্য শিক্ষায় দীক্ষিত মধ্যবিত্তদের পক্ষে বিশুদ্ধ সংগীতের বসগ্রহণের স্থান ছিল যেমন রুদ্ধ, লৌকিক সংগীত সম্বদ্ধে তাহাদের স্পৃহা জ্ঞান ছিল তেমনি সংকীর্ণ তছৃপবি রুচির প্রশ্নও ছিল। ইতিমধ্ো ব্রাঙ্মদমাজ সংগীতকে ধনীর প্রমোদশাল! হইতে বাহির করিয়া বাউল-বৈষ্ব-কীর্তনিয়াদ্দের আখড়া হইতে শোধন করিয়া আনিয়া সাধারণের যধো নিবিচারে পরিবেশন করিতে শুরু করেন। বাংলাদেশে ধর্মসংগীতকে সবসাধাবরণের জন্য মুক্তিদান করিল ব্রাক্মদমাজ। কারণ ব্রহ্মমন্দিরের ছার সকলেরই জন্য মুক্ত। নগরকীতন আধুনিক মুগে ভদ্রসমাজে প্রবর্তন করেন কেশবচন্ত্র সেন; গ্রামাঞ্চলে অষ্টপ্রহর হরিসংকীর্তন প্রচলিত ছিল-_ কিস্ এসবের সহিত কলিকাতার অভিজাত ধনী, উচ্চশিক্ষিত যুবক এবং বিলাতফেরত “সাহেবদের কোনো সধ্ন্ধ ছিল না। অপর দিকে ধনীর বৈঠকখানায় বা ব্রাঙ্গদমাজের মন্দিরে বা বাউল-বৈষবের আখড়ায় গিয়া শিক্ষাডিমানী বিলাঙফেরত নবাদের পক্ষে সংগীত রসতৃষ্কা মিটানো সম্ভব ছিল না। ধনীর গৃহে যাইতে তাহাদের আপত্তি, কারণ বর্তমান যুগের ভিমোক্রেটিক আইডিয়া উহা! পরিপন্থী; ব্রাহ্মদমাজের মন্দিরের গান বিশেষ কোনো অভিপ্রায় লইয়া রচিত, তাছা। সর্বদা আর্টিস্ট চিত্তকে তৃপ্তি দিতে পারে না। বাউল-কীর্তনিয়ার আখড়ায় যাইতে মধাদায় বাধে মধাবিক শিক্ষিতদের উপযোগী মিলনক্ষেত্র ছিল না।

এতকাল ধনীর গৃহে মোঘলাই দরবারের কায়দায় নৃত্যগ্ীতের পোষণ ছিল বংশাতিজাঙ্চোর অন্যতম অঙ্গ কলিকাতার নৃতন-ধনীরাও নবলব্ধ ধনাভিজাত্য প্রতিষ্ঠিত করিবার জন্য উনবিংশ শতকের মধাভাগ হইতে কলিকাতার সাহছেবী থিদেটারের অনুকরণে নিজ নিজ গৃহে শখের থিয়েটার শুরু করিলেন। সংগীতের স্বায় ইহাও হইল €.০10151%০) অর্থাৎ এইসব স্থানে সাধারণের প্রবেশাধিকার ছিল না; ধনী, ধনীদের বন্ধুবান্ধব, আশ্রিত চাটরকাররাই নিমস্ত্রিত হইত।

বাংল! থিয়েটারের প্রথম ত্রিশ বৎসর এইভাবে ধনীদের গৃহে আবদ্ধ থাকিল। কিন্তু যে ডিমোক্রাটিক আইডিয় বা সামাবাদ যুগধর্মের হ্যায় দেশের সব প্রতিষ্ঠানে-অন্ুষ্ঠানে পরিবাপ্ত হইয়াছিল তাহ। সাহিত্যে শিল্পে সংন্বতিচর্ঠ দেখা দিল। পাবলিক রঙ্গমঞ্চ স্থাপিত হইল; ন্যাশানাল থিক্ছেটার”১ (৭ ডিসেম্বর -৮৭২। ২৩ অগ্রহায়ণ ১২৭৯) সর্বসাপারণকে টিকিট বিক্রয় করিয়া রঙ্গালয়ে প্রবেশাধিকার দেওয়া হইল। ন্াশানাল থিয়েটার বাঙালির সাধারণ নাট্যশালা হইল। ক্রমে বেঙ্গল, গ্রেট ন্তাশানাল প্রভৃতি নাট্যশাপা প্রতিষ্ঠিত হইলে তথাকিত পতিতা নারীর, যাহাদের অভিনয়ে সংগীতে শক্তি ছিল, তাহারা নাটামঞ্চে অচিবে নিজ নিজ প্রতিভ! প্রকাশের প্রশস্ত ক্ষেএ পাইল, তাহাদের জীবিকার নূতন পথ খুলিল। এখন হইতে তাহাদের পক্ষে অনন্থকর্৷ হইয়া! সংগীতসাধনা, নাট্যকলাচ্1 রূপপ্রসাধনাদি সম্ভব হইল। শখের থিয়েটারে অভিনেতাদের নাটাসাধনার অবসব 'মল্লই যিশিত , দেখিতে দেখিতে নাট্যকলা “আমেচার'দের হাত হইতে ক্রমেই প্রোফেশনাল নট-নটীদের হাতে গেল। উপশন্ধ নাটা-ব্যবসায়ীরাও প্রোভা-দর্শকের মনোরঞনার্থে নানাভাবে রঙ্গালয়কে আকর্ষণীয় করিতে সচেষ্ট তইলেন, নতন নতন সাহিতাকের আবির্ভাব হইতে লাগিল।

পিয়েটারের অভ্যুদয়ের সঙ্গে সঙ্গে দিন স্টেজ রঙ্গালয় প্রন্ভতির অভাবে সাধারণভাবে অভিনম করিতে গিয়! ১২৭৯ সালে কেশবচন্্র সেন কতৃক “হুলত-সমাচার' সংবাদপত্র, বান্তমচন্খক ঠক 'বজদর্শন' প্রকাশিত হছ। ভ্যাশ।নাল পিয়েটারও এই বং

স্কাপিত হইল। বাংলার ইতিহাসে তিনটি ঘটনাই প্ররণীয়। আর একটি ঘটনাও উল্লেপধোগা | ১৮৭১ সালের আন পাস হওয়ায় সর্ধধান বিবাহ আইনলিদ্ধ হর- ডিমোক্রেসির একটি পদক্ষেপ, বাজিম্বাধীনতায় প্রথম শ্বীকৃতি।

গ্ীষ্টা্ ১৮৯২ সংগীতসমাজ গোড়ায় গলদ ৩৪৫

'যাআপালা' নৃতন রুপ গ্রহণ করিল। অনেক সময়ে তাহাদিগকে “অপেরা বলা হইত। থিয়েটারে সিন স্টেজ প্রড়তির সাহায্ো দর্শকের মনে যে-সব ভাব সহজে উদ্রেক কর ঘায়, যাত্রায় তদভাবে, বাকোর দ্বার! সে-সব ভাবকে ছ্ুটাইয়। তুলিবার চেষ্টা হইল। ফলে থিয়েটার যাত্রার নাটক পালাগানের “টেকনিক' বা রচনারীতি পৃথক হইয়া গেল, যেমন আজ “টকি'র নাটক, রঙ্গমঞ্চে-অভিনেয় নাট[ব্নীতি হইতে সম্পূর্ণ পৃথক টেকনিকে রচিত হইতেছে

বাংলা নাট্যশালা নাটকের ইতিহাস বিবৃত কর! আমাদের উদ্দেশ্ট নহে, তবে রবীন্দ্রনাথ নাটারচনায় নাটকাভিনয়ের যে ধাবায় পারম্পর্যস্থত্রে উত্তরাধিকারী হন, তাহার কথা বলা আদৌ অপ্রাসঙ্গিক হইবে না। শখের থিয়েটারে ফরমাইশি নাটক, অনুদিত নাটক প্রভৃতি অভিনীত হইত। কখনো কখনো ধনীদের মধ্যে ধাহারা বিদ্বান প্রতিতাবান তাহারা নিজেরাই নাটক রচনা করিয়া নিজগৃহে আস্মীয়ন্ব্জন বন্ধুবান্ধব আশ্রিতদের লইয়া অভিনয় করিতেন। ন্বগৃছে অভিনয় বাপারে জোড়ার্জাকোর ঠাকুরপরিবার বিশেষ একটি স্বান অধিকার করিমাছিলেন। এই পরিবারের অনেকেই নাটক-রচনায় সংগীত-প্রণয়নে নাট্য-অভিনয়ে কৃতিত্ব দেখাইয়াছিলেন ; ইহাদের মধ্যে জ্যোভিরিক্ছনাথের* নামই সবাগ্রে স্মরণীয় কারণ তিনি যে পথ উন্মোচন করিয়া দেন, বৃবীন্দ্রনাথ তাহাই প্রশস্ততর করেন। ববীন্দ্রনাথ ১৮৮১ সাল হইতে প্রায় বাট বসব কাল এই নাটাধারাকে পরিচালনা করিয়াছিলেন

রবীন্দ্রনাথের পূর্বে বাংলাদেশে নাটক রচনার অভিনয়ের ইতিহাস খুব দীর্ঘকালের নহে, মাত্র ত্রিশ বখসরেরু ইতিহাপ। মাইকেল মধুসদনকে যে বাংলা সাহিত্োর যুগপ্রবর্তক বলা হয়, কথা একাধিকভাবে সত্য তিনি যে কেবল যুরোপীয় সাহিত্যের অন্থকরণে পাশ্চাতা রীতিতে বা'লা এপিক লিবিক সনেট প্রভৃতি কাব্রীতি প্রবর্তন করিযবা- ছিলেন তাহা নছে, তিনি পাশ্চাতা আদশে নাটকও রচনা করিয়াছিলেন; পদ্মাবতী" ( এপ্রিল ১৮৬০), 'কৃষ্ণকুমারী'ৎ ( ১৮৬১) নাটককে বাংলাভাষার প্রথম তথাকথিত ধ্তিহাসিক "শন্মিষ্ঠাকে পৌবাণিক এবং “একেই কি বলে সভাতা, “বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রো'কে প্রথম যুগের সামাজিক প্রহসন বলা যাইতে পাবে। দীনবন্ধু মিত্রের নামও এই সঙ্গে ম্মরণীয়।

হাশানাল থিয়েটার স্থাপন গিরিশচন্দ্র ঘোষের নাট্যষধে আবিরাব প্রায় সমসাময়িক ঘটনা | গিরিশচন্দ্র আনিয়া দেখেন বাংলাসাহিতো অভিনেঘ়্ নাটক নাই হয় মাইকেল মধুস্ছদূন বা দীনবন্ধুর নাটক অভিনয় করিতে হয়, না-হয় বঙ্কিমচন্দ্র, রমেশচন্দ্ের উপস্থাসকে নাটারূপ দিয়! থিয়েটার করিতে ইয়। কিন্তু উপন্তাসের মধ্যে যথার্থ নাটকীয় রসম্ত্টি করা কঠিন। তখন তিনি স্বয়ং নাটকরচনায় প্রবুক হইলেন

পেশাদার থিয়্েটারগৃহ ম্বাপিত হইলেও শখের থিয়েটার নষ্ট হইল না। কলিকাতার বক্ষালয় বহুকাল পর্স্ত তেমন আকর্ষণের স্থান হয় নাই। ব্ক্ষমধ*, গৃহসজ্জা, সিন, পোশাক-পরিচ্ছ্দ প্রভৃতির মধ্যে বিলাতী থিয়েটারের নিকৃষ্ট অনুকরণ ছাড়া বৈশিষ্টা ছিল সামান্তই অভিনেতা অভিনেত্রীদের চাবিত্রিক আদর্শ তখনকার শিক্ষিত সমাজের নিকট আদে বব্ণীয় ছিল না। তাই দেখি, ঠাকুরবাড়িতে শখের থিয়েটার বন্ধ হইল না। রবীন্দ্রনাথের বিলাত হইতে আসিবার পূর্বে জোতিরিম্্রনাথ মবর্ণকুমারীর গীতনাটা নাটিক। তাহাদের বাড়িতে অভিনীত হইয়াছিল। মূলকথা পেশাদারী থিয়েটার বা প্রাইভেট থিয়েটার মধ্যবিত্ত শিক্ষিতদের আর্টিস্ট চিত্তের চাহিদ1 পূরণ করিতে পাবিতেছিল না।

ব্রজেশ্রদাথ বঙ্দোপাধার, বজীয় নাটাশালাজ ইতিহাস ১৩৫৪ জীজজিতকুমার ঘোষ, বাংল! নাটকের ইতিাল। ১৩৬৭ জীহশীল রা; জোতিরিজনাথ। পূ ৮৭-৯৮। কৃষকুমারী নাটক অভিনয়ে জোতিরিস্রানাগ কুফ্ণকুষারীয় জননী অহলা! দেবীর ভূমিকা, 'এফেই কি বলে সভাতা। প্রহসন অস্ভিনয়ে সারজনেক কৃষিক] গ্রন্থণ করেন জীহগীল য়ায়, জ্যোভিরিশ্রনাখ, পু ৮৯। ৪6

৩৪৬ বুবীন্দ্রজীবনী খ্রীষ্টাৰ ১৮৯২

এই শিক্ষিত মধ্যবিত্ত যুবকদের সাদ্ধ্য বিনোদনের জন্যই “সংগীতসমাজে'র প্রতিষ্ঠা 1১ জ্যোতিরিক্্রনাথ ঠাক্কুরের উদ্যোগেই ইহা স্থাপিত হয়। কিছুকাল পৃবে পুণ! নগরীতে বাসকালে জ্যোতিরিক্রনাথ মহারাষ্্রদের গায়েন-সমাজ' দেখিয়াছিলেন ; তখনই তাহার সংগীতসমাজ স্থাপনের পরিকল্পনা আসে

সংগীতসমাজ হুইল বিপাতী ক্লাব বাবুদের বৈঠকখানার সহ্মিশ্রণ ; ফরাশ, তাকিয়া, জাজিম, গড়গড়া, তাস, পাশার সঙ্গে থাকিল পিয়ানো, টেবিল অর্গান, বিলিয়ার্ড টেবিল প্রভৃতি জমিদার ধনীর আমিলেন, বিলাতফেরাত ব্যারিস্টার, ডাক্তার আসিলেন। কণ্ঠসংগীতে ওস্তাদ কেহ কলিকাতায় আমিলে যেমন তাহাকে সমাজভবনে নিমন্ত্রণ করিয়া আনিয়া তাহার কৃতিত্ব উপভোগ করিবার স্থযোগ সভ্যদের দেওয়া হইত, তেমনি আনন্দ শিক্ষার জন্য সুসংস্কৃত প্রণালীতে অভিনয়ের ব্যবস্থা হইত। জ্যোতিবিন্ত্রনাথই সংগীতসমাজের প্রথম সম্পাদক; পরে অন্যতম সভাপতি হন। এই সংগীতসমাজে জ্যোতিরিন্ত্রনাথের অস্রমতী, অলীকবাবু প্রভৃতি বহু নাট্য গীতনাট্যের অভিশয় হয়। সমাজের সভাদিগকে লইয়া অভিনয়ের আয়োজন হইত কোনো মহিলা! সভ্য ন1] থাকায় স্্রী-চরিত্র অভিনয় করিবার জন্ত কয়েকজন বেতনভোগী কিশোর স্থায়ীরূপে প্রতিপালিত হইয়া সমাজের বিশিষ্ট অভিনয়ভঙ্গিতে দীক্ষিত হইত | সংগীতসমাজের হি হইতে রবীন্্রনাথ পরম উৎসাহের সহিত ইহাতে ফোগদান করেন রবীন্দ্রনাথের স্বভাব ধাহারা জানেন, তাহার! নিশ্চয়ই লক্ষ্য করিয়া থাকিবেন যে, যখন তিনি কোনো ব্ষিয়কে ধরিতেন, তাহাকে পরিপণভাবে, সমস্ত অন্তর দিয়া গ্রহণ করিতেন। সংগীতসমাজের অভিনয় উপলক্ষে ববীন্্রনাথ কিরূপ পরিশ্রম করিতেন ভাহার সামান্য আভাস আমরা পাই তাহার স্ত্রীকে লিখিত পহ হইতে সভাশ্রেণাভক্ত বিপাতফেরভাদের মধো অনেকে বাংলা ভাষা সহজভাবে উচ্চারণ করিতে পাবিতেন না; ববীন্্রনাপ ছিপ্রুহবে কখনো-বা তাহাদের বাটিতে গিয়া কখনো-বা সযাজভবনে আসিয়া তাহাদের উচ্চারণ ম'শোধন করিতেন ; আবার, সন্ধ্যার পর মিলিত হইয়া তাতাদের ভূমিকাপাঠের আবৃত্তি গ্রহণ করিতেন, সঙ্গে সঙ্গে অঙ্গভঙ্গি-আদি শিক্ষা দিতেন। এক এক দিন বিহার্পেলে বাতি দেডটা-ছুইট1 বাজিয়! যাইত, তখন সংকীর্ণ গলিপ ধরিরা হাটিয়া বাড়ি ফিরিতেম।

পালা খাড়া করিয়া দেখা গেল যে নাটকীয় রস তেমন জিতেছে না। তখন রবীশ্্রনাথ অভূতপূব অধ্যবসায় ক্ষিপ্রতার সহিত উহার আমূল সংশোধন করিপেন। গোড়ায় গলদ'* অভিনয়কে সর্বাঙ্গহণ্দর অতাস্ট স্বাভাবিক করিবার জন্য অটলকুমার সেন, যিনি শিবু ভাক্কারের ভূমিকায় অবতীণ হন, তিনি নাকি সামনের গোটা-ছুই দাত তুপিয়া কৃত্রিম দস্ত ব্যবহার করিয়াছিলেন। অভিনেতার যাহাতে দশকের মন হইতে সকপপ্রকার কতজিমতার আভাস বিলুপ্ত করিতে পারেন, কথাবার্তায় হাবভাবে চালচলনে গলাব স্বরে শবেবু উচ্চারণে অভিনয়ে সহজ ঘরোয়া ভাঁবভঙ্গি ফুটাইতে পারেন, ইহাই ছিল সগীতসমাজের অভিপয়ুভঙ্গিণ বৈশিষ্ট্য ববীানাধের শিক্ষাদানের বিশেষ লক্ষ্য পটলভাঙার হেমচন্দর বগমলিক*-- নিবারণ, ব্যারিন্টার কবনমোহন চাট্ুক্চে,-- লশিত চাটুজ্জে শ্রুশচন্দ বহ্থ__ চন্দ্রবাধুন ভূমিকার নাষেন। শ্রশবাবু গান করিতে পারিতেন নঃ তাই রবিবাবু শিজ নামেই স্টেজে বাহির হইয়া উহা গাহিয়া দিলেন। ভাহার অবচারণার জন্য নাটকীয় কথোপকগনে কিড় যোগ করিয়া দে এয়া হয়। চঙ্্রবাবু তাহার বন্ধুদের পবিবাবুর গান শ্রনিবার জন্ঠ একটু বমিতে বলেন, কারণ সেইদিনই তাহার দেখা করিতে আমিবার

কর্ণওয়ালিন ম্ীটের (নং ০০৯) বাড়িতে এই মসটঠসমাজ টিয়া আনিকার পৃরে পাগু ঠচার মাধ লেক গঞ্চগোল ছিল, এমনকি মামলামকদ্দমা পধঞ হহয়। মায়। সে সমস্থ জপ্রিয় আলোচনার সামাদের প্রয়োজন নাই |

২. গোড়ায় গলদ সপীতসমাজ সন্বদ্ধে তপাগুপি থণেন্দনাপ চটোপাধায় -লিপিত 'রবীল্প-কিগা হতে গৃহীত।

হাবোধচন্্র বচ মপ্িক ১৯০৬ সালে জাহির শিঙ্ষ পরিদদ প্তিছিত হইলে কাউগ্সিলকে এক লক্ষ টাকা দেন, সে টাকায় উক্ত বিশ্ববিদ্ত।য় প্রতিষ্ঠিত হয়, ইতিহাসের জঙ্ত 'হেমচন্্র ব9 মনিক অথাপক' দশশাদির জন্থ 'কবাধচন্্র ব2 মরিক অধাপক'-পদ শি হয়।

্ষ্টাব ১৮৯২ সংগীতসমাজ গোড়ায় গলদ ৩৪৭

কথা আছে। পরে রবীন্দ্রনাথ প্রবেশ করিলে সকলের সহিত তীহার আলাপ-পরিচয় করাইয়! দেওয়া হইল) তিনিই শেষ গানটি গাহিলেন, “যার অদৃষ্টে যেমনি ভুটুক তোমরা সবাই তালো”।

এই বঙ্গমঞ্চে “বৈকুষ্ঠের খাতা” (১৩০৩) অভিনয়ে নাটোরের মহারাজা জগদিন্্রনাথ অবিনাশের রবীন্দ্রনাথ কেদারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। কেদারের সাজপাট মেক্আাপে কবি এমন-একটা অসংকৃত কপট বিনম্বের অবতারণা করিয়াছিলেন, যাহাতে চরিত্রের অস্তলিখিত ভাবটি সহজেই পরিস্ফুট হুইয়! উঠিয়াছিল। চেষ্টাকৃত অযত্বের আবরণে স্বার্থমাধনের গুঢ় অভিপ্রায় ঢাক! দিবার চেষ্টা যেন সহজেই নজরে পড়ে, এই ভাবটিই প্রকাশ পাইয়াছিল।

জ্যোতিরিন্রনাথের “অলীকবাবু” প্রহসনে রবীন্জনাথ 'অলীকবাবু'র ভূমিকায় নাষেন। প্রহসনখানি ফরাসী হাশ্তনট মোলিয়েরের একট! নাটক ভাঙিয়া লেখা পাঠকের স্মরণ আছে ১৮৭৭ সালে জ্যোভিরিজ্্নাথ 'এমন কর্ম আর করব না" নামে একটা প্রহসন লেখেন; “অলীকবাবু, এই নাটকেরই নায়ক। প্রথমবার বিলাত যাইবার পূর্বে জোড়ার্সাকোর বাড়িতে নিজেদের মধ্যে ইহার অভিনয় হয়; রবীন্দ্রনাথ তাহাতে “অলীকবাবু'র ভূমিকা গ্রহণ করেন ।"- হেমাঙ্গিনী সাজেন অক্ষয়চজ্্ চৌধুরীর স্ত্রী শরৎকুমারী প্রায় বিশ বৎসর পরে জ্যোতিরিন্্রনাথ নাটকখানিকে “অলীক বাবু বলিয়া প্রকাশ করিলে সংগীতমমাজে উহার অভিনয়ের ব্যবস্থা হইল। কিন্তু অভিনয় করাইতে গিয়া দেখা গেল রঙ্গমঞ্চে সফল করিতে গেলে কিছু পন্রিবর্তন গ্রয়োজন অবনীন্দ্রনাথ “ঘরোয়া"য়১ লিখিয়াছেন ষে, রবীন্দ্রনাথ “অনেক অদলবদল করে দিয়ে তা ফরাসী গন্ধ থেকে মুক্ত করলেন। এইখানেই হোলো! ববিকাকার আর্ট... হেমাঙ্গিনীর প্রার্থীর সংখ্যা বাড়িয়ে দিলেন। আগে ছিল এক অলীকবাবুই নানা সাজে ঘুরে ফিরে এসে বাপকে ভুলিয়ে হেমাঙ্গিনীকে বিয়ে করে রবিকাকা সেখানে অনেকগুলো লোক এনে ফেললেন তাতে হোলো কী, অনেকগুলো ক্যারেকটাবেরও শট্টি হোলো হেমাঙ্জিনীকে রাখলেন একেবারে নেপথো |... আর বেরই করলেন না।*

সংগীতসমাজের অভিনয়ে রবীন্দ্রনাথ অলীকবাবুর ভূমিকা গ্রহণ করিয়াছিলেন? প্রিক্গনাথ মেন এই অভিনয় দেখেন কিছুকাল পরে তৎসন্থন্ধে লেখেন, “এমন সুন্দর অভিনয় কখনও দেখি নাই। নিজে রবিবাবু অলীকগ্রকাশ সাজিয়াছিলেন। ধাহারা রবিবাবুর অভিনয় দেখিয়াছেন, তাহারা জানেন ফে কবিবর' শুধু আধুনিক বঙ্গসাহিত্যের শিরোমণি নহেন, নটচুড়ামণি বটে 1”

সংগীত-সমাজের গোড়ার দিকে কবি একটু নিজেকে স্বতন্ত্র রাখিতে ভালোবাসিতেন, স্টেজেও সহস! নামিতে বাজি হইতেন না। কিন্তু ক্রমে আভিঙ্গাতোর সংকোচ কাটিয়া যা জোোতিরিঙ্্রনাথের 'পুনবসন্ত' নামে দীতনাটোর প্িহার্সালে কোমরে চাদর বাধিয়! হাততালি বাজাইয়! সখিদের নাচ দেখাইয়া দেন। সংগীতসমাজের সহিত রবীন্দ্রনাথের সঙ্গন্ধ প্রায় দশ বংসর (১২৯৮-১৩০৮) পর্বস্ত বেশ ঘনিষ্ঠতাবেই ছিল; তার পর কলিকাতা মহানগরী হইতে কবিব জীবনের কর্মকেন্জ্র বোপপুরের প্রান্তভাগে চলিয়া গেল এবং স্বভাবতই কবি এই সমাজ হইতে দূরে সবিষ্বা গেলেন-_

জীবনযাত্র! আগে চলে যায় ছুটে-_ কালে কালে তার খেলার পুতুল পিছনে ধুলায় লুটে

ববীশ্রনাথ অভিনয়-শিক্ষা বিষয়ে যেসব মন্তবা করিতেন তৎসন্বন্ধে খগেঞ্জনাথ চট্টোপাধ্যায় লিখিতেছেন, “তাহার মত যে, অভিনয্টে কিছু তেজন্থিতা বরং ওভার-একটিং ভালো, তাহাতে অভিনেতার আত্মাভিমানজলিত সংকোচের ষে অবনীজনাধ ঠাকুর, খয়োয়া, পৃ ৮৮। প্রিয়নাখ সেন, সাহিতা, চৈত্র ১৩*৬। প্‌ ৭৭। প্রিক্র-পুষ্পাঞজলি, ১২৮1 খগেম্রনাখ চট্োপাধ্যায, রবীন কথা, পৃ ২২৩।

৩৪৮ ববীন্দ্রজীবনী

অভ্যাসদ্বারা দূরীরুত হইরাছে, তাহার পরিচয় পাওয়া যায় দর্শকের প্রাণ স্পশ করিতে পারে। কিন্তু বাঙালি জাতির সামাজিক জীবনযাত্রার ফলে স্বাতাবিক প্রবণতা আগ্ডার-একটিংএর দিকে 1”

এইখানে রবীন্দ্রনাথের সহিত রঙ্গমঞ্চের ইতিহাস সংক্ষেপে বিবৃত করিলে আশা করি অপ্রাসঙ্গিক হুইবে না। বাংলাদেশে রঙ্গমঞ্চের জল্ম-- সে রঙ্গমঞ্চ প্রাইভেটই হউক আর পাবলিকই হউক-_ বন্ধ লেখক গীতনাটা, কাব্যনাট্য, প্রহসন, গ্যনাটক রচনা করিয়াছিলেন। এই অসংখা গীতকার-নাট্যকারদের অন্যতম হইতেছেন রবীন্দ্রনাথ বাংল নাটকের অতীত বা তৎসামগ়িক ইতিহাস হইতে তাহাকে পৃথক করিয়া দেখিতে গেলে তাহাকে যথার্থভানে পাওয়া যাইবে না। এমনকি সমগ্রের পরিপ্রেক্ষিতে তাহাকে না দেখিলে তীহার বাক্তিত্ের যথাযথ স্বান নির্দেশও হইবে না।

রবীন্দ্রনাথ বিলাত হইতে ফিরিয়া! আমিবার এক বৎসর পরে 'বান্মীকি-প্রতিভা" (ফেব্রুয়ারি ১৮৮১) তাহাদের বাড়িতে অভিনীত হইল। প্রায় ছুই বৎসর পরে “কালমুগয়া"র ( ডিসেম্বর ১৮৮২ ) অভিনয় হয়। উভয় নাটকই বিছজ্জনসমাগম সভার সাহ্ৃংসব্িক অধিবেশন উপলক্ষে রচিত হয়; পাবলিক চিত্তবিনোদনের জন্যই লিখিত, তবে সে পাবলিক নিমহ্িত ভদ্রসমাজ

কয়েক বংসর পরে বান্মীকি-প্রতিভা নৃতন করিয়া লিখিয়া রবীন্দ্রনাথ জোড়ার্সাকোর বাড়িতে উহার অভিনয় করাইলেন।১ অতঃপর আদি ব্রাঙ্মদমাজের জন্য টাকা ভুলিবার প্রয়োজন হইলে স্টার থিয়েটার রক্ষমঞ্চে টিকিট বিক্রয় করিয়া অভিনয় করা হয়; আমাদের মনে হয় পাবলিক রঙ্গমঞ্চে কবির অভিনয়ও এই প্রথম এবং টিকিট বেচিয়া অথসং গ্রহ এই প্রথম 1২

ইহার তিন বহসর পরে পুনরায় উহাকে করমাইশি গীতিনাটা লিখিয়। দিতে হইল, সখিসমিতির মহিলামেলায় অভিনয়ের উপযোগী গীতিনাটা 'আয়ার খেলা" | বেখুন স্কুলে গৃহস্থঘরের কল্সার] কেবল মহিল!1 দর্শকের সম্মুখে সবগ্রথম ইহার অভিনয় করেন। আসল কথা, পাবপিকের সম্মুখে অভিনয় করিবার জন্যই “মায়ার খেলা" স্স্তি ( পৌধ ১২৯৫ )।

প্রতাক্ষভাবে রঙ্গমঞচের সহিত ববীন্্নাথের কোনো ধোগ ছিল ন] সতা, কিন্ত রঙ্গমঞ্চ ৪বাংপা নাটকের উপর তাহার পরোক্ষ প্রভাবের কা বিশ্বুত হইলে চলিবে না। পাঠকের স্মরণ আছে রবীন্দ্রনাথের “বৌঠাকুরানীর হাট? ১২৮৯ সালের পোঁৰ মাসে পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়] কয়েক বংসপ্ধ পরে এই উপস্তাসের নাট্যরূপ 'বাজা বসম্তরায়? নামে পাবপিক এক্গমক্ে অভিনীত হইল

কাব্যনাটা-বচলার রবীন্দ্রনাথের কোনো বৈশিষ্ট আছে কি না তাহ! বিচাখ এতাবৎকাল পৌরাণিক অধ- এতিহাসিক কাহিনীই ছিল নাটক রচনার উপাদান | গিপিশচন্দ্র ঘোষ, রাজকুষণ রায় প্রভৃতি নাট্যক্কাবগণ প্রায়শই এামায়ণ মহাভারত পুরাণাদি হইতে নাটকের উপাদান সংগ্রহ করিতেন। অর্থাৎ নাটারচনাদ বাংলার পারম্পর্ধগত যাত্রাপাপা-গানেৰ ভাব হইতে আপনাদিগকে ঘুক্ক করিতে পারেন নাই | রবীন্দ্রনাথ তাছার প্রথম ছুই গীতিনাটোর পিসন্ববন্থ পামারণ ১ইতেই সগ্রহ করেন। কিন্ত তিনি অচিরেই এই মধ্যযুগীয়তাকে অতিক্রম করিয়া নৃতন ধরনের কাবানাটা রচনায় ঘন দিলেন, প্রক্কৃতির প্রতিশোধ মায়ার খেলা? রাজা রানী" “বিসর্জন' নৃতন ধরনের নাটক, তাহারা

বাশ্ীকি পঠিছার দ্িতীয় সংশ্থরণ প্রকাশিত হয় (১৩ ফান্তুন ১২৯২) ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৮৮৬।

হেমেন্রনাথ পাখগুপু, গিপিধ প্রতি পু ২৮৭1 আনপাক্রনাথ ঠাকুর, ঘরোয়া

৩. জুলাই ১৮৮৪ ২৮ আবাঢ ১২৯৩ জ. হেষেপ্রনাণ দাশগুপ্ত, ভারতীর নাটামক, পৃ ৩৯। এঠ অভিনয়ে ছিলেন: বসন্তরায়-- রাধা মাধ, কর, প্রতাপাদিঠ- যতিলাল হর, উদ্যাদিত। -- মহেক্বলাল বহ , বিভা কুমারী দত্ত (পয়ে হরি, বিভাহয়ি ), রাষচক্র-- নীলমাধব চক্রবতী বাণী-_ ভবতারিণী , মোহন-- পূর্ণচত্র দোল ; মঙ্গলা-_ ক্ষেত্রমণি এপ্রল ১৯০১ মিনার্ভা খিল্সেটারে রাজ! বসস্তরার পুনরায় অভিনীত হয়। হেমেক্্রনাগ দ।শগুপু, আর তীয় নাটামক, পু হ৭।

খষ্টাব ১৮৯২ সংগীতসমাজ গোড়ায় গলদ ৩৪৯

পৌরাণিকও নহে, ধ্রতিহাসিকও নহে, তাহারা কেবলমাত্র নাট্যকাব্য। রবীন্দ্রনাথের ধখার্থ কাব্যনাটক হইতেছে 'বাজা রানী, ১২৯৬ সালের গ্রীষ্মকালে সোলাপুরে রচিত বই ছাপ! হয় শ্রাবণ মাসে (১* অগস্ট ১৮৮৯ )। বোধ হয় পূজার ছুটিতে সত্যেন্্রনাথ কলিকাতায় আসিলে তাহাদের বিজিতলার বাড়িতে উহার অভিনয় হয়। ববীন্নাথ বিক্রমদেবের, জ্ঞানদানন্দিনী দেবী হমিআ্ার এবং মুপালিনী দ্বেবী নারায়ণীর ভূমিকায় নামেন মৃপালিনী দেবী ইতিপূর্বে বা অতঃপরে কখনো অভিনয় করেন নাই? নারায়ণীর ভূমিকা তিনি নাকি অপূর্ব সফলতার সহিত করিয়াছিলেন অবনীন্দ্রনাথ তাহার “ঘরোয়া (পৃ ৯২-৯৩) বলিয়াছেন যে থিয়েটারের পেশাদার অভিনেত্রীরা কোনোক্রমে বিজিতলার বাড়ির অভিনয় দেখিয়া যায় এবং কয়েকদিন পরে এমারেল্ডে যে অভিনয় হয় (৩* নতেম্বর ১৮৮৯) তাহাতে অভিনেত্রীরা ঠাকুববাড়ির মেয়েদের অভিনয়ের ঢং আশ্চর্ষন্ষপে জন্করণ করিয়াছিল। জ্ঞানদানন্দিনী দেবীর পোশাক-পরিচ্ছদ, গলার হ্বর, বলিবার ভঙ্গি প্রভৃতি যে ভাবে অন্ুকূত হইয়াছিল তাহা অবর্ণনীয় ববীন্দ্রনাথ ঠাকুবুবাড়ির ছেলেরা এই অভিনয় দেখিতে গিয়াছিলেন। পেশাদার থিয়েটার সম্বন্ধে ইহাদের কোনো উন্নাসিকতা বা নীতিগত বিরোধী ভাব ছিল না।

“রাজা রানী? যখন অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত হইয়াছিল তখন বালা কাব্যনাট্যকে গৈৰ্বিশ ছন্দের যুগ চলিতেছে আট বৎসর পূর্বে (১২৮৮) রবীন্দ্রনাথ যখন 'স্ধ্যাসংগীতে'র কবিতায় ছন্দের মুক্তিসাধনায় নিরৃত, সেই সময়ে গিরিশচন্দ্র পৌরাণিক নাট্য 'রাবণবধ" “সীতার বনবাস' 'অভিম্থ্য বধ' প্রন্ভৃতি রচনা করিতেছিলেন। এই নৃতন ছন্দে নাটক প্রকাশিত হইলে ভাবতীতে১ (মাঘ ১২৮৮) যে সমালোচনা বাহির হয় তাহাতে ছিল, “ইহাই যথার্থ অসিজ্রাক্ষর ছন্দ। ইহাতে ছন্দের পূর্ণন্বাধীনতা ছন্দের মিষ্টতা উভয়ই রক্ষিত হুইয়াছে কি মিজ্রাক্ষরে কি অমিত্রাক্ষরে অঙ্গংকারশাস্ত্রোক ছন্দ না থাকিয়া! হৃদয়ের ছন্দ গ্রচলিত হয়, ইহাই আমাদের একাস্ব বাসনা ইহাই আমরা চেষ্টা করিয়া আসিতেছি। গিরিশবাবু বিষয়ে আমাদের সাহাযা করাতে আমরা অতিশয় স্থুখী হইলাম এই সমালোচনার লেখক কে আমর] জানি না।*

রবীন্দ্রনাথ মুক্তছন্দের পক্ষপাতী, লিবিকে তিনি তাহা পরীক্ষা করিলেন, নাটাকাব্ো নহে আমাদের মনে হয়, বা'লা-সাহিতোর নাটাকাবো যখন গৈরিশ ছন্দে রচনা একপ্রকার 10210061151) হইয়া দাড়াইয়াছিল তখনই রবীন্দ্রনাথ নাট্যকাব্যে মধুস্দনের গিরিশের রীতির মধাপথ অবলম্বন করিলেন অধাপক শ্রগ্রবোধচন্দ্র সেন যথার্থ বলিয়াছেন, রবীন্দ্রনাথের ছন্দে প্রবহমানতার দিকে ঝোঁক বেশি এবং গৈরিক ছন্দ অপেক্ষাকৃত কম প্রবহমান, এই পার্থকোর কারণও জম্পষ্ট; পঠিতবা কবিতা অভিনয়যোগা নাটোর প্রয়োজনেই এই ছন্দ দুক্জনের হাতে ছুই জপ ধারণ করেছে।”* আমাদের মতে রবীন্দ্রনাথ "রাজা রানী" নাটকে এই ছন্দের পরীক্ষা! করিলেন। ছাড়া অভিনয়মঞ্চে পৌরাণিক অর্ধ-এতিহাসিক নাটক বাতীত অন্ত শ্রেণীর বোম্ান্টিক নাটক চালানো যায় কি না তাহার পরীক্ষাও করিলেন 'বাজা রানী” এবং পরে “বিসর্জন' লিখিয়া।

“বিসর্জন' রচিত হয় বাড়ির ছেলেদের তাগিদে, সে কথা পূবেই বলিয়াছি; উহা অভিনীত হয় সত্ন্দরনাথের বাড়িতে (অক্টোবর ১৮৯*)। কিন্তু পাবলিক থিয়েটারে দে যুগে উহার জভিনয় হয় নাই। না হইবার কারণ বেশ বুঝা যায়, কালীমৃতিকে দুরে নিক্ষেপ করা থিয়েটারের বঙ্গমধ্জে সম্ভব নছে। কিন্তু ছুই বংসর পরে চিত্রাঙ্গদা"

ভারতী, যাথ ১২৮৮, পৃ৪৮২।

* ীপ্রবোধচন্্র সেন বলেন, "বলার ভঙ্গি এবং হিশেষগাষে 'ইহাই আমর! করিতে চেষ্টা করিয়া আসিতেছি' এই উক্তি খেকে মনে হল অভিমতটি সম্ভবতঃ হয রবীজানাখেরই ।”--ছলন্দোক রবীন্রনাথ।

জীগ্রবোধচন্ লেন, ছল্দোগুক রবীন্রনাথ

৩৫০ রুবীন্দ্রজীবনী ষ্টা ১৮৯২

(২২ সেপ্টেম্বর ১৮৯২) প্রকাশিত হইলে তাহা এমারেল্ড বিয়েটারে “কৃষ্ণকাস্তের উইল” অভিনয়ের পর অভিনীত হইয়াছিল (১৭ ডিসেম্বর ১৮৯২)। সেদিন কেহ উহাকে অঙ্লীল বা ছুর্নাতিমূলক বলিয়া নিন্দা করিয়াছিলেন কি ন1 আমরা জানি না।১

“রাজা রানী এবং বিসর্জন-_ এই ছুইখানি নাটক শেক্সপীরীয় রীতিতে রচিত খাটি রোম্যান্টিক ড্রামা |. ঘটনার তীত্র গতি, হৃদয়াবেগের প্রবল ঘাত-প্রতিঘাত এবং হ্বদয়-বিদারী ট্রাজিক বেদনার অভিব্যক্তিতে এই ছুইখানি রবীন্দ্রনাথের সর্বশ্রেষ্ঠ নাটক |”... কিন্তু এই ছুই নাটকে “নাটাকলার যে চরমোৎকর্ষ দেখা গিয়াছিল, তাহা স্থায়ী হয় নাই ।”২

ইতিমধ্যে কলিকাতায় ভারতীয় মংগীতসমাজ স্থাপিত হইল গানবাজনা আমোদ-আহলাদের সঙ্গে মাঝে মাঝে নাট্য-অভিনয়ের আয়োজন হইল রবীন্দ্রনাথ এই সমাজের প্রতিষ্ঠামুখে মহোৎসাহে যোগদান করিয়াছিলেন এবং শুরু হইতে শাস্তিনিকেতন বিষ্ঠালয়-স্থাপনকাল পর্যস্ত প্রায় দশ বৎসর ইহার সহিত ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন। ১৩০৮ সালের পর তীহার সম্বন্ধ ক্ষীণ হইয়া আসে। এই সংগীতসমাজের যুবক বন্ধুদের উৎসাহে অভিনয়ের জন্য তিনি “গোড়ায় গলদ" প্রহসন লিখিলেন। আমরা পুবেই বলিয়াছি বাংলা সাহিত্যে প্রহসন রচনার ইতিহাস খুব প্রাচীন নহে; মধুস্থদন দীনবন্ধুকে ইহার প্রধান আচার্য বলিয়া স্বীকার করিতে হইবে। তবে ঠ্রাহার্দের পরবর্তী অনেক নাট্যকারের নাটকের মধ্যে হাস্তরস এ£৮ [01000 প্রচুর থাকিলেও 58016 বা বিজ্ঞপ ছিল রচনার উচ্গেশ্টু। রূঙ্গমঞ্চে হাশ্তরস কৃষ্টি করিবার জন্য কাহাকেও-লা-কাহাকে বিদ্রপ বাঁ ব্যঙ্গ করাটাই ছিল রীতি। নাট্যকারদের আক্রমণের কয়েকটি প্রশস্ত ক্ষেত্র ছিল শিক্ষিত মেয়েদের পইয়! বিদ্রপ এবং ক্রাঙ্মদের আচার-ব্বহার ধর্মবিশ্বাস লইয়া ব্যঙ্গ গোঁড়া হিন্দু এবং নবা বিলাতফেরতদের প্রচুব পরিমাণে লাঞ্ছনা হইত। গিবিশচন্দ্রের নাটামঞ্চে আবির্ভাবের পর হইতে পনেরো বৎসরের মধো (১৮৭৭-৯২ ) বাংলাদেশের সাধারণ অভিনয়ের বিষয় কচির ধুগান্তর হইয়াছিল। কিন্তু প্রহসন বিষয়ে এখনে! বিশুদ্ধ হান্যরসম্থ্টির চেষ্টা তেমনভাবে দেখা যায় নাই, স্থরুচিসংগত হাস্যস্থত্ির প্রয়াসেই 'গোড়ায় গলদে'র জন্ম কথা বলাই বাহুল্য যে সমসাময়িক রঙ্গমঞ্চ অভিনীত নাটকাদির সহিত রবীন্দ্রনাথের ঘনিষ্ঠ পরিচয় ছিল; নাট্যসাহিত্য সম্বন্ধে তাহার অজ্ঞতা কল্পন! করার কোনো কারণ নাই। সমসাময়িক প্রহসনাদি পাঠ কিয়া তাহার মনে হইয়াছিল, কোনো সম্প্রদায় বা ব্যক্তিবিশেষকে বিদ্জপ না! করিয়াও রঙ্গমঞ্চে হাস্তরসের অনাবিল আনন্দস্রোত বহানো! ষায় বিদ্ঞপের কশাঘাতে কাহাকে বিপন্ন না করিয়া যে সহজ আনন্দ রঙ্গমঞ্ে স্থহি করা যায় তাহারই মধ্যে যথেষ্ট আর্টিস্ট-মনের পরিচয় রবীন্দ্রনাথ সাহিত্য-রচনাকালে নিজ আর্টিস্ট- সত্তাকে কখনো খর্ব হইতে দিতেন না। নিষ্ঠুর বিজ্ধপের মধ্যে যে প্রচ্ছন্ন কুরুচি আছে, তাহা কবিচিন্তকে আঘাত করিত বলিয়া তাহার পক্ষে জনপ্রিয় 58016 লেখা সম্ভব হয় নাই। বিশেষ এক শ্রেণীর দর্শক-শ্রোতার মার্জিত কচি সৌন্দর্যগ্রাহী মনের দিকে দৃষ্টি রাখিয়া রবীন্দ্রনাথের এই প্রহসন রচিত হইয়াছিল, ইহার কোথাও গ্রাম্যতা (৮41£8110 ) অথবা বিদ্রপের বূঢ়তা নাই $ উহ! বিশ্বুদ্ধ হাম্তরসের নিঝরি।

রবীন্দ্রনাথ ইতিপূর্বে হেয়ালিনাট্য নানা ব্যঙ্গকৌতুকে হাম্তরসের অবতারণা করিয়াছিলেন; কিন্তু হেয়ালিনাট্যগুলি সাধারণত বাপকদের অভিনয়ের জন্য খচিত? হ্বল্পপরিসর নাট্যের মধো হাশ্মুখর রসিকতার স্থান খুবই সংকীর্ণ কতকগুলি ব্যঙ্গনাটক বিদ্ঞপের বাণে তীক্ষ স্পষ্টতার জন্য অস্থন্নর | যাহাই হউক, এইসব রচনাকেই প্রহসনের আদি প্রয়াস বলা যাইতে পারে। হেমেন্নাথ দাশগুপ্ত, ভারতীয় নাট্যষঞ্চ, পূ ৪৬। » জীঅজিতকুষার ঘোষ, বাংল। নাটকের ইতিহাস ( ১৩৬৮ ), পৃ ৩১২-১৩।

শ্রীষ্টাৰ ১৮৯২ সংগীতসমাজ গোড়ায় গলদ ৩৫১

এই হাশ্ন্ঠোতক ক্ষুদ্র ক্ষুত্র নাটিকাগুলি ব্যতীত তাহার গীতিনাট্য কাব্যনাট্যের মধ্যে হাস্যরসের যথে& খোরাক আছে প্রকৃতির প্রতিশোধ, রাজা রানী, বিসর্জনের জনতার মধ্যে এমন-কি বাল্সীকি-গ্রতিভার দস্থযদদল কালমৃগক়ার বিদূষক শিকারীদ্দের মধ্যে কবি যথেষ্ট হান্তরসের অবতারণী কর্িয়াছেন। কোনোপ্রকার হাসির আমেজ নাই, এমন গ্ীতিনাটা হইতেছে “মায়ার খেলা' রবীন্দ্রনাথের নাটকের মধ্যে প্রায়ই দেখা যায় যে জনতার হাশ্তচটুল রসিকতা কোনে! কোনো স্থলে প্রাধান্যলাভ করিয়াছে এক-এক সময়ে মনে হয় মূল নলচনার সহিত তাহাদের সন্বন্ধ ক্ষীণ, অবান্তর অপ্রয়োজনীয় মাঝে শারদোৎসব নাটিকার মধ্যে 'গেছোবাবা'র আখ্যানটা জনতার মধ্যে ঢুকাইয়া দিয়া শান্তিনিকেতনে অভিনয় হইয়াছিল; ইহাতে ববীন্ত্রনাথ সন্ন্যাসীর অংশ গ্রহণ করেন। অভিনয় করিয়াই বুঝিলেন শ্রেণীর রসিকতা শারদোৎ্মবে অচল, এঁ অংশ আর নািকার মধ্যে মু্িত হয় নাই তবে আবার মনে হয় নিষ্্র ট্র্যাজেডির বেদনা হইতে শ্রোতা-দর্শকের চিবকে কিয়দ্পবিমাণে মুক্তি দিবার জন্য কবি ষেন এইসব জনতার অবতারণ! করিয়াছিলেন তাহা না হইলে এইসব ট্র্যাজেডি পড়া দেখা! খুবই বেদনাদায়ক, তবে উচ্চাঙ্গ কাব্যনাট্র বা নাটকের মধ্যে সাধারণ দর্শকের চিন্তবিনোদনের চেষ্টা না! করিলে কবির ধশোসৌরভ ম্লান হইত না। এইসব জনতা যেখানে কবির লেখনীর নিকট প্রশ্রয় পাইয়াছে, সেইখানেই তাহারা কলছে কোলাহলে নাটকটিকে দুর্বল করিয়' দিয়াছে প্রসঙ্গক্রমে বলিতেছি যে বাংলা উপন্যাস নাট্যসাহিত্যে জনতার স্বান সম্বদ্ধে বিশেষ গবেষণার বিশাল ক্ষেত্র পড়িয়া রহিয়াছে

আমর! পূর্বেই বলিয়াছি রবীন্দ্রনাথের 'গোড়ায় গলদ" রচনার একমাত্র উদ্দেশ্ব ছিল অনাবিল হাস্তরস-স্থটি ; রচনার মধো কোনো উদ্দেশ্ট বা অভিসন্ধির শ্বল্পমাক্র আমেজ না থাকাতে উহা কালকে অতিক্রম করিয়া এখন পর্বস্ত দর্শক শ্রোতাকে আনন্দ দিতেছে ; এক্সপ সৌভাগা খুব কম প্রহননেরই হয়।

“গোড়ায় গলদ” দোষশৃন্ত নহে। স্ুক্্ভাবে বিচার করিলে দ্নবেখা যাইবে যে ইহার মধ্যেও অবান্তর দৃশ্য আছে, সংলাপে বহুম্থানে সংক্ষিপ্ত করিবার অবকাশও ছিল। তাহা! ছাড়া কতকগুলি ঘটনা বাঙালি মধ্যবিত্ত জীবনের পক্ষে কৃত্রিম বলিয়া মনে হয়। যেমন উদাহরণস্বরূপ বলা যাইতে পারে, ষে মেয়ে অপরিচিত অনাত্মীয় যুবকদের সহিত হরদম 'সোসাইটি'তে মিশিতে অত্যন্ত নহে, তাহার পক্ষে একটি ভঙ্ুলোকের বৈঠকখানায় উপবিষ্ট কোনো স্থুবেশ সথদর্শন যুবককে গৃহকর্তার ভূত্যবূপে সম্বোধন করা পাল্কির খোঁজ করিতে বলা খুব স্বাভাবিক নহে। এমন কি বাঙালি ঘরের ঝুমারী-যুবতীর নুখে তাহা! বাচালতার মতো শোনাঁয়। বিলাতি সমাজে এটি মানানসই এতদ্সব্বেও কথা অকুষ্টিতভাবে স্বীকার করিতেই হইবে যে বাংলাসাহিত্যে এপ হান্যোজ্জল স্তৃরুচিসম্পন্ন রসিকতাপূর্ণ নাটক ইতিপূর্বে রচিত হয় নাই। এতবড় নাটকে সর্বশেষে মাত্র একটি গান থাকায়, ইহা সর্বাঙ্গস্থন্দর হয় নাই। গান না থাকিবার কারণ ছিল; এই সময়ে রবীন্দ্রনাথের কাবালন্্মী বা গীতশ্রী অস্তহিতা ছিলেন; “সাধনা” খু'জিয়! কবিতা পাওয়া যায় না, গানও ছুর্লভ।

এই নাটক-রচনার ছত্রিশ বখলর পর ১৩৩৫) সাতটি বৎসর বয়সে কবি পাবলিক খিক্েটাবে নাটকখানি অভিনয়ের উপযুক্ত করিবার জন্ত নৃতন করিয়! লিখিয়! দ্বেন। আখ্যানের গোড়ার দিকে নায়ক-নায়িকার! সকলেই গলদ করিয়াছিলেন সত্য, কিন্তু শেষের দিকে সকলেই সামলাইফ়] বক্ষ! পাইলেন, তাই ইহার নৃতন নামকরণ করিলেন, “শেম রক্ষা” ইহাতে আটটি নৃতন গান সংযোজিত করেন।

তা ৩৫২ গ্ষ্টাব ১৮৯২

উত্তরবঙ্গে : রাজসাহী

কাব্যলক্্মী বা গীতগ্রী কবিহৃদয়ে বহুকাল আবিভূর্তা হন নাই। পত্রিকা-পরিচালনার খাতিরে নিতানৈমিত্তিক কার্ধ করিতে হয়; গদ্য প্রবন্ধ, গম গল্প, ব্যাকরণের বিশ্লেষণ, দেশবিদেশের পত্রিকার সারসংগ্রহ, সাময়িকপত্রের সমালোচনা লিখিতে হয়; ছন্দোময়ী ভাষা কোনো রক্ধপথে আত্মপ্রকাশ করিতে পাবে না। শতকর্মে ব্যাপৃত থাকিলেও রবীন্দ্রনাথ যে কবি, এই সামান্ত কথাটি ত্ৰাহার অন্তর্দেবতা ভুলিতে পাবেন না, তাই তাহার গদ্য গল্পগুলিই অন্তর্ধিষয়ী লিরিক ধর্মী হইয়] ফুটিয়। ওঠে

মান্ষ যখন এইব্প কর্মের শঙ্খলে বাধা পড়ে, তখন মনে হয় জগতে ব্যবহারিকতাবুই জয়; তখন বাস্তবতাকে লোকে সতা বলিয়া বিশ্বাস করে, পাণ্ডিত্যকে জ্ঞান বলিয়া ভ্রম করে। তখন তাহার মনে হয় কাবা মিথ, ছন্দ নিরর্ধক, স্ব অলীক-_ সত্য কেবল তথা, তত্ব, শব, অলংকার, ব্যাকরণ, সংখা! প্রভৃতি কিন্ যথার্থ কবির অন্তর তাহাতে সাড়া দিতে পারে না জ্ঞানগর্ভ বাকা অন্তরে সম্তরম সি করিতে পারে, কিন্ক রসপূর্ণ বাকা চিনে প্রেমন্বপ্র জাগায়। রসই প্রাণ, রসাত্মক বাকাই কাবা, এবং সেই কাবাই বিরহে তৃপ্ধি, বেদনায় শান্তি আনিতে পারে।

মংগীতলমাজে "গোড়ায় গলদ" অভিনষে উত্তেজনা শেষ হইয়াছে বুবীন্দ্ুনাগ শরৎ্কালটা কলিকাতায় থাকিয়। যান। এই সময়ে স্থির হয় মুণালিনী দেবী সন্তানদের লইয়া অগ্রহায়ণ মাসে সোলাপুরে জ্ঞান্দানন্দিণী দেবীর কাছে যাইবেন; তাহার সন্ভানসন্ভাবনা বোধ হয় মেইজন্য সেখানে পাঠাইতেছিলেন এবং তদ্বূপ স্থির করিয়া কাতিক মাসে শিলাইদহে ফিরিতেছিলেন এই যাওয়ার কথাবার্তার সময় কোধ হয় পুতকন্যারা পিতাকে 'যেতে দিব না? বলে। খুবই ম্বাভাৰিক ঘটনা কবির স্পর্শচেতন মনে সেই অভিঘাতে যে ভাবোদয় হয়, তাহাই ব্যক্ত হয় 'যেতে নাহি দিব' কবিতায় ; উহা লিখিত হয় ১৪ কান্তিক ১২৯৯ (২৯ অক্টোবর ১৮৯২)। কবিতার মধ্যে আছে “কন্তা মোর চারি বৎসরের” তখন জ্যোষ্ঠা কন্যার বয়স ছয় বৎসর, জ্যেষ্ঠ পুত্রের বয়স চার বৎসর, পরের কন্ঠ] রেণুকা ছুই বৎসরের শিশু

“ষেতে নাহি দিব১ কবিতা “কাবুলিওয়ালা”২ গল্পটি ১২৯৯ সালের অগ্রহায়ণ মাসে সাধনা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। গল্পের মধ্যে 'খোকি'র বিবাহ দিনে শরৎ-আকাশের মধ্যেও এই কবিতার বেদনাই যেন প্রকাশ পাইয়াছে। খোকির প্রতি দুরধর্ধ আফগান রহমত খানের ন্মেহ তাহার বুকের মধো মেয়ের হাতের ছাপ-দেওয়া লুকানো মলিন কাগজটুকরা এবং চারি বৎসরের কন্ঠাটির প্রতি কবির ন্বেহ, উভয়ের পক্ষে ভাবের একটা মিল আছে। “কাবুলি ওয়ালা, দরদী পাঠকের চক্ষুকে অকারণে অশ্রুসিক্ত করিয়া তোলে-__ জীবনের মধো কোথায় একটা ট্রাজেডি প্রচ্ছন্ন আছে, তাকে ফেন অমোঘ অনিবার্ধ বলিয়া মনে হয়-_ তেমনই 'যেতে নাহি দিব'ব মধো।

চারি বৎসরের কন্টার তৃচ্ছ একটি কথা, কবির মনে কী অপরূপ চিন্তাধারা আনিতে পারে, এই কবিতাটি তাহারই শ্রেঠ নিদর্শন এই কবিতাটিতে বাঙালি সাংসারিক জীবনের যে চিত্রটি অঙ্কিত হইয়াছে, তাহা যেমন সত্য, মানব- জীবনের যে তৰটি ব্যাখ্যা করিয়াছেন তাহাও তেমনি গভীর প্রকাশতঙ্ষির অনবগ্ভতা কবিতাটির কোথাও গ্লান হয় নাই-_ তব বাস্তবতা আশ্চর্যভাবে ভাষা ছন্দে মিশিয়া অপরুপ হুইক়্াছে। মানুষের চিরস্তন ক্রন্দনধবনি "যেতে নাহি দিব'__ চলমান জগতের ঘর্ঘর শকের নিকট বৃথায় আছড়াইম্সা মবে-_

যেতে নাহি দিব। সোনার তরী রবীজ-রচনাবলী ৩, পূ ৪৯। কাবুলিওয়াল। গল্পগুচ্ছ | রবীন্ত্-রচনাবলী ১৭, পূ ২২,।

হী্টাব ১৮৯২ উত্তরবঙ্গে : রাজশাহী | ৩৫৩

অনন্ত চরাচরে স্বর্গমর্ত ছেয়ে সব চেয়ে পুরাতন কথা, সব চেয়ে গভীর ক্রনান-_ যেতে নাহি দিব।” হায়, তবু ধেতে দিতে হয়, তবু চলে ঘায়।-.. বোধ হয় এই মনোভাব লইয়া স্্ী-পুত্রদের কলিকাতায় রাখিয়া শিলাইদছে চলিয়! যান। সেখান হইতে চলিলেন রাজশাহী ( রাষপুর-বোয়ালিয় ); লোকেন পালিত সেখানে জেলা-জজ হইয়া আসিয়াছেন (১১ অক্টোবর )। বহুদিন পরবে বন্ধুর সহিত সাক্ষাৎ করিতে গেলেন। রাজশাহীতে দিন-আঠারো ছিলেন ।১ সেইখানে শেষদিনে লেখেন 'প্রতীক্ষা'ৎ কবিতাটি যেতে নাহি দিব কবিতার মধ্যে জীবনের ষে ট্রাজেডিটুকু গ্রচ্ছন্্, নীরব অশ্রুতে যাহার প্রকাশ, সেই কথাটিই আরো! স্পষ্টভাবে ব্যক্ত হুইল 'প্রতীক্ষা'র মধ্যে সংসারের ঘটনা আপন ধারায় চলিতেছে ১৭ নভেম্বর ( অগ্রহায়ণ ) ইন্দিরা দেবী সোলাপুরে পিতার নিকট চলিয়াছেন, সঙ্গে আছেন মপালিনী দেবী সম্ভনিগণসহ | রবীন্দ্রনাথ রাজশাহী হইতে এক পত্রে লিখিতেছেন, “এতক্ষণ বেলগাড়ি না জানি কোথায় গিয়ে পৌছল। এই সময়টা সকালবেলায় নওয়াডির* কাছে... স্ুর্ধোদয় হয়।”* পথের দৃশ্টা কল্পন! করিয়া লিখিক্সা যান, মন যেন সন্তানদের সঙ্গ লাভ করে। লোকেন পালিত রাজশাহীতে জেলা-জজ হইয়া আসিয়াছেন মাত্র একমাস (১১ অক্টোবর )$ কবি তাহার নিঃসঙ্গ জীবনের কয়েকদিন বন্ধুর নিকট কাটাইবার জন্ত আসিলেন। সঙ্গে আসিয়াছেন প্রমথ চৌধুরী রাজশাহীতে সে সময়ে কয়েকজন সাহিত্যিক-মলীধীও ছিলেন রবীন্দ্রনাথ সেখানে আসাতে লোকেনের বাসায় বেশ একটা সাহিত্যমজলিশ জিয়া উঠে। ইহাদের মধ্যে আছেন স্থানীয় উকিল অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়, দিঘাপতিয়ার কুমার শরৎকুমার বায় প্রভৃতি তরুণের দল। সান্ধ্য সভায় নানা বিষয়ের আলোচনা চলে। প্রমথ চৌধুরী বলেন এই সময় হইতে কবির মাথায় পঞ্চভূতের ভায়ারির আইডিয়াটা ঘুরিতেছে, এবং হয়তো! এইখানেই তাহা শুরু করেন, কারণ মাঘ মাসের ( ১২৯৯) লাধনায় পঞ্চভৃতের ভূমিকা-আংশ বাছির হয়। রাজশাহীতে বাসকালে তথাকার আসোমিয়েশন হইতে শিক্ষা সম্বন্ধে কোনে প্রবন্ধ পাঠ করিবার জন্য তাহার আহ্বান আলিল এবং তদচুসারে কৰি “শিক্ষার হেরফের প্রবন্ধ লিখিয়! পাঠ করিলেন। শাস্তিনিকেতনে ব্রহ্ষচধাশ্রম স্বাপন করিবার পর বাংলাদেশের লোকে এবং বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হইলে বিদেশের লোকে রবীন্দ্রনাথকে একজন শিক্ষাশাস্্রী বলিয়া! জানিতে পারে। তাহার পূর্বে রবীন্দ্রনাথ একত্রিশ বংসর বয়সে শিক্ষা সম্বন্ধে কিছু বলিবার অধিকার অর্জন করেন নাই কিন্ত মনীষীর লেখনী যাহা-কিছুই স্পর্শ করুক না কেন তাহাকে নৃতন রূপ দান করিতে পারে। আজ অর্ধশভাবীর বাবধানেও দেখা যাইতেছে "শিক্ষার হেরফের" সম্বদ্ধে কবির রচনার সত্যতা গুজ্ৰল্য কণামান্ত্র ম্লান হয় নাই। যে-সব কার্ধকারণের ফলে বাংলায় শিক্ষা পঙ্গু বাঙালির চিত্ত তমসাচ্ছন্ন, তাহার মূল কারণগুলি পঞ্চাশ বৎসরের বাবধানে এখনো অপরিবত্তিত। তবে কথা স্বীকার করিতে হইবে যে, কালধর্মান্থসাবে শিক্ষার পদ্ধতি

৯৯ কাতিক হইতে ১৬ অগ্রহায়ণ ১২৯৯ পর্যন্ত প্রতীক্ষা, প্রণম খসড়া ১৬ অগ্রহায়ণ ১২৯৯ [ ৩* নভেম্বর ], রাজশাহী পুনলিশিত ২* অগ্রহায়ণ, নাটোর শেষ বূপদান ২৭ অগ্রহায়ণ, শিলাইঘছ | ড্র. রবীজ-রচনাবলী ৩, পৃ ৫৯। নখক্নাডি নামে কোনে! স্টেশন এখন নাই; বর্তমান কীঝা! ( ঈ!ওতাঁল পরগণ। ) স্টেশনের পূর্যনাম ছিল নওয়াঁডি। ছিন্লপঞ্জালী পত্র ৭১। ইন্সির! দেবী ১৮৯২ সালে বি. এ. পাঁস করিয়াছেন, কলিকাতা হইতে সোলাপুর যাইতেছেন, সৃশালিনী দেবী স-সপ্তান তাহাদের সঙ্গে সেখানে বাইতেছেন। রবীদ্রনাথ ১৮ নভেম্বর পত্র লিখিতেছেন।

৪৫

৩৫৪ রবীন্জরজীবনী শরীষ্টাব ১৮৯২

শিক্ষণীয় বিষয়ের অনেকখানি পরিবর্তন হইয়াছে রবীন্দ্রনাথ বাংলাদেশের শিক্ষার যে সমালোচনা করিলেন তাহাতে স্পষ্ট বলিলেন যে, দেশীয় ভাষার মবাধামে জ্ঞান-বিজ্ঞান প্রচার ব্যতীত শিক্ষা সর্বব্যাপী হইতে পারিবে না। রবীন্দ্রনাথ কখনো বিদ্বেশী ভাষা সাহিত্য শিক্ষার বিরোধী নহেন। কিন্তু ইংরেজি না শিখিলে কাহারো জ্ঞান বিকাশ হইবে না, এই অদ্ভুত অবস্থার যে অবসান হওয়] প্রয়োজন, এই কথাটাই জোর দিয়া বলিয়াছিলেন।

“শিক্ষার হেরফের' প্রবন্ধে শিক্ষার মূলতন্ব সম্বদ্ধে বু কথারই আলোচনা ছিল। তিনি বলেন যে, কথা ম্বতঃসিদ্ধ যে মানুষ সবদাই প্রয়োজনের অতিরিক্ত বস্ত চায়; যতটুকু অতাবশ্াক তাহাবই পরিমাণে মাপিয়া য্দি আমাদের খাদ পরিধেয় বণ্টন করিয়া দেওয়! হইত, তবে কখনো দেহ মন তৃপ্ত হইত না। অত্যাবশ্তকের উপরে অনাবশ্কটাকে প্রয়োজন বেশি ; এবং সেই বেশিটাই মানুষকে মহুষ্যপদবাচ্য করিয়াছে শিক্ষা সন্বন্ধেও সেই কথা খাটে “অত্যাবশ্যক শিক্ষার সহিত স্বাধীন পাঠ না মিশাইলে ছেলে ভালে! করিয়া মানুষ হইতে পারে না1।” ছুর্ভাগ্যক্রমে বাঙালি ছেলের হাতে স্বাধীন পাঠের সময় নাই, কারণ বিদেশী ভাষায় সকল জ্ঞান সমাধিস্ব__ জ্ঞানে তাহার অধিকার নাই। এছাড়া আমাদের দেশে শিক্ষা নিরানন্দময় “আনন্দের সহিত পড়িতে পড়িতে পড়িবাঁর শক্তি অলক্ষিতভাবে বুদ্ধি পাইতে থাকে; গ্রহণশক্তি ধারণাশক্কি চিস্তাশক্তি বেশ সহজে এবং স্বাভাবিক নিয়মে বল লাভ করে।” বাল্যকাল হইতে চিন্তা কল্পনা এই দুই বৃত্তির চচ1 শিক্ষার অন্যতম উদ্দে্ হওয়া উচিত। এই কল্পনাশক্তির উদ্বোধনের কথা তিনি পৃৰে অন্থান্ত প্রবন্ধেও বলিয়াছেন। কারণ সমস্ত বৃহৎ কর্মের পশ্চাতে অনেকখানি কল্পনার জোর থাকে ; সাহসিক কল্পনা আন্তরিক মনন ব্যতীত জগতে কোনে বৃহৎ কর্ম সফল হয় নাই।

বাংলাভাষা শিক্ষার সমর্থনে লেখক বলিলেন যে, যাহারা সামান্য বাংলা শেখে তাহারা রামায়ণাদিও পাঠ করিতে পাবে; কিন্তু যাহারা এদেশে সামান্ত ইংরেদি শেখে তাহারা তো কিছুই আয়ত করিতে পাবে না। জীবনের সহিত যে সংযোগ হয় আদৌ রাসায়নিক সংযোগ নহে, উহা একেবারে বাহিরের অলংকার থাকিয়া যায়। সেইজন্ই দেখা যায় ছাত্রদিগের জীবনে পগ্রন্থজগৎ এক প্রান্তে, আর তাহাদের বসতি-জগৎ অন্য প্রান্তে ।” ফলে তাহাদের বিস্তা এবং বাবহাবের মধ্যে একটা ত্যকার ছুর্ভেছ্য বাবধান আছে, উভয়ে কখনো স্ুসংলগ্নভাবে মিলিত হইতে পায় না। আমাদের শিক্ষার সহিত জীবনের সামগ্রম্ত কিভাবে হইতে পাবে তাহার আলোচন। করিয়! বলিলেন, মিলন সাধন হইতে পাবে কেবল বাংলাভাষা বাংলাসাহিত্যের অনুশীলন দ্বার] /

“শিক্ষার হেরফের" প্রবন্ধে রবীন্দনাথ যেলব মত বাক্ত করিয়াছিলেন তাহা দেশের দশের মতের সম্পূর্ণ বিরোধী ন! হইলেও, তাহ] যে দে যুগের পক্ষে নিভীক সমালোচন। তাহ! স্বীকার করিতেই হইবে।

বাংলার তৎকাপীন মনীষীরা একবাক্যে রবীন্দ্রনাথের এই প্রবন্ধের স্থখযাতি করিলেন। কারণ যাবৎ দেশের শিক্ষা সম্বন্ধে ক্রিটিসিজম্‌ তেমনভাবে হয় নাই। শিক্ষার গলদ কোন্খানে তিনি ঠিক সেই স্থানটিই নির্দেশ করিয়া দেখাইযাছিলেন। বঙ্ষিমচন্ত্র তাহাকে লিখিলেন যে তিনি প্রবন্ধটি দুইবার পাঠ করিয়াছেন, 'প্রতি ছজ্জে আপনার সঙ্গে আনার মতের এক্য 'আছে।' জাহিস গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় তখন কপ্পিকাতা বিশ্ববিদ্ভালয়ের ভাইসগানসেপর (১৮৯০-৯২), তিশি লেখকের মতামত অন্থমোদন করিয়া পত্র দেল; ভারতীয়দের মধ্যে প্রথম র্যাংলার আনন্দমোহন বনু কবির মত সমর্থন করিলেন

এই প্রবন্ধের অশ্বৃত্তিূপে রবীন্্নাথ যাহ] লিখিলেন তাহা অমোঘ সতা; তিনি বলিলেন, “দেশের অধিকাংশ লোকের শিক্ষার উপর যদি দেশের উন্নতি নিভর করে, এবং নেই শিক্ষার গভীরতা স্বারিত্বের উপর যদি উন্নতির স্থায়িত্ব নির্ভর করে, তবে মাতৃভাষা ছাড়া যে আর-কোনো গতি নাই কথা কেহ ন। বুঝিলে হাল ছাড়িয়া দিতে হয়। রাজা কত আমিতেছে কত যাইতেছে; পাঠান গেল, মোগপ গেল, ইরেজ আলিপ আবার কাপক্রমে

খ্রীষ্টান ১৮৯২ উত্তরবঙ্গে : রাজশাহী ৩৫৫

ইংরেজও যাইবে, কিস্ত ভাষা সেই বাংলাই চলিয়া আসিতেছে এবং বাংলাই চলিবে 3." ইংরেজ যদি কাপ চপিয়া যায়, তবে পরশ্ব বড় বড় বিগ্তালয়গুলি বড় বড় সৌধবুদ্ব'দের মতো প্রতীক্নমান হইবে ।”১

বিজাতীয় ভাষায় শিক্ষার ফলে আমাদের মন যেমন যথার্থভাবে যথেষ্ট পরিমাণে জ্ঞানাস্বেষণের ওৎস্ক্য বোধ করিতে পারিতেছে না, তেমনি স্বজাতীয় শাস্ত্রের শিক্ষায়, আচারের অত্যাচারেও আমাদের মন জড়ত্‌ প্রাপ্ধ হইতেছে। নৃতনের অন্ধ অনুকরণ প্রাচীনের মু অশুসরণ যুগপৎ বাঙালির চিত্তকে চাপিয়! মারিতেছে। যুববঙ্গে সেই শাস্ত্রীয় অনুশাসন নবভাবে নবনামে নবপরিচ্ছদে পুনঃপ্রতিষ্ঠ করিবার জন্য একদল শিক্ষিত লোক সচেষ্ট হইয়৷ উঠিয়াছিলেন ) রৰীন্দ্রনাথ কোনোদিনই তাহাদিগকে ক্ষমান্থন্দর চোখে দেখেন লাই, আজও দেখিলেন না চন্দ্রনাথ বন্থর “কড়াক্তাস্তি”* নামক এক প্রবন্ধের সমালোচনায় রবীন্দ্রনাথ লিখিলেন “কড়ায়-কড়া কাহনে-কানা”* | শিক্ষার হেরফের' যে মাসে সাধনায় প্রকাশিত হইল এই প্রবন্ধটিও সেই মাসে বাহির হয়। সাধারণত লোকে ইংরেজি শিক্ষার কুফলের জন্য বিদেশীয়কেই দায়ী করে; কিন্তু রবীন্দ্রনাথের প্রশ্ন শাস্্রীয় অশান্ত্রীয় আচারে মাইষের মন যে কী পরিমাণ পঙ্গু, তাহার বুদ্ধি যে কী পরিমাণ জড় হয় তাহার জন্য কাহাকে দ্বায়ী করা হইবে? মন্দ বিদেশ হইতে আসিলেও নিন্দনীয়, মন্দ দেশজ শান্সসম্ভূত লোকাচার প্রশ্থত হইলেও অশ্রদ্ধেয় আমরা সমাজব্যবহারে “কড়ায়-কড়া, কাহনে-কানা” | অর্থাৎ কড়ার প্রতি অতিরিক দষ্টি রাখিতে গিয়া কাহনের প্রতি চিল দেওয়া ইংরোজিতে যাহাকে বলে পেনি ওয়াইজ পাউও ফুলিশ অর্থাৎ বজজ আটন ফন্কা গিরো-_ প্রাণপণ আট্ুনির ক্রটি নাই, কিন্তু গ্রস্থিটি শিখিল। আমাদের দেশেও হইয়াছে তাই বিধিব্যবস্থা-আচা রবিচারের প্রতি অত্যধিক মনোষোগ করিতে গিয়া মচধাত্বের ম্বাধীন উচ্চ অঙ্গের প্রতি অবহেলা করা হইয়াছে 1” হিন্দু বিপুল অথচ দুধল-_ কথাও কবি একাধিকবার বলিয়া হিন্দুকে সতর্ক করিয়াছেন মোট কথা শিক্ষার সহিত বিশ্বাসের, মতের সহিত ব্যবহারের সামগ্ুস্য রক্ষা না করায় আমাদের নৈতিক আদর্শ কখনো! লঙ্জিত হয় না|

“বাংলা লেখক” (সাধনা, মাঘ ১২৯৯ ) নামে এক প্রবন্ধে এইসব কথা অন্ভাবে আলোচনা করিলেন ; তাহার প্রতিপাগ্য বিষয় হইতেছে যে লেখক পাঠকের মনের মতের কোনে] যোগ নাই লেখকের কোনো স্ুযুক্তি শুনিয়া কেহ আপন জীবনযাত্রার লেশমাত্র পরিবর্তন সাধন করিয়াছেন এমন ঘটনা ্ছুর্লত | ফলে, “লেখকরা কিছুমাত্র দায়িত্ব অনুভব করেন না। সত্য কথা বলা অপেক্ষা চতুর কথা বলিতে ভালোবাসেন ।” ইহার কারণ আমাদের দেশে ভাবের প্রতি আন্তরিক আস্থা নাই। এই প্রসঙ্গটাই রবীক্ত্রনাথ এই প্রবন্ধে বনু উদ্দাহরণ উপমার দ্বারা ব্যক্ত করিয়াছিলেন সাহিত্যে জীবনে সমালোচনার অভাবে যে যেমন ভাবে চিস্তা করিতেছে, বিশ্বাম করিতেছে, রচনা করিতেছে; কারণ লেখক পাঠক কেহই কাহারো মতামতের জন্ত দায়ী নহে। তাই বলিলেন, “এখন আমাদের লেখক দিগকে অস্তরের ষথার্থ বিশ্বাসগুলিকে পরীক্ষা করিয়া চালাইতে হইবে, নিরলস এবং নিভীকভাবে সাহিত্যক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইতে হইবে, আঘাত করিতে এবং আঘাত সহিতে কুষ্ঠিত হইলে চলিবে ন1।”

কিন্তু স্থখের বিষয় কবির এই মনোভাব স্থায়ী হয় নাই; তিনি সংস্কারকের কদ্রবেশ অচিরে ত্যাগ কৰিয়। সাহিত্যিকের শুভ্রবেশ পরিয়। যখন কাব্যলক্ষ্মীর উৎসবক্ষেত্রে উপস্থিত হইলেন, তখনই তাহাকে হ্ুন্দণ ধেখাইল।

প্রসঙ্গ কথা, সাধনা, চৈত্র ১২৯৯। গ্রন্থপরিচয়, রবীজ-রচনাবলী ১২। চন্দ্রনাথ বহু, কড়াক্রান্তি, সাহিত্য, কাতিফ ১২৯৯। কড়ায়-কড়া কাছনে-কানা, সাধনা, পৌষ ১২৯৯। রবীক্র-রচনাবলী ১২। 'নমাজ গ্রন্থে 'আচারের অআচার' নামে মুক্রিত।

৩৫৩৬ ্রীটা ১৮৯২

রাজশাহী-নাটোর

রাজশাহীতে লোকেন পালিতের অতিথিরূপে দিন পনেরো কাটাইয়া মহারাজ জগদিজ্দ্রনাথের আমন্ত্রণে রবীন্দ্রনাথ লোকেন নাটোর যাত্রা করিলেন আটাশ মাইল পথ-_ ঘোড়ার গাড়িতে যাইতে হয়। গাড়ির মধো লোকেন বই পড়েন, রবীন্দ্রনাথ গান করেন হুন্দরী রাধে আওয়ে বনি”। বৈষ্ব কবিদের লইয়া! তর্ক চলে ছুই বছুতে। “কশকায়া নদী এসে একট! লঙ্কা দাড়ি টেনে দিলে সেই নদীতীরে গাড়ি থেকে নেবে একটি নৌ-সেতু পদত্রজে পার হয়ে ওপারে যেতে হল-_ ওপারে গিয়ে হঠাৎ আবিষ্কার করা গেল, আকাশে আধখানি চাদ উঠেছে এবং স্থন্দর জেযোৎস্সা। দুজনে পরামর্শ করা গেল, হেঁটে যতদুর পাবা যায় যাওয়া যাক। তখন তর্ক বন্ধ করে সেই জ্োত্ম্া এবং গাছের ছায়ায় খচিত নিক্তব্ধ রাস্তা দিয়ে দুই পথিক নিঃশব্দে মন্দগমনে চলতে লাগলুম ।”১

নাটোরে বাজ-আপ্যয়ন চলিতেছে__- জগদিক্ুনাথ উত্তরবঙ্গে অন্যতম ধনীশ্রেষ্ঠ জমিদার__ সাহিত্যিক সাহিত্া- দরদী বলিয়াও খ্যাতি কিন্তু রবীন্দ্রনাথের এত আপ্যায়ন ভোগে আসিল না-- দস্তশূলের পীড়ায় আহারাদি প্রায় বন্ধ। যাহা হউক মহারাজার কর্মচারী যছুনাথ লাহিড়ীর সেবাযত্বে হ্স্থ হইয়া উঠিলেন। ইন্দিরা দেবীকে সোলাপুরে লেখেন__ “হতভাগা কপালে চপেটাঘাত করে বলতে ইচ্ছা করছে, তোরা এমন ছুর্লত বেদনাটা যছুবাবুর উপর দিয়েই কাটালি!... বীমো করে আজ্রকাল কোন ফল নাই, তাই আজকাল শরীর ভালো রাখবার প্রতি একটু বিশেষ দৃষ্টি আছে।”* এইটুকু লিখিবাবু তাৎপর্য যে, সময়ে মৃণা্সিনী দেবী সোলাপুরে আছেন

নাটোরে দিন সাত থাকিয়া শিলাইদহে ফিরিলেন (৭ ডিসেম্বর ১৮৯২ )। বহুদিন পরে নৌকায় আপিয়াছেন-__ সেই অগস্ট মাসের পর। “শ্োতের অনুকূলে বোট চলেছে, তার উপর পাল পেয়েছে 1: অনেক দিন তীব্র গোগভোগের [ দস্শূল ] পর শরীরটা] শিথিল দুর্বল অবস্থায় আছে... অর্দেক আন্মূনে চিঠি লিখে যাচ্ছি ।”

“এই পৃথিবীটি আমার অনেকদিনকার এবং অনেক জন্মকার ভালোবাসার লোকের মতো আমার কাছে চিরকাল নতুন ।” ছিন্নপত্রাবশীর এই পত্রখানি (পত্র ৭৪) যেন পৃথিবীর স্তব-_ এই পৃথিবীর জল মাটির মঙ্গে আপন দেহ-মনের অদ্বৈত অন্তভূতি। “আমি বেশ মনে করতে পারি বহুযুগ পৃবে-". এই পৃথিবীর নৃতন মাটিতে কোথা থেকে এক প্রথম জীবনোচ্ছাসে গাছ হয়ে পল্পবিত হয়ে উঠেছিলুম 1...” এহ-যে অখগুধারায় প্রবহমান বিশ্ব প্রাণের সঙ্গে অহ্বৈতবোধ রবীন্দ্রনাথের রচনায় প্রকাশ পাইতেছে, তাহার বৈজ্ঞানিক পটভূমি মনের মধো বকা সঞ্চিত হইয়া উঠিতেছিল $ তবে আমরা বস্তবাদী জীবনীকার, আমর! বলিব ৬/৪119০৪-এর 195:%17150-এর মধো যে বিবঙনবা? বিস্তারিত করা আছে, তাহা কৰিকে এই বৈজ্ঞানিক বিশ্বচেতনায় উদবুদ্ধ করিয়াছিল : বিজ্ঞানের তথাকে তিনি কাবাময় করিয়া তুলিলেন-__ তাহার সহিত আমাদের পরিচয় হইবে।

নদীপথে কবি চলিয়াছেন পাবনা ।” শিলাইদহে ফিরিয়া প্রমথ চৌধুরীকে লিখিতেছেন যে দিন তিনেকের জন পাবন] গিয়াছিলেন ১৪ ডিসেম্বর ফিরিগাছেন। “আমরা জলস্থ বাম্পরাশির মতে। অনির্দিষ্ভোবে ঘুরে পুনর্বার সংহত পিগ্ডের আকারে আপনার নির্জন কক্ষপথে ছিটকে পড়েছি ।-.. আমি কতক জমিদারির কাজ দেখছি, কতক সাধনার জন্যে লিখছি এবং চেষ্টা করছি এরই মধ্যে একটুখানি অবসর করে নিয়ে [ কবিতা ] পিখতে। কিন্তু ছয়ে উঠছে না।”

ছিব্রপত্রাবলী | পত্র ৭২! ডিসেম্বর ১৮৯২ | ছিন্নপত্রাবলী পন্ত্র ৭৫। শিলাইদহ, ১৮ চিসেশ্বর ১৮৯২ | চিঠিপত্র ৫1 পত্র ১১ ১৪ টিলেগ্বর ১৮৯৭, পৃ ১৫১।

খরষ্টাৰ ১৮৯২ রাজশাহী-নাটোর ৩৫৭

কবিত্বের.অনবসর সম্বন্ধে দুঃখ না করিয়া “ছুঃখমোচনের চেষ্টা করা ভাল" ভাবিয়া লিখিয়া ফেলিলেন “মানস-ুন্দরী, কবিতা (১৮ ডিসেম্বর ১৮৯২। পৌষ ১২৯৯)। পরদিন প্রশ্থ চৌধুরীকে লিখিতেছেন, “কবিতা! লেখাটা নিতাস্ত আমার আজন্মকালের নেশা__ মাঝে মাঝে মৌতাতের সময় আসে তখন না-লিখতে পারলে সমস্ত মনটা যেন বিকল হয়ে যায় এবং জীবনট। দুর্ভর বোধ হয় ।”১ “কবিতাই আমার সব প্রথম প্রেয়সী তার সঙ্গে বেশিদিন বিচ্ছেদ সহ হয় না।” কবির মনটা তো ত্রিধা কেন, বলধা বিভক্ত জমিদারির কাজ, সাধনার লেখ! তো আছেই, ইহার উপর আছে স্বীপুত্র পরিবারের জন্য ভাবনা | তবে সবের উধের্ব উঠিবার জন্য নিরস্তর সংগ্রাম চলে, এবং সফলকামও হন; প্রমথ চৌধুরীকে লিখিতেছেন, “আমার জীবনের আইডিয়াল হচ্ছে, ঘখন যে কর্তব্যটা স্কন্ধে এসে পড়ে তাকে ফেলে না৷ দিয়ে সাহফুণভাবে বহন কর]1.. তাই আমি প্রতি মাসে নত শিরে সাধনার লেখা! লিখে যাচ্ছি এবং প্রতিদিন জমিদারিব সমস্ত খুচরে। কাজ মনোযোগপূর্বক করছি তুমি কি মনে কর এতে আমি কোন স্বখ পাই ?... অনেক সময় কষ্ট বোধ হয়-__ কিন্ত আমার মনে হয় মোটের উপর আমার পক্ষে এই সবচেয়ে ভাল। কল্পনা নামক পক্ষীরাজ ঘোড়ায় চড়ে বেড়ানো আমার মনের পক্ষে তাল এক্সসাইজ নয়।”২ কথা অতি সত্য; বৈচিত্র সংগ্রামহীন বিরামহীন অলস জীবন বা আগ্রেপৃষ্টে বন্ধ কর্মলীবন যাপন করিলে কবিতাও হইত তদ্রপ। মানসন্থন্দী দীর্ঘ কবিতা ইহা পাঠের পর এই কথাই বারবার মনে হয় যে আমাদের জীবনে কোথায় একট বেস্ুর সর্বদা বাজিতেছে ; সেই বেস্থরের বেদনা বাজে ম্পর্শচেতন কবিচিত্তে মাহষের শুষ্ক কর্মময় জীবনে কাব্যশ্র বাতীত আর কেহই যথার্থ স্থর ধ্বনিয়া তূলিতে পারে না। সৌন্দর্যের যে অনির্বচনীয়তা শিল্পীর মানসপটে আকা থাকে 'চাহার নামকরণ করা কঠিন; আর-কোনো নাম খুঁজিয়া না পাইয়া যেন কবি তাহাকে মানসম্থন্দরী বলিলেন! আরো কত নামে ইনি আখ্যাত হুইয়াছেন। ইংরেজি সাহিত্যে শেলীর ৪18509£-এর সহিত ইহার তুলনা করা যাইতে পারে। উভয় কবির কাছে আদর্শ সৌন্দর্ঘ হইতেছে দৈহিক মানসিক প্রাকৃতিক সৌনর্ধের সমন্বয় ; সেই সংস্তিষট সৌন্দর্য রবীন্দ্রনাথের নিকট একটি রমণী মৃতিতে উদ্ভাসিত একটি নারীৃত্তিতে সমগ্র জীবনের সৌনার্ঘ-অনুভূতিকে স্তরে স্তরে কল্পিত হইয়াছে নারী জীবনের সকল অবস্থায় সে কবিচিত্তকে স্পর্শ করিয়াছে; 'প্রতিবেশিনীর মেয়ে, ধরার অস্থির এক বাপকের সাথে কী খেলা” সে খেলিত; তার পর 'যৌবনবসস্তে” 'খেলাক্ষেত্র হতে কখন অস্তরলপ্্র” এসেছিল 'অন্তঃপুরে গৌরবের ভরে' 'মহিধীর মতো”। “ছিলে খেলার সঙ্গিনী, এখন হয়েছ মোর মর্মের গেহিনী?। এইখানেই কবির আকাঙ্ষার নিবৃত্তি হয় নাই-_- মানসব্ধপিণী ওগো, বাসনাবাসিনী আলোকবসন! ওগো, নীরবভা ষিণী, পরজন্মে তুমি কি গো মুত্তিমতী হয়ে জঙ্মিবে মানবগৃছে নারীরূপ লয়ে অনিন্দ্যস্ন্দরী ?.. সেই তুমি মৃতিতে দিবে কি ধরা ?.'. তুমিও কি মনে মনে চিনিবে আমারে? আমাদের ছুই জনে

চিঠিপত্র পত্র ১২। ১৯ ডিসেম্বর ১৮৯২, পৃ ১৬৯। চিঠিপত্র | পত্র ১৯। ডিসেম্বর ১৮৯২।

৩৫৮ রবীন্দ্রজীবনী গ্রষ্টাৰ ১৮৯২

হবে কি মিলন ?.." কার এত দ্দিবাজ্ঞান, কে বলিতে পাবে মোরে নিশ্চয় প্রমাণ পৃরজন্মে নারীরূপে ছিলে কি না তুমি আমারি জীবনবনে সৌন্দর্যে কুস্থমি' প্রণয়ে বিকশি। মিলনে আছিপে বাধা শুধু একঠাই, বিরহে টুটিয়া বাধা আজি বিশ্বময় বাণ্ত হয়ে গেছ, পরিয়ে, তোমারে দেখিতে পাই সবত্র চাহিয়ে রবীন্দ্রনাথের অসাধারণ কল্পন! মনন -শক্তি প্রেমকে অনিবচনীয় বিশ্বান্তভূতির মধ্যে লইয়া গিয়াছে; সকলের মধ্যে তাহাকে পাইবার জন্য বাকুলতা। মানসন্থন্দরী কবিতার এই ভাবরাজি কৰির বহু রচনায় বারে বারে নবতর বেশে দেখা দিয়াছে এই মানসহুন্দরী এই ধরিত্রীর বুকে থাকিয়া সার্থক , অসংখ্য প্রেমবন্ধনে সে আবন্ধ। কিন্তু উর্বশী” কৰিতায় কৰি প্রেমকে মকল বন্ধন হইতে মুক্তরূপে অবচ্ছিন্নভাবে কল্পন। করিয়াছেন। সেখানে সবই “নেতি” “নেভি? 'নিহ মাতা, নহ কন্তা, নহ বধু 1 কোনো মানবীয় সম্বন্ধের বন্ধনে তাহাকে বাধা যায় না। তাই বলিতে ইচ্ছা করে উর্বশী কবিতাটি যেন মানসন্থুন্দরীর 27100563515 বৈপরীত্যেব পরিপূরক মৌন্দধের শেষ কথা হইয়াছে “বিজয়িনী” কবিতায় যথাস্থানে কবিভাগুচ্ছের আলোচনা হইবে মানসন্ন্দরীর মধ্যে কবি এক অনির্বচনীয় সত্তাকে মৃত্তিমতী করিয়া আহ্বান করিলেন-_ যেন জীবনদেবতার অস্পষ্ট অগ্রবাণী। মানসন্থন্দরীর বা! “প্রেয়সী” কবিতার স্তব কেন লিখিতেছেন “সে কথাটাই এই সময়ের পত্রমধো বারে বারে আসিতেছে ; নাটক উপন্যাস পিখিয়া যেমন নানা ভাবে কৈফিয়ত বাখা। করিয়াছেন, এখানে কবিতা লিখিবার প্রেরণা সম্বন্ধে আত্মবিশ্লেষণ করিয়া আত্মপক্ষ সমর্থন করিতেছেন কয়েকমাস পরে প্রেয়শী কবিতা সঙ্ঘন্ধে দীর্ঘ এক পত্রে লিখিতেছেন, “কবিতা আমার বহুকালের প্রেয়সী বোধ হয় যখন আমার রখীর মতো বয়স! ৫-৬ ] ছিল খন থেকে আমার সঙ্গে বাক্‌দত্তা হয়েছিল-_ তথন থেকে আমাদের পুকুরের ধার, বটের তলা, বাড়িভিতরের বাগান, বাড়ি-ভিতরের এক তলার অনাবিস্কৃত ঘরগুলো, এবং সমস্ত বাইরের জগত, এবং দাসীদের মুখের সমস্ত রূপকথা এবং ছড়াগুপো, আমার মনের মধ্যে ভারি একটা মায়াজগং তৈরি করেছিণ তখনকার সেই আবছায়া অপুব মনের ভাব প্রকাশ করা ভারী শক্ত, কিন্তু এই পর্যস্ত বেশ বলতে পারি কবিকল্পনার সঙ্গে তখন থেকেই মালাব্দণ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মেয়েটি পয়মন্ত নয়) তা স্বীকার করতে হয়; আর যাষ্ট হোক, সৌভাগা নিয়ে আসেন না। সখ দেন না বলতে পারি নেঃ কিন্ধু স্বস্তির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই৷ যাকে বরণ করেন তাকে নিবিড় আনন্দ দেন, কিন্ত এক-এক সময় কঠিন আলিঙ্গনে হতপি গুটি নিংড়ে রক্ত বের করে নেন। যে লোককে তিনি নিবাচন কবেন, ংসারের মাঝখানে ভিত্তিস্থাপন করে গৃহস্থ হয়ে স্থির হয়ে আরেস করে বসা সে লক্্মীছাডার পক্ষে একেবারে অসম্ভব কিন্ক আমার আসল জীবনটি তার কাছেই বন্ধক আছে। সাধনাই পিখি আর জমিদারিই দেখি, যেমনি কবিতা লিখতে আরম্ভ করি অমনি আমার চিরকালের যথার্থ আপনার মধ প্রবেশ কপি আমি বেশ বুঝতে পারি এই আমার স্বান। জীবনে জাতসারে এবং অজ্ঞাতসারে অনেক মিথ্যাচরণ করা যায়, কিন্তু কবিতায় কখনো মিথা। কথা বলি নে-_ সেই আমার জীবনের সমস্ত গভীর সত্যের একমাত্র 'আশ্রয়স্থান ।”১ ছিব্রপত্রাবলী | পত্র ৯৪ | মে ১৮৯৩ [২৪ বৈশাখ ]।

গীষ্টাৰ ১৮৯৩ উড়িস্তা-ভ্রমণ ৩৫৯

নাটোর হইতে শিলাইদহ ফিরিয়া! (৮ ডিসেম্বর ১৮৯২ ) রবীন্দ্রনাথ সোলাপুর হইতে স্ত্রীর পত্র পাইয়াছিলেন; তিনি লিখিয়াছিলেন যে সেখানে তাহার আর ভাল লাগিতেছে ন1। যথাসত্বর কলিকাতায় ফিরিবেন। তাহারা নভেম্বর মাসে সোলাপুর গিয়াছিলেন। কবি পত্র পাইয়! স্ত্রীকে লিখিতেছেন, “আজ শিলাইদহ ছাড়বার আগেই তোমার চিঠিটা! পেয়ে মন খারাপ হয়ে গেল। তোমর! আসছ এক হিসাবে আমার ভালই হয়েছে, নইলে কলকাতায় কিরতে আমার মন যেত না, এবং কলকাতায় ফিরেও আমার অসন্থ বোধ হত ।--. আমি বেশ জানি যতদিন তোমরা! সোলাপুরে থাকবে ততদিন তোমাদের পক্ষে ভাল হবে। ছেলের! অনেকটা শুধরে এবং শিখে এবং ভাল হয়ে আসবে এই রকম আমি খুব আশা করেছিলুম বাই হোক সংসারের সমস্তই তো নিজের সম্পূর্ণ আয়ত্ত নয়। যে অবস্থার মধো অগত্যা থাকতেই হবে তার মধ্যে যতটা পারা যায় প্রাণপণে নিজের কর্তব্য করে যেতে হবে-_ তারই মধ্যে যতটা ভাল কর! যায় তা ছাড়া মান্তবষ আর কি করতে পারে বল। অসন্ভোষকে মনের মধ্যে পালন কোরো না, ছোট বউ-_ ওতে মন্দ বই ভাল হয় না?”

সাংসারিক অশাস্তি মনকে নানা দিক হইতে ক্লান্ত করে, তবুও তাহার উধ্র” উঠিবার জন্ত প্রাপপণ চেষ্টা করেন; স্ত্রীকে উল্লিখিত পত্রে সাস্বনা দিয়াই বোধ হয় লিখিলেন যে উড়িস্যা] ভ্রমণকালে তাহাকে ভ্রমণ-সঙ্গিনী করিবেন। বিষয়ে পিতার কাছে দরবার করিয়া বলিয়াছিলেন ; কিন্ধু শেষ পর্যস্ত যাওয়া সম্ভব হয় নাই।

উড়িম্যা-ভ্রমণ

উত্তরবঙ্গ হইতে কলিকাতায় সময়মতো ফিরিলে কবিকে নিশ্চয়ই শান্তিনিকেতনের মঠগ্রতিষ্ঠা-উৎসবের প্রথম সাম্বংসরিকে (৭ পৌষ ১২৯৯) উপস্থিত হইতে হইত; কিন্তু সেখানে তাহাকে দেখি না। আমাদের মনে হয় তখন রবীন্দ্রনাথ নিজ পরিবার সংসার লই খুবই ব্যস্ত ।: জ্ঞানদানন্দিনী দেবী সোলাপুরে-_ জোড়ার্সীকোর বাড়িতে তাহার পরিবারের দায়িত্ব গ্রহণ করিতে পারেন এমন ম্বজনের অভাব ছিল বলিয়া মনে হয়। মাঘোৎমবের জন্ত দশটি নৃতন গান লিখিয়াছিলেন বটে, তবে সে গানে অস্তরের উচ্ুসিত বাণীর সর না থাকিলেও ভাষা, ছন্দ, সবের জন্ জনাদর লাভ করিয়াছে।

মাঘোৎ্সবের অল্লকাল পরে (১৮৯৩) ফেব্রুয়ারির গোড়ায় রবীন্দ্রনাথ তাহার ভ্রাতুষ্পুত্র বলেন্ত্রনাথ জমিদারি তদারক করিবার জন্য উড়িস্ত] যাত্রা করিলেন নৌকা করিয়া খালে খালে কটক পৌছিলেন।

চিঠিপত্র ১। পত্র ১৬। পত্রগানিতে আছে "নন্ধে) হয়ে গেছে কিন্তু এগনে! পাবনায় পৌছলুম ন1। সেখানে গিয়ে আবার ক্রোশ দেড়েক পাল্কিতে করে যেতে হবে" [শিপাইদছ হইতে নদীপথে ] মোমবার-_-১৮৯২ ডিসেম্বর ১২। ২প অগ্রহায়ণ ১২৯৯। প্রমথ চৌধুরীকে লেখেন “আঙি মধোদিন তিনেকের জন্কে পাবন। গিয়েছিলুম--- আজ সকালে [ শিলাইদছে ] ফিরে এসে' (চিঠিপত্র ৫1 পত্র ১০। পৃ১৫৬।) ইত্যাদি পড়ে মনে হয় ১২ ডিসেম্বর তারিখে ফিরিয়া স্ত্রীকে পত্রধানি লেখেন। ইন্দিরা! দেবীকে ১৮ প্রমণ চৌধুরীকে ১৯ ডিসেম্বর পত্র লিখিতে দেখ! যায়।

১» শস্বযোধিনী পত্রিকা, ১৮১৪ শকাছ। (ফান্তন ১২৯৯ )প২১৫১-৭।

গান গীতবিতান ক্বরবিতান গান গীতবিতান স্বরবিতান জয় রাজরাজেছর পৃ ৮১৩ আনন্দলেকে মঙ্গলালোকে পূ ১৮৭ খণ্ড চিরবন্ধু, চিরনির্ভর ১৭৯ পণ্ড ২৭ নিশিদিন চাহে য়ে ত্ঠীর পানে » ১২১ ২৪ কী লাবণো পূর্ণ প্রাণ » ২১২ 8৫ হুমধুর শুনি আজি ৮৩৯ হদয়-মঙ্গিরে, প্রাণাধীশ ,, ১৪৭ ২৪ জাগ্রত বিশ্বকোলাহল-মাঝে ১৪৪ «২৪

আনঙাধ্যনি জাগাও গগনে .. ২৫৫ ৪8৭ আছ অধুরে চিরদিন » ১৭১ ২২

৩৬০ রবীন্্রজীবনী শীষ্টাব ১৮৮৩

কটকে গিয়া তাহারা উঠিয়াছিলেন বিহারীলাল গুধ্রের বাসায় বিহারীলাল (8.1. 3809 ) তখন কটকের ডিন্রিক্ট জজ বাঙালি সিভিলিয়ানদেবর দ্বিতীয় দলে ছিলেন স্থবেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়, রমেশচন্ত্র দন্ত বিহারীলাল গুপ্ত প্রসঙ্গত বলিয়া রাখি রষেশচন্দর দত্তের পরামর্শে বিহারীলাল হাওড়ার জেলা-জজ থাকার সময়ে যে মস্তব্যলিপি বঙ্গীয় গবর্নমেন্টকে লিখিয়া পাঠান তাহারই ফলে ইলবার্ট বিলের জন্ম তদীনীস্তন আন্দোলনের সুত্রপাত হয়। বিহারীলালের সহিত ঠাকুরপবিঝারের পূর্ব হইতেই ঘনিষ্ঠতা রবীন্দ্রনাথের সহিত পরিচয় ছিল। রবীন্দ্রনাথ বিহারীলালকে যথেষ্ট অদন্ধা করিতেন এই শ্রদ্ধার নিদর্শন 'ও কটক-ত্রমণের স্বৃতিকে অক্ষয় করিবার জন্ত ঠাহার ছোটগল্পের প্রথম সংগ্রহ-গ্রন্থ £ছোটগল্প'১ এক বৎসর পরে পৃজনীয় জ্যেষ্ঠ বিহারীপালকে উৎসর্গ করেন।

কটক হইতে রবীন্দ্রনাথ স্বপালিনী দেবীকে যে পত্র লেখেন তাহাতে বিহারীবাবুর একটি সুন্দর চিত্র অস্কিত হইয়াছে, “বিহারীবাবুর অনেকটা আমার মতো ধাত আছে দ্বেখলুম। তিনি সকল বিষয়েই ভারি বাস্ত এবং চিন্তিত হয়ে পড়েন।... কেবল তিনি আমার মতো খুঁৎখুঁৎ খিটখিট করেন না-- সেটা তীর স্ত্রীর পক্ষে একটা মহা স্থবিধে সমস্ত খুব চুপচাপ প্রশান্ততাবে সহ করতে পারেন। এ-রকম স্বামী আমার বোধ হয় পৃথিবীতে অতি ছুর্লভ। বিহ্বারীবাবু ভারি গৃহস্থ প্রক্কাতির লোক__ ছেলেপুলেদের খুব ভালোবাসেন, আমার দেখতে বেশ লাগে আমাদের এমন যত করেন-__ ঠিক যেন ঘরের লোকের মতো!__ খুব যে বেশি আদর দেখিয়ে ব্যস্ত করে তোলা তা নয়-_ আমরা আমাদের ঘরে সমস্ত দিন যা-খুশি তাই করতে সময় পাই | যে যত্ুটুকু করেন বেশ সহজ স্বাভাবিকভাবে কিচ্ছু বাড়াবাড়ি নেই।”২

কটকে বাসকালে রবীন্দ্রনাথের এমন একটি নৃতন অভিজ্ঞতা লাত হয় যাহার কথা তিনি জীবনে কখনো ভুলেন নাই কয়েকবারই সেই স্থতি ঠাহার গগ্যরচনার স্থান পাইয়াছে | বিহবারীবাবূর বাড়িতে এক ভোজসভায় স্থানীয় সব্কারি কলেজের ( র্যাভেনশ কলেজের ) ইংরেজ অধ্যক্ষ নিম্িত অতিথি ছিলেন। সেই দিন সন্ধ্যায় যে ঘটনাটি ঘটে সে সম্বন্ধে তিনি ইন্দিরা দেবীকে যে একখানি পত্র লেখেন, তাহা হইতে কিয়দংশ উদ্ধৃত করিয়া দিতেছি ।* “জানিস বোধ হয় গবশ্ষেন্ট আমাদের দেশের জুরি প্রথার উপর হস্তক্ষেপ করতে চেয়েছিল বলে চার দিকে ভারি একটা আপত্তি উঠেছে লোকটা জোর করে সেই বিষয়ে কথা ভুলে." তর্ক করতে লাগল বললে দেশের 1)0121 50870910 1০জ্/, এখানকার 1166-এরু 39016017655 সম্বন্ধে যথেষ্ট বিশ্বাস নেই, এব জুরি হবার যোগা নয়। আমার যে কী রকম করছিল সে তোকে কী বলব! আমার বুকের মধ্যে রক্ত একেবারে ফুটছিল,কিন্ধু কথ] খুঁজে পাচ্ছিলুম না। . একজন বাঙালির নিমন্ত্রণে এসে বাঙালির মধ্যে বসে যারা রকম করে বলতে কুষ্ঠিত হয় ন| তার] আমাদের কী চক্ষে দেখে!” এই পত্রখানিতে কবির অত্যন্ত উত্তেজিত মনোভাব প্রকাশ পাইয়াছে। আাংলো-ইত্রিয়ান সাহেবদের প্রতি কবিব অবজ্ঞা পত্রের প্রতি ছত্রে। বলা বাহুল্য পত্রলেখার সময় এই মনোভাব ছিল; এক স্প্তাহ পরে-গেখা আর-একখানি পত্রে লিখিভেছন, “তোকে কি লিখেছিলুম কিচ্ছু মনে নেই, হয়তো মনের আক্ষেপে কিছু বেশি মাত্রায় বলে থাকব কিস্ক আমার মতে হচ্ছে এই যে, এখন বন্ছকাঁল আমাদের অজ্ঞাতবাম বিজনবাস আবশ্বাক। এখন আমাদের প্রস্কত হবার সময় ।” ভোঙজসভায় যে জুরিগ্রথা লইয়া তর্কট! উঠিযাছিল, সে সম্বন্ধে এতটা তিকতা কেন হইয়াছিল সে বিষয়ে ছুই-একটা পূর্ব-কথ| বল! প্রয়োজন |

১৮৬২ সালে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা-আসামসম্থিত বঙ্গদেশের সাতটি জেলায় জুবিপ্রথা সর্বপ্রথম প্রবর্তিত হয়। বিশ বত্সরের নধো জুরিপ্রথার ক্ষেত অন্ত জেলায় প্রসারিত হয় নাই ১৮৯৭ সালে ভারত গব্নষেন্ট এই প্রথার ছেটিগল্প। ১৫ ফান্ধন ১৩০* [২৬ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৪ ]।

চিঠিপত্র (দ্বিতীয় সংস্করণ ) ১, পৃ ৩* পত্র ১৩ [১১ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৩ ]। ছিরপত্রাবলী পত্র ৭৯ কটক। ১০ই ফেব্রুয়ারি [১৮৯৩ ]1

খীষ্টা ১৮৯৩ উড়িস্া-ভ্রমণ ৩৬১

পফলতা! তদস্ত করিয়া প্রতিবেদন পাঠাইবার জন্য প্রাদেশিক গবর্মমেণ্ট হাইকোর্টের নিকট অনুরোধ পাঠান বাংলার তদানীস্তন লেফটেনেন্ট গভর্নর সার্‌ চার্সস আলঙ্রেড ইলিবট ( ১৮৯*-০৫ ) বিভাগীয় কমিশনর পুলিস বিভাগ হইতে ঝুরিপ্রথার ফলাফল সম্বন্ধে ঘে-লব রিপোর্ট পাইলেন, তাহ! মোটেই প্রথার অনুকূল নহে; হাইকোর্টও এই প্রথা যেভাবে চলিতেছে, তাছার খোর নিন্দা করিলেন। ছোটলাট-বাছাছুর ভারত গবর্ণমেন্টের নিকট যে রিপোর্ট পাঠাইলেন তাহাতে তিনি বলিলেন যে, যে ভাবে জুরির কাজ মফস্বলের আদালতে চলিতেছে তাহা আদে শুভ ফলগ্রদ নহে, তাহাকে সমর্থন করা কঠিন। তবে রাজনীতিক দিক হইতে বিচার করিলে ইহাকে উঠাইয়া দেওয়া যায় না। প্রাদেশিক গবনষেপ্টসমূহ কেন্ত্রীয় গবর্নমেণ্টের মধ্যে পত্রাদি ব্যবহারের পর যাহ! স্থির হইল তাহা '0০০$০৪৫ ৮্ 17761061769] 56০0300. 006 0815০ আ0 00001) 0135801568001010?1 সাতটি জেলার বাহিরে অন্তত্্র জুরিপ্রথা প্রসাবিত হইল বটে, কিন্ত হত্যা জটিল মামলার বিচার জুরিদের হস্তে অপিত হইল না।১

এইসব আলোচনায় যখন সাধারণে খুবই মত্ত, তখনই কটকে পূর্বোক্ত বিসদৃশ ঘটনাটি ঘটে সেই দিনের ঘটনা তাহার মনে এমনি বিধিয়াছিল যে এই ঘটনার বিবুতি ছারা দেড় বৎসর পরে “অপম।নের প্রতিকার' শীধক প্রবন্ধ শুক করেন ।*

পূর্ণ পরিণত জনবৃধ' ইংরেজ অধ্যক্ষ সন্বন্ধে সস্তব্যপূর্ণ পত্রখানি লিখিবার পরদিনই ১৩ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৩ ) রবীন্দ্রনাথ বলেন্ত্রনাথ বিহ্বারীলাল পুরী যাত্রা করেন। তখন রেলপথ হয় নাই। ফিটন গাড়িতে কাঠযুড়ি পর্বস্ত গিয়া পালকিতে চড়িতে হুইল কটক হইতে পুরী পর্বস্ত পথটি খুব ভালো “ছিন্নপত্রাবলী'তে এই পথের সুন্দর বর্ণনা আছে। কৰি লিখিতেছেন, “পুরীর ঘত কাছাকাছি হচ্ছি পথের দুই ধারের গাছপালা! ততই কমে যাচ্ছে। মাঝে মাঝে মন্দির আসছে এবং পান্থশাল! বড় বড় পুষ্কবিণী খুব ঘন ঘন পাওয়! যাচ্ছে। সন্ন্যাসী ভিক্ষুক এবং যাত্রীও ঢের দ্বেখা যাচ্ছে |... হঠাৎ এক জাক্কগায় গাছপালার মধো থেকে বেরিয়ে পড়েই স্থৃবিস্তীর্ণ বালির তীর এবং ঘন নীল সমুদ্রের বেখা দেখতে পাওয়া গেল: পুরীর সমুদ্র যে আমার কত ভালো লাগছে সে আমি প্রকাশ করে বলতে পারব না।”*

পুরী পৌছাইয়া সেই াজেই ববীন্দ্রনাথ বলেন্দ্রনাথ 'কণারকে কুর্ঘমন্দিরের ভগ্লাবশেষ” দেখিবার জন্য যাত্রা করেন।* তখনকার দিনে পুরী হইতে কণারক যাইবার পথ ছিল দুর্গম-_ আজ যাহারা পীচ-ঢালা পথে মোটর গাড়িতে কয়েক ঘণ্টার মধো কণারক দেখিয়া ঘুরিয়া আসেন, তাহারা সে দিনের পথের কষ্টের কথা কল্পনাও করিতে পারিবেন না। সমূত্রের বালুতট দিয়া ছিল পথ-_ যান ছিল গোরুর গাড়ি অথবা পালকি। রবীন্দ্রনাথ বলেজ্রনাথ

একই পালকিতে চড়ে যান ।« পুরীর সমুদ্র, কণারক ভুবনেশ্বর মন্দির প্রভৃতি দর্শন কর্মজীবনে সার্থক হইয়াছিল। তাহার কর্মচেতন মনে

১:০0. চ. 89০01870, ৫4] 874ত 0৫ 1124052া/-30গলাগগোত। ডি ০1. 2707 322 : ৬০1]. 7 797 945-48. সাধনা, তার ১৩০১1 আআ. রাজ! প্রজা (১৩১৫ ), রবীন্স-রচনাবলী ১০, পৃ৪১*। ছিন্নপত্াবলী | পত্র ৮১। পুরী ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৩ ছ্রিশ্নপঞ্জাবলী | পত্র ৮১। পুয়ী। ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৩ | & প্রীসমীরচন্ত্র মনত্ষদায়ের প্রদত্ত এক খাতার দধো বহ তখা আছে। পালকি ভাড়া ২২ টাকা লাগে হাওয়া-আদ।। হ্রীকানাই সামন্ত, রবীন্রাপ্রতিভা, পৃ ২৬১। বাংলা জাতীয় সাহিত্য সাহিত্য, রবীন রচনাবলী ৮, পৃ৪১৫। বলেজ্নাথ ঠাকুর, সাধনা, ভা ১৩**। কপারক ( উড়িগ্যার নুর্ঘমন্দির ) “কণারকের এখন কিছুই দাই, ধু ধূ প্রান্তর মধো শুধু একটি অতীতের সমাধিমঙ্গির.. 1”

৪6৬

৩৬২ রবীঞ্রজীবনী তীষ্টাব্ ১৮৯৩

এই নৃতনের দৃশ্য সাড়া! দিয়াছিল। তিনি 'বাংলা জাতীয় সাহিত্য" ( চেত্র ১৩০১) প্রবন্ধের একস্থানে লিখিয়াছিলেন, “যখন ভুবনেশ্বর কণারক মন্দিরের স্থাপত্য ভাস্কর্য দেখিয়া বিস্ময়ে অভিভূত হওয়| যায় তখন মনে হয়, এই আশ্চর্য শিল্পকৌশলগুলি কী বাহিরের কোনো আকন্মিক আন্দোলনে কতকগুলি প্রস্তরময় বৃদ্বুদের মতে! হঠাৎ জাগিয়া উঠিয়াছিল? সেই শিল্পীদের সহিত আমাদের ষোগ কোনখানে ?, এই মন্দিরাদির কথা স্মরণ করিয়া (১৩১২ সাল) লিখিয়াছিলেন, “উড়িস্যায় ভূবনেশ্বরের মন্দির যখন প্রথম দেখিলাম তখন মনে হইল, একটা যেন কী নৃতন গ্রন্থ পাঠ করিলাম বেশ বুঝিলাম, এই পাথরগুলির মধ্যে কথা আছে সে কথা বন্ধ শতাবী হইতে স্তস্তিত বলিয়া, মৃক বলিয়া, হদয়ে আরও যেন বেশি করিয়া আঘাত করে।”২

পুরীতে* আংলো-ইত্ডিয়ান সিভিলিয়ানদের সম্বন্ধে কবির আরু-একটি অভিজ্ঞতা হইপ। একদিন বিহারীলাল গুধ তাহার স্ত্রী এবং রবীন্দ্রনাথ স্থানীয় ম্যাজিস্ট্রেট মিস্টার ওয়াল্‌্শের সঙ্গে লামাজিক শিষ্টতা রক্ষার জন্য দেখা করিতে ঘান। “মিনিট পাচেক পরে খবর এল-_ তার পরদিন সকালে এলে সাহেবের সঙ্গে মূলাকাৎ হবে। বিহাীবাবু, মিসেস গু, অবাক হয়ে গেলেন আমরা তো মুড় স্ড় করে ম্যাজিস্ট্রেটের দরজা থেকে বেরিয়ে চলে গেলুম ।” পরে জজ-সাহেব আসিয়াছিলেন জানিতে পাবিয়া সাহেব মেম ভারি দুঃখিত হইয়া পত্র দেন বটে। কিন্ধকবিইহার থেকে অনেকখানি শিক্ষালাভ করিয়াছিলেন «আমাদেরই দেশের লোকের দোষ-- তারা পেটের দায়ে উ্ষেদাবি করতে, সেলাম করতে যায়, সাহেবের আদিষ্ট সময়ে দ্বারদেশে অপেক্ষা করে থাকে--স্থতরাং আমি বঙ্গনামধারী এক ব্যক্তি যে আশ্ফালন করে ম্যাজিস্ট্রেট এবং মিসেস মাজিস্টরেটের পত়্ীর উপর সামাজিক কর্তব্যরক্ষান্বরূপ “কল” করতে যাব তাদের মনে উদয় হয় নি।.. পুরীর ম্যাজিষ্ট্রেট পরদিন আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে এবং আমাকে নিমন্ত্রণ করলে আমি “ক তাতে ভারি খুশি হয়েছিলুম ?... নিমন্ত্রণ অগ্রাহহ করলে বড় বেশি ম্পষ্টর্ূপ অভিমান প্রকাশ করা হয় এবং তাতে যথার্থ অভিমানের খর্বতা হয় তা ছাড়া বিহারীবাবুদের বিশেষ ক্ষণ করা হয়।” নিমন্ত্রণ সভার বর্ণনাটুকু “ছিন্নপত্রাবলী'তে প্রকাশিত হইয়াছে, “তার পরে গান শুনলুম, গান শোনালুম, তাপি দিলুষ এবং তালি পেলুম 1” এই কৃত্রিম দস্তরহাস্ত সত্যতার সহিত ভারতের হীন অবস্থার তুলনা করিয়া মন অত্যন্ত বাধিত বিরক্ত হইয়া উঠিয়াছিল। তাই পত্র শেষে লিখিলেন, “হে মৃৎ্পাত্র, কাস্কপান্্রের কাছ থেকে দুরে থেকো; যদি রাগ ক'রে তোমাকে আঘাত করে তাতেও তুমি চূর্ণ হয়ে যাবে আর যদি সোহাগ করে তোমার পিঠে চাপড় মারে তাতে৪ তুমি ফুটে! হয়ে অতলে মগ্ন হয়ে যাবে__ অতএব বৃদ্ধ ঈশপের উপদেশ শোনো, তফাত থাকাই সার কথা ।”£

কৰি পুরী হইতে কটকে ফিরিয়াছেন। বিহারীবাবুদের বাড়িতে আছেন, 'সাধনা'র লেখা 'ছভ কবে এগিয়ে' যাইতেছে একখানি পত্রে সাময়িক ভাবী ভীবনের কথা যাহ! লিখিয়াছিলেন, তাহা সম্পূর্ণ তা সার্থক হইয়াছে বলিয়া পত্রখানি হইতে কিয়দংশ উদ্ধৃত করিতেছি

“যখন মন একটু খারাপ থাকে তখনই সাধনাটা অতান্ত তারের মতে! বোধ ছুয়। মন ভাল থাকলে মনে হয়, মন্দিরের কথা, ভারতবর্ষ ১৩১৯1 মন্দির, বিচিত্র প্রবন্ধ প্রপম সংস্করণ, পু ৭৬ | রবীন রচনাবলী ৪,পু ৪৫৫। ১২৯৯ সালের ফাক্জন মলের 'দাঠিঠা পরিকায নগেকনাণ গুপু অনাষে তিকবৈচিত্রা নামে প্রবন্ধে চন্ুনাপ বহর সহিত রবীল্রনাথের বিরোধের জনক ক্বকেই দায়ী করিয়া মগ্থব্য প্রকাশ করেন এবং হিং টিং ছটের, লক্ষান্থল যে শিঃনন্দেতে চঙ্নাথ বহু এই কপাও স্পা করির়। প্রচার করিলেন রবীন্রনাণ সাহিতিক মহলের সমালোচনার আচ পাইয়া পুরী হইতে তে ফান্ধন ১২৯৯) 'সাঠিআা সম্পাদককে লিপির! পাঠাইলেন যে চস্রানাপ বনু অকারণ যেন ক্রোধ না করেন।__ সাহিতা, বৈশাপ ১৩**, পু ৮১-৮৪। ছাঁডা সাধনা য় অকৃষ্টিতভাবে ্বীকার করিলেন যে হিং টিং ছট বঙ্গ কবিতার লক্ষান্থল চক্রনাণ বছ নহেন। কিন্তু কাহার ব| কাহাদের উদ্দেশে রচিত তাহ! স্পষ্ট না করায়, সাহিহাক মলে গবেষণার ববদিক। পড়িল ন1। -- সাধনা, চৈত্র ১২৯৭, পর ৪8৫8 চিন্রপঞ্তাবলী পত্র ৮৭ | কটক 1৬ মার্চ ১৮৭৩।

ধষ্টা্ ১৮৯৩ উড়িস্যা-ভ্রমণ ৩৬৩

সমস্ত ভার আমি একলা বহন করতে পারি। তখন মনে হয় আমি দেশের কাজ করব এবং কৃতকার্য হব। তখন লোকের উৎসাহ এবং অবস্থার অন্ুকৃলতা৷ কিছুই আবশ্যক মনে হয় না, মনে হয় আমার নিজের কাজের পক্ষে আমি নিজেই যথেষ্ট তখন এক-এক সময়ে আমি নিজের খুব দূর ভবিষ্যতের ষেন ছবি দেখতে পাই-_- আমি দেখতে পাই আমি বৃদ্ধ পকককেশ হয়ে গেছি, একটি বুহৎ বিশৃঙ্ধল অরণ্যের প্রায় শেষ প্রান্তে গিয়ে পৌঁচেছি, অরণ্যের মাঝখান দিয়ে বরাবর হ্ুদীর্ঘ একটি পথ কেটে দিয়ে গেছি এবং অরণ্যের অন্ত প্রান্তে আমার পরবর্তী পথিকেরা সেই পথের মুখে কেউ কেউ প্রবেশ করতে আরস্ত করেছে, গোধূলির আলোকে ছুই-একজনকে মাঝে মাঝে দ্বেখা যাচ্ছে! আমি নিশ্চয় জানি, 'আমার সাধনা কভু ন1 নিক্ষল হবে? ক্রমে ক্রমে অল্পে অল্পে আমি দেশের মন হরণ করে আনব-_ নিদেন আমার দু-চারটি কথা তার অন্তরে গিয়ে সঞ্চিত হয়ে থাকবে এই কথা যখন মনে আসে তখন আবার সাধনার প্রতি আকর্ধণ আমার বেড়ে ওঠে তখন মনে হয় সাধন আমার হাতে কুঠারের মতো, আমাদের দেশের বুহৎ সামাজিক অরণ্য ছেদন করবার জন্যে একে আমি ফেলে রেখে মরুচে পড়তে দেব না-__ একে আমি বরাবর হাতে রেখে দেব। যদি আর্মি আরও আমার সহায়কারী পাই তো ভালোই, না পাই তো কাজেই আমাকে একলা! খাটতে হবে ।”

সামাজিক কর্তভবাপালনের জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের বাংলোম যেমন যাইতে হয়, আদিব্রাক্মমমাজের সম্পাদক বলিয়া স্থানীয় ব্রাহ্মসমাজের মন্দিরেও* হাজির! দিতে হয়। ১৬ ফাল্গুন ( ২৬ ফেব্রুয়ারি ) রবিবার কটকে ত্রাঙ্ষলযাজের মন্দিরে গিয়া আচার্ষের সুদীর্ঘ বক্তৃতা শুনিয়। কিরূপ মন বিরক্ত হইয়াছিল, তাহ? একথানি পত্রে গ্রকাশ করিয়া ফেলিয়াছিলেন। “লোকে মনে করে ধর্মের কথা কানে উঠলেই ষেন একটা পুণ্য আছে .. | এই জন্তে ধর্মব্ধা সম্বন্ধে আর যোগ্যতাবিচার হয় না। আমার তো। মনে হয়__ নিতান্ত অল্তায়।... যাদের ধর্ম বোধ এবং সাহিত্যবোধ কিছু আছে তারা যে ভাবহীন রসহীন অনর্গল পুরোনো বাজে কথা কী রকম কবে সহ করে আমি তো ভেবে পাই নে।-. নিয়মিত বেহ্থবে! গান শোনা মান্তষের পক্ষে যেমন অশিক্ষা, নিয়মিত অনুপযুক্ত ধর্মবক্তৃতা শোন! মান্তষের পক্ষে তেমনি একটা ক্ষতিজনক কাজ ।”৩

কটক হইতে বালিয়। যান ফেব্রুয়ারির শেষে পাওুয়ার কুঠিতে দিন তিন-চারির বেশি ছিলেন না। বাড়ি হইতে প্রায় একমাস বাহিব হইয়াছেন, ঘুরিয়াছেনও বিস্তর একখানি পত্রে লিখিতেছেন, “আমার কিন্ত আর ভ্রমণ করতে ইচ্ছে করছে না-- ভারী ইচ্ছে করছে একটি কোণের মধো আড্ডা করে একটু নিরিবিলি হয়ে বসি... ঘরের কোণও আমাকে টানে, ঘরের বাহির৪ আমাকে আহ্বান করে। থুব ভ্রমণ করে দেখে বেড়াব ইচ্ছে করে, আবার উদ্ভ্রান্ত শ্রান্ত মন একটি নীড়ের জন্বে লালায়িত হয়ে ওঠে 1... থাকবার জন্টে ঘেমন ছোট্ট নীড়টি, ওড়বার জন্যে তেমনি মস্ত আকাশ। আমি যে কোণটি ভালোবামি, সে কেবল মনকে শাস্ত করবার জন্বে ।”৪

মফন্থলে যখনই যান, কবির সঙ্গে অনেকগুলি অনেক রকমের বই যায়। এবার ফাল্তন মাসে বধ! দেখা দিলে কটক হইতে একখানি 'মেঘদুত' সংগ্রহ করিয়া পাতুয়ায় লইয়া যান। তিনি লিখিতেছেন, “অনেকগুলো বই সঙ্গে নিতে হয়. তার সবগুলোই ঘে প্রতিবার পড়ি তা নয়, কিস্কু কখন্‌ কোন্টা দরকার বোধ হবে আগে থাকতে জানবার যো নেই, তাই সমজ্ত সরঞ্জাম হাতে রাখতে হয়|... সেই জন্তে আমার সঙ্গে নেপালীজ বুদ্ধি্িক লিটারেচব' থেকে আরম্ত করে

ছিন্নপত্রাবলী পত্র ৮২। কটক। ২৫ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৩।

কটক ক্রস্থামঙ্গিরে রবীজনাথ ইদিন এই গানটি গাহিয়াছিলেন-- 'কি গাইব আমি, কি গুনাব আজি আনন্দখামে' (গীতবিতান পৃ ১২৮) ১২৯২ মাঘোংসবে প্রথম গীত হুয়। তস্ববোখিনী পত্রিক। চৈত্র ১৮*৭ শক | জ. জবস্তী দেবী। ওড়িয্যার ত্রাহ্গধর্ম স্্াঞ্ষসমাজ-_ "ভক্ত কবি মধুনুদন রাও উংকলে নবধূগ' (১৩৭*)। পৃ ১৬৭-৮৭।

ছিপ্পপত্রাবলী। পত্র ৮৩1 কটক।২৭ ফেকয়।রি ১৮৯৩।

৪. ছিল্লপত্রবলী | পত্র ৭৮ বালিয়!, মজলবার। ফেব্রুয়ারি ১৮৯৩।

৩৬৪ ্বীন্দ্রজীবনী থ্রষ্টা্ ১৮৯৩

শেক্স্পীয়র পর্যস্ত কত রকমেরই যে বই আছে তার আর ঠিকানা নেই এর মধ্যে অধিকাংশ বইই ছোব না, কিন্ত কখন্‌ কী আবশ্যক হবে বলা যায় না অন্ত বার বরাবর আমার বৈষ্ণব কবি এবং সংস্কৃত বই আনি; এবার আনি নি, সেই জন্তে ছুটোরই আবশ্তক বেশি অনুভব হচ্ছে। যখন পুরী খগ্ুগিরি প্রভৃতি ভ্রমণ করছিলুম তখন যদি মেঘদূতটণ হাতে থাকত ভারি স্থখী হতুম। কিন্ত মেঘদূত ছিল না তার বদলে 051:3'5১ 717/1050%11641 55৫55 ছিল ।”২ রবীন্দ্রনাথের মনীষা, বিচিত্র রসের স্িসস্টোগ বিচারশক্তি কেবল 172081007; বা প্রতিভাপ্রস্থত নহে, তাহার পশ্চাতে গভীর অধায়ন বহিয়াছে।

পাওুয়ার কুঠি হইতে ফিৰিবার সময় পথে বেশ ঝড়বৃষ্টি পান। লিখিতেছেন, “ছোট্ট বোটখানি।- ' আমার মতো লম্বা লোকের দৈর্ধ্যগব খর্ব করাই এর মুখ্য উদ্দেশ্য দেখতে পাচ্ছি__ ভ্রমক্রমে মাথা একটুখানি তুলতে গেলেই অমনি কাষ্ঠফলকের প্রচণ্ড চপেটাঘাত মাথার উপর এসে পড়ে, হঠাৎ একেবারে দমে যেতে হয়-__ সেইজন্ে কাল থেকে নতশিবে যাপন করছি 1”

পাণুয়া হইতে কটক ফিরিবার পথে রবীন্দ্রনাথকে বহুকাল পরে তিনটি কবিতা লিখিতে দেখি, “অনাদৃত' ( ২২ ফাল্গুন ১২৯১ ), 'নদীপথে" “দেউল' (২৩ ফাল্গুন )। কটকে ফিরিলেন মার্চ এবং তার পরদিনই বোধ হয় "উড়িবা' স্বীমারযোগে কলিকাতা র€ন] হইলেন। স্বীমারে বমিয়া “বিশ্বনৃত্য' ( ২৬ ফান্তুন ) কবিতাটি রচনা করেন।

উড়িষ্যায় রচিত কবিতা

পাুয়া হইতে কটকে ফিরিবার পথে তালদণ্| খালে নৌকায় যে তিনটি কবিতা লেখেন, তাহাদের মধ্যে 'অনাদৃত। কবিতাটি সম্বন্ধে কবি বনুবিস্তারে এক পঞ্জে ব্যাখা করিয়াছেন ।* বোধ হয় ছলের ধারে কোনে! জেলের জালফেলা দেখিয়। মনের মধ্যে এই ভাবটির উদয় হয় এবং সেই জন্য কবিতাটির নাম দেন 'জালফেলা'। কবি জাবন ভরিয়া কথার জালে যেসব স্বর রূপ বীাধিলেন, তাহা কার জন্ত। যাহাকে সমর্পণ করিলেন সে তাহার প্রেয়লী হইতে পারে শ্বদেশও হইতে পারে। তাহার এই স্থর বূপকে দেখিয়া কহিল “চিনি নে কিছু” জেলেও ভাবে, সতাই তো জালে যেসব জিনিস উঠাইয়াছে, তাহার তো কিছুই নহে “এক কথায়, বিজ্ঞান দর্শন ইতিহাল ভূগোল অর্থনীতি সমাজনীতি তব্বজ্ঞান প্রভৃতি কিছুই নয় কেবল কতকগুলো! রঙিন ভাব মাত্র, ভার যে কোন্টার কী নাম কী বিবরণ তাও ভালো পরিচয় পাওয়া যায় না।” তখন সে মেই আহাত সামগ্রীগুপি বাস্তায় ফেলিয়া দেয়, পথিকেরা সেই বন্তমূল্য জিনিসগুলি দেশে-বিদেশে আপন আপন ঘরে লইয়া যায়। কেহ জানিল না কে এইগুপি সংগ্রহ করিয়া পথের উপর ছড়াইয়া দিয়াছে | অতীতের ইতিহাসের দিকে ভাকাইলে কি এই কথাই মনে হয়না? এই যে 'অজশ্র জ্ঞান মাজ আমরা সহজ আনন্দে ভোগ করিতেছি, কোথায় তাহার উদ্ভব, কে তাহার শ্রষ্টা অষ্টা-- তাহ! কি আমরা জানি। না, জানিবার জন্য কখনো কৌতুহলী হই? দেশ-বিদেশ হইতে এইসব জ্ঞানরত্ব আসিয়াছে, যুগে যুগে সে-সব সঞ্চিত হইয়াছে আজও জ্ঞানী-গণার! জ্ঞানের জালে যে-সব মণিমুক্তা উঠাইতেছেন, তাহাদের দশ সেইরূপ হইতে পারে “সোনার ভরী'র বাথ ক্রন্দন এখানে ৪। জগংপ্রবাছে 'সোনার তরী'তে লোনা ধান বোঝাই

১6%51৭ 0০917 (1535+1906 )।

হিন্পপত্রালী পর ৮৬। হীরতল। শুক্রবার | মার্চ ১৮৯৩

ছিন্পপত্রাবলী পর ৮৫1 বালিয়। শুক্ুবার | মার্চ ১৮৯৩।

ছিরপত্রাবলী পত্র -*৭1 সাজ্জাদপুর | ৩* আবাড় ১৩,* [১৩ জুলাই ১৮৯৩ ]।

দ্ীষ্টা্ ১৮৯৩ উড়িস্কায় রচিত কবিতা ৩৬৫

করিয়া মহাকাল অন্ধবেগে চলিয়! যায়, বিস্বতির অতলে পড়িয়া থাকে মানগব। সে বঞ্চিত হয়, ভবিষ্যৎ ভোগ তাহারই সঞ্চিত ফসল, কিন্তু তাহাতে কি কেহ স্মরণ কবে?

পৃর্বোন্লিখিত পত্রখানির মধ্যে কবিরও একটু অভিমান প্রকাশ পাইয়াছে। তিনি লিখিতেছেন, “বোধ হচ্ছে এই কবিতাটি ধিনি লিখেছেন তিনি মনে করছেন, তার গৃহকার্ধনিরতা অন্তঃপুরবাসিনী জন্মভূমি, তাঁর সমসাময়িক পাঠকমণ্ডলী তার কবিতাগুলির ঠিক ভাবগ্রহ করতে পারছে না__ তার যে কতখানি মূল্য সে তাদের জঞানগোচর নয়__ অতএব এখনকার মতো এ-সমস্ত পথেই ফেলে দেওয়া যাচ্ছে, “তোমরাও অবহেলা করো! আমিও অবহেল] করি, কিন্তু বাজি যখন পোহাবে তখন 'পস্টারিটি” এসে এগুলি কুড়িয়ে নিয়ে দেশে বিদেশে চলে যাবে কিন্তু তাতে জেলে লোকটার মনের আক্ষেপ কি মিটবে!”

পরদিন খালপথে ঝড়বুষ্টি পান ভালো রকমেই পত্রধারায় লিখিতেছেন, “এই মেঘবুষ্টি পাকা কোঠার মধ্যে অতি ভালো, কিন্ত ছোট্ট বোটটির মধ্যে ছুটি কুদ্ধ প্রাণীর পক্ষে মনোরম নয় একে তো উঠতে বসতে মাথা ঠোকে, তার উপরে আবার যদ্দি মাথায় জল পড়তে থাকে, তা হলে বেদনার কিঞ্িৎ উপশম হতেও পারে, কিন্ত আমার 'ছুর্দশার পেয়ালা” একেবারে পূর্ণ হয়ে ওঠে 1৮১ এই সময়ে 'নদীপথে'২ ( ২৩ ফাল্ঠন ১২৯৯) কবিতাটি বচিত-__

বসিয়। তরণীর কোণে একেলা ভাবি মনে মনে মেঝেতে শেজ পাতি সেআলি জাগে বাতি, নিদ্রা নাহি দু-নয়নে বসিয় ভাবি মনে মনে |. চকিত আখি দুটি তার মনে আসিছে বার বার। বাহিরে মহা ঝড়, বন্জ কড়মড়,

আকাশ করে হাহাকার। মনে পড়িছে আখি তার।

কবিতাটিকে অত্যন্ত বাস্তবভাবে দেখিতে কোনো দোষ নাই ববীন্্রনাথ যে-প্রকার ন্রেছশীল তাহার মনে এন্সপ উদ্বেগ ভাবনা হওয়া স্বাভাবিক; স্থৃতরাং কবিতাটিকে তাহাব বাচ্যার্থে গ্রহণ করা ধাইতে পারে।

কিন্ধ সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপের কবিতা হইতেছে 'দেউল'*, সেই দিনই বচিত। কয়েক দিন আগে ভুবনেশ্বর মন্দির দেখিয়া কবির মনে যে-সব ভাবের উদ্দয় হয় তাহারাই প্রকাশ পায় 'দেউল' কবিতায় মানুষ অন্ধকার মন্দিরের মধ্যে দেবতার পূজায় রত। প্রক্কৃতির অতুল সৌন্দর্ধকে মন্দিব-বাহিরে বাখিয্জা, মনগড়া রূপ স্থাি করে মন্দির-ভিতবে__

নিদ্রাহীন বিয়া এক চিতে চিত্র কত একেছি চারিভিতে। স্বপ্ুসম চমংকার, কোথাও নাহি উপম। তার কত বরণ, কত আকার কে পারে বরনিতে,

চিত্র যত একেছি চাবিভিতে ।£ হিক্পপত্রাবলী। পত্র ৮৬ 1 তীরতল। গু্তরবার | মার্চ ১৮৯৯ নর্দীপথে। সোনার তরী, রবীন্ছ-রচনাবলী ৩, পৃ ৮*। দেউল। তালদণ্ডা খাল, বালিয়া হতে কটক পথে। ২৩ ফ্ান্ধুন ১২৯৯ ফোনার তরী, রবীস্-রচনাবলী ৩, পু ৮২। « 'মঙ্গির' প্রবন্ধে আছে, “দেখিলাম, মন্দিরভিত্তির সর্বাঙ্গে ছবি খোদা কোথাও অবকাশমাত্র নাই | যেখানে চোথ পড়ে এবং যেখানে চোখ গড়ে না, সবত্রই শিল্পীর [নয়লদ চেষ্টা! কাজ করিয়াছে ছবিগুলি বিশেষভাষে পৌরাণিক ছবি নয় ,**' মানুষের ছোটবড় ভালোমন্ প্রতিদিনের ঘটনা"* বিচিত্র আলেখ্যের দ্বারা মনদিরকে বেষ্টন করিয়া আছে ।... চিত্রপ্রেষীর ভিতরে এষন অনেক জিনিস চোখে পড়ে, বাহ! দেবালয়ে অস্কনঘোগ্য বলিয়। হঠাং মনে হয় ন। ইহার মধ্যে বাছাবাছি কিছুই দাই-_ তু্ছ এবং মহৎ, গোপনীয় এবং খোষদীর, সমস্তই জাছে।” বঙ্গদর্শন, পৌষ ১৩১*। বিচিত্র প্রবন্ধ প্রথম সংস্করণ (১৩১৪ )। ভারতবর্ষ, রবীন্র-রচনাবলী ৪, প্‌ ৪৫৫।

৩৬৬ রবীন্দ্রজীবনী গরীষ্টাবৰ ১৮৯৩

মানুষ সমস্ত ইন্ড্রিয়ের ছার কুদ্ধ করিয়া 'শব্ষহীন গৃহের মাঝথানে' ধ্যানরত | পুরীর মন্দিবের বাহিরে অনস্ত সমুদ্র, অসীম আকাশ লীলাম্ প্রকৃতির প্রকাশ; সেই সৌন্দর্যকে মানুষ জ্ঞানত উপভোগ করিতে অসমর্থ। বিশ্বকে দূরে ঠেলিয়] বিশ্বনাথের পৃজা অসম্পূর্ণ সৌন্দর্কে নিরাসিত করিয়া অন্ধকার মন্দিরে পরমন্ুম্দরের ধ্যান অর্থশৃন্ত এই নিষ্ঠানিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় সত্য দৃষ্টি খোলে কিন্তু তাহা আসে বিধাতার বঙ্জনূপে। মিথ্যার আবরণ ছিন্ন হস রুদ্বের আঘাতে। একী এক বিষম ঘোর স্বরে বজ্জ আসি পড়িল মোর ঘরে... ফলে, পাষাণরাশি সহসা গেল টুটি গৃহের মাঝে দিবস উঠে ফুটি। তখন দেঁউলে মোর ছুয়ার গেল খুলি, ভিতর আব বাহিরে কোলাকুলি রবীন্দ্রনাথ ইহার বাখা লিখিতেছেন, “যখন কোণে বসে বসে কতকগুলো কৃত্রিম কল্পনার ছারা আপনার দেবতাকে আচ্ছন্ন করে নিজের মনটাকে একটা অস্বাভাবিক স্ৃতীত্র অবস্থায় নিয়ে যাওয়া গেছে এমন সময় যদি হঠাৎ একটা ংশয়বজ পড়ে সেই-সমস্ত স্থদীর্ঘকালের কৃত্রিম প্রাচীর ভেঙে যায়, তখন হঠাৎ প্রকৃতির শোভা, সর্ধের আলোক এবং বিশ্বজনের কল্লোলগান এসে তম্বমন্্ ধৃপধুনার স্থান অধিকার করে এবং তখন দ্বেখতে পাই সেই যথার্থ আরাধনা এবং তাতেই দেবতার তুগ্টি। বোধ হয় উড়িস্যার মন্দিরগুপে; দেখে দেখে আমার এই রকম একটা ভাব মনে এসে থাকবে। ভুবনেশ্বরের একটা মন্দিরের [ লিঙ্গরাজ?] ভিতরে যেখানে দেবতী সেখানে ভয়ানক অস্ধকার, বন্ধ, ধুপের গন্ধে নিশ্বাসরোধ হয়__ ঠাকুরের অতিষেক-জলে মেজে সর্যাংসেতে, বাদুড় চাচিকে উড়ছে, সেখান থেকে বাইরের সুন্দর আলোতে হঠাৎ আমবামাত্র দেবতা ঘে কোন্খানে আছেন টের পাওয়া যায়।”১ দেউল যখন ভাঙিল, “বিশ্বঙ্গনের কল্লোলগান, তখন ছন্দে ধরা পড়িপ ; নিখিপ বিশ্ব নৃতাদোপায় স্পন্দিত হইয়া উঠিপ কবির ছন্দে। 'বিশ্বনৃত্য' কবিতাটির মধে কবি যে অগ্রভূতির আবেগ সঞ্চারিত করিয়াছেন তাহ] অশাস্ত মাগরের কলকল্পোল-_ কবির ভাষায় ছন্দোবঞ্থ কবিতারূপে নুক্তি পাভ করিপ। কটক হইতে কলিকাতার পথে বৈতধদী নদী 'পণ্ে 'উড়িস্যা' জাহাজে বলিয়া কবিতাটি লেখেন (২৬ ধান্কন ১২৯৯)। কিন্তু এই কবিতাটির মধো কবির অন্তরের যে-বেদনা প্রকাশ পাইয়াছে, তাহার কতকগুলি বন্ততাগ্িক কাপণ আছে বঙ্গিয়া আমাদের সন্দেহ হয়। বাংপার সমাজের প্রাণহান রমহীন অবস্থা তাহাকে বহুকাপ হইতে গীড়িত করিতেছিশ। সমুছের জলোচ্ছাস দেখিয়া বাঙালি জীবনের দৈননিন কষু্রতা কবিচিত্তকে ক্ষন্ধ কাতর করিয়া তুপিয়াছিল। তাহাকেই মনের সম্মুখে রাখিয়া! তাহারই উদ্দেশে যেন ইহা রচনা করিয়াছিলেন ক্বীবনকে মুক্কিমঞ্তে উদ্বুদ্ধ করিবার এই সংগ্ীত-_ ধু হেথা কেন আনন্দ নাই, কেন আছে সবে নীরবে? তারক না দেখি পশ্চিমাকাশে, প্রভাত না দেখি পুরবে।

ছিব্লপত্রাবলী পত্র ১*৭। সাঞ্জাদপুর ৩* জাষাঢ় ১৩*"। রবীন্ত্রনাথ তুবনেগ্বরের লিঙ্গরাজ মন্দির দেখেন; কিন্কু পুরীর মঙ্গিরে প্রবেশ কয়েন শাহ গুনির।ছিল।ম | আর.একঞ্ন প্রবেশ করেন নাই পুরীর মঙ্গিরে_- তিনি মহা) গা্ধী |

খা ১৮৯৩ উত্তরবন্ধে : পল্সায় - ৩৬৭

শুধু চারিদিকে প্রাচীন পাষাণ জগৎ-ব্যাধ সমাধি-সমান গ্রাসিয়া রেখেছে অযৃত পরান রয়েছে অটল গরবে।:.. জগৎ-মাতানো সংগীত-তানে কে দিবে এদের নাচায়ে! জগতের প্রাণ করাইয়া পান কে দিবে এদের বাচায়ে! ছি'ড়িয়া ফেলিবে জাতিজালপাশ, মুক্ত হৃদয়ে লাগিবে বাতাস, ঘুচায়ে ফেলিয়া মিথ্যা তরাস ভাঙিবে জীর্ণ খাচা এ। জীবনের জড়ত্ব হইতে জাগ্রত সত্তার মধ সপ্ত চিন্তকে উদবোধিত করিবার জন্য যেন ক্রবির প্রার্থনা বিপুল গভীর মধুর মন্দ বান্ধুক বিশ্ববাজন! উঠক চিত্ত করিয়া নিতা, বিস্বত হয়ে আপনা টুক বন্ধ, মহা! আনন্দ, নব নংগীতে নৃতন ছন্দ__ হৃদয়-সাগরে পূর্ণচন্্ জাগাক নবীন বালনা |

উত্তরবঙ্গে : পদ্মায়

উড়িস্যায় মাম দ্বেড় কাটায় রবীন্দ্রনাথ কলিকাতায় ফিরিলেন চৈত্র (১২৯৯) মাসের গোড়ায়। ইন্দিরা দ্নেবীকে সিমলা পাহাড়ে লিখিতেছেন, -“চৈজ্রমাস পড়েছে তবু এবার কিচ্ছু গরম পড়ে নি-_ দিনের বেলায় মোটা চাপকান জোব্বা প'রে থাকি এবং বাত্রিকাঁলে শাল কম্বল মুড়ি দিই ।”১ |

সাতদ্দিন পরেই স্্রী-পুত্র-কল্সাদের ফেলিয়া আবার উত্তরবঙ্গে যাত্রা করিতে হইতেছে ; “মিনো স্্ীমারে চলিয়াছেন-_ গম্ভব্স্থল বাজশাহীতে-__ লোকেন পালিতের কাছে কয়দিন থাকিয়া জমিদারিতে যাইবেন। পথে “মিনো ্রীমারে বসিয়া লিখিলেন 'ছুর্বোধ” কবিতাটি (১১ চৈত্র ১২৯৯)। “কাব্যের তাৎপর্ধে' পঞ্চভূতে মিলিয়া 'বিদায় অভিশাপ কাবানাটোর অর্থোদগ্াটনে যেরূপ মেহল্নত করিয়াছিলেন, সেবূপ মানসিক শ্রমস্বীকার করিতে পারিলে এই কবিতাটিকে সত্যই দুর্বোধ করিয়া তোলা! সহজ হুইত। কিন্তু সহজভাবে গ্রহণ করিলে ইহার অর্থ আবিষ্কার করা কঠিন নহে।

প্রেম বা ভালোবাসা কোনো বস্ত নয়; বিশেষ কোনে ইন্ড্রিয়ের দ্বাকা প্রেমের অস্তিত্ব অনুভব করা যায় না; চিন্লপত্রারলী | প্র প৯ | ১৬ মার্চ ১৮৯৩ [5 চৈত্র ১২৯৯]।

৩৬৮ রবীন্দ্রজীবনী খীষ্টাব ১৮৯৩

উহা স্থখ বা দুঃখের ন্যায় মনোভাবও নহে যে হাসি বা কান্নার স্যায় মুখাবয়বের বাহক বিকৃতির দ্বারা তাহা ইন্দিয়গ্রাহ হইবে। সাধারণত নারী এই অম্পট্টতাকে বোঝে না; নারীর মন বস্বিলাসী, ভাববিলাপী নছে__ তুমি মোরে পার না বুঝিতে? প্রশান্ত বিষাদভরে ছুটি আখি প্রশ্ন করে অর্থ মোর চাছিছে খুঁজিতে... নারী পুরুষের প্রেমের গভীরতা, ব্যাপকতা, বৈচিত্র, উজ্জলা বুঝিতে পারে না। তাই কবি তাহাকে বলিতে চাছেন, যদ্দি হইত শুধু মণি, পরাতেম গলায় তোমার ।' 'এ যদি হইত শুধু ফুল .. পরায়ে দিতেম কালো চুলে'। কিন্ত 'এ যে সখী সমস্ত হাদয়'। ইহাকে কে বুঝাইবে। “এ যদি হইত শুধু স্থখ-. বলিতে হত না কোনে! কথা “এ যদি হইত শুধু ছুখ,... প্রতাক্ষ দেখিতে পেতে অন্তরের ব্যথা" কিন্ত যে সধী হদয়ের প্রেষ, সৃথছুংখব্েদনার আদি-অস্থ নাহি যার, চিরদৈঘ__ চিব্বপূর্ণ হেম। নব নব ব্যাকুলতা জাগে দিবারাতে, তাই আমি না পারি বুঝাতে। প্রেম একটা 9000৫, ইহার রম অনুভব করা যায় কিন্ত অন্কে বুঝানো যায় নাঁ। নারী চায় ম্পষ্টতা। অস্পষ্টতা যাহার ধর্ম, তাহাকে স্পষ্টভাবে ইন্দিয়গ্রাহথ করিয়া পাওয়া যায় কেমন করিয়া? তাই নারীর এত ছুঃখ। কিন্ত কবির মনে বেশ একটি গভীর শাশ্থি নামিয়াছে এবং তাহাবই আলোকে জগৎকে দেখিয়া মনে হইতেছে সখ অতি সহজ সরল? 1১ রাজশাহীতে লোকেনের সহিত সাহি-্া ছন্দ দর্শন সন্বদ্ধে আলোচনা হয়, লঘুণ্তক সকল ভাবেরই কথা কাটাকাটি চলে। কবির চিত্তকে নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করিবার অসাধারণ শক্তি ছিল লোকেনের এই সব আলাপ-আলোচনার ঘাতপ্রতিঘাতে দুইটি কবিতা সেখানে রচিত হয়-_ ঝুলন (১৫ চৈত্র ১২৯৯) সমুদ্রের প্রতি (১৭ চৈত্র )। মানুষ দৈনন্দিন জীবন যাপন করিয়া নিজের ক্ষুদ্র প্রাণট্রকুকে অতি যত্বে পোষণ করিয়া থাকে_ এতকাল মামি রেখেছি ভারে যতনভরে শয়নপবে মেই অভান্ত জীবনকে-__ কত সোহাগ করেছি চূস্বন করি লয়নপাতে লেছের সাথে জীবনের সমস্ত অভাসকে, মতবাদকে, আচারকে, প্রথাকে-_ ঘা-কিছু মধুব দিয়েছিত তার ছুখানি হাতে স্েছের সাথে।

শখ ১৩ চৈত্র ১২৯৯। চিত্রা। রবীন্্র-রচনাবলী ৪, পূ ২২। এই কবিতাটি 'সোনার তরী'র যুগে রচিত। তারিখ দৃষ্টে মনে ছয় উদ! রাজশাহীতে বচিত। ১১ চৈত্র ১২৯৯ সালে 'ছুবোধা রচিত হয়। ১৫ চৈত্র লেখেন 'ঝুলন' | ১৭ চৈজ্র লিখিলেন 'সঙ্ত্রের প্রতি' |

গ্রভাতকুমার মুপোপাধ্যায়কে (বার-এট-ল) রবীন্রনাপ লেপেন (৬ চৈত্র ১৩৭২) “সোনার তরী যখন ছুই সংশ্থরণ বাহির হদ্1| গেল তখন আমার এক বন্ধু দেখাইয়। দিলেন 'শ্বখ' কবিতাটি বাদ পড়িয়াছে” (প্রবাসী, বৈশাখ ১৩৪৯ )। খা কবিতাটিকে সোনার তরীর বখাস্বাদে মংঘোজন কর! বাঞ্চনীয়। চিত্রার তয়ের সহিত মেলে না।

খ্বী্টা ১৮৯৩ উত্তরবঙ্গে : পদ্মায় ৩৬৪

কিন্ত কালে এমনি হয় যে, অভ্যাসে, আলম্টে, গতান্থগতিকের অন্বর্তনে প্রাণ আর জাগে না; নূতন ভাবনায়, নৃতন উৎসাহে প্রাণ সাড়া দেয় না, 'পরশ করিলে জাগে না সে আর? তখন প্রাণের অর্ধন্ৃত অবস্থা বা দেহের অর্ধজাগ্রত অবস্থা-_

ঘুমে জাগরণে মিশি একাকার নিশিদিবসে

বেদনাবিহীন অসাড় বিরাম

মরমে পশে আবেশবশে কিন্ত কবি-মন চায় এই না-মরিয়া বাচিয়াথাকার অবস্থা হইতে মুক্তি অসন্ভবকে বরণ করিয়া মহাসাগরের তুফানের মাঝে সে াঁপাইয়া পড়িতে চায় তখন লে বলে--

তাই ভেবেছি আজিকে খেলিতে হইবে

নৃতন খেলা

রাজিবেলা তখন সে 'মরণদোলায় ধরি রশিগাছি' কর্মমাগরে নািকা পড়ে তখন সে আপনাকে উপলব্ধি করে, জাগ্রত প্রাণকে দেখিতে পায়-- তাহার পরানবধূর স্পর্শ পায়-_ 'বধূরে আমার পেয়েছি আবার-__ ভরেছে কোল" তখন প্রাণেতে আমাতে মুখোমুখি' হইয়া নিজের বাকিত্ব জাগ্রত হয়। ইনি সেই 'মানসন্ন্দরী' ধার সম্বন্ধে কবি লিখিম়্াছেন, 4৪ মেয়েটি পয়মন্ত নয় তা স্বীকার করতে হয় আর যাই হোক, সৌভাগা নিয়ে আসেন না। হুখ দেন না বলতে পাবি নে, কিন্তু স্বম্ির সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। যাকে ব্রণ করেন তাকে নিবিড় আনন্দ দেন, কিন্তু এক-এক সময় কঠিন আলিঙ্গনে হৃংপিগুটি নিংড়ে রক্ত বের করে নেন।”১ 'ঝুলনে'র মধ্যে সেই গ্রচণ্ড আবেগ

“সমুছগের প্রতি এই পর্বের শেষ কবিতা; পুরীতে সমু দেখিয়া ঘে এই লেখার প্রেরণা তাহা তো কবি স্বয়ং বলিয়াছেন এই কবিতাটির মধ্যে ইংরেজী কোনো কবিতার ছায়া থাকিলেও তাহা এত দূরগত যে তাহাকে অনুকরণ বলিলে ভুল বলা হইবে এই কবিতার মধ্যে শুধু কাবাসৌন্দধ আছে বলিলে ঘথেষ্ট বলা হয় না; বু বৈজ্ঞানিক তত্ব কাব্যকলার সহিত গ্রথিত হইয়া ইহা অপরূপ হুইয়াছে। ইতিপূর্বে কোনো কবিতার মধো কাবা তত্ব শিল্প এমন অঙ্গাঙ্গীভাবে মিলিত হইয়া একটি অখণ্ড সৌন্দর্য স্ট্টি করিতে পারে নাই। তবে কবি ষে তত্বটি এইখানে বপিতে চাহিয়াছেন, তাহা পঞ্জের মধো ইতিপুবে ব্যক্ত করিয়াছিলেন, সে পক্জর ১৩১৪ সালের পূর্যে অবশ্থ ্রন্থমধো প্রকাশিত হয় নাই; লেইজন্য “সমুদ্রের প্রতি” সাধনায় ( বৈশাখ ১৩০* ) যখন প্রকাশিত হইয়াছিল তখন পর্স্ত ইহার অস্তনিহিত ভাবনাগুলি বাংলা সাহিত্যে সম্পূর্ণ নূতন ছিল।

বিগত অগ্রহায়ণ মাসে (১২৯৯) কবি শিপাইদছে পল্মার বোটে ছিলেন; সেই সময়ে একদিন তাহার পত্রে লিখিয়া- ছিলেন, “এই পৃথিবীটি আমার অনেক দিনকার এবং অনেক জন্মকার ভালোবাসার লোকের মতো আমার কাছে চিরকাল নতুন; আমাদের ছুজনকার মধ্যে একটা খুব গভীর এবং হদুবব্যাপী চেনাশোনা আছে আমি বেশ মনে করতে পারি বন্ধ যুগ পূর্বে যখন তরুণী পৃথিবী সমৃদ্ক্ান থেকে সবে মাথা তুলে উঠে তখনকার নবীন সুর্যকে বন্দনা করছেন, তখন আমি এই পৃথিবীর নূতন মাটিতে কোথা! থেকে এক প্রথম জীবনোচ্ছাসে গাছ হয়ে পল্লবিত হয়ে উঠেছিলুম। তখন পৃথিবীতে জীবজন্ধ কিছুই ছিল না, বৃহৎ সমুদ্র দিনবাতি ছুলছে, এবং অবোধ মাতার মতো আপনার নবজজাত ক্ষ ভূমিকে মাঝে মাঝে উন্মন্ত আলিঙ্গনে একেবাবে আবৃত করে ফেলছে। তখন আমি এই পৃথিবীতে আমার সমস্ত সর্বাঙ্গ দিয়ে প্রথম স্থর্ালোক পান করেছিলুম, নবশিশুর মতো একট] অন্কজীবনের পুলকে

ছিন্পপত্রাবলী। পত্র »৯। শিলাইদহ মে ১৮৯৩। ৪৭

৩৭৯ ববীজুজীবনী খ্রষ্টা্ধ ১৮৯৩

নীলাম্বরতলে আন্দোলিত হয়ে উঠেছিলুম, এই আমার মাটির মাতাকে আমার সমস্ত শিকড়গুলি দিয়ে জড়িয়ে এর স্তন্করস পান করেছিলুম। একট? মুঢ় আনন্দে আমার ফুল ফুটত এবং নবপল্পব উদ্গত হত।... তার পরেও নব নব যুগে এই পৃথিবীর মাটিতে আমি জন্মেছি। আমরা ছুঞ্জনে একলা মুখোমুখি করে বললেই আমাদের সেই বনকালের পরিচয় যেন অল্পে অল্পে মনে পড়ে ।”১

বিজ্ঞানের অভিব্যক্তিবাদকে কবিকে সর্ধপ্রাণবাদের তত্বে পরিণত করিতে দেখিতেছি। ইহাই কালে গভীর আধাত্মিক সবেশ্বরবাদে তাহাকে উপনীত করিয়াছিল।

শিলাইদহ হইতে ফিরিয়া “সমুদ্রের প্রতি কবিতাটি ইন্দিরা দেবীকে আগ্রায় পাঠাইয়া যে পত্রথানি লেখেনং তাহাতেও সমুদ্রের কথা আছে। “এই পৃথিবীর সঙ্গে সমুদ্রের সঙ্গে আমাদের যে-একটা বনুকালের গভীর আত্মীয়তা আছে, নির্জন প্ররুতির সঙ্গে মুখোমুখি করে অস্তরের মধ্যে অনুভব না করলে সে কি কিছুতেই বোঝানো যায় পৃথিবীতে যখন মাটি ছিল না, সমুদ্র একেবারে একল! ছিল, আমার আজঞ্কেকার এই চঞ্চল হৃদয় তখনকার সেই জনশূন্য জলরাশির মধ্যে অব্যক্তভাবে তরঙ্গিত হতে থাকত ; সমুদ্রের দিকে চেয়ে তার একতান কলধ্বনি শুনলে তা যেন বোঝা যায়।”*

আমরা পূর্ধে বলিয়াছি উড়িস্বা হইতে কলিকাতায় ফিরিয়া রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহ হইয়া রাজশাহী গিয়াছিলেন। সেখান হইতে ব্ধশেষের কয়েকদিন পৃবেই কলিকাতায় প্রত্যাবর্তন করিলেন। বৈশাখ (১৩৯০) ইন্দিরা দেবীকে আগ্রায় পত্র প্িখিয়া 'সমুদের প্রতি" কবিতাটি ( প্রিখিত ১৭ চৈত্র ১২৯৯ ) পাঠাইয়াছেন।*

কলিকাতায় থাকিলে বন্ধুমহলে যান-আসেন। মোহিনীমোহন চট্টোপাধ্যায়, প্রিয়নাথ সেন প্রভৃতির সহিত সাক্ষাৎ হয়। মনম্বী লোক বা ইনটেলেকচুয়ালদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করিবার জন্য মন অন্রক্ষণ তৃষিত থাকে দুঃখ করিয়া এক পত্রে লিখিতেছেন, “এই হতভাগা জনশূন্য দেশে মনটা যেন নিশিরিন উপবাসা হয়ে আছে-_ কেবল তিতর থেকে আপনাকে আপনি আহার করছে কে বা জীবন ধারণ কবে, কে বা ভাবে, কে বা কথা কয়-- কেই বা প্রতিবাদ করে, কেই বা উৎসাহ দেয়, কেই বা তোমার কথা শোনে, কেই বা তোমার ভাব বোঝে-- কেই বা অন্তরের মধ্যে তলিয়ে দেখতে চেষ্টা করে 1”«

রবীজ্মনাথের জীবনে অধিকাংশ সময় কাটিয়াছে কলিকাতার বাইরে দেশে-বিদেশে ; তাই কবি সেই সব পূর্ব স্বৃতি। মেখানকার অতীত জীবনের কথ! কয়েক মাস পরে শিলাইদহে ফিরিয়া গিয়া ইন্দিএ দেবীকে লিখিতেছেন-- অবশ্য অন্য পটভূমি লিউইসের লিখিত ([,2%15 )* গেটের জীবনী পড়িতে গিয়া লিখিতেছেন, “গেটে যদি এক হিসাবে

জিন্রপত্রাবলী | পত্র ৭৪1 শিলাইদহ ডিসেম্বর ১৮৯২ | বিচিত্র প্রবন্ধ (১৩১৪ )গ্রস্থে পুনলিপিতভাবে ইহা পাওয়া যায়।

সতেম্রন।খ ঠাকুর ফালে। লইয়। সিষলা পাহাড়ে আফ্েন

ছিন্পপত্রাবলী | পত্র »১। কলিকাতা ১৬ গপ্রল ১৮৯৩

১৩** সালর নৈশাখ রবীন্্রনাখর 'গানের বহি প্রকাশিত হয়। পুস্তকের বিজঞোপনে লিশিত হইয়ছিল, “রবিজ্ঞায়। | বৈশাখ ১২৯২ ]..7 গ্রন্থ নি:শেষ হইয়া গিয়াছে | এবং ইতিমধ্যে অনেকগুলি গান নৃতন রচিত হইয়াছে এই কারণে নুতন পুরাতন সঙ্গ গান লয় বমান গ্রন্থপানি প্রক।শ করিলাম? ইহার সহিত বাল্পীকি-প্রঠিগ! গীতিনাটয সন্গিষেশিত হয়। গ্স্থটি পকেট-বই আকারে মুজ্রিত, তিনটি ভাগে বিওক--গানের বছি, বালী কি- প্রতিভ। ব্রক্ষদঙ্গীত | যায়ার খেলার গানগুলি আছে গানরুপে, নাটকরুপে নে ১২৯৯ সালের শেষ পর্ধস্থ রবীশ্রাসংগীতের সংখ্যা! ছিল ৩৭২টি মাত্র এই প্রস্থটিতে তারিখ আছে বৈশাখ ১৮:৫ শক (১৩০), এদিন ষ্াচার বউঠাকুরানীর মৃড্ভার দশম বংসরারগ্ত | এই “গানের বঞিতে তিনি ঠাহার জ্যোতিদাদার বছ সহায়তা পাইয়[ছিংলন।

ছিররপত্রাবলী পত্র »* | কলকাতা এপ্রিল ১৮৯৩ | ২৫ চেগ্র ২৯৯ ]।

৬.:16515, 14611912555 €(1817776 ) 7 146 ০৫ 57৮75 ০1 3০৮0৫ (1955 ) 11৬৩ 9101) 2২015511519 ১0717 01955 | 96018681100] (007 1851 09015667001 15 1118 55 09581749174 %106 10900 168] 00134,

ধষ্টা ১৮৯৩ উত্তরবক্ধে : পদ্মায় ৩৭১

খুব নি্লিধ গ্রকৃতির লোক ছিল, তবু লে মানুষের সংশ্রব পেত, মানুষের মধ্যে মগ্ন ছিল। সে যে রাজসভায় থাকত সেখানে সাহিত্যের জীবন্ত আদর ছিল... | আমর! হতভাগ্য বাঙালি লেখকেরা মানুষের ভিতরকার সেই প্রাণের অতাব একান্ত মনে অনুতব করি... | আমাদের মতে! লোকের পক্ষে একজন বথার্থ খাটি ভাবুকের প্রাণসঞ্চারক সঙ্গ যে কত অত্যাবশ্তক তা আর কী করে বোঝাব!”ঠ তাহার চিত্তকে উদ্বুদ্ধ করিতে পারে শ্রেণীর নরনারীর অভাব তাহার জীবনে কোনোদিনই হয় নাই

অতীত জীবনেব স্বতি মনকে বিষাদে মধুর করিয়া তৃলিতেছে। তিনি ইন্দিরা দ্বেবীকে (২) সিমলায় লিখিতেছেন : “কাল... রাত্তির দশটা পর্ধস্ত ছাতে... একলা পড়ে পড়ে আমার সমস্ত ঈীবনের কথা ভাবছিলুম এই তেতালার ছাত, এই রকম জ্যোতন্বা, এই রকম দক্ষিণের বাতাস জীবনের স্মতিতে কত রকমে মিশ্রিত হয়ে আছে ।... পুরোনো স্মৃতিগুলো মদের মতো ঘত বেশিদিন মনের মধ্যে সঞ্চিত হয়ে থাকে, ততই তার বর্ণ এবং স্বাদ এবং নেশা ষেন মধুর হয়ে আসে ।... বুড়ো বয়সে ঘখন স্বভাবতই আমরা কাজে অক্ষম, শরীবের যৌবনের অতিরিক্ত তেজ আমাদের কোনো রকম তাড়না করছে না, তখন স্বতি বোধ হয় আমাদের পক্ষে যথেষ্ট ।”ৎ আজ দশবৎসর পূর্বের স্তি জাগিতেছে।

শোনা যায় স্থলের মানুষ সমুক্রের নাবিক হইলে, স্থলের কাজে আর তাহার মন বসে না। জলের আহ্বান কঠিন মৃত্তিকার দু আকর্ষণকে শিখিল করিয়া দেয়, জলের ভাকে তাহার “ঘরে থাকাই দায়” রবীন্দ্রনাথকে পদ্মা বারে বাবে ডাকে | উপবি-উদ্ধৃত পত্রটি লিখিবার পরদিনই ১৩** সালের বৈশাখের দাকণ গ্রীক্মে কলিকাতার খস্থস্‌ টানা পাখার মায়া কাটাইয়! কালবৈশাখীর ঝড়ঝঞ্ধার আশঙ্কা থাক! সত্বেও বোটে গিয়া বাস করিতেছেন বৈশাখ মাসে একখানি পত্রে লিখিতেছেন, "এখন আমি বোটে এই যেন আমার নিজের বাড়ি। এখানে আমিই একমাত্র কর্তা ।... বাস্তবিক, পল্সাকে আমি বড় ভালোবাপি। ইন্দ্রের যেমন এরাবভ আমার তেমনি পল্মা-_ আমার যথার্থ বাহন-- খুব বেশি পোষ-মানা নয়, কিছু বুনোরকম-_ কিন্তু". ওকে আমার আদর করতে ইচ্ছে করে।... আমি যখন শিলাইদহে বোটে থাকি, তখন পদ্মা আমার পক্ষে সত্যিকার একটি স্বতন্ত্র মানুষের মতো ।”* |

এই নদীর শম্বোত, আকাশের নীল শ্তন্ধতা কবি-জীবনের আনন্দের, উপভোগের অন্ততম গ্রধান সহায়। তিনি লিখিতেছেন, “আমি বিকেলে,."" চব্পের. উপর নদীর ধারে ঘণ্টাখানেক বেড়াই, তার পর আমাদের নতুন জলিবোটটাকে নদীর মধো টেনে নিযে গিয়ে তার উপরে বিছানাটি পেতে ঠাণ্ডা হাওয়ায় সন্ধ্যার অন্ধকারে চিৎ হয়ে চুপচাপ পড়ে থাকি |... আমি প্রায় রোজই মনে করি, এই তারামঘ্ধ আকাশের নীচে আবার কি কখনো জন্মগ্রহণ কবব 1৪ |

পল্পা সন্দ্ধে বহুবার বহুভাবে কবি তাহার ভাবরাশি প্রকাশ করিয়াছেন। পক্সা বা সাধারণভাবে বাংলার নধী সাহিত্যসাধনায় রবীন্্রনাথকে কতখানি সাহাধ্য করিয়াছে তাহা বিশেষভাবে আলোচনার বিষয়

জড়প্রক্কতির প্রতি কবি রবীন্দ্রনাথের যেমন আকর্ষণ, মৃঢ় প্রজাদের প্রতি মানুষ ববীন্জনাথের মায়া কিছু কম নম্ব। গত কয়েক বৎসর প্ররুতির মধ্যে বিচরণ "৪ মানুষের মধ্যে ঘোরাঘুরি করিয়া! জীবনের নানাদিক খুলিয়া! গিয়াছে তিনি পিখিতেছেন, “আমার এই দরিঙছগ চাষী প্রজাগুলোকে দেখলে আমার ভারী মায়া করে__ এরা যেন

ছিন্নপত্রালী | পত্র ১৪৩। শিলাইদহ ১২ জগস্ট ১৮৯৪। ছিরপত্রাবলী। পত্র»২। কলিকাতা ৩* এপ্রিল ১৮৯৩. ছিয়পত্রাফলী। পত্র »৩। শিলাইদছ | মে ১৮৯৩। ছিপ্লপত্রাবলী | পত্র ৯৮। শিলাইদহ ১৬ দে ১৮৯৩।

৩৭২ ববীজ্জজীবনী খ্রী্টা ১৮৯৩

বিধাতার শিশুসস্তানের মতে! নিকপায়-- তিনি এদের মুখে নিজের হাতে কিছু তুলে না দিলে এদের আর গতি নেই ।”১

এই-সব লোকদের মহত্ব হীনতা, পৌকুষ ছুর্বলতা, এশ্বর্য অভাব প্রভৃতি গভীরভাবে লক্ষা করিবার অবসর পাইয়াছেন | চাষী-জীবনেব চিরস্থায়ী দারিদ্রাসমন্তাব জন্য দায়ী কে, সে প্রশ্ন উত্থাপন করিতে সাহস পাইতেছেন না; সোশ্িয়ালিস্টদের মনে পৃথিবীময় ধনব্ণ্টন সম্বন্ধে যে-সব বিতর্ক ওঠে, সংসার-জীবনে তাহা সম্ভব কি লা তদ্বিষয়ে কবির সন্দেহ হয়। অসম ধনবণ্টননীতিকে সমর্থন না করিয়াও থাকিতে পাবেন না। তিনি পূর্বোল্লিখিত পত্রের শেষে লিখিতেছেন, “বিধাতা আমাদের এমনি একটি ক্ষুছু জীর্ণ দীন বস্ত্রখণ্ড দিয়েছেন, পৃথিবীর এক দিক ঢাকতে গিয়ে আর-এক দিক বেরিয়ে পড়ে--- দারিদ্র দুর করতে গেলে ধন চলে ধায় এবং ধন গেলে সমাজের কত-যে শ্রী সৌন্দর্য উন্নতির কারণ চলে যায় তার আর সীমা নেই ।” স্থৃতরাং ধনবিভাগ সম্বন্ধে কবি ছু-মনা পরবর্তীযুগে এই মতের পরিবর্তন হইয়াছিল- 'রাশিয়ার চিঠি' পাঠ করিলেই তাহা বুঝা যায়? নিকেতনের বাধিক উৎসবের ভাষণগুলিও সেই সঙ্গে আলোচা। যাহাই হউক, এই শ্রেণীর মতামত চিরদিন কবি সাহিত্যিকদের আন্তরিক শুভ-ইচ্ছার স্তরেই থাকিয়া! যায়, জীবনের বারহারিক অনুষ্ঠানে তাহারা মুক্তিলাভ করিতে পারে না। রবীন্দ্রনাথ কবি আর্টিস্ট, তাই তিনি ধনাভিজাতোর দুর্বলতা আর্টের খাতিরে কখনো ত্যাগ করিতে পারেন নাই অভ্যামের সহিত আদর্শের চির-বিচ্ছেদকে ঘুচাইতে পারেন নাই। তবুও তিনি যে ত্যাগ করিয়াছিলেন তাহা তাহার সমশ্রেণীর কোনো জমিদার বা সাঞ্িতিাকের পক্ষে সম্ভব হয় নাই ।২

বাংলার চাষী রায়তের সহিত ঘনিষ্ঠভাবে মিশিবার সুযোগ পাইয়া আজ তাহাদের কিসে হুখ কোথায় দুঃখ ভাহা বৃঝিতে পারিতেছেন। ইন্দিরা দেবীকে পূর্বোক্ত পচে বলিতেছেন, “এখানে এই মেঘ-রৌজের যালয়া-আসা ব্যাপারটা যে কতটা] খুরুতর-_ দিযলার* সেই অভ্রভেদী পর্বতশৃঙ্গে বসে তা ঠিকটি কল্পনা করা শক হবে।” প্রজাদের মঙ্গলের জন্য রবীন্দ্রনাথ যখন যথেষ্ট ভাবেন, পরুধুগে "তাহাদের কলাণের জন্য যে-সব অনগ্ঠান প্রতিষ্ঠান করেন তাহার কথা যথাস্থানে আলোচনা করিব প্রজাদের উপর অত্যাচার করিলে তিনি কাহাকেও ক্ষমা করিতেন না, উৎ্পীড়ক প্রাচীনতম কর্মচারী হইলেও নহে এজন্য সাধারণ প্রজা বিশেষভাবে মুসলমান প্রজারা ডাহার বিশেষ অনুগত ছিল। এক-এক সময়ে ষ্টাহার কাছে এক-একটি সবরুল ভব বুদ্ধ গ্রজা আমিত, ঘানার অকরুরিম তক্তি ঘুবক-কবিকে মুগ্ধ করিত ।ধ* কিছ্ধ যখন সম্বচ্ধটা কাব্যশপোক হইতে বস্লাকে দেনাপাওনার মাধা আসিয়া পড়িগ তখন কবিও কল্পলোকের অলীকতা হইতে নামিয়া সাধারণ যাহষের হ্ায়ই বাবার করিতেন। কারণ কেবল লেখনী চালনা করিলে জমিদারি পরিচালনা করা চলে না। এবং সংসার অচল হইয়া যায় ১. ছিন্রপত্রাবলী পর ৭৫ শিলাইদহ | ১* মে ১৮৯৪ রবীন্ীনাণের এচ্ছা ছিল তার পুত্র ঠার কমস্থলে বাস স্টার কর্মধারা অনুসরণ করবেন ঠা ঘটে উঠল কই? নোবেল প্রাইজ পাবার পর নব এলটউ-পালট হয়ে ঘাত। এমনকি জধিদারীর দদর কার্যালয় পর্ধগু শ্বানানরিত হয় শাঞ্টিনিকেতনে রবীঙ্ানাধের জমিদারি-আদরের প্রথম কধ। ছিল জমিদার কোনোদিন তম্ুপন্থিত উপস্বত্থতোগী হবেন না, প্রজাদের ছেড়ে দেখেন ন) আমলাদের হাতে শেষ পর্যন্ত আমলাতাস্রট জয় হল। ৪. অন্রদাশগার রায়, রবীকনাধ (১৯৬২), পৃ ১১ “রাশিয়! বেড়াতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন তিনি-যে জঙগিদায় এর জন্ে তান লক্দিত। টলস্টর় যেমন দ্বীর উপর, রবীন্ররনাথ তেমন পুত্রের উপরে জমিদারি চালানোর তার স্কত্ত করে হাত ধুয়ে ফেলেছিলেন কিহ অমিয় চত্রবরী বখন ঠায় কাছে শিবেদন করেন যে যাবার আগে তিনি হেন তার জমিদারি নেশনকে দান করে দিয়ে যান তখন তিনি নারাজ হছন। পুঞ্রকে ডিনি বঞ্চিত করযেন না।

“কয়েক বছর পরে বঞ্চেত করল ইতিহাস ।” গ্রীষ্মকালে ক্স লইয়। মতোন্ছনাথ সপরিবার দিমল পাহাড়ে আছেন ছিন্্পত্রাবলী 1 পত্র »৬1 শিলাইদহ! ১১ মে ১৮৯৩।

খ্রীষ্টান ১৮৯৩ পাধনার দ্বিতীয় পৰ ৩৭৩

কিন্তু হায় পল্সার শোভা, ধনবণ্টন, প্রজার জন্ব দরদ বই ছাপানোর কাগজের দাম বাবদ জন্‌ ভিকিসনদের আপিস হইতে টাকার তাগিদ আলিয়াছে। ব্যক্তিগত ব্যয়ের জন্য মাসহারা আড়াই শত টাক] ছাড়! আর-কোনে। আয়ের পথ রবীন্দ্রনাথের নাই অতিরিক্ত কোনো! ব্যয় করিতে হইলে পিতার কাছে হাত পাতিতে হয় অথব! অন্বের নিকট কঞ্জ করিতে হয়, এবং মাসহারার টাকা হইতে শোধ করিতে হয়। বই কিনিতেন; পড়! হইয়া গেলে সেকেগু-হ্যানভ দোকানে বিক্রয় করিয়া দিতেন।

সাধনার দ্বিতীয় পর্ব

উড়িস্তাতেই যান আর রাজশাহীতে যান বা কলিকাতাতে থাকুন অথবা পদ্মার উপর বোটের মধো বাস করুন-_ 'সাধনা'র জন্ত নিত্যনৈমিত্তিক লেখা যথানিয়ম সরবরাহ করিতে হইতেছে ; সে যেন বাহুর প্রেমের আলিঙ্গন স্বতরাং তাহার চাহিদা পূরণের জন্থ লেখনী সদাই ব্স্ত। সাধনার দ্বিতীয় বর্ধ শুরু হইলে রবীন্দ্রনাথ নৃতন ধরনে এক 'ডায়ারি' পিখিতে আরস্ত করেন। “পাঠকের! যি ডায়ারি শুনিয়া মনে করেন ইহার মধ্যে লেখকের অনেক আত্মকথা আছে, তবে তাহারা ভুল বুঝিবেন।”১ লেখক বপিতেছেন, “শাস্ত্রমতে পঞ্চভূতের সমটিই জগৎ। মানুষও তাই। গ্রত্যক মানুষই প্রায় পাচটা মানুষ মিলিয়া। ভিতবেও পাচটা, বাহিরেও পাচটা |... কোনো মানুষ আপনাতে আপনি সম্পূর্ণ নহে... কিন্তু পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করিলে প্রত্যেক মাহষের সঙ্গে গুটিকতক বিশেষ মানুষ বিশেষরূপে সংলগ্ন হইয়া একটি বিশেষ এঁক্য নির্মান করে। তাহার অসংখ্য আলাপী আত্মীয়দের মধ্যে সেই কয়েকটি লোকই যেন তাহার সীমানা নির্দেশ করিয়া দেয়।... রচনার সুবিধার জন্ত তাহাদের মধ্য হইতে কেবল পাচজ্জনকে লওয়া যাক। এবং তাহাদের পঞ্চভৃত নাম দেওয়া যাক। ক্ষিতি, অপ., তেজ, মরুৎ, ব্যোম 1”

এই ভূমিকা করিয়া লেখক “পঞ্চভৃতে'র কথোপকথন শুরু করিয়াছেন, সঙ্গে অবশ্য 'আমি'ও আছেন, স্থৃতরাং বলা যাইতে পারে ছয়টি ব্যক্তির কথোপকথন সাধনার ১২৯৯ সালের মাঘ হইতে ১৩*২ সালের ভাদ্র পর্ধস্ত প্রথম দিকে নিয়মিত পরে অনিয়মিত ভাবে ধোলোটি গ্রবন্ধ প্রকাশিত হয়।* মাঝে বৎসর-অধিক এই প্রবন্ধধারা বন্ধ ছিপ। পার্দটাকায় প্রদ তালিকা হইতে দেখা যাইতেছে যে, প্রথম আটটি প্রবন্ধ সাধনার দ্বিতীয় বর্ষে শেষ আটটি সাধনার চতুর্থ বর্ষে প্রকাশিত হয়, মাঝে এক বৎসর প্রবন্ধ নাই।

পঞ্চভৃতের ডায়ারি রচনার প্রেরণা কী? ঠাকুরবাড়িতে চিবদিন সাহিত্যিকদের মজলিস বসিত, তাহা আমবা দেখিয়াছি এই ধার] বরাবর চলিয়া! আসিয়াছিল; সত্যেন্ত্রনাথের বাড়িতে একটি সাহিতাচক্র প্রায়ই বমিত। পারিবারিক স্তিলিপি' নামে একখানি হাতেলেখা খাতা হইতে আমর! জানিতে পারি যে, বাড়ির লোকেরা বাড়ির বন্ধুরা থাতায় নান] বিষয় সম্বন্ধে নিজ নিজ মনের ভাব লিপিবদ্ধ করিয়] রাখিতেন। দ্বিজেন্দ্রনাথ, সতোন্্রনাথ, জ্যোতিরিন্্নাথ, ববীন্দ্রনাথ, হিতেত্ত্রনাথ, বলেন্দ্রনাথ, লোকেন পালিত, প্রমথ চৌধুরী, যোগেশ চৌধুরী প্রভৃতির বিচিত্র মন্তব্য উহাতে আছে। কোনো কোনো স্থলে একট৷ বিষয় লইয়া পাচজনের মত আছে। সাহিত্য-বিষয়ক কয়েকটি রচনা এবং পঞ্চভৃতের কয়েকটি প্রবন্ধের খসড়া এখানে খু'জিলে পাওয়া যায়। সাধনা, মাঘ ১২৯৯। সাধনায় পঞ্চকৃতের প্রবন্ধ পঞ্চচ্ত গ্রন্থমধো 'সাধনা'য় গ্রকাশনের ভ্রম অনুসৃত হয় দাই। পঞ্চডৃতের ভাক্লারি যা পঞ্চভৃত ১৩*৪ সালের বৈশাখ মাসে (১৮৯৭) পুস্তকাকায়ে মুঞ্িত হয়। যইথানি উৎসর্গ করেন নাটোরের জমিদার মহারাজ প্রীজগদিজরনাথ রায় যাহাছুর অহনধয- কর়কমলেধৃ অতঃপর ১৩১৪ বৈশাখ গন্গ্রস্থাবলীর প্রথম খণ্ড 'বিচিত্র প্রবন্ধ -এয় মধো পঞ্চতৃত স্থান লা কয়ে। কিন্ত স্থানে স্থানে পরিবজিত

৩৭৪ রবীন্দ্রজীবনী খ্ীষ্টাবঝ ১৮৯৩

পঞ্চভূত কে কে, তাহা লইয়া অল্লন্থক্প গবেষণ] হুইয়াছে। রাজশাহীর রায় শরৎকুষার রায় লিখিয়াছেন, “অক্ষয় বাবুর ( মৈত্রেয় ) মুখে শুনিয়াছি, তিনি এবং নাটোরের মহারাজ ( জগদিশ্রনাথ রায়) নাকি রবিবাবুর 'পঞ্চভৃতের ভায়ারি'র ছুইটি ভূত ছিলেন।”১ সম্বন্ধে আমাদের অন্যরকম শোনা আছে।

'পঞ্চভূতের ডায়ারি'র সঙ্গে সঙ্ষে চলিতেছে ছোটগল্প, প্রবন্ধ প্রসঙ্গকথা--_ সাধনার নিত্যনৈমিত্তিক খোরাক কবিতা। প্রথম বৎসরে বারোটি, এবার সাধনার দ্বিতীয় বর্ষে ( ১৮৯৩). এগারোটি ছোটগল্প প্রকাশিত হয়। এই পর্বের গল্পগুলি বাঙালি পাঠকের নিকট খুবই পরিচিত

সাধনার প্রথম বৎসরে 'ঘুরোপ-যাত্রীর ভায়ারি" ধারাবাহিক প্রকাশিত হয়। সাধনার দ্বিতীয় বংসরে আর-একটি 'ভায়ারি' আরম্ত হইল তৃতীয় মাস হইতে__ মাঘ ১২৯৯ সাল। যুগপত বিচিত্র রচনা__ গল্প, কবিতা, গপ্ধপ্রবন্ধাদি চলিল। এই-লব রচনার মধ্যে একটি গ্রন্থের সমালোচনা সম্বন্ধে আমরা বিশেষভাবে আলোচনা করিব-__ সমালোচিত গ্রন্থের বৈশিষ্ট্যহেতু। গ্রস্থটি ব্রলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় রচিত “কঙ্কাবতী'। সাধনার ১২৯৯ সালের ফাল্গুন মাসে কবির সমালোচনা প্রকাশিত হয়। প্রায় পয়ফট্র বৎসর পরে “কক্কাবতী" নৃতন সংস্করণ (মিত্র ঘোষ ) প্রকাশনকালে অধ্যাপক শ্রীবিজনবিহারী ভট্টাচার্য এই বিশ্বত রচনাটি উদ্ধার করিয়া গ্স্থমখে ভূমিকারূপে সংযোজন কৰিয়াছেন।

পরিবধিত হুইয়াছিল। ১৩১৪ হইতে ১৩৪২ সাল পর্যন্ত ইহার পৃথক গ্রস্থসত্তা ছিল না ১৩৪২ সালে রবীন্্রনাথ পুনরায় গ্রস্থখানি ভালো করিস! দেখিয়া দেন : সেই সময়ে 'সাধনা' হইতে প্রায় সবই এই নবতর সংস্করণে বখাবখস্থানে যোজিত হয়। ছাড় কোনে! কোনে! অংশ এই সময়ে নৃতন করিয়া লিখিয়া দেন। অত্র, রীহধীরচন্র কর, কবিকখা। | 'সাধনা' 'রবীন্দ্র-রচনাবলী'তে প্রকাশিত পঞ্চকৃতে'র প্রবন্ধগুলির প্রকাশকপ এইয়প :

সাধন।। দ্বিতীয় বর্-মাঘ ১২৯৯ ডায়ারি। পরিচয় রবীন্্-রচনাবলী ২, পূ ৫৪১। কান্তধন পঞ্চভূতের ভায়ারি গণ্ভ পদ্য ২, পৃ ৫৯৫ তত্র ডায়ারি। নরনারী রর ২, পৃঃ৫৮। বৈশাখ ১৩৭ ডায়ারি। মনু ২, পৃ 8৭৫ | জ্যেষ্ঠ র্‌ ডায়ারি। মন ২, পৃ ৫৮৪। শ্রা ., পঞ্চতৌ তিক ভায়ারি। অখওত। প৫৮৮। ভাদ্র » পদ্বভোতিক ডায়ারি সৌন্দর্যের সন্ন্ধ রর ২, পর ৫৪৯।

আশ্বি-কাতিক ,, ডায়ারি। পল্লিগ্রাষে টা পৃ হ৬৮।

সাধনা তৃতীয় বর্ষ অগ্রহায়ণ ১৩* কাব্যের তাংপধ ই, পৃ৬৩। পৌষ », কৌতুকহান্ ১. ২, পৃ৬১৫।

মাধ সৌন্দর্য সন্বদ্ধে সম্তোধ রর ২, পৃ ৬২৬।

ফান্ধন * কৌতুকহান্কের দাত্রা রা প৬২।

চৈত্র সরলত!। প্রাপ্তলতা ২, পৃ ৯১০

সাধনা চতুর্থ বর্ষ-_ শ্রাবণ ১৩*২ ভদ্রতার আদশ ২. প৬১২। ভাত » বৈজ্ঞানিক কৌতুহল ২, পু ৯৪০।

অপূর্ব রামারণ ২, পু ৬৩৬।

শরংকুমার রায় (দয়ারামপুর ) এম.এ., রবীন্শ্থৃতি। রাজশাহী সাধারণ পুস্তকালয় কতৃক অনুতিত রবীন্রীজ্তী সার সভাপতি-কৃক পঠিত। রাজশাহী, মাধ ১৩৩৮ সাল।

কাবুলিওয়ালা, অগ্রহায়ণ ১২৯৯ | ছুটি, পৌঁৰ ১২৯৯ | নৃতা, মাধ ১২৯৯। মহাসায়া, ফান্তুন ১২৯৯। দানপ্রতিদান, চৈত্র ১২৯৯ --- এগুলি রবীঞ্জ- রচনাবলী সপ্ুদশ খণ্ডের অন্তর্গত সম্পাদক, বৈশাখ ১৩** : মধ্যন্তিনী, জো্ঠ ১৩০, অসস্তব কথা, আবাড় ১৩,*। শাস্ষি, প্রাণ ১৩**। একটি সুজ পুরাতন গল্প, ভাত্র ১৩**। সমাপ্সি, আশ্বিন-কাতিক ১৩** | এগুলি রবীন্র-রচনাষলী অষ্টাদশ ধঙডের অন্তর্গত

গ্রী্টাব্দ ১৮৯৩ সাধনার দ্বিতীয় পর্ব ৩৭৫

কন্কাবতী? শ্রেলোকানাথের প্রথম বাংল! সাহিত্যগ্রশ্থ। ইহার পূর্বে তিনি যে পাচখানি গ্রন্থ লিখিয়াছিলেন সবকয়টিই ইংরেজিতে লেখা-_ শিল্প, কলা, ভ্রমণ-বিষয়ক | কস্কাবতীর বৈশিষ্ট্য রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টি এড়াইতে পারে নাই। তিনি লিখিলেন, “লেখাটি পাক এবং পরিষ্কার। লেখক অতি সহজে সরল ভাবায় আমাদের কৌতুক এবং করুণা উদ্রেক করিয়াছেন এবং বিনা আড়ম্বরে আপনার কল্পনাশক্তির পরিচয় দিয়াছেন।” রবীন্দ্রনাথ গল্পটি বিশ্লেষণ করিয়া প্িখিলেন, “এই উপন্তাসটি পড়িতে পড়িতে “আলিস ইন্‌ দি ওয়াগডারল্যান্ড” নামক একটি ইংরাজি গ্রন্থ মনে পড়ে। সে-৪ এইরূপ অসম্ভব, অবাস্তব কৌতুকজনক বালিকার ্বপ্র। কিন্তু তাহাতে বাস্তবের সহিত অবান্তবের একূপ নিকট-সংঘর্ধ নাই, এবং তাহা যথার্থ স্বপ্নের স্তায় অসংলগ্ন পরিবর্তনশীল অত্যন্ত আমোদজনক ।”১

এই সমালোচনা প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ বালক-বাপিকাদের মনোরঞ্চক গ্রন্থের অভাবের কথ! আলোচনা করিয়। বলিতেছেন, “আমরা ছেলেকে ছেলেমান্ুষ হইতে দিতে চাহি না, অতএব আমরা ছেলেমানুধী বই পছন্দই বা কেন করিব, রচনার তো! কথাই নাই শিশুপাঠ্য গ্রন্থে আমর! কেবল গলা গম্ভীর বদনমণ্ডল বিকটাকার করিয়! নীতি উপদেশ দিই 1” যুরোীদের বৈশিষ্ট্যের কথা তুলিয়! তিনি লিখিয়াছিলেন, “তাহার অনায়াসে ছেলে হইয়া ছেলেদের মনোহরণ করিতে পাবে এবং সে কার্ধটা তাহারা অনাবশ্ঠক অযোগা মনে করে না।” অতঃপর চার্লস ল্যা্ের হাশ্টরসপূর্ণ প্রবন্ধের কথা তুলিয়া বলিলেন, “সেব্প প্রবন্ধ বাঙ্গলায় বাহির হইলে, লেখকের প্রতি পাঠকদের নিতান্ত অবজ্ঞার উদয় হইত।” এই প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ 'লঘু' সাহিত্য বা আজকাল যাহাকে “রমা-রচন1” বল! হয়, তজ্জাতীয় রচনার প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে বলেন।

১৩** সালের দারুণ গ্রীষ্মে বৈশাখ মাসট। শিলাইদূহে কাটাইয়া জোষ্ঠের গোড়ায় কলিকাতায় ফিবিয়! যান-__ স্বী-পরিবার সেখানেই ; কিন্তু পুনরায় বর্ধারস্তে আষাঢ় মাসে তাহাকে পদ্মার উপর নৌকায় দেখা যাইতেছে

রাজশাহীতে থাকার সময় 'ঝুলন' “সমুদ্রের প্রতি কবিতা ছুইটি লিখিবার পর প্রায় তিন মাস গত হইয়াছে-_ কাবা-লক্ষ্মীর সহিত সাক্ষাৎ নাই। এবার আঘাঢ মাসে পাচটি২ কবিতা লিখিলেন, এক পত্রে বলিতেছেন, “আজকাল কবিতা লেখাট। আমার পক্ষে ষেন একটা গোপন নিষিদ্ধ স্থখসস্তোগের মতো হয়ে পড়েছে... আগামী মাসের সাধনার জন্যে একটি লাইন লেখা হয় নি, দিকে মধো মধ্যে সম্পাদকের তাড়া আসছে... আব আম আমার কবিতার অন্তঃপুরে পালিয়ে পালিয়ে আশ্রয় নিচ্ছি ।... “কবিতাতেই আপনার সকলের চেয়ে বেশি অধিকার” বলিয়াই লিখিতেছেন, “কিন্ত আমার ক্ষুধানল বিশ্বরাজয মনোরাজোর সর্বত্রই আমার জলন্ত শিখা প্রসারিত করতে চায়।” গান, অভিনয়, সমাজ শিক্ষা-বিষয়ক প্রবন্ধ লিখুন-_ যখন যে-কাজে হাত দেন-_ “তখন মনে হয় এই হচ্ছে জীবনের সবোচ্চ কাজ ।... চিত্রবিষ্যা-.. তার প্রতিও আমি সদা হতাশ প্রণয়ের লুঞ্ধ দৃষ্টিপাত করে থাকি ।”*

আমরা ইতিপুবে যে “সোনার তরী" শীর্ঘক কবিতা সম্বন্ধে দীর্ঘ আলোচনা করিয়াছি, তাহা ১৩৯০ সালের আধষাঢ সংখা! সাধনায় প্রকাশিত হয়-- যদিও রচনার আছুমানিক কাল 'ফাল্তন ১২৯৮। এতকাল লেখাটি অপ্রকাশিত থাকিবার কারণ অজ্ঞাত-_ সাধারণতঃ পত্তিকার চাছিদায় কোনো রচনাই 'খিতাইবার অবসর পাইত না রচনার

সাধনা, ফাল্গুন ১২৯৯ পৃ ৩৫৭-৬০।

পচটি কবিতা: হাদয়-বখুন। (১২ আধাড় ১৩** ), বার্থ যৌধন (১৬ আষাঢ় ১৩০৬), ভয়া ভাদয়ে (২৭ আবাঢ় ১৩**); প্রত্যাখান (২৭ আধাড় ১৩** )। সবগ্ুলিই সোনার তরীর কবিত1। ২৪ আব1ঢ--'গানভঙ্গ' কবিতা লিখিত হয়। ছিন্পপঞজাবলী ( পত্র ৬৪। সাজাহপুর। জবলাই ১৮৯২1 ২* আধা ১২৯৯ )-তে দ্বপ্রের কখ! আছে।

ছি্নপজাবলী পত্র ১*৭। সাজাদপুক়। [ ১৩ জুলাই ১৮৯৩ ] আধা ১৩*।

৩৭৬ রবীত্রজীবনী খীষ্টাৰ ১৮৯৩

অনতিকাঁল পরেই মানিক পত্রিকার হ্ু্গিবারণার্থ কলিকাতায় প্রকাশের জন্থ পাঠাইতে হইত।১ মোট কথা 'সানার তরী” কবিতাটি ১৩০৭ সালের আষাঢ় মাসের পূর্বে পাঠকশ্রেণীর চক্কগোচর হয় নাই।

মোনার তরী নদীবক্ষ দিয়! সারা জীবনের সমস্ত সঞ্চয় বহন করিয়া লইয়া যায়; জীবনের হাহাকার ছাড়া নদীতীরে আর-কিছুই থাকে না। কিন্তু জলধারার বিচিত্র রূপ) সে দৈনন্দিন ব্যবহারিক কার্য সমাধান করে__ অবগাহনের তপ্তি দান করে; আবার সৌন্দর্ঘশোভায় চিত্তকে ভরিয়া তোলে এমন-কি মরণেচ্ছুদের জীবনে চরম শান্তিও আনিতে পারে 'হ্বদয়যমুনা কবিতার মধ্যে প্রেমের সকল রূপকে আমাদের সম্দুখে কৰি উদ্ঘাটিত করিয়াছেন। ক্ষণিকের রসতৃপ্তির জন্য কুস্ত ভরিয়া লইলেই অনেকের চলে। তাহাদের প্রেম প্রয়োজনের 'ভালোবাসা'। কিন্ত যে প্রেমনদিতে অবগাহন করিতে চাহে তাহার পথ অবরুদ্ধ নছে; আবার যে নিরাসক্রচিত্বে প্রেমের ক্রীড়াকৌতুক দেখিয়া তৃপ্ত হয়, আত্মসমর্পণে যাহার আন্তরিক বাধা__ সে-ও তীরে বলিয়া থাকিতে পারে__ কোনো বাধা নাই সেই হুখসস্তোগের। কিন্তু প্রেমে আত্মসজনও কর! যাইতে পারে-__ “যদি মরণ লভিতে চাও-_ এসো! তবে ঝাপ দাও মপিল- মাঝে খণ্ড খণ্ড ভাবে প্রেম না দেখিয়া সমগ্রভাবে আত্মোৎ্সর্গ করাতেই যে প্রেমের সার্থকতা, সেই কথাই যেন বলা হইয়াছে “হদয়যমুনা, কবিতাটিতে আমাদের মনে হয় এই কবিতাটির একটি ব্যাখ্যা হয়তো রবীন্দ্রনাথ তাহার নিজের অগোচরে একখানি পত্রের মধ্যে একবার লিখিয়া ফেলেন তিনি বলিয়াছেন, “পাওয়াটা নিজের ক্ষমতার উপর নির্ভর করে। অন্যে কতটা দিতে পারে তা নিয়ে নালিশ-ফরিয়াদি করা ফুল, আমি কতটা নিতে পারি এইটেহ হচ্ছে আসল কথা যা হাতের কাছে আসে তাকেই পুরোপুরি হস্তগত করে নেওয়া, অনেক শিক্ষা সাধনা এবং সংযমের ছারা হয়।... ইতি সথখতব্ব শাস্্রের প্রথম অধ্যায় ।”* হদয়যমুনায় প্রেম যে অবস্থাতেই আস্থক, তাহাকে স্বীকার করিয়া লওয়াই সথখতত্বশাস্ত্রের শিক্ষা

“বার্থ যৌবন” কবিতাটি গান-_ “আজি যে-রজনী যায় ফিরাইব তায় কেমনে'। সাঙ্জাদপুর* হইতে লিখিত পন্তে কৰি বলিয়াছেন, “ও গানটা আমি নাবার ঘরে অনেক দিন একটু একটু করে সবের সঙ্গে সঙ্গে তৈরি করেছিলুম 1... গানটা আমি এখনও সর্বদা গেয়ে থাকি .. এটা যে আমার একটা প্রিয় গান মে বিষয়ে আযান কোনো সন্দেহ নেই 1৪

“হদয়যমূনা' 'ব্যর্থ যৌবন” কবিতা দুইটির মধ্যে বৈষ্ণব প্রেমতন্বের প্রভাব প্রবপ, একটিতে হইয়াছে 'হদয়যমূনা'তে প্রেমলীলা, অপর্টিতে বৃথা অভিসারে যমুনাপারে এসেছি' | রবীন্দ্রনাথের গীতিকবিতার মধো বৈষ্ণব প্রেষতত্বের বনু চিত্র পদাবলীর বনু শব প্রায়শই দেখা যায়; বৈষ্বসাহিতোর প্রতি তাহার আকরধণ বছুদিনকার। কিন্তু আকর্ষণ তব্মমূলক না রসমূলক, তাহার সুবিচার হওয়া প্রয়োজন “বৈষ্ণব কবিতা হইতে এই বৈষ্বধ্মীয় পরিভাষায় ব্যবহৃত কবিতার আরস্ত হইয়াছে-_ অবশ্ন ইতিপূৰে এমন-কি ভান্রমিংহ ঠাকুরের পদাবলীর পর্ব হইতে এই ধরনের কবিতা গান বন পিখিত হইয়াছে।

বাংল। ভাবার যথার্থ কবিতা বেঞ্বীয় প্রেমপীপাকে আশ্রয় করিয়া কুন্বমিত হয়) বৈষ্বপদাবলীর বিশেষ কতকগুলি

পৌনার হরী কবিতাটি আমাদের মতে এই সময়ের রচনা! “ফান্ঠন ১২৯৮ লেখ মাকে পাতার ওপ/য়, অন্ত কলমে মোট! করিয়া

ছ্িব্রপত্তাবলী! পত্র ১*১। শিলাইদহ ' জুলাই ১৮৯০।

সাঙ্জাদপুর, সাহাজাদপুর, সহ্জাদপুর, শাহজাদপুর, প্রস্ৃতি নানারকম বানান পাই |

বার্থ যৌবন (১৬ আবাঢ় ১৩৯০1 ২৯ ভুন ১৮৯৩)। সোনার তরী, রবীঙ্্রচনাবলী ৩, পু ৯*। মোহিতচন্ত্র সেন সম্পাদিত কাবাগ্রন্থে (১৯১১) কবিতাটি 'সোনার তরী'র অঙ্থভুক : এবং 'গান' (অষ্টম ) থণ্ডে গীতরূপে মুদ্রিত : ১,২১৫, ত্বকের গীত রূপ, ২৩ ত্বক বহঞ্জিত। জ. ছিনপত্রাবলী পত্র ১*৬। সাজাদপুর | জুলাই ১৮৯৩।

খষ্টা্ ১৮৯৩ সাধনার দ্বিতীয় পর্ব ৩৭৭

শব্ধ মানুষের চিরস্তন প্রেম-বিরহ-ষিলনের প্রতীক রূপে কাব্যে ব্যবহৃত হুইয়। আসিতেছে, স্থতরাং রবীর্জনাথের প্রেমের কবিতায় এই বৈষ্ণবীয় শঝের ব্যবহার স্বাভাবিক ।,

রবীন্দ্রনাথ তাহার বৈষবপক্ষপাতিত্ব সম্বন্ধে স্বয়ং যে কথা বলিয়াছেন তাহাই বোধ হয় এতদ্সম্বন্ধে সবোৎকষ্ট ভাস্ত তিনি লিখিয়াছেন, “বৈষণব পদাবলীতে বর্ধাকালের যমুনাবর্ণন! মনে পড়ে__ প্রকৃতির অনেক দৃশ্যই আমার মনে বৈধৰ- কবির ছন্দোঝংকার এনে দেয়-_ তার প্রধান কারণ, এই-সমস্ত সৌন্দর্য আমার কাছে শুন্ত সৌন্দর্য নয়-_ এর মধ্যে... একটি চিরন্তন হৃদয়ের লীল! অভিনীত হচ্ছে, এই সৌন্দর্ষের মধ্যে বৈষুব কবিদের সেই অনন্ত বুন্দাবন রয়ে গেছে। বৈষব- কবিতার যথার্থ মর্মের ভিতরে যে প্রবেশ করেছে, ঘে সমস্ত প্রকৃতির ভিতর সেই বৈষ্ণবকবিভার ধ্বনি শুনতে পায় 1২

বৈষ্ণব সাহিত্য বৈষব ধর্মের মূলগত কথা রবীন্দ্রনাথ ভালোক্সেই জানিতেন। পঞ্চাশ বৎসর বয়সে অজিতকুমার চক্রবর্তীকে লিখিত একথানি পত্রে সম্বন্ধে যাহ! লিখিয়াছেন তাহ! আমরা পূর্বেই উদ্ধৃত করিয়াছি আলোচ্য পবে তরুণ লাছিত্যিক ব্যারিস্টাব প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়কে একখানি পত্রে বৈষ্ণব ধর্মের মূলতব্বটি সংক্ষেপে ব্যাখ্যা করেন; এই পত্রে বাধারুফেের প্রেমতত্বের রূপক ব্যাথা! দেন নাই, তিনি সাধারণ ছ্বৈতাদ্ৈত মতকে বৈধব ধর্মমত বলিয্সা প্রকাশ করেন।* পঞ্চভৃত গ্রন্থে “মন্তুসক প্রবন্ধে কবি বলিয়াছেন, “জীবের মধ্যে অন্তরকে অন্ভব করারই অন্ত নাম ভালোবাপ]; প্রকৃতির মধ্যে অনুভব করার নাম সৌন্দর্যসন্তোগ ।” বৈষ্ণব ধর্ম পৃথিবীর সমস্ত প্রেম-সম্পর্কের মধ্যে ঈশ্বরকে অনুভব করিতে চেষ্টা করিঘ্বাছে। মোহিতলাল মন্তুমদার মাইকেল ষধুসুদনের ব্রজাঙ্গন কাব্যের বৈষণবতত্ব সম্বন্ধে যাহা বলিয়াছেন, তাহা রবীন্দ্রনাথ সম্বন্ধে প্রযোজ্য | তিনি লিখিতেছেন, “ত্রজাঙ্গনা যে বৈষণবপর্ধাবলীর পর্ধায়তূক্ত নয়, অথাৎ বাধাবিষয়ক হইলেও কাবা যে নিছক কাব্যমাত্র তাহা কবিতাগুলির বিষয় দেখিলেই বুঝা যায়। ব্রজাঙ্গনার রাধা বৃন্দাবনের রাধা নয়, তাহার শ্কামবিরহও বৈষ্বীয় কুষণবিরহ নহে। রাধার ভূমিকা মাত্র গ্রহণ করিয়। কবি এই কাবো আধ্যাত্মিকাবজিত প্রর্কতিপ্রেমের রস স্থষ্টি করিয়াছেন।”

আধাঢ মাল শেষ হইতে চলিল, অথচ 'আগ।মী মাসের সাধনার জন্তে একটি লাইন লেখা হয় নি”, অনতিদূরে 'আশ্বিন-কাতিকের যুগল “সাধনা” বাহির হইবে। কবির মনে ছন্দ চলিতেছে__ তাহার জীবনে কোন্টা আসল কাজ। কখনো মনে হয় গল্প লেখায় পরম স্থখ, কখনো মনে হয় যে কথাগুলি ঠিক প্রবন্ধ বা কবিতায় প্রকাশ করা যায় না সেগুণি 'ডায়ারি' আকারে লিখিয়। ফেলিলে ভালো হয়। এক-এক সময়ে সামাজিক বিষয় লইয়! দেশের লোকের সঙ্গে বিবাদ করিবার গ্রয়োজনও বোধ করেন; সমস্ত দ্বন্দের শেষে মনে আসে কবিতাতেই যেন “সকলের চেয়ে বেশি অধিকার তাই একখানি পত্রে লিখিতেছেন, তাহার “ক্ষুধানল বিশ্বরাজ্য মনোরাজ্যের সর্বত্রই আপনার জলম্ত শিখা প্রসারিত করতে চায়। যখন গান তৈরি করতে আরঙ্ক করি তখন মনে হয় এই কাজেই যদি লেগে থাকা যায় তাহলে তো মন্দ হয় না। আবার যখন একট1 কিছু অভিনয়ে প্রবৃত্ত হওয়া যায় তখন এমনি নেশা চেপে যায় ঘে মনে হয় ষে, চাই-কি, এটাতেও একজন মানুষ আপনার জীবণ নিয়োগ করতে পাবে। আবার যখন "বাল্যবিবাহ কিন্বা 'শিক্ষার হেরফের' নিষ্জে পড় যায় খন মনে হয় এই হচ্ছে জীবনের সর্বোচ্চ কাঁজ।... চিত্বিদ্যা-.. তার প্রতিও আমি সবদ! হতাশ প্রণয়ের লুষ্ধ দৃষ্টিপাত করে থাকি-__ কিন্তু আর পাবার আশা নেই, সাধন] করবার বয়স চলে গেছে ।”«

তু. বৈধব কমির গান. আলোচনা, রবীন্র-রচনাধলী, অচলিত সংগ্রহ, ২, পৃ ৪৬।

্িশ্রপঞ্জাবলী। পত্র ১৪৭। কৃক্টিয়ার পথে। ২৪ অগল্ট ১৮৯৪।

পত্র। যোলপুর, ২. আবাঢ় ১৩১৭। স্তর, প্রবাসী, পৌষ ১৩৩৪

অগ্রহায়ণ ১৩*২। ভ্. প্রবাসী, বৈশাখ ১৬৪৯

ছিম্্পঞ্জাবলী পত্র। ১৭৭। সাজাদপুর়। [১৩ জুলাই ১৮৯৩ ] ৩* আবাঢ় ১৩৭৭ ৪৮

৩৭৮ রবীন্ত্রজীবনী শ্ীষ্টাব ১৮৯৩

কিন্তু চিত্রবিগ্ভা-সাধনার সময় যে চলিয়া যায় নাই তাহা কবি সত্বর বৎসর বয়সে প্রমাণ করিয়াছিলেন ছবি সম্বন্ধে তাহার একটা স্বাভাবিক কৌতুক অস্থরাগ বরাবরই প্রবল; “কড়ি কোমল" রচনার যুগে চিন্রবিষ্ঞা লইয়া যে আলোচন! করিতেন তাহ।র আভান 'জীবনস্থৃতিতে কবি দিয়াছেন “চিত্রাঙ্গদা? প্রকাশের সময় তরুণ অবনীন্দ্রনাথকে তিনিই ছবি শ্বাকিবার জন্য উৎসাহিত করেন। উনচল্লিশ বৎসর বয়সে জগদীশচন্ত্র বন্থকে একখানি পত্রে লিখিতেছেন, “শুনে আশ্চর্ধ হবেন, একখানা 9৮510) ৮০০ নিয়ে বসে বাসে ছবি আআাকচি। বলা বাহুল্য, সে-ছৰি আমি প্যারিম সেলোন-এর জন্যে তৈরি করচিনে, এবং কোন দেশের ন্বাশনাল গালারী যে এগুলি স্বদেশের ট্যাক্স বাড়িয়ে সহসা কিনে নেবেন এরকম আশঙ্কা! আমার মনে লেশমাত্র নেই কিন্ক কুৎসিত ছেলের প্রতি মার যেমন অপূর্ব ন্মেহ জন্মে তেমনি যে বিগ্যাটা ভালো আসে না সেইটের উপর অন্তরের একটা টান থাকে ।”১ চিত্রবিষ্যা সম্বন্ধে কবি যাহাই লিখুন শেষজীবনে তাহার এই “কুৎসিত” সস্তানটির উপর টান একটু অতিমাত্রায় হইয়াছিল এবং তিনি এই পত্রে যাহা হইবে না বলিয়া ভরসা দিয়াছিলেন, তাহাই জীবনে ঘটিয়াছিল, অর্থাৎ তিনি মুরোপ আমেরিকার নগরে নগরে তাহার অস্কিত ছবির একজ্িবিশন করিয়াছিলেন আর প্রায় প্রত্যেক দেশের আর্ট গ্যালারিতে কবির শ্রাকা ছবি সযঙ্ে রক্ষিতও হইতেছে পূর্বোলিখিত পর্রমধ্যে আছে, 'মিউজদের মধ্যে আমি কোনোটিকেই নিরাশ করতে চাই নে'। কিন্ছু শেষ পর্বস্ত বুঝিয়াছেন, “কবিতাতেই আমার সকলের চেয়ে বেশি অধিকার" |... 'মিল কবে ছন্দ গেঁথে ছোট ছোট কবিতা লেখাটা আমার বেশ আসে, সব ছেড়েছুড়ে দিয়ে আপনার মনে আপনার কোণে সেই কাজই করা যাক" মিল করিয়া ছন্দ বাধিয়া কবিতা লিখিলেন বটে, তবে সেটি ছোট হইল না, হইল অতান্ত দীঘ কবিতা-- তাহার ছেলেব্লাকার, 'বহুকালের অন্রবাগিণী সঙ্গিনী" কবিতামিউজের জয়গান কবিতাটির নাম “পুরস্কার (১৩ শ্রাবণ ১৩০০)। "পুরস্কার? কাহিনীতে সকলভোলা আদর্শ আর্টিস্টের একখানি নিখুত চিত্র কবির লেখনীর তুলিতে জীবস্ত হুইয়া উঠিয়াছে। কবির স্ত্রীর অভিযোগ-_ রাশি রাশি মিল করিয়াছ জড়ো, রচিতেছ বসি পুথি বড়ো বড়ো, মাথার উপরে বাড়ি পড়ো-পড়ো তার খোজ রাখ কি। কিন্ত এঅভিধোগ ন্বেহের অভিযোগ ; ক্কী জানে স্বামীর মহৰ কোণার, শ্রেষ্ঠত্ব কোথায় কবি তাহার মিউজকে আবাহন করিয়া বলিতেছেন - তোমারে হদয়ে করিয়া আসীন হবথে গৃহকোণে ধনমানহীন খাপার মতন আতি চিরদিন উদাসীন আনমনা !

চিঠিপত্র ৬। আশ্বিন [ ১৬০৭ ]1

মিল করিয় নান] ছন্দে কবিতা রচনায় রবীন্্রনাথ সিদ্ধ হস্ত, কিন্ত একদিন অ-মিল পদ্থষ্জসে ক'বতা তিনিই প্রবর্তন কয়েন। বাংলায় 'নুতদ' কবিতার জন্ম হইল এই অসম ছন্দে পদ রূপায়ণের মাধামে |

পুরুস্কার (১৩ শ্রাবণ ১৩৭ )1 সোনার তরী, রবীন্-রচনাবসী ৩, পূ ১*৯। যুল কবিতা ৬*৮ পঙজি। মোছিতচন্্র সেন কা বাগ্রন্থে সংক্ষেপিত

গ্রষ্টাৰ ১৮৯৩ সাধনার ঘিতীয় পর ৩৭৯

সংসার সম্থন্ধে উদাসীন আনমনা থাকিলে চালের খড় জোটে না; তবে কবিতা লিখিয়া লাভ কি, এই প্রশ্শই সাধারণ লোকের মনে জাগে কবির কাব্য পৃথিবীর কোন্‌ কাজে লাগে! রাজ! মহেন্দ্র রায় গুণীর পালক ; তাই কবির স্ত্রীর ভরসা তাহার স্বামীর গুণের সমাদর তিনি করিবেন। সুতরাং ম্বেহশীল! স্ত্রীর সনির্বন্ধ অন্থরোধে নিরুপায় কবিকে একদিন সাজসজ্জা করিয়! রাজসভায় যাইতে হইল। যাইবার পূর্বে দৃশ্ঠটি অতি সুন্দর, অতি মানবীয়__ কবিজীবনে হু্লভ দাম্পত্যের পরম আকাঙ্ক্ষিত চিত্র। কবি রাজসভায় উপস্থিত হইয়া তথাকার কত্রিমতা আড়ম্বর ভেদাভেদ প্রভৃতি দেখিয়] বিস্মিত, মর্জাহত ; এমন ট্রাজেডি তিনি তাহার শান্ত সমাহিত নিভৃত জীবনে দেখেন নাই মান্ষে কেন যে মানুষের প্রতি ধরি আছে হেন যমের মুবতি, তাই ভাবি কবি না পায় ফুরতি দমি ঘায় তার বুক। রাজসভা হইতে 'পান্র মিজ্র অমাত্য আদি, অর্ধা, প্রার্থা বাদি-প্রতিবাদী” সকলে চলিয়া গেলে “রাজা দেখে তারে মভাগৃহকোণে বিপন্নমুখছবি রাজ] পরিচয় শুধাইলে ভীত ত্রস্ত কবি কহিয়া উঠিল, “আমি কেহ নই, আমি শুধু এক কবি'। ইহাই তাহার একমাত্র পরিচয় যে সে শুধু কবি। চলি গেল যবে সভাস্থজন, মুখোমুখি করি বসিলা দুজন, রাজ] বলে, “এবে কাব্যকৃজন আরম্ভ করো! কবি।' কবি মহানন্দে কবিতা রচনা করিলেন-__ কবিজীবনের শ্রেষ্ঠ আদর্শ স্তবকগুলির মধো প্রকাশ পাইয়াছে__ পুলকিত রাজা, আখি ছলছল, আসন ছাড়িয়া নামিলা ভূতল, ছু-বান্ বাড়ায়ে পরান উতল কবিরে লইলা বুকে কহিল, ধন্য, কৰি গো, ধন্ত-_ আনন্দে মন সমাচ্ছন্নঃ তোমারে কী আমি কহিব অন্বী,

চিরদিন থাকো সুখে রাজ] ভাবিয়া পান ন!। কবিকে কী দিয়! পুরস্কৃত করিবেন, “যাহা কিছু আছে রাজ ভাগ্ডারে সব দিতে পারি আনি ।” কবিও জানে না কী চাছিতে হইবে, তাই শুধু বলিল “ক হইতে দেহ মোর গলে ওই ফুলমালাখানি।,

“মালা বাধি কেশে কবি' ঘরে ফিরেন; কোথায় ধনরত্ব আনিতে গিয়াছিল, আনিল একখানি মালা কবিপত্বী তাহাতেই স্থখী ; 'মাপাখানি লয়ে আপন গলায় আদরে পবিলা সতী।

ভক্তি-আবেগে কবি ভাবে মনে

চেয়ে সেই প্রেমপূর্ণ বদনে-__ ৪২২ পভ হিশভারভী সংগ্যরণ 'চয়নিকা তে পুরন্কার কবিতা! ভোট দ্বার! নির্ধাচিত সংখ্যা প্রাপ্ত হয় নাই বলিয়। বঞজ্জিত হয়। রবীন্রনাথ 'সঞ্চরিতা'র ( ১৩৩৮ ) সম্পূর্ণ কবিতাটি প্রকাশ করেন।

৩৮০ রবীন্দ্রজীবনী খ্রীটা ১৮৯৩

বাধা প'ল এক মাল্য-বাধনে লস্ী সরম্তা

জাগতিক বাপাবে কবিদের কোনো স্থান নাই, তাই তাহারা ভাগ্যবানদের কৃপার পান্্, শক্তিমানদের উপহাসের লক্ষা। এমন-কি গ্রীক দার্শনিক প্লেটে! তাহার “আদূশ বিপাব্লিক" হইতে কবির শিধাস্ন পিবার পরামশ দিয়াছেন, কারণ তাহারা অবাস্তবকে লইয়া আলোচনা করেন। কিন্তু জীবনকে অর্থপূর্ণ বা সার্থক করে কিসে, এই প্রশ্নের উত্তর, একমাত্র উন্ধর হইতেছে “রস | রস নিংশবে স্ঞ্চারিত হইয়া সমস্ত জীবনকে তেজে স্পন্দিত, আনন্দে নিমজ্জিত করে। কবিরা সেই বস পরিবেশন করিয়া দগ্ধ পৃথিবীর উপর শ্রামলিযার শোভা ফুটাইয়া তোলেন বাস্তব জগতে সৌন্দর্যের অভাবে কদর্তা বৈভবের অভাবে দারিদ্া মানবজীবনে যে-সব বড় ঝড় রন্ধ স্থতটী করে, তাহা একমাত্র কৰির স্বর ছাড়া আর কিসে ভবিয়া উঠিবে কবির মনের চরম সাধ কাব্যরসধারা পিন করিয়া ধরিত্রীকে আর-একটু অধিক হন্দর করেন। পৃথিবীর নিকট হইতে কবির একমাত্র চ্ঞা শিধু মনে রেখোঁ। সে চায় ভালোবাসা, একটি ফুলের মাপা-__ ধন নয়, মান নয় শুধু ভালোবাসা? তাহার আকাঙ্ষ! 'আর-একটুখাশি নবীন আভায়. রঙিন করিয়া দিব'।

সংসারমাঝে দু-একটি সর

রেখে দিয়ে যাব করিয়া মধুর,

দু-একটি কাট! করি দিব দূর--

তার পরে ছুটি নিব। কিছুকাল পূর্বে ববীন্দুনাথ 'জয়পরাজয়' গল্পে কবিজীবনের ষে বার্থতার চির শ্বাকিয়াছিলেন তাহা যে কবির

পরিপূর্ণ জীবনের আদর্শ নহে, তাহাই এই কবিতাটি লিখিয়? রবীন্দ্রনাথ প্রকাশ করিলেন কির স্থান বাজসভা নহে, রাজ! রাজপারিসদের চিতবিনোদন কবির পর্ম নহে | অবরসিকের নিকট রসের নিবেদনের ভ্ায় ট্রাজেডি কবিজীবনে আর কিছুই নই | শেখর কবির জীবন কেন বার্গ হইয়াছিল তাহার উত্তর পাশুয়া যায় পুরজ্কার' কবিতা শেথবের মনে রাজসভায় 'জমী' হইবার বামনা ছিল পুরস্কারের কবি কিছুই আশা করে নাই, সে অহেড়কী আনন্দে বিভোর হইয়া মিউজের উদ্দেশে গান গাহিয়া গেল, কোনো বাতাননকাপিনীর উদ্দেশাও নহে, কাহাকে পরাজিত করিবার অভিপ্রায়েও নহে "মামি তব মালঞ্চের হব মালাকব”-এর ন্যায় অচেতুকী তাহার গ্রারথনা।

সোনার তরার শেষ পর্ব

আমাদের আলোচ্য পরে পবীন্দুনাথ উত্তুরবঙ্গেই আছেন নৌকায় চলিতে চলিতে ঘাটের বিচিত্র শোভা চোখে পড়ে; মেয়েদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা বিশেষ করিয়া মনকে ভরিগ্পা হোলে তাহাদের প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করেন ছিন্প- পত্রাবলীতে | তিনি ইন্দিরা দেবীকে পতিসব হইতে লিখিতেছেন, “আমি অনেক দিন থেকে ভেবে দেখেছি, পুরুষরা কিছু খাপছাড়া আর মেয়ে বেশ সুসন্পূর্ণ1-.. পুরুষের চরিত্রের মধ বিশ্ব উচুনিচ তারা যে নানা কার্ধ নানা শক্তি নানা পরিবর্তনের ভিতর দিয়ে তৈরি হয়ে এসেছে, তাদের অঙ্গে এবং স্বভাবে তার যেন চিহ্ন রয়ে গেছে 1... প্রকৃতির সমস্ত স্বন্দর জিনিস যেমন ন্ুসম্বদ্ধ সুসম্পূর্ণ স্বল'হঠ স্থস'যত, মেয়েরা সেই রকম 3 তাদের মধো কোনো দ্বিধা কোনো চিন্তা কোনো! মন এসে তাদের ছন্দোভঙ্গ করে দিচ্ছে না, কোনো তর্ক এসে তাদের মিল নষ্ট করে দিচ্ছে ন11”১ সেই দিনই

ছিন্পত্রবলী পর ১১০ পিসির 1 ২৯ শ্রাবণ ১৮৯৯

এষ্টাব ১৮৯৩ সোনার তরীর শেষ পর ৬৮১

“বিদায়-অভিশাপ? কাবানাট্যখানি শেষ করিয়াঁছেন। পুরুষ যদি নিতাস্তই খাপছাড়া না হইবে, তবে আদর্শের অজুহাতে যুবতী উপষাচিকার প্রেম প্রত্যাখ্যান করে। মেয়েদের কাছে পুরুষের এই ব্যবহারটা অত্যন্ত অসংগত অদ্ভুত! কারণ পুরুষের মধ্যে মন আছে, তর্ক আছে, আদর্শ আছে, কিন্ত মন নারীর ছন্দোভক্ষ করে না, আদর্শ লইয়া তর্ক কবিয়া তাহার জীবনকাব্যর মিল নষ্ট হয় না। অন উপযাচিক] চিত্রাঙ্গদাকে বলিয়াছিল-_রন্ষচারিব্রতধারী আমি পতিঘোগ্য নহি বরাঙ্গনে ।' চিত্রাঙ্গদ] পুকষের এই দস্টোক্তি শুনিয়া নিশ্চয়ই মনে মনে হাসিয়াছিল। শেষ পর্বস্ত অর্জনের পরাজয় হয়| কিন্তু অতাস্ত খাপছাড়া “কচ' উপযাচিকণ দেবযষানীকে প্রত্যাখান করিয়া! শেষ পর্যস্ত পরাজয় মানিল না, সে বলিল-_ ভালোবাসি কিনা আজ সে তর্কে কী ফল? আমার যা আছে কাজ সে আমি সাধিব।

কচ কামুকী দেবযানীর অভিশাপ নীরবে বহন করিয়া “মহাসক্রীবনী বিদ্যা করে উপার্জন” দেবলোকে প্রত্যাগমন করিল। অর্থাৎ নারীর কামনার ইন্ধন না! হইয়া, সে আদর্শক বড করিয়া দেখিল। দেবযানীর ম্বায় সাধারণ নারীর পক্ষে তাহা অসহা।

কিছুকাস পৃবে পিখিত 'নরনারী”১ প্রবন্ধে রবীন্নাথ প্রকৃতির স্তব করিয়াছিলেন বটে, কিন্ত শেষকালে ক্ষিতির মুখ দিয়! যে টিগ্ননী প্রকাশ করিয়া প্রবন্ধের উপসংহার করেন, তাহা হউকেছে বুদ্দিকের লেজে বিষের মতন, 0১০ 50178 5 00০ 09111 সেখানে আমাদের দেশের পুকষের 'অকুতার্থতার জন্য মেয়েকেই দায়ী করা হইয়াছে) তাহাদের অন্ধ সংস্কার, তাহাদের আসক্তি, তাহাদের ঈর্ষা, তাহাদের কপণতা দেশের বক্ষে জগদ্দল পাথর চাপাইয়া পাখিয়াছে | ইহার কারণ কেবল অশিক্ষা নহে, অতিমাত্রায় জদয়ালুতা ( 5৮120106101) )1

“বিদায়-অভিশাপে' এই তত্বটিই রবীজ্নাথ নাট্যাকারে বূপায়িত করিয়াছিলেন পঞ্চভৃতের অন্তর্গত “কাবোর চাৎপর্ষের মধো বোমের জবানীতে 'বিদায়-অভিশাপো'র গল্লাংশ কবি যে ভাবে বলিয়াছেন, ভাহা নিয়ে উদ্ধৃত হইল-_

“শুক্রাচার্ধের নিকট হইতে সঙ্ভীবনী বিজ্া শিখিবার নিমিত্ত বৃহস্পতির পুত্র কচকে দেবতারা দৈতাগ্ুরুর আশ্রমে প্রেশণ করেন সেখানে কচ সহশ্রবর্ধ নৃতারীতবাঘ্ছারা শুক্রতনয়া! দেবযানীর মনোরঞ্জন করিয়া সব্রীবনী বিদ্যা লাভ করিলেন অবশেষে যখন বিদায়ের সময় উপস্থিত হইল তখন দেবযানী ফ্রাহাঁকে প্রেম জানাইয়া আশ্রম তাগ করিয়া যাইতে নিষেধ করিলেন দেবযানীর প্রতি অন্তরের আসক্কিদ্ধেও কচ নিষেধ না মানিয়া দেবলোকে গমন করিলেন |” বলা বাহুল্য, পুকষ যে বৃহত্তর আদর্শের জন্য, শ্রেয়ের জন্য প্রেয়কে ত্যাগ করিতে পারে সেই তত্বটি এখাছন সমধিত হইয়াছে দেবযানী প্রেম-নিবেদন বার্থ হইল দেখিয়া মে কচকে অভিশাপ দিল। রবীন্দ্রনাথের এই নারী “বিসর্জনের গুণবতীরই ম্যায় ছিংস, প্রতিহিংশাপবায়ণা ( ৮14100%6 )। নিজ কামনা সিদ্ধ না হওয়ায় জে ঈষ্ষী মার্জারীর ভ্টায় কুশ্রী হইয়া উঠিল কচ শান্ত, সংযত ; তাহার প্রেম এত গভীর যে অভিশপ্ত হইয়াও সে বলিল, “আমি বর দিশ্ু, দেবী, তুমি সুখী হবে। ভুলে যাবে সর্বগানি বিপুল গৌরবে কচের শুভেচ্ছা সার্থক হইয়াছিল। “কাব্যের তাংপর্ষে, রবীন্দ্রনাথ এই কাবানাটাটি সম্ব্ধে বিস্তারে নানা দিক হইতে আলোচনা করিয়াছেন, কুতুহলী পাঠক সেটি পাঠ কৰ্িতে পারেন।

ইতিপূর্বে 'চিত্রাঙ্গদা" নাট্যকাব্যে কবি নারীকেই আদর্শরপে স্্টি কশ্িয়াছিলেন ; “বিদ্বায়-অভিশাপে' পুরুষকে সেই ঙ্সাঘার স্বান দীন করিলেন নারীর সৌন্দর্য স্থসম্পূর্ণতায় চিত্রাঙ্গদার চরিত্রে তাহা সফল হইয়াছে। আর পুরুষের সৌন্দর্য বলিষ্ঠ কর্তবাপন্বায়ণতায় ; কচের চরিত্রে তাহা পরিপূর্ণতা লাভ করিয়াছে

নয়নারী, সাধনা, চৈত্র ১২৯৯। পঞ্চভৃত, | রবীন্র-রচনাবলী ২, পৃ ৫৫৮-৬৮। পঞ্চতত। কাধের তাৎপর্য, রবীঙ্গ-য়চনাধলী খ। পৃ ৬৬৩-১৩ |

৬৮২ রবীন্দ্রজীবনী গ্ীষ্টাঝ ১৮৯৩

সম্পূর্ণ নৃতন পরিস্থিতির মধ্যে কালীগ্রাম হইতে ভাত্রের গোড়ায় কলিকাতায় ফিরিলেন। কলিকাতায় তখন শিক্ষিতমহলে রাজনীতি লইয়া এও আলোচনা চলিতেছে তিন বৎসর পূর্বে রবীন্দ্রনাথ 'মন্ত্অভিষেক' ( বৈশাখ ১২৯৭) নামে যে প্রবন্ধ পাঠ করিয়াছিলেন, তাহার স্থতি সাহিত্যিক বা রাজনীতিক কাহারো মন হইতে মুছিয়া যায় নাই। তাই আজ রাজনীতির মধ্যে নৃতন সমস্তার সম্মুখীন হইয়া সকলেই যুবক-কবির দ্বিকে তাকাইলেন। চৈতন্য লাইব্রেরির 'সম্পাদক গৌরহরি সেনের অবিশ্বাম উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথকে অবশেষে রাজনীতি-সমালোচনায় প্রবৃত্ত হইতে হইল। এবার বক্তৃতার বিষয় “ইংরেজ ভারতবাসী”। টৈতন্য লাইব্রেরিতে সভা__ সভাপতি বঙ্ধিমচন্দ্র। '“রাঞনীতি'র সমালোচন। বলিয়া বস্কিমকে প্রবন্ধটি পূর্বাহ্ন “শোনাতে হয়েছিল” ।১ পূর্বাহ্থে শোনাইবার কারণ অহ্মান করা ধায়, যুবক রবীন্দ্রনাথের রাজনীতির সমালোচনা মিডিশনের পর্যায়ে পড়ে কি না তাহা জানা দরকার ছাড়া যিনি কয়েকদিন পরেই সভাপতি হইবেন, তাহার পক্ষে সে প্রবন্ধ পূর্বাহ্ে শুনিবার আর-কোনে! সংগত কারণ থাকিতে পারে না। রবীন্ত্রনাথও তাহাকে শুনাইয়! নিকুদ্বিগ্ন হইয়াছিলেন। এই প্রবন্ধ সম্বন্ধে আলোচন] অন্ত পরিচ্ছেদে হইয়াছে।

“ইংরেজ ভারতবামী”ৎ প্রবন্ধপাঠের পর ববীন্দ্রনাথ কর্মাটারে বিশ্রামের জন্য যান ( অগস্ট ১৮৯৩ শেষে ) এবং বোধ হয় দিন পনেরোর বেশি সেখানে থাকা হয় নি। এই সময়ে ইন্দিরা দেবী সিমলায় আছেন; একপছ্ছে মানুষের সঙ্গ কেন ভালো লাগে না” তাহার এক কৈফিয়ৎ লিখিয়। পাঠান

"মন যখন চিন্তা করে কিম্বা ভাব অনুভব করে তখন কিছুতে তার কোনো ব্যাঘাত করলে মনের সেই নিজের ভিতরে বাধাপ্রাপ্ত নিক্ষল চেষ্ায় ভাবী শাস্তি উপস্থিত হয়-_ মানুষের প্রতি মনোযোগ এবং আপনার ভাবনা ভাবা এই ছুটে! কাজই একসঙ্গে করার চেষ্টা করতে গিয়ে মনটা যেন তিতিবিরক্ত হয়ে ওঠে ।”*

এই পত্রে একটি কৌত্ুকপ্রদদ ঘটনার উল্লেখ আছে; কোনো এক মহিল1 অনুরোধ করেন “তার সঙ্গে আর-একটু জমিয়ে বন্ধুত্ব এবং ঘনিয়ে চিঠি-লেখালেখি করতে।” কবি তাহাকে জবাবে লেখেন শৌখিনভাবের বন্ধুত্ব করবার সময় নেই?

কর্ধাটারেঃ পক্ষকাল থাকিয়া ১১-১২ সেপ্টেম্বর বা ( আশ্ষিনের গোড়ায় ) কলিকাতায় ফিরিয়া আসেন-_ কারণ প্রমথ চৌধুরী অক্টোবর মাসে (১৮৯৩ ) ব্যারিস্টারি পড়িতে বিলাত যাইতেছেন। “সোনার তরী'র শেষ কবিতাগুচ্ছ রচিত হয় ২৬ কাতিক হইতে ১৭ অগ্রহায়ণের (১৩০০) মধ্যে শ্রাবণের ১৩ তারিখে পুরস্কার? কবিতার পর দ্বীর্ঘ ছেদ-_- একেবারে ২৬ কাত্তিকে কবিত! পাইতেছি বস্থদ্ধরা?। 'তবে এই তিন মাসের মধ্যে বিচিত্র রচনা-সম্তার সাহিত্যকে পুষ্ট করিয়াছে_ এই পরে লেখেন-_ নাট্যকাব্য “বিদায় অভিশাপ", তিনটি গল্প__ 'শান্তি” “একটি ক্ষুদ্র পুরাতন গল্প” এব' 'সমাপ্চি'- আর দীর্ঘ প্রবন্ধ 'ইংরেজ ভারতবাসী' : ছাড়া পঞ্চভৃতের তিনটি লেখা__ অথগ্ডতা, সৌন্দর্যের সম্বন্ধ 9 পল্লীগ্রামে | সুতরাং রূচনা-বৈচিত্র্যের অভাব নাই ছিল না! কেবল কবিতা

কর্মাটার হই প্রমণ চৌধুরীকে লেখেন ; “লেপাটাকে নিয়ে অনেক চিন্তু। হর্ক পরিবঠন সংশোধন করেছিগুম-_ এবং এটা শেষ পর্বন্ত লেখাটার ভালোমন্দ সন্বস্ধে সম্পৃঃ নিপেন্দেত ছিপুম নাঁ। একবার কেবল বঙ্কিমবাবুকে শোনাতে হয়েছিল ঠার প্রশংসাবাকে অনেকটা নিকদ্ধিঘ হয়েছিলরম |” চিঠিপত্র ৫, পৃ ১৬২। ঠ্তাহার পরে সেদিন তিনি আমার প্রবন্ধ শ্রবণ করিয়। সমাদর সহকারে আমার বক্তার দুলে সভাপতি হতে স্বীকার করিলেন ।”-- বঙ্ধিনচন্ত্র, সাধনা, বৈশাণ ১৩*১। রবীজ-রচনাবলী »। গ্রস্থপরিচয়, পূ ৫৫৬ ইংরেজ ভারতবানী। সাধনা, আখিন-কাতিক ১৩** পৃ ৪৯৯-৫৪৬। রাজা প্রজ! (গণ্ভএ : ১১৯১৮ )। রবীল্র-রচনাধল! ১০, পূ ৬৭৯। ্রন্থপরিচয় | ছিন্্পত্্রাবলী | পত্র ১১২। কর্ষাটার। ৯» সেপ্টেম্বর ১৮৮৭ | বির, নীপততাল পরগণার কর্ধাটার শহর : জামতাড়া মহকুমার অন্তগত। ইস্টান রেলওয়ের হাওড়া হইতে ২৭, কিলোমিটা? | বিস্ঞাসাগর মহাশয়ের প্রিয় স্বাস্ানিবাস ছিল। এখান হহঠে আঠ1শ মাইল, পূর্বে চিত্তরঞ্জন স্টেশন রেল-ইনজিন নির্ষাপ-কেন্তর।

গ্রষ্টা ১৮৯৩ সোনার তরীর শেষ পর্ব ৩৮৩

তার পর হঠাৎ ২৬ কান্তিক হইতে ২৭ অগ্রহায়ণে রচিত হুইল অনেকগুলি কবিতা প্রথমেই “বহ্দ্ধরা'__ দীর্ঘ কবিতা তার পরেই আটটি সনেট- মায়াবা্দ, খেলা, বন্ধন, গতি, মুক্তি, অক্ষমা, দরিদ্রা আত্মসমর্পণ (৫ অগ্রহায়ণ )। এই সনেট-আটটি যদি পৃথক নামাক্কিত না হইত, তবে সবগুলি মিলিয়া একটি অখণ্ড কবিতাই হইত-_ ভাবসাযুজ্য গুণে এবং বস্ুদ্বরা'র স্বরেরই অনুরণন বলিতাম। 'বসগুন্ধরা” রচনার তিন দিন পরে (২৯ কাতিক ১৩** ) “কটকের কথা” নামে একটি কবিতা [ সাধনা, ভান্র ১৩০০। তুলনায় সমালোচনা ] লিখিত হয়-_ এইটি ফেন পূর্ববর্তী কবিতাগুলির 91111865151 কলিকাতা হইতে ববীন্দ্রনাথ কয়েকদিনের সিমলা শৈলে সত্যেন্্রনাথদের কাছে গিয়া থাকেন সেখানে ছুইটি কবিতা ল্লেখেন-_ তার একটি “সোনার তরী'তে আশ্রয় পায়-_ “অচল-স্বতি' (১১ অগ্রহায়ণ ১৩০* | শনিবার ) নামে। অপরটি নিরুপ্দিষ্ট হয়। বারো বখসর পরে “খেয়ালখাতা' হইতে উদ্ধার করিয়া! ভারতী, জ্যেষ্ঠ ১৩:২ সালে পত্র” নামে প্রকাশিত হয়। কিন্তু যে-কোনো কারণে “মোনার তরী” প্রথম প্রকাশকালে পরবর্তী সংস্করণেও উহা! সবার দৃষ্টি এড়াইযা “অপ্রকাশিত” থাকিয়া যায়। ১৩৩২ সালে “পূরবী"তে গ্রন্থশেষে সঞ্চিতাংশে পিত্র' নামে স্থান পায়) তবে তাহাও অস্থায়ীভাবে কারণ 'পৃরবী"র পরবতী সংস্করণে উহা? বজিত হয়। বর্তমানে প্রহাঁসিনী'র সংযোজন-অংশে উহ্হার আশ্রয় মিলিয়াছে ।১ “অচল-স্থ্তি' যেদিন লিখিত হয়, এই পত্র-কবিতাটিও সেই দিনের রচনা |২ 'শপ্রলয়ের তত্ব লয়ে তুমি আছ মত্ত" পড়ক্তি দিয়া আনুস্থ 'পত্র' অক্ষয়চন্দ্র চৌধুরীর উদ্দেশে রচিত-_ এইটি বলিয়াছেন খগেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় তাহার “রবীন্দ্-কথা” (পৃ ১৯৭) গ্রন্থে আমরা পর্বস্ত কান্তিক-অগ্রহায়ণ মাসে কবিতা-বিযয়ক তথাপঞ্তী লইয়া আলোচনা করিলাম এখন “পুরস্কার' কবিতা দীর্ঘ অবসবের পর রচিত “বসুন্ধরা অন্যান্ত কবিতার মধো কোনো ভাবের অন্গষঙ্গতা আছে কি না সে বিষয়ে অশ্সন্ধান নিরর্থক হুইবে না। পুরস্কার কবিতায় কবি বলিয়াছিলেন-_ ধরণীর তলে, গগনের গায়, সাগরের জলে, অবণ্য-ছায় আরেকটুখানি নবীন আভায় বডিন করিয়া দিব। সুন্দর ধরণীকে সুন্দরতর করিবেন এই ছিল কবির হম্বপ্ন। মনের অবচেতনে তিনটি মাস এই ভাবনা ভাষা পায় নাই; সেই অঙ্ভূতিকে আবেগময়ী ভাষায় প্রকাশ করিলেন 'বন্দ্ধরা' কবিতায় (২৬ কান্তিক ১৩০০। ১১ নভেম্বর ১৮৯5 )। ধবিত্রী তাহার প্রিয়; বহুভাবে তাহার সেই ভালোবাসার কথা প্রকাশ করিয়াছেন, কিন্ত কেমনভাবে পাইলে কবির আধ্যাত্মিক তৃপ্ধি হইবে, তাহ? যেন প্রকাশের ভাষা পাইতেছে না। জড়ে জীবে, দিকে বিদিকে, সাগরে জঙক্ষমে) অতীতে ভবিষাতে, সুখে ছুঃখে, সভাতায় ব্বরত্তায় সকল ভাবে, সকল বসে, সকল দেশে, সকল কালে, সকল দেশ- কালের বাহিরে অণুতে। পরমাণুতে নিজেকে সম্প্রসারিত কনিয়া_ সকল বূপরম অনুভব সস্তোগ কবিয়াও যেন শিজেকে সম্পূর্ণভাবে প্রকাশ করা হইল না। সে কী বেদনা! একবার বলিলেন, “ওগো মা মৃন্মক্্ী, তোমার মৃত্তিকা-মাকে রবীন্স-রচনাবলী ২৩, পৃ $২। বনক্ষেত্র ( ৮/০০৭1০14$ ] সিষলাশৈল, শনিবার ১৮৯৮ মুদ্রিত ছয়। কিন্তু ই! ১৮৯৮ স্থলে ১৮৯৩ ₹ইষে। শনিবার ১১ আগ্রহ্থারণ ১৩** সাল। " দে. কালি কলম, আখ্বিন ১৩৭৪ | ভ্রীপুজিনবিহ্ায়ী সেন, রবীক্-পঞ্জী-৩। পৃ ২৩:।

৩৮৪ রবীন্দ্রজীবনী এষ্টাৰ ১৮৯৩

ব্যাপ্ত হয়ে রই। যথেষ্ট বলা হইল না, পুনরায় বলিতেছেন-_ “দিদিকে আপনাকে দিই বিস্তাবিয়া বসস্তের আনন্দের মতো", এখনো! যথেষ্ট হইল না, তাই পুনরায় বলিতেছেন-_ “বিদারিয়া বক্ষপঞ্জর, টুটিয়া পাফাণ-বন্ধ সংকীর্ণ প্রাচীর, আপনার নিরানন্দ অন্ধকারাগারে, হিল্লোলিয়া, মর্জরিয়া, কম্পিয়া, স্মলিয়া, বিকিরিয়া, বিচ্ছুরিয়া, শিহরিয়া, সচকিয়া, আলোকে পুলকে প্রবাহিয়া চলে যাই সমস্ত ভূলোকে প্রান্ত হতে প্রান্তভাগে” মনের এই সর্ধগ্রাসী 'আকুলতায় বলিতেছেন-__

হে স্থন্দরী বস্ুহ্ধবে, তোমা পানে চেয়ে

কত বার প্রাণ মোর উঠিয়াছে গেয়ে

প্রকাণ্ড উল্লাভবে

আমার পৃথিবী তুমি

বু বরষের, তোমার মৃত্তিকা মনে

আমারে মিশায়ে লয়ে অনস্ত গগনে

অশ্রীস্ত চরাণে করিয়াছ প্রাদক্ষিণ

সৰিতৃম গুল, অসংখা রজনীদিন

যুগষুগান্তর ধরি আমান মাঝারে

উঠিয়াছে তণ তব, পুষ্প ভাবে ভারে

ফুটিয়াছে, বর্ণ করেছে তকরাজি

পত্রফুলফল গন্ধরেণু। এই রচনার মধ্যে বিশ্বান্টভূতি যেন কাব্যে রূপ পাইয়াছে। অস্যবের দীর্ঘ আকৃতির শেষ নিবেন হইল--

জননী, লহ গো যোবে

সঘনবদ্ধন তব বাহ্যুগে ধরে

আমারে করিয়া লহ তোমার বুকের__

তোমার বিপুল প্রাণ বিচিত্র সুখের

উত্স উঠিতেছে যেথা মে গোপন পুবে

আমারে লইয়া যাও__ বাখিয়ো না দুরে

কবির এই আধ্যাত্মিক বাকুলতা এখনো প্রার্থনা আবেদন-স্তবে বহিয়াছে-_ যেমন তীহার সমসাময়িক ব্ন্ষ-সংগীতগুলি-_ ইহা এখনে! গভীরের মধ্যে প্রবেশ করিয়া আব্হারা হয় নাই এখন তিনি দরদী বটে, মরমী নহেল | ববস্গুদ্ধরা' রবীন্ছনাথের শ্রেষ্ট কবিহারাজির অন্তভম ; “নিরবের স্বপ্রভঙ্গ' কবিতায় একদিন যেমন তরুণ জদয়ে বিশ্ব আসিয়া কোলাকুলি করিয়াছিল, আজ বস্দ্ধরার দিকে তাকাইয়া সবল যৌবন হৃদয়ের মধ্যে বিশ্বে সৌন্দর্কে নৃতন কাবণীয় আনন্দে কৰি উপলন্ধি করিতেছেন বস্ুদ্ধরার পর যে 'মাটটি চতুর্দশপর্দী কবিতা আছে, তাহারা একট কবিতার ষেন আটটি ভ্তবক-- বন্গদ্ধরা কবিতার পরিপূরক | বন্ুদ্ধবায় যে কথাগুলি বলা হয় নাই, তাহাই ঘেন এপ্জলির মধো বলা হইয়াছে | বহ্ুদ্ধরা ভাশার নিকট আত্যস্ট সতা, নিবিড়ভাবে প্রাণময়। তাহাকে মায়া বলিয়া স্বীকার করিতে তিনি অক্ষম | মায়াবাদীকে বপিতেছেন-_ ভাবিতেছ মনে-__ ঈশ্বরের প্রবঞ্চনা পড়িয়াছে ধরা

খ্ষ্টাৰ ১৮৯৩ সোনান্ তন্বীর শেষ পর্ব ৩৮৫

নচতুর হুক্ষ্দৃ্টি তোমার নয়নে ।:..

তুমি বুদ্ধ কিচুরেই কর না বিশ্বাস।

লক্ষকোটি জীব লয়ে বিশ্বের মেল!

তুমি জানিতেছ মনে, সব ছেলেখেল| ।১

হোক্‌ খেলা, খেলায় যোগ দিতে হবে...

বিনয়ে বিশ্বাসে প্রেমে হাতে লহ তুলি

বর্ণগন্ধগীতময় যে মহা খেলনা

তোমাবে দিয়েছে মাতা ; হয় যদি ধূলি

হোক্‌ ধূলি, ধূলির কোথায় তুলনা !২ অকালবৃদ্ধেরা বলেন, জগৎ মায়া, সংসার ছেলেখেলা, চারি দিকে বন্ধন | কিন্তু কবি জগতের এই বন্ধনকে স্বীকার করিতেছেন, 'সকলি বন্ধন ন্সেহ প্রেম সুখতৃষা”, কিন্তু “মাতৃবন্ধপাশ, ছিন্ন কবিবারে চাস কোন্‌ মুক্তিত্রমে' | -__ বন্ধন

জীবনের এই গতিকে কবি মানেন, তাই-_ পণ্ডিতের হারে

চাছি না৷ জনমরহস্ত জানিবারে।

চাহি না ছিড়িতে একা! বিশ্বব্যাপী ডোব,

লক্ষকোটি গ্রাণী-সাথে এক গতি মোর ।৩ হম্দরী বহুদ্ধরাকে নিবিড়ভাবে পাইবার জন্ত কবির আত্মহারা আকৃতি; তিনি “চক্ষু কর্ণ বুদ্ধি মন সব রুদ্ধ করি, মুক্তি-আশে' কোথায় যাইবেন ?

বিশ্ব ঘদি চলে যায় কাদিতে কাদিতে

আমি এক] বসে রব মুক্তি-সমাধিতে ? তাই অক্ষম দরিদ্রা ধরিত্রীর মধ্যে তাহারই ধুলার সঙ্ষে মিশিয়া থাকিতে চান-_ “তা বলে কি ছেড়ে যাব তোৰ তপ্ত বুক'।* তাই ধরিত্রীৰ কোলে আত্মসমর্পণ করিয়া বলিলেন__

তোমার আনন্গগানে আমি দিব স্ব

যাহা জানি দু-একটি গ্রীতি্মধুর

অন্তরের ছন্দো গাথ] ;...

চেয়ে তোর শ্রিপ্চশ্তাম মাতৃমুখ-পানে

ভালোবাসিয়াছি আমি ধূলিমাটি তোর।

জন্মেছি যে মর্ত্যকোলে ঘ্বণা করি তাবে

ছুটিব না স্বর্গ আন মুক্তি খু'জিবারে।"

মায়াবাদ, সোনার তরী, রবীন্র-য়চনাবলী ৩, পু ১৪১।

খেলা, সোনার তরী, রবীশ্রা-রচনাধলী ৩, পৃ ১৪২।

গতি, সোনার তরী, রবীন্-রচনাবলী ৩, পূ ১৪৩।

অক্ষমা, সোনায় তরী, রবীশ্রা-রচনাবলী ও. পু ১৪৪।

আত্মসমর্পণ, সোনার শ্রী, রবীশ্র-যচনাবলী ৩, পু ১৪৫ 6৯

ঞ্ প্র ছ্ি

৩৮৬ রবীন্ত্রজীবনী ্রীষ্টা ১৮৯৩

'পুরস্কার' কবিতায় কৰি ধবার প্রতি প্রেমের যে স্থর রাজসভাগৃহে শুনাইয়াছিলেন, 'বহ্ুন্ধবা"য় যাহা অনুভূতির চরম আবেগে উচ্ছ্বসিত হইয়া উঠিয়ান্ছিল, তাহা! যেন চক্রপূর্ণ করিয়া শেষ কবিতায় “আত্মসমর্পণ করিল। এই তাবধাবা! চৈতালির পূর্বাভাস, নৈবেছের পূর্ববাগ, পরিপূর্ণ জীবনরসসন্তোগের অেষ্ঠ আদর্শ। কিন্তু এত বড় বন্থন্ধরার এত বৈচিত্র্য, এত সৌন্দর্যের মধ্যে কোথায় একটি "ক্ষুদ্র আমি" আছে কণ্টকের তো

কিছুই কবি না, নীরবে ঈাড়ায়ে তুলিয়া! শির

বিধয়া রয়েছি অন্তর-মাঝে পৃথিবীর ।১ পৃথিবীর সমস্ত বুহত্ব মহধ ম্লান হইয়া যায় সকল বর্ণ নিশ্চিহ হয়, সকল গন্ধ লোপ পায়, ধকল রস বিশ্বাদ হয়-_ এই ক্ষুদ্র, অতি ক্ষুদ্ধ অহং-এর কাছে সেই 'ক্ষুত্র আমি' গর্ব করিয়া বলে

হই ন| ক্ষুদ্র, তবুও রুদ্র ভীষণ ভয়__

আমার ধৈন্য সে মোর সৈন্ত তাহারি জয় | কবি অন্তরের গভীরের দিকে তাকাইরা সেই 'অহংকে দেখিতে পান তাহার দস্ত, তাহার ম্পর্ধাকে কিছুতেই যেন পরাজিত করিতে পারিতেছেন না, সে যেন সমস্ত সৌন্দর্য, সকল আদর্শকে ধ্বংম করিবার জন্য নিত্যপ্রয়াসী |

সোনার তরীর শেষ কবিতা 'নিকদ্দেশ যাত্রা" শ্াম ধরণীর নিকট সম্পূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করিয়া এখনো কবির

সব কথ! যেন বলা হয় নাই ; “মনে হয় কী একটি শেষ কথা আছে' | মানসন্থন্দরী তাহাকে আলেয়ার হ্থায় দুর হইতে দুরে আহ্বান করিয়া চলিয়াছে, কবি তাহাকে ইন্দ্রিয়ের কোনো অঙ্ভূতির মধ্যে আনিতে পারিতেছেন না! তাই যেন তাহাকে প্রশ্ন করিতভেছেন__

আর কতদুবে নিয়ে যাবে মোরে হে সুন্দরি?

বলো, কোন্‌ পাব ভিডিবে তোমার সোনার তরী সে ইঙ্গিত করিয়া সম্মুখে চাহিয়া চলিয়াছে__ 'হাসিতেছ তুমি তুলিয়া নয়ন কথা না বলে! আমাদের জীবনের দিনগুলি এমনিভাবে নিকুদ্দেশের যাত্রায় চলিতেছে_- কাহার আহ্বানে কিসের আশায় রাতদিন কর্মক্লান্থ চলিয়াছি, প্রতিদিনের সোনার ধানের কর্মবোঝা সোনার তরীতে তুলিয়া মহাকাল চলিয়া যায়; মানুষ বিম্বৃতির তীরে পড়িয়া থাকে, জালে-ওঠা ধনরত্র পথিকর] লইয়া যায়; সেই রহে অনাদূত, বিশ্বত উপেক্ষিত। মাগুষ কাহাকে যেন অধীর হইয়া ডাকিয়া শুধায়-_

কোথা আছ, ওগো, করহু পরশ নিকটে আমি।

কহিবে না কথা, দেখিতে পাব না নীবব হালি। এই দিক হইতে দেখিতে গেলে, জীবন ট্রাজেডি যেন চিত্ঞা কাবাগ্রন্থের 'সিদ্ধুপারে'র অবশ্থষ্ঠিতার পূর্বাভাস।

“সোনার তরী” কান্তন ১২৯৮ সাল হইতে অগ্রহায়ণ ১৩০০ সাল পর্যন্ত রচিত কবিতার সংগ্রহ | ছুই বৎসর কালের

কণ্টকের কা, সোনার তরী, রবীন্র-রচনাবলী ৩, পূ ১৪৭1 “ককের কপা পড়িতে পড়িতে ছবি গানের 'রাহুর প্রেমকে স্মরণ করাইয়া দেয়। বিশ্বসংসার নিষ্কক “হন্সর দিয়! গঠিত নয়। কবিরুপে কবিতার চন্দরের মঠিমার কণা গহিয়া আসিতেম্েন, কিন্ত অনুন্দরের প্রতাপ? তাহাকে কে নিবারিত করিব?

রাহ বলে -বুকের ভিতরে ছুরির তন, | মনের মাঝে বিষের তন, রোগের মতন, শোকের মতন | রূধ আমি অনিবার

কণ্টক বলে_'এ ভীরু জগতে যার কাঠিঙ্ | জগত তারি নগর "আচডে আপন চিষ্ | র[গিতে পারি বীরভোগ্যা বক্কর|| রবীজনাণ দেই নিঠুর বীরের কমিক গ্রহণ করিয়া বশক্করাকে ভোগ করিতে পারেন নাই নিরুদেশ যাত্রা, পোনার তরী, রবীন-রচপাবলী ৩, ১৫*।

গ্রাঙ্াব ১৮৯৩ সোনার তরীর শেষ পর্য ৩৮৭

মধ্যে রচিত হইলেও কবিতাগুপির মধ্যে ভাবের যে আত্মীয়তা আছে, তাহা রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং তাহার সাহিত্য- সমালোচকগণ আবিষ্কার করিয়াছেন বৃদ্ধবয়সে রবীন্দ্রনাথ তাহার এই কাব্যথণ্ড সম্বন্ধে নি মন্তব্য প্রকাশ করিয়াছিলেন, তাহা রচনাবলীর অন্তর্গত হুইয়াছে।

মানসী কাব্যগুচ্ছের সছিত তুলনা! করিয়া কবি বলেন যে, সোনার তরীর লেখা আর-এক পরিপ্রেক্ষিতে রচিত। “বাংলাদেশের নদীতে নদীতে গ্রামে গ্রামে তখন ঘুরে বেড়াচ্ছি, এর নৃতনত্ব চলস্ত বৈচিত্রের নৃতনত্ব। শুধু তাই নয়, পরিচয়ে-অপরিচয়ে মেপামেশ! করেছিল মনের মধ্যে বাংলাদেশকে তো বলতে পারি নে বেগানা দেশ; তার ভাষা চিনি, তার স্বর চিনি। ক্ষণে ক্ষণে যতটুকু গোচরে এসেছিঙ্স তার চেয়ে অনেকখানি প্রবেশ করেছিল মনের অন্দরমহলে আপন বিচিত্র রূপ নিয়ে নেই নিরন্তর জানাশোনার অভ্ার্থনা পাচ্ছিলুম অশ্ঃকরণে, যে-উদ্বোধন এনেছিল তা শ্পষ্ট বোঝা যাবে ছোটগল্পের নিরস্তর ধারায় সে ধারা আজও থামত না ধদি সেই উৎসের তীরে থেকে যেতুম। যদি ন! টেনে আনত বীরইূমের শু প্রানস্তরের কৃচ্ছু সাধনের ক্ষেত্রে

“আমি শত শ্রীক্ম বর্ধা মানি নি, কতবার সমস্ত বংসর ধরে পল্মার আতিথ্য নিয়েছি, বৈশাখের খরবৌদ্রতাপে, শ্রাবণের মুধপধারাবর্ণে। পরপারে ছিল ছায়াঘন পল্লীব শ্থামশ্রী, পারে ছিল বালুচরের পাতুব্র্ণ জনহীনতা: মাঝখানে পল্লার চপমান শ্বোতের পটে বুলিয়ে চলেছে ছ্যালোকের শিল্পী প্রহরে প্রহরে নানাবর্ণের আলোছায়ার তুলি এইখানে নির্জন- সজনের নিত্যসংগম চলেছিল আমার জীবনে অহরহ হুখছুঃখের বাণী নিয়ে মানুষের জীবনধারার বিচিত্র কলরব এসে পৌছুচ্ছিল আমার হাদয়ে মানুষের পরিচয় খুব কাছে এসে আমার মনকে জাগিয়ে রেখেছিল। তাদের জন্য চিন্তা করেছি, কাজ করেছি, কর্তবো নানা সংকল্প বেধে তুলেছি, সেই সংকল্পের সথত্র আজও বিচ্ছিন্ন হয় নি আমার চিন্তায়। সেই মানষের সংস্পশে সাহিভোর পথ এবং কর্মের পথ পাশাপাশি প্রসারিত হতে আবস্ত হল আমার জীবনে আমার বুদ্ধি এব, কল্পনা এব" ইচ্ছাকে উন্মুখ করে তুলেছিল এই সময়কার গ্রবর্তনা, বিশ্বপ্রক্কতি এবং মানবলোকের মধ্যে শিত্যসচল অভিজ্ঞতার প্রবর্তনা। এই সময়কার থম কাব্যের ফসল ভরা হয়েছিল সোনার তরীতে। তখনই সংশয় প্রকাশ করেছি, তপী নিঃশেষে আমার ফসল তুণে নেবে কিন্ত আমাকে নেবে কি |”

'মোনার তরী? কাব্যখানি প্রকাশিত হয় মাঘ ১৩০* সালে। “কবি-ত্রাতা শ্রদেবেজ্দরনাথ সেন মহাশয়ের কর-কমলে ওধীয় ভক্চের এই প্রীতি-উপহার সাদরে সমপিত হইল' | কবি দেবেজ্জনাথ আজ বাঙালী পাঠকের নিকট হইতে বহু দুরে সরিয়া গিয়াছেন, তকণদের নিকট প্রায় অপরিচিত , কিন্ধু এককালে লিব্িক-কবি হিমাবে হুশ অর্জন করেন রবীন্ছনাথের শ্রন্ধা আকধণ করিতে সমর্থ হন।

সোনার তরীর যুগ (অগ্রহায়ণ ১২৯৮_- অগ্রহায়ণ ১৩০০) “সাধনা পত্রিকার প্রথম দ্বিতীয় বর্ধের প্রায় সমকালীন। যুগে চুয়াল্লিশ-পয়্তাল্লিশটি কবিতা লেখেন, অনেকগুলি গানও বচনা করেন।

আমরা পূবেই বলিয়াছি সাধনার দ্বিতীয় পৰে 'সোনার তবী'র কবিতা ছাড়া বিচিত্র রচনায় পূর্ণ। সাধনার প্রথম ছুই বসবে চব্বিশ মাসে তেইশটি ছোটগল্প লেখেন 'বিদায়-অভিশাপ' কাব্যনাটা গপ্ঘ-নাটক 'গোড়াদ্র গলদ” এই

» সোনার তরী সুচনা, রবীন্-রচমাবলী ৩, পূ ৬।

দেবেশ্রনাথ সেন (১৮৫৪-১৯২* ) একটি পুত্রের মৃত্যুতে শোকক্ত ইইয়। আইনব্াবসা ত্যাগ করিয়া কলিকাতায় আগমন করেন। তংপরে কিছুকাল গৃহত্যাগী মন্ন্যাসীরাপে ভারতের নানাস্থানে পর্ধটন কয়েন। তিনি কৃ মিশন' নামে প্রতিষ্ঠান স্বাপন করেন। পরে উহা 'জ্ীকৃফ পাঠশালা নামেপারচিত ছয়। ভাহার রচিত গ্রন্থ_-ফুলবালা, উদ্িলা, অগোকগুচ্ছ, গোলাপগুচ্ছ, শেফালিগুচ্ছ, পারিজাতগ্ুচ্ছ, অপুধ ব্রজাঙ্গনা, অপূর্ব শিশুমঙ্গল প্রভৃতি তেব বংসর বয়: ২১ নভেম্বয় ১৯২. সালে দেরাডুনে তাহাক় মৃত্য হয়। ড্র. ভ্রজেজনাথ বন্দোপাধ্যায়, সাহিত/-সাধক 'চরিতমালা--৬১ : দেবেন্ত্রনাথ সেণ।

৩৮৮ ববীন্দ্রজীবনী এরীষ্টা্দ ১৮৯৩

পর্বের রচনা বাঙ্কৌতুক (১৯০৮) গ্রন্থভুক্ত 'পয়সার লাঞ্ছনা ( সাধনা, জোষ্ঠ ১৩০০ )। 'প্রাীন দেবতার নৃতন বিপদ" ( সাধনা, আধাট ১৩০* ) সয়কালীন সমাজ, শিক্ষা, ধর্ম রাজনীতির বাঙ্গ। দ্বিতীয় রচনা হইতে শিক্ষা সম্বন্ধে সরম্বতী দেবীর উক্তি উদ্ধৃত করিতেছি-_-“দেবী কহিলেন, “অন্যান্ত নানা কার্ধের মধ্যে বালকদিগকে শিক্ষাদানের তার এতদিন আমার উপর ছিল, কিন্তু সে কার্য আমি কিছুতেই চালাইতে পারিব না। আমি রমণী, আমার মাতৃহদয়ে শিশুদিগের প্রতি কিছু দয়ামায়া আছে-_- তাহাদের পাঠের জন্ত আজকাল যে-সকল পুস্তক নির্বাচিত হয় সে আমি কিছুতেই পড়াইতে পারিব না। আমার হৃদয় বিদীর্ণ হয় এবং তাহাদের ক্ষুদ্র শক্তি ভাঙিয়! পড়ে নিষ্টুর কার্ধ একজন বলিষ্ঠ পুরুষের প্রতি অপিত হইলেই ভালো হয়। অতএব স্থবুসভায় আমি সাচ্চুনয়ে প্রার্থনা করি, যমরাজের প্রতি উক্ত ভার দেওয়া হউক ।' যমরাজ... প্রতিবাদ করিলেন, আমার কোনো আবশ্টক না, কারণ) স্কুলের মাস্টার এবং ইনসপেক্টর আছে ।” শিশুশিক্ষা-বিভাগে যমরাজের বিশেষ নিয়োগ যে বাহছুলা, এ-সম্বদ্ধে দেবতাদের কোনো মতভেদ রহিল না 1”১

“বিনি পয়সার ভোজ" একক নাটা বা 10010109406 ( ভাণ )। এই শ্রেণীর রচনায় বক্ত1 থাকেন একজন, শ্রোতার উপস্থিতি কল্পিত; তাহার কথাবার্তা অশ্রুত, অথচ বক্তা যেন শুনিয়াছে। অন্থান্ত ব্যক্তিরা অদৃশ্য অথচ যেন বক্তা দেখিতেছেন কল্পন] করিয়! অভিনয় করিতেছেন। যেন টেলিফোনের এক দিকের কথা শুনিয়া কথোপকথন বুঝা

“বিনি পয়সার ভোজ" বচনার নমুনা কিয়দংশ উদ্ধৃত করিতেছি-__

“কী করেছি বলো! দেখি জীবনবাবুর নাম সই করে হ্যামিলটনের দোকান থেকে ঘড়ি এনেছি? পেয়াদ্দাসাহেব, ভঙ্রলোক হয়ে ভদ্রলোকের নামে ফস করে এতবড় অপবাদট। ছিলে ?

"ও কী 3 ওটাধরেটেনোনা। আমার ঘড়ি নয়। শেষকালে যর্দি চেনমেন ছিড়ে ধায় তা হলে আবার মুশকিলে পড়তে হবে।

“কী? এই সেই হ্যামিপটনের ঘড়ি বাবা, সত্যি নাকি! ত], নিয়ে যাও, নিযে যাও এখনি নিয়ে যাু। কিন্তু, ঘড়ির সঙ্গে আমাকে স্বদ্ধ টান কেন?... তা, নিতান্তই যদি না ছাড়তে পার তো চলো বাবা, আমাকে সবাই ভালোবাসে, আজ তার বিস্তর পরিচয় পেয়েছি, এখন তোমার ম্যাজিস্ট্রেটের ভাগোবাসা কোনোমতে এডাতে পারলে যাত্রা রক্ষে পাই যদি জোটে রোজ | এমনি বিনি পয়সায় ভোজ ।”*

এই একক নাট্য রবীন্দ্রনাথের শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যের অন্যতম সৃতি বলিয়া সরবাদিলন্মত। পঠনীয় রচনা হিসাবে ইহা অতুলনীয় পরে 'নৃতন অবতার" নামে এই ধরনের আর-একটি একক নাট্য লেখেন; কিন্ত লেখানে দুইটি অংশে ছুইজন পৃথক ব্যক্তির স্থগিত কথোপকথন আছে তা ছাড়া রচনাটি বিদ্বপ-বাঙ্গে জর্জরিত বলিয়া 'বিনিপয়সার ভোজের লহিত তাহার রচনাকৌশলের তূলনাই হয় না। “অরসিকের স্বর্প্রান্তি'ও* একক নাটা

গ্ভপ্রবন্ধ খুব বেশি নাই; “শিক্ষার হেরফের, ্থপরিচিত | সাধনা পত্রিকার জন্ত 'প্রসঙ্গ কথা' 'সাময়িক লারসংগ্রহ' প্রভৃতি নিতানৈমিত্তিক রচনাগ্ুলিকে ববীন্্রনাথ তাহার স্থায়ী গগ্যসংগ্রহের অন্মভূরক্ষি করেন নাই। এই-মব রচনাকে আমরা সাহিত্যন্থ্টির নিদর্শনরূপে গ্রহণ করিতে পারি না। যথার্থ সাহিতোর দিক দিয়! বিচার্ধ রচনা হইতেছে

প্রাচীন দেবতার নূতন বিপদ | ব্যঙ্গকৌতুক | রবীজ-রচনাধলী ৭, পূ ৫২২!

বিনি পরসার তোজ। বাজ্কৌতুক। রবীন্স-রচনাবলী ৭, পূ ৩৩৭।

* অরনিকের খরসপ্রাপ্তি, সাধনা, তাত্র ১৩**। ব্যঙ্গকৌতুক রবীন্র-রচনাবলী ৭, পূ ৩৫১।

বিশেষভাবে লক্ষণীয় 'সাধনা'র ১৩**-১৩*১ সালে ঘে-কয়টি বঙ্গকৌতুক প্রকাশিত হয় (প্রাচীন দেবতার নৃতন বিপদ, নৃতম অবতার, অরসিকের ঘরপ্রাপ্তি, শ্বগাঁয় প্রহসন ), তাঁর মধ দেবতাদের লইয়! বাগই প্রাধান্ঠ লাত করিয়াছে বাঙ্গকৌতুকের 'বিনি পয়সায় ভোজ' সম্পূর্ণ নুতন পাট

ধষ্টাব ১৮৯৪ চিন্র। কাব্য ৬৮৯

'মুরোপ-যাত্রীর ভায়ারি' এবং “পঞ্চভূতের ভায়ারি'। এই 'পঞ্চভৃত' গ্রস্থখানিতে যে-যোলোটি গ্রবন্ধ আছে তাহার প্রথম আটটিই এই পর্বের দ্বিতীয় বর্ষে এবং অবশিষ্টগুলি এক বৎসর পরে পুনরায় প্রকাশিত হয়। পঞ্চতভৃত গ্রন্থাকারে ১৩০৪ সালে মুদ্রিত হয়।

সোনার তরী পর্ধের শেষ দিকে ববীন্দ্রনাথ কিভাবে রাজনীতির সমালোচনার মধ্যে আরুষ্ট হইয়াছিলেন তাহার কথ! অগ্থ পরিচ্ছেদে বিবৃত হইয়াছে

চিত্রা কাব্য

১৩** সালের অগ্রহায়ণ মাসট] সিমলা শৈলে মেজদাদাদের সঙ্গে কাটাইয়। বোধ হয় পৌষের গোড়াতেই রবীন্দ্রনাথ কলিকাতায় ফিরিয়াছেন। এবার শান্তিনিকেতনের পৌঁধ-উৎসবে তাহাকে উপস্থিত দেখি, গত বৎসব পল্মায় ছিলেন মানসস্থন্দরীর কূপকল্পনায় মুগ্ধ। এই তৃতীয় বার্ষিক ব্রচ্ষোংসবে ( ৬৪ ব্রাঙ্গসন্বৎ ) ক্ষিতীন্দ্রনাথ ঠাকুর, হেমচন্দ্র বিদ্যাবত্ব চিন্তামণি চট্টোপাধ্যাম্গ আচার্ধাদির কার্য করেন। শাস্কিনিকেতনের প্রাতের উপাসনায় রবীন্দ্রনাথ হেমেন্দ্রনাথের পুত্র চিতেন্দ্রনাথ “মধ্যে মধ্যে সঙ্গীত কৰিয়া উৎসবকে মধুময় করিয়া তুলিয়াছিলেন।”*

কবির সাংসারিক সংবাদের মধো উল্লেখযোগ্য ঘটনা_-স্তাহার তৃতীয়া কন্তা মীরার জন্ম ১৩** সালের পৌধ- সংক্রান্তি দিন (১২ জানুয়ারি ১৮৯৪ )।

মোনার তরী কাব্যের শেষ কবিতা “নিরুদ্গেশ যাত্রা” লিখিত হয় ২৭ অগ্রহায়ণ ১৩** ) আর কাব্যখণ্ড প্রকাশিত হয় পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময়ে (২ জানুয়ারি ১৮৯৪ )। এই সময়ে কবি তাহার ছোটগল্পগুলি সংগ্রহ করিয়া “ছোট গল্প' নাম দিয়া একটি গ্রঞ্থ প্রকাশ করিলেন--১৫ ফাল্গুন ১৩০*। বইটি উৎসর্গ করেন “পৃজনীয় জোষ্ঠসহোদবোপম শযুক্ত বিহারীলাল গুপ্ত সি, এস, মহাশয় করকমলেষু।”

সোনার তবীর শেষ কবিতা রচনার ( ২৭ অগ্রহায়ণ ):-৪ চিত্রা কাবাখণ্ডের প্রথম কবিতা জ্যোত্স। বাজে (৬ মাঘ ১৩** ) লিখিবার মধ্যে মাঘোৎসবের জঙ্য ্রজ্ধসংগীত লিখিয়াছিলেন বলিয়া মনে হয়-_ ছয়টি গান উৎসবে গীত হয়, সামাজিক কর্তবাবোধে ধর্মসংগত রচনার উৎসাহ ক্রমশই ম্লান হইয়া আমিতেছে, নিজের স্থট্টির আনন্দে এখন কবিতা উৎসারিত হইতেছে মাঘ ১৩০ সাল হইতে ২* ফান্গন ১৩০২ সাল পর্বস্ত “চিন্তার কবিতাগুচ্ছ রচিত হয় এবং সাধন পত্জিকার শেষ ছুই বৎসরের প্রায় মমকালীন পর্ব (সাধনা ১৩*২ সালের কাতিক মাসে বন্ধ হয়)। এই চিত্র! পর্বে "বিচিত্র গল্প'* ( ছুই খণ্ড ), 'কথাচতুষ্টয়'ঃ এবং 'নদী' পুন্তকাকারে প্রকাশিত হয়।

জীবনে সাধনা! ছুইভাবে হইতে পারে, বিচিত্রের বিশেষের আধ্যাত্মিক ধর্মসাধকরা বিশেষের মধ্য দিয়া আত্মানভূতিলাভ করিতে চেষ্টা করেন তাহারা বিচিত্রকে, দৃশ্যমান জগতের ব্বপকে অন্বীকার করিতে পারিলেই ষেন বাচেন। কিন্তু কবি বিচিত্রের সাধক ; ক্বপরসগন্ধময়ী ধরিত্রীর বৈচিত্র্যের পূজারী তিনি। লৌন্দর্ধকে তিনি কাব্যে

ততন্বযোধিনী পত্রিক।, ১৮১৫ শক (মাঘ.১৩০*) পর ১৮৪-৮৫।

যাঘোৎসবে নূতন গান : তবন পুণ্য প্রভাথে কর পবিত্র [এলে! হে গৃহ দেবতা], হাদয় নক্গনবনে নিভৃত নিকেতনে, আনার বহিছে ভূবদে। অন্তরে জাগিছে অন্তর্ধামী, ছে যহাপ্রধল ধলী, * কামন! করি একান্তে তত্ববোধিনী পত্রিকা, ফান্ঠন ১৮১৫ শক, পৃ ২১৯। বিচি গঞ্জ (১৩১) প্রথম ভাগ : অসম্ভব কথ, কন্ধাল, হর্ণমূগ, ত্যাগ, খোকা বাবুর প্রত্যাবর্তন, জয়পরাজয়, সম্পত্তিসমর্পণ | দ্বিতীয় ভাগ দালিয়া। জীবিত মৃত, যুক্তির উপায়, হুতা, অনধিকার প্রবেশ, মহামায়া, একটা! আবাড়ে গল, একটি ক্ষুজ পুরাতন গজ

কথাচতুষ্টর-_ মধ্বর্তিনী, শান্ধি, সমাপ্তি, মেঘ রৌজ্র। ১৩*১ (৫ অক্টোবর ১৮৯৪ )।

৩৯ রবীন্দ্রজীবনী খ্রী্া ১৮৯৪

কলায় কেবল স্বীকার করিয়া! পরিতৃপ্ত হন নাই, তাহা সর্বতোভাবে সম্চোগের দ্বারা জীবনে পাইয়াছেন। তিনি জীবনশিল্পী, বিচিত্রের সাধক, কিন্তু তাহার কাছে বিচিত্র জগৎ বিচ্ছিন্ন বিশ্লিষ্ট নহে, তাহ] বিশ্বপ্রাণের অস্তভুক্তি, বিশ্বাত্মার অন্তর্গত সমগ্রভাবে সংঙ্গিষ্ট- বস্ত হিসাবে বিচ্ছিন্ন থাকিয়াও সমস্থিত। চিত্রা কাব্যে কবি সেই বিচিত্রের পদে পৃজাঅর্ধ্য সমর্পণ করিয়াছেন গঞ্জযোৎস্গারাজে'__ এইটি লিখিত হয় জোড়ার্সাকোর বাটিতে হেবো আজি নিদ্রিতা মেদিনী, ঘরে ঘরে রুদ্ধ বাতায়ন আমি একা আছি জেগে, তুমি একাকিনী দেহে দেখা এই বিশ্বস্থপ্রিমাঝে, অসীম সুন্দর, ঝ্িলোকনন্দনমৃত্তি। আমি যে কাতর অনস্ত তৃষায়, আমি নিতা নিদ্রাহীন, সদ উত্কন্ঠিত, আমি চিরবাত্রিদিন আনিতেছি অর্থাভার অন্করমন্দিরে অজ্ঞাত দেবতা লাগি বাসনার তীবে একা বসে গডিতেছি কত ষে প্রতিমা আপন জদয় ভেঙে, নাহি তার ীমা | আজি মোবে করো দয়া, এসো তুসি) অয়ি, অপার রহস্য তব) হে রহস্যময়ী, থুলে ফেলো -- আজি ছিন্ন করে ফেলো চিরস্থির আচ্ছাদন অনন্য অন্বর | জ্যোত্সারাত্রে “যে দিব্যমৃপতি'র জন্ত 'উতস্তরক উন্মুখ চিন্তা 'একরাতি রে? অমণ করিয়া দিবার জগা যাহার কাছে প্রার্থনা সেই “বিশ্বসোহাগিনী লক্ষী, জ্যোরিি্জয়ী বালা আমি কবি তারি তরে আনিমাছি মালা সৌন্দর্যলক্্মী সেই মালা গ্রহণ করিয়াছেন পু পৃভণ করেন নাই, 'প্রেমের অভিষেক দ্বারা কবিকে কিবেছে সমাট। পরায়েছে গৌরব মুকুট, পুস্পডোরে সাজায়েছে ক? তার'। নিব চাট জগত? অস্পুবস্থল দিদা শ্রেমকন্ধ প্রবাহিত রর প্রেমই মানুষকে, বরণ করে মহান জ্ূপে জন্দর ক্রপে - সকল দীনতা সকল হানা বুপিষা গিয়া তাহার শাশ্বত প্রেমিক; মৃতির কাছে সে আত্মনিবেদন করে 1 প্রেমের অমরাবতী--, .. সেথা আমি জ্যোতিক্ষান শবক্ষয়যৌবনমম্ন দেবতাসমান, সেখা মোর লাবণোর লাহি পরিসীমা, সেথা মোবে অপিয়াছে আপন মহিমা শিখিপ প্রণমী ১. চিরম্সহ্দসমান মবচরাচর। প্রেমের অভিষেক কবিতাটি স্গন্ধে কিছু কিছু বিচার-বিহর্ক হইয়াছে | সাধনার যখন উহা প্রথম গ্রকাশিত হয় তখন উহার মধ্যে কেবানির ধলিমাথা জীবনের কথা ছিল। কবিবন্ধ পোকেন পালিত ভঙ্জন্ কবিকে অত্যন্ত ধিক্কার দেন।

খ্রীষ্টাব্দ ১৮৯৪ চিত্র! কাব্য ৩৯১

রচনাটিকে বাস্তবমূতি দিবার ইচ্ছায় কেরানি-জীবনের অবতারণ] করিয়া কবিতাটিকে নষ্ট করেন। যাহ] হউক চিত্রা" সাধনার পাঠ পরিত্যক্ত হইয়াছে ।১ চিত্র! প্রকাশিত (ফাল্গুন ১৩০২) হইবার কয়েকদিন পরে রবীন্দ্রনাথ তাহার বন্ধু প্রভাতকুমার মুখোপাধায়কে এই কবিত। সম্বন্ধে এক পত্র দেন, আমরা তাহ উদ্ধৃত করিলাম ; এই উদ্ধৃতি হইতে জান! যায় যে কবি প্রথম খসড়ায় কবিতাটিকে এমন জটিল করেন নাই। কবি লেখেন “তাহারা বলেন, কোনও আপিস বিশেষের কেরানি বিশেষের সহিত জড়িত না করিয়া সাধারণভাবে, আত্মহ্থদয়ের অকুত্রিম উচ্ছাসসহকারে ব্যক্ত কৰিলে প্রেমের মহিমা ঢের বেশি সরল উজ্জল উদ্দার এবং বিশ্তদ্ধ ভাবে দেখানো! হয়__ সাহেবের ছারা অপমানিত অভিমান-ক্ষু্ নিরুপায় কেরানির মুখে কথাগুলো যেন কিছু অধিক্মাত্রায় আড়ঙ্গর আস্ফালনের মত শুনায়__ উহার সহজ স্বতগ্রবাহিত সর্ববিশ্বত কবিত্ব রসটি থাকে না__ মনে হয়, মে মুখে যতই বড়াই করুক-না কেন আপনার কুদ্রতা এবং অপমান কিছুতেই ভুলিতে পারিতেছে না। এই সমস্ত আলোচনাদি শুনিয়া আমি গোড়ায় যে ভাবে লিখিয়াছিলাম, সেই ভাবেই [চিন্তায়] প্রকাশ করিয়াছি ।”ৎ ফান্তনের (১৩০* ) গোড়ার দিকে রবীন্দ্রনাথ পতিসর গিয়াছেন। “ঘে পারে কোট লাগিয়েছি পারে খুব নির্জন গ্রাম নেই, বসতি নেই, চষা মাঠ ধু ধু করছে।' নদীর ধারে তাহাদের দুইটা হাতি চরে; তাহাদের দেখিয়া লিখিতেছেন, 'এর এই প্রকাগ্ুত্ব এবং বিশ্রীত্বর জন্তেই যেন এর প্রতি একটা কি বিশেষ ন্মেহের উদ্রেক হয়।' ঘরের ভিতরে বেঠোভেনের* ছবির কথা উল্লেখ করিয়া বলিতেছেন, “অনেক সুন্দর মুখের সঙ্গে তুলনা করলে তাকে দর্শনযোগা মনে না হতে পারে, কিন্তু আমি যখন তার দিকে চাই সে আমাকে খুব টেনে নিয়ে যায়__ উস্বোখুস্কো৷ মাথাটার ভিতরে কত বড় একটা শবহীন শব্জগৎ। এবং কী একটা অপরিসীম বেদনা রুদ্ধ ঝড়ের মতো লোকটার ভিতরে ঘূর্ণামান হত।"* এই ছুইটি সম্পূর্ণ বিরুদ্ধ-বিধয় 15 ০০703$£ যুগপৎ মনে উদয় হওয়ার মধ্যে মনভ্তত্বের যোগসুত্র আছে। ইহার পরদিন (৯ ফাল্গুন ১৩০০ ) লিখিলেন “সন্ধা কবিতাটি; নির্জন পারিপাশ্থিকের স্তন্ধ সন্ধ্যা কবিচিত্রে

বিচিত্র হুর ধ্বনিয়] তুলিতেছে। কবিতাটির মধ্যে একটি বিষাদের মহাশান্তি__ “অস্থরের ঘত কথা শাস্ত' হইয়া “মর্মান্তিক নীরবতা'য় আত্মপ্রকাশ করে। বহ্থদ্ধরা সম্বদ্ধে নৃতন অনুভূতি__

যেন মনে পড়ে সেই বালানীহারিক।;

তার পরে প্রজলম্ত যৌবনের শিখা ;

তার পরে ক্ষিদ্কশ্তাম অন্্পূর্ণালয়ে

জীবধাত্রী জননীর কাজ বক্ষে লয়ে

ক্ষ কোটি জীব-_ কত দুঃখ, কত ক্লেশ,

কত যুদ্ধ, কত মৃত্যু, নাহি তার শেষ

প্রেমেয় অভিষেক ঠিন্রা। রবীন্র-রচনাবলী ৪, পূ ২৭। গ্রস্থপরিচয় পৃ ৫৪৪-৪৭। জ- সঞ্চকিতা, গ্রঞ্থপরিচয় পৃ ৮১৪-২*। সেখানে বলা হইয়াছে, চিত্রার পাঠই জাদিপাঠ। রবীন্তর-ভবনে রক্ষিত পা$ুলিপিতে এই প15 দেখা যায়।

ব্যারিস্টার প্রভাতকুষার মুখোপাধ্যাক্ককে লিখিত পত্র ।-_শিলাইঈদহ চৈত্র ১৩*২। জু. প্রবাসী বৈশাখ ১৩৪৯।

বেঠোতেন [30718 ৬০৫) 86600০৮৫১ (1770-1827 ) : জারমান সংগ্গীত-রচয়িতা। বন অগরী ত্যাগ করিয়া বিয়েনায €(৬1671১0) ধান সেখানে যোজার্টের (1095916); শিক্প হুন। জীবনের শেষ অবধি এখানে কাটে। রবীন্রনাথ বেঠোভেন সম্বক্ধে ভালোরকমই জানিতেন।

ছ্িরপত্রাধলী। পত্র ১১০। পত্তিসর়। ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৪ ( ফান্ধন ১৩** )।

৩৯২ রবীন্দ্রজীবনী গ্ীষ্টা ১৮৯৪

আমাদের এই জীবনের অর্থহীন “নিকদ্দেশ যাজা"য় যে-প্রশ্ন বার বার উঠে, “আর কতদূরে নিয়ে যাবে মোরে হে সুন্দরি? এখানেও নিঃসঙ্গিনী ধরণীর বিশাল অন্তর হতে তেমনি আজ নীরব সন্ধ্যায় 'উঠে স্থগন্ভীর একটি ব্যথিত প্রশ্ন “আরও কোথা আরও কত দূর ।' নদীপথে আসিয়া পৌছাইলেন রাজশাহী, সেখানে তাহার বন্ধু লোকেন পালিত আছেন। এইখানে লিখিলেন তাহার অমর কবিতা “এবার ফিরাও মোরে'১ (২৩ ফাল্গুন ১৩০*)। চিত্রার পাঠকমাত্রই লক্ষ্য করিবেন ষে এই কবিতার স্থর ছন্দ ভাব ইতিপূর্বে রচিত কবিতা তৎ্পূবে রচিত পত্রধারা হইতে কত পৃথক। এই কবিতার মধো কি এক আঘাতঙ্জনিত ক্ষুন্ধতা তাহার চিত্তকে ব্যধিত করিয়া তুলিয়াছে। কবির মন স্বভাবতই কোমল স্পর্শকাতর, কোথাকার বেধনা যেন তাহাকে অকম্মাঁৎ সচেতন করিয়াছে 1 কোথা হতে ধ্বনিছে ক্রন্দন শূন্যতল? কোন্‌ অন্ধকারা-মাঝে জর্জর বন্ধনে অনাধিনী মাগিছে সহায়? স্ফীতকায় অপমান অক্ষমের বক্ষ হতে রক্ত শুধি করিতেছে পান লক্ষ মুখ দিয়া; বেদনারে করিতেছে পরিহাস স্বার্ধোদ্ধত অবিচার নিরাল! কাব্যজীবনের নির্জনবাস অসহা হইবার-_ হ্যটিছাড়! হতি-মাঝে বহুকাল করিয়াছি বাস সঙ্গীহীন রাত্িদিন ১... তাই মোর চক্ষে স্বপ্লাবেশ, বক্ষে জলে ক্ুধানল। তাই পৃথিবীর ছুঃখকে দূর করিবার জন্ত কবি অন্তরের মধ্যে তীব্র বেদনা বোধ করিতেছেন “এবার ফিরাও মোরে, লয়ে যাও সংসারের তীরে", কারণ যাহার] নীরবে ছুঃখভোগ করে, তাহাদিগের “মূ মান মৃক মুখে দিতে হবে ভাষা, এই সব শ্রান্ত শুফ ভগ্নবুকে ধ্বনিয়! তুলিতে হবে আশা? | এই কবিতায় বপিয়াছিপেন-_- অন্ন চাই, প্রাণ চাই, আলে! চাই, চাই মুক বায়ু, চাই বল, চাই স্বাস্থ্য, আনন্দ-উজ্্ল পরমামু, সাহসবিস্ৃত বক্ষপট রবীন্দ্রনাথের মন কেন অকম্মাৎ এই উত্তেজিত ভাব ধারণ করিল, কেন নিপীড়িতদের লন হঠাৎ এই উদচ্্বাসপূর্ণ বেদনা, তাহার কারণ 'রাজনীতির দ্বিধা”২ শর্ধক প্রবন্ধেব মধো সন্ধান করিলে পাওয়া যাইবে; আমরা কবির রাজনৈতিক প্রবন্ধগুলি একত্র আলোচনা করিব, সেইখানে এই প্রশ্নের উত্তর মিলিবে। এই কবিতা রচিত হইবার চব্বিশ বৎসর পরে ইহার সম্বন্ধে কবি “আমার ধর্ম'* প্রবন্ধে লিখিয়াছিলেন, “যে শ্রেয় মানুষের আত্মাকে দুঃখের পথে ছন্দের পথে অভগ্প দিয়ে এগিয়ে নিয়ে চলে সেই শ্রেয় আশ্রয় করেই প্রি্কে পাবার আকাঙক্ষাটি চিত্রায় এবার ফিরাও মোরে' কবিতাটির মধ্ো স্থম্পষ্ট ব্যক্ত হয়েছে বাশির সরের প্রতি ধিক্কার দিয়েই সে কবিতার আরম্ত। মাধূর্যের যে শান্তি কবিতার লক্ষা ত] নয়।""" বিরাট চিত্তের সঙ্গে মানবচিত্তের এই... সংঘাত ষে কেবল

“এবার ফিরাও মোরে', সাধনা, চৈত্র ১৩, প্র ৪১৬-৩১। চিত্রা রবীন্দ্ররচনাবলী ৪. পূ ৩২। রাজনীতির দ্বিধা, সাধনা, চেত্র ১৩১০, পু ৪৪*-৪%৬ 1 রাজা প্রজ্ঞা, রবীন্ত্র-রচনাবলী ১০, পূ ৪*৪। সবুজপত্র, আব্বিন-কাতিক ১৩২৪

এটা ১৮৯৪ চিত্রা কাব্য ৩৯৩

আরামের কেবল মাধূর্বের তা নয় ; অশেষের দিক থেকে যে আহ্বান এসে পৌছয় সে তো বাশির ললিত সুরে নয়... আহ্বান তো শক্তিকে আহ্বান ; কর্মক্ষেত্রেই এর ভাক, রসসন্ভোগের কুঞ্ককাননে নয় ।”১ সেইজন্ত এই কবিতাটিকে আমরা “প্রেমের অভিষেকের হীনমন্ততার প্রত্যুত্তর হিসাবে রচিত মনে করি।

যে-য়াসের সাধনায় “এবার ফিরাও মোরে” কবিতাটি বাহির হইয়াছিল সেই সংখ্যাতেই বঙ্কিমচন্ত্রের 'রাজসিংহে"র সমালোচনা* “রাজনীতির দ্বিধা” -শীর্ষক রাজনৈতিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হুয়। ফাল্তন চৈত্র মীসটা প্রায়ই কাটিয়া গেল উত্তরবঙ্গে ; বেশির ভাগই পতিসরে, কয়েকদিন লোকেন পালিতের সঙ্গে রাজশাহীতে | ছিন্লপত্রাবলীর মধ্যে এই সময়ের আটটি পত্র আছে,* মানুষ শিল্পী রবীন্দ্রনাথের অনেক কথা তাহাদের মধ্যে প্রচ্ছন্ন আছে।

তাহার এই নিঃসঙ্গ জীবনে এক নৃতন বন্ধু জুটিয়াছিল, “আমি লোকেনের ওখেন থেকে তার একখানা £771615 1০04] ধার করে এনেছি যখনি সময় পাই সেই বইট! উল্টে-পাণ্টে দেখি। ঠিক মনে হয় তার সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে কথা কচ্ছি-_ এমন অন্তরঙ্গ বন্ধু আর খুব অল্প ছাপার বইয়ে পেয়েছি”

আমিয়েল* ছিলেন ফরাসী-স্থুইস দাশনিক, জেনেভা বিশ্ববিদ্ঠালয়ে দশনের অধ্যাপক ; সাময়িক পত্তিকায় দর্শনাদি বিষয়ে প্রবন্ধ ছাড়া তিনি দাশনিক কোনো গ্রন্থ বচন! করেন নাই ; যে দুই-একখান! বই লেখেন তা খ্যাতি অর্জন কবে নাই। নিজের চিন্তাধারা ভায়ারিতে লিখিয়া বাখিতেন। তাহার ম্বতাুর পর সেগুলি ছাপা হয়। এই গ্রস্থখানি কবির খুব ভালো লাগে, ববার ইহার কথ! তাহার মুখে শুনিয়াছি।* আমিয়েলের লেখা তাহার এত ভালো লাগে যে বলেন্দ্রনাথের 'পশুগ্রীতি* নামক একটা প্রবন্ধের মধো আমিয়েলের লেখা! হইতে দীর্ঘ নোট বসাইয়া দিলেন ইন্দিরা দেবীকে লিখিতেছেন, (২২ মার্চ) “পশ্তুগ্রীতি বলে বলু একটা প্রবন্ধ লিখে পাঠিয়েছে, আজ সমস্ত সকাল বেলায় সেইটে নিয়ে পড়েছিলুম কাল আমি বোটে বসে জানলার বাইরে নদীর দিকে চেয়ে আছি এমন সময় হঠাৎ দেশি-- একট] কী পাখি স্নাৎবে তাড়াতাড়ি ওপারের দিকে চলে যাচ্ছে আর তার পিছনে মহা ধর-ধর মারু-মারু রব উঠেছে শেষকালে দেখি একটি মূরগি-_ তার আঙঙ্ন মৃত্যুকালে আমার বাবুচিখানার নৌকো থেকে হঠাৎ কি-

আত্মপরিচয় ( ১৩৫* ) তৃতীয় প্রবন্ধ রবীঙ্-র়চনাবলী ২৭, প১৮৭। রাজসিংহ. সাধনা, চৈত্র ১৩** | (নৃতন পরিবধিত সংস্করণ ), পৃ ৪*২-১৬। আধুনিক সাহিভা, রবীজ্র-রচনাবলী », পৃ ৪৬৩। ছিন্পপত্রাবলী পত্র ১১৩-২*। পতিসর, ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৪ (৮ ফান্ঠন ১৩** ),-২৬ ফেব্রুয়ারি ,-১৭ মার্চ; ২১ মাচ ,-২২ মার্চ, ২৪ মার্চ ;--২৮ মার্চ ,--৩* মার্চ (১৭ চৈজ্র ১৩** )। ৪. £১0101, 16001 চা506110 (1821-81 )- 9৬158 0১৮61080006 01916580হ 012515055 17 06765 1649) 1-6০04167 ৪720 1011617) 7১1016550£ 01 00110891799) 1854. চ715 10778] 1170776 আত 00070605665 05 96500 (06206581883 ) ৮9 চু, 905616111517516860 10 100০9001017 8174 179665 ৮০ 1, লুএ0৮ ভিজ ০০228118755 1887 ৮6৫ 28006 £১07014 725455 17 01001গায, 9660170 561165 2১05161 00:1076, 01708125176 0880361065 (০20 0006 00৮2725] 01 যু. [১ 8161, 08108151061 09 ৬৩ ৬5০ 310010 ৯101) 21) 11000001018 05 7). 1. 10079, 1931. শিবনাথ শাস্ত্রী, 'মহবি দেবেঙ্থন।থের দৃষ্টান্ত উপদেশ' নামক পুক্তিকাঁয় লিখিয়াছেন (পূ ২৪) :”্আর একবারের আর-একটা ঘটন! মনে আছে। 215, [৩2০৮০ ৬51৭-এর লিখিত ( অনুদিত ) 4/71615 70752 নামক গ্রন্থ হখন বাহির হইল (১৮৮৭), তখন চারিদিক হইতে তাহার প্রশংসা শুনিয়া আময়! কয়েকজন বন্ধু তাহ! পাঠ করিবার জন্ত হাএ্র হইয়া উঠিলাম এবং কোন প্রকারে তাড়াতাড়ি একখানি গ্রন্থ সংগ্রহ করিয়া পড়িয়া ফেলিলাম। আমর! মনে করিতে লাগিলাম যে, কলিকাতায় মধ আমরাই সর্বপ্রথম এই গ্রন্থ পড়িলাম, কিন্তু ছই-চারিদিন পরে মহধির সহিত সাক্ষাং করিতে গেলে তিনি জিজ্ঞান। করিলেন '47/11'5 10৮79" কি পড়িয়া? যখন শুনিলেন যে তংপূরে আমরা পড়িয়াছি, তখন আনন্দ প্রকাশ করিতে লাগিলেন এবং সেই গ্রন্থ হইতে কয়েক পডক্তি যুবস্থ আবৃত্ত করিতে লাগিলেন আমর। আশ্চধাধিত হইয়া ভাকিতে লাগিলাম তিনি থে তৎপূর্বে উহা পা১ করিয়াছেন কেবল তাহা! নে একপপ মনোযোগের সাঁহুত পড়িয়াছেন |” হলেম্ত্রনাথ ঠাকুর, পশুল্রীতি, সাধনা) চৈত্র ১৩** 1 চিত্র কাবা, ১৮৯৪ বলেন্-গ্রস্থাবলী, অগ্রহায়ণ ১৩৫৯

4 টা

৩৯৪ রবীন্দ্রজীবনী খীষ্টাব ১৮৯৪

রকম ছাড়া পেয়ে জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে পেরিয়ে যাবার চেষ্টা করছিল, ঠিক যেই তীরের কাছে গিয়ে পৌচেছে অমনি যমদূত মানুষ ক্যাক্‌ কৰে তার গল! টিপে ধরে আবার নৌকে1 করে ফিরিয়ে নিয়ে এল আমি ফটিককে [ বাবুচি ] ডেকে বললুম, আমার জন্যে আজ মাংস হবে না। এমন সময় ডাকে বলুর 'পশুপ্রীতি' লেখাটা এসে পৌঁছল, আমি পেয়ে কিছু আশ্চর্য হলুম। আমার তো আর মাংস খেতে রুচি হয় না আমরা যে কী অন্তায় ' এবং কী নিষ্ঠুর কাজ করি তা ভেবে দেখি নে বলে মাংস গলাধঃকরণ করতে পারি।”১

চিত্রা পর্বের বিচিত্র প্রেরণা

১৩** সালের চৈত্র মাসের মাঝামাঝির পর বা শেষাশেষি রবীন্দ্রনাথ কলিকাতায় ফিরিয়াছেন। এবার এখানে আসিয়া কয়েকটি কবিতা লিখিলেন। ১৩** সালের বর্শেষের দিন, “ন্েহস্থতি' পয়লা বৈশাখ ( ১৩০১ ) “নব্বর্ধে কয়েক দিনের মধ্যে লেখেন “ছুঃসমন্ক (৫) "মৃত্যুর পরে" (৫) ব্যাঘাত, (৬ বৈশাখ )। কবিতা কয়টিরই মধো মৃত্যু বিরহের স্থুর ধ্বনিত হইয়াছে “এবার ফিরাও মোরে? (২৩ ফাল্ন ) কবিতার মধ্যে জীবনের জন্য ষে- প্রচণ্ড আবেগ দেখিয়াছিলাম, তাহা আর-কোনো কবিতার মধ্য প্রকাশ পায় নাই। জোষ্ঠ মাসের “সাধনা'য় “মৃত্যুর পরে” কবিতাটি প্রকাশিত হইলে উহা কাহার উদ্দেশ্টে রচিত তাহা লইয়া বহু গবেষণা হয়। নিত্য বন্থু তাহার ভায়ারিতে২ বলেন যে কবিতাটি সাধনায় বাহির হইলে উহা! বস্কিমের মৃত্তা উপলক্ষে রচিত বলিয়া! কেহ কেহ মনে করিয়াছিলেন; কিন্তু এতদনম্বত্ধে সন্দেহও তিনি প্রকাশ করেন। উহার মধ্যে এত ব্যক্তিগত ভাবাবেগ আছে যে তাহা বঙ্কিমের উপর প্রযুক্ত হইতে পাবে না।

“ন্মেহস্থৃতি ছুংসময়? মৃত্যুর পরে" এমন-কি “নববর্ষে কবিতার মধ্ো যে বিরহ-মৃত্যুর কথা আছে তাহা কাহার স্মরণে রচিত তাহা স্বল্প প্রচেষ্টায় আবিষ্কার করা যায়। পাঠকের স্মরণ আছে দশ বংসর পূর্বে এই বৈশাখ মাসে (৮) শুক্লা নবমীর দিন তাহার বৌঠাকুরানী কাদশ্বরী দেবী দেহত্যাগ করেন। াহাকেই আজ স্মরণ হইতেছে, নৃতন ভাবে তাহাকে আজ কবি দেখিতেছেন। পূর্বেও “কড়ি কোমলে'র কয়েকটি কবিতার মধ্যে তাহারই মৃত্যুজনিত শোক বিহ্বলতা প্রকাশ পাইয়াছিল, 'মানসী'র অনেক কৰিতার মধো পুরাতন শোকের প্রতিধ্বনি শোনা গিয়াছিল; তাহা হইতে আঙ্জিকার বেদনার স্থর অন্ত প্রকারের-_

সেই সব এই সব, তেমনি পাখির বুব, তেমনি চলেছে হেসে জ্জাগ্রত সংসার

দক্ষিণ-বাতাসে-মেশা ফুলের গন্ধের নেশা দিকে দিকে ব্যাকুলতা৷ করিছে সঞ্চার

অবোধ অন্তরে তাই চারিদিক পানে চাই, অকম্মাৎ আনমনে জেগে উঠে ভুল-_

বুঝি সেই স্রেহসনে ফিরে এল জীবনে

সেই ঠাপা, সেই বেলছ্ুল'

ছির্লপত্রাবলী পত্র ১১৭। পতিসর। ২২ মার্চ ১৮৮১ [৯ চৈত্র ১৩০৯ ]। সাহিতা সেবকের ডায়রি, সাহিত্য, ১৩১*১১ ১৩১৩-১৫ | প্র, ীসনংকুমার ৩, ডায়ারিতে রবীন প্রসঙ্গ, শনিধারের চিঠি, বৈশাখ ১৩৯৮।

খাটাষ ১৮৯৪ চিত্রা পর্বের বিচিত্র প্রেরণা : ৬৯৫

“কড়ি কোমলে'র “কোথায়” “পুরাতন” কবিতাদ্বয়ের সহিত “ন্মেহস্থতি' “নববর্ষে কবিতা] ছুইটি তুলনীয় ।; 'ছুঃসময়” 'মৃতার পরে? কবিতার মধ্যে এই শোকস্থতি আরও ম্পষ্ট। স্বতির মাঝে আজ যে উদয় হইতেছে তাহারই উদ্দেশে কবি বলিতেছেন-_

তোমারে আঙিকে ভুলিয়াছে সবে,

শুধাইলে কেহ কথা নাহি কবে".

যেথা এক দিন ছিল তোর গেহ

ভিখারির মতো আসে মেধ! কেহ ?.""

যাহারা জাগিছে নবীন উৎসবে

কদ্ধ করিত্বার মত্ত কলরবে,

কী তোমার যোগ আজি এই ভবে তাদের সাথে ।২

এই কবিতাটির সহিত 'কড়ি কোমলে'র 'নৃতন' কবিতাটি তুলনীয় মৃত্যু পরে”* কবিতাটি পাঠক এখন আমাদের ব্যাখ্যার আলোকে পাঠ করুন। সেই অভাগিনী নারী কী বেদনায় তাহার তরুণ জীবনকে স্বহস্তে গ্রহণ করিয়াছিল সে সংবাদ এখনো রহস্কাবৃত। আম্মীম়স্বজনের৷ তাহার এই আকম্মিক কাওকে কখনো ক্ষমার চক্ষে দেখিয়া বিচারু করেন নাই; মৃত্যুকে বরণ করিবার জন্য সকলের কাছে মৃতার পরও সে নিন্দাভাগী হইতেছিল। তাই কি কবি পিখিতেছেন--

ছিলে যারা রোষভরে বুথা এতদিন পরে করিছ মার্জনা। অসীম নিম্তন্ধ দেশে চিররাত্রি পেয়েছে সে অনন্ত সান্ত্বনা ।... বসিয়া আপন ছারে ভালোমন্দ বলো তাবে যাহা ইচ্ছা তাই। অন্ত জনমমাঝে গেছে সে অনস্ত কাজে, সেআর সেনাই। আর পরিচিত মুখে তোমাদের ছুখে সুখে আমিবে না ফিরে স্বেছপ্মতি। চিত্রা। রবীঙ্্-রচনাবলী ৪, পৃ ৩৭।

ছুঃসময়। চিআ্রা। রবীল্-রটনাবলী ৪. পৃ ৪৩। মৃতুর পয়ে। চিত্রা। রবীন্তর-রচনবলী ৪, পৃ৪৪।

৩৯৬ যবীন্্রীবনী খ্রীষ্টান ১৮৯৪

তবে ভাব কথা থাক্‌, যে গেছে সেচলেযাক বিশ্বৃতির তীরে

প্রসঙ্গক্রমে বলিতে পারি কাদশ্বরী দেবীর মৃত্যু হয় বৈশাখ ১২৯১ শুরা! নবমী তিথিতে, এই কবিতাটি রচিত হইতেছে

বৈশাখ ১৩০১ শুক্লা ছাদশীর দিন বৈশাখ, কবি তাহার মর্মবেদন] নিয়লিখিত গানটি লিখিয়া ব্যক্ত করেন__ ওহে জীবনবল্লভ, ওহে সাধনতূর্জভ, আমি মর্ষের কথা, অন্তরব্যথ1 কিছুই নাহি কব--

যে চৈত্র মাসের (১৩০০ ) সাধনায় বস্কিমচন্দ্রের রাজসিংহ উপন্তাসের সংশোধিত সংস্করণের দীর্ঘ প্রশংসামুখর সমালোচনা প্রকাশিত হয়, সেই মাসেরই ২৬ তারিখে বঙ্ধিমের মৃত্যু হয়; বঙ্কিমের বয়স তখন ৫৬ বৎসর।১ রাজসিংহ সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথের এই সমালোচনা বঙ্কিমচন্দ্র দেখিয়] গিয়াছিলেন কি না জানি না।

বৈশাখ মাসে বঙ্কিমের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করিবার জন্য চৈতন্য লাইব্রেরির সম্পাদক উদ্যোগ করিলেন। এই সম্বন্ধে নবীনচন্ত্র সেন তাহার আম্মজীবনীতে লিখিতেছেন, “বঙ্কিমবাবুর জন্য 'শোক-সভা' হইবে, রবিবাবু শো ক-প্রবন্ধ পাঠ করিবেন, তাহার সভাপতিত্ব করিতে আমি আছুত হইয়াছিলাম। আমি উহ] অস্বীকার করিয়া পিখিলাম যে, সভা করিয়া কিরূপে শোক করা যায়, আমি হিন্দু তাহা বুঝি না। সভা করিয়া শোক 1... 'শোক-সভা' সন্বপ্ধে আমার উপরোক্ মতের প্রতিবাদ করিয়া, রবিবাবুর “সাধনা'তে এক প্রবন্ধ বাহির হইয়াছিল।... আমাদের শোক বড় নিভৃত পবিভ্র। উহা সভা করিয়া একট] তামাশার জিনিস করা আমি মহাপাতক মনে করি।”২

নবীনচল্রে এই আতান্তিক স্বাদেশিকতা এব অভিমাত্র হিন্দুত্বকে রবীন্দ্রনাথ সহজ সরলতা জ্ঞানে উপেক্ষা করিতে পারিলেন না; তিনি বঙ্ধিমচন্দ্রের সভায় তাহার প্রবন্ধপাঠের পর সাধনায় তাহার উত্তর প্রদান করেন।* প্রবন্ধের একস্থানে লিখিলেন, "যেমন আদাদের দেশে পিতৃশ্রাদ্ধ প্রকাশ্ঠা সভায় অনুষ্ঠিত হইয়া থাকে এবং প্রত্যেক পিতৃহীন বাক্তির পিতৃশোক ব্যক্ত করা প্রকাশ্ঠ কর্তবান্ব্ূপে গণা হয় তেমনি পাবলিকের হিতৈষী কোনো মহৎ বাক্কির মৃত্যুতে প্রকাশ্ট সভায় শোকজ্ঞাপন একটা সামাজিক কর্তবোর মধ্যে গণা হয়া উচিত।” ববীন্দ্রনাথ বলিলেন পাশ্চাত্য সভ্যতার নিকট হইতে আমরা বহু জিনিস গ্রহণ করিয়াছি করিতে বাধা হইয়াছি; শোকসভা-অনুষ্ঠান তাহার অন্যতম পাশ্চাত্য বলিয়াই তাহ। বর্জনীয় হইতে পারে না।£

চৈতন্ত লাইব্রেরিতে যে স্থৃতিসভা হইল, তাহাতে রবীন্দ্রনাথ যে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন তাহ! বাংলা সাহিত্যে স্থপরিচিত প্রবন্ধ ।* তাহা হইতে একটিমাত্র অংশ আমরা] নিয়ে উদ্ধত করিলাম-_

“অধিক দিনের কথা নহে; ইতিপূর্বেই যে-সভায় আমি লাধারণের সমক্ষে প্রবন্ধ [ ইংরেজ ভারতবাশী ] পাঠ করিয়াছিলাম, বঙ্কিমচন্দ্র তাহার সভাপতি থাকিয়। আমাকে পরম সম্মানিত এবং উৎসাহিত করিয়াছিলেন। তখন কে

বঞ্গিনচন্ত্র চট্াপাধ্যা়, জন্ম ২৯ জুন ১৮৩৮, মৃতু এপ্রিল ১৮৯৪ (২৬ চৈ ১৩) 1

নবীনচন্্র সেন, আমার জীবন | সঙগনীকান্ত দান সম্পাদিত, নবীনচন্্-রচনাবলী ৩, পৃ ২৭১।

শোকসভা, সাথনা, জো ১৩*১। আধুনিক দাঠিতা, পরিশিষ্ট, রবীন্্-রচনাবলী », পু ৎ২৯।

তু. রণ, সেঁঞুতি | রবীম্্-রচনাবলী ২২, পু ৩৭। "ডেকো না, ডেকো না সভা, এসো ছায়ায় যেখ! এই চৈত্রের শালবম ।' €. ২৮ এপ্রিল ১৮৯৪ (১১ বৈশাখ ১৩০১); সভাপতি গুরুদাস বন্দো।পাধায়।

বহ্িমচন্্র, সাধনা, বৈশাখ ১৩*১। আধুনিক নাহিতা, রবী রচনাবলী », পৃ ৩৯৯। ছু. গ্রন্থপরিচয়।

&ষ্টা ১৮৯৪ চিন্তা পর্বের বিচিত্র প্রেরণা ৩৯৭

কল্পনা করিয়াছিল তাহার অনতিকাল পৰে পুনশ্চ এই সাধারণ সভায় দাড়াইয়া তাহার বিয়োগে বঙ্গসাহিত্য এবং বঙ্গদেশের হই] আমাকে শোক প্রকাশ করিতে হইবে কে জানিত আমার সহিত তাহার সেই শেষ এহিক সম্বন্ধ ।”

বঙ্ধিমচন্দ্রের নিকট রবীন্দ্রনাথ যে কত বিষয়ে খণী ছিলেন তাহার সম্পূর্ণ গবেষণা এখনো হয় নাই; কিন্ত আলোচন। হইলে দেখা যাইবে বহু বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ বঙ্কিমকে অন্বর্তন করিয়া তাহার আরন্ধ কার্ধ সধালিত করিয়াছিলেন এর সঙ্গে সঙ্গেই বল! উচিত উভয়ের জীবনাদর্শ বা! দার্শনিক ধর্মীয় দৃিতঙ্গি সম্পূর্ণ পৃথক ছিল, স্থতরাং তাহাদের মধো মি হইতে অমিল ম্িলিবে বেশি। তবে কথা নিশ্চিত যে সাহিত্যের মধ্য দিয়া দেশগ্রীতি উদ্বোধন বিষয়ে উভয়ে সহধর্মী |;

বস্ছিমের মৃত্ার দেড় মাসের মধ্যে কবি বিহারীলাল চক্রবর্তীর* মৃত্যু হইল (১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩*১)। মৃত্যুর সময় বিহাব্বীলালের বযপস বাট বংসর ছিল; বহু বৎসর বাংলা সাহিত্াকে তিনি নীরবে সেবা করিয়াছিলেন বাংলার সাধারণ পাঠকশ্রেণীর নিকট তিনি বঙ্কিমাদির গ্ঠায় কখনো সুপরিচিত হুন নাই। ববীন্দত্রনাথ তাহার মৃত্যুর পর ষে দীর্ঘ প্রবন্ধ লেখেন, তাহাই বোধ হয় কবি সন্বদ্ধে চরম কথা তিনি লিখিলেন, «বিহারীলালের কণ্ঠ সাধারণের নিকট তেমন সুপরিচিত ছিল ন11-. তীহার স্থমধূর সংগীত নির্জনে নিভৃতে ধ্বনিত হইতে থাকিত, খ্যাতির প্রার্থনায় পাঠক- এবং সমালোচক-সমাজের ছারবর্তী হইত না। কিন্ত যাহারা দৈবক্রমে এই বিজনবাসী ভাবনিমপ্ কবির সংগীতকাকলিতে আকৃষ্ট হইয়া তাহার কাছে আসিয়াছিল তাহাদের নিকটে তাহার আদরের অভাব ছিল না। তাহারা তাহাকে বঙ্গের শ্রেষ্ঠ কবি বলিয়া জানিত |” এই গ্রন্থের প্রথমাংশে আমরা ববীন্দ্রনাথের সহিত বিহারীলালের পরিচয়ের কথ! বিস্তারে বলিয়াছি, স্তরাং পুনরুষ্পেখ নিষ্প্রয়োজন |

১৩০১ গ্রীক্ষকালের অধিকাংশ সময় কাটিল কলিকাতায় ; তবে মাঝে কয়েকদিনের জন্ত যান কাসিয়াছ। ত্রিপুরার মহারাজা বীরচন্ত্র মাণিকা ববীন্্নাথকে তথায় তাহার সহিত কয়েকদিন কাটাইবার জন্ত আহ্বান করিয়াছিলেন মহারাজ ববীন্ত্রনাথের কাব্যের সবিশেষ গুণগ্রাহী ছিলেন। “ভগ্রহদয়' প্রকাশিত হইলে তিনি কিভাবে কবিকে সম্মানিত করিম্াছিলেন, তাহা ববীন্দ্রসাহিত্য-পাঠকের নিকট হ্থপরিচিত। এবার কাপিয়াঙের অভিজ্ঞতা সম্বন্ধে কবি পিখিতেছেন, “প্রতোকদিন সন্ধ্যায় তিনি আমার লেখা শুনতেন আর গান গাইতে বলতেন তার মশ্রেছ, আদর আমার প্রাণে স্থায়ী বেখা টেনে গেছে 1... “মহারাজ বীরচন্দ্র অসাধারণ সঙ্গীতবিশারদ ছিলেন তাঁর কাছে আমার মতো অনভিজ্ঞেব গান-গাওয়া ঘে কতদূর সঙ্কোচের ছিল তা" সহজেই অনুমেয় ।-.. তিনি যে আমার কাছে আবৃত্তি সঙ্গীতের আলাপ শুনেই আমাকে রেহাই দিতেন তা নয় 3 তিনি তার বিষয়কর্মেও আমার শক্তিকে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছিলেন 18

কলিকাতায় ফিবিয়! আসিয়াছেন। বোধ হয় কামিয়াঙে বীরচন্ত্র মাণিকোর সহিত কয়েকদিন সাহিত্যমোদে কাটাইয়া মনট! গ্রসন্ন-_ তাই একঝাঁক গান খুব অল্পসময়ের মধ্যে উৎসরিত হইতে দেখিতেছি_-

প্র, ঞগোপালচজ রা; হন্ধিষচঙ্ছ রবীন্রদাধ। ১৯৬৩। শ্রীপতবতোষ দত্ত, চি্তাবায়ক হক্িমচন্তর। ১৯৬১ পরিচ্ছেদ-বহ্ধিষচন্জ রবীন্রনাথ, পূ ১২৫-৫৪।

ব্রজেক্্নাখ বঙ্গেযোপাধায়, সাহিত্য-সাধক-চর়িতমাল1 ২৫ : বিহারিলাল চক্রবর্তী

বিহারিলাল। সাধনা, আঘঢ় ১৩০১1 আধুনিক সাছিতা। রবীন্র-রচনাবলী, » পৃ ৪১১।

রবি, দ্রেমালিক পত্র ২য় বর্ষ, র্থ সংখা, ১৩৩৭ অরিপুয়া্দ (১৩৩২ ) আগরতলার ফিশোয-সাহিত্/-সমাজে কবি-সন্রাটের "যাদী। উদ্ৃতি, রবীন্রনাথ ত্রিপুরা, ১৩৬৮, পূ ৩৬১।

৩৯৮ ববীজ্জীবনী খ্রীাব ১৮৯৪

১২ জ্যাষ্ঠ ১৩০১: বাজিল কাহার বীণা গীতবিতান পৃ২৮১।

১৩ * »* : বড় বিস্ময় লাগে পৃ ৮৯৩। ১৪ ৮» * : হুম্দর হদিরঞ্জন তুমি প্‌ ২৮৩। ১৬» »* : কত কথা তারে ছিল বলিতে * পৃ ২৮৫। ১৯ : আমাবে করো তোষার বীণা * পূ ২৮৩।

আমাদের আলোচাপর্বে হ্যামারগ্রেন্‌ নামে এক স্থইভিশ যুবকের মৃত্যু ঘটিলে রবীন্দ্রনাথ সাধন] পত্তিকায় ( শ্রাবণ ১৩০১)" বিদেশীয় অতিথি দেশীয় আতিথ্য” শীর্ষক যে প্রবন্ধ লেখেন তাহার পটভূমে সংক্ষেপে বলা প্রয়োজন বোধ হুয় এই সময়ে (১৮৯৩ সালের শেষ দিকে ) সুইডেন হইতে হ্যামারগ্রেন নামে এক যুবক কলিকাতায় আসেন রাজা রামমোহন রায়ের ইংরেজী গ্রস্থাবলী পাঠ করিয়া যুবকটি বাংলাদেশের প্রতি আকুষ্ট হন নিজ জন্মন্ুমি ত্যাগ করিয়া বাংলাদেশের কোনো সেবার কাজে জীবন উৎসর্গ করিবেন এই সংকল্প অন্তরে বহন করিয়া দেশে আমেন। নিরস্তর অনিয়মে পরিশ্রম করিয়া অকালে তাহার মৃত্যু হয়; মৃত্যুকালে তাহার আকাঙ্ষা ছিল ষে হিন্দুর ম্যায় যেন তাহার দাহকার্ধ হয়।

এই ব্যাপারে হিন্দুসমাজের সনাতনীদের মধ্যে ঘোর আন্দোপন উপস্থিত হইল-__ একজন বিদেশীয় বিধ্মীর দেহ হিন্দুদের শ্মশানে দাহ হইবে, এমন অনাচার ধর্মপ্রাণ লোকদের অসহা। রবীন্দ্রনাথ এই ব্যাপারটি লইয়া 'বিদেশীয় অতিথি এবং দেশীয় আতিথা? নামে এক প্রবন্ধ১ লেখেন। এই প্রবন্ধে তিনি বলিলেন, “কিছুকাল পৃবে একলময় ছিল যখন আমাদের স্বদেশপ্রেমিকগণ প্রমাণ করিতে চেষ্টা করিতেন যে, হিন্দুধর্মে উদ্দারতা বিশ্বপ্রেম শিবধিচার-মআাতিথ্য অন্য সকল ধর্ম অপেক্ষা অধিক 1... শ্রুতিতে আছে, অতিথিদেবোভব কিস্থু কালক্রমে আমাদের লোকাচার এমন অনুদার বিকৃত হইয়া আস্যাছে যে, কোনো বিদেশীয় বিজ্ঞাতীয় সাধুব্যক্তি যদি আমাদের দেশে উপস্থিত হইয়া প্রীতিপূর্বক আমাদের মধ্যে অবস্থান করিতে ইচ্ছা করেন, তবে কোনো হিন্দুগৃহ তাহাকে সমাদরের সহিত অস'কোচে স্থান দেয় না, তাহাকে দ্বারস্থ কুক্ধুরের হ্যায় মনে মনে দৃরস্থ করিতে ইচ্ছা করে; এই অমানুষিক মানবদ্মণাই কি আমাদের পক্ষে অক্ষয় কলছছের কারণ নহে, অবশেষে আমাদের শ্বশানকেও কি আমাদের গৃহের ন্যায় বিদেশীর নিকটে অবরুদ্ধ করিয়া রাখিব জীবিত কালে আমাদের গৃহে পরদেশীর স্থান নাই, মৃত্তার পরে আমাদের শ্শানেও কি পরদেশীর দগ্ধ হইবার অধিকার থাকিবে লা।.." এই স্থইডেনদেশীয় নিরীহ প্রবাশী:- পাছে কোথাও অনধিকার প্রবেশ হয়)... এইজন্য সধর্র সর্বদাই অ্রস্ত সতর্ক বিনম্রভাবে একপার্থে অবস্থান করিতেন। সেই দয়ালু সহদয় মহাশয় ব্যক্তি কাহারো কোনে! অপকার করেন নাই, কেবল পরজাতি পরধর্মীর হিতচেষ্টায় আপন জীবনপাত করিয়াছেন মাত্র ।-.. এই প্রবাসী যুবক মৃত্যুকালে পবিজ্ত আর্ধভূমির নিকটে কোন্‌ অসম্ভব প্রার্থনা করিয়াছিলেন আমাদের নুপবিত্র সংস্পর্শ, না, আমাদের ছুর্লভ আত্মীয়তা 1... তিনি স্থইডেনের উত্তর প্রদেশ হইতে আসিয়া কলিকাতার যে শ্বশানে 'হাড়িডোম'১ প্রভৃতি অন্তাদগ জাতির অস্তো্টিক্রিয়। নিমিদ্ধ নহে, সেই শুশান প্রান্তে ভন্মসাৎ হইবার অধিকার চাহিয়াছিলেন মাক্স।”

বহুকাল পরে স্থইডেন দেশ হইতে তিনি যখন নোবেল পুরস্কার পাইয়াছিলেন, তখন বন্কৃুতাকালে এই সম্ধায় স্থইডিশ যুবকের কথা তিনি উদ্নেখ করিয়াছিলেন বহুবার তাহার মুখে এই ঘুবকের কথা শুনিয়াছি।

এই মালেই “অনধিকার প্রবেশ" নামক গল্পটি লেখেন হ্যামারগ্রেন হিশ্ুমাজে অনধিকার প্রবেশ অধিকার চাহিয়া ব্যর্থ হইয়াছিলেন; কিন্তু উক্ত গল্পের জয়কাপীর সকল আচার-বিচার ধ্বংস হষ্য়া গেল যখন অপবিদ্ত শুকর উন্নন্ত ডোমদের হাত হইতে পলায়ন করিয়া তাহারই পরম পবিত্র মন্দিরে জীবন রক্ষার জন্ঠ আশ্রয় লইল। “এই

্লাঠকগণ মনে করিবেন না আমরা ঘণা প্রকাপপূর্বক হাডিচোম প্রশ্ঠতির নামোলেখ করিহেছি , আমরা! সংবাদপত্রের ভাষা উদ্ধৃত করিতেছি ।” কবিকৃত পাদটাকা। সমাজ, পরিশিষ্ট, রবীন্র-রচনাবলী ১২, পৃ ৪৮৪-৮৯।

গ্রী্টা ১৮৯৪ চিত্ত! পর্বের বিচিত্র প্রেরণা ৩৯৯

সামান্ত ঘটনায় নিখিল জগতের সর্বজীবের মহাদেবতা পরম গ্রসন্ন হইলেন কিন্তু এই ক্ষুদ্র পল্লীর সমাজ নামধারী অতি ক্ষুদ্র দেবতাটি নিরতিশয় সংক্ষুব্ধ হইয়া উঠিল ।”

কিন্তু রবীন্দ্রনাথের সত্তার সবটাই সাহিত্য, রাঙ্গনীতি জমিদারি নহে। রবীন্দ্রনাথ গৃহস্থ বন্ধুবংসল স্বজনপ্রিয় ; সেসব কথা উপেক্ষা করিয়া একমাত্র সাহিত্যিক তুরীয়তার মধ্যে তাহাকে দেখাইতে গেলে সম্পূর্ণ ব্যক্তিত্বকে বুঝা যাইবে না) ব্যক্তিসত্তার সমগ্র চিত্রথানি না পাইলে তাহার কাব্যন্থতির মানসিক পটভূমিও আবিষ্কৃত হইবে না) সেইজগ্যাই মাঝে মাঝে মানুষ রবীন্দ্রনাথকে দেখা দরকার

১৮৯৩ সালের শেষ দিকে প্রমথ চৌধুরী ব্যারিস্টারি পড়িতে বিলাত যান) সেই বৎসর চিত্তরঞ্জন দাশ ব্যারিস্টার হইয়া দেশে ফেরেন। তখন রবীন্দ্রনাথের সহিত চিত্তরঞ্জনের বিশেষ ঘনিষ্ঠতা তাহার প্রত্যাবর্তনের পর প্রমথ চৌধুরী সম্বন্ধে অনেক সংবাদ তাহার নিকট হইত্তে পান এবং এক পজ্জেকলিকাতার বনু সংবাদ তাহাকে বিলাতে সরবরাহ করেন। তিনি লিখিতেছেন যে, “দিনটা খুব স্থদীর্ঘ এবং মেঘন্সিপ্ক-_ সন্ধ্যাবেলাটি ঘন অন্ধকার এবং বিমকিম্‌ বর্ষণে বেশ জমাট। প্রায় সে লময়ট] বহুবিধ আম্মীয়-বন্ধুমণ্ুলী-পরিবৃত হয়ে পঞ্চাশ নম্বর পার্ক স্বীটেই [ সত্যেন্ত্রনাথের বাটিতে ] ধাপন করা যায়।... গত দুদিন ধরে শারাড্‌ অভিনয় চল্ছে, তাতেও আমাদের বর্ধার সভ1 সরগরম হচ্ছে। এর থেকেই কতকটা বুঝতে পারবে পঞ্চাশ নম্বরে উনপঞ্চাশ পবন পূর্বরবৎ প্রবল প্রতাপে প্রবহমান ।”১

এই সময়ে “রাজা রানী'র দ্বিতীয় সংস্করণ ছাপা হইয়াছে এবং “কড়ি কোমলে'র দ্বিতীয় সংস্করণও প্রেসে গিয়াছে। দ্বিতীয় সংস্করণে রাজা রানী'র বিস্তর পরিবর্তন হইয়াছিল, আন্ঘতনে কমিয় প্রায় অর্ধেক দাড়ায় “কড়ি কোমলে'র বন অবাস্তর কবিতা বাদ যায়। আসল কথা, কবির উচ্ছ্বাসের মৃহূর্তের পর যখন তাহার আর্টিস্ট- সত্তা লেখাগুলিকে নৈব্যক্তিকভাবে দেখে, তখন সেসব রচনার যথাযথ স্থান নিদিষ্ট হয়। কিন্তু বর্যাকালে কৰি কলিকাতায় থাকিতে চান না, তাই পৃৰোক্ত পত্রেই পিখিভেছেন, “সেখানে [ শিলাইদহে ) ব্যাটা বোটের মধ্যে একাকী যাপন করতে হবে। অনেকগুলি কেতাব এবং গুটিকতক খালি খাতা সঙ্গে যাবে ।”

শিলাইদহে কবি পৌছান ২* জুন ( আষাঢ় )। ইন্দিরা দেবীকে (২১) কলিকাতায় লিখিতেছেন, “সবে দিন চাবেক হল এখানে এসেছি, কিন্ত মনে হচ্ছে যেন কতদিন আছি তার ঠিক নেই... কলকাতা থেকে এখানে এলে সময়টা চতুগ্ুপ দীর্ঘ হয়ে আমে_- কেবল আপনার মনোরাজো বান করতে হয়।”* এই পত্রে স্থান কালের আপেক্ষিক তত সম্বন্ধে সংক্ষেপে আলোচনা অ।ছে।

মনোবাজ্যে বাসের সহায় দুইটি-_ প্রক্কৃতি পুস্তক | আমরা জানি বিদেশে বাহির হইবার সময় কবি অনেক রকমের অনেক বই লইতেন-_ সবগুলি যে পড়িতেন তাহাও নহে; কিন্তু কখন কোনটার প্রয়োজন হইবে জানেন না তাই বিস্তর বোঝা সঙ্গে আসিত। অবসর পাইলেই পড়েন_-সগ্ঘ প্রকাশিত জ্যোতিবিগ্যা-বিষয়ক গ্রস্থ এই মাসেই কিনিয়া লইয়া আসিয়াছেন_-). ঢ. 0016 লিখিত 7116 7০011 17 5৫05 (1893) আর-একটা বই সমসাময়িক চিন্তার সমালোচনা-- 0160015া) 0া 000210091100581% 08 2ামামভাত ছাড়া মুরোপীয় বা ক্টিনেন্টাল সাহিতাও আছে। 1৮ 16৮ নামে বই পড়িতেছেন, লেখক পোলিস-_ 7০95০£ [81705 চ8525 10 (1812-87 )। ১৮৯*-সালে পৌোপিস ভাষ! থেকে ইংরাজি তর্জমা ধিনি করিয়াছেন, তাহার নাম দেখিলে মনে হয় তিনিও তদ্দেশীয়__ 700 ৬৪18519 | এই বইটি সম্বন্ধে কবি ইন্দির! দেবীকে সাতারায় পত্র লিখিতেছেন-- জুলাই মাসের গোড়ায় তিনি পিতার কাছে চলিয়া গিয়াছেন। ৮176 1৮ ব'লে একটা ০1851, নভেল পড়ে দিন কাটাতে

১. চিঠিপত্র €। পত্র ১৪। পু ১৬৩। ছিয়পঞাধলী। পত্র ১২১। শিলাইদহ। ২৪ জুন ১৮৯৪।

৪৪ ববীন্্রজীবনী খ্ীষ্টাবঝ ১৮৯৪

হল... নভেলটা নিতান্তই অপাঠা-_ কেবলমাত্র আরস্ত করেছিলুম ব'লে প্রাণপণে শেষ করে ফেললুম ।”১ ব্যক্তিগত পঙ্কে যে লেখকের গ্রন্থের বিরূপ মমালোচনা করিলেন, "সাহিত্যের গৌরব' শীর্ষক প্রবন্ধে অন্য দৃষ্টিতে রচনাটিকে দেখিয়া প্রশংসামূখর হইয়াছেন। ইহুদী [17 76 ] উপন্তাস “পাঠ করিলে পাঠক গণ জানিতে পারিবেন, লেখকের প্রতিভা জাতীয় হৃদয়ের আন্দোলন-দোলায় কেমন করিয়া লালিত হইয়াছে ।”২

এই সময়েই হঙ্গেরিয়ান লেখক 7০81-এব* 12565 18৫ 56৫ উপন্তামচিত্র পাঠ করেন; সেটি ১৮৯৩ সালে সন্ত ইংরেজিতে অনুদিত হুইয় প্রকাশিত হইয়াছে ( অস্থবাদক ইংরেজ টং. 2ব15550 9917 )। “সমুদ্রের স্যায় চক্ষু' ' এই আশ্চর্য গ্রস্থখানি পাঠ করিলে পাঠকেরা বুঝিতে পারিবেন, লেখকের সহিত তাহার স্বদেশের কী যোগ।”* আসলে পরাধীন দেশের দুর্শ! রবীন্দ্রনাথের মনে তীব্রভাবে আঘাত করিতেছিল, তাহার মনও বুটিশ শাসনের ওদ্ধত্য অবিচাবে কদ্ধ। তাই পোলিস্‌ হাঙ্গেবিয়ান লেখকদের উপন্তামে জাতীয়-হৃদয়ে আন্দোলন উত্থাপন করিতে দেখিয়া উহাকে সাহিত্যের গৌরব আখ্যা! দান করিতেছেন এই সময়ে পোলরা কশের সম্রাটের অধীন, আর হাঙ্গেরিয়ানর] অস্ঠিয়া জার্মান সমাটের অধীন। শিলাইদহে আসিবার দিন সাত-আটপরে ইন্দিরা দেবীকে লিখিতেছেন, “কাল থেকে হঠাৎ আমার মাথায় একট! হ্যাপি থট এসেছে আমি চিন্তা করে দেখলুম, পৃথিবীর উপকার করব ইচ্ছা থাকলেও কুতকার্ধ হওয়া যায় না, কিন্তু তার বদলে যেটা করতে পারি মেইটে করে ফেললে অনেক সময় আপনি পৃথিবীর উপকার হয়, নিদেন একটা কাজ সম্পন্ন হয়ে যায়। আজকাল মনে হচ্ছে, যদি আমি আর-কিছু না করে ছোট ছোট গল্প লিখতে বসি তা হলে কতকটা মনের স্থখে থাকি এবং কৃতকার্য হলে বোধ হয় পীচঙ্গন পাঠকেরও মনের সখের কারণ হওয়া যায়। সাধনায় উচ্চ বিষয়ে প্রবন্ধ লিখে বঙ্গদেশকে উন্নতিপথে লগি ঠেলে নিয়ে যাওয়া খুব মহৎ কাজ সন্দেহ নেই, কিন্ধ সম্প্রতি তাতে আমি তেমন সুখ পাচ্ছি নে এবং পেরেও উঠছি নে। গল্প লেখবার একটা সুখ এই, যাদেহ কথ! লিখব তারা আমার দিনরাত্রির সমস্ত অবসর একেবারে ভরে রেখে দেবে, আমার একলা মনের সঙ্গী হবে, বর্ধার সময় আমার বদ্ধ ঘরের বিরহ দূর করবে, এবং রৌদ্রের সময় পদ্মাতীরের উজ্দ্রল দৃশ্ের মধ্যে আমার চোখের 'পন্ে বেড়িয়ে বেড়াবে 1” এই দিনেই তিনি তাহার অমর গল্প 'মেঘ নোদ্রে'র পতন করিয়াছেন। “আজ সকালবেলায় তাই গিরিবালা-নায়ী উজ্জ্বলশ্যামবর্ণ একটি ছোট অভিমানি মেয়েকে আমার কল্পনাব্বাজ্যে অবতারণ করা গেছে ।"

“ষেঘ রৌদ্র” লিখিবার সময় রবীন্দ্রনাথের মনে দেশের বহু নামাজিক রাজনৈতিক লমস্তা জাগিতেছিল। আমবা যে-যুগের কথা বলিতেছি, তখন পথে-ঘাটে ইংরেজের হাতে দেশীয়দের অপমান, সাহেবদের পদাঘাতে লীহা-বিদারণ প্রস্থৃতি ঘটনা কাগজপত্রে মাঝে মাঝে প্রকাশিত হইত। ববীন্দ্রনাথ নিজ অভিজ্ঞতা হইতে ছুই-একটি উৎপীড়নের ঘটন! এই গল্পের মধ্যে সন্নিবেশিত করিয়াছিলেন ঘটনা ছুইটি গল্পের নায়ক শশিভুষণের জীবনেতিহাসের অন্যর্গত। প্রথম ঘটনাটি হইতেছে এই যে, “একখানি প্রীমারের পাশ দিয়া একখানি দেশী নৌকা চপিতেছিল, দেঈী নৌকার মাঝি একখানি পালের উপর ছুইখানি ক্রমে তিনখানি পাল তুলিয়া গ্রীমাবের সহিত পাল্লা দিয়া তাহাকে পিছাইয়া চলিয়া গেল। ম্যানেজার সাহেৰ আগ্রহভরে রেলের উপর ঝুঁকিয়া নৌকার এই প্রতিযোগিতা দেখিতেছিল।... হঠাৎ একটা বন্দুক তৃপিয়া স্কীত পাল লক্ষ্য করিয়া আওয়াজ করিয়া দিল। এক মুহূর্তে পাল ফাটিয়া গেল, নৌকা ডূবিয়া

১। ছিরপত্রাবলী | পত্র ১২৯। সাজাদপুর পথে। জুলাই ১৮৯৪ ২। সাধন।, শ্রাবণ ১৬০১। সাহিত, পূ ২৪৮-৪৯।

৩। ভাকঙ্গেরিতে ১৯২৬ সালে অক্টোবরের একদিনে 7৮০01 01091 (19 £6৮4819 1825 - 5 16১ 1904 )-এর সমাধিক্ষেত্রে রবীঙ্নাথ সালাদান করেন। ড্র. রবীন্রজীবনী ৩, পৃ ২৬২ পাদটাক1।

৪। সাহিত্যের গৌরব সাহিত্য, পূ ২৪৬ | ছি্রপঞ্ঞাংলী। পত্র ১২৩। শিলাইদহ | ২৭ জুষ ১৮৯৪

খ্রীষ্টা্ধ ১৮৯৪ চিত্রা পর্বের বিচিত্র প্রেরণ] ৪০১

গেল, স্রামার নদীর বাকে অদৃশ্য হইয়া গেল।” সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথের মতামত “মেঘ রৌদ্র' গল্পের পাঠকের নিকট স্থপরিচিত বলয়! উদ্ধৃত করিলাম না।

“মেঘ বৌদ্রে'র অপর ঘটনাটি হইতেছে এই : পুলিস সাহেব তাহার নৌকায় করিয়া যাইতেছেন। ছুই নদীর মোহনার মুখে বাশ বাধিয়া জেলেরা একটা প্রকাণ্ড জাল পাতিয়াছে। একপার্খ দিয়া নৌক] চলাচলের পথ দেওয়া আছে। সতর্ক করিয়া দেওয়া সন্েও পুলিস সাহেবের মাঝিরা জালের উপর দিয়া নৌকা চালাইয়! লইয়া গেল; জাল হালে বাধিয়া গেল; কিঞ্চিৎ বিলম্বে চেষ্টায় হাল ছাড়াইয়া লইতে হইল পুলিস সাহেব অত্যন্ত গরম রক্তবর্ণ হইয়া বোট বীধিলেন। তাহার মৃতি দেখিয়াই জেলেরা উ্ধ্বশ্বাসে পলায়ন করিল। সাহেব তাহার মাল্লাদিগকে জাল কাটিয়া ফেলিতে আদেশ করিলেন। তাহার] সেই সাত-আট শত টাকার জাল কাটিয়। টুকর! করিয়া! ফেলিল।

ববীন্দ্রনাথের মন বহুদিন হইতে ইংবেজের উদ্ধত্য অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিরক্ত হুইয়! উঠিতেছিল। তিনি বরাবর দেখিয়াছেন যে বিদেশী যখন উৎপীড়ন করে, দেশীয়রা তাহা নীরবে সহ করে। অত্যাচার যে করে অত্যাচার যে সহে উভয়ের মধধো কে বেশি অপরাধী বলা কঠিন, কারণ এইসব অত্যাচারের প্রযোজক ইংরেজ, কিন্তু সম্পাদক দেশীয় লোক শশিভৃষণ ইংরেজের কাছে বেশি, না দেশীয় লোকের হাত হইতে বেশি লাঞ্ছিত হইয়াছিলেন তাহা বল! কঠিন। কিন্ত এই গল্পটি আমর! যেভাবে দেখাইলাম আমলে উহ] সেরূপ নহে, কারণ এইসব ঘটন] গল্পের সৌন্দর্যকে আচ্ছন্ন করে নাই; বধূ হে ফিরে এসো? গান১ কেবল শশিভষণের কর্ণে নয় আজও সকল পাঠকের কর্ণে ধ্বনিত হইতেছে

যে মনোভাব হইতে 'মেঘ বৌপ্রে'র ঘটনাগুলি লিখিয়াছেন সেই মনোভাব হইতে “অপমানের প্রতিকার, প্রবন্ধটি লোখেন। ইংরেজ অপমান করে সেঙ্ন্ত সে নিন্দা; কিন্ধ যাহারা সেই অপমানের প্রতিকার করিতে পরাজ্দুখ, তাহা'পগকে তিন শ্লাধার পার মনে করেন না। এই সময়ে খুলনার ম্যাজিষ্ট্রেট বেট্সন বেল্‌ এক মুহুরিকে প্রহার করেন। তাহা লইয়া] মকন্দমা হয়। এই ঘটনার উল্লেখ কৰিয়া রবীক্জনাথ লিখিলেন, “হঠাৎ বাগিয়] প্রহার করিয়া বসা পুরুষের ছুবলতা, কিন্তু মার খাইয়া! বিন! গ্রতিকারে ক্রন্দন করা কাপুরুষের ছুবলতা |”

রবীন্দ্রনাথের সবচেয়ে লাগিল প্রহারটা নয়, তাহার বাজিল বাঙালি ব্যারিস্টারের অপমানকর স্বীকারোক্তি; ব্যারিস্টার ব্লিয়াছিলেন, মুছুরি-মারা কাজটা ইংরেজের অযোগা হইয়াছে, কারণ বেল সাহেব জানিতেন যে মুভি তাহাকে ফিরিয়া মারিতে পারিবে না এই শেষোক্ত বিষয়টির উপর ব্যারিস্টার জোর দিলেন রবীন্দ্রনাথ ব্যারিস্টাবের এই কথাতে অত্যন্ত বিরক্ত হইয়া লিখিলেন, প্যথেষ্ট মপমানিত হইলেও একজন মুহুরি কোনো ইংরেজকে ফিরিয়া মাবিতে পারে না, এই কথাটি ঞ্ুবসতাব্ধপে অল্লানমুখে স্বীকার করা এবং ইহাবই উপর ইংবেজকে বেশি করিয়া দৌষাহ করা আমারের বিবেচনায় নিতান্ত অনাবশ্বক এবং লজ্জাজনক আচরণ ।”২

এই কথাটাই আর-একদিন লিখিয়াছিলেন_

অন্যায় যে করে, আর অন্তা় যে সহে তব ত্বণা যেন তাবে ভণসম দছে।

এসে। এসো ফিয়ে এসো, বধু ছে, ফিরে এলে আমার ক্ুধিত ভূহিত তাঁপিত চিত, নাথ হে ফিরে এসে জর, গীতবিতান, প্‌ ৩৭২। স্বরবিতান ১৩1 গঞ্পগুল্ছ | রবীন্-রচনাবলী ১৯, পৃ ২৩৩। এই গানটিই কবি রাণাধাটে নবীনচন্ত্র দেনকে শোনান (১৮ ভাষ্ট্র ১৩*১ ) এবং ইহার একটি অনুলিপি দেন ভ্র, নধীনচন্তর সেন, আমার জীবন সজনীফান্ত দাস সম্পাদিত নধীনচ্তর-রচনাধলী ৩. পু ৬২-৬৩। অপমানের প্রতিকার, লাধনা, ভাজ ১৩*১। রাজ প্রজা রবীপ্রা-রচনাবলী ১০, পৃ ৪১*। ₹+

৪৩২ ববীন্্জীবনী গ্ীষ্টাৰ ১৮৪৪

বাঙালি বিচারক-ম্যাজিস্ট্রেট মাহেব বাঙালির মধ্যে ফৌছদারী মকদ্গমা হইলে অপরাধী সাহেবকে ভীতভাবে মতর্ক করিয়া ছাড়িয়! দেন, আর বাঙালিকে কিভাবে শাস্তি দেন তাহার উদ্দাহরণ তো “মেঘ বৌন্র' আছে। এই প্রবন্ধে তিনি লিখিলেন, “আমাদের স্বজাতিকে যে-লম্মান আমবা নিজে দিতে জানি না, আশা করি এবং আবদার করি স্ইে সম্মান ইংবেজ আমাদিগকে যাচিয়া সাধিয়া দিবে এক বাঙালি যখন নীরবে যাব খান্প এবং অন্য বাঙালি ষখন তাহা কৌতুহলভরে দেখে এবং স্বহন্তে অপমানের প্রতিকারসাধন বাঙালির নিকট প্রত্যাশাই করা যায় না কথা যখন বাঙালি বিনা লজ্জায় ইঙ্ষিতেও স্বীকার করে তখন ইহা বুঝিতে হইবে যে, ইংরেজের হারা হত আহত হইবার মুল প্রধান কারণ আমাদের নিজেদের স্বতাবের মধো | গবনমেণ্ট কোনো আইনের দ্বারা বিচারের হবার তাহা দুর করিতে পারিবেন না।” সেইজন্য শশিভূষণ পুলিস লাহেবকে মারিয়া পাচ বৎসর জেল খাটিল, কোনো! সাক্ষীর সহায়তা পায় নাই।

অপমান ষে কেবল ইংরেজ বাঙালিকে করিতেছে তাহা নহে, সমাজের মধ্যে যে অপমান নিত্য মাহধকে টানিয়া টানিয়া হীন পঙ্কে নিমজ্জিত করিতেছে, তাহার উদ্দাহরণও লেখক দিলেন। “আমাদের সমাজ স্তরে স্তরে উচ্চ নীচে বিভক্ত, যে-ব্যক্তি কিছুমাত্র উচ্চে আছে, সে নিম্নতর বাক্তির নিকট হইতে অপরিমিত অধীনত প্রতাশ।] করে|”

রবীন্দ্রনাথ কখনো কোনে! ব্যাধির মূল অনুসন্ধান করিতে গিয়া কেবল একপাশ হইতে তাহা দেখিতে পারেন না। সেইজন্ত তিনি ই'বেজকৃত অপমানের প্রতিকার ইংবেজের বিশেষ গুণের মধো অনুসন্ধান না করিয়া দেশবাসীকে জাগ্রত হইবার জন্ত আহ্বান করিলেন। এই প্রবন্ধ লিখিত হয় স্বদেশী যুগের (১৯০৫ খ্রীষ্টাব্দ ) দৃশ বৎসর পৃধে। বাংলার জাতীয় আত্মসম্মান উদ্বৃদ্ধ করিবার জন্য রবীন্দ্রনাথ যে কতখানি সহায়ক তাহা তাহার প্রবন্ধ গল্প কবিতা গানগুলিকে কালানুক্রমিকভাবে পাঠ করিলেই পাঠকের কাছে পরিষ্ফুট হইবে। যাহাই হউক এই যুগের রাজনীতিক প্রবন্ধগুলি পরবর্তী পন্চ্ছেদে একত্র আলোচিত হইবে।

১৩০১ আঘাঢ মাসের শেষ দিকে রবীন্দ্রনাথ উত্তরবঙ্গ হইতে কলিকাতায় ফিরিয়াছেন ; আলিয়া জানিতে পারিলেন ষে বিগত আষাঢ় বঙ্গীয়-লাহিত্য-পরিষদের ছিতীয় অধিবেশনে সপক্ষে-বিপক্ষে বন্ধ আলোচনার পর তাহাকে পরিষদের অন্ভতম সহকারী সভাপতি নিধাচন করা হইয়াছে; অপর সহকারী সভাপতি নবীনচন্দ্র সেন; প্রথম সভাপতি রমেশচন্ছ দত

এই সময়ে জ্োড়াাকোর বাড়িতে খামখেয়ালি সভা” বসে মাঝে যাঝে কত রকম ক্লাব হয়, জনের ভিড়ে বেশি দিন টেকে না। বুবীন্দ্রনাথের প্রস্তাবে গুটিকতক “খেয়ালী” সভ্য লইয়া ক্লাব গঠন করা হইল ঠিক হয় প্রত্যেক সদস্যের বাড়িতে পালাক্রমে সভা বসবে গুতোক অধিবেশনের শেষে রবীন্দ্রনাথ একটি খাতায় নিজের হাতে বিবরণী পিখিতেন। নিমন্থণের নৃতন পদ্ধতি বাহির করা হয়; একটা স্সেটে রবীন্দ্রনাথ কবিতায় নিমন্তথণলিপি পিখিতেন, হারান সভাদের সেই ল্লেট দেখাইয়া থাকিত-_ উহাই নিমস্থণপত্র একটি পরের নমুনা! উদ্ধত করিতেছি__ এই সভা ১৩১ সালের আবণের ১৩ তারিখে (২৮ জুলাই ১৮৯৪ ) আহত হয়।

শ্রাবণ মাসের ১৩ তারিখ শনিবার সন্ধাবেলা সাড়ে সাত ঘটিকায় খামথেয়ালীর মেল?! সভ্যগণ জোডাসাকোয় করেন অবরোহণ বিনয়বাকো নিবেদিছে রজনীমোহন 1১ খামখেয়ালি সভার পরদিন বঙ্গীয়-সাছিতা-পরিধদের তৃতীয় মাপিক অধিবেশনে (১৪ শ্রাবণ ১৩*১ ) কবি উপস্থিত হন;

রজনীযোহন চট্োপাধ্যায় গগনেরুনাপদের ভগ্রীপতি, ছিজেল্সরনাণের জামাতা মোছিনীযোহনেয় ভ্রাতী 'আবনীজানাপ রানীচলা, রোযা দ্বিতীয় সংস্যরণ, পূ ৯৮।

ধীষ্টা ১৮৯৪ চিত্রা পর্বের বিচিত্র প্রেরণা ৪০৩৬

সেইদিন বাংলা পারিভাষিক শব্ধ প্রণয়ণের জন্ত ঘে উপসমিতি গঠিত হয়, তাহাতে সভাপতি নির্বাচিত হন কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্ধ-_ সহকারী হুন রবীন্দ্রনাথ নবীনচন্ত্র। পাঠকদের স্মরণ আছে বিগত ১৭ বৈশাখ বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশন হয়১ ; তখন শোভাবাজারের রাজ! বিনয়কৃষণ দেবের বাটির (২1২ রাজা নবকষ্ণ গ্ুট ) একটি প্রকোষ্টে কয়েকজন মিলিয়া সভা করিতেন, পরিষদের নিজস্ব গৃহ ওখন ছিল না।

কলিকাতায় এবার বাসকাল শ্রাবণের (১৩৯১) সপ্তাহ তিন মাত্র এইবার কলিকাতায় বামকালে “বিদায় অভিশাপ ( ২৬ শ্রাবণ ১৩** ) কাব্যনাটা “চিত্রাঙ্গদা'র. দ্বিতীয় সংস্করণ একক্স করিয়া! প্রকাশ করা হইল (১৬ শ্রাবণ ১৩৯১1) পাঠকের স্মরণ আছে, “চিত্রাঙ্গদা” সচিত্র মুদ্রিত হইয়াছিল ২৮ ভাদ্র ১২৯৯ সালে। ইহার পর আবার সেই 'রাহুর প্রেম জমিদারির আহ্বানে উত্তরবঙ্গে চলিতে হইল। অআচরেই পট পরিবর্তন “কোথায় সেই কলকাতা, সেই তেতাঙ্গার ছাত, সেই বিশৃঙ্খল খাট পালং চৌকির নিবিড়তার মধ্যে নিয়মিত জীবনযাত্রা, সেই পাশের ঘরে পিয়ানোর স্কেপ-প্রযাকটিপ-__- সেই মীরা [ শিশু কন্যা 1, যিনি অতি ক্ষুদ্র হয়েও আমার পক্ষে জগতে অত্যন্ত হত স্থান অধিকার করে আছেন! হঠাৎ স্বপ্পের মতো চার দিকের অভ্রভেদী অট্টালিকাগুলি বাষুতরঙ্ষিত শ্বামল ধান্য- ক্ষেযে পরিণত হয়েছে চিৎপুরের বড় রাস্তাটি প্রশস্ত প্রসারিত তরলকলগীতিময় তরঙ্গিনীরূপে প্রবাহিত,... একটি উম্মুক্তবাতায়নে তরণীর মধো একটি কাম্প-টেবিলের শীর্ধদেশে বেত্রাসনে প্রধান নায়ক শ্রীযুক্ত ববীন্দ্রনাথ প্রভাতে পরুপিখলে নিযুক্ত 1২

পল্পার উপর বোটেবু মধো যে বুবীন্দ্রনাথ বাস করেন, আবু জমিদাবির কাছারি-বাড়িতে গিয়া ষে রবীন্দ্রনাথ উপবেশন করেন-_ তা যেন দুষ্টটি পৃথক সত্তা নদী "পরে নৌকায় বাস করেন কবি-ভাবুক, ঠাকুরবাড়ির বিষয়ভোগী জনিদাতপু্ বাস করেন কুঠিবাড়ির দরব'রে। কবিচিত্তে সর্বদাই এই দৈতসত্তার ঘন; লোকেন পালিতকে এক পত্রে লেখেন, “আমার নিজের মধো একটা গৃহবিচ্ছেদ আছে সেটা বাইরের লোকের কাছে প্রকাশ করতে ইচ্ছে করি না।” ইচ্ছা না-করিলেও রচনার মধো, ব্যবহারের মধ্যে প্রকাশ হইয়াই পড়ে। একদিনের পত্রে লিখিতেছেন, “আমার মধো যে ছুটি প্রাণী আছে, আমি এবং আমার সেই অন্তঃপুরবামী আত্মা, এই দুটিতে মিলে সমস্ত ঘরটি দখল করে বসে থাকি ।”* তিনি যেন অনুভব করিতেছেন ছুইটি পৃথক সত্তা পাশাপাশি বিরাজিত।

নদীবক্ষের নিরালায় বলিয়া রাজা রামমোহন রায়ের গ্রস্থাবলী হইতে বেদান্ত গ্রন্থগুলি পড়িতে পড়িতে মনে নান: প্রশ্ন উঠিতেছে ।* বেদান্ত সঙ্বদ্ধে স্বল্ল আলোচনা করিয়া, একদিন পত্রে লিখিতেছেন যে, “সমস্তই ছায়ার মতো, মায়ারই মতো বোধ হয়, অথচ সে মায়া সতোর চেয়ে বেশি'"" এবং এই মায়ার হাত থেকে পরিভ্রাণ পাওয়াই যেমানবাত্মার মুক্তি কথ! কিছুতে মনে হয় না। দাশনিক বলতে পারেন, সন্ধ্যাবেলায় জগৎকে যে পরিমাণে মায়া বলে উপলব্ধি করা

উর. আজেনুনাধ বঙ্দোপাধা।য়: পরিষং-পরিচয়। ১৩৫৬, পু ১1--৭১৮৯৩ অকের জুলাই মাসের ২৬ তারিখে [৮ শ্রাবণ ১৩*৭ ]-** বেজল এক্াঢেমি অব. লিটারেচার ন।মে একটি সভভা স্বাপিত হয় ।:- একাডেমি অব. লিট।রেটারের কারধকলাপ এইকপ ইংর়াজি-বহছলতা দেখিয়া কতিপ্ন স্ড। আপথ্ি করেন,... ১৬১ সাঞ্সের ১৭ বৈশাখ রবিবার অপরাহে পুধোলিখিভ একাডেমি অফ, লিটারেচার, বর্তমান ভিত্তির উপর পুনগঠিত করিয়া বঙ্গীয়" সাহিত/-পরিষং নামে অভিহিত করেন ।”

ছিএ্রপত্জাধলী। পত্র ১৩৮) শিলাইদহ | শ্রাবণ ১৩*১ ] অগস্ট ১৮৭৪

ছিন্নপত্রাধপী প্র ১৪৫ | শিলাইদছ | ১৬ অগস্ট ১৮৯৪ 9৪ রামমোহনের 'বেদান্তপ্রতিপ।ঘ বর্ন শঙ্কয়াচাধের নিছক অনবৃতি কি না, সে শুশ্দ আলোচনার মধ্ো রবীন্রনাথের প্রবেশাধিকার ছিল না, এবং তাহা

লইয়া উহার কোনে শিরংলীড়াও দেখা যাইত না! মহষি দেবেক্রন।খ 'বেদাস্তপ্রতিপান্ত ধর্ষ' মত গ্রহণ করিতে পায়েন নাই, কারণ রামমোহন ছুষল মানুষের খ্বাতাবিক তক্রিবিহ্বলতা হইতে কঠোর ঘুক্কিপূর্ণ চিগ্ন়তার উপর ধর্মাধমাকে প্রতিষ্ঠিত কপ্সিতে চাহিয়াছিলেন। মহবফি দেবেননাথ তক্তিবাদী-- অন্ত্ৈতবাদী নহেন; তবে সাহার ভক্তিঘাদ গৌড়ীয় বৈফবীয় ধর্মধার! হইতে সম্পূর্ণ বত

৪০৫ রবীন্দ্রজীবনী খ্রষ্টাব ১৮৯৪

হয় সেই পরিমীণে মুক্তি লাভ করা যায় এবং আমি যে আনন্দ পেতে থাকি সেটা যথার্থত মুক্তিরই আনন্দ-__ অর্থাৎ জগতটাকে সত্য জ্ঞান করার দরুন দিনের বেলায় আমার যে একটা দু বন্ধন থাকে, সন্ধ্যাবেলায় সমস্ত ছায়াময় হয়ে আসাতে নেই বন্ধন অনেকটা পরিমাণে শিথিল হয়ে আসে ; যখন জগত্টাকে একেবারে সম্পূর্ণই অসৎ বলে অন্তরের মধো দুঢ উপলব্ধি জন্মাবে তখন যে-একটি পরিপূর্ণ স্বাধীনতা লাভ করব সেই স্বাধীনতায় আমি ব্রদ্ত্ব প্রাপ্ত হব। কথাটা আমি ঈষৎ অহ্থমান এবং অনুভব করতে পারি) হয়তো কোন্‌ দিন দেখব বৃদ্ধ বয়সের পূর্বে আমি জীবন্মক্ত হয়ে বসে আছি ।”১ ইহারই পরে মনে হইতেছে 81701017515 বৈষ্ণব পদাবলীর কথা, “প্রক্কতির অনেক দৃশ্যই আমার মনে বৈষ্ণবকবির ছন্দোঝংকার এনে দেয়-_ তার প্রধান কারণ, এই-সমন্ত সৌন্দর্য আমার কাছে শূন্য সৌন্দর্য নয়__ এর মধ্যে মানব-ইতিহাসের যেন সমস্ত পুরাকালীন গ্রীতিসন্ষিলনগাথা পূর্ণ হয়ে বুয়েছে, এর মধ্যে যেন একটি চিরন্তন হৃদয়ের লীলা অভিনীত হচ্ছে, এই সৌন্দর্ধের মধ্যে বৈষ্ণবকবিদের সেই অনম্তবুন্দাবন রয়ে গেছে বৈষ্ণব- কবিতার যথার্থ মর্মের ভিতরে যে প্রবেশ করেছে, সে সমস্ত গ্রকৃতির ভিতর সেই বৈষ্ণবকবিতার ধ্বনি শুনতে পায়।”ৎ

এই ছুই পত্রথণ্ড হইতে রবীন্দ্রনাথের যৃল ধর্মতত্বের আভাম পাওয়া পায়; এক দিকে বেদাস্তের অতৈততত্বের আকর্ষণ__ যাহা! সব-কিছুকেই মায়া বলিয়া ব্যাখ্যা করে, অপর দিকে বৈষ্ণব ধর্মের রসলীলা-_ যাহা সব-কিছুকেই স্থন্দর অনির্চলীয় শোভায় সর্বইন্দরিয়ের দ্বারে উপস্থাপিত করে এক দিকে কঠোর যুক্তিবাদ-_ অপর দিকে ভক্তিবাদ ; এই ছুইয়ের ছন্বই মানুষকে ভাবুক চিন্তাশীলরূপে স্থপ্টি করিয়াছে জ্ঞান ভক্কি-মার্গের যুগপৎ সাধনার জম্ম প্রস্ততি হইতেছে শান্তিনিকেতনের উপদেশমালায় এইসব তত্ব নানা দিক হইতে আলোচিত হইয়াছে-_ ষথাস্থানে সেসব কথা আসিবে

আমাদেত মনে হয় কবির এই মানসিক ছন্দের অবস্থায় “অন্তর্ধামী" (ভাদ্র ১৩০১ ) কবিতা লিখিত হয়।৩ কিছুকাল হইতেই তাহার ভিতরে এই সংগ্রাম চলিতেছে ; তিনি লিখিয়াছিলেন, “নিজের ভিতরকার এই অপার রহন্কের কথা মনে করলে ভারী ভয় হয়-_ কী করতে পারব না-পারব কিছুই জোর করে বলতে পারি নে... জানি নেএ আমাকে কোথায় নিয়ে ধাবে, আমিই বা একে কোথায় নিয়ে যাব... কত কী অসংখ্য কাণ্ড আমাকে অবিশ্রাম আচ্ছন্ন করে ঘটছে, আমি দেখতেও পাচ্ছি নে, আমার সঙ্গে পরামর্শ করছে নাঁ, অথচ সবন্থদ্ধ নিয়ে খাড়া হয়ে দাড়িয়ে কর্তাব্যক্তির যতো! মুখ করে মনে করছি, আমি একজন আমি 1... আমি নিজেকে কিছুই জানি নে। আমি একট] সজীব পিয়ানে! যন্ত্রের মতো)... কখন কে এসে বাজায় কিছুই জানি নে, কেন বাজে তাও সম্পূর্ণ বোঝা শক্ত, কেবল কী বাজে সেইটেই জানি ।”*

ইংরেজ কবি শেলি তাহার [06657706 2০0৫5 প্রবন্ধে লিখিতেছেন, “1৪17 15 10500056170 0০1 71010 & 561165 01 6306100721 8170 11706107821 10001555101 26 00৮61, 11156 006 21061009 00175 01 21 €ড০০০10910£11)6 100 ০5০1 82 /১০০11201% 156, 41101) 000%5 10 0 00610 1000101/ 00 ০৮০1- ০1781081776 296104%.” রবীন্দ্রনাথের আমারে করো তোমার বীণা” ভাবনা হইতে লিখিয়াছিলেন “অন্তর্ধামী” কবিতাটি। ২৫ সেপ্টেম্বর ১৮৯৪ তারিখের পত্রে লিখিয়াছেন, “এবার বোটে থাকতে আমি অন্তর্ধামী-নামকণ্ড একটি কবিতা লিখেছি, তাতে আমি আমার অন্তরজীবনের কথা অনেকটা প্রকাশ করতে চেষ্টা করেছি ।”* |

ছিন্নপত্রাবলী | পত্র ১৪৬। শিলাইদহ ১৯ অগস্ট ১৮৯৪।

ছিন্লপত্রাবলী | পত্র ১৪৭। কুছিয়ার পথে। ২৪ অগস্ট ১৮৯৪

৩. অন্তর্যামী, সাধনা, আধখিন-কাতিক ১৩*১ | দ্র চিত্রা। রবীন্র-রচনাবলী ৪, পূ ৫৫। ছিন্পপত্রাবলী | পত্র ১১৯1 পতিসর। ২৮ মার্চ ১৮৯৪ (১৫ চৈত্র ১৩**)। ছিন্নপঞ্জাবলী পত্র ১৫৭। বোয়ালিয়!। ২৫ সেপ্টেম্বর ১৮৯৪ |

কফি

খরষ্টা ১৮৯৪ চিন্তা পর্বের বিচিন্ত্র প্রেরণা ৪০৫

একি কৌতুক নিত্যনৃতন ওগো কৌতুকময়ী ! আমি যাহা-কিছু চাহি বলিবারে বলিতে দিতেছ কই? অস্তরমাঝে বসি অহরহ মুখ হতে তুমি ভাষা কেড়ে লহ, মোর কথ। লয়ে তুমি কথা কহু মিশায়ে আপন স্থবে। ্‌ বু শতাব্দী পূর্বে রায় রামানন্দ প্রচৈতন্ মহাপ্রভুর নিকট এই ধরনেরই কথা কি বলেন নাই যে তিনি যন্ত্র, যন্ত্র তাহাকে চালাইতেছে-_ রায় কহে আমি নট তুমি স্থত্রধার। যেমত নাচাও, তেমত চাহি নাচিবার ১০৪ মোর জিহবা বীণা যস্ত্র, তৃমি বীণাধারী। তোমার মনে যেই উঠে তাহাই উচ্চারি 1 ১*৫ ॥১ কিছুকাল পরে মনের মধ্যে এই প্রশ্বই জাগে এই-যে ভাববন্যা কাবারূপে উদ্সরিত হয়, তাহার উত্ম কোথায়! ইন্দিরা দেবীকে (২১) পত্রে লিখিতেছেন, “আশ্চর্য এই যে, আজকাল আমার কবিতার প্রশংসা শুনলে আমার মনে সেবকম একটা পুলকসঞ্চার হয় না। আসল, তার কারণ, যে আমাকে লোকে প্রশংসা করছে, সেই আমিই যে কবিতা লিখে থাকে আমার সম্পূর্ণ হাদয়ঙ্গম হয় না। আমিজানি, যে-সমস্ত ভালো কবিতা আমি লিখেছি সে আমি ইচ্ছে করলেই লিখতে পারি নে-_ তার একটা লাইন হারিয়ে গেলেও বহু চেষ্টায় সে লাইন গড়তে পারি কিনা সন্দেহ ।”২ প্রায় দশ বৎসর পরে “বঙ্গভাষার লেখক' (প্রথম খণ্ড) গ্রশ্থের জন্য যে-আত্মচরিত লেখেন, তাহাতে “অস্তর্ধামী কবিতাটির দীর্ঘ বাখা| আছে। “আত্মপরিচয় গ্রন্থে প্রবন্ধটি পুনমূঁদ্রিত হইয়াছে আশ্চর্ষের বিষয় ওয়েনভেল্‌ হোম্স (0. ৬/.17017765 ) তাহার 4০০26 0 016 06194571৮12 গ্রন্থে স্বেচ্ছাচারীর মুখ দিয়া বলাইয়াছেন যে, তিনি যখনই একটি হন্দর পঙ্ক্তি রচন! করেন, তখনই তাহার মনে হয় যেন উহা! তাহার নিজের নহে, তাহার নিজের ত্বারা লেখা সম্ভব নহে।* উত্তরবঙ্গে যাওয়া আমার পথে একদিন বাপাঘাটের মহকুমা হাকিম নবীনচন্দ্র সেনের আহ্বানে কবি বাণাঘাটে আসেন* একদিনের জন্য ১৮ ভাত্র ১৩০১ (২ সেপ্টেম্বর ১৮৯৪ )। কবির আকৃতি প্রকৃতির একটি সরস সম্পূর্ণ বিবৃতির কিয়দংশ কবি নবীনচন্দ্রের 'আমার জীবন, গ্রন্থ হইতে আমরা উদ্ধৃত কবিলাম : “তিনি যখন গাড়ি হইতে নামিলেন, দেখিলাম, সেই ১৮৭৬ গ্রীষ্টাব্ধের নবধুবকের আজ পরিণত যৌবন। কি শাস্ত, কি সুন্দর, কি প্রতিভাম্বিত

প্রীয়াধাগোবিদ নাথ সম্পাদিত প্রগ্রীচৈতন্তচরিতামূত, ধালীলা অষ্টম পরিচ্ছেদ

ছিন্নপত্রাফলী। পত্র ১৫৮। কলকাতা ২৯ মেপ্ম্বর় ১৮৯৪।

চারুচজ্্ বঙ্গেযোপাধায়। রবিরশ্রি, পূর্বভাগ, পৃ ৩৪৭।

১৮ভাদ্র ১৩১। এই তারিথটা দিবার কারণ রবীশ্রজীবনীর চতুর্থ খণ্ডের সংবোজন অংশেয় পূ ২৬৮-৯ আলোচিত হইয়াছে জী, নবীনচজ্জ সেন, আমায় জীবন | সজনীকান্ত দাস সম্পাদিত নধীনচন্ত্র-য়চনাবলী ৩, পৃ ৬*-৬৩।

৪৯৬ রবীন্্রজীবনী ধীষ্টান্ধ ১৮৯৪

দীর্ঘাবয়ব উজ্জ্বল গৌরবর্ণ, শ্কুটোম্মুখ পদ্মকোরকের মতো দীর্ঘ মুখ; মন্তকের মধাভাগ-বিভক্ত কুঞ্চিত সঙ্ষিত ভ্রমর্কুষ্ণ কেশশোভা ; কুঞ্চিত অলক-শ্রেণীতে সল্জিত স্ববর্ণদর্পণোজ্জল ললাট ; অ্রমরুকৃষণ গুশ্ক খব শ্মশ্রুশোভাম্বিত. স্ন্দর নাসিকায় মাঞ্জিত স্বর্ণের চশমা বর্ণ-গৌরব সুবর্ণের সহিত ঘম্থ উপস্থিত করিয়াছে মুখাবয়ব দেখিলে চিত্রিত ্ীষ্টের কথা মনে পড়ে পরিধানে সাদা ধুতি, সাদা রেশমী পিরান রেশমী চাদর চরণে কোমল পাছুকা, ইংরাজী পাছুকার কঠিনতার অসহাতা ব্যঞ্কক।”

রবীন্দ্রনাথ সগ্ভরচিত একটি কীর্তনের গান নবীনচন্দ্রকে গাহিয়া শোনান এবং পরে তাহাকে অনুলিপি করিয়া পাঠাইয়া দেন; সেই গানটি হইতেছে-__-'এসো এসো ফিরে এসো, বধু হে ফিরে এসো'। গানটি “মেঘ রো” গল্প- পাঠকের সুপরিচিত

কবি রাণাঘাট হইতে শিলাইদহ হইয়া সাজাদপুর আসিলেন ভাদ্রের (১৩০১) গোড়ায়। শ্রাবণ মাসটা ( 5-২৪ অগস্ট ) নদ্দীতেই কাটে, তাই সাজাদপুরে “বাড়িতে এসে উত্তীর্ণ হলে বড়ো আরাম" বোধ করেন (৫ সেপ্টেম্বর )। যাত্রায় সাজাদপুরে কয়দিন থাকিয়া তার পর আবার নদীপথে বাহির হন। ১০ সেপ্টেম্বর লিখিতেছেন “কাল সকাল থেকে জলপথে রয়েছি ।' পতিসরে দিন দশ বোধ হয় থাকেন-_ জমিদারির কাজেই তার পর আবার জলপথে চলেন রাজশাহী মনের কত কথা প্রলাপের মতো বলিয়া যাইতেছেন পরুধারার | একদিন লিখিতেছেন যে পবত থেকে সমুদ্রতীর ক্টাহার বেশি ভালো লাগে কেন। তাই ইচ্ছ' পুরীতে মনৃহতীরে একটি ছোট বাড়ি তৈরি করে পড়ে থাকি সেই পত্রেই পিখিতেছেন, “সন্গাসীরা যেরকম করে বেড়িয়ে বেডায় তেমনি করে ভ্রমণ করা যদি আমার পক্ষে সহজ হত 'তা হলে এই অবারিত পৃথিবীর হাতে আপনাকে সমর্পণ করে দিয়ে একবার দেশে দেশা-রে ঘুরে আসতুম | কিন্ত আকাশ ছুই হাত বাড়িয়ে ডাকে এবং গৃহ ছুই হাত ধরে টেনে নিয়ে আসে। উভচর জীব... আমি... মানসজগং এবং বস্জগং দুইয়ের মধোই আমার সমান বন্ধন 1১

সাজাদপুরের কুঠিতে আসিয়া উঠিলেন (২১ ভাদ্র)। লিখিতেছেন, “অনেক কাল বোটের মধ্যে বাস করে হঠাৎ সাজাদপুরের বাড়িতে এসে উত্তীর্ণ হলে বড় ভালো লাগে আজ সকালে বসে ছড়া সম্বন্ধে একটা লেখা লিখতে প্রবৃৰ হয়েছিলুম ;২ নেটার ভিতরে বেশ সম্পূর্ণ নিমগ্ন হতে পেরেছিলুম, বড় ভালো লাগছিল “ছড়ার একটা স্বতস্থ রাজা আছে, সেখানে কোনো আইন কাশ্রন নেই যেঘরাজোর যতো ।5 এই ছড়া গরবন্ধ সাধনায় 'মেয়েপি ছড়া'* নাষে প্রকাশিত হয়।* রবীন্দ্রনাথ দশ বংসর পূর্বে দেশবাসীকে বাংলার গ্রামাসগীত সংগ্রহ করিবাষ জন্ত আহ্বান করিয়া স্বয়ং ছড়া-সগ্রহে প্রবুক হন) এতকাল পরে বঙ্গীপ্র-সাহিতা-পরিষদের প্রেরণায় তিনি লোকমাহিত্া আলোচনায় প্রবৃত্ত হইলেন। বাংলার আদিম কাব্য-সাহিত্যের নাম হইতেছে ছড়া; রবীজনাণ বাঙালির সম্মুখে ছড়ার স্বরূপ বিঙ্লেষণ করিয়া ধবিলেন। গ্রাম্য ছড়।) যাহাকে কেহ কোনোদিন কোনো প্রকার

চিন্পপত্রাঝলী ! ১৫৪ বোয়ালিয়াপ্ে ? ২২ সেপ্টেম্বর ১৮৯৪ | আশ্বিন ১৩১ ]। মেয়েলি ছড়া, সাধনা, ভাত্রআহ্িন ১০১, পু 8১৬৭৪ | লোকলাঠিঠে ইহা ছেলেছুলানে। ছড়া নামে মু্িত ওয় (১5১8), উই রবীন রচপাবলী পূ ৫৭৭-৬*৮ | ছিক্পপত্র/বলী : পত্র ১৪৯। সেপ্টেম্বর ১৮৯৪ [১৯০১ ভাই ২১ ]। প্রবন্ধটি চৈতগ্ঠ-লাইব্রেরিতে ১৬ আহিন ১৩*১ কবি পাঠ করেন! সভাপতি ছিলেন গুরুদাল বঙ্দোপাগায়। জর, হ্িব্পত্রাবলী | পত্র ১৬৩। কলকাতা | ১৭ অন্টোবর ১৮৯৪ | “কাল বর লঙ্গে 'বেয়েলি ছড়া নিয়ে কপা হম্ছিল। তিনি বলছিলেন, অমন £কট। তুচ্ছ উদ্দেক্যেবিধীম বিষয় নিয়ে আমি কেন সাধারণের কাছে বড়তা দিতে গেপুম তিনি বুঝতে পারেন নি।” কলিকাঠার নিকটবতী ছেলেটুল!নো গচাঞুলি সংএ্রহ করিয়া ঠিনি 'সাভ্তা-পরিষং-পত্রিকায়' প্রকাশ করেন (সাহিতা-পরিষং-পত্জিকা, মাঘ ১৩১) ছেলেউুলানে। ছড়া, লোকনাহিত্য রবীন্দ্র-রচনাবদী ৬, পূ ৬*৮-৩১।

ধীটা ১৮৯৪ চিন্তা পর্বেষ বিচিত্র প্রেরণ! ৪৯৭

সমাদর দেখায় নাই তাহা! আজ ববীন্দ্রনাথের লেখনীর সহায়তায় অপরূপ লাবণ্যে উদ্ভঃসিয়! উঠিল এই গ্রাম্য ছড়ার মধ্যে যে এত সৌন্দর্য থাকিতে পারে তাহা রবীন্দ্রনাথের স্ঠায় এন্দ্রজালিকের পক্ষেই দেখানো সম্ভব। তিনি বলিলেন, কাব্য-সমালোচক যদি কাব্যের শ্রেণীনির্পয় অন্থান্ত যুক্তিতর্ক বাদ দিয়! কাব্যপাঠজাত তাহার মনের আনন্দটুকৃকে পাঠকশ্রেণীর মধ্যে পরিচালনা করিতে পারিতেন, তাহা হইলে সমালোচনার একটি নৃতন আদর্শ প্রতিষ্ঠিত হইতে পারিত। তাহার মতে এইসকল ছড়ার মধ্যে একটি চিরত্ব আছে। চিরত্ব-গুণে যেন শিশুর মতো। শিশুর মতো পুরাতন আর কিছুই নাই, শিশু প্ররুতির স্জন। কিন্তু বয়স্ক মানুষ বহুল পরিমাণে মানুষের শিজরুত রচনা তেমনি ছড়াগুলিও শিশুসাহিতা-_ তাহারা মানবমনে আপনি জন্মিয়াছে। আপনি জন্মিয়াছে কথা বলিবার একটু বিশেষ তাৎপর্য আছে আমাদের মন সর্বদাই ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন ভাবে ঘুরিয়া! বেড়ায়, তাহানগা! বিচিত্র কূপ ধারণ করিয়া সর্যদাই এবং অকন্মাৎ প্রসঙ্গ হইতে প্রলঙ্গান্তবে গিয়া উপনীত হয়। কিন্তু "খন আমরা সচেতনভাবে কোনো-একটা বিশেষ দিকে লক্ষ্য করিয়! চিস্তা করি তখন এই সমস্ত: ছায়াময়ী মবীচিকা মূহূর্তের মধ্যে অপসারিত হয়, আমাদের কল্পনা আমাদের বুদ্ধি একটা বিশেষ একা অবলম্বন করিয়া একাগ্রভাবে প্রবাহিত হইতে থাকে ।” মনের এই সজাগ অবস্থায় আমাদের অন্তর্জগতে এবং বহির্জগতের অধিকাংশই যখন সমাচ্ছন্ন হয় তখনই সাহিত্য সি হয়) আর তাহার বিপরীত অবস্থায় মানুষ যাহা স্ত্ি করে তাহাকে ছড়া বলা যাইতে পারে। হ্থদীর্ঘকাল শিক্ষার নিয়মের নিগড়ে যাহাদের মন বীধা তাহাদের স্থষ্ট শিল্প অশিক্ষিতপট্‌ মানবমনের শ্ষ্টি হইতে সম্পূর্ণ পৃথক হইবে। শিশুর মন অশিক্ষিত, মনের প্রতাপ তাহাদের অন্তরে ক্ষীণ, স্থসংলপ্র কার্যকারপস্থত্র ধরিয়া জিনিসকে প্রথ হইতে শেষ পর্যন্ত অনুসরণ করা তাহার পক্ষে ছুংসাধ্য। তাই আদিম মানবের বাল্চিত্তের অসংবন্ধ ছড়ার ছবি তাহার এত ভালে! লাগে। সেইজন্ত বোধ হয় ছেলেভুলানো৷ ছড়ার মধো তিনি যে রসাস্বাদ করিতেন ছেলেবেলাকার স্থতি হইতে তাহাকে বিচ্ছিন্ন করিয়া দেখা তাহার পক্ষে অসম্ভব।

এই সময়ে রবীজ্্রনাথ কলিকাতা তৎনিকটবর্তী স্থানে গ্রামাছড়া সংগ্রহ করিতেছেন ; ধীরে ধীরে অন্যান্ত জেলার উপভাষায় রচিত ছড়াও সংগৃহীত হয়। এই ছড়াগুলি সাছিতা-পরিষৎ-পঙ্জিকায় (মাঘ ১৩০১) প্রকাশিত হয়। এই সংগ্রহের জল্ত ষে-ভূমিকাটি লিখিয়াছিলেন, তাহ আমরা উদ্ধৃত করিয়া! দিতেছি__

“আমাদের অলংকারশাস্তে নয় রসের উল্লেখ আছে, কিন্তু ছেলেভুলানো ছড়ার মধ্যে যে-রসটি পাওয়া যায়, তাহা শাস্ত্রোক কোনো রসের অন্তর্গত নহে সম্ভঃকর্ষণে মাটি হইতে ষে সৌরভটি বাহির হয়, অথব! শিশুর নবনীত- কোমল দেহের যে শ্েছোত্বেলকর গন্ধ, তাহাকে পুষ্প চন্দন গোলাপ-জল আতর ব] ধুপের স্থগন্ধের সহিত এক শ্রেণীতে ভুক্ত করা যায় না। সমস্ত গন্ধের অপেক্ষা তাহার মধ্যে যেমন একটি অপূর্ব আদিমতা আছে, ছেলেভুলানো ছড়ার মধ্যে তেমনি একটি আদিম সৌকুমার্ধ আছে-_ সেই মাধুর্ঘটিকে বালযরস নাম দেওয়া যাইতে পারে। তাহা তীত্র নে, গাঢ় নছে, তাহ অত্যন্ত স্লিগ্ধ সরস এবং যুক্তিসংগতিহীন।

“শুদ্ধমাত্র এই রসের দ্বারা আকৃষ্ট ছইয়াই আমি বাংলাদেশের ছড়। -সংগ্রহে প্রবৃত্ত হইয়াছিলাম। রুচিভেদবশত সে রস সকলের গ্রীতিকর না হইতে পাবে, কিন্তু এই ছড়াগুলি স্থায়ীভাবে সংগ্রহ কর! কর্তব্য সে বিষয়ে বোধ কৰি কাহারও মতান্তর হইতে পারে না, কারণ, ইহা আমাদের জাতীয় সম্পত্বি। বহুকাল হইতে আমাদের দেশের মাতৃভাগ্ডাবে এই ছড়াগুলি রক্ষিত হইয়া আঙিয়াছে ; এই ছড়ার মধো আমাদের মাতৃষাতামহীগণের মেহলংগীতত্বব জড়িত হুয়া আছে, এই ছড়ার ছন্দে আমাদের পিতৃপিতামহগণের শৈশবনৃত্যের নৃপুর-নিক্কণ ঝাংকত হুইতেছে। অথচ, আজকাল এই ছড়াগুলি লোকে ক্রমশই বিস্বত হইয়া যাইতেছে |". অতএব জাতীয় পুরাতন সম্পত্তি সযত্বে সংগ্রহ করিয়া বাখিবার উপযুক্ত সময় উপস্থিত হইয়াছে।

সি রবীন্দ্রজীবনী খ্রীষ্টাব্দ ১৮৯৪

“ছড়াগুলি ভিন্ন ভিন্ন গ্রদ্দেশ হইতে সংগ্রহ করা হইয়াছে; এইজন্য ইহার অনেকগুলির মধো বাংলার অনেক উপভাষা ( 0181০6) লক্ষিত হৃইবে |... ইহারা অতীত কির হ্বায় মৃতভাবে রক্ষিত নহে ইহারা সজীব, ইহারা সচল; ইহার! দেশকালপা ত্রবিশেষে প্রতিক্ষণে আপনাকে অবস্থার উপযোগী করিয়া তুলিতেছে |”

বাংল। সাহিত্যের এই একটি দিক তিনি খুলিয়া! দিলেন, এবং তাহার পরে অনেক লেখক এইসব সংগ্রহে মন দিয়াছেন।

ছড়ার প্রতি কবির এই যে আকর্ষণ তাহা বহুবংসর পরবে বুদ্ধবয়সে তাহার নিজ কবিতার মধ্যে দেখা দিয়াছিল; শেষজীবনে কবির মনে শিশুর চোখের রঙ, শিশুমনের স্থর ফিরিয়া আপিয়াছিল। পুরাতন বিষয় লইয়] ছড়া সম্বদ্ধ দীর্ঘ আলোচনা করিতেছেন বলিয়া মধ্যে বোধ হয় একটু প্রশ্ন উঠিয়াছে; তাই দুই দিন পরে পিখিত ডায়ারিতে পুরাতন নৃতন স্থষ্টি লইয়৷ বেশ একট মনোজ্ঞ আলোচনা আছে, “পুরাতন প্রতিদিনই নৃতন করে আসে, এবং আমার ঠিক সেই কালকের মনোভাব আজ আবার তেমনি করে জেগে ওঠে প্রকৃতি প্রতিদিন পুনরাবৃত্তি করতে কিছুমাত্র সংকোচ বোধ করে না। আমাদেরই সংকোচ বোধ হয়, মনে হয় মামাদের ভাষার মধো সেই অনম্থ উদারতা নেই যাতে রোজ এক ভাবকে নতুন করে দেখাতে পারে অথচ সকল কবিই চিরকাল উল্টেপান্টে প্রায় একই কথা বলে আষছে এবং সেই এক কথাই সহম্র আকার ধারণ করছে কোনে! কোনো ক্ষত কবি কিছু জনদন্তি কবে নৃতনত্ব আনবার চেষ্টা করে-_ তাতে এই প্রমাণ হয় যে, পুরাতনের মবো যে চিরনৃতনত্ধ আছে তার ক্ষ কল্পনায় সেটা! আর অনুভব করতে পারে না, সেইজন্তে স্গ্টিছাড়া নৃতনত্বের জন্যে ঘুবে বেড়ায় অনেক তবাধশক্ষিবিহীন পাঠক আছে যারা নৃতনকে কেবলমাত্র তার নৃতনত্তের জন্যই পছন্দ করে। কিন্তু আপল তাবুকথা এই-সকল শৃতনত্থের ফাকিকে তুচ্ছ প্রবঞ্চনা বলে ঘ্বণা করে ।”২

ছড়ার মত পুরাতন জিনিসের সমর্থনের জন্য জবাবদিহি |

সেইদিনই লিখিতেছেন : “আজকাল এই ছড়ার রাজো ভ্রমণ করতে করতে আমি কত রকমের ছবি এবং কাত রকমের স্থখ ছুঃখ হ্ৃদয়বুত্তির ভিতর দিয়ে ছুয়ে ছুঁয়ে চলে যাচ্ছ তাত আর ঠিকানা নেই ।ত পন্হখানি পাঠক আর-একবার পড়িতে পারেন-_ ভালোই লাগিবে।

সাজাদপুর, পতিসর, বোয়ালিয়া ঘুরিয়া কবি কলিকাতায় ফিরিলেন। ছিডা' সঙগচ্ছে প্রবন্ধটি ১ম লাইব্রেরিতে পাঠ করিলেন ১৬ আশ্বিন ১৩০১ / অক্টোবর ১৮৯৪ )| সভাপতিত করেন গুকুদাষ বন্দ্যোপাপায়। সংবাদের মধো বলিবার মতো! ঘটনা তাহার ছোট গল্পের তিনখানি বই এই মাসে প্রকাশিত হয় - 'বিচিন্ন গম প্রথম খিতীয় ভাগ) এবং “কথা-চতুষ্টয়'

কলিকাতায় কয়েকদিন আছেন কিন্ধ প্রাণ ক্লান্তি অনভব করে, সেখানে “ভাববার। অনুভব করবার, কল্পনা করবার, অবসর 'এবং উত্তেজনা অগ্লে অন্গে চলে যায়: ভিতবে ভিতরে দিনরাহ্ির একটা অবিশ্রাম খুৎ খৎ চলতে থাকে ।”* দূরে থাকিলে পরিবার সংসারের জন্য মন উত্তপা হয়, সংঘারে আসিলে বাস্থবের সাঘাতে মন ক্লান্ত হয়। তাই বোধ হর বোলপুর যাইবার জন্য উদ্গ্রীব; “সেখানে যখন সেই গাড়িবারান্দার ছাতের উপর বড় কেদারা পেতে একলাটি শরতের সন্ধযালোকে বোলপুরের দিগন্প্রসারিত সবুজ মাঠের উপর আমার অন্ঃকরণের সমস্ত

ছেলেহুলানো ছড়া, সাহিতা-পরিবং-পত্রিকাঃ মাঘ ১১০১1 লোকনহিতা, রপীন্গ-পনাবলী ৬, পূ ৮০৩১ ছিন্নপত্রাবলী পত্র ১৫*। সাজ্াদপুর। সেপ্টেম্বর ১৮৭৪1 ৩০তা১5%১।

ছিন্্পত্রাবলী পত্র ১৫১। সাঙ্জাদপুর। লেপ্টেম্বর ১৮৯৪ |

ছিন্লপত্রাবলী। পত্র ১৬১। কলকাতা, » অটঠোবর ১৮৯৪

গ্রীষ্টাৰ ১৮৯৪ চিত্রা পরের বিচিত্র প্রেরণ ৪০৯

ভাজগুলি খুলে দিয়ে তাকে বিস্তৃত করে দিতে পারব”১-_ এই আশায় যাওয়া ১৭ অক্টোবর (১ কাতিক ) সন্ধার গাড়িতে বোলপুর চলিলেন।

তখনকার শান্তিনিকেতনে দোতলা অতিথিশালা ব্রহ্মমন্দির ব্যতীত আর-কোনো! ঘরবাড়ি আশে পাশে ছিল না। “এই জনশৃন্ত মাঠের মধ্যে, শালবনের ভিতর, সমন্ত-দরজ1-খোলা জাঙজ্িম-পাতা দোতলার একলা ঘরে” বসিয়া তিব্বত সম্বন্ধে ভ্রমণকাহিনী পাঠ করিতেছেন এইখানে “সাধনা” নামে একটি কবিতা লিখিলেন (৪ কাতিক ১৩০১ )। এই কবিতাটির মধ্যে পৃবোল্লিখিত 'অন্তর্ধামীর স্থর নৃতন ছন্দে ধ্বনিত হইয়াছে শান্তিনিকেতনে শরতের সৌন্দর্য প্রাণ ভরিয়া পান করিতেছেন। পত্রগ্জলির মধ্যে এই সৌন্দর্য মনের আনন্দ তৃপ্তির কথাই বারে বারে প্রকাশ পাইয়াছে।

কবিকে কে একজন বলিয়াছিপ, "মুসলমান নবাবদের মতো তোমার মধো একটা বিলাসের ভাব আছে সম্বন্ধে তাহার মত “কণাট] সম্পূর্ণ সত্য নয়, অর্থাৎ আমার নবাবি মানসিক নবাবি-__ 1” কথা সম্পূর্ণ সত্য নয়, তাহা আমরাও জানি। কিন্ত কথাও শনম্বীকাম যে, কৌলিক আভিজাতাবোধ আর্টের প্রতি ম্বভাব-আন্ুগত্য যাহা কালে প্রায় আটসবন্বতাম দাঁড়াইয়া যায়-_ তাহা উগ্র ছিল। এই পত্র মধ্যে লিখিতেছেন, “আমি বস্তুর উপদ্রব এড়াবার জন্যে পালিয়ে পালিয়ে বেড়াই-- প্রমোদের উত্তেজনার মধ্যে থাকলে আমার অস্তঃকরণ ভিতবে ভিতরে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে; আমার মনের অস্থ:পুরের ভিতরে যেন কে একজন আছে, যে আমাকে বাইরের সংশবে আসতে দেখলে ঈর্ধান্থিত হয়ে ওঠে ।”* কয়েকদিন পৃবে তিনি একখানি পন্রে নিজ চরিত্রেরই সুক্ম সমালোচনা করিয়া লিখিয়াছিলেন, “আমার স্বীকার করতে লক্জা করে এবং ভেবে দেখতে ছুঃখ বোধ হয়-_ সাধারণত মানুষের সংসর্গ আমাকে বড় বেশি উদাত্রান্ত করে দেয়,... আমার চারি দিকেই 'এমন একটি গণ্ডতী আছে আমি কিছুতেই সে লঙ্ঘন করতে পারি নে। লোকের মধ্যে আমি নতুন প্রাণী, কিছুতেই তাদের সঙ্গে আমার সঙ্গে সম্পূর্ণ পরিচয় হয় না আমার ধারা বহুকালের বন্ধু তাদের কাছ থেকেও আমি বহু দুরে |... অথচ মাশ্ষের সঙ্গ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকাও যে আমার পক্ষে স্বাভাবিক তাও নয়; থেকে থেকে সকলের মাঝখানে গিয়ে পড়তে ইচ্ছে করে. মানুষের সঙ্গের যে জীবনোত্তাপ সেও যেন মনের প্রাণধারণের পক্ষে আবশ্বক এই ছুই বিরোধের সামঞ্তশ্ত হচ্ছে এমন নিতান্ত আত্মীয় লোকের সহবাস যার] সংঘর্ষের ছারা মনকে শ্রান্ত করে দেয় না, এমন-কি, যারা আনন্দদান করে মনের সমন্ত স্বাভাবিক ক্রিয়াগুলিকে সহজে এবং উৎসাহের সহিত পরিচালিত করবার সহায়ত করে।”* বৎসরাধিককাল পূর্বে প্রমথ চৌধুরীকে এই ধরনের কথাই অন্ভাবে লিখিয়াছিলেন। "আমি বন্ধুবান্ধবদের থেকে ক্রমশই বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছি। কেন বলতে পারিনে। নিশ্চয় আমারই দোষ। স্বভাবটা বোধ হয় ক্রমশই কুণো এবং আত্মস্তর হয়ে আসছে-_ ক্রমেই বিশ্বাস হচ্চে অগ্যের সহৃদয়তা এবং সহাশ্বতৃতির উপর নির্ভর করে সবদা দোছুলামান হওয়ার চেয়ে নিজের মধ্যে নিমগ্ন হয়ে নিভৃত হয়ে থাকায় সুখ না হোক স্বস্তি আছে ।”*

ছিন্পপত্রাবলী পত্র ১৬১। কলকাতা » অক্টোবর ১৮৯৪ ছিন্নপত্রাবলী পত্র ১৬৫ যোলপুর। ১৯ জঙ্টোবর ১৮৯৪ বোধ হয় ৬/. ৬/ [২০০/1১111 লিখিত 716 144 9 114 [আও প্রস্থখানি ১৮৯১ সালে প্রকাশিত হয়। ইহা! অনুমান মাত্র। ছিন্নপত্রাবলী পত্র ১৬৭। শান্তিনিকেতন ২৩ অক্টোধর ১৮৯৪ « ছি্পত্রাবলী | পঞ্জ ১৫৬। বোয়ালিয়া ২৩ সেপ্টেম্বর ১৮৯৪ (৯ আখ্বিন ১৩*১)। চিঠিপত্র ৫, পৃ ১৬৬ ক। সাজাদপুর। শ্রাধণ [১৮৯৩]। ৫৯

৪১৬ রবীন্দ্রজীবনী খ্ীষ্টাব ১৮৯৪

কবি শাস্তিনিকেতনেই ; কাতিক মাসে হঠাৎ জোর 'বাদলা শুরু হয়; বৈষ্ণব কবিতা পড়িতে মন চায়, কিন্ত সাধনার জন্ত লেখা চাই-ই। "এমন দিনে কি হিন্দুমুমলমানের দাঙ্গা নিয়ে পোলিটিকাল প্রবন্ধ লিখতে ইচ্ছা করে।'". আজ একটি অর্ধপমাপ্ধ পোলিটিকাল প্রবন্ধ শেষ করতে হবে।”১ এই প্রবন্ধটি হইতেছে পৃর্ব-আলোচিত “স্থবিচারের অধিকার ।” সেটি সাধনার চতুর্থ বৎসরের প্রথম সংখ্যায় প্রকাশিত হইল ( অগ্রহায়ণ ১৩*১ )।

কাতিক (১৩০১) মাসটা শান্তিনিকেতনে একা একা কাটাইয়া গেলেন অগ্রহায়ণ হইতে শিলাইদহে আছেন। এই মাস হইতে সাধনার চতুর্থ বর্ধ শুরু হইলে রবীন্দ্রনাথ সম্পাদক হইলেন। তিন বৎসর সধীজ্নাথ ঠাকুর সম্পাদক ছিলেন। রবীন্দ্রনাথ প্রমথ চৌধুরীকে বিলাতে লিখিতেছেন, “স্থধী দিনকতক সাহিতোর সাধনা ছেড়ে দিয়ে অন্যবিধ সাধনায় নিযুক্ত হয়েছিলেন, এবং সিদ্ধও হয়েছেন।”২ বোধ হয় ওকালতি পাস করিয়া আদালতে যাইতে শুক করিয়াছেন; তাই এখন আর সাধনার প্রতি তার তেমন অস্থরাগ এবং মনোযোগ দেখা যায় না।

সাধনার যুগে রাজনৈতিক প্রবন্ধ

'সাধনা'র গোড়ার দিকে যেসব গদ্য প্রবন্ধ বাহির হইয়াছিল, তাহার অধিকাংশই সাময়িক সাহিত্যের আলোচনা বা সাময়িক প্রসঙ্গকথ!। ছাড়া যাহা আছে তাহ! হইতেছে সাহিত্য সম্বদ্ধে চিঠিপত্র, ব্যাকরণ সপ্ধদ্ধে গবেষণা, শিক্ষা! সমাজ-বিষয়ক আলোচনা কিন্তু ১৮৯৩ সাল হইতে বৎসরাধিকাল রবীন্দ্রনাথের রাজনীতিক প্রবন্ধ হইতেছে সাধনার উল্লেখযোগ্য রচনা এই ঘুগের পূর্বে মন্ত্রি অভিষেক" নামক যে প্রবন্ধ ভাবতীতে (শ্রাবণ ১২৯৭ ) প্রকাশিত হয়, তাহা 'বাজা-গ্রজা" গ্রস্থের অন্তত না হইবার যে কারণ রবীন্দ্রনাথ দিয়াছেন, তাহ] পূর্বে উদ্ধৃত হইয়াছে ।* 'রাজা-প্রজা'র প্রথম প্রবন্ধ 'ইংরাজ ভারতবালী” সাধনাযুগের প্রথম রাজনীতিক প্রবন্ধ সাময়িক প্রসঙ্গ কথার মধ্যে যেসব রাজনৈতিক আলোচনা আছে, তাহার কথা আমরা এখানে ধরিতেছি না। কথা সকলেই জানেন যে, রবীন্দ্রনাথ রাজনৈতিক আন্দোলনের সহিত কখনো! তেমন অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত ছিলেন না, কিন্ত দেশের দশের আশা-আকাঙ্ষা ছুঃখ-দৈন্ের সহিত সহানুভূতির অভাব কোনোদিনই তাহার হয় নাই।

আলোচ্য পর্বে দেশের মধ্যে যেসব প্রতিকূল ঘটনান্মোত মানুষকে উত্তাক্ত উত্তেজিত করিয়া তুলিতেছিল, তত্সম্বক্ধে যথাতথ্য জানিতে পারিলে রবীন্দ্রনাথের এইসব সাময়িক প্রবন্ধের মর্্ার্থ গ্রহণ করা সহঙ্গ হইবে আমরা যে সময়ের কথা আলোচনা করিতেছি সেটা হইতেছে ১৮7৩ গ্রীষ্টা্ক, বাংলা ১৩** সন। কন্গ্রেস ইহার নয় বৎসর পৃবে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে ভারতীয়দের বা্নৈতিক আশার আকাশকুস্ছম ১৮৯২ সালের ভারত-শাসনের নৃতন আইন- পাসের দ্বার! বূ;ভাবে বিচুর্ন হইয়াছে

ছিন্নপত্রাঝলী। পত্র ১৬৯1 বোলপুর ২৫ অক্টোবর ১৮৯৪

চিঠিপত্র ৫, প্‌ ১৬৫1 কলিকাঁত:। ১৬ ছুন ১৮৯৪

দ্র, বিচিত্র প্রবন্ধ প্রথম সংস্করণ (১৩১৪ )। ইহা মূল পত্রের সংপোধিভ পাঠ মুল পাঠটি আছে হিন্নপত্রাবলী (অক্টোবর ১৯৬০) গ্রন্থে। পত্র ১৫*। সাজাদপুর। সেপ্টেম্বর ১৮৯৪

১৮৯২ মালের আইনের প্রবর্তন হয় বড়লাট লর্ড ল্যাক্সডাউনের সঙ্গয়; ধন ভারতসচিব তাইকাট?ট ত্রশ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মারকুইস অব. মল্ব্যারি সকলেই কটুর ইমপিরিয়ালিস্ট__ সকল প্রকার উদার আন্দোলনের বিরোধী-- ভারতবিদ্বেমী। এই সল্স্যারির হপরিচিত বিখ্যাত উক্তি ঘে-_ ভারতের রর্তমোক্ষণের জগ্ঠ হুনিপুণতাবে শুচিক চালাইয়। তাহাকে পাদ ফা!কামে করিয়া ফেলিতে হইবে (17018 51)0010 ৯৫ 70169 ৮1106 01

খ্রীষ্টাক ১৮৯৪ সাধনার যুগে রাজনৈতিক প্রবন্ধ ৪১১

১৮৬১ সালে সেই যে ভারতীয় বাব্স্বা পরিষদ্‌ বিষয়ক আইন ( [7301৭ 00987০1154০) প্রবতিত হয়, তাহার পর দ্বিশ বৎসর কাটিয়া গিয়াছে, শাপনতস্থ্ের মধো কোনো পরিবর্তন সাধিত হয় নাই। প্রত্যক্ষ নিবাচন ছর! প্রতিনিধিমূলক আইনসভা (7১670765617020৮5 30৮০]10076) গঠনের দাবি এধাবৎকাপ ভারতীয় রাটনীতিকর! করিয়া আলিতেছেন বটে, কিন্জ তাহা পূরণ হয় নাই। ১৮৯২ সালের নৃতন আইনে প্রতাক্ষ নিবাচনের কোনো বাবস্থা হইল না, তদুপরি বাবস্থা-পরিষদেব সামান্ত কয়েকটি আসনের মধ্যে সাম্প্রদায়িক ক্টননীতির অতি ক্ষ একটি বিষবীজ দেশের সাধঙ্জনিক মঙ্গলের অজুহাতে এমন স্থনিপুপভাবে বপন করা হইল যে, তাহার মধো যে কিছু দোষ আছে তাহা হঠাৎ কাহারো চোখে পড়িল না। এতছুপরি সরকারী চাকুপীতে ভারতীয়দের উচ্চপদ দান সম্বন্ধে ব্রিটিশ গভন্নমেণ্টের সমস্ত প্রতিশ্রুতি নির্লজ্ঞভাবে উপেক্ষিত হইয়া আসিতেছে এক্স্চেনজের কারচুপিতে ভারতীয়দের কোটি কোট টাকা লোকসান হইতেছে এই শ্রেণীর অসংখ্য অভিযোগ আশাতঙ্গজনিত নিরুদ্ধ ক্ষোভের স্বল্লাংশই সাময়িক সাঠিতো প্রকাশ পাইত। এই সাময়িক উত্তেজনা আন্দোলনের প্রত্যক্ষ ফল হইতেছে রবীন্দ্রনাথের 'ইংরাজ 'ভারভতবামী” শীর্ষক প্রবন্ধ 1১ £

ইংবেজ তাখতীয়দের মধে। মনোভেদ কেমনভাবে গভীর ব্যাপক হইয়া চলিয়াছিল তাভারই কাধণ অনুসন্ধান করিয়া প্রবন্ধটির স্থরূপাত। ইংরেজ দেশের রাজা, অথচ দেশে বাম করে না) দ্রেশে না থাকিয়াও রাজাশালনের অস্থবিধা তাহার হইতেছে না। শাসিতবে ভালো না বামিয়া, তাহার ভাষা না! শিখিয়া, তাহার দেশকে নিজ দেশ বলিয়া স্বীকার না করিয়া উতবেজের রাজাশাসনকাধ কিছুমাত্র অসাধা হয় নাই।

রাজা-প্রজার সম্বন্ধ কেবল খাগ্য-খাদক সম্বন্ধ নহে ; অন্থবের নিবিড যোগে উপর যে উভয়ের কলাণ বিশেষভাবে পাঙ্জার মঙ্গল নির্ভর করে, ইংরেজ তাহা স্বীকার করে না। শাসিত শাসকের মধ্যে হৃদয়ের যোগ প্রীতিব যোগ ব1 প্রেমের যোগ ব্রিটিশ সামাজোর অ-দিত অধিবাসীর রাজনীতিতে অজ্ঞাত, তাহার প্রীতি স্বজাতীয়দের উপনিবেশিক শাসনতঙ্থে উচ্ছচৃমিত হয়, ভারতীয়দের পক্ষে সে-প্রীতি অপ্রয্বোজনীয়। তারতীয়েরা ইংবেজের সিম্প্যাথি বা সহাম্ভূতি পাইবার জন্ত লালাখিত বলিয়া কোনো বিশিষ্ট বিলাতি পত্রিকা অনুযোগ করেন। রবীন্দ্রনাথ ইহা স্বীকার করিয়া লন, তবে বলেন দরিছের মনে কেন এই সহাম্ুভৃতির আকাঙ্ষা জাগে তাহাও তো! বিচারের বিষয়, এই কথাগুলি নিপুণ শিলীর ভ্যায় যুকিজালে বিশ্লেষণ করিয়া দেখাইয়া দেন। তিনি ম্প্্ই বলিলেন যে, ইংরেজের উদারতা, ধর্ম সন্বদ্ধে নিপিপ্রতা প্রড়তি যে এতকাল রাজনীতির প্রচ্ছন্ন অস্রূপেই ব্যবহৃত হইয়া আসিয়াছে তাহা গত অর্ধশতাকীর ইতিহাস হইতে প্রমাণিত হয়|

'বাজা-প্রজা'র অস্গত এই দীর্ঘ প্রবছের মধো লেখক বহু বিষয় আলোচনা কণিয়াছেন সত্য, কিন্তু সমশ্যামমূহেব সমাধানের যে-দুইটি পথ নির্দেশ করিয়াছেন তাহা সংক্ষেপত আত্মশক্তি অসহযোগ ইংরেজি ভাষা আয়ত্ত সাঞ্ছেবী বেশভূঘা অই্টকরণ করিলে ভউংরেজের সমকক্ষ হওয়া যায় না, তাহাদের আদর পাওয়া যায় নী। “সম্মান বঞ্চনা করিয়া লইব না, সম্মান আকর্ষণ করিব; নিজের মধ্ো সম্মান অনুভব করিব। মেদিন যখন আসিবে তখন পৃথিবীর যে সভায় ইচ্ছ! প্রবেশ করিব." যাচিয়া মান কাদিয়া সোহাগের কোনো গ্রয়োজন থাকিবে না।” যেদিন ভারশুবধ আত্মশক্তিতে প্রতিষ্ঠিত হইবে, নিজের এরশ্ব্য সঙ্গন্ধে সচেতন হইবে, সেদিন সম্মান তাহার পায়ের নিকট আপনি আসিয়। পড়িবে।

"চৈতগ্ঠ লাইব্রেরির সম্পাদকের অবিশ্রম উত্ভেজনার এই অপগমসাহসিক কাষে প্রবৃত্ত হয়েছিলুম। হলে পারিকের কাজে ঘেষতে আমার আর বড় ইচ্ছে করে না। আমি-* দুরপৃষ্টমে পার্লিকের মধ্য নিক্ষিপ্ত হয়েছি, এখন আর আমার কোপাও শাস্তি নেই।” চিঠিপত্র ৫, পৃ*১৬১। পোস্ট-মার্ফ-- সেপ্টে্বর ১৮৯৩

৪১২ রবীন্দ্রজীবনী খ্রীষ্টাব্ষ ১৮৯৪

ইংরেজ ভারতীয়দের মধ্যে বিদ্বেধ শাস্ত করিবার উপায় “ইংরাজ হইতে দুরে থাকিয়া আমাদের নিকট কর্তব্যসকল পালনে একান্তমনে নিযুক্ত হওয়া। কেবলমাত্র ভিক্ষা করিয়া কখনোই আমাদের মনের যথার্থ সন্তোষ হইবে না।..' ভিক্ষান্ববূপে সমস্ত অধিকারগুলি যখন পাইৰ তখন দেঁখিব, অন্তর হইতে লাঞ্ছনা কিছুতেই দূর হইতেছে না-.. | আমাদের অন্তরের শৃন্ততা না পুরাইতে পারিলে কিছুতেই আমাদের শাস্তি নাই ।”

“ইংরেজ ভারতবাসী" প্রবন্ধের শেষে তিনি গুরুগোবিন্দ সিংহের নির্জন সাধনার কথা উল্লেখ করিয়া বলিলেন যে, ধিনি আমাদের গুরু হইবেন “তীাহাকেও খাতিহীন নিতৃত আশ্রমে অজ্জাতবাস যাপন করিতে হইবে”; নিজেকে সমস্ত সাময়িক উত্তেজনা হইতে দূরে বাখিয়া নিজের জ্ঞানকে পরিশুদ্ধ করিতে হইবে, সমস্ত মন্তুতা সমস্ত প্রলোভন মৃঢ জনশ্লোতের আবর্ত হইতে নিজের মনকে দূরে বাখিয়া এই সাধন! চলিবে এই সাধনা যিনি করিবেন তিনি হইবেন ভারতের নেতা, গুরু এই প্রবন্ধ স্বদেশী আন্দোলন আরম্ত হইবার প্রায় দশ বৎসর পূর্বে রচিত; এইসব রচলাই বাংলাদেশে জাতীয় আন্দোলনের পথ প্রস্বত করিতেছিল।+

ইতিমধ্যে ভারতবর্ষের মধ্যেই ইংরেজের স্বেচ্ছাচারিতা সংযত শাসক সম্প্রদায়ের কৃটনীতিকে বার্থ করিবার জন্য আত্মশক্তি সঞ্চয় আত্মসম্মান জাগ্রত করিবার নৃতন আন্দোলন দেখা! দিল মহারাষ্্দেশে ভারতবর্ষের মধ্যে ইংরেজের অধীনতা সবশেষে স্বীকার করে শিখরা এবং তার পৃবেই যাবাঠারা। মারাঠাদের অধীনতার ইতিহাস তখনো শতাবী- কাল অতীত হয় নাই এবং তাহার যে একদিন সাম্রাজা স্থাপনের স্বপ্ন দোখিয়া বুটিশের সহিত পাঞ্জা লড়িয়াছিল, তাহা যে কারণেই হউক এই বীর্ধবান জাতি বিস্বৃত হয় নাই। স্বাধীনতা লাভের জন্য নতন প্রচেষ্টা দেখ! দিল, সে পথ ইংরেজের নিকট আবেদন-নিবেদন-প্রতিনিবেদন প্রেরণের পথ হইতে সম্পূর্ণ স্বতম্ব, স্থতরাং তৎকাপীন কন্গ্রেস হইতে অন্তরূপ | এই নৃতন আন্দোলনের নেতা হইতেছেন বালগঙ্গাধর টিলক। তিনি যহারাষ্রদেশে সকল বর্ণের হিন্দুদের লইয়া সার্বজনীন গণপতি-পৃজা প্রবর্তন করেন; দশ দিন ধরিয়া এই উৎসব চলিত। সময়ে মহারাষ্ট্র জাতির অতীত গৌরবকাহিনী, শিবাজী মহারাজের কীত্তি-কলাপ, তাহার ধর্মপ্রীতি প্রভৃতি বিষয়ের উপর বক্তা হইত। এই আন্দোলন হিন্দুদের মধ্যে একাস্থাপনের চেষ্টা করিতে লাগিল সা, কিন্কু 'গোবক্ষণা সভা? স্থাপিত হইলে ( ১৮৯৩ ) সমস্ত আন্দোলনট। দেশের মধ্য নৃতন সমন্া স্থটি করিল হিন্দুদের মধ্যে অসংখ্য বর্ণভেদ থাকা সত্বেও গোরক্ষা সম্বন্ধে সর্বশ্রেণী সর্ববর্ণের হিন্দুই একমত। স্থৃতরা" মহারাষ্্ীয় রাজনীতিজ্ঞেরা গোরক্ষাকে কেন্দ্র করিয়া নৃতন হিন্দুজাতীয়তাবোধ স্ষ্টি করিতে উদ্যোগী হইলেন। ইহাই হইতেছে ভারতের সমনাময়িক রাজনৈত্তিক পটভূমি ভারতের জাতীয় আন্দোলনের ইতিহাস -পাঠক মাত্রেই জানেন যখন কন্গেস প্রথম প্রতিষ্ঠিত হয় তখন লরকার বাহাদুর ইহাকে স্থনজরেই দেখিয়াছিলেন, কিন্ত দুই-তিন বৎসর যাইতে না যাইতেই কন্গ্রেস সন্বক্ধে ইংরেজের মত ব্যবহারের যুগপৎ পরিবর্তন হইয়া গেল। সরকার বেশ বুঝিলেন কন্গ্রেমের বিশেষ কোনো কার্ধকরী শক্তি নাই

“যত দিন দেশী বিদেশীতে নিজিত-পেহ-মন্ধদ্ধ থাকিবে, যতদিন আমরা নিক? হইঘাও পূর্গৌরব আনে র।শিব, তত দিন জাতিবৈর শমতার সম্ভাবনা নাই | এবং আমরা কায়মনোবাকে। প্রার্থনা করি যে, বত দিন উংরেজজের সমতুল্য শা হই, তত দিন যেন আমাদিগের মধো এই জাতিবৈরতার প্রভাব এমনই প্রবল থাকে যতদিন জাতিবৈর আছে তত দিন প্রতিমোপিত। আছে বের ভাবের জন্তই আমর! ইংরেজদিগের কতক কতক নমতুলা হইতে চেষ্টা করিতেছি ইংরেজের নিকট, অপমানগ্রস্ত, উপহালিত হইলে যতদুর আমরা তাহাদিগের সমকক্ষ হটবায় বত করিব, ঠাছাদের কাছে বাপু বাছা ইত্যাদি আদর পাইলে তহদুর করিব না-- কেণনা পে গায়ের আলা পাকিবে ন।। বিপক্ষের সঙ্গে প্রতিযোগিত1 ছটে, খবপক্ষের সঙ্গে নহে। উন্নত শত্রু উন্নতির উদ্দীপক, উন্নহ বন্ধু আলগ্গের আশ্রয় আমাদিগের সৌভাগারুসেই উংরেজের সঙ্গে আমাদের জাতিবৈর ঘটিয়াছ্ে।”-_ বন্কিমচন্ত্র চট্টোপাঁধায়, সাধারদী, ১১ কাতিক ১২৮০ | বঙ্কিম-রচনাবলী, ব্রঙ্গেক্্নাধ বন্যোপাখার সজনীফান্ত দাস-সম্পাঙ্গিত। বিবিধ খণ্ড, পৃ ৩৪৫ গা

্রীষ্টাব ১৮৯৪ সাধনার যুগে রাজনৈতিক প্রবন্ধ ৪১৩

বটে তবে ইহাকে বাড়িতে দিলে বা ইহাকে ভারতের বিভিন্ন ভাষাভাষী ধর্মাবলঙ্ী লোকদের সাধারণ মিলনক্ষেত্র হইতে দিলে ইংরেজের পক্ষে শাসন ব্যাপারে অস্থবিধা হইবে এই আলোচনা উত্থাপন করিয়া! রবীন্দ্রনাথ ইংরাজের আতঙ্ক” শীর্ষক প্রবদ্ধ লেখেন ; বোধ হয় অতান্ত সাময়িক বাপার লইয়া আলোচন! ছিল বলিয়। প্রবন্ধটি 'রাজা- প্রজা” গ্রন্থমধো সংগৃহীত হয় নাই।

রবীন্দ্রনাথ এই প্রবন্ধের মধ যাহা লিখিয়াছিলেন, আমরা দেখিতেছি আজ সন্র বৎসরের ব্যবধানে পরিস্থিতির সামান্যই পরিবর্তন হইয়াছে। তবে তখন যাহা বিষবীজ রূপে রোপিত হইয়াছিল, আজ তাহা বিষবৃক্ষে পরিণত হইমাছে এবং সেই বৃক্ষচ্ছায়ে বাসের ফলে সকলের মনে মে-বিষক্রিয়া হইতেছে তাহার ফলে আমরা পরস্পরকে দগ্ধ করিতেছি ভেদনীতির সুক্ষ অস্ত্রপ্রয়োগকলে সমস্ত দেশ আজ বিচ্ছিন্ন বিভক্ত বিবাদী রবীন্দ্রনাথ বলিলেন, “কন্গ্রেসটার উপরে প্রত্যক্ষভাবে কোনোরূপে আঘাত করা হয় নাই। তাহার কারণ, ঢাকের উপরে ঘা মারিলে ঢাক আরো বেশি করিয়া বাজিয়া উঠে। কন্গ্রেসের আর-কোনো ক্ষমতা থাক বা না থাক, গলার জ্রোর আছে-_ তাহার শব সমূদপার পর্যস্ত গিয়া পৌঁছে

শবতরাং 'এই নবনিষিত জাতীয় জয়চাকটার উপরে কাঠি না মারিয়া "তাহাকে ভলে লে ছিদ্র করিবার আয়োজন করা হইল মুসলমানেরা প্রথমে কন্গ্রেসে যোগ দিবার উপক্রম করিয়! সহসা যে বিমুখ হইয়া টাড়াইল তাহার কারণ বোঝা নিতান্ত কঠিন নহে এব, পাঠকদের নিকট সে কারণ স্পষ্ট করিয়া নির্দেশ করা অনাবশ্ক বোধ করি।

“কিন্ধ এতদিনে ইংরাজ কথা কতকটা বুঝিয়া থাকিবে যে, হিন্দুর হস্তে পলিটিক্স তেমন যারাম্মক নহে আবহমান কালের উন্ডিহাল অন্নসন্ধান করিয়া দেখিলে ভারতবর্ষে পোলিটিকাল কোর কোনো লক্ষণ কোনোকালে দষ্টিগোচর হয় না। এঁকা কাহাকে বলে মুললমান তাহা জানে এবং পলিটিক্স তাহার প্রকৃতিবিরুদ্ধ নহে $ মুসলমান যদি দুরে খাকে তবে কন্গ্রেন হইতে আশ আশঙ্কার কোনো কারণ নাই ।” ১৮৯৩ সালে পুণা নগরীতে কনগ্রেস, স্থরেজ্্রনাথ বন্দোপাধায় সভাপতি এবার পুণাব মুসলমানরা কন্গ্রেসে যোগদান করিল না; ১৮৯৩ সালে গোবক্ষা-সমিতি স্থাপিত হওয়ায় কনগ্রেসের হিন্দুদের প্রন্টি তাহাদের বিশ্বাস শিথিল হইয়া গিয়াছে ইহার জ্ক দায়ী ছিলেন লোকমান টিপক। ছাড়া মুসপমানদের তদানীস্থন নেতা স্কার সৈয়দ আহ মদখ স্থরেন্দ্রনাথের ইংরেজ-বিরোধী আন্দোলনকে সমথন করিতে পারিতেছিলেন না; মুসলমানের মুক্তির পথ তিনি জানিতেন ইংরেজ মুসলমানের আশ্তরিক প্রীতিস্থাপনে তাহাদের সহিত বৈবিতা দ্বারা নহে কাজী আবছুল ওদুদ হ্যার সৈয়দ আহমদের এই বিমুখভাবের কারণ 'বুঝে ওঠা কঠিন? বলিয়াছেন ।৩

সাই মুসলমানের ইংবেজের নন আতঙ্ক গোরক্ষণী সভা হিন্দুজাতীয়তাবোধ এই গোমাতাকে আশ্রয় করিয় খেক্প আকাএ ধারণ করিতে আপস করে, তাহাতে গবনমেন্ট শঙ্কিত, কারণ গোহত্া-নিবারণ সঙ্বদ্ধে নেপাপের

১. ৬রজর আ।হ্চ, সাধনা, অগ্রহায়ণ ১৩০৯ সমুহ (পরিশিষ্ট )1 রবীন্প-বচনাবলী ১০, পৃ €৩৭।

১৮৮৭ সালে ক্র সৈয়প আহ ষদ বলিয়াছিলেন--”২0০৬ 54007১5৫ 01790 91] 06120081131)... 4০০60 108৬0119018. 11061) 4150 ৬০0২11410৫ 10161 06 11010? 1013 ঢ7০$৭।016 090 017001 017696 0110011050071065 (৮০ 79010775--- 11)0 1১101)010000616815 217 ঢ101111749-- 00014 516 017 06 58176 01076 16099118670] 01) 90৬০7140950 ০6168311510. [6 15186065581 0180 076 01 00760 517081 ০9101161010 001161 0170 01105101000, ৯০০৩ 0080 ১০00) ০০১1৫ 1510911) ৪00৪] 15 0০ 168106 01৫ 11000581016 8170 05৫ 76578856155 [1010 716 11914 02941501৮59 10881 550007785 1949। 7 31. জর. জীপ্রতাতকুমার মুখোপাধ্যা, ভারতে জাতীয় আঙ্গোলন, পূ ৩১৬।

কাঁগী আবছুল ওদুদ, বাংলায় জাগরণ, পু ১৩২।

৪১৫ ববীন্্রজীবনী খ্রীষ্টা্ ১৮৯৪

গুর্থ। হইতে পঞ্জাবের শিখ পর্যস্ত সকলেই একমত | গোমাতাঁকে কেন্দ্র করিয়া! বোম্বাইতে বিহারের নালা স্থানে যেসব দাঙ্গা হইল তাহাদের প্রতি গবর্মমেন্টের তীব্র দৃষ্টি গেল। মসজিদের সম্মুখে বাজনা নিষেধ করিয়! দিয়া 'খাপা পুল নাড়িস নে? নীতি প্রবর্তিত হইল। বহুশত বৎসর পাশাপাশি বাস করিয়া হিন্দু-মুসলমান কাহারও মনে যে-তুচ্ছ ব্যাপারের কথা কোনোদিন উদ্দিত হয় নাই, তাহাকে উন্কাইয়া দিয়া বিরোধের বীজ বপন করা হইল। স্থতরাং বিরোধ প্রশমিত না হইয়া উত্তরোত্তর বাঁড়িয়াই চপিয়াছে! হিন্দু-মুসলমানের বিরোধ গবর্মমেন্টের পলিলি-সন্মত না! হইতে পারে, কিন্ত গবর্মমেন্ট বিস্তর ক্ষুদ ক্ষু্ ফুত্কারে যে অগ্নিকাণ্ডের স্থচনা করিয়া থাকেন-__ বিশ্বাস দেশে অনেকেরই “সার ওয়েডার্বর্ন লিখিয়াছেন, এই-সমস্ত উপন্বে গবর্মমেন্টের কিছু হাত আছে ? ল্যান্স ডাউন বলেন, এমন কথা যে বলে সে অতান্ত দুষ্ট আমরা ইহার একটা সামপ্লস্ত করিয়া পই 1”

“হ্থবিচারের অধিকার” (সাধনা, অগ্রহায়ণ ১৩০১ ) প্রবন্ধে এ-বিষায় আরও পরিষ্কার করিয়া রবীন্দ্রনাথ বলিলেন ; “অনেক হিন্দুর বিশ্বাস, বিরোধ মিটাইয়া দেওয়া গব্নষেন্টের আন্তরিক অভিপ্রায় নহে পাছে কন্গ্রেম প্রভৃতির চেষ্টায় ছিন্দুমুললমানগণ ক্রমশ এক্যপথে অগ্রসর হয় এইজন্য ঠাহার! উভয় সম্প্রদায়ের ধর্মবিছ্ধেম জাগাইয়া রাখিতে চান, এবং মুসলমানের ছ্বারা হিন্দুর দর্প চুণ করিয়া মুসলমানকে সম্ধষ্ট হিন্দুঃক অভিভূত করিত ঈন্ছ: করেন ইহার ফলে “উভয় সম্গদায়ের মধ্যে ঈধানল আরও অধিক করিয়া জন্সিঘ উঠিতেছে এব" যেখানে কোনোকালে বিরোধ দ্বটে নাই সেখানেও কর্তৃপক্ষ আগেভাগে অমূলক আশঙ্কার অবতারণা করিয়া এক পক্ষের চিরাগত অধিকার কাড়িয়া লওয়াতে অন্ত পক্ষের সাহস ম্পর্ধ! বাড়িতেছে এবং চিরবিবোধেরু বীজ বপন করা হইতেছে 1” কিন্ধু এই লমশ্ার সমাধান কী। “দল বাধিয় যে বিপ্রব করিতে হইবে ডাহা নহে-_ আমাদের সে শক্তি নেট কিন্তু দল বাধিলে যে একটা ধুহত্ব বল লাত করা যায় তাহাকে লোকে শ্রদ্ধা না করিয়া থাকিতে পাবে না। শ্রদ্ধা আকর্ষণ করিতে না পারিলে স্থববিচার আকধণ করা বড় কঠিন 1"

রবীন্দ্রনাথ আর-একটি ভবিষ্দ্বাণী করিলেন এই যে ইংরেজের "আঘাতে হিন্দুর মন ক্রমশ পরস্পরের নিকট আকৃষ্ট হইতেছে কিন্তু ইহাই যথেষ্ট নহে; কারণ "স্বজাতি এখনও আমাদের শ্বজা তীয়ের পক্ষে ফর আশ্রয়াড়ুমি হইয়া উঠিতে পারে নাই। এইজন্য বাহিরের ঝটিকা অপেক্ষা আমাদের গৃহভিন্তির বালুকামক্ প্রতিঙ্গাস্থান,ক অধিক আশগ্কা করি”

দ্বেশের মধা হইতে ছুই চারিজনকে এক-একটি বনম্পতির ন্যায় আপন অমোঘ যূলজাল চতুদ্দিকে বিস্তারিত করিয়া দিয়া ভারতবর্ষের শিথিল ম্বত্তিকাকে দু়ভাবে আটিয়া ধরিবার জন্য খবীন্জনাথ আহ্বান করিলেন যথার্থ দেশসেবকের দেশসেবার সমস্তাগুলি দেখাইয়া তিনি বলিলেন, “অন্যায়ের বিবক্ধে যদি দণ্ডায়মান হইতে হয় তবে সর্বাপেক্ষা ভয় আমাদের স্বজাতিকে | যাহার হিতের জন্ প্রাণপণ করা যাইবে সেই আমাদের প্রধান বিপদের কারণ ; আমরা ধাহার সহায়তা করিতে যাইব তাহার নিকট হুইতে সহায়তা পাইব না কাপুরুষগণ সত্য অঙ্গীকার করিবে, নিপীড়িতগণ আপন পীড়া গোপন করিয়! যাইবে, আইন আপন বজ্মুষ্টি প্রসারিত করিবে এবং জেলখানা আপন লৌহবগন ব্যাধাল করিয়া আমাদিগকে গ্রাস করিতে আলিবে কিপ্ত তথাপি অরুজিম যর স্বাভাবিক ন্যায়প্রিয়তা-বশাত আমাদের মধ্যে ছুই-চারিজন লোক যখন শেষ পর্যন্ত অটল থাকিতে পারিবে তখন আমাদের জাতীয় বন্ধনের হৃজ্রপাত হইতে থাকিবে এবং তখন আমরা চ্তায় বিচার পাইবার অধিকার প্রাপ্ত হইব 1”

দেশ সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথের এইট মর্ান্থিক বিশ্লেষণ ফে কন বড় সত্য কথা তাছা পাহারা গ্রামাঞ্চলে বাস করিয়াছেন, ত্াহাব্না সাক্ষ্য দিবেন | “মেঘ রৌদ্র, 'গোরা” "রে-বাইরেতে তিনি এই সমন্তাটি খুব স্পষ্ট করিয়! দ্বেখাইয়াছেন। :

রাজ! গ্রদার লন্বদ্ধের মধ্যে লব থেকে যে-জিনিসটা চোখে পড়ে, সে হইডেছে স্থবিচার। স্থবিচার পাওয়াটা

ত্রী্টাৰ ১৮৯৪ সাধনার যুগে রাজনৈতিক প্রবন্ধ ৪১৫

প্রজার জন্মগত অধিকার গ্যায়ান্তায়বোধ গবর্মমেন্টের থাকা উচিত-__ এই জনমত প্রবল হইলে প্রজার নিন্দাকে গবনমেণ্ট শ্রদ্ধা করিতে বাধ্য হইবে। কিন্তু প্রাচ্যদেশে প্রতীচ্য দেশীয় শানকদের ধর্মাধর্মবোধ অত তীব্র থাকিলে চলে না। তাহাদের এই ধারণা ক্রমেই প্রবল হইতেছে ষে, “ফুরোপের নীতি কেবল মুরোপের জন্য ভারতবর্ধীয়েরা এতই স্বতন্থ জাতি যে, সভ্যনীতি তাহাদের পক্ষে সম্পূর্ণ উপযোগী নহে।” সে-নীতির এত বৎসরে যে কোনে! পরিবর্তন হয় নাই, তাহা বলাই বাহ্লা “রাজা! প্রজ।”১ শীর্ষক প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ ইংবেজ শাসকদের এই মনোবৃত্তির নিন্দা করিয়াছেন। ইংরেজ ভাবতবাসীকে বিশ্বাম করে না, তাই সামান্ত ব্যাপার সে সন্দেহের চক্ষে দেখে, বিজ্বোহেব আশঙ্কা করে। বিহার প্রদেশে গাছের ছাপ হইতে বিজ্রোহ করনা করিয়া ইংরেজর! আতঙ্কিত হইয়! উঠিয়াছিল। বিলাত-প্রবাসী প্রমথ চৌধুরীকে একখানি সমসাময়িক পত্রে রবীন্দ্রনাথ লেখেন “ভারতবর্ষে 76৪ 0901018 বলে একটা বাপার চলছে... সাহেবরা বেশ একটু অরস্তভাবে আছে ।”

রাজনীতির দ্বিধা প্রবন্ধে লেখক এই ধরনের কথা দিয়! রচন] শুক করেন যে, যুবোপীয়র। ফুরোপের মধ্যে যতটা সভা, বাহিরে ততট নহে, এবং তাহার প্রয়োজন৪ তাহারা বোধ করে না। আমাদের আলোচ্াপৰে দক্ষিণ আফ্রিকায় মাটাবিলিদের উপর ইংরেজ বণিকদের যে-অত্যাচার চপলিতেছিল, তাহার কিছু কিছু কাহিনী বিলাতী কাগজ 'উথ' হইতে কৰি জানিতে পারেন। মাটাবিলিদের রাজা লবেস্ুলো* ইংবেজ মিশনারীদের কথায় বিশ্বাস করিয়া কিভাবে সবস্ব হারাইয়া অজ্ঞাত অখ্যাতভাবে মৃত্যুমুখে পতিত হইল, তাহার একমাত্র তুলন1 হয় মীবকাশেমের সঙ্গে। রথ নামক পত্রিকায় এই কাহিনী পাঠ করিয়া কবির মনে যেউত্তেজনার কৃষ্টি হয়, তাহাই “এবার ফিরাও মোরে কবিতায় প্রকাশ হইয়া পড়ে সাম্রাঙ্গা-শামনে ধর্মনীতির সহিত বাজনীতির ছন্দ অবশ্বস্তাবী। নিজের ক্ষুধা নিবৃত্ত হইবে এবং অন্যের অন্ন কাড়িব না এমন ধর্ম পৃথিবীতে এখনো প্রতিষ্ঠিত হয় নাই ইংরেজের এই মহাসমস্থা

সাধঙ্গা, প্রাণ ১৩১ রাজ! প্রজা, সমুহ ( পরিশিষ্ট ), রবীন্-রচনাবলী ১০. পূ ৫৪২। চিঠিপত্র ৫, পু ১১৩। ১৬ জুন ১৮৯৪। গাছের ছাপ সম্বন্ধে ইতিহাস-_

“1106 1166-95580178 00580658150 916091060 01১6 91680 8০08117058 (01 5020015810107). 7101018200৮ €2001ট 00131506010 10530101078 066৪ ৮101 09085 ০01 10004 17 10100 ৩616 50000810915 02166616170 8100915 100:01810965+ 15911 81710 [185 ১015016 7 ৪০০০9:4874 60 01১৫1600165 01500101778 01706 5810. 10 51015 801550 0)010161) 06 13010 081786010 018077065 ০৪88১5০9145 1700 31098810181 চ0100658, 2170 ৩৪০9/৪145 0710081) 00 23818901076 01801100501 076 ই, ৬৬, 1210৬117068, [ 9. ৮.] 16 5150 ৪01১6916017) 16 018065 17) 016 015070001১6 50908 01 0196 0521665। 2170 183 667618115 90011011060 €0 51706601778 71785 01 5901১5/5, 01 16118100058 20617010015, 1106 0১০0৬610617 0160 00 11; 8 16 12001710173 8170 006 16580010566 00 800৬ 00901617084 170 1681 7১০01101081 51812161081506, 0, £, 8908181770৭ 8387621870৩ তঞতামতাত। 3০৮/ল05) ৬০], 11, 0,954, উর. 155 5. 0%151165, 0998 101501106 0983600660, 1919, 0. 104 11001 8 (81168 4150035101) 091 036 50৮06061706 066615 0০ 81) 801016 17 01৫ 0910405 22৮1৫৮, 08104801894,

পযেঙকারগ্রদেশে গাছের ছাপ হইতে বিগ্রোহ আশঙ্কা করিয়া অনেক ইংয়াজি কাগজে এষন কথ] বল! হইয়াছে যে, প্রাচা প্রতীচা জাতিয় মধো কোনে! কালেই ধথার্থ প্রেমের সপ্মিলন সম্ভব নে” রাজা] প্রজা সাধনা, আাবণ ১৩১; ববীজ-রচনাবলী ১*, পৃ ৫৪৫ ৪. [,0)6178118-য় কাহিনী বীহারা জানিতে চান, ঠাহার| ঘছ. 10. 207161-এর 176 81207715806 পড়িতে পারেন, পৃ ২৯-৫২। ৮০০৫)৪৬1৪ (1833794 ), 10176 01 036 108690৫11, 00701060056 9005 5000 £১20জ ০0080 00 56006 0 1195150179181)0, 017 80097001118 7806800. 98068010017 006 1851501585১ 06 ৪5 80:06 09 0156 31505510 730 ৪66 5০/৫:০ 118001178 জাত 46668661726 0160 5001015 8666৮814059 06561664 5) 1015 01) (0110 616.

৪১৬ ববীজ্জজীবনী গ্রাষ্টাব ১৮৯৫

সর্বত্র দৃক্ষিণ আফ্রিকায় একভাবে, ভারতে অন্ভাবে “অতএব পচিশ কোটি ভারতবাসীর আদৃষ্টে যাহাই থাক, মোটা- বেতনের ইংরেজ কর্মচারীকে এক্সচেঞ্জের ক্ষতিপূরণস্বর্ূপ রাশি রাশি টাক] ধরিয়া দিতে হইবে। সেইজন্য রাজকোষে যদি টাকার অনটন পড়ে তবে পণ্যপ্রব্যে মাশুল বসানো আবশ্যক হইবে কিন্তু তাহাতে যদি ল্যাঙ্কাশিয়রের কিঞ্চিৎ অস্থবিধা হয় তবে তুলার উপর মাশুল বসানো যাইতে পারে তৎপরিবর্তে বরঞ্চ পবলিক ওআর্কস্‌ কিছু খাটো করিয়া এবং ছুতিক্ষ ফৃণ্ড বাজেয়াপ্ত করিয়া কাজ চালাইয়া লইতে হইবে 1. ধর্মনীতি এমন সংকটে ফেলে?” রবীন্দ্রনাথের তখনো বিশ্বাস ছিল যে, ইংরেজের ধর্মবুদ্ধি আছে এবং মেইজন্যই আমাদের পক্ষে রাজনীতির চচ] সভাসমিতি করা সম্ভব।

দেশের রাজনীতিক পরিস্থিতির সহিত অর্থ নৈতিক সমশ্তা যে বিশেষভাবে জড়িত কথা রবীন্দ্রনাথের পক্ষে আবিষ্কার করা কঠিন হয় নাই, কারণ গ্রামের মধো বাস করিয়া দরিদ্র প্রজাঘের আর্ধিক অবস্থা ঘনিষ্টভাবে জানিবার স্থযোগ তিনি পাইয়াছিলেন। রবীন্দ্রনাথ দেশীয় শিল্পোন্নতির পূ্পোষক বটে কিন্ধ ভারত গতনমেণ্ট যখন বাজন্ব বুদ্ধির জন্ত দেশীয় বসের উপর আমদানী-শ্ুন্ক বসাইবার প্রস্তাব করিলেন, তখন তিনি তাহ।র তীর গ্াতবাদ করিলেন ।১ দেশীয় | কলওয়ালার! এবং রাষ্্রনীতিকরা গবর্মমেণ্টের এই ব্যবস্থা অন্রমোদন করিলেন, ভাহাদে? বঞ্চপা এই যে, জন্ক স্থাপিত হইলে দেশীয় শিল্পের হবিধা হইবে কিন্তু রবীন্জ্রনাথ বলিলেন যে ইহার ফলে কাপড়ের দাম চডিবে এবং সেই চড়। দাম বন্্রক্রেতা দিবে, ব্যবসায়ী দিবে না।

বিলাতী বস্ত্র আন্দোলন করিয়া বদ্ধ করিবার পক্ষপাতী তিনি ছিলেন না; দেশী বা বিলাতীর দোহাই দিয়! সাধারণ মান্ষকে চালানো কঠিন। ছাড়া পূর্বকাল হইতে অধুনা মান্য অধিক পরিমাণে বস্ত্র ব্যবহারে অভ্ন্ত হইয়াছে। চরকা কাটিয়! মে-পরিমাণ স্ৃতা হইত তাহাতে আজকালকার ন্যায় এত পাপ আচ্ছাদন লোকে পাইতে পারে না। রবীন্দ্রনাথ সংগঠনশীল কর্মের পক্ষপাতী ; গঠনমূলক কার্মদ্বারা যাহাতে শিল্পে উন্নতি বাপিজার প্রসার হয় সেইদিকে তিনি নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করিলেন।

রবীন্দ্রনাথের মনে রাজনীতি অর্থনীতি সমাজনীতি প্রভৃতি বিচিত্রনীতি, যাহা মাফের দৈনন্দিন জীবনকে নিত্য নিয়স্্রিত করিতেছে সেই বিবিধ বিষয় সম্বন্ধে প্রশ্ন তর্ক বিচার চলিতেছে বিশুদ্ধ সাহিতা *ষ্টকালেএ এইসব বিচি সমস্থ কবির মানসপটে উদ্দিত হয়) কখনো উহাদের ছায়া যথাযথ পরিপ্রেক্ষণীতে পড়িয়া অপরূপ সাহিত্য হি করে) কখনো বিকৃত পরিপ্রেক্ষিতে আঘাত পাইয়া অস্থন্দরকে মন্থন কবিয়া "ভোলে মাহিত্যের মধ্যে বিচিত্র নীতির প্রতিক্রিয়। চলিতেছে

সাধনার সম্পাদক

সাধনার চতুর্থ বর্ষে ববীন্জ্নাথ সম্পাদক হইয়া! মহোৎ্সাহের সহিতই প্রথম কয়েকমাস কাজ করিলেন গল্প প্রবন্ধাি নিয়মিতভাবে লিখিতে শুরু করিলেন। কিন্ধ গত তিন বৎসর 'একটি মানিক পন্রিকার বহুবিধ চাহিদা মিটাইতে মিটাইতে তাহার মন যে এত ভিতরে ভিতরে ক্লাস্ত বিজোহী হইয়। উঠিয়াছিল তাহ অগ্রহায়ণ মাসে বুঝিতে পারেন নাই; তিন মাস যাইতে-না-যাইতে মাঘ মাসে শিলাইদহ হইতে ইন্দিরা দেবীকে লিখিতেছেন, “বছরের মধ্যে মাস আমি এবং মাম আর-কেউ যদি সাধনার সম্পাদক থাকে তাহলে ঠিক স্ুবিধামতো বন্দোবস্ত হয়-- কারণ, সম্বৎসর পাগলামি করবার ক্ষমতা মানুষের হাতে নেই এবং সম্বৎসর 52110 বজায় রেখে চলা আমার মতো! লোকের পক্ষে দুঃসাধ্য ।”*

আবদারের আইন, সাধনা, মাধ ১৩*১। প্রবন্ধটি কোনো! গ্রন্থে মুহিত হয় নাই এবং সাধনায় উহ! স্বাক্ষরিত নহে তবে বিশভারতী গ্রন্থাগারের

“সাধনা'য় রবীন্ত্রনাথ প্রবন্ধটি তাহার রচিত বলিয়। চিহিতি করিয়াছিলেন। ছিন্নপত্রাবলী | পত্র ১৮৬, শিলাইদহ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৫

খীষ্টাৰ ১৮৯৫ সাধনার সম্পাদক ৪১৭

কিন্ত কাজ ছুঃসাধ্য হইলেও করিতে হুয়। যথানিয়ম প্রতিমাসে সাধনার নিত্য-নৈমিত্তিক খোরাক সরবরাহ করিয়] চলিলেন-_ কিস্তু এই এক বৎসর মাত্র__ অর্থাৎ ১৮৯৪ সালটা ( অগ্রহায়ণ ১৩*১-_ কান্তিক ১৩০২ )। শেষ কয়টা মাস আর যেন চলিতেছিল না; তাই দেখা যায় সাধনার শেষ সংখ্যা ভা্র-আশ্বিন-কান্তিক একত্র প্রকাশিত হইল অতঃপর কবি সাধনা হইতে বিদায় লইলেন এবং পতিকাও উঠিয়া গেল কবিরও মন এখন অন্ত দ্রিকে ধাবিত হইয়াছে সাধনার শেষ বৎসরে রবীন্দ্রনাথের গল্প প্রবন্ধ গ্রসঙ্গকথা সাময়িক সাহিত্য-সমালোচন! প্রভৃতি তো আছেই-__ ইহার উপর বৎসরের বৈশিষ্টা হইল গ্রন্থ-সমালোচনামূলক সাহিত্য-প্রবন্ধ | এই বিষয়ে আমরা পরে প্রসঙ্গ উত্থাপন করিব।

বৎসরে বিশুদ্ধ সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ দান দশটি ছোটগল্প ।১ রবীন্্র-সাহিত্য পাঠকদের নিকট গল্পগুলি খুবই পরিচিত; সকলগুলিই ছোটগন্প-_ কিন্তু 'ক্ষুধিত পাধাণ' কেবল গল্প নছে-_ উহা! চ18)55 ) নায়ক-নায়িকাহীন, ঘটনাশৃন্ত এরূপ গল্প বাংলাভাষায় নৃতন ৃটি-- যদিও এই ধরনের ভৌতিক গল্প যুরোপীয় সাহিতো অজ্জাত ছিল না।

এই বৎসরের প্রথম গল্পগুলির মধ্যে প্রায়শ্চিত্' “বিচারক' হদয়বান পাঠকদের মনে বেশ দাগ রাখিয়। যায়; কিন্ত লেখক পাঠকগণকে এমন অসহায়ভাবে ফেলিয়। গেলেন ষে, এক হিসাবে গল্প-ছুইটি নাটকীয় কূপ লইয়াছে বলা যাইতে পাবে। “বিচারকে"র ঘটনাবলী অতান্ত সংক্ষিপ্ত হইলেও আমাদের সম্বুখে ক্ষীরোদার নিদাকণ ছুঃখময় জীবনের চিত্র নিমেষের মধ্যে ফুটিয়া উঠিয়াই নিভিয়্া যায়) কেবল কানে বাদ্ধে পতিতার আর্তনাদ প্রার্থনা-_ 'ওগো জজবাবু, দোহাই তোমার, উহাকে বলে। আমার আংটিটি ফিরাইয়া দ্েয়। জীবনে এত আঘাত এত ছুর্গতির মধ্যে মৃত্যুর সন্তুখেও সে তার প্রথম যৌবনের প্রেমকে ভুলিতে পারে নাই। জজ বাহাছুরের দিকে ভাকাইয়া বলিতে ইচ্ছা করে তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ ।' আর, 'প্রাস্মশ্চিন্ত' গল্পের বিদ্ধাবাসিনী স্বামীর অপরাধ নীরবে বক্ষে বরণ করিয়া স্বামীর পাপের প্রায়শ্চিত্ত করিল।

এই গল্প-ছইটিতে বাস্তবের তীব্রতা যে-ভাবে ছুটিয়াছে, 'নিশীথে' 'ক্ষুধিত পাষাণ" গল্পছয়ে প্রকাশ পাইয়াছে একটা অদ্ভূত অতীন্জ্রিয় রাহস্কিকতা। উভগ় গল্পে ঘটনার আত ক্ষীণ, মনের লীলাতরঙ্গঈই পাঠককে অভিভূত করে। “নিশীতের' মধ্যে বাস্তবের সঙ্গে কল্পনার উদ্বাহ হইয়াছে ; ক্ষধিত পাধাণে বাস্তব নাই, সবই কল্পনা, বা বলা যাইতে পাবে স্বপ্ল। উভয় কাহিনীতে বক্তারা তাহাদের জীবনের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করিতেছেন, লেখক নীরব শ্রোতা মাত্র

সাধনার শ্রাবণ (১৩০২) সংখ্যায় প্রকাশিত হয় 'ক্ষুধিত পাধাণ'। কথা আজ প্রায় সর্ববাদ্িসম্মত যে, ক্ষুধিত পাষাণ রবীন্দ্রনাথের সের! গল্পের অন্যতম গল্পটি ঠিক কবে লিখিত হয় বলা যায় না, তবে কবে ইহা তাহার মনের মধ্যে রচিত হুইয়াছিল, তাহার আভাস পাওয়। যায় ছিন্লপআাবলীর মধ্যে। এক বৎসর পূর্বে শ্রাবণ-ভাত্র মাসে কবি নিরস্তর উত্তরবঙ্গে যাওয়া-আসা করিতেছিলেন-_ বেশির ভাগ সময় কাটিত নদীবক্ষে নৌকার উপর। অনেককাল বোটের মধ্যে বাস কনিয়া হঠাৎ, মাজাদপুরের বাড়িতে আসিয়। উপস্থিত হন। সেদিনকার পজ্জে (৫ সেপ্টেম্বর ১৮৯৪ ) ইন্দিরা দেবীকে সাতারায় লিখিয়াছিলেন, «কেন জানি নে, মনে হয় এই রকম সোনালি-বৌদ্রে-ভরা ছুপুর

সাধনা ॥র্খ বর্ধ ১৩*১.*২। রবীজ্নাথের দশটি গল্প প্রকাশিত হয়।

১৩৯১: প্রীয়শ্ডিত্ত, অগ্রহায়ণ বিচারক, পৌষ নিলীখে, মাঘ আপদ, ফান্গুন। দিখি, চৈত্র। রবীন রচনাবলী ১৯, পৃ ২৩৫-৮৮।

১৩*২ : মানভগ্রন, বৈশাখ ঠাকুরদা, জোষ্ঠ | প্রতিহিংসা, আঘাড়। ক্ষুধিত পাষাণ, শ্রারগ। জতিথি, তাত্র-কাতিক, রবীন্দ্র-রচনাবলী

চা পৃ ১৯৭-২৬০ ১২৯৮ হইতে ১৩*২ সালের মধে চুয়াদিশটি গজ লিখিত হয় ইহার মধ্যে ছিতবাদীতে ছয়টি, 'নথ! সাধী'তে (আত্বিন ১৩০২) একটি, ছোট গল্প পুস্তকে একটি এবং অবশিষ্ট ছজিশটি গঞ্জ সাধনাক্ব প্রকাশিত হয়। কবির জীবিতকালে প্রকাশিত একানববইটি গল্প, মৃত পর প্রকাশিত ছয় ভিনটি গল্পা। তধো লাংনা-পর্ধে চায় বৎসয়ে সর্যাধিক | ড্র গলগুল্ছ ৪, পু ১*৩৬-৩৮। $৩

৪১৮ বুবীন্দ্রজীবনী গ্রী্টাব ১৮৯৫

বেলা দিয়ে আরব্য উপন্যাস তৈরি হয়েছে__ অর্থাৎ সেই পারম্ত এবং আরব্য দেশ, ডামাস্ধ, সমরকন্দ, বুখারা_ আরজরেব গুচ্ছ, গোলাপের বন, বুলবুলের গান, দিরাজের মদ-_ মরুভূমির পথ, উটের লার, ঘোড়সওয়ার পথিক, ঘন খেজুরের ছায়ায় স্বচ্ছ জলের উৎস-__ নগর, মাঝে মাঝে টাদোয়া-খাটানো সংকীর্ণ রাজপথ, পথের প্রান্তে পাগড়ি এবং টিলে কাপড় -পরা দোকানি খর্মুজ এবং মেওয়া বিক্রি করছে__- পথের ধারে বৃহৎ, রাজপ্রাসাদ, ভিতরে ধূপের গন্ধ, জানলার কাছে বৃহৎ তাকিয়া এবং কিন্খাপ বিছানো-_ জরির চটি ফুলো পায়জামা এবং রঙিন কাচলি -পরা আমিনা জোবেদি স্থুফি, পাশে পায়ের কাছে কুগুলাষিত গুড়গুড়ির নল গড়াচ্ছে, দরজার কাছে জমকালো-কাপড়-পরা কালো হাবষি পাহারা দিচ্ছে__ এবং এই রহস্তপূর্ণ অপরিচিত স্বদূর দেশে, এই উশ্বর্ঘময় সৌন্দর্ঘময় অথচ ভয়ভীষণ বিচিত্র প্রাসাদে, মা্তষের হাসিকান্গী আশ-আশঙ্কা নিয়ে কত শত সহত্র রকমের সন্ভব অসম্ভব গল্প তৈরি হচ্ছে ।”১ আমার মনে হয় এইদিন ক্কুধিত পাষাণের চিত্রটি জাগে; তার পর অবচেতনে তলাইয়া যায়__ বৎসরকাল পরে গল্পে রূপ লইল। এই পত্রটি পাঠ করিবার পর ক্ষুধিত পাষাণ" পুনবায় পড়িতে পাঠককে অশ্ররোধ জানাইয়! রাখিলাম।

কবির কল্পনায় দামান্কাস্‌, বুখারা ছিল, কিন্ক স্বৃতির মধো ছিল আমেদাবাদের শাহিবাগের জজলাহেবের বাড়ি; বোধ হয় অস্তগামী মুঘলযুগে সেটা নির্সিত হয়। চৈত্র ১৩০৯ সালে হাজারিবাগ থেকে এক পত্রে সতীশচন্ত্র রায়কে লেখেন, “প্রবামীতে যে শাহিবাগের ছবি বাহির হইয়াছে, এই বাড়িতেই আমি বাস করিয়াছি এবং ইহাই ক্ষধিত পাষাণের মেই বাড়ি ।”২ বুদ্ধবয়সে “ছেলেবেলা” গ্রন্থে লিখিয়াছেন, “শামেদাবাদে এসে এই প্রথম দেখলুম চলতি ইতিহাস থেমে গিয়েছে, দেখ! যাচ্ছে তার পিছনফের! বড় ঘরোয়ানা। তার সাবেক দিনগুলো যেন যক্ষের ধনের মতো মাটির নীচে পৌোতা আমার মনের মধো প্রথম আভাস দিয়েছিল 'ক্ষধিত পাষাণ'-এর গল্পের |”

ক্ষধিত পাষাণ" সন্বন্ধে আলোচনা করিতে গেলে রবীন্্রনাথের সময় সম্বন্ধে আপেক্ষিক তত্বের কথ! মনে হয়। একবার কলিকাতা হইতে শিলাইদহে ফিরিয়। “সবে দিন চারেক" হইয়াছে কিন্ধ মনে হইতেছে কী দীর্ঘকাল; এক পত্রে পিখিতেছেন, “ভাবের তীব্রতা -অন্ুসারে মানসিক সময়ের পরিমাপ হয়__ কোনো কোনো ক্ষণিক স্থখ দুঃখ মনে হয় যেন অনেক ক্ষণ ধরে ভোগ করছি ।-: স্বপ্পের মতো, ছোট মুহূর্ত দীর্ঘকালে এবং দীর্ঘকাল ছোট মুহূর্তে সর্যদাই পরিচিত হতে থাকে | তাই আমার মনে হয় খণ্ড কাল এবং খণ্ড আকাশ আমাদের মনের ভ্রম ।”* শ্ধিত পাষাণ লিখিবার পূর্বে ছিন্পপহ্াবলীর মধো এই “কালতত্ব' সন্বদ্ধে আলোচনাটি পাঠ করিলে হয়তো ক্কধিত পাষাণের গল্পের মনস্তবের হ্দিশট] পাওয়া যাইতে পারে

আষাঢ় ১৩০২ সালে সাজাদপুরে একদিন এই গল্পটির পটভূমিকা সম্বন্ধে পিখিতেছেন, “বসে বসে সাধনার জনে একটা গল্প লিখছি, একটু আষধাঢে গোছের গল্প... একটু একটু করে লিখছি এবং বাইরের প্রকৃতির সমস্ত ছায়! আলোক এবং বর্ণ এবং শব আমার লেখার সঙ্গে মিশে যাচ্ছে ।-.- আমার গল্পের সঙ্গে সঙ্গে যদি এই মেঘণুক্ত বর্ধাকালের স্সিপ্ধ রৌদ্রবঞ্িত ছোট নদীটি এবং নদীর তীরটি, এই গাছের ছায়া এবং গ্রামের শান্তিটি, এমনি অখগুভাবে তুলে দিতে পারতুম---তা হলে সবাই তার মর্মের সত্যটুকু কেমন অকি সহজেই বুঝতে পারত ।”৫ গল্পটি ক্ষধিত পাষাণ-__ সাধনায় শ্রাবণ ১৩০২ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়।

ছিন্্পত্রীবলী পত্র ১৪৯। সাজাদপুর। সেপ্টেম্বর ১৮৯৪ | ৯১ ভাদ ১৩০১ ]। বিশ্বভারতী পত্রিকা, মাঘ-চৈত্র ১:৫৫ পৃ ১২৪।

ছেলেবেল। | রবীন্দ্র-রচনাবলী ২৬, পৃ ৬২৭।

ছিগ্পপঞরাবলী | পত্র ১২১ | ১১ আধাড় ১৩০১ ] শিলাইদহ ২৪ জুন ১৮৯৪

« ছিন্লপত্রাবলী পত্র ২১৬। সাঙ্সাদপুর ২৮ জুন ১৮৯৫ (১৫ আবাঢ় ১৩*২ )।

খা ১৮৪৫ সাধনার সম্পাদক ৪১৯

সাধনায় গ্রকাশিত হয় নাই এমন-একটি গল্প হইতেছে “ইচ্ছাপুরণ' গল্পটি প্রকাশিত হয় “সখা সাথী? নামে ছেলেদের পত্রিকায় (আশ্বিন ১৩২)। “সখা” পুরাতন পত্রিকা, ১৮৮৩ সালে প্রথম বাহির হয়; ১৮৩ সালে ভুবনমোহন রায় 'সাথী' নামে একটি পত্রিকা বাহির ( বৈশাখ ১৩০৭ ) করেন; এই পত্রিকার দ্বিতীয় বর্ষে উহা 'সখা”র সহিত মিলিত হইয়া “সখা সাথী”) যুগ্ধনামে ভুবনমোহনের একক সম্পাদ্দকত্ে প্রকাশিত হয়। একদা ভুবনমোহন তাহার পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের সংক্ষিপ্ত জীবনী প্রকাশের জন্ত কবির নিকট হইতে তথ্যাদি সংগ্রহ করিয়া লইয়া ফান।

সখা সাথীতে (শ্রাবণ ১৩*২) প্রকাশিত জীবনীর মধ্যে কয়েকটি ভ্রম সংশোধন করিয়া"কবি সম্পাদককে লেখেন, “আপনার! যখন আমার বাল্য-বিবরণ লিখিবেন বলিয়া আমাকে শাসন করিয়া গিয়াছিলেন, তখন তাহার গুরুত্ব উপলব্ধি করিতে পারি নাই এবং নিশ্চিত চিত্তে সম্মতি দিয়াছিলাম।”*

ভুবনমোহনকে যে জীবন-কথা শোনান তাহা তাহার “জীবনস্থৃতি'তে ব্যবহৃত হুইয়াছিল।

গল্ভ গল্প ছাড়া শিলাইদহে বাসকালে কবিতায় দুইটি গল্প (50019 1) ০15৫ ) লেখেন-_ ব্রাহ্মণ ( ফাল্কন ১৩০১) পুরাতন তৃতাঃ (১২ই)। এমন ছুইটি কবিতাও সমালোচকদের তিক্ত অভিমতের দ্বার! ক্ষতবিক্ষত হইতে পারে ! '্রাহ্মণ কবিতার মধ্যে উপনিষদেের আখ্যানাংশের যথাযথ অর্থ গ্রহণ কর! হয় নাই এই হইল অভিযোগ ; অজ্ঞাতকুলশীল বালককে ব্রাহ্মণ গুরুর পক্ষে শিশ্যুরূপে গ্রহণ করাটা হিন্দু সংস্কারে বাধে বলিয়া একদলের ঘোর আপন্তি। রবীন্দ্রনাথ এই কবিতাটির মধ্যে মাতৃত্বের যে অপরাজেয় অধিকার প্রতিষ্ঠিত করিয় বিপ্লববাদকে প্রচণ্ড দমর্থন করিয়াছিলেন, তার মর্ম ধর্মধ্বজীর! হদয়ক্গম করিতে না পারিয়া এই সুন্দর স্থষ্টিতে পক্কতিলক লেপন করিতে লাগিলেন।

জন্মেছিস ভর্তৃহীনা জবালার ক্রোড়ে গোজ তব নাহি জানি__ |

এই উক্তির মধ্যে পবিজ্র মাতৃত্বের অসংকোচ স্বীকৃতি প্রকাশ পাইয়াছে ; 81710800160. 29001060 বা তর্ভৃহীন! নারীর সন্তানকে সম্মানদান করিতে প্রাচীন ভারতের খধিদের আপত্তি ছিল না-__ আপত্তি হইতেছে আধুনিক কালের ক্রা্ধণের ; ইহাদের বিবেচনায় কৃষ্ছবৈপায়ন বোব্যামও যথেষ্ট পরিমাণে হিন্দু ছিলেন না। বিছুর কলিতে জন্মগ্রহণ করিলে কোথাও আসন পাইতেন না।«

সখা সাধী, ভাঙ্ ১৩*২ মংখ্যায় কয়েকটি ভুল সংশোধন করিয়! উক্ত পত্রটি দেন ড্র. সজনীকান্ত দাস, রবীন্দ্রনাথ : জীবন সাহিতা, পূ ৭8-৭৪। চৈত্র ১৩০২ প্রস্ভাতকুমার যুখোপাধায়কে (বার-এট-ল ) লিখিভেছেন__“ 'সধা সাধী'র কর্তৃপক্ষের! দিনকতক তাহাদের কাগজে একট। গলপ দিবার জন্ত অতান্ত গীড়াপীড়ি করেন ।**" অবশেষে'*'আমি একটি নূতন ছোট গল্প লিখিয়! সম্পাদকীয় 767০০:৮০৫ ৪0100-কে শান্তি দান করিয়াছিলাম।* প্রবাসী, বৈশাখ ১৩৪৯। ইচ্ছাপুরণ গল্পটি ১৩২৫ সালে নগেক্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায় সম্পাদিত “পার্ধশী' বাধিস্ভীতে পুনমুদ্্রত হয়। বিশ্বভারতী সংস্করণ গল্পগুদ্ছ দ্বিতীয় ভাগের ১৩৪১ সালের সংস্করণে এই গল্পটি সবপ্রথম রবীন্রনাথের গ্রস্থতুক্ত হয়। দ্র. রবীন্্-রচনাবলী ২*, পৃ ২৩*। 'মুকুল' পত্রিকা,আঙ্ছিন ১৩*২ 'কাগজের নৌকা প্রকাশিত হয়।

ক্রাঙ্ষণ। সাধনা, ফাল্গুন ১৩*১, পৃ ৩৭৫। কথা কাহিনী। রবীক্-রচনাবলী ৭, পৃ ১৭।

পুরাতন ভূৃত্য। সাধলা, চৈত্র ১৩০১ পৃ৪৩*। কথা ওকাহিনী। রবীক্্-রচনাবলী ৭, পৃ »৬।

দ্র. ছাল্পোগ) উপনিষদ, চতুর্থ অধ্যায় চতুর্থ খণ্ড। ১। সত্যকাম জাবাল মাতা জযালাকে সম্বোধন করিয়া! বলিল, 'হে পূজনীয়ে! আমি তক্ষচর্য অবলম্বন করিয়া গুরুণৃছে বান করিব। আমার কি গোত্র ২। জবাল! তাহাকে ধলিল, 'হে তাত! তোমার কোন্‌ গোত্র তাহা জানি ন1। যৌবনে বহু বিচরণ করিয়া পরিভারিণী অবস্থায় (কিংবা যৌবনে পরিচারিসীরপে বহুলোকের পরিচর্যা করিয়া) তোমাকে লাস করিয়াছি আহি জানি না তোমার কোন্‌ গোত্র আমি জবালা, তুমি সতাকাম জাবাল।' ৩। সত্যকাম হায়িক্রমত গৌতমের নিকট গমন করিয়া! বলিল, 'আপনার নিকট আমি ত্ধচর্য অবলন্বন করিয়া বাস করিব; এইজন্ত আপনার নিকট আসিয়াছি।' ৪1 খৌতম তাহাকে জিজ্ঞাস! করিলেন, 'হে সৌম্য! তুমি কোন্‌ গোত্রীয়।' স্তাকাম বলিল, 'ছে ( ভগধ।ন )! আমি কোন্‌ গোত্রীর় তাহা আমি জানি না। আমি মাতাকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলাম। তিনি প্রতুত্তরে

৪২০ রবীন্ত্রজীবনী খ্রীষ্টাৰ ১৮৯৫

'ব্রাহ্মণ'-এর দুর্গতি হইল প্রাচীনপন্থীদ্দের হস্তে, আর পুরাতন ভৃত্য" এবং “ছুই বিঘ1 জমি' কবিতাদ্ধয়ের দুর্গতি হয় নবীনতমদ্দের হস্তে। এই কবিতার মধ্যে রবীন্রনাথের বুর্জোয়া মনোবৃত্তি আবিষ্কার করিয়া তাহাকে লাঞ্ছিত কর! হয়। রচনার দোষগুণ বিচার করিয়া নিন্দাবাদ হইলে দুঃখের কারণ থাকে না, কারণ রচনা ভালোমন্দ ছুই-ই হইতে পানে। কিন্তু লেখার মধ্যে কতখানি হিন্দুয়ানী আছে বা নাই, কতখানি সমাজতন্ত্রবাদ আছে বা নাই-_ তাহ! দিয়া যখন বিচার হয়__ তখন সে-বিচারকে আর সাহিত্য-বিচার বলা চলে না। রবীন্দ্রনাথের সে-হুর্গতিব অবসান এখনো হয় নাই

সাধনার শেষ বৎসরে রবীন্দ্রনাথের বিচিত্র গগ্ভবচনার মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য রচনা হইতেছে পুষ্তক- মমালোচনা ব্যপদেশে সাহিত্যতত্ব আলোচনা বাংলাদেশে বঙ্কিমচন্দ্র বঙ্গদর্শনে পুস্তক-সমালোচনার একটি নৃতন আদর্শ স্থাপন করিয়াছিলেন। পাঠকের ম্মরণ আছে, রবীন্দ্রনাথের প্রথম গ্ঠরচনা 'ভুবনমোহিনী প্রতিভা" কাব্যের সমালোচনা তখন রবীন্দ্রনাথের বয়ন চৌদ্দ বংসর মাত্র। তার পর যোপো বৎসর বয়সে ভারতীতে “মেঘনাদ বধ কাব্ো'র দীর্ঘ সমালোচনা বাহির হয়। এইবার সাধনার পৃষ্ঠায় সাহিত্য-সমালোচনার যে-ধারা তিনি প্রবর্তন করিলেন, তাহা বঙ্ধিমাদি পূর্বাচার্ধের পদ্ধতি হইতে সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা ম্বীকার করিতেই হইবে রবীন্দ্রনাথের এই সমালোচনাগুলি যুবোপীয় ক্রিটনিজম সাহিত্য অনুমোদিত পদ্ধতির অনসরণ। কথা অনম্বীকারধ যে, রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং কবি বলিয়া রলানুভূতির শক্কি সাধারণ সমালোচকদের অপেক্ষা অধিক ছিল এবং তচ্ছন্য সাহিতোর বিষয়বস্তর মধো অনায়াস- প্রবেশ তাহার ল্ুক্ষ্ম বিশ্লেষণ করা ভাহার পক্ষে সহজ ছিল।

বঙ্কিমচন্দ্রের বাজসিংহে'র সমালোচনা হইতে সমালোচনা-মালার আর্ত ( চৈত্র ১৩**)। সমসাময়িক “সাহিত্য? পত্রিকার (বৈশাখ ১৩০১) সম্পাদক এই সমালোচনা পড়িয়া লিখিয়াছিলেন, “রাজসিংহের অনেক প্রচ্ছন্ন সৌন্দর্য রবীন্দ্রবাবু এমন কৌশলমহকারে ধীরে ধীরে ব্ক্ত করিয়াছেন, যাহা তাহার ম্যায় সৌন্দর্ধের এন্দ্রজাপিকের পক্ষেই সম্ভব ।' যে-চৈত্রমাসে রাজসিংহের সমালোচনা প্রকাশিত হয়, সেই মাসেই বঙ্কিমচন্দ্র ইহলোক ত্যাগ করেন। পত্ু মাসে ( বৈশাখ ১৩০১) “বঙ্কিমচন্দ্র সম্বন্ধে দীর্ঘ সমালোচন! প্রকাশিত হয়। “বিহাবীলাল সম্বন্ধে যে প্রবন্ধ বাহিব হয় ( আষাঢ় ১৩০১) তাহাও সেই কবির কাব্য-সমালোচনা। এই ছুইটি প্রবন্ধ বিশেষ গ্রন্থের সমালোচন। নহে, সমগ্র সাহিত্যিকের আলোচনা সাধনায় অন্য ষেসব গ্রন্থের সমালোচনা করেন, তাহার মধ্যে আছে শশচন্্র মজুমদারের 'ফুলজানি'১ নামে উপন্যাস, ছিজেন্ত্রলাল রায়ের 'আর্ধ্যগাথা' নামে সঙ্গীত-পুস্তক, সবীবচন্্র চট্টোপাধ্যায়ের 'পালামৌ'

বলিয়াছিলেন, “শামি যৌবনে' ইত্যাদি ।' «| গৌতম সতাকাঁমকে বলিলেন, 'অন্তাঙ্গণ কখনও প্রকার বলিতে সমর্থ হয় না। তুমি সমিধ কাঠ লইয়। আইস, আমি তোমাকে উপনীত করিব ( অর্থাৎ তোমার উপনয়ন হইবে ): তুমি সতা হইতে বিচলিত হও নাই।” তাহার উপনয়ন হইবার পর তিশি &** তূর্বল কৃশ গো বাহির করিয়া বলিলেন, “হে সৌমা, এই সমুদয়ের অনুগমন কর ।' তাহাদিগকে লইয়া প্রস্থান করিবার সময় সত্যকাম বলিল, 'নহশ্র সংখা। পূর্ণ না হইলে আমি ফিরিব না। এইরুপে দে বহু বর্ষ প্রবাস করিল, তাহাদের সংখ্যা ধখন নহশ্ হইল... প্র ছান্গগো/পশিষৎ-_ মহেশচন্র ঘোষ বেদান্তরর কতৃক বঙ্গামুবাদ*। সীতানাথ তন্বহুধণ কর্তৃক সম্পাদিত (১৯১৫) পূ ২২২-২৭। অধ্যাপক উমেশচন্্র তটটচার্ধ 'জবালা প্রবন্ধে লিখিদ্লাছেন : কবির ভাষায় জবালা পুত্রকে ঠিকই বলিয়ছিলেন : জন্মেছিদ তর্তৃহীন। জবালার ত্রোড়ে'। প্রবাসী, পৌঁধ ১৩৪২, পূ ৪১১-১৪ দ্র" তন্ববোধিনী পত্রিকা, আধাড় ১৮৪ শক, পৃ ৪৭। জাবালা-_ সত্কাম কাহিনী বিবৃত আছে। ফুপজানি। ১৩** সাল। ভারতী বালক পাত্রে ১২৯৫-৯৬ সালে প্রকাশিত হয়। রবীক্্রনাথের সমালোচন1- সাধনা, অগ্রহায়ণ ১৩*১, আধুনিক সাহিত), রবীন্্র-রচনাবলা, » পু ৪৭*।

আর্ধাগাধা | দ্বিতীয় ভগ [১৮৯৩] সাধনা, অগ্রহায়ণ ১৩০১। আধুনিক সাহিত্য রবীন্র-রচনাবলী », পৃ ৪৮*।

পালামৌ। বঙ্গদর্শন ১২৮৭-৮৯। সন্রীবচন্্র-: দাধনা, পৌর ১৩৯১।-- আধুনিক সাহিত্য, রবীজ-রচনাবলী », পৃ ৪৩৩।

ীষ্টাৰ ১৮৯৫ পাধনার সম্পাদক ৪২১

ভ্রমণকাহিনী, বক্িমচন্দ্রের 'কুষণচরিত্র' শিবনাথ শাস্বীর “যুগান্তর উপন্যাস ( চৈত্র ১৩১)। এই প্রবদ্ধগুলি “আধুনিক সাহিত্য গ্রন্থমধে মন্গিবেশিত হইয়াছে

রবীন্দ্রনাথের বহুমূখী গ্রতিভার অন্যতম প্রকাশ এই ক্রিটিসিঙম্‌ বা সমালোচনা-সাহিত্য সম্বন্ধে কোনো হু সমগ্র আলোচনা এখনো চোখে পড়ে নাই। সাহিত্য-সমালোচক ববীন্ত্রনাথকে কেন্দ্র করিয়া গবেষণার একটি বিশাল ক্ষেত্র পড়িক্না আছে। এই প্রসঙ্কে বলিয়া রাখি ববীন্দ্রনাথ যে কেবল অন্তের গ্রন্থের সমালোচন! করিয়াছেন তাহা নহে, তাহার নিজের রচনাকে নৈর্ব্যক্তিক দৃষ্টিভঙ্গী হইতেও বিচার করিয়াছেন , অনেক সময়ে পুস্তকাকারে প্রকাশকালে বা পুনরমুর্রণকালে নির্মমভাবে কাটছাট করিতেন। যাহা! হউক কবি ক্রিটিকের বুগ্মর্ষিলনে ফে-প্রবন্ধগুলি লিখিত হইয়াছে তাহাতে সাহিত্যরসিকদের মনের সবিশেষ খোরাক আছে।

এই-সকল গ্রস্থ-সমালোচনার মধ্য দিয়া রবীন্দ্রনাথের বহু মতামত ব্যক্ত হুইয়াছে। উ্দাহুরণস্বক্বপ বলিতে পাৰি, 'কুষ্চবিআ আলোচনা কালে আদর্শ এঁতিহাসিক গবেধণা-পদ্ধতি, মহাভারতের এঁতিহাসিকতা প্রভৃতি বিষয়ের লৃক্ম আলোচন] পাঠ করিলে মনে হয় উহ। ষেন পরিণত এঁতিহামিক-গবেধকের বিজ্ঞানসম্মত লেখনীপ্রস্থত রচনা

আর-একটি সমালোচনার উল্লেখ করিব। দ্বিজেন্দ্রলাল বায় (1. [.. 7২০5) সাহিত্যক্ষেতঅ&রে নবীন আগস্কক 3 রবীজ্জনাথ তাহাকে কিভাবে অভিনন্দিত করিয়া সাহিত্য-দববারে আহ্যান করিয়া আনিলেন, 'আর্ধগাখা' নামে সংগীত-

গ্রহের সমালোচনা পাঠ করিলে তাহা! জান! যাইবে এই কাব্য আলোচনা! করিতে গিয়া! রবীন্দ্রনাথ ভারতীয়

সংগীত সম্বন্ধে দীর্ঘ আলোচনায় প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন। বিশ বৎসর বয়সে ( ১২৮৮) ভারতীতে তিনি “সংগীত ভাব, এবং সংগীতের উৎপত্তি উপযোগিতা সম্বন্ধে যে-আলোচন! করেন তাহার পর প্রত্যক্ষভাবে সংগীত সম্বন্ধে লিখিত প্রবন্ধ আর চোখে পড়ে না; যদ্দিও ছিন্নপত্রাবলীর মধ্যে দেশী-বিলাতি সংগীত সম্বন্ধে নানারকমের মত ইতস্তত ছড়াইয়া আছে। “আর্ধগাথা'র সমালোচনায় কবি লিখিলেন, “গানে কথার অপেক্ষা হুরেরই প্রাধান্ত। স্থর খুলিয়া! লইলে অনেক সময়ে গানের কথা অত্যন্ত শ্রাহহীন এবং অর্থশূন্ত হইয়া পড়ে এবং সেইরূপই হওয়া উচিত। কারণ, সংগীতের দ্বারা যখন আমরা! ভাব ব্যক্ত করিতে চাহি তখন কথাকে উপলক্ষমাত্র করাই আবশ্ঠক ; কথার দ্বারাই যদি সকল কথা বলা হইয়! যায় তবে সংগীত সেখানে খর্ব হইয়া পড়ে ।... হিনুস্থানি গানে কথা এতই যৎসামান্ত যে, তাহাতে আমাদের চিত্তকে বিক্ষিপ্ত করিতে পারে না।... অধিকাংশ স্থলেই হিন্দি গানের কথায় কোনো ছন্দ থাকে না'_- সেইঞজন্তই ভালো ছিন্দিগানের তালের গতিবৈচিত্র্য-.. গৌরবের হানি হইয়া থাকে কাব্য স্বরাজ্যে একাধিপত্য কবিতে,পারে কিন্ত ংগীতের শ্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করিতে গেলে তাহার পক্ষে অনধিকারচর্চ! হয় ।”১

রবীন্দ্রনাথের এই মত কিন্তু পরযুগে বিশেষভাবেই রূপান্তরিত হইয়াছিল) দিলীপকুমার রায় ধূর্জচিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে গান সম্বন্ধে তাহার যে দীর্ঘ প্ব্যবহার চলে এবং প্রবন্ধাকারে তিনি যে-মত পরধুগে বাক্ত করেন-_ সে-সব এখানে আমাদের আলোচনার বিষয় ছইতে পারে না। তবে আমার মনে হয় রবীন্দ্রনাথ সংগীত সম্বন্ধে গ্রবন্ধে

কৃকচগ্রিত। প্রচার পত্রিকা ইহার দ্বিতীয় সংস্করণে (১৮৯১) ঘইটি পূর্ণতর় এবং নুতন রূপ গ্রহণ করে। এই সংস্বরণের সমালোচন। রবীজ্রনাথ কয়েন-_ সাধনা, মাধ-ফান্তন ১৩*১। রবীন্্র-য়চনাবলী », পূ 8৪৬।

যুগান্তর শিবনাখ শান্তর দ্বিতীয় উপভ্ভাস (১৮৯৫) তৃপেম্রনাথ দত্ত বলিয়াছেন এই ঘুগাস্তর উপক্তাসের নাম হইতে াহাদের বৈষ্নাবিক সাপ্তাছিকের নামকরণ করেন 'যুগান্তর ।' রহীন্রণাথের সমালোচন।-_ সাধনা, চৈত্র ১৩*১। আধুনিক সাহিভা, রবীন্র-রচনাবলী », পৃ ৪৭১। জর. প্ীহকুমায় সেন, বাঙ্গাল! সাহিতোর ইতিছান ৭, পৃ ২৫১-৫৯ আধাগাখা। দ্বিতীয় ভাগ। আধুনিক সাহিত্য, রবীন্র-রচনাবলী », পৃ ৪৮*-৮১

৪২২ রবীন্দ্রজীবনী গ্ীষ্টা ১৮৯৫

বক্তৃতায় এবং পরে যে-সব মত ব্যক্ত করিয়াছেন, তাহা যদি কালামুক্রমিক ভাবে সঞ্চিত করিয়া কোনো গ্রন্থ গ্রকাশিত হয়, তবে কবিরু সংগীত সম্বন্ধে মতের অভিব্যক্তির ধারাবাহিকতা স্পষ্টতর হইবে ।+

এই পর্বে বুচিত 'বাংল। জাতীয় সাহিত্য" বিষয়ক একটি প্রবন্ধ চোখে পড়ে বঙ্গীয়-সাহিতা-পরিষদের সান্বংসরিক উৎসব-সভায় রবীন্দ্রনাথ কর্তৃক উহা পঠিত হয় (২৫ চৈত্র ১৩০১)। পাঁচদিন পূর্বে এই রচনা সঙ্দ্ধে ইন্দিরা দেবীকে এক পত্রে লিখিতেছেন : “আজও সমস্ত দিন সেই বক্কৃতাটা নিয়ে পড়েছিলুম বাংলায় নিজের মনের ভাবটি ঠিক মনের মতো করে প্রকাশ করা এমনি শক্ত যে, লেখাটা একট। লড়াই বিশেষ | .. যে কথাটাকে নংহত, সংক্ষিপ্ত করে লিখলে তার ওরিজিস্তালিটি, ভার উজ্জব্গতা পরিস্ফুট হত সে কথাটাকে জপ মিশিয়ে ব্যাখ্যা করে নিতান্ত অকিঞ্চিংকর করে তুলতে হয়-_ তার পরে নিজের মনে ভারী একটা অসস্তোষের উদয় হয়।”২

এই ভাষণটি বিশেষ গ্রস্থকার বা বিশেষ গ্রন্থের সমালোচনা না হইলেও সাহিত্যের বনু গুরুতর বিষয় অতি নিপুণ- ভাবে আলোচিত হইয়াছিল এই ভাষণে বাংলা গন্ধের উত্পত্তির কারণ হইতে শুক করিয়া এত বিষয়ের আলোচনা আছে যে দীর্ঘ রচনাটি পাঠ করিলে বাংলা সাহিতোর অন্নমন্ধিতস্থ গব্ষেকগণ সবিশেষ উপরুত হইবেন। এই প্রবন্ধে রবীক্্নাব বলিমাছিলেন, “সম্মিলিত জাতীয় হৃদয়ে উপর জাতীয় সাহিষ্া আপন অটপ ভিন্তি স্থাপন করিতে না পারিলে সাহিতা কনে! উন্নত হয় না, এই 'দশ্মিপিত জাতীয় হৃদ কথাটি আধুনিক ভাববাঞ্তক নয় কি? তবে প্রশ্ন “জাতীয় হৃদয় পদার্থটি কি?

এই প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ হাইস্কুলের উপরের-ক্লাসে বাংলা ভাব! অধায়ন-অধ্যাপনের স্থপারিশ করিতেছিলেন ! আজকাল পাঠকদের কাছে এটি বিস্ময়কর সংবাদ ; কিন্ধু সে-সময়ে উচ্চশিক্ষিত দেশীয় বিদেশীয় ভদ্রেবা স্কুলে বাংলা অধাপন নিপ্রয়োজন মনে করিতেন। কলিকাতা বিশ্ববিদ্ভালয়ের এনট্রান্স পরীক্ষায় বাংল ভাষার কোনো পরীক্ষাগ্রহণের বাবস্থা ছিল নী কয়েক বৎসর পরে বালিকাদের জন্য বাংলা পরীক্ষণীর বিষয় হয়ু। বালকদের পক্ষে বড মাধ্যমলাধনার পর অন্থুমতি লাভ কপ! সম্ভব হইয়াছিল। বাংল! অধ্যাপনেব অবসান হইত থার্ড ক্লাসে বা বহমান অষ্টম মানে গশিত, বিজ্ঞান,গোল, প্রাকৃতিক-ভূগোল, ভারত-ইতিহাস, ইংলগের ইতিহাস, ইংল্যাগুস্‌ ওআকস ইন ইন্ডিয়া নামে ভারতশাসনাদি বিষয়ক এক গ্রন্থ, এমনকি সংস্কতের উত্তর ইংরেজির মাধমে দিতে তইত | ববীন্ছনাথ এই পরিস্থিতির অবসানের জন্য এই প্রবন্ধে বহু যুক্তি প্রদর্শন কারেন। সমস্ত জ্ঞান-বিজ্ঞান মাতৃভাষার মাধামে শিক্ষাদানের স্থপক্ষে রবীন্দ্রনাথ দুই বংসর পৃবে শিক্ষার হেরফের? প্রবন্ধে দিখিয়াছিলেন ।* এই ভাষণে কবি বলেন, “কাডাপির ছেলেকে যখন কেবপ ইরাদ ভাষামাত্ম নহে, পরন্থ সমস্ত পাঠাব্ষির গুলিকে ইংবাজিতে শিক্ষা করিতে হয়, তখন তাহার অবকাশ এব" শক্ডির শেষ স্চাও্ ভূমি পর্ব ছাড়িয়া দিতে হয়। অপরিচিত ভাষা এবং অপরিচিত বিষয় এই উভয় দৈতোর দ্বারা একই সময়ে দক্ষিণে-বামে আক্রান্থ হয বাঙালির ছেলে চিন্তা করিবার অবসর মাছ থাকে না কেবপ সে অক্ষভাবে প্রাণপণ করিয়া যুঝিতে থাকে |

যথারীতি উল্তবরবঙ্গ কলিকাতা আসা যাওয়া চলিতেছে পক্ষকাল থেকে একমাম জমিগাবিতে বাসের পরই কলিকাতায় প্রত্যাবর্তন করেন ক্রী সন্তানদের সঙ্গ না পাইলে কবির মনও অস্থির হয়। ১৩০১ সালের চৈহ্রমাসের

রবীল্র-রচনাধলী : পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রকাশিত চতুদশ খণ্ডে 'দগীতী নামে একটি অশ আছে ১৯৬৬ মালে সংশীভচিন্ঠ।' নামে প্রস্থ বিশবনতারতী প্রকাশ কিয়া একটি নন্তাব পূরণ করিয়ান্েন।

ছিন্্পত্রাবলী | পত্র ২৫ | কলকাতা এপ্রিল ১৮৯৫

বাংলা জাতীয় সাহিতা। সাধনা, বৈশাখ ১৩২, পৃ | সাহিঠ, রনীন্্র-রচনাবলী ৮, পৃ ৪১৪1

£ ভারত শ্বাধীনতা লাভের পর হইতে সকল র[& মাতৃভাষার মাধমে অপায়ন-অধ্যাপনার আয়োজন হইয়াছে; কিন্ত দেখা ধাইঞ্ডেছে অতি মহার্ঘ £78115) 1601900 5০10০01-ণর চাহিদা উত্তরোত্তর সন্ধি পাইতেছে।

্ীষ্টাব ১৮৯৫ সাধনার সম্পাদক ৪২৩

গোড়ায় তিনি শিলাইদহ হইতে কলিকাতায় ফিরিয়্াছেন। বসম্তকাল, কবিচিত্ত অলসভাবে থাকিতে চায়; কিন্ত উপায় নাই “চিঠিপত্র লেখা আছে, প্রুফশিট-সংশোধন আছে, সাধনার লেখা আছে, কাছারির [ জমিদারি ] কাজ আছে, বাবামশায়ের কাছে [ পার্ক স্্রীটে ] হিসেব শোনাতে যাবার কথা আছে ।” ইন্দিরা দেবীকে সেদিন পত্রে মনের অনেক কথ! লিখলেন বটে, কিন্ত কাজ? রানুর প্রেমের মতো, “ছুঃস্বপ্রের মতো, ছুর্ভাবনা সম” ঘিরিয়1 রহিয়াছে চৈত্র মাস বৈশাখ (১৩০২) কাটিয়া গেল কর্পিকাতায়। ২৫ চৈত্র বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদের প্রথম বাধিক উৎসবে রবীন্দ্রনাথ "বাংলা! জাতীয় সাহিত্য? সম্বন্ধে ষে প্রবন্ধ পাঠ করেন, তাহার কথা পূর্বেই বলিয়াছি। এবার কলিকাতায় মাস দ্েড়ের বেশি থাকা হইল না (১ চৈত্র ১৩০১? - ১৫ জোষ্ঠ ১৩০২)। পতিসবের পথে নৌকায় চলিতেছেন-_ “অনেক দিনের পরে আমার নির্জন বোটটির মধ্যে এসে আমার ভারী আরাম বোধ হচ্ছে। মনে হচ্ছে যেন বিদেশ থেকে বাড়ি ফিরে এসেছি: 1১ সাধনার জন্য গল্প 'ঠাকুর্দা লেখেন (২২ জৈষ্ঠ ); আর কয়দিন পরে লিখিলেন “ছুই বিঘা জমি শীর্ষক অমর কবিতাটি ( ৩১ 'জাষ্ঠ ১৩*২ )। আযাটের গোড়ায় আবার কলিকাতায় আগমন, আবার পার্ক স্রীটে পিতার সঙ্গে দেখা করিয়া! বৈষয়িক কাজকর্ম লইয়া আলোচনা ইহার সঙ্গে ইন্দিরা দেবীকে কবিত্বপূর্ণ পত্র লিখিতে পারেন, কিন্তু “কর্তব্যচক্রের ঘানিগাছের সঙ্গে'-" অন্ধ হয়ে প্রতিদিন নিয়মিত খুবুপাকেশ২ ঘুরিতে হইতেছে সেই একই কাজের পুনরাবুত্তি-_ জমিদারির চিঠিলেখা, সাধনার প্রুফ দেখা ! যাহার! রবীন্দ্রনাথকে কবি, বিষয়-ভোগী জমিদার মাত্র বলিয়া জানেন, তাহাদের পক্ষে কবির এই কর্মময় জীবনের তথ্যও জানা দরকার পটপরিবর্তন হুইল। আধাঢ়ের মাঝামাকি (১৩০২) সাজাদপুরে হাজির হইয়াছেন। সেখান হইতে ইন্দিরা দেবীকে (২২) লিখিতেছেন, (১৫ আষাঢ় ১৩০২। ২৮ জুন ১৮৯৫) “বসে বসে সাধনার জন্যে একটা গল্প লিখছি, একটু আধাঢ়ে গোছের গল্প ।”৩ এই গল্পটি হইভেছে ক্ষুধিত পাষাণ__-সেটি সাধনায় শ্রাবণ (১৩০২) সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। এতদ্সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত আলোচন। পৃবেই করিয়াছি এই গল্পের মধ্যে যে রাহস্থিকতা স্থট্টি করিয়াছেন, দুইদিন পরে রচিত “শীতে বসন্তে" (১৮ আষাঢ় ১৩০২ ) কবিতায় বিজ্ঞপ রমিকতায় তাহা যেন ধুলিসাৎ করিতে চাছিতেছেন। সম্পাদকীয় কাজের প্রতি বাঙ্গ ক্লেষ :_- হাসি-গীত-গল্পগুলি ধুলিতে হইল ধূলি, বেধে দিয়ে চোখে ঠুলি, কল্পনারে করি অন্ধ সাধনার প্রতি মমতা হাস পাইভেছে : শ্রাবণ সংখ্যার পর পরবতী সংখা! ভাত্র-আশ্বিন-কাতিক একজ্ বাহির হইল চতুর্থ বৎসরের শেষ চারি বংসবের সাধনার শেষ সংখ্যা রূপে এই শেষ সংখ্যায় সাধনা পৰের শেষ গল্প “অতিথি” এবং বিগ্যাসাগর* সম্বন্ধে প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়। প্রবন্ধটি ১৩ শ্রাবণ বিষ্ভাসাগরের মৃত্াম্মরণ দিবসে কলিকাতার এমারেলড থিয়েটার গুছে অধিবেশন উপলক্ষে পঠিত হয়। কবি শ্রাবণের গোড়ায় কলিকাতায় আসিয়াছিলেন। মাস শেষ হইবার পূরে শিলাইদহে ফিরিয়া গেলেন। এবার কবির মনকে সম্পূণ এক নৃতন জগতে দেখিতেছি।

ছিন্পপত্রাবলী পত্র ২১২। পতিসয়-পথে। জুন ১৮৯৫

স্বির্রপত্রাবলী। পঞ্রে২১৫। কলকাতা ২৪ জুন ১৮৯৫

ছিন্রপত্রাবলী পত্র ২১৬। মাজাদপুর ২৮ জুন ১৮৯৪।

বিদ্যাসাগর়চয়িত। সাধন! ভাগ্র-আত্িন-কাতিক ১৩৯২ [ শেহ সংখ্যা ], পু ২৯৯-৩৪১। জবধীজ্-রচনাবলী ৪, পৃ ৪৭৭-৫৯২।

৪২৪ গ্রীষ্টাব ১৮৯৫ চিত্রার শেষ পর্ব

১৩*২ সালের শুরু হইতেই সাধনার কাজ যে ছুবিষহ হইয়৷ উঠিয়াছিল, তাহা আমরা পূর্বেই ইঙ্গিত কবিয়্াছি। প্রতি মাসে পাচষিশালী বচন! লেখা, সংকলন, প্রসঙ্গ কথা, সামগ্নিক পত্রিকা! সমালোচনা, প্রুফ দেখা, প্রেসের টাকার ব্যবস্থা করা, কাগজওয়ালার তাগিদ মিটাইবার জন্ত কর্জ করা, এবং সেই কর্জ শোধ করিবার জন্য বিবিধ পন্থা আবিষ্কারের চেষ্টা প্রভৃতি কর্ষ কবিচিত্তের পক্ষে ক্লান্তিকর); একই ধরনের কাজ দীর্ঘকাল করিতেও ভালে! লাগে না; তাই বোধ হয় কলিকাত! হইতে এক পত্রে ইন্দির] দেবীকে লিখিতেছেন (৯ এপ্রিল ১৮৯৫ ), “ইচ্ছা করছে কোনো- একটা বিদেশে যেতে বেশ একটা ছবির মতো দেশ।”১ মন কাব্যলোকে বহুদিন প্রবেশপথ পায় নাই বলিয়! অশান্ত অতৃপ্ত, মানসন্ুন্দরীর সহবাস জন্য মন উৎকন্তিত। তেমনি নৃতন কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা লাভের জন্য চিত্ত ব্যাকুল; এই ছ্ন্বের অবস্থায় লেখেন "শীতে বসন্তে” ( ১৮ আবাঢ় ১৩০২ ) 'নগরসংগীত' | নৃতন তত্ব নৃতন তথ্য নব উত্তেজনা চিরদিনই কবিকে আহ্বান করিয়া আসিতেছে অপরিচিতের মধ্যে অজানার মধ্যে কৌতৃহল আছে, আকম্মিকতাঁর মধ্যে আনন্দ আছে__ হয়তো বা কিছু কৌতুকও আছে সখ ছুঃখ আনন্দ অবসাদের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার যে-রসম্থষট হয়, তাহা! কবির পক্ষে সম্ভোগের বিষয় চিরনবীনের জন্ত লালায়িত কবিচিন্ত যে-নৃতনের আকধণে এবার সাড়া দিল আদে তাহা শান্্রমতে কবিজনোচিত নহে, তাহ সরম্থতীর মানসকুঞ্কবনে বিহার নহে, উহা অত্যন্ত বস্ভতাস্ত্রিক বৈষয়িক ব্যাপার-_ বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী'-বাণীকে সার্থক করিবার জন্য ব্যাকুলতা। এখন আর “যাও লক্ষ্মী অলকায়' বলিতেছেন ন!।

বিষয়টা ভালো! করিয়া বলা উচিত। আমাদের আলোচ্য পর্বে (১৩০২ ) সতোন্ত্রনাথের পুত্র স্থরেন্ত্রনাথ (২৩) বীরেন্দ্রনাথের পুত্র বলেন্দ্রনাথ ( ২৫) কুষ্টিয়াতে ব্যবসায়ের জন্ত এক কুঠি (ফার্ম) খোলেন। ঠাকুরপরিবাবের পূর্বপুরুষরা ব্যবসায়-বাণিজ্যের পথ ধরিয়া ধনজনমান লাভ করেন আভিঙ্গাত্যের গৌরব অর্জন করেন। ব্যবসায়ের সম্পদ হইতে তাহাদের জমিদানির উত্তব। কিন্তু ক্রমে সেই ধন বন্ধজলের মতো হইয়া গেল। তাহা আর বাড়ে না) অথচ জলাশয়ের পাশে বসতি বাড়িয়া চলিয়াছে, বহু শরিকের মধ্যে জমিদারি বিভকু হইবে। তাই বোধ হয় পূর্বপুরুষদের কীত্তিকাহিনী স্মরণ করিয়া এই ছুই যুবক কুছিয়ায় ব্যবসায়ে নামেন। প্রত্যক্ষভাবে না নামিলেও অর্থ দরিয়া, উৎসাহ দিয়া, উপদেশ দিয়া__ রবীন্দ্রনাথ কুষ্টিয়ার এই ব্যবসায়ের সহিত যুক্ত হুইয় পড়িলেন। এখন হইতে রবীন্দ্রনাথ নিজেকে মহাকমী মনে করিয়া আত্মতৃপ্তি লাভ করিতেছেন, পত্রধারায়, এমন-কি কবিতার মধ্যেও এই বিপুল কর্মচেতনার সমর্থন কর্মযজের প্রশস্তি শোনা যায়। ব্যবমায়-বাণিজ্যের তথাকথিত হীনতা আজ কবির দৃষ্টিভঙ্গিতে সবগ্ানিচ্যুত হইয়া নৃতনভাবে দেখা দিতেছে বোধ হয় নিজের অন্তরের বিরোধকে শান্ত করিবার জন্য একখানি পত্রে লিখিয়াছেন__

“যত বিচিত্র রকমের কাজ আমি হাতে নিচ্ছি, কাজ জিনিসটার গ্রতি আমার শ্রদ্ধা মোটের উপর ততই বাড়ছে। অবশ্থ সাধারণভাবে জানতুম যে, কর্ম অতি উৎকষ্ট পদার্থ কিন্তু সে-সমস্ত পুথিগত বিষ্া। এখন বেশ শ্পষ্টক্কপে বুঝতে পারছি কাজের মধ্যে পুরুষের যথার্থ চরিতার্থতা। কর্ষের মধ্যে পুরুষের অনেকগুলি বৃত্তিকে সবদ্দাই নিয়োগ করে রাখতে হয়-_ জিনিস,.চিনতে হয়, মানুষ চিনতে হয়, বৃহৎ কর্মক্ষেত্রের সঙ্গে পরিচয় রাখতে হয়। এখন আমার কাছে একটা নৃতন রাজ্য খুলে গেছে। দেশ দেশান্তরের লক্ষ লক্ষ লোক যে-এক বৃহৎ বাণিল্যক্ষেত্রের মধ্যে অহুনিশি প্রাণপণ প্রয়াসে প্রবৃত্ত আমি তারই মধ্যে অবতীর্ণ হয়েছি__ মান্থষের পরস্পরের শৃঙ্ধলা বন্ধ সন্বদ্ধ এবং কর্মের সুদুর বিস্তৃত উদারতা আমার প্রত্যক্ষগোচর হয়েছে। সমস্ত চিনতে এবং শিখতে, খাটতে এবং চিন্তা করতে, বেশ একটি গৌরব অনুভব করা যায়।

ছিযপত্রাবলী পত্র ২৮ কলকাতা এপ্রিল ১৮৯৫।

খা ১৮১৫ চিন্রার শেষ পর্ব ৪২৫

পুরুষের কাধের একটা এই যাহাত্মা যে, কাজের খাতিরে তাকে নিজের বাক্তিগত হ্থখ ছুংখকে অবজ্ঞা করে সংক্ষিপ্ত করে নিয়ে চলতে হয়।:.. কর্মের এই নিষ্ঠুরতার মধ্যে একট] কঠোর লাম্বনা আছে ।"১ কর্মজীবনে নামিয়া পড়িবার জন্ত রবীন্দ্রনাথের মনের যে-আকৃতি, 'নগরসংগীত' কবিতায় তাহা অন্কভাবে মুতিগ্রছণ কবিয়াছে। এই কবিতাটির প্রত্যেক পঙ্ক্তিতে তাহার মনের মধ্যে কর্ষের জন্ত যে আনন্দ আবেগ সঞ্চালিত হইভেছিল, ভাহারই উদচ্চাসময় বাণী শ্রুত হয়। কবির বয়ণ এখন চৌত্রিশ বৎসর-_ পরিপূর্ণ যৌবনের উচ্ছাস প্রকাশ পাইতেছে কর্মে সাহিতো ঘূ্ণচক্র জনতাসংঘ, বন্ধনহীন মহা-আসঙ্গ, তারি মাঝে আমি করিব ভঙ্গ আপন গোপন স্বপনে ক্ষুদ্র শাস্তি করিব তৃচ্ছ, পড়িব নিয়ে, চড়িব উচ্চ, ধরিব ধৃ্রকেতুর পুচ্ছ, বাছ বাড়াই তপনে। নব নব খেলা খেলে অনৃষ্ট-_ কখনো ইষ্ট কতু অনিষ্ট, কখনো তিক্ত কখনো মিষ্ট, খন 1 দেয় তৃলিয়া_ স্থখের ভুখের চক্রসধ্যে কখনো উঠিব উধাও পদ্ঘে, কখনো লুটিব গভীর গন্ডে নাগরদোলায় ছুলিয়।। হাতে তুলি লব বিজয়বাস্, আমি অশান্ত, আমি অবাধ, যাহা-কিছু আছে অতি অসাধ্য তাহারে ধরিব সবলে। আমি নির্ধম আমি নৃশংস, সবেতে বসাব নিজের অংশ, পবমুখ হতে করিয়া ভ্রংশ তুলি আপন কবলে ।২ এই কবিতাটির মধ্যে জীবনের কর্মযজে অন্ধ নিয়তির টানে জীবের আত্ম-বলিদানের কথা রূপকচ্ছলে বলা হইয়াছে এই কর্মের মধ্যে জড়াইয়া জীবনের প্রতি দৃ্টিভঙ্গীর বেশ একটু বদল হুইয়াছে। প্রায় ছুই বৎনর পূর্বে” 'হ্ুখতত্বশাহ্ের প্রথম অধ্যায় বলিয়া যাহ] ব্যাখা! করিয়াছিলেন, তাহা হইতে এখন সবের তফাত ম্পষ্ট। কিন্ত সেদিন বলিয়াছিলেন “হৃদয়ের প্রাত্যহিক পরিতৃপ্তিতে মান্ষের কোনে! ভালো হয় না, তাতে প্রচুর উপকরণের অপব্যয় হয়ে কেবল অল্প স্থখ উৎপ্ন করে, এবং কেবল আয়োজনেই সময় চলে যায়-_- উপভোগের অবসর থাকে না। কিন্তু ব্রতযাপনের মতো জীবনযাপন করলে দেখা যায় অল্প সখ প্রচুর স্থখ এবং স্থুখই একমাত্র স্থখকর জিনিষ নয়। চিত্তের দর্শন ম্পর্শন শ্রবণ মনন -শক্কতিকে যদ্দি সচেতন রাখতে হয়, তা হলে হ্বদয়টাকে সর্বদা আধ-পেটা খাইয়ে রাখতে হয়-_নিজেকে প্রাচুর্য থেকে বঞ্চিত করতে হয়।”* এই উপকরণ-বাছলোর বিকৃদ্ধে র্বীন্জুনাথ চিরদিন মন্তব্য প্রকাশ করিয়াছেন। কিন্ত কোনোদিনই এই বাহুল্যকে বর্জন করিতে পারেন নাই, কারণ আর্টের স্্টিসৌন্দর্য প্রয়োজনের অতিবিক্তের উপর বুনিয়াদ গড়ে রবীন্দ্রনাথ কবি আর্টস্ট-_ তাই তিনি দার্শনিকভাবে বাছুলোর নিন্দা করিলেও আর্টিস্ট হিসাবে সেই প্রয়োজনাতিবিক্ত, স্পর্যাপ্ত বাহুল্যের উপবে সৌন্দ্ধতন্ব প্রতিপ্রিত কবেন) এবং নিজ জীবনধারার চারিপার্ে এই বাহুগ্যকে আর্টের নামে লালিত বধিত হইবার অবসর দেন।

ছিন্নপঞ্রাফলী | পত্র ২২৪ গিলাইদছ। ১৪ অগস্ট ১৮৯৫ (৩, শ্রাহণ ১১০২ )।

নগরসংগীত, চিত্র! | রবীন্তর-রচনাধলী ৪, পু ৭১।

ছিন্র-পত্রাষলী পত্র ১*১। শিলাইদহ জুলাই ১৮৯৩।

ছিন্পপত্রাহলী পত্র ২৩৬ | কুটিয়া। « অক্টোবর ১৮৯৫1 এই পঞ্জে ০০৫১৫-এর একটি পঞ্-ক্তি মুল অনুবাদ উদ্ধৃত জাছে। €$৪

৪২৬ ববীন্দ্রজীবনী থা্টা ১৮৯৫

আজ নগর-সংগীতের মধ্যে যে ভাবটির কাবাময় রূপ দিলেন, তাহার নির্গলিত অর্থ হইতেছে কর্মের মাধ্যমে জীবনকে সফল করাই হইতেছে মানবের আদিয় কামনা ১৩*২ সালের ভাদ্র মাসের বেশির ভাগটাই বোধ হয় কলিকাতায় কাটে; আশ্বিনের গোড়ায় শিলাইদছে আসিয়াছেন ইন্দিরা! দেবীকে পত্রধারা লিখিয়া চলিয়াছেন | ১* আশ্বিন ১৩০২ লিখিতেছেন, “আমার সাধনা লেখার কাজে এখনও হাত দিই নি। কেবল সংগীত-আলোচনায় সরন্বতীর সঙ্গে খানিকটা সম্বন্ধ রেখেছি ।”১ যাহা হউক ইহারই মধো সাধনার শেষ গল্প “অতিথি' লিখিয়া থাকিবেন।

শিলাইদহে বাসকালে গানের স্থরবন্তা নামিয়াছে। আশ্বিন হইতে কাতিক ১৩০২ সালে মধো নিম্নলিখিত

গানগুলি রচনা করেন-__ ১৩০২৫ আশ্বিন__ ওলো সই,...আমার ইচ্ছা! করে তোদের মতো! মনের কথা কই গীতবিতান পৃ ৩০৪।

আশ্বিন__ মধুর মধুর ধ্বনি বাজে ".. পৃঃ৪৭। ৪-৯ আশ্বিন__ বিশ্ববীণা রবে বিশ্বজন মোহিছে ৮”... পৃ ৪২৭।

আশ্বিন__ বেল! গেল তোমার পথ চেয়ে গ. পৃ ৬৮। ১২ আশ্বিন-- কে দিল আবার আঘাত ( বিজয়া দশমী ১৩০২ ) "পূ ৩৩১। ১৩ আশ্বিন__ এসো! গো নৃতন জীবন ". পৃ ৫৪৭। ১৪ আশ্বিন__ পুষ্পবনে পুষ্প নাহি শ. পৃ৩২৬। ১৫ আশ্বিন-_ আহা, জাগি পোহালো বিভাবরী ”.. প্র ৩২৫। ১৬ আশ্বিন__ হে অনাদি, অসীম স্থনীল অকৃল সিঙ্ধ "পু ৮৪৩। ১৮ আশ্বিন-_ তোমার গোপন কথাটি পপ. পৃ২৯৭। ২৩ আশঙ্বিন__ চিত্ত পিপাসিত বে ”€9.. পৃ২৭১। ২৫ আশ্বিন আমি চিনি গো চিনি তোমারে "পৃ ৩*৬। ২৯ আশ্বিন-_ আমর! লক্ষ্মীছাড়ার দল ”. ৫৯৩।

কাতিক-- ওগো! ভাগাদেবী পিতামহী ”. পর ৫৯৯।

রবীক্জনাথ শিলাইম্হে কাতিক পধন্ত ছিলেন; এদিন ঠাকুরদাল মুখোপাধ্যায়কে লিখিতেছেন যে তিশি কলিকাতায় চলিয়াছেন। (ভারতবর্ষ, বৈশাখ ১৩২৪ ) কলিকাতায় ফিরিয়াছেন-_- কাজের জন্য, সংসারের জন্তু; কিন্তু মন গীতরসে এখনো পূর্ণ তাই দেখি কাতিক মাসে গান লিখিতেছেন__

১৩*২।১৬ কাতিক-_ কী আকুলতা! ভুবনে গীতবিতান পূ ৪২৮। ১৮ কাতিক-_ তুচি রবে নীরবে ২21 ২১ কাতিক- সে আপে ধীরে, যায় লাজে ফিরে ৪9 পৃ ৩২৬। ২২ কাতিক-- কে উঠে ডাকি 9. পৃ৩৯০। ২৩ কাতিক-_ ওহে স্ন্দর মম গৃহে আজি «5. পৃ৩৪৫| ২৪ কাতিক-_ তুমি যেয়ো না এখনি »9.. পূ ৩৩০। ২৫ কাতিক-_ আকুল কেশে আসে ».. পূ ৩৩১। ২৯ কাতিক- কী রাগিণী বাজালে হৃদয়ে ৮. পু ২৯৪। ২৯ কাতিক-_ হদয়-শশী, হদিগগনে পৃ ২০৬।

ছির়পত্রাবলী পত্র ২৩২ 1 শিলাইদছ | ২৬ সেপ্টেম্বর ১৮৯৫ |

এষ্টাব ১৮৯৫ চিত্রার শেষ পৰ ৪২৭

এই গানের তালিকা, ইন্দিরা দেবীকে লিখিত পত্জরধারা হইতে রবীন্দ্রনাথের বিচিত্র ভাবনার যে চিত্রটি বিশ্েযান্তে পাওয়া যায় তাহাকে কোনে এক বিশেষ মানসিক অবস্থায় বূপদান করা অসস্তব।

কাতিক মাসট! (১৩০২) কলিকাতায় থাকিয়। অগ্রহায়ণের গোড়ায় আবার উত্তরবঙ্গে চলিয়াছেন পতিস্র-পথে-_ “ছোট্র নদীটির মধো দিয়ে আমার বোট চলেছে-_ সমস্ত দিন একলা রয়েছি কারও সঙ্গে একটিমাত্র কথাও কইতে হয় নি।” কলিকাতায় গান রচনা করলেও, শান্তি ব্যাহত হইবার মতো বূঢ ঘটনা ঘটিয়া থাকিবে; তাই এই পত্রে লিখিতেছেন “কলকাতার নানান কঠিন করুম্পর্শের অতবণন এখনো সমস্ত সামুর মধ্যে বীরী করছে-__ কিন্তু বেশ বুঝতে পারছি, ক্রমে ক্রমে সে সমস্তই থেমে যাবে": 1”

সাধনা বন্ধ হইয়] গেলে গল্পলেখক প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়কে (বার-আযাট-ল ) কবি লিখিতেছেন, “সম্প্রতি সাধনা ছাড়িয়া দিয়া আমি বহুকাল পরে আমার চিববন্ধু আলন্তের প্রিয় সাক্ষাৎকার লাভ করিয়াছি ।”* রবীন্দ্রনাথ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলিয়া বাচিলেন। পত্তিকা বন্ধ হইবার সাহিত্যিক বা আধ্যাত্মিক কারণ যাহাই থাকুক, প্রতাক্ষ বাস্তব কারণ অতাস্ত স্প্ই; সাধনা চালাইবার বায়ভার ক্রমেই একা তাহার উপর আসিয়া পড়িতেছিল। যথানিয়মে ন্যাষ্য প্রাপ্য টাকা-পয়সা আদায়ে শৈথিলোর জন্য যথানিয়ম প্রেস 'ও কাগজ ওয়ালার বিল পবিশোধ করিতে বাধ্য থাকায় খণভার বাড়িয়া চলিতেছিল। এই ক্রমশ-বর্ধমান খণভার বহন করিয়া চলা অসম্ভব হইল, তা ছাড়া মনও ক্রমে 'কেজো, কাজের মধো গিয়া পড়িতেছিল। অর্থাৎ কুষ্টিয়ার ঠাকুর কোম্পানি

বহুকাল পরবে কাহার কাবালক্্ীকে ফিরিয়া পাইলেন কবি নৌকায় আছেন, নাগর নমর ঘাটে পতিসরে নৌকা বীধা। সন্ধ্যার পর বাতি জ্বালাইয়া ই*বেজ সাহিতাসমাপোচক ডাউডেনের (821 [0০68 ) সদ্য প্রকাশিত 16৮ 54%4165 27 [ভোএদো5 (1895 ) পড়িতেছেন তত্বের তগ্তখোলায় রসের পরিণতি দেখিয়া! বুসিকহদয় অতৃপ্ত; কৰিব হৃদয় শুকাইয়া উঠিল, বইটা টেবিলের উপর ফেলিয়া পিয়া যেমনি বাতি নিবাইয়া দিলেন, “অমনি চারি দিকের মুক্ত জানালা দিয়া এক মুহূর্তে অনন্ত আকাশভরা পৃণিমা আমার বোট পরিপূর্ণ করিয়া নিঃশব উচ্চহাশ্তে মকৌতুকে হাসিয়া উঠিল। যখন সমস্ত আকাশে সৌন্দম আপনি আসিয়া দাড়াইয়া আছে তখন বাতি জালাইয়া টেবিলের উপর কঁকিয়া পড়িয়া ডাউডেনের পুথি হইতে সৌন্দধতত্ত খাটিয়া খ'টিয়া উদ্ধার করার দুশ্টেষ্টা অত্যন্ত হাশ্তজনক-..। অনস্ত লক্ষত্রলোক হইতে এই পিস্তরঙ্গ নদীতল পধস্ত কি পরিপূণ অন্ম নিইশকতা, অথচ কানের কাছে ডাউডেন সাহেবের এই অকিঞিৎকর বিতকে অন্তহীন আকাশের বিশ্বন্তর নীতা একেবারে অগোচর হইয়া গিয়াছিল।”*

ডাউডেনের গ্রন্থে গোটের ইভাপি ভ্রমণের কথা আছে। ভ্রমণকাহিনী পাঠ রবীন্দ্রনাথের মানস-বিলাম ছিল: এই সকল ভ্রমণকারীর সঙ্গে তিনিও পরিন্রমিত দেশগুপি মানসচক্ষে দেখিয়ী ফিরিতেন। গোটের ইতালি ভ্রমন কথা পাঠ করিয়া পিখিতেছেন, “যদি গেটের মতো! শুভাদৃষ্ট আমার হত,""" তা হলে আমি সমস্ত পৃথিবীর মধ্যে অমরতা লাভ করতে পারতম... যদি পারি তো আমিও এক লময়ে জগতে বেরিয়ে পড়ব ।”* আর একদিন লিখিতেছেন : “ভাইমার বাজমভায় গেটের কীতিকাহিনী অধায়ন করছি কোথায় নাগর-নদীতীরে পতিলর, বোটের মধো আমি, আর কোথায় বিচিন্তরকর্মসংকুল ভাইমার রাজসভার রাজকবি গেটে !”$

১. ছিপ্লপত্রাবলী পত্র ২৪১1 ২২ নবেম্বর ১৮৯৫1 আগ্রহায়ণ ১৩*২। পঞ্জ। অগ্রহায়ণ ১৩০৯ প্রবামী, বৈশাখ ১৩৪৯

পত্র। * চৈ ১৩০২ প্রবামী, বৈশাখ ১৩৪৯

ছিমপঞ্জাবলী | পত্র ২৪১1 পতিসর। ২৪ নবেশ্বন্জ ১৮৯৫।

ছিন্পপত্রাবলী। পত্র ২৪৪। পতিসর | ২৯ নবেম্বর ১৮৯৫ |

৪২৮ ববীন্্রজীবনী খ্রাটাব ১৮৯৫

দুইদিন পরে ( ১৬ ভান্র ১৩০২। ডিসেম্বর ১৮৯৫ ) পতিসরের বোটেই লিখিলেন 'পৃণিমা" কবিতা 1 পড়িতেছিলাম গ্রন্থ বলিয়া একেলা সঙ্গীহীন প্রবাসের শৃন্ত সন্ধ্যাবেলা করিবারে পরিপূর্ণ। পণ্ডিতের লেখা সমালোচনার তত্ব; পড়ে হন শেখ। সৌন্দর্য কাহাবে বলে-_ আছে কী কী বীজ কবিত্বকলায় ; শেলি, গেটে, কোল্রীজ কারু কোন্‌ শ্রেণী। পড়ি পড়ি বহক্ষণ তাপিয়া উঠিল শিব, শ্রান্ত হল মন,"'. অবশেষে শ্রান্তি মানি তত্্রাত্ুর চোখে, বন্ধ করি গ্রস্থখানি ঘড়িতে দেখিস চাহি ছ্িগ্রহর রাতি, চমকি আসন ছাড়ি নিবাইসথ বাতি। যেমনি নিবিল আলো? উদ্ছৃসিত শোতে মুক্ত দ্বারে, বাতায়নে, চতুর্দিক হতে চকিতে পড়িল কক্ষে বক্ষে চক্ষে আসি ভ্রিভুবনবিপ্লাবিনী মৌন স্ধাহাসি। এই কবিতা লিখিবার কয়দিন পরে (২৭ অগ্রহায়ণ ১৩০২ ১২ ভিসেম্বর ১৮৯৫) শিলাইদহ হইতে ইন্দিরা দেবীকে মনের এই ভাষাটাই পত্রাকারে লেখেন। পনীবস গ্রন্থের বাকারাশির মধ্যে কী খুঁজে বেড়াচ্ছিলুম-_ যাকে খু'জছিলু্ সে কতক্ষণ থেকে বাইরে সমস্ত আকাশ পরিপূর্ণ করে নীরবে দাড়িয়ে ছিল।”ৎ পূর্ণিমা কবিতাটি রচনার ছুইদ্দিন পরে লিখিলেন ( ১৮ অগ্রহায়ণ ) 'চিত্রা" নামে কবিতাটি ; যেটি পরে চিত্রা কাব্য. গুচ্ছের ভূষিকারূপে বাবস্বত হয়। পূর্ণিমায় যে 'বিশ্বব্যাপিনী লক্্মী'র রহস্রূপটি চকিতে দেখিতে পাইলেন, তাহাকে আহ্বান করিলেন নৃতন সংজ্ঞায়-_ জগতের মাঝে কত বিচিন্ত তুমি হে তুমি বিচিন্তক্ূপিণী | পূলিমায় যাহাকে বলিয়াছেন "অনন্তের অন্তরশারিনী" তাহাকে এইখানে বলিতেছেন-_ অস্তর মাঝে শুধু তুমি এক একাকী তুমি অন্তরবাপিনী 1... তুমি অন্যরবাসিনী। এক দিকে ধিনি বিশ্বব্যাপিনী লক্ষ্মী অপর দিকে তিনিই অন্তরবাসিনী অন্তরব্যাপিনী প্রেয়সী এই নৈর্বাক্তিক সৌন্দর্যসহ। নানীরূপে কল্পিত, তাহারই সেবা কবির চিরাকাক্ক্ষিত। সেই সৌন্দর্ষ-গ্রতিমার কাছে কবির 'আবেদন' (২২ জগ্র, ১৩*২)-_ আমি তব মালঞ্চের হব মালাকর। পূর্ণিষা। ১৬ অগ্রহায়ণ ১৩*২। চিত্রা | ফাল্গুন ১৩*২। রবীন্-রচনাবলী পৃ ৭*। ছিযপত্রাবলী। পত্র ২৫*। শিলাইদছ। ১২ ডিসেম্বর ১৮৯৫

ধর্টাৰ ১৮৯৫ চিত্রার শেষ পর্ব ৪২৯

অকাজেনর কাজ যত, আলমের সহল সঞ্চয় শত শত আনন্ের আয়োজন। এর মধ্যে এই তাহার প্রার্থনা! আর লে কী পুরস্কার চায়! প্রত্যহ প্রভাতে

ফুলের কষ্কণ গড়ি কমলের পাতে

আনিব যখন, পদ্মের কলিকালম

ক্ষ্র তবমুষ্টিখানি করে ধরি মম

আপনি পবাছে দিব, এই পুরস্কার কবি সৌন্দর্যলক্্ীর নিকট হইতে যাহা প্রার্থনা করেন তাহা ধন নয়, মান নয়, শুধু ভালোবাসা, আজ কর্মসাগরে নামিয়া কবিচিত্ত অস্তরে অন্তরে বিশেষভাবেই মানসন্থন্দবীর জন্ত উতৎকন্ঠিত হইয়া উঠিয়াছে, কর্মযজ্জের উদ্দেশ্টে তই উচ্চুসিত সংগীত রচনা করুন, কবিচিত্ত পিপাসিত যথার্থ 'গীতনৃধা-তরে | কবির নিজের ভাষায় বলি, “আমি তাহারই কাছে আবেদন করিয়াছি যে, তোমার কাছে নান! লোক নান বড় বড় পদ পাইয়াছে, আমি তাহার কোনোটা চাই না; আহি তোমার মালঞ্চের মাঙ্গাকর হইব-_ আমি তোমার নিভৃত সৌন্দর্ধরাজ্যে তোমার গোপন সেবায় নিষুক্কু থাকিব_ এক কথায় আমি কবিতা লিখিব, আমি বিশ্বছিতের জন্য সম্পাদকী করিতে পাবিব না; কবিতা লিখিয়াও তোমার কাজ করা হইবে-_ হিতকার্ধ নাঁ করিতে পারি যথাসাধা আনন্দের আদ্বোজন করিতে পাৰিব ।”১ বহু বৎসর পরে রবীন্ত্র- রচনাবলীর অন্তর্গত “চিত্রা'র ভূমিকায় কবির নিবেদনের মধ্যে আছে, “কর্মক্ষেত্রে, যেখানে কারক্ষেত্রের জনতায় কর্মীর! কর্ষ করছে, সেখানে আমার স্থান নয়। আমার স্থান সৌন্দর্যের সাধকরূপে একা তোমার কাছে ।”*

সৌন্দর্ষলক্ষ্মীকে সেবা করিয়া কবি সেবক, মালঞ্চের মালাকর। কিন্তু সে তো সম্বন্ধ বটে, হউক-না কেন 'দীন তৃতা”। কিন্তু বিশ্বসৌন্দর্ধ যে সম্পূর্ণরূপে নৈরধযক্তিক (৪05658০৫), সেই সৌন্দর্ধের সহিত কি কোনো নামযুক্ত সম্ধ হইতে পারে। সত্যই তো সৌন্দর্ধের সহিত যে সম্বন্ধ, তাহা সম্পূর্ণভাবে নিষ্কাম তাহা অনামিকাঁ_ সকল লোকাচার" বিশ্রুত সন্বদ্ধের অগোচব, সকল ভাষার অতীত, সকল মানব-অভিজ্ঞতা অভিজ্ঞতার উতের্বে। সেই অবিচ্ছিন্ স্থন্দরকে কবি 'উর্বশী”* কবিতায় বর্ণনা করিলেন-_ নহ মাতা, নহ কন্তা, নহ বধূ, সুন্দরী রূপসী, ছে নন্দনবাসিনী উর্বশী বিশ্বের অন্তরে চিরস্তন যে অপরিবর্তনীয় সৌন্দর্য বৃহিয়াছে, সে মানসলোকে অখণ্ড পরিপূর্ণ সতান্ধপে বিবাজিত,

উর্বশী সেই অনামিক লৌন্দর্ষের প্রতীক সমসাময়িক পত্রে কবি লিখিতেছেন, “পৌরাণিক উর্বশীর নাম অবলম্বন করিয়া আমি যাহাকে কমৃপ্লিষেন্ট দিয়াছি তাহাকে অনেক দিন হইতে অনেক কবি কম্প্লিমেন্ট দিয়া আলিতেছেন। গ্রোটে যাহাকে বলেন 17১6 চ66738] ৬/০:090-_ 28০ ড/675৮৩, আমি ভাহাকে উর্বশী মৃতিব মধ্যে প্রতিষ্ঠিত প্রতাতকুমার ফুখোপাধ্যারকে (বার-আ্যাট-ল) লিখিত পত্র। চৈত্র ১৩*২। প্রবাসী, বৈশাখ ১৩৪৯। চিত্বা। লুচনা। রবীজ্-রচনালী ৪. পূ /*-৮৭। চারচন্্র বঙ্দ্যোপাধ্যায়কে লিখিত পত্রে (২ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৩) রবীন্রদাথ উ্বশীয় ধাখা। করেছ। জ. রবি-রশি। পূর্বভাগ | উর্বলী কবিতা ডিসেম্বর ১৮৯৫ সালে (২৩ অগ্রহায়ণ ১৩*২ ) শিলাইাহ-জলপথে রচিত। “কাল থেকে জলপখেই জআাছি।-.. আজ ভোর চারটের সময় ঘূষ ভেঙে খেল-. উঠে কতকগুলে। গরম কাপড় জড়িয়ে বাতি হেলে উ্নী নামক একট! কহিতা। শেষ করে ফেললূ্*-_ ছিয়পত্জাবলী পত্র ২৪৮। শিলা ইবহ-জলপথে। ডিনেম্বয় ১৮৯৫

৪৩৪ ববীন্দ্রজীবনী গ্রষ্টাৰৰ ১৮৯৫

করিয়া পুষ্পাঞ্জলি দিয়াছি। সে আমাদের সহিত কোনোরূপ সম্বপ্ধে আবদ্ধ নহে, বধূ নহে মাতা নহে কন্যা নহে, সে রমণী,_ সে আমাদের হৃদয় হরণ করে, সে দিবারূপে আমাদের স্বগে বিরাজ করে, সে আমাদের ভুলায়,সে আমাদের পৌত্রদ্দিগকেও চঞ্চল করিয়া তুলিবে__ অঞ্জুন তাহার সহিত পৃপুরুষগত সম্পর্ক পাতাইতে গিয়াছিলেন সেটা অর্জুনের ভ্রম-_ তাহার সহিত কাহারও কোনো বন্ধন, নাই; যে আদিম রহন্ত সমুদ্র হইতে দেবতার] সংনাবরের সমস্ত স্ধা বিষ উন্মথিত করিয়া তুলিয়াছিলেন, সেই পিতৃমাতৃহীন গৃহহীন অতল হইতে এই চিরযৌবনা অঞ্চরী উঠিয়া আজ পর্ধস্ত মূনিদের ধ্যানভঙ্গ, কবিদের কবিত্ব উদ্রেক, এবং দেবতাদের চিত্তবিনোদন করিয়। আসিতেছে সে নৃত্য করে, গান করে, আনন্দ দান করে, এবং আমাদের বাসনার চরমতীর্থ স্বরগলোকে বাস করে আর একটি 01021) পৃথিবীতে থাকেন তিনি আমাদের সেবা করেন, কাজ করেন, কল্যাণ বিধান করেন, তিনি আমাদিগকে ভালোবাসেন, তাহাকে আমরা কাদাই ছুঃখ দিই, তিনি তাহার অশ্রধারাধোত প্রফুল্লতার কিরাণ আমাদের এই মাটির ঘরটুকু উজ্্রপ করিয়া রাখেন আদর্শ রমণীকে ছুই ভাগ করিয়া দেখিলে এক ভাগে 7715৫ ৮০৪৩৭] এক ভাগে 706 &০০৩ পড়ে। উর্বশী কবিতায় প্রথমোক্তটির স্তবগান আছে-_ “স্বর্গ হইতে বিদায় কবিতায় দ্বিতীয়ার উল্লেখ পাওয়া যায ।”১ কিন্তু মানুষ এই 25080007-কে, নামহীন সন্বদ্ধহীন প্রেমকে লইয়া সখী হইতে পারে না; সে চায় প্রেমকে নিতাস্ত আপনার করিয়া অন্যরঙ্গভাবে পাইতে | যে-প্রেম নাহি জালে সন্ধ্যাদীপখানি অথবা সলক্জ বাসরশয্যাতে সত অর্ধরাতে স্মিতহাশ্তে আসে না, সেই নিটুরা বধিবা অবচ্ছিন্নতা মাগষের প্রেমপিপাসা কে মিটাইতে পাবে। তাই প্রেমার্ড মান্য ন্বর্গ চায় না; “শৌকহীন জদিহীন স্থখস্বরগভূষি মানুষের ছুংথে উদাসীন, তাহার দুর্বলতায় কঠোর দেবতাদের মধো লক্ষ বৎসর বাস করিয়া স্বর্গ হইতে বিদার় লইবার সহয় যে-হ্ানতষধ আশা করে 'লেশমাত্্ অশ্রুরেখা বর্গের নয়লে' দেখে যাবে সে মর্মান্তিক ভুল করে, স্বর্গের দেবতারা মতোবু পাষাণদেবতাদের ন্যায়ই ভাবশূন্য মৃতি মাত্র তাহাদের মৃখচ্ছবি স্থখছু:খের চঞ্চলতায় কখনে। বিকার প্রা হয় না। তাই “বৈষ্ণব কবিতা'য় কৰি প্রশ্ন করিয়াছিলেন এত প্রেমকথা

রাধিকার চিন্তদীর্ন তীব্র ব্যাকুলভা

চুরি করি লইয়াছ কার মুখ, কার

আখি হতে। তাই আঙ্গ9 স্বগের দিকে তাঁকাইয়া বলিলেন-_

থাকো স্থগ হাল্কমুখে,। করে স্থধাপান

দেবগণ | স্বগ তোমাদেরই হখস্থান"-

মোরা পরবালী। মতভূমি স্বর্গ নহে,

সে যে মাতভূমি- তাহ তাএ চক্ষে বছে

অশ্রজলধারা, যদি ছু দিনের পরে

কেহ ভাবে ছেড়ে যায় ছু দণ্ডের তবে।

উবশী”২ কবিতায় রবীন্দ্রনাথ নারীর মকপ সঙ্গদ্ধকে নেতি নেঠি করি] অবিচ্ছিন্ন সগ্থদ্ধে দেখাইয়াছেন ) কিন্ত সেখানে

প্রভাতকুষার মুখোপাধায়কে (বার-আট ল) লিখিত পএ। 5 চৈজজ ১১০২1 প্রবাদী, বৈশাপ ১৩৪৯

দ্র. চারুচন্স বন্দোপাধ্যায়, রবি-রশ্বি ! পূর্বভাগ পু ২৮৩-5১5। নগেন্ছনাথ গুপ্ত, উর্বলী__ প্রদীপ, অগ্রহায়ণ ১৩০৫] দু, বিশ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত রবীলা-সাগর-সংগষে | ১৬৬৯, পু ৪৩৮৪৪ পীপ্রভাতকুমায় বঙ্দোপাধ্যার়, ক্লামিক আলোকে রবীন্গনাধ, উর্বশী, পূ 5৪-৫১

খ্বীষ্টাব ১৮৯৫ চিন্তার শেষ পর্ব ৪৩১

নারীর অথণ্ড পরিপূর্ণ মৃত্তি কবি দেখান নাই। “বিজয়িনী' সেই হিসাবে উ্বশী'র পরিপূরক কবিতা, অথব! ির্বী সার্থকতা লাভ করিয়াছে 'বিজয়িনী'র মধ্যে ।১ “সৌন্দর্ধকে সমস্ত মানব-সম্বদ্ধের বিকার হইতে, সমস্ত প্রয়োজনের সংকীর্ণ সীমা হইতে দূরে, তাহার বিশুদ্বতায় তাহার অখণ্ডতায় উপলন্ধি করিবার তত্ব নিহিত আছে এই কবিতায়। এই বিশ্তুদ্ধ অখণ্ড সৌন্দর্ধে কামনার স্পর্শ পৌছায় না; অনঙ্গের সায়ক বার্থ হয়, সৌন্দর্যের অস্তস্তলে সে যাইতে অক্ষম

মদন, বসস্তসখা-.. অধীর চঞ্চল

উৎসুক অঙ্গুলি তার, নির্মল কোমল

বক্ষস্থল লক্ষা করি লয়ে পুষ্পশর

প্রতীক্ষা করিতেছিল নিজ অবসর কিন্ত বিজয়িনীর নয় নিরাভরণ অবিচলিত কামনাহীন নির্বিকার সৌন্দর্ধের নিকট মদন পরাজিত হইল।

উঠিল অনক্গদেব 1...

মুখপানে

চাছিল নিমেষহীন নিশ্চল নয়ানে

ক্ষণকাল-তরে। পরক্ষণে ভূমি'পরে

জানত পাতি বি, নির্বাক বিস্ময়ুভবে

নতশিরে, পুষ্পধন্তু পুষ্পশরভার

মমপিল পদপ্রান্তে পূজা-উপচার

তৃণ শূন্য করি। নিরস্ত্র মদনপানে

চাছিলা সুন্দরী শাস্ত প্রসন্ন বয়ানে

আবেদন, উর্বশী শ্বর্গ হইতে বিদায় কবিতাত্রয়ের মধ্যে কবিচিন্তের একটি অখণ্ড ধারা প্রকাশ পাইয়াছে। ইহার পরের তিনটি কবিভার* মধ্যে মানবীয় প্রেমের সত্যকার মাধর্ঘটুকু দেখাইয়্াছেন ; এই ধবিত্রীকে এই পৃথিবীর প্রেমকে নিবিড়ভাবে পাইবার আকুলতা৷ বাক্ত হইয়াছে 'হৃদিহীন শোকহীন, পরিপূর্ণ সখের নিবাস' স্বর্গ হইতে বিদায় লইঙ্বা মানব দিনশেষে এই অক্ষমা ধরণীর প্রিয্ণতমের বক্ষে 'সান্বনা' সন্ধান করে তাহাকে তাহার “শেষ উপহার" নিবেদন করে। পতিসর হইতে জলপথে “আবেদন? (২২ অগ্রহায়ণ ১৩০২), 'উ্বশী' (২৩ অগ্রহায়ণ) শিলাইদহে আসিয়া “বর্গ

হইতে বিদায়? (২৪ অগ্রহায়ণ ) রচিত হয়। কয়দিন পরে “দিনশেষে (২৮ অগ্রহায়ণ ), “সান্তনা (২৯ অগ্রহায়ণ ) এবং “শেষ উপহার" (১ পৌষ ) লিখিলেন। এই শেষদিনে (১৫ ডিসেম্বর ১৮৯৫) ছিন্্পন্রাবলীর শেষ পত্ুটি পাই (পত্র ২৫২) 'শেষ উপহার' শেষ পত্রের মধ্যে কোনো যোগম্জ নাই এই পত্রে লিখিতেছেন "দাড় টেনে পাবে চবে গিয়ে বেড়িয়ে ফিরে আসতে আসতে রাত হয়ে যায়|... বোটে ফিরে এসে অনেক দিন পরে আবার

পাঁচ বৎসর পূর্বে ৮৮670 চর৮1810০-4 একজন বিখাত ৪৮7৪৫ রচিত একটি উলঙ্গ হুচ্মরীর ছবি" দেখিয়াছিলেন। সে সম্বন্ধে কৰি লেখেন-_ 'এ কেবলমান্্র দেছের সৌন্দধ নয়-_ একটি প্রেমপূর্ণ হ্ুকোমল নারীন্ধদয়, একটি অমর হুন্মর মানবাস্মা এরই মধ্যে বান করে। তারই ভালোবানা, তারই লাবগ্য এর সর্ব উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে এই উলঙ্গ চিত্রে রমধীর সেই হৃদয়ের কোমলতা এবং আত্মার গুজর জ্যোতি ব্যক্ত করছে, যানব-অন্ত:করণের চিযপ্রচ্ছন্জ রহন্ত কতক্ট! প্রকাশ কয়ে দিচ্ছে ।” যুর়োপ-াত্রীর-ডায়ারি, পূ ১৮২।

সর. ্রপ্রমধনাথ বিপী, রবীন সরগী, পূ ১৪

ছিন্পপঞ্জাবলী এখানে শেষ হইয়াছে।

৪৩২ ববীজজীবনী গ্র্টাৰ ১৮৯৭

একবার হার্মোনিয়ামট] নিয়ে বসলুম। একে একে নতুন-তৈরি-করা অনেকগুলো গান নিচু হরে জান্তে আন্তে গেয়ে গেলুম-_ ইচ্ছে হল আবার কতকগুলো গান তৈরি করে ফেলি-_কিস্তু সে আর হয়ে উঠছে না।”১ ছিন্নপত্রাবলীর শৃত্র ছিন্ন হইয়! গেল পৌষ ১৩৯২ [ ১৫ ডিসেম্বর ১৮৯৫ ]__সাধনা'র শেষ সংখ্যা বাহির হইয়াছে কাত্তিকে। সাময়িকভাবে সাহিত্য-স্ট্টিতে ছেদ পড়িল। শিলাইদহ হইতে কলিকাতায় আসিলেন। পৌষ শান্তিনিকেতন মন্দির প্রতিষ্ঠার পঞ্চম সাম্বংসরিক উৎসব রবীজ্রনাথ আদি ব্রাঙ্ম সমাজের সম্পাদক, তাহাকে বোলপুর যাইতে হইল মহর্ষির ব্যবস্থায় এখনো সমস্ত নিয়ন্ত্রিত হইতেছে শান্তিনিকেতনের উৎসবে উপাসনাস্তে রবীন্দ্রনাথকে “ভোজা উৎসর্গ, করিলেন__ অর্থাৎ দীনদবিজের জন্য অল্গবন্্রাদি বিতরিত হইত ইহা! তাহারই প্রতীক | উপালাদি করিলেন হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য, চিন্তামণি চট্টোপাধ্যায়, প্রিয়নাথ শাস্ধী গ্রভৃতি কলিকাতায় ফিরিয়া মনে হয় কবি "নদী? নামে দীর্ঘ কবিতাটি রচনা করেন এই সময়ে তাহার সম্ভানদের শিক্ষা সহায় গ্রন্থের অতাব অনুভব করিয়া এইটি লেখেন বাংলা ভাষায় যুক্তাক্ষর-হীন কবিতা তখন খুবই কম-__ অক্ষয়চন্ সরকার-রচিত “গোচারণের মাঠ? (১২৮৭ জোর্ঠ ) একমাত্র স্বপরিচিত কাবা শিশুদ্বের কল্পনাশক্তি উত্রিক্ত, ছন্দা- সৌন্দর্য উপভোগের জন্ত নৃতন কাব্যস্থষ্টির প্রয়োজনবোধে এই নদী লিখিত হয়।* কলিকাতায় মাঘোৎসব | কিন্তু পূর্বের স্তা় অজন্র গান এখন আর নাই, মন কবিতার মধ্যে মগ্। যাহা হউক একটি-ষে ব্রহ্ধসঙ্গীত রচনা করেন সেটি সাধারণ ব্রাক্ম সমাজের সংঘ-সংগীত রূপে প্রতি বৎসর মাঘোৎসবের প্রাত:কালীন উপাসনার পর গীত হয়; সেই গানটি “পানপ্রান্তে রাখ সেবকে ।'* মাঘোৎসবের সাতদিন পরে হেমেঙ্রনাথের পুত্র ক্ষিতীন্্রনাথের বিবাহ হইল ১৮ মা আব চারদিন পরে ২২ মাঘ বিবাহ হইল বলেম্ত্রনাথের বলেন্দ্রনাথের বিবাহ উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ “উৎসব"ঃ নামে কবিতাটি লিখিলেন__ মোর অঙ্গে অঙ্গে যেন আজি বসম্ভ উদয় কত পত্রপুষ্পময় | আর পূর্বোল্পেখিত “নদী” কবিতাটি পুস্তিকাকারে দিনে প্রকাশিত হইল। 'পরম শেহাম্পদ প্রীমান বলেম্রনাথ ঠাকুরের হস্তে তাহার শুভ পরিণয় দিনে এই গ্রস্থখানি উপহৃত হইল। (২২ মাঘ ১৩০২) নর্দী কবিতায় রবীন্দ্রনাথের বচনাভঙ্গির বৈশিষ্ট্য উল্লেখযোগা যুক্বর্ণহীন শব্চয়নে কবি-প্রতিভার কথা পূর্বেই বলিয়াছি। ছন্দের গতিলালিত্য শিশুমনে বিচিত্র হিল্লোল সহি করে। কিন্তু সব থেক লক্ষণীয়-_ এই কাব্যের একমাত্র তূলন। হইতে পারে জাপানী চিত্রশিল্পী তাইকানের নদীর চিত্র-_ দীর্ঘ $০.911-- পর্তত হইতে যাত্রা করিয়া সমুদ্রে তাহার অবসান। অবশ্ট এখানে এই কথাটি যুগপত বলা প্রয়োঙ্গন যে তাইকানের গুটানো পট বিংশ শতকের

গ্রিব্রপত্রাবলী | পত্র ২৫২1 শিলাইদহ ১৫ ডিসেম্বর ১৮৯৫

ইন্সিরাদেবী এই গ্রস্থ-লেখককে জানান বে, নদী কবিতাটির সহিত 2০৮০: 5০৩065 লিখিত ৪118 ০£ [-890: নামে কবিতায় মিল আছে; সেট নানাছন্দে ঝর্ণার ইতিহাসপূর্ণু কবিতা | সাগি নাকি তাহার সপ্তানদের জন কবিতাটি লিখিয়াছিলেন।

পাপ্রান্তে রাখ সেবকে, তববোধিনী পত্রিক', ফাল্তুদ ১৮১৭ শক অক্ষসংগীত দ্বরলিপি ৬, পূ ১১৩। রীতবিতান পর ১৮৪। স্বযবিতাম ২৩

উৎসব চিআা। রবীন্র-রচনাবলী ৪, পৃ ১*২।

নদী, বালাগ্রস্থাবলী ২। [৩১ জানুয়ারি ১৮৯৯]। বালাগ্রস্থাধলীর প্রথম বই অবনীতানাণের শকুত্বল। [৪ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৬]! অবনীল্রনাথ নদী পুস্তকের পাতায় পাতায় কতকগুলি ছবি জাকেন। সেট মুক্রিত হয় নাই বহু বংসর পরে অবনীন্রাাখের দৌহিত্র, মণিলাল গঙ্গোপাধায়ের পুর শ্রীমোহনলাল মাতামছ্ছের কাগজপত্র মধ্যে এই খিচিজ্র নদী একখও পান একুশখানি ছবিসহ উঠ! শারদীয় আননাবাজায় পত্রিকায় ( ১৩৬ পু) প্রথম ুত্রিত ইসস পরে বিশ্বভারতী হইতে পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয় বৈশাখ ১৩৭১ সালে। এই প্রস্থ বত মুত চিত্রগুলি উপেক্রকিশোয় ধা়চৌধুরী কতৃক অফ্কিত। বিশ্বভারতী প্রিকায় ( কাতিক-পৌষ ১৩৭* ) সমগ্রচি মুদ্রিত হটয়ান্ছিল। অলংকৃত পৃষ্াগুলি প্রীমোহ্নলাল গঙ্গোপাধ্যায়ের সৌজন্ে প্রা্।

খ্রীটাৰ ১৮৯৬ জীবনদেবতা ৪৩৩

হতি। বাল্যগ্রস্থমালার “নদী কতগুলি মুদ্রিত হইয়াছিল জানি না) তবে বহুকাল উহার প্রচার ছিল না। ১৯০৩ সালে মোহিতচন্ত্র সেন যে কাবা-গ্রন্থ গ্রকাশ করেন, তাহার সপ্তম ভাগে শিশু” খণ্ডের মধ্যে “নদী” কবিতা স্থান প্রাপ্ত হয়। সেই হইতেই 'নদী' সেখানেই আছে।

জীবনদেবতা

“নদী? কাবা রচনার পবেই বোধ হয় কবি আপনার সত্তা ফিরিয়] পাইলেন

পট পরিবর্তন হইল, কলিকাতার উতৎ্সবার্দির অবসানে মাঘের শেষে পুনরায় শিলাইদহে কবিকে নদীবক্ষে ভাসমান দেখিতেছি। এখানে আসিবার পর যে কবিতাটি লিখিলেন-__ 'জীবনদেবতা” (২৯ মাঘ), তাহার বছ ব্যাখ্ান হইয়াছে কবি স্বয়ং, তাহার সাহিত্যামোদী ভক্তেরা আধুনিক ক্রিটিকরা বিষয়ে এতো লিখিয়াছেন যে বোধ হয় রবীন্দ্রনাথের আর কোনো একটি কবিতা সম্বন্ধে এতো আলোচনা হয় নাই সে বিষয়ে সংক্ষেপে আলোচনা হইতেছে।

জীবনদেবতা রচনার (২৯ মাঘ) পরদিন লিখিত (১ ফান্তন) “রাত্রে প্রভাতে” এই জীবনদেবতার প্রশস্তি। চিত্রার শেষ কয়টি কবিতা লিখিলেন এখানে- ১৪০* সাল (২ ফাল্ধন ), নীরব তম্বী' “ছুবাকাজ্া' (৪ কান্তন ), 'প্রোড' (৭ ফাল্গন ), ধূলি (১৫ ফাল্ঠন ) শেষ কবিতা “সিন্কুপারে' (২০ ফাল্ঠন ১৩০২)।

কয়েক বসব পরে অধ্যাপক মোহিতচন্দ্র সেন যখন কবির “কাবা-গ্রস্থ' নৃতনভাবে সাজাইতেছেন, সেই সময়ে 'জীবনদেবতা? খণ্ডের অর্থ ম্পষ্ট কবিয়া জানিবার জন্ত কবিকে তিনি পত্র লেখেন; তাহার উত্তরে রবীন্দ্রনাথ শাস্থিনিকেতন হইতে জীবনদেবতাবাদের অর্থ ব্যাখ্যা করিয়া পত্র দেন (ফাল্তন ১৩০৯ )। জীবনদেবতার এই রহস্তবাদ মোহিতচন্দ 'কাবা-গ্রন্থে'র ভূমিকায় আলোচনা করেন। ইহাই জীবনদেবতা সম্বন্ধে প্রথম মুদ্রিত ব্যাখ্যা ( ১৩১০ )1

কাব্া-গ্রন্থ প্রকাশিত হইবার এক বৎসর পরে ববীন্্রনাথ জীবনদেবতাবাদের দার্শনিক ব্যাখ্যায় স্বয়ং প্রবৃত্ত হন। বঙ্গবাসী হইতে প্রকাশিত 'বঙ্গভাষার লেখক'১ গ্রন্থে কবি তাহার জীবনকথ! লিখিয়! দিবার জন্য অনুকদ্ধ হইয়াছিলেন, কিন্তু যাহা লিখিলেন তাহাতে জীবনকাহিনী ছিল না-_ ছিল তাহার কাবাজীবনের অভিব্যক্তির কাহিনী বা জীবন- দেবতাবাদের ব্যাখ্যান। তিনি লিখিয়াছিলেন, “আমার স্ুদীর্ঘকালের কবিতা লেখার ধারাটাকে পশ্চাৎ ফিিয়! যখন দেখি তখন ইহা স্পষ্ট দেখিতে পাই, একটা ব্যাপার যাহার উপবে আমার কোনো কর্তৃত্ব ছিল না। যখন লিখিতেছিলাম তখন মনে করিয়াছি আমিই লিখিতেছি বটে, কিন্তু আজ জানি কথাট! সত্য নছে। কারণ, সেই খণ্ডকবিতাগুলিতে আমার সমগ্র কাব্যগ্রন্থের তাৎপর্য সম্পূর্ণ হয় নাই__ সেই তাৎপর্যটি কী তাহাও আমি পূর্বে জানিতাম না। এইবপে পরিণাম না জানিয়া আমি একটির সহিত একটি কবিতা যোজন! করিয়া আসিয়াঁছি ; তাহাদের প্রতোকের যে ক্ষুদ্র অর্থ কল্পনা করিয়াছিলাম, আজ সমগ্রের সাহায্যে নিশ্চয় বুঝিয়াছি, সে অর্থ অতিক্রম কৰিয়] একটি অবিচ্ছিন্ন তাঁৎপর্য তাহাদের গ্রত্যেকের মধ্য দিয়! প্রবাহিত হইয়া আসিয়াছিল।... কিন্ত আজ জানিয়াছি, সেসকল লেখা উপলক্ষমাত্র__ তাহারা যে অনাগতকে গড়িয়া! তুলিতেছে মেই অনাগতকে তাহারা চেনেও না। তাহাদের রচয়িতার মধ্য আব-একজন কে রচনাকারী আছেন, যাহার সম্মুখে সেই ভাবী তাৎপর্য প্রত্যক্ষ বর্তমান |... শুধু কি কবিতালেখার একজন কর্তা কবিকে অতিক্রম করিয়া তাহার লেখনী চালন! করিয়াছেন। তাহা নহে। সেইসঙ্গে ইহাও দেখিয়াছি ঘে, জীবনট। যে গঠিত হই উঠিতেছে, তাহার সমস্ত স্থখছুঃখ, তাহার সমস্ত যোগবিয়োগের বিচ্ছিন্ন তাকে হরিমোহন মুখোপাধায় কর্তৃক সম্পাদিত বঙ্গভাধার লেখক কলিকাতা, ১৩১১ সাল, পু ৯৬৪-৮৫ | ত্র আত্মপরিচয়, রবীন্র-রচনাধলী ২৭, পৃ ১৮৭।

€€৫

$৩৪ বূবীন্দ্রজীবনী গাব ১৮৯৬

কে একজন একটি অখণ্ড তাৎপর্ধের মধ্যে গাঁখিয় তৃলিতেছেন। সকল সময়ে আমি তাহার আম্ুকুলা করিতেছি কি না জানি না, কিন্ত আমার সমস্ত বাধা-বিপত্তিকেও, আমার সমস্ত ভাঙাচোরাকেও তিনি নিয়তই গাথিয়া ভুড়িয়! দাড় করাইতেছেন। কেবল তাই নয়, আমার স্বার্থ, আমার প্রবৃত্তি আমার জীবনকে যে অর্থের মধ্যে সীমাবদ্ধ করিতেছে তিনি বারে বারে সে সীম! ছিন্ন করিয়া দিতেছেন__ তিনি স্থগভীর বেদনার দ্বারা, বিচ্ছেদ্দের দ্বারা, বিপুলের সহিত, বিরাটের মহিত তাহাকে যুক্ত করিয়! দিতেছেন।... ষে-শক্তি আমার জীবনের সমস্ত সথখছুঃখকে সমস্ত ঘটনাকে এঁক্যদান তাৎপর্ধদান করিতেছে,১ আমার রূপর্পাস্তর জন্মজম্মাস্তরকে একসুত্রে গীথিতেছে, যাহার মধ্য দিয়া বিশ্বচরাচবের মধ্যে এঁক্য অনুভব করিতেছি, তাহাকেই “জীবনদেবতা' নাষ দিয়া লিখিয়াছিলাম-_

ওহে অস্তরতম,

মিটেছে কি তব সকল তিয়াষ

আসি অন্তরে মম 1” কবিতাটির শেষে আছে, এই প্রশ্ব__

এখন কি শেষ হয়েছে, প্রাণেশ,

যা কিছু আছিল মোর-_

জীবনকুণে অভিসারনিশা আজি কি হয়েছে ভোর। তাই একখানি পত্রে লিখিয়াছিলেন, “আমার দ্বার] ষা কিছু হওয়া সস্তব সব যদি শেষ করে থাক, এখন যদি তোমার আঘাতে আমার বীণা আর না বেজে ওঠে, তোমার ইঙ্গিত মাত্রে আমার মনোঅশ্ব আর ছুটতে না পারে, তৰে এই জীর্ণতা অলারতা ভেঙে চুরে কেলে আবার আমাকে নৃত্তন রূপ নূতন প্রাণ দাও) নৃতন লোকের মধ নিয়ে গিয়ে আমাদের অনাদি কালের চিরপুরাতন বিবাহ-বন্ধন নবীকৃত করে দা৪।” নৃতন করিয়া লহ আরবার চিরপুরাতন মোরে নৃতন বিবাহে বাধিবে আমায় নবীন জীবনডোরে জীবনদেেবতার মৃলস্থত্রটি “সিঙ্কুপারে' (২০ ফাল্ঠুন ১৩০২ ) কবিতায় শেষ বলা হইয়াছে রূপকচ্ছলে-- অনেকটা কঙ্কাল, ক্ষধিত পাষাণের ভৌতিক বর্ণনার সঙ্গে ইহার মিল। “জীবন মৃত্রু দুইটি পরম্পর-বিবোধী প্রতিছন্্ী ব্যাপার নহে, উহাদের একটি অপরের প্রতিবাদ নহে, উহারা উভয়ে একই অস্টিত্ধধারার দুটি দিক মাদ্। মৃতু জীবনকে সমহ্ি- জীবনের মধো বহন করিয়া লইয়া ঘায়, মৃত্যু অবসান বা নির্বাণ নহে রবীন্দ্রনাথ বপিয়াছেন, “যে প্রাণলক্মীর তু. জানা, আয্মগঠন, তববেধিনী পঞ্জিকা, আবণ ১৮*৬ শক।

দ্র. আলোচন! (১৮৮৫ ) রবীন্-রচনাবলী অচলিত সংগ্রহ্থ ২, পৃ ৪*।

"আমর] যখন একটি প্রবন্ধ লিখি, তখন কিছু সেই প্রনস্ধের প্রতোক ভাব প্রত্েক কপ! ভাবিয়া! লিপিতে বসি না। একটা মুপ) সম্পীধ তব যদি আমার মলে আবিভতি হয়, তবে সে নিজের শক্ষি-প্রতাবে আপনার অনুকূল ভব শব্দগুলি নিজের চারিদিকে গঠিত করিতে পাকে আমি যে সকল ভাব কোন কালেও ভাবি নাই তাহাদিগকে কে।প1 হইতে আকর্ষণ করিয়া আনে | এইকপে লে একটি পরিপুণ প্রবন্ধ আকান ধারণ করিয়া আপনল(কে আপনি মানুব করিয়া তুলে ।”

প্রশ্াতকুষার মুপোপাধার়কে (বার-লাট-ল) লিপিত পত্র, * চৈত্র ১৩*২। হর প্রবাসী, বৈশাখ ১৪৪৯ পত্রাবলী, বিশ্বভারতী পত্রিকা, বণ ১৩৪৯, প্‌ ৩৩-৩৫। চারুচন্্র বন্দ্যাপাধ্যায়। রবিরগি, পূর্ব-ভাগ, পূ ৪5১

গ্রষ্টাক ১৮৯৬ জবনদেবতা ৪৩৫

সঙ্গে ইহজীবনে আমাদের বিচিত্র স্থখছ্ঃখের সম্বন্ধ, মৃত্যুর রাত্রে আশঙ্কা হয় সেই সম্বন্ধ-বন্ধন ছিন্ন করে বুঝি আর কেউ নিয়ে গেল। যে নিয়ে যায় মৃত্যুর ছন্পবেশে সেও সেই প্রাণঙগন্দ্রী। পরজীবনে সে যখন কালে! ঘোমটা খুলবে তখন দেখতে পাব চিরপন্নিচিত মুখশ্রী |... আসল কথা, পুরাতনের সঙ্গে মিলন হবে নৃতন আনন্দে” এই কবিতা! লিখিবার কয়েকমাস পরে তিনি প্রভাতক্মারকে লিখিয়াছিলেন-_ “মৃতার পরে “সিদ্ধুপারে এই জীবনদেবতাই আমাকে চিরপরিচিত প্রিয় মৃতিতে দ্বেখ! দ্িয়েছিলেন-__ আমি মিথ্যা ভয় করেছিলাম, মনে করেছিলাম, যিনি আমাদের এই জীবন লীলাভূমির মাঝখানে আনিয়া আমাদের সহিত খেলা করিয়াছিলেন তিনি বুঝি চিরকালের মতো ছুটি লইলেন, আর-এক জন কোন্‌ অচেনা লোক আমাদের পূর্বাপরের মাঝখানে একটা ভয়ংকর বিচ্ছেদ আনয়ন করিতেছে__ কিন্ত সে লোকটি যেমনি ঘোমটা তুলিয়া ফেলিল অমনি দেখিলাম আমাদের সেই চিরকালের সঙ্গীটি একটুখানি ভয় দেখাইয়! আরে! যেন অধিকতর ভালোবাসার সঙ্গে কাছে টানিয়া লইল।**

সমগ্র-“চিত্রা' কাব্যগ্রন্থের একটি মূল স্বর আবিষ্কারের চেষ্টা শুধু-যে সাহিত্যিকর! করিয়াছেন তাহা! নহে, ববীন্দ্রনাথ স্বয়ং সমগ্রের মধ্য হইতে একটি সাধারণ স্থুর বাহির করিতে চেষ্টা করিয়াছেন চিত্রা গ্রস্থ প্রকাশের কয়েকদিন পরে লিখিতেছেন-_ “যিনি “আমি' নামক এই নৌকাটিকে হৃর্ধচন্গ্রহনক্ষত্র হইতে লোকলোকান্তর যুগ-যুগাস্তর হইতে-_ একাকী কালম্রোতে বাহিয়া লইয়া! আসিতেছেন,... যিনি বাহিরে নান! এবং অন্তরে এক, ধিনি ব্যাপ্ত ভাৰে সথখছুঃখ অশ্রন্থামি এবং গতীর ভাবে আনন্দ, “চিন্তা” গ্রন্থে আমি তাহাকেই বিচিত্র ভাবে বন্দনা বর্ণনা করিয়াছি। ধর্মশাস্ত্ে ধাহাকে ঈশ্বর বলে তিনি বিশ্বলোকের, আমি তাহার কথা বলি নাই; ঘিনি বিশেষ রূপে আমার," যিনি ছাড়া আর কেহ এবং কিছুই আমাকে আনন্দ দিতে পারে না, চিত্রা কাব্যে তীাহারই কথা আছে।”* চিত্রা রচনার পয়তাল্লিশ বৎসর পরে ( ১৩৪৭ ) রবীন্দ্রনাথ তাহার এই কাব্য সম্বদ্ধে “রচনাবলী'তে যাহ বলিয়াছিলেন তাহার কিয়দংশ উদ্ধৃত করিলাম

“ভক্ত যখন বলেন, স্বয়া হ্বধীকেশ হদিস্থিতেন যথা নিযুক্তোহস্মি তথা করোমি, তখন হৃধীকেশের থেকে ভক্ত নিজেকে পৃথক্‌ করে দেখেন, স্থৃতরাং তার নিজের জীবনের সমস্ত দায়িত্ব গিয়ে পড়ে এক] হৃষীকেশের 'পরেই। চিত্রা কাব্যে আমি একদিন বলেছিলুম আমার অন্তর্ধামী আমাকে দিয়ে ঘা বলাতে চান আমি তাই বলি, কথাটা এইবকম শুনতে হয়। কিন্তু চিত্রায় আমার যে উপলব্ধি প্রকাশ পেয়েছে সেটি অন্ত শ্রেণীর আমার একটি ুগ্মসত্তা আমি অহুতব করেছিলুম ধেন যুগ্ম নক্ষত্রের মতো, সে আমারই ব্যক্তিত্বের অন্তর্গত, ভাবই আকর্ষণ প্রেবল। তারই সংকল্প পূর্ণ হচ্ছে আমার মধ্য দিয়ে, আমার সুখে ছুঃখে, আমার ভালোয় মন্দয়। এই সংকল্প-সাধনায় এক আমি যন্ত্র এবং ছিতীয় আমি যন্ত্রী হতে পারে, কিন্তু সংগীত ঘা উদ্ভূত হচ্ছে যন্ত্রে স্বকীয় বিশিষ্টতা তার একটি প্রধান অঙ্গ পদে পদে তার সঙ্গে রফা করে তবেই ছয়ের যোগে স্থঙি। যেন অর্ধনারীশ্বরের মতে ভাবখানা ।"*"

"পরমদেবতার পুজা যুগ্মসত্তায় মিলে, এক সততায় ভিতর থেকে আঘর্শের প্রেরণা, আর এক সততায় বাছিরে কর্মযোগে তার প্রকাশ ।... আপনার ছুই সত্তার সামঞ্রস্ত ঘটেছে কি না এই আশঙ্কাস্থচক প্রত্ন চিজার্ কবিতায় অনেকবার প্রকাশ পেয়েছে।”ঃ

ঢারচন্র বন্দ্যোপাধ্যায়, ্বির়স্টি, পূর্ব-ভাগ, পৃ ৪৩৩ ৩৪।

২/৩ প্রস্তাতকুমার যুখোপাধ্যা়কে (বার-দ্যাট-ল ) লিখিত পত্র, চৈত্র ১৩০২, প্রবাসী, বৈশাখ ১৩৪৯

চিত্রা, লৃচমা, রবীক্জ-রচনাবলী ৪, পৃ /*-০* | জীবসদেবতা সম্বন্ধে রবীন্্রভারতী পঙ্িক। বৈশাখ-আবাড ১৩৭৭ সংখ্যা প্রশিশিরকুমায় ঘোষ, হইীআশুতোষ ভটাচার্ধ, ীজজিতকুমার ঘোষ এবং কবি কবিত| পত্রিকা ১৩৭৫ ওয়া বর্ষ ২য় সংখায় ্রঅশো কবিজয় রাহ! প্রবন্ধ লিখিয়াছেন। উ. সম্পাদকীয় [ নস্তধয) পৃ ৩০৮-৩১১।

৪৬৬ খ্ীষ্টান্দ ১৮৯৬ ছিন্নপত্র : ছিন্নপত্রাবলী

ছিন্নপজ ববীন্দ্রনাথের অতি স্থপরিচিত গ্রস্থ ; ১৩১৯ সালে উহা প্রকাশিত হয়। এই পজ্গুলির অধিকাংশ হইতেছে 'সাধনা”যুগের রচনা অর্থাৎ ১২৯৮ অগ্রহায়ণ হইতে ১৩০২ কাতিক €১৮৯২-১৮৭৯৫ ) প্যস্ত চারিটি বৎসরের মধ্যে লিখিত। ১৩০২ কাতিক মাসে সাধনা শেষবারের মতো প্রকাশিত হয়, অগ্রহায়ণ মাসে নৃতন বৎসরে পঞ্জিকা আৰ 'বাহির হইল না। ছিন্নপত্রাবলীর শেষ পত্র পিখিত হম ১৩০২ সালের পৌষ (১৫ ডিসেম্বর ১৮৯৫) স্থুতরাং সাধনার রচনাবলী ছিন্রপত্রাবলীর পত্রধারা প্রায় মমকালীন সমান্তরালের ঘটনা এই পবটি রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য সৃষ্টির ্বণ্ময় যুগ বলিলে অততযুক্তি হইবে না; এই পর্বের মধ্যে সাধনার পৃষ্ঠায় প্রকাশিত তাহার ছোটগল্পগুলি সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ- সম্পদ বলিয়া সর্বশ্রেণীর সমালোচকদের দ্বারা স্বীকৃত হইয়া থাকে রবীন্দ্রনাথ তাহার আশী বৎসর জীবনের যাট ব্খসরের মধ্যে নব্বইটি গল্প লেখেন তন্মধ্যে সাধনার এই চার ব্সরের মধ্যে পিখিয়াছিলেন আটত্রিশটি | স্থৃতরাং সাধনার পরটিকে ছোটগল্পের -পব বলা যাইতে পাবে কিন্তু গল্পই তাহার একমাত্র সাহিত্যহ্ষ্টি নহে; গল্প ছাড়া সোনার তরী, চিত্রাঙ্গদা, বিদায়-অভিশাপ, গোড়ায় গলদ, ব্যঙ্গকৌতুক, পঞ্চভূতের কান্ননিক ডায়ারি স্ুরোপ-যাত্রীর বাস্তবিক ডায়ারি, বিচিত্র বিষয়ের প্রবন্ধ, বিবিধ প্রসঙ্গকথা, নান] শরেণার গ্রস্থসমালোচনা প্রভৃতি রচনা-সম্ভারে এই পবটি পূর্ণ; এমন নিবিড় লাহিত্য রচনার সমারোহ সচরাচর চোথে পড়ে না। এইসব রচণার সহিত বাংলাদেশের সমসাময়িক শির্গিত পাঠকের পরিচয় ঘটে, বুচনার রসাম্বাদ প্রত্ক্ষভাবেই উহাদের গোচপীভূত হয়। কিন্ত কবি-জীবনের নিঃসঙ্গমানসের অবিকৃত নিখুত চিত্রের সন্ধান তাহারা পান নাই-_ সেইটি পাইয়াছিল পরবতী যুগের পাঠকরা) তাহার আকরগ্রস্থ হইতেছে “ছিন্নপত্র” তথা “ছিন্নপত্রাবলী? |

সাধনা বধ হইয়া যাইবার বারো বখসর পরে “বিচিত্র প্রবন্ধ ১৩১৪ সালের বৈশাখ মাসে প্রকাশিত হয়। রবীন্ধর- মানসের কিঞিৎ আভাপ পাগয়া গেল গ্রন্থের দুইটি প্রবন্ধ হইতে-_ জলপথে স্থলে কিন্তু সে রচনার পটভূমি তখন অজ্জাত। কাহাকে লিখিত, কেন লিখিত, কোখা হইতে বচনাগুলি গৃহীত সংকলিত তাহাব কোনো আভাস পাওয়া যায় নাই। এইভাবে আরো পাচ বৎসর কাটিয়া গেল।

অতঃপর ১৩১৯ সালে “ছিন্নপত্র' নামে গ্রন্থ প্রকাশিত+ হইলে ববীন্দ্রসাহিতোর পাঠকের] কবির মানস-জীবনের এক নবতর সভার সন্ধান পাইল এই সময়েই কবির 'জীবনস্থতি”ও প্রকাশিত হইয়াছিল।

এই দুইখাণি গ্রন্থ যুগপৎ প্রকাশন আমাদের মতে বিশেষ অর্থপূর্ণ আমাদের মতে “ছিন্পত্র” বা ছিম্নপত্জাবলী জীবন- স্বতিবই অহ্ুক্রমণ বা পরিশিষ্ট জীবনম্থৃতি যেখানে আসিয়া থামিয়াছে, ছিন্নপত্র যেন তাহারই পর হইতে আরন্ত হইয়াছে। জীবনস্থতিতে কবি “কড়ি কোমপ' পর্যস্ত আসিয়া আর অগ্রপর হন নাই; ইহার কারণ রবীন্দ্রনাথের মতে মালমী হইতে তাহার কাব্য ম্বকীয়তা বা স্থষ্ি -ধর্মী হইয়াছে ইহার পূর্বের যুগ প্রপ্থতির পর, সেইটুকু মাক্জ জীবনম্থতির বিষয়। “কড়ি কোমল" প্রকাশিত হয় ১৮৮৬ সালে কবির বয়স তখন পচিশ বৎসর ছিন্নপত্রের প্রথম পত্র সেপ্টেম্বরে ১৮৮৫ সালে লেখা শেষ পত্র লেখা ডিসেম্বর ১৮৯৫ সালে। কড়ি কোমল পর্বস্ত লিখিবার পর জীবনস্থ্তি যে তিনি আর লিখিলেন ন1, তাহার কারণ এই পর্ব হইতে তাহার পররধারার মধ্যে তিনি আত্মকথ! বলিতে শুরু করেন; মানসীপর্ধের অনেকগুলি চিঠি প্রমথ চৌধুরী, প্রিয়নাথ সেন গ্রভৃতিকে লেখা “ছিন্নপত্” সম্পাদনকালে সেগুণি যদি কবির হস্তগত হইত তবে তিনি নিশ্চয়ই এই গ্রস্থমধ্যে তাহাদের সন্নিবেশিত করিতেন এবং আমরা “মানসী? হইতে “চিত্রা” পর্বস্ পর্বের একটি ধারাবাহিক অবিচ্ছিন্ন জীবনভান্ত পাইতাম; তবুও আমরা! “ছিন্নপত্রে' তাহার কড়ি

ছিন্রপত্র, প্রকাশক নগেন্্নাথ গঙ্গোপাধ্যায়, শিলাইদহ, নদীয়, আদি ব্র।ঙগনমাঞ্জ প্রেসে মুজ্রিত, বৈশাখ ১৩১৯ [মে ১৯১২ ] পৃ ১৩৩।

্ষ্টাব ১৮৪৬ ছিন্নপত্র : ছিন্নপত্রাবলী ৪৩৭

কোমল -উত্তর দশ বৎসরের জীবনেতিহাসের যে উপাদান পাইয়াছি, তাহা প্রচুর রবীজ্ুনাথের আর্টিস্ট ক্রিটিক -সত্তার যুগনব্ূপ এই পৃত্রগ্রচ্ছের মধ্যে প্রকট | রবীন্দ্রনাথের ভাবজীবনের কর্মজীবনের তত্ব তথ্যপূর্ণ উপাদান জীবনীকারের পক্ষে অপরিহার্য সম্পদ হইয়াছে জীবনস্্তি শেষ হইয়াছিল কড়ি কোমলে ( ১২৯৩), ছিন্্পত্র শেষ হইল “চিত্রা” কাব্যে আনিয়া ( ফান্তন ১৩০২ )।

জীবনস্থতির স্থচনাংশে কবি লিখিয়াছিলেন, “এই স্মৃতির মধ্যে এমন কিছুই নাই যাহ! চিরস্মর্ণীয় করিয়া রাখিবার যোগ্য কিন্ত, বিষয়ের মর্ধাদার উপরেই যে সাহিত্যের নির্ভর তাহা নহে; যাহা ভালে! করিয়া অচুভব করিয়াছি তাহাকে অন্ুভব্গম্য করিয়া তুলিতে পারিলেই মানুষের কাছে তাহার আদর আছে। নিজের স্বতির মধ্যে যাহ! চিত্ররূপে ফুটিয়! উঠিয়াছে তাহাকে কথার মধ্যে ফুটাইতে পাবিলেই তাহা! সাহিত্যে স্থান পাইবার যোগ্য ।”

ছিন্নপত্র সন্বপ্ধেও ঠিক এই কথা প্রযোজ্য দশ বৎসর নানা স্থানে নান! অবস্থায় যাহ] দেখিয়াছেন, যাহ! শুনিয়াছেন, যাহ। পড়িয়াছেন, যাহ ভাবিয়াছেন তাহারই সংগ্রহালয় যেন এই পত্রগুচ্ছ। তাহার মধ্যে যাহ! চিজ্ঞক্ষপে ভাবকপে ফুটিয়াছে তাহাকে সাহিত্যে স্থান পাইবার যোগ্যজ্ঞানে চয়ন করিয়াছেন-_ সেগুলিকে কাটিয়া-কুটিয়া গ্রস্থাকারে প্রকাশ করিলেন ; আমবা সেইজন্ত বলিয়াছি যে ছিন্পপঙ্জ জীব্নস্থৃতির পরিশিষ্ট, পরবর্তী দশ ব্থসরের আত্মকথা-_ স্মৃতিকথা নহে।

১৩১৯ সালে ছিন্পত্র যখন প্রকাশিত হয় তখন পত্রগুপি কাহাকে লেখা, তাহা কোথাও বিবৃত হয় নাই। যাহার! রবীন্দ্রনাথের জীবনী লইয়! গবেষণাদি করিলেন, তাহাদের পক্ষেই এইসব তথ্য সংগ্রহ করা প্রয়োজনীয় হইয়া পড়ে। হিন্নপত্রের মুদ্রিত সংস্করণের প্রথম আটখানি পত্র পিখিত হয় বন্ধু শ্রীশচন্দ্র মজুমদারকে তার পর আশ্বিন ১২৯৪ সাপ হইতে অগ্রহায়ণ ১৩০২ সাণ পধস্থ কালের মধ্যে পত্রগুলি ভ্রাতুপ্পুত্রী ইন্দিরা দেবী চৌধুরানীকে লিখিত চৌদ্ব বৎসর ইইতে বাইশ বৎসর বয়স পর্ধন্ত ইন্দিরা দেবী এই পত্রগুলি পান। এই পত্রগুচ্ছের মধ্যে প্রথম পাচ বধ্মরে (১২৯২-৯৭ ) পিখিত পত্র ছিন্নপত্রের চুয়াত্তর পৃষ্ঠ! সাধনা-পবের ( ১৮৯৮-১৩০২ ) চারি বৎসরের পত্র ছইশত চুয়ালিশ পৃষ্ঠা! জুড়িয়। আছে। সেইজন্য আমাদের মতে এই পত্রগুলি সাধনার ঘুগের স্থগ্টিরূপে বিবেচিত হওয়া উচিত। ইন্দিরা দেবীকে পিখিত পত্রের সংখ্যা একশত পয়তাল্লিশটি। ছিন্্পত্রাবলীর মোট দুইশত বাহান্ন পঙ্ের মধ্যে সাধনা-পর্বে, (১৮৯২-৯৬ ) চারি বত্সরে পিখিত পত্রের সংখা! দুইশত যোলো।; তৎ্পৃবে পাচ বখ্সবরে-__ ১৮৮৭ হইতে ১৮৯১-_ মাজত ছত্িশখানি পত্র।

রবীন্দ্রনাথ এই গ্রন্থের নাম দেন “ছিন্গপত্র' ;) আমরা বলিব ইহ! কবির কড়চা বা রোজনামচ1 বা ডায়াবি-_ পত্রাকারে পিখিত। ঝ্নবীন্ত্রনাথের বিরাট গন্ত-সাহিত্যের একটা বড় অংশ হইতেছে তাহার পত্রধারা। আঠারো বখ্নর বয়ুলে বিপাত হইতে পিখিত 'যুঝোপ-প্রবামীর পত্র” হইতে আপস্ত কৰিয়া সত্তর বৎসর বয়সে লিখিত রাশিয়ার চিঠি? পর্বস্ত বিরাট পত্রসাহছিত্য তাহার গণন্ভ-সাহিত্যের একটা বিশিষ্ট অংশ ইহার! নামেমাত্র পত্র বা চিঠি; কার্প এইসব ক্ষেতে পত্তোদ্িষ্ট ব্যক্তি অনেক সময়েই গৌপ-_ সম্মুখে মনের মতে। কেহ নাই যাহার সহিত ভাববিনিময় বা নিজের ভাবনারাজি প্রকাশ করিয়া বপিতে পারেন; তাহার অভাবে গরহাজিরা বন্ধু, আত্মীয়, শিষ্ের নিকট মনের কথা বলিয়া যাইতেছেন; কিন্ত সেসব রচনা! পাবলিকের উদ্দেশে পিখিত অর্থাৎ পন্রগুলি সম্ধ সন্ত পত্রিকায় প্রকাশিত হইবার জন্তই রচিত। রবীন্দ্রনাথ প্রবন্ধাকারে মতামত ব্যক্ত না করিয়া পত্রমাধ্যমে অনেক সময়ে নিজ মতামত কেন লিখিতেন, তাহার কারণ নানা স্থানে বাক করিয়াছেন। ১৯১২ সালে বিলাত ছইডে যে পত্রধারা লিখিয়াছিলেন, তাহ] সন্ত পত্রিকায় প্রকাশিত হয়; তখন হইতে এই ধারার অন্ুবর্তন।

কিন্ত আমাদের আলোচ্যপর্বের পত্রধারা বচনাকালে কবির মনে সপ্ত সেলব প্রকাশনের কোনে! ভাবনা ছিল নাঃ কেবল মনের কথা ব্যক্ত করিবার আনন্দেই সেগুলি লিখিত হয়। অনেক সময়ে দেখ! যায়, দিনের পর দিন পঙ্জ

৪৩৮ রবীজ্জীবনী খষ্টাব ১৮৯৬

লিখিতেছেন, ভায়ারির মতো! ; অথচ ঠিক যে ভায়ারি, তাহাও বলিতে পারা যায় না। 'মুরোপ-যাত্রীর ভায়ারি' যথার্থ ডায়ারির মতো করিয়া লেখা বিশ্বারতী পত্রিকায় এই ভায়ারির যে মূল-খসড়া মুদ্রিত হইয়াছে,১ তাহাকে রোজনামচা বলা যায়; কিন্ত কবির সুম্ত্ বিচারবুদ্ধিতে সেগুলি যেভাবে লিখিত সেভাবে প্রকাশযোগ্য মনে হয় নাই। সাধন! পত্জিকায় যে সংশোধিত পাঠ দীর্ঘকাল ধরিয়া প্রকাশিত হইল, তাহা ডায়ারি-আকারে থাকিলেও, তাছ] বিশুদ্ধ সাহিত্য- বূপেই পুনলিখিত হইয়াছিল। উভয় পাঠ মিলাইলেই তাহ] পাঠকদের নিকট স্পষ্ট হইবে এই গ্রন্থকে যথার্থ ভায়ারি বলা চলে। কিন্ত “যাত্রী” গ্রন্থের একাংশের নাম পশ্চিমযাত্রীর ভায়ারি-_ উহ! গ্রায় দিনের পর দিন লিখিত হইলেও উহাকে যধার্থভাবে “ভায়াবি”' বলিতে পারি না; কারণ কেহ ভায়ারি লিখিয়! সগ্য সগ্য মাসিক পত্রিকায় পাঠায় না। সুরোপযাত্রীর ভায়ারি রচনার ছুই বৎসর পর সংশোধিত পরিবঙ্জিত আকারে মুদ্রিত হয়-_ সগ্ প্রকাশভাবনা রচনাকালে ছিল না। এই ছুই ভায়ারির এইখানেই পার্থক্য ১৯১২ সাল হইতে লিখিত পত্রধারা সম্ প্রকাশনের জন্য রচিত। সেইজন্ত এইসব রচনার মধ্যে কবির আত্মচেতন ভাব খুবই স্পট যে পত্র একজন প্রিয় ব্যক্তির জন্ত লিখিত, আর যে পত্র মাসিক পত্রিকার সহশ্র চক্ষুর জন্য লিখিত, এই ছুই শ্রেণীর রচনার মধ্যে গুণগত তেদ আছে। ডায়াবি লেখার জঙ্ 'পঞ্চভূতে' শ্রীমতী দীপ্তি অনুরোধ করিলে গ্রন্থকার বলেন, “ডায়ারি একটা কৃত্রিম জীবন' | উহা ধেন দুইটি লোককে সি করে। এই লইয়া পঞ্চতৃতের পরিচয় অধ্যায়ে দীর্ঘ আলোচনা আছে।

ডায়ারি লিখিবার বিরুদ্ধে কৰি ধত যুক্তিই দিয়! থাকুন, “ছিন্নপত্রাবলী' এক হিসাবে তাহার দৈনিক কড়চা বা রোজনামচা। ইহাতে ঘটনার প্রাচুর্য না থাকিলে জীবনীকারের পক্ষে এগুলি জীবন-ইতিহাসের পর্যাপ্ত আকর বলিয়াই পরিগণিত হইয়াছে

কিন্ত এই প্বধারার বৈশিষ্ট্য ঘটন1 সরবরাহের থনি-গুণত্ব নহে, ইহার স্বগ্রতিষ্ঠ স্থান হইতেছে রবীন্দ্র-মানসের বিবর্তন-ইতিহাসের আকরত্ব-গুণে। আর পরিশোধিত ছিন্পত্র বিশুদ্ধ সাহিত্য হিসাবেও উপভোগ্য সেইজন্য বহুবার পাঠ করিলেও ছিন্নপত্জ স্নান হয় ন]। ইহার মধ একজন চিন্তাশীল ব্যক্তির পরিপূর্ণ জীবনযৌবনের, পরিচ্ছন্ন দেহমনের অসংখ্য অভিজ্ঞতা অহ্ভাব কিভাবে ধীরে ধীরে নানা বর্ণে, শতদলের কোরকের ন্যায় প্রতিদিন প্রস্ফুটিত হইতেছে তাহার সন্ধান পাই

এই পত্রগুলি সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথের যথেষ্ট মমতা ছিল। শিলাইদহ হইতে কবি ইন্দিরা দেবীকে লিখিতেছেন।৭-_

“আমার অনেক সময় ইচ্ছা করে, তোকে যে-সমস্ত চিঠি লিখেছি সেইখুলো নিয়ে পড়তে পড়তে আমার অনেক দিনকার সঞ্চিত অনেক সকাল দুপুর সন্ধ্যার ভিতর দিয়ে আমার চিঠির সক্ষ রাস্তা বেয়ে আমার পুরাতন পরিচিত দৃশ্যগুলির "মাঝখান দিয়ে চলে যাই। কত দিন কত মুহূর্তকে আমি ধরে রাখবার চেষ্টা করেছি, সেগুলো বোধ হয় তোর চিঠির বাজ্জর মধ্যে ধরা আছে-_ আমার চোখে পড়লেই আবার সেই-সমস্ত দিন আমাকে ঘিরে দাড়াবে ওর মধ্যে যা-কিছু আমার ব্যক্তিগত জীবন -সংক্রান্ত সেটা তেমন বহুমূলা নয়-_ কিন্ত ষেটাকে আমি বাইরের থেকে সঞ্চয় করে এনেছি, যেটা এক-একটা' দুর্লভ লৌন্দর্য, ছুরুমূল্য সন্ভোগের সামগ্রী, যেগুলো আমার জীবনের অসামান্য উপার্জন-_ যা হয়তো আমি ছাড়া আর কেউ দেখে নি, যা কেবল আমার সেই চিঠির পাতার মধ রয়েছে, জগতের আর কোথাও নেই-_ তার মর্যাদা আমি যেমন বুঝব এমন বোধ হয় আর কেউ বুঝবে না। আমাকে একবার তোর চিঠিগুলো দিল, আমি কেবল ওর থেকে আমার সৌন্দর্ষনন্তোগণ্ুলে! একটা খাতায় ট্ুকে নেব__ কেননা, যদদি দীর্ঘকাল বাচি তা হলে

রুরোপ-বাতীর ভায়ারির খসড়া, বিশ্বভারতী পত্রিকা, শ্রাবপ-আহ্বিন ১৩৫৬, মাধচৈত্র ১৩৫৬, বৈশাখআধাঢ় ১৩৪৭, শ্রা-আশ্বিন ১৩৪৭, কাতিক'পৌঁধ ১৩৫৭। ছিরপত্রাবলী, পত্র ২**, শিলাইদহ, ১১ মার্চ ১৮৯৫, (২৮ কান ১৩*১)।

ধীষ্টাৰ ১৮১৬ চৈতালি পর্ব : ৪৩৯

এক সময় নিশ্চয় বুড়ো হয়ে বাব? তখন এই-সমন্ত দিনগুলো স্মরণের এবং সান্ত্বনার সামগ্রী হয়ে থাকবে। তখন পূর্বজীবনের সমস্ত সঞ্চিত সুন্দর দিনগুলির মধ্যে তখনকার সন্ধ্যার আলোকে ধীরে ধীরে বেড়াতে ইচ্ছে করবে। তখন আজকেকার এই পদ্মার চর-_ এবং দ্ষিপ্চ শাস্ত বসম্তজ্যোৎ্া ঠিক এমনি টাটকা-ভাবে ফিরে পাব। আমার গদ্ভে পঙ্টে কোথাও আমার স্থখছুঃখের দিনরাক্রিগুলি এরকম করে গাথা নেই ।”

রবীজ্নাথের এই পর্বের যাবতীয় চিঠি ইন্দিরা দেবী ছুইটি খাতায় নকল করিয্লা এক সময়ে খুল্পতাতকে উপহার দিয়াছিলেন। ১৩১* সালে আলমোড়া হইতে সতীশচন্দ্র রায়কে এই চিঠির খাতা ছুইখানি মোমজাম দিয়! মজবৃত করিয়া মুড়িয়া রেজেই্রি করিয়া পাঠাইবার জন্ঠ পত্র দিতে দেখি ।১

বোধ হয় এই ছুইখানি খাতা হইতে অংশ চয্পন করিফ্া বিচিন্্র প্রবঞ্জের জলপথে স্থলে পরিচ্ছেদ রচিত হয়। অতঃপর ১৩১৯ সালে “ছিন্নপত্র' গ্রস্থাকারে মুদ্রিত করেন ; এই সংস্করণে অনেক চিঠির অংশবিশেষ সাধারণের সমাদর- যোগ্য নহে বলিয়া পরিবর্জন করেন ।*

উত্তরবঙ্গ বাসকালে রবীন্দ্রনাথ নানা ব্যক্তিকে যে অজন্্ পত্র লিখিয়াছিলেন, তাহা যদি কখনে৷ কালাহ্ক্রমিক সাজাইয়া প্রকাশিত হয়, তবে একজন কবি মনীষী কর্মীর জীবনের যে অপূর্ব ইতিহাস উদঘাটিত হইবে, তাহ] বাংলা সাহিত্যে দুর্লভ সম্পদরূপে সমাদৃত হইবে। “ছিন্নপত্র' সম্পাদনকালে যদি প্রমথ চৌধুরীকে লিখিত তাহার পত্রগুলির সন্ধান পাইতেন, তবে হয়তো সেগুলির বহু অংশ এই গ্রন্থ মধ্যে সংযোজিত করিতেন ; কারণ এই যুবক সাহিত্যিকের সহিত এই সময়ে ( এবং পরেও ) বহু পঙ্জবিনিময় হয়। এইসব পত্রে রবীন্দ্রনাথের মনস্থিতা অতি স্বাভাবিকভাবে প্রকাশিত হইয়াছে। 'মানসন্বন্দরী" কবিতা লিখিবার কয়েকদিন পরে প্রমথ চৌধুরীকে লিখিতেছেন, “চিঠিতে এমন সকল আভাস ইঙ্গিত নিয়ে ফলাতে হয়-_ কেবল ভাবের চিকিমিকিগুলি মাত্র-_ যে, সে প্রান কবিতা লেখার শামিল বললেই হয় ।”-_ কথা অতি সতা-_ যুগের পত্রগুলি সেই সৌধশিখবেই উঠিয়াছে। সেইজন্তই বলিয়াছি যে, এই দশ বৎসরের পত্রগুলি কালাহুক্রষিকভাবে সজ্জিত করিয়া তাহাদের ব্যাপক গভীর আলোচনা নিতান্ত প্রয়োজন ইহাই হইবে জীবনস্থৃতির অথক্রমণ পরিশিষ্ট।

চৈতালি পর্ব :১

মাঘ ১৩*২ সালের শেষ দিকে রবীন্্রনাথ উত্তরবঙ্গে গিয়াছিলেন; প্রায় একমাসকাল কাটাইয়া “চিত্রা কবিতাগুচ্ছের শেষ কবিতা “সিস্কুপাবে' (২* ফাল্তন ) লিখিবার অব্যবহিত পরে কবিকে কপ্পিকাতায় আসিতে হয়। ২৬ ফাল্গুন (১৩১২) আদি ব্রাক্ষসমাজ মন্দিরে সুন্ৃৎনাথ চৌধুরীর দীক্ষাকালে কবিকে সংগীত করিতে দেখি। ন্ুহ্বৎনাথ

খাতা ছইখানি শান্তিনিফেতনে রবীজ-সদনে আছে।

যে-সকল চিঠি ছিন্পপত্রে মুদ্রিত হয় নাই খাতা হইতে সেগুলির অধিকাংশ বিশবজান্গতী পত্রিকায় (কাঠিক-পৌঁষ ১৩৫১ হইভে শ্রাবণ-আত্দিন ১৬৫২) ধায়াবাহিকভাষে মুদ্রিত হইয়াছে কতকগুলি চিঠির ছিপ্নপত্রে ব্িত অংশ ১৩৬১ সালের শ।রদীয়| আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হুইয়াছিল। রবীন্রশতবর্ধপৃতি গ্রন্থমালার অন্তর্গত “ছিন্লপত্রাধলী' নব কলেবরে প্রকাশিত হয় (অক্টোবর ১৯৬*)1 এই সংস্কয়ণে ২৫২টি পত্তর-_ পূর্ব সংস্করণ হইতে »*টি অতিরিক্ত ; তা ছাড়! খণ্ডিত অংশ নূতন সংস্করণে মুদ্রিত হইয়াছে। ইন্গির! দেবীর বিবাহের পর লিখিত জায়ে! ৮৪ খানি পত্র 'চিঠিপত্র' পঞ্চম খণ্ডে আছে। ছাড়াও ইতস্তত আরে! পঙ্জ আছে বলিয়া] যনে হয়। ছিরপত্রাবলীয় চিঠিগুলি পড়িতে পড়িতে মনে হয়, কিছু চিঠি নট হ্ইয়াছে।

৪৪০ বুবীন্দত্রজীবনী খ্ীষ্টাব ১৮৯৬

হইতেছেন আশুতোষ প্রমথ চৌধুরীর কনিষ্ঠ ভ্রাতা, ডাক্তার ছ্িজেন্্রনাথের জোস্ঠা পৌত্রী ছিপেন্রনাথের কন্তা দিনেন্্নাথের ভগিনী নলিনী দেবী সহিত স্থহৃৎনাথের বিবাহ-সন্বদ্ধ স্থির হইয়াছে (১৩ বৈশাখ ১৩০৩ )।

চিত্রা ফাঁন্ধন মাসে বোধ হয় প্রকাশিত হয়১, ইহার অনতিকালপরেই তাহাকে শিলাইদহে দেখি চৈত্র সাহিত্যিক প্রভাতকুমারকে (বার-আযাট-ল) এক পত্রে তিনি তাহার আধুনিক কাব্য সম্বন্ধে পত্র লিখিতেছেন।২ চৈজর মাসের মাঝামাঝি হইতে কবিকে পতিসরের সক্মুথে নৌকায় দেখা যাইতেছে “পতিপরের নাগর নদী নিতান্তই গ্রাম্য! অল্প তার পরিসর, মন্থর তার শ্রোত। তার এক তীরে দরিদ্র লোকালয়, গোয়ালঘর, ধানের মরাই, বিচালির স্তুপ, অন্য তীরে বিস্তীর্ণ ফসল-কাটা শস্তাক্ষেত ধু ধু করছে।... ছুঃসহ গরম। মন দিয়ে বই পড়বার মতো অবস্থা নয়। বোটের জানলা বন্ধ করে খড়খড়ি খুলে সেই ফাকে দেখছি বাইরের দিকে চেয়ে। মনটা] আছে ক্যামেবার চোখ নিয়ে, ছোট ছোট ছবির ছায়া ছাপ দিচ্ছে অস্তরে। অল্প পরিধির মধ্যে দেখছি বলেই এতে স্পষ্ট করে দেখছি। সেই স্পট দেখার স্বৃতিকে ভরে বাখছিলুম নিরলংককৃত ভাষায়। অলংকার প্রয়োগের চেষ্টা জাগে মনে যখন প্রতাক্ষবোধের স্পষ্টতা সম্বন্ধে সংশয় থাকে যেটা দেখছি মন যখন বলে 'এটাই যথেষ্ট তখন তার উপরে বও পলাগাবাব ইচ্ছাই থাকে না। চৈভালির ভাষা এত সহজ হয়েছে এইজন্যেই ।”৩

চিত্রা কাব্যগুচ্ছ গুকাশিত হইয়া গিয়াছে গত মাসের শেষে (ফাল্ধন ১৩০২) সেই কবিতারাজির সুরের রেশ এখনে? সম্পূর্ণরূপে মিলিয়া যায় নাই, তাই দেখা যায় এর প্রথম কয়েকটি কবিতায় “পূবতন কাব্যের ধারা চলে এসেছে অর্থাৎ সেগুলি যাকে বলে লিরিক ।” উৎস” ( আজি মোর দ্রাক্ষাকুঞ্কবনে ) কবিতাটি (১৩ চৈত্র) মোহিতচন্দ্র সেন কাব্য-গ্রস্থে'র জীবনদেবতা খণ্ডের অন্তর্গত করিয়াছিলেন গীতহীন' (১৩ চৈন্্র) স্বপ্ন (১৪ চৈত্র) আশার সীমা কবিতা কয়টি এট লিরিক গ্রচ্ছের অন্তর্গত

কবির অন্তরে নানা প্রশ্্ উঠে, নানা ছবি জাগে। মানুষকে তো সদানর্বদাই দেখিতেছেন, অন্তরামী ঈশ্বর সম্বন্ধে প্রশ্নও নিত্য জাগে অন্তর্ধামী বা ঈশ্বর নৈর্বাক্তিক হইলেও অদৃশ্য নহেন, তিনি পৃথিবীতে মাগষের মধোই আছেন। পৃথিবীকে ভালোবাসিয়াছেন কথা কবি বহু কবিতায় নানাভাবে বপিয়াছেন কিন্তু কবির মে-ভালোবাপায় প্রকৃতিকে বেশি করিয়া নিকটে পাইবার জন্য আকাঙ্ফ্ষাই প্রকাশ পাইয়াছ্ছে, মাধ সেখানে গৌণ মানুষ প্রকৃতির মধো থাকিয়া তাহাকে সুন্দর করিয়াছে মাত্র। কিন্তু এই নৃতন কবিতাগুচ্ছে মাভষ এবং প্রকৃতি হাত ধরাধরি করিয়া জগৎসংসাবে অবতীর্ণ তাই দেখি মানবলোকের মহিমায় চৈতালির নৃতন কবিতাগ্ুলি সমৃদ্ধ। “দেবতার বিদায় 'পুণ্যের হিসাব “বৈরাগ্য” কবিতাত্রয়ে 'বৈরাগ্যসাধনে ঘুক্তি সে আমার নয়' বাকাটির তক প্রকাশ পাইয়াছে। তিনটি কবিতা একই দিনে রচিত €১৪ ঠত্র)। কড়ি কোমলের মানবের মাঝে আমি বাচিবারে চাই" হইতে আরস্ত করিয্া চৈতালির কবিতা-কয়টির মধ] দিয়! নৈবেছ্'র “অসংখ্য বন্ধন মাঝে মহানন্দময় লতিব মুক্তির স্বাদ" এই স্থরে পৌছাইয়াছিলেন।

নৌকার খড়খড়ি খুপ্সিয়া বাহিরকে দেখিতেছেন, সম্মুখ দিয়া ছায়ার মতো ঘটনান্লোত বহিয়। চপিয়াছে, তাহাই কাবোর তুলিতে আকিয়া চলিয়াছেন। 'অধ্যাহ" কবিতায় “ক্ষ্র শীর্ণ নদীখানি শৈবালে জর্জর স্থির ম্োতোহীন'

১. প্রভাতকুমার মুপেপাধ।য় (বারজ্যাট-ল) দাসী, মে ১৭৬, চির পনেরো! পরষ্টাবঝাপ। সমালোচন। করিয়াছেন। জর. শান্ত দেবী, রামানন্দ চটোপাধ্যায় অর্ধশতাবদীর বাংলা (১৯৪৭ ), পৃ ৪৪1 আসনংকুমার গুপ্ত সম্পাদিত প্রত1ত-্শ্থাবলী ১, চিঞার মমালে'তনা (পূ ৩৯২৪৬) পুনমুজিত হইয়াছে

পত্র, শিলাইদহ, কুমারখালি, চেত্র (১৩২ )। প্রঝ/সী, বৈশাখ ১৩৪৯, পৃষ্ঠা ৪- | এই পত্রে জানান ঘে, 'হুখ' নাষে কবিতাটি ভুলবশত “সোনার তরী' তু হয় নাই

নুচণা, চৈতালি, রবীন্র-রচনাবলী «| ১৩৪৭ সালের হ্র্মন্তকালে লিখিত

থষ্টাব ১৮৯৬ | চৈতাপলি পর্ব : ৪৪১

চিত্রখানি জাগিয়া উঠিয়াছে। 'পল্গীগ্রামে' “সামা লোক' “ছর্লভ জন্ম” “কর্ম” কবিতায় সামান্য জিনিসের চিত্র কর্ধ, ন্েহদৃশ্য করুণা কবিতার মধ্য আর্তের জন্য বেদনা অত্যন্ত ্পষ্ট। কর্মের ঘটনাটি সত্য, ছিন্নপত্রাবলীতে১ বিবৃত আছে “বন ঝাজা' “সভ্যতার প্রতি “বন 'তপোবন" কবিতা-চতুষ্ট্ঘ একত্র পঠনীয়; কবির মন একটি বিষয় হইতে অন্ত বিষয়ে যাইতে যাইতে তপোবনে আসিয়াছে কালিদাসের কথা স্মরণে উদয় হইতেছে; কালিদাসের কাবা স্তুসংহার মেঘদূতের কথা মনে পড়ে অত্যন্ত পুরাতন কথা কল্পনার চোখে ঘেখেন, আবার হঠাৎ বাতায়ন-পথ দিয়! চোখে পড়ে অতাস্ত বাস্তব সত্য “নদীতীরে মাটি কাটে সাজাইতে পাঙ্জা পশ্চিমি মন্জুর” | আর-একদিন দেখেন, “উলঙ্গ সে ছেলে ধুলি-পরে বসে আছে পা ছুখানি মেলে” চোথে পড়ে “ছোট মেয়ে খেঙ্গাহীন, চপলতাহীন”, তাহার জন্য অকারণ দরদ মনকে বাথিত করিয়া তোলে কোন্‌ অজানিত গ্রামে, কোন্‌ দূরদেশে কার ঘরে বধু হবে, মাতা হবে শেষে, তার পরে সব শেষ-_- তারে পরে, হায়, এই মেয়েটির পথ চলেছে কোথায় !* শান্ত সমাহিত ভাবে ধরিক্্রীর দিকে তাকাইয়। উহাকে বড়ই ভালো! লাগিতেছে, তাই “মধ্যাহ্ছে' ঘেন বলিতেছেন-_- আমি মিলে গেছি ষেন সকলের মাঝে ফিরিয়া এসেছি যেন আদি জন্স্থলে বনকাল পরে-__। “চৈতালি'র সুর পথিবীকে, মানবজীবনকে স্বীকার করিয়া নেওয়ার স্থর। তাই এই পৃথিবীকে এত স্থন্দর দেখেন ধন্য আমি হেরিতেছি আকাশের আলো, ধন্য আমি জগতেবে বাশিয়াছি ভালো ।* এই ধরায় জন্মলাভ দুলভ ; স্থতরাং ইহার আলন্দ কবি নিঃশেষে পান করিতে চান-__- যাহা-কিছু হেরি চোখে কিছু তুচ্ছ নয়, সকলি ছুর্লভ বলে আজি মনে হয়।£ এবং ভালোমন্দ ছুংখনুখ অদ্ধকার-আলো, মনে হয়, সব নিয়ে ধরণী ভালো ।* | এই সৌন্দর্য আত্মতৃপ্বির চোখে তিনি পল্মাকে দেখিতেছেন ; সেই চোখেই বিশ্বের “তকুলতা, পশুপক্ষী, নদ- নদী বন, নরনারী' সকলের মিগনের মাঝে অপরূপ হুন্দরকে দেখিতেছেন ; কবির চোখে কোথা কোনো! অসংগতি নাই, ছিরপত্রীবলী, পত্র ২২৪, শিলাইদই | ১৪ অগস্ট ১৮৯৫1 [৩* শ্রাবণ ১৩*২] "কালরাত্রে আমার আট বছরের মেয়েটি মারা গেছে।”* কর্ম, ১৮ চৈত্র ১৩০২, চৈতালি। কন্ছিল গদগদ স্বরে, প্কালিযয়াতি ছবিগ্রহবে মায়া গেছে মোর ছোট মেয়ে ।--* রবীন্রা-রচনাবলী ৫, পৃ ১৬। অনস্থ পথে, চৈতালি, ২১ চৈত্র ১৩*২, ঝবীন্-রচনাবলী «, পূ ২৩। প্রভাত, চৈতালি, ১* চৈত্র ১৩০২, রবীজ্র-রচনাবলী ৫, পর ১৪। ছুর্ণাত জন্ম, চৈতালি, ১৮ চৈত্র ১৩৯২, রবীন্র-রচনাবলী ৫, পৃ ১৫। & ধরাতল, চৈতালি, ২৭ চৈত্র ১৩০২৭ রখীক্র-র়€নাবলী ৫, পৃ ৩৫। 4৬

৪৪২ ববীন্দ্রজীবনী গ্রীষ্টা্ব ১৮৯৬

সমস্ত অর্থপূর্ণ প্রাণময় 'পন্মা" কবিতায় তাহার অন্তরের একটি কথা খুবই স্পষ্টভাবে প্রকাশ করিয়াছেন; ছিন্নপজরে বন্থবার পল্মার প্রতি তাহার মনের এই একান্ত অন্ুরাগের কথা প্রকাশ পাইয়াছে। কতদিন ভাবিয়াছি বসি তব তীরে পরজন্মে ধরায় যদি আপি ফিরে, যদি কোনো! দূরতর জন্মভূমি হতে... পার হয়ে এই ঠাই আসিব যখন জেগে উঠিবে না কোনো গভীর চেতন ?... আর বার সেই তীরে সে সন্ধ্যাবেলায় হবে না কি দেখাশুনা! তোমায় আমায়? সেই দিনে লিখিত হইলেও 'ন্রেহগ্রাস” সম্পূর্ণ ভিন্ন অতিঘাতে রচিত; পরদিনের লেখা বঙ্গমাতা" “ছুই উপমা” “অভিমান, 'পরবেশ' (২৬ চৈত্র) কবিতা-চতুষ্টপ্নও যে একই মনোভাবের প্রতিক্রিয়া -উদ্বুদ্ধ তাহা কবিতা-কয়টি পাঠ কবিলেই বুঝা যাইবে। বিশ্বব্যাপী সৌন্দর্যের ধ্যানে ধরাকে অথগ্ডরূপে দেখিতেছেন; সেই ধরিত্রীর অথণ্ড জীবনের মধ্ো মানুষের স্থষ্ আকন্মিকতা বা আংশিকতার বাধ! তাহার কবিচিত্তকে পীড়িত করে) সে বেদনা তিনি চিরদিনই পাইয়াছেন, মানসী'র যুগে বাঙালির খর্বখপণ্ডিত জীবনের দিকে তাকাইয়া তিনি সেই বেদনায় বলিয়া উঠিয়াছিলেন, “ইহার চেয়ে হতেম যদি আরব বেদুইন”। »আজও বাঙালির অসম্পূর্ণ ক্ষুদ্র সীমায়িত পঙ্গু জীবনের কথা ভাবিয়া অত্যন্ত বেদনায় বলিতেছেন-__ অন্ধ মোহবন্ধ তব দাও মুক্ত করি:'' বেন করিয়া তারে আগ্রহ-পরশে, জীর্ণ করি দিয়া তারে লালনের বসে, মহ্ুযত্ব-ন্বাধীনতা করিয়া শোষণ আপন ক্ষুধিত চিত্ত করিবে পোষণ ?--. নিজের সে, বিশ্বের সে, বিশ্বদদেবতা র-_ সন্তান নহে গো মাত: সম্পত্তি তোমার ।* “বঙ্গমাতা'কে আহ্বান করিয়া! বলেন-_ পুণ্যে পাপে ছুঃখে সুখে পতনে উত্থানে মাভষ হইতে দাও তোমার সন্ভানে... পদে পদে ছোট ছোট নিষেধের ভোরে বেঁধে বেধে রাখিয়ো না ভালোছেলে কনে |... শীর্ণ শাস্ সাধু তব পুত্রদের ধরে দাও সবে গৃহছাড়1 লক্মীছাড়া ক'রে। পক্মা, ২৫ চৈত্ত ১৩*২, চৈতালি, রবীন্ত্র-রচনাবলী «, পৃ ৩১। শ্রেহগ্রাল। ২৫ চৈত্র ১৩*২, চৈতালি, রবীন্্ রচণাবলী ৫, পু ১১। $ বঙ্গমাতা, ২৬ চৈত্র ১৩০২, চৈতালি, রবীন্দ্র-রচনাবল ৫, পু ৩২।

খ্রীষ্টান ১৮৯৬

ছুই উপমা*ক্ব*+ বলিতেছেন-__

চৈতালি পরব: ৪৪৩

সাত কোটি সম্তানেরে, হে মুগ্ধ জননী, বেখেছ বাঙালি করে, মানুষ কর নি।

সর্বজন সর্বক্ষণ চলে যেই পথে

তৃণগ্রন্স সেথা নাহি জন্মে কোনোমতে ; যে জাতি চলে না কভু, তারি পথ-'পবে তন্্-মন্্-সংছিতায় চরণ না সরে।

“'অভিষম্বান'ং কবিতায় তীব্র উত্তেজন। দেখ! দিয়াছে--

যার! শুধু মরে কিন্তু নাহি দেয় প্রাণ,

কেহ কভু তাহাদের করে নি সম্মান ।-." যে তোমারে অপমান করে অহনিশ

তারি কাছে তারি 'পরে তোমার নালিশ! নিজের বিচার যদি নাই নিজ হাতে, পদাঘাত খেয়ে যদি না পায় ফিরাতে__ তবে ঘবে নতশিরে চুপ করে থাক্‌, সাপ্তাহিকে দিগ্বিদিকে বাজাস নে ঢাক।

বিদেশী পোশাকের প্রতি রবীন্দ্রনাথের অবজ্ঞ! চিরদিনের ;) 'পবরুবেশ”* কবিতায় লিখিতেছেন-_

ঞ্ি গুড ৭৮

কে তুমি ফিরিছ পরি প্রভুদের সাজ। ছদ্মবেশে বাড়ে না কি চতুগ্তপ লাজ!

এই পাচটি কবিতার মধো কিছুদিন পূর্বে রচিত 'অপমানের প্রতিকার" প্রভৃতি প্রবন্ধের রেশ ধ্বনিত হইতেছে। নাগব নদীতীরে অকম্মাৎ এই উত্তেজনা-বোধের কারণ কী আমরা জানি না। ইহার পবেব কবিতাগুলি সেই ধরনের। ঘাহাদের সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ লিখিয়াছেন, “চৈতালিতে অনেক কবিতা দেখতে পাই যাতে গানের বেদনা আছে, কিন্ক গানের কূপ নেই।” “ভূমি পড়িতেছ হেসে তরঙ্গের মতো! এসে হৃদয়ে আমার'কে গান বলিলেও সেটি গান হয় নাই; কারণ “তখন যে আঙ্গিকে আমার লেখনীকে পেয়ে বসেছিল তাতে গানের রস যদ্ধি বা নাষে, গানের স্বর জায়গা পায় না।”8 এই নাগর নদীতীরে বর্ধশেষ উদ্যাপন করিলেন; সেদিন মনকে অভয় দিয়া ভয়কে বলিতেছেন__

দেবতা বাক্ষম নহে মেলি মৃতাগ্রাস_- প্রবঞ্চনা করি তুমি দেখাইছ ত্রাস... তুমি কে কর্কশ কণ্ঠ তৃলিছ ভয়ের ? আনন্দই উপাসনা আনন্দময়ের |

ছই উপষা, ২৬ চৈজ্র ১৩*২, চৈতালি, রধীক্্র রচনাবলী ৫, পৃ ৩২। অভিমান, ২৬ চৈত্র ১৩০২, চৈতালি, রযীন্র-রচনাবলী «,পৃ ৩৩। পয়বেশ, ২৬ চৈত্র ১৩২, চৈতালি, রবীন রচনাবলী ৫, পৃ ৩৩।

নুচনা, চৈতালি, রধীল্-রচনাবলী &, পূ ৩।

অন্য, ৩* ঠ৪ ১৩০২, রধীজ রচনাবলী ৫, প্‌ ৪২।

8৪৪ বুবীন্দ্রজীবনী খষ্টাব ১৮৯৬

শেষ পডুক্তিটির মধ্যে যে একটি গভীর তত্ব নিহিত রহিয়াছে তাহার সহিত এখন আমাদের প্রায়ই সাক্ষাৎ হইবে। ইহার ছুই-তিন দিন পরে পতিমর ত্যাগ করিয়া কলিকাতায় ফিরিলেন। বিগত ১৩ চৈত্র ১৩০২ সাল হইতে বৈশাখ ১৩০৩ সালের মধ্যে এই কবিতাগুলি বচিত ; স্বল্প সময়ের মধো বচিত হইলেও কবিমনের বিচিত্র স্পন্দনের লীলা আমর! অনুভব না করিয়া থাকিতে পারি না।

উড়িষ্যায় পুনরায়

উত্তরবঙ্গে চৈত্রের (১৩০২) গোড়ায় গিয়াছিলেন, শিলাইদহ পতিসরে একমাম ছিলেন__ বিষয় সম্পত্তি গগনেন্দ্রনাথদের সহিত পার্টিশন হইবে-- তাহার জন্ত যাবতীয় কাগজপত্র তৈয়াৰি প্রভৃতি কাজের তদারক রবীন্দ্র- নাথকে করিতে হইতেছিল। নববর্ষের সময়েও কলিকাতায় আলিতে পারিলেন না। আমিলেন কয়েকদিন পরে-_ দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৌত্রী, দ্িপেন্্রনাথের কন্তা নলিনী দেবীর বিবাহ রবীন্দ্রনাথ এই বিবাহের জন্য নৃতন গান রচনা করিলেন--“উজ্জ্ল কর হে আজি" (৯ বৈশাখ ১৩০৩ )1১ বিবাহ হইল ( ১৩ বৈশাখ ) ব্রাহ্মমতে, ইতিপূবে জামাতা ডাক্তার স্থহত্নাথের আদি ব্রাঙ্ধলমাজজে দীক্ষা হইয়া গিয়াছিল।

বিবাহ-উৎসবের পর কবিকে উড়িস্কা যাত্রা করিতে হইল-__ জমিদারী পার্টিশনের কাজে উডিষার জমিদারি মহর্ষি ভাহার মুত পুত্র হেমেজ্জনাথকে দান করিয়াছিলেন; সেখানকার তত্বাবধান এতদিন এজমালিতে হইয়া আমিতেছিল। এখন হেমেন্ছনাথের পুত্রেরা সাবালক হইয়াছেন

উত্তরবঙ্গ হইডে জমিদারি সংক্রান্ত কার্ধ উপলক্ষে চলিয়াছেন উড়িস্তা। রবীন্্রনাথ একখানি পজ্জে লিখিয়াছেন যে ভ্রমপকালে তিনি বিস্তর বই সঙ্ষে করিয়া! লইয়া যাইতেন। এইসব গ্রন্থের মধো বাজেন্দ্রলাল মিত্রের 51751 71215617165006 01 16০1২ তাহারু সঙ্গে প্রায়ই থাকিত। বইখানিতে প্রাচীন বৌদ্ধ পু্থির বর্ণনা অবগানগ্রস্থাদির সংক্ষিপ্ত গল্প দেওয়া আছে। এইসব গল্প হইতে রবীন্দ্রনাথ তাহার বহু কবিতা নাট্া-উপাান সংগ্রহ করেন, যথাষথস্থানে আমরা সেসব দৃষ্টান্তের কথা বলিয়া যাইব। এবার এই গ্রন্থ হইতে “মহাবস্ত অবদান, অন্তর্গত এক উপাখ্যান অবলঙ্থনে “মালিনী” নাট্যকাব্য রচনা করিলেন। তাহার মূলের সহিত কবির সৃষ্টি এত তফাত যে উহাকে চেনাই মুশকিল। এই নাট্যকাবা রচনার যে-একটু ইতিহানম আছে তাহা! কবি অল্পকালপূর্বে ব্যক্ত করিয়াছেন ' তিনি লিখিয়াছেন---

“মাপিনী নাটিকার উৎপন্তির একটা বিশেষ ইতিহাস আছে, সে স্বপ্রথটিত। .. তখন ছিলুম লণ্ডনে। নিমগ্ণ ছিল প্রিমরোজ হিলে তারক পালিতের বাসায় |”. তাই পাপিত লাহেবের অহরোধে তার ওখানেই রান্রিযাপন স্বীকার করে নিলুম।-.. স্বপ্র দেখলুম, যেন আমার লামনে একটা নাটকের অভিনয় হচ্ছে বিষয়টা! একটা বিদ্রোহের চক্রান্ত ছুই বন্ধুর মধ্যে এক বন্ধু কর্তবাবোধে সেটা ফাস করে দিয়েছেন বাজার কাছে! বিজ্বোহী বন্দী হয়ে এলেন রাজার

গান, উদ্দ্বল কর হে আজি, সাহিতা বৈশাপ ১৩৩, গীঠবিতান, পৃ ৮*৭। ২:17 5০910884475 (তাত 91 240০1 85050055151 01101251852) ৬1৫০ 5. 12151710006 56019 01 1%15111,

গ্্টাধ ১৮১৯৬ চৈতালি পর্ব ; 8৪৫

সামনে মৃত্যুর পূর্বে তার শেষ ইচ্ছা! পূর্ণ করবার জগ্কে তার বন্ধুকে যেই তার কাছে এনে দেওয়া হল ছুই হাতে শিকল তার মাথায় মেরে বন্ধুকে দিলেন ভূমিলাৎ করে।

“জেগে উঠে যেটা আমাকে আশ্চর্য ঠেকল সেটা হচ্ছে এই যে, আমার মনের এক ভাগ নিশ্চেষ্ট শ্রোতামাত্র, অন্যভাগ বুনে চলেছে একখানা নাটক স্পষ্ট হোক অস্পষ্ট হোক, একটা কথাবার্তার ধারা গল্পকে বহন করে চলেছিল। জেগে উঠে সে আমি মনে আনতে পারলুম ন11”১

এই নাটকের মধ্যে ক্ষেমংকর স্বপ্রিয় ছই বিকুদ্ধ চরিত্র। সুপ্রিয় মানবের ভ্তাক়ধর্মকে শ্রেষ্ঠ বলিয়া জানে) লৌকিক বা আচারগত ধর্মকে রড় বলিয়া সে মানে না। তাহার যন শান্ত, কিন্ত সে দুর্বল এমন-কি ভীক বপিলেও অতুযুক্তি হয় না। যেন 'গোরা'র বিনয়, “ঘরে বাইরে'র নিখিলেশ, “বিসর্জনের জয়সিংহ।২ ক্ষেমংকর দীপ্ত, গবিত, কঠোর) সংস্কারগত ধর্মকেই সে শ্রেষ্ঠ বলিয়া জানে; সে বঘুপতির ন্যায় কঠিন। রবীন্দ্রনাথ ক্ষেমংকরকে কোথাও ভীরু বা ছুর্বলভাবে বর্ণনা করেন নাই; আচারধর্মকে তিনি বিশ্বাস করেন না, তাহার সহাম্রভূতি হুপ্রিয়র সহিত, তাহার সংস্কারহীন স্যায়ধর্মকে তিনি বিশ্বাস শ্রদ্ধা করেন। কিন্তু সে পক্ষপাতিত্ব লেখার মধ প্রকাশ পায় নাই ; ক্ষেমংকরকে তিনি মহৎ করিয়াছেন।

চৈতালি পর্ব :

উড়িম্তা হইতে ফিরিয়া মাসখানেক কপিকাতায় কাটাইতে হইল তাহার কাব্যের প্রথম সংগ্রহ প্রকাশের ব্যবস্থা চলিতেছে কাব্যসম্পা্ন ছাড়া অন্যান্ত কাজের মধ্যে চোখে পড়ে ছেলেমেয়েদের জন্ত গ্রন্থ-সম্পাদন ; পণ্ডিত হেমচন্ ভট্টাচাধের সহায়তায় সংস্কৃত শিক্ষা” নামে দুই খণ্ড গ্রন্থ এই সময়ে প্রকাশিত হয় (৮ অগস্ট ১৮৯৬ )। হেমচন্্র ভট্টাচার্য আদি ত্রাঙ্ষলমাজের সহিত যুক্ত ছিলেন, তাহার অনুদিত বাল্পীকি রামায়ণ বাংলাভাষায় সুপরিচিত। পরধুগে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতন বিদ্ভালয়ে হাতে-কলমে শিক্ষার্দানকল্পে বহু পাঠা বই বচনা সম্পাদন করিয়াছিলেন, এই "সংস্কৃত শিক্ষা তাহার স্থচনা। আমাদের মণে হয় তাহার পুতকন্তাদের সহজে সংস্কৃত শিক্ষা দিবার জন্ত এই গ্রন্থ সম্পাদিত হয় ) এই সময়ে জোট্ঠা কন্তা মাধূরীলতার বয়স দশ বৎসর জ্যেষ্ঠ পুত্র রখীন্দ্রের বয়স আট বৎসর-_ সংস্ত শিক্ষারন্তের যথোপযুক্ত বয়স। মহবির পরিবারে ব্রাঙ্মধর্ম গ্রন্থের সংস্কত মন্ত্র শ্লোক প্রত্যেক বালক-বালিকাকে অত্যন্ত নিষ্ঠার সহিত আবৃত্তির ছারা আয়ত্ত করানো ছিল আবস্টিক বিধান। সংস্কৃত শিক্ষার সম্বদ্ধে মহষির যেমন নিষ্ঠা ছিল, রখীজ্্নাথেরও সে বিষয়ে উৎসাহের অভাব ছিল না। তাহার নিজের সংস্কত বুনিয়াদ খুব পাক না থাকিলেও, প্রতিভাবলে সংস্কত-সাছিতোর রসগ্রছণের ক্ষমতা অনুশীলনের দ্বারা অর্জন করিয়াছিলেন। বিশ্বভারতী স্থাপনের মুখে শাস্িনিকেতনের অধ্যাপকগণকে পাণিনির ব্যাকরণের সাহায্যে সংস্কৃত শিখাইবার জন্য কবির কী উৎসাহ তাহা ভুক্ত- ভোগী ছাড়া আর কাহারো জানিবার কথা নহে।

এইসবের বাছিরে আছে বাস্তবজগতের সংগ্রাম সংঘর্ধ। সেখানে চলিতেছে জমিদারি পার্টিশন লইয়! নান! সাংসারিক অশান্তিকর আলোচনা; এতাবৎকাল ঠাকুববাড়িত্র জমিদারি এজমালিতে দেখাশুনা হইত, রবীন্রনাথের উপর

হৃচনা : মালিনী, রধীন্র-য়চনাবলী ৪, পূ /। একট! জিনিস লক্ষা করিবার বে, হুত্রিয় জয়নিংহু গ্রভোকেই নারীর প্রেষের কাছে তাহাদের মত বা্ধিত্বকে খবিত করিয়াছে; নারীশক্তিয় জয় খে।বণাই কি কবির উদ্দে্ড? রবীন্তরসাহিতে) নারীর স্থান বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য।

৪৪৬ রবীজ্জজীবননী এ্টাৰ ১৮৯৬

ছিল তদারকের ভার। পাঠকের স্মরণ আছে, মহধির মধ্যম ভ্রাতা গিরীন্দ্রনাথের মৃত্ার পর তাহার পরিবারের জন জমিদারির অংশ পৃথক করিয়। দেওয়া হয়; তাহার পুত্রদ্বয় উভয়েই অল্পবয়সে মারা যান; জমিদারির আদায়পত্র শাসনব্যবস্থা এজমালিতে বরাবর হইত। গুণেন্্রনাথের পুত্রগণ-_-গগনেন্দ্র সমরেন্দ্র অবনীন্দ্র লাবালক হইলে মহর্ষি তাহাদের এস্টেট পৃথক করিয়া দিবার ব্যবস্থা করিলেন। মহষির বয়স তখন আশির কাছাকাছি; মমতার পূর্বে সকলের যথাযথ প্রাপা যথোচিতভাবে বণ্টন স্ৃব্যবস্থিত করিবার জন্ত তিনি উদগ্রীব হুইয়াছিলেন। তদনুসারে গগনেন্দ্রনাথদের জমিদারি পৃথক করিয়া দেওয়া হইল; সাজাদপুরেব জমিদারি তাহাদের অংশে পড়িল। জমিদারি সংক্রান্ত কার্ধ বন্দোবস্ত করিবার জন্ত রবীন্দ্রনাথ সাজাদপুর চলিলেন, এই পরগণার সহিত তাহার সন্বদ্ধ এইখান হইতে চুকিল। কবি নৌকায়; মন শান্ত, প্রকৃতির মধ্যে ঈশ্বরের মধ্য সমাহিত হইবার জন্য আকুলিত। নদীযাত্রা, মৃত্যুষাধুরী, স্থৃতি, বিলয় (৭ শ্রাবণ ১৩০৩) এই কবিতা-কয়টির মধো একটি মৃত্তার কা আছে। কবির ত্রাতুষ্পুত্রী অভিজ্ঞ তাহার বড় আদরের ছিল; তাহার কথা তিনি পত্রের মধো নানা স্থানে বলিয়াছেন, তাহাবই মৃতার কথা স্মরণ হইতেছে, এই সল্প আঘাতে কবির মন বোধ হয় একটু বেশি করিয়া ঈশ্বরনিভর হইতেছে। সাজাদপুরে এবার আসিয়া দিন-সাতেক বোধ হয় ছিলেন। হইতে ১৪ শ্রাবণের মধ্যে বাইশটি কবিতা লেখেন। মন নানাভাবে উত্তেজিত বিষয্ূভাগ লইয়া কলিকাতা হইতে ঘষে তৃণাঙ্কশপত্র পান তাহাতে মন বিষগ্ন উৎন্ষিপু হয়, নিজের মনকে সাস্তন! দিতে চেষ্ট! করেন 'যাত্রী”১ কবিতাতে লিখিতেছেন-- কার কথা শুনে মরিস জিয়া মিছে মনের আগুনে ?... কোথা রবে আজিকার কুশাঙ্কুরক্ষত। তৃণ?২ (১১ শ্রাবণ ) কবিতায় বলিতেছেন__ হে বন্ধু প্রসন্ন হও, দূর করো ক্রোধ তোমাদের সাথে মোর বুথা বিরোধ “ম্বার্থে* আছে-_ কে রে তুই, পরে স্থার্থ, তুই কতটুক, তোর স্পর্শে ঢেকে যায় ঙ্গাণ্ডের মুখ, লুকায় অনন্ত সত্য__ন্সেহ সখ্য প্রীতি মুতে ধারণ করে নির্লজ্জ বিকৃতি, থেমে যায় সৌন্দর্ষের গতি চিরস্থন তোর তুচ্ছ পরিহাস সাজাদপুরের সহিত কবির মনের একটি গভীর যোগ ছিল, ছিন্গপন্জাবলী পাঠে তাহা! আমরা জানিতে পারি। এই পরগণা তাহাদের হস্তচাত হইলে কবির মনে খুবই আঘাত লাগিরাছিপ, এই মনোভাব সামগ্সিক কবিতায় প্রকাশ

যাত্রী, ১১ শাবণ ১৩*৩, চৈতালি, রবীল্ন-রচলাবলী ৫, পূ ৪৯। তৃণ, ১১ শ্রাবণ ১৩০৩, ঢৈতালি, লবীশ্ব-রচনাবলী ৫, পূ &*। স্বার্থ, ১১ শ্রাবণ ১১৩, চৈতালি, রবীন্্-রচনাবলী &, পূ ধ১।

এটাক ১৮৯৬ | চৈতালি পর্ব: ৪৪৭

পাইয়াছে "শাস্তিমন্ত্র কবিতাটি পাঠ করিলে কবিতাচি স্পষ্টতর হইবে এই বিদায়ের পূর্বে তিনি 'অতিথিব্ৎসলা নদী”্র নিকট হইতে যে হ্থধাধারা 'দঙহদয়ের মাঝে" পাইয়াছেন, তাহাই ম্মরণ করিতেছেন "শুশ্রুবা কবিতায় এইসব বৈষয়িক অশাস্তির মধ্যে কবির মনে পড়িতেছে কবি কালিদাসের কথা! কালিদাস তাহাকে চিরদিনই

আনন্দ দান করিয়াছে; কালিদাস-কল্পিত তপোবন তাহাকে মুগ্ধ করিয়াছিল, তাহারই খতুসংহার মেঘদূত কবির যৌবনে মধুর সৌন্দর্ষ-আবেশ আনিয়াছিল; প্রাচীন ভারতের মহামৌন ব্রাহ্মণ-মহিমা এই অতীত তপোবনের গৌরবে তাহার মনকে সাময়িকভাবে মোহাচ্ছন্্ করিয়াছিল। আসল কথা, এই সময় হইতে কালিদাসের প্রভাব তাহার সাহিত্যে প্রবেশ কবিতে দেখা যাইতেছে অতীত ভারতের মধ্যে আদর্শের সন্ধান করিবার শিক্ষা তিনি কালিদাসের নিকট হইতেই বোধ হয় লাত করিলেন; কালিদাস গুপ্তযুগের ক্ষত্রিয়-টবশ্বের মিলিত দত্তের মধ্যে বাস করিয়া অস্তরে অন্তরে পীড়া অনুভব কৰিয়াছিলেন প্রাচীনতর ভারতের মধ্যে মোহমন্্বলে আদর্শের সন্ধানে ঘুরিয়াছিলেন, তেমনি রবীন্দ্রনাথ সমসাময়িক সভাতা তাহার ব্যর্থতায় বিরক্ত মনে কালিদাসকেই স্মরণ করিতেছেন (কালিদাসের প্রতি" 'কুমারসন্তব” “মানসলোক' )। কিন্তু বান্তবের সহিত নিজ জীবনের ক্ষ সংগ্রাম দেখিয়। তাহার মনে হইতেছে বাস্তবজগতের ক্ষুদ্র দুঃখ কি সেই মহাকবিকেও ভোগ করিতে হয় নাই।

তবু কি ছিল না তব স্থখছুংখ যত,

আশা-নৈবাশ্ের ছন্দ আমাদেরি মতো,

হে অমর কবি! ছিল নাকি অগ্রক্ষণ

রাজসভা-ষড়চক্র, আঘাত গোপন ?১

রবীন্দ্রনাথের তরসা আছে সবের উধ্র্” মহাকবি কালিদাস যেমন আজ উঠিয়া গিয়াছেন, তাহারও জীবনের উপর

দিয়া যে নির্যাতন “অপমানভার, অনার্দর, অবিশ্বাস, অন্যায় বিচার, অভাব কঠোর ক্র বর” হিয়া যাইতেছে তাহারও অবসান হইবে কবির স্পর্শকাতর মন সামান্য বেদনাকেও অত্যন্ত তীত্র করিয়া তোলে; আবার প্রচণ্ড আথাতকে অতাস্ত শাস্তভাবে বন করিতে দেখি তাই কাঁলিদাসকে উদ্দেশ করিয়া বলিতেছেন--

তবু সে সবার উধ্বে” নিলিপ্ত নির্মল

ফুটিয়াছে কাব্য তব সৌন্দর্বকমল

আনন্দের হুর্ঘ-পানে ; তার কোনো ঠাই

দুঃখদৈন্তুর্দিনের কোনে চিহ্ন নাই।

জীবনমন্থনবিষ নিজে করি পান

অমৃত যা উঠেছিল করে গেছ দান।

রবীন্দ্রনাথের ইহাই আশার কথা; এই আশ্বাসেই বল পাইলেন, মহাকবির কথা ম্মরণ করিয়া সান্ত্বনা পাইলেন

চৈতালির ন্তায় কাবাও বাংলার সাহিতা-ক্রিটিকদের তীব্র সমালোচনা হইতে নিষ্কৃতি পায় নাই। যুবক হেমেন্দ্রগ্রসাদ ঘোষ ১৩৯৪ সালে (কাতিক ? মাসে ) কলিকাতা ইউনিভাসিটি ইনস্রিটিউটে চৈতালির এক বিকদ্ধ সমালোচনা পাঠ কবেন।*

কাবা, ১১ আবণ ১৩*৩, চৈতালি, রবীন্র-রচনাবলী ৪, পৃ €৪। বোধ হয় ১৩৪ সালের কাতিক মাসে কলিকাত। ইউনিভাগিটি ইনস্টিটিউটে ঘুধক-সাংবাদিক হেমেত্রপ্রসাদ ঘোষ চৈতালির এক তীব্র সমালোচনা- প্রবন্ধ পাঠ করেন: উহ 'দালী' পতজিকাক্ (ডিসেম্বর ১৮৯৯) প্রকাশিত হয়। জ্র- রমণীষোহন ঘোষ 'চৈতালি সমালোচনা' প্রতিবাদ, প্রদীপ,

৪৪৮ ববীজ্্জীবনী গ্রীষ্টাব ১৮৯৬

চৈতালি পৃথক পুস্তকাকারে মু্রিত হইল না, যে-কাব্যগ্রস্থ সম্পাদিত হইতেছিল উহা! তাহার অন্তর্গত করা হইল, মালিনী সর্বপ্রথম ইহার অন্তভূর্ক হয়। এই কাবাগ্রস্থ রবীন্দ্রনাথের প্রথম সংগৃহীত কাবা ইহার মধ্যে কৰি তাহার বাল্যবয়সের রচনাসমৃহকে স্থায়ী সাহিত্য হিসাবে স্থান দিলেন না; বনফুল কবিকাহিনী ভগ্হৃদয় শৈশব-সংগীত, রবিচ্ছায়া, কালমুগয়া রবীন্দ্র-সাহিতা হইডে সেই-যে অপাঙক্তেয় হুইয়া গেল, তাহার পর আর তাহারা সাহিত্োর জাতে উঠে নাই। এইসব গ্রন্থ হইতে কিছু কিছু সংগ্রহ করিয়া কৈশোরক খণ্ড গঠিত হয় মাত্র। বলিতে গেলে এই সময়েই কবি সঙ্ধ্যাসংগীতকে তাহার কাব্যগ্রন্থের প্রথম কবিতাগুচ্ছ বলিয়া স্বীকার করিলেন এবং সেই ধারাই পর্যস্ত চলিতেছে এই সংগ্রহের জন্য কৰি তাহার সমগ্র কাবাসাহিতাটাকেই নাড়াচাড়া করেন; সেই নাড়াচাড়ার মধো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য হইতেছে “বিসর্জন নাটকের পরিবর্তন। আমরা যে 'বিসর্জন' পড়ি তাহ] প্রথম স্করণ হইতে অনেক পৃথক; এই সময়ে উ্না সম্পূর্ণরূপে পরিবঙ্জিত সম্পাদিত হইয়া দ্বিতীয় সংস্করণ রূপে প্রকাশিত হইল। এই সংস্করণে বিসর্জনের যেসব পরিবর্তন করা হয়, তাহার কথা আমরা পূর্বেই আলোচনা করিয়াছি এইসব পরিবর্তনের দ্বারা বিলর্জন যে সবাংশে সুন্দর হইয়াছে তাহা উভয় সংস্করণের পাঠকদের নিকট সহজেই প্রতিভাত হইবে। ক্রিটিক হিসাবে নিজ রচনার কঠিন বিচার করিতে তাহার কোনো মায়া ছিল না।

চৈতালির পরে

ববীন্জনাথের প্রথম “কাবাগ্রস্থাবলী' প্রকাশিত (১৫ আশ্বিন ১৩০৩) হইয়া গেলে কবি কাতিক মাসে কমদিনের জন্য কালিয়ঙে কন ত্রিপুরার মহারাজ বীরচন্ত্রমাণিকোর আমন্থণে | মহারাজ পরম বৈষ্ণব; 'ঝুলন', 'হোরি" প্রস্ততি গীতিকাবা তাহার শ্রেষ্ঠ নিদর্শন | রবীন্দ্রনাথকে পাইয়া তিনি খুবই স্থখী। অনেক রাত্রি পর্যস্থ ববীন্গুনাথের সহিত সংগীত এবং কাব্য আলোচনায় মহারাজ মগ্ন থাকিতেন। সেইসময়ে বৈঞ্ব-মহাজন-পদাবলী প্রকাশ বিষয়ে কবির সঙ্গে পরামর্শ চলিত। “আলোচনান্তে প্রতি রাত্রে মহারাজ উঠিয়া রবিবাবুকে পিড়ি পর্বস্থ আসিয়া বিদায় সম্কাধণ কবিয়া যাইতেন। মহারাজ... অশ্রস্থ; অসন্ত যস্থণা সহা করিয়া হাশ্থমুখেই তিনি আলোচনায় যোগ দিতেন 1: তিনি একদিন, মহারাজ কেন কষ্ট করিয়া মিড়ি পর্বস্থ তাহাকে আশ্য়াইয়া দেন-- এরূপ অভরধোগ করিপেন। তখন মঙ্ারাঙ্জ বলিয়াছিলেন, “পাছে অলনতা আনিয়া কঙবো ক্রুটি ঘটায়, আমি সে-ভয় করি, আপনি আমাকে বাধা দিবেন না ।”২

আফাঢ ১৩০৫ 1 তরুপ সাহিতিক বারিস্টার প্রজাতকুমার মুঙখোপাধার় 'প্র্থ কবিতার অঠান ী্রহাসে স্েমেন প্রসাদ ঘোষকে আমমণ করেন। কয়েকটি পঙ্ড দ্কি উদধৃত তইল :

বুও রুবিয় মালো প্রান হোল নাহি 1".

হে কুকুর, ঘোষ কেন, কেন আরোশ শিশ্ুল

অত উধের্ধ পৌছে কি কণ্ঠ ক্ষীণ বল। ইঙ্াদি দ্র. জীবিঞ মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত 'রসীন্্-সাগর সংগমে, ১৩৬৯, (পু ১৪০-৪)। রযদীষফোহন গোষের 'চৈতালি' সঙ্গালোচদাটি উদধৃত হ্টয়াছে। সভাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায় কতৃক প্রকাশিত, ১৫ আশ্বিন ১৩০৩1 গ্রস্থাবলীর অন্বর্গত কাবানি কালাশুক্রমে সজ্জিত এই কাধাগ্রস্থাধলী বুহং আকারে ছই কলনে মুদ্রিত হয়। পৃষ্ঠা 8৭৬। একটি সাধারণ সংস্করণ। অপরটি হয় সচিন | তাড়া আসল োটোচিত্সহ আয়-একটি বিশেষ সংস্করণ (কয়েকটি খণ্ড) প্রন্থত হ়। এই সংস্করণ অতীব দুপ্পাপা। উচ্থাই রবীন্্ীন।খের প্রথম কাৰা গ্রস্থাধলী। কূষিকার পিপিয়াছ্ছেন ঘে কাবাগুলি কালানু রুমে সশ্ত্রিবেশিত। মহিষচন্্র ঠাকুর, দেশীয় রাজা, পৃ২১১। টদধূতি , রবীক্রনাথ অিপুরা, আশ্দিন ১৩৬৮, পূ ১৩। মহারাজের মুহা হয় কলিকাতার ১১ ডিসেম্বর ১৮৯৬

গ্রীষ্টাব ১৮৯৭ চৈতালির পৰে ৪৪৯

কার্দিয়ঙে বাসকালে আর একজন পণ্ডিতের সহিত ববীন্দ্রনাথের প্রায়ই আলোচনাদি হইত। তিনি রাধারমণ ঘোষ-_ মহারাজের একান্ত-সচিব | ইনিই রবীশ্তরনাথের বিশ বৎসর বয়মে “ভগ্নহদয়? সম্বন্ধে মহারাজের গ্রশংসাবাণী বহন করিয়া লইয়। গিয়াছিলেন। কাপিয়ঙে “সকাল হইতে দ্বিগ্রহর পার হইয়! গেলেও উভয়ের বৈষব দর্শন পদাবলীর আলোচনায় ছেদ পড়িতে চাহিত ন1। মাঝে মাঝে বৈষব দর্শনের সহিত এমার্সনের লেখার তৃলনামূলক আলোচনাও চলিত।.. রাধারমণেয গভীর পাণিত্যে কবি মুগ্ধ ছইক়াছিলেন-__ তাহা! বারংবার বলিয়াছেন ।”১

এই কাসিয়ঙ বাসকালে শান্তিনিকেতন আশ্রমে এককালীন আশ্রমধারী অঘোরনাখ চট্টোপাধ্যায় -রচিত “মেয়েলি ব্রত' নামে ক্ষুদ্র গ্রন্থের একটি ভূমিকা লিখিয়া পাঠান (৭ কাতিক ১৩০৩। ১৮ অক্টোবর ১৮৯৬)। অঘোরনাথ সাধনায় প্রকাশিত কবির প্রবন্ধ 'মেয়েলি ছড়া" পাঠ করিয়! উৎসাহিত হইয়া এই সংগ্রহকার্ধে ব্রতী হইয়াছিলেন।

কার্গিয়ঙ হইতে কবি কলিকাতায় ফিরিলেন। জোড়ার্সাকোর বাটিতে আছেন। য্বপালিনী দেবী আসন্নপ্রসবা। ববীন্জনাথকে সন্তানদের দেখাশোনা! অনেকটাই করিতে হয় কনিষ্ঠ সন্তান শমীন্দ্রের জন্ম হইল ২৮ অগ্রহায়ণ ১৩*৩ সালে (১২ ডিসেম্বর ১৮৯৬ )।

কলিকাতায় থাকিলে কবিকে নানাপ্রকাবের সামাজিক পাবলিক কর্ষের মধ্যে জড়াইয়। পড়িতে হয়। আমাদের আলোচ্য পর্বে (ডিসেম্বর ১৮৯৬। পৌষ ১৩০৩) কলিকাতায্জ কন্গ্রেস ? বিভন্‌ স্কোয়াবে সভার অধিবেশন হয়। সভাপতি বহিমতুল্লা মহন্ম্ন সিয়ানী। অভার্থন! সমিতির সভাপতি সার্‌ রমেশচন্দ্র মিত্র ।* অধিবেশনের প্রথম দিন রবীন্দ্রনাথ উদ্বোধন-সংগীত “বন্দে মাতরম্‌' গাহিলেন। তখন কবির কণ্ঠ ছিল যেন মিষ্ট তেমনি তীক্ষ। সে-যুগে মাইক্রোফোন আবিষ্কৃত হয় নাই। কবির কণ্ঠ বিরাট প্যাণ্ডেলের দূরতম প্রান্ত পর্যন্ত শোনা গিয়াছিল ; তবে একথা বলা প্রয়োজন ঘে, আজকালকার কন্গ্রেস প্যাণ্ডেলের তুলনায় সে-যুগের প্যাণ্ডেল নিতান্তই সামান্ধ ছিল। শোনা যায় রবীন্দ্রনাথ 'বন্দেমাতরম্‌'-এর প্রথমাংশ নিজে সুর বলাইয়! বঙ্ষিমচন্্রকে শুনাইয়াছিলেন।* কন্গ্রেস হয় বিডন্‌ স্কোয়াবে জোড়ার্সাকোর ঠাকুরবাড়ির নিকটেই। ঠাকুরবাড়ি হইতে কন্গ্রেসেব প্রতিনিধিদের জন্ত একটি জমকালো পার্টি দেওয়া হইল। এই পার্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বারিস্টার মি. গান্ধী উপস্থিত ছিলেন।« রবীন্দ্রনাথ এই প্রীতি সম্মেলন উপলক্ষে একটি গান রচনা করিয়া স্বয়ং গাহিয়াছিলেন ? গানটি 'অয়ি ভুবনমনোমোহিনী ।"*

কন্গ্রেপ অধিবেশনের একমাম পরে মাথোৎসব (২৩ জানুয়ারি ১৮৯৭ )1 চৈতালি পর্ধের অবসানে মনের মধ্যে

রদীল্রনাথ ভ্রিপুয়া, আস্বিন ১৩৯৮, পূ ১৪। "সাধনা পত্তিক। সম্পাঙ্গনকালে আমি ছেলে ভুলাইঘার ছড়! এবং মেয়েলি ভরত সংগ্র্থ প্রকাশ করিতে প্রবৃত্ত দ্বিলাম। ভ্রতকথা সংগ্রহে জঘোরবাধু আমার প্রধান সহায় দ্রিলেন সেজন্ত আমি তাহার নিকট কৃতজ্ঞ আছি।” কাতিক ১৩*৩। জী মাসিক বহুমভী, জোট ১৩৫৮, পৃ ১৬৯। শুর রষেশচগ্ছ বিজ্র হঠাং অনুত্ব হইয1 পড়ায় হাইকোর্টের বিখ্যাত আইনমীবী রাপবিষ্বারী ঘোষ অভতিভাবণ পাঠ করেন। এবার কন্গ্রেসে *৯* জন প্রতিনিধি সান্থা আমেন। বান্তালিই ছিলেন অধিক সংপাক, বাংলার বাছির হইতে মাত্র ১৮৫ জন। সভাপতি সিয়ানী তাহার ভাষণে মুললমানদিগকে কন্গ্রেমে যোগদানের জন্ত বলেন মুসলমানদের এই জাতীর প্রতিষ্ঠানে যোগ না দিষার ১৭ দফা! কারণ তলত করিয়া বিল্লেষণ করিয়া তাহাদের অযৌক্তিক! দেখান।

সর. আদলবাজায় পত্রিকা, আঙখিন ১৩৪৪ পিবিজা শঙ্কর রায়চৌধুরী, প্রীজরবিন। বাংলায় ক্বদেলীযুগ জর. প্রকুলকুমার সরকার 'জাতীয় আন্দোলনে রবীজানাখ' গ্রন্থে (পূ ২৩) বলেন, "১৮৯৬ সালে কলিকাতায় কন্গ্রেমের যে অধিবেশন হয়, তাাতেও ডিনি | রবীজ্রনাধ ] যোগ দেন |". এই অধিবেশন রবীন্রনাথ হন্দেযাতরমূ নিজে হয়সংধোগ করিয়। গান করেন ।” « ড্র, সরল! দেখী চৌধুরানী, জীবনের বরাপাডা, পৃ ১৬৮। গানটি ভাকতীতে মাঘ ১৩০৩ সংখ্যায় শ্ব়লিপিনহ প্রকাশিত হয়। ভর. ভারভলগরী : করদ!। রবীশ্র-য়চনাবলী ৭, পূ ১৬৮। গীতবিতান পৃ ২৫৭।

€৭

৪৫5 ববীন্দ্রজীবনী খ্রীষ্টাৰ ১৮৯৭

গীতন্থধা রসধার! দেখা দেয়»। ১৩০৩ সালের মাঘোৎসবে যে কয়টি গান গীত হইয়াছিল, তাহার তালিক] নিয়ে প্রদত্ত হইলৎ__

আজি মম মন চাহে জীবনবন্ধুরে গীতবিতান, পৃ ৭৮

আমার সত্য মিথা। সকলি ভুলায়ে দাও ৮” পু ৫৬

পাস্থ এখনো কেন অললিত . বু ১৯ বহে নিরস্তর অনম্ত আনন্দাধারা "পৃ ১৩৬ তক্তহৃদি বিকাশ প্রাণবিমোহন "পূ ১৮৫ শান্ত হরে মম চিত্ত নিরাকুল "পৃ ১১৪ নুন্গর বহে আনন্দ-মন্দানিল ”. পৃ২১২ হরষে জাগো আজি প- সুতি

পঞ্জিকার দায় না থাকায় লিখিবার প্রেরণা কম, তবে 'খামখেয়ালী সতা”র আহবানে গল্প মাঝে মাঝে লেখেন, এবার লিখিলেন “বৈকুণ্ঠের খাতা" নাটকটি খামখেয়ালীদের নিকট পড়িয়া! শোনান ( চৈত্র ১৩০৩ ) এবং সকলে মিলিয় তাহার অভিনয়ও করেন। 'খামখেয়ালী সভা"র মোটামুটি বৃ্াস্থ পাওয়া যায় অবনীন্তরনাথের “ঘরোয়া'য়* |

অভিনয়ে ববীন্দ্রনাপ কেদারের, গগনেন্্র বৈকুষ্ঠের, নাটোরের মহারাজ জগদিজ্নাথ অবিনাশের অবশীন্ তিনকড়ির ভূমিকা গ্রহণ করেন

বৈকুষ্ঠের খাতার গল্লাংশ সংক্ষেপে এই : বুদ্ধ বৈকু্* জ্ঞানতপস্থী, প্রাচীন সংগীতশান্জ আলোচনায় মনত, বাহিবের জগৎ সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ। অবিনাশ তাহার ভাই, বড় চাকুরি করে, বয়স অনেক হইয়াছে, বিবাহ করে নাই, বাগানের শখ খুব বেশি! কেদার তিনকড়ি ছুই লক্ষ্ীছাড়া লোক, জুয়াচোর ঠক | কেদার তাহার শ্যাপীর সহিত অবিনাশের বিবাহ দ্রিবার মতলবে বুদ্ধের পুথি শোনে, চীনাবাজারের জুতার হিসাব চীনা-সংগীতাশান্সে বই বলিয়া বৈকুগের নিকট বিক্রয় করিয়া টাকা আদায় করে। অবিনাশ মনোরযাকে দেখিয়া মুগ্ধ হইল। বিবাহ হইয়া গেলে কেদার তাহার যত আত্মীয়-কুটুম্ব একে একে আনিয়া বাড়ি পূর্ণ করিয়া ফেলিল। তাঙ্ার ইচ্ছা বুদ্ধকে কোনোকবপে তাড়ায়। অন্ত:পুরে বৈকুগের বিধবা কনা নীরুর উপর কেদারের এক পিসির অত্যাচাকু অবিনাশের দুহিগোচর হইলে সে তখন শ্বশুর-গোষ্ঠার আত্মীয়-কুটুঙ্ধদের তাড়াইয়া দিল।

বৈকুণের খাতায় স্বচ্ছ হাশ্রসের মধ্যে এমন-একটি করণরস কল্ধাণার ন্যায় প্রবাহিত যে উহা কেবল পাঠককে

হালায় না, উহা তাহার চক্কুপল্লবকে অশ্রপিকু করে। বুদ্ধ জ্ঞানতপন্থী বৈকু্ কনিষ্ঠ ভ্রাতা অবিনাশের কম্পিত সুখের জন্য সংসার ত্যাগ করিয়া অন্যত্র যাইতে উদ্যত, বিরোধ করিতে তিনি অনিচ্ছুক অক্ষম এই ঘটনাটি “বিসর্জনের গোবিন্দমাণিক্ঠোর কথা মলে পড়াইয়া দেয় যিনি ক্ষমতা থাকিতে শক্তির প্রয়োগ না করিয়া ভ্রাভাকে মিংহামন

মাখোংসবের পর করি কলিকাতায় আছেন--'ধামপেয়ালী' সম্ভার কোৌতুকে মগ! ১১ ফাগুন ১৩০৩ [১১ ফেকুয়ারি,। ১৮৯৭ ) স্বামী বিষেকানঙগ আমেরিকা সফরান্ে কলিকাতায় ফিরিলেন , ইহার সাহদিন পরে শোশ্তাবাজার রাঞ্বাটিত শ্বাধীজির ঘে বিরাট আঅভার্থনা সত! আহত হয় তাহাতে রবীন্দ্রনাথ উপস্থিত ছিলেন বলিরা জান। পিয্লাছে।

ঘরোয়া, দ্বিতীর সংস্করণ পৃ ৯৭-১০২।

জীতকুমার সেন, বাঙ্গালা লাহিতোর ইতিহাস ৪, পূ ২৫২।-প্বেকুঠ বড দাদ! দ্বিজেঙ্ানাণের প্রতিচ্ছবি বিপিনের কাণ্ড তঠাঙ্কার অভিজ্ঞতায় ঘটিয়াছিল।” দ্বিগেলানাণ বোধ হয় কোনে! আশ্রিত বাকির উৎপাতে কলকাতার নিজ খর ছাড়িয়া শান্তিনিকেতন পলাইয়া আসেন সেখান হষঈটতে গুপেস্থনাপকে বিষয়ে পত্র দেন। গুপেশনাপের ১৮৮১ সালে মৃত হয়। নুতরাং পটনাটি পুরাতন, ঠাকুরপরিবারের নিকট হুপর্লিচিত ছিল; রবীন্মনাপ সেই গল্প প্ঃনিয়া বৈনের চরিত্র লি করিয়া! খাকিবেন।

এী্াব ১৮৯৭ কল্পনার স্থঅপাত ৫৫১

রাজ্য ছাড়িয়া! দিয়া গেলেন। এই প্রহসনের মধ্যে যথার্থ চরিত্র ফুটিয়াছে তিনকড়ির ; এটি রবীন্দ্রনাথের অপরূপ সৃষ্টি এই অত্যন্ত লক্ষ্মীছাড়। জুয়াচোর লোভী লোকটাকে ভালো না বানিয়! থাকা যায় না। ভুলে-ভ্রান্তিতে ভরা সত্যকার হাড়ে-মাসে গড়া মানুষট। দেখা দিয়াছে অপরূপ ভঙ্গিতে

বৈকৃষ্ঠের মধ্যে ছিজেক্নাথ ঠাকুরের চরিভ্রচিত্তের আভাস আছে বলিয়া! একবার মনে হয়। চঙ্ষুলজ্জার থাতিরে কাহাকেও কিছু না বলিতে পাবার হূর্বলতা কবির মধ্যেও যথে্ ছিল। 'গল্পসল্পে' “বিজ্ঞানী” কথিকায় কবি থাহা লিখিয়াছেন তাহা বানানো কথা নহে

“বৈকুষ্ঠের খাতা, প্রকাশিত হইবার একমাসের মধ্যেই 'পঞ্চতৃত' গ্রস্থাকারে মুদ্রিত হইল গ্রন্থখানি “মহারাজ শ্রযুক জগদিজ্জনাথ রায় বাহাছুর স্ুহ্দ্ধর করকমলেষু” উৎসর্গ করেন। পাঠকের স্মরণ আছে 'সাধনা' পত্রিকায় পঞ্চভৃতের ভায়ারি প্রকাশিত হয়। এই গ্রস্থথানি রবীন্দ্রনাথের একটি বিশেষ ন্হি। বাংলাভাষায় শ্রেণীর গ্রন্থ রচিত হয় নাই। প্রমথ চৌধুরীর “চারইয়ারি-কথা'র মধ্যে দূরতম অগ্রকৃতির আভাস পাগয়া যায়। তবে রবীন্দ্রনাথের গোরা চতুরঙ্গ শেষের কবিতা প্রভৃতি উপন্যাসের মধ্যে এই ধরনের বাক্-চাতুর্ধপূর্ণ কথাবাতার দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। অবশ্ত উভয় শ্রেণীর আলোচনার মধ্যে একটি প্রকাণ্ড পার্থক্য রহিয়াছে; পঞ্চভৃতের ভূতগুলি নানাবিষয় লইয়া আলোচনা করিতেছেন বটে, তবে সে-আলোচনা আর্টিস্টের আনন্দ, উদ্দেশ্হীন চিন্তবিনোদন মাত্র; কোনো সমস্যার সামঞ্চশ্তগত সমালোচনা যে সস্তব নহে, এবং রচনার উদ্গেশ্থাও নহে তাহা কবি মুখবন্ধেই বলিয়া লইয়াছেন। কিন্তু উপন্তাসগুলির মধ্যে কেবল আর্টিস্ট ববীন্দ্রনাথকেই পাই না, সেখানে ধর্ম সমাজ-সংস্কারক রবীন্দ্রনাথকে দেখা যায়) বিচিত্র সমস্যা সমাধানের জঙ্য আন্তরিকতা পরিলক্ষিত হয়।

কল্পনার সুত্রপাত

চৈতালির শেষ কবিতা রচনার পর কয়েকমাস কবির কাব্যলেখনী বন্ধ হইয়া আছে। নাটক রচিগন] অভিনয় করিয়াছেন, ব্রহ্মলংগীত লিখিয়া সামান্িক কর্তবা পালন করিয়াছেন সত্য, কিন্ত মানসমুন্দরীর উদ্দেশে স্বতঃউত্সারিত গীতধাবা কোথায়-_ যে গানে কবির কল্পনা, সৌন্দর্ধের সাধনা সার্থক হয়, সে গান প্রাণে আমে নাই কবিজীবনের দিক হইতে সে-পবটা কবির পক্ষে দুঃসয়য় বলিতে হয়। সেই বেদনা সত্যই প্রকাশ পাইয়াছে 'ছুঃপময়”১ কবিতায় (১৫ বৈশাখ ১৩০৪ )। অন্তরে ক্লান্তি আসিয়াছে বলিয়াই যেন অন্তরকে সাবধান করিয়া দিতেছেন; বাত্যাবিক্ষুক্ধ জীবনযাত্রায় মধাপথে যেন সে থামিয়া না যায়, তাহার উদ্ভমকে রক্ষা করিতে হইবে এই কথাটিই কবি কাব্াময় ভাষায় প্রকাশ করিযাছেন-_

ওরে বিহঙ্ষ, ওরে বিহঙ্গ মোর,

এখনি অন্ধ, বন্ধ কোরো না পাখা ববীন্দ্র-সাহিত্য-সমালোচক অজিতকুমার চক্রবত্ণী কবির এই কাব্যজীবনপব সম্বন্ধে ষে মন্তব্য কবিয়াছেন, তাহা অন্ত দৃষ্টিকোণ হইতে লিখিত বিগত জীবনের স্থৃতিতে কবি দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া নৃতন জীবনযাত্রায় পক্ষবিস্তার করিতে যাইতেছেন। কৰি জীবনের এমন এক অবস্থার ছারদেশে আলিম দাড়াইয়াছেন, যাহার পূর্ণ পরিচয় তিনি অবগত নহেন; কিন্তু পিছনে ফেলিয়া আসা এন্বর্ধের দিকে চাহিয়াও তিনি পরিতৃপ্তি পাইতেছেন না ।” সমালোচকের এই ব্যাখ্যায় সকলের মন সাড়া দিবে কি না মঙ্গেছ। | ছুঃসময়্, কজ্জনা, রবীজা-রচনাধলী ৭, পৃ ১২১।

৪৫২ রবীন্দ্রজীবনী খীষ্টা্ ১৮৯৯

নৃতন বৎসরে কবির কাবাশ্রী ধীরে ধীরে আত্মপ্রকাশ করিতেছে সংখ্যার দিক হইতে এবারকার রচনা শ্রেষ্ঠত্ব দাবী করিতে পারে না সত্য, কিন্তু কল্পনার এ্বর্যে তাহ! অতুলনীয় বৈশাখ মাসে রচিত চারিটি মাত্র কবিত1; এই কবিতা-কয়টিকে পুরোভাগে রাখিয়া “কল্পনা” নামে যে-কাব্যথণ্ড তিন বৎসর পরে ( বৈশাখ ১৩*৭) প্রকাশিত হয়, তাহার মধ্যে কবিমনের বিচিত্র লীলামাধুরী দেখা যায়, যথাষণ স্থানে প্রয়োজনমত আমরা তাহাদের আলোচনা করিব। কবির করনাক্ষেত্র বিচিত্র। 'বর্ধামঙ্গল?১ লিখিয়া (১৭ বৈশাখ ১৩০৪) বর্ধার আবাহুন করিলেন বৈশাখ মাসে; সে কবিতা '& আসে অতি ভৈরব হরষে*_ আজ অতি স্থপরিচিত গান; বাক অর্থের গান্তীর্ষে বর্ধার উৎসবক্ষেত্রকে মুখরিত করিয়া! তোলে ফাল্গনের শ্রাবণ-সন্ধ্যায় যদি কল্পলোকে সোনার তরীকে ভাসমান দেখা যায়, বৈশাখে যদি ব্যামঙ্গল রচিত হইতে পারে, তবে বৈশাখের মাঝামাঝি সময়ে “চৈত্ররজনী'র২ (১৯ বৈশাখ ) কল্পনা করা অসস্ভব হইবে কেন? বসন্তনিশীথের জ্যোতল্লা-প্লাবিত ধরার দিকে তাকাইয়া কত কথা মনে পড়ে-_ কত নদীতীরে, কত মন্দিরে কত বাতায়নতলে, কত কানাকানি, মন-জানাজানি, সাধাসাধি কত ছলে! শাখাগ্রশাখার, দ্বার-জানালার আড়ালে আড়ালে পশি, কত ছুখস্থখ কত কৌতুক দেখিতেছ একা বসি ।৩ এই গোপন মন-জানাজানির মর্মকথাটি “চৌরপঞ্চাশিকা'র মধো অমর ভাষায় কবি প্রকাশ করিলেন (২৩ বৈশাখ চ্োষ্ঠট)। চোর কবি বিহ্লন পঞ্চাশটি গ্লোকে প্রেমের আদিরস বর্ণনা করেন; বাঙালি কবি ভারতচন্দ্র তাহাব অনুবাদ করিয়া প্রেমিকদের কণ্ঠে প্লোকে মালা গাধিয়া সমর্পণ করিয়া যান।* আগ রবীজ্নাথ৪ সেই কবির জয়গান করিয়া কহিলেন__ | ওগো সুন্দর চোর, তোমারি রচিত মোনার ছন্দ-- পিঞ্করে তারা ভোর। দেখিতে পায় না কিছু চারি ধারে, শুধু চিরণিশি গাছে বারে বারে তোমাদের চিরশয়নছুয়ারে-_- বর্ধামঙ্গল, কল্পনা, রবীর্-রচনাবলী ৭, পূ ১২২। ১৯২৬ সালে 'বর্যাষঙ্গল' জলসার দসয়ে এই কবিতা গানে রাপান্ুরিত হয় বীতবিতান, ৪৩৭-৩৮ | কৰিতাটির স্তবক: গানে স্তবক বজিত। চৈদ্ররজনী, কল্পনা, রবীঞ-রচনাবলী ৭, পূ ১৩৩। ১৯*৯ সালে প্রকাশিত গান গ্রন্থে এই কবিতার রতরাপ বেহাগ কাওয়ালি, গীতবিতান, পৃ ৭৮৪ চৈত্ররজনী, কল্পনা, রবীন -র6নাবলী ৭, পৃ ১৩০। তারতচন্ত্র রায় গ্রণাকর মাআ তিনটি শ্লোক অনুবাদ করেন। প্র. ভারতচন্্ প্রন্থাবলী, বজীয় সাহ্িতি-পরিষং, জ-জপ্রানাধ ধঙ্গোপাধ্যায় সজনীকান্ত

দাস সম্পাদিত, ভূমিকা, পৃ ৮, ১৫-১৬, পৃ ৩০১ ১৩*৪ সালে বঙগীয়-দাহিতয-পরিষং পত্রিকার রলিকচজ বনু লিখিত 'ভারতচন্রোর আদি ধিগাহল্নর' প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়।

খ্রীষ্টান ১৮৯৭ কল্পনার গতপাত ৪৫৩

ওগো সুন্দর চোর) আজি তোমাদের দুজনের চোখে অনন্ত ঘুমঘোর জ্যষ্ট মাসের১ (১৩০৪) প্রথম সপ্তাহে কবি শান্তিনিকেতনে গিয়া কয়েকদিন আছেন। মনের মধ্যে কল্পনার বিচিত্র স্ববতরঙ্গ চলিতেছে সেখানে গিয়া লিখিলেন,২ 'ভরষ্টলগ্প' (৭ জ্োষ্ঠ ১৩০৪ ), “মার্জনা? (৮), শ্বপ্র' (৯), মিদনভন্মের পূর্বে” (১১), মদনভন্মের পরে (১২-)। এই কবিতাগুলি একত্র পাঠ করিলে কবিচিত্তে প্রেমের ছম্দ কিভাবে নান। মৃঠিতে প্রকাশ পাইতেছে তাহার একটি অথণ্ড রূপ দ্বেখা যাইবে; প্রথম তিনটি কবিতায় লাজনতা প্রেমিকার বার্থ- প্রেমের কদ্ধ ক্রন্দন গুমরিয়া মবিতেছে ; সে 'শরমে মবিয়া বলিতে” পাবে না 'নবীন পথিক, সে যে আমি, সেই আমি | “মার্জনা'র মধো প্রেমের ভীকুতা আরো স্পষ্ট ; ভালোবাদিবার অপরাধের জন্ত প্রেমাম্পদের কাছে এই প্রার্থনা “মোরে দয় করে কোরো মার্জনা, কোরো মার্জন11” ইহা দুর্বলতা, দীনতার পরাকাষ্ঠা কিন্তু প্রেমিক আশ রাখে সে এক দিন বানীর মতন প্রিয়তমকে বত্বাসনে বসাইবে, প্রণয়শাসনে তাহাকে বাধিবে, দেবীর মতো সকল বাসনা পুরাইবে। মকলই প্রেমের কল্পনা রামধন্ুর ম্যায় সপ্তবর্ণ। চোখকে মুহূর্তের জন্ত কেবল ধাধায়, মনকে ক্ষণিকের জন্ট রঙিন করে। কিন্ধ প্রেমের জন্ধ এমন দীনতা কেন। ম্পর্ধ। (১৩ জ্যোষ্ঠ ১৩০৪ ) কবিতাটিকে 'মার্জনা'-র (৮ জৈযষ্ট ) পরিপূরক কবিতা বলিয়া বিবেচিত হইতে পাবে বাস্তবতার কুঢস্পর্শে মন যখন ক্রিষ্ট তখন মে কল্পনার জগতে আশ্রয় খোজে, বাস্তব জগত হইতে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করিয়। “দূরে বহু দূরে স্বপ্পুলোকে উচ্য়িনীপুরে শিপ্রানপীপারে-"- পূরজনমের প্রথম প্রিয়াবে ধুঁজিতে যাওয়াই মনে করে নিরাপদ প্রয়াণ। মনোলোকে মালবিকা 'দেখা দিল দ্বারপ্রান্তে সোপানের পরে”, “ফেলি সবাঙ্গে উতলা শিশ্বাস' | ন্বপ্রের মধ্যেও মধুর বাস্তবের জন্য দেহমন পিপাসিত। প্রেমের বার্থতায় চিত্ত আজ আকুল হইয়া আবাহন করিতেছে প্রেমের দেবতা মনকে শ্িবকোপানলে ভস্মীভূত হইবার পুবে মদন অঙ্গ ধরিয়া নবভুবনে ফিরিত; আঞ্জ তাহারই নিকট ককুণ প্রার্থন। জানাইতেছে-_ উচ্ছ্বাসহীন প্রেমকে, প্রাণহীন প্রণয়কে স্কীবিত করিবার প্রার্থনা এসো চতুর মধুর হাসি তড়িৎসম সহসা চকিত করো বধূবে হরষে__ নবীন করো মানবঘর, ধরণী করো! বিবশ। দ্বেবতাপঙ্-সরস-পরশে কিন্ধ মন আজ কোথায়? সে তো অন-অঙ্গ। দে তো আজ বিশ্বময়, নরনাবীর হৃদয়দ্বারে, অমৃতভাবে বিরাজিত! আজ তরুণ-তরুণীরা মর্্রভেদী মায়কেএ অপেক্ষায় নাই, ইহা আজ বিশ্বব্যাপী মর্মস্তদ বেদনায় রূপ পাইয়াছে। তাই কবি লিখিতেছেন-- পঞ্চশরে দগ্ধ করে করেছ কি, সন্ন্যাসী, বিশ্বময় দিয়েছ তাবে ছড়াম্বে

এই দিন (৪ জোষ্ঠ (১৩৪) কধি কলিকাতায় ছিলেন। সেদিন চৌরপঞ্চাশিক। পরিষধন করিয়া লেখেন। রবান্-রচনাবলা ৭, পু ১৯৫ : জঙ্টলগ্ন, কঙ্জানা, রবীন্র-রচনাবলী ", প্‌ ১৩৮।

মার্জনা, কল্পনা, রবীন্-রচনাবলী ৭, পৃ ১৩২।

দ্র, কনা, রধীন্-রচনদাবলী *, প্‌ ১২৭।

মদনতল্মের পূর্বে, কঞ্সন1, রবীন্স-রচনাবলী ৭. পু ১২৯।

দদনভগ্মের পর, কলন।, রধীশ্র-নচনাধলী ৭, পৃ ১৩১।

৪৫৬ বৃবীন্ত্রজীবনী এষ্টাঝ ১৮৯৭

ব্যাকুলতর বেদনা তার বাতাসে উঠে নিশ্বাসি, অশ্রু তার আকাশে পড়ে গড়ায়ে ভরিয়া উঠে নিখিল ভব রতি-বিলাপ-সংগীতে, সকল দিক কাদিয়া উঠে আপনি। ফাগুনমাসে নিমেষ-মাঝে না জানি কার ইঙ্গিতে শিহুরি উঠি মুবছি পড়ে অবনী। আজিকে তাই বুঝিতে নারি কিষের বাজে যদ্ণ। হৃদয়বীণাযস্ত্রে মহাপুলকে ! 'মদনতম্মের পর" কবিতাটির মধ্যে রবীন্দ্রনাথ কুমারসস্তবের কাহিনীর যে অপব্প ব্যাথ্যান করিয়াছেন, তাহা কোনো সাহিত্যাচাধ ইতিপূর্বে করিয়াছিলেন বলিয়া জানি না। £জাষ্ঠের শেখ দিকে কবি শিলাইদহের বোটের 'পসারিনী”১ (২৫ জ্যেষ্ঠ ১৩০৪ ) কবিতাটি লেখেন। শান্তিনিকেতনে কয়েকপিন পুরে ব্রিষ্টলগ্ন লিখিয়াছিলেন, যেন তাহারই পরিপূরক ; সেই কবিতাটিতে যে কথাটি “মরমে মরিয়া" বলা হয় নাই, আজ 'পমারিনী'কে তাহা বলা হইল-- দাড়াও, যেয়ো না আর, লামা পসবাভার, মোবু হাতে দাও তব ভালি। অরষ্টলগ্ন পসাবিনী পর পর পড়িলেই পাঠক বুঝিবেন যে এই ছুইটি যেন যুগ্মকবিতা। কল্পনায় কুস্থম গাথিয়া, স্বপ্রে উজ্জয়িনী গড়িয়া মানসলোকে মালবিক কাব্যলোকে পমারিনী স্থষ্টি করিতেছেন, সে কবিকে কেহ দেখিতে পায় না, সে কবিও কাহাকে দেখা দেন না “কাব্যে যেমন দেখ গো কবি তেমন নয়" কবি সম্বন্ধে এযে কত-বড় সত্য কথা, তাহা তাহার জীবনী পাঠ করিলে বুঝা যায়। রবীন্দ্রনাথ উত্তরবঙ্গের জমিপারিতে নৌকাত্ম যখন থাকেন তখন তিনি অস্তরে কবি হইলেও বাহিরে জমিদার। বাস্তবজগতের ক্ক্যতা বোটের চারি দিকে অন্ধবেগে নিতা খরন্ত্রোতে ভালিয়া চলে। মানুষ তাহাকে রেহাই দেয় না, তিনিও কাহাকে রেহাই দেন না। জমিদারির কাগজপত্র দেখাশুনা, গ্ঠায়-অন্যায়ের বিচার করা, খাজনার হিসাব করা, সুদ কষা, বকেয়া আদায় দুকুব করা, প্রজার আশাবাদ অভিশাপ গ্রহণ প্রস্তুতির তরঙ্গাতিঘাত চলে জমিদাঝকে ঘিবিয়া। এ-সব কল্পনা নহে, নিকরুণ বাস্তবতা এই বাস্তবের মধ্যে জীবন যতই ডুবিতেছে, মন যেন তদৃধের্ব উঠিবার জন্ভ ততই তাহাকে অস্বীকার কৰিতেছে। স্বপ্রময় কল্পনার দীবন বান্তবময় জমিদারের জীবনের বাহিরে আছে ভাবময় দেশের কাজ বা পলিটিক্। চোটের শেষে (২৯ ভোষ্ঠ ১৩*৪। ১১ জুন ১৮৯৯) নাটোরে বঙ্গীয় প্রাদেশিক সম্মেলনের অধিবেশন কলিকাতার মফস্বলের বহু গুণী জ্ঞানী নিমস্থিত। অভ্যর্থনা সভার সভাপতি নাটোরের মহারাজা জগদিজ্নাথ রায়। ইনি রবীন্দ্রনাথ হইতে বয়সে প্রায় সাত বৎসরের ছোট (১৮৬৮-১৯২৬)। উভয়ের জমিদারি ছিল সংলগ্ন; সৌহার্দ অবশ্ পেইঞ্জন্য হয় নাই; সৌহার্দ হয় গগদিজ্রনাথের সাহিত্যের রসগ্রাহিতার জন্ত। সংগসীতশাস্ত্রে তাহার বিশেষ জ্ঞান থাকার উভয়ের মধ্যে এই বন্ধন সুদুট হয়। ১৮৯৩ সালে তিনি এস্টেটের মালিক হন সেই হুইতে উভয়ের মধো আসা-যাওয়া প্রায়ই চপিত। কবি এই মিজ্রতার নিদর্শন স্বন্ধপ মহারাজকে 'পঞ্চভৃত”ং উৎসর্গ করেন

পসারিনী, করনা, রবীন্্-রচনাবলী *, পৃ ১৩৭। পঞ্চতৃত, রবীন্্র-রচনাবলী ২, পৃ ৫৩১:৮৪*। দ্র ঈ/কালিদাস রার, রবীন্রনাগের,'পঞ্চভৃত' জরস্তী-উৎসর্গ (১৯৩১ ) পূ ২৪৮-৪৯।

ঘটা ১৮৯৭ কর্নার লুত্রপাত ৪৫৫

(১৩০৪ বৈশাখ )। জগদিজ্দ্রনাথ জধিদারশ্রেণীর লোক হইলেও স্বরেন্্নাথ বন্দোপাধ্যায় প্রমুখ রাজনৈতিক নেতাদের সর্বপ্রকার আন্দোলনের সহিত যুক্ত থাকিতেন। বাংলার ধনী জমিদারদের মধ্যে তিনিই প্রকাশ্ঠভাবে কন্গ্রেসের সদস্য হন।

জগদিজ্নাথের উৎসাহে উদ্যোগে ১৮৯৭ সালের নাটোরের বঙ্গীয় প্রাদেশিক রাস্্ীয় সম্মিলনীর অধিবেশন আহ্কৃত হইল। সম্মিলনীর মনোনীত সভাপতি সতোক্্রনাথ ঠাকুর তিনি ১৮৯৭ সালের জান্চয়ারি মাসে সিবিল সাবিস হইতে অবসর গ্রহণ করিয়া দেশে ফিরিয়়াছেন। সে যুগে রাজনৈতিক সভামমিতিতে অবসরপ্রাপ্চ সরকারী রাজকর্মচারীদের পক্ষে এভাবে যোগদান করাট| গবর্মমেণ্টের চক্ষে দুষণীয় হু নাই; কারণ তাৎকালিক রাজনীতি আবেদন-নিবেদন, অভিযোগ ক্রন্দন পর্যায়ের উদের্ধ উঠিতে পাবে নাই, আত্মশক্তি লাভেন প্রচেষ্টায় তাহার কল্পনা স্পষ্টভাবে উদ্দীপ্ত হয় নাই; সেইজন্য গবর্মমেপ্ট এইসব সভা-সমিতিকে আদৌ ভয়ের চক্ষে দেখিতেন না, বিম্ময়-কৌতুক উপভোগ করিতেন।

প্রাদেশিক সম্মিলনীকে এখন বলা হয় প্রাদেশিক বা্ুসভ] বা প্রভিন্শিয়ল কন্গ্রেস। পূর্বে ইহার অধিবেশন হত কলিকাতায় ১৮৯৫ সাল হইতে বাংলার প্রধান ধান শহবে সম্মিলন আহুত হইবার ব্যবস্থা হয়। প্রথম বৎসরে সম্মিলন হয় বহছরমপুরে, সভাপতি হন ব্যারিস্টার আনন্দমোহন বস্থু; দ্বিতীয় বত্সবরে কঞ্জনগরের সন্মিলনের সভাপতি হন পাটনার উকিল গুকপ্রসাদ সেন। তৃতীয় বখসর উহ1 নাটোরে আহত হইল-__ সভাপতি হন অবসরপ্রাপ্ত মিবিল সাভেন্ট সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর

তখনকার রাজনীতিকদের অভ্যাস বিশ্বাস -অগ্চসাবে বাষ্ট্নীতিক সম্মিলনের সকল কার্যই ইংরেজি ভাষায় পরিচালিত হইত সতোম্্রনাথ তাহার অভিভাষণ ইংরেজিতেই লেখেন। দিকে রবীন্দ্রনাথ প্রমুখ হুখকদিগের দেশের মঙ্গলকর্ষে বিদেশ ভাষার ব্যবহার অত্ান্ত বিসদৃশ বলিয়া মনে হইল। সম্মিলনীর কাজকর্ম যাহাতে বাংলা- ভাষায় পরিচালিত হয়, তাহার জন্য নবীন দল বিশেষ আগ্রহান্বিত। রবীন্দ্রনাথ তাহার জোষ্ঠের অভিভাষণ বাংলায় ত্জয়া করিয়া লইয়া] গিয়াছিলেন ইংরেজি অভিভাষণ পাঠের পর উহা সভায় পাঠ করেন। অনুবাদের ভাষ শুনিয়া কোনো-একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মস্তব্য করেন ঘে উহা “চাষাভুষা*দের বোধগম্য নহে। বাংলায় লেখা ভাষণ যদি সাধারণ বাঙালীর বোধগমা না হয় তো ইংরেজি কেমন করিয়া সাধারণের বোধগম্য হইবে, কথা প্রতিবাদীরা ভাবেন নাই। রবীন্দ্রনাথ ঠিক করিয়াছিলেন শ্বেচ্ছাসেবকগণকে ধন্তবাদ দিবার সময় তিনি তাহার মন্তবা জ্ঞাপন করিবেন। কিন্তু সে হযোগ মিলিল না। সভার দ্বিতীয় দিনে (৩০ জৈষ্ট ১৩০৪। ১২ জুন ১৮৯৭ ) বৈকালে ভীষণ ভূমিকম্পে সভার কার্য বন্ধ হইয়া গেল। প্রলয়ান্তে আর সভা বসিণ না)১ কোনোরকমে কলে কলিকাতায় ফিবিলেন।

বহু বৎসর পরে কৰি এই যুগের রাঞ্জনীতিক বাবস্থা স্মরণ করিয়া শ্রশচীন্দ্রনাথ সেনের গ্রন্থ সমালোচনা বাপদেশে লিখিয়াছিলেন--“সাধনা' পত্রিকায় রাষ্ট্রীয় বিষয়ে আমি প্রথম আলোচন! শুরু করি তাতে আমি এই কথাটার উপরেই বেশি জোর দিয়েছি তখনকার দিনে চোখ বাড়িয়ে ভিক্ষা করা, গলা মোটা করে গবনমেন্টকে জুজুর ভয় দেখানোই আমরা বীরত্ব বলে গণা করতেম। আমাদের দেশে পোলিটিকাল অধ্যবসায়ের সেই অবাস্তব ভূমিকার কথাটা আজ্দকের দিনের তরুণের! ঠিকমতো কল্পনা করতেই পারবেন না। তখনকার পলিটিক্ের সমস্ত আবেদনটাই ছিল উপরওয়ালার

১. ঘরো।য়। গ্রন্থে এই ভূমিকম্পদির অতি হুন্দর সরস বর্ণনা আছে। পৃ ৭৬-৮৩। রবীন্দ্রনাথের রাষ্রনৈতিক মত, প্রবাসী, জগ্রহাক্ণ ১৩১৬, পর ১৭১৭১! 5801)117068790) 901) ০001০41121519595 20010101700 [98016 গ্রন্থের কবি-কতৃ'ক সমালোচনা

৪৫৬ রবীজজীবনী শ্রী ১৮৯৭

কাছে, দেশের লোকের কাছে একেবায়েই না।১» লেই কারণেই প্রাদেশিক রা লশ্মিলনীতে, গ্রামাজনমণ্ডলী সভাতে, ইংরেজি ভাষায় বক্তৃতা করাকে কেউ অসংগত বলে মনে করতেই পারতেন না। রাজশাহী সম্মিলনীতে নাটোরের পরলোকগত মহারাজা জগদিন্দ্রনাথের সঙ্গে চক্রান্ত করে সভায় বাংল! ভাষ প্রবর্তন করবার প্রথম চেষ্াী যখন করি, তখন উমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় গুভূতি তৎমলাময়িক রাষ্ট্রনেতারা আমার প্রতি একান্ত ক্রুদ্ধ হয়ে কঠোর বিদ্রপ ' করেছিলেন! বিদ্রুপ বাধা আমার জীবনের সকল কর্মেই আমি প্রচুর পরিমাণেই পেয়েছি, এক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয় নি। পর বংসরে কুগ্ণ শরীর নিয়ে ঢাকা কন্ফারেক্সেও আমাকে এই চেষ্টায় প্রবৃত্ত হতে হয়েছিল আমার এই স্থষ্টিছাড়া উৎসাহ উপলক্ষে তখন এমনতরো একটা কানাকানি উঠেছিল ঘে, ইংরেজি ভাষায় আমার দখল নেই বলেই বাষ্নভার মতো অজায়গায় আমি বাংলা চালাবার উদ্ভোগ করেছি। বাঙালির ছেলের পক্ষে যে গালি সব চেয়ে লজ্জার সেইটেই সেদিন আমার প্রতি প্রয়োগ কর! হয়েছিল, অর্থাৎ ইংরেঞ্জি আমি জানি নে। এত বড়ো ছুঃসহ লাঙ্ছনা আমি নীরবে সহা করেছিলুম তার একটা কারণ, ইংরেজি ভাষা শিক্ষায় বালাকাল থেকে আমিঞ্গাতাই অবহেলা করেছি, দ্বিতীয় কারণ, পিতৃদেবের শাসনে তখনকার দিনেও আমাদের পরিবারে পরম্পর পত্র লেখা প্রভৃতি ব্যাপারে ইংরেজি ভাষা বাবহার অপমানজনক বলে গণ্য হত।” বোধ হয় নাটোরের বাপারের পর মনের গ্লানি যেন দুব করিতে চাহিয়াছিলেন “ভিক্ষায়াং নৈব নৈব লিখিয়া ।২ যে তোমারে দুরে রাখি নিতা স্বণা করে, হে মোর স্বদেশ, মোর! তারি কাছে ফিরি সম্মানের তরে পরি তারি বেশ।

নাটোরে প্রারৃতিক ছুর্ধোগে প্রাদেশিক সম্মেলনের অধিবেশন বদ্ধ হয়া গেলে আধাঢ (১৩০৪) সালের গোড়ায় রবীক্রনাথ কলিকাতায় ফিরিয়া আমিলেন। আষাঢ় মাসের কোনো স-তারিখ রচনা চোখে পড়ে না, কোনো সমকলীন পরও নাই।

যাহা হউক শ্রাবণ ( ১৩৪) মাসের গোড়াতেই কবিকে কপিকাতাঘ় দেখিতভেছি জগদীশচন্দ্র বসু সম্বন্ধে একটি কবিতা লেখেন শ্রাবিণ (১৯ জুলাই ১৮৯৭ )। জগদীশচন্দ্র বিলাতে তাহার গবেষণার জন্য সম্মানিত হইঘ্াছেন এই সংবাদে উৎফুল্ল হইয়া কবি কবিতা লিখিলেন_-*

ডু. কলিকাতা কনগ্রেসে (১৮৯৭) সঙ্গাপপঠি রছমতুত সিয়ানী বলেন, "71156 0৮1 10608170655 1500 15701656170 60 0৮০9৮ 6117177616 001 16850179016 £116৮87065 820 0০011010921 01891111165 29170 09117201011,” ২. “ভিক্ষায়াং নৈব নৈব চ" কল্পনা, রবীন্্র-রচনাবলী ৭, পু ১৪৭। ৩. 'কলপনা' কাব্যপণ্ডে 'জগদীশচস্ বহু শর্বক' কবিতা ১৩০৪ সালে লিগিত জানা ঘায়। শ্রাবণ ১৩৪ [১৯ জুলাই ১৮৯৭ ]। ইহার তিন বংলর পরে গ্বানী বিবেকাশন্ম প্যাপ্রিস প্রদর্শনীতে জপদীশচল্রোর প্রশস্তি করেন জ. শিরিজাশংকর রায়চৌধুরী, অরবিঙ্গ বাংলার স্বদেশী যুগ, পু ২৯১। তবে এই শ্রাবণ ১৩০৪ তাঁরিপে পানখেয়ালি সঙ্গার সান্ধ্য অধিবেশন ছিল রেটে লিপিয়। যে কবিতাটি সদন্চদের ধাড়িতে দেখিবার জঞ্ত প্রেরিত হয়। নেটি উপপৃত করিলাম অবনীকনাপ বলেন 'রবিকাক! প্রত্যেক বারে কবিত! লিখে দিতেন ।' এতম্বার! নোটিফিকেশন থারখেয়ালীর অধিবেশন চৌঠ! আবণ শুভ সোমবার [ ১৩৪ ] জোড়াসীকে] গলি নম্বার।

খ্রীাক ১৮৯৭ কল্পনার শৃত্রপাত ৪৫৭

বিজ্ঞানলক্্ীর প্রিক্ন পশ্চিমমন্দিরে | দুর সিন্ধুতীরে হে বন্ধু, গিয়েছ তুমি ; জয়মাল্যখানি / সেথা হতে আনি দীনহীনা জননীর লজ্জানত শিরে / পরায়েছ ধীবে। বিদেশে বাঙালিদের এই প্রথম বিজ্ঞানক্ষেত্রে জয়মাল্য লাভ-_ তাই কবির এই অভিনন্দন বাণী সেইদিন রিপন কলেজের বিজ্ঞান-অধ্যাপক বরামেজ্ঙ্থন্দর জ্িবেদীকে (৩৩) রবীন্দ্রনাথ খামখেয়ালী মভার সান্ধাভোছ্ে* নিমন্ত্রণ করেন আলাপ-আলোচনার জন্ত আমাদের মনে হয় জগদীশচন্দ্র সঙ্থন্ধে কবিতাটি শোনানো! এবং বিজ্ঞান বিষয়ে আলোচনার জন্য তাহাকে বিশেষভাবে আমন্ত্রণ করা। আযাঢ শ্রাবণ ভাদ্র মাসের অর্ধেকটা ( ১৩০৪ ) বোধ হজ্ব কলিকাতায় স্ত্রীপু্ধ কল্তা লইয়া কাটাইয়া ভাদ্র মাদের শেষভাগে কোনো! সময়ে কবিকে উত্তরবঙ্গে নদীপথে নৌকাদ্প চলিতে দেখিতে পাইতেছি। আবার প্রাণে বিডিজ্ গানের জোয়ার নামিয়াছে। এই ধারায় প্রথম গানটি কি কলিকাতা হইতে বাহির হইবার মুখে রচিত ? 'কেন ধরে রাখা, যে যাবে চলে" (গীতবিতান, পৃ ৩৬৭ ) গানটি পাঠ করিয়া পাঠকরাই ব্যাখ্যা করিতে পারেন। এসো, প্রাণপণ হাসিমুখে বলো যাও সখা! থাকো সুখে ডেকো! না, রেখো না আখিজলে 1” নদীপথে চলিয়াছেন, ২৮ ভাদ্র পিখিলেন-__ বুথ! গেষেছি বহু গান। (গ্লীতবিতান, পৃ ৮৯৩) দশ বংসর পূর্বে রচিত তবু মনে বেখো" (মানসী ) গানটির কথা স্বরণ করিয়া! দিতেছে আজকার গানে সে স্থর তো ধ্বনিছে না বিরহানন্দও অপরূপ মাধূর্যষণ্ডিত হইয়! উঠিতেছে না আজকার গানের কি ভাষা-_ আলসে তৃমি অচেতন, আমারে দহে অপমান ।- বৃথা গেয়েছি বহু গান একি জীবনদেবতা, কবিমানপী না আরো যাহ্াকে নিবিড়ভাবে পাইতে চাছেন__ অথচ পাইতেছেন না-_ তাহার জন্য আক্ষোত! পরের গানটি বিশুদ্ব আনন্দের গানই বলিব-_ 'কেন বাজাও কাকন কনকন কত ছলভবে'_ ( গীতবিতান, পূ ৩১৯) নদীপথের চিস্ব কৰি বছুবার পত্রধারাম্্ অস্কিত১ করিয়াছেন আপন মনে বিষাদ স্্টি করিয়া পরিবেশ রচনা করিয়া কবিতা লেখেন, গান গাহেন। রবীন্দ্রনাথ কবিদের সহিত উম্মাদের মিল কোথায় তাহা! একদিন ছিন্গপত্ত্রাবলীর একপত্রে আলোচনা করিয়াছিলেন। বিচিত্র সাঙ্গ কবিদ্বের-_ তাই কবি আপনাকে “বিচিন্রের দৃত, বলিয়া আখ্যাত করেন।

ঠিক ঘড়ি ধরা রাত সাড়ে সাত

সতাপ্রসাদদ কছে জোড়ছাত।

খিনি রাজী আর ধিনি গররাজী

অনুগ্রন্থ কয়ে লিখে দেন আজই এই পামখেদালির সভার রামেপ্রহুজ্খর বিশেধভাবে নিষক্ট্রিত ছন। “অগ্চ রাজ সাড়ে সাত ঘটিকায় সময় আাষাদের জোড়াসীকোর বাচিতে উপস্থিত হইয়া] আঞার আলাপ করিলে বড় সুখী হইব ।-.. আমাদের ভোজট। হিন্দু-ফুসলমানী ।” জর বজবানী, ফান্তন ১৩৩৩, পূ ১। ফেমেজ্সনাথ ঠাকুরের 'প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের স্লম্ধ' প্রস্থখানি ভূষিকাসহ রামের বৈশাখ মাসে (১৮৯৭) প্রকাশ করেন; সে-সন্বন্ধে হয়তো! আহলাচনার উদ্ধেষ্তা ছিল ও. জজেজনাথ বল্োপাখায় : রাষেজনুঞ্খর ভিবেদী, লাহিতা সাধক রিতষালা-৭*। সমীর পুথি আছে : 'বৃথ। গেয়েক্ি কড় গান' (২৮ তাস )ও 'ছেরি নবীন স্ঠামল ছন' (৬ আখ্বিন )। ড়

৪৫৮ ববীজ্জীবনী এষ্টাক ১৮৯৭

ইছামতী নদীর উপর নৌকায় ভাসিয়া চলিয়াছেন। লিখিলেন (৬ আশ্বিন ১৩৪) 'নববিরহ' গান__ হেরিয়া শ্তামল ঘননীল গগনে সজল কাজল জাখি পড়িল মনে ।১ পরদিন যমুনা নদীতে : লিখিলেন 'লঙ্জিতা”২-_ 'যামিনী না যেতে জাগালে না কেন'__ একেবারে বৈষ্বীয় গান, গীতগোবিন্দের কুঞ্ত হইতে নির্গত! রাধার কথা! এই দিনেই (৭ আশ্থিন) দুইটি কবিতা রচিত হয় “বিদায়'* “হতভাগ্যের গান'*। প্রথমটি খুব স্থপরিচিত, কারণ একদিন এই কবিতার পঙক্তি আবৃত্তি করিয় বাংলার যুবকরা দেশের জন্ত সর্তত্যাগী হইয়াছিল-_ এবার চলি তবে। সময় হয়েছে নিকট, এখন ! বাধন ছি-ড়িতে হবে। তাহারা বলিয়াছিল-_ বিশ্বজগৎ আমারে মাগিলে ! কে মোর আত্মপর ! আমার বিধাতা আমাতে জাগিলে ' কোথায় আমার ঘর! এই কবিতা-গানের সুরেই হুতভাগ্য' বলিয়াছিল-_ কিসের তরে অশ্রু ঝরে / কিসের লাগি দীর্ঘশ্বাস! হাশ্তমুখে অদৃষ্টেরে / করব মোরা পরিহান। রিক্ত যার! সর্বহারা সর্বজয়ী বিশ্বে তারা, গবময়ী ভাগাদেবীর | নয়কে। তারা ক্রীতদাস। হাস্তমুখে অনৃষ্টেরে করব মোরা পরিহাস। পরদিন (৮ আশ্বিন ১৩০৪ ) সাজাদপুরের ঘাটে আসিয়াছেন ; বোটেই আছেন। লিখিলেন 'যাচনা”* _-ধলেশ্বরী নদীতে নৌকা চলিতেছে__ “আমি কেবলি স্বপন করেছি বপন বাতাসে'-( কাল্পনিক )।* সাজাদপুরের অদূরে তখন বিলের মধ্যে ঝড় উঠিয়াছে, বোট টল্যল করিতেছে; রবীন্দ্রনাথ গান ধরিলেন-_ যদি বারণ কর। তবে. গাহিব না। যদি শরম লাগে, মুখে চাছিব না।" সন্ধ্যার মুখেও ঝড় থামিল না__ “মানস-প্রতিমা"র উদ্দেশ্যে গাহিলেন-__ তুমি সন্ধ্যার মেঘ শান্ত সদর আমার সাধের সাধনা, যম শুন্ত গগন-বিহাপী ।৮ নববিরহ, কল্পনা, রবীক্্-রচনাবলী ৭, পৃ ১৬০। শীঠাবতান, পূ ৪৪*। লঙ্ভিতা, কল্পনা, রবীন রচনাবলী ৭, পূ ১৬৩। বিদায়, প্রদীপ, বৈশাখ ১৩৫, কল্পনা, রবীস্ব-রচন[বগী ৭, পূ ১৬*। গীতবিতান, পৃ ৭৮৬1 হতভাগোর গান, কনা, রবীশ্র-রচনাবলী ৭, পু ১৪৮। রুতনিতান, পু ৭৮৭। «€ বাচনা, ভালোবেসে সণা নিতে হতনে", কী্ঠনের চর, কক্জনা, রবীজ্র-রচনাবলী *, ১৭৯। ঈীতবিহান, পূ ২৮৩। কাল্লনিক, কঞ্না, রবীক্স-রচনাবলী ৭, পূ ১৬৪। গীচবিতান, পূ «৭৩ সংকোচ, কল্পনা, রৰীন্র-রচনাবলী ৭, পূ :৬৫। গীতবিতান, পূ ৩১৯। মানন প্রতিমা, কল্পনা, রবীন্্বরচনাবলী: ৭, পু ১৬৪ | বীহবিতান, পু ২৮ | টুতবিতাঁন ৮৯৪ পষ্ঠায় আর এক পাঠ আছে; সেটি বীণাব।দিনী, সর্ট ১৩০৫ সংপা হইতে সংকলিত। ইন্দিরাএদবীর 'গানের বন্ছি'র শেষে এই পাঠ কধির হল্টাক্ষয়ে লিখিত ভ্র. সীতবিহাদ: গ্রন্থপরিচয় পৃ ৯৯৭।

ধীষাব ১৮৯৭ কল্পনার সূত্রপাত 8৫2

নাগর নদী চারি দিকে বরধায় প্লাবিত; নৌকা চললিয়াছে ধানক্ষেতের উপর দিয়া। কৰি এখনো গানের ঘোরে আছেন, সেইদিনও (১০ আশ্বিন ) ঝড়বৃষ্টি থামে নাই; কৰি লিখিলেন-__ “বিধি ডাগর আখি যদি দিয়েছিল”১ কল্পনার “প্রার্থী কবিতা-গান-_ “আমি চাহিতে এসেছি শুধু একখানি মালা” এবং করনা কাবোর “সকরুপা”১। সেই দিনই লেখেন গান-_ “বধু, মিছে রাগ কোরো না* তখন পতিসর পৌছিয়া গেছেন। পতিসবে বাঁসকালে কল্পনার একটি কবিতা-গান 'ভিখারি'« রচনা করেন (১২ আশ্বিন ১৩৯৪ )। পরদিন কলিকাতায় ফিরিতেছেন, কুষ্টিয়া হইতে রেলপথে এবারকার শেষ বচনা_ 'প্রণয়প্রশ্া» (১৩ আশ্বিন ১৩*৪)। 'জীবনদেব্ভা, কবিতাটি পুনরায় পাঠ করিয়া, পাঠকরা যেন 'প্রণয়গ্রশ্ন' কবেন__ “একি ভবে সবি সত্য ।' তোমার প্রণয় যুগে যুগে মোর লাগিস্থা। জগতে জগতে ফিরিতেছিল কি জাগিয়া / একি সত্য?

গানের পালা শেষ হইলে শুরু হইল গল্প-বলার পালা তবে গল্প গগ্ে বলা হইল না-_ গল্পধার] বূপ লইল ছন্দে, নাট্যকাব্যে, গাথারূপে। কবি ১৩ আশ্বিন (১৩৯৪) কলিকাতায় ফিরিয়া জোড়াসাকোর বাড়িতে আছেন। হাতের কাছে রাজেন্দজলাল মিত্রের সংস্কৃত-বৌদ্ধ সাহিত্যের ইতিহাস্‌ হইতে গল্পের উপাদান সংগৃহীত হইল; লিখিলেন “শ্রেষ্ঠ ভিক্ষা” (৫ কাতিক ১৩০৪) পরদিনের কবিতাটির গল্প পাইলেন আক এয়ার্থ সাহেব অনূদিত মারাঠি গাথার ভূষিকা হইতে; কবিতাটির নাম প্রতিনিধি (৬ কার্তিক ১৩*৪)। ইহার পর "গান্ধারীর আবেদন" “পতিতা? (৯ কার্তিক ১৩০৪ ) লেখেন-_ ইহাদের উৎস যথাক্রযে মহাভারত রামায়ণ। পতিতার পর “ভাষা ছন্দ' নামে যে কবিত। পিখিত হয়, তাহাও রামায়ণ কেন্দ্রিক “দেবতার গ্রাস” (১৩ কাত্তিক ১৩৯৪) স্থানীয় গল্প শুনিয়া বচিত; সতী (২০ কাতিক ১৩০৪) নাট্যকাবোর উৎস মারাঠি ব্যালাড বা গাথা, মস্তক-বিক্রয়ের (২১ কাতিক ১৩*৪ ) উপান্গান বাজেজ্জলাল মিজ্ের গ্রন্থ

তার পর কয়েকদিনের ব্যবধানে “নরকবাপ” (৭ অগ্রহায়ণ ১৩৪) এবং লক্ষ্মীর পরীক্ষা (২৯ অগ্রহায়ণ ১৩০৪ ) রচিত হয়। শেষ দুইটি নাট্যকাব্য শান্তিনিকেতন বাসকালে বচিত। নাটাকাবাগুলি 'ভাষা ছন্দ” পতিতা" একত্র করিয়া ১৩*৬ সালে পুস্তক মুদ্রিত হয়। তৎপৃবে কবিতা বা গাথাগুলি একত্র করিয়া “কথা? গ্রন্থ গ্রকাশিত হয়। কিন্তু বিশ্বভারতী পর্বে নাট্যকাবা 'কাহিনী” নামে গাথা কবিতাগুলি “কথা” নামে মুদ্রণকালে “পতিতা” “ভাষা ছন্গ' (যে দুইটি কাহিনীর অন্তর্গত ছিল ) কোথাও স্থান না পাওয়ায়, রবীন্্র-রচনাবলীতে তাহাবা নিকদ্ছিষ্ট থাকিম্না গেল সৌভাগাক্রমে পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রকাশিত রবীন্দ্র-রচনাবলীর (৩ পরিশিষ্ট। পতিতা, পূ ৯*৭, ভাষ! ছন্দ, পূ ৯১৪ ) মধ্যে তাহারা স্থান লাভ করিয়াছে

১৩০৮ সালে বোধ হয় মন্ুমদার লাইব্রেরি কর্ণওয়ালিস স্ত্রীটে স্থাপিত হইবার পর কোনো এক সময়ে বৃবীন্্রনাথ তথাকার 'আলোচন! সভা'র সদস্যদের অহুরোধে 'পতিতা" কবিতাটি আবৃত্তি করেন। চারচন্জ্র বন্দ্যোপাধ্যায় সেইদিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন, তখনো কবির সঙ্গে তাহার পরিচয় হয় নাই। তিনি আবৃত্তির পূর্বে ভূমিকায় পতিতার নিছিতার্থ ব্যাখ্যা! করিয়া! বলেন :

বিধি ডাগর আখি, গীতবিতান, ৮৯৪

প্রা, ক্জানা। রযীন্রা-রচনাবলী ৭, পৃ ১৬৬। গীতবিতান, পৃ ২৯৩।

সকরণা, কল্সনা, রবীশ্ত-রচনাবলী ৭, পৃ ১৬৭। গীতবিতান, পূ ২৬. নৃতানাটা মায়ার খেলায় চার পও.ক্তি গুহীত হয়। গীতবিতান, পৃ »১৪। বধূ; মিছে রাগ কোরে। না, 9তবিতান, পূ ৮৯৪৫

& ভিখারি, কজ্সন!, রবীন্দ্-রচনাবলী ৭, পূ ১৫৮। গীতবিতান, পৃ ২৮৪।

প্রণরপ্রশ্থ। কানা, রবীন্র-য়চলাধলী ৭, পু ১৪*। গীতবিতান, প্‌ 4৮৬। ইত্য়ান পাবলিশিং হাউন প্রকাশিত 'কথ। কাছিনী' গ্রন্থে পতিতা, তাষ! ছন্দ বহুকাল মুদ্রিত হইত।

৪৬৬ ববীন্জীবনী খ্ীষ্টাবক ১৮৯৭

“আমি এই কবিতায় বলিতে চাহিয়াছি যে-_ রমণী পুষ্পতুল্য__ তাহাকে তোগে বা পূজায় তুল্যভাবে নিয়োগ করা যাইতে পারে ।” কবির মতে, নিয়োগ-কর্তারই মনের কাদর্ধতা বা পবিজ্রতা প্রকাশ পায় মাত্র। “পতিতার নারীত্তের পূজারী এতঙ্দিন কেহ ছিল না, খষিকুমার তাহার প্রথম পূজারী হইয়। তাহাকে তাহার নারীত্বের সহিত প্রথম পরিচিত করিয়া দিলেন। সদ্‌গুণ সেই পর্যস্ত নিষ্িয় যে পর্যন্ত না ভাবের ভাবুক আসিয়া তাহার উপাসন!

করে। শক্কিমানের পূজা না পাইলে শক্তি জাগ্রত হয় না।”

কাহিনী: নাট্যকাব্য

বাংল! সাহিতো নাট্যকাবা রবীন্দ্রনাথের একচি নৃতন স্ত্ি। এগ্খলিকে চ:৪৪108 1019102 বলা যাইতে পারে, কারণ ইহাদের মধ্যে নাটকীয় গুণ স্বল্প, লিরিসিজিম্ই প্রবল আমাদের মনে হয় রবার্ট ব্রাউনিঙের নাটকের লছিত এগুলির সাদৃশ্ট পাওয়া যায় ।.»এই রচনার মধো ব্রাউনিঙের প্রেরণা ছিল ব্লিলে কবিকে ছোট করা হইবে না। এই শ্রেণীর প্রথম নাট্যকাব্য প্ররুতির প্রতিশোধ (১২৯১ )। তার পর লেখেন চিত্রাঙ্গদা (১২৯৮ ), বিদায় অভিশাপ (১৩০১) মালিনী (১৩০৩)। মোহিতচন্্র সেন সম্পাদিত কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত নাট্যকাব্য-সংগ্রছে তিনি প্রকৃতির প্রতিশোধ'কে পৃথকভাবে শ্রেণীত্ব করেন। কারণ ষথাভাবে উহা নাটক নহে, নাট্যফাব্য৪ নহে। কাচা কাব্য হিসাবে তত্বের দিক হইতে পাকাকথা থাকা সত্বেও উহা সাহিত্যের বড় আমন পায় নাই এই নাটাকাবাগুলির মধ্যে "গাস্ধারীর আবেদন” 'সতী', 'নরকবাপ' এক শ্রেণীর রচনা ; সম্পূর্ণ পৃথক শ্রেণীর নাটিকা

“লক্ষ্মীর পরী ক্ষা'। লক্ষ্মীর পরীক্ষার ভাষা ভঙ্গি তাহার সকল নাটক নাটাকাবোর ভাষা বীতি হইতে সম্পূর্ণ পৃথক, ইহার ভাষ!] সবুজ, বলিবার ভঙ্ষি সুবস, বিষয়টিও আনন্দোজ্ছল হাশ্যকৌতৃকপূর্ণ। বিষয়ের গুরুত্ব অনুযায়ী ভাষার ছন্দের পরিবর্তন হয়। এই ভাষায় গান্ধারীর আবেদন লিখিলে তাহ] অপাঠা হইত ম্থতরাং ভাবা ছন্দ "ভাবের মধ্যে যে একটি সংগতি আছে তাহা এই নাটাকাবাগুলি আলোচনা করিপে স্পষ্টতর হয়। ভাষা ছন্দের কথা যখন উঠিল তখন নাটাকাবাগুলির আলোচনার পূর্বে কবির “ভাষা ছন্দ'ৎ কবিতাটি সম্বন্ধেই আলোচনা করা অপ্রাসঙ্গিক হইবে না। এই কবিতায় একটি বড় সত্যের বাখা! আছে, তাহা হছইতেছে-_ যাহা ঘটে, তাহ সতা নহে, যাহা কবি সৃষ্টি করেন তাহাই সত্য।

নারদ কহিলা হাসি, সেই লতা যা রচিবে তমি

ঘটে যা তা সব সত্য নহে কবি, তব মলোতূষি

বামের জনম স্থান, অযোধ্যার চেয়ে সতা জেনে রবীন্দ্রনাথ পৌরাণিক কাহিনী লইয়া নাটা রচনা করিতেছেন, প্রশ্ন উঠিতে পারে মহাভারতের বা পুরাণের উপাখানের সহিত কবি-রচিত আখ্যানভাগের মিল পাএয়া যায় না কবি তাহারই উত্তর যেন পূ হইতে এই কবিভার মধ্য দিয়া বলিয়! বাখিলেন__ “সেই সত্য, যা বচিবে তুমি?

এই কথার সমর্থনে কিষ্ণচরিআর সমালোচনায় রবীন্দ্রনাথ যাহা পরিখিক্লাছিলেন, তাহ উদ্ধত করিলে বিষয়টি ম্পষ্টাতর

হইবে। “তথ্য, যাহাকে ইংরেজিতে ফ্যাক্ট কহে, সতা তদপেক্ষা অনেক ব্যাপক | এই তথাত্ুপ হইতে যুক্তি এবং কল্পানা- বলে সভাকে উদ্ধার করিয়া লইতে হুয়। অনেক সময় ইতিহাসে শুক ইন্ধনের স্যায় রাশীকৃত তথ্য পাওয়া যাইতে পারে, চারুচন্্র বল্যোপাধ্যায়, রবি-রশ্শি, উত্তর ভাগ, পৃ ৪৯১.৬৩। তাষা ছন্দ, ভারতী, ভাজ ১১০৫, পৃ. ৪১১-১৬। দ্র" কাছিনী, রবীল্-রচনাফলী ৫, পূ ৯৩-৯৭।

এষ্টাব ১৮৯৭ কাহিনী : নাট্যকাব্য ৪৬১

কিন্তু সত্য কবির প্রতিভাবল্গে কাব্যেই উদ্ভালিত হইয়া! উঠে১..' ফভ [£০৭০] সাহেব বলিয়াছেন। “সেই কারণেই কবি সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ এতিহাপিক ।:"" মহৎ ব্যক্তির কার্ধবিবরণ কেবল তথ্যমাত্র, তাহার মহত্বটাই সত্য; সেই সত্যটি পাঠকের মনে উদ্দিত কবিষ়া দিতে এতিহানিকেরু গবেষণা অপেক্ষা! কবি-গ্রতিভার আবশ্বকতা অধিক |, ভাষা ছন্দে কবিদের সাহিত্যস্থঙির যে অধিকার নারদ বাল্মীকিকে দিয্লাছিলেন, তাহ! কবির নিজ রচনাস্ষ্টির সমর্থনে কৈফিয়ৎ | তিনি রামায়ণোলিখিত খহ্যশৃঙ্গ-উপাখ্যান লইয়। 'পতিতা” মহাভারত-বপিত গাদ্ধারীর জীবনী লইয়! 'গান্ধারীর আবেদন রচনা করিলেন বটে, তবে সেগুলি পরম্পরাগত আখ্যান হইতে পৃথক, নিজ কর্পনাপ্রস্থত আখ্যান; কল্পনার যুগেরই উপযুক্ত কাব্য। একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এখানে বলিতেছি। সাধারণ ব্রাক্মদমাজভুক্ত বিশিষ্ট কর্মী অধ্যাপক ধীরেনুচন্্ চৌধুরী 17 56210) 16585 নামে এক স্থ্বৃহৎ গ্রন্থ রচনা করিয়া এতিহা!সক যীখ্ুগ্রাষ্ট যে অলীক কল্পনা, তাহাই এক শ্রেণীর পাশ্চাতা পণ্ডিতদের বহু গ্রন্থ হইতে সংকলন করিয়া প্রমাণ করেন। রবীন্দ্রনাথের সহিত সাক্ষাৎ করিতে আমিলে কবি তাহাকে বলেন যে, ইতিহাসে তাহাই সতা যাহা মানুষ নিজের অভিজ্ঞত1 বা বোধ হইতে স্ত্টি করিয়াছে যীশ্ড ছিলেন কি না সেগ্রন্ন সত্য নহে; কথা নিশ্চিত যে যীন্ুখ্রী্ট বন্ধ মানবের অন্তরে স্থান পাইয়াছেন। যীশুর মহতই মানব-হাদয়ে স্প্রতিষ্ঠ ।২

প্রথম তিনটি নাট্যকাব্যে রবীন্দ্রনাথ ধে কথাটি পরিস্ফুট করিয়াছেন তাহা হইতেছে তাহার নিজের ধর্মবোধের কথা। লোকধর্ম বাজধর্ম ব্যবহারিকধর্ম মোক্ষধর্ম প্রভৃতি নানাকোঠায় মানুষ মানবধর্মকে ভাগ করিয়া সত্যধর্জের মধো বিরোধ কল্পনা] করিয়া সংমারধাজা নির্বাহ কবিতেছে। বাজধর্ম নিঃসংকোচে লোকধর্মকে অবমাননা করিতে পাবে, মোক্ষধর্ম মানবধর্মকে অনায়াসে লাঞ্চনা করিতে পাবে মানবের শাশ্বত ধর্ম, নিত্য ধর্ম তোর উপর প্রতিষ্ঠিত; সে সত্য লোকাচার রাজধর্মের তত্র এমন-কি মোক্ষধর্মেরও উপরে গগান্ধারীব আবেদন' দুর্ধযোধন বাজধর্মের নিকট লোক- ধর্মকে বলি দিয়া গর্ব করিতেছেন। গাদ্ধারী সত্যধর্মের পূজারী; তাহার কাছে ত্ধর্ম নহে সম্পদের হেতু, নহে সে সখের ক্ষুদ্র সেতু, ধর্মেই ধর্মের শেষ! সকল ধর্মের উপর মানবধর্ম ; আচারের ধর্ম হইতে প্রেমের ধর্ম মহৎ? সংস্কারের ধর্ম হইতে মাহধের সহজ্ধর্ম শ্রেষ্ঠ প্রচলিত সত্যাসত্য, লৌকিক ধর্মাধর্মের সহিত তিনি শাশ্বত সত্যের আপস করিতে রাজি নহেন; সত্যকে অথগওভাবে গ্রহণই মাহুষের ধর্ম। এই নাট্যে বৰীশ্দরনাথ সেই অখণ্ড সত্যই যে মানবের সত্যধর্ম এই তবটি অতুলনীয় ভাষায় নাটকীম্মভাবে প্রকাশ করিয়াছেন।

সতী" নাট্টি মিস্‌ ম্যানিং-সম্পাদিত স্ভাশনাল ইঙিয়ান আসোসিয়েশনের পত্রিকায় মারাঠিগাথা সম্ধদ্ধে আযাক্ওয়ার্থ সাহেব বচিত প্রবন্ধবিশেষে বণিত ঘটনা হইতে সংগৃহীত। এই মারাঠিগাথার গল্পে বিনায়ক রাঁও-এর কন্তা অমাবাঈ নাটোর নায়িকা অযাবাঈ কোনো মুসলমানকে ভালোবাসিয়া তাহাকে বিবাহ করে। অমাবাঈ-এর মাতা গ্্েচ্ছের সঙ্গে কনার এই বিবাহকে অস্বীকার করিয়া কন্তার বিকদ্ধে সংগ্রাম ঘোষণা করেন। যুদ্ধে অমাবাঈ-এর যবন স্বামী নিছত হয়। বিনায়ক শ্বহস্তে তাহাকে বধ করেন। পিতা কন্তাকে তাহার যবনওরসজাত শিশুপুত্র ত্যাগ করিয়া চলিয়! আসিবার জন্ত বলিলেন; তাহার পতি পুত্র বিনায়কের চক্ষে মিথা! পাপ মাত্র, তাহাদিগকে ভুলিলেই ভালো, ভুলিলেই তাহার মুক্তি। জীবাজী ছিল অমাবাঈ-এর বাক্দত্ত। সেও সেই রাজের যুদ্ধে প্রাণ দিয়াছিল। বিনায়ক বলিলেন জীবাজী তাহার পতি, যবন পতি নছে। ইছার উত্তরে অমাবাঈ বলিল-__

১:13186015 81661 ৪1] 15 06 0০৫ 0০60০ বলিরাছেন কালাইল, বস্ওয়েলের জনসন-জীষনীর সমালোচনায় এই আলোচনাকালে জীবনীলেখক উপস্থিত ছিলেন; সেই শ্বতি হইতে ইহ লিখিত হইল ভর. 4১. 5০0%/61021এর 131500110 10595 নাষে গ্রন্থের শেধাংশ।

৪৬২ রবীন্্রীবনী খরী্াঝ ১৮৯৭

তব ধর্ম-কাছে পতিত হয়েছি, তবু, মম ধর্ম আছে সমুক্্ধল | পত্রী আমি, হি সেবাদাসী 1... দয় 'অর্পণ করেছিমু বীরপদে 1 যবন ব্রাহ্মণ সেভের কাহার ভেদ? ধের পে নয়। অশ্থবের অস্তধামী যেথা জেগে রয় সেধায় সমান দোহে। প্রেম মানবের ধর্ম; ইহা শাশ্বত ধর্ম_ লৌকিক ধন নহে লৌকিক ধর্ষে প্রেম জাতি বর্ণ বিচার কবে। তাই মাঙগষের রচিত ধর্মান্ুসারে অযাবাঈ জীবাজীর পত্রী যবনের নহে তাহাকে মুসলমানের হাত হইতে উদ্ধার করিয়া জীবাজীর মুতদেহের সহিত সহমৃতা করা হইল 1 মমাবাঈ প্রার্থনা করিল- তব নিভাধমে করো জয়ী ক্ষুদ্র ধর্ম হতে। অমাবাঈ ষখার্থ সতী; কিন্তু ভাতার মাতা কন্বাকে পরপুরুষের সঙ্গে দাহ করিয়া সতীধর্সের জয় ঘোষণা করিপেন। প্রেম নিভা ) সেই নিতাধম ক্ষুদ্র করিলেন প্রেম শিতা) লিতাধর্ম ক্ষুদ্র আচারুধমের নিকট অপমানিত হইল। ধর্ম কুষঠিত। র্বীন্নাথ আচারধর্মবিুরোধা, ভিনি মানবের স্তাধর্য। নিভাধর্ষের বিশ্বাসী | তৃতীয় নাট্য 'নরকপাস”। এখানে সেই মহান স্থবটি পাহ | পিতাপুত্রের সন্ধ নিতা সভা, যেমন লত্য স্বামী-স্ত্রীর নিত্যসম্বদ্ধ বাজা সোমক ক্ষতরিয়ের ধর্ম রক্ষা করিতে গিয়া পিতৃধর্ম পালনে বিরত নিজ পুত্রকে যজ্ঞ আহুতি দিয়া মহাপুণ্য অর্জন করিয়া স্বগে চলিয়াছেন। তিনি ক্ষত্রিয়ের অন্যতম ধর্ম বাকা রক্ষা, তাহা পালন করিয়! যশস্বী। লৌকিক ধর্মের আদশে তিনি পুণাস্মা! ম্বগের পথে ধত্তিকের সহিত তাহার সাক্ষাৎ নরকে খত্তিককে দেখিয়া রাজার চেতনা হইল। তিনি পুণালোভাতুর হইয়া নিজের নিষ্পাপ পুত্রকে দগ্ধ করিয়াছিলেন, এই কথা মনে জাগিল তিনি ধর্মকে বলিলেন, খন্বিক যে পাপে পাপী তিনিই তো মেই অপরাধে অপরাধী; তা ছাড়া পিতাপুত্রের নিতা সত্য সম্বন্ধকে তিনি আঘাত করিয়াছেন, তাহার স্বর্গে যাইবার অধিকার নাই। যে'লৌকিক ধর্ম তাহাকে গৌরব দান করিতেছিল তিনি তাহা প্রত্যাখ্যান করিয়া স্বয়ং নরকবান করিয়া প্রায়শ্চিত্ত করিপেন। লৌকিক ধর্ম অপেক্ষা মানুষের “মনুত্যত্ব- ধর্ম” শ্রেষ্ঠ সেই কথা লেখক ঠাহার এই নাট্যকাবো৪ দেখাইলেন। যদিও ছুই বৎসর পরে রচিত, তবুও এই নাটাগুলির নহিত একই ভাবে যুক্ত 'কর্ণকুন্তীসংবাদ'। কর্ণ যেবিদ্রোহী তাহার কারণ কুন্ঠী ঠাহার আদিম মাতৃত্ধর্ম পালন করিতে পাবেন নাহ, লোকভয়ে সমাঞজভয়ে তিনি ঠাহাব মাতৃত্ব- ধর্মকে অবমানন1 করেন-_ যে ধর্ম মানবের আদিম ধর্ম কুস্তী কর্ণকে পাগুবদের পক্ষে আসিবার জন্ত অহরোধ করিপে কর্ণ উত্তর করিলেন-- যে ফিরালো মাতৃসেহপাশ তাহারে দিতেছ, মাতঃ, রাজের আশ্বাস. মাতা মোর, ভ্রাতা! মোর, মোর রাজকুল এক মৃছূর্তেই মাতঃ, করেছ নিমূলি মোর জন্মক্ষণে স্ুতজননীরে ছলি

খ্রীষ্টান ১৮৯৭ কাহিনী £ নাটাকাব্য ৪৬৩

আজ যদি রাজজননীরে বলি-_ কুকুপতি-কাছে বদ্ধ আছি যে বন্ধনে ছিন্ন করে ধাই যদি রাজসিংহাসনে-_ তবে, ধিক মোরে তত্বের দিক ছাড়িয়া দিয়া সাহিত্যের দিক হইতেও এই নাট্যকাব্যগুলি অতুলনীয় মনের যে ঘাত-প্রতিঘাতে ইহাদের সৌন্দর্ ফুটিয়াছে তাহাও প্রপণিধানঘোগ্য। ছুর্ধোধন, ভানগুমতীকে আমাদের যতই খারাপ লাগুক তাহাদের তেজোদীপ্ত নির্ভীক ক্ষত্োচিত বাণী ভাহাদেরই উপধুক্ত বলিয়া মন প্রশংসমান হয়। বিনায়ক রাও তাহার যবন জামাতাকে হত্যা করিয়া কন্যাকে বিধবা করেন, সে কঠোরভাবে কন্ঠাকে তিরঙ্গার করিতেছিল। কিন্ক যেই ভাহার স্ত্রী কন্যার বিকদ্ধে গেল তখনই তাহার কাতর পিতৃহদয় কন্তার দুঃখে কাতর হইল-_ পিতা কন্ঠার পক্ষ অবলম্বন করিলেন। ঘটনাটি সামান্ত হইলেও জুক্ষ বিচারে ইহার সৌন্দর্য ধরা না পড়িয়া যায় না। শেষোক্ত নাটকে কর্ণের প্রার্থনা জয়লোভে ধশোলোভে বাজালোভে, অয়ি, বীরের সদ্গতি হতে ভ্রষ্ট নাহি হুই। কর্ণের যে যুক্তি তাহার উপর কেহই বলিতে পারে না যে কর্ণেব পক্ষে পাগুবপক্ষে আসা উচিত ছিল। রবীন্দ্রনাথের আর্ট এইসব জায়গায় অপরূপ সৌন্দর্যে আত্মপ্রকাশ করিয়াছে কর্ণকুস্তীনংবাদ'-এর তরজমা 176 20811৫1716 7৮০- স্টার্জ মার-এর করা। তিনি এই ছোট নাট্যরচনার মধো গভীর ০০1০ সথরের সন্ধান পাইয়াছিলেন 98186 1০০: ইংরেজি তর্জমা অবলম্বন করিয়া অমিত্রাক্ষরে আগাগোড়া রচনাটিকে ইংরেজি কাবান্ধপ দিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন এই কয়খানি নাটাকাব্যের বিশ্লেষণ করিলে কবির মনোভাব সম্বন্ধে একটি কথা খুবই স্পষ্ট দেখিতে পাই সেটি হইতেছে লৌকিক মতামত বা আচার সংস্কারাদি না মানিবার একটা বিদ্রোহ ভাব। প্রাচীন লৌকিক ধর্মই যে মানুষের শ্রেষ্ঠ ধর্ম নছে, সবার উপরে একটি যে নিত্য সত্য ধর্ম রহিয়াছে__ যাহা অহিংস, অসাম্প্রদায়িক, যাহ! সর্ষজীবের কল্যাণ-ইচ্ছায় পূর্ণ, যাহ! যুক্তিতে সুদু-_ সেই ধর্মই মানবের ধর্ম। নাট্যগুলি লেই ধর্মই শ্রেষ্ঠ ধর্ম বলিয়! প্রচার করিতেছে একখানি পুরাতন পত্রেও ববীন্রনাথ এই কথাটি বলিয়াছেন; পঠিক যাকে সাধারণে ধর্ম বলে, সেটা যে আমি আমার নিজের মধ্যে স্ুম্পষ্ট দুক্ধপে লাভ করতে পেরেছি, তা বলতে পারি নে। কিন্তু মনের ভিতরে ভিতরে ক্রমশ যে একটা সঙ্গীব পদার্থ স্ষ্ট হয়ে উঠছে, তা অনেক সময় অনুভব করতে পারি। বিশেষ কোনো একটা নির্দিষ্ট মত নয়__ একটা নিগুঢ চেতনা, একটা নৃতন অস্তবিন্তিয়। আমি বেশ বুঝতে পারছি, আমি ক্রমশ আপনার মধ্যে আপনার একটা সামন্ত স্থাপন করতে পারব-_ আমার সখ-দুংখ, অস্তর-বাহছির, বিশ্বাস-আচরণ সমন্ভটা মিলিয়ে জীবনটাকে একটা সমগ্রতা দিতে পারব। শাস্ত্রে যা লেখে তা." অনেক সময় আমার পক্ষে সম্পূর্ণ অনুপযোগী, বন্ধত আমার পক্ষে তার অস্তিত্ব নেই বললেই হয়। আমার সমস্ত জীবন দিয়ে যে যে জিনিসটাকে সম্পূর্ণ আকারে গড়ে তুলতে পারব সেই আমার চরমমত্য ।”২

১.:7100085 900186-0০০6 (1870-1944 ) £081181) ০০০৮১ 23017) 06 118801165, 365€ 107০ 102 1515 00৫09 29 ড/1751765 (1899 9. 15 81580 1000জাা। 88 ভ০০৭-৫3৪৮6: ৪04 &:৮71010 0 8150 01500780051250 85 ৪. 0651816 0৫ ০০9৮)1806৪ ৪0 ০০9০1011701108, 71620670168 চালিত 060০ ৮6 10070 17 06 0০116054 76715 ০1 ৯1০০৪ (1931). হরিমোহন মুখোপাধ্ায়-সম্পাদিত 'হজভাবার লেখক' গ্রন্থে উদ্ধৃত পত্র, পূ »৭১। জ. আত্মপরিচয়, বিশ্বভায়তী ছিষ্লপত্রাবলীর কোনে! অংশ।

৪৬৪ রবীজ্্রজীবনী খ্ীষ্টাৰ ১৮৯৭

'গান্ধারীর আবেদন" ( ১৩০৪ ) ফাল্গুন মাসে, কপ্পিকাতার ইউনিভার্সিটি ইনস্িটিউটে কবি পড়িয়া শোনান: এই সময়ে অনেকেরই ধারণ] হন যে এই নাট্যকাবোর মধো লোকনিন্দা সম্বন্ধে ঘে উক্তি আছে, তাহার অন্তরালে কোনে! রাজনৈতিক অর্থ আছে। 'নিন্দারে রসনা হতে দিলে নির্বাসন নিম্মূখে অন্তরের গৃঢ় অন্ধকারে গভীর জটিল মূল হদ্ববে প্রসারে, নিত্য বিষতিক্ত করি রাখে চিত্ততল।' এই যে উত্তি, ইহার পশ্চাতে আছে সমসাময়িক বুটিশ গভনমেন্টের 11255 9০601) 81১0 €1660017 01 075 01555 সম্বন্ধে আইন-প্রণয়নের চেষ্টা এই সময়ে ভারতীয় ফৌজদারি আইনের ১২৪ক ধারা ৫০৫ ধারার সংশোধন হইবার প্রস্তাব চলিতেছিল; বুটিশরাঙ্গ অদ্ধের স্ঠায় যেন বলিতে চাহিতেছিলেন__ 'অবাক্ত নিন্দায় কোনো ক্ষতি নাহি করে বাজমর্যাদায় | ১৮৯৭ সালে অমরাবতীতে অয়োদশ কন্গ্রেম অধিবেশনে এই আইনের পরিবর্তনবিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ করিয়া প্রস্তাব গৃহীত হয়। কয়েকদিন পরে ( কলিকাতা টাউন হলে ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৮) কবি “ক্রোধ শীর্ধক যে প্রবন্ধ পাঠ কবেন, তাহা ইহারই অন্থক্রমণ | কবির মনে এই রাজনৈতিক প্রসঙ্গ ব্যতীত তৎকালীন আরো কয়েকটি সামাজিক ঘটনা জাগিতেছিল। গাস্ধারীর এই যে উক্তি “পতি সাথে বাধায়ে বিরোধ যে নর পত্বীরে হানি' লয় তার শোধ সে শুধু পাষণ্ড নহে, সে যে কাপুরুষ 1” ইছার মধ্যেও যে সতা ইঙ্গিত আছে তাহা! সমসাময়িক পতিকাদি দেখিলেই পাঠক জানিতে পারিবেন! প্পরুষেরে ছাড়ি অস্তঃপুরে প্রবেশিয়া নিকপায় নারী গৃহধর্মচাবিণীর পুণাদেছ 'পরে' কলঙ্কের বোঝা। প্রকাশের ফলে কোনো সংবাদ- পত্রের সম্পাদকের কারাগার হয়। সাহিত্যজীবীর এই অপ্মানকর রুচিবিগহিত কর্ণ তাহার পরিণামের জন্য কবি যেন অত্যন্ত লজ্জিত) এই শ্রেণীর সাহিতাজীবীকে তিনি “শুধু পাও বলিয়া ক্ষান্ত হন নাই, ভাহাকে “কাপুরুষ? বলিয়া চরম নিন্দা! করিলেন ।*

কল্পনা" কাবাখণ্ে ১৩০৪ সালে মাত্র কালনির্দেশক অব দিয়! কয়েকটি কবিতা আছে-- তাহার মধ্যে প্রকাশ? নামে একটি দীর্ঘ রচনা আছে কবিতাটির তাষা তাৰ গুভৃতি দেখিয়া মনে হয় এটি পুরাতন রঝচন1]। চাদ চকোর নলিনী, মালতীলতা, কবি প্রভৃতিদের লইয়া কবিতা রচিত হইয়াছিল মালতী পুখির যুগে। সমকালীন কোনো রচনার সহিত ভাবে, ভাষায়, ছন্দে সামপ্রন্ত খুঁজিয় পাইতেছি না।

রবীন্দ্রনাথকে আমরা শান্তিনিকেতনের পৌধ-উৎসবে ১৩০৪ সাল (১৮৯৬) উপস্থিত দেখি তিনি উপাসনান্ডে খাগ্যপদার্থ দীনদরিদ্রের জন্ত উৎসর্গ করিলেন__ এইমাক্। কর্তবাপালন করিলেন বোধ হয় আনিক্রাঙ্ছসমাজের সম্পাদক বূপে। কিন্ত মাসকাল পরে কলিকাতার মাঘোৎ্সবে সম্পাদককে আদে। উপস্থিত হইতে দেখিতেছি না তবে পূর্বেই বলিয়াছি ফাল্গুন (১৩০৪ ) ইউনিভাপিটি ইনস্টিটিউটে গান্ধাবীর আবেদন" আবৃত্তি করিয়াছিলেন কয়েকদিন পরে ফাল্পন [১৭ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৭ ] টাউন হলে “ক্রোধ প্রবন্ধটি পাঠ করেন এই প্রবন্ধের বিষয়বন্ত লইয়া পরে আলোচনা করিব

সংসার" [সম্পাদক কালীগ্রনন্ন বক্ষ্োপাধায় এম. এ. ১৮ পৌষ ১৩৪, জানুয়ারি ১৮৯৮ | অ. বজেজ্রনাথ বল্দোপাধ্যায়, বাংল সামরিক পত্র২, পৃ*৬] পত্রিকা হইতে তখ)ি ব্রজেন্রনাথ পান সেখানে আছে কলিকাতা ইউনিভাসিটি ইনস্টিটিউটে ফাল্ধুৰ ১৩*৪ [ ১৪ মার্চ ১৮৯৮ সোমবার ] পঠিত হয়। সঞ্চরিতার আধুশিক সংস্করণে এই তথাটি দেন জীকানাই সামঝ গ্র্থপরিচয় আশে

হ্িতবাদী দাপ্তাহিকে ১* শ্রাবণ ১৩৭৩ [২৪ জুলাই ১৮৯৬ ] রুচি-বিকার নাষে কবিত। প্রকাশের জন্ত মানহাদিয় বাদল! হয় সম্পাদক কালী প্রস্র কাবাবিপারদের বিরুদ্ধে বিচারে কাব্যবিশারদেয় নয় মাস কারাদও হয় মহারানী তিক্টোরিয়ার হীরক-জান্তীর সময় জুন ১৮৯৭ তিনি মুক্তি পান। জর. জেন্রনাথ বন্দোপাধায় : সাহিত-দাধক-চরিতমালা-৬৮ : কালী প্রসক় কাব্াবিশারদ |

দ্র. চারুচজ বন্যোপাধায়, রবি-রশ্রি, পূর্তাগ, পু ৩৮৩-৮৪।

ধী্াব ১৮৯৮ ৪৬৫

সংসার সমাজ : ১৩০৫

১৩০৫ সালে রবীন্দ্রনাথ “ভারতী, পত্রিকার সম্পাদক হইলেন। গত তিন বৎসর (১৩০২-০৩-০৪ ) ভারতীর ভার ছিল হিরপায়ী মুখোপাধ্যায় সরল! ঘোষাল-_ স্বর্ণকুমারী দেবীর ছুই কন্যার উপর সাধন] বন্ধ হইয়! যাইবার পর (কাতিক ১৩*২ ) প্রায় আড়াই বসরকাল প্রত্যক্ষত কোনে! পত্তিকার ভার রবীন্দ্রনাথকে বহন করতে হয় নাই।

“ভারতী' সরলা দেবীর সম্পাদদকত্বকালে নিয়মিতভাবে মাসের প্রথম তারিখে প্রকাশিত হইত ; সেই রীতি রক্ষা করিবার জন্ত রবীঙ্নাথ চৈক্র ( ১৩০৪ ) মাসের মধ্যে সমস্ত রচনা সংগ্রহ করিক্স] প্রেসে পাঠাইয়া দেন; এবং সেইজন্য ১৩০৫ সালের বৈশাখ সংখা! ভারতী বৈশাখ প্রায় সময়মতো প্রকাশিত হইতে পারিয়াছিল। আমরা ভারতীর সম্পাদক রবীন্দ্রনাথের রচনাদি সম্বন্ধে পরে আলোচনা করিব; আপাতত তাহার সংসার-বিবয়ক বিচিত্র সমস্যায় আমাদের দৃষ্টি নিবন্ধ হইবে।

দেশের দশের সমস্ঠ1 লইয়া প্রবন্ধ লিখিলেই কিয়ৎপরিমাণে মানসিক শান্তি আসে-__ মনে হয় কর্তব্য করিলাম) কিন্তু নিজ সংসারের যেসব সমস্কা_ তাহা তো! গাহাকে একাকীই বহন করিতে হয়। সাহিত্যস্থি, জমিদারি পরিচালনা, কুষ্টিয়ার ব্যবসায়ের তদারকী প্রভৃতি তো আছেই; কিন্তু এখন তাহার নিজজীবনের সবাপেক্ষা বড় সমশ্ত। হইতেছে নিজ সন্তানদের শিক্ষার প্রশ্ব। কবি নিজজীবনে শিক্ষা! বিষয়ে গতানুগতিক পথে চলেন নাই ; বিদ্যালয়ে প্রকোষ্ঠমধ্যে বিগ্যালাডের বেদনাময় স্বতি তাহার স্পষ্ট আছে বলিয়াই তিনি নিজ সন্তানদের শিক্ষার ব্যবস্থা গোড়া হইতেই পৃথকভাবে করিয়াছিলেন; গৃহশিক্ষকরা তাহার প্রদশিত পদ্ধতি অনুসরণ করিতেন; হেমচজ্্র বিষ্ঞারতের সাহাযো “সংস্কৃত শিক্ষা” (১৮৯৬ ) সম্পাদন করিয়াছিলেন এই উদ্দেশ্োই |

ইতিআধো স্থির হইল ববীন্দ্রনাথের জোচপুজ্জ রখীন্দ্ের উপনয়ন হইবে। ধাহারা ববীন্দ্রনাথকে শেষজীবনে দেখিয়াছেন, বা ধাহারা তাহার জীবনের শেষের দিককার রচনার সহিত ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত, তাহারা কবিকে সর্বধর্ম সর্বসমাজ সর্বদেশকাপ-অতীত বাণীর প্রচারক বলিয়া জানিবেন। কিন্তু আমরা যে সময়ের কথা বলিতেছি, তখন তিনি সামাজিক ব্যাপারে সম্পূর্ণক্ূপে পৈতৃক পথের অন্ুবর্তক। তাহাদের পরিবারের সকলকেই আদি ব্রাক্ষমাজের অহুষ্ঠান- পদ্ধতি মানিয়া চলিতে হুইত-_ কারণ মহধি তখনে| জীবিত আদি ব্রাক্মদমাজে পৌত্তলিক অনুষ্ঠান বাতীত হিন্দুমমাজের অনেক কিছুই অনুস্থত হইত -__ ব্ণভেদ স্বীকৃত হই'ত-_ বিবাহাদি ব্রাহ্মণ ব্যতীত অপর কাহারো! সছিত নিম্পন্্ হইতে পারত না উপনয়নাদি যথাবিহিত সম্পাদিত হইত; পৌরোহিত্যাদি কর্মে ব্রাঙ্মণেতর বর্ণের অধিকার ছিল না; তবে মকল অনুষ্ঠান সম্পূর্ণরূপে অপৌত্রলিকভাবে সম্পার্দিত হইত | আমাদের আলোচ্যপর্বে রবীন্দ্রনাথ যে এইসব অনুষ্ঠানাদির বিরুদ্ধে মতবাদ পোষণ করিতেন, তাহার কোনো ব্যবহারিক প্রমাণ আমরা পাই না; তাহার সে যুগের এবং পরবর্তী কয়েক বংসরের রচনার মধো হিন্দুসমাজের বহু লোকাচার, ব্রাহ্মণের শ্রেষ্টত্বাদির সমর্থন পাই-- এমন-কি আচারিক শৈথিল্যকেও সামাজিক অপরাধ বলিয়! বিবেচনা করিতেছেন দেখা যায়।

মহর্বির ইচ্ছানুসারে রশীজ্ের উপনয়ন হইল শান্তিনিকেতনে (১* বৈশাখ ১৩০৫ )1১ বখীন্্রনাথের উপনয়ন-সংস্কার উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ পঞ্জাবের আর্সমাজকে নিমন্ত্রণ করিয়াছিলেন। পঞ্াবের আর্ধসমাজের সহিত সৌহার্দ স্থাপন করিয়া অমূর্ত একেশ্বরের পৃজা প্রবর্তন প্রচারের উীদ্দশ্তে বলেন্্রনাথ কিছুকাল হইতে চেষ্টাস্বিত ছিলেন। তাহারই

শান্তিনিকেতন হইতে কবি শিলাইদহে ঘান সেখান হইতে ঢাকা প্রাদেশিক সম্মিলনীতে বান দশহরার সময়ে (১৭ জৈোষ্ঠ ১৩০৫ ৩* মে

১৮৯৮)। জুনের গোড়ায় ঢাক হইতে শিলাইদছে ফিরিয়াছেন। কলিক।ত। হতে হুরেল্রনাথ ঠাকুর, প্রমথ চৌধুরী তাহার এক গুজরাটি বন্তুসহ

শিলাইদহে আসিলেন |. শিলার জাতে ইহার ফিছুকাণ পুর্বে বারিস্টার হইয়| ফিরিছাছেন। চা 8৪ আঞ্াা

৪৬৬ রবীজ্জীবনী খ্রীষ্টান ১৮৯৮

উৎসাহে, আধ ব্রাঙ্গ সমাজের মিলনের চেষ্টা হইতেছে। সেইজন্ট তিনি শান্তিনিকেতনে '্রঙ্গবিদ্ালয়” স্থাপনের বিয়া পঠন-পাঠনের আয়োজন করেন; সেই উদ্দেশে গৃহ নিমিত ভয়_- কিন্ধ বলেন্দ্রনাথের ঈারারাট ভাদ্র ১৩০৬) তাহা কাধকর হয় নাই; সেই ব্রদ্ষবিদ্যালয়ের গৃহটিকে কেন্দ্র করিয়া ১৩০৮ মালে বরীজণাথ শন্কিনিকে তন একোডিং স্কুল স্থাপন করেন সেসব কথা যথাস্থানে আলোচিত হইবে |

রমনাথ তাহার উপনয়নের শ্বৃতি সঙ্থঙ্ধে লিখিতেছেন, “১৮৯৭ অনের কাছাকাছি একটা সময়ে বলুদাদা ( বল্নেনাথ ঠাকুর ) নিখিল্ভীরছি ধ্সম্ম্দায় গঠন করার জন্য না লাগেন। বাংলাদেশের আদি, নববিধান বাঙ্গসমাজ, পঞ্জাবের আধসমাজ বোঙ্কাই-এব প্রার্থনাসমাজ__ এই তিন স্মাজের সমন্থয় করে একটি 7161500 5০০1০.৯ গন করা- এই ছিলি তার অভিপ্রায় ইতিপবে তিনি পঞ্জাব, বোম্বাই প্রভৃতি £হদেশে বিভিন্ন সমাজের নেতাতার সঙ্গে শাক্ষাৎ করে অহযোগিহার সঙ্গাবনা কতখখনি আলাপ করে বাড়ি ফিরেছেন 17. কতীদাদামশায়ের ( জেবেন্নাঘ ) কাছে বলুদাদা প্রস্তাব করলেন যে শান্তিনিকেতনে বিভিন্ন সমাজের নেতাদের আহ্ধান করা হোক, সেইখানে আলাপ আলোচনা আস্ছে একটা মীমাতসায় পৌছানো যাবে |”১

বখন্দ্নাথের বস তখন নয় বংসর মার, কলিকাতায় কাহারো সকলে আছেন; শিবধন বিছ্বা্র সংস্বৃত শেখান | “ইনি আছেশ করিলেন যে রশীন্ছের উপনয়ন-সংস্কার শাস্ছিনিকেতনে অহপ্ঠিত হইবে এই অনচানে বহু পিতের সমাগদ হয় উপনয়ন মনলিদরেই অস্ষ্ঠিত হম। য্থানিয়ম বুখজনাথকে সাধারণ শ্রাঙ্ষণ বউটুর স্বায় ভিক্ষাপাঙ্জ লইয়া দুরিতে তিন দিন শৃছাদিব হুখদর্শন না করিয়া গৃহমধো আবছ থাকিতে হয়। এইভাবে কবির জোসপুত্রের টি সম্পাদিত হইল।

হলতে ঘিবিযঘা (৩5 জুন ১৮৯৮) শিলাইদতে ক্র পর পাইলেন সে পছের মর্দকথা জোডাসাকোর

টিনাটি পরিবারে হাহার বাম করা বছই কষ্টকর হইছে কারণ কিনি তাহার বিশ্ারিত থা লিপিবঙ পাই না| তবে কবির উন্র পাঠ করিলে জোড়াসাকোর পাপ্রিবারিক অশান্তির আভাস পায় যায়। চিনি লিখিচহছেন, ভুমি অনথক মনকে পীড়িত কোরো না। শান্ত স্থির সঙথষ্ট চিত্তে সম ঘটনাকে বরণ করে নেবার চেষ্টা কর |." হ্থাগ্হাশি, ক্ষতি, বন এসব জিনিসকে লঘৃভাবে নেগিম! শক্ত, কিগ্ক পা নিলে জীবনের ভার ক্রতমই অলহা হতে থাকে এবং মনের উন্নত আদশকে অটল রাখা অসঙ্গব হয়ে পড়ে য় £উ পরের একস্বানে কবি হাহার

পারিবারিক চ্দন আদ: কপা বাক্ত করিয়াছেন 5 তিনি লিঙিতেছেন,। আজকাল আমার আনের একমাস

ডি টং

পা ££) আমাদেু জীবন সহজ এব সবল হোক, আমাদের চাহদিক শান লা সমু হোক) আজমিাতিদক সাসার যারা আডঙ্বরুতগ্ এল, কল্াযাণপর্ণ হোক আমাদের অভাব অন উদ্দেশ উচ্চ চে নিংঙ্গাথ এবং দেশের কাধ আপনাদের কিতাব চেয়ে প্রধান হোক সেইজনেহ আমি কলকাতার হ্বারদেবতার পাষাণ মন্দির থেকে তোমাদের গ্রামের মধো নিষ়ে আসছে এত উতত্তক হয়েছি ।২

জোডালাকোর প্হহ বাডিতে বভ গোষ্টিলমন্থিত, কুটুঙ্ব-কুটুগগিনী পরিবেষ্টাহ সামাবে সকলেই গতাভগহিকের পথাশ্রয়ী ছিজেন্ধনাথের পুরে হেখেন্্নাথের পুরকহ্বাগণ যথাবিপি স্কুল ঝলেজে গিয়া পড়িয়াছেন; রবীবনাথ সেই পথ গ্রহণ করেন নাই | কিছুদিন তত হাগার আনে হইতো% জোন্ডার্সাকোর পরিবেশের বাহিরে ভীাহার পরিবার পইয়। যাইবেন। শাড়ির কোনো কোনে। শ্রাউুপকের নৈতিক উচ্চঙ্ঘলতা মহর্ষির পবিত্র জীবনাদশকে পদে পদে শিশ্পিত করিতেছিপন সেসব ছুনীতি কোনোপ্রকারে কেহ সাত ব। শখিত করিতে পারেন নাই এইখানে বিশ্ব্ধারতঠী পর্রিকা, অগ্রহাযণ ১৩৪৯, ১৬৪ 1

চিঠিপর ১, পর ১৬, শিসাইদঠ, জন ১৮৯৮

খ্রী্টাক ১৮৯৮ ভারতীর সম্পাদক : ১৩০৫ ৪৬৭

কবির অন্তরে সংগ্রাম চলে আদশের সহিত বাস্তবের ছাড়। একট] বৃহৎ বাড়ির মধ্য বহু পরিবারে একত্র বাল করিলে, নারীদের মধ্যে মন-কষাকষি অনিবার্ধ! বিরোধের বিষয় ক্ষুদ্র হইলেও বালুকণার ন্যায় চোখে পড়িলেই উহা জগতকে অন্ধকার করিবার পক্ষে যথেষ্ট।

পাঠকের স্মরণ আছে কিছুকাল হইতে রবীন্দ্রনাথ তাহার ভ্রাতুম্পুত্র স্থরেন্দ্রনাথ বলেন্দ্রনাথের ঠাকুর কোম্পানির ব্যবসায়ের সহিত জড়িত হইয়াছেন। কুগ্টিয়ায় অফিস। শিলাইদহ হইতে কুগ্িয়ায় নদীপথে আমা যাওয়া মহজ। তিনি ভাবিতেছেন, স্ত্রীপুত্রকল্তারা শিলাইদহে ভ্রাহার কাছে থাকিবে_ তাহাদের গৃহশিক্ষার ব্যবস্থা সেখানেই করিবেন। নানা দ্দিক ভাবিয়া ১৩*৫ সালের শেষে কবি সপরিবারে শিলাইদহে কুঠিতে সংসার কাধিলেন।

ভারতীর সম্পাদক : ১৩০৫

১৩০৫ সালে রবীন্দ্রনাথ ভারতীর সম্পাদকত্ব ভার গ্রহণ করিয়া অতি নিষ্ঠার সহিত কার্ধে ব্রতী হইলেন। ভারতী মাসিকপত্ের সম্পাদদকরূপে রবীন্দ্রনাথকে দুইটি নির্দিষ্ট কার্ণ সম্পন্ন করিতে হইত; একটি হইতেছে সাময়িক রাজনৈতিক সমাজনৈতিক ঘটনা লইয়া প্রবন্ধ রচনা এবং দ্বিতীয়টি হইতেছে পাঠকদের মনোরঞ্জনার্থ গল্প রচনা সেইজন্য ভারতীর সম্পাদদকত্ব-কালটি ববীন্দ্রনাথের সাহিত্য স্থষ্টির গছাধুগ বলিলে অতাক্তি হইবে না। কারণ কয়েকটি গান ছুই- চারিটি কবিতা ছাড়া উল্লেখযোগ্য কাব্য বসবে রচিত হয় নাই এবং কোনো গ্রন্থ মুত্রিত হয় নাই। আমরা পূর্বেই বলিয়াছি এই পর্বে রবীন্দ্রনীথের গছ্যরচনা রাজনৈতিক সমাজনৈতিক অবস্থার বিশ্লেষণ সমালোচনা এইসব প্রবন্ধের পটভূমে যেসব এঁতিহাসিক কারণ ছিল, তাহা কালান্তরে অস্পষ্ট হইয়া আসিয়াছে; অথচ সেই তখ্যগুলি না জানিলে প্রবন্ধগুলির অর্থ অস্পষ্ট থাকিয়া যাইবে; সেইজন্য পরবতী যুগের পাঠকদের নিকট তাহার অভিজ্ঞতা প্রকাশ করিতেছি

উনধিংশ শতকের শেষ দশকে ভারতবর্ষময় জাতীয়তাবোধের যে নৃতন প্রেরণা দেখা দিয়াছিল, তাহার হোতা ছিলেন বালগঙ্গাধর টিলক ( ১৮৫৬-১৯২* )| ভারতের একমাত্র রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান কন্গ্রেম দেশের সকল শ্রেণীর লোকের আশা-আকাঙ্ষ| পূরণ করিতে আর পারিতেছিলনা। গত বারে' ব্সরের কনগ্রেম আইন-অন্ুগত আনেলন পরিচালনার অজুহাতে বৃটিশরাজের কাছে আবেদন নিবেদন করিয়া আসিয়াছে বুটিশ শাসনতঙ্ছের হ্যাযপবায়ণতার দোহাই দরিয়া, ইংরেজ জাতিণ ম্বাধীনতাপ্রেমের দৃষ্টান্ত দেখাইয়া, মহারানী ভিক্টোবিয়ার মিপাহীবিড্রোহোন্তর ঘোষণা- পত্রকে ভারতীয়দের ম্যাগ্না কার্ট বা স্বাধীনতা কবচপত্র কল্পনা করিয়া, ইংরেজি ভাষায় বক্তৃতা দিয়া প্রবন্ধ লিখিয়া_ আমর] আপনাকে স্বাধীনতা পাইবার পরমযোগ্য বলিয়া জ্ঞান করিতেছিলাম। এইসব কারণে কনগ্রেন একশেণীর পোকের নিকট হইতে সন্মান হারাইয়াছিল। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে টিলকের অস্রাদয়ের সঙ্গে লঙ্গে ভারতের বাষ্টণীতি ধর্মনীতির মধো নৃতন প্রেরণা আসিয়াছিশ, তাহার আভাল আমবা পৃবে দিয়াছি। টিলকের কাছে স্বদেশ স্বধর্ম প্রতিশব্ববাচক; এই চিন্তাপদ্ধতি মহাবাষ্্ীযদের জাতীয় বৈশিষ্টা বলিলে বোধ হয় অদ্নাক্তি হইবে নী, কারণ আজ ভারতময় হিন্দু-জাতীয়তাবোধের যে আন্দোলন চলিতেছে, তাহার প্রবর্তক মহারাষ্ট বীর বিনায়ক দামোদর সবরকার | অত্যাধুনিক উদ্দাহরণ আর দিলাম না।

পাঠকদের ম্মরণ আছে কয়েক বৎসর পূর্বে (১৮৯৩) মহারাষ্ট্র সভাতা সংস্কৃতির কেজ পুণ। নগরীতে গো-বধ- নিবারণী সভা স্থাপিত হইলে, কিভাবে তাহার তরঙ্গ হিন্দুভারতের নানাস্থানে বিচিত্র প্রতিক্রিয়া সুট্টি করিয়াছিল। অতঃপর টিলক মহারার্ীয়দের গণপতি পৃজাকে 'সার্জনিক' গণদেবতার পূজায় রূপান্তরিত করিয়া মারাঠাদের ধর্মীয়

১৬৮ যবীন্্রজীবনী খ্রীষ্টা ১৮৯৮

জীবনে সংঘচেতনা আনয়ন করেন এই গণধর্মবোধের সহিত রাজনৈতিক আত্মচেতনা প্রবুদ্ধ করিবার জন্য শিবাজী- উত্সব প্রবতিত হয় (১৮৭৫ )। এমন সময়ে বোদ্বাই-এ প্লেগ দেখা দিলে (১৮৯৬) টিলক তাহার যুবক স্বেচ্ছাসেবকদল প্রেগের বিভীষিকা তাঁহ! হইতে ভীষণতর প্রেগ-গ্রতিষেধক-কর্মচারীদের উৎপীড়ন১ হইতে মারীভয়গ্রন্ত নগরীকে রক্ষা করিতে অগ্রসর হইলেন শিবাজী-উতৎসব মারীভয়ের জন্যে শিবাজীর জন্মদিলে অহুষ্ঠিত না হইয়! ১৩ জুন (১৮৯৭) সম্পন্ন হইল। এই উৎস্বক্ষেত্রে হিন্দুমেলার স্কায় নানাবিধ শাদীরিক ব্যায়াম প্রদশিত হইত, সভায় স্বদেশ স্বধর্ম সেবা সম্বন্ধে বক্তৃতা প্রদত্ত: কবিতা আবুত্ত হইত। এই উৎসব-অহ্ষ্ঠানের কয়েকদিন পরে টিলক-সম্পা্দিত “কেশরী? সাপ্ধাহিকে (১৫ জুন ) শিবাজী-উৎসবের বিস্তৃত বর্ণনা উৎসবে পঠিত-কবিতাটি প্রকাশিত হুইল। ইহার কয়েকদিন পরে (২২ জুন ) দুইজন প্লেগ অফিসার (৬৮. 0. 2120, 1], 0. 5. [16000150170 45615) পুণার রাজপথে ছুইজন মহাবাষ্ট্রীয় যুবক দ্বারা নিহত হন। ইতিপুবে মহারাষ্ীয় যুবমজ্ঘের নেতৃস্থানীয় নাটু ভ্রাতৃযুগলকে বোশ্বাই গবন্মমেণ্ট ১৮২৭ সালের এক বেগুলেশন আইনবলে বিনাবিচারে নিবাসিত করিয়াছিলেন | এই ভ্রাতৃ্ঘয় ছিলেন যুব-আন্দোলনের নেতা টিলকের দক্ষিণহন্তন্বরূপ।

র্াান্ড হত্যার জন্য গবর্মমেণ্ট টিলককে পরোক্ষভাবে দায়ী করিলেন ২৭ জুন তাহাকে গ্রেপ্তার করা হইল। দীর্ঘকাল মকদ্দমা চলিয়াছিল $ অবশেষে টিলকের দেড় বংসরের জন্য জেল হইপ। বিচারক স্ট্রাচি (50৪05 ) ছয়জন যুরোপীয় তিনজন ভারতীয় জুরি ( 0:০9.) লইয়া বিচারে বসেন, মুরোপীয় জুরি টিলককে দোষী, ভাবাতীয় জুরি টিলককে নির্দোষ বলিলেন সংখ্াধিকোবরু মতে তাহার সাজা হইল। রাজনৈতিক অপরাধের জন্য কারাবরণ জাতীয়-আন্দোলনের ইতিহাসে এই প্রথম ; স্থতরাং সমস্ত দেশময় এই ব্যাপারে যে প্রতিক্রিয়া স্থটি হইল, তাহা গব্নমেন্ট যাহা চাহিয়াছিলেন, তাহাই ঘটিল; লোকের জেলের ভয় ভাঙিয়া গেল। অচিরে এই দমননীতিব প্রতিক্রিয়া দবেশমধ্যে নানা ভাবে, নানা মৃত্তিতে দেখা দিল; সেটি হইতেছে জাতীয় আন্দোলনে কুত্রপস্থা।

টিলকের প্রতি সহানুভূতি সবজ্রই প্রকাশিত হইল; বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ, হেমচন্ত্র মল্িক হীরেজ্নাথ দত্ত টিলকের মকদ্দমার সাহায্যকল্পে জনসাধারণের নিকট অর্থসংগ্রহ করিয়া পুণায় পাঠাইয়াছিলেন।ৎ টিলকের সঙ্গে রবীন্দুনাথের তেমন ঘনিষ্ঠতার স্থযোগ কোনোদিনই হয় নাই; তৎসবেও একজন অপরকে বিশেষভাবেই শ্রদ্ধা করিতেন। রবীন্দ্রনাথ যাত্রীতে লিখিক্বাছিলেন ষে টিলক ঠাহার “কোনো এক দূতের যোগে আমাকে পঞ্চাশ হাজার টাক] দিয়ে বলে পাঠিয়েছিলেন, আমাকে ফুরোপে যেতে হবে। সে সময়ে-. পোলিটিকাল আন্দোপনের তুফান বইছে। আমি বললুম, 'রাহ্রীক আন্দোলনের কাজে যোগ দিয়ে আমি যুরোপে যেতে পারুব না।' তিনি বলে পাঠালেন আমি রাহ্িক চর্চায় থাকি তার অতিপ্রায়বিরুদ্ধ ।-.. আমি জানতুয়, জনসাধারণ টিলককে পোলিটিকাল নেতা রূপেই বণ করেছিল এবং সেই কাজেই তাকে টাকা দিয়েছিল। এইজন্ত আমি পঞ্চাশ হাদার টাকা গ্রহণ করতে পারি নি। তার পরে, বোম্বাই শহরে তার সঙ্গে আমার দ্বেখা হয়েছিল। তিনি আমাকে পুনশ্চ বললেন, 'রাষ্্রীতিক ব্যাপার থেকে নিজেকে পৃথক রাখলে তবেই আপনি নিজের কান সুতরাং দেশের কাজ করতে পাবুবেন, এর চেয়ে বড়ে।

১:77621218508 ০০922015176 52195805105 2201505610110] 60 058 01791) 16517000817 01960065068, 10091 16181207810 0106 010 [2০9০01৮81-৮ 1215510617010] 50660071060610৮62 1897 4১001800155 0,577801 810, ০০০ পিরিজাশদ্বয় রায়চৌধুরী, অরবিন্দ বাংলার স্বদেশী যুগ, পূ ১৮৩।

কংগ্রেস, হেমেন্্ প্রসাদ ঘোষ, তৃতীয় সংস্করণ, গৃ ৭৩। “বাঙ্গালার লোক টিলকের বিপদে আপনাদিগকে বিপন্ন মনে করিয়া ঠাাকে সাহথাধা করিতে ব্যধহারজীবী পাঠাইয়[ছিল।-_ রবীনতরনাধ, হীরেশ্রনাখ দত্ত প্রভৃতি সে কার্ধে অগ্রনী ছিলেন 1”

গগন ১৮৯৮ ভারতীর সম্পাদক : ১৩০৫ ৪৬৯

আর-কিছু আপনার কাছে প্রত্যাশা করি নি। আমি বুঝতে পারলুম, টিলক যে গীতার ভাম্ত করেছিলেন সে কাজের অর্ধিকার তার ছিল; মেই অধিকার মহৎ অধিকার ।”১

ভারতের এই উদ্যত জাতীয়তাবোধ টিলকের কারাবরণের পর মুখর হইয়া উঠিল; স্থতরাং গবর্মেন্ট যে কণ্ঠ হইতে কেবল আবেদন ক্রন্দন শুনিতে অভ্যন্ত ছিলেন, তাহ! হইতে স্পষ্ট ভাষায় প্রতিবাদ প্রচারিত হইতে দেখিয়! অন্স্তিবোধ করিতে লাগিলেন; মেই রোধ করিবার জন্য সিডিশন বিলের খসড়া প্রস্তত হইল, গোপনে প্রেম কমিটি বদিল। পিডিশন বিল পাস হইবার পূর্বদিন টাউনহলের জনসভায় রবীন্দ্রনাথ “ক্রোধ” নামে প্রবন্ধ পাঠ করিলেন। রবীন্দ্রনাথ প্রবন্ধ আরম্ভ করিলেন এই বলিয়া! “অগ্য আমি যে ভাষায় প্রবন্ধ পাঠ করিতে উদ্যত হইয়াছি তাহা যদিও বাঙালির ভাষা, ছুর্বপের ভাষা, বিজিত জাতির ভাষা, তথাপি সে ভাষাকে আমাদের কর্তৃপক্ষেরা ভয় করিয়া থাকেন। তাহার একটি কারণ, ভাষা তাহার জানেন না এবং যেখানেই অজ্ঞানের অন্ধকার সেইথানেই অন্ধ আশঙ্কার প্রেতভূমি ।”

কবি গিখিলেন যে কতকগুলি অভাবনীয় ঘটনায় হঠাৎ আবিষ্কৃত হইয়াছে যে আমবা অত্যন্ত ভয়ংকর এবং মেই ভয় হইতে তাহারা ধর্ষণনীতি অবলম্বনে অগ্রসর হইলেন প্গবর্নমেপ্ট অত্যন্ত সচকিতভাবে ভাহার পুরাতন দণ্ডশালা হইতে কতকগুপি অব্যবহৃত কঠিন নিয়মের প্রবল লৌহশৃঙ্খল টানিয়! বাহির করিয়া তাহার মরিচা সাফ করিতে বসিয়াছেন |... বোষরুক্ত গবনমেণ্ট..' পুণা-শহরের বক্ষের উপর রাজদণ্ডের জগদ্দল পাথর চাপাইয়। দিলেন ।.. রাজ- প্রাসাদের গুপুট্ড়া হইতে কোন্-এক অজ্ঞাত অপরিচিত বীভৎস আইন বিদ্যুতের মতে। নাটুভ্রাতৃযুগলকে ছে মারিয়া কোথায় অন্তর্ধান করিয়াছে ।”

দেশের মধ্যে অসন্তোষ হুট হইলে তাহাকে প্রকাশ করিতে দিতে হয়, “সর্পের গতি গোপন এবং দংশন নি:শক | সেইজন্তই “সংবাদপত্র যতই অধিক এবং যতই অবাধ হইবে, স্বাভাবিক নিয়ম-অনুসারে দেশ ততই আত্মগোপন করিতে পারিবে না।... রহস্তই অনিশ্চিত ভয়েব প্রধান আশ্রয়স্থান-.. কুদ্ধবাক সংবাদপজের মাঝখানে খহস্তান্ধকারে আচ্ছন্ন হইয়া! থাক1 আমাদের পক্ষে বড়োই ভয়ংকর অবস্থা |... শাসিত শাসনকর্তার মধ্যবতী! শাসনশৃঙ্খলট। সবদা ঝংকার না দিয়া, সেটাকে আত্মীয়স্বন্ধবন্ধনবূপে ঢাকিয়া রাখিলে অধীন জাতির তার লাঘব হয়। মুত্রাযস্ত্রের স্বাধীনতা এই প্রচারের আচ্ছাদনপট |... মুঞাযস্তের স্বাধীনতাবরণ উত্তোলন করিয়া লইলে আমাদের পরাধীনতার সমস্ত কঠিন কঙ্কাল এক মুছতে বাহির হইয়৷ পড়িবে ।-"' দুই শত বংসর পরিচয়ের পরে আমাদের মানব-সম্থদ্ধের এই কি অবশেষ 1”£

যাত্রী, পশ্চিমযত্রীর ডায়ারি। রবীন রচনাবলী ১৯, পূ ৩৬০৪৫* জর, বিজলী, ২*আঙ্বিন ১৩১* 1 1*1০060) চ০৬$৬১1923 ৬০]. ]], 9,611. ১৮৯৮ সালে 5০0০6 [১0085 0017101006৩ গবনমেণ্ট স্থাপন করেন মার্বাজের কন্গ্রেসে ইহার প্রতিবাদ প্রস্তাব গৃহীত হয়। 30 19006791061 1598, 16501170101) 0, ৮111, 1২৩591৮6008 0136 0০097816558 05511017664 01171 00501106 ০8090115)07161)6 046 560161 [655 00101010666 17 06:01 0810 01 1179081510181715 00)6০01018010 ৪1)0 81900151505 »/$08 50110 01 310015 ৪0011015060 421, /517716 3680170 710৮ 17104 87048707767 276640271) 0,285.

[16 000 805০7 0800৮0117ঠুহাও 20008118100 15501800191) 1৬৯ 4৯ 01000656011 06 18৬ 01 86010101% ৬/15101) এও ১৩৫) 90556017070 ১/006106 168$১1801৬০ 0001)011 &£911)3% 016 ৪৬১১০) 001১95$01017% 0৫6 016 71072-08610181 70619) 6 91১4 91 1010064010/064 8৪810801017 056 0০৮6৮ 16৫. 0. 274.

কণরোধ, ভারতী, বৈশাখ ১৩০৫, পৃ. ২৩-৩৪ | রাজা প্রজা, রবীন্ত্র-রচনাধলী ১০, পৃ ৪২৪-৩১। সিডিশন-বিল পাস হইবার পূর্বদিনে টাউনচলে ইহ পঠিত হয় ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৮ [৬ফাণ্তন ১৩৪ ]। ভর, 511 70868৮। 07. 18851) 71609 ০1076170107 4550012001%) 1876-1951, ১, 126-27. জাতীয় গ্রন্থাগার, কলিকাতা হইতে জ্ীচিততরগ্রন বন্দোপাধ্যায় বিষয়ে বছ তথ্য আমাকে সরবরাহ করেন, সেজগ আমি কুতজ।।

রমেশচন্ত্র দত্ত আই. দি. এল. তথন বিলাতে আছেন; তিশি পুণার হত্যাকাণ্ডের নিন্দা! করিয়াছিলেন। পুণায় 'পিউনিটিভ' পুলিস মোতায়েনের বিরুদ্ধে সংবাদপত্র দলনে যে হইতেছিল, তাহার তীব্র প্রতিবাদ করিয়া লগডনের 19811) 7305 গঞ্জে তিনি দুইখানি পত্র

৪৭০ বৃবীন্দ্রজীবনী খ্ী্াবক ১৮৯৮

উনবিংশ শতকের শেষ দিকে রবীজ্ুনাথ যে কথা লিখিয়াছিলেন, তাহা গত অর্ধশতাবীর ইতিহাস প্রমাণ করিগ়াছে। ইংরেজের অবিশ্বাস সন্দেহ ঘুচে নাই | এক হাতে দান করিয়া অপর হাতে চতুপতপ আদায়ের চেষ্টা প্রতিনিয়ত চলিতেছে এখনো সেই প্রশ্ন-- মানব-সন্থদ্ধের এই কি পরিণাম ?১

এমন সময়ে কলিকাতায় প্লেগের আবিভাব হইল। বোম্বাইতে প্লেগের সময় সরকার যে ভাবে উপদ্রব করিয়া তথাকার টা একেবারে ক্ষিপ্ু করিয়া তুলিয়াছিলেন, কলিকাতায় তাহারা সেরূপ করিলেন না। সরকারের ভাবখানা এইরূপ হইপ, প্রজারা যখন কব এবং পরিবারমণ্লীর প্রতি হস্তক্ষেপ করার বিকছে উহাদের যখন

লহ

এতই দুঢ সংস্কার তখন সেটা বিবেচনা করিয়া এবং যখামস্তব বাচাইয়া কাজ করাই রাজার কতব্য। রবীন্দ্রনাথের মতে, “এইরূপ ছুর্যোগই বিদেশী বাজার পক্ষে প্রজাদের হদর়জয়ের ছুললভ অবকাশ এই সময়েই রাজা প্রমাণ করিতে পারেন যে, আমরা পর হইয়াও পর নহি এই সময়েই তাহাদের পক্ষে ক্ষমা ধর সমবেদনা, ফৌজ কেল্লা গুলিগোলার অপেক্ষা রাজশক্তির যথার্থ পরিচয়স্থল।” তিনি পরিক্ষার করিয়া বলিলেন, “পতিতের উপর পদ-প্রহার, বাথিতের উপর জবরদস্তি ভয়ের নিছরুতা মাত্র! ইহাতে পাজার রাজশক্তি নহে, বিদেশার ছুবলতা প্রকাশ পায়।” মারীগ্রস্ত পুণার ছুর্দশার কথা উল্লেখ করিয়া তিনি ল্থিলেন যে গোরা-সৈন্যের আতঙ্কজনিত কাতরোজিকে প্রঙ্গার

স্পর্ধা বপিয়! গণ্য করিয়া সরকার উত্তুরোপ্ুর নিদয় হষ্টঘাছিলেন ভাহারা প্রবলজনোচিত ইরদাধ অবলঙ্কথন করিলেন না।

রবীন্দ্রনাথ পিখিলেন, “স্বীকার করা গেল গোরা উসন্তগণ শিষ্ট শা সায্। এবং দেশীয় লোকদের প্রতি জেহশীপ। কিন্ত দেশের মৃড লোকের যদি এমন একটা! হতে অন্ধ সংস্থার অন্মিযাই খাকে যে গোরাইসন্য দুর্দান্ত উচ্চৃত্খল এবং শ্রদ্ধী- অভাবে দেশীয় লোকের প্রতি অধিবেকী,) তবে সেই উম সাকটের সময় বিপন্ন ব্ন্থিদের একটা অনুনয় রক্ষা কৰিলে ছুপলতা নহে মহর প্রকাশ পাই 1” এই ধর্দণনীতি অবলঙ্থণের কলে হারতের “আগছ্ম্ত মধো অশান্তির আক্ষেপ কোথাও প্রকাশ্যে ফুটিবার উপক্রম করিল, কোথা 5 গোপনে গুমরিয়া উঠিল |” ভবিষ্যুত্জষ্টার ন্যায় তিনি বলিলেন, “কঠিন আইন জবরদস্থিতে সম্পণ উল্টা ফল ফলিবে )” ভারতী জোষ্ট ১৩০৫ জালের পর্িকায় এষ্ট প্রসঙ্গ কথায় পবীন্দনাঘ একটি নৃতন শক প্রয়োগ করিয়াছিলেন,

প্রজাবিড্রোহ “ক্ষমতা যাহার হনে, নিচারের শেষ কল সেঠ পিঠে পারি! আহদের মন বিগড়াষইন্জা গেলে আমনা কাগজে ছুচার কথা বলিতে পারি, কিন্তু কৃপক্গের মন বিগড়াইমা গেলে হাহ আমাদের কাগজের গল! চাপিয়া ধরিতে পাবেন আমরা ক্ষ্ধ হইলে তাহ) বাদবিচতাভ কিন্ বাজাদা কখিয়া ধাকিপে তাহা প্রজাবিতোহ নহে? উভয়েরই ফল কি রাজ্যের পক্ষে সমান অমঙ্গলজনক নট 7 দেল তিনি বনি, 11005 55005551017 06506 040৩05 অ11]1 6৩ 01560170850010091517778 01 51166৫01181) 00) 0918121 দ্র. ] টি. 07100 লিখি 1586 054 ৮0115 91 8৫776510707 198166) 1) 252-241 দ্ গিরিআাশক্কর 11য়চেংধুরী, প্রঅরবন্দ বাংলার গ্বদেশা যুগ, পু ১৭১ পশ্ডিমভাবঠির যে রাজনৈতিক চান্দোলন গিলক করুক গবতিত 52, রবালনান বে নহ্বন্ধে গালে কপেইট ওয়[কিবত।ল ছিলেন, দামোদর ঠাপ্কর গ্রষ্ঠতির পার লহয়। দেশনধ্যে কেছ কিছু বণিতে পারেন শাহ, হবে টিলকর ৮1৯ যে হন্তায় ভাবে দেয়া হহয়াফছিল-- লে কপ। অমরাবভী কনগ্রোনে £ ১৮৯৭ ) ইরেন্নাণ স্প্ঠত ঘোষণা করেন চিনি বলেন, "আমদের মতে টিলাকের £ পুবার লাবাদপর সম্পাদকদিগের কারাজগুবিধান করিয়া সরকার কুল করিয়াছেন” কনাপ্রস-সভাপতি এঙ্কর নায়াব বলিলেন যে টিপকের বিচার- ৭5006010018] 1

এঠ সময়ে 'বিগায় (প্রদীপ, বৈশাপ ১১০৫) নামে কবিতা প্রকাশিত হয়| আমাদের আনে হয় ইতর অধো যে বীরধুবকরা সেদিন ফাসির মঞ্চে প্রাণ দিয়াভিলেন কবিতা যেন গাহাদেরই চবানীতে লিখিত হইল 7 এবার চপিন্ব তবে সময় হয়েছে নিকট, এখন বাধন চিড়িতে ছে | সমএ কবিতাটি (গান) পাঠ করিলে হহার শিহি হার্থ সপ? হবে| ২1 প্রজ।জোঠ শব্দ ভাগবত ১।ফ১-এ আছ

গ্ীষ্টা ১৮৯৮ ভারতীর সম্পাদক : ১৩০৫ ৪৭১

দেশয়দের প্রতি ইংরেজের ব্যবহার দিনে দিনে কিভাবে কুদ্ররূপ ধারণ করিতেছে তাহারই উদাহরণ দিয় তিনি বলিলেন, “পূর্বদেশীর়দের এই নীরব সহিষ্ণুতা, যাহাতে পশ্চিমদেশীয়দিগকে অলক্ষ্যে অসতর্কতা এবং ওদ্ধত্যে লইয়া যায়, ইহাই প্রাচ্য প্রজ! পাশ্চাত্য রাজ! উভয়েরই পক্ষে বিপদের মূল। ইহা! হইতেই গোরা-সৈন্দের মজার খেলা কাল! আদ্মিদ্ধের অকন্মাৎ উন্মন্ততার স্্টি হয়।”

এককালে সাধারণ ইংরেজ গোবা-ক্চারী, ব্যবসায়ী, দেশীয় ইতর ভদ্র শিক্ষিত লোককে কথায় কথায় প্রহার এবং কটু সম্ভাষণ করিয়া প্রায়ই অপমানিত করিতেন; সকল ঘটনার উল্লেখ করিয়া রবীন্দ্রনাথ বলিয়াছিলেন, “তাহারা প্রত্যহই ভারতবর্ষে কি প্রকার বিপৎপাতের ভিত্তি রচনা করিতেছেন তাহা তাহারা জানেন না, এবং যে- ইংরেজসমাজ এইরূপ রূঢতা অবজ্ঞাপবতার বিরুদ্ধে কোনোপ্রকার নৈতিক বাধ! প্রদান করেন লা, তাহারা যে শাখায় বসিয়া আছেন সেই শাখা ছেদনে প্রবৃত্ত আমাদের প্রতি সাধারণ ইংবরেজের এই প্রকার ভাবই প্রজাবিদ্রোহের ভাব |” রবীন্দ্রনাথ রাজনৈতিক অবস্থার যে বিশ্লেষণ করিয়াছিলেন-__ তাহ] ভবিষ্দ্বাণীর স্তায় সত্য হইয়াছে, বর্তমান ইতিহাস তাহার সাক্ষ্য দিয়াছে।

১৩*৫ সালের বঙ্গীয় প্রাদেশিক সভার (917£8] 0:0%1070161 000366151705 ) অধিবেশন হয় ঢাকায়। সভার সতাপতি ছিলেন রেভাবেণ্ড কালীচরণ বন্দ্যোপাধায়।১ এই নিষ্ঠাবান খ্রীষ্টান সাধক পরম দেশতত্ত ছিলেন; সে যুগের রীতি-অহ্ুমাবে তিনি সভাপতির অভিভাষণ ইংরেজিতে পাঠ করেন। ববীন্দ্রনাথ এই সভায় উপস্থিত ছিলেন তিনিই সভাপতির সন্ভাষণের সারমন্ণ বাংলায় পাঠ করিয়াছিলেন ।২ সভারস্তে রবীন্দ্রনাথ একটি জাতীয় সংগীত গাহিয়াছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ রাজনীতি হইতে দূরে ছিলেন এবং ছিলেন না__ এই ছুই কথাই সত্য কথা যথার্থই সত্য ষে তিনি হুরেজ্জনাথ প্রমুখ নেতাদের ম্ভায় কখনো রাজনৈতিক কর্ষসাগবে ঝাপাইয়া পড়েন নাই; কিন্কু যখনই দেশের ভাক পড়িয়াছে তখনই যাহা সত্য বলিয়! বুঝিয্বাছেন তাহা দেশবাসীর বা সরকার-বাহাছুরের অপ্রিয় হইলেও নিভীকভাবে নিঃসংকোচে বলিয়া গিয়াছেন। সরকারের দোষ প্রচুর পরিমাণে দেখাইয়া! আমাদের একদল নেতা নিজ কর্তব্য সমাপন হইয়াছে বলিয়! বিশ্বাস করেন__ রবীন্্রনাথ সে-ধরনের সমালোচক নহেন। দেশবাসীর মধ্যে যে-পাপ পুর্ীভৃত হুইয়! বিদেশীর এই শাসনকে সম্ভব করিয়াছে, সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করিবার জন্য তিনি বারবার বলিয়াছেন) পরাধীনতার কারণ বাহিরে নাই-_ তাহা আমাদের মধ্যেই আছে। সাধারণত স্বাধীনতা অর্থে রাজনীতিক স্বাধীনতা বুঝায় ; কিন্তু উহা যে মানবের সর্ববিধ স্বাধীনতা বা মুক্তি বিষয়ে প্রযোজ্য, কথা সহজে স্বীকৃত হয় না। রবীন্দ্রনাথ ভারতবাসীর জন্য এই সর্ববিধ স্বাধীনতা চাছেন-__ কেবল রাজনীতিক স্বাধীনতায় তিনি তুষ্ট নহেন।

ঢাক! হইতে ফিরিয়] আসিয়া প্রাদেশিক কনফারেন্স সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ যে সমালোচনা করিলেন, তাহা প্রণিধান- যোগ্য লোকের গ্রীতিপ্রদ হয় নাই। ঢাকা সম্মেলনে প্রতিনিধি সংখ্যা পূর্বপূর্ব সম্মেলন হইতে অল্প ছিল বলিয়া রবীন্দ্রনাথ ছুঃখ প্রকাশ করিয়া বলেন, “সমগ্র বঙ্গদেশকে এই সমিতি কতদূর একতানুত্রে বাধিতে পারিতেছেন তাহাই প্রত্যেক অধিবেশনের সর্বপ্রথম সর্ধপ্রধান কথা |... আমরা অভিনব রাজনৈতিক আন্দোলনে নিযুক্ত হইয়াছি।... ইহার সহিত প্রত্যেকের ঘনিষ্ঠ সংশ্রব 1... কিন্ত এত বৎসর বাঙ্গালীর প্রাদেশিক সমিতির তর্কবিতর্কে বাঙ্গালীর ভাষার সমাক সমাদর লাভ করিতে পারিল ন1।” রবীন্দ্রনাথ আরো বলিলেন এইসব কন্ফারেব্নে ডেলিগেট বা প্রতিনিধিদের

কালীচরণ বল্যোপাধায় (106৬, তত, 0, 93817610668 2. 2.১ 3. 1, : ফেব্রুয়ারি ১৮৪৭-১৯*৭ )। প্রাদেশিক সভায় উদ্বোধন (ঢাকায় বঙ্গীয় প্রাদেশিক সভার সভাপতি কালীচরণ বল্দ্যোপাধ্যায়ের ইংরাজি বক্তৃতার অনুবাদ; ভারতী, আঘাঢ় ১৩৫, পৃ২৪৮৮৪৭। সভা] হয় ১৮-১৯-২৯ জোষ্ট ১৩০৫ (৩১ মে, ১-২ জুন ১৮৯৮ ) দশহরার ছুটির সময়ে কি?

শ২ বুবীল্গজীবনী গ্রাষ্টান্ধ ১৮৯৮

অ'দর আপায়ন একটা রাজস্ুয় যজ্ঞের তলা ছিল। দেশের কাজের জন্তা সকলে সমবেত হইয়াছেন, অথচ তাহাদের আবদার অভিযোগের অন্ত নাই-- এই দশা রবীনুনাথকে অতাস্ত পীডিত করিয়াছিল ণ্অতিবিক্ত মাত্রায় আদর অভার্ঘনা উপভোগ করিয়া আমবা ববযাত্রীর মতো অসহিষ্ট হইয়া উঠিতেছি। গৃহপ্বামীর অতিথি হইয়া সবদা সহস্ব খুটিনাটি ধরিয়া সেবকদলকে ক্ত কবিয়া ভলিতেহি » কত অসংগত আদেশপালন অন্ুজ্ঞা প্রচার করিয়া ক্ষ . নবাবরূপে প্রতিভাত হইতেছি 1: ইহাতে গেশের কতটকু কল্যাণ ?১. এইসব কন্ফারেন্দ এককালে কি অস্থংসারশ্ন্য ছিল, তাহা পাঠকমাত্রই জানেন কারণ “আমাদের দেশের সামাজিক ধর্যনৈতিক ক্রিয়াকাণ্ডের শ্লায় পাজনৈতিক ক্রিয়াকাণ্ড৪ একটা অন্থঃসারশূন্য বাহাডস্বরের দিকে দুয়া ,* আশার কথা এই যে প্রাদেশিক সমিভি বিলাতী ছন্সবেশ ভাগ করিয়া গেশী সাজে দেশের দ্বারের কাছে উপস্থিত হইতেছে আমাদের রাজনৈতিক কমকাণ্ডের যে-সকপল পুরোহিত দেশী মঙ্ধে দেশী অচয়ান-বিধিতে অনভ্যন্ত, জনসভা হইতে তাহাদের ছুবোধ জল্পন। ক্রমশ নিবাপিত হইবে এবং দেশের জনসাধারণ মাতৃভূমির শিজের মুখে শিজের ভাষায় আহ্বান পাইয়া সভায় আপন স্থান অপ্রিকার কৰিয়। লইতে পারিবে, এমন সম্কাবনা বুমশঃ অনিবাধ হইয়া পড়িতেছে )”

বাজছ্বারে আবেদন ছাড়া দেশের স্বচেষ্টাসাধা গুন্ততর কতবাও যে পড়িয়া আছে, এবং দেশের ধননৃদ্ধি শিল্লোঙ্গতির উপর নিজর করে, এই কথা এই সম্মিলনে আলোচিত হয়| রবীন্দ্রনাথ এই প্রবদন্ধেই লিথিলেন, “কেবল বাক্নৈতিক আন্দোলন-দ্বাবা আমাদের লক্া দূব হইবে না। আহবা বিবেচনা করি এই মন্থবা প্রকাশ ঢাকা প্রাদেশিক সমিতির বিশেষ গৌরবের কারণ |”

চাক! হইত ফিরিয়া আসিয়া একাই কবি শেইকাযোগে উত্তরবঙ্গে পুরিতেছেন ) আগর নদীতে আরাই-এব পথে লিখিলেন মাতার আহবান" সেইদিনেই 'হউভাগোর গাশাউির পরিবর্ূন সাধন করেন 9 আযাট ১৩০৪ )। আনাগের মনে হয় “আশা”, বঙগলক্ষ্মী শিরঙা কবিতা করটি « এই সময়ের বা এরই কাছাকাছি সমগ্নের রচনা, সমস্ত গুলির মধ এই ভাবস'গতি আছে দেশমাতৃক্যার নতনরূপ কবির লেখনাতে মৃতি পইতেছে ; হাহারহ একটি কশ্যাপস্থন্দর মৃত্তি গঁডয়া কবি দেশবাসীর সম্মুখে স্থাপন কৰ্িবার উদ্যোগ করিলেন_ অঠিবেহ জাহীয় জাবলের পুজাবেদীছ। সম্পূর্ন একট নতন মৃতি প্রতিষ্ঠিত হইল

সম্পাদক হিল্গবে ববান্রনাথকে যেসব গগ্ধ, বাসতনতিক প্রবন্ধ বা সামঘিক প্রসঙ্গ হিখিতি হইয়াছিল, তাহা দেশের

ইতিহাসের পট-পপিবতনের সঙ্গে নিরর্থক হইয়া ঘাইিলে, হাহার পটভূমি ভবিষাহ বাধধরগণ জানিবে না, বচলাবু ইতিহাস কেহ বুগে দুগেন্দরণ করিহালি রাখিবে না তিলে সে হাবীকালকে গড়িবার জগ্ত যেনব মানসিক উপাদানের

প্রয়োজন) তাহার আয়োজন হয এই কালেই; বরীন্রনাঘ মি কেবল সাহি হালা কার ই্রপহ্যাপিক হতেন তবে

$

বাডালার জাীদ জীবন-গঠনের ইতিহাসে তাহার স্থান থাকিতি লা, বাংল! লাহিচ হার ইতিহাসে আব পাচজন প্রতিভাবান

সাহাহাকদের পতিত ভাহাবু শাম পাবিয়া যাইত) দেশে মঙ্গল মঙ্গল কাত পু জাকণের টা অচ্ছেদ্য ভাবে মুন্ত ছিপ বলিয়া তিনি সাহিঠিক ঠচর মবো সচল হইর। থাকত পালেশ শাহ, প্রিয় প্রিয় কথা অযাচিত ভাবে

বশিয়াছেন। উনবি শহান্ধীর শ্ভাগ হতে বালাদেশে হারের বিভিন্ন হদেশে রাজনৈতিক আতম্মপ্রতিষ্ঠার আকাঙ্রা

দেখা দিগাছিল। তাহাকে বার্থ করিবাসু বিবিধ প্রকাশন গোপন চেষ্টা যে গবনমেন্ট ক'্রতেছিলেন, জাতীয়

রম

হাঁ হহাপের পাগকের তাহা অবিদিত পভে | সাধনার রবীদ্রনাণ সঙ্গে যেসব প্রবন্ধ লেখেন হাহ।র কথা আমরা বলিয়াহি। পৌষ ১৩০৫ সালে (৬ জাঠয়ারি ১৮৯৯ ) প্ড কন বড়লাট হউগা আধিবাধ পর হইতে বাংলার

নি রি

অক্ষয়কুমার মোয় সম্পাদক, প্রনঙ্গকণা। ভারতী, আমাড় ১১৭৭, পু ২৯5 5৪1

খ্রীষ্টান ১৮৯৮ ভারতীর সম্পাদক : ১৩৯৫ ৪৭৩

জাতীয়তাকে বিধ্বস্ত করিবার জন্য বিধিবদ্ধ চেষ্টা শুরু হয়। কয়েক বৎসরের যধো বঙ্গচ্ছেদ হইল। ইহা একট! রাজনৈতিক ব্যাপার কিন্ত কর্জনের আগমনের পূর্ব হইতে ইহা অপেক্ষা গভীরভাবে আঘাত করিবার প্রস্তাব হয় ভাষাবিচ্ছেদের ছারা ইংরেজ-শাসনের ফলে যে-একট] একাম্থত্রে ভারতের বিভিন্ন অশ গ্রথিত হইয়াছে, সে-সত্য রবীন্দ্রনাথ কখনো! অস্বীকার করেন নাই কিন্ধ এই একান্ত কখনে! যাহাতে হ্দুঢ রজ্জুতে পরিণত না হয় সে-বিষয়ে সরকার চিরদিনই ভাঁশিয়ার। কংগ্রেস হইতে কেমনভাবে মুসলমান সমাজকে পূথক করিয়া লইয়া গিয়া একটি প্রতিরোধক শ্োত তৈয়াবি করিতে গব্নমেণ্ট সাহায্য করিয়াছিলেন, সে সন্গদ্ধে আলোচনা হইয়া গিয়াছে ভাষ। সাহিত্যের মধা দিয়া যে-যোগ তাছা সংস্কৃতিযূলক ; তাই তাহার ভিত্তি দুচ। স্থতরাং সেই দুঢভিত্তির মূলে কুঠারাঘাত কর! রাজনৈতিক বুদ্ধির পরাকাষ্ঠা। এক সময়ে উড়িস্বা আসামে বাংলা ভাষাই শিক্ষিত সমাজের ভাষা ছিল। কিন্ত বাংলাদক আসাম উড়িষা। হইতে যথাসম্ভব নির্বাসিত করিয়া সরকার-বাহাছুর স্থানীয় ভাষাগুলিকে কৃত্রিম উত্তেজনায় পরিপুষ্ট করিয়া! তুলিতে প্রবৃত্ব হইয়াছিলেন। রবীন্দ্রনাথের শ্েনদৃষ্টি গবনমেন্টের এই কুটনীতির উপর যথানময়ে পতিত হইয়াছিল।

একটি প্রবন্ধে» রবীন্দ্রনাথ বহু উদাহরণ দিয়া দেখাইলেন যে ওড়িয়! ভাষার সহিত ভদ্র বাংলা ভাষার পার্থক্য সামান্য) করিম উপায়ে এই ভাষার বিচ্ছেদকে স্থায়ী করাই সরকারের উদ্দেশ্বা। “উড়িষাং এবং আসামে বাংলাশিক্ষা যেন্ধপ নবেগে বাপু হইতেছিল, বাধা না পাইলে বাংলার এই ছুই উপবিভাগ ভাষার সামান্য অন্তরালট্রকু ভাঙিয়া দিয়া একদিন এক- গহবতী হইতে পারিতি।” রবীন্দ্রনাথ বাংলার প্রাস্তবাসী এই ছুই ভাধাকে উপভাষ! বলিয়। বিবেচনা করিয়াছিলেন এবং সেইজনা উক্ত প্রবন্ধের উপস'হারে লিখিলেন, “যে-ভাষ; ভ্রাভাদের মধ্যে অবাধ ভাবপ্রবাহ সঞ্চারের জন্য হওয়া উচিত, তাহাকেই প্রাদেশিক অভিমান বৈদেশিক উত্তেজনায় পরস্পরের মধ্যে বাবধানের প্রাচীরস্বরূপে দুঢ উচ্চ করিয়া তুলিবার যে চেষ্টা, তাহাকে স্বদেশহিটতষিতার লক্ষণ বল যায় না এবং তাহা সবতো ভাবে অশ্তভকর 1”

অসমীয়া ওড়িয়া ভাষা পৃথক করিবার পর আরো করেক বৎসর পর বাংলা ভাষাকে চারিটি উপভাষায় বিভক্ত করিবার প্রস্তাব হইয়াছিল-__ সে কথা যথাস্থানে আলোচিত হইবে প্রাদেশিক ভাষাগুলি সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথের মন্তব্য কতদূর এভিহাসিক তাহা আমাদের বিচারের বিষয় লহ ; তবে তিনি সরকারের এইসব প্রয়াসের মধ্যে ষে ভেদ্নীতিস্ প্রকোপ দেখিতেছিলেন, তাহাই নিঃসাকোচে প্রকাশ করিলেন এই সময় হইতে সরকারী মহলে বাংলা বিভাগের জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়।

বুটিশ গবনমেন্ট বাঙালির বিশেষভাবে বাঙালি হিন্দুর সংস্কৃতিগত একো মূলে কুঠারাঘাত করিবার জন্ত গোপনে যখন নানানপ সায়ক প্রস্ততে বান্ত, ঠিক সেই সময়ে হিন্দুদের মধো আত্মবিশ্বাস আত্মসম্মান আত্মকর্তৃত্ব উদ্বুদ্ধ হইবার স্বযোগ উপস্থিত হইপ। স্বামী বিবেকানন্দ আমেতিকা হইতে ফিবিয়া আসিলে২ বাংলাদেশের হিন্দুমমাজের মধ্যে একটি নৃতন প্রাণের সাড়া পড়িয়। যায়। হিনুগণ বিশেষ একটি জাতি বলিয়া গণ্য হইতে পারে কি না তাহা লইস্া তর্ক উঠিয়াছিল) মারাঠাদেশে টিলক যে হিন্ু-আত্মবোধ জাগ্রত করিয়াছিলেন, তাহাই স্বামীজির অভ্ভাখানে বাংলাদেশে নৃতনভাবে প্রাণ পাইল।

হিন্দুসমাজের এই নৃতন চেতনা সম্বন্ধে ববীন্্রনাথের এক হ্থচিস্তিত মন্তব্য আমরা এই সময়ে পাই। রবীন্দ্রনাথের মতে “জগতে হিন্দুজাতি এক অপূৃর দষ্টান্ত। ইহাকে বিশেষ জাতিরূপে গণ্য করা যায় এবং. যায়ও না। জাতীয়ত্বের

ভাবাবিচ্ছেদ, ভারতী, শ্রাবণ ১৩*৫। শঙ্খতন্ব: পরিশিষ্ঠ, রবীন্ত্-রচনাবলী ১২, পৃ ৫৪৬-৫ৎ | ২১ ফেক্ুয়ারি ১৮৯৭ (১১ ফান্ুন ১৩*৩) স্বাীজী কলিকাতায় ফিরিদ্লা আমিলেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি শোভাবাজারের রাজবাড়িতে এক মহতী সভ।ক্স শ্বাম।জিকে অগ্িনন্দন দেওয়। হয় এই সভায় রবী্্রনাথ উপস্থিত ছিলেন বলিয়া শোনা বায়

ঘ্টও

৪৭৪ রবীন্ত্রজীবনী খ্রীষ্টাৰ ১৮৯৮

সংকীর্ণতা ইহার মধ্যে আছে অথচ জাতীয়ত্বের বল ইহার মধ্যে নাই। ইহা এক অথচ অনেক, ইহা! বিপুল অথচ ছরবল। ইহার বন্ধন যেমন কঠিন তেমনি শিথিল, ইহার সীমা যেমন দুঢ তেমনি অনিদিষ্ট।” এই প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ দেখাইয়াছেন যে আর্ধ অনার্ধ সভ্যতার মিলনে কি ভাবে এই হিন্দুসমাজ গড়িয়া উঠিয়াছে। যে কথা বনু বৎসর পরে “ভারতে ইত্তিহাসের ধারা” প্রবন্ধে ব্যক্ত করিয়াছিলেন, তাহার পুবাভাস পাই এই প্রবন্ধে। তিনি বশিয়াছিলেন যে আধ-অনার্ধের বাহক যুদ্ধ যদিও বহুকাল শেষ হইয়াছে, তথাচ “তাহা পবিব্যাঞ্ধ হইয়া সমাজের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গদের বিচ্ছেদ আনয়ন করিয়াছে তাহার এক কারণ আমাদের পরস্পরের মধ বৈসাদৃশ্া এত অধিক যে, প্রকাতির অনিবার্য নিয়মে যখন আমরা যিলিতেছিলাম তখনও শেষ পধস্ত আমাদের শ্বাতস্থা চেষ্টার নিয়ম ছিল না। আকর্ণ এবং বিপ্রকর্ণণ কেহই সম্পূর্ণ হার মানিতে চাহে নাই |”

এই কারণে বছসংখ্যক আর্ধ-অনাধ এবং সংকর জাতি হিন্দুত্ব নামক এক অপরূপ এঁক্য লাভ করিয়াছে; তথাপি তাহারা বল পায় নাই। হিন্দুসমাজ যেমন এক, তেমনি বিচ্ছিন্্র। এই ছুধলতার কারণ সম্বন্ধে রবীন্নাথ বলিয়াছিলেন যে, “আমরা অভিভূততাবে এক, আমরা সচেষ্টভাবে এক নহি” তাহার মতে “রাষৃতম্্বীর একতা আমাদের ছিল না।... আমরা চিরদিন খণ্ড খণ্ড দেশে খণ্ড খণ্ড সমাজে স'কীণ্‌ প্রাদেশিক ভাঁ দ্বার! বিভক | আমাদের স্থানীয় আচার স্থানীয় বিধি স্থানীয় দেবদেবীগণ বাহিরের আক্রমণ সংশোধন হইতে নিরাপদভাবে সুরক্ষিত হইয়া একদিকে ক্ষদ্র অসংগত, অন্যদিকে প্রবল পরাক্রমশালী হইয়া উঠিয়াছে |... আমরা প্রাদেশিক, আমরা পলীবামী; বৃহৎ দেশ বুহৎ সমাজের উপযোগী মতের উদারতা, প্রথার মুক্তিসংগতি এবং সাধারণ স্থার্থরক্ষার উদ্যোগপরতা আমাদের মধ্যে নাই | এক কথায়, বৃহৎ ক্ষেত্রে জীবনযাত্রানিবাহ করিবার যে-সফপ্তা তাহা আমরা লাভ করিতে পাবি নাই ।”

তারতব্ধর এই সমস্যা সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথ যথেষ্ট সজাগ) তাই বলিতেছেন, “মামাদের সাস্কার শিক্ষা এত দীর্ঘকালের, তাহা আমাদিগকে এমন জটিল বিচিত্র স্বভাবে জড়িত করিয়া রাখিয়াছে যে, বৃহৎ জাতিকে চিরকাপের মতো তাহার বাহিরে লইয়া যায়া কাহানো সাধ্যায়ন্ত নহে। সেই চিরোদ্িন্ন ভারঙবধীয় গুঞ্তির মধা হইতেই আমাদের অভুতানের উপাদান স'গ্রহ করিতে হইবে |". অতএব এক দিকে আামাদের দেশয়তা, অপর দকে আমাদেগ বন্ধনমূক্তি উভয়ই আমাদের পরিত্রাণের পক্ষে অত্যাবশ্থাক সাহেবি অনকরণ আমাদের পক্ষে শিক্ষল এবং হি ছুয়াশির গৌড়ামি আমাদের পক্ষে মৃত্যু ।”১ স্বামী বিবেকানন্দ এই কথাই আরো ওজন্বিতার সহিত আঙ্মনিবেদন দ্বারা এই সময়ে প্রচার করিতেছেন

সাহেবিয়ানা কথাটি আরো পরিষ্কার করিয়া লেখেন “কোট চাপকান পাবন্ধেখ দেশীয়] দেশীয় ভাবকে রঙ্গা করা ঠাকুরপরিবারের বিশেষত্ব ববীন্মনাথ পর্বস্ত নানাভাবে দেশয় শিল্প আচান্র-অন্টান, পোশাক-পরিজ্ছদকে একটি বিশেষ দেশীয় রূপ দান করিবার চেষ্টা করিয়াছেন। সাহেবিয়ানার অন্গকরণ তাহাদের পরিবারের প্রকতিবিক্ষদ। উদ্গ্র জাতীদত] বা হি'ছুয়ানি তাহাদের ধর্মসাধনার পরিপন্থী পাগকগণের কাছে ববীন্্রণাথ-পিখিত নকলের নাকাপ প্রবন্ধ সুপরিচিত | কে তুমি কিব্রিছ পরি প্রন্দের সা এই কবিভাটি৭ সেই সঙ্গে স্মরণীয় ১৯১২ সালে যখন বিলাত যাইতেছেন তখনো আলোয়ার মহারাদার পোশাকের প্রশংসা করিরা পর লেখেন | এই পরিচ্ছদের

হিন্দুর ইক্য, ভারতী, শ্রাবণ ১৩*২, পু ৩৫৮-৬১ সম : বিশ্বভারতী সাস্যরণ রবীজ-রচনাসলীতে নাই | পশ্চিমসক্স সয়কার-কর্তৃক গ্রকাশিত রবলু রচনাবলী ১৩, পূ ২৭।

কোট চাপক!ন, ভারতী, আশ্বিন ১৩০৫, পর ৫*১-১* | সমাজ প্রশ্থের নকলের নাফালো, চুলনীয় সমাজ, রনী-রচনাবলী ১২, পৃহ২৩।

নকলের নাকাল, বঙ্গদর্শন, মোষ ১৩০৮ পৃ ৯৯ ১০৪। সমাস, রর্বান্-রচনাধণী ১২) পু ১৯৯।

তন্ববোধিনী পরিকাঁ, প্রবণ ১৩৯

গ্রষ্টান্দ ১৮৯৮ ভাবরুতীর সম্পাদক : ১৩০৫ ৪৭৫

দেশীয়তা কবির মতে আত্মশক্তি আত্মসম্মানের অন্যতম পরিচা্ক | কিন্তু এই দেশাম্মকোধ-যে কেবল পরিচ্ছদের দেশীয়তায় পর্মবসিত তাহ! নহে ; আচারে বাধহারে এবং জীবনের পুতি একটি বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গিতে এই দেশায়তা দেখিতে পাই।

এই দেশীয়তাবোধ হইতে বা'লার জমিদারগণের আদর্শ কী সে-সন্গদ্ধে রবান্দ্রনাথ 'এই সময়ে এঘুখুজা বনাম

রী

বাড়ুয্যে শীক একটি প্রবন্ধে লেখেন 'মুখুজ্যে হইহতেছেন রাজ প্যারীমোহন মুখোপাধ্যায়” এক পতিকায় কাগ্রে পক্ষীয়দের প্রতি অবজ্ঞাপ্রকাশপূরৃক তিনি লিখিয়াছিলেন যে দেশের ধাহার] ন্যাচারাল লীডাব' কাকাভাবিক্ক নেহা না প্রকাত মোড়ল, নানা অস্বাভাবিক কারণে ক্ষমতা তাহাদের হস্ত হইতে বি হস্টয়া পড়িতেছে। রাজা পারীমোহনের এই আক্ষেপ-উক্কি লইয়া ববীন্্রনাথ, জমিদাপ-সম্প্রদায় যে প্রকৃত নেতৃস্থানীয় পহেন, তাহাত গুমাণ করেন রবীন্দ্রনাথ দেখান যে ইংলগ্েব জমিদারশ্রেণা বা দি সহিত বাংলাদেশের জমিদারদের রা হয় না, কারণ ইহাদের অধিকাংশের ইতিহান শতাধিক বস যার না| ইংলণ্ের 'অভিজাতশ্রেণী বা'লায় অজ্ঞাত, বাংলার স্থপর্রিচিত হইতেছে 'কুলীনা | কিন্ধু 'কুপীনোর সন্মনি পা আভিঙ্গাতা অর্থ দিয়া হর নাই তা ছাড় আমাদের দেশে ধন- গৌরবের উপর সমাজ-মর্যাদা নি কবে না। ধনী জমিদারদের অতি নিধন মূর্খ আম্মীয় হয়, তাহার মাপকাঠি কুল, অর্থ নহে সুতরাং যাহাকে িডারশপা বলে ভাহা অর্থের ছারে এনে উপনীত হয় নাই | ধাহাদেরু হাতে ধন আছে হাঠার! যে ইচ্ছা করিলে প্রচামাধাপরণের আহ্গত্য আকষণ করিতে পাবেন কথা ববীন্ছনাথ তাহার জমিদার ভ্রাঠাগণকে স্মরণ করাইনা! দিলেন |

“সেকালের ধনা জমিদারগণ নবাব সবকারে প্রতিপন্ডি পদবী-লাভের জন্তা কিরপ চেষ্টা করিতেন কোনো চেষ্টা করিতেন কি লা তাহা আমরা ভালোক্ধপ জানি না। তখন নবাবদরবাৰের প্রসন্থতা হইতে কেবল শুন্তগত খেতাব ফলিত না, তখন সম্মানের মধে মৌভাগা এব, বাজপছের মধ্যে সম্পদ পূণ থাকিত ; অতএব তাহ লাভের জন্য অনেকেই চেষ্টা করিতেন সন্দেহ নাই | কিগ্র তথনক বর যাহা সাধারণ ঠিতকাধ-_ অর্থাৎ দীঘিখনন, মন্দিবস্থাপন, বাধনির্মাণ এই সকপকেই ভাহারা ধা কাঁতি বলিয়া জ্ঞান করিতেন, খেতাৰ লাভকে নহে দশের শিকট ধন্য হইবার আকাজ্ষা ঠাহাদের প্রবল ছিল তখন এই-মকশ হিতকাধ রাজসম্মানের মৃলান্বক্ূপ ছিল না, ইহাতে সাধারণের সম্মান আকণ্ণ করিত সেই সাধারণের সম্মানের পতি ভাহাদের উপেক্ষা ছিপ না” কিন্ত বর্তমানের জমিদারগণ “নিজ গৌরবে উচ্চ নহেন, সধসাধারণের সহিত একা-ঘারাও বু বলি নহেন ইহারা... বিলাতেব জননায়কদের ন্যায়ও প্রবল নহেন। হহারা কুম্মালতার গায় একমায় গবর্জেন্টের আশ্রয়হষ্টি বাহিয়া উন্নতির পথে চড়িতে চাহেন-_ ভুলিয়া যান যে, সেই সংকীর্ণ রাজপগুবাহী উচ্চত। অপেক্ষা গ্ুলুসমাজের খবতা শ্রঘ এক, ভণসমাজের নম্রতা শোভন |” (পৃ ৫৮৯ )।

কেবল ভীত সমালোচনা করিয়। তিনি প্রবন্ধ শেষ করেন নাই, কিভাবে জমিদারগণ দেশের দশের শ্রদ্ধার পাত্র হইতে পারেন সে-কথাও বলিলেন : “এ দেশে পূর্ককালে জমিদার-সম্প্রদায়ের যে গৌরধ ছিল তাহা খেতাব অবলম্বনে ছিল না, তাহ দান, অটনা , কীতিস্থাপন, আত্গণের আতিচ্ছেদ, দেশের শিল্প-সাহিতোবর পালন-পোষণের উপর নিতব করিত। পেই মহৎ তি এখনকার অমিদাররা প্রতিদিন হারাইতেছেন।

রবীন্দ্রনাথের এই সময়ের মনোভাথ যে কেবল এই 'মুখুযো বনাম বাড়ুঘ্যে? প্রবন্ধে প্রকাশ পাইয়াছে তাহা নহে,

সুখুধো বনাম হাড়হো, ভারতী, শাস্ ১৩*ৎ, পৃ ৪২১-৩১। সমূহ, পরিশিষ্ট, রবীক্র-রচনাবলী ১০ পৃ ৫৭৬। |

পযারীমোহন মুখোপাধ্যায় উত্তরপাড়ার রা জয়কৃফণ মুখোপাধ্যায়ের (১৮৮৮৮) গুত্র। পারীমোহনের জন্ম হয় ১৮৪* সালে, ১৮৬৪ সালে এষ. এ. ১৮৬৫ সালে বি. এল, পাস করেন ১৮৭৭ সাতে বঙ্গীয় বাবস্থাপক সভার মনোনীত দন্ত, ১৮৮৪ ১৮৮৫ সালে ভারতীয় বাবস্থাপক সভ।র সদন্ত। ১৮৮৭ সালে তিনি রাজা উপাধি পান।

৪৭৬ ববীন্দ্রজীবনী খীষ্টান্ষ ১৮৯৮

'র্রাজটীকা”১ নামে গল্পেও তাহ! হাক্ককর প্রহসনের মধ্যে শেষ হইয়াছে এই ছুইটি প্রবন্ধ গল্প লিখিবার কারণ হইতেছে তখন বাংলাদেশের বড়ললোকদের মধ্যে সার আলফ্রেড ক্রফটের প্রন্তরমৃতি নির্মাণ করিবার জন্য টাদা উঠটিতিছিল। এই বিসদৃশ ব্যাপারে অর্থ-সংগ্রছে দেশীয় অভিজাত শ্রেণীর উৎসাহ দেখিয়া রবীন্দ্রনাথের মন অত্যান্ত বিরক্ত হইয়াছিল।* কবি কি তাই লিখিয়াছিলেন ন্নতিলক্ষণ কবিতায়। সিংহছুয়ারে পথের ধারে বথের না দেখি অন্ত-_ কার সম্মানে ভিড়েছে এখানে যত উ্কীষবস্ত ?... রাজ! মহারাজ মিলেছেন আজ কাহারে করিতে ধন্ত ? বসেছেন রা পূজাজনেরা কাহার পুজার জন্য ? উত্ধর গেল যে সাহেব ভরি ছুই জেব করিয়া উদর পৃতি, এবা বড়োলোক করিবেন শোক স্বাপিয়া তাহারি মৃতি।+ পৃর্বোপ্লিখিত প্রবন্ধপাঠে পাঠকদের সহজেই মনে হইতে পারে রবীন্দ্রনাথ বাংপার জমিদারদের নেতৃত্বকে অস্বীকার করিয়াছেন, স্থ'তরাং বাংলার স্বাভাবিক নেতা হইতেছে__ রাজনৈতিক বক্তী নেতারা তিনি জমিদারগণের নেতা হইবার দাবিকে ধুলিসাৎ করিয়াছিলেন বলিয়াই যে অপরপক্ষের নেতৃত্বের দাবিকে সমীচীন বলিয়া স্বীকার করিলেন, তাহ] নহে তিনি লিখিলেন, “জমিদারগণ দেশেবু জন্য যাহা করবেন তাহা গবনমেন্টের মুখ তাকাইয়।, ইচ্ছার [ রাজনীতিকরা ] যাহা! করেন তাহা ইংরেজের প্রতি লক্ষ্য রাখিয়া তাহার ভাষা ই'রেজি, তাহার প্রণালী ইংরেজি, তাহার প্রচার ইংরেজিতে |” আমরা দেশের হিত করিব, কিন্তু দেশকে স্পর্শ করিব না, ইহা হইতে পারে না। দেশকে কেমনভাবে স্পর্শ করা যায় তাহার খুব সহজ উন্নর বুবীন্দনাথ দিয়াছিলেন; সে-কথা আজ অঠি সামান্ত সাধারণ বলিয়া মনে হইতে পারে, কিন্তু তখন উহা আত্যন্ত বাডাধাড়ি বলিয়াউ রাজনীতিকদের মনে হষ্ঠত। তিনি বলিয়াছিলেন, “দেশের ভাঙা বলিয়া, দেশের বস পরিয়া* ইংবেজের প্রবল আদশ যদি মাতার ভাষা ভ্রাতার বস্থু হইতে আমাদিগকে দূরে বিচ্ছিন্্ করিয়া লইয়া যায় তবে জননায়কের পদ গ্রহণ করিতে যাওয়া নিতান্তই অসংগত |" যাহা বাকো বলিতেছেন, জীবনে 9 তাহা বূপায়িত করিবার প্রয়াম চলিতেছে

রাজটাকা, ভারতী, আহ্বিন ১৩*৪, পৃ ৪৮১-৯৭ , গঞগুগ্ছ, রবীন এচনাবলী ২১, পু ২৩৭।

২. 7 £60:0৪:5 1897 917 41650106080 01085৮00054 08671 00707600660 ৬10৮ 006 £300861017 10607810 1061) ০1 367881 192 10015 0৮০০ 31 55815 8174 ৮৪4 0617 19126060606 69180 170505565978 19711789119 20 96518, 161 175018--- ৮, ৮৮ 63586150805 867801874০1 0৮6 14284৫% 3০705, ৮০], 11) 6. 399,

উন্নতিলক্ষণ, ভারতী, অগ্রহায়ণ ১৩*৬ | কল্পন', রবীন্্-রচনাবলী ৭, পু ১৭২।

$& অপর পক্ষের কণ!, ভারতী, নাঙ্িন ১৩৫ | লমুহ. পরিশিষ্ট রবীন্দর-রচনাধলী ১", পৃ ৫৮৩।

রীষ্টান্দ ১৮৯৮ ভাব্তীর সম্পাদক : ১৩০৫ ৪৭৭

রবীন্দ্রনাথ এক প্রবন্ধে জমিদারগণকে অপর প্রবন্ধে জননায়কগণকে আক্রমণ করিলেন-_ স্থতরাং উভয়পক্ষই অসন্তুষ্ট হইল। তাহার কাছে যাহা অযৌক্তেয়, যাহা সমগ্র কল্যাণ হইতে বিচ্যুত, তাহ! অশ্রদ্ধেয়। খাহার] দেশের সমগ্র কল্যাণের প্রতি দৃষ্টি না দিয়া কেবল স্থানিক অভাব-অভিযোগকেই একান্ত বিবেচনা করিয়া চলেন, তাহাদের পক্ষে রবীন্্রনাথের এই কঠোর সমালোচনা যথার্থ অপ্রিয় সত্যের ন্যায় অসহ হয়।

রাজনৈতিক ক্ষেত্রে জমিদারদের শিক্ষিত শ্রেণীর নেতৃত্বের দাবির উপযুক্ততা সম্বন্ধে তিনি যে কেবল লিখিলেন তাহা নহে, ধর্ম সম্থদ্ধে একশ্রেণীর লোকের একাধিপত্যের দাবিকেও তিনি অস্বীকার করিলেন। অপর- একটি প্রবন্ধে ধর্ম সম্বষ্ধে অযৌক্তিক অন্ধ নিষ্ঠাও যে জাতীয় জীবন-গঠনের অন্তরায় কথাও তিনি বলিতে কুষ্ঠিত হইলেন না। হিন্দত্বের নামে অন্ধ মৃঢ়তার সমর্থনও জাতীয়তার অঙ্গ হইয়া উঠিয়াছিল। এই মনোভাবকে নীরবে বিনা প্রতিবাদে সহা করা রবীন্দ্রনাথের পক্ষে অসস্ভব।

কিছুকাল হইতে বাংলাদেশের হিন্দুসমাজের শিক্ষিতদের মধ্যে ষে নৃতন প্রাণশক্তি আসিয়াছিল তাহা স্বামী বিবেকানন্দের সমন্তয়বাদের প্রচারের ফলে বিশেষ বল লাভ করে। শিক্ষিত বাঙালি পরমহংসদেবের ভক্তিবাদ মুতিপৃজায় নৃতনভাবে আকুষ্ট হইয়াছিল; তাহারা ব্রাঙ্ষষমাজের নিরাকার উপাসনাকে মানবের বিচিত্র সাধনপস্থার অন্যতম বলিয়া স্বীকার করিতে অনিচ্ছুক যতীন্দ্রমোহন সিংহ তাহার এক গ্রন্থে বলিলেন যে “নিরাকার উপাসনা হইতে পারে না) হয় সোহং ব্রহ্ম হইয়া! যাও, নয় মৃতিপৃজা' করো ।' তিনি কালাপাহাড়ের ঠিক বিপরীত মুখে সংহারকাধ শুক করিয়াছিলেন; যৃতিপূজাকে তিনি যে কেবল রক্ষা করিতে চান তাহা নহে, অমূর্তপূজাকে একের ছারা ধ্বংস করিতে ইচ্ছা করেন। রবীন্দ্রনাথ এই মতের দীর্ঘ সমালোচনা লিখিয়া ব্রাঙ্ষলমাজের নিরাকার উপালনা-পদ্ধতি সমর্থন করেন। রবীঙ্নাথ লিখিতেছেন, “মুসলমানেরা মৃতি পূজা করে না। অথচ মুসলমান- সম্প্রদায়ের মধো ভকু কেহ নাই বা কখনো জন্মেন নাই কথা বিশ্বাস্ত নহে |... নানক যে জগতের ভক্তশ্রেষ্ঠদের মধো একজন নহেন তাহা! কেহ সাহস করিয়া বলিবেন না।” আজও দেশমধো যে এই তর্কের মীমাংসা হইয়াছে তাহা নহে ; স্থতরাং কবির ঘুক্তিধারা এখনো উপভোগা শিক্ষাপ্রদ হইবে।+

এই বৎসরের 'ভারতী'তে রবীন্দ্রনাথ যে সকল রাজনৈতিক সামাজিক সাহিত্যিক প্রবন্ধ প্রসঙ্গকথা পুস্তক-সমালোচন! প্রকাশ করিয়াছিলেন, তাহার সকলগুলির বিস্তৃত বিবরণ দেওয়া সম্ভব নহে। রাজনৈতিক প্রবন্ধ ব্যতীত গল্প সাহিত্য বাকরণ-বিষয়ক বহু প্রবন্ধ লিখিত হইয়াছিল। বিচিজ্র রচনার অবসরের মধ্যে ভাষাতত্ব-আলোচনা তাহার শ্রান্তিঅপনোদনের অন্যতম সঙ্গী ভাষাতত্ব-আলোচনায় বুদ্ধবয়সেও তাহার আনন্দ গেখিতে পাই; ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিধুশেখবু শাস্ত্রী, শ্রীন্নুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় প্রভৃতির সহিত তিনি ভাষাতত্ব আলোচনায় মগ্র আছেন দেখিয়াছি।

সাহিত্যবিষয়ক প্রবন্ধের মধো উল্লেখযোগা হইতেছে এগ্রামা সাহিতা” সন্বদ্ধে সুদীর্ঘ আলোচনা বহু বৎসর বাংলাদেশের গ্রামের মধ্যে বাস করিবার ফলে বাংলার নারীকে সমগ্রভাবে দেখিবার স্থযোগ এবং বাংলার মানুষের মনের সন্ধান লইবার অবসর তিনি পাইয়াছিলেন। বাংলার চাষী, মাঝিষালা, গৃহস্থ, প্রজা, নায়েবগোমস্ত1 গ্রভৃতি কর্মচারী, এবং দরিদ্র মধ্যবিত্ত শ্রেণীর সঙ্গে মিশিবার যে অসাধারণ স্থযোগ তিনি লাভ করিয়াছিলেন, তাহা

হতীশ্রযোছন লিংহ 'সাফার নিরাকারতত্ত' নামে গ্রন্থের সমালোচনা, সাকার নিঝাকায়, ভীরতী, আশ্বিস ১৩০৫; পৃ ৫২২-৩৪। জর. আধুনিক সাহিতা, রবীন্-রচনাবলী », পূ ৫১৩। ভারতী, শ্রাবণ ১২৯২ (পৃ ১৮৮-৯৮) সংখা রবীজ্রনাথ সাকার নিয়াকার উপাসনা সম্বন্ধে একটি প্রবন্ধ লেখেন। ভারতী, মাঘ ১৩*, 'নিয়াকার উপাসনা' শান্তিনিকেতনে পৌষ উৎসবের ভাধগ।

৪৭৮ রবীন্দ্রজীবনী খ্রীষ্টাব্দ ১৮৯৮

খুব কম কবির ভাগো ঘটে। তীক্ষ পর্ধবেক্ষণশক্তির দ্বারা যাহা তিনি লেখেন, অসাধারণ কল্পনাশক্তির বলে তাহাকে অপব্ূপ করিয়া তুলিবা; অসামান্য শক্তিও তিনি রাখেন। ইহার উপর সহাম্ভূতি অন্কম্পার দ্বারা ষে-রচন! স্থষ্টি হয় সাহিত্যে তাহা অপরূপ গ্রামের সহিত এই পরিচয়ের ফলে কয়েক বত্মর পৃবে তিনি “সাধনায় মেয়েলি ব্রতকথা” সম্বন্ধে প্রবন্ধ লেখেন, 'সাহিত্য-পরিষৎ পত্রিকায় “ছড়া, সংগ্রহ করিয়া প্রকাশ করেন; এবারও লোকসাহিত্ায বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা করিলেন আমরা পুবেই বলিষাছি রবীন্দ্রনাথ লোকসাহিত্য-আলোচনার দীক্ষাগুর শ্রশ্থ-সমালোচনা এই বসরের রচনার আর-একটি বিশেষত্ব পাঠকের স্মরণ আছে দ্বিজেন্লাল বায়ের “আর্ধগাথা' নামক গান কবিতার বই বাহির হইলে বুবীন্গনাথ সাধনা পঞ্জিকায় ( অগ্রহায়ণ ১৩০১) ভাহার সমালোচনা করিয়া বাংলার পাঠকমণগ্ডলীর কাছে এই নবীন লেখককে পরিচিত করাইয়া নেন ভাহার “আফাটে' নামক হাল্টোক্ষীপক কাবাগ্রস্থ এই বৎসর অ-নামে প্রকাশিত হইলেও রবীন্দ্রনাথ 'ভারতীতে১ ইহার দীর্ঘ সমালোচন। প্রকাশ করেন। সমালোচনায় ভালোমন্দ উভয়ই ডিল, তবে প্রশংসা বিচারহই অধিক ববীন্্নাধের লেখনী হইতে নির্গত সমালোচনা ছিজেন্দলালের সাহিত্যিক যশ ল'ভের সহায়তা করিয়াছিল, সে বিষয়ে কোনোই সন্দেহ নাই।

ব্সরের গোড়ায় দীনেশচন্দ্র সেনের বিক্ষভাষা সাহিজোর এক মনোজ সমাপোচনা প্রকাশিত হয়।* দীনেশচন্দরের শরম নিষ্ঠার ফলে তিনি যে অস্বণ গ্রন্থ প্রকাশ করিয়াছিলেন তাহার ছিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হইলে রবীন্দ্রনাথ খুবই আনন্দ প্রকাশ করিয়া উহ্াকে গ্রহন করেন; ১৩০২ (১৮৯৬ ) সালে যখন দীনেশচন্দ্র সেনের এই গ্রন্থ প্রথম প্রকাশিত হয়, তখন তিনি কুমিল্লায়; রবীন্দ্রনাথ তাহাকে বিশেষ সমাদর জানাইয়। যে পত্র দেন তাহার মূল্য দীনেশবাবু স্বয়ং স্বীকার করিয়াছেন | তিনি লিখিয়াছেন, “হাহা একটি গৌরবের জিনিস বলিয়া আমি অনেকদিন রাখিস দিয়াছিলাম। ছোটো একখানি কাগজ দোভাজ করিয়া মুক্তার মতো হরফে কবিবর পিখিয়াছিলেন, সেই প্রত্যেকটি হরফ আমার নিকট মুক্তার মতো মুলাবান বলিরা মনে হইয়াছিল। বঙ্গসাহিতোর বাজার অভিনন্দন সেই রাজ্ে নৃতন প্রবেশার্থীর পক্ষে কত আদর সম্মানের, তাহ] সহজেই অন্রমেয়।'* দীনেশচন্ত্রের গ্রন্থ বাঙালির আন্মপ্রকাশের অন্যতম প্রয়াস

সাহিত্যেও যেমন, ইতিহাসের ক্ষেত্রেও তেমনি যুগপহ আগ্রচেতনা দেখা দিল বাঙালির প্রতিভার মধো। বাংলাদেশের ইতিহাস রচনায় পথিকৎ অক্ষয়কুমার মৈহেয় ইনি রাজশাহীর উকিল রবীন্দ্রনাথের সহিত ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত উহার “সিরাজদ্দৌলা' নামক গ্রন্থ ১৮৯৯ সালে প্রকাশিত হইলে রবীন্দ্রনাথ ভারতীতে ( জোষ্ঠ ১৩০৫) দীর্ঘ সমালোচনা লিখিয়া এই গ্রস্থকে অভিণন্দিত করিলেন ! যুবক দীনেশচন্দ্র সেন যেমন বাংলাদেশের পল্লী অঞ্চলের মধ্যে ঘুরিয়া প্রাচীন পুবিপত্র হইতে বাংলা ভাষা লাহিতোর ইতিহাস সংকলন করিলেন, অক্ষয়কুমাবও তদ্রপ ব্রিটিশ যুগের ইতিহাসের দপ্তর ঘাটিয়! বাংলাদেশের নবাব পিরাঞ্জদোৌপগার কাহিনী বিধৃত করিলেন ; তিনিই প্রমাণ করিলেন যে ইংবেজ-উতিহাস-লেখকদের অন্ধকুপহত্যা-কাহিনী মিথা। ঘটনা

অক্ষয়কুমারের গবেষণামূলক প্রবন্ধ গুলি সাধন! পত্ধিকায় প্রকাশিত হ্টতে থাকে + ১৩৭২ সালের কাতিক মালে সাধনা বন্ধ হইয়। গেপে ণসরাজদ্দৌলা"র অবশিষ্ঠাশ ভারতঠী'তে প্রকাশিত হয়। অতঃপর এই গ্রন্থ মুদ্রিত হইলে (১৮৯৯)

১. জাবাছ়ে, তারতী, অগ্রহায়ণ ১৩০৫, পু ৭৫৭-৬১ , আধুনিক মাহিতা, রখীন্র-রচনাবলী », পূ ৪৮৬

বঙ্গভানা, ভার তী, বৈশাখ ১৩*৫, পূ ৭ও ৮১। সাহিত্য, রবীন্দ্র-রচন।বলী ৮, পরিশি্, পু ৮৮৮

দীনেশচজ সেন, ঘরের কপা বুগস!কিঠা, পু ৩৪51 বঙ্গদশন, শ্রাবণ ১৩*৯ রবীল্রুনাথ দীনেশচন্্র সেনের 'ব্ঙ্গভাষ! সাহিত্যের আয়-এক বর সম[লোচনা করেন। এর. সাহিতা, রবীন্্র-রচনাবলী ৮, পূ ৪৩২।

খ্রী্টাৰ ১৮৯৮ ভারতীর সম্পাদক : ১৩০৫ ৭৯

রবীন্দ্রনাথ 'ভারতী'তে ( জোট ১৩০৫ ) উহার বিস্তারিত সমালোচন] করিয়া লিখিলেন, “নিপুণ সারধি যেমন এককালে বনু অশ্ব যোজন! করিয়া রথ চালনা করিতে পাবে, অঙ্গয়বাবু তেমনি প্রতিভাবলে এই নহু নারকসঙ্কুল জটিল ছম্্বিবরণকে আরন্জ হইতে পরিণাম পর্স্থ বলে অনিবার্ণবেগে ছুটাইয়া লইয়া গিয়াছেন |” কিন্ত রবীন্দ্রনাথ স্থক্ষবিচার-পন্থা অবলম্বন করিয়া পিখিলেন, “কেবল একটা বিষয়ে তিনি ইত্িহাস-নীতি লঙক্গন করিয়াছেন 1... শাস্তভাবে কেবল ইতিহাসের সাক্ষা দ্বারা সকল কথা বাক্ত না করিয়া সঙ্গে সঙ্গে নিজের মত কিঞ্চিৎ অধৈর্ধ আবেগের সহিত প্রকাশ করিয়াছেন হুদ প্রতিকূপ সংস্কারের সহিত যুদ্ধ করিতে গিয়া এবং প্রচলিত বিশ্বাসের অন্ধ অন্বায়পরবাব দ্বারা পদে পদে ক্ষুব্ধ হইয়া তিনি শ্বভাবতই এইকপ বিচলিত ভাব গ্ুকাশ করিয়াছেন কিন্থ ইহাতে সত্তোর শান্তি নষ্ট হইয়াছে এবং পক্ষপাতের অমূলক আশঙ্কায় পাঠকের মনে মধ্যে মধো ঈশ্বৎ উদ্বেগের সঞ্চার করিয়াছে ।”১ এই কয় পওক্তি স্তপরিণত এতিহাসিকের লেখনীর উপমুক্ত

সমপাময়িক আংলো-ইপ্ডিয়ান পত্র অক্ষয়কুমারের গ্রস্থ সঙগঙ্গে তীব্র মত প্রকাশ করিলে, রবীন্দনাথ কী কঠিনভাবে তাহাদের সমালোচনা করিয়াছিলেন তাহা পাঠ করিলে এখনো পাঠকরা আনন্দ পাইবেন |২

অক্ষয়কুমার মৈয় বিঙ্গভাষার লেখকা' গ্রন্থে (১৩১১) লিখিয়াছেন যে,বরবীন্ছনাথ ভারতী পরের সম্পাদনভার গ্রহণ করিলে (১৩০৫ )তাহার সহায়তা ভাভাণ প্রস্তাবে তিহাসিক চিত্রা নামক ব্রৈেমাসিক পরেন সম্পাদনভার গ্রহণ কপেন।; প্র এক বংসরের অধিক চলে নাই 1” বুবীন্দ্নাথ এই পব্িকাকে অভিনন্দিত করিয়া লেখেন, “আজকাল সমস্ত ভারতবর্ষের মধো শিক্ষা এবং আন্দোলনের যে-জীবনশক্তি নালা আকারে কাধ করিতেছে, এই ইত্হাসক্ষধা ভাহারই একটা স্বাভাবিক ফল]? রণীন্দ্রনাথের মনে গত পনেরো বহদুর কনগ্রেস দেশের মধো, যেচেতনার স্ষ্টি করিয়াছে, এই হিতিহাস-বুকঙ্ষাা ঠাহাপই প্রকাশ | খন আঁমবা বোস্বাই-মাদাজ-পঞ্জাবকে যেমন নিকটে পাইতে চাই) ক্েমনি অভীত ভারতবন/ক প্রতাক্ষ করিতে চাহি নিজের সঙ্গন্ধে সচেতন হইয়া এক্ষণে আমরা দেশে এবং কালে এক রূপে এব" বিরাট পে আপনাকে উপলব্ধি করিতে উত্ম্বক।... সেই মহৎ আবিদ্কাবুব্যাপারের নৌধাঙ্জায় 'এতিহাপিক চিন্তা একটি অন্যতম তবশী।”* এই প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ ভারত-ইতিহাস কী ভাবে এব" কোন আদর্শে রচিত তয়া উচিত তাহার ইঙ্গিত দিয়াছিলেন।।

এই বৎসর “ভাবুতী'ছে কবিকে ইতিহাসের ছুইখানি পাঠাগ্রন্থ সমালোচনা করিতে দেখি; বাংলাদেশে তখন ফুলের উপরব্-ক্কাসে ভারঙ- ইতিহাস ই'রেজিতে পড়িতে ইংরোজতে প্রশ্নোত্তর লিখিতে হইত নিম়শ্রেণীর জন বাংলায় ভারত-ইতিহাস লেখা হইত সেই শ্রেণীর ছুখানি* বইকে কেন্দ্র করিয়া কবি ইতিহাস সপ্বন্ধে তাহার মতামত বাক্ক করেন। সেইউতিহাস «এ ইতিহামলেখকদের নাম লোকে ভুলিয়াছে। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের সেই রচনা এখনো দিগ্দশনের কার্য করিতেছে

“ভারতী'র সম্পাদ কত্ব-পবটা বিশুদ্ধ সাহতআালস্টির দিক হইতে বন্ধ্যা নহে আপাতদুষ্টতে মনে হইতে পারে ম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করিয়া বহু রাজনৈতিক সাহিত্যিক সামা্দিক প্রবন্ধ লিখিয়া তাহার রসকল্পনায় বুঝি দৈন্য

পিরাজদ্দৌন। ১, ভারঠী, ভৈষ্ট ১৩০৫, পু ১৪৩-৪৭। আধুনিক সাহিতা" রবীন রচনাবলী ৯, পূ ৪৯৯] দ্র. ইতিহাস, বিশ্বভারতী ১৩৬২, পৃ ১২১। মিরাজঙ্দৌত। ২, প্রসঙ্গ কথা, ভারতী, প্রানণ ১৩০৫ রবীন্ত্র-রচনাবলী ৯, পৃ ৫*২। আঁ. ইতিহাস, বিশ্বভারতী ১৩৬২, পৃ ১২৫।

উতিহাসিক চিত্র, আধুনিক সাহিতা, রবীঙ্স-রচনাবলী ». পৃ ৫৬ ভারতী, ভার ১৩২২ জর, ইতিহ।ন, বিশ্বভারতী ১৬২, পৃ ১৩১।

ধূর্ঠটি প্রসাদ মুখোপাধায়, কির নিদেশ, শারদীয়! দেশ, ১৩৬১, পৃ ৪৯।

«৫ ভারতবর্ধের ইতিহাম, হেমলতা! দেবী ( শিবনাখ শস্ত্ীর বস্তা), ভারতী, জৈ্ট ১৩৫ আবছুল করিম বি. এ. প্রণীত ভারতবর্ষে সুললমান রাজত্বের ঈতিয্ প্রথম ধণড। মুসলমান রাজদ্বের ইতিহাস, ভারতী, শ্রাবণ ১৩০৫, পু ৩*৯-১৫ | রবীন্-রচনীবলী », পূ ১৯৪-৯৮। ইতিহাস” পূ ১৪৭, ১৫৪

৪৮০ বুবীন্দ্রজীবনী খ্রষ্টাৰ ১৮৯৮

আসিয়াছে এত কাজের মধোও এই এক বৎসরে সাতটি ছোটগল্প লিখিয়াছিলেন; সে গল্প পড়িতে পড়িতে মনে হয় না যে এই লেখকই কঠরোধের সমস্তা, ভাঁষাবিচ্ছেদের বিতর্ক বহুবিধ সমস্তা লইয়! প্রায় প্রতি মাসেই প্রবন্ধ লিখিতেছেন, এই মানুষই কুষ্টিয়ার ব্যবসায়ে ভ্রাতৃম্পুত্রদের সহিত জড়াইয় পড়িয়াছেন।

বৎসরের সাতটি গল্প হইতেছে ( ১৩০৫) ছুবাশা পুত্রযজ্ঞ ডিটেকটিভ অধ্যাপক রাজটিকা মণিহার! দৃষ্টিদান। বিচিন্্র রসে কল্পিত গল্পগুলি। ছৃুরাশার আখানবস্বব ববীন্দ্রসাহিত্য পাঠকের নিকট স্থপরিচিত। আচাবধর্ম ষানবধর্ষের মধো যে শাশ্বত বিরোধ চলিতেছে এখানে তাহাই গল্পাকারে রূপ পাইয়াছে__ যেমন পাইয়াছে “কাহিনী'র আখ্যানগুলিতে। এতবড় ট্রাজেডি তাহার ছোটগল্পের মধ কমই দেখা যায়; ঘটনার দিক হইতে ইছার সমাবেশ যেমন সম্পূর্ণ, অন্থভূতির দিক হইতে ইহা তেমনি তীব্র। যে ত্রাক্ষণের সদাচারদীপ্ত নৈষ্ঠিকতা মুপলমানী তরুণীর হৃদয়কে একদা হরণ করিয়াছিল, তাহ? কেশরলালের সতাধর্ষ ছিল না-_ তাহা ছিল তাহার সংস্কারগত অজিত আচারধর্ম। “যে ব্রাহ্মণ আমার কিশোর হৃদয় হরণ করিয়া লইয়াছিল আমি কি জানিতাম, তাহা! অভ্যাস তাহা সংস্কার মাত্র আমি জানিতাম তাহা ধর্ম, তাহ] অনাদি অনস্ত।” কিন্তু কেশরলাল বহির্যাসের গ্যায় আচারধর্জ ত্যাগ করিয়া সহজেই ভুটানী স্ত্রী ভুটাখেতে আত্মসমর্পণ করিতে পারিষ্বাছিল। কিন্তু এই নবাবছুহিতা সকল লৌকিক ধর্মনিরপেক্ষ নারীহদয়ের বিশুদ্ধপ্রেম উৎসর্গ করিয়াছিল) আজ ত্রিশ বৎসর পরে শৃগ্ের মধ্যে লে নিক্ষিপ্ত হইল। সে বলিতেছে, “হায় ব্রাহ্মণ, তুমি তো তোমার এক অভাসের পরিবহে আর-এক অভ্যাস লাভ করিয়াছ, আমি আমার এক যৌবন এক জীবনের পরিবর্তে আবু-এক জীবন যৌবন কোথায় ফিরিয়া পাইব।” বিদায় লইবার সময় নবাব- ছুহিতার ত্রিশ বৎসরের চচিত হিন্দু 'অভাসমত নমস্কার জানাইয়াই যেন বুঝিতে পারিল যে সেখানে তাহার আশ্রয় নাই__ তাই তাহার পুরাতন প্রায়বিস্বৃত সংস্কারমহ বলিল সেলাম বাবুসাছেব? |

'পুত্রধজ্' গল্পটি ভারতীতে সমরেন্নাথ ঠাকুরের নামে প্রকাশিত হয় ( জাষ্ঠ ১৩০৫); আসলে গল্পটির প্রট কবিই দ্বেন। সমরেন্্রনাথ খামখেয়ালী সভার জন্য সেটা খসড়া! করেন; তার পর রবীন্দ্রনাথ তাহার আমুল সংশোধন করবেন তাহার নিজ ভাষায় লিখিয়া দেন।১ এ-গল্পটি 'সম্পত্তি-সমর্পণের ল্ায়ই নিষ্ঠুর |

ভারতী চৈত্র (১৩০৫) সংখা প্রকাশ করিয়া রবীন্দ্রনাথ উহার সম্পাদকত্ব ত্যাগ করিলেন $+ একই কর্মের মধ বহুকাল নিমগ্ন থাকা কবিধর্ম নহে পত্রিকা-পরিচালনাব ঝামেলা, তার উপর আছে ঠাকুর-কোম্পানির বাবলায়ের বঞ্ধাট। ছাড়া শিপাইদহে পরিবার লইয়া গিয়াছেন-- সম্ভানদের শিক্ষার বাবস্থা করিতে হইতেছে, সেখানে আরো মন দেওয়া প্রয়োজন এইসব বিচির কারণের অভিথাতে বৎ্সরান্তে ভাব্ুতীর ভার অন্তের স্বন্ধে চালনা করিয়া দিলেন।

চৈত্র মাসে কবিতা দুই-একটি দেখা দিতেছে, বিশেষভাবে উল্লেখষোগা বিদায়? (১৭ চৈন্ধ ১৩০৫) বর্ধশেষ (৩০ চৈত্র )। ছুইটি কবিতার মধো ভাব-এঁকা মাছে। এই বর্দশেষ লেখার সাতাশ বৎসর পরে কবি এক ভাষণে এই কবিতার ব্যাখ্যা করিয়া বপেন, “ঝড় এসে আমার মনেব ভিতরে তার ভিতকে নাড়া দিয়ে গেল; আমি বুঝলুম, বেরিয়ে আসতে হবে 1” বিশাখা কবিতা ইহার পরেই লিখিত বলিয়া অভমান |

কৰি স্পষ্ট করিয়া বেরিয়ে আমার বাখা করেন নাই কেবল ভারহীর সম্পাদকত্ধ ত্যাগ নিশ্চয়ই এতবড় কবিতার উৎস হইতে পারে না। আমাদের ঘনে হয় রবীক্ষনাথ ভাহাদের পুকাতন জোড়ার্ীকোর বন্ধন হইতে মৃক্ত হইয়া নূতন জীবন যাপন করিতে গ্রামে আমিতেছেন, এই কবিতা তাহাই স্চিত করিচেছে। যখন তাহার আত্মীয়- শীপ্রমখনাখ বিশ, রষীত্রনাথের ছোটগল্প, জীপুলিনধিহারী সেন কৃত সংযোজন জর. পু ২৬।

শান্তিনিকেতন পত্রিকা, ১৩৩২ 1 দ্র, গ্রস্থপরিচয়, রবীজ-রচনাষলী *।

খ্ীষ্টাব ১৮৯৮ শিলাইদছে সপরিবারে ৪৮১

স্বজন, যখন তাহার সমশ্রেণীর জমিদারগণ সকলেই নগরবাসের স্থখসন্ভোগ উত্তেজনার জন্ত গ্রামত্যাগী, ঠিক সেই- সময়েই তিনি সপরিবারে কপ্পিকাতা মহানগরীর মোহবদ্ধন ছিন্ন করিয়া শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে নৃতন নীড় বুচনায় প্রবৃত্ত হইলেন। এই বৎসরের গোড়ার দিকে স্ত্রীকে লিখিত পত্রের কথা স্মরণ করিলে বর্শেষের কবিতার মর্যার্থ অস্পষ্ট থাকিবে না; কলিকাতার স্বার্থদেবতার পাধাণমন্দির হইতে দুরে নিভৃত পল্লীগ্রামের মধ্যে চলিয়া আসেন। শুধু দিনযাপনের, শুধু প্রাণধারণের গ্লানি হইতে মুক্ত হইয়া আসিবার জন্য মলপ্রাণ উৎস্থক।

লাভ-ক্ষতি-টানাটানি, অতি লুক ভপ্ন-অংশ-ভাগ

কলহ সংশয়-_ সহে না সহে না আর জীবনেরে থণ্ড খণ্ড করি দণ্ডে দণ্ডে ক্ষয় এই ভাবনাকে স্মরণ করিয়া মোহিতচন্ত্র সেন -সম্পা্দিত কাব্য-গ্রন্থের ( তৃতীয় ভাগ ) 'কবিকথা” খণ্ডের প্রবেশক

কবিতায় লিখিয়াছিলেন-_

নগরের হাটে করিৰ ন1 বেচাকেনা,

লোকালয়ে আমি লাগিব না কোনো কাজে-_ পাব না কিছুই রাখিব না কোনো দেনা, অলস জীবন যাপিব গ্রামের মাঝে ভারতীর সম্পাদকত্ব ত্যাগ করিয়া রবীক্জনাথ দীর্ঘ এক পত্র-প্রবন্ধ চৈত্র সংখ্যায় প্রকাশ করেন ( পৃ ১১২২-২৫)।

এই সম্পাদকের ব্দায়-গ্রহণের এক স্থলে কবি লিখিলেন-_ “সম্পাদক ঘদি অনন্যকর্মা হইয়া কর্ণধারের মতো পত্রিকার চড়ার উপ্পর সবাই হাল ধরিয়! বসিয়া থাকিতে পারেন তবেই তাহার যথাসাধ্য মনের মতো! কাগজ চালানে। সম্ভব হইতে পারে।” কাগজ যথাসময়ে বাহির না করিলার কারণ কবি দেখাইতেছেন : “একা সম্পাদককে লিখিতে হয়, লেখা সংগ্রহ করিতে হয় এবং অনেক অংশে প্রুফ প্রবন্ধ সংশোধন করিতে হয়। এদিকে দেশী ছাপাখানার ক্ষীণ প্রাণ। কম্পোজিটর অল্প, শারীরধর্ম বশত: কম্পোজিটবের় রোগ তাপও ঘটে এবং প্লেগের গোলমালে ঠিকা লোক পাওয়াও দুর্লভ হয়।... প্রশ্ন উঠিতে পারে এসকল কথা গোড়ায় কেন ভাবি নাই। গোড়াতেই যাহারা শেষটা সুম্পষ্ট দেখিতে পান, তাহারা সৌভাগ্যবান্‌ ব্ক্তি এবং তাহারা প্রায়ই কোন কার্ধে ব্রতী হন নাঁ_ আমার একান্ত ইচ্ছা সেই দলভুক্ত হইয়া থাকি কিন্ত ঘূর্ণাধাভাসের মতো! যখন কর্মের আবর্ত ঘেবিয়া ফেলে তখন ধুলায় বেশি দূর দেখা যায় না এবং তাহার আকধণ অলাধা স্থানে গিয়া উপনীত হইতে হয় ।”

শিলাইদকে সপরিবারে

ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রাদেশিক সম্মেসন হইতে রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে ফিরিলেন ১৩০৫ সালের জোট্টমামের শেষ দিকে আসিয়াই কলিকাতা হইতে লিখিত পত্রী মুণালিনী দেবীর পত্র পাইলেন। পত্র পড়িয়া বুঝিতে পারিলেন ষে, স্ত্রীর পক্ষে জোড়ার্সীকোর একান্নবত্তী পরিবারের সার্ণ শতাধিক লৌক মধ্যে বান করা কষ্টকর হইয়া! উঠিতেছে। রবীন্দ্রনাথ দীর্ঘ পত্রে তাহাকে ধৈর্ধ অবলম্বন করিবার জন্য উপদেশ দিলেন আশ্বাস দিয়া জানাইলেন যে, কালিগ্রাম পরগনার (পতিপর ) কাজ শীস্্ সারিয়া কলিকাতায় যাইবেন। কিন্ধ কাজ সারিয়! যাইতে যাইতে শ্রাবণ আলিয়া! গেল।

৬১

৪৮২ ঝবীন্দ্রজীবনী গ্ীষ্টাৰ ১৮৯৮

জমিদারী তদারকিতে রবীন্দ্রনাথকে বৎসরের বেশির ভাগ সময় কলিকাতার বাহিরে থাকিতে হয়। তার পরে বিগত কয়েক বৎসর কুষ্টিয়ায় ঠাকুর কোম্পানির ব্যক্সায়ের সঙ্গে জড়িত হুইয়া পড়িয়াছেন। কুছ্িয়ার কার্ধালয় দেখা- শুনা করেন ববীন্্রনাথ, কপিকাতার কার্যালয় দেখেন বলেন্দনাথ স্বরেন্্রনাথ | জমিদারী বাবসাদারী কাজের প্রতি যে-পরিমাণ মনোযোগ দিতে হইতেছে, নিজ স্ত্রীপুত্র পরিবারের প্রতি কবি লে-পরিমাণ মনোনিবেশ করিতে পারিতেছেন না__ তাহা রবীন্দ্রনাথ ভিতরে ভিতরে অনুভব করিতেছিলেন। স্ত্রীকে লিখিয়াছিলেন, *স্বার্থদেবতার পাষাণ মন্দির থেকে তোমাদের দুরে নিভৃত পল্রীগ্রামের মধো নিয়ে আসতে এত উৎ্স্থক হয়েছি--” অর্থাৎ ১৩০৫ সালের গোড়ার দিকেই শিলাঈদহে সপরিবারে বাস করিবার সংকল্লের উদয় হয়। কিন্কু তখনই কলিকাতাক্গ যায়! সম্থব হইল না এবং নিজের পরিবারকে শিলাইদহে আনিবার বাধাখুলি অতিক্রম করিতে পারিলেন না। পূর্বেই বলিয়াছি তাহাদের একান্বতী পরিবারে এজমালিতে খাওয়া-দাওয়া ঘরে ঘরে পাচকরা খাছ্যবন্ত সরবরাহ করে__ এ-সবের ব্যয় এস্টেটের খাতে পড়ে কিন্তু কলিকাতার বাহিরে আমিলেই সমস্ত বায় নিজ নিজ মাসোহাবা হইতে নিবাহু করিতে হইত এই আর্বিক পরিস্থিতি রবীন্দ্রনাথকে বহুকাল সংকুচিত করিয়া রাখিয়াছিঙ্স-- শিলাইদহে পরিবার আনয়নকে বলা যাইতে পাবে পারিবারিক গতাম্থগতিকতা হইতে তাহার প্রথম বিড্রোহ, এবং দুই বৎসর পরে শান্তিনিকেতনে 'বোডিং স্কুল তথা ব্রক্ষচর্যাশ্রম স্থাপন তথায় নিজ পরিবারের জন্য পৃথক গৃহনির্দাণ কাধ আরস্ধ করিলে জোড়ার্নাকো হইতে পারিবারিক সম্বন্ধ ক্ষীণতর হইতে আরস্ত করিল।

শিলাইদহ হইতে নরদীপথে জমিদারী পরিদর্শন করিয়া পুনরায় শিলাইদহে ফিনিত্ন আবরণ (১৩০৫) মাস আসিয়া গেল। মন নানা কাজে, নানা সমস্যার মধো নিক্ষিপ থাকিলেও কাবালক্ষ্রীর পৃঙ্চা কখনে! প্রতিদিন কখনো মাঝে- মাঝে চলে. নদীপথে চলিতে চলিতে লিখিলেন, “মাতার আহ্বান" 'হহভাগ্যের গান? €(এইটিতে ভাবিখ আছে আধষাঢ ১৩০৫); আমাদের অন্রমান “আশা, বিঙ্গলক্ষ্ী”। 'শরুৎ' এবং গান "সে আমার জননী বে এই সময়ের বচনা-- ঢাঁকায় প্রাদেশিক সম্মেলনের অভিঘাতে মনের মধো যেসব গুশ্ন €ঠে, কবিতাখুলি মনে হয় মেই ভাব হইতে বচিত।

আমরা পূর্বেই বলিয়াছি ১৩০ সালে রবীন্দ্রনাথ ভারতী” পত্তিকার সম্পাদক বলা বাহুল্য নিজে তো অনবব লিখিতেছেন, কিন্তু যুগপৎ নৃতন লেখকদের উদ্ধৃদ্ধ করিবার নিরলস প্রচেষ্টা চপিতেছে। জমিদারী সফরাম্ে শিলাইদহে ফিরিয়া কলিকাতায় বি্যাাগর স্বতিমভার (১৩ শ্রাধণ ১৩০৫) জন্য ভাষণ পিখিতঠেছেন। এই ভাষণ রচনাকালে শিবনাথ শান্্ীর 'পর্থিত ঈশ্বরচগ্্র বিদ্যাসাগর? প্রবন্ধটি পাঠ করিয়া মুদ্ধ হন) এব শ্রাবণ শিলাইদহ হইতে শিবনাথ শাস্সীকে এক পত্রে লেখেন, “বঙ্গলাহিতাকে বঞ্চিত করিনা ব্রাঙ্মদমাজকেই আপনার সমঞ্ড ক্ষমতা অর্পণ করিলে চলিবে না, কারণ সাহিত্যে আপনার ঈশ্বরদত অধিকার আছে ।”১ রুবীদুনাধের এই বিশ্গেষণ যে কত সত্য তাহা খাংলাসাহিত্যের ইতিহাস-পাঠকগণের লিকট অবিদিত নহে।

শ্রাবণের দ্বিতীয় সপ্তাহে রবীন্দ্রনাথ কলিকাতায় ফিরিলেন এবং ১৩ শ্রাবণ বিগ্ভাসাগব স্বতিসতায় ভাধণটি পাঠ করিলেন | এই বৎসরটি ভারতীর সম্পার্দকক্ধপে কিভাবে বিচিত্র রচনা পিখিয়া কাটিয়া যায়, সে কথা পুরে আলোচনা

করিয়াছি

দেশ, সাঞ্ছিতা সংখা! ১৩৭৩, পু ভন বিপিনচন্দ পাল, হার 'চরিচাকপ। এস লিখিয়াস্রিলেন, "এক সঙ্গয়ে শনযোগনার কুপলতায় শিবনাথ বাঙ্গালী সাঞিত্যিকদের মধ্যে অতি উচ্চ, স্বান অধিকার কনিয়াছিলেন |” দ. ভ্রকেকুলাপ বন্দোপাধা!য়, সাচিতা সাধক-চরিতমালা ৭৫: শিবনাধ শাস্্ী, পূ ৪১-২। পুনশ্চ : প্রুবুমার দেন, বাঙ্গালা সাহিতোর হতিহাস ২, পু ১৫১-৪২।

খষ্টা্ষ ১৮৯৮ শিলাইদহে সপরিবারে ৪৮৩

॥২॥

শ্রাবণ মাসের পর ববীন্দ্রনাথের সহিত আমাদের সাক্ষাৎ হইতেছে শান্তিনিকেতনে অষ্টম সাঙ্গতসরিক উৎ্মবে পৌষ ১৩০৫। প্রিয়নাথ শাস্ত্রী, চিস্তামণি চট্টোপাধ্যায়, হেমচন্দ্র বিদ্যারত্ব রবীন্দ্রনাথ মন্দিরের বেদি গ্রহণ করেন। রবীন্দ্রনাথ “মধুর কণ্ঠে সামগান করিতে লাগিলেন।” সন্ধ্যাতেও তিনি গান করেন; সত্যেন্রনাথ ঠাকুরের উপাসনা- অন্তে রবীন্দ্রনাথ 'বন্তৃতা* করেন এই ভাষণটি রবীন্দ্রনাথের প্রথম ধর্মদেশনা 1১

মাসেককাল পরে কলিকাতা আদি ব্রাঙ্ষলমাজের মাঘোত্সবের অশ্রক্রমণরূপে '্রাঙ্গ সম্মিলন” ১৫ মাঘ আছ়ত হয়, উপালনা আরপ্তে রবীন্দ্রনাথ গান করেন। অতঃপর নববিধান, সাধারণ ব্রান্মঘমাজের সভ্যগণ ভ্রিতলে গিয়া মহধি দেবেন্ছনাথের আশীর্বাদ গ্রহণ করেন ।*

আমাদের মনে হয় মাঘোৎ্সবের পর স্ত্রীপুত্র পরিবারকে “নিভৃত পল্লীগ্রামের মধ্যে" আনিবার সংকল্প কার্ধত রূপায়িত হয়। কুঠিবাড়ি সপরিবারে বাসের যোগ্য ছিল না, ছিন্ত্রপত্রাবলীর ছুই-একখানি পত্র পড়িলেই তাহ। জানা যায়। এই কুঠিবাড়িতে রবীন্দ্রনাথ তাহার সন্তানদের জন্ত গৃহবিষ্ঠালয় স্থাপন করিলেন।

শিলাইদহে পরিবার লইয়া আসিবারু অন্ততম উদ্দেশ্-_ তাহার আদর্শে সন্তানদের শিক্ষাদান করা রবীন্দ্রনাথের বাপাকাল হইতে সাধারণ বিদ্যালয়ে পাঠাভ্যাসের অভিজ্ঞতা আদৌ প্রীতিকর ছিল না। তাই তাহার নিজ সন্তানদের কখনো বিদ্যালয়ে পাঠান নাই, যদি9 ঠাকুরবাড়ির অন্তান্ত বালকবালিকারা_ থানিয়ম, যথারীতি, যথাপ্রথা-_ সাধারণ পছ্যাপম কলেজে অধ্যয়ন করিয়াছিলেন। শিলাইদহের গৃহবিদ্ালয়ে ইংরেজি পড়াইবার জ্জন্থ পাইলেন লরেন্স নামে এক চাল-চুলোহীন ই'রেজ। ইহার প্রচ্ষ্টায় সন্তানদের ইংরেজি ভাষার বুনিয়াদ খুবই ভালো! হয়। গণিত বিজ্ঞান পড়াইবার জন্য পাইলেন জগদানন্দ রায়কে | ইনি কৃষ্ণনগর-গোয়াড়ির লোক-_ ঠাকুর এস্টেটের দপ্তরে প্রথমে কাজ করিতেন বিজ্ঞানের প্রতি তাহার আকধণের কথ! জানিতে পারেন "সাধনা" পত্তিকাঁয় প্রকাশিত তাহার বৈজ্ঞানিক রচনা হইতে সংস্কৃত কবি নিজেই পড়াইতে আবরম্ত করেন; পরে শিবধন বিদ্যার্ণৰ অধ্যাপকরূপে আমেন। রবীন্দ্রনাথের মতে বর্তমান কালের শিক্ষিত মেয়েদের অতিমাত্রায় ইংরেজি-চর্চার সামগ্রস্য রক্ষার জন্বা সংস্কৃত শিক্ষারটি একান্ত দরকার।5 শিলাইদহে গৃহ বিদ্যালয় স্থাপনের চারি বখসর পূর্বে ১৮৯৬ সালে হেমচন্দ্র বিদ্যারত্রের সহযোগে রবীন্দ্রনাথ “সাস্কৃত শিক্ষা” গ্রণয়ন করেন | রবীন্দ্রনাথ পিখিতেছেন : “ভাষার সহিত কিছুমাত্র পরিচর হইবার পূবেই শিশুদিগকে তাহার বাকরণ শিখাইতে আরন্ত করা, ভাষাশিক্ষার সছুপায় বলিয়া আমি গণা কার না। এইজন্য আমার গৃহে বালকবাপিকাদিগকে যখন সংস্কৃত শিখাইবার সময় উপস্থিত হইল, তখন আর কোনো স্থবিধা না দেখিয়] নিঙ্গে একটা সংস্কৃত পাঠ লিখিতে আরপ্ত করিয়াছিলাম। তাহাতে গোড়া হইতে প্রয়োগশিক্ষার সঙ্গে সঙ্গেই ভাষাশিক্ষা

১. তিন্থনোধিনী পর্তিকা ১৮০২ শক (১৮৫) পু ১১৮ ৭১ | ভারতী, মাঘ ১১০৭ সংখ্যায় এই আাষণটি 'শিরাকার উপাসনা নামে মুত হয়, তস্ববোধিনী পত্রিক।য় ইহার কোনো নাম ছিল না।

হস্বোধিনী পিক, ফাল্সন ১৮২৭ শক (১৩০৫ )পৃ১৯৭২**। শিব্ধন বিছ্যার্ণ লিখিত বণনা

পসংঙ্কৃত শিক্ষা ত্বিতীয় ভাগ গ্ীরধীন্্রনাপ ঠাকুর প্রণীত। বাল্সীকি-রামায়ণ-অগুধাদক শ্রহ্মচন্ত্র ডট্টাচাধ কর্তৃক সম্পারদিত। 0০০10901 13931” দ্র. রবীন্দ-রএনাবনী অচলিত ২, পু ২২৬৪৭

8৪ চিঠিপত্র ৬, পন্্র॥ | আগিন ১৩০১ [১৭ সেপ্টেম্বর ১৯** |] "নরলা, বিগ্ার্ণবের ক।ছে সম্প্রতি সংস্কভ পড়তে আরস্ত করেছেন। শিক্ষা প্রণলীটি আমার রচিত ।'"" গাম।র পদ্ধতি মতে যদ তিনি সংস্কৃত শেখেন তা'হলে এক বংসয়ের মধ্োই হার সংস্কৃত ভাষায় অধিকার জন্ম।যে 1”

৪৮৪ ববীজ্জীবনী এষ্টাব ১৮৯৯

ভাষার সহিত পরিচয়ের সঙক্ষে সঙ্গে ক্রমশ ব্যাকরণ শিক্ষার ব্যবস্থা করা হইয়াছিল।”১ উক্ত গ্রন্থের কথা ( সংস্কৃত শিক্ষা ১৮৯৬ ) পূর্বেই বলা হইয়াছে।

শিলাইদহে বিষ্যানীড় রচিত হইল। বৈশাখ ১৩০৬ সাল হইতে ভাবরতীর সম্পাদ্নকত্ব ত্যাগ করিয়া পঞ্জিকা পরিচালনার প্রত্যক্ষ দায় হইতে মুক্ত হইলেন সত্য, কিন্তু সম্পার্দিকা ভাগিনেয়ী সরলা [ ঘোষাল ]) দেবীর তাগিদে ' মাঝে মাঝে লিখিতেই হয়। বোধ হয় প্রথম মুক্তি পাইয়া আপন জন্মদিনের কথা স্মরণ করিয়া 'ভয় হতে তব অভয় মাঝে নৃতন জনম দাও হে" গানটি লিখিয়৷ থাকিবেন।

কিন্ত শিলাইদহে স্থির হইয়া থাকিতে পারিলেন না; সংবাদ পাইলেন বথীক্দ্রনাথ কলিকাতায় গিয়া অসুস্থ হইয়া পড়িয়াছেন; আর তাহার ভ্রাতুপ্পুত্র বলেন্দ্রনাথ দুরারোগা ব্যাধিতে শয্যাশায়ী। ১৩০৬ সালের বৈশাখের শেষ দিকে কলিকাতায় আসেন “রোগ পরিচর্যার জন্য", নিজের শরীরও ভালো নয়।

কলিকাতা অবস্থান কালে দাঞ্জিলিঙ হইতে রবীন্দ্রনাথ জগদীশচন্ছের এক পত্র পাইলেন (৭ জৈট্ট ১৩০৬)। ইতিপূর্বে রচিত “কাহিনীর কবিতাখুলি (১৩০৪) তাহার খুবই ভালো লাগিক্সাছিল। তীহার ইচ্ছা রবীন্দ্রনাথ “কর্ণ? সম্বন্ধে কিছু রচনা করেন। জগদীশচন্দ্র লিখিতেছেন : “একবার কর্ণ সম্বন্ধে লিখিতে অবোধ করিয়াছিলাম। তীন্মের দেবচরিত্রে আমরা অভিভূত হই, কিন্ত কর্ণের দোষগুণ-মিশ্রিত অপরিপূর্ণ জীবনের সহিত আমাদের অনেকটা সহাহভূতি হয় ।”ং রবীন্দ্রনাথ ১৩ জোষ্ঠ লিখিলেন, “কতকগুলি পৌরাণিক গল্প-.. মস্তিষ্কের মধো আশ্রয় লইয়াছে" কিন্ত “রোগতাপের মধ্যে লেখাপড়া বন্ধ”... স্থযোগের অপেক্ষায় আছেন ; “জোর করিয়া মনটাকে সংগ্রহ করিয়া আনিয়া একবার লিখিতে বসিলেই হয়__ কিন্ত সেই জোরটুকু সম্প্রতি” পাইতেছেন না।5 জোর্ঠ মাসে “অকাল বর্ধা নামিয়াছে_ঠিক শ্রাবণ মাসের মতে' 1” দাঞ্জিলিঙে জগদীশচন্দ্রের “শৈলনীড়ের মধ্যে অকম্মাৎ অবতীর্ণ হইতে ইচ্ছা হয় কিন্ত অবকাশ পাখা না থাকায় সে ছুরাশা মনে স্থান” দিতে পাবিতেছেন ন!।

“আহ্মীয়দের পীড়া লইয়া প্রায় একমাম কলিকাতায়” কাটাইয়া ববীন্্নাথ শিলাইদহে ফিরিলেন। মন এখন সাহিতোর অন্ত রাজা পরিক্রমণ করিতেছে ; জগাশিশচন্দ্রকে (৪ আষাঢ ১৩০৬) লিখিতেছেশ, “আপনাদের সেই অর্ধশ্রুত গল্পটিতে হাত দিয়াছি।”৪ অর্থাৎ “বিনোদিনী তথা “চোখের বালি" উপন্যাস রচনায় মনোযোগী হইয়াছেন, 'মাসিক পত্রিকার তাড়া নাই আপন মনে আস্তে আস্তে পিখিতেছেন

গৃহবিছ্যালয় পরিচালনা করুন, গল্প লিখুন-_ কিন্ধ কুঠিয়ার ঠাকুর কোম্পানির কারবার-- তাহার সকল কাজ তো! তাহাকে দেখিতে হইতেছে-__ বলেন্দ্রনাথ দার্ঘদিন অন্থস্থ | কবি-বন্ধুকে বাবলায়ে লিপু হইতে দেখিয়া প্রিয়নাথ বোধ হয় ভিতরে-ভিতবে একটা-কিছু কারবার শুরু করিবার কথা ভাবিতেছেন। রবীন্্নাথ ঠাহাকে জানাইলেন কুষ্টিয়া তন্লিকটবর্তী গ্রামাঞ্চলে বহু তাতি, জোলা বস্থাদি বয়নে লিপ্ত আছে, তাহাদের স্থচা সরবরাহ করা সস্ভবকি ন! তদ্বিষয়ে তথ্যাদি সংগহ করিয়া বন্ধুকে পাঠাইলেন | জগদীশচন্জ্রকে যেদিন 'বিনোপিনী'ব খবর পিতেছেন, সেইদিনই কপিকাতায় প্রিয়নাথকে (৪ আধাঢ় ১৩০৬) নূতন কোন কারবার গ্রহণ করিতে পারেন -চদ্বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করিতেছেন ।*

সান্কৃত প্রবেশ প্রথম ভাগ | শরবীন্রনাগ ঠাকুব সম্পাদিত | ব্রদ্ধচব শ্রম শান্িনিকেতন বোলপুর [ রচয়িতা রিচরণ বন্দোপাধারের 'বিজ্ঞাপনে' পদ্ধতি নহ্বন্ধে সালোচনা মাছে | এই গ্রথ ১৯০৪-০২ লালে মুদ্রিত ভয় ]।

চিঠিপত্র &. গ্রপরি5য় পূ ১৫৭-৫৮ |

চিঠিপত্র ৬, পত্র পৃ ১২

চিঠিপএর পৃ১৪।

« চিঠিপত্র ৮, পত্ত +২।

পরীষ্টা ১৮৯৯ শিলাইদহে সপরিবারে ৪৮৫

কিন্ত ইহাই রবীন্দ্রনাথের সাধিক ন্বপ নহে। কুঠিবাড়িতে নানাবিধ পরীক্ষা চলিতেছে__ “আমেরিকান ভুটার বীজ আনাইয়াছেন, মান্দ্রাজি সক ধান রোপণ করিযাছেন-_ তাহার শক্কক্ষেত্র দেখিবার জন্য ছিজেন্দ্রলাল রায় সন্ত্রীক আমিলেন (১২ আষাঢ় ১৩০৬ )। সেইদিনকার পত্রেই আর-একটি যে কৌতুক প্রদ ঘটনার উল্লেখ আছে, তাহ! উদ্ধৃত না করিয়া পারিলাম না। আমাদের আলোচ্য-পর্বে রাজশাহীতে অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় মহাশয়ের চেষ্টায় রেশমের একটি কারখানা স্থাপিত হয়। অক্ষয়কুমারকে লোকে এঁতিহাসিক বলিয়াই জানে, কিন্তু বাংলার মৃতকল্প রেশমশিল্লের পুনগঠনকার্ধে তাহার সহায়তার কথা বড় কেহ জানে না। ৩০ 'চত্র ১৩০৫ সালে ত্রিপুরার কর্নেল মহিমচন্দ্র ঠাকুরকে রবীন্দ্রনাথ একখানি পত্রে লিখিতেছেন যে, “রাজসাহী শিল্পবিগ্যালয়কে উৎসাহ দিবার জন্য সেখান হইতে আমি সর্বদাই বেশমের বন্ধাদি ক্রয় করিয়া থাকি ।... বন্ধুদের নিকট আমার এই উপহার কেবল আমার উপহার নহে, তাহা শ্বদেশের উপহার ।” এইসঙ্গে ত্রিপুরার মহারাজ রাধাকিশোর মাণিক্যের জন্ত “একটি শাদা বেশমের থান” পাঠাইয়। দিয়াছেন ।১

কুঠিবাড়িতে রেশমগ্টির পরীক্ষা করিতে গিয়া কবির কী যে দুর্দশা হইয়াছিল তাহা জগদীশচন্ত্রকে লিখিত পুরোদ্ধৃত পঞ্ত্রে বিবৃত হইয়াছে কবি "আশ্রমের রূপ ধিকাশ' নামক প্রবন্ধে এই রেশমগুটির পরীক্ষার কাহিনী সবিস্তারে বর্ণনা করিয়াছেন। জগদীশচন্ত্রকে লিখিত পক্র সমসাময়িক রচনা বলিয়া আমরা তাহা হইতেই উদ্ধতিটি দিতেছি, এ্রীযুক্ত অক্ষয়কুমার মৈজ্রেঘ মহাশয় কুক্ষণে ২০টি রেশমের গুটি আমার ঘরে ফেলিয়া গিয়াছিলেন। আজ ছুই পক্ষ ক্ষুধিত কীটকে দিবাধাত্ধি আহার এবং আশ্রয় দিতে আমি ব্যতিব্যস্ত হইয়া উঠিয়াছি__ দশ বারোজন লোক অহনিশি তাহাদের ডালা সাফ করা গ্রাম-গ্রামাস্তর হইতে পাতা আনার কার্ধে নিযুক্ত রহিয়াছে-_ লরেন্স স্নান- আহার-নিদ্রা পরিত্যাগ করিয়া কীট-সেবায় নিযুক্ত |... এখন যদি আমাদের কীটশালায় একবার আসিতে পারিতেন তবে একটা দৃশ্বা দেখিতে পাইতেন।”২

গুটিপোকা পাপনের উত্তেজনা, চাষবাসের উত্কঞ্ঠ।__ এসব এক শ্রেণীর ছুঃখ-সস্তভোগ ; কিন্তু আসল ম্ন:কই পাইতেছেন “সাহিত্য” সম্পাদকের তীব্র সমালোচনা হইতে। সাহিতা পত্রিকার প্রায় সুচনা হইতে রবীন্দ্রনাথের রচনারই প্রতিকূল সমালোচনা সম্পাদক স্থরেশচন্ত্র সমাজপতির নিতাকর্ণ হইয়া উঠিয়াছে। এইসব সমালোচনা সবই বিদ্বেষপূর্ণ একথা! বলা যায় না; কয়েকটি আলোচনার মধ্যে সম্পাদকের সাহিত্য-প্রতিভা প্রকাশ পাইত। ভারতীর সম্পাদকত্ধ তাগ করিলে উক্ত পত্জিকা লিখিয়াছিল, “মামিকের জন্য অনবরত লিখিয়া তাহার [ রবীন্দ্রনাথের ] সাহিতাশিল্পের ধতটা অবনতি হইয়াছে, তাহ! বঙ্গভাষার ক্ষতি বলিয়া গণ্য করি ।”৩ কিন্ত একপ্রকার ব্যাজন্ততি। এই অন্তব্য যে মালে পিখিত হয়, সাহিত্যের সেই সংখ্যায় হেমেন্্রপ্রসাদ ঘোষ রচিত গল্প “প্রণয়ের পরিণাম' প্রকাশিত হয়। ববীন্ত্রনাথ গল্পটি পড়েন নাই; ক্ষু্ধ আত্মীয়দের পত্রে সংবাদ" পাইয়াছেন যে, গল্পে তাহাকে “অতান্ত কুংসিতভাবে আক্রমণ কর] হইয়াছে ।' আযষাঢ ১৩*৬ তারিখে প্রিয়নাথকে এইসব কথা লিখিয়। “বন্ধুকৃত্)? করিবার জন্য ইঙ্গিত করিতেছেন। মন বেশ ক্ষুন্ধ। ১* আঘাঢ (১৩০৬) প্রিয়নাথকে লিখিলেন, “ডাক্তার জগদীশ বহন পেখকের [ হেমেন্তরপ্রসাদের ] কাপুরুষতার প্রতি ঘ্বণা এবং আমার প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করিয়া একখানি হন্দর

রবীক্্রনাথ ত্রিপুরা পৃ ৪৫১ চিঠিপত্র » পর ৩, পু ৫৬। মল া। বৈ*1৭ ১৩৯৬ রা ৬৮ |

৪৮৬ রবীন্দ্রজীবনী বীষ্টা্ ১৮৯৯

পত্র লিখিয়াছেন-_- তোমার এবং তাহার এই পত্রে আমি মনের মধ্যে বিশেষ বল লাভ করিয়াছি-- বছ্ধুহদয়ের সমবেদনা আমার পক্ষে বৃইিধারার মত-_ তাহা আমার সফলতা লাভের এক প্রধান সহায়

যৌবনে রবীন্দ্রনাথকে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মসিযুদ্ধে একাধিকবার অবতীর্ণ হইতে দেখিয়াছি; কিন্ত এখন তাহার পক্ষ লইয়া মসীধারণের জন্য বন্ধুদের উপর নির্ভর করিতেছেন প্রিয়নাথ 'বন্ধুকৃত্য' করিবার জন্য সাহিত্য-সম্পাদকের উদ্দেশে একখানি পত্র রচনা করিয়া শিলাইদহে কবির নিকট পাঠাইয় দিলেন। পত্র-প্রবন্ধটি পড়িয়া রবীন্দ্রনাথ বুঝিপেন উহা প্রকাশিত হইলে হিতে বিপরীত হইবে, আলোচনা শমিত হইবে না। তাই বন্ধুকে লিখিলেন “প্রাইভেট ভাবে" সম্পাদকেত্র সহিত দেখা করিলে কেমন হয়। “প্রকাশ্ত আলোচনায় যে একটি অসন্ম আছে তাহ] সহা করিতে নিতান্ত সংকোচ বোধ হয় |”২

পট পবিবতন হহপণ। কবি-রবীন্দনাথকে মানুস-রবীন্্নাথের জমিদারী “মুখোস পরে পুণ্যাহের তাগিগে কাপীগ্রাম পরগনার পতিসর কাছারিতে যাইতে হইল। বলা বাহুপা 'পুণ্যাহে' উপস্থিত হইলেই কিছু অর্থাগম হয় অবশ্য সে অর্থ প্রজাদের খাঙ্গনা-খাতে জমা হয়। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের অপর সকা। কুষ্টিয়ার বাবসায়ী রবীন্ূলাথের- কাবসারর হ্য তাহার নিত্য অর্থের প্রয়োজন সে যুগে ব্যাঙ্ক হইতে এক্ধপ কাধের জন্ত কোনে অথসাহামা পালা স্ব ছিপ না বলিলেই চলে-__ বাবসাম় চালু রাখিবার জন্য ধনী মহাজন, ধনী জমিদার অথবা উদীয়মান মাড়োযারিদের শরণাপন্ন হইতে হইত কবি ভাব্য়াছিলেন মাল্দহ জেলার চাচলের “রাজার সাক্ষাত মিপিলে কিছু ঝণ পাইবেন, কিন্তু “চঞ্চল তো কলিকাতায় অচঞ্চল হইয়া বসিয়াছেন 17 ধশপতি বিদুখ হইয়া যক্ষে যে দশা কিমাছিপেন একালের ধনপতি মামীকে তেমন করিয়া দগ্ধান কেন 25 পতিসপের পুণ্যাহ সারিয়া শিপাইদহে ফিরিয়াছেন_ প্রিযনাধকে কোনো এক পক্ষের নিকট ৭২০ পাসেন্টে টাকা তোলার প্রস্তাব ভার “কাছে অত্যন্ত জদয়গ্রাহী গেকছে? | ভীহার ইচ্ছা কুষ্টিয়ার সমস্ত জর্াল য্থাসগ্ভন সত্ব চুকিয়ে ফেলে নিশ্চিন্ত নিকপদ্রব হন, কিন্ধ বাবসায় হইতে মুক্তি চাহিলেই মুক্তি পাশয়া মায় না! ভিজে ভিকবে আশাও আছে, টাকা ঝখণ পাইপে চালু বাবপাদ্বকে পুনজীবি 5 ক্িতে পারিবেন | প্রিয়নাথকে জিজ্ঞাসা করিতেছেন টাকাটা কোন সমদষের মধো পাওয়া যাইবে | (১২ শ্রাবণ ১৩০৩) সপরিবারে শিলাইদহের থাকিলেও কবিকে প্রায়ই কলিকাতায় আসিতে হয়। সে কোম্পানির একটি কাধালয় ছিল কলিকাতায়। অপরটি কুষ্টিয়ার বলেগ্রনাথ কঠিন পীড়ায় শঘ্যাগত | তিনিই ছিণেন কলিকাতা কাধাপয়ের কর্ণপার কিন অন্থস্থ তএয়ায় রবান্দনাথকে কপ কফাজকণ দেখিতে হঠতেছে। করিকাতায় আপিলে পারিবারিক সায়াছিক, বৈষয়িক, সাহিত্যিক বিচিত্র কাজ যেন তাহাকে আক্রমণ করিবার জন্য অপেক্ষা কপ্রিয়া থাকে , তিশিও থে নানা কাজের পশ্চাতধাবিত হন না, সেকথা জোর করিয়া ঘোষণা করিতে পারিব না। এই সময়ে একটি বিশেষ মঙ্গলকর্ম তাহাকে করিতে দেখি | সেটি হইতেছে কবি হেমচন্্র বন্দ্যোপাধ্যায়কে

057িপ- পেট শনি, ১৬ আনাড়ি ১১১৬

৮০ পে ১৮ জান ১৩ রঃ ! শে চিঠি ৮. গলি, ১৮ ছানা *৩*৬ | হু তত , 2 | ছ্িম্বপত্রাপলী, পত্র ১৫. চিঠিপত্র ৮, পত্র ৭১।

৫. চিঠিপত্র পত্র ৭১ ৩১ পালাঢ় 5৭ |

ব্রাটা ১৮৯৯ শিলাইদহে সপরিবারে ৪৮৭

তাহার আকন্মিক অর্থরচ্ছ তায় সাহায্য দান তদ্বিষয়ে ব্যবস্থা করা হেমচন্দ্র ছিলেন কলিকাতা হাইকোর্টে প্রথম শ্রেণীর উকিল বছ অর্থ উপার্জন করিলেও দুঃসময় বার্ধকাকালের জন্য সঞ্চয় করিতে পারেন নাই সাহার শেষজীবন বিষাদময় ; তাছার চক্ষুতে ছানি পড়ে-- ১৮৯৭ সালের শেষ দিকে অস্ত্রোপচার হয়-_ কিন্তু দৃষ্টিশক্তি আর ফিরিয়া পাইলেন ন1। সেই হইতে দারিদ্রয-ছুঃখের স্ুজ্রপাত। রবীন্দ্রনাথ ইহা জানিতে পারিয়া স্বয়ং মাসিক কুড়ি টাকা করিয়া এবং গগনেন্দ্নাথদেন্ব বলিয়া আরও মাসিক দশ টাকার সাহায্য ব্যবস্থা করেন ( জোড়াসাকে, শ্রাবণ ১৩১৬ )।১

বহু হর্মে কবিদের বাস। তাই ১৬ আবণ শিলাইদহ হইতে লিখিতেছেন যে বিনোদিনী উপন্তাস “আবার নিয়মিত, লিখিতেছেন। শ্ট্টিক্ষেত্রে তিনি নিঃসঙ্গ -__ কর্মক্ষেত্রে বুজন সঙ্গ | কর্মক্ষেত্রের বৈষয়িক ব্যাপার" লইয়া] কলিকাতায় ঠাকুরপরিবারের মধো গুরুতর পরিস্থিতির উদ্ভব দেখা দিল। প্রিযনাথকে লিখিতেছেন সেইজন্য হঠাৎ কখন তাহার কলিকাতায় "ডাক পড়ে তার ঠিকানা নাই'। (১২ শ্রাবণ ১৩০৬)

|

এই গুরুতর বৈষয়িক বাপারের ইতিহাস সংক্ষেপে বিবৃত করা প্রয়োজন পাঠকের স্মরণ আছে ১৩০২ সালে বীবেন্ত্রনাথের পুত্র বলেন্ছনাথ সতোম্্রনাথের পুত্র সথরেন্দ্রনাথ কুগ্িয়ায় ঠাকুর কোম্পানি নামে এক কারবার খোলেন মফম্বল হইতে ভূষি মাল পাট কিনিয়া “বাধি কারবার দিয়] স্থত্রপাত হয়। কিছুকাল পরে আখমাড়াই কলের কাজে৪ তাহারা হাত দেন। বিগত শতাবীর শেষভাগে বাংলাদেশে আখের চাষ ভালোই ছিল গ্রাযে-গ্রামে আখমাডাই হইত | সে-সময়ে আখমাড়াই কলের একমাত্র সরবরাহক ছিল রেনউইক নামে এক ব্রিটিশ কোম্পানি তাহাদের দালাল গ্রামে গ্রামে তাহাদের কল বিপি করিত। ঠাকুর কোম্পানি এই বিদেশী কোম্পানির সহিত প্রতিযোগিতার নামিয়া অল্ল সময়ের মধ্যে তাহাদের একচেটিয়] ব্যবসা ভাঙিয়া দিতে সমর্থ হইলেন

রবীন্দ্রনাথ ভ্রাতুষ্পুয়দের কর্মোৎ্পাহ দেখিয়া স্বয়ং কুষ্টিয়ার কারবারে আকৃষ্ট হইলেন ব্যবসায়কে বনুবিস্তৃত করিবার জন্য প্রয়োজনমত অর্থসাহাযা পরামর্শ দিতে লাগিলেন; পূর্বে বলিয়াছি কুষ্টিয়ার কাধালয় তিনিই দেখিছ্নে। এই বাবসায়কর্মে লিপ হইয়া রবীন্দ্রনাথের মনে যেসব সাহিত্যিক উচ্ছ্ধাম কবিতা পত্রধারায় প্রকাশ পায় তাহার আলোচনা ইতিপুবে করিয়াছি কিন্তু ব্যবসায়ে চিড় ধরিল-_ স্থরেন্দ্রনাথের মন জীবনবীমা সমবায় প্রভৃতিতে আক হইপ। ব্যবসায়ের দেখাশুনার ভার সম্পূর্ণভাবে বলেন্দ্ের উপর গিয়া বর্তাইল। বলেন্ত্র ছিলেন সাহিতাক, আদর্শবাদী ধর্মপ্রাণ পুকষ, সংসারের সাধারণ মগয্য-চরিজ্ে অনভিজ্ঞ মৈত্রেয় উপাধিযুক্ত কোনে! বাক্তি ছিলেন এই কারবাবের মানেজার | তাহার উপর বলেন্ের অপার বিশ্বাস; সেই ব্যক্তি বাণিজাতরণীর তলদেশ এমন স্থনিপুণভাবে ছিদ্র করিয়া দিয়াছিলেন যে, উহ! যে ধীরে ধীরে নিমজ্জিত হইতেছে, তাহা বাহির হইতে কেহ বুঝিতে পারেন নাই। শোনা যায় বলেন্ছ্রের অতিবিশ্বাসী ম্যানেজার সত্তর-আশি হাজার টাকার গরমিল করিয়া সরিয়া পড়েন।

বলেন্দ্রণাথ একেশ্বরবাদীদের মিলিত করিবার উদ্দেশে অর্থাৎ পাঞ্ধাবী আধসমাজের সহিত বাঙালি ব্রাহ্মদের মিলন- সাধনের জন্য তাহার স্বল্লাযু জীবনের শেষ ছুই বৎসর কাটিয়াছিল। সেই মহৎ উদ্দেশ্য মনে লইয়া! তিনি গত বৎসর ( ১৩০৫ ) মাঘ মাসের শেষে পাঞ্জাবে যাত্রা করেন। পথকষ্টে অনিয়মে পরিশ্রমে তাহার স্বাভাবিক ছুধল দেহে কঠিন রোগের [ ষক্া ) হুত্রপাত হয়।”২ মন্মধনাধ ঘোষ, হেচন্্র ৩, পৃ ২৪৬। গর. শ্রজেন্্রনাথ বন্দোপাধ্যায়, সাহিতা-সাধক-চরিতমালা ৩৩ : হেমচন্দ বন্যোপাধায়। » রনীল্্রনাধ, প্রদীপ, আশ্বিন-কাতিক ১৬০৬, পূ ৩৪৮।

9৮৮ রবীজ্জীবনী খ্রীষ্টান ১৮১৯

বলেন্দ্রের অবস্থা খুব খারাপ হইলে রবীন্দ্রনাথকে শ্রাবণের শেষদিকে কলিকাতায় আসিতে হইল--গুরুতর বৈষয়িক বাপার” আলোচনাদ্ির জন্যই মনে হয়। কুছ্িয়ার ব্যবসায়ের টাকা প্রয়োজন-_ গ্রিয়নাথের সঙ্গে দেখা করা একান্ত প্রয়োজন কিন্ত বলেজ্রের পীড়া বুদ্ধি পায়াতে সেখানে যাইতে পারিলেন না।১

বলেন্দ্রের অন্থস্থ হইয়] পড়িবার পর হইতে ব্যবসায়ের অর্থাদি ব্যাপারের অঁনেক দায় দায়িত্ব ববীন্দ্রনাথের উপর আসিয়া পড়ে__ প্রিয়নাথ সেনকে লিখিত পত্রধারা হইতে জানিতে পারি অর্থসংগ্রহের জন্য কবির কী উদ্বেগ বলেন স্বরেন্্র উভয়েরই পিতা জীবিত থাকায় এজমালি ঠাকুর এস্টেটের উপর তাহাদের অধিকার কায়েম হইতে পাবে না রবীন্দ্রনাথ পিতৃসম্পত্তির মালিক ঠাকুর কোম্পানির বাবসায়ের সহিত যুক্ত বলিয়া, আইনের দিক হইতে তিনিই দায়ী

বলেন্দের মৃত্যু হইল ভাদ্র ১৩১৬ (১৯ অগস্ট ১৮৯৯)। মৃত্যুকালে তাহার বয়স হইয়াছিল মাত্র ২৯ বৎসর ( জন্ম ১৮৭০ ) বুবীন্্রনাথ হইতে প্রায় নয় বৎসরের কনিষ্ঠ | “বলু” ছিলেন আকৃতিতে প্রকৃতিতে তাহারই মতন বুবীহ্্রনাথ তাহাকে নিজহাতে তৈয়ারি করিয়া তুলিয়াছিলেন। তাহার বড় আশা ছিল এককালে বলেশ্রনাথ বঙ্গসাহিত্যে গগ্ছা- রচনায় অমর স্থান লাভ করিবেন।*

রবীন্দ্রনাথ প্রিয়নাথকে কলিকাতার মপোই লিখিতেছেন, “বলুর মৃড়া হইয়াছে কপিকাতায় থাকা আমার পক্ষে কষ্টকর হইয়াছে বিশেষত আমার স্ত্রী শিলাইদহে অতান্ত শোক অনুভব করিতেছেন, বলুর প্রতি তাহার একাস্ স্েহ ছিল।”* বলেন্রের মৃত্যুর দিন-তিন পরে প্রিয়নাথকে লিখিতেছেন কর্জের টাকাটা আরও কিছু বাড়াইয়া! লইবাৰ চেষ্টা যেন চলে ।* জড়ায়ে আছে বাধা, ছাড়ারে যেতে চাই ছাড়াতে গেলে বাথা বাজে বাবসায়ের জঙ্কাল হইতে মুক্তি কি চ'হিতেছেন?

রবীন্দ্রনাথ ভাবিয়াছিলেন কুরিয়ার ব্যবসায়ের লোকসানের ঝুকি হয়তো বলেন্ুজননী প্রফুল্লময়ী দেবী কিছুটা গ্রহণ করিবেন। কিন্ধু দেখা গেল তিনি সেদিকে ফিরিয়া তাকাইপেন না, উন্মাদস্থামী [ বীরেন্্রনাথ | বিধবা পুত্রবধূর ভার 'াহাকে কতকাল বহন করিতে হইবে তাহা কে জানে? রবীন্দ্রনাথ খুব মর্যাহত হইয়! মুণাপিনী দেবীকে শিলপাইদহে বলেন্ছ্র শ্রাদ্ধের পৃবদিন ( ভাদ্র ১৩০৬ ) লিখিলেন, “নিবোঠানের এক ছেলে, সংসারের একমাজ বন্ধন নই হয়েছে তবু তিনি টাকাকড়ি কোম্পাপির কাগজ , কেনাবেচা নিয়ে দিনরাত্রি যে রকম ব্যাপূত হয়ে আছেন তাই দেখে সকলেই আশ্চর্য এবং বিরক্ত হয়ে গেছে- কিন্ধ আমি মনধাচরিজ্ের বৈচিত্য মালোচনা করে সেটা শান্তভাবে গ্রহণ করতে চেষ্টা করছি-_ এক-একসময় ধিক্কার হয়। কিন্তু সেটা আমি কাটিয়ে উঠতে চাই |”

বলেন্দের শাদ্ধাদির পরেও কয়েকদিন কবিকে কলিকাতায় থাকিতে হয় অর্থের সন্ধানে তার পর শিলাইদহ ফিরিয়া পুনরায় সংসারে মন দিলেন কিন্ত কুষ্টিয়ার ব্যবসায় রাভব প্রেমের স্ায় 'ভাডা বাদ্য সম" বাজিছে--'কেবল সাথে সাথে দিবানিশি |? চল্রিশ হাজার টাকার ধার, তার শর্তাবলী দেখিয়া ভীত হইয়া উঠিতেছেন : দলিল সম্পাদনে দেবি হইতেছে বলয়! আটঢনির নিকট হইতে কড়া ভাগিদ পাইতেছেন প্রিয়নাধকে কাণ্ডাবীজ্ঞানে

চিঠিপত্র ৮, পয ৮*।৮১।

২. শশিভুষণ গাশগুপু, রচনাকার বালন্ীনাপ ঠাকুর, শিক্ষা সাতিঠি, মান ১৩।৩,প ১১১৭ 5. চিঠিপর ৮* পত্র ৮১।

৪. চিঠিপত্র পত্র ৮২।

« চিটিপর ১. পর ১৭।

খ্ষ্টাব ১৮৯৯ শিলাইদহে সপরিবারে ৪৮৯

অমহায়ভাবে পত্র দিতেছেন। আবার ত্কাহাকেই আযালিস মিইনলের €4£১1106 6517611, 1849-1922 ) সম্- প্রকাশিত দুইটি কাব্যগ্রন্থ থ্যাকার স্পিংক অথবা] নিউম্যানের দোকান হইতে সংগ্রহ করিয়া পাঠাইতে লিখিতেছেন।

ভাবুতীর সম্পাদকের কার্য ১৩০৫ সালের চেত্রমাস পর্ধস্ত করিয়া ছাঁড়িয়াছিলেন : পত্রিকার তাগিদ নাই-_ তাই লেখনী খরম্রোতহীন। জমিদারী বাবসা্দারী তো ছিলই; তছুপরি এখন শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে গৃহস্থালী | বহু বৎসর পৃবে গাজিপুরে বালিকা স্ত্রী শিশুকন্য! লইয়া মাসেক কাল ঘর বাধেন, তারপর এখন সপরিবারে জোড়ার্সীকোর বাড়ি হইতে প্রায় সম্বন্ধ ছিন্ন হইয়া সংসার পাতিয়াছেন। জীবনে অভিজ্ঞতা নৃওনই বলিব এই বিচিত্র কর্ম বিবিধ সমশ্যার মধো মানসিক অবসরের অভাবে কাবা বা কোনো মহৎ সতী কূপ লইতে পারিতেছে না স্বল্প অবলরের ফাকে ফাকে কবিতাঁকণা লেখেন, কাবালক্ষ্মী পরিবেশ রচন! করিয়া আপনার স্থান করিতে পারিতেছেন না। গত কয় ব্সর কুরিয়ার বাবসায়-ক্ষেত্ে নানা চরিত্রের মাহষের সংস্পর্শে আসিয়া! যে তিক্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করেন, ভাহাই কণিকা" কাবো কবিতা কণায় কণায় সঞ্চিত হইয়া ওঠে

কণিক। কাবাটিতে একশত দশটি কবিতা-কণা আছে-_ ইংরাজিতে যাহাকে বলে 61১1£1809 ) সংস্কতে এক শ্রেণীর কবিতাকে উদ্ভট” বা 'স্থভাষিত' কবিতা বলা হয়। তবে কণিকার কবিতা চাণকাপ্পোকের ভ্তায় পক্কমন্তিষ্ক বিষয়ী লোকের উপদেশ নহে কণিকার কবিতাগুলি দুই হইতে বারো ছজ্রের মধ্যে রচিত। দীর্ঘতম কবিতার সংখ্যা মাত্র চাএটি, চারি পড্ক্তির সংখ্যা চৌধ্রিটি, ছুই পড়্ক্তির সংখা কুড়িটি অবশিষ্টগুলি আট দশ পঙ্ক্রির। এই পরিসরের মধো সকলের জানা-কথাকে কবিত্বমপ্ডিত করিয়া কবি বিচিত্র বিষয়ের প্রতি পাঠকের মনোযোগ আকধণ করেন; এবং উপমা, কূপক ঙ্গেষ বিপদীতিভাবের একজু সমাবেশ করিয়া এমন একটি আকন্ষিক বিস্ময় উত্পাদন করেন যে, কবিধ স্থপ্রদৃষ্টির, গভীর জ্ঞানের কৌতুক হাক্সের এবং নিপুণ গ্লেষপটুতাব পরিচয় পাইয়া মুগ্ধ হইয়া যাইতে হয়। 'তত্বগর্ভ উপদেশময় বন্তভার থাকিলে কণিকার উপভোগাতা কম নহে ।১ চাক্চন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন যে, এই জাতীয় “কবিতার বিশেষত্ব এই যে অতি সহজ তাকে বলা, বাহুল্যের আবর্জন। হইতে মুক্ত করিয়। সহজভাবে." যাহ] সাধারণ তাহাকে অসাধারণ ৮ষ্টিতত দেখিয়া গভীর তত্ব করিয়া প্রকাশ |২

এই কাবাথণ্ড “সাদর উৎস" করিলেন “পরম প্রেমাম্পদ শ্রীযুক্ত প্রমথনাথ রায় চৌধুরী মহাশয়ের করকমলে" শিলাহদহ, $ অগ্রশ্ঠায়ণ ১৩০৬)। বহমান পৃধপাকিস্তানের ময়মনসিংহ জেলার সন্তোষ নামক স্থানের জমিদার ছিপেন প্রমখনাথ ইনি ববীন্দপবিকরউক ছিলেন এক সময়ে; সে-কালের প্রায় সকপ প্রশিক্ধ সাময়িক পত্রিকাঙ্জেই তাহার কবিতা প্রকাশিত হইত আমাদের আলোচ্যপধে “পদ্ম নামে তাহার কাবাগ্রন্থ প্রকাশিত হয় ( ১৮৯৮)।

কণিকা প্রকাশিত হইবার প্রা পাচবখ্সর পর মোহি তচদ্দ সেন- সম্পার্দিত 'কাবা-গ্রস্থের (১৯০৩) মধো এই কণিকা! কাবোর একটি প্রবেশক কবিতা! সেই সময়ে লিখিত হয়-- হায় গগন নহিলে তোমারে ধর্িবে কেবা' ইতাদি। বর্তমানে করিতাটি উিৎসগ' (১৯১৪ ) কাবাখ শক্ত

গাহকুম।র মেন, বাঙ্গালা সাহিভার হত্হাস ৪) চাণন্ত বালাাপ।ধ|য়। রবি- রশ্মি পুধত।গ, পু ৩৭৮ রবীন রচনাবলী ১০, পু ন৯১)

৬৯

৪৯৩ ববীন্দ্রজীবনী খ্রীষ্টাব ১৮৯৯

বলেন্দ্ের তার পর কবি শিলাইদহে প্রত্যাবর্তন করিয়াছিলেন তাহা পূর্বেই বলিয়াছি। মাসেককাল মধ্যে প্রিয়নাথকে একপত্র লিখিতেছেন, “আমার স্বন্ধে কবিতার পুরাতন জর হঠাৎ চাপিয়াছে, তাই বিনোদিনী উপেক্ষিতা।”১

বৎসরের মাঝামাঝি হইতে যে কাব্যলক্মীর সহিত কবির সাক্ষাৎ হইল তিনি মানসঙ্থন্দরী নহেন, তিনি শুতহগচনী বা স্ববচনী দেবীও নহেন-__ তিনি কথালক্ষ্ী। অন্তবিষয়ী কাব্যের প্রেরণা আজ ম্লান, তাই আজ বহিবিষয়ী বস্তবর্ণনায় গল্প বা কাহিনী-রচনায় মন যাইতেছে পাঠকের স্মরণ আছে কবিতায় গল্প বলা রবীন্দ্রনাথের বছুকালের অভ্যাস। এইবার ১৮ আশ্বিন হইজে ১১ কান্তিক ১৩০৬ সালের মধো অনেকগুলি কাহিনী লেখেন, অগ্রহায়ণেও দুইটি এই সছরচিত কবিতাগুলির সঙ্গে পূর্বে লেখা সমগোত্রীয় কবিতাগুলি এক করিয়া “কথা” নামে কাব্য গ্রথিত করেন। জগদীশচন্দ্র বকে উংমগীত হয় ১৩০৬ সালের অগ্রহায়ণ মামে-_ যদিও পুস্তকাকারে মুদ্রিত হয় মাঘ মাসের গোড়ায়। উৎসর্গপত্রে মাত্র ছুইটি পঙ়ক্ির কবিতা ছিল__ মতা রত্ব তুষি দিলে, পরিবর্তে তার কথা কল্পনামাত্র দিন্ু উপহার বিজ্ঞীনাচার্ধ জগদীশচন্দের সহিত কবিরু সম্পর্ক বিষয়ে আমরা পরে বিস্বৃতভাবে আলোচনা করিব | উভয় উভয়কে গভীবু শ্রদ্ধা করিতেন এবং পরম্পর পরস্পরের গুণগ্রাহী ছিলেন। দুই বংসর পূর্বে জগদীশচন্দ্র যখন বিলাতে সেই সময়ে রবীন্দনাথ তাহার উদ্দেশে মে একটি কবিতা লেখেন তাহা কল্পনা" কাবাতুক্ হইয়াছে ।*

|

কথার কবিহাখলির মধ্যে রবীন্দ্রনাথের মনের একটি নৃতন স্বর ধ্বনিত হইয়াছে দেখি; 'চৈতাপি'র মধ্যে প্রাচীন ভাকুতের আধ্যাত্মিক সম্পদ সম্বন্ধে কবিচিত্তে প্রথম সঙ্গাগ সাড়া পড়ে “কল্পনার কাবকাকলিতে উহা ্প্টতর হুয়। “নবেছ্যের মধো এই দেশপ্রীতি ভগবতপ্রেম এমনভাবে সংশ্লিষ্ট হইয়া গিয়াছে যে উহ্াদ্িগকে পূথক করা কঠিন। ভাবলোকে যে-ভারতকে আশ্চ্বরূপে দেখিতেছিলেন, জীবনে তাহাকে দেখিতে চান আদর্শগ্পে ; কবি খুজিতেছেন সেই বাস্তব বূপকে। তাই বৌদ্ধসাহিহ্য বৈষ্রগ্রস্থ বাঙজপুত শিখ মারাঠাদের কাহিনী তন্নতন্ন করিয়া খুঙ্জিয়া আত্মতাগের মহত দৃষ্টান্তগ্ুলি অবলশ্বনে 'কথাগুপি রচনা করিলেন। “কথা” কানাগ্রস্থ বাংলাদেশে জাতীগ্রভাবোপ উদ্বুদ্ধ করিতে কী পরিমাণ সহায়তা করিয়াছে তাহা বাঙাপী পাঠক- মাত্রই অবগত আছেন। কেক বংসনু পরে রবীন্দ্রনাথ তাহার এই কবিতাগ্ুচ্ছের ভূমিকায় শিখিয়াছিলেন- কথা ক৪, কথা কও 1... তুমি জীবনের পাতায় পাতায় অদশ্ লিপি দিয়া] পিতামহদের কাহিনী পিখিছ মজ্জায় মিশাইয়]।

চিঠিপত্র ৮, পঞ্ধ ৮৭ | » কনা রবীন্-রচনত্বনং ৭, পু ১১৭-১১২।

খ্ীষ্টা ১৮৯৯ শিলাইদহে সপরিবারে ৪৯১

যাহাদের কথা ভুলেছে সবাই তুষি তাহাদের কিছু ভোলে নাই, বিশ্বত যত নীরব কাহিনী স্তস্তিত হয়ে বও। ভাষা দাও তারে, হে মুনি অতীত কথা কও, কথা কও ।+ বছকাল পরে কবি তাহার “কথা? কাব্যকে কি ভাবে দেখিয়াছিলেন তাহার সন্ধান পাই ববীন্দ্র-রচনাবলীর সপুম খণ্ডের হচনায়। তিনি লিখিতেছেন, “তালো করে ভেবে দেখলে দেখা যাবে কথার কবিতাগুলিকে ন্তাবেটিভ শ্রেণীতে গণ্য করলে তাবা চিন্রশালা। তাদের মধ্যে গল্পের শিকল গাঁথা নেই, তারা এক-একটি খণ্ড খণ্ড দৃশ্য ছবির অভিমুখিতা বাইরের ধিকে, নিরাবিল দৃষ্টিতে স্পই রেখায়। সেইজ্ন্বে মনের মধ্য এই ছবির প্রবর্তনা এমন বিষয়বন্ত্রকে স্বভাবত বেছে নেয় যার ভিত্তি বাস্তবে এই সন্ধানে এক স্যয়ে গিয়ে পড়েছিলুম ইতিহাসের রাজ | সেই সময়ে এই বহিদর্হির প্রেরণা কাবো নাট্যে ভিড় করে এসেছিল ইতিহাসের সঞ্চয় নিয়ে এমনি করে এই সময়ে আমার কাব্যে একটা মহল ৫৩রি হয়ে উঠেছে যার দৃশ্বা জেগেছে ছবিতে, যার বুল নেমেছে কাহিনীতে, যাতে কূপের আভাস দিয়েছে নাটকীয়তায় ।** এই মস্থবাটি কবি যখন পেখেন তখন তিনি 'ছবি-শ্রাকিযে শিল্পী, সকপ জগৎকে চিত্রশালারূপেই দেখিতেছেন।

'কখা'র ন্যায় অপরূপ কাব্যগ্রচ্ছ€ সমালোচকদের হাতে বিপর্যস্ত হইয়াছে এশ্রেষ্ঠভিক্ষায় অঙ্লীলতার ইঙ্গিত আছে 'বন্দীবীর' মুসস্যানদের আত্মমন্মানে আঘাত দিয়েছে ; থেশিষশিক্ষা'য় শিখগ্ডক গোবিন্দ সিংহের নিন্দা হইয়াছে বপিয়া অভিযোগ 1 শিখদেবু অভিযোগ গুঞগোবিন্দ সিংহের মুহাবিষগুক কাহিনী এতিহাসিক সত্য নহে দুঃখের বিষয়, উনিশ শতকের মধ্যভাগে রচিত কানিংহাম সাহেবের শিখ-ইতিহাসে ঘটনাটি লিপিবদ্ধ আছে, এতদিন তাহ! কাহার 9 'আহুসন্মানে লাগে নাই, কবিতা প্রকাশিত হইবার প্রায় ভ্িশ বৎসর পরে এই বিষয় লইয়া! সাময়িক পত্রিকায় সমছমন্ত্বন হয়। যথাস্থানে এই আলোচনা পুনরায় আসিবে।

'কথা'র কয়েকটি কবিতাকে পরবতী যুগে কবি নৃতন কূপ দেন। 'পৃজান্রিণী'র আখানবন্ধকে আশ্রয় করিয়া “নটর পূজা? নাটিলা পরিশোধের কাহিনীকে কেন্ত্র করিয়া শ্বাম) নৃভানাটা লেখেন

“কথা? প্রকাশিত হইবার পরেই বাহির হইল কাহিনী' নামে কাবা কথা" মাঘ, কাহিনী” ২৬ ফাল্কুন ১৩০৬ সালে প্রকাশিত হয়| কাহিনার বিষয় আলোচনার পুরে এই কয় মাসের ইতিহাস বিকৃত করিব ।”

১.৩ প্রঙ্থে যে সকল বৌদ্ধকপা বণিত হতয়াছে তাহা রাজেপ্রুলাল মিত্র -সংকলিউ নেপালী বৌদ্ধসাহিতা সন্বত্কীয় ইংরেজি গ্রন্থ হইতে গহীত। রাজপুত কাহিনীগুল টের রাজস্থান শিখ বিবরণগুপি দুই একটি ইংরাঙ্ছি শিখহতিহাস [1 08777108127, 115 010৮6 98175 ] হইতে উদ্ধার করা £ঠয়াছে | ভক্নালে 5১০ বৈষ'ৰ গলগুলি প্রা হইয়াছি মূলের মহিভ এই কবিতাগুলির কি কিছু প্রডেপ লক্ষিত হইবে আশা করি সেই পরিবর্তনের গর সা(হতানীতি-বিধান মতে দণ্ডনীয় গণা হইব ন11”--- গ্রস্থকারের বিজ্ঞাপন, প্রথম সংস্করণ | মাথ ১৩০৬।

রবীন্দ-প5ণাবলী ৭) শুচনা, পুশ

5 কথার কবিতা এহ পরে রচিত- পুঙ্কাবিণী (১৮ আহ্বিন ১৩০৬)। অভিসার (১৯ আঙ্বিন)। পরিশোধ (২৩ আঙ্গিন)। বিসজন (২৪ আ।দিন )। সামন্ত ক্ষতি(২৫ আশ্বিন )1 নগরলগ্পী (২৭ আশ্বিন )। ম্পশমণি (২৯ আশ্বিন )। এইদিন পান্ত্রে (চিঠিপত্র ৮1 পত্র ৯২) ঝড়ের বণনা আছে। প্রনুতির কদ্ুলীল! দেখিয়া] কি 'ঝড়ের দিনে কবিতা লিখিত হয় (কজন!) “আজি এই আকুল আ্বনে | মেঘে ঢাক দুরশ্ন দুর্দিনে” মানী কাতিক ১৩০৬! খাথনাতীত দান (২ কাতিক)। রাঙ্জবিচার (৪ কাতিক)। শেষ শিক্ষা (৬ কাতিক)। নকলগড় (৭ কাঁঠিক )1 হোরি খেলা (»কাতিক)1 ধন্দীবীর : কাতিক)। পণরক্ষ। ( অগ্রহায়ণ )।

৪৯২ রবীন্দ্রজীবনী গ্রাষ্টাৰ ১৮৯৯

রবীন্দ্রনাথ সপরিবারে শিলাইদহে আছেন) অগ্রহায়ণ ১৩০৬ সালে ( নভেম্বর ১৮৯৯) কলিকাতা হইতে শ্রশচ5ন্দ্রের কনিষ্ঠ ভ্রাতা শৈলেশচন্দ্র মজুমদার কবি সকাশে উপস্থিত হইপেন , বোধ হয় এই সময়ে কবির 'গল্পগুচ্ছ' প্রকাশের আয়োজন চলিতেছে প্রিয়নাথের নিকট হইতে খণপত্রাদি সম্বদ্ধে হমংবাদ পাইয়া কবির মন উৎফুল্ল, বন্ধুর পত্র পাইয়া হাফ ছেড়ে' বাচিলেন 1১

ইত্তিমধো কলিকাতা হাইকোট হইতে পরওয়ানা আসিল তাহাকে 'জুরি'তে বসিন্ডে হইবে। কলিকাতায় যাইতে হইল। ভাবিয়াছিলেন হাইকোর্ট এলাকায় প্রিয়নাথের সহিত সাক্ষাৎ হইবে; কিন্ত তাহার দর্শন সেখানে না পাওয়ায় পত্রযোগে ছইথানি বই চাহিয়া পাঠাইলেন__ একটি বই [০:৮৪ 97061 সম্বন্ধে, অপরটি [7৩1১৮ চ791114-এর নৃতন গল্পের বই। হাবার্ট ম্পেন্সারের লেখা যে রবীন্দ্রনাথের ভালো লাগিত তাহার আভাল আমরা তাহার যৌবনারস্থের রচনার মধ্যে পাইয়াছিলাম | হেনরি হারলাও (17015 [131101)4 1861-1905 ) জীবিত আমেরিকান লেখক ; তাহার সগ্প্রকাশিত (07/62865 2174 705 1898 ) পামে বইটি পড়িভে চাহিতেছেন। হেনরি হারল্যান্ড এখন বিশ্বৃত; কিন্তু গত শতাব্দীর শেষভাগে ইংলনডের 8119) 9০০% (189$-97 ) নামে বিশিষ্ট সাহিতা-পত্রিকার সহিত ইনি গভীরভাবে যুক্ত হন, সম্পাদক 44১: 8০৪10১165-র দক্ষিণ হস্তম্বরূপ। এই সময়ে রচনাশৈলীতে যথাযথ শবপ্রয়োগ (710৫ 17016 ) বিষয়ে ইংরেজ সাহিত্িকরা সঙ্গাগ হইয়া উসেন-_ ৮6110 ৪০০%-এবু লেখকগোষ্ঠি এই নৃতন শৈলীর প্রবর্তক-- আমার অনুমান ইহাতে ফরাসী সাহিত্যিকদের প্রভাব ছিল-- হারলনড প্যারিসেও কিছুকাল বাস করিয়াছিলেন

রবীন্দ্রনাথ ১০০1)০০1-এর গ্রন্থ [791171)0-এব 00/60165 21 127015২ পড়িয়া প্রিয়নাথকে লিখিতেছেন, “7511500-এর বইখানিতে যৌবন এবং বসন্ত টগ্বগ করছে_- চু. 3০1067-এর গ্রন্থে বার্ধকা পরিপক্ক পরিণত ছুটোই যে আমি একসঙ্গে পড়তে পারলুম তার থেকে প্রমাণ হচ্ছে আমি এমন একটি বয়সে এলে পৌচেছি-__ যার এক সীমানায় যৌবনের বেথা ক্রমে ক্ষীণ হয়ে আসছে এবং আর এক শীনানায় বার্ধকা ক্রমশ শুভ্র রেখায় শ্ষুটতর হয়ে উঠ্‌্ছে।”* প্রসঙ্গত বলি ক্ষণিকার কবিতাগুচ্ছে এই স্থর ধ্বনিত হইবে-- ইহা যেন তাহারই পৃধাভাল।

১০ || ১৮৯৯ সালের ডিসে্গর বা ১৩০৬ সালের পৌষ মাস_- শান্তিনিকেতন মন্দির-প্রতিষ্ঠার উত্সব | ববীশ্রনাথ হাইকো্ের জুরি” হইতে মুক্ত হইয়াছেন, আসন্ন উত্পবের জন্য বক্তৃতা? বা ধর্দেশন। লিখিলেন | এইবার শান্থিনিকেতন-উতৎসবের কিছু বৈশিষ্ট্য ছিপ। পাঠকের স্মরণ আছে, বলেজুনাথ ঠাকুর শাস্টিনিকেতনে ব্র্গবিদ্ভালঘ়' স্বাপন মানলে একটি গৃহের নির্নাণকার্ধ আরস্ত করিদ্াছিলেন। বিগত ভাদ্র বলেছের মৃত্যুর চাি মাস পরে ব্রিদ্ধবিদ্যাপয়' উম্মোচন-উৎসব হইতেছে।

১. চিঠিপত্র ৮, পত্র »৫।

২. 0০0764825 01৮৫ 12705 (1893). 509718$ &9% 2: 89 0610,6861070 011179915 960016 0৫ 0৮ %০9114. 21 ৫75 59466 2৫ 0611006151৮161 27170646911 %1018 00600531016 8200৭180170 001780190101018 01075 1116 ০01 06 0981, কেহ কেহ মনে করেন রবীজ্রনাথ যে বইয়ের কথা বলিয়াছেন, তাত! 21402147805 580-7০* ; সেটি হইতে পারে না, কারণ ভা প্রকাশিত হয় ১৯** সাজো।

চিঠিপত্র ৮, পত্র ১২৫।

গ্ীষ্টান্ধ ১৮৯৯ শিলাইদহছে সপরিবারে ৪৯৩

প্রাতে মন্দিরে ব্রদ্মোপাসনাদির পর “অনাথ-দীন-দরিদ্রদিগের জন্য সমগ্ক ভোজ্য উৎসর্গ হইলে কলিকাতা হইতে আগত ব্রাক্মগণ বোলপুরবামী তক্তেরা 'ব্রহ্মবিদ্যা প্রচারের জন্য” 'ইষ্টকনিমিত স্প্রশস্ত গৃহ" অভিমুখে সংকীর্তন করিতে করিতে উপস্থিত হইলেন। বিশেষভাবে লক্ষণীয় নববিধান সমাজের অন্যতম প্রচারক ট্ললোক্যনাথ সান্যাল দলবলসহ আনন্দচন্জ্র মিত্র রচিত 'গাওরে আনন্দে সবে জয় ব্রদ্ধ নাম” গানটি গাহিতে গাহিতে উদ্চান প্রদক্ষিণ করিলেন।

এই 'ত্রঙ্গবিদ্যালয়' এখন বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের অংশ সত্যেন্জনাথ ঠাকুর দীর্ঘ ভাষণে ব্রহ্ম বিষ্ালয় স্থাপনের মর্মার্থ ব্যাখ্যা করেন তিনি বলেন-_

প্রভাতে ঈশ্ববোপাসনা সমাপন করিয়া এক্ষণে আমর! এই ব্রহ্ষবিষ্ালক়স প্রতিষ্ঠা করিবার জন্ত এখানে সমাগত হইয়াছি।... বিষ্া ছুই প্রকার-__ পরাবিদ্া অপরাবিদ্য/া। এই অপরাধিগ্যা শিক্ষার সঙ্গে পরাবিগ্ভার আলোচনা চাই, তাহ! হইলে ব্রক্ষজ্ঞান লাভ হইবে।.. কিন্ত সেই ক্রহ্ষবিদ্যা অর্জনের জন্য সবপ্রথমে সৎগুরুর নিকটে যাওয়া চাই |... সেইজন্য এই অনুকূল স্থানে এই ব্রহ্মবিদ্যালয় স্থাপিত হইতেছে, এবং যাহাতে ব্রহ্ধবিদ্যা প্রদত্ত হয়, তজ্জন্য সুনিয়ম প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ হইতেছে ।-.. ঈশ্বরের আশীর্বাদ ভিক্ষা করিয়া আমি এই ্রহ্ষবিদ্ালয় প্রযুক্ত করিয়া দিলাম ।--ব্রন্মবিদ্যা সর্ববিদ্ধা! প্রতিটা |”

সেইদিন সন্ধায় শান্তিনিকেতন মন্দিরে উপাসনা হয়-__ রবীন্দ্রনাথ, প্রিয়নাথ শাস্ত্রী চিস্তামণি চট্টোপাধায় বেদি গ্রহণ করেন; স্বাধায়ান্তে উপাসনা শেষে রবীন্দ্রনাথ একটি ভাষণ পাঠ করেন। সেটি “ইপনিষদ্‌ ব্রন্ষণ নামে তত্ববোধিনী পন্ধিকায় মুদ্রিত হইয়াছিল পৌধষ-উৎসবে ইহ রবীন্দ্রনাথের দ্বিতীয় ধর্মদেশন 1২

এই সময়ের উৎসব-বর্ণনা পাঠে মনে হয় রবীন্দ্রনাথ প্রাতের উপাসনার '্রহ্ষবি্যালয়' উন্মোচন-উৎসবে উপস্থিত ছিলেন না, থাকিলে অবশ্বই তাহার নাম পাইতাম। আমাদের মনে হয় রবীন্দ্রনাথ দিপ্রহরের ট্রেনে বোলপুর আসেন-- ব্রহ্মবিদ্ঠালয় স্থাপন সগ্থন্ধে তখন কোনো আগ্রহ বা খৎস্থকা ছিল নাঁ। ভবিতব্য এমনি যে, ছুই ব্সর পরে '্রপ্গবিদ্যাপয়'কে কেন্দ্র করিয়াই তাহার “কোডিং স্কুল' তথা ব্রহ্মচরধাশ্রম প্রতিষ্ঠিত হয়।

কপিকাতা মাঘোহসবে রবীন্দ্রনাথ যে ভাষণটি প্রদান করেন তাহা এই “ইপনিষদ্‌ ব্রক্ষগণ এইদিন প্রাতে সায়াহ্ে বুবীজ্্নাথ রচিত বাইশটি ব্রক্ষদংগীত গীত হয়-_ অবশ্য মকলগুলি এই সময়ের রচনা নহে

1১55৭

মাখো২সবের পরই রবীন্দ্রনাথকে পিভ-আদেশে এলাহাবাদে যাইতে হইল এলাহাবাদ বলেন্ছনাথের পত্রী সৃশীতলার (লুপি) পিতৃগৃহ বলেন্ত্রের মু্তার পর তাহার শ্বশুর সাজন-মেজর ফকিরচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কন্তাকে স্বগৃছে লইয়া যান এব: ভাছার পুনরায় বিবাহের কথা ভাবিতেছিলেন। এমন সময় কাহার মৃত্যু হয়। এই অবস্থায় মহষির বাবস্কায় পৌত্রবধূকে আপনাদের কাছে আনিয়া রাখাই স্থির হয় এবং রবীন্দ্রনাথকে সেই দৌত্যে পাঠানো হইল।

মুণাপিনী দেবীকে শিলাইদহে লিখিতেছেন [৮ ফেব্রুয়ারি ১৯০০) “আজ এলাহাবাদে এসে পৌচেছি 1... তন্থবাখিনী পত্রিকা, মাথ ১৮২১ শক (১১০৬)। ২. উপশিমদ বর্ষ, তক্ক:বাধিনী প্তিকা, মাঘ ১৮২১ শক (১৩৬) পু ১৬৩-১৭২। এই পুপ্তিক! আদি ব্রাঙ্মদমাজ যন্ত্রে দেংবন্ানাথ ডট্টাচার্য দ্বার! মুক্ষিত। ৫৫ অপার চিংপুর রোড। শ্রাবণ ১৩*৮। ভর. রবীন্্-রচনাবলী অচলিত সংগ্রহ ২, পৃ ১৯৫-২২* উপনিষদ ব্রদ্র ইংরাজি অনুবাদ 7056 0094 01 06 00101715195 নামে তকবোধিনী পত্রিকার ইংয়েজি অংশে ধারাবাহিক প্রকাশিত হয়। ইহাই রবীঙ্রনাথের সর্বপ্রথম রচন। ঘাহার ইংয়েজি তর্জম] প্রকাশিত হয়| অনুযাদকের নাম নাই আমাদের অনুমান সতোজন।প ঠাকুর মহাশয় ইহার অনুবাদক

প্রথম দেখন। ১৩*৫ শান্তিনিকেতন মলিকে পৌষ উৎসবে প্রদত্ত হয়। ভারতী, মাধ ১৩*৪ সলে 'নির়াকার উপাসনা" নামে প্রকাশিত হলস। তন্তবোধিনী পত্রিক| ১৮২* শক (১৩০৫ ) মাধ মালে এই ভবণ মুজিত হয়, কিন্তু ইহার কেনে! শিরোনাম! নাই।

৪৯৪ ববীন্দ্রজীবনী আটা ১৮৭

ভাগ্য স্বরেন মোগলসরাই থেকে আমার সঙ্গ নিলে নইলে একা একা এই হোটেলে পড়ে পড়ে ক'টা দিন কাটান আমার পক্ষে তারি কষ্টকর হত।” তিনি লিখিতেছেন, “সুমি যেতে রাজি হয়েছে, তাব মাও সম্মতি দিয়েছেন কলকাতা হয়ে শিলাইমহে যাওয়াই স্থির হল ।”১

এলাহাবাদে তখন রামানন্দ চট্টোপাধায় সপরিবারে বাস করিতেন ; তিনি তখন “কায়স্থ পাঠশালা'র অধ্যক্ষ এবং প্রদীপ” পত্রিকার লহিত যুক্ত | রবীন্দ্রনাথ স্রেন্্রনাথ রামানন্দের বাসাবাটিতে দেখা করিতে যান-_ তাহার 'পুণ্ম্তি? সীতাদেবী অঙ্কিত করিয়াছেন।

রবীন্দ্রনাথ স্রশীতলাকে লইয়া কোধ হয় ফান্তনের গোড়াতেই শিলাইদহে পৌগছান, কিম্ত কয়েকদিনের মধোই পুনরায় কলিকাতায় আসিতে হয়। কারণটি বড়ই অর্ভুত। পাঠকেপ স্মরণ আছে বঙ্গীয়-মাহিত্য-পরিধৎ্ৎ ১৩০১ সালে স্থাপিত হয়; প্রথম দিকে পরিষদের কাধালয় ঝাজা বিনয় দেবের ভবনে (২1২ ঝাজা নধকুষ্ক স্ত্রীট ) অবস্থিত ছিল। ১৩০৩ সালের তাদ্র হইতে কাধালয় বিনয়কৃষণ দেবের ২৯ গ্রে স্বাস্থ তবনে স্থানান্তরিত হয় অধিবেশনাদি ১০৬।১ গ্রে স্ীটের এক বাড়িতে হইতে থাকে 1 মোট কথা পরিষদের নিজ্জন্ব কোনো গৃঠ না থাকাম ইহাকে ধর্নীর খেয়াল খুশির আশ্রয়ে থাকিতে হইত। নবীন সাহিভ্যিকরা এই ব্যবস্থার বিরোধী | হহার প্রতিবাধকল্লে এগারো জন সদন্তের* সহিযুক্ত পত্র পরিষদের সম্পাদক টাকির জমিদার রায় যতীন্দরনাথ রায়চৌধুরীর লিকট পেশ করিয়াছিলেন &ঁ পত্রান্ুনারে ফাল্পন ১৩০৬ (১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯০০ ) বিশ্ষ সভা আহত হইল-- ইহার সভাপাতি ছিলেন ছিজেন্দ্নাথ ঠাকুর। আলোচনাকালে এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধবাদীরা! সভাকক্ষ ভাগ করায় অবশি্গ সদশ্তদের সম্মহিক্মে পর্দিষৎকে স্থানান্তরিত করিবার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হর তৎ্পরু দিবস ! ফান্কন ১৩০৬) পরিষদের কাযালয় ১৩৭১ কর্নওয়ালিস স্ত্রাটের এক ভাড়াটিয়া গৃহে লইয়া যাওয়া হইল। সাময়িকভাবে একটি বিশেষ দল পরিষদের সংস্বব ত্যাগ করিলেও অচিরে ইহার সাস্ত-সংখ্যা আশাতীত রূপে বুদ্ধি পাইল।

কলিকাতায় সাহিত্য-পরিষদের সভাদিতে যোগদানের পর পুনরার যখাগ্থালে ফিরিয়া ঘান | এই সময়ে কাহিনী, কাব্য মুদ্রিত হইতেছিল এবং জগদীশচন্দ্রের অঠবোধক্রমে এতদিন পরে 'কর্ণকুম্থী সংবাদ" পিখিবার অধসব মিলিল (শিলাইদহ ১৫ ফাল্গুন ১৩*৬)। ইতিপূর্বে কিপুরার মহারাজ রাধাকিশোর মাণিকাকে এই কাব্যখ উৎস করিবেন বলিয়া পত্র লিখিয়াছিলেন। মহ্থারাজ আগরতলা হইতে ১৫ ফাঙ্ন তছুন্টরে লিখিলেন, “কাহিনী গ্রন্থের সহিত আমার নাম সংশ্রব রাখিতে আপনি ইচ্ছা কবিয়াছেন। ইহাতে আমার অমত হইতে পারে কি?

যুবরাজ বীরেন্দ্রকিশোরের বিবাহ-দিন ২৪ ফাল্ঠন-_ সেইদিন 'কাহিনী গ্রশ্থ *শ্রল অমুক্ত রাধাকিশোর দ্েবমাণিক্য মহাপাপ ররিপুরেশ্বর করকমলে' উত্সগীত হইল কিন্তু গ্রন্থ সম্পূর্ণ প্রকাশিত হইতে বোধ হয় কিছু বিল

চিঠ্রিপত্র ১, পত্র ২৮1 পঞ্জখালির তারিণ নাত) পুরুপক্ষ | পঞ্জে আছে বাহারে চমৎকার যোহর ছিল 1 অইমী তিথি ফেকয়ারি ১৯১, [২« মাঘ ১৩০৬ ] বৃধবার গুক্র। অষ্টমীতে যাত্রা! করেন। শশিবার ১০ ফেক্গারি এলাহাবাদ ছাড়েন : ১2 6২৭ মাধ) কলিকাতায় আমেন শিলাইদছে যাত্রা করেন। এই পত্রের সন ১৯৭১ হহতে পারে পা, কারণ ৮৯৯১ জ।দুয়ারর শেদ পিকে 2রেঙ্রনাধ ঠাকুর এ2দ্থ | চিঠিপত্র ১, পত্ধ ২৯

ড্র, ব্রজেজ্নাথ বন্দোপাধ্যার, পরিষৎ-পরি5য় ১৩**-১৩৫৬। পৃঃ পাদটাকা।

বিশেষ সভা আহ্বানের জনক আবেদনকারীদের নাম-_ রবীন্রনাথ, সতোন্রনাখ, জ্যোঠিরিশ্রনাপ। গগনেন্নাথ ঠাকুর, রজনীকান্ত ওপ্ত, রামেশ্রহলায় স্রিবেদী, দেবেন্্রপ্রনাদ ঘোষ, নরেক্রন।থ মিত্র, অনৃতৃক মলিক, হুরেশচজ্্র সমাজপতি ছিজেক্নাধ বনু

রবীন্্রনাথ ভ্রিপুরা, পু ৪২৮।

গ্র্টান্ ১৯০, ক্ষণিকার পর্ব ৪৯৫

হয়; কারণ দ্বেখা যাইতেছে ১৪ চৈত্র (১৩৬ ) শিলাইদহ হইতে মহারাজকে “কাহিনী, একখণ্ড পাঠাইতেছেনঃ ১৩০৬ সাল প্রায় শেষ হইতে চলিল।

ক্ষপণিকার পর্ব

চৈত্র ১৩০৬ সালের ভারতীতে রবীন্দ্রনাথের “বসস্ত' নামে এক নাতিদীর্ঘ কবিতা প্রকাশিত হয়-- “অযুত বৎসর আগে হে বসম্ত' ( কল্পনা) আবাহন করিয়া কবিতার আরস্ত। এই কবিতা গাঠ করিয়া কি প্রিয্বনাথ মেন “কবিবর শ্ীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রিয়বরেষু উদ্দেশে লেখেন “অচির বসন্ত হায়, এল গেল চলে” ( সনেট )1২ এইটি পাইয়া রবীন্দ্রনাথ 'প্রত্যুপহার শ্রীযুক্ত গ্রিয়নাথ সেনের করকমলে উপহ্ৃত” কবিতা ( সনেট ) লিখিয়া পাঠান কিন্তু সনেটটিতে চৌদ্দ পঙ্ক্তির স্থলে কবির অনবধানবশতঃ তেরে] পঙ.ক্তি ছিল। প্রিয়নাথ কবির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সেই দিকে। ১৩০৭ সালের ২৯ বৈশাখ শিলাইদহ হইতে বন্ধুকে জানাইলেন যে, কবিতাটিকে নৃতন কবিয়া লিখিয়া ফেলিয়াছেন | সেইদিনেই পিখিতেছেন “ক্ষণিকার জন্য তাড়া! লাগিয়ে হয়রান হলুম"।& এই উক্তি হইতে বুঝা যাইতেছে ষে বৈশাখ মাসের মধ্যে 'ক্ষণিকা'র অনেকগুলি কবিতা বচিত হইয়া গিয়াছে এবং জ্যাষ্ট মাসের মধ্যে কবিতার চার ফর্মার প্রুদণ পাইয়াছেন | ক্ষণিকার মোট কবিতার সংখ্যা বাঘট্রিটি। তন্মধো পঞ্চান্নটি লিখিত হইয়া গিয়াছে ।?

১৩০৬ সাল হইতেই পত্রিকা-পরিচালনার দায়িত্ব নাই বটে, কিন্তু রচনা-সরবরাহের দায় হইতে অব্যাহতি নাই | এই বংসর কী ভাবে কাটে তাহা আমরা বলিয়াছি। ভারতীর সম্পাদিকার অনুরোধে একটি প্রহসন-উপন্তাস লিখিতে আস্ত করেন এই বত্সরের শেষ ভাগে। উহা “চিরকুমার সভা" নামে ১৩০৭ সালের বৈশাখ মাস হইতে মাসিক কিন্তিতে ভারতীতে প্রকাশিত হইতে থাকে | এক অগ্রহায়ণ মাস ব্যতীত এই প্রহসন ধারাবাহিক ভাবে তেরো কিস্তিতে ১৩০৮ সালের জোর্ঠ মাস পর্বস্ত চলিয়াছিল।«

ক্ষণিকা'র কবিতাগুচ্ছ “চিরকুমার সভা'র প্রথম কয়টি পরিচ্ছেদ প্রায় একই কালে রচিত হইয়াছিল; ক্ষণিকা ধারা আধাঢ মাসেই স্তব্ধ হইয়া যায়, চিরকুমা বদের হান্তমুখর সংলাপ লারা বৎসর চলিতে থাকে আপাত দৃষ্টির সম্পূর্ণ বিপরীত ধরণের রচনা কণিকা কবিতা চিরকুমার সভা প্রহসন-_ কিন্ত উভয় গ্রন্থে পরিশ্ফুট বঙ্গের মধ্যে যে প্রচ্ছন্ন

রবীক্রণাধ জিপুরা, পৃ ৪*৪।

কবিতাটি রবীন্ত্রনাথের জন্মদিনে ২৫ ধৈশাখ ১৩*৭ [৮মে ১৯** ] বোধ হয় ভাহার হস্তগত হয়, প্রিয়নাধ কবিতাটির শিয়োনাদে 'ক্ষণিকা লেখেন। পত্রমধ্ো লিখিতেছেন, "কবিতাটির 'বসম্ত-অস্তে' এই নাম দিয়া তোমার নামে উৎসগ করিলে তোমার কি তাহাতে কিছু আপত্তি আছে ।” (চিঠিপত্র ৮, পৃ২২১)। প্রদীপে (১৩৭ জোট) 'বসস্ত-অন্ডে' নামে মুদ্রিত হয়। সংখ্যাতেই রবীন্্রনাণের 'প্রতুপস্থার প্রকাশিত হয়।

প্রদীপ, ১৩*৭ সালের জো সংখায় উভয় বন্ধুয় সনেট ছুইটি যুজিত হইয়াছিল। পঁচিশ বংসর পরে ১৩৩২ সালে পুরবীর (জুলাই ১৯২৫ ) সঞ্চিত অংশে 'বসস্তের দান' নামে মুদ্রিত হয়। পূরবীর নুতন সংস্করণে (১৩৩৮ ) সঞ্চিতা অংশ বলিভ হইলে এই কবিতাও নিরুদিষ্ট হয়। অতঃপর ১৩৫১ মালে 'উৎসর্গ' কাযোর নূতন সংস্করণে সংযোজন অংশ স্বীন লাত করে। ভর" হুর্পবণিক কথা কীতি ১, পৃ ১৮৯-৯*। এখানে প্রিয়নাথের রবীন নাণের সনেট ছইটি উদধৃত আদ্ে।

চিঠিপত্র ৮, পত্র ১*১।

« রবীজ্-গ্রন্থাধলী : হিতযাদী সংস্করণ ১৩১১ (অগস্ট ১৯০৪) রঙ্সচিত্র অংশে (পৃ ২৫৮-৩৮৭)। ১৩১৪ সালে মজুমদার লাইব্রেরী হইতে প্রকাশিত “গঞভগ্রস্থাবলী' অষ্টম খণ্ডে এই প্রহসন 'প্রজাপতিয় নির্ধন্ধ' (পূ ১৮৯) নামে প্রকাশিত হয়। অত্ঞপর ১৩৩২ সালে (১৯২৬) চিরকুষায় সভ। নাটারপে লিখিত প্রকাশিত হয়। জ. রবীজ-রচনাবলী এবং ১৩।

৪৯৬ ববীন্দ্রজীবনী শ্রীাৰ ১৯৯০

সৃক্মতত্ব নিহিত আছে, তাহা সাধারণ পাঠকও সহজে আবিষ্কার করিতে পারেন জীবনকে সহজভাবে উপভোগ করিবার ধ্বনি কাবা প্রহসনে শোনা যায়। অতীত “কথা? অলীক “কল্পনা'র মধো বকাল বাস করিয়া আজ সে-সব ভুলিবার জন্য কবির প্রয়াস সেই প্রাচীনের বন্ধন ছিন্ন হইবামাত্র ভাষায় আসিল সরলতা, ছন্দে আদিল চটুলতা, ভাবনায় আমিল গভীরতা প্রতি নিমেষের কাহিনী আজি বসে বসে গাথিস নে আর, বীর্িস নে স্বৃতিবাহিনী। যা আসে আহক) যা হবার হোক, যাহা চলে যায় মুছে যাক শোক, গেয়ে ধেয়ে যাক দালোক ভূলোক প্রতি পলকের রাগিণী। নিমেষে নিমেষ হয়ে যাক শেষ নহি নিমেষের কাহিনী এই ক্ষণিকের গান'১-এর কয়েকটি মাত্র পও্‌ক্িতে ববীন্দুনাথ তাহার কাবাজদীননের তথা জীবনকাবোর দাশনিক তথা বাস্তবিক তন্বটি মুক্ত হইয়াছে রবীন্দ্রনাথের জীবনের মূল স্থত্র ছিল নৈবাক্তিকভাবে সমস্তনে স্পর্শ করা কোনো বিষয় বাস্তবের প্রতি অন্ধ আসক্তি না থাকায় তিনি এই কবিতায় মাতা বলির়াহিলেন তাহা হাহার উপল সত শুপু শ্নকারণ পুলকে নদীজলে-পড়া আলোর মতন ছুটে যা ঝলকে ঝলংক। ধূবুণীর 'পবে শিথিল-বাধন কলমল প্রাণ করিস যাপন, ছুয়ে পেকে দুলে শিশির যেমন শিরীন ফুলের অলকে | ক্ষণিকার কবিতাগুপি অতি অল্পকালের মধ্যে পুচিত | মনে হয় ১৩০৬ সালের চৈতরর পেযাশেসি হইতে ১৩৯৭ সালের আধাঢ়ের প্রথমার্ধের মধো শিলাইদহ বাপকালে লিখিত | মাঝে ছোগদাংসর গোডার দিন দশ দাঙ্জিলিতে জগদাশচন্দ্রের সহিত “মাপন্দেল হাউপে কাটাইয়া আসেন | যাইপাব পথে « দাজিশি দুটি করিতা লেখেন (৮ জো ৯জৈ9)। সেখানে আনন্দমোহন বহর কন্যা নলিনী ছেবীর ( অপ্যাপক নগেলনাণ নাগের পত্রী) স্বাক্ষর পুথিতে (১৪ চাট ১৩০৭) দুইটি কবিতা-কণা লিখিতে দেখা যায় | জৈষ্জের মাঝামালি পধস্থ দ[ন্পিতে পাস করেন

ক্ষণিকের গান, ভারতী, ভোষ্ঠ ১৩০৭ . ক্ষবিক! কাঁবো এইটি 'উদ্বোপন। কবিতা হচয়াছে ধু অকারণ পুলকের গগণিকের গান, গরে আজি পণ ক্ষণিক দিনের আলোকে' বলিয়া পুরু |

সমু গিরিরাজ নাষে প্রবাসী কাতিক ১৩৪৮ মুদিত হয়। সমুদ্রের উদ্দেশে চার পওক্কি কবিতা-কণা 'কশিকা তে 'প্রণের অহী 5 নামে প্রকাশিত ( রবীন্্-র€নাবলী &. পৃ২৮)। অপরটি “পিরিরাজ' সেটি নুষ্ণন রচনা বহু বংসয় পরে শ্ষুলিঙ্গের (১৩৫ সংখ্যক কথিত) জগ্রদুতি হাঃ রবীন রচনাবলী ২৭, পৃ৩৪)।

গ্ীষ্টাব ১৯০, ্ষপিকার পর্ব ৪৪৭

এই জ্োষ্টমাসের শেষ দিকে অক্ষয় চৌধুরীর জামাতা যতীন্ত্রনাথ বস্থ শিলাইদহে আসেন | সেই সময়ে তিপুরার মহারাজের অনুরোধে যুবরাজ যুবরানীর শিক্ষার্দি দেখিবার জন্য যতীন্দ্রনাথের সন্ত্রীক আগরতলায় যাইবার কথাবার্তা চলিতেছিল-_ অবশ্ঠ রবীন্দ্রনাথের স্থপারিশে মধ্যস্থতায় এইসব হইতেছে যতীন্দ্রনাথ শিলাইদহে আসিয়া কয়েকদিন থাকিয়! যান।১ ক্ষণিকার মূদ্রণকার্ধ কবির মনে হইতেছিল যথেষ্ট দ্রুত হইতেছে না; মনের সেই অবস্থায় বোধ হয় “চিরায়মানা' (২৭ ষ্ঠ ১৩৯৭ ) কবিতায় লেখেন-_ যেমন আছ তেমনি এসো, আরকোরো না সাজ। শেষে বলিলেন-__ এসো হেসে সহজ বেশে নাই বা হল সাজ। ক্ষণিকা'র কবিতাগুচ্ছ প্রায় সমে আপিয়া পৌছিয়াছে : ১৭ আধাঢ লিখিলেন "আবির্ভাব, “সমাঞ্চি'তে ক্ষণিকার ছেদ টানিপেন। ইতিমধো ১৫ আধাঢ (১৩৯৭) কবিকে কপিকাতায় যাইতে হইল, সেখানে দ্বিজেন্ত- নাথের কণিষ্টপুত্র কতীন্দ্রনাথের বিবাহ (১৭ আধাঢ়)। কলিকাতায় কয়েকদিন থাকিয়াই উত্তরবঙ্গে পতিসরে পুণ্যাহের জন্ হাজিরা দিতে ছইল। আধাঢ়ের শেষ দিকে পুনরায় কলিকাতায় তাহার সাক্ষাৎ মিলিতেছে। প্রিয়নাথকে আধাচগ্ শেষ দিবসে (১৫ জুলাই ১৯০* রবিবার ৩১ আধা ১৩০৭) 'ক্ষণিকা" একখণ্ড দিবেন বলিয়া পত্র দিলেন | কয়েকদিন পরেই (৬ শ্রাবণ) বন্ধুকে লিখিতেছেন, “ক্ষণিকা শেষ করলে?” ইতিপূর্বে স্বরেশচন্দ্র সমাজপতি নগেক্জনাথ গুপ্তকে দিবার জন্য 'ক্ষণিকা? প্রিয়নাথকে দিয়াছিলেন। ইতিপূর্বে কৰি দেবেজ্দ্রনাথ সেন শিলাইদছে আসিবেন বলিয়৷ লিখিয়াছিলেন, কিন্তু শেষ পর্বস্ত তিনি আগিলেন না। প্রিক্নাথকে আমিবার জন্ত বারে বারে তাগিদ করিতেছেন; তিনিও নড়িলেন নাঁ। সাহিত্যিক সঙ্গী পাইলে মনটা কয়েকদিন অন্ত জগতে বিচরণ করে তাই ইহাদের জন্য মন প্রতীক্ষমাণ। কবিকে নিরস্তর চল্লাফেরা করিতে হয়; কুছ্রিয়া হাইতে হয়, ব্যবসায়ের খাতিরে, আবার হাইস্কুল সম্বন্ধে স্থানীয় মুন্সেফবাবুর সহিত আলোচনা করিতে হয়। এইভাবে শিলাইদছে দিন যায়। এমন সময়ে আধাঢ়ের শেষে ক্ষণিক] প্রকাশিত হইল।৩ 'ক্ষণিকা'র জন্য কবির ম্পর্শচেতন মন অত্যান্ত উদ্বিগ্ন ; তাই বন্ধুদের সমর্থন খু'ঁজিতেছেন। প্রিয়নাথকে লিখিতেছেন, 'ক্ষণিকা বেচারা জন্মাবামান্্র শত্রুপক্ষের লক্ষাস্থল” হল কেন? ভগবান বাহদেবেরও এই দশা হয়েছিল-_ আশ] করি আমার সন্তানটিও সমালোচক কংসের হাত এড়িয়ে তার ব্রজলীলায় প্রবৃত্ত হবেন। এই শেষজাতকটির প্রতি আমার কিছু অধিক মমতা জন্মেছে ।”* ক্ষণিকা লোকেন পালিতকে পাঠাইয়া এক পত্রে পিখিয়াছিলেন, "আমার মনের ভাবগুলিকে এক ঝাঁক বনের পাখীর মতো! নানা! খোপখাপের ভিতর থেকে ছেড়ে দিয়েছি, তাবা গানও গাচ্ছে এবং উড়ছেও। তাদের কণে স্থুর এবং ভানায় লঘুত! দিয়ে দিয়েছি। এই লঘুতাটার জন্যে একদলের

সাহিতা, আষাঢ় ১৩৯৭ পৃ ১৪৪-৪৮। রবীন্রনাখের শিলাইাছ বাস সম্বন্ধে সচিত্র প্রবন্ধ যতীপ্রনাথ বহ-লিখিত। চিঠিপত্র পঞ্জ ১০৫1 “কাল সক।লে নিশ্চয়ই একখণ্ড খিক! পাবে আধাঢ়ন্ঠ শেষ দিষসে |” জার শেষের দিকে বতীশ্রানাথ হু শিলাইদহ ধান সহায় মোলাকাত বর্ণন। হইতে জামিতে পারা বায় যে সেই সময়ে ক্ষণিক। ছাপাখানা শিয়াছে। জু. হতীজ্নাথ বছ, শিলাইগছে রবীজানাথ ( সচিজ্জ), সাহিতা, আহা ১৩৭৭, পৃ ১৪৪-৪৮। চিঠিপত্র ৮, পত্র ১১৪ এই পত্রে আছে চিরকুমার লতার আগামী কিস্তি ( ভাঙ্ই) শেষ করিমাছেন। ৬৩

৪৯৮ রবীন্দ্রজীবনী গ্ীাষ ১৯৯,

বিরাগভান্ন হব; যারা আকাশের পাখীর স্বাভাবিক গানের চেয়ে খাচার পাখীর কষ কৃষ্ণ রাম রাম তক্তপোষে বলে শুনতে চায় আমার ছাড়া পাখীগুলি অতান্ত লঘুতাবশতঃ তাদের দাড়ের উপর ধরা দিবে না বলেই তারা চউটবে। এক-একটি সমালোচকের নিজের নিজের এক-একটি দাড় আছে-_ সেই দাড়ের উপরে শিক্লি দিয়ে কবিতাকে না বাধতে পারলে তারা তীর এবং বন্দুকের গুলি ছুঁড়তে আরম্ভ করে।” লোকেনকে লাখত পক্জ আমরা পাই নাই প্রি্নাথ মেনকে লিখিত পত্জরমধ্যে তাহার চুম্বকটুকু পাই। রবীন্দ্রনাথের ভয় পাছে ক্ষণিকার ভাগো পাখীর মতো অপঘাত মৃত্রা ঘটে। তাই বন্ধু প্রিনাথ সমালোচনা পিখিবেন শুনিয়া সুখী হইয়াছেন।১

ক্ষণিক! কাব্য

“কণিকার কবিতাকণা “ক্ষণিকা'র কবিতাবলীর মধ্যে কালের ব্যবধান দীর্ঘ নহে, উত্য়ের হুরের মধো একটা আপাত-লঘুতা থাকিলে গভীর বের সমাবেশ সুষ্পষ্ট। কণিকায় কৰি বিশ্বসংসারের বিবিধ বিষয় বসন্তকে স্থানের যোগস্ত্রে দেখিয়াছিলেন-_ তাহাকে কবিতাকণায় প্রকাশ করেন; আর ক্ষণিকার কবি সেই বিশ্বকে কালের মধ্যে সহজভাতে স্বীকার গ্রহণ করিয়া নৃতন বীতিতে আয্মমোচন করিলেন রচনার মধ্য কোথা কোনো কষ্টকল্পনা বা অতিশয়োক্তি দ্বারা বিশ্বকে স্বীকার করা হয় নাই “মনেরে আজ কহ যে, ভালোমন্দ যাহাই আসক সতোরে ল৪ সহজে ।”

পুরাতন জীবন, পুরাতন সমাজ-_ সকল কিছু হইতে কৰি যেন তাহার নাড়ির যোগকে ছিন্ন করিয়া দিতে চান। পদ্মাবঙ্ষে নৌকাকাসে প্রকৃতির সৌন্দর্দের মধ্যে কেবল গৃঢ নিবিষ্ট জীবন তাহার চিন্তকে সম্পূর্ণকপে পরিতৃপ্তি দিতেছে না আপনাবরু বেষ্টুন ছাড়াইয়া একটা বড় ত্যাগের জীবনের জন্বা ঠাহার বেদনা জাগিতেছিল।ৎ নিজ জীবনের ক্ষুদ সামাজিক বেষ্টনী হইতত৪ বাহিতে আমিবার বেদনা অন্তরকে পীড়িত করিতেছিল। সেই গতীর বেদনার উদ্্বালকে তিনি যেন লঘুভাবে উড়াইতে চাহেন, সথখছুংখকে মিলাইয়া লইয়া মদের একটি মহজ মাধুরধের ছন্দ রচণা করিতেছেন “বাহিরে যবে হামির ছটা ভিতরে থাকে হাখির জল।”

সমাজের পংলারের চিরাচরিত বাতি তাহার কাছে আজ অর্থহীন; সংসারের অভান্ত যুল্য সবই বদলাইয়া গেল, নব নব বাঞনার আলোক বিদ্রোহী কবিকে সম্পূর্ণ নূতন পথে জীবনকে জানিবার পথে, প্রবৃন্ করিল “মাতাল কবিতায় এই বেপরোয়া বিদ্রোহের সুর ঝলমল করিয়া উঠিতেছে। অথচ শ্তরোতের এই উচ্ছলতার তলে তলে গভীর তন্ম্তার বেদনা] আনন্দ তরঙ্গায়িত। কবি নিজ নায়ের হাপের দড়ি নিজ হাতে কাটিয়া দিয়া পালে অমীমের খোল। হাওয়া লাগাইয়। মাতালের মতো চলিতে উদ্ভত। এইখানে দেখি সংস্কারমুকি প্রয়াসী রবীন্দ্রনাথকে, যিনি লিখিয়াছিপেন, “অযাহায় ভালাই তরী” "ভালো মা নই গো মোরা” 'উদ্টে] কথা কই'। ক্ষণিকার কাবাগুচ্ছে সেই বন্ধন-বিরোধী নৃতন পথের পথিক মুক্তিকামী রবীন্দ্রনাথ

আমরা বলিয়্াছি এই কাবাখাশির মপো রবীন্তনাথের অতীত জীবনের সকল অবস্থার কথা তুলির রেখায়-টানা ছবির মতো ফুটিয়াছে। বেখাঙ্কনে শিল্পীর প্রয়ালমাত্সর নাই, অত্যান্ত নহজতাবে পরিহাসচ্ছলে যেন আকা। পথিব'কে ভোগ করিবার জন্য দেহীর জন্ম হয় ধরার বুকে, “আজকে শুধু এক বেলারই তরে আমরা দৌহে অমর, দটৌোহে অমর ।”* চিঠিপত্র ৮. পত্র ১১৮ | এই পত্র মধ মাড়োয়ারীর কাছ পেকে টাকা ধার প্রভূত খবর আঙছে। অজিততহমার চক্রবতী, রবীক্ষনাপ | ধুগল,প্ষণিকা, রবান্র-রচনাবলী ৭, পৃ ২.১-১৩।

বী্টাঙখ ১৯৫, | ক্ষণিক] কাব্য ৪৯৯

কিন্ত কে দে পৃথিবীকে ভোগ করিতে পারে? বীরভোগ্যা বহ্ুন্ধর] | বুদ্ধ পঞ্চাশ-উধের্ব বনে গিয়া কী করিবে? বিশ্বপগ্রকৃতির চিন্মমপীলার সহিত তাহার যোগ কোথায়? “আমর! বলি বানপ্রস্থ যৌবনেতেই ভালো চলে ।” ফাগুন মাসে লগ্ন দেখে যুবারা যাক বনের পথে, রাত্বি জেগে সাধালাধন, থাকুক রত কঠিন ব্রতে 1, সৌন্দর্ভোগ তো! যৌবনেরই ধর্ম। যৌবনের মন বিচাবী নহে, চিরাচরিতের লৌহশৃঙ্খল যুগে যুগে তাহারা ভাডিমাছে, যৌবনই সগর্বে বলিতে পারে-_ চিত্তদুয়ার মুক রেখে সাধুবুদ্ধি বহিগতা, আজকে আমি কোনো মতেই বলব নাকো সত্য কথা ।২ সে বলে জীবনে ঘাহাই আহক সহজভাবে স্বীকার করিব; মনের সঙ্গে বোঝাপড়া” করিয়া বলে-- মনেরে আজ কহ যে, ভালো মন্দ যাহাই আহক সত্যেরে লও সহজে জগৎ বিচির এই বিচিআভাকে সতা বলিয়া গ্রহণ কণিতে পারিলে অন্তরে বাহিরে সামঞ্ন্ গুকাশ পায় 3 “তোমার মাপে হয় নি লবাই, তুমিও নি সবার মাপে” এই সহজ কথাটি বুঝিতে পাকিলে পৃথিবীর অনেকখানি অশান্তিকে মন হইতে দুরে রাখা যায়। সেই স্বরেই 'অচেনী'৪ কবিতায় বলিলেন চাই নেরে মন চাই নে। মুখের মধ্যে যেটুকু পাই যেহামি আর যে কথাটাই, যে কলা আর যে ছলনাই, তাই নেরেমন, তাই নে। বিশ্বের যে বিচিত্র রস নিত্য সবত্র' সঞ্চারিত হইতেছে, কবি ছাড়া আর কে সেই সহজ গর্িছিন্কে একাশ করিতে পারে? পুবঙ্কার কবিভায় কবি এই ধরণীকে আর-একটু হন্দর করিবার জন্য অস্তবের আকৃতি বাড ববয়াহিলেন। পরবর্তী যুগের কতকণুপি নাটকে ঠাকুরদা সন্্যাসী প্রভৃতির চিত্রে আমরা চিরযৌবন-কবিকে পাই যিনি গা'ইয়াছিলেন 'মোদদের পাকবে না চুল গো, ইত্যাদি ক্ষণিকার “কবির বয়স' হইয়াছে, কেশে তাহার পাক ধরেছে পটে? কিন্তু তিনি 'পাড়ায় যত ছেলে এবং বুড়ো সবার আমি একবয়সী জেনো" বলিয়া সকলকে আসশ্থাম দিতেছেন। তক্ষণ তরুণীর? যখন 'মিলিতে চায় দুরন্ত সংগীতে', তখন-

শান্ত, ক্ষণিকা, রবীন্স্- রচনাবলী ৭, পৃ ২১৩১৪.

অভিবাদ, ক্ষণকা, রবীন্-়চনাবলী ৭, পু ২১৭-২*। বোঝাপড়া, ক্ষণিকা, রবীজ্-রচন।বলী ৭, পূ ২২৪ ২৬ »॥ ছঠেনা, ক্ষণিক1. রবীন্ত্র-রচনাবলী ৭। পূ ২২৭-২৮।

রবীন্দ্রজীবনী ীষ্টাব ১৯৯,

কে তাহাদের মনের কথা লয়ে বীণার তারে তুলবে প্রতিধ্বনি আমি যদি ভবের কূলে বসে পরকালের ভালো-মন্দই গণি ।১ গৃহত্যাগীর জন্য কে গান গাহিবে? সে কবি। ত্রিভুবনের গোপন কথাখানি কে জাগিয়ে তুলবে তাহার মনে আমি যদি আমার মুক্তি নিয়ে যুক্তি করি আপন গৃহকোণে কবি যে সবার মমান-বয়সী কথা খুবই সত্য। শিশুর হইয়া শিশুর কবিতা, প্রেমিকের হইয়া প্রেমের গান, ধামিকের হইয়া ঈশ্বরের গুণান্ু কীর্তন, স্বাদেশিকের জন্য তেজোময়ী বাণী সবই তিনি সকল বয়সেরই জন্য দিয়া গিয়াছেন। প্রতোকের মনের মধো প্রবেশ করিয়া তাহার নিরুদ্ধ ভাবরাজিকে ভাষা দেন কবি, স্থর দেন তিনি ; সর্ব মানবের হৃদয়ে তিনি অমর | “সবাই যোবে করেন ডাকাডাকি, ., কখন শুনি পরকালের ডাক : সবার আমি সমান-বয়সী যে, / চুলে আমার যত ধরুক পাক। ক্ষণিকার প্রত্যেকটি কবিতার স্বতগ্র সমালোচনা আমাদের গ্রন্থের বিময়-বহিভূতি। বে একটি কথা মনে হয় যে, এই কাব্যে রবীন্দ্রনাথের কাবাজীবনের একটি অথণ্ড চিত্র ফুটিয়াছে | কাভার অতীত জীবনের শুক হইতে ভাবরাজো যেসব স্তর পর পর অতিক্রম করিয়া তিনি আসিয়াছেন কবিতাশুলির মধ্য সবেরই চিহ্ন যেন রহিয়া গিয়াছে। যৌবনের চঞ্চলতা ধীরে ধীরে গ্রন্থের মাঝখানে স্বচ্ছ সরোবরের শান্তি-সৌন্দর্ষের মধ্যে সমাহিত হইয়া! আসিয়াছে এই কবিতাগুপি প্রথমদদিককার কবিতা হইতে গভীর স্গিপ্ধ। গ্রন্থের শেষদিকে আসিয়া দেখি কৰি বিগত জীবনের অনেক শ্রান্তি অনেক ক্লান্তি অনেক মোহকে বিসর্জন দিতে উদ্যত 'কল্যাণী' কবিতায় নারীর নুতন মৃত্তি গড়িয়া গাহিয়াছেন, “সবশেষের শ্রেষ্ট যে গান আছে তোমার তরে 1” “অন্তরতম" কবিতাকে কচিভেদে অর্থ করা যায__ প্রেমের শ্রেষ্ঠ অর্থয 'সর্বশেষের শ্রেষ্ঠ যে গান তাহা নারীর উদ্দেশে শত হইয়াছে বপিতে পারা যায়, আবার জীবনদেবতার উদ্দেশে রচিত হইয়াছে বলিলে কাবাবোধের কোনো ক্ষতি হইবে না। "সমাপ্তি" কবিতায় সত্যই কাব্যগুচ্ছ একটি সমে আমিয়া শান্ত হইয়াছে “কখন যে পথ আপনি ফুরালো, সন্ধ্যা হল যে কবে। পিছনে চাহিয়! দেখিস, কখন চলিয়া গিয়াছে সবে।” কিন্তু “সব শেষ হুপ যেখানে সেথায় তুমি আর আমি এক1।” অত্যন্ত লঘুভাবে সহজভাবে জীবন জগতকে দেখিতে গিয়াছেন; কিন্তু তাহ! সম্ভব হইল না, হইতে পারে না। কাব্যের উৎস পরম বেদনার শিজনতায় ; যাহাকে হাসির ছটার দ্বারা বাহিরে প্রকাশচেষ্টা করিয়াছিলেন, তাহার ভিতরে যে “আখির জল: জমিয়াছিল। তাই “সমাপ্তি'তে বলিতেছেন-- চিহ্ন কি আছে শ্রান্ত নয়নে অশ্রুলের রেখ ? বিপুল পথের বিবিধ কাহিনী আছে কি লপাটে পেখা এই বেদনার মাঝে ফিরিয়া পাইলেন জীবনদেবতাকে-_- পথে যতদিন ছিনু ততদিন অনেকের সনে দেখা, সব শেষ হল যেখানে সেথায় তুমি আর আমি একা |

কবি বয়স ক্ষপিকা, রবীন্র-রচনাবলী *, ২২৯5১

ধ্টাব ১৯*, _ ক্ষণিক! কাব্য ৫০১

বাধে বাবে পাইয়! ঘাহাকে হাবাইয়াছেন, নবীন করিয়া! তাহাকে কবি যেন আজ পাইলেন। ক্ষণিকাব প্রথম দিককার আপাত-লঘুতা এখন নাই, জীবন অচঞ্চল হইয়াছে, যেন একটি গভীর অধ্যাত্মীবনের প্রবেশদ্বাবের সম্মুখে প্রতীক্ষা, বিরাটের জন্য নৈবেছ্যের আয়োজন। যৌবনের কাছে শেষ আরতি নিবেদন করিয়া কবি বিদায় লইলেন। ক্ষণিকার কবিতাকে মোহিতচন্ত্র সেন তাহার সম্পার্দিত “কাব্য-গ্রন্থে' (১৩১০) লীল! নাম দিগ্লাছেন। তিনি উক্ত গ্রন্থের ভূমিকায় যাহ] লিখিয়াছিলেন তাহারই কিয়দংখ উদ্ধৃত করিতেছি১__ “রবীন্দ্রবাবু লিখিয়াছেন__ ভালোবাসা খাপনাকে প্রকাশ করিবার ব্যাকুলতায় কেবল সতাকে নছে অলীককে, সংগতকে নহে অসংগতকে আশ্রয় করিয় থাকে | লেহ আদর করিয়া স্বম্দর মুখকে পোড়ারমুখী বলে, মা আদর কারিয়! ছেলেকে দু বলিয়া মারে, ছলনাপূর্বক ভ€সনা করে। হন্দরকে সুন্দর বলিয়া যেন আকাঙজ্ার তৃপ্তি হয় না, ভালোবালার ধনকে ভালোবাসি বলিলে যেন ভাষায় কুলাইয়া উঠে না, সেইজন্য সত্যকে সত্যকথার দ্বার! প্রকাশ করা সম্বন্ধে একেবারে হাল ছাড়িয়া! দিয়] ঠিক তাহার বিপরীত পথ অবলম্বন করিতে হয়, তখন বেদনার অশ্রকে হাশ্তচ্ছটায়, গভীর কথাকে কৌতুক-পরিহাসে এবং আদরকে কলছে পরিণত করিতে ইচ্ছা করে। প্রেমলীলার এই অঙ্গটি এই গ্রস্থাবলীর 'লীলা' খণ্ডে পাঠকেরা পাইবেন। ইহ1 ছাড়া লীলার মধ্যে মার-একটি জিনিস আছে-_ তাহা বিজ্রোহ। প্রতিকূলতার কাছে বেদনা ম্পর্ধাপূর্বক আপনাকে বিরূপ যৃতিতে প্রকাশ কবিতেছে। 'মাতাল' যাহা বলিতেছে তাহ! সম্পূর্ণ সত্য নহে, তাহা বিজ্রোহের ধবজ] তুলিয়া গায়ের জোরের কথা বিদ্রোহী অভিমান বলে, আমি সমাজসংগত ভব্যতাব ধার ধারি না বিদ্রোহী প্রেম বলে, জামি ক্ষণকালের খেল! মাত্র, আমি চিরস্থায়ী একনিষ্ঠতার ধার ধারি না। একান্ত বেদনাকে ম্পধিত অতুযাক্তির মধো গোপন করিয়া রাখিবার এই আড়ম্বর। এই সকল কথার যথার্থ তাৎপর্ধ গ্রহণ করিতে গেলে অনেক সময়ে ইহাদিগকে উদ্টা করিয়া বুঝিতে হয়।” ক্ষণিক1' কাব্যগ্রস্থখানি রবীন্দ্রনাথ তাহার বন্ধু লোকেন্দ্রনাথ পালিতকে উৎসর্গ করেন। লোকেন তখন যশোহরের জেলা-জদ (জুন ১৮৯৮-মে ১৯*১)। ভৃঃখের বিষয় উৎসর্গ-পত্রথানি বহুকাল কবির প্রচলিত সংস্করণে ছিল না। পত্রখানি উদ্ধৃত করিলাম ক্ষণিকারে দেখেছিলে ক্ষণিক বেশে কাচা খাতায়, সাজিয়ে তারে এনে দিলেম ছাপা বইয়ের বাধ! পাতায়। আশা করি নিদ্দেন-পক্ষে ছ'টামান কি এক বছরই হবে তোমার বিজন-বামে সিগারেটের সহচরী। কতকটা তার ধোয়ার সঙ্গে ন্বপ্রলোকে উড়ে ঘাবে-_ কতকট] কি অগ্নিকণান্ম ক্ষণে ক্ষণে দীপ্তি পাবে? কতকটা বাছাহয্বের সঙ্গে আপনি খসে পড়বে ধুলোয়, তাব পরে সে ঝেঁটিয়ে নিয়ে বিদায় কোযে! ভাঙা কুলোয়। ক্ষণিক সন্বদ্ধে আলোচনা অসম্পূর্ণ থাকিবে যদি আমরা এখানে রবীন্দ্রনাথের কাবা সম্বন্ধে চন্দ্রনাথ বস মহাশয়ের একখানি চিঠি হইতে কিয়দংশ উদ্ধৃত না করি। চক্দ্রনাথের সহিত ববীন্্রনাথের বহুবার মসীযুদ্ধ হইগ়্াছে তথাচ ববীন্দ্রনাথ তাহাকে বরাবর অন্তরের সহিত শ্রদ্ধা এবং চন্দ্রনাথ ববীঞ্জনাথকে আত্তরিকভাবে ম্বেহ করিতেন। এই

কাধ/-প্রন্থ, মোহিতচন্তর সেম "সম্পাঙ্গিত।

৫০২ ববীন্দ্রজীবনী হাফ ১৯৯,

পত্রখানি সেই মেহের নিদর্শন তিনি কবিকে লিখিতেছেন, “তোমার সহিত পথ চলিবার সামর্থা আমার নাই তোমার গতি এতই দ্রত্ত এতই বিছবাত্ধং। তোমার প্রতিভার পরিমাপ নাই-_ উহার বৈচিত্র্য যেমন, গ্রতভাও তেমনি আমি তোমার প্রতিভার নিকট অভিভূত। কণিকা, কথা, কল্পনা, ক্ষণিকা-_ বলিতে গেলে চারি মাসের মধ্যে চারিখানা-_ পারিয়া উঠিব কেন? .- যে চাবিখানার নাম করিলাম, সবগুলিই মি, হৃদয়স্পর্শী, সুগভীর, 'স্থললিত, ( অনেক স্থলে ) স্থক্, স্থৃতীক্ষ কিন্তু ক্ষণিকায় বঙ্গের পল্লীজীবনের পল্লীপ্রক্কতির যে অনিবচনীয় সৌরভ পাইলাম তাহাতে আমি-_ পল্লীপ্রিয় পাড়াগেয়ে__ মুগ্ধ হইয়াছি। সৌরভ তোমার আর-কোনো কাবো পাইয়াছি বলিয়া মনে হয় না। বোধ হয় সৌরভ শিলাইদহজনিত। প্রক্কতির প্রাণের সৌরভ পল্লীতেই পাওয়। যায়। কোন্টার কথা বলিব? অনেকগুলাতে সৌরভ পাইয়াছি। কিন্তু, কি জানি কেন, 'বিরছে'র সৌরভে বড়ই মঙ্গিয়াছি। তুমি যে উহা প্রত্যক্ষবৎ করিয়া দিয়াছ !-.. তোমার প্রতিভার পরিমাণ হয় না।”১

রবীন্দ্রনাথ কয়েকদিন পূর্বে মাত্র প্রিয়নাথ সেনকে ক্ষণিকা সম্বন্ধে কিছু লিখিবার জন্য অশ্তররোধ করেন। ইতিমধ্যে চন্দ্রনাথবাবুর অযাচিত পত্র পাইয়া কবি এতই স্বখী হইয়াছেন যে বন্ধুকে পত্রখানি আগ্যোপান্ত কপি কৰিয়া পাঠাইলেন ।২ প্রিয়নাথকে কবি লিখিতেছেন ষে, ক্ষণিকার “ভাষা ছন্দ ুভূতি এতটা অধিক নতুন হয়েছে যে, যারা স্বাধীন বুসগ্রাহী লোক নন, তারা কিছুতেই ভেবে পাচ্ছে না এটা তাদের ভালো লাগা উচিত কি না স্থতরাং পনেরো- আন পাঠক ইতস্তত; করছে__ আর যদি অধিককাল তাহাদের এই ছিধার মধো ফেলে রাখা যায় তা হলে তারা চটেমটে বইটাকে গাল দিতে আরম্ভ করবে-_ একটা সমালোচনা পেলে ভাবা আশ্রয় পেয়ে বাচবে |

ক্ষণিকার সবরের মধো যে কেবল বৈশিষ্ট্য ছিল তাহা নহে, উহার ছন্দ রীতির বৈশিষ্টাও বাংলায় নৃতন। বহু বৎসর পরে রবীন্দ্রনাথ লিখিয়াছিলেন, পক্ষশিকায় আমি প্রথম ধারাবাহিকভাবে প্রারুত বাংলা ভাহা প্রাকৃত বাংলার ছন্দ ব্যবহার করিয়াছিলাম। তখন সেই ভাষার শক্তি বেগ সৌন্দর্য প্রথম স্প&ই করিয়া বুঝি দেখিলাম ভাষা পাড়াগেয়ে টাট্ট, ঘোড়ার মতো কেবলমাত্র গ্রাম ভাবের বাহন নয়, ইহার গতিশক্তি বাহনশ্ক্তি কৃতিম প্ুথির চেয়ে অনেক বেশি ।”* কবির এই উক্তি যে কত সত্য তাহ] গত পঞ্চাশ বৎ্সযের বাংলা কবিতার বিচিত্র ছন্দ পরীক্ষার ধারাবাহিক ইতিহাস পর্যালোচনা! করিঙগে বুঝা যায়। সে আলোচনার ক্ষেত্র গ্রন্থ নহে।

ক্ষণিকার পরে

্ষণ্কার কবিতা ছাড়া ১৩০৭ সালের গোড়া হইতে ভাবুতীতে মাসে মাসে চিরকুমার সভা দিতেছেন। প্রিয়নাথ সেনকে এক পঙজজে (খি৬ আবণ ) লিখিছেছেন যে, বিনোদিলীর সুদীর্ঘ কাহিনীটি খাতার মধ্যে অসমাঞ্ধ অবস্থায় পড়িয়া আছে, সেটকে বাহির করিয়া কাটাকুটি করিতেছেন | ইহা “চোখের বালি উপন্যাসের প্রথম পাওুলিপি-__ বঙ্গদূর্শনে ১৩০৮ সাল হইতে ইহ। প্রকাশিত হইতে আস্ত করে।

পত্র: বিশ্বভারতী পত্রিকা, বৈশাখ-আবাড ১৩৫১।

». প্রিয়নাথকে লিপিত পতরমধো উদ্ধৃত | ৩১ আবরণ ১৩৭ ক. প্রিয়পুস্পাঞলি ২৭৭৭৯ জর, বিতর মুখোপাধায় সম্পাদিত রধীভা-সাগর সংগমে, পৃ ১৯৩।

পত্র: ২৪ প্াবণ ১৩৭1 দ্র শনিবারের চিঠি, আমিন ১:৪৮.

ভাদার কথা, সবুঈগপত্র, চেয় ১৩১৩ ভূমিকা, বাংলা শক্হন্ব (১৩৪২) অপিচ দ্র. রবীক্দ্র-রচনাবলী ১৭ (১৩৭৩), পশ্চিমহজ লরকায়

খ্বীষ্টাব ১৯৭, ক্ষণিকার় পয়ে ৫৩৩

চিরকুমার সভা ছাড়া কয়েকটি ছোটগল্প এই সময়ে সাময়িক পত্তে প্রকাশিত হইতে দেখা যায়। শুনিয়াছি জগদীশচন্দ্র বন্থ বিলাত যাইবার পৃরাহ্থে কিছুকাল শিলাইদছে কবির আতিথ্য গ্রহণ করেন। সেই সময়ে প্রতিদিন রবীন্দ্রনাথকে একটি করিয়া গল্প পিখিয়া বন্ধুর চিত্তবিনোদন করিতে হইত। সাময়িক পত্তিকাওয়ালাদের তাগিদে সেগুলি ১৩+৭ সালে প্রকাশিত হয়। প্রকাশের পূর্বে রচনাগুলির প্রতি যথোপযুক দৃষ্টি যে দেন নাই, তাহা গল্পগুলি পাঠ করিলেই বুঝা যায়। এই গল্পগুণল ভারতী প্রদীপ মাসিকপত্ত্র প্রভাত নামে এক আকশ্মিক-উদ্ভৃত সংবাদপত্ে প্রকাশিত হইয়াছিল। ভারতীতে 'উদ্ধার" (শ্রাবণ ১৩০৭ ), “ছুর্বৃদ্ধি' ( ভাত্র ), “ফেল' (আশ্বিন ) প্রদীপে 'সদর- অন্দর' ( আঘাঢ় ) "শুতদৃষ্টি ( আশ্বিন ) প্রকাশিত হয়।

আমাদের আলোচ্য পর্বে (১৩১৭) কবিবদ্ধু সাহিত্যিক নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত প্রভাত' নামে এক পত্জিক! সম্পাদন করিতেছেন বন্ধু প্রভাত'-এর জন্ত গল্প চান; রবীন্দ্রনাথ প্রিয়নাথকে লিখিলেন, “নানাজাতীয় পাঠকের কাছে শুনলুম যে খবরের কাগজের স্তস্কে যে গল্প বেরয় গল্পাহরাগ সববেও তা তার! পড়েন না।” তাহার “গল্পগুলো ভারতী-সম্পাদক সম্পূর্ণ আদায় করে নিয়ে বসে আছেন ।”১ পঞ্জে তিনি লিখিতেছেন__ “মামার কাছ থেকে কত আদায় করতে চা? আমি প্রদীপ ওস্কাব, প্রভাকে উজ্জল করব, ভারতীকে অর্থয জোগাব, নিজের কাবালম্দ্ীকে মাল্যচন্দন পরাব-_- এদিকে গৃহস্থাশ্রমও রক্ষা করতে হবে, জমিদারী পর্ধবেক্ষণ করব, এবং বাণিজ্যে যে অলক্ী বাস করেন কৌশলে শান্ত করে রাখব... মাঝে-মাঝে মনোযস্থকে সম্পূর্ণ বিশ্রাম দেওয়া দরকার-..।”১

পত্ররেই পিখিতেছেন, প্প্রভাতটা ঠিকমত চঙ্গচে না ওর মধ্যে না আছে ঝাঁজ, না আছে রস, না আছে উদ্ছপভা, না আছে নৃতনত্ব। আমি প্রায়ই একটা করে লিখছি কেবল গেলবারে লিখি নি।”১ নববর্ষের দিন ( বৈশাখ ১৩*৭ ) রবীন্দ্রনাথ প্রশচন্দ্রকে যে পত্র দেন ভাহাতেও 'প্রভাত'-এর কথা আছে, নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত লেখার জন্ত স্তাকে তাড়া দিতেছেন।*

বন্ধুর আগ্রছে অস্থরোধে ছুইটি প্রবন্ধও দিয়াছিলেন-_ 'তৈলাক্ত শিরে তৈলসেক' (? শ্রাবণ) “চুম্বক কৌশল' (ভাদ্র)। আমাদের মতে এই প্রভাত” কাগছে কবির তিনটি গল্পও প্রকাশিত হয়। সেই গল্প তিনটি হইতেছে “যজেশ্বরের যঙ্জ', 'উলুখড়ের বিপদ” 'প্রতিবেশিনী'। এই সময়ের গল্পগুলি সম্বন্ধে সাহিত্য-সম্পাদক তীব্র মন্তব্য করিয়াছিলেন; 'উদ্ধার' গল্প সম্বদ্ধে তিনি লেখেন, “রবীন্ত্রবাবুর গৌরী অযেঘবাহিনী বিছ্যু্পতাই বটে, তাহার চকিত দীপ্তি নিমেষের জন্ত চক্ষের উপর উজ্জল হইয়া উঠে, কিন্তু তাহার সমস্তটা কখনই কল্পনার কারায় ধরিয়া রাখিতে পারা যায় না। গনপটি নিতান্ত ক্ষুত্ব, গল্পের কন্কাল বলিলেও চলে। এই পঞ্চর-পিঞ্রে তিনটি প্রাণী. | অতি ক্ষুদ্র গল্পের সংকীর্ণ পরিসরে তিনজনের স্থান পর্যাপ্ নয়। কবি কেবল রেখায় গল্পটি অস্কিত করিয়াছেন, তাহাতে আখ্যানবস্ত্রর একট অন্পষ্ট আভাসমান্্র অভিব্যক্ত হুইয়াছে। ছায়ালোক সম্পাতে আর-একটু পরিণত হইলে গল্পট সম্পূর্ণ বিকশিত হইতে পারি ।” নিরপেক্ষ বিচারে এই সমযকের গল্প সম্বন্ধে এই মতেই উপনীত হইতে হইবে।

নগেম্দ্রনাথ গুপ্ত কবির বন্ধু অথচ 'প্রভাত' কাগঙ্গখানা তাহার ভালো লাগিতেছে না, সে কথাটা বন্ধুকে সরাসরি বলিতে পারিতেছেন না। তাই প্রিয়নাথ ঘেনকে লিখিতেছেন যে কাগঙজটার “না আছে ঝাঁজ, না আছে নৃতনত্ব।” বন্ধুর “তপন্থিনী? (১৯** ) নামে উপন্তাম পড়িয়াও যাহা মনে হইতেছে তাহা বন্ধুকে সরাসরি না লিখিয

চিঠিপত্র ৮, পত্র ১৩। পত্র: বিহ্বভারত) পত্রিক1, শ্রাবণ-মক্িন ১৩৪৮, পূ ২৩।

৫5৪ যবীন্জ্রজীবনী শ্বীঠাষ ১৯**

লিখিতেছেন প্রিয়নাথকে ; বোধ হয় বন্ধুবিচ্ছেদের ভয়েই এইটি করেন-_- অথচ নিজের মত বাক্ত না করিয়াও পারিতেছেন না। নগেন্দ্রনাথ গুপ্রের এই উপন্যাসখানিকে বাংলাভাষায় বাস্তব সাহিতাস্থটির অন্যতম প্রয়াস বলিতে পার] ঘায়। সাহিত্যে বাস্তবতা ভাবুকতা বা আদর্শবাদিত। সম্থদ্ধে তখনো সাময়িক সাহিত্যে মসীবধধণ-ক্রিয়। আরস্থ হয় নাই। এই উপন্যাস সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথের মত বন্ধুর অহকৃলে গেল না; তিনি তাহার মত প্রিয়নাথকে ব্যক্তিগতভাবে লিখিয়া দিলেন১ (১২ আশ্বিন ১৩৭ )--

প্নগেন্দ্র গুপ্তর তপস্থিনী পড়ে দেখলুম। ঠিক হয় নি। স্পষ্ট দেখা যাচ্চে, বাঙ্গলা উপন্যাসে তিনি উন্মুক্ত £681157-এর অবতারণা করতে চাচ্চেশ। তাতে আমি কিছুই আপত্তি করি নে। কিন্তুসেটাপারাচাই। যেমন নাচতে বসে ঘোমটা সাজে না, তেমনি রকম বিষয় লিখতে বসে কিছু হাতে রাখা! চলে না। সম্পূর্ণ নির্ভীক নগ্রতা ভালো, কিন্তু স্বল্প আবরণ রাখতে গেলেই আক্র নষ্ট হয়। বইয়ে তাই হয়েছে। গ্রন্থকার সাহসপূর্বক সব কথ পরিষ্কারভাবে শেষ পর্ষস্ত বলতে পারেন নি, সেইজন্য তার 5৩16-০01501065 "ভাব প্রকাশিত হয়ে রচনাটাকে লজ্জিত করে তুলেছে নগেন্ত্রবাবু তার ঘটনা-বিষ্কাসের স্বাভাবিক পর্িণামের পুবেই হঠাৎ থেমে যাওয়াতে বোঝা যাচ্চে নিঃসংকোচ নিরাবরণ ভার লেখনীর পক্ষে সহজ নয়, ওটা তিনি জবরদস্তি করে করেছেন |. এসৰ জিনিস তিনি ছুঁতে ত্বণ! করেন অথচ নাড়তে প্রবৃত্ত হয়েছেন, সেইজঘো সন কথা ভালো করে প্রকাশ করতেও পারেন নি." |”২

নগেন্দনাথ গুপ্ত (১৮৬১-১৯৪০ ) উনবিংশ শতাবীর শেষের দিক হষ্টছে শুরু করিয়। বিংশ শতাবীর তৃতীয় দশক অবধি প্রায় পঞ্চাশ বংসর ধরিয়া আযাডভেঞ্চার এবং গার্বস্থা-চিজময় রোমান্টিক উপন্যাল রচনা করিয়! যশস্থী হইয়াছিলেন | ১৯১ সালে নগেন্দ্রনাথ ত্রদ্ধবাদ্ধব [10671561060 0597100গ নামে ইংরেজি মাসিক পন্ত প্রকাশ করেন পরবতীকালে তিনি রবীন্দ্রনাথের কতক গুলি কবিতা ইংরেজিতে তর্জয1 করিয়া গ্রন্থ বাহির কবেন।

আামাদের এই আলোচা পরবে (১৩০৬-৭ ) ববীন্দ্রনাণের গঞ্ঠপ্রবন্ধাদি রচনা বড়ই কম-_ জার প্রধান কারণ কোনো বিশেষ পত্রিকার সহিত তিনি ঘুক্ত নহেন, কোথা হইতে কোনো তাগিদ নাই প্রভাতে" যে-ছুইটি প্রবন্ধ দিয়াছিলেন বলিয়া প্রিয়নাথের পত্র হইতে জানা যায়, তাহা আমাদের চম্তগত হয় পাই তবে ভারতীর জন 'চিরকুমার মভা' লিখিতেছেন, আবু মাঝে-মাঝে বিনোদিনী লইন! বসিতেছেন সংবাদ পত্র মধো পাই।

গত বৎসর (পৌষ ১৩৫ ) প্রদীপ" মাসিকপত্রের জন্য 'মন্দিরাভিমুখে' শীর্ষক প্রবন্ধে মহারাস্ীয় ভাস্কর ্ধান্ধের একটি ভাম্বর্ধের সমালোচনা করিয়াছিলেন এবার তরুণ চিত্রকর যামিনী প্রকাশ গঙ্গোপাধ্যায়ের বর্ণ তৈলে অঙ্থিত পটের সমালোচনার জন্য প্রদীপ-সম্পাদক রামানন্দ চট্টোপাধায়ের নিকট হইতে অন্রোধ আদিল বাংলাদেশে প্র্দীপই সবপ্রথম পর্িকা যাহাতে ভাফটোন বক ভ্রিবণীচিত্র মুডিত হয়| আমাদের মনে হয় এই শ্রেণীর চিত্ত দেখিতে অনভান্ত সাধারণের মনঃশিক্ষার জন্য সম্পাদক-মহাশয় ববীহ্গনাথের নিকট হইতে বিষয়-উপযোগী মতামত চাহিয়া থাকিবেন ; চিত্রপটের বিষয় ছিল বাণভট্র-কৃত কাদস্থরী কথাকাব্যের গ্রারস্তে রাদসভার দৃশ্টা।

“কাদন্বরী চিত্র' দেখিয়] রবীন্ছনাথের মনে শ্বভাব্হই সংস্কৃত কথাসাহিত্ায অন্তরূপ বিচিছ বিষয় সন্বন্ধে প্রশ্প সমশ্যা উদিত হইতেছে | এই প্রবন্ধেধ তাহারই বিশ্লেষণ স্রনিপুণ। এষ্ট রচনার মধো উপভোগা হষ্টতেছে

বিশ্বভারতী পত্তিকা, নৈশাপ ১০৪০, পু ৫৯৮ ২. চিঠিপত্র পত্র ১২৮1 ১২ আশ্বিন ১৩৭৭

জীনুকুমার সেন, বাঙ্গালা সাতিভোর ইঠিঙান ২।

কাদ্বরী চিত, প্রদীপ, মাঘ ১৩%। প্রাচীন লাহিত, রবীন্র-রচনাবলী ৫, পু ধ:৭।

ব্রীটাব ১৯০, বিচিত্র ঘটনা ৫০৫

বাণভট্টের দীর্ঘসমাসবন্ধ বাক্যশৃঙ্খলের বাংলায় স্থললিত অচ্বাদ। বু বৎসর পরে প্রবোধেন্দুনাথ ঠাকুর সেই ছুক্ধহ কার সম্পন্ন করিলে রবীন্দ্রনাথ তাহাকে অভিনন্দিত করেন ।১

কাদস্বরী কথাকাব্য পড়িতে পড়িতে চন্দ্রাপীড় পত্রলেখার কাহিনী কবির মানসপটে সাহিত্যের নৃতন প্রশ্ন উত্রিক্ত করিল; পত্রলেখার স্থান কোথায়? এই প্রশ্্ হইতেই বোধ হয় কাব্যের উপেক্ষিতা" প্রবন্ধের জন্ম |

“কাব্যের উপেক্ষিতা"* সম্পূর্ণ অন্যপ্রকারের রচনা ; মহৎ চরিজ্র মহৎ আদর্শের কথাই কবি-মহাঁকবিরা কাব্যে- মহাকাব্যে মহোৎ্সাহে বর্ণনা করিয়া থাকেন; কিন্তু পথের ধারে যে-একটি ভাফোভিল বা ঘাসের ফুল আপন আনন্দে মাথা দুলাইতে থাকে__ তাহার দিকে কয়জন কবির দৃষ্টি ষায়। সংস্কৃত সাহিত্যের মধ্যে রামায়ণে লক্ষ্মণপত্তী বধু উর্মিলা অভিজ্ঞান-শকুস্তলা নাটকের প্রিয়ন্বদা অনস্থয় সমীদ্বয় এবং কাদস্বরী কথাকাব্যের সহচরী পত্রলেখা__ এই চরিক্রচতু্য় কবির মতে লাহিত্যে অনাদৃতা ; সীতা শকুস্তল! কাদস্বরী মহাশ্বেতাঁ_ ইহারাই কবির পাঠকের সমগ্র মনোভাব সহানুভূতি আকর্ষণ করিয়া আসিয়াছে অনাদৃতার্দের কেহ স্মরণে আনে না।

কাদত্ববী সম্বন্ধে বছ আলোচনার মধ্যে কবি বলেন ষে বাণভষ্ট বাক্যের মধা দিয়! চিত্র আকিয়া গিয়াছেন। মনে হয় কাদম্বরী কথাকাব্য যেন ভাষার তুলিতে অঙ্কিত চিত্রকাব্য। এই দুই প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ সংস্কৃত সাহিত্যের নবতর ব্যাথা করিয়া নৃঙুন রসের পরিবেশন করিয়াছিলেন

বিচিত্র ঘটনা

১৩*৭ সালের উল্লেখযোগা সাহিত্তিক স্ষ্টি চিরকুমার সভা1। খুচরা গল্প, প্রবন্ধও লেখেন কয়েকটি তবে বসরটায় নানা কর্ষে চিন্তায়ও কাটে জোড়ার্সাকোর পৈতৃক বাড়ির পাশে যে লালকুঠি দেখা যায়, সেটি রবীন্দ্রনাথের নিজন্দ গৃহ ভ্রাতাদের মধো সত্যেন্দ্রনাথ বালিগঞ্জে প্রামাদ্দোপম অট্টালিকা নির্মাণ করেন; সে গৃহের বর্তমান মালিক ঘনশ্বামদাস বিড়লা। সেখানে এখন বিড়লা “বিজ্ঞান মুজিয়াম' জ্যোতিরিজ্্নাথ রাচিতে একটি টিলাব উপর সুরমা গৃহ করিয়াছেন।* রবীন্দ্রনাথ জোড়ান্সাকো। পৈতৃক বাড়ির এলেকায় নিজের জন্য একটি গৃহ নির্মাণ করিলেন তার নাম লালকুঠি ।* এখন সেটি ববীন্্রভারতী বিশ্ববিদ্ঠালয়ের অন্তরগত।

এই লালকুঠি নির্যাণের কাঙ্গকর্ম তদারক করিতেন ভ্রাতৃশ্পুক্র নীতীন্ত্রনাথ-_ ছ্বিজেন্জনাথের দ্বিতীয় পুত্র ( অরুণেজ্জ্ দ্বধীজ্নাথের মাঝে )) ইনি রবীন্দ্রনাথ মুণালিনী দেবীর বিশেষ জেহাম্পদ ছিলেন।

বাড়ি-তৈরি বাবদ লোকেন পালিতের কাছে কবি পাচ হাজার টাকা খণ গ্রহণ করেন। এই খণ খুচর1 আরও কিছু খণ পরিশোধের জন্ত তাহার সমস্ত বইয়ের 'কপিরাইট' ছয় হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রয় করিবার জন্য ব্যাকুল হইয়া উঠিলেন।« প্রিয়নাথই কবির সব কাজের কাগাবী; তাহাকেই জানাইতেছেন পুস্তক বিক্রেতা প্রকাশক গুকদাস চট্টোপাধ্যায় “বইগুপির জন্তে বারম্বার দূত প্রেরন করছে, কিন্ত লোভ মংবরণ করে তাকে প্রত্যাখ্যান প্রবোধেন্দুনাথ ঠাকুর জনুদিত 'কাদন্বরী' ( আশ্বিন ১৩৪৪ ) গ্রন্থে মু্রিত রবীক্্নাথের পত্র (৩* আবাড় ১৩৪৩)। কাবোর উপেক্ষিত ভারতী, জোষ্ঠ ১৩০৭ | ভারতবর্ষ [১৯০৬], প্রাচীন সাহিতা। গ্ গ্ন্থাধলী ২, ১৯*৭। ভারতবর্ষ, রবীন্্র-র়চনাবলী ৫. পূ ৫৪৮। ১৯১, খ্রীষ্টাব্দে চির যোরাহানী গ্রামে জ্রোতিরিক্রনাণের গৃহ 'শান্তিধামের নির্মাপকার্ধ সমাপ্ত হ়। বৈশাখ ১৮৩২ শকে এই আশ্রম প্রতিষ্ঠার দিন। ডা. তব্ববোধিনী পত্রিক1। সো ১৮৩২ শক ।--জীসনংকুমার গুপ্ত, জোতিরিম্রনাথ প্রসঙ্গে, ভর. অমৃত, ৯৩ ভাদ্র ১৩৯৯। এই লালকুটির ছিহলে মৃপালিনী দেবীর মৃত হয়; পর়ে রেপুঙ্গার | তিনতলার উপর রেুক।র জন্ত একটি ঘরও করা হয়েছিল হলে শুমেছি। এই গৃই নির্মাকাধ শেষ ১৯*২ ন।লের জানুয়ারি-ফেব্রুয়রি মাসে নীতীন্রের মৃত্যু হয় সেপ্টেম্বর ১৯*১ সালে চিঠিপত্র পত্র ১১৩।

৬৪

৫৯৬ ববীন্দ্রজীবনী শ্রীাব ১৯*,

করেছি।”১ প্রসঙ্গত বলি ইতিপূর্বে রবীন্্রনাথ একবার তাহার কতকগুলি বই গুরুদালকে বিক্রয় কয়েন। এবারও বন্ধু প্রিয্ননাথকে লিখিক়্াছিলেন-__ (২৪ আবণ ১৩০৭ ) “নিজের বই এবং নিজের দেহটা ছাড়া সম্প্রতি আর কিছু বিক্রেয় পদার্থ আমার আয্বত্ের মধ্যে নেই__- বই কেনবার মহাজন পাওয়া ছুর্লত, এবং নিজেকে বিক্রয় করতে গেলেও খরিদ্দার পাওয়া যেত কি না সন্দেহ ।”২ বই-এব কপিরাইট বিক্রয়ের জন্য ব্যস্ত, যুগপত গঞল্প'গুলি একত্র করে নৃতন গ্রন্থ প্রকাশের জন্য উত্স্থক। “কাগজের নৌকা বোঝাই করে আমার গল্পগুলিকে কালসাগবে ভাঁপিয়ে দিতে উদ্যত, হয়েছি-- অতএব ২৪ পাউণ্ড. ডিমাই কাগজের বন্দোবস্ত করে দিয়ো” লিখিতেছেন প্রিয়নাথকে। ভাবুকতার সঙ্গে বাস্তববোধের আশ্চর্ধ সমন্বয় কত রিম কাগজ লাগিবে, কত পৃষ্ঠার বই হইবে ইত্যাদি পুদ্ধানুপুঙ্ধরূপে হিসাৰ করিয়া তাহার প্রথম 'গল্পগুচ্ছ' আদি ব্রাঙ্ষপমাজ প্রেসে ছাপা শুরু করিয়! দিলেন, প্রকাশক হইল মজুমদার লাইব্রেরি

এই বসবের সর্বাপেক্ষা উদ্বেগের বিষয় জোট্ঠা কন্যা! বেলার বিবাহ কবির জোষ্ঠা কন্া মাধুরীলতার ( বেলা) বয়ন ১৯০* সালে ১৪ বসব মাত্র (জন্ম ১৮৮৬)। সেই বাপিকার বিবাহের জন্য প্রিয়নাথ সেনকে পত্র লিখিয়া উদ্দেজিত করিয়া তুলিতেছেন। প্রিয়নাথও সাংসারিক ঝঞ্চাটে অবসন্ন ক্লান্ত। তিনি রবীন্দ্রনাথের জন্য খণ সংগ্রহ তৎসংক্রান্ত যাবতীয় কাজকর্ম করিয়া আলিতেছেন সত্য। কিন্তু ১৩০৭ সালের শেষদিকে দেখিতেছি তাহার ইচ্ছা একট! কোনো ব্যবসায় আশ্রয় করেন। ব্যবসায়ের নানাবূপ জটিলতার প্রতি বন্ধুর দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়া (১৫ ফাল্গুন ১৩০৭ ) কৰি লিখিতেছেন, “অল্প মূলধনে সবপ্রকার ক্ষতির আশঙ্কা বর্জন করে কি করে এমন ব্াবলায় চালান যেতে পারে যাতে তোমার চলতে পারে?” ইতিপূর্বে কুষ্টিয়ার সুতার কারবারের কথা তাহাকে জ্ঞাপন করেন। পাথুরে কয়লা, কেরোমিন তেল সরবরাহ, গোলাপের ক্ষেত করে কলকাতা 102110604 ফুল 59015 করার কথাও ভাবেন। বন্ধুকে কুষ্টিয়ার 'কারবাবে বদ্ধ করতে পারলে' স্থখী হবেন তা তাহাকে জানান ।৪

বলেন্ছের মুত্র পব দেড় বৎসর কাল গত হইয়াছে__ কারবার চলিতেছে ঠাকুর কোম্পানির 'জঞ্রাল' হইতে মুক্ত এখনো হন নাই | ১৫ ফাল্গুন (১৩০৭ ) প্রিয়নাধকে লিখিতেছেন, “সম্প্রতি কলকাতার একজন মাড়োয়ারী 05161 এবং তার সঙ্গে একজন ই'রাজ আমাদের সঙ্গে অর্ধেক ভাগে আগামী বংসর কাজ করতে চায়." তারা শি্জ বায়ে কলকাতার [50811510091 চালাবে আমরা নিজবায়ে কুষ্ছিয়া চালাব-_ আমরা খরিদ করব ভারা বিক্রি করবে |” “কালিগ্রামে ধানের কারবার স্থবিধ| নয় বলে আমরা তাতে হাত দিই নি- কেবল আখের কল পূববৎ্ চলছে ।” প্রিয়নাথকে এত সব খবর দিয়া পত্রশেষে লিখিতেছেন) “গোলমালের মধোও গোটা ৯০ নৈবেষ্য লিখেছি 1 আশ্চর্য মাচুষ নিশ্চয়ই বলিব! সমকালীন আরও কয়েকটি ঘটনা বিবৃত করিতেছি

জগদীশচন্দ্র বন্থু ১৩০৭ সালের শ্রাবণে বিলাত যান ঠাহার আবিষ্কারসমূহ বয়েল সোসাইটির নিকট প্রমাণ করিবার উদ্দেশ্যে তৎপূর্বে তিনি কয়েকদিন শিপাইদহে রবীন্দ্রনাথের সহিত বাস করিয়া যান__ ছুইজনে ওুখন প্রগাঢ় সম্প্রীতি তাহার চিত্তবিনোদনের জন্য রবীন্দ্রনাথকে যে গল্প লিখিতে হইয়াছিল, সেগুলির কথা পূর্বে বপিয়াছি। লগ্ন হইতে জগদীশচন্দ্র রবীন্দ্রনাথকে তাহার ভ্রষণকথ] বিজ্ঞানবার্তা পুদ্ধাগরপুঙ্থভাবে বর্ণনা করিয়া পত্র দেন। জগদীশচন্ত্রের এক পত্র উত্তরে রবীন্দ্রনাথ লিখিতেছেন :

“আপনি “ক' বিন্দুতে কম্পমান, আমি খ" বিন্দুতে দিব্য নিশ্চেষ্ট নিকছিপ্ন হয়ে বসে আছি-_ আমার চাবিিকে আমন ধান এবং আখের ক্ষেত আসন্গ শরতের শিশিরাক্ত বাতাসে দোছুলামান। গুনে আশ্চর্য হবেন, একখান!

১» চিঠিপত্র ৮, পত্র ১১৬। চিঠিপঞ্জ ৮, পত্র ১১৮। চিঠিপত্র ৮, পর ১১৮। চিঠিপত্র ৮, পত্র ১০৬। চিঠিপত্র ৮, পত্র ১৩৫।

বীটাব ১৯৯০ বিচিত্র ঘটনা ৫৯৭

5৪6০৮ ৮০০% নিয়ে বসে বসে ছবি আক্ছি। বলা বাহুল্য, সে-ছবি আমি প্যারিস সেলোন-এর জন্য তৈরী করুছি নে, এবং কোন দেশের ন্যাশনাল গ্যালারী যে এগুলি শ্বদেশের ট্যাক্স বাড়িয়ে সহসা কিনে নেবেন এরকম আশঙ্কা আমার মনে লেশমাত্র নেই। কিন্তু কুৎসিত ছেলের প্রতি মার যেমন অপূর্ব স্বেহ জন্মে তেমনি যে বিদ্কাটা ভাল আসে না সেইটের উপর অন্তরের একট] টান থাকে সেই কারণে বখন প্রতিজ্ঞা কর্লুম, এবারে ষোল আনা কু'ড়েমিতে মন দেবো তখন ভেবে ভেবে এই ছবি আকাটা আবিষ্কার কর! গেছে। এই সম্বদ্ধে উন্নতি লাভ করবাবু একটা মস্ত বাধ! হয়েছে এই ষে, যত পেন্সিল চালাচ্ছি তার চেয়ে ঢের বেশি রবার চালাতে হচ্ছে, সুতরাং রবার চালনাটাই অধিক অভ্যাস হয়ে যাচ্ছে__ অতএব ম্থৃত ব্যাফেল্‌ তার কবরের মধ্যে নিশ্চিন্ত হয়ে মরে থাকতে পারেন-_ আমার দ্বারা তার যশের কোন লাঘব হবে না।”১ কয়দিন পরে (২ অক্টোবর ১৯০০) গ্রিয়নাথকে কবি উচ্ছুসিতভাবে জগদীশের কার্যকলাপ সন্ধে লিখিতেছেন |

পন্রশেষে ঝড়বুষ্টির আভাম দেওয়া আছে, তাহা! অল্প কয়েকদিনের মধ ভীষণ সাইক্লোনে পরিণত হইল। প্রিয়নাথকে লিখিতেছেন, “আঃ: কি দুর্যোগ! ক'দিন অবিশ্রাম ঝড় বুষ্টি চলছে... এই অবিশ্রাম ছুর্ধোগে চারিদিকের লোক্সান আর তো দ্বেখা যায় না। বড় বড় আখের ক্ষেত ভূদিশায়ী, শন্তক্ষেত্র প্রাবিত, কূলপ্লাবিনী নদী পুরাতন পল্লী এবং বুদ্ধ ছায়াতকগুলিকে গ্রাস করে চলেছে কোনো দরবারে এর নালিশ নেই,... অন্ধ হাওয়া হা হা করে ছুটে আলছে, অন্ধ শোত নৃত্য করতে করতে কি করছে কিছুই জানে না.” কিন্তু ব্যাপারটি যে কি কারণে লা হলেই নয় এবং না হলে দূরদুরাস্তর এবং কালকালান্তর পর্ষস্ত তার কি ফল ফলত তা আমি কিছুই জানি নে__ অতএব যতই ব্যথিত হুই পীড়িত হই কাবে! নামে কোন নালিশ আনব না এটা বলব না যে, আমরণ যেট। চাচ্ছি সেটা কেন হচ্ছে না1”*

হাতে কাজ এখন কমই 'চিরকৃমার সভা? কিস্তিতে কিস্তিতে লেখা ছাড়া নিয়মিত ভাবে কটিন ধরিয়] কিছু লিখিবার তাগিদও নাই দায়ও নাই তাই আপন মনে নানারকমের বই পড়িতেছেন, আর মনের কথা গ্রিয়নাথকে লিখিতেছেন কলিকাতা! হইতে সরেজুনাথ 10155091-এর ৬/1১৪015 40 নামে বইটি পাঠাইয়াছেন। বইটি পড়িতে ভালই লাগিল, তবে লেখকের মতের সঙ্গে না মিলিলেও 'খুব 51££6$0৬ বলিয়া মনে হইতেছে “সৌন্দধ আর্ট সম্বন্ধে ইন্তক নাগাদ যত মতামতের স্থষ্টি হয়েছে টলস্টোয়া তার একটা চুগ্থক দিয়ে তার উপরে নিজের মত প্রতিষ্ঠা করেছেন।” কবির ইচ্ছা 'বিস্তৃত সযাপোচনা করে একট বড় প্রবন্ধ, লেখেন, এবং তার মধো নিজের 'মতট। বেশ বিস্বৃত করে বলতে' চান।& কিন্তু সেরকম কোনো প্রবন্ধ চোখে পড়িতেছে না।

জগদীশচন্দ্রকে লিখিয়াছিলেন 'একট] ফরামী ব্যাকরণ নিয়ে ওলটাচ্ছিলুম' (১৭ সেপ্টেম্বর ১৯৯০ )7 প্রিয়নাথকে (৯ অক্টোবর ) লিখিতেছেন পব্যাকরণ ঘেটে ফরাসী শেখা আমার কর্ম নয়।” তাই “যে-যে ফরাসী গ্রন্থের তর্জমা আছে তারই কোন একটার 0018108] পেলে হৃবিধা হয়।” বন্ধুকে তার তাপিকা দিলেন__ 05901০1-এর ০92৮6 [7120456৫, [0৪806৮এর 120 ৬৪07855911৮-এবর 0806 6 161, 10 761961017) 0017800011-এর 9656

চিঠিপত্র ৬, শিলাইদ, আখিন [ ১৩*৭। ১৭ সেপ্টেম্বর ১৯০৭]।

পত্রাধলী, [ শিলাইদহ ২১ সেপ্টেম্বর ১৯** ] বিশ্বভীয়তী পত্রিক। বৈশাখ ১৩৫, পৃঙম$। অপিচ জর. চিঠিপত্র ৮, পু ১৩৪-৩৫। এই সময়ে কলিকাতায় ঈশচন্্ মজুযদার 'মুমদার এজেন্সী” নাম দিয়। একটি পুস্তক প্রকাশের বাধসায় শুরু করেন। এই নুতন প্রকাশকরা কবির ছোটো গল্পের প্রথম সংগ্রহ মুগ্িত করেন, 'গর্গুদ্থ প্রথমাংশ (পু ৪৪৮ )১ আহ্বিন, ১৩*৭ সালে বাছির ছয়।

চিঠিপএ ৮, পর ১৩

চিন্তিপত্র পত্র ১৩৩।

৬৮ রবীন্ুজীবর্নী খীঠান্ষ ১৯৪০৩

চ71107156 ইত্যাদি কয়দিন পূর্বে £১1186016 ঢা0০-এর 1.6 ০1776 26 55152505 7071৫ ফরাসী মূলের সন্ধান করিয়াছিলেন আমরা জানি 1০ 13619007 (50115 74717111) 01716 07 5. 7307014 কবির বিশেষ প্রিয় বই ছিল; 07776 বইট1 এককালে কবি পড়িয়া শোনান 1২০ ₹৪147০% তেজেশচন্ত্র সেন কুড়ানো ছেলে' নামে অনুবাদ করেন। নগেন্্রনাথ আইচ সন্ধার বিনোদনপর্বে এই গল্পটি খুব রঙাইয়া ছেলেদের বলিতেন।

১৯*০ সালের পূজার ছুটিতে গৃহ-বিদ্ালয়ের শিক্ষকগণ শ্বগৃহে গিয়াছেন, এমন সময়ে কবিকে কলিকাতায় যাইতে হইল-_ তীহার ভ্রাতৃ্ুত্র নীতীন্তরনাথ “সাংঘাতিক পীড়ায় আক্রান্ত' জগদীশচন্দ্রকে লিখিতেছেন “প্রায় আট রাত্রি ঘুমাইতে অবসর পাই নাই ।*.* শরীর অবসন্ন |... মনে করিয়াছি ছুই-চারি দিন বোলপুর শাস্থিনিকেতনে যাইব |” ১» কিন্তু বোলপুর গিয়াছিলেন কি না বলিতে পারি না। কারণ জগঘ্ীশচন্দ্রকে পত্রে (২* নভেম্বর ১৯০ ) লিখিতেছেন, «কিছুকাল থেকে সাংসারিক নানা কাজে আমাকে কলকাতায় বন্ধ থাকতে হয়েছে।” তাই “ছেলেদের জন্য সর্বদা মনের মধ্যে একটা উদ্বেগ থাকে 1” মুণালিনী দেবীকে শিলপাইদহে যে পত্রখানি লেখেন, তাহাতে সম্ভানদের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে অনেক আশা-নিরাশার কথাই আছে *ওরা যাতে ভাল হয় ভাল শিক্ষা পায় আমাদের সাধ্যান্ুসারে সেটা করা উচিত, ওরা ভাল মন্দ মাঝারি নান! রকমের হয়ে আপন আপন জীবনের কাজ করে যাবে, ওরা আমাদের সন্তান বটে তবু ওরা স্বত্ত্ব: আমার ছেলের সন্বদ্ধে বেশি করে প্রত্যাশা করবার কোন অধিকার আমার নেই... 1” পত্রশেষে বলিলেন, “কেবল কর্তবা করেই প্রফুল্ল হতে হবে_ ফল না পেলেও প্রফুল্পতা রাখতে হবে|” রবীন্দ্রনাথের জীবন এই তত্বের সাক্ষ্য “সতারে লহ সহজে ।"

১৯০৭ সালের শেষের দিকে রবীন্দ্রনাথকে অন্যর্ধপে পাইতেছি | সংগীত সমাজের বাবস্থায় “বিসর্জন' নাটকের অভিনয় হইতেছে বুবীন্দ্রনাথ প্রধান উদ্যোগীদের অন্ততম জগদীশচন্্রকে বিলাতে লিখিতেছেন-_ “পীড়িত ছিলাম বলিয়া কিছুদিন পত্র বন্ধ ছিল। সম্প্রতি কলিকাতায় আসিয়া ঘুরপাক খাইয়1 বেড়াইতেছি | বিসর্জন নাটকের অভিনয় হইবে; আমি বঘৃপতি সাজিব, সেইজন্য সঙ্গীতসমাজের অন্তরোধে শিপাইদহের বিরহ স্বীকার করিয়া এই পাষাণপুবীর বন্ধনে ধর] দিয়াছি।”* সত্যই স্ত্রীর নিকট হইতে রোজ একটি করিয়া পত্রের প্রতীক্ষায় থাকেন, না পাইলে উদ্ধিপ্র হন।

স্্ীকে পৌষ ১৩০৭ (১৬ ডিসেম্বর ১৯০০) লিখিতেছেন__ “কাল (৩০ অগ্রহায়ণ ) প্রায় ১টা থেকে বাতি সাড়ে সাতটা পর্যন্ত রিহার্সাল ছিল, তারপর প্রিয়বাবুর €খানে গিয়ে নিমস্তথণ খেয়ে অনেক রাত্রে বাড়ি আনতে হল।:.. আজ বিকালে আমাদের অভিনয় ।৩

রবীন্দ্রনাথকে এবার পি নির্দেশে শান্তিনিকেতন পৌষ উৎসবে ভাষণ দান করিতে হইবে কিস্ক পয়লা তারিখেও 'সাতই পৌষের লেখা হাত দিতে" পারেন নি বলে মনট। উদ্বিগ্ন হয়ে আছে ।৪ পরদিন “সমস্ত সকাল ধরে লোকসমাগম' ছিল, পৌষের ভাষণ লিখিবার সময় পাইলেন না, তবে গ্রাতে নৈবেগ্ঠর দুইটি কবিতা লিখিষ্াছিলেন (১৭ ডিসেম্বর ১৯০৯ )।

চিঠিপত্র ৬, পত্র ৫1

চিঠিপত্র ৬, পত্র «1 ২৭ তাগ্র ১৩৯৭৯, ১২ ডিসেশ্বর ১৯০

অভিনয়পত্রী-ননুযায়ী ভারত সংগীত সমাজে এই অভিনয়ের তারিখ পৌষ ১৩৯৭ (১৬ ডিসেম্বর ১৯০৯ 9 রবিবার পাত্রগণ : গোধিলামাপিক-__ অটলকুমার সেন। নক্ষত্ররায়-_ অমরনাথ বনু রঘুপতি-_ রবীকরনাথ জয়সিহ-_ হেমচজ বহুম্ধিক | মন্ত্রী_: অক্পদ প্রসাদ ঘোষ চাদপাল-. ভৃতনাগ মিত্র | নযলরায়__ বেশীমাধব দত্ত গুপবতী__ মশীল্রনাধ মুখোপাধ্যা়। প্র“ চিঠিপর ৬, প্রস্থপরিচ় পৃ. ১৮৯:১৯০। বিশেষ লক্ষদীয় অপর্ণাব ভূমিকা বজিত হইয়াছে কবির শেষ জীবনে বিসজন স্ত্রীচরিত্র ব্জিত করিয়া সম্পাদন করেন। |

চিঠিপত্র ১, পত্র ২১।

& চিঠিপত্র ১, পত্র ২২।

খ্ষ্টাব ১৯*৪ বিচি ঘটনা ৫2

সাহিত্যিক, তান্লেক, অতিনেতা রবীন্দ্রনাথকে বাছির হইতে দেখা যায়, কিন্তু মান্য রবীন্দ্রনাথ? তাহাকে পাওয়া যায় অন্তরঙ্গদের নিকট লেখা পঙ্জ হইতে সন্তানদের জন্ত উদ্বেগ, স্ত্রীর পত্র নিয়মিত না পাইলে মন খারাপ হয়, আবার শুষ্ক পত্র পাইলে মন তৃপ্ত হয় না। পে লিখিতেছেন, "তোমার সন্ধ্যা বেলাকার মনের ভাবে আমার কি কোন অধিকার নেই? আমি কি কেবগ দিনের বেল্লাকার? হুর্ঘ অন্ত গেলেই তোমার মনের থেকে আমার দৃটটিও অন্ত যাবে? তোমার যা মনে এসেছিল আমাকে কেন লিখে পাঠালে না? তোমার শেষের ছু চার দিনের চিঠিতে আমার যেন কেমন একটা খটুক। রয়ে গেছে সেটা কি ঠিক ৪1)8192€ করে বলতে পারি নে কিন্তু একটা কিসের আচ্ছাদন আছে। যাক গে! হৃদয়ের সুম্্ুতত্ব নিয়ে আলোচনা করাটা লাভজনক কাজ নয়, মোটামুটি সাদাদিধে ভাবে সব গ্রহণ করাই ভালো।”১

বোলপুরে উৎসবে যাইবার পূর্বদিন পৌষ স্ত্রীকে লিখিতেছেন__ “আমাকে স্থুখী করবার জন্তে তৃমি বেশি কোন চেষ্টা কোরো না__ আস্তবিক ভালবাসাই যথেষ্ট অবশ্ট তোমাতে আমাতে সকল কাঞ্জ সকল ভাবেই যদি যোগ থাকত খুব ভাল হত-_ কিন্তু সে কারে! ইচ্ছায়ও নয় |... জীবনে ছৃজনে মিলে সকল বিষয়ে অগ্রসর হবার চেষ্টা করলে অগ্রসর হওয়! সহজ হয়... কিন্ত জোর করে তোমাকে পীড়ন করতে আমার শঙ্কা হয়। সকলেরই স্বতন্ত্র কুচি অহুবাগ এবং অধিকারের বিষয় আছে__- আমার ইচ্ছা অগ্ুবাগের সঙ্গে তোমার সমস্ত প্রকৃতিকে সম্পূর্ণ মেলাবার ক্ষমতা তোমার নিজের হাতে নেই-_ হ্ৃতরাং সে সম্বন্ধে কিছুমাত্র খু খঁৎ না করে ভালবাসার দ্বারা যত্বের ছারা আমার জীবনকে মধুর-__ আমাকে অনাবশ্যক ছুঃখকষ্ট থেকে রক্ষা করতে চেষ্টা করলে সে চেষ্টা আমার পক্ষে বহুমূল্য হবে।”২

কবি-জীবনের এইসব অন্তর্গীন সংগ্রামের সংবাদ বাহিরের উত্তেজনাপূর্ণ ঘটনাবলী এমন-কি তাহার সাহিত্য হইতেও জানিতে পারা যায় না। নিরন্তর কর্মলাগরের তরঙ্গে তরঙ্গে দিন কাটিলেও অত্যন্ত ন্বেহপ্রবণ হৃদয় থাকায় তিনি তাহার স্বীকে তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কখনেো। কোনো কার্ধে প্রবৃত্ত করিবার চেষ্টা করেন নাই। মুণালিনী দেবীর চরিত্রের মধ্যে এমন একটি কত্রীশক্তি ছিল ষে রবীন্দ্রনাথ কখনে! তাহা অবহেল1 করিতে সাহসী হইতেন না। আবার এই নারীর এমন একটা! নিম্পৃহ আবেগহীনতা ছিল যাহ কবিকে পীড়িত করিত। শিক্ষায়, সংস্কৃতিতে, মনম্থিতায় উভয়ের মধ্যে আমমান-ঈজমিন ফারাক। কলিকাতার সমাজ সংলার হইতে দূরে নির্জনে শিলাইদহে নির্বািতভাবে বাসকে ম্বণালিনী দ্বেবী সম্পূর্ণ গ্রসন্নচিত্তে গ্রহণ করিতে পাবেন নাই। এবং কলিকাতায় কবিও তাহার সমস্ত শক্তিকে কবরিত করিতে প্রস্তুত ছিলেন না। এই দ্বন্দের অবসান হুইল শান্তিনিকেতনে গিয়া বাসের দ্বারা-_ মে-কথা যথাস্থানে আসিবে।

শান্তিনিকেতন মন্দির-গ্রতিষ্টার দশম সান্বংসরিকের জন্ক রবীন্দ্রনাথ 'ক্রন্ধমন্ত্র নামে ভাষণ লিখিলেন। স্ত্রীকে লিখিতেছেন, “আজ বোলপুর যেতে হছবে। বাবামশায়কে আমার লেখা শোনালুম তিনি ছুই একট] জায়গা! বাড়াতে বললেন-- এখনি তাই বসতে হবে-- আর ঘণ্টাখানেকমাত্র সময় আছে ।”ৎ

সাতই পৌধ সন্ধ্যার উপাসনা মঠাধাক্ষ শ্বামীজী অচ্যুতানন্দ পর্তিত ঘন ঘন ঘন্টারবের সহিত শঙ্ধধবনি করিতে লাগিলেন। অনস্তর ববীন্দ্রনাথ, চিন্তামণি চট্টোপাধ্যায় এবং শভ্ুনাথ গড়গড়ি বেদী গ্রহণ করিলে, ববীন্নাখ 'ত্্ষমনত

চিঠিপত্জ ১, পত্র ২২ [২ পৌধ ১৩০৭। ১৭ ডিসেম্বয় ১৯০৭ ]।

চিঠিপত্র ১, পঞ্জ ২৪ [৬ পৌহ ১৬০৭, ২১ ডিসেম্বর ১৯** ]।

চিঠিপত্র ১, প্র ২৪।

আগমন তত্বযোধিনী পজিকা ১৮২২ শক (১৩০৭) মাথ, পৃ. ১৪৬-৬৪। দ্র, স্ববীজ্র-র়চজাফলী অচলিত সংগ্রহ ২। শাড়্িসিকেনন মঙগিয়ে পৌষ উৎসয ইহ রবীন্্রনাথেন তৃতীয় ভাবণ ১৩১৫. নিয়াকায় উপানন! ১৩*৬-- উপনিধা জন্ধ ১৩৯৭. জক্গমন্ত্র।

১৩ ববীক্জজীবনী খ্রীষ্টা্দ ১৯*১

নামে ভাষণ পাঠ করিলেন এই প্রবন্ধে আদি ব্রাহ্মলমাজের ঈশ্বরতত্ব তথ! ধমতত্ব ব্যাখ্যাত হয়-. ববীন্দ্রনাথের স্বকীয় ধর্মজিজ্ঞানা এখনো উচ্চাবিত হয় নাই, কেবল অস্বভূতির মধ্যো, নৈবেছর কবিতা-মাধামে ব্যক্ত হইতেছে

শান্তিনিকেতন পৌয-উৎসবে যোগদানের পর রবীন্রনাখ নিশ্য়ই শিলাইদহে ফিরিয়া যান। কিন্তু মনে হয় মাঘ মাসের গোড়ায় পুনরায় কলিকাতা আসিতে হইল-- কারণ মাঘোৎ্স্ব তত্পরেই জিপুরা মহারাজের সন্বর্ধন! উপলক্ষে বিসর্জন নাটকের পুনরভিনয় কবি জনকে শিলাইদহে যে পত্র দিখিতেছেন তাহা হইতে তাহার ব্যন্ত জীবনের চিত্রটি ফুটিয় উঠিয়াছে। “কাল যখন বাড়ি ফিরে এল তন 9০২ করে ছুপুর বেজে গেল ।.." আজ লকালে গান করে প্রথমে তারকবাবু, পরে নিপি, পরে শীরেন, পরে অঙমলাকে সেবে বাড়ি এসে ১১ মাঘের গান শিখিয়ে রাজ সংগীতসমাজ সেরে ১২টার সময় নিপ্রার আয়াজন কলতত হরে বিকলের দিকে যখন শরীরটা আন্ত হয়ে আসে তখন শ্বভাবতই তোমাদের দিকে মনটা চললে যায় কলকাতার লাস্থায় গাড়ির মধো এবং ছুপুর বাজে বিছানায় ঢুকে তোমাদের মনে করবার অবকাশ পাই |”

মাহুষ রবীন্দ্রনাথের চিত্র ফুটিযাছে ্ীকে লিখিত পচে | রবীন্নাথ ছে মৃলাশিনী দেবীকে বীতিমত সমীহ করিতেন তাহা ত্র পত্র পাঠ করিলেই স্পষ্ট হয়! জ্ঞানদাণন্দিনী দেবীর একান্ত হচ্ছ যে শিলাইদহ হইতে মাঘোৎসবে বেলা রেপুকা আসে; “তুমি কি বিবেচনা কর- ভরা এত করে আমা চাচ্ছে না আসতে পারলে বড় নিরাশ হবে তাই গুদের জন্য মালা হর. -। .. দুতিনদিনের জানো বেলা বিবিদের শ্রথানে সতোন্জনাথেব বাড়িতে | থাকলে কোন অনিষ্টের সম্ভাবনা! দেখি নে। যাহোক ভুমি ধা ভান বিবেটপা কর হাই কারে: গৃহকত্তী মালিনী দেবীর সংমাব ব্যবস্থায় ববীন্জনাথ সহজে হস্তক্ষেপ কারতে সাহমী হতেন না এইট পত্রমপ্যে লিখিতেছেন, “এখনি [ ত্বিপ্রহরের তোজনাস্তে ] সঙ্গীতসমাজ ওয়ালার তাদের বিহামালের জন্যে আমাকে ধরতে আসবে সেখানে ৪টে পধন্থ চেঁচামেচি করে স্থুরেনকে [ তিনি অসুস্থ ] দেখতে বালিগঞে যাব সেখান থেকে সঞুলাকে ঘোষাল ] তলে নিয়ে এসে গান শেখানর ব্যাপারে বাত নটা বেজে যাবে ভাবু পবে সঙ্গীতসমাজে আবার রিহার্টালে রাত ছুপুর হয়ে মাবে।”*

ছুইখানি পত্র হইতে আমরা অপেক্ষার বিস্তারিত উদধুত করিলাম, কারণ মানষ ববীন্দ্রনাথের বিচিত্র কর্ষময় সংগ্রামময় জীবনের এগুলি নিখুত চিত্র!

মাঘোৎলব। সন্ধ্যাকাল। মহাষদেবের গৃহৃপ্রাঙ্তণ আলোকমালায় উদ্ভাসিত, লোকে লোকারণা ছিজেজুনাথ ঠাকুব, গ্রিয়নাথ শাস্ত্রী শঙ্ভুনাথ গড়গড়ি বেদি গ্রহণ করিলেন! বণীন্নাথ প্রাঙ্গণের এক প্রান্তে দগায়মান হইয়া মহারানী তিক্টোরিয়ার মৃত্যু উপলক্ষে প্রার্থনা পা করিলেন

এই মাধমাসে বিমজন নাটকের পুনরভিনয় হইল | ভ্রিপুরার নবীন মহারাজ বাধাকিশোর মাণিকার সন্মানার্থ তিনি এই প্রথমবার কলিকাতায় আনিষাছেন মহারাজ বালি হিন্দ রাজা হাই কলিকাতার কিছু বাঙালি তীছার যথাযোগ্য সম্মান দান করিবার জন্য বিসর্তন লাটক অভিনয়ের আদছাছন করিল

অভিনয় হইল পার্ক গ্রীটন্থ সত্যেন্রনাথের প্রামাদোপম গুঙে | প্রপীন্দরনাথ তাহাকে স্বাগত করিবার জন্য একটি গান রচনা করিলেন-_

চিঠিপত্র ১, পত্র ২৫

চিঠিপত্র ১, পত্র ২৬ [ কলিকাতা, মাঘ ১৩৭, ১৯ জাশুয়ারি ১৯৭১ ]। তন্বযোধিনী পত্রিকা (ফাল্গুন ১৩*৭) ১৮২২ শক, পৃ ১১৮০১। ভারতী কান ১১৭৭ সংখায় বহীশ্রনাথের ডাধণটি কালো! বর্ডার দিয়া বেইিত কর হয়| আর. 09 594017/ ৮8015 ৬০]. 4611] 29761৬৮1519 1822 9818৭ 00,810, 21555615101 086 156 03৫66 ৬1০69018 ৪6 006 2১1 3180020 58758]. রবীন্্রবাধের এই রচন। অনুবাদ কেনে! গ্রস্থড়ুকু ছয় নাই।

খ্রীষ্টাৰঝ ১৯০১ বিচিত্র ঘটন! ৫১১

রাজ-অধিরাজ, তব ভালে জয়মালা-_ ত্রিপুরপুবলক্্ী বহে তব বরণভালা ক্ষীণজনভয়তরণ তব অভয় বাণী, দীনজন ছুখহরণনিপুণ তব পাণি, তরুণ তব মুখচন্ত্র ককুণরস-ঢালা! গুণিরসিকসেবিত উদ্দার তব দ্বাবঝে মঙ্গল বিরাজিত বিচিন্ধ উপচারে-- গুণ-অকণ-কিরণে তব সব ভুবন আলো ॥১ রবীন্দ্রনাথ পূর্বের স্যায় রঘুপতির ভূমিকা গ্রহণ করেন। সমসাময়িক জনৈক দর্শক ছুই বৎসর পরে লিখিয়াছিলেন__ “একবার পার্ক স্্রীটস্থ সত্যেন্্নাথ ঠাকুর মহাশয়ের বাটীতে রবীন্দ্রবাবু তাহাদের পরিবারস্থ যুবকরিগকে লইয়া বিসর্জন অভিনয় করিয়াছিলেন। অভিনয়স্থলে আগরতলা মহারাজ]... গুরুদাল বন্দোপাধ্যায়, উমেশচন্্র দত্ত এবং সভীবনীর সম্পাদক [ কষ্টকুমার মিত্র ) প্রভৃতি অনেক উপস্থিত ছিলেন।... সেদিন ববীন্জুবাবু রঘূপন্ি সাজিয়ী এমন চমৎকার অভিনয় করিয়াছিলেন যে সক্মীবনী-সম্পাদক মহাশয় একটি স্বতঙ্ প্রবন্ধ লিখিয়া তাহার প্রশংসা করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন।”* শেষ বাকাটি বিশেষ তাৎপর্ষস্থচক ; কারণ সঞ্পীবনী-সম্পাদক কষ্চকুমার মিত্র মহাশয় ছিলেন অতি নিষ্ঠাবান পুারিটান ব্রাঙ্ধ। তিনি লঘুসাহি'তা অভিনয়ার্দির সমর্থক ছিলেন না; তৎসত্বেও তিনি যে প্রশংসা করিয়াছিলেন ইহা অভিনয়ের উত্কর্ধের পরিচায়ক অভিনয়ের অনতিকাল পরেই ববীন্দ্রনাথ ঠাহার গ্রাম্যনীড়ে ফিরিয়া গেলেন জগদীশচন্দ্রকে লিখিতেছেন-_ “এবার শিলাইদহে ফিরিয়া পদ্মার চরে বোটে আশ্রয় লইব..। এখন শীতের দিনে পদ্মা তাহার তীরে আমার অভার্থনার জন্য শুভ্র করাস বিছাইয়! অপেক্ষা করিতেছে.” শিলাইদছে কবিতা পিখিতেছেন, চিরকুমার ভার কিস্তি সময়মতো পাঠাইতেছেন। জনতা হইতে দুরে নৌকা গৃহে সপরিবারে আছেন। আপাতপুষ্টিতে সবই ভালো, কিন্ত কুদ্ীয়ার বাবসায় রাহু তাহাকে ত্যাগ কবে না; আবার তিনিও প্রাণ ধরিম়া তাহাকে বিসজন দিতে পারিতেছেন না। তাই কি শিলাইদহের বোটে বাস করিতে করিও বাঝসায়ের টাকার কথা ভাবিতেছেন? অর্থ খণ পাওয়া গেলে প্রিয়নাথকে ( ফাল্গুন ১৩০৭ ) লিখিতেছেন-_ “বাচা গেল! আমার টাকার দরকার বারো হাজার ।...নিয়ে অবিলম্বে চলে এস-.আমার পক্ষে এখন যাওয়া অসস্তব কারণ, পরিজনবগকে পদ্মায় ভাসিয়ে দিয়ে-_ কোথাও আমার নড়া অসস্তব।...এখান থেকে পোস্টাপিম দুরে পরপারে '-1"8 নগি'পরে নৌকাগৃহে অতিথি সংকারের ব্যবস্থায় কবিকে বান্ত থাকিতে হয়। পপ্রাতঃকাল থেকে রাত দেড়ট! পর্ধস্ত লেশমাত্র অবসর” পান না,__ মুণালিনী দেবীর 'অবস্থা ততোধিক প্রিয়নাথ সেনকে পত্জে (১৫ ফাল্গুন ১৩০৭) কুষ্টিয়ার ব্যবসায়ে অংশ গ্রহণ অথবা অন্ত কোনে ব্যবসায়ে প্রবেশ সম্বন্ধে যে পত্র দেন, তাহার কথা পূর্বেই বলিয়াছি। এই পত্ত্রেজানাইতেছেন যে কুষ্টিয়ার বাবসায়ে একজন মাড়োয়াৰী একজন ইংরেজ অংশীদাররূপে কাজ করিতে প্রস্তত। এইসব গোলমালের যধোও গোটা ৯* নৈবেছ্ লিখিয়াছেন। চৈত্র লিখিতেছেন-_ “নৈবেগ্য ১৯০ পেরিয়ে গেছে। ওদিকে আদি সমাজ প্রেমে ছাপাও আরম্ভ হয়েছে ।..'রামানন্দবাবু প্রবাসী বলে একখানা পত্র বের

তংকালীণ প্রিপুর] দয়বারের অগ্ততম বিশিষ্ট কমী শান্তিনিকেতন ব্রশ্গচর্ধাশ্রমের প্রাস্তীন ছা সতারঞীদ বহু লেখককে এই গানটি পাঠাইয়া দেন। গ।নটির গ্বরলিপি হুরঙ্গমা পত্রিকা ১-এ প্রকাশিত হয়। ভ্রু, গীতবিতান পৃ ৭৮১।

কাশীপুর হইতে অমৃত্লাল গুপ্ত লিখিত, এবাসী, মাহ-ফান্তন ১৩১৯, পূ ৩৫৭ |

চিঠিপত্র পত্র ৮।

চিঠিপত্র ৮, পত্র ১৩৪।

৫১২ ববীন্রজীবনী খ্রষ্টান্য ১৯৯১

করছেন-_ আরস্ত সংখায় একটি কবিতা লিখে দেবার জন্তে আমাকে খুব চেপে ধরেছিলেন-_ খানচারেক চিঠি উপরি উপরি লিখেছেন__ আমার নৈবেস্তের১ শেষ কবিতাটি তাকে পাঠিয়ে দিয়েছি ।...তার নামও প্রবাসী? |৮*

ফাল্গুন চৈত্র মাসের দিন-দশ নৌকায় সপবিবারে যাপন করিয়া (১* চৈত্র ১৩০৭) শিলাইদহ কুঠিতে ফিরিয়া আমিলেন। আসিয়া আগরতল! হইতে যুববাজের গৃহশিক্ষক যতীন্ত্রনাথ বস্থ লিখিত পক্্র পাইলেন। সেই পত্রের মর্যারথ হইতেছে যে, বসস্তকুমার গুধু নামক কোনো ব্যক্তি ত্রিপুরায় চাকুরির জন্ত কবিকে ধরেন। কবিস্থপারিশ করেন। তাহার উত্তরে যতীন্দ্রনাথ লেখেন যে মহারাজ মধ্যম বাজকুমারের (ব্রজেন্্রকিশোর তথ! লালুকর্তা ) শিক্ষা ব্যবস্থার সময়ে এই বিষয়ে ভাবিবেন। ববীন্দ্রনাথ এই তথ্ট্রক বসম্তকুমারকে জানাইয়া, পত্রে বরিশালে তাহাদের ব্যবসায়ে যে দুর্দশা তদ্বিষয়ে আলোচনা করিতেছেন।

“বরিশালের আখের কলের কাজ সম্বন্ধে টাকা খবর না পাইয়া উদ্দিগ্র-..। আমাদের বিস্তর [ আখমাড়ার কল [ গুড় জ্বালের ] কড়াই কেবলমাত্র অযত্বে ফেলিয়া রাখিয়া একেবারে নষ্ট হইয়াছে স্থানীয় মোহরেরগণ কোন মতেই--. নগেক্জকে [শ্যালক ] হিসাবাদি দেখাইতেছে না." | যথালময়ে কল ফেরত না.পাওয়ায় আমাদের ৩1৪ হাজার টাক লোকশান গেছে-_ অথচ বরিশালের যে রকম গতিক দেখিতেছি তাহাতে আমাদের কোথাও মঙ্গল নেই। আমাদের এই হতভাগ্য বাবসায়ে আমরা যাহার প্রতিই নিওর করিয়াছি সেই আমাদের ক্ষতির কারণ ঘটাইয়াছে...।” কিন্ধ ব্যবসায় যেমনই চলুক, জ্যোষ্ঠাকন্তার বিবাহ লইয়া যতই উতলা হউক-_- ভারতীর প্রহসন এখনো লেখা শেষ হয় নাই। “নিতান্ত অনিচ্ছা এবং নিরুদ্ধমের মধ্যে তাই কেবলমাত্র প্রতিজ্ঞার জোরে" চৈত্রের মাঝামাঝি (১১) উপন্যাসটি শেষ করিলেন। বন্ধুকে লিখিলেন, “মনের সে অবস্থায় কখনো রস নিঃসারণ হয় না। যেখানে থামা উচিত এবং যেরকম ভাবে থামা উচিত তা হয়েছে কি না নিজে বুঝতে পারছি নে। একবার সমস্ত জিনিসটা একসঙ্গে ধরে দেখতে পারলে তবে ওর পরিমাণ-সামণ্রশ্ত বিচার করা যায়।... যখন বই বেরবে তখন অনেকটা বদল হয়ে বেরবে ।”*

বাঘুম গুলে যেমন শৃন্তস্থল থাকিতে পারে না, সাহিত্যের মনটা বোধ হয় তদ্রপ | উপরি-উদ্ধৃত পত্রমধ্যে বিনোদিনী সন্বদ্ধে লিখিতেছেন__ “মাস তিনেকের মত লেখা সংশোধন করে ঠিক করে পিখে রেখেছি-_ স্বতরাং কতকটা রয়ে বসে ওটা সমাধা করতে পারব ।” রবীন্দ্রনাথের আশঙ্কা ধরণের বই সবটা একসঙ্গে না পড়িলে, ইহার উত্তরোত্তর বিকাশ এবং ঘ্বনায়মান পরিণাম পাঠকের মনে দুঁটভাবে না বলিলে অচিরে বিরুদ্ধবাদীর সমালোচনা শুনিয়া হতাশ হতোগ্তম হইতে হইবে এই গল্পে ঘটনাবাহুলা একেবারেই নাই; সেইজন্ত এটি ক্রমশঃ গ্রকাশের যোগা নয় বলিয়া কবির মনে হইতেছে কিন্তু নবপর্যায় বঙ্গদর্শন বৈশাখ ১৩০৮ সাল হইতে বাছির হইবে এবং কবিকে তাহার সম্পাদক পদ প্রদানের ষড়যন্ত্র চলিতেছে বলিয়া তাহার আশঙ্কা অবশেষে সেই পত্রিকার করাল কবল হইতে “বিনোদিনী'কে রক্ষা করিতেও পারিবেন না। সম্বক্ষে আমরা পরে আলোচনা করিব।

ষে পত্রে এইসব কথা লিখিতেছেন তাহাতেই আছে ভারতীর জন্য অবিলম্বে একটি লেখা শুরু করিতে হইবে-_ “খুব শক্ত তাগিদ এবং প্রলোভন এসেছে ।' অর্থাৎ কিছু অর্থাগম হইবে। চৈত্র মাসেই নষ্টনীড়' নামে বৃহৎ গল্পটি লিখিতে শুরু করিপেন।-_ সম্বন্ধে আলোচনা মূলতবী থাকিল।

দ্র 'প্রবামী' কবিত। প্রবাসী প্রথম বর্ধ বৈশাখ ১৩*৮ সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। 'নৈবেন্' (১৩*৮) কাবাতুক্ত হয় নাই। মোহিতচন্ত্র লেন "সম্পাদিত কাব্যগ্রন্থ (১৩১৭) প্রথম পণ্ডের 'বিশ্ব অংশতুক্ত হয়। পরে ১৩২১ পালে 'উৎসর্গ' মধো সঞ্চিত হয়। জর. উৎসর্গ, রবীন্র-রচনাবলী ১* পৃ ২৬১, ১৪ সংখ্যক কবিতা

চিঠিপত্র ৮, পত্র ১৩৯, চৈত্র ১৩৭৭। মার্চ ১৯*১। চিঠিপত্র ৮, পত্র ১৪৮।

খীতাব ১৯৭, ৫১৩ চিরকুমার সভা

“চিবকুমার সভা, ১৩৯৭ সালের চৈন্র মাসের মধো লেখা শেষ হয় এবং ১৩০৮ সালের বৈশাখ এও জ্যোষ্ঠ মাসে ভারতীতে তেরে! কিন্তিতে বাহির হয় 1১

খতু বা কাল-পরিবর্তনের সঙ্ষে রচনার গুণাগুণ নির্ভব করে, এরকম একটা ধারণা ববীন্দ্রনাথের ছিল। “গরম পড়ে এসেছে বলে আমার মগজের এঞিনট1 বেশ সহজে চলবে, সেইজন্যে এখন আহি ভাবি নে। এইটি লিখিতেছেন ১৩০৭ সালের চৈত্রের শেষভাগে যখন “বিনোদিনী' ননষ্টনীড়” যুগপত “ছুটে! কলে এক সঙ্গ দম লাগাতে হয়েছে চিরকুমার সত গ্রহসনটি গরমের মময়ে আরস্ত হয়, কবি ভাবিয়াছিলেন যে ভাবে তোড়ের মুখে লিখিয়া যাইবেন-_ “কিন্ত ক্রমে যখন হেমন্তের হিম এবং শীতের কুয়াশা আচ্ছন্ন করে ধরল তখন কল্পনার ভান! প্রতিদিনই জড়িয়ে আসতে লাগল। তখন নিজের উপর এবং লেখার উপর নিতান্তই জুলুম চালাতে ছল। কি করেই অনিচ্ছা এবং জড়ত্বের সঙ্গে হাতাহাতি লড়াই করতে করতে লেখা সারতে হল।” কবি বলেন তাহার “কল্পন! গ্রীক্মখতুতে২ ফোটে, বর্ধা এবং শরৎ পর্বন্ত থাকে তার পর ঝরতে থাকে সেইজন্তে সম্বৎসর নিয়মিত যোগান দেবার কোনো ভার গ্রহণ করা আমার পক্ষে অসম্ভব ।” এইটি লিখিলেন “বঙ্গদর্শনের সম্পাদন-ভার তাহার উপর বৈশাখ ১৩০৮ সাল হইতে ন্তস্ত হইতে পারে বসিয়া সন্দেহ হওয়াতেই কিন্তু প্রতিবাদ, অনীহা সত্বেও সম্পাদক-পদ গ্রহণ করিতে হইল-_ সেকথ! পরে আলোচিত হইবে।

চিরকুমার সভা উপন্যাসের ম্যায় শুরু হইয়াছে বটে, কিন্তু প্রায়ই নাটকের রীতিতে লেখা “প্রজাপতির নির্দ্ধ' নামে যে সংস্করণ (১৩১৪) প্রকাশিত হয়, তাহাতে পচিশটি গান আছে-_ মাত্র পাচটি পুরাতন। অবশিষ্ট উনিশটি দুই হইতে চাবি পড়ক্তি গীতকণা, দশ পঙ্ক্ির গান একটি মাত্র এই উপন্যাসে পনেবোটি সংস্কৃত শ্লোক ছুই-চার পড্‌ক্তির পদযুক্ত ! আটটি ক্সোকের ছন্দ-অশ্ুবাদ এবং একটির গছ্য-অনুবাদ ।* শ্লোকগুলি “স্ৃভাষিত ভাগ্ডারাগার, হইতে নিধাচিত: এইটি কবির প্রিয় গ্রন্থের অন্যতম

চিরকুমার সভার উপাখাযান-অংশ অতি অল্প, সামান্য স্তর ধরিয়া ঘটনাকে রগিত করা লেখক পাত্তপাত্রীদের কথোপকথনের মধ্যে প্রচুর হাম্কারস আনিয়াছেন, কিন্তু সে-হাম্তরস অত্যন্ত মাজিতরুচি স্বশিক্ষিত শ্রোতা বা পাঠক বাভীত সাধারণের তৃপ্িদান করিতে পারে কি না সন্দেহ। ভাষার 58৮1০ শবদচাতুর্য 701771708 অত্যন্ত সুম্। সেইজন্ব কোনো কোনো সমালোচক মনে করেন রবীন্দ্রনাথের মধ্যে 000000 হইতে আঃ বেশি আমাদের সে শন্ম আলোচনায় প্রয়োজন নাই তবে একথা সত্য, ঘটনা-সমাবেশে যে হাশ্যরসের স্ৃষ্থি হয়, তাহা হইতে বাক্যরস দ্বার! হাস্যরস স্ষ্টি কম উপভোগ্য নহে। ববীঞ্ঞনাথের প্রহমনে এই বসেবই প্রাধান্থ-_ উহা! কমিক বা ফার্স নছে। মোলিয়ের শেরিডান (51710817 )-এর কমেডি রবীন্দ্রনাথের প্রহসনের মধ্যে তুলনা হয় কি না সন্দেহ। রবীন্দ্রনাথের বসিকতাবৰ মধ্যে কোথাও রত, গ্রাম্যতা নাই, বাক্যালাপে হাশ্তমুখব অনাবিল গতি। চিরকুমার সভা প্রহসন বলিয়া! উহার সকল কথাই হাসিয়। উড়াইয়] দিবার মতো নছে। ভারতী, বৈশাখ-কাতিক | পৌধ-চৈত্র ১৩*৭। বৈশাখ জো ১৩.৮। ১৩১১ সালে হিতবাদী সংস্করণ রবীন্সর-গ্রস্থাবলীতে রঙ্গচিহ অংশে প্রথম সম্পূর্ণ মুদ্রিত ইযর়। অতঃপয় ১৩১৪ সালে গন্গ্রস্থাধলীর অষ্টন খণ্ডে প্রজাপতির নির্ধস্ধ' নামে পৃথক গ্রন্থরপে প্রকাশিত হয়। ১৩৩২ সালে উপপ্ভাসটির নাটকীয় রপদান কর! হয়; তখন নূতন গান সংযোজিত করিয়া স্টার রঙ্গমধে জতিনীত ইয়। তু. ছিন্নপহ্জাবলী, পন্্ ৫১, ৩* মে ১৮৯২। "শীতকাল ছাড় বোধ হয় [ নুতন নাটকে ] হীত দেওয়া হয়ে উঠবে না” ১৩২৬ সালে প্রকাশিত নাটক 'চিরকুমার সন্ত গ্রন্থে বত্রিশটি গান আছে; তন্মধো প্রজাপড়ির নির্ধদ্ধের টবিবশটি গান গৃহীত; 'ওগে। ছাদ বনের শিকারী' গানটি বজিত ছয়। নুতন আটটি গান সংযোজিত ছয় ্‌

৬৫

৫১৪ রবীন্্রজীবনী ৃ্‌ ধ্টাব ১৯০,

এই গ্রন্থের মধ্যে কবি এমন অনেকগুলি মানুষের অবতারণা করিয়াছেন, ধাহাদের চিনি বলিয়] মনে হয়) এমন-কি নিজের অজ্ঞাতে লেখক নিজেও গ্রন্থমধ্যে ধরা দিয়াছেন। চন্ত্রমাধববাবুর কথাবার্তার মধ্য দিয়া এসব মত প্রকাশ করিতে গিয়া লেখক অনেক সময়ে দীর্ঘ বন্তৃতাদির অবতারণা করিয়াছেন? তাহা স্বভাবতই গ্রস্থকে ছূর্বল করিয়া ফেলিয়াছে।

ভারতীতে যখন এই উপন্তাস ধারাবাহিক প্রকাশ হইতেছে তখন প্রিক্নাথ উহার চবিত্রগুলি সম্বন্ধে প্রশ্থ করেন। তাহারই উত্তরে রবীন্দ্রনাথ লেখেন, “চন্দ্রমাধববাবুব চরিত্রে অনেক মিশল্‌ আছে, তার মধ্যে কতক মেজদাদা কতক বাজনারাণবাবু এবং কতক আমার কল্পনা আছে। নির্মলাও তখৈবচ-_ এর মধ্যে সরলার অংশ অনেকটা আছে বটে। কিন্তু কোন রিয়াল্‌ মানুষ প্রত্যহ আমাদের কাছে ষে রকম প্রতীক্পমান সেরকম ভাবে কাব্য স্থান পাবার যোগা নয়। কারণ রিয়াল্‌ মানুষকে যথার্থ সম্পূর্ণকূপে জানবার শক্তি আমাদেন্র না থাকাতে আমরা তাকে প্রতিদিন খণ্ডিত বিক্ষিপ্ত এবং অনেক সময় পূর্বাপর বিরোধী ভাবে না দেখে উপায় পাই নে-__ কাজেই তাকে নিয়ে কাব্যে কাজ চলে না। সুতরাং কাব্যে যদিচ কোন কোন বিষ্কাল লোকের আভাসমাত্র থাকে তবু তাকে সম্পূর্ণ করতে অন্তর বাহির নানা দিক থেকে নানা উপকরণ আহরণ করতে হয়। চন্দ্রমাধবে মেজদাদার শিশুবৎ হ্বচ্ছলারল্যের ছায়! আছে এবং নির্মলায় সরলার কল্পনাপ্রবণ উদ্দীপ্ধ কর্মোৎসাহ আছে-_ কিন্ত উভয় চরিত্রেই অনেক জিনিস আছে যা তাদের কারোই নয়।”

চিরকৌমার্ধকে কৰি পরিপূর্ণ জীবনের আদর্শরূপে স্বীকার করেন নাই; তাহার মতে চিরকুমার-জীবন অস্বাভাবিক অসামাজিক আমরা যে-সময়ের কথা আলোচনা] করিতেছি তখন স্বামী বিবেকানন্দ ভারতে তাহার নৃতন সন্গ্যাসী- সম্প্রদায় গঠনের আয়োজনে ব্রতী। শিক্ষিত যুবকগণের মধ্যে কৌমার্যব্রত গ্রহণ করিয়া দেশ-সেবার জন্ একটি নবীন চেতন] দেখা দিয়াছিল। আমাদের মনে হয়, এই প্রহসন রচনার সময় সন্ন্যাসের নূতন আন্দোলনকে বিদ্ঞরপ করিবার উদ্দেশ্ট পরোক্ষভাবে লেখকের মনে ছিল। ক্ষণিকার কবিতায় “আমি হুৰ না তাপস... ইত্যাদি পঙ্ক্তি এই আন্দোলনেরই প্রতিক্রিয়ায় রচিত ক্ষণিকায় বিদ্জপের স্থুরে যাহা বলিয়াছিলেন, তাহাই বৎসরেরই শেষ ভাগে দেখা দেয় 'বৈবাগা সাধনে মুক্তি সে আমার নয় বাণী রূপে আ্রীশের জবানীতে যে নবীন সন্্যাসীর চিত্র অস্কিত হইয়াছে তাহার মধ্যে সে বৈরাগ্য নাই, যাহা সাধারণত লোকে সন্্যাসীর নিকট হইতে আশা করে। রবীন্দ্রনাথ “শারদোৎসবে' 'প্রায়শ্চিত্তে' 'রাজা"য় যে-বৈরাগ্যের চিত্র আকিয়াছেন, তাহা লৌকিক সন্ন্যাসীর আদর্শ হইতে সম্পূর্ণ ভিন্ন আবার স্বামী বিবেকানন্দও যে সন্ন্যাসী-সংঘ করিতেছেন ত্াহারাও ভারতের চিরাচরিত “সন্ন্যাসী? নছেন। একজনের আদর্শ রায় রামানন্দ, আর-একজনের আদর্শ প্রচ্ছন্ন বৌদ্ধ শঙ্করাচার্ধ।

চন্্রমাধববাবুর বক্তৃতা হইতে আমর] একটি অংশ উদ্ধৃত করিতেছি-_ সে অংশটি নিতান্ত গ্রহমনের বিষয় নছে; কারণ পরধুগে স্বয্ং কবি দেশের অনেক নেতা! এই সমস্তাগুলি পূরণের চেষ্টা কৰিয়াছেন।

“আমি ব্লছিলুম, সন্ন্যাসব্রতের জন্তে আমাদের এখন থেকে প্রত্তত হতে হবে। হঠাৎ একটা অপত্থাত ঘটলে, কিংবা সাধারণ জর-জালায়, কিরকম চিকিৎসা সে আমাদের শিক্ষা করতে হবে|". আর একটি আমাদের করতে হচ্ছে-_ গোরুর গাড়ি, চে'কি, তাত প্রতৃতি আমাদের দেশী অত্যাবস্তক জিনিসগুলিকে একটু-আধটু সংশোধন করে যাতে কোনো! অংশে তাদের সন্ত বা মজবৃত বা বেশি উপযোগী করে তুলতে পারি সে-চেষ্টা আমাদের করতে হবে." আমার মত এই যে, এই-সমস্ত গ্রামের ব্যবহার্ধ সামান্ত জিনিসগুলির যদি আমরা কোনো উন্নতি করতে পারি তা হলে তাতে করে চাষাদের মনের মধ্যে ফে-রকম আন্দোলন হবে, বড়ে! বড়ো সংস্কারকার্ধেও তেমন হবে না তাদের সেই চির- চিঠিপত্র পত্র ১২৭।

বীই্টা ১৯০, কবি বিজ্ঞানী 8১৫

কালের চে'কি-ঘানির কিছু পরিবর্তন করতে পারলে তবে তাদের সমস্ত মন সজাগ হয়ে উঠবে, পৃথিবী যে এক-জায়গাদ্ দাড়িয়ে নেই তার বুঝতে পারবে।

“মানুষ অগ্রসর হচ্ছে অথচ তার জিনিসপত্র পিছিয়ে থাকছে, কখনো হতেই পারে না। আমরা পড়েই আছি-_ ইংরেজ আমাদের কাধে করে বহন করছে, ভাকে এগোনে! বলে না। ছোটোখাটে। লামান্ত গ্রাম্য জীবনযাত্ধা পল্পীগ্রামের পদ্ধিল পথের মধ্যে বন্ধ হয়ে অচল হয়ে আছে, আমাদের সঙ্ন্যাসী-স্প্রদায়কে সেই গোকুর গাড়ির চাকা ঠেলতে ছবে__ কলের গাড়ির চালক হবার ছুরাশা! এখন থাক |”... “আমাদের একদল কুমারব্রত ধারণ করে দেশে. দ্বেশে বিচরণ করবেন, একদল কুমারব্রত ধারণ করে এক জায়গায় স্থায়ী হয়ে বসে কাজ কর্.বশ, আর-একদল গৃহী নিজ নিজ রুচি সাধ্য-অনুলারে একটা কোনো! প্রয়োজনীয় কাজ অবলম্বন করে দেশের প্রতি কর্তবা পালন করবেন। ধারা পর্যটক-সপ্প্রদায়ভূক্ত হবেন তাদের ম্যাপ-প্রস্তত, জরিপ, ভূতত্ববিষ্তা, উত্তিদবিভা প্রাণীতত্ব প্রভৃতি শিখতে হবে__ তারা যে দেশে যাবেন সেখানকার সমস্ত তথ্য তঙ্ন তন্ন করে সংগ্রহ করবেন--তা৷ হলেই ভারতবর্ধায়ের ছারা ভারতবর্ষের যথার্থ বিবরণ লিপিবদ্ধ হবার ভিত্তি স্থাপিত হতে পারবে, ছণ্টার সাহেবের উপরেই নির্ভর করে কাটাতে হবে ন11”১

তথ্যসংগ্রহ সম্বন্ধে যে কথাগুলি চত্রমাধববাবু বলিলেন সেগুলি উপস্তাসের নায়কের মুখের কথামান্জ নহে। কারণ বহুবার ববীন্দ্রনাথ তথ্যসংগ্রহের জন্ত ছাত্র যুবকবর্গকে উৎসাহিত করিয়াছেন। তিনি ভালে! করিয়া জানিতেন তথাপূর্ণ তব না হইলে সত্যে উপনীত হওয়া যায় না। কৰি হইলেও তিনি বিজ্ঞানবাদী |

প্রহসনটিতে কবি চিরকৌধার্ধের বার্থতাই দেখাইয়াছেন ; এবং শেষকালে নরনারীব মিলনের দ্বারা! সংসারের মধ্যে শাস্তি জীবনের মধ 85006815 আনিয়াছেন। ববীন্দ্রনাথের এই প্রহ্মনে যে-ককসটি চরিঅ স্থত্ি করিয়াছেন তাহাদের অনেকেই তাহার অন্ঠান্ত উপন্তাস নাটকের মধ্যে নানাতাবে দেখা দিয়্াছে। চচ্ত্রমাধববাবুর শাস্ত সমাহিত জীবনাদর্শ পরেশবাবূ, জ্োঠামহাশয়ের মধ্যে ফুটিয়াছে ) নির্মল ললিতার মধ্যে দেখা দিয়াছে। রসিক একটি অন্তু কুষ্টি) ইনি যেন শারদোৎসবের বাজার ঠাকুরদা এই চিরকুমার সভার মধ্যে কবি বহু সংস্কৃত ক্জোক বাংলায় পন্চে অঙ্ছবাদ করিয়াছেন ।*

কৰি বিজ্ঞানী

রবীন্দ্রনাথ জগদীশচন্দ্রের মধো ঘনিষ্ঠতা হইতেছে এই যুগের একটি বিশেষ ঘটনা, সাহিত্যিকের বিজ্ঞানী ব্ধুলাভ বিজ্ঞানীক সাহিত্যিক বন্ধুলাত। জগঘদীশচন্ত্রেষ সহিত কবির পরিচয় কৰে হয় আমরা জানি না, তবে ঘনিষ্ঠতা হয় ১৩০৪ লাল হইতে। বিলাত হইতে জগদীশচন্্র লিখিতেছেন (২ নভেম্বর ১৯০০ ) *তিন বৎসর পূর্বে আমি তোমার নিকট একপ্রকার অপরিচিত ছিলাম। তুমি স্বতঃগ্রতৃত্ত হইয় ডাকিলে। তার পর একটি একটি করিয়া! তোমাদের অনেকের লেহবদ্ধনে আবদ্ধ হইলাম।”* কবি বা! বিজ্ঞানী কেছই তখনো খ্যাতির চুড়ায় উঠেন নাই। কবির ভাষায় কবি “পূর্ব উদয়াচলের ছায়ার দিকটা থেকেই ঢালু চড়াই পথে যাত্রা কৰে চলেছেন, কীর্তি-সুর্ধ আপন সহম্র কিরণ দিয়ে তার সফলতাকে দীপামান করে তোলে নি।*

জগদীশচন্দ্র বিলাত হুইতে ১৮৮৪ লালে পিক্ষা-সমাপনান্তে ফিরিয়া আলিবার পর কলিকাত৷ প্রেসিডেব্সি কলেজের প্রজাপতির নিরধন্ধ রবীশ্র রচনাবলী ৪, পৃ ২৬৫। | ক্ষিতিমোহন নেন, বোমন্্রযণিক রবীজ্রনাধ, বিখভারতী পত্রিকা, বৈশাখ, ১৩৫, পৃ ৬*১-৮। ডর. রূপান্তর, গরস্থপজিচয়। * পত্জাবলী, জগদীশচজা ধু, ১৭ কািক ১৩৬*৭। প্রবাসী, আহাড় ১৬৬৩, পৃ ৪১২। চিঠিপত্র * পজ্জ-পরিতয়।

8১৬ রবীন্দ্রজীবনী খীষ্টাৰ ১৯৯১

পদার্থবিজ্ঞানের অধাঁপক নিযুক্ত হন, তখন তাহার বয়স ছাব্বিশ বংসর মাত্র। তার পর দশ বৎসর নিরন্তর পরিশ্রমের কলে বহু বৈজ্ঞানিক তত্ব আবিষ্কার করেন | দেশ হইতে বিদেশে সেইসব গবেষণার জন্য মান পাইগ়াছিলেন বেশি। কারণ দেশে তখনো শিক্ষাবিভাগের ইংরেজ অধ্যক্ষো বা রাজ-সরকারের শিক্ষাপরিচালকগণ দেশীয় অধ্যাপকদেব পক্ষে বৈজ্ঞানিক গবেষণাদি সন্পবপর বলিয়া মনে করিতেন না। তাহাদের মতে দেশীয় অধাপকদিগকে গবেষণার জন্য কোনোপ্রকার সুযোগ-স্থবিধ] বা! অবসর দান করাটা সরকারী অর্থের অপবায় ; তাহাদের বিশ্বাস অধাপক নিযুক্ত হদ» অধ্যাপনা জন্য, অধায়নের জন্বা নহে অধ্যয়ন হইবে ব্যক্তিগত কার্য সরকারের তাহাতে কোনো লাভ নাই, আনারস জগদীশচন্্ই সেই ভুল ভায়া ছিলেন কিন্তু কী অপমান উপেক্ষার মধো তাহাকে এই লাধ সমাধান করিতে হয়) আচার্ধের জীবনচরি-ত-পাঠকগণ ব্যতীত আর কাহারো নিকট সেসব তথা বিদিত নছে। জীবনের এই স'গ্রামের সময় জগদীশচন্দের প্রধানতম সহায় ছিলেন রবীন্দ্রনাথ সংগ্রামকে কেন্ত্র করিয়া ছুই বন্ধুর মধ্যে যেসব পত্রবিনিময় হইত, তাহার কিছু মহাকালের নিম্পেষণ হইতে রক্ষা পাইয়াছে।

জগদীশচন্দ্র যখন দ্বিতীয় বার গবেষণার জন্য বিদেশে ছিলেন (১৮৯৪-৯৭ ), সেই সময় ভ্রাহার প্রতিভার দীপ্সি ববীন্দনাথকে মোহিত করে এবং ভাহারই স্মরণে কল্পনার বিখাত কবিতা 'জিগদীশচন্ছ' (541 শ্রাবণ ১৩০৪ ) লেখেন। তিনি বিলাতে তাহাকে লিখিয়াছিলেন যে কোনো সময়ে “আপনার সঙ্গে ভ্রথণ করে আপনার জীবনচরিতের একটা অধ্যায়ের মধো ফাকি দিয়ে স্বান পেতে ইচ্ছে করি” রবিকে প্রকাশের জন্বা কোনো আলোকের প্রয়োজন হয় লা, রবি স্বযংপ্রকাশ, কথ! তখনো রবীন্দ্রনাথ সয় বুঝিতে পারেন নাই |

১৮৪৭ সালে জগদীশচন্দ্র দেশে ফিরিলেন | দেশে বাসকালে হিনি কয়েককার শিলপাইদহে যান , কবি ঠাহার বিজ্ঞানী বন্ধুর প্রতি শদ্ধা প্রীর্তির নিদর্শনন্বরূপ “কথা কাবাগ্রশ্থখানি ভাহার নামে উতৎ্সগ করেন (অগ্রহায়ণ ১৩০৩)। তিন বখসর পরে পুনরায় বিলাত যান; ১৯০০ সালের জুলাই হইতে ১৯০২ সালের অক্টোবর বা ১৩৭৭ সালের আধা হইতে ১৩০৯ সালের আশ্বিন পর্যন্ত সময়টি জগদীশচন্দের ভতীয় বার বিলাত প্রলাসকাল | বিচি সংগ্রামে পূর্ণ এই পরটি। ম্বরোপে বিশেষভাবে ইংলণে কাহার গবেষণ1 প্রতিভা স্বীকৃত হইবার অন্ুরায় ছিল অনেক, পদে পদে অবিশ্বাস, পদে পদে লাঞ্ছনা ইহার উপর বঙ্গীয় সরকারের শিক্ষাবিভাগ তাহাকে ছুটি দিতে অঙম্মত হইলেন। হাহার আলনের এই অগ্রিপরীক্ষার সময়ে একমাত্র রবীন্দ্রনাথের উৎসাহবাণী ভাহার অকুত্িিম সৌহার্দ ভাহাকে কর্মে অটল রাখিয়াছিল। রবীন্দ্রনাথ তাহাকে একখানি পরছে লিখিতেছেণ- তুমি কি আমাদের মতো লোকের কাছ হুষ্টতে বলের বা উৎসাহের অপেক্ষা রাখ ?.-" নিরাসক্ত ভারতবর্ষের অবিচলিত স্থৈর্ব তোমাকে তোমার কর্ষের মধো অনায়াসে রক্ষা করুক |" তুমি কিরিয়া আমিলে মামাদের যজ্ঞ সমাধ! হইবে তুমি এখানে আসিয়া তপস্থী হইয়। নিভতে তোমার শিঙ্কুদিগকে জানে দুর্গম দুর্গের গোপন পথ সন্ধান করিতে শিখাইয়া দিবে, এই আম আশা করিয়া আছি |... বিদেশী আমাদিগকে জ্ঞানের অগ্রি যেটুকু দেয় তাহা অপেক্ষা ঢের বেশি ধোয়া দিয়া থাকে-_ তাহাতে যে কেবল আমাদের অন্ধকার বাড়ে তাহা নহে, আমাদের অক্কহাও বাড়িয়া! যায়-_ আমাদের দি পীড়িত হয়। তোমার কাছে জানের পন্থ! তিক্ষা করিতেছি__ মার কোনে! পথ ভারতবর্ষের পথ নহে-_ তপস্তার পথ সাধনার পথ আমাদের আমরা জগৎকে অনেক জিনিস দান কবিয়াছি,কিস্ক সে কথ] কাহাবো মনে নাই-- আর একবার আমাদিগকে গুকুয় বেদীতে আরোহণ করিতে হইবে__ নহিলে মাথা কুলিবার আর কোনো উপায় নাই 1”,

বাংলা গবন্নমেন্ট জগদীশচন্দ্রকে বিলাতে দীর্ঘকাল গবেষণা-কার্ধ করিবার জগ্ত ছুটি মঞ্জুর না করায় সমস্যা জটিল হইয়া! উঠিল। রবীন্দ্রনাথ সেট কথা উল্লেখ করিয়া লিখিতেছেন-__ “গবঙেন্ট যদি ক্োঁষাকে চুটি দিতে সম্মত না হয়। ১। চিঠিপত্র ৬; পএ ২*।

ঘরষ্টাব ১৯৬ কৰি বিজ্ঞানী ৫১৭

তৃমি কি বিনা বেতনে ছুটি লইতে অধিকারী নও? যদ্দি সে-সম্ভাবনা থাকে তবে তোমার সেই ক্ষতিপূরণের জন্য আমরা বিশেষ চেষ্টা করিতে পারি। হধেমন করিয়া হোক তোমার কার্য অসম্পন্ন রাখিয়া ফিরিয়া আমিও না| তুমি তোমাব কর্মের ক্ষতি করিও না, যাহাতে তোমার অর্থের ক্ষতি না হয় সেভার আমি লইব।”* কত বড়ো ভরসা দিয় রবীন্দ্রনাথ জগন্দীশচন্ত্রকে উৎসাহিত করিলেন অপর দিকে জগদীশচন্দ্রও তাহার সাহিত্যিক বন্ধুকে ইংরেজমহলে পরিচিত করিবার চেষ্টা করিতেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের রচনা ইংরেজিতে অন্থবাদ প্রকাশ কর! সম্বন্ধে কবির প্রথম দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনিই তিনি বিলাত হইতে লিখিতেছেন-_ “তুমি পল্লীগ্রামে লুক্কায়িত থাকিবে, আমি তাহা! হইতে দিব না। তুমি তোমার কবিতাগুলি কেন এক্নপ ভাষায় লিখ যাহাতে অন্য কোনে! ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব? কিন্ত তোয়ার গল্পগুলি আমি এদেশে প্রকাশ করিব |... লোকেনকে ধরিয়া (£8105180 করাইতে পার না? আমি তাহাকে অনেক অনুনয় করিয়া লিখিয়াছি।”২ কয়েকদিন পরে পুনরায়.লিখিতেছেন, “তোমাকে যশোমগ্ডিত দেখিতে চাই তুমি পল্লীগ্রামে আর থাকিতে পাবিবে না। তোমার লেখা! তরজম! করিয়া দেশীয় বন্ধুদিগকে শুনাইয়] থাকি, তাহারা অশ্রু সন্ধরণ করিতে পারেন না। তবে কি করিয়া! 0010115) করিতে হইবে, এখনও জানি না।”ও বিলাতে বাসকালে জগদীশচন্দ্র তাহার বন্ধু রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পের তর্জমা ইংলগ্ডে প্রকাশের চেষ্টা করেন। কাবুপিওয়ালার তর্জমা পাঠ করিয়া প্রিন্স ক্রপটকিন জগদীশচন্দ্রকে বলিয়াছিলেন যে এরূপ মর্মস্তদ গল্প তিনি পাঠ করেন নাই (46০18164 (00 06 06০ 12950 05 0১660০ 50015 076 1050 2০ 16810) 1 তাহার দেশের অর্থাৎ রাশিয়ার অেষ্ঠ গল্পলেখকদ্দের কথা তাহার স্মরণ হইতেছে জগদীশচন্দ্র 771565 158895176-এ গল্পটি পাঠান, তাহারা ছাপাইল না, বলিল তর্জমা তাহারা ছাপায় না জগদীশচন্জ্র রবীন্দ্রনাথকে লেখেন__ “তোমার নাম জাল করিবার যদি অধিকার দাও, তাহা হইলে অনুবাদের কথা না বলিয়া একবার তোমার নাম দিয়া পাঠাইতে পারি। কি বল? & রবীন্দ্রনাথ তাহার বিচিত্র কর্মের মধ্য জগদীশচন্জ সম্বন্ধে পুঙ্থাচপুক্ধ সংবাদ রাখেন; জগদীশচন্দ্রের রচিত প্রবন্ধ তৎসন্বন্ধে বিজ্ঞানীদের মতামত এবং আলোচনা তিনি নিয়মিত পড়েন। মুরোপের বিজ্ঞানমন্দিরে উপস্থিত হইয়া যেকোনো ভারতীয় তথাকার বিজ্ঞানীদের সমক্ষে বক্তৃতা করিবেন-_ ইহা গর্বান্ধ ইংরেজের পক্ষে কল্পনা করা এবং মহ করা অসস্তব। কিন্তু যেদিন জগদীশ জড়ের সঙ্গীৰতা সম্বন্ধে তত্বটি পরীক্ষার দ্বারা রয়েল সোসাইটিতে প্রমাণিত করিলেন মেদিন সত্যই বাঙালি তথা ভারতীয়দের পক্ষে একটি ম্মরণীয় দিন। রবীন্দ্রনাথ বন্ধুর সাফলো গব অস্গভৰ কৰিয় তাহার উদ্দেস্টে 'জগদীশচন্জ্র বন্থু' শীর্ষক কবিতাটি লিখিয়া বিলাতে পাঠাইয়া দিলেন ।« ভারতের কোন্‌ বুদ্ধ ধধির তরুণ মৃতি তুমি ছে আর্ধ আচার্য জগদীশ? কী অদৃশ্ঠ তপোতৃমি বিরচিলে পাষাণ নগরীর শুফ ধুলিতলে ? বাংল! ভাষায় জগদীশচজেের বৈজ্ঞানিক গবেষণা সম্বন্ধে প্রবন্ধ রবীন্দ্রনাথই লেখেন। এই প্রবন্ধ পাঠ করিয়া

১. চিঠিপত্র ৬, প্ ৭, ১২ ডিসেম্বর ১৯৭০ ২৭ অগ্রন্থায়ণ ১৩৭৭

পত্রাধলী, জগদীশচন্ত্র বু লগুন। নভেম্বর ১৯**। প্রবাসী, আষাঢ় ১৩৩৩, পৃ ৪১৩।

২৪ নভেম্বর ১৯**। প্রবাসী, আব।ঢ় ১৩৩৩।

পঙ্জধলী, ২২ মে ১৯*১। প্রবাসী, ভাঙ্ ১২৩৩

বঙ্গগর্শন, (মাড় ১৩*৮। জুলাই ১৯১"জগদদীশচন্ এই কবিতায় প্রাপ্তি শ্বীকার করিত়েছেন।

৫১৮ রবীন্দ্রজীবনী এটা ১৯১.

জগদীশচন্দ্র খুবই বিশ্মিত হন; আশ্চর্য নৈপুণ্যের সহিত কৰি হইয়া তিনি এই ছুরহ বৈজ্ঞানিক বিষয় ব্যাখ্যা করিয়া লিখিলেন |

আমরা পূর্বেই বপলিয়াছি দিকে বিলাতে গবেষণার জন্ত যে অর্থের প্রয়োজন জগদীশচন্দ্রের সে সংস্থান ছিল না) তাই গবেষণীকার্ধ সফল করিবার জন্ত ববীন্দ্রনাথ ত্রিপুবাধিপতি বাধাকিশোরের শরণাপন্ন ছইলেন। মহারাঁজকে লিখিতেছেন-- “আমি যদি ছুর্ভাগ্যক্রমে পরের অবিবেচনাদোষে খণজালে আপাদমস্তক জড়িত হইয়া না থাকিতাম তবে জগদীশবাবূর জন্ম আমি কাহারও হ্বারে দণ্ডায়মান হইভাম না; আমি একাকী তাহার সমন্ত ভার গ্রহণ করিভাম |” এই অর্থের জন্ত অবশেষে রবীন্দ্রনাথ মহারাজ সমীপে উপস্থিত হইয়াছিলেন ( কাততিক ১৩৯৮ )। মহারাজ কবি বিজ্ঞানীর সম্মান রক্ষা করিয়া দশ সহম্্ মুদ্রা কবির হুত্তে সমর্পণ করিলেন। ত্রিপুরা-দরবারে এই অর্থ ভিক্ষা করিতে গিয়া কবিকে তথাকার পারিষদমণ্ডলীর নিকট যে নীরব লাঞ্ছনা ভোগ করিতে হয় তাহা তিনি কখনো বিস্বৃত হন নাই। তিনি কর্নেল মহিমচন্দ্র ঠাকুরকে লিখিতেছেন-_ “কেবল জগরীশবাবুর কার্ধে আমি মান অপম্বান অভিমান কিছুই মনে স্থান দিতে পারি নাঁ_ লোকে আমাকে যাহাই বলুক এবং যতই বাধা পাই না কেন তাহাকে বন্ধনমুক্ত ভারমুক্ত করিতে পারিলে আমি কৃতার্থ হইব। ইহা? কেবল বন্ধুত্বের কার্য নহে, স্বদেশের কার্ধ। স্থতরাং ভিক্ষভাবেই আমি এবার অসঙ্কোচে মহারাজের দ্বারে দাড়াইব।”*ও জগর্দীশচঙ্জের সহিত যবীক্রনাথের এই ঘনিষ্ঠতার নিদর্শন আরো পরে দেখিতে পাই। রবীন্দ্রনাথ তাহার “খেয়া” কাবাগুচ্ছ তাহার বিজানী বন্ধুকে উপছার দেন (আষাঢ় ১৩১৩)। উৎসর্গে লিখিয়াছিলেন-__

বন্ধু, এ.যে আমার লঙ্জাবতী লতা। যত্ুতরে খুঁজে খুজে কী পেয়েছ আকাশ হতে, তোমায় নিতে হবে বুঝে, কী এসেছে বায়ুর শোতে, ভেঙে দিতে হবে যে তার পাতার ভাজে লুকিয়ে আছে নীরব ব্যাকুলতা সে বে প্রাণের কথা। আমার লজ্জাবতী লতা কবি রাজা

অন্তর-জীবনের গভীরতাবু সঙ্গে চলিতেছে কর্মজীবনের ব্যাপ্তি। কবির কাব্যজীবনের বন্ধু ছিলেন প্রিয়নাথ সেন, লোকেন পালিত, আশুতোধ চৌধুরী প্রভৃতি ক্রমে জীবন যতই জটিল, কর্ম যতই বিচিত্র হইতেছে, নৃতন নৃতন মান্য রবিকক্ষে জোতিষ্ককণার ন্যায় প্রবেশ করিতেছে জগদীশচন্দ্র বঙ্গ, রায়েশ্্হুন্দর ভিবেদী, শুবোধচন্ত্র মজিক, মহারাজ রাধাকিশোর মাণিক্, ব্রহ্ষবান্ধব উপাধ্যায়, ভগিনী নিবেদিতা প্রভৃতি বছ মনীষী মনম্থিনীদের সছিত বিচিত্র

“আমি সাহসে তর করিয়! ইলেকটি স্টান্‌ প্রভৃতি হইতে সংগ্রহ করিয়া শ্রাবণের [১৩৮] বঙ্গদর্শদের জগ তোমার নব জাবিষ্ষায় সম্বন্ধে একট! প্রবন্ধ লিখিয়াছি। প্রথমে জগদানন্দক লিখিতে দিয়ভিলাম-_ পছন্দ না হওয়াতে মিজেই লিখিলাম-- ভুলচুক পাকার সন্ভাবম। আছে-- দেখিয়া তৃমি মনে মনে হালিবে।

"আবাঢ়ের বঙ্গদর্শনে যেটুকু আভাস দিয়াছিল।ম তাহা বোধ হয় বৈজ্ঞোনিক হিলাবে ধখাবণ হয় নাই-_ তখন ইলেকটি হান দেখিতে পাই নাই।” চিঠিপত্র ৬, পত্র ১৩ ছুলাই ১৯*১। ০৮ শ্রাবণ ১১*৮। বিশ্ব্।রতী, পঙ্জিক। ১ম বদ আশ্বিন ১৩৪৭, ১৬৯ চিঠিপত্র ৬, পরিশিষ্ঠ। পূর্বাশা, রবীল্রস্থৃতি সংখ্যা ১:৪৮, পৃ ১১১। চিঠিপত্র *। পরিশিষ্ট

খ্রষ্টা্ ১৯৯১ কবি বাজ! ৫১৯

কর্মসথত্রে বা ভাবস্ত্রে পরিচয় ঘনিষ্ঠতার নৃত্রপাত হইতেছে এখানে আমরা কেবল ত্রিপুরাধিপতি মহারাজ রাধাকিশোর মাণিকাবাহাছবরের সহিত কবির পরিচয়কাছিনী বিবৃত করিব। ত্রিপুরার পূর্বতন মহারাজ বীরচন্তর মাণিক্যের সহিত রবীন্দ্রনাথের পরিচয়ের কথা আমরা পূর্বে বলিয়াছি।

বীরচন্দ্র মাণিক্যেব মৃত্যুর পর বাধাকিশোর মাণিক্য রাজা হইলে তাহার সহিত পূর্বের সামান্য পরিচয় প্রগাঢ় বন্ধুত্বে পরিণত হয়। যুবরাজ-জীবনে একদা কলিকাতায় পিতার দরবারে রাধাকিশোরের সহিত কবির ক্ষণকালের সাক্ষাৎ হয়; কিন্তু লেই মুহূর্তের দর্শনেই একে অন্যের গ্রতি আকুষ্ট হইয়! পড়িলেন। যুববাজী আমলে নানা রাজনৈতিক কারণে বাধাকিশোর মাণিক্য নিজ রাজধানীর বাহিরে কাহারো! সহিত ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত হুইবার সুযোগ পান নাই। রবীন্দ্রনাথের লহিত পরিচয় হওয়ায় তিনি শুধু তীহাকেই বন্ধুরূপে পাইলেন তাহা নহে, তিনি বাংলাদেশের বহু গুণী- জ্ঞানীর পরিচয় লাভ করিলেন; কলিকাতার শিক্ষিত অভিজাত সমাজের সহিত তাহার পরিচয় জিপুর1! রাজ্যের পক্ষেও কল্যাণকর ছুইল। রাধাকিশোর মাণিক্য রাজপদে প্রতিষ্ঠিত হইয়া ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় রবীন্দ্রনাথকে আহ্বান করিলেন। রবীন্দ্রনাথ ইতিপূর্বে বীরচন্দ্র মাণিক্যের আতিথ্য গ্রহণ করিয়াছিলেন কাপিয়ঙে, দাজিলিডে; কলিকাতায় বহুবার সাক্ষাৎ হয় তাহার সঙ্গে। কিন্তু ত্রিপুরার রাজধানীতে কখনো যান নাই। “তখন বসম্তকাল, রাজধানীর উত্তরভাগে পাহাড়ের উপর কুঞ্চবনের বসস্ভোৎসবে কবি-সম্মেলনের ঘটা, রাজা-গ্রজার সমব্যবহার কৰি রবীন্দ্রনাথের যুগপৎ আনন্দ এবং বিস্ময় উৎপাদন করিল।” আমাদের মনে হয় এই বসস্তোৎসবেক স্থতি বহন করে “কাহিনী কাবাগুচ্ছের উৎ্সর্গপত্র ( ২০ ফান্তুন ১৩*৬)।

১৩০৭ মালের শীতকালে মহারাজ রাধাকিশোর মাণিক্য কলিকাতায় আসিলেন, ইতিপূর্বে আসিয়াছিলেন যুবরাজরূপে। কলিকাতার অতিজাত হিন্দুরা তাহার যোগ্য অভার্থনা করিলেন ; সংগীতসমাজ রবীন্দ্রনাথই এই বিষয়ে অগ্রণী ছিলেন। সত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়িতে যে 'বিসর্জন' নাটকের অভিনয় হয়, তাহাতে রাধাকিশোর ছিলেন সম্মানাহ অতিথি; রবীন্দ্রনাথ ঠাহার উদ্দেশে বিশেষ সংবর্ধনাসংগীত রচনা করেন; সে সম্বপ্ধে আমরা পূবেই আলোচন! করিয়াছি

এই সময়ে বিলাতে অর্থাভাবে জগদী'শচন্দ্রের গবেষণাকার্ধ বন্ধ হইবার উপক্রম হয়) রবীন্দ্রনাথের মধ্যস্থতায় অক্রাস্ত চেষ্টায় তিনি কিভাবে ভ্রিপুরাধিপতির অর্থ সাহায্য লাভ করেন, তাহার কথা পূর্বেই বলিয়াছি।

যাহাই হউক, ইহার পর হইতে কবির মহিত বাজার ঘনিষ্ঠতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাইতে থাকে বাধাকিশোর মাণিক্য নানা বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের পরামর্শ গ্রহণ করিতেন; রাজপুত্রদের শিক্ষা, রাজ্যশাসন,মনস্ত্রীনিয়োগ প্রভৃতি ব্যক্কিগত রাষ্ট্রগত ব্যাপারে তিনি গ্রায়ই কবির সহায়তা কামনা করিতেন। কিন্তু অনেক সময়ে বাজপারিষদবর্গের ইংরেদ সবকারের হস্তক্ষেপের ফলে তাহার বহু সদিচ্ছা! কাধে পরিণত হইতে পারিত না, তাই তিনি কবিকে বলিতেন "রবিবাবু, আপনি আমাকে আমার হাত হইতে রক্ষা করিবেন।”

মহারাজের প্রধান সমস্তা হইল রাজকুমারদের শিক্ষা লইয়া। তৎকালীন আগরতলার নৈতিক আবহাওয়া উচ্চাঙ্গ জীবনযাপনের পক্ষে অনুকূল ছিল না, অথচ রাজকুমারদের জন্ত গবনমেণ্ট-নিয়ন্ত্রিত বিশেষ প্রতিষ্ঠানগুলির শিক্ষা ভারতীয় রাজধর্ম-আদর্শের পরিপন্থী। এই জটিল সমস্যার সম্মুখীন হইয়া তিনি রবীন্দ্রনাথেরই শরণাপন্ন হইলেন এবং তাহারই উপর শিক্ষকাি সংগ্রহের ভার অর্পণ করিলেন দিকে ঘুবরাজদের শিক্ষাব্যবস্থা লইয়া তৎকালীন বড়লাট লর্ড কর্জন অতিমাত্র উতকষ্ঠিত হইয়! উঠিয়াছিলেন ; কাহার একান্ত ইচ্ছা আজমীড়ের মেয়ো কলেজে যুযোপীয় অভিভাবকদের হস্তে 'রাজোচিত' শিক্ষালাভ করিয়া কুমারগণ 'মাহুষ' হন।

রবীন্দ্রনাথের পরামর্শ চাছিলে তিনি বলিলেন, বিষয়ে সবোত্তম উপদেশ পাওয়া! যাইবে কোচবিহাবের মহারাজ নৃপেন্জনারায়ণের নিকট হইতে ইতিপর্যে নানা কারণে এই ছুই দেশীয় বাঙালি রাঙগাদের মধ্যে সাক্ষাৎকারের স্থযোগ

৫২০ ববীন্দ্রজীবনী এইটা ১৯০১

হয় নাই। রবীন্দ্রনাথের চেষ্টায় দাজিলিঙে উভয় নৃপতির মধ্যে সাক্ষাৎ হয়; সাক্ষাৎকারের সময় রবীন্দ্রনাথ উপস্থিত থাকিতে পাবেন নাই,বিশেষ কাজে কলিকাতায় চলিয়া আগিতে হয়। এই সুত্রে ছই মহারাজার মধো প্রগণ্চ প্রণয় হয়। বৃপেন্দ্রনারায়ণের পরামর্শে বিলাত হইতে উপযুক্ত শিক্ষক আনাইয়া গৃহশিক্ষক নিযুক্ত করাই ঠিক হইল। কিন্তু এই শিক্ষক-নির্বাচনের বাবস্থাভার রবীন্দ্রনাথের উপরই অপিত হয়। রবীন্দ্রনাথ বিলাতপ্রবাসী বন্ধু জগদীশচন্দ্রকে শিক্ষক : সন্ধানের জন্ত অনুরোধ জ্ঞাপন করিলেন। জগদীশচন্দ্র এই সংবাদ পাইয়া লিখিয়াছিলেন যে রাজামধ্যে খাল কাটিয়া কুমীর আনিবার প্রয়োজন কী। তিনি ইংবেঞ্জ শিক্ষক নিয়োগের ঘোর বিরোধী ছিলেন। ইংরেজ শিক্ষক সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথের মন একেবারে সংস্কারশূন্ত ছিল না, কারণ নিজ পুক্রকন্তাদের জন্বা তিনি লরেন্সকে নিযুক্ত করিয়াছিলেন।

কোচবিহাবের মহারাজার সহিত তিনি কেন ত্রিপুরার মহারাজার পরিচয় করাইয়া দেন তাহা একথানি পত্রে বাক্ত করিয়াছিলেন। “ছুই মহারাজার মধ্যে বন্ধুত্ব হইলে মন্থণাদি দ্বারা উভয়ে বললাভ করিবেন। রাজকার্ধ সম্বন্ধে গবর্মমেণ্টের সহিত কোনো গুরুতর আন্দোলন হইলে নিস্বার্থ, নিরপেক্ষ মহারাজের সমশ্রেণীর ব্যক্তিদের [0০০15 ] সহিত পরামর্শযোগে মহারাজের মেই অভাব মোচন হইবে কল্পনা করিয়া আমি আশ্বস্ত আছি।”১

ইতিমধো রবীন্দ্রনাথের উপর “বঙ্গদর্শন পত্রিকার সম্পাদনের ভার আসিয়া পড়ে ১৩৮ সালের জোষ্ট মাসে কয়েক- দিনের জন্ত দাজিলিংডে যান) সেখান হইতে বিলাতে জগদীশচন্ত্রকে জানাইতেছেন। “মহারাজ এই পঙ্জটিকে আশ্রয় দান করিয়াছেন” অর্থাৎ ইহার পরিচালন-ব্যাপারে অর্থ সাহাযা করিতে প্রত্িক্রত হইয়াছেন।২ কিন্ধ ঝাজ-ইচ্ছ! রাজকাধের মধ্যে ব্যবধান বিস্তর, বাধাও দুস্তর। 'বঙ্গদ্শন' সম্বন্ধে মহারাজার আশ্বাস পাইয়াছিলেন বটে, কিন্তু রাজানুগৃহীত পার্ধদদের তাহা মনংপৃত হয় নাই। শিলাইদহ হইতে (আষাঢ় ১৩*৮) একথানি পঞ্ে মহিমচ্ ঠাকুরকে লিশিতেছেন-__ “বঙ্গদর্শন স্বদ্ধে যদি তোমাদের মনে লেশমাত্র দ্বিধা থাকে আমাকে জানাইতে সঙ্ষোচ করিয়ে না,-.. আমি মহারাজকে কোন বিষয়ে লেশমাত্র সঙ্কটে ফেলিতে চাহি না। তাহার স্বপ্রসন্ন সৌহার্দাই আমি চাই; আর সমস্ত তুচ্ছ জ্ঞান করি ।”৩

লোকের সাধু উদ্দেশ্টে পারিষদদের বিশ্বাস কম-_ সকলকেই তাহারা সন্দেহের চক্ষে দেখেন মহারাজের স্বাভাবিক গুঁদার্যকে তাহারা আচ্ছন্ন করিয়া রাখেন এই সময়ে রবীন্দ্রনাথের মনে শান্তিনিকেতনে আশ্রম স্বাপনের পরিকল্পনা অস্ফুটভাবে দেখা দেয়। কবির মলে বোধ হয় অম্পগুভাবে এই আমে বাঙ্গানগ্রহ লাভের ইচ্ছাও ছিল এবং মেই বিদ্যারতনে রাজকুমারদের শিক্ষার বাবস্থাও করিবেন বলিয়া মনে মনে আশা পোষণ করিয়াছিলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজসভার চক্রান্তে সে-প্রস্তাব কার্ধকরী হয় নাই। মহ্ারাজকুমার ব্রজেন্্রকিশোরকে এক পঞ্জে পিখিতেছেন (১৮ আবণ ১৩০৮ )-- “এন্সপ অবস্থায় কোন প্রক্কার সদভিপ্রান়্ সাধন প্রায় অসাণা বলিয়া আমার মনে এক এক সময় নৈরাশ্ উপস্থিত হয়-_ এব, এই্বর্শালীদের ছার হইতে বহুদূরে থাকিয়া যথালাধ্য নিজের কর্তবা পাপন করিয়] যাইতে ইচ্ছা বোধ সরি। লক্ষমীমান পুরুষেরা নিজে মহদাশয় হইলেও ক্ষুদ্রচেতা বাক্তিদের দ্বান! এমন পরিবেষ্টিত যে ইচ্ছা করিলেও তাহাদের শুভচেষ্টা বার্থ হইয়া! যায়, তাহাদিগকে পৃথিবীর শুভকার্ষে প্রবুন্ত করা অসম্ভব”

১» জ. মহিমতন্্র ঠাকুর, দেশীয় রাজা, পৃ ৩১৫। ইহার মো রলীঙগনাপের ধে মহংতাষ ছিল ত151 আবিগ্চার কর! এখন কঠিন ন্হে।

জ্র- পূর্বাশ! ১৩৪৮, রবীন শ্বতিনংগ্যা, ১৮০ চিঠিপত্র ১।

৩. প্রবাসী, আরিন ১৩৪৮ |

পর্রাবলী। জোড়াঈাকেো। [ আষাঢ় ১৩৮* ] এই পত্রে আছে: আবপ মাসের [১০৮] আগামী হঙ্গদর্শনে “হিন্দুস্ব প্রধ্ধ আহি দেখাইয়ছথি সমাজই হিন্ুও হিন্ৃস্ব এবং রা ব্রাক্ষণ বপিক শু সেহ গমাকেই নানা] দিক চইচে অগ্রনর করিয়। দিষায় জগ 1*-- বিখারতী পঞ্জিকা, আর্বিন ১৩৪৯, পৃ ১৬৭। |

গাব ১৯৭১ কৰি রাজা ৫২১

কবির মনে এই স্বপ্র জাগিতেছিল যে ত্রিপুবা-রাজদরবাবের মধ্য দ্যা একটি রাজাশাসনতন্থ গড়িয়া তুলিবেন, যাহার পটভভূষে থাকিবে হিন্দু নৃূপতির শ্রেষ্ঠ আদর্শ সাহিত্যে, শিক্ষায়, শাসনপরিকল্পনায় তিনি মহারাজকে নানাভাবে সদুপদেশ সহায়তা ছার] উদ্বুদ্ধ করিতে প্রয়াস পান ত্রিপুরার মহারাজকে বর্ণাশ্রমের মহিমা ব্রাঙ্মণ্য ধর্মের গৌরব ব্যাখা করিয়! যে পত্র লিখিয়াছিলেন, তাহা প্রকাশিত হইয়াছে।

রাজ্যকে নৃতনভাবে চালাইতে এবং নৃতন আদর্শে গড়িতে কবি মহারাজকে নানাভাবে সাহাধা করেন! তাহারই পরামর্শে দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের জামাতা আযাটনি কুতবিদ রমণীষোহন চট্োপাধ্যায় রাজোর দেওয়ান-পদে অক্ষল্প চৌধুরীর জামাতা! যতীক্্রনাথ বন্থ রাজার প্রাইভেট সেক্রেটারি পদে নিযুক্ত হন। ইহার কারণ ববীন্দ্রনাথ জানিতেন ষে বিদেশী অধ্যাপক অভিভাবকগণের শিক্ষা সঙ্গ ভারতীয় রাজকুমারগণের পক্ষে আদৌ মঙ্গলকর হইবে না) তিনি আশা করিতেছিলেন বাংলার এই প্রত্যন্তবানী তেজন্বী জাতির মধ্যে ভারতের প্রাচীন হিন্দুরাজাদের সুস্থ বলিষ্ঠ আদর্শ প্রতিষ্ঠিত হইলে ভারতের মঙ্গল স্থনিশ্চিত। রাজকোষের অপবায় প্রবাদগত। মেই অপব্যয় কথঞ্চিত রোধ করিয়া সাহিত্যসেবায় শিক্ষাকর্মে রাজসভার যন আকর্ষণ করিবার চেষ্টা করিলেন 'বঙ্গদশনে'র জন্ত যে-সাহায্য চাহিয়াছিলেন ভাহা ভারতের শ্রেষ্ঠ আদর্শ প্রচারের জন্ত, তপোবনের পরিকল্পনা ভারতে হিন্দুবর্ণাশ্রমের শ্রেষ্ঠ আদর্শকে স্থপ্রতিষ্তিত করিবার জন্য রবীন্দ্রনাথ মহারাজকে যেসব পত্র লেখেন তাহার অধিকাংশের মধ্যে ভারতীয় হিন্দ আদর্শবাদের আলোচনা থাকিত; তাহার চিন্তকে নানা মঙ্গলকর্মে উদ্বুদ্ধ করিবার সকল গ্রকার সাধু চেষ্টা রবীন্দ্রনাথ সাধামত করেন কুমার ব্রজেন্্কিশোরকেও যেসব পত্র লেখেন তাহাও ক্ষত্রিয়ধর্মের গৌরব ব্রাঙ্গপাধর্মের মহিমা সম্বন্ধে উপদেশ আসল কথা, ত্রিপুরা! রাজদরবারের সহিত ববীন্দ্রনাথের ঘনিষ্ঠতার কথা আলোচন] করিলে গ্যেটের সহিত ৬৬/৩110০ বাজদরবারের সম্বদ্ধের কথা স্মরণ হয়।

ওগো! যৌবন-তরী, এবার বোঝাই সাঙ্গ করে দিলাম বিদায় করি।

কতই খেয়া, কতই খেয়াল, কতই-না দাড়-বা ওয়া,

তোমার পালে লেগেছিল কত দখিন-হাওয়1 1.

অনেক খেলা, অনেক মেলা, সকলি শেষ করে

চলিশেরি ঘাটের থেকে বিদায় দিচ তোরে

৬৬

১৯** ধ্রীঠাব অবধি প্রকাশিত রবীন্দ্রনাথ-রচিত বাংলা গ্রন্থ

কবি-কাহিনী। কাবা। সংবৎ ১৯৩৫ [১৮৭৮]। গ্রস্থাকারে মুদ্রিত প্রথম পুস্তক।

বন-ফুল। কাব্যোপন্তাম। ১২৮৬ [১৮৮ ]। কিবি-কাহিনীর পরে পুস্তকাকারে প্রকাশিত হইলেও, বন-ফুল ছুই বৎসর পূর্বে রচিত মাসিকপত্রের পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়।'

বান্মীকি প্রতিভা গীতিনাটা। শক ফাল্গুন ১৮০২ [১৮৮১)। দ্বিতীয় সংস্করণ, ফাল্গুন ১২৯২ [ ১৮৮৬ “অনেকগুলি গান পরিবর্তিত আকারে অথবা বিশ্তুদ্ধ আকারে কালযুগয়া গীতিনাটা হইতে গৃহীত?

ভগ্রন্বায়। গীতিকাবা। শক ১৮*৩ [১৮৮১]। [কাদত্বরী দেবী -

রুতচণ্ড। নাটিকা। শক ১৮০৩ [১৮৮১]। “ভাই জ্যোতিদাদা'কে | ববীন্ত্রনাথ-বচিত প্রথম নাটক।

মুরোপ-প্রবাসীর পত্র। পত্রাবলী। শক' ১৮*৩ [১৮৮১ ]। “ভাই জ্যোতিদাদা'কে। পুস্তকাকাবে প্রকাশিত রবীন্তরনাথের প্রথম গগ্যগরন্থ। রবীন্ত্-শতবর্পূত্তি গ্রন্থমালার “বিশ্বধাত্রী রবীন্দ্রনাথ” পর্যায়ে প্রকাশিত নৃন সংস্করণ, পৌষ ১৩৬৭ [ ১৯৬১ ]।

সন্ধ্যাসঙ্গীত। কবিতা ১২৮৮ [১৮৮২ ]। গ্রন্থে ১২৮৮ মুদ্রিত হইলেও, কার্যত: ১২৮৯ সালে প্রকাশিত। বিশ্বভারতী রবীন্্রচর্চাপ্রকল্প কর্তৃক মংকলিত পাঠান্তর-সংবলিত সংস্করণ, ১৯৬৯

কাল-মৃগয়া। গীতিনাটা। অগ্রহায়ণ ১২৮৯ [ ১৮৮২ ]|

বৌ-ঠাকুরাণীর হাট। উপন্তাস। শক পৌধ ১৮০৪ [১৮৮৩ ]। শ্রীমতী সৌদামিনী দেবী শ্রীচরণেমূ”। গ্রস্থাকারে প্রকাশিত প্রথম উপন্তান। প্রথম রচিত অসম্পূর্ণ (1) উপন্তাস 'করুণা? (ভারতী ১২৮৪-৮৫ ) স্বতন্ত্র পুস্তকাকারে মত্রিত হয় নাই, গরগুচ্ছ চতুর্থ খণ্ডে সংকলিত হইয়াছে, আশ্বিন ১৩৬৯ [১৯৬৪ ]। বৌ-ঠাকুরানীর হাট” অবলঙ্থনে ১৩১৬ বঙ্গাবে প্রায়শ্চিত্ত নাটক রচিত হয়। ১৩৩৬ বঙ্গাঝে প্রায়শ্চিত্ত পুনর্লিখিত হইয়া 'পরিভ্রাণ' নামে মৃদ্রিত।

প্রভাত সঙ্গীত। কবিতা। শক বৈশাখ ১৮*৫ [১৮৮৩]। অ্রমতী ইন্দিরা প্রাণাধিকাহ।

বিবিধ প্রসঙ্গ প্রবন্ধ। শক ভাব্র ১৮০৫ [১৮৮৩]। প্রথম প্রবন্ধ-পুস্তক।

ছবি ওগান। কবিতা শক ফাল্গুন ১৮৫ [১৮৮৪ ]। [কাদশ্বরী দেবী ]।

প্রকৃতির প্রতিশোধ | নাট্যকাবয | ১২৯১ [১৮৮৪ ]| “তোমাকে [ কাদস্বরী দেবী ] দিলাম?।

নলিনী। নাট্য। ১২৪৯১ [১৮৮৪ ]।

শৈশব সঙ্গীত। কবিতা ১২৯১ [১৮৮৪ ]1 “তোমাকেই [কাদন্বরী দেবী ] দিলাম'।

তান্ুসিংহ ঠাকুরের পদাবপী। কবিতা। ১২৯১ [১৮৮৪ ]। [কাদন্থরী দেবী ]। বিশ্বভারতী রবীন্দ্রর্চা প্রকল্প -কর্তৃক সংকলিত পাঠাস্তর -সংবলিত সংস্করণ আশ্বিন ১৩৭৬: ১৮৯১ শক | নবজীবন পত্রিকায় ( অগ্রন্থায়ণ ১২৯১) প্রকাশিত “ভাম্রসিংহ ঠাকুবের জীবনী” পরিশিষ্টে সংকলিত |

রামমোহন রায়। প্রবন্ধ ১৮মার্চ ১৮৮৫ ]| তারতপথিক রামমোহন রায় রবীন্ত্রশতবাত্িকী সংস্করণ : ১১ মাঘ ১৩৬৬ গ্রন্থে অস্তভু-ক্তি।

আলোচনা। প্রবন্ধ। [১৫ এপ্রিল ১৮৮৫ ]1 “এই গ্রন্থ পিতৃদেবের প্রীচরণে উৎসর্গ করিলাম

রবিচ্ছায়া। সংগীত। বৈশাখ ১২৯২ [১৮৮৫ ]। রবীন্দ্রনাথের গানের প্রথম সংগ্রহ-পুম্তক | *১২৯১ লনের শেষ দিন পর্যন্ত রবীন্্বারু যতগুলি সংগীত রচনা করিয়াছেন প্রায় সেগুলি সমস্তই এই পুস্তকে মুত্রিত।

১৯৯ গ্রীষ্টাৰ অবধি প্রকাশিত ববীন্দ্রনাথ-রচিত বাংলা গ্রশ্থ ৫২৩

কড়ি কোমল। কবিতা ১২৯৩ [১৮৮৬ ]| রিযুক্ত সত্যেন্্রনাথ ঠাকুর দাদ! মহাশয় করকমলেষু,।

রাজধধধি। উপন্তাস। ১২৯৩ [১৮৮৭]। এই উপন্তাসের প্রথমাংশ অবলম্বনে “বিসর্জন (১২৯৭ ) নাটক রচিত।

চিঠিপত্র ১৮৮৭। পরে গ্গ্রন্থাবলীর “সমাজ [ ১৯*৮] খণ্ডের অস্তভূর্ত হয়।

সমালোচনা | প্রবন্ধ। ১২৯৪ [১৮৮৮]। 'পৃজনীয়া প্রমতী জ্ঞানদানঙ্গিনী দেবীর কর-কমলে?।

মায়ার খেলা গীতিনাট্য। শ্রক অগ্রহ্থায়ণ ১৮১* [১৮৮৮ ]| '্রীমতী সরলা রায়'কে “আমার পূর্বরচিত একটি অকিঞ্চিৎকর গপ্ভ নাটিকার [ নলিনী ] সহিত গ্রন্থের কিঞ্চিৎ সাদৃশ্ঠ আছে। পাঠকের] ইহাকে তাছারি সংশোধন স্বরূপে গ্রহণ করিলে বাধিত হইব” ।-_ বিজাপন। আশ্বিন ১৩৫৭ বঙ্গাঝে [ ১৯৫* ] গীতবিতানের নৃতন সংকলিত তৃতীয় খণ্ডের অঙ্গীতূত হইয়্াছে।

রাজ! রাণী। নাটক। ২৫ শ্রাবণ ১২৯৬ [১৮৮৯ ]1 পিরম পৃজনীয় শ্রীযুক্ত ছিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর বড়দাদা মহাশয়ের শ্রীচরপকমলে' “রাজ! বাণী'র আখ্যানভাগ অবলম্বনে গস্ভ আকারে “তপতী? ( ১৩৩৬ ) নাটক মুদ্রিত হয়।

বিসর্জন নাটক। জোর্ঠ ১২৯৭ [১৮৯০] শ্রীমান স্থরেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রাপাধিকেযু। “াজধষি [১৮৮৭] উপন্যাসের প্রথমাংশ হইতে নাট্যাকারে বচিত'। স্ত্রী-ভূমিক! বজিত সংক্ষিপ্ত সংস্করণ, শ্রাবণ ১৩৬৮ [ ১৯৬১ ]।

মন্ত্রি অভিষেক | জোষ্ঠ ১২৯৭ [১৮৯*]1 লর্ড ক্রমের বিলের বিরুদ্ধে আপত্তি প্রকাশ উপলক্ষে যে বিন্বাট- সভা আহ্ৃত হয় এই প্রবন্ধ সেই সভাস্থলে শ্রীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক পঠিত?

মানসী। কবিতা ১* পৌষ ১২৯৭ [১৮৯*]। [ ম্বপালিনী দেবী ?]

যুরোপ-যাত্রীর ভায়ারি। প্রথম খণ্ড, ১৬ বৈশাখ ১২৯৮ [ ১৮৯১] কবির ইংলগু-যাত্রার ভূমিক1। দ্বিতীয় খণ্ড আশ্বিন ১৩** [ ১৮৯৩ ]। '্ীযুক্ত লোকেন্ত্রনাথ পালিত স্বহ্ৃদ্বরকে” রবীন্দ্র-শতবর্ষপৃতি গ্রস্থমালার “বিশ্বযাত্রী ববীন্দ্রনাথ' পর্ধায়ে প্রকাশিত নৃতন সংস্করণ, আশ্বিন ১৩৬৭ [ ১৯৬০ ]।

চিত্রাঙ্গদা কাব্য। ২৮ ভাদ্র ১২৯৯ [১৮৯২ ]। “ম্েছাম্পদ শ্রীমান অবশীজ্নাথ ঠাকুর পর্মকল্যাণীয়েযূ* “অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক চিত্রাক্কিত' |

গোড়ায় গলদ প্রন্থসন। ৩১ ভাত্র ১২৯৯ [১৮৯২ ]| 'জীযুক্ত প্রিয়নাথ সেন প্রিয্ববন্ধুবরেষু'। অভিনয়যোগ্য লংস্করণ, শেষ রক্ষা ১৯২৮ ]। .

গানের বহি বান্মীকি-প্রতিভা। সংগীত গীতিনা্ট্য। শক বৈশাখ ১৮১৫ [১৮৯৩ ]। ১২৯৯ পর্বস্ত রচিত “নূতন পুরাতন সমস্ত গান এবং বাশ্মীকি-প্রতিভা গীতিনাট্য ইহাতে লন্গিবেশিত।

সোনার তরী কবিতা ১৩** [১৮৯৪ ]। কবি-ভ্রাতা শ্রদেবেজ্ছনাথ সেন মহাশয়ের “কর-কমলে”।

ছোট গল্প। ১৫ ফাল্গুন ১৩** [১৮৯৪ ]1 'পৃজনীয় জ্যোষ্ঠসোদবোপম শ্রীষুক্ত বিহারীলাল গুপ্ত সি. এস. মহাশয় করকমলেষুং।

বিচিত্র গল্প। প্রথম ভাগ ১৩০১ [ ১৮৯৪]।

কথা-চতৃষ্টঘ্ন। গল্প। ১৩১ [ ১৮৯৪ ]।

গস-দশক | ১৩৯২ [১৮৯৫ ]| পরম নেহাস্পদ প্রমান আশুতোষ চৌধুরীর করকমলে'।

নদী কবিতা ২২ মাঘ ১৩*২ [১৮৯৬]। "পরম ম্সেহাম্পন্দ শ্রীমান্‌ বলেন্্রনাথ ঠাকুরের হস্তে পরবে ইহ! 'শিশু' কাব্যগ্রন্থের অন্তরভূর্তি হয়। অবনীম্্রনাথ ঠাকুব -কর্তৃক অস্থিত চিত্র-সংবলিত সংস্করণ, বৈশাখ ১৩৭১ [ ১৯৬৪ |

চিত্রা। কবিতা ফান্তন ১৩০২ [ ১৮৯৬ )।

৫২৪ ৃ্‌ রবীন্্রজীবনী

বৈকৃগের খাতা প্রহসন। চৈত্র ১৩০৩ [১৮৯৭ ]।

পঞ্চভৃত। প্রবন্ধ। ১৩০৪ [১৮৯৭] 'মহাবাজ শ্রজগদিজ্্নাথ রায় বাহাছুর স্হদ্বরকরকমলেধু” |

কণিকা। কবিতা। অগ্রহায়ণ ১৩৯৬ [ ১৮৯৯] প্পরম প্রেমাম্পদ শীযুক্ত প্রমথনাথ রায়চৌধুরী মহাশয়ের করকমলে'। স্বতন্ত্র শোতন সংস্করণ [ ১৯৪৮ ]।

কথা কবিতা মাঘ ১৩*৬[ ১৯০০ ]1 ুহ্ৃদ্বর শ্রীযুক্ত জগদীশচন্দ্র বস্থ বিজ্ঞানাচাধ করকমলেষু' পরবর্তী কালে 'কথা কাহিনী" ১৯৯৮] গ্রন্থের অঙ্গীভূত হয়।

কাহিনী কবিতা, নাট্যকাব্য লক্ষ্মীর পরীক্ষা প্রহসন। ২৪ ফাল্ধন ১৩৬ [১৯১*]। পরল অমুক বাধাকিশোর দেবমাণিকা মহারাজ ত্রিপুরেশ্বর করকমলে' |

কল্পনা কবিতা ২৩ বৈশাখ ১৩০৭ [ ১৯৯০] 'অরযুকত শ্রশচন্দ্র মজুমদার সুহাৎকরকমলে? |

ক্ষণিকা। কবিতা [২৬ জুলাই ১৯০০] আ্রধুক লোকেন্দ্রনাথ পালিত স্থস্বব্ধমের প্রতি!

শপ্রভাতকুমান্ মুখোপাধ্যায় প্রণীত পবীন্ত্রীবনকথা ( প্রকাশ ভাদ্র ১৩৬৬) গ্রন্থে প্রকাশিত প্রঙ্গগদিজ্্র ভৌখিক -সংকপিত 'রবীন্বগ্রশ্থপী? হইতে পুনু্রিত।

পূ ১৫।

পৃ ২৭।

প্‌ ৩৪। প্‌ ৪০

পৃ ৫*।

পূ ৫২।

সংযোজন

প্রতিমা দেবী। গগনেন্্রনাথ ঠাকুরদের ভর্মী বিনয়িনী দেবী শেফেন্্ভৃষণ চট্টোপাধ্যায়ের কন্তা!। জনা নভেম্বর ১৮৯৩ বখীজ্নাথের সহিত বিবাহ ২৭ জানুয়ারি ১৯১০ মৃত্যু * জাঙগয়ারি ১৪১৬৯

দ্র. বিশ্বভারতী পত্রিকা, মাঘ-চৈত্র ১৩৭৫। নন্দিতা গাঙ্গুলি পরে কপালনী। জন্ম ১৩ জুলাই ১৯১৬ মৃত্যু দিল্লীতে ২৪ ডিসেম্বর ১৯৬৭। রেণুকার মৃত্াু-_ ভাদ্রশেষে ১৩১০। পাদটাকা ২। বিঞুন্দ্র চক্রবর্তী জন্মস্থান-_ বরাঁনাঘাটের নিকট আনুলিয়া-কায়েতপাড়া গ্রামে পিতা-_- কালীপ্রসাদ এগারো! বৎসর বয়সে বিষুচন্্র রামমোহন রায় প্রতিষ্ঠিত ব্রাক্মমমাজে যোগ দেন এবং ১৮৩০ হইতে ১৮৯৭ পর্যন্ত ৬৭ বৎসর আদি ব্রাঙ্গসমাজের গায়করূপে সাপ্তাহিক অধিবেশনে একটি দিনের জন্তু অন্পস্থিত হন নাই

দ্র. শীদিলীপকুমার মুখোপাধ্যায় “রবীন্দ্রনাথের প্রথঙ্ সঙ্গীত গুরু, |--দেশ, বৈশাখ ১৩৬৮। “এ সন্গদ্ধে পারশ্য উপন্তানে খুব ছেলেবেলায় একটা গল্প পড়েছিলুম |” __ছিন্নপত্রাবলী, পত্র ১২১,২৪ জুন ১৮৯৪ |

মহধির বোলপুর আগমন ।-_ আমাদের মনে হয় মহধি আহুমদপুরের পথে রায়পুরে আসেন। কাটোয়। পর্যন্ত নদীপথে আসিয়া কাটোয়া-গুহটিয়া বাস্তা দিয়া আসিয়া স্বকুল-গুছটিয়া সড়কে পড়েন। গুস্থটিয়া হইতে সুকল পর্যন্ত যাতায়াতের ঝড়ো রাস্তা এককালে ছিল। কাটোয়ার পথ ছাড়া অন্য পথ ছিল না।-_ কারণ তখনো এই দিকে রেলপথ নিষিত হয় নাই স্থতরাং রায়পুরে আপিবার প্রশস্ত পথ ছিল কাটোয়া হইয়া। ক্যাপ্টেন শের উইল-এর ১৮৫১-৫২ মালের পরগণা মৌজা ম্যাপ হইতে দেখা যায় কাটোয়া-স্কল পথটি বোলপুব মৌজার উত্তর ভাগ দিয়া ( অর্থাৎ শান্তিনিকেতনের মধা দিয়া ) গিয়াছিল এবং গুুটিয়া-স্থুরুল পথটিও প্রায় এইখানেই কাটোয়ার হুকুল পথের সঙ্গে যুক্ত হইয়াছিল এই পথের ধারেই ছিল ছাঁতিম গাছ; মেগাছ এখনো আছে. সম্বন্ধে আরে! গবেষণার প্রয়োজন।

বড়ো হইয়! জযিদারিতে চরে কবি পাখি শিকার নিষেধ করিয়াছিলেন বলিয়া শোনা যায়। কবির সহিত ১৯২৭ গ্রীষ্টান্ে ভরতপুবে যাই বাজোর নান! দর্শনীয় স্থান দেখাইয়! একটি প্রকাণ্ড বিলের কাছে আমাদের লইয়া যাওয়া হয়। সেখানে কোন্‌ সাহেব কয়শত পাখি মারিয়াছিলেন, প্রস্তরফলকে তাহার তালিকা খোদিত ছিল। কবি দেখিয়! মনে মনে এমন বিরক্ত হইলেন যে, আর কালমাত্র সেখানে থাকিলেন না। শান্তিনিকেতন অতিথিশালা-__ ব্রন্ধচর্যাশ্রম-যুগে “শান্তিনিকেতন' বলিতে বাড়িটি বুঝাইত। কালে সমস্ত আশমই নামে অভিহিত হয়। বর্তমানে বাড়ি দর্শন-তবন নামে পরিচিত “একস্‌জে বাধিয্লাছি সহম্রটি মন'-_ সংগীত প্রকাশিকা, অগ্রহায়ণ ১৩১২ সংখ্যায় (৫ম ভাগ ৩য় সংখ্যা) গানটির রচয়িতা আরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

স্. প্রশান্তিদদেব ঘোষ, 'রবীন্দ্রনাথের একটি গান' দেশ, আষাঢ় ১৩৫৫, পৃ ২৮৯-৯১। সঞ্কীবনী সভা বিপিনচন্দ্র পাল যে গুপ্ত সমিতির কথা বলিয়াছেন, তাহা পৃথক প্রতিষ্ঠান মনে হয়। বিপিনচন্ত্র প্রমূখ যুবকরা শিবনাথ শাস্ীর নেতৃত্বে “বরাহুনগরে গ্রঙ্গাতীরে এক বাগানে গভীর রাতে” দীক্ষা

৫২৮ রবীজ্জীবনী

গ্রহণ করেন। "সম্মুখে অগ্রিকুণ্ড প্রজ্বলিত করা হইল আমরা বুক চিরিয়া রক্ত দিয়া বটপত্রে লিখিয়া নিজেদের প্রবৃত্তির মধ্যে কাম ক্রোধ লোভ হিংসা, ধর্মবিশ্বাস প্রতিমাপূজা, সমাজে জাতিভেদ এবং রাষ্ট্র বাবস্থায় পরাধীনতা অপ্রিতে আহুতি দিলাম 'াহার পর বটপত্রগুলি পুড়িয়া নিঃশেষ হইবার সঙ্গে সঙ্গে প্রজপিত অগ্রিকৃণ্ডের সম্মুখে জানত পাতিয়া বসিয়। প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করিলাম ।” -বিপিনচন্দ্র পাল, অগ্রিমন্তে দীক্ষা বিশ্বভারতী পত্রিকা, পঞ্চদশ বর, দ্বিতীয় সংখ্যা, ১৩৬৫, পৃ ১৫৯। পূ ৫৯। উদ্দাসিনীর আগেও গোল্ডস্মিথের হাট অবলম্ধনে একাধিক আখ্যায়িকা কাবা লেখা হয়। তার মধ্যে আত্তোষ মুখোপাধ্য'য় -রচিত প্রমোদ কামিনী? কাবা উল্লেখযোগা ১৮৭১ খ্রীষ্টা্ধে এটি প্রকাশিত হয়। লেখক নিজেই বিজ্ঞপ্বি দেন, “অলিবব গোল্ডন্মিথ সাহেবের হারমিট নামক উতকষ্ট কবিতা অবলম্বন করিয়া এই প্রমোদ কামিনী কাবা রচিত হইল।” প্রসঙ্গত স্মরণী যে বরঙ্গলাল বন্দোপাধায় এক অন্ুবাদ- প্রতিযোগিতায় পারন্নেল এবং গোল্ডশ্মিথের উভয়েরই হাগ্রিট কবিতা অনুবাদ করিয়া পুরস্কার লাভ করেন ।১

পূ ৬৩1 মালতী প্রথি। দিল্লী লেডি আবুউইন স্কলের এককালীন অধা!পিক মালতী সেন। তাহার পিতা সর্দার

ডি. কে. সেন। ইহার ভ্রাতা সধীব্রকুমার সেন ( মৃড্ভা ১৯১৯)। ইহারা লাহোরবাসী ছিলেন কবির কৈশোরের সাহিতিক সহায় অক্ষয়চন্্র চৌধুরীর বিবাহ হয় লাহোব-প্রবাসিনী শরৎকুমারী বস্থর সহিত। ইহাদের সহিত রবীন্রুনাথের অতি ঘশিক্তা ছিল; শরংকুমারীকে কবি 'লাহোরিণী' বলিতেন ( প্রমথ চৌধুরীকে লিখিত পত্র চিঠিপত্র ৫। পত্রসংখ্যা ৭৮) আমার মনে হয় এই পাঙুলিপি কোনো সময়ে অক্ষয় চৌধুরী শরংকুমারীকে কৰি উপহার দেন। অক্ষয় চৌধুরীকে যখন পাখর টুকরা খোষাই করিয়া কবিতা লিখিয়া উপহার দেন, সেই সময়ে এই পথি শর্খকুমারীকে দিয়া পাকিবেন। তার পর কোনো সত্ধে এই পুথি লাহোরের সেন পরিবারের হস্তগত হয়। ১৯৪৩ সালে ডক্টর প্রীধীরেন্রমোহন সেন ইহা! পাউফা বিশ্বভারতীকে উপহার দেন। শ্রপ্রবোধচন্ত্র দেন বলেন, ১৯৩৬ সালে মালতী সেন লাহোর তাগ করিয়া দিল্লী আসেন। ১৪৪২ সালে

মিমল! শৈলে বাসকালে শ্রধীরেন্্রমোহন সেনের হাঁতে দেন। দ্র. রবীন্দ-জিজ্ঞাসা ১৯৬৫ প্রপ্রবোধচ্ সেন, মালতীপুখি, পাখুপিপি পরিচয় পৃ ১৩৫-৩৭। এই পুঁথি রবীন্দ্রতবনে ২৩১নং পাগুপিপি নাষে পরিচিত। পুঁখির সকল পাতা পাওয়া যায় নাই। মোট পত্রসংখ্যা ৬৮, পৃষ্ঠা সংখ্যা ৭৬। রবীন্ত্র-জিজ্ঞাসা দ্বিতীয় খণ্ডে মালতী পির কয়েকটি পৃষ্ঠা নৃতনতাবে সম্পাদিত হইয়া প্রকাশিত হইয়াছে।

গু ৬৬। ভারতী গ্রকাশ-__ শ্রাবণ ১১৮৪ | সম্পাদকগপ: শ্রাবণ ১২৮৪-বৈশাখ ১২৯১ : ছিজেক্নাথ ঠাকুর; জো ১১৯১-১৩০১ : হবর্ণকুমা বৃ দেবী (ঘোষাল )7 ১৩*২-১৩০৪ : হিরগ্য়ী দেবী (মূখে পাঁধায় ), সয়লা দেবী ( ঘোষাল ); ১৩৯: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর; ১৩০৬-১৩১৪ : সরল! দেবীচৌধুরানী ; ১৩১৫-১৩২১ £ স্বর্ণকূমারী দেবী; ১৩২২-১৩৩* : মণিলাল গঙ্গোপাধ্যায়, সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায় ; ১৩৩১-১৩৩৩ ( আশ্বিন ): সরলা দেবীচৌধুরানী। অতঃপর ভারতীর প্রকাশ বন্ধ হইয়া যায়]

পূ ৬৯। পাদটাকা ১। শেষ পঙক্িতে-_ দ্র. ডক্টর সুশীল রায়, জ্যোতিরিজ্্নাথ, পূ ১৬৩ ২২৯।

মুদ্রিত বিবরণ জজাদিতা ওহদেদার মহাশয়ের নিকট হইতে প্রাণ

পৃ ৭০।

পৃ ৮২।

৮৪।

পু ৮৫।

পৃ ৮৮।

প্‌ ১*৩।

পূ ৯২।

পু ৯৮। পৃ ১০০

সংযোজন ৫২৯

পাদটীক ৪। শেষ পও.ক্তির পর। সর, শ্রীকানাই সামন্ত, করুণা", রবীন্তরপ্রসঙ্গ, কাতিক ১৩৬৯, পূ ১৪৫-১৬০। লেখকের মতে করুণ! উপন্যাস

একটি সম্পূর্ণ গ্রন্থ করুণ] | যাদবপুর বিশ্ববিদ্ঠালয়ের় অধ্যাপক শ্রীজ্যোতির্ময় ঘোষ 'ধী' ( এপ্রিল-মে ১৯৬৭ ) নামক

পত্রিকায় “করুণার সুদীর্ঘ আলোচনা করিয়াছেন।

দ্র, প্রজ্যোতির্ময় ঘোষ, রবীন্দ্র-উপগ্যাসের প্রথম পর্ধায়, ১৩৭৬।

“করুণা” উপন্তাস সম্পূর্ণ হয় নাই__ কথা ঠিক নয়। কাহিনীটি শ্বয়ংসম্পূর্ণ। ক্ষুদ্র উপন্তাসটি কিস্তিতে কিস্তিতে লেখা কি না বলা যায় না।

পঞ্চম পঙ্ক্তি। কিডমন (086৭0701, 0. 680) প্রথম ইংরেজি ভাঁষায় বাইবেল অনুবাদ করেন রবীন্দর- জিজ্ঞাসার পাঠে সামান্থ বদল আছে।

পাদটাক] ৪। ভারতী পত্রিকায় 'মেঘনাদবধ কাব্য? সম্বন্ধে প্রবন্ধ লিখিবার সময় বোধ করি দাস্থের একটি অন্থবাদ-গ্রন্ব ববীন্রনাথ পড়িয়াছিলেন। গ্রন্থে নির্দি্ই অংশ চিহ্নিত করেন এবং মাইকেলের নরকবর্ণনার সঙ্গে তৃঙ্গনীয় বলিয়া তিনি মন্তব্য করেন। দ্র, শ্ীউজ্জপকুমার মজুমদার, রবীন্দ্রনাথের পড়ান্তনা, এক্ষণ, কাতিক-মাঘ ১৩৭৩, পৃ ১৭।

গোটে সন্বদ্ধে ববীন্দ্রনাথের উদ্ধৃতি অংশের মূল আছে 7915 17 57710 (১৯২৫) গ্রন্থে, পৃ ৬৭-৬৮। পেকিং শহরে সাহিতাকর্দের এক তোজসভায় মূল বক্তৃতাটি সর্বপ্রথম প্রদত্ত হয়। ভ্র- বিশ্বভারতী পত্রিকা, বৈশাখ-আঘষাঢ ১৩৫৭, পূ ২৫৩।

রবীজ্ঞনাথ ২* সেপ্টেম্বর ১৮৭৮ বিলাত রওনা হইয়া যান। ১১ নভেম্বর জ্যোতিরিভ্্রনীথ আন্লাকে সচ্য- প্রকাশিত 'কবিকাহিনী" এক খণ্ড পাঠাইয়! দেন। ২৬ নভেম্বর আল্লা উত্তর লেখেন তখন তিনি অন্ুস্থ। অল্পকাল পবে তাহার মৃত হয়।

১৮৭২ খ্রীষ্টান্ে বোশ্বাই আহমদ্াবাঁদে প্রীর্থনা-সমাজ স্থাপিত হয়। জুলাই মাসে “পুণা নগরে একটি প্রার্থনা-সমাজ স্থাপিত হইয়াছিল। তাহার উপাসনাপ্রণালী অনেক পরিমাণে আদি ব্রাঙ্গসমাজের হ্বায়। তাহাতে সতোন্্রনাথ ঠাকুর মহাশয় মহারাষ্্ীয় ভাষায় বক্তৃতা করিয়া থাকেন।” ভ্রু“ তত্ববোধিনী পত্রিকা, আধা ১৭৯৪ শক। বঙ্গদর্শনের সমালোচক শ্বয়ং বঙ্গিমচন্ত্র। বন্থমতী-সাহিতা-ষন্দির হইতে প্রকাশিত হরপ্রসাদ শাস্ীর ্রন্থাবলীতে 'বান্ীকির জয়” গ্রন্থের পবিশিষ্টে বঙ্গার্শনের সমালোচনাটি বদ্ধিমচন্দ্রে বলিয়া উল্লিখিত হুইক্লাছে। প্রদেবীপদ ভট্টাচার্য, ছেনরি মবলি তার কয়েকজন ছাত্র, বিশ্বভারতী পত্রিকা, কাঠিক-পৌঁধ ১৩৭, বঙ্গাব্দ, পূ, ১৫৩-৬৯। জত্ঘকণ ভট্টাচার্য, রবীন্দ্রনাথের গান : হৃদয় মনের আবেদন, 'সঙ্গীতচিন্তা” (১৯৬৬ ) পৃ ২০-৩৮| “আজি কি হবধ সমীর বছে।' .ইহা রবিদ্ছায়ায় নাই; ভ্রমক্রমে উল্লিখিত ছুইয়াছে। পাঁদটাকার শেষ ৪র্থ পঙ্ক্তি বর্জনীয়

৫৩৩ রবীজ্জীবনী

পৃ১১৪। গ্রহ্দয়। বিলাতে কাঁব্টির রচনা আস্ত করেন। সেখানে প্রথম সর্গ মাত্র লিখিত হয়। ফিরিবার সময় (শ্বীমার 5. 5. 000৩, চ€৮:৪৪০ 1880) দ্বিতীয় সর্গ লেখেন। ত্র. পাওুলিপির প্রতিচ্ছবি, বিশ্বভারতী পত্রিকা, সপদশ বর্ষ, ১৩৬৭-৬৮ [1961 ] পৃ ১৫। বষ্ট সর্গের পাওুলিপিতে লিখিত আছে, 1880 1125, 70170061 বোলপুর বাসকালে ষষ্ঠ সর্গ লিখিত হয়; জ্যোতিরিন্্রনীথ সম্্রীক তখন সেখানে আছেন। কাব্য লিখিবার পর ( নভেম্বর ১৮৮০ বা কাত্তিক ১২৮৭ ) ভারতী চতুর্থ বর্ষে প্রথম সর্গ প্রকাশিত হয়।

পু ১৩০। জ্যোতিরিজ্নাথের স্বপ্রমন়্ী' নাটক ১২ চৈত্র ১২৮৮। (২৪ মার্চ ১৮৮২ ) মুদ্রিত হইয়া প্রকাশিত হয়। পুনর্দ্রণ : কলিকাতা আদি ব্রাহ্মপমাজ যন্ত্রে মুদ্রিত। ৫৫নং অপর চিৎপুর রোড সন ১৩০৯। পৃ ১৮৯। এই নাটকে রবীন্দ্রনাথের নিম্নলিখিত গানগুলি আছে-__

স্বপ্রমযীর গান। দ্বিতীয় অস্ক। প্রথম গর্ভাঙ্ক। পৃঙ৩৭। স্বপ্রময়ীর গোলাপের প্রতি গান। পিলু-খেমটা। “বল্‌ গোলাপ মোরে বল্‌+ গীতবিতান প্রথম সংস্করণ, ১*। গীতবিতান (নৃতন সংস্করণ )১ পৃ ৪২২।

( কল্পনায় স্বপ্রময়ীর নেপধা হইতে গোলাপের প্রত্বাত্তর-..)। গৌরী "আষি, স্বপনে রয়েছি তোর" পৃ ৩। গীতবিতান প্রথম সংস্করণে -বজিত তালিকাভুক্ত গীতবিতান (নৃতন সংস্করণে ) পৃ ৮৭৫।

(মালতীর পুতি গান )। "আধার শাখা উজল করি'। গোঁড় সারং। কাওয়ালি। পৃ ৩৭-৪০। গীতবিতান প্রথম সংস্করণ পু ৩। গীতবিতান ( নৃতন সংস্করণ ) পূ ৭৬৯।

“হৃদয় মোর কোমল অভি'_গোঁড় সারং | কাওয়ালি। ( নেপথা হইতে স্বপ্রময়ীর কল্পনায় প্রতাত্তর-.. )-ছ্িতীয় অস্ক। পৃ ৪০-9১। গীতবিতান প্রথম সংস্করণে-বঙ্জিত তালিকাছুক্ত। গীতবিতান (নূতন সংস্করণ ) রা ৮৭৪ ]

হাসি কেন নাই নয়নে সিন্ধু | ঝি'ঝিট | (ম্বপ্রময়ীর নেপথ্যে কল্পনায় গান শ্রবণ)। তৃতীয় অস্ক। প্রথম গর্ভাস্ক পৃ ৬৬-৬৭1| গীতবিতান প্রথম সংস্করণে -বজিত তাপিকানুক্ত | গীতবিতান ( নৃতন সংস্করণ ) পৃ ৮৭৬।

'ক্ষমা করো মোরে সথি'_ঝি'ঝিট। (ন্বপ্রময়ীর নেপথো কল্পনায় গান শ্রবণ ) পৃ ৬৭-৬৮। গীতবিতান প্রথম

স্করণে-বজিত তালিকাভুক্ত গীতবিতান (নৃতন সংস্করণে ) গ৮৮০।

“এসো গো! এসো বন-দেবতা+_রাগিনী। প্রভাতী (ম্বপ্পময়ীর নেপথ্যে কল্পনায় গান শ্রবণ )। পৃ ৬৮-৭5। গীতবিতান প্রথম সংস্করণে গানটির উল্লেখ নাই গীতবিতান (নৃতন সংস্করণ ) পরিশিষ্ট ৪-_'রবীন্রনামাস্কিত গ্রন্থে বা রচনায় নাই” তালিকাভুক্ত | পৃ ৯৫১।

“দেশে দেশে ত্রমি তব ছুখ-গান গাহিয়ে। বাহার পৃ৭৭। [ শুভসিংহের গান। শ্বপ্রযয়ী গানে যোগ দেয়] নীতবিতান প্রথম সংস্করণে -বজিত তালিকানুক্ত | গীতবিতান (নূতন সংস্করণ ) পূ ৮১৬।

'বুঝেছি। বুঝেছি সখা ভেঙেছে প্রণগ'- রাগিণী। ভেরবী (মতির আপন যনে গান )। পৃ ১১৬-১১৭। গীতবিতান প্রথয সংস্করণে তালিকাহক্ | গীতবিতান (নৃতল সস্থরণ ) পু ৭৭১।

“দে লো সখি দে পরাইয়ে চলে স্থমতির একটি গণ আছে। মাক়্ার খেলায় এইট ধরনের গানের পূর্ববূপ বলিয়া অশ্গমান। গান! রাগিণী। দেশ। পৃ৯৭-৯৮।

শতবিতান (নূতন সংস্করণ ) অর্থে ববীজানাপ কৃত সংকপিত ১ম ১য় থণ মাত্র ১৩৪৮, এবং পরে ভৃতীয় খও বুঝায়। তৃতীয় খও ১৩৪৭ আ|দিনে মুদ্রিত হয়। এখানে ১৩৬৭ সালে সম্পূর্ণ সংস্করণ হুচিত হইতেছে।

সংযোজন রঃ

বলি গো সজনি, যেও না ঘেও না (স্থমতির গান ) খটু। পৃ ১.৮। গীতবিতান প্রথম সংস্করণে -বজিত তালিকাতুক্ত। গীতবিতান ( নৃতন সংস্করণ ) পৃ ৮৮৭। শুভসিংহ (হ্থগত )। “দ্বেখিছ না অয়ি ভারত-সাগর' ইত্যাদি দীর্ঘ কবিতা চতুর্থ অস্ক। চতুর্থ গর্ভাঙ্ক। পূ ১৪০-৪২। দিল্লী দরবারে মহাবানী ভিকৃটোবিয়াকে ভারত-সতান্তী বলিয়া ঘোষণ| করা হইলে এই কবিতাটি বালক-রবীন্দ্রনাথ ১৮৭৭ সালে হিন্দুমেলায় পাঠ করেন। পরে লীটনের ভা্াকুলার প্রেস্-আযাক্টের জগ্য উহা! মুদ্রিত হয় নাই। পরে 'ব্রিটিশ' স্থলে 'মোগল' শব্ধ সংযোগে কবিতাটি স্বপ্রময়ী-লাটকভুক্ত করা হয়। দ্র. ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যাক্, ববীন্্র-গ্রন্থপরিচয়, দ্বিতীয় সংস্করণ। পৃ ৭৮-৮*) শ্রীযোগেশচচ্ত্র বাগল, হিন্দুমেলার ইতিবৃত্ত, পৃ." | পশ্চিমবঙ্গ সরকার -কর্তৃক প্রকাশিত রবীন্্- রচনাবলী চতুর্থ খণ্ডের মংযোজন-অংশে 'দিল্লি-দরবার? নামে মুদ্রিত পৃ ৮৪৯। দেখে যা, দেখে যা, দেখে যা লো তোর।'_ কালাংড়া_আড়-খেমট1 | পঞ্চম অস্ক। প্রথম গর্ভাঙ্ক। জেহেনার গান। পৃ ১৪৭-৪৮। গীতবিতান প্রথম সংস্করণ, পূ ১১৬। গীতবিতান ( নৃতন সংস্করণ ) পৃ ৪১৮। 'আয় তবে সহচরী'__ ছায়ানট ( নর্তকীগণের নৃত্য গান) পূ ১৫২-৫৩। গীতবিতান, প্রথম সংস্করণ। পৃ ১২৩। গীতবিতান (নৃতন সংস্করণ ) পৃ ৪১৪ 'মানময়ী'তে প্রথম গীত হয়। “কে যেতেছিস্‌ আদ রে হেথা, হদয়খানি যান! দিয়ে__ বাগেশ্র-খেম্টা। জেহেনার গান। পূ ১৫৫। গীতবিতান, প্রথম সংস্করণে নাই গ্লীতবিতান, ( নৃতন সংস্করণ ) পৃ ৮৯০ 'নস্ত সাগর মাঝে দাও তরী ভাসাইয়া'__ বাগেশ্রী। হুমতি জগতের গান। পৃ ১৮৮৮৯। গীতবিতান, প্রথম সংস্করণ পূ ১২৩। গীতবিতান, ( নৃতন সংস্করণ ) পৃ ৮৮ পৃ ১৫১। ইতিহাসের গ্রতাপাদিত্য উপন্যাসের প্রতাপাদিত্য এক নয়। সতীশচন্ত্র মিত্র “যশোহর-খুলনার ইতিহাস"১ গ্রন্থে বিস্তারিতভাবে বিচার কনিয়াছেন। বউঠাকুরানীর হাট সম্বন্ধে সতীশচন্দ্র লিখিতেছেন-__“বিমলা [ বিভা] আসিয়াছেন, সে সংবাদ বটিল; কিন্তু সংবাদ পাইয়াও ঝামচন্দ্র তাহার কোন সংবাদ লইলে্নে লা। মাধবপাশার [ বামচন্দ্রের রাজধানী ] অদূরে, বিমলা দিনের পর দিন মর্মকষ্টে অতিবাহিত করিতে লাগিলেন". | ব্ধূমাতাঁকে দেখিবার কৌতুহলে প্রজাকুল... দলে দলে আসিতে লাগিল জনসমাগমে সেখানে সপ্তাহে দুইদিন করিয়া হাট বসিতে লাগিল। সে-হাটের নাম হইল বৌঠাকুরানীর হাট২ ।”-_ ২য় খণ্ড, ৩২৯। রামচন্দ্র বকে লইতে আমিলেন না। দীর্ঘকাল পরে রাঁমচন্দ্রের জননী আসিয়া বধূকে লইয়া গেলেন। রামচন্দ্র বধুকে পত্রীক্ষপে গ্রহণ করিলেন। রামচন্দ্রের রসে বিমলার গে ছুই পুত্র জন্মগ্রহণ করে। উপন্ভাসে আছে বিভা [বিমলা ] উদয়ার্দিতোর সহিত কাশী চলিয়া যান, তাহা যথার্থই উপন্যাস। উদয়াদিত্য মুঘলদের সহিত যুদ্ধে নিহত হন। বউঠাকুরানীর হাট পুস্তকাকারে ১২৮৯ সালের পৌষ মাসে প্রকাশিত হয়: তখন রবীন্দ্রনাথের বয়স ২১ বৎসর ববীন্তররচনাবলীতে বর্তমান স্বতন্ত্র সংস্করণের (শ্রাবণ ১৩৩৯ ) পাঠ অনুহত হইয়াছে ভারতীর পাঠ, সতীশচজ মি, হশোহর-খুলদায় ইতিহাস। শ্রীশিবশন্কয মি -সম্পাদিভ (১ম খণ্ড ১৯১৫ নুতন সং ১৯৬৩। ২য় খণ্ড ১৯২২। নুতন সংস্করণ ১৯৬৪ )। গ্রন্থ ছুইথানি সভীশচঞ্রের পুত্র কলিকাত। বিশবিদ্তালয়ের সহকারী প্রসথাগাত্সিক প্রীশিষশঙ্কর হিত্র -কর্তৃক উপন্ধত হওয়ায় তথাগুলি সংযোজিত

হইয়াছে 8৩%০৫8৫ সাহেহের মতে 'বধূমাত। ছাট' |

€৩২

রবীন্্রজীবনী

প্রথম সংস্করণ পরবর্তী সংস্করণের পাঠতেদ অনুশীলনীয়। প্রথম সংস্করণের প্রথম পরিচ্ছেদ বর্তমান সংস্করণে নাই। প্রথম সংস্করণের সপ্দশ পরিচ্ছেদ বর্তমান সংস্করণে, ষড় বিংশ পরিচ্ছেদ্দের প্রথমাংশ (প্রথম সং, ২৫শ বর্তমান সংস্করণে ২৩শ পরিচ্ছেদ) পূর্বতন পরিচ্ছেদের শেষে যুক্ত হইয়াছে। অবশিষ্ট অংশ বজিত। এতদ্বযতীত বিভিন্ন পরিচ্ছেদদে অনেক অংশ পরিবজিত পরিবধিত হইয়াছে।

পৃ ১৫২। বউঠাকুরানীর হাট। প্রতাপের জামাতা রামচন্দ্র রায় সন্বদ্ধে শ্রীবমেশচন্্র মজমদীর : “কবিবর রবীন্দ্রনাথ

'বৌঠাকুরাণীর হাট” নামক উপন্যাসে তাহার [ বামচন্ত্র বায়] যে চিত্র আকিয়াছেন, তাহা সম্পূর্ণ কাল্পনিক অনৈতিহাসিক ।”-_বাংলা দেশের ইতিহাস, মধ্যযুগ, পৃ ১৩৮।

পৃ ১৫৫। প্রতাপাদ্দিত্য সম্বন্ধে উপরি-উক্ত পুস্তকে ( পৃ ১৪৩) রমেশচন্দ্র মন্জুমদার পিখিয়াছেন-_

“প্রতাপাদ্দিত্য যথেষ্ট শক্তি প্রতিপত্তিশালী ছিলেন__ কিন্তু বাংলা সাহিত্যে তাহাকে যে প্রকার বীর স্বাধীনতা প্রিয় দেশভক্তরূপে চিত্রিত করা হইয়াছে; উল্লিখিত কাহিনী তাহা সমর্থন করে না।”

পৃ ১৫৭। পাদটীকা বউঠাকুরানীর হাটের গান

ভাবতী, আশ্বিন ১২৮৮ [অক্টোবর ১৮৮১ ]1 বউঠাকুরানীর হাট ১ম-৫ম পরিচ্ছেদ গান। ধুয়া অসময়ে কেন হে প্রকাশ' মুদ্রিত পুস্তকে (১৮৮৩) চতুর্থ পরিচ্ছেদে | বসন্ত রায়ের গান। রবিচ্ছায়ায় (১৮৮৫) গানটি ধর! হয় নাই; গানের বহিতে (১৮৯৩) প্রথম গীতগ্রন্থভৃক্ত হয়। প্রায়শ্চিত্ত নাটকে (১৯০৯) গানটি আছে। গীতবিতান ৩য়, পৃ ৭৯*। রবীন্দ্-রচনাবলী ১ম, পৃ ৩৮৯ ( ৪র্থ পরিচ্ছেদ )।

ভারতী, অগ্রহায়ণ ১২৮৮। ৬ষ্ঠ-৮ম পরিচ্ছেদ “আজ তোমারে দেখতে এলেম' ( বসন্ত রায়ের গান )। গানের বহি, প্রায়শ্চিত্ত পরিত্রাণে (১৯২৯)। গীতবিতান (১৯৪২ ), পৃ ৪১৪। ববীন্দ্র-রচনাবলী ১ম, পৃ ৩৯৮ ( ঘষ্ঠ পরিচ্ছেদ

“মলিন মুখে ফুটুক হাসি” প্রায়শ্চিত্ত গীতবিতান ৩য়, পৃণ৭৯৬। ৰবীন্দ্রবরচনাবলী ১ম, পু ৪০২ (৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদ )1। অষ্টম পরিচ্ছেদে বসন্ত রাঁয় বিভার দিকে চাহিয়া বপিতেছেন-_“হাসিরে পায়ে ধরে রাখিবি কেমন করে, হাসির সে প্রাণের সাধ অধরে খেলা করে|” ( ববীন্দ্র-রচনাবলী ১ম, পৃ ৪০৯) “রাজা ব্সস্তরায়' নাটকে এই পদের যে গীতরূপ প্রদত্ত হয়, তাহা রবীন্দ্রনাথের রচনা বলিয়া মনে করা হইয়াছিল। গানটি__“মুখের হাসি চাপলে কি হয়” ইত্যারি। গীতবিতান ওয়, পৃ ৭৯৬। উপন্তাসিক প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের পত্র হইতে জানা গিয়াছে রবীন্দ্রনাথ গানের রচয়িতা নহেন ( পপ্রভাঁত-রবি, পুলিন- বিহারী সেন -কর্তৃক সংকলিত, দেশ, সাহিত্া-সংখ্যা ১৩৭৫) অপিচ ত্ষ্টবা গীতবিতান ৩য়, ( জোট ১৩৭৬ ) পৃ ৯৬৮। প্রায়শ্চিন্তের গান 'হাসিরে কি লুকাবি লাজে' এখানে তৃলনীয়। গীতবিতান ২য়, পৃ ৪২*।

ভারতী, পৌষ ১২৮৮। ৯ম-১*ম পরিচ্ছেদ। “সারা বরষ দেখি নে মা'__ রামমোহন মালের গান। প্রায়শ্চিত্ত গীতবিতান পৃ ৬*৩। রবীন্দ্র-রচনাবলী ১ম, পূ ৪১৩ (৯ম পরিচ্ছেদ )।

ভারতী, মাঘ ১২৮৮। ১১শ-১২শ পরিচ্ছেদ “কবরীতে ফুল শউুকাল'। বসন্ত বায়ের গান। গীতবিতান ৩য়, পৃ ৭৯৬ | রবীন্দ্র-রচনাবলী ১ম, পৃ ৪১৮ (১ম পরিচ্ছেদ )।

ভারতী, ফাল্ঠন ১২৮৮ | ১৩শ-১৫শ পরিচ্ছেদ | “ওরে যেতে হবে, আর দেরী নাই? | বসন্ত রায়ের গাঁন। রবিচ্ছায়া। গীতবিতান, পৃ ৬০৩। রবীন্্র-রচনাবলী ১ম, পূ ৪৩৪ ( ১৩শ পরিচ্ছেদ )।

সংযোঙ্গন £৩৩

'আমার যাবার সময় হল? | বসস্ত রায়ের গান ববিচ্ছায়।। গীতবিতান, পৃ ৬*২। বৃবীন্দ্র-রচনাবলী ১ম, পু ৪৩৫ ( ১৩শ পরিচ্ছেদ )।

তারতী, চৈত্র ১২৮৮। ১৬শ-১৯শ পরিচ্ছেদ বৈশাখ ১২৮৯। ২*শ-২১শ পরিচ্ছেদ জযয্ঠ ১২৮৯, ২২শ-২৪শ পরিচ্ছেদ এই কয় পরিচ্ছেত্বে কোনে! গান নাই।

ভারতী, আবাঢ় ১২৮৯। ২৫শ-২৮শ পরিচ্ছেদ | “মা আমি তোর কি করেছি? উদয়া্গিত্যের গান। ২৬শ পরিচ্ছেদে গানটি আছে। কিন্তু 'বউঠাকুরানীর হাট”-এর মুজিত গ্রন্থে (১৮৮৩) গানটি নাই। (ভু. রবীন্দ্র-বচনাবলী ১ম)। রবিচ্ছায়ায় এটি ব্রদ্ধসঙ্গীত অংশে আছে। গীতবিতান ওয়, পু ৯৪৬। ববীন্দ্র- র্নাবলী ১ম, পৃ ৪৮১ (২৭শ পরিচ্ছেদ )।

“আমিই শুধু রইস বাকি'। বসন্ত রাক্ষমের গান। রবিচ্ছায়া। গীতবিতান ১ম, পৃ ৬০৩। ববীন্্র- রচনাবলী ১ম, পূ ৪৮০ (২৭শ পরিচ্ছেদ )।

ভারতী, শ্রাবণ ১২৮৯। ২৯শ-৩১শ পরিচ্ছেদ ভানব্র। ৩২শ-৩৪শ পরিচ্ছেদ কোনে! গান নাই।

ভারতী, আশ্বিন ১২৮৯। ৩৫শ-৪*শ পরিচ্ছেদ [ সমাপ্ত )। ১২ মাসে ৪* পরিচ্ছেদ প্রকাশিত হয়।

“মার কি আমি ছাড়ব তোরে'। বসন্ত রায়ের গান গীতবিতান ৩য়, পূ ৭৯৬। ববীন্দ্র-রচনাবলী ১ম, পৃ ৫০২ ( ৩৩শ পরিচ্ছেদ )।

“আজ আমার আনন্দ দেখে কে'। বসন্ত রায়ের গান। বউঠাকুরানীর হাট পুস্তকে বা কোনো গীতগ্রন্থভুক্ত হয় নাই। ত্র. গীতবিতান ওয়, পৃ ৭৯৬।

পূ ১৯*। পাদটাকা ২। বিবাহ-পত্র কয্ধেকটি কপি করিয়! বন্ধুদের পাঠাইয়াছিলেন বলিয়া মনে হয়। বন্ধু নগেন্দরনাথ গুপ্তকে পাঠাইয়াছিলেন, তাহ! তাহার প্রবন্ধ হইতে জানা যায়। প্রিক্নাথকে লিখিত পত্রটি রক্ষা পাইয়াছে।

পৃ ১৯১। “দ্বিজেন্্রনাথ দ্বন্তির নিঃশ্বাম ফেলিয়া লিখিলেন'__ এই অংশে আসিবে উদ্ধৃত কবিতার পূর্বে-_ “শবরী গিয়াছে চলি 1”""

পূ ১৯৩। বিবাহ-উৎসব। গ্ীতিনাট্য। কলিকাতা,/ বহুবাজার, শ্রনা্দাসের লেন, ১৭নং ভবনে,/ বি, কে, দাস এবং কোম্পানির যন্ত্রে/ শ্রীঅমৃতলাল ঘোষ হ্বাবা মুত্রিত। ২৩ পৃষ্ঠা। লাহিত্য-সাধক-চরিতমাল! ২৮-এ স্বর্ণকুমারী দেবীর জীবন সাহিত্য আলোচনায় “বিবাহ-উৎসব' বইটি তাহার রচন| বলিয়! ধর! হইয়াছে ১৩ মে ১৮৭২ সালে প্রকাশিত হয়। রবীন্দ্রনাথের ভগ্মহদয় (১৮৮১ ), কালমুগয়া (১৮৮২ ), প্রক্কৃতিব প্রতিশোধ / এপ্রিল ১৮৮৪ ), নলিনী ( মে ১৮৮৪ )-র গান আছে। “বিবাহ-উৎসব' কাব্য ছুশ্রাপ্য। এক খণ্ড প্রীকানাই লামস্ত আমাকে ব্যবহারের জন্ত দিয়াছিলেন।

পৃ ১৯৪। পাদদটাকা ১। 'নলিনী" নাটকের মধ্যে কবির হম্তলিখিত যে সংঘোজন উদ্ধত হইয়াছে, তাহ! কবির স্বগতোক্তি বলিয়া আমাদের মনে হয়।

পৃ ১৯৬। পাদটাকা ১। পতপ্রান্তে, বিচিত্র প্রবন্ধ, ববীন্দ্র-রচনাবলী ৫ম, পু ৪৭৯। ত্র. প্রীকানাই সামন্ত, পুষ্পালি। রবীন্্পাতুলিপি বিবরণ। বিশ্বভারতী পত্রিকা, শ্রাবণ-আশ্বিন ১৩৭৫, পৃ ৬৫-৮৪।

৫৩৪ রবীন্ত্রজীবনী

পু ১৯৭। কাদন্বরী দেবীর মৃত্যু : আমরা! পূর্বে বলিয়াছি কাদশ্বরী দেবীর “ডাকনাম' বাড়িতে অস্তরঙ্গদের মধো ছিল 'ছেকেটি'। হেকেটি তরিমূত্তী গ্রীক দেবী আমাদের মতে “হেকেটি' নামের মধ্যে কাদস্বরী দেবীর স্বামী জ্যোভিবিজ্ত্রনাথের প্রতি ভালোবাম! এবং স্বামী-বন্ধু কবি বিহারীলাপ চক্রবর্তীর প্রতি শ্রদ্ধা! এবং দেবর রবীন্দ্রনাথের প্রতি আন্তরিক স্বেহ হেতু পরিবারের লোকে এই নামকরণ করে। বিহারীলাল জ্যোতিরিন্ত্রনাথের বন্ধু-_- তাহার স্ত্রীর নামও কাদ্বরী। মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ বিহারীলালকে পুত্রবৎ স্নেহ করিতেন, দ্বিজেন্দ্রনাথের সহিত তাহার ত্রাতৃবৎ ভাব ছিল ।-_পুরাতন প্রসঙ্গ, বিদ্ভাভারতী সংস্করণ ১৩৭৩। পৃ ৯৯ বিহারীলাল তাহার “সাধের আসন" কাবোর ভূমিকায় লিখিয়াছেন যে কে।নো সন্ত্ান্ত সীমস্তিনী 'মারদামঙ্গল' কাবাপাঠে মন্ধষ্ট হইয়া স্বহস্তে নিষ্সিত একটি আসন উপহার দেন। এই আসনের নাম 'সাধের আসন”) উহাতে সুন্দর অক্ষর বুনিয়া সারদামঙ্গল হইতে কয়টি পওক্কি উদ্ধৃত হয়__ হে যোগেজ্জ। যোগাসনে জুলুচুলু দু-নয়নে বিভোর বিহ্বল মনে কাহারে ধেয়াও? বিহারীলালের কাব্যের নবম এবং দশম সর্গের নাম 'আসনদাত্রী' এবং পতিতা" | এই ছুই সর্গে প্রত্যক্ষভাবে কাদস্বরী দেবীর কথাই উক্ত হইয়াছে জোতিরিন্ত্রনাথের পত্বীর আকস্মিক মৃত্তার পর “সাধের আসন' কাবা রচিত হয়। শ্রঙ্গদীশ ভট্রাচার্ধ তাহার কবিম!নসী ১ম খণ্ডে বিষয়ে বিস্বাধিত আলোচনা করিয়াছেন পৃ ২০৩। সরীবনী বঙ্গবানী : বঙ্গবাণী (সাপ্লাহিক ) ২৬ অগ্রহায়ণ ১২৮৮ (৩০ ডিসেম্বর ১৮৮৮) সন্লীবনী (সাপ্তাহিক) বৈশাখ ১২৯০ (১৫ এপ্রিল ১৮৮৩ )1 সাধারণ ব্রাঙ্মমমাজের উদ্সাহী মুখকদ এই পত্ধিকা প্রতিষ্ঠার মূলে ছিলেন-__ দ্বারকাণাথ গঙ্গোপাধা য়, হে্বে্বচন্্র মৈর, কষ্ণটকুম[র মিত্র, কালীশঙ্কর স্কুল, গগনচন্দ্র হোম পরেশনাথ সেন। সঞ্জীবনী নামে পত্রিকা ময়মনসিংহ হইতে বালক গগনচন্ত্র হোম [ অমল হোমের পিতা) কর্তৃক ১৮৭৬? সালে প্রকাশিত হয়। গগনচন্দ্র হোম তাহার জীবনস্থতিতে পিখিমাছেন, “হ্বতধিকারিত ছাড়িয়া দিলেও ১৯০৪ খ্রীষ্টাব্ৰ পর্যন্ত সহকারী-সম্প|দক প্রধান প্রবন্ধ-লেখকক্পে এই সংবাদপত্র সছিত আমি সংঙ্গি্ ছিলাম 1” ব্রজেন্রনাথ বন্দো।পাঁধায় : বাংলা সাময়িক পত্র ২য়, পু ২২ ৩৮। পু ২০৫। “একটি পুরাতন কথা” প্রবস্কটি “সমাপোচনা' গ্রন্থে সংকপনকাঁপে বিতর্কমুূলক অংশ রবীন্দ্রনাথ বর্জন করিয়ছিলেন। পৃ ২*৭। পাদটীকা ২। রামমোহন রায়, (১২৯১) প্রবন্ধ প্রথমে পুস্তিকাঁকারে প্রকাশিত হুয়। 'চারিত্রপৃজা গ্রন্থে (১৩১৪) উহার অনেকাংশ বঞ্জিত হয়। বর্তমান 'চারিআপুজ[য় এই প্রবন্ধ নাই। রবীক্-রচনাবলী ৪র্থ খণ্ডে (পৃ ৫১১-২৪) ভারতী তববোধিনীর যূল পাঠ সংকলিত হইয়াছে 'ভাঁরত-পধিক রামমোহন (১৩৮১) গ্রন্থে সংক্ষেপিত, পরিমাঙ্জগিত পাঠ গৃহীত হইয়াছে। ১* সংখ্যক প্রবন্ধ, পৃ ১৯২-১৬। প্র. গ্রস্থপরিচয়, গু ১৪৭।

সংযোজন ৫৩৫

পৃ ২৩৩। রাজ! বসস্তরায়' নাটকটি অভিনীত হয়, মুক্রিত হয় বলিয়া! মনে হয় না।

রবীন্দ্রনাথের 'নাপিক হইতে খুড়ার পত্র হিন্দী বাংলা মিশ্রিত রসরচনা | ইহার পূবে 'সধারণা' পত্রিকায় অক্ষল্নচন্দ্র সরকারের পিতা গঙ্গাচরণ সরকার “চেনাচর' নামে খিচুড়ি ভাষায় কবিতা পিখিতেন। ধিরম-চাদ কি চেনাচুর” খুবই প্রচলিত হয়। আমাদের মনে হয় রবীন্দ্রনাথ এই আদর্শে তাহার 'খুড়ার পত্র" পিখিয়।ছিলেন। দ্র, বঙ্গভাষার লেখক, পিতা-পুত্র ( অক্ষয়চন্দ্র সরকার লিখিত ), পৃ ৬৩৭-৪০। কয়েকটি পঙ্ক্তি উদ্ধৃত হইতেছে__

দৌড় দৌড়কে আ৪ সব্‌ আও রে বাঙ্গালী

পপন্দ করলে মের! চীজ, মেইনে উতারা ডালী 1.

পৃরব সে লে আয়া হে! দেেকে মন্থ ছিটা।

যঙ্থমে বানায় হুয়া, ভয়া বহুত মিঠা

শৃদ ভদ্র বিপ্র বৈশ. হে|কে এক সাত,

খুব খুসি করলে ভাই ! থাকে সারে রাত;

পেএ মজা আনপন্দমে হে!কে মাতোয়ারা

ছুনিয়াকা দুখ ভোগ মৌকুফ হোগে তেরা

পূ ২৩৫ | “গায়ে থাকত ধুতির সঙ্গে.” ইত্যাদি উদ্ধতি_ কবির মন্তব্য রবীন্দ্ররচনীবলী ২য় কডি

পৃ ২৩৮।

কোমলের সুচনা, দ্র, কপির ভণিতা : বুবীন্দ্রচর্ঠাপ্রকল্প ১। বিশ্বভারতী ১৯৬৮। প২১। পাদটাকা ৩। বৈষ্ণব পদটি লোচনদাসের রচনা দ্র. উচ্জ্লনীলমণি, শ্রহীবেন্ নারায়ণ মুখোপাধায় সম্পারদিত। পৃ ২৩৬। “তচু' শীর্ষক কবিতা এই কবিতা গুলির সহিত তুলনীয় “ওই তশখানি তব আমি ভালোবাসি" ইত্যাদি শেষ দুই পওক্কি-_ ওই দ্েহখানি বুকে তুলে নেব বালা, পঞ্চদশ বসস্তের একগাছি মালা ।- - ববীন্্-রচনাঁবলী ২য়।

পৃ ২৪৬, ২৬৪। কড়ি কে।মলের মমালো5না। কাপীপ্রসন্ন কাবাবিশারদের “মিঠে কড়া" নামে নাঙ্গকাঁব্য বা প্যারূডি

১৮৮৮ সালে রাহ নাম দিয়া প্রকাশিত হইয়াছিল। ১৮৮৬ সালে কডি কোমল' বাহির হইয়াছিল, তাহার প্রায় দুই বসব পরে মিঠে কড়া? মুত্িত হয় আখাপত্রে লেখা হয় 'ইহ1] কড়িও নহে কোমল নহে, পুরে! সরে মিঠে কড়া ।' অধ্যাপক শ্রীহ্ৃকুষার সেন (বাংলা সাছিত্োর ইতিহাম ৩য়, পূ ৪৮) লিখিয়াছেন, ্ধাহাদের চোখে কখনো “কড়ি কোমল' পড়িবার সম্ভাবনা ছিল না, তাহারাঁও কালীপ্রসন্ন কাবাবিশারদের নিতান্ত তুচ্ছ 'মিঠে-কড়া'র নাম শুনিয়াছিলেন।” দ্র, ডক্টর শ্রীআদিত্য ওহদেদার, রবীন্দ্রসাহিত্য সমালোচনার ধারা, পৃ ২২-২৬। শুবিশু মুখোপাধ্যায় -লম্পাঁদিত 'রবীন্দ্র-সাগরসংগমে' পুস্তিকাতে মুদ্রিত হইয়াছে পৃ ২৪-৪৭।

জুলাই ১৮৯১ সালে কৰি দেবেজ্ত্রনাথ সেন “কাকাতুয়া দেবশর্া' ছদ্মনামে 'সাহিতা” পত্রিকায় ( আধা ১২৯৮, পৃ ১৪৮) 'িবিবাহু" ণামে বাঙ্গকবিতা লিখিয়াছিলেন। অধ্যাপক শ্রীজগদীশ ভট্টাচার্য 'কবিমানসী' গ্রন্থে কড়ি কোমল সগন্ধে স্বর্ণমণ(লিনী পরিচ্ছেদে বিস্তারিত আলোচনা করিয়াছেন

৫৩৬ রবীন্দ্রজীবনী

পু ২৫২। হিন্দুবিবাহ। চজ্জনাথ বহু “ওরিয়েপ্টাল সেমিনারির বাড়িতে হিন্দুবিবাহু সন্বদ্ধে বন্তৃতা পাঠঃ করিলেন।” অক্ষয়চন্দ্র সরকার, পিতা-পুত্র, বঙ্গভাষার লেখক, পৃ ৬৪৮।

পৃ ২৬৩। 'স্থরদাসের প্রার্থনা" (শ্বাথির অপরাধ ) কবিতাটি শ্রশুভ্রাংড মুখোপাধ্যায় তীহার 'রবীন্ত্রকাব্যের পুনধিচার' গ্রন্থে (১৩৬৯) বহুবিস্তারে আলোচন! করিয়াছেন। পৃ ৬৬-৭৬।

পৃ ২৬৮। পাদটাকা ১। ৫২-সংখাক প্রবন্ধ। সাধনা ১২৯৯ সালের শ্রাবণ মাসে প্রকাশিত হয়। দ্র সংগীতচিস্তা,

পূ ২২১-২২।

পাদটাকা ১। সধীসমিতি মহিল! শিল্পমেলা সন্বদ্ধে তথ্যাদি আছে : স্বর্ণকুমারী দ্বেবী, সাহিত্য-সাধক-

চরিতমালা ২৮1 পৃ ১৮-২২। এই গ্রন্থের পাদটীকায় মূত্রাকর গ্রমাদ আছে।

পৃ২৭২। পাদটাকা। “আমার বাল্যকথা" 'বোদ্বাইচিত্র' হইতে পৃথক গ্রস্থ। হৃতরাং 'বোদ্বাইচিত্র' যে রবীজ্ছনাথকে উৎসর্গকৃত হয়, তাহার উল্লেখ গ্রন্থে নিশপ্রয়োজন |

পৃ ২৭৮। রাজা রানী সম্বন্ধে উদ্ধতি লিখিত হয় রবীন্দ্ররচনাবলীর ভূমিকায়। দ্র. কবির ভণিতা : রবীন্তরচ্চা- প্রকল্প ১। বিশ্বভারতী ১৯৬৮। পৃ ৪৫-৪৬।

৮৩। বিসর্জন সাহাজাদপুরে শীতকালে লিখিত উৎসর্গ-মধযে আছে__"খালখানা শুক্ষগ্রায় / মাঝে মাঝে বেধে আছে জল” ইতাদি পড়্‌ক্তি। কবিতাটির মধ্যে নাটক রচনার ইতিবৃত্ত হ্থপ্ত আছে কবির “কোণে বসে খাতা নিয়ে / মহানন্দে কাটিছে প্রভাত।”

'-. “কল্পনার ধনগুলি হদয়দোলায় দুলি প্রতিক্ষণে লভিতেছে কায়1।”...

“এত তারা জেগে আছে নিশিদিন কাছে কাছে, এত কথা কয় শত স্ববে''"”

“আজ সব হুল সারা, বিদায় লয়েছে তারা, নৃতন বেধেছে ঘরবাড়ি...” ইত্যাদি

২৮৩ | 417 1901, 0১6 5০81667100০ 0৫ 006 চ1556107+166076 870 06 61850611081] 10006, 58000655601]5, 5058০0 120100191720175 3198102108৮ 006 ০0901081401 006 7150721 /51যজ0 000 ১8617018180 1 00061166, 00 হৃতাওঞাতে ঘ্আ1082 01780661066, 100, 92710 96102106010 410815, 71904118 হি০5 010%018815, [0%11670181750) 961, 11815181 [২০05, 4500051) 205 5215 0106 00711) 00015 06100740106 5061)65. 10191009010 76:600158517065

প্‌ ২৭০।

95 50308 809৫0100501 50170015, 00115865 810 01155 9/616 1906 ০00000012 168 00165 03617, 59161 9৪8078) 90 006 05011581115 50661, আ৪5 010 901761 ০012061209012815 17501001015,” --0362 ৮18011806 1095, 21180100886 11110981) 005561 : 018008 05815] 960, ০9.

পু ২৯৩। “রবীন্দর-রচনাবলী?তে চিন্তাঙ্গদার ভূমিকা দ্র, কবির ভশিতা (১৩৭৫ ), পৃ ৪৭।

পু২৯৮| সন্ধ্যায় কবিতা রচনার সুচনা হয় বিলাত যাত্রার পূর্বে ১৪ ভাদ্র মৌনভাষা (১* ১১ কান্তঠিক ), আমার সখ (১২ কাঠিক ১২৯৭) হইবে।

সংযোজন €৩৭

পৃ৩১৮। পাদটাকা ১। কর্মের উমেদার, সাধনা, মাঘ ১২৯৮। রবীন্দ্র-রচনাবলী ১২শ, পৃ ৪৬৯।

পৃ ৩২৭। “খাঁচার পাখি ছিল' ইত্যাদি দিয়া আরম্ভ কবিতা “নর-নারী' নামে ভারতী ১২৯৯ সালের অগ্রহায়ণ মাসে (পৃ ৪৭৬) প্রকাশিত হয়। পরে সোনার তরী গ্রন্থে 'দুই পাখি” নামকরণ হয়।

পৃ ৩২৮। ছুই পাখি' কবিতাটির গীতিক্ূপ 'শতগান'-এ (১৩*৭) প্রথম মুদ্রিত হয়। পরে কাব্যগীনি ম্বরলিপি (১৩২৬) শেষে স্বরবিতান ৩৩শ খণ্ড-হুক্ত হয়। ভুষ্টব্য গীতবিতান প্রথম সংস্করণ ১৩৩৮, পূ ৮৯ | গীত- বিতান নৃতন সংস্করণে কবি-কর্তৃক বজিত এবং পরে তৃতীয় খণ্ডতুক্ত ছয়। পৃ ৭৮২।

পূ ৩৩৯। বাংলা শব ছন্দ প্রবন্ধটি 'ছন্দ"-গ্রস্থের পরিশিষ্টে মুদ্রিত আছে রবীন্দ্র-রচনাবলী ২১শ, পৃ ৩৮১। বাংলা শব ছন্দ সাধনা, ১ম বর্ষ, ২য় খণ্ড, শ্রাবণ ১২৯৯। পৃ ২১*-২১৪। রুবীন্দ্র-রচনাবলী ২১শ (শ্রাবণ ১৩৫৩), পরিশিষ্ট, পূ ৩৮১-৮৩। ছট্টব্য শ্রগ্রবোধচন্ত্র সেন -সম্পাদিত “ছন্দ' (কাঁতিক ১৩৬৯ ), পু ১৭২-৭৫। প্রথম সংস্করণ “ছন্দ, (আষাঢ় ১৩৪৩) গ্রন্থে প্রবন্ধটি ছিল বলিয়া! লেখা হইয়াছিল। গন্গ্রস্বাবপীতে প্রবন্ধটি নাই।

পৃ ৩১৩। চিত্রাঙ্গদা অগ্ীলকাবা__ কথা বছু বৎসর পূর্বে আলোচিত। ক্বি-অধ্যাপক মোহিতলাল মজুমদার বলেন, “চিত্রাঙ্গদার যাহা প্রধান দোষ তাহা অঙ্গীল নয়, ছুনীতি।” ম্োহিতলাল বলেন, “ইতিপূবে কেহই তাহা লক্ষ্য করেন নাই।” কবি-অধ্যাপক রবীন্দ্রকাবা-প্রসঙ্গে “চিত্রাঙ্গদা? প্রবন্ধে বুবিস্তারে আলোচনা করিয়াছেন রবি-প্রদক্ষিণ, বঙ্গভারতী গ্রন্থালয়, ১৩৫৬, পৃ ৭৬-৮৬।

পৃ ৩৫৩। পা্টাক ২। প্রতীক্ষা, প্রথম খসড়ার তৃতীয় স্তবকের নীচে তারিখ-__ ১৬ অগ্রহায়ণ ১২৯৯, রাজশাহী নাটোরে : রোগশযা]। পুনলিখিত: "ম ম্তবকের পর তারিখ-_ ২* অগ্রহায়ণ নাটোর শেষকপদান ২৭ অগ্রন্থায়ণ ১২৯৯, শিলাইদহ বোট | ড্রষ্টবা রবীন্দ্-রচনাবলী ৩য়, পূ ৫৯। তথাগুপি শ্রকানাই সামস্ত মহাশয়ের নিকট হইতে প্রাপ্ত।

প্‌ ৩৫৫। বাংলা লেখক' ( সাধনা, মাঘ ১২৯৯ ) রচনাটি নৃতন সংস্করণ 'সাহিতা' (১৯৬১) গ্রস্থভুক্ত, পৃ ২৩৭-৪৩। রবীন্দ্র-রচনাবলীতে নাই জ্থবা পশ্চিমবঙ্গ সরকার -কর্তৃক প্রকাশিত ববীন্ত্র-রচনাবলী ১৩শ, পৃ ৮৫৪

পূ ৩৫৭। মানসন্থন্দরী। তুলনীয়: মানসী [মংপু) জুন ১৯৩৯, সানাই রবীন্ত্র-রচনাবলী ২৪শ, পৃ ৮৭। ১৯৩৯ সালে ১৮৯২ সালের পল্সাতীরের স্বতি কবিতায় দেখা দিয়াছে

পু৩৫৮। উবশী সম্বন্ধে মোছিতলাল মজুমদারের সমালোচনা জষ্টব্য। ববি-প্রদক্ষিণ (১৩৫৬), পূ ৮৬-৯৪ | ১%11)- ০৪1০০-এর “4১0100166,-4র মহিত এই কবিতার বহু মিল আছে-_ বলেন কবি-অধ্যাপক | পৃ ৯১।

পৃ ৩৫৯। উড়িয্যা: ১২৯৯ ( ছিন্নপত্রাবলী : পত্র ৮১) পুরী হইতে সাক্ষীগোপাল ১৩ মাইল [মন্দির পর্যন্ত )) লাক্ষীগোপাল হইতে মুকুন্দপুর মাইল; মুকুন্দপুর হইতে সরদাইপুৰ ১* মাইল; সরদাইপুর হইতে কটক ২১ মাইল [ভায়া বালিঅস্তা ];) পুরী হইতে কটক ৫৩ মাইল [ভায়া বালিঅস্ত! ]। পুরী হুইতে সাক্ষীগোপাল যাইতে প্রথমে ভার্গবি নদী পড়ে। তাহার পর সাক্ষীগোপাল হইতে কটক যাইতে [ ভারা বালিঅস্তা ) প্রথমে পড়ে দয়া নদী এবং তাহার পর কাঠজুড়ি নদী _জ্রমতী হেমন্তবাল] দেবী পুরী হইতে সংবাদগুলি শ্রীকানাই সামস্তকে পাঠান [ এপ্রিল ১৯৬৮ 1

৫৩৮ রবীন্ত্রজীবনী

পূ ৩৬১। কটক-পুরী-কোনারক কটক হইতে ফেব্রুয়ারি ঘোড়ার গাড়িতে করিয়া যাত্রা। ফেব্রুয়ারি সন্ধায় পুবী-সমুদ্রে আান। ফেব্রুয়াবি সন্ধ্যার পর পাল্‌্কিতে রবীন্দ্রনাথ বলেম্দ্রনাথের লমুদ্রতীরের বালির পথে কোনারক যাত্রা ফেব্রুয়ারি পুরীতে প্রত্যাবর্তন

পৃ ৩৭৬। 'হুখতত্বশাস্্ণ | ইহা! ইংরেজি [5907715)-এর অনুবাদ | বর্তমানে 'প্রেয়োবাধ” বলা হয় (দ্ষ্টবা সংসদ- অভিধান )। এই দার্শনিক মতবাদ অনুসারে সুখ বা আনন্দলা৬ই হইল মানুষের শ্রেষ্ট আদর্শ | চ.801900 [76901515) আত্মস্থখবাদ [0015 6756] [ব901751900 বিশ্বহথখবাদ | দ্রষ্টব্য পরিভাষা কোষ, বিদ্যোদয় লাইব্রেরি, পৃ ৯৪।

পৃ ৩৯১। বেঠোতেন সম্বন্ধে ছিন্সপত্রাবলীতে রবীন্দ্রনাথের উক্তি। শিল্পীর জীবন সম্বন্ধে কবি খুবই ওয়াকিবহাল ছিলেন 7০৫670৬০2 সন্বদ্ধে সমসাময়িকদের বর্ণনা হইতে জানিতে পারি__

"'[) 706150171১6 ৪5 91১016৮ 01)101060 101) ০০9৬০1601 9006 50000016৪04 50008

[01090165. [7615 91080 076 060725+16109015156, 9601) 135 6. 1৬106 010%/ 00088 6100)

91581) 6012100 )১০ [[া) 17150090106], 0 আ35 ৮৪15 ৪৬৮৬০ ৪174 1)11)1655, ৪100 1015

০10105য% 10061006106 1801560 211 19০6... [76 15 455০11064 ৪5 48750000101), 50009002125

125016559, (01,2125 174০1014802: 966010%61).

পৃ ৩৯২। এবার ফিবাও মোরে, কবিতা স্দ্ধে মোহিতলালের বক্রোক্তি_-“এই কবিতাটির মধ্যে যে স্থম্পষ্ট ভাব- বিরোধ ঘটিয়াছে, তাহাতে ইহাকে একটি স্থপরিকল্পিত, স্থসন্বদ্ধ বা সুসম্পূর্ণ কবিকীত্তি বলা যায় না।” রবি-প্রদক্ষিণ (১৩৫৬ ), পৃ ৯৬।

পৃ ৩৯৬। “ওহে জীবনবল্লত” গানটি একটি ভ্য।স দেয়া। পূর্ণচ্ছেদ দিয়া নৃতণ অনুচ্ছেদের আবস্ত নবীনচজ্জ সেন রবীন্দ্রনাথ দ্রষ্টব্য রবীন্দ্রজীবলী ৪র্থ (১৩৭১ ), সংযোজন, পৃ ৩০৫

পূ ৩৯৮। হ্যামারগ্রেন সম্বন্ধে প্রকাশিত সংবাদ 0০ 95065512081) 2 75 92815 £১50, 715 5, 1894. 0০162380101 01 8 [00101706819 85 17185500905. ঢ০: 005 1050 0006 10. 00610151915 0৫6 08100100, 1 15 06116৬6, 9 [001016817 1)95 ০0661 ০16729060 86 110700119-81)86 17 01165 [10000 19517101, 0017 1 8065089 0১৩ 81810005 00105181604 00 06 01810565, ৪0০০0110610 13181)000 01065, 076 0905 01 1 1911 75000061816, 2 9%20151) £017016127017, 2170 21061056101 01061 0০905, 10176 4606456 ০8076 000 10 0715 ০0901705 1) 0015 1250 56৪1, 00 50110 10016 0193615 06 1)180015 2170 01117010165 01 006 8121000 9017)015 10101 06 100940010760 11) 5%60617, 776 92৪ 2 1)181)15 644০8064 1091, 2:172075501 01 00219 15207808865, 870 ৪5 0০0017178 61011767019 95৪691 6০0 1015 ০1000101) 05 190951706 1770 109 51010 9£1)161061 0910516, [36 আএও 0161013060 91 1)15 05৮1 151).--- 176 584165701, 5 1815 1969,

ইহা জ্ীসনৎকুমার গুপ্ত সংগ্রহ করিয়াছেন

পূ ৪০৬।

পূ ৪১০। পৃ ৪২৬।

প্‌ ৪২৯।

প্‌ ৪৩১।

পূ ৪৩৩।

সংযোজন ৫৩৪

মেয়েলি ছড়া ছেলেতুললালে। ছড়া

অন্ুসদ্ধিৎস্থ পাঠক পৃ পাকিস্তানের বাওপা একাডেমী হইতে প্রকাশিত অধ্যাপক হাসান আফিজ্ুর রহমান আলমগীর জলীল -সম্পাদদিত উত্তরবঙ্গের মেয়েলী গীত” এবং শিবপ্রসন্প লাহিড়ী -সম্পাদিত 'যশোহর-খুলনার ছড়া” দেখিতে পারেন রংপুর রাজশাহীর মেয়েলী গীতও নংকলিত হইয়াছে-_ এই ছুই খও আমি দেখি নাই।

বাঙল্পা একাডেমীর পরিচালক জনাব সৈয়দ আলী আহসান “যশোহর-খুলনার ছড়া" গ্রন্থের প্রারস্তে প্রসঙ্গ-কথায় যাহা লেখেন, তাহা রবীন্দ্রনাথের মনোগত ভাবের প্রতিধ্বনি তিনি লিখিতেছেন-_

“বাঙলা একাডেমী পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলের ছড়া, লোক-কাহিনী, প্রবাদ, ধাধা ইত্যাদি সংগ্রহ করছে। সংগ্রহ করবার উদ্দেশ্ঠ প্রধানত: বিলুপ্তপ্রায় পল্লী-সংস্কৃতির সংরক্ষণ এবং ছ্িতীয়ত: সংগৃহীত উপাদান পরীক্ষা করে সমাজ-জীবন এবং এঁতিহ্‌ সম্পর্কে অবহিত হওয়া ।... আধুনিক কালে পাশ্চাত্য-শিক্ষা নাগরিক জীবন এবং পল্লীজীবনের মধো একটি বাবধান সৃষ্টি করেছে, যে ব্াবধান আনন্দের নয় বরং গুরুতর যদ্দি পরিচয় সহজ হত তবে বাবধান অতিক্রান্ত হতে পারত ছড়া, ধাধা, লোক কাহিনী-_ এগুলো আমাদের কাছে পল্লীজীবনের উপলব্ধির স্মারক এই উপলব্ধিকে যদি আমরা প্রশংলা করতে পারি এবং যদি তার প্রক্কৃতি অনুভব করতে পারি তবে পরিচয়ের ক্ষেত্র প্রস্তত হবে|”

রবীন্দ্রনাথ বলিয়াছিলেন “আমাদের ভাষা এবং সমাজের ইতিহাস নির্ণয়ে-.. ছড়াগুলির বিশেষ মূল্য থাকিতে পারে” কিন্তু কবির কাছে যেদন্ত আদরণীয় হইয়াছিল তাহার কারণ-_ উহাদের একটি সহজ কাব্যরস। তুলনীয় : ইংরেজি [.100601010, 0167106%, টব 97561556. টব এ:5৫ [51065, বু 0090 87 ৬71০ ছড়ার মধ্যে সবই আছে মনে হয়।

ব্য পাদটাকা ৩, পৃ ২৯*।

“আমি চিনি গো! চিনি' হইবে অমনোযোগের জন্য এই গানগুলির রচনাকালের বৎসর উল্লিখিত হস নাই। জরষ্টবা কানাই সামন্ত, রবীন্জপ্রতিতা, পৃ ২৬৮-৬৯ |

[095 5:/166 ৬০101101776

21601 এ5 01121

+[106 06178] ৬০০৪1 6085 0১ 00 10180,

“শাশ্বত নাবীমূতিই আমাদের উধ্বে আকর্ষণ করিয়া লইয়া যায়।? ( চ৪৩5৫, চ2 [1 )

রষ্টব্য ডাঃ প্রীকানাইলাল গাঙ্গুলী -কর্তৃক অনুদিত কাউস্ট-এর বাংল! অন্থবাদের শ্রীন্ননীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় -কুত ভূমিকা

পাদটীকা ২। পতিসব হইতে জলপথে শিলাইদহে আমিতে 'আবেদল' বচিত হয়।

জীবনদেবতা সম্বন্ধে। কবি আলমোড়ায়। [ঢ. ৬. নু. £৩১এর 1375017 6615052]109 277৫ 15 94190161 9০৫1১ 162 নামে গ্রন্থখানি পড়িয়া সতীশচন্ত্র রায়কে শান্তিনিকেতনে লিখিতেছেন (৩ জোট ১৩১* )--

*মনভ্তবের অপরূপ রহস্টের মধো তলাইয়। গেছি। আশ্চর্য এই যে, আমার কাব্যের মধ্যে কবিতার ভাষায় আভানে টঙ্গিতে নানা স্থানেই আমি এই সকল কথা বলিয়াছি। আমাদের গোচরাতীত চেতনাকে

£৪৪

পূ ৪৩৭।

প্‌ ৪8৪৪

প৪৪৭।

রবীন্দর্জীবনী

ইন্ছিয়াতীত জগৎকে আমি নানাভাবে স্পর্শ করিয়াছি এবং তাহাছের বার্তা নানা ছন্দে দিবার চেষ্টা করিয্লাছি। অধিকাংশ সময়েই এই প্রদ্নাস আমার নিজের ইচ্ছাকৃত নছে-_ আমার অস্তঃপুরবাসিনী 'কৌতুকমরী' আমাকে দিয়া কখন কী লিখাইয়া লইয়াছেন, তাহা! আমাকে তখন জানিতেও দেন নাই ।” _-একখানি চিঠি, বিশ্বভারতী পঞ্জিকা, মাঘ-চৈত্ম ১৩৫৪, পৃ ২০৩। চা০০০০০ ৬/11119 0) 76 15615 (1843-190] ), চ1)61151) 0১066 8120 25589190 5009160 03650061150. ৪00 5117100311570 11010. 0 1870 : 076 ০06 0006 190150615 ০6 ১০০1৪ 01 ঢ0755158] 2:6558101) 066 919859015408] 50165 ০6 ৬/010509:0) 91561155 ৪6০. 13017)81) [96150139110 920. [ড501518] ০৫6 03০901]9 1000 85 [001151760 11 1903.

১৬শ প্ডক্তি। ইন্দিরা দেবীর সহিত প্রমথ চৌধুরীর বিবাহ হয় নাই। মালিনী হুরিদেব শাস্ত্রী, বৌদ্ধমহিলা রাজনন্দিনী মালিনী তববোধিনী পত্রিকা, শ্রাবণ-ভাদ্্র সংখ্যা,

১৮৪০ শক (১৩২৫ )।

“চৈতালি' কাব্যে শেষ চারিটি কবিতা সনেট-_ ইছামতী, শুশ্রা, আশিস গ্রহণ বিদায়। সেই দিনই প্রার্থনা" নাষে বচিত একটি গান আছে-_ চৈতালি কাব্য ইহাই একমাত্র গান। এই গানে চৈতালি- কাব্যের মধ্যে যে বৈষয়িক বিসম্বাদের সুর পাইয়াছি তাহা! এই গানেও বাক্ক হইয়াছে গানটির প্রথম পঙক্তি-_-“আজি কোন্‌ ধন হতে বিশ্বে আমারে কোন্‌ জনে করে বঞ্চিত” ইত্যাদি বৎসর মাঘোৎসবে গানটি গীত হয়। তত্ববৌধিনী পত্রিকা, ফান্তুন ১৮১৮ শক, পৃ ১৭৪। পুষ্টব্য গীতবিতান প্‌. ১*৯।

পৃ ৪৪৮। কাবাগ্রস্থাবলীতে যে-সব গ্রন্থ সম্গিবেশিত হয়, সেগুলি সবই প্রায় সম্পাদিত অর্থাৎ কবি যে কবিতাগুলিকে

ভালো বলিয়৷ পছন্দ করিয়াছিলেন সেইখুলিই ছাপা হয়। বিসন্তন তো পুনলিখিত হয়। অন্রবাদ অংশ পৃথক করিয়াদেন। ব্বীন্দ্রনাথ পর্যন্ত সংস্বত, পালি, প্রাকৃত, মারাসি সৈথিলী হইতে যে-সব কবিতা বা গ্রস্থাংশ তর্জমা করিয়াছেন, 'ভাহার একটি পৃথক খণ্ড “রূপান্তর? নামে প্রকাশিত হইয়াছে (১৩৭২ )। “অনুবাদ” অংশ পশ্চিমবঙ্গ সরকার -কর্তৃক প্রকাশিত রবীন্দ্ররচনাবঙ্গী চতুথ খণ্ডে বিদেশী ফুলের গুচ্ছ' নামে প্রকাশিত হইয়াছে

পৃ ৪৪৯ পঞ্চম পাদটাকাটি দুইবার হইয়াছে; প্রথমটি চতুর্থ-সংখাক পাদটীকার অস্থর্গত।

পৃ ৪৫৯ “পতিতা? রবীন্দ্-রচনাবলী সথচীতে বাদ পড়িয়াছে | দ্রষ্টবা রবীন্দ্রবচনাবলী ৫ম, কাহিনী, পৃ ৮৪-৯৩।

“ভাষা ছন্দ' | দ্রষ্টবা রবীন্দ্র রচনাবলী ৫ম, পূ ৯৩-৯৭।

পৃ ৪৬৬। দ্বিতীয় অনুচ্ছেদের শেষে “এই'ভাবে কবির জ্যোষ্ট পুত্রের উপনয়ন অহ্থঠান সম্পাদিত হইল” ইহার পরে

৪৬৫ পৃষ্ঠার পাদটীকা অংশ “শান্তিনিকেতন হইতে কবি শিপাইধহ যান” ইন্যাদি আসা উচিত ছিল।

পৃ ৪৭৯। ১৩৯৫ সালের আশে-পাশের কালটা রবীন্দ্রনাথের 'কথা?, “কাহিনী, কল্পনার তথা বিচিত্র কর্মের যুগ।

“ভাষা! ছন্দে 'কাহিনী? 'কল্পনা' সম্বন্ধে রবীন্দ্রনাথের যস্তধা বিশেষভাবে স্মরণীয়: মারদ বান্পীকিকে বলিলেন--

“সেই সত্য যা রচিবে তৃমি,/ঘটে যা তা সব সত্য নহে।, কবি, তব মনোতুমি রামের জনমস্ান,

সংযোজন ৫৪১

অযোধ্ার চেয়ে সত্য জেনে11” “ভাষা ছন্দ' কবিত প্রকাশিত হয় ভারতী, ভাদ্র ১৩০৫ সালের সংখ্যায়, আর আশ্বিন - মাসে লেখেন 'ধতিহাসিক উপস্তাস নামে প্রবন্ধ ( ভ।বতী, আশ্বিন ১৩০৫ দ্রষ্টব্য সাহিতা, রবীন্দ্র-রচনাবল্গী ৮ম, পৃ ৪৪৬ ) সুতরাং এই প্রবন্ধ এক হিসাবে এই সময়ে রচিত।

এঁতিহাসিক তথা কিন্বদস্তীমৃূলক ঘটনা -কেন্দ্রিত কথা, কাহিনী নাট্যগুলির সহিত তথা সতোর (8০1 ৪70 ঢএ৮ ) মধো তথাকথিত বিরোধের নিষ্পত্তি প্রয়াস “ইতিহাসের সংশ্রবে উপঙ্কাসে একটা বিশেষ রসসঞ্চার করে, ইতিহাসের সেই বসট্ুকুর প্রতি গুপন্তাসিকদের লোভ, তাহার সত্যের প্রতি তাহার কোনে খাতির নাই 1--.”

“সতোর জন্য ইতিহাস পড়ো, আনন্দের জন্ত আইভ্ান হো পড়ো পাছে ভুল শিখি এই সতর্কতাক্স কাব্যরস হইতে নিজেকে বঞ্চিত করিলে স্বভাবটা শুকাইয়। শীর্ণ হইয়া যায় 1...”

“যে-বাক্তি ইতিহাস পড়িবার সুযোগ পাইবে না, কাবাই পড়িবে, সে হতভাগ্য কিন্তু যে-ব্যক্কি কাবা পড়িবার অবসর পাইবে না, ইতিহাস পড়িবে, সম্ভবত তাহার ভাগা আরও মন্দ।”

পূ ৪৮৩ শিলাইদহে গুহবিদ্যালম্ন স্থাপনের পূর্বে জোড়ার্সাকোর বাড়িতে রবীন্দ্রনাথ একটা স্কুল খোলেন রধীন্দ্রনাথ তাহার “পিতৃম্থতি, গ্রন্থে এই বিগ্যালয়ের মনোরম বর্ণনা দিয়াছেন। তখন বাংলাদেশে “কিন্ডারগার্টেন শিক্ষাপ্রণালী প্রবর্তনের উদ্যোগী হইয়াছেন অবিনাশচন্দ্র বস্থ নামে ব্রাহ্মসমাজের জনৈক শিক্ষাব্রতী। তিনি তাহার স্ত্রী সরোজিনী বন গৃহবিগ্যালয়ে নিযুক্ত হন। ছষ্টবা পিতৃশ্বতি, জিজ্ঞাসা, ১৯৬৬, পৃ ২৮-২৯। এই গৃহবিদ্যালয়ের অংশ ( রবীন্দ্রনাথের নিজ সন্তান ) শিলাইদহ যায় ১৩০৫ সারা শীতকালে ১৩০৮ সালে শান্তিনিকেতনে রক্ষচর্যাশ্রম স্থাপিত হয় 'বোডিং স্কুল? রূপে

পৃ ৪৮৪। ববীন্দ্রনাথের গল্প কবিতা পড়িয়া জগদীশচন্দ্র কী গভ।রভাবে অভিভূত হইয়াছিলেন তাহার দীর্ঘ আলোচনা শ্রপুলিনবিহা'রী সেন 'জগদীশচন্্র বস্থ প্রসঙ্গে করিয়াছেন দেশ, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৩৬২, পৃ ৩৩০-৩৪।

পৃ ৪৮৫ | লরেন্স। “এক পাগলা মেজাজের চাঁলচুলোহীন ইংরেজ শিক্ষক হঠাৎ গেল জুটে তার পড়াবার কায়দা খুবই ভালো, আরো ভালে! এই যে কাজে ফাকি দেওয় তার ধাতে ছিল না। মাঝে মাঝে মদ খাবার ছুনিবার উত্তেজনায় শে পালিয়ে গেছে কলকাতায়, ভার পর মাথা হেট করে ফিরে এসেছে লঙ্দিত অনুতপ্ত চিত্তে। কিন্তু কোনোদিন শিলাইদহে মন্তুতায় আত্মবিশ্ত হয়ে ছাত্রদের কাছে শ্রদ্ধা হারাবার কোনো কারণ ঘটায় নি।” আশ্রম-বিদ্যালয়ের স্চনা, প্রবাশী, আশ্বিন ১৬৪০ | দ্রষ্টব্য আশ্রমের রূপ বিকাশ ( পৌধ ১৩৫৮)। শিলাইদহে একদিন লবেন্সের জন্মদিন পালিত হয়।

পূ ৫১৯। রবীন্দ্রনাথ ত্রিপুরা স্টেটের উন্নতিকল্পে কী পরিমাণ চেষ্টান্িত হইয়াছিলেন, তাহা ত্রিপুরা আঞ্চলিক রবীন্্-জন্ম-শতবাধিকী সমিতি হইতে প্রকাশিত “রবীন্দ্রনাথ জিপুরা নামক গ্রন্থে বহুবিস্তারে আলোচিত হইয়াছে। কতকগুলি দুপ্রাপ্য পত্র মুদ্রিত হওয়ায় আমাদের বক্তব্য আরও সমর্থন লীভ করিয়াছে।

নির্দেশিকা

“অকারণ কষ্ট ( প্রবন্ধ ) ১৪৩

“অকাল কুম্মা্ড (প্রবন্ধ ) সাবিত্রী লাইব্রেরিতে পাঠ ১৮০৩

“অকাল বিবাহ" ( প্রবন্ধ ) ৩১০১ ৩১১

অক্রুর দত্ত ১৮৬ পা-টী

অক্ষমা ( সোনার তরী ) ৩৮৫

অক্ষয়কুমার দত্ত ৮, --ও তত্ববোধিনী পত্রিকা ১৮

অক্ষয়কুমার বড়াল ৩৯১

অক্ষয়কুমার জৈত্রেয় _-পিপটউতের অন্য তম ৩৫৩, ৩৭৪ --সিরাজদ্দোলা? গ্রস্থ 3৭৮ _-তিহাসিক চিত্র" পত্রিকা ৪৭৯ --ও রেশমশিল্প ৪৮৫

অক্ষয়চন্্র চৌধুরী ৬২, ৬৭ পা-টী ২, ৬৮, ৭৩, ৭, ৯৯-১০২, ১২৮, ১২৯, ২১৫১ ৪৯৭, ৫২১) ৫২৮ -উদ্বাপিনী' কাবা ৫৯ পাঁ-টী ৪, ৬৭ পাটা দ্র. গোল্ডশ্মিথের হারমিট __-“অভিমানিনী নিরবিণী' ৬৭ পা-টী ২, ১৬৩ পা-টী _কে পাধাণহদয় কেটে, (কবিতা) উপহার ৬৭ পা-টী -_-ও 'বিবাহ-উতৎ্সব' ১৯৩ --ও “পারিবারিক স্তি' ২৬৭ __শ্্টিগ্রলয়ের তত্ব" ৩৮৩

অক্ষয়চন্জ্র সরকার ৫৪-৫৫,) ০৫৩, ৪৩২ _'সাধারণী? সম্পাদক ৪৫ দ্র. প্রকৃতির খেদ --পজিটিভিদম্‌ সম্বন্ধে ২*৪-২০৫ _-প্রাচীনকাবাসংগ্রহছ" সম্পাদন ২১৭

--ভাই হাততালি' প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথের রূপ-প্রশংস!

৩৩ --বঙ্গভাষার লেখক ৫৩৫-৫৩৬

অঘোরনাথ চট্টোপাধ্যায় ২৬৮ পাঁটী --মেয়েশি ব্রত'-এর কবিক্কত ভূমিকা ৪৪৯ সর. কালিয়ও

অঘোববাবু ( গৃহশিক্ষক ) ৩২-৩৩

'অচলায়তন? ২২৩, ৩৩২

“অচলস্তি” ৩৮৩ দ্র. শি্টিপ্রলয়ের ত₹ 'অচলিত সংগ্রহ' ( রচনাবঙ্পী ) সম্পর্কে “নিবেদন? ৫৭ “অচির বসস্ত হ'য়, এল গেল চলে" ( উত্সগ ) ৪৯৫ “অচেনা? (ক্ষণিকা ) ৪৯৯ অচ্ছুৎ-সমস্তা “প্রক্কতির প্রতিশোধ” ১৭৫ অচ্যুতানন্দ স্বামী, শান্তিনিকেতনের আশ্রমধারী ৩১৬, €৬৯ অজয় রেলসেতু নির্মাণ (১৮৫৯ ) ৪* অজিতকুমার ঘোষ, “বাংলা নাটকের ইতিহাস ৩৪৫ পা-টী ১, ৩৫* পা-টী ২,৪৩৫ পা-টী অজিতকুমার চক্রবতী, “বুবীন্দ্রনাথ' ৪৯৮ পাটা _-ছুঃসময়' ( কল্পনা ) কবিতা সম্বন্ধে ৪৫১ _কে লিখিত পত্র ( আধাড় ১৩১৭ ) ৩৭৭ অটলকুমার সেন _-গোড়ায় গলদ" অভিনয়ে ৩৪৬ --'বিসজজন' অভিনয়ে ৫*৮ পা-টা অডেন ( 404617, ৬.7. ) ১২২ 'অতিথি' ( গল্প) ৪২৩, ৪২৬. “অতিবাদ' ( ক্ষণিকা ) ৪৯৯ “অতীত ভবিষ্যৎ ৬৩ দ্র. “শৈশব-সঙ্গীত' 'অদ্বৈতবাদ আধুণিক ইংরাজকবি' (প্রবন্ধ ) ১৪৬ “অনঙ্গ আশ্রম" ৩১৪ ত্র. চিত্রাঙ্গদা “অনধিকার প্রবেশ? (গল্প ) ৩৯৮ দ্র. হ্যামারগ্রেন “অনস্ত পথে ( চৈভালি ) ৪৪১ পা-টা “অনন্ত প্রেম” ( মানসী ) ২৭৯ “অনাদূত' ৩৬৪ দ্র. 'জালফেলা? “অনাবশ্যক' (প্রবন্ধ ) ১৮১) ১৮২ অনুকরণ সম্পর্কে মত ৪৭৪ দ্র. 'নকলের নাকাল, “অনুগ্রহ' ( সন্ধাসংগীত ) ১২৫ অহুবাদ-সাছিত্য ৮৪-৮৭) ৮৯-৯০ “অন্তর্যামী' ( চিত্রা ) ৪০৪, ৪০৫ অন্ধকৃপ-হুত্যাকাহিনী সম্বন্ধে অক্ষয়কুমার মৈজ্রেয় ৪৭৮ স্তর. “সিরাজন্দৌলা, অন্নদা প্রসাদ ঘোষ _“বিসর্জন' অভিনয়ে মন্ত্রীর ভূমিকায় ৫৯৮ পাঁ-টী অল্নদাশদ্বর রায় ২১৯ পা-টী ১, ৩৭২ পা-টী

€69

“অন্যায় যে করে, আর অন্যায় যে সহে ৪০১ “অপমানের প্রতিকার” ( প্রবন্ধ ) ৩৬১, ৪০১) ৪৪৩ “অপর পক্ষের কথা? (প্রবন্ধ ) ৪৭৬ পাটা “অপ্সরা-প্রেম' ৬৩, ৬৬ দ্র" শৈশব-সংগীত। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৫, ২৩২, ৩৪৮ ৪৪৬ -ছৰি আকা শেখা ৩৩৯ -_-অশীকবাবু' অভিনয় সঙ্থন্ধে ৩৪৭ _-বাজা! রানী' অভিনয় সম্বন্ধে ৩৪৯ --চচিত্রাঙ্গদা'র ছবি আঁকা ৩৩৭৯, ৩৭৮ -_নিদী"র ছবি আকা ৪৩২ পাঁ-টী -এর “শকুন্তলা” ( বালাগ্রস্থাবলী ) ৫৩২ পা-টী _-বৈকুষ্ঠের খাতা” অভিনয়ে 'তিনকডি'র ভূমিকায় ৪৫ অবস্তী দেবী, ভক্তকবি মধুন্থদন রাও ৩৬৩ পাটা “অবজিত' (নবজাতক ) ৫৭ “অবসর সাহিতাস্ট্টি ২৪৮ “অবসর সরোজিনী', রা্জকষ রায় -রচিত ৩১ দ্র. 'ভুবনমোহিনী প্রতিভা অবোধবন্ধু পত্তিকা ৩৪, ৩৫, ৬৮ অভিজ্ঞা দেবী ( হেম়েন্ত্র-কন্তা ) ৩১২ অভিনয়-তালিব1--( ববীন্দ্রনাট ) কালমুগয়া' ১৬৮-৬৯, ৩৪৮ “গোড়ায় গলদ ৩৪৬-৪৭) ৩৫১ “চিত্রাঙ্গদা' ৩৪৩ পা-টী 'বাম্মীকি-প্রতিভা' ১০২ পা-টী ৪) ২৩২) ৩3৮ 'বিবাহ-উৎসব+ ১৯৩ “বিসর্জন” ৫০৮) ৫১*-১১) ৫১৯ “বৈকুষ্ঠের খাতা" ৩৪৭) ৪৫* “মায়ার খেলা ২৭০, ৩৪৮ রাজা! বসম্তরায় ১৫৭-৫৮, ২৩৩, ৩৪৮ “রাজা রানী” ৩৪৯ অভিনয় নাটামঞ্চ ৩৪৪-৪৫ অভিনয়ে অংশ:হ৭ -অন্ধমুনি, 'কালযুগয়। গীতিনাট্যে ১৬৮ _অলীকবাবু, “এমন কর্ম আর করব না' নাটকে ৩৪৭ --কের্দার, “বৈকৃঠের খাতা প্রহসনে ৩৪৭, ৪৫০ _বাল্মীকি, বাল্সীকি-প্রতিভা"য় ১০৩) ২৩২ মদন, “মানময়ী'তে ৯৮১ ১০৩ পা্টী _বঘুপতি, 'বিসর্জন' নাটকে ৫*৮ পা-টী ৫১১ “অভিমান' ( চৈতালি ) ৪৪৩ 'অভিমানিনী নিঝরিণী' ( অক্ষয়চন্দ্র চৌধুরী -রচিত ) ৬৭ পাঁটী ১৬৩পা-চী

রবীন্দরঞ্জীবনী

“অভিলাষ' (কবিতা ) তত্ববোধিনী পত্রিকার অনামে গ্রকাশিত ৪৫ পা-টা অমরনাথ বনু _-“বিসর্জন' অভিনয়ে নক্ষত্রবায়ের ভূমিকায় ৫*৮পা-টী অমরমাণিক্য ( 'মুকুট? ) এতিহাসিক ব্যক্তি ২২১ পা-টী অমরাবতী কন্গ্রেস (১৮৯৭ ) ৪৬৪ অমল হোম ১৯৭ অমিয় চক্রবর্তী _কে হাল-আমলের কাবা সম্বন্ধে পত্র ১২২ পাঁ-টী অমুভবাজার পত্রিকা ৫৫ _তে “হিন্দুমেলায় উপহার" (স্বনামে মুতিত প্রথম কবিতা ) প্রকাশ ৫০ পা-চী ১১ ৬২ অমুতলাল পপ _-“বিসঙ্ঞন' অভিনয় (পাক স্্রীটে) সন্বষ্ধে ৫১১ পাঁটী অমৃতসরে পিতার সহিত (১৮৭৩) ৪১ “অয়ি বিষার্দিনী বীণা ( গান ) [জাতীয় সংগীত ২য় সংস্করণ ) ৫১ পা-টী ১১) 'অয়ি ভুবনমনোমোহিনী? (গান ) ৪৪৯ অরবিন্দ ঘোষ, 117007১181952-এর প্রবন্ধে বক্ষিষ-গ্রশন্তি ২৫৪ পা-চী অকুণ ভট্টাচার্য ৫২৯ অরুণেন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৩, ২৯৩ অলক দেবী (ম্বারকানাথের মাতা ) ৫, ৭, 'অলীকবাবু' _জ্োতিরিক্ছনাণের এমন কর্ম আর করব না' প্রহসনের নৃতন সাস্করণের নাম) সংগীত-লযাজে অভিনয় ৩৪৬ ভূমিকায় রবীন্ত্রনাথ ৩৪৭ “অশ্রমতী' ( ফ্রোভিবিঙ্ত্রণাথ-রচিত নাটক ) ৩৪৬ “অসবর্ণ বিবাত-আন্দোলন? (১৮৭২ )২*৩ “অসম্ভব গল্প' ( গল্প )২৮ পা-চী ৩৩ “অসহা ভালোবাস, ( সন্ধ্যালংগীত ) ১২৪ অস্থিবিদ্যা শিক্ষা-স্থতি ৩৩১ পা্টী জর. কিঙ্াল' “অহলা[র প্রতি" ( মানলী ) ২৯২ 'আ'গে-স্থাক্সন আংলো নর্যান' ( প্রবন্ধ) ৮৪ আকৃদয়ার্থ, মাবাঠিগাথা ৪৬১ দ্র 'সতী' পাটক আটকিনসন, সার চার্লস _ভারতীয় পাবলিক সাধিস কমিশনের সভাপতি (১৮৮৬ ) ২৮৯

আনা কাণিনা €(/১10708 08161078 ) লত্বন্ধে হত ২৭৪

নির্দেশিকা

'আ্যলিমেল ম্যাগনেটিজম্‌* (1710081 882601500 ) গ্রন্থপাঠ ২৮২ ভর. মেসমাবেজিম্‌ জ্যালবার্ট হলে তর্কচূড়ামণির বন্কৃতা শ্রবণ ২০৯

আইরিশ মেলভীজ (11151) ?6100165 ) ৬২১৬৮

আকাশপ্রদীপ ১৯৬ জর. শ্তামা', কাচা আম'

“আকাশের চাদ? ( লোনার তরী ) ৩২৭১৬৩২

“আকুল আছ্ষান? ( শিশু ) ১৯৯, ২২* জর. পুষ্পাঞ্জলি

(আখির অপরাধ ২৬৩, ৫৩৬ (ুরদাসের প্রার্থনা” জর, শুত্রাশু মুখোপাধ্যায়, রবীন্র-কাব্যের পুনবিচার )

“আখির মিলন? ২৬* ভর, দেবেজ্ত্নাথ সেন

আখমাড়াই কল, কুষ্টিয়ায় ৪৮৭

“'আগস্তক' (মানসী ) ২৯৪

“আগমনী” বাধিকে মাতৃবন্দন! ১২

“আগে চল্‌ আগে চল্‌ ভাই' (গান) কলেঙ্গ ছাত্রসম্মেলন উপলক্ষে রচিত গীত ( ১৮৮৭ ) ২৪৮

“আচারের অতাচার' ৩৫৫ পা-টী দ্র, 'কড়ায়-কড়া কাহনে-কানা”

“আজি যোর ভ্রাক্ষাকুঞ্জবনে' ( “উৎসর্গ, '“চৈতালি' ) ৪৪

“আতার বিচি' ( ছড়ার ছবি ) ২৫ পা-টী

'আত্মসমর্পণ' ( সোনার তরী ) ৩৮৫ পাঁ-টী

'আত্মা' (প্রবন্ধ) [আলোচনা গ্রস্থতুক্ত ] ১৯*

'আত্মীয়সভ1, ( বামমো রায় -স্বাপিত )

আদমহমার (0017505 : "৮৯১ ) ১৫১

“আদর্শ গ্রেম' (বিবিধ প্রসঙ্গ ) ১৩২

আদিতাকুমার ওহদেদার ৩১৯. ৫২৮ --উদ্বালিনী' কাবা সম্বন্ধে ৫৯ পা-টী _-“চিত্ঞাঙ্গদ।' সম্বন্ধে ৩৪৩

আদি ত্রাক্ষপমাজ ১২১ ২৭, ২৮) ৫৩) ২০৮, ২৩১ রবীন্দ্রনাথ সম্পাদক ( ১৮৮৪-১৯১২ ) ২৯১, ২০৫- ২৯৭, ২১৯) ২২৬, ৪৬9 --ও “নবাহিন্দু সম্প্রদায়? ( বন্ধিমচন্্র ) ২০৬ _-কৈকিয়ৎ' প্রবন্ধে উত্তর ২০৬ --এব জন্তু 'বাল্পীকি-গ্রতিভা? অভিনয় ২৩২, ৩৪৮ মন্দিরের স্থলে জোড়া্সীকোর বাড়িতে মাখঘোৎসব (১২৯৩ হইতে ) ২৪৫

“আদিম সন্বল' (প্রবন্ধ ) ৩৩৮ পা-টী

“আধার আগিতে বজনীর দ্দীপ'-_ 'নিষ্ষমণ” নামে কাব্য- খণ্ডের গ্রবেশক কবিতা ( নৈবেছ্য ) ১৬৬

আধুনিক কাব্য সম্বন্ধে পত্র (অমিয় চক্রবর্তীকে) ১২২ পা-টী১

আনন্দচজ্জ বেদান্তবাগীশ ৩৮, ৪৩

উঃ

৫৪6৫

“আনন্দমঠ' ( বঙ্ধিষচন্দ্র ) ১৫৫ -সম্বদ্ধে কবির মত ১৫৯ আনন্দমোহন বস্থ ( প্রথম ভারতীয় র্যাংলার ) ৫২, ৩৫৪ -চ্টাশনাল কনফারেন্সে ( ১৮৮৩ ) সভাপতি ২২৯ “আনন্দেল হাউস' (দাঙ্গিলিং)-এ জগদীশচন্দ্রের সহিত ৪৯৬ আনাতোল ফ্রসের “ক্রাইম অব সিলভেস্টার বর্নাভ'পাঠ ৫৮ আন্না তড়খড় ৮৭, ৮৮ পা-টী ১, ৫২৯ দ্র. 'কবিকাহিনী” আফ্রিকার ভবিষ্ত", সম্বন্ধে ( ১৮৯০ ) ২৯৭ আবছুল করিম _-মুসলমান রাজত্বের ইতিহাস” ৪৭৯ পা-টী আবদুল কাদের বাংলা ছন্দ সন্বন্ধে ৩০১ পা-টী “আবেদন? ( চিত্রা) ৪২৮-২৯) ৫৩৯ “বারের আইন' (প্রবন্ধ ) ৪১৬ পা-টী “আমরা মিলেছি আজ মায়ের ডাকে ( কলিকাতার প্রথম কংগ্রেসে গীত ) ২৪৪ “আমার জীবন' ( নবীনচন্ত্র সেন ) ৫€ পাঁ-টী ১, ৩২৪ পা-টা ৪, ৩৯৬ পাটী ২,৪০১ পা-টী ১,৪০৫ পা-টা “আমার ধর্ম প্রবন্ধে 'এবার ফিরাও মোরে? কবিতার কথা ৩৯২ “আমার বালাকথা আমার ( সতোঙ্্রনাথ ) ২৭২, ৫৩৬ “আমার সুখ" ( মানসী ) ২৯৮-৯৯ আমি চিনি গো চিনি? ৫৩৯ “আমিয়েলস্‌ জনাল' ( /1016115 0০9810091 ) ৩৯৩ _ সম্বন্ধে মহধি দেবেন্দ্রনাথ ৩৯৩ পা-টী আমেদাবাদে (১৮৭৮ ) ৮০-৮৭ জু. ক্ষুধিত পাষাণ” ৮১, ৪১৮ _শাহিবাগের বাড়ি ৪১৮ “আয় কল্পনা মিলিয়। ছুজন।” ৬* দ্র. প্রলাপ' “জায় তবে সহচরী” ( গান ) ৯৮ দ্র মানময়ী? “আয় দুঃখ, আয় তৃই' ( সন্ধ্যাসংগীত ) ১২৬ আর্টের আবহাওয়৷ ( জোড়ার্সীকোয় ) ২৫ আর্টের খাতিরে আর্ট ১৭৯) ২৪২, ২৪৭ দ্র. গোতিয়ে আনন্ড (ম্াখু) সমকালীন ইংরেজ-সাহিত্যিক ১৪৬ “আর্য অনা ( হেয়ালি নাটক ) ২১২-১৩ “আধ' ২১৪ 'আরামি? ২৬৪ “আর্যগাথা ( দ্বিজেন্্রলাল রায় ) সমালোচনা ৪২৯ আর্যদর্শন পন্জিক1 ( যোগেজ্জনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় -সম্পা্দিত ) ৫৫১৬৮

বোশ্বাই প্রবাস"

৫৪৬ ববীন্দ্রজীবনী

আধদর্শন পত্রিকায় মাৎসিনীর জীবনী ৫২ য় সারদামঙ্গল' (বিহারীলাল ) ১৭২ “আর্ধ ধর্ম সাহেবিআনা' (প্রবন্ধ ) দ্বিজেন্নাথ ঠাকুর-কর্তৃক পাঠ ৩১* . পানী "আর মহিলা সমিতি' ( বমাবাঈ-স্থাপিত ) ২৭৩ আরধসমাজ ব্রাহ্মমমাজের মিলন-প্রচেষ্টা --বলেন্দ্রনাথের ৪৬৬ 'আর্যামি'কে বিদ্ধপ ২১২-১৩, ২৬৪ দ্র. “আর্য অনাধ, “'আলশ্ত সাহিত্য? (প্রবন্ধ ) ২৪৮ পা-্টী দ্র. "অবসর সাহিত্যস্থতি' ২৪৮ আলালী-ভাষা ১৮ “'আলালের ঘরের ছুলাল' (প্যারীষ্ঠাদ মিত্র ) ১৮, ১৫৩ পা-্টী 'আলোচন। ( প্রবন্ধ-সংগ্রহ ) মহবিকে উতৎসগিত ১৭৯, ১৮৮-৪৯৩ “আলোচনা সভা ৪৫৯ “আশঙ্কা? ( মানসী ) ২৭৯) ২৮০ 'আশার নৈরাছ? ( সন্ধ্যাসংগীত ) ১২৭ আান্ততোষ চৌধুরী ১৪১ ২১৫) ২১৭) ২৬৭, ৩০১ পা-টী ৩, ৫২৩ _বু বিবাহ ( ১৮৮৬ ) ২৩৪ --কবির সহিত পরিচয় (১৮৮১ ) ২৩৫ --কড়ি কোমল” সম্থন্ধে ২৪১ আশ্ততোষ মুখোপাধ্যায় ৫২৮ “আশ্রষ-বিগ্যালয়ের হচনা” ৪১ পাঁটী আশ্রম প্রতিষ্ঠা, শান্তিনিকেতনে ( অক্টোবর ১৮৮৮ ) ২৬৮, ৯১ - উপলক্ষে উপাসনায় অংশগ্রহণ ২৬৮, ২৯৯ “আশ্রষের রূপ বিকাশ' প্রবন্ধে 'পরশ-পাথর' কবিতা সম্বন্ধে ৩২: পা-টী - লরেন্স প্রসঙ্গ ৫৪9১ আসামে বাংল! শিক্ষা ৪৭৩ পা-টী ক্র. ভাষাবিচ্ছেদ? “'আহারতব' ( চজ্্নাথ বন্ধ ) ৩১৬, ৩৩৬ প্র. সাহিত্য" পত্রিকা 'আহার সন্বদ্ধে চন্দ্রনাথ বন্র মত" (প্রবন্ধ ) ৩১৬ “আহ্বান গীত' ( কড়ি কোষল ) ২২৯ পা-টী ১,

0৩

ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট --এ “চতালি'র বিকদ্ধ সমালোচনা পাঠ ( হেমেত্দ্র প্রসাদ ঘোষ ) ৪৪৭ -__এ গাদ্ধারীর আবেদন' পাঠ (অগ্রহায়ণ ১৩৯৪) ৪৬৪ ইংরাজ ভারতবাসী" ( প্রবন্ধ ) ৩৮২) ৪১৯) ৪১১ --তে গুরগোবিন্দের নির্জন সাধনার কথ] ২৬৫, ৪১২ ইংরেজি উপন্যাস সম্ন্ধে মত ৩৩৪ ইংরেজি গান নাচ শিক্ষা ( বিলাতে )৯* ইংরেজিতে নিজ কবিতার প্রথম অনুবাদ ( নিক্ষল কামনা” ) ২৬৭ পা-টী “ইংরেজদিগের আদব-কায়দা" (প্রবন্ধ ) ৮৩ “ইংলিশম্বীন' দৈনিকে ভারতীয়দিগকে পদাঘাত করিয়া! কথা বপিবার নির্দেশ১৩৯ পা-টী জ. 'জুভাবাবস্থা' ( প্রবন্ধ ) 'ইচ্ছাপূরণ' (গল্প) দ্র. 'সথা সাথী? ৪১৯ ইঙ্ডয়ান ন্তাশনাল কনফারেন্স ২২৯ ইপ্ডিয়ান মিরার" পত্তিকা ১৮৩ ইন্দিরা দেবী ১৪, ৯১, ২২৯) ২৫৫, ২৭৪), ২৮১১ ২৯৮, ৩০৬, ৩২১১ ৩২৩, ৩২৫) ৩২৬, ৩২৯, ৩৪৩, ৩৬৪০, ৩৬৭, ৩৭০) ৩৭১) ৩৭২) ৩৮০) ৩৮২, ৩৯৩, ৩৯৯, ৪০০, ৪*৫), ৪১৬, ৪১৭) ৪২২) ৪২৩, ৪২৪, ৪২৭) ৪২৮, ৪৩২ পা-টী ২, ৪৩৭, ৪৩৮, ৪৩৯) ৫২২) ৫৪০ কে লইয়া হাঙ্গারিবাগে ২২৬ _-কে প্রভাতস'গীত' উতৎ্সগিত ১৬৭ ইন্দুপ্রকাশ? ([170109515755 ) পঙ্জিক। ২৫৪ পাঁ-টী দ্র. অরবিন্দ ঘোষ ইন সার্চ অব জীসাল? ( [17 9৫711) 15505 ) _ধীরেন্দ্রচন্্র চৌধুরী -রঠিত ৪৬১ ইফেল তোরণ (পারিস ) --এ আরোহণ ২৯৬ ইমুল (016), জর্ত ১৭০, ২৯৯ দে. জঙ্ ইমুল ইরাবতী ( সৌগামিপী সারদা প্রসাদের কন্যা ) ১৪, ২৫ ইলবার্ট বিল ১৮২-৮৩, ৩৬০ ইলিয়ট, চার্ল লঙ্রেড (বাংলার ছোটলাট ১৮৪৯০-৪৯৫ ) ৩৬১

ঈশা বাশ্তমিদং দ্র. ঈশোপনিষদ

ঈশোপনিষদ (রাষযোহন রায় -গ্রকাশিত ) ঈশ্বর ( ভৃত্য ) ২৯, ৩৯ |

নির্দেশিক!

ঈশ্বর গুধ (১৮১২-১৮৫৯ ) ১৭

ঈশ্বরচন্দ্র বিচ্যাসাগর ১৮, ১৯ ৩০১ ২৫৩ পা-টী ১,৪৮২ এর খ্বী-শিক্ষা বিধবা বিবাহ-বিষয়ক আন্দোলন ১৭) ২০৩ কর্তৃক “তত্ববোধিনী পত্রিকায় সংস্কৃত মহাভারতের অন্গবাদ ১৭ --এর বর্ণপরিচয়' পাঠ ২৯ --কে মাকৃবেথের নিজক্লুত অনুবাদ শোনানো ৪৪ --এর মৃত্াম্মরণ দিবসে 'বিচ্যাসাগর? সম্বন্ধে প্রবন্ধপাঠ ৪২৩ দ্র. এমারেন্ড থিয়েটার

উচ্ছৃঙ্খল? ( মানসী ) ২৯৪ উিজ্ঞল কর হে আজি' (স্থহৎনাথ নলিনীর বিবাহ উপলক্ষে রচিত গান ১৩*৩ ) ৪৪৪ উজ্ভলকুমার মজুমদার ৫২৯ “উঠ বঙ্গকবি, মায়ের ভাষায়” ( কড়ি কোমল ) ২২৯ দ্র. আহ্বান গীত' উঠ বঙ্গভৃমি, মাত: (গান) গুকুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় -বচিত ১৯৩-১০৪ উডফীন্ড ( বলক্ষেত্র) সিমলায় কয়দিন (১৮৯৩) ৩৮৩ পা-টী উড়িস্যায় প্রথম জমিদারি তদারকে (১৮৯১) ৩১৩ _ চিত্রাঙ্গদা"র প্রথম খসড়া ৩১৩ ভর, অনঙ্গ আশ্রম? _ভুবনেশ্বরের মন্দির প্রথম-দর্শন ৩৬২ পা-টী অজ, “মন্দির ১৮৯৩ জমিদারি পার্টিশন উপলক্ষে (১৮৯৬ ) ৪৪৪ মালিনী” নাটাকাবা রচিত ৪৪৪ _বাংলাশিক্ষা ৪৭৩ পা-টা ভু, 'ভাষাবিচ্ছেদ' _--কোনারক-দর্শন ৩৬১-৬২ 'উত্তরপ্রত্য্তর' ( বালক ১২৯২ ) ২২৭ পা-টা উত্তরবঙ্গ ৩২৫, ৩৮৯১ ৪২৭) 88৪8) ৪৭২ -জমিদারি সফর ৩১২-১৩ উৎসব" ( চিত্রা ) বলেন্দ্রনাথের বিবাহ উপলক্ষে রচিত ৪৩২ পাটা “উত্সগ' ( চৈতালি ) ৪৪, দ্র. আজি মোর ভ্রাক্ষাকুঞ্চবনে' উদদাসিনী' কাব্য ৫৯, ৬৬, ৫২৭ দ্র. অক্ষয়চন্ত্র চৌ --ন উতম গোল্ডন্মি লিখিত হাছিট (17600010) ৫৯ পা-টী ৪, ৬৭ পা-টী ২, ৫২৮

৫৪৭

উদ্ধার গল্লের সমালোচনা ৫০৩ উিন্নতিলক্ষণ” ( কল্পনা ) ২১৩ পাঁ-টী ১, ৪৭৬ পা-টী “উপক্রমণিকা' ব্যাকরণ মুখস্থ করা ৪২ উপনয়ন, রবীন্দ্রনাথের (১৮৭৩ ) ৩৮-৩৯ -_বধীন্দ্রনাথের (১৮৯৮ ) ৪৬৫-৬৬ উপহার? ( সন্ধ্যাসংগীত-গ্রন্থশেষে ) ১২৯ “উপহার? ( মাননী ) ৩৯০ “উপহাবগীতি' ৬৪ দ্র. ভগ্নহদয়ের এই প্রীতি উপহার? উপন্তাস সম্বন্ধে ১৫২-৫৩, ৩৩৪ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ৪৩২ পা-টী উ্লেশচন্জর দত্ত ২৩১ _ব্রাঙ্মলমাজের সম্পাদক ৪৮ __“বিসর্জন' অভিনয়ে ( পার্ক স্্ীটে ) উপস্থিত ৫১১ উমেশচন্ত্র বন্দ্যোপাধ্যায় ৬.0. 9977761166 ) ৩০৯, ৪8৫৬ -বোম্বাই-কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে (১৮৮৫) সভাপতি ২২৯ “উর্বশী, ( সোনার তরী ) ৩৫৮, ৪৩০-৩১ সম্বন্ধে চাকুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়কে পত্র ৪২৯ পা-টী

প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়কে পত্র ৪৩* পা-টী

“মিলা” কাব্য ২৬* দ্র. দেবেন্দ্রনাথ সেন উধা দেবী ( দ্বিজেন্দ্রনাথের কন্তা ) ১৩

কজুপাঠ' হইতে সংস্কৃত পাঠ গ্রহণ ৪২

“এক চোখো! সংস্কার? (প্রবন্ধ ) ১৩৮ পা-টী “একটি আধাঢে গল্প” (গল্প ) ৩৩২ 'একটি পুরাতন কথা" (প্রবন্ধ ) ২০৫ পা-টা “একদা! গ্রলয়শিক্ষা বাঞ্জিয়] রে উঠিবে? ৯৯ দ্র, ছরহদে কালিকা একছুত্রে গাখিলাম সহম্রজীবন? (গান ) ৫১ দ্র 'তারতী বালক' পত্রিকা ( ১৮৮৯) “একন্থজে বীধিয়াছি সহত্রটি মন' (গান ) ৫*১ ৫১ পা-টা (২) দ্র, 'পুক্কবিক্রম নাটক' “একান্নবর্তী পবিবার” ২১৩) ২৪৫ --ও বাল্যবিবাহ ২৫৩, ৩৯৮

৫৪৮ ববীজ্জীবনী

“একি একি ওগো কল্পনা সখি 1” ৬১ পা-টী সর. 'ফুলবালা'

“একেই কি বলে সভ্যতা” ৩৪৫

এজরা পাউও (7218 0০90৫ ) ১২২

এডুকেশন গেজেটে প্রভাতসংগীত'-এর সমালোচনা ১৬৭

এভেন-এ জাহাজ বদল ২০৫

এবার ফিরাও মোবে' ( চিত্রা ) ৩৯২, ৩৯৪, ৫৩৮ দ্র. আমার ধর্ম?

“এবার চলিহ্ তবে" ( কল্পনা ) ৪৫৮ দ্র. “বিদায়”

“এমন কর্ম আর করব না” নাটকে অল্লীকবাবুর ভুমিকায় ৩৪৭

প্রমাবেজ্ড থিয়েটার _ বসন্ত রায় অভিনয় ( ১৮৮৬ ) ২৩৩ _মস্ত্রিঅভিষেক' পাঠ (১৮৯০) ২৮৮) ৩৮২ চিত্রাঙ্গদা” অভিনয় (১৮৯২ ) ৩৪৩ পা-টী রাজা রানী" অভিনয় ৩৪৯ _বিষ্ভালাগর সন্বদ্ধে প্রবন্ধপাঠ ৪২৩

এম্বারেন্ড বাওয়ার £0061514 6০01 ) ৬২ সর. ম্রকত-কুঙ্জ' _-এ হিন্দু কলেজ রি-ইউনিয়ন সভায়

বঙ্কিমচন্দ্রকে প্রথম দর্শন ( ১৮৭৬ ) ৬৩

“এলিষেনটুস্‌ অফ পলিটিক্স" (০16101705০৫ [১0116105 ) গ্রন্থপাঠ ৩২১ পা-টী

এলিয়ট (51109, 1. 5.) ১২২

এলিয়ট জর্জ )-এর নভেল সম্বন্ধে ৩৩৪

এশিয়াটিক সোসাইটি

“এসো এসো ফিরে এসো, বধু হে" (গান ) ৪০১ পা-টী

“এ আসে অতি ভৈরব হরষে" ( কল্পনা ) ৪৫২ “এ মহামানব আসে? ( গাঁন ) ১৮৮ এঁতিহাসিক উপন্যাস সম্বন্ধে ১৫৩-৫৪ 'এতিহাসিক চিত্র" পত্রিকা ৪৭৯

দ্র. অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়

ওয়ার্ডস্ওয়ার্থের ধর্মীয় কবিতা ১৪৫ “ওয়ার্লভ, ইন স্পেস? ( ৬7০01 10. 57806 ) ৩৯৯ ওয়!লেস €( ৬/৪114০6 )-এর 'ডারউইনিজম্‌?

পাঠ বাংলায় তর্জমা! করার ইচ্ছা! প্রকাশ ২৯৯

ওয়াল্‌স ( পুরীর ম্যাজিস্ট্রেট )এর অসৌজন্ত ৩৬২ ওয়েডারবান ছিন্দুমুসলমান বিরোধ সম্বন্ধে ৪১৪ “ওরিজিন আযান্ড ফাংশন অব. মাজিক' (02180) 8170 ঢ01)00017 067 951০ ) [ প্রবন্ধ ] দ্র. “সংগীতের উৎপত্তি উপযোগিতা ১০৫ ওরিয়েপ্টাল সেমিনারি দ্র, গৌরমোহন আট্যের স্কুল _--তে ভত্তি ২৯, ৩০ “ওহে জীবনবল্পভ, ওহে সাধনছূর্লভ' (গান ) ৩৯৬, ৫৩৮

“উপনিষদ বন্ধ', শাস্তিনিকে তন পৌঁধ উৎসবে (১৩০৬ ) ভাষণ ৪৯৩

“কস্কাবতী' ( ভ্রেলোকানাখ মুখোপাধ্যায় -বচিত ) গ্রন্থের সমালোচনা ৩৭৪, ৩৭৫ “কস্কাল' ( গল্প ) ৩২১, ৩৩১, ৪৩৪ __বালাস্বতি ২৯ কটক ৩৬৭, ৩৬১১ ৩৬২ দ্র. বিহাবীলাল গণ '_-এ নদীপথে (১২৯৮ ) ৩১৩ _-এ পুরী হইতে ৩৬১ _্রাক্ষসমাজে গান ৩৬৩ পা-টী --কটক পুরী কোনারক ৫৩৮ কড়াক্রাস্তি' ( চন্দ্রনাথ বহর প্রবন্ধ ) ৩৫৫ পা-চী “কড়ায়-কড়া কাহনে-কানা' ৩৫৫ পা-টী প্র. “আচারের অত্যাচার কড়ি কোমল ১৭৭৯, ২১৭, ২২৯) ২৫০-৫১) ২৬১) ২৩০-৪৯, ৫২৩, ৫৩৫ _-এর সম'লোচনা, কালীপ্রলন্ন কাব্যবিশারদ -কর্ডক ২৪৩ __দেবীপ্রসঙ্ন রায়চৌধুরী ("নব্য ভারত" )-কর্তৃক সমালোচন] ২৪৩ --কে “কাব্যি' বলিয়া বাঙ্গ ('নবজীবন? ) ২৪৬ আশুতোষ চৌধুরী -সম্পাদিত ২৪৩ পা-টী --সতোন্ত্রনাথ ঠাকুরকে উৎ্সগিত ২৪৩ পা-ী _সম্বদ্ধে আটতোধ চৌধুরীর মত ২৪১, ৩৯১-৩০২ -_এর দ্বিতীয় সংস্করণ ( ১৮৯৪ ) ২১১, ৩৯৯ এর ভূমিকা ববীক্্-রচনাবপীতে ২৪১ পা-টী সর. “কবির মন্তবা কিণারক মন্দির' দ্র কোনারক “কণিকা” ( কাবা ) ৫২৪ _ প্রমধনাথ রায়চৌধুরীকে উৎমর্গিত ৪৮৯ --সম্থন্ধে চাকুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ৪৮৯ পা-টী

নির্দেশিকা

“কণ্টকের কথা” (সোনার তরী ) ৩৮৬ পা-টী “ক্রোধ? (প্রবন্ধ ) _-কলিকাতা টাউন হলে পাঠ (১৮৪৮ ) ৪৬৪) ৪৬৯ কঠসংগীত সন্ধে বেখুন-সোসাইটির উদ্যোগে ভাষণ (১৮৮০) ১০৪-১০৫ “কথা” (কাবা ) ৪৯০ --জগদীশচন্দ্র বস্থকে উৎসগিত ৫১৬, ৫২৪ “কথা কও, কথা কও? ৪৯৭ দ্র. 'কথা' কথা কাহিনী €২৪ “কথাচতুষ্টয়' ৩৮৯ পা-টী ৪, ৪০৮, ৫২৩ “কথাবার্তা” (প্রবন্ধ ) 'আলোচনা' গ্রন্থভুক্ত ১৮৯-৯* কন্গ্রেস ৪১০; ৪১২-১৩, ৪১৪ - বোম্বাই প্রথম অধিবেশন (১৮৮৫), সভাঁপতি-_ উমেশচন্জ্র বন্দ্যোপাধ্যায় ২২৯ -কলিকাতায় অধিবেশন (১৮৮৬ ), সভাপতি-_ দাদাভাই নৌরজী, “আমরা মিলেছি আজ মায়ের ডাকে গীত হয় ২৪৪ --পুণীয় (১৮৯৩) ৪১৩ _-কলিকাতায় 'মধিবেশনে বন্দেমাতবম্‌্” গান করেন (১৮৯৬) ৪৪৯ পা-টী ৩, _অযমবাবতীতে অধিবেশন (১৮৯৭ ) ৪৬৪ হইতে মুসলমানদের দূরে রাখার চেষ্টা ৪৭৩ ভর. সৈয়দ আমেদের উক্তি “কন্টেমপোরারি থটুস আন্ভ থিংকারস' রা (0017062000181 71790817581. 10101010615) ৩৯৯ কবি বিজ্ঞানী ( জগদীশচন্দ্র) ৫১৫-১৮ “কবিকাহিনী" (কাবা) ৫৬) ৬৫) 4৫-৮০) ২১৫১ ২১৮১ ৫২২ --র খলড়া “মালতী পুথি'র মধো ৬৪ কে ভিগ্নহদয়' নাম দিবার ইচ্ছা ৬৪ _সম্বদ্ধে “বান্ধব” পত্রিকা ৭৫ দ্র. কালীপ্রসঙ্ন ঘোষ _প্রবোধচন্দ্র ঘোষ -কর্তৃক প্রকাশিত ৭৫ পা-টী -আঙ্না তড়খড় -এর কস্থ ৮৮ পা-টী “কবিতা-রচনাবস্ত' ৩৭ “কবিতা সাধনা” (গান আরস্ত ) কবিতা ১৩১ পা-টী “কবির প্রতি নিবেদন' ( মানসী ) ২৬৪ “কবির বয়স' (ক্ষণিকা ) ৪৯৯-৫** “কবির মস্তবাণ (“কড়ি কোমল'-এর ভূমিক1) কমর দেব হিন্দুমেলা ৪৯ কমলা ( রমেশচন্ত্র দত্তের কন্া! )ব বিবাহ-দিনে (২৪ জুলাই

১৮৮২ ) বঙ্কিমচন্ত্র-কর্তৃক অভিনন্দিত ১২৮ দ্র. “সন্ধ্যাসংগীত'

“কমলাকাস্তের দ্র” সম্বন্ধে মত ১৩৯ পা-টী “কমিটি অব. ফাইভ" (ঠাকুরবাড়ির নাটক-নির্বাচনী

পঞ্চায়েত ) ২৬

“কমেডীজ আযন্ভ এরারস্‌” (00106016381) 0173)

৪৯২ জর. হেনরী হারলানভ,

“করুণা” ( প্রথম উপন্তাস ) ৭*) ৭১ পা-টী ২, ৮২-৮৩, ৫২২

সম্বন্ধে চন্দ্রনাথ বহর সমালোচনা-পন্্র ৭১, ২২৫. 'কর্ণকুম্তী-সংবাদ' নাট্যকাবায ৪৬২. ্‌ --এব তরজমা ৪৬৩ _জগদীশচন্দ্র বসুর 'হুরোধক্রমে লিখিত ৪৯৪ কর্জন, ভারতের বড়লাট ( ১৮৯৯) ৪৭২-৭৩ কর্মজীবনের জয়গান 'নগরসংগীত' ৪২৫ কর্মাটারে পক্ষকাল-যাপন (১৮৯৩ ) ৩৮২ কর্মের উমেদার' (প্রবন্ধ ) ৩১৭, ৩২০, ৫৩৭ “কলকত্তামে চলা গঞ্জে! বে? ( কবিতা ) ২৩৩ দ্র. নাসিক হইতে খুড়ার পত্র" কলিকাতা “সারম্বত সশ্মিলন” ১৬২ পাঁঁটী দ্র, “সারন্বত সমাজ' কলিকাতায় 'বৈবতক' কাব্যের সমালোচন। শ্রবণ ২৯২ কলুটোলারু বাপায় বঙ্ধিমচন্জের সঙ্গে সাক্ষাৎ ২০৬ কলেজ ছাত্র-সম্মেলনে, পি, কে, রায় -কর্তৃক আহত হইয়া গাণ কা ২৪৮ কন্ধি অবতার ২১১ দ্র. কুষ্প্রসন্ন সেন, রুষ্ণানন্দ কল্পনার স্ত্রণাত ৪৫১-৬৭, ৫১৪ কাজী আবছুল ওদুদ লিখিত “কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ, ১৯৭ পা-টী __কাঁদশ্বরী দেবীর মৃত্যাপ্রলঙ্গে ১৯৭ _-লিখিত “বাংলার জাগরণ" ২০৯ পা-টা ২৫৩ পাঁঁচী ১, ৪১৩ পা-টী কাদদ্বরী অনবাদের ( প্রবোধেন্দু ঠাকুর -কৃত) প্রশংসা! ৫০৫ “কাদস্ববী চিত্ত ( প্রবন্ধ ) €*9 জ্্, প্রদ্বীপ” পত্রিকা কাদস্বরী দেবী ১৪, ২৩পা-টী ১) ৪৩, ৬৬১ ৬৮) ১১৫) ১১৯১ ১২৪১ ১৪৮) ২১৫) ২৩৫, ৫২২ _ত্র- স্টিম”, কাচা আম' (আকাশপ্রন্দীপ ), “আকুল আহ্বান” (কড়ি কোমল), “বধূ” ( নবজাতক ) ১৯৬ --বু উদ্দেশে "ছবি গান? উৎসর্গ ১৭৯ -র স্ব (৮ বৈশাখ ১২৯১ ) ১৯৭, ৩৯৬, ৫৩৪ -_র স্বৃত্যু-স্মরণে 'পুম্পাঙ্কলি' লিখিত ১৯৫, ২২১ _রস্ইরণে “ল্েহস্থতি” 'নববর্ষে। ছুঃসময়', মৃত্যুর পরে"

৫৫৩

বাঘাত? (চিত্রা ) ৩৯৪, 'শৃন্তগৃহে', “মানসিক অভিপার* ২৬২ কানাইলাল গাঙ্গুলী, ফাউস্ট-এর অন্গবাদ ৫৩৯ কানাই সামন্ত ৩৩৩ পা-টী ১, ৪৬৪ পা-টী --কিকণা' ৫২৯ --ববীন্্র-পাওুলিপি বিবরণ ৫৩৩ _ প্রতীক্ষার তথা ৫৩৭ _স্বপ্রপ্রয়াণের সমালোচনা ২৬ পা-্টা কানিংহামের শিখ ইতিহাস ( 'শেবশিক্ষা কবিতার তথ্য-উৎম ) ৪৯১ 'কাবুলিওয়ালা” ( গল্প ) ৩১০, ৩৫২ _-র ইংরেজি অন্কবাদ ৫১৭ “কাব্য-গ্রন্থ' (১৩১০ ) মোহিতচন্দ্র সেন -সম্পাদিত €৬) ৯৯১ ১২৮১ ৪৩৩) ৪৪০। ৪৮৯ 'কাব্য-গ্রস্থাবলী” (১৩০৩) সারদাপ্রসাদ গঙ্গোপাধায়- প্রকাশিত ৪৪৮, ৫৪৯ “কাবা : স্পষ্ট অস্পষ্ট' (প্রবন্ধ ) ২৪৬) ২৪৭ ককাব্য-সংগ্রহ” শরামপুবরে ছাপা, হেবরলিন-সম্পাদিত ৮১ পা-্টী “কাবোর অবস্থা পরিবর্তন" ১৪৫ পাঁ-টী “কাব্যের উপেক্ষিতা” (প্রবন্ধ ) ৫০৫ পা-টা “কাব্যের তা্পধ, স্ _-বি্দীয় অভিশাপ'-এর ব্যাখ্যান ৩২০) ৩৩৭) ৩৮১ কার-ঠাকুর কোম্পানী ৬) ৭, ১০ কারোয়ারে ১৭০১ ১৭১) ১৭৫, ১৮৩, ১৯০ _-প্রিকৃতির প্রতিশোধ" রচনা ১৭২ কারোনারিদের সংকেত-ভাষা ৫২ পা-টা কাপিয়ঙ ৪৪৯ দ্র. “মেয়েলি ব্রত; --এ বীরচন্দ্রমাণিক্যের অতিথি ৩৯৭ কালডেরন 08106100 )-কৃত “মহাঁরানী অব. আরাকান' ৩৩১ পা-টী দ্র. দালিয়া কালতত্ব' ( ছিন্নপত্রাবলী, পত্র ১২১ ) ৪১৮ “কালমুগয়া? ( গ্ীতিনাটা ) ১৭০, ২৩২ পা-টী ২,৩, ২৭৮ _-অভিনয় ১৬৯) ৩৪৮, ৫২২ রবীন্দ্রনাথ অন্ধমূণির ভুমিকায় ১৬৮ কালাতিক্রমণ দৌষযুক্ত' ১২৯ দ্র. সন্ধাসংগীত, কালিগ্রাম পরগনা (কাছারি পৃতিসর ) ৬০ 6) ৩০৬, ৩৮২, ৪৮৩৬৩ “কালিদাসের প্রতি ( চৈতালি ) ৪৪৭ কালিদাসের “মেঘদূত” পাঠ 9 তছুপরি কবিত। রচনা ৩১৮

রবীন্দ্রজীবনী

কালীচরণ বন্দোপাধায় (ঢাকা প্রাদেশিক সভার সভাপতি )-এব ভাষণের কবিকৃত অনুবাদ ৪৭১ কালীগ্রসন্ন কাব্যবিশারদ কড়ি কোমল” এব মমাঁলৌচনা ২৪৩ কে 'বিদ্ভাপতি'র পাওুলিপি প্রদত্ত ২৪৪ --মিঠেকড়া (কড়ি কোমল-এর ব্ঙ্গ ) ২৪৬, ২৬৪ কালীপগ্রসন্ন ঘোষ বান্ধব? পত্রিকা ৬৮ __বান্ধব পত্রিকায় “কবিকাহিনী"র প্রশংসা ৭৫-৭৬, ২১৫ _-কিজচগ'র সমালোচনা ১০৮ পা-্টী কালীপ্রসন্ন সিংহ ১৮ ড্র. হুতোম প্যাচার শকৃশা কালীপ্রসাদ ৫২৭ কালীশঙ্কর স্থকুল ৫৩৪ কাস্লটন হাউন (দাজিলিঙ ) ২৫৬ “কাহিনী? ( নাটাকাব্য ) ৪৬০-৬৪) ৫২৪ _রাধাকিশোর দেবমাণিকাকে উৎসগিত ৪৯৪, ৫২৪ কিডমনের পদ্ঘ-_ বাইবেলের অন্রবাদ ৮৪) ৫২৯ কিশোরী চাটুজ্জে ২৮, ২৯ _র সহিত হিমালয় হইতে প্রতাবর্তন ৪৩ 'কিসের তবে গো ভারতের আজি সহম্র স্বদয় উঠিছে বাজি? (১৮৭৭) 'দিল্লী-দরবার' উপলক্ষে হিন্দুমেলায় পঠিত ৫৫ কুঠিবাড়ি, শিলাইদহের বাড়ির নাম 'কুমারসন্তব ( তালি ) ৪৭৭ কুমারসস্তবের অন্ব্যাখ্যায় 'মদনভল্ম' কবিতা ৪৫৩-৫৪ কুমারসম্ভব পাঠ অনুবাদ ৪৩, ৪৪ | কুশারী পদ্দবী, ঠাকুর পৰিবারের কুষ্টিয়ায়, ঠাকুব.কোম্পানীর অফিস ৪৬৭ রুতীন্দ্রনাথ ঠাকুর ( দ্বিজেন্দ্রনাথের পুত্র ) ১৩ _-এর বিবাহে উপস্থিত ৪৯৭ কুধি-বিষয়ক পরীক্ষা ( শিলাইদহে ) ৪৮৫

কষ্ণকমল ভট্টাচার্য বঙ্গীয়-সাহিতা-পরিষদের পারিভাষিক শব্জপ্রণয়ন সমিতির সভাপতি ৪০৩ _নুদ্দিত 'পৌলব্গিনী' পাঠ ৩৫ পাঁটী

কষ্ণকুমার মিত্র

--৪ সন্তীবনী সাপ্তাহিক ২০৩, ৫৩৪

_এর বিবাহ উপপক্ষে প্রথম ক্রহ্ষলংগীত রচনা

( জুলাই ১৮৮১ ) ১৫১

--“বিসর্জন' অভিনয়ে ( পার্ক স্রীটে ) উপস্থিত ৫১১ কষ কপালনী ১৫

নির্দোশকা

'কৃষচরিত? ( বঙ্কিম ) ২২৪ --এব সমালোচনা! ৪২১, ৪৬০ কষ্চধন বন্দ্যোপাধ্যায় -এর গীতম্আসারের “কোমল কড়ি' পরিচ্ছেদ হইতে “কড়ি ফোমল' কাবোর নাম গ্রহণ ২৪২ পা-টী কষ্ঃপ্রসন্ন সেন ২১১ ভ্্. কন্কি-জবতার, কষ্কানন্দ কষ্ণবিহ্থারী সেন, কমিটি অব. ফাইভের সন্ভা ২৬ কষঞ্ধমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় ১০৩ কষ্াানন্দ ২১১ দ্র, কক্ষি-অব্তার, রুষ্চবিহারী সেন কেদারনাথ চৌধুরী _ বাজ বসন্ত বায়? (বউঠাকুরানীর হাটের নাটারপ ) মঞ্চিত কবিবার আয়োজন ২৩৩ কেদারনাথ দ্বাশগ্ুপ্ত ৩৩১ পাঁ-টী দ্র, 'দালিয়া। “কেন? ( কড়ি কোমল ) ২৩৯ পা-টী “কেন গান গাই (কবিতা ) জন্ধ্যাসংগীতের বর্তমান সংস্করণে নাই ১৩, কেন গান শুনাই? (কবিতা) সন্ধ্যাসংগীতের বর্তমান তস্করণে নাই ১৩, “কেবল তব মুখের পানে চাহিয়া; ( “যাত্রা” খণ্ডের ভূমিকা “কাবাগ্রন্থ' ১৩১৬ ) ১** কেশবচন্্র সেন ১০, ১১ --অসবর্ণ বিবাহ আন্দোলন ২*৩ _নগরকীর্তন প্রবর্তন ৩৪৪ -_-মুড়া (৮ জানুয়ারি ১৮৮৪ ) ২*২ কেয়াও (08114 )-এর দার্শনিক গ্রন্থ পাঠ ৩৬৪ “কৈফিয়ত” ( বঙ্কিমচন্জ্রের সহিত মসীযুদ্ধের সময় লিখিত ) ২৬৬ কৈলাসচন্্র সিংহ ২৯৫ জর. 'রাজমালা' _রিবীজ্বাবুর নায়েব ( বন্কিমচন্ত্রের উক্তি ) ২২৭ “কৈশোরক' (১৩৭৩ কাবাগ্রস্থাবলীর কাব্যাংশ ) ৫৬, ৪৪৮ «কোট চাপকান' (প্রবন্ধ ) ৪৭৪ পা-টী তু. নকলের নাকাল' কোনারক মন্দির-দর্শন (৪-৬ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৩) ৩৬১ -৬৭ কোথায়" (কড়ি কোষল ) ১৯৮, ১৯৯ ভর. 'পুষ্পাঙ্জলি' কোম্ত ( 0০006 )১ অগম্ত ২০৪, ২৯৫, ২১৯, ২২৪ কোষ্ঠি মানা ৩২৯ ক্রুফট্‌ ( আলক্রেড )-এর মৃত্তি-নির্যাণ গ্রস্তাৰ ৪৭৬ ক্রস, (0:055 ) লর্ড ২৮৯

৫৫১

ক্রাইম অব দিলভেম্টার বনার্ড' (01105 01 95156506 802310 ) পাঠ ৫০৮ ক্ষণিক]” ( কাবা ) ৪৯৮-৫০২, ৫২৪ --কাবাগগ্রন্থ' (১৩১ )-এ 'লীলা? খণ্ডে ৫*১ বু পর্ব ৪৯৫-৫০২ --ঝু পরে ৫*২-৫০৫ - লোকেন্দ্রনাথ পালিতকে উতৎসগ্গিত ৫*১ -সম্বন্ধে “ভাষার কথা প্রবন্ধে আলোচনা ৫০২ পা-টী -সম্বদ্ধে চজ্্রনাথ বসুর পত্ ৫*১-৫০২ ক্ষণিকের গান? ( ক্ষণিকা ) ৪৯৬ পা-টী ক্ষিতিমোহন সেন ৫১৫ পা-টী ক্ষিতীন্্রনাথ ঠাকুর ৩৮৯ --এবর বিবাহ ৪৩২ ক্ষুধিত পাধাণ' ( গল্প ) ৮১, ৪১৭) ৪১৮, ৪২৩, ৪৩৪

খগেন্জনাথ চট্টোপাধ্যায়, “রবীন্দ্রকথা' ১১ পা-টী ১, ১২ পা-টা ২, ৩৪৬ পাঁ-টী ৩৪৭ পা-টী খণ্ডকাব্যের লক্ষণ সম্বন্ধে ৩১ দ্র. “ভুবনমোহিনী পত্রিকা খগডুগিবি ভ্রমণ ৩৩৪ 'খামখেয়ালী সভা" ৪৫* পা-টা ১, ৪৫৬ পাঁটী ৩, ৪৫৭, ৪৮৯ খিড়কি ( পুণা ) শহরতলিতে কিছুকাল বাম ২৭২ “খেলা' (সোনার তরী ) ৩৮৫ পা-টী২ খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন (গল্প) সম্বন্ধে চন্দ্রনাথ বস্থর পত্জ ৩৩১

গগণচন্জ্র হোম ৫৩৫ গগনেন্ত্রনাথ ঠাকুর ৩৯৯, ৫২৭ _বৈকুঠের খাতা” অভিনয়ে বৈকুঞ্ঠের তৃমিকায় ৪৫৬ গঙ্ষার ধাবের বাগানবাড়িতে ( চন্দননগর ) ১৩১ শ্র. মোরান সাহেবের বাগান গণপতিপুজ্া, সার্বজনিক পূজায় রূপাস্তরিত ৪৬৭ গণেন্দ্রনাথ ঠাকুর ২২, ২৫১ ২৬ --ও ছিন্দুমেলা ৪৮ _-বিক্রমোর্বশী'র অনুবাদক ২৬ পা-টী 'গতি' (সোনার তরী ) ৩৮৫ গস্ভরচন। আনত --জানাঙ্ুবে (কার্তিক ১২৮৩ ) ৬১ -ভান্বতীতে ( ১২৮৪ ) ৬৯

৫৫২

গবেষণা পদ্ধতি, এতিহাসিক ৪২১, ৪৭৯ _সাহিত্যিক ১৪৮ গল্পগুচ্ছ' (গ্রস্থ ) প্রকাশের আয়োজন (১৩০৭ ) ৪৯২ মুদ্রণ (১৩০৭) ৫০৬ গল্পনদশক ৫২৩ 'গাও হে তাহার নাম” ( গণেজ্্রনাথ ঠাকুর ) ২৬ পা-টী গাছের ছাপ? (7756-8906117£ ) সমন্ধে ৪১৫ পা-টী 'গাজিপুরের পত্র” ( ্বর্ণকৃমারী ) ২৬৭ গাজিপুরে সপরিবারে বান ( ১৮৮৮) ২৬০১ ২৬১১ ২৬৪ গাথা-কবিতা রচনা ৫৯ গান শেখা ২৬-২৮ 'গান-সমাপন' ( সন্ধ্যাসংগীত ) ১২৪ পাঁটী “গানের বহি” (৮ বৈশাখ ১৩০০) ৩৭০ পা-টী ৪, ৫২৩ 'গান্ধারবীর আবেদন ( নাটাকাবা ) ৪৫৯ _-ইউনিভাসিটি ইনহিটিউটে পাঠ ৪৬৪ গায়েন সমাজ ( পুণা ) ৩৪৬ দ্র, সংগীত-সমাজ “গিন্রি' (গল্প ) ৩১* _-বালাস্থৃতি ৩১ গিরিজাশঙ্কর রায়চৌধুরী ২৫৪ পা-টী ২) ৩৩ প!-টী ১) 86৪৯ পা-টী ৫) ৪৫৬ পা-টী ৩, ৪৬৮ পা-টী ১, ৪৭ পা-টা গিরিধি হইয়া হাজারিবাগে (১৮৮৫) ২২৬ গিরিশচন্দ্র ঘোষ ২৩৩, ৩৪৮ -৮ও আধুনিক রক্ষমকক ৩৪৫, ৩৫০ _-এর ছন্দসমালোচনা ৩৪৯ গিরীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১০১ ২২১ ৩১৩) ৪8৬ গিরীজ্রমোহিনী দাসী _-মায়ার খেলা” অভিনয় সম্বন্ধে ২৭০ মানসী" কাবা সম্বন্ধে ৩০১ গিল্হার্ডি ৩৩৯ দ্র. অবনীন্দ্রনাথ গ্তগোবিন্দ পাঠ ৮১ ণেন্্রনাথ ঠাকুর ২২) ২৬) ৪৪৬ --এর বাড়িতে বিছজ্জন সমাগম-সভায় কবিত।পাঠ ৪€ দ্র. প্রকৃতির খেদ' ুধ প্রেম” (মানলী ) ২৬২-৬৩

রবীন্দ্রজীবলী

€গুকুগোবিন্দ' ( কথা ) ২৬৫

গুরুদাস চট্টোপাধায়কে বই বিক্রয় ২০১ পা-টী

গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় -বান্ীকিপ্রতিভা' অভিনয়-দর্শন ১০৩ --সভাপতি, চৈতন্য লাইব্রেরিতে ৪৬, 5557 55৬1 ৪০৬, ৪.৮ _ শিক্ষার হেরফের? পড়িয়া পত্র ৩৫৪ _বিসর্জন' অভিনয়ে ( পার্ক স্বীটে ) উপস্থিত ৫১১

'গুহা-অন্ধকার ছাড় ছিল না কিছুই' (কিডমন হইতে অনূদিত ) ৮৪

গৈরিশ ছন্দ ৩৪৯

“গৌফ এবং ডিম' (প্রবন্ধ ) ১৮১ পাটা

“গোড়ায় গলদ" ( প্রহসন ) ৩২৩, ৩২৬, ৩৩৯, ৩৫১ _প্রিয়নাথ সেনকে উতৎ্সগ্গিত ৩৪৩ __এর নৃতন নামকরণ 'শেষরক্ষা' ৩৫১ _সংগ্ীত-সমাজে অভিনয়-প্রসঙ্গে ৩৪৬ _-সংগীত-সমাজের যুবক বন্ধুদের উৎসাহে অভিনযনের জন্ত রচিত ৩৫

গোতিয়ে ( 3950061) ১৭৯) ২৪২ ডর. আর্টের খাতিরে আট'

“গোধুলি' ( মানসী ) ২৯৪

গোপালচন্দ্র রায় -_-বাল্ীকি প্রতিভা প্রসঙ্গে ১০২-১*৩ পাী বঙ্কিমচন্দ্র রবীন্দ্রনাথ? ৩৯৭ পা-টী

গোকিন্দবাবু ( নর্মাল স্কুলের স্ৃপারিপ্টেত্ডেপ্ট,)-র আদেশে “মুনীতি'-মুলক কবিতা রচনা ৩৭

গোবিন্দ বিঠ এল কড়কড়ে ২৭২ দ্র. খিড়কি-পুণা

গোবিন্দলাল দত্ত (গিবীন্ত্রমোহিনী দাসীর দেবর) সাবিত্রী লাইরেরি ১৮৬ পা-টী

গোবিন্দমমাণিকা ২৩৩ _ এব ইতিহাস ২২২ পা-টী২ ভ্রু, রাজমালা'

'গোরক্ষণী সভা" ( পুণায় ) ৪১২, ৪১৩

“গোরা? ( উপপস্যাস ) ২২৩) ৪১৪, ৪৫১

গোল্ভম্মিথের 'হাগ্রিট' ৫৯ পা-টী দ্র. উদাসিনী' কাব্য

গোলাম চোর' ( প্রবন্ধ ) ১৩৭, ১৩৮, ১৯২

গৌরমোহন আটোর স্কুল “ওরিয়েন্টাল সেষিনারিশতে ভন্তি ৩০

গৌরহরি সেন টৈতন্ত লাইব্রেরি ৩১০ পা-টী

“গেটে তাহার প্রণস্নিনীগণণ (প্রবন্ধ )৮৫ পা-টী

নির্দেশিকা

গোটের জীবনীপাঠ ৩৭*, ৫২১) ৫২৯ _ রচনা হইতে আংশিক অন্বাদ ৮৫ __মুল ফাউস্ট জর্মান ভাষায় পড়িবাব বার্থ চেষ্টা ২৯৩

গ্রস্থ-সমালোচনা-_ অবসর সরোজিনী ৬১ আর্ধগাথা ৪২০ পাটা ১। আবাঢে ৪৭৮ পা-টী ১। কৃষ্ণচরিত্র ৪২১। ছুঃখসঙ্গিনী ৬১ পা-টী ৪। তপস্থিনী ৫০৩-৫০৪। পালামো ৪২০ পা-টী ১। প্রাচীন কাব্যসংগ্রহ (বিদ্যাপতি ) ১৪৭। ফুলজানি ৪২৭ পাটা ১। বঙ্গভাষা সাহিত্য ৪৭৮। বাউলের গান ১৮০ পা-টী ১। বিষ্যাসাগর-চবিত ৪২৩ পা-টী ৪। বিহারীলাল ৪২০ ভারতবর্ষের ইতিহাস ৪৭৯ পা-টী ৫। ভুবনমোহিনী প্রতিভা ৬১ পা-টা ২। মুঘলমান রাজত্বের ইতিহাস ৪৭৯ পাঁঁটী ৫€। মেঘনাদবধ কাবা ৬৯-৭০ | যুগান্তর ৪২*-২১ পা-টী১। বাজসিংহ ৪২০। সাকার নিরাকারতত্ব ৪৭৭ পা-টী ১। সিরাজদ্দৌপা ৪৭৮, ৪৭৯ পাঁ-টা ১২। সিন্ধুদূত ৬১ পাটী২।

গ্রহ-নক্ষত্র পরিচয়, হিমালয়-বাসকালে ৪২

'গ্রামাসাহিতা' ( প্রবন্ধ ) ৪৭৭

ম্যাভস্টোনের বক্তৃতাশ্রবণ ( বুটিশ পার্লামেণ্টে ) ৯২

গ্রীয়ার্পন-সম্পাদিত “মৈথিলী ক্রেস্টোমেথি' অধ্যয়ন বাংলায় অনুবাদ ১৫*

পরের কথা যুগসাহছিতা' ( দীনেশচন্দ্র সেন) ৪৭৮ পা-টী

“ঘরোয়া? ( অবনীন্দ্রনাথ )-গ্রস্থে হ. চ. হ.-র কথা ৩৭ --'অলীকবাবৃ' অভিনয় সম্বন্ধে ৩৪৭ পা-টী ১. _-বাল্নীকি প্রতিভা" অভিনয় সম্বন্ধে ২৩২, ৩৪৮ পা-টী _ রাজা রানী' অভিনয় সম্বন্ধে ৩৪৯ _ম্ খামখেয়ালী সভার মোটামুটি বৃত্তান্ত আছে ৪৫,

“ঘাটের কথা? (গল্প ) ২০২, ২০৯

“ঘুম। ছুঃখ হৃদয়ের ধন (সন্ধ্যাসংগীত)১২৬ ভ্র-“শাস্তি-গীত'

'ঘূর্ণচক্র জনতানংঘ' ( চিত্রা ) ৪২৫ দ্র. 'নগরসংগীত'

চত্তীদদাস বিস্তাপতি সম্বন্ধে ৭২) ১৪৮-৪৯ দ্র. 'মছাজন পদাবলী: “চত্ীমঙ্ষল' কাব্য সম্বন্ধে ২৪৭ কলাননগর -এ মোরান সাহেবের বাগানবাড়িতে, গঙ্গার ধারে ১২৯, ১৩১

--বউঠাকুরানীর ছাট" শুরু ১৫১ প$

৫৫৩

চঙ্জনাথ বস্থু ২৭৮, ২১১১ ২১৫, ২৫৪ --'আহারতত্ব'-এর সমালোচনা ৩১৬-১৭ _-র সহিত মরকত-কুব্রে হিন্দুকলেজ-ইউনিয়নে গমন ( ১৮৭৬ ) ৬২ __খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন? সম্বন্ধে পত্র ৩৩১ _-কিকপা'র প্রশংসাপূর্ণ পত্র ৭১ --কণিকা, কথা, কল্পন।, ক্ষণিক! সম্বন্ধে ৫০১-৫*২ বু ধির্ম ব্যাখ্যা ২০৯ _ বিবাহ বিষয়ে মতের সমালোচনা ২৫২-৫৩, ৩১১ _--লয়তত্ব' সম্বন্ধে সমালোচনা ৩২৪, ৩৩৬-৩৭ --র “কড়া -ক্রান্তি'র সমালোচনা-প্রবন্ধ “কড়ায়-কড়া, কাহনে-কানা? ৩৫৫ -র প্রবন্ধের সালোচন “সাহিতো নব লয়তত্ব' ৩৩৬ _-£হিং টিং ছট্‌ ব্যঙ্ষকবিতার লক্ষাস্থল নহেন ৩৬২ পা-টী “চন্দ্রবাবুর স্ববুচিত লয়তত্ব' ( প্রবন্ধ ) ৩৩৬, ৩৩৭ পাটা “র্বা, চোষা, লেহা পেয়' ( প্রবন্ধ ) ১৩৯ চলনবিল ৩০৪, ৩০৫, ৪৫৮ “চলে গেল, আর কিছু নাই কহিবার” ১২৩ দ্র, পরিতাক্ত" ( সন্ধ্যাসংগীত ) চারিতুপুজা"য় রামমোহনের প্রবন্ধ পুনপিখিত ২০৭ চাকচন্জ্র দত্ত ( আই. সি. এস ) ১২৩ --কে পাশ্চাত্য ভ্র্ণণ' উৎসগিত ৯৬ পা-চী দ্র. পরিত্যক্ত” চাকচজ্ বন্দ্যোপাধ্যায় _এর “কণিকা? সম্বন্ধে মত ৪৮৯ --কে “উর্বশী” সম্বন্ধে পত্র ৪২৯ পাঁ-টী --সোনার তরী" সম্বন্ধে পত্র ৩২৭ “চাকপাঠ' ( পাঠ্যপুস্তক ) ৩২ চিঠিলেখার আর্ট সম্বন্ধে ৪৩৯ “চিঠিপত্র" (১২৯৪) ২২৪ চিত্তরঞ্চন দ্বাশ, ব্যারিস্টার হইয়! প্রত্যাবর্তন ৩৯৯ চিত্তরষন বন্দ্যোপাধ্যায় ৪৬৯ পা-টী “চজ্ঞা' (কাব্য ) ৩৮৯-৯৪, ৫২৩ - পর্বের বিচিত্র প্রেরণা ৩৯৪-৪১৯ সব শেষপর্ ৪২৪-৩৩ __রবীন্্র-বচনাবলীর ভূমিকা ৪৩৫ __সন্বদ্ধে পত্র ৪৩৫ “চিত্রাঙ্গদা' নাট্যকাবা ৩৩৯-৪৩১ ৫২৩ _-অল্লীলতা দোষাক্বোপ ৩৪৩ পাঁ-টী

৫৫৪

“চিত্রাঙ্গদা' নাট্যকাব্য _-ইংরেজী অনুবাদ €017/05 ) বিলাতে প্রকাশিত (১৯১৩) ৩৪৩ পা-টী _-এমারেন্ড থিয়েটারে অভিনয় (১৮৯২) ৩৪৩ পা-টী --কবির ভিতা ৫৩৬ __রবীন্দ্র-রচনাবলীতে কৰিকৃত ভূমিকা ২৯৩ _র প্রথম খসড়া (“অনঙ্ষ আশ্রম" ) উড়িস্তায় প্রস্তুত ২৯৩, ৩১৩ _-অবনীন্দ্রনাথকে উৎসগিত ৩৩৯ -_নিত্যকু্ণ বহু -কর্তৃক প্রশংসিত ৩৪৩ -র জন্য অবনীন্দ্রনাথের চিত্রাঙ্কন ৩৩৯, ৩৭৮ চিন্তামাণ চট্টোপাধ্যায় ৩১৬) ৩৮৯, ৪৩২, ৪৮৩, ৪৯৩, €৬০৪ “চিরকুমার সভা” ৪৯৫, ৫০২, ৫০৪, ৫০৫) ৫০৭, ৫১৩-১৫ চিবকৌমার্ধ বিবেকানন্দ স্বামী ৫১৪ পচিরধীবেষু” ( যষ্ভীচরণ দেবশর্মণঃ-র পত্র ) ২২৪ পা-টী “চিরায়মানা? ( ক্ষণিকা ) ৪৯৭ “চীনে মরণের বাবসায়? (প্রবন্ধ ) ১৪০ পা-টী চীপ সাহেবের কুঠি ৪* পা-টী চু'চূড়ায় পিতার নিকট ২০৪ পাঁ-টী “চেঁচিয়ে বলা" / প্রবন্ধ ) ১৮৪ পা-টী “চেয়ে থাকা? (প্রভাতমংগীত ) ১৬৭ চৈভন্ত লাইব্রেরিতে ভাষণ __ছুরোপ-যাত্রীর ডায়ারির ভূমিকা সভাপতি-__ গুরুদাস বন্দোপাধায় ৩০৬, ৩১০ _-হইিংরেজ ভার তবাসী' সভাপতি-_ বঙ্কিমচন্দ্র ৩৮১) ৪১১ “বঙ্কিমচন্দ্র শ্বতিসভায় সভাপতি__ গুকুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় ৩৯৬ _-মেয়েলি ছড়া” সভাপতি-_ গুরুদ্দাস বন্দোপাধ্যায় ৪*৬, ৪০৮ চৈতন্তচবিতামৃত হইভে উদ্ধৃতি ৪০৫ পা-টী “চতালি' ( কাবা) ২৪*, ৩২২, ৩২৮, ৪৩৯-৪৪, ৪৪৫-৪৮ ৪৪৮-৫১) ৫৪০ __রবীন্দ্-রচনাবগীতে কবিরত ভূমিকা ৪৪ -র বিরুদ্ধ লমালোচন1 পাঠ ৪৪৭ পা-টী দ্র. হেমেন্দ্র প্রসাদ ঘোষ “চত্ররজনী' ( কল্পনা ) ৪৫২ পা টী ২, “চোখের বালি' ( উপন্তাষ ) ৪৮৪, ৫*২ “চৌরপঞ্চাশিকা' ( কল্পনা ) ৪৫২ চ্যাটার্টন ৬৮) ৭৩

দ্র. বিনোদিপী'

রবীন্দ্রজীবনী

ছড়া” সম্বন্ধে ২৮, ৪৯৬-৪৮

দ্র, “ছেলেভুলানো৷ ছড়া”, “মেয়েলি ছড়া ংগ্রহ ৪০৭ _ সম্বন্ধে প্রবন্ধ চৈতন্য লাইব্রেরিতে পাঠ ৪৯৮ “ছড়ার ছবি” ২৯ ্‌ ছত্রমাণিক্য ( এতিহামিক ) রাজর্ধিতে নক্ষত্রমাণিকা ২২২ পাটী১

“ছন্দ (প্রবোধচন্ত্র সেন -সম্পাদিত ) ৩৩৮ পা-টী

ছন্দ-আলোচনা ৩০১, ৩৩৮) ৩৪৯ ছন্দোগুক বৃবীন্দ্রনাথ' ( প্রবোধচন্জ্র সেন ) ৩৩৮ পা-টা ৩৪৯ পাঁ-টী ২, ৩, ৫*২ পা-টী ছবি আকা ৩৭৮, ৫০৭ “ছবি গান? ( কাব্য ) ১৭১, ১৭২, ৫২২ - এর যুগের গছ্য : ১৭৯-৮২১ 2 ১৮২-৮৮ __কাদন্বরী দেবীকে উৎসগঠিত ১৭৯ --পর ১৭৫-৭৯ _-সন্বদ্ধে গুমথ চৌধুরীকে পত্র ১৭৬ ছাতিম গাছ, পাস্তিনিকেতনে ৩৯ ছাতুবাবু ( আশুতোষ দেক)-র বাগানবাড়িতে ৩১ ছাত্র-সম্মেলন উপলক্ষে বুচিত গীত গান “আগে চল্‌ আগে চল্‌" “তবু পারি নে সঁপিতে প্রাণ' (১৮৮৭ )২৪৮ দ্র, প্রসন্নকুমার রায় “ছান্দোগা উপনিষদ'-এ জাবাল-সত্যকাম উপাখান ( '্রাঙ্গণ' কবিতার মুলাংশ ) ৪১৯ পা-টী ছিন্নপত্র : ছিব্রপত্্রীবলী ৪৩১-৩৯, ৫২৭) ৫৩৭ €ছলেবেলা' (প্রবন্ধ ) --য় আমেদাবাদের শ্বাতি ৪১৮ --য় তৃত্যারাজক তস্ধের কথা ২৩ য় শরীক সিংহ বি চক্রবর্তী সম্বন্ধে ২৭ _ব মুখবন্ধের কবিতা ২৯ --য় “ভিখারিণী" গল্প সন্ধে ৭০ 'ছেলেডুলানো ছড়া' ৪*৭-৪০৮ দ্র. ছড়া “ছোটগল্প” (১৩০ ), প্রথম গল্পের বই ৩৬০, ৩৮৯, ৫২৩ ছেটিগন্প সন্বস্ধে ৭০ - ইংরেজিতে জন্থবাদের জন্ত জগদীশচন্ত্রের প্রস্তাব ( ১৯০১) ৫১৭ “ছোট বউ' (মৃণালিনী দেবী )-র শিক্ষাব্যবস্থা ১৪৯২-৯৩

'জগতের পুরোহিত তুমি' ( গান ) ১৫১ জগদানন্দ রায় ৪৮৩ ৫১৮ পা-টী

নির্দেশিকা

জগদিজ্রনাথ রায় (নাটোরের মহারাজা ) ৪৫৪) ৪৫৫) ৪৫৬) ৫২৪ --এর আমন্ত্রণে নাটোর যাত্রা ৩৫৬ __“বৈকুষ্ঠের খাতা অভিনয়ে অবিনাশের ভূমিকায় ৩৪৭, ৪৫০ জগদিজ্ ভৌমিক ৫২৪ “জগদীশচন্দ্র বস্থ' ( কবিতা ) ৪৫৬ পাঁ-টী ৩, ৫১৬ দ্র. 'কবি বিজ্ঞানী” জগদীশচন্দ্র বস্থ ৫০৮, ৫১১, ৫১৬) ৫২০ -কে 'কথা' কাব্য উতৎসগিত ৪৯৯ --কে ছবি-আকার চেষ্টা সম্বন্ধে পত্র ৩৭৮, ৫০৬-৫০৭ -_কে ত্রিপুরার মহারাজার অর্থমাহায্য ৫১৮ -কে পজে রেশমগুটির পরীক্ষা! সম্বন্ধে ৪৮৫ _-ব অনুরোধে 'কর্ণকুম্তী-সংবাদ' লেখা ৪৯৪ _রু বিলাত গমন (শ্রাবণ ১৩০৭ ) ৫০৬ _র্‌ বিলাত হইতে প্রত্যাবর্তন ( ১৮৮৪ ) ৫১৫ বু সহিত দাঞ্জিলিওে ৪৯৬ দ্র. 'আনন্দেল হাউম, _র বৈজ্ঞানিক গবেষণা সম্বন্ধে প্রবন্ধ ৫১৭-১৮ _-কর্তৃক রবীন্দ্রনাথের ছোটগল্পের তরজমা প্রকাশের চেষ্টা ৫১৭ জগদীশ ভট্টাচার্য, 'সনেটের আলোকে মধুস্থদন রবীন্দ্রনাথ? ২৩৭ _-কবিমানসী ৫৩৪ জগন্নাথ কুশারী ( ঠাকুরগোষ্ঠীর আদি পুরুষ ) জগত্বন্ধু ভদ্র সম্পাদিত “মহাজন পদাবলী” পাঠ ৭২ কর্তৃক বিগ্যাপতি চত্তীদাসের তুলনামূলক সমালোচন! (“মহাজন পদাবলী” ) ১৪৮ জন্মতারিখ, রবীন্দ্রনাথের ১৪, ২১ জমিরদারগণের দায়িত্ব আদর্শ সম্বন্ধে ৪৭৫ দ্র. “মুখুজো বনাম বাড়ুজো, 'রাজটাকা? জমিদারীর কার্ধে অভিজ্ঞতা ১৯১, ৩০৪ জমিদারীর পার্টিশন (১৩০৩) ৪৪৪ জয়গোবিন্দ সোম ২৫২ পাটা জয়দেব বিদ্ভাপতির তুলনাম্লক আলোচনা ( বন্ধিমচন্ত্র ) ১৪৯ 'য়পরাজয়' ( গল্প ) ৩৩২১ ৩৮০ জর্জ ইমুল (দ্র. ইল) -এলাহাবাদের কংগ্রেস অধিবেশনে সভাপতি (১৮৮৮ ) ২৭ কলিকাতায় কংগ্রেস-অধিবেশনে উপস্থিত ২৯৯ জর্জ এলিয়ট ৩৩৪ দ্র. এলিয়ট

৫৫৫

জাতীয় গৌরবেচ্ছ! সঞ্চারিণী সভা” ( মেদিনীপুরে ১৮৬১) ৪৮ ভ্.রাজনাবায়ণ বস জাতীয় শিক্ষা পরিষদে বক্তৃতা ৩৩৬ দ্র. সাহিতা জাতীয় সংগীত? * জাতীয়তা সম্বন্ধে প্রবন্ধ ১৪০ জানকীনাথ ঘোষাল ১৪, ২২৯, ৩৯৯ 'জালফেল!' ৩৬৪ দ্র" 'অনাদূত' জিতেন্্রলাল বন্দ্যোপাধ্যায় ৫৫ পা-টী _ শান্তিনিকেতনে ববীন্দ্রনাথ ৩০৯ পা-টী “জিহব1-আস্কালন' (প্রবন্ধ ) ১৬*, ১৮৪ পাঁ-টী জীবনদেবতা ৪৩৩-৩৫, ৫৩৯ 'জীবনদেবতা' ( চিত্রা ) ৪৩৪, ৪৫৯ “জীবন-মধাক্ছে? ( মানসী ) ২৬১ 'জীবনস্বতি' ১৪ পা-টী ২৩, ২৫ পা-টী ১, ২৮, ২৯, ৩১ পা-টী ১) ৩২, ৩৪) ৩৭) ৪৮, ৫৩, ৫৮, ৫৯১ ৭৯১ ৮১১ ১২৩, ১৩১, ১৭৯) ১৭৪ পা-টী ১, ১৭৫, ১৭৬, ১৭৯ ১৮) ১৯০) ১৯৪) ১৯৬) ১৯৮) ২৯৭, ২১৭) ২১৮) ২২১, ২৩৫, ২৩৭, ২৪১) ২৬৮, ২৯৬ পা-টী ১, ৩১০ ৩৩১ পাঁ-টী ২, ৩৭৮) ৪১৯১ ৪৩৬) ৪৩৭ জীবিত মৃত" ( গল্প ) ৩৩১ জীবেন্দ্কুমার গুহ ১৩২ পা-টী ১, ১৯* পাঁঁটী 'ভুতাব্যবস্থা' (প্রবন্ধ ) ১৩৯ পাঁ-টা দ্র, 'ইংলিশম্যান' দৈনিক _জুবিতে ( কলিকাতা হাইকোর্টে ) বসা ( অগ্রহায়ণ ১৯০০ ) ৪৯২ জুরিপ্রথা ৩৬*, ৩৬১ জোড়াপীকোর ঠাকুর-পরিবাবের সুত্রপাত (১৭৮৪) ৪-৫ জ্ঞানচন্দ্র ভট্টাচার্য ৪৩-৪৪ জানজানন্দিনী দেবী ১৩, ২১, ৮১, ১৬৯, ১৭০) ১৭৬১.১৯৭১ ১৯৮, ২৬১) ২৬৭, ২৭১, ৩০৮ ৩৪৯১ ৩৫২১ ৩৫৯, ৫২৩ -_কে প্রথম “সমালোচনা, গ্রন্থ (১৮৮৮) উৎ্নগিত ২৪৮ _-“বালক' পত্রিকার সম্পার্দিক ২২* _বাজা রানী' অভিনয়ে ( বিজিতলার বাড়িতে ) স্থমিত্রার ভূমিকায় ৩৪৯ 'জ্ঞানান্কুর ( পত্রিক। ) “বনফুল' (গ্রন্থ ) ৫৬-৬৩ 'জ্ঞানাস্থৃর' 'প্রতিবিদ্ব' ( পত্রিকা) ৫৬, ৫৮ পাটা ৫৯ পা-টী ৫, ৬২ পা-টী ১, ৬৩, ৬৮ জানেম্রনাথ চট্টোপাধ্যায় (“শান্তিনিকেতন আশ্রম' ) ২৬৮ পা-টী ২, ৩১৬পা-্টা১

৫৬

জ্যোতিঃপ্রকাশ গঙ্গোপাধ্যায়ের নিকট প্রথম কবিতা-রচনা শিক্ষা ৩৭ দ্র, 'কবিতা-রচনা বস্ত' জ্যোতিরিজ্্রনাথ ঠাকুর ১৪, ২০, ২৩ পাঁ-টী ১, ২৬, ৪৮, ৬২) ৬৬, ১১৯৯ ১২৯, ১২৩) ১৬৯) ১৯৭) ১৯৮) ২৩০১ ২৪৫, ৩৪৫) ৫০৫) ৫২২ এর নাটকে রবীন্দ্র-বচিত গান ৪৬-৪৭, ১৩৯ দ্র, সরোজিনী” “ম্বপ্রময়ী? এর ্বপ্রমন্ী নাটকে “দিজী-দরবার” বিষয়ক কবিতা ধ€ _-এর সহিত চন্দননগরে ১৩১ -_এর সহিত দার্জিলিতে ১৬৪ এর সহিত কাবোয়ার-যাত্রা ১৭০ “সঞ্তীবনী সভা” ৫২, ৫৩ --ও 'বিবাহ-উতৎসব" ১৯৩ পারিবারিক-স্থৃতি” ২৬৭, ৩৭৩ --ও সিংগীত-সমাজ' ৩৪৬, ৩৪৭ কর্তৃক বাংলা গানে নৃতন নৃতন রূপস্থষ্টির সাধনা ৯৭ জ্যোত্নানাথ ঘোষাল ১৫ 'জ্যোত্্ারাস্ে' ( চিত্রা ) ৮৯, ৩৯০ জ্যোতির্ময় ঘোষ --করু০ ৫২৯ 'জল্জল্‌ চিতা দ্বিগুণ দ্বিগুণ” (গান) ৪৭ দ্র. সরোজিনী'

ঝাঝ স্টেশন ( পূর্বনাঁ নওয়াড়ি ) ৩৫৩ পা-টী 'ঝাসীর রানী? (প্রবন্ধ ) 'ইতিহাস"-্রস্থভুক্ত ৬৯ পা-টী 'ঝুলন” ৩৬৯) ৪৪৮

টকি (709:995) ) শহরে ৯৩ টলস্টম়্ের আর্ট সন্বদ্ধে গ্রন্থপাঠ ৫০৭ টাউনহলের তামাসা, ত্র. “টৌনহলের তামাশা টাউনহলে বক্তুতা ক্রোধ? (১৮৯৮) ৪৬৪, ৪৬৯ টিলক, বালগঙ্গাধর ৪৬৭, ৪৭০ পা-টী __সন্বস্ধে “যাত্রী? গ্রন্থে কবির মত ৪৬৮-৬৯ টেন (7817০ )-এর ইংরেজি-সাহিতোর ইতিহাস পাঠ ৮৩ পাঁ-টী ৬, ৮৪ টেনিসন, আ.লফ্রেড-এর “ডি প্রোফাত্িন? ১৪৬-৪৭ টেমস্‌ জাহাজে বিলাত হইতে প্রত্যাবর্তন (১৮৯০) ২৯৮

রবীন্ত্রজীবনী

'টোয়েন্টিয়েখ সেনচুরি (67060) 06000 ) নগেম্ত্রনাথ ৩প্ত ব্রদ্ধবান্ধব উপাধ্যায় -সম্পাদিত ৫০৪ 'টোন্হলের তামাশা" ( প্রবন্ধ ) ১৮৫-৮৬ পা-টী ত্রঙ্বিং €7166-9910012 ) ৪১৫ পা-টী দ্ব. গাছের ছাপ'

ঠাকুরদাস মুখোপাধ্যায় ২১৭ পা-টী ২, ২১৮, ৪২৬ দ্র. 'পাক্ষিক সমালোচক' __মস্ত্রিঅভিষেক' সম্বন্ধে ২৮৮-৮৯ পা-টী ঠাকুর পদবীর উৎপত্তি ঠাকুর-পরিবার ১০-১৫ ঠাকুর কোম্পানি (কুষ্টিয়ার ) ৪২৭, ৪৬৭, ৪৮২, ৪৮৪, ৪৮৭) ৫&*৬ কার্যালয় কলিকাতায় ৪৮৬

ডা্উডেন (1)০%/৫67 ) এক গ্রস্থপাঠ ৪২৭ “ভায়ারি' লেখা সক্বদ্ধে মত ৪৩৮ ডারউইপিজ আ' (18755300157) ২৯৯ দ্র. গয়ালেস ডালহোপসি পাহাড়ে যাত্রা ( ১২৭৯) ৪১ ভিকনসনদের কাছে কাগজের ধণ ৩৭৩ ডি ক্রুজ (106 092) সাহেবের স্কুলে ( বেঙ্গল একাডেমি ) ভ্তি ৩৬ পা-টী “ডি প্রোফাত্তিস” (106 1:01215315 ) ১৪৬-৪৭ দ্র. টেনিমন ভু দেওয়া” ( “আলোচনা, গ্রন্থভুক্ক ) ১৮৯ ডেঙ্গু জর _-পেনেটির বাগানে কয়েক মাম ৩১ ভোবু, গ্রমটাব (1016, 053৬ )৮১ পা-টী

ঢাক] প্রাদেশিক সম্মিলনীতে উপস্থিত (১৭ জো ১৩*৫ ) ৪৬৫ পা-টা১ দ্র, কালীচরণ বন্দ্যোপাধায়

তিড়খড় ৮৭, ৮৮ পা-টী দ্র. আনন! তড়খড়

“তিৰকৌমূদী' পত্রিকা ২০৩

তিরবোধিনী পত্তিক।? ৯, ১৩, ১৭, ১৯৭, ২০৪, ২০৫, ২১৯) ২২০, ২৩১, ২৯৯ পা-টী ১, ৪৯৩ পা-টী ১) _্ঘ অনামে কবিতা প্রকাশ ৪৫ পা-টী ১, দ্র. 'অভিল[ষ” 'প্ররৃতির খে?

তববোধিনী পাঠশালা ৮, ১৮

তন্ববোধিনী-সভা ৮, ১০, ১৮ জর “তবরঞিনী”-সতা

নির্দেশিকা

তত্ববোধিশী-সভা _-কর্তৃক ব্রাহ্মদমাজের ভার গ্রহণ (১৮৪২ )৯ _-হুইতে পদ্ভ্িক! প্রকাশ (১৮৪৩) “ততবরঞ্চিনী-সভা"'র নামকরণ হয় “তত্ববোধিনী-সভা” “তপতী' (নাটক )-এর ভূমিক] ২৭৯, ৫২৩ দ্র. “রাজা রানী; তপনমোহন চট্টোপাধাক়্ ১৩ “তপন্থিনী” ( নগেন্দনাথ গুধ্ের উপস্তাস-) সম্বন্ধে প্রিয়নাথকে পত্র ৫০৩-৫০৪ “তবু পারি নে ঈপিতে প্রাণ (গান) ছাত্র-সম্মেলনে গীত ২৪৮ “তরী বোঝাই" ভাষণ ৩১৯-২০ দ্র, সোনার তরী, “তর্কবৈচিত্রা' ( নগেন্ত্রনাথ গুপ্ত ) ৬৬২ পা-টী তাড়িঘাট, গাজিপুরের পথে ২৬০ তারক নাথ পালিত ৪৯২ “তারকার আত্মহতা' ( সন্ধাসংগীত ) ১১৮, ১১৯-২০) ১৯৭ “তাকিক' ( সমালোচনা ) ১৮১ পা-টী তালদওা খাল ( উড়িস্তা ) ৩৬৪, ৩৬৫ পাটী৩ “তাসের দ্বেশ' ( নাটিকা ) ৩৩২ “তিনসঙ্গী' ৩১০ “তীতথন্কর” ( দিলীপকুমার বায় ) ৮৮ তুকারামের 'অভঙ্গ'-অনুবাদ ৮৩ পাঁ-টী ১১ ৪৬, ৮৭ তৃণ' ( চৈতালি ) ৪৪৬ “তৃতীয় পক্ষ' ( প্রবন্ধ ) ১৮১, ১৮২ পা-টী “তৈলাক্ত শিরে তৈলসেক? ( প্রবন্ধ ) ৫*৩ ঈ. 'প্রভাত' পত্রিকা “তোমরা আমবা' (সোনার তরী ) ৩২২-২৩ ্র. সোনার বাধন”, “নয়নারীর তুলনা” “তোমারি তরে মা অপি দেহ' (গান) €* পা-টা ৩, ৫১ পা-টী ১(১), ৫২ পাটা “তোমারেই করিয়াছি জীবনের ক্বতারা? (গান) ৮২, ১১৪ “ত্যাগ' (গল্প ) ৩৩২ জিপুরা-_ঝবীন্দ্রনাথের সম্পর্ক ৫৪ ত্রিপুরার ইতিহাস _বাজমাল।' ২২৭ _ক্লাজকুমারদের শিক্ষা-বিষয়ে পরাষর্শ ৫১৯-২* ত্রেলোকানাথ মুখোপাধ্যায় ৩৭৪, ৩৭৫ শ্রেলোকানাথ সান্যাল ২৩১, ৪৯৩

“দয়ালু মাংসাশী? ( প্রবন্ধ ) ১৩২ পা-টী ধর্পহরণ' (গল্প ) ৩৭

৫৫৭

দর্পনারায়ণ ঠাকুর দাদাভাই নৌরজী ( কলিকাতা-কন্গ্রেসে সভাপতি, ১৮৮৬ ) ২৪৪ দাদোবা পাুরঙ্গ ৮৭ দাস্তে (109166 ) ৮৪, ৮৫, ৫২৯ “দাস্তে তাহার কাব্য? (প্রবন্ধ ) ৮৪ পা-টী 'দামিনীর আখি কিবা" (য্যুর-এর কবিতার অনবাদ ) ৮৯ দামূ বন্থ এবং চামু বস্থ' (কড়ি কোমল প্রথম সংস্করণ ) ২১১-১২ “দারোয়ান? ( প্রবন্ধ ) ১৩৯ পাঁ-টী দাজিলিঙে জ্োতিরিন্দ্রনাথদের সহি'ত (রোজভতিলায়) ১৬৪ _ সপরিবারে (কাস্লটন্‌ হাউসে ) বাল "মায়ার খেলা'র গান রচনা শুরু ২৫৫-৫৬ --জগদীশচক্ররের সহিত ( আনন্দেল হাউসে ) ৪৯৬ '“দালিয়া ( গল্প) ৩১৮, ৩৩১ দ্র কালভেরন, 'মহাবানী অব আরাকান্‌' দিকশূন্য ভট্টাচার্য ছন্মনামে কবিতা ৯৩ পাঁ-টা দ্র. “দুদিন? দিগন্ধরী দেবী দিনেজ্দ্রনাথ ঠাকুরকে “ফান্ধনী” নাটক উত্সগিত ১৩ দিলদারনগর, গাঙ্জিপুরের পথে ২৬০ দিলীপকুমার মুখোপাধ্যায় ৫২৭ দিলীপকৃমার রায় দ্র. “ভীথস্কর, _এর সঙ্গে গান সম্বন্ধে দীর্ঘ পত্রব্যবহার ৪২১ --কে আন্বা তডখড় সঙ্গদ্ধে ৮৮ কে ক্বটকুমারীদ্য় সম্বন্ধে ৯৪ দিল্লী-দরবার? কবিতা রচনা হিন্দুমেলায় পাঠ ( মার্চ ১৮৭৭ ) _("স্বপ্রময়ী নাট ক-অন্তর্গত ) ৫৩ সম্বন্ধে নবীনচন্দ্র সেন ৫৪ -_সন্ঈদ্ধে 'সাধারণী' সাঞ্চাহিক ৫৪ - কোনো সমলাময়িক পত্তিকায় মুড্িত হইল লা ৫৫ দীনবন্ধু মিত্র ১৭) ১৮, ৩৪৫, ৩৫৯ দীনেশচরণ বন্থ -কর্তৃক যুবক রবীন্দ্রনাথের বর্ণনা ২৩৬ দীনেশচন্দ্র সেন ২৮৫ পা-টা _কৃত-“বঙ্ষভাষা সাহিতা'-র সমালোচনা ৪৭৮ পা-টী “ছুই উপমা, ( চৈতালি ) ৪৪৩ 'ছই পাখি" ( লোনার তরী ) ৩২৮) ৫৩৭ সর. নরনারী' রে

€৫৮

ছুই বিঘা জমি' ৪২০

ছুই হৃদয়ের নদী" কষ্ণকুমার মিত্রের বিবাহ উপলক্ষে রচিত গান (১৮৮১) ১৫১

“ছুঃখ-আবাহন' ( সন্ধ্যাসংগীত ) ১২৬

, ছুঃখবৰাদ ১৪৩ দ্র. অকারণ কষ্ট” ( প্রবন্ধ )

ছুঃখসঙ্গিনী” (হবরিশ্চন্দ্র নিয়োগী ) কাবোর সমালোচনা ৬১ দ্র. জ্ঞানাুর'

হংসময়? ( কল্পনা ) ৪৫১

ছুঃসময়” ( চিত্রা ) ৩৯৪, ৩৯৫ দ্র. কাদগ্বরী দেবীর স্মরণে

“ছুরিন' ( দুইদিন ) সন্ধাসংগীত ৯৩-৯৪ দ্র. দিকশৃন্ত ভট্টাচার্য

'দুরাশা” গল্প ) ৪৮০

“ছুর্গেশনন্দিনী' ( বঙ্কিমচন্দ্র ) ২২৩

দুর করো, দূর কনো, বিকৃত ভালোবাসা” ( সন্ধ্যা-

গীত ) ১২৭

“দেউগ' ( সোনার তরী ) ৩৬৫

দেওঘবে বাঁজনারাঁয়ণ বস্ত্র সহিত দেখা করা ২২১

“দেনা-পাওনা ( হিতবাদী প্রথম ছোট গল্প ) ৩১০

দেবীপদদ ভট্টাচার্য ৫২৯

দেবীপ্রসন্ন রায়চৌধুরী ২৪৩

দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, মহর্ষি ৭-১২) ১৮) ১৯) ২০) ৩৯১ ৪০) ৪১) ৪২, ১০৬, ১৯১) ২০২) ২০৫) ২০৭, ২৪৫) ২৮১, ২৯৯, ৩০৪১ ৩১৩, ৩১৫১ ৪০৩ পা-টী __র পত্র ( রবীন্দ্রনাথকে ) ১৯১ ১৯৬ _-র পত্র, মৃণালিনী দেবীকে লরেটো হৌসে তত্তি করার জন্য ১৯২ ্বন্দোরায় ( বোম্বাই ) ২২৯-৩, -বোলপুরে আগমন ৫২৭ টি _-বোলপুরে (শান্তিনিকেতন) ট্রাস্ট ভীড. সম্পাদন ২৬৮ --শেষ উইল ৫২৭

দবেবেজ্জনাথ সেন ( কবিভ্রাতা ) ৩০১১ ৪৯৭ _-কে সোনার তরী কাব্য উৎ্মগিত ৩৮৭ _গাঁজিপুরে ২৬৭ ক্র. *স্বতি' --বুবিরাহু ৫৩৪

“দেশকে জানো? (00৯ 05 061£9০01 ) ১৮৫

“দেশনায়ক' ( প্রবন্ধ ) ২৪৪

“দেঁশশৃন্ত কালশৃন্ত জ্যোতিংশৃন্' ১৩৪ জু. “শ্্টিস্থিতি প্রলয়? ( প্রভুতসংগীত )

রবীন্জর্জীবনী

ঘ্বাদশবর্ধীয় বালকের রচিত" কবিতা! ৪৫, ৪৬ জু, 'অভিলাধ হারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায় ৫৩৪ দ্বারকানাথ ঠাকুর ৪, ৫-৭, ৩০৪, ৩১৩ দ্বারকানাথ বিষ্যাভৃষণ ( 'সোমপ্রকাশ' ) ১৭ দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর ৯, ১৩, ২৬, ৪৩, ৪৮১ ৫৮) ৬২১ ৬৬, ৬৮) ৯৫, ১৯১১ ২০৪) ২৪১) ২৮৮) ৩০৪১ ৩০৯, ৩৭৩, ৪৫১) ৫২১) ৫২৩, ৫২৮ __'ভাঁরতী, পত্রিকার সম্পাদক ৬৮ --ভারতী'র সম্পাদক পদত্যাগ ১৯৭ _-তিত্ববোধিনী পরিকা'র সম্পাদক ২০৫ কে 'রাজা বানী? উৎসগিত ২৭৪ _ কর্তৃক শান্তিনিকেতন মন্দিরের দ্বার-উন্মোচন ৩১৫ দ্বিজেন্দ্রলাল রায় সোনার তরী" কবিতার সমালোচনা ৩১৯ _-“কাঁকো নীতি” লিখিয়া রবীন্দ্রনাথের নিন্দা ৩৪৩ পা-টা দ্র. “চিত্রাঙ্গদা -_এর “আধগাথা ( সংগীতসংগ্রহ )-র সমালোচনা ৪২০) ৪২১) ৪৭৮ --এর 'আধাটে' কাব্যগ্রন্থের সমালোচনা ৪৭৮ -_সন্্ীক শিলাইদহে ৪৮৫ দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর --ভাবতী' সম্পাদনা ১৩, ২১, ৩০৪

ধর্ম (প্রবন্ধ ) আলোচন। গ্রস্থতুক্ত ১৯০

'ধর্মপ্রচার' (মানসী ) ২১৪, ২৬৬

ধর্ম-বিষয়ক প্রবন্ধ-_ প্র. আত্মা, নিরাকার উপাপনা, রামমোহন রায়, শান্তিনিকেতন মন্দিরে নবম বাৎসরিক উৎসবে ব্রন্ষোপনিষদ' ভাষণ (৭ পৌধ ১৩৬), ১*ম বাৎসরিক উৎসবে 'তর্ষমন্ত্র ভাষণ (৭ পৌষ ১৩০৭ ), সত্য, সাকার নিরাকার উপালনা।

ধর্মবিষয়ে মত, পুরাতন পত্র হইতে 'বঙ্গভাষার লেখক' গ্রন্থে উদ্ধৃত ৪৬৩

ধীরেন্দ্রন্দ্র চৌধুরী, 'ইন্‌ সার্চ অব. জীদাস” ৪৬১

ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ৩০১ পাটা ২, ৪২১,৪৭৯ পা-টী

ধ্যান? (মানসী ) ২৭৯, ২৮* পা-্চটী

নওয়াডি ৩৫৩ পা-টী ভর. বাঝ” নকলের নাকাল? ৪৭৪ তু, “কোট চাপকানণ' নগরসংগীত' ( চিত্রা ) ৪২৫

নির্দেশিকা

নগেননাথ গঙ্গোপাধ্যায় ১৫ -_“ছিন্নপঞ্জ' প্রকাশ ( ১৩১৯ ) ৪৩৬ নগেজ্নাথ গুধ (সম্পাদক প্রভাত' ) ৭২, ১৭০১ ৪৩০ পা-টী২ --র “তর্কবৈচিত্য' (প্রবন্ধ) ৩২৪ পা-টী ৪, ৩৬২ পাটা _র “তপদ্থিনী' উপন্তাস সম্বন্ধে ৫০৩-৫০৪ _ব প্রতাত' পত্রিকা সম্বন্ধে ৫৩ --৩ ক্রহ্ধবান্ধব-কর্তক 'টোয়েন্টিয়েথ প্রকাশ ৫৪ নগেম্দ্রনাথ ঠাকুর ৬১৭ নিদী” ( কবিতা ) ৪৩২, ৪৩৩ _অবনীন্্রনাথ-কর্তৃক চিত্রিত ৪৩২ পা-টী স্. মোহুনলাল গঙ্গোপাধায় _-পুস্তিকা বলেন্্রনাথকে বিবাহোপলক্ষে উপন্ৃত ৪৩২ 'নদীপথে" ( সোনার তরী ) ৩৬৫ নন্দিতা গাঙ্গুলি ( ক্ূপাঁলনী ) ১৫ নন্দিনী (পালিত! পৌত্রী ) ১৫ নবগোপাল মির হিন্দুমেল! ৪৮ 'নবজাতক' ( কাব্য ) ১৯৬ নিবজীবন” পত্রিকা ২৯৩, ২০৪, ২০৫, ২০৮ য় 'ভাঙগসিংহ ঠাকুরের জীবনী, স্বাক্ষরহীন বাঙ্গরচনা প্রকাশ ৭৪ পা-টা --য় রাজপথের কথা' (গল্প) ২৭২ পা-্টা য় কড়ি কোমল? -কে ব্যঙ্গ ২৪৬ 'নববঙ্গ দম্পতির প্রেমালাপ? ( কবিতা ) ২৬৬, ২৮০ নববর্ষে ( চিন্রা ) ৩৯৪ নিববিরহ” ৪৫৮ ত্র. “হেবিয়া শ্যামল ঘননীল' নবরত্বমালা” ৮৩ পা-টী নবীনচন্ত্র বড়াল ৩*৯ নবীনচন্্র মুখোপাধ্যায় -রচিত 'ভুবনমোহিনী প্রতিভা ৬১ পা-্টী -সিদ্কুদূত' কাবোর সমালোচন! ৩৩৮ নবীনচজ্ সেন ৩২৪ পা-টী -হিন্দুমেলায় উপস্থিত (১৮৭৭ ) ৫৪ -আত্মজীবনীতে রবীন্দ্রনাথ সম্বন্ধে ৫৪-৫৫, ৪০৫-৪*৬ সর. আমার জীবন --এর 'বৈবতক' কাবোধ সমালোচনা শ্রবণ ২৯২ _ও ববীঙ্ছনাথ : বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদের সহকারী সভাপতি ৪০২ »-ও রবীন্দ্রনাথ £ বঙ্গীয়-সাহিতা-পঞ্চিষর্ধের বাংলা

সেনচুরি?

$€৪ নবীনচন্দ্র সেন পারিভাষিক শব্প্রণয়ন উপসমিতির সহকারী সভাপতি ৪০৩

--এর আহ্বানে বাণাঘাটে একদিনের জন্তধ আগমন ৪০৫ দে, “এসো এসো ফিরে এসো” গান শোনানো ৪০১ পা-টা --বঙ্কিমের শ্বৃতিসভা সম্বন্ধে ৩১৬ নব্যবঙ্গের আন্দোলন” ( প্রবন্ধ ) ২৮১ পা-টী-১ নবাভারত' পন্থিকা ২৪৩ দ্র. কড়ি কোমল নবাহিন্দু ধর্ম চন্দ্রনাথ বন্ধু ২০৯ নবাহিন্দু সমাজ ২০৮-১৪ নয়ন তোমায় পায় না দেখিতে ( গান ) ২৪৫ পা-টা 'নরকবাস' ( নাট্যকাবা ) ৪৬২ নিরনারী* (প্রবন্ধ ) ৩৮১ পা-টী 'নরনারীর তৃলনা” ২৭৩, ৩২২-২৩, ৩৮*-৮১ দ্র. 'তোমবা আমরা? নরেক্দ্রনাথ দত্ত (পথে স্বামী বিবেকানন্দ ) _কৃষ্তকুমীর মিত্রের বিবাহের জন্য গানের অন্ততম গায়ক ১৫১ নধানজাতি আংলো-নর্ান সাহিত্য” (প্রবন্ধ ) ৮৪ পা-টী নর্মাল স্কুল ৩* পাঁ-টী ৩, ৩১, ৩২) ৩৬) ৩৭) ৩১৪ নলিনবিহারী দরকার ৩৯, 'নলিনী' নাম আন্না তড়খড়কে দান ৮৮, ৮৯ 'নলিনী' নামেরই প্রতিশব্ধ 'মুণালিনী' নামকরণ ১৯২ 'নলিনী' (নাটক ) ১৯৩-৯৪, ২৬৯, ৫২২-২৩) ৫৩৩

'নলিনী দেবীর (আনন্দমোহন বস্থর কন্তা ) স্বাক্ষর-পুঁঘিতে

দুইটি কবিতা-কণ1 লেখা ৪৪৬ পা-টা নলিনী দেবী ( ছিপেম্দ্রনাথের কন্যা ) সুহৎনাথের বিবাহ উপলক্ষে গান রচনা ৪৪৪ ড্র, "উজ্জল কর হে আজি'

নাটুত্রাতৃযুগলের নিধাসন ৪৬৯

নাটোরে দস্তশূলের পড়ায় কষ্ট ৩৫৬

নাটোরে বঙ্গীয় প্রাদেশিক সম্মেলন (জোষ্ঠ ১৩০৪) ৪88৪ _ভূষিকম্পে সভার কাধ বন্ধ ৪৫৫

নাটোরের মহারাজা ভর. জগদিজ্রনাথ বায়

নাট্যকাবা কাবানাটা-- দ্র. কর্ণকুস্তীনংবাদ, গান্ধারীর আবেদন, চিত্রাঙ্গদা, নরকবাস, গ্রকৃতিত্র প্রতিশোধ, বিদায়-অভিশাপ, মালিনী, লক্ষ্মীর পৰীক্ষা, সতী

৫৬৩

“নারীর উক্তি" (মানসী ) ২৫৮-৫৯ নাসিক হইতে খুড়ার পত্র ২৩৩-৩৪ শপ্রিয়নাথ মেনকে পত্র ২৩৪

“নিউ এসেজ ইন্‌ ক্রিটিনিজম্‌, (বি £.53955 0 0০110 01300 ) ২০৪ পাঁ-টী ছু. ব্রজেন্্নাথ শীল |

নিতাকষণ বস্থ ৩৪৩, ৩৯৪ দ্র- “চিত্রাঙ্গদী'

“নিন্মুকের প্রতি নিবেদন" ( মানসী ) ২৬৪-৬৫

“নিভৃত আশ্রম" ( মানসী ) ২৫৮

“নিমন্ত্রণ সভা'' ( প্রবন্ধ ) ১৩৯, ১৪*

“নিরাকার উপাসনা" ১৩*৫ শান্তিনিকেতন মন্দিরে পৌষ উত্সবে ভাষণ ৪৮৩ পা-টী

“নিকদ্দেশ যাত্রা' ( সোনার তবী ) ৩০৬, ৩৯২

“নিঝ'রের স্বপ্রভঙ্গ” ( প্রভাতসংগীত ) ১৬৩ পা-টী ৩, ৩৮৪

নির্মলচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় « পাঁটী ১, ১*৪ পা-টী ১, ১৬২ পা-টী

নিশিকান্ত চট্টোপাধ্যায় “ভাঙ্গমিংহ ঠাকুরের পদাবলী? ৭৪ পা-টী

“নিক্ষমণ” ( কাবাগ্রন্থ ১৩১০ ) ১২৮

“নিষুর স্যি' ( মানসী ) ২৬১

নিক্ষল উপহাধি ( মানসী ) ২৬৩, ২৬

“নিক্ষল কামনা" ( মানসী ) ২৫৭ - ইংরেজি অনুবাদ ২৬৭ পা-টী

'নিক্ষল প্রয়াস (মানসী ) ২৫৮

নিস্গসন্দর্শন-বঙ্গহুন্দরী-হুরবালা কাবা (বিহারীলাল ) ৩৫

নীতীব্ত্রনাথ গঙ্গেপাধ্যায় ১৫

নীতীত্রনাথ ঠাকুর ১৩, ৫৭৫

“নীরব কবি 9 ম্মশিক্ষিত কবি' (প্রবন্ধ ) ১৪১ পা-্টী দ্র. বাঙ্গালি কৰি নয়” “বাঙ্গালি কবি লয় কেন'

নীরব রজনী দেখ মন জোছনায় ( নিজন্ুর প্রদত্ত প্রথম গান ) ৮২

নীলকমল ঘোবল ( নর্মাল স্কুলের শিক্ষক ) ৩২

নীলকুঠি ক্রয়, শিলাইদহে

নীলমণি ঠাকুর ৪,

নীহাররঞ্জন রায়, “বিসর্জন? সম্বন্ধে ২৮৭

নূতন" ( কড়ি কোমল ) ২০০-২০১, ৩৯৫ তু, 'ছুঃসময়? (চিত্রা)

নূতন অবতার" ( হেয়ালী নাটা ) ৩৮৮

নূতন পুরাতন" (“দুরোপ-যাত্রীর ডায়ারি'র ভূমিকার একাংশ ন্বদেশ' গ্রন্থভুক্ত ) ৩০৬

'নৃতন ধর্মমত" ( গ্রবন্ধ ) ততবোধিনী পত্রিকায় প্রকাশিত

রবীন্্রজজীবনী

(১২৯১) হইবার পর নবাহিন্দুসমাজের আদি- ব্রাহ্মদমাজের বিরোধের সুত্রপাত ২০৪ পা-টী নৃত্যশিক্ষা, বিলাতে ৯১ নৃপেন্দ্রনারায়ণ ( কোচবিহারের মহারাজ ) ৫১৯ 'নেপালীজ বৃদ্ধিঠিক লিটারেচর” ৩৬৩ “নৈবেষ্ঠ” ( কাব্য ) ২৪০) ৪৪০) ৪৯০ নোবেল পুরস্কার ৩৯৮ “নৌকাডুবি? ( উপন্বান ) ২৬৭ স্বাশনল কন্গ্রেস, বোশ্বাইতে (১৮৮৫ )২২৯ _ কনফারেন্স ( ১৮৮৩ ) ২২৯ __খিয়েটার (১৮৭২ ) ৩৪৪ প1-টী ১, ৩৪৫ _ফাণ্ড ১৮৩ পা-্টী _মহামেভান আসোসিয়েশন ২২৮ _মেলা ( হিন্দুমেলা ) ৫৪

পঁচিশে বৈশাখ ১২৬৮ ( মে ১৮৬১ ) জন্মদিন ২১

'পঞ্চভৃত' ৩২৬, ৩৫৩) ৩৭৪, ৩৮৯) ৪৩৮ ৫২৪ _এর উত্স পারিবারিক স্থতিলিপি ২৬৭, ৩০২, ৩৭৩ --'বিদায়-অভিশাপ' আলোচনা ৩২০) ৩৮১ দ্র. কাব্যের তাৎপধ, _ মহন্ত প্রবন্ধে প্রেষমতব ৩২৮) ৩৭৭ --জগদিজ্্রনাথ রায়কে উৎসগিত ৩৭৩ পা-টী ২, ৪৫১ _বিচিত্ত প্রবন্ধ গ্রন্থভুক্ত ৩৭৩ পাঁটী

পতিতা" ৪৫৯, ৪৬১, ৫৪০

পতিসর ( কালিগ্রামের সদর কাছারি ) ৩০৪, ৩০৫, ৩৮০১ ৩৯১) ৪০১৬, ৪০৮) 886) ৪৯৭

পথপ্রাস্তে ( সোলাপুরে রচন] ) ২২৮

“পথিক? ( শৈশব সংগীত ) ৯৯-১৯*

'পদকল্পলতিকা' ( ১২৫৬) ২১৭

'পদরত্বাবলী' ২১৬, ২১৭, ২৩৮, পাটী ৩) ২৪৩

'পদ্দামৃতসমুস্ত্র (১২৮৫ ) ২১৭

“পদ্মা? ( চৈতালি ) ৪৪২ -পগ্মভীরে বাসকালে ছোটগল্পের হুত্রপাত সন্বস্ধে

পত্জ ৩১০ পা-্চী১

পঞ্সিনীমোহন নিয়োগীকে নিজ জীবন সম্বন্ধে পত্র ৪১ পা-টী

'পরবেশ' ( চৈতালি )৪৪৩ তৃ. নকলের নাকাল'

“পরশ পাথর" ( সোনার তরী ) ৩২৫, ৩৩২

'পরিত্যক্ত' ( সন্ধ্যাসংগীত ) ১২৩

পরিতাক্ত' ( মানসী ) ২৫৪, ২৬৫, ২৬৬

'পরিআগ' নাটক ( 'প্রায়শ্চিত্ত'-র নবক্পায়ণ ) ১৫৭) ৫২২

নির্দেশিকা!

পরিশোধ' শ্যামা" হৃত্যনাটো রূপায়ণ ৪৯১

পরেশনাথ সেন ৫৩৪

পশ্চিম-যাত্রীর ভায়ারি' ৪৩৮, ৪৬৯ পাটা

'পসারিনী? ( কল্পনা ) ৪৫৪

পাক্ষিক সমালোচক' ২১৭ পা-টী ২. প্র. ঠাকুরদাস মুখোপাধ্যায় -_ব্ববীন্্রনাথের রচনা সম্বন্ধে ২১৮ পাটা

পাগল * বনে বনে ফিরি” (কাবাগ্রস্থ ১৩১ ) ২৪১ পাচা

পাশিনি-বাকরণ চর্চা, শান্তিনিকেতনে ৪৪৫

পাওুয়া ( উড়িস্বা ) ৩১৩, ৩১৪, ৩৩৯, ৩৬৩, ৩৬৪

পাুবক্ষ-পরিবার ৮৭

পাথুরিয়াখাটার ঠাকুর-পরিবার 9

পাদপ্রাস্তে রাখ সেবকে' (১৩০২ ) ৪৩২

পাবলিক থিয়েটারে অভিনয়ের জন্য “গোড়ায় গলদ" -এব নৃতনরূপ 'শেষরক্ষা' ৩৫১

“পারিবারিক স্থতি” লিপি ২৬৭) ২৬৮) ৩০২) ৩০৮) ৩৭৩ স্.প

পারিভাষিক শব্প্রণয়ন উপসমিতি ( বঙ্গীয়-সাহিত্য- পরিষদ ) ৪*৩ দ্র, নবীনচন্জ্র সেন

পার্ক গ্বীটের বানায় ২৪৯, ২৫১১ ২৫৬, ২৬৭

পার্নেল 'হাঞ়িট” কাবা ৫৯ পা-টী প্র. 'উদাসিনী" কাবা

পালামৌ' ( সন্ীবচন্দ্র )র সমালোচনা ৪২০-২১

পাশ্চাতাভ্রমণ' ৯৪, ৯৬ ক্র. মুরোপ-প্রবাসীর পত্র -_-চাঁরুচন্দ্র দত্তকে উৎসগিত ৯৬ পা-টী

'পাধাণ হৃদয় কেটে? (পাথরে খোদাই কবিতা) ৬৭ পা-টী দ্র. অক্ষয়চন্্র চৌ

“পিতআর্ক লরা' ( প্রবন্ধ ) ৮৫ পা-টী

'পীরালি' নামের ইতিহাস ২-৩

পুপায় বাদ (১৮৮৯ ) ২৭২, ২৭৪

পুণার 'গায়েন-সমাজ' ৩৪৬

'পুণাস্বতি' ( লীতাদেবী ) ৩২১ পা-টা

পুগ্যাহ, পতিসরে ৪৮৬, ৪৯৭ --সাজাদপুরে ৩২৬

'পুণ্যের হিসাব" ( চৈতালি ) ৪৪*

পুঅযজ। ( গল্প ) ৪৮০

'পুনর্বসস্ত' অভিনয়ে নৃতা শেখানো ৩৪৭

'পুনমিলন' ( প্রভাতসংগীত ) ২৪, ৩২, ১২৮) ১৬৫

পুরস্কার" ( সোনার তরী ) ৩৭৮-৩৮০১ ৩৮২) ৩৮৩) ৩৮৬, ৪৯৪

ণ১

৫৬১

পুরাতন (কড়ি কোমল ) ২০০

পুরাতন ভৃত্য” ( কথা কাহিনী ) ৪২৯

পুরানো বট" ২৪ পা-টী ১, ২২০

পুরী ( উড়িয্য] )-র সমূত্র, কণারক, ভুবনেশ্বর মন্দির প্রভৃতি দর্শন ৩৬১ _-তে আংলো-ইতিয়ান সিভিলিয়ানদের সম্বন্ধে একটি

অভিজ্ঞতা ৩৬২

-অন্দির সম্বন্ধে ৩৬৫ পা-টী

পুরুষ স্রীর সন্বস্থ বিচার ২৭৩

পুরুষের উক্তি" (মানসী )২৫৮

পুলিনবিহারী সেন ১২ পাঁটী ১১ ৬৪ পা-টী ১) ১৩০, ২৬০) ৩০৯ পা-টী ১, ৩৩৩ পা-টী ১, ৩৮৩) ৫৩২, ৫৪১

পুষ্পাঞ্চলি, (কাদম্ববী দেবীর মৃত্যু-স্মরণে লিখিত। ভারতী : ১২৯২ ) ১৯৫-৯৬, ১৯৯১ ২২১

পূজাবিনী? ( কথ ) 'নটার পূজায় রূপাস্তরিত ৪৯১

পূরবী” ( কাবা ) ৩৮৩

পূর্ণ পরিণত জনবুষ” ইংরেজ অধাক্ষ সম্বন্ধে মস্তবাপূর্ণ পত্র (১৮৯৩ ) ৩৬১

'পূর্ণমিলন' (কড়ি কোমল ) ২৩৮

'পূিমা? ( চিত্রা ) ৪২৮

'পূণিমায়' (ছবি গান ) ১৭১, ১৭২) ১৭৫

পূর্ব পশ্চিম" ( প্রবন্ধ ) ৩২৯ দ্র. সোনার তরী

“পৃথিবী জুড়িয়া বেদ্ধেছে বিষাণ ২২৯ দ্র. “আহ্বান- শীত

পৃ্থবিরাজের পরাজয়” ৪৯, ১০৮ দ্র. রুদ্দচণ্ড

পেনেটির বাগানে ৩১ ভ্ত্. “ডেঙ্গুজ্বর”

“পোস্টমান্টার' ( গল্প ) ৩১০

পৌলবঙঞ্জিনী' অস্থবাদ পাঠ ৩৫ ত্র. 'অবোধবন্ধু পত্রিকা?

পৌধ-উৎ্সব হত. শাস্তিনিকে তন

প্যারীচাদ মিশ্র ১৮

প্যারীমোছন ঘুখোপাঁধায় ১৮৬, ৪৭৫ পাঁ-টী দ্র. মুখুজো বনাম বীডুয্যে

প্যারিসে আন্তর্জাতিক প্রদর্শনী দর্শন ৯১ -ইফেল তোরণে আরোহণ ২৯৬

প্রক্টরের ব্টিত ইংরেজি জ্যোতিষের বই ৪২

প্রকাশ? (€ কল্পনা : ১৩৯৪ ) ৪৬৪

“প্রকৃতির খে ( কবিতা ) ৪৬ -বিছজান-সমাগম-সভায় পঠিত ৪৫ --স্খদ্ধে 'লাধারণী'র সম্পাদক ৪৫-৪৬

৫২

প্রকৃতির প্রতিশোধ” (কাব্যনাট্য ) ১৭২, ১৭৫, ১৮৮-

৮৯) ১৯৬, ২৬৩, ২৭৮; ৪৬০) ৫২২ ১৭৪-৭৫

প্রচার? পত্ত্রিক1 ( নব্য হিন্দুধর্মের মুখপত্র ) ২০৩, ২০৪, ২০৫) ২০৬, ২২০) ২২৪

প্রজাপতির নিবন্ধ" ৫১৩ দ্র. চিরকুমার-সভা!

প্রজাবিপ্রোহ ৪৭*

প্রণয়কুমার কু, “রবীন্দ্রনাথের গীতিনাটা নৃতানাটা' ১০৩ পা-টী

প্রতাপচন্দ্র ঘোষ, 'বঙ্গাধিপ পরাজয়” ১৫৪; ১৫৫

প্রতাপচন্্র মজুমদার ২৩১

প্রতাপাদিত্যের ইতিহাস ১৫২ পাট ১, ১৫৪ পা-টী

প্রতিধ্বনি" ( প্রভাতসংগ্গীত ) ৩৬৫

প্রতিভা দেবী ১৪, ২৬৮ __“বান্মীকিপ্রতিভা' অভিনয়ে সরস্বতীর ভূমিকায় ১০৩ --বিবাহ, আশুতোষ চৌধুরীর মহিত ২৩৪

প্রতিমা দেবী ( পুত্রবধূ) ১৫, ৫২৭

প্রতীক্ষা” ( সোনার তরী ) ৩৫৩, ৫৩৭

প্রত্যুত্তর” (অক্ষয় চৌধুরীর “দেশজ প্রাচীন আধুনিক কৰি' প্রবন্ধের উত্তর ) ১৬১

প্রত্বতত্ব” ( ব্যঙ্গকৌতৃক ) ৩১২

প্রথম শোক' ( লিপিকা! ) ১৯৬

প্রদীপ" পত্রিকায় রচনা প্রকাশ ৪৫৮ পা-টী ৩, ৫০৩, ৫০৪

গ্রচ্ুল্নকৃমার সরকার, “জাতীয় আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ” ৪৪৯ পাচী

প্রফল্পময়ী দেবী ( বলেন্দ্রজননী ) ৪৮৮

প্রবন্ধ-লেখা সম্বন্ধে ৪৩৪ পাঁচী

প্রবাসী” পত্রিকায় (১ম বর্ষ, ১৩০৮) প্রবাসী” কবিতা ৫১২ পাঁটী

প্রবোধচন্জ্জ ঘোষ ৬১, ৬২১ ৭৫, ২১৫১ ২১৮ দ্র. কবিকাহিনী

প্রবোধচন্ত্র সেন ৬৫, ২৩৭ পা-টী ১, ৩৩৮ পাটী ৪, ৩৪৯ পা-চী ২, ৩, ৫০২ পাটী ৪, ৫২৮১ ৫৩৭ দ্র. ছন্দোগুক ববীজ্জনাথ -_সম্পাদিত রবীন্দ্রনাথের “ছন্স' ৩৩৮ পা-টী

প্রবোধেন্দুনাথ ঠাকুরের কাদস্বরী? ৫*৫ পা-টা

প্রতাত' ( 'পুষ্পাঞ্লি'র প্রথম পরিচ্ছেদ ) ১৯৬

প্রভাত" ( নগেন্দ্রনাথ গুপ্ত -সম্পার্দিত ) পন্তিক! ৫*৪ সম্বন্ধে প্রিয়নাথকে পত্র ৫*৩ -য় প্রকাশিত ছুইটি প্রবন্ধ তিনটি গল্প ৫*৩

প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় ( 'পন্তাসিক )কে পন্ত “সোনার তরী'র “স্থথ' কবিতা সন্বন্ধে ৩৬৮ পা-টী

ববীন্ত্রজীবনী

প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় __বৈফবধর্ষের মূলতত্ব ব্যাখা করিয়া ৩৭৭ --চিত্রা'র “প্রেমের অভিষেক' ( কবিতা ) সম্বন্ধে ৩৯১ -“সখা সাথী? পত্জিক! সম্বন্ধে ৪১৯ পাঁটী - চিত্রা “উর্বশী কবিতা সম্বন্ধে ৪২৯-৩০ --'জীবনদেবতা” সম্বন্ধে ৪৩৪, ৪৩৫ - কর্তৃক 'চিজ্ঞা'র বিস্তৃত সমালোচনা ৪৪* পা-টী --এর প্রশ্ন কবিতা ৪৪৮পা-টী দ্র, হেয়েন্রপ্রসাদ ঘোষ - বস্তায় নাটকের গা” সম্বন্ধে ৫৩২

প্রভাতচন্দ্র গঙ্গোপাধায় পা-টী

প্রভাতচন্দ্র গত, রবীন্দ্র প্রসঙ্গ ৪* পা-টী

প্রভাত রবি ৫৩২

প্রভাতসংগীত (কাব্য ) ২৩) ৩২, ১২৮, ১৬৩৬৮) ১৮১১ ১৮৮, ২২০১ ৫২২ _ভূমিকা “কবির ভণিতা" ১৬৬ ইন্দিরা দেবীকে উৎসগিত ১৬৭ _ হুদেব মুখোপাধায় -কর্তৃক প্রশংসিত ১৬৭, ২১৫

প্রমথনাথ চৌধুরী ১৪) ২৯৩ ৩৯১ পা-টী ৩, ৩০৬, ৩১১, ৩৫৩) ৩৫৬, ৩৫৯ পা-টী ১, ৪৩৬, ৪৩৯) ৪৪০; ৫৪৯ --কে “ছবি গান' সম্বন্ধে পত্র ১৭৬ _ শাস্তিনিকেতনের “প্রাকৃতিক ভূগোল, নন্দ্ধে পন্জ ২৯১ -__ মেঘদূত' সন্বস্ধে পত্র ২৯২, ৩১৮ --ৈবতক" লেখক সম্বন্ধে পত্র ২৯২ _-মানসী' সম্বন্ধে পত্র ৩৯১ --কৰিতা লেখা সম্বন্ধে পত্র ৩৫৭ ইংরেজ ভারতবাসী' (প্রবন্ধ ) সম্বন্ধে পত্র ৩৮২

পা-চী

--রু চার-ইয়ারি কথা” ৪৫১

প্রষখনাথ বনু ১২৮ পা-টী

প্রমধনাথ বিশী ৩১৯ পা-টী ১, ৩৩২) ৩৩৩ --তগ্রহদয়' কাবা সম্বন্ধে ১১১-১২, ১১৩

প্রমথনাথ রায়চৌধুরীকে 'কণিকা' (কাবা) উৎসপ্গিত ৪৮৯, ৫২৪

প্রম্লাল সেন ৫৩৬৯

প্রমোদকামিনী ৫২৮

প্রলাপ? কবিতাগুচ্ছ ৫৯-৬১ ত্র. জানার?

প্রসঙ্গ কথা' ( প্রবন্ধ ) ৩০৮

প্রস্রকুমার রায় (1১. 16, £০% ) ২৬৮ --কর্তৃক আহ্বৃত ছাত্রসম্মেলনে গান ২৪৮

'প্রাক্কতিক বিজ্ঞানের স্ুলমর্ম' গ্রন্থ ৪৫৭ পাঁ-টী . হেমেম্্রনাথ ঠাকুর

নির্দেশিকা

ধ্রান্কৃতিক ভূগোল” ত্র. প্রমথনাথ চৌধুরী প্রাচীন কাবাসংগ্রহ' (অঙ্গয় সরকার সারদাচরণ মিত্র “মম্পার্দিত ) ৭২, ২১৭ --সমালোচনা ১৪৭ 'প্রাচীন দেবতার নৃতন বিপদ" ( বাঙ্গকৌতুক ) ৩৮৮ প্রাচ্য প্রতীচা' (মুরোপ-যাত্রীর ডায়ারি গ্রন্থের ভূমিকার দ্বিতীয়াংশের লাম ) ৩০৬-৩০৮ দ্র. সমাজ রাবি (সাতকড়ি দত্ত ) ৩২ 'প্রাতঃকাল সন্ধাকাল' ( বিবিধ প্রসঙ্গ ) ১৯, প্রার্থনা সমাজ ( বোদ্বাই )৮৭ পা-টা প্রার্থী (কল্পনা £ কবিতা-গাঁন )৪৫৯ “প্রান্শ্চিত্ত' ( গল্প ) ৪১৭ প্রায়শ্চিত্ত (নাটক : ১৯০৯ ) ১৫৭) ৫১৪ দ্র, পরিত্রাণ, মুক্তধারা প্রিক্ষনাথ মুখোপাধায় "হিতবাদী' ৩৯৯ প্রিয়নাথ শাস্ত্রী ৩১৬, ৪৩২, ৪৮৩, ৪৪৩, ৫১০ প্রিয্নাথ সেন ১২৮, ১৪৪) ১৬৯, ১৭৯) ২১৫) ২১৮, ২২৮, ২৩০) ২৪২) ২৬০) ২৭০) ৪৮৪) ৪৮৫-৮৬) ৪৮৭) ৪৯১) ৪৯৫) ৪৯৭) ৪৯৮) ৫১১) ৫১৪) ৫২৩ -কে আপন বিবাহের নিমন্ত্রণ-পত্্র প্রেরণ ১৯০, &€৩৩ -কে কন্ধিঅবতার বিদ্রপ করিয়া পত্র ২১১ --মানসী' কাবা সম্বন্ধে ৩০১ পা-টী -কে “গোড়ায় গলদ' উৎসগিত ৩৪৩ --অলীকবাবু' অভিনয়ে রবীন্দ্রনাথ সম্বন্ধে ৩৪৭ -_-কে 'ক্ষাণকা” স্থদ্ধে পত্র ৫০২ --কে প্রভাত" পত্রিকা ( নগেজনাথ গুপ্ত ) সম্বন্ধে পত্র ৫০৩ --কে জগদীশচন্ত্রের কার্ধকলাপ সম্বন্ধে পত্র ৫০৭ -_-৪ ফপিত গ্গোতিষ ৩২৯ £প্রিযপুষ্পাধলি ২১৬ পা-টী ১১২৪২ পাঁ-টী ১,৩০১ পাটী ১,৫০২ পা-টী২ ত্র প্রিয়নাথ সেন প্রেম-বন্দী-হদি ধারা” ( দান্তের সনেট অন্গবাদ ) ৮৫ “প্রেমের অভিষেক" ( চিত্রা ) ৩৯০, ৩৯১ পা-্টী প্রেষিডেম্পি কলেজে একদিনের ছাত্র ৮*

ফটিক মন্তুমদায় ৩২৯

ফলের গাছকে লতানে গাছ করিবার চেষ্টা ৩৩

“ফ(উস্ট' ( চ8450) পড়িবাক্ধ চেষ্ট! ২৯৩

“ফাউন্ভলিং ছিলো? ( 8097101078 [16:0 ) স্টার্জ-মুর- কৃত “কর্ণকুম্তীসংবাদ'-এর তরজমা ৪৬৩ |

৪৬৩

“ফাস্তনী' (নাটক ) ১৩

বু অন্ধবাউল ২৬৩ দ্র “হরদাসের প্রার্থনা ফিরোজশাহ মেহতা ২৯৯, ৩০৩ “ফুলজানি' ( শ্রীশচন্্র মজুমদার ) গ্রন্থের সমালোচন]। ৪২* “ফুলবালা' ( গাথা ) ৬৫, ৬৬ ফুলবাল।' ( দেবেন্দ্রনাথ সেন ) ২৬

'বউঠাকুরানীর হাট' ( উপন্তীস ) ১৫১-৪৮, ২৮২) ৩৯১ ৫২২, €৩২-৩৩ --সম্বন্ধে বঙ্কিমের পত্র ১৫৬) ২১৫ _এর আখ্যানবন্ত লইয়া “রাজা বসন্তরায়' নাটক মঞ্চায়ন ১৫৭, ২৩৩, ৩৪৮ ভর. কেদারলাথ চৌধুরী ংশপরিচয় ১-৪ বক্কোটা, হিমালয়-বাল ৪১ বহ্িমচন্ত্র ১৯, ৩৫ পা-টী ৪, ৩৬, ১৫৬ পা-টী ২১ ২৯৪, ২০৭) ২৯৯, ২১৫) ২২৪) ২৩১) ২৫৪, ৩০৯) ৩৪৫, ৩৯৪) ৩৯৬ ৩৯৭ --কে 'মরকত-কুঝে' প্রথম দর্শন ৬২-৬৩ --কর্তৃক 'সদ্ধ্যাসংগীত'-এর প্রশংসা ১২৮ --ও “নব্যহিন্দু আন্দোলন” ২*২ কর্তৃক “হিন্দুধর্মের তে্ঠন্ব' (রাজনারায়ণ বস্থ) পুস্তিকার সমালোচন। ২*৩ -_ও রবীশ্রনাথের মসীযুদ্ধ ২০৫-২০৭ -কৈলাসচন্দ্র সিংহ সম্বন্ধে ২২০ - সম্বদ্ধে অরবিন্দের মত ২৫৪ পা-টী দর. ইন্দুপ্রকাশ' -_এর নভেল সম্বন্ধে লোকেন পালিতকে পজ্জ ৩৩৪ কর্তৃক ১২৭৯ সালে “বঙ্গদর্শন প্রকাশিত ৩৪৪ পা-টী শিক্ষার হেরফের সম্বন্ধে মত ৩৫৪ --চৈতন্ত লাইব্রেরিতে সভাপতি ৩৮২ স্্. ইংবেজ ভাব্বতবাসী' --এর 'রাজসিংহ' উপন্তাসের সমালোচনা ৩৯৩, ৪২০ কর্তৃক বিজিত-জেতু সম্বন্ধে আলোচন। ( ১২৮৯) ৪১২ পাঁ-টা _কর্তৃক বঙ্গদর্শনে পুস্তক-সমালোচনার নৃতন আদর্শ স্থাপন ৪২* -সন্বন্ধে দীর্ঘ সমালোচন। প্রকাশিত (আবাঢ় ১৩৯১) ৪২%. --এর '্রিফচরিতর সমালোচনা ৪২১৪ ৪৬,

৬১৪

বন্ধিমচন্দ্রকে “বন্দেমীতরম্‌*এর প্রথমাংশ নিজ হুরযোগে

শোনানো ৪৪৯ বিস্কিমী বাংলা” ১৯ “বঙ্গদর্শন” পত্তিকা (১২৭৯) ৬৮) ৭১) ১৯৩, ১৪১১ ১৪৩, ২৯৩, ৪৮ পা-টী ৩) ৫২১ সমন্ধে মত ৩৫ _নবপর্ধায় ( বৈশাখ ১৩৯৮) ৫১২ _-র সম্পাদন-ভার গ্রহণ (১৩০৮ ) ৫১৩) ৫২৯ -_সম্বন্ধে মহিমচন্দ্র ঠাকুরকে পত্র ৫২০ বঙ্গবাসী' সাপ্তাহিক ২০৩, ২৯৫) ২১১১ ৩০৯ বঙ্গবিষ্যালয় দেশের সবত্র স্থাপন প্রস্তাব ( ১৮৮৩ ) ১৮৫ বিক্ষবীব' ( ষানসী ) ২৬৪ বঙ্গভাষা সাহিত্যা'র সমালোচনা ৪৭৮ পা-টী দ্র. দীনেশচন্দ্র সেন 'বঙ্কভাষার লেখক' ( হরিমোহন মুখোপাধ্যায় -সম্পার্দিত ) ২৯৪ | - গ্রন্থে আত্মচরিতে “অন্তর্যান্মী' কবিতার ব্যাখা 6০৫ _প্রস্থ-মধ্যে উদ্ধৃত ধর্মসন্বদ্ধে পত্র ৪৬৩ গ্রন্থে জীবনদেবতাবাদের ব্যাথ্যান ৪৩৩ বঙ্গমাতা” ( চৈভালি ) ৪৪২ “বঙ্গাধিপ পরাজয়” ১৫৪, ১৫৫ দ্র প্রভাপচন্দ্র ঘোষ বঙ্গীয় প্রান্দেশিক সম্মেলন, কলিকাতায় (১৭ ডিসেম্বর ১৮৮৮ ) ২৭০ ্‌ _-নাটোরে (১১ জুন ১৮৯৭ ) 6৫৪8, 8৫৫ _টাঁকায় ( মে-জুন ১৮৯৮) ৪৭১ বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদ, স্থাপিত (১৩০১ ) ৪৯৪ --এর দ্বিতীয় অধিবেশনে অন্ততম নহকারী সভাপতি ৪০২৭ _ প্রশ্ন বাধ্ধিক উৎসবে (২৫ চেত্ত্র ১৩০১) “বাংলা জাতীয় সাহিতা' প্রবন্ধপাঠ ৪২২, ৪২৩ বধ (আকাশপ্রদীপ ) ২৩ পান্টী বধু” (মানসী ) ২৬২, ২৬৪ বনক্ষেত্র (৬৬/০০৫-],970$ ) সিমলাশৈল ৩৮৩ পা-টী বনফুল কাব্য ৫১৬৩১ ৫২২ দর. জনাঙ্কুর বনোমারিলাল গোম্বামী ২৭৪ বিন্দী' (কড়ি কোমল ) ২৩৯ পা-চী 'পনপী বীর” (কথা ) কবিতায় মুনপমানদের আব্মসন্মানে আঘখাত ৪৯১

সববীন্দ্রজীবন্দী

'বন্দেমাতরম্' কবিতায় জুরদান কলিকাতা! কংগ্রেসে গীত ( ডিসেম্বর ১৮৯৬ ) ৪৪৯ _ বন্ধিমচন্দ্রকে প্রথমাংশ শোনানো ৪৪৯

বন্দোরায় ( বোম্বাই ) মহত্বির সহিত বাস ২৩০

“বন্ধু, যে আমার লজ্জাবতী লতা” ( কবিতা, 'খেয়া'র উৎসর্গপত্্ ) ৫১৮

বর্ণকুমারী দেবী ১৫) ১৯৭

বর্ষযাপন? (সোনার তরী ) ৩২৩

“বধশেষ' ( কল্পনা ) ৪৮০

বর্ধা শরৎ? ( জীবনস্থ্তি ) ২৪১

বর্ধাকালে পন্মায় ( ১২৯৯ ) ৩২৫

বর্ধামঙ্গল' ( কল্পনা ) ৪৫২

বলেজ্জনাথ ঠাকুর ১৪, ৪৬৬ _ও পারিবারিক স্বতি' লিপি ২৬৭, ২৮২ পা-টী ১, ৩৭৩ সহিত উড়িস্বা যাত্র! জমিদারি তদীরক-কার্ষে ৩৫৯ __ও বিহারীলালের সহিত পুরী যাত্রা ৩৬১ _এর 'পশুপ্রীতি' প্রবন্ধ সম্বন্ধে ৩৯৩

দ্র. 'আমিয়েল্স জনাল'

_কর্তৃক কুগ্টিয়ায় ঠাকুর কোম্পানি' নামে কারবার ৪২৪) ৪৮৭

--এবর বিবাহ উপলক্ষে কবিতা রচন। “নদী? উৎসর্গ

৪৩২ দ্র. উৎসব'

_ত্রাঙ্ষসমাজ আরধসম্াজের মধ্যে ফিলন-গ্রচেষ্টা 9৬৫

_ ঠাকুর কোম্পানির কলিকাতাস্থ কাধালয়ের কর্ণধার ৪৮২) ৪৮৬

--এর মৃত্যু ভাদ্র ১৩০৬ - বোলপুরে 'বরহ্ষবিগ্ঠালয়' প্রতিষ্ঠার আয়োজন ৪৯২ “বসন্ত? (কল্পনা ) ৪৯৫ দ্র. 'অচিরবসঙ্ত ছাত্র “বসন্ত বর্ধা' ( প্রবন্ধ ) ১৩২, ১৩৩ বসস্করায় নাটকের গান সম্বন্ধে ৫৩২ “বসন্তের দান' ( কবিতা ) ৪৪৯৫ পা-টী “বসুন্ধরা? ( সোনার তরী ) ৩৮৪, ৩৮৬ 'বন্কগত 'ও ভাবগত কবিতা (প্রবন্ধ ) ১৪৪ পা-টী “বস্তবিচার' (রামগতি ন্তায়রতু ) ৩২ “বাউলের গান' গীতসংগ্রহের সমালোচনা ১৬০ পা-টী ১, ১৮ পা-টী ংল! গানে নৃতন রূপস্থির সাধন! ৯৭ বাংলা জাতীয় সাহিত্য" (প্রবন্ধ) ৩৬২ পাঁ-টী ৩, ৪২২, ৪২৩ ত্র. বঙ্গীয়-সাহিতা-পরিষদ

নির্দেশিকা!

বাংলা নাট্যশালা নাটকের ইতিহাস ৩৪৫

বাংলা পরিতাধ। বচন 'সারস্বত সমাজ? ১৬২

“বাংল! লেখক' (প্রবন্ধ ) ৩৫৫, ৫৩৭

বাংল! শব ছন্দ (প্রবন্ধ ) ৩৩৮, ৫৩৭

বাংলার মাধামে শিক্ষাবিষ্ঞাবষের প্রদ্তাব (১৮৮৩ ) ১৮৫

'বাঙ্কালি কৰি কেন' (প্রবন্ধ ) ১৪১, ১৪৩

“বাঙ্গালি কবি নয়' ( প্রবন্ধ ) ১৪১, ১৪২ ত্র, 'নীরব কবি অশিক্ষিত.কবি"

“বাঙ্গালি কৰি নয় কেন' ( প্রবন্ধ ) ১৪১, ১৪২

“বাজ নে শিঙা বাজ, এই রবে? ( হেমচজ্জ ) ৪৯

'বাস্ধব' পত্রিকা ( ঢাকা ) ৬৮, ৭৫-৭৬, ১০৮ দ্র. কালী প্রসন্ন ঘোষ

“বালক” কবিত! ( “ছড়ার ছবি', 'ছেগেবেলা' ) ২৯

“বালক পত্রিকা ( ১২৯২ ) ২১৯-২২৬

“বালকের রচিত" কবিতা প্রকৃতির খেদ” ৪৫, ৪৬

বালিয়া ( উড়িস্তা ) ৩১৩, ৩৬৩

'বাম্মীকি-প্রতিভা, (গ্ীতিনাট্য ) ১৪, ৫১), ৯৮, ১৯১) ১২৬, ৫২২-২৩ --ও 'সারদামঙ্গল' ( বিহারীলাল ) ১৭২ _-'কালমুগয়া'র সহিত মিলিত করিয়া নৃতন রূপ দান ২৩২ --অতিনয়ে “বান্মীকি'র ভূষিকায় ১*৩, ২৩২ - অভিনীত ১০২, ২৩২, ৩৪৮

'ৰান্মীকি-রামায়ণ' ( হেমচন্্ বিস্ভারত্ব -অনৃদ্দিত ) ৬৯, ৪৪৫

'বান্নীকির জয়' ( হুরপ্রসাদ শাস্ত্রী ) ১৯৩

বালাগ্রন্থাবলী ( অবনীন্জ্রনাথের 'শকুস্তলা' রবীন্দ্রনাথের নদী” ) ৪৩২ পাটা

বাল্যবিবাহ সমস্যা লয়! সরসীঘুদ্ধ ২৫৩-৫৪ -_সম্বন্ধে ঈশ্বরচন্দ্র বিষ্যাসাগর ২৫৩ পা-টা

“বাহিবে যবে হাঁপির ছটা, ভিতবে থাকে আখির জল' (ক্ষণিক। ) ৪৯৮

“বিচারক ( গল্প ) ৪১৭

“বিচিত্র গল্প' ২৮৯ পা-টী ৩,৪০৮, ৫২৩

“বিচিত্র প্রবন্ধ ( ১৩১৪ ), ৩০৬

--এ ছিন্নপত্রের অংশ ৪৩৬

“বিচ্ছেদের শাস্তি (মানসী ) ২৫৭

বিজনবিহবারী ভট্টাচার্য ৩৭৪

“বিজগ়িনী' ( চিজ্ঞা ) ৩৫৮, ৪৩১

'িজ্ঞত।” (প্রবন্ধ ) ১৬৩

“বিজ্ঞানলক্তীর প্রি পশ্চিম মন্দিরে ( কল্পনা ) জগনীশ- চঞ্জের উদ্দেশে ৪৫৭

৫৬৫

“বিজ্ঞানী? ( কথিকা ) ৪৫১ “বিদায় (কল্পনা ) ৪৫৮) ৫৭৭ পা-টী “বিদায়-অভিশাপ' ( কাবানাট্য ) ৩২০, ৩৬৭, ৩৮১ ত্র. কাব্যের তাৎপর্ধ' : পঞ্চভূত “বিদেশী অতিথি দেশীয় আতিথা? (প্রবন্ধ ) ৩৯৮ “বিগ্যাপতি পদাবলী” পাঠ ৭২ “বিষ্ভাপতি পদ্দাবলী; সম্পাদন “সাবিত্রী? গ্রন্থে বিজ্ঞাপিত ) ২৪৪ পাঁ-টী _ বর খাতাখানি কালীপ্রসন্ন কাব্য-বিশারদ্কে দান ২৪৪ বিষ্ভাপতির রাধিকা" ( প্রবন্ধ ) ১৪৮ বিদ্যাসাগর অত্র. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিছজ্জন-সমাগম পভা (৬ বৈশাখ ১২৮১) ১০১ য় প্রকৃতির খেদ' কবিতা পাঠ ৪৫ -উপলক্ষে “বাম্্ীকি প্রতিভা অভিনীত ( ১৮৮১) ১০২, ২৩২) ৩৪৮ -'কালমুগয়া" অভিনীত (১৮৮২ ) ১৬৮, ৩৪৮ বিধবাবিবাহ-আন্দোলন ১৭, ২৩ বিধুশেখর শাহী ৪৭৭ বিনয়িনী দেবী ১৫, ৫২৭ “বিনি পয়সার ভোজ” ( বাঙ্গকৌতুক ) ৩৮৮ “বিনোদিনী'র কাহিনী ৪৮৪, ৫০২ দ্র, চোখের বালি বিপিনচন্দ্র পাল ৫২, ২৫২, ৫২৭ বিবাহ, ববীন্্রনাখের (২৪ অগ্রহায়ণ ১২৯০ ) ১৯০ “বিবাহ-উৎসব" ( গীতি-নাটিক1 ) ১৯৩-৯৪, ৫৩৩ বিবাহদিনে মহষি নদীপথে বাকিপুরে ১৯১ বিবাহদিনে প্রিয়নাথকে কৌতুকপূর্ণ পত্র ১৯০ পা-টী বিবিধ প্রসঙ্গ ১৮৮, ১৮৯, ১৯০১ ৫২২ ভর. আলোচনা? “বিবিধার্থ-নংগ্রহ' ( রাজেশ্রলাল যিত্র ) ৩৪ বিবেকানন্দ, ত্বামী ৪৭৪, ৪৭৭ --ও মুক্তি-ফৌজের আদর্শ ২৬৬ পা-টী --আঙ্জেরিকা হইতে প্রতাবর্তন (১৮৯৭) ৪৫০ পা-টী ১, ৪৭৩ পা-চটী২ --র অভার্থন৷ সভায় রবীন্দ্রনাথ উপস্থিত ৪৫* পা-টী ৪৭৩-পা-চী -কর্তক জগদীশচজ্জের প্রশন্তি ৪৫১ পাটা বিমানবিহারী মজুমদার --'ভাছনিংহ ঠাকুরের পদাবলী সম্বন্ধে মত ৭২ পা-টা --পদযত্বাবলী' সন্বদ্ধে ২১৭ “বিত্ববত্তী' গল্প অভিজ্ঞার নিকট হইতে সংগৃহীত ৩২২ €বিয়াঝ্ীচে, দাস্তে তাহার কাবা' (প্রবন্ধ ) ৮৪ পাঁ-টী

৫৬৬

“বিরহানন্দ' (মানসী ) ২৫০

বিবাহিমপুর পরগন! ( কাছারি শিলাইদহ ) ৩০৪, ৬১৬

বিজ্রিতলার বাড়িতে 'রাজ1 রানী” অভিনয় ( ১৮৯২) ৬৩৪০

বিলাত হইতে প্রত্যাবর্তন ( ১৮৮০ ) ৪৭

বিলাতী নৃত্যশিক্ষা *১

'বিলাতে ( ১৮৭৮-৮* ) ৯০-৯৬ দ্বিতীয়বার ( ১৮৯০ ) ২৯৩-৯৯ দ্বিতীয়বারের চেষ্টা ব্যর্থ (১৮৮১) ১০৭

বিশু মুখোপাধায়, “রবীন সাগর সংগমে' ২০৫ পা-টা ৩, ২৪৩ পাঁ-টী ১, ২৬৪ পাঁটী ১, ২৭৮ পাঁ-টী ১, ৪৩০ পাঁ-টী ২, ৪৪৭ পা-টা ২, ৫০২ পা-টা ২, ৫৩

“বিশ্বনৃত্য” ( কবিতা ) উড়িস্তা গ্বীমারে রচিত ৩৬৪, ৩৬৩

বিশ্বপরিচয়" (শ্রন্থ ) ৩৩

বিশ্বযাত্রী রবীন্দ্রনাথ ৫৯৩

'বিসর্জন' (নাটক ) ২২১, ২২২) ২৮৩, ২৮৪-৮৮, ৩৪৯, ৩৫০, ৩৮১, ৫২৩, ৫৩৬ --অভিনীত, সংগীত সমাজের ব্যবস্থায় ৫০৮ _-অভিনয়ে রঘুপতির ভূমিকায় ৫০৮, ৫১১

_-নাটকে+ সংশোধিত সংস্করণ (কাবাগ্রন্থাঝলী ১৩০৩ ) ৪৪৮

_-বিজিতলার বাড়িতে (পার্ক স্ীটে) অভিনীত ৫১০- ১১) ৫১৯

“বিষ সুধা” (গাথা-কবিত! ) ৬৩-৬৪, ১৩০ দ্র মালতীপুথি; সন্ধ্যাসগীত ১ম সংস্করণ পাঠান্তর-সংবলিত সংস্করণ ১৩৭৬

“বিষবৃক্ষ' ( বঙ্কিমচন্দ্র ) সম্বন্ধে কবির মত ১৫৯

বিষ্ণু চক্রবর্তী ২৭ পাঁ-টী ২, ৩২, ৫২৭

বিহারীলাল দত্ত ৫২৩

বিহারীপাল গুপ্তের কন্তা স্ষেহলতার বিবাহের জন্য গান রচলা ২৭১, ৩৬৯১ ৩৬১, ৩৬২ দ্র. সুখে থাকো আর সুখী করে!"

বিহারাপাল চক্রবন্তী ১৫, ৩৫, ৫৯, ৬৮, ১২৩, ১২৯, ৩৯৭, ৪২০

বারচন্দ্র মাণিক্য (ত্রিপুরার মহারাজা ) ৫১৯ --ও যছুতষ্ট ২৭ পা-টী ভিগ্রহথদয় কাব্য ১১৬, ৩৯৭ _-র সহিত কার্সিয়াঙে ৩৯৭ --কর্তক রোজ রতাকর” হইতে গোবিষমাণিকা

তাহার ভ্রাতার চরিত প্রেরণ ২৩২-৩৩ বীরেন্রনাথ ঠাকুর ১৪, ২১, ৩০৪, ৪২৪

ববীন্রজীবনী

'বীরবল' ( প্রমথ চৌধুরী ) ১৪

বুকানন, রবার্ট ১৪৬

বুধেজ্্রনাথ ১৪, ২১

বুটিশ দ্র. ব্রিটিশ

'বুত্রসংহার' মহাকাবোর গুণযুক্ত ১৫৮

বেঙ্গল আকাডেমি ৩৬, ৪৩

'বেঙ্গলি' পত্তিকা ১৮৩

বেট্সন বেল্‌, খুলনার ম্যাজিস্ট্রেট ৪*১

বেঠোতেন সঙ্থস্ধে ৩৯১ পাঁ-টী ৩, ৫৩৮

বেশীমাধব রায়চৌধুরী ১৫, ১৯১, ১৯২

বেণীমাধব দৃত্ত, 'বিসর্জন” অভিনয়ে নয়নরায়ের ভূমিকায় ৫০৮ পা-টী

বেধুন সোসাইটির উদ্যোগে “সংগীত ভাব' (প্রবন্ধ ) পাঠ ১*৪ পাঁটী

বেখুন স্কুলে “মায়ার খেলা অভিনীত (১৫ পৌষ ১২৯৫) ২৬৯-৭০

বেদমস্ত্ররসিক রবীন্্নাথ' (ক্ষিতিমোহন সেন) পাঁটী

বেদান্ত প্রতিপাগ্ ধর্ম ( ২* অগস্ট ১৮২৮ ) ১*

বেন্জামিন ফ্রাংকলিনের আত্মজীবনী পাঠ ৪২

বেভারীজ ৫৩১ পা-টী

ব্লো ( মাধুরীলতা ) ১৫ কে লইয়া সোলাপুরে ২৭১ _-র বিবাহের জন্ত উদ্বেগ ৫৯৬

বেলী, লেডি কর্তৃক “মহিলা শিল্পমেলা'র ছার-উন্মোচন ৭৭৩

বৈষুনাথ সেন “হিতবাদী' ৩১৯

“বৈকৃণ্ঠের খাতা” ৪৫৯, ৫২৪ _অতিনয়ে কেদারের ভূমিকায় ৩৪৭, ৪৫,

“বৈজ্ঞানিক ধর্ম (0০5105190এর অন্থবাদ ) ব্যাখান ২০৫

বৈঠকখানা বাড়ি (দ্বারকানাথের ) ৬, পা-টী ১, খ্‌খ

“বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি দে জামার নয়' ১৭৪

'বৈধব কবিতা ( সোনার তরী ) ৩২৭, ৩৭৬, ৪৩,

“বৈষব কবির গান ( আলোচনা ) ১৮৯, ১৯*

বৈষ্ণবচরণ শেঠ

বৈষ্ণব ধর্মতৰ ৩৭৭

বৈষ্ব-পদ্দাবলী অধ্যয়ন ৭১, ৭২, ১৪৭

“বোঝাপড়া ( ক্ষণিক! ) ৪৯৯

“বোধোদয়' পাঠের স্বতি

€১৫

নির্দেশিকা

বোলপুর ৩7, ৪*, ১৯১, ২৯১, ২৯২ ২৯৩, ৩৪৬১ ৪৩২

বোম্বাই ২২৯, ২৩৯, ২৭৫ -এর পাও্রক্ষ-পরিবার ববীন্জনাথ ৮৭-৯* এর প্রার্থনা সমাজ ৪৬৬

বোদ্বাইচিত্র” ( সতোন্রনাথ ঠাকুর ) ২৭১, ২৭২ পা-টী

বোয়ালিয়। ৩৫৩) ৪৪৮

ব্যবসায়-বাণিজ্য সম্বন্ধে ৪২৪

“বার্থ ঘৌবন' ( কবিতা-গান ) ৩৭৬

ব্যাকরণ-বিষয়ক প্রবন্ধ রচনা ৪৭৭

ব্রজনাথ দ্ধে, মেট্রোপলিটান স্কুলের শিক্ষক ৪৪

আজবুলি তাষা ৭১

ব্রজেন্্রকিশোর দ্েবমাপিক্য (লালুকর্তা )-কে পত্র ৫২*, ৫২১

ব্রজেজ্্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ৪৬ পাঁঁটী ২, ৪৭ পাঁ-টী ৩, ৪৮ পা-টী ৪, ৫* পা-টী ১, ৫১ পা-টী ২৫৯ পা-টী ৪, ৬১ পাটা ২, ৪, ৬৭ পা-টী ২, ৬৯ পা-্টী ১, ৩১* পা-টী ১, ৪৮৭ পা-টী ১, ৫৩৪

টা শীল, 'নিউ এসেজ, ইন্‌ ক্রিটিসিজম' ২০৪ পা-টী

র্ষবান্ধব নগেক্জনাথ -প্রকাশিত “টোয়েন্টিক্েখ, সেনচুরি? ৫৪

্রন্মবিদ্ভালয়' স্থাপিত ( ২৪ এপ্রিল ১৮৫৯ ) ১১

“ররন্মবিস্যালয়' স্থাপনের পৰিকল্পনা, বলেন্ত্রনাথের ১৩০৫) ৪৬৬) ৪৯২

ব্রক্ষসংগীত বচনা ১০০, ১৭৯) ২৫৭

'অন্ষমন্র (শান্তিনিকেতনে ১৩*৭ পৌষ উৎসবে পঠিত ) ৫৯৯ পা-টী

বন্বমন্দিয় ভিত্িস্থাপন-উতৎলব (৭ ডিসেম্বর ১৮৯৭ ) ২৯৯

'ব্রন্জোপনিষন্*' (শান্তিনিকেতন মন্দিরে ১৩০৬ পৌষ- উত্সবে পঠিত ) ৪৯২

স্রাইট, জন ৯২

ক্রাইটন ৯১

স্রাউনিং ( 3:05%1211)8 )-এর কাব্য পাঠ ২৫৬

'ব্রাঙ্মণ' কবিতার যূল ৩৮৫

'প্রাঙ্মধর্ম' গ্রন্থ ১৯, ৩৯

্রান্ষধর্! নামকরণ » জ. “বেদাক প্রতিপান্তধর্ধ”

'্রাক্ষধর্ম পৃথিবী ধর্ম ( বামযোছন প্রনদ্ধ ) ২৯৭

'্্াক্ধ পাবলিক ওপিনিক্ষন' ১৮৩

স্রাখ্থবিবাছ বিধি (১৮৭২) ৪৯ .

ব্রাঙ্মধর্ষ মতে প্রথম বিবাহ ১১, ১৪, কুমারী ফেবী

আা্ষধর্ম মতে প্রথম উপনয়ন ৩৮৩৯ |

বাত্ষসমাজের সমর্থন ২২২৯৮

৫৭

'্রাক্ধ লমিতি' স্থাপন-ইচ্ছ1 ২৩১

ত্রাঙ্ম (ভিন লমাজ ) সম্মেলন, মহধির নির্দেশে আহত ( ১৮৮৪ ).২০৭

র্রাঙ্গ সশ্মিলন' আহত (১৫ যা 5৩৫ ) ৪৮৩

ব্রিটিশ ইপ্ডিয়ান আ্যাসোসিয়েশন ৪৮ পাঁ-টী ১, ২২৮) ২৪৪

ত্রিঙ্গিনি ( ইতালি ) ৯১, ২৯৬

“তপ্নুতরী' ৬৬) ৯৯, ১২৬

তিগ্রহদয়? ৬৫, ৭৫, ৮২৯৯ পা-টী ১১ ১১১-১৬১ ১৪০) ৫২২, £৩৩ _-আখ্যান 'কবিকাছিনী'কে দিবার ইচ্ছা ৬৪, ১১৩ --শ্রীমতী ছে-_কে' উতসগিত ১১৩, ১১৫১ ১১৮ --পাঠ করিয়া বীরচন্ত্রমাপিক্য কবিকে সম্মানিত

করেন ১১৬) ২১৫, ২২১, ৩৯৭১ ৪৪৯

--পাঠ করিয়া গ্রিয়নাথ সেন খুশি হন নাই ১৬৯-৭, --এর ছাপ 'নলিনী' নাটকের মধ্যে ১৯৩, ১৯৪

“তপ্ন হৃদয়ের এই প্রীতি উপহার” ৬৪

“ভগ্ন হৃদয়ের উপরে" ৬৪, ৬ঃ

ভবতান্বিণী ১৫, ১৯২ বর. ম্বণালিনী দেবী

তবতোব দ্বত্ব, ২০৯ পাঁ-টী ৪, ৩৯৭ পা-টী

“ভবিষ্ততের বঙ্গডৃূমি' (কড়ি কোহল ) ২**

ভয়সি, চালর্স-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ ২৯৭

“ভর! বাদর মাহ ভাদদর' ১৩১

“ভাই হাততালি' ( অক্ষত্রচন্্র সরকার ) ২৩৬ পাঁচী

'ভাচ্সিংহ ঠাকুরের পদ্দাবলী” ৬৩, ৭১-৭৫, ১২৯, ৩৭৬, ৫২২ _কাদস্বরী দ্বেবীকে উৎসগিত ১৯৭

তাঙছলিংহ ঠাকুরের জীবনী ৫২২

ভারতচন্ত্রের বিস্তাস্থম্দর' সন্বদ্ধে ১৪২ --বিস্কান্ন্দর' 'চৌরপঞ্চাশিকা' ৪৫২

'ভারতবর্ষীযষ বিবাহ' ( প্রবন্ধ ) ৩১১

তারতবর্ধীয় ব্রাক্ষমমাজ ১২, ১৮২

ভারতবর্ষের ইতিহাস নন্বন্ধে ৪৭৯

“ভারত রে তোর কলক্কিত পরমাধুরশি' ( গান ) ৫১

'ভারত-সংগীত' ( হেষচন্জ ) ৪৯ পাটা ৫, ৫৫ পাটা

“ভারতী” পত্রিকা! (শ্রাবণ ১২৮৪ ) ৬৬-৭১, ১২৩১ ১২৯১ ১৭৬, ১৪৭) ২১০, ২২১) ২৪৮, ২৬৭) ৩৩৮১ ৩৪৯, ৪১১ ৪২৩) ৪৭৭) 8৭) ৫৭২) ৫৯৩, ৫১৩) ৫২২? ৫২৯৮ স্প্স সম্পাদক ( ১৩৯৫ ) ৪৬৫, ৪৬৭-৮১ --ব লক্াদকগণ ৫২৮ --সম্পাধকত্ব ত্যাগ ( ১৩০৬ ) ৪৮৪, ৪৮৫

৫৬৮

“ভারতী বালক" পত্রিকা ( ১২৯৩ ) ৫১, ২৩২

“ভারতীয় নাটামঞ্চ? ( হেমেম্দ্রনাথ দাশগুপ্ত ) --গ্রন্থে রাজ। বসন্ত রায়” অভিনয় সম্বন্ধে ১৫৭-৫৮ --চচিত্রাঙ্কষদ!' জভিনয় সম্বন্ধে ৩৫* পাঁটী

ভারতীয় সংগীত মযাজ' ৩৪৩ দ্র. সংগীত সমাজ

“ভারতে ইতিহাসের ধারা (প্রবন্ধ ) ৪৭৪

“ভারতের কোন্‌ বৃদ্ধ ঝষির তরুণ মৃতি' (জগদীশচজ্ বন্ধ? ) ৫১৭

ভানাকুলার প্রেস আক ৫৫

“ভাষা ছন্দ' ( কল্পনা ) ৪৫৯, ৪৬০, ৫৪১

“ভাষাবিচ্ছেদ' ( প্রবন্ধ ) ৪৩ পাঁ-টী

“ভাষার কথা? (প্রবন্ধ, ক্ষণিকা'র ভাষা ছন্দীলোচনা ) পশ্চিমবঙ্গ সরকার -কর্তৃক প্রকাশিত রবীন্দ্র-রচনাবলী ১৫শ, পৃ ২৫ ) ৫০২

“ভিকার অব ওয়েকফীন্ড' ( গোল্ডশ্মিথ ) ৪৪

ভিক্টোরিয়া ( ভারতেশ্বরী ) ৫৪

“ভিখাবিনী' ( প্রথম গল্প ) ৭* পা-টা

“ভিক্ষায়াং নৈব নৈবচ' ( কল্পনা ) ৪৫৬

ভুবনভাঙার বীধ বা ভুবনসাগর ৩৯

ভুৰনমোহন চাটুজ্জে, “গোড়ায় গলদ' অভিনয়ে ললিত চাটুজ্ছের ভূমিকায় ৩৪৬

ভুবনযোহন রায় ( সম্পাদক : “সথা সাথী? ) ৪১৯

'ভুবনমোহিনী প্রতিভা কাব্যের সমাপ্পোচনা ৬১, ৪২০

ভুবনেশ্বরের মন্দির সম্বন্ধে ৩৬২

ভূতনাথ “বিসর্জন” অভিনয়ে টাদপালের ভূমিকায় ৫*৮ পা-চী

ভৃদ্েবচন্দ্র মুখোপাধ্যায় _কর্তৃক 'প্রভাতপংগীত'-এর প্রশংসা ১৬৭) ২১৫ _-বাল্যবিবাহের পক্ষপাতী ২৫৩

ভূপেন্দ্রনাথ বস্থ “হিতবাদী' ৩০৯

ভৃত্যরাজকতন্ত্র ২৩-২৫

“ভৈরবী গান? (মানসী ) ২৬৫

ভ্রষ্টলপ্র ( কল্পনা ) ৪৫৪

“মগ্তরী' ( ভগ্রতরী ) ৯৮

মজুমদার লাইব্রেরি ৪৫৯) ৫০৬

'মভান থটস্‌ আও মভান সায়েন্স? (71০৫6) 7170081)6 9120 1%1006111 9০161706 ) পাঠ ২৯৯

মভেল ভগিনী? উপন্যাসে ত্রাঙ্গবিদ্বেষ ২১১ দ্র, যোগেশচজ্জ বস

মণিলাল গঙ্গেপাধ্যায় ৫২৮

ববীজ্জীবনী

মণীজ্মনাথ টে “বিসর্জন” অভিনয়ে গুণবতীর ভূমিকায় ৫*৮ পা্টী

মতিলাল চক্রবর্তী ২৪৪

ত্স্কনারীর কথা' (গ্রন্থ ) পাঠ ৩৪

“মথুরায়” (কড়ি কোমল ) ২৪৩

মদনভন্ণ 'কুমারসন্তব' ৩য় সর্গের অন্ধবাদ। ৪9৪ পাঁ-টী দ্র, 'মালতীপুখি'

'মদনভশ্মের পর? কল্পন1 ) ৪৫৩-৪৫৪ - কবিতায় কুমারসন্ভবের কাহিনীর ব্যাখ্যান ৪৫৪

“মদনতন্মের পূর্বে" ( কল্পনা ) ৪৫৩

মথুর সেনের গলি, প্রিয়নাথের বাড়ি ২৬,

মধুহঘন দত, মাইকেল ১৩, ১৭, ১৮) ৩২, ৬৯১ ৭৯) ১২১, ২৩৭, ৩৪৯, ৩৫০ ড্র. মেঘনাদবধ কাবা __ এর ত্রজাঙ্ষনা সম্বন্ধে মোছিতলাল মন্ধুষদার ৩৭৭

“মধাঙ্ছ? ( চৈতালি ) ৪৪০) ৪৪১

'মমুষ্তা ৩২৮১ ৩৭৭ দ্র. পঞ্চভৃত

মনোমোহন ঘোষ ২৯৯) ৩৯

'মন্ত্র-অভিষেক? ২৮৮-৯১১ ৪১০, ৫২৩ _এযারেল্ড থিয়েটারে পঠিত ২৮৮, ৩৮২

লর্ড ক্রস «২৩

'মন্দির' (প্রবন্ধ ) ৩৬২ পা-টী ৩৬৫ পা-টী

মন্দিবাভিমুখে' (প্রদীপ পত্রিকা ১১০৫) প্রবন্ধে মহারাহীয় ভাস্কর দ্ধাত্ের ভাঙ্কর্ষের সমাসোচন! ৫*৪

মন্মথনাথ ঘোষ, হেমচজ্ বন্দোপাধায়কে অর্থ সাহাযা ব্যবস্থা ৪৮৬-৮৭

মরকত-কুঞ্ত' ( এষারেজ্ড বাওয়ার ) ৬২

'মরণ রে, তু মম শ্বাম সমান" ৭৪, ১৫৭

“মবিতে চাহি না আমি হথন্পর ভুবনে' (কড়ি কোমল) ২৪৯) ২৪১

মলি, হেনরি ৯২

মল্টার্ধীপ ক্যাটাকোম্ব (0808০০০০) ) দর্শন ২৯৮

মন্থরি ১০৭) ১৩১

মহরি জর. দেবেজ্জরনাথ ঠাকুর

মহাকাবা গীতিকাবোর বিঙ্গেষখ ৬১-৬২) ৬৯-৭* দ্র. ছুবনযোহিনী প্রতিত"

মহাকাব্য ১৫৮ প্র. মেধনাদবধ কাবা

“মহাজন পদাবলী' ( জগছ্ন্ধু তদ্ ) ৭২ _-র ভূমিকায় বিদ্যাপতি চতীদাসের তুলনামূলক

সমালোচনা ১৪৮-৪৯ মহাতাপ চা ( বর্ধমানরাজ ) ব্রাঙ্ধর্ম ১৭ পা-টী 'মহাহিন্ু সমিতি? ২৩১ আআ. রাজনারায়ণ বর

নির্দেশিকা

'মহাবস্ত অবদান” “মালিনী” নাটযকাব্োর উৎস ৪৪৪ “মহাশ্বপ্ন' ( প্রভাতসংগীত ) ৯৯, ১৩৪, ১৩৬ মহিমচন্্ ঠাকুর ৪৪৮ পা-টী ২, ৪৮৫, ৫২৭ পা-টী --কে জগন্দীশচন্্র সন্ঘদ্ধে পত্র ৫১৮ মহিলা শিল্পমেলা' (সিখিনমিতি'র উদ্যোগে ) ২৬৯, পা-টা মহেন্ত্রপাল সরকারের সভাপতিত্ে “হিন্দুবিবাহছ' প্রবন্ধ পাঠ ২৫২ মহেশচন্জ্র গ্গায়রত্ব -কর্তৃক “হিন্দুবিবাহ প্রশংসিত ২৫২ মাঘোৎসব ১৭০, ২০৭, ২৫৯, ৩৫৯, ৩৮৯, ৪৩২১ ৪৪৯, ৫১৩ --ক্রান্মপমাজে প্রবর্তন ১১ _ক্রাঙ্গ-মন্দির হইতে স্বানাস্তরণ ২৪৫ মাটাবিলি জুলুদের সন্বদ্ধে ৪১৫ মাংসিনির জীবনী ( যোগেন্দ্রনাথ ) ৫২ মাৎসিনির গুপ্তসভার অনুকরণে 'স্বীবনী সভা” স্থাপন ৫২ “মাতাল' ( ক্ষণিক1 ) ৪৯৮, ৫০১ “মাড়বন্দনা' (মাতৃস্থতি-বিষয়ক কবিতা ) ১২ মাতৃভাষার মাধামে শিক্ষাঙ্গানের হুপার্বিশ 6২২ মাদমোয়াজল মপ্যা' (11116. ০০ 1405 01১1 ) ২৪২ সর. গোতিয়ে মাধবচন্্র মুখোপাধ্যায়ের নিকট প্রথম বিস্যারস্ত ২৯ মাধুরীলতা৷ ( বেলা ) ১৫, ২৫৯ পা-টী ৩, ৩২২, ৪৪৫ --র বিবাহ ৫০৬ “মানবসতা? (“মাহ্থষের ধর্ম গ্রন্থের পরিশিষ্ট ) প্রবন্ধে প্রভাতমংগীত'-এব ব্যাখ্যান ১৬৪ 'মানময়ী' গীতিনাটা (জো তিরিজনাথ ) ৯৮ বর জন্ত গান বচন] ৯৮ পাঁটী অভিনয়ে মদনের ভূমিকায় ৯৮, ১০৩ পা-্টী 'ানস প্রতিষা ( কল্পনা ) ৪৫৮ পা-টী 'ানস-হুন্দরী? ২৫) ৩৩২, ৩৫৭৫৮) ৪৩৯, ৫৩৭ মানসী" (কাবা ) ২৪২, ২৭৯, ২৯১, ২৯৮) ৩৮৭) ৫২৩ -_কাবাপাঠের ভুমিকা! ২৫* পা-টী -বচনাবঙগীতে কবিকৃত ভূমিকা ২৬৭ "্পকাবোর ছনা লন্বদ্ধে ২৩৭ --কাবোর উপহার? কবিতা ২৯১, ৩*০ 'মানসী'র যুগ: ১, (হিম্ুবিবাহ') ২৪৯৫৫ ২, ( হার্দিলিডে ) ২৫৫-৫৯ ৩. ( গাজিপুরে ) ২৫৯-৬৭ মানসীর শেষপাল! ২৯৯-৩০৩ “মাজুযের ধর্ম ১৬৩ পা-টী

ণ২

জোড়ার্সাকোর বাড়িতে

€৬৪

“মায়া” (মানসী ) ২৪৯

“মায়াবাদ? (সোনার তরী ) ৩৮৪-৮৫

মায়ার খেলা” (গীতিনাটা ) ৭৮, ২৬৮-৭০) ৫২৩ -_র পূর্বাভাস “নলিনী” নাটকে ১৯৩, ১৯৪, ২৬৯ --র গানরচন শুরু দাঞ্জিলিঙ বাসকালে ২৫৬, ২৬৮ --ও বাল্সীকিপ্রতিভা"র তুলনা ২৬৮ -র স্বরলিপি ইন্দিরাদেবী-ককত ২৬৯ পাঁ-টী সরল! রায়কে উপহ্ৃত উপশ্বত্ব “সথিসমিতি'কে

দান ২৬৯, ৫€১৩

--অভিনীত বেখুন স্কুল-বাটিতে ( ১৮৮৮ ) ২৭০, ৩৪৮

মার্গসংগীত চর্চা ২৮, ৯৭-৯৮

“মার্জনা, ( কল্পনা ) ৪৫৩

মার্পো, ক্রিস্টোফার (1%8210%/, (0101156001)61 )-এব কবিতা অনুবাদ বিশ্লেষণ ১৭২ পা-টী

“মালতীপু'ধি' (রবীন্দ্রসদনে রক্ষিত ) ৪৪ পাঁ-টী ১, ৬৩- ৬৬, ৭২ পা-টী ৬, ৭৫ পা-টী ১,৮২ পা-টী ২,৮৩পা-টী ১, ৮৬ পাঁটী ১, ৮৯ পাঁচী ১, ৯৩ পাঁটী ৪, ১০২ পা-টী-১১ ৫২৮

“মালিনী” ( নাটাকাবা ) ৪৪৪-৪৫) ৫৪০

'মিঠেকড়া” ২৪৬, ২৬৪

মিদ্রভাগ্য মিত্রভেদ ২১৮-১৯

মিনার্ভ! থিয়েটরে “রাজা বসম্তরায়” অভিনয় ১৫৮

“মিনো? হ্বীমারে কবিতা রচনা ৩৬৭

মীরা দেবী ( অপ্রচলিত নাম অতসী ) ১৫

“মুকুট? (গল্প ) ২২০, ২২১, ৩৯৯ _এর এঁভিহাসিক পটভূমি ২২১ পাটা

মুকুন্দরাম চক্রবর্তীর “চণ্ডীমঙ্গল' সম্বন্ধে যত ১৪২, ২৪৭

মুক্তছন্দ ৩৪৯

মুক্তধারা? (নাটক ) ১৫৭

“মুক্তি-ফৌজ' ত্র. 'স্তালভেশন আত্ি' --ও 'র্মপ্রচার? (মানসী ) ২৬৬ --ও বিবেকানন্দের সন্ত্যাসী আদর্শ ২৬৬ পাটা

“মুক্তির উপাক' গল্পের নাট্যবূপ ৩৩২

'মুখুজ্ে বনাম বাড়ুজো”, (প্রবন্ধ ) প্যারীমোছন মুখোপাধ্যায় জবেজেনাথ বন্দ্যোপাধায় ৪৭৫

যূর (00086 )-এব “আইরিশ মেলোভিজ' ৬৮, ১০২

সণালিনী ষেবী (ূ ভবভাবিণী ) ১৫) ১৯২) ২৭৩১ ২৮০, ৩১১) ত্ই২।) ৩২৭, ৩৫২, ৩৫৩) ৩৫৬ ৩৬০১ ৪৮৮) ৪৪৩, ৫৯৮) ৫৯৯) 8১০) ৫২৩ _-লবেটটো হৌসে যহরি-কর্তৃক শিক্ষাব্যবস্থা ১৯২-৯৩ -গাজিক্খুরে ২৬০১ ২৬১,

€৭৩

স্বণালিনী দেবী --শিলাইদহে ৪৮১ --্াঙাওানী নাটকে নাবারণীর ভূমিকায় ৩৪ ৪৯

শ্বত্যুর পরে? চিত্রা ) ৩৯৪, ৩৯৫

“মেঘদূত' ( মানসী-) ২৯২

যেঘদৃত' (প্রবন্ধ ) ৩১২

“মেঘদূত' ( কালিদাস ) কাবাপাঠ কবিতা রচনা ৩১৮ --কে “সোনা তরী' বলিয়া উল্লেখ ৩১৮

“মেঘনাদবধ' কাব্য ( মধূহ্দন ) পাঠ ৩২ --র মঙালোচনা, ভারতী (১২৮৪ ) ৬৯, ৭০) ১৫৮, ৪২০ বর সমালোচনা, ভারতী ( ১২৮৯ ) ১৫৮

“স্মেঘে রৌজ, ( গল্প ) ৪০০) ৪০১) ৪০৬

“মেয়েলি ছড়া” (প্রবন্ধ ) ৪০৬, ৪৩৯

“মেয়েলি ব্রত” (প্রবন্ধ ) ৪৪৯ ত্র, অধোরনাথ চট্টোপাধ্যায়

“মেয়েলি ব্রতকথা” সম্বন্ধে প্রবন্ধ সাধন! পত্তিকাঁয় ৪৭৮

“মেস্মেরিজম' (10690061250 ) ২৮১ পাটী

টৈজ্রেয়ী দেবী, “মংপুতে রবীন্দ্রনাথ ( “জীবিত স্বৃত' সম্পর্কে ) ৩৩১ পা-টী

“মৈথিলী কবিতাসংগ্রহ' (গ্রীয়ার্সন-সম্পার্ছিত ) পাঠ বাংলায় রূপান্তর ১৫,

“মোক্ষমূলয বলেছে আর্ধ', ২১৪

'যোর অঙ্গে অঙ্কে যেন আজি বসন্ত উদয়; ( বলেন্জনাথের বিবাহ উপলক্ষে বটিত )। ভর. উৎসব" : চিত্র

গষোরান সাহেবের বাগান ( চন্দননগর ) ১৩১

মোহনলাল গঙ্গোপাধ্যায় -আবিষ্কৃত চিত্রিত “নদী প্রকাশ ৪৩২ পাটা জ্র'নদী

মোহিতচন্ত্র সেন -সম্পার্দিত কাব্যগ্রন্থ (১৩১০ ) ৫৬, ৯৯- ১০০১ ১৬৬, ১৭১১ ২৪১১ ৪৩৩, ৪৪০। ৪৬০ ৪৮১) ৪৮৪১ ৫০১

মোছিতলাল মভুমঘার, মধুস্দনের '্রজাঙ্গনা' কাব্যের বৈফবতত্ব সম্বন্ধে ৩৭৭

স্ডির্বদী সম্বন্ধে ৫৯৭

চিত্রাঙ্গদা সন্দ্ধে ৫৩৭

--এবার ফিরাও মোরে ৫৩৮

মোহিনীমোহন চট্টোপাধ্যায় ১৩) ২৬৮১ ৩০৯) ৩৭০

'মাকবেখ' নাটক অনুবাদ ৪৪

'ম্যাসীলিয়া' ( অস্ট্রেলিয়ান যাত্রী-জাহাজ ) ২৯৫

যতীঞ্রনাথ বনু (অক্ষয় চৌধুরীর জামাত1) ৪৯৭ পা-্টী৩৫২১ ঠাকুরের 'মরক ত-কু্' ৬২

স্বীন্র্জীবনী

যতীজ্মোহন সিংহ, “সাকার নিবাকারতঘ্' বু সমালোচনা ৪৭৭ পা-টী “বার্থ দোসর” ( প্রবন্ধ ) ১১৮১ ১৩৬, ১৩৭) ১৩৮) ১৯২ স্ব. গোলাম চোব" যছভট্ট ( রঙ্গনাথ' ) ২৭ পা-টী ৪, ২৮ যছুনাথ মুখোপাধ্যায় ১৪ --কিযিটি অব ফাইভ'-এর সাস্ত ২৬ যছছনাথ লাহিড়ী ৩৫৬ £যাত্রা' খণ্ড (“কাবাগ্রন্থ” ১৩১০ ) ১** যাত্রাপাল। থিয়েটার ৩৪৪-৪৫ “যাত্রী? (গ্রন্থ ) ৪৩৮ “যাত্রী? ( চৈতালি ) ৪৪৬ যামিনীপ্রকাশ গঙ্গোপাধ্যায় -অক্কিত কাবশ্ববীচিত্রের সমালোচনা ( প্রদীপ, মাঘ ১৩*৬ ) ৫৯৪ যীস্বতরীষ্ট সম্বন্ধে ৪৬১ 'সুবোপঘাত্রী কোনো বঙ্গীয় যুবকের পত্র” ( ভ্তারতী ১২৮৬- ৮৭ ) _স্কিরোপ-প্রবাসীর পর নামে গ্রস্থাকারে প্রকাশিত ( অক্টোবর ১৮৮১ ) ৯০১ ৯৫) ৫২২ 'যুরোপ-যাত্রীর ভায়ারি' ২৯৫-৯৬, ৩৯৬-৮, ৪৩৮, ৫২৩ _সাধনায় (১২৯৮) প্রকাশিত ৩*২, ৩১৫ _গগ্গ্রস্থাবলী প্রকাশকালে আংশিক “বিচিত্র প্রবন্ধ “ভুক্ত ৩০৬ __ভূমিকান একাংশ 'নৃতন পুরাতন" নামে “স্বদেশ খণ্ডে এবং অপরাংশ 'প্রাচা প্রতীচ্য' নামে সমাজ' খণ্ডে প্রকাশিত ৩০৬ প্রাচ্য প্রতীচা? (সমাজ ) চৈতন্ত লাইব্রেরিতে পঠিত (১৮৯১ ) ৩০৬, ৩১৯ 'যুনিয়ন ব্যাঙ্ক” (১৮২৯) ৬, ১৯ ্ুরোপ-প্রবাসীর পঞ্জ” (১৮৮১) ৯-৯৬ দ্র. 'সুরোপযাত্রী কোনো বঙ্গীয় যুবকের পত্র' “যেতে নাহি দিব' (সোনার তন ) ৩৫২-৫৩ যোকাই (70৮91 )-এর উপন্যাস পাঠ ৪** “ঘোগী' ( ছবি গান ) ১৭৫ যোগেন্জরনাথ বিভ্াকুষণ ( বল্দ্যোপাধ্যায় ) “আর্ঘনর্শন' পব্জধিক। ৫২, ৬৮ যোগেজনারায়ণ মিস ২১৫) ২১৮ -- “রবিচ্ছায়া' ২১৬ পা-চঠী ৪, ২১৯ যোগেশচন্ত্র চৌধুরী পারিবারিক তি লিপি ২৬৭) ৩৭ও যোগেশচন্্র বন্থ (“বঙ্গবাসী' পত্রিকার লস্পাদক ) ২১১,৩৯৪ সর ছেল ভগিশী'তে ব্রাঙ্মহিদ্বেষ ২১১

নির্দেশিক!

ঘোৌগেশচন্দ্র বাগল ৫৪ পা-টা

“যৌতুক না৷ কৌতুক' ( ছিজেক্নাথ ) ১৯১

“যৌবনম্বপ্ন" ( “কাঁবাগ্রন্থ' ১৩১* ) ২৩৭, ২৪১

রখীন্ত্রনাথ ঠাকুর ১৫) ৩২২১ ৪৪৫) ৪৬৫, ৪৮৪ -স্উপনয়ন (১৩০৫ ) ৪৬৩৬, ৫৪০ -_-পিতৃম্বতি' (গ্রন্থ) ৫৪১.

“রব উঠেছে ভারতভূষে ছি ছু মেল! ভার" ২১২

'রবিচ্ছায়া' ( যোগেজনারায়ণ মিজ্জ প্রকাশিত ১২৯১ সাল পর্যস্ত রচিত গান-সংগ্রহ ) ৮২, ২১৬ পা-টী ৪, ২১৯, ৩৭৯ পা-টী ৪, ৫২২

রবিদ্দন ক্রুসো পাঠ ৩৪

'রবি-রশ্রি' ( চাকচন্ত্র বন্দ্যোপাধ্যায় ) ৩২৯, ৩২৪ পা-টী ৪, ৪৩৪ পা-টী ৪, ৪৩৫ পাঁ-টী ১, ৪৬৪ পাঁ-টী

রবীন্্রকথা' দ্র. খগেন্্রনাথ চট্টোপাধ্যায়

'ববীন্জকাব্যের পুনধিচার' ( শুত্রাংস্ত মুখোপাধ্যায় ) ২৬২, পা-টী ১, ২৬৪, ৩২০ পা-টী ২, ৫৩৬

'ঝবীন্তর-গ্রস্থাবলী' ( হিতবাঙ্দী ১৩১১ ) ৯৬

বুবীন্-জিজ্ঞাস।' ৫২৮

“রবীন্দ্র-প্রতিতা” ৫৩৯

রম্ণীমোহন ঘোষ, হেমেন্্রপ্রসাদ ঘোষের “চৈতালি সমা-

লোচনা"র প্রতিবাদ ৪৪৭ পা-টী রষণীমোহন চটোপাধ্যায় ১৩, ৫২১ রমাবাই (“সরন্বতী" ) ২৭৩

--ব বক্তৃভা শ্রবণ ২৭২

-_-ব বক্তৃতা উপলক্ষে পত্র ২৭২ পা-টী ৩, রমেশচজ্জ দত্ত

_-র কল্ঠার বিবাহসভায় বন্কিমচন্ত্র রবীন্দ্রনাথ ১২৮,

১৫

--ছিতবাদী'তে লিখিতে সম্মত ৩০৯

-_-ও ইলবার্ট বিলের জন্ম ৩৬*

_ পুনায় 'পিউনিটিভ' পুলিম মোতায়েনের বিরুদ্ধে

সংবাদপত্রের হ্ব।ধীনতা হরণ সম্বন্ধে ৪৬৯ পা-টী

রমেশচন্ত্র বন্দ্যোপাধ্যায়, ঘহুভষ্ট সম্বন্ধে ২৬ পা-টী রম়েশচজ্জ মজুমদার, বউঠাকুরানীর হাট সন্বদ্ধে ৫৩২ 'বলিকতার ফলাফল' ( বিজ্জপাত্থক রচনা ) ২২১ রমিকতা সন্বন্ধে ৩২৩-২৪ জর. ছিন্নপত্রাবলী : পত্র ৪৭ যাজক মুখোপাধ্যায় ৪৪ বাজক়ফ বায়, ৬১ পা-টী ৩, ৩৪৮

চৌধুরীর 'উদ্াসিনী” সম্বন্ধে তীব্র যন্তব্য ৫৯

পাটা |

8৭১ --এর “অবসর সরোজিনী' সমালোচনা ৬১ _-ব্বান্ধীকি প্রতিভা, অভিনয় দর্শনে মুগ্ধ হইয়!

“বালিকা প্রতিভা" কবিতা রচন| ১*২ পা-চী

'রাজটীকা, (গল্প ) ৪৭৬

বাজক্রোছ আইন ৫৫

রাজক্রোহ তথ' প্রজাবিভ্রোহ ৪৭০

বাজনারায়ণ বস্থ ১০, ৩৮, ৪৩, ৪৮) ৫৩) ৫৮, ৬২) ২২১ _-'হিন্ুুষেলা'র সভাপতি ৪৯

-_র “হিন্দুধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব পুস্তিকা ২*৩ ভ্রু. বন্ধিমচন্্ -ব 'মহাহিন্দু সমিতি? 'ত্রাক্মসর্ষিতি' ২৩১

'রাজনীতির দ্বিধা? ( প্রবন্ধ ) ৩৯২, ৩৯৩, ৪১৫

'রাজপথের কথা” (“নবজীবন' পত্তিকায় ) ২০২, ৩০৯

'রাজমালা' (ত্রিপুরার ইতিহাস ) ২২০, ২২২ পা-টী

'রাজ-বত্বাকর” (ত্রিপুর-রাজবংশের সংস্কৃত ভাষায় রচিত ইতিহাস) ২৩২-৩৩

রাজশাহী ৩৫৩, ৩৬৭, ৩৭০) ৩৭৪, ৩৭৫) ৪০৬ _জআ্যাসোসিয়েশন হইতে অহ্রুদ্ধ হইয়া “শিক্ষার

হেরফের” পাঠ ৩৫৩

--তে লোকেন পালিতের সহিত সাহিতা-ছন্দ-দর্শন সম্বন্ধে আলোচনা ৩৬৯ সম্মিলনী ৪৫৬.

'বাজধি' ২২০, ২২২, ২৩২, ২৩৩, ২৪৬, ২৮২) ৩০৯ --ও “বিলর্জন' ( নাটক ) ২৮৩-৮৪

'রাজসিংহ' ( বহ্কিমচন্ত্র )-এর সমালোচনা ৩৯৩, ৩৯৬, ৪২০

'বাজা' ( নাটক ) ৫১৪

'বাজ। প্রজা (গ্রন্থ ) ৪১৯, ৪১১, ৪১৩

রাজ! প্রজ' (প্রবন্ধ ) ৪১৫

'রাজা রানী" ( নাটক ) ২৬৯, ২৭৪-৮১১ ৩৪৯, ৩৫০) ৫২৩ "অভিনীত, বিজিতলার বাড়িতে ৩৪৯ --এমারেল্ডভ থিয়েটারে (৩০ নতেম্বর ১৮৮৯ ) ৩৪৯ -সব দ্বিতীয় সংস্ধবণে বহুস্থল বর্জিত ৩৯৯ _-ন্ন্ধে 'তপতী'র ভূমিকার সমালোচনা ২৭৯ --কৰিব ভাতা ৫৩৬

ববাজা বসন্ত জায়” নাটক ৫৩২, ৫৩৪ ত্র. বউঠাকুবানীর হাট বম অভিনীত ১৫৭, ২৩৩, ৩৪৮

'বাজার ছেলে বাজার মেয়ে (লোনাম্ব তরী ) ৩২২, ৩৩৭

'রাজার বাড়ি? (শিশু ) ইন্বাবতী ২৫

রাজেলাল সবত্ত “হিতবাধী' ৩.

রাজেজ্রলাল মিত্র ৩৪

৭২

বাজেন্্রলাল মিত্র _'কলিকাতা সারম্বত সম্মিলন" ( সারস্বত সমাজ )-এ সভাপতি ১৬২ --সন্বদ্ধে রবীন্দ্রনাথ ১৬২ _-কলিকাতার কন্গ্রেসের অভার্থনা-সভার সভাপতি ( ১৮৬৬ ) ২৪৪ _ সম্পাদিত “নেপালের সংস্কৃত বৌদ্ধ সাহিত্য (0106 58125500 3800010150 [16619001601 ১০০91) ৪8৪8৪, ৪৫৯ ঝাজে প্রভাতে? ৪৩৩ রাধাকিশোর দেবমাণিকা (ত্রিপুরার যহারাজা ) --কে 'কাহিনী' উৎসগিত ( ১৩০৬ ) ৪৯৪ --এর সহিত ঘনিষ্ঠতা ৫১৯ --বিসর্জন' অভিনয়ে সম্মানিত অতিথি ৫১৯ ---৪ ঘৃপেজ্জনারায়ণ ৫১৯-২০ রাজকুমারদের শিক্ষা সংক্রান্ত আলোচনা, রবীন্দ্রনাথের সহিত ৫€১৯-২০ _-জগদীশচজ্জের জন্ত দশহাজার টাকা দান ৫১৮ রাধারমণ ঘোষ ( বীরচজ্জ মাণিকার খাস মুন্সী ) ১১৬ রাপাধাটে নবীনচন্দ্র সেনের আহ্বানে ৪৭৫ রামকৃষ্ণ পরমহংসদ্দেব ২১০ রামচন্দ্র বি্যাবাগীশ ৮, 'রামতন্থ লাহিড়ী তৎকালীন বঙ্গসমাজ' ( শিবনাথ শাহী )৮, ১৭ পা-টী ১, ৩০৩ পা-টী বামনারায়ণ তর্করত্ব ২৬ রামপুর-বোরালিয়া (রাজশাহী ) ৩৫৩ রামমোহন রায় ৬-৯) ২৭) ৩৯) ৪৮) ৩১৬ ৫২২ ৫২৭) ৫৩৪ --এর গগ্রস্থাবলী' পাঠ ৪০৩ রাঅমোহন রাজ? (প্রবন্ধ ) ২০৭ পা-টা ২১২০৮ রামসর্বস্ব ভট্রচার্য, মেট্রোপলিটান ইন্স্টিটিউশনের হেড পণ্ডিত এবং ঠাকুরবাড়িব সংস্কৃত শিক্ষক ৪৪ _প্রতিবিষ্ব' মাসিক পত্রিকার সম্পাদক ৪৫ পা-টী রামানন্দ চট্টোপাধ্যায়, প্রশীপ'-সম্পাদক ৪৯৪) ৫*৪ _প্রিবাসী”পম্পাদক ৫&১১-১২ _-প্রিবাসী' ( কবিতা ) ৫১২ বামেন্দরকন্দর ভ্রিবেদী --র শন্দকথা' (১৩২৪ ) ৩৩৮ কে খামখেয়ালি সভা'় নিমস্থণ ৪৫৬ পা-টী _কতৃক হেযেজ্্রণাথ ঠাকুরের বই প্রকাশ ৪৫৭ পাটি প্র. 'প্রক্িতিক বিজ্ঞানের সুগম রায়পুরের সিংহ-পরিবার ৩৯, ৪০

রবীন্্জীবনী

রাশিয়ার চিঠি” ৩৭২, ৪৩৭

বাছর প্রেম” (ছবি গান ) ১৭৭-৭৮

'রাহুরচিত' ভ্ত্র. 'মিঠেকড়া?

রিপন, লর্ড ১৮২

'কুদ্ধ গৃহ' (প্রবন্ধ ) ২৯১১ ২২৭

'কুদ্রচণ্ড (নাটক ) ৪) ৫৬, ১০৭-১১, ১২৩ পা-টী ১, ৫২২ -জ্যোতিরিজ্ত্রনাথকে উতৎ্সগগিত ১০৮ --হিন্দু পেট্্ররিয়ট' পত্রিকায় সমালোচিত ১৭৭ পাঁঁটী _-সম্বন্ধে কালীপ্রসন্ন ঘোষ ১০৮ ভ্রু. “বান্ধব

রূপকথার তত্ব সম্বন্ধে ২৮ দ্র. 'অসম্ভব গল্প?

রেড সী-তে “মানসী'র শেষ-কয়টি (চারিটি) কবিতা রচনা ২৯৮

বেনউইক-কোম্পানির আখমাড়াই কল ৪৮৭

রেণুকা ( মধামা কন্তা ) ১৫, ৩২২, ৫২৭

রেশমণ্ডটির পরীক্ষা, শিলাইদহে ৪৮৫

র্যাভেনশ কলেজের ইংরেজ-অধ্াক্ষের সহিত জুরিগ্রথায়-

হস্তক্ষেপ সংক্রান্ত বাগবিতপ্তা (কটকে বিহাবীলাল গুপ্তের বাসায় ) ৩৬০

লগ্ন বাসকালে স্বপ্নে 'মালিনী' গল্পের আভাস ৪৪৪-৪৫ __যুনিভাসিটি কলেজে তিনমাস পাঠ ৯২

লবেঙ্থুলো, মাটাবিলিদের বাজ ৪১৫

'লয়তর' ( চন্দ্রনাথ বস্ত্র )-র সমালোচনা ৩৩৬-৩৭

লরেটে হৌসে ম্বণালিনী দেবীর শিক্ষাবাবস্থা ১৯২

লরেন্স, সন্তানদের গৃহশিক্ষক ৩৬, ৪৮৩

লাইবেরি' (প্রবন্ধ ) ২৩০

লালকুঠি নির্মাণ, জোডাঙাকোয় (১৯০২) ৫০৫

লাহ্বোরানী ( শরৎকুমারী চৌধুরানী ) ৬৭ পাঁটী

লিউস ( 3609186 [০০৫5 ) লিখিত গেটের জীবনী পাঠ

* ৩৭০

'লিখিতে পিখিতে কেবলি গিয়েছি ছেপে' (“অবজজিত' ) ৫"

লিটন, লর্ড ৫৩, ৫৫

লিপিকা'র সতেবে। বছর, প্রথম শোক, সন্ধা প্রভাত _পুষ্পাঞ্গলির (ভারতী ) ভাব ভাবার সাদশ্ট-_ ১৯৬

পিরিকধর্মী কবিতা ১২১, ১২২১ ১২৩, ১২৯, ১৬৮

লীলা” ৬৩, ৬৬ গাথা ভর. মালভীপু'ধি, শৈশবসংগীত

'লীলা' ( 'কাবাত্রন্থ' ১৩১০) ৫৯১ দ্র. ক্ষণিকা

লীগাবতী দেবী (রষ্ণকুমার হিত্রের পত্বী ঝাজনারায়ণ বন্ধুর কন্া)-র বিবাহ উপলক্ষে গান রচন| শিক্ষাদান ১৫১

নির্দেশিক৷

লুপ রেলপথ নির্মাণ ৪০ “লেখা কুমারী ছাপা সুন্গী” (প্রবন্ধ ) ১৮১ “লেখার নমুনা” (বাঙ্গকৌতৃক ) ৩১২ লোকরহস্' ( বন্ধিমচন্জ ) ২২৫ 'লোকশিক্ষা সংসদ" স্বাপন ১৮৫ লোকসাহিত্য আলোচনার দীক্ষাুক ৪৭৮ লোকসাছিত্া মংগ্রছের জন্তু আবেদন ১৮১ লোকেন পালিত, লগ্ডনে পরিচয় (১৮৭৯) ৯২ --আই. সি. এস. ১৮৮৬, ডিসেম্বরে কাজে যোগদান ৯২ পাঁ-টী ২) ২১৭) ৫২৩ --কবির সাহিত্য-সঙ্গী ২১৫) ২১৭, ২৯৫) ৫১৮ _-ও পারিবারিক শ্বতি' লিপি ২৬৭, ৩৭৩ --বিলাত যাত্রার সঙ্গী (১৮৯০ ) ২৯৩, ২৯৫ --এর ইংরেজি কবিতার ভাবান্গবাদ “শেষ উপহার” ২৯৮ _-ঢাঁকা মানিকগঞ্জ মহকুমায় জয়েণ্ট ম্যাজিস্ট্রেট ৩৩৩ পা-্টী --এর সহিত সাহিত্য-বিষয়ক পত্রালাপ (সাধনা ১২৯৯ ) ৩৩৪-৩৬ -এন নিকট রাজশাহীতে (১৮৯২) ৩৫৩, ৩৫৬, ৩৬৭) ৩৬৮১ ৩৯২, ৩৯৩ --এর লহিত নাটোর যাত্রা ৩৫৬ _প্রেমের অভিষেক সম্বন্ধে ৩৯০ -কে ক্ষণিক| উসগিত ৫০১ --ক্ষণিকা' প্রেরণ ৪৯৭ ল্যাব্সডাউন, বড়লাটের পত্বী “মায়ার খেলা অভিনয়ে উপস্থিত ২৭০

শকুস্তল সম্বন্ধে ৩৩৫

শচীজ্জনাথ মেন ২৪০ __বিবীন্ত্রনাথের বাষ্ নৈতিক মত" ইংরেজি বই-এর

সমালোচনা ৪৫৫ পাঁটী

“শবকথা' (১৩২৪ )'রামেজ্রহলর ত্রিবেদী ৩৩৮

শঙাতত্ব সম্বন্ধে আটটি আলোচনা, 'সাধনা'র এক বৎসরে ৩৬১৮

শমীজনাথ ঠাকুর ( জন্ম ১২ ডিসেম্বর ১৮৯৬ : মৃত ২৩ নতেগ্বর ১৯০৭ ) ১৫) ৪৪৯

শরৎকুষার বায় ৩৫৩, ৩৭৪

পরৎকুমারী ১৪১ ২২) ১৯৩, ৫২৮

শরৎকুমারী চৌধুরানী (শশীভূষণ বন্ধুর কন্তা। জর. লাছোরানী )-র "শুভবিবাহ' সমালোচন! ৬৭ পা-টী -ভারতীর ভিট। ৬৮ পা-্টী

৫৭৩

শরচ্চঞ্জ চক্রবর্তী ( বিহারীলালের চতুর্থ পুত্র, কবির জ্যোঠ্ঠ জামাত! ) ১৫ শশঙিষ্ট। নাটক ( মাইকেল ) ৩৪৫ শশধর তর্কচূড়াঞ্ণি ২০৮-৯, ২১৩ -- সম্বন্ধে বহ্ষিমচন্দ্র ২০৯ পা-টী --ও নিরাকার উপাসনাতত্ব ২১০ ৪৭: দাশগুধ, “রচনাকার বলেম্্রনাথ ঠাকুর" ৪৮৮ পা-ঠা শহীছুল্লাহ, ডক্টন মৃহম্মদ। “ভাষা সাহিত্য ( পবীন্র- রচনাবলী, উচ্চারণতত্ব সন্বদ্ধে ) ৩৩৮ পাঁটী শাস্তাদেবী, “রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় অর্ধশতাব্ীর বাংলা? ৪৪০ পা-টী শাস্তি (কড়ি কোমল ) ১৯৯ শাস্তিকুমার দাশগুপ্ত, “রবীন্দ্র নাটাপরিচয়” ১৭২ পা-চী ১, ২৮৫ পা-টী শান্তিগীত' ( সন্ধ্যাসংগীত ) ১২৬ শান্তিদেব ঘোষ ১০৬, ৫২৭ শশান্তিমন্থ' ( চৈতালি ) ৪৪৭ দ্র, ম্বা্থ? শান্তিনিকেতনে প্রথম আগমন ৪* _-ট্রাস্টডীড (১২৯৪ ) ২৬৮ - প্রথম গ্রীক্ষবাস ২৯১-৯৩ মন্দির প্রতিষ্ঠা দিনে সংগীতকার্ষে যোগদান ৩১৬ _পৌধ-উৎসবে ( ১৩০০ ) ৩০৯ --শরৎকালে ( ১৩০১) ৪০৯ --পৌধ-উৎসবে ( ৫ম। ১৩০২) ৪৩২ --গ্রীক্ষকালে ( জোষ্ঠ ১৩৭৪ ) ৪৫৩ --পৌধ-উৎসবে (১৩০৪ ) ৪৬৪ -_পৌধ-উৎসবে (৮ম ১৩০৫) “নিরাকার উপাসনা, ভাষণ দান ৪৯৩ পা-টী _পৌধ-উৎসবে (৯ষ। ১৩০৬) স্উপনিষদ বন্ধ" ভাষণ দান ৪৯৩ -পৌব-উংসবে ( ১০ম | ১৩০৭) 'ব্রন্ধমন্ত্র ভাষণ পাঠ ৫০৯ শারদোৎসব" নাটিকা, শান্তিনিকেতনে অভিনীত ৩৫১ - তে 'গ্গেছোবাবা'র আখ্যান সংযোগ ৩৫১ “শাস্ত্র (ক্ষণিকা ) ৪৯৯ শাহ জুজার কাহিনী ৩৩১ পা-্টী দ্র. 'ফালিয়।' শাহীবাগের প্রানাঘ ( আমেধাবাদে ) ৮১ '্ষৃধিত পাষাণ? ৮১, ৪১৮ শিক্ষার ব্যবস্থা» গৃছে ৩২-৩৩

€৭$

“শিক্ষার হেরফের” ( প্রবন্ধ ) ৩৫৪, ৩৭৭, ৪২২ _ রাজশাহীতে পঠিত ৩৫৩ | শিবধন বিদ্যার্ণব, গৃহের সংস্কৃত শিক্ষক ৪৬৬, ৪৮৩ শিবনাথ শান্্ী ২৩১, ৩১৬) ৫২৭ বর পামতন লাহিড়ী তৎকালীন বঙ্গসমাজ' ৮, ১৭ পা-টী ১, ৩*৩ পাঁ-টী | -_র “মহর্ষি দেবেজ্্রনাথেব জীবন দৃষ্টান্ত উপদেশ' ১১ পা-টী ২, ৪২ পাঁটী ৫, ৩৯৩ পা-টী _র 'পণ্ডিত ঈশ্বর়চজ্জ বিস্তাসাগর' ( প্রবন্ধ ) পাঠ ৪৮২ _র “যুগান্তর” উপন্তাসের সমালোচন] ৪২১ শিবশক্কর হিত্্র ৫৩১ পা-চী শিবাজী-উৎসব, পুণায় ( ১৮৯৭ ) ৪৬৮ শিবাজির গিরিছুর্ হর্শন ( ১৮৮৩ ) ১৭১ শিলাইদহে “কুঠিবাড়ি --গৃহ বিস্তালয় ৪৮৩, ৫৪১ -সারদাপ্রসাদের মৃতু ১৪, ১৯১ --কবি ২৯৩, ৩০৬, ৩১৪, ৩১৫, ৩১৮, ৩২১, ৩২২, ৩২৫) ৩৫৬১ ৩৫৯) ৩৬৯১ ৪৯০) ৪০৬, ৪২৬) ৪৩১, ৪৩৩, ৪৪6, ৪৫৪) ৪৯৬ --কবি সপবিবারে ৪৮১-৯৫ -_ধিজেন্জলাল রায় সন্ত্রীক ৪৮৫ -জগদীশচন্দ্র বস্তু ৫০৬) ৫১৬ তে বসন্তে' ( চিত্রা ) ৪২৩, ৪২৪ স্তন নলিনী খোল গো আখি' (গান ) ৮৮ পভদিনে এসেছে দৌহে' (লীলাবতী দেবীর বিবাহ উপলক্ষে রচিত গান ) ১৫১ 'শ্ততবিবাহ'-র সমালোচনা ৬৭ পা-টী২ ভর শরৎকুমারী চৌধুরানী শুভেনুশেখর মুখোপাধ্যায় ১৩০ শুত্রাংস্ত মুখোপাধ্যায় জর. রবীন্দ্রকাবোর পুনথিচার'

'শৃন্যগৃহে? ( মানসী ) ২৬১, ২৬২ শেক্সপীক্সরের “মাকবেথ' বাংলায় অনুবাদ ৪৪ শেলীর কবিতা অনুদিত “ছে তারক! ছুটিতেছ

জালোকের পাখা ধোরে' (১২ পঙক্তি) ১১৮ ত্র. যথার্থ জ্বোসর'

শেষ উপহার” (লোকেন পালিতের ইংয়েজি কবিতার তাবান্থবাদ | মানসী ) ২৯৮

“শেষ উপহার" ( চিত্রা ) “ছিন্নপত্রাবলী'ব শেষ পত্র ৪৩১-

'শেষকথা' ( কড়ি কোষল ) ২৪* পা-টীং

'শেষয়ক্ষা' ৩৫১ ভর. গোড়ায় গলদ |

ববীজর্জীবনী

“শেষ শিক্ষা” কবিতায় শিখদের আপত্তি হয় ৪৯১ চট্টোপাধ্যায় ৫২৭

শৈলেশচন্ত্র মজুমদার ( প্রীশচন্দ্রের কনিষ্ঠ ভ্রাতা ) ৪৯২

“শৈশব সংগীত" (১৮৮৪ ) ৫৬; ৬১, ৬৩, ৭৫, ৮৮, ১২৩, ১৯৭) ২৪২) ৫২২

“শৈশব সন্ধ্যা' ( সোনার তন্বী ) ২৯, ৩২১

শোভাবাজার রাজবাটিতে বিবেকাননোর সংবর্ধনা সভায় উপস্থিত ৪৫০ পা-টা

্যামা' (আকাশপ্রদদীপ ) ১৯৬

শ্যামা? নৃত্যনাটা ৪৯১ দ্র. পরিশোধ

শ্রাবণের পত্র" ( ছিন্্রপত্র ) ২৫১

শ্রীক্ঠ সিংহ ২৭, ২৯৪ পা-টী

প্রীফমার বন্দোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথের ছোটোগল্প ৩৩,

» পাটা

'ভীচরণেযু ২২৪ জর. চিঠিপত্র, সমাজ

'আ্রীদামু বন্ধ ্রচামু বন? ২৪৩

শ্রনিকেতনের বার্ধিক উৎসবের ভাষণ ৩৭২

'শ্রীমতী হে-_-কে' ভগ্হদূয় উপহার ১১২ দ্র. হেকেটি'

'শ্ররাজমালা” দ্বিতীয় লহর হইডে উদ্ধৃতি ২৮৫ পা-টা

শ্রশচজ্জ ( কষ্চনগরের মহারাজ] ) ব্রাক্ষধর্মের প্রতি আকৃষ্ট ১০

শ্রশচন্্র বহু, 'গোড়ায় গলদ' নাটকে চক্জবাবুর ভূমিকায় ৩৪৬

প্রশচন্ত্র মজুমদার ২১৫, ২১৮১ ২২৮১ ২৩২, ২৩৫৪ ২৪৯) ২৫৬, ৩১৫) ৩১৬, ৪৩৭) ৫৯৩, ৫২৪ -_-ও রুবীন্দ্রনাথ-কর্তৃক 'পদবত্বাবী” সম্পাদন ২১৬; ২৪৩ --কে প্রিখিত "শ্রাবণের পত্জ ২৫১ -কে “হিতবাদী' পত্রিক1 প্রকাশ সম্বন্ধে পত্র ৩০৯ --এর “মজুমদার এজেক্সী' -কর্তৃক কবির ছোটো গল্পের

প্রথম সংগ্রহ ( 'গল্পগুচ্ছ? ) মুত্রিত ৫০৭ পাটী

-_-এর “ছুলজানি' উপন্াসের সমালোচনা ৪২০

€শ্রেষ্ঠ ভিক্ষা” ৪৯১

যঠীচরণ নবীনকিশোর ভর. চিঠিপত্র, মম

“সং অব. শার্ট? (90176 91106) ২৯৭ “সংগীত কবিতা' ( প্রবন্ধ ) ১০৪, ১০৬ সংগীত তাব' (প্রবন্ধ ) ১০৪, ৪২১

সংগীত শিক্ষার আয়োজন, ঠাকুর পরিবারে ২৭ 'লংগীত-চিন্তা (১৯৬৬ ) ৪২২ পা-টী

নির্ধেশিকণ

সংগীত-প্রকাশিকা ৫২৭ .

সংগীতসমাজছ গোড়ায় গল ৩৪৩-৫১ -প্রতিঠার উদ্দেক্ত ৩৪৫-৪৬ --এ জিলীকবাবু, অভিনত্ব ৩৪৬, ৩৪৭ --এব প্রথম সম্পাদক জ্োতিরিজনাথ ৩৪৬" এন ব্যবস্থায় “বিসর্জন, নাটকাভিনয় পা-চী

“সংগীতের উৎপত্তি উপযোগিতা" (ছাবার্ট ম্পেন্সরের মত) ১০৪, ১০৫, ৪২১

সংগ্রাম সংগীত' ( লন্ধ্যাসংগীত ) ১২৭

সংবাদপ্ নিয়ন্ত্রণ আইনের বিরদ্ধে “কঠরোধ' প্রবন্ধ পাঠ ৪৩৯

“সংশয়ের আবেগ" ( মানসী ) ২৫৮

সংসার সমাজ ( ১৩০৫ ) ৪৬৫-৬৭

'সংস্কৃত প্রবেশ ১ম" ৪৮৪ পাঁ-টী

সংস্কৃত বৌদ্ধসাহিতা, নেপালে (76 300010656 1106190016 01 26081) জর. রাজেন্্রলাল মিত্র

“সংস্কৃত শিক্ষ।' (১৮৯৬) গ্রন্থ প্রণয়ন ৪৪৫, ৪৬৫) ৪৮৩ ত্র. হেমচজ্জ

ংস্কৃত শিক্ষার আবশ্টিকতা সম্বন্ধে ৪৮৩

সংস্কৃত শিক্ষাবন্ত, বালাকালে ৪২, ৪৩

মংস্কতে গান নাই কেন ৩৩৯

“সখা সাধী' পত্ত্রিকা (ভুবনমোহন রায় ) --য় জীবনী প্রকাশিত ৪১৯ _ইচ্ছাপৃরণ” (গল্প) প্রকাশিত ৪১৯ -_ সম্বন্ধে প্রতাতকুমার মুখোপাধ্যায় (বার-জযাট-ল)-কে পঙ্জ ৪১৯ পা-চী

সথিনমিতি ২৫৬, ২৬৭, ২৬৮, ২৬৯, ২৭০ পা-টী ১, ৩৪৮ স্্. "মায়ার খেলা” 'মহিল। শিল্পমেলা'

০৮, দাস, 'বীজনাখ : জীবন সাহিত্য ৪১৯ পা-টী

“লঞ্চয়িতা'র ভূমিকা! ১৬৮) 5৭ পানী

সন্বীবচন্জ্র চট্টোপাধ্যায় “বঙ্ষদর্শন' ৬৮ এয 'পালামৌ'-সধালোচনা ৪২০-২১

লক্লীবনী লতা? ৫১, ৫২-৫৬, ৫২৭ স. হামচপামৃহাফ'

'সঞ্কীবনী' সাপ্তাহিক ১৮২, ২০৩, ২৯৫, ৩৯৯ -তে ( র-স্থাক্ষরিত ) পত্র প্রকাশিত ২৭৫ --তে 'ভ্রীযান্‌ জাসু বন্জু এবং চাদু বন্থ' কবিতা প্রকাশ

প্রতিক্রিয়া ২১২.

€৬৮৮

92175511011 ৪৪৪

€শ৫ সভীশচজ মিআ ৫৩১ সতীশচজ্জ্ রায় (শান্তিনিকেতন )-কে বৰীজ্নাথ লিখিত পত্রে ৫৪

-ন্প্রপ্রয়াণের সমালোচনা ( বঙ্গদর্শন ) ২৬ পাটী কে শাহিবাগ ক্ষধিত পাষাণ? সম্বন্ধে পত্র ৪১৮ --“ছিঙ্গপত্রে'র পাগুলিপি জালমোড়ায় পাঠাইবার জন পন্জ ৪৩৯ সতীশচ্ রায় -সম্পাদিত 'উ্ীপদ কল্প-তরু? ২১৭ সত্যপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায় ১৪, ২২, ২৪, ২৯, ৩৮) ১০৭ . সম্পাদিত “কাব্যগ্রস্থাবলী'( ১৩*৩ ) ৪৪৮ পাঁ-চী িতাষঙ্গল প্রেষষক়্' ( গান ) ২৪৫ সত্োন্নাথ ঠাকুব ১৩, ৮৭, ৯২, ২৭২, ২৯৫১ ২৯৯) ৩০৪, ৪২৪, ৪৮৩) ৫০৫, ৫২৩, ৫২৯ -স্বী-ম্বার্ধীনতার নব-আন্দোলনের অগ্রণী ২০ - হিন্মুমেলার জন্য "জাতীয় সংগীত? রচনা! ৫* -জআমেদাবাদে ৮০১৮১ --সহায়তায় অভঙ্গ' অন্থবাদ ৮৬ --ববীঙ্রনাথকে লইয়া! বিলাত যাত্রা ( ১৮৭৮) ৯৭ _-ছুটি লইয়া কলিকাতাক় প্রত্যাবর্তন (১৮৮৩) ১৬৯ --কারোয়ানে ১৭*, ১৮৩ --সোলাপুরে ২২৭, ২৭১ -_এর “বোস্বাই চিত্ত” রবীন্দ্রনাথকে উৎসগ্সিত ২৭১-৭২ --নামিকে ( ১৮৮৬) ২৩৩, -_বিলাতে যাত্রা (১৮৯০ ) ২৯৩ --ও “হিভবানী” পত্রিকা ৩০৯ কলিকাতায় বিজিতলার বাড়িতে ( ১৮৯২ ) ৩৪৯ --ও পারিবারিক স্থতি' লিপি ৩৭৩ --সিষলা শৈলে ৩৮৩ - বঙ্গীয় প্রাদেশিক সমিতির সভাপতি (১৮৯৭) ৪৫৫ -_ত্রদ্ববিষ্ালয়' স্থাপনের মর্ীর্থ ব্যাখ্যা করিয়া ভাষণ ৪৯৩

-_-এষ বাটিতে “বিসর্জন* অভিনীত ৫১১

, অত্যেন্্রনাথ ভট্ট্াচাধ ( মধ্যম জামাতা ) ১৫

সনৎকুষার গুপ্ত, 'ভাক়ারিতে ববীজ্তপ্রসঙ্গ' ৩৯৪ পা-টী “সন্ধ্যা (বাথা বড় বাজিয়াছে প্রাণে" ) কবিতাটি সন্বস্ধে

১৩৬ সিদ্ধ্যা' ( চিত্রা) ৩৯১ “সন্ধ্যা জা লিপিকা ) ১৯৬ 'সন্ধ্যাসংসীত' ৬৬, ১১৬-৩০) ১৩৬-৫৯) ১৮৮১ ১৯৬, হর ৪২২ |

--বিষ্-কর্ৃক প্রশংসিত ১২৮, ২১৫

এছ) দু * 1১৭ 1 1 118 সি সরি চা

সি

“সদ্ধাসংগীত, -_ সম্বদ্ধে কবির মত ১২৯ --এর "উপহার" কবিতা ১২৮ পাটা _-কাবাগ্রন্ে' (১৩১০ ) জদয়-অবণা' নামে ১২৮

“সময় হয়েছে নিকট, এখন বাঁধন ছি'ডিতে হবে? (“বিদায়”)

৪৭০ পা-টা

সমরেজ্জনাথ ঠাকুর -এর নামে 'পুত্রযজ্ঞ গল্পটি ভারতীতে প্রকাশিত ( জো ১৩০৫ ) ৪৮০

“সমস্তা' ( সমালোচনা ) ২০৮ পা-টী

সমাজ সংস্কার কুসংস্কার” (প্রতিবাদ ) সমালোচনা- প্রবন্ধ ১৮২ পাঁ-টী

সমাজ সংস্কারের আদর্শ আদি-ত্রাঙ্গ সমাজীয় ১৩৮

“সমাপ্তি (ক্ষণিকা ) ৪৯৭, ৫০০

“সমালোচনা? গ্রন্থ ১৮৮৮ ) ২৪৮ _ জ্ঞানদানন্দিনী দেবীকে উৎসগিত ২৪৮

“সযালোচনী সভা ১৭০

সমীরচন্্র মজুমদীর -প্রদত্ত খাতায় উড়িষা-ত্রমণের তথা ৩৬১ পাটা £

“সমীর পুথি ৪৫৭ পা-টী দ্র. সমীরচন্জ্

'সমুজেব প্রতি" ৩৬৯, ৩৭০

সরলা ঘোষাল হিরগ্ময়ী মুখোপাধ্যায়ের উপর “ভারতী'র দায়িত্ব (১৩০২-৪ ) ৪৬৫

মরলা দেবী ১৫ -বিবি-বহ্কিম বিতর্ক ২০৫ পাটা

লরলা রায় ( যিদেস পি. কে বায় ) অন্থরোধে মায়ার খেলা রচনা ২৫১) ২৬৮, ৫২৩ _কে “মায়ার খেলা উপহার ২৬৯

নবোজা দেবী ১৩ -_-“বিবাহ-উত্সব'্এর নায়িক1 ১৯৩

'সরোজিনী' নাটক ( জ্যোভিরিক্রন।থ ) ৪৪) ৩৯, ১০০ _এর জন্য “জল্‌ জল্‌ চিতা" গান রচনা ৪৭, ৫০

“সবোজিনী প্রয়াণ” ( বিচিত্র প্রবন্ধ ) ১৯৮

“স্বতত্বর্দীপিকা? সভা

সলস্বেরি, লর্ড ( ১৮৮৬-৯২ ) ২৮৯ পা্টী

“সাকার নিরাকার উপাসনা, ( প্রবন্ধ) ২১০, ৪৭৭ পাটা

সাকার নিরাকার তর গ্রন্থের সমালে।চনা ৪৭৭ পাটা

সাতকড়ি দত্ত ( নর্মাল স্থুলের হেভমাস্টার )-কর্তক পঞ্চ- রচনায় উৎসাহ দান ৩৭

সাধী সখা তথা সখা সাণী” পত্রিকা

জর, ভুবনমোহন'

৪১৪

ববীন্দর্জীবনী

ঘসাধনা" (চিত্রা) ৪০৯ দ্র, 'অস্তর্যামী?

“সাধনা পঞ্জিকা (১২৯৮) ৩০২১ ৩১৫-১৮, ৩৫১, ৩৫৩) ৩৫৫, ৩৬৩২, ৩৬৭৯, ৩৭৩-৮০১ ৩৮৭) ৩৮৮) ৩৯০) ৩৪৯৪, ৩৯৬, ৪০৬, ৪২৪১ ৪৫১) ৪৮৩ _ প্রথম তিন বৎসরের সম্পাদক ন্ুধীন্দ্রনাথ ঠাকুর

১৩) ৩১৫ _-য় ছোটগল্প ৩৩০-৩৩ --ম় সমালোচনা ৩৩৩-৩৯ _-র যুগে রাজনৈতিক প্রবন্ধ ৪১০-১৬ , _র সম্পাদক ( রবীন্দ্রনাথ ১৩০১-২ ) ৪১৬-২৩

সাধনা? বন্ধ হইবার কারণ ৪২৭, ৪৬৫

সাধারণ জ্ঞানোল্লতি সভা”

“সাধারণ ব্রাঙ্মলমাজ' স্থাপন (১৮৭৮ ) ১৮২ _মন্দির-নির্মাণকল্লে মহহির দান ১৮২ পা-টী --এর প্রতিনিধি ত্রাক্ধ সম্মেলনে উপস্থিত ২৩১ _এর সমালোচন। “সমস্ত প্রবান্ধ ২০৮

“সাধারণী? পত্তিক (১৮৭৫ )-র সম্পাদক, 'প্ররূতির খেদ' কনিতা সম্বন্ধে ৪৫-৪৬ জর. অক্ষয়চন্ছ্ স্বকার --'দিল্লী-দববার" কবিতা সম্পর্কে ৫৪

'সাবিত্রী' প্রবন্ধসকয়-গ্রন্থে কবির 'বিষ্ভাপতির পদদাবঙী'র বিজ্ঞাপন প্রক(শ (১২৯৩) ২৪৪

“সাবিত্রী লাইব্রেরির আহবানে 'সমীলোচনী সভা'র প্রথম অধিবেশন ১৭০ --রু সভার অধিবেশনে অকাল কুক্বাণ' ( প্রবন্ধ )পাঠ

১৮৬ --হাতে-কলমে' ( প্রবন্ধ ) পাঠ ১৮৭ পা-টী

সাময়িক সারসংগ্রহ' ( সাধন পত্রিকা ) ৩৮৯

সায়ে্স আসোসিয়েশন হলে “হিন্দুবিবাহ' (প্রবন্ধ) পাঠ ৫২

সারদা-আইন দ্বার] বাল্যবিবাহ বন্ধের চেষ্ট| বার্থ ২৫৪

সারদা দেবী ( কবি-জননী ) ৭, ১২, ২১ রব মুত ( ২৭ ফাল্গুন ১২৮১) ৪৪ পা-টী ৪, ১৯৪ --সন্থক্ধে ১২ দ্র. মাতৃস্বতি'

সারদাচরণ মিত্র অক্ষয়চন্দ্র সরকার -সম্পাদিত প্রাচীন কাবাসংগ্রহ। (১৮৭৪ ৭৬ ) ৭২) ২১৭

সারদাপ্রপাদ গঙ্গোপাধ্যায় ১৪ কর্তৃক “ুরোপ-প্রবামীর পত্র" প্রকাশিত (১৮৮১)

৯৫ __ববীজ্জনাথের বিবাহদিনে শিপাইদছে সৃতযু ১৪,

১৯১) ৩০৪

নির্দেশিক! বান্মীকি-

ারদামঞ্ষল' ( বিহারীলাল )-এর প্রতিভা'য় ১০২ সারদা সদন' ( বমাবাই-এর বিধবা-আলশ্রম ১৮৮৯ ) ২৭৩ 'সারবান সাহিতা” ( ব্যঙ্গকৌতুক ) ৩১২ 'সারহ্ধত সমাজ' ( কলিকাতা লারস্বত সম্মিলন ) ১৬২, ১৬৩ পা-টী সাকৃর্পার রোডের বাড়িতে বাস ১৭৬ সাহাঙ্জাদপুর ২৮২, ৩*২ পাঁটী ১, ৩০৪, ৩০৬, ৩২৬, ৩২৮ পা-টী ১, ৩৭৬ পা-টী ৩, ৪০৬, ৪০৮, ৪১৭ --এব কাছারি-বাঁড়িতে “বিলর্জন' বচন! ২৮৩ _-কুটিয লামনে নৌকায় বাস ৩১১ _-ছড়া' সন্বদ্ধে প্রবন্ধ (“মেয়েলি ছড়া' ) ৪৭৬ _হুইতে 'ক্ষুধিত পাষাণ" গল্পের পটভূষিকা সম্বন্ধে পত্র ৪১৮ _-এ “চৈতালি'র কবিতা রচনা ৪৪৬ - এর জমিদারি গগনেজনাখদের অংশে 9৪৬ 'সাহিত্য' পত্তিকায় দুইটি বাঙ্গকৌতৃক প্রকাশ ৩১২ _-চঙ্রনাথ বহর 'আহাব্তত্ব' ৩১৬ --চিআঙ্ষদা'র প্রশংসা ৩৪৩ পা-টী ত্র. নিতার়ফ বন্বর “ভান্েরী' হিং টিং ছটা? সম্বন্ধে ৩৬২ পাঁটী -রকীজনাথের রচনার সমালোচনা ৪৮৫, ৫€*৩ সাছিতা ইতিহাস ৫৭ 'লাহিতা সভাতা' ( ভাবতী ১২৯৪ ) ২৪৮ পা-টী 'সাহিতা দর্পণ' ৬৮ 'সাহিত্া-পন্থিষদ পত্রিকায় “ছড়া” লংগ্রহ করিয়া প্রকাশ ৪০৬ পাঁ-টী 9, ৪*৭-৮, ৪৭৮ সাহিতা-বিষয়ক পজ্রালাপ, লোকেন পালিতের সছিত ( লাধনা ১২৯৯ ) ৩৩৪-৩৬ পাছিত্যা-বিষয়ক আলোচনা দ্র. বাংল! জাতীয় সাহিতা' সাহিতা-সমালোচনা ১৫৮-৬৩ 'লাহিত্য সমিতির অধিবেশনে সমালোচনা ২৪২ দ্র. নবীনচজ্জ সেন 'সাহিতো নব লয়তত' (চক্জনাথ বন্থর প্রবন্ধের সমালোচনা ) ৩৩৬ 'সাহিতোর় গৌরব' (প্রবন্ধ ) ৪** পা- নী 'শাছিতোর প্রাণ ৩৩৬ আর, লোকেন পালিতেষ পত্রাগাপ সাহিতোর সঙ্গী নমালোচক ২১৪-১৯ সিংহ-পর্ষিবাব, বায়পুরের ৪*

নও

প্রভাব

“বরৈবতক' কাবোর

সহিত

৫৭৭

নিটি কলেজ হলে ( মির্জাপুর স্্রটে ) ভাষণ “একটি পুরাতন কথা” (প্রবন্ধ ) ২০৫ পা-টী _রাজ1 রামমোহন বায় সম্বন্ধে প্রবন্ধ পাঠ ২০৭

সিভিশন বিল ( ১৮৯৮ ) ৪৬৯

“সিদ্ধুতরক্ষ' ( মানসী ) ২৪৯, ২৫১

'সিন্ধুদূত' কাঁবা সমালোচনা ছল্সালোচিনা ৩৩৮ জর. নবীন- চন্্র মুখোপাধ্যায়

সিদ্ধুপারে' ( চিত্রা ) ৪৩৩, ৪৩৪, ৪৩৫, ৪৩৪

সিমল! শৈলে কয়েকদিন ( ১৮৯৩ ) ৩৮৩

নিয়ানী, রহিমতুল্লা (কলিকাতা কন্গ্রেদ সভাপতি, ১৮৯৬ ) ৪৪৯ পা-টী

“সিরাজদৌক্স/ ( অক্ষয়কুমার মৈত্র) গ্রন্থের সমালোচনা ৪৭৮-৭৯

নীতা দেবী, 'পুণান্বতি ৩২১ পাটী ১, ৩৩১ পা-টী ৩, ৪৯৪

সীতানাগ ঘে।য, বিজ্ঞান-শিক্ষক ৩২

লীলি (3০619 )-র গ্রন্থ হইতে উদন্বৃতি ২৫২ ত্র. “ছিন্দু- বিবাহ'

স্থইভিস যুবক সন্বদ্ধে ৩৯৮ ভদ্র. 'হাষারগ্রেন্‌?

স্বকুষার দেন, পভিখাবিনী' ( ছোটগল্প ) সম্বন্ধে -_বাম্ীকি-প্রতিভা' সন্বদ্ধে ১*২ পা-টী বসন্ত বায়' নাটকের গান সম্বন্ধে ১৫৮ _-বৈকুষের খাতা' নাটক সম্বন্ধে ৪৫* পা-টী কণিকা কাবা সম্বন্ধে ৪৮৯ --কড়ি কোমল সম্বন্ধে ৫৩৫

সহথকুমারী দ্বেবী ২২ --বঝ ত্রাঙ্গধর্ম মতে বিবাছ ১১, ১৪

হৃখততবশান্ত্র ৫৩৮

হুথে থাকে আর হৃতখী কৰে সবে' জ্রেহুলতা সেনের বিবাহের জন্য রচিত ২৭১

স্থৃতাঙ্ছটি গ্রাম

সুধীজ্ঞনাথ ঠাকুত্ধ ১৩ -সাধনাস্র সম্পাদক ১৩, ৩১৫

সুধীর সেন ৫২৮

সুনীতিকুজার চট্টোপাধ্যাযবের সহিত তাবাতত্ব আলোচনায় মনু ৪৭৭

“সুনীতি সঞ্চান্ছিণী নভা'র ( সাহাজাঙপুর ) উপস্থিত ভাষণ হবান-২৮২

'কুপ্তোখিতা' (সোনাম তবী ) ৩২২, ৩৩২ জং “নিহিত?

সপ্রতা ( শবৎমুছারীর কল্ত1) “বিবাহ-উৎলব' নাটিকায পুরুষের তৃিকার ১৯৩

৫৭৮

স্থপ্রভাত' (ভারতীর পূর্ব-পৰিকল্লিত নাম ) ৬৮ “ম্থুবিচাবের অধিকার” ( প্রবন্ধ ) ৪১৪ 'সুর্দাসের প্রার্থনা" (মানসী ).২৬৩ ভ্রু. আখির অপরাধ' সম্বন্ধে ভদ্রাংশু যুখোপাধ্যায় ২৬৪, ৫৩৬ স্বরুল-ওহ্‌টিয়। সড়ক ৪০ স্থরেন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৪, ৯১, ২২৬, ২৬৭১ ২৮২, ৫২৩ _-কে কৌতুকপূর্ণ পত্র ২৩৩ _ কে পবিসর্জন? উংসর্গিত ২৮৩ --ও বলেন্রনাথের ঠাঁকুর-কোম্পানির ব্যাবসা ৪৬৭, ৪৮২) ৪৮৭ হবেজ্্রনাথ বন্দোপাধ্যায় ৩৬০ -- রাজনৈতিক আন্দোলন ৫২, ১৮২-৮৩,২২৯, ৪৫৫ - এর কারাবাস-অস্তে সংবর্ধনাসতায় কবির গান ১৮৩ পাঁটী _-ও “হিতবাদী' পত্তিকা ৩০৯ __পুপা কন্গ্রেদের ( ১৮৭৩ ) সভাপতি ৪১৩ স্বরেশচন্ত্র সমাজপতি -সম্পার্দিত “আগমনী” বাধিকের “মাতৃবন্দনা” কবিতাগুচ্ছ ১২ _ এন “সাক্টিতা' পত্তিকা ৩১২), ৩১৬, ৩৪৩, ৩৬২১ ৪৮৫) ৫০৩ সুশীল বায়, 'জ্যোতিরিক্দ্রনাথ' ৩৪৫ পাঁ-টী সুীলাদেবী ( দিনেজ্্নাথের মাতা ) _-বিবাহ-উৎসব'-নাটিকায় পুরুষের ভূমিকায় ১৯৩ 'সুঈীলার উপাখ্যান? বালাকালে পাঠ ৩৪ সুহ্বৎ্নাথ চৌধুরীর ব্রাঙ্মধর্মে দীক্ষাকালে কবিকে সংগীত ৪৩৯ --এর বিবাহ-উপলক্ষে গান রচনা ৪৪৪ দ্র. “উজ্জল কর হে আজি" “টি গ্রলয়ের তত্ব লয়ে তুমি আছ মত্ব' ( পত্র-কবিতা : অক্ষয় চৌধুরীর উদ্দেশে ) ৩৮৩ স্াষটি স্থিতি প্রলয় ( প্রভাতসংগীত ) ৯৯, ১৩৪-৩৫ ( প্রবন্ধ : ভারতী ) ১৩৪ সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে অধ্যয়ন ৪৪, ৪৬, ৮* পাটা সেক্সাস বা! আদষনসুষার ১৮৯১ অফিসারকে আদি সমাজীয় ব্রাহ্মর! হিন্দু বলিয়া নির্দেশিত করিবার আবেঙগন-পঞ্ঞ ৩০৩ সৈয়দ আহদ, কন্গ্রেস- আন্দোলনের বিরোধী ৪১৩ “সোনার তরী' ( কবিতা! ) ৩২০-২১১ ৩৭৫-৭৬, ৫৩৭ --শব গ্রথম ব্যবহার ৩১৮ জ. গ্রমখনাঁথ চৌধুরী -_র নিহিতার্থ বাক্ত করিয়া ইন্দিবাদেবীকে পত্র ৩১৮

ববীন্দ্রজীবনী

--সোনার শবী' ( কবিতা ) _র বিরুদ্ধে ছিজেন্দ্রলাল বায়ে জেহাদ ঘোষণা ( প্রবাসী, কান্ডিক ১৩১৩ ) ৩১৯ _রব্যাখান "তরী বোঝাই? ভাষণে ৩১৯-২০ - সম্বন্ধে ব্াখানের প্রথম চেষ্টা ৩২৭ জু. পুর পশ্চিম? _সম্বদ্ধে চাকচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্াযায়ের প্রশ্নের উল্তবে কবিতাটির রচনাকাল নির্দেশ ৩২* “সোনার তরী" (কাবা )-এর শেষ পব ৩৮*-৮৯ -_দ্বেবেজ্রনাথ সেনকে উতৎমগিত ৩৮৭, ৫২৩ “সোনার বাধন? ( মোনার তরী ) ৩২৩ জু. তামরা আষবা” 'সোমপ্রকাশ' ১৭, ৫৫ সোমেজ্জনাথ ঠাকুর ১৪, ২২, ২৯, ৩৮) ৪৪, ৩০৪ _এর উৎসাহে 'বনফুল' গ্রন্থ কারে মুদ্রিত ৫৯ মোলাপুরে ২২৭, ২২৮, ২২৯) ২৭৪, ২৯৩-৯৪ -বাসকালে রাজ রানী' লিখিত (১৮৮৯ ) ২৭১ _বামকালে একটি গান রচনা ২৭১ দ্র. সুখে থাকো আর হুখা করো? _থাকিয় বিলাত যাত্রা (১৮৯০ ) ২৯৩, ২৯৫ সৌদামিনী দেবী ১৪) ২২) ২২৯১ ৫২২ মাতা সারদাদেবীর চতুরী শ্রা্ক্রিয়াতে প্রার্থনা (১৮৭৫) ৪৪ পা-টী 9 _বুবীন্দ্রনাথের সহিত দ1প্দিলিডে ২২৫ সৌন্দর্য প্রেম ( প্রবন্ধ ) ১৯০ “মৌন্দর্যত্” ৪২৯ সৌমোজ্্রনাথ ঠাকুর ১৩ সৌরীন্ত্রমোহন মুখোপাধ্যায় ৫২৮ সট-কুমারীছয়। ( ১৮৭৯ ) ৯৩ দ্র. 'ছুদিন", দিকশৃন্য ভট্টচার্য ক্কট-পরিবারের সন্ধানে লণ্ডনে (১৮৯০ ) ২০৬ 'স্কাইলার্ক' শেলী ওয়ারডস্ওয়ার্দের কবিতাঘয়ের তৃলনা ১৭৭ সেচবুক 916001) 9901 ) লইয়া ছবি জাকা ৩৭৮ স্টার খিয়েটাবে “বার্সীকি-গ্রতিভা” অভিনয় ৩৪৮ স্টাঞ্জ-মার (500186-00০০0 )-এর “দি ফাউগুলিং হিরো? ৪৬৩ পা-চী ত্র, “কর্ণকুস্তী সংবাদ' বীর (প্রবন্ধ) ৩১৮, ৩২, স্রী-স্বাধীনতা সম্বন্ধে ৯৪-১৫ স্বীশিক্ষার গ্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে ৩০৮ 'ন্গেহগ্রাস ( চৈতালি ) ৪৪২ 'ক্লেহলতা। ( স্বর্কুম!রী দেবীর গল্প ) ৫১

নির্দেশিকা

নেছলত! ( বিহবারীলাল গুধ্ের কণ্যা! )-ব বিবাহের জন্য গান রচনা ২৭১

“ম্সেহস্থতি' ( চিত্র। ) ৩৯৪, ৩৯৫

ম্পেন্সর, ছারার্ট-এর প্রবন্ধ পাঠের প্রভাব ১০১, ১৪৪-৪৫ দ্র. “বাল্মীকিপ্রতিভা", 'কাবোর অবস্থা পরিবর্তন'

“শ্বতি' ( দেবেন্দ্রনাথ সেন ) প্রবন্ধ ২৬০

প্টালভেশন আমি? (98915806019 41005 ) ২৬৬ পা-টী জর. 'মুক্তি-ফৌজ'

ম্বঙাতি... স্বজাতীয়দের পক্ষে ধ্ুব আশ্রয়ভূমি হইয়া! উঠিতে পারে নাই” ৪১৪

স্বদেশ' ( 'আলোচন' গ্রন্থ ) ১৮৯

স্বদেশ খণ্ডে যুরোপ-যাত্রীর ভায়ারির ভূমিকার একাংশ- নূতন রি পুরাতন' ৩০৩

স্বদেশ-প্রেম-ছ্যোতক সংগীত রচনায় ঠাকুর-পবিবারের দান €০

শ্বদেশী সমাজ? (গ্রন্থ) ১৮৮

স্বনাম-যুক্ত প্রথম মুদ্রিত কবিতা ৪৭, ৪৯-৫০, ৬২ দ্র. “হিন্পুমেলায় উপহার"

স্বপ্র' ( কল্পনা ) ৪৫৩

“স্বপ্নপ্রয়াণ' ( দ্িজেজ্জনাথ ) ১৩, ২৬, ---ও “ফুলবালা' গাথার ভাষা ৬৬

্বপুপ্রয়াণের সমালোচনা,সতীশচন্দ্র বায় ( বঙ্গদর্শন ), কানাই সামন্ত (বিশ্বভারতী পন্তিক1 ) ২৬ পা-টী

“স্বপ্নময় নাটক (জো !তিবিজ্্রনাথ) 9৭, ৫৫, ১০১৪ ৫৩০-৩১ -নাটকে হিন্ুমেলায়-পঠিত (১৮৭৭) কবিতা

সন্িবেশিত হয় ৪৭, «৫

-পাটকে রবীজ্নাথের কমেকটি গান ১৩০

ব্বর্গ হইতে বিদ্গায় ( চিজ্ঞা ) ৪৩০,.৪৩১

্বর্ণকুমারী দেবী ১৪, ২২, ৫১, ৫৯, ৩৪৫) ৫২৮) ৫৩৬ শান ঘচলাক় লহায়তা ১০১ -_ধবিবাছ উতৎ্সব'-এব গান রচন1 ১৯৩ _-( ছই কণ্যাপহ ) কবির সহিত দাঞ্জিলিঙে ২৫৫ র্‌ 'গাজিপুনের পত্র' (ভারতী ১২৯৬ ) ২৬৭ কর্তৃক স্থাপিত 'মখিসষিতি' (১২৯৩) ২৬৯ পা-্টী

_র ছুইকন্তা হিরপামী সরলার উপর “তারভী'র

গারিত্ব (১৩০২-৪ ) দান ৪৬৫

স্বরসগ' ( গল্প ) ৩৩১

স্বার্দেশিকত। ৪৭-৫৬

স্বাধীনতার পথপ্রদর্শক' উপ-প্রবন্ধে কবিদের কাজ লব্বঘ্ধে ১৯০

স্বার্থ ( চৈতালি ) ৪৪৬ পা-টী

€৭৪

হ. চ. হু ( হরিশ্জ্ হালদার ) ৩৭

“হতভাগ্যের গান' ( কল্পন। ) ৪৫৮, ৪৭২

হরনাথ পণ্ডিত ( নর্মাল স্বুলের শিক্ষক ) ৩১ ৩১০

হরপ্রসাদ শাস্্রীর “বান্মীকির জয়' গ্রন্থে 'বান্ীকি-প্রতিভা'র প্রভাব ১০৩

“হরহদে কালিকা? ৯৯, ১৩৬

হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় ৪৮৪ পা-টী

হবিদেব শাস্্ী ৫3৩

হরিমোহন মুখেপাধায় সম্পাদিত 'বঙ্গভাষার লেখক” ৩২৪ পা-টী গ্রন্থে কবি-কুত ( আত্মকথ! ) জীবনদেবতাবাদের

বাখ্যান ৪৩৩

হবিশ্চজ্জ নিয়োগী-র “ছুঃখসঙ্গিনী” সমালোচনা ৬১

হবিশ্চজ্দ্র হালদার দ্র. হ. চ. হু

হরিশ মালি খরগোস শিকার ৪* পা-টী

হরিহর শেঠ, “রবীন্দ্রনাথের কবিজীবনে চন্দননগরের স্থান ১৩১ পা-টী

“হঙ্গাহল" ( সন্ধ্যাসংগীত ) ১২৭

হাজারিধাগে ( ১৮৮৫) ২২৬, ৪১৮

“হাতে-কলমে' (প্রবন্ধ ) সাবিত্রী লাইব্রেরিতে পাঠ ১৮৭ পাঁ-চটী

'হামচুপামৃহাফ” দ্র 'সম্বীবনী সভা।

“হায় কোথা যাবে" ( কড়ি কোমল ) ১৯৯

'হাব্মিট” ( গোল্ডশ্মিথ ) কাবোর ছায়াবলগ্বনে 'উদাসিনী” কাব্য চিত ১৫৯ জর. অক্ষয়চন্্র চৌধুরী

হারল্যানভ,, ছেনরী-র গ্রন্থ পাঠ ৪৯২

“হারে হতভাগা বিহঙ্গম সঙ্গীহীন', পিত্রার্কার কবিতার অনুবাদ ৮৫

হাবাট ম্পেন্সব-এর “দি ওরিজিন আযণ্ড ফাংশন অব মিউদ্ধিক' প্রবন্ধ (১৮৫৭ ) রবীন্দ্রনাথের সংগীত-

চিন্তা ১০১) ১০৪-৫ স্তর "সংগীতের উৎপত্তি উপযোগিতা, “ছাশ্াকৌতুক' ( হেঁঘালি নাটা বা শারাভ. ) ২২৫, ২৪৫

“ছিং টিং ছটা (সোনার তবী) চঙ্্নাথ বন্ছ ৩২৪ পাঁটী ২)

“হিতবান্দী' পত্রিকা ৩*৮-১২ ৩৩০ -প্রচারের জন্ত যৌথ কারবার গঠন ( ১৮৯১ ) ৩৯৯ --ও ছোটগল্প ৩০৯-১০

ছিতেজ্জনাথ ঠাকুর ৩৮৯ -”ও পাকিবাৰিক স্বতি'লিপি ৩৭৩

ববীন্ঞীবনী

হিন্দী গান ৩৯৯, ৪২১ _ভাঙিয়া ব্রন্মসংদীত রচন। ২৮ হিন্দু কলেজ রি-ইউনিয়ন-সভায় বালক-কবি ৬২ “হিন্দুধর্ম” ( বঙ্ছিমচন্ত্র ) ২০৪, ২০৯ '_ প্রবন্ধের সমালোচনা ২০৫-৬ ভ্রু, “একটি পুরাতন কথা' “হিন্দুধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব ( বাজনারায়ণ বল্গ ) ২০৩, ৩০৩ “হিন্দু-পেত্রিয়ট' ( হরিশ মুখুজ্ছে )-এ নীলকরের হাক্কামার প্রতিবাদ ১৭ “হিন্দু বিবাহ" ( প্রবন্ধ ) ২৫২, ২৬৬, ৩১৯ _ সায়েন্স আসে সিয়েশন ছলে পাঠ ২৫২ সম্বন্ধে চজ্ছনাথ বন্ধ ( ১৮৮৭ ) ২৫২-৫৩) ৫৩৬ হিন্দু-ত্রাঙ্ধ প্রশ্ন সম্বন্ধে সেন্সাসের অধিকর্তাকে পত্র (১৮৯১ ) ৩৩৩ হিন্দু-মুসলমান বিরোধ ৪১৩-১৪ হিন্দুমেলা ৪৭-৫২ _য় হিন্দুমেলায় উপহার” কবিতা পঠিত (১৮৭৫) ৪৭, ৪৯-৫০ দ্র, 'স্বপ্রনয়ী নাটক _দ্বিলীদরবার-সংক্রান্ত কবিতা পাঠ (১৮৭৭ ) ৫৩ -_নবীনচন্দ্র সেনের সহিত পরিচয় ( ১৮৭৭ ) হহিন্দুষেলায় উপহার" (১৮৭৫) ৪৭, ৪৯-৫০, ৬২ “হিন্দুর একা (প্রবন্ধ : সমাজ ) ৪৭৪ পাটা হিষাঁলয়ে পিতার সহিত ভ্রমণ ৪১-৪২ হিরঙয়ী দেবী ( মুখোপাধ্যায় ) ১৫, ৫১৮ --র বিবাহ উপলক্ষে “বিবাহ উৎসব' নাটিকা রচনা! অভিনীত ১৯৩ --কবির সহিত -দাজিলিডে ২৫৫ --ও মরলা দেবী ( ঘোষাল ) 'ভারতীর” সম্পার্দিকা ( ১৩০২-৪ ) ৪৬৫, ৫২৮ হ্্ভ, (1500985 1100 )-এর “সং অব. শার্ট ২৯৭ “ছুতোম প্যাচার নক্সা? ১৮ “হদয় অরণ্য ( কাবাগ্রন্থ £ ১৩১০ ) ১২৮ ্. সন্ক্যাসংগীত ভাদয়-হমূল1, ৩৭৬ “ভবদয়ের ধন' ( মানসী ) ২৫৮ হেয়ালি নাট্য ( শারাভ.) ২২৫, ২৪৫ হেকেটি ১১৫ প্র. শ্রীমতী হে “হে তারক! ছুটিতেছ আলোকের পাখা ধোরে' ( শেলি

হইতে অনূদিত ১১৮ দ্র. “যথার্থ ঘোসর' হেবরলিন, “কাবাসংগ্রহ' ৮১ পা-টী হেমচজ্্ বন্দ্যোপাধ্যায় ৬৩ --এর "ভারত সঙ্গীত” ৪৯, ৫৫ --এর 'বৃজ্সংহার” সম্বন্ধে কবি ১৫৮ -কে অর্থসাহাযাদ্ান তদবিষয়ে বাবস্থা ৪৮৬ ৮৭ হেষচন্ত্র বস্থ মল্লিক ৩০ গোড়ায় গলদ” অভিনয়ে নিবারণের ভূমিকায় ৩৪৬ _-টিলকের মকঙ্গমার সাহাযাকল্পে অর্থসংগ্রহ ৪৬৮ বিসর্জন, অভিনয়ে জয়সিংহের় ভূমিকায় ৫*৮ পা-টী হেমচন্ত্র বিচ্যারত্ব ( ভট্টাচার্য ) ৩৮৯, ৪৩২, ৪৮৩ _বান্মীকি-রামায়ণ অজ্ভুবাদক ৬৯, ৪৪৫ সহায়তায় “সংস্কৃত শিক্ষা” প্রকাশ (১৮৯৬) ৪৪৫, ৪৬৫ হেমস্তবাল! দেবী ৫৩৭ হেমলতা দেবী (সরকার ) ভারতবর্ষের ইতিহাস ( সমালোচনা ) ৪৭৯ পা-চী হেমেম্দ্রনাথ ঠাকুর ১৪, ২১১ ৩২, ৩৪, ৩৬, ১৯৪, ৩০৪ --এর কন্তা প্রতিভার বিবাহ ২৩৪ - পুত্র ক্ষিতীন্্রনাথের বিবাহ ৪৩২ --প্প্িক্কতিক বিজ্ঞানের স্বুল মর্ম ( রামেজ্রহম্দর- প্রকাশিত ) ৪৫৬ পা-টী হেমেজ্নাথ হাশগুণ্ত ৩৪৮ পা-ী --র ভারতীয় নাটামঞ্জ' গ্রন্থ ১৫৭-৫৮, ৩৫৭ পা-টী হেয়েন্্নাথ মূখোপাধ্যায় ( জামাতা ) ১৪ হেসেন্রপ্রসাদ ঘোষ -কর্তৃক- 'চৈতালি'র বিরুদ্ধ-সষালোচনা ৪৪৭ পা-টী _-কে প্রর্ কবিতায় প্রভাতকুষার মুখোপাধ্যায়ের আক্রমণ ৪৪৭ পাঁ-টী এর (প্রণয়ের পবিপাম গল্প-সন্বন্ধে ৪৮৫ হেরম্বচন্্র ষৈত্র ৫৩৪ হোমরুল আন্দোলন, আয়র্লণ্ডে ৯৩ “হোয়াট ইজ আর্ট” ( টলস্টয় ) সম্বন্ধে ৫*৭ হ্যামারগ্রেন্‌, ( নুইডিশ যুবক ) প্রসঙ্গ ৩৪৮ অতিথি দেশীয় জাতিথা' --অক্কোটি ৫৩৮-৩৯

জর. “বিদেশী